আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب الشمائل

باب ذكر أخلاقه وشمائله الطاهرة صلى الله عليه وسلم
حديث بعثت من خير قرون بني آدم قرنا فقرنا
পৃষ্ঠা - ৪৫৯৭

(সা)-এর কাছে কোন কিছু চাওয়া হলে তিনি কখনো না’ বলেননি ৷ ইমাম আহমদ, ইবন আবু
আদী আনাস (রা) সুত্রে বংনাি করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে মুসলমান অবস্থায়
কিছু চাওয়া হলেই তিনি তা দান করতেন ৷ তিনি বলেন, (একবার) তার কাছে এক ব্যক্তি
আসল তখন তিনি দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থানরত সদকার যেষপাল থেকে তাকে বহু
থােক ছাগল দান করলেন ৷ তিনি বলেন, এরপর সে তার সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে বলল, হে
আমার সম্প্রদায় ! তোমরা ইসলাম গ্রহণ করে নাও, কেননা, মুহাম্মদ কােনরুপ দারািদ্র্যর
আশংকা না করে উদার হস্তে দান করেন ৷ ণ্ আসিম ইবন নসর হুমায়দ সুত্রে ইমাম মুসলিম
তা ৰিওয়ায়াত করেছেন ৷ আহমদ আফ্ফান আনাস (রা) সুত্রে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা
করেন ৷ তাতে অতিরিক্ত আছে, শুধুমাত্র এ দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যেই যদি কেউ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর কাছে আসত, সন্ধ্য৷ হতে না হতেই তার দীন ঐ ব্যক্তির কাছে গোটা দুনিয়া ও তার
সবকিছুর চেয়ে অধিক প্রিয় ও মর্যাদাপুর্ণ হয়ে যেত ৷ হ ৷ম্মাদ ইবন সালামার হাদীস সংগ্রহ থেকে
ঐ সনদে ইমাম মুসলিম এই হাদীসখঃানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর এই দান ছিল দুর্বল চিত্ত
(ঈমান) মুসলমানদের চিত্ত জয়ের উদ্দেশ্যে ৷ এ ছাড়া এ দ্বারা তিনি অন্যদেরকে ইসলামের
দিকে আকৃষ্ট করেছেন যেমন হুনায়নের দিন করেছেন ৷ সেদিন এই শ্রেণীর লোকদের মাঝে
বিশাল ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ রৌপ্য ও উটযেষ প্রভৃতি বন্টন করেছেন ৷ অথচ আনসারদের
কাউকে এবং মুজাহিদদের অধিকাংশকে কিছুই দেননি ৷ বরং তা ব্যয় করেছেন তাদের মাঝে,
যাদেরকে তিনি ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করতে চেয়েছেন ৷ আর ওদেরকে দেননি যেহেতু
আল্লাহ্ তাদের হৃদয়কে অভাবমুক্ত ও কল্যাণময় করেছিলেন ৷
এই বণ্টনের রহস্য সম্পর্কে আনসারদের যারা সমালোচনা করেছিলেন, তাদেরকে সান্তুনা
দিয়ে তিনি বলেছিলেন, তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা উট ও যেষ নিয়ে যাবে আর
তোমরা আল্পাহ্র রাসুলকে নিয়ে তোমাদের গৃহে ফিরবে? তখন তারা বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্
আমরা সভুষ্ট আছি ৷ একইভাবে তিনি তার পিতৃব্য আব্বাস (রা) কে ইসলাম গ্রহণের পর দান
করেছিলেন ৷ যখন বাহরায়ন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মাল এসে তার সামনে রাখা হল ৷ এ
সময় আব্বাস এসে বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্৷ আমাকে দান করুন, বদরের দিন আমি নিজের
মুক্তিপণ দিয়েছি এবং আর্কীলের মুক্তিপণ দিয়েছি ৷ তখন তিনি বললেন, ঠিক আছে, আপনি
নিন ৷ তখন তিনিত তার পরনের জামা খুলে সে সাল থেকে নিয়ে তা ভরে ফেললেন এরপর তা
উঠাতে গেলেন; কিন্তু পারলেন না ৷ তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বললেন, তা আমার উপর
উঠিয়ে দিন ৷ তিনি বললেন আমি তা করব না ৷ তখন আব্বাস বললেন, আপনি কাউকেত
উঠিয়ে দিতে বলুন! তখনও তিনি বললেন না, তাও পারব না ৷ তখন তিনি (আব্বাস)ত
থেকে কিছু মাল নামিয়ে তা উঠাতে গেলেন কিন্তু সক্ষম হলেন না ৷ এরপর পুনরায় তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে তা উঠিয়ে দিতে কিত্বা দেয়ার জন্য কাউকে নির্দেশ দিতে বললেন ৷ কিন্তু
তিনি তা করলেন না ৷ তখন আব্বাস তার উঠানাে মাল আরো কমালেন এরপর অবগ্রিষ্টি মাল
বহন করে মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেলেন, আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার এই সম্পদাসক্তি দেখে
অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তা ৷কিয়ে থাকলেন ৷
আমি বলি, হযরত আব্বাস বেশ দীর্ঘকায় ও শক্ত সমর্থ ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি যা বহন
করেছেন তা কম করে হলেও প্রায় চল্লিশ হাজার দিরহাম হবে ৷ আল্লাহ্ই সর্বাধিক জানেন ৷


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ خَادِمًا لَهُ قَطُّ، وَلَا امْرَأَةً، وَلَا ضَرَبَ بِيَدِهِ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يُجَاهِدَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَلَا خُيِّرَ بَيْنَ أَمْرَيْنِ قَطُّ إِلَّا كَانَ أَحَبَّهُمَا إِلَيْهِ أَيْسَرُهُمَا، حَتَّى يَكُونَ إِثْمًا، فَإِذَا كَانَ إِثْمًا كَانَ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنَ الْإِثْمِ، وَلَا انْتَقَمَ لِنَفْسِهِ مِنْ شَيْءٍ يُؤْتَى إِلَيْهِ حَتَّى تُنْتَهَكَ حُرُمَاتُ اللَّهِ، فَيَكُونُ هُوَ يَنْتَقِمُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» . وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيَّ يَقُولُ: «سَمِعْتُ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَسَأَلْتُهَا عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: لَمْ يَكُنْ فَاحِشًا وَلَا مُتَفَحِّشًا، وَلَا سَخَّابًا فِي الْأَسْوَاقِ، وَلَا يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَصْفَحُ. أَوْ قَالَتْ: يَعْفُو وَيَغْفِرُ» . شَكَّ أَبُو دَاوُدَ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا آدَمُ وَعَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَا: ثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، ثَنَا صَالِحٌ مَوْلَى التَّوْأَمَةِ قَالَ: «كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَنْعَتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كَانَ يُقْبِلُ جَمِيعًا وَيُدْبِرُ جَمِيعًا، بِأَبِي وَأُمِّي لَمْ يَكُنْ فَاحِشًا، وَلَا مُتَفَحِّشًا، وَلَا سَخَّابًا فِي الْأَسْوَاقِ. زَادَ آدَمُ: وَلَمْ أَرَ مِثْلَهُ قَبْلَهُ، وَلَنْ أَرَى بَعْدَهُ» .