আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

الحوادث الواقعة في الزمان ووفيات المشاهير والأعيان سنة إحدى عشرة من الهجرة

خروج الأسود العنسي

পৃষ্ঠা - ৫২৫৮

হয়ে থাকে? মহাকালের করাল গ্ৰাসে তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে ৷ তাদের কৃতিত্ব বিলীন হয়ে
গেছে ৷ নিকৃষ্ট পুরুষের জন্যে নিকৃষ্ট নারী এবং নিকৃষ্ট নারীদের জন্যে নিকৃষ্ট পুরুষই পােভনীয় ৷
সেই সব রজাে বাদশারা আজ কোথায়, যারা পৃথিবীকে প্রাধান্য দিয়েছে ও আবাদ করেছে?
অতীতের গর্ভে তারা বিলীন হয়ে গেছে ৷ ভুলেও তাদের নাম স্মরণ করা হয় না, যেন তাদের
অস্তির্তৃই কোন কালে ছিল না ৷ তবে আল্লাহ তাআলা তাদের পরে অনুপামী রেখে দিয়েছেন ৷
তাদের থেকে লালসা বিজ্জি করে দিয়েছেন ৷ তারা চলে গেছে, তারা যে আমল করে গিয়েছে,

তাই তাদের সাথে গিয়েছে ৷ দুনিয়ার অধিকারী হয়েছে অন্যরা ৷ আমাদেরকে তাদের পরে
পাঠান হয়েছে ৷ যদি আমরা তাদের থেকে উপদেশ গ্রহণ করি৩ তাহলে আমরা পরিত্রাণ পাব ৷
আর যদি আমরা নিম্নপামী হই৩ ৷ তাহলে৩ তাদের সমতুল্য হব ৷ সমুজ্জ্বল সুন্দর চেহারার অধিকারী
লোকেরা কোথায় গেল, যারা তাদের যৌবনের তাড়নায় ছিল মত্ত ৷ তারা সবই ধুলিতে পরিণত
হয়েছে ৷ তাদের বড়ােবাড়ি তাদের জন্যেই অনুশোচনার কারণ হয়ে র্দাড়িয়েছে ৷ কোথায় গেল
সেই সব লোক, যারা শহর নগর তৈরী করেছিল, এবং প্রাচীর দ্বারা সেগুলোর নিরাপত্তা বেষ্টনী
বানিয়েছিল, আর বিভিন্ন রকম বিস্ময়কর জিনিস সেগুলোর মধ্যে গড়ে তুলেছিল? সে সবই
পরবর্তীদের জন্যে রেখে গিয়েছে ৷ ঐ সবই তাদের বসত বাড়ির ধ্বং সাবশেষ, আর তারা

ও : :

কবরের অন্ধকারে বন্দী “আপনি কি

তাদের কারো সাড়া পান, অথবা তাদের ক্ষীণতম আওয়াজ শুনতে পান”? (১৯ মারয়ামও
৯৮) ৷

তোমাদের রাপ-দাদা, ভাই-বন্ধু যাদেরকে তোমরা দেখেছ, তারা আজ কোথায়? তাদের
নির্ধারিত সময় খতম হয়ে গেছে ৷ যেরুপ কাজ তারা করেছিল সে দিবেইি তাদেরকে ফিরিয়ে
নেওয়া হয়েছে, তারই পরিণতি তাদেরকে দেওয়া হয়েছে ৷ মৃত্যুর পরে হয় নিকৃষ্ট না হয় উৎকৃষ্ট
অবস্থার মধ্যেই তারা অবস্থান করছে ৷ জেনে ব্লেখো, আল্লাহ্ একক-অদ্বিতীয়, তার কোন শরীক
নেই ৷ তার ও বান্দার মাঝে আনুগত্য ও হুকুম পালন করা ব্যতীত এমন কােনসুত্র নেই, যার
সাহায্যে তিনি তাকে কল্যান দান করবেন, আর এমন কোন সম্পর্কও নেই, যার ফলে তিনি
তার অকল্যাণ দুর করে দেবেন ৷ মনে রেখ, তোমরা কেবল মাত্র তার অনুগত বন্দো ৷ তার
নিকট যে সব নিয়ামত রয়েছে তা তার আনুগত্য ছাড়া লাভ করা যাবে না ৷ সাবধান ! তোমাদের
কারও জন্যে জাহান্নড়ামও কাছে নয়, আর জান্নাতও দুরে নয় ৷

উসমো ইবন যায়দের বাহিনীকে অভিযানে প্রেরণ
সিরিয়ার বালকা সীমান্তে অভিযান চালানোর জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক বাহিনীকে নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷ কিছুদিন পুর্বে এখানেই হযরত যায়দ ইবন হড়ারিছা, জাফর ও আবদৃল্লাহ্ ইবন
রাওয়াহা শহীদ হয়েছিলেন ৷ এই অঞ্চলেই উক্ত বাহিনীকে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷
সুতরাং উক্ত বাহিনী জুরফ নামক স্থানে গিয়ে শিবির স্থাপন করল ৷ হযরত উমর ইবন খাত্তাব
(রা)ও ঐ বাহিনীতে ছিলেন ৷ হযরত আবু বকর (রা)-কে সালাতেন্ইমামতি করার জন্যে রেখে
দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জীবন যখন সংকটাপন্ন হয়ে উঠল তখন উক্ত বাহিনী সেখানে
অবস্থান করতে থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতিকাল হলে ইসলামের উপর মহা বিপর্যয়
নেমে আসে, রা;ষ্টীয় ব্যবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে, মদীনায় মুনাফিকরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ৷


عُكَّاشَةُ بْنُ ثَوْرِ بْنِ أَصْغَرَ، وَعَلَى السَّكُونِ وَبَنِي مُعَاوِيَةَ بْنِ كِنْدَةَ، وَبَعَثَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ مُعَلِّمًا لِأَهْلِ الْبَلَدَيْنِ ; الْيَمَنِ وَحَضْرَمَوْتَ، يَتَنَقَّلُ مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ. ذَكَرَهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، وَذَلِكَ كُلُّهُ فِي سَنَةِ عَشْرٍ فِي آخِرِ حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ إِذْ نَجَمَ هَذَا اللَّعِينُ الْأَسْوَدُ الْعَنْسِيُّ [خُرُوجُ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ] وَاسْمُهُ عَبْهَلَةُ بْنُ كَعْبِ بْنِ غَوْثٍ، مِنْ بَلَدٍ يُقَالُ لَهَا: كَهْفُ خُبَّانَ. فِي سَبْعِمِائَةِ مُقَاتِلٍ، وَكَتَبَ إِلَى عُمَّالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّهَا الْمَوْرُودُونَ عَلَيْنَا، أَمْسِكُوا عَلَيْنَا مَا أَخَذْتُمْ مِنْ أَرْضِنَا، وَوَفِّرُوا مَا جَمَعْتُمْ، فَنَحْنُ أَوْلَى بِهِ، وَأَنْتُمْ عَلَى مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ. ثُمَّ رَكِبَ فَتَوَجَّهَ إِلَى نَجْرَانَ فَأَخَذَهَا بَعْدَ عَشْرِ لَيَالٍ مِنْ مَخْرَجِهِ، ثُمَّ قَصَدَ إِلَى صَنْعَاءَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ شَهْرُ بْنُ بَاذَامَ فَتَقَاتَلَا، فَغَلَبَهُ الْأَسْوَدُ وَقَتَلَهُ، وَكَسَرَ جَيْشَهَ مِنَ الْأَبْنَاءِ، وَاحْتَلَّ بَلْدَةَ صَنْعَاءَ لِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً مِنْ مَخْرَجِهِ، فَفَرَّ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ مِنْ هُنَالِكَ، وَاجْتَازَ بِأَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، فَذَهَبَا إِلَى حَضْرَمَوْتَ، وَانْحَازَ عُمَّالُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الطَّاهِرِ، وَرَجَعَ عَمْرُو بْنُ حَزْمٍ وَخَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫২৫৯
الْعَاصِ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَاسْتَوْثَقَتِ الْيَمَنُ بِكَمَالِهَا لِلْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ، وَجَعَلَ أَمْرُهُ يَسْتَطِيرُ اسْتِطَارَةَ الشَّرَارَةِ، وَكَانَ جَيْشُهُ يَوْمَ لَقِيَ شَهْرًا سَبْعَمِائَةِ فَارِسٍ، وَأُمَرَاؤُهُ قَيْسُ بْنُ عَبْدِ يَغُوثَ الْمُرَادِيُّ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ قَيْسٍ، وَيَزِيدُ بْنُ مُخَزَّمٍ، وَيَزِيدُ بْنُ حُصَيْنٍ الْحَارِثِيُّ، وَيَزِيدُ بْنُ الْأَفْكَلِ الْأَزْدِيُّ، وَاشْتَدَّ مُلْكُهُ، وَاسْتَغْلَظَ أَمْرُهُ، وَارْتَدَّ خَلْقٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ، وَعَامَلَهُ الْمُسْلِمُونَ الَّذِينَ هُنَاكَ بِالتَّقِيَّةِ، وَكَانَ خَلِيفَتُهُ عَلَى مَذْحِجٍ عَمْرُو بْنُ مَعْدِ يكَرِبَ، وَأَسْنَدَ أَمْرَ الْجُنْدِ إِلَى قَيْسِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، وَأَسْنَدَ أَمْرَ الْأَبْنَاءِ إِلَى فَيْرُوزَ الدَّيْلَمِيِّ وَدَاذَوَيْهِ، وَتَزَوَّجَ امْرَأَةَ شَهْرِ بْنِ بَاذَامَ، وَهِيَ ابْنَةُ عَمِّ فَيْرُوزَ الدَّيْلَمِيِّ، وَاسْمُهَا آزَاذُ، وَكَانَتِ امْرَأَةً حَسْنَاءَ جَمِيلَةً، وَهِيَ مَعَ ذَلِكَ مُؤْمِنَةٌ بِاللَّهِ وَرَسُولِهُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمِنَ الصَّالِحَاتِ. قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ: وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِتَابَهُ حِينَ بَلَغَهُ خَبَرُ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: وَبَرُ بْنُ يُحَنِّسَ الدَّيْلَمِيُّ. يَأْمُرُ الْمُسْلِمِينَ الَّذِينَ هُنَاكَ بِمُقَاتَلَةِ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ وَمُصَاوَلَتِهِ، وَقَامَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ بِهَذَا الْكِتَابِ أَتَمَّ
পৃষ্ঠা - ৫২৬০

পার্শ্ববর্তী আরব গোত্র সমুহের লোকজন ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায় ৷ অপর একদল
প্সিদ্দীকে আকবরের নিকট যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় ৷ মক্কা ও মদীনা ব্যতীত দেশের
অন্য কোন শহর জুমার জন্যে অবৰিষ্টি থাকল না ৷ ইসলাম বিস্তারের পর বাহ্রায়নের জুওয়ড়াছ-ই
হচ্ছে প্রথম জনপদ যেখানে মুসলমানগণ জুমআর সালাত আদায় করেন-ইমাম বুখারী ইবন
আব্বাস (রা) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তায়িফের ছাকীফ গোত্র ইসলামের উপর
প্রতিষ্ঠিত ছিল ৷ তারা পলায়নও করেনি, মুরতাদও হয়নি ৷

মােটকথা, এই সব অবস্থা যখন দেখা দিল তখন অনেকেই হযরত আবু বকর সিদ্দীককে
অনুরোধ জানাল যে , এ মুহুর্তে তিনি যেন উসামার বাহিনীকে অভিযানে না পাঠান, বরং রাষ্টের
অধিকতর গুরুত্বপুর্ণ কাজে তাদেরকে ব্যবহার করেন ৷ কেননা, এই বাহিনীকে শান্তিপুর্ণ অবস্থায়
প্রন্তুত করা হয়েছিল ৷ যারা হযরত আবু বকরের কাছে সুপারিশ করেছিলেন তাদের মধ্যে হযরত
উমরও ছিলেন ৷

কিন্তু হযরত আবু বকর তাদের এ বাধা শুনলেন না, তিনি দৃঢ়ভারে এ সুপারিশ প্রত্যাখ্যান
করেন এবং উসামার বাহিনীকে অভিযানে প্রেরণের ব্যাপারে অটল থাকেন ৷ তিনি দৃঢ় কণ্ঠে
ঘোষণা করলেন, আল্লাহ্র কসম, আমি সেই বন্ধন খুলতে পারব না, যে বন্ধন আল্লাহর রাসুল
দিয়েছেন (অর্থাৎ তার গঠিত বাহিনী আমি ভাঙতে পারব না), এমন কি বায পাখী যদি উপর
থেকে এসে ছে৷ মেরে আমাদেরকে উঠিয়ে নেয়, হিংস্র জীব আনোয়ার যদি মদীনায় চারপাশে
এসে আমাদেরকে ঘেরাও করে, ব্যাঘ্র দল যদি উম্মুল মু’মিনীদের পা কামড়িয়ে টেনে নিয়ে যায়,
তবুও আমি উসামার বাহিনীকে অভিযানে পাঠাব এবং মদীনায় চারপাশে পাহারা জোরদার
করব ৷

সুতরাং অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ঐ সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযানে বের হওয়াই ছিল
অধিকতর যুক্তিসঙ্গত : উক্ত বাহিনী অভিযানে পথ চলাকালে যেই কোন জনপদ অতিক্রম
করেছিল, তার মুসলমানদের ভয়ে আতৎকগ্নস্ত হয়ে পড়েছিল ৷ কথিত আছে, তারা যেই কোন
বসতি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তাদের উপর তাদের বিপুল প্রভাব সৃষ্টি হত ৷ তারা বলাবলি
করত যে, তাদের যদি শক্ত প্রতিরোধ শক্তি না-ই থাকতো, তাহলে তারা তাদের স্বদেশ থেকে
কােনমতেই বের হতেন না ৷ চল্লিশ কিৎবা সত্তর দিন অবস্থানের পর উসামার বাহিনী অক্ষত
অবস্থায় গনীমত সম্ভারসহ প্রতদ্রড়াবর্তন করে ৷ তারপর এ বাহিনীকে মুরতাদ ও যাকাত
অম্বীকারকায়ীদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করা হয় ৷ পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা আসবে ৷

সায়ফ ইবন উমার উরওয়া থেকে বর্ণনা করেন, হযরত আবু বকরের হাতে যখন
খিলাফতেয় বায়আত গ্রহণ করা হল এবং আনসারগণ তাদের মতবিরোধ যেটানাের জন্যে
সমবেত হলেন, তখন হযরত আবু বকর বললেন, তোমরা যদি উসামার বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত
হতে, তাহলে কজীনা ভাল হত! অথচ ঐ সময় বহু আরব বেদৃইন এবং তাদের দলপতিরা
ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে গেছে ৷ প্রতিটি গোত্রেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ৷ মুনাফিকরা

ৎঘবদ্ধ হয়েছে, ইয়াহ্রদী ও নাসারাগণ ঔদ্ধত্য প্রদর্শনের নেশায় যেতে উঠেছে ৷ অপর দিকে

নবীকে হারিয়ে মুসলমানদের অবস্থা হয়েছে শীতের রাত্রে বৃষ্টি ভেজা বকরীর ন্যায় ৷ সংখ্যায়
র্তারা নগণ্য, অথচ শত্রু সংখ্যা প্রচুর ৷ এ অবস্থায় উপস্থিত জনগণ খলীফাকে বলল, ওরা তো
মুসলমানদেরকে বাড়ি ঘর থেকে বিতাড়িত করে ণ্ছড়েছে ৷ আরব বের্দুইনদেরকে দেখতেই


الْقِيَامِ، وَكَانَ قَدْ تَزَوَّجَ امْرَأَةً مِنَ السَّكُونِ يُقَالُ لَهَا: رَمْلَةُ. فَحَدِبَتْ عَلَيْهِ السَّكُونُ ; لِصِهْرِهِ فِيهِمْ، وَقَامُوا مَعَهُ فِي ذَلِكَ، وَبَلَّغُوا هَذَا الْكِتَابَ إِلَى عُمَّالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ قَدَرُوا عَلَيْهِ مِنَ النَّاسِ، وَاتَّفَقَ اجْتِمَاعُهُمْ بِقَيْسِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ أَمِيرِ الْجُنْدِ، وَكَانَ قَدْ تَغْضَّبَ عَلَيْهِ الْأَسْوَدُ وَاسْتَخَفَّ بِهِ، وَهَمَّ بِقَتْلِهِ، وَكَذَلِكَ كَانَ أَمْرُ فَيْرُوزَ الدَّيْلَمِيِّ قَدْ ضَعُفَ عِنْدَهُ أَيْضًا، وَكَذَا دَاوَذَيْهِ، فَلَمَّا أَعْلَمْ وَبَرُ بْنُ يُحَنِّسَ وَالْمُسْلِمُونَ قَيْسَ بْنَ عَبْدِ يَغُوثَ، وَهُوَ قَيْسُ بْنُ مَكْشُوحٍ، كَانَ كَأَنَّمَا نَزَلُوا عَلَيْهِ مِنَ السَّمَاءِ، وَوَافَقَهُمْ عَلَى الْفَتْكِ بِالْأَسْوَدِ، وَتَوَافَقَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى ذَلِكَ وَتَعَاقَدُوا عَلَيْهِ، فَلَمَّا أَيْقَنَ ذَلِكَ فِي الْبَاطِنِ اطَّلَعَ شَيْطَانُ الْأَسْوَدِ لِلْأَسْوَدِ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ، فَدَعَا قَيْسَ بْنَ مَشْكُوحٍ فَقَالَ لَهُ: يَا قَيْسُ، مَا يَقُولُ هَذَا؟ قَالَ: وَمَا يَقُولُ؟ قَالَ: يَقُولُ: عَمَدْتَ إِلَى قَيْسٍ فَأَكْرَمْتَهُ حَتَّى إِذَا دَخَلَ مِنْكَ كُلَّ مَدْخَلٍ، وَصَارَ فِي الْعِزِّ مِثْلَكَ، مَالَ مَيْلَ عَدُوِّكَ، وَحَاوَلَ مَلْكَكَ، وَأَضْمَرَ عَلَى الْغَدْرِ، إِنَّهُ يَقُولُ: يَا أَسْوَدُ يَا أَسْوَدُ، يَا سَوْآهْ يَا سَوْآهْ، قَطِّفْ قُنَّتَهُ، وَخُذْ مِنْ قَيْسٍ أَعْلَاهُ، وَإِلَّا سَلَبَكَ وَقَطَفَ قُنَّتَكَ، فَقَالَ قَيْسٌ: - وَحَلَفَ لَهُ فَكَذَبَ -: وَذِي الْخِمَارِ لَأَنْتَ أَعْظَمُ فِي نَفْسِي وَأَجَلُّ عِنْدِي مِنْ أَنْ أُحَدِّثَ بِكَ نَفْسِي. فَقَالَ لَهُ الْأَسْوَدُ: مَا إِخَالُكَ تُكَذِّبُ الْمَلَكَ، فَقَدْ صَدَقَ الْمَلَكُ وَعَرَفَ الْآنَ أَنَّكَ تَائِبٌ ; لِمَا
পৃষ্ঠা - ৫২৬১
اطَّلَعَ عَلَيْهِ مِنْكَ. ثُمَّ خَرَجَ قَيْسٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، فَجَاءَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَيْرُوزَ وَدَاوَذَيْهِ، وَأَخْبَرَهُمْ بِمَا قَالَ لَهُ وَرَدَّ عَلَيْهِ، فَقَالُوا: إِنَّا كُلُّنَا عَلَى حَذَرٍ، فَمَا الرَّأْيُ؟ فَبَيْنَمَا هُمْ يَشْتَوِرُونَ إِذْ جَاءَهُمْ رَسُولُهُ فَأَحْضَرَهُمْ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: أَلَمْ أُشَرِّفْكُمْ عَلَى قَوْمِكُمْ؟ قَالُوا: بَلَى. قَالَ: فَمَاذَا يَبْلُغُنِي عَنْكُمْ؟ فَقَالُوا: أَقِلْنَا مَرَّتَنَا هَذِهِ. فَقَالَ: لَا يَبْلُغُنِي عَنْكُمْ فَأَقْتُلَكُمْ. قَالَ: فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ وَلَمْ نَكَدْ وَهُوَ فِي ارْتِيَابٍ مِنْ أَمْرِنَا، وَنَحْنُ عَلَى خَطَرٍ، فَبَيْنَمَا نَحْنُ فِي ذَلِكَ إِذْ جَاءَتْنَا كُتُبٌ مِنْ عَامِرِ بْنِ شَهْرٍ أَمِيرِ هَمْدَانَ، وَذِي ظُلَيْمٍ، وَذِي كَلَاعٍ، وَغَيْرِهِمْ مِنْ أُمَرَاءِ الْيَمَنِ، يَبْذُلُونَ لَنَا الطَّاعَةَ وَالنَّصْرَ عَلَى مُخَالَفَةِ الْأَسْوَدِ، وَذَلِكَ حِينَ جَاءَهُمْ كِتَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحُثُّهُمْ عَلَى مُصَاوَلَةِ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ، فَكَتَبْنَا إِلَيْهِمْ أَنْ لَا يُحْدِثُوا شَيْئًا حَتَّى نُبْرِمَ الْأَمْرَ. قَالَ قَيْسٌ: فَدَخَلْتُ عَلَى امْرَأَتِهِ آزَاذَ، فَقُلْتُ: يَا ابْنَةَ عَمِّي، قَدْ عَرَفْتِ بَلَاءَ هَذَا الرَّجُلِ عِنْدَ قَوْمِكِ، قَتَلَ زَوْجَكِ، وَطَأْطَأَ فِي قَوْمِكِ الْقَتْلَ، وَفَضَحَ النِّسَاءَ، فَهَلْ عِنْدَكِ مُمَالَأَةٌ عَلَيْهِ؟ قَالَتْ: عَلَى أَيِّ أَمْرِهِ؟ قُلْتُ: إِخْرَاجِهِ. قَالَتْ: أَوْ قَتْلِهِ؟ قُلْتُ: أَوْ قَتْلِهِ. قَالَتْ: نَعَمْ، وَاللَّهِ مَا خَلْقَ اللَّهُ شَخْصًا هُوَ أَبْغَضُ إِلَيَّ مِنْهُ، فَمَا يَقُومُ لِلَّهِ عَلَى حَقٍّ، وَلَا يَنْتَهِي لَهُ عَنْ حُرْمَةٍ، فَإِذَا عَزَمْتُمْ فَأَعْلِمُونِي أُخْبِرْكُمْ بِمَا فِي هَذَا الْأَمْرِ. قَالَ: فَأَخْرُجُ فَإِذَا فَيْرُوزُ وَدَاوَذَيْهِ يَنْتَظِرَانِي يُرِيدُونَ أَنْ يُنَاهِضُوهُ. فَمَا اسْتَقَرَّ اجْتِمَاعُهُ بِهِمَا حَتَّى بَعَثَ إِلَيْهِ الْأَسْوَدُ، فَدَخَلَ فِي عَشَرَةٍ مِنْ قَوْمِهِ، فَقَالَ لَهُ: أَلَمْ أُخْبِرْكَ بِالْحَقِّ وَتُخْبِرْنِي بِالْكِذَابَةِ؟ إِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫২৬২
يَقُولُ: يَا سَوْآهْ يَا سَوْآهْ، إِنْ لَمْ تَقْطَعْ مِنْ قَيْسٍ يَدَهُ يَقْطَعْ رَقَبَتَكَ الْعُلْيَا. حَتَّى ظَنَّ قَيْسٌ أَنَّهُ قَاتِلُهُ، فَقَالَ: إِنَّهُ لَيْسَ مِنَ الْحَقِّ أَنْ أَهْلِكَ وَأَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ، فَقَتْلِي أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ مَوْتَاتٍ أُمُوتُهَا كُلَّ يَوْمٍ. فَرَقَّ لَهُ وَأَمَرَهُ بِالِانْصِرَافِ، فَخَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ قَالَ: اعْمَلُوا عَمَلَكُمْ. فَبَيْنَمَا هُمْ وُقُوفٌ بِالْبَابِ يَشْتَوِرُونَ إِذْ خَرَجَ الْأَسْوَدُ عَلَيْهِمْ، وَقَدْ جَمَعَ لَهُ مِائَةً مَا بَيْنَ بَقَرَةٍ وَبَعِيرٍ، فَقَامَ وَخَطَّ خَطًّا وَأُقِيمَتْ مِنْ وَرَائِهِ، وَقَامَ دُونَهَا، فَنَحَرَهَا غَيْرَ مُحَبَّسَةٍ وَلَا مُعَلَّقَةٍ، مَا يَقْتَحِمُ الْخَطَّ مِنْهَا شَيْءٌ، فَجَالَتْ إِلَى أَنْ زَهَقَتْ أَرْوَاحُهَا. قَالَ قَيْسٌ: فَمَا رَأَيْتُ أَمْرًا كَانَ أَفْظَعَ مِنْهُ، وَلَا يَوْمًا أَوْحَشَ مِنْهُ. ثُمَّ قَالَ الْأَسْوَدُ: أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ يَا فَيْرُوزُ؟ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَنْحَرَكَ فَأُتْبِعَكَ هَذِهِ الْبَهِيمَةَ. وَبَوَّأَ لَهُ الْحَرْبَةَ. فَقَالَ لَهُ فَيْرُوزُ: اخْتَرْتَنَا لِصِهْرِكَ، وَفَضَّلْتَنَا عَلَى الْأَبْنَاءِ، فَلَوْ لَمْ تَكُنْ نَبِيًّا مَا بِعْنَا نَصِيبَنَا مِنْكَ بِشَيْءٍ، فَكَيْفَ وَقَدِ اجْتَمَعَ لَنَا بِكَ أَمْرُ الْآخِرَةِ وَالدُّنْيَا؟ فَلَا تَقْبَلْ عَلَيْنَا أَمْثَالَ مَا يَبْلُغُكَ، فَإِنَّا بِحَيْثُ تُحِبُّ، فَرَضِيَ عَنْهُ وَأَمَرَهُ بِقَسْمِ لُحُومِ تِلْكَ الْأَنْعَامِ، فَفَرَّقَهَا فَيْرُوزُ فِي أَهْلِ صَنْعَاءَ، ثُمَّ أَسْرَعَ اللِّحَاقَ بِهِ، فَإِذَا رَجُلٌ يُحَرِّضُهُ عَلَى فَيْرُوزَ وَيَسْعَى إِلَيْهِ فِيهِ، فَاسْتَمَعَ لَهُ فَيْرُوزُ، فَإِذَا الْأَسْوَدُ يَقُولُ: أَنَا قَاتِلُهُ غَدًا وَأَصْحَابِهِ، فَاغْدُ عَلَيَّ بِهِ. ثُمَّ الْتَفَتَ فَإِذَا فَيْرُوزُ، فَقَالَ: مَهْ. فَأَخْبَرَهُ فَيْرُوزُ بِمَا صَنَعَ مِنْ قَسْمِ ذَلِكَ اللَّحْمِ، فَدَخَلَ الْأَسْوَدُ دَارَهُ، وَرَجَعَ فَيْرُوزُ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَأَعْلَمَهُمْ بِمَا سَمِعَ وَبِمَا قَالَ وَقِيلَ لَهُ، فَاجْتَمَعَ رَأْيُهُمْ عَلَى أَنْ يُعَاوِدُوا الْمَرْأَةَ فِي أَمْرِهِ، فَدَخَلَ أَحَدُهُمْ - وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৫২৬৩

পাচ্ছেন, তারা খুব কমই আপনার সাথে রয়েছে ৷ এ অবস্থায় মুসলিম বাহিনীকে আপনার কাছ
থেকে বিচ্ছিন্ন করা ও দুরে প্রেরণ করা আপনার জন্যে কিছুতেই সমীচীন হবে না ৷

তখন খলীফ ৷ বললেন, সেই সভার কসম, যার হাতে আবু বকরের জীবন, আমার যদি
এই বিশ্বাস থাকত যে, হিংস্র জীব-জন্তু আমাকে ছোবল মেরে ছিন্নতিন্ন করে ফেলবে, তা হলেও
আমি উসামার বাহিনীকে প্রেরণ করতাম, যেভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আদেশ করেছেন ৷ এই
জনপদে যদি আমি জ্যি আর একজন সোকও না থাকে, তবুও আমি এ বাহিনী প্রেরণ করবই :
ৰুক্ট্রট্টব্লুষ্টুৰুা , ;প্রু ;; , ;,fl ,ষ্ এ ৰু ণ্ , , ৷ অনুরুপ হাদীস হযরত আয়েশা থেকে উরওয়া
বর্ণনা করেছেন ৷ কাসিম ও উমারা হযরত আয়েশা (বা) থেকে এ বিষয়ে আর একটি বর্ণনা
উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতিকালের সাথে সাথে আরবের সর্বত্র
ধর্ম ত্যাগের হিড়িক পড়ে যায় এবং মুনাফিকরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ৷ তিনি বলেন, আল্লাহর
কসম, আমার উপর তখন এমন উদ্বেগ ও অস্থিরতা চেপে বসে যদি তা কোন সুদৃঢ় পর্বতের
উপরে পতিত হত তবে সে পর্বত ভেঙ্গে খান খান হয়ে যেত ৷ অপর দিকে অন্যান্য সাহাবাদের
অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিল, মনে হত, তরো যেন কোন উন্মুক্ত প্রাতরে বর্ষা রাতের বৃষ্টিতে
ভেজা মেষপাল ৷ আল্লাহর কসম, মুহাম্মদ (সা)-এর সাহাবাপণ যে কোন বিষয়ে মত বিরোধ
করলে আমার পিতা তাতে অংশগ্রহণ করতেন ও নিয়ন্ত্রণে আনতেন ৷ অতঃপর তিনি হযরত
উমরের কথা উল্লেখ করে বলেন, যে লোক উমরকে দেখেছে সে জানে যে, তাকে সৃষ্টি করা
হয়েছিল ইসলামকে মুক্ত-স্বাধীন করার জন্যে ৷ আল্লাহর কসম, তিনি ছিলেন একজন সুদক্ষ
নির্মাতা তিনি সব কিছুকে নিজের করায়ত্বে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম ছিলেন ৷

হাফিয বায়হাকী আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন : সে আল্লাহর কসম, যিনি
ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই, আবু বকর যদি খলীফা না হভেন, তাহলে আল্লাহ্র ইবাদত
করার মত অবস্থা থাকত না ৷ এ কথা তিনি তিনবার বললেন ৷ এক ব্যক্তি বলল, ওহে আবু
হুরায়রা, থামুন ৷ আবুহুরায়রা বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাতশ’ সৈন্যের এক বাহিনী গঠন করে
উসামার নেতৃত্বে সিরিয়া অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ বাহিনী যখন বুখাশাব’ নামক স্থানে পৌছে
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ইনতিকাল হয় ৷ সাথে সাথে মদীনায় চারপাশের আরব গোত্রগুলো
ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে ৷ তখন সাহাবাপণ সমবেত হয়ে হযরত আবুবকরকে বললেন, আপনি
বাহিনীকে ফিরিয়ে আসুন! আপনি রোমান সাম্রাজ্যের দিকে সৈন্য প্রেরণ করছেন, অথচ মদীনায়
চারপাশের লোকজন মুরতাদ হয়ে যাচ্ছে ৷ হযরত আবু বকর বললেন :

সেই সত্তার কসম, যিনি একক-অদ্বিভীয়, অবস্থা যদি এমনও হয় যে, কুকুর পাল এসে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিবিগণের পা টেনে নিয়ে যাচ্ছে, তবুও আমি যে সৈন্য বাহিনীকে ফিরিয়ে
আনব না, যাদেরকে রাসুলুস্লাহ্ (সা) নিজে অভিযানে পাঠিয়ে গেছেন ৷ আর আমি সেই ঝাণ্ডার
বাধন খুলতে পারব না, যে ঝাণ্ডা তিনি নিজে বেধে দিয়েছেন ৷ তারপর তিনি উসামাকে রওয়ানা
করিয়ে দেন ৷ সে বাহিনী যখনই এমন কোন গোত্রের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করত যারা
মুরতাদ হতে যাচ্ছিল, তখনই তারা বলাবলি করত যে, ওদের যদি শক্তি নাই থেকে থাকে
তাহলে এমন একটা বাহিনী কিভাবে তাদের থেকে বেরিয়ে আসছে? আমরা বরং তাদেরকে
রোমানদের মুকাবিলার জন্যে ছেড়ে দেব ৷ তারপর তারা রোমানদের সাথে মুকারিলা করলেন ৷
মুসলমানপণ রোমান বাহিনীকে পরাজিত করলেন এবং তাদের অনেককে হত্যাও করলেন এবং


فَيْرُوزُ - إِلَيْهَا، فَقَالَتْ: إِنَّهُ لَيْسَ مِنَ الدَّارِ بَيْتٌ إِلَّا وَالْحَرَسُ مُحِيطُونَ بِهِ، غَيْرَ هَذَا الْبَيْتِ، فَإِنَّ ظَهْرَهُ إِلَى مَكَانِ كَذَا وَكَذَا مِنَ الطَّرِيقِ، فَإِذَا أَمْسَيْتُمْ فَانْقُبُوا عَلَيْهِ مِنْ دُونِ الْحَرَسِ، وَلَيْسَ مِنْ دُونِ قَتْلِهِ شَيْءٌ، وَإِنِّي سَأَضَعُ فِي الْبَيْتِ سِرَاجًا وَسِلَاحًا. فَلَمَّا خَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا تَلَقَّاهُ الْأَسْوَدُ فَقَالَ لَهُ: مَا أَدْخَلَكَ عَلَى أَهْلِي؟ وَوَجَأَ رَأْسَهُ، وَكَانَ الْأَسْوَدُ شَدِيدًا، فَصَاحَتِ الْمَرْأَةُ فَأَدْهَشَتْهُ عَنْهُ، وَلَوْلَا ذَلِكَ لَقَتَلَهُ، وَقَالَتِ: ابْنُ عَمِّي جَاءَنِي زَائِرًا. فَقَالَ: اسْكُتِي لَا أَبَا لَكِ، قَدْ وَهَبْتُهُ لَكِ. فَخَرَجَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: النِّجَاءَ النِّجَاءَ. وَأَخْبَرَهُمُ الْخَبَرَ، فَحَارُوا مَاذَا يَصْنَعُونَ؟ فَبَعَثَتِ الْمَرْأَةُ إِلَيْهِمْ تَقُولُ لَهُمْ: لَا تَنْثَنُوا عَمَّا كُنْتُمْ عَازِمِينَ عَلَيْهِ. فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَيْرُوزُ الدَّيْلَمِيُّ فَاسْتَثْبَتَ مِنْهَا الْخَبَرَ، وَدَخَلُوا إِلَى ذَلِكَ الْبَيْتِ فَنَقَبُوا مِنْ دَاخِلِهِ بَطَائِنَ ; لِيَهُونَ عَلَيْهِمُ النَّقْبُ مِنْ خَارِجٍ، ثُمَّ جَلَسَ عِنْدَهَا جَهْرَةً كَالزَّائِرِ، فَدَخَلَ الْأَسْوَدُ فَقَالَ: وَمَا هَذَا؟ فَقَالَتْ: إِنَّهُ أَخِي مَنِ الرَّضَاعَةِ، وَهُوَ ابْنُ عَمِّي. فَنَهَرَهُ وَأَخْرَجَهُ، فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ نَقَبُوا ذَلِكَ الْبَيْتَ فَدَخَلُوا فَوَجَدُوا فِيهِ سِرَاجًا تَحْتَ جَفْنَةٍ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ فَيْرُوزُ الدَّيْلَمِيُّ وَالْأَسْوَدُ نَائِمٌ عَلَى فِرَاشٍ مِنْ حَرِيرٍ، قَدْ غَرِقَ رَأْسُهُ فِي جَسَدِهِ، وَهُوَ سَكْرَانُ يَغُطُّ، وَالْمَرْأَةُ جَالِسَةٌ عِنْدَهُ، فَلَمَّا قَامَ فَيْرُوزُ عَلَى الْبَابِ أَجْلَسَهُ شَيْطَانُهُ وَتَكَلَّمَ عَلَى لِسَانِهِ - وَهُوَ نَائِمٌ مَعَ ذَلِكَ يَغُطُّ - فَقَالَ: مَا لِي وَمَا لَكَ يَا فَيْرُوزُ؟ فَخَشِيَ إِنْ رَجَعَ أَنْ يَهْلِكَ وَتَهْلِكَ الْمَرْأَةُ، فَعَاجَلَهُ وَخَالَطَهُ، وَهُوَ مِثْلُ الْجَمَلِ، فَأَخَذَ بِرَأْسِهِ فَدَقَّ عُنُقَهُ، وَوَضَعَ رُكْبَتَيْهِ فِي ظَهْرِهِ حَتَّى قَتَلَهُ، ثُمَّ قَامَ لِيَخْرُجَ إِلَى أَصْحَابِهِ لِيُخْبِرَهُمْ، فَأَخَذَتِ الْمَرْأَةُ بِذَيْلِهِ
পৃষ্ঠা - ৫২৬৪
وَقَالَتْ: أَيْنَ تَذْهَبُ عَنْ حُرْمَتِكُمْ؟ فَظَنَّتْ أَنَّهُ لَمْ يَقْتُلْهُ، فَقَالَ: أَخْرُجُ لِأُعْلِمَهُمْ بِقَتْلِهِ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ لِيَحْتَزُّوا رَأْسَهُ، فَحَرَّكَهُ شَيْطَانُهُ فَاضْطَرَبَ، فَلَمْ يَضْبُطُوا أَمْرَهُ حَتَّى جَلَسَ اثْنَانِ عَلَى ظَهْرِهِ، وَأَخَذَتِ الْمَرْأَةُ بِشِعْرِهِ، وَجَعَلَ يُبَرْبِرُ بِلِسَانِهِ، فَاحْتَزَّ الْآخَرُ رَقَبَتَهُ، فَخَارَ كَأَشَدِّ خُوَارِ ثَوْرٍ سُمِعَ قَطُّ، فَابْتَدَرَ الْحَرَسُ إِلَى الْمَقْصُورَةِ، فَقَالُوا: مَا هَذَا؟ ! مَا هَذَا؟ ! فَقَالَتِ الْمَرْأَةُ: النَّبِيُّ يُوحَى إِلَيْهِ. فَرَجَعُوا، وَجَلَسَ قَيْسٌ وَدَاذَوَيْهِ وَفَيْرُوزُ يَأْتَمِرُونَ كَيْفَ يُعْلِمُونَ أَشْيَاعَهُمْ، فَاتَّفَقُوا عَلَى أَنَّهُ إِذَا كَانَ الصَّبَاحُ يُنَادُونَ بِشِعَارِهِمُ الَّذِي بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا كَانَ الصَّبَاحُ قَامَ أَحَدُهُمْ، وَهُوَ قَيْسٌ، عَلَى سُورِ الْحِصْنِ فَنَادَى بِشِعَارِهِمْ، فَاجْتَمَعَ الْمُسْلِمُونَ وَالْكَافِرُونَ حَوْلَ الْحِصْنِ، فَنَادَى قَيْسٌ - وَيُقَالُ: وَبَرُ بْنُ يُحَنِّسَ - بِالْأَذَانِ: أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولَ اللَّهِ، وَأَنَّ عَبْهَلَةَ كَذَّابٌ. وَأَلْقَى إِلَيْهِمْ رَأْسَهُ، فَانْهَزَمَ أَصْحَابُهُ، وَتَبِعَهُمُ النَّاسُ يَأْخُذُونَهُمْ وَيَرْصُدُونَهُمْ فِي كُلِّ طَرِيقٍ يَأْسِرُونَهُمْ، وَظَهَرَ الْإِسْلَامُ وَأَهْلُهُ، وَتَرَاجَعَ نُوَّابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَعْمَالِهِمْ، وَتَنَازَعَ أُولَئِكَ الثَّلَاثَةُ فِي الْإِمَارَةَ، ثُمَّ اتَّفَقُوا عَلَى مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ، وَكَتَبُوا بِالْخَبَرِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ أَطْلَعَهُ اللَّهُ عَلَى الْخَبَرِ مِنْ لَيْلَتِهِ. كَمَا قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ عَنْ أَبِي الْقَاسِمِ الشَّنَوِيِّ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «أَتَى الْخَبَرُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ السَّمَاءِ اللَّيْلَةَ الَّتِي قُتِلَ فِيهَا الْعَنْسِيُّ لِيُبَشِّرَنَا، فَقَالَ: " قُتِلَ الْعَنْسِيُّ الْبَارِحَةَ، قَتَلَهُ رَجُلٌ مُبَارَكٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتٍ
পৃষ্ঠা - ৫২৬৫
مُبَارَكِينَ ". قِيلَ: وَمَنْ؟ قَالَ: " فَيْرُوزُ، فَازَ فَيْرُوزُ» . وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ مُدَّةَ مُلْكِهِ مُنْذُ ظَهَرَ إِلَى أَنْ قُتِلَ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ. وَيُقَالُ: أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنِ الْمُسْتَنِيرِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنِ الضِّحَاكِ، عَنْ فَيْرُوزَ قَالَ: قَتَلْنَا الْأَسْوَدَ وَعَادَ أَمْرُنَا كَمَا كَانَ، إِلَّا أَنَّا أَرْسَلْنَا إِلَى مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ فَتَرَاضَيْنَا عَلَيْهِ، فَكَانَ يُصَلِّي بِنَا فِي صَنْعَاءَ، فَوَاللَّهِ مَا صَلَّى بِنَا إِلَّا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ حَتَّى أَتَانَا الْخَبَرُ بِوَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَانْتَقَضَتِ الْأُمُورُ، وَأَنْكَرَنَا كَثِيرًا مِمَّا كُنَّا نَعْرِفُ، وَاضْطَرَبَتِ الْأَرْضُ. وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ خَبَرَ الْعَنْسِيِّ جَاءَ إِلَى الصِّدِّيقِ فِي أَوَاخِرَ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ بَعْدَ مَا جَهَّزَ جَيْشَ أُسَامَةَ، وَقِيلَ: بَلْ جَاءَتِ الْبِشَارَةُ إِلَى الْمَدِينَةِ صَبِيحَةَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَالْأَوَّلُ أَشْهَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ لَمْ يَجِئْهُمْ فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِمَصَالِحِهِمْ وَاجْتِمَاعِ كَلِمَتِهِمْ وَتَأْلِيفِ مَا بَيْنَهُمْ وَالتَّمَسُّكِ بِدِينِ الْإِسْلَامِ إِلَّا الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَسَيَأْتِي إِرْسَالُهُ إِلَيْهِمْ مَنْ يُمَهِّدُ الْأُمُورَ الَّتِي اضْطَرَبَتْ فِي بِلَادِهِمْ وَيُقَوِّي أَيْدِيَ الْمُسْلِمِينَ، وَيُثَبِّتُ أَرْكَانَ دَعَائِمِ الْإِسْلَامِ فِيهِمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.