আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع عشرة

قصة أبي عبيدة وحصر الروم له بحمص وقدوم عمر إلى الشام أيضا لينصره

পৃষ্ঠা - ৫৫৩১


আবুহিয়াজকে১ নির্দেশ দিলেন ণ্লাকজানর ঘর-বাড়ি বানানোর ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্যে ৷
তবে ঘর-বাড়ি এভাবে বানাতে হবে যেন প্রধান সড়কের জন্যে ৪০ হাত জায়গা ছেড়ে দেয়া
হয় ৷ আর উপপ্রধান সড়কগুলোর জন্যে যথাক্রাম ৩০ ও ২০ হাত করে জায়গা রাখা হয় ৷
গলিপখের জন্যে ছাড়তে হবে ৭ হাত করে৷ বাজারের পাশে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়
হযরত সা দের বাসস্থান হিসেবে ৷ বিক্ষ্ম বাজারে আসা লোকজনের ভৈহ চৈ ও গুঞ্জনের কারণে
তিনি স্পষ্টভাবে কথা বলতে ও শুনতে পারতেন ন ৷ এজন্যে তিনি নিজের দরজা বন্ধ করে
রাখতেন এবং বলতেন, আহ্! শব্দ থেমে যাও, থেমে যাও ৷
সেনাপতি সা দ (রা) এর দরজা বন্ধ করে রাখার বিষয়টি খলীফা উমর (রা) অবগত হন ৷

তিনি মুহাম্মদ ইবন মাসলামাকে এ নির্দেশ দিয়ে পাঠান যে, কুফা গিয়ে আগুন জ্বালানাের ব্যবস্থা
করবে ৷ কাঠ সংগ্রহ করবে এবৎঅ আগুন প্রজ্বলিত করে না দের প্রাসাদের দরজা পুড়িয়ে ফেলবে ৷

তারপর সোজা মদীনায় ফিরে আসবে ৷ মুহাম্মদ ইবন মাসলামা কুফায় এলেন এবং খলীফার
নির্দেশ অনুযায়ী যা যা করার তা করলেন ৷ হযরত সা দ (রা) ণ্ক নির্দেশ দিয়ে গেলেন যেন
মানুষকে তার নিকট প্রবেশে বাধা না দেন ৷ দরজা বন্ধ না করেন এবং দরজায় কোন প্রহরী না
রাখেন, যে জনসাধারণকে তার নিকট যেতে বাধা দিয়ে ৷ হযরত সাদ (রা) সব কিছু মেনে
নিলেন ৷ মুহাম্মদ ইবন মাসলামাকে কিছু উপহার দিতে চাইলেন ৷ তিনি তা গ্রহণ করলেন না ৷
মদীনায় ফিরে এলেন ৷ এরপর হযরত সাদ (রা) শাসনকর্তা হিসেবে ৩হু বছর কুফায় ছিলেন ৷

তারপর কোন প্রকারের অক্ষমত৷ কিৎব৷ দােষের কারণ ব্যভীইে খলীফা উমর (রা)ত ওাকে ওই
পদ থেকে অপসারণ করেন ৷

আবুউবায়দ৷ (রা) : ব্লোমানগণ কর্তৃক হিম্সে তার অবরুদ্ধ
থাকা এবং খলীফ৷ উমর (রা) এর সিরিয়া আগমন

সেনাপতি আবু উবায়দ৷ (বা) হিমৃসে তার সেনাদলসহ অবস্থান করছিলেন ৷ ইতিমধ্যে
রােমানগণ সিদ্ধান্ত নিল ড়াদেরকেত অবরুদ্ধ করে রাখার ৷ জাযীরার অধিৰাসিগণ এবং
আশেপাশে লোকদেরকে তারা এ ব্যাপারে প্ররোঢিত ও উত্তেজিত করে তুলেছিল ৷ তারা আবু
উবায়দ৷ (রা)-এর উদ্দেশ্য এগুচ্ছিল ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (রা) হযরত খালিদ ইবন
ওয়ালীদের সাহায্য কামনা করলেন, ৷ তিনি সাহায্য করার জন্যে কিন্নাসিরীন থেকে এসে
পৌছলেন ৷ খলীফ৷ উমর (রা) কেও বিষয়টি জানানো হলো ৷ হযরত আবু উবায়দা (বা) তার
সাথী মুসলমানদের সাথে পরামর্শ করলেন, সরাসরি রোমানদের প্রতিরোধ করবেন, না শহরে
অবস্থান করে আত্মরক্ষামুলক ব্যবস্থা নিবেন, যতক্ষণ না কেন্দ্র থেকে খলীফার নির্দেশ থাকে ৷
হযরত খালিদ (বা) ব্যতীত প্রায় সকলেই আত্মরক্ষামুলক ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে মত প্রকাশ
করলেন ৷ তিনি অভিমত ব্যক্ত করলেন সম্মুখ যুদ্ধের পক্ষে ৷ হযরত আবু উবায়দা (রা) খালিদ
(রা)-এর পরামর্শ গ্রহণ না করে অন্যদের প্রস্তাব গ্রহণ করলেন এবং হিমস নগরীর অভ্যন্তরে
অবস্থান নিয়ে আত্মরক্ষামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন ৷ ণ্রামানগণ চারদিক থেকে তাদেরকে ঘিরে



১ তার নাম ছিল অন্মর ইবন মালিক ইবন জানাহা ৷


الْمَالِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا بَنَوُا الْمَنَازِلُ بِالْقَصَبِ فَاحْتَرَقَتْ فِي أَثْنَاءِ السَّنَةِ، فَبَنَوْهَا بِاللَّبِنِ عَنْ أَمْرِ عُمَرَ، بِشَرْطِ أَنْ لَا يُسْرِفُوا وَلَا يُجَاوِزُوا الْحَدَّ. وَبَعَثَ سَعْدٌ إِلَى الْأُمَرَاءِ وَالْقَبَائِلِ فَقَدِمُوا عَلَيْهِ، فَأَنْزَلَهُمُ الْكُوفَةَ وَأَمَرَ سَعْدٌ أَبَا هَيَّاجٍ الْمُوَكَّلَ بِإِنْزَالِ النَّاسِ فِيهَا بِأَنْ يُعَمِّرُوا وَيَدَعُوا لِلطَّرِيقِ الْمُنْهَجِ وُسْعَ أَرْبَعِينَ ذِرَاعًا، وَلِمَا دُونَ ذَلِكَ ثَلَاثِينَ أَوْ عِشْرِينَ ذِرَاعًا، وَلِلْأَزِقَّةِ سَبْعَةَ أَذْرُعٍ. وَبُنِيَ لِسَعْدٍ قَصْرٌ قَرِيبٌ مِنَ السُّوقِ، فَكَانَتْ غَوْغَاءُ النَّاسِ تَمْنَعُ سَعْدًا مِنَ الْحَدِيثِ، فَكَانَ يُغْلِقُ بَابَهُ، وَيَقُولُ: سَكِّنِ الصُّوَيْتَ. فَلَمَّا بَلَغَتْ هَذِهِ الْكَلِمَةُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بَعَثَ مُحَمَّدَ بْنَ مُسَلَّمَةَ، فَأَمَرَهُ إِذَا انْتَهَى إِلَى الْكُوفَةِ أَنْ يَقْدَحَ زِنَادَهُ وَيَجْمَعَ حَطَبًا وَيَحْرِقَ بَابَ الْقَصْرِ، ثُمَّ يَرْجِعَ مِنْ فَوْرِهِ. فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى الْكُوفَةِ فَعَلَ مَا أَمَرَهُ بِهِ عُمَرُ، وَأَمَرَ سَعْدًا أَنْ لَا يُغْلِقَ بَابَهُ عَنِ النَّاسِ، وَلَا يَجْعَلَ عَلَى بَابِهِ أَحَدًا يَمْنَعُ النَّاسَ عَنْهُ، فَامْتَثَلَ ذَلِكَ سَعْدٌ، وَعَرَضَ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ مُسَلَّمَةَ شَيْئًا مِنَ الْمَالِ فَامْتَنَعَ مِنْ قَبُولِهِ، وَرَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ. وَاسْتَمَرَّ سَعْدٌ بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْكُوفَةِ ثَلَاثَ سِنِينَ وَنِصْفًا، حَتَّى عَزَلَهُ عَنْهَا عُمَرُ، مِنْ غَيْرِ عَجْزٍ وَلَا خِيَانَةٍ. [قِصَّةُ أَبِي عُبَيْدَةَ وَحَصْرِ الرُّومِ لَهُ بِحِمْصَ وَقُدُومِ عُمَرَ إِلَى الشَّامِ أَيْضًا لِيَنْصُرَهُ] وَذَلِكَ أَنَّ جَمْعًا مِنَ الرُّومِ عَزَمُوا عَلَى حِصَارِ أَبِي عُبَيْدَةَ بِحِمْصَ، وَاسْتَجَاشُوا بِأَهْلِ الْجَزِيرَةِ وَخَلْقٍ مِمَّنْ هُنَالِكَ، وَقَصَدُوا أَبَا عُبَيْدَةَ، فَبَعَثَ أَبُو
পৃষ্ঠা - ৫৫৩২
عُبَيْدَةَ إِلَى خَالِدٍ ; فَقَدِمَ عَلَيْهِ مِنْ قِنَّسْرِينَ وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بِذَلِكَ، وَاسْتَشَارَ أَبُو عُبَيْدَةَ الْمُسْلِمِينَ فِي أَنْ يُنَاجِزَ الرُّومَ، أَوْ يَتَحَصَّنَ بِالْبَلَدِ حَتَّى يَجِيءَ أَمْرُ عُمَرَ؟ فَكُلُّهُمْ أَشَارَ بِالتَّحَصُّنِ إِلَّا خَالِدًا فَإِنَّهُ أَشَارَ بِمُنَاجَزَتِهِمْ، فَعَصَاهُ وَأَطَاعَهُمْ. وَتَحَصَّنَ بِحِمْصَ وَأَحَاطَ بِهِ الرُّومُ، وَكُلُّ بَلَدٍ مِنْ بُلْدَانِ الشَّامِ مَشْغُولٌ أَهْلُهُ عَنْهُ بِأَمْرِهِمْ، وَلَوْ تَرَكُوا مَا هُمْ فِيهِ وَأَقْبَلُوا إِلَى حِمْصَ لَانَخْرَمَ النِّظَامُ فِي الشَّامِ كُلِّهِ. وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى سَعْدٍ أَنْ يَنْدُبَ النَّاسَ مَعَ الْقَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو، وَيُسَيِّرَهُمْ إِلَى حِمْصَ مِنْ يَوْمِ يَقْدَمُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ نَجْدَةً لِأَبِي عُبَيْدَةَ فَإِنَّهُ مَحْصُورٌ. وَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يُجَهِّزَ جَيْشًا إِلَى أَهْلِ الْجَزِيرَةِ الَّذِينَ مَالَئُوا الرُّومَ عَلَى حِصَارِ أَبِي عُبَيْدَةَ، وَيَكُونَ أَمِيرَ الْجَيْشِ إِلَى الْجَزِيرَةِ عِيَاضُ بْنُ غَنْمٍ فَخَرَجَ الْجَيْشَانِ مَعًا مِنَ الْكُوفَةِ ; الْقَعْقَاعُ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ نَحْوَ حِمْصَ لِنَجْدَةِ أَبِي عُبَيْدَةَ، وَخَرَجَ عُمَرُ بِنَفْسِهِ مِنَ الْمَدِينَةِ لِيَنْصُرَ أَبَا عُبَيْدَةَ، فَبَلَغَ الْجَابِيَةَ. وَقِيلَ: إِنَّمَا بَلَغَ سَرْغَ. قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَهُوَ أَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَلَمَّا بَلَغَ أَهْلَ الْجَزِيرَةِ الَّذِينَ مَعَ الرُّومِ عَلَى حِمْصَ أَنَّ الْجَيْشَ قَدْ طَرَقَ بِلَادَهُمْ، انْشَمَرُوا إِلَى بِلَادِهِمْ، وَفَارَقُوا الرُّومَ، وَسَمِعَتِ الرُّومُ بِقُدُومِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ لِنُصْرَةِ نَائِبِهِ عَلَيْهِمْ، فَضَعُفَ جَانِبُهُمْ جِدًّا. وَأَشَارَ خَالِدٌ عَلَى أَبِي عُبَيْدَةَ بِأَنْ يَبْرُزَ إِلَيْهِمْ لِيُقَاتِلَهُمْ، فَفَعَلَ ذَلِكَ أَبُو عُبَيْدَةَ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَنَصَرَهُ، وَهُزِمَتِ الرُّومُ هَزِيمَةً فَظِيعَةً، وَذَلِكَ قَبْلَ وُرُودِ عُمَرَ عَلَيْهِمْ، وَقَبْلَ وُصُولِ الْأَمْدَادِ إِلَيْهِمْ بِثَلَاثِ لَيَالٍ. فَكَتَبَ أَبُو عُبَيْدَةَ إِلَى عُمَرَ وَهُوَ بِالْجَابِيَةِ يُخْبِرُهُ بِالْفَتْحِ، وَأَنَّ الْمَدَدَ وَصَلَ إِلَيْهِمْ بَعْدَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، وَسَأَلَهُ هَلْ يُدْخِلُهُمْ فِي الْقَسْمِ مَعَهُمْ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ؟ فَجَاءَ الْجَوَابُ بِأَنْ يُدْخِلَهُمْ مَعَهُمْ فِي الْغَنِيمَةِ، فَإِنَّ الْعَدُوَّ إِنَّمَا ضَعُفَ وَإِنَّمَا انْشَمَرَ عَنْهُ الْمَدَدُ مِنْ خَوْفِهِمْ مِنْهُمْ، فَأَشْرَكَهُمْ أَبُو عُبَيْدَةَ فِي الْغَنِيمَةِ. وَقَالَ عُمَرُ: