আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

الحوادث الواقعة في الزمان ووفيات المشاهير والأعيان سنة إحدى عشرة من الهجرة

خروج أبي بكر إلى ذي القصة

পৃষ্ঠা - ৫২৭৪

অর্থাৎ “আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তোমাদের মধ্যকার ঐ সব সােকদেরকে যারা ঈমান এনেছে শ্
ও সৎকর্ম করেছে যে, তাদেরকে তিনি পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেনই (২৪ নুর : ৫৫) ৷
এরপর তিনি ভাষণ শেষকরেন ৷ হাসান ও কাতাদ৷ নিম্নোক্ত আয়াত :

০ ’ ’

গ্রাহু




(হে মুমিনগণ, ৫৩ ৷মাদের মধ্য থেকে যে তার ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন
এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাকে তালবাসবে)-এর
তাফসীরে বলেন, এখানে আবু বকর (রা) ও তার সাথীরা মুরতাদ ও যাকাত অস্বীকারকারীদের
বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন, সে কথইি বলা হয়েছে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ইনতিকালের সময় আরববাসীরা মুরতাদ হয়ে যায়, কেবল দুটি
মসজিদের অধিবাসীরা বাদ ছিল, অর্থাৎ মক্কা ও মদীনার লোকজন ৷ আসাদ ও ষ্া৷তফান
গােত্রদ্বয়ের লোকেরা মুরতাদ হয়ে যায়, এদের নেতা ছিল ভুলায়হা ইবন খুওয়াইলিদ
আল আসাদী আল-কাহিন (গণক) ৷ কিনৃদার অধিবাসী এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার
লোকজনও মুরতাদ হয়ে যায় এবং তাদের নেতৃত্ব দেয় আশআছ ইবন কায়স আল কিনৃদী ৷
মায্হাজ ও তৎসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারাও ইসলাম ত্যাগ করে ৷ এদেরকে পরিচালনা করে
আসওদ ইবন কাব আল আনাসী, সেও ছিল গণক ৷ রাবীআ গোত্র মাগরুর ইবন নু মান ইবন
মুনযিরের নেতৃত্বে মুরতাদ হয়ে যায় ৷ হানীফ৷ গোত্র মুসায়লাম৷ ইবন হাবীব আল কাঘৃযারের
নেতৃত্বে একই পন্থা অবলম্বন করে ৷ সুলায়ম গোত্র ফাজ্বআর নেতৃত্বে মুরতাদ হয়ে যায় ৷
ফাজ্বআর আসল নাম ছিল আনাস ইবন আবদ্ ইয়ালীল ৷ বনু তামীম সাজাহ্ নান্নী মহিলা
গণকের নেতৃত্বে মুরতাদ হয়ে যায় ৷ কাসিম ইবন মুহাম্মদ বলেন, বনু আসাদ, বনু পাতফান ও
বনু তার তৃলায়হ৷ আল আসাদীর নেতৃত্বে একত্রিত হয় ৷ তারা মদীনায় একদল প্রতিনিধি প্রেরণ
করে ৷ আব্বাস ব্যতীত অন্যান্য লোকজন তাদেরকে নিয়ে খলীফা আবু বকরের নিকট আসে ৷
তারা বলে, আমরা সালাত আদায় করব, কিন্তু যাকাত দেবাে না ৷ এ সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত
গ্রহণের ব্যাপারে আল্লাহ হযরত আবু বকরের অম্ভরকে মজবুত করে দেন ৷ তিনি বললেন,
তোমরা যদি যাকার্তের একটি রশি দািতও অস্বীকার কর তা হলেও তোমাদের বিরুদ্ধে আমি
যুদ্ধ করব ৷ এ কথা বলে তিনি তাদেরকে ফিরিয়ে দেন ৷ তারা আপন লোকদের মাঝে ফিরে
গিয়ে জানাল এবং তাদেরকে মদীনায় কম সংখ্যক লোকের উপস্থিতির সুযোগে মদীনা
আক্রমণে তাদেরকে প্ররােচিত করল ৷

খলীফা আবু বকর (রা) মদীনায় সীমান্ত এলাকাসমুহে পাহারাদার নিযুক্ত করলেন এবং
মদীনাবাসীদেরকে নিয়মিত মসজিদে আসা বাধ্যতামুলক করলেন ৷ তিনি বললেন, পৃথিবী
কুফরীতে ছেয়ে গেছে ৷ তাদের প্রতিনিধিদল তোমাদের সংখ্যাল্পতা দেখে গেছে ৷ তােমরা জান
না যে, তারা দিনের ভাগে হামলা করবে, না কি রাত্রে ৷ তোমাদের থেকে তাদের নিকটতম
দুরত্ব এক বারীদ’ বা বার মাইল মাত্র ৷ তাদের প্রত্যাশা ছিল যে, আমরা তাদের প্রস্তাব মেনে
নেব ও তাদেরকে অব্যাহতি দেব, জ্যি আমরা তাদের প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করেছি ৷৩ তাই
তারা হামলা করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং অন্যদের থেকে সহযোগিতা লাভের চেষ্টা করছে ৷


بِخُيُولِ الْمُسْلِمِينَ، وَأَرْعَى سَائِرَ بِلَادِ الرَّبْذَةِ. وَلَمَّا فَرَّتْ عَبْسٌ وَذُبْيَانُ صَارُوا إِلَى مُؤَازَرَةِ طُلَيْحَةَ وَهُوَ نَازِلٌ عَلَى بُزَاخَةَ، وَقَدْ قَالَ فِي يَوْمِ الْأَبْرَقِ زِيَادُ بْنُ حَنْظَلَةَ: وَيَوْمٍ بِالْأَبَارِقِ قَدْ شَهِدْنَا ... عَلَى ذُبْيَانَ يَلْتَهِبُ الْتِهَابَا أَتَيْنَاهُمْ بِدَاهِيَةٍ نَسُوفٍ ... مَعَ الصِّدِّيقِ إِذْ تَرَكَ الْعِتَابَا ثُمَّ رَجَعَ الصِّدِّيقُ إِلَى الْمَدِينَةِ مُؤَيَّدًا مَنْصُورًا سَالِمًا غَانِمًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. [خُرُوجُ أَبِي بَكْرٍ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ] ذِكْرُ خُرُوجِهِ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ حِينَ عَقَدَ أَلْوِيَةَ الْأُمَرَاءِ الْأَحَدَ عَشَرَ عَلَى مَا سَيَأْتِي وَذَلِكَ بَعْدَ مَا جَمَّ جَيْشُ أُسَامَةَ وَاسْتَرَاحُوا، رَكِبَ الصِّدِّيقُ أَيْضًا فِي الْجُيُوشِ الْإِسْلَامِيَّةِ شَاهِرًا سَيْفَهُ مَسْلُولًا، مَنَ الْمَدِينَةِ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ، وَهِيَ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى مَرْحَلَةٍ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَقُودُ بِرَاحِلَةِ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، كَمَا سَيَأْتِي، فَسَأَلَهُ الصَّحَابَةُ، مِنْهُمْ عَلِيٌّ وَغَيْرُهُ، وَأَلَحُّوا عَلَيْهِ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَأَنْ يَبْعَثَ لِقِتَالِ الْأَعْرَابِ غَيْرَهُ مِمَّنْ يُؤَمِّرُهُ مِنَ الشُّجْعَانِ الْأَبْطَالِ، فَأَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ، وَعَقَدَ لَهُمُ الْأَلْوِيَةَ الْأَحَدَ عَشَرَ لِأَحَدَ عَشَرَ أَمِيرًا، عَلَى مَا سَنُفَصِّلُهُ قَرِيبًا
পৃষ্ঠা - ৫২৭৫

এরপর তিন দিন অতিবাহিত হরুআ তারা মদীনায় উপর আক্রমণ পরিচালনা করে এবং
রাত্রিকালেই হামলা করে ৷ তারা তাদের অর্ধেক লোকজনকে ষী-হুসান’ নামক স্থানে রেখে
আসে, যাতে করে ওরা পিছন থেকে সাহায্য করতে পারে ৷ মদীনায় সীমান্ত রক্ষীদেরকে তারা
খলীফা আবু বকরের নিকট হামলার সংবাদ জানাবার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেন ৷ খলীফা এই
রক্ষীদেয়কে পুনরায় তাদের নিকট নির্দেশ দিয়ে প্রেরণ করেন যে, তোমরা নিজেদের অবস্থানে
অবিচল থাকবে ৷ তারপর তিনি মসজিদে উপস্থিত লোকজন সহ তাদের দিকে এগিয়ে গেলেন ৷
শত্রুরা বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ল ৷ মুসলমানগণ উটের সওয়ার হয়ে তাদেরকে অনুসরণ করল ৷
যী হুসান নামক স্থানে পৌছলে সেখানে রক্ষিত বাহিনী এগিয়ে এসে এ বাহিনীর সাথে মিলিত
হয় ৷ যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে ৷ জনৈক করি বলেছেন :
,প্রুাৰু;৷ ৷
এন্ন্ন্পু৷ নৌ ৷ ;,াএ
অর্থাৎ “আমরা রাসুলুল্লাহ্র আনুগত্য তাে করেছি, যতদিন পর্যম্ভ তিনি আমাদের মাঝে
ছিলেন ৷ কিন্তু আল্লাহ্য় বান্দাদেয় এ কী হল, যা আবু বকরের সঙ্গে ঘটছে ৷ রাসুল কি মৃত্যুর
পরে আমাদের জন্যে আবু বকরকে রেখে নিয়েছেন? তা যদি হয়, তা’ হলে আল্লাহ্র কসম,
এটা হবে উম্মাহর শক্তিকে ভেঙ্গে দেয়ার নামান্তর ৷ তোমরা আমাদের প্রতিনিধি দলকে কেন
সেই মুহুর্তে ফেরত পাঠানো আর কেনইবা আবুবকরের প্রজাদের মৃত্যুর ব্যাপারে শঙ্কিত হলে
না? তারা তোমাদের নিকট যে জিনিসের প্রার্থনা করেছিল তোমরা তা মঞ্জুর করতে অস্বীকার
করেছ ৷ এ যেন ঠিক খুরমা চাওয়ার ন্যায় একটি বিষয় কিৎবা তার চেয়েও অধিকতর কাম্য
বস্তু ৷
জুমাদাল আখিয় মাসে খলীফা হযরত আবু বকর সিদ্দীক মদীনায় জনগণ ও সীমান্ত
রক্ষীদেয় নিয়ে পার্শ্ববর্তী আর বেদুঈনদেয় বিরুদ্ধে অভিযানে বেয় হন, যারা পুর্বে মদীনায় উপর
হামলা চালিয়েছিল ৷ তিনি বনু আব্বাস, বনু মুয়রা, বনু ষুব্য়ান এবং বনু কিনানার বিরুদ্ধে
অগ্রসর হন ৷ এসব গোত্রের লোকেরা খলীফায় বিরুদ্ধে শত্রুতায় লিপ্ত হয়েছিল ৷ তৃলায়হা তার
পুত্র হিবালকে দিয়ে এদের সহযোগিতা করেছিল ৷ উভয় লে যখন মুখোমুখি হল তখন গোত্রের
লোকেরা কৌশল অবলম্বন করে ৷ অর্থাৎ তারা পাহাড়ের উপরে উঠে যায় এবং সেখান থেকে
তীর ছুড়তে থাকে ৷ খলীফার বাহিনীর উটগুলো এ অবস্থা দেখে দৌড়ে পালায় ৷ রাত অবধি

সেগুলোকে আর থামান যায়নি ৷ অবশেষে সেগুলো মদীনায় ফিরে যায় ৷ এ প্রসঙ্গে খাতীল ইবন
আওস নিম্নোক্ত কবিতা লিখেছেন :

;গ্রু ব্লুশু
এেষ্া


إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَقَدْ رَوَى الدَّارَقُطْنِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ مُوسَى الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: لَمَّا بَرَزَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ وَاسْتَوَى عَلَى رَاحِلَتِهِ، أَخَذَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِزِمَامِهَا وَقَالَ: إِلَى أَيْنَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ أَقُولُ لَكَ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ " «شِمْ سَيَفَكَ، وَلَا تَفْجَعْنَا بِنَفْسِكَ» ". وَارْجِعْ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ فُجِعْنَا بِكَ لَا يَكُونُ لِلْإِسْلَامِ نِظَامٌ أَبَدًا. فَرَجَعَ. هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ. وَقَدْ رَوَاهُ زَكَرِيَّا السَّاجِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ مُوسَى بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ الزُّهْرِيِّ أَيْضًا، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: خَرَجَ أَبِي شَاهِرًا سَيْفَهُ رَاكِبًا عَلَى رَاحِلَتِهِ إِلَى وَادِي الْقَصَّةِ، فَجَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَأَخَذَ بِزِمَامِ رَاحِلَتِهِ فَقَالَ: إِلَى أَيْنَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ أَقُولُ لَكَ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ: «شِمْ سَيَفَكَ، وَلَا تَفْجَعْنَا بِنَفْسِكَ» ". فَوَاللَّهِ لَئِنْ أُصِبْنَا بِكَ لَا يَكُونُ لِلْإِسْلَامِ نِظَامٌ أَبَدًا. فَرَجَعَ وَأَمْضَى الْجَيْشَ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ سَهْلِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ: لَمَّا
পৃষ্ঠা - ৫২৭৬

অর্থাৎ “বনী যুবৃয়ানের জন্যে আমার বাহন ও উট উৎসর্গ হোক ৷ রাত্রিকালে আবু বকর
হুদী গান গাইতে গাইতে অস্ত্রশস্ত্র সহ চলে গেলেন ৷ কিন্তু লোকজন নিম্পেষিত হল ও এতো
দুর্বল হল যে, না সোজা হয়ে র্দাড়াবার ক্ষমতা থাকলো, না হেটে যাওয়ার শক্তি ৷ আল্লাহ্র আছে
এমন বাহিনী, যারা মনের মত স্বাদ মিটিয়ে দেয়, এটা হল যুগের আশ্চর্য বন্তুসমুহের মধ্যে
অন্যতম ৷ আমরা তাে রাসুলুল্লাহ্র আনুগত্য করেছি, যতদিন তিনি আমাদের মাঝে ছিলেন ৷
কিন্তু আল্লাহ্র বড়ান্দাদের এ কী হল, যা তারা আবু বকরের সাথে করছে!

ঘটনা বা ঘটার তাই ঘটে গেল ৷ লোকজন মুসলমানভৈদরকে দুর্বল ডাবল ৷ তারা অন্যান্য
দিক থেকে গোত্রের নিকট সংবাদ পাঠিয়ে লোকদেরকে সমবেত করলো ৷ আবু বকর (রা) সারা
রাত ধরে লোকদের সাথে ক্লান্ত শ্রান্ত অবস্থায় দাড়িয়ে কাটালেন, রাতের শেষভাগে একদল
সৈন্যসহ তিনি বের হলেন ৷ বাহিনীর ডানভাগে নুআন ইবন মুকার্বিন, বাম ভাগে তার ভাই
আবদুল্লাহ ইব ন মুকার্বিন এবং পশ্চাতভাগে তাদের অপর ভইি সুওয়ায়েদ ইবন মুকার্বিনকে
নিয়োগ করলেন ৷ ভোর হতে না হতেই একটি প্রাম্ভরে উভয় দল মুখোমুখি হয় ৷ কিন্তু শত্রুরা
মুসলমানদের কোন সাড়াশব্দ গেলো না ৷ এ অবস্থায় শত্রুদের উপর মুসলমানরা অতর্কিতে
ঝাপিয়ে পড়েন এবং সুর্য উদয় না হতেই তারা পরাজিত হয়ে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে ৷ হিবালসহ
তাদের বহু সংখ্যক লোক নিহত হয় ৷ খলীফা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেন এবং যুল-কিসৃসায়
অবতরণ করেন ৷ এটা ছিল প্রথম বিজয়, যা দ্বারা মুশরিকরা লাঞ্ছিত হয় এবং মুসলিমগণ
সম্মান লাভ করেন ৷ যুবৃয়ান ও আব্বাস গোত্রদ্বয় তাদের মাঝে বসবাসকারী ঘুসলমানদের উপর
হামলা করে তাদেরকে হত্যা করে ৷ অন্যান্য গোত্ররাও অনুরুপ কাজ করে ৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে
খলীফা আবু বকর কসম করেন যে, যে সব মুসলমানদেৱকে হত্যা করা হয়েছে তাদের বদলায়
ঐ পরিমাণ লোক তাদের গোত্র থেকে হত্যা করা হবে; বরং আরও কিছু অতিরিক্ত করা হবে ৷
যিয়াদ ইবন হানযালা তামীমী এ প্রসঙ্গে লিখেছেন :



অর্থাৎ “আবু বকর সকাল বেলা তাদের পানে দ্রুত ধাবিত হন যেমনটি হত্যাযােগ্য ব্যক্তি
তার মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয় ৷ আলীকে তাদের উপরে নেতা করে পাঠান, তিনি হিবালকে
সমুলে উৎখাত করেন ৷ তিনি আরও লিখেছেন :



;ওশু এে


অর্থাৎ “তাদের উদ্দেশ্যে আমরা উত্তর প্রান্তে অবস্থান গ্রহণ করলাম ৷ এরপর সৈন্যরা
যেভাবে জমায়েত হয় তারাও তদ্রাপ জমায়েত হল ৷ তারা বাহনগুলোকে রেখে শিবির স্থাপন
করে নিল ৷ সৈন্যদের অবস্থানকালে তারা যুদ্ধে টিকে থাকতে সমর্থ হয়নি ৷ এ ছিল সকাল

বেলার ঘটনা, যখন খলীফা আবু বকর লোকদেরকে সুবিন্যস্ত করছিলেন ৷ আমরা বনু আবাস ও
যুবৃয়ান গোত্রের উপর রাত্রিকালে হামলা চালাই এবং তাদেরকে যুদ্ধ থেকে নিবৃত্ত করি ৷ ’


اسْتَرَاحَ أُسَامَةُ وَجُنْدُهُ، وَقَدْ جَاءَتْ صَدَقَاتٌ كَثِيرَةٌ تَفْضُلُ عَنْهُمْ، قَطَعَ أَبُو بَكْرٍ الْبُعُوثَ، وَعَقَدَ الْأَلْوِيَةَ، فَعَقَدَ أَحَدَ عَشَرَ لِوَاءً ; عَقَدَ لِخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَأَمَرَهُ بِطُلَيْحَةَ بْنِ خُوَيْلِدٍ، فَإِذَا فَرَغَ سَارَ إِلَى مَالِكِ بْنِ نُوَيْرَةٍ بِالْبِطَاحِ إِنْ أَقَامَ لَهُ، وَلِعِكْرِمَةَ بْنِ أَبِي جَهْلٍ، وَأَمَرَهُ بِمُسَيْلِمَةَ، وَبَعَثَ شُرَحْبِيلَ ابْنَ حَسَنَةَ فِي أَثَرِهِ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، ثُمَّ إِلَى بَنِي قُضَاعَةَ. وَلِلْمُهَاجِرِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ، وَأَمَرَهُ بِجُنُودِ الْعَنْسِيِّ، وَمَعُونَةِ الْأَبْنَاءِ عَلَى قَيْسِ بْنِ مَكْشُوحٍ - قُلْتُ: وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ نَزَعَ يَدَهُ مِنَ الطَّاعَةِ، عَلَى مَا سَيَأْتِي - قَالَ: وَلِخَالِدِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ إِلَى مَشَارِفِ الشَّامِ. وَلِعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ إِلَى جِمَاعِ قُضَاعَةَ وَوَدِيعَةَ وَالْحَارِثِ. وَلِحُذَيْفَةَ بْنِ مِحْصَنٍ الْغَطَفَانِيِّ، وَأَمَرَهُ بِأَهْلِ دَبَا. وَلِعَرْفَجَةَ بْنِ هَرْثَمَةَ وَأَمَرَهُ بِمَهْرَةَ. وَلِطَرِيفَةَ بْنِ حَاجِزٍ، وَأَمَرَهُ بِبَنِي سُلَيْمٍ وَمَنْ مَعَهُمْ مِنْ هَوَازِنَ. وَلِسُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ، وَأَمَرَهُ بِتِهَامَةِ الْيَمَنِ. وَلِلْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، وَأَمَرَهُ بِالْبَحْرَيْنِ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَدْ كَتَبَ لِكُلِّ أَمِيرٍ كِتَابَ عَهْدِهِ عَلَى حِدَتِهِ، فَفَصَلَ كُلُّ أَمِيرٍ بِجُنْدِهِ مِنْ ذِي الْقَصَّةِ، وَرَجَعَ الصِّدِّيقُ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَقَدْ كَتَبَ مَعَهُمُ الصِّدِّيقُ كِتَابًا إِلَى الْمُرْتَدَّةِ، وَهَذِهِ نُسْخَتُهُ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ أَبِي بَكْرٍ خَلِيفَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَنْ بَلَغَهُ كِتَابِي هَذَا مِنْ عَامَّةٍ وَخَاصَّةٍ، أَقَامَ عَلَى إِسْلَامِهِ أَوْ رَجَعَ
পৃষ্ঠা - ৫২৭৭

এ ছিল ইসলাম ও মুসলমানদের বিরটি বিজয় ৷ সমস্ত গোত্রে মুসলমানগণ সম্মানিত এবং
কাফিররা লাঞ্ছিত হয় ৷ খলীফা আবু বকর বিজয়ী বেশে মদীনায় প্রবেশ করেন ৷ রাত্রিবেলা
মদীনা শহরে আদী ইবন হাতিম, সাফওয়ান ও যবরকানের প্রদত্ত যাকাতের মাল এসে পৌছল ৷
প্রথম দফা যাকাত আসে রাতের প্রথম ভাগে, দ্বিতীয় দফা যাকাত আসে রাতের মধ্য ভাগে
এবং তৃতীয় দফা যাকাত আসে রাতের শেষ ভাগে ৷ প্রতিবার যাকাতের সাথে সীমান্ত রক্ষী
আমীরের এক একজন সৃ-সংবাদ বহনকারী হিসেবে আগমন করেন ৷ সাফওয়ানের যাকাতের

ৎবাদ বহনকারী ছিলেন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস, যাবরকানের সংবাদ বহনকারী আবদুর
রহমান ইবন আওফ এবং আদী ইবন হাতিমের যাকাতের সংবাদ বহনকারী ছিলেন আবদুল্লাহ্
ইবন মাসউদ (রা) মতাম্ভরেআবুকাতড়াদা আনসারী (রা) ৷

এ ঘটনা সংঘটিত হয় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ইনতিকালের ষাট দিনের মাথায় ৷ এর কয়েক
দিন পর উসামা ইবন যায়দ মদীনায় এসে পৌছেন ৷ আবু বকর তাকে মদীনায় দায়িত্বভার
দিলেন এবং বাহনগুলিকে বিশ্রাম দিতে বললেন ৷ তারপর হযরত আবু বকর পুর্বোল্পেখিত
যিল-কিসৃসার অভিযানের সঙ্গীদের নিয়ে অভিযানে বের হন ৷ মুসলমানগণ তড়াকে মদীনায় ফিরে
গিয়ে অন্য কাউকে পাঠিয়ে দেয়ার জন্যে অনুরোধ করলেন ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম,
আমি তড়া’ করব না ৷ আমি নিজেই তোমাদের দুঃখ-কষে ৷ট শরীক থাকতে চাই ৷ এরপর তিনি
একদল ৰুসৈন্যসহ ঘু-হুসান ও যুল কিসৃসার দিকে যান ৷ মুকার্বিনের পুএগণ-নুমান, আবদৃল্লাহ্ ও
সৃ-ওয়াইদ পুর্বের স্থানেই বহাল থাকেন ৷ খলীফা আবরাকে এলাকায় রাবাযীবাসীদের নিকট
উপনীত হন ৷ সেখানে ছিল আবাস, যুবয়ান ও কিনানা গোত্রের কয়েকটি দল ৷ তাদের সাথে
খলীফার যুদ্ধ হয় ৷ যুদ্ধে হারিছ ও আওফ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় ৷ তাদের অনেক লোক
বন্দী হয় ৷ বনু আবাস ও বনু বকর উৎথাত হয় ৷ আবু বকর (রা) আবরাকে কয়েকদিন যাবত
অবস্থান করেন ৷ এলাকার উপর বানী যুবয়ান বিজয় লাভ করে ৷ আবু বকর (রা) বলেন,
এলাকার মালিক বানী যুবয়ান হতে পারবে না ৷ কেননা, এটাকে আল্পাহ্ গনীমত হিসেবে
আমাদেরকে দান করেছেন এবং মুসলমানদের অশ্বের সাহায্যে আবরাক এলাকাকে সংরক্ষিত
রেখেছেন ৷ রাবাযার সমগ্র এলাকাকে তিনি চারণ ভুমি করেছেন ৷ আবাস ও যুবয়ান গোত্রের
লোকজন ভালহাব দলের দিকে পলায়ন করে, তখন সে বুযাখড়ায় অবস্থান করছিল ৷ আবরাক
ঘটনার দিন সম্পর্কে যিয়াদ ইবন হানযালা লিখেছেন :

ণ্গ্রা


অর্থ : স্মরণযোগ্য সেই দিনের কথা, যেই দিন আমরা আবরাকের যুদ্ধে যুবৃয়ানের বিরুদ্ধে
লড়াই করেছিলাম ৷ তখন তারা ক্রেড়াধের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিয়েছিল ৷ আমরা খলীফা

সিদ্দীকের সাথে চুড়ান্ত যুদ্ধে লিপ্ত হই ৷ ফলে কাউকে রেহইি দেওয়া হয় নইি ৷ তিনি তখন
দােষড়ারোপ পরিহার করেন ৷

যুল কিস্সা অভিযান

উসামা বাহিনীর প্রত্যাবর্তন ওবিশ্রাম গ্রহণের পর এ ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ খলীফা হযরত
আবু বকর সিদ্দীক কোষমুক্ত তরবারী নিয়ে মুসলিম বাহিনীসহ মদীনা থেকে যুল-কিস্সা গমন


عَنْهُ، سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، وَلَمْ يَرْجِعْ بَعْدَ الْهُدَى إِلَى الضَّلَالَةِ وَالْهَوَى، فَإِنِّي أَحْمَدُ اللَّهَ إِلَيْكُمُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، نُقِرُّ بِمَا جَاءَ بِهِ، وَنُكَفِّرُ مَنْ أَبَى ذَلِكَ وَنُجَاهِدُهُ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ اللَّهَ أَرْسَلَ مُحَمَّدًا بِالْحَقِّ مِنْ عِنْدِهِ إِلَى خَلْقِهِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا، وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُنِيرًا، لِيُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ، فَهَدَى اللَّهُ بِالْحَقِّ مَنْ أَجَابَ إِلَيْهِ، وَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَدْبَرَ عَنْهُ، حَتَّى صَارَ إِلَى الْإِسْلَامِ طَوْعًا وَكَرْهًا، ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ نَفَذَ لِأَمْرِ اللَّهِ، وَنَصَحَ لِأُمَّتِهِ، وَقَضَى الَّذِي عَلَيْهِ، وَكَانَ اللَّهُ قَدْ بَيَّنَ لَهُ ذَلِكَ، وَلِأَهْلِ الْإِسْلَامِ فِي الْكِتَابِ الَّذِي أَنْزَلَ فَقَالَ: {إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ} [الزمر: 30] . وَقَالَ: {وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِنْ قَبْلِكَ الْخُلْدَ أَفَإِنْ مِتَّ فَهُمُ الْخَالِدُونَ} [الأنبياء: 34] . وَقَالَ لِلْمُؤْمِنِينَ: {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ} [آل عمران: 144] . فَمَنْ كَانَ إِنَّمَا يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللَّهَ فَإِنَّ اللَّهَ حَيٌّ لَا يَمُوتُ، وَلَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ، حَافِظٌ لِأَمْرِهِ، مُنْتَقِمٌ مِنْ عَدُّوِهِ، وَإِنِّي أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَحَظِّكُمْ وَنَصِيبِكُمْ مِنَ اللَّهِ، وَمَا جَاءَكُمْ بِهِ نَبِيُّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْ تَهْتَدُوا بِهُدَاهُ، وَأَنْ تَعْتَصِمُوا بِدِينِ اللَّهِ، فَإِنَّ كُلَّ مَنْ لَمْ يَهْدِهِ اللَّهُ ضَالٌّ، وَكُلَّ مَنْ لَمْ يُعَافِهِ
পৃষ্ঠা - ৫২৭৮

করেন ৷ মদীনা থেকে এ স্থানটি এক দিনের দুরত্বে অবস্থিত ৷ হযরত আলী খলীফার বাহনকে
নিয়ে যাচ্ছিলেন-যার বর্ণনা পরে আসছে ৷ আলী সহ কতিপয় সাহারা খলীফাকে মদীনায় ফিরে
গিয়ে অন্য কোন বীরকে পাঠানোর অনুরোধ জানান ৷ খলীফা তাদের কথায় সাড়া দিয়ে এপার
জন আমীরের নিকট এগারটি ঝাণ্ডা বেধে দিয়ে তাদেরকে অভিযানে পাঠালেন ৷ দারা কুতনী
আবদ্বণ ওহাব ইবন মুসা যুহরীব বরাতে হযরত ইৰুন উমর থেকে বর্ণনা করেন, খলীফা
আবু বকর যুল কিসৃসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে যখন বাহনে চড়েন, তখন হযরত আলী বাহনের
লাগাম ধরে জিজ্ঞেস করেন, হে রাসুলুল্পাহ্র খলীফা, আপনি কোথায় চলােছন? আমি
আপনাকে সেই কথাটি বলতে চইি, যে কথা রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদের যুদ্ধকালে আমাকে
বলেছিলেন ৷ আপনাকে কেন তরবারি ধরতে হবে? আপনি আমাদেরকে দৃশ্চিন্তা ও বিপদের
মধ্যে ফেলবেন না ৷ আপনি মদীনায় ফিরে যান ৷ কসম আল্লাহ্র, যদি আপনার ব্যাপারে আমরা
শংকিত ও বিপদগ্রস্ত হই তা হলে ইসলামের রষ্টীয় ব্যবস্থা আর কখনও কায়েম হবে না ৷ তখন
খলীফা প্রত্যাবর্তন করেন ৷

মালিক সুত্রে এ বর্ণনাটি গরীব পর্যায়ের ৷ কিন্তু যাকারিয়া আবদুল ওহাবের সুত্রে
আবদুর রহমান ইবন আওফ থেকে এবং যুহরী আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বললেন, আমার পিতা উন্মুক্ত তরবারি হাতে বাহনে চড়ে ওয়াদিউল কিসৃসাৱ দিকে বের হয়ে
পড়েন ৷ এ সময় আলী এসে বাহনের লাগাম ধরে জিজ্ঞেস করলেন, হে রাসুলুল্লাহ্র খলীফা!
কোথায় যাচ্ছেন? আমি আপনাকে সেই কথাটি বলতে চইি যেই কথাটি রাসুলুল্লাহ্ (সা)
উহুদের যুদ্ধের দিন বলেছিলেন, আপনার হাতে তরবারি কেন? আপনার ব্যাপারে আমাদেরকে
চিন্তায় ফেলবেন না ৷ আল্লাহ্র কসম, আপনাকে যদি আমরা হারিয়ে ফেলি, তা হলে আপনার
পরে ইসলামের রাদ্রীয় ব্যবস্থা আর টিকে থাকবে না ৷ তখন খলীফা ফিরে যান এবং সৈন্য
বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ সায়ফ ইবন উমর কাসিম ইবন মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন,
উসামা ও তার বাহিনী যুদ্ধ থেকে ফিরে আসে প্রচুর পরিমাণ সাদকার মালসহ, হযরত আবু
বকর তখন কতকগুলি বাহিনী তৈরী করেন ৷ তিনি সৈন্যদেরকে এগারটি বিগ্রেডে বিভক্ত
করেন ৷ এবং এগারটি পতাকা বেধে দেন ৷ একটি পতাকা দেন খালিদ ইবন ওলীদের হাতে ৷
খলীফা তড়াকে তৃলায়হা ইবন খুওয়ায়লিদের মুকাবিলার নির্দেশ দেন এবং এখানকার বিদ্রোহ
দমন করে বাতাহ্ এলাকায় মালিক ইবন নুওয়ায়রার মুকাবিলার যেতে বলেন ৷

ইকরামা ইবন আবু জাহলেৱ নেতৃত্বে আর একটি বিগ্রেডকে মুসায়লামার বিরুদ্ধে নিয়োগ
করেন ৷ শুরাহ্বীল ইবন হাসনাকে ইকরামার বাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে মুসায়লামাৱ বিদ্রোহ
দমন করে বনু কুজাআর বিরুদ্ধে যেতে বলেন ৷ আবু উম্যায়্যার নেতৃত্বে মুহাজিরদের একটি
বিগ্রেডকে আসওদ আনাসীর বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন এবং কায়স ইবন মাকশুহ্ এর
বিরুদ্ধে লোকদের সাহায্য করার নির্দেশ দেন ৷ আমি (গ্রন্থকার) বলি, এ নির্দেশ এ কারণে
দেয়া হয়েছিল যে, সে আনুগত্য পরিত্যাগ করেছিল ৷ সামনে এ ব্যাপারে আলোচনা আসবে ৷
খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আসের বিগ্রেডকে সিরিয়ার এবং আমর ইবনুল আসের বিগ্রেডকে
কুজাআ, ওদীআ ও হারিছ গোত্রের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন ৷ হুযায়ফা ইবন মিহ্সানের অধীনে
আর এক বিগ্রেডকে দাবা, আরফাজা, হারছামা ও অন্যান্য অঞ্চলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে
পাঠান ৷ তৃরফা ইবন হাজ্যিবর অধীনে এক বিগ্রেড পাঠান বনী সুলায়ম ও হাওয়াযিনেৱ


مُبْتَلًى، وَكُلَّ مَنْ لَمْ يُعِنْهُ اللَّهُ مَخْذُولٌ، وَمَنْ هَدَاهُ اللَّهُ كَانَ مُهْتَدِيًا، وَمَنْ أَضَلَّهُ كَانَ ضَالًّا، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {مَنْ يَهْدِ اللَّهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ وَلِيًّا مُرْشِدًا} [الكهف: 17] . وَلَمْ يُقْبَلْ مِنْهُ فِي الدُّنْيَا عَمَلٌ حَتَّى يُقِرَّ بِهِ، وَلَمْ يُقْبَلْ لَهُ فِي الْآخِرَةِ صَرْفٌ وَلَا عَدْلٌ، وَقَدْ بَلَغَنِي رُجُوعُ مَنْ رَجَعَ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ بَعْدَ أَنْ أَقَرَّ بِالْإِسْلَامِ، وَعَمِلَ بِهِ ; اغْتِرَارًا بِاللَّهِ وَجَهْلًا بِأَمْرِهِ، وَإِجَابَةً لِلشَّيْطَانِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ أَفَتَتَّخِذُونَهُ وَذُرِّيَّتَهُ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِي وَهُمْ لَكُمْ عَدُوٌّ بِئْسَ لِلظَّالِمِينَ بَدَلًا} [الكهف: 50] . وَقَالَ: {إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ} [فاطر: 6] . وَإِنِّي بَعَثْتُ إِلَيْكُمْ فُلَانًا فِي جَيْشٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَالتَّابِعَيْنِ بِإِحْسَانٍ، وَأَمَرْتُهُ أَنْ لَا يَقْبَلَ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا الْإِيمَانَ بِاللَّهِ، وَلَا يَقْتُلُهُ حَتَّى يَدْعُوَهُ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَإِنْ أَجَابَ وَأَقَرَّ وَعَمِلَ صَالَحَا، قَبِلَ مِنْهُ وَأَعَانَهُ عَلَيْهِ، وَإِنْ أَبَى، حَارَبَهُ عَلَيْهِ حَتَّى يَفِيءَ إِلَى أَمْرِ اللَّهِ، ثُمَّ لَا يُبْقِي عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ قَدَرَ عَلَيْهِ، وَأَنْ يَحْرِقَهُمْ بِالنَّارِ وَأَنْ يَقْتُلَهُمْ كُلَّ قِتْلَةٍ، وَأَنْ يَسْبِيَ النِّسَاءَ وَالذَّرَارِيَّ، وَلَا يَقْبَلَ مَنْ أَحَدٍ غَيْرَ الْإِسْلَامِ، فَمَنِ اتَّبَعَهُ فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ، وَمَنْ تَرَكَهُ فَلَنْ يُعْجِزَ اللَّهَ، وَقَدْ أَمَرْتُ رَسُولِي أَنْ يَقْرَأَ كِتَابَهُ فِي كُلِّ مَجْمَعٍ لَكُمْ، وَالدَّاعِيَةُ الْأَذَانُ، فَإِذَا أَذَّنَ الْمُسْلِمُونَ فَكُفُّوا عَنْهُمْ، وَإِنْ لَمْ يُؤَذِّنُوا عَاجِلُوهُمْ، وَإِنْ أَذَّنُوا فَسَلُوهُمْ مَا عَلَيْهِمْ، فَإِنْ أَبَوْا