আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث عشرة من الهجرة

وقعة النمارق

পৃষ্ঠা - ৫৪২০


মদীনায় একাধিক ব্যক্তিকে খলীফা উমর (রা) সেনাপতি নিযুক্ত করেন ৷ সবার উপরে
সেনাপতির দায়িত্ব দেন এই আবু উবায়দ ইবন মাসউদ ছাকাফীকে ৷ তিনি কিত্তু সাহাবী ছিলেন
না ৷ কেউ কেউ হযরত উমর (রা)-কে জিজ্ঞেস করলেন যে, কোন সাহাবীকে আপনি প্রধান
সেনাপতি নিযুক্ত করলেন না কেন ? তিনি বললেন, সর্বপ্রথম যে সাড়া দিয়েছে আমি তাকেই
প্রধান সেনপতি নিযুক্ত করেছি ৷ আপনারা তাে দীনের সাহায্যে সবার আগে এগিয়ে এসেছেন ৷
আর এই ঘটনায় এই লোক আপনাদের সবার আগে এগিয়ে এসেছে ৷ সবার আগে সাড়া
দিয়েছে ৷ এরপর খলীফা উমর (রা) আবু উবায়দা ইবন মাসউদ ছাকাফীকে ডেকে ব্যক্তিগত
ব্যাপারে থােদাভীতি ও তাকওয়া অবলম্বন ও সাথী মুসলিম সৈন্যদের কল্যাণ কামনার উপদেশ
দিলেন ৷ সকল কাজে সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করার নির্দেশ দিলেন ৷ সালীত ইবন বাশীরের
সাথেও পরামর্শ করার কথা বললেন ৷ কারণ সালীত ইবন বাশীরের রয়েছে যুদ্ধ সম্বন্ধে বাস্তব
অভিজ্ঞতা ৷ তিনি সরাসরি বহু যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ বন্তুত মুসলমানদের এই সেনাদল
ইরাকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ তাদের সংখ্যা সাত হাজার ৷

খলীফা উমর (রা) হযরত আবু উবায়দা (র)-কে লিখলেন, খালিদ (রা)-এর সাথে যে
সবলে সৈন্য ইরাক থেকে এসেছে ওদেরকে যেন পুনরায় ইরাকে পাঠিয়ে দেন ৷ তিনি দশ হাজার
সৈন্যের একটি বাহিনী প্রস্তুত করলেন ৷ হাশিম ইবন উতবাকে নেতা মনোনীত করে তার
তত্ত্বাবধানে ওই সেনাবাহিনী ইরাকে প্রেরণ করেন ৷ ওদিকে জারীর ইবন আবদুল্লাহ বাজালীর
নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্যের একটি বিশাল বাহিনী হযরত উমর (রা) ইরাকে প্রেরণ করেনা
জারীর ইবন আবদুল্লাহ তার বাহিনী নিয়ে কুফা পৌছেন ৷ সেখানে হারকারান আল
মাদার”-এর সাথে র্তার যুদ্ধ হয় ৷ যুদ্ধে হারকারান নিহত হয় এবং তার সেনাবাহিনী পরাজিত
হয় ৷ ওদের অধিকাৎশই দজলা নদীতে ডুবে মারা যায় ৷ মুসলিম বাহিনী ইরাক গিয়ে পৌছে ৷
তখন পারসিকগণ তাদের রাজা-রাণী মনোনয়ন ও অপসারণ নিয়ে ব্যস্ত ছিল ৷ অবশেষে রাণী
আযার মীদাখৃত কে হত্যা করে তারা বুরান বিনৃত কিসরাকে ক্ষমতায় বসায় ৷ রাণী বুরান
রুস্তম ইবন ফারাখযায নাভ্রুময় এক সাহসী বীর যােদ্ধার নিকট দশ বছরের জন্যে রাজত্ব হস্তান্তর
করে এই শর্তে যে, সে যুদ্ধ পরিচালনা করবে ৷ এরপর রাজত্ব ফিরে আসবে কিসরার
বংশধরদের নিকট ৷ রুস্তম তা মেনে নেয় ৷ এই রুস্তম ছিল একজন ণ্জ্যাতির্বিদ ৷ জোতিষ্ক ও
জ্যেড়াতির্বিদ্যা সম্পর্কে তার ছিল পর্যাপ্ত জ্ঞান ৷ একদিন তাকে বলা হয়েছিল-আপনি জানতেন
’ যে, এই রাজত্ব আর পুর্ণতা পাবে না-স্থায়ী হবে না ৷ তবু এটি গ্রহণে কািস আপনাকে
উৎসাহিত করল ? তিনি বলেলেন, উনােভ-লালসা এবং মর্যাদা লাভের উচ্চাকাহ্মে৷ আমাকে এটি
গ্রহণে উৎসাহিত করেছে ৷ ’

নামারিকের যুদ্ধ

সেনাপতি ল্ডেম জাবান নামের এক ব্যক্তিকে সেনাপতির দায়িত্ব প্রদান করত মুসলমানদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে প্রেরণ করেছিল ৷ তার দু’পাশে দায়িতৃপ্রাপ্ত ছিল হাশনাস মাহ্ ও
মারদান শাহ নামের দুজন লোক ৷ মারদান শাহ্ ছিল সেনাপতি রাঃমের জ্যি ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ৷
তারা নামারিক নামক স্থানে সেনাপতি আবু উবায়দ-এর মুখোমুখি হয় ৷ নামারিক হলো হীরা ও
কাদেসিয়া নগরীর মধ্যবর্তী একটি স্থান ৷ মুসলিম অশ্বারোহী বাহিনীর দায়িত্বে তখন হযরত


الْمُسْلِمَيْنِ خَيْرًا، وَأَمَرَهُ أَنْ يَسْتَشِيرَ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْ يَسْتَشِيرَ سَلِيطَ بْنَ قَيْسٍ ; فَإِنَّهُ رَجُلٌ بَاشَرَ الْحُرُوبَ، فَسَارَ الْمُسْلِمُونَ إِلَى أَرْضِ الْعِرَاقِ، وَهُمْ سَبْعَةُ آلَافِ رَجُلٍ وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ أَنْ يُرْسِلَ مَنْ كَانَ بِالْعِرَاقِ مِمَّنْ قَدِمَ مَعَ خَالِدٍ إِلَى الْعِرَاقِ، فَجَهَّزَ عَشَرَةَ آلَافٍ، عَلَيْهِمْ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ، وَأَرْسَلَ عُمَرُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيَّ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ إِلَى الْعِرَاقِ فَقَدِمَ الْكُوفَةَ ثُمَّ خَرَجَ مِنْهَا فَوَاقَعَ هِرَقْرَانَ الْمَدَارَ فَقَتَلَهُ وَانْهَزَمَ جَيْشُهُ، وَغَرِقَ أَكْثَرُهُمْ فِي دِجْلَةَ فَلَمَّا وَصَلَ النَّاسُ إِلَى الْعِرَاقِ وَجَدُوا الْفُرْسَ مُضْطَرِبِينَ فِي مُلْكِهِمْ، وَآخِرُ مَا اسْتَقَرَّ عَلَيْهِ أَمْرُهُمْ أَنْ مَلَّكُوا عَلَيْهِمْ بُورَانَ بِنْتَ كِسْرَى بَعْدَمَا قَتَلُوا الَّتِي كَانَتْ قَبْلَهَا آزَرْمِيدُخْتَ، وَفَوَّضَتْ بُورَانُ أَمْرَ الْمُلْكِ عَشْرَ سِنِينَ إِلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: رُسْتُمُ بْنُ فَرُّخْزَاذَ. عَلَى أَنْ يَقُومَ بِأَمْرِ الْحَرْبِ، ثُمَّ يَصِيرُ الْمُلْكُ إِلَى آلِ كِسْرَى، فَقَبِلَ ذَلِكَ. وَكَانَ رُسْتُمُ هَذَا مُنَجِّمًا يَعْرِفُ النُّجُومَ وَعِلْمَهَا جَيِّدًا، فَقِيلَ لَهُ: مَا حَمَلَكَ عَلَى هَذَا؟ يَعْنُونَ وَأَنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ لَا يَتِمُّ لَكَ، فَقَالَ: الطَّمَعُ وَحُبُّ الشَّرَفِ. [وَقْعَةُ النَّمَارِقِ] بَعَثَ رُسْتُمُ أَمِيرًا يُقَالُ لَهُ: جَابَانُ. وَعَلَى مُجَنِّبَتَيْهِ رَجُلَانِ يُقَالُ لِأَحَدِهِمَا:
পৃষ্ঠা - ৫৪২১


মুছান্ন৷ ইবন হারিছু৷ ৷ বাম বাহিনীর দায়িত্বে আমর ইবন হায়ছাম ৷ ওখানে উভয়পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ
হয় ৷ আল্লাহ্ তাআলা পারসিকদেরকে পরাজিত করে দেন ৷ জাবান ও মারদান শাহ
মুসলমানদের হাতে বন্দী হয় ৷ যে মুসলিম সৈনিক মারদান শাহকে বন্দী করেছিল সে নিজেই
মারদান শাহকে হত্যা করে ফেলে ৷ আর জাবান গ্রেপ্তার হয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয় ৷ ফলে যে
ব্যক্তি তাকে বন্দী করেছিল ণ্স জাবানকে ছেড়ে দেয় ৷ কিংন্থ অন্য মুসলমানরা তাকে আটক করে
রাখেন ৷ ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেন ৷ তারা বলেন এই যে, প্রধান সেনাপতি ৩৷ তারা তাকে
নিয়ে আসেন সর্বাধিনাহ্ছুক হযরত আবু উবায়দ-এর নিকট ৷ ওরা তাকে বলেছিল যে, জাবানকে
হত্যা করুন ৷ কারণ সে শক্র-সৈন্যের প্রধান ব্যক্তি ৷ আবু উবায়দ বললেন, যে যদি সেনাধ্যক্ষও
হয় তবুও আমি ওকে হত্যা করব না ৷ কারণ আমাদেরই আনক মুসলমান তাকে নিরাপত্তা
দিয়েছিল ৷
এরপর আবু উবায়দ পরাজিত পারসিক সৈনিকদেরকে তাড়া করতে বের হলেন ৷ ওরা

তখন কাসৃকম্বুর মহলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল ৷ ওখানকার শাসক ছিল কিসরা এর খালাত ভাই
তার নাম নারসী ৷ সে ওদেরকে প্রস্তুত ৩করল আবু উবায়দ এর ঘুকাবিলা করার জন্যে ৷ তিনি
ওদের উপর আক্রমণ করলেন প্রচওভাবে ৷ ওরা পরাজিত হলো ৷ বহু মালামাল ও খাদ্যদ্রব্য
মুসলমানদের ত ৷ কারে এল ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর : যুদ্ধে প্রাপ্ত খাদ্যদ্রব্য ও
মালামালের হু অংশ নিয়মানুযায়ী মদীনায় খলীফ৷ উমর ইবন খাত্তাব (রা) এর নিকট পাঠিয়ে
দেয়া হলো ষ্ ওই যুদ্ধ সম্পর্কে জনৈক মুসলমান নিম্নের কৰি৩ ৷ আবৃত্তি করেছিল ং

ট্রুব্লুন্;:এ
আমার জিন্দেগীর কসম ৷ আমার জীবন অভ সহজ ও নিষ্কণ্টক নয় ৷ নামারিকের
অধিবাসিগণ ভোর বেলা যিল্লভী ও অপ মানের বোঝা নিয়ে উ ছে ৷

৷ ,

এ র্দু£এন্ৰুন্
ওরা লাঞ্ছিরু ৩ ও অপমানিত হয়েছে এমন কতক লোকেরন্ন্ষ্ খ্া৩ ৩যারা হিজরত করেছে তাদের
প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ৷ এরা নামাবিক বাসীদেরকে পদদলিত ও অপদস্ত করেছে দিরনা ও
বারিকের মধ্যবর্তী স্থানে ৷


আমরা ওদেরকে হত্যা করেছি ৷ হত্যা করেছি তাদারুকের পথে হাওয়ানী ও মার্জ
মুছাল্লাহের মধ্যবর্তী স্থানে ৷

উভয়পক্ষস য্যের্ষ লিপ্ত হয়েছিল কাসকার আর সাফাতিয়্যাহ্-এর মধ্যবর্তী স্থানে ৷ ওদের
ডান পার্শের সেনড়াদলের দায়িত্বে ছিল নারসী ৷ আর বাম পার্ণের সেনাদলের দায়িত্বে ছিল তা
মামাত ভাই বানদাবিয়্যাহ ও ৰায়রাবিয়্যাহ ৷ ওদের পিতার নাম নিযাম ৷ এদিকে রুস্তম
জালীনুসের নেতৃত্বে একটি সুসজ্জিত দল পাঠিয়েছিল ৷ এ সংবাদ অবগত হয়ে আবু উবায়দ
তৃরিত গতিতে নারসী-এৱ উপর আক্রমণ করেন ৷ জালীনুসের বাহিনী ওদের সাথে মিলিত
হবার আগেই তিনি এই আক্রমণ করেন ৷ আবু উবায়দ৷ (রা) ও নারসীর মধ্যে সেখানে প্ৰচওা


جِشْنِسُ مَاهْ. وَيُقَالُ لِلْآخَرِ: مَرْدَانْ شَاهْ. وَهُوَ حَصِيُّ أَمِيرِ حَاجِبِ الْفُرْسِ، فَالْتَقَوْا مَعَ أَبِي عُبَيْدٍ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: النَّمَارِقُ. بَيْنَ الْحِيرَةِ وَالْقَادِسِيَّةِ، وَعَلَى الْخَيْلِ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ عَمْرُو بْنُ الْهَيْثَمِ، فَاقْتَتَلُوا هُنَالِكَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَهَزَمَ اللَّهُ الْفُرْسَ، وَأُسِرَ جَابَانُ وَمَرْدَانْ شَاهْ. فَأَمَّا مَرْدَانْ شَاهْ فَإِنَّهُ قَتَلَهُ الَّذِي أَسَرَهُ، وَأَمَّا جَابَانُ فَإِنَّهُ خَدَعَ الَّذِي أَسَرَهُ حَتَّى أَطْلَقَهُ، فَأَمْسَكَهُ الْمُسْلِمُونَ وَأَبَوْا أَنْ يُطْلِقُوهُ، وَقَالُوا: إِنَّ هَذَا هُوَ الْأَمِيرُ. وَجَاءُوا بِهِ إِلَى أَبِي عُبَيْدٍ، فَقَالُوا: اقْتُلْهُ، فَإِنَّهُ الْأَمِيرُ. فَقَالَ: وَإِنْ كَانَ الْأَمِيرَ، فَإِنِّي لَا أَقْتُلُهُ وَقَدْ أَمَّنَهُ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. ثُمَّ رَكِبَ أَبُو عُبَيْدٍ فِي آثَارِ مَنِ انْهَزَمَ مِنْهُمْ، وَقَدْ لَجَأُوا إِلَى مَدِينَةِ كَسْكَرَ الَّتِي لِابْنِ خَالَةِ كِسْرَى، وَاسْمُهُ نَرْسِي، فَوَازَرَهُمْ نَرْسِي عَلَى قِتَالِ أَبِي عُبَيْدٍ، فَقَهَرَهُمْ أَبُو عُبَيْدٍ، وَغَنِمَ مِنْهُمْ شَيْئًا كَثِيرًا وَأَطْعِمَاتٍ كَثِيرَةٍ جِدًّا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَبَعَثَ بِخُمُسِ مَا غَنِمَ مِنَ الْمَالِ وَالطَّعَامِ إِلَى عُمَرِ بْنِ الْخَطَّابِ بِالْمَدِينَةِ، وَقَدْ قَالَ فِي ذَلِكَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ: لَعَمْرِي وَمَا عُمْرِي عَلَيَّ بِهَيِّنٍ ... لَقَدْ صُبِّحَتْ بِالْخِزْيِ أَهْلُ النَّمَارِقِ بِأَيْدِي رِجَالٍ هَاجَرُوا نَحْوَ رَبِّهِمْ ... يَجُوسُونَهُمْ مَا بَيْنَ دُرْتَا وَبَارِقِ قَتَلْنَاهُمْ مَا بَيْنَ مَرْجِ مُسَلِّحٍ وَبَيْنَ الْهَوَافِي مِنْ طَرِيقِ الْبَذَارِقِ