আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع عشرة

ذكر شيء من أخبار طاعون عمواس

ذكر شيء من أخبار طاعون عمواس

পৃষ্ঠা - ৫৫৩৭
مَعْشَرٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ، فَذَهَبُوا إِلَى أَنَّهُ كَانَ فِي سَنَةِ ثَمَانِي عَشْرَةَ. وَفِيهِ تُوُفِّيَ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَمُعَاذٌ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَغَيْرُهُمْ مِنَ الْأَعْيَانِ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ أَخْبَارِ طَاعُونَ عَمَوَاسَ] الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَمُعَاذٌ وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَغَيْرُهُمْ مِنْ أَشْرَافِ الصَّحَابَةِ وَغَيْرِهِمْ. أَوْرَدَهُ ابْنُ جَرِيرٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْمُخَارِقِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ الْبَجَلِيِّ قَالَ: أَتَيْنَا أَبَا مُوسَى وَهُوَ فِي دَارِهِ بِالْكُوفَةِ لِنَتَحَدَّثَ عِنْدَهُ، فَلَمَّا جَلَسْنَا قَالَ: لَا تَحِفُّوا، فَقَدْ أُصِيبَ فِي الدَّارِ إِنْسَانٌ بِهَذَا السَّقَمِ، وَلَا عَلَيْكُمْ أَنْ تَنَزَّهُوا عَنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، فَتَخْرُجُوا فِي فَسِيحِ بِلَادِكُمْ وَنُزَهِهَا حَتَّى يَرْتَفِعَ هَذَا الْبَلَاءُ، فَإِنِّي سَأُخْبِرُكُمْ بِمَا يُكْرَهُ مِمَّا يُتَّقَى، مِنْ ذَلِكَ أَنْ يَظُنَّ مَنْ خَرَجَ أَنَّهُ لَوْ أَقَامَ مَاتَ، وَيَظُنُّ مَنْ أَقَامَ فَأَصَابَهُ ذَلِكَ أَنَّهُ لَوْ خَرَجَ لَمْ يُصِبْهُ، فَإِذَا لَمْ يَظُنَّ ذَلِكَ هَذَا الْمَرْءُ الْمُسْلِمُ، فَلَا عَلَيْهِ أَنْ يَخْرُجَ وَأَنْ يَتَنَزَّهَ عَنْهُ، إِنِّي كُنْتُ مَعَ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ بِالشَّامِ عَامَ طَاعُونِ عَمَوَاسَ فَلَمَّا اشْتَعَلَ الْوَجَعُ وَبَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ، كَتَبَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৮


পথে ৷ হযরত উমর (রা) পাল্টা চিঠি লিখলেন, আবু উবায়দা (রা) এর নিকট সালামুন
আলইিকা, পর সংবাদ এই, আপনি লোকজন নিয়ে একটু নীচু অঞ্চলে অবস্থান করছেন, আপনি
তাদেরকে নিয়ে এবার উচু ওণ্রাগমুক্ত অঞ্চলে চলে আসুন ৷’
আবু মুসা (বা) বলেন, খলীফার চিঠি পেয়ে তিনি আমাকে ডাকলেন এবং বললেন, এই
দেখুন খলীফার চিঠি এসেছে, তাতে কি লেখা আছে তা তো ৫দখছেনই ৷ আপনি বেরিয়ে পড়ুন,
লোকজনের জন্যে উপযুক্ত জায়গা খোজ করুন ৷ আমি ওদেরকে নিয়ে আপনার পেছনে পেছনে
আসর ৷ আবু মুসা (রা) বলেন, আমি জায়গার খোজে বের হবার জন্যে প্রথমে আমার বাড়িতে
পেলাম ৷ সেখানে দেখতে পেলাম আমার শ্রী অসুস্থ ৷ ৫প্নগে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছে ৷ আমি আবু
উবায়দা (রা)-এর নিকট গেলাম এবং বললাম, আল্লাহ্র কসম, আমার ঘরে রোগের প্রকোপ
শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ আবু উবায়দা (বা) বললেন, সম্ভবত ৫প্লগ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ? আমি
বললাম তাই ৷ তিনি একটি উট আনতে বললেন তাতে সওয়ার হবার জন্যে ৷ তিনি সওয়ার
হচ্ছিলেন ৷ পা-দানিতে পা রাখার সাথে সাথে উবায়দা (রা) প্লেগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন ৷ তিনি
বললেন, আল্লাহর কসম, আমি তো প্লেগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি ৷ এরপর তিনি সাথী
৫লাকদেরকে নিয়ে যাত্রা করলেন এবং জাবিয়া এসে শিবির স্থাপন করলেন ৷ এখানে আগমনের
পর রোগের প্রাদুর্ভাব কেটে যায় ৷ রোগের প্ৰকোপ বন্ধ হয়ে যায় ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেছেন আবান ইবন সালিহ সুত্রে শাহর ইবন হাওশাব
থেকে তিনি তার সম্প্রদায়ের রাবাহ্ নামের এক লোক থেকে ৷ ৫লাকঢি তার বাবার মৃত্যুর পর
তার মায়ের দেখাশোনা করত ৷ সে আমওয়াসের ৫প্লগ রোগের সময় সেখানে ছিল ৷ ৫স বলেছে
৫য,যখন ৫প্নপ রোগ মহামারী রুপ ধারণ করল, এই রোগের প্ৰকােপ আশংকাজনকভাবে বেড়ে
গেল তখন সেনাপতি আবু উবায়দা (রা) জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দান করলেন ৷
তিনি বললেন, ৫হ লোক সকল! এই রোগ তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের দয়া ৷ এটি
তোমাদের প্ৰতি তোমাদের নবীর দুআর ফলশ্রুতি এবং তোমাদের পুর্বে নেককার লোকদের
মৃত্যুর বাহন ৷ তিনি আল্লাহ্র দরবারে দুআ করেছিলেন যেন এই রোগ ভোগ করে তিনি তার
সুফল অত্তনি করতে পারেন ৷ তারপর তিনি ৫প্নগে আক্রান্ত হলেন এবং মৃত্যুবরণ করলেন ৷
তিনি হযরত মুআয ইবনটীবাল (রা)-৫ক তার স্থলাভিষিক্ত করে গেলে ন ৷
একদিন হযরত মুআয (রা) জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, লোক
সকল! এই রোগ তােমা৫দ্যা প্রতি তোমাদের প্ৰতিপালকের দয়া ৷ এটি তোমাদের নবী কবীম
ল্যাং ,এর দু আর ফলশ্রু তি এবং তোমাদের আগে আগে ৫নককার লোকদের মৃত্যুর বাহন ৷’
হযরত মু আয আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছিলেন যেন এই রোগের কিছু সুফ্ফা তার পরিবারের
লোকেরা অন্তনি করতে পারে ৷ একদিন তার পুত্র আবদুর রহমান ৫প্লগে আক্রান্ত হয় এবং মারা
যায় ৷ তারপর হযরত মু আর তার নিজের জন্যে দু অ৷ করলেন যেন এই রোগের সুযম্স৩ তিনিও
পান ৷ একদিন তার হাতের তালুতে ৫প্নগ দেখা দেয় ৷ আমি তাকে দেখেছি ৫য,৩ তিনি যুদ্ধ নয়নে
৫সদিকে তাকাচ্ছেন আর ন্ত ই তালুতে ,চুমু খেয়ে বলছেন, ৫ তামার বিনিময়ে দুনিয়ার কিছুই
আমার কাছে পছন্দনীয় নয় ৷ এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয় ৷


إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ لِيَسْتَخْرِجَهُ مِنْهُ. أَنْ سَلَامٌ عَلَيْكَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّهُ قَدْ عَرَضَتْ لِي إِلَيْكَ حَاجَةٌ أُرِيدُ أَنْ أَشَافِهَكَ بِهَا، فَعَزَمْتُ عَلَيْكَ إِذَا نَظَرْتَ فِي كِتَابِي هَذَا أَنْ لَا تَضَعَهُ مِنْ يَدِكَ حَتَّى تُقْبِلَ إِلَيَّ. قَالَ: فَعَرَفَ أَبُو عُبَيْدَةَ أَنَّهُ إِنَّمَا أَرَادَ أَنْ يَسْتَخْرِجَهُ مِنَ الْوَبَاءِ. فَقَالَ: يَغْفِرُ اللَّهُ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ! ثُمَّ كَتَبَ إِلَيْهِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي قَدْ عَرَفْتُ حَاجَتَكَ إِلَيَّ، وَإِنِّي فِي جُنْدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ لَا أَجِدُ بِنَفْسَيْ رَغْبَةً عَنْهُمْ، فَلَسْتُ أُرِيدُ فِرَاقَهُمْ حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ فِيَّ وَفِيهِمْ أَمْرَهُ وَقَضَاءَهُ، فَخَلِّنِي مِنْ عَزِيمَتِكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَدَعْنِي فِي جُنْدِي. فَلَمَّا قَرَأَ عُمَرُ الْكِتَابَ بَكَى، فَقَالَ النَّاسُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَمَاتَ أَبُو عُبَيْدَةَ؟ قَالَ: لَا، وَكَأَنْ قَدْ. قَالَ: ثُمَّ كَتَبَ إِلَيْهِ: سَلَامٌ عَلَيْكَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّكَ أَنْزَلْتَ النَّاسَ أَرْضًا غَمِقَةً، فَارْفَعْهُمْ إِلَى أَرْضٍ مُرْتَفِعَةٍ نَزِهَةٍ. قَالَ أَبُو مُوسَى: فَلَمَّا أَتَاهُ كِتَابُهُ دَعَانِي فَقَالَ: يَا أَبَا مُوسَى، إِنَّ كِتَابَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ جَاءَنِي بِمَا تَرَى، فَاخْرُجْ فَارْتَدْ لِلنَّاسِ مَنْزِلًا حَتَّى أَتْبَعَكَ بِهِمْ، فَرَجَعْتُ إِلَى مَنْزِلِي لِأَرْتَحِلَ، فَوَجَدْتُ صَاحِبَتِي قَدْ أُصِيبَتْ، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ فِي أَهْلِي حَدَثٌ. فَقَالَ لَعَلَّ صَاحِبَتَكَ قَدْ أُصِيبَتْ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. فَأَمَرَ بِبَعِيرِهِ فَرُحِّلَ لَهُ، فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي غَرْزِهِ طُعِنَ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ أُصِبْتُ. ثُمَّ سَارَ بِالنَّاسِ حَتَّى نَزَلَ الْجَابِيَةَ، وَرُفِعَ عَنِ النَّاسِ الْوَبَاءُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৯


হযরত মুআয (রা১,মৃভ্যুকাংল আমর ইবনুল আস (রা)-ণ্ক তার স্থলাভিষিক্ত রেখে যান ৷
তিনি একদিন জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, “হে লোক সকল! এই
রোগের যখন প্রাদুর্ভাব হয় তখন আগুনের ন্যায় লেলিহান শিখা ছড়িয়ে জ্বলতে থাকে ৷ সুতরাং
তখন তোমরা পাহাড়ে গিয়ে তা থেকে,আত্মরক্ষা কর ৷ তখন আবু ওয়াইল হুযালী প্রতিবাদ
করে বললেন, আল্লাহ্র কসম, আপনি কথাটি ঠিক বলেন নি, আপনি রাসুলুল্লাহ্লোঃএৱ
সাহচর্য পেয়েছেন বটে কিন্তু আপনি আমার এই শাখার চেয়েও নিকৃষ্ট ৷’ তখন আমর ইবনুল
আস বললেন, আপনি যা বললেন আমি তার প্রতৃত্তের দিব না আর আল্লাহর কসম, আমরা
এখানে থাকর না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি ওই স্থান ত্যাগ করেন ৷ লোকজনও সেখান
থেকে বেরিয়ে যায় ৷ তারা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে ৷ এদিকে আল্লাহ তা জানা ওই রোগ
তাদের থেকে তুলে নেন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, আমর ইবনুল আস (রা)-এর এই অভিমত ও পদক্ষেপ খলীফা উমর
(রা)-এর নিকট পৌছেছে কিন্তু তিনি এটিকে অপছন্দ করেন নি ৷

ইবন ইসহক বলেন, হযরত আবু উবাদয়া (রা) এবং হযরত ইয়াষীদ ইবন আবু সুফয়ান
(রা)-এর মৃত্যু সংবাদ শোনার পর খলীফা উমর (রা) মুআবিয়া (রা) কে দামেশকের
সেনাধ্যক্ষ ও খাজনা সংগ্রহের দায়িত্ব দিলেন আর শুরাহৰীল ইবন হড়াসানাকে জর্ডানের
সেনাধ্যক্ষ ও খাজনা সংগ্রহের দায়িত্ব দিলেন ৷

সায়ফ ইবন উমর তার শায়খদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, তারা বলেছেন অড়ামওয়াস
অঞ্চলে প্লেগ হামারী রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল দৃ ’বার ৷ তখন এত ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি
হয়েছিল যা ইতিপুর্বে কখনো দেখা যায়নি ৷ এগুলো দীর্ঘদিন স্থায়ী ছিল ৷ তাতে বহু লোকের
মৃত্যু হয় ৷ এমন পরিস্থিতি ৩সৃষ্টি হয় যে, শত্রুগণ মুসলমানদের উপর আক্রমণ চালাতে সাহসী
হয়ে উঠে ৷ এ ব্ৰ ঘুসলযান৩ ভীতসন্ত্রস্ত ও শংকিত হয়ে পড়েন ৷

আমি বলি, এজন্যে খলীফা উমর (রা) ওই রোগের বিপদ কেটে যাওয়ার পর নিজে সিরিয়া
আঃসন এবং মৃত লোকদের ত্যাজ্য সম্পত্তি নিয়মমত বণ্টন করে দেন ৷ কারণ শাসনকর্তাদের
জন্যে এটি খুব জটিল বলে বিবেচিত হয়েছিল ৷ খলীফার আগমনে জনগণের মন-মানসিকতা
চাঙ্গা ও শান্তিপুর্ণ হয়ে উঠে ৷ পক্ষান্তরে শত্রুপক্ষ ভয়ে গুঢিয়ে যায় ৷ মুসলমানদের উপর
আক্রমণের পরিকল্পনা ত্যাগ করে ৷ সকল প্রশং সা মহান আল্লাহর ৷

১৭ হিজরী সনের শেষ দিকে আমওয়াস-মহামারীর পর হযরত উমর (রা)-এর সিরিয়া
আগমনের ঘটনা উল্লেখ করার পর সায়ফ বলেছেন যে, তারপর খলীফা উমর (রা) মদীনা ফিরে
যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ একই বছর যিলহজ্জ মাসে খলীফা যখন মদীনায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা
করলেন তখন তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিলেন ৷ তিনি মহান আল্লাহর প্রশংসা ও
গুণগান করার পর বললেন, শুনে নিন, আমাকে আপনাদের দায়িত্বশীল করা হয়েছে ৷ মহান
আল্লাহ্ আমাকে আপনাদের যে কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা পালন করে গেলাম ৷ আমরা
আপনাদের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বৃদ্ধি করেছি, আপনাদের বাসস্থান ও যুদ্ধক্ষেত্র বিন্তুত করেছি ৷
আমাদের যা শিক্ষা ও জ্ঞান ছিল তা আপনাদের নিকট পৌছিয়েছে ৷ আপনাদের জন্যে
সেনাবাহিনী গঠন করে দিয়েছি ৷ আপনাদের জীবন যাত্রার সচ্ছলতার ব্যবস্থা করেছি,


رَابَةَ - رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ، وَكَانَ قَدْ خَلَفَ عَلَى أُمِّهِ بَعْدَ أَبِيهِ، وَكَانَ قَدْ شَهِدَ طَاعُونَ عَمَوَاسَ - قَالَ: لَمَّا اشْتَغَلَ الْوَجَعُ، قَامَ أَبُو عُبَيْدَةَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ رَحْمَةٌ بِكُمْ، وَدَعْوَةُ نَبِيِّكُمْ، وَمَوْتُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ، وَإِنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ يَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يَقْسِمَ لِأَبِي عُبَيْدَةَ حَظَّهُ. فَطُعِنَ فَمَاتَ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى النَّاسِ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، فَقَامَ خَطِيبًا بَعْدَهُ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ رَحْمَةٌ بِكُمْ، وَدَعْوَةُ نَبِيِّكُمْ، وَمَوْتُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ، وَإِنَّ مُعَاذًا يَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يَقْسِمَ لِآلِ مُعَاذٍ حَقَّهُمْ. فَطُعِنَ ابْنُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَمَاتَ، ثُمَّ قَامَ فَدَعَا لِنَفْسِهِ، فَطُعِنَ فِي رَاحَتِهِ، فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا ثُمَّ يَقْلِبُ ظَهْرَ كَفِّهِ ثُمَّ يَقُولُ: مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِمَا فِيكِ شَيْئًا مِنَ الدُّنْيَا. فَلَمَّا مَاتَ اسْتُخْلِفَ عَلَى النَّاسِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، فَقَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ إِذَا وَقَعَ فَإِنَّمَا يَشْتَعِلُ اشْتِعَالَ النَّارِ، فَتَحَصَّنُوا مِنْهُ فِي الْجِبَالِ. فَقَالَ أَبُو وَائِلَةَ الْهُذَلِيُّ: كَذَبْتَ، وَاللَّهِ لَقَدْ صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْتَ شَرٌّ مِنْ حِمَارِي هَذَا. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَرُدُّ عَلَيْكَ مَا تَقُولُ، وَايْمُ اللَّهِ لَا نُقِيمُ عَلَيْهِ. قَالَ: ثُمَّ خَرَجَ وَخَرَجَ النَّاسُ فَتَفَرَّقُوا وَدَفَعَهُ اللَّهُ عَنْهُمْ. قَالَ: فَبَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ مِنْ رَأَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَوَاللَّهِ مَا كَرِهَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَلَمَّا انْتَهَى إِلَى عُمَرَ مُصَابُ أَبِي عُبَيْدَةَ وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، أَمَّرَ مُعَاوِيَةَ عَلَى جُنْدِ دِمَشْقَ وَخَرَاجِهَا، وَأَمَّرَ شُرَحْبِيلَ بْنَ حَسَنَةَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৫৪০


আপনাদের বসবাসের ব্যবন্থাদ্বুৰুরেছি ৷ আপনাদের জন্যে পর্যাপ্ত যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ব্যবস্থা করেছি
অথচ আপনারা সিরিয়ার যুদ্ধ করেননি ৷ আমরা আপনাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করেছি ৷ আপনাদের
জন্যে রডীয় অনুদানের ব্যবস্থা করেছি ৷ আপনাদের কারো নিকট যদি এমন কিছু জানা থাকে
যা বাস্তবায়ন ও আমল করা দরকার তা আমাদেরকে জানাবেন ৷ আমরা তা বাস্তবায়ন করব
ইনশাআল্লাহ্, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ ৷ তখন নামড়াষের সময় হলো ৷ লোকজন
বলল, আমীরুল মু’মিনীন! যদি , হযরত বিলাল (রা)-কে নির্দেশ দিতেন আযান দেবার জন্যে,
তবে খুশি হতাম ৷ তিনি বিলাল (রা) কে নির্দেশ দিলেন ৷ হযরত বিলাল (রা) আযান
দিচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ মোঃ-এর সাহচর্য পেয়েছেন এমন সকল সাহাবী হযরত বিলালের আযান
শুনে আকুলভাবে কাদতে থাকেন ৷ চোখের পানিতে দাড়ি ভিজিয়ে দেন ৷ সবচাইতে বেশি
কেদেছেন হযরত উমর (রা) ৷ যারা রাসুলুল্লাহ্মোঃ ,,-কে দেখেননি সাহাবীদের কান্না দেখে আর
রাসুলুল্লাহ্ মোঃ এর কথা স্মরণ করে তারাও কেদে কেদে বুক৩ ভিজিয়েছে ৷

ইবন জারীর (র) সায়ফ ইবন উমর সুত্রে আবু মুজালিদ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এই
বছর অর্থাৎ ১৭ হিজবী সালে খলীফা উমর (রা) খালিদ ইবন ওয়ালীদের গোসলখানা বিষয়ক
কাজঢির প্রতিবাদ জানান ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ গোসলখানায় গিয়ে পাথরে হাত ঘসে মদ
মিশ্রিত সাবান ব্যবহার করতেন ৷ এ প্রসঙ্গে হযরত উমর (রা) চিঠিতে লিখলেন যে, আল্লাহ্
তড়াআলা মদের জাহের ও বাতেন প্রকাশ্য ও অপ্ৰকাশ্যরুপ দৃ’টোই হারাম করেছেন ৷ যেমন
হারাম করেছেন পাপের জাহের ও বাতেন প্রকাশ্য ও অপ্ৰকাশ্য রুপ ৷ তিনি মদ স্পর্শ করাও
হারাম করেছেন ৷ সুতরাং শরীরের কোন অংশে যেন মদের ছেড়ায়া না লাগে ৷ এ কাজ যদি
করেও থাকেন তবে পুনরায় তা করবেন না ৷ উত্তরে হযরত খালিদ (রা) লিখলেন, আমরা
প্রথমত পরিশোধনের মাধ্যমে মদের অস্তিত্ব বিনাশ করে দিই ৷ তারপর সেটি মদ হিসেবে নয়
বরং ঘোয়ার উপকরণ হিসেবে বেরিয়ে আসে ৷ জবাবে খলীফা উমর (রা) বললেন, আমি ধারণা
করছি যে, মুগীরার বংশধরেরা অন্যায়কর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছে, আহ্ ! মহান আল্লাহ্ যেন
ওদেরকে এই কাজের উপর মৃত্যু না দেন ৷ ফলশ্রুতিতে খালিদ তা পরিহার করেন ৷ সায়ফ
বলেন, ওই বছর অর্থাৎ ১ ৭ হিত্তরীি সনে বসরা নগরীতে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে ৷ তাতে বহু
লোকের প্রাণহানি ঘাট,ণ্ ধ্ মানুষ মারা যায় ৷ আল্লাহ্ তা আল৷ তাদের প্ৰতি দয়া করুন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, আপন পরিবারের ৭০ জন লোক নিয়ে হারিছ ইবন হিশাম বসরা থেকে
সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন ৷ পথে প্রেগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র : জন ছাড়া বাকি সকলের
মৃত্যু হয় ৷ এ প্রসঙ্গে মুহাজির ইবন খালিদ নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছেন :


যে ব্যক্তি সিরিয়ার বসবাস করবে সে ওখানে ভয়ভীতি পাবে ৷ সিরিয়া আমাদেরকে ধ্বংস

ন্া৷ ব্বলেও আসলে সেটি বড় কষ্টের স্থান ৷

সিরিয়া ধ্বংস করে দিয়েছে বনু রীত ৷ গোত্রের অশ্বাৰরাহীদেরকে ৷ ওরা ছিল নওজােয়ান ৷

তখনো পৌফ কাটেনি ৷


جُنْدِ الْأُرْدُنِّ وَخَرَاجِهَا. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ شُيُوخِهِ قَالُوا: لَمَّا كَانَ طَاعُونُ عَمَوَاسَ وَوَقَعَ مَرَّتَيْنِ لَمْ يُرَ مِثْلُهُمَا، وَطَالَ مُكْثُهُ، وَفَنِيَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، حَتَّى طَمِعَ الْعَدُوُّ، وَتَخَوَّفَتْ قُلُوبُ الْمُسْلِمِينَ لِذَلِكَ. قُلْتُ: وَلِهَذَا قَدِمَ عُمَرُ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى الشَّامِ فَقَسَّمَ مَوَارِيثَ الَّذِينَ مَاتُوا لَمَّا أَشْكَلَ أَمْرُهَا عَلَى الْأُمَرَاءِ، وَطَابَتْ قُلُوبُ النَّاسِ بِقُدُومِهِ، وَانْقَمَعَتِ الْأَعْدَاءُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ لِمَجِيئِهِ إِلَى الشَّامِ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. قَالَ: سَيْفٌ وَأَصَابَ أَهْلَ الْبَصْرَةِ تِلْكَ السَّنَةِ طَاعُونٌ أَيْضًا، فَمَاتَ بَشَرٌ كَثِيرٌ وَجَمٌّ غَفِيرٌ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ، وَرَضِيَ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. قَالُوا: وَخَرَجَ الْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَهْلِهِ إِلَى الشَّامِ فَلَمْ يَرْجِعُ مِنْهُمْ إِلَّا أَرْبَعَةٌ، فَقَالَ الْمُهَاجِرُ بْنُ خَالِدٍ فِي ذَلِكَ: مَنْ يَسْكُنِ الشَّامَ يُعَرَّسْ بِهِ ... وَالشَّامُ إِنْ لَمْ يُفْنِنَا كَارِبُ أَفْنَى بَنِي رَيْطَةَ فُرْسَانُهُمْ ... عِشْرُونَ لَمْ يُقْصَصْ لَهُمْ شَارِبُ وَمِنْ بَنِي أَعْمَامِهِمْ مِثْلَهُمْ ... لِمِثْلِ هَذَا يَعْجَبُ الْعَاجِبُ طَعْنًا وَطَاعُونًا مَنَايَاهُمُ ... ذَلِكَ مَا خَطَّ لَنَا الْكَاتِبُ وَقَالَ سَيْفٌ - بَعْدَ ذِكْرِهِ قُدُومَ عُمَرَ بَعْدَ طَاعُونِ عَمَوَاسَ فِي آخِرِ سَنَةِ سَبْعَ
পৃষ্ঠা - ৫৫৪১
عَشْرَةَ - قَالَ: فَلَمَّا أَرَادَ الْقُفُولَ إِلَى الْمَدِينَةِ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْهَا، خَطَبَ النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَلَا إِنِّي قَدْ وُلِّيتُ عَلَيْكُمْ وَقَضَيْتُ الَّذِي عَلَيَّ فِي الَّذِي وَلَّانِي اللَّهُ مِنْ أَمْرِكُمْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فَبَسَطْنَا بَيْنَكُمْ فَيْأَكُمْ وَمَنَازِلَكُمْ وَمَغَازِيكُمْ، وَأَبْلَغْنَاكُمْ مَا لَدَيْنَا، فَجَنَّدْنَا لَكُمُ الْجُنُودَ، وَهَيَّأْنَا لَكُمُ الْفُرُوجَ، وَبَوَّأْنَا لَكُمْ، وَوَسَّعْنَا عَلَيْكُمْ مَا بَلَغَ فَيْئُكُمْ وَمَا قَاتَلْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ شَامِكُمْ، وَسَمَّيْنَا لَكُمْ أَطَعِمَاتِكُمْ، وَأَمَرْنَا لَكُمْ بِأُعْطِيَّاتِكُمْ وَأَرْزَاقِكُمْ وَمَغَانِمِكُمْ، فَمَنْ عَلِمَ شَيْئًا يَنْبَغِي الْعَمَلُ بِهِ فَلْيُعْلِمْنَا نَعْمَلْ بِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ. قَالَ: وَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَقَالَ النَّاسُ: لَوْ أَمَرْتَ بِلَالًا فَأَذَّنَ! فَأَمَرَهُ فَأَذَّنَ، فَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ كَانَ أَدْرَكَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبِلَالٌ يُؤَذِّنُ إِلَّا بَكَى حَتَّى بَلَّ لِحْيَتَهُ، وَعُمَرُ أَشَدُّهُمْ بُكَاءً، وَبَكَى مَنْ لَمْ يُدْرِكْهُ لِبُكَائِهِمْ وَلِذِكْرِهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، مِنْ طَرِيقِ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِي الْمُجَالِدِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بَعَثَ يُنْكِرُ عَلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فِي دُخُولِهِ إِلَى الْحَمَّامِ، وَتَدُلِّكِهِ بَعْدَ النُّورَةِ بِعُصْفُرٍ مَعْجُونٍ بِخَمْرٍ، فَقَالَ فِي كِتَابِهِ: «إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ ظَاهِرَ الْخَمْرِ وَبَاطِنَهُ، كَمَا حَرَّمَ ظَاهِرَ الْإِثْمِ وَبَاطِنَهُ، وَقَدْ حَرَّمَ مَسَّ الْخَمْرِ فَلَا تُمِسُّوهَا أَجْسَادَكُمْ فَإِنَّهَا نَجَسٌ، فَإِنْ فَعَلْتُمْ فَلَا تَعُودُوا» . فَكَتَبَ إِلَيْهِ خَالِدٌ: إِنَّا قَتَلْنَاهَا فَعَادَتْ غَسُولًا غَيْرَ خَمْرٍ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ: إِنِّي أَظُنُّ أَنَّ آلَ الْمُغِيرَةِ قَدِ ابْتُلُوا بِالْجَفَاءِ، فَلَا أَمَاتَكُمُ اللَّهُ عَلَيْهِ. فَانْتَهَى لِذَلِكَ.