আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث عشرة من الهجرة

فتح دمشق

পৃষ্ঠা - ৫৪০৫


করবেন এবং আমার দ্বারা আপনাকে পরীক্ষা করবেন ৷ পার্থিব স্বার্থ থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে
রাখবেন ৷ অম্ভরকে তা থেকে উদাসীন রাখুন ৷ আপনার পুর্ববর্তী লোকগণ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে তেমন ক্ষতি ও ধ্বংস থেকে নিজেকে ৰ্বাচিয়ে রাখবেন ৷ ওদের ধ্বংসস্থান তো আপনি
দেখেছেন ৷

খলীফা তাদেরকে নির্দেশ দিলেন দামেশক অভিমুখে যাত্রা করার জন্যে ৷ হযরত উমর
(রা)-এর পক্ষ থেকে এই চিঠি ও নির্দেশ জারি করা হয়েছিল ইয়ারমুক যুদ্ধ বিজয়ের সংবাদ
প্রাপ্তি ও গনীমতের ই৫ অংশ খলীফার দরবারে জমা হবার পর ৷

ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, ইয়ারমুক যুদ্ধে বিজয়ী হবার পর সাহারা-ই-কিরাম (রা)
আজনাদায়ন’ যুদ্ধে অংশ নেন ৷ তারপর তারা অংশ নেন ফিহ্ল’ যুদ্ধে ৷ ফিহ্ল হচ্ছে গাওর
অঞ্চলে বীসান-এর নিকটবর্তী রাদপাহ্ নামক স্থানের একটি এলাকা ৷ প্রচুর অড়াঠালো কাদামাটির
কারণে ওই স্থানের নাম রড়াদপাহ্ হয়েছে ৷ স্থানীয় অধিবাসীগণ ওই কাদামাঢি দিয়ে প্রাচীর তুলে
সাহাব-ই-কিরাম-এর গতিরোধ করেছিল ৷ র্তারা চারদিক থেকে ওই এলাকা ঘিরে ফেলেছিলেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এসময়েই হযরত উমর (রা)-এর পক্ষ থেকে আবু উবায়দা (রা)-কে
সেনাপতি নিযুক্তির ও খালিদ (রা)-এর অপসারণের ফরমান আসে ৷ দামেশক অবরােধের
প্রাক্কালে আবু উবায়দা (রা)-কে সেনাপতি নিযুক্তির ফরমান আমার যে কথা ইবন ইসহাক
উল্লেখ করেছেন তা অতি মশহুর ও প্রসিদ্ধ কথা ৷

দামেশক বিজয়

সায়ফ ইবন উমর বলেন, আবু উবায়দা (বা) সৈন্য বাহিনী নিয়ে ইয়ারমুকে থেকে যাত্রা
করলেন ৷ তিনি মারজ সাকর’ নামক স্থানে এসে শিবির স্থাপন করলেন ৷ তার লক্ষ্য ছিল
দামেশক অবরোধ করা ৷ তখন তার নিকট সংবাদ এল যে, তার সাহায্যে হিমৃস থেকে
অতিরিক্ত সেনাবাহিনী আসছে ৷ তীর নিকট এই সংবাদও এল যে, ফিলিস্তিনের সিংহল নামক
স্থানে রোমানগণ একটি বিশাল সৈন্য বহর সমবেত করেছে ৷ তিনি একটু দ্বিধাপ্রস্ত ছিলেন যে,
প্রথমে কোন কাজটা করবেন ৷ তিনি এ বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে খলী ফ৷ উমর (রা)-এর নিকট পত্র
পাঠালেন ৷ উত্তর এল, তিনি যেন প্রথমে দামেশকে অভিযান পরিচালনা করেন ৷ কারণ দামেশক
হলো সিরিয়ার দুর্গ ও রাজধানী ৷ খলীফা লিখলেন, দামেশকের জন্যে প্রস্তুত হন আর একদল
অশ্বারোহী ফিহ্ল অভিমুখে প্রেরণ করে ব্লোমানদেরকে বাধা দিন ৷ দামেশৃক বিজয়ের পুর্বে যদি
ওই অশ্ববাহিনীর হাতে আল্লাহ্ তাআলা ফিহ্লের বিজয় দান করেন তবে তড়াভাে আমাদের
কাম্যই ৷ আর ফিহ্ল বিজয়ের পুর্বে যদি আপনি দামেশৃক জয় করতে পারেন তাহলে দামেশকে
কাউকে আপনার স্থলাভিষিক্ত করে সৈন্য-সামস্তসহ আপনি ফিহ্ল অভিমুখে যাত্রা করবেন ৷ আর
ফিহ্ল জয় করার পর আপনি এবং খালিদ দৃ’জনেই হিমৃস অভিমুখে যাত্রা করবেন ৷ আমর আর
শুৱাহ্বীলকে জর্ডান আর ফিলিস্তিনের দায়িত্ব দিয়ে যাবেন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, আবু উবায়দা (রা) দশজন সেনাপতি প্রেরণ করলেন ফিহ্ল অভিমুখে,
প্রত্যেক সেনাপতির অধীনে আরো পাচজন করে সেনাপতি দিলেন ৷ এদের অধীনে সাধারণ
সৈন্য তো ছিলই ৷ ওই অভিযানের প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করলেন সাহাবী আম্মারা ইবন


مِنْ مَجِيءِ الْإِمَارَةِ لِأَبِي عُبَيْدَةَ فِي حِصَارِ دِمَشْقَ هُوَ الْمَشْهُورُ. [فَتْحُ دِمَشْقَ] [كِتَابُ الصُّلْحِ إِلَى أَهْلِ دِمَشْقَ] ذِكْرُ فَتَحِ دِمَشْقَ. قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ: لَمَّا ارْتَحَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ مِنَ الْيَرْمُوكِ فَنَزَلَ بِالْجُنُودِ عَلَى مَرْجِ الصُّفَّرِ، وَهُوَ عَازِمٌ عَلَى حِصَارِ دِمَشْقَ إِذْ أَتَاهُ الْخَبَرُ بِقُدُومِ مَدَدٍ لَهُمْ مِنْ حِمْصَ، وَجَاءَهُ الْخَبَرُ بِأَنَّهُ قَدِ اجْتَمَعَ طَائِفَةٌ كَبِيرَةٌ مِنَ الرُّومِ بِفِحْلٍ مِنْ أَرْضِ فِلَسْطِينَ، وَهُوَ لَا يَدْرِي بِأَيِّ الْأَمْرَيْنِ يَبْدَأُ، فَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ، فَجَاءَ الْجَوَابُ أَنِ ابْدَأْ بِدِمَشْقَ فَإِنَّهَا حِصْنُ الشَّامِ وَبَيْتُ مَمْلَكَتِهِمْ، فَانْهَدْ لَهَا وَاشْغَلُوا عَنْكُمْ أَهْلَ فِحْلٍ بِخُيُولٍ تَكُونُ تِلْقَاءَهُمْ، فَإِنْ فَتَحَهَا اللَّهُ قَبْلَ دِمَشْقَ فَذَلِكَ الَّذِي نُحِبُّ، وَإِنْ فُتِحَتْ دِمَشْقُ قَبْلَهَا فَسِرْ أَنْتَ وَمَنْ مَعَكَ وَاسْتَخْلِفْ عَلَى دِمَشْقَ، فَإِذَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فِحْلًا فَسِرْ أَنْتَ وَخَالِدٌ إِلَى حِمْصَ وَاتْرُكْ عَمْرًا وَشُرَحْبِيلَ عَلَى الْأُرْدُنِّ وَفِلَسْطِينَ. قَالَ: فَسَرَّحَ أَبُو عُبَيْدَةَ إِلَى فِحْلٍ عَشَرَةَ أُمَرَاءَ، مَعَ كُلِّ أَمِيرٍ خَمْسَةُ أُمَرَاءَ، وَعَلَى الْجَمِيعِ عُمَارَةُ بْنُ مَخْشِيٍّ، صَحَابِيٌّ، فَسَارُوا مِنْ مَرْجِ الصُّفَّرِ إِلَى فِحْلٍ، فَوَجَدُوا الرُّومَ هُنَالِكَ قَرِيبًا مِنْ ثَمَانِينَ أَلْفًا، وَقَدْ أَرْسَلُوا الْمِيَاهَ حَوْلَهُمْ حَتَّى أَرْدَغَتِ الْأَرْضُ، فَسَمَّوْا ذَلِكَ الْمَوْضِعَ الرَّدْغَةَ، وَفَتَحَهَا اللَّهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَكَانَتْ أَوَّلَ حِصْنٍ فُتِحَ قَبِلَ دِمَشْقَ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪০৬


মুখৃশী-কে ৷ তারা মারজুস সাফর’ থেকে ফিহ্ল গিয়ে পৌছলেন ৷ তারা দেখতে পেলেন প্রায়
আশি হাজার রোমান সৈন্য সেখানে প্রস্তুতি নিয়ে আছে ৷ তাদের আশেপাশে তারা প্রচুর পানি
ছেড়ে দিয়েছিল যার ফলে ওই অঞ্চল নরম কাদায় পরিণত হয় ৷ এজন্যে ওই স্থানের নাম
হয়েছে রাদগাহ বা কর্দম অঞ্চল ৷ ওই অভিযানে আল্পাহ্ তাআলা মুসলমানদেরকে বিজয় দান
করেন ৷ দামেশক বিজয়ের পুরু র্ব এটিই মুসলমানদের প্রথম বিজিত দুর্গ ৷ সৰ্বাধিনায়ক আবু
উবায়দা (রা) একদল সৈন্য পাঠালেন যারা অবস্থান গ্রহণ করল দামেশক ও ফিলিস্তিনের
মাঝখানে ৷ ৰু
যুলকিলাএর নেতৃত্বে আরেক দল সৈন্য পাঠালেন দামেশৃক আর র্হিমসের মধ্যবর্তী অঞ্চলে
যাতে হিরাক্লিয়াসের পক্ষ থেকে শত্রু , সৈন্যের নিকট আগমনকারী সাহায্য দলকে তারা
প্রতিরোধ করতে পারে ৷ এরপর আবুউবায়দা (বা) তার দলবলসহ মারজুস সাফর ’ থেকে
দামেশক অভিমুখে যাত্রা করলেন ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ ছিলেন মুল দলের দায়িত্বে ৷ আর আবু
উবায়দা ও আমর ইবন আন দু’পাশের দ্পুদলের দায়িত্বে ৷ অশ্বৰাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন ইয়ায
ইবন পানাম ৷ পদাতিক বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন শুরাহ্বীল ইবন হাসানা (রা) ৷ তার৷ দামেশক
এসে পৌছলেন ৷ তখন দামেশকের প্রশাসক ছিল নিসতাস ইবন নাসতুস ৷ হযরত খালিদ (রা)
পুর্ব দরজায় অবস্থান নিলেন ৷ পাশে ছিল কায়সান দরজা, আবু উবায়দা থাকলেন সুবিশাল
জাবিয়া দরজায় নিকট ৷ ইষায়ীদ ইবন আবু সুফিয়ান থাকলেন ছোট জাবিয়৷ দরজায় নিকট ৷
আমর ইবন আস ও শুরাহবী ল ইবন হাসানাহ্ অবস্থান নিলেন শহরের অন্যান্য দরজায় নিকট ৷
তারা কামান ও তােপ প্রস্তুত করে রেখেছিলেন ৷ সৰ্বাধিনায়ক আবু উবায়দা (রা) হযরত আবু
দারদা (রা)-;ক কতক সেনাবাহিনীসহ বাহির এলাকায় নিয়োজিত করেছিলেন যাতে তারা সমগ্র
মুসলিম সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে পারে৷ অনুরুপ হিম্স-এর দিক থেকে আসন্ন শত্রু
সৈন্যদেরকে বাধা দেয়ার জন্যে যে মুসলিম সৈন্যবাহিনী নিয়োজিত ছিল ওদেরকেও যেন তারা
সাহায্য করতে পারে ৷

বন্তুত তারা দামেশক অবরোধ করে রাখেন একাদিক্রমে ৭০ দিন ৭০ রাত ৷ মতান্তরে
অবরোধ চলেছিল : মাস ৷ কারো মতে ৬ মাস ৷ কেউ বলেছেন ১৪ মাস ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷

দামেশকের অধিবাসিপণ নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যে পুর্ণ প্রস্তুতি ও আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ৷
ওদের সম্রটি হিরাক্লিয়াসের নিকট তারা সাহায্য চেয়ে লোক পাঠিরেছে ৷ সম্রাট তখন অবস্থান
করছিল স্থিমৃস নগরীতে ৷ সেনাপতি যুলকিলা-এর বাধার মুখে হিরাল্লিসের পক্ষ থেকে কোন
সাহায্য তাদের নিকট আসতে পারেনি ৷ সর্বাধিনারক আবু উবায়দা (বা) যুলকিলা-কে কতক
সৈনিকসহ নিয়োজিত করেছিলেন দামেশৃক ও হিমসৃ নগরীর মাঝপথে ৷ যাতে হিরাক্লিয়াসের
পক্ষ থেকে দামেশৃক অধিবাসীদের নিকট কোন সাহায্য চাইলে তাতে বাধা দেন ৷ মুলত
হরেছেও তইি ৷ দিনের বেলা তো নয়ই রাতেও কোন সাহায্য আসতে পারেনি ৷ ওরা যখন
নিশ্চিত হলো যে, হিরাক্লিয়াসের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য তাদের নিকট আসছে না এবং
আসবে না তখন তারা ভীষণভাবে হতাশ, সাহসহারা ও দুর্বল হয়ে পড়ল ৷ পক্ষান্তরে
মুসলমানগণ অধিকতর সাহসী ও শক্তিশালী হয়ে উঠলেন এবং তাদ্যেঙ্ক অবরোধ কঠিন থেকে


وَبَعَثَ أَبُو عُبَيْدَةَ جَيْشًا يَكُونُ بَيْنَ دِمَشْقَ وَبَيْنَ فِلَسْطِينَ، وَبَعَثَ ذَا الْكَلَاعِ فِي جَيْشٍ يَكُونُ بَيْنَ دِمَشْقَ وَبَيْنَ حِمْصَ ; لِيَرُدَّ مَنْ يَرِدُ إِلَيْهِمْ مِنَ الْمَدَدِ مِنْ جِهَةِ هِرَقْلَ، ثُمَّ سَارَ أَبُو عُبَيْدَةَ مِنْ مَرْجِ الصُّفَّرِ قَاصِدًا دِمَشْقَ، وَقَدْ جَعَلَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ فِي الْقَلْبِ، وَرَكِبَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فِي الْمُجَنِّبَتَيْنِ، وَعَلَى الْخَيْلِ عِيَاضُ بْنُ غَنْمٍ،، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ شُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ، فَقَدِمُوا دِمَشْقَ وَعَلَيْهَا نِسْطَاسُ بْنُ نَسْطُورَسَ، فَنَزَلَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ عَلَى الْبَابِ الشَّرْقِيِّ وَإِلَيْهِ بَابُ كَيْسَانَ أَيْضًا، وَنَزَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ عَلَى بَابِ الْجَابِيَةِ الْكَبِيرِ، وَنَزَلَ يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى بَابِ الْجَابِيَةِ الصَّغِيرِ، وَنَزَلَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَشُرَحْبِيلُ ابْنُ حَسَنَةَ عَلَى بَقِيَّةِ أَبْوَابِ الْبَلَدِ، وَنَصَبُوا الْمَجَانِيقَ وَالدَّبَّابَاتِ وَقَدْ أَرْصَدَ أَبُو عُبَيْدَةَ أَبَا الدَّرْدَاءِ عَلَى جَيْشٍ بِبَرْزَةَ يَكُونُونَ رِدْءًا لَهُ، وَكَذَا الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ حِمْصَ، وَحَاصَرُوهَا حِصَارًا شَدِيدًا سَبْعِينَ لَيْلَةً، وَقِيلَ: أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ. وَقِيلَ: سِتَّةَ أَشْهُرٍ. وَقِيلَ: أَرْبَعَةَ عَشَرَ شَهْرًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَهْلُ دِمَشْقَ مُمْتَنِعُونَ مِنْهُمْ غَايَةَ الِامْتِنَاعِ، وَيُرْسِلُونَ إِلَى مَلِكِهِمْ هِرَقْلَ وَهُوَ مُقِيمٌ بِحِمْصَ يَطْلُبُونَ مِنْهُ الْمَدَدَ، فَلَا يُمْكِنُ وُصُولُ الْمَدَدِ إِلَيْهِمْ مِنْ ذِي الْكَلَاعِ الَّذِي قَدْ أَرْصَدَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بَيْنَ دِمَشْقَ وَبَيْنَ حِمْصَ - عَنْ دِمَشْقَ لَيْلَةً - فَلَمَّا أَيْقَنَ أَهْلُ دِمَشْقَ أَنَّهُ لَا يَصِلُ
পৃষ্ঠা - ৫৪০৭


কঠিনতর হলো ৷ এক পর্যায়ে শীত মওসুম এসে গেল ৷ প্রচণ্ড ঠাণ্ডা শুরু হলো ৷ সেখানে অবস্থান
এবং যুদ্ধ পরিচালনা দু’টোই কষ্টকর হয়ে উঠল ৷ এমন এক ক্রান্তিলগ্রে সর্বোচ্চ সুমহান আল্লাহ্
তাআল৷ একটি বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দিলেন ৷ ওই সময়েই একরাতে ওদের জনৈক
সেনাপতির একটি ছেলে জন্য নেয় ৷ এক রাতে সে এই উপলক্ষে ভোজের আয়োজন করে ৷
সকলে ইচ্ছা মত ভুড়িভােজন করে এবং পরে পানীয় পান করে ৷ রাতে ওরা ওখানেই অবস্থান
করে ৷ অতিরিক্ত খাবার দাবার পানাহার ও ক্লান্তিতে তারা ওখানে ঘুমিয়ে পড়ে ৷ তাদের
পাহারার স্থান এবং নির্ধারিত দায়িত্বের কথা রেমালুম ভুলে গিয়ে তারা ওখানে নাক তাকিয়ে
ঘুমাতে থাকে ৷ সেনাপতি খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা) তা উপলব্ধি করেছিলেন ৷ কারণ তিনি
নিজেও ঘুমাতেন না, তার অধীনস্থ অন্য কাউকেও ঘুমাতে দিতেন না ৷ বরং দিনে-রাতে
ন্ সার্বক্ষণিক তিনি অত্যন্ত স৩ র্কতার সাথে শত্রুবাহিনীর পতিবিধি লক্ষ্য করতেন ৷ তা দ্বারা তার
কিছু গুপ্তচর ও গোয়েন্দা ছিল যারা সকাল ন্ধ্য৷ যুদ্ধের পরিস্থিতি তাকে জানাত ৷

হযরত খালিদ (রা) যখন ওই রাতে দুর্গের ভেতর থেকে আগুন শিখা লক্ষ্য করলেন এবং
প্রাচীরের উপর পাহারা দিতে যুদ্ধ করতে কেউ আসছে না তখন তিনি রশি দিয়ে নই বানালেন ৷
তারপর তিনি নিজে এবং তার নেতৃস্থানীয় সাথী যেমন কাকা ইবন আমর ও মাযউর ইবন
আদীকে নিয়ে প্রস্তুত হলেন ৷ তার অধীনস্থসৈন্যদেরকে ফটকের কাছে এসে প্রস্তুত রাখলেন ৷
তাদেরকে নির্দেশ দিয়ে বললেন, প্রাচীরের উপর আমাদের তাকবীর ধ্বনি শোনার সাথে সাথে
তোমরা আমাদের নিকট উঠে আসবে ৷ তিনি এবং তার সাথিগণ এগিয়ে গেলেন ৷ প ৷লায় ভীরের
থলি নিয়ে সা৩ ন্রিয়ে তারা পরিখা পার হলেন ৷ র্তারা মইগুলে৷ স্থাপন করলেন ৷ মইয়ের
উপরিভা গ স্থাপন করলেন প্রাচীরের উপরিভাগে আর নিম্নতাপ স্থাপন করলেন পরিখার বইিরে ৷
তারা সিড়ি বেয়ে উপরে উঠলেন ৷ প্রাচীরের উপর দাড়িয়ে তারা সজাে রে ও উভৈচ্চ৪স্বরে তাকবির
ধ্বনি দিলেন ৷ সাথে সাথে অপেক্ষমাণ মুসলিম সৈনিকপণ দৌড়ে এসে মই যেয়ে প্রাচীরে উঠে
পেল ৷ হযরত খালিদ ও তার সাহসী সাথিগণ কালবিলম্ব না করে প্রাচীরের উপর থেকে বাপিয়ে
পড়লেন প্রহরীদের উপর ৷ ওদেরকে র্তারা হত্যা করলেন ৷ তিনি ও তার সাথিগণ তরবারির
আঘাতে দরজার সকল তালা কােট ফেললেন এবং প্রবল আক্রমণে দরজাওলো খুলে
ফেললেন ৷ হযরত খালিদের অনুপ্যমী বাহিনী পুর্ব দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ৷ নগরের
অধিবাসিগণ তাকবির ধ্বনি শুনে হতচকিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয় ৷ প্রত্যেক দল
তাদের নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পৌছে ৷ প্রকৃত ঘটনা তাদের কারো জানা ছিল না ৷ পুর্ব দরজার
দায়িত্বে ছিল যারা তারা সেদিকে এগিয়ে আমার সাথে সাথে খালিদ বাহিনী তাদেরকে হত্যা
করছিল ৷

বীরবিক্রাম এবং আক্রমণাত্মকভাবে সেনাপতি খালিদ নগরে প্রবেশ করেন ৷ তিনি যাকেই
সম্মুখে পাচ্ছিলেন হত্যা করছিলেন ৷ প্রত্যেক দরজা র পাহারার নিয়োজিত রোমান প্রহরীগণ ওই
দরজার বাহিরে নিয়োজিত মুসলিম সেনাপতির নিকট সন্ধির প্রস্তাব পাঠাল ৷ মুসলিম
সেনাপতিগণ সন্ধি প্রস্তাব গ্রহণ করলেন ৷ ইতিপুর্বে মুসলমানগণ ওদেরকে বিতর্কে অবতীর্ণ
হবার আহবান জানিয়ে-ছিলেন কিভু ওরা তাতে সাড়া দেয়নি ৷ এবং ওরা প্রস্তাব ষ্ায়েছে
মুসলমানগণ তা গ্রহণ করেছেন ৷ হযরত খালিদ (রা) কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কােনৃ ব্যবস্থা গ্রহণ


إِلَيْهِمْ مَدَدٌ أَبْلَسُوا وَفَشِلُوا وَضَعُفُوا، وَقَوِيَ الْمُسْلِمُونَ وَاشْتَدَّ حِصَارُهُمْ، وَجَاءَ فَصْلُ الشِّتَاءِ وَاشْتَدَّ الْبَرْدُ وَعَسُرَ الْحَالُ وَعَسُرَ الْقِتَالُ، فَقَدَّرَ اللَّهُ الْكَبِيرُ الْمُتَعَالِي، ذُو الْعِزَّةِ وَالْجَلَالِ، أَنْ وُلِدَ لِبِطْرِيقِ دِمَشْقَ مَوْلُودٌ فِي تِلْكَ اللَّيَالِي، فَصَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا وَسَقَاهُمْ بَعْدَهُ شَرَابًا، وَبَاتُوا عِنْدَهُ فِي وَلِيمَتِهِ قَدْ أَكَلُوا وَشَرِبُوا وَتَعِبُوا، فَنَامُوا عَنْ مَوَاقِفِهِمْ، وَاشْتَغَلُوا عَنْ أَمَاكِنِهِمْ، وَفَطِنَ لِذَلِكَ أَمِيرُ الْحَرْبِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، فَإِنَّهُ كَانَ لَا يَنَامُ، وَلَا يَتْرُكُ أَحَدًا يَنَامُ، بَلْ مُرَاصِدٌ لَهُمْ لَيْلًا وَنَهَارًا، وَلَهُ عُيُونٌ وَقُصَّادٌ يَرْفَعُونَ إِلَيْهِ أَحْوَالَ الْمُقَاتِلَةِ صَبَاحًا وَمَسَاءً، فَلَمَّا رَأَى خَمْدَةَ تِلْكَ اللَّيْلَةِ، وَأَنَّهُ لَا يُقَاتِلُ عَلَى السُّورِ أَحَدٌ، كَانَ قَدْ أَعَدَّ سَلَالِيمَ مِنْ حِبَالٍ، فَجَاءَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ مِنَ الصَّنَادِيدِ الْأَبْطَالِ، مِثْلَ الْقَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو وَمَذْعُورِ بْنِ عَدِيٍّ، وَقَدْ أَحْضَرَ جَيْشَهُ عِنْدَ الْبَابِ، وَقَالَ لَهُمْ: إِذَا سَمِعْتُمْ تَكْبِيرَنَا فَوْقَ السُّورِ فَارْقَوْا إِلَيْنَا. ثُمَّ نَهَدَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ فَقَطَعُوا الْخَنْدَقَ سِبَاحَةً بِقِرَبٍ فِي أَعْنَاقِهِمْ، ثُمَّ نَصَبُوا تِلْكَ السَّلَالِمَ وَأَثْبَتُوا أَعَالِيهَا بِالشُّرُفَاتِ، وَأَكَّدُوا أَسَافِلَهَا خَارِجَ الْخَنْدَقِ، وَصَعِدُوا فِيهَا، فَلَمَّا اسْتَوَوْا عَلَى السُّورِ رَفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّكْبِيرِ، وَجَاءَ الْمُسْلِمُونَ فَصَعِدُوا فِي تِلْكَ السَّلَالِمِ وَانْحَدَرَ خَالِدٌ وَأَصْحَابُهُ الشُّجْعَانُ مِنَ السُّورِ إِلَى الْبَوَّابِينَ فَقَتَلُوهُمْ، وَقَطَعَ خَالِدٌ وَأَصْحَابُهُ أَغَالِيقَ الْبَابِ بِالسُّيُوفِ وَفَتَحُوا الْبَابَ، فَدَخَلَ الْجَيْشُ الْخَالِدِيُّ مِنَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ، وَلَمَّا سَمِعَ أَهْلُ الْبَلَدِ التَّكْبِيرَ ثَارُوا، وَذَهَبَ كُلُّ فَرِيقٍ إِلَى أَمَاكِنِهِمْ مِنَ السُّورِ، لَا يَدْرُونَ مَا الْخَبَرُ، فَجَعَلَ كُلَّمَا قَدِمَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ قَتَلَهُ أَصْحَابُ خَالِدٍ، وَدَخَلَ خَالِدٌ الْبَلْدَةَ عَنْوَةً، فَقَتَلَ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৪০৮
وَجَدَهُ، وَذَهَبَ أَهْلُ كُلِّ بَابٍ فَسَأَلُوا مِنْ أَمِيرِهِمُ الَّذِي عِنْدَ الْبَابِ مِنْ خَارِجٍ الصُّلْحَ - وَقَدْ كَانَ الْمُسْلِمُونَ دَعَوْهُمْ إِلَى الْمُشَاطَرَةِ فَيَأْبَوْنَ عَلَيْهِمْ - فَلَمَّا دَعَوْهُمْ إِلَى ذَلِكَ أَجَابُوهُمْ، وَلَمْ يَعْلَمْ بَقِيَّةُ الصَّحَابَةِ مَا صَنَعَ خَالِدٌ، وَدَخَلَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ وَبَابٍ، فَوَجَدُوا خَالِدًا وَهُوَ يَقْتُلُ مَنْ وَجَدَهُ، فَقَالُوا لَهُ: إِنَّا قَدْ أَمَّنَّاهُمْ. فَقَالَ: إِنِّي فَتَحْتُهَا عَنْوَةً. وَالْتَقَتَ الْأُمَرَاءُ فِي وَسَطِ الْبَلَدِ عِنْدَ كَنِيسَةِ الْمِقْسِلَّاطِ بِالْقُرْبِ مِنْ دَرْبِ الرَّيْحَانِ الْيَوْمَ. هَكَذَا ذَكَرَهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُهُ، وَهُوَ الْمَشْهُورُ أَنَّ خَالِدًا فَتَحَ الْبَابَ قَسْرًا. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلِ الَّذِي فَتَحَهَا عَنْوَةً أَبُو عُبَيْدَةَ، وَقِيلَ: يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَخَالِدٌ صَالَحَ أَهْلَ الْبَلَدِ. فَعَكَسُوا الْمَشْهُورَ الْمَعْرُوفَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدِ اخْتَلَفَ الصَّحَابَةُ، فَقَالَ قَائِلُونَ: هِيَ صُلْحٌ. يَعْنِي عَلَى مَا صَالَحَهُمُ الْأَمِيرُ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ، وَهُوَ أَبُو عُبَيْدَةَ. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ هِيَ عَنْوَةٌ. لِأَنَّ خَالِدًا افْتَتَحَهَا بِالسَّيْفِ أَوَّلًا كَمَا ذَكَرْنَا، فَلَمَّا أَحَسُّوا بِذَلِكَ ذَهَبُوا إِلَى بَقِيَّةِ الْأُمَرَاءِ، وَمِنْهُمْ أَبُو عُبَيْدَةَ فَصَالَحُوهُمْ، فَاتَّفَقُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ عَلَى أَنْ جَعَلُوا نِصْفَهَا صُلْحًا وَنِصْفَهَا عَنْوَةً، فَمَلَكَ أَهْلُهَا نِصْفَ مَا كَانَ بِأَيْدِيهِمْ وَأُقِرُّوا عَلَيْهِ، وَاسْتَقَرَّتْ يَدُ الصَّحَابَةِ عَلَى النِّصْفِ. وَيُقَوِّي هَذَا مَا ذَكَرَهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ مِنْ أَنَّ الصَّحَابَةَ كَانُوا يَطْلُبُونَ إِلَيْهِمْ أَنْ يُصَالِحُوهُمْ عَلَى الْمُشَاطَرَةِ فَيَأْبَوْنَ، فَلَمَّا أَحَسُّوا بِالْيَأْسِ أَنَابُوا إِلَى مَا كَانَتِ الصَّحَابَةُ دَعَوْهُمْ إِلَيْهِ فَبَادَرُوا إِلَى إِجَابَتِهِمْ. وَلَمْ يَعْلَمِ الصَّحَابَةُ بِمَا كَانَ مِنْ خَالِدٍ إِلَيْهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪০৯


করোছা অবশিষ্ট মুসলমানগণ তা তাৎক্ষণিক অবগত ছিলেন না ৷ তাই র্তারা সন্ধির প্রস্তাব
মেনে নিয়েছিলেন ৷ এবার মুসলমানগণ প্রত্যেক দিক ও দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেন ৷
তারা দেখতে পেলেন যে, হযরত খালিদ (রা) রোমানদের যাকেই পাচ্ছেন তাকেই হত্যা
বৰাছা৷ অন্যান্য মুসলিম সেনাপতি বললেন, আমরা তো ওদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছি ৷ খালিদ
(রা) বললেন, আমি এই নগর জয় করেছি যুদ্ধ করে, সগ্রোম করে, শক্তি প্রয়োগ করে ৷ তারপর
সকল সেনাপতি একত্রিত হলেন শহরের মধ্যস্থাল মুকসিলাতের গির্জার ৷ সেটি ছিল এখনকার
রায়হান সেনানিবাসের কাছে ৷ সায়ফ ইবন উমর ও অন্যরা এরুপই বর্ণনা করেছেন যে, হযরত
খালিদ (রা) শক্তিপ্রয়ােগে এবং যুদ্ধ করে ওই দরজা জয় করেছেন এবং এটিই প্রসিদ্ধ অভিমত ৷
অন্যরা বলেছেন যে, শক্তিপ্রায়াগে দামেশৃক জয় করেছেন আবু উবায়দা (রা) ৷ কেউ বলেছেন,
ইয়াযীদ ইবন আবী সুফিয়ান জয় করেছেন, আবার কারো মতে খালিদ (রা) সেটা জয় করেছেন
সন্ধির মাধ্যমে ৷ এ মন্তব্য প্রসিদ্ধ অভিমতের সম্পুর্ণ বিপরীত বটে ৷ অল্লোহ্ই ভাল জানেন ৷
এ বিষয়ে সাহাবড়া-ই-কিরাম (রা) ভিন্ন জ্যি মত পোষণ করেছেন ৷ কেউ বলেছেন
সেনাপতি আবু উবায়দা সন্ধি স্থাপনের মাধ্যমে জয় করেছেন ৷ অন্যরা বলেছেন শক্তিপ্রয়ােপে
জয় করেছেন ৷ কারণ সর্বপ্রথম তরবারির আক্রমণ দ্বারা তিনি বিজয়ের সুচনা করেন ৷ হযরত
খালিদের প্রবল আক্রমণের কথা উপলব্ধি করার পর ওরা অন্যান্য সেনাপতির নিকট যায় ৷ ওই
সেনাপতিদের সাথে আর উবায়দা (রা)-ও ছিলেন ৷ তারপর সন্ধি স্থাপিত হয় ৷ বন্তুত তারা
একমত হয়েছেন যে, দামেশৃক নগরীর অর্ধেক বিজিত হয়েছে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে আর
অর্ধেক বিজিত হয়েছে সন্ধি স্থাপনের মাধ্যমে ৷ এজন্যে ওখানকার অধিবাসিগণ ওদের
ধন-সম্পদের অর্ধেকের মালিক থেকে গেল আর তারা ওখানে বসবাসের অধিকারও পেল ৷ আর
অবশিষ্ট অর্ধেকের মালিক হলেন সাহারা-ইকিরাম তথা মুসলিম মুজাহিদগণ ৷ সায়ফ ইবন
উমরেব মন্তব্য উপরোক্ত অভিমতকে সমর্থন ও শক্তি (জাপায় ৷ সায়ফ ইবন উমর মন্তব্য
করেছেন যে, সাহারা-ই-কিংাম (রা) ওই খ্রিক্টানদ্যে৷ নিকট সন্ধি স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷
কিভৃতারা তখন তা প্রত্যাখ্যান করেছিল আর এখন যখন তারা বিজয় অর্জন ও সম্রাটের পক্ষ
থেকে সাহায্য আসা সম্বন্ধে নিরাশ হয়ে পড়ল তখন তারা সাহাবীদের দেয়া প্রস্তাবের প্রতি ছুটে
চলল এবং অবিলম্বে ওই প্রস্তাবে সাড়া দিল তা গ্রহণ করে নিল ৷ ইতিপুর্বে হযরত খালিদের
নেয়া সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা সম্পর্কে অন্যান্য সাহাবী অবগত ছিলেন না ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷
এজন্যে দামেশৃকের সর্ববৃহৎ গির্জা ইউহানা গির্জার অর্ধেক মাত্র সাহারা-ই-কিরাম দখলে
নিয়েছিলেন এবং সেটির পুর্ব অংশে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন ৷ আরপশ্চিম অর্ধেক ওদেৱই
থাকল ৷ ওটা ওদের গির্জা হিসেবেই থাকল ৷ ওই গির্জার অর্ধেকের সাথে আরো ১৪টি গির্জা
সাহারা-ই-কিরাম স্থানীয় রোমানদের জন্যে ছোড় দিয়েছিলেন ৷ উক্ত ইউহানা গির্জা এখন
দামেশকের জামে মসজিদ হিসেবে পরিচিত ৷ সেনাপতি খড়ালিদ ইবন ওয়ালীদ এ বিষয়ে ওদের
সাং লিখিত চুক্তি করেন ৷ সাক্ষী হিসেবে ওই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন আবু উবায়দা, আমর
,ইবন আস, ইয়াযীদ এবং শুরাহ্ৰীল (রা) ৷ ওইসব গির্জার একটি হলো মুকসিলাতের গির্জা ৷
দ্যমেশৃক বিজয়ের পর নেতৃস্থানীয় সাহবাে-ই-কিরাম ওখানে সমবেত হয়েছিলেন ৷ একটি বড়
বাজারের উপকণ্ঠে ওই গির্জা নির্মিত হয়েছিল ৷ সাবুনীন বাজারে দৃশ্যমান সেতুটি ওই গির্জার


وَلِهَذَا أَخَذَ الصَّحَابَةُ نِصْفَ الْكَنِيسَةِ الْعُظْمَى الَّتِي كَانَتْ بِدِمَشْقَ، وَتُعْرَفُ بِكَنِيسَةِ يُوحَنَّا، فَاتَّخَذُوا الْجَانِبَ الشَّرْقِيَّ مِنْهَا مَسْجِدًا، وَأَبْقَوْا لَهُمُ النِّصْفَ الْغَرْبِيَّ كَنِيسَةً، وَقَدْ أَبْقَوْا لَهُمْ مَعَ ذَلِكَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ كَنِيسَةً أُخْرَى مَعَ نِصْفِ الْكَنِيسَةِ الْمَعْرُوفَةِ بِيُوحَنَّا، وَالَّتِي هِيَ جَامِعُ دِمَشْقَ الْيَوْمَ، وَقَدْ كَتَبَ لَهُمْ بِذَلِكَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ كِتَابًا، وَكَتَبَ فِيهِ شَهَادَتَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَيَزِيدُ وَشُرَحْبِيلُ ; إِحْدَاهَا كَنِيسَةُ الْمِقْسِلَّاطِ الَّتِي اجْتَمَعَ عِنْدَهَا أُمَرَاءُ الصَّحَابَةِ، وَكَانَتْ مَبْنِيَّةً عَلَى ظَهْرِ السُّوقِ الْكَبِيرِ، وَهَذِهِ الْقَنَاطِرُ الْمُشَاهَدَةُ فِي سُوقِ الصَّابُونِيِّينَ مِنْ بَقِيَّةِ الْقَنَاطِرِ الَّتِي كَانَتْ تَحْتَهَا، ثُمَّ بَادَتْ فِيمَا بَعْدُ، وَأُخِذَتْ حِجَارَتُهَا فِي الْعِمَارَاتِ. الثَّانِيَةُ: كَنِيسَةٌ كَانَتْ فِي رَأْسِ دَرْبِ الْقُرَشِيِّينَ، وَكَانَتْ صَغِيرَةً. قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَبَعْضُهَا بَاقٍ إِلَى الْيَوْمِ، وَقَدْ تَشَعَّثَتْ. الثَّالِثَةُ: كَانَتْ بِدَارِ الْبِطِّيخِ الْعَتِيقَةِ. قُلْتُ: وَهِيَ دَاخِلُ الْبَلَدِ بِقُرْبِ الْكُوشَكِ، وَأَظُنُّهَا هِيَ الْمَسْجِدُ الَّذِي قِبَلَ هَذَا الْمَكَانِ الْمَذْكُورِ، فَإِنَّهَا خَرِبَتْ مِنْ دَهْرٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. الرَّابِعَةُ: كَانَتْ بِدَرْبِ بَنِي نَصْرٍ بَيْنَ دَرْبِ الْحَبَّالِينَ وَدَرْبِ التَّمِيمِيِّ. قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَقَدْ أَدْرَكْتُ بَعْضَ بُنْيَانِهَا، وَقَدْ خَرِبَ أَكْثَرُهَا. الْخَامِسَةُ: كَنِيسَةُ بُولِصَ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَكَانَتْ غَرْبِيَّ الْقَيْسَارِيَّةِ الْفَخْرِيَّةِ، وَقَدْ أَدْرَكْتُ مِنْ بُنْيَانِهَا بَعْضَ أَسَاسِ الْحَنْيَةِ. السَّادِسَةُ: كَانَتْ فِي مَوْضِعِ دَارِ الْوَكَالَةِ، وَتُعَرَفُ الْيَوْمَ بِكَنِيسَةِ الْقَلَانِسِيِّينَ. قُلْتُ: وَالْقَلَانِسِيِّينَ هِيَ الْخَوَّاصِينَ الْيَوْمَ. السَّابِعَةُ: الَّتِي بِدَرْبِ السَّقِيلِ الْيَوْمَ، وَتُعْرَفُ بِكَنِيسَةِ حُمَيْدِ بْنِ دُرَّةَ سَابِقًا ; لِأَنَّ هَذَا الدَّرْبَ كَانَ إِقْطَاعًا لَهُ، وَهُوَ حُمَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ مُسَاحِقٍ الْقُرَشِيُّ الْعَامِرِيُّ، وَدُرَّةُ أُمُّهُ، وَهِيَ
পৃষ্ঠা - ৫৪১০


পাদদেশে অবস্থিত সেতুর ধ্ৎসাবশেষ ৷ পরবর্তীতে ওই সেতু নষ্ট হয়ে যায় এবং পাথরগুলো
ইমরাত নির্মাণের জন্যে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ দ্বিতীয়টি হলো কারশীল সেন্যনিবাসের মাথায় ৷ এটি
ছিল অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ৷
হাফিজ ইবন আসাকির বলেন, সেটির কিছু অংশ এখনো অবশিষ্ট আছে ৷ তবে তা শ্ৰীহীন
ও ভাঙ্গা চাের৷ ৷ তৃতীয়টি ছিল বাভীখ আল আতীকা মহল্পায় ৷ আমি বলি সেটি ছিল নগরীর
অভ্যন্তরে কাউশেক এর নিকটে ৷ আমি মনে করি ওখানে ইতিপুর্বে যে মসজিদটি ছিল সেটিই
ওই গির্জার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিল ৷ কালপরিত্রুমায় ওই গির্জা ধ্বংস হয়ে যায় ৷ আল্লাহ্ ভাল
জানেন ৷
ওদেরকে ছেড়ে দেয়া : র্থ গির্জা হলো বানু নাসর ফটকের গির্জা ৷ এটি হাবালীন ফটক ও
তামীমী ফটকের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল ৷ হাফিজ ইবন আসাকির বলেন, সেটির
ৎসবেঃশষ আমি দেখেছি ৷ তবে এর অধিকাংশ বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ ৫ম গির্জাটি ছিল পুলিশ
গির্জা ৷ ইবন আসাকির বলেছেন, এটি ছিল কায়মারিয়া-আল ফাখরিয়্যার পশ্চিম প্রান্তে
অবস্থিত ৷ সেটির ভবনের কতক ক্াত হয়ে যাওয়া স্তম্ভ আমি দেখতে পেয়েছি ৷ ৬ষ্ঠ গির্জা ছিল
উকিল ভবনের পাশে ৷ সেটি এখন কিলানসীন গির্জা নামে পরিচিত ৷ আমি বলি কিলানসীন
হলো এ যুগের হাওয়াহীন ৷ ৭ম গির্জা হলো এখনকার সাকীল ফটকের পাশে অবস্থিত গির্জা ৷
পুর্বে এটি হুমায়দ ইবন দাররাহ্ এর গির্জা নামে পরিচিত ছিল ৷ কারণ এই এলাকা তার
মালিকানায় ছিল ৷ তিনি হলেন, হুমায়দ ইবন আমর ইবন মুসাহিক কুরাশী আমিরী ৷ দাররাহ
তার মায়ের নাম ৷ তিনি হলেন দাররাহ বিনত হাশিম ইবন উতবা ইবন ৱাবীআ, তার বাবা
হলেন মুআবিয়া এর মামা ৷ এই ফটকটি তিনি নিজের নামে বরাদ্দ করে রেখেছিলেন ৷৩ তাই
গির্জাটি তার নামে পরিচিতি লাভ করেছে ৷ হুমায়দ ইবন ছাররা মুসলমান ছিলেন ৷ এই গির্জা
ব্যভীত ওদের অন্য কোন গির্জা অবশিষ্ট নেই ৷ এটিরও অধিকাংশ স্থান নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷
ইয়াকুবিয়্যাহ্ অঞ্চলে ওদের একটি গির্জা আছে ৷ সেটি খৃালিদের জমিদারী ও তালহা ইবন
আযিরের ফটকের মাঝে তৃম৷ দরজার অভ্যন্তরে ৷ এই খালিদ হলো খালিদ ইবন উসায়দ ইবন
আবী ঈসৃ ৷ এটি ৮ম গির্জা ৷ ইয়াকুবী সম্প্রদায়ের অন্য একটি গির্জা ছিল ত ৷নাবী ফটক ও আলী
বাজারের মধ্যখানে ৷ ইবন আসাকির বলেন, ওই গির্জার কিছু প্রাচীর এখনও অবশিষ্ট আছে ৷
মুল গির্জা অনেক আগে নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ এটি ৯ম গির্জা ৷ ওদের দখলে থাকা ১ :ম গির্জা
হলো ঘুসাল্লাবাহ্ গির্জা ৷ হাফিজ ইবন আসাকির বলেন, সেটি এখনও অবশিষ্ট আছে ৷ সেটি পুর্ব
দরজা ও তুমা দরজার মধ্যবর্তী প্রাচীরের কাছাকাছি নীবতানএর নিকটে অবস্থিত ৷ এখনকার
লোকজন ওই স্থানকে নীবতন-এর পরিবর্তে নীভুন’ বলে ৷ ইবন আসাকির বলেন, সেটিরও
অধিকাংশ বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ হাফিজ ইবন আসাকিরএর মৃত্যুর ৫৮০ বছর পর বায়তৃল
মুকাদ্দাস বিজেতা সালাহ্উদ্দীন-এর হাতে ওই গির্জা ধবৃৎস ও সম্পুর্ণ বিনষ্ট হয়ে যায় ৷
ওদের ১ ১তম গির্জা হলো মারয়াম গির্জা ৷ এটি পুর্ব দরজার ভেতরে ছিল ৷ ইবন আসাকির
(র) বলেন, ওদের হাতে যে গির্জাগুলাে ছিল, সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম বড় গির্জা ৷ আমি
বলি, তার মৃত্যুর দীর্ঘদিন পর বাদশাহ যাইির রুকনুদ্দীন বায়বারস বুন্দুকদারী-এর শাসনামলে
এই গির্জা ধ্বংস হয় ৷ এ বিষয়ে একটু পরে আলোচনা হবে ৷


دُرَّةُ بِنْتُ أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، فَأَبُوهَا خَالُ مُعَاوِيَةَ. وَكَانَ قَدْ أُقْطِعُ هَذَا الدَّرْبَ فَنُسِبَتْ هَذِهِ الْكَنِيسَةُ إِلَيْهِ، وَكَانَ مُسَلِمًا، وَلَمْ يَبْقَ لَهُمُ الْيَوْمَ سِوَاهَا، وَقَدْ خَرِبَ أَكْثَرُهَا. وَلِلْيَعْقُوبِيَّةِ مِنْهُمْ كَنِيسَةٌ دَاخِلَ بَابِ تُومَا بَيْنَ رَحْبَةِ خَالِدٍ - وَهُوَ خَالِدُ بْنُ أَسِيدِ بْنِ أَبِي الْعِيصِ - وَبَيْنَ دَرْبِ طَلْحَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ الْجُهَنِيِّ، وَهِيَ الْكَنِيسَةُ الثَّامِنَةُ، وَكَانَتْ لِلْيَعْقُوبِيِّينِ كَنِيسَةٌ أُخْرَى فِيمَا بَيْنَ السُّوسِيِّ وَسُوقِ عَلِيٍّ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: قَدْ بَقِيَ مِنْ بِنَائِهَا بَعْضُهُ، وَقَدْ خَرِبَتْ مُنْذُ دَهْرٍ. وَهَى الْكَنِيسَةُ التَّاسِعَةُ. وَأَمَّا الْعَاشِرَةُ فَهِيَ الْكَنِيسَةُ الْمُصَلَّبَةُ، قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهِيَ بَاقِيَةٌ إِلَى الْيَوْمِ بَيْنَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ وَبَابِ تُومَا بِقُرْبِ النَّيْبَطُنِ عِنْدَ السُّورِ. وَالنَّاسُ الْيَوْمَ يَقُولُونَ: النَّيْبَطُونُ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَقَدْ خَرِبَ أَكْثَرُهَا. هَكَذَا قَالَ، وَقَدْ خَرِبَتْ هَذِهِ الْكَنِيسَةُ وَهُدِمَتْ فِي أَيَّامِ صَلَاحِ الدِّينِ فَاتِحِ الْقُدْسِ بَعْدَ الثَّمَانِينَ وَخَمْسِمِائَةٍ بَعْدِ مَوْتِ الْحَافِظِ ابْنِ عَسَاكِرَ، رَحِمَهُ اللَّهُ. الْحَادِيَةَ عَشْرَةَ: كَنِيسَةُ مَرْيَمَ دَاخِلَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَى مِنْ أَكْبَرِ مَا بَقِيَ بِأَيْدِيهِمْ. قُلْتُ: ثُمَّ خَرِبَتْ بَعْدَ مَوْتِهِ بِدَهْرٍ فِي أَيَّامِ الْمَلِكِ الظَّاهِرِ رُكْنِ الدِّينِ بِيبَرْسَ الْبُنْدِقْدَارِيِّ، عَلَى مَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. الثَّانِيَةَ عَشْرَةَ: كَنِيسَةُ الْيَهُودِ الَّتِي بِأَيْدِيهِمِ الْيَوْمَ فِي حَارَتِهِمْ، وَمَحَلُّهَا مَعْرُوفٌ بِالْقُرْبِ مِنَ الْحَيْرِ وَتُسَمِّيهِ النَّاسُ الْيَوْمَ بُسْتَانَ الْقِطِّ، وَكَانَتْ لَهُمْ كَنِيسَةٌ فِي دَرْبِ الْبَلَاغَةِ، لَمْ تَكُنْ دَاخِلَةً فِي
পৃষ্ঠা - ৫৪১১


ওদের হাতে থাকা ১২তম গির্জা হলো ইয়াহুদীদের গির্জা ৷ এখনও ওদের মরু অঞ্চলে সেটি
তাদের দখলে আছে ৷ আলজাবর-এর নিকট এটি অবস্থিত ৷ ওই ন্থানকে এখন লোকে বুসতান
আলকাত’ বলে ৷ আল বালাগা ফটকেও ওদের একটি গির্জা জ্যি ৷ সেটি সন্ধির অন্তর্ভুক্ত ছিল
না ৷ পরবর্তীতে সেটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল ৷ ওখানে ইবন সাহ্রওয়ার্দী,মসজির্দ নামে একটি
প্রসিদ্ধ মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে ৷ ওই এলাকাকে এখন খোষশাযুরী’ ফটক বলে ডাকে ৷
আমি বলি, ওদের একটি নবনির্মিত গির্জাও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল ৷ ইবন আসাকির কিৎবা অন্য
কোন ঐতিহাসিক কেউই ওই গির্জার কথা উল্লেখ করেননি ৷ ৭১৭ হিজরী সনের দিকে সেটি
ভাঙ্গা হয় ৷ মুররাহ্-এর সামিরা গির্জার কথাও ইবন আসাকির উল্লেখ করেননি ৷ এরপর ইবন
আসাকির বলেছেন যে, খ্রিস্টানদের একটি নব নির্মিত গির্জা হলো যেটি আবু জাফর মনসুর
নির্মাণ করেছেন ৷ পরবতীতির্ত সেটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং সেটিকে মসজিদে পরিণত করা
হয়েছে ৷ সেটি জানিক’ মসজিদ ও অ!বুইয়ামানের মসজিদ নামে পরিচিত ৷ ওদের নব নির্মিত
গির্জাগুলোর দুটো হলো আব্বাদ-এর গির্জা ৷ এর একটি হলো ইবন মাশিলীর বাড়ীর নিকটে ৷
সেটি মসজিদে রুপান্তরিত হয়েছে ৷ দ্বিতীয়টি নাক্কাসীন ফটকের মাথায় ৷ সেটিও মসজিদে
রুপান্তরিত হয়েছে ৷ হাফিজ ইবন আসাকির দামেশকী-এর বর্ণনা এখানে শেষ ৷

আমি বলি, সায়ফ ইবন উমরের বর্ণনা থেকে অনুমান করা যায় যে, দামেশক বিজিত
হয়েছে ১৩ হিজরী সালে ৷ বিন্দু জমহুর তথা অধিকাংশ জ্ঞানীজনের ন্যায় সায়ফ ইবন উমরও
স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যে, দামেশক বিজিত হয়েছে ১৪ হিজরী সালের রজর্বমাসের মাঝামাঝি
সময়ে ৷ হাফিজ ইবন আসাকির-ইয়াযীদ ইবন উবায়দা সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেছেন যে, দাশেক
বিজিত হয়েছে ১৪ হিজরী সালে ৷ সাঈদ ইবন আবদুল আষীয, আবু মাশার, মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক, মামার , আপন শায়খ যেকে উমাবী ইব নুল কালবী, খলীফা ইবন খায়য়াত এবং আবু
উবায়দ কাসিম ইবন সাল্লাম প্রমুখ বর্ণনা করেছেন যে, দামেশক বিজয়ের ঘটনা ঘটেছিল ১৪
হিজরী সালে ৷ সাঈদ ইবন আবদুল আষীয, আবু মাশার এবং উমাবী প্রমুখ এতটুকু অতিরিক্ত
বলেছেন যে, তার এক বছর পর ইয়ারমুক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, ১৪
হিজরী সালের শাওয়াল মাসে দামেশক বিজিত হয়েছে ৷ খলীফা বলেছেন যে, রজব, শাবান,
রমযান ও শাওয়াল মাস ওদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন মুসলিম সেনাপতি আবু উবায়দা ৷
এরপর যুলকাদাহ্ মাসে সন্ধি চুক্তি সম্পাদিত হয় ৷ উমাবী তার মাপাষী গ্রন্থে লিখেছেন যে,
আক্ষাদােয়ন যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৩ হিজরীর জুমাদাল উলা মাসে আর ফিহ্ল যুদ্ধ সংঘটিত
হয়েছিল ওই বছর যুলকাদা মাসে, আর দামেশক যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৪ হিজরী সালে ৷ দাহীম
বলেছেন ওয়ালীদ থেকে যে উমাবী আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, ফিহ্ল ও আজনাদায়ন
যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল হযরত আবু বকর (রা)-এর খিলাফতকালে ৷ এরপর মুসলমানগণ
দামেশক অভিমুখে যাত্রা করে ৷ ১৩ হিজরী সনের র জব সালে তারা দামেশকে অবতরণ করেন,
অর্থাৎ ১৪ হিজরী সালেই তারা দামেশক জয় করেন ৷ ইয়ারমুকের যুদ্ধ জ্যি ১৫ হিজরীতে,
হযরত উমর (রা) বয়েতুল মুকাদ্দাসে গমন করেন“ ১৬ হিজরী সনে ৷

অলে-বিদ্ময়া — ৭


الْعَهْدِ، فَهُدِمَتْ فِيمَا بَعْدُ، وَجُعِلَ مَكَانَهَا الْمَسْجِدُ الْمَعْرُوفُ بِمَسْجِدِ ابْنَ الشَّهْرُزُورِيِّ، وَالنَّاسُ الْيَوْمَ يَقُولُونَ: دَرْبُ الشَّاذُورِيِّ. قُلْتُ: وَقَدْ أُخْرِبَتْ لَهُمْ كَنِيسَةٌ كَانُوا قَدْ أَحْدَثُوهَا لَمْ يَذْكُرْهَا أَحَدٌ مِنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ، لَا ابْنُ عَسَاكِرَ وَلَا غَيْرُهُ، وَكَانَ إِخْرَابُهَا فِي حُدُودِ سَنَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ وَسَبْعِمِائَةٍ، وَلَمْ يَتَعَرَّضِ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ لِذِكْرِ كَنِيسَةِ السَّامِرَةِ بِمَرَّةٍ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَمِمَّا أَحْدَثَ - يَعْنِي النَّصَارَى - كَنِيسَةً بَنَاهَا أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ لِبَنِي قُطَيْطَا فِي الْفَوْرَنْقِ عِنْدَ قَنَاةِ صَالِحٍ قَرِيبًا مِنْ دَارِ بَهَادُرْآصَ الْيَوْمَ، وَقَدْ أُخْرِبَتْ فِيمَا بَعْدُ، وَجُعِلَتْ مَسْجِدًا يُعَرَفُ بِمَسْجِدِ الْجَيْنِيقِ، وَهُوَ مَسْجِدُ أَبِي الْيَمَنِ. قَالَ: وَمِمَّا أُحْدِثَ كَنِيسَتَا الْعُبَّادِ ; إِحْدَاهُمَا عِنْدَ دَارِ ابْنِ الْمَاشَكِيِّ، وَقَدْ جُعِلَتْ مَسْجِدًا، وَالْأُخْرَى الَّتِي فِي رَأْسِ دَرْبِ النَّقَّاشِينَ، وَقَدْ جُعِلَتْ مَسْجِدًا. انْتَهَى مَا ذَكَرَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ الدِّمَشْقِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قُلْتُ: وَظَاهِرُ سِيَاقِ سَيْفَ بْنَ عُمَرَ يَقْتَضِي أَنَّ فَتْحَ دِمَشْقَ وَقَعَ فِي سَنَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، وَلَكِنْ نَصَّ سَيْفٌ عَلَى مَا نَصَّ عَلَيْهِ الْجُمْهُورُ مِنْ أَنَّهَا فُتِحَتْ فِي نِصْفِ رَجَبٍ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَكَذَا حَكَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ
পৃষ্ঠা - ৫৪১২
بْنِ عَائِذٍ الْقُرَشِيِّ الدِّمَشْقِيِّ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حِصْنِ بْنِ عَلَّاقٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عُبَيْدَةَ، قَالَ: فُتِحَتْ دِمَشْقُ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَرَوَاهُ دُحَيْمٌ، عَنِ الْوَلِيدِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَشْيَاخًا يَقُولُونَ: إِنَّ دِمَشْقَ فُتِحَتْ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَهَكَذَا قَالَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأَبُو مَعْشَرٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَمَعْمَرٌ وَالْأُمَوِيُّ - وَحَكَاهُ عَنْ مَشَايِخِهِ - وَابْنُ الْكَلْبِيِّ وَخَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَأَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامٍ ; أَنَّ فَتْحَ دِمَشْقَ كَانَ فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَزَادَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأَبُو مَعْشَرٍ وَالْأُمَوِيُّ: وَكَانَتِ الْيَرْمُوكُ بَعْدَهَا بِسَنَةٍ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ كَانَ فَتْحُهَا فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَقَالَ خَلِيفَةُ: حَاصَرَهُمْ أَبُو عُبَيْدَةَ فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ وَرَمَضَانَ وَشَوَّالٍ، وَتَمَّ الصُّلْحُ فِي ذِي الْقِعْدَةِ. وَقَالَ الْأُمَوِيُّ فِي " مُغَازِيهِ ": كَانَتْ وَقْعَةُ أَجْنَادِينَ فِي جُمَادَى الْأُولَى، وَوَقْعَةُ فِحْلٍ فِي ذِي الْقِعْدَةِ مِنْ سَنَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ. يَعْنِي: وَوَقْعَةُ دِمَشْقَ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَقَالَ دُحَيْمٌ عَنِ الْوَلِيدِ: حَدَّثَنِي الْأُمَوِيُّ أَنَّ وَقْعَةَ فِحْلٍ وَأَجْنَادِينَ كَانَتْ فِي خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ مَضَى الْمُسْلِمُونَ إِلَى دِمَشْقَ، فَنَزَلُوا عَلَيْهَا فِي رَجَبٍ سَنَةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ. يَعْنِي فَفَتَحُوهَا فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَكَانَتِ الْيَرْمُوكُ سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ، وَقَدِمَ عُمَرُ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ.
পৃষ্ঠা - ৫৪১৩

অধ্যায় ৪দামেশ্ক শক্তি প্ৰয়োগে
না সন্ধির মাধ্যমে বিজিত হয় ?

দামেশক শক্তি প্রয়োগ ও যুদ্ধের মাধ্যমে বিজিত হলো, নাকি সন্ধির মাধ্যমে এ বিষয়ে
উলামা ই কিরাম ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন ৷ অধিকাংশ উলামা ই-কিরামের অভিমত এই
যে, সেটি সন্ধির মাধ্যমে বিজিত হয়েছে ৷ কারণ তারা সন্দিহান যে, সেটি যুদ্ধের মাধ্যমে বিজিত
হবার পর রোমানগণ সন্ধি স্থাপনে বাধ্য হয়েছে, নাকি পুরোটাই সন্ধির মাধ্যমে বিজিত হয়েছে,
নাকি পুরোটাই শক্তি প্রয়ােগে বিজিত হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে উলামা-ই-কিরাম সতর্কতা সুত্রে
সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, সেটি সন্ধির মাধ্যমে বিজিত হয়েছে বলে গণ্য হবে ৷

কেউ কেউ বলেন যে, এর অর্ধেক বিজয় এসেছে যুদ্ধের ফলে আর অর্ধেক বিজয় এসেছে
সন্ধির ফলে, এ বক্তব্য এসেছে সাহারা-ই-কিরামের একটি কাজের দৃষ্টিকোণ থেকে ৷ দামেশক
বিজয়ের পর তারা খ্রিস্টানদের সর্ববৃহৎ উপাসনালয় বড় গির্জার’ অর্ধেক নিজেরা দখলে
নিয়েছিলেন আর বাকি অর্ধেক খ্রিস্টানদের জন্যে ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷
এর পরের আলোচনা হলো মুসলমানদের পক্ষে সন্ধিপত্র তৈরি ও তাতে স্বাক্ষর করেছেন
আবু উবায়দা (বা) ৷ এটিই প্রসিদ্ধ ও বাস্তরসম্মত অভিমত ৷ কারণ ইতিপুর্বে খালিদ (রা)
সেনাপতির পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন ৷ কিন্তু কেউ কেউ বলেছেন যে, ওই সন্ধিপত্র তৈরি
ও তাতে স্বাক্ষর করেছেন হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা) ৷ সেনাপতি আবু উবায়দা (বা)
খালিদ (রা)-কে ওই দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷
ঐতিহাসিক আবু হুযায়ফা ইসহাক ইবন বিশর উল্লেখ করেছেন যে, দামেশক বিজিত হবার
পুর্বে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর ইন্তিকাল হয় ৷ পলীফা উমর (রা) হযরত সিদ্দীক-ই-
আকবরের ইনৃতিকালের শোক সং ংবাদ আবু উবড়ায়দা (রা) ও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী
মুসলমা নদেরকে জানান ৷ তিনি আবু উবায়দাকে সিরিয়ার অবস্থানকারী সৈনিকদের দায়িত্ব দেন
এবং যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে খালিদ (রা) এর সঙ্গে পরামর্শ করার নির্দেশ দেন ৷ চিঠি আবু
উবায়দার হস্তগত হবার পর তিনি নিজে তা গোপন রাখেন ৷ হযরত খালিদ (রা) কেও তা
জানাননি ৷ এ প্রায় ২০ দিন পর দামেশক জয় করা হয় ৷ তখন তিনি খালিদ (রা)-কে ঘটনা
জানান ৷ হযরত খালিদ (রা) বললেন, এতদিন জানান নি কেন? আল্লাহ্ আপনাকে দয়া করুন ৷
আবু উবায়দা (বা) বললেন, যুদ্ধের গতি থেমে যাক, আমাদের অগ্রযাত্রা বাধাগ্নস্ত হোক তা
আমি চাইনি বলে ৷ আমি তাে পার্থিব কীর্তি ও খ্যাতি চান না ৷ আমি দুনিয়া পাওয়ার জন্যে কাজ
করি না, যা আপনার দৃষ্টিগােচর হচ্ছে তার সবই তো একদিন ধ্বংস ও বিনাশ হবে ৷ আমরা
সকলে ভাই ভাই ৷ আপন ভাই সাথে থাকলে কারো ইহকালীন ও পরকালীন ক্ষতি হয় না ৷


[دِمَشْقُ هَلْ فُتِحَتْ صُلْحًا أَوْ عَنْوَةً] فَصْلٌ دِمَشْقُ ; هَلْ فُتِحَتْ صُلْحًا أَوْ عَنْوَةً. وَاخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ فِي دِمَشْقَ ; هَلْ فُتِحَتْ صُلْحًا أَوْ عَنْوَةً؟ فَأَكْثَرُ الْعُلَمَاءِ عَلَى أَنَّهُ اسْتَقَرَّ أَمْرُهَا عَلَى الصُّلْحِ ; لِأَنَّهُمْ شَكُّوا فِي الْمُتَقَدِّمِ عَلَى الْآخَرِ ; أَفُتِحَتْ عَنْوَةً ثُمَّ عَدَلَ الرُّومُ إِلَى الْمُصَالَحَةِ، أَوْ فُتِحَتْ صُلْحًا وَاتَّفَقَ الِاسْتِيلَاءُ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ قَسْرًا؟ فَلَمَّا شَكُّوا فِي ذَلِكَ جَعَلُوهَا صُلْحًا احْتِيَاطًا. وَقِيلَ: بَلْ جُعِلَ نِصْفُهَا صُلْحًا وَنِصْفُهَا عَنْوَةً. وَهَذَا الْقَوْلُ قَدْ يَظْهَرُ مِنْ صُنْعِ الصَّحَابَةِ فِي الْكَنِيسَةِ الْعُظْمَى الَّتِي كَانَتْ أَكْبَرَ مَعَابِدِهِمْ، حِينَ أَخَذُوا نِصْفَهَا وَتَرَكُوا لَهُمْ نَصْفَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ قِيلَ: إِنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ هُوَ الَّذِي كَتَبَ لَهُمْ كِتَابَ الصُّلْحِ، وَهَذَا هُوَ الْأَنْسَبُ وَالْأَشْهَرُ، فَإِنَّ خَالِدًا كَانَ قَدْ عُزِلَ عَنِ الْإِمْرَةِ. وَقِيلَ: بَلِ الَّذِي كَتَبَ لَهُمُ الصُّلْحَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَلَكِنْ أَقَرَّهُ عَلَى ذَلِكَ أَبُو عُبَيْدَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ أَبُو حُذَيْفَةَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ أَنَّ الصِّدِّيقَ تُوُفِّيَ قَبْلَ فَتْحِ دِمَشْقَ، وَأَنَّ عُمَرَ كَتَبَ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ يُعَزِّيهِ وَالْمُسْلِمِينَ فِي الصِّدِّيقِ، وَأَنَّهُ قَدِ اسْتَنَابَهُ عَلَى مَنْ بِالشَّامِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَسْتَشِيرَ خَالِدًا فِي الْحَرْبِ، فَلَمَّا وَصَلَ الْكِتَابُ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ كَتَمَهُ مِنْ خَالِدٍ حَتَّى فُتِحَتْ دِمَشْقُ بِنَحْوٍ مِنْ عِشْرِينَ لَيْلَةً، فَقَالَ لَهُ خَالِدٌ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ، مَا مَنَعَكَ أَنْ تُعْلِمَنِي حِينَ جَاءَكَ؟ فَقَالَ: إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَكْسِرَ عَلَيْكَ حَرْبَكَ، وَمَا سُلْطَانُ الدُّنْيَا أُرِيدُ، وَلَا لِلدُّنْيَا أَعْمَلُ، وَمَا تَرَى سَيَصِيرُ إِلَى زَوَالٍ وَانْقِطَاعٍ، وَإِنَّمَا نَحْنُ إِخْوَانٌ، وَمَا يَضُرُّ الرَّجُلَ أَنْ يَلِيَهُ أَخُوهُ فِي دِينِهِ وَلَا دُنْيَاهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৪১৪


এ প্রসঙ্গে ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ফাসাবী য৷ উল্লেখ করেছেন তা অত্যন্ত অড়াশ্চর্যজনক
বাট ৷ তিনি বলেছেন, হিশাম আবু উছমান সানআনী শারাহীল ইবন মারহুাদ বলেছেন,
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)-কে পাঠিয়েছিলেন ইয়ামামা
অধিবাসীদের নিকট আর ইয়াযীদ ইবন আবু সুফিয়ানকে পাঠিয়েছিলেন সিরিয়ার ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, এরপর খালিদ বললেন ৷ এরপর বর্ণনড়াকরী বলেন যে, ইতিমধ্যে হযরত আবু
বকর (রা) ইনতিকাল করেন এবং হযরত উমর (রা) খলীফা নিযুক্ত হন ৷ তিনি আবু উবায়দা
(রা)-কে সিরিয়ার প্রেরণ করেন ৷ আবু উবায়দা (রা) দামেশক আসেন ৷ তিনি থলীফার নিকট
অতিরিক্ত সৈন্য সাহায্য চান ৷ খলীফা উমর (রা) থালিদ (রা)-কে লিখেন যে, তিনি যেন
সিরিয়ার আবু উবায়দা (রা)-এর সাথে মিলিত হন ৷ হযরত খালিদ (রা) ইরাক থেকে সিরিয়া
গিয়ে পৌছেন ৷ বন্তুত এই বর্ণনা ও তথ্য চুড়ান্তভাবে সমর্থনহীন ৷ কারণ এতে কোন সন্দেহ নেই
যে, স্বয়ং খলীফা আবু বকর (রা) আবু উবায়দা ও অন্যান্য সেনাপতিকে সিরিয়ার
পাঠিয়েছিলেন ৷ আর তিনিই খালিদ (রা)ষ্টু কে লিখেছিলেন তিনি যেন ইরাক থেকে সিরিয়ার
যান ওখানকার মুসলিম সৈন্যদের সাহায্যার্থে এবং তিনি ওদের সেনাপতিৎ গ্রহণ করেন ৷
তারপর হযরত খালিদ (রা) এর হা ৷তেই অল্লিড়াহ্ তা আলা সমগ্র সিরিয়ার বিজয় দান করেন ৷
বিষয়টি অবিলম্বে আলোচনা করব ইনৃশাআল্লাহ্ ৷

মুহাম্মদ ইবন আইয বলেন, ওয়ালীদ ইবন মুসলিম বলেছেন সাকওয়ড়ান ইবন অড়ামর বর্ণনা
করেছেন, আবদুর রহমান ইবন জুবায়র ইবন নুফায়ব থেকে যে, দামেশক জয় করার পর
মুসলিম সৈন্যগণ সেনাপতি আবু উবায়দাকে খলীফা আবু বকর (রা)-এর নিকট প্রেরণ করেন
ৰিজয়েরসুসংবাদ বহনকারীহিসেবে ৷ তিনি মদীনা এলেন ৷ তখন আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর

ওফাত হয় ৷ হযরত উমর খলীফার মসনদে বসেন ৷ আবু উবায়দা (রা)-এর উপর অন্য কেউ
আমীর ও সেনাপতি হবে হযরত উমর (বা) তা অত্যন্ত গুরুতর মনে করলেন ৷ তিনি আবু
উবায়দা (রা)-কে একদল লোকের সেনাপতিরুপে নিয়োগ দিলেন ৷ যথাসময়ে তিনি দামেশক
ফিরে গেলেন ৷ তবে দেখে তার সাথিগণ আনন্দে বলে উঠল, সুস্বাগতম, র্যাকে আমরা
ৰাব্ক্তবািহক হিসেবে প্রেরণ করেছিলাম তিনি আমীর ও সেনাপতিরুপে ফিরে এসেছেন ৷

লায়ছ, ইবন লাহ্য়াআ, শুরায়ন্, মুফাদ্দাল অন্যরা ইয়াযীদ ইবন আবীর উকবা ইবন
আমির (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, আবুউঃবায়দা (রা) র্তাকে দামেশক
ৰিদরের সংবাদ সহকারে মদীনায় প্রেরণ করেন ৷ তিনি বলেন, আমি জুমআর দিন হযরত উমর

(ব্ক্তহু)-এব্র নিকট এসে পৌছলাম ৷ তিনি আমাকে বললেন, কতদিনযড়াবত পায়ের মেজাে খুলছ

ম্৷ ণ্ আমি বললাম, গত জুমাবার থেকে আজ জুমাবার পর্যন্ত ৷ তিনি বললেন, সুন্নত মুতাবিক

ৰ্ক্ষ্মব্ক্ত করেছ বর্টে ৷

ক্ষ্মস্তুহ (র) বলেন, আমরা এই অভিমআ পোষণ করি ৷ অর্থাৎ মুসাফিরের জন্যে মােজা

ঙ্কশুস্ৰ্দ্যার কোন নির্ধারিত মুদ্দত বা মেয়াদ নেই ৷ বরং মুসাফির ব্যক্তি যত ন্দিন ইচ্ছা পড়া না
মোঃ উপর মসেহ করে যেতে পারবে ৷ ইমাম শাফিঈ (র) এর পুর্বতন অভিমতও তাই ৷
গ্হ্মদ ও আবু দাউদ (র) উবইি ইবন আম্মারা সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ট্রু থেকে অনুরুপ বর্ণনা

ক্ষ্মক্ষ্ম ৷ ম্বম্হ্ব তথা অধিকাংশ উলামা ই কিরাম অনুসরণ করেন ইমাম মুসলিম (রা) কর্তৃক


وَمِنْ أَعْجَبِ مَا يُذْكَرُ هَا هُنَا مَا رَوَاهُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَسَوِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا رَاشِدُ بْنُ دَاوُدَ الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو عُثْمَانَ الصَّنْعَانِيُّ شَرَاحِيلُ بْنُ مَرْثَدٍ، قَالَ: بَعَثَ أَبُو بَكْرٍ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى أَهْلِ الْيَمَامَةِ، وَبَعَثَ يَزِيدَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ إِلَى الشَّامِ. فَذَكَرَ الرَّاوِي قِتَالَ خَالِدٍ لِأَهْلِ الْيَمَامَةِ إِلَى أَنْ قَالَ: وَمَاتَ أَبُو بَكْرٍ وَاسْتَخْلَفَ عُمَرَ، فَبَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ إِلَى الشَّامِ فَقَدِمَ دِمَشْقَ فَاسْتَمَدَّ أَبُو عُبَيْدَةَ عُمَرَ، فَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ أَنْ يَسِيرَ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ بِالشَّامِ فَذَكَرَ مَسِيرَ خَالِدٍ مِنَ الْعِرَاقِ إِلَى الشَّامِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا، فَإِنَّ الَّذِي لَا يُشَكُّ فِيهِ أَنَّ الصِّدِّيقَ هُوَ الَّذِي بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ وَغَيْرَهُ مِنَ الْأُمَرَاءِ إِلَى الشَّامِ، وَهُوَ الَّذِي كَتَبَ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ أَنْ يَقَدَمَ مِنَ الْعِرَاقِ إِلَى الشَّامِ لِيَكُونَ مَدَدًا لِمَنْ بِهِ وَأَمِيرًا عَلَيْهِمْ، فَفَتَحَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَعَلَى يَدَيْهِ جَمِيعَ الشَّامِ عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ: قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ: أَخْبَرَنِي صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، أَنَّ الْمُسْلِمِينَ لَمَّا افْتَتَحُوا مَدِينَةَ دِمَشْقَ بَعَثُوا أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ وَافِدًا إِلَى أَبِي بَكْرٍ بَشِيرًا بِالْفَتْحِ، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فَوَجَدَ أَبَا بَكْرٍ قَدْ تُوُفِّيَ، وَاسْتَخْلَفَ عُمَرَ بْنَ الْخِطَابِ، فَأَعْظَمَ أَنْ يَتَأَمَّرَ أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ عَلَيْهِ، فَوَلَّاهُ جَمَاعَةَ النَّاسِ فَقَدِمَ عَلَيْهِمْ فَقَالُوا: مَرْحَبًا بِمَنْ بَعَثْنَاهُ بَرِيدًا فَقَدِمَ عَلَيْنَا أَمِيرًا. وَقَدْ رَوَى اللَّيْثُ وَابْنُ لَهِيعَةَ وَحَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ وَمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ وَعَمْرُو بْنُ