আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثماني عشرة

পৃষ্ঠা - ৫৫৬৪

১৮ হিজরী সাল

অধিকাহুশ ঐতিহাসিকের মতে তাউন-ই-আমওয়াস’ বা আমওয়াসের ৫প্লগ মহড়ামারীর’
প্রাদুর্ডাব ঘটেছিল এই ১৮ হিজরীতে ৷ তবে সায়ফ ইবন উমর ও ইবন জারীর বলেছেন, এটি
ঘটেছিল ১৭ হিজরী সালে ৷ তাদের অনুসরণে আমরা ওই প্লেগ মহামারীৱ বিবরণ ১৭ হিজরী
সনের ঘটনার উল্লেখ করেছি ৷ তবে ওই ৫প্নগ রোগে আক্রান্ত হয়ে বাবা মারা গিয়েছেন তাদের
কথা আমরা এই হিজরী সনের আলোচনায় উল্লেখ করব ইনশাআল্পাহ্ ৷

ইবন ইসহাক ও আবু মাশার বলেছেন যে, আমওয়াসে প্লেগের মহামারী এবং ছইিয়ের
(দুর্তিক্ষের) বছর দৃটোই এই হিজরী সন অর্থাৎ ১৮ হিজরী সনের ঘটনা ৷ এই দুই ঘটনায় বহু
লোক মারা গিয়েছিলেন ৷

আমি বলি, ছইিয়ের বছর মানে এমন দৃর্তিক্ষের বছর যা সমগ্র আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে
পড়েছিল ৷ মানুষ সীমাহীন অভাব-অনটনের মুখোমুখি হয়েছিল ৷ সীরাত-ই-উমর’ গ্রন্থে আমরা
এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ এই বছর ছইিয়ের বছর বলা হয় এজন্যে যে, অনাবৃষ্টির
কারণে পথ-ঘাট ও সমগ্র ভু-ভাগ কালো হয়ে ছইিয়ের রং ধারণ করেছিল ৷ কেউ বলেছেন
এজন্যে যে, তখন বাতাসের সাথে ছইিয়ের মত ধুলাবালি উড়ত ৷ মরু ঝড় ছাই-ঝড়ে পরিণত
হয়েছিল ৷ এও বলা যায় যে, উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে বছরটিকে ছইিয়ের বছর নামকরণ করা
হয়েছে ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷

এই বছর আরবের সকল লোক প্রচণ্ড অভাবে পতিত হয় ৷ গ্ৰাম-গঞ্জ থেকে সব লোক
মদীনায় এসে একত্রিত হয় ৷ কারো নিকট কোন খাবার কিৎবা অর্থ-কড়ি ছিল না ৷ খলীফা রাষ্টীয়
বায়তৃলমালে যা খাদ্য ও ধন-সম্পদ মজুদ ছিল তা তাদের মধ্যে বণ্টন করতে শুরু করেন ৷
এক সময় তাও ফুরিয়ে যায় ৷ খালি হয়ে যায় সরকারী গুদাম ৷ খলীফা সিদ্ধান্ত নেন যে, মানুষের
এই দৃরবস্থা যতদিন লাঘব না হবে ততদিন তিনি কোন ঘি ও পুষ্টিকর খাবার খাবেন না ৷
সচ্ছলতার সময় তিনি রুটি থােতন শুধু দুধ আর ঘি দিয়ে, আর ছইিয়ের বছরে তিনি শুধু তেল
আর সিরকা দিয়ে রুটি থােতন ৷ অনেক সময় শুধু যয়তুনের তেল দিয়েই রুটি থেতেন ৷ তা-ও
পেট ভরে থেতেন না ৷ অভৃক্ত থাকতে থাকতে খলীফার শরীরের রং কালো হয়ে যায় ৷ দেহের
অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে যায় ৷ তিনি এআ দুর্বল ও ক্ষীণ হয়ে পড়েন যে, তার জীবনহানির
আশংকা সৃষ্টি হয় ৷ একাদিক্রমে নয় মাস এই দুর্ভিক্ষ বিরাজমান ছিল ৷ তারপর অবস্থার
পরিবর্ভা ঘটে ৷ অভাবের পর সচ্ছলত৷ আসে ৷ মানুষ মদীনা ছেড়ে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে
চলে যায় ৷

ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, লোকজন যখন মদীনা ছেড়ে নিজ নিজ বাড়ি ঘরে ফিরে যাচ্ছিল
তখন জনৈক আরব হযরত উমর (রা)-কে বলেহ্নিৰ, “আপনি স্বাধীন মহিলার ছেলে বলে


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانِي عَشْرَةَ] [طَاعُونُ عَمَوَاسَ وَعَامُ الرَّمَادَةِ] الْمَشْهُورُ الَّذِي عَلَيْهِ الْجُمْهُورُ أَنَّ طَاعُونَ عَمَوَاسَ كَانَ بِهَا، وَقَدْ تَبِعْنَا قَوْلَ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ، وَابْنِ جَرِيرٍ فِي إِيرَادِهِ ذَلِكَ فِي السَّنَةِ الَّتِي قَبِلَهَا، لَكِنَّا نَذْكُرُ وَفَاةَ مَنْ مَاتَ فِي الطَّاعُونِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَأَبُو مَعْشَرٍ: كَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ طَاعُونُ عَمَوَاسَ وَعَامُ الرَّمَادَةِ، فَتَفَانَى فِيهَا النَّاسُ. قُلْتُ: كَانَ فِي عَامِ الرَّمَادَةِ جَدْبٌ عَمَّ أَرْضَ الْحِجَازِ، وَجَاعَ النَّاسُ جُوعًا شَدِيدًا، وَقَدْ بَسَطْنَا الْقَوْلَ فِي ذَلِكَ فِي " سِيرَةِ عُمَرَ ". وَسُمِّيَتْ عَامَ الرَّمَادَةِ لِأَنَّ الْأَرْضَ اسْوَدَّتْ مِنْ قِلَّةِ الْمَطَرِ، حَتَّى عَادَ لَوْنُهَا شَبِيهًا بِالرَّمَادِ. وَقِيلَ: لِأَنَّهَا كَانَتْ تَسْفِي الرِّيحُ تُرَابًا كَالرَّمَادِ. وَيُمْكِنُ أَنْ تَكُونَ سُمِّيَتْ لِكُلٍّ مِنْهُمَا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ أَجْدَبَ النَّاسُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بِأَرْضِ الْحِجَازِ، وَجَفَلَتِ الْأَحْيَاءُ إِلَى الْمَدِينَةِ وَلَمْ يَبْقَ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْهُمْ زَادٌ، فَلَجَئُوا إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَأَنْفَقَ فِيهِمْ مِنْ حَوَاصِلِ بَيْتِ الْمَالِ مِمَّا فِيهِ مِنَ الْأَطْعِمَةِ وَالْأَمْوَالِ حَتَّى أَنْفَدَهُ، وَأَلْزَمَ نَفْسَهُ أَنْ لَا يَأْكُلَ سَمْنًا وَلَا
পৃষ্ঠা - ৫৫৬৫


আপনার থেকে এই বিপদ কেটে গেল ৷” অর্থাৎ আপনি জনসাধারণের প্রতি সহানুভুতি
দেখিয়েছেন, তাদের প্রতি সদাচার করেছেন, ন্যায় বিচার করেছেন বলেই এইি বিষাদ দুর হলো ৷

আমরা বর্ণনা করেছি যে, ছইিয়ের বছরের এক রাতে হযরত উমর (রা) মদীনায় বের হন ৷
তিনি কোন লোককে হাসতে দেখলেন না এবং নিত্যদিনের অভ্যাস অনুযায়ী কোন ঘরে
পল্প-গুজবের শব্দও শুনেন না ৷ তিনি কোন ভিক্ষুককে ভিক্ষা করতে দেখলেন না ৷ তিনি কারণ
জানতে চাইলেন ৷ তাকে বলা হলো, আমীরুল মুমিনীন ! ভিক্ষুকগণ ইতিপুর্বে ভিক্ষ৷ চেয়েছে
কিন্তু কিছুই তারা পায়নি তাই তারা ভিক্ষা করা বন্ধ করে দিয়েছে ৷ আর লোকজন চরম
দুঃখ-কষ্টে দিন গুজরান করছে এজন্যে তারা হবেন না গল্প-গুজব করে না ৷

খলীফ৷ উমর (রা) বসরাতে আবু মুসা আশআরীর নিকট লিখলেন, “ইয়৷ গাওছাহ লি
উম্মাতি ৩ঘৃহাম্মদ! আহ্! ঘুহাম্মাদইদ্বুফু ষ্এর উম্মতে র জন্যে সাহায্য চাই ৷ তিনি মিসর আমর
ইবন ৩া৷ সের নিকট পত্র লিথলেন বললেন, “ইয়া ণাওছাহ্ লি উম্মাতি মুহাম্মাদষ্ ণু: ”—
মুহাম্মাদ হ্রহুক্ট্র এর উম্মণ্ডে র জন্যে সাহায্য চাই ৷ তারা দুজনেই গম ও অন্যান্য খাদ্য বোঝাই
করে বিশাল প্রতিনিধি দল মদীনায় প্রেরণ করেন ৷ আমরের পাঠ্য ৷নাে ক ৷ফেল৷ সমুদ্র পথে জেদ্দা
আসে এবং সেখান থেকে মক্কায় প্রেরণ করা হয় ৷ এই বর্ণনাঢির সনদ খুব মজবৃত ও সুদৃঢ় ৷
কিন্তু৷ ছইিয়ের বছরে আমর ইবনুল আসের সংশ্লিষ্ট৩ ৷ থাকার কথায় জটিলতা রয়েছে ৷ কারণ
বলা ন্য়েছে যে, মিসর থেকে আমর ইবনুল আস খাদ্য-পানীর প্রেরণ করেছেন ৷ অথচ মিসর
তনও অর্থাৎ ১৮ হিজরী সনে মুসলমানদের অধিকারে আসেনি ৷ তাহলে বলতে হবে যে,
ছইিয়ের বছরের আগমন ঘটেছিল ১৮ হিজরীর পর অথবা এটা বলতে হবে যে এই ঘটনায়
আমর ইখনৃল আসের উল্লেখ করা ভুল ও অনুমান ভিত্তিক ৷ মহান আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷

সড়ায়ফ ইবন উমর উল্লেখ করেছেন যে, তার শায়খদের থেকে তারা বলেছেন যে, আবু
উবায়দ৷ (বা) চার হাজার বাহনে খাদ্য বোঝাই করে মদীনায় নিয়ে আসেন ৷ এ গুলো মদীনার
আ৷শপাশের গোত্রগুলোতে বন্টন করে দেবার জন্যে খলীফা নির্দেশ দেন ৷ বণ্টন শেষে খলীফা
আবু উবায়দা (রা) কে চার হা জ্জ্বাব ৷দরহাম নিজের জন্যে নে বার নির্দেশ দেন ৷ আবু উবায়দা
(বা) তা নিতে অসম্মতি প্রকাশ করেন ৷ পরে খলীফার পীড়াপীড়িতে তিনি তা নিতে সম্মত হন ৷

সায়ফ ইবন উমর আবদুর রহমান ইবন কাব ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, ছইিয়ের বছরের দৃর্তিক্ষ ছিল ১৭ হিজরী সনের শেষ দিকে এবং ১৮ হিজরী
সনের শুরুর দিকে ৷ এই সময়ে মদীনা ও তার আশেপাশের লোকজন মারাত্মক খাদ্যাভাবে
পতিত হয় ৷ তাতে বহুলোক মারা যায় ৷ পরিস্থিতি এত সংকটময় হয়ে পড়ে যে, বন্য জীবজন্তু
পর্যন্ত মানুষের সাথে সখ্য গড়ে তোলে ৷

এই সময়ে খলীফা উমর (রা)সহ সকল জনসাধারণ অন্যান্য শহর নগর থেকে যেন বিচ্ছিন্ন
হয়ে পড়েন ৷ এমন এক সময়ে হযরত বিলাল ইবন হারিছ ঘুযানী মদীনায় আসেন ৷ তিনি

ষ্শ্ধ্ষ্ ’ষ্ ’ৰ্

খলীফার সাথে দেখা করার অনুমতি ৩চান ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ :;:;া: এর দুত হিসেবে
আপনার নিকট এসেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্রুপুন্: (স্বপ্নে) আপনার উদ্দেশ্যে বলছেনা’১াণ্, এ )
(এ১£১ ৷শুট্রুপ্ ;এে১ ,া ;এ ,া, ৷ৰুট্রুৰু আমি তাে আপনাকে বুদ্ধিমান পেয়েছি, আর সব
সময় বুদ্ধিমান ছিলেন, এখন আপনার কী হলো? খলীফ৷ বললেন, এ স্বপ্ন আপনি কখন

দেখেছেনঃ বিলাল বললেন, গতরাতে দেখেছি ৷


سَمِينًا حَتَّى يُكْشَفَ مَا بِالنَّاسِ، فَكَانَ فِي زَمَنِ الْخِصْبِ يُبَسُّ لَهُ الْخُبْزُ بِاللَّبَنِ وَالسَّمْنِ، ثُمَّ كَانَ عَامَ الرَّمَادَةِ يُبَسُّ لَهُ بِالزَّيْتِ وَالْخَلِّ، وَكَانَ يَسْتَمْرِئُ الزَّيْتَ، وَكَانَ لَا يَشْبَعُ مَعَ ذَلِكَ، فَاسْوَدَّ لَوْنُ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَتَغَيَّرَ جِسْمُهُ حَتَّى كَادَ يُخْشَى عَلَيْهِ مِنَ الضَّعْفِ. وَاسْتَمَرَّ هَذَا الْحَالُ فِي النَّاسِ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ تَحَوَّلَ الْحَالُ إِلَى الْخِصْبِ وَالدَّعَةِ، وَانْشَمَرَ النَّاسُ عَنِ الْمَدِينَةِ إِلَى أَمَاكِنِهِمْ. قَالَ الشَّافِعِيُّ: بَلَغَنِي أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْعَرَبِ قَالَ لِعُمَرَ حِينَ تَرَحَّلَ الْأَحْيَاءُ عَنِ الْمَدِينَةِ: لَقَدِ انْجَلَتْ عَنْكَ وَإِنَّكَ لَابْنُ حُرَّةٍ. أَيْ: وَاسَيْتَ النَّاسَ وَأَنْصَفْتَهُمْ وَأَحْسَنْتَ إِلَيْهِمْ. وَقَدْ رُوِّينَا أَنَّ عُمَرَ عَسَّ الْمَدِينَةَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي عَامِ الرَّمَادَةِ فَلَمْ يَجِدْ أَحَدًا يَضْحَكُ، وَلَا يَتَحَدَّثُ النَّاسُ فِي مَنَازِلِهِمْ عَلَى الْعَادَةِ، وَلَمْ يَجِدْ سَائِلًا يَسْأَلُ، فَسَأَلَ عَنْ سَبَبٍ ذَلِكَ، فَقِيلَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ السُّؤَّالَ سَأَلُوا فَلَمْ يُعْطَوْا فَقَطَعُوا السُّؤَالَ، وَالنَّاسُ فِي هَمٍّ وَضِيقٍ، فَهُمْ لَا يَتَحَدَّثُونَ وَلَا يَضْحَكُونَ. فَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى أَبِي مُوسَى بِالْبَصْرَةِ: أَنْ يَا غَوْثَاهُ لِأُمَّةِ مُحَمَّدٍ. وَكَتَبَ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ بِمِصْرَ: أَنْ يَا غَوْثَاهُ لِأُمَّةِ مُحَمَّدٍ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِقَافِلَةٍ عَظِيمَةٍ تَحْمِلُ الْبُرَّ وَسَائِرَ الْأَطْعِمَاتِ، وَوَصَلَتْ مِيرَةُ عَمْرٍو فِي الْبَحْرِ إِلَى جُدَّةَ وَمِنْ جُدَّةَ إِلَى مَكَّةَ. وَهَذَا الْأَثَرُ جَيِّدُ الْإِسْنَادِ، لَكِنَّ ذِكْرَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فِي عَامِ الرَّمَادَةِ مُشْكِلٌ؛ فَإِنَّ مِصْرَ لَمْ تَكُنْ فُتِحَتْ فِي سَنَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ، فَإِمَّا أَنْ يَكُونَ عَامُ الرَّمَادَةِ بَعْدَ سَنَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ، أَوْ يَكُونَ ذِكْرُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فِي عَامِ الرَّمَادَةِ وَهْمًا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৫৫৬৬


তারপর খলীফা বের হয়ে লোকজনের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দিলেন “নামায়ের জামাত অনুষ্ঠিত
হবে ৷” লোকজন উপস্থিত হলো ৷ তিনি তাদেরকে নিয়ে দু রাকআত নামায আদায় করলেন ৷
তারপর দাড়িয়ে বললেন, হে লোক সকল ৷ আমি আপনাদেরকে আল্লাহ্র দোহইি দিয়ে বলছি
আপনারা কি আমার পক্ষ থেকে এমন কোন কাজ দেখেছেন যার বিপরীতটি অধিক ভালঃ’ তারা
বললেন, “হার আল্লাহ্! না তো তেমন কোন কাজ তো দেখিনি ৷’ তারপর তিনি বললেন; এই যে
বিলাল ইবন হারিছ, তিনি তো এমন এমন কথা বলেছেন ৷ এবার সকলে বলল, হা৷, বিলাল
ঠিকই বলেছেন ৷ আপনি মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করুন, তার সাহায্য ক্লাম্না করুন ৷
তারপর অন্যান্য মুসলিমের নিকট সাহায্য কামনা করুন ৷ এতদিন পর্যন্ত খলীফা উমর (বা) তা
থেকে বিরত ছিলেন ৷ তিনি বললেন, আল্লাহু আকবার, বিপদ তার নির্ধারিত মেয়াদে পৌছে
গিয়েছে ৷ হে আল্লাহ এবার বিপদ প্রত্যাহার করুন ৷ কোন সম্প্রদায়কে দু অ৷ ও প্রার্থনার
অনুমতি দেয়৷ হলে ওদের বালা মুসিবত দুর হয়েই যায় ৷’ তিনি অন্যান্য শহরের শাসন
কর্তাদেরকে লিখলেন যে, মদীনাবাসীকে এবং তার আশপাশের অধিবাসীদেরকে সাহায্য করুন ৷
কারণ তারা দুঃখের শেষ সীমায় পৌছে গিয়েছে ৷ তিনি সোকজনকে ইসতিসকা-নামাযের জন্যে
আহ্বান জানানো হলে লোকজন বেরিয়ে এল ৷ তাদের সাথে পায়ে হেটে বেরিয়ে এলেন হযরত
আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) ৷ এরপর খলীফা একটি সংক্ষিপ্ত থুতবা দিলেন ৷ তারপর
নামায আদায় করলেন ৷ তারপর ছুাটু গেড়ে বসে দুআ করলেন, “হে আল্লাহ, আমরা একমাত্র
আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার কাছেই সাহয্য চইি ৷ হে আল্লাহ্, আমাদেরকে ক্ষমা করে
দিন ৷ আমাদের প্রতি ৩দয়৷ করুন, আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷” তারপর তারা ফিরে পেলেন ৷
ফিরতি পথে তারা বাড়ি পর্যন্ত পৌছার পুর্বেই বৃষ্টি নামতে থাকে ৷ এবং কুয়া পুকুর পানিতে
ভর্তি ৩হয়ে যায় ৷’

এরপর সায়ফ বর্ণনা করেছেন আসিম ইবন উমর ইবন খাত্তাব (বা) থেকে যে, ছাইয়ের
বছরের ঘটনা ৷ মুযায়না গোত্রের এক ণ্লাকের পরিবারবর্গ তাকে তাদের জন্যে একটি বকরী
জবাই করার জন্য তাকে,অনুরোধ করল ৷ সে বলল, বকরীর পায়ে তো কোন গোশত নেই,
জবাই করে কী লাভ হবে? ওরা পীড়া-পীড়ি শুরু করলে সে একটি বকরী জবাই করল ৷ হার !
সে দেখতে পেল যে, বকরীর হাড়গুলাে লাল হয়ে গিয়েছে ৷ তখন সে বলল, ইয়৷ মুহাষ্মাদাহ

জ্যোৰ্ —

হে মুহাম্মাদ ! ভ্রপ্দ্বুন্ ছুহু সে রাতে সে স্বপুে দেখতে পড়ায় যে, রাসুলুল্লাহ্ ন্মোঃ:৩াকে বলছেন,
জীবনের সুসংবাদ গ্রহণ কর, বেচে থাকার সৃসংবাদ গ্রহণ কর ৷ তুমি উমরের কাছে যাও, র্তাকে
আমার সালাম জানাও ৷ তারপর তাকে বল, আমার সাথে আপনার চুক্তি তে৷ পুর্ণ করতে
হবে ৷ ওই চুক্তি তাে সুদৃঢ়, সুতরাং হে উমর ৷ বুদ্ধিমত্তার পথ অনুসরণ করুন, বুদ্ধিমত্তার পথ
অনুসরণ করুন ৷’

ওই লোক খলীফার দরবারে উপস্থিত হলো ৷ প্রহরীকে বলল, রাসুলুল্লাহ্ শ্লে পৃএর
একজনের দুতের জন্যে অনুমতি চাও ৷’ সে উমর (রা) এর নিকট এল এবং স্বপ্নের কথা
জানাল ৷ সব শুনে হযরত উমর (রা) অস্থির হয়ে পড়ালন ৷ তারপর তিনি মিম্বরে উঠে
লোকজনের উদ্দেশ্যে বললেন, যেই মহান আল্লাহ আপনাদেরকে ইসলামের পথ দেখিয়েছেন
তার দোহইি দিয়ে বলছি, আপনারা কি আমার মধ্যে এমন কোন আচরণ লক্ষ্য করেছেন যা

আলবিদায়া ২২


وَذَكَرَ سَيْفٌ عَنْ شُيُوخِهِ، أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ وَمَعَهُ أَرْبَعَةُ آلَافِ رَاحِلَةٍ تَحْمِلُ طَعَامًا، فَأَمَرَهُ عُمَرُ بِتَفْرِقَتِهَا فِي الْأَحْيَاءِ حَوْلَ الْمَدِينَةِ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ ذَلِكَ أَمَرَ لَهُ عُمَرُ بِأَرْبَعَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ، فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَهَا، فَأَلَحَّ عَلَيْهِ عُمَرُ حَتَّى قَبِلَهَا. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنْ طَرِيقِ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِي الْمُجَالِدِ، وَالرَّبِيعِ، وَأَبِي عُثْمَانَ وَأَبِي حَارِثَةَ، وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شُبْرُمَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالُوا: كَتَبَ أَبُو عُبَيْدَةَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: إِنَّ نَفَرًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَصَابُوا الشَّرَابَ - مِنْهُمْ ضِرَارٌ وَأَبُو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلٍ - فَسَأَلْنَاهُمْ فَقَالُوا: خُيِّرْنَا فَاخْتَرْنَا؛ قَالَ: {فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ} [المائدة: 91] . وَلَمْ يَعْزِمْ عَلَيْنَا. فَجَمَعَ عُمَرُ النَّاسَ فَأَجْمَعُوا عَلَى خِلَافِهِمْ، وَأَنَّ الْمَعْنَى فِي قَوْلِهِ: {فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ} [المائدة: 91] أَيِ: انْتَهُوا. وَأَجْمَعُوا عَلَى جَلْدِهِمْ ثَمَانِينَ ثَمَانِينَ، وَأَنَّ مَنْ تَأَوَّلَ هَذَا التَّأْوِيلَ وَأَصَرَّ عَلَيْهِ يُقْتَلُ. فَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ؛ أَنِ ادْعُهُمْ فَسَلْهُمْ عَنِ الْخَمْرِ؛ فَإِنْ قَالُوا: هِيَ حَلَالٌ. فَاقْتُلْهُمْ، وَإِنْ قَالُوا: هِيَ حَرَامٌ. فَاجْلِدْهُمْ. فَاعْتَرَفَ الْقَوْمُ بِتَحْرِيمِهَا، فَجُلِدُوا الْحَدَّ وَنَدِمُوا عَلَى مَا كَانَ مِنْهُمْ مِنَ اللَّجَاجَةِ فِيمَا تَأَوَّلُوهُ، حَتَّى وُسْوِسَ أَبُو جَنْدَلٍ فِي نَفْسِهِ، فَكَتَبَ أَبُو عُبَيْدَةَ إِلَى عُمَرَ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৫৬৭


আপনারা অপছন্দ করেন ৷’ তারা বলল, হায় আল্লাহ! না, তেমন কোন আচরণ আমরা
দেখিনি ৷ আর আপনি এমন কথা কেন বলছেন ৷’ তিনি মুযানী গোত্রের লোকটির বক্তব্য
তাদেরকে জানালেন ৷ মুলত ওই লোক ছিলেন বিলাল ইবন হারিছ মুযানী ৷ এবার সকলে মুল
রহস্য উপলব্ধি করেন ৷ কিন্তু খলীফা তা পারেন নি ৷ তারা বলল, এতে রাসুলুল্পাহ্ন্ধ্র,রুথাংট্রুআপনড়ার
ইসতিসৃকা নামাষে বিলন্বের দিকে ইঙ্গিত করেছেন ৷ আপনি আমাদেরকে নিয়ে ইসতিসৃকা
নামায আদায় করুন ৷ তিনি লোকজনকে ইসতিসৃকা নামাষে অংশ্যাহণের আহ্বান জানালেন ৷
লোকজন হাজির হলো ৷ তিনি সংক্ষিপ্ত খুতবা দিলেন ৷ তারপর সংক্ষেপে দু’ রাকাত নামায
আদায় করলেন, তারপর বললেন, হে আল্পাহ্৷ আমাদের সাহায্যকারীপণ অপারগ হয়ে
পড়েছে ৷ আমাদের নিজস্ব শক্তি ও সামর্থ্য অক্ষম হয়ে পড়েছে ৷ আমরা নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে
অপারগ হয়ে পড়েছি ৷ আপনার শক্তি ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই ৷ হে আল্পাহ্ ৷
আমাদেরকে পানি দিন ৷ মানব সমাজ ও শহর নগরে প্রাণচাঞ্চল্য দিন ৷’

হাফিজ আবু বকর বায়হাকী বলেন, আবু নসর ইবন কাতাদাহ এবং আবু বকর ফারসী
আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, মালিক (র) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, হযরত উমর
ইবন খাত্তাব (রা)-এর শাসনামলে একবার মানুষ দৃর্তিক্ষে পতিত হয়েছিল ৷ তখন জনৈক ব্যক্তি
রাসুলুল্লাহ্ মোঃ এর কবর শরীফের নিকট এসে বলেছিল, ইয়া রাসুলাল্লাহ৷ আপনার উম্মতের
জন্যে আল্লাহর কাছে পানি প্রার্থনা করুন ৷ ওরা তাে ধ্বংস হয়ে গেল ৷ স্বপ্নে রাসুলুল্পাহ্স্কুপ্দ্বুরুতার
নিকট এলেন এবং বললেন, “তুমি উমরের নিকট যাও ৷ র্তাকে আমার সালাম জন্যেও ৷ আর
বলে দাও যে, লোকজন অবশ্যই পানি পাবে ৷ তাকে এও বলে দিও যে, আপনার কর্তব্য হলো
বুদ্ধিমত্তার পথে অগ্রসর হওয়া ৷ লোকটি খলীফার নিকট এল এবং বিষয়টি র্তাকে জানলে ৷
খলীফা মহান আল্লাহর দরবারে ওমর পেশ করে বললেন, হে সাল্লাহ্৷ হে রাবব্ ওরা কোন
কসুরী করেনি ৷ বরং যতটুকু কসুরী তা আমার ৷ যত অক্ষমতা তা আমার ৷ এই হাদীসের সনদ
অত্যন্ত মজবুত ও বিশুদ্ধ ৷

তাবারানী বলেন, আবুমুসলিম কুশী আনাস (বা) থেকে বর্ণিত যে , হযরত উমর (রা)
ইসতিসৃকা নামাষের জন্যে বের হলেন, তার সাথে বৃষ্টির জন্যে দুআ করতে হযরত আব্বাস
(না)-কে নিয়ে গেলেন ৷ হযরত উমর (রা) মহান আল্লাহর দরবারে এভাবে মিনতি
জান্যচ্ছিলেন-

টু,াৰু;ৰুটুব্লু শু১াট্রু ৷ স্পোা৷৷
হে আল্লাহ ! আমাদের নবী দুনিয়ার অবস্থানকালে আমরা যদি দৃর্ডিংক্ষ পতিত হতাম, তখন
আপনার নিকট আমাদের নবী করীম মোঃ এর উছিলা পেশ করতাম ৷ আমরা এখন আপনার
নিকট আমাদের নবী করীমন্নুপ্ষ্দ্বু এর চাচার উহ্নিা৷ পেশ করছি ৷ ’ ইমাম বুখারী (র) এই হাদীস

হাসান ইবন মুহাম্মদ সুত্রে মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ থেকে এবং তিনি আনাস (বা) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে, হযরত আনাস বলেছেন মানুষ যখন অনাবৃষ্টির শিকার হতো, দুর্ডিংক্ষ পতিত


ذَلِكَ، وَسَأَلَهُ أَنْ يَكْتُبَ إِلَى أَبِي جَنْدَلٍ وَيُذَكِّرَهُ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي ذَلِكَ: مِنْ عُمَرَ إِلَى أَبِي جَنْدَلٍ، {إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ} [النساء: 48] . فَتُبْ وَارْفَعْ رَأْسَكَ وَابْرُزْ وَلَا تَقْنَطْ، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ {قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ} [الزمر: 53] . وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى النَّاسِ أَنْ عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ، وَمَنْ غَيَّرَ فَغَيِّرُوا عَلَيْهِ، وَلَا تُعَيِّرُوا أَحَدًا فَيَفْشُوَ فِيكُمُ الْبَلَاءُ. وَقَدْ قَالَ أَبُو الزَّهْرَاءِ الْقُشَيْرِيُّ فِي ذَلِكَ: أَلَمْ تَرَ أَنَّ الدَّهْرَ يَعْثُرُ بِالْفَتَى ... وَلَيْسَ عَلَى صَرْفِ الْمَنُونِ بِقَادِرِ صَبَرْتُ وَلَمْ أَجْزَعْ وَقَدْ مَاتَ إِخْوَتِي ... وَلَسْتُ عَنِ الصَّهْبَاءِ يَوْمًا بِصَابِرِ رَمَاهَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ بِحَتْفِهَا ... فَخُلَّانُهَا يَبْكُونَ حَوْلَ الْمَعَاصِرِ قَالَ سَيْفُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ سَهْلِ بْنِ يُوسُفَ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَ عَامُ الرَّمَادَةِ فِي آخِرِ سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ، وَأَوَّلِ سَنَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ، أَصَابَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ وَمَا حَوْلَهَا جُوعٌ فَهَلَكَ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، حَتَّى جَعَلَتِ الْوَحْشُ تَأْوِي إِلَى الْإِنْسِ. فَكَانَ النَّاسُ كَذَلِكَ وَعُمَرُ كَالْمَحْصُورِ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৫৬৮
أَهْلِ الْأَمْصَارِ، حَتَّى أَقْبَلَ بِلَالُ بْنُ الْحَارِثِ الْمُزَنِيُّ فَاسْتَأْذَنَ عَلَى عُمَرَ، فَقَالَ: أَنَا رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْكَ، يَقُولُ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،: " لَقَدْ عَهِدْتُكَ كَيِّسًا، وَمَا زِلْتَ عَلَى ذَلِكَ، فَمَا شَأْنُكَ؟ ". قَالَ: مَتَى رَأَيْتَ هَذَا؟ قَالَ: الْبَارِحَةَ. فَخَرَجَ فَنَادَى فِي النَّاسِ: الصَّلَاةَ جَامِعَةً. فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَامَ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ أَنْشُدُكُمُ اللَّهَ هَلْ تَعْلَمُونَ مِنِّي أَمْرًا غَيْرَهُ خَيْرًا مِنْهُ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ لَا. فَقَالَ: إِنَّ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ يَزْعُمُ ذَيْتَ وَذَيْتَ. فَقَالُوا: صَدَقَ بِلَالٌ، فَاسْتَغِثْ بِاللَّهِ ثُمَّ بِالْمُسْلِمِينَ. فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ - وَكَانَ عُمَرُ عَنْ ذَلِكَ مَحْصُورًا - فَقَالَ عُمَرُ: اللَّهُ أَكْبَرُ، بَلَغَ الْبَلَاءُ مُدَّتَهُ فَانْكَشَفَ، مَا أُذِنَ لِقَوْمٍ فِي الطَّلَبِ إِلَّا وَقَدْ رُفِعَ عَنْهُمُ الْبَلَاءُ. وَكَتَبَ إِلَى أُمَرَاءِ الْأَمْصَارِ أَنْ أَعِينُوا أَهْلَ الْمَدِينَةِ وَمَنْ حَوْلَهَا، فَإِنَّهُ قَدْ بَلَغَ جَهْدُهُمْ. وَأَخْرَجَ النَّاسَ إِلَى الِاسْتِسْقَاءِ، فَخَرَجَ وَخَرَجَ مَعَهُ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ مَاشِيًا، فَخَطَبَ وَأَوْجَزَ وَصَلَّى، ثُمَّ جَثَى لِرُكْبَتَيْهِ وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَارْضَ عَنَّا. ثُمَّ انْصَرَفَ فَمَا بَلَغُوا الْمَنَازِلَ رَاجِعِينَ حَتَّى خَاضُوا الْغُدْرَانَ. ثُمَّ رَوَى سَيْفٌ، عَنْ مُبَشِّرِ بْنِ الْفُضَيْلِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ صَخْرٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৫৬৯


হতো তখন হযরত উমর (রা) হযরত আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (না)-এর উছিলা দিয়ে
আল্লাহর দরবারে বৃষ্টি কামনা করতেন ৷ তিনি বলতেন-
৷ ণ্ণ্,া৷ ৷
হে আল্লাহ আমরা আমাদের নবীজাে এর উছিলা দিয়ে আপনার দরবারে বৃষ্টি প্রার্থনা
করতাম, আপনি আমাদেরকে বৃষ্টি দিতেন পানি দিতেন ৷ এখন আমরা আমাদের নবী «-
এর চাচার উছিলা দিয়ে আপনার দরবারে বৃষ্টি কামনা করছি ৷ আপনি আমাদের প্রতি ৩বৃষ্টি
নাযিল করুন ৷ ’
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তাদের প্রতি বৃষ্টি নাযিল করা হতো ৷ আবু বকর ইবন আবীদ
দৃনয়া বৃষ্টি বিষয়ক অধ্যায়’ এবং দুআ কবুল’ বিষয়ক অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন যে, আবু বকর
নিশাপুরী খাওয়াত ইবন জুবায়র (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত উমর
(রা) তক্তেরোক নিয়ে ইসতিসৃকার নামাষের জন্যে বের হন ৷ তারপর দৃ’রাব১আত নামায আদায়
করেন ৷ এরপর বললেন, “হে আল্লাহ্৷ আমরা আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং পানি
কামনা করছি ৷ তারপর তিনি তার স্থান থেকে সরতে পারেন নি সবাই বৃষ্টিতে ত্যিজ গিয়েছিল ৷
পরে জনৈক আরব বেদুঈন খলীফার দরবারে উপস্থিত হয়ে বলে, আমীরুল মু’মিনীনা
একদিন অমুক সময় আমরা আমাদের মাঠে ছিলাম ৷ হঠাৎ দেখলাম আমাদের মাথার উপর
একটি মেঘখণ্ড ৷ ওই মেঘ থেকে আমরা শুনতে পেলাম, “হে আবু হাকম, আপনার নিকট
আপনার কামাবন্তু এসে গিয়েছে, হে আবু হাকম ৷ আপনার নিকট আপনার কামা বস্তু এসে
গিয়েছে ৷
ইবন আবীদ দৃনয়া আরো বলেছেন, ইসহাক ইবন ইসমাঈল শাবী (র) থেকে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন হযরত উমর (রা) লোকজন নিয়ে ইসতিসৃকার নামাষের জন্যে বের
হলেন ৷ এ যাত্রার তিনি ইসতিসৃকার বা ক্ষমা প্রার্থনার অতিরিক্ত কিছু করেন নি ৷ তিনি ফিরে
এলেন ৷ লোকজন বলল, আমীরুল মু’মিনীন, আপনাকে বৃষ্টি কামনা করতে দেখলাম না ৷ তিনি
বলেন, আমি বৃষ্টি কামনা করেছি আকাশের সেই মাধ্যমগুলাের দ্বারা যেগুলোর মাধ্যমে বৃষ্টি
কামনা করা হয় ৷
াটুঠুদ্বুষ্ট্রছুন্া
তোমাদের প্রতিপালকের নিকট তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর, তিনি তো মহা ক্ষমাশীল ৷ তিনি
তোমাদের জন্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন ৷ (সুরা ৭১ , নুহ : ১ :-১ ১ )
এরপর তিনি জ্যিড়াওয়াত করলেন-




عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ مُزَيْنَةَ عَامَ الرَّمَادَةِ سَأَلَهُ أَهْلُهُ أَنْ يَذْبَحَ لَهُمْ شَاةً، فَقَالَ: لَيْسَ فِيهِنَّ شَيْءٌ. فَأَلَحُّوا عَلَيْهِ فَذَبَحَ شَاةً، فَإِذَا عِظَامُهَا حُمْرٌ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدَاهُ. فَلَمَّا أَمْسَى أُرِيَ فِي الْمَنَامِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ لَهُ: " أَبْشِرْ بِالْحَيَا، ائْتِ عُمَرَ فَأَقْرِئْهُ مِنِّي السَّلَامَ وَقُلْ لَهُ: إِنَّ عَهْدِي بِكَ وَفِيَّ الْعَهْدِ، شَدِيدَ الْعَقْدِ، فَالْكَيْسَ الْكَيْسَ يَا عُمَرُ ". فَجَاءَ حَتَّى أَتَى بَابَ عُمَرَ فَقَالَ لِغُلَامِهِ: اسْتَأْذِنْ لِرَسُولِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،. فَأَتَى عُمَرَ فَأَخْبَرَهُ فَفَزِعَ، ثُمَّ صَعِدَ عُمَرُ الْمِنْبَرَ فَقَالَ لِلنَّاسِ: أَنْشُدُكُمْ بِالَّذِي هَدَاكُمْ لِلْإِسْلَامِ، هَلْ رَأَيْتُمْ مِنِّي شَيْئًا تَكْرَهُونَهُ؟ فَقَالُوا: اللَّهُمَّ لَا، وَعَمَّ ذَاكَ؟ فَأَخْبَرَهُمْ بِقَوْلِ الْمُزَنِيِّ - وَهُوَ بِلَالُ بْنُ الْحَارِثِ - فَفَطِنُوا وَلَمْ يَفْطَنْ. فَقَالُوا: إِنَّمَا اسْتَبْطَأَكَ فِي الِاسْتِسْقَاءِ فَاسْتَسْقِ بِنَا. فَنَادَى فِي النَّاسِ، فَخَطَبَ فَأَوْجَزَ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَأَوْجَزَ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ عَجَزَتْ عَنَّا أَنْصَارُنَا، وَعَجَزَ عَنَّا حَوْلُنَا وَقُوَّتُنَا، وَعَجَزَتْ عَنَّا أَنْفُسُنَا، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ، اللَّهُمَّ فَاسْقِنَا وَأَحْيِ الْعِبَادَ وَالْبِلَادَ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو نَصْرِ بْنُ قَتَادَةَ وَأَبُو بَكْرٍ الْفَارِسِيُّ قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ مَطَرٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَلِيٍّ الذُّهْلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ مَالِكٍ قَالَ: أَصَابَ النَّاسَ قَحْطٌ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى قَبْرِ النَّبِيِّ
পৃষ্ঠা - ৫৫৭০


তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তার দিকে প্রত্যাবর্তন কর ৷
তিনি তােমাদেরকে এক নিল্টিকালের জন্যে উত্তম জীবন উপভোগ করতে দিবেন এবং তিনি
ধর্মাচরণে অধিক নিষ্ঠাবান প্রত্যেককে অধিক দান করবেন; যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে
আমি তোমাদের জন্যে আশংকা করি মহা দিবসের শাস্তি ৷ (সুরা ১ ১ , হ্রদ ও ৩)

ইবন জারীর সায়ফ থেকে তিনি আবু মুজালিদ প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তারা
সকলে বলেছেন যে, এই বছর অর্থাৎ ১৮ হিজরী সালে আবু উবায়দা (রা) লিখলেন, হযরত
উমর ইবন খাত্তাব (রা) এর নিকট যে কতক মুসলমান মদ্যপানে লিপ্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে
আছে দিরার আবু জানদাল ইবন সাহ্ল ৷ আমি তাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর
তারা বলে যে, কুরআনে আমাদেরকে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে ৷ আমরা মদ পানই বেছে
নিয়েছি ৷

আল্লাহ্ তাআলা বলেছেনশ্ (ট্রু;টুছুছু;ৰু ;;;’ ঞ তোমরা কি বিরত থাকবেঃ) চুড়াতভ্যবে
তো আমাদেরকে নিষেধ করা হয়নি ৷

খলীফা উমর (রা) লোকজনকে একত্রিত করলেন এবং এ বিষয়ে আলোচনা করলেন ৷
সবাই ওদের ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অভিমত পেশ করে এবং তারা বলে যে, আয়াতে ষ্ঠাং
;,;;;;’, ;:;’ তোমরা কি বিরত থাকবে ? অর্থ ( ৷ট্রুছু;; ৷) তোমরা বিরত থাক ৷ সবাই
ঐক্যবদ্ধ অভিমত পেশ করল যে, ওই মদপানকারী প্রত্যেককে ৮০টি করে বেত্রাঘাত করতে
হবে ৷ পুনরায় যদি কেউ ওদের ন্যায় ব্যাখ্যা প্রদান করে এবং ওইরুপ ব্যাখ্যা নিয়ে ৰাড়বোড়ি
করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে ৷ খলীফা উমর (রা) আবু উবায়দা (রা)-কে লিখলেন যে,
ওদেরকে ডেকে মদ পান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করুন ৷ যদি তারা বলে যে, মদ পান হালাল বৈধ
তবে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিন ৷ আর যদি বলে যে, তা হারাম তাহলে ইতিপুর্বে মদ পানের
অপরাধে ওদের প্রকৃত্যককে ৮০টি করে বেত্রাঘাত করুন ৷ আবু উবায়দা (রা) ওদেরকে
ডাকলেন ৷ তারা মদ পান হারাম বলে স্বীকার করল ৷ ফলে তাদের উপর বেত্রদণ্ড কার্যকর করা
হলো ৷ নিজেদের ভুল ব্যাখ্যার জন্যে তারা লজ্জিত হলো ৷ এমনকি আবু জানদাল তার মনে
চরম সন্দেহ পোষণ করতে লাগলেন যে, তার ঈমান আছে কি নেই? আবু উবায়দা বিষয়টি
খলীফাকে জানালেন এবং আবু জানদালের নিকট একটি চিঠি লিখে র্তাকে উপদেশ দিতে
থলীফাকে অনুরোধ জানালেন ৷ খলীফা এ বিষয়ে আবু জানদালের নিকট একটি চিঠি লিখলেন ৷
তাতে তিনি লিখলেন, “উমর থেকে আবু জানদালের প্রতি ৷ আল্লাহ্ তাআলা তার শরীক
করার অপরাধ ক্ষমা করেন না ৷ এটি ব্যতীত অন্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন ৷ সুতরাং
তওবা কর ৷ মাথা উঠাও ৷ বইিরে বের হও ৷ নিরাশ হয়ো না ৷

আল্লাহ্ তাআলা তো বলেহ্নেব্


fi ণ্


বলুন, হে আমার ৰান্দাগণ ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অৰিচার করেছ-আল্লাহ্র অনুগ্রহ

হতে নিরাশ হয়াে না; আল্লাহ্ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দিবেন ৷ তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম
দয়ালু ৷ (সুরা ৩৯, যুমার : ৫৩)


، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَسْقِ اللَّهَ لِأُمَّتِكَ فَإِنَّهُمْ قَدْ هَلَكُوا. فَأَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الْمَنَامِ، فَقَالَ: " ائْتِ عُمَرَ فَأَقْرِئْهُ مِنِّي السَّلَامَ وَأَخْبِرْهُ أَنَّكُمْ مُسْقَوْنَ، وَقُلْ لَهُ عَلَيْكَ الْكَيْسَ الْكَيْسَ ". فَأَتَى الرَّجُلُ فَأَخْبَرَ عُمَرَ فَقَالَ: يَا رَبِّ مَا آلُو إِلَّا مَا عَجَزْتُ عَنْهُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو مُسْلِمٍ الْكَشِّيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، ثَنَا أَبِي، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، خَرَجَ يَسْتَسْقِي وَخَرَجَ بِالْعَبَّاسِ مَعَهُ يَسْتَسْقِي، فَيَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنَّا كُنَّا إِذَا قَحَطْنَا عَلَى عَهْدِ نَبِيِّنَا تَوَسَّلْنَا إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا، وَإِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ، بِهِ، وَلَفْظُهُ: عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ عُمَرَ كَانَ إِذَا قَحَطُوا يَسْتَسْقِي بِالْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَيَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنَّا كُنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا فَتَسْقِينَا، وَإِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا فَاسْقِنَا. قَالَ: فَيُسْقَوْنَ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا فِي " كِتَابِ الْمَطَرِ "، وَفِي كِتَابِ " مُجَابِي الدَّعْوَةِ ": حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الشَّيْبَانِيُّ، ثَنَا عَطَاءُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৭১


খলীফা উমর (রা) সকলের জন্যে এই নির্দেশনামা জারি করলেন প্রত্যেকে নিজের জন্যে
জবাবদিহি করবে ৷ যদি কেউ সত্য বিকৃত করেত তবে তোমার জন্যে বিপরীত বিধান দিবে ৷ শুধু
শুধু কাউকে লজ্জা দিবে না ৷ তাহলে কিন্তু তোমাদের মধ্যে বালা-মুসিবত ছড়িষ্য় পড়বে ৷

এ প্রসঙ্গে আবু যাহরা কুশায়রী বলেছেন :



তুমি কি দেখ না, যুগ ও সময় যুবকের পদম্মলন ঘটায় ৷ কিন্তু কেউ মৃত্যু ঠেকাতে সক্ষম
নয় ৷


আমি ধৈর্যধারণ করেছি ৷ অস্থির হইনি ৷ আমার বহু তাই কোন মারা গিয়েছে তবুও অধৈর্য
হইনি ৷ কিত্তু মদ পান না করে একদিনও থাকতে পারিনি ৷ মদ পানে বিরত থাকার ধৈর্যধারণ
করতে পারিনি ৷

গৈধ্রু^১

আমীরুল মু মিনীন উমর (বা) এই মদ্যকে গলা টিপে দুরে বহু দুরে ফেলে দিয়েছেন ৷ ফলে
মদ্যপ্রেষী লোকজন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে আর কাদছে ৷

ওয়াকিদী ও অন্যরা বলেছেন যে, এই বছরে অর্থাৎ ১৮ ইিজরী সালের যিলস্থজ্জ মাসে
খলীফা উমর “মাকাম-ই-ইব্রাহীম”-কে ন্থানন্তের করেন, এটি পুর্বে কাবা গৃহের প্রাচীরের
সাথে লাগােয়া ছিল ৷ তিনি সেখান থেকে সরিয়ে বর্তমানে যেখানে আছে সেখানে স্থাপন
করেন ৷ উদ্দেশ্য হলো, “মাকামে ইবরাহীমের সম্মুখে নামায পড়তে গিয়ে তাওয়াফকারীদের
যেন কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয় ৷ আমি বলি, এই হাদীসের সনদ আমি সীরাতে উমর’ গ্রন্থে
উল্লেখ করেছি ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্ব ৷

এই বছর খলীফা উমর (রা) শরায়হকে কুফার বিচারক নিয়োগ করেন ৷ কাব ইবন
সুওয়ারকে বসরার বিচারক নিয়োগ করেন ৷ এই বছর হযরত উমর (রা) নিজে আমীরুল হজ্জ
হয়ে লোকজন নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ র্তার জে আদায়ের প্রাক্কালে বিভিন্ন রাজ্যে র্তারাই
শাসনকর্তার দায়িতৃ পালন কঃরছেন যারা গত বছর দরািতু ছিলেন ৷ এই বছরেই রিকাহ, রাহা
ও হারবান প্রদেশ জয় হয় ইয়ান ইবন পানামের হাতে ৷

ওয়াকিদী আরো বলেন যে, উমর ইবন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাসের হাতে “আয়নুল
ওয়ারদা” জয় হয় এই বছর ৷ কেউ কেউ জ্জি কথা বলেছেন ৷ আমাদের শায়খ হাফিজ যাহাবী
তার ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, এই বছর আবু মুসা আশআরী (বা) শক্তি প্ৰয়ােগে
রাহা ও শামশাত অঞ্চল দখল করেন ৷ এই বছরের শুরুর দিকে আবু উবায়দা (রা) ইয়ায
ইবন গানামকে জাযীরা পাঠিয়েছিলেন ৷ জাযীরার তার সাথে আবু মুসা আশআরী (না)-এর
দেখা হয়ে যায় ৷ তারপর দৃ’জনে মিলে বলপ্ৰয়োগে হারবান, নসীবীন এবং জাযীরার কিছু অংশ
দখল করে নেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, এগুলো জয় করেছেন সন্ধি চুজ্যি মাধ্যমে ৷ ’

এই ১৮ ইিজরী সালেই ইয়ায ইবন গনোম মুসেল অভিযানে যান এবং মুসেল ও তার
আশেপাশের এলাকা বলপ্ৰয়ােগে দখল করেন ৷ এই ইিজরী সনে সাদ (রা) কুফার জামে
মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন ৷


مُسْلِمٍ عَنِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ خَوَّاتِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: خَرَجَ عُمَرُ يَسْتَسْقِي بِهِمْ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَغْفِرُكُ وَنَسْتَسْقِيكَ. فَمَا بَرِحَ مِنْ مَكَانِهِ حَتَّى مُطِرُوا، فَقَدِمَ أَعْرَابٌ فَقَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بَيْنَا نَحْنُ بِوَادِينَا فِي سَاعَةِ كَذَا إِذْ أَظَلَّتْنَا غَمَامَةٌ فَسَمِعْنَا مِنْهَا صَوْتًا: أَتَاكَ الْغَوْثُ أَبَا حَفْصٍ، أَتَاكَ الْغَوْثُ أَبَا حَفْصٍ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ طَرِيفٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: خَرَجَ عُمَرُ يَسْتَسْقِي بِالنَّاسِ فَمَا زَادَ عَلَى الِاسْتِغْفَارِ حَتَّى رَجَعَ، فَقَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَا نَرَاكَ اسْتَسْقَيْتَ. فَقَالَ: لَقَدْ طَلَبْتُ الْمَطَرَ بِمَجَادِيحِ السَّمَاءِ الَّتِي يُسْتَنْزَلُ بِهَا الْمَطَرُ، ثُمَّ قَرَأَ: {اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا} [نوح: 10] ثُمَّ قَرَأَ: {وَأَنِ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ} [هود: 3] . قَالَ الْوَاقِدِيُّ، وَغَيْرُهُ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْهَا حَوَّلَ عُمَرُ الْمَقَامَ، وَكَانَ مُلْصَقًا بِجِدَارِ الْكَعْبَةِ، فَأَخَّرَهُ إِلَى حَيْثُ هُوَ الْآنَ؛ لِئَلَّا يُشَوِّشَ الْمُصَلُّونَ عِنْدَهُ عَلَى الطَّائِفِينَ. قُلْتُ: وَقَدْ ذَكَرْتُ أَسَانِيدَ ذَلِكَ فِي " سِيرَةِ عُمَرَ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. قَالَ: وَفِيهَا اسْتَقْضَى عُمَرُ شُرَيْحًا عَلَى الْكُوفَةِ وَكَعْبَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৭২
سُورٍ عَلَى الْبَصْرَةِ. قَالَ: وَفِيهَا حَجَّ عُمَرُ بِالنَّاسِ، وَكَانَتْ نُوَّابُهُ فِيهَا الَّذِينَ تَقَدَّمَ ذِكْرُهُمْ فِي السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ. قَالَ: وَفِيهَا فُتِحَتِ الرَّقَّةُ وَالرُّهَا وَحَرَّانُ عَلَى يَدَيْ عِيَاضِ بْنِ غَنْمٍ قَالَ: وَفُتِحَتْ رَأْسُ عَيْنِ الْوَرْدَةِ عَلَى يَدَيْ عُمَرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَقَالَ غَيْرُهُ خِلَافَ ذَلِكَ. وَقَالَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ الذَّهَبِيُّ فِي تَارِيخِهِ: وَفِيهَا - يَعْنِي هَذِهِ السَّنَةَ - افْتَتَحَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ الرُّهَا وَسُمَيْسَاطَ عَنْوَةً، وَفِي أَوَائِلِهَا وَجَّهَ أَبُو عُبَيْدَةَ عِيَاضَ بْنَ غَنْمٍ إِلَى الْجَزِيرَةِ فَوَافَقَ أَبَا مُوسَى، فَافْتَتَحَا حَرَّانَ وَنَصِيبِينَ وَطَائِفَةً مِنَ الْجَزِيرَةِ عَنْوَةً، وَقِيلَ: صُلْحًا. وَفِيهَا سَارَ عِيَاضٌ إِلَى الْمَوْصِلِ فَافْتَتَحَهَا وَمَا حَوْلَهَا عَنْوَةً. وَفِيهَا بَنَى سَعْدٌ جَامِعَ الْكُوفَةِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا كَانَ طَاعُونُ عَمَوَاسَ فَمَاتَ فِيهِ خَمْسَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا. قُلْتُ: هَذَا الطَّاعُونُ مَنْسُوبٌ إِلَى بُلَيْدَةٍ صَغِيرَةٍ يُقَالُ لَهَا: عَمَوَاسُ. وَهِيَ بَيْنَ الْقُدْسِ وَالرَّمْلَةِ، لِأَنَّهَا كَانَ أَوَّلَ مَا نَجَمَ هَذَا الدَّاءُ بِهَا، ثُمَّ انْتَشَرَ فِي الشَّامِ مِنْهَا فَنُسِبَ إِلَيْهَا، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوُفِّيَ فِي عَامِ طَاعُونِ عَمَوَاسَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِالشَّامِ خَمْسَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا. وَقَالَ غَيْرُهُ: ثَلَاثُونَ أَلْفًا.
পৃষ্ঠা - ৫৫৭৩


ওয়াকিদী বলেন, এই বছরেই “তা’উন-ই-আমওয়াস” এর প্রাদুর্ভাব করে ৷ তাতে ২৫
হাজার লোকের মৃত্যু হয় ৷ আমি বলি, আমওয়াস” একটি ছোট্ট শহর ৷ এটি আল-কুদস ও
রামাল্লার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত ৷ ওই মহামারী প্রেগ রোগ প্রথমে এখানেই শুরু হয় ৷৩ তাই
এটিকে তউিন-ই-আমওয়াস বা আমওয়াসের প্লেপ মহামারীরুপে নাম দেয়া হয় ৷ পরবর্তীতে
এই রোগ সিরিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে ৷ সেই সুত্রে সিরিয়ার মহামারীও বলা যায় ৷ ইন্না লেল্লা ৷হি ওয়া
ইন্না ইলাইহে রাডিউিন ৷

ওয়াকিদী বলেন, তাউন ই আমওয়াসের ফলে সিরিয়ার প্রায় ২৫ হাজার মুসলমানের মৃত্যু
হয় ৷ কেউ কেউ বলেছেন ৩০ হাজার,৩ তাদের মধ্যে কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির বিবরণ এখানে দেয়া

হারিছ ইবন হিশাম (বা) : তিনি আবু জাহ্লের ভাই ৷ মক্কা বিজয়ের দিন ইসলাম গ্রহণ
করেন ৷ জাহেলী যুগে তিনি ব্যক্তিত্সম্পন্ন ও নেতৃস্থানীয় লোক ছিলেন ৷ ইসলাম গ্রহণের পরও
তিনি অভিজাত ও শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন ৷ কারো কারো মতে ,এই বছরে অর্থাৎ
হিজরী ১৮ সালে সিরিয়ার তিনি ইনতিকাল করেন ৷ তার ইনতিকালের পর হযরত উমর (বা)
তার শ্রী ফাতিমাকে বিয়ে করেন ৷

শুরাহবীল ইবন হাসানা (রা)৪ ইনি ইতিহাস খ্যাত : সেনাপতির একজন ৷ তিনি
ফিলিস্তীনেব শাসনকর্তা ছিলেন ৷ তার বংশ পরিচয় হলো শুরাহবীল ইবন আবদুল্লাহ ইবন ঘুতা
ইবন কা৩ ৷ন কিনৃদী ৷ বানু ষুহরা গোত্রের মিত্র গোত্র ৷

হাসানা তার মায়ের নাম ৷ তিনি মায়ের নামেই অধিক পরিচিত ৷ ইসলামের প্রথম যুগেই
তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তিনি আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন ৷ খলীফা আবু বকর সিদ্দীক
(রা) তাকে সেনাপতি হিসেবে সিরিয়া প্রেরণ করেছিলেন ৷ হ্রতিনি ৪অংশ সৈন্যের নেতৃতু
দিয়েছিলেন ৷

হযরত উমর (রা) এর শাসনামলেও তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন ৷ ১৮ হিজরী সালের
একদিনে তিনি, আবু উবায়দা (বা) এবং আবু মালিক আশ আরী <প্লগে আক্রান্ত হন ৷ তার দুটো
হাদীস আছে ৷ তার একটি ইবন মাজাহ্ ও অন্যরা ওয়ু অধ্যায়ে উদ্ধৃত করেছেন ৷

আমির ইবন আবদুল্লাহ ইবন জাররাহ্ ণ্ তার বংশ তালিকা হলো আমির ইবন আবদুল্লাহ
ইবন জাররাহ্ ইবন হিলাল ইবন উহায়র ইবন দাববাহ্ ইবন হারিছ ইবন ফিহ্র কৃরায়শী,
ওরফে আবু উবায়দা ইবন জাররাহ্ ফিহ্রী ৷ তিনি এই উষ্মতেৱ আমানতদার’ উপাধিতে ভুষিত
হয়েছিলেন ৷ তিনি “আশারড়া-ই-মুবাশৃশরাে অর্থাৎ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজনের অন্যতম ৷
একই দিনে যে পাচজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তিনি তাদের অন্যতম ৷ অবশিষ্ট
চারজন হলেন উসমান ইবন মাযউন (রা), উবায়দা ইবন হারিছ (রা), আবদুর রহমান ইবন
আওফ (রা), আবু সালামা ইবন আবদুল আসাদ (বা) ৷ তারা সকলে একই দিন হযরত আবু
বকর সিদ্দীক (ৱা)-এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷

মদীনায় হিজরত করার পর রাসুলুল্লাহ্মোঃ আবু উবায়দা (রা) কে সাদ ইবন মুআয
(রা) এর সাথে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে দিয়েছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন, ভ্রাতৃতু বন্ধন স্থাপন
করেছিলেন মুহাম্মদ ইবন মাসলামা এর সাথে ৷ তিনি বদরের যুদ্ধ এবং পরবর্তী যুদ্ধগুলোতে
অংশ নিয়েছেন ৷


[ذِكْرُ طَائِفَةٍ مِنْ أَعْيَانِ مَنْ تُوُفِّيَ فِي طَاعُونِ عَمَوَاسَ] وَهَذَا ذِكْرُ طَائِفَةٍ مِنْ أَعْيَانِهِمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. الْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ، أَخُو أَبِي جَهْلٍ، أَسْلَمَ يَوْمَ الْفَتْحِ، وَكَانَ سَيِّدًا شَرِيفًا فِي الْإِسْلَامِ كَمَا كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، اسْتُشْهِدَ بِالشَّامِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فِي قَوْلٍ، وَتَزَوَّجَ عُمَرُ بَعْدَهُ بِامْرَأَتِهِ فَاطِمَةَ. شُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ، أَحَدُ أُمَرَاءِ الْأَرْبَاعِ، وَهُوَ أَمِيرُ فِلَسْطِينَ، وَهُوَ شُرَحْبِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُطَاعِ بْنِ قَطَنٍ الْكِنْدِيُّ، حَلِيفُ بَنِي زُهْرَةَ. وَحَسَنَةُ أُمُّهُ، نُسِبَ إِلَيْهَا وَغَلَبَ عَلَيْهِ ذَلِكَ. أَسْلَمَ قَدِيمًا وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَجَهَّزَهُ الصِّدِّيقُ إِلَى الشَّامِ فَكَانَ أَمِيرًا عَلَى رُبُعِ الْجَيْشِ، وَكَذَلِكَ فِي الدَّوْلَةِ الْعُمَرِيَّةِ، وَطُعِنَ هُوَ وَأَبُو عُبَيْدَةَ، وَأَبُو مَالِكٍ الْأَشْعَرِيُّ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ سَنَةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ. لَهُ حَدِيثَانِ؛ رَوَى لَهُ ابْنُ مَاجَهْ أَحَدَهُمَا فِي الْوُضُوءِ، وَغَيْرُهُ. عَامِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْجَرَّاحِ ابْنُ هِلَالِ بْنِ أُهَيْبِ بْنِ ضَبَّةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ فِهْرٍ الْقُرَشِيُّ، أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ، الْفِهْرِيُّ، أَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَأَحَدُ الْعَشْرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَحَدُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৭৪


রাসুলুল্লাহ্ মোঃ বলেছেন-

প্রত্যেক উষ্মতের একজন আমানতদার থাকে ৷ এই উম্মতের আমানত্তদার হলো আবু
উবায়দা ইবনুল জাররাহ্ ৷ সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে এই হাদীস উল্লিখিত আছে ৷

সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে এটাও আছে যে, খলীফা নির্বাচন বিষয়ক জটিলতায় বানু
ছাকীফ্ গোত্রে অনুষ্ঠিত বৈঠকে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) বলেছিলেন, আমি দৃ’জনের যে
কোন একজনকে খলীফা নির্বাচনে রাজী আছি ৷ সুতরাং আপনারা তাদের যে কোন একজনের
হাতে বায়আত করুন ৷ সেই দু’জন হলেন হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা) এবং হযরত আবু
উবায়দা ইবনুল জাররাহ্ (রা) ৷

হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) সিরিয়া অভিযানে ই৪ অংশ সৈন্যের সেনাপতি হিসেবে আবু
উবায়দা ইবন জাররাহ্কে প্রেরণ করেন ৷ এরপর হযরত খালিদ (রা)-কে যখন ইরাক থেকে
ডেকে আনা হলো তখন তিনি তার ঘুদ্ধ-অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে আবু উবায়দা ও অন্যদের উপর
সৰ্বাধিনায়ক নিযুক্ত হলেন ৷ হযরত উমর (রা)-এর খিলাফতকালে ওই পদ থেকে অপসারিত
হলেন ৷
শুরাহবীল ইবন হাসানা (বা)

তিনি ছিলেন চার আমীরের অন্যতম ৷ আর তিনি ছিলেন ফিলিন্তীনের আমীর ৷ তার পুর্ণ
ন্ নাম ছিল শুরাহবীল ইবন আবল্লোহ ইবন আল-মুতা’ ইবন কাতান আল-কানৃদি ৷ তিনি ছিলেন
বনু যুহরার মিত্র ৷ তার মায়ের নাম ছিল হাসানাহ ৷ তিনি মায়ের নামে ছিলেন অধিক প্রসিদ্ধ ৷
ইসলামের প্রাথমিক যুগে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হাবশায় হিজরত করেন ৷ হযরত আবু
বকর সিদ্দীক (রা) তাকে সিরিয়ার যুদ্ধে সশস্ত্র প্রেরণ করেন ৷ তিনি ছিলেন এক-চতৃর্থাংশ
সেনাবাহিনীর আমীর ৷ হযরত উমর (রা) এর যুগেও তিনি অনুরুপ খিদমত আঞ্জাম দেন ৷ তিনি
স্বয়ং, হযরত আবু উবায়দা (বা) এবং আবু মালিক আল-আশআরী (বা) ১৮ হিজরী সালের
একই দিনে প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইনতিকাল করেন ৷ তার বর্ণিত দুটো হাদীস রয়েছে,
ক্তাধ্যে ইবন মাজাহ একটিকে ওঘুর অধ্যায়ে বর্ণনা করেন এবং অন্যটি অন্য একজন অন্যত্র
বর্ণনা করেন ৷

আমীর ইবন আবদুল্লাহ ইবন আল-জাৰ্বাহ (বা)

তার পুর্ণ নাম ছিল আমির ইবন আবদুল্লাহ ন্ইবন-আল-জার্বাহ ইবন হিলাল ইবন উহাইব
ইবন দাব্বাহ বি ন আল-হারিস ইবন ফিহর আল-কারশী (রা) ৷ তিনি আবু উবইিদা ইবন
আল-জাৰ্বাহ আল-ফিহরী নামেই বেশি প্রসিদ্ধ ৷ তিনি ইসলামী উদ্মাহর আমীন বা নির্ভরশীল
ব্যক্তি ৷ তিনি দশজনের অন্যতম ব্যক্তি র্যাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে ৷
আবার তিনি উক্ত পাচজনের অন্যতম যারা একই দিনে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তারা হলেন :
উসমান ইবন মায উন (বা) , উবাইদাহ ইবন আল-হারিস (রা) , আবদুর রহমান ইবন আউফ
(রা) , আবু সালামা ইবন আবদুল আসাদ (রা) ও আবুউবইিদাহ ইবন আলজাৰ্বাহ (রা) ৷ র্তারা
সকলে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আর যখন


الْخَمْسَةِ الَّذِينَ أَسْلَمُوا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، وَهُمْ ; عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ، وَعُبَيْدَةُ بْنُ الْحَارِثِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الْأَسَدِ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ. أَسْلَمُوا عَلَى يَدَيِ الصِّدِّيقِ. وَلَمَّا هَاجَرُوا آخَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، وَقِيلَ: بَيْنَ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ. وَقَدْ شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،: «إِنَّ لِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينًا، وَأَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ» ثَبَتَ ذَلِكَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ". وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَيْضًا أَنَّ الصِّدِّيقَ قَالَ يَوْمَ السَّقِيفَةِ: وَقَدْ رَضِيتُ لَكُمْ أَحَدَ هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ فَبَايِعُوهُ. يَعْنِي عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَأَبَا عُبَيْدَةَ. وَبَعَثَهُ الصِّدِّيقُ أَمِيرًا عَلَى رُبُعِ الْجَيْشِ إِلَى الشَّامِ، ثُمَّ لَمَّا انْتَدَبَ خَالِدًا مِنَ الْعِرَاقِ كَانَ أَمِيرًا عَلَى أَبِي عُبَيْدَةَ وَغَيْرِهِ، لِعِلْمِهِ بِالْحُرُوبِ. فَلَمَّا انْتَهَتِ الْخِلَافَةُ إِلَى عُمَرَ عَزَلَ خَالِدًا وَوَلَّى أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَسْتَشِيرَ خَالِدًا، فَجَمَعَ لِلْأُمَّةِ بَيْنَ أَمَانَةِ أَبِي عُبَيْدَةَ وَشَجَاعَةِ خَالِدٍ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ سُمِّيَ أَمِيرَ الْأُمَرَاءِ بِالشَّامِ. قَالُوا: وَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ طِوَالًا نَحِيفًا، أَجْنَأَ مَعْرُوقَ الْوَجْهِ، خَفِيفَ اللِّحْيَةِ، أَهْتَمَ؛ وَذَلِكَ لِأَنَّهُ لَمَّا انْتَزَعَ الْحَلْقَتَيْنِ مِنْ وَجْنَتَيْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ أُحُدٍ خَافَ أَنْ يُؤْلِمَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،، فَتَحَامَلَ عَلَى ثَنَيَّتَيْهِ فَسَقَطَتَا، فَمَا رُئِيَ أَحْسَنُ هَتْمًا مِنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৫৭৫


মদীনায় ইিজরত করেন তখন রাসুলুল্লাহ্ন্ব্লুত্যুঃর্তার মধ্যে ও সা দ ইবন মুয়ায (রা) এর মধ্যে
ভ্রাতৃতৃ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন ৷ কেউ কেউ বলেন, তার মধ্যে ও মুহাম্মদ ইবন মাসলামাহ

করেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ ইরশাদম্ন করেন, প্রত্যেক উম্মাহর জন্যে একজন আষীন বা নির্ভরশীল ব্যক্তি
রয়েছেন আর এ ইসলামী উম্মাহর নির্ভরশীল ব্যক্তি আবু উবইিদাহ্ ইবন আল-জার্বাহ (রা) ৷
সহীহ বুখারী শরীফ ও সহীহ মুসলিম শরীফে এটার প্রমাণ রয়েছে ৷ উক্ত সহীহদ্বয়ে আরো
প্রমাণ রয়েছে যে, হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) সার্কীফার দিন বলেছিলেন, “আমি এ দুজন
ব্যক্তির মধ্য হতে যে কোন একজনের প্রতি তোমাদের জন্যে সতুাষ্টি প্রকাশ করলাম তোমরা ,
যে কোন একজনের প্রতি বাইয়াত গ্রহণ করতে পার ৷ তারা উমর ইবন আল-খাত্তাব (রা) ও ৰু
আবু উবইিদাহ্ (রা) ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) তাকে একচতুর্থাংশ সেনাবাহিনীর
আমীর নিযুক্ত করে সিরিয়ার প্রেরণ করেছিলেন ৷ তারপর যখন খালির্দ (রা)-কে ইরাক হতে
ডাকা হলো তখন তিনি যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে আবু উবইিদাহ্ (রা) ও অন্যদের উপরেও আমীর
নিযুক্ত হন ৷ হযরত উমর (রা)-এর কাছে খিলাফত পৌছলে তিনি খালিদ (রা)-কে অব্যাহতি
দিয়ে আবু উবইিদাহ্ ইবন আলজাৰ্বাহ (রা)-কে আমীর নিযুক্ত করেন এবং খালিদ (বা) হতে
যুদ্ধের ক্ষেত্রে পরামর্শ নেওয়ার জন্যে নির্দেশ প্রদান করেন ৷ ফলে আবু উবাইদা (রা)-এর ং
নিতরিশীলত৷ এবং খালিদ (রা) এর সাহসিকতা হতে ইসলামী উষ্মাহ উপকৃত হয় ৷

ইবন আসাকির বলেন : তিনি প্রথম ব্যক্তি যাকে সিরিয়ার “আমীরদের আমীর বলে
আখ্যায়িত করা হয়েছিল ৷ ইতিহাসবিদগণ বলেন : আবু উবইিদাহ্ (বা) শরীরের গঠনে লম্বা,
ছিপছিপে, কৃশমুখাবযব বিশিষ্ট, হালকা দাড়ির অধিকারী, সামনের দত্তহীন ৷

উহুদের যুদ্ধের দিন দুগাল

মুবারক হতে ভোব যাওয়া শিরস্ত্রাণের ণু টি বৃত্তাকার লৌহ বস্তুকে দাত দিয়ে উঠাতে গিয়ে তিনি
সামনের দুটো র্দাত ৩হারান ৷ এত সুন্দর সামনের দতহীন ব্যক্তি আর কাউকে কোন দিন দেখা ংষ্
যায়নি ৷ সাইফ ইবন উমর (রা) এর বর্ণনা মু৩ তাবিক ১৬ হিজরী সনে আমওযাসের বছর তিনি
প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইনতিকাল করেন ৷ তবে শুদ্ধতম অভিমত হলোং : ১৮ ৷হজরী সনই
ছিল আমওযাসের বছর ৷ মহামারী আকারে ঐ বছর প্লেগ দেখা দিয়েছিল ফহল গ্রামে ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন, জাবীয়া গ্রামে ৷ এ সময়ে একটি কবর একটি আকাবাহ বা ছোট টিলার কাছে,
অবস্থিত হওয়ায় কবরটি আকাবাহ-এর নামেই প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ আল্লাহ ত৷ আলা অধিকছু
পরিজ্ঞাত ৷ যেদিন তিনি ইনতিকাল করেন তার বয়স হয়েছিণ ৫৮ বছর ৷

আল-ফ্যল ইবন আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা)

তিনি ছিলেন সুন্দর এবং তার চেহারা ছিল অত্যন্ত চমৎকার ৷ বিদায় হ্যজ্জর সময় কুরবানীর
দিন রাসুলুল্লাহ্ :ৰ্ষ্শ্, র্তাৰুক নিজের সওয়ারীর পিছনে বসিয়ে ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন সুশ্ৰী যুবক ৷
সিরিয়া বিজয় যুদ্ধে তিনি অংশ্যাহণ করেন এবং মুহাম্মদ ইবন সা দ, যুবাইর ইবন বিকাধ্ , আবু
হাতিম ও ইবন আররুকার মতে তিনি আমওযাসের প্লেপ রোগে ইনতিকাল করেন ৷ আর এ


تُوُفِّيَ بِالطَّاعُونِ عَامَ عَمَوَاسَ، كَمَا تَقَدَّمَ سِيَاقُهُ فِي سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ، عَنْ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ - وَالصَّحِيحُ أَنَّ عَمَوَاسَ كَانَتْ فِي هَذِهِ السَّنَةِ سَنَةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ - بِقَرْيَةِ فِحْلَ. وَقِيلَ: بِالْجَابِيَةِ. وَقَدِ اشْتُهِرَ فِي هَذِهِ الْأَعْصَارِ قَبْرٌ بِالْقُرْبِ مِنْ عَقَبَةِ عُمَيَّاءَ بِالْغُورِ يُنْسَبُ إِلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَعُمُرُهُ يَوْمَ مَاتَ ثَمَانٍ وَخَمْسُونَ سَنَةً. الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، كَانَ حَسَنًا وَسِيمًا جَمِيلًا، أَرْدَفَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَاءَهُ يَوْمَ النَّحْرِ مِنْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ، وَهُوَ شَابٌّ حَسَنٌ. وَقَدْ شَهِدَ فَتْحَ الشَّامِ وَاسْتُشْهِدَ بِطَاعُونِ عَمَوَاسَ فِي قَوْلِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، وَالزُّبَيْرِ بْنِ بَكَّارٍ، وَأَبِي حَاتِمٍ، وَابْنِ الْبَرْقِيِّ، وَهُوَ الصَّحِيحُ. وَقِيلَ: يَوْمَ مَرْجِ الصُّفَّرِ. وَقِيلَ: بِأَجْنَادِينَ. وَيُقَالُ: بِالْيَرْمُوكِ. وَيُقَالُ: سَنَةَ ثَمَانٍ وَعِشْرِينَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৭৬
مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ ابْنِ عَمْرِو بْنِ أَوْسِ بْنِ عَائِذِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَمْرِو بْنِ أُدَيِّ بْنِ سَعْدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَسَدِ بْنِ سَارِدَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جُشَمَ بْنِ الْخَزْرَجِ الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَدَنِيُّ، صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ كَبِيرُ الْقَدْرِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ طِوَالًا حَسَنَ الشَّعْرِ وَالثَّغْرِ بَرَّاقَ الثَّنَايَا، لَمْ يُولَدْ لَهُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: بَلْ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ، وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ. شَهِدَ مَعَهُ الْيَرْمُوكَ. وَقَدْ شَهِدَ مُعَاذٌ الْعَقَبَةَ. وَلَمَّا هَاجَرَ النَّاسُ آخَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَحَكَى الْوَاقِدِيُّ الْإِجْمَاعَ عَلَى ذَلِكَ. وَقَدْ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: آخَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا. وَكَانَ أَحَدَ الْأَرْبَعَةِ مِنَ الْخَزْرَجِ، الَّذِينَ جَمَعُوا الْقُرْآنَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُمْ: أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأَبُو زَيْدٍ عَمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَصَحَّ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ حَيْوَةَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৫৭৭


অভিমতটি শুদ্ধ ৷ আবার কেউ কেউ বলেন মারজুস সাফার, কেউ কেউ বলেন৪ আজনাদাইট্টার
দিন তিনি শাহাদতবরণ করেন ৷ কেউ কেউ বলেন৪ ইয়ারমুকের দিন ২৮ হিজরীতে
শাহাদত লাভ করেন ৷

মুয়ায ইবন জাবাল (বা)
তড়ার পুর্ণনড়াম : আবু আবদুর রহমান মুয়ায ইবন জাবাল ইবন আমর ইবন আউস ইবন
আবিদ ইবন আ’দী ইবন কাব ইবন আমর ইবন আদী ইবন আলী ইবন আসাদ ইবন সারিদাহ
ইবন ইয়াষীদ ইবন জাশাম ইবন আল-খাষ্রাজ আল-আনসারী আল-খায্রাজী আল-মাদানী
(রা) ৷ তিনি একজন উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সাহাৰী ছিলেন ৷
আল্লামা ওয়াকিদী বলেন : তিনি শরীরের গঠনের দিক দিয়ে লম্বা ৷ তিনি সুন্দর চুল, মুখ
এবং উজ্জ্ব৷ সানাইয়ার (সামনের দাত) অধিকারী ছিলেন ৷ তার কোন সন্তান ছিল না ৷ অন্যান্য
ইতিহাসবিদ বলেন : তার একজন ছেলে সন্তান ছিল, যার নাম আবদুর রহমান ৷ তিনি তার
পিতার সাথে ইয়ারমুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (রা)
আকারীয়ে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ যখন ঘুসলম ৷নগণ মিদীনায় হিজরত করেন তখন রাসুলুল্লাহ
মোঃ তার মধ্যে ও ইবন মাসুদ (রা) এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন ৷
আল্লামা ওয়াকিদী এ অভিমতের উপর ইজমা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক বলেন৪ রাসুলুল্লাহন্ক্ষু; তার মধ্যে ও জাফর ইবন আবু তালিব (রা) এর মধ্যে ভ্রাতৃতৃ
বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন ৷ তিনি বদর ও পরবর্তী অন্যান্য যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ তিনি
ছিলেন চারজন খায্রাজীর অম্ভঙুক্তি, যারা রাসুলুল্লাহট্রু এর জীবদ্দশায় কুরআনুল করীমকে
সংকলন করেছেন ৷ র্তারা হলেন৪ উবাই ইবন কা ব (রা) , যায়িদ ইবন সাবিত (রা) , মুয়ায
ইবন জাবাল (বা) এবং আবু যায়দ উমর ইবন আনাস ইবন মালিক (রা) ৷
ইমাম আবু দাউদ (র) ও ইমাম নাসাঈ (র) একটি বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ বর্ণনার
ধারাবাহিকতায় রয়েছেন, হায়াত ইবন শুরাইন (র), উকবাহ ইবন মুসলিম (র), আবু আবদুর
রহমান আল-জীলী (র), আস-সুনাবাহহী (র) ও মুয়ায ইবন জাবাল (বা) ৷ মুয়ায (রা) বলেন :
রাসুলুল্লাহ্ত্তে একদিন তাকে বলেন, হে মুয়ায ! আল্লাহর শপথ, আমি তোমাকে অত্যন্ত
ভালবাসি ৷ কাজেই তুমি প্রতিটি সালাতের সমাপ্তির পর এ দু’আঢি পড়তে অলসতা করবে না :
অর্থাৎ হে আল্লাহ ! তোমার যিক্র, গােক্যা ও উত্তম ইবাদত করার জন্যে আমাকে সাহায্য
কর ও তাওফীক দান কর ৷
আবু কিলবাহ (রা) ও আসাম (রা)-এর মারফত মারফু হিসেবে আল-মুসনাদ, নাসাঈ ও
ইবন মাজাহতে বর্ণিত রয়েছে যে, সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে হালাল ও হারাম সম্বন্ধে অধিক
জ্ঞানী হলেন, হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (বা) ৷ তাকে রাসুলুল্লাহল্লীইয়ামানে আমীর হিসেবে
প্রেরণ করেছিলেন এবং প্রেরণের সময় প্রশ্ন করেছিলেন৪ তুমি কেমন করে বিচার কার্য
পরিচালনা করবে ? তিনি উত্তরে বলেন, “আল্লাহর কিতাব ও রাসুলুল্লাহন্;:;ন্ এর হাদীসের
আলোকে আমি বিচারকার্য পরিচালনা করব ৷ রাসুলুল্পাহল্যাং এর ইনতিকালের পর হযরত আবু

২৩


شُرَيْحٍ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ مُعَاذٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَهُ: «يَا مُعَاذُ وَاللَّهِ إِنِّي لَأُحِبُّكَ، فَلَا تَدَعَنَّ أَنْ تَقُولَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ: اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ» وَفِي الْمُسْنَدِ وَالنَّسَائِيِّ، وَابْنِ مَاجَهْ، مِنْ طَرِيقِ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ مَرْفُوعًا: " «وَأَعْلَمُهُمْ بِالْحَلَالِ وَالْحَرَامِ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ» ". وَقَدْ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الْيَمَنِ، وَقَالَ لَهُ: «بِمَ تَحْكُمُ؟ ". فَقَالَ: بِكِتَابِ اللَّهِ.» الْحَدِيثَ. وَكَذَلِكَ أَقَرَّهُ الصِّدِّيقُ عَلَى ذَلِكَ يُعَلِّمُ النَّاسَ الْخَيْرَ بِالْيَمَنِ. ثُمَّ هَاجَرَ إِلَى الشَّامِ فَكَانَ بِهَا حَتَّى مَاتَ بَعْدَ مَا اسْتَخْلَفَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ حِينَ طُعِنَ، ثُمَّ طُعِنَ بَعْدَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَدْ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: إِنَّ مُعَاذًا يُبْعَثُ أَمَامَ الْعُلَمَاءِ بِرَبْوَةٍ. وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ، مُرْسَلًا. وَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: كُنَّا نُشَبِّهُهُ بِإِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ. وَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: إِنَّ مُعَاذًا كَانَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৭৮


বকর সিদ্দীক (রা)-ও তাকে এ পদে বহাল রাখেন ৷ তিনি ইয়ামানের জনগণকে কল্যাণমুখী
শিক্ষা প্রদান করতেন ৷ তারপর তিনি সিরিয়ার হিজরত করেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সেখানে
অবস্থান করেন ৷ আবু উবাইদা (রা) প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইনতিকাল করার পর তিনি
সিরিয়ার আমীর নিযুক্ত হন কিন্তু ঐ বছরই আবু উবাইদাহ্ (রা)-এর ইনতিকালের পর তিনিও
প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে তথায় মৃত্যু মুখে পতিত হন ৷ হযরত উমর ইবন আল-খাত্তাব (রা)
বলেছেন, নিশ্চয়ই মুয়ায (রা) কে রাবওয়াহ নামক স্থানে আলিমদের ইমাম হিসেবে প্রেরণ করা
হবে ৷ এ বর্ণনাটি মুহাম্মদ ইবন কাব মুরসাল পদ্ধতিতে বর্ণনা করেন ৷ ইবন মাসুদ (রা) বলেন,
“আমরা র্তাকে হযরত ইব্রাহীম খালীলুল্পাহ (আ)-এর সাথে তুলনা করতাম ৷” ইবন মাসুদ
(রা) আরো বলেছেন, নিশ্চয়ই মুয়ায (রা) আল্লাহ্র অনুগত ও সঠিক মতাবলম্বী এবং তিনি
মুস্পারিক ছিলেন না ৷ র্তার মৃত্যু হয়েছিল পুর্ব ঘুরবিসানে ১৮ হিজরী সালে ৷ কেউ বেস্ট বলেন :
১৯ হিজ়রী সনে ৷ আবার বেস্ট কেউ বলেন প্রসিদ্ধ মতে ১৭ হিজরী সনে ৩৮ বছর বয়সে তিনি
ইনতিকাল করেন ৷ কেউ কেউ আবার অন্যরুপও বলেছেন ৷ আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ইয়াযীদ ইবন আবু সুফিয়ান
তার পুর্ণ নাম ইয়াযীদ ইবন আবু সুফিয়ান, আবু খালিদ সখর ইবন হারব ইবন উসাইয়া
ইবন আবদে শামস ইবন আবদে মুনাফ আল-কারাশী আলউমাৰী (রা) ৷ ইয়াযীদ (রা) আমীরে
ঘুয়াবীয়া (রা) এর বড় ভইি এবং তার থেকে অধিক মর্ষাদাসম্পন্ন ৷ তাকে স্পে ৷ ’fi ;,; বা
কল্যাণীয় ইয়াযীদ বলা হতে তা ৷ তিনি পবিত্র মক্কা বিজয়ের বছর ইসৃলাম গ্রহণ করেন ৷ তিনি
হুন ইন যুদ্ধে অংশ নেন এবং রাসুলুল্লাহ্ মোঃতাকে ১ : :টি উট ও ৪০ আউল স্বর্ণ দান করেন ৷
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) তাকে এক-চতৃর্থাংশ সৈন্যের আমীর নিযুক্ত করে সিরিয়ার
প্রেরণ করেন ৷ তিনিই প্রথম আমীর হিসেবে তথায় গমন করেন ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক
(রা) তার সাওয়ারীর সাথে কিছু পখ চলেন ও তাকে নসীহত করেন এবং তার সাথে আবু
উবা ৷ইদাহ (রা) , আমর ইবনুল আ’ স (রা) ও শুরাহবীল ইবন হাসানাহ (রা)-কে প্রেরণ করেন ৷
আর তরোই হলেন প্রসিদ্ধ চার আমীর ৷ যখন তিনি দামেশক জয় করেন, তখন তিনি যুদ্ধের
মাধ্যমে ছোট জাবীয়ার দরজা দিয়ে শহরে প্রবেশ করেন ৷

অন্যদিকে খালিদ (রা) যুদ্ধের মাধ্যমে পুর্ব দরজা দিয়ে শহরে প্রবেশ করেন ৷ হযরত আবু
বকর সিদ্দীক (রা)৩ তাকে দামেশকের আমীর নিযুক্ত করার অঙ্গীকার করেছিলেন ৷ কাজেই
হযরত উমর (রা)-এর পরামর্শে তিনি আমীর নিযুক্ত হন এবং আবু বকর সিদ্দীক (রা) কতুকি
ওয়াদাকৃত সুযােগসুবিধা প্রাপ্ত হন ৷ আর তিনিই ছিলেন মুসলমানদের মধ্যে দামেশকের প্রথম
আমীর ৷ তিনি আমওয়াসের প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইনতিকাল করেছেন বলে প্রসিদ্ধি
রয়েছে ৷ আল র্দুণ্ওয়ালীদ ইবন মুসলিম বলেন : তিনি কাইসারীয়াহ বিজয়ের পর ১৯ হিজরীতে
ইনতিকাল করেন ৷ যখন তিনি ইনতিকাল করেন তখন তার ভইি আমীর মুয়াবীয়া (রা)-কে
দামেশকে আমীর নিযুক্ত করে যান ৷ অতঃপর উমর ইবন খাত্তাব (রা) তা বহাল রাখেন ৷
কিতাবপত্রে তার অন্য কোন গুণাবলীর বর্ণনা পাওয়া যায় না ৷ আবু আবদুল্লাহ আল-আশয়ারী
(র) তার থেকে বংনাি করেন যে, বাসুলুল্লাহঅ্যাংণ্ বলেছেন যে ব্যক্তি সালাত আদায় করে কিভু


أُمَّةً قَانِتًا لِلَّهِ حَنِيفًا وَلَمْ يَكُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ شَرْقِيَّ غَوْرِ بَيْسَانَ سَنَةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: سَنَةَ تِسْعَ عَشْرَةَ. وَقِيلَ: سَبْعَ عَشْرَةَ، عَنْ ثَمَانٍ وَثَلَاثِينَ، عَلَى الْمَشْهُورِ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، أَبُو خَالِدٍ، صَخْرُ بْنُ حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ، أَخُو مُعَاوِيَةَ، وَكَانَ يَزِيدُ أَكْبَرَ وَأَفْضَلَ. وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: يَزِيدُ الْخَيْرِ. أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ، وَحَضَرَ حُنَيْنًا، وَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ وَأَرْبَعِينَ أُوقِيَّةً، وَاسْتَعْمَلَهُ الصِّدِّيقُ عَلَى رُبُعِ الْجَيْشِ إِلَى الشَّامِ وَهُوَ أَوَّلُ أَمِيرٍ وَصَلَ إِلَيْهَا، وَمَشَى الصِّدِّيقُ فِي رِكَابِهِ يُوصِيهِ، وَبَعَثَ مَعَهُ أَبَا عُبَيْدَةَ، وَعَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، وَشُرَحْبِيلَ بْنَ حَسَنَةَ؛ فَهَؤُلَاءِ أُمَرَاءُ الْأَرْبَاعِ. وَلَمَّا افْتَتَحُوا دِمَشْقَ دَخَلَ هُوَ مِنْ بَابِ الْجَابِيَةِ الصَّغِيرِ عَنْوَةً كَخَالِدٍ فِي دُخُولِهِ مِنَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ عَنْوَةً، وَكَانَ الصِّدِّيقُ قَدْ وَعَدَهُ بِإِمْرَتِهَا، فَوَلِيَهَا عَنْ أَمْرِ عُمَرَ وَأَنْفَذَ لَهُ مَا وَعَدَهُ الصِّدِّيقُ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ وَلِيَهَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ. الْمَشْهُورُ أَنَّهُ مَاتَ فِي طَاعُونِ عَمَوَاسَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَزَعَمَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ تِسْعَ عَشْرَةَ بَعْدَمَا فَتَحَ قَيْسَارِيَّةَ. وَلَمَّا مَاتَ كَانَ قَدِ اسْتَخْلَفَ أَخَاهُ مُعَاوِيَةَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৭৯


রুকু-সিজদা সঠিকমত আদায় করে না তার উদাহরণ হচ্ছে এমন একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তির ন্যায়,
যে মাত্র একটি কি দুটি খেজুর খেতে পায় না তার ক্ষুধার কিছুই মিটাতে পারে না ৷

আবুজানদালইবন সুহাইল (রা) ৰু

তার পুর্ণ নাম ছিল আবু জানদাল ইবন সুহইিল ইবন আমৰ্ (রা) ৷ কেউ কেউ বলেন, তার
নাম আল-আস ৷ ইসলামের প্রাথমিক যুগে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হুদাইবিয়ার সন্ধির
দিনে বেড়িতে শৃৎখলিত অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্লোঃ এর কাছে আনীত হন ৷ কেননা তিনি তখন
অসহায়দের মধ্যে পরিগণিত ছিলেন ৷ তার পিতা তাকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্যে আসেন এবং
তাকে ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সন্ধি করেত অস্বীকৃতি জানালেন ৷ তারপর আবু জানদাল (রা)
সমুদ্র উপকুলে প্রেরিত ক্ষুদ্র সৈন্যদলের সাথে অবস্থানকালে আবু বহীর (রা)-এর সংগে মিলিত
হন ৷ তারপর তিনি মদীনায় হিজরত করনে ও সিরিয়া বিজয়ে অংশ্যাহণ করেন ৷ পুর্বে বর্ণনা
করা হয়েছে যে, তিনি মদ্য পান হারাম ঘোষিত হওয়ার আয়াতটিৱ ভুল ব্যাখ্যা করেন ৷ পরে
অবশ্য তিনি এ কাজ থেকে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ তিনি আমওয়াসের প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে
ইনতিকাল করেন ৷

উল্লিখিত আবু উবাইদাহ ইবন আল-জাৰ্বাহ (রা)-এর প্রকৃত নাম আমির ইবন আবদুল্লাহ ৷

আবু মালিক আল-আশয়ারী (রা) জাহাজে ভ্রমণকারী (হাবশা গমনকারীদের) সাথে
খায়বারের দিনে রাসুলুল্লাহ্ন্কু টু এর সাথে মুহাজির হিসেবে সাক্ষাৎ করেন ৷ খায়বারের পর
সংঘটিত যুদ্ধগুলােতে তিনি অংশগ্রহণ করেন ৷ বেউি কেউ বলেন, তার নাম কাব ইবন আসিম ৷
তিনি হযরত আবু উবাইদা (রা) ও মৃয়ায (রা) আমওয়াসের বছরে প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে

একই দিনে মৃত্যুবরণ করেন ৷


عَلَى دِمَشْقَ فَأَمْضَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَهُ ذَلِكَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَلَيْسَ فِي الْكُتُبِ شَيْءٌ، وَقَدْ رَوَى عَنْهُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْأَشْعَرِيُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَثَلُ الَّذِي يُصَلِّي وَلَا يُتِمُّ رُكُوعَهُ وَلَا سُجُودَهُ، مَثَلُ الْجَائِعِ الَّذِي لَا يَأْكُلُ إِلَّا التَّمْرَةَ وَالتَّمْرَتَيْنِ، لَا يُغْنِيَانِ عَنْهُ شَيْئًا» أَبُو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، وَقِيلَ: اسْمُهُ الْعَاصُ. أَسْلَمُ قَدِيمًا، وَقَدْ جَاءَ يَوْمَ صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ مُسْلِمًا يَرْسُفُ فِي قُيُودِهِ؛ لِأَنَّهُ كَانَ قَدِ اسْتُضْعِفَ فَرَدَّهُ أَبَوْهُ، وَأَبَى أَنْ يُصَالِحَ حَتَّى يُرَدَّ، ثُمَّ لَحِقَ أَبُو جَنْدَلٍ بِأَبِي بَصِيرٍ إِلَى سَيْفِ الْبَحْرِ، ثُمَّ هَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَشَهِدَ فَتْحَ الشَّامِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ تَأَوَّلَ آيَةَ الْخَمْرِ ثُمَّ رَجَعَ. وَمَاتَ بِطَاعُونِ عَمَوَاسَ. رَحِمَهُ اللَّهُ وَرَضِيَ عَنْهُ. أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ، هُوَ عَامِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ تَقَدَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৫৫৮০
أَبُو مَالِكٍ الْأَشْعَرِيُّ، قِيلَ: اسْمُهُ كَعْبُ بْنُ عَاصِمٍ. قَدِمَ مُهَاجِرًا سَنَةَ خَيْبَرَ مَعَ أَصْحَابِ السَّفِينَةِ، وَشَهِدَ مَا بَعْدَهَا. وَاسْتُشْهِدَ بِالطَّاعُونِ عَامَ عَمَوَاسَ هُوَ وَأَبُو عُبَيْدَةَ وَمُعَاذٌ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ.