আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس عشرة

فتح بيت المقدس

পৃষ্ঠা - ৫৪৮৩

হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা)-এর হাতে
বয়েতৃল মুকাদ্দাস বিজয়

আবু জাফর ইবনজারীর উল্লেখ করেছেন যে, এ ঘটনা ঘটেছে ১৫ হিজরী সনে ৷ তিনি
এটি বর্ণনা করেছেন সায়ফ ইবন উমর থেকে ৷ তিনি এবং অন্যরা এ প্রসঙ্গে যা উল্লেখ করেছেন
তার সারমর্য এই যে, সেনাপতি আবু উবায়দা দামেশক অভিযান শেষ করেন ৷ তারপর তিনি
জেরুযালেমের অধিবাসীদেরকে আল্লাহ্র পথে এবং ইসলামের পথে আমার আহ্বান জানিয়ে
পত্র লিখেন ৷ তিনি লিখেন যে, হয় ইসলাম গ্রহণ করবে অথবা জিয্য়া কর প্রদান করবে অথবা
যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হয়ে ৷ তারা তীর আহ্বানে সাড়া দিতে অস্বীকার করে ৷ তিনি তার সেনাদল
নিয়ে ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ দামেশৃকের শাসনভার দিয়ে যান সাঈদ
ইবন যায়দকে ৷ তিনি বায়তৃল মুকাদ্দাস অবরোধ করেন ৷ সেখানে খ্রিস্টানদের জীবন যাত্রা
সংকটময় হয়ে ওঠে ৷ তারপর তারা চুক্তি সম্পাদনে রাজী হয় এই শর্তে যে, স্বয়ং আমীরুল
মৃ’মিনীন খলীফা উমর ইবন খাত্তাব (রা) এসে সন্ধিপত্র সম্পাদন করবেন ৷ সেনাপতি আবু
উবায়দা এই সংবাদ খলীফাকে জানান ৷ খলীফা তার উপদেষ্টাদের সাথে পরামর্শ করেন ৷ এ
প্রসঙ্গে হযরত উসমান বললেন, স্বয়ং খলীফা ওখানে যাওয়ার দরকার নেই ৷ তাহলেই ওরা
চরমভাবে অপমানিত হবে ৷ হযরত আলী (রা) খলীফার যাবার পক্ষে মত প্রকাশ করলেন ৷
তাহলে অবরোধ আরােপকারী মুসলিম সৈন্যদের কষ্ট লাঘব হবে এবং সহজে ওই শহর জয়
করা যাবে ৷ খলীফা উমর (রা) হযরত আলী (রা)-এর পরামর্শ গ্রহণ করলেন ৷ সৈন্য-সামম্ভ
নিয়ে তিনি জেরুযালেমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ মদীনায় শাসনভার দিয়ে গেলেন হযরত
আলী (রা)-এর হাতে ৷ তার আগে আগে যাচ্ছিলেন হযরত আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব ৷

খলীফা সিরিয়া পৌছলে সেনাপতি আবু উবায়দা ও অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সেনাপতিপণ তার
সাথে সাক্ষাত করেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন খালিদ ইবন ওয়ালীদ এবং ইয়াযীদ ইবন আবু
সৃফয়ান ৷ আবু উবায়দা পারে হেটে যাচ্ছিলেন; উমর (রা)ও পায়ে হেটে যাচ্ছিলেন ৷ আবু
উবায়দা (বা) হযরত উমর (রা)-এর হাতে চুমু খেতে চাচ্ছিলেন তখন হযরত উমর (রা) আবু
রৈায়দার কদমবুচি অর্থাৎ পায়ে চুমু খেতে চাইলেন ৷ আবুউৰায়দা (বা) তা দিলেন না ৷ উমর
(ক্স)-ও তীর হাতে চুমু খেতে দিলেন না ৷ খলীফা উমর (রা) সম্মুখে অগ্রসর হয়ে বায়তুল
মুৰ্দ্দোসের খ্রিস্টানদের সাথে সন্ধি চুক্তি সম্পাদন করলেন এবং শর্ত করলেন যে, তিন দিনের
মধ্যে সকল রোমান নাগরিক বায়তৃল মুকাদ্দাস ছেড়ে চলে যাবে ৷ এরপর তিনি বায়তৃল
মুশ্নদ্দাসে প্ৰরেশ করলেন ৷ প্রবেশ করলেন সেই দরজা দিয়ে, মিরাজের রাতে রাসুলুল্পাহ্ল্লী
ণ্ৰ্ন্সে দিয়ে প্রবশে করেছিলেন ৷


عَمْرٌو إِلَى عُمَرَ يَسْتَمِدُّهُ وَيَقُولُ لَهُ: إِنِّي أُعَالِجُ حَرْبًا كَئُودًا صَدُومًا، وَبِلَادًا ادُّخِرَتْ لَكَ، فَرَأْيَكَ. فَلَمَّا وَصَلَ الْكِتَابُ إِلَى عُمَرَ عِلْمَ أَنَّ عَمْرًا لَمْ يَقُلْ ذَلِكَ إِلَّا لِأَمْرٍ عَلِمَهُ، فَعَزَمَ عُمَرُ عَلَى الدُّخُولِ إِلَى الشَّامِ لِفَتْحِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ كَمَا سَنَذْكُرُ تَفْصِيلَهُ. قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ شُيُوخِهِ: وَقَدْ دَخَلَ عُمَرُ الشَّامَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ ; الْأُولَى كَانَ رَاكِبًا فَرَسًا حِينَ فَتَحَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَالثَّانِيَةَ عَلَى بَعِيرٍ، وَالثَّالِثَةَ وَصَلَ إِلَى سَرْعٍ، ثُمَّ رَجَعَ لِأَجْلِ مَا وَقَعَ بِالشَّامِ مِنَ الْوَبَاءِ، وَالرَّابِعَةَ دَخَلَهَا عَلَى حِمَارٍ. هَكَذَا نَقَلَهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْهُ. [فَتْحُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ] ِ عَلَى يَدَيْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. ذَكَرَهُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ رِوَايَةِ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ، وَمُلَخَّصُ مَا ذَكَرَهُ، هُوَ وَغَيْرُهُ، أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ لَمَّا فَرَغَ مِنْ دِمَشْقَ، كَتَبَ إِلَى أَهْلِ إِيلِيَاءَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى الْإِسْلَامِ، أَوْ يَبْذُلُونَ الْجِزْيَةَ أَوْ يُؤْذَنُونَ بِحَرْبٍ. فَأَبَوْا أَنْ يُجِيبُوا إِلَى مَا دَعَاهُمْ إِلَيْهِ. فَرَكِبَ إِلَيْهِمْ فِي جُنُودِهِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى دِمَشْقَ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ، ثُمَّ حَاصَرَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ وَضَيَّقَ عَلَيْهِمْ حَتَّى أَجَابُوا إِلَى الصُّلْحِ بِشَرْطِ أَنْ يَقْدَمَ إِلَيْهِمْ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَبُو عُبَيْدَةَ بِذَلِكَ فَاسْتَشَارَ عُمَرُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ، فَأَشَارَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ بِأَنْ لَا يَرْكَبَ إِلَيْهِمْ ; لِيَكُونَ أَحْقَرَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৪


কেউ কেউ বলেছেন যে , ৰায়তৃল মুকাদ্দাসে প্রবেশের সময় তিনি তালৰিয়া পাঠ
করেছিলেন ৷ ভেতরে গিয়ে দউিদ (আ)-এর মিহ্রাৰের পার্যে তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায
আদায় করলেন ৷ পরের দিন ফজরের নামায মুসলমানৰ্:দরাক সাথে নিয়ে জামাঅড়াতের সাথে
আদায় করলেন ৷ প্রথম রাকআতে পাঠ করলেন সুরা সাদ ( ,ণ্) ৷ তাতে তিনি তিলাওয়াতে
সিজদা আদায় করলেন ৷ তার সাথে মুসলমানগণও সিজদায়ে তিলাওয়াত আদায় করলেন ৷
দ্বিতীয় রাকআংত সুরা বনী ইসরাঈল পাঠ করলেন ৷ এরপর তিনি সাখরা বা বিশেষ পাথরের
নিকট এলেন ৷ কাব আল আহৰার (রা) থেকে তিনি ওই স্থান সম্পর্কে জোন নিয়েছিলেন ৷
আর (না) এই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যেন তিনি মসজিদটি ওই পাথরের পেছনে তৈরি করেন ৷
হযরত উমর (রা) বললেন, ইয়াহুদী ধর্ম তো শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ তারপর বায়তৃল মুকাদ্দাসের
সম্মুখে মসজিদ নির্মাণ করলেন ৷ এখন সেটি উমরী মসজিদ নামে পরিচিত ৷ এরপর তিনি
সাখরা বা বিশেষ পাথর থেকে মাটি সরাতে লাগলেন ৷ নিজ চাদর ও জানাতে করে তিনি মাটি
বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তার সাথে মুসলমানগণও মাটি সরানােরা কাজে শরীক হয় ৷
জর্ডানবাসীকে অবশিষ্ট মাটি সরানোর কাজে নিয়োজিত করা হয় ৷ বোমানগণ ওই পাথরের
স্থানকে ময়লার ডাক্টবিন বানিয়েছিল ৷ কারণ ওই পাথর ছিল ইয়াহুদীদের কেবলা ৷ এমনকি
ঋতৃমততী খ্রিস্টান মহিলাপণ তাদের রক্তমাখা কাপড় এনে ওখানে ফেলে যেত ৷ এটি ছিল
প্রতিশোধমুলক ব্যবস্থা ৷ কারণ ইয়াহুদীগণ আল কামামা নামক স্থানটিকে এভাবে ডাক্টবিন
বানিয়েছিল ৷ কামামা হলো সেই স্থান যেখানে ইয়াহুদীগণ ঈসা (আ) ভেবে তার অনুরুপ এক
ব্যক্তিকে ক্রুশবিদ্ধ করেছিল ৷ ওই ব্যক্তির করবে তারা ময়লা ও ণ্নাংরা বস্তু নিক্ষেপ করত ৷
এজন্যে ওই স্থানটি আল-কামামড়া নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ পরবর্তীতে খ্রিক্টানগণ সেখানে যে
গির্জা বানিয়েছিল সেটির নাম দিয়েছিল আল কামামা গির্জা ৷

হিরাক্লিয়াস যখন জেরুযালেমে অবস্থান করহ্নিশ্ব তখন তার নিকট রাসুলুল্লাহ্লোঃ এর চিঠি
এসে পৌছেছিল ৷ সে তখন খ্রিস্টানদের অপকর্মের বিরুদ্ধে ওদেরকে নসীহত করে ৷ ওরা তখন
ব্যাপকহাংর ময়লা-আবর্জ্য৷ ফেপ্ছিণ সাখরা বা বিশেষ পাথরটির উপর ৷ এমনকি ওই ময়লার
ডিপো দাউদ (আ)-এর মিহরাব পর্বত পৌছে যায় ৷ তখন ইিরাক্লিয়াস বলেছিন, এই ময়লা
আবর্জ্যড়া নিক্ষেপের কারণে তোমরা খুন হবার নিহত হবার যোগ্য ৷ এর দ্বারা তোমরা এই
মসজিদের অবমাননা করছ ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়া (আ)-এর খুনের অপরাধে যেমন বনী
ইসরাঈল নিহত হয়েছিল, এই অপরাধে তোমরা নিশ্চয় খুন হবে ৷ এরপর হিরাক্লিয়াস এই
ময়লা আবর্জনা অপসারণের জন্যে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তারা অপসারণ শুরু করেছিল ৷ ১ৎ অংশ
অপসারণের পরই মুসলমানগণ বায়তুল্ল মুকদ্দোস জয় করে নেয় ৷ এরপর খলীফা উমার ইবন
খাত্তাব (রা) ওগুলো অপসারণ করেন ৷ হাফিজ বাহাউদ্দীন ইবন হাফিজ আবুল কাসিম ইবন
আসাকিৱ তার “আল মুখতাস্কা ফী ফাদইিণিস মাসজিদিস্ আকসা গ্রন্থে এই সকল হাদীস
সনদ ও মতনসহ বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন ৷

আপন সনদে সায়ফ উল্লেখ করেছেন যে, উমর (রা) মদীনা থেকে একটি ঘোড়ার আরোহণ
করেছিলেন যাতে তাড়াতাড়ি যাওয়া যায় ৷ তার অবর্তমানে মদীনায় শাসনভার দিয়ে যান হযরত
আলী (না)-এর হাতে ৷ তিনি দ্রুত অগ্রসর হয়ে জাবিয়া গিয়ে পৌহ্নেরু ৷ তিনি সেখানে অবতরণ


لَهُمْ وَأَرْغَمَ لِأُنُوفِهِمْ، وَأَشَارَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِالْمَسِيرِ إِلَيْهِمْ ; لِيَكُونَ أَخَفَّ وَطْأَةً عَلَى الْمُسْلِمِينَ فِي حِصَارِهِمْ بَيْنَهُمْ، فَهَوِيَ مَا قَالَ عَلِيٌّ وَلَمْ يَهْوَ مَا قَالَ عُثْمَانُ. وَسَارَ بِالْجُيُوشِ نَحْوَهُمْ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَسَارَ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى الشَّامِ تَلَقَّاهُ أَبُو عُبَيْدَةَ وَرُءُوسُ الْأُمَرَاءِ كَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَتَرَجَّلَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَتَرَجَّلَ عُمَرُ، فَأَشَارَ أَبُو عُبَيْدَةَ لِيُقَبِّلَ يَدَ عُمَرَ، فَهَمَّ عُمَرُ بِتَقْبِيلِ رِجْلِ أَبِي عُبَيْدَةَ، فَكَفَّ أَبُو عُبَيْدَةَ، فَكَفَّ عُمَرُ. ثُمَّ سَارَ حَتَّى صَالَحَ نَصَارَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِمْ إِجْلَاءَ الرُّومِ إِلَى ثَلَاثٍ، ثُمَّ دَخَلَهَا إِذْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ مِنَ الْبَابِ الَّذِي دَخَلَ مِنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَبَّى حِينَ دَخَلَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، فَصَلَّى فِيهِ تَحِيَّةَ الْمَسْجِدِ بِمِحْرَابِ دَاوُدَ، وَصَلَّى بِالْمُسْلِمِينَ فِيهِ صَلَاةَ الْغَدَاةِ مِنَ الْغَدِ، فَقَرَأَ فِي الْأَوْلَى بِسُورَةِ " ص " وَسَجَدَ فِيهَا وَالْمُسْلِمُونَ مَعَهُ، وَفِي الثَّانِيَةِ بِسُورَةِ " بَنِي إِسْرَائِيلَ " ثُمَّ جَاءَ إِلَى الصَّخْرَةِ فَاسْتَدَلَّ عَلَى مَكَانِهَا مِنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَأَشَارَ عَلَيْهِ كَعْبٌ أَنْ يَجْعَلَ الْمَسْجِدَ مِنْ وَرَائِهِ، فَقَالَ: ضَاهَيْتَ الْيَهُودِيَّةَ. ثُمَّ جَعَلَ الْمَسْجِدَ فِي قِبْلِيِّ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَهُوَ الْعُمَرِيُّ الْيَوْمَ، ثُمَّ نَقَلَ التُّرَابَ عَنِ الصَّخْرَةِ فِي طَرَفِ رِدَائِهِ وَقَبَائِهِ، وَنَقَلَ الْمُسْلِمُونَ مَعَهُ فِي ذَلِكَ. وَسَخَّرَ أَهْلَ الْأُرْدُنِّ فِي نَقْلِ بَقِيَّتِهَا، وَقَدْ كَانَتِ الرُّومُ جَعَلُوا الصَّخْرَةَ مَزْبَلَةً ; لِأَنَّهَا قِبْلَةَ الْيَهُودِ، حَتَّى إِنَّ الْمَرْأَةَ كَانَتْ تُرْسِلُ خِرْقَةَ حَيْضَتِهَا مِنْ دَاخِلِ الْحَوْزِ لِتُلْقَى فِي الصَّخْرَةِ، وَذَلِكَ مُكَافَأَةً لِمَا كَانَتِ الْيَهُودُ عَامَلَتْ بِهِ الْقُمَامَةَ، وَهِيَ الْمَكَانُ الَّذِي كَانَتِ الْيَهُودُ صَلَبُوا فِيهِ الْمَصْلُوبَ، فَجَعَلُوا يُلْقُونَ عَلَى قَبْرِهِ الْقُمَامَةَ، فَلِأَجْلِ ذَلِكَ سُمِّيَ ذَلِكَ الْمَوْضِعُ الْقُمَامَةَ، وَانْسَحَبَ الِاسْمُ عَلَى الْكَنِيسَةِ الَّتِي بَنَاهَا
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৫


করেন এবং জ্বাৰিয়াতে একটি দীর্ঘ, গুরুত্বপুর্ণ ও সুন্দর ভাষণ প্রদান করেন ৷ তাতে তিনি
ন্ বলেনঃ “হে লোক সকল ! তোমাদের ভেতরটা পরিশুদ্ধ কর তাতে বাহিরটা পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে ৷
তোমরা আণিরাতের কদ্যাণের জন্যে কাজ কর তাতে তোমাদের দুনিয়ার কাজ সম্পাদিত হয়ে
যাবে ৷ জেনে রাখ, এমন কোন এক ব্যক্তিও নেই যার থেকে আদম পর্যন্ত কোন পিতা বেচে
আছে এবং যার মাঝে ও আল্লাহর মাঝে কোন সুসষ্পর্ক নেই ৷ সুতরাং যে ব্যক্তি জান্নাতের পথ
পেতে চায়সে যেন দনবদ্ধ থাকে৷ কারণ কেউ একা থাকলে শয়তান তাকে যতটুকু বিভ্রান্ত
ৰল্মতে পারে দু’জন এক সাথে থাকলে ততটুকু পারে না ৷ কোন পুরুষ যদি কোন মহিলার সাথে
নির্জনে সাক্ষাত করে সেখানে তৃতীরজন হিসেবে শয়তান থাকে ৷ যার সৎক্কাজ তাকে খুশি করে
এবং অসৎ কাজ তাকে অসন্তুষ্ট করে সে ঈমানদার ও মুমিন ৷” মুলত যেটি একটি দীর্ঘ ভাষণ ৷
আমরা সংক্ষেপে এতটুকু উল্লেখ করলাম ৷

এরপর খলীফা উমর (রা) জাবিয়ার অধিবাসীদের সাথে সন্ধি চুক্তি স্থাপন করেন এবং
বায়তুল মুকাদ্দাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ আজনাদের সেনাপতিদেরকে তিনি লিখিত নির্দেশ
দিলেন যাতে তারা নির্ধারিত তারিখে জাৰিয়ায় একত্রিত হয় ৷ ওই দিন সকল সেনাপতি
জাবিয়ায় এসে উপস্থিত হয় ৷ সবার আগে তার সাথে সাক্ষাত করে ইয়াযীদ ইবন আবু খুকরান
(রা), তারপর আবুউৰায়দা (রা), তারপর খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) ৷ তারা তাদের অশ্বারোহী
সৈন্যদেরকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন ৷ তাদের শরীরে রেশর্মী পোশাক চমকাচ্ছিল্ ৷ হযরত উমর
ক্ষুব্ধ হলেন ব্লেশমী পোশাক দেখে ৷ তিনি তাদেরকে দুরে সরিয়ে দিতে চাইলেন ৷ র্তারা ওযর
পেশ করে বললেন যে, তাদের দেহে এখনও যুদ্ধ পোশাক বিদ্যমান ৷ যুদ্ধ পোশাক হিসেবে
তাদের ব্লেশমী বস্ত্রও পরিধান করতে হয় ৷ এই ব্যাখ্যা পেয়ে তিনি শান্ত হন ৷ নিজ নিজ দায়িত্বে
অন্যকে স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ করে সকল সেনাপতি সেখানে সমবেত হয় ৷ অবশ্য আমর ইবনুল
আস এবং শুরাহ্ৰীল আসতে পারেন নি ৷ কারণ তারা আজনাদায়নে রোমান সেনাপতি
আরতাবুনকে প্রতিরোধ করছিলেন ৷ হযরত উমর (রা) জাবিরাঙ্গ ছিলেন ৷ হঠাৎ দেখা গেল
সশস্ত্র একদল রোমান নাগরিক তার দিকে আসছে ৷ তাদের সবার হাতে খাপ খোলা তালায়ার ৷

মুসলমান সৈন্যগণ অস্ত্র হাতে ওদেরকে মুকাৰিলা করার জন্যে অগ্রসর হহািলন ৷ খলীফা
বললেন, প্ৰতািরাধের প্রয়োজন নেই ৷ ওরা নিরাপত্তা পাবার জন্যে আসছে ৷ লোকজন ওদের
নিকট গেল ৷ দেখা গেল যে, ওরা বায়তুল মুকাদ্দাসের প্রহরী ৷ আমীরুল মুমিনীন হযরত উমর
(রা)-এর আগমন সংবাদ পেয়ে তার নিকট এসেছে নিরাপত্তা কামনা ও সন্ধি চুক্তি সম্পাদনের
জন্যে ৷ হযরত উমর (রা) তাদেরকে নিরাপত্তা দিলেন এবং একটিণ্সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষর করলেন ৷
তাদের উপর জিয্য়া কর ধার্য করা হলো এবং আরো কিছু শর্ত আরোপ করা হলো ৷ ইবন
জারীৱ (বা) ওই শর্তগুলে৷ উল্লেখ করেছেন ৷ সন্ধিপত্রে সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করলেন খালিদ
ইবন ওয়ালীদ, আমর ইবনুল আস, আবদুর রহামন ইবন আওফ এবং মুআবিয়া ইবন আবু
সুফয়ান ৷ মুআবিয়া নিজে সন্ধিপত্র রচনা করেছিলেন ৷ এই ঘটনা ঘটেছিল ১৫ হিজরী সনে ৷
এরপর লুদ্দ-অধিৰাসী এবং ওই এলাকার জ্যাসাধারণের জন্যে অপর একটি সন্ধিচুক্তি সম্পাদন
করেন ৷ ওদের উপর জিয্য়া কর ধার্য করেন ৷ ৫জ্জষালেম অধিবাসীদের জন্যে যে সকল শর্ত
নির্ধারণ করা হয়েজ্যি এরাও ওই শতেরি অত্তর্তুক্ত হলো ৷


النَّصَارَى هُنَالِكَ. وَقَدْ كَانَ هِرَقْلُ حِينَ جَاءَهُ الْكِتَابُ النَّبَوِيُّ وَهُوَ بِإِيلِيَاءَ، وَعَظَ النَّصَارَى فِيمَا كَانُوا قَدْ بَالَغُوا فِي إِلْقَاءِ الْكُنَاسَةِ عَلَى الصَّخْرَةِ حَتَّى وَصَلَتْ إِلَى مِحْرَابِ دَاوُدَ، قَالَ لَهُمْ: إِنَّكُمْ لَخَلِيقٌ أَنْ تُقْتَلُوا عَلَى هَذِهِ الْكُنَاسَةِ مِمَّا امْتَهَنْتُمْ هَذَا الْمَسْجِدَ، كَمَا قُتِلَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ عَلَى دَمِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا. ثُمَّ أُمِرُوا بِإِزَالَتِهَا، فَشَرَعُوا فِي ذَلِكَ، فَمَا أَزَالُوا ثُلُثَهَا حَتَّى فَتَحَهَا الْمُسْلِمُونَ فَأَزَالَهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ. وَقَدِ اسْتَقْصَى هَذَا كُلَّهُ بِأَسَانِيدِهِ وَمُتُونِهِ الْحَافِظُ بَهَاءُ الدِّينِ ابْنُ الْحَافِظِ أَبِي الْقَاسِمِ بْنِ عَسَاكِرَ فِي كِتَابِهِ " الْمُسْتَقْصَى فِي فَضَائِلِ الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى ". وَذَكَرَ سَيْفٌ فِي سِيَاقِهِ أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، رَكِبَ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى فَرَسٍ ; لِيُسْرِعَ السَّيْرَ بَعْدَمَا اسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَسَارَ حَتَّى قَدِمَ الْجَابِيَةَ، فَنَزَلَ بِهَا وَخَطَبَ بِالْجَابِيَةِ خُطْبَةً طَوِيلَةً بَلِيغَةً، مِنْهَا: أَيُّهَا النَّاسُ، أَصْلِحُوا سَرَائِرَكُمْ تَصْلُحْ عَلَانِيَتُكُمْ، وَاعْمَلُوا لِآخِرَتِكُمْ تُكْفَوْا أَمْرَ دُنْيَاكُمْ، وَاعْلَمُوا أَنَّ رَجُلًا لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ آدَمَ أَبٌ حَيٌّ وَلَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ اللَّهِ هَوَادَةٌ، فَمَنْ أَرَادَ لَحْبَ وَجْهِ الْجَنَّةِ فَلْيَلْزَمِ الْجَمَاعَةَ ; فَإِنَّ الشَّيْطَانَ مَعَ الْوَاحِدِ، وَهُوَ مَعَ الِاثْنَيْنِ أَبْعَدُ، وَلَا يَخْلُوَنَّ أَحَدُكُمْ بِامْرَأَةٍ ; فَإِنَّ الشَّيْطَانَ ثَالِثُهُمَا، وَمَنْ سَرَّتْهُ حَسَنَتُهُ وَسَاءَتْهُ سَيِّئَتُهُ فَهُوَ مُؤْمِنٌ. وَهِيَ خُطْبَةٌ طَوِيلَةٌ اخْتَصَرْنَاهَا. ثُمَّ صَالَحَ عُمَرُ أَهْلَ الْجَابِيَةِ وَرَحَلَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৬
وَقَدْ كَتَبَ إِلَى أُمَرَاءِ الْأَجْنَادِ أَنْ يُوَافُوهُ فِي الْيَوْمِ الْفُلَانِيِّ إِلَى الْجَابِيَةِ، فَتَوَافَوْا أَجْمَعُونَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ إِلَى الْجَابِيَةِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ تَلَقَّاهُ يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، ثُمَّ أَبُو عُبَيْدَةَ، ثُمَّ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فِي خُيُولِ الْمُسْلِمِينَ وَعَلَيْهِمْ يَلَامِقُ الدِّيبَاجِ، فَسَارَ إِلَيْهِمْ عُمَرُ لِيَحْصِبَهُمْ، فَاعْتَذَرُوا إِلَيْهِ بِأَنَّ عَلَيْهِمُ السِّلَاحَ، وَأَنَّهُمْ يَحْتَاجُونَ إِلَيْهِ فِي حُرُوبِهِمْ، فَسَكَتَ عَنْهُمْ وَاجْتَمَعَ الْأُمَرَاءُ كُلُّهُمْ بَعْدَمَا اسْتَخْلَفُوا عَلَى أَعْمَالِهِمْ سِوَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَشُرَحْبِيلَ فَإِنَّهُمَا مُوَافِقَانِ الْأَرْطَبُونَ بِأَجْنَادِينَ، فَبَيْنَمَا عُمَرُ فِي الْجَابِيَةِ إِذَا بِكُرْدُوسٍ مِنَ الرُّومِ بِأَيْدِيهِمْ سُيُوفٌ مُسَلَّلَةٌ، فَسَارَ إِلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ بِالسِّلَاحِ، فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّ هَؤُلَاءِ قَوْمٌ يَسْتَأْمِنُونَ. فَسَارُوا نَحْوَهُمْ، فَإِذَا هُمْ جُنْدٌ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ يَطْلُبُونَ الْأَمَانَ وَالصُّلْحَ مِنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ حِينَ سَمِعُوا بِقُدُومِهِ، فَأَجَابَهُمْ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِلَى مَا سَأَلُوا، وَكَتَبَ لَهُمْ كِتَابَ أَمَانٍ وَمُصَالَحَةٍ، وَضَرَبَ عَلَيْهِمُ الْجِزْيَةَ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِمْ شُرُوطًا ذَكَرَهَا ابْنُ جَرِيرٍ، وَشَهِدَ فِي الْكِتَابِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَهُوَ كَاتِبُ الْكِتَابِ، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ. ثُمَّ كَتَبَ لِأَهْلِ لُدٍّ وَمَنْ هُنَالِكَ مِنَ النَّاسِ كِتَابًا آخَرَ، وَضَرَبَ عَلَيْهِمُ الْجِزْيَةَ، وَدَخَلُوا فِيمَا صَالَحَ عَلَيْهِ أَهْلَ إِيلِيَاءَ. وَفَرَّ الْأَرْطَبُونُ إِلَى بِلَادِ مِصْرَ، فَكَانَ بِهَا حَتَّى فَتَحَهَا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، ثُمَّ فَرَّ إِلَى الْبَحْرِ، فَكَانَ يَلِي بَعْضَ السَّرَايَا الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ الْمُسْلِمِينَ، فَظَفِرَ بِهِ رَجُلٌ مِنْ قَيْسٍ، فَقَطَعَ يَدَ الْقَيْسِيِّ، وَقَتَلَهُ الْقَيْسِيُّ، وَقَالَ فِي ذَلِكَ: فَإِنْ يَكُنْ أَرْطَبُونُ الرُّومِ أَفْسَدَهَا ... فَإِنَّ فِيهَا بِحَمْدِ اللَّهِ مُنْتَفَعَا
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৭


রোমান সেনাপতি আরতাবুন মিসর পালিয়ে গেল ৷ সে ওখানেই অবস্থান করতে লাগল ৷
এক পর্যায়ে মুসলিম সেনাপতি আমর ইবনুল আস মিসর জয় করেন ৷ তখন আরতাবুন মিসর
ছেড়ে সমুদ্রের দিকে চলে যায় ৷ মাঝে মাঝে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেনাদল প্রেরণ করত মুসলমানদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে ৷ হঠাৎ একদিন কায়স গোত্রীয় লোক এক সেনাপতি আরতাবুনকে
ধরে ফেলে ৷ সে কায়সী লোকঢির হাত কেটে ফেলে ৷ আর কায়সী লোকটি তাকে খুন করে
ফেলে ৷ এ সম্পর্কে কায়সী লোকটি বলেছিল £


রোমান আরতাবুন যদিও বা রোমান সমােজ্যকে বিপর্যম্ভ করেছে, তবুও আল্লাহ্র গােকর

এখন সেখানে কল্যাণময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে ৷
৷হ্রাষ্দ্বু ব্লাচু ,৷ ৷ব্লুৰুৰু ;ব্র,ঢু; এে১ ,ট্রু)৷ ৷ হু,,পুা ড়ুদৃ চু,া,

আরতাবুন সেনাপতি রোমান সাম্রাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল বটে ৷ এখন আমি তার
দেহের ছিন্ন-ভিন্ন, খণ্ড-বিখণ্ড অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সেখানে রেখে এসেছি ৷

রামাল্লা ও এর আশপাশের নগরসমুহের অধিবাসিগণ যখন সন্ধিচুক্তি সম্পাদন করল তখন
সেনাপতি আমর ইবনুল আস (বা) এবং শুরাহ্বীল জাবিয়া এসে পৌছেন ৷ র্তারা এসে দেখতে
পান যে, খলীফা সওয়ারীতে আরোহণ করেছেন ৷ খলীফার কাছাকাছি এসে পৌছে র্তারা
খলীফার দৃ’হীটুতে চুমু খান ৷ খলীফা একসাথে তাদের দুজনকে বুকে জড়িয়ে ধরেন, কােলাকুলি
করেন ৷

সায়ফ বলেন, এরপর খলীফা জাবিয়া থেকে বায়তৃল মুকাদ্দাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷
তার ঘোড়া দ্রুত আঃসর হচ্ছিল ৷ তারা তীর নিকট একটি খচ্ছর হাজির করে ৷ তিনি তাতে
আরোহণ করেন ৷ সেটি তাকে নিয়ে লাফালাফি করতে থাকে ৷ তিনি নেমে যান এবং সেটির
মুখে থাপ্পড় মেরে বললেন, ভোকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে মুলত আল্লাহ্, তাকে কোন প্রশিক্ষণ
দেননি, এটি তাে অহংকারী আচরণ ৷ এরপর থেকে আগে পরে কখনো তিনি আর খচ্চরের
পিঠে চড়েন নি ৷ বন্তুত জেরুযালেম ও এর আশপাশের অঞ্চল এভাবে হযরত উমর (রা)-এর
হাতে জয় হয় ৷ আজনাদায়ন বিজিত হয় হযরত অমের ইবনুল আসের হাতে ৷ কায়সারিয়্যা
বিজিত হয় মুআবিয়ার (রা)-এর হাতে ৷ সায়ফ ইবন উমর এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷ কতক
ঐতিহাসিক তার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন বটে ৷ তারা বলেছেন, বায়তৃল মুকাদ্দাস বিজিত
হয়েছে ১৬ হিজরী সালে ৷

মুহাম্মদ ইবন আইয বর্ণনা করেছেন, ওয়ালীদ ইবন মুসলিম সুত্রে উসমড়ান ইবন হাসান
ইবন আলান থেকে যে, ইয়াযীদ ইবন উবায়দা বলেছেন, ১৬ হিজরী সনে বায়তৃল মুকাদ্দাস
বিজিত হয় ৷ ওই সালেই খলীফা উমর (রা) জাবিয়ায় এসেছিলেন ৷ আবু যুরআহ দামেশকী
বর্ণনা করেছেন দাহীম সুত্রে ওয়ালীদ ইবন মুসলিম থেকে ৷ তিনি বলেছেন যে, এরপর খলীফা
১ ৭ হিজরী সালে পুনরায় বায়তৃল মুকাদ্দাস এসেছিলেন এবং সারা থেকে ফিরে গিয়েছিলেন ৷
তারপর পুনরায় এসেছিলেন ১৮ হিজরী সালে, তখন সেনাপতিগণ সকলে তার নিকট উপস্থিত
হয়ে তাদের নিকট সঞ্চিত গনীমতে র মাল তার সম্মুখে পেশ করেছিলেন ৷ তিনি ওগুলো বিধি
মুতাবিক বন্টন করে দিয়েছিলেন ৷ সেনানিবাস স্থাপন করেছিলেন এবং নতুন নতুন শহর প্রতিষ্ঠা
করেছিলেন ৷ তারপর মদীনায় ফিরে গিয়েছিলেন ৷


وَإِنْ يَكُنْ أَرْطَبُونُ الرُّومِ قَطَّعَهَا فَقَدْ تَرَكْتُ بِهَا أَوْصَالَهُ قِطَعَا. وَلَمَّا صَالَحَ أَهْلَ الرَّمْلَةِ وَتِلْكَ الْبِلَادَ، أَقْبَلَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَشُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ حَتَّى قَدِمَا الْجَابِيَةَ، فَوَجَدَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَاكِبًا، فَلَمَّا اقْتَرَبَا مِنْهُ أَكَبَّا عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَقَبَّلَاهَا وَاعْتَنَقَهُمَا عُمَرُ مَعًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. قَالَ سَيْفٌ: ثُمَّ سَارَ عُمَرُ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ مِنَ الْجَابِيَةِ، وَقَدْ تَوَجَّى فَرَسُهُ، فَأَتَوْهُ بِبِرْذَوْنٍ، فَرَكِبَهُ فَجَعَلَ يُهَمْلِجُ بِهِ، فَنَزَلَ عَنْهُ وَضَرَبَ وَجْهَهُ، وَقَالَ: لَا عَلَّمَ اللَّهُ مَنْ عَلَّمَكَ، هَذَا مِنَ الْخُيَلَاءِ. ثُمَّ لَمْ يَرْكَبْ بِرْذَوْنًا قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ، فَفُتِحَتْ إِيلِيَاءُ وَأَرْضُهَا عَلَى يَدَيْهِ مَا خَلَا أَجْنَادِينَ فَعَلَى يَدَيْ عَمْرٍو، وَقَيْسَارِيَّةَ فَعَلَى يَدَيْ مُعَاوِيَةَ. هَذَا سِيَاقُ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ، وَقَدْ خَالَفَهُ غَيْرُهُ مِنْ أَئِمَّةِ السِّيَرِ، فَذَهَبُوا إِلَى أَنَّ فَتْحَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ كَانَ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حِصْنِ بْنِ عَلَّاقٍ قَالَ: قَالَ يَزِيدُ بْنُ عُبَيْدَةَ: فُتِحَتْ بَيْتُ الْمَقْدِسِ سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ، وَفِيهَا قَدِمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْجَابِيَةَ. . وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ عَنْ دُحَيْمٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ: ثُمَّ عَادَ فِي سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ، فَرَجَعَ مِنْ سَرْعٍ، ثُمَّ قَدِمَ سَنَةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ، فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৮


ইয়াকুব ইবন সৃফয়ান বলেন, এরপর জাবিয়া ও ৰায়তৃল মুকাদ্দাস বিজয়ের ঘটনা ঘটে ৷
এটি হলো ১৬ হিজরী সালের ঘটনা ৷ আবু মাশার বলেন, এরপর ঘটেছিল আমওয়াস ও
জাবিয়৷ বিজয়ের ঘটনা ১৬ হিজরী সালে ৷ তারপর ১৭ হিজরী সালে সারা বিজয়ের ঘটনা ৷
তারপর ১৮ হিজরী সালে রামাদা বিজয়ের ঘটনা ৷ তিনি আরো বলেন যে, এই হিজরীতে
আমওয়াস অঞ্চলে মহামারীরুপে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল ৷ উপরোক্ত মন্তব্যের ব্যাখ্যার
বলা হয়েছে যে, ১৬ হিজর্বীতে আমওয়াস নামে প্রসিদ্ধ শহরটি বিজয় হয় ৷ আর ওই শহরের
সাথে সং শ্লিষ্ট মহামারী ব্লোগ ৫প্ন₹গর প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল ১৮ হিজরী সালে ৷ এ সম্পর্কে শীঘ্রই
আলোচনা হবে ৷

আবু মিখনাফ বলেন, খলীফা উমর (রা) সিরিয়া আগমন করে যখন দামেশৃকের শ্যামল
উদ্যান, জলাশয়, বিশাল বিশাল অট্টালিকা চোখ র্ধাধানাে শহর ও বাগ-বাগিচা দেখলেন, তখন
এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন :

৷ ; ব্লু

é
ওরা পশ্চাতে রেখে গিয়েছিল কত উদ্যান ও ঝর্ণা কত শস্যক্ষেত্র ও সুরম্য প্রাসাদ কত
বিলাস উপকরণ যা ওদেরকে আনন্দ দিত ৷ এরুপই ঘটেছিল এবং আমি এই সমুদয়ের
উত্তরাধিকারী বানিয়েছিলাম ভিন্ন সম্প্রদায়কে ৷ (সুরা ৪৪ , দৃখান : ২৫ ২৮)
এরপর প্রসঙ্গক্রমে হযরত উমর (রা) করি নাবিখার নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলেন :

এে
ওরা দুজন যুগের দুই নওজোয়ান ৷ তাদেরকে কেন্দ্র করে যুগ আবর্তিত হয় ৷ তারা হলো

রাত ও দিন ৷ একটির পর একটি আসা-যাওয়৷ করে ৷

ঈর্ষা নিয়ে যখন তারা কোন গোত্রের উপর দিয়ে যায় তখন তার ওই গোত্রে অবস্থান নেয়

তারপর এক পর্যায়ে ওই গোত্রভুক্ত লোকজন ৰিপদের সম্মুখীন হয় ৷

উপরোক্ত মন্তব্য দ্বারা বাহ্যত মনে হবে যে, খলীফা উমর (রা) দামেশৃকে প্রবেশ
ৰদরছিলেন ৷ আসলে বাস্তবতা তা নয় ৷ কেউই একথা উল্লেখ করেনি যে, তিনবার সিরিয়া
ৰ্াপমনের কোন একবার তিনি দামেশৃকে প্রবেশ করেছেন ৷ তার প্রথম আগমন তো আমরা
ম্পোচনইি করছি ৷ এই যাত্রায় তিনি জাবিয়া থেকে ৰায়তৃল মুকাদ্দাস পিয়েছেন ৷ সায়ফ ও

তা-ই উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷
হ্নিং ওযুাকিদী বলেন, সিরিয়ার অধিবাসী নয় এমন লোকজন বলেছে যে, খলীফা উমর (রা)
ম্পো প্রবেশ করেছেন দু বার ৷ তৃভীয়বার সারা থেকে ফিরে এসেছেন ৷ সেটি হলো ১৭
ছুব্রিজ্জী সনের ঘটনা ৷ তারা বলেন, ভীয়বারতৃ দামেশৃক এবং হিম্স নগরীতে প্রবেশ
ৰু স্টো ৷ বিন্তু ওয়াকিদী এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷


الْأُمَرَاءُ، وَسَلَّمُوا إِلَيْهِ مَا اجْتَمَعَ عِنْدَهُمْ مِنَ الْأَمْوَالِ فَقَسَمَهَا وَجَنَّدَ الْأَجْنَادَ وَمَصَّرَ الْأَمْصَارَ ثُمَّ عَادَ إِلَى الْمَدِينَةِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثُمَّ كَانَ فَتْحُ الْجَابِيَةِ وَبَيْتِ الْمَقْدِسِ سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ. وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: ثُمَّ كَانَ عَمَوَاسُ وَالْجَابِيَةُ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ ثُمَّ كَانَتْ سَرْعٌ فِي سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ، ثُمَّ كَانَ عَامُ الرَّمَادَةِ فِي سَنَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ. قَالَ: وَكَانَ فِيهَا طَاعُونُ عَمَوَاسَ. يَعْنِي فَتْحَ الْبَلْدَةِ الْمَعْرُوفَةِ بِعَمَوَاسَ، فَأَمَّا الطَّاعُونُ الْمَنْسُوبُ إِلَيْهَا، فَكَانَ فِي سَنَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ. كَمَا سَيَأْتِي قَرِيبًا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: لَمَّا قَدِمَ عُمَرُ الشَّامَ فَرَأَى غُوطَةَ دِمَشْقَ، وَنَظَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَالْقُصُورِ وَالْبَسَاتِينِ تَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى: {كَمْ تَرَكُوا مِنْ جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ وَزُرُوعٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ وَنَعْمَةٍ كَانُوا فِيهَا فَاكِهِينَ كَذَلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا قَوْمًا آخَرِينَ} [الدخان: 25] [الدُّخَانِ: 25 - 28] . ثُمَّ أَنْشَدَ قَوْلَ النَّابِغَةِ:. هُمَا فَتَيَا دَهْرٍ يَكُرُّ عَلَيْهِمَا ... نَهَارٌ وَلَيْلٌ يَلْحَقَانِ التَّوَالِيَا إِذَا مَا هُمَا مَرَّا بِحَيٍّ بِغِبْطَةٍ ... أَنَاخَا بِهِمْ حَتَّى يُلَاقُوا الدَّوَاهِيَا وَهَذَا يَقْتَضِي بَادِيَ الرَّأْيِ أَنَّهُ دَخَلَ دِمَشْقَ، وَلَيْسَ كَذَلِكَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَنْقُلْ أَحَدٌ أَنَّهُ دَخَلَهَا فِي شَيْءٍ مِنْ قَدَمَاتِهِ الثَّلَاثِ إِلَى الشَّامِ ; أَمَّا الْأُولَى، وَهِيَ هَذِهِ، فَإِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫৪৮৯


আমি বলি, খলীফা উমর (রা) ইসলাম গ্রহণের পুর্বে জাহিলী যুগে দামেশৃক গিয়েছিলেন
বটে ৷ কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর দামেশৃক গিয়েছেন তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় না ৷ এই
বিষয়টি আমরা তার সীরাত গ্রন্থে আলোচনা করেছি ৷ আমরা বর্ণনা করেছি যে, হযরত উমর
(রা) বায়তৃল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করে কাব ইবন আহবার (রা)-কে জ্যিজ্ঞস করেছিলেন, বিশেষ
পাথর বা “সাখরার” অবস্থান সম্পর্কে ৷ উত্তরে কাব (রা) বলেছিলেন, আমিরুল মু’মিনীন!
আপনি “ওয়াদী জাহান্নাম নামে পরিচিত স্থুানটুকু থেকে এত এত গজ মেপে যাবেন তারপরের
স্থানে “সাখরা” বা বিশেষ পাথরটির অবস্থান ৷ লোকজন তত গজ মেপে গিয়ে সাখরার অবস্থান
নির্ণয় করে ৷ সাখরা খুজে পায় ৷ খ্রিন্টানগণ ওই স্থানটিকে ময়লার ডিপো বানিয়ে জ্যি ৷ যেমন
ইয়াহুদীরা নাসাৱাদের পবিত্র স্থান আলকুমামাহ্কে ময়লার ডিগাে বানিয়েছিল ৷ কুমামা হলো যে
স্থান যেখানে হযরত ঈসা (আ) এর আকৃতিপ্রাপ্ত লোকটিকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েকাি ৷
ইয়াহুদী ও নাসারাগণ মনে করেছিল যে, ওই ব্যক্তি ঈসা (আ) ! তারা এ সম্পর্কে পুরোপুরি
ভুলের মধ্যে রয়েছে ৷ মহান আল্লাহ্ কুরআনের সুস্পষ্ট আয়াত দ্বারা তা নাকচ করে দিয়েহ্নেগ্ ৷
মোদ্দাকথা রাসুলুল্লাহ্শ্ঘ্নে এর নবুওয়াত প্রাপ্তির ৩০০ বছর পুর্ব থেকে খ্রিক্টানগণ যখন
ৰায়তুল মুকাদ্দাসের কর্তৃত্ব অর্জন করে, তখন তারা আল-কুমামাহ্” নামক স্থানটিকে পরিষ্কার
করে নেয় এবং সেখানে “হাইলা গির্জা নির্মাণ করে ৷ রাজা কনক্টানটিনােপলের মাতা ওই গির্জা
নির্মাণ করেন ৷ রাজার মায়ের নাম ছিল হায়লানাহ্ হিরানিয়্যাহ বুনদুকিয়্যাহ্ ৷ সে তার পুত্রকে
আদেশ দিল-সে যেন ঈসা (আ)-এর অন্য স্থানে বেথেলহাম’ তৈরি করে, আর মাতা নিজে
তাদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী তার কবরের উপর হাইলা গির্জা নির্মাণ করে ৷ অর্থাৎ তারাও
প্রতিশোধ হিসেবে ইয়াহুদীদের কিবলাকে ময়লার ডিপােতে পরিণত করে ৷
হযরত উমর (রা) যখন বায়তৃল মুকাদ্দাস জয় করলেন এবং সাখরার অবস্থান সম্পর্কে
নিশ্চিত হলেন তখন সাখরার উপর দ্ভুপীকৃত ময়লা-আবর্জনা সরানোর নির্দেশ দিলেন ৷ কথিত
আছে যে, হযরত উমর (বা) নিজের চাদরে ভরে নিজে ময়লা সরিয়েছেন ৷ তারপর হযরত কাব
(রা)-কে জিজ্ঞেস করলেন-মসজিদ স্থাপন করবেন কােনৃ জায়গায় ৷ কাব পরামর্শ দািরছিলেন
সাখরার পেছনে নির্মাণের ৷ খলীফা উমর (বা) তার বুকে হাত মেরে বললেন, হে কাব ! ইয়াহুদী
যুগের তো অবসান ঘটেছে ৷ আমরা এখন ওই ধর্মের পক্ষে কাজ করব কেন ৷ শেষ পর্যন্ত
খলীফা নির্দেশ দিলেন বয়েতুল মুকাদ্দাসের সম্মুখে মসজিদ নির্মাণ করার জন্যে ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আসওয়াদ ইবন আমির আবু শুআয়ব থেকে বর্ণিত যে, উমর
ইবন খাত্তাব (রা) জাবিয়ায় অবস্থান করেছেন তারপর বায়তৃল মুকাদ্দাস জয় করেছেন ৷ তিনি
বলেন যে, ইবন সালামা বলেছেন, আবু সিনান বর্ণনা করেছেন উবায়দ ইবন আছম সুত্রে ৷ তিনি
বলেছেন, আমি ৰুশ্যুনছি উমর ইবন খাত্তাব (রা) কার (রা)-ণ্ক বলেছেন, বলুন তো আমি কোনৃ
স্থানে নামায পভৃব৷ কার বললেন, আপনি যদি আমার পরামর্শ গ্রহণ করেন তবে সা খরার
পেছনে নামায পড়ুন তাহলে পুরো বাযতুল মুকাদ্দাস আপনার সম্মুখে থাকবে ৷ হযরত উমর
(রা) বললেন, “ইয়াহুদী ধর্মের তো অবসান হয়েছে, না-আমি বরং সেখানেই নামায পড়ব,
যেখানে ৱাসুলুল্লাহ্জ্জ নিজে নামায পড়েছেন ৷ তারপর তিনি বড়ায়তুল মুকাদ্দাসের মধ্যে
কিবলার দিকে অর্থাৎ সামনের দিকে অগ্রসর হলেন এবং সেখানে নামায পড়লেন ৷ তারপর তার

€০া৷া



سَارَ مِنَ الْجَابِيَةِ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، كَمَا ذَكَرَ سَيْفٌ وَغَيْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَمَّا رِوَايَةُ أَهْلِ الشَّامِ أَنَّ عُمَرَ دَخَلَ الشَّامَ مَرَّتَيْنِ، وَرَجَعَ الثَّالِثَةَ مِنْ سَرْعٍ، فَلَيْسَ بِمَعْرُوفٍ، وَإِنَّمَا قَدِمَ مَرَّةً وَاحِدَةً عَامَ الْجَابِيَةِ حِينَ صَالَحَ أَهْلَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ، وَرَجَعَ مِنْ سَرْعٍ سَنَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ، وَهُمْ يَقُولُونَ: دَخَلَ فِي الثَّالِثَةِ دِمَشْقَ وَحِمْصَ، وَأَنْكَرَ الْوَاقِدِيُّ ذَلِكَ. قُلْتُ: وَلَا يُعْرَفُ أَنَّهُ دَخَلَ دِمَشْقَ إِلَّا فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَبْلَ إِسْلَامِهِ كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " سِيرَتِهِ ". وَقَدْ رُوِّينَا أَنَّ عُمَرَ حِينَ دَخَلَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ سَأَلَ كَعْبَ الْأَحْبَارِ، عَنْ مَكَانِ الصَّخْرَةِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَذْرِعْ مِنَ الْحَائِطِ الَّذِي يَلِي وَادِي جَهَنَّمَ، كَذَا وَكَذَا ذِرَاعًا فَهِيَ ثَمَّ. فَذَرَعُوا فَوَجَدُوهَا وَقَدِ اتَّخَذَهَا النَّصَارَى مَزْبَلَةً كَمَا فَعَلَتِ الْيَهُودُ بِمَكَانِ الْقُمَامَةِ، وَهُوَ الْمَكَانُ الَّذِي صُلِبَ فِيهِ الْمَصْلُوبُ الَّذِي شُبِّهَ بِعِيسَى، فَاعْتَقَدَتِ النَّصَارَى وَالْيَهُودُ أَنَّهُ الْمَسِيحُ، وَقَدْ كَذَبُوا فِي اعْتِقَادِهِمْ هَذَا كَمَا نَصَّ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى خَطَإِهِمْ فِي ذَلِكَ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ النَّصَارَى لَمَّا حَكَمُوا عَلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَبْلَ الْبِعْثَةِ بِنَحْوٍ مِنْ ثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ، طَهَّرُوا مَكَانَ الْقُمَامَةِ، وَاتَّخَذُوهُ كَنِيسَةً هَائِلَةً بَنَتْهَا أَمُّ الْمَلِكِ
পৃষ্ঠা - ৫৪৯০
قُسْطَنْطِينَ بَانِي الْمَدِينَةِ الْمَنْسُوبَةِ إِلَيْهِ، وَاسْمُ أُمِّهِ هَيْلَانَةُ الْحَرَّانِيَّةُ الْفُنْدُقَانِيَّةُ، وَأَمَرَتِ ابْنَهَا فَبَنَى لِلنَّصَارَى بَيْتَ لَحْمٍ عَلَى مَوْضِعِ الْمِيلَادِ، وَبَنَتْ هِيَ عَلَى مَوْضِعِ الْقَبْرِ، فِيمَا يَزْعُمُونَ. وَالْغَرَضُ أَنَّهُمُ اتَّخَذُوا مَكَانَ قِبْلَةِ الْيَهُودِ مَزْبَلَةً أَيْضًا، فِي مُقَابَلَةِ مَا صَنَعُوا فِي قَدِيمِ الزَّمَانِ وَحَدِيثِهِ، فَلَمَّا فَتَحَ عُمَرُ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَتَحَقَّقَ مَوْضِعَ الصَّخْرَةِ، أَمَرَ بِإِزَالَةِ مَا عَلَيْهَا مِنَ الْكُنَاسَةِ حَتَّى قِيلَ: إِنَّهُ كَنَسَهَا بِرِدَائِهِ ثُمَّ اسْتَشَارَ كَعْبًا أَيْنَ يَضَعُ الْمَسْجِدَ؟ فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِأَنْ يَجْعَلَهُ مِنْ وَرَاءِ الصَّخْرَةِ، فَضَرَبَ فِي صَدْرِهِ، وَقَالَ: يَا ابْنَ أُمِّ كَعْبٍ، ضَارَعْتَ الْيَهُودِيَّةَ، وَأَمَرَ بِبِنَائِهِ فِي مُقَدَّمِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ آدَمَ وَأَبِي مَرْيَمَ وَأَبِي شُعَيْبٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ بِالْجَابِيَةِ، فَذَكَرَ فَتَحَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ. قَالَ: قَالَ ابْنُ سَلَمَةَ: فَحَدَّثَنِي أَبُو سِنَانٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ آدَمَ، سَمِعْتُ عُمَرَ يَقُولُ لِكَعْبٍ: أَيْنَ تُرَى أَنْ أَصَلِّيَ؟ قَالَ: إِنْ أَخَذْتَ عَنِّي صَلَّيْتَ خَلْفَ الصَّخْرَةِ، فَكَانَتِ الْقُدْسُ كُلُّهَا بَيْنَ يَدَيْكَ. فَقَالَ عُمَرُ: ضَاهَيْتَ الْيَهُودِيَّةَ، لَا وَلَكِنْ أُصَلِّي حَيْثُ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَتَقَدَّمَ إِلَى الْقِبْلَةِ فَصَلَّى، ثُمَّ جَاءَ فَبَسَطَ رِدَاءَهُ وَكَنَسَ الْكُنَاسَةَ فِي رِدَائِهِ وَكَنَسَ النَّاسُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ اخْتَارَهُ الْحَافِظُ ضِيَاءُ الدِّينِ الْمَقْدِسِيُّ فِي كِتَابِهِ " الْمُسْتَخْرَجِ ". وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى رِجَالِهِ فِي كِتَابِنَا الَّذِي أَفْرَدْنَاهُ فِي مُسْنَدِ عُمَرَ، مَا
পৃষ্ঠা - ৫৪৯১


চাদর বিছিয়ে সাখরা থেকে ময়লা-আবত্তনাি সরিয়ে নিতে লাপলেন ৷ লোকজনও তা পরিষ্কার
করতে লেগে গেল ৷ এটি একটি উত্তম সনদ ৷ হাফিজ যিয়াউদ্দীন মুকাদ্দেসী তার

আলমুসতাখরাজ গ্রন্থে এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ মুসনাদই উমর নামে আমাদের লিখিত গ্রন্থে
আমরা এই সনদের বংনািকারীদের সম্পর্কে পর্যালোচনা করেছি ৷ তাছাড়া তিনি যে সব মারকু
হাদীস বর্ণনা করেছেন আর তার থেকে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে সেগুলোকে ফিক্হ শাত্রের
অধ্যায় অনুযায়ী সন্নিবেশিত করেছি ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷

সায়ফ ইবন উমর তার শায়খদের সুত্রে সড়ালিম থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন
হযরত উমর (রা) দামেশৃকে প্রবেশ করলেন, তখন দামেশকের জনৈক ইয়াহুদী তার নিকট
এসে বলল, আনৃসালামু আলায়কা ইয়া ফারুক আপনি জেরুযালেম অধিপতি ৷ আল্লাহর কসম ,
আল্লাহ্ আপনার হাতে জেরুযালেমের বিজয় না দেয়৷ পর্যন্ত আপনি ফিরে যাবেন না ৷

ইমাম আহমদ উমর ইবনখাত্তাবের মুক্ত করা ক্রীতদাস আসলাম থেকে বর্ণনা করেন যে,
একবার হযরত উমর (বা) এক কুরায়শী ব্যবসায়ী কাফেলার সাথে দামেশৃক এসেছিলেন ৷
ব্যবসায়ী কাফের্লড়া ফিরতি যাত্রা করেছিল ৷ ব্যক্তিগত কাজে হযরত উমর (রা) পেছনে পড়ে
গিয়েছিলেন ৷ তিনি শহরে অবস্থান করছিলেন হঠাৎ এক সৈন্য এসে তার ঘাত্ণ্ চেপে ধরে ৷
নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার জন্যে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেন কিন্তু তিনি তা পারেন নি ৷ সৈনিকটি
তাকে একটি গৃহের মধ্যে নিয়ে যায় ৷ সেখানে একটি কুঠড়ার, একটি ঝাভু, একটি ঝুড়ি এবং
কতগুলো মাটি ছিল ৷ সে উমর (রা)কে বলল, এগুলো এখান থেকে ওখানে নিয়ে যাবে ৷ সে
দরজা বন্ধ করে চলে গেল ৷ ফিরে এল দুপুর বেলা ৷

উমর (রা) বলেন, আমি চিন্তিত মনে বসে থেকেছিলাম ৷ সে আমাকে যা বলেছিল তা
কিইে আমি করিনি ৷ সে এসে আমাকে বলল, তুমি কাজটা করনি কেনঃ সে আমার মাথায়
থাপ্পড় মারল ৷ আমি কুঠড়ার নিয়ে তাকে আঘাত করি ৷ যে মারা যায় ৷ আমি সোজা ঘর থেকে
বেরিয়ে আসি ৷ আমি পৌছি এক ধর্মযাজকের আস্তানায় ৷ সেখানে বাইরে বসে থাকি সন্ধ্যা
পর্যন্ত ৷ ধর্মযাজক আমাকে দেখতে পায় ৷ সে নিচে নেমে আসে এবং আমাকে ভেতরে নিয়ে
খাদ্য-পানীয় দেয় ৷ সে আমাকে গভীরভাবে দেখতে থাকে ৷ আমার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করে ৷ আমি বললড়াম, আমার সাথী-সঙ্গীকে আমি হারিয়ে ফেলেছি ৷ সে বলল, তৃমি তো ভয়ার্ত
চোখে তাকাচ্ছ ৷ সে সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে আমাকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে ৷ তারপর আমাকে বলল, খৃন্ট
ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে যে, আমি ওদের কিতাব সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তি ৷ আর আমি
দেখতে পাচ্ছি যে, তৃমিই যে ব্যক্তি যে আমাদেরকে এই শহর থেকে বহিষ্কার করবে ৷ তুমি কি
আমার জন্যে আমার এই আন্তানার জন্যে একটি নিরাপত্তা সার্টিফিকেট লিখে দিবে ? আমি
বললড়াম, ওহে যাজক আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন ৷ আপনার উপলব্ধি সঠিক নয় ৷ কিন্তু সে
নাছোড়বান্দা, শেষ পর্যন্ত তার ইচ্ছামত তাকে আমি আমার পক্ষ থেকে একটি নিরাপত্তা সনদ
স্বাক্ষর করে দিই ৷ আমার বিদায় নেবার সময় সে আমাকে বাহন হিসেবে একটি গাধী দেয় এবং
বলে যে, তুমি এটিতে চড়ে তোমার সাথীদেরকে খুজে নাও ৷ ওদের সাক্ষাত পেলে এটি একক্ষী
ছেড়ে দিয়ে তাতে তার কোন ক্ষতি হবে না ৷ কারণ সকল এলাকার ল্যেকই এটিকে চিনে এবং
সম্মান করে ৷ আমি তার কথা মত কাজ করলাম ৷

আলৰিদায়া — ১৫


رَوَاهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْمَرْفُوعَةِ، وَمَا رُوِيَ عَنْهُ مِنَ الْآثَارِ الْمَوْقُوفَةِ مُبَوَّبًا عَلَى أَبْوَابِ الْفِقْهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ رَوَى سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ شُيُوخِهِ، عَنْ سَالِمٍ قَالَ: لَمَّا دَخَلَ عُمَرُ الشَّامَ تَلَقَّاهُ رَجُلٌ مِنْ يَهُودِ دِمَشْقَ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا فَارُوقُ، أَنْتَ صَاحِبُ إِيلِيَاءَ، لَا هَا اللَّهِ لَا تَرْجِعْ حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيْكَ إِيلِيَاءَ. وَقَدْ رَوَى أَحْمَدُ بْنُ مَرْوَانَ الدِّينَوَرِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْهَيْثَمِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَسْلَمَ مَوْلَى عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ قَدِمَ دِمَشْقَ فِي تُجَّارٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَلَمَّا خَرَجُوا تَخَلَّفَ عُمَرُ لِبَعْضِ حَاجَتِهِ فَبَيْنَمَا هُوَ فِي الْبَلَدِ إِذَا هُوَ بِبِطْرِيقٍ يَأْخُذُ بِعُنُقِهِ، فَذَهَبَ يُنَازِعُهُ فَلَمْ يَقْدِرْ، فَأَدْخَلَهُ دَارًا فِيهَا تُرَابٌ وَفَأْسٌ وَمِجْرَفَةٌ وَزِنْبِيلٌ، وَقَالَ لَهُ: حَوِّلْ هَذَا مِنْ هَا هُنَا إِلَى هَا هُنَا. وَغَلَّقَ عَلَيْهِ الْبَابَ وَانْصَرَفَ، فَلَمْ يَجِئْ إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ. قَالَ: وَجَلَسْتُ مُفَكِّرًا، وَلَمْ أَفْعَلْ مِمَّا قَالَ لِي شَيْئًا. فَلَمَّا جَاءَ قَالَ: مَا لَكَ لَمْ تَفْعَلْ؟ وَلَكَمَنِي فِي رَأْسِي بِيَدِهِ، قَالَ: فَأَخَذْتُ الْفَأْسَ فَضَرَبْتُهُ بِهَا فَقَتَلْتُهُ، وَخَرَجْتُ عَلَى وَجْهِي فَجِئْتُ دَيْرًا لِرَاهِبٍ، فَجَلَسْتُ عِنْدَهُ مِنَ الْعَشِيِّ، فَأَشْرَفَ عَلَيَّ، فَنَزَلَ وَأَدْخَلَنِي الدَّيْرَ فَأَطْعَمَنِي وَسَقَانِي، وَأَتْحَفَنِي، وَجَعَلَ يُحَقِّقُ النَّظَرَ فِيَّ، وَسَأَلَنِي عَنْ أَمْرِي، فَقُلْتُ: إِنِّي أَضْلَلْتُ عَنْ أَصْحَابِي. فَقَالَ: إِنَّكَ
পৃষ্ঠা - ৫৪৯২


বায়তৃল মুকাদ্দাস বিজয়ের জন্যে যখন হযরত উমর (রা) জেরুযালেম এসে জাবিয়াতে
অবস্থান করছিলেন তখন ওই নিরাপত্তা সনদ নিয়ে ওই খ্রিষ্টান যাজক তার সাথে সাক্ষ্যত করে ৷
হযরত উমর (রা) তার সনদ কার্যকর ও আইনসম্মত হবার ঘোষণা দেন ৷ তবে শর্ত দেন যে,
ওখানে যেসব মুসলমান যাবে তাদের যেহমানদারী করতে হবে, আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে
হবে ৷ আর তাদেরকে তাদের গম্ভব্য পথ চিনিয়ে দিতে হবে ৷ ইবন আসাকির ও অন্যরা এটি
বর্ণনা করেছেন ৷ ঐতিহাসিক ইবন আসাকির ইয়াহ্ইয়া ইবন উবায়দিল্লাহ ইবন উসামা
কুরায়শীর জীবনী বণ্নাি প্রসঙ্গে যায়েদ ইবন আসলাম সুত্রে একটি দীর্ঘ ও আশ্চর্যজনক হাদীস
উল্লেখ করেছেন ৷ সেই হাদীসের একটি অংশ হলো এই হাদীস ৷ হযরত উমর (রা) কর্তৃক
সিরিয়ার খ্রিস্টানদের জন্যে নির্ধারিত শর্তগুলো আমরা আমাদের “আল আহকাম” গ্রন্থে
বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছি ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷ জাবিয়াতে প্রদত্ত হযরত উমরের
ভাষণটি হুবহু সনদসহ আমরা মুসনাদ-ই-উমর’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছি ৷ তার সিরিয়া প্ৰৰেশকালে
বিনয় ও ন্ম্নত৷ প্রকাৰশর ঘটনা আমরা তার জীবনী গ্রহুন্থ পৃথকভাবে উল্লেখ করেছি ৷
আবু বকর ইবন আবীদ দৃনয়া আবু গালিয়া শামী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
উমর ইবন খাত্তাব (বা) জেরুযালেম আগমনের পথে জাবিয়া এসে উপস্থিত হন একটি ছাই
রঙের উটের পিঠে নওয়াব হয়ে ৷ রােদের তীব্রতায় তার মাথার খোলা চুলগুলো ঝলমল
করছিল ৷ তার মাথায় টুপিও ছিল না, পাগড়িও নয় ৷ উটের পিঠের দৃ’পাশে তার পা দৃ’টো
বুলেছিল ৷ উটের পিঠে বিছানা হিসেবে রেখেছিলেন একটি পশমী কাপড় ৷ যখন উটের পিঠে
চঢ়তেন তখন সেটি বসার বিছানা হিসেবে ব্যবহার করতেন আর যখন উটের পিঠ থেকে
নামতেন তখন এটিকে বিছানা বানিয়ে তার উপর ঘৃমাতেন ৷ তার সওয়ারীর গদি হিসেবে ছিল
মোটা কাপড়ের তৈরি একটি খােল যা ছিল গাছের ছালে ভর্তি ৷ সওয়ারীর পিঠে উঠলে সেটি
ব্যবহার করতেন হেলান দেয়ার গদি হিসেবে আর ঘুমানাের সময় সেটি ব্যবহার করতেন বালিশ
হিসেবে ৷ র্তার পরিধানে ছিল তালি লাগানো এবং এক পাশ ছেড়া একটি তুলার তৈরি জামা ৷
তিনি বললেন, এখানকার ণ্নতাকে ডেকে নিয়ে আস ৷ লোকজন স্থানীয় নেতা জালমুস’কে
ডেকে আমল ৷ খলীফা বললেন, তাড়াতাড়ি আমার জামাটি ধুয়ে সেলাইয়ের ব্যবস্থা করে দাও ৷
ততক্ষণের জন্যে আমাকে একটি জামা কিৎরা কাপড় ধার দাও ৷ তখন কাতানের তৈরি একটি
জামা তার নিকট আনা হলো ৷ তিনি বললেন এটি কি’? বলা হয় এটি কাতান ৷ তিনি বললেন,
কাতান কাি লোকজন তাকে কাতান কাপড়ের বর্ণনা দিল ৷ তখনই তিনি নিজের জামা খুলে
দিলেন ৷ তা ধোত করে তালি লাগিয়ে তার নিকট উপস্থিত করা হলো ৷ তৎক্ষণাং তিনি ওদের
জামা খুলে নিজের জামা পরিধান করলেন ৷
গোত্রপ্রধান জালমুস বলল, “আপনি আরবের রাজা, এই দেশে এই পরিবেশে উটের পিঠে
চড়ার প্রচলন নেই ৷ আপনি যদি এই জামা ছেড়ে অন্য কোন জামা পরিধান করতেন এবং উট
ছেড়ে খচ্চরে চড়তেন তাতে রোমানদের মধ্যে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রভাব বৃদ্ধি পেত ৷ উত্তরে
খলীফা বললেন, আমরা এমন একটি সম্প্রদায় আল্লাহ্ তাআলা ইসলামের মাধ্যমে আমাদেরকে
সম্মানিত করেছেন ৷ আল্লাহ্র পরিবর্তে আমরা অন্য কিছু চইি না ৷ তবুও একটি খচ্চর নিয়ে
আসা হলো ৷ সেটির পিঠে একটি ঢ়াদর বিছিয়ে দেয়া হলো ৷ কোন গদি ছিল না সেটির পিঠে
আর না ছিল পাদানী ৷ খলীফা সেটির পিঠে চড়ে বললেন ৷ পরক্ষণেই বললেন, খামাও,


لَتَنْظُرُ بِعَيْنِ خَائِفٍ. وَجَعَلَ يَتَوَسَّمُنِي، ثُمَّ قَالَ: لَقَدْ عَلِمَ أَهْلُ دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ أَنِّي أَعْلَمُهُمْ بِكِتَابِهِمْ، وَإِنِّي لَأُرَاكَ الَّذِي تُخْرِجُنَا مِنْ بِلَادِنَا هَذِهِ، فَهَلْ لَكَ أَنْ تَكْتُبَ لِي كِتَابَ أَمَانٍ عَلَى دَيْرِي هَذَا؟ فَقُلْتُ: يَا هَذَا، لَقَدْ ذَهَبْتَ غَيْرَ مَذْهَبٍ. فَلَمْ يَزَلْ بِي حَتَّى كَتَبْتُ لَهُ صَحِيفَةً بِمَا طَلَبَ مِنِّي، فَلَمَّا كَانَ وَقْتُ الِانْصِرَافِ أَعْطَانِي أَتَانًا، فَقَالَ لِيَ: ارْكَبْهَا، فَإِذَا وَصَلْتَ إِلَى أَصْحَابِكَ فَابْعَثْ إِلَيَّ بِهَا وَحْدَهَا فَإِنَّهَا لَا تَمُرُّ بِدَيْرٍ إِلَّا أَكْرَمُوهَا. فَفَعَلْتُ مَا أَمَرَنِي بِهِ، فَلَمَّا قَدِمَ عُمَرُ لِفَتْحِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ أَتَاهُ ذَلِكَ الرَّاهِبُ وَهُوَ بِالْجَابِيَةِ بِتِلْكَ الصَّحِيفَةِ، فَأَمْضَاهَا لَهُ عُمَرُ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ ضِيَافَةَ مَنْ يَمُرُّ بِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَنْ يُرْشِدَهُمْ إِلَى الطَّرِيقِ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ وَغَيْرُهُ. وَقَدْ سَاقَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى فِي تَرْجَمَةِ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ الْقُرَشِيِّ الْبَلْقَاوِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا عَجِيبًا، هَذَا بَعْضُهُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا الشُّرُوطَ الْعُمَرِيَّةَ عَلَى نَصَارَى الشَّامِ مُطَوَّلًا فِي كِتَابِنَا " الْأَحْكَامِ " وَأَفْرَدْنَا لَهُ مُصَنَّفًا عَلَى حِدَةٍ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا خُطْبَتَهُ فِي الْجَابِيَةِ بِأَلْفَاظِهَا وَأَسَانِيدِهَا فِي الْكِتَابِ الَّذِي أَفْرَدْنَاهُ لِمُسْنَدِ عُمَرَ، وَذَكَرْنَا تَوَاضُعَهُ فِي دُخُولِهِ الشَّامَ فِي السِّيرَةِ الَّتِي أَفْرَدْنَاهَا لَهُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي الرَّبِيعُ بْنُ ثَعْلَبٍ، نَا أَبُو إِسْمَاعِيلَ الْمُؤَدِّبُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ هُرْمُزَ الْمَكِّيِّ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الشَّامِيِّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৩


থামাও ৷ মানুষ শয়তানের পিঠে সওয়ার হয় তা ইতিপুর্বে আমি দেখিনি ৷ এখন দেখলাম ৷ ’
অতএব তিনি ওই খচ্চরের পিঠ থেকে নেমে তার উটের পিঠে চড়লেন ৷

ইসমাঈল ইবন মুহাম্মদ আল সাফফার বলেছেন, সাদান ইবন নাসর তারিক ইবন
শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত উমর (রা) যখন সিরিয়া এলেন, তখন
তার বাহন হিসেবে একটি গর্জাত্তী উটনী হাজির করা হয় ৷ তিনি তার উট থেকে নেমে এলেন ৷
সোজা দৃটো খুলে নিলেন ৷ তারপর পানিতে নেমে গেলেন ৷ সাথে তার উটটিও পানিতে নেমে
যায় ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (রা) বললেন, হে আমীরুল মৃ’মিনীন! এই নগরবাসীর সম্মুখে
আপনি যা করেছেন তা বড় বেমানান বটে ৷ আপনি এই এই কাজ করলেন, খলীফা উমর (রা)
আবু উবায়দার বুকে মৃদু আঘাত করে বললেন, হে আবু উবায়দা ! এমন মন্তব্য আপনি ছাড়া
অন্য কারো মুখে হয়তো বা মনোয় ৷ এক সময় আপনারা হেয়, তৃচ্ছ, লাঞ্ছিত ও নগণ্য সংখ্যক
লোক ছিলেন ৷ তারপর ইসলামের মাধ্যমে আল্লাহ তড়াআলা আপনাদেরকে সম্মানিত করেছেন ৷
এরপর যদি আল্লাহর পথ ব্যতীত অন্য কোন পথে ইঘৃযত ও সম্মান লাভের চেষ্টা করেন তবে
আল্লাহ আপনাদেরকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করবেন ৷

ইবন জারীর বলেন, এই বছরেই অর্থাৎ ১৫ হিজরী সনে যুসলমান ও পারসিকদের মধ্যে
একাধিক যুদ্ধ ও সংঘর্ষ হয়েছে ৷ এটি বর্ণনা করেছেন সায়ফ ইবন উমর ৷ ইবন ইসহড়াক ও
ওয়াকিদী বলেছেন, এসব ঘটনা ঘটেছিল ১৬ হিজরী সনে ৷ এরপর ইবন জারীর কয়েকটি
ঘটনার উল্লেখ করেছেন ৷ তার একটি হলো উমর ইবন খাত্তাব (রা) সেনাপতি সাদ ইবন আবী
ওয়াক্কাস (বা)-কে মাদাইন অভিমুখে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিলেন ৷ এই নির্দেশ দিলেন
যে, বহু অশ্বের প্রহরী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নারী ও পােষ্যদেরকে আকীক নামক স্থানে রেখে
যেতে হবে ৷

সেনাপতি মাস (বা) কাদেসিয়া যুদ্ধ শে ষ করে মাদাইন অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ সৈনিকদের
অগ্রবর্তী দলের দায়িত্ব দিলেন যুহরা ইবন হুওয়ড়াইয়াকে ৷ এরপর একেকজন সেনাপতির
তত্ত্বাবধানে এক এক ডিভিশন সৈন্য পাঠাতে লাগলেন ৷ সর্বশেষ সেনাপতি সাদ নিজেই একটি
বিশাল বাহিনী নিয়ে যাত্রা করলেন ৷ ওই দিকে খালিদ ইবন উরফাতাহ্-এর স্থলে হাশিম ইবন
উতবা ইবন আবু ওয়াক্কাসকে শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হলো ৷ খালিদ ইবনউরফাতাহ্ অভিযানে
শরীক হলেন ৷ একটি বিশাল অশ্ব বাহিনী নিয়ে মুসলমানগণ যাত্রা শুরু করেন ৷ তাদের সাথে
প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র মজুদ ছিল ৷ অভিযান শুরু হয়েছিল চলতি বছরের শাওয়াল মাসের কয়েকদিন
বাকি থাকতে ৷ তম্বরা কুফায় গিয়ে অবতরণ করেন ৷ সবার আগে মাদইিসের উদ্দেশেড়া যাত্রা
করলেন যুহরাহ ৷ একদল পারসিক সৈন্যসহ সেনাপতি ইয়াসবৃহারী তার গতিরােধ করে ৷
মুসলিম সেনাপতি যুহরাহ ওদেরকে পরাজিত করেন ৷ পারসিকগণ পরাজিত হয়ে ব্যৰিলন
পালিয়ে যায় ৷ কাদেসিয়ার যুদ্ধে পরাজিত হবার পর বহু পারসিক সৈন্য ব্যবিলনে গিয়ে সমবেত
হয় ৷ সেখানে তারা সৎখ্যাধিক্য হয়ে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে ৷ ফীরুযানকে তারা সেনাপতি
নিযুক্ত করে ৷ ’

মুসলিম সেনাপতি যুহরাহ পরাজিত পারসিক সৈনিকদের ব্যৰিলনে সমবেত হওয়া এবং যুদ্ধ
প্রভৃতির কথা হযরত সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাসকে জানান ৷ হযরত সাদ ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি


قَدِمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْجَابِيَةَ عَلَى طَرِيقِ إِيلِيَاءَ عَلَى جَمَلٍ أَوْرَقَ تَلُوحُ صَلْعَتُهُ لِلشَّمْسِ، لَيْسَ عَلَيْهِ قَلَنْسُوَةٌ وَلَا عِمَامَةٌ، تَصْطَفِقُ رِجْلَاهُ بَيْنَ شُعْبَتِي الرَّحْلِ بِلَا رِكَابٍ، وِطَاؤُهُ كِسَاءٌ أَنْبِجَانِيٌّ ذُو صُوفٍ، هُوَ وِطَاؤُهُ إِذَا رَكِبَ، وَفِرَاشُهُ إِذَا نَزَلَ، حَقِيبَتُهُ نَمِرَةٌ أَوْ شَمْلَةٌ مَحْشُوَّةٌ لِيفًا، هِيَ حَقِيبَتُهُ إِذَا رَكِبَ، وَوِسَادَتُهُ إِذَا نَزَلَ، وَعَلَيْهِ قَمِيصٌ مِنْ كَرَابِيسَ قَدْ دَسِمَ وَتَخَرَّقَ جَيْبُهُ. فَقَالَ: ادْعُوا لِي رَأْسَ الْقَوْمِ. فَدَعَوْا لَهُ الْجَلَوْمَسَ، فَقَالَ: اغْسِلُوا قَمِيصِي وَخَيِّطُوهُ، وَأَعِيرُونِي قَمِيصًا أَوْ ثَوْبًا، فَأُتِيَ بِقَمِيصِ كَتَّانٍ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: كَتَّانٌ. قَالَ: وَمَا الْكَتَّانُ؟ فَأَخْبَرُوهُ، فَنَزَعَ قَمِيصَهُ فَغُسِلَ وَرُقِّعَ، وَأُتِيَ بِهِ، فَنَزْعَ قَمِيصَهُمْ وَلَبِسَ قَمِيصَهُ. فَقَالَ لَهُ الْجَلَوْمَسُ: أَنْتَ مِلْكُ الْعَرَبِ، وَهَذِهِ بِلَادٌ لَا تَصْلُحُ بِهَا الْإِبِلُ. فَأُتِيَ بِبِرْذَوْنٍ فَطُرِحَ عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ بِلَا سَرْجٍ وَلَا رَحْلٍ، فَرَكِبَهُ فَقَالَ: احْبِسُوا احْبِسُوا، مَا كُنْتُ أَظُنُّ النَّاسَ يَرْكَبُونَ الشَّيْطَانَ قَبْلَ هَذَا، هَاتُوا جَمَلِي. فَأُتِيَ بِجَمَلِهِ فَرَكِبَهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৯৪
وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّفَّارُ: حَدَّثَنَا سَعْدَانُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَيُّوبَ الطَّائِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ عُمَرُ الشَّامَ عَرَضَتْ لَهُ مَخَاضَةٌ، فَنَزَلَ عَنْ بَعِيرِهِ وَنَزَعَ مُوقَيْهِ، فَأَمْسَكَهُمَا بِيَدِهِ وَخَاضَ الْمَاءَ وَمَعَهُ بَعِيرُهُ، فَقَالَ لَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ: قَدْ صَنَعْتَ الْيَوْمَ صَنِيعًا عَظِيمًا عِنْدَ أَهْلِ الْأَرْضِ ; صَنَعْتَ كَذَا وَكَذَا. قَالَ: فَصَكَّ فِي صَدْرِهِ، وَقَالَ: أَوْهِ، لَوْ غَيْرُكَ يَقُولُهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ! إِنَّكُمْ كُنْتُمْ أَذَلَّ النَّاسِ وَأَحْقَرَ النَّاسِ وَأَقَلَّ النَّاسِ، فَأَعَزَّكُمُ اللَّهُ بِالْإِسْلَامِ، فَمَهْمَا تَطْلُبُوا الْعِزَّ بِغَيْرِهِ يُذِلَّكُمُ اللَّهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ - كَانَتْ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَفَارِسَ وَقَعَاتٌ فِي قَوْلِ سَيْفِ بْنِ عُمَرَ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْوَاقِدِيُّ: إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ وَقَعَاتٍ كَثِيرَةً كَانَتْ بَيْنَهُمْ، وَذَلِكَ حِينَ بَعَثَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ يَأْمُرُهُ بِالْمَسِيرِ إِلَى الْمَدَائِنِ، وَأَنْ يُخَلِّفَ النِّسَاءَ وَالْعِيَالَ بِالْعَقِيقِ فِي خَيْلٍ كَثِيرَةٍ كَثِيفَةٍ، فَلَمَّا تَفَرَّغَ سَعْدٌ مِنْ أَمْرِ الْقَادِسِيَّةِ بَعَثَ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ زُهْرَةَ بْنَ حَوِيَّةَ، ثُمَّ أَتْبَعَهُ بِالْأُمَرَاءِ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ، ثُمَّ سَارَ فِي الْجُيُوشِ، وَقَدْ جَعَلَ هَاشِمَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَلَى خِلَافَتِهِ مَكَانَ خَالِدِ بْنِ عُرْفُطَةَ، وَجَعَلَ خَالِدًا هَذَا عَلَى السَّاقَةِ، فَسَارُوا فِي خُيُولٍ عَظِيمَةٍ، وَسِلَاحٍ كَثِيرٍ، وَذَلِكَ