আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع عشرة

كائنة غريبة فيها عزل خالد عن قنسرين أيضا

পৃষ্ঠা - ৫৫৪২


ষ্ ৷


ওদের চাচাতো ভাইদের মধ্য থেকেও সমসংখ্যক অশ্বারোহীকে ওই সিরিয়া ধ্বংস করেছে ৷
আশ্চর্য হওয়ার ব্যক্তি এ জাতীয় ঘটনায় আশ্চর্য হয়ে থাকে ৷

× × ন্ ×


ওরা মারা গেছে ওখানে- কেউ ৩রবারির আঘাতে আর কেউ প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৷
এভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছিল ৷ এটি ছিল আমাদের জন্যে মহা শক্তিযান আল্লাহ্র লিখন !

এই বছরের অস্বাভাবিক ঘটনা

কিন্নাসরীন থেকে হযরত খালিদের অপসারণ
ইবন জারীর বলেন, এই বছরই অর্থাৎ ১৭ হিজরী সনে হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা)
এবং ইয়ায ইবন গানাম রোমান পার্বত্য এলাকায় অগ্রসর হন এবং সেখানকার অধিবাসীদের
উপর আক্রমণ করেন ৷ র্তারা বহু গনীমতের মাল অর্জন করেন এবং বহু লোককে বন্দী করেন ৷
আর উসমান, অ৷ বু হারিছা, রাবী ও আবু মুজালিদ সুত্রে সায়ফ থেকে বর্ণনা করেন যে,
তারা বলেছেন হযরত খঃালিদ (রা) যখন গ্রীষ্মকালীন রোম ৷ন ষুদ্ধণেষে বিপুল পরিমাণ
ধন সন্ন্ন্দে নিয়ে ফিরে এলেন, তখন দলে দলে ণ্লাকজন তার নিকট উপস্থিত হয় এবং তার
নিকট সাহায্য ও অনুদান প্রার্থনা করে ৷ যারা৩ তার নিকট এসেছিল তাদের একজন ছিলেন
আশআছ ইবন করেন ৷ হযরত খালিদ র্তাকে ১০ হাজার দিরহামের অনুদান প্রদান করেন ৷ এই
ত্বাদ পৌছে যায় খলীফা উমার (রা) এর নিকট ৷ তিনি সেনাপতি আবু উবায়দা (রা) কে
নির্দেশ ৷দেন খ্যলিদ (রা) কে দাড় করিয়ে তার পাগড়ি ও টুপি খুলে নিয়ে ওই পাপড়ি দ্বারা
তাকে বোধ র খতে এবং এই ১০ হাজার মুদ্রা কােথেকে দিয়েছেন তা জিজ্ঞেস করতে ৷ তিনি
যদি নিজ ব্যাক্তগত সাল থেকে তা দিয়ে থাকেন তবে৩ তা অপচয় আর যদি যুদ্ধলব্ধ মাল থেকে
দেয়া হয় তাহলে তা খিয়ানত ও দুর্নীতি ৷ এরপর তাকে ওই পদ থেকে অপসারণ করবেন ৷
খলীফার নির্দেশ মুতাবিক আবু উবায়দা (রা) হযরত খালিদ (রা)-ণ্ক ডেকে আনলেন ৷
আবু উবায়দা (রা) মিম্বরে উঠলেন ৷ খালিদ (রা)-ফে মিম্বরের সম্মুখে র্দাড় করালেন ৷ হযরত
বিলাল (বা) এবং চিঠি নিয়ে আগত বাহক দৃ’জনে খলীফার নির্দেশ মুতাবিক তার পাগড়িষ্টুপি
থোলাসহ যা যা করার করলেন ৷ সেনাপতি আর উবায়দ৷ (রা) নীরবে সব দেখলেন ৷ কিছুই-
বললেন না ৷ তারপর তিনি ফিরে থেকে নেমে এলেন এবং তার অনিচ্ছা সত্বেও যা তাকে করতে
হয়েছে তার জন্যে খালিদ (রা)-এর নিকট ক্ষমা চাইলেন ৷ ওযর পেশ করলেন ৷ হযরত খালিদ
(বা) তার ওযর গ্রহণ করলেন ৷ তিনি বুঝে নিলেন যে, আবু উবায়দা (রা) স্বেচ্ছায় তা
করেননি ৷ এরপর খালিদ (রা) কিন্নাসৃরীন গমন করলেন ৷ ওখানকার লোকজনের উদ্দেশ্যে
বিদায়ী ভাষণ দিয়ে ওখান থেকে চলে এলেন ৷ পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি হিম্স এসে
পৌছলেন ৷ সেখানেও জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে বিদায় নিলেন ৷ এবার তিনি মদীনায়
উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ হযরত খালিদ (রা) খলীফা উমর (রা)-এর দরবারে উপস্থিত হবার
পর খলীফা কাবর নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেনং :


[كَائِنَةٌ غَرِيبَةٌ فِيهَا عُزِلَ خَالِدٌ عَنْ قِنَّسْرِينَ أَيْضًا] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أَدْرَبَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَعِيَاضُ بْنُ غَنْمٍ، أَيْ سَلَكَا دَرْبَ الرُّومِ وَأَغَارَا عَلَيْهِمْ، فَغَنِمُوا أَمْوَالًا عَظِيمَةً وَسَبَيَا كَثِيرًا. ثُمَّ رُوِيَ مِنْ طَرِيقِ سَيْفٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ وَأَبِي حَارِثَةَ وَالرَّبِيعِ وَأَبِي الْمُجَالِدِ، قَالُوا: لَمَّا رَجَعَ خَالِدٌ وَمَعَهُ أَمْوَالٌ جَزِيلَةٌ مِنَ الصَّائِفَةِ، انْتَجَعَهُ النَّاسُ يَبْتَغُونَ رِفْدَهُ وَنَائِلَهُ، فَكَانَ مِمَّنْ دَخَلَ عَلَيْهِ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ، فَأَجَازَهُ بِعَشَرَةِ آلَافٍ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ كَتَبَ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ يَأْمُرُهُ أَنْ يُقِيمَ خَالِدًا، وَيَكْشِفَ عِمَامَتَهُ، وَيَنْزِعَ عَنْهُ قَلَنْسُوَتَهُ، وَيُقَيِّدَهُ بِعِمَامَتِهِ، وَيَسْأَلَهُ عَنْ هَذِهِ الْعَشْرَةِ آلَافٍ، إِنْ كَانَ أَجَازَهَا الْأَشْعَثَ مِنْ مَالِهِ فَهُوَ سَرَفٌ، وَإِنْ كَانَ مِنْ مَالِ الصَّائِفَةِ فَهِيَ خِيَانَةٌ، ثُمَّ اعْزِلْهُ عَنْ عَمَلِهِ. فَطَلَبَ أَبُو عُبَيْدَةَ خَالِدًا، وَصَعِدَ أَبُو عُبَيْدَةَ الْمِنْبَرَ، وَأُقِيمَ خَالِدٌ بَيْنَ يَدَيِ الْمِنْبَرِ، وَقَامَ إِلَيْهِ بِلَالٌ فَفَعَلَ بِهِ مَا أَمَرَ بِهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ هُوَ وَالْبَرِيدِيُّ الَّذِي قَدِمَ بِالْكِتَابِ. هَذَا وَأَبُو عُبَيْدَةَ سَاكِتٌ لَا يَتَكَلَّمُ، ثُمَّ نَزَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَاعْتَذَرَ إِلَى خَالِدٍ مِمَّا كَانَ بِغَيْرِ اخْتِيَارِهِ وَإِرَادَتِهِ ; فَعَذَرَهُ خَالِدٌ، وَعَرَفَ أَنَّهُ لَا قَصْدَ لَهُ فِي ذَلِكَ. ثُمَّ سَارَ خَالِدٌ إِلَى قِنَّسْرِينَ فَخَطَبَ أَهْلَ الْبَلَدِ وَوَدَّعَهُمْ، وَسَارَ بِأَهْلِهِ إِلَى حِمْصَ فَخَطَبَهُمْ أَيْضًا وَوَدَّعَهُمْ وَسَارَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَلَمَّا دَخَلَ خَالِدٌ عَلَى عُمَرَ أَنْشَدَ عُمَرُ قَوْلَ الشَّاعِرِ
পৃষ্ঠা - ৫৫৪৩



আপনি এমন কাজ করেছেন বা কখনো কেউ করেনি ৷ লোকজন যা করে তার উপরে মহান
আল্লাহ কর্মবিধায়ক আছেন ৷

এরপর খলীফাও তাকে অনুদান হিসেবে দেয়৷ ১০ হাজার দিরহামের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করলেন ৷ তিনি বললেন, এটি আমি দিয়েছি আমার প্রাপ্য যুদ্ধলব্ধ মালামাল থেকে ৷ খলীফা
বললেন, এখন আপনার নিকট ৬০ হাজার দিরহামের অতিরিক্ত যা থাকবে তা আপনি পাবেন ৷
তারপর তার সাথে থাকা মালামাল ও আসবাবপত্রের মুল্য নির্ধারণ করা হলো ৷

হযরত উমর (রা) বিশ হাজার দিরহাম গ্রহণ করলেন ৷৩ তারপর খলীফা বললেন, আপনি
আমার নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ৷ আপনি আমার পরম প্রিয় মানুষ ৷ আমি আশা করি এরপর
থেকে আপনি আমার কোন দায়িত্বে থাকবেন না ৷ ’ অপর বর্ণনায় খালিদ বললেন, আর আমাকে
কোন দােষারোপ করতে পারবেন না ৷

সায়ফ আবদুল্লাহ্ থেকে আদী ইবন সাহ্ল থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, খলীফা

উমর (রা) সকল শহরে-নগরে বার্তা পাঠিয়ে দিলেন যে, আমি কোন অসন্তুষ্টি কিৎব৷ ৷খয়ানতের
কারণে খালিদ (রা) ণ্ক বরখাস্ত করিনি ৷ তবে কথা হলাে৩ তাকে উপলক্ষ করে সাধারণ মানুষ
বিভ্রান্তিতে পড়ছে ৷ তাই আমি এটা জানিয়ে দিতে চাইলাম যে, সবাই জানুক সর্বকাজের
কর্যবিধায়ক মহান আল্লাহ্ ৷ ’

এরপর সায়ফ মুবাশৃশির সুত্রে সালিম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত খড়ালিদ (রা) যথ্যা
খলীফ৷ উমরের নিকট উপস্থিত হলেন তখন খলীফা উপরোক্ত মন্তব্য করেছিলেন ৷

ওয়াকিদী বলেন, এই বছর রজব মাসে হযরত উমর (রা) উমরাহ্ আদায় করেন ৷ তিনি
মসজিদৃল হারামে কিছু নির্মাণগত সং স্কার করেন ৷ হারম শরীফের সীমানা খুটিগুলাে নতুনভ ৷বে
তৈরির নির্দেশ প্রদান করেন ৷ এ কাজের দায়িত্ব দেন মাখরামা ইবন নাওফাল, আয ৷র ইবন
আবৃদ আওফ, হুওয়াইতিব ইবন আবদুল উঘৃযা, সাঈদ ইবন ইয়ারবু প্রমুখ ব্যক্তিকে ৷

ওয়াকিদী বলেন, কাহীর ইবন আব্দুল্পাহ্ত তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, ১ ৭ হিজরীতে
হযরত উমর (রা) উমরাহ্ করতে মক্কা আগমন করেন ৷ রাস্তার জলাশয়ের মালিকর৷ মক্কাও
মদীনায় মধ্যবর্তী স্থাননমুহে মনযিল তৈরির অনুমতি চান ৷ পুর্বে সে সব স্থানে কোন ঘর ছিল
না ৷ খলীফ৷ অনুমতি দিয়ে বলেন, তবে পথচারী মুসলিমদেরকে ছায়া ও পানির ব্যাপারে
অগ্রাধিকার দিতে হবে ৷

ওয়াকিদী বলেন, এই বছর অর্থাৎ ১ ৭ হিজরী সালে খলীফা উমর ইবন খাত্তাব (রা) হযরত
ফাতিমা (রা)-এর ঔরসজাত হযরত আলী (রা)-এর কন্যা উম্মু কুলসুমকে বিয়ে করেন ৷
যুলকাদ৷ মাসে তাদের বাসর হয় ৷ “সীরাতে উমর ওয়া মুসনাদহী” গ্রন্থে আমরা এই বিয়ের
বর্ণনা উল্লেখ করেছি ৷ এই বিয়েতে দেনমাহ্র ধার্য হয়েছিল ৪০ হাজার দিরহাম ৷ খলীফ৷ উমর
(রা) বলেছিলেন, আমি উম্মু কুলসুমকে বিয়ে করেছি শুধু এজন্যে যে, রাসুলুল্লাহমোঃবল্যেছন :

ঠেৰু)
(কিয়ামতের দিন সকল মাধ্যম ও বংশীয় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে একমাত্র আমার মাধ্যম
ও আমার বংশীয় সম্পর্ক ব্যতীত ৷)


صَنَعْتَ فَلَمْ يَصْنَعْ كَصُنْعِكَ صَانِعُ ... وَمَا يَصْنَعُ الْأَقْوَامُ فَاللَّهُ صَانِعُ ثُمَّ سَأَلَهُ: مَنْ أَيْنَ هَذَا الْيَسَارُ الَّذِي تُجِيزُ مِنْهُ بِعَشَرَةِ آلَافٍ؟ فَقَالَ: مِنَ الْأَنْفَالِ وَالسُّهْمَانِ. قَالَ: فَمَا زَادَ عَلَى السِّتِّينَ أَلْفًا فَلَكَ. ثُمَّ قَوَّمَ أَمْوَالَهُ وَعُرُوضَهُ وَأَخَذَ مِنْهُ عِشْرِينَ أَلْفًا، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّكَ عَلَيَّ لَكَرِيمٌ، وَإِنَّكَ إِلَيَّ لَحَبِيبٌ، وَلَنْ تَعْمَلَ لِي بَعْدَ الْيَوْمِ عَلَى شَيْءٍ. وَقَالَ سَيْفٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ سَهْلٍ قَالَ: كَتَبَ عُمَرُ إِلَى الْأَمْصَارِ: إِنِّي لَمْ أَعْزِلْ خَالِدًا عَنْ سُخْطَةٍ وَلَا خِيَانَةٍ، وَلَكِنَّ النَّاسَ فُتِنُوا بِهِ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ يَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ هُوَ الصَّانِعُ. ثُمَّ رَوَاهُ سَيْفٌ عَنْ مُبَشِّرٍ، عَنْ سَالِمٍ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ خَالِدٌ عَلَى عُمَرَ. فَذَكَرَ مِثْلَهُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ اعْتَمَرَ عُمَرُ فِي رَجَبٍ مِنْهَا، وَعَمَّرَ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَأَمَرَ بِتَجْدِيدِ أَنْصَابِ الْحَرَمِ، أَمَرَ بِذَلِكَ لِمَخْرَمَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، وَأَزْهَرَ بْنِ عَبْدِ عَوْفٍ، وَحُوَيْطِبِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى، وَسَعِيدِ بْنِ يَرْبُوعٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَدِمْنَا مَعَ عُمَرَ مَكَّةَ فِي عُمْرَةٍ سَنَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ، فَمَرَّ بِالطَّرِيقِ فَكَلَّمَهُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৪৪


ওয়াকিদী বলেছেন, এই বছর খলীফা উমর (রা) আবু মুসা আশআরীকে বসরার
শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন এবং অবিলম্বে মুপীরা ইবন শুবাকে খলীফার দরবারে ফেরত
পাঠানোর নিদের্শি দেন ৷ এই ঘটনা ঘটেছিল রবিউল আউয়াল মাসে ৷ আবু বাকরা, শিবল ইবন
মাৰাদ বুজালী, নাফি ইবন উবায়দ ও বিমান মুগীরার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন ৷

ওয়াকিদী সায়ফ এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন ৷ যা সংক্ষেপে এই : তখন উম্মু জামীল বিনত
আফকাম নামের এক মহিলা ছিল ৷ সে ছিল বনু আমির ইবন সাসাআ গোত্রের যেয়ে ৷ কেউ
বলেছেন, বনু হেলাল গোত্রের মেয়ে ৷ তার স্বামী ছিল ছাকীফগোত্রের লোক ৷ তাকে রেখে
স্বামী মারা যায় ৷ নেতৃস্থানীয় ও স্দ্ভুান্ত লোকদের ন্তীদের নিকট গিয়ে গিয়ে গল্প-গুজব করা তার“
অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল ৷ তখন বসরার শাসনকর্তা ছিলেন মুপীরা ইবন শুবা (রা) ৷ ওই
মহিলা র্তার বাড়িতেও যেত ৷ মুগীরার ঘর ছিল আবু বাকরা-এর ঘরুবৃর মুখোমুখি ৷ উভয় ঘরের
মধ্যখড়ানে ছিল একটি রাস্তা ৷ আবু বাকরা-এর “ঘরের দেয়ালে একটি ছোট জানালা ছিল যা দিয়ে
মুগীরার ঘরের একটি জানালা স্পষ্ট দেখা যেত ৷ দীর্ঘদিন যাবত মুপীরা ও আবু বাকরার মাঝে
ছিল দ্বন্দু ও ৰিদ্বেষ ৷ একদিনের ঘটনা ৷ আবু বাকরা তীর ঘরে অবস্থান করছিলেন ৷ ঘরের
উপরের তলায় তিনি কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলছিলেন ৷ হঠাৎ দমকা হাওয়া এসে তীর
ঘরের জানালার কপাট খুলে দেয় ৷ তিনি র্দাড়ালেন কপটি বন্ধ করার জন্যে ৷ ওই জানালার মধ্য
দিয়ে তিনি দেখতে ণ্;পলেন যে, মুগীরা এক মহিলার বুকের উপর ও তার দুপায়ের মাঝখানে



উপুড় হয়ে আছেন ৷ তিনি ওই মহিলার সাথে সহৰাস করে যাচ্ছেন ৷ আবু বাকরা তীর
সাথীদেরকে ডেকে বললেন, আসুন, আসুন আপনাদের শাসনকর্তাকে দেখুন ৷ তিনি উম্মু
জামীলের সাথে ব্যভিচার করছেন ৷ র্তারা দাড়িয়ে দেখলেন যে মুগীরা সত্যিই ওই মহিলার
সাথে সঙ্গম করছেন ৷ তারা আবু বাকরাকে বলল, আপনি কীভাবে চিনলেন যে, মহিলাটি উম্মু
জামীল ওদের দৃজনের মাথা তো অন্যদিকে? আবু বাকরা বললেন, অপেক্ষা করুন ৷ রতিক্রিয়া
শেষে মহিলাটি র্দড়ােল ৷ এবার তাকে দেখিয়ে আবু বাকরা বললেন, এটি উম্মু জামীল ৷ তাদের
ধারণা যে, তারা উম্মু জামীলকে চিন্যেছ ৷

গোসলশেষে মুগীরা বের হলেন নাষায়ে ইমামতি করার জন্যে ৷ তখনই আবু বাকরা
দাড়িয়ে তাকে বাধা দিলেন এবং পুরো ঘটনা খলীফা উমর (রা)-কে লিখে জানালেন ৷

খলীফা আবু মুসা আশআরী (রা)-কে বসরার শাসনকর্তা নিয়োগ করে পাঠালেন এবং
মুগীরাকে অপসারণ করলেন ৷ আবু মুসা (রা) বসরা এলেন ৷ তিনি আল বারদ-এ পৌছলেন ৷
আবু মুসা (রা) কে দেখে মুগীরা বললেন, ইনি ব্যবসায়ী হিসেবেও নয়, পর্যটক হিসেবেও নয়
বরং শাসনকর্তা হিসেবে খলীফার দেয়া চিঠি মুগীরাকে হস্তান্তর করলেন ৷ এটি একটি সংক্ষিপ্ত
চিঠি ৷ তাতে লেখা ছিল, পর সমাচড়ার, আমার নিকট একটি গুরুতর অভিযোগ এসেছে ৷ আমি
আবু মুসা (রা) কে শাসনকর্তারুপে প্রেরণ করলাম ৷ সরকারী সকল দায়িত্ব আবু মুসা (রা)-কে
বুঝিয়ে দিয়ে যথড়াশীঘ্র খলীফার দরবারে উপস্থিত হোন ৷ খলীফা একই চিঠিতে বসরার
অধিবাসীদেরকে লিখলেন, “আমি আপনাদের শাসনকর্তারুপে আবু মুসা আশআরী (রা) কে
নিয়োগ দিয়েছি ৷ তিনি আপনাদের শক্তিমানদের হাত থেকে দুর্বলের অধিকার রক্ষা করবেন ৷
আপনাদেরকে সাথে নিয়ে শত্রুর মুকাবিলা করবেন ৷ আপনাদের দীনের হেফাজত করবেন ৷


أَهْلُ الْمِيَاهِ أَنْ يَبْنُوا مَنَازِلَ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ - وَلَمْ يَكُنْ قَبْلَ ذَلِكَ بِنَاءٌ - فَأَذِنَ لَهُمْ وَشَرَطَ عَلَيْهِمْ أَنَّ ابْنَ السَّبِيلِ أَحَقُّ بِالظِّلِّ وَالْمَاءِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا تَزَوَّجَ عُمَرُ بِأُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، مِنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَدَخَلَ بِهَا فِي ذِي الْقَعْدَةِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " سِيرَةِ عُمَرَ " وَ " مُسْنَدِهِ " صِفَةَ تَزْوِيجِهِ بِهَا، وَأَنَّهُ أَمْهَرَهَا أَرْبَعِينَ الْفًا، وَقَالَ: إِنَّمَا تَزَوَّجْتُهَا لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ سَبَبٍ وَنَسَبٍ فَإِنَّهُ يَنْقَطِعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَّا سَبَبِي وَنَسَبِي» قَالَ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَلَّى عُمَرُ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ الْبَصْرَةَ وَأَمَرَهُ أَنْ يُشْخِصَ إِلَيْهِ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ فَشَهِدَ عَلَيْهِ - فِيمَا حَدَّثَنِي مَعْمَرٌ، عَنِ الزَّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ - أَبُو بَكْرَةَ، وَشِبْلُ بْنُ مَعْبَدٍ الْبَجَلِيُّ، وَنَافِعُ بْنُ كَلَدَةَ، وَزِيَادٌ. ثُمَّ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ وَسَيْفٌ هَذِهِ الْقِصَّةَ، وَمُلَخَّصُهَا أَنَّ امْرَأَةً كَانَ يُقَالُ لَهَا: أُمُّ جَمِيلٍ بِنْتُ الْأَفْقَمِ، مِنْ نِسَاءِ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، وَيُقَالُ: مِنْ نِسَاءِ بَنِي هِلَالٍ. وَكَانَ زَوْجُهَا مِنْ ثَقِيفٍ قَدْ تُوُفِّيَ عَنْهَا، وَكَانَتْ تَغْشَى نِسَاءَ الْأُمَرَاءِ وَالْأَشْرَافِ، وَكَانَتْ تَدْخُلُ عَلَى بَيْتِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَهُوَ أَمِيرُ الْبَصْرَةِ وَكَانَتْ دَارُ الْمُغِيرَةِ تُجَاهَ دَارِ أَبِي بَكْرَةَ وَكَانَ بَيْنَهُمَا الطَّرِيقُ، وَفِي
পৃষ্ঠা - ৫৫৪৫


আপনাদের জন্যে যুদ্ধলব্ধ মালামালের আয়োজন করবেন এবং তা আপনাদের মাঝে বণ্টন
করবেন ৷ মুগীরা আকীলা নামে তার তায়েফ বংকৃ শোদ্ভুত একটি ক্রীতদাসী আবুমুসা (রা) কে
উপহার দিয়ে বললেন, আমি এটাকে আপনার জন্যে পছন্দ করেছি ৷ মেয়েটি খুব সুন্দরী ও
চালাৰু ছিল ৷

মুগীরা এবং যারা তার বিরুদ্ধে সাক্ষী তারা খলীফার দরবারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷
সাক্ষী হিসেবে যাত্রা করলেন আবু বাকরা, নাফি ইবন কালদাহ, যিয়াদ ইবন উমাইয়৷ এবং
শিব্ল ইবন মা বাদ বাজালী ৷৩ তারা খলীফা উমর (রা) এরদুেরবারে উপস্থিত হলেন ৷ তিনি ন্
উভয় পক্ষকে একত্রিত করলেন ৷ মুগীরা বললেন, আমীরুল মুমিনীন! ওই গোলামদেরকে
জিজ্ঞেস করুন ওরা আমাকে কোন অবস্থায় দেখেছে ? আমি কি ওদের মুখোমুখি ছিলাম, না
ওদেরকে পেছনে রেখেছিলাম ? ওরা মহিলাটি কেমন করে দেখল এবং চিংল ? ওরা যদি আমার
মুখোমুখি থেকে থাকে তাহলে তারা পর্দা না করে থাকল কেমন করে ? আর যদি ওরা আমার
পেছনে থেকে থাকে তাহলে আমার ঘরে আমার ন্তীর সাথে আমার মিলন দেখা তাদের জন্যে
বৈধ হলো কেমন করে ? আল্পাহ্র কলম, আমি আমারই স্তীর সাথে সভ্রুবাস করছিলাম ৷ আমার
ত্রীর সাথে উম্মু জামীলের কিছুটা সামঞ্জস্য আছে বটে ৷

এবার খলীফা উমর (রা) প্রথমে আবুবাকরা (রা)-কে জেরা করছিলেন ৷ আবু বাকরা
সাক্ষ্য দিয়ে বললেন যে, তিনি মুগীরাকে দেখেছেন উমু জামীলের দুপায়ের মধ্যখানে, তিনি
সুরমাদানািত সুরমাকাঠির ন্যায় ঢুকাচ্ছিলেন আর বের করছিলেন ৷ খলীফা বললেন, আপনি
ওদের দু’জনকে কােনৃ অবস্থায় দেখলেন, আপনার প্রতি মুখ ফেরানাে অবস্থায়, নাকি পিঠ
ফেরানাে অবস্থায় ? আবু বাকরা বললেন, ওরা দু’জন আমার দিকে পিঠ দিয়ে রেখেছিল ৷
খলীফা বললেন, তাহলে আপনি মহিলার মাথা ও মুখ নিশ্চিত চিনলেন কী করে ? আবু বাকরা
বললেন, আমি উপরে উঠে তা দেখেছি ৷

এরপর খলীফা শিব্ল ইবন মাবদ্যেক ডাকলেন ৷ তিনিও আবুবাকরা-এর ন্যায় সাক্ষ্য
দিলেন ৷ খলীফা বললেন, ওরা দৃজঃ কি আপনার মুখোমুখি ছিল, না পিঠ ফেরানাে ছিল ?
শিব্ল বললেন, ওরা আমার মুখোমুখি ছিল ৷ নব্রফিও সাক্ষ্য দিলেন আবুবাকরা এর সাক্ষোর
ন্যায় ৷ যিয়াদের সাক্ষ্য জ্যি ওদের মত হলো না ৷ যিয়াদ বললেন, আমি মুগীরাকে দেখেছি
জনৈকা মহিলার দুপায়ের মাঝখানে বসা অবস্থায় ৷ আমি দু’টো রঙিন পা দেখেছি ৷ সে পা
দৃটো নড়াচড়৷ করছিল ৷ আমি দৃাটা উন্মুক্ত নি৩ ন্ম্ব দেখেছি ৷ আমি চরম উত্তেজনাকর শব্দ
শুনেছি ৷ খলীফা বললেন, আপনি কি সৃরমাদানিতে সুরমাকাঠি ঢকান্মের মত ৩দেখেছেন ? যিয়াদ
বললেন, না ভেমনটি দেখিনি ৷ খলীফা বললেন, আপনি কি ওই মইিলাকে চিনাতন ? যিয়াদ
বললেন, না, তবে তার মত মনে হয়েছিল ৷ খলীফ৷ বললেন, ঠিক আছে আপনি সরে র্দাড়ান ৷

বর্ণিত আছে যে, এ সময়ে হযরত উমর (রা) তাকবীর ধ্বনি দিয়ে উঠলেন, তারপর
নিশ্চিতভাবে মুগীরার ব্যভিচার প্রমাণ করতে না পারার এই তিনজনকে অপবাদের শাস্তিস্বরুপ
ৰেত্রাঘাতের নির্দোণ দেন ৷ প্রসঙ্গত খলীফা উমর (বা) এই আয়াত তিলাওয়াত করেন , ,াট্রুষ্)
যেহেতু তারা সাক্ষ্য উপস্থিত করেনি
যে কারণে তারা আল্লাহর বিধানৈ মিথ্যাবাদী ৷ (সুরা নুর ২৪ণ্ণ্ ১৩)

আলবিদায়া ২০


دَارِ أَبِي بَكْرَةَ كُوَّةٌ تُشْرِفُ عَلَى كُوَّةٍ فِي دَارِ الْمُغِيرَةِ، وَكَانَ لَا يَزَالُ بَيْنَ الْمُغِيرَةِ وَبَيْنَ أَبِي بَكْرَةَ شَنَآنٌ، فَبَيْنَمَا أَبُو بَكْرَةَ فِي دَارِهِ وَعِنْدَهُ جَمَاعَةٌ يَتَحَدَّثُونَ فِي الْعُلِّيَّةِ، إِذْ فَتَحَتِ الرِّيحُ بَابَ الْكُوَّةِ، فَقَامَ أَبُو بَكْرَةَ لِيُغْلِقَهَا، فَإِذَا كُوَّةُ الْمُغِيرَةِ مَفْتُوحَةٌ، وَإِذَا هُوَ عَلَى صَدْرِ امْرَأَةٍ وَبَيْنَ رِجْلَيْهَا، وَهُوَ يُجَامِعُهَا، فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ لِأَصْحَابِهِ: تَعَالَوْا فَانْظُرُوا إِلَى أَمِيرِكُمْ يَزْنِي بِأُمِّ جَمِيلٍ. فَقَامُوا فَنَظَرُوا إِلَيْهِ وَهُوَ يُجَامِعُ تِلْكَ الْمَرْأَةَ، فَقَالُوا لِأَبِي بَكْرَةَ: وَمَنْ أَيْنَ قُلْتَ إِنَّهَا أُمُّ جَمِيلٍ؟ وَكَانَ رَأْسَاهُمَا مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ، فَقَالَ: انْتَظِرُوا. فَلَمَّا فَرَغَا قَامَتِ الْمَرْأَةُ، فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ: هَذِهِ أُمُّ جَمِيلٍ. فَعَرَفُوهَا فِيمَا يَظُنُّونَ، فَلَمَّا خَرَجَ الْمُغِيرَةُ - وَقَدِ اغْتَسَلَ - لِيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ مَنَعَهُ أَبُو بَكْرَةَ أَنْ يَتَقَدَّمَ. وَكَتَبُوا إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ، فَوَلَّى عُمَرُ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ أَمِيرًا عَلَى الْبَصْرَةِ وَعَزَلَ الْمُغِيرَةَ، فَسَارَ إِلَى الْبَصْرَةِ فَنَزَلَ بِالْمِرْبَدِ، فَقَالَ الْمُغِيرَةُ: وَاللَّهِ مَا جَاءَ أَبُو مُوسَى تَاجِرًا وَلَا زَائِرًا وَلَا جَاءَ إِلَّا أَمِيرًا. ثُمَّ قَدِمَ أَبُو مُوسَى عَلَى النَّاسِ، وَنَاوَلَ الْمُغِيرَةَ كِتَابًا مِنْ عُمَرَ، هُوَ أَوْجَزُ كِتَابٍ، فِيهِ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّهُ بَلَغَنِي نَبَأٌ عَظِيمٌ، فَبَعَثْتُ أَبَا مُوسَى أَمِيرًا، فَسَلِّمْ مَا فِي يَدَيْكَ، وَالْعَجَلَ. وَكَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ إِنِّي قَدْ وَلَّيْتُ عَلَيْكُمْ أَبَا مُوسَى لِيَأْخُذَ مِنْ قَوِيِّكُمْ لِضَعِيفِكُمْ، وَلِيُقَاتِلَ بِكُمْ عَدُوَّكُمْ، وَلِيَدْفَعَ عَنْ دِينِكُمْ، وَلِيَجْبِيَ لَكُمْ فَيْئَكُمْ، ثُمَّ يَقْسِمَهُ فِيكُمْ. وَأَهْدَى الْمُغِيرَةُ لِأَبِي مُوسَى جَارِيَةً مِنْ مُوَلَّدَاتِ الطَّائِفِ تُسَمَّى عَقِيلَةَ، وَقَالَ: إِنِّي رَضِيتُهَا لَكَ. وَكَانَتْ فَارِهَةً. وَارْتَحَلَ الْمُغِيرَةُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৪৬
وَالَّذِينَ شَهِدُوا عَلَيْهِ إِلَى عُمَرَ، وَهُمْ أَبُو بَكْرَةَ، وَنَافِعُ بْنُ كَلَدَةَ، وَزِيَادُ بْنُ أَبِيهِ، وَشِبْلُ بْنُ مَعْبَدٍ الْبَجَلِيُّ، فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ جَمَعَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْمُغِيرَةِ، فَقَالَ الْمُغِيرَةُ: سَلْ هَؤُلَاءِ الْأَعْبُدَ كَيْفَ رَأَوْنِي ; مُسْتَقْبِلَهُمْ أَوْ مُسْتَدْبِرَهُمْ؟ وَكَيْفَ رَأَوُا الْمَرْأَةَ أَوْ عَرَفُوهَا؟ فَإِنْ كَانُوا مُسْتَقْبِلِيَّ، فَكَيْفَ لَمْ يَسْتَتِرُوا! أَوْ مُسْتَدْبِرِيَّ، فَكَيْفَ اسْتَحَلُّوا النَّظَرَ فِي مَنْزِلِي عَلَى امْرَأَتِي! وَاللَّهِ مَا أَتَيْتُ إِلَّا امْرَأَتِي. وَكَانَتْ شَبَهَهَا. فَبَدَأَ عُمَرُ بِأَبِي بَكْرَةَ، فَشَهِدَ عَلَيْهِ أَنَّهُ رَآهُ بَيْنَ رِجْلَيْ أُمِّ جَمِيلٍ، وَهُوَ يُدْخِلُهُ وَيُخْرِجُهُ كَالْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ. قَالَ: كَيْفَ رَأَيْتَهُمَا؟ قَالَ: مُسْتَدْبِرَهُمَا. قَالَ: فَكَيْفَ اسْتَثْبَتَّ رَأْسَهَا؟ قَالَ: تَحَامَلْتُ. ثُمَّ دَعَا شِبْلَ بْنَ مَعْبَدٍ فَشَهِدَ بِمِثْلِ ذَلِكَ، فَقَالَ: اسْتَقْبَلْتَهُمَا أَمِ اسْتَدْبَرْتَهُمَا؟ قَالَ: اسْتَقْبَلْتُهُمَا. وَشَهِدَ نَافِعٌ بِمِثْلِ شَهَادَةِ أَبِي بَكْرَةَ، وَلَمْ يَشْهَدْ زِيَادٌ بِمِثْلِ شَهَادَتِهِمْ، قَالَ: رَأَيْتُهُ جَالِسًا بَيْنَ رِجْلَيِ امْرَأَةٍ، فَرَأَيْتُ قَدَمَيْنِ مَخْضُوبَتَيْنِ يَخْفِقَانِ، وَاسْتَيْنِ مَكْشُوفَتَيْنِ، وَسَمِعْتُ حَفَزَانًا شَدِيدًا. قَالَ: هَلْ رَأَيْتَ كَالْمِيلِ فِي الْمُكْحُلَةِ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَهَلْ تَعْرِفُ الْمَرْأَةَ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ أُشَبِّهُهَا. قَالَ: فَتَنَحَّ. وَرُوِيَ أَنَّ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَبَّرَ عِنْدَ ذَلِكَ ثُمَّ أَمَرَ بِالثَّلَاثَةِ فَجُلِدُوا الْحَدَّ، وَهُوَ يَقْرَأُ قَوْلَهُ تَعَالَى: