আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشرين من الهجرة

ذكر المتوفين في هذه السنة من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৫৫৯৭


ডত্সনা করতে থাকে ৷ তার সম্পর্কে সাধারণ জনগণের মন্তব্য হলো, “এ দোকটি অত্যন্ত বৃদ্ধে
পরিণত হয় এবং হযরত সাদ (রা)-এর অভিশাপ তার উপর পতিত হয় ৷ হযরত উমর (রা)

তার ছয়টি অসিয়তের একটিতে বলেন : হযরত সাদ (রা)-কে শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে
তার পরে তোমাদের মধ্যে যে শাসনকর্তা নিযুক্ত হবে সে যেন তার প্রতি সদয় থাকে কেননা
তাকে তার অক্ষমতা কিংবা দুর্নীতির জন্যে আমি বরখাস্ত করিনি ৷ বর্ণনাকারী বলেন৪ এ
বছরেই হযরত উমর (রা) থায়বারেৱ ইয়াহুদীদেরকে খায়বার থেকে বিজ্যি শস্যছুক্ষ্যত্র
বিতাড়িত করেন ৷ এ বছরেই হযরত উমর (রা) নাজরানের ইয়াহুদীদেরকে কুফায় বিতাড়িত
করেন ৷ তিনি খায়বার, ওয়াদিউল কুরা ও নাজরানের সষ্পচ্চ(জ্যো)ফ্লাল্মানদ্রের-
মধ্যে বন্টন করে দেন ৷ এ বছরেই হযরত উমর (রা) দাপ্তরিক কার্যক্রম প্রণয়ন করেন ৷ আবার
কেউ কেউ মনে করেন : এ বছরের পুর্বেই তিনি তা প্রণয়ন করেছিলেন ৷

এ বছরেই উমর (রা) আলকামাহ ইবন মুজমার আল-সাদলির্জীকে একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদলের
প্রধান হিসেবে সমুদ্রপণে হাবশায় প্রেরণ করেন ৷ কিত্তু তারা সকলে শাহাদত লাভ করেন ৷
তারপর উমর (রা) নিজে নিজে শপথ নেন যে, তিনি আর কখনও ণ্সমুদ্র পথে কোন সৈন্যদল
প্রেরণ করবেন না ৷

এ সম্পর্কে আবু মা শার, আল্লামা ওয়াকিদীর বিরোধিতা করে বলেন, হাবশার যুদ্ধ ৩১
হিজ্জীতে অর্থাৎ উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর আমলে সংঘ ঘটিত হয়েছিণ ৷

আল্লামা ওয়াকিদী (র) বলেন, এ বছরেই হযরত উমর (রা) ফাতিমা বিনত আল ওয়ালীদ
ইবন উতবাহকে বিয়ে করেন ৷ তার স্বামী হারিস ইবন ইিশাম প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে
ইনতিকাল করেন ৷ তিনি ছিলেন হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদের ভগ্নি ৷ এ বছরেই দামেশকে
ইিলাল (রা), শাবান মাসে উসাইদ ইবন আল-হুদইির (রা) এবং উম্মুল মু’মিনীন হযরত যয়নব
বিনত জাহাশ (রা) ইনতিকাল করেন ৷ মুসলমানদের মাতাদের মধ্যে হযরত খাদীজাতুল কুবরা
(রা)-এর পর তিনিই প্রথম ইনতিকাল করেন ৷ এ বছরেই হিরাক্লিয়াস পরলোক গমন করেন
এবং তার পরে তার ছেলে কুসতানতীন তার উত্তরাধিকারী সাব্যস্ত হন ৷ আর এ বছরেই হযরত
উমর (রা), তার প্রতিনিধি কিৎরা আমীর ও বিচারকগণ নিয়ে হজব্রত পালন করেন ৷ শুধু
একজন আমীরকে তিনি বরখাস্ত করেন ও তার প্রতিনিধি নিযুক্ত করেন ৷

এ সনে যেসব মনীষী ইনতিকাল করেন, তাদের বর্ণনা
উসাইদ ইবন আস-ছদাইর

তার দাদার নাম সাম্মাক আল-আনসারী আল-আশহালী ৷ তিনি আউস গোত্রের ৷ তার
কুনিয়াত ফ্লি আবু ইয়াহ্ইয়া ৷ তিন আকাবাহর রজনীতে একজন নকীব ছিলেন ৷ তার পিতা
বুয়াস যুদ্ধের সময় আউল গোত্রের প্রধান ছিলেন ৷ হিজরতৈ র পুর্বে তার বয়স ছিল ছয় বছর ৷
তাকে হুদাইরুল কুতায়িব বলা হতো ৷ কথিত আছে যে, তিনি মাসয়াব ইবন উমাইর (রা) এর
হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ মুসলমানগণ যখন মদীনায় হিজরত করেন রাসুলুল্লাহ্মোঃ তার
মধ্যে ও যায়িদ ইবন হারিসা (রা) এর মধ্যে ভ্রাতৃৎ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন ৷

তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নি ৷ হযরত আবু ছরায়রা (বা) হতে বর্ণিত ও ইমাম
তিরমিষী (র) দ্বারা বিশুদ্ধকৃত হাদীসে জানা যায় যে, রাসুলুল্পাহ্লোঃ বলেন, “আবু বকর (রা)
উত্তম ব্যক্তি, উমর (রা) উত্তম ব্যক্তি ও উসাইদ ইবন ছদইির (রা) উত্তম ব্যক্তি ৷ এভাবে একটি


وَزَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، وَهِيَ أَوَّلُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. قَالَ: وَفِيهَا مَاتَ هِرَقْلُ، وَقَامَ بَعْدَهُ وَلَدُهُ قُسْطَنْطِينُ. قَالَ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُمَرُ. وَنُوَّابُهُ وَقُضَاتُهُ، وَمَنْ تَقَدَّمَ فِي الَّتِي قَبْلَهَا، سِوَى مِنْ ذَكَرْنَا أَنَّهُ عَزَلَهُ وَوَلَّى غَيْرَهُ. [ذِكْرُ الْمُتَوَفَّيْنَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] أُسَيْدُ بْنُ الْحُضَيْرِ بْنِ سِمَاكٍ الْأَنْصَارِيُّ الْأَشْهَلِيُّ، مِنَ الْأَوْسِ، أَبُو يَحْيَى، أَحَدُ النُّقَبَاءِ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ، وَكَانَ أَبُوهُ رَئِيسَ الْأَوْسِ يَوْمَ بُعَاثٍ، وَكَانَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ بِسِتِّ سِنِينَ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: حُضَيْرُ الْكَتَائِبِ. يُقَالُ: إِنَّهُ أَسْلَمَ عَلَى يَدَيْ مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ وَلَمَّا هَاجَرَ النَّاسُ آخَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ، وَلَمْ يَشْهَدْ بَدْرًا. وَفِي الْحَدِيثِ الَّذِي صَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «نِعْمَ الرَّجُلُ أَبُو بَكْرٍ، نِعْمَ الرَّجُلُ عُمَرُ، نِعْمَ الرَّجُلُ أُسَيْدُ بْنُ الْحُضَيْرِ» وَذَكَرَ جَمَاعَةً.
পৃষ্ঠা - ৫৫৯৮


দলের নাম উল্লেখ করেন ৷ হযরত উমর (রা)এর সাথে তিনি সিরিয়ার আগমন করেন ৷ হযরত
আয়িশা সিদ্দীকা (বা) তার প্রশংসা করেন ৷ হযরত আলী (বা), সাদ ইবন মুয়ায (রা) ও
উব্বাদ ইবন বিশ্ব (বা) তীর প্রশংসা করেন ৷ ইবন বুকইির (র) উল্লেখ করেন যে, তিনি ২০
হিজরীতে মদীনায় ইনতিকাল করেন ৷ উমর (বা) তার লাশের খ্যাটৱ দৃপায়ার মধ্যখানে তাকে
বহন করেন ৷ তিনি তার সালাতে জানাযা আদায় করেন এবং জান্নাতুল বাকীতে তাকে দাফন
করা হয় ৷

আল্পামা ওয়াকিদী, আবু ওবাইদ ও অন্যান্য এক দল ওলামা ২১ হিজরীকে র্তার মৃত্যুর
বছর বলে উল্লেখ করেন ৷

উনাইস ইবন মিরসাদ ইবন আবু মিরসাদ আলপানুভী

তিনি, তার পিতা ও তার দাদা সকলেই রাসুলুল্লাহ্ড্রোএর সাহাৰী ছিলেন ৷ হুনইিনের
যুদ্ধে হযরত উনাইস (রা) রাসুলুল্পাহ্ -ষ্ন্ণ্শ্ প্শুএর গুপ্তচর ছিলেন ৷ কথিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্
মোঃউনাইস (রা)-কে বলেছিলেন, হে উনাউস! আগার্মীকাল তুমি এমন একটি শ্রীল্যেকের সাথে
সক্ষোত করবে যদি সে স্বীকার করে তাহলে তুমি তাকে প্রস্তর নিক্ষেপ করে শান্তি প্রদান
করবে ৷ বিশুদ্ধমত হলো, তিনি ছিলেন অন্য এক ব্যক্তি ৷ কেননা হাদীসের মধ্যে রয়েছো;
ণ্া ৷ ;ৰু ,াৰু , ৷ অর্থাৎ আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তিকে বললেন, কেউ কেউ বলেন : “তিনি
ছিলেন উনাইস ইবন আদদুহাক আল-আসলামী ৷ ইবনুল আসীর এ অভিমতটিকে প্রাধান্য
দিয়েছেন ৷ ফিতনা সম্পর্কে তার বর্ণিত একটি হাদীস রয়েছে ৷ ইব্রাহীম ইবন আল যুনযার
বলেছেন : ২০ হিজরীর বরিউল আউয়াল মাসে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ »

আবু বকার (রা)-এর আযাদকৃত দাস মুয়ায্যিন বিলাল
ইবন আররাৰাহ আল-হাবশী (বা)
তীকে বলা হয় বিলাল ইবন হামাসাহ ৷ তিনি তার আম্ম৷ ৷ ইসলামের প্রাথমিক যুগে ইসলাম
গ্রহণ করেন ৷ মহান আল্লাহ্র পথে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে ৷ তিনি তা সহ্য করেন ৷ তারপর
আবু বকর সিদ্দীক (রা) র্তাকে খরিদ করেন ও আযাদ করে দেন ৷ তিনি বদর ও অন্যান্য যুদ্ধে
ৎশগ্রহণ করেন ৷ হযরত উমর (রা) বলতেন, “আবু বকর (রা) আমাদের সর্দার এবং তিনি
আমাদের সর্দারকে আযাদ করে দিয়েছেন ৷” ইমাম বুখারী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷
মদীনায় যখন আধান আবিষ্কার হলো তখন থেকে তিনি মুয়ায্যিন ছিলেন ৷ তিনি এবং
আবদুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতৃম (রা) রাসুলুল্পাহ্ মোঃ এর সামনে আষান দিতেন ৷ বিলালের কণ্ঠ
ছিল খুবই শুদ্ধ ও মধুর ৷ বিলালের ,শীন মহান আল্পাহ্র কাছে শীন বলে গণ্য এরুপ কথার কোন
ভিত্তি নেই ৷ পবিত্র মক্কা বিজয়ের দিন তিনি কাবা শরীফের ছাদে আযান দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ fl
এর ইনতিকালের গর তিনি আযান দেওয়া বন্ধ করে দেন ৷ কথিত আছে, আবু বকর সিদ্দীক
(রা)-এর যুগে তিনি আষান প্রদান করেন ৷ কিন্তু তা শুদ্ধ নয় ৷ তারপর তিনি জিহাদের অংশ
নেওয়ার জন্যে সিরিয়ার গমন করেন ৷ হযরত উমর (রা) যখন আল জাবীয়ায় আগমন করেন
তার বভৃতার পর যুহ্র সালাতের জন্যে তিনি আযান দ্যো ৷ জনগণ চিৎকার দািয ত্রুন্দন করতে


وَقَدِمَ الشَّامَ مَعَ عُمَرَ. وَأَثْنَتْ عَلَيْهِ عَائِشَةُ، وَعَلَى سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، وَعَبَّادِ بْنِ بِشْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَذَكَرَ ابْنُ بُكَيْرٍ أَنَّهُ تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ سَنَةَ عِشْرِينَ، وَأَنَّ عُمَرَ حَمَلَ بَيْنَ عَمُودَيْهِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ، وَدَفَنَهُ بِالْبَقِيعِ. وَكَذَا أَرَّخَ وَفَاتَهُ سَنَةَ عِشْرِينَ الْوَاقِدِيُّ، وَأَبُو عُبَيْدٍ، وَجَمَاعَةٌ. أُنَيْسُ بْنُ مَرْثَدِ بْنِ أَبِي مَرْثَدٍ الْغَنَوِيُّ، هُوَ وَأَبُوهُ وَجَدُّهُ صَحَابَةٌ، وَكَانَ أُنَيْسٌ هَذَا عَيْنًا لِرَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ حُنَيْنٍ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ الَّذِي قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَاغْدُ يَا أُنَيْسُ إِلَى امْرَأَةِ هَذَا، فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا» وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ غَيْرُهُ، فَإِنَّ فِي الْحَدِيثِ: فَقَالَ لِرَجُلٍ مِنْ أَسْلَمَ. فَقِيلَ: أَنَّهُ أُنَيْسُ بْنُ الضَّحَّاكِ الْأَسْلَمِيُّ. وَقَدْ مَالَ ابْنُ الْأَثِيرِ إِلَى تَرْجِيحِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. لَهُ حَدِيثٌ فِي الْفِتْنَةِ. قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ: تُوُفِّيَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ عِشْرِينَ. بِلَالُ بْنُ رَبَاحٍ الْحَبَشِيُّ الْمُؤَذِّنُ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ، وَيُقَالُ لَهُ: بِلَالُ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৯৯


থাকেন ৷ কথিত আছে তিনি যখন পবিত্র মদীনা যিয়ারাত করেন তখন তিনি আযান দেন এবং
লোকজন অত্যন্ত ত্রুন্দন করেন ৷ আর একটা তাদের জন্য সমীচীন ছিল ৷

শুদ্ধরুপে প্রমাণিত রয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্আঃ একদিন বিলাল (রা) কে বলেন, “আমি
জন্ন্নাতে প্রবেশ করলাম এবং আমার সামনে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেলাম ৷ তুমি যে
আমলের জন্যে এরুপ মর্যাদা অর্জন করলে তার কথা কি আমাকে বলবো” তিনি বললেন,
আমি ওষু করার পরই দৃরাকআত সালাত আদায় করি ৷ ’ রাসুলুল্পাহ্ ড্রুআে বলেন, এ আমলের
জন্যেই তোমার এরুপ মর্যাদা অর্জিত হয়েছে ৷” অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে তিনি বলেন,
“ওযু ভঙ্গ হওয়ার সাথে সাথে আমি ওযু করে নিতাম এবং ওযুর পর দৃ’রাকআত সালাত আদায়
করে নিতাম ৷ ইতিহাসবিদগণ বলেন, বিলাল ছিলেন খুব বেশি বাদামী রংয়ের, লম্বা,
ছিপছিপে, ঘনকেশী এবং হালকা পালের অধিকারী ৷” ইবন বুকাইর (র) বলেন, হযরত বিলাল
(রা) আমওয়াসের প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে দামেশকে ১৮ হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ও অন্যরা বলেন, “২০ হিজরীতে হযরত বিলাল (রা) ইনতিকাল করেন ৷
আল্পামা ওয়াকিদী (র) বলেন, “হযরত বিলাল (রা)-কে ন্ ৷ ৷ , ন্াৰু বাবুস সপীর নামক স্থানে
দাফন করা হয় ৷ আর তার বয়স ছিল ৬৩ বছরের বেশি ৷ ’ অন্যরা বলেন, “তিনি দারীয়া নামক
স্থানে মৃত্যু মুখে পতিত হন এবং বাবে কইিসান নামক স্থানে তাকে দাফন করা হয় ৷” কেউ
কেউ বলেন, দারীয়া নামক স্থানে তাকে দাফন করা হয় ৷ আবার কেউ কেউ বলেন যে, তিনি
হালব নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন ৷ প্রথম অভিমতটি বেশি শুদ্ধ ৷

সাঈদ ইবন আমির ইবন হুযাইম

তিনি বনু জামহের মহৎ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ খাযবার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ তিনি
ছিলেন ইবাদতকারী ও পরাহযপারদের অন্যত তম ৷ হযরত আবু উবইিদা (রা) এরপর ইিম্স-এ
তিনি হযরত উমর (রা)-এর পক্ষ হতে আমীর নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷ হযরত উমর (রা) এর কাছে

ৎবাদ পৌছল যে, তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন, তখন তিনি তার কাছে এক হাজার

দীনার প্রেরণ করেন ৷ তিনি সবগুবলা দীনার সাদকা করে দিলেন এবং স্বীয় শ্রীকে বললেন,
“আমরা এ এক হাজার দীনার এমন লোকের কাছে দান করলাম যারা এগুলো দিয়ে আমাদের
জন্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন ৷ বিখ্যাত ইতিহাসবিদ খালীফা (র) বলেন : “হযরত সাঈদ (রা)
ও আমীর মুয়াবিয়া (রা) কইিসারীয়া জয় করেন ৷ তারা প্রত্যেকে একে অপরজনের উপর শাসক
হিসেবে গণ্য ৷
আইয়াযইবন শুনাম

তার কুনিয়াত আবু সাদ ৷ উপাধি আল-ফিহরী ৷ তিনি প্রথম শ্রেণীর মুহাত্তিরেদের অন্তর্ভুক্ত ৷
তিনি বদর ও তার পরবর্তী যুদ্ধগুলােতে অৎশ্যাহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন দাতা ও দয়ালু এবং
সাহসী ৷ তিনিই আলজেরিয়া জয়লাভ করেন ৷ তিনিই প্রথম ব্যক্তি যে গাযী হিসেবে রোমের দ্বার
অতিক্রম করেন ৷ তারপর আবু উবাইদা (রা) সিরিয়ার তার প্রতিনিধি হতে চান ৷ হযরত উমর
(রা)ত তাকে ৬০ বছর বয়সে ২০ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করা পর্যন্ত সিরিয়ার শাসনকর্তা হিসেবে
দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিলেন ৷


حَمَامَةَ. وَهِيَ أُمُّهُ. أَسْلَمَ قَدِيمًا فَعُذِّبَ فِي اللَّهِ فَصَبَرَ، فَاشْتَرَاهُ الصِّدِّيقُ فَأَعْتَقَهُ. شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا. وَكَانَ عُمَرُ يَقُولُ: أَبُو بَكْرٍ سَيِّدُنَا وَأَعْتَقَ سَيِّدَنَا. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَلَمَّا شُرِعَ الْأَذَانُ بِالْمَدِينَةِ كَانَ هُوَ الَّذِي يُؤَذِّنُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ، يَتَنَاوَبَانِ، تَارَةً هَذَا وَتَارَةً هَذَا. وَكَانَ بِلَالٌ نَدِيَّ الصَّوْتِ، حَسَنَهُ، فَصِيحًا، وَمَا يُرْوَى: " إِنَّ سِينَ بِلَالٍ عِنْدَ اللَّهِ شِينٌ ". فَلَيْسَ لَهُ أَصْلٌ. وَقَدْ أَذَّنَ يَوْمَ الْفَتْحِ عَلَى ظَهْرِ الْكَعْبَةِ. وَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَرَكَ الْأَذَانَ، وَيُقَالُ: أَذَّنَ لِلصِّدِّيقِ أَيَّامَ خِلَافَتِهِ. وَلَا يَصِحُّ. ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ مُجَاهِدًا، وَلَمَّا قَدِمَ عُمَرُ إِلَى الْجَابِيَةِ أَذَّنَ بَيْنَ يَدَيْهِ بَعْدَ الْخُطْبَةِ لِصَلَاةِ الظُّهْرِ، فَانْتَحَبَ النَّاسُ بِالْبُكَاءِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ زَارَ الْمَدِينَةَ فِي غُبُونِ ذَلِكَ فَأَذَّنَ، فَبَكَى النَّاسُ بُكَاءً شَدِيدًا. وَيَحِقُّ لَهُمْ ذَلِكَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ أَنَّ «رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِبِلَالٍ: إِنِّي دَخَلْتُ الْجَنَّةَ فَسَمِعْتُ خَشْفَ نَعْلَيْكَ أَمَامِي، فَأَخْبِرْنِي بِأَرْجَى عَمَلٍ عَمِلْتَهُ، فَقَالَ: مَا تَوَضَّأْتُ إِلَّا وَصَلَّيْتُ رَكْعَتَيْنِ. فَقَالَ " بِذَاكَ» ". وَفِي رِوَايَةٍ: «مَا أَحْدَثْتُ إِلَّا تَوَضَّأْتُ وَمَا تَوَضَّأْتُ، إِلَّا رَأَيْتُ أَنَّ عَلَيَّ أَنْ أُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ» .
পৃষ্ঠা - ৫৬০০
قَالُوا: وَكَانَ بِلَالٌ آدَمَ شَدِيدَ الْأُدْمَةِ، طَوِيلًا، نَحِيفًا، أَجْنَأَ، كَثِيرَ الشَّعْرِ، خَفِيفَ الْعَارِضَيْنِ. قَالَ ابْنُ بُكَيْرٍ: تُوُفِّيَ بِدِمَشْقَ فِي طَاعُونِ عَمَوَاسَ سَنَةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ سَنَةَ عِشْرِينَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَدُفِنَ بِبَابِ الصَّغِيرِ، وَلَهُ بِضْعٌ وَسِتُّونَ سَنَةً. وَقَالَ غَيْرُهُ: مَاتَ بِدَارَيَّا، وَدُفِنَ بِبَابِ كَيْسَانَ. وَقِيلَ: دُفِنَ بِدَارَيَّا. وَقِيلَ إِنَّهُ مَاتَ بِحَلَبَ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. سَعِيدُ بْنُ عَامِرِ بْنِ حِذْيَمٍ، مِنْ أَشْرَافِ بَنِي جُمَحَ، شَهِدَ خَيْبَرَ، وَكَانَ مِنَ الزُّهَّادِ الْعُبَّادِ، وَكَانَ أَمِيرًا لِعُمَرَ عَلَى حِمْصَ بَعْدَ أَبِي عُبَيْدَةَ. بَلَغَ عُمَرَ أَنَّهُ قَدْ أَصَابَتْهُ حَاجَةٌ شَدِيدَةٌ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ بِأَلْفِ دِينَارٍ، فَتَصَدَّقَ بِهَا جَمِيعًا، وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৬০১


আবু সুফিয়ানইৰ্মৃস্ হড়ারিস
তার পুর্ণ নাম : আবু সুফিয়ান ইবনুল হারিস ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন আম্মে রাসুলুল্লাহ্
ডাঃা কেউ কেউ বলেন : তার নাম আল-মুপীরা ৷ পবিত্র মক্কা বিজয়ের দিন তিনি ইসলাম
গ্রহণ করেন ৷ পরবর্তীতে তিনি উত্তম ইসলামী জীবন যাপন করেন ৷ ইসলামের পুর্বে রাসুলুল্লাহ্
£-ষ্ণ্,ন্ শ্ধ্এর কট্টর দুশমনদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ মোঃ এর দীন ও অনুসারীদের বিরোধী
ছিলেন ৷ তিনি একজন প্রখ্যাত কবি ছিলেন ৷ তিনি ইসলাম ও ইসলাম পন্থীদের দুর্নাম
পাইতেন ৷ হযরত হাসসান ইবন সাবিত (রা) তার বদনামের প্রতিউত্তর নিম্নরুপ প্রদান
করেছিলেন ?
সাবধান! আবু সুফিয়ানকে আমার পক্ষ থেকে তীক্ষ্ণ ও গভীর অতর্বৃষ্টি পৌছিয়ে দাও ৷
কেননা, এখন অবস্থা অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে ৷ অর্থাৎ হক ও বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে
উঠেছে ৷ আবু সুফিয়ান৷ তুমি মুহাম্মদ £ ষ্ষ্ণ্ণ্শ্ষ্এর বদনাম করছ আর আমি তার প্রতিউত্তর দিচ্ছি ৷
এ ব্যাপারে আল্লাহ্র কাছে আমার জন্যে রয়েছে সৎ প্রতিদান ৷ তুমি তার বদনাম করছ অথচ
ভুমি তার সমতুল্য নও ৷ কাজেই তোমাদের অকল্যাণ কাম্যতা তোমাদের কল্যাণ কাম্যতার
জন্যে মুক্তিপণ হিসেবে গণ্য ৷
যখন আবু সুফিয়ান ও আবদুল্লাহ্ ইবন আবু উমাইয়া মুসলমান হওয়ার জন্যে রাসুলুল্পাহ্
ন্শ্র্দুণ্;ষ্:এর ক্যাম্পে প্রবেশ করার অনুমতি প্রার্থনা করেন তখন তাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ অনুমতি, ট্রু
দিলেন না ৷ তখন উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামাহ (রা) তার তইিরের জন্যে সুপারিশ
করেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্মোঃ তাকে অনুমতি দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ মোঃএর কাছে সংবাদ
পৌহুল্ যে, উপরোক্ত আবু সুফিয়ান বলেছেন যে, আল্লাহ্র শপথ যদি রাসুলুল্লাহ্স্রপ্ণ্ণ্ ণ্; তাকে
মুসলমান হওয়ার জন্যে এবং তার সাথে দেখা করার অনুমতি না দেন, তবে তিনি তার ছোট
একটি ছেলের হাত ধরে রাস্তায় বের হয়ে পড়বেন এবং যত তদুব চোখ যায় তিনি চলতে
থাকবেন ৷ এ স বাদ শুনে রাসুলুল্লাহ্খ্যাঃ তার প্ৰতি আগ্রহী হলেন এবং তাকে ক্যাম্পে প্রবেশ
করার জন্যে অনুমতি দিলেন ৷ হ্নষ্কইিনের যুদ্ধে তিনি রাসুলুল্লাহ্ শ্£’, শ্শ্ন্ণ্ৰুএর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ৷
তিনি রাসুলুল্লাহ্ স্কু,প্শ্ ণ্ৰুএর খচ্চরের লাগান ধরে ছিলেন ৷ বর্ণনা করা হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্মোঃ
তাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন এবং তার জন্যে জান্নাতের সনদপত্র দান করেন ৷ আর বলেন :
“আমি আশা করি যে, তুমি হযরত হামযা (রা)-এর স্থলাভিষিক্ত হবে ৷
রাসুলুল্পাহ্মোঃএর ইনতিকালের পর তিনি একটি কবিতা রচনা করে রাসুলুল্লাহ্ক্রোএর
জন্যে গােকগাথাতৈরি করেন ৷ তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্ শ্, প্প্ৰু এর ইনিতকালে আমি অশ্রু
বিসর্জন দিলাম ৷ তারপর রাত আর শেষ হয় না ৷ কেননা, মুসীবতের রাত দীর্ঘ আকার ধারণ
করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ড্রেএর জন্যে আমার কান্নাকাটি ও আহজােরি আমাকে ভাগ্যবান করেছে
এরকম মুসীবতে ক্রান করার সুযোগ খুব কম মুসলমানের ভ্যাগ্য জুটেছে ৷ আমার উপর
আপতিত সর্বপ্রাসী মুসীবত প্রচণ্ড আকার ধারণ করল এবং রাসুলুল্লাহ্জ্জাএর ইনতিকালের
পুর্বের দিনের সন্ধ্য৷ বেলা আমাদের জন্যে একটি বিরাট মুসীবত হিসেবে দেখা দেয় ৷ রাসুলুল্লাহ্
ন্ষ্তংট্রুএর ইনতিকালের ফলে আমরা আল্লাহ্র ওহী অবতীর্ণ এবং জিবৃরাঈল (আ) ও তার্ন্
সকাল- সদ্যা অবতরণ হারালাম ৷ অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্ংন্স ট্টআঃএর ইনতিকালের পর আর কুরআৰুধ্


لِزَوْجَتِهِ: أَعْطَيْنَاهَا لِمَنْ يَتَّجِرُ لَنَا فِيهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ خَلِيفَةُ: فَتَحَ هُوَ وَمُعَاوِيَةُ قَيْسَارِيَّةَ، كُلٌّ مِنْهُمَا أَمِيرٌ عَلَى مَنْ مَعَهُ. عِيَاضُ بْنُ غَنْمٍ أَبُو سَعْدٍ الْفِهْرِيُّ، مِنَ الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ سَمْحًا جَوَادًا، شُجَاعًا، وَهُوَ الَّذِي افْتَتَحَ الْجَزِيرَةَ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ جَازَ دَرْبَ الرُّومَ غَازِيًا، وَاسْتَنَابَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ بَعْدَهُ عَلَى الشَّامِ فَأَقَرَّهُ عُمَرُ عَلَيْهَا إِلَى أَنْ مَاتَ سَنَةَ عِشْرِينَ عَنْ سِتِّينَ سَنَةً. أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قِيلَ: اسْمُهُ الْمُغِيرَةُ. أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ فَحَسُنَ إِسْلَامُهُ جِدًّا، وَكَانَ قَبْلَ ذَلِكَ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَى دِينِهِ وَمَنْ تَبِعَهُ، وَكَانَ شَاعِرًا مُطْبَقًا، يَهْجُو الْإِسْلَامَ وَأَهْلَهُ، وَهُوَ الَّذِي رَدَّ عَلَيْهِ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي قَوْلِهِ أَلَا أَبْلِغْ أَبَا سُفْيَانَ عَنِّي ... مُغَلْغَلَةً فَقَدْ بَرِحَ الْخَفَاءُ هَجَوْتَ مُحَمَّدًا وَأَجَبْتُ عَنْهُ ... وَعِنْدَ اللَّهِ فِي ذَاكَ الْجَزَاءُ أَتَهْجُوهُ وَلَسْتَ لَهُ بِكُفْءٍ ... فَشَرُّكُمَا لِخَيْرِكُمَا الْفِدَاءُ وَلَمَّا جَاءَ هُوَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ لِيُسْلِمَا، لَمْ يَأْذَنْ لَهُمَا، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى شَفَعَتْ أُمُّ سَلَمَةَ لِأَخِيهَا فَأَذِنَ لَهُ، وَبَلَغَهُ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ هَذَا قَالَ: وَاللَّهِ لَئِنْ لَمْ يَأْذَنْ لِي لَآخُذَنَّ بِيَدِ بُنَيَّ هَذَا - لِوَلَدٍ مَعَهُ صَغِيرٍ - فَلَأَذْهَبَنَّ، فَلَا يُدْرَى أَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৫৬০২


করীম অবতীর্ণ হয়ে না এবং কুআনের আয়াত নিয়ে জিবরাঈল (আ)ও আর সকাল-সন্ধ্যা
দুনিয়ায় অবতরণ করবেন না ৷

ঐতিহাসিকপণ উল্লেখ করেন যে, আবু সুফিয়ান (রা) হজ্জ্বব্রত পালন করেন ৷ যখন তিনি
মাথামুণ্ডন করেন নাপিত তার মাথার একটি আচিল কেটে ফেলে ৷ তাতে তিনি অসুস্থ হয়ে
পড়েন এবং এবং এ বো পেই তিনি মদীনা প্রত্যাবর্তন করার পর ইনতিকাল করেন ৷ হযরত
উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) তার সালাতে জানাযা পড়ান ৷ কথিত আছে যে, তার ভইি নওফল
তার মৃত্যুর চার মাস পুর্বে মৃত্যুবরণ করেন ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

আবুল হাইসাম ইবন অন্ত-তাইহান
তার পুর্ণনাম : মালিক ইবন মালিক ইবন আসাল ইবন আমর ইবন আবদুল আলাম ইবন
আমির ইবন দা’ওরা ইবন জাশাম ইবন আল-হড়ারিস ইবন আলখায্রজে ইবন আমর ইবন
মালিক ইবন আল-আউস আল-আনসারী আল-আউসী ৷ তিনি একজন নকীব হিসেবে
আকাবায়ে উপস্থিত ছিলেন ৷ বদর ও তার পরবর্তী যুদ্ধগুলােতে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ ২০
হিজরীতে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, ২১ হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন, তিনি আলী (রা)-এর পক্ষে সিফফিন যুদ্ধে অং হণ করেন ৷ ইবনুল আমীর
(র) বলেন, “এটাই অধিকাত্শের অভিমত ৷
আল্লামা ইবন কাসিব (র) বলেন৪ আমাদের ওস্তাদ এখানেইএ ঘটনাটি উল্লেখ
করেছেন ৷ “

যয়নাব বিনত জাহাশ

র্তার পুর্ণনাম : যয়নাব বিনত জাহাশ ইবন রুবার আল আসাদীয়া ৷ তিনি আসাদ গোত্রের
খুযাইমাহ বংশের একজন সদস্যা ৷ উম্মুল মুমিনীনগনের মধ্যে হযরত খাদীজাতুল কুবরা (রা)-
এর পর তিনি ,প্রথম ইনতিকাল করেন ৷ তার মায়ের নাম উমাইমাহ বিনত আবদুল মুত্তালিব ৷
তার নাম ছিল বাররাহ ৷ বাসুলুল্লাহমোঃ নাম রেখেছেন যয়নাব তার কুনিয়াত ছিল উম্মুল
হিকাম ৷ স্বয়ং আল্লাহ তা জানা তাকে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর সাথে বিয়ে দেন ৷ এ নিয়ে তিনি
রাসুংয়ুহৃঘ্রাহ্মোঃ ,ন্ন্ এর অন্য সকল শ্রীর মাঝে গর্ব করে বলতেন৪ তোমাদের পরিবার তোমাদের
বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন আর আমার বিয়ের ব্যবস্থা আসমান থেকে স্বয়ং আল্লাহ তা আলা
করেছেন ৷ আল্লাহ তা’ জানা সুরায়ে আহযাবে৪ ৩৭ আয়াতে ইরশাদ করেন শ্নে£১ট্র এে
াট্রুন্,ষুাট্রুঠুহৃটুট্রু ৷ট্রুন্,া ট্রু অর্থাৎ “তারপর যায়িদ (রা) যখন যয়নড়াবের সহিত বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন
করল তখন আমি তাকে তোমার সাথে পরিণয় সুত্রে আবদ্ধ করলাম ৷”

পুর্বে রাসুলুল্লাহ্ন্ষ্ঠু আঃ এর আযাদকৃত গোলাম ও পালক ছেলে যায়িদ (রা)-এর সাথে বিয়ে
হয়েছিল ৷ তাদের মধ্যে মিল না হওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে ৷ যায়িদ (রা) যখন তাকে তালাক
দেন, তখন রাসুলুল্পাহ্ফ্লো তাকে বিয়ে করেন ৷ কেউ কেউ বলেন : ঘটনাটি ঘটেছিল তৃতীয়
হিজরীতে ৷ আবার কেউ ৰেউি বলেন চতুর্থ হিজরীতে ৷ আর এটাই বেশি প্রসিদ্ধ ৷ আবার কেউ
কেউ বলেন পঞ্চম হিজরীতে ঘটেছিল এ ঘটনা ৷ আর সাথে সাথে বাসর ঘর করার সময়
রাসুলুল্লাহ্ ষ্ষ্জ্যো ণ্ধ্ৰ্ এর উপর পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হয় ৷ সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত

আল-বিদায়া ২৫


أَذْهَبُ. فَرَقَّ حِينَئِذٍ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَذِنَ لَهُ، وَلَزِمَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ حُنَيْنٍ، وَكَانَ آخِذًا بِلِجَامِ بَغْلَتِهِ يَوْمَئِذٍ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَحَبَّهُ، وَشَهِدَ لَهُ بِالْجَنَّةِ، وَقَالَ: أَرْجُو أَنْ تَكُونَ خَلَفًا مِنْ حَمْزَةَ. وَقَدْ رَثَى رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ تُوُفِّيَ بِقَصِيدَةٍ ذَكَرْنَاهَا فِيمَا سَلَفَ، وَهِيَ الَّتِي يَقُولُ فِيهَا: أَرِقْتُ فَبَاتَ لَيْلِي لَا يَزُولُ ... وَلَيْلُ أَخِي الْمُصِيبَةِ فِيهِ طُولُ وَأَسْعَدَنِي الْبُكَاءُ وَذَاكَ فِيمَا ... أُصِيبَ الْمُسْلِمُونَ بِهِ قَلِيلُ فَقَدْ عَظُمَتْ مُصِيبَتُنَا وَجَلَّتْ ... عَشِيَّةَ قِيلَ قَدْ قُبِضَ الرَّسُولُ فَقَدْنَا الْوَحْيَ وَالتَّنْزِيلَ فِينَا ... يَرُوحُ بِهِ وَيَغْدُو جِبْرَئِيلُ ذَكَرُوا أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ حَجَّ، فَلَمَّا حَلَقَ رَأْسَهُ قَطَعَ الْحَالِقُ ثُؤْلُولًا فِي رَأْسِهِ، فَتَمَرَّضَ مِنْهُ، فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى مَاتَ بَعْدَ مَرْجِعِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ أَخَاهُ نَوْفَلًا تُوُفِّيَ قَبْلَهُ بِأَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. أَبُو الْهَيْثَمِ بْنُ التَّيِّهَانِ، هُوَ مَالِكُ بْنُ مَالِكِ بْنِ عَتِيكِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَمِ بْنِ عَامِرِ بْنِ زَعُورَاءَ بْنِ جُشَمَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ عَمْرِو بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৬০৩
مَالِكِ بْنِ الْأَوْسِ، الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ نَقِيبًا، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَمَاتَ سَنَةَ عِشْرِينَ. وَقِيلَ: إِحْدَى وَعِشْرِينَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ شَهِدَ صِفِّينَ مَعَ عَلِيٍّ. قَالَ ابْنُ الْأَثِيرِ: وَهُوَ الْأَكْثَرُ. وَقَدْ ذَكَرَهُ شَيْخُنَا هُنَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشِ بْنِ رِيَابٍ الْأَسَدِيَّةُ مِنْ أَسَدِ خُزَيْمَةَ. أَوَّلُ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ وَفَاةً، أُمُّهَا أُمَيْمَةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَكَانَ اسْمُهَا بَرَّةَ، فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، زَيْنَبَ، وَتُكَنَّى أُمَّ الْحَكَمِ، وَهِيَ الَّتِي زَوَّجَهُ اللَّهُ بِهَا، وَكَانَتْ تَفْتَخِرُ بِذَلِكَ عَلَى سَائِرِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَقُولُ: زَوَّجَكُنَّ أَهْلُوكُنَّ، وَزَوَّجَنِي اللَّهُ مِنَ السَّمَاءِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا قَضَى زَيْدٌ مِنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا} [الأحزاب: 37] الْآيَةَ [الْأَحْزَابِ: 37] . وَكَانَتْ قَبْلَهُ عِنْدَ مَوْلَاهُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ، فَلَمَّا طَلَّقَهَا تَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قِيلَ: كَانَ ذَلِكَ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ. وَقِيلَ: أَرْبَعٍ. وَهُوَ الْأَشْهَرُ. وَقِيلَ: سَنَةِ خَمْسٍ. وَفِي دُخُولِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِهَا نَزَلَ الْحِجَابُ كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَنَسٍ. وَهِيَ الَّتِي كَانَتْ تُسَامِي عَائِشَةَ بِنْتَ الصِّدِّيقِ فِي الْجَمَالِ وَالْحُظْوَةِ، وَكَانَتْ دَيِّنَةً وَرِعَةً عَابِدَةً كَثِيرَةَ
পৃষ্ঠা - ৫৬০৪


আনাস (রা)-এর মাধ্যমে এটা বর্ণিত রয়েছে ৷ তিনি সৌন্দর্য ও মর্যাদার দিক দিয়ে হযরত
আয়িশা (রা)-এর সাথে প্রতিযোগিতা করতেন ৷ তিনি ছিলেন দীনদার, পরহেযগার, ইবাদত
গুযার ও দান-খয়রাতকারিণী ৷ তার এ বিশেষ গুণের প্রতি রাসুলুল্লাহ্ইদ্রুইংগিত করেন ৷ তিনি
বলেনব্লে ৷ ষ্প্৷ ৷র্শ্ব হে ৷ ৷ £ fi’ ৷ ;া১৷ টু,হ্রছুঠু;প্রু৷ অর্থাৎ তোমাদের মধ্য হতে তিনি
সর্বপ্রথম আমার র্সাথে মিলিত হবেন যার হতে হবে সকলের হাত হতে অধিক লন্ব৷ ৷ অর্থাৎ
অধিক দানশীলা ৷ তিনি ছিলেন অত্যন্ত কর্মঠ মহিলা ৷ নিজের হাতে কাজ করতেন এবং
ফকীরদের মাঝে সাদকা-খররাত বন্টন করতেন ৷ হযরত আয়িশা (রা) বলেন, আমি যয়নাব
বিনত জাহাশ (রা)-এর চেয়ে অধিক দীনদার, মুত্তাকী, সত্যবাদী, আত্মীয়দের সাথে ঘনিষ্ঠতা
রক্ষাকারী, আমানতদার ও সাদক৷ প্রদানকারী কোন মহিলাকে দেখি নাই ৷ তিনি কিংবা হযরত
সাওদা হাজ্জাতুল ৰিদার পর আর কোন হজ্জ করেন নাই ৷ কেননা, হাজ্জাতুল বিদার দিন
রাসুলুল্লাহ্ন্;ণো মোঃশ্রীদেরকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন ,ড্রু’;শ্৷ ৷ , প্াষ্ ণ্’£ অর্থাৎ আজকের
দিন মুক্ত, এরপর বাধা-বিপত্তির বহি প্রকাশ ৷ তবে রাসুলুল্পাহ স্লো-এর অন্যান্য ন্তীচ্ হজ্জব্রত
পালন করতেন ৷ অন্যদিকে হযরত যয়নাব (রা) ও সাওদা (রা) বলভেন, “আল্লাহর শপথ
এরপর আমাদেরকে নিয়ে কোন জন্তু যেন চলাফের৷ না করে ৷ ইতিহাসৰিদগণ বলেন, “একবার
হযরত উমর (রা) হযরত যয়নাব বিনত জাহান (রা)-এর অংশ ১২ হাজার দিরহাম তার কাছে
প্রেরণ করেন তখন তিনি সমস্ত অর্থ আত্মীয়দের মাঝে বণ্টন করে দিলেন ৷ তারপর বললেন,
হে আল্লাহ্ ৷ এরপর যেন হযরত উমর (রা)-এর প্রদত্ত রাষ্টীয় অনুদান আমার কাছে আর না
পৌছে ৷ এরপর তিনি ২০ হিজরীতে ইনতিকাল করেন এবং উমর (রা) তার সালাতে জানাষা
পড়ান ৷ তার জন্যে সর্বপ্রথম শবাধার তৈরি করা হয়েছিল এবং তাকে মদীনায় গোরস্তান

জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়েছিল ৷

সাফীয়া বিনত আবদুল মুত্তালিব, রাসুলুল্লাহ্হুশ্ষ্ন্ ণ্ষ্ণ্;এর ফুফু

তিনি ছিলেন হযরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা)এর মতো এবং হযরত হামযা (রা),
আল-ঘুকাওয়াম ও হাজালের সহােদরা ৷ তাদের সকলের মাতা ছিলেন হালাহ বিনত ওহাইব
ইবন আবদে মনাফ ইবন য়ুহবাজ্ব ৷৩ তার ইসলাম গ্রহণে কোন প্রকার মতবিরোধ নেই ৷ তিনি
উহুদের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন এবং স্বীয় ভাই হামযা (রা)-এর শাহাদতে অত্যন্ত ক্রেধোষিত
হয়েছিলেন ৷ খন্দক যুদ্ধে তিনি একজ্যা ইয়াহ্দী পুরুষকে হত্যা করেছিলেন ৷ ইয়াহ্দীটি ঐ
দৃর্গটির চতুর্দিকে আনাগােণা করতেছিল যে দৃর্পে হযরত সাফীয়া (না) অবস্থান করছিলেন ৷ এ
দৃর্গটি হাসসান (রা)-এর দুর্গের সংলগ্ন ছিল বিধায় তিনি হযরত হাসৃসান (রা)কে বললেন
নিচে নেমে এসে তাকে হত্যা করার জন্যে ৷ কিন্তু হাসৃসান (রা) অস্বীকার করার তিনি নিজেই
নেমে আসলেন এবং তাকে হত্যা করলেন ৷ তারপর তিনি হযরত হাসসান (রা)কে নিচে নেমে
এসে ইয়াহুদীটিয় পরিত্যক্ত মাল-সামান সংগ্রহ করার জন্যে অনুরোধ করলেন আর বললেন,
“যদি সে পুরুষ না হতো তা সে আমি নিজে তার পরিত্যক্ত সস্পদাদি সং গ্রহ কৱতাম ৷ কিত্তু
তিনি বলেন, “এগুলোর প্রতি আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ তিনি ছিলেন প্রথম মহিলা যিনি
একজন মুশরিক পুরুষকে হত্যা করেন ৷ তিনি ব্যতীত রাসুলুল্লা ণ্ণ্ত্প্ৰুএর অন্য ফুফুদের ইসলাম
গ্রহণ সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেন, রাসুলুল্লাহ্পু , এর ফুফু আরওয়া ও আতিকা


الصَّدَقَةِ. وَذَاكَ الَّذِي أَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِقَوْلِهِ: «أَسْرَعُكُنَّ لَحَاقًا بِي أَطْوَلُكُنَّ يَدًا - أَيْ بِالصَّدَقَةِ» - وَكَانَتِ امْرَأَةً صَنَاعًا تَعْمَلُ بِيَدَيْهَا وَتَتَصَدَّقُ عَلَى الْفُقَرَاءِ. قَالَتْ عَائِشَةُ: مَا رَأَيْتُ امْرَأَةً قَطُّ خَيْرًا فِي الدِّينِ، وَأَتْقَى لِلَّهِ، وَأَصْدَقَ حَدِيثًا، وَأَوْصَلَ لِلرَّحِمِ، وَأَعْظَمَ أَمَانَةً وَصَدَقَةً، مِنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ. وَلَمْ تَحُجَّ بَعْدَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ لَا هِيَ وَلَا سَوْدَةُ ; لِقَوْلِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ لِأَزْوَاجِهِ: «هَذِهِ ثُمَّ ظُهُورُ الْحُصْرِ.» وَأَمَّا بَقِيَّةُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكُنَّ يَخْرُجْنَ إِلَى الْحَجِّ، وَقَالَتْ زَيْنَبُ وَسَوْدَةُ: وَاللَّهِ لَا تُحَرِّكُنَا بَعْدَهُ دَابَّةٌ. قَالُوا: وَبَعَثَ عُمَرُ إِلَيْهَا فَرْضَهَا اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا فَتَصَدَّقَتْ بِهِ فِي أَقَارِبِهَا، ثُمَّ قَالَتْ: اللَّهُمَّ لَا يُدْرِكُنِي عَطَاءُ عُمَرَ بَعْدَ هَذَا. فَمَاتَتْ فِي سَنَةِ عِشْرِينَ، وَصَلَّى عَلَيْهَا عُمَرُ، وَهِيَ أَوَّلُ مَنْ صُنِعَ لَهَا النَّعْشُ، وَدُفِنَتْ بِالْبَقِيعِ. صَفِيَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، عَمَّةُ الرَّسُولِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهِيَ أُمُّ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، وَهِيَ شَقِيقَةُ حَمْزَةَ وَالْمُقَوَّمِ وَحَجْلَ، أُمُّهُمْ هَالَةُ بِنْتُ وُهَيْبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةَ. لَا خِلَافَ فِي إِسْلَامِهَا، وَقَدْ حَضَرَتْ يَوْمَ أُحُدٍ وَوَجَدَتْ عَلَى أَخِيهَا
পৃষ্ঠা - ৫৬০৫


ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ আল্লামা ইবন কাসীর (র) বলেন : “ইবনুল আমীর এবং আমাদের
ওস্তাদ হাফিয আবু আবদুল্লাহ আর যাহাবী (র) বলেন : বিশুদ্ধ অভিমত হলো, শাফীয়া (রা)
ব্যতীত তাদের মধ্য হতে অন্য কেউ ইসলাম গ্রহণ করেননি ৷ প্রথমত তিনি হারিস ইবন হারাব
ইবন উমাইয়াকে বিয়ে করেন ৷ তারপর তিনি আল-আওয়াম ইবন খুওয়ইিলিদকে বিয়ে করেন
এবং তার ঔরসে যুৰাইর (রা) ও আবদুল কা’বা জন্মগ্রহণ করেন ৷ কেউ কেউ বলেন “তিনি
প্রথমেই আল-আওয়ামকে বিয়ে করেছেন ৷ কিন্তু প্রথম অভিমতটিই বিশুদ্ধ ৷ ৭৩ বছর বয়সে
২০ হিজরীতে পবিত্র মদীনায় তিনি ইনতিকাল করেন ৷ তাকে জান্নাতৃল বাকীতে দাফন করা

হয়

উষাইম ইবন সারিদাহ অলে-আনসারী
তিনি দৃটো আকাবাসহ সব কয়টি যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি
প্রথম পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করেছেন ৷ তার সম্বন্ধে সুরায়ে তাওৰার ১ :৮নং আয়াত
অবতীর্ণ হয় ৷
মহান আল্লাহর বাণী :


অর্থাৎ তথায় (মদীনায়) এমন লোক আছে যারা পবিত্রতা অর্জন ভালবাসে এবং পবিত্রতা
অর্জনকারীদিগকে আল্লাহ্পাক পছন্দ করেন ৷ তার বর্ণিত অনেকগুলো হাদীস রয়েছে ৷

বিশ হিজরীতে অন্য যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের কয়েকজনের নাম ৪

১ বশর ইবন আমর ইবন হানাস যাকে জারুদ বলা হতো ৷ তিনি ১ :ম হিজরীতে ইসলাম
গ্রহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন ভাদ্র ও আবদে কাইসের অনুগত ৷ তিনি কুদামাহ ইবন মাসওনের
বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিলেন যে, তিনি শরাব পান করেছেন ৷ হযরত উমর (রা) তাকে ইয়ামান
থেকে বরখাস্ত করেছিলেন এবং জারুদকে শহীদ করার জন্যে শস্তি প্রদান করেছিলেন ৷

২ আবু খারাসা খুওয়াইলিদ ইবন মুৰ্বাহ্ আল-হাযালী ৷ তিনিছিলেন একজন উত্তম
মাখদারান কবি যিনি অন্ধকার যুগ ও ইসলামের যুগ পেয়েছেন ৷ তিনি যখন দৌড়াতেন, ঘোড়ার
আগে চলে যোতন ৷ তাকে সর্প দংশন করেছিল ৷ তাতে তিনি মদীনায় ইনতিকাল করেন ৷


حَمْزَةَ وَجْدًا كَثِيرًا، وَقَتَلَتْ يَوْمَ الْخَنْدَقِ رَجُلًا مِنَ الْيَهُودِ جَاءَ فَجَعَلَ يُطِيفُ بِالْحِصْنِ الَّتِي هِيَ فِيهِ، وَهُوَ فَارِعٌ؛ حِصْنِ حَسَّانَ، فَقَالَتْ لِحَسَّانَ: انْزِلْ فَاقْتُلْهُ. فَأَبَى، فَنَزَلَتْ إِلَيْهِ فَقَتَلَتْهُ، ثُمَّ قَالَتْ: انْزِلْ فَاسْلُبْهُ فَلَوْلَا أَنَّهُ رَجُلٌ لَاسْتَلَبْتُهُ. فَقَالَ: لَا حَاجَةَ لِي فِيهِ. وَكَانَتْ أَوَّلَ امْرَأَةٍ قَتَلَتْ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ. وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي إِسْلَامِ مَنْ عَدَاهَا مِنْ عَمَّاتِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقِيلَ: أَسْلَمَتْ أَرَوَى وَعَاتِكَةُ. قَالَ ابْنُ الْأَثِيرِ وَشَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ الْحَافِظُ: وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ لَمْ يُسْلِمْ مِنْهُنَّ غَيْرُهَا. وَقَدْ تَزَوَّجَتْ أَوَّلًا بِالْحَارِثِ بْنِ حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ، ثُمَّ خَلَفَ عَلَيْهَا الْعَوَّامَ بْنَ خُوَيْلِدٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ الزُّبَيْرَ وَعَبْدَ الْكَعْبَةِ. وَقِيلَ: تَزَوَّجَهَا الْعَوَّامُ بِكْرًا. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. تُوُفِّيَتْ بِالْمَدِينَةِ سَنَةَ عِشْرِينَ، عَنْ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ سَنَةً. وَدُفِنَتْ بِالْبَقِيعِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ مَنْ تُوُفِّيَ غَيْرَ هَؤُلَاءِ: عُوَيْمُ بْنُ سَاعِدَةَ الْأَنْصَارِيُّ، شَهِدَ الْعَقَبَتَيْنِ وَالْمُشَاهِدَ كُلَّهَا، وَهُوَ أَوَّلُ مَنِ اسْتَنْجَى بِالْمَاءِ، وَفِيهِ نَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ} [التوبة: 108] . [التَّوْبَةِ: 108] وَلَهُ رِوَايَاتٌ. تُوُفِّيَ هَذِهِ السَّنَةَ بِالْمَدِينَةِ.
পৃষ্ঠা - ৫৬০৬
بِشْرُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَنَشٍ، يُلَقَّبُ بِالْجَارُودِ، أَسْلَمَ فِي السَّنَةِ الْعَاشِرَةِ، وَكَانَ شَرِيفًا مُطَاعًا فِي عَبْدِ الْقَيْسِ، وَهُوَ الَّذِي شَهِدَ عَلَى قُدَامَةَ بْنِ مَظْعُونٍ أَنَّهُ شَرِبَ الْخَمْرَ، فَعَزَلَهُ عُمَرُ عَنِ الْيَمَنِ وَحَدَّهُ. قُتِلَ الْجَارُودُ شَهِيدًا. أَبُو خِرَاشٍ خُوَيْلِدُ بْنُ مُرَّةَ الْهُذَلِيُّ، كَانَ شَاعِرًا مُجِيدًا مُخَضْرَمًا، أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ وَالْإِسْلَامَ، وَكَانَ إِذَا جَرَى سَبَقَ الْخَيْلَ. نَهَشَتْهُ حَيَّةٌ فَمَاتَ بِالْمَدِينَةِ.