আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

معجزات لرسول الله صلى الله عليه وسلم مماثلة لمعجزات جماعة من الأنبياء قبله

من آيات موسى عليه السلام
من آيات موسى عليه السلام
من آيات موسى عليه السلام
من آيات موسى عليه السلام
পৃষ্ঠা - ৫১৭৫

অতঃপর ইবন হামিদ ইউসুফ (আ)-এর পরবাসী ও একাকী জীবনের পরীক্ষা সম্পর্কে
বলেন, রাসুলুলুাহ্ (সা) ষ্ মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেছেন, আপন জন্মভুমি ও
পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু বান্ধব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন ৷

হযরত মুসা (আ)-কে প্রদত্ত মুজিযা
মুসা (আ) কে প্রদত্ত বড় বড় মুজিযা ও নিদর্শন নয়টি ৷ আল্লাহ্ তাআলা বলেন : ং£fl§
া , ৷ ব্লুর্দু ; দ্রঠুঠু ৷পু ক্ট্র৷ “আমি মুসাকে নয়টি সুস্পষ্ট নিদর্শন দান করেছি” (১৭
ইসরা ১০১) ৷
তাফসীর গ্রন্থে এর ব্যাখ্যা ও আলিমদের এ সং ক্রান্ত পার্থক্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা
করেছি ৷ জমহুরের মতে নিদর্শনগুলাে এইং লাঠি জীবন্ত চলমান আজদড়াহায় পরিণত হওয়া,
হাত-যখন তিনি নিজের হাত বগলে ঢুকিয়ে বের করতেন তখন তা চাদের মত উজ্জ্বল ও
দীপ্তিময় হয়ে যেত, ফিরাউন ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে বদ দু আ তারা যখন মুসা (আ)
-কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে তখন তিনি বদ-দুআ করেন ৷ ফলে আল্লাহ তাদের উপর
শাস্তিমুলকতাবে বন্যা, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত প্রেরণ করেন, এ সবই ছিল তার নুবুওতের
সুস্পষ্ট নিদর্শন ও দৃর্ভিক্ষ ও মহামারী দ্বারাও আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দেন ৷৩ তা ছিল তিন প্রকারঃ
১ ফসলহানি, ২ বৃক্ষের ফল বিনষ্ট হওয়া বা ফল না হওয়া, ৩ আকস্মিক মৃত্যু ৷ ভিন্ন মতে
বন্যা, সমুদ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া এবং তার মধ্য দিয়ে বনী ইসরাঈলের পার হয়ে যাওয়া এবং
ফিরআউনের দলবলের নিমজ্জিত হওয়া,৩ তীহ্ প্রাম্ভরে বনী ইসরাঈলের বিভ্রান্ত হওয়া এবং
সেখানে মান্ন৷ ও সালওয়ার অবতরণ, পানির জন্যে আল্লাহ্র নিকট মুসা (আ) এর পানি
প্রার্থনা ৷ ফলে আল্লাহ একটি পাথর থেকে তাদের পানির ব্যবস্থা করে দেন ৷ পাথরটি তারা
পশুর পিঠের উপর রেখে বহন করতে ৩৷ পাথরটি ছিল চারটি মুখ ৷ মুস৷ (আ) যখন আপন লাঠি
দ্বারা পাথরটিকে আঘাত ৩করতেন তখন প্রতিটি মুখ থেকে পৃথক পৃথক৩ তিনটি করে পানির
ধারা বের হত ৷ বনী ইসরাঈলের বারটি উপগােত্রের প্রত্যেকে এক একটি ধারার পানি গ্রহণ
করত ৷ পুনরায় আঘাত করলে পানি বন্ধু হয়ে যেত ৷ এগুলো ব্যতীত আরও অনেক মুজিযা
মুসা (আ)-এর আছে, যার বিশদ বর্ণনা তাফসীরে ও এই কিতাবের কাসাসুল আম্বিয়া’ অধ্যায়ে
দেয়৷ হয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেছেন,যারা বাছুর পুজা করেছিল, তাদের সবাইকে আল্লাহ মৃত্যু
দান করেছিলেন এবং পুনরায় জীবিত করেছিলেন ৷ গাভীর ঘটনাটিও আর একটি উল্লেখযোগ্য
নিদর্শন ৷
মুসা (আ)-এর লাঠি ও তার জীবন লাভ প্রসঙ্গে আল্লামা ইবন যামালকানী বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে নিম্প্রাণ কঙ্কর তাসবীহ্ পাঠ করেছিল ৷ হযরত আবু যার (রা) থেকে
এ প্রসঙ্গে সহীহ্ হাদীস বর্ণিত আছে ৷ দালাইলুন নুবুওত অধ্যায়ে এ ব্যাপারে বিশদভাবে
আলোচনা করা হয়েছে ৷ পুনরােল্লেখ নিষ্পয়ােজন ৷ কেউ কেউ বলেছেন ঐ কঙ্করগুলাে হযরত
আবু বকর (না)-এর হাতে পরে হযরত উমরের হাতে এবংও তারপরে হযরত উছমানের হাতেও
তাসবীহ্ পাঠ করেছে, যেভাবে করেছিল হযরত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে ৷ আর রাসুল (সা)
বলেছিলেন : ইহ৷ নুবুওতের প্রতিনিধি ৰু(;প্রু ৷ ৷ ব১১া৯ ণ্১গু) ৷ হাফিয এক সনদে আবু বকর
ইবন হুবায়শের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে বংনাি করেন, আবু মুসলিম খাওলানীর একটা


يُوسُفَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَصَبْرِهِ وَاسْتِعَانَتِهِ رَبَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، مَوْتَ إِبْرَاهِيمَ ابْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَبْرَهُ عَلَيْهِ، وَقَوْلَهُ: " «تَدْمَعُ الْعَيْنُ وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ، وَلَا نَقُولُ إِلَّا مَا يُرْضِي رَبَّنَا، وَإِنَّا بِكَ يَا إِبْرَاهِيمُ لَمَحْزُونُونَ» ". قُلْتُ: وَقَدْ مَاتَتْ بَنَاتُهُ الثَّلَاثَةُ ; رُقَيَّةُ وَأُمُّ كُلْثُومٍ، وَزَيْنَبُ، وَقُتِلَ عَمُّهُ حَمْزَةُ أَسَدُ اللَّهِ وَأَسَدُ رَسُولِهِ يَوْمَ أُحُدٍ، فَصَبَرَ وَاحْتَسَبَ. وَذَكَرَ فِي مُقَابَلَةِ حُسْنِ يُوسُفَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مَا ذَكَرَ مِنْ جَمَالِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَهَابَتِهِ وَحَلَاوَتِهِ شَكْلًا وَنُطْقًا وَهَدْيًا، وَدَلًّا وَسَمْتًا، كَمَا تَقَدَّمَ فِي شَمَائِلِهِ مِنَ الْأَحَادِيثِ الدَّالَّةِ عَلَى ذَلِكَ، كَمَا قَالَتِ الرُّبَيِّعُ بِنْتُ مُعَوِّذٍ: لَوْ رَأَيْتَهُ لَرَأَيْتَ الشَّمْسَ طَالِعَةً. وَذَكَرَ فِي مُقَابَلَةِ مَا ابْتُلِيَ بِهِ يُوسُفُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنَ الْفُرْقَةِ وَالْغُرْبَةِ، هِجْرَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَمُفَارَقَتَهُ وَطَنَهُ وَأَهْلَهُ وَأَصْحَابَهُ الَّذِينَ كَانُوا بِهَا. [مِنْ آيَاتِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ] الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنَ الْآيَاتِ الْبَيِّنَاتِ. وَأَعْظَمُهُنَّ تِسْعُ آيَاتٍ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ} [الإسراء: 101] .
পৃষ্ঠা - ৫১৭৬

তাসবীহ্ ছড়া ছিল ৷ তিনি এর দ্বারা নিয়মিত তাসবীহ্ পাঠ করতেন ৷ এক রাতে খাওলানী
তাসবীহ্ হাতে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন ৷ তার অজান্তে তাসবীহ্ তার হাতের মধ্যে ঘুরতে থাকে ৷
হাতের দিকে তাকিয়ে তিনি শুনতে পেলেন-তাসবীহ্ থেকে নিম্নোক্ত দু আ পঠিত হচ্ছেং :
“আমি তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি
হে তরু-লতা উৎপাদনকারী, হে চিরঞ্জীব! ৷ তিনি শ্রীকে ডেকে বললেন, হে উম্মি মুসলিম !
শ্রীঘ্র এস, দেখ কী অবাক কান্ড! উম্মি মুসলিম এসে দেখতে পেলেন, তাসবীহ্টি হাতের মধ্যে
ঘুরছে এবং তাসবীহ্ পাঠ করছে ৷ কিন্তু মহিলা সেখানে বসতেই তাসবীহ্ পড়া বন্ধ হয়ে গেল ৷
এ ঘটনার চেয়েও অধিকতর সুস্পষ্ট বুখারীর এক রিওয়ায়াত ৷ হযরত ইবন মাসউদ বলেন,
আহার্য খ্যদ্যদ্রব্যের তাহবীহ্ পাঠ করা আমরা শ্রবণ করেছি : ণ্ক্রো ৷ ৰু ও ব্লুন্১ ৷£
,াওদ্ভুৰু ,¢, ৷ আমাদের শায়খ বলেছেন : রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে পাথরও সালাম করেছে ৷ ইমাম
মুসলিম হযরত জাবির ইবন সামুরা (রা) থেকে এ সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, আমি সেই পাথরটিকে চিনি, যে পাথরটি নুবুওত প্রাপ্তির পুর্বে মক্কায় আমাকে
সালাম করত, এখনও তার কথা আমার মনে পড়ে ও
;,১৷ ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, ঐ পাথরটি হল হাজারে আসওদ ৷ ইমাম তিরমিযী হযরত আলী (না)
থেকে বর্ণনা করেন, মক্কার কোন এক এলাকায় আমি নবী করীম (না)-এর সঙ্গে ছিলাম ৷
যখনই তিনি কোন বৃক্ষ বা পাহাড়ের সম্মুখীন হতেন তখনই তারা তী-কে সালাম জানাত, বলত
র্দুা৷ ৷ ৷ ৷ তিরমিযী এ হাদীসটিকে গরীব বলে অভিহিত করেছেন ৷
আবু নুআয়ম দালাইল গ্রন্থে হযরত আলীর বর্ণনা এভাবে দিয়েছেন : আমি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সঙ্গে বের হলাম ৷ যখনই তিনি কোন পাথর, বৃক্ষ, প্রান্তর কিংবা অন্য কোন
জিনিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করতেন তখনই তারা বলে উঠত ৷
আমাদের শায়খ বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আহবানে সাড়া দিয়ে একটি বৃক্ষ তার
নিকট চলে এসেছিল ৷ তাছাড়া ঐ দপুটি বৃক্ষের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন, যে দুটি বৃক্ষ
পরস্পর মিলিত হয়ে গিয়েছিল ৷ তখন নবী করীম (না) তাদের আড়ালে প্রাকৃতিক প্রয়োজন
সম্পন্ন করেছিলেন ৷ পরে বৃক্ষ দু’টি যথা স্থানে ফিরে যায় ৷ এ উভয় হাদীসই সহীহ্ সুত্রে বর্ণিত ৷
তবে এ ঘটনার দ্বারা বৃক্ষের জীবন লাভ করা বুঝায় না ৷ কারণ, হতে পারে বৃক্ষের কাণ্ডমুলে
চালিকা শক্তি দান করা হয়েছিল৩ তবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিম্নোক্ত উক্তি ষ্া৷ ণ্ ; ৷ান্নে ৷
র্মুা৷ ৷ “আল্লাহ্র নির্দেশক্রমে আমার অনুগত হও দ্বারা বৃক্ষের সাথে সম্বোধনপুর্বক কথা বলা
এবং নির্দেশমত বৃক্ষদ্বয়ের অনুগত হওয়ার দ্বারা বুঝা যায় যে, বৃক্ষদ্বয়ের মধ্যে চেতনা শক্তি
সঞ্চারিত হয়েছিল ৷ একবার তিনি একটি ফ্ফাদার খর্জুর বৃক্ষের এক কাধ৷ থেজুরকে নীচে নেমে
আমার নির্দেশ দিলেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তা মাটি চিরে বেরিয়ে নবী (না)-এর সম্মুখে এসে দীড়াল ৷
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসুল? উত্তরে কাধটি তিন বার
সাক্ষ্য প্রদান করে স্বস্থানে চলে যায় ৷ এ ঘটনা পুর্বের ঘটনা অপেক্ষা অধিক সামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ অবশ্য
হাদীসটি অধিক গরীব পর্যায়ের ৷


وَقَدْ شَرَحْنَاهَا فِي " التَّفْسِيرِ " وَحَكَيْنَا قَوْلَ السَّلَفِ فِيهَا، وَاخْتِلَافَهُمْ فِيهَا، وَأَنَّ الْجُمْهُورَ عَلَى أَنَّهَا هِيَ الْعَصَا فِي انْقِلَابِهَا حَيَّةً تَسْعَى، وَالْيَدُ إِذَا أَدْخَلَ يَدَهُ فِي جَيْبِ دِرْعِهِ ثُمَّ أَخْرَجَهَا تُضِيءُ كَقِطْعَةِ قَمَرٍ يَتَلَأْلَأُ إِضَاءَةً، وَدُعَاؤُهُ عَلَى قَوْمِ فِرْعَوْنَ حِينَ كَذَّبُوهُ فَأَرْسَلَ عَلَيْهِمُ الطُّوفَانَ وَالْجَرَادَ وَالْقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ آيَاتٍ مُفَصَّلَاتٍ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَكَذَلِكَ أَخَذَهُمُ اللَّهُ بِالسِّنِينَ، وَهِيَ نَقْصُ الْحُبُوبِ، وَبِالْجَدْبِ، وَهُوَ نَقْصُ الثِّمَارِ، وَبِالْمَوْتِ الذَّرِيعِ، وَهُوَ نَقْصُ الْأَنْفُسِ، وَهُوَ الطُّوفَانُ فِي قَوْلٍ، وَمِنْهَا فَلْقُ الْبَحْرِ لِإِنْجَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَإِغْرَاقِ آلِ فِرْعَوْنَ، وَمِنْهَا تَظْلِيلُ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي التِّيهِ بِالْغَمَامِ، وَإِنْزَالُ الْمَنِّ وَالسَّلْوَى عَلَيْهِمْ، وَاسْتِسْقَاؤُهُ لَهُمْ، فَجَعَلَ اللَّهُ مَاءَهُمْ يَخْرُجُ مِنْ حَجَرٍ يُحْمَلُ مَعَهُمْ عَلَى دَابَّةٍ، لَهُ أَرْبَعَةُ وُجُوهٍ، إِذَا ضَرَبَهُ مُوسَى بِعَصَاهُ يَخْرُجُ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ ثَلَاثَةُ أَعْيُنٍ، لِكُلِّ سِبْطٍ عَيْنٌ، ثُمَّ يَضْرِبُهُ فَيُقْلِعُ، وَقَتَلَ كُلَّ مَنْ عَبَدَ الْعِجْلَ مِنْهُمْ ثُمَّ أَحْيَاهُمُ اللَّهُ تَعَالَى، وَقِصَّةُ الْبَقَرَةِ، إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْآيَاتِ الْبَاهِرَاتِ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَفِي قِصَّةِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنْ كِتَابِنَا هَذَا فِي قَصَصِ الْأَنْبِيَاءِ مِنْهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ৫১৭৭
أَمَّا الْعَصَا فَقَالَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ ابْنُ الزَّمْلَكَانِيِّ: وَأَمَّا حَيَاةُ عَصَا مُوسَى، فَقَدْ سَبَّحَ الْحَصَا فِي كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَمَادٌ، وَالْحَدِيثُ فِي ذَلِكَ صَحِيحٌ، وَهَذَا الْحَدِيثُ مَشْهُورٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ، وَفِيهِ: «أَنَّهُنَّ سَبَّحْنَ فِي كَفِّ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرَ، ثُمَّ عُثْمَانَ، كَمَا سَبَّحْنَ فِي كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " هَذِهِ خِلَافَةُ النُّبُوَّةِ» . وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِسَنَدِهِ إِلَى بَكْرِ بْنِ خُنَيْسٍ، عَنْ رَجُلٍ سَمَّاهُ قَالَ: كَانَ بِيَدِ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ سُبْحَةٌ يُسَبِّحُ بِهَا. قَالَ: فَنَامَ وَالسُّبْحَةُ فِي يَدِهِ. قَالَ: فَاسْتَدَارَتِ السُّبْحَةُ فَالْتَفَّتْ عَلَى ذِرَاعِهِ، وَجَعَلَتْ تُسَبِّحُ، فَالْتَفَتَ أَبُو مُسْلِمٍ وَالسُّبْحَةُ تَدُورُ فِي ذِرَاعِهِ وَهِيَ تَقُولُ: سُبْحَانَكَ يَا مُنْبِتَ النَّبَاتِ، وَيَا دَائِمَ الثَّبَاتِ. فَقَالَ: هَلُمِّي يَا أُمَّ مُسْلِمٍ، وَانْظُرِي إِلَى أَعْجَبِ الْأَعَاجِيبِ. قَالَ: فَجَاءَتْ أُمُّ مُسْلِمٍ وَالسُّبْحَةُ تَدُورُ وَتُسَبِّحُ، فَلَمَّا جَلَسَتْ سَكَتَتْ. وَأَصَحُّ مِنْ هَذَا كُلِّهُ وَأَصْرَحُ حَدِيثُ الْبُخَارِيِّ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «كُنَّا نَسْمَعُ تَسْبِيحَ الطَّعَامِ وَهُوَ يُؤْكَلُ» .
পৃষ্ঠা - ৫১৭৮

হযরত ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত ৷ এক বেদুইন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে
জিজ্ঞেস করল, আপনি আল্লাহর রাসুল৩ তা আমি কিভাবে বুঝব?৩ তিনি বললেন, এই খেজুর
গাছের কা ৷ধিকে যদি আমি ডাকি আর সে যদি আমার কাছে চলে আসে তবে কি তুমি স্বীকার
করবে যে, আমি আল্লাহ্র রাসুল? সে বলল, হা ৷ অতঃপর রাসুল (সা) বৃক্ষোপরি খেজুর
কাধিকে ডাকলেন ৷ খেজঃ র্কাদি নীচে অবতরণ করল এবং মাটি চিরে নবী (সা) এর নিকট
এসে দাড়াল ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দোশ যথা স্থানে ফিরে গেল ৷ তখন বেদুইন
বলল, ণ্এে ৷ fl: , প্রু ৷া ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আল্লাহর রাসুল এবং সে ঈমান
গ্রহণ করল ৷ বায়হাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদও এটি বর্ণনা করেছেন ৷
তিরমিযী একে সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইমাম বুখাবীও তার তারীখে কাবীরে এটা বর্ণনা
করেছেন ৷ এ থেকে স্পষ্ট জানা গেল যে, জনৈক বেদুইন রিসালাতের প্রতি সাক্ষ্য প্রদান
করেছে ৷ ঐ বেদুইন ছিল বনু আমিরের লোক ৷ কিন্তু বায়হাকী এ হাদিসঢিই আমাশ সুত্রে
হযরত ইবন আব্বাস থেকে কিছুটা ভিন্নরুপে বর্ণনা করেছেন ৷ বলেছেন, এক লোক রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, আপনার সাথী-সঙ্গীরা এ কী কথা বলছে? তারা বলছে
যে, রাসুল (সা) বৃক্ষ ও খেজুর কাদিকে স্থানচ্যুত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কি
কোন নিদর্শন দেখতে চাও? সে বলল, জী হী ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খেজুর গাছের একটি
ডালকে লক্ষ্য করে আহবান করলেন ৷ ডালটি ছুটে এসে মাটি ফেড়ে রাসুল (না)-এর সম্মুখে
এসে দীড ভাল এবং ডালের মাথা একবার সিজদা করতে ও একবার মাথা উচু করতে থাকে ৷
অতঃপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিদ্যেশ ভাল তার আপন স্থানে চলে যায় ৷ এরপর আমির
গোত্রের লোকটি এ কথা বলতে বলতে চলে গেল যে, আমির ইবন সা“সা বলে থাকে, আমরা
তার কোন কথাই মিথ্যা বলবােনা ৷ সব সময়ই এ চর্চা সে করতে থাকে ৷

হযরত ইবন উমর থেকে হাকিমের বর্ণনা পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এক লোককে ইসলাম গ্রহণের দিকে আহ্বান জানান ৷ লোকটি বললো, আপনার দাবির পক্ষে
কি কোন সাক্ষী প্রমাণ আছে? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আছে-এই বৃক্ষ ৷ বৃক্ষটি ছিল
উপতক্যার কিনারায় ৷ তিনি তাকে আসার জন্যে আহবান করলেন ৷ সাথে সাথেই বৃক্ষটি মাটি
ফেড়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সম্মুখে উপস্থিত হয় ৷ তিনি বৃক্ষের নিকট রিসালাতের সাক্ষ্য দেয়ার
জন্যে বললেন ৷ হুকুম অনুযায়ী বৃক্ষটি তিনবার সাক্ষ্য দিল এবং আপন স্থানে ফিরে গেল ৷
বেদুইন লোকটি রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে এ কথা বলে বিদায় নিল যে, আমার গোত্রের লোকেরা
যদি আমার কথা মেনে নেয় তবে তাদেরকে সাথে নিয়ে আপনার কাছে আসর ৷ অন্যথায় আমি
একাই চলে আসর এবং আপনার সঙ্গী হয়ে থাকর ৷

এ ছাড়া খেজুর বৃক্ষের যে কান্ডের উপর ভর দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) খু৩ তব৷ দিতেন,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর বিরহে তার ক্রন্দনের ঘটনাও অতি সুপ্রসিদ্ধ ৷ তার জন্যে যখন মিম্বর
নির্মিত হয় এবং থুত্বা দানের জন্যে তিনি তাতে আরোহণ করেন তখন ঐ কান্ডটি এমনভাবে
কেদেছিল , যেমনভাবে উদ্রী বাচ্চা প্রসবের পর উচ্চস্বরে কেদে থাকে ৷ জুমআর দিনে উপস্থিত
সকল লোক সে কান্ন৷ শুনতে পেয়েছিল ৷ কান্ডটি কাদতেই থাকে ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (না) মিম্বর
থেকে নেমে এসে কাল্ডটিকে জড়িয়ে ধরলে তার ক্রন্দন থেমে যায় ৷ রাসুল (না) তাকে দুইটির
একটি গ্রহণ করার জন্যে বললেন অর্থাৎ যে চাইলে জীবন্ত বৃক্ষে পরিণত করে দেয়া হবে,


قَالَ شَيْخُنَا: وَكَذَلِكَ قَدْ سَلَّمَتْ عَلَيْهِ الْأَحْجَارُ. قُلْتُ: وَهَذَا قَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي لِأَعَرِفُ حَجَرًا كَانَ يُسَلِّمُ عَلَيَّ بِمَكَّةَ قَبْلَ أَنْ أُبْعَثَ، إِنِّي لِأَعْرِفُهُ الْآنَ» . قَالَ بَعْضُهُمْ: هُوَ الْحَجَرُ الْأَسْوَدُ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ «كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فِي بَعْضِ نَوَاحِيهَا، فَمَا اسْتَقْبَلَهُ جَبَلٌ وَلَا شَجَرٌ إِلَّا قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ» . ثُمَّ قَالَ: غَرِيبٌ. وَرَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي " الدَّلَائِلِ " مِنْ حَدِيثِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي عُمَارَةَ الْخَيْوَانِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ لَا يَمُرُّ عَلَى حَجَرٍ وَلَا شَجَرٍ إِلَّا سَلَّمَ عَلَيْهِ» . وَقَدَّمْنَا فِي أَوَّلِ الْمَبْعَثِ أَنَّهُ لَمَّا أَوْحَى إِلَيْهِ جِبْرِيلُ أَوَّلَ مَا أَوْحَى إِلَيْهِ، فَرَجْعَ لَا يَمُرُّ بِحَجَرٍ وَلَا شَجَرٍ وَلَا مَدَرٍ وَلَا شَيْءٍ إِلَّا قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: وَأَقْبَلَتِ الشَّجَرَةُ عَلَيْهِ بِدُعَائِهِ. وَذَكَرَ اجْتِمَاعَ تَيْنِكَ الشَّجَرَتَيْنِ لِقَضَاءِ حَاجَتِهِ مِنْ وَرَائِهِمَا ثُمَّ رُجُوعَهُمَا إِلَى مَنَابِتِهِمَا، وَكِلَا الْحَدِيثَيْنِ فِي " الصَّحِيحِ "
পৃষ্ঠা - ৫১৭৯

অথবা চাইলে তাকে জান্নাতে স্থাপন করা হবে এবং আল্লাহ্র ওলীগণ সেথাঃন তার ফল আহার
করবেন ৷ কাওটি জান্নাতে সংন্থাপনের প্রস্তাব গ্রহণ করল ও নীরব হয়ে থাকল ৷ হাদীটি মাশহুর;
বহু সংখ্যক সাহাবী এর বর্ণনাকারী ৷ বহু লোকের সম্মুখে এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল ৷ অবশ্য
কাণ্ডঢি ক্রন্দন করার বিষয়টির বর্ণনা মুতাওয়াতির ৷ কেননা সাহাবীদের একটি জামাত থেকে
তা বর্ণিত এবং তাদের থেকে অসংখ্য তাবিঈ তা বর্ণনা করেছেন, আর এ ভাবে অসংখ্য
লোকের মাধ্যমে নিম্নের দিকে চলে এসেছে ৷ এত লোক কোন মিথ্যা কথার উপর একমত হতে
পারেন না ৷ কিভু কাণ্ডটির দু’টি প্রস্তাবের একটি গ্রহণ করার অংশটি মুতাওয়াতির নয় ৷ এমন
কি এর সনদও সহীহ্ নয় ৷ আমাদের শায়খ সে মন্তব্যই করেছেন ৷ দালাইল অধ্যায়ে আমি এ
হাদীসটি উল্লেখ করেছি ৷ মুসনাদে আহমদে, সুনানে ইবন মাজার এর উল্লেখ আছে ৷ হযরত
আনাস থেকে পড়াচটি সুত্রে এ অংশটি বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম তিরমিযী এর একটি মাত্র সুত্রকে
সহীহ্ বলেছেন ৷ ইবন মাজা দ্বিতীয় সুত্রে, আহমদ তৃতীয় সুত্রে বাবযার চতুর্থ সুত্রে এবং আবু
নুআয়ম পঞ্চম সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ জাবির ইবন আবদুল্লাহ থেকে বুখারী শরীফে দু’টি সুত্রে
বর্ণিত হয়েছে ৷ বায্যার তৃতীয় ও চতুর্থ সুত্রে এবং আহমদ পঞ্চম ও ষষ্ঠ সুত্রে উল্লেখ করেছেন
এবং এটি মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী আছে ৷ মুসান্নাফ ইবন আবী শায়বায় সাহ্ল ইবন সাদের
বর্ণনা বুখারী ও মুসলিমের শর্তাধীনে এবং মুসনাদে আহমদ ও ইবন মাজার হযরত ইব ন
আব্বাসের বর্ণিত হাদীসের সনদ মুসলিমের শর্তাধীনে আছে ৷ বুখারী শরীফে এটা হযরত ইবন
উমর থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ আহমদ একে ভিন্ন এক সুত্রে ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
মুসনাদে আবৃদ ইবন হুমায়দে আবু সাঈদ থেকে মুসলিমের শর্তে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইয়ালা আল
মুসিলী ভিন্ন সুত্রে আবু সাঈদ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

হাফিয আবু নুআয়ম আলী ইবন আহমদ আল-খাওয়ারিযমী এর সুত্রে হযরত
আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনাটি অনেক দীর্ঘ এবং এতে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) কাওটিকে দুনিয়া ও আখিরাতেৱ যে কোন একটিকে গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন, যে
আখিরাতকে গ্রহণ করে ৷ তারপর মাটির নীচে অদৃশ্য হয়ে যায় ৷ তার আর কোন চিহ্ন থাক্যা
ন ৷ কিন্তু এ হাদীসটি সনদ ও মতন উভয় দিক থেকে গরীব ৷ আবু নুআয়ম হযরত উম্মি
সালামা থেকে উৎকৃষ্ট সনদে এ অংশটি বর্ণনা করেছেন ৷ এ ছাড়া এ সংক্রান্তে আরও বহু হাদীস
ইতিপুর্বে আমরা উল্লেখ করেছি ৷ সেগুলোর সনদ ও শব্দ সম্পর্কে পর্যাৰুলাচনা করেছি ৷ এখানে
আর পুনরোল্লেখের প্রয়োজন নেই ৷ গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে হাদীসের এ অংশের সততোও
সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে ৷ কাযী ইয়ায তার শিফা’ গ্রন্থে বলেছেন, এ হাদীসটি মাশহুর ও
র্মুতাওয়াতির, সহীহ্ হাদীসের গ্রহুকারগণ নিজ নিজ কিতাবে এটা বর্ণনা করেছেন, দশের
অধিক সাহারা থেকে এটা বর্ণিত হয়েছে যেমন, হযরত উবায়া ইবন কাব, হযরত আনাস,
বুরায়দা, সাহ্ল ইবন সাদ, ইবন আব্বাস, ইবন উমর ৷ মুত্তালিব ইবন আবী ওয়াদাআ, আবু
সাঈদ ও উম্মি সালামা (রা) ৷ আমাদের শায়খ বলেছেন, এ সব জড় ও উদ্ভিদের কথা বলা ও
ক্রন্দন করা হযরত মুসা (আ)এর লাঠি আযদাহায় রুপান্তরিত হওয়ার চাইতে কম নয়, বরং
তার মন পর্যায়ের ৷ এ প্রসঙ্গে আমরা হযরত ঈসা (আ)-এর মৃতকে জীবন দান মুজিযার
আলোচনার ক্ষেত্রে আরও কিছু আলোকপাত করব ৷ যেমন বায়হাকী হাকিম আমির ইবন
যাওয়ার সুত্রে বর্ণনা করেছেন, আমর বলেন, আমাকে (ইমাম) শাফিঈ বললেন, আল্লাহ কোন
— ৫ ২


وَلَكِنْ لَا يَلْزَمُ مِنْ ذَلِكَ حُلُولُ حَيَاةٍ فِيهِمَا، إِذْ قَدْ تَكُونَانِ سَاقَهُمَا سَائِقٌ، وَلَكِنْ فِي قَوْلِهِ: " انْقَادَا عَلَيَّ بِإِذْنِ اللَّهِ " مَا يَدُلُّ عَلَى حُصُولِ شُعُورٍ مِنْهُمَا لِمُخَاطَبَتِهِ، وَلَا سِيَّمَا مَعَ امْتِثَالِهِمَا مَا أَمَرَهُمَا بِهِ. قَالَ: «وَأَمَرَ عِذْقًا مِنْ نَخْلَةٍ أَنْ يَنْزِلَ فَنَزَلَ إِلَيْهِ يَنْقُزُ فِي الْأَرْضِ حَتَّى وَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ: " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ " فَشَهِدَ بِذَلِكَ ثَلَاثًا ثُمَّ عَادَ إِلَى مَكَانِهِ» . وَهَذَا أَلْيَقُ وَأَظْهَرُ فِي الْمُطَابَقَةِ مِنَ الَّذِي قَبْلَهُ، وَلَكِنْ هَذَا السِّيَاقُ فِيهِ غَرَابَةٌ. وَالَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ، وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ وَالْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " مِنْ رِوَايَةِ أَبِي ظَبْيَانَ حُصَيْنِ بْنِ جُنْدَبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: بِمَ أَعْرِفُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: " أَرَأَيْتَ إِنْ دَعَوْتُ هَذَا الْعِذْقَ مِنْ هَذِهِ النَّخْلَةِ أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَدَعَا الْعِذْقَ، فَجَعَلَ الْعِذْقُ يَنْزِلُ مِنَ النَّخْلَةِ حَتَّى سَقَطَ فِي الْأَرْضِ، فَجَعَلَ يَنْقُزُ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: " ارْجِعْ ". فَرَجَعَ حَتَّى عَادَ إِلَى مَكَانِهِ، فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ. وَآمَنَ بِهِ» . هَذَا لَفْظُ الْبَيْهَقِيُّ، وَهُوَ ظَاهِرٌ فِي أَنَّ الَّذِي شَهِدَ بِالرِّسَالَةِ هُوَ الْأَعْرَابِيُّ، وَكَانَ رَجُلًا مِنْ بَنِي عَامِرٍ. وَلَكِنْ فِي رِوَايَةِ الْبَيْهَقِيِّ مِنْ طَرِيقِ الْأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا هَذَا الَّذِي يَقُولُ
পৃষ্ঠা - ৫১৮০
أَصْحَابُكَ؟ قَالَ: وَحَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْذَاقٌ وَشَجَرٌ. فَقَالَ: " هَلْ لَكَ أَنْ أُرِيَكَ آيَةً؟ " قَالَ: نَعَمْ. فَدَعَا غُصْنًا مِنْهَا فَأَقْبَلَ يَخُدُّ الْأَرْضَ حَتَّى وَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ وَجَعَلَ يَسْجُدُ وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَرَجَعَ. قَالَ: فَرَجَعَ الْعَامِرِيُّ وَهُوَ يَقُولُ: يَا آلَ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، وَاللَّهِ لَا أُكَذِّبُهُ بِشَيْءٍ يَقُولُهُ أَبَدًا» . وَتَقَدَّمَ فِيمَا رَوَاهُ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " مُتَفَرِّدًا بِهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا رَجُلًا إِلَى الْإِسْلَامِ فَقَالَ: هَلْ مِنْ شَاهِدٍ عَلَى مَا تَقُولُ؟ قَالَ: " هَذِهِ الشَّجَرَةُ ". فَدَعَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ عَلَى شَاطِئِ الْوَادِي، فَأَقْبَلَتْ تَخُدُّ الْأَرْضَ خَدًّا، فَقَامَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَاسْتَشْهَدَهَا ثَلَاثًا، فَشَهِدَتْ أَنَّهُ كَمَا قَالَ، ثُمَّ إِنَّهَا رَجَعَتْ إِلَى مَنْبَتِهَا، وَرَجَعَ الْأَعْرَابِيُّ إِلَى قَوْمِهِ وَقَالَ: إِنْ يَتَّبِعُونِي أَتَيْتُكَ بِهِمْ وَإِلَّا رَجَعْتُ إِلَيْكَ وَكُنْتُ مَعَكَ» . قَالَ: وَأَمَّا حَنِينُ الْجِذْعِ الَّذِي كَانَ يَخْطُبُ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعُمِلَ لَهُ الْمِنْبَرُ، فَلَمَّا رَقِيَ عَلَيْهِ وَخَطَبَ، حَنَّ الْجِذْعُ إِلَيْهِ حَنِينَ الْعِشَارِ وَالنَّاسُ يَسْمَعُونَ صَوْتَهُ بِمَشْهَدِ الْخَلْقِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَلَمْ يَزَلْ يَئِنُّ وَيَحِنُّ حَتَّى نَزَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاعْتَنَقَهُ وَسَكَّنَهُ وَخَيَّرَهُ بَيْنَ أَنْ يَرْجِعَ غُصْنًا طَرِيًّا أَوْ يُغْرَسَ فِي الْجَنَّةِ يَأْكُلُ مِنْهُ أَوْلِيَاءُ اللَّهِ، فَاخْتَارَ الْغَرْسَ فِي الْجَنَّةِ، وَسَكَنَ عِنْدَ ذَلِكَ؛ فَهُوَ حَدِيثٌ مَشْهُورٌ مَعْرُوفٌ، قَدْ رَوَاهُ مِنَ الصَّحَابَةِ عَدَدٌ كَثِيرٌ مُتَوَاتِرٌ، وَكَانَ بِحُضُورِ الْخَلَائِقِ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ مِنْ تَوَاتُرِ حَدِيثِ الْجِذْعِ هُوَ كَمَا قَالَ، فَإِنَّهُ قَدْ رَوَى
পৃষ্ঠা - ৫১৮১

নবীকে এমন কোন মুজিযা দেননি যা হযরত মুহাম্মদ (সা) কে না দিয়েছেন ৷ আমি বললড়াম,
আল্লাহ হযরত ঈসা (আ) কে মৃত তকে জীবন দান করার ক্ষমতা দিয়েছেন ৷ তিনি বললেন,
মসজিদের মিম্বর তৈরী না হওয়া পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) খেজুর গাছের যে কাডের পাশে দাড়িয়ে
থুতবা দিতেন মিম্বর তৈরী হলে সেটি ক্রন্দন করেছিল ৷ সে ক্রন্দন সবইি শুনতে পেয়েছিলেন ৷
এটাতো হযরত ঈসার মুজিযা অপেক্ষা বড় ৷ (ইমাম) শাফিঈ পর্যন্ত এর সনদ ৷ আমি
আমাদের শায়খ হাফিয আবুল হাজ্জাজ আল মিয্যী (র)-কেও (ইমাম) শাফিঈ থেকে এরুপ
বর্ণনা করতে শুনেছি ৷ অবশ্য শাফিঈ একে মৃতাক জীবন দান অপেক্ষাও বড় বলেছেন ৷ তার
কারণ এই যে, গাছের শুষ্ক কাণ্ড জীবন লাভের উপযুক্ত নয় ৷ কিন্তু তা সত্বেও তাতে চেতনা ও
বিবেচনা শক্তি সৃষ্টি করা হয়েছিল ৷ কেননা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাংক ত্যাগ করে মিম্বরে আসন
গ্রহণ করায় সে গর্ভবভী উটনীর মত উচ্চ স্বরে কেদেছে ৷ শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিচে
নেমে এসে তাকে জড়িয়ে ধরায় ও নীরব হতে বলার সে নীরব হয় ৷

হাসান বসরী বলেন, শুকনা থেজুরের কাণ্ড যখন নবীর জন্যে কেদেছে, তখন মানুষের তার
চাইতে অধিক পরিমান র্কাদা উচিত ৷ যে মৃত দেহে রুহ্ ছিল সেই দেহে পুনরায় রুহ্ স্থাপন
করা একটি আশ্চর্য ব্যাপার সন্দেহ নেই; কিন্তু যে দেহে পুর্বে জীবন ছিল না এবং তা জীবন
লাভের যােগ্যও নয়, সেই দেহে জীবনের সঞ্চার অধিকতর আশ্চর্যের বিষয় ৷

বিশেষ দ্রষ্টব্য : রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর একটি পতাকা ছিল ৷ অভিযানকালে তা সাথে রাখা
হতো ৷ এর ফলে সম্মুখে এক মাসের দুরতৃ পর্যন্ত শত্রুদের অন্তরে ভীতি ছড়িয়ে পড়ত ৷ তার
একটি বল্লম ছিল ৷ সফরকালে তা অগ্রভাগে নিয়ে চলা হত ৷ শুন্য প্রাম্ভরে সালাত আদায়ের
সময় সম্মুখে তা গেড়ে দেয়া হত ৷ তার একটি লাঠিও ছিল ৷ ইাটার সময় তার উপর ভর করে
তিনি চলতেন ৷ এর কথইি সতীহ তার আপন ভাতিজা আবদুল মাসীহ ইবন নুফায়লাকে
বলেছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন, ওহে আবদুল মাসীহ ! যখন তিলাওতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে,
লাঠিধারী আত্মপ্রকাশ করবেন ৷ সাওয়াহ্রদ শুকিয়ে যাবে তখন এ সুবিন্তুত শামদেশ আর সতীহ
এর জন্যে শামদেশ থাকবে না ৷ এই জিনিসগুলিকে হযরত মুসা (আ) এর লাঠি সাপ হওয়ার
ঘটনার সাথে উল্লেখ করাটা খুবই যুক্তিসঙ্গত ৷ কেননা এটি তার সমতুল্য ৷ কিন্তু রাসুলুল্পাহ্
(সা)-এর বিষয়গুলি ছিল একাধিক ও ভিন্ন ভিন্ন, পক্ষান্তরে মুসা (আ) এর লাঠিটি যদিও
বারবার সাপ হয়েছে, কিন্তু তা’ছিল একটিই ৷ এ আলোচনা হযরত ঈসা (আ) কর্তৃক মৃতকে
জীবিত করা প্রসঙ্গে আলোচিত হবে ৷ যেহেতু ঈসা (আ)-এর এ ঘটনা অধিক আশ্চর্যজনক ও
সুস্পষ্ট ৷

এরপর আমাদের শায়খ মুসা (আ)-এর সাথে আল্লাহর কথোপর্কথনের প্রসঙ্গ উল্লেখ
করেছেন ৷ অতঃপর বলেছেন যে, মিরাজ রজনীতে নবী করীম (সা)-এর সাথে আল্লাহর
দীদারসহ কথাবার্তা হয়েছে ৷ নিঃসন্দেহে এটা মুসা (আ)-এর ঘটনা অপেক্ষা অধিক তাৎপর্যবহ ৷
মুসা (আ) এর মুজিযার সাথে ইস্রা রাত্রের তুলনা করা হয়েছে ৷ ঐ রাত্রে নবী করীম
(সা) কে ডেকে বলা হয়, হে মুহাম্মদ তোমাকে দু টো ফরজের দায়িত্ব দেয়া হল এবং আমার
বান্দাদের জন্য দ যিহু কমিয়ে দেয়৷ হল ৷ ঘটনার ধারাবাহিকতা থেকে এরই প্রমাণ পাওয়া
যায় ৷ আল্লাহর সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কথোপকথন হয়েছে এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই ৷
কতিপয় আলিম এ ব্যাপারে ইজমা হওয়ার কথাও বলেছেন ৷ তবে কাযী ইয়ায ভিন্ন মতের


هَذَا الْحَدِيثَ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَعَنْهُمْ أَعْدَادٌ مِنَ التَّابِعِينَ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِمْ آخَرُونَ عَنْهُمْ، لَا يُمْكِنُ تَوَاطُؤُهُمْ عَلَى الْكَذِبِ، فَهُوَ مَقْطُوعٌ بِهِ فِي الْجُمْلَةِ، وَأَمَّا تَخْيِيرُ الْجِذْعِ كَمَا ذَكَرَهُ شَيْخُنَا فَلَيْسَ بِمُتَوَاتِرٍ، بَلْ وَلَا يَصِحُّ إِسْنَادُهُ، وَقَدْ أَوْرَدْتُهُ فِي الدَّلَائِلِ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، وَذُكِرَ فِي " مُسْنَدِ أَحْمَدَ "، " وَسُنَنِ ابْنِ مَاجَهْ "، وَعَنْ أَنَسٍ مِنْ خَمْسِ طُرُقٍ إِلَيْهِ، صَحَّحَ التِّرْمِذِيُّ إِحْدَاهَا، وَرَوَى ابْنُ مَاجَهْ أُخْرَى، وَأَحْمَدُ ثَالِثَةً، وَالْبَزَّارُ رَابِعَةً، وَأَبُو نُعَيْمٍ خَامِسَةً، وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبَدِ اللَّهِ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ طَرِيقَيْنِ عَنْهُ، وَالْبَزَّارُ مِنْ ثَالِثَةٍ وَرَابِعَةٍ، وَأَحْمَدُ مِنْ خَامِسَةٍ وَسَادِسَةٍ، وَهَذِهِ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ فِي " مُصَنَّفِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ " عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ " وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي " مُسْنَدِ أَحْمَدَ " وَ " سُنَنِ ابْنِ مَاجَهْ " بِإِسْنَادٍ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، وَرَوَاهُ أَحْمَدُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ فِي " مُسْنَدِ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ " بِإِسْنَادٍ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْهُ، وَعَنْ عَائِشَةَ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ طَرِيقِ عَلِيِّ بْنِ أَحْمَدَ الْجَوَارِبِيِّ، عَنْ قَبِيصَةَ، عَنْ حِبَّانَ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ صَالِحِ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ، وَفِيهِ أَنَّهُ خَيَّرَهُ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَاخْتَارَ الْجِذْعُ الْآخِرَةَ، وَغَارَ حَتَّى ذَهَبَ، فَلَمْ يُعْرَفْ. وَهَذَا غَرِيبٌ إِسْنَادًا وَمَتْنًا.
পৃষ্ঠা - ৫১৮২
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ بِإِسْنَادٍ جَيِّدٍ، وَقَدَّمْتُ الْأَحَادِيثَ بِبَسْطِ أَسَانِيدِهَا وَتَحْرِيرِ أَلْفَاظِهَا وَعَزْوِهَا بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ عَنْ إِعَادَتِهِ هَا هُنَا، وَمَنْ تَدَبَّرَهَا حَصَلَ لَهُ الْقَطْعُ بِذَلِكَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. قَالَ الْقَاضِي عِيَاضُ بْنُ مُوسَى السَّبْتِيُّ الْمَالِكِيُّ فِي كِتَابِهِ " الشِّفَا ": وَهُوَ حَدِيثٌ مَشْهُورٌ مُنْتَشِرٌ مُتَوَاتِرٌ خَرَّجَهُ أَهْلُ الصَّحِيحِ. وَرَوَاهُ مِنَ الصَّحَابَةِ بِضْعَةَ عَشْرَ، مِنْهُمْ أُبَيٌّ، وَجَابِرٌ، وَأَنَسٌ وَبُرَيْدَةُ وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ وَابْنُ عَبَّاسٍ وَابْنُ عُمَرٍ وَالْمُطَّلِبُ بْنُ أَبِي وَدَاعَةَ وَأَبُو سَعِيدٍ وَأُمُّ سَلَمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. قَالَ شَيْخُنَا: فَهَذِهِ جَمَادَاتٌ وَنَبَاتَاتٌ، وَقَدْ حَنَّتْ وَتَكَلَّمَتْ وَفِي ذَلِكَ مَا يُقَابِلُ انْقِلَابَ الْعَصَا حَيَّةً. قُلْتُ: وَسَنُشِيرُ إِلَى هَذَا عِنْدَ ذِكْرِ مُعْجِزَاتِ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي إِحْيَائِهِ الْمَوْتَى بِإِذْنِ اللَّهِ تَعَالَى فِي ذَلِكَ، كَمَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنْ أَبِي أَحْمَدَ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَوَّادٍ قَالَ: قَالَ لِيَ الشَّافِعِيُّ: مَا أَعْطَى اللَّهُ نَبِيًّا مَا أَعْطَى مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقُلْتُ أَعْطَى عِيسَى إِحْيَاءَ الْمَوْتَى. فَقَالَ: أَعْطَى مُحَمَّدًا الْجِذْعَ الَّذِي كَانَ يَخْطُبُ إِلَى جَنْبِهِ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৩

উল্লেখ করেছেন ৷ অবশ্য আল্পাহ্কে দেখার ব্যাপারে সাহাব ও পরবর্তী আলিমগণের মধ্যে প্রচণ্ড
মতভেদ আছে ৷ ইমামগণের মধ্যে ইমামুল আইম্ম৷ আবু বকর মুহাম্মদ ইবন ইসহাক, কাষী
ইয়ায, শায়খ মুহি উদ্দীন নববী দেখার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন ৷ হযরত ৩ইবন আব্বাস (রা)
থেকে দেখার পক্ষে ও বিপক্ষে দুই ম৩ ই বর্ণিত হয়েছে-মুসলিম শরীফে এর উল্লেখ আছে ৷
হযরত আয়েশা (রা) আল্লাহ্কে দেখার কথা অস্বীকার করেছেন-বুখারী ও মুসলিম ৷ সুরা
নাজমের শুরুতে দৃ’বড়ার দর্শন লাভের যে কথা উল্লেখ হয়েছে, সে সম্পর্কে হযরত ইবন মাসউদ,
আবু হুরায়রা , আবু যায় ও আয়েশা (রা) বলেন, এখানে জিবরাঈল (আ) কে দেখার কথা বলা
হয়েছে ৷ মুসলিম শরীফে আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আপনি কি আল্লাহ্কে দেখেছেন? তিনি বললেন, আমাকে নুর দেখান হয়েছে বা
আমি নুর দেখতে পেয়েছি ৷ এ প্রসঙ্গে সীরাত গ্রন্থে মিরাজ প্রসঙ্গে এবং তাফসীর গ্রন্থে সুরা
ব,নী ইসরাঈলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ হযরত মুসা (আ)-এর মুজিযা সম্পর্কে
আমাদের শায়খ এসব আলোচনা করেছেন ৷

এতদ্ব্যতীত আরও কথা হল, মুসা (আ) আল্লাহ্র সাথে কথা বলেছেন সিনাই পর্বতে এবং
আল্লাহ্কে দেখার আবেদন জানালে আল্লাহ তা প্রত্যাখান করেন ৷ পক্ষান্তরে মুহাম্মদ (না)-এর
সাথে আল্লাহ্ কথা বলেছেন সপ্ত আকাশ ও বন্তু জগতের উভ্রুর্ধ্ব উঠিয়ে নিয়ে-যেখান থেকে
ফেরেশতাদের কলমের লেখার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন ৷ শুধু কথা বলা-ই নয়, উম্মতের বিপুল

ৎখ্যক আলিমের মতে তিনি আল্পাহ্র দীদারও লাভ করেছিলেন ৷

ইবন হামিদ এ বিষয়টিকে তার কিভাবে সুন্দরভাবে আলোচনা করেছেন যেমনহ্র মুসা
এবং আমি আমার
পক্ষ থেকে তোমার উপর ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম” (২০ তা-হা ৩৯) ৷

আর মুহাম্মদ (না)-কে লক্ষ্য করে আল্লাহ বলেছেন :

০’ণ্ষ্” ও! ৩ ৩ : : ৩ ; শ্ ’ ষ্’ষ্ :

(’ @


“বল, তোমরা যদি আল্লাহ্কে ভালবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, আল্লাহ্ তোমাদেরকে

ভালবাসবেন, এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন ৷ আল্লাহ্ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”
(আলে ইমরান৪ ৩১) ৷

হযরত মুসার হাত-যাকে ফিরআউন ও তার দলের বিরুদ্ধে প্রমাণ স্বরুপ দেয়া হয়েছিল,
সে সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা লাঠির সাপ হওয়ার ঘটনার পরে বলেন



“ তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, তা বের হয়ে আসবে শুভ্র সমুজ্জ্বল নির্দোষভাবে ৷ ভয়
দুর করার জন্য তোমার হস্তদ্বয় নিজের দিকে চেপে ধর ৷ এ দু’টি তোমার প্রতিপালক প্রদত্ত
প্রমাণ ফিরআউন ও তার পরিষদবর্গের জন্য (২৮ কাসাস : ৩২) ৷


حَتَّى هُيِّئَ لَهُ الْمِنْبَرُ، فَلَمَّا هُيِّئَ لَهُ حَنَّ الْجِذْعُ حَتَّى سَمِعَ صَوْتَهُ، فَهَذَا أَكْبَرُ مِنْ ذَلِكَ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَى الشَّافِعِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَهُوَ مِمَّا كُنْتُ أَسْمَعُ شَيْخَنَا الْحَافِظَ أَبَا الْحَجَّاجِ الْمِزِّيَّ، رَحِمَهُ اللَّهُ يَذْكُرُهُ عَنِ الشَّافِعِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ، وَإِنَّمَا قَالَ: فَهَذَا أَكْبَرُ مِنْ ذَلِكَ؛ لِأَنَّ الْجِذْعَ لَيْسَ مَحَلًّا لِلْحَيَاةِ، وَمَعَ هَذَا حَصَلَ لَهُ شُعُورٌ وَوَجْدٌ لَمَّا تَحَوَّلَ عَنْهُ إِلَى الْمِنْبَرِ، فَأَنَّ وَحَنَّ حَنِينَ الْعِشَارِ حَتَّى نَزَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاحْتَضَنَهُ وَسَكَّنَهُ حَتَّى سَكَنَ. قَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: فَهَذَا الْجِذْعُ حَنَّ إِلَيْهِ، فَإِنَّهُمْ أَحَقُّ أَنْ يَحِنُّوا إِلَيْهِ. وَأَمَّا عَوْدُ الْحَيَاةِ إِلَى جَسَدٍ كَانَتْ فِيهِ بِإِذْنِ اللَّهِ فَعَظِيمٌ، وَهَذَا أَعْجَبُ وَأَعْظَمُ مِنْهُ إِيجَادُ حَيَاةٍ وَشُعُورٍ فِي مَحَلٍّ لَيْسَ مَأْلُوفًا لِذَلِكَ، لَمْ تَكُنْ فِيهِ قَبْلُ بِالْكُلِّيَّةِ، فَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ. تَنْبِيهٌ: وَقَدْ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِوَاءٌ يُحْمَلُ مَعَهُ فِي الْحَرْبِ يَخْفِقُ فِي قُلُوبِ أَعْدَائِهِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَانَتْ لَهُ عَنَزَةٌ تُحْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَإِذَا أَرَادَ الصَّلَاةَ إِلَى غَيْرِ جِدَارٍ وَلَا حَائِلَ رُكِزَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَانَ لَهُ قَضِيبٌ يَتَوَكَّأُ عَلَيْهِ إِذَا مَشَى، وَهُوَ الَّذِي عَبَّرَ عَنْهُ سَطِيحٌ فِي قَوْلِهِ لِابْنِ أَخِيهِ عَبْدِ الْمَسِيحِ بْنِ بُقَيْلَةَ: يَا عَبْدَ الْمَسِيحِ، إِذَا كَثُرَتِ التِّلَاوَهْ، وَظَهْرَ صَاحِبُ الْهِرَاوَهْ، وَغَاضَتْ بُحَيْرَةُ سَاوَهْ، فَلَيْسَتِ الشَّامُ لِسَطِيحٍ شَامًا. وَلِهَذَا كَانَ ذِكْرُ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ عِنْدَ إِحْيَاءِ عَصَا مُوسَى وَجَعْلِهَا حَيَّةً أَلْيَقَ ; إِذْ هِيَ مُسَاوِيَةٌ لِذَلِكَ، وَهَذِهِ مُتَعَدِّدَةٌ كَثِيرَةٌ فِي مَحَالٍّ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৪

সুরা তা-হায় এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বলা হয়েছেং @ ৷ ট্রুণ্ ,াৰু,ঠু;৷ এেন্শু ৷ ৷
এে)ং’বু’৷ ৷ “এটা (তোমাকে দেয়া হল) অপর এক নিদর্শন স্বরুপ ৷ এটি এজন্যে যে, আমি
তোমাকে দেখার আমার মহা নির্দশ ৷নগুলাের কিছু” (তা-হাং : ২২২৩) ৷
পক্ষান্তরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দান করা হয়েছে-আঙ্গুলের ইশারায় চন্দ্রকে দ্বি-খণ্ডিতৰুরণ;
যায় এক খণ্ড তার সম্মুখে এবং আর এক খণ্ড হেরা পর্বতের পশ্চাতে অবস্থান করে ৷ এ প্রসঙ্গে
পুর্বে মুতাওাতির হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সাথে সাথে নিম্নের আয়াতটিও সেখানে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷

৷ : ৪ ৷ ষ্ ৷ শ্ ষ্ ন্ ষ্

, দু, ৷


“কিয়ামত আসন্ন, চন্দ্র ৰিদীর্ণ হয়েছে ৷ ওরা কোন নিদর্শন দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং
বলে, এতো চিরাচরিত যাদৃ” ( ৫৪ কামার৪ ১ ,২) ৷

নিঃসন্দেহে হযরত মুসা (আ)-এর উপরোক্ত মুজিযার তুলনায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
মুজিযা অত্যন্ত বড়, অতি উরুর্ধ্বর ও অতি সুস্পষ্ট ৷

হযরত কাব ইবন মালিক (রা)-এর তাওবার ঘটনার দীর্ঘ হাদীস র্বুখারীতে বর্ণিত
হয়েছে ৷ ঐ হাদীসের এক স্থানে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন কোন দিকে যেতেন তখন
তার চেহার ণ্জ্যাতির্ময় হয়ে উঠত-মনে হত যেন চচন্দ্রর একটি টুকরো বিশেষ ৷ ইবন হামিদ
বলেন, আহলি কিতাবগণ যদি বলে, মুসা (আ)-কে উজ্জ্বল হস্ত দান করা হয়েছে তবে
তাদেরকে আমরা বলব যে, তার চাইতেও অধিক আশ্চর্যকর জিনিস রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে দেয়া
হয়েছে-তা হল আল্লাহ্ তাকে এমন নুর দান করেছিলেন যে, যেখানেই তিনি বসতেন বা যেখান
থেকেই উঠতেন তার ডানে ও বায়ে ঐ নুরের আলো ছড়িয়ে পড়তে৷ ৷ এবং সকলে তা প্রত্যক্ষ
করতেন ৷ কিয়ামত পর্যন্ত সে নুর বিদ্যমান থাকবে ৷ তইিতো এক দিন ও এক রাতের দুরতু
থেকে তার কবরের উপর সুউচ্চ নুর দেখতে পাওয়া যায় ৷ তবে এ বক্তব্যটি অতন্তে গরীব

পর্যায়ের ৷

তৃফায়ল ইবন আমর আদ দাওসীর ইসলাম গ্রহণের ঘটনায় বলা হয়েছে যে, তিনি যখন

ইসলাম গ্রহণ করার জন্যে এসেছিলেন তখন নবী করীম (সা) এর নিকট বলেছিলেন, আমাকে
একটা নিদর্শন দিন যা দ্বারা আমি আমার সম্প্রদায়কে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করত পারি ৷ এ
কথা বলতেই তার কপালে একটা নুর প্রদীপের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে উঠল ৷ তিনি বললেন, এ
স্থানে (চেহারা) নয়, এরুপ দেখলে তাে তারা বলবে আমার চেহার বিকৃত হয়ে গেছে ৷ তখন
নুরটি স্থানান্তরিত হয়ে তার লাঠির প্রান্তে চলে যায় ৷ এভাবে তিনি তার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে
, এলে সকলেই তা প্রদীপের ন্যায় সমুজ্জ্বল দেখতে পায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বরকতে ও দুআয়
গোটা সম্প্রদায় ইসলামে দীক্ষিত হয় ৷ তিনি এই বলে দু আ করেছিলেন ৷ট্রুড় ১ ৷ ন্া ৷
ন্শং , ৷ এ “হে আল্লাহ ! দাওস গোত্রকে সু-পথ দেখাও এবং তাদেরকে এনে দিন” ৷ এ ঘটনার
পর র্চুথকে তৃফায়লকে যুন-নুর (জ্যেড়াতিধারী) বলে আখ্যায়িত করা হতো ৷


مُتَفَرِّقَةٍ، بِخِلَافِ عَصَا مُوسَى، فَإِنَّهَا وَإِنْ تَعَدَّدَ جَعْلُهَا حَيَّةً، فَهِيَ ذَاتٌ وَاحِدَةٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ نُنَبِّهُ عَلَى ذَلِكَ عِنْدَ ذِكْرِ إِحْيَاءِ الْمَوْتَى عَلَى يَدِ عِيسَى ; لِأَنَّ هَذِهِ أَعْجَبُ وَأَكْبَرُ وَأَظْهَرُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ شَيْخُنَا: وَأَمَّا أَنَّ اللَّهَ كَلَّمَ مُوسَى تَكْلِيمًا، فَقَدْ تَقَدَّمَ حُصُولُ الْكَلَامِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ، فَيَشْهَدُ لَهُ: «فَنُودِيتُ: أَنْ يَا مُحَمَّدُ، قَدْ كَمَّلْتُ فَرِيضَتِي وَخَفَّفْتُ عَنْ عِبَادِي» . وَسِيَاقُ بَقِيَّةِ الْقِصَّةِ يُرْشِدُ إِلَى ذَلِكَ، وَقَدْ حَكَى بَعْضُ الْعُلَمَاءِ الْإِجْمَاعَ عَلَى ذَلِكَ، لَكِنْ رَأَيْتُ فِي كَلَامِ الْقَاضِي عِيَاضٍ نَقْلَ خِلَافٍ فِيهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا الرُّؤْيَةُ فَفِيهَا خِلَافٌ مَشْهُورٌ بَيْنَ الْخَلَفِ وَالسَّلَفِ، وَنَصَرَهَا مِنَ الْأَئِمَّةِ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ الْمَشْهُورُ بِإِمَامِ الْأَئِمَّةِ، وَاخْتَارَ ذَلِكَ الْقَاضِي عِيَاضٌ وَالشَّيْخُ مُحْيِي الدِّينِ النَّوَوِيُّ، وَجَاءَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ تَصْدِيقُ الرُّؤْيَةِ، وَجَاءَ عَنْهُ تَقْيِيدُهَا بِالْفُؤَادِ، وَكِلَاهُمَا فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ ". وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ عَائِشَةَ إِنْكَارُ ذَلِكَ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي الْإِسْرَاءِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي ذَرٍ وَعَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، أَنَّ الْمَرْئِيَّ فِي الْمَرَّتَيْنِ الْمَذْكُورَتَيْنِ فِي أَوَّلِ سُورَةِ " النَّجْمِ " إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ أَبِي ذَرٍ قَالَ: قُلْتُ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ رَأَيْتَ رَبَّكَ؟ فَقَالَ: " نُورٌ أَنَّى أَرَاهُ؟» . وَفِي رِوَايَةٍ: " رَأَيْتُ نُورًا ". وَقَدْ تَقَدَّمَ بَسْطُ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৫
ذَلِكَ فِي الْإِسْرَاءِ فِي السِّيرَةِ وَفِي " التَّفْسِيرِ " فِي أَوَّلِ سُورَةِ " بَنِي إِسْرَائِيلَ " وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ شَيْخُنَا فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِالْمُعْجِزَاتِ الْمُوسَوِيَّةِ - عَلَيْهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالسَّلَامِ -. وَأَيْضًا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى كَلَّمَ مُوسَى وَهُوَ بِطُورِ سَيْنَاءَ، وَسَأَلَ الرُّؤْيَةَ فَمُنِعَهَا، وَكَلَّمَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ وَهُوَ بِالْمَلَأِ الْأَعْلَى حِينَ رُفِعَ لِمُسْتَوًى يَسْمَعُ فِيهِ صَرِيفَ الْأَقْلَامِ، وَحَصَلَتْ لَهُ الرُّؤْيَةُ فِي قَوْلِ طَائِفَةٍ كَبِيرَةٍ مِنْ عُلَمَاءِ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ رَأَيْتُ ابْنَ حَامِدٍ قَدْ طَرَقَ هَذَا فِي كِتَابِهِ وَأَجَادَ وَأَفَادَ. وَقَالَ ابْنُ حَامِدٍ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِمُوسَى: {وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِنِّي} [طه: 39] . وَقَالَ لِمُحَمَّدٍ: {قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [آل عمران: 31] . وَأَمَّا الْيَدُ الَّتِي جَعَلَهَا اللَّهُ بُرْهَانًا وَحُجَّةً لِمُوسَى عَلَى فِرْعَوْنَ وَقَوْمِهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى بَعْدَ ذِكْرِ صَيْرُورَةِ الْعَصَا حَيَّةً: {اسْلُكْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ تَخْرُجْ بَيْضَاءَ مِنْ غَيْرِ سُوءٍ وَاضْمُمْ إِلَيْكَ جَنَاحَكَ مِنَ الرَّهْبِ فَذَانِكَ بُرْهَانَانِ مِنْ رَبِّكَ إِلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ} [القصص: 32] . وَقَالَ فِي سُورَةِ " طه ": {آيَةً أُخْرَى لِنُرِيَكَ مِنْ آيَاتِنَا الْكُبْرَى} [طه: 22] [الْقَمَرِ: 1، 2] .
পৃষ্ঠা - ৫১৮৬


বুখারী প্রভৃতি গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত উসায়দ ইবন হুযায়র ও আব্বাদ ইবন বিশৃর
একদা অন্ধকার রাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমত থােক বিদায় গ্রহণ করে ৷ পথে দু’জন্বের
মধ্যে এক জনের লাঠির একপাশ উজ্জ্বল আলোকিত হয়ে যায় ৷ আরও অগ্রসর হয়ে যখন তারা
উভয়ে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তখন উভয়ের লাঠির প্রান্তাদশ আলোয় ভরে যায় ৷ আবু
যুরআ আর রাযী কিতাবুদ দালইিলে হযরত আনড়াস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন,
আব্বাদ ইবন ও উসায়দ ইবন যুবায়র একদা ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
খিদমত থেকে বিদায় নেন ৷ এ সময়ে একজনের লাঠির এক প্রান্ত প্রদীপের ন্যায় আলোকিত
হয়ে যায় ৷ তারা সে আলোয় পথ অতিক্রম করতে থাকে ৷ যখন উভয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজ নিজ
বাসন্থানের দিকে রওয়ানা হয়ে যান, তখন তাদের উভয়ের লাঠিই আলোকিত হয় ৷ আবু ঘুরআ
ইব্রাহীম ও ইয়াকুবের বরাতে হযরত আমর আল আসলামী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, একদা ঘোর আধার রাতে আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে এক সফরে বের হই ৷
হঠাৎ আমার একটি আঙ্গুল উজ্জ্বল আলোকিত হয়ে উঠে ৷ সাথীরা এসে তাদের পিঠ আমার যে
প্রজ্জ্বলিত আঙ্গুলের উপর চেপে ধরে; কিন্তু তাতে কারও কোন ক্ষতি হয়নি ৷ অথচ আমার
আঙ্গুল তখনো আলো ছড়াচ্ছিল ৷

হিশাম ইবন আমার আবৃত তায়্যাহ্ যাবীয়ী থেকে বর্ণনা করেন ৷ মুতাররাফ ইবন
আবদুল্লাহ্ প্রতি জুমু আয় কবরস্থানে উপস্থিত হতেন ৷ অনেক সময় তার লাঠির সাথে নুর দেখা
যেত ৷ এক রাতে ঘোড়ার চড়ে তিনি কবরস্থানে উপস্থিত হলে কবর ভেঙ্গে পড়ে ৷ মুতাররাফ
বলেন, আমি দেখলাম, প্রত্যেক কবরবাসী নিজ নিজ কবরের উপর বসে রয়েছে এবং বলছে
ইনি মুতাররাফ প্রতি জুমুআয় এখানে আসেন ৷ আমি বললাম, জুমুআয় জিনের উপস্থিতি কি
আপনারা টের পান? কবররাসী বললেন, ই৷ ৷ এদিনে পাখিরা কি বলে তাও আমরা টের পইি ৷

জিজ্ঞেস করলাম, পাখিরা এ দিনে কী বলে? তারা উত্তর দিলেন, পাখিরা বলতে থাকে ; ’,

ব্লুা৷ট্রু ণ্টুও ন্এ ট্রু ংণ্দ্বু ঠু “হে আল্লাহ্, নেক্কার সম্প্রদায়কে নিরাপদে রাখুন” ৷

মুসা (আ) তার জাতির বিরুদ্ধে তৃফান দ্বারা শাস্তি দেয়ার প্রার্থনা করেছিলেন ৷ এখানে
তৃফান দ্বারা অর্থ আকস্মিক মৃত্যু এবং দুর্তিক্ষ, মহামারী ইত্যাদি নিদর্শনাদি ৷ এ বদ-দুআর
উদ্দেশ্য ছিল যাতে তারা নবীর অনুসারী হয় এবং বিরোধিতা ছেড়ে দেয় ৷ কিন্তু এতে তারা
আরও অধিক বিরোধীতা ও বিদ্রোহী হয়ে উঠে ৷ আল্লাহ্ বলেন

১; ; ৰু; ব্লু ; ’,৷ ; ৷ ৷ব্লু;দ্বুা, ;১াব্লুচুহ্রা, ৷”, ’ পুণ্,ষ্ ’,বুব্রা ম্বুন্^ শ্৷ ৷ হু;৷ £> এ ন্ন্াহুণ্ঢুও ৮১১

াটুা৷ট্র,

“আমি ওদেরকে এমন কোন নিদর্শন দেখাইনি যা তার অনুরুপ নিদর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ নয় ৷

আমি ওদেরকে শাস্তি দিলাম যাতে ওরা ফিরে আসে ৷ ওরা বলেছিল, হে যাদুকর ! তোমার

প্রতিপালকের নিকট তুমি আমাদের জন্যে তইি প্রার্থনা কর, যা তিনি তোমার সাথে অঙ্গীকার
করেছেন; তা হলে আমরা অবশ্যই সৎপথ অবলম্বন করব” (৪৩ : ৪ ৮ : ৯) ৷

০ : )

াপ্রু১াৰুএ


وَلَا شَكَّ أَنَّ هَذَا أَجَلُّ وَأَعْظَمُ وَأَبْهَرُ فِي الْمُعْجِزَاتِ، وَأَشْهَرُ وَأَعْظَمُ وَأَعَمُّ وَأَظْهَرُ وَأَبْلَغُ مِنْ ذَلِكَ، وَقَدْ قَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ فِي حَدِيثِهِ الطَّوِيلِ فِي قِصَّةِ تَوْبَتِهِ: «وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سُرَّ اسْتَنَارَ وَجْهُهُ كَأَنَّهُ فِلْقَةُ قَمَرٍ» . وَذَلِكَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ ". وَقَالَ ابْنُ حَامِدٍ: قَالُوا: فَإِنَّ مُوسَى أُعْطِيَ الْيَدَ الْبَيْضَاءَ. قُلْنَا لَهُمْ: فَقَدْ أُعْطِيَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا هُوَ أَفْضَلُ مِنْ ذَلِكَ، نُورًا كَانَ يُضِيءُ عَنْ يَمِينِهِ حَيْثُمَا جَلَسَ، وَعَنْ يَسَارِهِ حَيْثُمَا جَلَسَ وَقَامَ، يَرَاهُ النَّاسُ كُلُّهُمْ وَقَدْ بَقِيَ ذَلِكَ النُّورُ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ، أَلَا تَرَى أَنَّهُ يُرَى النُّورُ السَّاطِعُ مِنْ قَبْرِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَسِيرَةِ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ؟ هَذَا لَفْظُهُ، وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ مِنْ هَذَا النُّورِ غَرِيبٌ جِدًّا، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي السِّيرَةِ عِنْدَ إِسْلَامِ الطُّفَيْلِ بْنِ عَمْرٍو الدَّوْسِيِّ، أَنَّهُ طَلَبَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آيَةً تَكُونُ لَهُ عَوْنًا عَلَى إِسْلَامِ قَوْمِهِ، فَدَعَا لَهُ وَذَهَبَ إِلَى قَوْمِهِ، فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَى قَوْمِهِ مِنْ ثَنِيَّةٍ هُنَاكَ، فَسَطَعَ نُورٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَالْمِصْبَاحِ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ ; فَإِنَّهُمْ يَظُنُّونَهُ مُثْلَةً. فَتَحَوَّلَ النُّورُ إِلَى طَرَفِ سَوْطِهِ فَجَعَلُوا يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ كَالْمِصْبَاحِ، فَهَدَاهُمُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ بِبَرَكَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِدُعَائِهِ لَهُمْ فِي قَوْلِهِ: «اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَأْتِ بِهِمْ» . وَكَانَ يُقَالُ لِلطُّفَيْلِ: ذُو النُّورِ لِذَلِكَ. وَذَكَرْنَا أَيْضًا حَدِيثَ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ وَعَبَّادِ بْنِ بِشْرٍ فِي خُرُوجِهِمَا مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ، فَأَضَاءَ لَهُمَا طَرَفُ عَصَا أَحَدِهِمَا، فَلَمَّا افْتَرَقَا أَضَاءَ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৭
لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا طَرَفُ عَصَاهُ، وَذَلِكَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " وَغَيْرِهِ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الرَّازِيُّ فِي كِتَابِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ": حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَبَّادَ بْنَ بِشْرٍ وَأُسَيْدَ بْنَ حُضَيْرٍ خَرَجَا مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ ظَلْمَاءَ حِنْدِسٍ، فَأَضَاءَتْ عَصَا أَحَدِهِمَا مِثْلَ السِّرَاجِ وَجَعَلَا يَمْشِيَانِ بِضَوْئِهَا، فَلَمَّا تَفَرَّقَا إِلَى مَنْزِلِهِمَا أَضَاءَتْ عَصَا ذَا وَعَصَا ذَا. ثُمَّ رُوِيَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، وَعَنْ يَعْقُوبَ بْنِ حُمَيْدٍ الْمَدَنِيِّ، كِلَاهُمَا عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ يَزِيدَ الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سِرْنَا فِي سَفَرٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ ظَلْمَاءَ دُحْمُسَةٍ، فَأَضَاءَتْ أَصَابِعِي حَتَّى جَمَعُوا عَلَيْهَا ظَهْرَهُمْ وَمَا هَلَكَ مِنْهُمْ، وَإِنَّ أَصَابِعِي لَتُنِيرُ. وَرَوَى هَاشِمُ بْنُ عَمَّارٍ فِي " الْمَبْعَثِ ": حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَكْرِيُّ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ الضُّبَعِيُّ قَالَ: كَانَ مُطَرِّفُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يَبْدُو، فَيَدْخُلُ كُلَّ جُمُعَةٍ، فَرُبَّمَا نُوِّرَ لَهُ فِي سَوْطِهِ، فَأَدْلَجَ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৮

তারা বললাে আমাদেরকে যাদু করার জন্যে তুমি যে কোন নিদর্শন আমাদের নিকট পেশ
করনা কেন, আমরা তোমাকে বিশ্বাস করব না ৷ অতঃপর আমি তাদেরকে প্নাবন, পঙ্গপাল
উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত দ্বারা কষ্ট দেই ৷ এগুলি স্পষ্ট নিদর্শন, কিভু তারা দাম্ভিকই রয়ে গেল ৷ আর

তারা ছিল এক অপরাধী সম্প্রদায় ৷ এবং যখন তাদের উপর শাস্তি আসত, তারা বলত হে
মুসা! তমি তোমার প্রতিপলেকের নিকট আমাদের জন্যে প্রার্থনা কর ৷ তোমার সাথে তার যে
অঙ্গীকার রয়েছে সে অনুযায়ী যদি তুমি আমাদের থেকে শাস্তি অপসারিত কর তবে আমরা তো

তোমাকে বিশ্বাস করবই এবং বনী ইসরাঈলকেও তোমার সাথে যেতে দেব ৷ যখনই তাদের
উপর থেকে শাস্তি অপসারিত করতাম এবং নির্দিষ্ট কালের জন্যে যা তাদের জন্যে নির্ধারিত
ছিল, তারা তখনই তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করত ৷ সুতরাং আমি তাদেরকে শাস্তি দিয়েছি এবং
তাদেরকে অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত করেছি, কারণ তারা আমার নিদর্শনকে প্রত্যাখান করত এবং
এ সম্বন্ধে তারা ছিল পাজ্যি ( ৭ : ৩২-৩৬) ৷

অনুরুপ কুরায়শদের বিরুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইউসুফ (আ)-এর জাতির উপর সাত বছরের
দৃর্তিক্ষের মত সাত বছর দুর্ভিক্ষ দেওয়ার জন্যে বদদুআ করেন যখন তারা রাসুলের
বিরুদ্ধাচবণে যেতে উঠেছিল ৷ সুতরাং এ বদদুআর পরে কুরায়শরা কঠিন দুর্ডিংক্ষ পতিত হয়
এবং এমন কোন অখাদ্য ছিল না যা তারা এ সময়ে ভক্ষণ করেনি ৷ এমনকি ক্ষুধার৩ তীব্র জ্বালায়
আকাশ পর্যন্ত শুধু ধোয়ায় পরিপুর্ণ বলে মনে হত ৷ হযরত ইবন মাসউদ (রা) নিম্নের
আয়াতটির এ ব্যাখ্যইি করেছেন০ অতএব
তুমি অপেক্ষা কর সেই দিনের, যেদিন ধুম্নাচ্ছন্ন হয়ে আকাশ” (৪৪ : ১০) ৷ ইমাম বৃখারী তার
সহীহ্ গ্রন্থে একাধিক স্থানে ইবন মাসউদ এর বরাতে এ হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর
কুরায়শরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর রক্ত সম্পর্ক ও আত্মীয়তার খাতিরে এর থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার
জন্যে তার শরণাপন্ন হয় ৷ তাছাড়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছিলেন রাহমাতৃল ল-লিলু আলামীন ৷ সুতরাং
তিনি তাদের জন্যে দু আ করেন ৷ ফলে দুর্তিক্ষ দুর হয় এবং আমার ভুলে নেয়া হল এবং
ধ্বংসের মুখোমুখী হয়েও তারা রক্ষা পেল ৷

এবার মুসা (আ)-এর সমুদ্র বিভাজনের বিষয়টি দেখা যাক; ফিরআউনের দল যখন মুসা
(আ)এর দলের কাছাকাছি এল, তখন আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আ)-কে তারলাঠির দ্বারা
সমুদ্রে আঘাত করার নির্দেশ দেন ৷ ফলে সমুদ্রের পানি দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেল এবং প্রতিটি
ভাগ বিশাল পর্বত সদৃশ দেখাতে লাগল (শুআরা : ৬৩) ৷ এটা নিঃসন্দেহে মুসা (আ)-এর
একটি বড় মু’জিয৷ এবং নবুওভী প্রমাণের পক্ষে সুস্পষ্ট ও অকাট্য প্রমাণ ৷ ঘটনার বিস্তারিত
বিবরণ আমরা তাফসীর গ্রন্থে এবং এ কিতাবে নবীদের কাহিনী’ অধ্যায়ে বর্ণনা করেছি ৷ অপর
দিকে কুরায়শদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর পবিত্র অৎগুলির ইশারায় চাদ
দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় ৷ তখন ছিল পুর্গিমার রাত এবং কুরায়শদের উপস্থিতিতে এ ঘটনা সংঘটিত
হয় ৷ এ ঘটনা নি০সন্দেহে একটি ঐতিহাসিক ও বিস্ময়কর ঘটনা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নবুওতের উজ্জ্বল প্রমাণ এবং তার উচ্চ মর্যাদার দলীল ৷ কোন নবীর পক্ষ থেকেই এর চাইতে
বিস্ময়কর ইদ্রিয়গ্রাহ্য কোন ঘটনা ঘটেনি ৷ কুরআন ও সুন্নাহর দলীল দ্বারা তাফসীর কিভাবে
নবুওতের সুচনা অধ্যায়ে আমরা এর প্রমাণ পেশ করেছি ৷ এ ঘটনা হযরত ইউশা ইবন নুন
কর্তৃক শনিবার রাত্রের ঘটনায় কিছুক্ষণের জন্যে সুর্যকে গতিহীন রাখার ঘটনা থেকেও
অধিকতর আশ্চর্যজনক ৷ সামনে এ বিষয়ের আলোচনায় আমরা তা বিস্তারিতভাবে বলব ৷

ওো৷া


ذَاتَ لَيْلَةٍ وَهُوَ عَلَى فَرَسِهِ حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ الْمَقَابِرِ هُوِّمَ بِهِ، قَالَ: فَرَأَيْتُ صَاحِبَ كُلِّ قَبْرٍ جَالِسًا عَلَى قَبْرِهِ، قَالُوا: هَذَا مُطَرِّفٌ يَأْتِي الْجُمُعَةَ. فَقُلْتُ لَهُمْ: وَتَعْلَمُونَ عِنْدَكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ؟ قَالُوا: نَعَمْ، وَنَعْلَمُ مَا يَقُولُ فِيهِ الطَّيْرُ. قُلْتُ: وَمَا يَقُولُ فِيهِ الطَّيْرُ؟ قَالُوا: يَقُولُ: سَلَامٌ سَلَامٌ مِنْ يَوْمٍ صَالِحٍ. وَأَمَّا دُعَاؤُهُ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - بِالطُّوفَانِ وَهُوَ الْمَوْتُ الذَّرِيعُ فِي قَوْلٍ، وَمَا بَعْدَهُ مِنَ الْآيَاتِ وَالْقَحْطِ وَالْجَدْبِ، فَإِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ إِلَى مُتَابَعَتِهِ وَيُقْلِعُونَ عَنْ مُخَالَفَتِهِ، فَمَا زَادَهُمْ إِلَّا طُغْيَانًا كَبِيرًا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَمَا نُرِيهِمْ مِنْ آيَةٍ إِلَّا هِيَ أَكْبَرُ مِنْ أُخْتِهَا وَأَخَذْنَاهُمْ بِالْعَذَابِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ وَقَالُوا يَا أَيُّهَا السَّاحِرُ ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِنْدَكَ إِنَّنَا لَمُهْتَدُونَ} [الزخرف: 48] [الْأَعْرَافِ: 132 - 136] . وَقَدْ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قُرَيْشٍ حِينَ تَمَادَوْا عَلَى مُخَالَفَتِهِ بِسَبْعٍ كَسَبْعِ يُوسُفَ، فَقَحَطُوا حَتَّى أَكَلُوا كُلَّ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৯

পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আলা আল-হাযরামী, আবু উবায়দ আছ-ছাকাফী ও আবু
মুসলিম আল-খাওলানী এবং তাদের সঙ্গী সৈন্য বাহিনী দাজলা নদীর পানির উপর দিয়ে পায়ে
হেটে পাড়ি দিয়েছেন ৷ অথচ দাজলা নদীর বিক্ষুব্ধ স্রোতে গাছপালা, খড়কুটোর মত ভেসে
যেত ৷ এসব ঘটনাও হযরত মুসার জন্যে পানি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাওয়া থেকে কয়েক দিক দিয়ে
শ্রেষ্ঠ ৷ ইবন হামিদ বলেছেন, যদি বলা হয়, মুসা (আ) লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত করার ফলে
পানি দ্বি-খণ্ডিত হয়ে যায় ৷ সমুদ্রে আঘাত করার ফলে পানি দ্বি-খণ্ডিত হয়ে যায় ; সুতরাং এটা
মুসা (আ)-এর জন্যে একটা মুজিযা ৷ তবে এর উত্তরে বলা যাবে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ফেও
অনুরুপ মু’জিযা দেয়া হয়েছে ৷ হযরত আলী (বা) বলেছেন, আমরা যখন খায়বরে গেলাম তখন
একটা গভীর পার্বত্য খাদের নিকট গিয়ে উপনীত হলাম ৷ চৌদ্দজন মানুষের উচ্চতার
সমপরিমাণ গভীর ছিল ৷ লোকজন বললাে, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! শত্রু আমাদের পেছনে এসে গেছে
এবং খাদটি একেবারেই সামনে ৷ আমাদের অবস্থা এখান মুসা (আ) সঙ্গী-সাথীদের মত, যখন
তারা বলেছিল, আমরা শত্রুদের নাগালের মধ্যে পড়ে গেছি ঞা£ ) ৷ ৷ ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) বাহন থেকে অবতরণ করলেন এবং উট ও ঘোড়া সম্মুখপানে হাকিয়ে দিলেন, উট ও
ঘোড়ার ক্ষুর পর্যন্ত সামান্যতম র্ডিজেনি ৷ তাতে অনায়াসেই জয় মুসলমানদের হাতে এসে
গেল ৷ বিত্ম ইবন হামিদ এ হাদীসটি সুত্র উল্লেখ ছাড়াই বর্ণনা করেছেন ৷ কোন নির্ভরযোগ্য
গ্রন্থে সহীহ্, হাসান কিংবা যয়ীফ সুত্রেও এর উল্লেখ আমি পাই নি ৷

হযরত মুসা (আ)-কে তীহ্ ময়দানে মেঘমালার ছায়াদান প্রশ্নেও বলা যায়, হযরত মুহাম্মদ
(সা)-কেও এরুপ মেঘের ছায়া দান করা হয়েছিল ৷ বহীরা তাকে ছায়া দিতে প্রত্যক্ষ করেছেন ৷
পুর্বেই এ ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে ৷ চাচা আবু তালিবের সাথে সিরিয়ার বাণিজ্য উপলক্ষে
যাওয়ার সময় পথে এ ঘটনাটি ঘরুটিছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ছায়া দানের ঘটনা মুসা (আ)
ও বনী ইসরাঈলকে ছায়াদানের ঘটনা থেকে অধিকতর বিস্ময়কর ৷ কেননা রাসুলকে যখন
মেঘমালা ছায়াদান করেছিল, তখন তিনি নবুওতপ্রাপ্ত হননি, তার বয়স তখন ছিল মাত্র বার
বছর ৷ তা ছাড়া তার সফর সঙ্গীদের মধ্য থেকে প্রকাণ্ড মেঘ কেবল তাকেই ছায়াদান করেছিল ৷
অন্য কারও মাথার উপর সে ছায়া পড়েনি ৷ অন্য এক দিক থেকেও বনী ইসরাঈলের ছায়ার
ঘটনাকে পর্যালোচনা করা যায় ৷ তা হল বনী ইসরাঈল যখন প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে
এবং ছায়ার আশ্রয় গ্রহণের প্রয়োজনিয়তা প্রবলভাবে দেখা দেয় তখনই তাদেরকে মেঘের ছায়া
দান করা হয় ৷ পক্ষান্তরে দালাইলুন নুবুওওে তে’ আমরা উল্লেখ করেছি যে, দৃর্তিক্ষ কবলিত হয়ে
ক্ষুধা অবস্থায় তাড়িত হয়ে জনগণ একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট বৃষ্টির জন্য দুআ করার
আবেদন জানায় ৷ তখন তিনি দুহাত উঠিয়ে দু’অ৷ করলেন৪ ৷ ৷ স্পেৰুা৷ ৷ এে৷ স্পেপ্৷ ৷
া ৷ গোা৷ ৷ — হে আল্লাহ আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর ৩ বার ৷ হযরত আনাস বলেন,
আল্লাহর কসম ঐ সময়ে আকাশের কোথাও বিন্দু পরিমাণও মেঘের চিহ্নও ছিল না এবং
(মদীনায়) সালা পর্বত ও আমাদের মধ্যবর্তী স্থানে কোন ঘর-বাড়িও ছিল না ৷ বিক্ষ্ম হঠ৷ ৷ৎ দেখা
গেল ঐ সালা পর্বতের পশ্চাতে চালের আকারে এক খণ্ড মেঘ জমেছে ৷ যখন তা আকাশের
মধ্যখানে ভেসে এল তখন সম্প্রসারিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল এবং বৃষ্টি বর্ষিত হতে লাগল ৷ আনাস
বলেন, আল্লাহর কলম, আমরা ঐ সপ্তাহে আর সুর্যের মুখ দেখতে পাইনি ৷ অতঃপর লোকজন
পুনরায় বৃষ্টি বন্ধের জন্য দুআ করতে বললে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাত উঠিয়ে দুআ করলেন এবং


شَيْءٍ، وَكَانَ أَحَدُهُمْ يَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ مِثْلَ الدُّخَّانِ مِنَ الْجُوعِ. وَقَدْ فَسَّرَ ابْنُ مَسْعُودٍ قَوْلَهُ تَعَالَى: {فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ} [الدخان: 10] بِذَلِكَ، كَمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْهُ فِي غَيْرِمَا مَوْضِعٍ مِنْ " صَحِيحِهِ " ثُمَّ تَوَسَّلُوا إِلَيْهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، بِقَرَابَتِهِمْ مِنْهُ مَعَ أَنَّهُ بُعِثَ بِالرَّحْمَةِ وَالرَّأْفَةِ، فَدَعَا لَهُمْ فَأَقْلَعَ عَنْهُمْ وَرُفِعَ عَنْهُمْ، وَأُحْيُوا بَعْدَمَا كَانُوا أَشْرَفُوا عَلَى الْهَلَكَةِ. وَأَمَّا فَلْقُ الْبَحْرِ لِمُوسَى - عَلَيْهِ السَّلَامُ - حِينَ أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى - حِينَ تَرَاءَى الْجَمْعَانِ - أَنْ يَضْرِبَ الْبَحْرَ بِعَصَاهُ فَانْفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرْقٍ كَالطَّوْدِ الْعَظِيمِ، فَإِنَّهُ مُعْجِزَةٌ عَظِيمَةٌ بَاهِرَةٌ، وَحُجَّةٌ قَاطِعَةٌ قَاهِرَةٌ. وَقَدْ بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَفِي قَصَصِ الْأَنْبِيَاءِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا، وَفِي إِشَارَتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ إِلَى قَمَرِ السَّمَاءِ، فَانْشَقَّ فِلْقَتَيْنِ وَفْقَ مَا سَأَلَتْهُ قُرَيْشٌ وَهُمْ مَعَهُ جُلُوسٌ، فِي لَيْلَةِ الْبَدْرِ، أَعْظَمُ آيَةٍ، وَأَيْمَنُ دَلَالَةٍ، وَأَوْضَحُ حُجَّةٍ، وَأَبْهَرُ بِرِهَانٍ عَلَى نُبُوَّتِهِ وَوَجَاهَتِهِ عِنْدَ اللَّهِ تَعَالَى، وَلَمْ يُنْقَلْ مُعْجِزَةٌ عَنْ نَبِيٍّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ مِنَ الْآيَاتِ الْحِسِّيَّاتِ أَعْظَمُ مِنْ هَذَا، كَمَا قَرَّرْنَا ذَلِكَ بِأَدِلَّتِهِ مِنَ الْكِتَابِ وَالسَّنَةِ فِي " التَّفْسِيرِ " وَفِي أَوَّلِ الْبَعْثَةِ، وَهَذَا أَعْظَمُ مِنْ حَبْسِ الشَّمْسِ قَلِيلًا لِيُوشَعَ بْنِ نُونٍ حَتَّى تَمَكَّنَ مِنَ الْفَتْحِ لَيْلَةَ السَّبْتِ، كَمَا سَيَأْتِي فِي تَقْرِيرِ ذَلِكَ، مَعَ مَا يُنَاسِبُ ذِكْرَهُ عِنْدَهُ، وَقَدْ تَقَدَّمَ مِنْ مَسِيرِ
পৃষ্ঠা - ৫১৯০
الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، وَأَبِي عُبَيْدٍ الثَّقَفِيِّ، وَأَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ، وَسَائِرِ الْجُيُوشِ التى كَانَتْ مَعَهُمْ عَلَى تَيَّارِ الْمَاءِ، وَمِنْهَا دِجْلَةُ وَهِيَ جَارِيَةٌ عَجَاجَةٌ تَقْذِفُ بِالْخَشَبِ مِنْ شِدَّةِ جَرْيِهَا، وَتَقَدَّمَ تَقْرِيرُ أَنَّ هَذَا أَعْجَبُ مِنْ فَلْقِ الْبَحْرِ لِمُوسَى مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ ابْنُ حَامِدٍ: قَالُوا: فَإِنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، ضَرَبَ بِعَصَاهُ الْبَحْرَ، فَانْفَلَقَ فَكَانَ ذَلِكَ آيَةً لِمُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ. قُلْنَا: فَقَدْ أُوتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهَا. قَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «لَمَّا خَرَجْنَا إِلَى خَيْبَرَ، فَإِذَا نَحْنُ بَوَادٍ يَشْخَبُ، وَقَدَّرْنَاهُ فَإِذَا هُوَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ قَامَةً، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ الْعَدُوُّ مِنْ وَرَائِنَا وَالْوَادِي مِنْ أَمَامِنَا. كَمَا قَالَ أَصْحَابُ مُوسَى {إِنَّا لَمُدْرَكُونَ} [الشعراء: 61] . فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ إِنَّكَ جَعَلْتَ لِكُلِّ مُرْسَلٍ دَلَالَةً، فَأَرِنِي قُدْرَتَكَ ". فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَبَرَتِ الْخَيْلُ لَا تُبْدِي حَوَافِرَهَا، وَالْإِبِلُ لَا تُبْدِي أَخْفَافَهَا، فَكَانَ ذَلِكَ فَتْحًا» . وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ بِلَا إِسْنَادٍ لَا أَعْرِفُهُ فِي شَيْءٍ مِنَ الْكُتُبِ الْمُعْتَمَدَةِ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ وَلَا حَسَنٍ، بَلْ وَلَا ضَعِيفٍ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا تَظْلِيلُهُ بِالْغَمَامِ فِي التِّيهِ، فَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُ حَدِيثِ الْغَمَامَةِ الَّتِي رَآهَا بَحِيرَى تُظِلُّهُ مِنْ بَيْنِ أَصْحَابِهِ، وَهُوَ ابْنُ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، صُحْبَةَ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ، وَهُوَ قَاصِدٌ الشَّامَ فِي تِجَارَةٍ، وَهَذَا أَبْهَرُ مِنْ جِهَةِ أَنَّهُ كَانَ وَهُوَ قَبْلَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৫১৯১

বললেনং £;ট্রুদ্বু;১াট্রু ৷ওা৷ প্রুছু fl ৷ অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাদের পার্শবর্তী এলাকায় বৃষ্টি
নিয়ে যান ৷ আমাদের উপর আর দেবেন না ৷ যেই দিকের প্রতি ৩রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইশারা করলেন
মেঘ তৎক্ষণাৎ সেই দিকে নিয়ে জমা হল এবং মদীনায় আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেল ৷ ফলে
মদীনায় আশে পাশে বৃষ্টি হতে থাকে কিন্তু মদীনায় হয়নি ৷ এটাও ছিল এক প্রকার ছায়াদান
এবং তা ছিল ব্যাপক ৷ বনী ইসরাঈলের মেঘের ছায়ার প্রয়োজনের তুলনায় এর প্রয়োজন ছিল
অনেক বেশি এবং অধিক উপকারী ৷ মু’জিযার বিচারে এর গুরুতু ও মাহাত্ম্য অনেক বেশি ৷
বনী ইসরাঈলের উপর যেমন মান্ন৷ ওয়া সালওয়া নাযিল হয়েছিল তেমনি রাসুল করীম
(সা)-এর জীবনে বহু ক্ষেত্রে খাদ্য ও পানীয় প্রচুর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৷
দালাইলুন নবুওতে ’সে সবের উল্লেখ আছে ৷ যেমন সামান্য খাদ্য দ্বারা অসং খ্য লোকের
প্রয়েজ্যো মিটান ৷ উদাহরণ স্বরুপ খন্দকের যুদ্ধের সময় জাবির ইবন আবদুল্পাহ্ (রা)এর ছোট্ট
একটি বকরী এবং এক সা ১ যবের দ্বারা প্রায় এক হাজার ক্ষুধার্ত লোকের খাদ্য সংকুলান ৷ এক
মুষ্টি খাদ্য দ্বারা বিরাট এক জমাতের খাদ্য সমস্যা মিটান যা আকাশ থেকে নাযিল হয় ৷ এ
ধরনের ঘটনা রাসুলে করীম (সা)-এর জীবনে বহুবার সংঘটিত হয়েছে ৷ আবু নুআয়ম ও ইবন
হামিদ বলেছেন, মান্ন৷ এবং সালওয়া নামক খাদ্যদ্রব্য বনী ইসরাঈলকে দেওয়া হয়েহ্নিা, যার
জন্যে তাদের কোন শ্রম দিতে হয়নি ৷ পক্ষান্তরে, গনীমতের মাল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এবং
তার উম্মতের জন৷ হালাল করা হয়েছে, যা ইতিপুর্বে অন্য কারও জন্যে হালাল ছিল না ৷ জাবির
(রা)-এর ঘটনাও তারা উল্লেখ করেছেন ৷ হযরত জাবির (রা) যখন আবু উবায়দার সাহায্যার্থে
গমন করেন তখন সফরের সম্বল নিঃশেষ হওয়ায় অনাহারে তাকে থাকতে হয় ৷ এমনকি শুকনা
পাতা পর্যন্ত তিনি ভক্ষণ করতে বাধ্য হন ৷ তারপর সমুদ্র থেকে তাদের জন্যে একটি বিরাট মাছ
নিক্ষিপ্ত হয় ৷ ঐ মাছের নাম ছিল আম্বর ৷ ঐ দলের সমস্ত লোক ত্রিশ দিন পর্যন্ত ঐ মাছটি ভক্ষণ
করেন ৷ ফলে র্তাদের দেহ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে যায় এবং তাদের পেটের চামড়া মজবুত হয় ৷, এ হাদীস
সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে ৷ পরবর্তীতে হযরত ঈসা মাসীহ ইবন মাৱয়ামের আসমানী খাঞ্চার
আলোচনায় পুনরায় এর উল্লেখ করা হবে ৷

আবু মুসা আল-খাওলানীৱ ঘটনা
আবু মুসা খাওলানী একবার তার একদল শিষ্যসহ হক্কজ্জর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ রওয়ানা
হওয়ার প্রাক্কালে তিনি তাদেরকে নির্দেশ দিলেন, কেউ খাদ্য রসদ ও পথের সম্বল সাথে নিতে
পারবে না ৷ এরপর যখনই তারা কোন মনযিলে অবতরণ করতেন, তখনই দু ’রাকাআত সালাত
আদায় করতেন ৷ সালাত শেষ হলে তাদেরকে খাদ্য, পানীয় এবং তাদের বাহনের ঘাস দেওয়া
হত এবং তার প্রয়োজন অনুযায়ী দেওয়া হত ৷ যাওয়ার সময় এবং আসার সময় গোটা
সফরকালে সকাল সন্ধ্যায় তাদেরকে এভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয় ৷

মুসা (আ)-এর আর এক ঘটনা, যা নিম্নোক্ত আয়াতে ব্যক্ত করা হয়েছে :


১ সা প্রায় সোয়া তিন কেজি পরিমাণ ৷


يُوحَى إِلَيْهِ، وَكَانَتِ الْغَمَامَةُ تُظِلُّهُ وَحْدَهُ مِنْ بَيْنِ أَصْحَابِهِ، فَهَذَا أَشَدُّ فِي الِاعْتِنَاءِ، وَأَظْهَرُ مِنْ غَمَامٍ يُظِلُّ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَغَيْرَهُمْ. وَأَيْضًا فَإِنَّ الْمَقْصُودَ مِنْ تَظْلِيلِ الْغَمَامِ إِنَّمَا كَانَ لِاحْتِيَاجِهِمْ إِلَيْهِ مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي الدَّلَائِلِ حِينَ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَدْعُوَ لَهُمْ لِيُسْقَوْا لِمَا هُمْ عَلَيْهِ مِنَ الْجُوعِ وَالْجَهْدِ وَالْقَحْطِ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ اسْقِنَا، اللَّهُمَّ اسْقِنَا» ". قَالَ أَنَسٌ: وَلَا وَاللَّهِ مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابٍ وَلَا قَزَعَةٍ، وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ سَلْعٍ مِنْ بَيْتٍ وَلَا دَارٍ، فَأُنْشِأَتْ مِنْ وَرَائِهِ سَحَابَةٌ مِثْلُ التُّرْسِ، فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ. قَالَ أَنَسٌ: فَلَا وَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سَبْتًا، وَلَمَّا سَأَلُوهُ أَنْ يَسْتَصْحِيَ لَهُمْ، رَفَعَ يَدَهُ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا» . فَمَا جَعَلَ يُشِيرُ بِيَدَيْهِ إِلَى نَاحِيَةٍ إِلَّا انْجَابَ السَّحَابُ، حَتَّى صَارَتِ الْمَدِينَةُ مِثْلَ الْإِكْلِيلِ، يُمْطَرُ مَا حَوْلَهَا وَلَا تُمْطَرُ. فَهَذَا تَظْلِيلُ غَمَامٍ مُحْتَاجٌ إِلَيْهِ آكُدُ مِنَ الْحَاجَةِ إِلَى ذَلِكَ، وَهُوَ أَنْفَعُ مِنْهُ، وَالتَّصَرُّفُ فِيهِ وَهُوَ يُشِيرُ أَبْلَغُ فِي الْمُعْجِزِ وَأَظْهَرُ فِي الِاعْتِنَاءِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا إِنْزَالُ الْمَنِّ وَالسَّلْوَى عَلَيْهِمْ فَقَدْ كَثَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الطَّعَامَ وَالشَّرَابَ فِي غَيْرِمَا مَوْطِنٍ، كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ مِنْ إِطْعَامِهِ الْجَمَّ الْغَفِيرَ مِنَ الشَّيْءِ الْيَسِيرِ، كَمَا أَطْعَمَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مِنْ شُوَيْهَةِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَصَاعِهِ الشَّعِيرِ أَزْيَدَ مِنْ أَلْفِ نَفْسٍ جَائِعَةٍ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ، وَأَطْعَمَ
পৃষ্ঠা - ৫১৯২
مِنْ جَفْنَةٍ فِئَامًا مِنَ النَّاسِ، وَكَانَتْ تُمَدُّ مِنَ السَّمَاءِ، إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنْ هَذَا الْقَبِيلِ مِمَّا يَطُولُ ذِكْرُهُ. وَقَدْ ذَكَرَ أَبُو نُعَيْمٍ وَابْنُ حَامِدٍ أَيْضًا هَا هُنَا أَنَّ الْمُرَادَ بِالْمَنِّ وَالسَّلْوَى إِنَّمَا هُوَ رِزْقٌ رُزِقُوهُ مِنْ غَيْرِ كَدٍّ مِنْهُمْ وَلَا تَعَبٍ، ثُمَّ أَوْرَدَ فِي مُقَابَلَتِهِ حَدِيثَ تَحْلِيلِ الْمَغَانِمِ وَلَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلَنَا، وَحَدِيثَ جَابِرٍ فِي سَرِيَّةِ أَبِي عُبَيْدَةَ وَجُوعِهِمْ حَتَّى أَكَلُوا الْخَبَطَ، فَحَسَرَ الْبَحْرُ لَهُمْ عَنْ دَابَّةٍ تُسَمَّى الْعَنْبَرَ، فَأَكَلُوا مِنْهَا ثَلَاثِينَ مِنْ بَيْنِ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ حَتَّى سَمِنُوا وَتَكَسَّرَتْ عُكَنُ بُطُونِهِمْ. وَالْحَدِيثُ فِي " الصَّحِيحِ " كَمَا تَقَدَّمَ. وَسَيَأْتِي عِنْدَ ذِكْرِ الْمَائِدَةِ فِي مُعْجِزَاتِ الْمَسِيحِ ابْنِ مَرْيَمَ قِصَّةُ أَبِي مُوسَى الْخَوْلَانِيِّ، أَنَّهُ خَرَجَ هُوَ وَجَمَاعَةٌ كَثِيرَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى الْحَجِّ وَأَمَرَهُمْ أَنْ لَا يَحْمِلُوا زَادًا وَلَا مَزَادًا، فَكَانُوا إِذَا نَزَلُوا مَنْزِلًا صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، فَيُؤْتَوْنَ بِطَعَامٍ وَشَرَابٍ وَعَلَفٍ يَكْفِيهِمْ وَيَكْفِي دَوَابَّهُمْ غَدَاءً وَعَشَاءً، مُدَّةَ ذَهَابِهِمْ وَإِيَابِهِمْ. وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى {وَإِذِ اسْتَسْقَى مُوسَى لِقَوْمِهِ فَقُلْنَا اضْرِبْ بِعَصَاكَ الْحَجَرَ فَانْفَجَرَتْ مِنْهُ اثْنَتَا عَشْرَةَ عَيْنًا قَدْ عَلِمَ كُلُ أُنَاسٍ مَشْرَبَهُمْ} [البقرة: 60] الْآيَةَ [الْبَقَرَةِ: 60] . فَقَدْ ذَكَرْنَا بَسْطَ ذَلِكَ فِي قِصَّةِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَفِي " التَّفْسِيرِ ". وَقَدْ ذَكَرْنَا الْأَحَادِيثَ الْوَارِدَةَ فِي وَضْعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فِي ذَلِكَ الْإِنَاءِ الصَّغِيرِ الَّذِي لَمْ يَتَّسِعْ لِبَسْطِهَا فِيهِ، فَجَعَلَ الْمَاءُ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ أَمْثَالَ
পৃষ্ঠা - ৫১৯৩

“স্মরণ কর যখন মুসাত তার সম্প্রদায়ের জন্য পানি প্রার্থনা করল, আমি বললাম, তোমার
লাঠি দ্বারা পাথরে আঘাত কর ৷ ফলে তা থেকে বারট৷ ঝর্ণা প্রবাহিত হল ৷ প্রতোক গোত্র নিজ
নিজ পান স্থান চিনে নিল” (বাকারাৰু ং ৬০) ৷

এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমরা মুসা (আ)-এর ইতিহাস প্রসঙ্গে এবং তাফসীরে
উল্লেখ করেছি ৷ আর এ প্রসঙ্গে আমরা যে হাদীসেরও উল্লেখ করেছি যে, একটি ছোট পাত্রে
রাসুলে করীম (সা)ত তার পবিত্র আঙ্গুল রাখেন, যার মধ্যে পুরা হাত রাখার জায়গাও ছিল না ৷
তারপর তার আঙ্গুলের মাঝ থেকে ঝর্ণা ধারার ন্যায় পানি প্রবাহিত হতে তথ্যকে ৷ এইভাবে তার
জীবনে বহুবার দেখা গেছে যে, অস্বাভাবিক পন্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে ৷
আনকা মহিলার ক্ষেত্রে এবং হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় এরুপ হয়েছিল ৷ এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একবার মদীনাবাসীদের জন্য পানির প্রার্থনা করলে আল্লাহ্ তা আল৷ তার প্রার্থনা অনুযায়ী বৃষ্টি
দান করেন ৷ যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই বর্ষান; তার কমও নয় বেশিও নয় ৷ মু ’জিয৷ হিসাবে
মুসা (আ) এ ঝর্ণার তুলনায় এটা অনেক বড় ৷ একদল আলিমের বর্ণনা মতে এই পানির ধারা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিজের আঙ্গুল থেকে প্রবাহিত হয় তাহলে এটা পাথর থেকে ঝর্ণা ধারা
প্রবাহিত হওয়ার তলনায় অধিকতর আশ্চর্যজনক ৷ কারণ ঝর্ণার উৎসস্থুল পাথর (আব্দুল নয়) ৷
হাফিয আবু নু আয়মও প্রায় এ ধরনের কথইি বলেছেন যে, মুসা (আ) ভীহ ময়দানে তার লাঠি
দ্বারা পাথরকে আঘাত করার ১২টি ঝর্ণা প্রবাহিত হয় এবংপ্র প্রত্যেকেই নিজ নিজ প্রস্রবণ বেছে
নেয় ৷ কিন্তু মুহাম্মদ (না)-এর হাতে তার চাইতে অধিকতর আশ্চর্যজনক ঘটনা সংঘটিত
হয়েছিল, কেননা পাথর থেকে ঝর্ণা প্রবাহিত হওয়া যুক্তিগত ও বাস্তব সম্মত, পক্ষাম্ভরে রক্ত,
মাংস ও হাডিদ্রর মাঝ থেকে ঝর্ণা প্রবাহিত হওয়া আশ্চর্যজনক ও অবােধগম্য ৷ অথচ তাই

ৎঘটিত হয়েছিল রাসুলে করীম (সা)-এর জীবনে ৷ বাতনে মুহাস্সাব নামক স্থানে তার
আঙ্গুলের মাঝ থেকে সুপেয় ধারা প্রবাহিত হয় এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ, ঘোড়া ও উট সে
পানি পান করে তৃপ্তি লাভ করে ৷ মুত্তালিব ইবন আবদুল্লাহ ট্রু আবু উমরা আনসারী থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একবারের ঘটনা, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে কোন এক
যুদ্ধে গমন করি ৷ একদা লোকজন সকলেই অনাহারে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় রাত্রি যাপন করে ৷

রাসুলুল্পাহ্ (সা) একটি পেয়ালা চেয়ে এনে সম্মুখে রাখেন ৷ তারপর তাতে কিছু পানি রাখেন ৷
তারপর মুখের কিছু লালা তাতে মিশিয়ে দেন এবং কিছু দু আ পাঠ করেন ৷ তারপর তাতে নিজ
আঙ্গুল রাখেন ৷

বর্ণনড়াকারী বলেন, আল্লাহর কসম ! আমি দেখলাম যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আঙ্গুল থেকে
পানির ফোয়ারা প্রবাহিত হচ্ছে ৷ তখন তার নির্দেশক্রমে সকলেই পানি পান করলেন এবং
মশক, কলস ইত্যাদি ভর্তি করে রাখলেন ৷ মুসা (আ) এর আর দু’টি ঘটনা অর্থাৎ বাছুর পুজার
কারণে নিহত দেরকে জীবিত করা এবং গাভীর ঘটনা সম্পর্কে হযরত ঈসা (আ) এর মৃতকে
জীবন্ত করার ঘটনার সাথে আলোচনা করব ৷ এই স্থানে আবু নুআয়মের আরও অনেক কথা
আছে, সংক্ষিপ্ত করার উদ্দেশ্যে সেগুলো আমরা ছেড়ে দিলাম ৷ হিমাশ ইবন উমারা তার
মাবআছ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন ৷

৫৩


الْعُيُونِ، وَكَذَلِكَ كَثَّرَ الْمَاءَ فِي غَيْرِ مَا مَوْطِنٍ، كَمَزَادَتَيْ تِلْكَ الْمَرْأَةِ، وَيَوْمِ الْحُدَيْبِيَةِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ، وَقَدِ اسْتَسْقَى اللَّهَ لِأَصْحَابِهِ فِي الْمَدِينَةِ وَغَيْرِهَا، فَأُجِيبَ طِبْقَ السُّؤَالِ وَوَفْقَ الْحَاجَةِ لَا أَزْيَدَ وَلَا أَنْقَصَ، وَهَذَا أَبْلَغُ فِي الْمُعْجِزِ. وَنَبْعُ الْمَاءِ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ مِنْ نَفْسِ يَدِهِ - عَلَى قَوْلِ طَائِفَةٍ كَثِيرَةٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ - أَعْظَمُ مِنْ نَبْعِ الْمَاءِ مِنَ الْحَجَرِ، فَإِنَّهُ مَحَلٌّ لِذَلِكَ. قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ الْحَافِظُ: فَإِنْ قِيلَ: إِنَّ مُوسَى كَانَ يَضْرِبُ بِعَصَاهُ الْحَجَرَ فَيَنْفَجِرُ مِنْهُ اثْنَتَا عَشْرَةَ عَيْنًا فِي التِّيهِ، قَدْ عَلِمَ كُلُّ أُنَاسٌ مَشْرَبَهُمْ. قِيلَ: كَانَ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُهُ وَأَعْجَبُ، فَإِنَّ نَبْعَ الْمَاءِ مِنَ الْحَجْرِ مَشْهُورٌ فِي الْعُلُومِ وَالْمَعَارِفِ، وَأَعْجَبُ مِنْ ذَلِكَ نَبْعُ الْمَاءِ مِنْ بَيْنِ اللَّحْمِ وَالْعَظْمِ وَالدَّمِ، فَكَانَ يُفْرِّجُ بَيْنَ أَصَابِعِهِ فِي مِخْضَبٍ، فَيَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ الْمَاءُ، فَيَشْرَبُونَ وَيُسْقَوْنَ مَاءً جَارِيًا عَذْبًا، يَرْوِي الْعَدَدَ الْكَثِيرَ مِنَ النَّاسِ وَالْخَيْلِ وَالْإِبِلِ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَنْطَبٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا، فَأَصَابَ النَّاسَ مَخْمَصَةٌ فَدَعَا بِرَكْوَةٍ فَوُضِعَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ فَصَبَّهُ فِيهَا، ثُمَّ مَجَّ فِيهَا وَتَكَلَّمَ بِمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَتَكَلَّمَ، ثُمَّ أَدْخَلَ أُصْبُعَهُ فِيهَا، فَأُقْسِمُ بِاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ أَصَابِعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَتَفَجَّرُ مِنْهَا يَنَابِيعُ الْمَاءِ، ثُمَّ أَمَرَ
পৃষ্ঠা - ৫১৯৪

রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে কী দেওয়া হয়েছে এবং তার পুর্ববর্তী
নবীদেরকে-ই বাকী দেওয়া হয়েছিল ?

মুহাম্মদ ইবন শুআযব আমর ইবন হড়াসৃসান আ ৷ততায়মী থেকে বর্ণনা করেন ৷ হযরত
মুসা (আ)-কে আরশের ভাণ্ডার থেকে একটি দু আ দান করা হয়েছিল, তা এইং :

র্জএও শ্ শ্বিপুধ্)

অর্থাৎ “হে আল্লাহ! তুমি আমার অতরে শয়তানের অনুপ্রবেশ বন্ধ রাখ, শয়তান থেকে
এবং প্রত্যেক অকল্যাণ থেকে আমাকে তোমার আশ্রয়ে গ্রহণ কর ৷ কেননা সকল শক্তি, ক্ষমতা,
দৃশ্যঅদৃশ্য রাজ্যসমুহের তৃমিই মালিক ৷ সকল যুগ ও অনন্তকড়ালের উপর তুমি বিরাজমান,
কবুল কর (হে অ ল্লাহ ’ ) ভুমি কবুল কর ৷

পক্ষান্তরে মুহাম্মদ (সা) কে দেওযা হয়েছে আরশের ভাণ্ডার থেকে দুই দুইটি আয়াত ৷
তাহল সুরা বাকারার সর্বশেষ দুটি আয়াত ণ্ট্রু ট্রু ;স্পে ণ্া ং ৷ ৷ ধ্ ,ন্ ৷ ৷ট্রুৰু fl; ,,৷ ৷ ওে ৷
থেকে শেষ পর্যন্ত ৷

সুর্যের গতি থেমে যাওয়ার ঘটনা

ইউশা ইবন নুন ইবন আফরাইম ইবন ইউসুফ ইবন ইয়াকুব ইবন ইসহাক ইবন ইবরাহীম
খালীলুল্লাহ (আ) হযরত মুসা (আ) এর পরবর্তী বনী ইসরাঈলের একজন নবী ৷ তিনিই
ময়দানে র্তীহ থেকে বনী ইসরাঈলদেরকে বের করে আনেন এবং যুদ্ধ ও অবরোধের পরে
তাদেরকে নিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করেন ৷ বিজয় যখন আসন্ন তখন সময় ছিল শুক্রবার
আসরের শেষ সময় ৷ একটু পরেই সুর্য ডুবে গেলে শনিবার এসে পড়বে এবং তখন আর যুদ্ধ
চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না ৷ কারণ, শনিবারে যুদ্ধ করা তাদের ধর্মে নিষিদ্ধ ছিল ৷ তিনি
সুর্যের দিকে তাকালেন এবং বললেন এ ন্ন্ষ্াৰু ৷ ৷ , ম্ভ,প্রু£ষ্ ন্া১ ৷ অর্থাৎ, হে সুর্য ’ তুমিও
আল্লাহর আদেশক্রমে অগ্রসর হচ্ছ, আর আমিও আল্লাহর নির্দেপক্রমে শত্রুর সাথে যুদ্ধ করছি ৷
তারপর বললেন :,; ৷প্রুশু ৷ শ্লেএে ৷ হে আল্লাহ ’ আমার জগুন্য সুর্যকে থামিয়ে দিন! সুর্যকে
আটকিয়ে রাখুন! সুতরাংঅ ৷ল্লাহ্ সুর্যকে আটকিয়ে রাখেন এবং শহর পুর্ণভাবে জয় হওয়ার পর
তা অস্ত যায় ৷ মুসলিম শরীফে আবদুর রাজ্জাক সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : অতীতকালে আল্লাহর এক নবী একটি যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷
আসর নামায পড়ার পরে বা তার কাছাকাছি সময়ে তিনি শহরের নিকটবর্তী হয়ে যান ৷ তখন
তিনি সুর্যকে লক্ষ্য করে বললেন, হে সুর্য৷ আল্লাহ্র হুকুম পালন করছ ৷ আমিও আল্লাহর নির্দেশ
পালন করছি ৷ হে আল্লাহ! একে তুমি আমার জন্যে কিছুক্ষণ আটকিয়ে রাখ ৷ সুতরাং, আল্লাহ
সুর্যকে আটকিয়ে রাখেন এবং ঐ নবী শহর দখল করে নেন ৷ এই নবী হলেন ইউশা ইবন নুন ৷
ইমাম আহমদ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কোন
মানষের খাতিরে সুর্যকে আটক রাখা হয়নি ৷ কেবলমাত্র ইউশা ইবন নুন এর ব্যতিক্রম ৷ তিনি


النَّاسَ فَسَقَوْا وَشَرِبُوا وَمَلَأُوا قِرَبَهُمْ وَإِدَاوَاتِهِمْ» . وَأَمَّا قِصَّةُ إِحْيَاءِ الَّذِينَ قُتِلُوا بِسَبَبِ عِبَادَةِ الْعِجْلِ وَقِصَّةِ الْبَقَرَةِ، فَسَيَأْتِي مَا يُشَابِهُهُمَا مِنْ إِحْيَاءِ حَيَوَانَاتٍ وَأُنَاسٍ عِنْدَ ذِكْرِ إِحْيَاءِ الْمَوْتَى عَلَى يَدِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ أَبُو نُعَيْمٍ هَا هُنَا أَشْيَاءَ أُخَرَ تَرَكْنَاهَا اخْتِصَارًا وَاقْتِصَادًا. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ فِي كِتَابِهِ " الْمَبْعَثِ ": بَابٌ فِيمَا أُعْطِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا أُعْطِيَ الْأَنْبِيَاءُ قَبْلَهُ. حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ مُدْرِكٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ حَسَّانَ التَّمِيمِيُّ، أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أُعْطِيَ آيَةً مِنْ كُنُوزِ الْعَرْشِ ; رَبِّ لَا تُولِجِ الشَّيْطَانَ فِي قَلْبِي، وَأَعِذْنِي مِنْهُ وَمِنْ كُلِّ سُوءٍ، فَإِنَّ لَكَ الْأَيْدَ وَالسُّلْطَانَ وَالْمُلْكَ وَالْمَلَكُوتَ، دَهْرَ الدَّاهِرِينَ، وَأَبَدَ الْآبِدِينَ، آمِينَ آمِينَ. قَالَ: وَأُعْطِيَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آيَتَيْنِ مِنْ كُنُوزِ الْعَرْشِ آخِرَ سُورَةِ " الْبَقَرَةِ ": {آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ} [البقرة: 285] إِلَى آخِرِهَا [الْبَقَرَةِ: 285، 286] . قِصَّةُ حَبْسِ الشَّمْسِ عَلَى يُوشَعَ بْنِ نُونِ بْنِ أَفْرَايِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ الرَّحْمَنِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. وَقَدْ كَانَ نَبِيَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهُوَ الَّذِي خَرَجَ بِبَنِي إِسْرَائِيلَ مِنَ التِّيهِ، وَدَخَلَ بِهِمْ بَيْتَ الْمَقْدِسِ بَعْدَ حِصَارٍ وَمُقَاتَلَةٍ، وَكَانَ الْفَتْحُ قَدْ يُنْجَزُ بَعْدَ الْعَصْرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَكَادَتِ الشَّمْسُ تَغْرُبُ وَيَدْخُلُ عَلَيْهِمُ السَّبْتَ فَلَا يَتَمَكَّنُونَ مَعَهُ مِنَ الْقِتَالِ، فَنَظَرَ إِلَى الشَّمْسِ فَقَالَ: إِنَّكِ مَأْمُورَةٌ وَأَنَا مَأْمُورٌ. ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ احْبِسْهَا عَلَيَّ. فَحَبَسَهَا اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ حَتَّى فَتَحَ الْبَلَدَ ثُمَّ غَرَبَتْ.
পৃষ্ঠা - ৫১৯৫
وَقَدْ قَدَّمْنَا فِي قِصَّةٍ مِنْ قَصَصِ الْأَنْبِيَاءِ الْحَدِيثَ الْوَارِدَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " غَزَا نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، فَدَنَا مِنَ الْقَرْيَةِ حِينَ صَلَّى الْعَصْرَ أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ لِلشَّمْسِ: أَنْتِ مَأْمُورَةٌ وَأَنَا مَأْمُورٌ، اللَّهُمَّ احْبِسْهَا عَلَيَّ شَيْئًا ". فَحُبِسَتْ عَلَيْهِ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ» . الْحَدِيثَ بِطُولِهِ. وَهَذَا النَّبِيُّ هُوَ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ ; بِدَلِيلِ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَيْرَيْنَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّ الشَّمْسَ لَمْ تُحْبَسْ لِبَشَرٍ إِلَّا لِيُوشَعَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَيَالِيَ سَارَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ الْبُخَارِيِّ. إِذَا عُلِمَ هَذَا فَانْشِقَاقُ الْقَمَرِ فِلْقَتَيْنِ، حَتَّى صَارَتْ فِرْقَةٌ مِنْ وَرَاءِ الْجَبَلِ - أَعْنِي حِرَاءَ - وَأُخْرَى مِنْ دُونِهِ، أَعْظَمُ فِي الْمُعْجِزِ مِنْ حَبْسِ الشَّمْسِ قَلِيلًا وَقَدْ قَدَّمْنَا فِي الدَّلَائِلِ حَدِيثَ رَدِّ الشَّمْسِ بَعْدَ غُرُوبِهَا، وَذَكَرْنَا مَا قِيلَ فِيهِ مِنَ الْمَقَالَاتِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ أَبُو الْمَعَالِي بْنُ الزَّمْلَكَانِيِّ: وَأَمَّا حَبْسُ الشَّمْسِ لِيُوشَعَ فِي قِتَالِ الْجَبَّارِينَ، فَقَدِ انْشَقَّ الْقَمَرُ لِنَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَانْشِقَاقُ الْقَمَرِ فِلْقَتَيْنِ أَبْلَغُ مِنْ حَبْسِ الشَّمْسِ عَنْ مَسِيرِهَا، وَصَحَّتِ الْأَحَادِيثُ وَتَوَاتَرَتْ بِانْشِقَاقِ الْقَمَرِ، وَأَنَّهُ كَانَ فِرْقَةٌ خَلْفَ الْجَبَلِ وَفِرْقَةٌ أَمَامَهُ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " اشْهَدُوا ". وَأَنَّ
পৃষ্ঠা - ৫১৯৬

যখন বায়তুল মুকাদ্দাসে অভিযানে যান তখন সুর্যকে অস্ত যেতে দেয়৷ হয়নি ৷ এ হাদীস কেবল
ইমাম আহমদ একাই বর্ণনা করেছেন ৷৩ তবে এর সনদ বুখারীর শর্তে উত্তীর্ণ ৷ এই ঘটনার
তুলনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আঙ্গুলির ইশারায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়া এবং এক খণ্ড হেব৷ পর্বতের
উপরে এবং আর এক খণ্ড তার পার্শে পতিত হওয়ার ঘটনা অধিকতর আশ্চর্যজনক এবং

মু’জিযার ক্ষেত্রে অধিকতর প্রমাণবহ ৷৩ তা ছাড়া দালইিল অধ্যায়ে সুর্য অস্ত যাওয়ার পর পুনরায়
প্রকাশ হওয়ার ঘটনা ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে ৷ শায়খ আবুল মা আলী
বলেছেন, যালিম শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় হযরত ইউশা (আ)-এর জন্যে সুর্য আটক
করা হয়েছিল ৷ আর আমাদের নবীর জন্য চন্দ্রকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে ৷ তবে এটা সুস্পষ্ট যে,
সুর্যের থেমে যাওয়া থেকে চ্যন্দ্রৱ দ্বিখণ্ডিত হওয়া অধিকতর বিস্ময়কর ৷ চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়ার
হাদীস সহীহ্ এবং মুতাওয়াতির পর্যায়ের ৷ খণ্ডিত চভ্রুন্দ্রৱ এক অংশ হেব৷ পাহাড়ের পশ্চাতে
এবং অন্য অংশ শউক্ত পাহাড়ের সম্মুখে পতিত হয় ৷ তা দেখে কুরায়শারা বললাে, আমাদের
চোখে যাদু করা হয়েছে ৷ পরে পথচারীরা এসে জানাল যে, তারা চীদের এ অবস্থা স্ব চক্ষে
প্রত্যক্ষ করেছে ৷ অ ৷ল্লাহ্র বাণী৪

! : ! : ,শ্ব্ শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্

অর্থাৎ “কিয়ামত আসন্ন এবং চন্দ্র বিলীর্ণ হয়েছে ৷ তারা কোন নিদর্শন দেখলে বলে, এতো
চিরাচরিত যাদু’ (কামারং ১ ২) ৷

তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর জন্যে দৃ’বার সুর্যকে আটকিয়ে রাখা হয় ৷ একবারের
ঘটনা ইমাম তাহাবী বর্ণনা করেছেন এবং এর রাবীদেরকে নির্ভরযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন ৷
একজন একজন করে তাদের প্রত্যেকের নামও তিনি উল্লেখ করেছেন ৷

ঘটনাটি এই : একদা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উপর ওহী আসছিল ৷ তখন তার শির মুবারক
ছিল হযরত আলী (রা)-এর কোলে ৷ সুর্য অস্ত যাওয়ার পুর্ব পর্যন্ত তিনি আর মাথা উঠালেন না ৷
এ দিকে আলী (রা)ও আসরের সালাত আদায় করেন নি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন আল্লাহর
নিকট দৃআ করলেন, হে আল্লাহ্৷ সে তো আপনার আনুগত্য ও আপনার রাসুলের আনুগত্য
করছিল ৷ সুতরাং সুর্যকে কিছুটা পশ্চাতে এনে দিনকে দীর্যায়িত করে দিন ৷ আল্লাহ তাই
করলেন ৷ সুর্যকে প্রত্যাবতিতি করে দিলেন ৷ হযরত আলী আসরের সালাত আদায় করার পর
সুর্য পুনরায় অস্ত গেল ৷ দ্বিতীয় ঘটনা ইসরা রজনীর প্রত্যুষে ঘটেছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মি রাজের রাত্রের পরবর্তী সকালে কুরায়শদেরকে ডেকে ঘটনা শুনালেন এবং বললেন, এ
রাত্রে আমি মক্কা থেকে বায়তু ল মুকাদ্দাস পর্যন্ত সফর করে এসেছি ৷ কুরায়শরা বায়তুল
ঘুকাদ্দাসের কতিপয় জিনিস সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করল ৷ তখন আল্লাহ তাআলা রাসুলের সম্মুখে
বায়তুল মুকাদ্দাসকে উদ্ভাসিত করে দেন এবং তা দেখে দেখে তিনি৩ ৷দের প্রশ্নের উত্তর দেন ৷
এরপর কুরায়শরা তাদের এক বাণিজ্য কাফেল৷ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল, যারা সিরিয়া থেকে
রসদ নিয়ে মক্কা অভিমুখে আসছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জানালেন, সুর্যের আলো থাকতে
থাকতেই তারা মক্কা পৌছে যাবে ৷ কিন্তু পথে কাফেলার কোন কারণে দেরি হওয়ায় আসতে
বিলম্ব হয় ৷ আল্লাহ তা আলা তখন সুর্যের গত্যিরাধ করে দেন এবং আসরের সময় তারা মক্কায়
পৌছে যায় ৷ ইবন বুক যব এ ঘটনা তার যিয়াদাত’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন ৷ হযরত আলীর


قُرَيْشًا قَالُوا هَذَا سَحَرَ أَبْصَارَنَا، فَوَرَدَتِ الْمُسَافِرُونَ وَأَخْبَرُوا أَنَّهُمْ رَأَوْهُ مُفْتَرِقًا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ وَإِنْ يَرَوْا آيَةً يُعْرِضُوا وَيَقُولُوا سِحْرٌ مُسْتَمِرٌّ} [القمر: 1] [الْقَمَرِ: 1، 2] . قَالَ: وَقَدْ حُبِسَتِ الشَّمْسُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْنِ ; إِحْدَاهُمَا مَا رَوَاهُ الطَّحَاوِيُّ وَقَالَ: رُوَاتُهُ ثِقَاتٌ. وَسَمَّاهُمْ وَعَدَّلَهُمْ وَاحِدًا وَاحِدًا، وَهُوَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوحَى إِلَيْهِ وَرَأْسُهُ فِي حِجْرِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَلَمْ يَرْفَعْ رَأْسَهُ حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ، وَلَمْ يَكُنْ عَلِيٌّ صَلَّى الْعَصْرَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ إِنَّهُ كَانَ فِي طَاعَتِكَ وَطَاعَةِ نَبِيِّكَ، فَارْدُدْ عَلَيْهِ الشَّمْسَ ". فَرَدَّ اللَّهُ عَلَيْهِ الشَّمْسَ حَتَّى رُئِيَتْ، فَقَامَ عَلِيٌّ فَصَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ غَرَبَتْ» ، وَالثَّانِيَةُ صَبِيحَةَ الْإِسْرَاءِ، فَإِنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَ قُرَيْشًا عَنْ مَسْرَاهُ مِنْ مَكَّةَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَسَأَلُوهُ عَنْ أَشْيَاءَ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَجَلَّاهُ اللَّهُ لَهُ حَتَّى نَظَرَ إِلَيْهِ وَوَصَفَهُ لَهُمْ، وَسَأَلُوهُ عَنْ عِيرٍ كَانَتْ لَهُمْ فِي الطَّرِيقِ فَقَالَ: «إِنَّهَا تَصِلُ إِلَيْكُمْ مَعَ شُرُوقِ الشَّمْسِ» . فَتَأَخَّرَتْ، فَحَبَسَ اللَّهُ الشَّمْسَ عَنِ الطُّلُوعِ حَتَّى جَاءَتِ الْعِيرُ. رَوَى ذَلِكَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ فِي زِيَادَاتِهِ عَلَى " السِّيرَةِ ". أَمَّا حَدِيثُ رَدِّ الشَّمْسِ بِسَبَبِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ مِنْ طَرِيقِ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، وَهُوَ أَشْهَرُهَا، وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَلِيٍّ نَفْسِهِ، وَهُوَ مُسْتَنْكَرٌ مِنْ جَمِيعِ الْوُجُوهِ، وَقَدْ مَالَ إِلَى الْقَوْلِ بِتَقْوِيَتِهِ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ الْمِصْرِيُّ الْحَافِظُ، وَأَبُو جَعْفَرٍ الطَّحَاوِيُّ، وَالْقَاضِي عِيَاضٌ، وَكَذَا صَحَّحَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ
পৃষ্ঠা - ৫১৯৭
الرَّافِضَةِ كَابْنِ الْمُطَهَّرِ وَذَوِيِهِ، وَرَدَّهُ وَحَكَمَ بِضِعْفِهِ آخَرُونَ مِنْ كِبَارِ حُفَّاظِ الْحَدِيثِ وَنُقَّادِهِمْ، كَعَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ يَعْقُوبَ الْجُوزْجَانِيِّ، وَحَكَاهُ عَنْ شَيْخِهِ مُحَمَّدٍ وَيَعْلَى ابْنَيْ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيَّيْنِ، وَكَأَبِي بَكْرٍ مُحَمَّدِ بْنِ حَاتِمٍ الْبُخَارِيِّ الْمَعْرُوفِ بِابْنِ زَنْجَوَيْهِ أَحَدِ الْحُفَّاظِ، وَالْحَافِظِ الْكَبِيرِ أَبِي الْقَاسِمِ بْنِ عَسَاكِرَ، وَذَكَرَهُ الشَّيْخُ جَمَالُ الدِّينِ أَبُو الْفَرَجِ بْنُ الْجَوْزِيِّ فِي كِتَابِ " الْمَوْضُوعَاتِ " وَكَذَلِكَ صَرَّحَ بِوَضْعِهِ شَيْخَايَ الْحَافِظَانِ الْكَبِيرَانِ أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ، وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ. وَأَمَّا مَا ذَكَرَهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ فِي زِيَادَاتِهِ عَلَى " السِّيرَةِ " مِنْ تَأَخُّرِ طُلُوعِ الشَّمْسِ عَنْ إِبَّانِ طُلُوعِهَا، فَلَمْ يُرَ لِغَيْرِهِ مِنْ عُلَمَاءِ السِّيَرِ، عَلَى أَنَّ هَذَا لَيْسَ مِنَ الْأُمُورِ الْمُشَاهَدَةِ، وَأَكْثَرُ مَا فِي الْبَابِ أَنَّ الرَّاوِيَ رَأَى تَأْخِيرَ طُلُوعِهَا وَلَمْ يُشَاهِدْ حَبْسَهَا عَنْ وَقْتِهِ. وَأَغْرَبُ مِنْ هَذَا مَا ذَكَرَهُ ابْنُ الْمُطَهَّرِ فِي كِتَابِهِ " الْمِنْهَاجِ " أَنَّهَا رُدَّتْ لِعَلِيٍّ مَرَّتَيْنِ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ الْمُتَقَدِّمَ كَمَا ذُكِرَ، ثُمَّ قَالَ: وَأَمَّا الثَّانِيَةُ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَعْبُرَ الْفُرَاتَ بِبَابِلَ، اشْتَغَلَ كَثِيرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ بِسَبَبِ دَوَابِّهِمْ، وَصَلَّى لِنَفْسِهِ فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ الْعَصْرَ، وَفَاتَ كَثِيرًا مِنْهُمْ، فَتَكَلَّمُوا فِي ذَلِكَ، فَسَأَلَ اللَّهَ رَدَّ الشَّمْسِ فَرُدَّتْ. قَالَ: وَنَظَّمَهُ الْحِمْيَرِيُّ فَقَالَ: رُدَّتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ لَمَّا فَاتَهُ ... وَقْتُ الصَّلَاةِ وَقَدْ دَنَتْ لِلْمَغْرِبِ حَتَّى تَبَلَّجَ نُورُهَا فِي وَقْتِهَا ... لِلْعَصْرِ ثُمَّ هَوَتْ هُوِيَّ الْكَوْكَبِ وَعَلَيْهِ قَدْ رُدَّتْ بِبَابِلَ مَرَّةً ... أُخْرَى وَمَا رُدَّتْ لِخَلْقٍ مُغْرِبِ