আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

الحوادث الواقعة في الزمان ووفيات المشاهير والأعيان سنة إحدى عشرة من الهجرة

مقتل الأسود العنسي

صفة خروجه وتمليكه ومقتله

পৃষ্ঠা - ৫২৫৪

ণ্এপু৷ ন্শুপু


ণ্হ্র;াপ্রুাৰু,
অর্থাৎ “হে জনমণ্ডলী! আমি আপনাদের নেতা নির্বাচিত হ্য়েছি ৷ তবে আমি আপনাদের
সর্বোত্তম ব্যক্তি নই ৷ আমি যদি ভাল কাজ করি, আপনারা আমাকে সাহায্য করবেন ৷ আর যদি
আমি অন্যায় কাজ করি, আপনারা আমাকে সঠিক পাথে ফিরিয়ে আনবেন ৷ সততা আমানত
আর মিথ্যা খিয়ানত ৷ আপনাদের মধ্যে দুর্বল ব্যক্তি আমার নিকট শক্তিশালী যতক্ষণ না তার
অধিকার আমি আদায় করিয়ে দিতে পারি, ইনৃশা আল্লাহ্ ৷ আর আপনাদের মধ্যে শক্তিমান
,ব্যক্তি আমার নিকট দুর্বল, যতক্ষণ না তার থেকে আমি হকদারের অধিকার ফিরিয়ে এনে দিতে
পারি-ইনশা আল্লাহ্ ৷ যে জাতি আল্পাহ্র পথে জিহাদ করা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ্ তাদেরকে
লাঞ্ছিত-অপমানিত করেন ৷ যে জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ব্যাপক হয় সে জাতির উপর আল্লাহ্
ব্যাপকভাবে বালা মুসীবত নাযিল করেন ৷ যতক্ষণ আমি আন্মাহ্ ও রাসুলের আনুগত্য করি
ততক্ষণ আপনারা আমার আনুগত্য করবেন ৷ আর যদি অল্লোহ্ ও রাসুলের অবাধ্য হই তাহলে
আমার আনুগত্য করতে আপনারা বাধ্য নন ৷ এখন আপনারা সালাতের জন্যে উঠে পড়ুন ৷
আল্লাহ্ আপনাদের প্রতি সদয় হোন !
সহীহ্ সনদে এটা বর্ণিত হয়েছে ৷ সাহারায়ে কিরাম ঐ সময়ে আবু বকর সিদ্দীকের
বায়আতের উপর ঐক্যবদ্ধ হয়ে যান ৷ এমন কি হযরত আলী ইবন আবু তালিব এবং হযরত
যুবায়র ইবনুল আওয়ামও বায়আত গ্রহণ করে ৷ এর প্রমাণ বায়হাকীর বর্ণনা, যা তিনি আবুল
হুসায়ন আলী ইবন মুহাম্মদ আবু সাঈদ খুদরী সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর ইনতিকালের পরে লোকজন হযরত সাদ ইবন উবাদার গৃহে সমবেত হন ৷ এদের
মধ্যে হযরত আবু বকর এবং হযরত উমরও ছিলেন :৷ তারপর আনসার সমাজের বক্তা দাড়িয়ে
বললেন, আপনারা অবগত আছেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আনসার ৷ অতএব যেভাবে
আমরা রাসুলের আনসার ছিলাম, সেভাবেই আমরা রাসুলের খলীফারও আনসার থাকর ৷
তারপর হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব দাড়িয়ে বললেন, আপনাদের বক্তা সঠিক কথাই বলেছেন ৷
যদি আপনারা এরুপ কথা না বলতেন, তবেআপনাদেয় থেকে বায়আত নিতাম না ৷ এ কথা
বলে তিনি হযরত আবু বকরের হাত ধরে বলেন, ইনিই আপনাদের খলীফা, তার হাতে
আপনারা বায়আত গ্রহণ করুন ৷ তারপর উমর (রা) প্রথমে বায়আত হন ৷ তারপর যুহাজির ও
আনসারগণ পর্যায়ক্রমে বায়আত হন ৷ তারপর হযরত আবু বকর (রা) মিম্বরে আরোহণ
করলেন এবং সমবেত লোকদের চেহারার দিকে তাকালেন ৷ হযরত যুবায়রকে তাদের মধ্যে না
দেখে তিনি তাকে ডেকে পাঠালেন ৷ যুবায়র উপস্থিত হলেন ৷ তিনি বললেন, হে রাসুল
(না)-এর ফুফাত ভাই, আপনি মুসলমানদের ঐক্যে ফটিল ধরাতে চাচ্ছেন? যুবায়র বললেন,
হে রাসুলুল্লাহ্র খ্লীফা ! আমার কোন অভিযোগ নেই ৷ তারপর তিনি দাড়িয়ে বায়আত গ্রহণ
করেন ৷ এবার তিনি পুনরায় সমাবেশের দিকে তাকালেন ৷ দেখলেন, আলী (রা) অনুপস্থিত ৷


[مَقْتَلُ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ] ِّ الْمُتَنَبِّئِ الْكَذَّابِ لَعَنَهُ اللَّهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شَيْبَةَ النُّمَيْرِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ - يَعْنِي الْمَدَائِنِيَّ - عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ وَيَزِيدَ بْنِ عِيَاضِ بْنِ جُعْدُبَةَ وَغَسَّانَ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ وَجُوَيْرِيَةَ بْنِ أَسْمَاءَ، عَنْ مَشْيَخَتِهِمْ، قَالُوا: أَمْضَى أَبُو بَكْرٍ جَيْشَ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ فِي آخِرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَأَتَى مَقْتَلُ الْأَسْوَدِ فِي آخِرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ بَعْدَ مَخْرِجِ أُسَامَةَ، فَكَانَ ذَلِكَ أَوَّلَ فَتْحٍ أَتَى أَبَا بَكْرٍ وَهُوَ بِالْمَدِينَةِ. [صِفَةُ خُرُوجِهِ وَتَمْلِيكِهِ وَمَقْتَلِهِ] قَدْ أَسْلَفْنَا فِيمَا تَقَدَّمَ أَنَّ الْيَمَنَ كَانَتْ قَدِيمًا لِحِمْيَرَ، وَكَانَتْ مُلُوكُهُمْ يُسَمَّوْنَ التَّبَابِعَةَ، وَتَكَلَّمْنَا فِي أَيَّامِ الْجَاهِلِيَّةِ عَلَى طَرَفٍ صَالِحٍ مِنْ هَذَا، ثُمَّ إِنَّ مَلِكَ الْحَبَشَةِ بَعَثَ أَمِيرَيْنِ مِنْ قُوَّادِهِ، وَهُمَا أَبَرْهَةُ الْأَشْرَمُ وَأَرْيَاطُ، فَتَمَلَّكَا لَهُ الْيَمَنَ مِنْ حِمْيَرَ، وَصَارَ مُلْكُهَا لِلْحَبَشَةِ، ثُمَّ اخْتَلَفَ هَذَانَ الْأَمِيرَانِ، فَقُتِلَ أَرْيَاطُ وَاسْتَقَلَّ
পৃষ্ঠা - ৫২৫৫

আলীকে ড়েকে এনে বললেন, হে রাসুল (সা) এর চড়াচাত ভাই ও জামাতা! আপনি মুসলিম
ঐক্যে ভড়াঙ্গন সৃষ্টি করছেন? আলী বললেন, হে রাসুলুল্লাহ্র খলীফা! আমার কোন অভিযোগ
নেই ৷ এ কথা বলেই তিনিও বায় আত গ্রহণ করেন ৷ এই হাদীস প্রায় বা এ জাতীয় এক হাদীস
সম্পর্কে আবু আলী নিশাপুরী বলেন, ইবন খুযায়মা থেকে আমি শুনেছি, তিনি বললেন, আমার
নিকট মুসলিম ইবন হাজ্জাজ এসে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন ৷ আমি একটি কাগজে এ
হাদীসটি লিখে তড়াকে দিলাম এবং পাঠ করে শুনালাম ৷ তিনি মন্তব্য করলেন, এ তাে এমন
হাদীস যা কুরবানীর উটতৃল্য ৷ আমিও বললাম, ছুা, এটা কুরবানীর উটের ন্যায় এবং এটি
মুদ্রার থলে ভুল ৷ ইমাম আহমদ নির্ভরভৈযাগ্য রাবীদের থেকে এটা সংক্ষিপ্ততাবে বর্ণনা
করেছেন ৷ হাকিম তার মুসতাদরাকে উহায়ব থেকে বিশদতাবে উল্লেখ করেছেন ৷ আমরা এ
হাদীসকে মাহাসিলীর সুত্রে আবু সাঈদ থেকে উল্লেখ করেছি ৷ এ বর্ণনায়ও ঐদিন আলী ও
যুবায়রেরও বায়আতের কথা উল্লেখিত হয়েছে ৷

মুসা ইবন উকবা তার মাগাযী’ গ্রন্থে সাদ ইবন ইবরাহীম থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
ইবরাহীম বলেন, আমার পিতা আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা) হযরত উমর (রা) এর সঙ্গে
ছিলেন ৷ আর মুহাম্মদ ইবন মাসলামা যুবায়রেরত তরবারি ভেঙ্গে ফেলেছিলেন ৷ তারপর আবু
বকর (বা) ভাষণ দান করেন ৷ তিনি লোকদের নিকট ওযর পেশ করে বলেন, আল্লাহর কসম,
আমি কোন সময়ই নেতৃত্বের লোড করিনি ৷ আল্লাহর নিকট প্রকাশ্যে বা গোপনে এটা আমি
চাইনি-৪

শ্বস্প্রুশুণ্ড্র ণ্এ্যা

ম্হাজিরণণ তার এ বক্তব্য গ্রহণ করলেন ৷ আলী ও যুবায়র বললেন, আমরা পরামর্শ সভায়
উপস্থিত হতে পারিনি ৷ তবে আবু বকরকে এ পদের জন্যে আমরা যােণঢুতম মনে করি ৷ তিনি
হচ্ছেন নবীর গুহার সাথী ৷ তার ন্ন্মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠতৃ সম্পর্কে আমরা সম্যক অবগত ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) জীবিত থাকা অবস্থায় র্তাকে দিয়ে সালাতের ইমামতি করিয়েছেন ৷ হযরত আলী
(রা)-এর জন্যে এরুপ করাটাই ছিল পােভনীয় ৷ বিভিন্ন বর্ণনা থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায় ৷
যেমন আবু বকরের সাথে তিনি সালাতে উপস্থিত থাকতেন ৷ নবীর ইনতিকালের পর উদ্ভুত
সমস্যা সমাধানে আবু বকরের সাথে তিনি ও যুলকাসৃসড়া পর্যন্ত গিয়েছিলেন ৷ তিনি তার সনদ
থেকে তাকে পরামর্শ ও সমর্থাং দিয়েছেন ৷ এখানে উল্লেখযোগ্য যে, রাসুলের ইনতিকালের ছয়
মাস পর ফাতিমার মৃত্যু হলে হযরত আলী আবু বকর (রা)-এর নিকট বায়আত হওয়ার যে
বিবরণ পাওয়া যায়, তা হচ্ছে তার দ্বিতীয় বার বায়আত ৷ এর দ্বারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
উত্তরাধিকার প্ৰশ্নে৩ তার ও আবু বকরের মাঝে যে দুরৎ সৃষ্টি হয়েছিল, তা কেটে যায় ৷ হযরত
আবু বকর মীরাছ দিতে অস্বীকার করেছিলেন এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্র স্পষ্ট উক্তি থাকার কারণে,

আর তা হল : , নবীরা কোন মীরাছ রেখে যাইনা,

যে সম্পদ আমরা রেখে যইি তা সাদকা স্বরুপ-যেমনটি ইতিপুর্বে সনদ ও মুল পাঠসহ বর্ণিত
হয়েছে ৷ আবু বকর সিদ্দীকের সীরাত গ্রন্থে এ জাতীয় যাবতীয় বর্ণনা, হাদীসে রাসুল ও
বিধি-বিধান সবিস্তারে আমরা আলোচনা করেছি ৷


أَبَرْهَةُ بِالنِّيَابَةِ، وَبَنَى كَنِيسَةً سَمَّاهَا الْقُلَّيْسَ ; لِارْتِفَاعِهَا، وَأَرَادَ أَنْ يَصْرِفَ حَجَّ الْعَرَبِ إِلَيْهَا دُونَ الْكَعْبَةِ، فَجَاءَ بَعْضُ قُرَيْشٍ فَأَحْدَثَ فِي هَذِهِ الْكَنِيسَةِ، فَلَمَّا بَلَغَهُ ذَلِكَ حَلَفَ لَيُخَرِّبَنَّ بَيْتَ مَكَّةَ، فَسَارَ إِلَيْهِ وَمَعَهُ الْجُنُودُ وَالْفِيلُ مَحْمُودٌ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا قَصَّ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ بَسْطُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ، فَرَجَعَ أَبَرْهَةُ بِبَعْضِ مَنْ بَقِيَ مِنْ جَيْشِهِ فِي أَسْوَأِ حَالٍ وَشَرِّ خَيْبَةٍ، وَمَا زَالَ تَسْقُطُ أَعْضَاؤُهُ أُنْمُلَةً أُنْمُلَةً، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى صَنْعَاءَ انْصَدَعَ صَدْرُهُ فَمَاتَ، فَقَامَ بِالْمُلْكِ بَعْدَهُ وَلَدُهُ يَكْسُومُ بْنُ أَبْرَهَةَ ثُمَّ أَخُوهُ مَسْرُوقُ بْنُ أَبَرْهَةَ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ اسْتَمَرَّ مُلْكُ الْيَمَنِ بِأَيْدِي الْحَبَشَةِ سَبْعِينَ سَنَةً، ثُمَّ ثَارَ سَيْفُ بْنُ ذِي يَزَنَ الْحِمْيَرِيُّ، فَذَهَبَ إِلَى قَيْصَرَ مَلِكِ الرُّومِ يَسْتَنْصِرُهُ عَلَيْهِمْ، فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ ; لِمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ مِنَ الِاجْتِمَاعِ فِي دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ، فَسَارَ إِلَى كِسْرَى مَلِكِ الْفُرْسِ، فَاسْتَغَاثَ بِهِ، وَلَهُ مَعَهُ مَوَاقِفُ وَمَقَامَاتٌ فِي الْكَلَامِ تَقَدَّمَ بَسْطُ بَعْضِهَا، ثُمَّ اتَّفَقَ الْحَالُ عَلَى أَنْ بَعَثَ مَعَهُ مِمَّنْ بِالسُّجُونِ طَائِفَةً تَقَدَّمَهُمْ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: وَهْرِزُ، فَاسْتَنْقَذَ مُلْكَ الْيَمَنِ مِنَ الْحَبَشَةِ، وَكَسَرَ مَسْرُوقَ بْنَ أَبَرْهَةَ وَقَتَلَهُ، وَدَخَلُوا إِلَى صَنْعَاءَ وَقَرَّرُوا سَيْفَ بْنَ ذِي يَزَنَ فِي الْمُلْكِ عَلَى عَادَةِ آبَائِهِ، وَجَاءَتِ الْعَرَبُ تُهَنِّئُهُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، غَيْرَ أَنَّ لِكِسْرَى نُوَّابًا عَلَى الْبِلَادِ، فَاسْتَمَرَّ الْحَالُ عَلَى ذَلِكَ حَتَّى بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ مَا أَقَامَ، ثُمَّ هَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا كَتَبَ كُتُبَهُ إِلَى مُلُوكِ الْآفَاقِ يَدْعُوهُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، فَكَتَبَ فِي جُمْلَةِ ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৫২৫৬

সায়ফ ইবন উমর আসিম ইবন আদী থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
ইনতিকালের পরদিন হযরত আবু বকরের পক্ষ থেকে জনৈক ঘোষণাকারী উসামার অভিযান
সম্পন্ন করার জন্যে ঘোষণা দিলেন, উসমাের বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত কোন লোক যেন মদীনাতে
থেকে না যায় ৷ সবাই যেন জুরফে গিয়ে বাহিনীতে যোগ দেয় ৷ হযরত আবু বকর (রা)
সমবেত লোকদের মাঝে দাড়িয়ে ভাষণ দিলেন :

প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন করে তিনি বললেন, হে লোক সকল ! আমি আপনাদেরই
ন্যায় একজন ৷ যে কাজ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর জন্যে সহজসাধ্য জ্জি, সে কাজ করতে হয়ত
আপনারা আমার উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা বিশ্ববাসীর উপর মুহাম্মদ
(না)-কে মনোনীত করেছিলেন ৷ তাকে সকল বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছেন ৷ আমি কেবল তার
একজন অনুসারী-নতুন কিছুর উদ্ভাবনকারী নই : ৷ আমি যদি
হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকি তাহলে আপনারা আমার আনুগত্য করবেন, আর যদি আমি
বিপথগড়ামী হই, আপনারা আমাকে সংশোধন করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করেছেন,
কিন্তু কাউকে অন্যায়ভাবে একটি কােড়া মেবেছেন কিত্বা তার চেয়েও হালকা কোন খারাপ
আচরণ করেছেন, এরুপ দাবি করার মত একজন লোকও এ উষ্মতের মধ্যে সেই ৷ আমার
পেছনে শয়তান লেগে রয়েছে ৷ সে আমাকে বিপথগড়ামী করার প্রয়াস পাবে ৷ যদি সে আমাকে
পেয়ে বলে তা হলে আপনারা আমার থেকে দুরে থাকবেন ৷ আপনাদের চুল বা পাত্র বর্ণের
কারণে কাউকে আমি প্রাধান্য দেব না : ণ্ব্লু ,াব্ল ৷ , ণ্ব্লু এাক্ল ৷ ,;;:;, ১৷ ৷ সকাল-সদ্যা
অতিক্রমের মধ্য দিয়ে আপনারা ত্রুমাবস্থায় মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ৷ অথচ মৃত্যু কত
দুরে, সে জ্ঞান আপনাদের নেই ৷ সাধ্যমত ভাল কাজের মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করার
চেষ্টা করুন ৷ আর আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত এটা করা সম্ভব নয় ৷ মৃত্যুর নিকট নিজেকে সােপর্দ
করার পুর্বের সময়টুকুকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করুন ৷ কেননা, মৃত্যুর পরে আমলের সকল পথ
রুদ্ধ হয়ে যাবে ৷ , এক জাতি ছিল যারা মৃত্যুর কথা ভুলে গাফেল হয়ে থাকে, আমলকে তারা
পরবর্তীর জন্যে রেখে দেয় ৷ খবরদার, আপনারা তাদের মত হবেন না ৷ চেষ্টায় পর চেষ্টা করতে
থাকুন! নাজাত ও মুক্তির পথ অবলম্বন করুন ৷ তাড়াতাড়ি ও দ্রুততার সাথে সৎকাজে এগিয়ে
চলুন ৷ আপনাদের পশ্চাতে সার্বক্ষণিক এক অনুসন্ধানকারী লেগে রয়েছে ৷ এক সু-নিল্টি সময়
রয়েছে-যা অবিলম্বে কার্যকারী হয় ৷ মৃত্যুকে ভয় করুন ৷ (মৃত) বাপ-দাদা, ছেলে-সন্তান ও
ভাই-বন্ধু থেকে উপদেশ গ্রহণ করুন ৷ যে সব কাজে মৃতদের আনুগত্য করা হয়ে থাকে,
কেবল সেই সব কাজে জীবিতদের আনুগত্য করবেন :

শ্নএ

রাবী বলেন, হযরত আবু বকর (রা) আবারও দীড়ালেন, অতঃপরে বললেন : আল্লাহ সেই
আমল কবুল করেন না, যা তার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়নি ৷ অতএব, সকল কাজ
আপনারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে করবেন ৷ যখন আপনারা দরিদ্র ও অভাবী ছিলেন
তখন আপনাদেরকে মনোনীত করা হয়েছে ৷ হে আল্লাহ্র বন্দোগণ ! আপনাদের মধ্য থেকে যারা
মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের থেকে উপদেশ গ্রহণ করুন ! আপনাদের পুর্বে যারা অতীত হয়ে
গেছেন, তাদের সম্বন্ধে মিঃ৷ ভাবনা করুন ৷ দেখুন, গতকাল তারা কোথায় ছিলেন আর আজ
তারা কোথায়? সেইসব অত্যাচারী রাজা বাদশারা কোথায়, যাদেরকে যুদ্ধ জয়ীরুপে স্মরণ করা


إِلَى كِسْرَى مَلِكِ الْفُرْسِ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى كِسْرَى عَظِيمِ الْفُرْسِ، سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، فَأَسْلِمْ تَسْلَمْ. إِلَى آخِرِهِ، فَلَمَّا جَاءَهُ الْكِتَابُ قَالَ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: هَذَا كِتَابٌ جَاءَ مِنْ عِنْدِ رَجُلٍ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ. فَلَمَّا فَتَحَ الْكِتَابَ فَوَجَدَهُ قَدْ بَدَأَ بِاسْمِهِ قَبْلَ اسْمِ كِسْرَى غَضِبَ كِسْرَى عِنْدَ ذَلِكَ غَضَبًا شَدِيدًا، وَأَخَذَ الْكِتَابَ فَمَزَّقَهُ قَبْلَ أَنْ يَقْرَأَهُ، وَكَتَبَ إِلَى عَامِلِهِ عَلَى الْيَمَنِ، وَكَانَ اسْمُهُ بَاذَامَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِذَا جَاءَكَ كِتَابِي هَذَا فَابْعَثْ مِنْ قِبَلِكَ أَمِيرَيْنِ إِلَى هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، فَابْعَثْهُ إِلَيَّ فِي جَامِعَةٍ. فَلَمَّا جَاءَ الْكِتَابُ إِلَى بَاذَامَ، بَعَثَ مِنْ عِنْدِهِ أَمِيرَيْنِ عَاقِلَيْنِ، وَقَالَ: اذْهَبَا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ، فَانْظُرَا مَا هُوَ، فَإِنْ كَانَ كَاذِبًا فَخُذَاهُ فِي جَامِعَةٍ حَتَّى تَذْهَبَا بِهِ إِلَى كِسْرَى، وَإِنْ كَانَ غَيْرَ ذَلِكَ فَارْجِعَا إِلَيَّ فَأَخْبِرَانِي مَا هُوَ، حَتَّى أَنْظُرَ فِي أَمْرِهِ. فَقَدِمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَوَجَدَاهُ عَلَى أَسَدِّ الْأَحْوَالِ وَأَرْشَدِهَا، وَرَأَيَا مِنْهُ أُمُورًا عَجِيبَةً يَطُولُ ذِكْرُهَا، وَمَكَثَا عِنْدَهُ شَهْرًا بَعْدَمَا أَبْلَغَاهُ مَا جَاءَا لَهُ، ثُمَّ تَقَاضَاهُ الْجَوَابَ بَعْدَ ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُمَا: " ارْجِعَا إِلَى صَاحِبِكُمَا فَأَخْبِرَاهُ أَنَّ رَبِّي قَدْ قَتَلَ اللَّيْلَةَ رَبَّهُ ". فَأَرَّخَا ذَلِكَ عِنْدَهُمَا، ثُمَّ رَجَعَا سَرِيعًا إِلَى الْيَمَنِ، فَأَخْبَرَا بَاذَامَ بِمَا قَالَ لَهُمَا، فَقَالَ: أَحْصُوا تِلْكَ اللَّيْلَةَ، فَإِنْ ظَهَرَ الْأَمْرُ كَمَا قَالَ فَهُوَ نَبِيٌّ. فَجَاءَتِ الْكُتُبُ مِنْ عِنْدِ مَلِكِهِمْ أَنَّهُ قَدْ قُتِلَ كِسْرَى فِي لَيْلَةِ كَذَا وَكَذَا، لِتِلْكَ اللَّيْلَةِ، وَكَانَ قَدْ قَتَلَهُ بَنُوهُ» ، وَلِهَذَا قَالَ
পৃষ্ঠা - ৫২৫৭
بَعْضُ الشُّعَرَاءِ: وَكِسْرَى إِذْ تَقَاسَمَهُ بَنُوهُ ... بِأَسْيَافٍ كَمَا اقْتَسَمَ اللِّحَامُ تَمَخَّضَتِ الْمَنُونُ لَهُ بِيَوْمٍ ... أَنَى وَلِكُلِّ حَامِلَةٍ تَمَامُ وَقَامَ بِالْمُلْكِ بَعْدَهُ وَلَدُهُ يَزْدَجِرْدُ، وَكَتَبَ إِلَى بَاذَامَ أَنْ خُذْ لِيَ الْبَيْعَةَ مِمَّنْ قِبَلَكَ، وَاعْمِدْ إِلَى ذَلِكَ الرَّجُلِ فَلَا تُهِجْهُ وَأَكْرِمْهُ، فَدَخَلَ الْإِسْلَامُ فِي قَلْبِ بَاذَامَ وَذَوِيهِ مِنْ أَبْنَاءِ فَارِسَ مِمَّنْ بِالْيَمَنِ، وَبَعَثَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِسْلَامِهِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنِيَابَةِ الْيَمَنِ بِكَمَالِهَا، فَلَمْ يَعْزِلْهُ عَنْهَا حَتَّى مَاتَ، فَلَمَّا مَاتَ اسْتَنَابَ ابْنَهُ شَهْرَ بْنَ بَاذَامَ عَلَى صَنْعَاءَ وَبَعْضَ الْمَخَالِيفِ، وَبَعَثَ طَائِفَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ نُوَّابًا عَلَى مَخَالِيفَ أُخَرَ، فَبَعَثَ أَوَّلًا فِي سَنَةِ عَشْرٍ عَلِيًّا وَخَالِدًا، ثُمَّ أَرْسَلَ مُعَاذًا وَأَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ، وَفَرَّقَ عِمَالَةَ الْيَمَنِ بَيْنَ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، فَمِنْهُمْ ; شَهْرُ بْنُ بَاذَامَ، وَعَامِرُ بْنُ شَهْرٍ الْهَمْدَانِيُّ عَلَى هَمْدَانَ، وَأَبُو مُوسَى عَلَى مَأْرِبَ، وَخَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ عَلَى مَا بَيْنَ نَجْرَانَ وَرِمَعٍ وَزَبِيدٍ، وَيَعْلَى بْنُ أُمَيَّةَ عَلَى الْجَنَدِ، وَالطَّاهِرُ بْنُ أَبِي هَالَةَ عَلَى عَكٍّ وَالْأَشْعَرِيِّينَ، وَعَمْرُو بْنُ حَزْمٍ عَلَى نَجْرَانَ، وَعَلَى بِلَادِ حَضْرَمَوْتَ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ، وَعَلَى السَّكَاسِكِ