আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

الحوادث الواقعة في الزمان ووفيات المشاهير والأعيان سنة إحدى عشرة من الهجرة

পৃষ্ঠা - ৫২৪৩

করেন ৷ এ জাতীয় আরও বহু উদাহরণ সীরাতের গ্রন্থসমুহে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বদরের যুদ্ধে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চাচা আব্বাস বন্দী হন ৷ তার নিকট মুক্তিপণ দাবি করলে তিনি বলেন,
আমার কোন সম্পদ নেই ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, সেই সম্পদ কোথায় যা আপনি
(আপনার শ্রী) উম্মুল ফযল এর ঘরের দরজার কাঠের নীচে মাটিতে পুতে রেখেছেন? আর
আপনি তাকে বলে রেখেছেন, আমি যদি যুদ্ধে নিহত হই তা হলে এ সম্পদ সম্ভানদেরকে দিও ৷
তখন আব্বাস বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ৰু আল্পাহ্র কসম , এই বিষয়ে তো আমি উম্মুল ফযল ও
আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ-ই জানে না ৷ এ ছাড়া আবিশিনিয়ায় নাজাশীর মৃত্যু হলে রাসুলুল্লাহ্
(সা) মদীনায় থেকে তীর মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে দেন এবং তার জন্যে গড়ায়েবানা জানাযা আদায়
করেন ৷ র্মুতা যুদ্ধের সময় তিনি মসজিদের মিম্বরের উপর দাড়িয়ে অশ্রু সিক্ত নয়নে একের পর
এক সেনাপতিদের শাহাদাতের সংবাদ শুনাতে থাকেন ৷ হাতির ইবন আবি বালতাআর গোপন
চিঠি যা বনু আবদুল মুত্তালিবের ৰ্বাদী শাকিংবর সাথে প্রেরণ করা হয় সে চিঠি সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীদেরকে সংবাদ দেন এবং তাকে ধরার জন্যে আলী, যুবায়র ও
মিকদাদকে প্রেরণ করেন ৷ তারা মহিলাটিকে পথে ধরে ফেলেন এবং তার চুলের রেণী থেকে
ভিন্ন মতাম্ভরে কােমর থেকে উদ্ধার করেন ৷ মক্কা বিজয়ের আংলাচনায় এ বিষয়ের উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ কিস্রার করদ রাজ্য য়ামাংনর শাসনকর্তা কিসৃরার দুইজন আমীরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্যে মদীনায় প্রেরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে বললেন, গত
রাতে আমার রব তোমাদের রবকে হত্যা করেছেন ৷ তারা ঐ রাত্রেই চলে গেল এবং দেখল যে,
কিসৃরার পুত্র সিংহাসন দখল করে নিয়েছে এবং পিতাকে হত্যা করেছে ৷ এতে ঐ আমীরদ্বয়
এবং য়ামানের শাসনকর্তা ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আর এ ঘটনাই পরবর্তীকালে য়ামান রাজ্য
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অধীনস্থ হওয়ার কারণে পরিণত হয় ৷ অতীতের ঘটনা ব্যতীত ভবিষ্যতের
ঘটনা সম্পর্কে আগাম সংবাদ দানের উদাহরণ আরও অনেক বেশী ৷ পুর্বেও এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা হয়েছে এবং পরেও আলোচনা করা হবে ৷

ইবন হামিদ হযরত ঈসা (আ)-এর জিহাদের মুকাবিলায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জিহাদের
আলোচনা করেছেন ৷ তদ্রুপ হযরত ঈসা (আ)-এর কৃচ্ছ সাধনার মুকাবিলায় রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর কৃচ্ছ সাধনার উল্লেখ করেছেন ৷ বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট পৃথিবীর ধন
ভাণ্ডারের কুঞ্জি পেশ করা হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আমি একদিন আহার
করলে আর একদিন ভৃখা থাকতে চাই ৷ অথচ (বিভিন্ন সময়ে) তার ছিলেন তেব জন
সহধর্মিনী ৷ কখনও এক মাস কখনও দুই মাস তাদের উপর দিয়ে অতিবাহিত হয়ে যেত এবং
চুলায় বা ঘরে বাতি জ্বলভো না কেবল দুটি কাল জিনিসই ভাগ্যে জুটতঅর্থাৎ, খুরমা ও পানি ৷
কখনও কখনও ক্ষুধার তাড়নায় তিনি পেটে পাথর বেধে রাখতেন ৷ পরপর তিন রাত পর্যন্ত
গমের রুটি খড়াওয়ারও সুযোগ ঘটত না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিছানা চিল চামড়ার এবং তার
ভিতরে ছিল খেজুর শাখার ছাল ৷ অনেক সময় তিনি নিজেই বকরীর দুধ দোহন করতেন ৷
নিজের পবিত্র হাতে কাপড়ে তালি দিতেন এবং জুতা সেলাই করতেন ৷ মৃত্যুকালে তার বর্ম
জনৈক য়াহুদীর নিকট বন্দক রেখে পরিবারে জন্যে খাদ্য দ্রব্য ক্রয় করে আনেন ৷ নিজের এ
অবস্থা থাকা সত্বেও গনীমত ও হাদিয়ার হাজার হাজার উট, দৃম্বা ও বকরী নিজের ও পরিবারের
জন্যে ব্যয় না করে ফকীর, মিসকীন, বিধবা, য়াতীম, বন্দী ও অসহায় লোকদের মধ্যে বন্টন
করে দিতেন ৷


[الْحَوَادِثُ الْوَاقِعَةُ فِي الزَّمَانِ وَوَفَيَاتُ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ] [مُبَايَعَةُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ كِتَابُ تَارِيخِ الْإِسْلَامِ الْأَوَّلِ مِنَ الْحَوَادِثِ الْوَاقِعَةِ فِي الزَّمَانِ، وَوَفَيَاتِ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ تَقَدَّمَ مَا كَانَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْهَا مِنْ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمِ الِاثْنَيْنِ، وَذَلِكَ الثَّانِي عَشَرَ مِنْهُ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَقَدْ بَسَطْنَا الْكَلَامَ فِي ذَلِكَ بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. [خِلَافَةُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ] ِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَمَا كَانَ فِي أَيَّامِهِ مِنَ الْحَوَادِثِ وَالْأُمُورِ. قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَذَلِكَ ضُحًى، فَاشْتَغَلَ النَّاسُ بِأَمْرِ بَيْعَةِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، ثُمَّ فِي الْمَسْجِدِ الْبَيْعَةُ الْعَامَّةُ فِي بَقِيَّةِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ وَصَبِيحَةَ الثُّلَاثَاءِ، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ بِطُولِهِ، ثُمَّ أَخَذُوا فِي غَسْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَكْفِينِهِ، وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْلِيمًا، بَقِيَّةَ يَوْمِ الثُّلَاثَاءِ، وَدَفَنُوهُ لَيْلَةَ الْأَرْبِعَاءِ، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ مُبَرْهَنًا فِي مَوْضِعِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: لَمَّا بُويِعَ أَبُو بَكْرٍ فِي السَّقِيفَةِ وَكَانَ الْغَدُ، جَلَسَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَقَامَ عُمَرُ فَتَكَلَّمَ قَبْلَ أَبِي بَكْرٍ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي قَدْ قُلْتُ لَكُمْ بِالْأَمْسِ مَقَالَةً مَا كَانَتْ مِمَّا وَجَدْتُهَا فِي كِتَابِ اللَّهِ، وَلَا كَانَتْ عَهْدًا عَهِدَهُ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنِّي قَدْ كُنْتُ أَرَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيُدَبِّرُ أَمْرَنَا - يَقُولُ: يَكُونُ آخِرَنَا - وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَبْقَى فِيكُمْ كِتَابَهُ الَّذِي بِهِ
পৃষ্ঠা - ৫২৪৪
هَدَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ هَدَاكُمُ اللَّهُ لِمَا كَانَ هَدَاهُ لَهُ، وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ جَمَعَ أَمْرَكُمْ عَلَى خَيْرِكُمْ ; صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ، فَقُومُوا فَبَايِعُوهُ. فَبَايَعَ النَّاسُ أَبَا بَكْرٍ بَيْعَةَ الْعَامَّةِ بَعْدَ بَيْعَةِ السَّقِيفَةِ، ثُمَّ تَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِالَّذِي هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، أَيُّهَا النَّاسُ، فَإِنِّي قَدْ وُلِّيتُ عَلَيْكُمْ وَلَسْتُ بِخَيْرِكُمْ، فَإِنْ أَحْسَنْتُ فَأَعِينُونِي، وَإِنْ أَسَأْتُ فَقَوِّمُونِي، الصِّدْقُ أَمَانَةٌ، وَالْكَذِبُ خِيَانَةٌ، وَالضَّعِيفُ فِيكُمْ قَوِيٌّ عِنْدِي حَتَّى أُرِيحَ عَلَيْهِ حَقَّهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَالْقَوِيُّ فِيكُمْ ضَعِيفٌ حَتَّى آخُذَ الْحَقَّ مِنْهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، لَا يَدْعُ قَوْمٌ الْجِهَادَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلَّا ضَرَبَهُمُ اللَّهُ بِالذُّلِّ، وَلَا تَشِيعُ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ إِلَّا عَمَّهُمُ اللَّهُ بِالْبَلَاءِ، أَطِيعُونِي مَا أَطَعْتُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، فَإِذَا عَصَيْتُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، فَلَا طَاعَةَ لِي عَلَيْكُمْ، قُومُوا إِلَى صَلَاتِكُمْ يَرْحَمْكُمُ اللَّهُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ. وَقَدِ اتَّفَقَ الصَّحَابَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، عَلَى بَيْعَةِ الصِّدِّيقِ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ، حَتَّى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَأَرْضَاهُمَا، وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ حَيْثُ قَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ الْحَافِظُ الْإِسْفَرَايِينِيُّ، ثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خُزَيْمَةَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، قَالَا: ثَنَا بُنْدَارُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا أَبُو هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ، ثَنَا وُهَيْبٌ، ثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدَ، ثَنَا أَبُو نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاجْتَمَعَ النَّاسُ فِي دَارِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، وَفِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ.
পৃষ্ঠা - ৫২৪৫


করেন ৷ এ জাতীয় আরও বহু উদাহরণ সীরাঃতর গ্রন্থসমুহে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বদরের যুদ্ধে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চাচা আব্বাস বন্দী হন ৷ তার নিকট মুক্তিপণ দাবি করলে তিনি বলেন,
আমার কোন সম্পদ নেই ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, সেই সম্পদ কোথায় যা আপনি
(আপনার শ্রী) উম্মুল ফযল এর ঘরের দরজার কাঠের নীচে মাটিতে পুতে রেখেছেন? আর
আপনি তাকে বলে রেখেছেন, আমি যদি যুদ্ধে নিহত হই তা হলে এ সম্পদ সম্ভানদেরকে দিও ৷
তখন আব্বাস বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্৷ আল্লাহর কসম , এই বিষয়ে তো আমি উম্মুল ফযল ও
আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য ফেউ-ই জানে না ৷ এ ছাড়া আবিশিনিয়ায় নাজাশীর মৃত্যু হলে রাসুলুল্লাহ্
(সা) মদীনায় থেকে তীর মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে দেন এবং তার জন্যে পায়েবানা জানাযা আদায়
করেন ৷ মুতা যুদ্ধের সময় তিনি মসজিদের মিম্বরের উপর র্দাড়িয়ে অশ্রু সিক্ত নয়নে একের পর
এক সেনাপতিদের শাহাদাতের সংবাদ শুনাতে থাকেন ৷ হাতির ইবন আবি বালতাআর গোপন
চিঠি যা বনু আবদুল মুত্তালিবের ৰ্বাদী শাকিবের সাথে প্রেরণ করা হয় সে চিঠি সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীদেরকে সংবাদ দেন এবং তাকে ধরার জন্যে আলী, যুবায়র ও
মিকদাদকে প্রেরণ করেন ৷ তারা মহিলাটিকে পথে ধরে ফেলেন এবং তার চুলের বেণী থেকে
ভিন্ন মতান্তরে কোমর থেকে উদ্ধার করেন ৷ মক্কা বিজয়ের আলোচনায় এ বিষয়ের উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ কিস্রার করদ রাজ্য য়ামানের শাসনকর্তা কিসৃরার দুইজন আমীরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্যে মদীনায় প্রেরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে বললেন, গত
রাতে আমার রব তোমাদের রবকে হত্যা করেছেন ৷ তারা ঐ রাত্রেই চলে গেল এবং দেখল যে,
কিসৃরার পুত্র সিংহাসন দখল করে নিয়েছে এবং পিতাকে হত্যা করেছে ৷ এতে ঐ আমীরদ্বয়
এবং য়ামানের শাসনকর্তা ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আর এ ঘটনাই পরবর্তীকালে য়ামান রাজ্য
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর অধীনস্থ হওয়ার কারণে পরিণত হয় ৷ অতীতের ঘটনা ব্যতীত ভবিষ্যতের
ঘটনা সম্পর্কে আগাম সংবাদ দানের উদাহরণ আরও অনেক বেশী ৷ পুর্বেও এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা হয়েছে এবং পরেও আলোচনা করা হবে ৷

ইবন হামিদ হযরত ঈসা (আ)-এর জিহাদের মুকাবিলায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জিহাদের
আলোচনা করেছেন ৷ তদ্রুপ হযরত ঈসা (আ)-এরকৃচ্ছ সাধনার মুকাবিলায় রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর কৃচ্ছ সাধনার উল্লেখ করেছেন ৷ বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব নিকট পৃথিবীর ধ্ন
ভাণ্ডারের কুঞ্জি পেশ করা হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আমি একদিন আহার
করলে আর একদিন ভুখা থাকতে চাই ৷ অথচ (বিভিন্ন সময়ে) তার ছিলেন ণ্তর জন
সহধর্মিনী ৷ কখনও এক মাস কখনও দুই মাস তাদের উপর দিয়ে অতিবাহিত হয়ে যেত এবং
চুলায় বা ঘরে বাতি জ্বলভাে না কেবল দুটি কাল জিনিসই ভাগ্যে জুটত-অর্থাৎ খুরমা ও পানি ৷
কখনও কখনও ক্ষুধার তাড়নায় তিনি পেটে পাথর বেধে রাখতেন ৷ পরপর তিন রাত পর্যন্ত
গমের রুটি থাওয়ারও সুযোগ ঘটত না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বিছানা চিল চামড়ার এবং তার
ভিতরে ছিল খেজুর শাখার ছাল ৷ অনেক সময় তিনি নিজেই বকরীর দুধ দোহন করতেন ৷
নিজের পবিত্র হাতে কাপড়ে তালি দিতেন এবং জুতা সেলাই করতেন ৷ মৃত্যুকালে তার বর্ম
জনৈক য়াহুদীর নিকট বন্দক রেখে পরিবারে জন্যে খাদ্য দ্রব্য ক্রয় করে আনেন ৷ নিজের এ
অবস্থা থাকা সত্বেও গনীমত ও হাদিয়ার হাজার হাজার উট, দুম্বা ও বকরী নিজের ও পরিবারের

জন্যে ব্যয় না করে ফকীর, মিসকীন, বিধবা, য়াতীম, বন্দী ও অসহায় লোকদের মধ্যে বন্টন
করে দিতেন ৷


قَالَ: فَقَامَ خَطِيبُ الْأَنْصَارِ فَقَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَخَلِيفَتَهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَنَحْنُ كُنَّا أَنْصَارَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَحْنُ أَنْصَارُ خَلِيفَتِهِ، كَمَا كُنَّا أَنْصَارَهُ. قَالَ: فَقَامَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ: صَدَقَ قَائِلُكُمْ، وَلَوْ قُلْتُمْ غَيْرَ هَذَا لَمْ نُتَابِعْكُمْ. فَأَخَذَ بِيَدِ أَبِي بَكْرٍ، وَقَالَ: هَذَا صَاحِبُكُمْ فَبَايِعُوهُ. فَبَايَعَهُ عُمَرُ، وَبَايَعَهُ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، قَالَ: فَصَعِدَ أَبُو بَكْرٍ الْمِنْبَرَ، فَنَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ، فَلَمْ يَرَ الزُّبَيْرَ. قَالَ: فَدَعَا بِالزُّبَيْرِ فَجَاءَ، قَالَ: قُلْتُ: ابْنُ عَمَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحِوَارِيُّهُ، أَرَدْتَ أَنْ تَشُقَّ عَصَا الْمُسْلِمِينَ؟ ! قَالَ: لَا تَثْرِيبَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ. فَقَامَ فَبَايَعَهُ، ثُمَّ نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَلَمْ يَرِ عَلِيًّا، فَدَعَا بِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَجَاءَ فَقَالَ: قُلْتَ: ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَتَنُهُ عَلَى ابْنَتِهِ، أَرَدْتَ أَنْ تَشُقَّ عَصَا الْمُسْلِمِينَ؟ ! قَالَ: لَا تَثْرِيبَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ. فَبَايَعَهُ. هَذَا أَوْ مَعْنَاهُ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو عَلِيٍّ النَّيْسَابُورِيُّ: سَمِعْتُ ابْنَ خُزَيْمَةَ يَقُولُ: جَاءَنِي مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ، فَسَأَلَنِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَكَتَبْتُهُ لَهُ فِي رُقْعَةٍ وَقَرَأْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ يُسَاوِي بَدَنَةً. فَقُلْتُ: يَسْوَى بَدَنَةً؟ ! بَلْ هَذَا يَسْوَى بَدْرَةً. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنِ الثِّقَةِ، عَنْ وُهَيْبٍ مُخْتَصَرًا. وَأَخْرَجَهُ
পৃষ্ঠা - ৫২৪৬
الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " مِنْ طَرِيقِ عَفَّانَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ وُهَيْبٍ مُطَوَّلًا كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ. وَرُوِّينَا مِنْ طَرِيقِ الْمَحَامِلِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَاصِمٍ، عَنِ الْحَرِيرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ فِي مُبَايَعَةِ عَلَيٍّ وَالزُّبَيْرِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يَوْمَئِذٍ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ " عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي أَبِي، أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ كَانَ مَعَ عُمَرَ، وَأَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ كَسَرَ سَيْفَ الزُّبَيْرِ، ثُمَّ خَطَبَ أَبُو بَكْرٍ، وَاعْتَذَرَ إِلَى النَّاسِ، وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا كُنْتُ حَرِيصًا عَلَى الْإِمَارَةِ يَوْمًا وَلَا لَيْلَةً، وَلَا سَأَلْتُهَا اللَّهَ فِي سِرٍّ وَلَا عَلَانِيَةٍ. فَقَبِلَ الْمُهَاجِرُونَ مَقَالَتَهُ، وَقَالَ عَلِيٌّ وَالزُّبَيْرُ: مَا غَضِبْنَا إِلَّا لِأَنَّنَا أُخِّرْنَا عَنِ الْمَشُورَةِ، وَإِنَّا نَرَى أَبَا بَكْرٍ أَحَقَّ النَّاسِ بِهَا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِنَّهُ لَصَاحِبُ الْغَارِ، وَإِنَّا لَنَعَرِفُ شَرَفَهُ وَخَيْرَهُ، وَلَقَدْ أَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّلَاةِ بِالنَّاسِ وَهُوَ حَيٌّ، وَهَذَا اللَّائِقُ بَعَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَالَّذِي تَدُلُّ عَلَيْهِ الْآثَارُ ; مِنْ شُهُودِهِ مَعَهُ الصَّلَوَاتِ، وَخُرُوجِهِ مَعَهُ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ بَعْدَ مَوْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا سَنُورِدُهُ، وَبَذْلِهِ لَهُ النَّصِيحَةَ وَالْمَشُورَةَ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأَمَّا مَا يَأْتِي مِنْ مُبَايَعَتِهِ إِيَّاهُ بَعْدَ مَوْتِ فَاطِمَةَ - وَقَدْ مَاتَتْ بَعْدَ أَبِيهَا، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ - فَذَلِكَ مَحْمُولٌ عَلَى أَنَّهَا بَيْعَةٌ ثَانِيَةٌ أَزَالَتْ مَا
পৃষ্ঠা - ৫২৪৭

আবু নুআয়ম ফেরেশতা কর্তৃক বিবি মারয়ামকে ঈসা (আ)-এর জন্মের সৃ-সংবাদ দানের
মুকাবিলায় বিবি আমিনাকে মহানবী (সা)-এর জন্মের সৃ-সংবাদ দানের কথা উল্লেখ করেছেন ৷
বিবি আমিনা যখন গর্ভবতী ছিলেন তখন স্বপ্নে দেখেন, কে যেন তাকে বলছে, “এই উম্মাতের
শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি তোমার গর্ভে রয়েছেন ৷ তুমি তার নাম রেখ মুহাম্মদ” ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা রাসুলের জন্ম অধ্যায়ে উল্লেখ করেছি ৷ আবু নুআয়ম এ সম্পর্কে একটা চমৎকার
ঘটনার উল্লেখ করেছেন ৷ আমরা এখানে তা উল্লেখ করছি ৷ তিনি সুলয়েমান ইবন আহমদ সুত্রে
ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলু ল্লাহ্ (সা) যখন মায়ের পেটে আসেন তখন
বাহ্যিকভাবে যে সব পরিবর্তন ও নিদর্শনাদি দেখা দেয় তা এই যে :

১ কুরায়শদের যত জীব আনোয়ার ছিল তারা ঐ রাত্রে বাক শক্তি লাভ করে ও কথা
বলে ৷ কাবার মালিকের কসম, রাসুলুল্লাহ্ ঐ রাত্রে মায়ের পেটে আসেন ৷ তিনি হলেন দুনিয়ার
শান্তিদুত এবং বিশ্ববাসীর আলােকবর্তিকা ৷

২ কৃরায়শ সহ আরবের সকল গোত্রে যত গণক ছিল তারা আপন আপন ত্রীদের থেকে
আড়াল হয়ে যায় ৷

৩ তাদের থেকে ঐ মুহুর্তে গণকের,বিদ্যা ণ্লাপ পেয়ে যায় ৷

৪ দৃনিয়ায় যত রাজা-বাদশা ছিল তাদের সিংহাসনগুলো সকাল বেলা উল্টে যায় ৷

৫ রাজা বাদশাগণ মুক হয়ে যান, ফলে ঐ দিন তাদের কেউ কথা বলতে সক্ষম হয়নি ৷

৬ পুর্ব প্রান্তের পশু-পক্ষী এ সৃ-সংবাদ বহন করে পশ্চিম প্রান্তের পশু পক্ষীদেরনিকট ছুটে
যায় ৷

৭ সমুদ্রের মাছ ও প্রাণীরড়াও একে অন্যের নিকট সু-সংবাদ জানাতে থাকে ৷

৮ তিনি যতদিন মায়ের পেটে ছিলেন ততদিন প্রতি মাসে আসমানে ও যমীনে এই
ঘোষণা দেয়া হত যে, তোমরা সৃ ত্বাদ লও, পৃথিবীতে আবুল কাশিমের আবির্ভাবের সময়
আসন্ন ৷ তিনি আসবেন শান্তি নিরাপত্তা ও কল্যাণেব বার্তা নিয়ে ৷ তিনি মায়ের পেটে ছিলেন নয়
মাস ৷ মাতৃ গর্ভে থাকা অবন্থায়ই পিতা আবদুল্লাহ্র ইনতিকাল হয় ৷ ফেরেশতারা তখন
ফরিয়াদ জানান, হে আল্লাহ্ষ্ হে প্রভু ! আপনার নবী তো য়াতীম হয়ে গেলেন, আল্লাহ্ বললেন,
হে ফেরেশতারা! আমিই তার অভিভাবক, হিফাজতকারী এবং সাহায্যকারী ৷ সুতরাং তার
জন্মের মাধ্যমে তোমরা ধন্য হও ৷

৯ আল্লাহ্ তায়ালা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্ম লগ্নে আকাশ সমুহ ও জান্নাতের দ্বার সমুহ
উন্মুক্ত করে দেন ৷ বিবি আমিনা নিজেই বলতেন, আমার পেটে সন্তানের বয়স যখন ছয় মাস
হয়, তখন স্বপ্নে দেখি, এক আগন্তুক এসে পা দিয়ে আমাকে সাড়া দিয়ে বলছে, হে আমিনা!
তুমি বিশ্বের সর্বোত্তম ব্যক্তিকে পেটে ধারণ করে আছ ৷ যখন তিনি ভুমিষ্ট হবেন তখন তার নাম
রেখো মুহাম্মদ, অথবা নবী ৷ এই হল তোমার মর্যাদা , ৷

১ : আমিনা নিজের অবস্থা বলতেন যে, অন্যান্য মহিলাদের যা হয়, আমারও সে অবস্থা
হল ৷ কিন্তু সমাজের কেউ তা জানতে পারেনি-না নারীরা জানতে পেয়েছে না পুরুষরা জানতে
পেয়েছে ৷ আমি বাড়িতে একাকী ছিলাম আর আবদুল মুত্তালিব তখন গিয়েছিলেন তাওয়াফ
করতে ৷ এ সময় আমি এক বিকট আওয়াজ শুনতে পাই এবং বড় কোন ঘটনা বুঝতে পারি ৷


كَانَ قَدْ وَقَعَ مِنْ وَحْشَةٍ بِسَبَبِ الْكَلَامِ فِي الْمِيرَاثِ، وَمَنْعِهِ إِيَّاهُمْ ذَلِكَ بِالنَّصِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَوْلِهِ: " «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكَنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ» ". كَمَا تَقَدَّمَ إِيرَادُ أَسَانِيدِهِ وَأَلْفَاظِهِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ كَتَبْنَا هَذِهِ الطُّرُقَ مُسْتَقْصَاةً فِي الْكِتَابِ الَّذِي أَفْرَدْنَاهُ فِي سِيرَةِ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَمَا أَسْنَدَهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا رُوِيَ عَنْهُ مِنَ الْأَحْكَامِ مُبَوَّبَةً عَلَى أَبْوَابِ الْعِلْمِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ عَنْ أَبِي ضَمْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ قَالَ: نَادَى مُنَادِي أَبِي بَكْرٍ مِنَ الْغَدِ مِنْ مُتَوَفَّى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِيَتِمَّ بَعْثُ أُسَامَةَ، أَلَا لَا يَبْقَيَنَّ بِالْمَدِينَةِ أَحَدٌ مِنْ جُنْدِ أُسَامَةَ إِلَّا خَرَجَ إِلَى عَسْكَرِهِ بِالْجُرْفِ. وَقَامَ أَبُو بَكْرٍ فِي النَّاسِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّمَا أَنَا مِثْلُكُمْ، وَإِنِّي لَا أَدْرِي لَعَلَّكُمْ سَتُكَلِّفُونَنِي مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُطِيقُ، إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى مُحَمَّدًا عَلَى الْعَالَمِينَ، وَعَصَمَهُ مِنَ الْآفَاتِ، وَإِنَّمَا أَنَا مُتَّبِعٌ وَلَسْتُ بِمُبْتَدِعٍ، فَإِنِ اسْتَقَمْتُ فَتَابِعُونِي، وَإِنْ زِغْتُ فَقَوِّمُونِي، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ يَطْلُبُهُ بِمَظْلِمَةٍ ; ضَرْبَةِ سَوْطٍ فَمَا دُونَهَا، وَإِنَّ لِي شَيْطَانًا يَعْتَرِينِي، فَإِذَا أَتَانِي فَاجْتَنِبُونِي، لَا أُؤَثِّرُ فِي أَشْعَارِكُمْ وَأَبْشَارِكُمْ، وَإِنَّكُمْ تَغْدُونَ وَتَرُوحُونَ فِي أَجَلٍ قَدْ غُيِّبَ عَنْكُمْ عِلْمُهُ، وَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لَا
পৃষ্ঠা - ৫২৪৮
يَمْضِيَ إِلَّا وَأَنْتُمْ فِي عَمَلٍ صَالِحٍ فَافْعَلُوا، وَلَنْ تَسْتَطِيعُوا ذَلِكَ إِلَّا بِاللَّهِ، وَسَابِقُوا فِي مَهْلِ آجَالِكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ تُسْلِمَكُمْ آجَالُكُمْ إِلَى انْقِطَاعِ الْأَعْمَالِ، فَإِنَّ قَوْمًا نَسُوا آجَالَهُمْ وَجَعَلُوا أَعْمَالَهُمْ لِغَيْرِهِمْ، فَإِيَّاكُمْ أَنْ تَكُونُوا أَمْثَالَهُمْ، الْجِدَّ الْجِدَّ، النَّجَاءَ النَّجَاءَ، الْوَحَا الْوَحَا، فَإِنَّ وَرَاءَكُمْ طَالِبًا حَثِيثًا، وَأَجَلًا مَرُّهُ سَرِيعٌ، احْذَرُوا الْمَوْتَ، وَاعْتَبِرُوا بِالْآبَاءِ وَالْأَبْنَاءِ وَالْإِخْوَانِ، وَلَا تَغْبِطُوا الْأَحْيَاءَ إِلَّا بِمَا تَغْبِطُونَ بِهِ الْأَمْوَاتَ. قَالَ: وَقَامَ أَيْضًا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، لَا يَقْبَلُ مِنَ الْأَعْمَالِ إِلَّا مَا أُرِيدَ بِهِ وَجْهَهُ، فَأَرِيدُوا اللَّهَ بِأَعْمَالِكُمْ، فَأَيَّمَا أَخْلَصْتُمْ لِلَّهِ مِنَ الْأَعْمَالِ، فَطَاعَةً أَتَيْتُمُوهَا، وَحَظًّا ظَفِرْتُمْ بِهِ، وَضَرَائِبَ أَدَّيْتُمُوهَا، وَسَلَفًا قَدَّمْتُمُوهُ مِنْ أَيَّامٍ فَانِيَةٍ لِأُخْرَى بَاقِيَةٍ لِحِينِ فَقْرِكُمْ وَحَاجَتِكُمْ، اعْتَبَرُوا عِبَادَ اللَّهِ بِمَنْ مَاتَ مِنْكُمْ، وَتَفَكَّرُوا فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، أَيْنَ كَانُوا أَمْسِ؟ وَأَيْنَ هُمُ الْيَوْمَ؟ أَيْنَ الْجَبَّارُونَ؟ أَيْنَ الَّذِينَ كَانَ لَهُمْ ذِكْرُ الْقِتَالِ وَالْغَلَبَةِ فِي مَوَاطِنِ الْحُرُوبِ؟ ! قَدْ تَضَعْضَعَ بِهِمُ الدَّهْرُ، وَصَارُوا رَمِيمًا، قَدْ تُرِكَتْ عَلَيْهِمُ الْقَالَاتُ، الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثَيْنِ، وَالْخِبِّيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ، وَأَيْنَ الْمُلُوكُ الَّذِينَ أَثَارُوا الْأَرْضَ وَعَمَرُوهَا؟ ! قَدْ بَعُدُوا وَنُسِيَ ذِكْرُهُمْ، وَصَارُوا كَلَا
পৃষ্ঠা - ৫২৪৯

বিষয়টি আমাকে ভীত সন্ত্রস্ত করে তুললো ৷ এ দিনটি ছিল সোমবার ৷ আমি দেখলাম, একটি
শুভ্র পাথীর ডানা আমার বক্ষ ঝুলিয়ে দিচ্ছে ৷ এতে আমার সমস্ত ভয়-ভীতি দুর হয়ে গেল ৷
এরপর আমি তাকালাম, দেখলাম আমার সম্মুখে একটি পাত্রে সাদা পানীয় রয়েছে ৷ মনে হল,
দুধ হবে ৷ আমি হ্নিা৷ম তৃষ্ণার্ত ৷ সুতরাং তা নিয়ে আমি পান করলাম ৷ এর দ্বারা একটি
সুমহান নুর লাভ করলাম ৷ এরপর কয়েকজন মহিলাকে দেখতে পেলাম, তারা যেন খেজুর
গাছের মত দীর্ঘকায় ৷ মনে হচ্ছিল তারা আবদুল মুত্তালিবের কন্যা, আমাকে ঘিরে রেখেছেন ৷
আমি আশ্চার্যান্বিত হয়ে বললাম, হার, এরা কোথেকে আমার সম্পর্কে জানলেন? অবস্থা আমার
জন্যে কঠিন হয়ে আসছিল ৷ এবং কিছুক্ষণ পর পর আমি পুর্বাপেক্ষা বড় ও ভয়াবহ শব্দ শুনতে
লাগলাম ৷ হঠাৎ দেখলাম, একটা সাদা রেশমী কাপড় আসমান থেকে যমীন পর্যন্ত ঝুলে
পড়েছে ৷ আর একজন ণ্ঘাষণাকারী বলছে, লোকজনের চোখ এড়ানোর জন্যে এটা গ্রহণ কর ৷
আমিনা বলেন, আমি কতিপয় পুরুষ লোককে শুন্যে দণ্ডায়মান দেখলাম, তাদের হাতে রয়েছে
রৌপোর পাত্র ৷ আর আমার শরীর থেকে মুক্তার ন্যায় ঘাম ঝরছিল ৷ যা র্খাটি মিশকের
চাইতেও অধিকতর সুবাসিত ৷ আমি তখন বলেছিলাম, হায় আবদুল মুত্তালিব যদি আমার
নিকট আসতেন ৷

আমিনা বলেন, আমি দেখলাম, এক ঝাক পাখি উড়ে এল ৷ কোথেকে এল তা বুঝাতে
পারলাম না ৷ তারা আমার কক্ষ ছেয়ে ফেলল ৷ তাদের ঠোটগুলো পান্ন৷ পাথরের এবং
পাখাগুলাে চুন্নি পাথরের ৷ আল্লাহ্ আমার অন্তর দৃষ্টি খুলে দেন ৷ আমি তখন পৃথিবীর পুর্ব প্রান্ত
থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত দেখতে পেলাম ৷ আমি তিনটা ঝাণ্ড৷ স্থাপিত দেখলাম, একটা ঝাণ্ডা
পুর্ব প্রান্তে, একটা ঝাণ্ডা পশ্চিম প্রান্তে এবং একটা ঝাণ্ডা কাবা গৃহের উপরে ৷ এ সময় আমার
প্রসব বেদনা উঠে এবং ত্তীব্রে বেদনা আরম্ভ হয় ৷ আমার মনে হতে লাগল, আমি যেন মহিলাদের
পিঠের উপর হেলান দিয়ে আছি ৷ মহিলাদের ভিড়ে ঘরের মধ্যে আমি যেন কিছুই দেখতে
পাচ্ছিলাম না ৷ এরই মধ্যে মুহাম্মদ ভুমিষ্ঠ হলেন ৷ যখন তিনি আমার পেট থেকে বের হলেন
তখন ঘুরে দেখলাম, তিনি সিজদারত এবং আকৃতি বিকুতি ৩সহকারে দৃআ-রত থাকার মত
দু’টি আঙ্গুলিতু লে রেখেছেন ৷ এরপর দেখলাম এক খণ্ড শুভ্র মেঘ আসমান থেকে এগিয়ে এসে
তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলল ৷ আমার চোখ থেকে তিনি আড়াল হয়ে গেলেন ৷ তারপর এক
ঘোষণাকারীকে ঘোষণা করতে শুনলাম, তিনি বলছেন, মুহাম্মদকে পুর্ব পশ্চিম সর্বত্র ঘুরিয়ে
আন, সকল সমুদ্রে তাকে নিয়ে যাও ৷ যাতে সেখানকার সবকিছু তাকে তার নাম, গুণাবলী ও
আকৃতসহ চিনতে পারে ৷ আরও যেন জানতে পারে যে, তার নামকরণ করা হয়েছে মাহী-
(অর্থাৎ) বিনাশকারী ৷ শিরকের এমন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না যা তার দ্বারা অপসৃত হবে
না ৷ তিনি বলেন, এরপর তারা শীঘ্রই চলে গেল ৷ তখন আমি তাকে একটি সাদা পশমী
কাপড়ে জড় ৷নাে অবস্থায় পেলাম-যা ছিল দুধের চাইতে ও অধিকতর সাদা এবং তার নীচে ছিল
সবুজ রং এর রেশমী কাপড় ৷ মুহান্মদ৩ তিনটি তাজা ও শুভ্র মুক্তোর চাবি মুঠোয় ধরে
রেখেছিলেন ৷ তখন এক ব্যক্তি বলছিল, মুহাম্মদ সাহায্যের চাবি, কল্যানের চাবি ও নুবুওতের
চাবি গ্রহণ করেছেন ৷ আবু নুআয়ম কােনরুপ মন্তব্য ছাড়াই এ বর্ণনা শেষ করেছেন ৷ বন্তুতঃ
বর্ণনাটি অ৩ ত্যস্ত অভিনব ও বিরল প্রকৃতির ৷

শায়খ জামালুদ্দীন আবু যাকারিয়া ইয়াহ্য়া ইবন য়ুসুফ ইবন মানসুর ইবন উমর আল
আনসারী আস সরসরী যিনি হাফিজে হাদীস ও প্রখ্যাত ভাষাবিদ, অকৃত্রিম রাসুল


شَيْءٍ إِلَّا أَنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، قَدْ أَبْقَى عَلَيْهِمُ التَّبِعَاتِ، وَقَطَعَ عَنْهُمُ الشَّهَوَاتِ، وَمَضَوْا وَالْأَعْمَالُ أَعْمَالُهُمْ، وَالدُّنْيَا دُنْيَا غَيْرِهِمْ، وَبَقِينَا خَلَفًا بَعْدَهُمْ، فَإِنْ نَحْنُ اعْتَبَرْنَا بِهِمْ نَجَوْنَا، وَإِنِ اغْتَرَرْنَا بِهِمْ كُنَّا مَثَلَهُمْ، أَيْنَ الْوِضَاءُ الْحَسَنَةُ وُجُوهُهُمْ، الْمُعْجَبُونَ بِشَبَابِهِمْ؟ ! صَارُوا تُرَابًا، وَصَارَ مَا فَرَّطُوا فِيهِ حَسْرَةً عَلَيْهِمْ، أَيْنَ الَّذِينَ بَنَوُا الْمَدَائِنَ وَحَصَّنُوهَا بِالْحَوَائِطِ، وَجَعَلُوا فِيهَا الْأَعَاجِيبَ؟ ! قَدْ تَرَكُوهَا لِمَنْ خَلْفَهُمْ، فَتِلْكَ مَسَاكِنُهُمْ خَاوِيَةً، وَهُمْ فِي ظُلُمَاتِ الْقُبُورِ، هَلْ تُحِسُّ مِنْهُمْ مِنْ أَحَدٍ أَوْ تَسْمَعُ لَهُمْ رِكْزًا؟ أَيْنَ مَنْ تَعْرِفُونَ مِنْ آبَائِكُمْ وَإِخْوَانِكُمْ؟ ! قَدِ انْتَهَتْ بِهِمْ آجَالُهُمْ، فَوَرَدُوا عَلَى مَا قَدَّمُوا فَحَلُّوا عَلَيْهِ، وَأَقَامُوا لِلشِّقْوَةِ أَوِ السَّعَادَةِ فِيمَا بَعْدَ الْمَوْتِ، أَلَا إِنَّ اللَّهَ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَحَدٍ مِنْ خَلْقِهِ سَبَبٌ يُعْطِيهِ بِهِ خَيْرًا، وَلَا يَصْرِفُ بِهِ عَنْهُ سُوءًا، إِلَّا بِطَاعَتِهِ وَاتِّبَاعِ أَمْرِهِ، وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ عَبِيدٌ مَدِينُونَ، وَأَنَّ مَا عِنْدَهُ لَا يُدْرَكُ إِلَّا بِطَاعَتِهِ، أَمَا إِنَّهُ لَا خَيْرَ بِخَيْرٍ بَعْدَهُ النَّارُ، وَلَا شَرَّ بَشَرٍ بَعْدَهُ الْجَنَّةُ. [أَبُو بَكْرٍ يُنْفِذُ جَيْشَ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ] فَصْلٌ فِي تَنْفِيذِهِ جَيْشَ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ الَّذِينَ كَانُوا قَدْ أَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَسِيرِ إِلَى تُخُومِ الْبَلْقَاءِ مِنَ الشَّامِ،
পৃষ্ঠা - ৫২৫০

প্রেমিক-রাসুল প্রেমে যিনি হাসসান ইবন সাধিত (রা)-এর সাথে তৃলনীয় ছিলেন, তিনি তার
কাব্যগ্রন্থে (দীওয়ান) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রশংসামুলক কাসীদা লিখেছেন ৷ তিনি ছিলেন অন্ধ
কিন্তু গভীর অন্তরদৃষ্টি সম্পন্ন ৷ ৬৫৬ হিজরীতে বাগদাদে তাতারদের হাতে তিনি নিহত হন ৷
এই কিতাবে যথান্থানে আমরা এর উল্লেখ করব ৷ তার কাব্যের ব্লু ছন্দে রাসুল (না)-এর
প্রশংসায় নিম্নরুপ কবিতা লিখেনঃ
ঠুাৰুপ্রু
র্শেষ্
’ৰুঠুট্রুব্র’৷ ,

১ মুহাম্মদ (সা) মানব জাতির জন্যে রহমত স্বরুপ প্রেরিত হয়েছেন ৷ ভ্রাস্ত মতবাদ যে
দুর্বলতা সৃষ্টি করেছে তা দুর করে তিনি সত্যকে দৃঢ় করবেন ৷

২ যদি দাউদ (আ) এর ডাকে সাড়া দিয়ে নির্বাক পর্বত তাসবীহ্ পাঠ করে থাকে এবং
নির্ভেজাল লোহা বিগলিত হয়ে থাকে ৷

৩ তাহলে জেনে ৫রখো, মুহাম্মদ (সা) এর হাতের সাহায্যে নিরেট পাথর বিগলিত হয়েছে
এবং তার মুঠির মধ্যে কঙ্কর তাসবীহ্ পাঠ করেছে ৷

৪ যদি মুসা (আ)-এর লাঠির সাহায্যে পানির ঝর্ণা প্রবাহিত হয়ে থাকে, তাহলে মুহাম্মদ
(না)-এর হাত (এর আব্দুল) থেকে পানি ফুটে বের হয়েছে ৷

৫ যদি মৃদৃ-মন্দ বায়ু সুলায়মান (আ)-এর আনুগত্য করে থাকে এবং অবাধ্য না হয়ে
সকাল সন্ধ্য৷ প্রবাহিত হয়ে থাকে,


حَيْثُ قُتِلَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ وَجَعْفَرٌ وَابْنُ رَوَاحَةَ فَيُغِيرُوا عَلَى تِلْكَ الْأَرَاضِي، فَخَرَجُوا إِلَى الْجُرْفِ فَخَيَّمُوا بِهِ، وَكَانَ فِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ - وَيُقَالُ وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ. فَاسْتَثْنَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُمْ ; لِلصَّلَاةِ - فَلَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقَامُوا هُنَالِكَ، فَلَمَّا مَاتَ عَظُمَ الْخُطَبُ وَاشْتَدَّ الْحَالُ وَنَجَمَ النِّفَاقُ بِالْمَدِينَةِ، وَارْتَدَّ مَنِ ارْتَدَّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ حَوْلَ الْمَدِينَةِ، وَامْتَنَعَ آخَرُونَ مِنْ أَدَاءِ الزَّكَاةِ إِلَى الصِّدِّيقِ، وَلَمْ تَبْقَ الْجُمُعَةُ تُقَامُ فِي بَلَدٍ سِوَى مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ، وَكَانَتْ جُوَاثَا مِنَ الْبَحْرَيْنِ أَوَّلَ قَرْيَةٍ أَقَامَتِ الْجُمُعَةَ بَعْدَ رُجُوعِ النَّاسِ إِلَى الْحَقِّ، كَمَا فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ كَمَا سَيَأْتِي، وَقَدْ كَانَتْ ثَقِيفٌ بِالطَّائِفِ ثَبَتُوا عَلَى الْإِسْلَامِ، لَمْ يَفِرُّوا وَلَا ارْتَدُّوا. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ لَمَّا وَقَعَتْ هَذِهِ الْأُمُورُ أَشَارَ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ عَلَى الصِّدِّيقِ أَنْ لَا يُنْفِذَ جَيْشَ أُسَامَةَ لِاحْتِيَاجِهِ إِلَيْهِ فِيمَا هُوَ أَهَمُّ الْآنَ مِمَّا جُهِّزَ بِسَبَبِهِ فِي حَالِ السَّلَامَةِ، وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ أَشَارَ بِذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، فَامْتَنَعَ الصِّدِّيقُ مِنْ ذَلِكَ، وَأَبَى أَشَدَّ الْإِبَاءِ إِلَّا أَنْ يُنْفِذَ جَيْشَ أُسَامَةَ، وَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَحُلُّ عُقْدَةً عَقَدَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَوْ أَنَّ الطَّيْرَ تَخَطَفُنَا، وَالسِّبَاعَ مِنْ حَوْلِ الْمَدِينَةِ، وَلَوْ أَنَّ الْكِلَابَ جَرَّتْ بِأَرْجُلِ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، لَأُجَهِّزَنَّ جَيْشَ أُسَامَةَ. فَجَهَّزَهُ وَأَمَرَ الْحَرَسَ يَكُونُونَ حَوْلَ الْمَدِينَةِ، فَكَانَ خُرُوجُهُ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ مِنْ أَكْبَرِ الْمَصَالِحِ،
পৃষ্ঠা - ৫২৫১

৬ তাহলে মুহাম্মদ (সা)-এর সাহায্যের জন্যে নিয়োজিত ছিল পুবের হাওয়া, আর এক
মাসের দুরত্বে অবস্থিত শত্রুদের উপর মুহাম্মদ (না)-এর প্রভাব অনুভুত কবে দিত এবং তাদের
চেহারা মলিন করে ফেলত ৷

৭ সুলায়মান (আ)-কে যদি দেয়৷ হয়ে থাকে বিশাল সম্রাজ্য এবং তার অধীনস্থ করা হয়ে
থাকে জিনদেরকে, যারা তার ইচ্ছানুযায়ী কাজ করত,

৮ তাহলে মুহাম্মদ (সা) কে প্রদান করা হয়েছে বিশ্বের সমুদয় ধন ভ!ণ্ডারের কুঞ্জি, কিন্তু
আল্লাহ ঘুখী ও সংসার বিমুখ এ মহান পুরু ষ ত ৷প্র৩ দ্রাখান করে দিয়েছেন ৷

৯ যদি ইব্রাহীম (আ)-কে দেয়৷ হয়ে থাকে খলীল উপাধি আর তুর পাহাড়ে কথা বলার
মাধ্যমে মুসা (আ )-কে দেয়৷ হয়ে থাকে কালীম উপাধি,

১ : তাহলে নবী মুহাম্মদ (না)-কে দেয়৷ হয়েছে হাবীব উপাধি, বরং সেই সাথে খলীল ও
কালীমের মর্যাদায়ও ভুষিত হয়েছেন তিনি ৷ অধিকন্তু মি’রাজে গমণকারী এবং মাতার উত্তম
ব্যাখ্যাকারীরুপে তাকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করা হয়েছে ৷

১ ১ এককভাবে তাকে দান করা হয়েছে হাউজে কাউছার, হামৃদের ঝাণ্ডা এবং পাপীদের
জন্যে সুপারিশ করার অনুমতি, যখন আগুন চেহারাসমুহকে ঝলসাতে থাকবে ৷

১ ২ র্তাকে দেয়৷ হয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদার আসন, আল্লাহর সান্নিধ্য এবং দান করা হয়েছে
স্থায়ী ও আনন্দকর সু-সৎবাদ ৷

১৩ দান করা হয়েছে সুমহান মর্যাদা, মুল্যবান নিয়ামতরাজি, র্যার নিচে থাকবে অন্যান্য
সকলের মর্যাদা ও সম্মান ৷

১ : জান্নাতুল ফিরদাউসে তিনিই হবেন প্রথম প্রবেশকারী, তারই জন্যে উগােচন করা
হবে সকল প্রকার কল্যাণের দ্বার ৷ ,

আমাদের এ যুগ পর্যন্ত সংঘটিত যেসব ভবিষ্যদ্বাণী রাসুলুল্লাহ্ (সা) করে গিয়েছেন, এ
হলো তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, যা সঙ্কলনের তওফীক আল্লাহ আমাকে দান করেছেন ৷ এ সবই তার
নবুওতের সভ্যতার প্রমাণ ৷ এ পর্যন্ত আমরা সেই সব ঘটনাপঞ্জির আলোচনা শেষ করলাম যা
মহানবীর ইনতিকালের পর থেকে আমাদের এ যুগ পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছে ৷ এখন আমরা
আলোচনা করব সেই সব ফিতনা, যুদ্ধ-বিগ্রহ ও বিপর্যয়ের কথা, যা আখেরী যামানায় স ঘটিত
হয়ে ৷ তারপর আলোচনা করব কিয়ামতের লক্ষণ ও পুর্বাভাস সম্পর্কে, তারপরে পুনরুথান
সম্পর্কে, তারপরে পর্যায়ক্রমে কিয়ামত দিবসের ৰিভীষিকা ও স ৎকটময় অবস্থার বর্ণনা, হাউজে
কাউছার, মীযান ও পুল সিরাতের বর্ণনা, তারপরে করব জ্বাহান্নামের বর্ণনা এবং সর্বশেষে
জান্নাতের বিবরণ ৷

ইসলামের ইতিহাসের প্রাথমিক যুগের ঘটনাবলী ও হিজরী একাদশ
সালের ঘটনাপঞ্জি এবং যারা এ সনে ইনতিকাল করেন

ইতিপুর্বে হি একাদশ সালের রবীউল আওয়াল মাসের সোমবার মহানবী হযরত মুহাম্মদ
(সা) এর ইনতিকালের দিন পর্যন্ত সং ঘটিত ঘটনাবলীর বিবরণ লেখা হয়েছে, যা প্রসিদ্ধ মতে
ছিল ঐ মাসের বার তারিখ ৷ এ সম্পর্কে পুর্বেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷


وَالْحَالَةُ تِلْكَ، فَسَارُوا لَا يَمُرُّونَ بِحَيٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ إِلَّا أُرْعِبُوا مِنْهُمْ، وَقَالُوا: مَا خَرَجَ هَؤُلَاءِ مِنْ قَوْمٍ إِلَّا وَبِهِمْ مَنَعَةٌ شَدِيدَةٌ. فَغَابُوا أَرْبَعِينَ يَوْمًا، وَيُقَالُ: سَبْعِينَ يَوْمًا. ثُمَّ آبُوا سَالِمِينَ غَانِمِينَ، ثُمَّ رَجَعُوا فَجَهَّزَهُمْ حِينَئِذٍ مَعَ الْأَحْيَاءِ الَّذِينَ أَخْرَجَهُمْ لِقِتَالِ الْمُرْتَدَّةِ، وَمَانِعِي الزَّكَاةِ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ. قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا بُويِعَ أَبُو بَكْرٍ، وَجَمَعَ الْأَنْصَارَ فِي الْأَمْرِ الَّذِي افْتَرَقُوا فِيهِ قَالَ: لِيَتِمَّ بَعْثُ أُسَامَةَ. وَقَدِ ارْتَدَتِ الْعَرَبُ إِمَّا عَامَّةً وَإِمَّا خَاصَّةً فِي كُلِّ قَبِيلَةٍ، وَنَجَمَ النِّفَاقُ وَاشْرَأَبَّتِ الْيَهُودِيَّةُ وَالنَّصْرَانِيَّةُ، وَالْمُسْلِمُونَ كَالْغَنَمِ الْمَطِيرَةِ فِي اللَّيْلَةِ الشَّاتِيَةِ ; لِفَقْدِ نَبِيِّهِمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقِلَّتِهِمْ، وَكَثْرَةِ عَدُوِّهِمْ، فَقَالَ لَهُ النَّاسُ: إِنَّ هَؤُلَاءِ جُلُّ الْمُسْلِمِينَ، وَالْعَرَبُ عَلَى مَا تَرَى قَدِ انْتَقَضَتْ بِكَ، وَلَيْسَ يَنْبَغِي لَكَ أَنْ تُفَرِّقَ عَنْكَ جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ. فَقَالَ: وَالَّذِي نَفْسُ أَبِي بَكْرٍ بِيَدِهِ، لَوْ ظَنَنْتُ أَنَّ السِّبَاعَ تَخْطَفُنِي لَأَنْفَذْتُ بَعْثَ أُسَامَةَ كَمَا أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَوْ لَمْ يَبْقَ فِي الْقُرَى غَيْرِي لَأَنْفَذْتُهُ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، وَمِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ وَعَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ارْتَدَتِ الْعَرَبُ قَاطِبَةً
পৃষ্ঠা - ৫২৫২

হযরত: আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর খিলাফতকালের ঘটনাবলী

পুর্বেই বলা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সোমবার দিন চাশতে র সময় ইনতিকাল করেন ৷
তখন লোকজন হযরত আবু বকরের খিলাফাতর বায় আত সম্পর্কে বনী সায়িদার হল ঘরে
(সাকীফায়) আলোচনায় মিলিত হন ৷ এরপর সর্ব সাধারণের বায় আত গ্রহণের জন্যে তারা
দিনের শেষভাগে মাসজিদে নববীতে ৩সমবেত হন ৷ ঐ দিন এবং পরের দিন মঙ্গলবার সকালেও
মসজিদে বায়আতের কাজ সম্পন্ন করা হয় ৷ পুর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷
এরপর মঙ্গলবার অবশিষ্ট সময়ে রাসুলুল্লাহ্:(সা)-৫ক গোসল দিয়ে কাফন পরানাে হয় এবং
জানাযা পড়া হয় ৷ বুধাবার রাত্রে নবী করী (সা)-কে দাফন করা হয় ৷ মুহাম্মদইবন ইসহাক
ইবন য়াসার বলেন, আমার নিকট যুহরী বলেছেন, এবং ঘৃহরীর নিবল্ট আনাস ইবন মালিক
বর্ণনা করেছেন যে, সাকীফায়ে বনী সায়িদায় হযরত আবু বকরের হাতে বায়আত গ্রহণের পর
পরের সকালে লোকজন সমবেত হলে হযরত আবু বকর মিম্বরে বসলেন ৷ তখন আবু বকরের
পুর্বে হযরত উমর দাড়িয়ে ভাষণ দিলেন ৷ প্রথমে আল্লাহ্র প্রশংসা ও গুণগান করে তিনি বললেনঃ
ষ্ণু (fl ৷
;, ৷ , এে;া৷ ৷

অর্থাৎ “হে জনমণ্ডলী! আমি আপনাদেরকে গতকাল কিছু কথা বলেছি ৷ যা বলেছি তা
আল্লাহ্র কিভাবে আমি পাইনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও এ ব্যাপারে আমাকে কোন নির্দেশনা
দেননি ৷ বরং আমার ধারণা ছিল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন ৷
তিনিই হবেন আমাদের সর্বশেষ ব্যক্তি ৷ আর আল্লাহ্ তা আলা আপনাদের মাঝে সেই ব্যক্তিকে
র্বাচিয়ে রেখেছেন, যাব , নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আদর্শ বিদ্যমান রয়েছে ৷ যদি আপনারা
তাকে আকড়ে থাকেন, তাহলে আল্লাহ্ আপনাদেরও সেই হিদায়াত দান করবেন, যে হিদায়াত
তিনি তাকে দান করেছেন ৷ অবশ্যই আল্লাহ্ তা জানা আপনাদের সর্বোত্তম ব্যক্তির নেতৃতৃকে
বরণ করার ব্যাপারে ঐক্যব-দ্ধ করে দিয়েছেন ৷ তিনি ছিলেন রাসুলের সঙ্গী ৷ ছাওরে গুহায় তার

একমাত্র সঙ্গী ৷ সুতরাং সবাই তার হাতে বায় আত গ্রহণে এগিয়ে আসুন এভাবে সাকীফার
বায়আতের পরে সর্ব সাধারণ জনগণ হযরত আবু বকরের হাতে ৱায়আত গ্রহণ করেন ৷

আবু বকর (রা)-এর প্রথম ভাষণ
এরপর হযরত আবু বকর (রা) ,দীড়িয়ে আল্লাহ্র প্রশংসা ও গুণগান করে নিম্নরুপ ভাষণ
দান করেনং :




وَاشْرَأَبَّ النِّفَاقُ، وَاللَّهِ لَقَدْ نَزَلَ بِأَبِي مَا لَوْ نَزَلَ بِالْجِبَالِ الرَّاسِيَاتِ لَهَاضَهَا، وَصَارَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَأَنَّهُمْ مِعْزًى مَطِيرَةٌ فِي حِفْشٍ فِي لَيْلَةٍ مَطِيرَةٍ بِأَرْضٍ مُسْبِعَةٍ، فَوَاللَّهِ مَا اخْتَلَفُوا فِي نُقْطَةٍ إِلَّا طَارَ أَبِي بِحَظِّهَا وَعَنَائِهَا وَفَضْلِهَا. ثُمَّ ذَكَرَتْ عُمَرَ فَقَالَتْ: مَنْ رَأَى عُمَرَ عَلِمَ أَنَّهُ خُلِقَ غِنًى لِلْإِسْلَامِ، كَانَ وَاللَّهِ أَحْوَزِيًّا نَسِيجَ وَحْدِهِ، قَدْ أَعَدَّ لِلْأُمُورِ أَقْرَانَهَا. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبِ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْمَيْمُونِيُّ، ثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، ثَنَا عَبَّادُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: وَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَوْلَا أَنَّ أَبَا بَكْرٍ اسْتُخْلِفَ مَا عُبِدَ اللَّهُ، ثُمَّ قَالَ الثَّانِيَةَ، ثُمَّ قَالَ الثَّالِثَةَ، فَقِيلَ لَهُ: مَهْ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ. فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَّهَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فِي سَبْعِمِائَةٍ إِلَى الشَّامِ، فَلَمَّا نَزَلَ بِذِي خَشَبٍ قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَارْتَدَّتِ الْعَرَبُ حَوْلَ الْمَدِينَةِ،
পৃষ্ঠা - ৫২৫৩
فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ فَقَالُوا: يَا أَبَا بَكْرٍ، رُدَّ هَؤُلَاءِ، تُوَجِّهُ هَؤُلَاءِ إِلَى الرُّومِ وَقَدِ ارْتَدَّتِ الْعَرَبُ حَوْلَ الْمَدِينَةِ؟ ! فَقَالَ: وَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ لَوْ جَرَّتِ الْكِلَابُ بِأَرْجُلِ أَزْوَاجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا رَدَدْتُ جَيْشًا وَجَّهَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا حَلَلْتُ لِوَاءً عَقَدَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَوَجَّهَ أُسَامَةَ فَجَعَلَ لَا يَمُرُّ بِقَبِيلٍ يُرِيدُونَ الِارْتِدَادَ إِلَّا قَالُوا: لَوْلَا أَنَّ لِهَؤُلَاءِ قُوَّةً مَا خَرَجَ مِثْلُ هَؤُلَاءِ مِنْ عِنْدِهِمْ، وَلَكِنْ نَدَعُهُمْ حَتَّى يَلْقَوُا الرُّومَ. فَلَقُوا الرُّومَ فَهَزَمُوهُمْ وَقَتَلُوهُمْ، وَرَجَعُوا سَالِمِينَ، فَثَبَتُوا عَلَى الْإِسْلَامِ. عَبَّادُ بْنُ كَثِيرٍ هَذَا أَظُنُّهُ الرَّمْلِيَّ ; لِرِوَايَةِ الْفِرْيَابِيِّ عَنْهُ، وَهُوَ مُتَقَارِبُ الْحَدِيثِ، فَأَمَّا الْبَصْرِيُّ الثَّقَفِيُّ فَمَتْرُوكُ الْحَدِيثِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ أَبِي ضَمْرَةَ وَأَبِي عَمْرٍو وَغَيْرِهِمَا، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ لَمَّا صَمَّمَ عَلَى تَجْهِيزِ جَيْشِ أُسَامَةَ قَالَ بَعْضُ الْأَنْصَارِ لِعُمَرَ: قُلْ لَهُ فَلْيُؤَمِّرْ عَلَيْنَا غَيْرَ أُسَامَةَ. فَذَكَرَ لَهُ عُمَرُ ذَلِكَ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ أَخَذَ بِلِحْيَتِهِ وَقَالَ: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ، أَأُؤَمِّرُ غَيْرَ أَمِيرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ ! ثُمَّ نَهَضَ بِنَفْسِهِ إِلَى الْجُرْفِ فَاسْتَعْرَضَ جَيْشَ أُسَامَةَ وَأَمَرَهُمْ بِالْمَسِيرِ، وَسَارَ مَعَهُمْ مَاشِيًا، وَأُسَامَةُ رَاكِبًا، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ يَقُودُ بِرَاحِلَةِ الصِّدِّيقِ، فَقَالَ أُسَامَةُ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ، إِمَّا أَنْ تَرْكَبَ وَإِمَّا أَنْ أَنْزِلَ. فَقَالَ: وَاللَّهَ لَسْتَ بِنَازِلٍ وَلَسْتُ بِرَاكِبٍ. ثُمَّ اسْتَطْلَقَ الصِّدِّيقُ مِنْ أُسَامَةَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ - وَكَانَ مُكْتَتَبًا فِي جَيْشِهِ - فَأَطْلَقَهُ لَهُ، فَلِهَذَا كَانَ عُمَرُ لَا يَلْقَاهُ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَّا قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا الْأَمِيرُ.
পৃষ্ঠা - ৫২৫৪

ণ্এপু৷ ন্শুপু


ণ্হ্র;াপ্রুাৰু,
অর্থাৎ “হে জনমণ্ডলী! আমি আপনাদের নেতা নির্বাচিত হ্য়েছি ৷ তবে আমি আপনাদের
সর্বোত্তম ব্যক্তি নই ৷ আমি যদি ভাল কাজ করি, আপনারা আমাকে সাহায্য করবেন ৷ আর যদি
আমি অন্যায় কাজ করি, আপনারা আমাকে সঠিক পাথে ফিরিয়ে আনবেন ৷ সততা আমানত
আর মিথ্যা খিয়ানত ৷ আপনাদের মধ্যে দুর্বল ব্যক্তি আমার নিকট শক্তিশালী যতক্ষণ না তার
অধিকার আমি আদায় করিয়ে দিতে পারি, ইনৃশা আল্লাহ্ ৷ আর আপনাদের মধ্যে শক্তিমান
,ব্যক্তি আমার নিকট দুর্বল, যতক্ষণ না তার থেকে আমি হকদারের অধিকার ফিরিয়ে এনে দিতে
পারি-ইনশা আল্লাহ্ ৷ যে জাতি আল্পাহ্র পথে জিহাদ করা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ্ তাদেরকে
লাঞ্ছিত-অপমানিত করেন ৷ যে জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ব্যাপক হয় সে জাতির উপর আল্লাহ্
ব্যাপকভাবে বালা মুসীবত নাযিল করেন ৷ যতক্ষণ আমি আন্মাহ্ ও রাসুলের আনুগত্য করি
ততক্ষণ আপনারা আমার আনুগত্য করবেন ৷ আর যদি অল্লোহ্ ও রাসুলের অবাধ্য হই তাহলে
আমার আনুগত্য করতে আপনারা বাধ্য নন ৷ এখন আপনারা সালাতের জন্যে উঠে পড়ুন ৷
আল্লাহ্ আপনাদের প্রতি সদয় হোন !
সহীহ্ সনদে এটা বর্ণিত হয়েছে ৷ সাহারায়ে কিরাম ঐ সময়ে আবু বকর সিদ্দীকের
বায়আতের উপর ঐক্যবদ্ধ হয়ে যান ৷ এমন কি হযরত আলী ইবন আবু তালিব এবং হযরত
যুবায়র ইবনুল আওয়ামও বায়আত গ্রহণ করে ৷ এর প্রমাণ বায়হাকীর বর্ণনা, যা তিনি আবুল
হুসায়ন আলী ইবন মুহাম্মদ আবু সাঈদ খুদরী সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর ইনতিকালের পরে লোকজন হযরত সাদ ইবন উবাদার গৃহে সমবেত হন ৷ এদের
মধ্যে হযরত আবু বকর এবং হযরত উমরও ছিলেন :৷ তারপর আনসার সমাজের বক্তা দাড়িয়ে
বললেন, আপনারা অবগত আছেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আনসার ৷ অতএব যেভাবে
আমরা রাসুলের আনসার ছিলাম, সেভাবেই আমরা রাসুলের খলীফারও আনসার থাকর ৷
তারপর হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব দাড়িয়ে বললেন, আপনাদের বক্তা সঠিক কথাই বলেছেন ৷
যদি আপনারা এরুপ কথা না বলতেন, তবেআপনাদেয় থেকে বায়আত নিতাম না ৷ এ কথা
বলে তিনি হযরত আবু বকরের হাত ধরে বলেন, ইনিই আপনাদের খলীফা, তার হাতে
আপনারা বায়আত গ্রহণ করুন ৷ তারপর উমর (রা) প্রথমে বায়আত হন ৷ তারপর যুহাজির ও
আনসারগণ পর্যায়ক্রমে বায়আত হন ৷ তারপর হযরত আবু বকর (রা) মিম্বরে আরোহণ
করলেন এবং সমবেত লোকদের চেহারার দিকে তাকালেন ৷ হযরত যুবায়রকে তাদের মধ্যে না
দেখে তিনি তাকে ডেকে পাঠালেন ৷ যুবায়র উপস্থিত হলেন ৷ তিনি বললেন, হে রাসুল
(না)-এর ফুফাত ভাই, আপনি মুসলমানদের ঐক্যে ফটিল ধরাতে চাচ্ছেন? যুবায়র বললেন,
হে রাসুলুল্লাহ্র খ্লীফা ! আমার কোন অভিযোগ নেই ৷ তারপর তিনি দাড়িয়ে বায়আত গ্রহণ
করেন ৷ এবার তিনি পুনরায় সমাবেশের দিকে তাকালেন ৷ দেখলেন, আলী (রা) অনুপস্থিত ৷


[مَقْتَلُ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ] ِّ الْمُتَنَبِّئِ الْكَذَّابِ لَعَنَهُ اللَّهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شَيْبَةَ النُّمَيْرِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ - يَعْنِي الْمَدَائِنِيَّ - عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ وَيَزِيدَ بْنِ عِيَاضِ بْنِ جُعْدُبَةَ وَغَسَّانَ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ وَجُوَيْرِيَةَ بْنِ أَسْمَاءَ، عَنْ مَشْيَخَتِهِمْ، قَالُوا: أَمْضَى أَبُو بَكْرٍ جَيْشَ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ فِي آخِرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَأَتَى مَقْتَلُ الْأَسْوَدِ فِي آخِرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ بَعْدَ مَخْرِجِ أُسَامَةَ، فَكَانَ ذَلِكَ أَوَّلَ فَتْحٍ أَتَى أَبَا بَكْرٍ وَهُوَ بِالْمَدِينَةِ. [صِفَةُ خُرُوجِهِ وَتَمْلِيكِهِ وَمَقْتَلِهِ] قَدْ أَسْلَفْنَا فِيمَا تَقَدَّمَ أَنَّ الْيَمَنَ كَانَتْ قَدِيمًا لِحِمْيَرَ، وَكَانَتْ مُلُوكُهُمْ يُسَمَّوْنَ التَّبَابِعَةَ، وَتَكَلَّمْنَا فِي أَيَّامِ الْجَاهِلِيَّةِ عَلَى طَرَفٍ صَالِحٍ مِنْ هَذَا، ثُمَّ إِنَّ مَلِكَ الْحَبَشَةِ بَعَثَ أَمِيرَيْنِ مِنْ قُوَّادِهِ، وَهُمَا أَبَرْهَةُ الْأَشْرَمُ وَأَرْيَاطُ، فَتَمَلَّكَا لَهُ الْيَمَنَ مِنْ حِمْيَرَ، وَصَارَ مُلْكُهَا لِلْحَبَشَةِ، ثُمَّ اخْتَلَفَ هَذَانَ الْأَمِيرَانِ، فَقُتِلَ أَرْيَاطُ وَاسْتَقَلَّ
পৃষ্ঠা - ৫২৫৫

আলীকে ড়েকে এনে বললেন, হে রাসুল (সা) এর চড়াচাত ভাই ও জামাতা! আপনি মুসলিম
ঐক্যে ভড়াঙ্গন সৃষ্টি করছেন? আলী বললেন, হে রাসুলুল্লাহ্র খলীফা! আমার কোন অভিযোগ
নেই ৷ এ কথা বলেই তিনিও বায় আত গ্রহণ করেন ৷ এই হাদীস প্রায় বা এ জাতীয় এক হাদীস
সম্পর্কে আবু আলী নিশাপুরী বলেন, ইবন খুযায়মা থেকে আমি শুনেছি, তিনি বললেন, আমার
নিকট মুসলিম ইবন হাজ্জাজ এসে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন ৷ আমি একটি কাগজে এ
হাদীসটি লিখে তড়াকে দিলাম এবং পাঠ করে শুনালাম ৷ তিনি মন্তব্য করলেন, এ তাে এমন
হাদীস যা কুরবানীর উটতৃল্য ৷ আমিও বললাম, ছুা, এটা কুরবানীর উটের ন্যায় এবং এটি
মুদ্রার থলে ভুল ৷ ইমাম আহমদ নির্ভরভৈযাগ্য রাবীদের থেকে এটা সংক্ষিপ্ততাবে বর্ণনা
করেছেন ৷ হাকিম তার মুসতাদরাকে উহায়ব থেকে বিশদতাবে উল্লেখ করেছেন ৷ আমরা এ
হাদীসকে মাহাসিলীর সুত্রে আবু সাঈদ থেকে উল্লেখ করেছি ৷ এ বর্ণনায়ও ঐদিন আলী ও
যুবায়রেরও বায়আতের কথা উল্লেখিত হয়েছে ৷

মুসা ইবন উকবা তার মাগাযী’ গ্রন্থে সাদ ইবন ইবরাহীম থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
ইবরাহীম বলেন, আমার পিতা আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা) হযরত উমর (রা) এর সঙ্গে
ছিলেন ৷ আর মুহাম্মদ ইবন মাসলামা যুবায়রেরত তরবারি ভেঙ্গে ফেলেছিলেন ৷ তারপর আবু
বকর (বা) ভাষণ দান করেন ৷ তিনি লোকদের নিকট ওযর পেশ করে বলেন, আল্লাহর কসম,
আমি কোন সময়ই নেতৃত্বের লোড করিনি ৷ আল্লাহর নিকট প্রকাশ্যে বা গোপনে এটা আমি
চাইনি-৪

শ্বস্প্রুশুণ্ড্র ণ্এ্যা

ম্হাজিরণণ তার এ বক্তব্য গ্রহণ করলেন ৷ আলী ও যুবায়র বললেন, আমরা পরামর্শ সভায়
উপস্থিত হতে পারিনি ৷ তবে আবু বকরকে এ পদের জন্যে আমরা যােণঢুতম মনে করি ৷ তিনি
হচ্ছেন নবীর গুহার সাথী ৷ তার ন্ন্মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠতৃ সম্পর্কে আমরা সম্যক অবগত ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) জীবিত থাকা অবস্থায় র্তাকে দিয়ে সালাতের ইমামতি করিয়েছেন ৷ হযরত আলী
(রা)-এর জন্যে এরুপ করাটাই ছিল পােভনীয় ৷ বিভিন্ন বর্ণনা থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায় ৷
যেমন আবু বকরের সাথে তিনি সালাতে উপস্থিত থাকতেন ৷ নবীর ইনতিকালের পর উদ্ভুত
সমস্যা সমাধানে আবু বকরের সাথে তিনি ও যুলকাসৃসড়া পর্যন্ত গিয়েছিলেন ৷ তিনি তার সনদ
থেকে তাকে পরামর্শ ও সমর্থাং দিয়েছেন ৷ এখানে উল্লেখযোগ্য যে, রাসুলের ইনতিকালের ছয়
মাস পর ফাতিমার মৃত্যু হলে হযরত আলী আবু বকর (রা)-এর নিকট বায়আত হওয়ার যে
বিবরণ পাওয়া যায়, তা হচ্ছে তার দ্বিতীয় বার বায়আত ৷ এর দ্বারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
উত্তরাধিকার প্ৰশ্নে৩ তার ও আবু বকরের মাঝে যে দুরৎ সৃষ্টি হয়েছিল, তা কেটে যায় ৷ হযরত
আবু বকর মীরাছ দিতে অস্বীকার করেছিলেন এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্র স্পষ্ট উক্তি থাকার কারণে,

আর তা হল : , নবীরা কোন মীরাছ রেখে যাইনা,

যে সম্পদ আমরা রেখে যইি তা সাদকা স্বরুপ-যেমনটি ইতিপুর্বে সনদ ও মুল পাঠসহ বর্ণিত
হয়েছে ৷ আবু বকর সিদ্দীকের সীরাত গ্রন্থে এ জাতীয় যাবতীয় বর্ণনা, হাদীসে রাসুল ও
বিধি-বিধান সবিস্তারে আমরা আলোচনা করেছি ৷


أَبَرْهَةُ بِالنِّيَابَةِ، وَبَنَى كَنِيسَةً سَمَّاهَا الْقُلَّيْسَ ; لِارْتِفَاعِهَا، وَأَرَادَ أَنْ يَصْرِفَ حَجَّ الْعَرَبِ إِلَيْهَا دُونَ الْكَعْبَةِ، فَجَاءَ بَعْضُ قُرَيْشٍ فَأَحْدَثَ فِي هَذِهِ الْكَنِيسَةِ، فَلَمَّا بَلَغَهُ ذَلِكَ حَلَفَ لَيُخَرِّبَنَّ بَيْتَ مَكَّةَ، فَسَارَ إِلَيْهِ وَمَعَهُ الْجُنُودُ وَالْفِيلُ مَحْمُودٌ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا قَصَّ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ بَسْطُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ، فَرَجَعَ أَبَرْهَةُ بِبَعْضِ مَنْ بَقِيَ مِنْ جَيْشِهِ فِي أَسْوَأِ حَالٍ وَشَرِّ خَيْبَةٍ، وَمَا زَالَ تَسْقُطُ أَعْضَاؤُهُ أُنْمُلَةً أُنْمُلَةً، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى صَنْعَاءَ انْصَدَعَ صَدْرُهُ فَمَاتَ، فَقَامَ بِالْمُلْكِ بَعْدَهُ وَلَدُهُ يَكْسُومُ بْنُ أَبْرَهَةَ ثُمَّ أَخُوهُ مَسْرُوقُ بْنُ أَبَرْهَةَ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ اسْتَمَرَّ مُلْكُ الْيَمَنِ بِأَيْدِي الْحَبَشَةِ سَبْعِينَ سَنَةً، ثُمَّ ثَارَ سَيْفُ بْنُ ذِي يَزَنَ الْحِمْيَرِيُّ، فَذَهَبَ إِلَى قَيْصَرَ مَلِكِ الرُّومِ يَسْتَنْصِرُهُ عَلَيْهِمْ، فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ ; لِمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ مِنَ الِاجْتِمَاعِ فِي دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ، فَسَارَ إِلَى كِسْرَى مَلِكِ الْفُرْسِ، فَاسْتَغَاثَ بِهِ، وَلَهُ مَعَهُ مَوَاقِفُ وَمَقَامَاتٌ فِي الْكَلَامِ تَقَدَّمَ بَسْطُ بَعْضِهَا، ثُمَّ اتَّفَقَ الْحَالُ عَلَى أَنْ بَعَثَ مَعَهُ مِمَّنْ بِالسُّجُونِ طَائِفَةً تَقَدَّمَهُمْ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: وَهْرِزُ، فَاسْتَنْقَذَ مُلْكَ الْيَمَنِ مِنَ الْحَبَشَةِ، وَكَسَرَ مَسْرُوقَ بْنَ أَبَرْهَةَ وَقَتَلَهُ، وَدَخَلُوا إِلَى صَنْعَاءَ وَقَرَّرُوا سَيْفَ بْنَ ذِي يَزَنَ فِي الْمُلْكِ عَلَى عَادَةِ آبَائِهِ، وَجَاءَتِ الْعَرَبُ تُهَنِّئُهُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، غَيْرَ أَنَّ لِكِسْرَى نُوَّابًا عَلَى الْبِلَادِ، فَاسْتَمَرَّ الْحَالُ عَلَى ذَلِكَ حَتَّى بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ مَا أَقَامَ، ثُمَّ هَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا كَتَبَ كُتُبَهُ إِلَى مُلُوكِ الْآفَاقِ يَدْعُوهُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، فَكَتَبَ فِي جُمْلَةِ ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৫২৫৬

সায়ফ ইবন উমর আসিম ইবন আদী থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
ইনতিকালের পরদিন হযরত আবু বকরের পক্ষ থেকে জনৈক ঘোষণাকারী উসামার অভিযান
সম্পন্ন করার জন্যে ঘোষণা দিলেন, উসমাের বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত কোন লোক যেন মদীনাতে
থেকে না যায় ৷ সবাই যেন জুরফে গিয়ে বাহিনীতে যোগ দেয় ৷ হযরত আবু বকর (রা)
সমবেত লোকদের মাঝে দাড়িয়ে ভাষণ দিলেন :

প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন করে তিনি বললেন, হে লোক সকল ! আমি আপনাদেরই
ন্যায় একজন ৷ যে কাজ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর জন্যে সহজসাধ্য জ্জি, সে কাজ করতে হয়ত
আপনারা আমার উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা বিশ্ববাসীর উপর মুহাম্মদ
(না)-কে মনোনীত করেছিলেন ৷ তাকে সকল বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছেন ৷ আমি কেবল তার
একজন অনুসারী-নতুন কিছুর উদ্ভাবনকারী নই : ৷ আমি যদি
হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকি তাহলে আপনারা আমার আনুগত্য করবেন, আর যদি আমি
বিপথগড়ামী হই, আপনারা আমাকে সংশোধন করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করেছেন,
কিন্তু কাউকে অন্যায়ভাবে একটি কােড়া মেবেছেন কিত্বা তার চেয়েও হালকা কোন খারাপ
আচরণ করেছেন, এরুপ দাবি করার মত একজন লোকও এ উষ্মতের মধ্যে সেই ৷ আমার
পেছনে শয়তান লেগে রয়েছে ৷ সে আমাকে বিপথগড়ামী করার প্রয়াস পাবে ৷ যদি সে আমাকে
পেয়ে বলে তা হলে আপনারা আমার থেকে দুরে থাকবেন ৷ আপনাদের চুল বা পাত্র বর্ণের
কারণে কাউকে আমি প্রাধান্য দেব না : ণ্ব্লু ,াব্ল ৷ , ণ্ব্লু এাক্ল ৷ ,;;:;, ১৷ ৷ সকাল-সদ্যা
অতিক্রমের মধ্য দিয়ে আপনারা ত্রুমাবস্থায় মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ৷ অথচ মৃত্যু কত
দুরে, সে জ্ঞান আপনাদের নেই ৷ সাধ্যমত ভাল কাজের মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করার
চেষ্টা করুন ৷ আর আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত এটা করা সম্ভব নয় ৷ মৃত্যুর নিকট নিজেকে সােপর্দ
করার পুর্বের সময়টুকুকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করুন ৷ কেননা, মৃত্যুর পরে আমলের সকল পথ
রুদ্ধ হয়ে যাবে ৷ , এক জাতি ছিল যারা মৃত্যুর কথা ভুলে গাফেল হয়ে থাকে, আমলকে তারা
পরবর্তীর জন্যে রেখে দেয় ৷ খবরদার, আপনারা তাদের মত হবেন না ৷ চেষ্টায় পর চেষ্টা করতে
থাকুন! নাজাত ও মুক্তির পথ অবলম্বন করুন ৷ তাড়াতাড়ি ও দ্রুততার সাথে সৎকাজে এগিয়ে
চলুন ৷ আপনাদের পশ্চাতে সার্বক্ষণিক এক অনুসন্ধানকারী লেগে রয়েছে ৷ এক সু-নিল্টি সময়
রয়েছে-যা অবিলম্বে কার্যকারী হয় ৷ মৃত্যুকে ভয় করুন ৷ (মৃত) বাপ-দাদা, ছেলে-সন্তান ও
ভাই-বন্ধু থেকে উপদেশ গ্রহণ করুন ৷ যে সব কাজে মৃতদের আনুগত্য করা হয়ে থাকে,
কেবল সেই সব কাজে জীবিতদের আনুগত্য করবেন :

শ্নএ

রাবী বলেন, হযরত আবু বকর (রা) আবারও দীড়ালেন, অতঃপরে বললেন : আল্লাহ সেই
আমল কবুল করেন না, যা তার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়নি ৷ অতএব, সকল কাজ
আপনারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে করবেন ৷ যখন আপনারা দরিদ্র ও অভাবী ছিলেন
তখন আপনাদেরকে মনোনীত করা হয়েছে ৷ হে আল্লাহ্র বন্দোগণ ! আপনাদের মধ্য থেকে যারা
মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের থেকে উপদেশ গ্রহণ করুন ! আপনাদের পুর্বে যারা অতীত হয়ে
গেছেন, তাদের সম্বন্ধে মিঃ৷ ভাবনা করুন ৷ দেখুন, গতকাল তারা কোথায় ছিলেন আর আজ
তারা কোথায়? সেইসব অত্যাচারী রাজা বাদশারা কোথায়, যাদেরকে যুদ্ধ জয়ীরুপে স্মরণ করা


إِلَى كِسْرَى مَلِكِ الْفُرْسِ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى كِسْرَى عَظِيمِ الْفُرْسِ، سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، فَأَسْلِمْ تَسْلَمْ. إِلَى آخِرِهِ، فَلَمَّا جَاءَهُ الْكِتَابُ قَالَ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: هَذَا كِتَابٌ جَاءَ مِنْ عِنْدِ رَجُلٍ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ. فَلَمَّا فَتَحَ الْكِتَابَ فَوَجَدَهُ قَدْ بَدَأَ بِاسْمِهِ قَبْلَ اسْمِ كِسْرَى غَضِبَ كِسْرَى عِنْدَ ذَلِكَ غَضَبًا شَدِيدًا، وَأَخَذَ الْكِتَابَ فَمَزَّقَهُ قَبْلَ أَنْ يَقْرَأَهُ، وَكَتَبَ إِلَى عَامِلِهِ عَلَى الْيَمَنِ، وَكَانَ اسْمُهُ بَاذَامَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِذَا جَاءَكَ كِتَابِي هَذَا فَابْعَثْ مِنْ قِبَلِكَ أَمِيرَيْنِ إِلَى هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، فَابْعَثْهُ إِلَيَّ فِي جَامِعَةٍ. فَلَمَّا جَاءَ الْكِتَابُ إِلَى بَاذَامَ، بَعَثَ مِنْ عِنْدِهِ أَمِيرَيْنِ عَاقِلَيْنِ، وَقَالَ: اذْهَبَا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ، فَانْظُرَا مَا هُوَ، فَإِنْ كَانَ كَاذِبًا فَخُذَاهُ فِي جَامِعَةٍ حَتَّى تَذْهَبَا بِهِ إِلَى كِسْرَى، وَإِنْ كَانَ غَيْرَ ذَلِكَ فَارْجِعَا إِلَيَّ فَأَخْبِرَانِي مَا هُوَ، حَتَّى أَنْظُرَ فِي أَمْرِهِ. فَقَدِمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَوَجَدَاهُ عَلَى أَسَدِّ الْأَحْوَالِ وَأَرْشَدِهَا، وَرَأَيَا مِنْهُ أُمُورًا عَجِيبَةً يَطُولُ ذِكْرُهَا، وَمَكَثَا عِنْدَهُ شَهْرًا بَعْدَمَا أَبْلَغَاهُ مَا جَاءَا لَهُ، ثُمَّ تَقَاضَاهُ الْجَوَابَ بَعْدَ ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُمَا: " ارْجِعَا إِلَى صَاحِبِكُمَا فَأَخْبِرَاهُ أَنَّ رَبِّي قَدْ قَتَلَ اللَّيْلَةَ رَبَّهُ ". فَأَرَّخَا ذَلِكَ عِنْدَهُمَا، ثُمَّ رَجَعَا سَرِيعًا إِلَى الْيَمَنِ، فَأَخْبَرَا بَاذَامَ بِمَا قَالَ لَهُمَا، فَقَالَ: أَحْصُوا تِلْكَ اللَّيْلَةَ، فَإِنْ ظَهَرَ الْأَمْرُ كَمَا قَالَ فَهُوَ نَبِيٌّ. فَجَاءَتِ الْكُتُبُ مِنْ عِنْدِ مَلِكِهِمْ أَنَّهُ قَدْ قُتِلَ كِسْرَى فِي لَيْلَةِ كَذَا وَكَذَا، لِتِلْكَ اللَّيْلَةِ، وَكَانَ قَدْ قَتَلَهُ بَنُوهُ» ، وَلِهَذَا قَالَ
পৃষ্ঠা - ৫২৫৭
بَعْضُ الشُّعَرَاءِ: وَكِسْرَى إِذْ تَقَاسَمَهُ بَنُوهُ ... بِأَسْيَافٍ كَمَا اقْتَسَمَ اللِّحَامُ تَمَخَّضَتِ الْمَنُونُ لَهُ بِيَوْمٍ ... أَنَى وَلِكُلِّ حَامِلَةٍ تَمَامُ وَقَامَ بِالْمُلْكِ بَعْدَهُ وَلَدُهُ يَزْدَجِرْدُ، وَكَتَبَ إِلَى بَاذَامَ أَنْ خُذْ لِيَ الْبَيْعَةَ مِمَّنْ قِبَلَكَ، وَاعْمِدْ إِلَى ذَلِكَ الرَّجُلِ فَلَا تُهِجْهُ وَأَكْرِمْهُ، فَدَخَلَ الْإِسْلَامُ فِي قَلْبِ بَاذَامَ وَذَوِيهِ مِنْ أَبْنَاءِ فَارِسَ مِمَّنْ بِالْيَمَنِ، وَبَعَثَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِسْلَامِهِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنِيَابَةِ الْيَمَنِ بِكَمَالِهَا، فَلَمْ يَعْزِلْهُ عَنْهَا حَتَّى مَاتَ، فَلَمَّا مَاتَ اسْتَنَابَ ابْنَهُ شَهْرَ بْنَ بَاذَامَ عَلَى صَنْعَاءَ وَبَعْضَ الْمَخَالِيفِ، وَبَعَثَ طَائِفَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ نُوَّابًا عَلَى مَخَالِيفَ أُخَرَ، فَبَعَثَ أَوَّلًا فِي سَنَةِ عَشْرٍ عَلِيًّا وَخَالِدًا، ثُمَّ أَرْسَلَ مُعَاذًا وَأَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ، وَفَرَّقَ عِمَالَةَ الْيَمَنِ بَيْنَ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، فَمِنْهُمْ ; شَهْرُ بْنُ بَاذَامَ، وَعَامِرُ بْنُ شَهْرٍ الْهَمْدَانِيُّ عَلَى هَمْدَانَ، وَأَبُو مُوسَى عَلَى مَأْرِبَ، وَخَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ عَلَى مَا بَيْنَ نَجْرَانَ وَرِمَعٍ وَزَبِيدٍ، وَيَعْلَى بْنُ أُمَيَّةَ عَلَى الْجَنَدِ، وَالطَّاهِرُ بْنُ أَبِي هَالَةَ عَلَى عَكٍّ وَالْأَشْعَرِيِّينَ، وَعَمْرُو بْنُ حَزْمٍ عَلَى نَجْرَانَ، وَعَلَى بِلَادِ حَضْرَمَوْتَ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ، وَعَلَى السَّكَاسِكِ
পৃষ্ঠা - ৫২৫৮

হয়ে থাকে? মহাকালের করাল গ্ৰাসে তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে ৷ তাদের কৃতিত্ব বিলীন হয়ে
গেছে ৷ নিকৃষ্ট পুরুষের জন্যে নিকৃষ্ট নারী এবং নিকৃষ্ট নারীদের জন্যে নিকৃষ্ট পুরুষই পােভনীয় ৷
সেই সব রজাে বাদশারা আজ কোথায়, যারা পৃথিবীকে প্রাধান্য দিয়েছে ও আবাদ করেছে?
অতীতের গর্ভে তারা বিলীন হয়ে গেছে ৷ ভুলেও তাদের নাম স্মরণ করা হয় না, যেন তাদের
অস্তির্তৃই কোন কালে ছিল না ৷ তবে আল্লাহ তাআলা তাদের পরে অনুপামী রেখে দিয়েছেন ৷
তাদের থেকে লালসা বিজ্জি করে দিয়েছেন ৷ তারা চলে গেছে, তারা যে আমল করে গিয়েছে,

তাই তাদের সাথে গিয়েছে ৷ দুনিয়ার অধিকারী হয়েছে অন্যরা ৷ আমাদেরকে তাদের পরে
পাঠান হয়েছে ৷ যদি আমরা তাদের থেকে উপদেশ গ্রহণ করি৩ তাহলে আমরা পরিত্রাণ পাব ৷
আর যদি আমরা নিম্নপামী হই৩ ৷ তাহলে৩ তাদের সমতুল্য হব ৷ সমুজ্জ্বল সুন্দর চেহারার অধিকারী
লোকেরা কোথায় গেল, যারা তাদের যৌবনের তাড়নায় ছিল মত্ত ৷ তারা সবই ধুলিতে পরিণত
হয়েছে ৷ তাদের বড়ােবাড়ি তাদের জন্যেই অনুশোচনার কারণ হয়ে র্দাড়িয়েছে ৷ কোথায় গেল
সেই সব লোক, যারা শহর নগর তৈরী করেছিল, এবং প্রাচীর দ্বারা সেগুলোর নিরাপত্তা বেষ্টনী
বানিয়েছিল, আর বিভিন্ন রকম বিস্ময়কর জিনিস সেগুলোর মধ্যে গড়ে তুলেছিল? সে সবই
পরবর্তীদের জন্যে রেখে গিয়েছে ৷ ঐ সবই তাদের বসত বাড়ির ধ্বং সাবশেষ, আর তারা

ও : :

কবরের অন্ধকারে বন্দী “আপনি কি

তাদের কারো সাড়া পান, অথবা তাদের ক্ষীণতম আওয়াজ শুনতে পান”? (১৯ মারয়ামও
৯৮) ৷

তোমাদের রাপ-দাদা, ভাই-বন্ধু যাদেরকে তোমরা দেখেছ, তারা আজ কোথায়? তাদের
নির্ধারিত সময় খতম হয়ে গেছে ৷ যেরুপ কাজ তারা করেছিল সে দিবেইি তাদেরকে ফিরিয়ে
নেওয়া হয়েছে, তারই পরিণতি তাদেরকে দেওয়া হয়েছে ৷ মৃত্যুর পরে হয় নিকৃষ্ট না হয় উৎকৃষ্ট
অবস্থার মধ্যেই তারা অবস্থান করছে ৷ জেনে ব্লেখো, আল্লাহ্ একক-অদ্বিতীয়, তার কোন শরীক
নেই ৷ তার ও বান্দার মাঝে আনুগত্য ও হুকুম পালন করা ব্যতীত এমন কােনসুত্র নেই, যার
সাহায্যে তিনি তাকে কল্যান দান করবেন, আর এমন কোন সম্পর্কও নেই, যার ফলে তিনি
তার অকল্যাণ দুর করে দেবেন ৷ মনে রেখ, তোমরা কেবল মাত্র তার অনুগত বন্দো ৷ তার
নিকট যে সব নিয়ামত রয়েছে তা তার আনুগত্য ছাড়া লাভ করা যাবে না ৷ সাবধান ! তোমাদের
কারও জন্যে জাহান্নড়ামও কাছে নয়, আর জান্নাতও দুরে নয় ৷

উসমো ইবন যায়দের বাহিনীকে অভিযানে প্রেরণ
সিরিয়ার বালকা সীমান্তে অভিযান চালানোর জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক বাহিনীকে নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷ কিছুদিন পুর্বে এখানেই হযরত যায়দ ইবন হড়ারিছা, জাফর ও আবদৃল্লাহ্ ইবন
রাওয়াহা শহীদ হয়েছিলেন ৷ এই অঞ্চলেই উক্ত বাহিনীকে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷
সুতরাং উক্ত বাহিনী জুরফ নামক স্থানে গিয়ে শিবির স্থাপন করল ৷ হযরত উমর ইবন খাত্তাব
(রা)ও ঐ বাহিনীতে ছিলেন ৷ হযরত আবু বকর (রা)-কে সালাতেন্ইমামতি করার জন্যে রেখে
দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জীবন যখন সংকটাপন্ন হয়ে উঠল তখন উক্ত বাহিনী সেখানে
অবস্থান করতে থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতিকাল হলে ইসলামের উপর মহা বিপর্যয়
নেমে আসে, রা;ষ্টীয় ব্যবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে, মদীনায় মুনাফিকরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ৷


عُكَّاشَةُ بْنُ ثَوْرِ بْنِ أَصْغَرَ، وَعَلَى السَّكُونِ وَبَنِي مُعَاوِيَةَ بْنِ كِنْدَةَ، وَبَعَثَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ مُعَلِّمًا لِأَهْلِ الْبَلَدَيْنِ ; الْيَمَنِ وَحَضْرَمَوْتَ، يَتَنَقَّلُ مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ. ذَكَرَهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، وَذَلِكَ كُلُّهُ فِي سَنَةِ عَشْرٍ فِي آخِرِ حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ إِذْ نَجَمَ هَذَا اللَّعِينُ الْأَسْوَدُ الْعَنْسِيُّ [خُرُوجُ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ] وَاسْمُهُ عَبْهَلَةُ بْنُ كَعْبِ بْنِ غَوْثٍ، مِنْ بَلَدٍ يُقَالُ لَهَا: كَهْفُ خُبَّانَ. فِي سَبْعِمِائَةِ مُقَاتِلٍ، وَكَتَبَ إِلَى عُمَّالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّهَا الْمَوْرُودُونَ عَلَيْنَا، أَمْسِكُوا عَلَيْنَا مَا أَخَذْتُمْ مِنْ أَرْضِنَا، وَوَفِّرُوا مَا جَمَعْتُمْ، فَنَحْنُ أَوْلَى بِهِ، وَأَنْتُمْ عَلَى مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ. ثُمَّ رَكِبَ فَتَوَجَّهَ إِلَى نَجْرَانَ فَأَخَذَهَا بَعْدَ عَشْرِ لَيَالٍ مِنْ مَخْرَجِهِ، ثُمَّ قَصَدَ إِلَى صَنْعَاءَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ شَهْرُ بْنُ بَاذَامَ فَتَقَاتَلَا، فَغَلَبَهُ الْأَسْوَدُ وَقَتَلَهُ، وَكَسَرَ جَيْشَهَ مِنَ الْأَبْنَاءِ، وَاحْتَلَّ بَلْدَةَ صَنْعَاءَ لِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً مِنْ مَخْرَجِهِ، فَفَرَّ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ مِنْ هُنَالِكَ، وَاجْتَازَ بِأَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، فَذَهَبَا إِلَى حَضْرَمَوْتَ، وَانْحَازَ عُمَّالُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الطَّاهِرِ، وَرَجَعَ عَمْرُو بْنُ حَزْمٍ وَخَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫২৫৯
الْعَاصِ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَاسْتَوْثَقَتِ الْيَمَنُ بِكَمَالِهَا لِلْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ، وَجَعَلَ أَمْرُهُ يَسْتَطِيرُ اسْتِطَارَةَ الشَّرَارَةِ، وَكَانَ جَيْشُهُ يَوْمَ لَقِيَ شَهْرًا سَبْعَمِائَةِ فَارِسٍ، وَأُمَرَاؤُهُ قَيْسُ بْنُ عَبْدِ يَغُوثَ الْمُرَادِيُّ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ قَيْسٍ، وَيَزِيدُ بْنُ مُخَزَّمٍ، وَيَزِيدُ بْنُ حُصَيْنٍ الْحَارِثِيُّ، وَيَزِيدُ بْنُ الْأَفْكَلِ الْأَزْدِيُّ، وَاشْتَدَّ مُلْكُهُ، وَاسْتَغْلَظَ أَمْرُهُ، وَارْتَدَّ خَلْقٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ، وَعَامَلَهُ الْمُسْلِمُونَ الَّذِينَ هُنَاكَ بِالتَّقِيَّةِ، وَكَانَ خَلِيفَتُهُ عَلَى مَذْحِجٍ عَمْرُو بْنُ مَعْدِ يكَرِبَ، وَأَسْنَدَ أَمْرَ الْجُنْدِ إِلَى قَيْسِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، وَأَسْنَدَ أَمْرَ الْأَبْنَاءِ إِلَى فَيْرُوزَ الدَّيْلَمِيِّ وَدَاذَوَيْهِ، وَتَزَوَّجَ امْرَأَةَ شَهْرِ بْنِ بَاذَامَ، وَهِيَ ابْنَةُ عَمِّ فَيْرُوزَ الدَّيْلَمِيِّ، وَاسْمُهَا آزَاذُ، وَكَانَتِ امْرَأَةً حَسْنَاءَ جَمِيلَةً، وَهِيَ مَعَ ذَلِكَ مُؤْمِنَةٌ بِاللَّهِ وَرَسُولِهُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمِنَ الصَّالِحَاتِ. قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ: وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِتَابَهُ حِينَ بَلَغَهُ خَبَرُ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: وَبَرُ بْنُ يُحَنِّسَ الدَّيْلَمِيُّ. يَأْمُرُ الْمُسْلِمِينَ الَّذِينَ هُنَاكَ بِمُقَاتَلَةِ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ وَمُصَاوَلَتِهِ، وَقَامَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ بِهَذَا الْكِتَابِ أَتَمَّ
পৃষ্ঠা - ৫২৬০

পার্শ্ববর্তী আরব গোত্র সমুহের লোকজন ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায় ৷ অপর একদল
প্সিদ্দীকে আকবরের নিকট যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় ৷ মক্কা ও মদীনা ব্যতীত দেশের
অন্য কোন শহর জুমার জন্যে অবৰিষ্টি থাকল না ৷ ইসলাম বিস্তারের পর বাহ্রায়নের জুওয়ড়াছ-ই
হচ্ছে প্রথম জনপদ যেখানে মুসলমানগণ জুমআর সালাত আদায় করেন-ইমাম বুখারী ইবন
আব্বাস (রা) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তায়িফের ছাকীফ গোত্র ইসলামের উপর
প্রতিষ্ঠিত ছিল ৷ তারা পলায়নও করেনি, মুরতাদও হয়নি ৷

মােটকথা, এই সব অবস্থা যখন দেখা দিল তখন অনেকেই হযরত আবু বকর সিদ্দীককে
অনুরোধ জানাল যে , এ মুহুর্তে তিনি যেন উসামার বাহিনীকে অভিযানে না পাঠান, বরং রাষ্টের
অধিকতর গুরুত্বপুর্ণ কাজে তাদেরকে ব্যবহার করেন ৷ কেননা, এই বাহিনীকে শান্তিপুর্ণ অবস্থায়
প্রন্তুত করা হয়েছিল ৷ যারা হযরত আবু বকরের কাছে সুপারিশ করেছিলেন তাদের মধ্যে হযরত
উমরও ছিলেন ৷

কিন্তু হযরত আবু বকর তাদের এ বাধা শুনলেন না, তিনি দৃঢ়ভারে এ সুপারিশ প্রত্যাখ্যান
করেন এবং উসামার বাহিনীকে অভিযানে প্রেরণের ব্যাপারে অটল থাকেন ৷ তিনি দৃঢ় কণ্ঠে
ঘোষণা করলেন, আল্লাহ্র কসম, আমি সেই বন্ধন খুলতে পারব না, যে বন্ধন আল্লাহর রাসুল
দিয়েছেন (অর্থাৎ তার গঠিত বাহিনী আমি ভাঙতে পারব না), এমন কি বায পাখী যদি উপর
থেকে এসে ছে৷ মেরে আমাদেরকে উঠিয়ে নেয়, হিংস্র জীব আনোয়ার যদি মদীনায় চারপাশে
এসে আমাদেরকে ঘেরাও করে, ব্যাঘ্র দল যদি উম্মুল মু’মিনীদের পা কামড়িয়ে টেনে নিয়ে যায়,
তবুও আমি উসামার বাহিনীকে অভিযানে পাঠাব এবং মদীনায় চারপাশে পাহারা জোরদার
করব ৷

সুতরাং অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ঐ সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযানে বের হওয়াই ছিল
অধিকতর যুক্তিসঙ্গত : উক্ত বাহিনী অভিযানে পথ চলাকালে যেই কোন জনপদ অতিক্রম
করেছিল, তার মুসলমানদের ভয়ে আতৎকগ্নস্ত হয়ে পড়েছিল ৷ কথিত আছে, তারা যেই কোন
বসতি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তাদের উপর তাদের বিপুল প্রভাব সৃষ্টি হত ৷ তারা বলাবলি
করত যে, তাদের যদি শক্ত প্রতিরোধ শক্তি না-ই থাকতো, তাহলে তারা তাদের স্বদেশ থেকে
কােনমতেই বের হতেন না ৷ চল্লিশ কিৎবা সত্তর দিন অবস্থানের পর উসামার বাহিনী অক্ষত
অবস্থায় গনীমত সম্ভারসহ প্রতদ্রড়াবর্তন করে ৷ তারপর এ বাহিনীকে মুরতাদ ও যাকাত
অম্বীকারকায়ীদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করা হয় ৷ পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা আসবে ৷

সায়ফ ইবন উমার উরওয়া থেকে বর্ণনা করেন, হযরত আবু বকরের হাতে যখন
খিলাফতেয় বায়আত গ্রহণ করা হল এবং আনসারগণ তাদের মতবিরোধ যেটানাের জন্যে
সমবেত হলেন, তখন হযরত আবু বকর বললেন, তোমরা যদি উসামার বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত
হতে, তাহলে কজীনা ভাল হত! অথচ ঐ সময় বহু আরব বেদৃইন এবং তাদের দলপতিরা
ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে গেছে ৷ প্রতিটি গোত্রেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ৷ মুনাফিকরা

ৎঘবদ্ধ হয়েছে, ইয়াহ্রদী ও নাসারাগণ ঔদ্ধত্য প্রদর্শনের নেশায় যেতে উঠেছে ৷ অপর দিকে

নবীকে হারিয়ে মুসলমানদের অবস্থা হয়েছে শীতের রাত্রে বৃষ্টি ভেজা বকরীর ন্যায় ৷ সংখ্যায়
র্তারা নগণ্য, অথচ শত্রু সংখ্যা প্রচুর ৷ এ অবস্থায় উপস্থিত জনগণ খলীফাকে বলল, ওরা তো
মুসলমানদেরকে বাড়ি ঘর থেকে বিতাড়িত করে ণ্ছড়েছে ৷ আরব বের্দুইনদেরকে দেখতেই


الْقِيَامِ، وَكَانَ قَدْ تَزَوَّجَ امْرَأَةً مِنَ السَّكُونِ يُقَالُ لَهَا: رَمْلَةُ. فَحَدِبَتْ عَلَيْهِ السَّكُونُ ; لِصِهْرِهِ فِيهِمْ، وَقَامُوا مَعَهُ فِي ذَلِكَ، وَبَلَّغُوا هَذَا الْكِتَابَ إِلَى عُمَّالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ قَدَرُوا عَلَيْهِ مِنَ النَّاسِ، وَاتَّفَقَ اجْتِمَاعُهُمْ بِقَيْسِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ أَمِيرِ الْجُنْدِ، وَكَانَ قَدْ تَغْضَّبَ عَلَيْهِ الْأَسْوَدُ وَاسْتَخَفَّ بِهِ، وَهَمَّ بِقَتْلِهِ، وَكَذَلِكَ كَانَ أَمْرُ فَيْرُوزَ الدَّيْلَمِيِّ قَدْ ضَعُفَ عِنْدَهُ أَيْضًا، وَكَذَا دَاوَذَيْهِ، فَلَمَّا أَعْلَمْ وَبَرُ بْنُ يُحَنِّسَ وَالْمُسْلِمُونَ قَيْسَ بْنَ عَبْدِ يَغُوثَ، وَهُوَ قَيْسُ بْنُ مَكْشُوحٍ، كَانَ كَأَنَّمَا نَزَلُوا عَلَيْهِ مِنَ السَّمَاءِ، وَوَافَقَهُمْ عَلَى الْفَتْكِ بِالْأَسْوَدِ، وَتَوَافَقَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى ذَلِكَ وَتَعَاقَدُوا عَلَيْهِ، فَلَمَّا أَيْقَنَ ذَلِكَ فِي الْبَاطِنِ اطَّلَعَ شَيْطَانُ الْأَسْوَدِ لِلْأَسْوَدِ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ، فَدَعَا قَيْسَ بْنَ مَشْكُوحٍ فَقَالَ لَهُ: يَا قَيْسُ، مَا يَقُولُ هَذَا؟ قَالَ: وَمَا يَقُولُ؟ قَالَ: يَقُولُ: عَمَدْتَ إِلَى قَيْسٍ فَأَكْرَمْتَهُ حَتَّى إِذَا دَخَلَ مِنْكَ كُلَّ مَدْخَلٍ، وَصَارَ فِي الْعِزِّ مِثْلَكَ، مَالَ مَيْلَ عَدُوِّكَ، وَحَاوَلَ مَلْكَكَ، وَأَضْمَرَ عَلَى الْغَدْرِ، إِنَّهُ يَقُولُ: يَا أَسْوَدُ يَا أَسْوَدُ، يَا سَوْآهْ يَا سَوْآهْ، قَطِّفْ قُنَّتَهُ، وَخُذْ مِنْ قَيْسٍ أَعْلَاهُ، وَإِلَّا سَلَبَكَ وَقَطَفَ قُنَّتَكَ، فَقَالَ قَيْسٌ: - وَحَلَفَ لَهُ فَكَذَبَ -: وَذِي الْخِمَارِ لَأَنْتَ أَعْظَمُ فِي نَفْسِي وَأَجَلُّ عِنْدِي مِنْ أَنْ أُحَدِّثَ بِكَ نَفْسِي. فَقَالَ لَهُ الْأَسْوَدُ: مَا إِخَالُكَ تُكَذِّبُ الْمَلَكَ، فَقَدْ صَدَقَ الْمَلَكُ وَعَرَفَ الْآنَ أَنَّكَ تَائِبٌ ; لِمَا
পৃষ্ঠা - ৫২৬১
اطَّلَعَ عَلَيْهِ مِنْكَ. ثُمَّ خَرَجَ قَيْسٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، فَجَاءَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَيْرُوزَ وَدَاوَذَيْهِ، وَأَخْبَرَهُمْ بِمَا قَالَ لَهُ وَرَدَّ عَلَيْهِ، فَقَالُوا: إِنَّا كُلُّنَا عَلَى حَذَرٍ، فَمَا الرَّأْيُ؟ فَبَيْنَمَا هُمْ يَشْتَوِرُونَ إِذْ جَاءَهُمْ رَسُولُهُ فَأَحْضَرَهُمْ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: أَلَمْ أُشَرِّفْكُمْ عَلَى قَوْمِكُمْ؟ قَالُوا: بَلَى. قَالَ: فَمَاذَا يَبْلُغُنِي عَنْكُمْ؟ فَقَالُوا: أَقِلْنَا مَرَّتَنَا هَذِهِ. فَقَالَ: لَا يَبْلُغُنِي عَنْكُمْ فَأَقْتُلَكُمْ. قَالَ: فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ وَلَمْ نَكَدْ وَهُوَ فِي ارْتِيَابٍ مِنْ أَمْرِنَا، وَنَحْنُ عَلَى خَطَرٍ، فَبَيْنَمَا نَحْنُ فِي ذَلِكَ إِذْ جَاءَتْنَا كُتُبٌ مِنْ عَامِرِ بْنِ شَهْرٍ أَمِيرِ هَمْدَانَ، وَذِي ظُلَيْمٍ، وَذِي كَلَاعٍ، وَغَيْرِهِمْ مِنْ أُمَرَاءِ الْيَمَنِ، يَبْذُلُونَ لَنَا الطَّاعَةَ وَالنَّصْرَ عَلَى مُخَالَفَةِ الْأَسْوَدِ، وَذَلِكَ حِينَ جَاءَهُمْ كِتَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحُثُّهُمْ عَلَى مُصَاوَلَةِ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ، فَكَتَبْنَا إِلَيْهِمْ أَنْ لَا يُحْدِثُوا شَيْئًا حَتَّى نُبْرِمَ الْأَمْرَ. قَالَ قَيْسٌ: فَدَخَلْتُ عَلَى امْرَأَتِهِ آزَاذَ، فَقُلْتُ: يَا ابْنَةَ عَمِّي، قَدْ عَرَفْتِ بَلَاءَ هَذَا الرَّجُلِ عِنْدَ قَوْمِكِ، قَتَلَ زَوْجَكِ، وَطَأْطَأَ فِي قَوْمِكِ الْقَتْلَ، وَفَضَحَ النِّسَاءَ، فَهَلْ عِنْدَكِ مُمَالَأَةٌ عَلَيْهِ؟ قَالَتْ: عَلَى أَيِّ أَمْرِهِ؟ قُلْتُ: إِخْرَاجِهِ. قَالَتْ: أَوْ قَتْلِهِ؟ قُلْتُ: أَوْ قَتْلِهِ. قَالَتْ: نَعَمْ، وَاللَّهِ مَا خَلْقَ اللَّهُ شَخْصًا هُوَ أَبْغَضُ إِلَيَّ مِنْهُ، فَمَا يَقُومُ لِلَّهِ عَلَى حَقٍّ، وَلَا يَنْتَهِي لَهُ عَنْ حُرْمَةٍ، فَإِذَا عَزَمْتُمْ فَأَعْلِمُونِي أُخْبِرْكُمْ بِمَا فِي هَذَا الْأَمْرِ. قَالَ: فَأَخْرُجُ فَإِذَا فَيْرُوزُ وَدَاوَذَيْهِ يَنْتَظِرَانِي يُرِيدُونَ أَنْ يُنَاهِضُوهُ. فَمَا اسْتَقَرَّ اجْتِمَاعُهُ بِهِمَا حَتَّى بَعَثَ إِلَيْهِ الْأَسْوَدُ، فَدَخَلَ فِي عَشَرَةٍ مِنْ قَوْمِهِ، فَقَالَ لَهُ: أَلَمْ أُخْبِرْكَ بِالْحَقِّ وَتُخْبِرْنِي بِالْكِذَابَةِ؟ إِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫২৬২
يَقُولُ: يَا سَوْآهْ يَا سَوْآهْ، إِنْ لَمْ تَقْطَعْ مِنْ قَيْسٍ يَدَهُ يَقْطَعْ رَقَبَتَكَ الْعُلْيَا. حَتَّى ظَنَّ قَيْسٌ أَنَّهُ قَاتِلُهُ، فَقَالَ: إِنَّهُ لَيْسَ مِنَ الْحَقِّ أَنْ أَهْلِكَ وَأَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ، فَقَتْلِي أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ مَوْتَاتٍ أُمُوتُهَا كُلَّ يَوْمٍ. فَرَقَّ لَهُ وَأَمَرَهُ بِالِانْصِرَافِ، فَخَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ قَالَ: اعْمَلُوا عَمَلَكُمْ. فَبَيْنَمَا هُمْ وُقُوفٌ بِالْبَابِ يَشْتَوِرُونَ إِذْ خَرَجَ الْأَسْوَدُ عَلَيْهِمْ، وَقَدْ جَمَعَ لَهُ مِائَةً مَا بَيْنَ بَقَرَةٍ وَبَعِيرٍ، فَقَامَ وَخَطَّ خَطًّا وَأُقِيمَتْ مِنْ وَرَائِهِ، وَقَامَ دُونَهَا، فَنَحَرَهَا غَيْرَ مُحَبَّسَةٍ وَلَا مُعَلَّقَةٍ، مَا يَقْتَحِمُ الْخَطَّ مِنْهَا شَيْءٌ، فَجَالَتْ إِلَى أَنْ زَهَقَتْ أَرْوَاحُهَا. قَالَ قَيْسٌ: فَمَا رَأَيْتُ أَمْرًا كَانَ أَفْظَعَ مِنْهُ، وَلَا يَوْمًا أَوْحَشَ مِنْهُ. ثُمَّ قَالَ الْأَسْوَدُ: أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ يَا فَيْرُوزُ؟ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَنْحَرَكَ فَأُتْبِعَكَ هَذِهِ الْبَهِيمَةَ. وَبَوَّأَ لَهُ الْحَرْبَةَ. فَقَالَ لَهُ فَيْرُوزُ: اخْتَرْتَنَا لِصِهْرِكَ، وَفَضَّلْتَنَا عَلَى الْأَبْنَاءِ، فَلَوْ لَمْ تَكُنْ نَبِيًّا مَا بِعْنَا نَصِيبَنَا مِنْكَ بِشَيْءٍ، فَكَيْفَ وَقَدِ اجْتَمَعَ لَنَا بِكَ أَمْرُ الْآخِرَةِ وَالدُّنْيَا؟ فَلَا تَقْبَلْ عَلَيْنَا أَمْثَالَ مَا يَبْلُغُكَ، فَإِنَّا بِحَيْثُ تُحِبُّ، فَرَضِيَ عَنْهُ وَأَمَرَهُ بِقَسْمِ لُحُومِ تِلْكَ الْأَنْعَامِ، فَفَرَّقَهَا فَيْرُوزُ فِي أَهْلِ صَنْعَاءَ، ثُمَّ أَسْرَعَ اللِّحَاقَ بِهِ، فَإِذَا رَجُلٌ يُحَرِّضُهُ عَلَى فَيْرُوزَ وَيَسْعَى إِلَيْهِ فِيهِ، فَاسْتَمَعَ لَهُ فَيْرُوزُ، فَإِذَا الْأَسْوَدُ يَقُولُ: أَنَا قَاتِلُهُ غَدًا وَأَصْحَابِهِ، فَاغْدُ عَلَيَّ بِهِ. ثُمَّ الْتَفَتَ فَإِذَا فَيْرُوزُ، فَقَالَ: مَهْ. فَأَخْبَرَهُ فَيْرُوزُ بِمَا صَنَعَ مِنْ قَسْمِ ذَلِكَ اللَّحْمِ، فَدَخَلَ الْأَسْوَدُ دَارَهُ، وَرَجَعَ فَيْرُوزُ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَأَعْلَمَهُمْ بِمَا سَمِعَ وَبِمَا قَالَ وَقِيلَ لَهُ، فَاجْتَمَعَ رَأْيُهُمْ عَلَى أَنْ يُعَاوِدُوا الْمَرْأَةَ فِي أَمْرِهِ، فَدَخَلَ أَحَدُهُمْ - وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৫২৬৩

পাচ্ছেন, তারা খুব কমই আপনার সাথে রয়েছে ৷ এ অবস্থায় মুসলিম বাহিনীকে আপনার কাছ
থেকে বিচ্ছিন্ন করা ও দুরে প্রেরণ করা আপনার জন্যে কিছুতেই সমীচীন হবে না ৷

তখন খলীফ ৷ বললেন, সেই সভার কসম, যার হাতে আবু বকরের জীবন, আমার যদি
এই বিশ্বাস থাকত যে, হিংস্র জীব-জন্তু আমাকে ছোবল মেরে ছিন্নতিন্ন করে ফেলবে, তা হলেও
আমি উসামার বাহিনীকে প্রেরণ করতাম, যেভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আদেশ করেছেন ৷ এই
জনপদে যদি আমি জ্যি আর একজন সোকও না থাকে, তবুও আমি এ বাহিনী প্রেরণ করবই :
ৰুক্ট্রট্টব্লুষ্টুৰুা , ;প্রু ;; , ;,fl ,ষ্ এ ৰু ণ্ , , ৷ অনুরুপ হাদীস হযরত আয়েশা থেকে উরওয়া
বর্ণনা করেছেন ৷ কাসিম ও উমারা হযরত আয়েশা (বা) থেকে এ বিষয়ে আর একটি বর্ণনা
উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতিকালের সাথে সাথে আরবের সর্বত্র
ধর্ম ত্যাগের হিড়িক পড়ে যায় এবং মুনাফিকরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ৷ তিনি বলেন, আল্লাহর
কসম, আমার উপর তখন এমন উদ্বেগ ও অস্থিরতা চেপে বসে যদি তা কোন সুদৃঢ় পর্বতের
উপরে পতিত হত তবে সে পর্বত ভেঙ্গে খান খান হয়ে যেত ৷ অপর দিকে অন্যান্য সাহাবাদের
অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিল, মনে হত, তরো যেন কোন উন্মুক্ত প্রাতরে বর্ষা রাতের বৃষ্টিতে
ভেজা মেষপাল ৷ আল্লাহর কসম, মুহাম্মদ (সা)-এর সাহাবাপণ যে কোন বিষয়ে মত বিরোধ
করলে আমার পিতা তাতে অংশগ্রহণ করতেন ও নিয়ন্ত্রণে আনতেন ৷ অতঃপর তিনি হযরত
উমরের কথা উল্লেখ করে বলেন, যে লোক উমরকে দেখেছে সে জানে যে, তাকে সৃষ্টি করা
হয়েছিল ইসলামকে মুক্ত-স্বাধীন করার জন্যে ৷ আল্লাহর কসম, তিনি ছিলেন একজন সুদক্ষ
নির্মাতা তিনি সব কিছুকে নিজের করায়ত্বে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম ছিলেন ৷

হাফিয বায়হাকী আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন : সে আল্লাহর কসম, যিনি
ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই, আবু বকর যদি খলীফা না হভেন, তাহলে আল্লাহ্র ইবাদত
করার মত অবস্থা থাকত না ৷ এ কথা তিনি তিনবার বললেন ৷ এক ব্যক্তি বলল, ওহে আবু
হুরায়রা, থামুন ৷ আবুহুরায়রা বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাতশ’ সৈন্যের এক বাহিনী গঠন করে
উসামার নেতৃত্বে সিরিয়া অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ বাহিনী যখন বুখাশাব’ নামক স্থানে পৌছে
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ইনতিকাল হয় ৷ সাথে সাথে মদীনায় চারপাশের আরব গোত্রগুলো
ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে ৷ তখন সাহাবাপণ সমবেত হয়ে হযরত আবুবকরকে বললেন, আপনি
বাহিনীকে ফিরিয়ে আসুন! আপনি রোমান সাম্রাজ্যের দিকে সৈন্য প্রেরণ করছেন, অথচ মদীনায়
চারপাশের লোকজন মুরতাদ হয়ে যাচ্ছে ৷ হযরত আবু বকর বললেন :

সেই সত্তার কসম, যিনি একক-অদ্বিভীয়, অবস্থা যদি এমনও হয় যে, কুকুর পাল এসে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিবিগণের পা টেনে নিয়ে যাচ্ছে, তবুও আমি যে সৈন্য বাহিনীকে ফিরিয়ে
আনব না, যাদেরকে রাসুলুস্লাহ্ (সা) নিজে অভিযানে পাঠিয়ে গেছেন ৷ আর আমি সেই ঝাণ্ডার
বাধন খুলতে পারব না, যে ঝাণ্ডা তিনি নিজে বেধে দিয়েছেন ৷ তারপর তিনি উসামাকে রওয়ানা
করিয়ে দেন ৷ সে বাহিনী যখনই এমন কোন গোত্রের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করত যারা
মুরতাদ হতে যাচ্ছিল, তখনই তারা বলাবলি করত যে, ওদের যদি শক্তি নাই থেকে থাকে
তাহলে এমন একটা বাহিনী কিভাবে তাদের থেকে বেরিয়ে আসছে? আমরা বরং তাদেরকে
রোমানদের মুকাবিলার জন্যে ছেড়ে দেব ৷ তারপর তারা রোমানদের সাথে মুকারিলা করলেন ৷
মুসলমানপণ রোমান বাহিনীকে পরাজিত করলেন এবং তাদের অনেককে হত্যাও করলেন এবং


فَيْرُوزُ - إِلَيْهَا، فَقَالَتْ: إِنَّهُ لَيْسَ مِنَ الدَّارِ بَيْتٌ إِلَّا وَالْحَرَسُ مُحِيطُونَ بِهِ، غَيْرَ هَذَا الْبَيْتِ، فَإِنَّ ظَهْرَهُ إِلَى مَكَانِ كَذَا وَكَذَا مِنَ الطَّرِيقِ، فَإِذَا أَمْسَيْتُمْ فَانْقُبُوا عَلَيْهِ مِنْ دُونِ الْحَرَسِ، وَلَيْسَ مِنْ دُونِ قَتْلِهِ شَيْءٌ، وَإِنِّي سَأَضَعُ فِي الْبَيْتِ سِرَاجًا وَسِلَاحًا. فَلَمَّا خَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا تَلَقَّاهُ الْأَسْوَدُ فَقَالَ لَهُ: مَا أَدْخَلَكَ عَلَى أَهْلِي؟ وَوَجَأَ رَأْسَهُ، وَكَانَ الْأَسْوَدُ شَدِيدًا، فَصَاحَتِ الْمَرْأَةُ فَأَدْهَشَتْهُ عَنْهُ، وَلَوْلَا ذَلِكَ لَقَتَلَهُ، وَقَالَتِ: ابْنُ عَمِّي جَاءَنِي زَائِرًا. فَقَالَ: اسْكُتِي لَا أَبَا لَكِ، قَدْ وَهَبْتُهُ لَكِ. فَخَرَجَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: النِّجَاءَ النِّجَاءَ. وَأَخْبَرَهُمُ الْخَبَرَ، فَحَارُوا مَاذَا يَصْنَعُونَ؟ فَبَعَثَتِ الْمَرْأَةُ إِلَيْهِمْ تَقُولُ لَهُمْ: لَا تَنْثَنُوا عَمَّا كُنْتُمْ عَازِمِينَ عَلَيْهِ. فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَيْرُوزُ الدَّيْلَمِيُّ فَاسْتَثْبَتَ مِنْهَا الْخَبَرَ، وَدَخَلُوا إِلَى ذَلِكَ الْبَيْتِ فَنَقَبُوا مِنْ دَاخِلِهِ بَطَائِنَ ; لِيَهُونَ عَلَيْهِمُ النَّقْبُ مِنْ خَارِجٍ، ثُمَّ جَلَسَ عِنْدَهَا جَهْرَةً كَالزَّائِرِ، فَدَخَلَ الْأَسْوَدُ فَقَالَ: وَمَا هَذَا؟ فَقَالَتْ: إِنَّهُ أَخِي مَنِ الرَّضَاعَةِ، وَهُوَ ابْنُ عَمِّي. فَنَهَرَهُ وَأَخْرَجَهُ، فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ نَقَبُوا ذَلِكَ الْبَيْتَ فَدَخَلُوا فَوَجَدُوا فِيهِ سِرَاجًا تَحْتَ جَفْنَةٍ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ فَيْرُوزُ الدَّيْلَمِيُّ وَالْأَسْوَدُ نَائِمٌ عَلَى فِرَاشٍ مِنْ حَرِيرٍ، قَدْ غَرِقَ رَأْسُهُ فِي جَسَدِهِ، وَهُوَ سَكْرَانُ يَغُطُّ، وَالْمَرْأَةُ جَالِسَةٌ عِنْدَهُ، فَلَمَّا قَامَ فَيْرُوزُ عَلَى الْبَابِ أَجْلَسَهُ شَيْطَانُهُ وَتَكَلَّمَ عَلَى لِسَانِهِ - وَهُوَ نَائِمٌ مَعَ ذَلِكَ يَغُطُّ - فَقَالَ: مَا لِي وَمَا لَكَ يَا فَيْرُوزُ؟ فَخَشِيَ إِنْ رَجَعَ أَنْ يَهْلِكَ وَتَهْلِكَ الْمَرْأَةُ، فَعَاجَلَهُ وَخَالَطَهُ، وَهُوَ مِثْلُ الْجَمَلِ، فَأَخَذَ بِرَأْسِهِ فَدَقَّ عُنُقَهُ، وَوَضَعَ رُكْبَتَيْهِ فِي ظَهْرِهِ حَتَّى قَتَلَهُ، ثُمَّ قَامَ لِيَخْرُجَ إِلَى أَصْحَابِهِ لِيُخْبِرَهُمْ، فَأَخَذَتِ الْمَرْأَةُ بِذَيْلِهِ
পৃষ্ঠা - ৫২৬৪
وَقَالَتْ: أَيْنَ تَذْهَبُ عَنْ حُرْمَتِكُمْ؟ فَظَنَّتْ أَنَّهُ لَمْ يَقْتُلْهُ، فَقَالَ: أَخْرُجُ لِأُعْلِمَهُمْ بِقَتْلِهِ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ لِيَحْتَزُّوا رَأْسَهُ، فَحَرَّكَهُ شَيْطَانُهُ فَاضْطَرَبَ، فَلَمْ يَضْبُطُوا أَمْرَهُ حَتَّى جَلَسَ اثْنَانِ عَلَى ظَهْرِهِ، وَأَخَذَتِ الْمَرْأَةُ بِشِعْرِهِ، وَجَعَلَ يُبَرْبِرُ بِلِسَانِهِ، فَاحْتَزَّ الْآخَرُ رَقَبَتَهُ، فَخَارَ كَأَشَدِّ خُوَارِ ثَوْرٍ سُمِعَ قَطُّ، فَابْتَدَرَ الْحَرَسُ إِلَى الْمَقْصُورَةِ، فَقَالُوا: مَا هَذَا؟ ! مَا هَذَا؟ ! فَقَالَتِ الْمَرْأَةُ: النَّبِيُّ يُوحَى إِلَيْهِ. فَرَجَعُوا، وَجَلَسَ قَيْسٌ وَدَاذَوَيْهِ وَفَيْرُوزُ يَأْتَمِرُونَ كَيْفَ يُعْلِمُونَ أَشْيَاعَهُمْ، فَاتَّفَقُوا عَلَى أَنَّهُ إِذَا كَانَ الصَّبَاحُ يُنَادُونَ بِشِعَارِهِمُ الَّذِي بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا كَانَ الصَّبَاحُ قَامَ أَحَدُهُمْ، وَهُوَ قَيْسٌ، عَلَى سُورِ الْحِصْنِ فَنَادَى بِشِعَارِهِمْ، فَاجْتَمَعَ الْمُسْلِمُونَ وَالْكَافِرُونَ حَوْلَ الْحِصْنِ، فَنَادَى قَيْسٌ - وَيُقَالُ: وَبَرُ بْنُ يُحَنِّسَ - بِالْأَذَانِ: أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولَ اللَّهِ، وَأَنَّ عَبْهَلَةَ كَذَّابٌ. وَأَلْقَى إِلَيْهِمْ رَأْسَهُ، فَانْهَزَمَ أَصْحَابُهُ، وَتَبِعَهُمُ النَّاسُ يَأْخُذُونَهُمْ وَيَرْصُدُونَهُمْ فِي كُلِّ طَرِيقٍ يَأْسِرُونَهُمْ، وَظَهَرَ الْإِسْلَامُ وَأَهْلُهُ، وَتَرَاجَعَ نُوَّابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَعْمَالِهِمْ، وَتَنَازَعَ أُولَئِكَ الثَّلَاثَةُ فِي الْإِمَارَةَ، ثُمَّ اتَّفَقُوا عَلَى مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ، وَكَتَبُوا بِالْخَبَرِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ أَطْلَعَهُ اللَّهُ عَلَى الْخَبَرِ مِنْ لَيْلَتِهِ. كَمَا قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ عَنْ أَبِي الْقَاسِمِ الشَّنَوِيِّ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «أَتَى الْخَبَرُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ السَّمَاءِ اللَّيْلَةَ الَّتِي قُتِلَ فِيهَا الْعَنْسِيُّ لِيُبَشِّرَنَا، فَقَالَ: " قُتِلَ الْعَنْسِيُّ الْبَارِحَةَ، قَتَلَهُ رَجُلٌ مُبَارَكٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتٍ
পৃষ্ঠা - ৫২৬৫
مُبَارَكِينَ ". قِيلَ: وَمَنْ؟ قَالَ: " فَيْرُوزُ، فَازَ فَيْرُوزُ» . وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ مُدَّةَ مُلْكِهِ مُنْذُ ظَهَرَ إِلَى أَنْ قُتِلَ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ. وَيُقَالُ: أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنِ الْمُسْتَنِيرِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنِ الضِّحَاكِ، عَنْ فَيْرُوزَ قَالَ: قَتَلْنَا الْأَسْوَدَ وَعَادَ أَمْرُنَا كَمَا كَانَ، إِلَّا أَنَّا أَرْسَلْنَا إِلَى مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ فَتَرَاضَيْنَا عَلَيْهِ، فَكَانَ يُصَلِّي بِنَا فِي صَنْعَاءَ، فَوَاللَّهِ مَا صَلَّى بِنَا إِلَّا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ حَتَّى أَتَانَا الْخَبَرُ بِوَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَانْتَقَضَتِ الْأُمُورُ، وَأَنْكَرَنَا كَثِيرًا مِمَّا كُنَّا نَعْرِفُ، وَاضْطَرَبَتِ الْأَرْضُ. وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ خَبَرَ الْعَنْسِيِّ جَاءَ إِلَى الصِّدِّيقِ فِي أَوَاخِرَ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ بَعْدَ مَا جَهَّزَ جَيْشَ أُسَامَةَ، وَقِيلَ: بَلْ جَاءَتِ الْبِشَارَةُ إِلَى الْمَدِينَةِ صَبِيحَةَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَالْأَوَّلُ أَشْهَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ لَمْ يَجِئْهُمْ فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِمَصَالِحِهِمْ وَاجْتِمَاعِ كَلِمَتِهِمْ وَتَأْلِيفِ مَا بَيْنَهُمْ وَالتَّمَسُّكِ بِدِينِ الْإِسْلَامِ إِلَّا الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَسَيَأْتِي إِرْسَالُهُ إِلَيْهِمْ مَنْ يُمَهِّدُ الْأُمُورَ الَّتِي اضْطَرَبَتْ فِي بِلَادِهِمْ وَيُقَوِّي أَيْدِيَ الْمُسْلِمِينَ، وَيُثَبِّتُ أَرْكَانَ دَعَائِمِ الْإِسْلَامِ فِيهِمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
পৃষ্ঠা - ৫২৬৬

অক্ষতভাবে ফিরে আসলেন ৷ তারা ইসলামের উপর অটল থাকলেন ৷ এ হাদীসের সনদের রাবী
আব্বাদ ইবন কান্থীর-যিনি বারমিকী নামে পরিচিত ৷ তার বর্ণনা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু এই নামে
আর একজন আব্বাদ ইবন কাহীর আল বসরী আছু ছাকাফী আছেন, তার বর্ণনা গ্রহণযোগ্য
নয় ৷ ,
সায়ফ ইবন উমার হাসন বসরী থেকে বর্ণনা করেন, আবু বকর (রা) যখন উসামার
বাহিনীকে অভিযানে রওয়ানা করার জন্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন, তখন জনৈক আনসারী হযরত
উমরকে বললেন, আপনি খলীফাকেবলুন-তিনি যেন উসামাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে আমীর
নিযুক্ত করেন ৷ হযরত উমর খলীফাকে এ কথা জানালে খলীফা তার দাড়ি ধরে বললেন, হে
ইবন খাত্তাব! তোমার জন্যে দুর্ভোগ, আমি কি রাসুল (সা);এর নিযুক্ত আমীরকে বাদ দিয়ে
অন্য কাউকে আমীর বানাবাে? তারপর তিনি নিজে জুরফ এলাকায় অবস্থানরত উসামার
বাহিনীর নিকট যান এবং তাদেরকে রওয়ানা হবার নির্দেশ দেন ৷ তিনি নিজেও সৈন্যদের সাথে
সাথে চলেন ৷ তিনি চলছিলেন পায়ে হেটে আর উসাম৷ যাচ্ছিলেন বাহনে চড়ে ৷ আব্দুর রহমান
ইবন আওফ হযরত সিদ্দীকের বাহন টেনে নিচ্ছিলেন ৷ উসাম৷ আরজৰুকরলেন, হে রাসুলুল্লাহ্র
খলীফা৷ হয় আপনি বাহনে আরোহণ করুন, না হয় আমি নীচে অবতরণ করি ৷ খলীফা
বললেন, আল্লাহ্র কসম, তুমি অবতরণ করবে না, আর আমিও বাহনে আরোহণ করব না ৷
এরপর হযরত সিদ্দীক উসামার নিকট উমার ইবন খাত্তাবকে ছেড়ে দেয়ার জন্যে বলেন ৷ হযরত
উমারও সৈন্য বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ক্তছিলেন ৷ উসাম৷ তাকে ছেড়ে দিলেন ৷ এ কারণেই পরবর্তীকালে
হযরত উমর যখনই উসামাকে দেখতে ন তখন এই বলে সালাম করতেন যে, হে আমীর!
আপনার উপর সালামং : » ণ্১ধ্রু৷ ৷ ৷

ভগুনবী আসওদ আল-আনাসীৱ হত্যা প্রসঙ্গ

ইবন ণ্জরীর বলেন, আমর ইবন শায়বা পাস্সান ইবন আবদুল হামিদ প্রমুখের
শায়খগণের বরাতে বর্ণনা করেন৷ তারা“ বলেন, আবু বকর (বা) রবিউল আউয়ালের শেষ দিকে
উসাম৷ ইবন যায়দের বাহিনীকে প্রেরণ করেন এবং তারপর আসওদের হত্যার জন্যে বাহিনী
প্রেরণ করেন ৷ এটাই ছিল আবু বকরের আমলের প্রথম বিজয়-যা তার মদীনায় অবস্থান করা
অবস্থায় সংঘ ঘটিত হয়েছিল ৷ পুর্বেই আমরা উল্লেখ করেছি যে, ইয়ামান রাজ্য হিমৃয়ারের
শাসনাধীনে ছিল ৷ তাদের রাজন্যবর্গকে তৃব্ব৷ বলা হত ৷৩ তারপর ইথিওপীয় রাজা সৈন্যসহ
দু’জন সেনাপতিকে সেখানে প্রেরণ করে ৷ তারা হল ং ১ আবরাহ৷ আল আশরাম এবং ২
আরইয়াত ৷ হিমৃইয়ার রাজ্যের পতন ঘটিয়ে তার৷ ইয়ামানকে ইথিওপীয় রাজ্যের অধীনস্থ করে
দেয় ৷ তারপর এই দুই সেনাপতির মধ্যে দ্বন্দুট্রু দেখা দেয় ৷ আরইয়াত নিহত হয় এবং আবরাহা
ক্ষমতা দখল করে ৷ এরপর আবরাহ৷ সেখানে একটি সুউচ্চ গীর্জা নির্মাণ করে-যার নাম রাখা
হয় আল-আনিস’ ৷ এ গীর্জা নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিলণ্আরবের হজ্জ সমাবেশকে ইয়ামনে
স্থানান্তর করা ৷ জনৈক কুরায়শ এ বিষয়ে অবগত হয়ে গীর্জায় প্রবেশ করে এবং তা অপবিত্র
করে রাখে ৷ এ সংবাদ আবরাহার নিকট পৌছলে সে মক্কার ঘরকে ধ্বং স করার শপথ গ্রহণ
করে ৷ এরপর সৈন্য সামন্ত ও মাহমুদ নামক হাতিসহ তারা মক্কার দিকে অগ্রসর হয় ৷ এর
পরিণতি কী হয়েছিল কুরআনে আল্লাহ্ত তা বর্ণনা করেছেন ৷ এ গ্রন্থে যথাস্থানে বিশদভাবে সে


[تَصَدِّي الصِّدِّيقِ لِقِتَالِ أَهْلِ الرِّدَّةِ] فَصْلٌ فِي تَصَدِّي الصِّدِّيقِ لِقِتَالِ أَهْلِ الرِّدَّةِ وَمَانِعِي الزَّكَاةِ. قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا تُوُفِّيَ ارْتَدَتْ أَحْيَاءٌ كَثِيرَةٌ مِنَ الْأَعْرَابِ، وَنَجَمَ النِّفَاقُ بِالْمَدِينَةِ، وَانْحَازَ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ بَنُو حَنِيفَةَ وَخَلْقٌ كَثِيرٌ بِالْيَمَامَةِ، وَالْتَفَتَ عَلَى طُلَيْحَةَ الْأَسَدِيِّ بَنُو أَسَدٍ وَطَيِّئٌ، وَبَشَرٌ كَثِيرٌ أَيْضًا، وَادَّعَى النُّبُوَّةَ أَيْضًا كَمَا ادَّعَاهَا مُسَيْلِمَةُ الْكَذَّابُ، وَعَظُمَ الْخَطْبُ وَاشْتَدَّتِ الْحَالُ، وَنَفَّذَ الصِّدِّيقُ جَيْشَ أُسَامَةَ، فَقَلَّ الْجُنْدُ عِنْدَ الصِّدِّيقِ، فَطَمِعَتْ كَثِيرٌ مِنَ الْأَعْرَابِ فِي الْمَدِينَةِ، وَرَامُوا أَنْ يَهْجُمُوا عَلَيْهَا، فَجَعَلَ الصِّدِّيقُ عَلَى أَنْقَابِ الْمَدِينَةِ حُرَّاسًا يَبِيتُونَ بِالْجُيُوشِ حَوْلَهَا ; فَمِنْ أُمَرَاءِ الْحَرَسِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَطَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ، وَجَعَلَتْ وُفُودُ الْعَرَبِ تَقْدَمُ الْمَدِينَةَ، يُقِرُّونَ بِالصَّلَاةِ وَيَمْتَنِعُونَ مِنْ أَدَاءِ الزَّكَاةِ، وَمِنْهُمْ مَنِ امْتَنَعَ مِنْ دَفْعِهَا إِلَى الصِّدِّيقِ، وَذَكَرَ أَنَّ مِنْهُمْ مَنِ احْتَجَّ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ إِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَهُمْ} [التوبة: 103] . قَالُوا: فَلَسْنَا نَدْفَعُ زَكَاتَنَا إِلَّا إِلَى مَنْ صَلَاتُهُ سَكَنٌ لَنَا. وَأَنْشَدَ بَعْضُهُمْ:
পৃষ্ঠা - ৫২৬৭

সম্রাটের পত্র পেয়ে বাযান দু’জন বিচক্ষণ-বুদ্ধিমান সেনাপতিকে প্রেরণ করেন ৷ তাদেরকে
বলে দেন যে, তোমরা এ সােকটিকে খুজে বের করবে এবং তদন্ত করে দেখবে তার বিষয়টা
কী? যদি দেখ যে, সে মিথ্যাবাদী তা হলে তাকে বন্দী করে সম্রাটের কাছে নিয়ে যাবে ৷ আর
যদি সে মিথ্যাবাদী না হয়, তবে তার তথ্যাবলী উত্তমরুপে সংগ্রহ করে আমার নিকট ফিরে
এসো ৷ আমি তার বিষয়টা ভেবে দেখব ৷ সেনাপতিদ্বয় আরবে এসে মদীনায় উপস্থিত হল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তারা অতি উত্তম অবস্থায় গেল এবং আশ্চর্যজনক ঘটনা তার থেকে প্রকাশ
হতে দেখল ৷ এক মাস তারা মদীনায় অবস্থান করে এবং যেসব তথ্য তাদের জানা দরকার
ছিল , তা পেয়ে গেল ৷ তারপর তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উত্তর প্রার্থনা করল ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাদেরকে বললেন, তোমরা তোমাদের গভর্ণরের কাছে ফিরে যাও এবং বল, আমার
মনিব গত রাত্রে তার মনিবকে হত্যা করে ফেলেছেন ৷ এ কথায় তারা নরম হয়ে দ্রুত ইয়ামনে
ফিরে গিয়ে বাযামের নিকট তা জন ৷ল ৷ বাযাম বললেন, যেই রাত্রের কথা তিনি বলেছেন সেই
রাত্রটি হিসেব করে রাখ ৷ তার এ কথা যদি সত্য হয়, তাহলে তিনি অবশ্যই নবী হবেন ৷
কয়েক দিনের মধ্যে পারস্য সম্রাটের পক্ষ থেকে চিঠি এল যে, কিসরা অমুক রাত্রে নিহত
হয়েছে-অর্থাৎ যে রাত্রের কথা নবী করীম (সা) বলেছিলেন সেই রাত্রে ৷ আপন পুত্রদের হাতেই
সে নিহত ৩হয়েছে ৷ এ সম্পর্কে জনৈক করি বলেছেনং


অর্থাৎ কিসরাকে তার পুত্ররা তরবারি দ্বারা খণ্ড-বিখও করল, যেমনিভাবে খণ্ড বিখও করা

হয় যা স ৷ একটি দিনে মৃত্যু এসে তার পরিসমাপ্তি ঘটাল ৷ আর প্রতিটি পুর্ণতারই রয়েছে
সমা মাপ্তি ৷

কিসরার পতনের পর তার পুত্র য়ায্দ গির্দ’ সিংহাসনে আরোহণ করেন ৷ তিনি নিজের
পক্ষে রায় আত গ্রহণের জন্যে বাযামের নিকট চিঠি লেখেন ৷ ঐ চিঠিতে তিনি উল্লেখ করলেন
যে, আরবের সেই লোকটির সাথে সু-সম্পর্ক বহাল রাখবে, তাকে সম্মান দেখাবে, ণ্ব-আদবী
করবে না ৷ এর দ্বারা বাযাম ও ইয়ামানে বসবাসরত পারস্যবাসীদের অন্তরে ইসলামের প্রতি
ভক্তি ভালবাসার উদ্রেক হয় ৷ বাযাম রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট দুত মারফত তার ইসলাম
গ্রহণের কথা জানিয়ে দেন ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)ও দুতের মাধ্যমে তাকে গোটা ইয়ামানের
শাসনভার অর্পণ করেন ৷ মৃত্যু পর্যন্ত তাকে তিনি এ পদ থেকে অপসারণ করেননি ৷ বাযামের

মৃত্যুর পর তার পুত্র শাহ্র ইবন বাযামকে সানআসহ কয়েকটি প্রদেশের শাসন কর্তৃত্ব দেওয়া
হয় ৷ দেশের অন্যান্য প্রদেশগুলাের জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কয়েকজন সাহাবাকে প্রেরণ করেন ৷
স্থিজবী দশম সালের প্রথম দিকে আলী ও খালিদকে এবং পরে মুআয ও আবু মুসা
আশআরীকে প্রেরণ করেন ৷ এবং ইয়ামানের কর্মকর্তাদেরকে সাহাবাগণের জামাত থেকে পৃথক
করে দেন ৷ সুতরাং শাহ্র ইবন বাযাম ও আমির ইবন শাহ্র আল হামাদানীকে হামাদানের
দায়িত্ব দেন ৷ আবু মুসা আশআরীকে মাআরিবের এবং খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আসকে
আমরে নাজরা, রাকী ও যাবীদের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ ইয়ালা ইবন উমায়্যাকে জুনদে,
তাহির ইবন আবী হালাকে ইন ও আশ আরীনদের উপর আমর ইবন হারামকে নাজরানে,




أَطَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ إِذْ كَانَ بَيْنَنَا ... فَوَاعَجَبًا مَا بَالُ مُلْكِ أَبِي بَكْرِ وَقَدْ تَكَلَّمَ الصَّحَابَةُ مَعَ الصِّدِّيقِ فِي أَنْ يَتْرُكَهُمْ وَمَا هُمْ عَلَيْهِ مِنْ مَنْعِ الزَّكَاةِ وَيَتَأَلَّفَهُمْ حَتَّى يَتَمَكَّنَ الْإِيمَانُ فِي قُلُوبِهِمْ، ثُمَّ هُمْ بَعْدَ ذَلِكَ يُزَكُّونَ، فَامْتَنَعَ الصِّدِّيقُ مِنْ ذَلِكَ وَأَبَاهُ. وَقَدْ رَوَى الْجَمَاعَةُ فِي كُتُبِهِمْ سِوَى ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لِأَبِي بَكْرٍ: عَلَامَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، فَإِذَا قَالُوهَا عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلَّا بِحَقِّهَا» "؟ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عِنَاقًا - وَفِي رِوَايَةٍ: عِقَالًا - كَانُوا يُؤَدُّونَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَأُقَاتِلَنَّهُمْ عَلَى مَنْعِهَا، إِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ، وَاللَّهِ لَأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ. قَالَ عُمَرُ: فَمَا هُوَ إِلَّا أَنْ رَأَيْتُ اللَّهَ قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ لِلْقِتَالِ، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ. قُلْتُ: وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ} [التوبة: 5] . وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ ": «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ৫২৬৮

যিয়াদ ইবন লাবীদকে হাজরামাওতে, উকাশা ইবন মওর ইবন আখথারকে সাকাসিকে এবং
মুআবিয়া ইবন কিনৃদাকে সুকুনে শাসনকর্তারুপে প্রেরণ করেন ৷ মুআজ ইবন জাবালকে
ইয়ামান ও হাদ্রামাওত শহর দু’টির শিক্ষকরুপে পাঠান ৷ তিনি এক শহর থেকে অন্য শহরে
ঘুরে ঘুরে মানুষকে শিক্ষা দিতে থাকেন ৷ সায়ফ ইবন উমর এ সব তথ্য বর্ণনা করেছেন ৷ এ
সব কিছু রাসুলুল্লাহ্ (সা) করেছেন দশম হিজরীতে তার জীবনের শেষ পর্যায়ে ৷ ইয়ামান দেশের
যখন এই অবস্থা, তখন অভিশপ্ত আসওদ আল-আনাসীর আবির্ভাব ঘটে ৷

আসওদ অনোসীর বিদ্রোহ

আসওদ আনাসীর আসল নাম আবহালা ইবন কাব ইবন গাওছ ৷ সে ছিল কাহ্ফ হানান
নামক শহরের অধিবাসী ৷ তার সৈন্য সংখ্যা ছিল সাতশ’ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিযুক্ত
শাসনকর্তাদের নিকট সে লিখলেন : হে অত্যাচারী দল, আমাদের প্রিয় ভুমির যে অংশ তোমরা
দখল করেছ তা আমাদেরকে ফেরত দাও, আমাদের যা কিছু ক্ষতি করেছ তা পুরণ করে দাও !
কারণ, এ সবের আমরইি অধিকারী ৷ তোমাদের যা আছে তাই নিয়ে তোমরা থাক ৷

অতঃপর বিদ্রোহের পতাকা উত্তোলন করে সে নাজরান অভিমুখে রওয়ানা হল এবং দশ
দিনের মাথায় তা দখল করে নিল ৷ এরপর সে সানআর দিকে যাত্রা করল ৷ সেখানে শাহ্র
ইবন বাযামের সাথে তার মুকাবিলা হয় ৷ যুদ্ধে শাহ্র ইবন বাযাম পরাজিত ও নিহত হয় ৷
আসওদ শাহ্রের বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় ৷ বিদ্রোহ ঘোষণার পচিশ দিনের মাথায় সে
সানআ দখল করে নেয় ৷ মুআয ইবন জাবাল (রা) সেখান থেকে পালিয়ে এসে আবু মুসা
আশআরীর সাথে মিলিত হন এবং উত্তরে একত্রে হদ্বোমাওতে চলে যান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নিয়ােগকৃত প্রশাসকগণ তাহির (ইবন আবী হলো) এর নিকট গিয়ে সমবেত হন এবৎউমর
ইবন হারাম ও খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আস মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন ৷ সমগ্র ইয়ামানে
আসওদ আনাসীর ক্ষমতা সুদৃঢ় হয় ৷ গোটা রাজ্যে তার দৌরাত্ম ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে ৷
শাহ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় আসওদের সৈন্য সংখ্যা ছিল সাতশ’ অশ্বারোহী ৷ আসওদ
আনাসীর সেনাধ্যক্ষ ছিল : ১ কায়স ইবন আবদে ইয়াপুছ, ২ মুআবিয়া ইবন কায়স, ৩
যায়ীদ ইবন মুহ্রিম ইবন হিসৃনুল হারিহী ও : য়াযীদ ইবনুল আফকাল আযদী ৷ তার শক্তি
সু-সংহত হল এবং কঠােরভাবে সে দেশ শাসন করতে থাকল ৷ ফলে ইয়ামানের জনগণ ও
সেখানকার অনেক মুসলিম কর্মচারী মুরতাদ হয়ে যায় ৷ আর খাটি মুসলমানপণ সেখানে
তাকিয়্যার (আত্মরক্ষা) কৌশল অবলম্বন করেন ৷ মায্হাজে আসওদের খলীফা ছিল আমর ইবন
মাদীকারাব ৷ জুনৃদের দায়িত্ব সে কায়স ইবন আবদে ইয়াপুছকে এবং আবনায়ের দায়িত্ব ফীরুয
আদ দায়লামী ও দাযবিয়াকে দান করে ৷ আসওদ আনাসীশাহ্র ইবনবাযামের সুন্দরী শ্রী
ধ্আযাজ্ব-কে বিবাহ করে ৷ সে ছিল ফীরুয দড়ায়লামীর চাচাত বোন ৷ এতদসত্বেও ছিল
আল্লাহ্-রাসুলের প্রতি ঈমান পােষণকারী খাটি মুসলিম, পুণ্যবতী নারী ৷

সায়র্ফ ইবন আমর লেখেন,রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট যখন আসওদ আনাসীর খবর
পৌছে তখন তিনি ওবার ইবন ইয়াহ্নাস দায়লামী নামক জনৈক দুতের মাধ্যমে একটি পত্র
প্রেরণ করেন ৷ এ পত্রে তিনি ইয়ামানের মুসলমানদেরকে আসওদ আনাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে
ও তাকে নির্মুল করতে নির্দেশ দেন ৷ হযরত মুআয ইবন জাবাল এ চিঠি পেয়ে যুদ্ধ চালাবার


وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ» . وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ ": «بُنِي الْإِسْلَامُ عَلَى خَمْسٍ ; شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَحَجِّ الْبَيْتِ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ» . وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقٍ، عَنْ شَبَابَةَ بْنِ سَوَّارٍ، ثَنَا عِيسَى بْنُ يَزِيدَ الْمَدِينِيُّ، حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ قَالَ: لَمَّا كَانَتِ الرِّدَّةُ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فِي النَّاسِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَى فَكَفَى، وَأَعْطَى فَأَغْنَى، إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْعِلْمُ شَرِيدٌ، وَالْإِسْلَامُ غَرِيبٌ طَرِيدٌ، قَدْ رَثَّ حَبْلُهُ، وَخَلُقَ عَهْدُهُ، وَضَلَّ أَهْلُهُ مِنْهُ، وَمَقَتَ اللَّهُ أَهْلَ الْكِتَابِ فَلَا يُعْطِيهِمْ خَيْرًا لِخَيْرٍ عِنْدَهُمْ، وَلَا يَصْرِفُ عَنْهُمْ شَرًّا لِشَرٍّ عِنْدَهُمْ، قَدْ غَيَّرُوا كِتَابَهُمْ، وَأَلْحَقُوا فِيهِ مَا لَيْسَ مِنْهُ، وَالْعَرَبُ الْأُمِّيُّونَ صِفْرٌ مِنَ اللَّهِ لَا يَعْبُدُونَهُ وَلَا يَدْعُونَهُ، فَأَجْهَدَهُمْ عَيْشًا، وَأَضَلَّهُمْ دِينًا، فِي ظَلَفٍ مِنَ الْأَرْضِ مَعَ مَا فِيهِ مِنَ السَّحَابِ، فَجَمَعَهُمُ اللَّهُ بِمُحَمَّدٍ وَجَعَلَهُمُ الْأُمَّةَ الْوُسْطَى، نَصَرَهُمْ بِمَنِ اتَّبَعَهُمْ، وَنَصَرَهُمْ عَلَى غَيْرِهِمْ، حَتَّى قَبَضَ اللَّهُ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَكِبَ مِنْهُمُ الشَّيْطَانُ مَرْكَبَهُ الَّذِي أَنْزَلَهُ عَلَيْهِ، وَأَخَذَ بِأَيْدِيهِمْ، وَبَغَى هَلَكَتَهُمْ {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ} [آل عمران: 144]
পৃষ্ঠা - ৫২৬৯


এরপর আমি আসওদের শ্রী আযায এর নিকট গিয়ে বললাম, হো চাচাত বোন ! তুমি কি
দেখতে পাচ্ছ এ ণ্লাকটি তোমার সম্প্রদায়ের জন্যে কত বড় বিপদের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে ৷
সে তোমার স্বামীকে হত্যা করেছে ৷ তোমার সম্প্রদায়ের মধ্যে হত্যাযজ্ঞ ছড়িয়ে দিয়েছে ৷
নারীদের ইজ্জত লুন্ঠন করেছে ৷ এখন তার বিরুদ্ধে তোমার কোন প্রতিশোধ ম্পৃহা আছে কি?
আযায বললেন, তা কী উপায়ে? আমি বললাম, ক্ষমতা থেকে উৎখাতের মাধ্যমে ৷ তিনি
বললেন, নাকি হত্যার মাধ্যমে? আমি বললাম, হী, হত্যাও হতে পারে ৷ তিনি বললেন, তা
হলে তাই করা আল্লাহ্র কসম, আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে আমার নিকট তার চাইতে অধিক ঘৃণার
পাত্র আর কেউ নেই ৷ আল্লাহর অধিকার ক্ষুগ্ন হওয়ার ও তার মর্যাদা নষ্ট হওয়ার কোন ভয়
নেই ৷ তোমরা যখন এ কাজ করতে দৃঢ়সংকল্প হবে তখন আমাকে জানাবে, আমি
তােমাদেরকে বলে দেব, কীভাবে এ কাজ সম্পন্ন করতে হবে ৷ কায়স বলেন, এরপর আমি বের
হয়ে আসলাম ৷ দেখলাম, ফীরুয ও দাযবিয়া আমার অপেক্ষা করছে এবং তার উপর আক্রমণ
করার পায়তারা করছে ৷ তাদের সাথে অবস্থান করার মধ্যেই আসওদ সংবাদ পাঠাল এবং তার
গোত্রের সব ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হল ৷ সে বলল, আমি তােমাদেরকে যথার্থ
বলেছিলাম, অথচ তুমি আমাকে মিথ্যা সংবাদ দিয়েছ ৷ সে (জিন) তো বলছে-হে অমঙ্গল,
এস হে অম্রঙ্গল! কায়সের হাত যদি কেটে দিতে না পার তাহলে সে তোমার গর্দান উড়িয়ে
দেবে ৷ তখন কায়স ভাবলেন, সে-ই তাকে হত্যা করে ছাড়বে ৷ তাই তিনি বললেন, এটা সত্য
নয় ৷ আপনি আল্লাহ্র রাসুল হয়ে আমাকে হত্যা করবেন ৷ তাহলে আমার নিহত হয়ে যাওয়াই
প্ৰতিদিনের মৃত্যুর চাইতে উত্তম ৷ আসওদের মন বিগলিত হল এবং তাকে চলে যেতে বলল ৷
তিনি গিয়ে তার সাথীদেৱ সাথে মিলিত হলেন এবং বললেন, তোমরা তোমাদের কাজ সেরে
ফেল ৷ তারা বাড়ির দরোজায় দাড়িয়ে পরামর্শ করছিলেন, এমন সময় আসওদ বের হয়ে তাদের
নিকটে আসল ৷ একশ উট ও গাভী তার নির্দেশে একত্রিত করা হয়েছিল ৷ সে একটা লম্বা রেখা
টানল ৷ পশুগুলোকে রেখার পশ্চাতে রেখে নিজে তার কাছে দীড়াল এবং সে গুলোকে জবাই
করল ৷ পশুগুলো আটকানাে বা রশি দিয়ে বাধা ছিল না ৷ কিন্তু কোন একটি পটুশুও রেখাটি
অতিক্রম করেনি ৷ পশুগুলো স্ব-স্থানে ঘুরতে ঘুরতে প্রাণহীন হয়ে চলে পড়তে লাগল ৷ কায়স
বলেন, এরুপ অবাক কাও আমি আর কখনও দেখেনি এবং এমন ভয়ও আর কখনও পাইনি ৷

এ সময় আসওদ বলল , হে ফীরুয ! তোমার সম্পর্কে আমার নিকট যেসব তথ্য এসেছে তা
কি সত্য? আমি সংকল্প করেছি, তোমাকে জবাই করে এই পশুগুলোর সাথে একাকার করে
ফেলব ৷ সাথে সাথে সে বল্লম হাতে তুলে নিল ৷ ফীরুয বললেন, আপনি আমাকে আপনার
শ্বশুর বানিয়েছেন, নিজ সন্তানদের উপর আমাকে শ্রেষ্ঠতৃ দান করেছেন ৷ যদি আপনি নবী না
হতেন তা হলে আমরা কিছুতেই আপনার হাতে আমাদের ভাগ্য তুলে দিতাম না ৷ আর তা কী
করেই বা সম্ভব? কেননা আমাদের ইহকাল ও পরকালের প্রশ্ন আপনার সাথে জড়িত ৷ সুতরাং
আপনার নিকট যেসব তথ্য-সংবাদ এসেছে, তা বিশ্বাস করবেন না ৷ আপনি যেভাবে আমাকে
পেতে চান, আমি যে ভাবেই আছি ৷ এ বক্তব্য শুনে আসওদ সন্তুষ্ট হয় এবং তাকে উক্ত জবাই
পওগুলোর মাংস লোকদের মাঝে বন্টন করে দেয়ার নির্দেশ দেয় ৷ ফীরুয মাংসপ্তালা যথারীতি
সানআর অধিবাসীদের মধ্যে বন্টন করে দেন ৷ বন্টন কাজ শেষ করেই তিনি আসওদের নিকট
ফিরে আসেন ৷ সেখানে দেখতে পান যে, এক ব্যক্তি ফীরুযের বিরুদ্ধে আসওদকে ক্ষেপিয়ে


إِنَّ مَنْ حَوْلَكُمْ مِنَ الْعَرَبِ مَنَعُوا شَاتَهُمْ وَبَعِيرَهُمْ، وَلَمْ يَكُونُوا فِي دِينِهِمْ - وَإِنْ رَجَعُوا إِلَيْهِ - أَزْهَدَ مِنْهُمْ يَوْمَهُمْ هَذَا، وَلَمْ تَكُونُوا فِي دِينِكُمْ أَقْوَى مِنْكُمْ يَوْمَكُمْ هَذَا، عَلَى مَا قَدْ تَقَدَّمَ مِنْ بَرَكَةِ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ وَكَلَكُمْ إِلَى الْمَوْلَى الْكَافِي، الَّذِي وَجَدَهُ ضَالًّا فَهَدَاهُ، وَعَائِلًا فَأَغْنَاهُ {وَكُنْتُمْ عَلَى شَفَا حُفْرَةٍ مِنَ النَّارِ فَأَنْقَذَكُمْ مِنْهَا} [آل عمران: 103] . وَاللَّهِ لَا أَدْعُ أَنْ أُقَاتِلَ عَلَى أَمْرِ اللَّهِ حَتَّى يُنْجِزَ اللَّهُ وَعْدَهُ، وَيُوفِيَ لَنَا عَهْدَهُ، وَيُقْتَلَ مَنْ قُتِلَ مِنَّا شَهِيدًا مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَيُبْقِيَ مَنْ بَقِيَ مِنَّا خَلِيفَتَهُ وَوَرَثَتَهُ فِي أَرْضِهِ، قَضَاءُ اللَّهِ الْحَقُّ، وَقَوْلُهُ الَّذِي لَا خُلْفَ لَهُ {وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ} [النور: 55] الْآيَةَ [النُّورِ: 55] . ثُمَّ نَزَلَ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَالَ الْحَسَنُ وَقَتَادَةُ وَغَيْرُهُمَا فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ} [المائدة: 54] الْآيَةَ [الْمَائِدَةِ: 54] . قَالُوا: الْمُرَادُ بِذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ وَأَصْحَابُهُ فِي قِتَالِهِمُ الْمُرْتَدِّينَ وَمَانِعِي الزَّكَاةِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَارْتَدَّتِ الْعَرَبُ عِنْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا خَلَا أَهْلُ الْمَسْجِدَيْنِ ; مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَارْتَدَّتْ أَسَدٌ وَغَطَفَانُ، وَعَلَيْهِمْ طُلَيْحَةُ بْنُ خُوَيْلِدٍ الْأَسَدِيُّ الْكَاهِنُ، وَارْتَدَّتْ كِنْدَةُ وَمَنْ يَلِيهَا، وَعَلَيْهِمُ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ الْكِنْدِيُّ، وَارْتَدَّتْ مَذْحِجٌ وَمَنْ يَلِيهَا، وَعَلَيْهِمُ الْأَسْوَدُ بْنُ كَعْبٍ الْعَنْسِيُّ
পৃষ্ঠা - ৫২৭০


তোলার জন্যে কথা বলছে এবং তাকে উত্তেজিত করার জন্যে ^আপ্রাণ চেষ্টা করছে ৷ ফীরুয কান
পেতে মনোযোগ সহকারে এসব কথা শুনছিলেন ৷ আসওদ ঐ লোকটিকে বলছিল, আগামীকাল
আমি তাকে ও তার সঙ্গী সাথীদেরকে হত্যা করব, ভোর বেলা তুমি তাঃক ধরে নিয়ে এস ৷
এরপর আসওদ পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে ফীরুয দণ্ডায়মান ৷ তাকে বলল, থাম ৷ ফীরুয তখন
মাংস বন্টন সম্পর্কে আসওদকে সংবাদ জানান ৷ আসওদ বাড়ির অভ্যন্তরে চলে গেল ৷ আর
ফীরুযও নিজের সঙ্গীদের কাছে গেলেন এবং যা কিছু তাকে বলতে শুনেছেন এবং যা তাকে বলা
হয়েছে সব বিস্তারিত জানালেন ৷ সকলে পরামর্শ করে ঐক্যমতে উপনীত হলেন যে, আসওদকে
কিছু করতে হলে তার ত্রীর কাছে যেতে হবে ৷ সুতরাং ফীরুয তার নিকট গেলেন ৷ শ্রী
জানালেন, এ বাড়িতে যতগুলাে ঘর আছে প্রত্যেক ঘরেই প্রহরী নিযুক্ত আছে ৷ কেবল ঐ
ঘরটিতে পাহারা নেই ৷ রাস্তার মাথায় অবস্থিত ঐ ঘরে যখন সে যাবে তখন রাত্রিবেলা
আপনারা তার উপর আক্রমণ চালাবেন ৷ প্রহরীগণ জানতে পারবে না এবং সে সময় তাকে
হত্যা করতে আর কোন বাধাই থাকবে না ৷ এ দিকে আমি ঘরের বাতি জ্বালিয়ে রাখব এবং
অস্তের ব্যবস্থা করব ৷ ফীরুয সেখান থেকে বের হয়ে যখন আসওদের দিকে যাচ্ছিলেন তখন ণ্
আসওদ তাকে দেখে মাথা ধরে ধাক্কা দিয়ে বলল, আমার ত্রীর নিকট তুমি কি জন্যে এসেছ?
আসওদ ছিল কঠোর ও রুঢ় প্রকৃতির লোক ৷ ত্রী চিৎকার করে আসওদকে ফীরুয থেকে
হতচকিত করে দিলেন ৷ এরুপ না করলে সে ফীরুযকে হত্যা করে ফেলত ৷ ত্রী আসওদকে
জানালেন, এ হচ্ছে আমার চাচাত ভাই, আমাকে দেখার জন্যে এসেছে ৷ আসওদ বলল, চুপ
থাক, তোমার অগ্ঙ্গল্ হোক ৷ তোমার খাতিরে একে ছেড়ে দিলাম ৷ ফীরুয দ্রুত গিয়ে
সাথীদের সঙ্গে মিলিত হলেন এবং বললেন কোন রকম ছাড়া পেয়ে এসেছি ৷ এরপর বিস্তারিত
ৎবাদ শুনালেন, যা তার সাথে সংঘটিত হয়েছিল ৷ সকলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন যে, এখন
তারা কী করতে পারেন ৷ এ সময়ে তার ত্রী তাদেরকে বলে পাঠালেন, আপনারা যা করতে
সৎকল্পবদ্ধ হয়েছেন তা থেকে বিরত হবেন না ৷ তারপর ফীরুয দায়লামী মহিলার নিকট
আগমন করে সংবাদ সৎপ্রহ করলেন, এবং তারা ঐ ঘরটিতে প্রবেশ করে ভিতর থেকে গোপন
সুড়ঙ্গ পথ তৈরী করলেন, যাতে করে বাহির দিক থেকে ঘরে প্রবেশের ছিদ্র করা সহজ হয় ৷
তারপর ফীরুয মহিলার কাছে বসে থাকে,যেন তিনি একজন সাক্ষাৎ প্রার্থী ৷
এ সময় আসওদ সেখানে উপস্থিত হয় এবং জিজ্ঞেস করে, এ কে? ত্রী বললেন, যে
আমার দুধ ভইি এবং চাচাত ভাই ৷ আসওদ তাকে ধমক দিয়ে বের করে দিল ৷ ফীরুয বের
হয়ে আপন সাথীদের নিকট চলে গেলেন ৷ রাত হলে তারা সকলেই এসে ঐ ঘরে ছিদ্র করে
ভিতরে প্রবেশ করলেন ৷ তারা দেখলেন, ঘরের মধ্যে বড় এবপ্টা পাত্রের নীচে বাতি জ্বলছে ৷
ফীরুয এগিয়ে গেলেন ৷ লক্ষ্য করলেন আসওদ রেশমী শয্যার উপর মাথা গুজে শুয়ে আছেন
এবং ঘুর্মে অচেতন হয়ে নাক ডাকাচ্ছে ৷ তার শ্রী তার পাশেই বসে রয়েছেন ৷ ফীরুয যখন
ঘরের দরজায় গিয়ে দীড়ালেন তখন আসওদকে তার শয়তান উঠিয়ে বসাল ৷ এমন কি তার
মুখ দ্বারা কথাও বলালো, কিন্তু তা সত্বেও তার নাক ভাকছিল ৷ সে বলছিল ওহে ফীরুয !
আমার ও তোমার এ কী হল? ফীরুয আতঙ্কিত হলেন যে, এখন ফিরে গেলে তার এবং ঐ
মহিলার ধ্বংস নিশ্চিত ৷ তাই তিনি আসওদকে জড়িয়ে জাপটে ধরলেন ৷ সে উটের ন্যায় মাথা
উচু করলে ফীরুয মাথা চেপে ধরে মাথায় আঘাত করলেন এবং ঘাড় মােচড় দিলেন, দুই


الْكَاهِنُ وَارْتَدَّتْ رَبِيعَةُ مَعَ الْمَعْرُورِ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ، وَكَانَتْ بَنُو حَنِيفَةَ مُقِيمَةً عَلَى أَمْرِهَا مَعَ مُسَيْلِمَةَ بْنِ حَبِيبٍ الْكَذَّابِ، وَارْتَدَّتْ سُلَيْمٌ مَعَ الْفُجَاءَةِ، وَاسْمُهُ أَنَسُ بْنُ عَبْدِ يَالِيلَ، وَارْتَدَّتْ بَنُو تَمِيمٍ مَعَ سَجَاحِ الْكَاهِنَةِ. وَقَالَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ: اجْتَمَعَتْ أَسَدٌ وَغَطَفَانُ وَطَيِّئٌ عَلَى طُلَيْحَةَ الْأَسَدِيِّ، وَبَعَثُوا وُفُودًا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَنَزَلُوا عَلَى وُجُوهِ النَّاسِ، فَأَنْزَلُوهُمْ إِلَّا الْعَبَّاسَ، فَحَمَلُوا بِهِمْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ عَلَى أَنْ يُقِيمُوا الصَّلَاةَ، وَلَا يُؤْتُوا الزَّكَاةَ، فَعَزَمَ اللَّهُ لِأَبِي بَكْرٍ عَلَى الْحَقِّ، وَقَالَ: لَوْ مَنَعُونِي عِقَالًا لَجَاهَدْتُهُمْ. فَرَدَّهُمْ فَرَجَعُوا إِلَى عَشَائِرِهِمْ، فَأَخْبَرُوهُمْ بِقِلَّةِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، وَطَمَّعُوهُمْ فِيهَا، فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ الْحَرَسَ عَلَى أَنْقَابِ الْمَدِينَةِ، وَأَلْزَمَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ بِحُضُورِ الْمَسْجِدِ، وَقَالَ: إِنَّ الْأَرْضَ كَافِرَةٌ، وَقَدْ رَأَى وَفْدُهُمْ مِنْكُمْ قِلَّةً، وَإِنَّكُمْ لَا تَدْرُونَ لَيْلًا تُؤْتَوْنَ أَمْ نَهَارًا، وَأَدْنَاهُمْ مِنْكُمْ عَلَى بَرِيدٍ، وَقَدْ كَانَ الْقَوْمُ يُؤَمِّلُونَ أَنْ نَقْبَلَ مِنْهُمْ وَنُوَادِعَهُمْ، وَقَدْ أَبَيْنَا عَلَيْهِمْ فَاسْتَعِدُّوا وَأَعِدُّوا. فَمَا لَبِثُوا إِلَّا ثَلَاثًا حَتَّى طَرَقُوا الْمَدِينَةَ غَارَةً، وَخَلَّفُوا نِصْفَهُمْ بِذِي حُسًى لِيَكُونُوا رِدْءًا لَهُمْ، وَأَرْسَلَ الْحَرَسُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ يُخْبِرُونَهُ بِالْغَارَةِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ أَنِ الْزَمُوا مَكَانَكُمْ، وَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فِي أَهْلِ الْمَسْجِدِ عَلَى النَّوَاضِحِ إِلَيْهِمْ، فَانْقَشَعَ الْعَدُوُّ، وَاتَّبَعَهُمُ الْمُسْلِمُونَ عَلَى إِبِلِهِمْ، حَتَّى بَلَغُوا ذَا
পৃষ্ঠা - ৫২৭১

হাটুতে তার পিঠ চেপে ধরে আসওদওকে হত্যা করলেন ৷ এরপর সাথীদের নিকট সংবাদ
পৌছাবার জন্যে বেরিয়ে আসলেন ৷ এ সময় মহিলাটি (তাকে আসওদ ভেবে) তার কাপড়ের
খুট চেপে ধরে বললেন, আপনার শ্ৰীকে ফেলে আপনি কোথায় যাচ্ছেন? তার ধারণা ছিল,
আসওদ নিহত হয়নি ৷ ফীরুয বললেন, আমি যাচ্ছি সাথীদেরকে তার হত্যার সংবাদ জানাতে ৷
সাথীরা তার মস্তক ছিন্ন করার জন্যে চলে আসলেন ৷ আসওদের শয়তান তখন তাকে নাড়া
দিল ৷ তার শরীর নড়ে উঠল ৷ ফলে তারা তা করতে পারলেন না, শেষ পর্যন্ত দুইজন লোক
তার পিঠের উপর চেপে বসলেন, আর শ্রী তার চুল টেনে ধরলেন, তখন তার মুখ দিয়ে
বিড়বিড় শব্দ বের হচ্ছিল ৷ তখন অন্য একজন ঘাড় থেকে মস্তক ছিন্ন করে নিলেন ৷
এ সময় র্ষাড়ের ডাকের ন্যায় বিকট শব্দ হয় ৷ শব্দ শুনে প্রহরীরা ছুটে এসে জিজ্ঞেস করল,
এ কিসের শব্দ ণ্শানা গেল? তার শ্রী জানালেন নবীর কাছে ওহী আসার শব্দ হয়েছে ৷ এ কথা
শুনে তারা সবাই চলে গেল ৷ এরপর কায়স দায্বিয়া ও ফীরুয পরামর্শ করতে লাগলেন,
কিভাবে এ সংবাদ তাদের দলবলের নিকট পৌছান যায় ৷ শেষে তারা এ সিদ্ধান্তে উপনীত
হলেন যে, প্রত্যুষে দেশের প্রথা অনুযায়ী মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়া হবে ৷ সুতরাং প্রভাত হওয়ার
সাথে সাথে কায়স দুর্গ প্রাচীরের উপর দাড়িয়ে তাদের নিয়ামানুযায়ী ঘোষণা দিলেন ৷ মুসলমান
ও কাফির সকলেই সেখানে সমবেত হল ৷ কায়স মতান্তরে ওবার ইবন ইয়াহ্নাশ ঘোষণা
দিলেন আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা) আল্লাহ্র রাসুল আর আরহালাহ্ মিথুকে১ ৷ এ
কথা বলেই আসওদের ছিন্ন মস্তক তাদের দিকে ছুড়ে মারলেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তার অনুসারীরা ছুটে
পালাতে লাগল ৷ অন্যান্য লোকজন তাদের পিছনে ধাওয়া করে তাদের ধরতে লাগলেন এবং
পথে পথে ওৎ পেতে থেকে তাদেরকে বন্দী করতে লাগলেন ৷ ইসলাম ও মুসলমানদের বিজয়
নিশ্চিত হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর প্রতিনিধিগণ আপন আপন কাজে ফিরে গেল ৷ তারপর
উপরোক্ত তিনজন আমীর পদ পাওয়ার জন্যে দ্বৱন্দু লিপ্ত হলেন ৷ কিন্তু পরে সকলেই হযরত
মুআয ইবন জাবালের পক্ষে একমত হন ৷ তিনিই সালাতের ইমামতি করতেন ৷ রাসুলুল্পাহ্
(সা)-এর নিকট তারা সংবাদ পাঠি য়ে দিলেন ৷ বিৎ ঘটনার রাত্রেই আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্পাহ্
(সা)-এর নিকট সংবাদ পৌছিয়ে দিয়েছিলেন ৷
এ ব্যাপারে সায়ফ ইবন উমর তামীমী ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, যে
রাত্রে, আসওদ আনাসী নিহত হয় সে রাত্রেই নবী করীম (সা)-এর নিকৃট আসমান থেকে
ৎবাদ পৌছে যায়, যাতে তিনি আমাদেরকে এ সু ৎবাদ দিতে পারেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাদেরকে সকালে জানালেন যে, গত রাতে আনাসী নিহত হয়েছে ৷ এক সৌভাগ্যশালী
পরিবারের সৌভাগ্যবান ব্যক্তি তাকে হত্যা করেছে ৷ লোকে জিজ্ঞেস করল, কে সে? নবী করীম
(সা) বললেন, সে হল ফীরুয, ফীরুয ৷ আসওদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নিহত
হওয়া পর্যন্ত তার রাজতৃকালের সময় সম্পর্কে কেউ বলেছেন তিন মাস, আবার অন্য কেউ
বলেছেন চার মাস ৷ সায়ফ ইবন উমর ফীরুয থেকে বর্ণনা করেন যে, আসওদকে আমরা
হত্যা করেছি ৷ ফলে সমগ্র সানআয় আমাদের ক্ষমতা পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ তবে মুআজ ইবন
জাবালের নেতৃৎ মেনে চলতে আমরা সকলেই সম্মত হ্যা ৷ তিনিই সানআয় আমাদের সালাতে
ইমামতি করতেন ৷ তিন দিন মাত্র ইমামতির পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ইনতিকালের সংবাদ

১ ইসলামী ,যুগে মুসলিম সরকারের সমর্থিত য়ামানের দেশীয় রাজাদের উপাধি ছিল আবহালা’ ৷


حُسًى، فَخَرَجَ عَلَيْهِمُ الرِّدْءُ، فَالْتَقَوْا مَعَ الْجَمِيعِ فَكَانَ الْفَتْحُ، وَقَدْ قَالَ الْخُطَيْلُ بْنُ أَوْسٍ - وَيُقَالُ: الْحُطَيْئَةُ - فِي ذَلِكَ: أَطَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَانَ وَسَطَنَا ... فَيَالَعِبَادِ اللَّهِ مَا لِأَبِي بَكْرِ يُوَرِّثُنَا بَكْرًا إِذَا كَانَ بَعْدَهُ ... وَتِلْكَ لَعَمْرُ اللَّهِ قَاصِمَةُ الظَّهْرِ فَهَلَّا رَدَدْتُمْ وَفْدَنَا بِزَمَانِهِ ... وَهَلَّا خَشِيتُمْ حِسَّ رَاغِيَةِ الْبَكْرِ وَإِنَّ الَّذِي سَالُوكُمُ فَمَنَعْتُمُ ... لَكَالتَّمْرِ أَوْ أَحْلَى إِلَيَّ مِنَ التَّمْرِ وَفِي جُمَادَى الْآخِرَةِ رَكِبَ الصِّدِّيقُ فِي أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَأُمَرَاءَ الْأَنْقَابِ إِلَى مَنْ حَوْلَ الْمَدِينَةِ مِنَ الْأَعْرَابِ الَّذِينَ أَغَارُوا عَلَيْهَا، فَلَمَّا تَوَاجَهَ هُوَ وَأَعْدَاؤُهُ مِنْ بَنِي عَبْسٍ، وَبَنِي مُرَّةَ، وَذُبْيَانَ، وَمَنْ نَاصَبَ مَعَهُمْ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ، وَأَمَدَّهُمْ طُلَيْحَةَ بِابْنِهِ حِبَالٍ، فَلَمَّا تَوَاجَهَ الْقَوْمُ كَانُوا قَدْ صَنَعُوا مَكِيدَةً، وَهِيَ أَنَّهُمْ عَمَدُوا إِلَى أَنْحَاءٍ فَنَفَخُوهَا ثُمَّ أَرْسَلُوهَا مِنْ رُءُوسِ الْجِبَالِ، فَلَمَّا رَأَتْهَا إِبِلُ أَصْحَابِ الصِّدِّيقِ نَفَرَتْ وَذَهَبَتْ كُلَّ مَذْهَبٍ، فَلَمْ يَمْلِكُوا مِنْ أَمْرِهَا شَيْئًا إِلَى اللَّيْلِ، حَتَّى رَجَعَتْ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَقَالَ فِي ذَلِكَ الْخُطَيْلُ بْنُ أَوْسٍ: فِدًى لِبَنِي ذُبْيَانَ رَحْلِي وَنَاقَتِي ... عَشِيَّةَ يُحْذَى بِالرِّمَاحِ أَبُو بَكْرِ وَلَكِنْ يُدَهْدَى بِالرِّجَالِ فَهِبْنَهُ ... إِلَى قَدَرٍ مَا إِنْ تُقِيمُ وَلَا تَسْرِي وَلِلَّهِ أَجْنَادٌ تُذَاقُ مَذَاقَهُ ... لِتُحْسَبَ فِيمَا عُدَّ مِنْ عَجَبِ الدَّهْرِ
পৃষ্ঠা - ৫২৭২

তার৷ বলত, আমরা আমাদের যাকাত এমন ব্যক্তির কাছে দিব না, যার দু আ আমাদেরকে
সান্তুনা দেয় না ৷ এদের কেউ কেউ নিম্নের কবিতাংশও বলত ং


অর্থাৎ “রাসুল (সা) যতদিন আমাদের মাঝে ,ছিলেন ততদিন তােআমরা তার আনুগত্য
করে চলেছি; জ্যি আশ্চর্য, আবুবকরের রাজত্বকালে এ কী অবস্থা হল”?
সাহারা কিরামের অনেকেই খলীফ্যাক পরামর্শ দিলেন যে, যাকাত অস্বীকার কারীদের
ব্যাপারটা এড়িয়ে চলুন এবং তাদের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখুন ৷ যখন তাদের অন্তরে ঈমান
সুদৃঢ় হয়ে যাবে তখন তারাই যাকাত নিয়ে এগিয়ে আসবে, বিন্দু খলীফ্ ৷ এ পরামর্শ মেনে
নিতে অস্বীকার করলেন ৷ ইবন মজাে ব্যতীত সিহাহ্ সিত্তার সংকলকগণ হযরত আবু হুরায়রা
(রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত উমর (রা) খলীফা হযরত আবু বকর (রা)-কে
বললেন, আপনি এসব লোকদের বিরুদ্ধে কিভাবে যুদ্ধ করবেন, অথচ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, আমাকে যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যতক্ষণ লোক এক আল্লাহ ও তার রাসুল
মুহাম্মদকে মেনে নেয়ার সাক্ষ্য না দেবে; কিন্তু যখন এ কথার সাক্ষ্য দেবেতখন তাদের জান ও
মাল আমার থেকে নিরাপদ থাকবে ৷ অবশ্যকালেমার হক এর ব্যতিক্রম ৷ হযরত আবু বকর
(রা) বললেন, আল্লাহর কসম, এসব লোক যদি এমন একটি বকরীর বাচ্চা কিৎব৷ ভিন্ন
বর্ণনামতে পশু রাধার রশি দিতে অস্বীকার করে, যা তারা রাসুলুল্পাহ্র যুগে যাকাত হিসেবে
প্রদান করত, তবুও আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করব ৷ যাকাত হল মানের হক ৷
আল্লাহর কসম যে ব্যক্তি সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করবে তার বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ
ণ্র্চুা৷এ
হযরত উমর বলেন, পরে আমি বুঝলাম যে, আল্লাহ আবু বকরকে যুদ্ধের ব্যাপারে সঠিক
বুঝ দান করেছেন এবং এ ব্যাপারে তিনিই হকের উপরে আছেন ৷ আমি বলি, আল্লাহ তা আলা

বলেছেন০ অর্থাৎ “তারা
যদি তাওরা করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে তবে তাদের রাস্তা ছেড়ে দাও !
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সংকল্প পরিত্যাগ কর( ৯ তাওবাং : ৫) ৷

সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে আছে, ইসলামের ভিত্তি পাচটি; ১ এ কথার সাক্ষ্য দেয়৷ যে,
আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই, মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসুল, ২ সালাত কায়েম করা,
৩ যাকাত প্রদান করা, : বায়তুল্লা হজ করা এবং ৫ রমজান মাসের সওম পালন করা ৷

হাফিয ইবন আসাকির দু’টি সুত্র থেকে সালিহ ইবন কায়সান থেকে বর্ণনা করেছেন,
রিদ্দার সময়ে খলীফা হযরত আবু বকর (রা) সমবেত জন মওলীকে উদ্দেশ্য করে এক ভাষণ
দেন ৷ প্রথমে আল্লাহর গুণগান বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, সকল প্রশংসা একমাত্র সেই
আল্লাহর, যিনি পুর্ণাঙ্গরুপে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন, পরিপুর্ণতাবে নিয়ামত দান করেছেন ৷
আল্লাহ মুহাম্মদ (সা)-কে নবীরুপে প্রেরণ করেছেন ৷ ইলম বিদুরিত হয়েছে, ইসলাম অপরিচিত
ও বর্জিত হতে চলেছে ৷ ইসলামের রজ্জ্ব প্রাচীন হয়েছে, তার যুগ পুরাতন হয়ে গেছে,
মৃসলমানগণ ইসলামের পথ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ৷ আহলি কিতাবদের উপর আল্লাহর অসত্তোষ
তাই তাদেরকে তিনি কোন কল্যাণ দান করেন না, কল্যাণের বস্তু তাদের নিকট থাকা সত্বেও ৷
— ৫৯


أَطَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَانَ بَيْنَنَا فَيَالَعِبَادِ اللَّهِ مَا لِأَبِي بَكْرِ فَلَمَّا وَقَعَ مَا وَقَعَ ظَنَّ الْقَوْمُ بِالْمُسْلِمِينَ الْوَهَنَ، وَبَعَثُوا إِلَى عَشَائِرِهِمْ مِنْ نَوَاحِي أَخَرَ، فَاجْتَمَعُوا، وَبَاتَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَائِمًا لَيْلَهُ يَتَهَيَّأُ يُعَبِّئُ النَّاسَ، ثُمَّ خَرَجَ عَلَى تَعْبِئَةٍ مِنْ آخَرِ اللَّيْلِ، وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ أَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُقَرِّنٍ، وَعَلَى السَّاقَةِ أَخُوهُمَا سُوَيْدُ بْنُ مُقَرِّنٍ، فَمَا طَلَعَ الْفَجْرُ إِلَّا وَهُمْ وَالْعَدُوُّ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ، فَمَا سَمِعُوا لِلْمُسْلِمِينَ حِسًّا وَلَا هَمْسًا، حَتَّى وَضَعُوا فِيهِمُ السُّيُوفَ، فَمَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ حَتَّى وَلَّوْهُمُ الْأَدْبَارَ، وَغَلَبُوهُمْ عَلَى عَامَّةِ ظَهْرِهِمْ، وَقُتِلَ حِبَالٌ، وَاتَّبَعَهُمْ أَبُو بَكْرٍ حَتَّى نَزَلَ بِذِي الْقَصَّةِ، وَكَانَ أَوَّلَ الْفَتْحِ، وَذَلَّ بِهَا الْمُشْرِكُونَ، وَعَزَّ بِهَا الْمُسْلِمُونَ، وَوَثَبَ بَنُو ذُبْيَانَ وَعَبْسٌ عَلَى مَنْ فِيهِمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَقَتَلُوهُمْ، وَفَعَلَ مَنْ وَرَاءَهُمْ كَفِعْلِهِمْ، فَحَلَفَ أَبُو بَكْرٍ لَيَقْتُلَنَّ فِي كُلِّ قَبِيلَةٍ بِمَنْ قَتَلُوا مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَزِيَادَةً، فَفِي ذَلِكَ يَقُولُ زِيَادُ بْنُ حَنْظَلَةَ التَّمِيمِيُّ: غَدَاةَ سَعَى أَبُو بَكْرٍ إِلَيْهِمْ ... كَمَا يَسْعَى لِمَوْتَتِهِ جُلَالُ أَرَاحَ عَلَى نَوَاهِقِهَا عَلِيًّا ... وَمَجَّ لَهُنَّ مُهْجَتَهُ حِبَالُ وَقَالَ أَيْضًا: أَقَمْنَا لَهُمْ عُرْضَ الشِّمَالِ فَكُبْكِبُوا ... كَكَبْكَبَةِ الْغُزَّى أَنَاخُوا عَلَى الْوَفْرِ فَمَا صَبَرُوا لِلْحَرْبِ عِنْدَ قِيَامِهَا ... صَبِيحَةَ يَسْمُو بِالرِّجَالِ أَبُو بَكْرِ
পৃষ্ঠা - ৫২৭৩

আর তাদের থেকে কোন অকল্যাণও দুর করেন না, অকল্যাণের বস্তু তাদের নিকট থাকার
কারণে ৷ তারা তাদের কিতাবের মধ্যে পরিবর্তন সাধন করেছে এবং যা তার মধ্যে নেই তা
তাতে সংযুক্ত করেছে ৷ আরবগণ নিরাপদে জীবন যাপন করত ৷ তারা মনে করত, আল্লাহর
শক্তির আওতায় তারা রয়েছে ৷ তারা না তার ইবাদত করত, না তার কাছে প্রার্থনা জানাত ৷
তাই তিনি তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে দেন এবং ভ্রান্ত দীনের অনুসারী বানান ৷ কঠিন পাথুরে
ভুমিতে তাদেরকে রাখেন, সেখানে যেঘ-বৃষ্টিপর্যস্ত ছিল না ৷ অতঃপর শেষ নবী মুহাম্মদ
(সা) কে তাদের মাঝে প্রেরণ করেন ৷ তাদের মধ্যবর্তী উষ্মত হওয়ার গৌরব দান করেন ৷

তাদের মধ্যে যারা নবীর অনুসরণ করে তাদেরকে তিনি সাহায্য করেন এবং অন্যান্য জাতির
উপরে বিজয়ী করেন ৷ এরপর আল্লাহ্ তার নবীকে উঠিয়ে সেন ৷ তারপরে শয়তান তাদেরকে
সেই বাহনে আরোহণ করার, যে বাহন থেকে তাদেরকে নানান হয়েছিল এবং তাদের হাত ধরে
ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যায়ং ৩

ষ্ ’

এ্যা
এ;ৰ্)হ্রএে ’

অর্থাৎ “আর মুহাম্মদ একজ্জা আল্লাহ্র রাসুল বৈ তো নয় ৷ তার পুর্বে বহু রাসুল
অতিবাহিত হয়ে গেছে ৷ তাহলে কি সে যদি মৃত্যুবরণ করে অথবা নিহত হয়, তবে তোমরা
পশ্চাদপসরণ করবে? বন্তুত কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে তবে যে তাতে আল্লাহ্র কিছু ক্ষতি
করতে পারবে না ৷ আর যারা কৃতাঃ তাদেরকে অচিরেই পুরস্কৃত করবেন” (৩ আলে ইমরান ং
১৪৪)া

তোমাদের চারপাশের আরব বেদুইনরা যাকাতের উটবকরী দিতে অস্বীকার করছে ৷ তারা
তাদের দীনের উপর অবিচল থাকেনি ৷ যদি তারা এ দিকে ফিরে আসে, আজই আমি তাদের
থেকে এ৩লাে উশুল করব ৷ বর্তমানে তারা দীনের ব্যাপারে তোমাদের থেকে শক্তিশালী নয় ৷
তোমাদের নবীর বরকর্ত অতীত ৩হয়ে গেছে ৷ তিনি তােমাদেরকে সেই নির্তাযােগ্য অতিভাবকের
নিকট সােপর্দ করে গেছেন যিনি তাকে পথ সম্পর্কে অনবহিত পেয়ে সত্য পথের সন্ধান
দিয়েছেন এবং নিঃস্ব অসহায় পেয়ে অভাবমুক্ত করেছেন ৷

অর্থাৎ-“তোমরা ছিলো অগ্নি গর্তের কিনারে, আমি সেখান থেকে তােমাদেরকে উদ্ধার
করেছি” (৩ আলে ইমরানং ১০৩) ৷
আল্লাহ্র কসম, তার নির্দেশ মত আমি লড়াই করে যার, যতক্ষণ না আল্লাহ্ তার ওয়াদা
পুর্ণ করছেন, আমাদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পুরণ করছো ৷ এ লড়াইয়ে আমাদের মধ্য থেকে
যে ব্যক্তি শহীদ হবে সে জান্নাত ৩লাভ করবে, আর যারা বেচে থাকবে তারা তার এ যমীনে

তারই খলী ফা হিসেবে বেচে থাকবে ৷ আল্লাহ্র ফয়সালাই সত্য ৷ আল্লাহর এ বাণী যার
ব্যতিক্রম কখনও হয় না০ ং

প্ ” :

শ্শ্শ্

শ্


طَرَقْنَا بَنِي عَبْسٍ بِأَدْنَى نِبَاجِهَا وَذُبْيَانَ نَهْنَهْنَا بِقَاصِمَةِ الظَّهْرِ فَكَانَتْ هَذِهِ الْوَقْعَةُ مِنْ أَكْبَرِ الْعَوْنِ عَلَى نَصْرِ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ عَزَّ الْمُسْلِمُونَ فِي كُلِّ قَبِيلَةٍ، وَذَلَّ الْكُفَّارُ فِي كُلِّ قَبِيلَةٍ، وَرَجَعَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى الْمَدِينَةِ مُؤَيَّدًا مَنْصُورًا، سَالِمًا غَانِمًا، وَطَرَقَتِ الْمَدِينَةُ فِي اللَّيْلِ صَدَقَاتُ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، وَصَفْوَانَ، وَالزِّبْرِقَانِ، إِحْدَاهَا فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ، وَالثَّانِيَةُ فِي أَوْسَطِهِ، وَالثَّالِثَةُ فِي آخِرِهِ، وَقَدِمَ بِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ بَشِيرٌ مِنْ أُمَرَاءِ الْأَنْقَابِ، فَكَانَ الَّذِي بَشَّرَ بِصَفْوَانَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَالَّذِي بَشَّرَ بِالزِّبْرِقَانِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَالَّذِي بَشَّرَ بِعَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ، وَيُقَالُ: أَبُو قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيُّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَذَلِكَ عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ لَيْلَةً مِنْ مُتَوَفَّى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَدِمَ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ بَعْدَ ذَلِكَ بِلَيَالٍ، فَاسْتَخْلَفَهُ أَبُو بَكْرٍ عَلَى الْمَدِينَةِ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يُرِيحُوا ظَهْرَهُمْ، ثُمَّ رَكِبَ أَبُو بَكْرٍ فِي الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ فِي الْوَقْعَةِ الْمُتَقَدِّمَةِ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ، فَقَالَ لَهُ الْمُسْلِمُونَ: لَوْ رَجَعْتَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَأَرْسَلْتَ رَجُلًا، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَفْعَلُ، وَلَأُوَاسِيَنَّكُمْ بِنَفْسِي. فَخَرَجَ فِي تَعْبِئَتِهِ إِلَى ذِي حُسًى وَذِي الْقَصَّةِ، وَالنُّعْمَانُ وَعَبْدُ اللَّهِ وَسُوَيْدٌ بَنُو مُقَرِّنٍ عَلَى مَا كَانُوا عَلَيْهِ، حَتَّى نَزَلَ عَلَى أَهْلِ الرَّبْذَةِ بِالْأَبْرَقِ، وَهُنَاكَ جَمَاعَةٌ مِنْ بَنِي عَبْسٍ وَذُبْيَانَ، وَطَائِفَةٌ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ، فَاقْتَتَلُوا فَهَزَمَ اللَّهُ الْحَارِثَ وَعَوْفًا، فَأُخِذَ الْحُطَيْئَةُ أَسِيرًا، فَطَارَتْ بَنُو عَبْسٍ وَبَنُو بَكْرٍ، وَأَقَامَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى الْأَبْرَقِ أَيَّامًا، وَقَدْ غَلَبَ بَنُو ذُبْيَانَ عَلَى الْبِلَادِ، فَقَالَ: حَرَامٌ عَلَى بَنِي ذُبْيَانَ أَنْ يَتَمَلَّكُوا هَذِهِ الْبِلَادَ إِذْ غَنَّمَنَاهَا اللَّهُ، وَحَمَى الْأَبْرَقَ
পৃষ্ঠা - ৫২৭৪

অর্থাৎ “আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তোমাদের মধ্যকার ঐ সব সােকদেরকে যারা ঈমান এনেছে শ্
ও সৎকর্ম করেছে যে, তাদেরকে তিনি পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেনই (২৪ নুর : ৫৫) ৷
এরপর তিনি ভাষণ শেষকরেন ৷ হাসান ও কাতাদ৷ নিম্নোক্ত আয়াত :

০ ’ ’

গ্রাহু




(হে মুমিনগণ, ৫৩ ৷মাদের মধ্য থেকে যে তার ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন
এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাকে তালবাসবে)-এর
তাফসীরে বলেন, এখানে আবু বকর (রা) ও তার সাথীরা মুরতাদ ও যাকাত অস্বীকারকারীদের
বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন, সে কথইি বলা হয়েছে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ইনতিকালের সময় আরববাসীরা মুরতাদ হয়ে যায়, কেবল দুটি
মসজিদের অধিবাসীরা বাদ ছিল, অর্থাৎ মক্কা ও মদীনার লোকজন ৷ আসাদ ও ষ্া৷তফান
গােত্রদ্বয়ের লোকেরা মুরতাদ হয়ে যায়, এদের নেতা ছিল ভুলায়হা ইবন খুওয়াইলিদ
আল আসাদী আল-কাহিন (গণক) ৷ কিনৃদার অধিবাসী এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার
লোকজনও মুরতাদ হয়ে যায় এবং তাদের নেতৃত্ব দেয় আশআছ ইবন কায়স আল কিনৃদী ৷
মায্হাজ ও তৎসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারাও ইসলাম ত্যাগ করে ৷ এদেরকে পরিচালনা করে
আসওদ ইবন কাব আল আনাসী, সেও ছিল গণক ৷ রাবীআ গোত্র মাগরুর ইবন নু মান ইবন
মুনযিরের নেতৃত্বে মুরতাদ হয়ে যায় ৷ হানীফ৷ গোত্র মুসায়লাম৷ ইবন হাবীব আল কাঘৃযারের
নেতৃত্বে একই পন্থা অবলম্বন করে ৷ সুলায়ম গোত্র ফাজ্বআর নেতৃত্বে মুরতাদ হয়ে যায় ৷
ফাজ্বআর আসল নাম ছিল আনাস ইবন আবদ্ ইয়ালীল ৷ বনু তামীম সাজাহ্ নান্নী মহিলা
গণকের নেতৃত্বে মুরতাদ হয়ে যায় ৷ কাসিম ইবন মুহাম্মদ বলেন, বনু আসাদ, বনু পাতফান ও
বনু তার তৃলায়হ৷ আল আসাদীর নেতৃত্বে একত্রিত হয় ৷ তারা মদীনায় একদল প্রতিনিধি প্রেরণ
করে ৷ আব্বাস ব্যতীত অন্যান্য লোকজন তাদেরকে নিয়ে খলীফা আবু বকরের নিকট আসে ৷
তারা বলে, আমরা সালাত আদায় করব, কিন্তু যাকাত দেবাে না ৷ এ সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত
গ্রহণের ব্যাপারে আল্লাহ হযরত আবু বকরের অম্ভরকে মজবুত করে দেন ৷ তিনি বললেন,
তোমরা যদি যাকার্তের একটি রশি দািতও অস্বীকার কর তা হলেও তোমাদের বিরুদ্ধে আমি
যুদ্ধ করব ৷ এ কথা বলে তিনি তাদেরকে ফিরিয়ে দেন ৷ তারা আপন লোকদের মাঝে ফিরে
গিয়ে জানাল এবং তাদেরকে মদীনায় কম সংখ্যক লোকের উপস্থিতির সুযোগে মদীনা
আক্রমণে তাদেরকে প্ররােচিত করল ৷

খলীফা আবু বকর (রা) মদীনায় সীমান্ত এলাকাসমুহে পাহারাদার নিযুক্ত করলেন এবং
মদীনাবাসীদেরকে নিয়মিত মসজিদে আসা বাধ্যতামুলক করলেন ৷ তিনি বললেন, পৃথিবী
কুফরীতে ছেয়ে গেছে ৷ তাদের প্রতিনিধিদল তোমাদের সংখ্যাল্পতা দেখে গেছে ৷ তােমরা জান
না যে, তারা দিনের ভাগে হামলা করবে, না কি রাত্রে ৷ তোমাদের থেকে তাদের নিকটতম
দুরত্ব এক বারীদ’ বা বার মাইল মাত্র ৷ তাদের প্রত্যাশা ছিল যে, আমরা তাদের প্রস্তাব মেনে
নেব ও তাদেরকে অব্যাহতি দেব, জ্যি আমরা তাদের প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করেছি ৷৩ তাই
তারা হামলা করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং অন্যদের থেকে সহযোগিতা লাভের চেষ্টা করছে ৷


بِخُيُولِ الْمُسْلِمِينَ، وَأَرْعَى سَائِرَ بِلَادِ الرَّبْذَةِ. وَلَمَّا فَرَّتْ عَبْسٌ وَذُبْيَانُ صَارُوا إِلَى مُؤَازَرَةِ طُلَيْحَةَ وَهُوَ نَازِلٌ عَلَى بُزَاخَةَ، وَقَدْ قَالَ فِي يَوْمِ الْأَبْرَقِ زِيَادُ بْنُ حَنْظَلَةَ: وَيَوْمٍ بِالْأَبَارِقِ قَدْ شَهِدْنَا ... عَلَى ذُبْيَانَ يَلْتَهِبُ الْتِهَابَا أَتَيْنَاهُمْ بِدَاهِيَةٍ نَسُوفٍ ... مَعَ الصِّدِّيقِ إِذْ تَرَكَ الْعِتَابَا ثُمَّ رَجَعَ الصِّدِّيقُ إِلَى الْمَدِينَةِ مُؤَيَّدًا مَنْصُورًا سَالِمًا غَانِمًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. [خُرُوجُ أَبِي بَكْرٍ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ] ذِكْرُ خُرُوجِهِ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ حِينَ عَقَدَ أَلْوِيَةَ الْأُمَرَاءِ الْأَحَدَ عَشَرَ عَلَى مَا سَيَأْتِي وَذَلِكَ بَعْدَ مَا جَمَّ جَيْشُ أُسَامَةَ وَاسْتَرَاحُوا، رَكِبَ الصِّدِّيقُ أَيْضًا فِي الْجُيُوشِ الْإِسْلَامِيَّةِ شَاهِرًا سَيْفَهُ مَسْلُولًا، مَنَ الْمَدِينَةِ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ، وَهِيَ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى مَرْحَلَةٍ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَقُودُ بِرَاحِلَةِ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، كَمَا سَيَأْتِي، فَسَأَلَهُ الصَّحَابَةُ، مِنْهُمْ عَلِيٌّ وَغَيْرُهُ، وَأَلَحُّوا عَلَيْهِ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَأَنْ يَبْعَثَ لِقِتَالِ الْأَعْرَابِ غَيْرَهُ مِمَّنْ يُؤَمِّرُهُ مِنَ الشُّجْعَانِ الْأَبْطَالِ، فَأَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ، وَعَقَدَ لَهُمُ الْأَلْوِيَةَ الْأَحَدَ عَشَرَ لِأَحَدَ عَشَرَ أَمِيرًا، عَلَى مَا سَنُفَصِّلُهُ قَرِيبًا
পৃষ্ঠা - ৫২৭৫

এরপর তিন দিন অতিবাহিত হরুআ তারা মদীনায় উপর আক্রমণ পরিচালনা করে এবং
রাত্রিকালেই হামলা করে ৷ তারা তাদের অর্ধেক লোকজনকে ষী-হুসান’ নামক স্থানে রেখে
আসে, যাতে করে ওরা পিছন থেকে সাহায্য করতে পারে ৷ মদীনায় সীমান্ত রক্ষীদেরকে তারা
খলীফা আবু বকরের নিকট হামলার সংবাদ জানাবার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেন ৷ খলীফা এই
রক্ষীদেয়কে পুনরায় তাদের নিকট নির্দেশ দিয়ে প্রেরণ করেন যে, তোমরা নিজেদের অবস্থানে
অবিচল থাকবে ৷ তারপর তিনি মসজিদে উপস্থিত লোকজন সহ তাদের দিকে এগিয়ে গেলেন ৷
শত্রুরা বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ল ৷ মুসলমানগণ উটের সওয়ার হয়ে তাদেরকে অনুসরণ করল ৷
যী হুসান নামক স্থানে পৌছলে সেখানে রক্ষিত বাহিনী এগিয়ে এসে এ বাহিনীর সাথে মিলিত
হয় ৷ যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে ৷ জনৈক করি বলেছেন :
,প্রুাৰু;৷ ৷
এন্ন্ন্পু৷ নৌ ৷ ;,াএ
অর্থাৎ “আমরা রাসুলুল্লাহ্র আনুগত্য তাে করেছি, যতদিন পর্যম্ভ তিনি আমাদের মাঝে
ছিলেন ৷ কিন্তু আল্লাহ্য় বান্দাদেয় এ কী হল, যা আবু বকরের সঙ্গে ঘটছে ৷ রাসুল কি মৃত্যুর
পরে আমাদের জন্যে আবু বকরকে রেখে নিয়েছেন? তা যদি হয়, তা’ হলে আল্লাহ্র কসম,
এটা হবে উম্মাহর শক্তিকে ভেঙ্গে দেয়ার নামান্তর ৷ তোমরা আমাদের প্রতিনিধি দলকে কেন
সেই মুহুর্তে ফেরত পাঠানো আর কেনইবা আবুবকরের প্রজাদের মৃত্যুর ব্যাপারে শঙ্কিত হলে
না? তারা তোমাদের নিকট যে জিনিসের প্রার্থনা করেছিল তোমরা তা মঞ্জুর করতে অস্বীকার
করেছ ৷ এ যেন ঠিক খুরমা চাওয়ার ন্যায় একটি বিষয় কিৎবা তার চেয়েও অধিকতর কাম্য
বস্তু ৷
জুমাদাল আখিয় মাসে খলীফা হযরত আবু বকর সিদ্দীক মদীনায় জনগণ ও সীমান্ত
রক্ষীদেয় নিয়ে পার্শ্ববর্তী আর বেদুঈনদেয় বিরুদ্ধে অভিযানে বেয় হন, যারা পুর্বে মদীনায় উপর
হামলা চালিয়েছিল ৷ তিনি বনু আব্বাস, বনু মুয়রা, বনু ষুব্য়ান এবং বনু কিনানার বিরুদ্ধে
অগ্রসর হন ৷ এসব গোত্রের লোকেরা খলীফায় বিরুদ্ধে শত্রুতায় লিপ্ত হয়েছিল ৷ তৃলায়হা তার
পুত্র হিবালকে দিয়ে এদের সহযোগিতা করেছিল ৷ উভয় লে যখন মুখোমুখি হল তখন গোত্রের
লোকেরা কৌশল অবলম্বন করে ৷ অর্থাৎ তারা পাহাড়ের উপরে উঠে যায় এবং সেখান থেকে
তীর ছুড়তে থাকে ৷ খলীফার বাহিনীর উটগুলো এ অবস্থা দেখে দৌড়ে পালায় ৷ রাত অবধি

সেগুলোকে আর থামান যায়নি ৷ অবশেষে সেগুলো মদীনায় ফিরে যায় ৷ এ প্রসঙ্গে খাতীল ইবন
আওস নিম্নোক্ত কবিতা লিখেছেন :

;গ্রু ব্লুশু
এেষ্া


إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَقَدْ رَوَى الدَّارَقُطْنِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ مُوسَى الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: لَمَّا بَرَزَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ وَاسْتَوَى عَلَى رَاحِلَتِهِ، أَخَذَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِزِمَامِهَا وَقَالَ: إِلَى أَيْنَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ أَقُولُ لَكَ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ " «شِمْ سَيَفَكَ، وَلَا تَفْجَعْنَا بِنَفْسِكَ» ". وَارْجِعْ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ فُجِعْنَا بِكَ لَا يَكُونُ لِلْإِسْلَامِ نِظَامٌ أَبَدًا. فَرَجَعَ. هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ. وَقَدْ رَوَاهُ زَكَرِيَّا السَّاجِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ مُوسَى بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ الزُّهْرِيِّ أَيْضًا، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: خَرَجَ أَبِي شَاهِرًا سَيْفَهُ رَاكِبًا عَلَى رَاحِلَتِهِ إِلَى وَادِي الْقَصَّةِ، فَجَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَأَخَذَ بِزِمَامِ رَاحِلَتِهِ فَقَالَ: إِلَى أَيْنَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ أَقُولُ لَكَ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ: «شِمْ سَيَفَكَ، وَلَا تَفْجَعْنَا بِنَفْسِكَ» ". فَوَاللَّهِ لَئِنْ أُصِبْنَا بِكَ لَا يَكُونُ لِلْإِسْلَامِ نِظَامٌ أَبَدًا. فَرَجَعَ وَأَمْضَى الْجَيْشَ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ سَهْلِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ: لَمَّا
পৃষ্ঠা - ৫২৭৬

অর্থাৎ “বনী যুবৃয়ানের জন্যে আমার বাহন ও উট উৎসর্গ হোক ৷ রাত্রিকালে আবু বকর
হুদী গান গাইতে গাইতে অস্ত্রশস্ত্র সহ চলে গেলেন ৷ কিন্তু লোকজন নিম্পেষিত হল ও এতো
দুর্বল হল যে, না সোজা হয়ে র্দাড়াবার ক্ষমতা থাকলো, না হেটে যাওয়ার শক্তি ৷ আল্লাহ্র আছে
এমন বাহিনী, যারা মনের মত স্বাদ মিটিয়ে দেয়, এটা হল যুগের আশ্চর্য বন্তুসমুহের মধ্যে
অন্যতম ৷ আমরা তাে রাসুলুল্লাহ্র আনুগত্য করেছি, যতদিন তিনি আমাদের মাঝে ছিলেন ৷
কিন্তু আল্লাহ্র বড়ান্দাদের এ কী হল, যা তারা আবু বকরের সাথে করছে!

ঘটনা বা ঘটার তাই ঘটে গেল ৷ লোকজন মুসলমানভৈদরকে দুর্বল ডাবল ৷ তারা অন্যান্য
দিক থেকে গোত্রের নিকট সংবাদ পাঠিয়ে লোকদেরকে সমবেত করলো ৷ আবু বকর (রা) সারা
রাত ধরে লোকদের সাথে ক্লান্ত শ্রান্ত অবস্থায় দাড়িয়ে কাটালেন, রাতের শেষভাগে একদল
সৈন্যসহ তিনি বের হলেন ৷ বাহিনীর ডানভাগে নুআন ইবন মুকার্বিন, বাম ভাগে তার ভাই
আবদুল্লাহ ইব ন মুকার্বিন এবং পশ্চাতভাগে তাদের অপর ভইি সুওয়ায়েদ ইবন মুকার্বিনকে
নিয়োগ করলেন ৷ ভোর হতে না হতেই একটি প্রাম্ভরে উভয় দল মুখোমুখি হয় ৷ কিন্তু শত্রুরা
মুসলমানদের কোন সাড়াশব্দ গেলো না ৷ এ অবস্থায় শত্রুদের উপর মুসলমানরা অতর্কিতে
ঝাপিয়ে পড়েন এবং সুর্য উদয় না হতেই তারা পরাজিত হয়ে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে ৷ হিবালসহ
তাদের বহু সংখ্যক লোক নিহত হয় ৷ খলীফা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেন এবং যুল-কিসৃসায়
অবতরণ করেন ৷ এটা ছিল প্রথম বিজয়, যা দ্বারা মুশরিকরা লাঞ্ছিত হয় এবং মুসলিমগণ
সম্মান লাভ করেন ৷ যুবৃয়ান ও আব্বাস গোত্রদ্বয় তাদের মাঝে বসবাসকারী ঘুসলমানদের উপর
হামলা করে তাদেরকে হত্যা করে ৷ অন্যান্য গোত্ররাও অনুরুপ কাজ করে ৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে
খলীফা আবু বকর কসম করেন যে, যে সব মুসলমানদেৱকে হত্যা করা হয়েছে তাদের বদলায়
ঐ পরিমাণ লোক তাদের গোত্র থেকে হত্যা করা হবে; বরং আরও কিছু অতিরিক্ত করা হবে ৷
যিয়াদ ইবন হানযালা তামীমী এ প্রসঙ্গে লিখেছেন :



অর্থাৎ “আবু বকর সকাল বেলা তাদের পানে দ্রুত ধাবিত হন যেমনটি হত্যাযােগ্য ব্যক্তি
তার মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয় ৷ আলীকে তাদের উপরে নেতা করে পাঠান, তিনি হিবালকে
সমুলে উৎখাত করেন ৷ তিনি আরও লিখেছেন :



;ওশু এে


অর্থাৎ “তাদের উদ্দেশ্যে আমরা উত্তর প্রান্তে অবস্থান গ্রহণ করলাম ৷ এরপর সৈন্যরা
যেভাবে জমায়েত হয় তারাও তদ্রাপ জমায়েত হল ৷ তারা বাহনগুলোকে রেখে শিবির স্থাপন
করে নিল ৷ সৈন্যদের অবস্থানকালে তারা যুদ্ধে টিকে থাকতে সমর্থ হয়নি ৷ এ ছিল সকাল

বেলার ঘটনা, যখন খলীফা আবু বকর লোকদেরকে সুবিন্যস্ত করছিলেন ৷ আমরা বনু আবাস ও
যুবৃয়ান গোত্রের উপর রাত্রিকালে হামলা চালাই এবং তাদেরকে যুদ্ধ থেকে নিবৃত্ত করি ৷ ’


اسْتَرَاحَ أُسَامَةُ وَجُنْدُهُ، وَقَدْ جَاءَتْ صَدَقَاتٌ كَثِيرَةٌ تَفْضُلُ عَنْهُمْ، قَطَعَ أَبُو بَكْرٍ الْبُعُوثَ، وَعَقَدَ الْأَلْوِيَةَ، فَعَقَدَ أَحَدَ عَشَرَ لِوَاءً ; عَقَدَ لِخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَأَمَرَهُ بِطُلَيْحَةَ بْنِ خُوَيْلِدٍ، فَإِذَا فَرَغَ سَارَ إِلَى مَالِكِ بْنِ نُوَيْرَةٍ بِالْبِطَاحِ إِنْ أَقَامَ لَهُ، وَلِعِكْرِمَةَ بْنِ أَبِي جَهْلٍ، وَأَمَرَهُ بِمُسَيْلِمَةَ، وَبَعَثَ شُرَحْبِيلَ ابْنَ حَسَنَةَ فِي أَثَرِهِ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، ثُمَّ إِلَى بَنِي قُضَاعَةَ. وَلِلْمُهَاجِرِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ، وَأَمَرَهُ بِجُنُودِ الْعَنْسِيِّ، وَمَعُونَةِ الْأَبْنَاءِ عَلَى قَيْسِ بْنِ مَكْشُوحٍ - قُلْتُ: وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ نَزَعَ يَدَهُ مِنَ الطَّاعَةِ، عَلَى مَا سَيَأْتِي - قَالَ: وَلِخَالِدِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ إِلَى مَشَارِفِ الشَّامِ. وَلِعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ إِلَى جِمَاعِ قُضَاعَةَ وَوَدِيعَةَ وَالْحَارِثِ. وَلِحُذَيْفَةَ بْنِ مِحْصَنٍ الْغَطَفَانِيِّ، وَأَمَرَهُ بِأَهْلِ دَبَا. وَلِعَرْفَجَةَ بْنِ هَرْثَمَةَ وَأَمَرَهُ بِمَهْرَةَ. وَلِطَرِيفَةَ بْنِ حَاجِزٍ، وَأَمَرَهُ بِبَنِي سُلَيْمٍ وَمَنْ مَعَهُمْ مِنْ هَوَازِنَ. وَلِسُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ، وَأَمَرَهُ بِتِهَامَةِ الْيَمَنِ. وَلِلْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، وَأَمَرَهُ بِالْبَحْرَيْنِ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَدْ كَتَبَ لِكُلِّ أَمِيرٍ كِتَابَ عَهْدِهِ عَلَى حِدَتِهِ، فَفَصَلَ كُلُّ أَمِيرٍ بِجُنْدِهِ مِنْ ذِي الْقَصَّةِ، وَرَجَعَ الصِّدِّيقُ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَقَدْ كَتَبَ مَعَهُمُ الصِّدِّيقُ كِتَابًا إِلَى الْمُرْتَدَّةِ، وَهَذِهِ نُسْخَتُهُ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ أَبِي بَكْرٍ خَلِيفَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَنْ بَلَغَهُ كِتَابِي هَذَا مِنْ عَامَّةٍ وَخَاصَّةٍ، أَقَامَ عَلَى إِسْلَامِهِ أَوْ رَجَعَ
পৃষ্ঠা - ৫২৭৭

এ ছিল ইসলাম ও মুসলমানদের বিরটি বিজয় ৷ সমস্ত গোত্রে মুসলমানগণ সম্মানিত এবং
কাফিররা লাঞ্ছিত হয় ৷ খলীফা আবু বকর বিজয়ী বেশে মদীনায় প্রবেশ করেন ৷ রাত্রিবেলা
মদীনা শহরে আদী ইবন হাতিম, সাফওয়ান ও যবরকানের প্রদত্ত যাকাতের মাল এসে পৌছল ৷
প্রথম দফা যাকাত আসে রাতের প্রথম ভাগে, দ্বিতীয় দফা যাকাত আসে রাতের মধ্য ভাগে
এবং তৃতীয় দফা যাকাত আসে রাতের শেষ ভাগে ৷ প্রতিবার যাকাতের সাথে সীমান্ত রক্ষী
আমীরের এক একজন সৃ-সংবাদ বহনকারী হিসেবে আগমন করেন ৷ সাফওয়ানের যাকাতের

ৎবাদ বহনকারী ছিলেন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস, যাবরকানের সংবাদ বহনকারী আবদুর
রহমান ইবন আওফ এবং আদী ইবন হাতিমের যাকাতের সংবাদ বহনকারী ছিলেন আবদুল্লাহ্
ইবন মাসউদ (রা) মতাম্ভরেআবুকাতড়াদা আনসারী (রা) ৷

এ ঘটনা সংঘটিত হয় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ইনতিকালের ষাট দিনের মাথায় ৷ এর কয়েক
দিন পর উসামা ইবন যায়দ মদীনায় এসে পৌছেন ৷ আবু বকর তাকে মদীনায় দায়িত্বভার
দিলেন এবং বাহনগুলিকে বিশ্রাম দিতে বললেন ৷ তারপর হযরত আবু বকর পুর্বোল্পেখিত
যিল-কিসৃসার অভিযানের সঙ্গীদের নিয়ে অভিযানে বের হন ৷ মুসলমানগণ তড়াকে মদীনায় ফিরে
গিয়ে অন্য কাউকে পাঠিয়ে দেয়ার জন্যে অনুরোধ করলেন ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম,
আমি তড়া’ করব না ৷ আমি নিজেই তোমাদের দুঃখ-কষে ৷ট শরীক থাকতে চাই ৷ এরপর তিনি
একদল ৰুসৈন্যসহ ঘু-হুসান ও যুল কিসৃসার দিকে যান ৷ মুকার্বিনের পুএগণ-নুমান, আবদৃল্লাহ্ ও
সৃ-ওয়াইদ পুর্বের স্থানেই বহাল থাকেন ৷ খলীফা আবরাকে এলাকায় রাবাযীবাসীদের নিকট
উপনীত হন ৷ সেখানে ছিল আবাস, যুবয়ান ও কিনানা গোত্রের কয়েকটি দল ৷ তাদের সাথে
খলীফার যুদ্ধ হয় ৷ যুদ্ধে হারিছ ও আওফ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় ৷ তাদের অনেক লোক
বন্দী হয় ৷ বনু আবাস ও বনু বকর উৎথাত হয় ৷ আবু বকর (রা) আবরাকে কয়েকদিন যাবত
অবস্থান করেন ৷ এলাকার উপর বানী যুবয়ান বিজয় লাভ করে ৷ আবু বকর (রা) বলেন,
এলাকার মালিক বানী যুবয়ান হতে পারবে না ৷ কেননা, এটাকে আল্পাহ্ গনীমত হিসেবে
আমাদেরকে দান করেছেন এবং মুসলমানদের অশ্বের সাহায্যে আবরাক এলাকাকে সংরক্ষিত
রেখেছেন ৷ রাবাযার সমগ্র এলাকাকে তিনি চারণ ভুমি করেছেন ৷ আবাস ও যুবয়ান গোত্রের
লোকজন ভালহাব দলের দিকে পলায়ন করে, তখন সে বুযাখড়ায় অবস্থান করছিল ৷ আবরাক
ঘটনার দিন সম্পর্কে যিয়াদ ইবন হানযালা লিখেছেন :

ণ্গ্রা


অর্থ : স্মরণযোগ্য সেই দিনের কথা, যেই দিন আমরা আবরাকের যুদ্ধে যুবৃয়ানের বিরুদ্ধে
লড়াই করেছিলাম ৷ তখন তারা ক্রেড়াধের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিয়েছিল ৷ আমরা খলীফা

সিদ্দীকের সাথে চুড়ান্ত যুদ্ধে লিপ্ত হই ৷ ফলে কাউকে রেহইি দেওয়া হয় নইি ৷ তিনি তখন
দােষড়ারোপ পরিহার করেন ৷

যুল কিস্সা অভিযান

উসামা বাহিনীর প্রত্যাবর্তন ওবিশ্রাম গ্রহণের পর এ ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ খলীফা হযরত
আবু বকর সিদ্দীক কোষমুক্ত তরবারী নিয়ে মুসলিম বাহিনীসহ মদীনা থেকে যুল-কিস্সা গমন


عَنْهُ، سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، وَلَمْ يَرْجِعْ بَعْدَ الْهُدَى إِلَى الضَّلَالَةِ وَالْهَوَى، فَإِنِّي أَحْمَدُ اللَّهَ إِلَيْكُمُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، نُقِرُّ بِمَا جَاءَ بِهِ، وَنُكَفِّرُ مَنْ أَبَى ذَلِكَ وَنُجَاهِدُهُ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ اللَّهَ أَرْسَلَ مُحَمَّدًا بِالْحَقِّ مِنْ عِنْدِهِ إِلَى خَلْقِهِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا، وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُنِيرًا، لِيُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ، فَهَدَى اللَّهُ بِالْحَقِّ مَنْ أَجَابَ إِلَيْهِ، وَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَدْبَرَ عَنْهُ، حَتَّى صَارَ إِلَى الْإِسْلَامِ طَوْعًا وَكَرْهًا، ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ نَفَذَ لِأَمْرِ اللَّهِ، وَنَصَحَ لِأُمَّتِهِ، وَقَضَى الَّذِي عَلَيْهِ، وَكَانَ اللَّهُ قَدْ بَيَّنَ لَهُ ذَلِكَ، وَلِأَهْلِ الْإِسْلَامِ فِي الْكِتَابِ الَّذِي أَنْزَلَ فَقَالَ: {إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ} [الزمر: 30] . وَقَالَ: {وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِنْ قَبْلِكَ الْخُلْدَ أَفَإِنْ مِتَّ فَهُمُ الْخَالِدُونَ} [الأنبياء: 34] . وَقَالَ لِلْمُؤْمِنِينَ: {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ} [آل عمران: 144] . فَمَنْ كَانَ إِنَّمَا يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللَّهَ فَإِنَّ اللَّهَ حَيٌّ لَا يَمُوتُ، وَلَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ، حَافِظٌ لِأَمْرِهِ، مُنْتَقِمٌ مِنْ عَدُّوِهِ، وَإِنِّي أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَحَظِّكُمْ وَنَصِيبِكُمْ مِنَ اللَّهِ، وَمَا جَاءَكُمْ بِهِ نَبِيُّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْ تَهْتَدُوا بِهُدَاهُ، وَأَنْ تَعْتَصِمُوا بِدِينِ اللَّهِ، فَإِنَّ كُلَّ مَنْ لَمْ يَهْدِهِ اللَّهُ ضَالٌّ، وَكُلَّ مَنْ لَمْ يُعَافِهِ
পৃষ্ঠা - ৫২৭৮

করেন ৷ মদীনা থেকে এ স্থানটি এক দিনের দুরত্বে অবস্থিত ৷ হযরত আলী খলীফার বাহনকে
নিয়ে যাচ্ছিলেন-যার বর্ণনা পরে আসছে ৷ আলী সহ কতিপয় সাহারা খলীফাকে মদীনায় ফিরে
গিয়ে অন্য কোন বীরকে পাঠানোর অনুরোধ জানান ৷ খলীফা তাদের কথায় সাড়া দিয়ে এপার
জন আমীরের নিকট এগারটি ঝাণ্ডা বেধে দিয়ে তাদেরকে অভিযানে পাঠালেন ৷ দারা কুতনী
আবদ্বণ ওহাব ইবন মুসা যুহরীব বরাতে হযরত ইৰুন উমর থেকে বর্ণনা করেন, খলীফা
আবু বকর যুল কিসৃসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে যখন বাহনে চড়েন, তখন হযরত আলী বাহনের
লাগাম ধরে জিজ্ঞেস করেন, হে রাসুলুল্পাহ্র খলীফা, আপনি কোথায় চলােছন? আমি
আপনাকে সেই কথাটি বলতে চইি, যে কথা রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদের যুদ্ধকালে আমাকে
বলেছিলেন ৷ আপনাকে কেন তরবারি ধরতে হবে? আপনি আমাদেরকে দৃশ্চিন্তা ও বিপদের
মধ্যে ফেলবেন না ৷ আপনি মদীনায় ফিরে যান ৷ কসম আল্লাহ্র, যদি আপনার ব্যাপারে আমরা
শংকিত ও বিপদগ্রস্ত হই তা হলে ইসলামের রষ্টীয় ব্যবস্থা আর কখনও কায়েম হবে না ৷ তখন
খলীফা প্রত্যাবর্তন করেন ৷

মালিক সুত্রে এ বর্ণনাটি গরীব পর্যায়ের ৷ কিন্তু যাকারিয়া আবদুল ওহাবের সুত্রে
আবদুর রহমান ইবন আওফ থেকে এবং যুহরী আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বললেন, আমার পিতা উন্মুক্ত তরবারি হাতে বাহনে চড়ে ওয়াদিউল কিসৃসাৱ দিকে বের হয়ে
পড়েন ৷ এ সময় আলী এসে বাহনের লাগাম ধরে জিজ্ঞেস করলেন, হে রাসুলুল্লাহ্র খলীফা!
কোথায় যাচ্ছেন? আমি আপনাকে সেই কথাটি বলতে চইি যেই কথাটি রাসুলুল্লাহ্ (সা)
উহুদের যুদ্ধের দিন বলেছিলেন, আপনার হাতে তরবারি কেন? আপনার ব্যাপারে আমাদেরকে
চিন্তায় ফেলবেন না ৷ আল্লাহ্র কসম, আপনাকে যদি আমরা হারিয়ে ফেলি, তা হলে আপনার
পরে ইসলামের রাদ্রীয় ব্যবস্থা আর টিকে থাকবে না ৷ তখন খলীফা ফিরে যান এবং সৈন্য
বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ সায়ফ ইবন উমর কাসিম ইবন মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন,
উসামা ও তার বাহিনী যুদ্ধ থেকে ফিরে আসে প্রচুর পরিমাণ সাদকার মালসহ, হযরত আবু
বকর তখন কতকগুলি বাহিনী তৈরী করেন ৷ তিনি সৈন্যদেরকে এগারটি বিগ্রেডে বিভক্ত
করেন ৷ এবং এগারটি পতাকা বেধে দেন ৷ একটি পতাকা দেন খালিদ ইবন ওলীদের হাতে ৷
খলীফা তড়াকে তৃলায়হা ইবন খুওয়ায়লিদের মুকাবিলার নির্দেশ দেন এবং এখানকার বিদ্রোহ
দমন করে বাতাহ্ এলাকায় মালিক ইবন নুওয়ায়রার মুকাবিলার যেতে বলেন ৷

ইকরামা ইবন আবু জাহলেৱ নেতৃত্বে আর একটি বিগ্রেডকে মুসায়লামার বিরুদ্ধে নিয়োগ
করেন ৷ শুরাহ্বীল ইবন হাসনাকে ইকরামার বাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে মুসায়লামাৱ বিদ্রোহ
দমন করে বনু কুজাআর বিরুদ্ধে যেতে বলেন ৷ আবু উম্যায়্যার নেতৃত্বে মুহাজিরদের একটি
বিগ্রেডকে আসওদ আনাসীর বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন এবং কায়স ইবন মাকশুহ্ এর
বিরুদ্ধে লোকদের সাহায্য করার নির্দেশ দেন ৷ আমি (গ্রন্থকার) বলি, এ নির্দেশ এ কারণে
দেয়া হয়েছিল যে, সে আনুগত্য পরিত্যাগ করেছিল ৷ সামনে এ ব্যাপারে আলোচনা আসবে ৷
খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আসের বিগ্রেডকে সিরিয়ার এবং আমর ইবনুল আসের বিগ্রেডকে
কুজাআ, ওদীআ ও হারিছ গোত্রের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন ৷ হুযায়ফা ইবন মিহ্সানের অধীনে
আর এক বিগ্রেডকে দাবা, আরফাজা, হারছামা ও অন্যান্য অঞ্চলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে
পাঠান ৷ তৃরফা ইবন হাজ্যিবর অধীনে এক বিগ্রেড পাঠান বনী সুলায়ম ও হাওয়াযিনেৱ


مُبْتَلًى، وَكُلَّ مَنْ لَمْ يُعِنْهُ اللَّهُ مَخْذُولٌ، وَمَنْ هَدَاهُ اللَّهُ كَانَ مُهْتَدِيًا، وَمَنْ أَضَلَّهُ كَانَ ضَالًّا، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {مَنْ يَهْدِ اللَّهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ وَلِيًّا مُرْشِدًا} [الكهف: 17] . وَلَمْ يُقْبَلْ مِنْهُ فِي الدُّنْيَا عَمَلٌ حَتَّى يُقِرَّ بِهِ، وَلَمْ يُقْبَلْ لَهُ فِي الْآخِرَةِ صَرْفٌ وَلَا عَدْلٌ، وَقَدْ بَلَغَنِي رُجُوعُ مَنْ رَجَعَ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ بَعْدَ أَنْ أَقَرَّ بِالْإِسْلَامِ، وَعَمِلَ بِهِ ; اغْتِرَارًا بِاللَّهِ وَجَهْلًا بِأَمْرِهِ، وَإِجَابَةً لِلشَّيْطَانِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ أَفَتَتَّخِذُونَهُ وَذُرِّيَّتَهُ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِي وَهُمْ لَكُمْ عَدُوٌّ بِئْسَ لِلظَّالِمِينَ بَدَلًا} [الكهف: 50] . وَقَالَ: {إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ} [فاطر: 6] . وَإِنِّي بَعَثْتُ إِلَيْكُمْ فُلَانًا فِي جَيْشٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَالتَّابِعَيْنِ بِإِحْسَانٍ، وَأَمَرْتُهُ أَنْ لَا يَقْبَلَ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا الْإِيمَانَ بِاللَّهِ، وَلَا يَقْتُلُهُ حَتَّى يَدْعُوَهُ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَإِنْ أَجَابَ وَأَقَرَّ وَعَمِلَ صَالَحَا، قَبِلَ مِنْهُ وَأَعَانَهُ عَلَيْهِ، وَإِنْ أَبَى، حَارَبَهُ عَلَيْهِ حَتَّى يَفِيءَ إِلَى أَمْرِ اللَّهِ، ثُمَّ لَا يُبْقِي عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ قَدَرَ عَلَيْهِ، وَأَنْ يَحْرِقَهُمْ بِالنَّارِ وَأَنْ يَقْتُلَهُمْ كُلَّ قِتْلَةٍ، وَأَنْ يَسْبِيَ النِّسَاءَ وَالذَّرَارِيَّ، وَلَا يَقْبَلَ مَنْ أَحَدٍ غَيْرَ الْإِسْلَامِ، فَمَنِ اتَّبَعَهُ فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ، وَمَنْ تَرَكَهُ فَلَنْ يُعْجِزَ اللَّهَ، وَقَدْ أَمَرْتُ رَسُولِي أَنْ يَقْرَأَ كِتَابَهُ فِي كُلِّ مَجْمَعٍ لَكُمْ، وَالدَّاعِيَةُ الْأَذَانُ، فَإِذَا أَذَّنَ الْمُسْلِمُونَ فَكُفُّوا عَنْهُمْ، وَإِنْ لَمْ يُؤَذِّنُوا عَاجِلُوهُمْ، وَإِنْ أَذَّنُوا فَسَلُوهُمْ مَا عَلَيْهِمْ، فَإِنْ أَبَوْا
পৃষ্ঠা - ৫২৭৯

বিরুদ্ধে ৷ সুওয়াইদ ইবন মুকার্বিনের বিগ্রেডকে ইয়ামানের তিহামায় এবং আলা আল হাযরামীর
বিগ্রেডকে বাহ্রায়নে প্রেরণ করেন ৷ প্রত্যেক সেনাধ্যক্ষকে তাদের স্ব-স্ব দায়িত্বভার লিখে দেন
এবং যুল কিস্সা থেকে সৈন্যসহ তাদেরকে বিদায় করেন ৷ তারপর খলীফা মদীনায় ফিরে
আসেন ৷ তাদের মাধ্যমে খলীফা একটা পত্র লিখে রাবাযায় পৌহিঃয়ছেন ৷ পত্রটির পাঠ নিম্নরুপঃ


ব্লুপ্রু;৷ গ্লু,ন্
ব্লেট্টঠো
১’
তাংষ্
ণুা৷

০ ; ,

৷ পুএে ধ্া,; ৷

;

ছুৰুন্ন্
৷ প্রুট্রুড্রুও
এো১’গ্লু

অর্থাৎ “বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম ৷ রাসুলুল্পাহ্র খলীফা আবু বকরের পক্ষ থেকে এ
পত্রটি সেই সব লোকের প্রতি প্রেরিত হলো, যাদের নিকট এটা পৌছবে ৷ ইসলামের উপর যে
প্রতিষ্ঠিত আছে কিৎবা ইসলাম যে ত্যাগ করেছে-বিশিষ্ট ও সাধারণ সকলের নিকট এ পত্র ৷
হিদায়াণ্ডে র পথ অনুসরণকারীর উপর শান্তি বর্ষিত হোক ৷ যে হিদায়াত পাওয়ার পর ভ্রষ্টত৷ ও
প্রবৃত্তির অনুসরণ করেনি ৷ আমি সেই আল্লাহ্র প্রশংসা করছি, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্
নেই ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই,র্তার কোন শরীক
সেই ৷ আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা) তার বান্দ৷ ও রাসুল ৷ তিনি যা কিছু বিধান
নিয়ে এসেছেন, তা স্বীকার করছি ৷ যে ব্যক্তি তা মানছে না তাকে ঘৃণা করছি ও তার বিরুদ্ধে
যুদ্ধ ঘোষণা করছি ৷ পর সমাচার, আল্পাহ্ তার পক্ষ থেকে মানুষের নিকট এমন সত্য নবী
প্রেরণ করেছেন, যিনি একা সাথে সু-সৎবাদ দানকারী ও ভয় প্রদর্শনকারী এবং যিনি আল্লাহ্র
দিকে আহবানকারী এবং যিনি এক উজ্জ্বল প্রদীপ ৷ এ ব্যবস্থা এ জন্যে করেছেন যাতে তিনি
জীবিত লোকদেরকে সতর্ক করতে পারেন ও কাফিরদের উপর শাস্তির ফয়সালা কার্যকরী


عَاجِلُوهُمْ، وَإِنْ أَقَرُّوا قَبِلَ مِنْهُمْ وَحَمَلَهُمْ عَلَى مَا يَنْبَغِي لَهُمْ. رَوَاهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ. [مَسِيرَةُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ لِقِتَالِ أَهْلِ الرِّدَّةِ] فَصْلٌ فِي مَسِيرَةِ الْأُمَرَاءَ مِنْ ذِي الْقَصَّةِ عَلَى مَا عُوهِدُوا عَلَيْهِ. وَكَانَ سَيِّدَ الْأُمَرَاءِ وَرَأْسَ الشُّحْعَانِ الصَّنَادِيدِ أَبُو سُلَيْمَانَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ. رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ طَرِيقِ وَحْشِيِّ بْنِ حَرْبٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقِ لَمَّا عَقَدَ لِخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الرِّدَّةِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «نِعْمَ عَبْدُ اللَّهِ وَأَخُو الْعَشِيرَةِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ، سَلَّهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَى الْكُفَّارِ وَالْمُنَافِقِينَ» . وَلَمَّا تَوَجَّهَ خَالِدٌ مِنْ ذِي الْقَصَّةِ وَفَارَقَهُ الصِّدِّيقُ، وَاعَدَهُ أَنَّهُ سَيَلْقَاهُ مِنْ نَاحِيَةِ خَيْبَرَ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْأُمَرَاءِ، وَأَظْهَرُوا ذَلِكَ لِيُرْعِبُوا الْأَعْرَابَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَذْهَبَ
পৃষ্ঠা - ৫২৮০

করেন ৷ যে কেউ সে সত্যের ডাকে সাড়া দিয়েছে তাকে আল্লাহ হিদায়াত দান করেহ্নো ৷ আর
যে কেউ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তার বিরুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ স৭গ্নাম করেছেন ৷ যাবৎ না
সে স্বেচ্ছায় কিৎবা বাধ্য হয়ে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৷ এরপর আল্লাহ্ তার রাসুলের ওফাত
দান করেছেন ৷ তিনি আল্লাহ্র বিধান চালু করেছেন, উম্মতকে কল্যাণ দান করেছেন, তার উপর
অর্পিত দায়িতৃ পুর্ণরর্দুপে পালন করেছেন ৷ এ সত্য আল্লাহ্ তার রাসুলকে জানিয়েছেন ও

মুসলমানদের জন্যে কুরআন মজীদে বর্ণনা করেছেন যথা : আল্লাহ্র বাণী ;; ন্ট্রু১ ৷ এ ’ এ ৷



গ্লুএএ; অর্থাৎ “তোমারও মৃত্যু হবে এবং তাদেরও মৃত্যু হবে” ( ৩৯ যুমার ;; ৩০)

৩ ’ ’ ’ # ং ’ :

আল্লাহ্র এ
অর্থাৎ “ তামার পুর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি ৷ সুতরাং তোমার মৃত্যু
হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? (২১ আম্বিয়াং : ৩৪) ৷

ঈমানদার লোকদেরকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ্ বলেছেন :

’ : ’





অর্থাৎ “আর মুহাম্মদ একজন রাসুল হৈ তো নয় ৷৩ তার পুর্বেও বহু রাসুল অতিবাহিত হয়ে
গেছে ৷ তা হলে সে যদি মৃত্যুবরণ করে অথবা নিহত হয়,৩ তবে কি তোমরা পশ্চাদপসারণ ,
করবে? বস্তুত কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহ্র কোনই ক্ষতি হবে না ৷ আর
যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ্ অচিরেই তাদেরকে পুরস্কার দেবেন” (৩ আলে ইমরান : ১৪৪) ৷

এখন যে ব্যক্তি মুহাম্মদের ইবাদত করত সে জেনে রাথুক যে, মুহাম্মদের মৃত্যু হয়েছে ৷
আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্র ইবাদত করত তার জানা উচিত যে, আল্লাহ্চিরঞ্জীব, তার মৃত্যু নেই,
নিদ্বা নেই, তন্দ্র৷ নেই, তিনি তার কর্মকাণ্ডের সংরক্ষণকারী, শত্রু থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী ৷
তোমাদের জন্যে আমার উপদেশ হচ্ছে : তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করবে, তোমাদের অধিকার ও
কর্ত্যব্যর প্রতি লক্ষ্য রাথবে, নবী (সা) তোমাদের কাছে যে বিধান নিয়ে এসেছেন তা পালন
করবে, নবীর প্রদর্শিত পথ অবলম্বন করবে, আল্লাহর দেয়৷ দীন শক্ততাবে ধারণ করবে, কেননা,
যে ব্যক্তি আল্লাহ্রণ্ দীনকে মানে না সে পথভ্রষ্ট ৷ যে ব্যক্তিকে আল্পাহ্ সাহায্য করেন৷ সে
লাঞ্ছিত ৷ আল্লাহ্র পথ ব্যতীত অন্য যে কারো পথই বাতিল ভ্রান্ত ৷ আল্লাহ্র বাণী :

০ ৩ :

অর্থাৎ “আল্লাহ্ যাকে সৎপথে চালান সেই সৎপথ প্রাপ্ত হয় ৷ এবং৩ তিনি যাকে পথভ্রষ্ট
করেন তুমি কখনও তার জন্যে পথ প্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবে না” ( ১৮ কাহাফ : ১ ৭ ) ৷
তাকে স্বীকার না করা পর্যন্ত দুনিয়ার কোন বান্দার আমলই গ্রহণযোগ্য হয় না, আর
আখিরাতে তার করা সফল কোন ইবাদতই কবুল হবে না ৷ আমার কাছে সংবাদ পৌছেছে যে,
তোমাদের মধ্যে কিছু সং খ্যক লোক দীন ইসলাম মেনে নেয়ার ও তদনুযায়ী আমল করার পর
৬০


أَوَّلًا إِلَى طُلَيْحَةَ الْأَسَدِيِّ، ثُمَّ يَذْهَبَ بَعْدَهُ إِلَى بَنِي تَمِيمٍ، وَكَانَ طُلَيْحَةُ بْنُ خُوَيْلِدٍ فِي قَوْمِهِ بَنِي أَسَدٍ، وَفِي غَطَفَانَ، وَانْضَمَّ إِلَيْهِمْ بَنُو عَبْسٍ وَذُبْيَانُ، وَبَعَثَ إِلَى بَنِي جَدِيلَةَ وَالْغَوْثِ وَطَيِّئٍ يَسْتَدْعِيهِمْ إِلَيْهِ، فَبَعَثُوا أَقْوَامًا مِنْهُمْ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، لِيَلْحَقُوا عَلَى أَثَرِهِمْ سَرِيعًا، وَكَانَ عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ وَالزِّبْرِقَانُ بْنُ بَدْرٍ قَدْ قَدِمَا عَلَى أَبِي بَكْرٍ بِصَدَقَاتِ قَوْمِهِمَا بَعْدَ وَفَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَتَقَوَّى بِهَا أَبُو بَكْرٍ عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الرِّدَّةِ، وَلَمْ يَزَلْ لِعَدِيِّ وَالزِّبْرِقَانِ بِذَلِكَ الشَّرَفُ عَلَى قَوْمِهِمَا وَمَنْ سِوَاهُمَا، وَكَانَ الصِّدِّيقُ قَدْ بَعَثَ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ قَبْلَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَقَالَ لَهُ: أَدْرِكْ قَوْمَكُ لَا يَلْحَقُوا بِطُلَيْحَةَ فَيَكُونَ دَمَارُهُمْ. فَذَهَبَ عَدِيٌّ إِلَى قَوْمِهِ بَنِي طَيِّئٍ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يُبَايِعُوا الصِّدِّيقَ، وَأَنْ يُرَاجِعُوا أَمْرَ اللَّهِ، فَقَالُوا: لَا نُبَايِعُ أَبَا الْفَصِيلِ أَبَدًا، يَعْنُونَ أَبَا بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لِيَأْتِيَنَّكُمْ جَيْشٌ، فَلَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّى تَعْلَمُوا أَنَّهُ أَبُو الْفَحْلِ الْأَكْبَرِ. وَلَمْ يَزَلْ عَدِيٌّ يَفْتِلُ لَهُمْ فِي الذِّرْوَةِ وَالْغَارِبِ حَتَّى لَانُوا، وَجَاءَ خَالِدٌ فِي الْجُنُودِ، وَعَلَى مُقَدِّمَةِ الْأَنْصَارِ الَّذِينَ مَعَهُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، وَبَعَثَ بَيْنَ يَدَيْهِ ثَابِتَ بْنَ أَقْرَمَ وَعُكَّاشَةَ بْنَ مِحْصَنٍ طَلِيعَةً، فَتَلَقَّاهُمَا طُلَيْحَةُ وَأَخُوهُ سَلَمَةُ فِيمَنْ مَعَهُمَا، فَلَمَّا وَجَدَا ثَابِتًا وَعُكَّاشَةَ تَبَارَزُوا، فَقَتَلَ عُكَّاشَةُ حِبَالَ بْنَ طُلَيْحَةَ - وَقِيلَ: بَلْ كَانَ قَتَلَ حِبَالًا قَبْلَ ذَلِكَ - وَأَخَذَ مَا مَعَهُ، وَحَمَلَ عَلَيْهِ طُلَيْحَةُ فَقَتَلَهُ، وَقَتَلَ هُوَ وَأَخُوهُ سَلَمَةُ ثَابِتَ بْنَ أَقْرَمَ، وَجَاءَ خَالِدٌ بِمَنْ مَعَهُ فَوَجَدُوهُمَا صَرِيعَيْنِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، ثُمَّ أَمَرَ بِهِمَا فَدُفِنَا بِدِمَائِهِمَا فِي ثَوْبَيْهِمَا. وَقَدْ قَالَ طُلَيْحَةُ فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৫২৮১
عَشِيَّةَ غَادَرْتُ ابْنَ أَقْرَمَ ثَاوِيًا ... وَعُكَّاشَةَ الْغَنْمِيَّ تَحْتَ مَجَالِ أَقَمْتُ لَهُ صَدْرَ الْحَمَالَةِ إِنَّهَا ... مُعَوَّدَةٌ قَبْلَ الْكُمَاةِ نِزَالِ فَيَوْمًا تَرَاهَا فِي الْجُلَالِ مَصُونَةً ... وَيَوْمًا تَرَاهَا فِي ظِلَالِ عَوَالِي وَإِنْ تَكُ أَذْوَادٌ أُصِبْنَ وَنِسْوَةٌ ... فَلَمْ يَذْهَبُوا فِرْغًا بِقَتْلِ حِبَالِ وَمَالَ خَالِدٌ إِلَى بَنِي طَيِّئٍ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ فَقَالَ: أَنْظِرْنِي ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ ; فَإِنَّهُمْ قَدِ اسْتَنْظَرُونِي حَتَّى يَبْعَثُوا إِلَى مَنْ تَعَجَّلَ مِنْهُمْ إِلَى طُلَيْحَةَ حَتَّى يَرْجِعُوا إِلَيْهِمْ، فَإِنَّهُمْ يَخْشَوْنَ إِنْ تَابَعُوكَ أَنْ يَقْتُلَ طُلَيْحَةُ مَنْ سَارَ إِلَيْهِ مِنْهُمْ، وَهَذَا أَحَبُّ إِلَيْكَ مِنْ أَنْ يُعْجِّلَهُمْ إِلَى النَّارِ. فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ثَلَاثٍ جَاءَهُ عَدِيٌّ فِي خَمْسِمِائَةِ مُقَاتِلٍ مِمَّنْ رَاجَعَ الْحَقَّ، فَانْضَافُوا إِلَى جَيْشِ خَالِدٍ، وَقَصَدَ خَالِدٌ بَنِي جَدِيلَةَ، فَقَالَ لَهُ عَدِيٌّ: أَجِّلْنِي أَيَّامًا حَتَّى آتِيَهُمْ، فَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُنْقِذَهُمْ كَمَا أَنْقَذَ طَيِّئًا، فَأَتَاهُمْ عَدِيٌّ فَلَمْ يَزَلْ بِهِمْ حَتَّى بَايَعُوهُ، فَجَاءَ خَالِدًا بِإِسْلَامِهِمْ، وَلَحِقَ بِالْمُسْلِمِينَ مِنْهُمْ أَلْفُ رَاكِبٍ، فَكَانَ عَدِيٌّ خَيْرَ مَوْلُودٍ وَأَعْظَمَهُ بَرَكَةً عَلَى قَوْمِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالُوا: ثُمَّ سَارَ خَالِدٌ حَتَّى نَزَلَ بِأَجَأٍ وَسَلْمَى، وَعَبَّأَ جَيْشَهُ هُنَالِكَ، وَالْتَقَى مَعَ طُلَيْحَةَ الْأَسَدِيِّ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: بُزَاخَةُ. وَوَقَفَتْ أَحْيَاءٌ كَثِيرَةٌ مِنَ الْأَعْرَابِ يَنْظُرُونَ عَلَى مَنْ تَكُونُ الدَّائِرَةُ، وَجَاءَ طُلَيْحَةُ فِيمَنْ مَعَهُ مِنْ قَوْمِهِ وَمَنِ الْتَفَّ مَعَهُمْ وَانْضَافَ إِلَيْهِمْ، وَقَدْ حَضَرَ مَعَهُ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ فِي سَبْعِمِائَةٍ مِنْ قَوْمِهِ
পৃষ্ঠা - ৫২৮২

আবার তা থেকে ফিরে গিয়েছে ৷ তারা এরুপ করেছে আল্লাহ্কে ঘোকা দেয়ার জন্যে, তার
নির্দেশ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে ও শয়তানের আহবানে সাড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে ৷ আল্লাহ্র
বাণী


০ ! : ! : ; শ্ : : ; : (, ; : ; ( : ; ষ্ : শ্ : শ্


অর্থাৎ “যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, আদমকে সিজদা কর, তখন সবইি সিজদা
করল ইবলীস ব্যতীত ৷ সে ছিল জিনদের অন্তর্ভুক্ত ৷ সে তার রবের আদেশ অমান্য করল ৷
অতএব, তোমরা কি আমার পরিবর্তে তাকে এবং তার বংশধরকে অজ্যিাবকরুপে গ্রহণ করছ?
অথচ তারা তোমাদের শত্রু ৷ এটা যালিমদের জন্যে কতই না নিকৃষ্ট বিনিময়” ( ১৮ কাহ্ফ :
৫০)
আল্পাহ্র বাণী :
৷ ট্রু,শ্া


অর্থাৎ “শয়তান তোমাদের শত্রু, অতএব তাকে শত্রুরুপেই গ্রহণ কর ৷ সে তার দলবলকে
আহবান করে যেন তারা জাহান্নামী হয়” (৩৫ ফাতির : ৬) ৷

আমি মুহাজির, আনসার ও তাবিঈ সমন্বয়ে গঠিত সৈন্যদের মাধ্যমে তোমাদের নিকট
নির্দেশ পাঠিয়েছি ৷ আমি তাদেরকে বলে দিয়েছি যে, আল্লাহর উপর ঈমান আনা ব্যতীত
কাউকে রেহাই দেবে না ৷ ঈমান গ্রহণের জন্যে আহ্বান না জানান পর্যন্ত তার বিরুদ্ধ যুদ্ধ করবে
না ৷ যদি এ আহ্বানে সাড়া দেয়, ঈমানের স্বীকৃতি দেয় এবং সৎকর্মসমুহ করতে থাকে তা হলে
তাকে ছেড়ে দাও ও সাহায্য কর ৷ আর যদি তা না মানে তবে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর যতক্ষণ না
আল্লাহ্র বিধানের দিকে ফিরে আসে ৷ এরপর তাদের মধ্যে আর কারও কোন শক্তি থাকবে না ৷
আমি আরও নির্দেশ দিয়েছি আগুনে পুড়িয়ে দিতে, সম্পুর্ণরুপে নির্মুল করতে ও নারী ও
শিশুদেরকে বন্দী ও আটক করতে ৷ আমি বলে দিয়েছি, ইসলাম ব্যতীত আর কিছুই গৃহীত হবে
না ৷ যে ব্যক্তি এ নির্দেশ মেনে নেবে তা তার জন্যে বল্যোণ হবে ৷ আর যে তা মানতে অস্বীকার
করবে সে আল্লাহ্কে কিছুতেই অক্ষম করতে পারবে না ৷ আমি আমার দুতকে নির্দেশ দিয়েছি
যে, সে যেন এ পত্র তোমাদের সকল সমাবেশে পাঠ করে শোনার এবং আযান হচ্ছে ইসলামের
প্রতীক স্বরুপ ৷ যদি তারা আযান দেয় তবে তাদেরকে আক্রমণ থেকে বিরত থাক ৷ আর যদি
আযান না দেয় তাহলে তাদের উপর যা বর্তায় (জিষিয়া) তা চাও; যদি অস্বীকার করে তাহলে
বাধ্য কর ৷ আর যদি স্বীকার করে নেয় তাদের থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী কর আদায় কর ৷ সায়ফ
ইবন উমর আবদুর রহমান ইবন কা ব ইবন মা ৷লিক থেকে এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷


بَنِي فَزَارَةَ، وَاصْطَفَّ النَّاسُ، وَجَلَسَ طُلَيْحَةُ مُلْتَفًّا فِي كِسَاءٍ لَهُ يَتَنَبَّأُ لَهُمْ، يَنْظُرُ مَا يُوحَى إِلَيْهِ فِيمَا يَزْعُمُ، وَجَعَلَ عُيَيْنَةُ يُقَاتِلُ مَا يُقَاتِلُ، حَتَّى إِذَا ضَجِرَ مِنَ الْقِتَالِ يَجِيءُ إِلَى طُلَيْحَةَ وَهُوَ مُلْتَفٌّ فِي كِسَائِهِ فَيَقُولُ: أَجَاءَكَ جِبْرِيلُ؟ فَيَقُولُ: لَا. فَيَرْجِعُ فَيُقَاتِلُ، ثُمَّ يَرْجِعُ فَيَقُولُ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ وَيَرُدُّ عَلَيْهِ مِثْلَ ذَلِكَ، فَلَمَّا كَانَ فِي الثَّالِثَةِ قَالَ لَهُ: هَلْ جَاءَكَ جِبْرِيلُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَمَا قَالُ لَكَ؟ قَالَ: قَالَ لِي: إِنَّ لَكَ رَحًا كَرَحَاهُ، وَحَدِيثًا لَا تَنْسَاهُ. قَالَ: يَقُولُ عُيَيْنَةُ: أَظُنُّ أَنْ قَدْ عَلِمَ اللَّهُ سَيَكُونُ لَكَ حَدِيثٌ لَا تَنْسَاهُ. ثُمَّ قَالَ: يَا بَنِي فَزَارَةَ، انْصَرِفُوا. وَانْهَزَمَ، وَانْهَزَمَ النَّاسُ عَنْ طُلَيْحَةَ، فَلَمَّا جَاءَهُ الْمُسْلِمُونَ رَكِبَ عَلَى فَرَسٍ كَانَ قَدْ أَعَدَّهَا لَهُ، وَأَرْكَبَ امْرَأَتَهُ النَّوَارَ عَلَى بَعِيرٍ لَهُ، ثُمَّ انْهَزَمَ بِهَا إِلَى الشَّامِ وَتَفَرَّقَ جَمْعُهُ، وَقَدْ قَتَلَ اللَّهُ طَائِفَةً مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ، فَلَمَّا أَوْقَعَ اللَّهُ بِطُلَيْحَةَ وَفَزَارَةَ مَا أَوْقَعَ، قَالَتْ بَنُو عَامِرٍ وَسُلَيْمٍ وَهَوَازِنُ: نَدْخُلُ فِيمَا خَرَجْنَا مِنْهُ، وَنُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَنُسَلِّمُ لِحُكْمِهِ فِي أَمْوَالِنَا وَأَنْفُسِنَا. قُلْتُ: وَقَدْ كَانَ طُلَيْحَةُ الْأَسَدِيُّ ارْتَدَّ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ بِمُؤَازَرَتِهِ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنِ بْنِ بَدْرٍ، وَارْتَدَّ عَنِ الْإِسْلَامِ، وَقَالَ لِقَوْمِهِ: وَاللَّهِ لِنَبِيٌّ مِنْ بَنِي أَسَدٍ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ نَبِيٍّ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، وَقَدْ مَاتَ مُحَمَّدٌ، وَهَذَا طُلَيْحَةُ فَاتِّبِعُوهُ. فَوَافَقَهُ قَوْمُهُ بَنُو فَزَارَةَ عَلَى ذَلِكَ، فَلَمَّا كَسَرَهُمَا خَالِدٌ هَرَبَ طُلَيْحَةُ بِامْرَأَتِهِ إِلَى الشَّامِ، فَنَزَلَ عَلَى بَنِي كَلْبٍ، وَأَسَرَ خَالِدٌ
পৃষ্ঠা - ৫২৮৩


যুল-কিস্সা থেকে সেনা কমাণ্ডারদের উদ্দিষ্ট স্থানের দিকে যাত্রা

সৈনিকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বীর ও প্রধান সেনাধ্যক্ষ ছিলেন আবু সুলায়মান খালিদ ইবনুল
ওলীদ ৷ ইমাম আহমদ ওয়াহ্শী ইবন হারব বৱাতে বর্ণনা করেন, খলীফা আবু বকর সিদ্দীক
মুরতাদদের দমন করার জন্যে যখন খালিদ ইবন ওলীদকে প্রেরণ করেন তখন বলেছিলেন,
আমি রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে বলতে শ্যুনছি, আল্লাহ্র উত্তম বড়ান্দা, স্বজনদের বন্ধু খালিদ ইবন
ওলীদ-সে আল্লাহর অন্যতম তরবারি, আল্লাহ্ একে কাফির ও মুনাফিকদের দমন করার জন্যে
কােষমুক্ত করে দিয়েছেন ৷ যুল-কিস্সা থেকে খলীফা খালিদকে রওয়ানা করে দেন ৷ তড়াকে
তিনি বলে দেন যে, বায়বর সীমান্তে অপেক্ষমান অন্যান্য আমীরদের নিয়ে তিনি অচিরেই তার
সাথে মিলিত হবেন ৷ এটি তিনি এ জন্যেই করেছিলেন যেন তাতে আরব বেদৃইনদের মধ্যে
আতংক সৃষ্টি হয় ৷ র্তাকে তিনি প্রথমে তৃলায়হা আসাদীর বিরুদ্ধে এবং পরে বনু তামীমের
বিরুদ্ধে লড়বার নির্দেশ দেন ৷

তৃলায়হা ইবন খুওয়ায়লিদ নিজ গোত্র বনু আসাদ ও বনু পাতফানে অবস্থান বহ্বছিল ৷ সে
বনু আবাস ও যুবয়ানকেও তাদের সাথে যুক্ত করে নিয়েছিল এবং বনু জাদীলা, গাওছ ও বনু
তার এর নিকট সাহায্য চেয়ে সংবাদ পাঠিয়েছিলেন ৷ এ গোত্রগুলো তাদের কিছু সংখ্যক
লোককে দ্রুত পাঠিয়ে দেয় ৷ খলীফা আবু বকর খালিদ ইবন ওলীদের পুর্বে আদী ইবন
হাতিমকে এই বলে পাঠিয়েছিলেন যে, তুমি তোমার গোত্রে গিয়ে বল, তারা যেন তৃলায়হার
সাথে মিলিত না হয় ৷ যদি মিলিত হয় তাহলে তাদের ধ্বংস অনিবার্য ৷ আদী তার গোত্র বনু
তার এর নিকট গিয়ে এ মর্মে নির্দেশ দিলেন যে, তারা যেন খলীফা সিদ্দীকের হাতে বায়আত
গ্রহণ করে ও আল্লাহ্র বিধান মেনে নেয় ৷ তারা জবাব দিল, আমরা কখনও আবুল ফযল
অর্থাৎ আবু বকরের হাতে বায়আত গ্রহণ করব না ৷ আদী বললেন, আল্লাহ্র কসম, অবশইি
তোমাদের নিকট এমন এক সৈন্য বাহিনী আসবে এবং তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত
রাখবে-তখন জানতে পারবে যে তিনি আবুল ফযল নন, বরং আবুল ফাহ্ল আকবর অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ
মহাবীর ৷ আদী তাদেরকে মাথায় ও কাধে হাত ৰুলিয়ে অনুরোধ করতে থাকেন এবং অবশেষে
তারা নরম হয়ে যায় ৷ খালিদ সৈন্যসহ পৌহ্ন৷ ৷ বাহিনীতে আনসারদের অগ্রভাগে ছিলেন ছাবিত
ইবন কায়স ইবন শাম্মাস ৷ তিনি সৈন্য বাহিনীর অগ্রবর্তী বাহিনী হিসেবে ছাবিত ইবন আকরাম
ও উক্কাশা ইবন মিহ্সানকে প্রেরণ করেন ৷ পথে এ দুজনের সাথে তৃলায়হা ও তার ভইি
সালামার সাক্ষাৎ হয় ৷ উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দু যুদ্ধ হয় ৷ এতে তৃলায়হার পুত্র জিবাল
উক্কাশাকে হত্যা করে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, উক্কাশা প্রথমে জিবালকে হত্যা করেন এবং
তার সব কিছু ছিনিয়ে নেন ৷ এরপর তৃলায়হা উক্কাশাকে আক্রমণ করে হত্যা করে ৷ তারপর
সে ও তার ভইি সালামা একযোগে হামলা চালিয়ে ছাবিত ইবন আক্রামকে হত্যা করে ৷ পরে
খালিদ যখন সসৈন্যে ঐ পথ অতিক্রম করেন, তখন উভয়কে নিহত অবস্থায় পড়ে থাকতে
দেখেন ৷ এতে মুসলমানগণ দারুণ দুঃখ পান ৷ এ ঘটনা প্রসঙ্গে তৃলায়হার পঠিত কবিতা এই :



عُيَيْنَةَ بْنَ حِصْنٍ، وَبَعَثَ بِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ مَجْمُوعَةً يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ، فَدَخَلَ الْمَدِينَةَ وَهُوَ كَذَلِكَ، فَجَعَلَ الْوِلْدَانُ وَالْغِلْمَانُ يَطْعَنُونَهُ بِأَيْدِيهِمْ، وَيَقُولُونَ: أَيْ عَدُوَّ اللَّهِ، ارْتَدَدْتَ عَنِ الْإِسْلَامِ؟ فَيَقُولُ: وَاللَّهِ مَا كُنْتُ آمَنْتُ قَطُّ. فَلَمَّا وَقَفَ بَيْنَ يَدَيِ الصِّدِّيقِ اسْتَتَابَهُ وَحَقَنَ دَمَهُ، ثُمَّ حَسُنَ إِسْلَامُهُ بَعْدَ ذَلِكَ، وَكَذَلِكَ مَنَّ عَلَى قُرَّةَ بْنِ هُبَيْرَةَ، وَكَانَ أَحَدَ الْأُمَرَاءِ مَعَ طُلَيْحَةَ، فَأَسَرَهُ مَعَ عُيَيْنَةَ، وَأَمَّا طُلَيْحَةُ فَإِنَّهُ رَاجَعَ الْإِسْلَامَ بَعْدَ ذَلِكَ أَيْضًا، وَذَهَبَ إِلَى مَكَّةَ مُعْتَمِرًا أَيَّامَ الصِّدِّيقِ وَاسْتَحْيَا أَنْ يُوَاجِهَهُ مُدَّةَ حَيَّاتِهِ وَقَدْ رَجَعَ فَشَهِدَ الْقِتَالَ مَعَ خَالِدٍ، وَكَتَبَ الصِّدِّيقُ إِلَى خَالِدٍ أَنِ اسْتَشِرْهُ فِي الْحَرْبِ وَلَا تُؤَمِّرْهُ، يَعْنِي مُعَامَلَتَهُ لَهُ بِنَقِيضِ مَا كَانَ قَصَدَهُ مِنَ الرِّيَاسَةِ فِي الْبَاطِلِ. وَهَذَا مِنْ فِقْهِ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. وَقَدْ قَالَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ لِبَعْضِ أَصْحَابِ طُلَيْحَةَ مِمَّنْ أَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ: أَخْبِرْنَا عَمَّا كَانَ يَقُولُ لَكُمْ طُلَيْحَةُ مِنَ الْوَحْيِ. فَقَالَ: إِنَّهُ كَانَ يَقُولُ: وَالْحَمَامِ وَالْيَمَامِ، وَالصُّرَدِ الصَّوَّامِ، قَدْ صُمْنَ قَبْلَكُمْ بِأَعْوَامٍ، لَيَبْلُغَنَّ مُلْكُنَا الْعِرَاقَ وَالشَّامَ. إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْخُرَافَاتِ وَالْهَذَيَانَاتِ السَّمِجَةِ. وَقَدْ كَتَبَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ حِينَ جَاءَهُ أَنَّهُ كَسَرَ طُلَيْحَةَ وَمَنْ كَانَ فِي صَفِّهِ، وَقَامَ بِنَصْرِهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ: لِيَزِدْكَ مَا أَنْعَمَ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا، وَاتَّقِ اللَّهَ فِي أَمْرِكَ، فَإِنَّ اللَّهَ مَعَ الَّذِينَ اتَّقَوْا وَالَّذِينَ هُمْ مُحْسِنُونَ، جِدَّ فِي أَمْرِكَ وَلَا تَنِيَنَّ، وَلَا تَظْفَرْ بِأَحَدٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ قَتَلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا نَكَّلَتَ بِهِ، وَمَنْ
পৃষ্ঠা - ৫২৮৪
أَخَذْتَ مِمَّنْ حَادَّ اللَّهَ أَوْ ضَادَّهُ مِمَّنْ يَرَى أَنَّ فِي ذَلِكَ صَلَاحًا فَاقْتُلْهُ. فَأَقَامَ خَالِدٌ بِبُزَاخَةَ شَهْرًا، يُصَعِّدُ فِيهَا وَيُصَوِّبُ، وَيَرْجِعُ إِلَيْهَا فِي طَلَبِ الَّذِينَ وَصَّاهُ بِسَبَبِهِمُ الصِّدِّيقُ، فَجَعَلَ يَتَرَدَّدُ فِي طَلَبِ هَؤُلَاءِ شَهْرًا، يَأْخُذُ بِثَأْرِ مَنْ قَتَلُوا مِنَ الْمُسْلِمِينَ الَّذِينَ كَانُوا بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ حِينَ ارْتَدُّوا ; فَمِنْهُمْ مَنْ حَرَّقَهُ بِالنَّارِ، وَمِنْهُمْ مَنْ رَضَخَهُ بِالْحِجَارَةِ، وَمِنْهُمْ مَنْ رَمَى بِهِ مِنْ شَوَاهِقَ الْجِبَالِ، كُلُّ هَذَا لِيُشَرِّدَ بِهِمْ مَنْ يَسْمَعُ بَخَبَرِهِمْ مِنْ مُرْتَدَّةِ الْعَرَبِ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمْ، عَنْ، طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ وَفْدُ بُزَاخَةَ ; أَسَدٌ وَغَطَفَانُ عَلَى أَبِي بَكْرٍ يَسْأَلُونَهُ الصُّلْحَ، خَيَّرَهُمْ أَبُو بَكْرٍ بَيِّنَ حَرْبٍ مُجْلِيَةٍ أَوْ حِطَّةٍ مُخْزِيَةٍ. فَقَالُوا: يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ، أَمَّا الْحَرْبُ الْمُجْلِيَةُ فَقَدْ عَرَفْنَاهَا، فَمَا الْحِطَّةُ الْمُخْزِيَةُ؟ قَالَ: تُؤْخَذُ مِنْكُمُ الْحَلْقَةُ وَالْكُرَاعُ، وَتُتْرَكُونَ أَقْوَامًا يَتَّبِعُونَ أَذْنَابَ الْإِبِلِ حَتَّى يُرِيَ اللَّهُ خَلِيفَةَ نَبِيِّهِ وَالْمُؤْمِنَيْنِ أَمْرًا يَعْذِرُونَكُمْ بِهِ، وَتُؤَدُّونَ مَا أَصَبْتُمْ مِنَّا، وَلَا نُؤَدِّي مَا أَصَبْنَا مِنْكُمْ، وَتَشْهَدُونَ أَنَّ قَتْلَانَا فِي الْجَنَّةِ وَقَتْلَاكُمْ فِي النَّارِ، وَتَدُونَ قَتْلَانَا وَلَا نَدِي قَتْلَاكُمْ. فَقَالَ عُمَرُ: أَمَّا قَوْلُكَ: تَدُونَ قَتْلَانَا. فَإِنَّ قَتْلَانَا قُتِلُوا عَلَى أَمْرِ اللَّهِ لَا دِيَاتِ لَهُمْ. فَاتَّبَعَ عُمَرَ. وَقَالَ عُمَرُ فِي الثَّانِي: نِعْمَ مَا رَأَيْتَ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ بِسَنَدِهِ مُخْتَصَرًا.
পৃষ্ঠা - ৫২৮৫
[قِتَالُ خَالِدٍ فِي بُزَاخَةَ] وَقْعَةٌ أُخْرَى وَهِيَ قِتَالُ خَالِدٍ فِي بُزَاخَةَ. كَانَ قَدِ اجْتَمَعَ طَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مِنَ الْفُلَّالِ يَوْمَ بُزَاخَةَ مِنْ أَصْحَابِ طُلَيْحَةَ مِنْ بَنِي غَطَفَانَ، فَاجْتَمَعُوا إِلَى امْرَأَةٍ يُقَالُ لَهَا: أُمُّ زِمْلٍ سَلْمَى بِنْتُ مَالِكِ بْنِ حُذَيْفَةَ. وَكَانَتْ مِنْ سَيِّدَاتِ الْعَرَبِ، كَأُمِّهَا أُمِّ قِرْفَةَ، وَكَانَ يُضْرَبُ بِأُمِّهَا الْمَثَلُ فِي الشَّرَفِ ; لِكَثْرَةِ أَوْلَادِهَا وَعِزَّةِ قَبِيلَتِهَا وَبَيْتِهَا، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا إِلَيْهَا ذَمَرَتْهُمْ لِقِتَالِ خَالِدٍ، فَهَاجُوا لِذَلِكَ، وَتَأَشَّبَ إِلَيْهِمْ آخَرُونَ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ وَطَيِّئٍ وَهَوَازِنَ وَأَسَدٍ، فَصَارُوا جَيْشًا كَثِيفًا، وَتَفَحَّلَ أَمْرُ هَذِهِ الْمَرْأَةِ، فَلَمَّا سَمِعَ بِهِمْ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ سَارَ إِلَيْهِمْ، وَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَهِيَ رَاكِبَةٌ عَلَى جَمَلِ أُمِّهَا الَّذِي كَانَ يُقَالُ: مَنْ نَخَسَ جَمَلَهَا فَلَهُ مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ. وَذَلِكَ لِعِزِّهَا، فَهَزَمَهُمْ خَالِدٌ وَعَقَرَ جَمَلَهَا وَقَتَلَهَا، وَبَعَثَ بِالْفَتْحِ إِلَى الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. [أَبُو بَكْرٍ يَقْتُلُ الْفُجَاءَةَ] قِصَّةُ الْفُجَاءَةِ. وَاسْمُهُ إِيَاسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ يَالِيلَ بْنِ عُمَيْرَةَ بْنِ خِفَافٍ، مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ، قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ. وَقَدْ كَانَ الصِّدِّيقُ حَرَّقَ الْفُجَاءَةَ بِالْبَقِيعِ فِي الْمَدِينَةِ، وَكَانَ سَبَبُهُ
পৃষ্ঠা - ৫২৮৬

অর্থ৪ স্মরণ কর সেই সন্ধ্য৷ কালীন ঘটনা যখন আমি ইবন আকরাম ও উক্কাশা আল
গানামীকে গমন পথে বন্দী করে হত্যা কবি ৷ তাদেরকে তুমি সেনা দলের অগ্রগামী করেছিলে
যেন তারা যুদ্ধ করার আগে এসে খবর দিতে পারে ৷ সে দিন তুমি তাদেরকে দেখতে পেয়েছ
শুণ্য ময়দানে পড়ে থাকতে এবং অন্ধকারের মধ্যে বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকতে ৷ যদি শিশু ও নারীকে
হত্যা করা হয়ে থাকে তবে হিবালের হত্যা করা থেকে তারা নিষ্কৃতি ৩পাবে না ৷
খালিদ রানী তার এর দিকে অগ্রসর হল ৷ আদী ইবন৷ হা৩ তিম তার নিকট এসে বললেন,
আমাকে তিন দিনের অবকাশ দিন ৷ তারা আমার নিকট এ অবকাশ ঢেয়েছে ৷ কারণ, যাতে
তারা তৃলায়হার কাছে চলে যাওয়া লোকদেরকে ফিরিয়ে আনতে পারে ৷ কেননা তারা আশংকা
করেন যে, যদি তারা আপনার আনুগত্য মেনে নেয়, তাহলে যে লোকগুলাে তার কাছে গিয়েছে
তাদেরকে সে হত্যা করে ফেলবে ৷ সুতরাং এই অবকাশ দানটা তাদেরকে জাহান্নামে পাঠানোর
চেয়ে আপনার পক্ষে উত্তম হবে ৷ তিন দিন পর আদী পাচশ’ যোদ্ধাসহ খালিদের নিকট
আসেন ৷ এরা সবাই সত্যের দিকে পুনং প্রত্যাবর্তন করেছেন ৷ তারা খালিদের বাহিনীতে
যোগদান করেন ৷ এরপর খালিদ বনু আদীলা গোত্রের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ আদী বললেন, হে
খালিদ ! আমাকে কয়েক দিনের অবকাশ দিন ৷ আমি তাদের কাছে যাই ৷ হয়তো আল্লাহ্
তা জানা রানী তার এর ন্যায় এদেরকেও মুক্তি দেবেন ৷ আদী বনী আদীলায় গিয়ে
অব্যাহতভাবে বুঝাবার ফলে তারা তার কথা মেনে নিন এবং এক হাজার যােদ্ধাসহ খালিদের
সাথে মিলিত হল ৷ আদী সত্যিকার ভাবেই একজন মহান ব্যক্তি, আপন সম্প্রদায়ের জন্যে
বিশেষ কল্যাণকামী ৷ এরপর থালিদ সেখনি থােক সম্মুখে অগ্রসর হয়ে রাজা ও সুলমায়
অবতরণ করেন এবং এখানেই সৈন্যদের ব্যুহ বিন্যাস করেন ৷ তৃলায়হার সাথে বাযাযা নামক
স্থানে খালিদের মুকাবিল৷ হয় ৷ আরবের বহু কবীলা এ অপেক্ষায় ছিল যে, দেখা যাক পরাজয়ের
গ্নানি কার উপর নেমে আসে ৷ তৃলায়হা তীর আসাদ গোত্র ও যারা তাদের সাথে মিলিত
হয়েছিল তাদেরকে নিয়ে এখানে পৌছে ৷ উওয়ায়না ইবন হিসৃন নিজ গোত্র বনু ফাযারার সাতশ’
লোক নিয়ে তৃলায়হার সাথে মিলিত হয় ৷ লোকজন যুদ্ধের জন্য সারিবদ্ধ হল ৷ তৃলায়হা একটি
চাদরে নিজেকে আবৃত করে বসল ৷ সে স্বকল্পিত ওহীর অপেক্ষায় থাকে ৷ উওয়ায়না ময়দানে
যুদ্ধে লিপ্ত থাকে ৷ এক পর্যায়ে বিপক্ষের চাপের মুখে দুর্বল হয়ে তৃলায়হার নিকট চলে আসে ৷
তখনও তৃলায়হা চাদরে আবৃত ছিল ৷ জিজ্ঞেস করল, জিবরীল কি আপনার খিদমতে এসেছেন?
উত্তর দিল; না ৷ উওয়ায়না পুনরায় রণাঙ্গণে চলে যায় ৷ কিছু সময় যুদ্ধ চালাবার পর আবার চলে
আসে এবং পুর্বের ন্যায় প্রশ্ন করে ৷ পুনরায় রণাঙ্গথে ফিরে যায় এবং ফিরে এসে তৃতীয়বার
জিজ্ঞেস করে, জিবরীল কি এসেছেন আপনার নিকট? তৃলায়হা উত্তর দিল, হা ৷ উওয়ায়না
জিজ্ঞেস করল, কী বলে গেছেন তিনি? তুলায়হা বলল, তিনি আমাকে বলে গেছেন যে,
আপনার একটি চাক্কী থাকবে যেমন চাক্কী আছে তার-অর্থাৎ জিবরীলেরং : ৷; , এ ৷
ংা,হ্র আর এমন ঘটনা ঘটবে যা আপনি কােনদিন ভুলবেন না ৷ উওয়ায়না বলল, আমার মনে
হয়, আল্লাহ এই বিষয়ে অবগত আছেন যে, অচিরেই আপনার একটা এমন ঘটনা সংঘটিত


أَنَّهُ قَدِمَ عَلَيْهِ فَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ، وَسَأَلَ مِنْهُ أَنْ يُجَهِّزَ مَعَهُ جَيْشًا يُقَاتِلُ بِهِ أَهْلَ الرِّدَّةِ، فَجَهَّزَ مَعَهُ جَيْشًا، فَلَمَّا سَارَ جَعَلَ لَا يَمُرُّ بِمُسْلِمٍ وَلَا مُرْتَدٍّ إِلَّا قَتَلَهُ وَأَخَذَ مَالَهُ، فَلَمَّا سَمِعَ الصِّدِّيقُ بَعَثَ وَرَاءَهُ جَيْشًا فَرْدَّهُ، فَلَمَّا أَمْكَنَهُ بَعَثَ بِهِ إِلَى الْبَقِيعِ، فَجُمِعَتْ يَدَاهُ إِلَى قَفَاهُ وَأُلْقِي فِي النَّارِ، فَحَرَّقَهُ وَهُوَ مَقْمُوطٌ. [سَجَاحِ بِنْتُ الْحَارِثِ تَدَّعِي النُّبُوَّةَ] قِصَّةُ سَجَاحِ وَبَنِي تَمِيمٍ. كَانَتْ بَنُو تَمِيمٍ قَدِ اخْتَلَفَتْ آرَاؤُهُمْ أَيَّامَ الرِّدَّةِ ; فَمِنْهُمْ مَنِ ارْتَدَّ وَمَنَعَ الزَّكَاةَ، وَمِنْهُمْ مَنْ بَعَثَ بِأَمْوَالِ الصَّدَقَاتِ إِلَى الصِّدِّيقِ، وَمِنْهُمْ مَنْ تَوَقَّفَ لِيَنْظُرَ فِي أَمْرِهِ، فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ أَقْبَلَتْ سَجَاحِ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدِ بْنِ عُقْفَانَ التَّغْلِبِيَّةُ مِنَ الْجَزِيرَةِ، وَهِيَ مِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ، وَقَدِ ادَّعَتِ النُّبُوَّةَ، وَمَعَهَا جُنُودٌ مِنْ قَوْمِهَا وَمَنِ الْتَفَّ بِهِمْ، وَقَدْ عَزَمُوا عَلَى غَزْوِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، فَلَمَّا مَرَّتْ بِبِلَادِ بَنِي تَمِيمٍ دَعَتْهُمْ إِلَى أَمْرِهَا فَاسْتَجَابَ لَهَا عَامَّتُهُمْ، وَكَانَ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لَهَا مَالِكُ بْنُ نُوَيْرَةَ التَّمِيمِيُّ، وَعُطَارِدُ بْنُ حَاجِبٍ، وَجَمَاعَةٌ مِنْ سَادَاتِ أُمَرَاءِ بَنِي تَمِيمٍ، وَتَخَلَّفَ آخَرُونَ مِنْهُمْ عَنْهَا، ثُمَّ اصْطَلَحُوا عَلَى أَنْ لَا حَرْبَ بَيْنَهُمْ إِلَّا أَنَّ مَالِكَ بْنَ نُوَيْرَةَ لَمَّا وَادَعَهَا ثَنَاهَا عَنْ غَزْوِهَا، وَحَرَّضَهَا عَلَى بَنِي يَرْبُوعٍ، ثُمَّ اتَّفَقَ الْجَمِيعُ عَلَى قِتَالِ النَّاسِ، وَقَالُوا: بِمَنْ نَبْدَأُ؟ فَقَالَتْ لَهُمْ فِيمَا تَسْجَعُهُ: أَعِدُّوا الرِّكَابَ، وَاسْتَعِدُّوا لِلنِّهَابِ، ثُمَّ أَغِيرُوا عَلَى الرَّبَابِ، فَلَيْسَ دُونَهُمْ حِجَابٌ. ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৫২৮৭

হতে যাচ্ছে যা আপনি কখনও তুলে যাবেন না ৷ তারপর উওয়ায়না ঘোষণা দিল, হে বনী
ফাযারার লোকজন! চল ৷ এ কথা বলেই সে ফিরে গেল ৷ অন্যান্য লোকজনও তৃলায়হার পক্ষে
ত্যাগ করে চলে গেল ৷ মুসলমানগণ যখন সেখানে পৌছলেন, তখন সে পুর্ব প্রস্তুতকৃত একটি
ঘোড়ার সওয়ড়ার হল এবং শ্রী নাওয়ড়ারকে একটি উটের পিঠে উঠিয়ে সিরিয়া অভিমুখে পালিয়ে
গেল ৷ তার দলবল ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল ৷ তৃলায়হা ও ফাযারার পতনের পর বনু আমির, বনু
সুলায়ম ও হাওয়াযিন গোত্রগুলো ঘোষণা দিল, যে ধর্ম থেকে আমরা বেরিয়ে এসেজ্যিড়াম,
তাতেই আমরা আবার ফিরে যাব, আল্লাহ্ ও রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর উপর ঈমান আনব এবং
আমাদের জান ও মালের উপর তার যে বিধান আছে তা নতশ্যির মেনে নেব ৷

আমি বলি, তৃলায়হা আসাদী রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায় মুরতাদ হয় ৷ রাসুলের
ইনতিকা ৷লের পর উওয়ায়না ইবন হিসন তার সাহায্যকারী ও সমর্থনকারী হিসেবে পাশে দাড়ায়
এবং ইসলাম ত্যাগ করে ৷ সে তার কওমের লোকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলাে, আল্লাহ্র কসম,
^বনু আমাদের নবী আমার নিকট বনু হাশ্যিমর নবী অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় ৷ মুহাম্মদের তাে
মৃত্যু হয়ে গিয়েছে ৷ এই তৃলায়হা, তোমরা তার আনুগত্য কর ৷ এ কথা শোনার পর তার গোত্র
বনু ফাযারার লোকেরা এ কথা গ্রহণ করে নেয় ৷ খালিদের হাতে উভয়ের পতন ঘটে ৷ তৃলায়হা
সশ্রীক সিরিয়ায় পালিয়ে যায় এবং কালব গোত্রে আশ্রয় নেয় ৷ উওয়ায়না ইবন হিসনকে বন্দী
করে ঘাড়ের সাথে হাত বেধে খালিদ মদীনায় পাঠিয়ে দেন ৷ মদীনায় শিশু ও বালকরা তাকে
কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং বলতে থাকে, ওহে আল্পাহ্র দুশমন, তৃমিই কি ইসলাম ত্যাগ
করেছ? উওয়ায়না উত্তরে বলতে থাকে, আল্পাহ্র কলম, আমি তো কখনও ঈমান আনিনি ৷
অবশেষে খলীফা সিদ্দীকের দরবারে নীত হলে খলীফা তাকে তাওবা করার জন্যে উৎসাহ দেন
যাতে তার প্রাণ রক্ষা পায় ৷ এরপর উওয়ায়না নিষ্ঠার সাথে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ কুররা ইবন
হুবায়রার প্ৰতিও খলীফা অনুকম্পা প্রদর্শন করেন ৷ সে ছিল তৃলায়হার অন্যতম অনুসারী ও
আমীর এবং উওয়ায়নার সাথে সেও বন্দী হয়েছিল ৷ পরবর্তীকালে তৃলায়হাও ইসলাম গ্রহণ
করে ৷ সিদ্দীকের খিলাফত কালেই উমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় আগমন করেন ৷ লজ্জার কারণে
হযরত আবু বকরের জীবদ্দশায় তার সম্মুখে৩ তিনি আর কোন দিন আসেননি ৷ অবশ্য পরে তিনি
মক্কা থেকে প্রত্যাবর্তন করে খালিদের দলভুক্ত হয়ে যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন ৷

খলীফা খালিদের নিকট পত্র মারফত জানান যে, তৃলায়হার নিকট থেকে যুদ্ধের ব্যাপারে
পরামর্শ নেবে, বিক্ষ্ম তাকে আমীর বানাবে না ৷ অর্থাৎ তার বাহ্যিক আচরণ তার অম্ভার
ক্ষমতার প্ৰতি মোহের সম্পুর্ণ বিপরীত ৷ এটা হযরত সিদ্দীকে আকবরের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার
পরিচায়ক ৷ খালিদ ইবন ওলীদ তৃলায়হার এমন এক শিষ্যকে, যিনি পরবভীচিত নিষ্ঠাবান
হয়েছিলেন, জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তৃলায়হা যেসব ওহীর কথা তােমাদেরকে শুনাত তার কিছু
আমাদেরকে শুনাও তো! তিনি উত্তর দিলেন যে, তৃলায়হা বলতাে :

মোঃ

অর্থাৎ “পোষা কবুতর, বন্য কবুতর, সুরাদ ও সুওয়াম পাখি তোমাদের পুর্বে পাখা মোলছে
যাতে আমাদের দেশ ইরাক ও সিরিয়ায় পৌছতে পারে ৷ ”


إِنَّهُمْ تَعَاهَدُوا عَلَى نَصْرِهَا، فَقَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ: أَتَتْنَا أُخْتُ تَغْلِبَ فِي رِجَالٍ ... جَلَائِبَ مِنْ سَرَاةِ بَنِي أَبِينَا وَأَرْسَتْ دَعْوَةً فِينَا سَفَاهًا ... وَكَانَتْ مِنْ عَمَائِرَ آخَرِينَا فَمَا كُنَّا لِنَرْزِيَهُمْ زِبَالًا ... وَمَا كَانَتْ لِتُسْلِمَ إِذْ أُتِينَا أَلَا سَفِهَتْ حُلُومُكُمُ وَضَلَّتْ ... عَشِيَّةَ تَحْشِدُونَ لَهَا ثُبِينَا وَقَالَ عُطَارِدُ بْنُ حَاجِبٍ فِي ذَلِكَ: أَمْسَتْ نَبِيَّتُنَا أُنْثَى نُطِيفُ بِهَا ... وَأَصْبَحَتْ أَنْبِيَاءُ النَّاسِ ذُكْرَانَا ثُمَّ إِنَّ سَجَاحِ قَصَدَتْ بِجُنُودِهَا الْيَمَامَةَ ; لِتَأْخُذَهَا مِنْ مُسَيْلِمَةَ بْنَ حَبِيبٍ الْكَذَّابِ، فَهَابَهُ قَوْمُهَا، وَقَالُوا: إِنَّهُ قَدِ اسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ وَعَظُمَ. فَقَالَتْ لَهُمْ فِيمَا تَقُولُهُ: عَلَيْكُمْ بَالْيَمَامَهْ، دُفُوا دَفِيفَ الْحَمَامَهْ، فَإِنَّهَا غَزْوَةٌ صَرَّامَهْ، لَا تَلْحَقُكُمْ بَعْدَهَا مَلَامَهْ. قَالَ: فَقَصَدُوا نَحْوَ مُسَيْلِمَةَ، فَلَمَّا سَمِعَ بِمَسِيرِهَا إِلَيْهِ خَافَهَا عَلَى بِلَادِهِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ مَشْغُولٌ بِمُقَاتَلَةِ ثُمَامَةَ بْنِ أَثَالٍ، وَقَدْ سَاعَدَهُ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهِلٍ بِجُنُودِ الْمُسْلِمِينَ، وَهُمْ نَازِلُونَ بِبَعْضِ بِلَادِهِ يَنْتَظِرُونَ قُدُومَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، كَمَا سَيَأْتِي، فَبَعَثَ إِلَيْهَا يَسْتَأْمِنُهَا وَيَضْمَنُ لَهَا أَنْ يُعْطِيَهَا نِصْفَ الْأَرْضِ الَّذِي كَانَ لِقُرَيْشٍ لَوْ عَدَلَتْ، فَقَدْ رَدَّهُ اللَّهُ عَلَيْكِ فَحَبَاكِ بِهِ، وَرَاسَلَهَا لِيَجْتَمِعَ بِهَا
পৃষ্ঠা - ৫২৮৮

এ জাতীয় অর্থহীন প্রলাপ জাতীয় কথাবার্তা সে বলতো ৷ হযরত আবু বকরের নিকট যখন
এ সংবাদ পৌছল যে, খালিদ ইবন ওলীদ তৃলায়হা ও তার সঙ্গী সহযােপীদেরকে নির্মুল করে
দিয়েছেঃ তখন খলীফা তার নিকট পত্র লেখেন যে, আল্লাহ যে অনুগ্রহ দান করেছেন তা যেন
তোমাকে তিনি আরও বাড়িয়ে দেন ৷ তোমার ক্যাজ-কর্মেঅল্লোহ্কে ভয় করবে, কেননা,
আল্লাহ সেই সব লোকের সঙ্গে থাকেন যারা আল্লাহ্কে ভয় করে এবং যারা উত্তম কাজ করে ৷
তুমি কাজ সস্পাদনে কঠোর নীতি অবলম্বন করবে, নমনীয় হবে না ৷ তাদের মধ্যে যে সব
মুশরিক মুসলমানদের হত্যা করেছে তাদেরকে হত্যা করবে এবং বন্দীদের মধ্যে যায়৷ আল্লাহ্র
শত্রুতা বা বিরোধিতা করেছে এবং এটাকেই কল্যাণকর মনে করেছে তাদেরকে হত্যা করবে ৷
খালিদ এক মাস যাবৎ বাযাখায় অবস্থান কারন ৷ তিনি সেখানকার উপরে-নীচে
দুরে-নিকাট সর্বত্র ঐ সব লোকদের ধরার জন্যে অনুসন্ধানে ব্যাপৃত থাকতেন যাদেরকে আটক
করার জন্যে খলীফা আদেশ দিয়েছিলেন ৷ এ জাতীয় ণ্লাকদেরকে ধরার জন্যে খালিদ এক মাস
পর্যন্ত ছুটে বেড়ান ৷ এ এলাকার লোকজন মুরতড়াদ হয়ে যাওয়ার সময়ে সেখানকার
মুসলমানদের যারা হত্যা করেছিল তাদের হত্যার প্ৰতিশোধ স্বরুপ তিনি এদেরকে আটক
করেন ৷ তারপর অভিযুক্তদের কাউকে তিনি অগ্নি দগ্ধ করেন, কাউকে পাথর মেরে হত্যা
করেন, কাউকে পাহাড়ের উপর থেকে নিক্ষেপ করেন ৷ এ ব্যবস্থা করা হয়েছিল এই উদ্দেশ্যে,
যাতে লোকজ্যা আরব মুরতাদদের শাস্তির বর্ণনা শুনে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে ৷ সুফয়ান ছাওরী
তড়ারিক ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন, বাযাখা, আসাদ ও গাতফানের প্রতিনিধি একদল
লোক খলীফা আবু বকরের নিকট উপস্থিত হয়ে সন্ধির প্রস্তাব দেয়৷ খলীফা তাদেরকে
ইখতিয়ার দিলেন, তোমাদের সাথে চুড়ান্ত যুদ্ধ হবে, তােমাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে, কিংবা
লাঞ্ছিত করে ক্ষমা করা হবে-এ দুটির যে কোন একটা গ্রহণ করতে পার ৷ তারা বলল, হে
রাসুলুল্লাহ্র খলীফা ৷ উচ্ছেদকারী চুড়ান্ত যুদ্ধের স্বাদ তো আমরা পেয়েই গেছি, ()ন্
প্া; ) কিন্তু লাঞ্চুনাদায়ক ক্ষমার অর্থ কি? খলীফা বললেন, এর অর্থ : তোমাদের বাড়ি
ঘর, সহায় সম্পদ ও শক্তি সবকিছু ছিনিয়ে নেয়া হবে আর তােমাদেরকে বানান হবে উটের
রাখাল, আল্লাহ্ দেখবেন যে, তার নবীর খলীফা ও মু’মিনগণ তােমাদেরকে অক্ষম করে
দিয়েছেন, তোমরা যা কিছু নিয়েছ তা আমাদেরকে ফেরত দেবে, আর আমরা যা কিছু নিয়েছি
তা তােমাদেরকে ফেরত দেব না৷ তোমরা দেখবে যে, আমাদের যারা নিহত হয়েছে তারা
জান্নাতে যাবে, আর তোমাদের যারা নিহত হয়েছে তারা জাহান্নামে যাবে ৷ আমাদের নিহতদের
বদলা দেয়া হবে, তোমাদের নিহতদের কোন বদলা নেই ৷ হযরত উমর বলেন, আপনার
কথা-আমাদের নিহতদের বদলা নেয়া হবে-এর কারণ হলো, আমাদের লোকেরা আল্লাহ্র
নির্দেশমত নিহত হয়েছে-তাদের দিয়াত বা রক্তপণ হয়না ৷ উমর এ কথা বলে বিরত থাকলেন
এবং দ্বিতীয়বারে বললেন, আপনার সিদ্ধান্ত কতই না উত্তম (বুখারী) ৷

আর একটি ঘটনা

বাযাখা দিবসে তৃলায়হার বহু সংখ্যক পরাজিত গাতফানী সৈন্য সমবেত হয়ে জনৈক!
মহিলার শরণাপন্ন হয় ৷ মহিলাঢির নাম ছিল উম্মু যুমাল সালমা বিনৃত মালিক ইবন হুযায়ফা ৷
সে তার মা উম্মু কুরফার মত আরবের বিখ্যাত একজন মহিলা ৷ গোত্রীয় মর্যাদা ও অধিক


فِي طَائِفَةٍ مِنْ قَوْمِهِ وَقَوْمِهَا، فَرَكِبَ فِي أَرْبَعِينَ مِنْ قَوْمِهِ وَجَاءَ إِلَيْهَا، فَاجْتَمَعَا فِي خَيْمَةٍ، فَلَمَّا خَلَا بِهَا وَعَرَضَ عَلَيْهَا مَا عَرَضَ مِنْ نِصْفِ الْأَرْضِ وَقَبِلَتْ ذَلِكَ، قَالَ مُسَيْلِمَةُ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ سَمِعْ، وَأَطْمَعَهُ بِالْخَيْرِ إِذَا طَمِعْ، وَلَا يَزَالُ أَمْرُهُ فِي كُلِّ مَا سَرَّ نَفْسَهُ مُجْتَمَعْ، رَآكُمْ رَبُّكُمْ فَحَيَّاكُمْ وَمِنْ وَحْشَةٍ أَخَلَّاكُمْ، وَيَوْمَ دِينِهِ أَنْجَاكُمْ، فَأَحْيَاكُمْ عَلَيْنَا مِنْ صَلَوَاتِ مَعْشَرٍ أَبْرَارْ، لَا أَشْقِيَاءَ وَلَا فُجَّارْ، يَقُومُونَ اللَّيْلَ وَيَصُومُونَ النَّهَارْ، لِرَبِّكُمُ الْكُبَّارْ، رَبِّ الْغُيُومِ وَالْأَمْطَارْ. وَقَالَ أَيْضًا: لَمَّا رَأَيْتُ وُجُوهَهُمْ حَسُنَتْ، وَأَبْشَارَهُمْ صَفَتْ، وَأَيْدِيَهُمْ طَفُلَتْ، قُلْتُ لَهُمْ: لَا النِّسَاءَ تَأْتُونَ، وَلَا الْخَمْرَ تَشْرَبُونَ، وَلَكِنَّكُمْ مَعْشَرٌ أَبْرَارٌ تَصُومُونَ، فَسُبْحَانَ اللَّهِ إِذَا جَاءَتِ الْحَيَاةُ كَيْفَ تَحْيَوْنَ، وَإِلَى مَلِكِ السَّمَاءِ كَيْفَ تَرْقَوْنَ، فَلَوْ أَنَّهَا حَبَّةُ خَرْدَلَةٍ لَقَامَ عَلَيْهَا شَهِيدٌ يَعْلَمُ مَا فِي الصُّدُورِ، وَلَأَكْثَرَ النَّاسُ فِيهَا الثُّبُورَ. وَقَدْ كَانَ مُسَيْلِمَةُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، شَرَعَ لِمَنِ اتَّبَعَهُ أَنَّ الْعَزَبَ يَتَزَوَّجُ، فَإِذَا وُلِدَ لَهُ ذَكَرٌ فَيَحْرُمُ عَلَيْهِ النِّسَاءُ حِينَئِذٍ، إِلَّا أَنْ يَمُوتَ ذَلِكَ الْوَلَدُ الذِّكْرُ، فَتَحِلُّ لَهُ النِّسَاءُ حَتَّى يُولَدَ لَهُ ذَكَرٌ، هَذَا مِمَّا اقْتَرَحَهُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِهِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمَّا خَلَا بِسَجَاحِ سَأَلَهَا مَاذَا يُوحَى إِلَيْهَا؟ فَقَالَتْ: وَهَلْ يَكُونُ النِّسَاءُ يَبْتَدِئْنَ؟ بَلْ أَنْتَ مَاذَا أُوحِيَ إِلَيْكَ؟ فَقَالَ: أَلَمْ تَرَ إِلَى رَبِّكَ كَيْفَ فَعَلَ بِالْحُبْلَى، أَخْرَجَ مِنْهَا نَسَمَةً تَسْعَى، مِنْ بَيْنِ صَفَاقٍ وَحَشَا. قَالَتْ: وَمَاذَا؟ فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ
পৃষ্ঠা - ৫২৮৯

ৎখ্যক সন্তানের কারণে তার যা ছিল প্রৰাদতুল্য ৷ তার নিকট ওরা সমবেত হলে সে তাদেরকে
তিরস্কার করল ও খালিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে উদ্বুদ্ধ করল ৷ এতে তারাও উত্তেজিত হল ৷
ইতিমধ্যে সুলায়ম, তার, হাওয়াযিন ও আসাদ গোত্রের আরও লোক এসে তাদের সাথে মিলিত
হল ৷ এরা যখন একটি বিরাট বাহিনীতে পরিণত হল এবং উক্ত মহিলার প্রতিপত্তিও তাতে বৃদ্ধি
পেল ৷ এদের সংবাদ পেয়ে খালিদ ইবন ওলীদ দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা
করেন ৷ উভয় দলের মাঝে ভীষণ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় ৷ উক্ত মহিলা তার মায়ের উটের পিঠে
সওয়ার ছিল ৷ সে তার আত্মসম্মান প্রকাশ করার জন্যে ঘোষণা দিয়েছিল যে, যে ব্যক্তি এ
উটটিকে স্পর্শ করতে সক্ষম হবে তাকে একশ উট পুরস্কার দেয়া হবে ৷ খালিদ তাদেরকে
গােচনীয়ভাবে পরাজিত করেন, মহিলাটির উটের পা কেটে দেন এবং মহিলাকে হত্যা করে
খলীফার নিকট বিজয় বার্তা প্রেরণ করেন ৷

ফাজাআর ঘটনা

ফাজাআর প্রকৃত নাম ইয়াস ইবন আবদৃল্লাহ্ ৷ সে ছিল বনী সুলায়ম গোত্রের লোক ৷ এটা
ন্ইবন ইসহাকের বর্ণনা ৷ খলীফা আবু বকর (রা) ফাজাআকে মদীনায় বাকী নামক স্থানে
আগুনে পুড়িয়ে মারেন ৷ এর কারণ ছিল সে খলীফার দরবারে এসে নিজেকে মুসলিম বলে
পরিচয় দেয় এবং খলীফার নিকট একদল সৈন্য চায়, যাদেরকে নিয়ে যে মুরতাদদের বিরুদ্ধে
লড়ইি করবে বলে আমার ৷ খলীফা একদল সৈন্য তার দায়িত্বে দিয়ে দেন ৷ কিন্তু সৈন্য বাহিনী
নিয়ে সেণ্’সম্মুখে মুসলমান মুরতাদ নির্বিশেষে সকলকেই হত্যা করে তাদের মালপত্র লুট করতে
থাকে ৷ খলীফা এ সংবাদ শুনেই তাদের পশ্চাতে আর একদল সৈন্যকে ধরে আমার জন্যে প্রেরণ
করেন ৷ তাকে ধরার পর তাকে বাকীতে পাঠিয়ে দেন ৷ সেখানে তার দুই হাত পিঠের সাথে
বেধে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করা হয় এবং এ অবস্থায়ই সে মারা যায় ৷

সাজাহ্ ও বনু তামীমের ঘটনা

রিদৃদার সময়ে তামীম ৫গাত্রের লোকজনের মধ্যে মর্তভেদ দেখা দেয় ৷ একদল ইসলাম
ত্যাগ করে এবং যাকাত দেওয়া বন্ধ করে দেয় ৷ আর একদল খলীফার নিকট যাকাত প্রেরণ
করে ৷ অপর একদল অবস্থা কোন দিকে মোড় নেয় যে অপেক্ষায় থাকে ৷ এমনি অবস্থায় সাজাহ্
ৰিনত হারিছ তথায় আগমন করে ৷ সে ছিল তাগলিব গোত্রের এক খৃষ্টান মহিলা ৷ সে নিজেকে
নবী বলে দাবি করে ৷ তার সাথে তার গোত্রের একদল সৈন্যও ছিল এবং অন্যান্য গোত্রেরও
কিছু লোক এসে তার সাথে মিলিত হয়েছিল ৷ খলীফা আবু বকরের সাথে যুদ্ধ করতে তারা বদ্ধ
পরিকর হয় ৷ তড়ামীম গোত্রে পৌছে সাজাহ্ তাদেরকে নিজের দাবির দিকে আহবান জনােয় ৷
জনগণের মধ্যে তার আহবানে বেশ সাড়া পড়ে ৷ যারা তার আহবানে সাড়া দেয় তাদের মধ্যে
মালিক ইবন নুওয়ায়রা আত তামীমী, উতারিদ ইবন হাজিব ছাড়াও বনু তামীমের নেতৃস্থানীয়
একদল লোর্কও ছিল ৷ অন্যরা তার ডাকে সাড়া দেয়নি৷ তারা পরস্পরে যুদ্ধ না করার জন্যে
সমঝোতায় উপনীত হন ৷ কিন্তু মালিক ইবন নুওয়ায়রা সাজাহ্র সাথে সাক্ষাৎ করে তার
ৎসা কীর্ত্যৰ্ করে য়ারবু গোত্রের উপর হামলা করতে তাকে উদ্বুদ্ধ করে ৷ অবশেষে যুদ্ধ করার


النِّسَاءَ أَفْرَاجَا، وَجَعَلَ الرِّجَالَ لَهُنَّ أَزْوَاجًا، فَنُولِجُ فِيهِنَّ قُعْسًا إِيلَاجًا، ثُمَّ نُخْرِجُهَا إِذَا نَشَاءُ إِخْرَاجًا، فَيُنْتِجْنَ لَنَا سِخَالًا إِنْتَاجًا، فَقَالَتْ: أَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ. فَقَالَ لَهَا: هَلْ لَكِ أَنْ أَتَزَوَّجَكِ وَآكُلُ بِقَوْمِي وَقَوْمِكِ الْعَرَبَ؟ قَالَتْ: نَعَمْ. فَقَالَ: أَلَا قُومِي إِلَى النَّيْكِ ... فَقَدْ هُيِّئَ لَكِ الْمَضْجَعْ فَإِنْ شِئْتِ فَفِي الْبَيْتِ ... وَإِنْ شِئْتِ فَفِي الْمَخْدَعْ وَإِنْ شِئْتِ سَلَقْنَاكِ ... وَإِنْ شِئْتِ عَلَى أَرْبَعْ وَإِنْ شِئْتِ بِثُلْثَيْهِ ... وَإِنْ شِئْتِ بِهِ أَجْمَعْ فَقَالَتْ: بَلْ بِهِ أَجْمَعْ. فَقَالَ: بِذَلِكَ أُوحِيَ إِلَيَّ، وَأَقَامَتْ عِنْدَهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ رَجَعَتْ إِلَى قَوْمِهَا فَقَالُوا: مَا أَصْدَقَكِ؟ فَقَالَتْ: لَمْ يَصْدُقْنِي شَيْئًا. فَقَالُوا: إِنَّهُ قَبِيحٌ عَلَى مِثْلِكِ أَنْ تَتَزَوَّجَ بِغَيْرِ صَدَاقٍ، فَبَعَثَتْ إِلَيْهِ تَسْأَلُهُ صَدَاقَهَا، فَقَالَ: أَرْسِلِي إِلَيَّ مُؤَذِّنَكِ. فَبَعَثَتْهُ إِلَيْهِ، وَهُوَ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، فَقَالَ: نَادِ فِي قَوْمِكَ: إِنَّ مُسَيْلِمَةَ بْنَ حَبِيبٍ رَسُولَ اللَّهِ قَدْ وَضَعَ عَنْكُمْ صَلَاتَيْنِ مِمَّا أَتَاكُمْ بِهِ مُحَمَّدٌ.
পৃষ্ঠা - ৫২৯০

জন্যে সবাই ঐক্যমত পোষণ করে ৷ লোকেরা জিজ্ঞেস করল, কাদের থেকে যুদ্ধের সুচনা করা
যায়? উত্তরে সাজাহ্ কাব্যিক ভঙ্গিতে বলল :


অর্থাৎ তোমরা বাহনচুশুলােকে প্রস্তুত কর ৷ আক্রমণ করার জন্যে তৈরী হও এবং জনগােষ্ঠির
উপর ধ্বংসাত্মক অভিযান চালাও ৷ তাদের পরে আর কোন বাধা নেই ৷

তারপর সকলেই সাজাহ্কে সাহায্য সহযোগিতা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হল ৷ উপস্থিত
লোকদের মধ্যে একজন নিম্নের কবিতাটি পাঠকরে :


৷ , ,
১৷ ৷
অর্থাৎ “তাগলিব গােত্রীয় (সাজাহ্) আমাদের বংশীয় নেতৃস্থানীয় লোকদের নিয়ে
দলবদ্ধভাবে আমাদের নিকট আগমন করে ৷ এবং নির্বোধ বানাবার উদ্দেশ্যে যে আমাদের মাঝে
নুবুওতী দাবির ভিত্তি স্থাপন করে; কিন্তু বহু বড় বড় গোত্র আমাদের বিরুদ্ধে ছিল ৷ আমরা
তাদেরকে কিছুমাত্র বিপদে ফেলতে সক্ষম হই নি, সে যখন আমাদের নিকট আগমন করেছিল
তখন সে আত্মসমর্পণ করেনি ৷ মনে রেখ, তোমাদের জ্ঞানী ণ্লাকগুলো নির্বোধ সেজেছে এবং
সেই বিকেল-সন্ধ্যড়ায় তারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেল, যখন তোমরা সেই মহিলার সাহায্যার্থে
তল্পী-তল্পা গৃটিয়ে নিচ্ছিলে ৷”
উতারিদ ইবন হাজির এ সম্পর্কে বলেছেন :


অর্থাৎ “আমাদের নবী একজন নারী-তাকে ঘিরেই আমাদের তৎপরতা ৷ অথচ মানুষ
কুলের সকল নবীই ছিলেন পুরুষ ৷

এরপর সাজাহ্ ইয়ামামার উদ্দেশ্যে সসৈন্যে রওয়ানা হয় ৷ ডাঃ নবী মুসায়লামা ইবন হাবীব
আল কায্যাব এর হাত থেকে ইয়ামামাকে দখল করাই ছিল তার এ সফরের উদ্দেশ্য ৷ সাজাহ্র
দ্লভৃক্ত লোকজন মুসায়লামার ব্যাপারে ভীত হয়ে বলল, মুসায়লামা অত্যন্ত শক্তিশালী ও
ক্ষমতাধ্র ব্যক্তি ৷ সাজাহ্ তাদেরকে বলেন, ইয়ামামাৱ অভিযান চালানো তোমাদের উপর
অপরিহার্য ৷ কবুতরের ন্যায় ধীর গতিতে পা ফেলতে থাক ৷ এটা হল একটি চুড়ান্ত যুদ্ধ ৷
এরপর আর তোমরা তিরস্কৃত হবে না ৷


অবশেষে তারা মুসায়লামার বিরুদ্ধে লড়ার জন্যে প্রস্তুত হল ৷ সে যখন সাজাহ্র আগমনের

সংবাদ শুনল তখন নিজ দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারে শংকিত হয়ে পড়ল ৷ কারণ, সে তখন


يَعْنِي صَلَاةَ الْفَجْرَ وَصَلَاةَ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ - وَقِيلَ: بَلْ قَالَ لَهُمْ: إِنِّي وَضَعْتُ عَنْكُمْ مَا أَتَاكُمْ بِهِ مُحَمَّدٌ مِنَ الصَّلَوَاتِ، وَأَبَحْتُ فُرُوجَ الْمُؤْمِنَاتِ، وَشُرْبَ الْخَمْرِ فِي الْكَاسَاتِ - فَكَانَ هَذَا صَدَاقَهَا عَلَيْهِ، لَعَنَهُمَا اللَّهُ، ثُمَّ انْشَمَرَتْ سَجَاحِ رَاجِعَةً إِلَى بِلَادِهَا، وَذَلِكَ حِينَ بَلَغَهَا دُنُوِّ خَالِدٍ مِنْ أَرْضِ الْيَمَامَةِ، فَكَرَّتْ رَاجِعَةً إِلَى الْجَزِيرَةِ بَعْدَمَا قَبَضَتْ مِنْ مُسَيْلِمَةَ نِصْفَ خَرَاجِ أَرْضِهِ، فَأَقَامَتْ فِي قَوْمِهَا بَنِي تَغَلِبَ إِلَى زَمَانِ مُعَاوِيَةَ، فَأَجْلَاهُمْ مِنْهَا عَامَ الْجَمَاعَةِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ. [خَبَرُ مَالِكِ بْنِ نُوَيْرَةَ الْيَرْبُوعِيِّ التَّمِيمِيِّ] فَصْلٌ فِي خَبَرِ مَالِكِ بْنِ نُوَيْرَةَ الْيَرْبُوعِيِّ التَّمِيمِيِّ. كَانَ قَدْ صَانَعَ سَجَاحِ حِينَ قَدِمَتْ مِنْ أَرْضِ الْجَزِيرَةِ، فَلَمَّا اتَّصَلَتْ بِمُسَيْلِمَةَ لَعَنَهُمَا اللَّهُ، ثُمَّ تَرَحَّلَتْ إِلَى بِلَادِهَا، فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ نَدِمَ مَالِكُ بْنُ نُوَيْرَةَ عَلَى مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ، وَتَلَوَّمَ فِي شَأْنِهِ، وَهُوَ نَازِلٌ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الْبُطَاحُ. فَقَصَدَهَا خَالِدٌ بِجُنُودِهِ وَتَأَخَّرَتْ عَنْهُ الْأَنْصَارُ، وَقَالُوا: إِنَّا قَدْ قَضَيْنَا مَا أَمَرَنَا بِهِ الصِّدِّيقُ. فَقَالَ لَهُمْ خَالِدٌ: إِنَّ هَذَا أَمْرٌ لَا بُدَّ مِنْ فِعْلِهِ، وَفُرْصَةٌ لَا بُدَّ مِنَ انْتِهَازِهَا وَإِنْ لَمْ يَأْتِنِي فِيهَا كِتَابٌ، وَأَنَا الْأَمِيرُ وَإِلَيَّ تَرِدُ الْأَخْبَارُ، وَلَسْتُ بِالَّذِي أُجْبِرُكُمْ عَلَى الْمَسِيرِ، وَأَنَا قَاصِدٌ الْبُطَاحَ. فَسَارَ يَوْمَيْنِ، ثُمَّ لَحِقَهُ رَسُولُ الْأَنْصَارِ يَطْلُبُونَ مِنْهُ الِانْتِظَارَ، فَلَحِقُوا بِهِ، فَلَمَّا وَصَلَ الْبُطَاحَ وَعَلَيْهَا مَالِكُ بْنُ نُوَيْرَةَ،، فَبَثَّ خَالِدٌ
পৃষ্ঠা - ৫২৯১
السَّرَايَا فِي الْبُطَاحِ يَدْعُونَ النَّاسَ، فَاسْتَقْبَلَهُ أُمَرَاءُ بَنِي تَمِيمٍ بِالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَبَذَلُوا الزِّكْوَاتِ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ مَالِكِ بْنِ نُوَيْرَةَ، فَإِنَّهُ مُتَحَيِّرٌ فِي أَمْرِهِ، مُتَنَحٍّ عَنِ النَّاسِ، فَجَاءَتْهُ السَّرَايَا فَأَسَرُوهُ وَأَسَرُوا مَعَهُ أَصْحَابَهُ، وَاخْتَلَفَتِ السَّرِيَّةُ فِيهِمْ، فَشَهِدَ أَبُو قَتَادَةَ الْحَارِثُ بْنُ رِبْعِيِّ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّهُمْ أَقَامُوا الصَّلَاةَ، وَقَالَ آخَرُونَ: إِنَّهُمْ لَمْ يُؤَذِّنُوا وَلَا صَلَّوْا. فَيُقَالُ: إِنَّ الْأُسَارَى بَاتُوا فِي كُبُولِهِمْ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ شَدِيدَةِ الْبَرْدِ، فَنَادَى مُنَادِي خَالِدٍ أَنْ دَافِئُوا أَسْرَاكُمْ. فَظَنَّ الْقَوْمُ أَنَّهُ أَرَادَ الْقَتْلَ، فَقَتَلُوهُمْ، وَقَتَلَ ضِرَارُ بْنُ الْأَزْوَرِ مَالِكَ بْنَ نُوَيْرَةَ، فَلَمَّا سَمِعَ خَالِدٌ الْوَاعِيَةَ خَرَجَ وَقَدْ فَرَغُوا مِنْهُمْ، فَقَالَ: إِذَا أَرَادَ اللَّهُ أَمْرًا أَصَابَهُ. وَاصْطَفَى خَالِدٌ امْرَأَةَ مَالِكِ بْنِ نُوَيْرَةَ، وَهِيَ أُمُّ تَمِيمٍ ابْنَةُ الْمِنْهَالِ، وَكَانَتْ جَمِيلَةً، فَلَمَّا حَلَّتْ بَنَى بِهَا. وَيُقَالُ: بَلِ اسْتَدْعَى خَالِدٌ مَالِكَ بْنَ نُوَيْرَةَ فَأَنَّبَهُ عَلَى مَا صَدَرَ مِنْهُ مِنْ مُتَابَعَةِ سَجَاحِ، وَعَلَى مَنْعِهِ الزَّكَاةَ، وَقَالَ: أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّهَا قَرِينَةُ الصَّلَاةِ؟ فَقَالَ مَالِكٌ: إِنَّ صَاحِبَكُمْ كَانَ يَزْعُمُ ذَلِكَ. فَقَالَ: أَهْوَ صَاحِبُنَا وَلَيْسَ بِصَاحِبِكَ؟ ! يَا ضِرَارُ، اضْرِبْ عُنُقَهُ. فَضَرَبَ عُنُقَهُ، وَأَمَرَ بِرَأْسِهِ فَجُعِلَ مَعَ حَجَرَيْنِ، وَطُبِخَ عَلَى الثَّلَاثَةِ قِدْرًا، فَأَكَلَ مِنْهَا خَالِدٌ تِلْكَ اللَّيْلَةَ لِيُرْهِبَ بِذَلِكَ الْأَعْرَابَ مِنَ الْمُرْتَدَّةِ وَغَيْرِهِمْ. وَيُقَالُ: إِنَّ شَعْرَ مَالِكٍ جَعَلَتِ النَّارُ تَعْمَلُ فِيهِ إِلَى أَنْ نَضِجَ لَحْمِ الْقِدْرِ، وَلَمْ يَفَرُغَ الشَّعْرُ لِكَثْرَتِهِ. وَقَدْ تَكَلَّمَ أَبُو قَتَادَةَ مَعَ خَالِدٍ فِيمَا صَنَعَ، وَتَقَاوَلَا فِي ذَلِكَ، حَتَّى ذَهَبَ أَبُو قَتَادَةَ فَشَكَاهُ إِلَى الصِّدِّيقِ، وَتَكَلَّمَ عُمَرُ مَعَ أَبِي قَتَادَةَ فِي خَالِدٍ، وَقَالَ لِلصَّدِيقِ: اعْزِلْهُ، فَإِنَّ فِي سَيْفِهِ رَهَقًا. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: لَا أَشْيَمُ سَيْفًا
পৃষ্ঠা - ৫২৯২

ছুমড়ামা ইবন উছালের সাথে যুদ্ধরত ছিল ৷ আর ইকরামা ইবন আবু জাহ্ল সৈন্য দ্বারা মুসলিম
বাহিনীকে সাহায্য করছিলেন ৷ এ সময়ে মুসলিম সৈন্যগণ মুসায়লামার অধীনস্থ কোন এক
শহরে অবতরণ করে খালিদ ইবন ওলীদের আগমনের প্রতীক্ষায় ছিল ৷ সুতরাং মুসায়লামা
সাজাহ্র নিকট যুদ্ধ না করার প্রার্থনা জানিয়ে দুত পাঠিয়ে দেয় এবং সাথে সাথে এই
প্রতিশ্রুতিও দেয় যে, সে তাকে কুরায়শদের থেকে দখলকৃত জমির অর্ধেকাংশ ছেড়ে দেবে ৷ সে
আরও জালাল যে, তুমি সুবিচার করলে আল্লাহ্ তোমাকে তা অবশ্যই ফেরত দেবেন, তোমার
উপর শান্তি বর্ষিত হোক ৷ মুসায়লামা সাজাহ্র নিকট এ খবরও পাঠাল যে, আমি আমার
গোত্রের একদল লোকসহ তোমার সাথে আলোচনা করার উদ্দেশ্যে আসছি ৷ তারপর ৪০ জন
লোকের এক দলসহ মুসায়লামা সাজাহ্র নিকট গেল এবং একটি তাবুর মধ্যে উভয়ে একাস্তে
মিলিত হল ৷ মুসায়লামা তাকে অর্ধেক জমি প্রদানের প্রস্তাব দিলে যে তা মেনে নেয় ৷
মুসায়লামা (বাহ্যিকভাবে) বলল, আল্লাহ শ্রবণ করড়ালেন সেই ব্যক্তিকে যে শুনলো এবং অর্থ
সম্পদের প্রতি লালায়িত করলেন তাকে যে লোভে পড়েছে ৷ প্রতিটি সরল কাজে তার বিধান
কার্যকর আছে ৷ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে দেখেছেন ওঅভিনন্দিত করেছেন ৷
তোমাদেরকে পৃথক করেছেন, এটা তার ব্যতিক্রম ৷ বিচার দিবসে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি
দেবেন ও জীবন দান করবেন ৷ সৎ ও লেক লোকদের মঙ্গল দৃআ আমাদের উপর বহাল আছে ৷
যারা পাপিষ্ঠ ও দুরাচার নয়, তারা তোমাদের মহান রবের উদ্দেশ্যে রাত জেগে ইবাদত করে ও
দিনের বেলায় সওম পালন করে ৷ তিনি মেঘমাল৷ ও বৃষ্টিপাতের নিয়ন্ত্রক ৷ মুসায়লামা আরও
বলেছিল, আমি যখন দেখতে পেলাম, তাদের চেহারা সুন্দর, শরীরের তুক পরিস্কা ৷র মসৃণ এবং
হস্তসমুহ কোমল, তখন তাদেরকে বললাম, তোমরা নারীদের নিকট গমন করনা, মদ পান
করােনা, বরং হে নেককার লোকেরা! তোমরা সওম পালন কর ৷ আল্লাহ মহড়াপবিত্র ৷ জীবন
কাল তোমরা কিভাবে কাটাবাে? আকাশ রাজ্যের প্রভুর নিকট কি অবস্থায় পৌছবে? সরিষা
দানার ন্যায় কোন ক্ষুদ্র পাপও যদি থাকে তবে তার উপরও সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থিত থাকবে ৷ তিনি
অম্ভরে লুক্কায়িত সব বিষয়ে অবগত থাকেন ৷ ঐ দিন অধিকাৎশ্৷ লোকই ধ্বং সপ্রাপ্ত হবে ৷
অভিশপ্ত মুসায়লামা ও তার অনুসারীদের জন্যে এই নিয়ম প্রবত র্তন করেছিল যে, অবিবাত
পুরুষ বিবাহ করবে, যদি তার পুত্র সন্তান হয় তার জন্ম মুহ্রত থেকেই ঐ শ্রী তার জন্যে আর
বৈধ থাকবে না ৷ তবে যদি ঐ পুত্র মারা যায় তাহলে পুনরায় পুত্র সন্তান না জন্মান পর্যন্ত ঐ শ্রী
তার জন্যে বৈধ থাকবে ৷ এ হল মুসায়লামার মনগড়া বিধান ৷

কথিত আছে যে, মুসায়লামা যখন সাজাহ্র সাথে একান্তে বসেছিল তখন তাকে জিজ্ঞেস
করেছিল, তোমার নিকট কী ধরনের ওহী অবতীর্ণ হয়? সে বলল, নারী জাতি কি দীনের
দায়িত্ব পালন করতে পারে? বরং আপনি বলুন, আপনার নিকট কী ওহী আসে? মুসায়লামা
বলল, আমার নিকট যে সব ওহী আসে তার কিছুটা এই :

;ৰু ধ্ৰু ৷
অর্থাৎ “তুমি কি লক্ষ্য করেছ, ৫ তোমার রব গর্ভধারিণীর সাথে কিরুপ আচরণ করেছেন?

তিনি তাদের মো ৷ট৷ পর্দা ও তীক্ষ্ণ পর্দায় মাঝ থেকে চ্লমান মানব শিশু বের করেছেন” ৷


سَلَّهُ اللَّهُ عَلَى الْكُفَّارِ. وَجَاءَ مُتَمِّمُ بْنُ نُوَيْرَةَ فَجَعَلَ يَشْكُو إِلَى الصِّدِّيقِ خَالِدًا، وَعُمَرُ يُسَاعِدُهُ وَيُنْشِدُ الصِّدِّيقَ مَا قَالَ فِي أَخِيهِ مِنَ الْمَرَاثِي، فَوَدَاهُ الصِّدِّيقُ مِنْ عِنْدِهِ. وَمِنْ قَوْلِ مُتَمِّمٍ فِي ذَلِكَ: وَكُنَّا كَنَدْمَانَيْ جَذِيمَةَ بُرْهَةً ... مِنَ الدَّهْرِ حَتَّى قِيلَ لَنْ يَتَصَدَّعَا وَعِشْنَا بِخَيْرٍ مَا حَيِينَا وَقَبْلَنَا ... أَبَادَ الْمَنَايَا قَوْمَ كِسْرَى وَتُبَّعَا فَلَمَّا تَفَرَّقْنَا كَأَنِّي وَمَالِكًا ... لِطُولِ اجْتِمَاعٍ لَمْ نَبِتْ لَيْلَةً مَعَا تَرَاهُ كَنَصْلِ السَّيْفِ يَهْتَزُّ لِلنَّدَى ... إِذَا لَمْ يَجِدْ عِنْدَ امْرِئِ السَّوْءَ مَطْمَعَا وَمَا كَانَ وَقَّافًا إِذَا الْخَيْلُ أَحْجَمَتْ ... وَلَا طَالِبًا مِنْ خَشْيَةِ الْمَوْتِ مَفْزِعَا وَلَا بِكَهَامٍ سَيْفُهُ عَنْ عَدُوِّهِ ... إِذَا هُوَ لَاقَى حَاسِرًا أَوْ مُقَنَّعَا وَإِنِّي مَتَى مَا أَدْعُ بِاسْمِكَ لَمْ تُجِبْ ... وَكُنْتَ حَرِيًّا أَنْ تُجِيبَ وَتَسْمَعَا وَمَا شَارِفٌ حَنَّتْ حَنِينًا وَرَجَّعَتْ ... أَنِينًا فَأَبْكَى شَجْوُهَا الْبَرْكَ أَجْمَعَا بِأَوْجَدَ مِنِّي يَوْمَ قَامَ بِمَالِكٍ ... مُنَادٍ فَصِيحٌ بِالْفِرَاقِ فَأَسْمَعَا تَحِيَّتُهُ مِنِّي وَإِنْ كَانَ نَائِيًا ... وَأَمْسَى تُرَابًا فَوْقَهُ الْأَرْضُ بَلْقَعَا سَقَى اللَّهُ أَرْضًا حَلَّهَا قَبْرُ مَالِكٍ ... ذِهَابَ الْغَوَادِي الْمُدْجِنَاتِ فَأَمْرَعَا
পৃষ্ঠা - ৫২৯৩
فِي أَبْيَاتٍ أُخَرَ اخْتَصَرْنَاهَا. وَقِيلَ: إِنَّ مُتَمِّمًا حَزِنَ عَلَى أَخِيهِ مَالِكٍ حُزْنًا شَدِيدًا ; مَكَثَ سَنَةً كَامِلَةً لَمْ يَنِمِ اللَّيْلَ، وَلَمْ يَزَلْ حَزِينًا عَلَيْهِ يُنْشِدُ فِيهِ الْأَشْعَارَ حَتَّى مَاتَ، وَكَانَ أَعْوَرَ، فَلَمْ يَزَلْ يَبْكِيهِ حَتَّى سَالَتْ عَيْنُهُ الْعَوْرَاءُ بِالدُّمُوعِ، وَهَذَا أَبْلَغُ مَا يَكُونُ مِنَ الْحُزْنِ. وَقَالَ أَيْضًا: لَقَدْ لَامَنِي عِنْدَ الْقُبُورِ عَلَى الْبُكَا ... رَفِيقِي لِتَذْرَافِ الدُّمُوعِ السَّوَافِكِ وَقَالَ أَتَبْكِي كُلَّ قَبْرٍ رَأَيْتَهُ ... لِقَبْرٍ ثَوَى بَيْنَ اللِّوَى فَالدَّكَادِكِ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّ الْأَسَى يَبْعَثُ الْأَسَى ... فَدَعْنِي فَهَذَا كُلُّهُ قَبْرُ مَالِكِ وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ لَمْ يَزَلْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يُحَرِّضُ الصِّدِّيقَ وَيَذْمُرُهُ عَلَى عَزْلِ خَالِدٍ عَنِ الْإِمْرَةِ وَيَقُولُ: إِنَّ فِي سَيْفِهِ لَرَهَقًا، قَتَلَ مَالِكًا وَنَزَى عَلَى امْرَأَتِهِ. حَتَّى بَعَثَ الصِّدِّيقُ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، فَقَدِمَ عَلَيْهِ الْمَدِينَةَ وَقَدْ لَبِسَ عَلَيْهِ دِرْعَهُ الَّتِي مِنْ حَدِيدٍ، قَدْ صَدِئَ مِنْ كَثْرَةِ الدِّمَاءِ، وَغَرَزَ فِي عِمَامَتِهِ النُّشَّابَ الْمُضَمَّخَ بِالدِّمَاءِ، فَلَمَّا دَخَلَ الْمَسْجِدَ قَامَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، فَانْتَزَعَ الْأَسْهُمَ مِنْ عِمَامَةَ خَالِدٍ فَحَطَّمَهَا، وَقَالَ: أَرِيَاءً قَتَلْتَ امْرَأً مُسْلِمًا ثُمَّ نَزَوْتَ عَلَى امْرَأَتِهِ؟ ! وَاللَّهِ لَأَرْجُمَنَّكَ بِأَحْجَارِكَ. وَخَالِدٌ لَا يُكَلِّمُهُ، وَلَا يَظُنُّ
পৃষ্ঠা - ৫২৯৪

সাজাহ্ বলল, যে আবার কী? মুসায়লাম৷ উত্তরে বলল :

ক্রো মোঃ (fl
অর্থাৎ “আল্লাহ্ নারীদের জন্যে ণ্যানীন্বানিয়েছেন ৷ আর পুরুষদেরকে করেছেন তাদের

স্বামী ৷ তাই আমরা তার মধ্যে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করইি এবং যখন ইচ্ছা বের করি ৷ তারপর এর
থেকে তারা আমাদের জন্য সন্তান প্রসব করে” ৷

এ কথা শোনার পর সাজাহ্ বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি অবশ্যই নবী ৷ মুসায়লামা
বলল, আচ্ছা আমি তোমাকে বিবাহ করতে চাই, কী বল? তাহলে আমার গোত্র ও তোমার
গোত্র মিলে গোটা আরবকে অধীনস্থ করে ফেলব? সাজাহ্ বলল, হী, রাজী আছি ৷ এরপর
মুসায়লাম৷ (নিম্নোক্ত কবিতা দিয়ে তার বিকৃত রুচির পরিচয় ব্যক্ত করে) বলে :

শে , ৷ ধ্ ,াড়ু




অর্থাৎ “উঠস্টীর্জ্যন চলো, তোমার জন্যে শয্য৷ প্রস্তুত! যদি চাও ঘরের মধ্যে, আর যদি
চাও অন্দর কোঠায়, যদি চাও শয়নে, আর যদি চাও আসনে ৷ যদি চাও দু-তৃতীয়াং শে, আর
যদি চাও, তবে পুরোটা দিয়ে ৷

সাজাহ্ বলল, বরং পুরোটা দিয়েই ৷ মুসায়লাম৷ বলল, এভাবেই আমাকে ওহী দ্বারা জানান
হয়েছে ৷ এরপর সাজাহ্৩ তিন দিন যাবত সেখানে অবস্থান করার পর নিজ গোত্রে ফিরে যায় ৷
লোকজন জিজ্ঞেস করল, মুসায়লামাতে তোমাকে মােহরানা যাবত কী দিয়েছে? সে বলল, কিছুই
দেয়নি ৷ গোত্রের লোকেরা বলল, সেও তে ৷মার মত আরেক কদয ব্যক্তি-বিনা মহরে তোমাকে
বিয়ে করেছে ৷ সাজাহ্ তখনি মােহরানা দাবি করে মুসায়লামার নিকট সংবাদ পাঠাল ৷
মুসায়লাম৷ জানাল, তোমার মুআযযিন (ঘোষক)-কে আমার নিকট পাঠিয়ে দাও ৷ সে মতে
সাজাহ্ তার মুআযযিন শাবাত ইবন রিবঈ-কে পাঠিয়ে দিল ৷ মুসায়লাম৷ তাকে বলল, তুমি
তোমার গোত্রে গিয়ে এই ঘোষণা করে দাও যে, মুহাম্মদ (সা) তোমাদের উপর যে কয় ওয়াক্ত
সালাত পড়ার হুকুম করেছিলেন তার থেকে দুই ওয়াক্ত সালাত আল্লাহ্র রাসুল (?) মুসায়লামা
ইবন হাবিব কমিয়ে দিয়েছেন-অর্থাৎ ফজর ও ইশা দুই ওয়াক্ত, এটাই সাজাহ্র মহর ৷ খালিদ
ইবন ওলীদের ইয়ামামার সন্নিকটে আগমনের সংবাদ পেয়ে সাজাহ্ নিজ দেশে ফিরে যায় ৷
মুসায়লামাস্থ থেকে অর্ধেক জমির খারাজ গ্রহণের পর সে পুনরায় জাষীরায় প্রত্যাবর্তন করে ৷
এরপর থেকে সে নিজ গোত্র বনু তাগলিবে অবস্থান করতে থাকে ৷ অবশেষে হযরত মুআবিয়া
সেখান থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করে দেন ৷


إِلَّا أَنَّ رَأْيَ الصِّدِّيقِ فِيهِ كَرَأْيِ عُمَرَ، حَتَّى دَخَلَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ، فَعَذَرَهُ وَتَجَاوَزَ عَنْهُ مَا كَانَ مِنْهُ فِي ذَلِكَ، وَوَدَى مَالِكَ بْنَ نُوَيْرَةَ فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ وَعُمَرُ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ خَالِدٌ: هَلُمَّ إِلَيَّ يَا ابْنَ أُمِّ شَمْلَةَ. فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ، وَعَرَفَ أَنَّ الصِّدِّيقَ قَدْ رَضِيَ عَنْهُ. وَاسْتَمَرَّ أَبُو بَكْرٍ بِخَالِدٍ عَلَى الْإِمْرَةِ، وَإِنْ كَانَ قَدِ اجْتَهَدَ فِي قَتْلِ مَالِكِ بْنِ نُوَيْرَةَ وَأَخْطَأَ فِي قَتْلِهِ، كَمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَهُ إِلَى بَنِي جَذِيمَةَ فَقَتَلَ أُولَئِكَ الْأُسَارَى الَّذِينَ قَالُوا: صَبَأْنَا صَبَأْنَا. وَلَمْ يُحْسِنُوا أَنْ يَقُولُوا: أَسْلَمْنَا. فَوَدَّاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى رَدَّ إِلَيْهِمْ مِيلَغَةَ الْكَلْبِ، وَرَفْعَ يَدَيْهِ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ خَالِدٌ» . وَمَعَ هَذَا لَمْ يَعْزِلْ خَالِدًا عَنِ الْإِمْرَةِ. [مَقْتَلُ مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ لَعَنَهُ اللَّهُ] ُ وَأَخْزَاهُ. لَمَّا رَضِيَ الصِّدِّيقُ عَنْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَعَذَرَهُ بِمَا اعْتَذَرَ بِهِ، بَعَثَهُ إِلَى قِتَالِ بَنِي حَنِيفَةَ بِالْيَمَامَةِ، وَأَوْعَبَ مَعَهُ الْمُسْلِمُونَ، وَعَلَى الْأَنْصَارِ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، فَسَارَ لَا يَمُرُّ بِأَحَدٍ مِنَ الْمُرْتَدِّينَ إِلَّا نَكَّلَ بِهِمْ، وَقَدِ اجْتَازَ بِخُيُولٍ لِأَصْحَابِ سَجَاحِ فَشَرَّدَهُمْ، وَأَمَرَ بِإِخْرَاجِهِمْ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ، وَأَرْدَفَ الصِّدِّيقُ خَالِدًا بِسَرِيَّةٍ ; لِتَكُونَ رِدْءًا لَهُ مِنْ وَرَائِهِ، وَقَدْ كَانَ بَعَثَ قَبْلَهُ إِلَى مُسَيْلِمَةَ عِكْرِمَةَ بْنَ أَبِي جَهِلٍ، وَشُرَحْبِيلَ ابْنَ حَسَنَةَ، فَلَمْ يُقَاوِمَا بَنِي حَنِيفَةَ ; لِأَنَّهُمْ فِي نَحْوٍ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫২৯৫


মালিক ইবন নুওয়ায়রা আল-য়ায়বুয়ী তামীমীর ঘটনা

আরব উপদ্বীপ থােক আসার সময় সাজাহ্র মন নরমই ছিল ৷ মুসায়লামার সাথে
সাক্ষাতের পর তারা উভয়ে আল্লাহ্র অভিশাপে পতিত হয় ৷ এরপর সাজড়াহ্ তার নিজ শহরে
ফিরে যায় ৷ এ ঘটনায় মালিক ইবন নুওয়ায়রা অত্যন্ত লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয় ৷ মালিক ইবন
নুওয়ায়রা যে স্থানে থাকত সে স্থানের নাম ছিল আল-বাতাহ্ ৷ খালিদ ঐ স্থানে অভিযান চালাতে
মনস্থু করেন ৷ কিন্তু আসনাসরগণ এতে দ্বিমত পােষন করেন ৷ তারা বললেন, খলীফা
আমাদেরকে যে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তা সম্পন্ন করেছি ৷ খালিদ বললেন, এটা
এমন একটি বিষয়, যা করা প্রয়োজন এবং এমন একটি সুযোগ, যর সদ্ব্যবহার করা উচিৎ ৷ এ
ব্যাপারে আমার নিকট কোন চিঠিপত্র আসেনি ৷ আমি সেনাপতি, তথ্য-সং বাদ আমার কাছেই
আসে ৷ তােমাদেরকে যাওয়ার জন্যে আমি বাধ্য করছি না ৷ তবে বাতাহ্ অভিযানের সংকল্প
আমি গ্রহণ করেছি ৷ দৃই দিন চলার পর আনসারদের দুত এসে তার সাথে সাক্ষাত করেন ৷
তারা খালিদকে অপেক্ষা করতে বলেন, এবং তারপর তার সাথে গিয়ে মিলিত হন ৷ খালিদ
সসৈন্যে বাতাহ্ গিয়ে পৌছলেন ৷ এখানেই ছিল মালিক ইবন নুওয়ায়রার অবস্থান ৷ বাতাহ্
পৌছে খালিদ চতৃদািক সেন্যদেরকে ছোট ছোট দল প্রেরণ করেন সোকদেরকে ডাকার জন্যে ৷ ন্
বনু তামীমের নেতৃবর্গ খালিদকে অভ্যর্থনা জানিয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং যাকাত প্রদান
কঃাল ৷

অবশ্য মালিক ইবন নুওয়ায়রার অবস্থা ছিল ভিন্ন ৷ সে দ্বিধা-দ্বস্থের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল
এবং লোকজন থেকে দুরে অবস্থান করছিল ৷ খালিদের সৈন্যরা তাকে ও৩ তার সঙ্গী সাথীদেরকে
বন্দী করল ৷ পরে বন্দীদের ব্যাপারে সৈন্যদের মধ্যে বিভিন্ন মত দেখা দিল ৷ সুতরাং আবু
কাতাদা হারিছ ইবন রিবৃঈ আনসারী বললেন, এরা সালাত আদায় করেছে ৷ অন্যরা বলল, এরা
আযানও দেয়নি সালাতও আদায় করেনি ৷ জানান হল যে, বন্দীরা তীর শীতের মধ্যে বন্দীশালায়

রাত কাটিয়েছে ৷ এ সময় খালিদের ঘোষপাকারী ঘোষণা দিল যে, তোমরা বন্দীদেরকে সরিয়ে
ফো৷ ৷ দলের লোকেরা মনে করল, এ ঘোষণা দ্বারা ওদেরকে হত্যা করতে বলা হয়েছে৷ সুতরাং
তারা বন্দীদেরকে হত্যা করে দিল ৷ যিরার ইবন আযওর মালিক ইবন নুওয়ায়রাকে হত্যা
করেন ৷ ণ্ঘাষণাকারীর আওয়াজ শুনে খালিদ বের হয়ে আসেন ৷ কিন্তু এ সময়ে তারা হত্যাকাণ্ড
শের করে ফেলেছেন ৷ খালিদ বললেন, আল্লাহ্ যখন কিছু করার ইচ্ছা করেন তখন তা যথার্থই
করেন ৷
খালিদ (গনীমাত হিসাবে) নারী বন্দীদের মধ্য থেকে মালিক ইবন নুওয়ায়রার শ্রীকে বেছে

নেন ৷ তার নাম ছিল উম্মু তামীম, মিনহ্ালের কন্যা ৷ দেখতে অত্যন্ত সুন্দরী ৷ ঋতু থেকে পাক
হওয়ার পর খালিদ তার সাথে মিলিত হন ৷ কেউ কেউ বলেন যে, খালিদ মালিক ইবন
নওওয়ায়রাকে ডেকে এনে সাজাহ্র মতাবলম্বন এবং যাকাত প্রদানে বিরত থাকার কারণ
জিজ্ঞেস করেন ৷ তিনি বলেন, তোমার কি জানা নেই যে, যাকাতের বিধান সালাতের বিধানের
সাথে মিলিয়ে একত্রে দেয়া হয়েছে? মালিক বলল, তোমাদের সাথী (নবী) তাে এ রকমই মনে
করেন ৷ খালিদ বললেন, তিনি আমাদের সাথী, তোমার সাথী (নবী) নন কি? হে যিরার! এর
গর্দান উড়িয়ে দাও ! তারপর মালিকের গর্দান উড়িয়ে দেয়া হয় ৷ খালিদের নির্দেশে তার শির


أَرْبَعِينَ أَلْفًا مِنَ الْمُقَاتِلَةِ، فَعَجِلَ عِكْرِمَةُ قَبْلَ مَجِيءِ صَاحِبِهِ شُرَحْبِيلَ، فَنَاجَزَهُمْ فَنُكِبَ، فَانْتَظَرَ خَالِدًا، فَلَمَّا سَمِعَ مُسَيْلِمَةُ بِقُدُومِ خَالِدٍ، عَسْكَرَ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: عَقْرَبَاءُ. فِي طَرَفِ الْيَمَامَةِ، وَالرِّيفُ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ، وَنَدَبَ لَهُ النَّاسَ وَحَثَّهُمْ، فَحَشَدَ لَهُ أَهْلَ الْيَمَامَةِ، وَجَعَلَ عَلَى مُجَنِّبَتَيْ جَيْشِهِ الْمُحْكَمَ بْنَ الطُّفَيْلِ، وَالرَّجَّالَ بْنَ عُنْفُوَةَ بْنِ نَهْشَلٍ، وَكَانَ الرَّجَّالُ هَذَا صَدِيقُهُ الَّذِي شَهِدَ لَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّهُ قَدْ أَشْرَكَ مَعَهُ مُسَيْلِمَةَ بْنَ حَبِيبٍ فِي الْأَمْرِ، فَكَانَ هَذَا الْمَلْعُونُ مِنْ أَكْبَرِ مَا أَضَلَّ أَهْلَ الْيَمَامَةِ، حَتَّى اتَّبَعُوا مُسَيْلِمَةَ، لَعَنَهُمَا اللَّهُ، وَقَدْ كَانَ الرَّجَّالُ هَذَا قَدْ وَفَدَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَرَأَ " الْبَقَرَةَ " وَجَاءَ زَمَنَ الرِّدَّةِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَبَعَثَهُ إِلَى أَهْلِ الْيَمَامَةِ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ، وَيُثَبِّتُهُمْ عَلَى الْإِسْلَامِ، فَارْتَدَّ مَعَ مُسَيْلِمَةَ وَشَهِدَ لَهُ بِالنُّبُوَّةِ. قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ طَلْحَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: كُنْتُ يَوْمًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَهْطٍ، مَعَنَا الرَّجَّالُ بْنُ عُنْفُوَةَ، فَقَالَ: «إِنْ فِيكُمْ لَرَجُلًا ضِرْسُهُ فِي النَّارِ أَعْظَمُ مِنْ أُحُدٍ» . فَهَلَكَ الْقَوْمُ وَبَقِيتُ أَنَا وَالرَّجَّالُ، وَكُنْتُ مُتَخَوِّفًا لَهَا، حَتَّى خَرَجَ الرَّجَّالُ مَعَ مُسَيْلِمَةَ وَشَهِدَ لَهُ بِالنُّبُوَّةِ، فَكَانَتْ فِتْنَةُ الرَّجَّالِ أَعْظَمَ مِنْ فِتْنَةِ مُسَيْلِمَةَ، وَرَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ شَيْخٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَاقْتَرَبَ خَالِدٌ وَقَدْ جَعَلَ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ شُرَحْبِيلَ ابْنَ حَسَنَةَ وَعَلَى الْمُجَنِّبَتَيْنِ زَيْدًا وَأَبَا حُذَيْفَةَ، وَقَدْ مَرَّتِ الْمُقَدِّمَةُ فِي اللَّيْلِ بِنَحْوٍ مِنْ أَرْبَعِينَ، وَقِيلَ: سِتِّينَ
পৃষ্ঠা - ৫২৯৬

ছিন্ন করা হল ৷ তারপর দুটি পাথর ও মালিকের মস্তক এই তিনটির উপর ডেকচি বসিয়ে
খাবার রান্না করা হয় ৷ এই খাবার দিয়ে খালিদ ঐ রাত্রের আহার সারেন ৷ এ ব্যবহার উদ্দেশ্য
ছিল, আরবের মুবতাদ ও অন্যান্য লোকদেরকে ভীত ও শংকিত করা ৷ কথিত আছে যে,
মালিকের মাথার চুলও রান্নার আগুনে দেয়৷ হয় এবৎ চুল এত বেশি ছিল যে, গোশৃত পাকান
শেষ হবার পরও চুল অবশিষ্ট ছিল ৷ আবু কাত দো খালিদের এই কাজের সমালোচনা করেন
এবং এ নিয়ে দুজনের তর্ক-বিতর্কও হয় ৷ এমন কি আবু কতাদা খলীফা হযরত সিদ্দীকের
নিকট হাযির হয়ে অভিযোগ পেশ করেন ৷ হযরত উমর (রা)-এ বিষয়ে আবু কাতাদা থেকে
অবগত হয়ে খলীফাকে বলেন, খালিদকে অপসারণ করুন-কেননা তার তরবারীর মধ্যে যুলুম
আছে ৷ কিন্তু হযরত আবু বকর বললেন, যেই তরবারীকে স্বয়ং আল্লাহ্ কাফিরদের জন্য উন্মুক্ত
করেছেন আমি তাকে কােষবদ্ধ করতে পারি না : ৷ ১৷ ৷
এরপর মুতামমিম ইবন নুওয়ায়রা এসেও খালিদের বিরুদ্ধে খলীফার নিকট অভিযোগ দায়ের
করেন ৷ হযরত উমর তাকে সাহায্য করেন ৷ মৃত তামমিম খলীফার সম্মুখে নিহত ভ্রাতার মসিয়া
পাঠ করে শুনায় ৷ আর খলীফা নিজেই তার প্রতিবাদ করতে থাকেন ৷ মুতামমিমের পঠিত
কবি৩ ৷র কিছু অ০ শ এই :



অর্থ ? মদের আড্ডার দৃই বন্ধুর ন্যায় আমরা উভয়ে (আমি ও আমার ভইি মালিক) ছিলাম
একত্রে গভীর বন্ধনে আবদ্ধ ৷ একটি যুগব্যাপী ছিল আমাদের এই সম্পর্ক ৷ লোকজন বলতো
আমাদের মাঝে কখনও বিরহ আসবে না ৷ যদ্দিন বেচে ছিলাম সুন্দর ভাবেই কাঢিয়েছি ৷
আমাদের পুর্বে কিসরা ও তুব্বাকেও তো মৃত্যু ধ্বংস করে দিয়েছে ৷ যখন আমাদের মাঝে

বিচ্ছেদ এসে গেল; তখন দীর্ঘকাল একত্রে থাকা সত্তেও মনে হল যেন আমি ও মালিক একত্রে
একটি রাত ও কাটাইনি ৷

তার পঠিত কবিতার আরও কিছু অংশ এই :

এশ্াহ্নশ্ঠো-ন্নী এেএ-ক্রো এৰু-ন্এ
;াপ্রুা ৰু

অর্থ : আমি যখন বিলাগ করে চলছিলাম, তখন বাধাহীন অশ্রু বর্ষণ দেখে আমার এক
বন্ধু আমাকে তিরস্কার করে বলছিল , তুমি কি লিওয়া ও দাকাদিকের মধ্যবর্তী যত সমতল কবর
আছে তার প্রত্যেকটা দেখেই এভাবে বিলাপ করতে পারবে? আমি তাকে বললাম, ডাক্তারের
কাজ তাে ঔষধ পাঠিয়ে দেওয়া; সুতরাৎ আমাকে কাদতে দাও ৷ কেননা, এ সবগুলোই
মালিকের কবর ৷


فَارِسًا، عَلَيْهِمْ مُجَّاعَةُ بْنُ مُرَارَةَ، وَكَانَ قَدْ ذَهَبَ لِأَخْذِ ثَأْرٍ لَهُ فِي بَنِي تَمِيمٍ وَبَنِي عَامِرٍ وَهُوَ رَاجِعٌ إِلَى قَوْمِهِ، فَأَخَذُوهُمْ فَلَمَّا جِيءَ بِهِمْ إِلَى خَالِدٍ، سَأَلَهُمْ عَنْ خَبَرِهِمْ فَاعْتَذَرُوا إِلَيْهِ فَلَمْ يُصَدِّقْهُمْ، وَأَمَرَ بِضَرْبِ أَعْنَاقِهِمْ كُلِّهِمْ سِوَى مُجَّاعَةَ فَإِنَّهُ اسْتَبْقَاهُ مُقَيَّدًا عِنْدَهُ ; لِعِلْمِهِ بِالْحَرْبِ وَالْمَكِيدَةِ، وَكَانَ سَيِّدًا فِي بَنِي حَنِيفَةَ شَرِيفًا مُطَاعًا. وَيُقَالُ: إِنَّ خَالِدًا لَمَّا عُرِضُوا عَلَيْهِ قَالَ لَهُمْ: مَاذَا تَقُولُونَ يَا بَنِي حَنِيفَةَ؟ قَالُوا: نَقُولُ: مِنَّا نَبِيٌّ وَمِنْكُمْ نَبِيٌّ. فَقَتَلَهُمْ إِلَّا وَاحِدًا اسْمُهُ سَارِيَةُ، فَقَالَ لَهُ: أَيُّهَا الرَّجُلُ، إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ غَدًا بِعُدُولِ هَؤُلَاءِ خَيْرًا أَوْ شَرًّا فَاسْتَبْقِ هَذَا الرَّجُلَ. يَعْنِي مُجَّاعَةَ بْنَ مُرَارَةَ. فَاسْتَبْقَاهُ خَالِدٌ مُقَيَّدًا، وَجَعَلَهُ فِي الْخَيْمَةِ مَعَ امْرَأَتِهِ، وَقَالَ: اسْتَوْصِي بِهِ خَيْرًا، فَلَمَّا تَوَاجَهَ الْجَيْشَانِ قَالَ مُسَيْلِمَةُ لِقَوْمِهِ: الْيَوْمُ يَوْمُ الْغَيْرَةِ، الْيَوْمُ إِنْ هُزِمْتُمْ تُسْتَرْدَفِ النِّسَاءُ سَبِيَّاتٍ، وَيُنْكَحْنَ غَيْرَ حَظِيَّاتٍ، فَقَاتِلُوا عَنْ أَحِسَابِكُمْ وَامْنَعُوا نِسَاءَكُمْ. وَتَقَدَّمَ الْمُسْلِمُونَ حَتَّى نَزَلَ بِهِمْ خَالِدٌ عَلَى كَثِيبٍ يُشْرِفُ عَلَى الْيَمَامَةِ. فَضَرَبَ بِهِ عَسْكَرَهُ، وَرَايَةُ الْمُهَاجِرِينَ مَعَ سَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ، وَرَايَةُ الْأَنْصَارِ مَعَ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، وَالْعَرَبُ عَلَى رَايَاتِهَا، وَمُجَّاعَةُ بْنُ مُرَارَةَ مُقَيَّدٌ فِي الْخَيْمَةِ مَعَ أُمِّ تَمِيمٍ امْرَأَةِ خَالِدٍ، فَاصْطَدَمَ الْمُسْلِمُونَ وَالْكُفَّارُ، فَكَانَتْ لِلْمُسْلِمِينَ جَوْلَةٌ وَانْهَزَمَتِ الْأَعْرَابُ حَتَّى دَخَلَتْ
পৃষ্ঠা - ৫২৯৭
بَنُو حَنِيفَةَ خَيْمَةَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَهَمُّوا بِقَتْلِ أُمِّ تَمِيمٍ، حَتَّى أَجَارَهَا مُجَّاعَةُ، وَقَالَ: نِعْمَتِ الْحُرَّةُ هَذِهِ. وَقَدْ قُتِلَ الرَّجَّالُ بْنُ عُنْفُوَةَ، لَعَنَهُ اللَّهُ، فِي هَذِهِ الْجَوْلَةِ، قَتَلَهُ زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ، ثُمَّ تَذَامَرَ الصَّحَابَةُ بَيْنَهُمْ، وَقَالَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ: بِئْسَ مَا عَوَّدْتُمْ أَقْرَانَكُمْ. وَنَادَوْا مِنْ كُلِّ جَانِبٍ: اخْلُصْنَا يَا خَالِدُ. فَخَلَصَتْ ثُلَّةٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَحَمِيَ الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ، وَكَانَ إِذَا رَأَى الْحَرْبَ أَخَذَتْهُ الْعُرَوَاءُ فَيَجْلِسُ عَلَى ظَهْرِهِ الرِّجَالُ وَيَنْتَفِضُ حَتَّى يَبُولَ فِي سَرَاوِيلِهِ، ثُمَّ يَثُورُ كَمَا يَثُورُ الْأَسَدُ، وَقَاتَلَتْ بَنُو حَنِيفَةَ قِتَالًا لَمْ يُعْهَدْ مِثْلُهُ، وَجَعَلَتِ الصَّحَابَةُ يَتَوَاصَوْنَ بَيْنَهُمْ وَيَقُولُونَ: يَا أَصْحَابَ سُورَةِ " الْبَقَرَةِ " بَطَلَ السِّحْرُ الْيَوْمَ. وَحَفَرَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ لِقَدَمَيْهِ فِي الْأَرْضِ إِلَى أَنْصَافِ سَاقَيْهِ، وَهُوَ حَامِلُ لِوَاءِ الْأَنْصَارِ بَعْدَمَا تَحَنَّطَ وَتَكَفَّنَ، فَلَمْ يَزَلْ ثَابِتًا حَتَّى قُتِلَ هُنَاكَ، وَقَالَ الْمُهَاجِرُونَ لِسَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ: أَتَخْشَى أَنْ نُؤْتَى مِنْ قِبَلِكَ؟ فَقَالَ: بِئْسَ حَامِلُ الْقُرْآنِ أَنَا إِذًا. وَقَالَ زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ: أَيُّهَا النَّاسُ، عَضُّوا عَلَى أَضْرَاسِكُمْ، وَاضْرِبُوا فِي عَدُوِّكُمْ، وَامْضُوا قُدُمًا. وَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَتَكَلَّمُ حَتَّى يَهْزِمَهُمُ اللَّهُ أَوْ أَلْقَى اللَّهَ فَأُكَلِّمَهُ بِحُجَّتِي. فَقُتِلَ شَهِيدًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ أَبُو حُذَيْفَةَ: يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ، زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِالْفِعَالِ، وَحَمَلَ فِيهِمْ حَتَّى أَبْعَدَهُمْ وَأُصِيبَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَحَمَلَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ حَتَّى جَاوَزَهُمْ وَسَارَ بِحِيَالِ مُسَيْلِمَةَ وَجَعَلَ يَتَرَقَّبُ أَنْ يَصِلَ إِلَيْهِ فَيَقْتُلَهُ، ثُمَّ رَجَعَ ثُمَّ وَثَبَ بَيْنَ الصَّفَّيْنِ وَدَعَا إِلَى الْبِرَازِ، وَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫২৯৮

হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা) খালিদ ইবন ওলীদকে সেনাপতির পদ থেকে অপসারণের
জন্য খলীফাকে অব্যাহতভাবে চাপ দিতে থাকেন এবং বলতে থাকেন যে, তার তয়বারী যুলুমের
সাথে জড়িত হয়ে গেছে : এে,ত্র রুদ্বুা প্রু ন্ঞ ;, ৷ অবশেষে খলীফা খালিদকে ডেকে পাঠালেন ৷
তিনি মদীনায় এসে পৌছলেন ৷ তখন তিনি লৌহ বর্ম পরিহিত ছিলেন ৷ প্রচুর পরিমাণ রক্ত
লাগার কারণে তাতে মরচে ধরে গিয়েছিল ৷ খালিদ তার মাথার পাগড়ির উপর রক্তমাখা একটি
তীর গেড়ে রেখে ছিলেন ৷ মসজিদে প্রবেশ করতেই হযরত উমর উঠে তার পাগড়ি থেকে
’ ভীরটি নিয়ে ভেত্গে ফেললেন, এবং বললেন, তুমি কি দাপট দেখানোর উদ্দেশ্যে একজন
মুসলমানকে হত্যা করে তার ত্রীর উপর ঝাপিয়ে পড়েছ ৷ আল্লাহ্র কসম, তে ৷মাকে আমি
পাথর মেরে হত্যা করব ৷ খালিদহযরত উমরের সাথে কোন কথা বললেন না ৷ তিনি শুধু লক্ষ্য
করলেন যে, খলীফার মত এ ব্যাপারে হযরত উমরের মতের অনুরুপ কিনা ৷ তারপর তিনি
হযরত আবু বকরের কাছে গেলেন এবং ওযর পেশ করলেন ৷ খলীফা তার ওযর গ্রহণ করলেন
ও ক্ষমা করে দিলেন এবং মালিক ইবন নুওয়ায়রার রক্তপণ আদায় করে দিলেন ৷

তিনি যখন খলীফার নিকট থেকে বের হন তখন হযরত উমর মসজিদে বসা ছিলেন ৷
খালিদ তড়াকে লক্ষ করে বললেন, ওহে উম্মে শামালার পুত্র, এবার আমার কাছে এসো! উমর
কোন উত্তর দিলেন না ৷ তিনি বুঝতে পারলেন যে, খলীফা তার প্রতিপ্রসন্ন হয়ে গেছেন ৷ আবু
বকর (রা) খালিদকে সেনাপতির পদে বহাল রাখেন ৷ আসলে মালিক ইবন নুওয়ায়রাকে হত্যার
ব্যাপারে খালিদ ইজতিহাদ করেছিলেন, এবং তাতে তার ভুল হয়েছিল ৷ আর একবার রাসুলুল্লাহ্
(সা) আবু জুযায়মাকে দমন করার জন্য খালিদকে প্রেরণ করলে তিনি সেই সব বন্দীদেরকে
হত্যা করেন যারা বলেছিল “আমরা ধর্ম ত্যাগ করেছি, আমরা ধর্ম ত্যাগ করেছি ৷” আসলে
তারা আমরা মুসলমান হয়েছি কথাটি বলতে অভ্যস্ত ছিল না ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের
রক্তপণ আদায় করেন-যার পরিমাণ ছিল বনু কালবের পশু পালের সমান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
দু’হাত তুলে দুআ করেছিলেন :া৷দ্র ৫১ ৮৩ এ ৷ ৷ ৷,ৰু ৷ ষ্১ ৷ ণ্ৰু ৷ হে আল্লাহ্! খালিদ
যে কাজ করেছে, আমি তা থেকে মুক্ত ৷ তা সত্বেও রাসুলুল্লাহ্ (সা) খালিদকে সেনাপতির পদ
থেকে অপসারণ করেননি ৷

মুসায়লামা কায্যাবের হত্যা প্রসঙ্গ

খলীফা আবু বকর সিদ্দীক (রা) খালিদ ইবন ওলীদের ওযর গ্রহণ করার পর সভুষ্ট চিত্তে
তাকে বনু হানীফার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রেরণ করেন ৷ বিপুল সংখ্যক মুসলমান এ
বাহিনীতে যোগদান করেন ৷ আনসারদের মধ্য থেকে ছাৰিত ইবন কায়স ইবন শামৃমাসকে
নেতা নির্বাচিত করা হয় ৷ যাত্রাপথে কোন ঘুরতড়াদের দেখা পেলে তাকে কঠোর শান্তি দেয়া
হত ৷ সাজাহ্র অশ্বারােহী বাহিনীকে অতিক্রম করার সময় খালিদ তাদেরকে বিতাড়িত করেন
এবং জাযীরাতু ল আরব ত্যাগ করে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন ৷ খালিদের বাহিনী রওয়ানা
হওয়ার পর খলীফা অপর একটি ক্ষুদ্র বাহিনী তাদের সাহায্যে প্রেরণ করেন ৷ ইতিপুর্বে খলীফা
মুসায়লামার নিকট ইকরামা ইবন আবী জাহ্ল ও শুরাহ্বীল ইবন হাসানাকে পাঠিয়েছিলেন ৷
কিন্তু তারা বানু হানীফার মুকাবিলায় ব্যর্থ হন ৷ কারণ, ওদের যোদ্ধা সংখ্যা ছিল প্রায় চল্লিশ
হাজার ৷ শুরাহ্বীলের বাহিনী পৌছবার পুর্বেই ইকরামা যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পরাজিত হন এবং


أَنَا ابْنُ الْوَلِيدِ الْعَوْدِ، أَنَا ابْنُ عَامِرٍ وَزَيْدِ. ثُمَّ نَادَى بِشِعَارِ الْمُسْلِمِينَ، وَكَانَ شِعَارُهُمْ يَوْمَئِذٍ: يَا مُحَمَّدَاهْ. وَجَعَلَ لَا يَبْرُزُ لَهُمْ أَحَدٌ إِلَّا قَتَلَهُ، وَلَا يَدْنُو مِنْهُ شَيْءٌ إِلَّا أَكَلَهُ، وَدَارَتْ رَحَى الْمُسْلِمِينَ، ثُمَّ اقْتَرَبَ مِنْ مُسَيْلِمَةَ فَعَرَضَ عَلَيْهِ النَّصَفَ وَالرُّجُوعَ إِلَى الْحَقِّ، فَجَعَلَ شَيْطَانُ مُسَيْلِمَةَ يَلْوِي عُنُقَهُ، لَا يَقْبَلُ مِنْهُ شَيْئًا، وَكُلَّمَا أَرَادَ مُسَيْلِمَةُ يُقَارِبُ مِنَ الْأَمْرِ صَرَفَهُ عَنْهُ شَيْطَانُهُ، فَانْصَرَفَ عَنْهُ خَالِدٌ، وَقَدْ مَيَّزَ خَالِدٌ الْمُهَاجِرِينَ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنَ الْأَعْرَابِ، وَكُلُّ بَنِي أَبٍ عَلَى رَايَتِهِمْ، يُقَاتِلُونَ تَحْتَهَا، حَتَّى يَعْرِفَ النَّاسُ مِنْ أَيْنَ يُؤْتَوْنَ، وَصَبَرَتِ الصَّحَابَةُ فِي هَذَا الْمَوْطِنِ صَبْرًا لَمْ يُعْهَدْ مِثْلُهُ، وَلَمْ يَزَالُوا يَتَقَدَّمُونَ إِلَى نُحُورِ عَدُّوِهِمْ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ، وَوَلَّى الْكُفَّارُ الْأَدْبَارَ، وَاتَّبَعُوهُمْ يُقَتِّلُونَ فِي أَقْفَائِهِمْ، وَيَضَعُونَ السُّيُوفَ فِي رِقَابِهِمْ حَيْثُ شَاءُوا، حَتَّى أَلْجَأُوهُمْ إِلَى حَدِيقَةِ الْمَوْتِ، وَقَدْ أَشَارَ عَلَيْهِمْ مُحَكَّمُ الْيَمَامَةِ، وَهُوَ مُحَكَّمُ بْنُ الطُّفَيْلِ، لَعَنَهُ اللَّهُ بِدُخُولِهَا، فَدَخَلُوهَا وَفِيهَا عَدُوُّ اللَّهِ مُسَيْلِمَةُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، وَأَدْرَكَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ مُحَكَّمُ بْنُ الطُّفَيْلِ، فَرَمَاهُ بِسَهْمٍ فِي عُنُقِهِ وَهُوَ يَخْطُبُ فَقَتَلَهُ، وَأَغْلَقَتْ بَنُو حَنِيفَةَ الْحَدِيقَةَ عَلَيْهِمْ، وَأَحَاطَ بِهِمُ الصَّحَابَةُ، وَقَالَ الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، أَلْقُونِي عَلَيْهِمْ فِي الْحَدِيقَةِ. فَاحْتَمَلُوهُ فَوْقَ الْحَجَفِ وَرَفَعُوهَا بِالرِّمَاحِ حَتَّى أَلْقَوْهُ عَلَيْهِمْ مِنْ فَوْقِ سُورِهَا، فَلَمْ يَزَلْ يُقَاتِلُهُمْ دُونَ بَابِهَا حَتَّى فَتَحَهُ، وَدَخَلَ الْمُسْلِمُونَ الْحَدِيقَةَ مِنْ حِيطَانِهَا وَأَبْوَابِهَا يَقْتُلُونَ مِنْ فِيهَا مِنَ الْمُرْتَدَّةِ مِنْ أَهْلِ الْيَمَامَةِ، حَتَّى خَلَصُوا إِلَى مُسَيْلِمَةَ، لَعَنَهُ اللَّهُ، وَإِذَا هُوَ وَاقِفٌ فِي ثُلْمَةِ جِدَارٍ، كَأَنَّهُ جَمَلٌ أَوْرَقُ، وَهُوَ مُزْبِدٌ مُتَسَانِدٌ، لَا يَعْقِلُ مِنَ الْغَيْظِ، وَكَانَ إِذَا اعْتَرَاهُ شَيْطَانُهُ أَزَبَدَ حَتَّى يَخْرُجَ الزَّبَدُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫২৯৯

খালিদের অপেক্ষা করতে থাকেন ৷ মুসায়লামা যখন খালিদের আগমনের সংবাদ পেল, তখন
সে তার সৈন্য বাহিনীকে আকরাবা নামক স্থানে সববেত করল ৷ এ স্থানটি ছিল ইয়ামামার
এক পাভ্রুর্শ্ব অবস্থিত এবং এর পশ্চ ৷তে ছিল মরুদ্যান ৷ এ যুদ্ধে অৎ হণ করার জন্য মুসায়লামা
সর্ব সাধারণকে উৎসাহিত করে ৷ ফলে ইয়ামামার সকল অধিবাসী ব্যাপকভাবে এতে অং ৎশগ্রহণ
করে ৷ মুসায়লামার বাহিনীর ডান ও বাম এই দুই অংশের দায়িত্বভার সে মুহ্কাম ইবন
তৃফায়ল ও রাজাল ইবন উনফুওয়া ইবন নাহ্শালের উপর ন্যস্ত করে ৷ এই রাজাল হল
মুসায়লামার সেই বন্ধু, যে তার নিকট সাক্ষ্য দিয়েছিল যে, আমি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি মুসায়লামাকে তার নবুওয়াতী কাজে শরীক করে নিয়েছেন ৷
এই অভিশপ্ত লোকটিই ইয়ামামাবাসীদের বিপথগামী করার জন্য সর্বাধিক দায়ী ৷ তার প্রচেষ্টার
ফলেই ইয়ামামার জনগণ মুসায়লামার অনুসারী হয় ৷ ইতিপুর্বে এই রাজাল একটি
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে হাজির হয়ে সুরা বাকারা শিক্ষা
করেছিল ৷ রিদ্দার যুগে সে খলীফা আবু বকরের দরবারেও হাজির হয় ৷ খলীফা তাকে
ইয়ামামাবাসীদেরকে আল্লাহর পথে আহ্বান জানানোর জন্য এবং ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত
রাখার জন্য দায়িত্ব দিয়ে সেখানে পাঠান ৷ কিত্তু সে এসে মুসায়লামার সাথে মুরতাদ হয়ে যায়
এবং তার নবুওতির পক্ষে সাক্ষ্য দেয় ৷

সায়ফ ইবন উমর আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একদা
আমি আরও কতিপয় লোকের সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে জ্যিাম ৷ ঐ মজলিশে রাজাল
ইবন উনফুওয়াও উপস্থিত ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন একজন লোক
আছে যার মাড়ির এক একটি দাত জাহান্নামের মধ্যে উহুদ পর্বতের চেয়েও বড় বড় হবে ৷ ঐ
মজলিসের সবইি একে একে মারা গেল ৷ বেচে থাকলাম ণ্,কবল আমি ও রাজাল ৷ আমি উক্ত
হাদীসের জন্য সর্বদা ভীত-সন্ত্রস্ত থাকতাম ৷ অবশেষে রাজালমুসায়লামার পক্ষ অবলম্বন করে
এবং তার নবুওতের সাক্ষ্য দান করে ৷ এদিক থেকে মুসায়লামার ফিত্না অপেক্ষা রাজালের
ফিত্না আরও ভয়াবহ ৷ এ হাদীস ইবন ইসহাকও আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

খালিদের বাহিনী ইয়ামামার কাছে এসে পৌছল ৷ অগ্রভাগে ছিলেন শুরাহ্বীল ইবন
হাসানা (বা) আর দুই বাহুর দায়িত্বে ছিলেন যায়দ ও আবু হুযায়ফা ৷ রাত্রে অগ্রবর্তী বাহিনীর
সাথে চল্লিশ কিৎবা ষাটজন অশ্বারােহীর দেখা হয় ৷ ঐ বাহিনীর নেতা ছিল মুজাআ ইবন
ঘুরারা ৷ সে বনু তামীম ও বনু আমির থেকে রক্তপণ আদায়ের লক্ষে গিয়েছিল এবং এখন
সেখান থেকে নিজ গোত্রে প্রত্যাবর্তন করছিল ৷ মুসলিম বাহিনীর অগ্নবর্তী সৈন্যরা তাদেরকে
আটক করে খালিদের নিকট নিয়ে আসে ৷ত তারা খালিদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে ৷ বিন্দু
খালিদ তাদেরকে বিশ্বাস করতে পারেননি, তাই কেবল মুজাআ ছাড়া বাকি সবাইকে হত্যা
করার নির্দেশ দেন ৷ তাকে বন্দী করে রাখা হয় ৷ যুদ্ধ ও কলা কৌশলে সে ছিল খুবই অভিজ্ঞ
এবং বনু হানীফার সর্দার ও নেত৷ ৷ কারো কারো মতে এদেরকে যখন খালিদের সম্মুখে আনা
হয় তখন তিনি জিজ্ঞেস করেন, হে বনু হানীফার লোকেরা, তোমরা কী মত পোষণ কর? তারা
জবাব দিল, আমাদের মত এই যে, আমাদের মধ্যে একজন নবী আছেন আর আপনাদের
মধ্যেও একজন নবী আছেন ৷ তখন সবাইকে হত্যা করা হয়, কেবল একজনকে হত্যা করা
হয়নি; তার নাম ছিল সারিয়া ৷ খালিদ তাকে বললেন, ওহে৷ তুমি যদি এর তুলনায় ভাল বা


شِدْقَيْهِ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ وَحْشِيُّ بْنُ حَرْبٍ مَوْلَى جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَاتِلُ حَمْزَةَ، فَرَمَاهُ بِحَرْبَتِهِ فَأَصَابَهُ وَخَرَجَتْ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ، وَسَارَعَ إِلَيْهِ أَبُو دُجَانَةَ سِمَاكُ بْنُ خَرَشَةَ، فَضَرْبَهُ بِالسَّيْفِ فَسَقَطَ، فَنَادَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الْقَصْرِ: وَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَاهْ، قَتَلَهُ الْعَبْدُ الْأَسْوَدُ. فَكَانَ جُمْلَةُ مَنْ قُتِلُوا فِي الْحَدِيقَةِ وَفِي الْمَعْرَكَةِ قَرِيبًا مِنْ عَشَرَةِ آلَافِ مُقَاتِلٍ - وَقِيلَ: أَحَدٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا - وَقُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ سِتُّمِائَةٍ - وَقِيلَ: خَمْسُمِائَةٍ - فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهِمْ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ، وَأَعْيَانِ النَّاسِ مَنْ يُذْكَرُ بَعْدُ، وَخَرَجَ خَالِدٌ وَمَعَهُ مُجَّاعَةُ بْنُ مُرَارَةَ يَرْسِفُ فِي قُيُودِهِ، فَجَعَلَ يُرِيَهُ الْقَتْلَى لِيُعَرِّفَهُ بِمُسَيْلِمَةَ، فَلَمَّا مَرُّوا بِالرَّجَّالِ بْنِ عُنْفُوَةَ قَالَ لَهُ خَالِدٌ: أَهَذَا هُوَ؟ قَالَ: لَا، وَاللَّهِ هَذَا خَيْرٌ مِنْهُ، هَذَا الرَّجَّالُ بْنُ عُنْفُوَةَ. قَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ: ثُمَّ مَرُّوا بِرُوَيْجِلٍ أُصَيْفِرَ أُخَيْنِسَ، فَقَالَ: هَذَا صَاحِبُكُمْ. فَقَالَ خَالِدٌ: قَبَّحَكُمُ اللَّهُ عَلَى اتِّبَاعِكُمْ هَذَا. ثُمَّ بَعَثَ خَالِدٌ الْخُيُولَ حَوْلَ الْيَمَامَةِ يَلْتَقِطُونَ مَا حَوْلَ حُصُونِهَا مِنْ مَالٍ وَسَبْيٍ، ثُمَّ عَزَمَ عَلَى غَزْوِ الْحُصُونِ، وَلَمْ يَكُنْ بَقِيَ فِيهَا إِلَّا النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ وَالشُّيُوخُ الْكِبَارُ، فَخَدَعَهُ
পৃষ্ঠা - ৫৩০০
مُجَّاعَةُ فَقَالَ: إِنَّهَا مَلْأَى رِجَالًا وَمُقَاتِلَةً فَهَلُمَّ فَصَالِحْنِي عَنْهُمْ. فَصَالَحَهُ خَالِدٌ ; لِمَا رَأَى بِالْمُسْلِمِينَ مِنَ الْجَهْدِ، وَقَدْ كَلُّوا مِنْ كَثْرَةِ الْحُرُوبِ وَالْقِتَالِ، فَقَالَ: دَعْنِي حَتَّى أَذْهَبَ إِلَيْهِمْ لِيُوَافِقُونِي عَلَى الصُّلْحِ. فَقَالَ: اذْهَبْ. فَسَارَ إِلَيْهِمْ مُجَّاعَةُ، فَأَمَرَ النِّسَاءَ أَنْ يَلْبَسْنَ الْحَدِيدَ وَيَبْرُزْنَ عَلَى رُءُوسِ الْحُصُونِ، فَنَظَرَ خَالِدٌ فَإِذَا الشُّرُفَاتُ مُمْتَلِئَةٌ مِنْ رُءُوسِ النَّاسِ، فَظَنَّهُمْ كَمَا قَالَ مُجَّاعَةُ، فَانْتَظَمَ الصُّلْحُ، فَصَالَحَهُمْ عَلَى الْبَيْضَاءِ وَالصَّفْرَاءِ وَالْحَلْقَةِ وَالْكُرَاعِ وَنِصْفِ الرَّقِيقِ. وَقِيلَ لِخَالِدٍ: إِنَّ مُجَّاعَةَ قَدْ خَدَعَكَ. فَقَالَ لَهُ: يَا مُجَّاعَةُ، خَدَعْتَنِي. فَقَالَ: إِنَّهُمْ قَوْمِي وَقَدْ أَفْنَيْتَهُمْ، فَلَا تَلُمْنِي عَلَى ذَلِكَ. وَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قِتَالِ بَنِي حَنِيفَةَ، خَطَبَ إِلَى مُجَّاعَةَ ابْنَتَهُ، وَأَلَحَّ عَلَيْهِ، فَزَوَّجَهُ إِيَّاهَا، وَلَمَّا بَلَغَ أَبَا بَكْرٍ ذَلِكَ كَتَبَ إِلَيْهِ: إِنَّكَ لِفَارِغُ الْقَلْبِ ; تَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ وَحَوْلَ خِبَائِكَ أَلْفٌ وَمِائَتَانِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ لَمْ تَجِفَّ دِمَاؤُهُمْ؟ ! وَبَعْدُ، فَإِذَا جَاءَكَ كِتَابِي هَذَا فَالْحَقْ بِمَنْ مَعَكَ مِنْ جُمُوعِ الْمُسْلِمِينَ إِلَى الْعِرَاقِ. وَبَعَثَ بِالْكِتَابِ مَعَ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَقَالَ: لَا تُفَارِقْهُ حَتَّى تُشَخِّصَهُ. فَلَمَّا قَرَأَ خَالِدٌ الْكِتَابَ قَالَ: هَذَا مِنْ عَمَلِ الْأُعَيْسِرِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَدَعَاهُمْ خَالِدٌ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَأَسْلَمُوا عَنْ آخِرِهِمْ وَرَجَعُوا إِلَى الْحَقِّ، وَرَدَّ عَلَيْهِمْ خَالِدٌ بَعْضَ مَا كَانَ أَخَذَ مِنَ السَّبْيِ، وَسَاقَ الْبَاقِينَ إِلَى الصِّدِّيقِ، وَقَدْ تَسَرَّى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِجَارِيَةٍ مِنْهُمْ، وَهِيَ أَمُّ ابْنِهِ مُحَمَّدٍ الَّذِي
পৃষ্ঠা - ৫৩০১

মন্দ পেতে চাও তবে এই ব্যক্তিকে জীবিত রাখার প্রার্থনা করতে পার-অর্থাৎ মুজাআ ইবন
মুরারাকে ৷ সুতরাং সে তাকে জীবিত রাখার জন্য খালিদের নিকট প্রার্থনা করলে তিনি তাকে
র্তাবুর মধ্যে বন্দী করে রাখেন এবং ত্রীকে বলেন, এর সাথে উত্তম আচরণ করবে ৷ খালিদের শ্রী
এই তাবুতেই ছিল ৷ উভয় পক্ষ মুকাবিলার জন্য যখন মুখোমুখি হল তখন মুসায়লাম৷ নিজ
সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলল, আজ আত্ম মর্যাদা রক্ষার দিন ৷ আজ যদি তোমরা হেরে যাও
তাহলে তোমাদের মহিলারা বন্দী হবে ৷ অপাত্রে তাদের বিবাহ হবে ) অতএব তোমরা বৎশ্
মর্যাদা রক্ষার্থে জীবনপণ করে যুদ্ধ কর এবৎ তোমাদের ব্রীদেরকে রক্ষা কর ৷
মুসলিম বাহিনী ইয়ামামার দিকে অগ্রসর হল ৷ উপত্যকার কাছে খালিদ এসে মিলিত
হলেন এবং সৈন্যদের নেতৃ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান ৷ মুহাজিরদের ঝাণ্ডা আবু হুযায়ফার
আযাদকৃত দাস সালিমের হাতে দেওয়া হয় আর আনসারদের ঝাণ্ডা দেওয়া হয় ছাবিত ইবন
কায়স ইবন শামমাসের হাতে ৷ সাধারণ আরববাসীরা তাদের নিজ নিজ ঝা ণ্ডা নিয়ে থাকে ৷
ওদিকে মুজাআ ইবন মুরারা তাবুর মধ্যে খালিদের শ্রী উম্মু তামীমেৱত তত্ত্বাবধড়ানে বাধা ছিল ৷ এ
সময়ে মুসলমান ও ক ফিরদের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায় ৷ যুদ্ধের প্রথম ধাক্কায় মুসলিম পক্ষের
সৈন্যপণ পরাজিত হন ৷ এমন কি বনু হানীফার লোকজন খালিদ ইবন ওলীদের তাবুত্তে প্রবেশ
করে ৷ উম্মু তামীমকে হত্যা করার জন্যও তারা উদ্যত হয় ৷ কিন্তু মুজাআ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে
বলে যে, এ ড্ড৷ মহিলাটি অত ত্যন্ত ভাল মানুষ ৷ যুদ্ধের এই চক্করের মধ্যেই অতিশপ্ত রাজালা
যায়দ ইবন খাত্তাবের হাতে নিহত হয় ৷ অতঃপর সাহাবাদের মধ্যে পারস্পরিক মতানৈক্যের সৃষ্টি
হয় ৷ যায়দ ইবন কায়স ইবন শামমাস বলে উঠলেন, আপনারা আপনাদের সাথী সঙ্গীদের সাথে
কতইনা খারাপ আচরণ করেছেন! চতুর্দিক থেকে রব উঠল, খালিদ ! আমাদেরকে মুক্তি দান
করুন ৷ ফলে মুজাহির ও আনসারদের একটি বড় দলকে মুক্তি দেয়৷ ণ্হল ৷ বারা ইবন মাগরুর
ভয়ে কাতর হয়ে পড়লেন ৷ তিনি যখনই যুদ্ধ দেখতেন তখনই তার শরীরে জ্বর উঠত এবং
বাহনের উপরে গিয়ে বসে থাকতেন ৷ এমন কি পরিধেয় পাজামায় পেশার পর্যন্ত করে দিতেন ৷
এরপর তিনি সিংহের মত গর্জন করে প্রতিপক্ষের উপর ঝাপিয়ে পড়তেন ৷ বনু হানীফার
লোকেরা সেদিন এমন যুদ্ধ দেখায় যেমনটি আর কখনও দেখা যায়নি ৷ সাহাবাগণ তাদের মাঝে
পরস্পর উপদেশ প্রদান করতে থাকেন এবং বলতে থাকেন, হে সুরা বাকারার লোকেরা, আজ
তোমাদের যাদু নস্যাৎ হয়ে গেছে ৷ আনসারদের ঝাণ্ডা বহনকারী হযরত ছাবিত ইবন কায়স
কাফনের কাপড় পরে এবং তাতে কপুরের সুগন্ধি মাখিয়ে মাটিতে গর্ত খুড়ে পায়ের নলা পর্যন্ত
’ গেড়ে দাড়িয়ে থাকেন ৷ এভাবেই তিনি ঝাণ্ডা নিয়ে অবিচল দাড়িয়ে থাকেন এবং এ অবস্থায়ই
শাহাদত বরণ করেন ৷
ঘুহাজিরপণ আবু হুয়ায়ফার মাওলা সালিমকে বললেন, তুমি কি এ আশংকা করছ যে,
তোমার পুর্বেই আমরা চলে যাব? সালিম বললেন, তা হলে তো কুরআনের ধারক হিসাবে
আমি একজন নিকৃষ্ট লোকে পরিণত হয় ৷ যায়দ ইবন খাত্তাব ভাষণ দিলেন হ্রহু হে লোক সকল,
তোমরা ধৈর্য সহকারে যুদ্ধ চালিয়ে যাও, শত্রুদের নিধন কর এবং সম্মুখ পানে অগ্রসর হও ৷
তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, আমি ততক্ষণ পর্যন্ত কারও সাথে কথা বলব না যতক্ষণ পর্যন্ত
আল্লাহ্ ওদেরকে পরাজিত না করেন, অথবা আমি আল্লাহর নিকটে চলে যইি ৷ তখন আমি
তার কাছে আমার পক্ষের সাফাই পেশ করব ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি শাহাদাত বরণ করেন ৷ আবু


يُقَالُ لَهُ: مُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ قَالَ ضِرَارُ بْنُ الْأَزْوَرِ فِي غَزْوَةِ الْيَمَامَةِ هَذِهِ: وَلَوْ سُئِلَتْ عَنَّا جَنُوبُ لَأَخْبَرَتْ ... عَشِيَّةَ سَالَتْ عَقْرَبَاءُ وَمَلْهَمُ وَسَالَ بِفَرْعِ الْوَادِ حَتَّى تَرَقْرَقَتْ ... حِجَارَتُهُ فِيهِ مِنَ الْقَوْمِ بِالدَّمِ عَشِيَّةَ لَا تُغْنِي الرِّمَاحُ مَكَانَهَا ... وَلَا النَّبْلُ إِلَّا الْمَشْرَفِيُّ الْمُصَمِّمُ فَإِنْ تَبْتَغِي الْكُفَّارَ غَيْرَ مُلِيمَةٍ ... جَنُوبُ فَإِنِّي تَابِعُ الدِّينِ مُسْلِمُ أُجَاهِدُ إِذْ كَانَ الْجِهَادُ غَنِيمَةً ... وَلَلَّهُ بِالْمَرْءِ الْمُجَاهِدِ أَعْلَمُ وَقَدْ قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ جَرِيرٍ وَخَلْقٌ مِنَ السَّلَفِ: كَانَتْ وَقْعَةُ الْيَمَامَةِ فِي سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ. وَقَالَ ابْنُ قَانِعٍ: فِي آخِرِهَا. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَآخَرُونَ: كَانَتْ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ. وَالْجَمْعُ بَيْنَهَا أَنَّ ابْتِدَاءَهَا فِي سِنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ، وَالْفَرَاغَ مِنْهَا فِي سَنَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৫৩০২

হুযায়ফা তার ভাষণে বলেন, হে কুরআনের ধারক বাহকগণ! বাস্তব কর্মের মাধ্যমে তোমরা
কুরআনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কর ৷ এ কথা বলেই তিনি শত্রুর মধ্যে বাপিয়ে পড়েন, তাদেরকে দুরে
সরিয়ে দেন ৷ অতঃপর শাহাদাত বরণ করেন ৷ এরপর খালিদ ইবন ওলীদ শত্রুর উপর আক্রমণ
করেন এবং তাদেরকে অতিক্রম করে চলে যান এবং মুসায়লামা পর্বতের কাছে গিয়ে র্দাড়ান ৷
সেখানে তিনি এ অপেক্ষায় ওত পেতে থাকেন যে, এ পথ দিয়ে মুসায়লামা যেতে থাকলে
তাকে হত্যা করবেন ৷ এরপর ফিরে এসে দুই দলের মাঝে দাড়িয়ে মল্ল যুদ্ধের জন্য ডেকে
বললেন, আমি ওলীদ আল আওদের পুত্র ৷ আমি আমির ও যায়দের বংশধর ৷ এরপর তিনি
মুসলিম বাহিনীর প্রতীক নাম উচ্চারণ করেন ৷ এই যুদ্ধে মুসলমান সংকেত ধ্বনি ছিল ইয়া
মুহাম্মাদাহ্ ৷ শত্রুপক্ষ থেকে যে কেউ মল্ল যুদ্ধে নামলে তাকে হত্যা করতেন এবং যা কিছু তার
সামনে পড়ত তাই ধ্বংস করে দিতেন ৷ এ ভাবেই মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধের চাকা ঘুরে যায় ৷
অতঃপর মুসায়লামার শয়তান তার ঘাড় বাকিয়ে দেয়, ফলে কোন প্রস্তাবই সে গ্রহণ করেনি ৷
মুসায়লামা যখনই সত্যের দিকে কিছুটা অগ্রসর হয় তখনই তার শয়তান তাকে ফিরিয়ে নিয়ে
যেতে৷ ৷ এরপর খালিদ তাকে ছেড়ে আসেন ৷ খালিদ মুজা ৷হিরগণকে আনসার আরবদের থেকে
পৃথক পৃথক করে রেখেছিলেন ৷ আর আরবের প্রত্যেক গোত্রই তাদের নিজ নিজ ঝাণ্ডার অধীনে
যুদ্ধ করছিল ৷ এ ব্যবস্থা এ জন্য করা হয়েজ্যি যাতে প্রত্যেকেই জানতে পান্থরে যে, তাদেরকে
কোন দিক থেকে আসতে হবে ৷ সাহাবায়ে কিরামগণ এ যুদ্ধে অ ণ্ডুতপুর্ব ধৈর্যের পরিচয় দেন ৷
তারা অব্যাহতভাবে শত্রুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন ৷

অবশেষে আল্লাহ্ তাদেরকে বিজয়ের মাল্যে ভুষিত করেন ৷ কাফিরদের দল পৃষ্ঠ প্রদর্শন
করে ৷ পিছন দিক থেকে মুসলমানরা ধাওয়৷ করে তাদেরকে হত্যা করতে থাকে এবং যেভাবে
সুযোগ হয় সেতাবেই তলােয়ার মারতে থাকেন ৷ এভাং বে চাপতে চাপতে তাদেরকে মৃত্যুর
বাগিচা পর্যন্ত নিয়ে যান ৷ এ সময়ে ইয়ামামার মুহকাম ইবন ফতুায়ল তাদেরকে বাগিচার মধ্যে
প্রবেশ করতে ইঙ্গিত দেয় ৷ অতএব, তারা বাগিচার প্রবেশ করেন ৷ এই বাগিচার মধ্যেই
অবস্থান করছিল আল্লাহ্র দৃশমন মুসায়লামা ৷ মুহকাম ভাষণ দিচ্ছিল, এ অবস্থায় আবদুর
রহমান ইবন আবী বকর তাকে লক্ষ্য করে তীর নিক্ষেপ করেন ৷৩ তীর তার কাধে বিদ্ধ হয় এবং
এতে যে মারা যায় ৷ বনু হানীফ৷ উক্ত বাগিচার প্রবেশ দ্বার বন্ধ করে দেয় ৷ সাহাবাগণ বাগিচা
বেষ্টন করে রাখেন ৷ বারা ইবন মালিক মুসলমানদেরকে বললেন, তোমরা আমাকে উচু করে
বাগিচার মধ্যে ফেলে দাও ৷ সুতরাং তার বর্ষার সাহায্যে তাকে উচু করে প্রাচীরের উপর দিয়ে
ভিতরে ফেলে দিল ৷ বার৷ একাই দরজার সন্নিকটে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দরজা মুক্ত
করেন ৷ ফলে মুসলিম বা ৷হিনী বাগিচার প্রাচীর টপকিয়ে, এবং দরজার মধ্য দিয়ে ভিতরে প্রবেশ
করে এবং সেখানে আত্মগােপন করে থাকা ইয়ামামার মুরত তাদদেরকে নিধন করে ৷

এরপর তারা মুসায়লামার দিকে অগ্রসর হয় ৷ সে তখন একটি ভাৎগা প্রাচীরের আড়ালে
র্দাড়িয়েছিল ৷ দেখলে মনে হয় যেন ধুসর বর্ণের একটি উট ৷ যে কিছু প্রকাশ করতে চাচ্ছে,
কিন্তু অত্যধিক ক্ষুদ্ধাবস্থুায় থাকার কারণে তার কোন কথাই বুঝা যাচ্ছিল না ৷ শয়তান তাকে
উত্তেজিত করার কারণে তার এ অবস্থা আরও বৃদ্ধি পায় ৷ এমনকি চোয়াল যেয়ে ফেন৷ বের
হতে থাকে ৷ এ সময় জুবায়র ইবন মুভা২মের আযাদকৃত গোলাম হামযার হত্যাকারী ওয়াহ্শী
ইবন হারব তার দিকে এগিয়ে যান এবং মুসায়লামাকে তাক করে বর্শা নিক্ষেপ করেন ৷ বর্শা


وَلَمَّا قَدِمَتْ وُفُودُ بَنِي حَنِيفَةَ عَلَى الصِّدِّيقِ قَالَ لَهُمْ: أَسْمِعُونَا شَيْئًا مِنْ قُرْآنِ مُسَيْلِمَةَ. فَقَالُوا: أَوَتَعْفِينَا يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ؟ فَقَالَ: لَا بُدَّ مِنْ ذَلِكَ. فَقَالُوا: كَانَ يَقُولُ: يَا ضِفْدَعُ بَنَتَ الضِّفْدَعِينْ، نَقِّي كَمْ تَنِقِّينْ، لَا الْمَاءَ تُكَدِّرِينْ، وَلَا الشَّارِبَ تَمْنَعِينْ، رَأْسُكِ فِي الْمَاءِ وَذَنَبُكِ فِي الطِّينْ. وَكَانَ يَقُولُ: وَالْمُبَذِّرَاتِ زَرْعًا، وَالْحَاصِدَاتِ حَصْدًا، وَالذَّارِيَاتِ قَمْحًا، وَالطَّاحِنَاتِ طِحْنًا، وَالْخَابِزَاتِ خَبْزًا، وَالثَّارِدَاتِ ثَرْدًا، وَاللَّاقِمَاتِ لَقْمًا، إِهَالَةً وَسَمْنًا، لَقَدْ فُضِّلْتُمْ عَلَى أَهْلِ الْوَبَرِ، وَمَا سَبَقَكُمْ أَهْلُ الْمَدَرِ، رَفِيقَكُمْ فَامْنَعُوهُ، وَالْمُعْتَرَّ فَآوُوهُ، وَالْبَاغِيَ فَنَاوِئُوهُ. وَذَكَرُوا أَشْيَاءَ مِنْ هَذِهِ الْخُرَافَاتِ الَّتِي يَأْنَفُ مِنْ قَوْلِهَا الصِّبْيَانُ وَهُمْ يَلْعَبُونَ، فَيُقَالُ: إِنَّ الصِّدِّيقَ قَالَ لَهُمْ: وَيَحَكُمُ! أَيْنَ كَانَ يُذْهَبُ بِعُقُولِكُمْ؟ إِنَّ هَذَا الْكَلَامَ لَمْ يَخْرُجْ مِنْ إِلٍّ. وَكَانَ يَقُولُ: وَالْفِيلْ، وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْفِيلْ، لَهُ زَلُّومٌ طَوِيلْ. وَكَانَ يَقُولُ: وَاللَّيْلُ الدَّامِسْ، وَالذِّئْبُ الْهَامِسْ، مَا قَطَعَتْ أَسَدٌ مِنْ رَطْبٍ وَلَا يَابِسْ. وَتَقَدَّمَ قَوْلُهُ: لَقَدْ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَى الْحُبْلَى، أَخْرَجَ مِنْهَا نَسَمَةً تَسْعَى، مِنْ بَيْنِ صِفَاقٍ وَحَشَا. وَأَشْيَاءُ مِنْ هَذَا الْكَلَامِ السَّخِيفِ الرَّكِيكِ الْبَارِدِ السَّمِجِ. وَقَدْ أَوْرَدَ أَبُو بَكْرِ بْنُ الْبَاقِلَّانِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي كِتَابِهِ " إِعْجَازِ الْقُرْآنِ " أَشْيَاءَ مِنْ كَلَامِ هَؤُلَاءِ الْجَهَلَةِ الْمُتَنَبِّئِينَ كَمُسَيْلِمَةَ وَطُلَيْحَةَ وَالْأَسْوَدِ
পৃষ্ঠা - ৫৩০৩
وَسَجَاحِ وَغَيْرِهِمْ، مِمَّا يَدُلُّ عَلَى ضَعْفِ عُقُولِهِمْ وَعُقُولِ مَنِ اتَّبَعَهُمْ عَلَى ضَلَالِهِمْ وَمِحَالِهِمْ. وَقَدْ رُوِّينَا عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ وَفَدَ إِلَى مُسَيْلِمَةَ فِي أَيَّامِ جَاهِلِيَّتِهِ، فَقَالَ لَهُ مُسَيْلِمَةُ: مَاذَا أُنْزِلَ عَلَى صَاحِبِكُمْ فِي هَذَا الْحِينِ؟ فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: لَقَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ سُورَةٌ وَجِيزَةٌ بَلِيغَةٌ. فَقَالَ: وَمَا هِيَ؟ قَالَ: أُنْزِلَ عَلَيْهِ {وَالْعَصْرِ إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ} [العصر: 1] قَالَ: فَفَكَّرَ مُسَيْلِمَةُ سَاعَةً، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: وَلَقَدْ أُنْزِلَ عَلَيَّ مِثْلُهَا. فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: وَمَا هُوَ؟ فَقَالَ مُسَيْلِمَةُ: يَا وَبَرُ يَا وَبَرُ، إِنَّمَا أَنْتِ أُذُنَانِ وَصَدْرٌ، وَسَائِرُكِ حَقْرٌ نَقْرٌ. ثُمَّ قَالَ: كَيْفَ تَرَى يَا عَمْرُو؟ فَقَالَ لَهُ عَمْرُو: وَاللَّهِ إِنَّكَ لَتَعْلَمُ أَنِّي أَعْلَمُ إِنَّكَ لَتَكْذِبُ. وَذَكَرَ عُلَمَاءُ التَّارِيخِ أَنَّهُ كَانَ يَتَشَبَّهُ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَصَقَ فِي بِئْرٍ، فَغَزُرَ مَاؤُهَا، فَبَصَقَ فِي بِئْرٍ فَغَاضَ مَاؤُهَا بِالْكُلِّيَّةِ، وَفِي أُخْرَى فَصَارَ مَاؤُهَا أُجَاجًا، وَتَوَضَّأَ وَسَقَى بِوَضُوئِهِ نَخْلًا فَيَبِسَتْ وَهَلَكَتْ، وَأُتِيَ بِوِلْدَانٍ يَبَرِّكُ عَلَيْهِمْ فَجَعَلَ يَمْسَحُ رُءُوسَهُمْ، فَمِنْهُمْ مَنْ قُرِعَ رَأْسُهُ، وَمِنْهُمْ مَنْ لُثِغَ لِسَانُهُ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ دَعَا لِرَجُلٍ أَصَابَهُ وَجَعٌ فِي عَيْنَيْهِ فَمَسَحَهُمَا فَعَمِيَ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ خُلَيْدِ بْنِ ذَفَرَةَ النَّمَرِيِّ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ طَلْحَةَ،
পৃষ্ঠা - ৫৩০৪

তার দেহ ভেদ করে পেছন দিকে বেরিয়ে যায় ৷ আবু দুজানা সিমাক ইবন খারাশা দ্রুত গিয়ে
তরবারির আঘাত হানেন ৷ এতে মুসায়লামা ভুপাতিত ৩হয় ৷ এক মহিলা প্রাসাদ থােক মৃত্যু
বার্তা ঘোষণা করল, হায়, মু’মিনদের নেতা! তাকে এক হাবশী ক্রীতদাস হত্যা করেছে ৷
রনাঙ্গণে ও বাগিচার মধ্যে শত্রুদের প্রায় দশ হাজার সৈন্য নিহত হয়, কারও কারও মতে
নিহতের সং খ্যা একুশ হাজার ৷ পক্ষান্তরে মুসলিম সৈন্যদের মধ্যে মাত্র ছয়শ’ ভিন্ন মতে পড়াচশ’
সৈন্য শহীদ হন ৷ শহীদদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বিশিষ্ট সাহাবী ও নেতৃস্থানীয় লোক ৷
তারপর খালিদ বের হলেন, সাথে নিলেন মুজাআ ইবন মুরারাকে ৷ তখনও সে বাধা অবস্থায়
ছিল ৷ নিহত দের মধ্য থেকে মুসায়লামার লাশ সনাক্ত করার জন্য খালিদ তাকে সাথে নেন ৷
রাজাল ইবন উনফুওয়ার লাশের কাছে গিয়ে খালিদ জিজ্ঞেস করলেন, এই কি সেই ব্যক্তি ?
মুজাআ বলল, না ৷ আল্লাহর কসম, এ ব্যক্তি তার থােক উত্তম ৷ এ হচ্ছে রাজাল ইবন
উনফুওয়া ৷ কিছুক্ষণ পর গেরুয়৷ বর্ণের চ্যাপট৷ নাক বিশিষ্ট একটি লাশের কাছে উপস্থিত হয়ে
মুজাআ বলল, এই হচ্ছে সেই (মুসায়লামার) লাশ যাকে আপনি খুজছেন ৷ খালিদ বললেন, এর
অনুসরণ করার আল্লাহ আজ তােমাদেরকে লাঞ্ছিত করেছেন ৷
খালিদ এরপরে ইয়ামামার চারপাশে পড়ে থাকা মাল-সম্পদ ও বব্দীদেরকে তুলে আনার
জন্যে সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ এরপর তিনি সেখানকার দুর্গসমুহে হামলা করার উদ্দোাগ গ্রহণ
করেন ৷ কিন্তু দুর্গগুলোতে মহিলা, শিশু ও অভিনয় বৃদ্ধ লোক ব্যতীত ৩অন্য কেউ জীবিত ছিল
না ৷ এ সময় মুজাআ খালিদকে এই বলে প্র৩ ৷রিত করে যে, পুরুষ লোক ও যুদ্ধক্ষম লোকে
পরিপুর্ণ ৷ সুতরাং যুদ্ধ না করে আমার সাথে সন্ধি করুন ৷ খালিদ দেখলেন যে, মুসলিম সৈন্যরা
অবিশ্রাতভাবে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ৷ তাই তিনি তার সাথে সন্ধি করতে
সম্মত হলেন ৷ তবে তিনি মুজাআকে বললেন, চল, দুর্গগুলো দেখে আমি এবং লোকদের সাথে
কথা বলি, যাতে তারাও সন্ধির ব্যাপারে আমাকে সহায়তা করে ৷ মুজাআ বলল, চলুন! এ বলে
সে আগে গিয়ে মহিলড়াদেরকে বলল, তোমরা বর্ম পরে দুর্গের উপরে মাথা উচিয়ে থাক ৷ তারা
তাই করল ৷ খালিদ দেখলেন, দুর্গের শীর্ষে মানুষের অজস্র মস্তক উচু হয়ে আছে ৷ তিনি
ভাবলেন, মুজাআ ঠিকই বলেছে ৷ সুতরাং তিনি সন্ধি সম্পাদন করলেন ৷ তারপর তাদেরকে
ইসলামের দিকে আহ্বান জানালে সকলেই ইসলাম গ্রহণ করল এবং সত্য ধর্মে ফিরে আসল ৷
খালিদ যেসব বন্দীদেরকে তুলে এসেছিলেন তাদের কতককে দুণ্বািসীদের নিকট ফিরিয়ে দেন
এবং অবশিষ্টদেরকে খলীফার নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ বন্দীদের মধ্য থেকে হযরত আলী ইবন আবু
তালিব একজন বাদীকে নিয়ে যান ৷ এই বীদীই হল তার পুত্র মুহাম্মদের মা ৷ এ কারণেই তাকে
বলা হয়ে থাকে মুহাম্মদ ইবনুল হানৃফিয়৷ (র) ৷ ইয়ামামার যুদ্ধ প্রসঙ্গে যিরার ইবন আযওর
বলেনঃ
ণ্াপ্রু ণ্ঢু ,,দ্বু;;
;,এে
ন্এছুা


عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ جَاءَ إِلَى الْيَمَامَةِ فَقَالَ: أَيْنَ مُسَيْلِمَةُ؟ قَالُوا: مَهْ، رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالَ: لَا، حَتَّى أَرَاهُ. فَلَمَّا جَاءَهُ قَالَ: أَنْتَ مُسَيْلِمَةُ؟ فَقَالَ: نَعَمْ. قَالَ: مَنْ يَأْتِيكَ؟ قَالَ: رَحْمَنٌ. قَالَ: أَفِي نُورٍ أَمْ فِي ظُلْمَةٍ؟ فَقَالَ: فِي ظُلْمَةٍ. فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ كَذَّابٌ وَأَنَّ مُحَمَّدًا صَادِقٌ، وَلَكِنْ كَذَّابُ رَبِيعَةَ أَحَبُّ إِلَيْنَا مِنْ صَادَقِ مُضَرَ. وَاتَّبَعَهُ هَذَا الْأَعْرَابِيُّ الْجِلْفُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، حَتَّى قُتِلَ مَعَهُ يَوْمَ عَقْرَبَاءَ، لَا رَحِمَهُ اللَّهُ. [رِدَّةُ أَهْلِ الْبَحْرِينِ] ذَكْرُ رِدَّةِ أَهْلِ الْبَحْرِينِ وَعَوْدِهِمْ إِلَى الْإِسْلَامِ. كَانَ مِنْ خَبَرِهِمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ قَدْ بَعَثَ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ إِلَى مَلِكِهَا الْمُنْذِرِ بْنِ سَاوَى الْعَبْدِيِّ، فَأَسْلَمَ عَلَى يَدَيْهِ وَأَقَامَ فِيهِمُ الْإِسْلَامَ وَالْعَدْلَ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُوُفِّيَ الْمُنْذِرُ بَعْدَهُ بِقَلِيلٍ، وَكَانَ قَدْ حَضَرَ عِنْدَهُ فِي مَرَضِهِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، فَقَالَ لَهُ: يَا عَمْرُو، هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْعَلُ لِلْمَرِيضِ شَيْئًا مِنْ مَالِهِ؟ قَالَ: نَعَمْ، الثُّلُثَ. قَالَ: مَاذَا أَصْنَعُ بِهِ؟ قَالَ: إِنْ شِئْتَ تَصَدَّقَتْ بِهِ عَلَى أَقْرِبَائِكَ، وَإِنْ شِئْتَ عَلَى الْمَحَاوِيجِ، وَإِنْ شِئْتَ جَعَلْتَهُ صَدَقَةً مِنْ بَعْدِكَ حَبْسًا مُحَرَّمًا، فَقَالَ: إِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أَجْعَلَهُ كَالْبَحِيرَةِ وَالسَّائِبَةِ وَالْوَصِيلَةِ وَالْحَامِي، وَلَكِنِّي أَتَصَدَّقُ بِهِ. فَفَعَلَ، وَمَاتَ فَكَانَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ يَتَعَجَّبُ مِنْهُ، فَلَمَّا مَاتَ الْمُنْذِرُ ارْتَدَّ أَهْلُ الْبَحْرَيْنِ وَمَلَّكُوا عَلَيْهِمُ الْغَرُورَ، وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৫৩০৫

অর্থ : যদি পুবেল হাওয়ার কাছে আমাদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে যে সেই
সন্ধ্য৷ বেলায় কাহিনী বলে দেবে, যখন পাহাড়ী সাপ বিচ্ছু উপত্যকার নিম্নভুমিতে নেমে
এসেছিল ৷ তারপর মানুষের রক্তে সে জায়গার পাথরসমুহ রঞ্জিত হয়ে গিয়েছিল ৷ সেই
সন্ধ্যাবেলার আক্রমণ থেকে কেউই ব্লেহইি পায়নি ৷ তীর-বর্শা কাউকে রক্ষা করতে পারেনি ৷
তবে, কেউ যদি পাহাড়ের উপরে উঠে গিয়ে থাকে তবে তার কথা ত্মি ৷ তুমি যদি মুসলিম না
হয়ে কাফিরদের পথের অনুসারী হও, তাহলে জেনে ব্লেখো, আমি দীন ইসলামের অনুসারী
খাটি মুসলিম ৷ আমি আল্লাহর পথে লড়াই করি ৷ কেননা জিহাদই মানুষকে ধন্য করে থাকে ৷
কে সত্যিকার মুজাহিদ তা আল্লাহ্ইন্ সম্যক ভাল জানেন ৷
খলীফা ইবন হান্নাত, মুহাম্মদ ইবন জারীর প্রমুখ ঐতিহাসিকগণের মতে ইয়ামামার যুদ্ধ
হিজরী এগার সনে সংঘটিত হয় ৷ ইবন কানি বলেছেন, এই সনের শেষের দিকে যুদ্ধ হয় ৷
কিন্তু ওয়াকিদী প্রমুখ ঐতিহাসিকের মতে হিজরী বার সনে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ উ ভয় মতের
মধ্যে এইভাবে সামঞ্জস্য বিধান করা সম্ভব যে, এগার হিজরীতে যুদ্ধ আরম্ভ হয় এবং যার
হিজরীতে শেষ হয় ৷ বনু হানীফার লোকজন খলীফার নিকট পৌছলে তিনি তাদের বলেন,
মুসায়লামার পেশকৃত কুরআনের (?) কিছু অংশ আমাদেরকে শুনাও দেখি ৷ তারা বলল, হে
রাসুলুল্লাহ্র খলীফা ! আপনি কি আমাদেরকে ক্ষমা করবেন না? তিনি বললেন, অবশ্যই তা
করব ৷ তখন তারা মুসায়লামার তথাকথিত ওহী থেকে পড়ে শুনাল :

ৰু
হে ব্যাঙদের কন্যা তুমি তোমাদের জন্য পরিস্কার রাখ ৷ পানি নষ্ট করোনা, আর
পানকারীকে নিষেধ কয়লা, তোমার মাথা পানির মধ্যে এবং লেজ কাদার মধ্যে ৷
এ এে
স্পো
কসম সেই সব মহিলাদের যায়৷ ফসলের বীজ বপণ করে, যারা ফসল কেটে ঘরে, উঠার,
যাবা দ্রুত গম বের করে, যারা পোষণ করে, যারা রুটি তৈরী করে, যারা ছারীদ্ বানায়, যারা
লুক্মা বানিয়ে খাওয়ার ৷ এরা মেৰুাটা ও চর্বিধারী হয় ৷ পল্লীবাসীদের উপর তোমাদের
অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে ৷ র্শহরবাসীরাও তােমাদেরকে ছড়িয়ে যেতে পারেনি ৷ যারা তোমাদের

সফর সঙ্গী, তাদেরকে বিরত রাখ ৷ যারা বিপদগ্রস্ত তাদেরকে আশ্রয় দাও এবং মৃত্যুর সংবাদ
বহুনকারীকে সববেদনা জ্ঞাপন কর

এ জাতীয় আবােল তাবোল অর্থহীন কথাবার্তা সে বলত, যা থেলায়রত শিশু বালকদের
জন্য হাসির থােরাক হত ৷ কথিত আছে, সিদ্দীকে আকবর (রা) তাদেরকে বললেন, খবরদার ৷


الْمُنْذِرُ بْنُ النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ. وَقَالَ قَائِلُهُمْ: لَوْ كَانَ مُحَمَّدٌ نَبِيًّا مَا مَاتَ. وَلَمْ يَبْقَ بِهَا بَلْدَةٌ عَلَى الثَّبَاتِ سِوَى قَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا: جُوَاثَى. كَانَتْ أَوَّلَ قَرْيَةٍ أَقَامَتِ الْجُمُعَةَ مِنْ أَهْلِ الرِّدَّةِ، كَمَا ثَبَتَ ذَلِكَ فِي الْبُخَارِيِّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَقَدْ حَاصَرَهُمُ الْمُرْتَدُّونَ وَضَيَّقُوا عَلَيْهِمْ، حَتَّى مُنِعُوا مِنَ الْأَقْوَاتِ وَجَاعُوا جَوْعًا شَدِيدًا حَتَّى فَرَّجَ اللَّهُ، وَقَدْ قَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَذَفٍ أَحَدُ بَنِي بَكْرِ بْنِ كِلَابٍ، وَقَدِ اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْجُوعُ: أَلَا أَبْلِغْ أَبَا بَكْرٍ رَسُولًا ... وَفِتْيَانَ الْمَدِينَةِ أَجَمْعِينَا فَهَلْ لَكَمُ إِلَى قَوْمٍ كِرَامٍ ... قُعُودٍ فِي جُوَاثَى مُحْصَرِينَا كَأَنَّ دِمَاءَهُمْ فِي كُلِّ فَجٍّ ... شُعَاعُ الشَّمْسِ يَغْشَى النَّاظِرِينَا تَوَكَّلْنَا عَلَى الرَّحْمَنِ إِنَّا ... وَجَدْنَا الصَّبْرَ لِلْمُتَوَكِّلِينَا وَقَدْ قَامَ فِيهِمْ رَجُلٌ مِنْ أَشْرَافِهِمْ، وَهُوَ الْجَارُودُ بْنُ الْمُعَلَّى، وَكَانَ مِمَّنْ هَاجَرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطِيبًا، وَقَدْ جَمَعَهُمْ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ عَبْدِ الْقَيْسِ، إِنِّي سَائِلُكُمْ عَنْ أَمْرٍ، فَأَخْبِرُونِي إِنْ عَلِمْتُمُوهُ وَلَا تُجِيبُونِي إِنْ لَمْ تَعْلَمُوهُ. فَقَالُوا: سَلْ. قَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ كَانَ لِلَّهِ أَنْبِيَاءُ قَبْلَ مُحَمَّدٍ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: تَعْلَمُونَهُ أَمْ تَرَوْنَهُ؟ قَالُوا: نَعْلَمُهُ. قَالَ: فَمَا فَعَلُوا؟ قَالُوا: مَاتُوا. قَالَ: فَإِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ كَمَا مَاتُوا، وَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالُوا: وَنَحْنُ أَيْضًا نَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنْتَ أَفْضَلُنَا وَسَيِّدُنَا، وَثَبَتُوا عَلَى إِسْلَامِهِمْ، وَتَرَكُوا بَقِيَّةَ النَّاسِ فِيمَا هُمْ فِيهِ. وَبَعَثَ الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَمَا قَدَّمْنَا إِلَيْهِمُ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ، فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْبَحْرَيْنِ، جَاءَ إِلَيْهِ ثُمَامَةُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৩০৬

তোমাদের এসব কথা মতে সে তােমা,দেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল? এ সব কথা আল্লাহ্র
বাণী হতে পারে না ৷ মুসায়লামার আরও কিছু উক্তি এরুপ :

এশু১আষ্ ণ্এএ১ এ্যা-গ্রাএ
হস্তি, তুমি কি জান, হস্তি কি জিনিস? তার একটি লম্বা শুড় আছে ৷

অন্ধকার রাত্রির কসম, গর্জনকা ৷রী নেকড়ের কসম, ভাল মন্দ কাউকেই সিংহ মারেনি
নিম্নের কথাগুলো পুর্বেও বলা হয়েছেং :

এ ধরনের স্থুল, হাস্যকর, অর্থহীন আজেবাজে উক্তি সে করত ৷
আবু বকর বাকিল্লানী তার ইজাযুল কুরআন’ গ্রন্থে মুসায়লামা, তৃলায়হা, আসওদ ও
সাজাহ্ প্রভৃতি ভণ্ড নবীদের উক্তি ও বাণীসমুহ উল্লেখ করেছেন ৷ এসব বাণী থেকেই তাদের
ভণ্ডামী ও অনুসারীদ্যে৷ গুমরাহী স্পষ্ট হয়ে উঠে ৷ হযরত আমর ইবনুল আস (রা) জাহিলী যুগে
একবার এক প্রতিনিধিদল দল নিয়ে মুসায়লামার সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন ৷ মুসায়লামা
তাকে জিজ্ঞেস করল, এই সময়ে৫ তামাদের নবীর উপর কী ধরনের বাণী নাযিল হচ্ছে? আমর
বললেন, তার প্রতি একটি অতি সংক্ষিপ্ত অথচ হৃদয়স্পর্শী ওহী সম্প্রতি নাযিল হয়েছে ৷ তা
হলো০ :

ট্রু,াৰুর্শ্বার্টু, ৷ স্পোাট্রু
কালের শপথ, নিশ্চয়ই সমস্ত মানুষ ধ্বংসের মধ্যে নিমজ্জিত, কেবল তারা ব্যতীত, যারা

ঈমান এন্যেছ, সৎকর্মসমুহ করেছে, একে অন্যকে হকের উপদেশ দিয়েছে ও একে অপরকে
ধৈর্য অবলম্বনে উৎসাহ প্রদান করেছে ৷

মুসায়লামা কিছুক্ষণ চিন্তা করে পরে মাথা উচিয়ে বললো আমার উপরও অনুরুপ কালাম

নাযিল হয়েছে ৷ আমর জিজ্ঞেস করলেন, তা কী? মুসায়লামা পক্তাং :
টু

ওহে ওবর১ , হে ওবর, তুমি আগমন ও প্রত্যাবর্তনকারী, তোমার সব লোকই খালি পা ও
খেজুরের আটির গর্তের লোক ৷

এরপর সে জিজ্ঞেস করল, আমর ! কেমন বুঝলে? জবাবে আমর বললেন, আল্পাহ্র কসম ,
তুমি অবশ্যই জান যে আমি জানি, তুমি মিথ্যা কথা বলছু ৷ ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন যে,
মুসায়লামা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাজের অনুরুপ কাজ করার চেষ্টা করত ৷ সে জানতে পেল যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক কুয়াতে লাল৷ নিক্ষেপ করার কুয়োর মধ্যে পানির ধারা ফুটে উঠেছে ৷ সেও
একটি কুয়ােতে ৩লাল৷ নিক্ষেপ করে ৷ বিক্ষ্ম এতে তকুয়োর সমস্ত পানি শুকিয়ে যায় ৷ আরও একটি
১ বিড়াল থেকে ছোট একটি প্রাণী, যার কান ও লেজ ছোট হয়ে থাকে ৷ সম্পাদকদ্বয়


أَثَالٍ فِي جَحْفَلٍ كَثِيرٍ، وَجَاءَ كُلُّ أُمَرَاءِ تِلْكَ النَّوَاحِي، فَانْضَافُوا إِلَى جَيْشِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، فَأَكْرَمَهُمُ الْعَلَاءُ وَتَرَحَّبَ بِهِمْ وَأَحْسَنَ إِلَيْهِمْ. وَقَدْ كَانَ الْعَلَاءُ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ الْعُلَمَاءِ الْعُبَّادِ مُجَابِي الدَّعْوَةِ، اتَّفَقَ لَهُ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ أَنَّهُ نَزَلَ مَنْزِلًا، فَلَمْ يَسْتَقِرَّ النَّاسُ عَلَى الْأَرْضِ حَتَّى نَفَرَتِ الْإِبِلُ بِمَا عَلَيْهَا مِنْ زَادِ الْجَيْشِ وَخِيَامِهِمْ وَشَرَابِهِمْ، وَبَقُوا عَلَى الْأَرْضِ لَيْسَ مَعَهُمْ شَيْءٌ سِوَى ثِيَابِهِمْ، وَذَلِكَ لَيْلًا، وَلَمْ يَقْدِرُوا مِنْهَا عَلَى بَعِيرٍ وَاحِدٍ، فَرَكِبَ النَّاسُ مِنَ الْهَمِّ وَالْغَمِّ مَا لَا يُحَدُّ وَلَا يُوَصَفُ، وَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يُوصِي إِلَى بَعْضٍ، فَنَادَى مُنَادِي الْعَلَاءِ فَاجْتَمَعَ النَّاسُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، أَلَسْتُمُ الْمُسْلِمِينَ؟ أَلَسْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟ أَلَسْتُمْ أَنْصَارَ اللَّهِ؟ قَالُوا: بَلَى. قَالَ: فَأَبْشِرُوا، فَوَاللَّهِ لَا يَخْذِلُ اللَّهُ مَنْ كَانَ فِي مِثْلِ حَالِكُمْ. وَنُودِيَ بِصَلَاةِ الصُّبْحِ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ، فَصَلَّى بِالنَّاسِ، فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ جَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَجَثَا النَّاسُ، وَنَصِبَ فِي الدُّعَاءِ وَرَفَعَ يَدَيْهِ، وَفَعَلَ النَّاسُ مِثْلَهُ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ، وَجَعَلَ النَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَى سَرَابِ الشَّمْسِ يَلْمَعُ مَرَّةً بَعْدَ أُخْرَى، وَهُوَ يَجْتَهِدُ فِي الدُّعَاءِ، فَلَمَّا لَمَعَ الثَّالِثَةَ إِذَا قَدْ خَلَقَ اللَّهُ إِلَى جَانِبِهِمْ غَدِيرًا عَظِيمًا مِنَ الْمَاءِ الْقَرَاحِ، فَمَشَى وَمَشَى النَّاسُ إِلَيْهِ، فَشَرِبُوا وَاغْتَسَلُوا فَمَا تَعَالَى النَّهَارُ حَتَّى أَقْبَلَتِ الْإِبِلُ مِنْ كُلِّ فَجٍّ بِمَا عَلَيْهَا، لَمْ يَفْقِدِ النَّاسُ مِنْ أَمْتِعَتِهِمْ سِلْكًا، فَسَقَوُا الْإِبِلَ عَلَلًا بَعْدَ نَهَلٍ، فَكَانَ هَذَا مِمَّا عَايَنَ النَّاسُ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ بِهَذِهِ السَّرِيَّةِ، ثُمَّ لَمَّا اقْتَرَبَ مِنْ جُيُوشِ الْمُرْتَدَّةِ - وَقَدْ حَشَدُوا وَجَمَعُوا خَلْقًا عَظِيمًا - نَزَلَ وَنَزَلُوا، وَبَاتُوا مُتَجَاوِرِينَ فِي الْمَنَازِلِ، فَبَيْنَمَا الْمُسْلِمُونَ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৩০৭


কুয়াতে সে লালা নিক্ষেপ করায় তার পানি তিক্ত হয়ে যায় ৷ একবার সে উবু করে অবশিষ্ট পানি
খেজুর গাছের গোড়ায় দিলে গাছটি শুকিয়ে মারা যায় ৷ একবার দু’টি বালককে তার কাছে
আনা হয় দুআ নেয়ার উদ্দেশ্যে ৷ সে তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় ৷ বিন্তে এতে একজনের
মাথার সব চুল পড়ে যায় এবং অপরজন তােতলা হয়ে যায় ৷ কোন এক লোকের চোখে ব্যথা
হলে মুসায়লামা তার দুই চোখ মাসাহ করে দেয়, কিন্তু এতে উভয় চােখই অন্ধ হয়ে যায় ৷
সড়ায়ফ ইবন আমর তালহা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তালহা একবার ইয়ামামায় গিয়ে
লোকদের কাছে জিজ্ঞেস করলেন, মুসায়লামা কোথায়? তাকে বলা হল, তিনি কথা বলেননা ৷
তিনি আল্লাহর রাসুল-বল রাসুলুল্পাহ্ কোথায়? তালহা বললাে, তাকে দেখার আগে রাসুল বলব
না ৷ এরপর মুসায়লড়ামার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো আপনি কি মুসায়লামা? বলল, হী ৷ তিনি
জিজ্ঞেস করলেন, আপনার নিকট কে আসে? যে বললাে, রাজিস ৷ তালহা জিজ্ঞেস করলো,
আলোর মধ্যে তার আগমন হয়, নাকি অন্ধকারের মধ্যে? বললাে, অন্ধকারের মধ্যে ৷ তালহা
বললাে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি মিথুদ্রক নবী আর মুহাম্মদ সত্য নবী ৷ কিন্তু রাবীআ বংশের
মিথ্যাবাদী আমার নিকট মুযার বংশের সতবাদীর তুলনায় অধিক প্রিয় ৷ এরপর সে তারই
অনুসারী হয়ে যায় এবং আক্রিবার যুদ্ধে নিহত হয় ৷

বাহ্রায়নবাসীদের মুরতাদ হওয়া ও পুনরায়
ইসলামে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গ

রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলা ইবনুল হায্রামীকে বাহ্রায়নে প্রেরণ করেছিলেন ৷ সেখানকার
শাসক মুনযির ইবন সাবী আল আবাদী আলার নিকট ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তার স্বদেশে
ইসলাম ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতিকালের অল্প দিন পরেই তার
মৃত্যু হয় ৷ মুনসিরের মৃত্যুকালে হযরত আমর ইবনুল আস সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৷ মুনযির
জিজ্ঞেস করলেন, হে আমর ! রাসুলুল্লাহ্ (না) কি অন্তিম শয়ানে শায়িত রোগীর হাতে তার
সম্পদের কোন কর্তৃতৃ রেখেছেন? তিনি বললেন, হী, এক তৃতীয়াংশের উপরে ৷ মুনযির
বললেন, আমি এ দ্বারা কি করতে পারি? আমর বললেন, আপনি ইচ্ছা করলে আপনার
আত্মীয়-স্বজনকে দান করতে পারেন; ইচ্ছা করলে অভাবী লোকদের জন্য খরচ করতে পারেন,
আবার ইচ্ছা করলে আপনার আত্মীয় স্বজনকে দান করতে পারেন; ইচ্ছা করলে অভাবী
লোকরেদ জন্য খরচ করতে পারেন, মুনযির বললেন, দেবতার উদ্দেশ্যে উট-বকরী উৎসর্গ
করার ন্যায় দান করাকে আমি পছন্দ করি না ৷ বরং আমি এটা সাদকা করে দেব এবং তিনি
তাই করলেন এরপর ইনতিকাল করলেন ৷ আমর ইবনুল আস এতে খুবই বিস্মিত হলেন ৷
মুনযিরের মৃত্যুর পর বাহ্রায়নবাসীরা মুরতাদ হয়ে যায় বিভ্রান্ত ও দাম্ভিক মুনযির ইবন নুমান
ইবন মুনযিরকে তাদের রাজা বানায় ৷ তাদের মধ্য থেকেই একজন মন্তব্য করল যে, মুহাম্মদ
যদি সত্যিই নবী হতেন তাহলে মারা যেতেন না ৷ এরপর গোটা বাহ্রায়নে জাওয়াছা ব্যতীত
আর কোন শহরই ইসলামের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকল না ৷ এই জওয়াছা শহরেই সর্ব প্রথম
জুমআ কায়েম হয়েছিল ৷ বুখারী শরীফে ইবন আব্বাস (বা) এর বরাতে এরুপই বর্ণিত
হয়েছে ৷ মুরতাদরা চারিদিক থেকে শহরটিকে ঘেরাও করে রাখে ৷ বড়াহির থেকে খাদ্যসহ
সবকিছুর সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ খাদ্যাভাবে ক্ষুধড়ার তাড়নায় তারা কাতর হয়ে পড়েন ৷


اللَّيْلِ إِذْ سَمِعَ الْعَلَاءُ أَصْوَاتًا عَالِيَةً فِي جَيْشِ الْمُرْتَدِّينَ، فَقَالَ: مَنْ رَجُلٌ يَكْشِفُ لَنَا خَبَرَ هَؤُلَاءِ؟ فَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَذَفٍ، فَدَخَلَ فِيهِمْ فَوَجَدَهُمْ سُكَارَى لَا يَعْقِلُونَ مِنَ الشَّرَابِ، فَرَجَعَ إِلَيْهِ فَأَخْبَرَهُ، فَرَكِبَ الْعَلَاءُ مِنْ فَوْرِهِ هُوَ وَالْجَيْشُ مَعَهُ، فَكَبَسُوا أُولَئِكَ فَقَتَلُوهُمْ قَتْلًا عَظِيمًا، وَقَلَّ مَنْ هَرَبَ مِنْهُمْ، وَاسْتَوْلَى عَلَى جَمِيعِ أَمْوَالِهِمْ وَحَوَاصِلِهِمْ وَأَثْقَالِهِمْ، فَكَانَتْ غَنِيمَةً عَظِيمَةً جَسِيمَةً وَكَانَ الْحُطَمُ بْنُ ضُبَيْعَةَ - أَخُو بَنِي قَيْسِ بْنِ ثَعْلَبَةَ مِنْ سَادَاتِ الْقَوْمِ - نَائِمًا، فَقَامَ دَهِشًا حِينَ اقْتَحَمَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِمْ، فَرَكِبَ جَوَادَهُ، فَانْقَطَعَ رِكَابُهُ فَجَعَلَ يَقُولُ: مَنْ يُصْلِحُ لِي رِكَابِي؟ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي اللَّيْلِ فَقَالَ: أَنَا أُصْلِحُهَا لَكَ، ارْفَعْ رَجْلَكَ. فَلَمَّا رَفَعَهَا ضَرْبَهُ بِالسَّيْفِ فَقَطْعَهَا مَعَ قَدَمِهِ، فَقَالَ لَهُ: أَجْهِزْ عَلَيَّ. فَقَالَ: لَا أَفْعَلُ. فَوَقَعَ صَرِيعًا، كُلَّمَا مَرَّ بِهِ أَحَدٌ يَسْأَلُهُ أَنْ يَقْتُلَهُ فَيَأْبَى، حَتَّى مَرَّ بِهِ قَيْسُ بْنُ عَاصِمٍ فَقَالَ لَهُ: أَنَا الْحُطَمُ فَاقْتُلْنِي فَقَتَلَهُ. فَلَمَّا رَأَى رِجْلَهُ مَقْطُوعَةً نَدِمَ عَلَى قَتْلِهِ وَقَالَ: وَاسَوْأَتَاهْ، لَوْ أَعْلَمُ مَا بِهِ لَمْ أُحَرِّكْهُ. ثُمَّ رَكِبَ الْمُسْلِمُونَ فِي آثَارِ الْمُنْهَزِمِينَ، يَقْتُلُونَهُمْ بِكُلِّ مَرْصَدٍ وَطَرِيقٍ، وَذَهَبَ مَنْ فَرَّ مِنْهُمْ أَوْ أَكْثَرُهُمْ فِي الْبَحْرِ إِلَى دَارِينَ، رَكِبُوا إِلَيْهَا السُّفُنَ، ثُمَّ شَرَعَ الْعَلَاءُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ فِي قَسْمِ الْغَنِيمَةِ وَنَفْلِ الْأَنْفَالِ، وَفَرَغَ مِنْ ذَلِكَ وَقَالَ لِلْمُسْلِمِينَ: اذْهَبُوا بِنَا إِلَى دَارِينَ ; لِنَغْزُوَ مَنْ بِهَا مِنَ الْأَعْدَاءِ، فَأَجَابُوا إِلَى ذَلِكَ سَرِيعًا، فَسَارَ بِهِمْ حَتَّى أَتَى سَاحِلَ الْبَحْرِ ; لِيَرْكَبُوا فِي السُّفُنِ، فَرَأَى أَنَّ الشُّقَّةَ بَعِيدَةٌ، لَا يَصِلُونَ إِلَيْهِمْ فِي السُّفُنِ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৫৩০৮
يَذْهَبَ أَعْدَاءُ اللَّهِ، فَاقْتَحَمَ الْبَحْرَ بِفَرَسِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ، يَا حَلِيمُ يَا كَرِيمُ، يَا أَحَدُ يَا صَمَدُ، يَا حَيُّ يَا مُحْيِي الْمَوْتَى، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ يَا رَبَّنَا. وَأَمَرَ الْجَيْشَ أَنْ يَقُولُوا ذَلِكَ وَيَقْتَحِمُوا، فَفَعَلُوا ذَلِكَ فَأَجَازَ بِهِمُ الْخَلِيجَ بِإِذْنِ اللَّهِ يَمْشُونَ عَلَى مِثْلِ رَمْلَةٍ دَمِثَةٍ، فَوْقَهَا مَاءٌ لَا يَغْمُرُ أَخْفَافَ الْإِبِلِ، وَلَا يَصِلُ إِلَى رُكَبِ الْخَيْلِ، وَمَسِيرَتُهُ لِلسُّفُنِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ، فَقَطَعَهُ إِلَى السَّاحِلِ الْآخَرِ، فَقَاتَلَ عَدُوَّهُ وَقَهَرَهُمْ، وَاحْتَازَ غَنَائِمَهُمْ، ثُمَّ رَجَعَ فَقَطَعَهُ إِلَى الْجَانِبِ الْآخَرِ، فَعَادَ إِلَى مَوْضِعِهِ الْأَوَّلِ، وَذَلِكَ كُلُّهُ فِي يَوْمٍ، وَلَمْ يَتْرُكْ مِنَ الْعَدُوِّ مُخْبِرًا، وَاسْتَاقَ الذَّرَارِيَّ وَالْأَنْعَامَ وَالْأَمْوَالَ، وَلَمْ يَفْقِدِ الْمُسْلِمُونَ فِي الْبَحْرِ شَيْئًا سِوَى عُلَّيْقَةِ فَرَسٍ لِرَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَمَعَ هَذَا رَجَعَ الْعَلَاءُ فَجَاءَهُ بِهَا، ثُمَّ قَسَّمَ غَنَائِمَ الْمُسْلِمِينَ فِيهِمْ، فَأَصَابَ الْفَارِسُ أَلْفَيْنِ وَالرَّاجِلُ أَلْفًا، مَعَ كَثْرَةِ الْجَيْشِ، وَكَتَبَ إِلَى الصِّدِّيقِ فَأَعْلَمَهُ بِذَلِكَ، فَبَعَثَ الصِّدِّيقُ يَشْكُرُهُ عَلَى مَا صَنَعَ، وَقَدْ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي مُرُورِهِمْ فِي الْبَحْرِ، وَهُوَ عَفِيفُ بْنُ الْمُنْذِرِ: أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ ذَلَّلَ بِحَرَهُ ... وَأَنْزَلَ بِالْكُفَّارِ إِحْدَى الْجَلَائِلِ دَعَوْنَا الَّذِي شَقَّ الْبِحَارَ فَجَاءَنَا ... بِأَعْجَبَ مِنْ فَلْقِ الْبِحَارِ الْأَوَائِلِ وَقَدْ ذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ أَنَّهُ كَانَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ فِي هَذِهِ الْمَوَاقِفِ
পৃষ্ঠা - ৫৩০৯

পরে আল্লাহ তাদের মুক্তির পথ বের করে দেন ৷ এই শহরের বাসিন্দা বনু বকর ইবন কিলাব
গোত্রের আবদুল্লাহ্ ইবন হাযাফ ক্ষুধা ক্লিষ্ট হয়ে নিম্নোক্ত কবিতা পড়েছিলেন :
গ্রাশৌ এেব্লুপ্রু;
অর্থং ংআমি কি আবু বকর ও মদীনায় সব যুবকদের কাছে দুত পাঠিয়ে এ কথা বলতে
পারি যে, জাওয়াছা শহরে আমরা অবরুদ্ধ হয়ে আছি ৷ এ অবস্থায় কি তোমাদের নীরব বসে
থাকা শোভা পড়ায়? প্রতিটি অলি গলিতে তাদের রক্ত কণিকা যেন সুয কিরণের ন্যায় দর্শকদের
আচ্ছন্ন করে ফেলেছে ৷ আমরা রহমান থােদার উপর ভরসা করে আছি ৷ ভরসাকারীদের জন্য
ধৈর্য ধারণ ছ ড় আর কীইবা করার আছে
জারুদ ইবন মুআল্লা নামক এদের এক অভিজাত ব্যক্তি সবাইকে জমায়েত করলেন ৷
তিনি হিজরত করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকটেও একবার গিয়েছিলেন ৷ সমবেত লোকদের
উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হে আবদে কায়েসের বংশধররা ! আমি তােমাদেরকে একটি বিষয়ে প্রশ্ন
করতে চাই, জানা থাকলে উত্তর দেবে, জানা না থাকলে উত্তর দেবেপ্ন৷ ৷ তোমরা জান না,
মুহাম্মাদ (না)-এর পুর্বে আল্লাহ্ আরও নবী পাঠিয়েছিলেন ? তারা বলল, জী হী ৷ তিনি
বললেন, তোমরা কি তাকে দেখেছ, না জেনেছো ? তারা বলল, তার সম্পর্কে জেনেছি ৷ তিনি
বললেন, তারা কী করেছিলেন ? তারা বলল, মারা গিয়েছেন ৷ তিনি বললেন, তারা যেমন মারা
গেছেন, মুহাম্মদ (না) ও তেমনি মারা গিয়েছেন ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য
কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসুল ৷৩ তারা বলল, আমরাও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসুল ৷ আপনি আমাদের
মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ৷ আপনিই আমাদের নেতা ৷ এভাবে তারা ইসলামের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত
থাকলেন এবৎ অন্যান্য লোকদেরকে তাদের মতের উপর ছেড়ে দিলেন ৷
আবু বকর সিদ্দীক (বা) এদের নিকট আলা ইবন হাযরামীকে প্রেরণ করেন, যেমনটি
আমরা পুর্বেও বলে এসেছি ৷ তিনি বাহ্রায়নে পৌছলে ছুমামা ইবন উছাল বিরাট এক
বাহিনীসহ তার সাথে সাক্ষাৎ করেন; এছাড়া সেখানকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা এসে আলার
বাহিনীতে যোগ দিতে থাকেন ৷ আলা তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান ও সম্মান করেন ৷ আলা
ছিলেন উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন একজন সাহাবী, তিনি অত্যন্ত আবিদ ছিলেন এবং তার দৃআ কবুল
হতে৷ ৷ এই সফরে তিনি এক ঘটনার সম্মুখীন হন ৷ তা হল, তিনি এক স্থানে বিশ্রাম গ্রহণের
জন্য অবতরণ করেন ৷ লোকজন তখনও ঠিকমত বসতে পারেনি ৷ এরই মধ্যে যেসব উটের
উপর সৈন্যদের খাদ্য, পানীয় ওত ৷তবু বোঝাই ছিল, সে উটগুলে৷ সবই পালিয়ে যায় ৷ পরিধেয়
কাপড় ছাড়া আর কিছুই“ তাদের সাথে ছিল না ৷ ঘটনা হয়েছিল রাতে ৷ সুতরাং একটি উটও
তারা ধরতে পারলেন না ৷ কাফেলার সকলেই অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টের মধ্যে পতিত হন ৷ একে
অপরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিতে থাকেন ৷ এ সময় আলা ইবন হায্রামীর ঘোষণাকারী


وَالْمَشَاهِدِ الَّتِي رَأَوْهَا مِنْ أَمْرِ الْعَلَاءِ، وَمَا أَجْرَى اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ مِنَ الْكَرَامَاتِ، رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ هَجَرَ، رَاهِبٌ، فَأَسْلَمَ حِينَئِذٍ، فَقِيلَ لَهُ: مَا دَعَاكَ إِلَى الْإِسْلَامِ؟ فَقَالَ: خَشِيتُ إِنْ لَمْ أَفْعَلْ أَنْ يَمْسَخَنِي اللَّهُ ; لِمَا شَاهَدْتُ مِنَ الْآيَاتِ. قَالَ: وَقَدْ سَمِعْتُ فِي الْهَوَاءِ وَقْتَ السَّحَرِ دُعَاءً. قَالُوا: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: اللَّهُمَّ أَنْتَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ لَا إِلَهَ غَيْرُكَ، وَالْبَدِيعُ لَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ، وَالدَّائِمُ غَيْرُ الْغَافِلِ، وَالْحَيُّ الَّذِي لَا يَمُوتُ، وَخَالِقُ مَا يُرَى وَمَا لَا يُرَى، وَكُلَّ يَوْمٍ أَنْتَ فِي شَأْنٍ، وَعَلِمْتَ اللَّهُمَّ كُلَّ شَيْءٍ عِلْمًا. قَالَ: فَعَلِمْتُ أَنَّ الْقَوْمَ لَمْ يُعَانُوا بِالْمَلَائِكَةِ إِلَّا وَهُمْ عَلَى أَمْرِ اللَّهِ. قَالَ: فَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَكَانَ الصَّحَابَةُ يَسْمَعُونَ مِنْهُ. [رِدَّةُ أَهْلِ عُمَانَ] ذِكْرُ رِدَّةِ أَهْلِ عُمَانَ وَمَهْرَةَ وَالْيَمَنِ. أَمَّا أَهْلُ عُمَانَ فَنَبَغَ فِيهِمْ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: ذُو التَّاجِ. لَقِيطُ بْنُ مَالِكٍ الْأَزْدِيُّ، وَكَانَ تَسَامَى فِي الْجَاهِلِيَّةِ الْجُلَنْدِيَّ، فَادَّعَى النُّبُوَّةَ أَيْضًا، وَتَابَعَهُ الْجَهَلَةُ مِنْ أَهْلِ عُمَانَ، فَتَغَلَّبَ عَلَيْهَا وَقَهَرَ جَيْفَرًا وَعَبَّادًا، وَأَلْجَأَهُمَا إِلَى أَطْرَافِهَا، مِنْ نَوَاحِي الْجِبَالِ وَالْبَحْرِ، فَبَعَثَ جَيْفَرٌ إِلَى الصِّدِّيقِ، فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ وَاسْتَجَاشَهُ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ الصِّدِّيقُ بِأَمِيرَيْنِ، وَهُمَا حُذَيْفَةُ بْنُ مِحْصَنٍ الْحِمْيَرِيُّ، وَعَرْفَجَةُ الْبَارِقِيُّ مِنَ الْأَزْدِ ; حُذَيْفَةُ إِلَى عُمَانَ، وَعَرْفَجَةُ إِلَى مَهْرَةَ، وَأَمَرَهُمَا أَنْ يَجْتَمِعَا وَيَتَّفِقَا
পৃষ্ঠা - ৫৩১০

সকলকে সমবেত হওয়ার জন্য আহ্বান জানালে সকলেই সেখানে একত্রিত হন ৷ আলা জিজ্ঞেস
করলেন, ভাইসব৷ আপনারা কি মুসলমান নন ? আপনারা কি আল্লাহ্র পথে (জিহাদে) বের
হয়ে আসেননি ? আপনারা আল্লাহ্র দীনের সাহায্যকারী নন ? তারা সবাই বললেন, জী ই৷ ৷
তিনি বললেন, আপনারা সুসং বাদ গ্রহণ করুন যে, এখন আপনারা যে অবস্থায় আছেন যে
অবস্থায় আল্লাহ্ কাউকে লাঞ্ছিত করেন না ৷
এরপর ফজরের আমান হলে সবাইকে নিয়ে তিনি সালাত আদায় করেন ৷ সালাত শেষে
ইাটু গেড়ে বললেন ৷ তারপর দু হাত উচিয়ে দৃ আ করতে লাগলেন ৷ অন্যান্য সবাই তইি করল ৷
ইতিমধ্যে সুর্য উদিত হল ৷ উপস্থিত সবাই দেখল সুর্যের কিরণ ঝকমকিংয় উঠছে ৷ আলা’
নিবিষ্টচিত্তে দৃআর মধ্যে ডুবে আছেন ৷ যখন বেলা তিনি প্রহরে পৌছালো তখন তাদের পার্শে
আল্পাহ্ পরিষ্কার পানির একটি বিরাট কুয়াে সৃষ্টি করে দেন ৷ তারপর আনা ও তার সাথীরা
সবাই কুয়োর কাছে গিয়ে পানি পান করলেন ও গোসল করলেন ৷ বেলা যখন আরো বৃদ্ধি পেল
তখন তাদের উটগুলো বিভিন্ন পথ বেয়ে সেখানে উপস্থিত হলো ৷ উটের পিঠে রাখা সমস্ত
মালামাল পাওয়া গেল, একটা সুতে৷ পর্যন্ত থােয়া যায়নি ৷ উটগুলোও সেখান থেকে একবার
দু’বার করে পানি পান করে নিল ৷ এটা ছিল আল্লাহর এক নিদশ্নি, যা তিনি এই মুসলিম
বাহিনীকে দেখান ৷ এরপর তারামুরতাদ বাহিনীর সন্নিকটে এসে পৌছেন ৷ তারাও বিপুল
পরিমাণ সৈন্যের সবাবেশ করেছিল ৷ উভয় বাহিনী এক জায়গায় পাশাপাশি রাত্রি যাপন করে ৷
গভীর রাত্রে আলা হঠাৎ মুরতাদ বাহিনীর মধ্যে চিৎকার ধ্বনি শুনতে পেলেন ৷ তিনি
লোকদেরকে বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে , যে ওদের মধ্যে কী ঘটনা ঘটেছে, যে
তথ্য সংগ্রহ করে আনতে পারবে ? আবদুল্লাহ্ ইবন হাযাফ দণ্ডায়মান হলেন এবং সেখানে গিয়ে
দেখলেন যে, তারা মদ পান করে মাতাল হয়ে আছে এবং তাদের চেতনা ণ্লাপ পেয়েছে ৷ তিনি
ফিরে এসে সব কথা জানালেন ৷ খবর শোনা মাত্রই আলা সসৈন্যে তাদের উপর আক্রমণ
চালালেন এবং বিপুল সংখ্যক লোককে হত্যা করলেন ৷ অল্প সংখ্যক সোবইি পালিয়ে যেতে
সক্ষম হয় ৷ মুসলিম সৈন্যরা শক্রদের সমুদয় সম্পদ ও পশুপাল দখল করে নেন ৷ ফলে বিপুল
পরিমাণ গনীমত তাদের করায়ত্ত হয় ৷
বনু কায়স ইবন ছা লাবার জনৈক সন্ত্রান্ত ব্যক্তি হড়াতম ইবন যবীআ এই সময় নিদ্রিত কাি ৷
মুসলমানরা তাদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ করলে তিনি ভয়ে বিচলিত হয়ে পড়েন ৷ সে
ঘোড়ার আরোহণ করলেও তার পা রাখার রিকাব ছিড়েশ্ পেল ৷ সে বললো, কেউ কি আছে
আমার জিনটা ঠিক করে দেবে ? এক মুসলমান সেই রাত্রেই এগিয়ে এসে বলল, আমিই ঠিক
করে দেব, আপনার পা উচু করুন! যখন সে পা উচু করল তখন মুসলমানটি তলােয়ারের
আঘাতে তার পা বিচ্ছিন্ন করে ফেললো ৷ সে বললাে ৷ এখন আমাকে মেরে ফেল ৷ মুসলিম
লোকটি মারতে অস্বীকার করলো ৷ হড়াতম ঘোড়ার উপর থেকে নিচে পড়ে গেল ৷ যে কেউ তার
পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ডেকে বলে যে, আমাকে হত্যা করে দাও, কিন্তু কেউ তাতে রাজি
হলো না ৷ এক পর্যায়ে ঐ পথ দিয়ে কায়স ইবন আসিম যাওয়ার সময় তাকে ডেকে সে বলল,
আমি হড়াতম , আমাকে হত্যা করে দাও ৷ তখন তিনি তাকে হত্যা করলেন ৷ কির্ভু তার পা
কর্তিত দেখে লজ্জিত হয়ে তিনি বললেন, আফসেড়াসা আমি যদি এ অবস্থা জানতাম তাহলে
একে ধরতাম না ৷ এরপর মুসলমানরা পরাজিত শত্রুদের পশ্চাদ্ধাবন করলেন এবং প্যখ-ঘাটে


وَيَبْتَدِئَا بِعُمَانَ، وَحُذَيْفَةُ هُوَ الْأَمِيرُ، فَإِذَا سَارُوا إِلَى بِلَادِ مَهْرَةَ فَعَرْفَجَةُ الْأَمِيرُ. وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ عِكْرِمَةَ بْنَ أَبِي جَهْلٍ لَمَّا بَعَثَهُ الصِّدِّيقُ إِلَى مُسَيْلِمَةَ وَأَتْبَعَهُ بِشُرَحْبِيلَ ابْنَ حَسَنَةَ، عَجِلَ عِكْرِمَةُ وَنَاهَضَ مُسَيْلِمَةَ قَبْلَ مَجِيءِ شُرَحْبِيلَ ; لِيَفُوزَ بِالظَّفَرِ وَحْدَهُ، فَنَالَهُ مِنْ مُسَيْلِمَةَ قَرْحٌ وَالَّذِينَ مَعَهُ، فَتَقَهْقَرَ حَتَّى جَاءَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، فَقَهَرَ مُسَيْلِمَةَ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ الصِّدِّيقُ يَلُومُهُ عَلَى تَسَرُّعِهِ، قَالَ: لَا أَرَيَنَّكَ وَلَا أَسْمَعْنَّ بِكَ إِلَّا بَعْدَ بَلَاءٍ. وَأَمَرَهُ أَنْ يَلْحَقَ بِحُذَيْفَةَ وَعَرْفَجَةَ إِلَى عُمَانَ وَكُلٌّ مِنْكُمْ أَمِيرٌ عَلَى خَيْلِهِ، وَحُذَيْفَةَ مَا دُمْتُمْ بِعُمَانَ فَهُوَ أَمِيرُ النَّاسِ، فَإِذَا فَرَغْتُمْ فَاذْهَبُوا إِلَى مَهْرَةَ، فَإِذَا فَرَغْتُمْ مِنْهَا فَاذْهَبْ إِلَى الْيَمَنِ وَحَضْرَمَوْتَ فَكُنْ مَعَ الْمُهَاجِرِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ، وَمَنْ لَقِيتَهُ مِنَ الْمُرْتَدَّةِ بَيْنَ عُمَانَ إِلَى حَضْرَمَوْتَ وَالْيَمَنِ فَنَكِّلْ بِهِ. فَسَارَ عِكْرِمَةَ لِمَا أَمَرَهُ بِهِ الصِّدِّيقُ، فَلَحِقَ حُذَيْفَةَ وَعَرْفَجَةَ قَبْلَ أَنْ يَصِلَا إِلَى عُمَانَ، وَقَدْ كَتَبَ إِلَيْهِمَا الصِّدِّيقُ أَنْ يَنْتَهِيَا إِلَى رَأْيِ عِكْرِمَةَ بَعْدَ الْفَرَاغِ مِنَ السَّيْرِ مِنْ عُمَانَ أَوِ الْمُقَامِ بِهَا، فَسَارُوا، فَلَمَّا اقْتَرَبُوا مِنْ عُمَانَ رَاسَلُوا جَيْفَرًا وَعَبَّادًا، وَبَلَغَ لَقِيطَ بْنَ مَالِكٍ مَجِيءُ الْجَيْشِ، فَخَرَجَ فِي جُمُوعِهِ فَعَسْكَرَ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: دَبَا. وَهِيَ مِصْرُ تِلْكَ الْبِلَادِ وَسُوقُهَا الْعُظْمَى، وَجَعَلَ الذَّرَارِيَّ وَالْأَمْوَالَ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ ; لِيَكُونَ أَقْوَى لِحَرْبِهِمْ، وَاجْتَمَعَ جَيْفَرٌ وَعَبَّادٌ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: صُحَارُ. فَعَسْكَرَا بِهِ وَبَعَثَا إِلَى أُمَرَاءِ الصِّدِّيقِ، فَقَدِمُوا عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَتَقَابَلَ
পৃষ্ঠা - ৫৩১১

যেখানেই যাকে পেলেন সেখানেই তাদেরকে হত্যা করলেন ৷ যারা পলায়ন করে বেচে যেতে
সক্ষম হয় তারা সকলে কিংবা অধিকাংশ লোক সমুদ্রকুলে দারীন নামক স্থানে গিয়ে নৌকায়
মালামাল আরোহণ করে ৷

অপরদিকে আলা ইবন হাবৃরামী গনীমড়ের মালামাল বন্টন শেষে বাহিনীকে পুনপ্রন্তুত করে
বললেন, চল, আমরা দারীনে যইি, সেখানে শত্রু আছে, তাদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে ৷ সবাই
সম্মত হলেন এবং দ্রুত যাত্রা করলেন ৷ ণ্কিন্তু সেখানে পৌছে দেখলেন, তাদের নৌকা বহু দুরে
চলে গেছে ৷ তাদের পশ্চাদ্ধাবন করার মত নৌকা ছিলনা ৷ তখন তিনি নিম্নোক্ত দৃআ পড়ে
জীবনের ঝুকি নিঃয় সমুদ্রের বুকে ঘোড়া ছুটালেন ৷ দৃআ এই০ ং



হে মহান দয়াময়, হে প্রাজ্ঞ সত্তা, হে করুণাময়, হে একক, অনন্য, হে স্বয়ং সম্পন্ন, হে
চিরঞ্জীব, হে জীবনদাতা, হে চিরস্থায়ী, হে মহা সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী, আপনি ব্যতীত
আর কোন ইলাহ্ নেই, হে আমাদের রব ৷

সৈন্যদেরকেও তিনি এ দৃআ পড়ে সমুদ্রে বাড়াপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন ৷ সকলেই নির্দেশ
মত কাজ করল ৷ আল্লাহর হুকুমে সবাই উপসাগর পাড়ি দিলেন ৷ তাদের মনে হল নরম বালুর
উপরে অল্প পানি ৷ বালুর মধ্যে উটেয় ক্ষুর অটিকায় না এবং পানিও এত কম যে তা ঘোড়ার
হাটু পর্যন্ত পৌছে ন ড়া ৷ যে পথ তারা অতিক্রম করেছেন সে পথ নৌকায় পার হতে এক দিন ও
এক রাত সময় লাগে ৷ অথচ মুসলিম বাহিনীর ওপার গিয়ে যুদ্ধ করে শত্রুদের পরাজিত করে
গনীমত নিঃয় এপাংর প্রত্যাগমন করতে সর্বমোট সময় লাগে মাত্র এক দিন ৷ এ সংবাদ তাদের
স্বজনদের কাছে পৌছানাের মত একজন শক্রকেও ছেড়ে দেওয়া হয়নি ৷ মানুষ, জীব-ত্তস্থে ও
মাল-সম্পদ সবকিছু নিঃয় আলা এপারে পুর্বের স্থানে ফিরে এলেন ৷ এতদসত্বেও কোন একজন
মুসলিমের কিছুই গোয়া যায়নি; কেবল একজন মুসলমানের ঘোড়ার খাবার ঘাস পড়ে যায়,
কিভু তাও ফিরবার পথে আলা নিঃয় আসেন ৷ প্রাপ্ত গনীমতের দ্রব্যাদি সৈন্যদের প্ মধ্যে বন্টন
করে দেয়া হয় ৷ সৈন্য সংখ্যা প্রচুর হওয়া সত্বেও এতিজন অশ্বারােহী দুই হাজার এবং প্ৰতিজন :
পদাতিক এক হাজার (দিরহাম) করে ভাগে পান ৷ সেনাপতি অলো খলীফা হযরত সিদ্দীকের
নিকট সমস্ত সংবাদ লিখে পাঠান ৷ খলীফাও এতে ধন্যবাদ জানিয়ে লোক পাঠান ৷ আফীফ ইবন
মুনযির নামক জনৈক মুসলিম ভৈ সন্য তাদের সমুদ্র অতিক্রম করা প্রসঙ্গে বলেন০ ং

এ;াড্রু১৷ ৷
অর্থং তুমি কি লক্ষ্য করেই যে, আল্লাহ্ তার সমুদ্রকে অনুগত করে দিয়েছেন এবং
কাফিরদের উপরে বিরাট এক বিপদ চাপিয়ে দিয়েছেন ৷ সমুদ্রের পানি দৃ৩ ভাগে বিভক্ত করে

শুকনা পথ বের করে দেন এবং অতীত কালে সমুদ্রকে যেরুপে বিভক্ত করেছিলেন, তার চেয়েও
অধিক বিস্ময়করভাবে করেছেন আমাদের জন্য ৷


الْجَيْشَانِ هُنَالِكَ، وَتَقَاتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَابْتُلِيَ الْمُسْلِمُونَ وَكَادُوا أَنْ يُوَلُّوا، فَمَنَّ اللَّهُ بِكَرَمِهِ وَلُطْفِهِ ; أَنْ بَعَثَ إِلَيْهِمْ مَدَدًا فِي السَّاعَةِ الرَّاهِنَةِ مِنْ بَنِي نَاجِيَةَ وَعَبْدِ الْقَيْسِ، فِي جَمَاعَةٍ مِنَ الْأُمَرَاءِ، فَلَمَّا وَصَلُوا إِلَيْهِمْ كَانَ الْفَتْحُ وَالنَّصْرُ، فَوَلَّى الْمُشْرِكُونَ مُدْبِرِينَ، وَرَكِبَ الْمُسْلِمُونَ ظُهُورَهُمْ، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ عَشَرَةِ آلَافِ مُقَاتِلٍ وَسَبَوُا الذَّرَارِيَّ، وَأَخَذُوا الْأَمْوَالَ وَالسُّوقَ بِحَذَافِيرِهَا، وَبَعَثُوا بِالْخُمُسِ إِلَى الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مَعَ أَحَدِ الْأُمَرَاءِ، وَهُوَ عَرْفَجَةُ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ. وَأَمَّا مَهْرَةُ، فَإِنَّهُمْ لَمَّا فَرَغُوا مِنْ عُمَانَ كَمَا ذَكَرْنَا، سَارَ عِكْرِمَةُ بِالنَّاسِ إِلَى بِلَادِ مَهْرَةَ، بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُيُوشِ، وَمَنْ أُضِيفَ إِلَيْهَا حَتَّى اقْتَحَمَ عَلَى مَهْرَةَ بِلَادَهَا، فَوَجَدَهُمْ جُنْدَيْنِ ; عَلَى أَحَدِهِمَا - وَهُمُ الْأَكْثَرُ - أَمِيرٌ يُقَالُ لَهُ: الْمُصَبَّحُ. أَحَدُ بَنِي مُحَارِبٍ، وَعَلَى الْجُنْدِ الْآخَرِ أَمِيرٌ يُقَالُ لَهُ: شِخْرِيتُ. وَهُمَا مُخْتَلِفَانِ، وَكَانَ هَذَا الِاخْتِلَافُ رَحْمَةً عَلَى الْمُؤْمِنِينَ، فَرَاسَلَ عِكْرِمَةُ شِخْرِيتَ، فَأَجَابَهُ وَانْضَافَ إِلَى عِكْرِمَةَ، فَقَوِيَ بِذَلِكَ الْمُسْلِمُونَ، وَضَعُفَ جَأْشُ الْمُصَبَّحِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ عِكْرِمَةُ يَدْعُوهُ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، فَاغْتَرَّ بِكَثْرَةِ مَنْ مَعَهُ وَمُخَالَفَةً لِشِخْرِيتَ، فَتَمَادَى فِي طُغْيَانِهِ، فَسَارَ إِلَيْهِ عِكْرِمَةُ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُنُودِ، فَاقْتَتَلُوا مَعَ الْمُصَبَّحِ أَشَدَّ مِنْ قِتَالِ دَبَا الْمُتَقَدِّمِ، ثُمَّ فَتَحَ اللَّهُ بِالنَّصْرِ وَالظَّفَرِ، فَفَرَّ الْمُشْرِكُونَ وَقُتِلَ الْمُصَبَّحُ وَقُتِلَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْ قَوْمِهِ، وَغَنِمَ الْمُسْلِمُونَ أَمْوَالَهُمْ، فَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَا غَنِمُوا أَلْفَا نَجِيبَةٍ، فَخَمَّسَ عِكْرِمَةُ ذَلِكَ كُلَّهُ، وَبَعَثَ بِخُمُسِهِ إِلَى الصِّدِّيقِ مَعَ شِخْرِيتَ، وَأَخْبَرَهُ بِمَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَالْبِشَارَةِ مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: السَّائِبُ، مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৩১২


সায়ফ ইবন উমর তামীমী উল্লেখ করেন যে, মুসলমানদের এই সব ঘটনার স্থলের ও
আলা ইবন হায্রামীর কারামত সমুহের একজন প্রত্যক্ষদর্ণী হচ্ছেন হাজার এলাকার অধিবাসী
একজন ধর্যযাজক ৷ এ সব প্রত্যক্ষ করে তিনি তখনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ একবার তাকে
ইসলাম গ্রহণের কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমি“ যেসব নিদর্শন দেখতে পেয়েছি,
এরপরও যদি ইসলাম গ্রহণ না করতড়াম, তাহলে আমার আশংকা ছিল যে, আল্পাহ্ আমার
চেহারা বিকৃত করে দেবেন ৷ তিনি আরও বলেন যে, আমি রাতের শেষ প্রহরে বাতাসে ধ্বনিত
একটি দৃআ শুনতে পাই ৷ লোকেরা জিজ্ঞেস করল, কী যে দৃআ ? তিনি বললেন :

হে আল্লাহ্! আপনি পরম দয়াময়, করুণার আবার, আপনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ
নেই ৷ আপনি সবকিছুর উদ্ভাবক ৷ আপনার পুর্বে কোন কিছুর অস্তিত্ব ছিল না ৷ আপনি চিরস্থায়ী,
বে-খিয়াল নন ৷ আপনি এমন এক সত্তা যার মৃত্যু নেই ৷ দৃশ্য অদৃশ্য সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা ৷
প্রতিদিন আপনি গুরুত্বপুর্ণ কাজে রত ৷ হে আল্লাহ্ ৷ সকল বিষয়ে আপনি সম্যক অবগত ৷
উক্ত ধর্যযাজক বলেন, তখন আমি উপলব্ধি করলাম যে, এরা যদি আল্লাহর কাজেই

নিয়োজিত না থাকতেন, তাহলে অবশ্যই তারা ফেরেশত৷ কর্তৃক সাহায্যপ্রাপ্ত হতেন না ৷ তিনি
নিষ্ঠাবান মুসলিমে পরিণত হন এবং সাহাবীগণ তার নিকট থেকে তার কাহিনী শুনতেন ৷

ওমান ও ইয়ামানের মাহরার অধিবাসীদের
সুরতাদ হওয়ার বর্ণনা

ওমানবাসীদের মধ্যে মুকুটধারী লাকীত ইবন মালিক আল-অয়িদী নামক এক ব্যক্তি আত্ম
প্রকাশ করে ৷ জাহিলী যুগে এর নাম ছিল আল জুলানদী ৷ সেও নবুওতের দাবি করেছিল ৷
ওমানের মুর্থরা তার অনুসারী হয় ৷ ওমানের উপর প্রাধান্য বিস্তার করে সে জায়ফার ও
আব্বাদকে উচ্ছেদ করে পাহাড় পর্বত ও সমুদ্রের দিকে তাড়িয়ে দেয়৷ জায়ফার খলীফা
সিদ্দীকের নিকট লোক পাঠিয়ে সৈন্য পাঠাবার আবেদন জানান ৷ খলীফা তার নিকট দু’জন
আমীরকে প্রেরণ করেন; একজনের নাম হুযায়ফা ইবন মিহসান হিময়ারী আর অন্যজনের নাম
আরফাজা আল-বারিকী আল আঘৃদী ৷ হুযায়ফা ওমানের দিকে এবং আরফাজা মাহরার দিকে
প্রেরিত হন ৷ খলীফা উভয়কে নির্দেশ দিলেন যে, একত্রে ও ঐক্যবদ্ধহয়ে উভয়ে যুদ্ধ করবে
এবং যুদ্ধ শুরু করবে ওমান থেকে ৷ ওমানে আমীরের দায়িত্বে থাকবেন হুযায়ফা আর
মাহ্রানের অভিযানে আমীর হবেন আরফাজা ৷ পুর্বে বলা হয়েছে যে, ইকরামা ইবন আবী
জাহ্লকে খলীফা মুসায়লামার বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলেন এবং তার পেছনে শুরাহ্বীল ইবন
হাসানকেও পাঠিয়েছিলেন ৷ ইকরামা যুদ্ধ আরম্ভের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করেন এবং শুরাহ্বীলের
পৌছার পুর্বেই তিনি একা মুসায়লামার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন যাতে যুদ্ধ জয়ের কৃতিত্ব তিনি
একাই লাভ করেন ৷ ইকরামা ও তার দলের লোকেরা যুসায়লামার পক্ষ থেকে দারুণভাবে


بَنِي عَابِدٍ مِنْ مَخْزُومٍ، وَقَدْ قَالَ فِي ذَلِكَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ عُلْجُومٌ: جَزَى اللَّهُ شِخْرِيتًا وَأَفْنَاءَ هَاشِمٍ ... وَفِرْضِمَ إِذْ سَارَتْ إِلَيْنَا الْحَلَائِبُ جَزَاءَ مُسِيءٍ لَمْ يُرَاقِبْ لِذِمَّةٍ ... وَلَمْ يَرْجُهَا فِيمَا يُرَجَّى الْأَقَارِبُ أَعِكْرِمُ لَوْلَا جَمْعُ قَوْمِي وَفِعْلُهُمْ ... لَضَاقَتْ عَلَيْكُمْ بِالْفَضَاءِ الْمَذَاهِبُ وَكُنَّا كَمَنِ اقْتَادَ كَفًّا بِأُخْتِهَا ... وَحَلَّتْ عَلَيْنَا فِي الدُّهُورِ النَّوَائِبُ وَأَمَّا أَهْلُ الْيَمَنِ فَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ الْأَسْوَدَ الْعَنْسِيَّ، لَعَنَهُ اللَّهُ، لَمَّا نَبَغَ بِالْيَمَنِ، أَضَلَّ خَلْقًا كَثِيرًا مِنْ ضُعَفَاءِ الْعُقُولِ وَالْأَدْيَانِ، حَتَّى ارْتَدَّ كَثِيرٌ مِنْهُمْ أَوْ أَكْثَرُهُمْ عَنِ الْإِسْلَامِ، وَأَنَّهُ لَمَّا قَتَلَهُ الْأُمَرَاءُ الثَّلَاثَةُ ; قَيْسُ بْنُ مَكْشُوحٍ وَفَيْرُوزُ الدَّيْلَمِيُّ وَدَاذَوَيْهِ، وَكَانَ مَا قَدَّمْنَا ذِكْرَهُ، وَلَمَّا بَلَغَهُمْ مَوْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ازْدَادَ بَعْضُ أَهْلِ الْيَمَنِ فِيمَا كَانُوا فِيهِ مِنَ الْحَيْرَةِ وَالشَّكِّ، أَجَارَنَا اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ، وَطَمِعَ قَيْسُ بْنُ مَكْشُوحٍ فِي الْإِمْرَةِ بِالْيَمَنِ، فَعَمِلَ لِذَلِكَ، وَارْتَدَّ عَنِ الْإِسْلَامِ، وَتَابَعَهُ عَوَامُّ أَهْلِ الْيَمَنِ، وَكَتَبَ الصِّدِّيقُ إِلَى الْأُمَرَاءِ وَالرُّؤَسَاءِ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ، أَنْ يَكُونُوا عَوْنًا إِلَى فَيْرُوزَ وَالْأَبْنَاءِ عَلَى قَيْسِ بْنِ مَكْشُوحٍ، حَتَّى تَأْتِيَهُمْ جُنُودُهُ سَرِيعًا، وَحَرَصَ قَيْسٌ عَلَى قَتْلِ الْأَمِيرَيْنِ الْأَخِيرَيْنِ، فَلَمْ يَقْدِرْ إِلَّا عَلَى دَاذَوَيْهِ، وَاحْتَرَزَ مِنْهُ فَيْرُوزُ الدَّيْلَمِيُّ، وَذَلِكَ أَنَّهُ عَمِلَ طَعَامًا وَأَرْسَلَ إِلَى دَاذَوَيْهِ أَوَّلًا، فَلَمَّا جَاءَهُ عِجْلٌ عَلَيْهِ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى فَيْرُوزَ لِيَحْضُرَ عِنْدَهُ، فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ سَمِعَ امْرَأَةً تَقُولُ لِأُخْرَى: وَهَذَا أَيْضًا وَاللَّهِ مَقْتُولٌ كَمَا قُتِلَ صَاحِبُهُ. فَرَجَعَ مِنَ الطَّرِيقِ، وَأَخْبَرَ
পৃষ্ঠা - ৫৩১৩
أَصْحَابَهُ بِقَتْلِ دَاذَوَيْهِ، وَخَرَجَ إِلَى أَخْوَالِهِ ; خَوْلَانَ، فَتَحَصَّنَ عِنْدَهُمْ وَسَاعَدَتْهُ عُقَيْلٌ وَعَكٌّ، وَخَلْقٌ، وَعَمَدَ قَيْسٌ إِلَى ذَرَارِيِّ فَيْرُوزَ وَدَاذَوَيْهِ وَالْأَبْنَاءِ، فَأَجْلَاهُمْ عَنِ الْيَمَنِ، وَأَرْسَلَ طَائِفَةً فِي الْبَرِّ وَطَائِفَةً فِي الْبَحْرِ، فَاحْتَدَّ فَيْرُوزُ فَخَرَجَ فِي خَلْقٍ كَثِيرٍ، فَتَصَافَّ هُوَ وَقَيْسٌ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَهَزَمَ قَيْسًا وَجُنْدَهُ مِنَ الْعَوَامِّ، وَبَقِيَّةَ جُنْدِ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ، فَهَرَبُوا فِي كُلِّ وَجْهٍ، وَأُسِرَ قَيْسٌ وَعَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ، وَكَانَ عَمْرٌو قَدِ ارْتَدَّ أَيْضًا، وَتَابَعَ الْأَسْوَدَ الْعَنْسِيَّ، وَبَعَثَ بِهِمَا الْمُهَاجِرُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَسِيرَيْنِ فَعَنَّفَهُمَا وَأَنَّبَهُمَا، فَاعْتَذَرَا إِلَيْهِ فَقَبِلَ مِنْهُمَا عَلَانِيَتَهُمَا، وَوَكَلَ سَرَائِرَهُمَا إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَأَطْلَقَ سَرَاحَهُمَا وَرَدَّهُمَا إِلَى قَوْمِهِمَا، وَرَجَعَتْ عُمَّالُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِينَ كَانُوا بِالْيَمَنِ إِلَى أَمَاكِنِهِمُ الَّتِي كَانُوا عَلَيْهَا فِي حَيَاتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بَعْدَ حُرُوبٍ طَوِيلَةٍ لَوِ اسْتَقْصَيْنَا إِيرَادَهَا لَطَالَ ذِكْرُهَا، وَمُلَخَّصُهَا أَنَّهُ مَا مِنْ نَاحِيَةٍ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ إِلَّا وَحَصَلَ فِي أَهْلِهَا رِدَّةٌ لِبَعْضِ النَّاسِ، فَبَعَثَ الصِّدِّيقُ إِلَيْهِمْ جُيُوشًا وَأُمَرَاءَ يَكُونُونَ عَوْنًا لِمَنْ فِي تِلْكَ النَّاحِيَةِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، فَلَا يَتَوَاجَهُ الْمُشْرِكُونَ وَالْمُؤْمِنُونَ فِي مَوْطِنٍ مِنْ تِلْكَ الْمَوَاطِنِ إِلَّا غَلَبَ جَيْشُ الصِّدِّيقِ لِمَنْ هُنَالِكَ مِنَ الْمُرْتَدِّينَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَقَتَلُوا مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَغَنِمُوا مَغَانِمَ كَثِيرَةً، فَيَتَقَوَّوْنَ بِذَلِكَ عَلَى مَنْ هُنَالِكَ، وَيَبْعَثُونَ بِأَخْمَاسِ مَا يَغْنَمُونَ إِلَى الصِّدِّيقِ فَيُنْفِقُهُ فِي النَّاسِ، فَيَحْصُلُ لَهُمْ قُوَّةٌ أَيْضًا، وَيَسْتَعِدُّونَ بِهِ عَلَى قِتَالِ مَنْ يُرِيدُونَ قِتَالَهُمْ مِنَ الْأَعَاجِمِ وَالرُّومِ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ، وَلَمْ يَزَلِ الْأَمْرُ كَذَلِكَ حَتَّى لَمْ يَبْقَ
পৃষ্ঠা - ৫৩১৪

আক্রান্ত হন ৷ পরাজিত হয়ে ইকরামা পিছু হটে খালিদ ইবন ওলীদের অপেক্ষা করতে থাকেন ৷
খালিদ এসে মুসায়লামাকে দমন করার কথা পুর্বেই বলা হয়েছে ৷ খলীফা ইকরামার নিকট
তাড়াহুড়া করার জন্য তিরস্কার করে এক পত্র লিখেন ৷ তিনি জানালেন যে, এ ফিত্নার নিষ্পত্তি
না হওয়া পর্যন্ত আমি তােমাংক দেখতেও চাইনা এবং তোমার কোন কথা শুনতেও চাইনা ৷
তিনি ইকরামাকে ওমানে গিয়ে হুযায়ফা ও আরফাজার সাথে মিলিত হবার নির্দেশ দেন এবং
বলেন যে প্রতেকেই নিজ নিজ বাহিনীর আমীর থাকবে ৷ তবে ওমানে থাকা অবস্থায়
হুযায়ফাই হবেন সম্মিলিত বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ৷ ওমানের অভিযান শেষ হলে তোমরা মাহরায়
যাবে এবং মাহ্রার অভিযান শেষ করে যাবে ইয়ামান ও হদােযাওতে ৷ সেখানে গিয়ে মুজাহির
ইবন আবু উমায়্যার সাথে মিলিত হবে ৷ ওমান থেকে সুদুর হাদ্রামাওত ও ইয়ামান পর্যন্ত
যেখানেই মুরতাদদের সন্ধান পাবে তাদেরকে খতম করে দেবে ৷ খলীফার নির্দেশ মতে
ইকরামা ওমানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ কিন্তু ওমানে পৌছার পুর্বেই হুযায়ফা ও আরফাজার
সাথে তার সাক্ষাৎ হয়ে যায় ৷ হুযায়ফা ও আরফাজাকে খলীফা পত্র যােগে জানিয়েছিলেন যে,
ওমানের অভিযান শেষে সেখানে অবস্থান কালে কিৎবা যাত্রা পথে ইকরামার মতকে তোমরা
প্রাধান্য দেবে ৷

যাহোক, তিন সেনাপতি যাত্রা শুরু করলেন এবং ওমানের সস্নিকটে পৌছে জায়ফারকে

ৎবাদ দিলেন ৷ মুসলিম সেনাদের আগমন বার্তা লাকীত ইবন মালিকের নিকট পৌছল ৷

মুরতাদ লাকীত তার সৈন্য বাহিনীকে দাবা’ নামক স্থানে জমায়েত করে ৷ দাবা সে দেশের
প্রধান শহর ও বড় বাজার ৷ নারী শিশু ও মাল সম্পদ তারা যুদ্ধের কৌশল হিসেবে পশ্চাতে
রেখে দেয় ৷ জায়ফার ও আব্বাদ সাহার’ নামক স্থানে সৈন্য সমবেত করে খলীফার প্রেরিত
আমীরদেরকে সংবাদ দেন ৷ উভয় বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷ মুসলিম সৈন্যরা বিরাট
পরীক্ষার সম্মুখীন হন ৷ এমনকি তাদের পৃষ্ঠ প্রদর্শনের উপক্রম হয় ৷ কিন্তু ঠিক সেই মুহুতেই
আল্লাহ্র দয়া ও সাহায্য তাদের প্ৰতি নেমে আসে ৷ বনু নাজিয়া ও বনু আবদে কায়স তাদের
আমীরদের নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনীর স্বপক্ষে শরীক হয়ে পড়েন ৷ তারা এসে যোগদান করার
পর মুসলিম বাহিনী বিজয় লাভ করে এবং মুশরিকরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পালিয়ে যায় ৷ মুসলিম
সৈন্যগণ তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে প্রায় দশ হাজার যােদ্ধাকে হত্যা করেন এবং নারী ও শিশুদের
বন্দী করা সহ তাদের ধন সম্পদসহ বাজারের সমুদয় দ্রব্যাদি করায়ত্ত করে নেন ৷ গনীমতের
মাংলর এক পঞ্চমাংশ আরফাজার নেতৃত্বে খলীফার নিকট পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ আরফাজা
সেগুলো মদীনায় পৌছে দিয়ে পুনরায় সাথীদের নিকট ফিরে আসেন ৷

ওমানের অভিযান শেষ করে ইকরামা সমুদয় সৈন্য নিয়ে মাহ্রার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় ৷
তিনি সেখানকার সৈন্যদেরকে দুইটি বাহিনীতে বিভক্ত দেখতে পান ৷ তাদের বড় বাহিনীর
আমীরের নাম আল মুসবিহ্ ৷ সে ছিল বনু মাহারিব গোত্রের লোক ৷ অপর বাহিনীর আমীরের
নাম শিখরীত ৷ এ দুজনের মধ্যে ছিল পারস্পরিক বিরোধ ৷ আর এই বিরােধ্টা ছিল
মুসলমানদের জন্য রহমত বিশেষ ৷ ইকরামা শিখরীতের নিকট সংবাদ পাঠালে সে সদলবলে
ইকরামার সাথে এসে মিলিত হয় ৷ ফলে মুসলিম বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মুসবিহের
বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ ইকরামা পরে মুসব্যিহর নিকট ইসলাম ও আনুগত্য গ্রহরুণর দাওয়াত
দিয়ে সংবাদ পাঠান ৷ কিন্তু তার নিজের সৈন্যের সংখ্যাধিক্য ও শিখরীতের বিরোধিতার কারণে
—— ৬৩


بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ إِلَّا أَهْلُ طَاعَةٍ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ، أَوْ أَهْلُ ذِمَّةٍ مِنَ الصِّدِّيقِ، كَأَهْلِ نَجْرَانَ وَمَا جَرَى مَجْرَاهُمْ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَعَامَّةُ مَا وَقَعَ مِنْ هَذِهِ الْحُرُوبِ كَانَ فِي أَوَاخِرِ سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ وَأَوَائِلِ سَنَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ، وَلْنَذْكُرْ بَعْدَ إِيرَادِ هَذِهِ الْحَوَادِثِ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ وَالْمَشَاهِيرِ وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانِ. وَفِيهَا رَجَعَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ مِنَ الْيَمَنِ، وَفِيهَا اسْتَقْضَى أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. [مَنْ تُوُفِّيَ مِنَ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ فِي سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ] ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. أَعْنِي سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ، مِنَ الْأَعْيَانِ وَالْمَشَاهِيرِ، وَذَكَرْنَا مَعَهُمْ مَنْ قُتِلَ بِالْيَمَامَةِ ; لِأَنَّهَا كَانَتْ فِي سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ عَلَى قَوْلِ بَعْضِهِمْ، وَإِنْ كَانَ الْمَشْهُورُ أَنَّهَا فِي رَبِيعٍ سَنَةَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ. تُوُفِّيَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَذَلِكَ فِي رَبِيعِهَا الْأَوَّلِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ ثَانِيَ عَشْرِهِ عَلَى الْمَشْهُورِ، كَمَا قَدَّمْنَا بَيَانَهُ وَبَعْدَهُ بِسِتَّةِ أَشْهَرٍ - عَلَى الْأَشْهَرِ - تُوُفِّيَتِ ابْنَتُهُ فَاطِمَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَتُكَنَّى بِأُمِّ أَبِيهَا، وَقَدْ كَانَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ عَهِدَ إِلَيْهَا أَنَّهَا أَوَّلُ أَهْلِهِ لُحُوقًا بِهِ، وَقَالَ لَهَا مَعَ ذَلِكَ: «أَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ؟» . وَكَانَتْ أَصْغَرَ بَنَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَلَمْ يَبْقَ بَعْدَهُ سِوَاهَا،
পৃষ্ঠা - ৫৩১৫

সে দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে এবং দাস্তিকতার পরিচয় দেয় ৷ তারপর ইকরামা সমস্ত সৈন্য নিয়ে
ঘুসবিহের উপর আক্রাণ চালান ৷ পুর্বের দাবা’ যুদ্ধের চেয়ে এ যুদ্ধ আরও অধিক প্রচণ্ড আকার
ধারণ করে ৷ অবশেষে অ ৷ল্লাহ্ মুসলমানদেরকে বিজয় দান করেন ৷ মুশরিকরা পলায়ন করে,

মুসবিহ ও তার দলের অধিকাৎশ লোক নিহত হয় ৷ তাদের মাল-সম্পদ মুসলমানরা গনীমত
হিসেবে অধিকার করেন ৷ গনীমাতের মধ্যে এক হাজার উৎকৃষ্ট ঘোড়া ছিল ৷ এক পঞ্চমাশ:
গনীমত শিখরীতের মাধ্যমে খলীফার নিকট পাঠান হল ৷ বনী আবিদ ইবন মাখবুমের সারির
নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে মুসলিম বাহিনীর বিজয় সংবাদ মদীনায় পৌছান হয় ৷ এই যুদ্ধ
সম্পর্কে আলজুম নামক জনৈক ব্যক্তি নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন :

ছুর্চুাপু ৷ র্চু ;র্চু১



অর্থ : আল্লাহ্ শিখরীতকে বিনিময় দান করুন ৷ ড়েড়৷ বকরীর পালকে তিনি নিশ্চিহ্ন করে
দিয়েছেন, যখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে এসেছিল ৷ আল্লাহ্ তাকে এমন পরিপুর্ণ বিনিময় দান
করেন যার পরে তিরস্কার থাকে না এবং বিনিময়ট৷ এমন যা ঘনিষ্ঠ লোকদের থেকেও আশা
করা যায় না ৷ হে ইকরামা! আমার কওমের লোকজন যদি সমবেত হয়ে কার্যক্রম না চালাত
তবে তোমাদের উপর অন্ধকার নেমে আসত, যমীন সংকুচিত হয়ে যেত ৷ পালাবার সুযোগ
থাকত না ৷ কোন তাই যেমনত তার বোনের সাহায্যে এগিয়ে আসে আমরাও সেরুপে ঐক্যবদ্ধ
হই ৷৩ তা না হলে আমাদের উপর বিপদের ঘনঘটা নেমে আসত ৷

ইয়ামানের কথা পুবেই বলা হয়েছে যে, অভিশপ্ত আসওদ আনাসী সেখানে আত্মপ্রকাশ
করে জ্ঞান ও দীনের ব্যাপারে কমযোর লোকদেরকে পথভ্রষ্ট করে, ফলে সেখানকার অধিকাৎশ
লোকই মুরত তাদ হয়ে যায় ৷ পরে কায়স ইবন মাকশুহ, ফীরুয দায়লামী ও দাযওয়েহ এ তিন
আমীর সম্মিলিতভাবে আসওদকে হত্যা করেন ৷ ইতিমধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মৃত্যু সং বাদ
পৌছলে ইয়ামানের কিছু সংখ্যক লোকের মনে সেই সন্দেহ-সংশয় আবার তীব্রভাবে দানা বেধে
উঠল, যার মধ্যে এত দিন তারা ঘুরপাক খাচ্ছিল ৷ এ সময় কায়স ইবন মাকশুহের মনে
ইয়ামানের আমীর হওয়ার লোড ঘনীভু৩ ৩হয় ৷ এ উদ্দেশ্যে সে তৎপরতাও চালাতে থাকে ৷ সে
ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায় এবং ইয়ামানের সাধারণ জনগণ তাদের পক্ষে যোগ
দেয় ৷ খলীফা ইয়ামানের নেত বৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্পের নিকট লিখিত পত্রে কায়স ইবন
মাকশুহের বিরুদ্ধে ফীরুয ও আবনাকে সহযোগিত ৷ করার জন্য বলে পাঠান এবং দ্রুত তার
সৈন্য বাহিনীর সম্মুখীন হওয়ার নির্দেশ দেন ৷ কায়স অপর দু ’জন আমীরকে হত্যার পরিকল্পনা
গ্রহণ করে ৷ সে অনুযায়ী দাযওয়েহকে হত্যা করতে সক্ষম হলেও ফীরুয রক্ষা পেয়ে যান ৷
তাকে হত্যা করার জন্য কায়স এক কৌশল অবলম্বন করে ৷ সে বাড়িতে ভোজের ব্যবস্থা করে ৷
তারপর প্রথমে দাযওয়েহকে নিয়ন্ত্রণ জানিয়ে লোক পাঠায় ৷ দাযওয়েহ পৌছ৷ মাত্রই সে তাকে


فَلِهَذَا عَظُمَ أَجْرُهَا ; لِأَنَّهَا أُصِيبَتْ بِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَيُقَالُ: إِنَّهَا كَانَتْ تَوْأَمًا لِعَبْدِ اللَّهِ ابْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَلَيْسَ لَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، نَسْلٌ إِلَّا مِنْ جِهَتِهَا، قَالَهُ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ. وَقَدْ وَرَدَ. أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَيْلَةَ زِفَافِ عَلِيٍّ عَلَى فَاطِمَةَ تَوَضَّأَ وَصَبَّ عَلَيْهِ وَعَلَى فَاطِمَةَ، وَدَعَا لَهُمَا أَنْ يُبَارَكَ فِي نَسْلِهِمَا. وَقَدْ تَزَوَّجَهَا ابْنُ عَمِّهَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بَعْدَ الْهِجْرَةِ، وَذَلِكَ بَعْدَ بَدْرٍ، وَقِيلَ: بَعْدَ أُحُدٍ. وَقِيلَ: بَعْدَ تَزْوِيجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَائِشَةَ بِأَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ وَنِصْفٍ. وَبَنَى بِهَا بَعْدَ ذَلِكَ بِسَبْعَةِ أَشْهُرٍ وَنِصْفٍ، أَصْدَقَهَا دِرْعَهُ الْحُطَمْيَةَ، وَقِيمَتُهُ أَرْبَعُمِائَةِ دِرْهَمٍ، وَكَانَ عُمُرُهَا إِذْ ذَاكَ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةٍ وَخَمْسَةَ أَشْهُرٍ، وَكَانَ عَلِيٌّ أَسَنَّ مِنْهَا بِسِتِّ سِنِينَ. وَقَدْ وَرَدَتْ أَحَادِيثُ مَوْضُوعَةٌ فِي تَزْوِيجِ عَلِيٍّ بِفَاطِمَةَ، لَمْ نَذْكُرْهَا ; رَغْبَةً عَنْهَا فَوَلَدَتْ لَهُ حَسَنًا وَحُسَيْنًا وَمُحَسِّنًا، وَأُمَّ كُلْثُومٍ، الَّتِي تَزَوَّجَ بِهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بَعْدَ ذَلِكَ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادٌ، أَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا زَوَّجَهُ فَاطِمَةَ بَعَثَ مَعَهَا بِخَمِيلَةٍ،
পৃষ্ঠা - ৫৩১৬
وَوِسَادَةٍ مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ، وَرَحَيَيْنِ وَسِقَاءٍ وَجَرَّتَيْنِ، فَقَالَ عَلِيٌّ لِفَاطِمَةَ ذَاتَ يَوْمٍ: وَاللَّهِ لَقَدْ سَنَوْتُ حَتَّى لَقَدِ اشْتَكَيْتُ صَدْرِي، وَقَدْ جَاءَ اللَّهُ أَبَاكِ بِسَبْيٍ فَاذْهَبِي فَاسْتَخْدِمِيهِ. فَقَالَتْ: وَأَنَا وَاللَّهِ لَقَدْ طَحَنْتُ حَتَّى مَجَلَتْ يَدَايَ. فَأَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَا جَاءَ بِكِ أَيْ بُنَيَّةِ؟ " قَالَتْ: جِئْتُ لِأُسَلِّمَ عَلَيْكَ. وَاسْتَحْيَتْ أَنْ تَسْأَلَهُ، وَرَجَعَتْ. فَقَالَ: مَا فَعَلْتِ؟ قَالَتِ: اسْتَحْيَيْتُ أَنْ أَسْأَلَهُ. فَأَتَيَاهُ جَمِيعًا، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَقَدْ سَنَوْتُ حَتَّى اشْتَكَيْتُ صَدْرِي. وَقَالَتْ فَاطِمَةُ: لَقَدْ طَحَنْتُ حَتَّى مَجَلَتْ يَدَايَ، وَقَدْ جَاءَكَ اللَّهُ بِسَبْيٍ وَسَعَةٍ فَأَخْدِمْنَا. فَقَالَ: " وَاللَّهِ لَا أُعْطِيكُمَا وَأَدَعُ أَهْلَ الصُّفَّةِ تُطْوَى بُطُونُهُمْ، لَا أَجِدُ مَا أُنْفِقُ عَلَيْهِمْ، وَلَكِنِّي أَبِيعُهُمْ وَأُنْفِقُ عَلَيْهِمْ أَثْمَانَهُمْ ". فَرَجَعَا فَأَتَاهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ دَخَلَا فِي قَطِيفَتِهِمَا، إِذَا غَطَّتْ رُءُوسَهُمَا تَكَشَّفَتْ أَقْدَامُهُمَا، وَإِذَا غَطَّيَا أَقْدَامَهُمَا تَكَشَّفَتْ رُءُوسُهُمَا، فَثَارَا، فَقَالَ: " مَكَانَكُمَا ". ثُمَّ قَالَ: " أَلَا أُخْبِرُكُمَا بِخَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَانِي؟ " قَالَا: بَلَى. قَالَ: " كَلِمَاتٌ عَلَّمَنِيهِنَّ جِبْرِيلُ ; تُسَبِّحَانِ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ عَشْرًا، وَتَحْمَدَانِ عَشْرًا، وَتُكَبِّرَانِ عَشْرًا، وَإِذَا أَوَيْتُمَا إِلَى فِرَاشِكُمَا فَسَبِّحَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَاحْمَدَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ» . قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا تَرَكَتْهُنَّ مُنْذُ عَلَّمَنِيهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَقَالَ لَهُ ابْنُ الْكَوَّاءِ: وَلَا لَيْلَةَ صِفِّينَ؟ فَقَالَ: قَاتَلَكُمُ اللَّهُ يَا أَهْلَ
পৃষ্ঠা - ৫৩১৭


হত্যা কবুর ফেলে ৷ এরপরে সে ফীরুযকে আমার জন্য ডেকে পাঠায় ৷ আসার পথে ফীৰৰে
শুনতে পেলেন, এক মহিলা আর এক মহিলাকে বলছে, দেখ, একেও তার সাথীর ন্যায় হত্যা
করা হবে ৷ এ কথা শুনে ফীরুয সেখান থেকে ফিরে যান এবং নিজের সঙ্গীবুদরবুক দাযওয়ের
নিহত হওয়ার স০ বাদ জানান ৷ এরপর ফীরুয তার মাতৃল খাওলাবুনর কাছেষ্ গিয়ে নিরাপত্তা লাভ
করেন এবং তাদের থেকে শক্তি সঞ্চয় করেন ৷ আকীল, আক ও খালক তাকে সাহায্য
সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেয় ৷ কায়স এরপর ফীরুয দাযওয়েহর পুত্রদের উপর চড়াও হয়ে
তাদেরকে ইয়ামান থেকে বহিষ্কার করে এবং এক দলকে স্থল পথে এবং আর এক দলকে জল
পথে পাঠিয়ে দেয় ৷ কিছুদিন পর ফীরুয শক্তি সঞ্চয় কবুর বিপুল স০ খ্যক সৈন্য নিয়ে কায়সের
মুকাবিলায় অবতীর্ণ হন ৷ উভয়ের মধ্যে তুমুল লড়াই হয় ৷ কায়স গােচনীয়ভাবুব পরজায় বরণ
করে ৷ আসওদ আন নাসীর অবশিষ্ট সৈন্যরাও নির্মুল হয়ে যায় ৷

আমর ও কায়স মুরতাদ হয়ে আনাসীর হাতে দীক্ষিত হয়েছিল ৷ উভয়কে বন্দী অবস্থায়
মুজাহির ইবন আবী উমায়্যার মাধ্যমে খলীফ৷ ৷র নিকট পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ খলীফ৷ তাদেরকে
তিরস্কার করেন ৷৩ তারা খলীফার নিকট নিজেদের ওযর পেশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করে ৷ খলীফা
তাদের বাহ্যিক ওযর কবুল করেন এবং প্রকৃত ও মুল ব্যাপার আল্লাহর নিকট সােপর্দ করে
দেন ৷ তিনি তাদেরকে বন্ধনমুক্ত করে দিয়ে তাদের কওমের নিকট ফিরিয়ে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর আমিলপণ তার আমলে ইযামাবুনর যেখানে যেখানে নিযুক্ত ছিলেন-, তারা নিজ নিজ
স্থানে ফিরে গিয়ে কাজে যোগদান করেন ৷ এ অবস্থা ফিরিয়ে আনতে বহু যুবুদ্ধরপ্রয়ােজন
হয়েছিল, যার বিবরণ লেখা হলে গ্রন্থের কলেবর বৃদ্ধি পাবে ৷ তবে তার সার সংক্ষেপ ৰু এই যে,
আরব উপ-দ্বীবুপর এমন বুকান ক্ষুদ্র স্থান-ও অবশিষ্ট ছিল না, যেখানকার কিছু না কিছু অধিবাসী
মুরতাদ হয়ে যায়নি ৷

খলীফ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক সেই সব মুরতাদবুদরবুক দমন করার জন্য
ভৈসন্যবাহিনীসমুহ্ ও আমীরবুদরকে প্রেরণ করেন ৷ এরা বুযখাবুনই বুযবুতন সেখানকার
বসবাসকারী মু ’মিনদের সহযোগিতা করাই ছিল তাদের কাজ ৷ যেখাবুনই ঘুমিন ও মুরতাদবুদর
মধ্যে যুদ্ধ হত সেখানেই খলীফার বাহিনী জয়লাভ করত ৷ প্রচুর কাফির মারা যেত ৷ বিপুল
পরিমাণ গনীমত মুসলমানবুদর হস্তগত হত ৷ ফলে স্থানীয় লোকদের বিরুবুদ্ধ ৷তরা শক্তিশালী
হয়ে উবুঠন ৷ গনীমবুতর এক পঞ্চমাৎশ খলীফার নিকট পাঠান হত ৷ তিনি জনগণের মধ্যে তা
বন্টন করে দিতেন ৷ ফলে মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি বুপত এবং রোম ও আজবুমর যারাই যুদ্ধ
করবুত চাইত, তাদের বিরুদ্ধে এরা প্রস্তুত থাকবুত ন ৷ শেষ পর্যন্ত এমন অবস্থা সৃষ্টি হল যে
গোটা আরব ভুমিতে তা ৷ল্লাহ্ ও তার রাসুলের অনুগত মুসলিম এব০ খলীফ৷ সিদ্দীবুকর যিস্বীরা
ছাড়া কোন অমুসলিম ছিল না ৷ যেমন নাজরান ও অনুরুপ কিছু এলাকার অধিবাসীরা যিঘী
থেকে যায় ৷ এ সব যুদ্ধ বিগ্নবুহর অধিকাত্শই এগার হিজরীর যে যে কিংবা বার হিজরীর সুচনায়

ত্ঘটিত হয় ৷

এখন আমরা আলোচনা করব সেই সব বিখ্যাত লোকদের সম্পর্কে যারা এই সনে
ইনতিকাল করেছিলেন ৷ এ বছরেই হযরত মু’আয ইবন জাবাল ইয়ামন থেকে প্রত্যাখ্যান
করেন ৷ এ বছবুরও আবু বকর সিদ্দীক ওমর ইবন খাত্তাবকে তার উপদেষ্টার দায়িত্বে প্রতিষ্ঠিত
রাখেন ৷


الْعِرَاقِ، نَعَمْ، وَلَا لَيْلَةَ صِفِّينَ. وَآخِرُ هَذَا الْحَدِيثِ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ. فَقَدْ كَانَتْ فَاطِمَةُ صَابِرَةً مَعَ عَلِيٍّ عَلَى جَهْدِ الْعَيْشِ وَضِيقِهِ، وَلَمْ يَتَزَوَّجْ عَلَيْهَا حَتَّى مَاتَتْ، وَلَكِنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَتَزَوَّجَ فِي وَقْتٍ بِدُرَّةَ بِنْتِ أَبِي جَهْلٍ، فَأَنِفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ، وَخَطَبَ النَّاسَ، فَقَالَ: «إِنِّي لَا أُحَرِّمُ حَلَالًا وَلَا أُحِلُّ حَرَامًا، وَإِنَّ فَاطِمَةَ بَضْعَةٌ مِنِّي يَرِيبُنِي مَا رَابَهَا، وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا، وَإِنِّي أَخْشَى أَنْ تُفْتَنَ عَنْ دِينِهَا، وَلَكِنْ إِنْ أَحَبَّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَهَا وَيَتَزَوَّجَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ، فَإِنَّهُ وَاللَّهِ لَا تَجْتَمِعُ بِنْتُ نَبِيِّ اللَّهِ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ تَحْتَ رَجُلٍ وَاحِدٍ أَبَدًا» . قَالَ: فَتَرَكَ عَلِيٌّ الْخِطْبَةَ. وَلَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَتْ مِنْ أَبِي بَكْرٍ الْمِيرَاثَ، فَأَخْبَرَهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ» . فَسَأَلَتْ أَنْ يَكُونَ زَوْجُهَا نَاظِرًا عَلَى هَذِهِ الصَّدَقَةِ، فَأَبَى ذَلِكَ وَقَالَ: إِنِّي أَعُولُ مَنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُولُ، وَإِنِّي أَخْشَى إِنْ تَرَكْتُ شَيْئًا مِمَّا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ أَنَّ أَضِلَّ، وَوَاللَّهِ لَقَرَابَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ أَصِلَ مِنْ قَرَابَتِي. فَكَأَنَّهَا وَجَدَتْ فِي نَفْسِهَا مِنْ ذَلِكَ، فَلَمْ تَزَلْ مُغْضَبَةً مُدَّةَ حَيَّاتِهَا، فَلَمَّا مَرِضَتْ جَاءَهَا الصِّدِّيقُ، فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَجَعَلَ يَتَرَضَّاهَا، وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا تَرَكَتُ الدَّارَ وَالْمَالَ وَالْأَهْلَ وَالْعَشِيرَةَ، إِلَّا ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ وَمَرْضَاةِ رَسُولِهِ
পৃষ্ঠা - ৫৩১৮

হি ১১ সাল যাদের ইনতিকাল হয়

হিজরী ১১ সনে যেসব বিখ্যাত ব্যক্তির ইনতিকাল হয় এখানে তাদের নাম উল্লেখ করা
হচ্ছে ৷ এই সাথে ইয়ামামার যুদ্ধে যেসব বিখ্যাত ব্যক্তি নিহত হন তাদের নামও উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ কারণ এই যুদ্ধও ১১ হিজরীতেই সংঘটিত হয়েছিল; যদিও প্রসিদ্ধ মতে এটা ১২
হিজরীর প্রথম দিকে সংঘটিত হয় ৷ প্রসিদ্ধ মতে এই সনের ১২ রবীউল্ আউয়ালের সোমবার
বনী আদমের শ্রেষ্ঠ সন্তান উভয় জাহানের নেতা আল্লাহর রসুল মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্
(সা) এর ইনতিকাল হয় যেমনটি পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ প্রসিদ্ধ মতে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর
ইনতিকা ৷লের ছয় মাস পরে তার কন্যা হযরত ফাতিমা (রা) ইনতিকাল করেন ৷ তার কুনিয়াত

তার পিতার মায়ের নামের সাথে সম্পৃক্ত করে (উম্মে আমিনা) রাখা হয়েছিল ৷ রাসুল (সা)

তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, পরিবারবর্গের মধ্যে তিনিই সর্ব প্রথম তার সাথে মিলিত
হবেন ৷ সাথে সাথে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে ফাতিমা! তুমি কি জান্নাতবাসিনী
মহিলাদের প্রধান হতে রাজি নও ? ৷
প্রসিদ্ধ মতে ,ফাতিমা ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর র্সৰ্রুিনিষ্ঠা কন্যা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
ইনতিকালের পরে তিনি ছাড়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্তানদের আর কেউ জীবিত ছিলেন না ৷
ফাতিমা অধিক পুরস্কারের যোগ্য এ জন্য হয়েছেন যে, পিতৃ বিয়ােগের ব্যথা ও মর্মপীড়া তিনিই
ভোগ করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, রাসুল (না)-এর পুত্র আবদুল্লাহ্ ও ফাতিমার জন্ম
যমজরুপে হয়েছিল ৷ রাসুলের বংশধারা ফাতিমা ভিন্ন অন্য কোন সন্তান থেকে অব্যাহত
থাকেনি ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আলী ও ফাতিমার বাসর রাত্রে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) উয়ু করে সে পানি তাদের উপর ছিটিয়ে দেন এবং তাদের বংশ বিস্তারে
বরকতের দু আ করেন ৷ আলী ও ফাতিমার বিবাহ সম্পাদন হয় হিজরতের পরে, কারও মতে
বদর যুদ্ধের পরে, কারও মতে উহুদ যুদ্ধের পরে, আবার কারও মতে হযরত আয়েশার সাথে
রাসুলুল্লাহ্র বিবাহের সাড়ে চার মাস পরে ৷ বিবাহের সাড়ে সাত মাস পরে তাদের বাসর হয় ৷
আলী বিবাহের মহর হিসাবে তার মুল্যবান হাত মী বর্ষ প্রদান করেন-যার মুল্য ছিল চারশ’
দিরহাম ৷ বিবাহের সময় ফাতিমার বয়স হয়েছিল পনের বছর পাচ মাস ৷ আলী (বা) তার
থেকে ছয় বছরের বড় ছিলেন ৷ আলী ও ফাতিমার বিবাহকে কেন্দ্র করে বহু মনগড়া ও মিথ্যা
বর্ণনা ৷রয়েছে ৷ আমরা এখানে তার অবতারণা করব না ৷ ফাতিমা থেকে আলীর চারজন
সন্তানের জন্ম হয় ৷ তারা হলেন হাসান, হুসায়ন, মুহসিন ও উম্মু কুলছুম ৷ উম্মু কুলছুমকে
হযরত উমর ইবন খাত্তাব পরবত্তীকািলে বিবাহ করেছিলেন ৷

ইমাম আহমদ হযরত আলী (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমার
সঙ্গে বিবাহ হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফাতিমার সাথে নিম্নলিখিত উপহারাদি পাঠিয়ে দেন : ১টা
চাদর, ১টা চামড়ার বালিশ-যার মধ্যে ছিল খেজুর গাছের আশ, গম পেষার র্ষাতা, একটা
মশক ও দুট৷ কলস ৷

একদা আলী (বা) ফাতিমাকে ডেকে বললেন, আল্লাহ্র কসম, কুয়াে থেকে পানি উঠাতে
উঠাতে আমার বুক ধরে গেছে ৷ আল্লাহ তোমার পিতার হাতে বহু বন্দী এনে দিয়েছেন, তুমি
তার নিকট গিয়ে খিদমতের জন্য একজন লোক চেয়ে আলো ! ফাতিমা বললেন, আল্লাহ্র


وَمَرْضَاتِكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ. فَرَضِيَتْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا مُرْسَلٌ حَسَنٌ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ. وَلَمَّا حَضَرَتْهَا الْوَفَاةُ أَوْصَتْ إِلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمِيسٍ امْرَأَةِ الصِّدِّيقِ أَنْ تُغَسِّلَهَا، فَغَسَّلَتْهَا هِيَ وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَسَلْمَى أَمُّ رَافِعٍ، قِيلَ: وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. وَمَا رُوِيَ مِنْ أَنَّهَا اغْتَسَلَتْ قَبْلَ وَفَاتِهَا، وَأَوْصَتْ أَنْ لَا تُغَسَّلَ بَعْدَ ذَلِكَ فَضَعِيفٌ لَا يُعَوَّلُ عَلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهَا زَوْجُهَا عَلِيٌّ، وَقِيلَ: عَمُّهَا الْعَبَّاسُ. وَقِيلَ: أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَدُفِنَتْ لَيْلًا، وَذَلِكَ لَيْلَةَ الثُّلَاثَاءِ لِثَلَاثٍ خَلَوْنَ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ. وَقِيلَ: إِنَّهَا تُوُفِّيَتْ بَعْدَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِشَهْرَيْنِ. وَقِيلَ: بِسَبْعِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: بِخَمْسَةٍ وَسَبْعِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: بِثَلَاثَةِ أَشْهُرٍ. وَقِيلَ: بِثَمَانِيَةِ أَشْهُرٍ. وَالصَّحِيحُ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنْ فَاطِمَةَ عَاشَتْ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ، وَدُفِنَتْ لَيْلًا. وَيُقَالُ: إِنَّهَا لَمْ تَضْحَكْ فِي مُدَّةِ بَقَائِهَا بَعْدَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَإِنَّهَا كَادَتْ تَذُوبُ
পৃষ্ঠা - ৫৩১৯
مِنْ حُزْنِهَا عَلَيْهِ، وَشَوْقِهَا إِلَيْهِ. وَاخْتُلِفَ فِي مِقْدَارِ سِنِّهَا يَوْمَئِذٍ، فَقِيلَ: سَبْعٌ. وَقِيلَ: ثَمَانٍ. وَقِيلَ: تِسْعٌ وَعِشْرُونَ. وَقِيلَ: ثَلَاثُونَ. وَقِيلَ: خَمْسٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً. وَهَذَا بَعِيدٌ، وَمَا قَبْلَهُ أَقْرَبُ مِنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَدُفِنَتْ بِالْبَقِيعِ، وَهِيَ أَوَّلُ مَنْ سُتِرَ سَرِيرُهَا. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّ عَلِيًّا كَانَ لَهُ وَجْهٌ مِنَ النَّاسِ حَيَاةَ فَاطِمَةَ، فَلَمَّا مَاتَتِ الْتَمَسَ مُبَايَعَةَ الصِّدِّيقِ فَبَايَعَهُ. كَمَا هُوَ مَرْوِيٌّ فِي " الْبُخَارِيِّ ". وَهَذِهِ الْبَيْعَةُ لِإِزَالَةِ مَا كَانَ وَقَعَ مِنْ وَحْشَةٍ حَصَلَتْ بِسَبَبِ الْمِيرَاثِ، وَلَا يَنْفِي مَا ثَبَتَ مِنَ الْبَيْعَةِ الْمُتَقَدِّمَةِ عَلَيْهَا كَمَا قَرَّرْنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أُمُّ أَيْمَنَ، بَرَكَةُ بِنْتُ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ حُصَيْنِ بْنِ مَالِكِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ النُّعْمَانِ، مَوَلَاةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرِثَهَا مِنْ أَبِيهِ، وَقِيلَ: مِنْ أُمِّهِ. وَحَضَنَتْهُ وَهُوَ صَغِيرٌ، وَكَذَلِكَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَقَدْ شَرِبَتْ بُولَهُ، فَقَالَ لَهَا: «لَقَدِ احْتَظَرْتِ بِحِظَارٍ مِنَ النَّارِ» . وَقَدْ أَعْتَقَهَا وَزَوَّجَهَا عُبَيْدًا، فَوَلَدَتْ مِنْهُ ابْنَهَا أَيْمَنَ فَعُرِفَتْ بِهِ، ثُمَّ تَزَوَّجَهَا زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৫৩২০


কসম, আট৷ পেষতে পেষতে আমার হাত দৃখানি ব্যথা হয়ে গেছে ৷ তারপর ফাতিমা নবী
করীম (না)-এর নিকট আসলেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, না, তুমি কি উদ্দেশ্যে এসেছ ?
ফাতিমা বললেন, আপনাকে সালাম দেয়ার জন্য এসেছি ৷ কোন কিছুর আবদ্বার করতে তিনি
লজ্জাবোধ করলেন ৷ এরপর তিনি ফিরে চলে আসেন ৷ আলী জিজ্ঞেস করলেন, কী করে এলে?
ফাতিমা বললেন, লজ্জায় আমি তার নিকট কিছুই চাইতে পারিনি ৷ এরপর উভয়ে একত্রে তার
নিকট আসলেন ৷ আলী বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আল্লাহর কসম , কুয়ো থেকে পানি তুলতে
তুলতে আমার বুকে ব্যথা হয়ে গেছে ৷ ফাতিমা বললেন, আট৷ পৈষতে (পষতে আমার দু’হাত
ব্যথায় তার হয়ে গেছে ৷ আল্লাহ্ আপনাকে স্বচ্ছলতা দান কঝোছন অনেক বন্দী দান করেছেন,
আমাদের খিদমাতে তর জন্য একজন খাদিমের ব্যবস্কুঢু করে দিন বাসুলু ল্লাহ্ (সা) বললেন,
আল্লাহর কলম, আমিও আমাদেরকে কোন খাদি দিতে পারব না, আহ্লি সুফফাদের প্রতি
লক্ষ্য কর, ক্ষুধায় তাদের পেটে ভ ৷জ পড়ে গেছে, কিভু তাদের জন্য খরচ করার মত কিছুই

আমার হাতে নেই ৷ এ জবাব শুনে তারা ফিরে চলে আসলেন ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের
বাড়িতে এলেন ৷ এ সময় তারা উভয়ে একখানা চাদর ট্রুা৷য়ে দিয়ে শুয়ে ছিলেন চাদরটি ছিল
ছোট, মাথা ঢাকলে পা বেরিয়ে যেত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেন্ দেখে তারা লাফিয়ে উঠলেন ৷ তিনি
বললেন,তে তোমরা তোমাদের স্থানেই থাক ৷ এরপর বললেন, তোমরা আমার নিকট যে জিনিস
চেয়েছ তার চেয়ে উত্তম জিনিসের সন্ধান কি তােমাদেরকে দেবাে না ? তারা বললেন, জী হী ৷
তিনি বললেন, তা হচ্ছে কয়েকটি কালিম৷ যা জিবরীল আমাকে জানিয়ে নিয়েছেন, অর্থাৎ প্রতি
ওয়াক্ত সালাতের পরে দশবার সুবহানাল্লাহ্, দশবার আলহামদুলিল্লাহ্ ও দশবার আল্লাহ
আকবার পড়বে, আর যখন বিছানায় যাবে তখন ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার
আলহামদুলিল্লাহ্ ও ৩৪ বার আল্পাহু আকবার পড়বে ৷ হযরত আলী বলেন, আল্লাহর কলম, যে
দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ দুআ আমাকে শিখিয়ে দিয়েছেন, সেদিন থেকে আর কোন সময় আমি
এ দৃআ পড়া বাদ দিইনি ৷ এ সময় ইবনুল কাওয়া বললেন, সিফ্ফীন যুদ্ধের রাতেও কি বাদ
দেননি ? আলী বললেন, হে ইরাকী! আল্লাহ্ তোমায় ধ্বংস করুন, হী, সিফফীন যুদ্ধের রাতেও
আমি তা বাদ দিইনি ৷ এ হাদীসের শেষ অংশ বুখারী ও মুসলিমে ভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷

হযরত ফাতিমা (বা) ধৈর্য ও সংযমের সাথে হযরত আলীর সঙ্গে কষ্ট ক্লিষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন
যাপন করেন ৷ ফা ৷তিমা (বা) য৩ তদিন জীবিত ছিলেন, ত৩ দিন পর্যন্ত আলী (বা) অন্য কা ৷উকে
বিবাহ করেননি ৷

অবশ্য একবার তিনি আবু জাহলের কন্যা বদরাকে বিবাহ করার ইচ্ছা করেছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) এতে মনঃক্ষুগ্ন হন এবং লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, আমি
হড়ালালকে হারাম করিনা এবং হারামকেও হালাল করিনা ৷ ফাতিমা আমারই দেহের
অংশবিশেষ ৷ তাকে যে জিনিসে বিচলিত করে, তা আমাকেও বিচলিত করে ৷ যে জিনিস তাকে
কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয় ৷ আমি তার রক্ত থেকে কোন বিপদের আশংকা বোধ করছি ৷
তবে আমি ভাল মনে করি যে, আলী ফাতিমাকে তালাক দিয়ে আবু জাহলের কন্যাকে বিবাহ
করুন! কেননা, আল্লাহর কসম, আল্লাহর নবীর কন্যা ও আল্লাহর দুশ মনের কন্যা একত্রে একই
ব্যক্তির বিবাহ বন্ধনে কখনও থাকতে পারে না ৷ তারপর আলী সে প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেন ৷


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَلَدَتْ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، وَقَدْ هَاجَرَتِ الْهِجْرَتَيْنِ ; إِلَى الْحَبَشَةِ وَالْمَدِينَةِ، وَكَانَتْ مِنَ الصَّالِحَاتِ، وَكَانَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ يَزُورُهَا فِي بَيْتِهَا وَيَقُولُ: «هِيَ أُمِّي بَعْدَ أُمِّي» . وَكَذَلِكَ كَانَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ يَزُورَانِهَا فِي بَيْتِهَا، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ فِي ذِكْرِ الْمَوَالِي، وَقَدْ تُوُفِّيَتْ بَعْدَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِخَمْسَةِ أَشْهُرٍ، وَقِيلَ: بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ. وَمِنْهُمْ ثَابِتُ بْنُ أَقْرَمَ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْعَجْلَانِ الْبَلَوِيُّ، حَلِيفُ الْأَنْصَارِ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ مِمَّنْ حَضَرَ مُؤْتَةَ فَلَمَّا قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ دُفِعَتِ الرَّايَةُ إِلَيْهِ، فَسَلَّمَهَا لِخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَقَالَ: أَنْتَ أَعْلَمُ بِالْقِتَالِ مِنِّي. وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ طُلَيْحَةَ الْأَسَدِيَّ قَتَلَهُ وَقَتَلَ مَعَهُ عُكَّاشَةَ بْنَ مِحْصَنٍ، وَذَلِكَ حِينَ يَقُولُ طُلَيْحَةُ: عَشِيَّةَ غَادَرْتُ ابْنَ أَقْرَمَ ثَاوِيًا ... وَعُكَّاشَةَ الْغَنْمِيَّ تَحْتَ مَجَالِ وَذَلِكَ فِي سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ، وَقِيلَ: سَنَةَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ. وَعَنْ عُرْوَةَ أَنَّهُ قُتِلَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَذَا غَرِيبٌ، وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْهُمْ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ، أَبُو مُحَمَّدٍ خَطِيبُ
পৃষ্ঠা - ৫৩২১
الْأَنْصَارِ، وَيُقَالُ لَهُ أَيْضًا: خَطِيبُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ ثَبَتَ عَنْهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَنَّهُ بَشَّرَهُ بِالْجَنَّةِ وَأَنَّهُ بَشَّرَهُ بِالشَّهَادَةِ - وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ - فَقُتِلَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ شَهِيدًا، وَكَانَتْ رَايَةُ الْأَنْصَارِ يَوْمَئِذٍ بِيَدِهِ. وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ بِإِسْنَادٍ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: «نِعْمَ الرَّجُلُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ» . وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمُعَلَّى الدِّمَشْقِيُّ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ عَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ قَالَ: قَدَمْتُ الْمَدِينَةَ فَسَأَلْتُ عَمَّنْ يُحَدِّثُنِي بِحَدِيثِ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، فَأَرْشَدُونِي إِلَى ابْنَتِهِ، فَسَأَلْتُهَا، فَقَالَتْ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: لَمَّا أُنْزِلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ} [لقمان: 18] . اشْتَدَّتْ عَلَى ثَابِتٍ وَغَلَّقَ عَلَيْهِ بَابَهُ، وَطَفِقَ يَبْكِي، فَأُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ فَأَخْبَرَهُ بِمَا كَبُرَ عَلَيْهِ مِنْهَا، وَقَالَ: أَنَا رَجُلٌ أُحِبُّ الْجَمَالَ، وَأَنَا أَسَوَدُ قَوْمِي. فَقَالَ: «إِنَّكَ لَسْتَ مِنْهُمْ، بَلْ تَعِيشُ بِخَيْرٍ وَتَمُوتُ بِخَيْرٍ، وَيُدْخِلُكَ اللَّهُ الْجَنَّةَ» . فَلَمَّا أُنْزِلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ
পৃষ্ঠা - ৫৩২২

রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর ইনতিকালের পর হযরত ফাতিমা খলীফা হযরত আবু বকরের নিকট
মীরাছের দাবি তৃলেন ৷ আবু বকর বলেন যে, রাসুপুল্পাহ্ (সা) বলেছেন : আমরা (নবীরা)
মীরাছ রেখে যাইনা, যা কিছু সম্পদ রেখে যাই তা সাদকাং হ্ট্রু০ৰু ,ট্রু;১ $,: ৷০ ;শ্,টুৰুা
ফাতিমা পুনরায় বলেন, তাহলে এই সদকার উপর আমার স্বামীকে অভিভা ৷বক বানান ৷ খলীফা
এ প্রস্তাবও প্রত্যাখান করেন এবং বলেন, আমি সেই সব লোকের ব্যয়ভার বহন করব, যাদের
ব্যয়ভার রাসুলুল্লাহ্ (সা) বহন করতেনং ৷ ৷
অবশ্য, আমি এই জিনিসকে৩ ভয় করি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা করেছেন৩ তা যদি ত্যাগ করি,

তবে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাব
এ ৷ ৷ ৷ আল্লাহর কসম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আপনজনদের সাথে সদাচারণ করাকে আমার
নিজের আপনজনদের সাথে সদাচরণ করা অপেক্ষা অধিকতর ভালবাসিং : ৫ ৷ এ০৷ এ ৷ ,

এর এ আচরণে
ফাতিমা (বা) কিছুটা দুঃখিত হন এবং জীবনের শেষ ঘুহত পর্যন্ত তিনি খলীফার প্রতি বিরুপ ;
থাকেন ৷ ফাতিমা (রা) যখন অন্তিমশয্যায়, তখন খলীফা হযরত সিদ্দীক এসে৩ তাকে সন্তুষ্ট
করার চেষ্টা করেন ৷ তিনি বলতে থাকেন, আল্লাহর কসম, আমি ঘরবাড়ি, ধন সম্পদ, ’
পরিবার পরিজন ও গোষ্ঠী গোত্র ত্যাগ করেছি কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, তার রাসুলের
সন্তুষ্টিয় জন্য এবং তোমাদের সন্তুষ্টির জন্য হে আহ্লি বায়ত ৷ হে রাসুলের প্রিয় পরিজন !

া,
তখন হযরত ফাতিমা (রা) সন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ বায়হাকী এ হাদীসখানা শা’বী সুত্রে
বর্ণনা করে বলেছেন, এটা উত্তম মুরসাল হাদীস তবে এর সনদ সহীহ ৷ মৃত্যুর সময় উপস্থিত
হলে ফাতিমা (রা) আবু বকর সিদ্দীকের শ্রী আসমা বিনতে উমায়সকে এই মর্মে ওসিয়ত
করেন যে, তিনি যেন র্তাকে গোসল করান ৷ সুতরাং, মৃত্যুর পর হযরত আসমা (রা), আলী
ইবন আবী তালিব (বা) ও রাফি’ র মা সাল্মা তাকে গোসল করান ৷ কেউ কেউ বলেছেন,
আব্বাস (রা) ও তাতে শরীক ছিলেন ৷ বর্ণনায় আছে যে, মৃত্যুর পুর্বেই তিনি নিজে গোসল
করেছিলেন এবং ওসীয়াত করেছিলেন যে, মৃত্যুর পরে যেন র্তাকে গোসল দেওয়া না হয় ৷ তা
অত্যধিক দুর্বল ও অনির্ডরযােগ্য ৷ তার জানাযার নামায পড়ান হযরত আলী (রা) ৷ কিদ্ভু কারও
মতে আব্বাস, আবার কারও মতে আবু বকর সিদ্দীক (বা) জানায়৷ পড়ান ৷ রাত্রিকালে তার
দাফন কার্য সম্পাদন করা হয় ৷ এটা ছিল ১১ হিজরীর রমযান মাসের তিন তারিখ মঙ্গলবার
দিবাগত রাত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইন,তিকালের কতদিন পরফাতিমা (রা)-এর ইনতিকাল
হয় , সে ব্যাপারে মতভেদ আছে, কারও মতে দু’মাস পরে, কারও মতে সত্তর দিন পরে, কার
মতে ৭৫ দিন পরে, কারও মতে তিন মাস পরে এবংকারও মতে আট মাস পরে ৷ কিন্তু সঠিক
মত সেইটাই যা সহীহ সনদে যুহরীর বরাতে আইশা (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী
করীম (না)-এর পরে ফাতিমা (বা) ছয় মাস জীবিত থাকেন এবং রাত্রিকালে র্তাকে দাফন


صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ} [الحجرات: 2] . فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ، فَأُخْبِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ، فَأَخْبَرَهُ بِمَا كَبُرَ عَلَيْهِ مِنْهَا، وَأَنَّهُ جَهِيرُ الصَّوْتِ، وَأَنَّهُ يَتَخَوَّفُ أَنْ يَكُونَ مِمَّنْ حَبِطَ عَمَلُهُ، فَقَالَ: «إِنَّكَ لَسْتَ مِنْهُمْ؛ بَلْ تَعِيشُ حَمِيدًا، وَتُقْتَلُ شَهِيدًا، وَيُدْخِلُكَ اللَّهُ الْجَنَّةَ» . فَلَمَّا اسْتَنْفَرَ أَبُو بَكْرٍ الْمُسْلِمِينَ إِلَى أَهْلِ الرِّدَّةِ وَالْيَمَامَةِ وَمُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، سَارَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ فِيمَنْ سَارَ، فَلَمَّا لَقُوا مُسَيْلِمَةَ وَبَنِي حَنِيفَةَ هَزَمُوا الْمُسْلِمِينَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَقَالَ ثَابِتٌ وَسَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ: مَا هَكَذَا كُنَّا نُقَاتِلُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَجَعَلَا لِأَنْفُسِهِمَا حُفْرَةً فَدَخَلَا فِيهَا، فَقَاتَلَا حَتَّى قُتِلَا. قَالَتْ: وَأُرِيَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثَابِتَ بْنَ قَيْسٍ فِي مَنَامِهِ، فَقَالَ: إِنِّي لَمَّا قُتِلْتُ بِالْأَمْسِ مَرَّ بِي رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَانْتَزَعَ مِنِّي دِرْعًا نَفِيسَةً، وَمَنْزِلُهُ فِي أَقْصَى الْعَسْكَرِ، وَعِنْدَ مَنْزِلِهِ فَرَسٌ يَسْتَنُّ فِي طُولِهِ، وَقَدْ أَكْفَأَ عَلَى الدِّرْعِ بُرْمَةً، وَجَعَلَ فَوْقَ الْبُرْمَةِ رَحْلًا، وَائْتِ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ،، فَلْيَبْعَثْ إِلَى دِرْعِي فَلْيَأْخُذْهَا، فَإِذَا قَدِمْتَ عَلَى خَلِيفَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْلِمْهُ أَنَّ عَلَيَّ مِنَ الدَّيْنِ كَذَا، وَلِي مِنَ الْمَالِ كَذَا، وَفُلَانٌ مِنْ رَقِيقِي عَتِيقٌ، وَإِيَّاكَ أَنْ تَقُولَ: هَذَا حُلْمٌ، فَتُضَيِّعَهُ. قَالَ: فَأَتَى خَالِدًا فَوَجَّهَ إِلَى الدِّرْعِ فَوَجَدَهَا كَمَا ذَكَرَ، وَقَدِمَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ، فَأَخْبَرَهُ فَأَنَفَذَ أَبُو بَكْرٍ وَصِيَّتَهُ بَعْدَ مَوْتِهِ، فَلَا نَعْلَمُ أَحَدًا جَازَتْ وَصِيَّتُهُ بَعْدَ مَوْتِهِ إِلَّا ثَابِتَ بْنَ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ. وَلِهَذَا الْحَدِيثِ وَهَذِهِ الْقِصَّةِ
পৃষ্ঠা - ৫৩২৩

করা হয় ৷ কথিত আছে যে, নবী করীম (সা) এর ইনতিকালের পর ফাতিমা যত তদিন জীবিত
ছিলেন,৩ ৩দিন কখনও হাসেননি ৷ রাসুলের বিদায় বিরহের গােকে তিনি একেবারে কাহিল
হয়ে পড়েন ৷ মৃত্যুর সময়ে তীর বয়স কত ছিল সে সম্পর্কেও ম৩ ভেদ আছে ৷ কেউ বলেন, ২৭
বছর, কেউ বলেন ২৮ বছর, কেউ বলেন ২৯ বছর, কেউ বলেন ৩০ বছর আবার কেউ
বলেছেন ৩৫ বছর ৷ তবে শেষোক্ত মতটি সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা একান্তই কম ৷ ৩০ হওয়ার
সম্ভাবনাই অধিক ৷ ফাতিমাকে জান্নাতৃল বাকী গোরস্তানে দাফন করা হয় ৷ ইসলামে হযরত
ফাতিমাই প্রথম মহিলা র্যার জানায৷ খাটিয়া আবৃত করে নেয়া হয়েছিল ৷ সহীহ্ বুখাবীতে
বর্ণিত হয়েছে যে, ফ৷ ৷তিম৷ য৩ তদিন বেচে ছিলেন, ততদিন হযরত আলী লোকজনের সৎস্পর্শ
থেকে দুরে থাকতেন ৷ ফাতিমার ইনতিকাল হওয়ার পর তিনি হযরত আবু বকর সিদ্দীকের
বায়আত গ্রহণ করেন ৷ এ বায়আত ছিল মীরাছ প্রসঙ্গে উভয়ের মাঝে সৃষ্ট দুরৎ দুর করার
জন্য ৷ এর দ্বারা এ কথা বুঝা যায় না যে, তিনি প্রথমে বায়আত করেননি ৷ যথাস্থুানে এর
আলোচনা আমরা করে এসেছি ৷

উষ্মে আয়মানের মৃত্যু

তার প্রকৃত নাম ছিল বারাকা ৷ বৎশলতিকা নিম্নরুপ : বারাক৷ বিনতছা’লাবা ইবন আমর
ইবন হুসায়ন ইবন মালিক ইবন সালামা ইবন আমর ইবন নু’মান ৷ তিনি ছিলেন রড়াসুলুল্লাহ্
(সা) এর দাসী, যাকে তিনি পিতা কিৎবা ভিন্ন মতে যা থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে লাভ
করেছিলেন ৷ শিশু নবীকে তিনি লালন-পালন করেন এবং পরবত্তীকািলেও তার দেখাশুনা
করেন ৷ তিনি নবী করীম (না)-এর পেশার পান করেছিলেন ৷ এতে নবী করীম (সা) র্তাকে
বলেছিলেন, তুমি আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা করে ফেললে ৷ রাসুলুল্লাহ্ তাকে আযাদ করে
উবায়দের সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন ৷ আয়মান নামে এ পক্ষ থেকে তার এক পুত্র সন্তানের জন্ম
হয় এবং এ পুত্রের নামেই তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন ৷ পরবত্তীকািলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মুক্ত
গোলাম যায়দ ইবন হারিছা তাকে বিবাহ করেন ৷ এখানে৩ তার আর এক পুত্র উসামা ইবন
যায়েদের জন্ম হয় ৷ উম্মে আয়মান হাবশ৷ ও মদীনা উভয় হিজর৩ ই করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন
অত্যন্ত পুণ্যবভী মহিলা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উম্মে আয়মানের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাত
করতেন ৷ তার সম্পর্কে তিনি বল তন আমার মায়ের পর ইনি আমার মা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
পরে আবু বকর ও উমর (রা) ও তার সাথে সাক্ষাত করতে তার বাড়িতে যেতে ন ৷ মাওয়ালী
ৎক্রান্ত অনুচ্ছেদে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইনতিকালের পাচ
কিংবা ছয় মাস পর উম্মে আয়মানের ইনতিকা ৷ল হয় ৷

ছাৰিত ইবন আকরম ইবন ছালাবার ইনতিকাল

ছাবিতের বৎশ লতিফ৷ নিম্নরুপ : ছাৰিত ইবন আকরম ইবন ছা’লাবা ইবন আদী ইবন
আজলান আল বালাবী ৷ তিনি ছিলেন আনসারদের মিত্র ৷ বদ র ও তার পরবর্তী যুদ্ধসমুহে তিনি
অংশগ্রহণ করেন ৷ মুতার যুদ্ধেও৩ তিনি গমন করেছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ শহীদ হয়ে
গেলে ঝান্ড৷ ছ বিতেব হাতে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু তিনি তা খালিদ ইবন ওলীদের নিকট অর্পণ
করে বলেন, যুদ্ধ সম্পর্কে আপনি আমার চেয়ে অধিক পারদর্শী ৷ পুর্বেই বলা হয়েছে যে,


شَوَاهِدُ أُخَرُ، وَالْحَدِيثُ الْمُتَعَلِّقُ بِقَوْلِهِ: {لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ} [الحجرات: 2] فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ أَنَسٍ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ ثَابِتَ بْنَ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ جَاءَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ وَقَدْ تَحَنَّطَ وَنَشَرَ أَكْفَانَهُ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا جَاءَ بِهِ هَؤُلَاءِ، وَأَعْتَذِرُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ هَؤُلَاءِ. فَقُتِلَ، وَكَانَتْ لَهُ دِرْعٌ فَسُرِقَتْ، فَرَآهُ رَجُلٌ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ، فَقَالَ: إِنَّ دِرْعِي فِي قِدْرٍ تَحْتَ الْكَانُونِ فِي مَكَانِ كَذَا وَكَذَا. وَأَوْصَاهُ بِوَصَايَا، فَطَلَبُوا الدِّرْعَ فَوَجَدُوهَا وَأَنْفَذُوا الْوَصَايَا. رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ أَيْضًا. وَمِنْهُمْ حَزْنُ بْنُ أَبِي وَهْبِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَائِذِ بْنِ عِمْرَانَ الْمَخْزُومِيُّ، لَهُ هِجْرَةٌ، وَيُقَالُ: أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ. وَهُوَ جَدُّ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُسَمِّيَهُ سَهْلًا فَامْتَنَعَ وَقَالَ: لَا أُغَيِّرُ اسْمًا سَمَّانِيهِ أَبَوَايَ. قَالَ سَعِيدٌ: فَلَمْ تَزَلِ الْحُزُونَةُ فِينَا. اسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ وَقُتِلَ مَعَهُ أَيْضًا ابْنَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَوَهْبٌ، وَابْنُ ابْنِهِ حَكِيمُ بْنُ وَهْبِ بْنِ حَزْنٍ. وَمِمَّنِ اسْتُشْهِدَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ دَاذَوَيْهِ الْفَارِسِيُّ، أَحَدُ أُمَرَاءِ الْيَمَنِ الَّذِينَ قَتَلُوا الْأَسْوَدَ الْعَنْسِيَّ، قَتَلَهُ غِيلَةً قَيْسُ بْنُ مَكْشُوحٍ حِينَ ارْتَدَّ قَبْلَ أَنْ يَرْجِعَ قَيْسٌ
পৃষ্ঠা - ৫৩২৪
إِلَى الْإِسْلَامِ، فَلَمَّا عَنَّفَهُ الصِّدِّيقُ عَلَى قَتْلِهِ أَنْكَرَ ذَلِكَ، فَقَبِلَ عَلَانِيَتَهُ وَإِسْلَامَهُ. وَمِنْهُمْ زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ بْنِ نُفَيْلٍ الْقُرَشِيُّ الْعَدَوِيُّ أَبُو مُحَمَّدٍ، وَهُوَ أَخُو عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ لِأَبِيهِ، وَكَانَ زَيْدٌ أَكْبَرُ مِنْ عُمَرَ، أَسْلَمَ قَدِيمًا، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَقَدْ آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ مَعْنِ بْنِ عَدِيٍّ الْأَنْصَارِيِّ، وَقَدْ قُتِلَا جَمِيعًا بِالْيَمَامَةِ، وَقَدْ كَانَتْ رَايَةُ الْمُهَاجِرِينَ يَوْمَئِذٍ بِيَدِهِ، فَلَمْ يَزَلْ يَتَقَدَّمُ بِهَا حَتَّى قُتِلَ فَسَقَطَتْ، فَأَخَذَهَا سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ، وَقَدْ قَتَلَ زَيْدٌ يَوْمَئِذٍ الرَّجَّالَ بْنَ عُنْفُوَةَ، وَاسْمُهُ نَهَارٌ، وَكَانَ الرَّجَّالُ هَذَا قَدْ أَسْلَمَ وَقَرَأَ " الْبَقَرَةَ " ثُمَّ ارْتَدَّ وَرَجَعَ فَصَدَّقَ مُسَيْلِمَةَ، وَشَهِدَ لَهُ بِالرِّسَالَةِ، فَحَصَلَ بِهِ فِتْنَةٌ عَظِيمَةٌ، فَكَانَتْ وَفَاتُهُ عَلَى يَدِ زَيْدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْ زَيْدٍ، ثُمَّ قَتَلَ زَيْدًا رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: أَبُو مَرْيَمَ الْحَنَفِيُّ. وَقَدْ أَسْلَمَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَقَالَ لِعُمَرَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ اللَّهَ أَكْرَمَ زَيْدًا بِيَدِي وَلَمْ يُهِنِّي عَلَى يَدِهِ. وَقِيلَ: إِنَّمَا قَتَلَهُ سَلَمَةُ بْنُ صُبَيْحٍ، ابْنُ عَمِّ أَبِي مَرْيَمَ هَذَا. وَرَجَّحَهُ أَبُو عُمَرَ، وَقَالَ: لِأَنَّ عُمَرَ اسْتَقْضَى أَبَا مَرْيَمَ، وَهَذَا لَا يَدُلُّ عَلَى نَفْيِ مَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ عُمَرُ لَمَّا بَلَغَهُ مَقْتَلُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ سَبَقَنِي إِلَى الْحُسْنَيَيْنِ ; أَسْلَمَ قَبْلِي، وَاسْتُشْهِدَ قَبْلِي. وَقَالَ لِمُتَمِّمِ بْنِ نُوَيْرَةَ حِينَ جَعَلَ يَرْثِي أَخَاهُ مَالِكًا بِتِلْكَ الْأَبْيَاتِ الْمُتَقَدِّمِ ذِكْرُهَا: لَوْ كُنْتُ أُحْسِنُ الشِّعْرَ لَقُلْتُ كَمَا قُلْتَ. فَقَالَ لَهُ مُتَمِّمٌ: لَوْ أَنَّ أَخِي ذَهَبَ عَلَى مَا ذَهَبَ عَلَيْهِ أَخُوكَ مَا حَزِنْتُ
পৃষ্ঠা - ৫৩২৫


তুলায়হা আল-আসাদী ছ৷ ত ইবন আকরমকে এবং সেই সাথে উক্কাশা ইবন মিহসানকে
হত্যা করে ছিল ৷ ঐ সময় তুলায়হা নিম্নের কবিতাও আবৃত্তি করেছিল :

এ ঘটনা হিজরী এপার সনে সংঘটিত হয় ৷ কারও মতে এটা হিঃ বার সনের ঘটনা ৷
উরওয়াব মতে ছাবিত ইবন আকরম রাসুলুল্লাহ্র জীবদ্দশায় মারা যান ৷ কিন্তু এ বর্ণনা অত্যন্ত
দুর্বল ও গরীব পর্যায়ের ৷ প্রথম মত তই সঠিক ৷

ছাবিত ইবন কায়স ইবন শাম্মাসের মৃত্যু

তিনি ছিলেন মদীনায় আনসার ও খাযরাজ গোত্রের লোক ৷ তার কুনিয়াত ছিল আবু
মুহাম্মাদ ৷ তিনি আনসারদের খাতীব, র্তাকে খাতীবুন নবীও বলা হতো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে
শাহাদাতের সুসৎবাদ দিয়েছিলেন, দালাইলুন নবুওত’ অধ্যায়ে এ সম্পর্কে হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷
ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি শাহাদাত বরণ করেন ৷ সে সময়ে আনসারদের ঝাণ্ডা তারই হাতে ছিল ৷
তিরমিযী যুসলিমের শর্তে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ছ৷ ত
ইবন কায়স ইবন৷ শা ম্মাস কতই না উত্তম লোক আবুল কাসিম তাবারানী আত৷ আ ল খুরাসানী
থেকে বর্ণনা করেন ৷ আ ৷ বলেন, একবার আমি মদীনায় গিয়ে এমন একজন লোকের সন্ধান
করি যে আমাকে ছ৷ ৷বিত ইবন কায়স ইবন শাম্মাসের বিবরণ বলতে পারে ৷ লোকজন আমাকে
ছাবিতের কন্যার সন্ধান দিল ৷৩ ৷রত কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি আমার
পিতাকে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর উপর যখন এ আয়াত নাযিল হয় : ছুধ্া৷ ৷ :-, ৷
,স্পে (া£ম্রছুহু ছুাছু র্দু ১ট্রু১৷ অর্থাৎ “আল্লাহ কোন অহংক কারী দান্তিক পছন্দ করেন না” (৩র্চু
র্মুকমানং : ১৮), তখন ছ ব্যি র উপর ত৷ অত্যন্ত ভারী ঠেকে ৷৩ তাই তিনি ঘরের দরজা বন্ধ
করে দিয়ে ক্রন্দন করতে থাকেন ৷

রাসুলুল্পাহ্র নিকট এ সংবাদ গেলে তিনি এসে কারণ জিজ্ঞেস করলে ছাবিত বলেন, আমি
সৌন্দর্যপ্রিয় লোক, আমি গোত্রের নেতৃতু দিয়ে থাকি ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তুমি ওদের
(দাম্ভিকদের) অন্তর্ভুক্ত নও, বরং তুমি উত্তমরুপে জীবন যাপন করবে এবং উত্তমভাবে মৃত্যুবরণ
করবে ৷ এবং আল্লাহ তোমাকে জান্নাত দান করবেন ৷ পরে যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি এ
আয়াত নাযিল হয় ৷ ঢ়গ্লুট্রুা
এট্রুব্লু; ধ্ ৷ §,;ং ;’:§ , “ৰুহ ঈমানদ৷ ররা নিজেদের কণ্ঠস্বর নবীর কণ্ঠস্বর অপেক্ষা উচ্চ করো
না ৷ নবীর সাথেও উচ্চ কণ্ঠে কথা বলো না” (৪৯ হুজুরাত : ২) ৷ তখন পুনরায় তিনি পুর্বের
ন্যায় ঘরের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট এ সংবাদ গেলে
তিনি এর কারণ আমার জন্যে লোক পাঠালেন ৷ ছাবিত জানালেন, উক্ত আয়াত আমাকে কঠিন
চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ৷ ছাবিতের কণ্ঠস্বর ছিল অতি উচ্চ এবং তার আশংকা হয়েছিল যে, তিনি
সেইসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন যাদের আমল বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তুমি ওসব লোকের অন্তর্ভুক্ত নও, তুমি জীবিত থাকবে প্রশংসিতভাবে এবং তোমার
মৃত্যু হবে শহীদরুপে ৷ আর আল্লাহ তোমাকে জ ন্না৷তে প্রবেশ করাবেন :

০ ৩



عَلَيْهِ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: مَا عَزَّانِي أَحَدٌ بِمِثْلِ مَا عَزَّيْتَنِي بِهِ. وَمَعَ هَذَا كَانَ عُمَرُ يَقُولُ: مَا هَبَّتِ الصَّبَا إِلَّا ذَكَّرَتْنِي زَيْدَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَسْمَاءُ، تَزَوَّجَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ. وَمِنْهُمْ سَالِمُ بْنُ عُبَيْدٍ وَيُقَالُ: ابْنُ مَعْقِلٍ. مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَإِنَّمَا كَانَ مُعْتَقًا لِزَوْجَتِهِ ثُبَيْتَةَ بِنْتِ يَعَارٍ، وَقَدْ تَبَنَّاهُ أَبُو حُذَيْفَةَ وَزَوَّجَهُ بِابْنَةِ أَخِيهِ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ، فَلَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ {ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ} [الأحزاب: 5] . جَاءَتِ امْرَأَةُ أَبِي حُذَيْفَةَ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ سَالِمًا يَدْخُلُ عَلَيَّ وَأَنَا فَضْلٌ. فَأَمَرَهَا أَنْ تُرْضِعَهُ فَأَرْضَعَتْهُ، فَكَانَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا بِتِلْكَ الرَّضَاعَةِ. وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ، أَسَلَمَ قَدِيمًا وَهَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ قَبْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَانَ يُصَلِّي بِمَنْ بِهَا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَفِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ; لِكَثْرَةِ حَفِظِهِ الْقُرْآنَ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَهُوَ أَحَدُ الْأَرْبَعَةِ الَّذِينَ قَالَ فِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اسْتَقْرِئُوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ» . فَذَكَرَ مِنْهُمْ سَالِمًا مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ. وَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ لَمَّا احْتُضِرَ: لَوْ كَانَ سَالِمٌ حَيًّا لَمَا جَعَلْتُهَا شُورَى. قَالَ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: مَعْنَاهُ أَنَّهُ كَانَ يَصْدُرُ عَنْ رَأْيِهِ فِيمَنْ يُوَلِّيهِ الْخِلَافَةَ.
পৃষ্ঠা - ৫৩২৬

পরবর্তীকালে যখন হযরত আবু বকর (রা) ৷ মুরতাদ, মুসায়লামা কায্যাব ও
ইয়ামামাবাসীদের বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ করেন তখন ছাবিত ইবন কায়সও তাদের সাথে যুদ্ধে
গমন করেন ৷ যুদ্ধে মুসায়লামা ও বনু হানীফা তিন তিনবার মুসলমানদের পরাজিত করে ৷
তখন ছাবিত ইবন কায়স ও আবু হুযায়ফার আযাদকৃত দাস সালিম (রা) বললেন, আমরা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে এই রকম যুদ্ধতে৷ কখনও করিনি ৷ তারপর তারা উভয়ে একটা গর্ত
খনন করে তার মধ্যে থেকে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে যান ৷ ছাবিতের কন্যা আরও
বললেন, জনৈক মুসলমান স্বপ্নে ছাবিত ইবন কায়সকে দেখতে পান ৷ ছাবিত তাকে বলছেন
গতকাল আমি যখন নিহত হই, তখন আমার পাশ দিয়ে এক মুসলমান যাচ্ছিল, সে আমার
পরিহিত একটি উৎকৃষ্ট বর্ম দেহ থেকে খুলে নেয় ৷ সে লোকটি সৈন্য বাহিনীর অগ্নভাগে আছে ৷
তার কাছে দীর্ঘকায় একটি ঘোড়া আছে ৷ আমার বর্মটিকে সে ডেগ দিয়ে ঢেকে রেখেছে এবং
তার উপর সওয়ারীর গদি উঠিয়ে রেখেছে ৷ তুমি খালিদ ইবন ওলীদকে গিয়ে বল, তিনি যেন
আমার বর্মটিত ৷র থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ৷ যখন খলীফার নিকট ফিরে যাবে তখন
তাকে বলবে, আমার উপরে অমুক ব্যক্তির ঋণ আছে ৷ আর এই মাল আমার আছে ৷ (তিনি
যেন এ দ্বারা আমার ঋণ পরিশোধ করে দেন) ৷ আমার অমুক গোলাম অযোদ ৷ তুমি এরুপ
ভেবো না যে, এটি একটি স্বপ্নমাত্র ৷৩ তাই তা উপেক্ষণীয় ৷

লৌকটি খালিদের নিকট গিয়ে সব কথা জানালে সে অনুযায়ী বর্মটি উদ্ধার করে আনা
হয় ৷ পরে আবু বকর (বা ) এর নিকট ফিরে গিয়ে তাকে ওসীয়তে র কথা জানালে তিনি সেমতে
কাজ করেন ৷ আতা আল থুরাসানী বলেন, কারো মারা যাওয়ার পর তার স্বপ্নে দেয়৷ ওসীয়ত
কার্যকরী করা হয়েছে, এর দৃষ্টান্ত ছাবিত ইবন কায়স ছাড়া আর কেউ আছেন বলে আমাদের

র্পিষ্ ’ শ্ é

জানা নেই ৷ উক্ত হাদীস ও ঘটনার আরও অনেক সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে ৷ ণ্ব্লু ৷ প্রু০ ৷ ৷ র্চু; ই!
ন্পু ৷ ;ট্রুন্ছু ;,;§ আয়াত সম্পর্কে উপরে উল্লেখিত হাদীসটি সহীহ্ মুসলিমে আমাশের

বরাতে বর্ণিত হয়েছে ৷ আনাস (রা) বলেন, ছাবিত ইবন কায়স ইবন শাম্মাস ইয়ামামার যুদ্ধে
সৃগন্ধি যেখে কাফনের কাপড় বিছিয়ে নিম্নের দুআটি পড়েন :

ষ্া’;১ ৷ ঙ্কুব্লু’৷ প্রু;৷ ন্হুদ্রীা৷
অর্থাৎ হে আল্পাহ্! ঐ সব লোক যা কিছু বলে, তার থেকে আমি আপনার নিকট আমার
সম্পর্কহীনতার কথা ঘোষণা করছি এবং ঐসব লোক যা কিছু করছে আমি আপনার নিকট তার
জন্যে ওযরখাহী করছি ৷ এর পরই তিনি শহীদ হয়ে যান ৷৩ তার পরিধানে একটি বর্ম ছিল ৷
জনৈক ব্যক্তি তা চুরি করে নিয়ে যায় ৷ স্বপ্নের মাধ্যমে এক লোককে তিনি জানান, আমার
বর্মটি অমুক জায়গায় আসবাবপত্রের নিচে একটি ডেগের মধ্যে আছে ৷ তাকে তিনি আরও কিছু

ওসিয়ত করেন ৷ লোকজন অনুসন্ধান করে বর্মটি পেয়ে যায় এবং তার ওসিয়ত কার্যকরী করে ৷
তাবারানীও এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷

হায্ন ইবন আবী ওহবের ইনতিকাল

তার বংশপঞ্জি নিম্নরুপ হাযন ইবন আবী ওহব ইবন্৷ ন্ত্র-মর ইবন আমির ইবন ইমরান
আলমাখবুমী তিনি মুহাজিরদের অন্তর্ভুক্ত ৷ কেউ বলেছেন, মক্কা বিজয়কালে তিনি ইসলাম
— ৬ :


وَلَمَّا أَخَذَ الرَّايَةَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ بَعْدَ مَقْتَلِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ لَهُ الْمُهَاجِرُونَ: أَتَخْشَى أَنْ نُؤْتَى مِنْ قِبَلِكَ؟ فَقَالَ: بِئْسَ حَامِلُ الْقُرْآنِ أَنَا إِذًا. انْقَطَعَتْ يَدُهُ الْيُمْنَى فَأَخَذَهَا بِيَسَارِهِ، فَقُطِعَتْ فَاحْتَضَنَهَا وَهُوَ يَقُولُ: {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ} [آل عمران: 144] ، {وَكَأَيِّنْ مِنْ نَبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ} [آل عمران: 146] . فَلَمَّا صُرِعَ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: مَا فَعَلَ أَبُو حُذَيْفَةَ؟ قَالُوا: قُتِلَ. قَالَ: فَمَا فَعَلَ فُلَانٌ؟ قَالُوا: قُتِلَ. قَالَ: فَأَضْجِعُونِي بَيْنَهُمَا. وَقَدْ بَعَثَ عُمَرُ بِمِيرَاثِهِ إِلَى مَوْلَاتِهِ الَّتِي أَعْتَقَتْهُ ; ثُبَيْتَةَ، فَرَدَّتْهُ وَقَالَتْ: إِنَّمَا أَعْتَقْتُهُ سَائِبَةً. فَجَعَلَهُ عُمَرُ فِي بَيْتِ الْمَالِ. وَمِنْهُمْ أَبُو دُجَانَةَ سِمَاكُ بْنُ خَرَشَةَ - وَيُقَالُ: سِمَاكُ بْنُ أَوْسِ بْنِ خَرَشَةَ - بْنِ لَوْذَانَ بْنِ عَبْدِ وُدِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ سَاعِدَةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ الْخَزْرَجِ، الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ، شَهِدَ بَدْرًا وَأَبْلَى يَوْمَ أُحُدٍ، وَقَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ سَيْفًا فَأَعْطَاهُ حَقَّهُ، وَكَانَ يَتَبَخْتَرُ عِنْدَ الْحَرْبِ، فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «إِنَّ هَذِهِ لَمِشْيَةٌ يُبْغِضُهَا اللَّهُ إِلَّا فِي هَذَا الْمَوْطِنِ» . وَكَانَ يَعْصِبُ رَأْسَهُ بِعِصَابَةٍ حَمْرَاءَ؛ شِعَارًا لَهُ بِالشَّجَاعَةِ، وَشَهِدَ الْيَمَامَةَ وَيُقَالُ: إِنَّهُ مِمَّنِ اقْتَحَمَ عَلَى بَنِي حَنِيفَةَ يَوْمَئِذٍ الْحَدِيقَةَ، فَانْكَسَرَتْ رِجْلُهُ،
পৃষ্ঠা - ৫৩২৭
فَلَمْ يَزَلْ يُقَاتِلُ حَتَّى قُتِلَ يَوْمَئِذٍ. وَقَدْ قَتَلَ مُسَيْلِمَةَ مَعَ وَحْشِيِّ بْنِ حَرْبٍ ; رَمَاهُ وَحْشِيٌّ بِالْحَرْبَةِ، وَعَلَاهُ أَبُو دُجَانَةَ بِالسَّيْفِ. قَالَ وَحْشِيٌّ: فَرَبُّكَ أَعْلَمُ أَيُّنَا قَتَلَهُ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ عَاشَ حَتَّى شَهِدَ صِفِّينَ مَعَ عَلَيٍّ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَأَمَّا مَا يُرْوَى عَنْهُ مِنْ ذَكْرِ الْحِرْزِ الْمَنْسُوبِ إِلَى أَبِي دُجَانَةَ، فَإِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ وَلَا يُلْتَفَتُ إِلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْهُمْ شُجَاعُ بْنُ وَهْبِ بْنِ رَبِيعَةَ الْأَسَدِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، أَسْلَمَ قَدِيمًا وَهَاجَرَ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْحَارِثِ بْنِ أَبِي شَمِرٍ الْغَسَّانِيِّ، فَلَمْ يُسْلِمْ، وَأَسْلَمَ حَاجِبُهُ مُرِّيٌّ. وَاسْتُشْهِدَ شُجَاعُ بْنُ وَهْبٍ يَوْمَ الْيَمَامَةِ عَنْ بِضْعٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، وَكَانَ رَجُلًا طِوَالًا نَحِيفًا أَجْنَأَ. وَمِنْهُمُ الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرِو بْنِ طَرِيفِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ سُلَيْمِ بْنِ فَهْمِ بْنِ غَنْمِ بْنِ دَوْسٍ الدَّوْسِيُّ أَسْلَمَ قَدِيمًا قَبْلَ الْهِجْرَةِ، وَذَهَبَ إِلَى قَوْمِهِ فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ فَهَدَاهُمُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، فَلَمَّا هَاجَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ جَاءَهُ بِتِسْعِينَ أَهْلَ بَيْتٍ مِنْ دَوْسٍ مُسْلِمِينَ، وَقَدْ خَرَجَ عَامَ الْيَمَامَةِ مَعَ الْمُسْلِمِينَ، وَمَعَهُ ابْنُهُ عَمْرٌو، فَرَأَى الطُّفَيْلُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ رَأْسَهُ قَدْ حُلِقَ، وَكَأَنَّ امْرَأَةً أَدْخَلَتْهُ فِي فَرْجِهَا، وَكَأَنَّ ابْنَهُ يَجْتَهِدُ أَنْ يَلْحَقَهُ فَلَمْ يَصِلْ. فَأَوَّلَهَا بِأَنَّهُ سَيُقْتَلُ
পৃষ্ঠা - ৫৩২৮

গ্রহণ করেন ৷ তিনি হযরত সাঈদ ইবন মুসামািবের পিতামহ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নাম
পরিবর্ত্য করে সাহ্ল রাখতে চান ৷ কিন্তু হাযন বললেন, আমার পিতামাতার রাখা নামটি আমি
পবিবর্তাধ্ করতে চাই না ৷ তারপর আজীবন তার জীবনে কাঠিন্য বা দুঃখকষ্ট লেগেই ৰুথাকে ৷
ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি শহীদ হন ৷ সেই সাথে তার দুই পুত্র আবদুর রহমান ও ওহব এবং পৌত্র
হাকীম ইবন ওহব ইবন হাযনও শহীদ হন ৷ এই একাদশ ইিজরীতে পারস্যবাসী দায্ও য়েও
শাহাদত বরণ করেন ৷ আসওদ আনাসীকে ইয়ামনের যে আমীরগণ হত্যা করেছিলেন, তিনি
ছিলেন তাদের অন্যতম ৷ কায়স ইবন মড়াকশুহ মুরতাদ হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় ইসলামে
প্রত্যাবর্তনের পুর্বে এক চক্রাম্ভের মাধ্যমে দাযওয়েহকে হত্যা করে ৷ খলীফা স্লিদ্দীক এ হত্যার
জন্যে তাকে তিরস্কার করলে তিনি তা অস্বীকার করেন ৷ ফলে তার প্রকাশ্য উক্তি ও ইসলাম
গ্রহণ মঞ্জুর করা হয় ৷

যায়দ (রা) ইবন খাত্তাৰের শাহাদাত

তার বংশ লতিকা এরুপ : যায়দ ইবন খাত্তাব ইবন নুফায়েল আল-কুরায়শী আল-আদবী ৷
তার কুনিয়াত ছিল আবু মুহাম্মাদ হয়রতউময় ইবন খাত্তাবের বৈমাত্রেয় ভৈজ্যষ্ঠ ভ্রাতা ৷ তিনি
ইসলামের প্রাথমিক কালের মুসলমান ৷ বদরের যুদ্ধসহ সকল যুদ্ধে তিনি অংশ্যাহণ করেন ৷
মদীনায় মা’ন ইবন আদী আনসারীর সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না) তার ভ্রাতৃতৃ সম্পর্ক স্থাপন করে
দেন ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে তারা উভয়েই শহীদ হন ৷ এ যুদ্ধে যুহাজিরদের ঝান্ডা যায়দ ইবন
খাত্তারের হাতে ছিল ৷ ঝান্ডা হাতে নিয়ে যুদ্ধ করতে করতে তিনি সম্মুখে এগিয়ে যান ৷ নিহত
হওয়ার পর ঝান্ডা হাত থেকে মাটিতে পড়ে গেলে আবু হুযায়ফারমওলা সালিম তা ধারণ
করেন ৷ যায়দ ইবন খাত্তাবের হাতে রাজাল ইবন উনফুওয়া নিহত হয় ৷ রাজালের নাম ছিল
নাহার ৷ এই রাজাল প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করে এবং সুরা বাকারা শিক্ষাও করে ৷ পরে মুরতাদ
হয়ে মুসায়লামার কাছে চলে যায় ৷ সে তার অনুসারী হয় এবং তার রিসালাতের পক্ষে সাক্ষ্য
দেয় ৷ ফলে দেশজুড়ে বিরাট ফিতনার সৃষ্টি হয় ৷ যায়দের (রা) হাতে রাজাল নিহত হওয়ার পর
আবু মরিয়াম আল-হানাফীর হাতে যায়দ শহীদ হন ৷ পরবত্তীকািলে আবুমরিয়াম ইসলাম গ্রহণ
করেন এবং হযরত উমর (রা)কে বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আল্লাহ আমার হাতে যায়দকে
সম্মানিত করেছেন ৷ কিন্তু তার হাতে আমাকে লাঞ্ছিত করেননি ৷

কেউ কেউ বলেছেন, যায়দের হত্যাকারী ছিল এই আবু মারয়ামের পুত্র সালামা ইবন
সুবায়হ্ ৷ আবু উমর এই মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন ৷ কেননা, উমর আবু মরিয়ড়ামকে কাজীর পদ
দিতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু এ যুক্তি দ্বারা পুর্বের মতকে অস্বীকার করা যায় না ৷ হযরত উমর
(রা)-এর নিকট যায়দের মৃত্যু সংবাদ পৌছলে তিনি বলেছিলেন, দুইটা ভাল কাজে তিনি
আমার অগ্রগামী, আমার পুর্বে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং আমার পুর্বেই তিনি শহীদ
হলেন ৷ মুতামমিম ইবন নওয়ায়রা তার ভাই মালিকের মৃত্যুতে যখন শোকপড়াথা আবৃত্তি
করেছিলেন পুর্বে তা উল্লেখ করা হয়েছে তখন হযরত উমর তাকে বলেছিলেন, আমি যদি ভাল
কবিতা রচনা করতে পারতাম তা হলে তুমি যেভাবে শোকর্পাথা আবৃত্তি করছো ৷ আমিও প্
সেভাবে শোকর্গাথা আবৃত্তি করতাম ৷ উত্তরে মুতামমিম বলল, যে কাজে আপনার ভাই মারা
গেছেন সেই কাজে যদি আমার ভাই মারা যেত তাহলে আমার কোন দুঃখই হত না ৷ হযরত


وَيُدْفَنُ، وَأَنَّ ابْنَهُ يَحْرِصُ عَلَى الشَّهَادَةِ فَلَا يَنَالُهَا عَامَهُ ذَلِكَ. وَقَدْ وَقَعَ الْأَمْرُ كَمَا أَوَّلَهَا، ثُمَّ قُتِلَ ابْنُهُ شَهِيدًا يَوْمَ الْيَرْمُوكِ. كَمَا سَيَأْتِي. وَمِنْهُمْ عَبَّادُ بْنُ بِشْرِ بْنِ وَقْشٍ الْأَنْصَارِيُّ، أَسْلَمَ عَلَى يَدَيْ مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ قَبْلَ الْهِجْرَةِ، قَبْلَ إِسْلَامِ مُعَاذٍ وَأُسَيْدِ بْنِ الْحُضَيْرِ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ مِمَّنْ قَتَلَ كَعْبَ بْنَ الْأَشْرَفِ، وَكَانَتْ عَصَاهُ تُضِيءُ لَهُ إِذَا خَرَجَ مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ظُلْمَةٍ. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ: قُتِلَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ شَهِيدًا عَنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، وَكَانَ لَهُ بَلَاءٌ وَغَنَاءٌ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: تَهَجَّدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَمِعَ صَوْتَ عَبَّادٍ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ» . وَمِنْهُمُ السَّائِبُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ، بَدْرِيٌّ، مِنَ الرُّمَاةِ، أَصَابَهُ يَوْمَ الْيَمَامَةِ سَهْمٌ فَقَتَلَهُ وَهُوَ شَابٌّ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَمِنْهُمُ السَّائِبُ بْنُ الْعَوَّامِ، أَخُو الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، اسْتُشْهِدَ يَوْمَئِذٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَمِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ وُدٍّ الْقُرَشِيُّ الْعَامِرِيُّ، أَسْلَمَ قَدِيمًا وَهَاجَرَ، ثُمَّ اسْتُضْعِفَ بِمَكَّةَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ خَرَجَ
পৃষ্ঠা - ৫৩২৯
مَعَهُمْ، فَلَمَّا تَوَجَّهُوا فَرَّ إِلَى الْمُسْلِمِينَ فَشَهِدَهَا مَعَهُمْ، وَمَا بَعْدَهَا، وَقُتِلَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ، فَلَمَّا حَجَّ أَبُو بَكْرٍ عَزَّى أَبَاهُ فِيهِ، فَقَالَ سُهَيْلٌ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الشَّهِيدَ يَشْفَعُ لِسَبْعِينَ مِنْ أَهْلِهِ» . فَأَرْجُو أَنْ يَبْدَأَ بِي. وَمِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ ابْنِ سَلُولَ الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ، كَانَ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ وَفُضَلَائِهِمْ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ أَبُوهُ رَأْسَ الْمُنَافِقِينَ، وَكَانَ أَشَدَّ النَّاسِ عَلَى أَبِيهِ، وَلَوْ أَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ لَضَرَبَ عُنُقَهُ، وَكَانَ اسْمُهُ الْحُبَابُ، فَسَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ، وَقَدِ اسْتُشْهِدَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَمِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ أَسْلَمَ قَدِيمًا، وَيُقَالُ: إِنَّهُ الَّذِي كَانَ يَأْتِي بِالطَّعَامِ وَالشَّرَابِ وَالْأَخْبَارِ، إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِلَى أَبِيهِ أَبِي بَكْرٍ وَهُمَا بِغَارِ ثَوْرٍ، وَيَبِيتُ عِنْدَهُمَا وَيُصْبِحُ بِمَكَّةَ كَبَائِتٍ، فَلَا يَسْمَعُ بِأَمْرٍ يُكَادَانِ بِهِ إِلَّا أَخْبَرَهُمَا بِهِ. وَقَدْ شَهِدَ الطَّائِفَ فَرَمَاهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: أَبُو مِحْجَنٍ الثَّقَفِيُّ. بِسَهْمٍ فَدُوِّيَ مِنْهَا فَانْدَمَلَتْ، وَلَكِنْ لَمْ يَزَلْ مِنْهَا ضَمِنًا حَتَّى مَاتَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ. وَمِنْهُمْ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنِ بْنِ حُرْثَانَ بْنِ قَيْسِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ غَنْمِ
পৃষ্ঠা - ৫৩৩০

উমর বললেন, তুমি যেভাবে আমাকে সান্তুনা দিলে এভাবে অন্য কেউ আমাকে সাত্তুন৷ দেয়নি ৷
তা সত্বেও হযরত উমর (বা) বলতে ন , যখনই পুবেল হাওয়া বয়ে যায় তখনই যায়দ ইবন
খ৷ ত্তাবের কথা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে যায় ৷

সালিম ইবন উবায়দের শাহাদাত
(মওলা আবু হুযায়ফা)

তার বংশলতিকা নিম্নরুপ : সালিম ইবন উবায়দ ইবন উৎবা ইবন রাবীআ ৷ কেউ কেউ
তার পিতার নাম য়া’মাল বলেছেন, সালিম ছিলেন আবু হুযায়ফার আযাদকৃত গোলাম ৷ আবু
হুযায়ফার শ্রী ছুবায়নাহ বিনত য়া আদ এর গোলাম ছিলেন সালিম ৷৩ ভাবে তিনি মুক্ত করে
দেন ৷ তারপর আবু হুযায়ফা তাকে পালক পুত্র রুপে গ্রহণ করেন এবং তার ভাতিজী ফাতিমা
তওলীদ ইবন উৎবার সাথে তার বিবাহ দেন ৷ কুরআনের এ আয়াত যখন নাযিল হল :
ণ্ণ্ড্রষ্া ,১৷ ণ্ঠুশুটুছুট্র’া পালক পুত্রদেরকে তাদের জন্মদাত৷ পিতার সাথে সম্পর্কিত করে ডাক (৩৩
আহযাব৪ ৫) তখন আাবু হুযায়ফার শ্রী সাহালাহ্ বিনত সাহল ইবন আমর রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! সালিম এমন অনেক সময় আমার কাছে
আসে যখন আমি বেখিয়াল থাকি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে তার বুকের দুধ পান করিয়ে দিতে
বললেন ৷ ছুবায়নাহ দুধ পান করাবার পর থেকে তিনি তার নিকট যে কোন সময় আসা-যাওয়া
করতেন ৷ সালিম একজন শীর্ষ ন্থানীয় মুসলমান ৷ ইসলামের প্রথমিক কালেই তিনি ইসলাম
গ্রহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হিজরতে র পুর্বেই তিনি মদীনায় হিজরত করেন এবং
সেখানে অবাংমুানকাবীদ্বু যুহাজিরদের সালাতে তিনি ইমামতি ৩করণ্ডে ন ৷ কেননা কুরআন হিফযের
ব্যাপারে তিনি ছিলেন সকলের অগ্রগামী ৷ এই সকলের মধ্যে হযরত ৩উমর (রা) ও ছিলেন ৷
বদর ও তার পরবর্তী সমস্ত যুদ্ধে তিনি অংশ্াগ্রহণ করেন ৷ যেই চার ব্যক্তি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছিলেন, ড়োমরা এদের থেকে কুরআন পড়া শিখবে, সালিম ছিলেন তাদের
অন্যতম ৷
বর্ণিত আছে, হযরত উমর (রা) মৃত্যুর পুর্বে বলেছিলেন যে, সালিম যদি আজ জীবিত
ইবন আবদুল বার বলেন, উমর (রা)-এর এ উক্তির অর্থ হল, সালিয়ের রায় এমন ব্যক্তির
পক্ষে হত যিনি প্রকৃতই খিলাফত পাওয়ার যোগ্য ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে যায়দ ইবন খাত্তাব নিহত
হলে তিনি যখন ঝান্ডা তুলে নেন তখন মুহাজিররা বলেছিলেন, আপনি কি আশংকা করছেন
যে আপনার পুর্বেই আমরা কেউ এটা তুলে (নব? জবাবে তিনি বলেন, এরুপ ধারণা করলে
কুরআনের হাফিয হিসেবে আমি একজন নিকৃষ্ট লোক ছাড়া আর কী হতে পারি ৷ যুদ্ধে প্রথমে
তার ডান হাত কাটা যায়, তখন বাম হাত দ্বারা ঝান্ডা উচিয়ে ধরেন, এরপর বাম হাত কাটা
গোল ঝান্ডা বুকের সাথে চেপে ধরে নিম্নের আয়াত পাঠ করেন০ ং


শ্


অর্থ৪ ংমুহাম্মদ একজন রাসুল ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ তার পুর্বেও অনেক রাসুল গত হয়েছে
এরপর আরও কত নবী এমন এসেছিল যাদের সাথী হয়ে বহু আল্লাহ্ওয়াল৷ লোক লড়াই
করেছে ৷ (৩ আলে ইমরান : ১৪৪, ১৪৬) ৷


بْنِ دُودَانَ بْنِ أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ الْأَسَدِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، يُكَنَّى أَبَا مِحْصَنٍ، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ وَفُضَلَائِهِمْ، هَاجَرَ وَشَهِدَ بَدْرًا، وَأَبْلَى يَوْمَئِذٍ بَلَاءً حَسَنًا، وَانْكَسَرَ سَيْفُهُ، فَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ عُرْجُونًا، فَعَادَ فِي يَدِهِ سَيْفًا أَبْيَضَ الْحَدِيدِ شَدِيدَ الْمَتْنِ. وَكَانَ ذَلِكَ السَّيْفُ يُسَمَّى الْعَوْنَ. وَشَهِدَ أُحُدًا وَالْخَنْدَقَ وَمَا بَعْدَهَا. «وَلَمَّا ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّبْعِينَ أَلْفًا الَّذِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ، قَالَ عُكَّاشَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ مِنْهُمْ ". ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَقَالَ: " سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ» . وَالْحَدِيثُ مَرْوِّيٌّ مِنْ طُرُقٍ تُفِيدُ الْقَطْعَ. وَقَدْ خَرَجَ عُكَّاشَةُ مَعَ خَالِدٍ يَوْمَ أَمَّرَهُ الصِّدِّيقُ بِذِي الْقَصَّةِ، فَبَعَثَهُ وَثَابِتَ بْنَ أَقْرَمَ بَيْنَ يَدَيْهِ طَلِيعَةً، فَتَلَقَّاهُمَا طُلَيْحَةُ الْأَسَدِيُّ وَأَخُوهُ سَلَمَةُ فَقَتَلَاهُمَا، وَقَدْ قَتَلَ عُكَّاشَةُ قَبْلَ مَقْتَلِهِ حِبَالَ بْنَ طُلَيْحَةَ، ثُمَّ أَسْلَمَ طُلَيْحَةُ بَعْدَ ذَلِكَ، كَمَا ذَكَرْنَا، وَكَانَ عُمُرُ عُكَّاشَةَ يَوْمَئِذٍ أَرْبَعًا وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، وَكَانَ مِنْ أَجْمَلِ النَّاسِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَمِنْهُمْ مَعْنُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ الْجَدِّ بْنِ عَجْلَانَ بْنِ ضُبَيْعَةَ الْبَلَوِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَهُوَ أَخُو عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ وَبَدْرًا وَأُحُدًا وَالْخَنْدَقَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৩১

যখন তিনি শত্রুর আঘাতে মাটিতে পড়ে যান, তখন সাথীদেরকে বলেন, আবু হুযায়ফার
অবস্থা কী? বলা হয়, তিনি শহীদ হয়ে গেছেন ৷ পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, অমুকের অবস্থা কী?
জানান হল তিনিও শহীদ হয়ে গেছেন ৷ তিনি বললেন, ঐ দুজনের মাঝখানে আমাকে শুইয়ে
দাও ৷ হযরত উমর (রা) সালিমের পবি৩ দ্রক্ত সম্পদ তার আযাদকারিণী (ছুবায়না) এর নিকট
পাঠিয়ে দেন ৷ কিন্তু তিনি এই বলে তা ফেরত পাঠান যে, আমি ওকে শর্তহীন ও পরিপুর্ণভাবে
স্বাধীন করেছি ৷ তখন খলীফা উমর তা বায়তুল সালে রেখে, দেন ৷

আবু দৃজানার শাহাদাত

তার নসবনামায় পিতা ও দাদার নামে কিছুটা পার্থক্য দেখা যায় ৷ যথা আবু দুজানা সিমাক
ইবন খারাশা কিৎব৷ আবু-দৃজানা সিমাক ইবন আওস ইবন খারাশা ইবন লুযান ইবন আবদে
উদ ইবন যায়দ ইবন ছালাবা ইবন খাযরাজ উবৃন সাঈদা ইবন কা’ব ইবন খাযরাজ
আল-আনসারী আল-খাযরাজী ৷ বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, উহুদের যুদ্ধে আহত হন ৷ এ
যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে নিজের তরবারী দান করেন এবং তিনি সার্থকভাবে তা কাজে
লাগান ৷ যুদ্ধের ময়দানে দর্পভরে অহংকার প্রদর্শন কালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, চলার এ
ভঙ্গিতে আল্লাহ অসভুষ্ট হন ৷ তবে যুদ্ধের ময়দানের কথা আলাদ ৷ বীরতু তার প্রকাশের
উদ্দেন্থশ্য তিনি মাথায় লাল পট্টি ৰ্বাধতেন ৷ তিনি ইয়ামামার যুদ্ধেও অংশ গ্রহণ করেন ৷ তার
সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে যে, ঐ যুদ্ধে মুসায়লামার বাগিচায় জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রথমে যারা
প্রবেশ করেছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম ৷ এ সময় তার একটি পড়া ভেঙ্গে যায় ৷ তা
সত্বেও প্রচন্ড যুদ্ধ করে আবু দুজানা শহীদ হন ৷ মুসায়লামাকে হত্যা করার ব্যাপারে তিনি
ওয়াহ্শীর সাথে শরীক ছিলেন ৷ কারণ, ওয়াহ্শী যুসায়লামাকে বর্শাবিদ্ধ করে এবং আবু দুজানা
তরবারি দ্বারা তার শিরচ্ছেদ করেন ৷ হত্যার পরে ওয়াহ্শী মন্তব্য করে বলেছিলেন রুা; ৷ ;াপ্রু,:ণ্
এদ্ব ৷ম্পু ৷ তােমার আল্লাহ্ই ভাল জানেন যে, আমাদের দু’জ্যনর কার হাতে সে মারা
গেছে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, আবু দুজানা সিফ্ফীনের যুদ্ধে আলীর পক্ষে লড়াই করে নিহত
হয়েছেন ৷ কিন্তু প্রথম মত অধিক বিশুদ্ধ ৷ আবু দুজানাত তাবিজ ও মাদুলের প্রবর্তন করেন বলে
যে বর্ণনাটি পাওয়া যায় তা যয়ীফ এবং অগ্রহণন্থযাগ্য ৷

শুজা ইবন ওহবের মৃত্যু
তার পিতামড়াতার নাম রাবী’আ আল-আসাদী, বনু আবদে-শামসের মিত্র ৷ তিনি প্রথম
যুগেই ইসলামে দীক্ষিত হন, হিজরত করেন এবং বদরসহ সকল যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে হাবিছ ইবন আবু শামির আল গাসৃসানীর নিকট ইসলামের দাওয়াত
দেওয়ার জন্য দুতরুপে প্রেরণ করেন ৷ হাবিছ ইসলাম গ্রহণ করেনি, অবশ্য তার দ্বার রক্ষক
সুওয়ায় মুসলমান হয়ে যান ৷ ইয়ামামার যদ্ধে প্রায় ৪৩ বছর বয়সকালে শুজা ইবন ওহব শহীদ
হন ৷ তিনি ছিলেন একজন দীর্ঘকায় ও হালকা পাতলা গড়নের লোক ৷

তুফায়ল ইবন আসর-এর শাহাদাত

তুফায়ল ইবন আমর ইবন তুরায়ফ ইবনুল-আস ইবন ছালাবা ইবন সুলায়ম ইবন ফিহ্র
ইবন! পানামা ইবন দাওস আদ-দাওসী ৷ হিজরতের বেশ আগে ইসলাম গ্রহণ করে নিজ


وَسَائِرَ الْمَشَاهِدِ، وَكَانَ قَدْ آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، فَقُتِلَا جَمِيعًا يَوْمَ الْيَمَامَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَقَالَ مَالِكٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: بَكَى النَّاسُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ مَاتَ وَقَالُوا: وَاللَّهِ وَدِدْنَا أَنَّا مِتْنَا قَبْلَهُ، وَنَخْشَى أَنْ نُفْتَتَنَ بَعْدَهُ. فَقَالَ مَعْنُ بْنُ عَدِيٍّ: لَكِنِّي وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنْ أَمُوتَ قَبْلَهُ ; لِأُصَدِّقَهُ مَيِّتًا كَمَا صَدَّقْتُهُ حَيًّا. وَمِنْهُمُ الْوَلِيدُ وَأَبُو عُبَيْدَةَ ابْنَا عُمَارَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، قُتِلَا مَعَ عَمِّهِمَا خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ بِالْبُطَاحِ، وَأَبُوهُمَا عُمَارَةُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَهُوَ صَاحِبُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ إِلَى النَّجَاشِيِّ، وَقِصَّتُهُ مَشْهُورَةٌ. وَمِنْهُمْ أَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ الْقُرَشِيُّ الْعَبْشَمِيُّ، أَسْلَمَ قَدِيمًا قَبْلَ دَارِ الْأَرْقَمِ، وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ وَإِلَى الْمَدِينَةِ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَآخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَبَّادِ بْنِ بِشْرٍ، وَقَدْ قُتِلَا شَهِيدِينَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ. وَكَانَ عُمُرُ أَبِي حُذَيْفَةَ يَوْمَئِذٍ ثَلَاثًا أَوْ أَرْبَعًا وَخَمْسِينَ سَنَةً، وَكَانَ طَوِيلًا، حَسَنَ الْوَجْهِ، أَحْوَلَ أَثْعَلَ، وَهُوَ الَّذِي لَهُ سِنٌّ زَائِدَةٌ، وَكَانَ اسْمُهُ هُشَيْمًا، وَقِيلَ: مُهَشِّمٌ. وَقِيلَ: هَاشِمٌ. وَبِالْجُمْلَةِ فَقَدْ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ أَرْبَعُمِائَةٍ وَخَمْسُونَ مِنْ حَمَلَةِ الْقُرْآنِ وَمِنَ الصَّحَابَةِ وَغَيْرِهِمْ. وَإِنَّمَا أَوْرَدْنَا هَؤُلَاءِ لِشُهْرَتِهِمْ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانِ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৩২
قُلْتُ: وَمِمَّنِ اسْتُشْهِدَ يَوْمَئِذٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ ; مَالِكُ بْنُ عَمْرٍو، حَلِيفُ بَنِي غَنْمٍ، مُهَاجِرِيٌّ بَدْرِيٌّ. وَيَزِيدُ بْنُ رُقَيْشِ بْنِ رِئَابٍ الْأَسَدِيُّ، بَدْرِيٌّ، وَالْحَكَمُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ الْأُمَوِيُّ، وَجُبَيْرُ بْنُ مَالِكِ بْنِ بُحَيْنَةَ، أَخُو عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ الْأَزْدِيُّ، حَلِيفُ بَنِي الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ. وَعَامِرُ بْنُ الْبُكَيْرِ اللَّيْثِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَدِيٍّ، بَدْرِيٌّ. وَمَالِكُ بْنُ رَبِيعَةَ، حَلِيفُ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ. وَأَبُو أُمَيَّةَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ بْنِ عَمْرٍو. وَيَزِيدُ بْنُ أَوْسٍ، حَلِيفُ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ. وَحُيَيٌّ، وَيُقَالُ: مُعَلَّى بْنُ حَارِثَةَ الثَّقَفِيُّ. وَحَبِيبُ بْنُ أَسِيدِ بْنِ جَارِيَةَ الثَّقَفِيُّ. وَالْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ شَمْسٍ الْمَخْزُومِيُّ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ بُجْرَةَ الْعَدَوِيُّ. وَأَبُو قَيْسِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسِ السَّهْمِيُّ، وَهُوَ مِنْ مُهَاجِرَةِ الْحَبَشَةِ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسٍ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَخْرَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ أَبِي قَيْسِ بْنِ عَبْدِ وُدِّ بْنِ نَصْرٍ الْعَامِرِيُّ، مِنَ الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ. وَعَمْرُو بْنُ أُوَيْسِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ الْعَامِرِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৩

কবীলায় গিয়ে গোত্রীয় লোকদের নিকট ইসলামী দাওয়াত পেশ করেন ৷ ফলে আল্লাহ তার
হাতেই তাদেরকে মুসলমান হওয়ার সৌভাগ্য দান করেন ৷ নবী করীম (সা) মদীনায় হিজরত
করলে তুফায়ল নিজ গোত্রের ষ্নব্বইজন মুসলিমসহ মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর থেদমতে
উপস্থিত হন ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি তার পুত্র আমরসহ অংশ গ্রহণ করেন ৷ সেখানে এক যাতে
তিনি স্বপ্নে দেখেন, তার মাথার চুল মুণ্ডন করা হয়েছে ৷ আর তার শ্রী তাকে তার লজ্জাস্থানের
মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেছেন এবং তার পুত্র তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে ৷ এ স্বপ্নের
ব্যাখ্যা তিনি এভাবে করলেন যে, তাকে শহীদ করে দাফন করা হবে এবং পুত্র শাহাদাতের
অাকাংখ৷ করবে, বিৎ তার আশা এ সময়ে পুরণ হবে না ৷ বাস্তবে তাই ঘটল যা তিনি ব্যাখ্যা
করেছিলেন ৷ পরবর্তীতে ইয়ারমুকের যুদ্ধে তার পুত্র আমর শহীদ হন ৷

অঝোদ ইবন ৰিশর ইবন ওয়াকাশৃ আল-আনসারীর শাহাদাত

হিজরতের পুর্বে হযরত মু’আয ইবন জবল ও উসায়দ ইবন হুযায়রের ইসলাম গ্রহণের পুর্বে
আব্বাদ ইবন বিশৃর হযরত মুসআব ইবন উমায়রের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ বদর এবং
তার পরবর্তী সকল যুদ্ধে তিনি অংশ গ্রহণ করেন ৷ মুনাফিক কা’ব ইবন আশরাফ য়াহুদীকে
যারা হত্যা করেছিলেন আব্বাদ ছিলেন তাদের অন্যতম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মজলিশ থেকে
বেরিয়ে যাওয়ার সময় অন্ধকার রাত্রে তার লাঠি থেকে আলো বিচ্চুরিত হতো ৷ মুসা ইবন
উকবা যুহরীর বরাতে বর্ণনা করেন যে, আব্বাদ ইয়ামামার যুদ্ধে শহীদ হন ৷ তখন তার বয়স
হয়েছিল পড়ায়তাল্লিশ বছর ৷ জীবনে তিনি বহু পরীক্ষার সম্মুখীন হন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাহাজ্জ্বদ নামায পড়ছিলেন, এ সময়
তিনি আব্বাদের কণ্ঠস্বর শুনে দুআ করেন দ্বু ঠু£ছু ৷ স্পেপুা৷ ণ্হ আল্লাহ্! তাকে ক্ষমা কর ৷ ’

সাইব ইবন উসমান ইবন মাষ্উনের শাহাদাত

হযরত সইিব (রা) ছিলেন বদরী সাহাবী, দক্ষ তীরন্দাজ ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে একটি তীর
এসে তার শরীরে বিদ্ধ হয় এবং এতেই তিনি শহীদ হয়ে যান, তখন তিনি সবেমাত্র যুবক ৷

সাইব ইবনুল আওয়ামের শাহাদাত

তিনি হযরত যুবায়র ইবনুল আওয়াম (রা) এর ভাই ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে শাহাদাত বরণ
করেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন সুহায়ল ইবন আমর এর শাহাদাত

পুর্ণ বংশ লতিকা নিম্নরুপ : আবদুল্লাহ্ ইবন সুহায়ল ইবন আমর ইবন আবদে শামস ইবন
আবদে উদ আল-কুরাশী আল আমিরী ৷ ইসলামের প্রথম যুগেই তিনি ইসলাম কবুল করেন ৷
এরপর হিজরত করেন ৷ বিৎ পরবর্তীতে মক্কায় নির্যাতিত মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত থেকে যান ৷
বদর যুদ্ধের সময় কুরায়শ বাহিনীর সাথে তিনিও আসেন ৷ উভয় পক্ষ মুখোমুখী হলে তিনি
পালিয়ে মুসলিম বাহিনীর সাথে এসে মিশে যান ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি শাহাদত বরণ করেন ৷
হভ্রুজ্জর সময় খলীফা আবু বকর আবদুল্লাহ্র পিতাকে সান্তুনা দেন ৷ তখন পিতা সুহায়ল


وَسَلِيطُ بْنُ عَمْرٍو الْعَامِرِيُّ. وَرَبِيعَةُ بْنُ أَبِي خَرَشَةَ الْعَامِرِيُّ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ رَحْضَةَ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ. وَمِنَ الْأَنْصَارِ غَيْرِ مَنْ ذَكَرْنَا تَرَاجِمَهُمْ ; عُمَارَةُ بْنُ حَزْمِ بْنِ زَيْدِ بْنِ لَوْذَانَ النَّجَّارِيُّ، وَهُوَ أَخُو عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، كَانَتْ مَعَهُ رَايَةُ قَوْمِهِ يَوْمَ الْفَتْحِ، وَقَدْ شَهِدَ بَدْرًا، وَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ. وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرِ بْنِ نَابِي بْنِ زَيْدِ بْنِ حَرَامٍ السَّلَمِيُّ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ الْأُولَى وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا. وَثَابِتُ بْنُ هَزَّالٍ مِنْ بَنِي سَالِمِ بْنِ عَوْفٍ، بَدْرِيٌّ فِي قَوْلٍ. وَأَبُو عَقِيلٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثَعْلَبَةَ، مِنْ بَنِي جَحْجَبَى، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْيَمَامَةِ أَصَابَهُ سَهْمٌ فَنَزَعَهُ، ثُمَّ تَحَزَّمَ وَأَخَذَ سَيْفَهُ، فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، وَقَدْ أَصَابَتْهُ جِرَاحَاتٌ كَثِيرَةٌ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَتِيكٍ. وَرَافِعُ بْنُ سَهْلٍ. وَحَاجِبُ بْنُ يَزِيدَ الْأَشْهَلِيُّ. وَسَهْلُ بْنُ عَدِيٍّ. وَمَالِكُ بْنُ أَوْسٍ. وَعُمَيْرُ بْنُ أَوْسٍ. وَطَلْحَةُ بْنُ عُتْبَةَ، مِنْ بَنِي جَحْجَبَى. وَرَبَاحٌ مَوْلَى الْحَارِثِ. وَمَعْنُ بْنُ عَدِيٍّ. وَجَزْءُ بْنُ مَالِكِ بْنِ عَامِرٍ، مِنْ بَنِي جَحْجَبَى. وَوَدَقَةُ
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৪

বললেন আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনং ৷
ষ্শহীদ তার নিজ পরিবারের সত্তর জন লোকের জন্যে সুপারিশ করতে পারবে ৷ আমি আশা

করি , সে প্রথমে আমাকে দিয়েই সুপারিশ আরম্ভ করবে ৷

আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উবায়া ইবন সুলুল-এর শাহাদাত

তিনি ছিলেন আনসাবী ও খাযরাজী গোত্রের লোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অত্যন্ত ভক্ত ও
শীর্ষ স্থানীয় সাহাবী ৷ তিনি বদর ও পরবর্তী সকল যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন ৷৩ তার পি৩ ৷ ছিল
মুনাফিক দলের জো ৷ এ কারণে আবদুল্লাহ্৩ তার পিতার প্রতি অত্যন্ত কঠোর মনোভাব পোষণ
করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অনুমতি পেলে তিনি পিতার শিরচ্ছেদ করে দিতেন ৷ আবদৃল্লাহ্র
পুর্বের নাম ছিল হুবাব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা পাল্টিয়ে আবদুল্লাহ নাম রাখেন ৷ ইয়ামামার যুদ্ধে
তিনি শহীদ হন ৷

আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর সিদ্দীক-এর ইনতিকার্ল

তিনি ইসলামের উন্মেষকালে ঘুসলমান হন ৷ বলা হয়ে থাকে যে, এই আবদুল্লাহ্-ই খাদ্য
পানীয় ও গোপন সংবাদ নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ ও আ বু বকরের নিকট পারে ছওরে আসতেন ৷ রাত্রে
সেখা নে থাকতেন এবং অতি প্রভু ষে এমনভাবে মক্কায় গিয়ে পৌছতেন যেন তিনি মক্কাতেই
রাত্রি যাপন করেছেন ৷ যে কোন ষড়যস্তের সংবাদ শুনতেন সাথে সাথে র্তাদেরকে পৌছে
দিতেন ৷ তায়িফ যুদ্ধে আবু মিহজান ছাকাফী নামক এক ব্যক্তির নিক্ষিপ্ত তীর বিদ্ধ হয়ে আহত
হন ৷ ক্ষত স্থান ভাল হয়ে গেলেও তিনি তার ব্যথা অনুভব করতে থাকেন এবং এ ব্যথায়ই
এগার হিজরীর শাওয়াল মাসে ইনতিকাল করেন ৷

উকাশা ইবন মিহসানের শাহাদাত

তার নসবনামা নিম্নরুপ ৪ উক্কাশ৷ ইবন মিহসান ইবন হারছান ইবন কায়স ইবন মুরর৷ ,
ইবন পানাম ইবন দুদান ইবন আসাদ ইবন খুযায়ম৷ আল-আসাদী গোত্রভুক্ত ৷ তিনি ছিলেন বনু
আবদে শামসের মিত্র ৷ উক্কাশার কুনিয়াত ছিল আবু মিহসান ৷ ইনি ছিলেন অজানা সর্যাদাশীল
ও বিশিষ্ট সাহাবী ৷ তিনি হিজরত করেন ও বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ এ যুদ্ধে তিনি কঠিন
অবস্থার সম্মুখীন হন ৷ তার তরবারীখান৷ এক পর্যায়ে ভেঙ্গে যায় ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) খেজুর
গাছের একটা শুকন৷ বীকা ভাল তার হাতে তুলে দেন ৷ হাতে নিতে তা সত্যিকার তরবারীতে
পবিণ৩ ৩হয় যা লৌহ নির্মিত তরবারি অপেক্ষা অধিকতর শক্ত ও ধারাল ছিল ৷ তরবারিটির
নাম রাখা হয় আ’ল-আওন (সাহায্য) ৷ উহ্রদ, খন্দক ও পরবর্তী সকল যুদ্ধে৩ তিনি সক্রিয়ভাবে
অংশ গ্রহণ করেন ৷ একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে
জান্নাতে যাবে ৷ তখন উক্কাশ৷ আবেদন জানালেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্৷ আমার জন্যে দৃআ করুন,
যাতে আল্লাহ্ আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত রাখেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুআ করলেন, হে আল্লাহ!
ওকে তাদের অন্তর্ভুক্ত রেখো! তারপর “আর এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্!
আমার জন্যও দৃআ করুন, যাতে আল্লাহ আমাকেও ঐসব লোকের অন্তর্ভুক্ত রাখেন ৷রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, এ ব্যাপারে উক্কাশা তোমার আগেই তা নিয়ে গেছে ৷ নিড্ডযােগ্য সুত্রে এ হাদীস


بْنُ إِيَاسِ بْنِ عَمْرٍو الْخَزْرَجِيُّ، بَدْرِيٌّ. وَجَرْوَلُ بْنُ الْعَبَّاسِ. وَعَامِرُ بْنُ ثَابِتٍ. وَبِشْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخَزْرَجِيُّ. وَكُلَيْبُ بْنُ تَمِيمٍ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِتْبَانَ. وَإِيَاسُ بْنُ وَدَقَةَ. وَأُسِيدُ بْنُ يَرْبُوعٍ. وَسَعْدُ بْنُ حَارِثَةَ. وَسَعْدُ بْنُ حِمَّانَ. وَمُخَاشِنُ بْنُ حُمَيِّرٍ. وَسَلَمَةُ بْنُ مَسْعُودٍ. وَقِيلَ: مَسْعُودُ بْنُ سِنَانٍ. وَضَمْرَةُ بْنُ عِيَاضٍ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ. وَأَبُو حَبَّةَ بْنُ غَزِيَّةَ الْمَازِنِيُّ. وَحَبِيبُ بْنُ زَيْدٍ. وَحَبِيبُ بْنُ عَمْرِو بْنِ مِحْصَنٍ. وَثَابِتُ بْنُ خَالِدٍ. وَفَرْوَةُ بْنُ النُّعْمَانِ. وَعَائِذُ بْنُ مَاعِصٍ. وَيَزِيدُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ الضِّحَاكِ أَخُو زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ. قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: فَجَمِيعُ مَنِ اسْتُشْهِدَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ يَوْمَ الْيَمَامَةِ ثَمَانِيَةٌ وَخَمْسُونَ رَجُلًا. يَعْنِي وَبَقِيَّةُ الْأَرْبَعِمِائَةٍ وَالْخَمْسِينَ مِنْ غَيْرِهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قُتِلَ مِنَ الْكُفَّارِ فِيمَا سُقْنَا مِنَ الْمَوَاطِنِ الَّتِي الْتَقَى فِيهَا الْمُسْلِمُونَ وَالْمُشْرِكُونَ فِي هَذِهِ وَأَوَائِلِ الَّتِي قَبْلَهَا، مَا يَنِيفُ عَلَى خَمْسِينَ أَلْفًا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَبِهِ التَّوْفِيقُ وَالْعِصْمَةُ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৫
فَمِنْ مَشَاهِيرِهِمْ ; الْأَسْوَدُ الْعَنْسِيُّ، لَعَنَهُ اللَّهُ، وَاسْمُهُ عَبْهَلَةُ بْنُ كَعْبِ بْنِ غَوْثٍ، خَرَجَ أَوَّلَ مَخْرَجِهِ مِنْ بَلْدَةٍ بِالْيَمَنِ يُقَالُ لَهَا: كَهْفُ خُبَّانَ، وَمَعَهُ سَبْعُمِائَةُ مُقَاتِلٍ، فَمَا مَضَى شَهَرٌ حَتَّى مَلَكَ صَنْعَاءَ، ثُمَّ اسْتَوْثَقَتْ لَهُ الْيَمَنُ بِحَذَافِيرِهَا فِي أَقْصَرِ مُدَّةٍ، وَكَانَ مَعَهُ شَيْطَانٌ يُمَخْرِقُ لَهُ، وَلَكِنْ خَانَهُ أَحْوَجَ مَا كَانَ إِلَيْهِ، ثُمَّ لَمْ تَمْضِ لَهُ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ أَوْ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ حَتَّى قَتَلَهُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْ إِخْوَانِ صِدْقٍ، وَأُمَرَاءِ حَقٍّ، كَمَا قَدَّمْنَا ذِكْرَهُ، وَهُمْ دَاذَوَيْهِ الْفَارِسِيُّ، وَفَيْرُوزُ الدَّيْلَمِيُّ، وَقَيْسُ بْنُ مَكْشُوحٍ الْمُرَادِيُّ، وَذَلِكَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ قَبْلَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَيَالٍ، وَقِيلَ: بِلَيْلَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ أَطْلَعَ اللَّهُ رَسُولَهُ لَيْلَةَ قَتْلِهِ عَلَى ذَلِكَ، كَمَا أَسْلَفْنَاهُ. وَمِنْهُمْ مُسَيْلِمَةُ بْنُ حَبِيبٍ الْحَنَفِيُّ الْيَمَامِيُّ الْكَذَّابُ لَعَنَهُ اللَّهُ. قَدِمَ الْمَدِينَةَ وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ قَوْمِهِ بَنِي حَنِيفَةَ، وَقَدْ وَقَفَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعَهُ وَهُوَ يَقُولُ: إِنْ جَعَلَ لِي مُحَمَّدٌ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ اتَّبَعْتُهُ. فَقَالَ لَهُ: «لَوْ سَأَلْتَنِي هَذَا الْعُودَ - لِعُرْجُونٍ فِي يَدِهِ - مَا أَعْطَيْتُكَهُ، وَلَئِنْ أَدْبَرْتَ
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৬

বর্ণিত হয়েছে ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীকের খিলাফতকালে খালিদ ইবন ওলীদ যখন যুলকিসসা
অভিযানে যান, তখন তিনি উক্কাশাহ্ ইবন মিহসান ও ছাবিত ইবন আকরামকে শত্রুর সংবাদ
সংগ্রহের জন্যে অগ্নবর্তী রুপে প্রেরণ করেন ৷ পথে তুলায়হা আল আসাদী ওতার ৷ভাই স ৷লামার
সাথে র্তাদের দেখা হয়ে যায় ৷ তারা উক্কাশ৷ ও ছাবিতকে হত্যা করে ফেলে ৷ অবশ্য এর আগেই
উক্কাশা তুলায়হার পুত্র হিবালকে হত্যা করেছিলেন ৷ পরবর্তীতে ভুলায়হা ইসলাম গ্রহণ করে ৷
মৃতুকালে উক্কাশার বয়স হয়েছিল : ৪ বছর ৷ তিনি ছিলেন একজন সুদর্শন পুরুষ ৷

মা’আন ইবন আদীর শাহাদাত

তার বংশ তালিকা নিম্নরুপ : মাআন্’৷ ইবন আদী ইবনুল জাদ ইবন আজলান ইবন
দাবীআহ্ আল-বালওয়াবী ৷ ইনি ছিলেন বনু আমর ইবন আওফের মিত্র ৷ মাআন এর ভাই
আসিম ইবন আদী ৷ তিনি আকাবার শপথকারীদের অন্যতম ৷ বদর, উহুদ ও খন্দকসহ সমস্ত
যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যায়দ ইবন খাত্তাবের সাথে তার ভ্রাতৃতু সম্পর্ক স্থাপন
করে দেন এবং উভয়েই ইয়ামামার যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন ৷ ইমাম মালিক (র) ইবন শিহাব
সুত্রে সালিমের পিত ৷ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করলে লোকজন
কেদে কেদে বলতে থাকে, ভাল হত যদি রাসুলের পুর্বে আমাদের মৃত্যু হত ৷ কেননা আশংকা
হয় যে, তার মৃত্যুর পরে আমরা ফিত্নায় জড়িয়ে পড়ব ৷ ঐ সময় মাআন ইবন আদী
বলেছিলেন, আল্লাহর কসম, রাসুলের পুর্বে আমি মারা যাব, এটা আমি চাইনা; কারণ, মৃত্যুর
পরেও তাকে আমি সেই ভাবে স৩ ঘোষণা করতে চাই, যেত ৷বে ওাকে জীবিত অবস্থায় সত
বলে যেনেছি ৷

আম্মার৷ ইবনুল ওলীদ ইবনুল মুপীরার দুই পুত্র ওলীদ ও আবু উবায়দা ইয়ামামার যুদ্ধে
তাদের চাচা খালিদ ইবনুল ওলীদের সাথে নেতৃত্বে যুদ্ধ করে বাতড়াহ্ নামক স্থানে উভয়ে
শাহাদত বরণ করেন ৷ তাদের পিতা আমৃমারা ইবনুল ওলীদ আমর ইবনুল অংশের সাথে
(মুসলমানদের বিরোধিতা করার জন্য) হাবশা গিয়েছিল, সে ঘটনা সর্বজন বিদিত ও প্রসিদ্ধ ৷

আবু হুযায়ফা ইবন উতবার শাহাদাত

আবু হুযায়ফা ইবন উতবা ইবন রাবীআহ্ ইবন আবদি শামৃস আল কুরাশী আল আবশামী
প্রথম যুগের মুসলমান ৷ দায়ে আরকাম প্রতিষ্ঠার পুর্বেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ হাবশায় ও
মদীনায় হিজরত করেন এবং বদর ও পরবর্তী যুদ্ধ সমুহে অ শগ্রহণ করেন ৷ আব্বাদ ইবন
বিশৃর এর সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ভ্রাতৃতৃ সম্পর্ক পা তিয়ে দেন ৷ উক্ত দুই জনই ইয়ামামার
যুদ্ধে শহীদ হন ৷ মৃতু কোলে আবু হুযায়ফার বসয় ছিল তিপ্পান্ন কিংবা চুয়ান্ন বছর ৷ তিনি ছিলেন
দীর্ঘকায়, সুদর্শন এবৎ৩ তার মুখে একটি অতিরিক্ত দীত ছিল ৷ আবু হুযায়ফার আসল নাম ছিল
হুশায়ম, মত ৷ম্ভরে হাশিম (কিৎবা মিহ্শ ৷৷ম) ৷ আবু দুজ৷ ৷না সিমাক ইবন খারাশার শাহাদাতের
বর্ণনা পুর্বেই দেয়৷ হয়েছে ৷

যাহোক ইয়ামামার যুদ্ধে সর্বমোট শহীদের সংখ্যা চারশ’ পঞ্চাশ জন ৷ এদের মধ্যে
অনেকেই কুরআনের হাফিয ও সাহাবী ছিলেন ৷ “প্রসিদ্ধির কারণে উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গের নাম
আমর উল্লেখ করেছি ৷ যে সব মুজাহিব সাহাবী ঐ যুদ্ধে শহীদ হন, র্তাদের কয়েকজনের নাম


لَيَعْقِرَنَّكَ اللَّهُ، وَإِنِّي لَأَرَاكَ الَّذِي أُرِيتُ فِيهِ مَا أُرِيَتُ» . وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ رَأَى فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ فِي يَدِهِ سُوَارَيْنِ مِنْ ذَهَبٍ، فَأَهَمَّهُ شَأْنُهُمَا، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فِي الْمَنَامِ أَنِ انْفُخْهُمَا، فَنَفَخَهُمَا فَطَارَا، فَأَوَّلَهُمَا بِكَذَّابَيْنِ يَخْرُجَانِ، وَهُمَا صَاحِبُ صَنْعَاءَ وَصَاحِبُ الْيَمَامَةِ. وَهَكَذَا وَقَعَ فَإِنَّهُمَا ذَهَبَا وَذَهَبَ أَمْرُهُمَا ; أَمَّا الْأَسْوَدُ فَذُبِحَ فِي دَارِهِ، وَأَمَّا مُسَيْلِمَةُ فَعَقَرَهُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْ وَحْشِيِّ بْنِ حَرْبٍ، رَمَاهُ بِالْحَرْبَةِ، فَأَنْفَذَهُ كَمَا تُعْقَرُ الْإِبِلُ، وَضَرَبَهُ أَبُو دُجَانَةَ عَلَى رَأْسِهِ فَفَلَقَهُ، وَذَلِكَ بِعُقْرِ دَارِهِ فِي الْحَدِيقَةِ الَّتِي يُقَالُ لَهَا: حَدِيقَةُ الْمَوْتِ. وَقَدْ وَقَفَ عَلَيْهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَهُوَ طَرِيحٌ، أَرَاهُ إِيَّاهُ مِنْ بَيْنِ الْقَتْلَى مُجَّاعَةُ بْنُ مُرَارَةَ، وَيُقَالُ: كَانَ أُصَيْفَرَ أُخَيْنِسَ. وَقِيلَ: كَانَ ضَخْمًا أَسْمَرَ اللَّوْنِ كَأَنَّهُ جَمَلٌ أَوْرَقُ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ مَاتَ وَعُمُرُهُ مِائَةٌ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قُتِلَ قَبْلَهُ وَزِيرَاهُ وَمُسْتَشَارَاهُ، لَعَنَهُمَا اللَّهُ، وَهَمَا مُحَكَّمُ بْنُ الطُّفَيْلِ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: مُحَكَّمُ الْيَمَامَةِ. قَتَلَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، رَمَاهُ بِسَهْمٍ وَهُوَ يَخْطُبُ قَوْمَهُ يَأْمُرُهُمْ بِمَصَالِحِ حَرْبِهِمْ فَقَتَلَهُ، وَالْآخَرُ نَهَارُ بْنُ عُنْفُوَةَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: الرَّجَّالُ بْنُ عُنْفُوَةَ، وَكَانَ مِمَّنْ أَسْلَمَ، ثُمَّ ارْتَدَّ وَصَدَّقَ مُسَيْلِمَةَ، لَعَنَهُمَا اللَّهُ، وَشَهِدَ لَهُ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ لَهُ أَنَّهُ قَدْ أُشْرِكَ فِي الْأَمْرِ مَعَهُ، وَقَدْ كَذَبَ الرَّجَّالُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، فِي هَذِهِ الشَّهَادَةِ، وَقَدْ رَزَقَ اللَّهُ زَيْدَ بْنَ الْخَطَّابِ قَتْلَهُ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ زَيْدٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৩৩৭
وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى كَذِبِ الرَّجَّالِ فِي هَذِهِ الشَّهَادَةِ الضَّرُورَةُ فِي دِينِ الْإِسْلَامِ، وَمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ مُسَيْلِمَةَ، لَعَنَهُ اللَّهُ، كَتَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُسَيْلِمَةَ رَسُولُ اللَّهِ إِلَى مُحَمَّدٍ رَسُولُ اللَّهِ، سَلَامٌ عَلَيْكَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي قَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَمْرِ مَعَكَ، فَلَكَ الْمَدَرُ وَلِيَ الْوَبَرُ. وَيُرْوَى: فَلَكُمْ نِصْفُ الْأَرْضِ وَلَنَا نِصْفُهَا، وَلَكِنَّ قُرَيْشًا قَوْمٌ يَعْتَدُونَ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولُ اللَّهِ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ الْأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ، وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ» . وَقَدْ قَدَّمْنَا مَا كَانَ يَتَعَاطَاهُ مُسَيْلِمَةُ وَيَتَعَانَاهُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، مِنَ الْكَلَامِ الَّذِي هُوَ أَسْخَفُ مِنَ الْهَذَيَانِ، مِمَّا كَانَ يَزْعُمُ أَنَّهُ وَحْيٌ مِنَ الرَّحْمَنِ، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُهُ وَأَمْثَالُهُ عُلُوًّا كَبِيرًا. وَلَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَعْمَ أَنَّهُ اسْتَقَلَّ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِهِ، وَاسْتَخَفَّ قَوْمَهُ فَأَطَاعُوهُ، وَكَانَ يَقُولُ: خُذِي الدُّفَّ يَا هَذِهِ وَالْعَبِي ... وَبُثِّي مَحَاسِنَ هَذَا النَّبِي تَوَلَّى نَبِيُّ بَنِي هَاشِمٍ ... وَقَامَ نَبِيُّ بَنِي يَعْرُبِ فَلَمْ يُمْهِلْهُ اللَّهُ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا قَلِيلًا حَتَّى سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِ سَيْفًا مِنْ سُيُوفِهِ، وَحَتْفًا مِنْ حُتُوفِهِ، فَبَعَجَ بَطْنَهُ، وَفَلَقَ رَأْسَهُ وَعَجَّلَ اللَّهُ بِرُوحِهِ إِلَى النَّارِ، فَبِئْسَ الْقَرَارُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا أَوْ قَالَ أُوحِيَ إِلَيَّ وَلَمْ يُوحَ إِلَيْهِ شَيْءٌ وَمَنْ قَالَ سَأُنْزِلُ مِثْلَ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّالِمُونَ فِي غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلَائِكَةُ بَاسِطُو أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُوا أَنْفُسَكُمُ الْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُونِ بِمَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ غَيْرَ الْحَقِّ وَكُنْتُمْ عَنْ آيَاتِهِ تَسْتَكْبِرُونَ} [الأنعام: 92] . فَمُسَيْلِمَةُ وَالْأَسْوَدُ وَأَمْثَالُهُمَا، لَعَنَهُمُ اللَّهُ، أَحَقُّ النَّاسِ دُخُولًا فِي هَذِهِ الْآيَةِ الْكَرِيمَةِ، وَأَوْلَاهُمْ بِهَذِهِ الْعُقُوبَةِ الْعَظِيمَةِ.