আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب الشمائل

باب ذكر أخلاقه وشمائله الطاهرة صلى الله عليه وسلم
حديث بعثت من خير قرون بني آدم قرنا فقرنا
পৃষ্ঠা - ৪৬০৬

ন্যায় তা বেধে ব্লেখোনা, তাহলে তোমাকে দেয়৷ থেকে আল্লাহ্ও তা বেধে রাখবেন ৷ সহীহ্
বুখারীতে রয়েছে যে, নবী করীম (সা) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, (হড়াদীসে কুদসী) :

“হে আদমসম্ভান ! তুমি (অন্যের জন্য) ব্যয় কর, আমিও তোমার জন্য ব্যয় করব” ৷

সুতরাং কেন তিনি শ্রেষ্ঠতম দানশীল ও সাহসী ব্যক্তি হবেন না, অথচ আল্লাহর ভরসায়
ও>ার চেয়ে বড় কেউ নেই, তিনি আল্লাহর দান ও সাহায্যের ব্যাপারে পুর্ণ বিশ্বাসী, সকল বিষয়ে
নিজ প্রতিপালকের সাহায্যপ্রাথী ৷৩ তদুপরি তিনি তার নৃবুওয়াতের পুর্বে ও পরে এবং হিজরতের
পুর্বে দরিদ্র ও বিধবাদের এবং পিতৃহীন ও নিংস্বদের আশ্রয়স্থল ছিলেন ৷ যেমনটি তার পিতৃব্য
আবু তালিব এক প্রসিদ্ধ পংক্তি তবর্ণন৷ করেছেন, যা আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি৪

§

“তুমি পিতৃহীন হও! গোত্র কর্তক এমন নেতাকে বর্জন, তুমি কী মনে কর, যিনি

, ,

মড়ান-মর্যাদার রক্ষক যিনি অশ্লীল ও তীক্ষ্ণ-বাক্ নন ৷

যিনি গৌরবর্ণ, হার দোহাই দিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়, পিতৃহীনদের আশ্রয় এবং

বিধবাদের রক্ষক ৷
,)প্রু৯াপ্রু১থুড্রু;

হড়াশিম গোত্রের অসহায়রা তার আশ্রয় নেয়, তখন তার দান ও অনুগ্রহ লাভে ধন্য হয় ৷

আর তার বিনয়ের পরিচয় হল হাম্মাদ ইবন সালামাব হাদীস সংগ্রহ থেকে হযরত
আনাসের বরাতে ইমাম আহমদ যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন যে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে সম্বোধন করে বলল, হে আমাদের নেতার পুত্র নেতা ! তখন তিনি বললেন, হে লোক
সকল! তোমরা তোমাদের স্বাভাবিক কথা বল, শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে,
আমি আবদৃল্লাহর পুত্র ও আল্লাহর রাসুল, আল্লাহর কসম, আল্লাহ আমাকে মর্যাদার যে স্তরে
উন্নীত করেছেন, আমি এটা পছন্দ করি না যে, তোমরা আমাকে তারও উপরে উন্নীত করবে ৷
হযরত উমর ইবন খাত্তাব থেকে সহীহ্ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
ইরশাদ করেছেন, তোমরা আমার মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা করে৷ না (আমাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি
করে৷ না) যেমন খ্রিষ্টানরা হযরত ঈসাকে নিয়ে করেছে ৷ আমি তো এক বান্দা ৷ সুতরাং
তোমরা বল, আল্লাহর বান্দ৷ ও তার রাসুল ৷ ইমাম আহমদ ইয়াহয়৷ আল-আসওয়াদ সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আইশা (রা) কে বললাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর
শ্রী পরিজনের মাঝে কিভাবে থাকতেন? তিনি বললেন, তিনি তীর পরিবার পরিজনের
গৃহান্থলীর কাজ করতেন, যখন নামাযের সময় হত, তখন তিনি নড়ামাযে বের হতেন ৷ আর
ওকী আসওয়াদ সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি (আসওয়াদ) বলেন, আমি আইশা (রা)-কে
জিজ্ঞেস করলাম, গৃহে অবস্থানকালে নবী করীম (সা) কী কী করতেন? তিনি বললেন, তিনি
র্তার পবিবার পরিজনের গৃহাস্থুলীর কাজ আঞ্জাম দিতেন, আর যখন নামাযের সময় হত তখন
বেবিয়েগ্ গিয়ে নামায পড়তে তন ৷ হাদীসখানি ইমাম বুখারী আদম ও ও বা সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷


مُقَدِّمًا رُكْبَتَيْهِ بَيْنَ يَدَيْ جَلِيسٍ لَهُ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ بْنِ زَيْدٍ التَّغْلِبِيِّ أَبِي يَحْيَى الطَّوِيلِ الْكُوفِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحِوَارِيِّ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، ثَنَا أَبُو قَطَنٍ، ثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فُضَالَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «مَا رَأَيْتُ رَجُلًا قَطُّ الْتَقَمَ أُذُنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيُنَحِّي رَأْسَهُ حَتَّى يَكُونَ الرَّجُلُ هُوَ الَّذِي يُنَحِّي رَأْسَهُ، وَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ بِيَدِهِ رَجُلٌ فَتَرَكَ يَدَهُ حَتَّى يَكُونَ الرَّجُلُ هُوَ الَّذِي يَدَعُ يَدَهُ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ وَحَجَّاجٌ قَالَا: ثَنَا شُعْبَةُ - قَالَ ابْنُ جَعْفَرٍ فِي حَدِيثِهِ: قَالَ - سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ زَيْدٍ قَالَ: قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ «إِنْ كَانَتْ الْوَلِيدَةُ مِنْ وَلَائِدِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَتَجِيءُ فَتَأْخُذُ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا يَنْزِعُ يَدَهُ مِنْ يَدِهَا حَتَّى تَذْهَبَ بِهِ حَيْثُ شَاءَتْ» . وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «إِنْ كَانَتِ الْأَمَةُ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَتَأْخُذُ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَنْطَلِقُ بِهِ فِي حَاجَتِهَا» .