আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس عشرة

وقعة بهرسير

وقعة بهرسير

পৃষ্ঠা - ৫৪৯৫


নিয়ে ব্যবিলনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ ব্যবিলনের প্রবেশমুখে পারসিক সেনাপতি ফীরুযান
মুসলমানদেরকে বাধা দেয় ৷ উভয় পক্ষে যুদ্ধ হয় ৷ এক নিযিষেই মুসলমানপণ পরাজিত করে
দেয় পারসিকদেরকে ৷ তারা দৃড়াগে বিভক্ত হয়ে পালিয়ে যায় ৷ একদ্যা চলে যায় মাদাইনের
দিকে, আরেকদল পালিয়ে যায় নিহাওয়ান্দের দিকে ৷ হযরত সাদ কয়েকদিন ব্যৰিলান অবস্থান
করেন ৷ এরপর সেখান থেকে মাদাইনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ অপর একদল পারসিক সৈন্য
তার গতিরোধ করে ৷ সেখানে ভীষণ যুদ্ধ হয় ৷ ওরা নিজেদের সেনাপতি শাহরিয়ারকে মাঠে
পাঠায় ৷ সে তার সাথে যুদ্ধের আহ্বান জানায় ৷

বনী তামীমের জনৈক সাহসী মুসলিম ব্যক্তি আবু নাবাতা নাইল আরাব্জী শাহরিয়ারের
সাথে যুদ্ধ করার জন্যে বের হন ৷ কিছু সময় উভয়ে তীর নিক্ষেপ করে ৷ তারপর তীর ফেলে
দিয়ে তরবারি পরিচালনা করে ৷ এরপর একেবারে মুখোমুখি হয়ে যায় এবং দু’জনেই ঘোড়া
থেকে নিচে পড়ে যায় ৷ শাহরিয়ার পড়ে আবু নাবাতা-এর বুকের উপর ৷ সে আবু নাৰাতাকে
জবাই করার জন্যে একটি খঞ্জর বের করে ৷ হঠাৎ তার হাতের আঙ্গুল ঢুকে যায় আবু
নাবাতা-এর মুখের মধ্যে ৷ তিনি প্রচণ্ড শক্তিতে ওইআঙ্গুল কামড়ে ধরেন ৷ শাহরিয়ার লক্ষ্যভ্রষ্ট
হয় ৷ নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে ৷ কৌশলে আবু নাবাতা খঞ্জরটি হাতে নেন এবং ওই
খঞ্জর দিয়েই শাহরিয়ারকে জবাই করে দেন ৷ তিনি তার ঘোড়া, বাজুবন্দ ও অন্ত্রশস্ত্র হস্তগত
করেন ৷ শাহরিয়ারের করুণ মৃত্যু দেখে তার সৈনিকগণ পালিয়ে যায় ৷ সেনাপতি সাদ আবু
নাবাতাকে কসম দিয়ে বলেছেন যেন যুদ্ধের সময় তিনি শাহরিয়ারের অস্ত্রশস্ত্র ও বাজুবন্দ
পরিধান করেন এবং তার ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধের ময়দানে যান ৷ বাস্তবিকই আবু নাবাতা তাই
করতেন ৷

ঐতিহাসিকগণ বলেন, তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইরাকে সর্বপ্রথম বাজুরন্দ পরিধান করেন ৷
এই যুদ্ধ হয়েছিল কুহী নামক স্থানে ৷ র্তারা সেই স্থান পরিদর্শন করেন যেখানে হযরত ইব্রাহীম
(আ)-কে আটক রাখা হয়েছিল ৷ র্তারা ইব্রাহীম (আ) ও অন্য নবীগণের প্রতি দরুদ পাঠ
করেন ৷ আর এই আয়াত তিলাওয়াত মানুষের
মধ্যে আমি এই দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আবর্তন যটইি ৷ (সুরা-৩,আলে ইমরান : ১৪ছু১)

নাহারশীরের১ যুদ্ধ

সেনাপতি সাদ ইবন আৰী ওয়াক্কাস (বা) যুহরাকে প্রেরণ করলেন সম্মুখ পানে
নাহারশীরের উদ্দেশ্যে ৷ তিনি সম্মুখে অগ্নসর হলেন ৷ সাবাত পৌছার পর পারসিক সেনাপতি
শীরযায তার সাথে সন্ধির প্রভাব নিয়ে সাক্ষাত করে এই শর্তে যে, তারা জিয্য়া কর প্রদান

করবে ৷ যুহরা প্রস্তাবটি প্রধান সেনাপতি সাদ (রা)-এর নিকট পাঠালেন ৷ হযরত সাদ (বা) তা
মঞ্জুর করলেন ৷ হযরত সঙ্গে তার বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হলেন ৷ তিনি মাযলামই সাবাত নামে
এক জায়গায় গিয়ে পৌছলেন ৷ তিনি সেখানে একটি বিশাল পারসিক বাহিনীর খোজ পেলেন ৷
ওরা ওই বাহিনীর নাম ব্লেখেছিল বুরান’ ৷ ওরা প্রতিদিন কসম করত যে, আমরা যতদিন বেচে
আছি ততদিন পারসিক সাম্রাজ্যের যেন পতন না ঘটে ৷ ওদের সাথে পারসিক সম্রাটের পাঠানেমু



১ আরবীতে স্থানটির নাম ৰাহার সীর বলে উল্লেখ রয়েছে ৷


لِأَيَّامٍ بَقِينَ مِنْ شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَنَزَلُوا الْكُوفَةَ، وَارْتَحَلَ زُهْرَةُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ نَحْوَ الْمَدَائِنِ، فَلَقِيَهُ بِهَا بُصْبُهْرَى فِي جَيْشٍ مِنْ فَارِسَ، فَهَزَمَهُمْ زُهْرَةُ، وَذَهَبَتِ الْفُرْسُ فِي هَزِيمَتِهِمْ إِلَى بَابِلَ، وَبِهَا جَمْعٌ كَثِيرٌ مِمَّنِ انْهَزَمَ يَوْمَ الْقَادِسِيَّةِ، قَدْ جَعَلُوا عَلَيْهِمُ الْفَيْرُزَانَ، فَبَعَثَ زُهْرَةُ إِلَى سَعْدٍ، فَأَعْلَمَهُ بِاجْتِمَاعِ الْمُنْهَزِمِينَ بِبَابِلَ، فَسَارَ سَعْدٌ بِالْجُيُوشِ إِلَى بَابِلَ، فَتَقَابَلَ هُوَ وَالْفَيْرُزَانُ عِنْدَ بَابِلَ فَهَزَمَهُمْ كَأَسْرَعِ مِنْ لَفَّةِ الرِّدَاءِ، وَانْهَزَمُوا بَيْنَ يَدَيْهِ فِرْقَتَيْنِ، فَفِرْقَةٌ ذَهَبَتْ إِلَى الْمَدَائِنِ، وَأُخْرَى سَارَتْ إِلَى نَهَاوَنْدَ، وَأَقَامَ سَعْدٌ بِبَابِلَ أَيَّامًا، ثُمَّ سَارَ مِنْهَا نَحْوَ الْمَدَائِنِ فَلَقُوا جَمْعًا آخَرَ مِنَ الْفُرْسِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا وَبَارَزُوا أَمِيرَ الْفُرْسِ، وَهُوَ شَهْرِيَارُ، فَبَرَزَ إِلَيْهِ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يُقَالُ لَهُ: نَايِلٌ الْأَعْرَجِيُّ أَبُو نُبَاتَةَ مِنْ شُجْعَانِ بَنِي تَمِيمٍ فَتَجَاوَلَا سَاعَةً بِالرِّمَاحِ، ثُمَّ أَلْقَيَاهَا فَانْتَضَيَا سَيْفَيْهِمَا وَتَصَاوَلَا بِهِمَا، ثُمَّ تَعَانَقَا وَسَقَطَا عَنْ فَرَسَيْهِمَا إِلَى الْأَرْضِ، فَوَقَعَ شَهْرِيَارُ عَلَى صَدْرِ أَبِي نُبَاتَةَ، وَأَخْرَجَ خِنْجَرًا لِيَذْبَحَهُ بِهَا، فَوَقَعَتْ أُصْبُعُهُ فِي فَمِ أَبِي نُبَاتَةَ فَقَضَمَهَا حَتَّى شَغَلَهُ عَنْ نَفْسِهِ، وَأَخَذَ الْخِنْجَرَ فَذَبَحَ شَهْرِيَارَ بِهَا وَأَخَذَ فَرَسَهُ وَسِوَارَيْهِ وَسَلَبَهُ، وَانْكَشَفَ أَصْحَابُهُ فَهُزِمُوا، فَأَقْسَمَ سَعْدٌ عَلَى نَايِلٍ لَيَلْبَسُ سِوَارَيْ شَهْرِيَارَ وَسِلَاحَهُ، وَلَيَرْكَبَنَّ فَرَسَهُ إِذَا كَانَ حَرْبٌ، فَكَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ، قَالُوا: وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ تَسَوَّرَ بِالْعِرَاقِ. وَذَلِكَ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ كُوثَى. وَزَارَ الْمَكَانَ الَّذِي حُبِسَ فِيهِ الْخَلِيلُ، وَصَلَّى عَلَيْهِ وَعَلَى سَائِرِ الْأَنْبِيَاءِ، وَقَرَأَ: {وَتِلْكَ الْأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ} [آل عمران: 140] الْآيَةَ [آلِ عِمْرَانَ: 140] . [وَقْعَةُ بَهُرَسِيرَ] قَالُوا: ثُمَّ قَدَّمَ سَعْدٌ زُهْرَةَ بَيْنَ يَدَيْهِ مِنْ كُوثَى إِلَى بَهُرَسِيرَ، فَمَضَى إِلَى
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৬


একটি বিরাট সিংহ ছিল ৷ সিংহটির নাম ছিল ঘুকাররিত ৷ সেটিকে তারা মুসলমানদের চলাচল
পথে বেধে রেখেছিল ৷ হযরত সাদের ভ্যতিজা ওই সিংহটির উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ তার
তাতিজার নাম ছিল হাশিম ইবন উতবা ৷ এই যুদ্ধে তিনি গিয়ে সিংহটিকে হত্যা করে ফেলেন ৷
সবাই তাকিয়ে দেখছিল ৷ সেদিন থেকে তীর তরবারির নাম রাখা হয় মাভীন’ ৷ সেদিন
সেনাপতি সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা) হাশিমের মাথা চুম্বন করেছিলেন ৷ আর হাথিং
সাদের কদমবৃসি করেছিলেন-পায়ে চুমু থেয়েছিলেন ৷ হাশিম পারসিকদের উপর বীর বিক্রমে
আক্রমণ পরিচালনা করেন ৷ তিনি তাদেরকে পেছনে সরিয়ে দেন, পরাস্ত করেন ৷

তিনি মহান আল্লাহর এই রাণী তিলাওয়াত করছিলেন-

তোমরা কি পুর্বে শপথ করে বলতে না যে, তোমাদের পতন নেইঃ (সুরা ১ : , ইবৃরইৰুদ্
৪ ৪৪) ৷ রাতের বেলা মুসলমানগণ ওখান থেকে যাত্রা করেন এবং নাহারশীর’ অঞ্চলে অবতরণ
করে র্তাবু স্থাপন করেন ৷ র্তারা যখনই কোন স্থানে যাত্রাবিরতি করতেন তখনই তহ্মহী
বলতেন ৷ এভাবে র্তারা হযরত সাদের সাথে মিলিত হন ৷ তারা সেখানে দৃমাস অরস্থন্
করেছিলেন ৷ তৃতীয় মাসও শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ ১৫ হিজরী সালও তখন শেষ ৷

ইবন জারীর (র) বলেছেন যে, এই সালে অর্থাৎ ১৫ হিজরী সালে হযরত উমর (রা
আমীরুল হাজ্জ হয়ে জনসাধারণকে সাথে নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন ৷ ওই সময়টুকুক্রুত মক্কর
শাসনকর্তা ছিলেন আত্তাব ইবন আসীদ, সিরিয়ার শাসনকর্তা ছিলেন আবু উবায়দা কুৰু :-
ইরাকে ছিলেন হযরত সাদ (রা), তায়েফে ছিলেন ইয়ালাহ্ ইবন উমাইয়া, বাহরাহুন :
ইয়ামামাতে উসমান ইবন আবীল অড়াস, ওমানে হুযায়ফা ইবন মুহসিন ৷

আমি বলি ইয়ারমুকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৫ হিজরী সালের রজব মাসে ৰু এই
অভিমত পেশ করেন লায়ছ ইবন সাদ, ইবন লাহ্য়াআ, আবু মাশার, ওয়ালীদ ইবন মুসলিম
ইয়াষীদ ইবন উবড়ায়দা, খলীফা ইবন থায়য়াত, ইবন কালবী, মুহাম্মদ ইবন অড়াইয ইবন
অহ্বসাকির এবং আমাদের শায়খ হাফিজ আবু আবদুল্লাহ যাহাবী ৷ অন্যদিকে সায়ফ ইবন উর
আবু জাফর ই ন জারীর উল্লেখ করেছেন যে, ইয়ারমুকের যুদ্ধ হয়েছিল ১৩ হিজরী সনে ৷ ইবন
জারীরের অনুসরণে আমরা ১৩ হিজরীর ঘটনায় ইয়ারমুকের যুদ্ধ আলোচনা করেছি ৷ অনুরুপ
কহুদেসিয়া যুদ্ধ সম্পর্কে কেউ কেউ বলেছেন যে, এটি ১৫ হিজরী সনের শেষ দিকে সষ্ঘর্টিভ্র
হয়েছে ৷ আমাদের শায়খ হাফিজ যাহাবী সেই অভিমত গ্রহণ করেছেন ৷ প্রসিদ্ধ অভিন্ডে হলে
ৰ্ৰদেসিয়া যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ১৪ হিজরী সনে ৷ ইতিপুর্বে আমরা তা আলোচনা করেছি ৷


১৫ হিজরী সনে যীরা ইনতিকাল করেন
আরবী অক্ষরের ক্রমানুসারে তাদের তালিকা ও
১ সাদ ইবন উবাদা আনসারী খাযরাজী (রা) ৷ র্তার এই সনে মৃত্যুবরণ করা সন্ষ্প্র্ক
জ্ঞে ইতিহড়াসবিদের বক্তব্য ইতিপুর্বে আমরা আলোচনা করেছি ৷
২ মাস ইবন উবায়দ আবু যায়দ আনসারী আওসী (রা) ৷ তিনি কাদেসিয়ার যুদ্ধে শহীদ

প্স্ fl! ষ্ষ্ষ্

হন ৷ কেউ বলেছেন, তিনি আবু যায়দ কারী ৷ রাসুলুল্লাহ্ ন্ণু;ণ্ড্রএর যুগে যে চারজন পুর্ণ কুরভ্রন
ষ্


الْمُقَدِّمَةِ، وَقَدْ تَلَقَّاهُ شِيرْزَاذُ إِلَى سَابَاطَ بِالصُّلْحِ وَالْجِزْيَةِ، فَبَعَثَهُ إِلَى سَعْدٍ فَأَمْضَاهُ، وَوَصَلَ سَعْدٌ بِالْجُنُودِ إِلَى مَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: مُظْلِمُ سَابَاطَ، فَوَجَدُوا هُنَالِكَ كَتَائِبَ كَثِيرَةً لِكِسْرَى يُسَمُّونَهَا بُورَانَ، وَهُمْ يُقْسِمُونَ كُلَّ يَوْمٍ: لَا يَزُولُ مُلْكُ فَارِسَ مَا عِشْنَا. وَمَعَهُمْ أَسَدٌ كَبِيرٌ لِكِسْرَى يُقَالُ لَهُ: الْمُقَرَّطُ. قَدْ أَرْصَدُوهُ فِي طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ ابْنُ أَخِي سَعْدٍ، وَهُوَ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ، فَقَتَلَ الْأَسَدَ وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ، وَسُمِّيَ يَوْمَئِذٍ سَيْفُهُ الْمَتِينَ، وَقَبَّلَ سَعْدٌ يَوْمَئِذٍ رَأَسَ هَاشِمٍ، وَقَبَّلَ هَاشِمٌ قَدَمَ سَعْدٍ، وَحَمَلَ هَاشِمٌ عَلَى الْفُرْسِ، فَأَزَالَهُمْ عَنْ أَمَاكِنِهِمْ وَهَزَمَهُمْ وَهُوَ يَتْلُو قَوْلَهُ تَعَالَى: {أَوَلَمْ تَكُونُوا أَقْسَمْتُمْ مِنْ قَبْلُ مَا لَكُمْ مِنْ زَوَالٍ} [إبراهيم: 44] . فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ ارْتَحَلَ الْمُسْلِمُونَ وَنَزَلُوا بَهُرَسِيرَ، فَجَعَلُوا كُلَّمَا وَقَفُوا كَبَّرُوا، وَكَذَلِكَ حَتَّى كَانَ آخِرُهُمْ مَعَ سَعْدٍ، فَأَقَامُوا بِهَا شَهْرَيْنِ، وَدَخَلُوا فِي الثَّالِثِ وَفَرَغَتِ السَّنَةُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ عُمَرُ، وَكَانَ عَامِلَهُ فِيهَا عَلَى مَكَّةَ عَتَّابُ بْنُ أَسِيدٍ، وَعَلَى الشَّامِ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَعَلَى الْكُوفَةِ وَالْعِرَاقِ سَعْدٌ، وَعَلَى الطَّائِفِ يَعْلَى بْنُ أُمَيَّةَ، وَعَلَى الْبَحْرَيْنِ وَالْيَمَامَةِ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، وَعَلَى عُمَانَ حُذَيْفَةُ بْنُ مِحْصَنٍ. قُلْتُ: وَكَانَتْ وَقْعَةُ الْيَرْمُوكِ فِي سَنَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ فِي رَجَبٍ مِنْهَا، عِنْدَ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَابْنِ لَهِيعَةَ وَأَبِي مَعْشَرٍ وَالْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ وَيَزِيدَ بْنِ عُبَيْدَةَ وَخَلِيفَةَ بْنِ خَيَّاطٍ وَابْنِ الْكَلْبِيِّ وَمُحَمَّدِ بْنِ عَائِذٍ وَابْنِ عَسَاكِرَ وَشَيْخِنَا أَبِي عَبْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৭
الذَّهَبِيِّ الْحَافِظِ. وَأَمَّا سَيْفُ بْنُ عُمَرَ وَأَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ، فَذَكَرُوا وَقْعَةَ الْيَرْمُوكِ فِي سَنَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، وَقَدْ قَدَّمْنَا ذِكْرَهَا هُنَالِكَ تَبَعًا لِابْنِ جَرِيرٍ. وَهَكَذَا وَقْعَةُ الْقَادِسِيَّةِ عِنْدَ بَعْضِ الْحُفَّاظِ أَنَّهَا كَانَتْ فِي أَوَاخِرِ هَذِهِ السَّنَةِ سَنَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ، وَتَبِعَهُمْ فِي ذَلِكَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ الذَّهَبِيُّ، وَالْمَشْهُورُ أَنَّهَا كَانَتْ فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ كَمَا تَقَدَّمَ. ثُمَّ ذَكَرَ شَيْخُنَا الذَّهَبِيُّ مَنْ تُوُفِّيَ هَذِهِ السَّنَةَ مُرَتَّبِينَ عَلَى الْحُرُوفِ. سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ، وَهُوَ أَحَدُ أَقْوَالِ الْمُؤَرِّخِينَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ. سَعْدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ النُّعْمَانِ أَبُو زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ، قُتِلَ بِالْقَادِسِيَّةِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَبُو زَيْدٍ الْقَارِيُّ. أَحَدُ الْأَرْبَعَةِ الَّذِينَ جَمَعُوا الْقُرْآنَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْكَرَ آخَرُونَ ذَلِكَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ وَالِدُ عُمَيْرِ بْنِ سَعْدٍ الزَّاهِدِ أَمِيرِ حِمْصَ. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَفَاتَهُ بِالْقَادِسِيَّةِ وَقَالَ: كَانَتْ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. سُهَيْلُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ وُدِّ بْنِ نَصْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ حِسْلِ بْنِ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، أَبُو يَزِيدَ الْعَامِرِيُّ، أَحَدُ خُطَبَاءِ قُرَيْشٍ وَأَشْرَافِهِمْ، أَسْلَمَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৮


সংরক্ষণ করেছিলেন র্তাদের একজন ৷ অন্যরা তা অস্বীকার করােছা ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে,
তিনি হিমৃস-এর শাসনকর্তা, উমায়র-এর পিতা ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ উল্লেখ করেছেন যে, তার
মৃত্যু হয়েছিল কাদেসিয়া যুদ্ধে ৷ তিনি এও বলেছেন যে, কাদেসিয়ার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৬
হিজরী সনে ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷

৩ সৃহড়ায়ল ইবন আমর ইবন আব্দ শামৃস ইবন আবৃদ উদ্ ইবন নাসর ইবন হাসাল ইবন
আমির ইবন লুওয়াই, আবু যায়দ অড়ামিরী (রা) ৷ তিনি কুরায়শ বংশের সুপ্রসিদ্ধ বক্তা ও সব্রাম্ভ
ব্যক্তি ৷ মক্কা বিজয়ের দিবসে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ ইসলামের বিধি-বিধান পালন করেছেন
সুন্দরভাবে ৷ তিনি অত্যন্ত রুচিশীল, দানবীর, বিশুদ্ধভাষী এবং নামায, বোযা, সাদাকা, কুরআন
তিলাওয়াত ও আল্লাহ্র ভয়ে প্রচুর ক্রন্দনকারী ছিলেন ৷ বলা হয়ে থাকে যে, তিনি এত বেশি
নামায-বোমা করতেন যে তার দেহের রং পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল ৷ হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পাদনে
র্তার সক্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ভুমিকা ছিল ৷ ৱাসুলুল্লাহ্মোঃ এর ইনতিকালের পর তিনি মক্কায়
এমন একটি ওজম্বী ও গুরুত্বপুর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন যা লোকজনকে ইসলামের উপর সুদৃঢ়
থাকতে সাহায্য করেছিল ৷ এ উপলক্ষে তার ভাষণ মদীনাতে দেয়া হযরত আবু বকর (রা)-এর
ভাষণের সমপর্ষায়ের ছিল ৷ এরপর তিনি যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে একদল মৃজাহিদের সাথে সিরিয়া
অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ তিনি ইয়ারঘুকের যুদ্ধে অংশ নেন ৷ একটি সেনা ডিভিশনের তিনি
দায়িত্বশীল ছিলেন ৷ কথিত আছে যে, তিনি ওই যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷ ঐতিহাসিক ওয়াকিদী ও
শাফিঈ (র) বলেন, তিনি প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে আমওয়াসে ইনতিকদ্বল করেন ৷

৪ আমির ইবন মালিক ইবন উহায়ব যুহরী (র) ৷ তিনি সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস
(রা)-এর তাই ৷ তিনি আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন ৷ তিনিই আবু উৰায়দা (রা)-এর
সেনাপতি নিয়োগ ও হযরত খালিদের অপসারণ বিষয়ক খলীফা উমর (রা)-এর চিঠিটি আবু
উবায়দা (রা) এর নিকট নিয়ে এসেছিলেন ৷ ইয়ারমুকের যুদ্ধে তিনি শহীদ হন ৷

৫ আবদুল্লাহ্ ইবন সুফয়ান ইবন আবদুল আসাদ মাখযুমী (বা) ৷ প্ৰথা৷ত সাহাবী ৷ র্তার
চাচা আবু সালামা ইবন আবদুল আমাদের সাথে আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন ৷ আমর
ইবন দীনার তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ম্নকাতি’ বা সনদ বিচ্ছিন্ন পদ্ধতিতে ৷ কারণ
তিনি ইয়ারমৃকের যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন ৷

৬ আবদুর রহমান ইবন আওয়াম (রা) ৷ যুবায়র ইবন আওয়াম (রা)-এর ভাই ৷ মুশরিক
অবস্থায় বদরের যুদ্ধে উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ তারপর ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এক বর্ণনা অনুযায়ী
ইয়ারমুকের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷

৭ উতবা ইবন গাযওয়ান (রা) ৷ এক বর্ণনা অনুযায়ী তিনি ইয়ারঘুকের যুদ্ধে শহীদ হন ৷

৮ ইকরিমা ইবন আবী জাহ্ল , (রা) ৷ এক বর্ণনা অনুযায়ী ইয়ারমুকের যুদ্ধে শহীদ হন ৷

৯ আমর ইবন উম্মি মড়াকতুম (রা) ৷ কাদেসিয়ার যুদ্ধে শহীদ হন ৷ ইতিপুর্বে তার বিষয়ে
আলোচনা হয়েছে ৷ কেউ বলেছেন যে, তিনি মদীনায় ফিরে এসেছিলেন ৷

১ : আমর ইবন তােফায়ল ইবন আমর ৷ ইতিপুর্বে তীর বিষয়ে আংলাচনা হয়েছে ৷

১ ১ আমির ইবন আবী রাবিআ ৷ ইতিপুর্বে তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ৷


يَوْمَ الْفَتْحِ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَكَانَ سَمْحًا جَوَّادًا فَصِيحًا، كَثِيرَ الصَّلَاةِ وَالصَّوْمِ وَالصَّدَقَةِ وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَالْبُكَاءِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ قَامَ وَصَامَ حَتَّى شَحَبَ لَوْنُهُ. وَلَهُ سَعْيٌ مَشْكُورٌ فِي صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ، وَلَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ النَّاسَ بِمَكَّةَ خُطْبَةً عَظِيمَةً تُثَبِّتُ النَّاسَ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَكَانَتْ خُطْبَتُهُ بِمَكَّةَ قَرِيبًا مِنْ خُطْبَةِ الصِّدِّيقِ بِالْمَدِينَةِ، ثُمَّ خَرَجَ فِي جَمَاعَةٍ إِلَى الشَّامِ مُجَاهِدًا، فَحَضَرَ الْيَرْمُوكَ وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى بَعْضِ الْكَرَادِيسِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ اسْتُشْهِدَ يَوْمَئِذٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَالشَّافِعِيُّ: تُوفِّيَ بِطَاعُونِ عَمَوَاسَ. عَامِرُ بْنُ مَالِكِ بْنِ أُهَيْبٍ الزُّهْرِيُّ، أَخُو سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، هَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَهُوَ الَّذِي قَدِمَ بِكِتَابِ عُمَرَ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ بِوِلَايَتِهِ عَلَى الشَّامِ وَعَزْلِ خَالِدٍ عَنْهَا، اسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ الْمَخْزُومِيُّ، صَحَابِيٌّ هَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ مَعَ عَمِّهِ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ. رَوَى عَنْهُ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ مُنْقَطِعًا ; لِأَنَّهُ قُتِلَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْعَوَّامِ، أَخُو الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، حَضَرَ بَدْرًا مُشْرِكًا ثُمَّ أَسْلَمَ وَاسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ فِي قَوْلٍ. عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ، تُوُفِّيَ فِيهَا فِي قَوْلٍ. عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ، اسْتُشْهِدَ بِالْيَرْمُوكِ فِي قَوْلٍ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৯


১ ২ কিরাস ইবন নাদর ইবন হারিছ ৷ তিনি ইয়ারমুকের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন বলে কেউ
কেউ মন্তব্য করেছেন ৷

১৩ কায়স ইবন আদী ইবন সা দ ইবন সাহম (রা) ৷ আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন ৷
ইয়ারমুকের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷

১৪ কায়স ইবন আবী সাসাআহ্ ৷

১৫ আমর ইবন যায়দ ইবন আওফ আনসারী মাযানী (বা) ৷ তিনি আকাবার শপথে এবং
বদরের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ ইয়ারমুকের যুদ্ধে সেনাবাহিনীর একটি ডিভিশনের সেনাপতির

দায়িত্ব পালন করেন ৷ ওই দিন তিনি শহীদ হন ৷৩ র্তার বর্ণিত একটি হাদীস এই আমি বাংলায়

ণ্গ্শ্ক্সষ্ম্নে

ইয়া রাসুলাল্লাহষ্ণ্প্শ্ণ্ষ্ ! কয়দিনে আমি কুরআন পাঠ শেষ করব ? বাসুলুল্লাহহ্র:;; বললেন ১৫
দিনে ৷ হাদীস শেষ পর্যম্ভ৷ আমাদের শায়খ আবু আবদুল্লাহ যাহাৰী বলেছেন, তাতে এ কথার
প্রমাণ পাওয়া যায় যে, রাসুলুল্লাহ্ন্ত্নল্লু; এর যুগে হারা পুর্ণ কুরআন সংরক্ষণ করেছিলেন
আলোচ্য আমর ইবন যায়দ র্তাদের একজন ৷

১৬ নাসীর ইবন হারিছ ইবন আলকামা ইবন কালদাহ ইবন আবদ্ মানাফ ইবন আবৃদ দার
ইবন কুসইি কুরায়শী , আবদারী (রা) ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন মক্কা বিজয়ের বছর ৷ তিনি
কুরায়শের জ্ঞানী ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন ৷ হুনায়নের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ছুর্দুদ্বুপ্লুর্তাকে একশটি উট
প্রদান করেছিলেন ৷ তিনি তা গ্রহণ স্থগিত রেখেছিলেন এবং বলেছিলেন, ইসলাম গ্রহণের

ণ্ ঙ্কোষ্ষ্ ৷ষ্

বিনিময়ে আমি ঘুষ সেব না ৷ রাসুলুল্লাহ্ষ্ম্পোষ্ বললেন, আল্লাহর কসম এটি তুমি না চেয়েছ না

৩ গ্যেণ্ষ্
প্ন্নাগ্ নো

দাবি করেছ, এটি বরং রাসুলুল্লাহচ্ত্তু;ড়ু এর তরফ থেকে তোমার জন্যে হাদিয়া ৷ এরপর তিনি
তা গ্রহণ করেন ৷ তীর ইসলামী জীবন উন্নতমানের ছিল ৷ ইয়ারমুকের যুদ্ধে৩ তিনি শহীদ হন ৷

১ ৭ নাওফাল ইবনহ ৷৷রছ ইবন আবদিল মৃত্তালিব (রা) ৷ রাসুলুল্লাহ্গ্লুক্ট্রষ্টু-এর চাচাত তা
আবদুল মুত্তালিবের বংশ ৷ধরদের মধ্যে যারা ইসলাম গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে তিনি বয়ােজ্যেষ্ঠৰু
বদর যুদ্ধের দিন মুসলমানদের হাতে বন্দী কুরায়শীদের মধ্যে তিনি ছিলেন ৷ আব্বাস (রা)
যুক্তিপণ দিয়ে তাকে মুক্ত করে নেন ৷ কথিত আছে যে, তিনি খন্দক যুদ্ধের সময়ে হিজরত করে
মদীনায় গিয়েছিলেনএ বং বহুদায়বিয়ার সন্ধি ও মক্কা বিজয় অভিযানে অংশ নিয়েছেন ৷ হুনায়ন
যুদ্ধে তিন হাজা তীর সরবরাহ করেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ কে সাহায্য করেছেন ৷ সেদিন
তিনি নিজে যুদ্ধ-মবদ ৷ন ছেড়ে ঘাননি ৷ ১৫ হিজরী সনে তার ওফাত হয় ৷ কেউ বলেছেন ২০
হিজরী সনে ৷ আল্লাহ ৷লভ জানেন ৷ তার ওফাত ৩হয় মদীনা শরীফে ৷ খলীফ৷ উমর (বা) তার
জানাযায় ইমামতি করেন এবং তার লাশের সাথে কবরস্থানে যান ৷ জান্নাতুল বাকীতে র্তাকে
দাফন করা হয় ৷ একাধিক যােপ্যও মর্যাদাবান ছেলে মেয়ে তিনি রেখে নিয়েছেন ৷

৮হিশাম ইবন আস (রা) ৷ আমর ইবনুল আসের ভাই ৷ তার সম্পর্কে পুর্বে আলোচনা

হয়েছে ৷ ইবন স৷ দ বলেছেন, ইয়৷ ৷রমুকের ঘুদ্ধে৩ তিনি শহীদ হন ৷


عَمْرُو بْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ، اسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْقَادِسِيَّةِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ، وَيُقَالُ: بَلْ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ. عَمْرُو بْنُ الطُّفَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، تَقَدَّمَ. عَيَّاشُ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ، تَقَدَّمَ. فِرَاسُ بْنُ النَّضْرِ بْنِ الْحَارِثِ، يُقَالُ: اسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. قَيْسُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ سَعْدِ بْنِ سَهْمٍ، مِنْ مُهَاجِرَةِ الْحَبَشَةِ، قُتِلَ بِالْيَرْمُوكِ. قَيْسُ بْنُ أَبِي صَعْصَعَةَ عَمْرِو بْنِ زَيْدِ بْنِ عَوْفٍ الْأَنْصَارِيُّ الْمَازِنِيُّ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ وَبَدْرًا، وَكَانَ أَحَدَ أُمَرَاءِ الْكَرَادِيسِ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ، وَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ، وَلَهُ حَدِيثٌ، قَالَ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فِي كَمْ أَقْرَأُ الْقُرْآنَ؟ قَالَ: " فِي خَمْسَ عَشْرَةَ» . الْحَدِيثَ. قَالَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ: فَفِيهِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ مِمَّنْ جَمَعَ الْقُرْآنَ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. نُضَيْرُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ كَلَدَةَ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ عَبْدِ الدَّارِ بْنِ قُصَيٍّ الْقُرَشِيُّ الْعَبْدَرِيُّ، أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ، وَكَانَ مِنْ عُلَمَاءِ قُرَيْشٍ، وَأَعْطَاهُ رَسُولُ
পৃষ্ঠা - ৫৫০০
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، فَتَوَقَّفَ فِي أَخْذِهَا وَقَالَ: لَا أَرْتَشِي عَلَى الْإِسْلَامِ. ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ مَا طَلَبْتُهَا وَلَا سَأَلْتُهَا، وَهِيَ عَطِيَّةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأَخَذَهَا وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَاسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. نَوْفَلُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ أَسَنَّ مَنْ أَسْلَمَ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَكَانَ مِمَّنْ أُسِرَ يَوْمَ بَدْرٍ، فَفَدَاهُ الْعَبَّاسُ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ هَاجَرَ أَيَّامَ الْخَنْدَقِ، وَشَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ وَالْفَتْحَ، وَأَعَانَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ بِثَلَاثَةِ آلَافِ رُمْحٍ، وَثَبَتَ يَوْمَئِذٍ، وَتُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ، وَقِيلَ: سَنَةَ عِشْرِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. تُوفِي بِالْمَدِينَةِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ عُمَرُ، وَمَشَى فِي جِنَازَتِهِ وَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ، وَخَلَّفَ عِدَّةَ أَوْلَادٍ فُضَلَاءَ وَأَكَابِرَ. هِشَامُ بْنُ الْعَاصِ، أَخُو عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ،، تَقَدَّمَ، وَقَالَ ابْنُ سَعْدٍ: قُتِلَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ.