আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس عشرة

وقعة قيسارية

পৃষ্ঠা - ৫৪৮০


বিনামুল্যে ভক্ষণ করে না ৷ কোন স্থানে৩ তারা বিশৃত্খলা ও অশাত্তি নিয়ে প্রবেশ করবে না ৷
যুদ্ধবাজ প্রতিপক্ষের জন্যে তারা অপেক্ষা করে, যতক্ষণ না প্রতিপক্ষ তাদের নিকট উপ
হয়ে যুদ্ধের সুচনা করে ৷ এসব শুনে হিরাক্লিয়াস বলেছিল, তুমি যা বলেছ তা যদি সত্য
হয় তাহলে আমার পায়ের নিচের এই স্থানটিও তারা দখল করে নিয়ে ৷ তারা এটিরও অধিকারী
হবে ৷

আমি বলি, উমাইয়৷ শাসনামলে মুসলমানগণ কনক্টানৃটিনােপল অবরৈাধ করেছিলেন ৷ কিন্তু
সেটি জয় করতে পারেন নি ৷ অবশ্য পরবর্তী যুগে তারা এটি অধিকার করে নিয়ে ইনশাআল্লাহ ৷
৩কি ৷ব আল ঘুলাহিম’ গ্রন্থে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করব ৷ এই জয় আসবে দাজ্জাল
আগমন করার সামান্য পুর্বে ৷ এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্মোঃ ; থেকে বিশুদ্ধ হাদীসসমুহ বর্ণিত ৩হয়েছে ৷
সহীহ মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে এগুলো উদ্ধৃত আছে ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র ৷

কোনকালেই রোমানরা আর পুর্ণ সিরিয়া অধিকার করতে পারবে না ৷ সমগ্র সিরিয়া
পুনঃদখল করা আল্লাহ্ তাআলা রোমানদের জন্যে হারাম করে দিয়েছেন ৷ এ প্রসঙ্গে সহীহ
বুখারী ও সহীহ মুসলিম গ্রন্থে উদ্ধৃত আছে যে, আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেচ্ছেন , রাসুলুল্লাহ্ড্রেবলেছেন-
;;fl এ£ণ্ড্র ৷ট্রা

; ষ্ —

পারস্য সম্রাট ধ্বংস হলে এমন দাের্দগু প্রতাপশালী পারস্য সম্রাট আর জন্ম নিয়ে না ৷
রোমান সম্রাট ধ্বংস হবে এমন দাের্দণ্ড প্ৰতাপশালী রোমান সম্রাট আর জন্য নিয়ে না ৷ যে মহান
সভার হাতে আমার প্রাণ তার কসম করে বলছি, ওদের সকল ধন সম্পদ ও সঞ্চয় মহান
আল্লাহ্র পথে ব্যয়িত হবে ৷ বন্তুত বাসুলুল্পাহ মোঃ যা বলেছেন তা ঘর্টেছেই, যেমনটি আমরা
দেখেছি এবং এটা নিশ্চিত যে, আরো ঘটবে ৷ সিরিয়ার কখনো রোমান সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত
হবে না ৷ কারণ কায়সার’ শব্দ দ্বারা আরবগণ বুঝে থাকে একই সাথে রোম ও সিরিয়ার
শাসনকর্তা ৷ সুতরাং কোন ব্যক্তি একই সাথে রোমান শহর নগর ও সিরিয়ার শাসন ক্ষমতা
কুক্ষিগত করবে সে সুযোগ আর ফিরে আসবে না ৷

কায়সারিয়্যার যুদ্ধ

ইবন জারীর বলেন, এই বছর খলীফা উমর (রা) মুআবিয়া ইবন আবী সুফয়ালাক
কায়সারিয়্যা অভিযানের সেনাপতি নিয়োগ করেন ৷৩ তার নিকট প্রেরিত চিঠিতে খলীফা লিখেন
যে, আমি আপনাকে কায়সারিয়্যা অভিযানের সেনাপতির দায়িত্ব দিয়েছি ৷ আপনি সেখানে গমন
ব্বন্ন এবং ওদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন ৷ আর বেশি বেশি করে এই কণেমা
পাঠ
ৰুা

র্চ!ষ্ ন্ শ্াশ্ ণ্শ্প্ শ্ষ্শ্


أَخْبَرَ بِهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، كَمَا رَأَيْتَ، وَسَيَكُونُ مَا أَخْبَرَ بِهِ جَزْمًا، لَا يَعُودُ مُلْكُ الْقَيَاصِرَةِ إِلَى الشَّامِ أَبَدًا ; لِأَنَّ قَيْصَرَ عَلَمُ جِنْسٍ عِنْدَ الْعَرَبِ يُطْلَقُ عَلَى كُلِّ مَنْ مَلَكَ الشَّامَ مَعَ بِلَادِ الرُّومِ. فَهَذَا لَا يَعُودُ لَهُمْ أَبَدًا. [وَقْعَةُ قَيْسَارِيَّةَ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أَمَرَ عُمَرُ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى قَيْسَارِيَّةَ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ: أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ وَلَّيْتُكَ قَيْسَارِيَّةَ، فَسِرْ إِلَيْهَا وَاسْتَنْصِرِ اللَّهَ عَلَيْهِمْ، وَأَكْثِرْ مِنْ قَوْلِ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ، اللَّهُ رَبُّنَا وَثِقَتُنَا، وَرَجَاؤُنَا وَمَوْلَانَا، فَنِعَمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ. فَسَارَ إِلَيْهَا فَحَاصَرَهَا، وَزَاحَفَهُ أَهْلُهَا مَرَّاتٍ عَدِيدَةً، وَكَانَ آخِرَهَا وَقْعَةً أَنْ قَاتَلُوا قِتَالًا عَظِيمًا، وَصَمَّمَ عَلَيْهِمْ مُعَاوِيَةُ، وَاجْتَهَدَ فِي الْقِتَالِ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، فَمَا انْفَصَلَ الْحَالُ حَتَّى قُتِلَ مِنْهُمْ نَحْوًا مِنْ ثَمَانِينَ أَلْفًا، وَكَمَّلَ الْمِائَةَ الْأَلْفِ مِنَ الَّذِينَ انْهَزَمُوا عَنِ الْمَعْرَكَةِ، وَبَعَثَ بِالْفَتْحِ وَالْأَخْمَاسِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِيهَا كَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ بِالْمَسِيرِ إِلَى إِيلِيَاءَ، وَمُنَاجَزَةِ صَاحِبِهَا، فَاجْتَازَ فِي طَرِيقِهِ عِنْدَ الرَّمْلَةِ بِطَائِفَةٍ مِنَ الرُّومِ، فَكَانَتْ: