আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست عشرة

فتح تكريت والموصل

পৃষ্ঠা - ৫৫২২


পারসিক সেনাপতি ফীরুযান এবং মাহরান আমাদের সৈন্যবাইিনী ও অশ্বদলাকধ্বছুসব্লুবছুাবৃ
দিতৈ চেয়েজ্জি ৷ কিন্তু তা পারেনি ৷ ৰু



মুলত ওই পারসিকগণ দাডি য়েছিল মৃত্যুর দৃয়াবে ৷ মৃত্যু ছিল প্রর্তিশ্রুত ৷ আর তারা
র্দাড়িয়েছিল মাটির নিকট ৷ কবরের বাতাস তাদেরকে ওই মাটি দ্বারা ঢেকে দেয়ার জনা
বইছিল ৷

হুলওয়ানের যুদ্ধ

জালুলায় যুদ্ধ শেষ হবার পর খলীফা উমর (রা) এর নির্দেশে হিশাম ইবন উতবা
জালুলাভে অবস্থান করতে থাকেন ৷ আর কা কা“ ইবন আমর অগ্রসর হন হুলওয়ানের উদ্দেশ্যে ৷
তিনিও অগ্রসর হয়েছিলেন খলীফার নির্দোশ ৷ উদ্দেশ্য ছিল পলাতক সম্রাটের বোজ করা এবং
ওদিককার মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি করা ৷ সেনাপতি কাকা অগ্রসর হলেন ৷ পথে তিনি
পলাতক পারসিক সেনাপতি মাহরান রাযীর নাগাল পান এবং তাকে হত্যা করেন ৷ ফীরুযান
পালিয়ে যায় ৷ ফীরুযান সম্রাটের নিকট গিয়ে পৌছে এবং জালুলায় তাদের ৪খজনক
পরাজয়ের সংবাদ সম্রাটকে জানায় ৷ যুদ্ধ পরবর্তী পারসিকদের করুণ দশা, তাদের লক্ষ
সৈনিকের প্রাণহানি, মাহরানের নিহত হওয়া সব কিছু সে সম্রাটকে অবহিত করে ৷ এসব শুনে
সম্রাট হুলওয়ান ছেডে রায় দেশে পালিয়ে যায় ৷ যাবার বেলায় খসরুশনুস নামের এক
ব্যক্তিকে ওয়ানেবত্বগ শাসনক৩ ৷ নিয়োগ করে ৷ মুসালম সেনাপতি কা “ক৷ ইবন আমর তো
খসরুশনৃসের যুকাবিলা করার জন্যে এগিয়ে যাচ্ছিন্নুলন ৷ হুলওয়ানেৱ বাইরে এক জায়গায় খসরু
এসে কাকা-এর মুখোমুখি হয় ৷ সেখানে উভয় পক্ষে ভীষণ যুদ্ধ হয় ৷ আল্লাহ্ তাআলা
ঘৃসলমানদেবকে স৷ হায্যও বিজয় দান করেন ৷ খসরুশনুস পরাজিত হয় ৷ কা কা তার সেনাদল
ায়ে ছনওয়ান ৷গয়ে পৌছেন ৷ তিনি এবং র্তার সেনাদল বীর বিক্রমে হুলওয়ানে প্রবেশ করে ৷
তারা প্রচুর যুদ্ধ লব্ধ মানত্ত্বমাসগ্র হংা করে এবং সেখানে বসবাসের ব্যবস্থা করে ৷

মুসলিম সেনাদল সেখান :থকে চারাদকে বেরিয়ে প ৩৷ বিভিন্ন গ্রাম ও জনপদে গিয়ে
তাদেরকে আল্লাহর পথে দ৷ ন্য়াত দি:হ্; ণ্ থ কে ৷ নতুবা জিযুহ্ ৷৷ প্রদান সেন নিতে বলে ৷ ওরা
জিঘৃয়৷ কর প্রদানটাই মেনে নেন ৷ বস্তুত তারা সেখানেই বসবাস করতে থাকে এবং বিধর্মীদের
হুহুত্ন্যে জিযুয়৷ কর নির্ধারণ করে দেয়৷ হয় ৷

কাকা তারপর সেখানেই থেকে যান ৷ পরবর্তীতে হযরত সাদ (রা) মাদাইন থেকে কুফা
চলে গেলেন ৷ কাকা (রা)ও সেখানে গিয়ে সেনাপতি সাদের সাথে মিলিত হলেন ৷ এই
বিষয়টি আমরা অচিরেই আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷

তিকবীত ও মুসেল বিজয়

সেনাপতি সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (বা) মাদাইন জয় করলেন ৷ এরপর তিনি সংবাদ
পেলেন যে, মুসেলের অধিবাসীগণ ইনতাক নামের এক কাফিরের নে৩ ট্রুত্বে তিকরীত’ নামক
স্থানে সৈন্য সমাবেশ করেছে ৷ সেনাপতি সা দ (রা) জালুলায় যুদ্ধে জয়লাভের স বাদ এবং
তিকরীতে শত্রু সৈন্যদের সমবেত হবার সংবাদ খলীফা উমর (রা) কে জানালেন ৷ জালুলা


خُسْرَوْ شُنُومُ. فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو، وَبَرَزَ إِلَيْهِ خُسْرَوْ شُنُومُ إِلَى مَكَانٍ خَارِجٍ مِنْ حُلْوَانَ فَاقْتَتَلُوا هُنَاكَ قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ فَتَحَ اللَّهُ وَنَصَرَ الْمُسْلِمِينَ وَانْهَزَمَ خُسْرَوْ شُنُومُ، وَسَاقَ الْقَعْقَاعُ إِلَى حُلْوَانَ فَتَسَلَّمَهَا، وَدَخَلَهَا الْمُسْلِمُونَ فَغَنِمُوا وَسَبَوْا، وَأَقَامُوا بِهَا، وَضَرَبُوا الْجِزْيَةَ عَلَى مَنْ حَوْلَهَا مِنَ الْكُوَرِ وَالْأَقَالِيمِ، بَعْدَمَا دُعُوا إِلَى الدُّخُولِ فِي الْإِسْلَامِ، فَأَبَوْا إِلَّا الْجِزْيَةَ. فَلَمْ يَزَلِ الْقَعْقَاعُ بِهَا حَتَّى تَحَوَّلَ سَعْدٌ مِنَ الْمَدَائِنِ إِلَى الْكُوفَةِ فَسَارَ إِلَيْهِ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى [فَتْحُ تَكْرِيتَ وَالْمَوْصِلِ] لَمَّا افْتَتَحَ سَعْدٌ الْمَدَائِنَ بَلَغَهُ أَنَّ أَهْلَ الْمَوْصِلِ قَدِ اجْتَمَعُوا بِتَكْرِيتَ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْكَفَرَةِ، يُقَالُ لَهُ: الْأَنْطَاقُ. فَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بِأَمْرِ جَلُولَاءَ وَاجْتِمَاعِ الْفُرْسِ بِهَا، وَبِأَمْرِ أَهْلِ الْمَوْصِلِ فَتَقَدَّمَ مَا ذَكَرْنَاهُ مِنْ كِتَابِ عُمَرَ فِي أَهْلِ جَلُولَاءَ وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهَا. وَكَتَبَ عُمَرُ فِي قَضِيَّةِ أَهْلِ الْمَوْصِلِ الَّذِينَ قَدِ اجْتَمَعُوا بِتَكْرِيتَ عَلَى الْأَنْطَاقِ أَنْ يُعَيِّنَ جَيْشًا لِحَرْبِهِمْ، وَيُؤَمِّرَ عَلَيْهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُعْتَمِّ، وَأَنْ يَجْعَلَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫৫২৩


সম্পর্কে হযরত উমর (রা) এর নির্দোানামা সম্পর্কে আমরা ইতিপুর্বে আলোচনা করেছি ৷
ইনতাকের নেতৃত্বে তিকরীত ৩অঞ্চলে কাফিরদের সৈন্য সমাবেশ সম্পর্কে খলীফা লিখলেন যে,
ওখানে অভিযান প্রেরণের জন্যে একদল সৈন্য বেছে নিন ৷ আর৩ তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করুন
আবদুল্লাহ ইবন মু৩ তামকে ৷ অগ্রবাহিনীর দায়িত্বে থাকবেন রিবঈ ইবন আককাল গড়াষী ৷ ডান
বাহুর দায়িত্বে হারিছ ইবন হিসাব যুহলী ৷ বাম বাহুর দায়িত্বে ফুরাত ইবন হইিয়ান আজালী ৷
মুল দলের দায়িত্বে হানী ইবন কায়স ৷ অশ্বারোহী বাহিনীর অধিনায়ক থাকবেন আরফাজাহ্
ইবন হারছামাহ্ ৷

৫০০০ সৈন্যের বাহিনী নিয়ে আবদুল্লাহ ইবন মুতাম মাদাইন থেকে যাত্রা করলেন ৷ ৪দিন
পথ চলার পর তিনি তিকরীত এসে পৌছেন ৷ শত্রু সেনাপতি ইনতাক সেখানে রোমান,
শাহারিজী, আরব খ্রিস্টান, ইয়াদ, তাগলিব ও নামির গােত্রসহ বহুগােত্র ও সম্প্রদায়ের
মানুষদেরকে নিয়ে একটি বিশাল বাহনী তৈরি করে ৷ তারা শহরের চারদিকে নিরাপত্তা বেণ্টনীর
ব্যবস্থা করে ৷

মুসলিম সেনাপতি আবদুল্লাহ ইবন মুতাম ওদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন ৷ তিনি
ওই শহর অবরোধ করেন ৷ : :দিন পর্যন্ত ওই অবরোধ স্থায়ী হয় ৷ এই মৈয়াদে তারা প্রায় ২ :
বার মুসলিম সৈন্যদের উপর চোরাগােপ্তা হামলা চালায় ৷ কিন্তু প্রতিবারেই তারা ব্যর্থ হয় ৷

তাদের লােকবল নষ্ট হয় ৷ পর্যায়ক্রমে তাদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ সাহস কমে যায় ৷

রোমান সৈন্যগণ নৌকায় মালামাল ভর্তি করে শহর ছেড়ে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় ৷

সেনাপতি আবদুল্লাহ ইবন মুতাম স্থানীয় গোত্রসমুহ ও সম্প্রদায়ওলাের নিকট এই বলে
লোক পাঠিয়ে দিলেন যে আমরা এই শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করব তোমরা ৷মাদেরকে
সহযোগিতা কর ৷ তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিল ৷ তিনি তাদের
নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিতে যদি তোমরা স৩ বােদী হও তবে তোমরা সান্কা

ষ্শ্ব ¢fl ষ্

দাও যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, মৃহাম্মদশু:;; আল্লাহর রাসুল আর রাসুলুল্লাহ্ট্রুটু ,’গুক্ট্র
আল্লাহর পক্ষ থেকে যা এসেছেন তা সত্য বল মেনে নাও ৷ দু৩ তগণ সেনাপতির নিকট উপস্থিত
হলো এবং তাকে জানলে যে, তারা ইসলাম গ্রহণ করেছে ৷ সেনাপতি পুনরায় এই বলে দৃও ন্
পাঠালেন যে, তামরা যদি সতাবাদী হও তবে আমরা যখন তাকবীর ধ্বনি দিব এবং রাতের
বেলা শহর আক্রমণ করব তখন তোমরা নৌকায় দরজাগুলাে বন্ধ করে রাখবে, ওদের কেউই
যেন নৌকায় উঠতে না পারে সে ব্যবস্থা করবে ৷ আর যাদেরকে পার ওই শত্রুদেরকে হত্যা

করবে ৷ ,
সেনাপতি আবদুল্লাহ ইবন মুতাম তার সাথীদেরকে নিয়ে শহর আক্রমণ করলেন ৷ তারা
গগন বিদারী তাকবীর ধ্বনি দিলেন-একযোগে এককণ্ঠে এবং শহরে হামলা চালালেন ৷ তাদের
তাকবীর ধ্বনি শুনে অন্যদিক থেকে বেদুঈনরাও তাকবীর ধ্বনি দেয় ৷ সবদিক থেকে তাকবীর
ধ্বনি শুনে শহরবাসীগণ হ৩ তচকিত ও উৎকষ্ঠিত হয়ে পড়ে ৷ তারা দাজলা নদীর কাছাকাছি
দরজাগুলো দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ৷ কিত্তু ইয়াদ তাপলিব ও নামির৷ গোত্রের বেদৃঈন
লোকেরা ওদেরকে আটক করে এবং দ্রুত হত্যা করতে শুরু করে ৷ সেনাপতি আবদুল্লাহ ইবন
মুতাম অন্য দরজা দিয়ে শহরে ঢোকেন ৷ তারা শহর অভ্যন্তরে যাবেইি পেয়েছেন তাকেই খুন


مُقَدِّمَتِهِ رِبْعِيَّ بْنَ الْأَفْكَلِ الْعَنَزِيَّ، وَعَلَى الْمَيْمَنَةِ الْحَارِثَ بْنَ حَسَّانَ الذُّهْلِيَّ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ فُرَاتَ بْنَ حَيَّانَ الْعِجْلِيَّ، وَعَلَى السَّاقَةِ هَانِئَ بْنَ قَيْسٍ، وَعَلَى الْخَيْلِ عَرْفَجَةَ بْنَ هَرْثَمَةَ. فَفَصَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُعْتَمِّ فِي خَمْسَةِ آلَافٍ مِنَ الْمَدَائِنِ فَسَارَ فِي أَرْبَعٍ حَتَّى نَزَلَ بِتَكْرِيتَ عَلَى الْأَنْطَاقِ، وَقَدِ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنَ الرُّومِ، وَمِنَ الشَّهَارِجَةِ، وَمِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ، مِنْ إِيَادٍ وَتَغْلِبَ وَالنَّمِرِ، وَقَدْ خَنْدَقُوا بِتَكْرِيتَ، فَحَاصَرَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُعْتَمِّ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، وَزَاحَفُوهُ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ مَرَّةً، مَا مِنْ مَرَّةٍ إِلَّا وَيَنْتَصِرُ عَلَيْهِمْ، وَيَفُلُّ جُمُوعَهُمْ، فَضَعُفَ جَأْشُهُمْ، وَعَزَمَتِ الرُّومُ عَلَى الذَّهَابِ فِي السُّفُنِ بِأَمْوَالِهِمْ، وَرَاسَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُعْتَمِّ مَنْ هُنَالِكَ مِنَ الْأَعْرَابِ، فَدَعَاهُمْ إِلَى الدُّخُولِ مَعَهُ فِي النُّصْرَةِ عَلَى أَهْلِ الْبَلَدِ، فَجَاءَتِ الْقُصَّادُ إِلَيْهِ عَنْهُمْ بِالْإِجَابَةِ إِلَى ذَلِكَ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ: إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ فِيمَا قُلْتُمْ، فَاشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَأَقِرُّوا بِمَا جَاءَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ. فَرَجَعَتِ الْقُصَّادُ إِلَيْهِ بِأَنَّهُمْ قَدْ أَسْلَمُوا، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ: إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ، فَإِذَا كَبَّرْنَا وَحَمَلْنَا عَلَى الْبَلَدِ اللَّيْلَةَ، فَأَمْسِكُوا عَلَيْنَا أَبْوَابَ السُّفُنِ، وَامْنَعُوهُمْ أَنْ يَرْكَبُوا فِيهَا، وَاقْتُلُوا مِنْهُمْ مَنْ قَدَرْتُمْ عَلَى قَتْلِهِ. ثُمَّ شَدَّ عَبْدُ اللَّهِ وَأَصْحَابُهُ، وَكَبَّرُوا تَكْبِيرَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، وَحَمَلُوا عَلَى الْبَلَدِ، فَكَبَّرَتِ الْأَعْرَابُ مِنَ النَّاحِيَةِ الْأُخْرَى، فَحَارَ أَهْلُ الْبَلَدِ، وَأَخَذُوا فِي الْخُرُوجِ مِنَ الْأَبْوَابِ الَّتِي تَلِي