আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست عشرة

وقعة جلولاء

পৃষ্ঠা - ৫৫১৬


হয় ৷ তরবারিগুলোর মধ্যে একটি ছিল হীরা রাজ্যে সম্রাটের পক্ষে নিযুক্ত শাসনকর্তা নুমান
ইবন মুনযিরের ৷ তখন হযরত উমর (রা) বলেছিলেন, “সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র যিনি
পারস্য সম্রাটের তরবারিকে তার জন্যে ক্ষতিকর করেছেন, যেটি তার কোন কল্যাণে আসেনি ৷
তারপর তিনি বললেন, আমাদের মুজাহিদগণ এগুলো প্রেরণ করেছে আমান৩ দার ও বিশ্বস্ত
লোকদের নিকট ৷ তিনি আরো বললেন, সম্রাট এসব ধন-সম্পদ পেয়ে পরকাল থেকে উদাসীন
থাকা ব্যতীত কিইে করতে পারেনি ৷ সেগুলো সঞ্চয় করেছিল তার ত্রীর স্বামীর জন্যে অথবা
তার কন্যার স্বামীর জন্যে ৷ সে তার নিজের পরকালীন কল্যাণের জন্যে কিছুই করেনি ৷ সে যদি
তার নিজের পরকালীন কলা৷ণের জন্যে কিছু সঞ্চয় করত এবং অতিরিক্ত ধন-সম্পদ যথান্থানে
ব্যয় করত তাহলে সে তা পেত ৷ এ সম্পর্কে জনৈক মুসলিম করি আবু নুজায়দ নাফি ইবন
আসওয়াদ বলেছেন :
আমাদের লক্ষ্য ছিল যে, আমরা মাদাইন জয় করার জন্যে অশ্বদল পাঠাব ৷ আমাদের ওই
অশ্বদলের জন্যে স্থলভাগ-জলভাগ দুটোই সমান, দুটোই কল্যাণকর ৷

আমরা প্;ারস্য সম্রাটের সকল ধনৈশ্বর্য দখল করে নিয়েছি ৷ যেদিন তারা পালিয়ে গিয়েছে
অম্রাদেব্র ভয়ে ৷ পালিয়েছে দুঃখ বেদনা ভরা মন নিয়ে ৷

জালুলার যুদ্ধ

পরস৷ সম্রাট ইয়ায্দপির্দের ইবন শাহারিয়৷ ৷র মাদাইন থেকে পালিয়ে হুলওয়ানের উদ্দোশা
যাত্রা করল ৷ সে পথিমধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন শহর ও গোত্রের লোকজন একত্র করে সেনাদল
পুনর্গঠনের তৎপরতা চালায় ৷ ফলে সেখানে পারসিকদের একটি বিশাল বাহিনী গড়ে ওঠে ৷
সম্রাট ইয়াযদাগরদ তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করে মাহরানকে ৷ ওদেরকে ওখানে রেখে সম্রাট
ইয়াযদগির্দ হুলওয়ান গিয়ে পৌছে ৷ এই সেনাবাহিনী মুসলিম সেনাবাহিনী ও পারস্য সম্রাটের
সাথে বেবিকেড হিসেবে জালুলা নামক স্থানে অবস্থান নেয় ৷ ওরা জালুলার চারদিকে বড় বড়
পরিখ৷ তৈরি করে ৷ বহু সৈন্যের বিশাল বাহিনী নিয়ে এবং অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় জীবন
ধারণের জন্যে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নিয়ে তারা সেখানে বসবাস করতে থাকে ৷ মুসলিম
সেনাপতি হযরত সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) খলীফা উমর (রা) কে এ সংবাদ অবহিত
করেন ৷ খলীফ৷ তাকে লিখেন যে, সা দ নিজে মাদাইনে থাকবেন ৷৩ তার তাতিজ৷ হাশিম ইবন
উত বাকে সেনাপতি নিযুক্ত করে একটি সেনাদল সম্রাট ইয়ায্দপির্দের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করবেন ৷
ওই বাহিনীর সম্মুখে থাকবে কা কা ইবন আমর, ডান বাহুতে সা দ ইবন মালিক ৷ বাম বাহুতে
তার ভাই আমর ইবন মালিক ৷ মুল দলের দায়িত্বে আমর ইবন মুররাহ্ জুহানী ৷ খলীফার

নির্দোশ সেনাপতি সাদ (রা) তইি করলেন ৷
প্রায় ১২ হাজার সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী তার তাতিজ৷ হাশিম ইবন উতবার নেতৃত্বে
সম্রাট ইয়াযদগির্দের উদ্দেশেব্রু প্রেরণ করলেন ৷ ওই বাহিনীতে নেতৃস্থানীয় মুহাজিরগণ,
আনসারগণ এবং আরব মুসলমানগণ ছিলেন ৷ এই অভিযান প্রেরণ করা হয় এই হিজরী সনের


[وَقْعَةُ جَلُولَاءَ] لَمَّا سَارَ كِسْرَى وَهُوَ يَزْدَجِرْدُ بْنُ شَهْرِيَارَ مِنَ الْمَدَائِنِ هَارِبًا إِلَى حُلْوَانَ شَرَعَ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ فِي جَمْعِ رِجَالٍ وَأَعْوَانٍ وَجُنُودٍ، مِنَ الْبُلْدَانِ الَّتِي هُنَاكَ، فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَجَمٌّ غَفِيرٌ مِنَ الْفُرْسِ، وَأَمَّرَ عَلَى الْجَمِيعِ مِهْرَانَ، وَسَارَ كِسْرَى إِلَى حُلْوَانَ، وَأَقَامَ الْجَمْعُ الَّذِي جَمَعَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمُسْلِمِينَ فِي جَلُولَاءَ، وَاحْتَفَرُوا خَنْدَقًا عَظِيمًا حَوْلَهَا، وَأَقَامُوا بِهَا فِي الْعَدَدِ وَالْعُدَدِ وَآلَاتِ الْحِصَارِ، فَكَتَبَ سَعْدٌ إِلَى عُمَرَ يُخْبِرُهُ بِذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ، أَنْ يُقِيمَ هُوَ بِالْمَدَائِنِ، وَيَبْعَثَ ابْنَ أَخِيهِ هَاشِمَ بْنَ عُتْبَةَ أَمِيرًا عَلَى الْجَيْشِ الَّذِي يَبْعَثُهُ إِلَى كِسْرَى، وَيَكُونَ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَلَى الْمَيْمَنَةِ سِعْرُ بْنُ مَالِكٍ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ أَخُوهُ عُمَرُ بْنُ مَالِكٍ، وَعَلَى السَّاقَةِ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ الْجُهَنِيُّ. فَفَعَلَ سَعْدٌ ذَلِكَ، وَبَعَثَ مَعَ ابْنِ أَخِيهِ جَيْشًا كَثِيفًا يُقَارِبُ اثْنَيْ عَشَرَ الْفًا، مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ وَوُجُوهِ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَرُءُوسِ الْعَرَبِ. وَذَلِكَ فِي صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، بَعْدَ فَرَاغِهِمْ مِنْ أَمْرِ الْمَدَائِنِ فَسَارُوا حَتَّى انْتَهَوْا إِلَى الْمَجُوسِ وَهُمْ بِجَلُولَاءَ قَدْ خَنْدَقُوا عَلَيْهِمْ، فَحَاصَرَهُمْ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ، وَكَانُوا يَخْرُجُونَ مِنْ بَلَدِهِمْ لِلْقِتَالِ فِي كُلِّ
পৃষ্ঠা - ৫৫১৭


অর্থাৎ ১৬ হিজরী সনের সফর মাসে মাদাইন যুদ্ধের পরে ৷ সেনাদল যাত্রা করল ৷ তারা অগ্নি
উপাসক পারসিকদের নিকট গিয়ে পৌছল ৷ ওরা ছিল জালুলা নামক স্থানে ৷ তাদের চারদিক
ছিল সদ্য খননকৃত পরিখাসমুহ ৷ হাশিম ইবন উতবা ওদেরকে অবরুদ্ধ করলেন ৷ ন্ওরাও
সার্বক্ষণিক শহর থেকে বের হয়ে যুদ্ধ করত ৷ এত প্ৰচগু যুদ্ধ হতো যা ইতিপুর্বে শোনা মায়নি ৷
সম্রাট ইয়াযদগির্দ ওদের নিকট নিয়মিত সেনা সাহায্য পাঠান ৷ মুসলিম সেনাপতি সাব্দও একের
পর এক অতিরিক্ত সেনাদল পাঠাচ্ছিলেন হাশিম ইবন উতবড়ার সাহায্যার্থে ৷ যুদ্ধ উত্তেজনাকর
রুপ নিল ৷ কঠিন আঘাত প্ৰতিঘাত চলল ৷ যুদ্ধের আওণ্ৰু দাউ আউ করে জ্বলরুত লাগল ৷
সেনরুপ্াতি হাশিম সৈনিকদের উদ্দেশ্যে একাধিকবার ভাষণ দিলেন ৷ তিনি তাদেরকে আল্লাহ্র
উপর ভরসা রাখার এবং কঠিন যুর্দ্ধ পরিচালনায় উৎসা ত করলেন ৷ এদিকে পারসিকপণও
প্রতিশ্রুতিবন্ধ হলো এবং আ গুন ছুয়ে শপথ নিল যে, আরবদের নিশ্চিহ্ন না করে তারা এই ন্থন্যে
ত্যাগ করবে না ৷
যুদ্ধের শেষ দিন জয়-পরাজয় সাবাস্ত হবার দিনও উভয়পক্ষ ভোর থেকে প্রৰুভি নিয়েছিল ৷
প্রচণ্ড যুদ্ধ চলল ৷ এমন যুদ্ধ ইতিপুর্বে হয়নি ৷ এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের বর্শা ফুউৰু: য় রুপ ৷
শেষ হয়ে গেল ৷ তারা তরবারি ও কুঠার ব্যবহার শুরু করল ৷ ইতিমদু;ধদ্র যে হরের নক্ষ্মৰুক্ষুহুব
সময় হয়ে গেল ৷ মুসলমড়ানগণ ইশারায়ইঙ্গিতে নামায আদায় করে নিলেন ৷ পারসিকদের প্রহ;ম
দল পেছনে গিয়ে নতুন দল সম্মুখে এল ৷ এসময় কাকা ইবন অমর মুসলমানদের উদ্দেশ্যে
বললেন হে মুসলিম সৈন্যদল ! আপনারা যা দেখছেন তা কি আপন্নহ্বদর ভীত কররুছ?
মুসলিম সৈন্যরা বলল, “তা তো বটে ৷’ আমরা পরিশ্রমের পর পরিশ্রম করছি তার শ্ত্রু দ্সন্হৃভ্রুরণ্;
বিশ্রাম নিচ্ছে ৷ তিনি বললেন, এবার আমরা ওদর উপর প্রচগুড্যাব হামলা করব ৷ ওদেরকে
কাবু করার জ্যন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব ৷ যতক্ষণ না আল্লাহ্ আমাদের এবং তাদের মাঝে ফয়সৰ্লদ্
করে দেন ৷ আপনারা সকলে এবার ওদের উপর একযোগে একসাথে সম্মিলিত আক্রমণ
চালাবেন ৷ ওদের রক্ষাব্যুহ ভেদ করে আমরা ওদের সাথে মিশে যাব এবং কাছে থেকে মাবব ৷
কাকা ইবন আমর আক্রমণ চালালেন ৷ সকল মুসলিম সৈন্য একযোগে আক্রমণ চালাল ৷
কাকা হামলা চালালেন প্রচণ্ড সাহসী বীর অশ্বারোহীর একটি দল সাথে নিয়ে ৷ তিনি
শক্রপহ্মের পরিখার ম;খে গিয়ে পৌছলেন ৷
ইতিমধ্যে রাতের অন্ধকার নেমে এল ৷ তার অবশিষ্ট সাথিপণ সাধারণ সৈনিকদের মাঝে
রয়ে গেল ৷ তারা যুদ্ধ চালাতে ইতস্তত করছিল রাত নেমে আমার কারণে ৷ সেদিন সাহসী
সৈন্যদের মধ্যে তুলায়হা আসাদী, আমর ইবন মাদীকারাব যুবড়ায়দী কায়স ইবন মাকসুহ এবং
ছদ্রর ইবন আদী প্রমুখ ছিলেন ৷ রাতের অন্ধকারে কাকা কোথায় গিয়ে পৌক্রুছছেন কী
ৰুরছেন তা তারা জানতেন না ৷ তবে তারা জেনেছেন জনৈক ঘোরণাকারীর ঘোষণার মাধ্যমে ৷
ক্রো বলেন, হে ঘুসলিমগণ ৷ তোমরা কোথায় ? এই যে, তামাদের সেনাপতি শত্রু সৈন্যের
মোঃ দরজায় দাড়িয়ে আছেন ৷ ’ অগ্নি উপাসক পারসিক সৈন্যরা এই ঘোষণা শুনে প্াৰিখা
শু স্লেৰু পালাতে শুরু করে ৷ এদিকে কাকা এর অবস্থানে পৌছার জন্যে মুসলমান সৈনপেণ শত্রু
£ব্ক্তষ্টনীর উপর আক্রমণ চালাতে থাকে ৷ তারা এগিয়ে গিয়ে দেখে কা’ক৷ ওদের খঃন্দকের
ন্ষ্ন্র ৷ তিনি দরজা দখল করে আছেন ৷ পারসিক সৈন্যপণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পালৰুত্রুচ্ছ
; র্ক্সহু পচ্লন্থচ্ছে ৷ দুসলমানণণ চারদিক থেকে ওদেরকে ঘিরে ফেলে ৷ ওদেরকে ধরার জানা


(গ্


وَقْتٍ، فَيُقَاتِلُونَ قِتَالًا لَمْ يُسْمَعْ بِمِثْلِهِ. وَجَعَلَ كِسْرَى يَبْعَثُ إِلَيْهِمُ الْأَمْدَادَ، وَكَذَلِكَ سَعْدٌ يَبْعَثُ الْمَدَدَ إِلَى ابْنِ أَخِيهِ، مَرَّةً بَعْدَ أُخْرَى. وَحَمِيَ الْقِتَالُ، وَاشْتَدَّ النِّزَالُ، وَاضْطَرَمَتْ نَارُ الْحَرْبِ، وَقَامَ فِي النَّاسِ هَاشِمٌ فَخَطَبَهُمْ غَيْرَ مَرَّةٍ، فَحَرَّضَهُمْ عَلَى الْقِتَالِ، وَالتَّوَكُّلِ عَلَى اللَّهِ. وَقَدْ تَعَاقَدَتِ الْفُرْسُ وَتَعَاهَدَتْ، وَحَلَفُوا بِالنَّارِ أَنْ لَا يَفِرُّوا أَبَدًا حَتَّى يُفْنُوا الْعَرَبَ. فَلَمَّا كَانَ الْمَوْقِفُ الْأَخِيرُ، وَهُوَ يَوْمُ الْفَيْصَلِ وَالْفُرْقَانِ، تَوَاقَفُوا مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا لَمْ يُعْهَدْ مِثْلُهُ، حَتَّى فَنِيَ النُّشَّابُ مِنَ الطَّرَفَيْنِ، وَتَقَصَّفَتِ الرِّمَاحُ مِنْ هَؤُلَاءِ وَمِنْ هَؤُلَاءِ، وَصَارُوا إِلَى السُّيُوفِ وَالطَّبَرْزِينَاتِ، وَحَانَتْ صَلَاةُ الظُّهْرِ فَصَلَّى الْمُسْلِمُونَ إِيمَاءً، وَذَهَبَتْ فِرْقَةُ الْمَجُوسِ وَجَاءَتْ مَكَانَهَا أُخْرَى، فَقَامَ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو فِي الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ: أَهَالَكُمْ مَا رَأَيْتُمْ أَيُّهَا الْمُسْلِمُونَ؟ قَالُوا: نَعَمْ إِنَّا كَالُّونَ وَهُمْ مُرِيحُونَ. فَقَالَ: بَلْ إِنَّا حَامِلُونَ عَلَيْهِمْ، وَمُجِدُّونَ فِي طَلَبِهِمْ حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا، فَاحْمِلُوا عَلَيْهِمْ حَمْلَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ حَتَّى نُخَالِطَهُمْ. فَحَمَلَ وَحَمَلَ النَّاسُ، فَأَمَّا الْقَعْقَاعُ فَإِنَّهُ صَمَّمَ الْحَمَلَةَ فِي جَمَاعَةٍ مِنَ الْفُرْسَانِ وَالْأَبْطَالِ وَالشُّجْعَانِ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى بَابِ الْخَنْدَقِ، وَأَقْبَلَ اللَّيْلُ بِظَلَامِهِ، وَجَالَتْ بَقِيَّةُ الْأَبْطَالِ بِمَنْ مَعَهُمْ فِي النَّاسِ، وَجَعَلُوا يَأْخُذُونَ فِي التَّحَاجُزِ مِنْ أَجْلِ إِقْبَالِ اللَّيْلِ، وَفِي الْأَبْطَالِ يَوْمَئِذٍ طُلَيْحَةُ الْأَسَدِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ، وَقَيْسُ بْنُ مَكْشُوحٍ، وَحُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ، وَلَمْ يَعْلَمُوا بِمَا صَنَعَهُ الْقَعْقَاعُ فِي ظُلْمَةِ اللَّيْلِ، وَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৫৫১৮


সকল চৌকিতে পাহারা দেয় ৷ ওই যুদ্ধের ময়দানে প্রায় এক লাখ পারসিক সৈন্য নিহত হয় ৷
নিহতদের লাশে ভুমির উপরিভাপ ঢাকা পড়ে যায় ৷ এজন্যে ওই এলাকার নাম জালুলা অর্থাৎ
আচ্ছাদিত রাখা হয়েছে ৷

মুসলমনগণ মাদাইনে যে পরিমাণ শত্রু সম্পদ হস্তগত করেছিলেন এই যুদ্ধেও প্রায় যে
পরিমাণ শত্রু সম্পদ অত্তনি করেন ৷ যে কয়জন পারসিক সৈন্য পালিয়ে গিয়ে সম্রাট
ইয়ায্দগির্দের কাছে পৌছেছিল ওদেরকে ধ্বংস করার জন্যে সেনাপতি হাশিম ইবন উতবা
কাকা ইবন আমরকে প্রেরণ করেন ৷ কাকা ইবন আমব শত্রুর খোজে অগ্রসর হন ৷ তড়ারা
পারসিক সেনাপতি মাহরানকৈ পলায়ন চেষ্টারত অবস্থায় ধরে ফেলেন ৷ তারপর কাকা ইবন
আমর তাকে হত্যা করেন ৷ পারসিকদের অন্য একজন সেনাপতি ফীরুযান মুসলমানদের হাত
থেকে বেচে পালিয়ে যায় ৷ অনেক পারসিক সৈন্য বন্দী হয় ৷ তাদেরকে হাশিম ইবন উতবার
নিকট প্রেরণ করা হয়, মুসলমানগণ বহু পশু-প্রাণী দখল করে নেয় ৷ হাশিম ইবন উতবা
গনীমতের মালামাল তার চাচা প্রধান সেনাপতি সাদ (রা)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ সেনাপতি
সাদ বিধি মুতাবিক সেগুলো প্রাপকদের মধ্যে বণ্টন করে দেন ৷

শাবী বলেন, জালুলা-এর যুদ্ধে প্রাপ্ত মালামালের মুল্য ছিল প্রায় তিন কোটি দিরহাম ৷ তার
হু, অংশ ছিল ৬০ লক্ষ দিরহাম প্রায় ৷ অন্যরা বলেছেন যে, প্রত্যেক সৈন্য মাদাইন যুদ্ধে যে
পরিমাণ গনীমতের মাল পেয়েছিল জালুলার যুদ্ধেও প্রায় যে পরিমাণ মালামাল পেয়েছিল ৷
অর্থাৎ প্রত্যেক অশ্বারােহী পেয়েছিল ১২ হাজার মুদ্রা করে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, প্রত্যেক
অশ্বারােহী যোদ্ধা পেয়েছিলেন ৯ হাজার দিরহাম ও নয়টি করে পশু ৷ এগুলো সংগ্রহ ও বণ্টনের
দায়িত্বে ছিলেন হযরত সালমান ফারসী (রা) ৷ এরপর সেনাপতি সাদ (রা) মালামাল,
দাস-দাসী ও জীব-জন্তুর হ্র৫ অংশ যিয়াদ ইবন আবু সুফয়ান, কুদাআ ইবন আমর এবং আবু
মুকাররিন আসাদীর মাধ্যমে খলীফা উমর (রা)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ তারা খলীফার
দরবারে উপস্থিত হলেন ৷

খলিফা উমর (রা) যিয়াদ ইবন আবু সুফয়ানের নিকট যুদ্ধের বিবরণ শুনতে চইিলেন ৷
যিয়াদ সবিন্তারে ওই বিবরণ পেশ করলেন ৷ যিয়াদ খুব বিশুদ্ধভাষী ও বান্সী লোক ছিলেন ৷ তার
উপস্থাপনা ও বিবরণ খলীফার বেশ পছন্দ হয় ৷ তিনি চাইলেন যে, মদীনায় মুসলমানগণ
যিয়াদের মুখে যুদ্ধের বিবরণ শুনুক ৷ খলীফা ষিয়াদকে ডেকে বললেন, “তুমি আমাকে যেভাবে
ওই বিবরণ শুনিয়েছ উপস্থিত লোকজনকে কি তা শুনাতে পারবে ? যিয়াদ বললেন, হে
আমীরুল মু’মিনীন! হ্যা পারব ৷ কারণ এই জগতে একমাত্র আপনিই আমার সবচেয়ে বেশি
ভরের মানুষ ৷ আপনার নিকট যখন বিবরণ দিতে পেয়েছি তখন অন্যের নিকট পারব না কেনঃ’
যিয়াদ সবার সম্মুখে র্দাড়ালেন এবং যুদ্ধের বর্ণনা দিলেন ৷ তিনি অত্যন্ত বিশুদ্ধ ও শ্রুতিমধুর
ভাষায় নিহতের সংখ্যা, গনীমতের মালামালের পরিমাণসহ পুরো বৃত্তান্ত পেশ করলেন ৷ তখন
হযরত উমর (রা) বলেন, নিশ্চয়ই- এই লোক বিশুদ্ধ ভাষী ব্যক্তি ৷ তখন যিয়াদ বললেন,
আমাদের সৈন্যগণ বিজয় লাভের মাধ্যমে আমাদের জিহ্বা মুক্ত করে দিয়েছে ৷ সাহসের সাথে
কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে ৷ এরপর খলীফা উমর (রা) কসম করে বললেন যে, এই
মালামাল যেন বণ্টনের পুর্বে কেউ গৃহে না ঢোকে ৷


يَشْعُرُوا بِذَلِكَ، لَوْلَا مُنَادِيهِ يُنَادِي: أَيْنَ أَيُّهَا الْمُسْلِمُونَ! هَذَا أَمِيرُكُمْ عَلَى بَابِ خَنْدَقِهِمْ. فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ الْمَجُوسُ فَرُّوا، وَحَمَلَ الْمُسْلِمُونَ نَحْوَ الْقَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو، فَإِذَا هُوَ عَلَى بَابِ الْخَنْدَقِ قَدْ مَلَكَهُ عَلَيْهِمْ، وَهَرَبَتِ الْفُرْسُ كُلَّ مَهْرَبٍ، وَأَخَذَهُمُ الْمُسْلِمُونَ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ، وَقَعَدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ، فَقُتِلَ مِنْهُمْ فِي ذَلِكَ الْمَوْقِفِ مِائَةُ أَلْفٍ، حَتَّى جَلَّلُوا وَجْهَ الْأَرْضِ بِالْقَتْلَى، فَلِذَلِكَ سُمِّيَتْ جَلُولَاءَ. وَغَنِمُوا مِنَ الْأَمْوَالِ وَالسِّلَاحِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ قَرِيبًا مِمَّا غَنِمُوا مِنَ الْمَدَائِنِ قَبْلَهَا وَبَعَثَ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ الْقَعْقَاعَ بْنَ عَمْرٍو فِي إِثْرِ مَنِ انْهَزَمَ مِنْهُمْ وَرَاءَ كِسْرَى، فَسَاقَ خَلْفَهُمْ حَتَّى أَدْرَكَ مِهْرَانَ مُنْهَزِمًا، فَقَتَلَهُ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو، وَأَفْلَتَهُمُ الْفَيْرُزَانُ فَاسْتَمَرَّ مُنْهَزِمًا، وَأَسَرَ سَبَايَا كَثِيرَةً بَعَثَ بِهَا إِلَى هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ، وَغَنِمُوا دَوَابَّ كَثِيرَةً جِدًّا. ثُمَّ بَعَثَ هَاشِمٌ بِالْغَنَائِمِ وَالْأَمْوَالِ إِلَى عَمِّهِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، فَنَفَلَ سَعْدٌ ذَوِي النَّجْدَةِ، ثُمَّ أَمَرَ بِقَسْمِ ذَلِكَ عَلَى الْغَانِمِينَ. قَالَ الشَّعْبِيُّ: كَانَ الْمَالُ الْمُتَحَصَّلُ مِنْ وَقْعَةِ جَلُولَاءَ ثَلَاثِينَ أَلْفَ أَلْفٍ، وَكَانَ خُمُسُهُ سِتَّةَ آلَافِ أَلْفٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ الَّذِي أَصَابَ كُلُّ فَارِسٍ يَوْمَ جَلُولَاءَ نَظِيرَ مَا حَصَلَ لَهُ يَوْمَ الْمَدَائِنِ. يَعْنِي اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا لِكُلِّ فَارِسٍ. وَقِيلَ: أَصَابَ كُلُّ فَارِسٍ تِسْعَةَ آلَافٍ وَتِسْعَ دَوَابٍّ.
পৃষ্ঠা - ৫৫১৯


বন্তুত আবদুল্লাহ ইবন আরকাম ও আবদুর রহমান ইবন আওফ সারারাত মসজিদের মধ্যে
ওই মালামাল পাহারায় রেখেছেন ৷ ভোরে ফজরের নামাষের পর এবং সুর্যোদয়ের পরে খলীফা
উমর (রা) লোকজন নিয়ে ওই মালামালের নিকট আসেন ৷ তার নির্দেশে ওগুলোর পর্দা সরিয়ে
ফেলা হয় ৷ মহামুল্যবান, ইয়াকুত, যবরজাদ, (চুনী পান্না, গোমেদ) হলুদ সোনা ও শ্বেতরুপা
দেখে হযরত উমর (রা) কেদে ফেলালন ৷ হযরত আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা) বললেন,
আমীরুল যু’মিনীন! বগদছেন কেনঃ এটাভাে গােকরগুজারী করার স্থান ও পরিবেশ ৷ হযরত
উমর (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম ৷ আমি তো সেজন্যে কাদছি না ৷ আমি র্কাদছি এজন্যে যে,
আল্লাহ তাআলা যে সম্প্রদায়কে এই বিলাস-ব্যসন দিয়েছেন সেই সম্প্রদায় নিজেদের মধ্যে
হিং সা বিদ্বেষে লিপ্ত হয়েছে ৷ আর যাদের মধ্যে হিংসা জন্মেছে তারা পরস্পর যুদ্ধ-কািহে৫ লিপ্ত
হয়ে গিয়েছে ৷ এরপর তিনি এ মালামাল বণ্টন করে দিয়েছেন যেমন বন্টন করেছিলেন
কাদোসয়া যুদ্ধে অজিতি মালামাল ৷

সায়ফ ইবন উমর তার শায়খের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, জালুলার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ১৬
হিজরী সনের যুলকদাে মাসে ৷ মাদাইনের যুদ্ধ ও জালুলার যুদ্ধে ব্যবধান ছিল ৯ মাসের ৷ সায়ফ
থেকে বর্ণিত এই বর্ণনায় জমি ও জমির খাজনা সম্পর্ক ইবন জারীর কিছু বিরুপ আলোচনা
করেছেন ৷ এ বিষয়ের আলোচনার উপযুক্ত স্থান হলো “আহকাম বা বিধান” বিষয়ক অধ্যায় ৷

জালুলা যুদ্ধ সম্পর্কে হাশিম ইবন উতবা নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছেন :
জালুলার যুদ্ধ , রুস্তমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং কুফা বিজয়ের যুদ্ধ ৷
ষ্ণ্১ইএ হ্ৰু>ছুট্র
মুহাররাম মাসের যুদ্ধ এবং এগুলোর মাঝে সংঘটিত যুদ্ধগুলো ৷
এ সবগুলো যুদ্ধ তাে আমার চুলগুলো পাকিয়ে দিয়েছে ৷ সেগুলোতে এখন বার্ধক্য ৷
সেগুলো যেন ইহরাম শরীফের ছুপ্যম ঘাস ৷
এ প্রসঙ্গে আবু নুজায়দ বলেন :
জালুলার প্রচণ্ড যুদ্ধে আমাদের ভৈসনর৷ শত্রুপক্ষেৰ সৈন্যদের উপর আক্রমণ করেছে জংলী
সিংহের ন্যায় ৷
চুৰুৰু১ট্রুর
আমাদের সৈন্যরা ঐক্যবদ্ধ পারসিক সৈন্যদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে ৷ তারপর পানিতে
মিশিয়ে দিয়েছে ৷ ওই নাপাক অগ্নি উপাসক লাশ ও দেহগুলোর জন্যে ধ্বংস ও ব্যর্থত৷ ৷

র্দ্র ! ৷ ৷



وَكَانَ الَّذِي وَلِيَ قَسْمَ ذَلِكَ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَتَحْصِيلَهُ سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. ثُمَّ بَعَثَ سَعْدٌ بِالْأَخْمَاسِ مِنَ الْمَالِ وَالرَّقِيقِ وَالدَّوَابِّ مَعَ زِيَادِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَقُضَاعِيِّ بْنِ عَمْرٍو، وَأَبِي مُفَزِّرٍ الْأَسْوَدِ. فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ سَأَلَ عُمَرُ زِيَادَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ كَيْفِيَّةِ الْوَقْعَةِ، فَذَكَرَهَا لَهُ، وَكَانَ زِيَادٌ فَصِيحًا، فَأَعْجَبَ إِيرَادُهُ لَهَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَأَحَبَّ أَنْ يَسْمَعَ الْمُسْلِمُونَ مِنْهُ ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ: أَتَسْتَطِيعُ أَنْ تَخْطُبَ النَّاسَ بِمَا أَخْبَرْتَنِي بِهِ؟ قَالَ: نَعَمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ أَهِيبَ عِنْدِي مِنْكَ، فَكَيْفَ لَا أَقْوَى عَلَى هَذَا مَعَ غَيْرِكَ؟ فَقَامَ فِي النَّاسِ فَقَصَّ عَلَيْهِمْ خَبَرَ الْوَقْعَةِ، وَكَمْ قَتَلُوا، وَكَمْ غَنِمُوا، بِعِبَارَةٍ عَظِيمَةٍ بَلِيغَةٍ، فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْخَطِيبُ الْمِصْقَعُ. يَعْنِي الْفَصِيحَ. فَقَالَ زِيَادٌ: إِنَّ جُنْدَنَا أَطْلَقُوا بِالْفِعَالِ لِسَانَنَا. ثُمَّ حَلَفَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَنْ لَا يُجِنَّ هَذَا الْمَالَ الَّذِي جَاءُوا بِهِ سَقْفٌ حَتَّى يَقْسِمَهُ، فَبَاتَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَرْقَمَ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ يَحْرُسَانِهِ فِي الْمَسْجِدِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ جَاءَ عُمَرُ فِي النَّاسِ، بَعْدَ مَا صَلَّى الْغَدَاةَ وَطَلَعَتِ الشَّمْسُ، فَأَمَرَ فَكَشَفَ عَنْهُ جَلَابِيبَهُ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَى يَاقُوتِهِ وَزَبَرْجَدِهِ وَذَهَبِهِ الْأَصْفَرِ وَفِضَّتِهِ الْبَيْضَاءِ بَكَى عُمَرُ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: مَا يُبْكِيكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَوَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لِمَوْطِنُ شُكْرٍ. فَقَالَ عُمَرُ: وَاللَّهِ مَا ذَاكَ يُبْكِينِي، وَتَاللَّهَ مَا أَعْطَى اللَّهُ هَذَا قَوْمًا إِلَّا تَحَاسَدُوا وَتَبَاغَضُوا، وَلَا تَحَاسَدُوا إِلَّا أُلْقِيَ بَأْسُهُمْ بَيْنَهُمْ. ثُمَّ قَسَمَهُ كَمَا قَسَمَ أَمْوَالَ الْقَادِسِيَّةِ.
পৃষ্ঠা - ৫৫২০
وَرَوَى سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ شُيُوخِهِ أَنَّهُمْ قَالُوا: وَكَانَ فَتْحُ جَلُولَاءَ فِي ذِي الْقِعْدَةِ مِنْ سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ، وَكَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ فَتْحِ الْمَدَائِنِ تِسْعَةُ أَشْهُرٍ. وَقَدْ تَكَلَّمَ ابْنُ جَرِيرٍ هَاهُنَا فِيمَا رَوَاهُ عَنْ سَيْفٍ، عَلَى مَا يَتَعَلَّقُ بِأَرْضِ السَّوَادِ وَخَرَاجِهَا، وَمَوْضِعُ تَحْرِيرِ ذَلِكَ كِتَابُ " الْأَحْكَامِ ". وَقَدْ قَالَ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ فِي يَوْمِ جَلُولَاءَ: يَوْمُ جَلُولَاءَ وَيَوْمُ رُسْتُمْ ... وَيَوْمُ زَحْفِ الْكُوفَةِ الْمُقَدَّمْ وَيَوْمُ عَرْضِ النَّهْرِ الْمُحَرَّمْ ... وَأَيَّامٌ خَلَتْ مِنْ شَهْرٍ صُرَّمْ شَيَّبْنَ أَصْدُغِي فَهُنَّ هُرَّمْ ... مِثْلُ ثُغَامِ الْبَلَدِ الْمُحَرَّمْ وَقَالَ أَبُو بُجَيْدٍ فِي ذَلِكَ: