আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع عشرة

فتح الجزيرة

পৃষ্ঠা - ৫৫৩৩


ফেলল ৷ ওদিকে সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত মুসলিম সৈনিকগণ নিজ নিজ শহরের
আইন-শৃৎখলা ও প্রশাসন স্বাভাবিক রাখতে ব্যস্ত থাকায় আবু উবায়দা (রা)-কে সাহায্য করতে
পারছিলেন না ৷ তারা যদি ওই সময়ে নিজ নিজ শহর ছেড়ে চলে আসতেন তাহলে সমগ্র
সিরিয়ার প্রশাসনে বিশৃত্খলা ও বিপর্যয় সৃষ্টি হতো ৷

খলীফা উমর (রা) সেনাপতি সা দ (রা) কে লিখলেন কাকা ইবন আমরের নেতৃত্ছু
একটি বাহিনী গঠন করতে এবং এই চিঠি প্া৷ওয়া মাত্রই তাদেরকে হিমৃসে’ প্রেরণ করতে

তারা সেখানে অবিলম্বে আবু উবায়দা (রা) কে সাহায্য করতে শুরু করবে ৷ খলীফা আরো

লিখলেন যে, জাষীরার অধিবাসিগণ আবু উবায়দা (রা) এর বিরুদ্ধে রোমানদেরকে সাহায্য
করেছে ৷ সুতরাং ওদেরকে সমুচিত শিক্ষা দেয়ার জন্যে আরো একটি বাহিনী প্রেরণ করতে
হবে ৷ সেই বাহিনীর প্রধান হবেন ইয়ায ইবন গনোম ৷ উভয় দল কুফ৷ থেকে যাত্রা করল ৷ চার
হাজার সৈন্যের বাহিনী নিয়ে কাকা যাত্রা করলেন আবু উবায়দা (রা) কে সাহায্য করার
জন্যে ৷ মদীনা শরীফ থেকে খলীফা উমর (রা) নিজে ক ন্ক সৈন্য নিয়ে যাত্রা করলেন আবু
উবায়দ৷ (রা)-এর সাহায্যার্থে ৷ তিনি জ্যাবয়া এসে পৌছলেন ৷ মতাতরে সারাত এলে
পৌছলেন ৷ দ্বিতীয় অভিমত ঐতিহাসিক ইবন ইসহাকের ৷ এ অভিমত অধিকতর গ্রহণযেগো ৷
আল্পাহ্ ভাল জানেন ৷

ইতিমধ্যে জাযীরার অধিবাসিগণ জোন যায় যে রোমানদেরকে সহযোগিতা করার অপরাধে
তাদের উপর আক্রমণ করার জন্যে মুসলিম সেনাবাহিনী এগিয়ে আসছে ৷ তখন তারা অবরোধ
ছেড়ে নিজ নিজ শহরে চলে যায় ৷ রোমানদেরকে রেখেই তারা ওই স্থান ত্যাগ করে ৷ ওদািক
রোমানগণ জেনে যায় যে, নিজ প্রতিনিধিকে সাহায্য করার জন্যে স্বয়ং খলীফা সেনাদল নািয়
যাত্রা করেছেন ৷ তখন তাদের মন-মানসিকতড়া দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ তারা ভয় পেয়ে যায় ৷ হযরত
খালিদ (রা) আবু উবায়দা (রা) কে পরামর্শ দিলেন অবিলম্বে রোমানদের উপর আক্রমণ করার
জন্যে ৷ আবু উবায়দা (রা)ত তাই করলেন ৷ আল্লাহ তা জানা তাদেরকে সাহায্য করলেন এবং
বিজয় দান করলেন ৷ রোমানগণ গোচনীয়ভ্যবে পরাজিত হয় ৷ হযরত মর (রা) ওখানে
পৌছার এবং প্রেরিত সাহাষ্যসহ সেখানে মিলিত হবার তিনদিন পুর্বে বিজয় অর্জিত হয়ে যায় ৷
হযরত উমর (রা) জাবিয়াতে অবস্থান করছিলেন ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (বা) খলীফাকে
লিখলেন যে, প্রেরিত সেনা সাহায্য এখানে পৌছার তিনদিন পুর্বেই বিজয় অর্জিত হয়ে যায় ৷
এখন সাহায্য-দলকে গনীমতের ভাগ দেয়৷ হবে কিনা ৷ খলীফার পক্ষ থেকে উত্তর এল যে হা
ওদেরকে গনীমাত ন্র অংশীদার করতে হবে ৷ কারণ এই সাহায্য-দল যাত্রা করেছে শুনেই শত্রু
পক্ষ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভীত তসস্ত্রস্ত হয়ে অবরোধ স্থান ত্যাগ করে ৷ ফলে আবু উবায়দা (রা)
সাহায্য-দলকেও বিধিমত গনীমতের মাল প্রদান করেন ৷ হযরত ৩উমর (বা) বললেন, মহান
আল্লাহ কুফাবাসীদেরকে দয়া করুন, তারা তাদের ভুখণ্ড রক্ষা করে এবং অন্যান্য নগরবড়াসীকে
সহযোগিতা করে ৷

জাষীরা বিজয়
ইবন জারীর বলেন, সায়ফ ইবন উমরের বর্ণনা অনুযায়ী এই হিজরী সনে জাষীরা জয় হয় ৷
তবে ইবন জারীর (র) বলেন, এই বিজয় অর্জিত হয় এই বছর যিলহজ্জ মাসে ৷ এদিক থেকে


جَزَى اللَّهُ أَهْلَ الْكُوفَةِ خَيْرًا، يَحْمُونَ حَوْزَتَهُمْ وَيَمُدُّونَ أَهْلَ الْأَمْصَارِ. [فَتْحُ الْجَزِيرَةِ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ فُتِحَتِ الْجَزِيرَةُ، فِيمَا قَالَهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ. فَوَافَقَ سَيْفَ بْنَ عُمَرَ فِي كَوْنِهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ كَانَ ذَلِكَ فِي سَنَةِ تِسْعَ عَشْرَةَ. سَارَ إِلَيْهَا عِيَاضُ بْنُ غَنْمٍ، وَفِي صُحْبَتِهِ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ، وَعُمَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَهُوَ غُلَامٌ صَغِيرُ السِّنِّ لَيْسَ إِلَيْهِ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، فَنَزَلَ الرُّهَا فَصَالَحَهُ أَهْلُهَا عَلَى الْجِزْيَةِ، وَصَالَحَتْ حَرَّانُ عَلَى ذَلِكَ. ثُمَّ بَعَثَ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ إِلَى نَصِيبِينَ وَعُمَرَ بْنَ سَعْدٍ إِلَى رَأْسِ الْعَيْنِ وَسَارَ بِنَفْسِهِ إِلَى دَارَا، فَافْتُتِحَتْ هَذِهِ الْبُلْدَانُ، وَبَعَثَ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ إِلَى إِرْمِينِيَةَ، فَكَانَ عِنْدَهَا شَيْءٌ مِنْ قِتَالٍ، قُتِلَ فِيهِ صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ السُّلَمِيُّ شَهِيدًا. ثُمَّ صَالَحَهُمْ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ عَلَى الْجِزْيَةِ، عَلَى كُلِّ أَهْلِ بَيْتٍ دِينَارٌ. وَقَالَ سَيْفٌ فِي رِوَايَتِهِ: جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِتْبَانَ، فَسَلَكَ عَلَى دَجْلَةَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى الْمَوْصِلِ فَعَبَرَ إِلَى بَلَدٍ حَتَّى انْتَهَى إِلَى نَصِيبِينَ، فَلَقُوهُ
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৪


তিনি সায়ফ ইবন উমরের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, এই বছর জাযীরা বিজিত হয়েছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, এই বিজয় এসেছে ১৯ হিজরী সালে ৷ জাযীরা জয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা
করেন ইয়ায ইবন গানাম ৷ তার সহযোগিতায় ছিলেন হযরত আবু মুসা আশআরী (বা) এবং
উমর ১ ইবন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস ৷ ইনি ছিলেন অল্পবয়সী বালক ৷ যুদ্ধের কোন বড় দায়িত্ব
তার হাতে ছিল না ৷ তাদের সাথে ছিলেন উসমান ইবন আবুল আস ৷ তারা রাহা’ নামক স্থানে
গিয়ে শিবির স্থাপন করেন ৷ সেখানকার লোক জিয্য়া কর প্রদানের শরুত সন্ধি চুক্তি সম্পাদন
করে ৷ হাররান’ শহরের লোকেরাও একই শর্তে সন্ধি করে ৷ এরপর আবু মুসা আশ আরী
(রা)-কে প্রেরণ করা হয় নসীবীনের উদ্দেশ্যে ৷ উমর ইবন সাদকে প্রেরণ করা হয় রাসুল
আয়ন’-এর উদ্দেশ্যে ৷ আর ইয়ায ইবন গনোম নিজে যাত্রা করেন দারা’ অঞ্চলের উদ্দেশ্যে ৷
এসব শহর তারা জয় করে নেন ৷ উসমান ইবন আরিল আসকে পাঠানো হয় আরমিনিয়ার
উদ্দেশ্যে ৷ সেখানে সামান্য যুদ্ধ হয় ৷ ওই যুদ্ধে সাফওয়ান ইবন মুআত্তাল সুলামী শহীদ হন ৷
এরপর জিয্য়া কর প্রদানের শতে তারা উসমান ইবন আরিল আসের সাথে সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষর
করে ৷ সমঝোতা হয় যে, প্রতি পরিবার এক দীনার বা স্বর্ণমুদ্র৷ করে জিযয়া কর পরিশোধ
ক্যাবে ৷
সায়ফ বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ ইবন পাসৃসান যাত্রা করে ঘুসেল পৌছেন ৷
তারপর যেতে যেতে নসীবীন পর্যন্ত অগ্রসর হন ৷ সেখানকার অধিবাসিগণ সন্ধি স্থাপনের প্রস্তাব
দেয় ৷ অতঃপর রিকা অধিবাসিগণ যে শত সন্ধি স্থাপন করেছে তারাও সেই শরু৩ সন্ধি চুক্তি
সম্পাদন করে ৷ তিনি জাযীরার নেতৃস্থানীয় আরব থ্রিস্টানদেরকে মদীনায় খলীফ৷ উমর (রা) এর
নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ খলীফা উমর (রা) ওদেরকে বললেন, তোমরা জিয্য়া কর প্রদান কর ৷
ওরা বলল, না, আপনি বরং আমাদেরকে আমাদের নিরাপদ স্থানে পৌছিয়ে দিন ৷ আপনি যদি
আমাদের উপর জিয্য়া কর ধার্য করেন তাহলে আমরা রোম দেশে চলে যাব, ওদের সাথে
মিলিত হব ৷ আরব হিসেবে আমাদেরকে অপমান করা হচ্ছে ৷ হযরত উমর (রা) বললেন,
ইসলাম গ্রহণ না করেও তামর৷ নিজেরা নিজেদেরকে অপমানিত করেছ, তোমাদের মুলনীতির
উন্টে৷ কাজ করেছ ৷ এখন (ত ৷মরা অবশ্যই নত ৩হয়ে জিয্য়া কর প্রদান করবে ৷ আর যদি
তোমরা রোম দেশে পালিয়ে যাও তাহলে তােমাদেরকে ধরে আমার জন্যে আমি সেনা অভিযান
প্রেরণ করব ৷ তারপর তোমাদের বন্দী করে নিয়ে আসব ৷ তারা বলল, তবে আপনি আমাদের
থেকে কিছু অর্থ সম্পদ গ্রহণ করবেন বিন্দু তা জিযয়া কর’ নামে নয় ৷ খলীফা বললেন
“আমরা জিঘৃয়া কব শ্ নামেই তা গ্রহণ-করব তােমরাদেয়ারসময় যে নামেই দাও না কেন ? শ্
তখন হযরত আলী ইবন আবী তালিব (রা) বললেন, “হযরত সা দ (বা) কি তাদের উপর
দ্বিগুণ সাদকা ধার্য করেন নি ? খলীফা বললেন, হ্যা, তাইতো, তারপর হযরত আলী (রা)-এৱ
বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনলেন এবং আরব খ্রিস্টানদের প্রস্তাব মেনে নিলেন ৷
ইবন জারীর (র) বলেন, এই বছর অর্থাৎ ১৭ হিজরী সালে হযরত উমর (রা) সিরিয়া
আগমন করেছিলেন ৷ তিনি সারা এসে পৌছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক তাই বলেছেন ৷ সায়ফ
ইবন উমর বলেছেন যে, খলীফা জাবিয়৷ এসে পৌছেন ৷ আমি বলি, প্রসিদ্ধ অভিমত হচ্ছে৩ তিনি



১ ওয়াকিদীর মতে তার নাম ছিল উমায়ৱ ইবন সাদ ইবন উবায়দ ৷


بِالصُّلْحِ وَصَنَعُوا كَمَا صَنَعَ أَهْلُ الرَّقَّةِ. وَبَعَثَ إِلَى عُمَرَ بِرُءُوسِ النَّصَارَى مِنْ عَرَبِ أَهْلِ الْجَزِيرَةِ فَقَالَ لَهُمْ عُمَرُ: أَدُّوا الْجِزْيَةَ. فَقَالُوا: أَبْلِغْنَا مَأْمَنَنَا، فَوَاللَّهِ لَئِنْ وَضَعْتَ عَلَيْنَا الْجِزْيَةَ لَنَدْخُلَنَّ أَرْضَ الرُّومِ، وَاللَّهِ لَتَفْضَحُنَا مِنْ بَيْنِ الْعَرَبِ. فَقَالَ لَهُمْ: أَنْتُمْ فَضَحْتُمْ أَنْفُسَكُمْ، وَخَالَفْتُمْ أُمَّتَكُمْ، وَوَاللَّهِ لَتُؤَدُّنَّ الْجِزْيَةَ وَأَنْتُمْ صَغَرَةٌ قَمَأَةٌ، وَلَئِنْ هَرَبْتُمْ إِلَى الرُّومِ لَأَكْتُبَنَّ فِيكُمْ، ثُمَّ لَأَسْبِيَنَّكُمْ. قَالُوا: فَخُذْ مِنَّا شَيْئًا وَلَا تُسَمِّيهِ جِزْيَةً. فَقَالَ: أَمَّا نَحْنُ فَنُسَمِّيهِ جِزْيَةً، وَأَمَّا أَنْتُمْ فَسَمُّوْهُ مَا شِئْتُمْ. فَقَالَ لَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَلَمْ يُضْعِفُ عَلَيْهِمْ سَعْدٌ الصَّدَقَةَ؟ قَالَ: بَلَى. وَأَصْغَى إِلَيْهِ وَرَضِيَ بِهِ مِنْهُمْ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ قَدِمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِلَى الشَّامِ فَوَصَلَ إِلَى سَرْغَ، فِي قَوْلِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. وَقَالَ سَيْفٌ: وَصَلَ إِلَى الْجَابِيَةِ. قُلْتُ: وَالْأَشْهَرُ أَنَّهُ وَصَلَ سَرْغَ. وَقَدْ تَلَقَّاهُ أُمَرَاءُ الْأَجْنَادِ: أَبُو عُبَيْدَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، إِلَى سَرْغَ، فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ، فَاسْتَشَارَ عُمَرُ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارَ فَاخْتَلَفُوا عَلَيْهِ، فَمِنْ قَائِلٍ يَقُولُ: أَنْتَ قَدْ جِئْتَ لِأَمْرٍ فَلَا تَرْجِعْ عَنْهُ. وَمِنْ قَائِلٍ يَقُولُ: لَا نَرَى أَنْ تَقْدَمَ بِوُجُوهِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى هَذَا الْوَبَاءِ. فَيُقَالُ: إِنَّ عُمَرَ أَمَرَ النَّاسِ بِالرُّجُوعِ مِنَ الْغَدِ. فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: أَفِرَارًا مَنْ قَدَرِ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ، نَفِرُّ مَنْ قَدَرِ اللَّهِ إِلَى قَدَرِ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৫


সারা এসে পৌছেন ৷ মুসলিম সেনাধ্যক্ষগণ সেখানে খলীফার সাথে সক্ষোত করেন ৷ তাদের
মধ্যে ছিলেন আবু উবায়দা (রা), ইয়াযীদ ইবন আবী সুফয়ান (রা), খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)
প্রমুখ ৷ র্তারা খলীফাকে জানান যে, এখন সিরিয়ার মহামারী রোগের প্ৰাদুর্ডাব ঘটেছে ৷ খলীফা
উমর (বা) এ বিষয়ে মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণের সাথে পরামর্শ করলেন ৷ তারা ভিন্ন ভিন্ন
মত প্রকাশ করলেন ৷ কেউ বললেন, আপনি একটি বিশেষ লক্ষ্য নিয়ে এদিকে এসেছেন, এখন
ফিরে যাওয়া উচিত হবে না ৷ অন্য কেউ বললেন যে, সাহাৰী (রা)গণকে সাথে নিয়ে মহামারী
রোগের মুখোমুখি হওয়া আমরা ভাল মনে করি না ৷ বর্ণিত আছে যে, হযরত উমর (রা) এ
যাত্রার মদীনায় ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং পরের দিনই মদীনায় ফেরত যাত্রার নির্দেশ
দিলেন ৷ তখন আবু উবায়দা (রা) বললেন, আল্পাহ্র তাকদীর ও নির্ধারিত বিষয়” থেকে
পালিয়ে যাচ্ছেন ঙ্ক’ খলীফা উত্তরে বললেন, এক তাকদীর থেকে অন্য তাকদীরে ফিরে যাচ্ছি’ ৷
তিনি আরো বললেন, আচ্ছা দেখুন তাে, আপনি যদি এমন দুটো ভুমির ড়ানকট অবতরণ করেন,
যার একটি উর্বর অন্যটি অনুর্বর ৷ সেখানে আপনি যদি উর্বরটিতে পও চরান তাও আল্লাহর
তাকদীর অনুযায়ী আর যদি অনুর্বরটিতে পশু চরান তাও আল্লাহ্র তাকদীর অনুযায়ী, তাই নয়
কি ৷’ তারপর খলীফা বললেন, “হে আবু উবায়দা (বা) এ মন্তব্যটি আপনি না করে অন্য কেউ
করলে হয়ত মানাত ৷ ’

ইবন ইসহাক তার বর্ণনায় বলেছেন, অবশ্য এটি সহীহ বুখারীতেও আছে যে, আবদুর
রহমান ইবন আওফ (বা) কোন কারণে সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি যখন এলেন তখন
বললেন, “এ বিষয়ে আমার নিকট কিছু থ্যত আছে ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্র্চু;, পােণ্ন্ কে বলতে শুনেছি
যে,৩ তিনি বলেছিলেন-
১াষ্ ৷ট্র ৷


(যখন তোমরা শুনতে পারে যে, কোন দেশে মহামারী রােগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে তখন
তোমরা ওই দেশে যেও না ৷ আর যখন দেখবে যে, তুমি যেখানে অবস্থান করহু সেখানে
মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে তাহলে সেখান থেকে পালিয়ে যেও না ৷) এ হাদীস শুনে খলীফা
উমর (রা) মহান আল্লাহর প্রশংসা করলেন ৷ কারণ হাদীসটি তার অভিমতের অনুকুল হয়েছে ৷
এরপর তিনি সাথী-সঙ্গীদেরকে নিয়ে মদীনা যাত্রা করলেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন ওয়াকী সাদ ইবন মালিক ইবন আবী ওয়াক্কাস, খুযায়মা
ইবন ছাবিত, ও উসামা ইবন যায়দ সকলে বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ ট্টর্চুশ্ষ্ষ্ষ্হুণ্; বলেছেন-

— ষ্ fl ষ্


ষ্


এই প্লেগ ব্লোগ হলো শাস্তির অবগ্রিষ্টিাং শ ৷ তোমাদের পুর্ববর্তী এক সম্প্রদায়েকে দেয়া
শাস্তির অবগ্রিষ্টিাত্শ শহ্লাে তোমাদের উপর আগত এই প্লেগ রোগ ৷ যখন এমন কোন স্থানে এই

রোগের প্রাদৃর্ভাব ঘটে যেখানে তোমরা আবন্থান করছ, তাহলে ওই ব্লোগ থেকে বাচার জন্যে


أَرَأَيْتَ لَوْ هَبَطْتَ وَادِيًا ذَا عُدْوَتَيْنِ ; إِحْدَاهُمَا مُخْصِبَةٌ وَالْأُخْرَى مُجْدِبَةٌ، فَإِنْ رَعَيْتَ الْخِصْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ، وَإِنْ أَنْتَ رَعَيْتَ الْجَدْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ. ثُمَّ قَالَ: لَوْ غَيْرُكَ يَقُولُهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي رِوَايَتِهِ - وَهُوَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ ": وَكَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ مُتَغَيِّبًا فِي بَعْضِ شَأْنِهِ، فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ: إِنَّ عِنْدِي مِنْ ذَلِكَ عِلْمًا، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ، فَلَا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ، وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ فِيهَا لَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ» فَحَمِدَ اللَّهَ عُمَرُ - يَعْنِي لِكَوْنِهِ وَافَقَ رَأْيَهُ - وَرَجَعَ بِالنَّاسِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَخُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالُوا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ هَذَا الطَّاعُونَ رِجْزٌ وَبَقِيَّةُ عَذَابٍ عُذِّبَ بِهِ قَوْمٌ قَبْلَكُمْ، فَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ أَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا مِنْهَا فِرَارًا مِنْهُ، وَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَدْخُلُوا عَلَيْهِ» وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا، مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَيَحْيَى بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৫৩৬


ওই স্থান ত্যাগ করো না ৷ আর যখন শুনবে যে, অন্য কোন জনপদে এই রোগের প্রাদুর্ভাব
ঘটেছে তখন ওই জ্যাপদে ৫৩ ৷মর৷ যেও না” ৷ ইমাম আহমদ (র) এটি সাঈদ ইবন মুসায়া৷ব
(বা) এবং ইয়াহয়া ইবন সাঈদ সুত্রে সা দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (বা) থেকেও বর্ণনা করেছেন ৷

সায়ফ ইবন উমর বলেছেন, সিরিয়াতে মহামারী রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল এই সনে অর্থাৎ
১ ৭ হিজরী সনের মুহাররম মাসে ৷ তারপর এটি সরে গিয়েছিল ৷ সড়ায়ফ মনে করতেন যে, এই
মহামারী হলো প্রসিদ্ধ “তাউন-ই আমওয়াস” বা আমওয়াসের প্লেগ মহামারী” ৷ যে রোগে
বহু সেনাপতি ও নেতৃস্থানীয় মুসলমানের মৃত্যু হয়েছিল ৷ অবশ্য সায়ফ যা মনে করতেন আসল
ঘটনা তা নয় ৷ কারণ আমওয়াসে প্লেগ রোগের প্রদুর্ভাব ঘটেছিল এর পরের বছর ৷ আমরা
শিগগিরই তা আলোচনা করব ৷

সড়ায়ফ ইবন উমর আরো উল্লেখ করেছেন যে, আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর (রা)
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তিনি সশরীরে শহরগুলাে ঘুরে দেখবেন, শাসনকর্তাদের সাথে সাক্ষাত
করবেন, তাদের কাজকর্মের ভালমন্দ স্বচক্ষে দেখবেন ৷ তার যাত্রার প্রাক্কালে সাহাবিগণ জ্যি
ভিন্ন মত প্রকাশ করলেন ৷ কেউ বললেন, আগে ইরাক চলুন আর কেউ বললেন, আগে সিরিয়া
চলুন ৷ হযরত উমর (রা) প্রথমে সিরিয়া যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ কারণ ওখানে “তাউন ই-
আমওয়াস” বা আমওয়াসের প্লেগ মহামারীতে বাবা মারা গেলেন তাদের ত্যাজ্য সম্পত্তি বণ্টনে
জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল ৷ এটি নিরসনের জন্যে তিনি প্রথমে সিরিয়া যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন ৷
এতে বোঝা যায় যে, হযরত উমর (রা) সিরিয়া এসেছিলেন “তাউন-ই-আমওয়াসের” পর ৷
অথচ “তাউন-ই-আমওয়াসের” প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল ১৮ হিজরী সালে ৷ সুতরাং এটা বলা হবে
যে, তার এই যাত্রায় সিরিয়ার আগমন ১৮ হিজরীর পর অন্য একবার আগমন ৷ সারা’ পর্যন্ত
এসে ফিরে যাওয়ার আগমন নয় ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷

আবু উছমান, আবু হারিছাহ্, ও রাবী ইবন নুমান থেকে সায়ফ্ বর্ণনা করেন যে, তারা
বলেছেন, খলীফা উমর (রা) বলেছিলেন, সিরিয়াতে মারা যাওয়া মানুষগুলাের ত্যজ্যে সম্পত্তি
বিনষ্ট হচ্ছে, তইি আমি প্রথমে সিরিয়া যাব, সেখানে ত্যাজ্য সম্পত্তিগুলাে বণ্টন করব এবং
আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব ৷ তারপর আমি বিভিন্ন শহরে যাব ৷ শহরবাসী ও
শাসনকর্তাদের নিকট আমার পরিকল্পনা পেশ করব ৷

বর্ণনাকারিগণ বলেন, হযরত উমর (রা) সিরিয়া এসেছিলেন চার বার ৷ ১৬ হিজরী সালে
দৃ’বার, ১ ৭ হিজরী সালে দৃ’বার ৷ ১ ৭ হিজরী সালের ১ম বার তিনি সিরিয়ার প্রবেশ করেন নি ৷
এতে সায়ফের দেয়া তথ্যের সমর্থন পাওয়া যায় যে, আমওয়াসের প্লেগ মহামারী” প্রাদুর্ভাব
ঘটেছিল ১ ৭ হিজরী সালে ৷ কিভু মুহাম্মদ ইবন ইসহাক, আবুমাশার ও অন্যরা তার বিরোধিতা
করে বলেছেন যে, আমওয়াসের £প্লগ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে ১৮ হিজরী সালে ৷ এই
মহ্ামারী বোগে হযরত আবু উবায়দ৷ (রা), মু আয (বা), ইয়াযীদ ইবন আবী সুফয়ান ও
অন্যান্য নেতৃস্থানীয় আরব বাক্তিগণ মারা যান ৷ এর বিস্তাবিত বিবরণ অবিলম্বে আসবে
ইনুশাঅাল্পাহ্ ৷

আল-ৰিদায়া — ১৯


قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ: كَانَ الْوَبَاءُ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ وَصَفَرٍ ثُمَّ ارْتَفَعَ. وَكَأَنَّ سَيْفًا يَعْتَقِدُ أَنَّ هَذَا الْوَبَاءَ هُوَ طَاعُونُ عَمَوَاسَ الَّذِي هَلَكَ فِيهِ خَلْقٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ وَوُجُوهِ الْمُسْلِمِينَ. وَلَيْسَ الْأَمْرُ كَمَا زَعَمَ، بَلْ طَاعُونُ عَمَوَاسَ مِنَ السَّنَةِ الْمُسْتَقْبَلَةِ بَعْدَ هَذِهِ، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ أَنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ كَانَ قَدْ عَزَمَ عَلَى أَنْ يَطُوفَ الْبُلْدَانَ، وَيَزُورَ الْأُمَرَاءَ، وَيَنْظُرَ فِيمَا اعْتَمَدُوهُ وَمَا آثَرُوا مِنَ الْخَيْرِ، فَاخْتَلَفَ عَلَيْهِ الصَّحَابَةُ ; فَمِنْ قَائِلٍ يَقُولُ: ابْدَأْ بِالْعِرَاقِ. وَمِنْ قَائِلٍ يَقُولُ: بِالشَّامِ. فَعَزَمَ عُمَرُ عَلَى قُدُومِ الشَّامِ لِأَجْلِ قَسْمِ مَوَارِيثِ مَنْ مَاتَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي طَاعُونِ عَمَوَاسَ فَإِنَّهُ أَشْكَلَ قَسْمُهَا عَلَى الْمُسْلِمِينَ بِالشَّامِ، فَعَزَمَ عَلَى ذَلِكَ. وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّ عُمَرَ عَزَمَ عَلَى قُدُومِ الشَّامِ بَعْدَ طَاعُونِ عَمَوَاسَ وَقَدْ كَانَ الطَّاعُونُ فِي سَنَةِ ثَمَانِي عَشْرَةَ كَمَا سَيَأْتِي، فَهُوَ قُدُومٌ آخَرُ غَيْرُ قُدُومِ سَرْغَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ سَيْفٌ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ وَأَبِي حَارِثَةَ، وَالرَّبِيعِ بْنِ النُّعْمَانِ، قَالُوا: قَالَ عُمَرُ: ضَاعَتْ مَوَارِيثُ النَّاسِ بِالشَّامِ، أَبْدَأُ بِهَا فَأُقَسِّمُ الْمَوَارِيثَ، وَأُقِيمُ لَهُمْ مَا فِي نَفْسِي، ثُمَّ أَرْجِعُ فَأَتَقَلَّبُ فِي الْبِلَادِ وَأَنْبِذُ إِلَيْهِمْ أَمْرِي. قَالُوا: فَأَتَى عُمَرُ الشَّامَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ ; مَرَّتَيْنِ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ، وَمَرَّتَيْنِ فِي سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ، وَلَمْ يَدْخُلْهَا فِي الْأُولَى مِنَ الْأُخْرَيَيْنِ. وَهَذَا يَقْتَضِي مَا ذَكَرْنَاهُ عَنْ سَيْفٍ، أَنَّهُ يَقُولُ بِكَوْنِ طَاعُونِ عَمَوَاسَ فِي سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ. وَقَدْ خَالَفَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَأَبُو