আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع عشرة

পৃষ্ঠা - ৫৫৮১

১৯ হিজরীর প্রারম্ভ

আল্লামা ওয়াকিদী (র) ও অন্যরা বলেন : এ সনেই মাদায়েন ও জালুলার বিজয় সংঘটিত
হয় ৷ ৰিক্ষ্ম প্রসিদ্ধ এ অতিমতের বিপরীত ৷ মুহাম্মদ ইবনইসহাক বলেন : এ সনেই সংঘটিত
হয়েছিল ইরাক, রুহা, হুর্বান, রা’সুল অইিন এবং নাসীবা ইনের বিজয় ৷ অন্যরা অবশ্য এর
বিপরীতও বলেছেন ৷ আবু মাশার, খালীফা এবং ইবনুল কালবী বলেন : এ বছরেই
কাইসারীয়ার বিজয় সংঘটিত হয় এবং তার আমীর ছিলেন আমীরে মুয়াবীয়া (রা) ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন ও তার আমীর ছিলেন ইয়াযীদ ইবন আবু সুফিয়ান (রা) ৷ পুর্বে বর্ণনা করা
হয়েছে যে, মুয়াবীয়া (রা) দৃ’বছর পুর্বে এটা জয় করেছিলেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন :
ফিলিস্তীনের কাইসারীয়ার বিজয়, হিরাক্লিয়াসের পলায়ন ও যিসারর বিজয় ২০ হিজরীতে
সংঘটিত হয় ৷ সাইফ ইবন উমর (র) বলেন : কাইসারীয়া ও মিসর বিজয় ১৬ হিজরীতে
ৎঘটিত হয় ৷ ইবন জারীর বলেন : কাইসারীয়ার বিজয়ের কথা পুর্বে বলা হয়েছে তবে
মিসরের বিজয় সম্পর্কে বিশ ইিজরী সালের ঘটনাসমুহের সাথে ইনশাআল্লাহ্ বর্ণনা করব ৷
আল্লামা ওয়াকিদী বলেন : এ বছরেই রাতের বেলায় হাৰ্বাহ থেকে অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত হয় ৷
হযরত উমর (রা) লোকজন নিয়ে তথায় গমন করার ইচ্ছা পোষণ করেন ৷ তারপর তিনি
ঘুসলমান্যদরকে স্যদকা করার নির্দেশ দেন ৷ তাতে অগ্নি নিৰ্বাপিত হয়ে যায় ৷ মহান আল্লাহর
জন্যেই সমস্ত প্রশংসা ৷
কথিত আছে যে, এ বছরেই আর্মিনিয়ার ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ আর তার আমীর ছিলেন
উসমান ইবন আবুল অসে (রা) ৷ এ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন : সাফওয়ান ইবন মুয়াত্তাল ইবন
রুখশাহ আসৃ-সামী, আয়-যাকওয়ালী ৷ তিনি ছিলেন তখনকার দিনের একজন অন্যতম আমীর ৷
তার সম্বন্ধে রাসুলুল্লাহ্ড্রোবলেছেন ও “তার সম্বন্ধে ভাল ব্যতীত অন্য কিছু আমার জানা নেই ৷ ’
মৃনাফিকরা তড়াকে ইফকির ঘটনায় জড়িয়ে ছিল ৷ আল্লাহ তাআলা তার পৰিত্রতা বর্ণনা করেন
এবং উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা)-এর পবিত্রতা বর্ণনার্থে কুরআনুল কারীমের
আয়াত অবতীর্ণ করেন ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, ঐ ঘটনার দিন পর্যন্ত তিনি বিবাহ করেননি ৷
এজন্যেই তিনি বলেছিলেন : আল্লাহ্র শপথ আমি কখনও কোন নারীর বুক খুলি নাই ৷ এরপর
অবশ্য তিনি বিয়ে করেন ৷ তিনি প্রায় সময় নিদ্রায় বিভাের থাকতেন ৷ কোন কোন সময় ঘুমের
জন্যে সালাতে ফজর সময়মত পড়তে পারতেন না ৷ আবু দাউদ ও অন্যান্য কিভাবে এর বর্ণনা
রয়েছে ৷ তিনি ছিলেন একজন কবি ৷ তারপর মহান আল্লাহর পথে তার শাহাদত অর্জিত হয় ৷
কেউ কেউ বলেন : এ শহরেই শাহাদত বরণ করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন : ইরাকে ৷
কেউ কেউ বলেন : শামশাতে ৷ পুর্বে এরুপ বর্ণনার কিছু অংশ পেশ করা হয়েছে ৷ একটি
অভিমত অনুযায়ী এ বছরেই তিকরীত বিজিত হয়েজ্জি ৷ যুদ্ধ হলো : তিকরীত এর পুর্বে বিজিত


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعَ عَشْرَةَ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ أَحْدَاثٍ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ: كَانَ فَتْحُ الْمَدَائِنِ وَجَلُولَاءَ فِيهَا. وَالْمَشْهُورُ خِلَافُ مَا قَالَ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: كَانَ فَتْحُ الْجَزِيرَةِ وَالرُّهَا وَحَرَّانَ وَرَأْسِ الْعَيْنِ وَنَصِيبِينَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَدْ خَالَفَهُ غَيْرُهُ. وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ، وَخَلِيفَةُ، وَابْنُ الْكَلْبِيِّ: كَانَ فَتْحُ قَيْسَارِيَّةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَأَمِيرُهَا مُعَاوِيَةُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ افْتَتَحَهَا قَبْلَ هَذَا بِسِنِينَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: كَانَ فَتْحُ قَيْسَارِيَّةَ مِنْ فِلَسْطِينَ، وَهَرَبُ هِرَقْلَ وَفَتْحُ مِصْرَ فِي سَنَةِ عِشْرِينَ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ: كَانَ فَتْحُ قَيْسَارِيَّةَ وَفَتْحُ مِصْرَ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ فَأَمَّا فَتْحُ قَيْسَارِيَّةَ فَقَدْ تَقَدَّمَ، وَأَمَّا فَتْحُ مِصْرَ فَإِنِّي سَأَذْكُرُهُ فِي سَنَةِ عِشْرِينَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ ظَهَرَتْ نَارٌ مِنْ حَرَّةِ لَيْلَى، فَأَرَادَ عُمَرُ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৫৮২
يَخْرُجُ بِالرِّجَالِ إِلَيْهَا، ثُمَّ أَمَرَ الْمُسْلِمِينَ بِالصَّدَقَةِ فَطَفِئَتْ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَيُقَالُ: كَانَ فِيهَا وَقْعَةُ أَرْمِينِيَّةَ، وَأَمِيرُهَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، وَقَدْ أُصِيبَ فِيهَا صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ بْنِ رَحْضَةَ السُّلَمِيُّ ثُمَّ الذَّكْوَانِيُّ، وَكَانَ أَحَدَ الْأُمَرَاءِ يَوْمَئِذٍ. وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا عَلِمْتُ عَلَيْهِ إِلَّا خَيْرًا» . وَهُوَ الَّذِي ذَكَرَهُ الْمُنَافِقُونَ فِي قِصَّةِ الْإِفْكِ فَبَرَّأَ اللَّهُ سَاحَتَهُ، وَجَنَابَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ زَوْجَةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِمَّا قَالُوا. وَقَدْ كَانَ إِلَى حِينِ قَالُوا لَمْ يَتَزَوَّجْ. وَلِهَذَا قَالَ: وَاللَّهُ مَا كَشَفْتُ كَنَفَ أُنْثَى قَطُّ. ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَكَانَ كَثِيرَ النَّوْمِ، رُبَّمَا غَلَبَ عَلَيْهِ عَنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ فِي وَقْتِهَا، كَمَا جَاءَ فِي " سُنَنِ أَبِي دَاوُدَ "، وَغَيْرِهِ. وَكَانَ شَاعِرًا ثُمَّ حَصَلَتْ لَهُ شَهَادَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ. قِيلَ: بِهَذَا الْبَلَدِ. وَقِيلَ:
পৃষ্ঠা - ৫৫৮৩


হয়েছিল ৷ এ বছরেই রোমানরা আবদুল্লাহ ইবন হযায্ফাকে বন্দী কারহিঃ৷ ৷ এ বছরের যুলহাজ্জ্ব
মাসে ইরাকের ভুমিতে একটি ঘটনা ঘটেছিল, অগ্নিপুজকদের আমীর শাহরাককে হত্যা করা
হয়েছিল ৷ ঐ সময়ে মুসলমানদের আমীর ছিলেন হাকাম ইবন আবুল আস (বা) ৷ ইবন জারীর
বলেন : এ বছরেই নােকজনকে নিয়ে হযরত উমর (রা) হজ়বৃত পালন করেছিলেন ৷ বিভিন্ন
শহরে অবস্থিত প্রতিনিধিগণ ও পুর্বে উল্লিখিত কাজীগণও হজব্রত পালন করেছিলেন ৷ মহান
আল্পাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷

এ বছরে পরলোকগত মহান ব্যক্তিবর্ণেব বিবরণ

এ বছরে যে মহান ব্যক্তিবর্গ পরলােক গমন ক্যরহ্নেৰ তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন, কারীদেৱ
নেতা, উবইি ইবন কাব (রা) ৷ তার পুর্ণ নাম : উবইি ইবন কাব ইবন কইিস ইবন উবইিদ
ইবন যায়িদ ইবন মুয়াবীয়া ইবন অমির ইবন মালিক ইবন আন-নাজ্জার ৷ তার উপনাম ছিল :
আবুল মানযার ও আবৃত তুফইিল ৷ তিনি ছিলেন আনসারী ও আন-নাজ্জারী ৷ তিনি আকাবায়,
বদর এবং অন্যান্য জিহাদে অং শ্যাহণ করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন সর্দার ও মর্ষাদাসর্ম্পন্ন ব্যক্তি ৷
তিনি ঐ চারজন খায্রাজী কারীর মধ্যে অন্যতম যারা রাসুলুল্লাহ্র্দু এর হায়াতেই কুরআন
সংকলন করেছিলেন ৷ একদিন তিনি উমর (রা) কে বলেন, “আমি এমন ব্যক্তি থেকে কুরআন
শিখেছি যার থেকে জিবরাঈল (আ) শিখেছেন ৷ আর তিনি ছিলেন পরিপকৃ ৷

আবুকিলাবাহ (বা) ও আসাম (রা)-এর মারফত মারফু হিসেবে আল-মাসনাদ, নাসাঈ ও
ইবন মাজাহ এ বর্ণিত রয়েছে, রাসুলুল্লাহ্মোঃ বলেন : আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে বড়
কারী হলেন উবইি ইবন কাব ৷ সহীহ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে, র!সুলুল্লাহ্ড্রোতাকে একদিন
বলেন : নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন আমি যেন তোমার কাছে কুরআন
পাঠ করি ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কি আপনার কাছে আমার নাম উল্লেখ করেছেনা
রাসুলুল্লাহ্ জ্যোর্দুবলালন, হীশ্ব তারপর তার চোখ হতে অশ্রু ঝরতে লাগল ৷
আল্লামা ইবন কাসীর (র) বলেন, “এ ব্যাপারে সুরায়ে বাইয্যেনার তাফসীরে আমি

বিস্তারিত বর্ণনা রেখেছি” ৷

হইিসাম ইবন ৩াদী (র) বলেনং ১৯ হিজরী সনে উবইি (রা) ইনতিকাল করেন ৷
ইয়াহ্ইয়া ইবন মুয়ীন (র) বলেন, ১৭ কিংবা ২০ হিজরীতে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ আল্লামা
ওয়াকিদী (র) একাধিক সুত্র হতে বলেন৪ তিনি ২২ হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷ অনুরুপ
বলেফো আবু উবইিদ (র) , ইবননুমাইর (র) ও একদল বিশেষজ্ঞ ৷ ফাল্লাস ও খালীফা (র)
বলেন : তিনি উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর খিলাফতের সময় ইনতিকাল করেন ৷ আর এ
বছরে ইনতিকাল করেছেন মুহাজির্দের মধ্য হতে উৎবাহ ইবন পাযওয়ান (রা)-এর আযাদকৃত
গোলাম খাব্বাব (বা) ইনতিকাল করেন ৷ তিনি বদর ও পরবর্তী যুদ্ধসমুহে অংশ্যাহণ
করেছিলেন ৷ তিনি প্রবীণ সাহাবীর্দের অন্যতম ৷ তার সলোতে জানাযা পড়ান হযরত উমর
(রা) ৷ এ বছর ইনতিকাল করেছেন সাফ্লওয়ান ইবন মুয়াত্তাল (রা) ৷ মহান আল্পাহ্ই অধিক
পরিজ্ঞাত ৷


بِالْجَزِيرَةِ. وَقِيلَ: بِسُمَيْسَاطَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ بَعْضُ هَذَا فِيمَا سَلَفَ. وَفِيهَا فُتِحَتْ تَكْرِيتُ فِي قَوْلٍ، وَالصَّحِيحُ قَبْلَ ذَلِكَ. وَفِيهَا فِيمَا ذَكَرْنَا أَسَرَتِ الرُّومُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حُذَافَةَ. وَفِيهَا فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْهَا كَانَتْ وَقْعَةٌ بِأَرْضِ الْعِرَاقِ قُتِلَ فِيهَا أَمِيرُ الْمَجُوسِ شَهْرَكُ، وَكَانَ أَمِيرَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ الْحَكَمُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ عُمَرُ، وَنُوَّابُهُ عَلَى الْبِلَادِ وَقُضَاتُهُ هُمُ الْمَذْكُورُونَ قَبْلَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، سَيِّدُ الْقُرَّاءِ، وَهُوَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ، أَبُو الْمُنْذِرِ وَأَبُو الطُّفَيْلِ، الْأَنْصَارِيُّ النَّجَّارِيُّ، سَيِّدُ الْقُرَّاءِ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ وَبَدْرًا وَمَا بَعْدَهُمَا، وَكَانَ سَيِّدًا جَلِيلَ الْقَدْرِ. وَهُوَ أَحَدُ الْقُرَّاءِ الْأَرْبَعَةِ الْخَزْرَجِيِّينَ الَّذِينَ جَمَعُوا الْقُرْآنَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،، وَقَدْ قَالَ لِعُمَرَ يَوْمًا: إِنِّي تَلَقَّيْتُ الْقُرْآنَ مِمَّنْ تَلَقَّاهُ مِنْ جِبْرِيلَ وَهُوَ رَطْبٌ. وَفِي
পৃষ্ঠা - ৫৫৮৪
" الْمُسْنَدِ "، وَ " النَّسَائِيِّ "، وَ " ابْنِ مَاجَهْ "، مِنْ طَرِيقِ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ مَرْفُوعًا: «أَقْرَأُ أُمَّتِي أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ» . وَفِي الصَّحِيحِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَهُ: «إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ ". قَالَ: وَسَمَّانِي لَكَ؟ قَالَ: " نَعَمْ» فَذَرَفَتْ عَيْنَاهُ. وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِي التَّفْسِيرِ عِنْدَ سُورَةِ {لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ مُنْفَكِّينَ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ الْبَيِّنَةُ} [البينة: 1] . قَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ تُوُفِّيَ أُبَيٌّ سَنَةَ تِسْعَ عَشْرَةَ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ سَنَةَ تِسْعَ عَشْرَةَ أَوْ عِشْرِينَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ. وَبِهِ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ، وَابْنُ نُمَيْرٍ، وَجَمَاعَةٌ. وَقَالَ الْفَلَّاسُ، وَخَلِيفَةُ: تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَفِيهَا مَاتَ خَبَّابٌ مَوْلَى عُتْبَةَ بْنِ غَزْوَانَ، مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَهُوَ صَحَابِيٌّ مِنَ السَّابِقِينَ، وَصَلَّى عَلَيْهِ عُمَرُ. وَمَاتَ فِيهَا صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ فِي قَوْلٍ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.