আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب الشمائل

باب ذكر أخلاقه وشمائله الطاهرة صلى الله عليه وسلم
حديث بعثت من خير قرون بني آدم قرنا فقرنا
পৃষ্ঠা - ৪৫৯৩

আবদুল্লাহ্ ইবন আল হারিছ ইবন জায্ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর চেয়ে অধিক মৃদু হাসতে আমি কাউকে দেখিনি ৷ তারপর তিনি লায়ছের হাদীস
স ৎগ্রহ থেকে আবদুল্লাহ হারিছ থেকে তা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি (আবদুল্লাহ) বলেন রাসুলুল্লাহ্
(সা) কখনও মৃদু হাসি ব্যতীত হাসতেন না ৷ তারপর তিনি হাদীসখানিকে সহীহ্ বলেছেন ৷
মুসলিম, ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া সিমাক ইবন হড়ারব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
আমি (একবার) জাবির ইবন সামুরাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
সাথে উঠাবসা করতেন? তিনি বললেন, হী ৷ প্রায়শই তিনি যে স্থানে ফজরের নামায পড়তেন
সুর্যোদয় পর্যন্ত যে স্থান থেকে উঠতেন না ৷ আর সাহাবাগণ আলাপ আলোচনা করতেন এবং
কখনও কখনও জাহিলিয়াতের কো ন বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করতে ন ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (না) শুধু
মৃদু হাসতেন ৷ আবু দাউদ ৩য়োলিসী শুরায়ক ও কায়স ইবন সা দ সুত্রে সিমাক হারব
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি জাবির ইবন সামুরাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি
নবী করীম (সা) এর সাথে উঠাবসা করতেন? তিনি বললেন, হা ৷ তিনি চুপ থাকতেন কম
এবং হাসতেন কম, কখনওব৷ তার সাহাবাগণ তার কাছে কবিতা আবৃত্তি করতেন, কখনওবা
তাদের কোন বিষয় নিয়ে হাসাহাসি কর৩ ত,ন তখন তিনি মাঝে মধ্যে মৃদু হাসতে ন ৷ হাফিয
বায়হাকী, আবু আবদুল্লাহ আল-হাফিয এবং আবু সাঈদ ইবন আবু আমর সুত্রে খারিজা
ইবন যায়দ (ইবন ছাবি৩ ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার কতিপয় ব্যক্তি তার পিতার
সাক্ষাতে প্রবেশ করে বললেন, আমাদের রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কিছু স্বভাব চরিত্রের কথা বলুন ৷
তখন তিনি বললেন, আমি তার প্রতিবেশী ছিলাম ৷ যখনই ওহী নাযিল হত, তখন তিনি
আমাকে ডেকে পাঠ্যতেন এবং আমি তার কাছে আসতাম এবং নাযিলকৃত ওহী লিখতাম ৷ আর
আমরা যখন নিজেদের মাঝে দুনিয়ার কথা উল্লেখ করতাম তখন আমাদের সাথে তিনিও তার
উল্লেখ করতেন, তদ্র্যপ আমরা যখন আখিরাঃ৩ তর কথা উল্লেখ করতাম তখন আমাদের সাথে
তিনিও তা উল্লেখ করতেন, এবং আমরা যখন খাবারের আলোচনা করতাম, তখন তিনিও
আমাদের সাথে তার আলোচনা করতেন এ সবই তার বরাতে আমরা তোমাদের সাথে
আলোচনা করি ৷ ইমাম তিরমিযী তার শামায়েলে’ আব্বাস আদ্দাওরীয় আবদুল্পাহ্ ইবন
ইয়াযীদ সুত্রে হাদীসখানি ঐ সনদে অনুরুপ করে রিওয়ায়৷ ত করেছেন ৷

নবীজীর বদান্যতা ও মহানুভবতা

যুহরী ইবন আব্বাস সুত্রে বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত যে হাদীস বিগত হয়েছে, তা হল,
তিনি (ইবন আব্বাস) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (মা) ছিলেন শ্রেষ্ঠতম বদান্য ব্যক্তি ৷ আর তিনি
সবচেয়ে অধিক বদন্য হতেন রমযান মাসে, যখন ওহী নিয়ে জিবরীল (আ) তার সাক্ষাতে
আসতেন এবং তাকে কুরআন শোনাতেন এবং তার থেকে কুরআন শুনতেন ৷ আর আল্লাহর
রাসুল বদান্যতায় অবাধ বায়ুর চাইতে ও অগ্রগামী ছিলেন ৷ সন্দেহ নেই এই উপম৷ আরবী
ভাষার অলঙ্করণের অনুপম প্রকাশ ৷ এখানে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বদান্যতাকে তার ব্যাপকতা,
সার্বক্ষণিকতা ও নিরবচ্ছিন্নতায় অবাধ প্রবাহের মুক্ত বাতাসের সাথে তুলনা করা হয়েছে ৷
সুফিয়ান ইবন সাঈদের হাদীস সংগ্রহ থেকে মুহাম্মদ ইবন মুনকাদির জাবির ইবন
আবদুল্লাহ্ সুত্রে বুখারী ও মুসলিম শরীফে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে তা হল, রাসুলুল্লাহ্


[بَابُ ذِكْرِ أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ الطَّاهِرَةِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] [حَدِيثُ بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِي آدَمَ قَرْنًا فَقَرَنًا] قَدْ قَدَّمْنَا طِيبَ أَصْلِهِ وَمَحْتِدِهِ، وَطَهَارَةَ نَسَبِهِ وَمَوْلِدِهِ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَاتِهِ} [الأنعام: 124] . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِي آدَمَ قَرْنًا فَقَرْنًا، حَتَّى كُنْتُ مِنَ الْقَرْنِ الَّذِي كُنْتُ فِيهِ» . وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى قُرَيْشًا مِنْ بَنِي إِسْمَاعِيلَ، وَاصْطَفَى بَنِي هَاشِمٍ مِنْ قُرَيْشٍ، وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ.» . وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {ن وَالْقَلَمِ وَمَا يَسْطُرُونَ مَا أَنْتَ بِنِعْمَةِ رَبِّكَ بِمَجْنُونٍ وَإِنَّ لَكَ لَأَجْرًا غَيْرَ مَمْنُونٍ وَإِنَّكَ لَعَلَى خُلُقٍ عَظِيمٍ} [القلم: 1] أَيْ؛ وَإِنَّكَ لَعَلَى دِينٍ عَظِيمٍ، وَهُوَ الْإِسْلَامُ. وَهَكَذَا قَالَ مُجَاهِدٌ وَابْنُ مَالِكٍ وَالسُّدِّيُّ وَالضَّحَّاكُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ. وَقَالَ عَطِيَّةُ: