আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع عشرة

وممن توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৫৫৮৩


হয়েছিল ৷ এ বছরেই রোমানরা আবদুল্লাহ ইবন হযায্ফাকে বন্দী কারহিঃ৷ ৷ এ বছরের যুলহাজ্জ্ব
মাসে ইরাকের ভুমিতে একটি ঘটনা ঘটেছিল, অগ্নিপুজকদের আমীর শাহরাককে হত্যা করা
হয়েছিল ৷ ঐ সময়ে মুসলমানদের আমীর ছিলেন হাকাম ইবন আবুল আস (বা) ৷ ইবন জারীর
বলেন : এ বছরেই নােকজনকে নিয়ে হযরত উমর (রা) হজ়বৃত পালন করেছিলেন ৷ বিভিন্ন
শহরে অবস্থিত প্রতিনিধিগণ ও পুর্বে উল্লিখিত কাজীগণও হজব্রত পালন করেছিলেন ৷ মহান
আল্পাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷

এ বছরে পরলোকগত মহান ব্যক্তিবর্ণেব বিবরণ

এ বছরে যে মহান ব্যক্তিবর্গ পরলােক গমন ক্যরহ্নেৰ তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন, কারীদেৱ
নেতা, উবইি ইবন কাব (রা) ৷ তার পুর্ণ নাম : উবইি ইবন কাব ইবন কইিস ইবন উবইিদ
ইবন যায়িদ ইবন মুয়াবীয়া ইবন অমির ইবন মালিক ইবন আন-নাজ্জার ৷ তার উপনাম ছিল :
আবুল মানযার ও আবৃত তুফইিল ৷ তিনি ছিলেন আনসারী ও আন-নাজ্জারী ৷ তিনি আকাবায়,
বদর এবং অন্যান্য জিহাদে অং শ্যাহণ করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন সর্দার ও মর্ষাদাসর্ম্পন্ন ব্যক্তি ৷
তিনি ঐ চারজন খায্রাজী কারীর মধ্যে অন্যতম যারা রাসুলুল্লাহ্র্দু এর হায়াতেই কুরআন
সংকলন করেছিলেন ৷ একদিন তিনি উমর (রা) কে বলেন, “আমি এমন ব্যক্তি থেকে কুরআন
শিখেছি যার থেকে জিবরাঈল (আ) শিখেছেন ৷ আর তিনি ছিলেন পরিপকৃ ৷

আবুকিলাবাহ (বা) ও আসাম (রা)-এর মারফত মারফু হিসেবে আল-মাসনাদ, নাসাঈ ও
ইবন মাজাহ এ বর্ণিত রয়েছে, রাসুলুল্লাহ্মোঃ বলেন : আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে বড়
কারী হলেন উবইি ইবন কাব ৷ সহীহ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে, র!সুলুল্লাহ্ড্রোতাকে একদিন
বলেন : নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন আমি যেন তোমার কাছে কুরআন
পাঠ করি ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কি আপনার কাছে আমার নাম উল্লেখ করেছেনা
রাসুলুল্লাহ্ জ্যোর্দুবলালন, হীশ্ব তারপর তার চোখ হতে অশ্রু ঝরতে লাগল ৷
আল্লামা ইবন কাসীর (র) বলেন, “এ ব্যাপারে সুরায়ে বাইয্যেনার তাফসীরে আমি

বিস্তারিত বর্ণনা রেখেছি” ৷

হইিসাম ইবন ৩াদী (র) বলেনং ১৯ হিজরী সনে উবইি (রা) ইনতিকাল করেন ৷
ইয়াহ্ইয়া ইবন মুয়ীন (র) বলেন, ১৭ কিংবা ২০ হিজরীতে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ আল্লামা
ওয়াকিদী (র) একাধিক সুত্র হতে বলেন৪ তিনি ২২ হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷ অনুরুপ
বলেফো আবু উবইিদ (র) , ইবননুমাইর (র) ও একদল বিশেষজ্ঞ ৷ ফাল্লাস ও খালীফা (র)
বলেন : তিনি উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর খিলাফতের সময় ইনতিকাল করেন ৷ আর এ
বছরে ইনতিকাল করেছেন মুহাজির্দের মধ্য হতে উৎবাহ ইবন পাযওয়ান (রা)-এর আযাদকৃত
গোলাম খাব্বাব (বা) ইনতিকাল করেন ৷ তিনি বদর ও পরবর্তী যুদ্ধসমুহে অংশ্যাহণ
করেছিলেন ৷ তিনি প্রবীণ সাহাবীর্দের অন্যতম ৷ তার সলোতে জানাযা পড়ান হযরত উমর
(রা) ৷ এ বছর ইনতিকাল করেছেন সাফ্লওয়ান ইবন মুয়াত্তাল (রা) ৷ মহান আল্পাহ্ই অধিক
পরিজ্ঞাত ৷


بِالْجَزِيرَةِ. وَقِيلَ: بِسُمَيْسَاطَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ بَعْضُ هَذَا فِيمَا سَلَفَ. وَفِيهَا فُتِحَتْ تَكْرِيتُ فِي قَوْلٍ، وَالصَّحِيحُ قَبْلَ ذَلِكَ. وَفِيهَا فِيمَا ذَكَرْنَا أَسَرَتِ الرُّومُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حُذَافَةَ. وَفِيهَا فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْهَا كَانَتْ وَقْعَةٌ بِأَرْضِ الْعِرَاقِ قُتِلَ فِيهَا أَمِيرُ الْمَجُوسِ شَهْرَكُ، وَكَانَ أَمِيرَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ الْحَكَمُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ عُمَرُ، وَنُوَّابُهُ عَلَى الْبِلَادِ وَقُضَاتُهُ هُمُ الْمَذْكُورُونَ قَبْلَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، سَيِّدُ الْقُرَّاءِ، وَهُوَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ، أَبُو الْمُنْذِرِ وَأَبُو الطُّفَيْلِ، الْأَنْصَارِيُّ النَّجَّارِيُّ، سَيِّدُ الْقُرَّاءِ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ وَبَدْرًا وَمَا بَعْدَهُمَا، وَكَانَ سَيِّدًا جَلِيلَ الْقَدْرِ. وَهُوَ أَحَدُ الْقُرَّاءِ الْأَرْبَعَةِ الْخَزْرَجِيِّينَ الَّذِينَ جَمَعُوا الْقُرْآنَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،، وَقَدْ قَالَ لِعُمَرَ يَوْمًا: إِنِّي تَلَقَّيْتُ الْقُرْآنَ مِمَّنْ تَلَقَّاهُ مِنْ جِبْرِيلَ وَهُوَ رَطْبٌ. وَفِي
পৃষ্ঠা - ৫৫৮৪
" الْمُسْنَدِ "، وَ " النَّسَائِيِّ "، وَ " ابْنِ مَاجَهْ "، مِنْ طَرِيقِ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ مَرْفُوعًا: «أَقْرَأُ أُمَّتِي أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ» . وَفِي الصَّحِيحِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَهُ: «إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ ". قَالَ: وَسَمَّانِي لَكَ؟ قَالَ: " نَعَمْ» فَذَرَفَتْ عَيْنَاهُ. وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِي التَّفْسِيرِ عِنْدَ سُورَةِ {لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ مُنْفَكِّينَ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ الْبَيِّنَةُ} [البينة: 1] . قَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ تُوُفِّيَ أُبَيٌّ سَنَةَ تِسْعَ عَشْرَةَ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ سَنَةَ تِسْعَ عَشْرَةَ أَوْ عِشْرِينَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ. وَبِهِ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ، وَابْنُ نُمَيْرٍ، وَجَمَاعَةٌ. وَقَالَ الْفَلَّاسُ، وَخَلِيفَةُ: تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَفِيهَا مَاتَ خَبَّابٌ مَوْلَى عُتْبَةَ بْنِ غَزْوَانَ، مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَهُوَ صَحَابِيٌّ مِنَ السَّابِقِينَ، وَصَلَّى عَلَيْهِ عُمَرُ. وَمَاتَ فِيهَا صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ فِي قَوْلٍ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.