আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب الشمائل

باب ذكر أخلاقه وشمائله الطاهرة صلى الله عليه وسلم
حديث بعثت من خير قرون بني آدم قرنا فقرنا
পৃষ্ঠা - ৪৬১০

ইমাম আহমদ আবদাহ সুত্রে অনিপতি এক ব্যক্তিকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
হযরত আইশা (রা)-কে প্রশ্ন করা হল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার গৃহে কী করতেন? তিনি বললেন,
তিনি কখনও কাপড়ে তালি লাগাতেন, কখনও জুতা মেরামত করতেন এবং এ জাতীয় অন্যান্য
কাজ করতেন ৷ এই সুত্রে হাদীসটিমুনকাতি বা ছিন্নসুত্র ৷ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মামার
উরওয়া সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, (একবার) এক ব্যক্তি অইিশা (রা)-কে প্রশ্ন
করল, রাসুলুল্লাহ্ (না) তার গৃহাভ্যতরে কােনৃ কাজ করতেন? তিনি বললেন, হা; তিনি তার
জুতা মেরামত করতেন, কাপড় সেলাই করতে ন, যেমনটি তোমাদের কেউ তার গৃহে কাজ
করে থাকে ৷ বায়হড়াকী হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি তা মুত্তাসিল বা সং যুক্ত
সনদে বর্ণনা করেছেন৷ তিনি বলেন, উমরাহ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত
আইশা (রা) কে আমি জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার গৃহে কী করতেন? জবাবে তিনি
বললেন তিনিও অন্যদের মতই একজন মানুষ ছিলেন, নিজ কাপড় উকুনমুক্ত করতে ন, নিজের
বকরী দােহন করতে ন, নিজের কাজকর্ম করতে তন ৷ তিরমিযী তার শামায়েলে মুহম্মদ ইবন
ইসমাঈল উমরা সুত্রে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি (উমরা) বলেন, হযরত
আইশা (রা)-কে প্রশ্ন করা হল, রাসুলুল্পাহ্ (সা) তার পরিবারে কীভাবে চলতেন? এ ছাড়া
ইবন আসাকির আবু উসামা উমরা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি হযরত আইশা
(বা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার শ্রী ও পরিজনদের সাথে কেমন ছিলেন?
জবাবে তিনি বললেন, তিনি ছিলেন কােমলতম ও উদারতম ব্যক্তি, সহাস্য প্ৰসন্ন মুখ ৷ আবু
দাউদ তায়ালিসী শু বা মুসলিম আবু আবদুল্লাহ আ ওর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি হযরত
আনাসকে বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বহুল পরিমাণে যিক্র করতেন এবং অনর্থক কথা
খুবই কম বলতেন, গাধায আরোহণ করতেন এবং সাধারণ পশমী জুব্বা পরিধান করতেন,
দাসের আহ্বানেও সাড়া দিতেন ৷ তুমি যদি তাকে খয়বার বিজয়ের দিন দেখতে তাহলে দেখতে
পেতে তিনি এমন এক গাধার আরােহী যার লাগাম কাি খেজুর গাছের আশের রশি ৷ তিরমিযী
ও ইবন মাজাতে মুসলিম ইবন কায়সানের হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত আনাসের বরাতে এর
অংশবিশেষ উল্লেখিত হয়েছে ৷ বায়হাকী হাফিয আবু আবদুল্লাহ হুসায়ন ইবন ওয়াকিদ
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইয়াহ্ইয়া ইবন আকীলকে বলতে শুনেছি, তিনি
বলেন যে, আমি আবদুল্লাহ্ ইবন আবু আওফা (রা) কে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বহুল
পরিমাণে যিক্র করতে ন, অনর্থক কথা কম বলতে ন, নামায দীর্ঘ করতেন, থুৎবা স ক্ষিপ্ত
করতেন, দাস কিৎবা বিধবার সাথে পথ চলতেও সংকোচবোধ করতেন না, যতক্ষণ না তাদের
প্রয়োজন পুরণ করে দিতেন ৷ নাসাঈ ও মুহাম্মদ ইবন আবদুল আযীয সুত্রে ইবন আবু
আওফা থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷

বায়হাকীর হাফিয আবু আবদৃল্লাহ্ হযরত আবু মুসা থেকে এ মর্মে বর্ণিত হাদীসে
অতিরিক্ত আছে তিনি বলেন, নিজ হাতে অতিথির সেবা করতেন, অবশ্য এই সুত্রে হাদীসটি,
গরীব’ শ্রেণীর ৷ আর সিহাসিত্তার সঙ্কলক এটি উল্লেখ করেননি, তবে এ সনদটি উত্তম ৷
মুহাম্মদ ইবন সা’দ ইসমাঈল ইবন আবু ফুদায়ক উতবার আযাদকৃত গোলাম সাহ্ল থেকে
বর্ণনা করেছেন যে, তিনি মারীসবাসী খ্রিষ্টান ছিলেন ৷ তিনি তার চাচার তত্ত্বড়াবধানে লালিত
পালিত হতেন, তিনি বলেন, একদিন আমি আমার চাচার একটি ধমীয়গ্রন্থ পড়লাম, আর

— ১ :


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُحَدِّثُ حَدِيثًا لَوْ عَدَّهُ الْعَادُّ لَأَحْصَاهُ» . قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: «أَلَا أَعْجَبَكَ أَبُو فُلَانٍ، جَاءَ فَجَلَسَ إِلَى جَانِبِ حُجْرَتِي يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسْمِعُنِي ذَلِكَ، وَكُنْتُ أُسَبِّحُ، فَقَامَ قَبْلَ أَنْ أَقْضِيَ سُبْحَتِي، وَلَوْ أَدْرَكْتُهُ لَرَدَدْتُ عَلَيْهِ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَسْرُدُ الْحَدِيثَ كَسَرْدِكُمْ» . وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ إِسْحَاقَ، وَمُسْلِمٍ عَنْ حَرْمَلَةَ، وَأَبُو دَاوُدَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ بِهِ، وَفِي رِوَايَتِهِمْ: أَلَا أَعْجَبَكَ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أُسَامَةَ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ كَلَامُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصْلًا يَفْهَمُهُ كُلُّ أَحَدٍ