আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

الحوادث الواقعة في الزمان ووفيات المشاهير والأعيان سنة إحدى عشرة من الهجرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

من توفي من المشاهير والأعيان في سنة إحدى عشرة

পৃষ্ঠা - ৫৩১৪

আক্রান্ত হন ৷ পরাজিত হয়ে ইকরামা পিছু হটে খালিদ ইবন ওলীদের অপেক্ষা করতে থাকেন ৷
খালিদ এসে মুসায়লামাকে দমন করার কথা পুর্বেই বলা হয়েছে ৷ খলীফা ইকরামার নিকট
তাড়াহুড়া করার জন্য তিরস্কার করে এক পত্র লিখেন ৷ তিনি জানালেন যে, এ ফিত্নার নিষ্পত্তি
না হওয়া পর্যন্ত আমি তােমাংক দেখতেও চাইনা এবং তোমার কোন কথা শুনতেও চাইনা ৷
তিনি ইকরামাকে ওমানে গিয়ে হুযায়ফা ও আরফাজার সাথে মিলিত হবার নির্দেশ দেন এবং
বলেন যে প্রতেকেই নিজ নিজ বাহিনীর আমীর থাকবে ৷ তবে ওমানে থাকা অবস্থায়
হুযায়ফাই হবেন সম্মিলিত বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ৷ ওমানের অভিযান শেষ হলে তোমরা মাহরায়
যাবে এবং মাহ্রার অভিযান শেষ করে যাবে ইয়ামান ও হদােযাওতে ৷ সেখানে গিয়ে মুজাহির
ইবন আবু উমায়্যার সাথে মিলিত হবে ৷ ওমান থেকে সুদুর হাদ্রামাওত ও ইয়ামান পর্যন্ত
যেখানেই মুরতাদদের সন্ধান পাবে তাদেরকে খতম করে দেবে ৷ খলীফার নির্দেশ মতে
ইকরামা ওমানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ কিন্তু ওমানে পৌছার পুর্বেই হুযায়ফা ও আরফাজার
সাথে তার সাক্ষাৎ হয়ে যায় ৷ হুযায়ফা ও আরফাজাকে খলীফা পত্র যােগে জানিয়েছিলেন যে,
ওমানের অভিযান শেষে সেখানে অবস্থান কালে কিৎবা যাত্রা পথে ইকরামার মতকে তোমরা
প্রাধান্য দেবে ৷

যাহোক, তিন সেনাপতি যাত্রা শুরু করলেন এবং ওমানের সস্নিকটে পৌছে জায়ফারকে

ৎবাদ দিলেন ৷ মুসলিম সেনাদের আগমন বার্তা লাকীত ইবন মালিকের নিকট পৌছল ৷

মুরতাদ লাকীত তার সৈন্য বাহিনীকে দাবা’ নামক স্থানে জমায়েত করে ৷ দাবা সে দেশের
প্রধান শহর ও বড় বাজার ৷ নারী শিশু ও মাল সম্পদ তারা যুদ্ধের কৌশল হিসেবে পশ্চাতে
রেখে দেয় ৷ জায়ফার ও আব্বাদ সাহার’ নামক স্থানে সৈন্য সমবেত করে খলীফার প্রেরিত
আমীরদেরকে সংবাদ দেন ৷ উভয় বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷ মুসলিম সৈন্যরা বিরাট
পরীক্ষার সম্মুখীন হন ৷ এমনকি তাদের পৃষ্ঠ প্রদর্শনের উপক্রম হয় ৷ কিন্তু ঠিক সেই মুহুতেই
আল্লাহ্র দয়া ও সাহায্য তাদের প্ৰতি নেমে আসে ৷ বনু নাজিয়া ও বনু আবদে কায়স তাদের
আমীরদের নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনীর স্বপক্ষে শরীক হয়ে পড়েন ৷ তারা এসে যোগদান করার
পর মুসলিম বাহিনী বিজয় লাভ করে এবং মুশরিকরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পালিয়ে যায় ৷ মুসলিম
সৈন্যগণ তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে প্রায় দশ হাজার যােদ্ধাকে হত্যা করেন এবং নারী ও শিশুদের
বন্দী করা সহ তাদের ধন সম্পদসহ বাজারের সমুদয় দ্রব্যাদি করায়ত্ত করে নেন ৷ গনীমতের
মাংলর এক পঞ্চমাংশ আরফাজার নেতৃত্বে খলীফার নিকট পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ আরফাজা
সেগুলো মদীনায় পৌছে দিয়ে পুনরায় সাথীদের নিকট ফিরে আসেন ৷

ওমানের অভিযান শেষ করে ইকরামা সমুদয় সৈন্য নিয়ে মাহ্রার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় ৷
তিনি সেখানকার সৈন্যদেরকে দুইটি বাহিনীতে বিভক্ত দেখতে পান ৷ তাদের বড় বাহিনীর
আমীরের নাম আল মুসবিহ্ ৷ সে ছিল বনু মাহারিব গোত্রের লোক ৷ অপর বাহিনীর আমীরের
নাম শিখরীত ৷ এ দুজনের মধ্যে ছিল পারস্পরিক বিরোধ ৷ আর এই বিরােধ্টা ছিল
মুসলমানদের জন্য রহমত বিশেষ ৷ ইকরামা শিখরীতের নিকট সংবাদ পাঠালে সে সদলবলে
ইকরামার সাথে এসে মিলিত হয় ৷ ফলে মুসলিম বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মুসবিহের
বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ ইকরামা পরে মুসব্যিহর নিকট ইসলাম ও আনুগত্য গ্রহরুণর দাওয়াত
দিয়ে সংবাদ পাঠান ৷ কিন্তু তার নিজের সৈন্যের সংখ্যাধিক্য ও শিখরীতের বিরোধিতার কারণে
—— ৬৩


بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ إِلَّا أَهْلُ طَاعَةٍ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ، أَوْ أَهْلُ ذِمَّةٍ مِنَ الصِّدِّيقِ، كَأَهْلِ نَجْرَانَ وَمَا جَرَى مَجْرَاهُمْ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَعَامَّةُ مَا وَقَعَ مِنْ هَذِهِ الْحُرُوبِ كَانَ فِي أَوَاخِرِ سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ وَأَوَائِلِ سَنَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ، وَلْنَذْكُرْ بَعْدَ إِيرَادِ هَذِهِ الْحَوَادِثِ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ وَالْمَشَاهِيرِ وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانِ. وَفِيهَا رَجَعَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ مِنَ الْيَمَنِ، وَفِيهَا اسْتَقْضَى أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. [مَنْ تُوُفِّيَ مِنَ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ فِي سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ] ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. أَعْنِي سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ، مِنَ الْأَعْيَانِ وَالْمَشَاهِيرِ، وَذَكَرْنَا مَعَهُمْ مَنْ قُتِلَ بِالْيَمَامَةِ ; لِأَنَّهَا كَانَتْ فِي سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ عَلَى قَوْلِ بَعْضِهِمْ، وَإِنْ كَانَ الْمَشْهُورُ أَنَّهَا فِي رَبِيعٍ سَنَةَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ. تُوُفِّيَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَذَلِكَ فِي رَبِيعِهَا الْأَوَّلِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ ثَانِيَ عَشْرِهِ عَلَى الْمَشْهُورِ، كَمَا قَدَّمْنَا بَيَانَهُ وَبَعْدَهُ بِسِتَّةِ أَشْهَرٍ - عَلَى الْأَشْهَرِ - تُوُفِّيَتِ ابْنَتُهُ فَاطِمَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَتُكَنَّى بِأُمِّ أَبِيهَا، وَقَدْ كَانَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ عَهِدَ إِلَيْهَا أَنَّهَا أَوَّلُ أَهْلِهِ لُحُوقًا بِهِ، وَقَالَ لَهَا مَعَ ذَلِكَ: «أَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ؟» . وَكَانَتْ أَصْغَرَ بَنَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَلَمْ يَبْقَ بَعْدَهُ سِوَاهَا،
পৃষ্ঠা - ৫৩১৫

সে দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে এবং দাস্তিকতার পরিচয় দেয় ৷ তারপর ইকরামা সমস্ত সৈন্য নিয়ে
ঘুসবিহের উপর আক্রাণ চালান ৷ পুর্বের দাবা’ যুদ্ধের চেয়ে এ যুদ্ধ আরও অধিক প্রচণ্ড আকার
ধারণ করে ৷ অবশেষে অ ৷ল্লাহ্ মুসলমানদেরকে বিজয় দান করেন ৷ মুশরিকরা পলায়ন করে,

মুসবিহ ও তার দলের অধিকাৎশ লোক নিহত হয় ৷ তাদের মাল-সম্পদ মুসলমানরা গনীমত
হিসেবে অধিকার করেন ৷ গনীমাতের মধ্যে এক হাজার উৎকৃষ্ট ঘোড়া ছিল ৷ এক পঞ্চমাশ:
গনীমত শিখরীতের মাধ্যমে খলীফার নিকট পাঠান হল ৷ বনী আবিদ ইবন মাখবুমের সারির
নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে মুসলিম বাহিনীর বিজয় সংবাদ মদীনায় পৌছান হয় ৷ এই যুদ্ধ
সম্পর্কে আলজুম নামক জনৈক ব্যক্তি নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন :

ছুর্চুাপু ৷ র্চু ;র্চু১



অর্থ : আল্লাহ্ শিখরীতকে বিনিময় দান করুন ৷ ড়েড়৷ বকরীর পালকে তিনি নিশ্চিহ্ন করে
দিয়েছেন, যখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে এসেছিল ৷ আল্লাহ্ তাকে এমন পরিপুর্ণ বিনিময় দান
করেন যার পরে তিরস্কার থাকে না এবং বিনিময়ট৷ এমন যা ঘনিষ্ঠ লোকদের থেকেও আশা
করা যায় না ৷ হে ইকরামা! আমার কওমের লোকজন যদি সমবেত হয়ে কার্যক্রম না চালাত
তবে তোমাদের উপর অন্ধকার নেমে আসত, যমীন সংকুচিত হয়ে যেত ৷ পালাবার সুযোগ
থাকত না ৷ কোন তাই যেমনত তার বোনের সাহায্যে এগিয়ে আসে আমরাও সেরুপে ঐক্যবদ্ধ
হই ৷৩ তা না হলে আমাদের উপর বিপদের ঘনঘটা নেমে আসত ৷

ইয়ামানের কথা পুবেই বলা হয়েছে যে, অভিশপ্ত আসওদ আনাসী সেখানে আত্মপ্রকাশ
করে জ্ঞান ও দীনের ব্যাপারে কমযোর লোকদেরকে পথভ্রষ্ট করে, ফলে সেখানকার অধিকাৎশ
লোকই মুরত তাদ হয়ে যায় ৷ পরে কায়স ইবন মাকশুহ, ফীরুয দায়লামী ও দাযওয়েহ এ তিন
আমীর সম্মিলিতভাবে আসওদকে হত্যা করেন ৷ ইতিমধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মৃত্যু সং বাদ
পৌছলে ইয়ামানের কিছু সংখ্যক লোকের মনে সেই সন্দেহ-সংশয় আবার তীব্রভাবে দানা বেধে
উঠল, যার মধ্যে এত দিন তারা ঘুরপাক খাচ্ছিল ৷ এ সময় কায়স ইবন মাকশুহের মনে
ইয়ামানের আমীর হওয়ার লোড ঘনীভু৩ ৩হয় ৷ এ উদ্দেশ্যে সে তৎপরতাও চালাতে থাকে ৷ সে
ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায় এবং ইয়ামানের সাধারণ জনগণ তাদের পক্ষে যোগ
দেয় ৷ খলীফা ইয়ামানের নেত বৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্পের নিকট লিখিত পত্রে কায়স ইবন
মাকশুহের বিরুদ্ধে ফীরুয ও আবনাকে সহযোগিত ৷ করার জন্য বলে পাঠান এবং দ্রুত তার
সৈন্য বাহিনীর সম্মুখীন হওয়ার নির্দেশ দেন ৷ কায়স অপর দু ’জন আমীরকে হত্যার পরিকল্পনা
গ্রহণ করে ৷ সে অনুযায়ী দাযওয়েহকে হত্যা করতে সক্ষম হলেও ফীরুয রক্ষা পেয়ে যান ৷
তাকে হত্যা করার জন্য কায়স এক কৌশল অবলম্বন করে ৷ সে বাড়িতে ভোজের ব্যবস্থা করে ৷
তারপর প্রথমে দাযওয়েহকে নিয়ন্ত্রণ জানিয়ে লোক পাঠায় ৷ দাযওয়েহ পৌছ৷ মাত্রই সে তাকে


فَلِهَذَا عَظُمَ أَجْرُهَا ; لِأَنَّهَا أُصِيبَتْ بِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَيُقَالُ: إِنَّهَا كَانَتْ تَوْأَمًا لِعَبْدِ اللَّهِ ابْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَلَيْسَ لَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، نَسْلٌ إِلَّا مِنْ جِهَتِهَا، قَالَهُ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ. وَقَدْ وَرَدَ. أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَيْلَةَ زِفَافِ عَلِيٍّ عَلَى فَاطِمَةَ تَوَضَّأَ وَصَبَّ عَلَيْهِ وَعَلَى فَاطِمَةَ، وَدَعَا لَهُمَا أَنْ يُبَارَكَ فِي نَسْلِهِمَا. وَقَدْ تَزَوَّجَهَا ابْنُ عَمِّهَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بَعْدَ الْهِجْرَةِ، وَذَلِكَ بَعْدَ بَدْرٍ، وَقِيلَ: بَعْدَ أُحُدٍ. وَقِيلَ: بَعْدَ تَزْوِيجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَائِشَةَ بِأَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ وَنِصْفٍ. وَبَنَى بِهَا بَعْدَ ذَلِكَ بِسَبْعَةِ أَشْهُرٍ وَنِصْفٍ، أَصْدَقَهَا دِرْعَهُ الْحُطَمْيَةَ، وَقِيمَتُهُ أَرْبَعُمِائَةِ دِرْهَمٍ، وَكَانَ عُمُرُهَا إِذْ ذَاكَ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةٍ وَخَمْسَةَ أَشْهُرٍ، وَكَانَ عَلِيٌّ أَسَنَّ مِنْهَا بِسِتِّ سِنِينَ. وَقَدْ وَرَدَتْ أَحَادِيثُ مَوْضُوعَةٌ فِي تَزْوِيجِ عَلِيٍّ بِفَاطِمَةَ، لَمْ نَذْكُرْهَا ; رَغْبَةً عَنْهَا فَوَلَدَتْ لَهُ حَسَنًا وَحُسَيْنًا وَمُحَسِّنًا، وَأُمَّ كُلْثُومٍ، الَّتِي تَزَوَّجَ بِهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بَعْدَ ذَلِكَ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادٌ، أَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا زَوَّجَهُ فَاطِمَةَ بَعَثَ مَعَهَا بِخَمِيلَةٍ،
পৃষ্ঠা - ৫৩১৬
وَوِسَادَةٍ مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ، وَرَحَيَيْنِ وَسِقَاءٍ وَجَرَّتَيْنِ، فَقَالَ عَلِيٌّ لِفَاطِمَةَ ذَاتَ يَوْمٍ: وَاللَّهِ لَقَدْ سَنَوْتُ حَتَّى لَقَدِ اشْتَكَيْتُ صَدْرِي، وَقَدْ جَاءَ اللَّهُ أَبَاكِ بِسَبْيٍ فَاذْهَبِي فَاسْتَخْدِمِيهِ. فَقَالَتْ: وَأَنَا وَاللَّهِ لَقَدْ طَحَنْتُ حَتَّى مَجَلَتْ يَدَايَ. فَأَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَا جَاءَ بِكِ أَيْ بُنَيَّةِ؟ " قَالَتْ: جِئْتُ لِأُسَلِّمَ عَلَيْكَ. وَاسْتَحْيَتْ أَنْ تَسْأَلَهُ، وَرَجَعَتْ. فَقَالَ: مَا فَعَلْتِ؟ قَالَتِ: اسْتَحْيَيْتُ أَنْ أَسْأَلَهُ. فَأَتَيَاهُ جَمِيعًا، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَقَدْ سَنَوْتُ حَتَّى اشْتَكَيْتُ صَدْرِي. وَقَالَتْ فَاطِمَةُ: لَقَدْ طَحَنْتُ حَتَّى مَجَلَتْ يَدَايَ، وَقَدْ جَاءَكَ اللَّهُ بِسَبْيٍ وَسَعَةٍ فَأَخْدِمْنَا. فَقَالَ: " وَاللَّهِ لَا أُعْطِيكُمَا وَأَدَعُ أَهْلَ الصُّفَّةِ تُطْوَى بُطُونُهُمْ، لَا أَجِدُ مَا أُنْفِقُ عَلَيْهِمْ، وَلَكِنِّي أَبِيعُهُمْ وَأُنْفِقُ عَلَيْهِمْ أَثْمَانَهُمْ ". فَرَجَعَا فَأَتَاهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ دَخَلَا فِي قَطِيفَتِهِمَا، إِذَا غَطَّتْ رُءُوسَهُمَا تَكَشَّفَتْ أَقْدَامُهُمَا، وَإِذَا غَطَّيَا أَقْدَامَهُمَا تَكَشَّفَتْ رُءُوسُهُمَا، فَثَارَا، فَقَالَ: " مَكَانَكُمَا ". ثُمَّ قَالَ: " أَلَا أُخْبِرُكُمَا بِخَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَانِي؟ " قَالَا: بَلَى. قَالَ: " كَلِمَاتٌ عَلَّمَنِيهِنَّ جِبْرِيلُ ; تُسَبِّحَانِ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ عَشْرًا، وَتَحْمَدَانِ عَشْرًا، وَتُكَبِّرَانِ عَشْرًا، وَإِذَا أَوَيْتُمَا إِلَى فِرَاشِكُمَا فَسَبِّحَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَاحْمَدَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ» . قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا تَرَكَتْهُنَّ مُنْذُ عَلَّمَنِيهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَقَالَ لَهُ ابْنُ الْكَوَّاءِ: وَلَا لَيْلَةَ صِفِّينَ؟ فَقَالَ: قَاتَلَكُمُ اللَّهُ يَا أَهْلَ
পৃষ্ঠা - ৫৩১৭


হত্যা কবুর ফেলে ৷ এরপরে সে ফীরুযকে আমার জন্য ডেকে পাঠায় ৷ আসার পথে ফীৰৰে
শুনতে পেলেন, এক মহিলা আর এক মহিলাকে বলছে, দেখ, একেও তার সাথীর ন্যায় হত্যা
করা হবে ৷ এ কথা শুনে ফীরুয সেখান থেকে ফিরে যান এবং নিজের সঙ্গীবুদরবুক দাযওয়ের
নিহত হওয়ার স০ বাদ জানান ৷ এরপর ফীরুয তার মাতৃল খাওলাবুনর কাছেষ্ গিয়ে নিরাপত্তা লাভ
করেন এবং তাদের থেকে শক্তি সঞ্চয় করেন ৷ আকীল, আক ও খালক তাকে সাহায্য
সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেয় ৷ কায়স এরপর ফীরুয দাযওয়েহর পুত্রদের উপর চড়াও হয়ে
তাদেরকে ইয়ামান থেকে বহিষ্কার করে এবং এক দলকে স্থল পথে এবং আর এক দলকে জল
পথে পাঠিয়ে দেয় ৷ কিছুদিন পর ফীরুয শক্তি সঞ্চয় কবুর বিপুল স০ খ্যক সৈন্য নিয়ে কায়সের
মুকাবিলায় অবতীর্ণ হন ৷ উভয়ের মধ্যে তুমুল লড়াই হয় ৷ কায়স গােচনীয়ভাবুব পরজায় বরণ
করে ৷ আসওদ আন নাসীর অবশিষ্ট সৈন্যরাও নির্মুল হয়ে যায় ৷

আমর ও কায়স মুরতাদ হয়ে আনাসীর হাতে দীক্ষিত হয়েছিল ৷ উভয়কে বন্দী অবস্থায়
মুজাহির ইবন আবী উমায়্যার মাধ্যমে খলীফ৷ ৷র নিকট পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ খলীফ৷ তাদেরকে
তিরস্কার করেন ৷৩ তারা খলীফার নিকট নিজেদের ওযর পেশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করে ৷ খলীফা
তাদের বাহ্যিক ওযর কবুল করেন এবং প্রকৃত ও মুল ব্যাপার আল্লাহর নিকট সােপর্দ করে
দেন ৷ তিনি তাদেরকে বন্ধনমুক্ত করে দিয়ে তাদের কওমের নিকট ফিরিয়ে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর আমিলপণ তার আমলে ইযামাবুনর যেখানে যেখানে নিযুক্ত ছিলেন-, তারা নিজ নিজ
স্থানে ফিরে গিয়ে কাজে যোগদান করেন ৷ এ অবস্থা ফিরিয়ে আনতে বহু যুবুদ্ধরপ্রয়ােজন
হয়েছিল, যার বিবরণ লেখা হলে গ্রন্থের কলেবর বৃদ্ধি পাবে ৷ তবে তার সার সংক্ষেপ ৰু এই যে,
আরব উপ-দ্বীবুপর এমন বুকান ক্ষুদ্র স্থান-ও অবশিষ্ট ছিল না, যেখানকার কিছু না কিছু অধিবাসী
মুরতাদ হয়ে যায়নি ৷

খলীফ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক সেই সব মুরতাদবুদরবুক দমন করার জন্য
ভৈসন্যবাহিনীসমুহ্ ও আমীরবুদরকে প্রেরণ করেন ৷ এরা বুযখাবুনই বুযবুতন সেখানকার
বসবাসকারী মু ’মিনদের সহযোগিতা করাই ছিল তাদের কাজ ৷ যেখাবুনই ঘুমিন ও মুরতাদবুদর
মধ্যে যুদ্ধ হত সেখানেই খলীফার বাহিনী জয়লাভ করত ৷ প্রচুর কাফির মারা যেত ৷ বিপুল
পরিমাণ গনীমত মুসলমানবুদর হস্তগত হত ৷ ফলে স্থানীয় লোকদের বিরুবুদ্ধ ৷তরা শক্তিশালী
হয়ে উবুঠন ৷ গনীমবুতর এক পঞ্চমাৎশ খলীফার নিকট পাঠান হত ৷ তিনি জনগণের মধ্যে তা
বন্টন করে দিতেন ৷ ফলে মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি বুপত এবং রোম ও আজবুমর যারাই যুদ্ধ
করবুত চাইত, তাদের বিরুদ্ধে এরা প্রস্তুত থাকবুত ন ৷ শেষ পর্যন্ত এমন অবস্থা সৃষ্টি হল যে
গোটা আরব ভুমিতে তা ৷ল্লাহ্ ও তার রাসুলের অনুগত মুসলিম এব০ খলীফ৷ সিদ্দীবুকর যিস্বীরা
ছাড়া কোন অমুসলিম ছিল না ৷ যেমন নাজরান ও অনুরুপ কিছু এলাকার অধিবাসীরা যিঘী
থেকে যায় ৷ এ সব যুদ্ধ বিগ্নবুহর অধিকাত্শই এগার হিজরীর যে যে কিংবা বার হিজরীর সুচনায়

ত্ঘটিত হয় ৷

এখন আমরা আলোচনা করব সেই সব বিখ্যাত লোকদের সম্পর্কে যারা এই সনে
ইনতিকাল করেছিলেন ৷ এ বছরেই হযরত মু’আয ইবন জাবাল ইয়ামন থেকে প্রত্যাখ্যান
করেন ৷ এ বছবুরও আবু বকর সিদ্দীক ওমর ইবন খাত্তাবকে তার উপদেষ্টার দায়িত্বে প্রতিষ্ঠিত
রাখেন ৷


الْعِرَاقِ، نَعَمْ، وَلَا لَيْلَةَ صِفِّينَ. وَآخِرُ هَذَا الْحَدِيثِ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ. فَقَدْ كَانَتْ فَاطِمَةُ صَابِرَةً مَعَ عَلِيٍّ عَلَى جَهْدِ الْعَيْشِ وَضِيقِهِ، وَلَمْ يَتَزَوَّجْ عَلَيْهَا حَتَّى مَاتَتْ، وَلَكِنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَتَزَوَّجَ فِي وَقْتٍ بِدُرَّةَ بِنْتِ أَبِي جَهْلٍ، فَأَنِفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ، وَخَطَبَ النَّاسَ، فَقَالَ: «إِنِّي لَا أُحَرِّمُ حَلَالًا وَلَا أُحِلُّ حَرَامًا، وَإِنَّ فَاطِمَةَ بَضْعَةٌ مِنِّي يَرِيبُنِي مَا رَابَهَا، وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا، وَإِنِّي أَخْشَى أَنْ تُفْتَنَ عَنْ دِينِهَا، وَلَكِنْ إِنْ أَحَبَّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَهَا وَيَتَزَوَّجَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ، فَإِنَّهُ وَاللَّهِ لَا تَجْتَمِعُ بِنْتُ نَبِيِّ اللَّهِ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ تَحْتَ رَجُلٍ وَاحِدٍ أَبَدًا» . قَالَ: فَتَرَكَ عَلِيٌّ الْخِطْبَةَ. وَلَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَتْ مِنْ أَبِي بَكْرٍ الْمِيرَاثَ، فَأَخْبَرَهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ» . فَسَأَلَتْ أَنْ يَكُونَ زَوْجُهَا نَاظِرًا عَلَى هَذِهِ الصَّدَقَةِ، فَأَبَى ذَلِكَ وَقَالَ: إِنِّي أَعُولُ مَنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُولُ، وَإِنِّي أَخْشَى إِنْ تَرَكْتُ شَيْئًا مِمَّا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ أَنَّ أَضِلَّ، وَوَاللَّهِ لَقَرَابَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ أَصِلَ مِنْ قَرَابَتِي. فَكَأَنَّهَا وَجَدَتْ فِي نَفْسِهَا مِنْ ذَلِكَ، فَلَمْ تَزَلْ مُغْضَبَةً مُدَّةَ حَيَّاتِهَا، فَلَمَّا مَرِضَتْ جَاءَهَا الصِّدِّيقُ، فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَجَعَلَ يَتَرَضَّاهَا، وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا تَرَكَتُ الدَّارَ وَالْمَالَ وَالْأَهْلَ وَالْعَشِيرَةَ، إِلَّا ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ وَمَرْضَاةِ رَسُولِهِ
পৃষ্ঠা - ৫৩১৮

হি ১১ সাল যাদের ইনতিকাল হয়

হিজরী ১১ সনে যেসব বিখ্যাত ব্যক্তির ইনতিকাল হয় এখানে তাদের নাম উল্লেখ করা
হচ্ছে ৷ এই সাথে ইয়ামামার যুদ্ধে যেসব বিখ্যাত ব্যক্তি নিহত হন তাদের নামও উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ কারণ এই যুদ্ধও ১১ হিজরীতেই সংঘটিত হয়েছিল; যদিও প্রসিদ্ধ মতে এটা ১২
হিজরীর প্রথম দিকে সংঘটিত হয় ৷ প্রসিদ্ধ মতে এই সনের ১২ রবীউল্ আউয়ালের সোমবার
বনী আদমের শ্রেষ্ঠ সন্তান উভয় জাহানের নেতা আল্লাহর রসুল মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্
(সা) এর ইনতিকাল হয় যেমনটি পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ প্রসিদ্ধ মতে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর
ইনতিকা ৷লের ছয় মাস পরে তার কন্যা হযরত ফাতিমা (রা) ইনতিকাল করেন ৷ তার কুনিয়াত

তার পিতার মায়ের নামের সাথে সম্পৃক্ত করে (উম্মে আমিনা) রাখা হয়েছিল ৷ রাসুল (সা)

তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, পরিবারবর্গের মধ্যে তিনিই সর্ব প্রথম তার সাথে মিলিত
হবেন ৷ সাথে সাথে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে ফাতিমা! তুমি কি জান্নাতবাসিনী
মহিলাদের প্রধান হতে রাজি নও ? ৷
প্রসিদ্ধ মতে ,ফাতিমা ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর র্সৰ্রুিনিষ্ঠা কন্যা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
ইনতিকালের পরে তিনি ছাড়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্তানদের আর কেউ জীবিত ছিলেন না ৷
ফাতিমা অধিক পুরস্কারের যোগ্য এ জন্য হয়েছেন যে, পিতৃ বিয়ােগের ব্যথা ও মর্মপীড়া তিনিই
ভোগ করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, রাসুল (না)-এর পুত্র আবদুল্লাহ্ ও ফাতিমার জন্ম
যমজরুপে হয়েছিল ৷ রাসুলের বংশধারা ফাতিমা ভিন্ন অন্য কোন সন্তান থেকে অব্যাহত
থাকেনি ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আলী ও ফাতিমার বাসর রাত্রে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) উয়ু করে সে পানি তাদের উপর ছিটিয়ে দেন এবং তাদের বংশ বিস্তারে
বরকতের দু আ করেন ৷ আলী ও ফাতিমার বিবাহ সম্পাদন হয় হিজরতের পরে, কারও মতে
বদর যুদ্ধের পরে, কারও মতে উহুদ যুদ্ধের পরে, আবার কারও মতে হযরত আয়েশার সাথে
রাসুলুল্লাহ্র বিবাহের সাড়ে চার মাস পরে ৷ বিবাহের সাড়ে সাত মাস পরে তাদের বাসর হয় ৷
আলী বিবাহের মহর হিসাবে তার মুল্যবান হাত মী বর্ষ প্রদান করেন-যার মুল্য ছিল চারশ’
দিরহাম ৷ বিবাহের সময় ফাতিমার বয়স হয়েছিল পনের বছর পাচ মাস ৷ আলী (বা) তার
থেকে ছয় বছরের বড় ছিলেন ৷ আলী ও ফাতিমার বিবাহকে কেন্দ্র করে বহু মনগড়া ও মিথ্যা
বর্ণনা ৷রয়েছে ৷ আমরা এখানে তার অবতারণা করব না ৷ ফাতিমা থেকে আলীর চারজন
সন্তানের জন্ম হয় ৷ তারা হলেন হাসান, হুসায়ন, মুহসিন ও উম্মু কুলছুম ৷ উম্মু কুলছুমকে
হযরত উমর ইবন খাত্তাব পরবত্তীকািলে বিবাহ করেছিলেন ৷

ইমাম আহমদ হযরত আলী (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমার
সঙ্গে বিবাহ হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফাতিমার সাথে নিম্নলিখিত উপহারাদি পাঠিয়ে দেন : ১টা
চাদর, ১টা চামড়ার বালিশ-যার মধ্যে ছিল খেজুর গাছের আশ, গম পেষার র্ষাতা, একটা
মশক ও দুট৷ কলস ৷

একদা আলী (বা) ফাতিমাকে ডেকে বললেন, আল্লাহ্র কসম, কুয়াে থেকে পানি উঠাতে
উঠাতে আমার বুক ধরে গেছে ৷ আল্লাহ তোমার পিতার হাতে বহু বন্দী এনে দিয়েছেন, তুমি
তার নিকট গিয়ে খিদমতের জন্য একজন লোক চেয়ে আলো ! ফাতিমা বললেন, আল্লাহ্র


وَمَرْضَاتِكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ. فَرَضِيَتْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا مُرْسَلٌ حَسَنٌ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ. وَلَمَّا حَضَرَتْهَا الْوَفَاةُ أَوْصَتْ إِلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمِيسٍ امْرَأَةِ الصِّدِّيقِ أَنْ تُغَسِّلَهَا، فَغَسَّلَتْهَا هِيَ وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَسَلْمَى أَمُّ رَافِعٍ، قِيلَ: وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. وَمَا رُوِيَ مِنْ أَنَّهَا اغْتَسَلَتْ قَبْلَ وَفَاتِهَا، وَأَوْصَتْ أَنْ لَا تُغَسَّلَ بَعْدَ ذَلِكَ فَضَعِيفٌ لَا يُعَوَّلُ عَلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهَا زَوْجُهَا عَلِيٌّ، وَقِيلَ: عَمُّهَا الْعَبَّاسُ. وَقِيلَ: أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَدُفِنَتْ لَيْلًا، وَذَلِكَ لَيْلَةَ الثُّلَاثَاءِ لِثَلَاثٍ خَلَوْنَ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ. وَقِيلَ: إِنَّهَا تُوُفِّيَتْ بَعْدَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِشَهْرَيْنِ. وَقِيلَ: بِسَبْعِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: بِخَمْسَةٍ وَسَبْعِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: بِثَلَاثَةِ أَشْهُرٍ. وَقِيلَ: بِثَمَانِيَةِ أَشْهُرٍ. وَالصَّحِيحُ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنْ فَاطِمَةَ عَاشَتْ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ، وَدُفِنَتْ لَيْلًا. وَيُقَالُ: إِنَّهَا لَمْ تَضْحَكْ فِي مُدَّةِ بَقَائِهَا بَعْدَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَإِنَّهَا كَادَتْ تَذُوبُ
পৃষ্ঠা - ৫৩১৯
مِنْ حُزْنِهَا عَلَيْهِ، وَشَوْقِهَا إِلَيْهِ. وَاخْتُلِفَ فِي مِقْدَارِ سِنِّهَا يَوْمَئِذٍ، فَقِيلَ: سَبْعٌ. وَقِيلَ: ثَمَانٍ. وَقِيلَ: تِسْعٌ وَعِشْرُونَ. وَقِيلَ: ثَلَاثُونَ. وَقِيلَ: خَمْسٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً. وَهَذَا بَعِيدٌ، وَمَا قَبْلَهُ أَقْرَبُ مِنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَدُفِنَتْ بِالْبَقِيعِ، وَهِيَ أَوَّلُ مَنْ سُتِرَ سَرِيرُهَا. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّ عَلِيًّا كَانَ لَهُ وَجْهٌ مِنَ النَّاسِ حَيَاةَ فَاطِمَةَ، فَلَمَّا مَاتَتِ الْتَمَسَ مُبَايَعَةَ الصِّدِّيقِ فَبَايَعَهُ. كَمَا هُوَ مَرْوِيٌّ فِي " الْبُخَارِيِّ ". وَهَذِهِ الْبَيْعَةُ لِإِزَالَةِ مَا كَانَ وَقَعَ مِنْ وَحْشَةٍ حَصَلَتْ بِسَبَبِ الْمِيرَاثِ، وَلَا يَنْفِي مَا ثَبَتَ مِنَ الْبَيْعَةِ الْمُتَقَدِّمَةِ عَلَيْهَا كَمَا قَرَّرْنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أُمُّ أَيْمَنَ، بَرَكَةُ بِنْتُ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ حُصَيْنِ بْنِ مَالِكِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ النُّعْمَانِ، مَوَلَاةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرِثَهَا مِنْ أَبِيهِ، وَقِيلَ: مِنْ أُمِّهِ. وَحَضَنَتْهُ وَهُوَ صَغِيرٌ، وَكَذَلِكَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَقَدْ شَرِبَتْ بُولَهُ، فَقَالَ لَهَا: «لَقَدِ احْتَظَرْتِ بِحِظَارٍ مِنَ النَّارِ» . وَقَدْ أَعْتَقَهَا وَزَوَّجَهَا عُبَيْدًا، فَوَلَدَتْ مِنْهُ ابْنَهَا أَيْمَنَ فَعُرِفَتْ بِهِ، ثُمَّ تَزَوَّجَهَا زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৫৩২০


কসম, আট৷ পেষতে পেষতে আমার হাত দৃখানি ব্যথা হয়ে গেছে ৷ তারপর ফাতিমা নবী
করীম (না)-এর নিকট আসলেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, না, তুমি কি উদ্দেশ্যে এসেছ ?
ফাতিমা বললেন, আপনাকে সালাম দেয়ার জন্য এসেছি ৷ কোন কিছুর আবদ্বার করতে তিনি
লজ্জাবোধ করলেন ৷ এরপর তিনি ফিরে চলে আসেন ৷ আলী জিজ্ঞেস করলেন, কী করে এলে?
ফাতিমা বললেন, লজ্জায় আমি তার নিকট কিছুই চাইতে পারিনি ৷ এরপর উভয়ে একত্রে তার
নিকট আসলেন ৷ আলী বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আল্লাহর কসম , কুয়ো থেকে পানি তুলতে
তুলতে আমার বুকে ব্যথা হয়ে গেছে ৷ ফাতিমা বললেন, আট৷ পৈষতে (পষতে আমার দু’হাত
ব্যথায় তার হয়ে গেছে ৷ আল্লাহ্ আপনাকে স্বচ্ছলতা দান কঝোছন অনেক বন্দী দান করেছেন,
আমাদের খিদমাতে তর জন্য একজন খাদিমের ব্যবস্কুঢু করে দিন বাসুলু ল্লাহ্ (সা) বললেন,
আল্লাহর কলম, আমিও আমাদেরকে কোন খাদি দিতে পারব না, আহ্লি সুফফাদের প্রতি
লক্ষ্য কর, ক্ষুধায় তাদের পেটে ভ ৷জ পড়ে গেছে, কিভু তাদের জন্য খরচ করার মত কিছুই

আমার হাতে নেই ৷ এ জবাব শুনে তারা ফিরে চলে আসলেন ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের
বাড়িতে এলেন ৷ এ সময় তারা উভয়ে একখানা চাদর ট্রুা৷য়ে দিয়ে শুয়ে ছিলেন চাদরটি ছিল
ছোট, মাথা ঢাকলে পা বেরিয়ে যেত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেন্ দেখে তারা লাফিয়ে উঠলেন ৷ তিনি
বললেন,তে তোমরা তোমাদের স্থানেই থাক ৷ এরপর বললেন, তোমরা আমার নিকট যে জিনিস
চেয়েছ তার চেয়ে উত্তম জিনিসের সন্ধান কি তােমাদেরকে দেবাে না ? তারা বললেন, জী হী ৷
তিনি বললেন, তা হচ্ছে কয়েকটি কালিম৷ যা জিবরীল আমাকে জানিয়ে নিয়েছেন, অর্থাৎ প্রতি
ওয়াক্ত সালাতের পরে দশবার সুবহানাল্লাহ্, দশবার আলহামদুলিল্লাহ্ ও দশবার আল্লাহ
আকবার পড়বে, আর যখন বিছানায় যাবে তখন ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার
আলহামদুলিল্লাহ্ ও ৩৪ বার আল্পাহু আকবার পড়বে ৷ হযরত আলী বলেন, আল্লাহর কলম, যে
দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ দুআ আমাকে শিখিয়ে দিয়েছেন, সেদিন থেকে আর কোন সময় আমি
এ দৃআ পড়া বাদ দিইনি ৷ এ সময় ইবনুল কাওয়া বললেন, সিফ্ফীন যুদ্ধের রাতেও কি বাদ
দেননি ? আলী বললেন, হে ইরাকী! আল্লাহ্ তোমায় ধ্বংস করুন, হী, সিফফীন যুদ্ধের রাতেও
আমি তা বাদ দিইনি ৷ এ হাদীসের শেষ অংশ বুখারী ও মুসলিমে ভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷

হযরত ফাতিমা (বা) ধৈর্য ও সংযমের সাথে হযরত আলীর সঙ্গে কষ্ট ক্লিষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন
যাপন করেন ৷ ফা ৷তিমা (বা) য৩ তদিন জীবিত ছিলেন, ত৩ দিন পর্যন্ত আলী (বা) অন্য কা ৷উকে
বিবাহ করেননি ৷

অবশ্য একবার তিনি আবু জাহলের কন্যা বদরাকে বিবাহ করার ইচ্ছা করেছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) এতে মনঃক্ষুগ্ন হন এবং লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, আমি
হড়ালালকে হারাম করিনা এবং হারামকেও হালাল করিনা ৷ ফাতিমা আমারই দেহের
অংশবিশেষ ৷ তাকে যে জিনিসে বিচলিত করে, তা আমাকেও বিচলিত করে ৷ যে জিনিস তাকে
কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয় ৷ আমি তার রক্ত থেকে কোন বিপদের আশংকা বোধ করছি ৷
তবে আমি ভাল মনে করি যে, আলী ফাতিমাকে তালাক দিয়ে আবু জাহলের কন্যাকে বিবাহ
করুন! কেননা, আল্লাহর কসম, আল্লাহর নবীর কন্যা ও আল্লাহর দুশ মনের কন্যা একত্রে একই
ব্যক্তির বিবাহ বন্ধনে কখনও থাকতে পারে না ৷ তারপর আলী সে প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেন ৷


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَلَدَتْ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، وَقَدْ هَاجَرَتِ الْهِجْرَتَيْنِ ; إِلَى الْحَبَشَةِ وَالْمَدِينَةِ، وَكَانَتْ مِنَ الصَّالِحَاتِ، وَكَانَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ يَزُورُهَا فِي بَيْتِهَا وَيَقُولُ: «هِيَ أُمِّي بَعْدَ أُمِّي» . وَكَذَلِكَ كَانَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ يَزُورَانِهَا فِي بَيْتِهَا، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ فِي ذِكْرِ الْمَوَالِي، وَقَدْ تُوُفِّيَتْ بَعْدَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِخَمْسَةِ أَشْهُرٍ، وَقِيلَ: بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ. وَمِنْهُمْ ثَابِتُ بْنُ أَقْرَمَ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْعَجْلَانِ الْبَلَوِيُّ، حَلِيفُ الْأَنْصَارِ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ مِمَّنْ حَضَرَ مُؤْتَةَ فَلَمَّا قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ دُفِعَتِ الرَّايَةُ إِلَيْهِ، فَسَلَّمَهَا لِخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَقَالَ: أَنْتَ أَعْلَمُ بِالْقِتَالِ مِنِّي. وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ طُلَيْحَةَ الْأَسَدِيَّ قَتَلَهُ وَقَتَلَ مَعَهُ عُكَّاشَةَ بْنَ مِحْصَنٍ، وَذَلِكَ حِينَ يَقُولُ طُلَيْحَةُ: عَشِيَّةَ غَادَرْتُ ابْنَ أَقْرَمَ ثَاوِيًا ... وَعُكَّاشَةَ الْغَنْمِيَّ تَحْتَ مَجَالِ وَذَلِكَ فِي سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ، وَقِيلَ: سَنَةَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ. وَعَنْ عُرْوَةَ أَنَّهُ قُتِلَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَذَا غَرِيبٌ، وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْهُمْ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ، أَبُو مُحَمَّدٍ خَطِيبُ
পৃষ্ঠা - ৫৩২১
الْأَنْصَارِ، وَيُقَالُ لَهُ أَيْضًا: خَطِيبُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ ثَبَتَ عَنْهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَنَّهُ بَشَّرَهُ بِالْجَنَّةِ وَأَنَّهُ بَشَّرَهُ بِالشَّهَادَةِ - وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ - فَقُتِلَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ شَهِيدًا، وَكَانَتْ رَايَةُ الْأَنْصَارِ يَوْمَئِذٍ بِيَدِهِ. وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ بِإِسْنَادٍ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: «نِعْمَ الرَّجُلُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ» . وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمُعَلَّى الدِّمَشْقِيُّ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ عَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ قَالَ: قَدَمْتُ الْمَدِينَةَ فَسَأَلْتُ عَمَّنْ يُحَدِّثُنِي بِحَدِيثِ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، فَأَرْشَدُونِي إِلَى ابْنَتِهِ، فَسَأَلْتُهَا، فَقَالَتْ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: لَمَّا أُنْزِلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ} [لقمان: 18] . اشْتَدَّتْ عَلَى ثَابِتٍ وَغَلَّقَ عَلَيْهِ بَابَهُ، وَطَفِقَ يَبْكِي، فَأُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ فَأَخْبَرَهُ بِمَا كَبُرَ عَلَيْهِ مِنْهَا، وَقَالَ: أَنَا رَجُلٌ أُحِبُّ الْجَمَالَ، وَأَنَا أَسَوَدُ قَوْمِي. فَقَالَ: «إِنَّكَ لَسْتَ مِنْهُمْ، بَلْ تَعِيشُ بِخَيْرٍ وَتَمُوتُ بِخَيْرٍ، وَيُدْخِلُكَ اللَّهُ الْجَنَّةَ» . فَلَمَّا أُنْزِلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ
পৃষ্ঠা - ৫৩২২

রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর ইনতিকালের পর হযরত ফাতিমা খলীফা হযরত আবু বকরের নিকট
মীরাছের দাবি তৃলেন ৷ আবু বকর বলেন যে, রাসুপুল্পাহ্ (সা) বলেছেন : আমরা (নবীরা)
মীরাছ রেখে যাইনা, যা কিছু সম্পদ রেখে যাই তা সাদকাং হ্ট্রু০ৰু ,ট্রু;১ $,: ৷০ ;শ্,টুৰুা
ফাতিমা পুনরায় বলেন, তাহলে এই সদকার উপর আমার স্বামীকে অভিভা ৷বক বানান ৷ খলীফা
এ প্রস্তাবও প্রত্যাখান করেন এবং বলেন, আমি সেই সব লোকের ব্যয়ভার বহন করব, যাদের
ব্যয়ভার রাসুলুল্লাহ্ (সা) বহন করতেনং ৷ ৷
অবশ্য, আমি এই জিনিসকে৩ ভয় করি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা করেছেন৩ তা যদি ত্যাগ করি,

তবে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাব
এ ৷ ৷ ৷ আল্লাহর কসম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আপনজনদের সাথে সদাচারণ করাকে আমার
নিজের আপনজনদের সাথে সদাচরণ করা অপেক্ষা অধিকতর ভালবাসিং : ৫ ৷ এ০৷ এ ৷ ,

এর এ আচরণে
ফাতিমা (বা) কিছুটা দুঃখিত হন এবং জীবনের শেষ ঘুহত পর্যন্ত তিনি খলীফার প্রতি বিরুপ ;
থাকেন ৷ ফাতিমা (রা) যখন অন্তিমশয্যায়, তখন খলীফা হযরত সিদ্দীক এসে৩ তাকে সন্তুষ্ট
করার চেষ্টা করেন ৷ তিনি বলতে থাকেন, আল্লাহর কসম, আমি ঘরবাড়ি, ধন সম্পদ, ’
পরিবার পরিজন ও গোষ্ঠী গোত্র ত্যাগ করেছি কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, তার রাসুলের
সন্তুষ্টিয় জন্য এবং তোমাদের সন্তুষ্টির জন্য হে আহ্লি বায়ত ৷ হে রাসুলের প্রিয় পরিজন !

া,
তখন হযরত ফাতিমা (রা) সন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ বায়হাকী এ হাদীসখানা শা’বী সুত্রে
বর্ণনা করে বলেছেন, এটা উত্তম মুরসাল হাদীস তবে এর সনদ সহীহ ৷ মৃত্যুর সময় উপস্থিত
হলে ফাতিমা (রা) আবু বকর সিদ্দীকের শ্রী আসমা বিনতে উমায়সকে এই মর্মে ওসিয়ত
করেন যে, তিনি যেন র্তাকে গোসল করান ৷ সুতরাং, মৃত্যুর পর হযরত আসমা (রা), আলী
ইবন আবী তালিব (বা) ও রাফি’ র মা সাল্মা তাকে গোসল করান ৷ কেউ কেউ বলেছেন,
আব্বাস (রা) ও তাতে শরীক ছিলেন ৷ বর্ণনায় আছে যে, মৃত্যুর পুর্বেই তিনি নিজে গোসল
করেছিলেন এবং ওসীয়াত করেছিলেন যে, মৃত্যুর পরে যেন র্তাকে গোসল দেওয়া না হয় ৷ তা
অত্যধিক দুর্বল ও অনির্ডরযােগ্য ৷ তার জানাযার নামায পড়ান হযরত আলী (রা) ৷ কিদ্ভু কারও
মতে আব্বাস, আবার কারও মতে আবু বকর সিদ্দীক (বা) জানায়৷ পড়ান ৷ রাত্রিকালে তার
দাফন কার্য সম্পাদন করা হয় ৷ এটা ছিল ১১ হিজরীর রমযান মাসের তিন তারিখ মঙ্গলবার
দিবাগত রাত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইন,তিকালের কতদিন পরফাতিমা (রা)-এর ইনতিকাল
হয় , সে ব্যাপারে মতভেদ আছে, কারও মতে দু’মাস পরে, কারও মতে সত্তর দিন পরে, কার
মতে ৭৫ দিন পরে, কারও মতে তিন মাস পরে এবংকারও মতে আট মাস পরে ৷ কিন্তু সঠিক
মত সেইটাই যা সহীহ সনদে যুহরীর বরাতে আইশা (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী
করীম (না)-এর পরে ফাতিমা (বা) ছয় মাস জীবিত থাকেন এবং রাত্রিকালে র্তাকে দাফন


صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ} [الحجرات: 2] . فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ، فَأُخْبِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ، فَأَخْبَرَهُ بِمَا كَبُرَ عَلَيْهِ مِنْهَا، وَأَنَّهُ جَهِيرُ الصَّوْتِ، وَأَنَّهُ يَتَخَوَّفُ أَنْ يَكُونَ مِمَّنْ حَبِطَ عَمَلُهُ، فَقَالَ: «إِنَّكَ لَسْتَ مِنْهُمْ؛ بَلْ تَعِيشُ حَمِيدًا، وَتُقْتَلُ شَهِيدًا، وَيُدْخِلُكَ اللَّهُ الْجَنَّةَ» . فَلَمَّا اسْتَنْفَرَ أَبُو بَكْرٍ الْمُسْلِمِينَ إِلَى أَهْلِ الرِّدَّةِ وَالْيَمَامَةِ وَمُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، سَارَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ فِيمَنْ سَارَ، فَلَمَّا لَقُوا مُسَيْلِمَةَ وَبَنِي حَنِيفَةَ هَزَمُوا الْمُسْلِمِينَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَقَالَ ثَابِتٌ وَسَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ: مَا هَكَذَا كُنَّا نُقَاتِلُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَجَعَلَا لِأَنْفُسِهِمَا حُفْرَةً فَدَخَلَا فِيهَا، فَقَاتَلَا حَتَّى قُتِلَا. قَالَتْ: وَأُرِيَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثَابِتَ بْنَ قَيْسٍ فِي مَنَامِهِ، فَقَالَ: إِنِّي لَمَّا قُتِلْتُ بِالْأَمْسِ مَرَّ بِي رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَانْتَزَعَ مِنِّي دِرْعًا نَفِيسَةً، وَمَنْزِلُهُ فِي أَقْصَى الْعَسْكَرِ، وَعِنْدَ مَنْزِلِهِ فَرَسٌ يَسْتَنُّ فِي طُولِهِ، وَقَدْ أَكْفَأَ عَلَى الدِّرْعِ بُرْمَةً، وَجَعَلَ فَوْقَ الْبُرْمَةِ رَحْلًا، وَائْتِ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ،، فَلْيَبْعَثْ إِلَى دِرْعِي فَلْيَأْخُذْهَا، فَإِذَا قَدِمْتَ عَلَى خَلِيفَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْلِمْهُ أَنَّ عَلَيَّ مِنَ الدَّيْنِ كَذَا، وَلِي مِنَ الْمَالِ كَذَا، وَفُلَانٌ مِنْ رَقِيقِي عَتِيقٌ، وَإِيَّاكَ أَنْ تَقُولَ: هَذَا حُلْمٌ، فَتُضَيِّعَهُ. قَالَ: فَأَتَى خَالِدًا فَوَجَّهَ إِلَى الدِّرْعِ فَوَجَدَهَا كَمَا ذَكَرَ، وَقَدِمَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ، فَأَخْبَرَهُ فَأَنَفَذَ أَبُو بَكْرٍ وَصِيَّتَهُ بَعْدَ مَوْتِهِ، فَلَا نَعْلَمُ أَحَدًا جَازَتْ وَصِيَّتُهُ بَعْدَ مَوْتِهِ إِلَّا ثَابِتَ بْنَ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ. وَلِهَذَا الْحَدِيثِ وَهَذِهِ الْقِصَّةِ
পৃষ্ঠা - ৫৩২৩

করা হয় ৷ কথিত আছে যে, নবী করীম (সা) এর ইনতিকালের পর ফাতিমা যত তদিন জীবিত
ছিলেন,৩ ৩দিন কখনও হাসেননি ৷ রাসুলের বিদায় বিরহের গােকে তিনি একেবারে কাহিল
হয়ে পড়েন ৷ মৃত্যুর সময়ে তীর বয়স কত ছিল সে সম্পর্কেও ম৩ ভেদ আছে ৷ কেউ বলেন, ২৭
বছর, কেউ বলেন ২৮ বছর, কেউ বলেন ২৯ বছর, কেউ বলেন ৩০ বছর আবার কেউ
বলেছেন ৩৫ বছর ৷ তবে শেষোক্ত মতটি সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা একান্তই কম ৷ ৩০ হওয়ার
সম্ভাবনাই অধিক ৷ ফাতিমাকে জান্নাতৃল বাকী গোরস্তানে দাফন করা হয় ৷ ইসলামে হযরত
ফাতিমাই প্রথম মহিলা র্যার জানায৷ খাটিয়া আবৃত করে নেয়া হয়েছিল ৷ সহীহ্ বুখাবীতে
বর্ণিত হয়েছে যে, ফ৷ ৷তিম৷ য৩ তদিন বেচে ছিলেন, ততদিন হযরত আলী লোকজনের সৎস্পর্শ
থেকে দুরে থাকতেন ৷ ফাতিমার ইনতিকাল হওয়ার পর তিনি হযরত আবু বকর সিদ্দীকের
বায়আত গ্রহণ করেন ৷ এ বায়আত ছিল মীরাছ প্রসঙ্গে উভয়ের মাঝে সৃষ্ট দুরৎ দুর করার
জন্য ৷ এর দ্বারা এ কথা বুঝা যায় না যে, তিনি প্রথমে বায়আত করেননি ৷ যথাস্থুানে এর
আলোচনা আমরা করে এসেছি ৷

উষ্মে আয়মানের মৃত্যু

তার প্রকৃত নাম ছিল বারাকা ৷ বৎশলতিকা নিম্নরুপ : বারাক৷ বিনতছা’লাবা ইবন আমর
ইবন হুসায়ন ইবন মালিক ইবন সালামা ইবন আমর ইবন নু’মান ৷ তিনি ছিলেন রড়াসুলুল্লাহ্
(সা) এর দাসী, যাকে তিনি পিতা কিৎবা ভিন্ন মতে যা থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে লাভ
করেছিলেন ৷ শিশু নবীকে তিনি লালন-পালন করেন এবং পরবত্তীকািলেও তার দেখাশুনা
করেন ৷ তিনি নবী করীম (না)-এর পেশার পান করেছিলেন ৷ এতে নবী করীম (সা) র্তাকে
বলেছিলেন, তুমি আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা করে ফেললে ৷ রাসুলুল্লাহ্ তাকে আযাদ করে
উবায়দের সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন ৷ আয়মান নামে এ পক্ষ থেকে তার এক পুত্র সন্তানের জন্ম
হয় এবং এ পুত্রের নামেই তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন ৷ পরবত্তীকািলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মুক্ত
গোলাম যায়দ ইবন হারিছা তাকে বিবাহ করেন ৷ এখানে৩ তার আর এক পুত্র উসামা ইবন
যায়েদের জন্ম হয় ৷ উম্মে আয়মান হাবশ৷ ও মদীনা উভয় হিজর৩ ই করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন
অত্যন্ত পুণ্যবভী মহিলা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উম্মে আয়মানের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাত
করতেন ৷ তার সম্পর্কে তিনি বল তন আমার মায়ের পর ইনি আমার মা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
পরে আবু বকর ও উমর (রা) ও তার সাথে সাক্ষাত করতে তার বাড়িতে যেতে ন ৷ মাওয়ালী
ৎক্রান্ত অনুচ্ছেদে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইনতিকালের পাচ
কিংবা ছয় মাস পর উম্মে আয়মানের ইনতিকা ৷ল হয় ৷

ছাৰিত ইবন আকরম ইবন ছালাবার ইনতিকাল

ছাবিতের বৎশ লতিফ৷ নিম্নরুপ : ছাৰিত ইবন আকরম ইবন ছা’লাবা ইবন আদী ইবন
আজলান আল বালাবী ৷ তিনি ছিলেন আনসারদের মিত্র ৷ বদ র ও তার পরবর্তী যুদ্ধসমুহে তিনি
অংশগ্রহণ করেন ৷ মুতার যুদ্ধেও৩ তিনি গমন করেছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ শহীদ হয়ে
গেলে ঝান্ড৷ ছ বিতেব হাতে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু তিনি তা খালিদ ইবন ওলীদের নিকট অর্পণ
করে বলেন, যুদ্ধ সম্পর্কে আপনি আমার চেয়ে অধিক পারদর্শী ৷ পুর্বেই বলা হয়েছে যে,


شَوَاهِدُ أُخَرُ، وَالْحَدِيثُ الْمُتَعَلِّقُ بِقَوْلِهِ: {لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ} [الحجرات: 2] فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ أَنَسٍ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ ثَابِتَ بْنَ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ جَاءَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ وَقَدْ تَحَنَّطَ وَنَشَرَ أَكْفَانَهُ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا جَاءَ بِهِ هَؤُلَاءِ، وَأَعْتَذِرُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ هَؤُلَاءِ. فَقُتِلَ، وَكَانَتْ لَهُ دِرْعٌ فَسُرِقَتْ، فَرَآهُ رَجُلٌ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ، فَقَالَ: إِنَّ دِرْعِي فِي قِدْرٍ تَحْتَ الْكَانُونِ فِي مَكَانِ كَذَا وَكَذَا. وَأَوْصَاهُ بِوَصَايَا، فَطَلَبُوا الدِّرْعَ فَوَجَدُوهَا وَأَنْفَذُوا الْوَصَايَا. رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ أَيْضًا. وَمِنْهُمْ حَزْنُ بْنُ أَبِي وَهْبِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَائِذِ بْنِ عِمْرَانَ الْمَخْزُومِيُّ، لَهُ هِجْرَةٌ، وَيُقَالُ: أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ. وَهُوَ جَدُّ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُسَمِّيَهُ سَهْلًا فَامْتَنَعَ وَقَالَ: لَا أُغَيِّرُ اسْمًا سَمَّانِيهِ أَبَوَايَ. قَالَ سَعِيدٌ: فَلَمْ تَزَلِ الْحُزُونَةُ فِينَا. اسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ وَقُتِلَ مَعَهُ أَيْضًا ابْنَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَوَهْبٌ، وَابْنُ ابْنِهِ حَكِيمُ بْنُ وَهْبِ بْنِ حَزْنٍ. وَمِمَّنِ اسْتُشْهِدَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ دَاذَوَيْهِ الْفَارِسِيُّ، أَحَدُ أُمَرَاءِ الْيَمَنِ الَّذِينَ قَتَلُوا الْأَسْوَدَ الْعَنْسِيَّ، قَتَلَهُ غِيلَةً قَيْسُ بْنُ مَكْشُوحٍ حِينَ ارْتَدَّ قَبْلَ أَنْ يَرْجِعَ قَيْسٌ
পৃষ্ঠা - ৫৩২৪
إِلَى الْإِسْلَامِ، فَلَمَّا عَنَّفَهُ الصِّدِّيقُ عَلَى قَتْلِهِ أَنْكَرَ ذَلِكَ، فَقَبِلَ عَلَانِيَتَهُ وَإِسْلَامَهُ. وَمِنْهُمْ زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ بْنِ نُفَيْلٍ الْقُرَشِيُّ الْعَدَوِيُّ أَبُو مُحَمَّدٍ، وَهُوَ أَخُو عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ لِأَبِيهِ، وَكَانَ زَيْدٌ أَكْبَرُ مِنْ عُمَرَ، أَسْلَمَ قَدِيمًا، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَقَدْ آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ مَعْنِ بْنِ عَدِيٍّ الْأَنْصَارِيِّ، وَقَدْ قُتِلَا جَمِيعًا بِالْيَمَامَةِ، وَقَدْ كَانَتْ رَايَةُ الْمُهَاجِرِينَ يَوْمَئِذٍ بِيَدِهِ، فَلَمْ يَزَلْ يَتَقَدَّمُ بِهَا حَتَّى قُتِلَ فَسَقَطَتْ، فَأَخَذَهَا سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ، وَقَدْ قَتَلَ زَيْدٌ يَوْمَئِذٍ الرَّجَّالَ بْنَ عُنْفُوَةَ، وَاسْمُهُ نَهَارٌ، وَكَانَ الرَّجَّالُ هَذَا قَدْ أَسْلَمَ وَقَرَأَ " الْبَقَرَةَ " ثُمَّ ارْتَدَّ وَرَجَعَ فَصَدَّقَ مُسَيْلِمَةَ، وَشَهِدَ لَهُ بِالرِّسَالَةِ، فَحَصَلَ بِهِ فِتْنَةٌ عَظِيمَةٌ، فَكَانَتْ وَفَاتُهُ عَلَى يَدِ زَيْدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْ زَيْدٍ، ثُمَّ قَتَلَ زَيْدًا رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: أَبُو مَرْيَمَ الْحَنَفِيُّ. وَقَدْ أَسْلَمَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَقَالَ لِعُمَرَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ اللَّهَ أَكْرَمَ زَيْدًا بِيَدِي وَلَمْ يُهِنِّي عَلَى يَدِهِ. وَقِيلَ: إِنَّمَا قَتَلَهُ سَلَمَةُ بْنُ صُبَيْحٍ، ابْنُ عَمِّ أَبِي مَرْيَمَ هَذَا. وَرَجَّحَهُ أَبُو عُمَرَ، وَقَالَ: لِأَنَّ عُمَرَ اسْتَقْضَى أَبَا مَرْيَمَ، وَهَذَا لَا يَدُلُّ عَلَى نَفْيِ مَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ عُمَرُ لَمَّا بَلَغَهُ مَقْتَلُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ سَبَقَنِي إِلَى الْحُسْنَيَيْنِ ; أَسْلَمَ قَبْلِي، وَاسْتُشْهِدَ قَبْلِي. وَقَالَ لِمُتَمِّمِ بْنِ نُوَيْرَةَ حِينَ جَعَلَ يَرْثِي أَخَاهُ مَالِكًا بِتِلْكَ الْأَبْيَاتِ الْمُتَقَدِّمِ ذِكْرُهَا: لَوْ كُنْتُ أُحْسِنُ الشِّعْرَ لَقُلْتُ كَمَا قُلْتَ. فَقَالَ لَهُ مُتَمِّمٌ: لَوْ أَنَّ أَخِي ذَهَبَ عَلَى مَا ذَهَبَ عَلَيْهِ أَخُوكَ مَا حَزِنْتُ
পৃষ্ঠা - ৫৩২৫


তুলায়হা আল-আসাদী ছ৷ ত ইবন আকরমকে এবং সেই সাথে উক্কাশা ইবন মিহসানকে
হত্যা করে ছিল ৷ ঐ সময় তুলায়হা নিম্নের কবিতাও আবৃত্তি করেছিল :

এ ঘটনা হিজরী এপার সনে সংঘটিত হয় ৷ কারও মতে এটা হিঃ বার সনের ঘটনা ৷
উরওয়াব মতে ছাবিত ইবন আকরম রাসুলুল্লাহ্র জীবদ্দশায় মারা যান ৷ কিন্তু এ বর্ণনা অত্যন্ত
দুর্বল ও গরীব পর্যায়ের ৷ প্রথম মত তই সঠিক ৷

ছাবিত ইবন কায়স ইবন শাম্মাসের মৃত্যু

তিনি ছিলেন মদীনায় আনসার ও খাযরাজ গোত্রের লোক ৷ তার কুনিয়াত ছিল আবু
মুহাম্মাদ ৷ তিনি আনসারদের খাতীব, র্তাকে খাতীবুন নবীও বলা হতো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে
শাহাদাতের সুসৎবাদ দিয়েছিলেন, দালাইলুন নবুওত’ অধ্যায়ে এ সম্পর্কে হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷
ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি শাহাদাত বরণ করেন ৷ সে সময়ে আনসারদের ঝাণ্ডা তারই হাতে ছিল ৷
তিরমিযী যুসলিমের শর্তে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ছ৷ ত
ইবন কায়স ইবন৷ শা ম্মাস কতই না উত্তম লোক আবুল কাসিম তাবারানী আত৷ আ ল খুরাসানী
থেকে বর্ণনা করেন ৷ আ ৷ বলেন, একবার আমি মদীনায় গিয়ে এমন একজন লোকের সন্ধান
করি যে আমাকে ছ৷ ৷বিত ইবন কায়স ইবন শাম্মাসের বিবরণ বলতে পারে ৷ লোকজন আমাকে
ছাবিতের কন্যার সন্ধান দিল ৷৩ ৷রত কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি আমার
পিতাকে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর উপর যখন এ আয়াত নাযিল হয় : ছুধ্া৷ ৷ :-, ৷
,স্পে (া£ম্রছুহু ছুাছু র্দু ১ট্রু১৷ অর্থাৎ “আল্লাহ কোন অহংক কারী দান্তিক পছন্দ করেন না” (৩র্চু
র্মুকমানং : ১৮), তখন ছ ব্যি র উপর ত৷ অত্যন্ত ভারী ঠেকে ৷৩ তাই তিনি ঘরের দরজা বন্ধ
করে দিয়ে ক্রন্দন করতে থাকেন ৷

রাসুলুল্পাহ্র নিকট এ সংবাদ গেলে তিনি এসে কারণ জিজ্ঞেস করলে ছাবিত বলেন, আমি
সৌন্দর্যপ্রিয় লোক, আমি গোত্রের নেতৃতু দিয়ে থাকি ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তুমি ওদের
(দাম্ভিকদের) অন্তর্ভুক্ত নও, বরং তুমি উত্তমরুপে জীবন যাপন করবে এবং উত্তমভাবে মৃত্যুবরণ
করবে ৷ এবং আল্লাহ তোমাকে জান্নাত দান করবেন ৷ পরে যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি এ
আয়াত নাযিল হয় ৷ ঢ়গ্লুট্রুা
এট্রুব্লু; ধ্ ৷ §,;ং ;’:§ , “ৰুহ ঈমানদ৷ ররা নিজেদের কণ্ঠস্বর নবীর কণ্ঠস্বর অপেক্ষা উচ্চ করো
না ৷ নবীর সাথেও উচ্চ কণ্ঠে কথা বলো না” (৪৯ হুজুরাত : ২) ৷ তখন পুনরায় তিনি পুর্বের
ন্যায় ঘরের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট এ সংবাদ গেলে
তিনি এর কারণ আমার জন্যে লোক পাঠালেন ৷ ছাবিত জানালেন, উক্ত আয়াত আমাকে কঠিন
চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ৷ ছাবিতের কণ্ঠস্বর ছিল অতি উচ্চ এবং তার আশংকা হয়েছিল যে, তিনি
সেইসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন যাদের আমল বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তুমি ওসব লোকের অন্তর্ভুক্ত নও, তুমি জীবিত থাকবে প্রশংসিতভাবে এবং তোমার
মৃত্যু হবে শহীদরুপে ৷ আর আল্লাহ তোমাকে জ ন্না৷তে প্রবেশ করাবেন :

০ ৩



عَلَيْهِ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: مَا عَزَّانِي أَحَدٌ بِمِثْلِ مَا عَزَّيْتَنِي بِهِ. وَمَعَ هَذَا كَانَ عُمَرُ يَقُولُ: مَا هَبَّتِ الصَّبَا إِلَّا ذَكَّرَتْنِي زَيْدَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَسْمَاءُ، تَزَوَّجَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ. وَمِنْهُمْ سَالِمُ بْنُ عُبَيْدٍ وَيُقَالُ: ابْنُ مَعْقِلٍ. مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَإِنَّمَا كَانَ مُعْتَقًا لِزَوْجَتِهِ ثُبَيْتَةَ بِنْتِ يَعَارٍ، وَقَدْ تَبَنَّاهُ أَبُو حُذَيْفَةَ وَزَوَّجَهُ بِابْنَةِ أَخِيهِ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ، فَلَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ {ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ} [الأحزاب: 5] . جَاءَتِ امْرَأَةُ أَبِي حُذَيْفَةَ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ سَالِمًا يَدْخُلُ عَلَيَّ وَأَنَا فَضْلٌ. فَأَمَرَهَا أَنْ تُرْضِعَهُ فَأَرْضَعَتْهُ، فَكَانَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا بِتِلْكَ الرَّضَاعَةِ. وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ، أَسَلَمَ قَدِيمًا وَهَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ قَبْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَانَ يُصَلِّي بِمَنْ بِهَا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَفِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ; لِكَثْرَةِ حَفِظِهِ الْقُرْآنَ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَهُوَ أَحَدُ الْأَرْبَعَةِ الَّذِينَ قَالَ فِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اسْتَقْرِئُوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ» . فَذَكَرَ مِنْهُمْ سَالِمًا مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ. وَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ لَمَّا احْتُضِرَ: لَوْ كَانَ سَالِمٌ حَيًّا لَمَا جَعَلْتُهَا شُورَى. قَالَ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: مَعْنَاهُ أَنَّهُ كَانَ يَصْدُرُ عَنْ رَأْيِهِ فِيمَنْ يُوَلِّيهِ الْخِلَافَةَ.
পৃষ্ঠা - ৫৩২৬

পরবর্তীকালে যখন হযরত আবু বকর (রা) ৷ মুরতাদ, মুসায়লামা কায্যাব ও
ইয়ামামাবাসীদের বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ করেন তখন ছাবিত ইবন কায়সও তাদের সাথে যুদ্ধে
গমন করেন ৷ যুদ্ধে মুসায়লামা ও বনু হানীফা তিন তিনবার মুসলমানদের পরাজিত করে ৷
তখন ছাবিত ইবন কায়স ও আবু হুযায়ফার আযাদকৃত দাস সালিম (রা) বললেন, আমরা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে এই রকম যুদ্ধতে৷ কখনও করিনি ৷ তারপর তারা উভয়ে একটা গর্ত
খনন করে তার মধ্যে থেকে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে যান ৷ ছাবিতের কন্যা আরও
বললেন, জনৈক মুসলমান স্বপ্নে ছাবিত ইবন কায়সকে দেখতে পান ৷ ছাবিত তাকে বলছেন
গতকাল আমি যখন নিহত হই, তখন আমার পাশ দিয়ে এক মুসলমান যাচ্ছিল, সে আমার
পরিহিত একটি উৎকৃষ্ট বর্ম দেহ থেকে খুলে নেয় ৷ সে লোকটি সৈন্য বাহিনীর অগ্নভাগে আছে ৷
তার কাছে দীর্ঘকায় একটি ঘোড়া আছে ৷ আমার বর্মটিকে সে ডেগ দিয়ে ঢেকে রেখেছে এবং
তার উপর সওয়ারীর গদি উঠিয়ে রেখেছে ৷ তুমি খালিদ ইবন ওলীদকে গিয়ে বল, তিনি যেন
আমার বর্মটিত ৷র থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ৷ যখন খলীফার নিকট ফিরে যাবে তখন
তাকে বলবে, আমার উপরে অমুক ব্যক্তির ঋণ আছে ৷ আর এই মাল আমার আছে ৷ (তিনি
যেন এ দ্বারা আমার ঋণ পরিশোধ করে দেন) ৷ আমার অমুক গোলাম অযোদ ৷ তুমি এরুপ
ভেবো না যে, এটি একটি স্বপ্নমাত্র ৷৩ তাই তা উপেক্ষণীয় ৷

লৌকটি খালিদের নিকট গিয়ে সব কথা জানালে সে অনুযায়ী বর্মটি উদ্ধার করে আনা
হয় ৷ পরে আবু বকর (বা ) এর নিকট ফিরে গিয়ে তাকে ওসীয়তে র কথা জানালে তিনি সেমতে
কাজ করেন ৷ আতা আল থুরাসানী বলেন, কারো মারা যাওয়ার পর তার স্বপ্নে দেয়৷ ওসীয়ত
কার্যকরী করা হয়েছে, এর দৃষ্টান্ত ছাবিত ইবন কায়স ছাড়া আর কেউ আছেন বলে আমাদের

র্পিষ্ ’ শ্ é

জানা নেই ৷ উক্ত হাদীস ও ঘটনার আরও অনেক সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে ৷ ণ্ব্লু ৷ প্রু০ ৷ ৷ র্চু; ই!
ন্পু ৷ ;ট্রুন্ছু ;,;§ আয়াত সম্পর্কে উপরে উল্লেখিত হাদীসটি সহীহ্ মুসলিমে আমাশের

বরাতে বর্ণিত হয়েছে ৷ আনাস (রা) বলেন, ছাবিত ইবন কায়স ইবন শাম্মাস ইয়ামামার যুদ্ধে
সৃগন্ধি যেখে কাফনের কাপড় বিছিয়ে নিম্নের দুআটি পড়েন :

ষ্া’;১ ৷ ঙ্কুব্লু’৷ প্রু;৷ ন্হুদ্রীা৷
অর্থাৎ হে আল্পাহ্! ঐ সব লোক যা কিছু বলে, তার থেকে আমি আপনার নিকট আমার
সম্পর্কহীনতার কথা ঘোষণা করছি এবং ঐসব লোক যা কিছু করছে আমি আপনার নিকট তার
জন্যে ওযরখাহী করছি ৷ এর পরই তিনি শহীদ হয়ে যান ৷৩ তার পরিধানে একটি বর্ম ছিল ৷
জনৈক ব্যক্তি তা চুরি করে নিয়ে যায় ৷ স্বপ্নের মাধ্যমে এক লোককে তিনি জানান, আমার
বর্মটি অমুক জায়গায় আসবাবপত্রের নিচে একটি ডেগের মধ্যে আছে ৷ তাকে তিনি আরও কিছু

ওসিয়ত করেন ৷ লোকজন অনুসন্ধান করে বর্মটি পেয়ে যায় এবং তার ওসিয়ত কার্যকরী করে ৷
তাবারানীও এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷

হায্ন ইবন আবী ওহবের ইনতিকাল

তার বংশপঞ্জি নিম্নরুপ হাযন ইবন আবী ওহব ইবন্৷ ন্ত্র-মর ইবন আমির ইবন ইমরান
আলমাখবুমী তিনি মুহাজিরদের অন্তর্ভুক্ত ৷ কেউ বলেছেন, মক্কা বিজয়কালে তিনি ইসলাম
— ৬ :


وَلَمَّا أَخَذَ الرَّايَةَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ بَعْدَ مَقْتَلِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ لَهُ الْمُهَاجِرُونَ: أَتَخْشَى أَنْ نُؤْتَى مِنْ قِبَلِكَ؟ فَقَالَ: بِئْسَ حَامِلُ الْقُرْآنِ أَنَا إِذًا. انْقَطَعَتْ يَدُهُ الْيُمْنَى فَأَخَذَهَا بِيَسَارِهِ، فَقُطِعَتْ فَاحْتَضَنَهَا وَهُوَ يَقُولُ: {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ} [آل عمران: 144] ، {وَكَأَيِّنْ مِنْ نَبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ} [آل عمران: 146] . فَلَمَّا صُرِعَ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: مَا فَعَلَ أَبُو حُذَيْفَةَ؟ قَالُوا: قُتِلَ. قَالَ: فَمَا فَعَلَ فُلَانٌ؟ قَالُوا: قُتِلَ. قَالَ: فَأَضْجِعُونِي بَيْنَهُمَا. وَقَدْ بَعَثَ عُمَرُ بِمِيرَاثِهِ إِلَى مَوْلَاتِهِ الَّتِي أَعْتَقَتْهُ ; ثُبَيْتَةَ، فَرَدَّتْهُ وَقَالَتْ: إِنَّمَا أَعْتَقْتُهُ سَائِبَةً. فَجَعَلَهُ عُمَرُ فِي بَيْتِ الْمَالِ. وَمِنْهُمْ أَبُو دُجَانَةَ سِمَاكُ بْنُ خَرَشَةَ - وَيُقَالُ: سِمَاكُ بْنُ أَوْسِ بْنِ خَرَشَةَ - بْنِ لَوْذَانَ بْنِ عَبْدِ وُدِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ سَاعِدَةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ الْخَزْرَجِ، الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ، شَهِدَ بَدْرًا وَأَبْلَى يَوْمَ أُحُدٍ، وَقَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ سَيْفًا فَأَعْطَاهُ حَقَّهُ، وَكَانَ يَتَبَخْتَرُ عِنْدَ الْحَرْبِ، فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «إِنَّ هَذِهِ لَمِشْيَةٌ يُبْغِضُهَا اللَّهُ إِلَّا فِي هَذَا الْمَوْطِنِ» . وَكَانَ يَعْصِبُ رَأْسَهُ بِعِصَابَةٍ حَمْرَاءَ؛ شِعَارًا لَهُ بِالشَّجَاعَةِ، وَشَهِدَ الْيَمَامَةَ وَيُقَالُ: إِنَّهُ مِمَّنِ اقْتَحَمَ عَلَى بَنِي حَنِيفَةَ يَوْمَئِذٍ الْحَدِيقَةَ، فَانْكَسَرَتْ رِجْلُهُ،
পৃষ্ঠা - ৫৩২৭
فَلَمْ يَزَلْ يُقَاتِلُ حَتَّى قُتِلَ يَوْمَئِذٍ. وَقَدْ قَتَلَ مُسَيْلِمَةَ مَعَ وَحْشِيِّ بْنِ حَرْبٍ ; رَمَاهُ وَحْشِيٌّ بِالْحَرْبَةِ، وَعَلَاهُ أَبُو دُجَانَةَ بِالسَّيْفِ. قَالَ وَحْشِيٌّ: فَرَبُّكَ أَعْلَمُ أَيُّنَا قَتَلَهُ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ عَاشَ حَتَّى شَهِدَ صِفِّينَ مَعَ عَلَيٍّ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَأَمَّا مَا يُرْوَى عَنْهُ مِنْ ذَكْرِ الْحِرْزِ الْمَنْسُوبِ إِلَى أَبِي دُجَانَةَ، فَإِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ وَلَا يُلْتَفَتُ إِلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْهُمْ شُجَاعُ بْنُ وَهْبِ بْنِ رَبِيعَةَ الْأَسَدِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، أَسْلَمَ قَدِيمًا وَهَاجَرَ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْحَارِثِ بْنِ أَبِي شَمِرٍ الْغَسَّانِيِّ، فَلَمْ يُسْلِمْ، وَأَسْلَمَ حَاجِبُهُ مُرِّيٌّ. وَاسْتُشْهِدَ شُجَاعُ بْنُ وَهْبٍ يَوْمَ الْيَمَامَةِ عَنْ بِضْعٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، وَكَانَ رَجُلًا طِوَالًا نَحِيفًا أَجْنَأَ. وَمِنْهُمُ الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرِو بْنِ طَرِيفِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ سُلَيْمِ بْنِ فَهْمِ بْنِ غَنْمِ بْنِ دَوْسٍ الدَّوْسِيُّ أَسْلَمَ قَدِيمًا قَبْلَ الْهِجْرَةِ، وَذَهَبَ إِلَى قَوْمِهِ فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ فَهَدَاهُمُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، فَلَمَّا هَاجَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ جَاءَهُ بِتِسْعِينَ أَهْلَ بَيْتٍ مِنْ دَوْسٍ مُسْلِمِينَ، وَقَدْ خَرَجَ عَامَ الْيَمَامَةِ مَعَ الْمُسْلِمِينَ، وَمَعَهُ ابْنُهُ عَمْرٌو، فَرَأَى الطُّفَيْلُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ رَأْسَهُ قَدْ حُلِقَ، وَكَأَنَّ امْرَأَةً أَدْخَلَتْهُ فِي فَرْجِهَا، وَكَأَنَّ ابْنَهُ يَجْتَهِدُ أَنْ يَلْحَقَهُ فَلَمْ يَصِلْ. فَأَوَّلَهَا بِأَنَّهُ سَيُقْتَلُ
পৃষ্ঠা - ৫৩২৮

গ্রহণ করেন ৷ তিনি হযরত সাঈদ ইবন মুসামািবের পিতামহ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নাম
পরিবর্ত্য করে সাহ্ল রাখতে চান ৷ কিন্তু হাযন বললেন, আমার পিতামাতার রাখা নামটি আমি
পবিবর্তাধ্ করতে চাই না ৷ তারপর আজীবন তার জীবনে কাঠিন্য বা দুঃখকষ্ট লেগেই ৰুথাকে ৷
ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি শহীদ হন ৷ সেই সাথে তার দুই পুত্র আবদুর রহমান ও ওহব এবং পৌত্র
হাকীম ইবন ওহব ইবন হাযনও শহীদ হন ৷ এই একাদশ ইিজরীতে পারস্যবাসী দায্ও য়েও
শাহাদত বরণ করেন ৷ আসওদ আনাসীকে ইয়ামনের যে আমীরগণ হত্যা করেছিলেন, তিনি
ছিলেন তাদের অন্যতম ৷ কায়স ইবন মড়াকশুহ মুরতাদ হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় ইসলামে
প্রত্যাবর্তনের পুর্বে এক চক্রাম্ভের মাধ্যমে দাযওয়েহকে হত্যা করে ৷ খলীফা স্লিদ্দীক এ হত্যার
জন্যে তাকে তিরস্কার করলে তিনি তা অস্বীকার করেন ৷ ফলে তার প্রকাশ্য উক্তি ও ইসলাম
গ্রহণ মঞ্জুর করা হয় ৷

যায়দ (রা) ইবন খাত্তাৰের শাহাদাত

তার বংশ লতিকা এরুপ : যায়দ ইবন খাত্তাব ইবন নুফায়েল আল-কুরায়শী আল-আদবী ৷
তার কুনিয়াত ছিল আবু মুহাম্মাদ হয়রতউময় ইবন খাত্তাবের বৈমাত্রেয় ভৈজ্যষ্ঠ ভ্রাতা ৷ তিনি
ইসলামের প্রাথমিক কালের মুসলমান ৷ বদরের যুদ্ধসহ সকল যুদ্ধে তিনি অংশ্যাহণ করেন ৷
মদীনায় মা’ন ইবন আদী আনসারীর সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না) তার ভ্রাতৃতৃ সম্পর্ক স্থাপন করে
দেন ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে তারা উভয়েই শহীদ হন ৷ এ যুদ্ধে যুহাজিরদের ঝান্ডা যায়দ ইবন
খাত্তারের হাতে ছিল ৷ ঝান্ডা হাতে নিয়ে যুদ্ধ করতে করতে তিনি সম্মুখে এগিয়ে যান ৷ নিহত
হওয়ার পর ঝান্ডা হাত থেকে মাটিতে পড়ে গেলে আবু হুযায়ফারমওলা সালিম তা ধারণ
করেন ৷ যায়দ ইবন খাত্তাবের হাতে রাজাল ইবন উনফুওয়া নিহত হয় ৷ রাজালের নাম ছিল
নাহার ৷ এই রাজাল প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করে এবং সুরা বাকারা শিক্ষাও করে ৷ পরে মুরতাদ
হয়ে মুসায়লামার কাছে চলে যায় ৷ সে তার অনুসারী হয় এবং তার রিসালাতের পক্ষে সাক্ষ্য
দেয় ৷ ফলে দেশজুড়ে বিরাট ফিতনার সৃষ্টি হয় ৷ যায়দের (রা) হাতে রাজাল নিহত হওয়ার পর
আবু মরিয়াম আল-হানাফীর হাতে যায়দ শহীদ হন ৷ পরবত্তীকািলে আবুমরিয়াম ইসলাম গ্রহণ
করেন এবং হযরত উমর (রা)কে বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আল্লাহ আমার হাতে যায়দকে
সম্মানিত করেছেন ৷ কিন্তু তার হাতে আমাকে লাঞ্ছিত করেননি ৷

কেউ কেউ বলেছেন, যায়দের হত্যাকারী ছিল এই আবু মারয়ামের পুত্র সালামা ইবন
সুবায়হ্ ৷ আবু উমর এই মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন ৷ কেননা, উমর আবু মরিয়ড়ামকে কাজীর পদ
দিতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু এ যুক্তি দ্বারা পুর্বের মতকে অস্বীকার করা যায় না ৷ হযরত উমর
(রা)-এর নিকট যায়দের মৃত্যু সংবাদ পৌছলে তিনি বলেছিলেন, দুইটা ভাল কাজে তিনি
আমার অগ্রগামী, আমার পুর্বে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং আমার পুর্বেই তিনি শহীদ
হলেন ৷ মুতামমিম ইবন নওয়ায়রা তার ভাই মালিকের মৃত্যুতে যখন শোকপড়াথা আবৃত্তি
করেছিলেন পুর্বে তা উল্লেখ করা হয়েছে তখন হযরত উমর তাকে বলেছিলেন, আমি যদি ভাল
কবিতা রচনা করতে পারতাম তা হলে তুমি যেভাবে শোকর্পাথা আবৃত্তি করছো ৷ আমিও প্
সেভাবে শোকর্গাথা আবৃত্তি করতাম ৷ উত্তরে মুতামমিম বলল, যে কাজে আপনার ভাই মারা
গেছেন সেই কাজে যদি আমার ভাই মারা যেত তাহলে আমার কোন দুঃখই হত না ৷ হযরত


وَيُدْفَنُ، وَأَنَّ ابْنَهُ يَحْرِصُ عَلَى الشَّهَادَةِ فَلَا يَنَالُهَا عَامَهُ ذَلِكَ. وَقَدْ وَقَعَ الْأَمْرُ كَمَا أَوَّلَهَا، ثُمَّ قُتِلَ ابْنُهُ شَهِيدًا يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. كَمَا سَيَأْتِي. وَمِنْهُمْ عَبَّادُ بْنُ بِشْرِ بْنِ وَقْشٍ الْأَنْصَارِيُّ، أَسْلَمَ عَلَى يَدَيْ مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ قَبْلَ الْهِجْرَةِ، قَبْلَ إِسْلَامِ مُعَاذٍ وَأُسَيْدِ بْنِ الْحُضَيْرِ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ مِمَّنْ قَتَلَ كَعْبَ بْنَ الْأَشْرَفِ، وَكَانَتْ عَصَاهُ تُضِيءُ لَهُ إِذَا خَرَجَ مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ظُلْمَةٍ. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ: قُتِلَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ شَهِيدًا عَنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، وَكَانَ لَهُ بَلَاءٌ وَغَنَاءٌ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: تَهَجَّدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَمِعَ صَوْتَ عَبَّادٍ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ» . وَمِنْهُمُ السَّائِبُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ، بَدْرِيٌّ، مِنَ الرُّمَاةِ، أَصَابَهُ يَوْمَ الْيَمَامَةِ سَهْمٌ فَقَتَلَهُ وَهُوَ شَابٌّ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَمِنْهُمُ السَّائِبُ بْنُ الْعَوَّامِ، أَخُو الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، اسْتُشْهِدَ يَوْمَئِذٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَمِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ وُدٍّ الْقُرَشِيُّ الْعَامِرِيُّ، أَسْلَمَ قَدِيمًا وَهَاجَرَ، ثُمَّ اسْتُضْعِفَ بِمَكَّةَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ خَرَجَ
পৃষ্ঠা - ৫৩২৯
مَعَهُمْ، فَلَمَّا تَوَجَّهُوا فَرَّ إِلَى الْمُسْلِمِينَ فَشَهِدَهَا مَعَهُمْ، وَمَا بَعْدَهَا، وَقُتِلَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ، فَلَمَّا حَجَّ أَبُو بَكْرٍ عَزَّى أَبَاهُ فِيهِ، فَقَالَ سُهَيْلٌ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الشَّهِيدَ يَشْفَعُ لِسَبْعِينَ مِنْ أَهْلِهِ» . فَأَرْجُو أَنْ يَبْدَأَ بِي. وَمِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ ابْنِ سَلُولَ الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ، كَانَ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ وَفُضَلَائِهِمْ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ أَبُوهُ رَأْسَ الْمُنَافِقِينَ، وَكَانَ أَشَدَّ النَّاسِ عَلَى أَبِيهِ، وَلَوْ أَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ لَضَرَبَ عُنُقَهُ، وَكَانَ اسْمُهُ الْحُبَابُ، فَسَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ، وَقَدِ اسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَمِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ أَسْلَمَ قَدِيمًا، وَيُقَالُ: إِنَّهُ الَّذِي كَانَ يَأْتِي بِالطَّعَامِ وَالشَّرَابِ وَالْأَخْبَارِ، إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِلَى أَبِيهِ أَبِي بَكْرٍ وَهُمَا بِغَارِ ثَوْرٍ، وَيَبِيتُ عِنْدَهُمَا وَيُصْبِحُ بِمَكَّةَ كَبَائِتٍ، فَلَا يَسْمَعُ بِأَمْرٍ يُكَادَانِ بِهِ إِلَّا أَخْبَرَهُمَا بِهِ. وَقَدْ شَهِدَ الطَّائِفَ فَرَمَاهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: أَبُو مِحْجَنٍ الثَّقَفِيُّ. بِسَهْمٍ فَدُوِّيَ مِنْهَا فَانْدَمَلَتْ، وَلَكِنْ لَمْ يَزَلْ مِنْهَا ضَمِنًا حَتَّى مَاتَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ. وَمِنْهُمْ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنِ بْنِ حُرْثَانَ بْنِ قَيْسِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ غَنْمِ
পৃষ্ঠা - ৫৩৩০

উমর বললেন, তুমি যেভাবে আমাকে সান্তুনা দিলে এভাবে অন্য কেউ আমাকে সাত্তুন৷ দেয়নি ৷
তা সত্বেও হযরত উমর (বা) বলতে ন , যখনই পুবেল হাওয়া বয়ে যায় তখনই যায়দ ইবন
খ৷ ত্তাবের কথা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে যায় ৷

সালিম ইবন উবায়দের শাহাদাত
(মওলা আবু হুযায়ফা)

তার বংশলতিকা নিম্নরুপ : সালিম ইবন উবায়দ ইবন উৎবা ইবন রাবীআ ৷ কেউ কেউ
তার পিতার নাম য়া’মাল বলেছেন, সালিম ছিলেন আবু হুযায়ফার আযাদকৃত গোলাম ৷ আবু
হুযায়ফার শ্রী ছুবায়নাহ বিনত য়া আদ এর গোলাম ছিলেন সালিম ৷৩ ভাবে তিনি মুক্ত করে
দেন ৷ তারপর আবু হুযায়ফা তাকে পালক পুত্র রুপে গ্রহণ করেন এবং তার ভাতিজী ফাতিমা
তওলীদ ইবন উৎবার সাথে তার বিবাহ দেন ৷ কুরআনের এ আয়াত যখন নাযিল হল :
ণ্ণ্ড্রষ্া ,১৷ ণ্ঠুশুটুছুট্র’া পালক পুত্রদেরকে তাদের জন্মদাত৷ পিতার সাথে সম্পর্কিত করে ডাক (৩৩
আহযাব৪ ৫) তখন আাবু হুযায়ফার শ্রী সাহালাহ্ বিনত সাহল ইবন আমর রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! সালিম এমন অনেক সময় আমার কাছে
আসে যখন আমি বেখিয়াল থাকি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে তার বুকের দুধ পান করিয়ে দিতে
বললেন ৷ ছুবায়নাহ দুধ পান করাবার পর থেকে তিনি তার নিকট যে কোন সময় আসা-যাওয়া
করতেন ৷ সালিম একজন শীর্ষ ন্থানীয় মুসলমান ৷ ইসলামের প্রথমিক কালেই তিনি ইসলাম
গ্রহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হিজরতে র পুর্বেই তিনি মদীনায় হিজরত করেন এবং
সেখানে অবাংমুানকাবীদ্বু যুহাজিরদের সালাতে তিনি ইমামতি ৩করণ্ডে ন ৷ কেননা কুরআন হিফযের
ব্যাপারে তিনি ছিলেন সকলের অগ্রগামী ৷ এই সকলের মধ্যে হযরত ৩উমর (রা) ও ছিলেন ৷
বদর ও তার পরবর্তী সমস্ত যুদ্ধে তিনি অংশ্াগ্রহণ করেন ৷ যেই চার ব্যক্তি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছিলেন, ড়োমরা এদের থেকে কুরআন পড়া শিখবে, সালিম ছিলেন তাদের
অন্যতম ৷
বর্ণিত আছে, হযরত উমর (রা) মৃত্যুর পুর্বে বলেছিলেন যে, সালিম যদি আজ জীবিত
ইবন আবদুল বার বলেন, উমর (রা)-এর এ উক্তির অর্থ হল, সালিয়ের রায় এমন ব্যক্তির
পক্ষে হত যিনি প্রকৃতই খিলাফত পাওয়ার যোগ্য ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে যায়দ ইবন খাত্তাব নিহত
হলে তিনি যখন ঝান্ডা তুলে নেন তখন মুহাজিররা বলেছিলেন, আপনি কি আশংকা করছেন
যে আপনার পুর্বেই আমরা কেউ এটা তুলে (নব? জবাবে তিনি বলেন, এরুপ ধারণা করলে
কুরআনের হাফিয হিসেবে আমি একজন নিকৃষ্ট লোক ছাড়া আর কী হতে পারি ৷ যুদ্ধে প্রথমে
তার ডান হাত কাটা যায়, তখন বাম হাত দ্বারা ঝান্ডা উচিয়ে ধরেন, এরপর বাম হাত কাটা
গোল ঝান্ডা বুকের সাথে চেপে ধরে নিম্নের আয়াত পাঠ করেন০ ং


শ্


অর্থ৪ ংমুহাম্মদ একজন রাসুল ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ তার পুর্বেও অনেক রাসুল গত হয়েছে
এরপর আরও কত নবী এমন এসেছিল যাদের সাথী হয়ে বহু আল্লাহ্ওয়াল৷ লোক লড়াই
করেছে ৷ (৩ আলে ইমরান : ১৪৪, ১৪৬) ৷


بْنِ دُودَانَ بْنِ أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ الْأَسَدِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، يُكَنَّى أَبَا مِحْصَنٍ، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ وَفُضَلَائِهِمْ، هَاجَرَ وَشَهِدَ بَدْرًا، وَأَبْلَى يَوْمَئِذٍ بَلَاءً حَسَنًا، وَانْكَسَرَ سَيْفُهُ، فَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ عُرْجُونًا، فَعَادَ فِي يَدِهِ سَيْفًا أَبْيَضَ الْحَدِيدِ شَدِيدَ الْمَتْنِ. وَكَانَ ذَلِكَ السَّيْفُ يُسَمَّى الْعَوْنَ. وَشَهِدَ أُحُدًا وَالْخَنْدَقَ وَمَا بَعْدَهَا. «وَلَمَّا ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّبْعِينَ أَلْفًا الَّذِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ، قَالَ عُكَّاشَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ مِنْهُمْ ". ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَقَالَ: " سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ» . وَالْحَدِيثُ مَرْوِّيٌّ مِنْ طُرُقٍ تُفِيدُ الْقَطْعَ. وَقَدْ خَرَجَ عُكَّاشَةُ مَعَ خَالِدٍ يَوْمَ أَمَّرَهُ الصِّدِّيقُ بِذِي الْقَصَّةِ، فَبَعَثَهُ وَثَابِتَ بْنَ أَقْرَمَ بَيْنَ يَدَيْهِ طَلِيعَةً، فَتَلَقَّاهُمَا طُلَيْحَةُ الْأَسَدِيُّ وَأَخُوهُ سَلَمَةُ فَقَتَلَاهُمَا، وَقَدْ قَتَلَ عُكَّاشَةُ قَبْلَ مَقْتَلِهِ حِبَالَ بْنَ طُلَيْحَةَ، ثُمَّ أَسْلَمَ طُلَيْحَةُ بَعْدَ ذَلِكَ، كَمَا ذَكَرْنَا، وَكَانَ عُمُرُ عُكَّاشَةَ يَوْمَئِذٍ أَرْبَعًا وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، وَكَانَ مِنْ أَجْمَلِ النَّاسِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَمِنْهُمْ مَعْنُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ الْجَدِّ بْنِ عَجْلَانَ بْنِ ضُبَيْعَةَ الْبَلَوِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَهُوَ أَخُو عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ وَبَدْرًا وَأُحُدًا وَالْخَنْدَقَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৩১

যখন তিনি শত্রুর আঘাতে মাটিতে পড়ে যান, তখন সাথীদেরকে বলেন, আবু হুযায়ফার
অবস্থা কী? বলা হয়, তিনি শহীদ হয়ে গেছেন ৷ পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, অমুকের অবস্থা কী?
জানান হল তিনিও শহীদ হয়ে গেছেন ৷ তিনি বললেন, ঐ দুজনের মাঝখানে আমাকে শুইয়ে
দাও ৷ হযরত উমর (রা) সালিমের পবি৩ দ্রক্ত সম্পদ তার আযাদকারিণী (ছুবায়না) এর নিকট
পাঠিয়ে দেন ৷ কিন্তু তিনি এই বলে তা ফেরত পাঠান যে, আমি ওকে শর্তহীন ও পরিপুর্ণভাবে
স্বাধীন করেছি ৷ তখন খলীফা উমর তা বায়তুল সালে রেখে, দেন ৷

আবু দৃজানার শাহাদাত

তার নসবনামায় পিতা ও দাদার নামে কিছুটা পার্থক্য দেখা যায় ৷ যথা আবু দুজানা সিমাক
ইবন খারাশা কিৎব৷ আবু-দৃজানা সিমাক ইবন আওস ইবন খারাশা ইবন লুযান ইবন আবদে
উদ ইবন যায়দ ইবন ছালাবা ইবন খাযরাজ উবৃন সাঈদা ইবন কা’ব ইবন খাযরাজ
আল-আনসারী আল-খাযরাজী ৷ বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, উহুদের যুদ্ধে আহত হন ৷ এ
যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে নিজের তরবারী দান করেন এবং তিনি সার্থকভাবে তা কাজে
লাগান ৷ যুদ্ধের ময়দানে দর্পভরে অহংকার প্রদর্শন কালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, চলার এ
ভঙ্গিতে আল্লাহ অসভুষ্ট হন ৷ তবে যুদ্ধের ময়দানের কথা আলাদ ৷ বীরতু তার প্রকাশের
উদ্দেন্থশ্য তিনি মাথায় লাল পট্টি ৰ্বাধতেন ৷ তিনি ইয়ামামার যুদ্ধেও অংশ গ্রহণ করেন ৷ তার
সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে যে, ঐ যুদ্ধে মুসায়লামার বাগিচায় জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রথমে যারা
প্রবেশ করেছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম ৷ এ সময় তার একটি পড়া ভেঙ্গে যায় ৷ তা
সত্বেও প্রচন্ড যুদ্ধ করে আবু দুজানা শহীদ হন ৷ মুসায়লামাকে হত্যা করার ব্যাপারে তিনি
ওয়াহ্শীর সাথে শরীক ছিলেন ৷ কারণ, ওয়াহ্শী যুসায়লামাকে বর্শাবিদ্ধ করে এবং আবু দুজানা
তরবারি দ্বারা তার শিরচ্ছেদ করেন ৷ হত্যার পরে ওয়াহ্শী মন্তব্য করে বলেছিলেন রুা; ৷ ;াপ্রু,:ণ্
এদ্ব ৷ম্পু ৷ তােমার আল্লাহ্ই ভাল জানেন যে, আমাদের দু’জ্যনর কার হাতে সে মারা
গেছে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, আবু দুজানা সিফ্ফীনের যুদ্ধে আলীর পক্ষে লড়াই করে নিহত
হয়েছেন ৷ কিন্তু প্রথম মত অধিক বিশুদ্ধ ৷ আবু দুজানাত তাবিজ ও মাদুলের প্রবর্তন করেন বলে
যে বর্ণনাটি পাওয়া যায় তা যয়ীফ এবং অগ্রহণন্থযাগ্য ৷

শুজা ইবন ওহবের মৃত্যু
তার পিতামড়াতার নাম রাবী’আ আল-আসাদী, বনু আবদে-শামসের মিত্র ৷ তিনি প্রথম
যুগেই ইসলামে দীক্ষিত হন, হিজরত করেন এবং বদরসহ সকল যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে হাবিছ ইবন আবু শামির আল গাসৃসানীর নিকট ইসলামের দাওয়াত
দেওয়ার জন্য দুতরুপে প্রেরণ করেন ৷ হাবিছ ইসলাম গ্রহণ করেনি, অবশ্য তার দ্বার রক্ষক
সুওয়ায় মুসলমান হয়ে যান ৷ ইয়ামামার যদ্ধে প্রায় ৪৩ বছর বয়সকালে শুজা ইবন ওহব শহীদ
হন ৷ তিনি ছিলেন একজন দীর্ঘকায় ও হালকা পাতলা গড়নের লোক ৷

তুফায়ল ইবন আসর-এর শাহাদাত

তুফায়ল ইবন আমর ইবন তুরায়ফ ইবনুল-আস ইবন ছালাবা ইবন সুলায়ম ইবন ফিহ্র
ইবন! পানামা ইবন দাওস আদ-দাওসী ৷ হিজরতের বেশ আগে ইসলাম গ্রহণ করে নিজ


وَسَائِرَ الْمَشَاهِدِ، وَكَانَ قَدْ آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، فَقُتِلَا جَمِيعًا يَوْمَ الْيَمَامَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَقَالَ مَالِكٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: بَكَى النَّاسُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ مَاتَ وَقَالُوا: وَاللَّهِ وَدِدْنَا أَنَّا مِتْنَا قَبْلَهُ، وَنَخْشَى أَنْ نُفْتَتَنَ بَعْدَهُ. فَقَالَ مَعْنُ بْنُ عَدِيٍّ: لَكِنِّي وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنْ أَمُوتَ قَبْلَهُ ; لِأُصَدِّقَهُ مَيِّتًا كَمَا صَدَّقْتُهُ حَيًّا. وَمِنْهُمُ الْوَلِيدُ وَأَبُو عُبَيْدَةَ ابْنَا عُمَارَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، قُتِلَا مَعَ عَمِّهِمَا خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ بِالْبُطَاحِ، وَأَبُوهُمَا عُمَارَةُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَهُوَ صَاحِبُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ إِلَى النَّجَاشِيِّ، وَقِصَّتُهُ مَشْهُورَةٌ. وَمِنْهُمْ أَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ الْقُرَشِيُّ الْعَبْشَمِيُّ، أَسْلَمَ قَدِيمًا قَبْلَ دَارِ الْأَرْقَمِ، وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ وَإِلَى الْمَدِينَةِ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَآخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَبَّادِ بْنِ بِشْرٍ، وَقَدْ قُتِلَا شَهِيدِينَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ. وَكَانَ عُمُرُ أَبِي حُذَيْفَةَ يَوْمَئِذٍ ثَلَاثًا أَوْ أَرْبَعًا وَخَمْسِينَ سَنَةً، وَكَانَ طَوِيلًا، حَسَنَ الْوَجْهِ، أَحْوَلَ أَثْعَلَ، وَهُوَ الَّذِي لَهُ سِنٌّ زَائِدَةٌ، وَكَانَ اسْمُهُ هُشَيْمًا، وَقِيلَ: مُهَشِّمٌ. وَقِيلَ: هَاشِمٌ. وَبِالْجُمْلَةِ فَقَدْ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ أَرْبَعُمِائَةٍ وَخَمْسُونَ مِنْ حَمَلَةِ الْقُرْآنِ وَمِنَ الصَّحَابَةِ وَغَيْرِهِمْ. وَإِنَّمَا أَوْرَدْنَا هَؤُلَاءِ لِشُهْرَتِهِمْ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانِ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৩২
قُلْتُ: وَمِمَّنِ اسْتُشْهِدَ يَوْمَئِذٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ ; مَالِكُ بْنُ عَمْرٍو، حَلِيفُ بَنِي غَنْمٍ، مُهَاجِرِيٌّ بَدْرِيٌّ. وَيَزِيدُ بْنُ رُقَيْشِ بْنِ رِئَابٍ الْأَسَدِيُّ، بَدْرِيٌّ، وَالْحَكَمُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ الْأُمَوِيُّ، وَجُبَيْرُ بْنُ مَالِكِ بْنِ بُحَيْنَةَ، أَخُو عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ الْأَزْدِيُّ، حَلِيفُ بَنِي الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ. وَعَامِرُ بْنُ الْبُكَيْرِ اللَّيْثِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَدِيٍّ، بَدْرِيٌّ. وَمَالِكُ بْنُ رَبِيعَةَ، حَلِيفُ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ. وَأَبُو أُمَيَّةَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ بْنِ عَمْرٍو. وَيَزِيدُ بْنُ أَوْسٍ، حَلِيفُ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ. وَحُيَيٌّ، وَيُقَالُ: مُعَلَّى بْنُ حَارِثَةَ الثَّقَفِيُّ. وَحَبِيبُ بْنُ أَسِيدِ بْنِ جَارِيَةَ الثَّقَفِيُّ. وَالْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ شَمْسٍ الْمَخْزُومِيُّ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ بُجْرَةَ الْعَدَوِيُّ. وَأَبُو قَيْسِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسِ السَّهْمِيُّ، وَهُوَ مِنْ مُهَاجِرَةِ الْحَبَشَةِ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسٍ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَخْرَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ أَبِي قَيْسِ بْنِ عَبْدِ وُدِّ بْنِ نَصْرٍ الْعَامِرِيُّ، مِنَ الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ. وَعَمْرُو بْنُ أُوَيْسِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ الْعَامِرِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৩

কবীলায় গিয়ে গোত্রীয় লোকদের নিকট ইসলামী দাওয়াত পেশ করেন ৷ ফলে আল্লাহ তার
হাতেই তাদেরকে মুসলমান হওয়ার সৌভাগ্য দান করেন ৷ নবী করীম (সা) মদীনায় হিজরত
করলে তুফায়ল নিজ গোত্রের ষ্নব্বইজন মুসলিমসহ মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর থেদমতে
উপস্থিত হন ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি তার পুত্র আমরসহ অংশ গ্রহণ করেন ৷ সেখানে এক যাতে
তিনি স্বপ্নে দেখেন, তার মাথার চুল মুণ্ডন করা হয়েছে ৷ আর তার শ্রী তাকে তার লজ্জাস্থানের
মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেছেন এবং তার পুত্র তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে ৷ এ স্বপ্নের
ব্যাখ্যা তিনি এভাবে করলেন যে, তাকে শহীদ করে দাফন করা হবে এবং পুত্র শাহাদাতের
অাকাংখ৷ করবে, বিৎ তার আশা এ সময়ে পুরণ হবে না ৷ বাস্তবে তাই ঘটল যা তিনি ব্যাখ্যা
করেছিলেন ৷ পরবর্তীতে ইয়ারমুকের যুদ্ধে তার পুত্র আমর শহীদ হন ৷

অঝোদ ইবন ৰিশর ইবন ওয়াকাশৃ আল-আনসারীর শাহাদাত

হিজরতের পুর্বে হযরত মু’আয ইবন জবল ও উসায়দ ইবন হুযায়রের ইসলাম গ্রহণের পুর্বে
আব্বাদ ইবন বিশৃর হযরত মুসআব ইবন উমায়রের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ বদর এবং
তার পরবর্তী সকল যুদ্ধে তিনি অংশ গ্রহণ করেন ৷ মুনাফিক কা’ব ইবন আশরাফ য়াহুদীকে
যারা হত্যা করেছিলেন আব্বাদ ছিলেন তাদের অন্যতম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মজলিশ থেকে
বেরিয়ে যাওয়ার সময় অন্ধকার রাত্রে তার লাঠি থেকে আলো বিচ্চুরিত হতো ৷ মুসা ইবন
উকবা যুহরীর বরাতে বর্ণনা করেন যে, আব্বাদ ইয়ামামার যুদ্ধে শহীদ হন ৷ তখন তার বয়স
হয়েছিল পড়ায়তাল্লিশ বছর ৷ জীবনে তিনি বহু পরীক্ষার সম্মুখীন হন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাহাজ্জ্বদ নামায পড়ছিলেন, এ সময়
তিনি আব্বাদের কণ্ঠস্বর শুনে দুআ করেন দ্বু ঠু£ছু ৷ স্পেপুা৷ ণ্হ আল্লাহ্! তাকে ক্ষমা কর ৷ ’

সাইব ইবন উসমান ইবন মাষ্উনের শাহাদাত

হযরত সইিব (রা) ছিলেন বদরী সাহাবী, দক্ষ তীরন্দাজ ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে একটি তীর
এসে তার শরীরে বিদ্ধ হয় এবং এতেই তিনি শহীদ হয়ে যান, তখন তিনি সবেমাত্র যুবক ৷

সাইব ইবনুল আওয়ামের শাহাদাত

তিনি হযরত যুবায়র ইবনুল আওয়াম (রা) এর ভাই ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে শাহাদাত বরণ
করেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন সুহায়ল ইবন আমর এর শাহাদাত

পুর্ণ বংশ লতিকা নিম্নরুপ : আবদুল্লাহ্ ইবন সুহায়ল ইবন আমর ইবন আবদে শামস ইবন
আবদে উদ আল-কুরাশী আল আমিরী ৷ ইসলামের প্রথম যুগেই তিনি ইসলাম কবুল করেন ৷
এরপর হিজরত করেন ৷ বিৎ পরবর্তীতে মক্কায় নির্যাতিত মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত থেকে যান ৷
বদর যুদ্ধের সময় কুরায়শ বাহিনীর সাথে তিনিও আসেন ৷ উভয় পক্ষ মুখোমুখী হলে তিনি
পালিয়ে মুসলিম বাহিনীর সাথে এসে মিশে যান ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি শাহাদত বরণ করেন ৷
হভ্রুজ্জর সময় খলীফা আবু বকর আবদুল্লাহ্র পিতাকে সান্তুনা দেন ৷ তখন পিতা সুহায়ল


وَسَلِيطُ بْنُ عَمْرٍو الْعَامِرِيُّ. وَرَبِيعَةُ بْنُ أَبِي خَرَشَةَ الْعَامِرِيُّ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ رَحْضَةَ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ. وَمِنَ الْأَنْصَارِ غَيْرِ مَنْ ذَكَرْنَا تَرَاجِمَهُمْ ; عُمَارَةُ بْنُ حَزْمِ بْنِ زَيْدِ بْنِ لَوْذَانَ النَّجَّارِيُّ، وَهُوَ أَخُو عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، كَانَتْ مَعَهُ رَايَةُ قَوْمِهِ يَوْمَ الْفَتْحِ، وَقَدْ شَهِدَ بَدْرًا، وَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ. وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرِ بْنِ نَابِي بْنِ زَيْدِ بْنِ حَرَامٍ السَّلَمِيُّ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ الْأُولَى وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا. وَثَابِتُ بْنُ هَزَّالٍ مِنْ بَنِي سَالِمِ بْنِ عَوْفٍ، بَدْرِيٌّ فِي قَوْلٍ. وَأَبُو عَقِيلٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثَعْلَبَةَ، مِنْ بَنِي جَحْجَبَى، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْيَمَامَةِ أَصَابَهُ سَهْمٌ فَنَزَعَهُ، ثُمَّ تَحَزَّمَ وَأَخَذَ سَيْفَهُ، فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، وَقَدْ أَصَابَتْهُ جِرَاحَاتٌ كَثِيرَةٌ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَتِيكٍ. وَرَافِعُ بْنُ سَهْلٍ. وَحَاجِبُ بْنُ يَزِيدَ الْأَشْهَلِيُّ. وَسَهْلُ بْنُ عَدِيٍّ. وَمَالِكُ بْنُ أَوْسٍ. وَعُمَيْرُ بْنُ أَوْسٍ. وَطَلْحَةُ بْنُ عُتْبَةَ، مِنْ بَنِي جَحْجَبَى. وَرَبَاحٌ مَوْلَى الْحَارِثِ. وَمَعْنُ بْنُ عَدِيٍّ. وَجَزْءُ بْنُ مَالِكِ بْنِ عَامِرٍ، مِنْ بَنِي جَحْجَبَى. وَوَدَقَةُ
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৪

বললেন আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনং ৷
ষ্শহীদ তার নিজ পরিবারের সত্তর জন লোকের জন্যে সুপারিশ করতে পারবে ৷ আমি আশা

করি , সে প্রথমে আমাকে দিয়েই সুপারিশ আরম্ভ করবে ৷

আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উবায়া ইবন সুলুল-এর শাহাদাত

তিনি ছিলেন আনসাবী ও খাযরাজী গোত্রের লোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অত্যন্ত ভক্ত ও
শীর্ষ স্থানীয় সাহাবী ৷ তিনি বদর ও পরবর্তী সকল যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন ৷৩ তার পি৩ ৷ ছিল
মুনাফিক দলের জো ৷ এ কারণে আবদুল্লাহ্৩ তার পিতার প্রতি অত্যন্ত কঠোর মনোভাব পোষণ
করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অনুমতি পেলে তিনি পিতার শিরচ্ছেদ করে দিতেন ৷ আবদৃল্লাহ্র
পুর্বের নাম ছিল হুবাব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা পাল্টিয়ে আবদুল্লাহ নাম রাখেন ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে
তিনি শহীদ হন ৷

আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর সিদ্দীক-এর ইনতিকার্ল

তিনি ইসলামের উন্মেষকালে ঘুসলমান হন ৷ বলা হয়ে থাকে যে, এই আবদুল্লাহ্-ই খাদ্য
পানীয় ও গোপন সংবাদ নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ ও আ বু বকরের নিকট পারে ছওরে আসতেন ৷ রাত্রে
সেখা নে থাকতেন এবং অতি প্রভু ষে এমনভাবে মক্কায় গিয়ে পৌছতেন যেন তিনি মক্কাতেই
রাত্রি যাপন করেছেন ৷ যে কোন ষড়যস্তের সংবাদ শুনতেন সাথে সাথে র্তাদেরকে পৌছে
দিতেন ৷ তায়িফ যুদ্ধে আবু মিহজান ছাকাফী নামক এক ব্যক্তির নিক্ষিপ্ত তীর বিদ্ধ হয়ে আহত
হন ৷ ক্ষত স্থান ভাল হয়ে গেলেও তিনি তার ব্যথা অনুভব করতে থাকেন এবং এ ব্যথায়ই
এগার হিজরীর শাওয়াল মাসে ইনতিকাল করেন ৷

উকাশা ইবন মিহসানের শাহাদাত

তার নসবনামা নিম্নরুপ ৪ উক্কাশ৷ ইবন মিহসান ইবন হারছান ইবন কায়স ইবন মুরর৷ ,
ইবন পানাম ইবন দুদান ইবন আসাদ ইবন খুযায়ম৷ আল-আসাদী গোত্রভুক্ত ৷ তিনি ছিলেন বনু
আবদে শামসের মিত্র ৷ উক্কাশার কুনিয়াত ছিল আবু মিহসান ৷ ইনি ছিলেন অজানা সর্যাদাশীল
ও বিশিষ্ট সাহাবী ৷ তিনি হিজরত করেন ও বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ এ যুদ্ধে তিনি কঠিন
অবস্থার সম্মুখীন হন ৷ তার তরবারীখান৷ এক পর্যায়ে ভেঙ্গে যায় ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) খেজুর
গাছের একটা শুকন৷ বীকা ভাল তার হাতে তুলে দেন ৷ হাতে নিতে তা সত্যিকার তরবারীতে
পবিণ৩ ৩হয় যা লৌহ নির্মিত তরবারি অপেক্ষা অধিকতর শক্ত ও ধারাল ছিল ৷ তরবারিটির
নাম রাখা হয় আ’ল-আওন (সাহায্য) ৷ উহ্রদ, খন্দক ও পরবর্তী সকল যুদ্ধে৩ তিনি সক্রিয়ভাবে
অংশ গ্রহণ করেন ৷ একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে
জান্নাতে যাবে ৷ তখন উক্কাশ৷ আবেদন জানালেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্৷ আমার জন্যে দৃআ করুন,
যাতে আল্লাহ্ আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত রাখেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুআ করলেন, হে আল্লাহ!
ওকে তাদের অন্তর্ভুক্ত রেখো! তারপর “আর এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্!
আমার জন্যও দৃআ করুন, যাতে আল্লাহ আমাকেও ঐসব লোকের অন্তর্ভুক্ত রাখেন ৷রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, এ ব্যাপারে উক্কাশা তোমার আগেই তা নিয়ে গেছে ৷ নিড্ডযােগ্য সুত্রে এ হাদীস


بْنُ إِيَاسِ بْنِ عَمْرٍو الْخَزْرَجِيُّ، بَدْرِيٌّ. وَجَرْوَلُ بْنُ الْعَبَّاسِ. وَعَامِرُ بْنُ ثَابِتٍ. وَبِشْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخَزْرَجِيُّ. وَكُلَيْبُ بْنُ تَمِيمٍ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِتْبَانَ. وَإِيَاسُ بْنُ وَدَقَةَ. وَأُسِيدُ بْنُ يَرْبُوعٍ. وَسَعْدُ بْنُ حَارِثَةَ. وَسَعْدُ بْنُ حِمَّانَ. وَمُخَاشِنُ بْنُ حُمَيِّرٍ. وَسَلَمَةُ بْنُ مَسْعُودٍ. وَقِيلَ: مَسْعُودُ بْنُ سِنَانٍ. وَضَمْرَةُ بْنُ عِيَاضٍ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ. وَأَبُو حَبَّةَ بْنُ غَزِيَّةَ الْمَازِنِيُّ. وَحَبِيبُ بْنُ زَيْدٍ. وَحَبِيبُ بْنُ عَمْرِو بْنِ مِحْصَنٍ. وَثَابِتُ بْنُ خَالِدٍ. وَفَرْوَةُ بْنُ النُّعْمَانِ. وَعَائِذُ بْنُ مَاعِصٍ. وَيَزِيدُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ الضِّحَاكِ أَخُو زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ. قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: فَجَمِيعُ مَنِ اسْتُشْهِدَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ يَوْمَ الْيَمَامَةِ ثَمَانِيَةٌ وَخَمْسُونَ رَجُلًا. يَعْنِي وَبَقِيَّةُ الْأَرْبَعِمِائَةٍ وَالْخَمْسِينَ مِنْ غَيْرِهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قُتِلَ مِنَ الْكُفَّارِ فِيمَا سُقْنَا مِنَ الْمَوَاطِنِ الَّتِي الْتَقَى فِيهَا الْمُسْلِمُونَ وَالْمُشْرِكُونَ فِي هَذِهِ وَأَوَائِلِ الَّتِي قَبْلَهَا، مَا يَنِيفُ عَلَى خَمْسِينَ أَلْفًا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَبِهِ التَّوْفِيقُ وَالْعِصْمَةُ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৫
فَمِنْ مَشَاهِيرِهِمْ ; الْأَسْوَدُ الْعَنْسِيُّ، لَعَنَهُ اللَّهُ، وَاسْمُهُ عَبْهَلَةُ بْنُ كَعْبِ بْنِ غَوْثٍ، خَرَجَ أَوَّلَ مَخْرَجِهِ مِنْ بَلْدَةٍ بِالْيَمَنِ يُقَالُ لَهَا: كَهْفُ خُبَّانَ، وَمَعَهُ سَبْعُمِائَةُ مُقَاتِلٍ، فَمَا مَضَى شَهَرٌ حَتَّى مَلَكَ صَنْعَاءَ، ثُمَّ اسْتَوْثَقَتْ لَهُ الْيَمَنُ بِحَذَافِيرِهَا فِي أَقْصَرِ مُدَّةٍ، وَكَانَ مَعَهُ شَيْطَانٌ يُمَخْرِقُ لَهُ، وَلَكِنْ خَانَهُ أَحْوَجَ مَا كَانَ إِلَيْهِ، ثُمَّ لَمْ تَمْضِ لَهُ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ أَوْ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ حَتَّى قَتَلَهُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْ إِخْوَانِ صِدْقٍ، وَأُمَرَاءِ حَقٍّ، كَمَا قَدَّمْنَا ذِكْرَهُ، وَهُمْ دَاذَوَيْهِ الْفَارِسِيُّ، وَفَيْرُوزُ الدَّيْلَمِيُّ، وَقَيْسُ بْنُ مَكْشُوحٍ الْمُرَادِيُّ، وَذَلِكَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ قَبْلَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَيَالٍ، وَقِيلَ: بِلَيْلَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ أَطْلَعَ اللَّهُ رَسُولَهُ لَيْلَةَ قَتْلِهِ عَلَى ذَلِكَ، كَمَا أَسْلَفْنَاهُ. وَمِنْهُمْ مُسَيْلِمَةُ بْنُ حَبِيبٍ الْحَنَفِيُّ الْيَمَامِيُّ الْكَذَّابُ لَعَنَهُ اللَّهُ. قَدِمَ الْمَدِينَةَ وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ قَوْمِهِ بَنِي حَنِيفَةَ، وَقَدْ وَقَفَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعَهُ وَهُوَ يَقُولُ: إِنْ جَعَلَ لِي مُحَمَّدٌ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ اتَّبَعْتُهُ. فَقَالَ لَهُ: «لَوْ سَأَلْتَنِي هَذَا الْعُودَ - لِعُرْجُونٍ فِي يَدِهِ - مَا أَعْطَيْتُكَهُ، وَلَئِنْ أَدْبَرْتَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৬

বর্ণিত হয়েছে ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীকের খিলাফতকালে খালিদ ইবন ওলীদ যখন যুলকিসসা
অভিযানে যান, তখন তিনি উক্কাশাহ্ ইবন মিহসান ও ছাবিত ইবন আকরামকে শত্রুর সংবাদ
সংগ্রহের জন্যে অগ্নবর্তী রুপে প্রেরণ করেন ৷ পথে তুলায়হা আল আসাদী ওতার ৷ভাই স ৷লামার
সাথে র্তাদের দেখা হয়ে যায় ৷ তারা উক্কাশ৷ ও ছাবিতকে হত্যা করে ফেলে ৷ অবশ্য এর আগেই
উক্কাশা তুলায়হার পুত্র হিবালকে হত্যা করেছিলেন ৷ পরবর্তীতে ভুলায়হা ইসলাম গ্রহণ করে ৷
মৃতুকালে উক্কাশার বয়স হয়েছিল : ৪ বছর ৷ তিনি ছিলেন একজন সুদর্শন পুরুষ ৷

মা’আন ইবন আদীর শাহাদাত

তার বংশ তালিকা নিম্নরুপ : মাআন্’৷ ইবন আদী ইবনুল জাদ ইবন আজলান ইবন
দাবীআহ্ আল-বালওয়াবী ৷ ইনি ছিলেন বনু আমর ইবন আওফের মিত্র ৷ মাআন এর ভাই
আসিম ইবন আদী ৷ তিনি আকাবার শপথকারীদের অন্যতম ৷ বদর, উহুদ ও খন্দকসহ সমস্ত
যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যায়দ ইবন খাত্তাবের সাথে তার ভ্রাতৃতু সম্পর্ক স্থাপন
করে দেন এবং উভয়েই ইয়ামামার যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন ৷ ইমাম মালিক (র) ইবন শিহাব
সুত্রে সালিমের পিত ৷ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করলে লোকজন
কেদে কেদে বলতে থাকে, ভাল হত যদি রাসুলের পুর্বে আমাদের মৃত্যু হত ৷ কেননা আশংকা
হয় যে, তার মৃত্যুর পরে আমরা ফিত্নায় জড়িয়ে পড়ব ৷ ঐ সময় মাআন ইবন আদী
বলেছিলেন, আল্লাহর কসম, রাসুলের পুর্বে আমি মারা যাব, এটা আমি চাইনা; কারণ, মৃত্যুর
পরেও তাকে আমি সেই ভাবে স৩ ঘোষণা করতে চাই, যেত ৷বে ওাকে জীবিত অবস্থায় সত
বলে যেনেছি ৷

আম্মার৷ ইবনুল ওলীদ ইবনুল মুপীরার দুই পুত্র ওলীদ ও আবু উবায়দা ইয়ামামার যুদ্ধে
তাদের চাচা খালিদ ইবনুল ওলীদের সাথে নেতৃত্বে যুদ্ধ করে বাতড়াহ্ নামক স্থানে উভয়ে
শাহাদত বরণ করেন ৷ তাদের পিতা আমৃমারা ইবনুল ওলীদ আমর ইবনুল অংশের সাথে
(মুসলমানদের বিরোধিতা করার জন্য) হাবশা গিয়েছিল, সে ঘটনা সর্বজন বিদিত ও প্রসিদ্ধ ৷

আবু হুযায়ফা ইবন উতবার শাহাদাত

আবু হুযায়ফা ইবন উতবা ইবন রাবীআহ্ ইবন আবদি শামৃস আল কুরাশী আল আবশামী
প্রথম যুগের মুসলমান ৷ দায়ে আরকাম প্রতিষ্ঠার পুর্বেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ হাবশায় ও
মদীনায় হিজরত করেন এবং বদর ও পরবর্তী যুদ্ধ সমুহে অ শগ্রহণ করেন ৷ আব্বাদ ইবন
বিশৃর এর সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ভ্রাতৃতৃ সম্পর্ক পা তিয়ে দেন ৷ উক্ত দুই জনই ইয়ামামার
যুদ্ধে শহীদ হন ৷ মৃতু কোলে আবু হুযায়ফার বসয় ছিল তিপ্পান্ন কিংবা চুয়ান্ন বছর ৷ তিনি ছিলেন
দীর্ঘকায়, সুদর্শন এবৎ৩ তার মুখে একটি অতিরিক্ত দীত ছিল ৷ আবু হুযায়ফার আসল নাম ছিল
হুশায়ম, মত ৷ম্ভরে হাশিম (কিৎবা মিহ্শ ৷৷ম) ৷ আবু দুজ৷ ৷না সিমাক ইবন খারাশার শাহাদাতের
বর্ণনা পুর্বেই দেয়৷ হয়েছে ৷

যাহোক ইয়ামামার যুদ্ধে সর্বমোট শহীদের সংখ্যা চারশ’ পঞ্চাশ জন ৷ এদের মধ্যে
অনেকেই কুরআনের হাফিয ও সাহাবী ছিলেন ৷ “প্রসিদ্ধির কারণে উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গের নাম
আমর উল্লেখ করেছি ৷ যে সব মুজাহিব সাহাবী ঐ যুদ্ধে শহীদ হন, র্তাদের কয়েকজনের নাম


لَيَعْقِرَنَّكَ اللَّهُ، وَإِنِّي لَأَرَاكَ الَّذِي أُرِيتُ فِيهِ مَا أُرِيَتُ» . وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ رَأَى فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ فِي يَدِهِ سُوَارَيْنِ مِنْ ذَهَبٍ، فَأَهَمَّهُ شَأْنُهُمَا، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فِي الْمَنَامِ أَنِ انْفُخْهُمَا، فَنَفَخَهُمَا فَطَارَا، فَأَوَّلَهُمَا بِكَذَّابَيْنِ يَخْرُجَانِ، وَهُمَا صَاحِبُ صَنْعَاءَ وَصَاحِبُ الْيَمَامَةِ. وَهَكَذَا وَقَعَ فَإِنَّهُمَا ذَهَبَا وَذَهَبَ أَمْرُهُمَا ; أَمَّا الْأَسْوَدُ فَذُبِحَ فِي دَارِهِ، وَأَمَّا مُسَيْلِمَةُ فَعَقَرَهُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْ وَحْشِيِّ بْنِ حَرْبٍ، رَمَاهُ بِالْحَرْبَةِ، فَأَنْفَذَهُ كَمَا تُعْقَرُ الْإِبِلُ، وَضَرَبَهُ أَبُو دُجَانَةَ عَلَى رَأْسِهِ فَفَلَقَهُ، وَذَلِكَ بِعُقْرِ دَارِهِ فِي الْحَدِيقَةِ الَّتِي يُقَالُ لَهَا: حَدِيقَةُ الْمَوْتِ. وَقَدْ وَقَفَ عَلَيْهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَهُوَ طَرِيحٌ، أَرَاهُ إِيَّاهُ مِنْ بَيْنِ الْقَتْلَى مُجَّاعَةُ بْنُ مُرَارَةَ، وَيُقَالُ: كَانَ أُصَيْفَرَ أُخَيْنِسَ. وَقِيلَ: كَانَ ضَخْمًا أَسْمَرَ اللَّوْنِ كَأَنَّهُ جَمَلٌ أَوْرَقُ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ مَاتَ وَعُمُرُهُ مِائَةٌ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قُتِلَ قَبْلَهُ وَزِيرَاهُ وَمُسْتَشَارَاهُ، لَعَنَهُمَا اللَّهُ، وَهَمَا مُحَكَّمُ بْنُ الطُّفَيْلِ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: مُحَكَّمُ الْيَمَامَةِ. قَتَلَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، رَمَاهُ بِسَهْمٍ وَهُوَ يَخْطُبُ قَوْمَهُ يَأْمُرُهُمْ بِمَصَالِحِ حَرْبِهِمْ فَقَتَلَهُ، وَالْآخَرُ نَهَارُ بْنُ عُنْفُوَةَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: الرَّجَّالُ بْنُ عُنْفُوَةَ، وَكَانَ مِمَّنْ أَسْلَمَ، ثُمَّ ارْتَدَّ وَصَدَّقَ مُسَيْلِمَةَ، لَعَنَهُمَا اللَّهُ، وَشَهِدَ لَهُ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ لَهُ أَنَّهُ قَدْ أُشْرِكَ فِي الْأَمْرِ مَعَهُ، وَقَدْ كَذَبَ الرَّجَّالُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، فِي هَذِهِ الشَّهَادَةِ، وَقَدْ رَزَقَ اللَّهُ زَيْدَ بْنَ الْخَطَّابِ قَتْلَهُ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ زَيْدٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৭
وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى كَذِبِ الرَّجَّالِ فِي هَذِهِ الشَّهَادَةِ الضَّرُورَةُ فِي دِينِ الْإِسْلَامِ، وَمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ مُسَيْلِمَةَ، لَعَنَهُ اللَّهُ، كَتَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُسَيْلِمَةَ رَسُولُ اللَّهِ إِلَى مُحَمَّدٍ رَسُولُ اللَّهِ، سَلَامٌ عَلَيْكَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي قَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَمْرِ مَعَكَ، فَلَكَ الْمَدَرُ وَلِيَ الْوَبَرُ. وَيُرْوَى: فَلَكُمْ نِصْفُ الْأَرْضِ وَلَنَا نِصْفُهَا، وَلَكِنَّ قُرَيْشًا قَوْمٌ يَعْتَدُونَ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولُ اللَّهِ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ الْأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ، وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ» . وَقَدْ قَدَّمْنَا مَا كَانَ يَتَعَاطَاهُ مُسَيْلِمَةُ وَيَتَعَانَاهُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، مِنَ الْكَلَامِ الَّذِي هُوَ أَسْخَفُ مِنَ الْهَذَيَانِ، مِمَّا كَانَ يَزْعُمُ أَنَّهُ وَحْيٌ مِنَ الرَّحْمَنِ، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُهُ وَأَمْثَالُهُ عُلُوًّا كَبِيرًا. وَلَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَعْمَ أَنَّهُ اسْتَقَلَّ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِهِ، وَاسْتَخَفَّ قَوْمَهُ فَأَطَاعُوهُ، وَكَانَ يَقُولُ: خُذِي الدُّفَّ يَا هَذِهِ وَالْعَبِي ... وَبُثِّي مَحَاسِنَ هَذَا النَّبِي تَوَلَّى نَبِيُّ بَنِي هَاشِمٍ ... وَقَامَ نَبِيُّ بَنِي يَعْرُبِ فَلَمْ يُمْهِلْهُ اللَّهُ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا قَلِيلًا حَتَّى سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِ سَيْفًا مِنْ سُيُوفِهِ، وَحَتْفًا مِنْ حُتُوفِهِ، فَبَعَجَ بَطْنَهُ، وَفَلَقَ رَأْسَهُ وَعَجَّلَ اللَّهُ بِرُوحِهِ إِلَى النَّارِ، فَبِئْسَ الْقَرَارُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا أَوْ قَالَ أُوحِيَ إِلَيَّ وَلَمْ يُوحَ إِلَيْهِ شَيْءٌ وَمَنْ قَالَ سَأُنْزِلُ مِثْلَ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّالِمُونَ فِي غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلَائِكَةُ بَاسِطُو أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُوا أَنْفُسَكُمُ الْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُونِ بِمَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ غَيْرَ الْحَقِّ وَكُنْتُمْ عَنْ آيَاتِهِ تَسْتَكْبِرُونَ} [الأنعام: 92] . فَمُسَيْلِمَةُ وَالْأَسْوَدُ وَأَمْثَالُهُمَا، لَعَنَهُمُ اللَّهُ، أَحَقُّ النَّاسِ دُخُولًا فِي هَذِهِ الْآيَةِ الْكَرِيمَةِ، وَأَوْلَاهُمْ بِهَذِهِ الْعُقُوبَةِ الْعَظِيمَةِ.