আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

الحوادث الواقعة في الزمان ووفيات المشاهير والأعيان سنة إحدى عشرة من الهجرة

مبايعة أبي بكر الصديق

خلافة أبي بكر الصديق

পৃষ্ঠা - ৫২৪৩

করেন ৷ এ জাতীয় আরও বহু উদাহরণ সীরাতের গ্রন্থসমুহে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বদরের যুদ্ধে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চাচা আব্বাস বন্দী হন ৷ তার নিকট মুক্তিপণ দাবি করলে তিনি বলেন,
আমার কোন সম্পদ নেই ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, সেই সম্পদ কোথায় যা আপনি
(আপনার শ্রী) উম্মুল ফযল এর ঘরের দরজার কাঠের নীচে মাটিতে পুতে রেখেছেন? আর
আপনি তাকে বলে রেখেছেন, আমি যদি যুদ্ধে নিহত হই তা হলে এ সম্পদ সম্ভানদেরকে দিও ৷
তখন আব্বাস বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ৰু আল্পাহ্র কসম , এই বিষয়ে তো আমি উম্মুল ফযল ও
আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ-ই জানে না ৷ এ ছাড়া আবিশিনিয়ায় নাজাশীর মৃত্যু হলে রাসুলুল্লাহ্
(সা) মদীনায় থেকে তীর মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে দেন এবং তার জন্যে গড়ায়েবানা জানাযা আদায়
করেন ৷ র্মুতা যুদ্ধের সময় তিনি মসজিদের মিম্বরের উপর দাড়িয়ে অশ্রু সিক্ত নয়নে একের পর
এক সেনাপতিদের শাহাদাতের সংবাদ শুনাতে থাকেন ৷ হাতির ইবন আবি বালতাআর গোপন
চিঠি যা বনু আবদুল মুত্তালিবের ৰ্বাদী শাকিংবর সাথে প্রেরণ করা হয় সে চিঠি সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীদেরকে সংবাদ দেন এবং তাকে ধরার জন্যে আলী, যুবায়র ও
মিকদাদকে প্রেরণ করেন ৷ তারা মহিলাটিকে পথে ধরে ফেলেন এবং তার চুলের রেণী থেকে
ভিন্ন মতাম্ভরে কােমর থেকে উদ্ধার করেন ৷ মক্কা বিজয়ের আংলাচনায় এ বিষয়ের উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ কিস্রার করদ রাজ্য য়ামাংনর শাসনকর্তা কিসৃরার দুইজন আমীরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্যে মদীনায় প্রেরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে বললেন, গত
রাতে আমার রব তোমাদের রবকে হত্যা করেছেন ৷ তারা ঐ রাত্রেই চলে গেল এবং দেখল যে,
কিসৃরার পুত্র সিংহাসন দখল করে নিয়েছে এবং পিতাকে হত্যা করেছে ৷ এতে ঐ আমীরদ্বয়
এবং য়ামানের শাসনকর্তা ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আর এ ঘটনাই পরবর্তীকালে য়ামান রাজ্য
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অধীনস্থ হওয়ার কারণে পরিণত হয় ৷ অতীতের ঘটনা ব্যতীত ভবিষ্যতের
ঘটনা সম্পর্কে আগাম সংবাদ দানের উদাহরণ আরও অনেক বেশী ৷ পুর্বেও এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা হয়েছে এবং পরেও আলোচনা করা হবে ৷

ইবন হামিদ হযরত ঈসা (আ)-এর জিহাদের মুকাবিলায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জিহাদের
আলোচনা করেছেন ৷ তদ্রুপ হযরত ঈসা (আ)-এর কৃচ্ছ সাধনার মুকাবিলায় রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর কৃচ্ছ সাধনার উল্লেখ করেছেন ৷ বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট পৃথিবীর ধন
ভাণ্ডারের কুঞ্জি পেশ করা হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আমি একদিন আহার
করলে আর একদিন ভৃখা থাকতে চাই ৷ অথচ (বিভিন্ন সময়ে) তার ছিলেন তেব জন
সহধর্মিনী ৷ কখনও এক মাস কখনও দুই মাস তাদের উপর দিয়ে অতিবাহিত হয়ে যেত এবং
চুলায় বা ঘরে বাতি জ্বলভো না কেবল দুটি কাল জিনিসই ভাগ্যে জুটতঅর্থাৎ, খুরমা ও পানি ৷
কখনও কখনও ক্ষুধার তাড়নায় তিনি পেটে পাথর বেধে রাখতেন ৷ পরপর তিন রাত পর্যন্ত
গমের রুটি খড়াওয়ারও সুযোগ ঘটত না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিছানা চিল চামড়ার এবং তার
ভিতরে ছিল খেজুর শাখার ছাল ৷ অনেক সময় তিনি নিজেই বকরীর দুধ দোহন করতেন ৷
নিজের পবিত্র হাতে কাপড়ে তালি দিতেন এবং জুতা সেলাই করতেন ৷ মৃত্যুকালে তার বর্ম
জনৈক য়াহুদীর নিকট বন্দক রেখে পরিবারে জন্যে খাদ্য দ্রব্য ক্রয় করে আনেন ৷ নিজের এ
অবস্থা থাকা সত্বেও গনীমত ও হাদিয়ার হাজার হাজার উট, দৃম্বা ও বকরী নিজের ও পরিবারের
জন্যে ব্যয় না করে ফকীর, মিসকীন, বিধবা, য়াতীম, বন্দী ও অসহায় লোকদের মধ্যে বন্টন
করে দিতেন ৷


[الْحَوَادِثُ الْوَاقِعَةُ فِي الزَّمَانِ وَوَفَيَاتُ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ] [مُبَايَعَةُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ كِتَابُ تَارِيخِ الْإِسْلَامِ الْأَوَّلِ مِنَ الْحَوَادِثِ الْوَاقِعَةِ فِي الزَّمَانِ، وَوَفَيَاتِ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ تَقَدَّمَ مَا كَانَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْهَا مِنْ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمِ الِاثْنَيْنِ، وَذَلِكَ الثَّانِي عَشَرَ مِنْهُ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَقَدْ بَسَطْنَا الْكَلَامَ فِي ذَلِكَ بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. [خِلَافَةُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ] ِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَمَا كَانَ فِي أَيَّامِهِ مِنَ الْحَوَادِثِ وَالْأُمُورِ. قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَذَلِكَ ضُحًى، فَاشْتَغَلَ النَّاسُ بِأَمْرِ بَيْعَةِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، ثُمَّ فِي الْمَسْجِدِ الْبَيْعَةُ الْعَامَّةُ فِي بَقِيَّةِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ وَصَبِيحَةَ الثُّلَاثَاءِ، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ بِطُولِهِ، ثُمَّ أَخَذُوا فِي غَسْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَكْفِينِهِ، وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْلِيمًا، بَقِيَّةَ يَوْمِ الثُّلَاثَاءِ، وَدَفَنُوهُ لَيْلَةَ الْأَرْبِعَاءِ، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ مُبَرْهَنًا فِي مَوْضِعِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: لَمَّا بُويِعَ أَبُو بَكْرٍ فِي السَّقِيفَةِ وَكَانَ الْغَدُ، جَلَسَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَقَامَ عُمَرُ فَتَكَلَّمَ قَبْلَ أَبِي بَكْرٍ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي قَدْ قُلْتُ لَكُمْ بِالْأَمْسِ مَقَالَةً مَا كَانَتْ مِمَّا وَجَدْتُهَا فِي كِتَابِ اللَّهِ، وَلَا كَانَتْ عَهْدًا عَهِدَهُ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنِّي قَدْ كُنْتُ أَرَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيُدَبِّرُ أَمْرَنَا - يَقُولُ: يَكُونُ آخِرَنَا - وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَبْقَى فِيكُمْ كِتَابَهُ الَّذِي بِهِ
পৃষ্ঠা - ৫২৪৪
هَدَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ هَدَاكُمُ اللَّهُ لِمَا كَانَ هَدَاهُ لَهُ، وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ جَمَعَ أَمْرَكُمْ عَلَى خَيْرِكُمْ ; صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ، فَقُومُوا فَبَايِعُوهُ. فَبَايَعَ النَّاسُ أَبَا بَكْرٍ بَيْعَةَ الْعَامَّةِ بَعْدَ بَيْعَةِ السَّقِيفَةِ، ثُمَّ تَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِالَّذِي هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، أَيُّهَا النَّاسُ، فَإِنِّي قَدْ وُلِّيتُ عَلَيْكُمْ وَلَسْتُ بِخَيْرِكُمْ، فَإِنْ أَحْسَنْتُ فَأَعِينُونِي، وَإِنْ أَسَأْتُ فَقَوِّمُونِي، الصِّدْقُ أَمَانَةٌ، وَالْكَذِبُ خِيَانَةٌ، وَالضَّعِيفُ فِيكُمْ قَوِيٌّ عِنْدِي حَتَّى أُرِيحَ عَلَيْهِ حَقَّهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَالْقَوِيُّ فِيكُمْ ضَعِيفٌ حَتَّى آخُذَ الْحَقَّ مِنْهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، لَا يَدْعُ قَوْمٌ الْجِهَادَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلَّا ضَرَبَهُمُ اللَّهُ بِالذُّلِّ، وَلَا تَشِيعُ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ إِلَّا عَمَّهُمُ اللَّهُ بِالْبَلَاءِ، أَطِيعُونِي مَا أَطَعْتُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، فَإِذَا عَصَيْتُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، فَلَا طَاعَةَ لِي عَلَيْكُمْ، قُومُوا إِلَى صَلَاتِكُمْ يَرْحَمْكُمُ اللَّهُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ. وَقَدِ اتَّفَقَ الصَّحَابَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، عَلَى بَيْعَةِ الصِّدِّيقِ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ، حَتَّى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَأَرْضَاهُمَا، وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ حَيْثُ قَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ الْحَافِظُ الْإِسْفَرَايِينِيُّ، ثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خُزَيْمَةَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، قَالَا: ثَنَا بُنْدَارُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا أَبُو هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ، ثَنَا وُهَيْبٌ، ثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدَ، ثَنَا أَبُو نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاجْتَمَعَ النَّاسُ فِي دَارِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، وَفِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ.
পৃষ্ঠা - ৫২৪৫


করেন ৷ এ জাতীয় আরও বহু উদাহরণ সীরাঃতর গ্রন্থসমুহে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বদরের যুদ্ধে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চাচা আব্বাস বন্দী হন ৷ তার নিকট মুক্তিপণ দাবি করলে তিনি বলেন,
আমার কোন সম্পদ নেই ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, সেই সম্পদ কোথায় যা আপনি
(আপনার শ্রী) উম্মুল ফযল এর ঘরের দরজার কাঠের নীচে মাটিতে পুতে রেখেছেন? আর
আপনি তাকে বলে রেখেছেন, আমি যদি যুদ্ধে নিহত হই তা হলে এ সম্পদ সম্ভানদেরকে দিও ৷
তখন আব্বাস বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্৷ আল্লাহর কসম , এই বিষয়ে তো আমি উম্মুল ফযল ও
আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য ফেউ-ই জানে না ৷ এ ছাড়া আবিশিনিয়ায় নাজাশীর মৃত্যু হলে রাসুলুল্লাহ্
(সা) মদীনায় থেকে তীর মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে দেন এবং তার জন্যে পায়েবানা জানাযা আদায়
করেন ৷ মুতা যুদ্ধের সময় তিনি মসজিদের মিম্বরের উপর র্দাড়িয়ে অশ্রু সিক্ত নয়নে একের পর
এক সেনাপতিদের শাহাদাতের সংবাদ শুনাতে থাকেন ৷ হাতির ইবন আবি বালতাআর গোপন
চিঠি যা বনু আবদুল মুত্তালিবের ৰ্বাদী শাকিবের সাথে প্রেরণ করা হয় সে চিঠি সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীদেরকে সংবাদ দেন এবং তাকে ধরার জন্যে আলী, যুবায়র ও
মিকদাদকে প্রেরণ করেন ৷ তারা মহিলাটিকে পথে ধরে ফেলেন এবং তার চুলের বেণী থেকে
ভিন্ন মতান্তরে কোমর থেকে উদ্ধার করেন ৷ মক্কা বিজয়ের আলোচনায় এ বিষয়ের উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ কিস্রার করদ রাজ্য য়ামানের শাসনকর্তা কিসৃরার দুইজন আমীরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্যে মদীনায় প্রেরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে বললেন, গত
রাতে আমার রব তোমাদের রবকে হত্যা করেছেন ৷ তারা ঐ রাত্রেই চলে গেল এবং দেখল যে,
কিসৃরার পুত্র সিংহাসন দখল করে নিয়েছে এবং পিতাকে হত্যা করেছে ৷ এতে ঐ আমীরদ্বয়
এবং য়ামানের শাসনকর্তা ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আর এ ঘটনাই পরবর্তীকালে য়ামান রাজ্য
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর অধীনস্থ হওয়ার কারণে পরিণত হয় ৷ অতীতের ঘটনা ব্যতীত ভবিষ্যতের
ঘটনা সম্পর্কে আগাম সংবাদ দানের উদাহরণ আরও অনেক বেশী ৷ পুর্বেও এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা হয়েছে এবং পরেও আলোচনা করা হবে ৷

ইবন হামিদ হযরত ঈসা (আ)-এর জিহাদের মুকাবিলায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জিহাদের
আলোচনা করেছেন ৷ তদ্রুপ হযরত ঈসা (আ)-এরকৃচ্ছ সাধনার মুকাবিলায় রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর কৃচ্ছ সাধনার উল্লেখ করেছেন ৷ বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব নিকট পৃথিবীর ধ্ন
ভাণ্ডারের কুঞ্জি পেশ করা হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আমি একদিন আহার
করলে আর একদিন ভুখা থাকতে চাই ৷ অথচ (বিভিন্ন সময়ে) তার ছিলেন ণ্তর জন
সহধর্মিনী ৷ কখনও এক মাস কখনও দুই মাস তাদের উপর দিয়ে অতিবাহিত হয়ে যেত এবং
চুলায় বা ঘরে বাতি জ্বলভাে না কেবল দুটি কাল জিনিসই ভাগ্যে জুটত-অর্থাৎ খুরমা ও পানি ৷
কখনও কখনও ক্ষুধার তাড়নায় তিনি পেটে পাথর বেধে রাখতেন ৷ পরপর তিন রাত পর্যন্ত
গমের রুটি থাওয়ারও সুযোগ ঘটত না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বিছানা চিল চামড়ার এবং তার
ভিতরে ছিল খেজুর শাখার ছাল ৷ অনেক সময় তিনি নিজেই বকরীর দুধ দোহন করতেন ৷
নিজের পবিত্র হাতে কাপড়ে তালি দিতেন এবং জুতা সেলাই করতেন ৷ মৃত্যুকালে তার বর্ম
জনৈক য়াহুদীর নিকট বন্দক রেখে পরিবারে জন্যে খাদ্য দ্রব্য ক্রয় করে আনেন ৷ নিজের এ
অবস্থা থাকা সত্বেও গনীমত ও হাদিয়ার হাজার হাজার উট, দুম্বা ও বকরী নিজের ও পরিবারের

জন্যে ব্যয় না করে ফকীর, মিসকীন, বিধবা, য়াতীম, বন্দী ও অসহায় লোকদের মধ্যে বন্টন
করে দিতেন ৷


قَالَ: فَقَامَ خَطِيبُ الْأَنْصَارِ فَقَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَخَلِيفَتَهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَنَحْنُ كُنَّا أَنْصَارَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَحْنُ أَنْصَارُ خَلِيفَتِهِ، كَمَا كُنَّا أَنْصَارَهُ. قَالَ: فَقَامَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ: صَدَقَ قَائِلُكُمْ، وَلَوْ قُلْتُمْ غَيْرَ هَذَا لَمْ نُتَابِعْكُمْ. فَأَخَذَ بِيَدِ أَبِي بَكْرٍ، وَقَالَ: هَذَا صَاحِبُكُمْ فَبَايِعُوهُ. فَبَايَعَهُ عُمَرُ، وَبَايَعَهُ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، قَالَ: فَصَعِدَ أَبُو بَكْرٍ الْمِنْبَرَ، فَنَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ، فَلَمْ يَرَ الزُّبَيْرَ. قَالَ: فَدَعَا بِالزُّبَيْرِ فَجَاءَ، قَالَ: قُلْتُ: ابْنُ عَمَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحِوَارِيُّهُ، أَرَدْتَ أَنْ تَشُقَّ عَصَا الْمُسْلِمِينَ؟ ! قَالَ: لَا تَثْرِيبَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ. فَقَامَ فَبَايَعَهُ، ثُمَّ نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَلَمْ يَرِ عَلِيًّا، فَدَعَا بِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَجَاءَ فَقَالَ: قُلْتَ: ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَتَنُهُ عَلَى ابْنَتِهِ، أَرَدْتَ أَنْ تَشُقَّ عَصَا الْمُسْلِمِينَ؟ ! قَالَ: لَا تَثْرِيبَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ. فَبَايَعَهُ. هَذَا أَوْ مَعْنَاهُ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو عَلِيٍّ النَّيْسَابُورِيُّ: سَمِعْتُ ابْنَ خُزَيْمَةَ يَقُولُ: جَاءَنِي مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ، فَسَأَلَنِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَكَتَبْتُهُ لَهُ فِي رُقْعَةٍ وَقَرَأْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ يُسَاوِي بَدَنَةً. فَقُلْتُ: يَسْوَى بَدَنَةً؟ ! بَلْ هَذَا يَسْوَى بَدْرَةً. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنِ الثِّقَةِ، عَنْ وُهَيْبٍ مُخْتَصَرًا. وَأَخْرَجَهُ
পৃষ্ঠা - ৫২৪৬
الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " مِنْ طَرِيقِ عَفَّانَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ وُهَيْبٍ مُطَوَّلًا كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ. وَرُوِّينَا مِنْ طَرِيقِ الْمَحَامِلِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَاصِمٍ، عَنِ الْحَرِيرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ فِي مُبَايَعَةِ عَلَيٍّ وَالزُّبَيْرِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يَوْمَئِذٍ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ " عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي أَبِي، أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ كَانَ مَعَ عُمَرَ، وَأَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ كَسَرَ سَيْفَ الزُّبَيْرِ، ثُمَّ خَطَبَ أَبُو بَكْرٍ، وَاعْتَذَرَ إِلَى النَّاسِ، وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا كُنْتُ حَرِيصًا عَلَى الْإِمَارَةِ يَوْمًا وَلَا لَيْلَةً، وَلَا سَأَلْتُهَا اللَّهَ فِي سِرٍّ وَلَا عَلَانِيَةٍ. فَقَبِلَ الْمُهَاجِرُونَ مَقَالَتَهُ، وَقَالَ عَلِيٌّ وَالزُّبَيْرُ: مَا غَضِبْنَا إِلَّا لِأَنَّنَا أُخِّرْنَا عَنِ الْمَشُورَةِ، وَإِنَّا نَرَى أَبَا بَكْرٍ أَحَقَّ النَّاسِ بِهَا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِنَّهُ لَصَاحِبُ الْغَارِ، وَإِنَّا لَنَعَرِفُ شَرَفَهُ وَخَيْرَهُ، وَلَقَدْ أَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّلَاةِ بِالنَّاسِ وَهُوَ حَيٌّ، وَهَذَا اللَّائِقُ بَعَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَالَّذِي تَدُلُّ عَلَيْهِ الْآثَارُ ; مِنْ شُهُودِهِ مَعَهُ الصَّلَوَاتِ، وَخُرُوجِهِ مَعَهُ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ بَعْدَ مَوْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا سَنُورِدُهُ، وَبَذْلِهِ لَهُ النَّصِيحَةَ وَالْمَشُورَةَ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأَمَّا مَا يَأْتِي مِنْ مُبَايَعَتِهِ إِيَّاهُ بَعْدَ مَوْتِ فَاطِمَةَ - وَقَدْ مَاتَتْ بَعْدَ أَبِيهَا، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ - فَذَلِكَ مَحْمُولٌ عَلَى أَنَّهَا بَيْعَةٌ ثَانِيَةٌ أَزَالَتْ مَا
পৃষ্ঠা - ৫২৪৭

আবু নুআয়ম ফেরেশতা কর্তৃক বিবি মারয়ামকে ঈসা (আ)-এর জন্মের সৃ-সংবাদ দানের
মুকাবিলায় বিবি আমিনাকে মহানবী (সা)-এর জন্মের সৃ-সংবাদ দানের কথা উল্লেখ করেছেন ৷
বিবি আমিনা যখন গর্ভবতী ছিলেন তখন স্বপ্নে দেখেন, কে যেন তাকে বলছে, “এই উম্মাতের
শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি তোমার গর্ভে রয়েছেন ৷ তুমি তার নাম রেখ মুহাম্মদ” ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা রাসুলের জন্ম অধ্যায়ে উল্লেখ করেছি ৷ আবু নুআয়ম এ সম্পর্কে একটা চমৎকার
ঘটনার উল্লেখ করেছেন ৷ আমরা এখানে তা উল্লেখ করছি ৷ তিনি সুলয়েমান ইবন আহমদ সুত্রে
ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলু ল্লাহ্ (সা) যখন মায়ের পেটে আসেন তখন
বাহ্যিকভাবে যে সব পরিবর্তন ও নিদর্শনাদি দেখা দেয় তা এই যে :

১ কুরায়শদের যত জীব আনোয়ার ছিল তারা ঐ রাত্রে বাক শক্তি লাভ করে ও কথা
বলে ৷ কাবার মালিকের কসম, রাসুলুল্লাহ্ ঐ রাত্রে মায়ের পেটে আসেন ৷ তিনি হলেন দুনিয়ার
শান্তিদুত এবং বিশ্ববাসীর আলােকবর্তিকা ৷

২ কৃরায়শ সহ আরবের সকল গোত্রে যত গণক ছিল তারা আপন আপন ত্রীদের থেকে
আড়াল হয়ে যায় ৷

৩ তাদের থেকে ঐ মুহুর্তে গণকের,বিদ্যা ণ্লাপ পেয়ে যায় ৷

৪ দৃনিয়ায় যত রাজা-বাদশা ছিল তাদের সিংহাসনগুলো সকাল বেলা উল্টে যায় ৷

৫ রাজা বাদশাগণ মুক হয়ে যান, ফলে ঐ দিন তাদের কেউ কথা বলতে সক্ষম হয়নি ৷

৬ পুর্ব প্রান্তের পশু-পক্ষী এ সৃ-সংবাদ বহন করে পশ্চিম প্রান্তের পশু পক্ষীদেরনিকট ছুটে
যায় ৷

৭ সমুদ্রের মাছ ও প্রাণীরড়াও একে অন্যের নিকট সু-সংবাদ জানাতে থাকে ৷

৮ তিনি যতদিন মায়ের পেটে ছিলেন ততদিন প্রতি মাসে আসমানে ও যমীনে এই
ঘোষণা দেয়া হত যে, তোমরা সৃ ত্বাদ লও, পৃথিবীতে আবুল কাশিমের আবির্ভাবের সময়
আসন্ন ৷ তিনি আসবেন শান্তি নিরাপত্তা ও কল্যাণেব বার্তা নিয়ে ৷ তিনি মায়ের পেটে ছিলেন নয়
মাস ৷ মাতৃ গর্ভে থাকা অবন্থায়ই পিতা আবদুল্লাহ্র ইনতিকাল হয় ৷ ফেরেশতারা তখন
ফরিয়াদ জানান, হে আল্লাহ্ষ্ হে প্রভু ! আপনার নবী তো য়াতীম হয়ে গেলেন, আল্লাহ্ বললেন,
হে ফেরেশতারা! আমিই তার অভিভাবক, হিফাজতকারী এবং সাহায্যকারী ৷ সুতরাং তার
জন্মের মাধ্যমে তোমরা ধন্য হও ৷

৯ আল্লাহ্ তায়ালা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্ম লগ্নে আকাশ সমুহ ও জান্নাতের দ্বার সমুহ
উন্মুক্ত করে দেন ৷ বিবি আমিনা নিজেই বলতেন, আমার পেটে সন্তানের বয়স যখন ছয় মাস
হয়, তখন স্বপ্নে দেখি, এক আগন্তুক এসে পা দিয়ে আমাকে সাড়া দিয়ে বলছে, হে আমিনা!
তুমি বিশ্বের সর্বোত্তম ব্যক্তিকে পেটে ধারণ করে আছ ৷ যখন তিনি ভুমিষ্ট হবেন তখন তার নাম
রেখো মুহাম্মদ, অথবা নবী ৷ এই হল তোমার মর্যাদা , ৷

১ : আমিনা নিজের অবস্থা বলতেন যে, অন্যান্য মহিলাদের যা হয়, আমারও সে অবস্থা
হল ৷ কিন্তু সমাজের কেউ তা জানতে পারেনি-না নারীরা জানতে পেয়েছে না পুরুষরা জানতে
পেয়েছে ৷ আমি বাড়িতে একাকী ছিলাম আর আবদুল মুত্তালিব তখন গিয়েছিলেন তাওয়াফ
করতে ৷ এ সময় আমি এক বিকট আওয়াজ শুনতে পাই এবং বড় কোন ঘটনা বুঝতে পারি ৷


كَانَ قَدْ وَقَعَ مِنْ وَحْشَةٍ بِسَبَبِ الْكَلَامِ فِي الْمِيرَاثِ، وَمَنْعِهِ إِيَّاهُمْ ذَلِكَ بِالنَّصِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَوْلِهِ: " «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكَنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ» ". كَمَا تَقَدَّمَ إِيرَادُ أَسَانِيدِهِ وَأَلْفَاظِهِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ كَتَبْنَا هَذِهِ الطُّرُقَ مُسْتَقْصَاةً فِي الْكِتَابِ الَّذِي أَفْرَدْنَاهُ فِي سِيرَةِ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَمَا أَسْنَدَهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا رُوِيَ عَنْهُ مِنَ الْأَحْكَامِ مُبَوَّبَةً عَلَى أَبْوَابِ الْعِلْمِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ عَنْ أَبِي ضَمْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ قَالَ: نَادَى مُنَادِي أَبِي بَكْرٍ مِنَ الْغَدِ مِنْ مُتَوَفَّى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِيَتِمَّ بَعْثُ أُسَامَةَ، أَلَا لَا يَبْقَيَنَّ بِالْمَدِينَةِ أَحَدٌ مِنْ جُنْدِ أُسَامَةَ إِلَّا خَرَجَ إِلَى عَسْكَرِهِ بِالْجُرْفِ. وَقَامَ أَبُو بَكْرٍ فِي النَّاسِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّمَا أَنَا مِثْلُكُمْ، وَإِنِّي لَا أَدْرِي لَعَلَّكُمْ سَتُكَلِّفُونَنِي مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُطِيقُ، إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى مُحَمَّدًا عَلَى الْعَالَمِينَ، وَعَصَمَهُ مِنَ الْآفَاتِ، وَإِنَّمَا أَنَا مُتَّبِعٌ وَلَسْتُ بِمُبْتَدِعٍ، فَإِنِ اسْتَقَمْتُ فَتَابِعُونِي، وَإِنْ زِغْتُ فَقَوِّمُونِي، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ يَطْلُبُهُ بِمَظْلِمَةٍ ; ضَرْبَةِ سَوْطٍ فَمَا دُونَهَا، وَإِنَّ لِي شَيْطَانًا يَعْتَرِينِي، فَإِذَا أَتَانِي فَاجْتَنِبُونِي، لَا أُؤَثِّرُ فِي أَشْعَارِكُمْ وَأَبْشَارِكُمْ، وَإِنَّكُمْ تَغْدُونَ وَتَرُوحُونَ فِي أَجَلٍ قَدْ غُيِّبَ عَنْكُمْ عِلْمُهُ، وَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لَا
পৃষ্ঠা - ৫২৪৮
يَمْضِيَ إِلَّا وَأَنْتُمْ فِي عَمَلٍ صَالِحٍ فَافْعَلُوا، وَلَنْ تَسْتَطِيعُوا ذَلِكَ إِلَّا بِاللَّهِ، وَسَابِقُوا فِي مَهْلِ آجَالِكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ تُسْلِمَكُمْ آجَالُكُمْ إِلَى انْقِطَاعِ الْأَعْمَالِ، فَإِنَّ قَوْمًا نَسُوا آجَالَهُمْ وَجَعَلُوا أَعْمَالَهُمْ لِغَيْرِهِمْ، فَإِيَّاكُمْ أَنْ تَكُونُوا أَمْثَالَهُمْ، الْجِدَّ الْجِدَّ، النَّجَاءَ النَّجَاءَ، الْوَحَا الْوَحَا، فَإِنَّ وَرَاءَكُمْ طَالِبًا حَثِيثًا، وَأَجَلًا مَرُّهُ سَرِيعٌ، احْذَرُوا الْمَوْتَ، وَاعْتَبِرُوا بِالْآبَاءِ وَالْأَبْنَاءِ وَالْإِخْوَانِ، وَلَا تَغْبِطُوا الْأَحْيَاءَ إِلَّا بِمَا تَغْبِطُونَ بِهِ الْأَمْوَاتَ. قَالَ: وَقَامَ أَيْضًا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، لَا يَقْبَلُ مِنَ الْأَعْمَالِ إِلَّا مَا أُرِيدَ بِهِ وَجْهَهُ، فَأَرِيدُوا اللَّهَ بِأَعْمَالِكُمْ، فَأَيَّمَا أَخْلَصْتُمْ لِلَّهِ مِنَ الْأَعْمَالِ، فَطَاعَةً أَتَيْتُمُوهَا، وَحَظًّا ظَفِرْتُمْ بِهِ، وَضَرَائِبَ أَدَّيْتُمُوهَا، وَسَلَفًا قَدَّمْتُمُوهُ مِنْ أَيَّامٍ فَانِيَةٍ لِأُخْرَى بَاقِيَةٍ لِحِينِ فَقْرِكُمْ وَحَاجَتِكُمْ، اعْتَبَرُوا عِبَادَ اللَّهِ بِمَنْ مَاتَ مِنْكُمْ، وَتَفَكَّرُوا فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، أَيْنَ كَانُوا أَمْسِ؟ وَأَيْنَ هُمُ الْيَوْمَ؟ أَيْنَ الْجَبَّارُونَ؟ أَيْنَ الَّذِينَ كَانَ لَهُمْ ذِكْرُ الْقِتَالِ وَالْغَلَبَةِ فِي مَوَاطِنِ الْحُرُوبِ؟ ! قَدْ تَضَعْضَعَ بِهِمُ الدَّهْرُ، وَصَارُوا رَمِيمًا، قَدْ تُرِكَتْ عَلَيْهِمُ الْقَالَاتُ، الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثَيْنِ، وَالْخِبِّيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ، وَأَيْنَ الْمُلُوكُ الَّذِينَ أَثَارُوا الْأَرْضَ وَعَمَرُوهَا؟ ! قَدْ بَعُدُوا وَنُسِيَ ذِكْرُهُمْ، وَصَارُوا كَلَا