আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع عشرة

فتح السوس

পৃষ্ঠা - ৫৫৫৭


কঠিনভ্যবে তাকে অবরোধ করে ফেলেন ৷ এখন হয়ত তার মৃত্যু, না হয় অবরোধকারী
মুসলমানদের মৃত্যু ৷ তৃতীয় কোন বিকল্প নেই এমন পরিস্থিতি ৷ ইতিমধ্যে তাদের হাতে বারা
ইবন মালিক ও ঘুজযাহ্ ইবন ছাওর শহীদ হন ৷ এ পর্যায়ে হুরমুযান বলল, আমার সাথে একটি
থলে আছে ৷ তাতে ১ :০টি তীর আছে ৷ তোমাদের যে কেউ আমার দিকে অগ্রসর হলে আমি

তাকে লক্ষ্য করে একটি তীর নিক্ষেপ করব তাতে তার মৃত্যু হবে ৷ আমার একটি ভীরও
লক্ষ্যচ্যুত হবে না ৷ একে একে তোমাদের একশত লোক হত্যা করার পর তোমরা আমাকে
হত্যা করতে পারবে ৷ সুতরাং তোমাদের একশত লোক নিহত হবার পর আমাকে বন্দী করে
তোমাদের কতটুকু লাভ হবে ’ মুসলমানগণ বললেন, তবে তুমি কি করতে চাও ? সে বলল,
আমি চইি যে, তে ৷মরা আমাকে নিরাপত্তা দাও, আমি তোমাদের নিকট আত্মসমর্পণ করব ৷
এরপর তোমরা আমাকে খলীফা উমর ইবন খাত্তাবের নিকট নিয়ে যাবে ৷৩ তারপর তিনি যা
ব্যবস্থা সেন নিবেন ৷ মুসলমানগণ তার প্রস্তাবে রাজী হলো ৷ সে তার তীর ধনুক মাটিতে রেখে
দিল ৷ মুসলমানগণ তাকে বন্দী করে নিরাপত্তা রক্ষীদের ত্ত্বতাবধানে খলীফার নিকট প্রেরণ
করলেন ৷ ওখানে যত ধনসম্পদ ও সোনা-দান৷ ছিল গ্ ৷নীমত্রুণ্ ড্র মাল হিসেবে মুসলিম ভৈসন্যগণ
তা হস্তগত করলেন এবং বিধি মৃ৩ তাবিক ষ্ট৫ ৎশ নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিলেন ৷ তাদের
প্রত্যেক অশ্বারোহী খেলেন ৩০০০ দিরহাম ৷ আর প্রতেকে পদাতিক সেনা পেলেন এক ১০০০
দিরহাম করে ৷

সুইস (সুস) বিজয়
একদল সৈনা নিয়ে আবু সাবরা যাত্রা করলেন ৷ সাথে গেলেন আবু মুসা আশআরী (রা) ও

নুমান ইবন মুকড়াররিন ৷ সাথে নিয়ে গেলেন পারস্য সেনাপতি হুরযুযানকে ৷ তারা পলাতক
পারসিক সৈন্যদের খোজ করছিলেন ৷ যেতে যেতে তারা গিয়ে পৌছলেন সুইস হরে ৷ তারা
শহরটি ঘিরে ফেললেন ৷ বিষয়টি জানিয়ে আবু সাবরা খলীফা উমরের নিকট পত্র লিখলেন :
খলীফা উত্তরে লিখলেন যে,আবু মুসা আশআরী (বা) যেন বসরায় ফিরে যান ৷ খলীফা উমর
(রা) যিরর ইবন আবদুল্লাহ ইবন কালীর আকীমী সাহাবীকে জুনৃদিসাবুর এর দিকে অভিযান
চালানোর নির্দেশ দেন ৷ যিরর যাত্রা করেন ৷ এরপর সেনাপতি আবুসাবরা গনীমতের মালের প্লু৫

ৎশ এবং বন্দী হুরমুযানসহ একটি প্রতিনিধি দল খলীফার দরবারে প্রেরণ করেন ৷ ওই দলে
হযরত আনাস ইবন মালিক ও আহনাফ ইবন কায়স অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ মদীনায় নিকটবর্তী স্থানে
উপস্থিত হয়ে সেনাপতি হুরমুযান তার রাজকীয় পোশাক পরিবর্ত্যনর অনুমতি চায় ৷ তারপর সে
তার রেশমী ও স্বর্ণ খচিত ইয়াকুত ও মুত্তো জড়ানাে জামা-কাপড় পরিধান করে ৷ ওই অবস্থায়
তারা মদীনায় প্রবেশ করেন ৷ তারা খলীফার বাসগৃহে আসেন ৷ বাড়িতে তিনি আছেন কিনা তা
জিজ্ঞেস করেন ৷ বলা হলো যে , কুফা থেকে লোকজন আসবে বলে তিনি মসজিদে গিয়েছেন ৷
তারা মসজিদে গেলেন কিন্তু মসজিদে কাউকে দেখলেন না ৷ তইি তারা ফিরে আসছিলেন ৷
কতক শিশু রাস্তায় খেলা করছিল ৷ তাদেরকে জ্যিজ্ঞস করার তারা বলল যে, খলীফা মসজিদ্দেই
আহ্নে৷ ৷ তিনি ঘুমােচ্ছেন টুপিকে বালিশ বানিয়ে ৷ প্রতিনিধি দল পুনরায় মসজিদে গেলেন ৷
তারা দেখতে পলেন যে, ইতিপুর্বে আগত প্রতিনিধি দলের সা খে সাক্ষাত করার জন্যে৩ তিনি যে
টুপি পরিধান করেছিলেন সেটিকে বালিশ বানিয়ে তিনি ঘুমােরুচ্ছা ৷ মসজিদে তিনি ছাড়া অন্য
কেউ ছিল না ৷ তার ২১চাবুকটি তার ৷তে আটকানাে ছিল ৷



قُرَيْظَةَ» فَأَخَّرَهَا فَرِيقٌ مِنَ النَّاسِ إِلَى بَعْدِ غُرُوبِ الشَّمْسِ، وَلَمْ يُعَنِّفْهُمْ. وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِي غَزْوَةِ الْفَتْحِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْهُرْمُزَانَ لَمَّا فُتِحَ الْبَلَدُ لَجَأَ إِلَى الْقَلْعَةِ فَتَبِعَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَبْطَالِ مِمَّنْ ذَكَرْنَا وَغَيْرُهُمْ، فَلَمَّا حَصَرُوهُ فِي مَكَانٍ مِنَ الْقَلْعَةِ وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا تَلَفُهُ أَوْ تَلَفُهُمْ، قَالَ لَهُمْ بَعْدَ مَا قَتَلَ الْبَرَاءَ بْنَ مَالِكٍ وَمَجْزَأَةَ بْنَ ثَوْرٍ، رَحِمَهُمَا اللَّهُ: إِنَّ مَعِيَ جَعْبَةً فِيهَا مِائَةُ سَهْمٍ، وَإِنَّهُ لَا يَتَقَدَّمُ إِلَيَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ إِلَّا رَمَيْتُهُ بِسَهْمٍ فَقَتَلْتُهُ، وَلَا يَسْقُطُ لِي سَهْمٌ إِلَّا فِي رَجُلٍ مِنْكُمْ، فَمَاذَا يَنْفَعُكُمْ إِنْ أَسَرْتُمُونِي بَعْدَمَا قَتَلْتُ مِنْكُمْ مِائَةَ رَجُلٍ؟ قَالُوا: فَمَاذَا تُرِيدُ؟ قَالَ: تُؤَمِّنُونِي حَتَّى أُسَلِّمَكُمْ يَدِي فَتَذْهَبُوا بِي إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَيَحْكُمَ فِيَّ بِمَا يَشَاءُ. فَأَجَابُوهُ إِلَى ذَلِكَ، فَأَلْقَى قَوْسَهُ وَنُشَّابَهُ وَأَسَرُوهُ، فَشُدُّوهُ وِثَاقًا وَأَرْصَدُوهُ لِيَبْعَثُوهُ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ، ثُمَّ تَسَلَّمُوا مَا فِي الْبَلَدِ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْحَوَاصِلِ، فَاقْتَسَمُوا أَرْبَعَةَ أَخْمَاسِهِ، فَنَالَ كُلُّ فَارِسٍ ثَلَاثَةَ آلَافٍ وَكُلُّ رَاجِلٍ أَلْفَ دِرْهَمٍ. [فَتْحُ السُّوسِ] ثُمَّ رَكِبَ أَبُو سَبْرَةَ فِي طَائِفَةٍ مِنَ الْجَيْشِ وَمَعَهُ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ وَالنُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ، وَاسْتَصْحَبُوا مَعَهُمُ الْهُرْمُزَانَ، وَسَارُوا فِي طَلَبِ الْمُنْهَزِمِينَ مِنَ الْفُرْسِ
পৃষ্ঠা - ৫৫৫৮


হুরমুযান বলল, খলীফা উমর কোথায় ৷ বলা হলো, এই যে, তিনি ৷’ সবাই কথা
বলছিল, খুব নিম্নস্বরে যাতে খলীফা জেগে না উঠেন ৷ তার ঘুমের ব্যাঘাত না হয় ৷ হ্বমুযান
বলছিল-তাহলে তার দারোয়ান, নিরাপত্তা য়ক্ষী এগুলো কোথায় ৷’ লোকজন বলল, র্তার
কোন দারােয়ান ও নিরাপত্তা রক্ষী নেই ৷ তার কোন সচিবও নেই, দফতরও যেই ৷ হ্বমৃযান
বলল, তাহলে তার নবী হওয়ইি উচিত ছিল ৷ ’ বলা হলো যে, তিনি নবী হননি বটে কিত্তু কাজ
করেন নৰীদের কাজ ৷ আস্তে আস্তে লোকজনের সংখ্যা বেড়ে গেল ৷ হযরত উমর (রা) ঘুম
থেকে জেগে উঠলেন ৷ সোজা হয়ে বললেন ৷

তারপর হুরমুযানের দিকে তাকিয়ে বললেন, এ কি হুরমুযান ৷’ লোকজন বলল, ছুক্লড়া,
তাই ৷’ তিনি হুরমুযান ও তার বহু মুল্যবান পােশাকের কথা চিন্তা করলেন ৷ তারপর বললেন,
আমি জাহান্নামের আগুন থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করছি ৷ আমি আল্লাহ্র সাহায্য
কামনা করছি ৷ তারপর তিনি বললেন, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র যিনি ইসলাম দ্বারা এই
ব্যক্তিও তার মত অন্যদেরকে অবনত করেছেন ৷ হে মুসলিমগণাসু সুদৃঢ়ভাবে এই দীন পালন
কর ৷ তা আকড়ে ধরে রাখ ৷ তোমরা তোমাদের নবীর পথে আসর হও ৷ দুনিয়া ও পার্থিব
জীবন যেন তােমাদেরকে দাস্তিক ও অহংকারী করে না তোলে ৷ কারণ দুনিয়া হলো
গাদ্দার-বেওফা-বিশ্বাসঘাতক ৷ প্রতিনিধি দল বলল, আমীরুল মু’মিনীন৷ এই লোক হুরমুযান,
আহওয়াষের রাজা তার সাথে আলাপ করুন ৷ ’ খলীফা বললেন, “না যতক্ষণ তার দেহে এসব
অহংকারী সাজসজ্জা থাকবে ততক্ষণ আমি তার সাথে কথা বলব না ৷” তইি তারা সকল
সাজ-সজ্জা খুলে তাকে সাধারণ পোশাক পরিয়ে দিল ৷

খলীফা বললেন, হুরমুযান! গাদ্দারী-চুক্তি ভঙ্গের পরিণাম এবং আল্লাহ্র বিধানের পরিণতি
কেমন বুঝলে ৷ সে বলল, হে উমর! যখন জাহেলী যুগ ছিল তখন আমাদের আর আপনাদের
মাঝখানে কোন বাধা ছিল না ৷ আমরা আপনাদের উপর বিজয়ী ছিলাম ৷ প্রাধান্য বিস্তারকারী
ছিলাম ৷ তখন আল্লাহ্ আমাদের পক্ষেও ছিলেন না, আপনাদের পক্ষেও ছিলেন না, এখন
অ গ্রাল্পাহ্ আপনাদের পক্ষে তাই আপনারা আমাদের উপর জয়ী হয়েছেন ৷ ’ উমর (রা) বললেন,
জাহেলী যুগেত্বে তোমরা আমাদের উপর জয়ী হয়েছিলে তোমাদের ঐক্য ও আমাদের বিভেদের
কারণে ৷ তারপর খলীফা বললেন, এক্ষাণ তোমার বারবার চুক্তি ভঙ্গের যুক্তি কী ৷’ হুরমুযান
বলল, আমি তাে আশংকা করছি যে, আমার বক্তব্য শেষ করার আগেই আপনি আমাকে মেরে
ফেলবেন ৷ ’ অভয় দিয়ে খলীফা বললেন “না সে ভয় করো না ৷

হুরমুযান পানি পান করতে চইিল ৷ একটি ৷;মোটা পাত্রে তার জন্যে প নি নিয়ে আসা হলো ৷
সে বলল, আমি যদি পিপাসায় মরেও যইি তবু এই মোটা পাত্রে তাে আমি পানি পান করতে
পারব না ৷ তারপর তার পছন্দমত একটি পাত্রে পানি আনা হলো ৷ সে পাত্র হাতে নিল ৷ তার
হাত বাপছিল ৷ সে বলল, আমি ভয় পাচ্ছি যে, পানি পান করা অবস্থায় আমাকে হত্যা করা
হবে ৷’ খলীফা বললেন, সে ভয় করে৷ না ৷ পানি পান করে নাও ৷ ’ সে পানি পান করল ৷
খলীফা বললেন, ওকে আরো পানি দাও ৷ হত্যা এবং তৃষ্ণা দুটো এক সাথে যেন তার উপর
কার্যকর না হয় ৷ সে বলল, না পানির আর প্রয়োজন নেই ৷ পানি পানের মাধ্যমে আমি


حَتَّى نَزَلُوا عَلَى السُّوسِ فَأَحَاطُوا بِهَا. وَكَتَبَ أَبُو سَبْرَةَ إِلَى عُمَرَ فَجَاءَ الْكِتَابُ بِأَنْ يَرْجِعَ أَبُو مُوسَى إِلَى الْبَصْرَةِ وَأَمَّرَ عُمَرُ زِرَّ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كُلَيْبٍ الْفُقَيْمِيَّ - وَهُوَ صَحَابِيٌّ - أَنْ يَسِيرَ إِلَى جُنْدَيْسَابُورَ، فَسَارَ، ثُمَّ بَعَثَ أَبُو سَبْرَةَ بِالْخُمْسِ وَبِالْهُرْمُزَانِ مَعَ وَفْدٍ فِيهِمْ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ وَالْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ، فَلَمَّا اقْتَرَبُوا مِنَ الْمَدِينَةِ هَيَّئُوا الْهُرْمُزَانَ بِلُبْسِهِ الَّذِي كَانَ يَلْبَسُهُ مِنَ الدِّيبَاجِ وَالذَّهَبِ الْمُكَلَّلِ بِالْيَاقُوتِ وَاللَّآلِئِ، ثُمَّ دَخَلُوا الْمَدِينَةَ وَهُوَ كَذَلِكَ، فَتَيَمَّمُوا بِهِ مَنْزِلَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَسَأَلُوا عَنْهُ فَقَالُوا: إِنَّهُ ذَهَبَ إِلَى الْمَسْجِدِ بِسَبَبِ وَفْدٍ مِنَ الْكُوفَةِ. فَجَاءُوا الْمَسْجِدَ فَلَمْ يَرَوْا أَحَدًا فَرَجَعُوا، فَإِذَا غِلْمَانٌ يَلْعَبُونَ فَسَأَلُوهُمْ عَنْهُ، فَقَالُوا: إِنَّهُ نَائِمٌ فِي الْمَسْجِدِ مُتَوَسِّدًا بُرْنُسًا لَهُ. فَرَجَعُوا إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا هُوَ مُتَوَسِّدٌ بُرْنُسًا لَهُ كَانَ قَدْ لَبِسَهُ لِلْوَفْدِ، فَلَمَّا انْصَرَفُوا عَنْهُ تَوَسَّدَ الْبُرْنُسَ وَنَامَ وَلَيْسَ فِي الْمَسْجِدِ غَيْرُهُ، وَالدِّرَّةُ مُعَلَّقَةٌ فِي يَدِهِ. فَقَالَ الْهُرْمُزَانُ أَيْنَ عُمَرُ؟ فَقَالُوا: هُوَ ذَا. وَجَعَلَ النَّاسُ يَخْفِضُونَ أَصْوَاتَهُمْ لِئَلَّا يُنَبِّهُوهُ، وَجَعَلَ الْهُرْمُزَانُ يَقُولُ: وَأَيْنَ حُجَّابُهُ، أَيْنَ حَرَسُهُ؟ فَقَالُوا: لَيْسَ لَهُ حُجَّابٌ وَلَا حَرَسٌ، وَلَا كَاتِبٌ وَلَا دِيوَانٌ. فَقَالَ: يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ نَبِيًّا. فَقَالُوا: بَلْ يَعْمَلُ عَمَلَ الْأَنْبِيَاءِ. وَكَبَّرَ النَّاسُ، فَاسْتَيْقَظَ عُمَرُ بِالْجَلَبَةِ فَاسْتَوَى جَالِسًا، ثُمَّ نَظَرَ إِلَى الْهُرْمُزَانِ، فَقَالَ: الْهُرْمُزَانُ؟ قَالُوا: نَعَمْ. فَتَأَمَّلَهُ وَتَأَمَّلَ مَا عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ، وَأَسْتَعِينُ بِاللَّهِ. ثُمَّ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذَلَّ بِالْإِسْلَامِ هَذَا وَأَشْيَاعَهُ، يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ تَمَسَّكُوا بِهَذَا الدِّينِ، وَاهْتَدَوْا بِهَدْيِ نَبِيِّكُمْ، وَلَا تُبْطِرَنَّكُمُ الدُّنْيَا فَإِنَّهَا غَرَّارَةٌ. فَقَالَ لَهُ الْوَفْدُ:
পৃষ্ঠা - ৫৫৫৯


(চয়েছিলাম কিছুটা বন্ধুত্বের পরিবেশ সৃষ্টি করতে ৷ উমর (রা) বললেন, আমি তাে এখন
তোমাকে হত্যা করব

সে বলল, না, আপনি এখন তা পারবেন না, কারণ আপনি আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছেন ৷
খলীফা বললেন, না তো তুমি মিথ্যা বলছ, আমি তোমাকে নিরাপত্তা চ্ছিনি’ ৷ হযরত আনাস
(বা) বললেন, হ্যা, আমিরুল মুমিনীন! সে তো সত্য বলেছে ৷ খলীফা বললেন, আনাসা দুঃখ
তোমার জন্যে আমি কি এমন ঘাতককে নিরাপত্তা দিতে পারি যে বাবা এবং মুজযাহ্কে খুন
করেছে ৷ আনসাে তুমি যা বলেছ তা থেকে নিজেকে ৰ্বাচাবার জন্যে প্রমাণউপস্থিত কর নতুবা
তৃমিও শাস্তি ভোগ করবে ৷ আনাস (রা) বললেন, আমিরুল মু’মিনীন ! আপনি ন্তাে ওকে অভয়
দিয়ে বলেছিলেন, “ভয় করো না তোমার বক্তব্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমার কোন ক্ষতি ৩করা
হবে না ৷” আপনি এও বলেছেন যে, “তোমার পানি পান শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমার ক্ষতি
করা হবে না ৷ পাশে যারা ছিল তারাও এ বক্তব্য সমর্থন করল ৷

এবার খলীফা মুখোমুখি হলেন হুরমুযানের এবং বললেন, তুমি আমার সাথে প্রতারণা
করেছ ৷ আল্পাহ্র কসম, ইসলাম কবুল না করা পর্যন্ত আমি তোমাকে ছাড়ব না” ৷ তখন
হুরমুযান ইসলাম গ্রহণ করল“ ৷ খলীফা তার জন্যে দু হাজার দিরহাম ভাতা মঞ্জুর করলেন এবং
মদীনায় বসবাসের ব্যবস্থা করে দিলেন ৷

এক বর্ণনায় এসেছে যে, হযরত উমর (রা) ও হুরমুযানের মাঝে দোভাষীর দায়িত্ব পালন
করেছিলেন মুপীরা ইবন শু বা (রড়া) ৷ উমর (রা) হুরমুযানকে বলেছিলেন, তৃমি কোন দেশের
লোক :’ সে বলেছিল মােহরজানের লোক ৷ খলীফা বললেন, তোমার আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি
পেশ কর ৷ সে বলল, জীবিত মানুষ হিসেবে কথা বলব, না নিজেকে মৃত মানুষ জ্ঞান করাে’
খলীফা বললেন, জীবিত জ্ঞানেই কথা বল’ ৷ সে বলল, “এই যে, আপনি আমাকে নিরাপত্তা
দিলেন ৷ ’ খলীফা বললেন, তুমি তাে আমার সাথে প্রতারণা করেছ ৷ ইসলাম কবুল না করা
পর্যন্ত আমি তোমার বক্তব্য গ্রহণ করব না ৷ তারপর সে ইসলাম গ্রহণ করে ৷ খলীফা তার জন্যে
দুই হাজার দিরহাম ভাতা মঞ্জুর করেন এবং মদীনায় বসবাসের ব্যবস্থা করে দেন ৷ এরপর
যায়দ আসেন ৷ তিনিও দোভাষীর ভুমিকা পালন করেন ৷

আমি বলি, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে হুরমুযান অত্যন্ত সুন্দরতাবে ইসলামের বিধি-বিধান
পালন করেন ৷ হযরত উমর (রা)-এর নিহত হবার পুর্ব পর্যন্ত তিনি উমর (রা)-এর সাথে
সাথেই থাকতেন ৷ এক পর্যায়ে হযরত উমর (রা) আবুলুলু-এর হাতে শাহাদতবরণ হন ৷ কেউ
কেউ আবুলুলু-এর সাথে হুরমুযান ও জাফীনার গোপন ষড়যগ্রের ফলে খলীফা নিহত হন বলে
হরমুযানকে অভিযুক্ত করা হয় পরবর্তীতে উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) হুরমুযান এবং
জাফীনাকে হত্যা করেন ৷ এর বিস্তারিত বিবরণ পরে আসবে ৷ বর্ণিত আছে যে, উবায়দুল্লাহ্
যখন হুরসুষানকে হত্যার জন্যে তরবারি উচু করেন তখন হ্বমুযানউচৈষ্কস্বরে বলে উঠে ,“লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” আর জ্যফীনা তার মুখে আঘাত করেছিল ৷

মােদ্দাকথা হযরত উমর (রা) মুসলমানদের জন্যে অনারব শহর-নগর পর্যন্ত সাম্রাজ্যের
বিস্তার নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন ৷ কারণ অনারব লোকদের ব্যাপারে তিনি শংকিত ছিলেন ৷ বিক্ষ্ম
ন্নাহনাফ ইবন কায়স তাকে বােঝালেন যে, পরিস্থিতির চাহিদা হলো নতুন নতুন বিজয় অর্জনের


هَذَا مَلِكُ الْأَهْوَازِ فَكَلِّمْهُ. فَقَالَ: لَا؛ حَتَّى لَا يَبْقَى عَلَيْهِ مِنْ حِلْيَتِهِ شَيْءٌ. فَفَعَلُوا ذَلِكَ وَأَلْبَسُوهُ ثَوْبًا صَفِيقًا، فَقَالَ عُمَرُ: هَيَّ يَا هُرْمُزَانُ! كَيْفَ رَأَيْتَ وَبَالَ الْغَدْرِ وَعَاقِبَةَ أَمْرِ اللَّهِ؟ فَقَالَ: يَا عُمَرُ، إِنَّا وَإِيَّاكُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ كَانَ اللَّهُ قَدْ خَلَّى بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ فَغَلَبْنَاكُمْ، إِذْ لَمْ يَكُنْ مَعَنَا وَلَا مَعَكُمْ، فَلَمَّا كَانَ مَعَكُمْ غَلَبْتُمُونَا. فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّمَا غَلَبْتُمُونَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ بِاجْتِمَاعِكُمْ وَتَفَرُّقِنَا. ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: مَا عُذْرُكَ وَمَا حُجَّتُكَ فِي انْتِقَاضِكَ مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ؟ فَقَالَ: أَخَافُ أَنْ تَقْتُلَنِي قَبْلَ أَنْ أُخْبِرَكَ. قَالَ: لَا تَخَفْ ذَلِكَ. وَاسْتَسْقَى الْهُرْمُزَانُ مَاءً، فَأُتِيَ بِهِ فِي قَدَحٍ غَلِيظٍ، فَقَالَ: لَوْ مُتُّ عَطَشًا لَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ أَشْرَبَ فِي هَذَا. فَأُتِيَ بِهِ فِي قَدَحٍ آخَرَ يَرْضَاهُ، فَلَمَّا أَخَذَهُ جَعَلَتْ يَدُهُ تَرْعَدُ، وَقَالَ: إِنِّي أَخَافُ أَنْ أُقْتَلَ وَأَنَا أَشْرَبُ. فَقَالَ عُمَرُ: لَا بَأْسَ عَلَيْكَ حَتَّى تَشْرَبَهُ. فَأَكْفَأَهُ، فَقَالَ عُمَرُ: أَعِيدُوهُ عَلَيْهِ، وَلَا تَجْمَعُوا عَلَيْهِ الْقَتْلَ وَالْعَطَشَ. فَقَالَ: لَا حَاجَةَ لِي فِي الْمَاءِ، إِنَّمَا أَرَدْتُ أَنْ أَسْتَأْنِسَ بِهِ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: إِنِّي قَاتِلُكَ. فَقَالَ: إِنَّكَ أَمَّنْتَنِي. قَالَ: كَذَبْتَ. فَقَالَ أَنَسٌ: صَدَقَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ عُمَرُ: وَيْحَكَ يَا أَنَسُ، أَنَا أُؤَمِّنُ قَاتِلَ مَجْزَأَةَ وَالْبَرَاءِ لَتَأْتِيَنِّي بِمَخْرَجٍ أَوْ لَأُعَاقِبَنَّكَ. قَالَ: قُلْتَ: لَا بَأْسَ عَلَيْكَ حَتَّى تُخْبِرَنِي. وَقُلْتَ: لَا بَأْسَ عَلَيْكَ حَتَّى تَشْرَبَهُ. وَقَالَ لَهُ مَنْ حَوْلَهُ مِثْلَ ذَلِكَ. فَأَقْبَلَ عَلَى الْهُرْمُزَانِ،
পৃষ্ঠা - ৫৫৬০


মাধ্যমে মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তার করা ৷ কারণ সম্রাট ইয়ায়দগির্দ মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করার জন্যে তার অনুসারীদেরকে বরাবর প্রারাচনা দিয়ে যাচ্ছে ৷ ওদেরকে যদি সমুলে উৎখাত
করা না যায় তাহলে তারা ইসলাম ধ্বংস করা ও মুসলিম রাজ্যগুলো দখল করার লোভ করবে ৷
আহনাফ ইবন কায়সের যুক্তি খলীফার পছন্দ হয় এবং তিনি যুক্তিটি সঠিক বলে বিবেচনা
করেন ৷ তারপর মুসলিম সৈন্যদেরকে অনারব রাজ্য জয় করে মুসলিম সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত
করার অনুমতি দিলেন ৷ এই প্রেক্ষিতে মুসলমানগণ বহু রজ্যে জয় করেন ৷ সকল প্রশংসা মহান
আল্লাহর ৷ অধিকাৎশ রাজ্য জয় হয় হিজরী ১৮ সালে ৷ তার বিবরণ শিগৃগিরই আসবে
ইনশাআল্লাহ্ ৷
আমরা আবার সুইস, জুন্দি সাবুর ও নিহাওয়ান্দ বিজয়ের আলোচনায় যাচ্ছি ৷ ইতিপুর্বে
আমরা আলোচনা করেছি যে, আবু সাবরা তার সাথে থাকা শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও একদল
সৈনিক নিয়ে তুসতার থেকে সুইস অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ এক পর্যায়ে তারা সেখানে গিয়ে
পৌছেন ৷ উভয় পক্ষে তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ ওই যুদ্ধে দুপক্ষেরই বহু লোক হতাহত হয় ৷ এক সময়
ওই দেশের বিজ্ঞজনেরা উপরে উঠে বলল, হে মুসলযানগণ৷ আপনারা লাগাতার এই শহর
অবরোধ করে রাখবেন না ৷ কারণ আমাদের এই শহরের প্রবীণ লোকদের মুখ থেকে আমরা
বংশ পরম্পরড়ায় যা শুনে এসেছি তা আমরা প্রাধান্য দিই ৷ আর তা হলো দইজ্জাল নিজে কিংবা
যে দলের সাথে দাজ্জাল থাকবে যে দল ছাড়া অন্য £ন্টে এই শহর জয় করতে পারবে না ৷
ঘটনাক্রমে আবু মুসা আশআরী (রা)-এর দলে সাফ ইবন সায়াদ ছিল ৷ আবু মুসা (বা)
অবরোধকারীদের সহযোগিতার জন্যে তাকে পাঠালেন ৷ সে ওদের দুর্গের দরজায় এসে এমন
একটি লাথি মোরছিল যে, লোহার শিকল-চেইন সব ছিড়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ তালুাগুলো
ভেঙ্গে ছিটকে পড়ে ৷ মুসলমানগণ দলে দলে শহরের মধ্যে ঢুকে পড়েন এবং যাকে পেয়েছেন
তাকেই কতল করেছেন ৷ শেষ পর্যন্ত তারা নিরাপত্তা লাভ ও সন্ধি চুক্তির প্রস্তাব দেয় ৷
মুসলমত্ত্বনগণ প্রস্তাব গ্রহণ করেন ৷ তখন সুইস শহরের রাজা ছিলশাহ্বিয়ার, সে ছিল
হুরমুযানের ভাই ৷ মুসলমানগণ সুইস নগরীতে আধিপত্য বিস্তার করেন ৷ এটি পৃথিবীতে একটি
সুপ্রাচীন নগরী ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, এটি পৃথিবীর সর্বপ্রথম শহর ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷
ইবন জারীর (র) বলেন, মুসলমানগণ সুইস নগরীতে দানিয়ালের কবর খুজে পেয়েছিলেন ৷
সেনাপতি আবু সাবরাহ জুনদি সাবুর চলে যাবার পর আবু মুসা (রা) সুইস নগরীতে আসেন ৷
তিনি দানিয়েলের বিষয়টি খলীফহ্বকে লিখে জানান ৷ উত্তরে খলীফা লিখলেন যে, ওকে দাফন
করে দাও এবং তার কবরের স্থানটি মানুষের নিকট অজ্ঞাত রাখে ৷ আবু মুসা (রা) তাই
করলেন ৷ সীরাত-ই-উমর গ্রন্থের মধ্যে আমরা বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷
ইবন জারীর বলেছেন যে, ক্লারো কারো মতে সুইস, ও বাম হুরমুয বিজয় এবং হ্বমুযানের
তুসতার থেকে খলীফার দরবারে উপস্থিতি এসব ঘটনা ঘটেছে ২০ হিজরী সনে ৷ আল্লাহ ভাল
জানেন ৷
খলীফা উমর (রা) চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, নুমান ইবন মুকাররিন ,
নিহাওয়ান্দের উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করবেন ৷ নির্দেশ অনুযায়ী তিনি যাত্রা করলেন ৷


فَقَالَ: خَدَعْتَنِي، وَاللَّهِ لَا أَنْخَدِعُ إِلَّا أَنْ تُسْلِمَ، فَأَسْلَمَ، فَفَرَضَ لَهُ فِي أَلْفَيْنِ وَأَنْزَلَهُ الْمَدِينَةَ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ التَّرْجُمَانَ بَيْنَ عُمَرَ وَبَيْنَ الْهُرْمُزَانِ كَانَ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: قُلْ لَهُ: مِنْ أَيِّ أَرْضٍ أَنْتَ؟ فَقَالَ: مِهْرِجَانِيٌّ. قَالَ: تَكَلَّمْ بِحُجَّتِكَ. فَقَالَ: أَكَلَامُ حَيٍّ أَمْ مَيِّتٍ؟ قَالَ: بَلْ كَلَامُ حَيٍّ. فَقَالَ: قَدْ أَمَّنْتَنِي. فَقَالَ: خَدَعْتَنِي وَلَا أَقْبَلُ ذَلِكَ إِلَّا أَنْ تُسْلِمَ. فَأَسْلَمَ فَفَرَضَ لَهُ أَلْفَيْنِ وَأَنْزَلَهُ الْمَدِينَةَ. ثُمَّ جَاءَ زَيْدٌ فَتَرْجَمَ بَيْنَهُمَا أَيْضًا. قُلْتُ: وَقَدْ حَسُنَ إِسْلَامُ الْهُرْمُزَانِ، وَكَانَ لَا يُفَارِقُ عُمَرَ حَتَّى قُتِلَ عُمَرُ، فَاتَّهَمَهُ بَعْضُ النَّاسِ بِمُمَالَأَةِ أَبِي لُؤْلُؤَةَ هُوَ وَجُفَيْنَةُ، فَقَتَلَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْهُرْمُزَانَ وَجُفَيْنَةَ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ. وَقَدْ رُوِّينَا أَنَّ الْهُرْمُزَانَ لَمَّا عَلَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بِالسَّيْفِ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَمَّا جُفَيْنَةُ فَصَلَّبَ عَلَى وَجْهِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عُمَرَ كَانَ يَحْجُرُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ أَنْ يَتَوَسَّعُوا فِي بِلَادِ الْعَجَمِ؛ خَوْفًا عَلَيْهِمْ مِنَ الْعَجَمِ، حَتَّى أَشَارَ عَلَيْهِ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ بِأَنَّ الْمَصْلَحَةَ تَقْتَضِي تَوَسُّعَهُمْ فِي الْفُتُوحَاتِ، فَإِنَّ الْمَلِكَ يَزْدَجِرْدَ لَا يَزَالُ يَسْتَحِثُّهُمْ عَلَى قِتَالِ الْمُسْلِمِينَ، وَإِنْ لَمْ يُسْتَأْصَلْ سَاقُ الْعَجَمِ وَإِلَّا طَمِعُوا فِي الْإِسْلَامِ
পৃষ্ঠা - ৫৫৬১


নিহাওয়ান্দ পৌছার পুর্বে তারা মাহ নামের এক সুবিশাল নগরীতে গিয়ে পৌছলেন ৷ তারা ওই
নগরী জয় করলেন ৷ তারপর নিহাওয়ান্দ গিয়ে সেটি দখল করলেন ৷

আমি বলি, প্রসিদ্ধ অভিমত হলো নিহাওয়ান্দ বিজয়ের ঘটনা ঘটেছিল ২১ হিজরী সনে ৷
তার বর্ণনা অচিরেই আসবে ইনশাআল্লাহ্ ৷ এটি একটি বিরাট ঘটনা ৷ এটি একটি বিশাল ,
বিজয়, এক বিস্ময়কর ইতিহাস ৷

যিব্র ইবন আবদুল্লাহ ফরকীমী জুনৃদী-সাবুর নগর অধিকার করেন এবং এই অঞ্চলের
অন্যান্য শহরে-নগরে মুসলমানদের জোরালো কর্ত্যছু প্রতিষ্ঠা করেন ৷

এদিকে মুসলমানদের একের পর এক রাজ্য জয়ে অস্থির হয়ে সম্রাট ইয়াযদপিরদ এক স্থান
থেকে অন্য স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ৷ এক পর্যায়ে সে ইস্পাহানে বসবাস করতে শুরু করে ৷
তার শীর্ষস্থানীয় সাথীদের প্রায় ৩০০ জনের একটি দলও তার সাথে সাথে দেশ থেকে দেশান্তরে
পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ৷ ওদের নেত ৷ ছিল সিয়াহ ৷ ইতিমধ্যে মুসলমানগণ তুসতার ও ইসতাখার
জয় করে নেন ৷ একদিন সিয়াহ তার সহচরদেরকে বলল, ওই যে মুসলিম সম্প্রদায় তারা এক
সময়ে অনেক অপমান ও লাঞ্চুনা সহ্য করেছিল ৷ এখন তো তারা প্রাচীন রাজা-বড়াদশাহদের
সকল শহর নগর ও রাজ্য দখল করে নিচ্ছে ৷ যে কোন শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা
প্রতিপক্ষকে অনায়াসে পরাজিত করে চলেছে ৷ আল্লাহর কসম! এটি কোন বাতিল ও অসত
মতবাদ নয় ৷ বস্তুত তার অন্তরে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছিল ৷ ইসলামের গুরুতৃও
মাহাত্ম্য তার অম্ভরে স্থান করে নিয়েছিল ৷ তার সাথিগণ বলল, আপনার কথার সাথে আমরা
একমত ৷ ইতিমধ্যে আম্মার ইবন ইয়াসির ওদেরকে আল্লাহর প্রতি আহ্বান জানিয়ে লোক
পাঠালেন ৷ তারা হযরত আবু মুসা আশআরী (রা)-এর নিকট ইসলাম গ্রহণে সম্মতি জানিয়ে
লোক পাঠান ৷ আবু মুসা (বা) তাদের ঘটনা খলীফাকে জানালেন ৷ খলীফা ওদের প্রস্তাব গ্রহণ
এবং ওদের প্রত্যেকের জন্যে দুহাজার করে ভাতা মঞ্জুরের নির্দেশ দেন ৷ এদের মধ্যে ছয়জনের
জন্যে ২৫০০ দিরহড়াম করে ভাতা মঞ্জুর করা হয় ৷ তারপর তীরা সকলে সুন্দর ও পরিপুর্ণভারে
ইসলামের বিধানাবলী পালন করেন ৷

নিজেদের গোত্রভুক্ত অগ্নি উপাসকদের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষোভ তাদের মনে
গুমরে মরছিল ৷ একদিন তারা স্বগােত্রীয় অগ্নি উপাসকদের একটি দুর্গ অবরোধ করে ৷ কিন্তু
দুর্গটি ছিল খুবই সুরক্ষিত ৷ কােনক্রমেই তারা ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হচ্ছিল না ৷ তাদের
একজন নিজের জামা-কাপড়ে রক্ত মেখে রাতের বেলা নিজেকে দুর্গের দরজায় ফেলে রাখে ৷
দুর্গের অভ্যম্ভরস্থু লোকেরা তাকে দেখে মনে করল যে, এই তো আমাদের লোক ৷ তার ভেতরে
প্রবেশের জন্যে তারা দুর্গের দরজা খুলে দেয় ৷ সুযোগ পেয়ে অবিলম্বে সে দারােয়ানের উপর
আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে ৷ ইতিমধ্যে তার অবগ্রিষ্টি সাথিগণ সেখানে গিয়ে পৌছে ৷ সে
তাদের জন্যে দরজা খুলে দেয়৷ সকলে ভেতরে প্রবেশ করে এবং যত অগ্নি উপাসককে
পেয়েছে সকলকে হত্যা করেছে ৷ এমন আশ্চর্যজনক ঘটনাবলী সেখানে ঘটেছে ৷ মহান আল্লাহ
যাকে চান সরল পথের দিশা প্রদান করেন ৷

ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন যে, পারসিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ওদের দেশ জয় করে
মুসলিম সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত করার জন্যে খলীফা উমর (রা) ইরাকে ও খুরাসানে নিজ হাতে


وَأَهْلِهِ، فَاسْتَحْسَنَ عُمَرُ ذَلِكَ مِنْهُ وَصَوَّبَهُ، وَأَذِنَ لِلْمُسْلِمِينَ فِي التَّوَسُّعِ فِي بِلَادِ الْعَجَمِ، فَفَتَحُوا بِسَبَبِ ذَلِكَ شَيْئًا كَثِيرًا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَأَكْثَرُ ذَلِكَ وَقَعَ فِي سَنَةِ ثَمَانِي عَشْرَةَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِيهَا. ثُمَّ نَعُودُ إِلَى فَتْحِ السُّوسِ وَجُنْدَيْسَابُورَ وَفَتْحِ نَهَاوَنْدَ فِي قَوْلِ سَيْفٍ، كَانَ قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ أَبَا سَبْرَةَ سَارَ بِمَنْ مَعَهُ مِنْ عِلْيَةِ الْأُمَرَاءِ مِنْ تُسْتَرَ إِلَى السُّوسِ فَنَازَلَهَا حِينًا، وَقُتِلَ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، فَأَشْرَفَ عَلَيْهِ عُلَمَاءُ أَهْلِهَا فَقَالُوا: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، لَا تَتْعَبُوا فِي حِصَارِ هَذَا الْبَلَدِ فَإِنَّا نَأْثُرُ فِيمَا نَرْوِيهِ عَنْ قُدَمَائِنَا مِنْ أَهْلِ هَذَا الْبَلَدِ أَنَّهُ لَا يَفْتَحُهُ إِلَّا الدَّجَّالُ أَوْ قَوْمٌ مَعَهُمُ الدَّجَّالُ. وَاتَّفَقَ أَنَّهُ كَانَ فِي جَيْشِ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ صَافُ بْنُ صَيَّادٍ، فَأَرْسَلَهُ أَبُو مُوسَى فِي مَنْ يُحَاصِرُ، فَجَاءَ إِلَى الْبَابِ فَدَقَّهُ بِرِجْلِهِ، فَتَقَطَّعَتِ السَّلَاسِلُ، وَتَكَسَّرَتِ الْأَغْلَاقُ، وَدَخَلَ الْمُسْلِمُونَ الْبَلَدَ فَقَتَلُوا مَنْ وَجَدُوا حَتَّى نَادَوْا بِالْأَمَانِ وَدَعَوْا إِلَى الصُّلْحِ، فَأَجَابُوهُمْ إِلَى ذَلِكَ، وَكَانَ عَلَى السُّوسِ شَهْرِيَارُ أَخُو الْهُرْمُزَانِ، فَاسْتَحْوَذَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى السُّوسِ، وَهُوَ بَلَدٌ قَدِيمُ الْعِمَارَةِ فِي الْأَرْضِ، يُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ بَلَدٍ وُضِعَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّهُمْ وَجَدُوا قَبْرَ دَانْيَالَ بِالسُّوسِ، وَأَنَّ أَبَا مُوسَى لَمَّا أَقَامَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৬২


মুসলিম বাহিনীর বড় বড় পতাকা বেধে দিয়েছিলেন ৷ এই পরামর্শ দিয়েছিলেন আহনাফ ইবন
কায়স ৷ এই প্রেক্ষিতে পরবর্তী বছরে অর্থাৎ ১৮ হিজরী সনে বহু বিজয় সংঘটিত হয় ৷ বহু দেশ,
রাজ্য ও শহর-নগর মুসলমানদের অধিকারে আসে ৷ আমরা শিগগিরই সেগুলো বর্ণনা করব ৷
ইনৃশাআল্লাহ্, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷

ইবন জারীর বলেন, এই বছর অর্থাৎ ১৭ হিজরী সনে আমীরুল মু’মিনীন খলীফা উমর
ইব ন খাত্তাব (রা) নিজে আমীরুল হজ্জ হয়ে লোকজন নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন ৷ তার হত্তজ্জ
যাবার সময়ে বিভিন্ন রাজেদ্র র্তারাই শাসনকর্তা ছিলেন যারা পুর্ববর্তী বছরের হরুজ্জর সময়
শাসনকর্তা ছিলেন ৷ তবে শুধু বসরাতে মুগীরাৱ পরিবর্তে আবু মুসা আশআরী শাসনকর্তার
দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৷

আমি বলি, এই বছরে কতক নামজাদা লোকের ওফাত হয় ৷ কিন্তু তাদের ওফাতের সন
সম্পর্কে দ্বিমত আছে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তারা এর পুববর্তী বছর মারা গেছেন, কেউ কেউ
বলেছেন র্তারা এর পুর্ববর্তী বছর মারা গেছেন ৷ কেউ বল্যেছা, পরবর্তী বছর মারা গেছেন ৷
আমরা যথাস্থানে তাদের কথা উল্লেন্৷ করব ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷


بِهَا بَعْدَ مُضِيِّ أَبِي سَبْرَةَ إِلَى جُنْدَيْسَابُورَ، كَتَبَ إِلَى عُمَرَ فِي أَمْرِهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يَدْفِنَهُ وَأَنْ يُغَيِّبَ عَنِ النَّاسِ مَوْضِعَ قَبْرِهِ، فَفَعَلَ. وَقَدْ بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " سِيرَةِ عُمَرَ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ فَتْحَ السُّوسِ وَرَامَهُرْمُزَ وَتَسْيِيرَ الْهُرْمُزَانِ مِنْ تُسْتَرَ إِلَى عُمَرَ، فِي سَنَةِ عِشْرِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ الْكِتَابُ الْعُمَرِيُّ قَدْ وَرَدَ بِأَنَّ النُّعْمَانَ بْنَ مُقَرِّنٍ يَذْهَبُ إِلَى أَهْلِ نَهَاوَنْدَ فَسَارَ إِلَيْهَا فَمَرَّ بِمَاةَ - بَلْدَةٍ كَبِيرَةٍ قَبْلَهَا - فَافْتَتَحَهَا ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى نَهَاوَنْدَ فَفَتَحَهَا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ قُلْتُ: الْمَشْهُورُ أَنَّ فَتْحَ نَهَاوَنْدَ إِنَّمَا وَقَعَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ، كَمَا سَيَأْتِي فِيهَا بَيَانُ ذَلِكَ، وَهِيَ وَقْعَةٌ عَظِيمَةٌ، وَفَتْحٌ كَبِيرٌ، وَخَبَرٌ غَرِيبٌ، وَنَبَأٌ عَجِيبٌ. وَفَتَحَ زِرُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْفُقَيْمِيُّ مَدِينَةَ جُنْدَيْسَابُورَ، فَاسْتَوْسَقَتْ تِلْكَ الْبِلَادُ لِلْمُسْلِمِينَ. هَذَا وَقَدْ تَحَوَّلَ يَزْدَجِرْدُ مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ، حَتَّى انْتَهَى أَمْرُهُ إِلَى الْإِقَامَةِ بِأَصْبَهَانَ، وَقَدْ كَانَ صَرَفَ طَائِفَةً مِنْ أَشْرَافِ أَصْحَابِهِ قَرِيبًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةٍ مِنَ الْعُظَمَاءِ عَلَيْهِمْ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: سِيَاهُ. فَكَانُوا يَفِرُّونَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ، حَتَّى فَتَحَ الْمُسْلِمُونَ تُسْتَرَ وَإِصْطَخْرَ، فَقَالَ سِيَاهُ لِأَصْحَابِهِ: إِنَّ هَؤُلَاءِ بَعْدَ الشَّقَاءِ وَالذِّلَّةِ مَلَكُوا أَمَاكِنَ الْمُلُوكِ الْأَقْدَمِينَ، وَلَا يَلْقَوْنَ جُنْدًا إِلَّا كَسَرُوهُ، وَاللَّهِ مَا هَذَا عَنْ بَاطِلٍ. وَدَخَلَ فِي قَلْبِهِ الْإِسْلَامُ وَعَظَمَتُهُ، فَقَالُوا لَهُ: نَحْنُ تَبَعٌ لَكَ. وَبَعَثَ عَمَّارُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৬৩
يَاسِرٍ فِي غُبُونِ ذَلِكَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ، فَأَرْسَلُوا إِلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ بِإِسْلَامِهِمْ، وَكَتَبَ فِيهِمْ إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَفْرِضَ لَهُمْ فِي أَلْفَيْنِ أَلْفَيْنِ، وَفَرَضَ لِسِتَّةٍ مِنْهُمْ فِي أَلْفَيْنِ وَخَمْسِمِائَةٍ، وَحَسُنَ إِسْلَامُهُمْ. وَكَانَ لَهُمْ نِكَايَةٌ عَظِيمَةٌ فِي قِتَالِ قَوْمِهِمْ، حَتَّى بَلَغَ مِنْ أَمْرِهِمْ أَنَّهُمْ حَاصَرُوا حِصْنًا فَامْتَنَعَ عَلَيْهِمْ، فَجَاءَ أَحَدُهُمْ فَرَمَى بِنَفْسِهِ فِي اللَّيْلِ عَلَى بَابِ الْحِصْنِ وَضَمَّخَ ثِيَابَهُ بِدَمٍ، فَلَمَّا نَظَرُوا إِلَيْهِ حَسِبُوا أَنَّهُ مِنْهُمْ، فَفَتَحُوا لَهُ بَابَ الْحِصْنِ لِيُؤْوُوهُ، فَثَارَ إِلَى الْبَوَّابِ فَقَتَلَهُ، وَجَاءَ بَقِيَّةُ أَصْحَابِهِ فَفَتَحُوا ذَلِكَ الْحِصْنَ، وَقَتَلُوا مَنْ فِيهِ مِنَ الْمَجُوسِ. إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْأُمُورِ الْعَجِيبَةِ، وَاللَّهُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ عَقَدَ الْأَلْوِيَةِ وَالرَّايَاتِ الْكَثِيرَةَ فِي بِلَادِ خُرَاسَانَ وَالْعِرَاقِ لِغَزْوِ الْفُرْسِ وَالتَّوَسُّعِ فِي بِلَادِهِمْ، كَمَا أَشَارَ عَلَيْهِ بِذَلِكَ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ، فَحَصَلَ بِسَبَبِ ذَلِكَ فُتُوحَاتٌ كَثِيرَةٌ فِي السَّنَةِ الْمُسْتَقْبَلَةِ بَعْدَهَا، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ وَنُنَبِّهُ عَلَيْهِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. قَالَ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ثُمَّ ذَكَرَ نُوَّابَهُ عَلَى الْبِلَادِ، وَهُمْ مَنْ ذَكَرَ فِي السَّنَةِ قَبْلَهَا غَيْرَ الْمُغِيرَةِ، فَإِنَّ عَلَى الْبَصْرَةِ بَدَلَهُ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ قُلْتُ: وَقَدْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَقْوَامٌ، قِيلَ: إِنَّهُمْ تُوُفُّوا قَبْلَهَا. وَقَدْ ذَكَرْنَاهُمْ. وَقِيلَ: فِيمَا بَعْدَهَا. وَسَيَأْتِي ذِكْرُهُمْ فِي أَمَاكِنِهِمْ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.