আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

معجزات لرسول الله صلى الله عليه وسلم مماثلة لمعجزات جماعة من الأنبياء قبله

من معجزات إبراهيم الخليل عليه السلام
পৃষ্ঠা - ৫১৫৮

হযরত ইবন আব্বাস (বা) তার এক বর্ণনায় বলেন : খন্দকের যুদ্ধের সময় দক্ষিণের বায়ু
উত্তরে গিয়ে বলে, চল আমরা মুহাম্মদ (সা) কে সাহায্য করি ৷ জবাবে উত্তরের বায়ু দক্ষিণের
বায়ুকে জালাল, রাত্রিকালে উষ্ণতা দেখা যাবে না ৷ অতঃপর আল্লাহ্ তাদের প্ৰতি পুবালী হাওয়া
প্রেরণ করেন ৷ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ বলেন

ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ ! ণ্ ! )

“তারপর আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম ঝঞা বায়ু এবং এমন এক বাহিনী, যা
তোমরা দেয়নি” ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন৪ আমি পুবােলী শীতল বায়ু দ্বারা সাহায্যপ্রাপ্ত
হয়েছি ৷ আর আদ জাতিকে বিপরীতমুখী হাওয়া দ্বারা নির্মুল করা হয় ৷

হযরত সালিহ্ (আ)-এর ঘুজিযা প্রসঙ্গে

আবু নুআয়ম বলেন, যদি বলা হয় যে, আল্লাহ্ হযরত সালিহ্ (আ)-কে আশ্বর্য রকম
মুজিযা দান করেছিঙ্কলন-পাথরের মধ্য থেকে উটনী বের করেন; এবং ঐ উটনীর জন্য ও তার
সম্প্রদায়ের জন্য পানি পান করার দিন নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন ৷ তবে এর উত্তরে বলা যায় যে,
আল্লাহ্ হযরত মুহাম্মদ (না)-কে এরুপ বরং তার চাইতেও অধিক আশ্চর্যজনক মুজিযা দান
করেছেন ৷ কেননা সালিহ্ (আ)-এর উটনীর বাক্শক্তি ছিল না, সে তার সাথে কোন কথা
বলেনি এবং তার নবুওতের পক্ষে কোন সাক্ষ্য দেয়নি ৷ পক্ষান্তরে হযরত মুহাম্মদ (না)-এর
সাথে উট কথা বলেছে, নবুওতের সাক্ষী দিয়েছে এবং অভিযোগ করেছে যে, তার মালিক
তাকে আহ ড়ার্য দেয় না এবং তাকে যবেহ করতে ইচ্ছুক ৷ এ হাদীস সহীহ্ ৷ হাসান ও মুসনাদ
গ্রন্থে আছে এবং দালইিলুন নবুওয়াত অধ্যায়ে আমরা উল্লেখ করেছি ৷ ঐ সাথে হরিণ ও গুই
সাপ কর্তৃক ৱাসুলুল্লাহ্র নবুওতের সাক্ষ্যদানের হাদীস এবং পাথর, বৃক্ষ ও প্রান্তরের সালাম
দেওয়ার হাদীসও উল্লেখ করা হয়েছে, যখন তিনি নবুওয়ত প্রাপ্তও হননি ৷

হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর মুজিয়া প্রসঙ্গে

শায়খ আবুল মাআলী বলেন, হযরত ইবরাহীম (আ)-এর ক্ষেত্রে অগ্নিকুও নিৰ্বাপিত
হয়েছে ঠিকই; কিন্তু নবী মুহাম্মদ-(সা)এর ক্ষেত্রেও তার জ্জা লপ্লে পারস্যের অগ্নিকুও
নির্বাপিত হয়েছিল ৷ আর তা হয়েজ্যি নবী হবার চল্লিশ বছর পুর্বে ৷ দ্বিতীয়ত ইব্রাহীম
(আ)-এর অগ্নিকুও নিৰ্বাপিত হয় যখন তিনি অগ্নিত্বে নিক্ষিপ্ত হন ৷ পক্ষান্তরে আমাদের নবীর
কারণে পারস্যের অগ্নি নিৰ্বাপিত হয় কয়েক মাসের দুরত্বের ব্যবধানে থেকে ৷ রাসুল করীম
(সা) এর জন্ম ইতিহাসের আংলাচনায় এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ তারপর
শায়খআবুল মাআলী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কেন, এ উষ্মতের কতিপয় ব্যক্তির ক্ষেত্রেও অগ্নি
নির্বাসিত হওয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ৷ তাদের একজনের নাম আবু মুসলিম খাওলানী ৷
ঘটনা মোটামুটি এরুপঃ আসওদ;ইবন কায়েস, আলআনাসী আবু মুসলিম খাওলানীকে
ইয়াম্যেন ডেকে পাঠায় ৷ আসওদ জিজ্ঞেস করে, তুমি কি এ সাক্ষ্য দাও যে, মুহাম্মদ (সা)
আল্লাহ্র রাসুল? খাওলানী বললেন, হী ৷ পুনরায় সে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,
আমি আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুল? খাওলানী বললেন, আমি শুনতে পাচ্ছি না ৷ পুনরায় সে জিজ্ঞেস


جَعَلَهَا اللَّهُ لَهُ آيَةً وَحُجَّةً عَلَى قَوْمِهِ، وَجَعَلَ لَهَا شِرْبَ يَوْمٍ وَلَهُمْ شِرْبَ يَوْمٍ مَعْلُومٍ. قُلْنَا: وَقَدْ أَعْطَى اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ، بَلْ أَبْلَغَ ; لِأَنَّ نَاقَةَ صَالِحٍ لَمْ تُكَلِّمْهُ وَلَمْ تَشْهَدْ لَهُ بِالنُّبُوَّةِ وَالرِّسَالَةِ، وَمُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهِدَ لَهُ الْبَعِيرُ النَّادُّ بِالرِّسَالَةِ، وَشَكَى إِلَيْهِ مَا يَلْقَى مِنْ أَهْلِهِ، مِنْ أَنَّهُمْ يُجِيعُونَهُ وَيُدْئِبُونَهُ، ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ بِذَلِكَ، كَمَا قَدَّمْنَا فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ بِطُرُقِهِ وَأَلْفَاظِهِ وَعَزْوِهِ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ هَا هُنَا وَهُوَ فِي الصِّحَاحِ وَالْحِسَانِ وَالْمَسَانِيدِ، وَقَدْ ذَكَرْنَا مَعَ ذَلِكَ حَدِيثَ الْغَزَالَةِ، وَحَدِيثَ الضَّبِّ، وَشَهَادَتَهُمَا لَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالرِّسَالَةِ، كَمَا تَقَدَّمَ التَّنْبِيهُ عَلَى ذَلِكَ وَالْكَلَامُ فِيهِ، وَثَبَتَ الْحَدِيثُ فِي الصَّحِيحِ بِتَسْلِيمِ الْحَجَرِ عَلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يُبْعَثَ، وَكَذَلِكَ سَلَامُ الْأَشْجَارِ وَالْأَحْجَارِ وَالْمَدَرِ عَلَيْهِ حِينَ بُعِثَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ. [مِنْ مُعْجِزَاتِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ] الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ أَبُو الْمَعَالِي بْنُ الزَّمْلَكَانِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَبَلَّ بِالرَّحْمَةِ ثَرَاهُ: وَأَمَّا خُمُودُ النَّارِ لِإِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَقَدْ خَمَدَتْ لِنَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَارُ فَارِسَ وَلَمْ تَخْمُدْ قَبْلَ ذَلِكَ بِأَلْفِ عَامٍ، لِمَوْلِدِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ بِعْثَتِهِ أَرْبَعُونَ سَنَةً، وَخَمَدَتْ نَارُ إِبْرَاهِيمَ لِمُبَاشَرَتِهِ لَهَا، وَخَمَدَتْ نَارُ فَارِسَ لِنَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مَسَافَةُ أَشْهُرٍ. كَذَا، وَهَذَا الَّذِي أَشَارَ إِلَيْهِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫১৫৯


ন্ করলে তিনি একই উত্তর দিলেন, আমি শুনতে পাচ্ছি না ৷ অবশেষে সে এক বিরটি প্রজ্জ্বলিত
অগ্নিকুণ্ডে আবু মুসলিমকে নিক্ষেপ করল; কিন্তু আগুন তার কোনই ক্ষতি করল না ৷ আসওদ
আনাসীকে পরামর্শ দেয়া হল যে, আপনি যদি একে দেশের অভ্যন্তরে মুক্ততারে থাকতে দেন
তবে যে আপনার বিরুদ্ধে লোকদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলবে ৷ সুতরাৎ তাকে চলে যাওয়ার নির্দেশ
দেয়া হল ৷ তিনি মদীনায় এসে হাজির হলেন ৷ তখন মহানবী (সা) এর ইনতিকাল হয়ে গেছে
এবং হযরত আবুবকর (রা) খিলাফতের পদে অধিষ্ঠিত ৷ আবু মুসলিম মসজিদের একটি খুটির
নিকট সালাত আদায় করেন ৷ হযরত উমর (রা) তাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, কােখেকে
এসেছ তুমি? তিনি বললেন, ইয়ামেন থেকে ৷ হযরত উমর বললেন, আমাদের যে সাথীটিকে
অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল কিন্তু তার কোনই ক্ষতি হয়নি, তার সাথে আল্লাহ্ পরে কেমন
ব্যবহার করেছেন? লােকটি বললাে, সে তো আবদুল্লাহ্ ইবন আয়ুবে ৷ হযরত উমর বললেন,
আল্লাহ্র কসম, তৃমি-ই কি সেই লোক নও? তিনি বললেন, আল্লাহ্ সাক্ষী, আমিই সেই
ব্যক্তি ৷ তারপর উমর লোকটির কপালে চুমু খেয়ে হযরত ,আবু বকর (রা)-এর সম্মুখে নিয়ে
বসালেন এবং বললেন, সেই আল্লাহ্র প্রশংসা, যিনি আমাকে আমার মৃত্যুর পুর্বেই উম্মতে
ঘুহাম্মদীর এমন এক লোককে দেখার সৌভাগ্য দান করেছেন, যার সাথে তিনি ঐরুপ আচরণ
করেছেন, যেরুপ আচরণ করেছিলেন ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্র সাথে ৷

এই ঘটনাকে ইবন আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে ভিন্ন সুত্রে শুরাবীল ইবন মুসলিম
আল-খাওলানী থেকে নিম্নরুপে বর্ণনা করেছেন : আসওদ ইবন কায়স ইবন যুল-হিমার
আল-আনাসী নিজ দেশ ইয়ামেনে নবুওতের দাবি করে ৷ সে আবু মুসলিম খাওলানীকে নিজের
কাছে তলব করে এবং জিজ্ঞেস করে, তুমি কি স্বীকার কর যে, আমি আল্লাহ্র রাসুল? তিনি
বললেন, আমি শুনতে পাচ্ছি না ৷ আবার জিজ্ঞেস করল : তুমি কি স্বীকার কর মুহাম্মদ (সা)
আল্লাহ্র রাসুল? তিনি বললেন, ছু৷ ৷ এভাবে বারবার তাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয় ৷ এবং
তিনিও একই জবাব দেন ৷ অতঃপর তার নির্দেশে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে তাকে নিক্ষেপ করা হল,
কিন্তু আগুন তার কোনই ক্ষতি করেনি ৷ লোকজন আসওদকে পরামর্শ দিল যে, একে এখান
থেকে দুর করে দিন, অন্যথায় আপনার অনুসারীদেরকে যে আপনার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তৃলবে ৷
সাথে সাথেই তাকে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হল ৷ তিনি মদীনায় চলে এলেন ৷ কিংন্থ এ
সময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করেছেন এবং হযরত আবু বকর খলীফা নির্বাচিত হয়েছেন ৷
আবু মুসলিম মসজিদের দ্বারে বাহন রেখে ভিতরে গিয়ে সালাত আদায় করলেন ৷ হযরত উমর
তাকে দেখে নিকটে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তোমার দেশ কোথায়? তিনি বললেন,
আমি ইয়ামান দেশের অধিবাসী ৷ উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেন, মিথ্যাবাদী ডণ্ড নবী, যে
লোকটিকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করেছিল যে কোথায়, কী করে? তিনি বললেন, সে তো
আবদুল্লাহ্ ইবন আয়ুবে ৷ উমর (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম, যে ব্যক্তি কি তুমি নও ৷ তিনি
ন্ বললেন, আল্লাহ্ সাক্ষী, আমিই যে ব্যক্তিা,ন্ হযরত উমর তাকে আলিঙ্গন করলেন এবং হযরত
আবু বকর (রা)-এর সম্মুখে উপস্থিত করে বললেন : সকল প্রশংসা ঐ আল্লাহ্র, যিনি উষ্মতে
মুহাম্মদীর এমন একজন লোককে না দেখিয়ে আমার মৃত্যু দেননি, ষার সাথে তিনি এমন
আচরণ করেছেন, যেমন আচরণ করেছিলেন ইবরাহীম খলীলুল্লাহ্র সাথে ৷


خُمُودِ نَارِ فَارِسَ لَيْلَةَ مَوْلِدِهِ الْكَرِيمِ قَدْ ذَكَرْنَاهُ بِأَسَانِيدِهِ وَطُرُقِهِ فِي أَوَّلِ السِّيرَةِ عِنْدَ ذَكَرِ الْمَوْلِدِ الْمُطَهَّرِ الْمُشَرَّفِ الْمُكَرَّمِ، بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ وَمَقْنَعٌ. ثُمَّ قَالَ شَيْخُنَا: مَعَ أَنَّهُ قَدْ أُلْقِيَ بَعْضُ هَذِهِ الْأُمَّةِ فِي النَّارِ فَلَمْ تُؤَثِّرْ فِيهِ بِبَرَكَةِ نَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْهُمْ أَبُو مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ. قَالَ: تَنَبَّأَ الْأَسْوَدُ بْنُ قَيْسٍ الْعَنْسِيُّ بِالْيَمَنِ، فَأَرْسَلَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ فَقَالَ لَهُ: أَتَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: مَا أَسْمَعُ. فَأَعَادَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَا أَسْمَعُ. فَأَمَرَ بِنَارٍ عَظِيمَةٍ فَأُجِّجَتْ، وَطُرِحَ فِيهَا أَبُو مُسْلِمٍ فَلَمْ تَضُرَّهُ. فَقِيلَ لَهُ: لَئِنْ تَرَكْتَ هَذَا فِي بِلَادِكَ أَفْسَدَهَا عَلَيْكَ. فَأَمَرَهُ بِالرَّحِيلِ، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ وَقَدْ قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ، فَقَامَ إِلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ يُصَلِّي، فَبَصُرَ بِهِ عُمَرُ فَقَالَ: مِنْ أَيْنَ الرَّجُلُ؟ قَالَ: مِنَ الْيَمَنِ. قَالَ: مَا فَعَلَ عَدُوُّ اللَّهِ بِصَاحِبِنَا الَّذِي حَرَقَهُ بِالنَّارِ فَلَمْ تَضُرَّهُ؟ قَالَ: ذَاكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثُوَبٍ. قَالَ: نَشَدْتُكَ بِاللَّهِ أَنْتَ هُوَ؟ قَالَ: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: فَاعْتَنَقَهُ ثُمَّ بَكَى، ثُمَّ ذَهَبَ بِهِ حَتَّى أَجْلَسَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمَّ يُمِتْنِي حَتَّى أَرَانِي فِي أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ فُعِلَ بِهِ كَمَا فُعِلَ بِإِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ الرَّحْمَنِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَهَذَا السِّيَاقُ الَّذِي أَوْرَدَهُ شَيْخُنَا بِهَذِهِ الصِّفَةِ قَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي تَرْجَمَةِ أَبِي مُسْلِمٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثُوَبٍ فِي " تَارِيخِهِ "
পৃষ্ঠা - ৫১৬০


ইসমাঈল ইবন আয়্যাশ (ইয়ামেনী) বলেন, আমার নিকট ইয়ামেনের খাওলান গোত্রের
বহু লোক এসে থাকে ৷ তারা নিজেদের পরিচয় দেয়ার সময় সুক্ষ্ণ ইঙ্গিতে বলতাে ও
মোঃ ;,প্রুপ্রু;শ্ব,১া৷অর্থাৎ আমরা আনাসী বনাম খাওলানী-তােমাদের মিথ্যাবাদী বন্ধু

আমাদের বন্ধুকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেজ্জি, কিন্তু তার কােনই ক্ষতি করতে পারেনি ৷
হাফিয ইবন আসাকির জ্যি এক সুত্রে ইবন আবু ওয়াহ্শিয়া থেকে বর্ণনা করেন : এক
ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করার তার সম্প্রদায়ের ণ্লাকেরা তাকে কুফরীতে’ফিরে যাওয়ার জন্য
পীড়াপীড়ি করে ৷ সে অস্বীকার করলে তারা তাকে অগ্নিকুাট্রুগু নিক্ষেপ করে ৷ কিন্তু আগুন তার
কেবল একটা আঙ্গুলের অগ্নভাগ ছাড়া আর কিইে পোড়াতে পারেনি ৷ এই আঙ্গুলের আংভাগে
পুর্বে কোন সময় উঘুর পানি পৌছেনি ৷ তারপর লোকটি হযরত আবু বকরের নিকট আগমন
করে ৷ আবু বকর তার নিকট নিজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জানায় ৷ তখন ঐ ব্যক্তি
বলেন, আপনিই বরং এর অধিক যোগ্য ৷ হযরত আবুবকর বললেন, তোমাকে আগুনে নিক্ষেপ
করা হয়েছিল, কিন্তু আগুন তোমাকে পোড়াতে পারেনি ৷৩ তারপর ঐ ব্যক্তি তার জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করেন ৷ ঐ ব্যক্তিটি সিরিয়া অভিমুখে চলে যান ৷ লোকে র্তাকে ইব্রাহীম (আ) বলে
সম্বোধন করত ৷ লোকটি অন্য কেউ নয়, ইনিই আবু মুসলিম আল-খাওলানী ৷ বলা বাহুল্য এ
মর্যাদা তিনি লাভ করেছেন শরীআতে মুহাষ্মাদী অনুসরণের কারণে ৷ যেমন শাফাআতের
: হাদীসে আছে;; উযুর স্থান সমুহ দগ্ধ করা আল্পাহ্ আগুনের উপর হারাম করে দিয়েছেন :


আবু মুসলিম পশ্চিম দামিশকে দারিয়া’ নামক স্থানে বসবাস করতে শুরু করেন ৷ ফজরের
সালাতে তার আগে কেউই দামিশকের মসজিদে পৌছতে পারত না ৷ রোমদের বিরুদ্ধে বিজ্যি
অভিযানে তিনি অংশগ্রহণ করেন ৷ তার ঘটনাবহুল জীবনে বহু কারামতের তথ্য পাওয়া যায় ৷
প্রসিদ্ধ মতে তার কবর দারিয়ায় অবস্থিত এবং যে স্থানে তিনি অবস্থান করতেন সেখানেই ৷
হাফিয, ইবন কাহীর এর মতে তিনি বোমে ইনতিকাল করেছেন, কারও মতে মুআবিয়ার
আমলে ৷ কারও মতে ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার যুগে হিজরী ষাট সনের পর ৷

আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারীর ঘটনা বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ একদা তিনি তার উস্তাদ
আবু সুলায়মানের নিকট এই খবর দিতে গেলেন যে, উনুন গরম করা হয়েছে ৷ লোকজ্যা তার
হুকুর্মের অপেক্ষায় আছে ৷ তিনি এসে দেখলেন যে, উস্তাদ লোকজনের সাথে আলোচনায় লিপ্ত ৷
তিনি যে অবস্থায় খবর শুনালেন ৷ কিন্তু লোকজনের সাথে কথা বলতে থাকায় এ কথায়
কর্ণপাত করলেন না ৷ দ্বিভীয় বার খবর দিলেন ৷ বিন্দু তিনি ভ্রাক্ষেপ করলেন না ৷ তৃতীয়বার
উস্তাদসহ সেখানে উপবিষ্ট সকলকে খবর জানালেন ৷ ততক্ষণে উস্তাদ তাকে বললেন, তুমি যাও
এবং উনুনের মধ্যে গিয়ে রস ৷ আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী তখনই গিয়ে প্ৰজ্জ্বলিত উনুনের
মধ্যে বসে পড়েন ৷ কিন্তু আগুন তার উপর শীতল ও শান্তিময় হয়ে যায় ৷ এ ভাবে বহু সময়
কোট গেল ৷ এক পর্যায়ে আবুসুলায়মান আলোচনা শেষ করে বলে উঠলেন, কারা আছ, চল
আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারীর নিকট যাই ৷ কারণ আমার সন্দেহ হচ্ছে হয়ত সে আমার নির্দেশ
পালন করার জন্য উনুনের মধ্যে বসে পড়েছে ৷ সুতরাং সকলে গিয়ে তাকে সে অবস্থায়ই
দেখতে পেলেন ৷ আবুসুলায়মান তার হাত ধরে তাকে বের করে আনলেন ৷


مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ نَجْدَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ الْحِمْصِيِّ، حَدَّثَنِي شُرَحْبِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ، أَنَّ الْأَسْوَدَ بْنَ قَيْسِ بْنِ ذِي الْخِمَارِ الْعَنْسِيَّ تَنَبَّأَ بِالْيَمَنِ، فَأَرْسَلَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ فَأَتَى بِهِ، فَلَمَّا جَاءَهُ قَالَ: أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: مَا أَسْمَعُ. قَالَ: أَتَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: مَا أَسْمَعُ. قَالَ: أَتَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَرَدَّدَ ذَلِكَ عَلَيْهِ مِرَارًا، ثُمَّ أَمَرَ بِنَارٍ عَظِيمَةٍ فَأُجِّجَتْ فَأَلْقَى أَبَا مُسْلِمٍ فِيهَا فَلَمْ تَضُرَّهُ، فَقِيلَ لِلْأَسْوَدِ: انْفِهِ عَنْكَ وَإِلَّا أَفْسَدَ عَلَيْكَ مَنِ اتَّبَعَكَ. فَأَمَرَهُ، فَارْتَحَلَ أَبُو مُسْلِمٍ، فَأَتَى الْمَدِينَةَ وَقَدْ قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ، فَأَنَاخَ أَبُو مُسْلِمٍ رَاحِلَتَهُ بِبَابِ الْمَسْجِدِ، ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَقَامَ يُصَلِّي إِلَى سَارِيَةٍ، وَبَصُرَ بِهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَتَاهُ فَقَالَ: مِمَّنِ الرَّجُلُ؟ فَقَالَ: مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ. قَالَ: مَا فَعَلَ الرَّجُلُ الَّذِي حَرَقَهُ الْكَذَّابُ بِالنَّارِ؟ قَالَ: ذَاكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثُوَبٍ. قَالَ: فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ أَنْتَ هُوَ؟ قَالَ: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: فَاعْتَنَقَهُ وَبَكَى، ثُمَّ ذَهَبَ بِهِ حَتَّى أَجْلَسَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمَّ يُمِتْنِي حَتَّى أَرَانِي فِي أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ فُعِلَ بِهِ كَمَا فُعِلَ بِإِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ الرَّحْمَنِ. قَالَ
পৃষ্ঠা - ৫১৬১
إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ: فَأَنَا أَدْرَكْتُ رِجَالًا مِنَ الْأَمْدَادِ الَّذِينَ يُمَدُّونَ إِلَيْنَا مِنَ الْيَمَنِ ; مِنْ خَوْلَانَ، رُبَّمَا تَمَازَحُوا فَيَقُولُ الْخَوْلَانِيُّونَ لِلْعَنْسِيِّينَ: صَاحِبُكُمُ الْكَذَّابُ حَرَقَ صَاحِبَنَا بِالنَّارِ فَلَمْ تَضُرَّهُ. وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ دُحَيْمٍ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي وَحْشِيَّةَ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ خَوْلَانَ أَسْلَمَ، فَأَرَادَهُ قَوْمُهُ عَلَى الْكُفْرِ، فَأَلْقَوْهُ فِي نَارٍ فَلَمْ يَحْتَرِقْ مِنْهُ إِلَّا أُنْمُلَةٌ لَمْ يَكُنْ فِيمَا مَضَى يُصِيبُهَا الْوُضُوءُ، فَقَدِمَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ: اسْتَغْفِرْ لِي قَالَ: أَنْتَ أَحَقُّ. قَالَ أَبُو بَكْرٍ: إِنَّكَ أُلْقِيتَ فِي النَّارِ فَلَمْ تَحْتَرِقْ. فَاسْتَغْفَرَ لَهُ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ فَكَانُوا يُشَبِّهُونَهُ بِإِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَهَذَا الرَّجُلُ هُوَ أَبُو مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ، وَهَذِهِ الرِّوَايَةُ بِهَذِهِ الزِّيَادَةِ تُحَقِّقُ أَنَّهُ إِنَّمَا نَالَ ذَلِكَ بِبَرَكَةِ مُتَابَعَتِهِ الشَّرِيعَةَ الْمُحَمَّدِيَّةَ الْمُطَهَّرَةَ الْمُقَدَّسَةَ، كَمَا جَاءَ فِي حَدِيثِ الشَّفَاعَةِ: " «وَحَرَّمَ اللَّهُ عَلَى النَّارِ أَنْ تَأْكُلَ مَوَاضِعَ السُّجُودِ» ". وَقَدْ نَزَلَ أَبُو مُسْلِمٍ بِدَارَيَّا مِنْ غَرْبِيِّ دِمَشْقَ، وَكَانَ لَا يَسْبِقُهُ أَحَدٌ إِلَى الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ بِدِمَشْقَ وَقْتَ الصُّبْحِ، وَكَانَ يُغَازِي فِي بِلَادِ الرُّومِ، وَلَهُ أَحْوَالٌ وَكَرَامَاتٌ كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَقَبْرُهُ مَشْهُورٌ بِدَارَيَّا، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ مَقَامُهُ الَّذِي كَانَ يَكُونُ فِيهِ، فَإِنَّ الْحَافِظَ ابْنَ عَسَاكِرَ رَجَّحَ أَنَّهُ مَاتَ بِبِلَادِ الرُّومِ، فِي خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ، وَقِيلَ: فِي أَيَّامِ ابْنِهِ
পৃষ্ঠা - ৫১৬২


ইবরাহীম (আ)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল মিনৃজানীক নামক একপ্রকার নিক্ষেপন
যত্রের সাহায্যে ৷ পক্ষাতরে মুসায়লামা কায্ যাবের ঘটনায় হযরত বারা ইবন মালিকের যে
অবস্থার কথা বর্ণিত হয়েছে, তা অধিকতর বিস্ময়কর ৷ যুদ্ধের এক পর্যায়ে মুসায়লামা
কাযযাবের বাহিনী দুর্গের মধ্যে আশ্রয় নেয় এবং প্রাচীরের র্ফাক বন্ধ করে দেয় ৷ তখন বারা
ইবন মালিক লোকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা আমাকে বর্শার ফ্লকে উঠিয়ে প্রাচীরের
উপর দিয়ে জ্যিরে ফেলে দাও ৷ সত্যিই তইি করা হল ৷ তাকে ঐ ভাবে প্রাচীরের ওপারে ফেলে
দেয়া হল ৷ তিনি ভিতরে প্রবেশ করে মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করেন ও মুসায়লামাকে হত্যা
করেন ৷

এ সম্পর্কে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর আমলের আলোচনায় বিস্তারিত উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ হযরত সিদ্দীক (রা) খালিদ ইবন ওলীদ (রা)-কে মুসায়লামা ও বনু হানীফার
বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ন্যুনাধিক এক লাখ ৷ আর মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা
ছিল তেব হাজার থেকে কিছু বেশি ৷ উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে বেদৃইনদের অনেকে ভয়ে
পালাতে থাকে ৷ মুহাজ্যি ও আনসারগণ খালিদকে জানালেন-আপনি আমাদেরকে, ওদের থেকে
পৃথক করুন ও যুদ্ধ করতে দিন! মুজাহির ও আনসারদের সংখ্যা ছিল প্রায় আড়ইি হাজার ৷
সুতরাং তারা আক্রমণ চালালেন এবং ঘোষণা করতে থাকলেনং হে সুরা বাকারার ণ্লাকজ্যা
(জালুত বাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত) আজ সকল যাদু ধ্বং স হয়ে যাবে ৷ অবশেষে মুস্যয়লামার
বাহিনী ণ্শাচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করে এবং নিকটেই একটি বাগানে আশ্রয় নেয়-ঐ বাগানের
নাম রাখা হয় মৃত্যুর বাগান (প্রু৷ ৷ ান্) ৷ বাগানের দুর্গের চারিপাৰ্:শ মুসলমানগণ
অবরোধ রচনা করে রাখেন ৷ তারপর উল্লেখিত উপায়ে বারা ইবন মালিক (আনাস ইবন
মালিকের বড় ভাই) বর্শার উপর উঠে দুর্গের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং দ্রুত আক্রমণ করে
একইি দুর্গ জয় করেন ৷ তারপর তারা মুসায়লামার প্রাসাদের দিকে যান, নিকটে যে প্রাসাদের
বাইরে দেয়ালের কাছে দাড়িয়ে ছিল তখন তাকে একটা ধুসর বর্ণের উটের ন্যায় ৷ হযরত
হামষার হত্যাকারী ওয়াহ্শী ইবন হারব বর্শা হাতে নিয়ে মুসায়লামাৱ দিকে অগ্রসর হয় ৷ আবু
দৃজানা সিমাক ইবন হারশা আল আনসাৰীও যে দিকে ছুটে যান ৷ ওয়াহ্শী প্রথমে বর্শা নিক্ষেপ
করে, যা মুসায়লামার দেহ ভেদ করে চলে যায় ৷ তারপর আবু দুজান৷ গিয়ে তলোয়ার দ্বারা
ন্ তার মস্তক বিচ্ছিন্ন করে দেন ৷ এ সময় জনৈক দাসী প্রাসাঃদঃ হাদে উঠে চিৎকার দিয়ে বলে,
হায় আমাদের আমীর তাকে একজন কৃষ্ণকায় গোলাম হত্যা করেছে ৷ কথিত আছে মৃত্যুকালে
মুসায়লামার বয়স হয়েছিল একশ চল্লিশ বছর ৷

হাফিয আবু নু আয়ম বলেছেনং : যদি বলা হয় আল্লাহ্ তায়ালা ংনবীদেয় মধ্যে হযরত
ইব্রাহীম (আ)কেপ্ খলীল (বন্ধু) বলে আখ্যায়িত করেছেন ৷ এটা তার জন্য বিশেষ মর্যাদা ৷
তার উত্তরে বলা যাবে, আল্লাহ্ মুহাম্মদ (সা)-কেও খলীল ও হাবীব রুপে গ্রহণ করেহ্নে৷ ৷ আর
হাবীব (প্রিয় বন্ধু) খলীল এর চেয়ে অধিক প্রিয় অর্থ বুঝায় ৷ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন৪ আমি যদি কাউকে খলীলরুপে গ্রহণ করতাম তবে আবু বকরকেই
করতাম, জ্যি জেনে রেখ, তোমাদের সাথী (অর্থাৎ আমি) আল্লাহর খলীল :

হাদীস ইমাম মুসলিম জ্যি জ্যি সুত্রে ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ যে বর্ণনায়


يَزِيدَ، بَعْدَ السِّتِّينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ وَقَعَ لِأَحْمَدَ بْنَ أَبِي الْحِوَارِيِّ مَعَ شَيْخِهِ أَبِي سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيِّ قِصَّةٌ تُشْبِهُ هَذَا، كَمَا رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ " فِي تَرْجَمَةِ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي الْحِوَارِيِّ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ: أَنَّهُ جَاءَ إِلَى أُسْتَاذِهِ أَبِي سُلَيْمَانَ يُعْلِمُهُ أَنَّ التَّنُّورَ قَدْ سَجَرُوهُ، وَأَهْلُهُ يَنْتَظِرُونَ مَا يَأْمُرُهُمْ بِهِ، فَوَجَدَهُ يُكَلِّمُ النَّاسَ وَهُمْ حَوْلَهُ، فَأَعْلَمَهُ بِذَلِكَ، فَاشْتَغَلَ عَنْهُ بِالنَّاسِ، ثُمَّ أَعْلَمُهُ فَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَيْهِ، ثُمَّ أَعْلَمُهُ مَعَ أُولَئِكَ الَّذِينَ حَوْلَهُ، فَقَالَ لَهُ وَهُوَ مُغْضَبٌ: اذْهَبْ فَاجْلِسْ فِيهِ. ثُمَّ تَشَاغَلَ بِالْحَدِيثِ مَعَ أُولَئِكَ الَّذِينَ حَوْلَهُ، وَذَهَبَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحِوَارِيِّ إِلَى التَّنُّورِ، فَجَلَسَ فِيهِ وَهُوَ يَتَضَرَّمُ نَارًا، فَكَانَ عَلَيْهِ بَرْدًا وَسَلَامًا، وَمَا زَالَ فِيهِ حَتَّى اسْتَيْقَظَ أَبُو سُلَيْمَانَ مِنْ كَلَامِهِ، فَقَالَ لِمَنْ حَوْلَهُ: قُومُوا بِنَا إِلَى أَحْمَدَ بْنِ أَبِي الْحِوَارِيِّ، فَإِنِّي أَظُنُّهُ قَدْ ذَهَبَ إِلَى التَّنُّورِ فَجَلَسَ فِيهِ امْتِثَالًا لِمَا أَمَرْتُهُ بِهِ، فَذَهَبُوا فَوَجَدُوهُ جَالِسًا فِيهِ، فَأَخَذَ بِيَدِهِ الشَّيْخُ أَبُو سُلَيْمَانَ وَأَخْرَجَهُ مِنْهُ، رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِمَا، وَرَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَقَالَ شَيْخُنَا أَبُو الْمَعَالِي: وَأَمَّا إِلْقَاؤُهُ - يَعْنِي إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنَ الْمَنْجَنِيقِ، فَقَدْ وَقَعَ فِي حَدِيثِ الْبَرَاءِ بْنِ مَالِكٍ فِي وَقْعَةِ مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، وَأَنَّ أَصْحَابَ مُسَيْلِمَةَ انْتَهَوْا إِلَى حَائِطٍ حَفِيرٍ فَتَحَصَّنُوا بِهِ وَأَغْلَقُوا
পৃষ্ঠা - ৫১৬৩

আছে, আমি যদি কাউকে খলীলরুপে গ্রহণ করতাম তবে আবু বকরকেই খলীল বানাতাম ৷
কিন্তু সে তো আমার ভাই, আমার সাথী ৷ জোন রেখ, তোমাদের সাথীকে আল্লাহ্ই খলীল
রুপে গ্রহণ করে নিয়েছেন ৷
মুসলিম জুনদুব সুত্রেও একবভােরে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিম আবু
সাঈদ থেকে এবং বুখারী এককভাবে ইবন আব্বাস ও ইবন যুবায়র থেকে এটা বর্ণনা
করেছেন৷ ফাযইিলে সিদ্দীকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং সেখানে আমরা
ত্যা; ক আনসে, বারা , জাবির, কাব ইবন মালিক, আবুল হুসায়ন ইবন ইয়ালা, আবু হুরায়রা,
আবু ওয়াকিদ লাইহী ও অইিশা (রা)-এর বর্ণনা উদ্ধৃত করেছি ৷
আবু নুআয়ম উবায়দুল্লাহ্ ইবন যাহ্র সুত্রে কাব ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ কাব বলেন, আমি শুনেছি, ’ন্ৰী করীম (সা) বলেছেন : প্রত্যেক নবীরই তার উষ্মতের
মধ্য থেকে একজন করে খলীল ছিল ৷ আর আমার খলীল আবু বকর ৷ আর আল্লাহ তোমাদের
সঙ্গীকে তার খলীলরুপে গ্রহণ করেছেন ৷ এ হাদীসের সনদ যঈফ্ ৷
মুহাম্মদ ইবন আজলান সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : প্রত্যেক নবীরই খলীল থাকে ৷ আমার বলীল আবু বকর ইবন আবু কুহাফা ৷ আর
ণ্তামাদের সঙ্গীর খলীল স্বয়ং রহমান ৷ এ সনদ ,গব্রীব, ৷ আবদুল ওহ্হাব ইবন যাহ্হাক সুত্রে
আমর ইবন আস থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনও আল্লাহ আমাকে খলীল রুপে
গ্রহণ করেছেন, যেমন ইবরাহীম (আ) কে বন্ধুরুপে গ্রহণ করেছিলেন ৷ আমার ও ইবরাহীম
(আ) এর আসন জান্নাতের মধ্যে সামনা সামনি থাকবে ৷ আর আব্বাস আমাদের দৃই খলীলের
মাঝে অবস্থান করবেন ৷ এ হাদীসটিও গরীব, সনদ সমালোচিত ৷ ইমাম মুসলিম আবু বকর
ইবন আবু শায়বা সুত্রে হযরত জুনদুব ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তার ইনতিকালের পাচ দিন পুর্বে এ কথা বলতে শুনেছি যে,
আমি আল্লাহর নিকট এ ব্যাপারে নিজের সাফাই পেশ করব এই বলে যে, তোমাদের কাউকে
আমি খৃলীল বানাইনি ৷ কেননা আল্লাহ-ই-আমাকে তার; খলীল রুপে গ্রহণ করেছেন ৷ যেমন
ইবরাহীম (আ)-কে তিনি খলীলরুপে গ্রহণ করেছিলেন ৷ যদি একান্তই আমি আমার উম্মতের
মধ্য থেকে কাউকে খলীল বানাতাম তাহলে আবু বকরকেই বানাতাম ৷ সাবধান থেকো,
তোমাদের পুর্ববর্তী জাতিগুলো তাদের নবী ও নেককাব লোকদের কবরকে সিজদাব স্থানে
পরিণত করেছিল, সাবধান, তোমরা কবরকে সিজদাব স্থানে পরিণত করো না ৷ আমি এ কাজ
থেকে তোমাদ্যোকে নিষেধ করছি ৷
তবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কতব্লিষ্ হুসায়নকে খলীলরুপে গ্রহণ করার বর্ণনাতে আবু নুআয়ম
কোন সনদ পেশ করেননিা রাসুলুল্লাহ্ব(সা)- কে খলীল (অন্তরঙ্গ) ও হাবীব (প্রিয়তম) নামে
অভিহিত করা সম্পর্কে হিশাম ইবন আমার তার মাবআছ’ নামক কিতাবে ইয়াহ্ইয়া ইবন
হামযা সুত্রে উরওয়া ইবন রুওয়ায়েম থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ং আল্লাহ
তাআলা আমার ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন ৷ আমাকে তার সান্নিধ্যে ডেকে নিয়েছেন এবং আমার
সম্মুখে সবকিছু প্রকাশ করেছেন ৷ দুনিয়ার আমরা শেষে আগমন করেছি; কিন্তু কিয়ামতের কাি
আমরা অগ্রে থাকর ৷ আমি একটি উক্তি করছি, তার মধ্যে আমার কোন অহংকার ণ্নই৷ তা
হল, ইবরাহীম আল্লাহর খলীল, মুসা আল্লাহর মনোনীত আর আমি আল্লাহর প্রিয়তম৪
«fl ৷ ৷ কিয়ামতের দিন আমিই হব

বনী-আদমের নেতা; আমার হাতে থাকবে আল্লাহর প্রশং সা খচিত ঝাণ্ডা) ৷ তিনটি বিষয়ে আল্লাহ


الْبَابَ، فَقَالَ الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ: ضَعُونِي عَلَى تُرْسٍ، وَاحْمِلُونِي عَلَى رُءُوسِ الرِّمَاحِ، ثُمَّ أَلْقُونِي مِنْ أَعْلَاهَا دَاخِلَ الْبَابِ. فَفَعَلُوا ذَلِكَ وَأَلْقَوْهُ عَلَيْهِمْ، فَوَقَعَ وَقَامَ وَقَاتَلَ الْمُشْرِكِينَ حَتَّى قَتَلَ عَشَرَةً أَوْ أَكْثَرَ، وَفَتَحَ الْبَابَ لِلْمُسْلِمِينَ، فَكَانَ سَبَبَ هَلَاكِ الْمُشْرِكِينَ وَقَتْلِ مُسَيْلِمَةَ. قُلْتُ: وَقَدْ ذَكَرْتُ ذَلِكَ مُسْتَقْصًى فِي أَيَّامِ الصِّدِّيقِ حِينَ بَعَثَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ لِقِتَالِ مُسَيْلِمَةَ وَبَنِي حَنِيفَةَ، وَكَانُوا فِي قَرِيبٍ مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ، وَكَانَ الْمُسْلِمُونَ بِضْعَةَ عَشَرَ أَلْفًا، فَلَمَّا الْتَقَوْا جَعَلَ كَثِيرٌ مِنَ الْأَعْرَابِ يَفِرُّونَ، فَقَالَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ: أَخْلِصْنَا يَا خَالِدُ. فَمَيَّزَهُمْ عَنْهُمْ، فَكَانَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ قَرِيبًا مِنْ أَلْفَيْنِ وَخَمْسِمِائَةٍ، فَصَمَّمُوا الْحَمْلَةَ وَجَعَلُوا يَتَذَامَرُونَ وَيَقُولُونَ: يَا أَصْحَابَ سُورَةِ " الْبَقَرَةِ " بَطَلَ السِّحْرُ الْيَوْمَ. فَهَزَمُوهُمْ بِإِذْنِ اللَّهِ وَأَلْجَأُوهُمْ إِلَى حَدِيقَةٍ هُنَالِكَ - وَتُسَمَّى حَدِيقَةُ الْمَوْتِ - فَتَحَصَّنُوا بِهَا، فَحَصَرُوهُمْ فِيهَا، فَفَعَلَ الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ أَخُو أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَكَانَ الْأَكْبَرَ، مَا ذُكِرَ مِنْ رَفْعِهِ عَلَى تُرْسِهِ فَوْقَ الرِّمَاحِ حَتَّى تَمَكَّنَ مِنْ أَعْلَى سُورِهَا، ثُمَّ أَلْقَى نَفْسَهُ عَلَيْهِمْ وَنَهَضَ سَرِيعًا إِلَيْهِمْ، وَلَمْ يَزَلْ يُقَاتِلُهُمْ وَحْدَهُ وَيُقَاتِلُونَهُ حَتَّى تَمَكَّنَ مِنْ فَتْحِ بَابِ الْحَدِيقَةِ، وَدَخَلَ الْمُسْلِمُونَ يُكَبِّرُونَ وَانْتَهَوْا إِلَى قَصْرِ مُسَيْلِمَةَ وَهُوَ وَاقِفٌ خَارِجَهُ عِنْدَ ثُلْمَةِ جِدَارٍ، كَأَنَّهُ جَمَلٌ أَوْرَقَ، أَيْ مِنْ سُمْرَتِهِ، فَابْتَدَرَهُ وَحْشِيُّ بْنُ حَرْبٍ الْأَسْوَدُ قَاتِلُ حَمْزَةَ بِحَرْبَتِهِ، وَأَبُو دُجَانَةَ سِمَاكُ بْنُ خَرَشَةَ
পৃষ্ঠা - ৫১৬৪
الْأَنْصَارِيُّ - وَهُوَ الَّذِي يُنْسَبُ إِلَيْهِ شَيْخُنَا هَذَا أَبُو الْمَعَالِي بْنُ الزَّمْلَكَانِيِّ - فَسَبَقَهُ وَحْشِيٌّ فَأَرْسَلَ الْحَرْبَةَ عَلَيْهِ مِنْ بُعْدٍ فَأَنْفَذَهَا مِنْهُ، وَجَاءَ إِلَيْهِ أَبُو دُجَانَةَ فَعَلَاهُ بِسَيْفِهِ فَقَتَلَهُ، لَكِنْ صَرَخَتْ جَارِيَةٌ مِنْ فَوْقِ الْقَصْرِ تَنْدُبُ مُسَيْلِمَةَ، فَقَالَتْ: وَاأَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَاهْ، قَتَلَهُ الْعَبْدُ الْأَسْوَدُ. وَيُقَالُ: إِنَّ عُمُرَ مَسَيْلِمَةَ، لَعَنَهُ اللَّهُ، يَوْمَ قُتِلَ مِائَةٌ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. فَهُوَ مِمَّنْ طَالَ عُمُرُهُ وَسَاءَ عَمَلُهُ، قَبَّحَهُ اللَّهُ. وَهَذَا مَا ذَكَرَهُ شَيْخُنَا فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِإِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَأَمَّا الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فَإِنَّهُ قَالَ: فَإِنْ قِيلَ: فَإِنَّ إِبْرَاهِيمَ خُصَّ بِالْخُلَّةِ مَعَ النُّبُوَّةِ. قِيلَ: فَقَدِ اتَّخَذَ اللَّهُ مُحَمَّدًا خَلِيلًا وَحَبِيبًا، وَالْحَبِيبُ أَلْطَفُ مِنَ الْخَلِيلِ. ثُمَّ سَاقَ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلًا، وَلَكِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ وَالثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، وَمِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْهُذَيْلِ، كُلُّهُمْ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْجُشَمِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلًا، وَلَكِنَّهُ أَخِي وَصَاحِبِي، وَقَدِ اتَّخَذَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، صَاحِبَكُمْ، خَلِيلًا» . هَذَا لَفْظُ مُسْلِمٍ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا مُنْفَرِدًا بِهِ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، كَمَا سَأَذْكُرُهُ. وَأَصْلُ الْحَدِيثِ
পৃষ্ঠা - ৫১৬৫


ণ্তামাদের নিরাপত্তা দিয়েহ্নে৷ ৷ এক৪ দৃর্তিক্ষ-মহামারী দ্বারা তিনি তােমাদেরকে ধ্বংস করবেন
না ৷ দৃই৪ শত্রুকে নির্মুল করা তোমাদের জন্যে বৈধ করেছেন ৷ তিন৪ কোন গোমরাহীর উপর
তোমরা সবইি একমত হবেনা ৷

ফকীহ্ আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইবন হামিদ খলীল বা অত্তরঙ্গ শব্দের বিস্তারিত বিশ্লেষণ
করেছেন ৷ তিনি বলেছেনঃ খলীল তাকে বলা হয়, যে তার রবের ইবাদত করে আগ্রহ ও
ভীতিসহ ৷ আল্লাহ বলেছেন৪ :ন্ৰু০া; : ৷ এদ্ব৷ ণ্ ১া০ং৷ ) ৷ “ইব্রাহীম তো কোমল হৃদয় ও
সহনশীল (৯ তাওবাং : ১১৪) ৷

কেননা তিনি ব্হুঙ্কুলভাবে আওয়াহ শব্দটি উচ্চারণ করেন ৷ পক্ষাস্তরে হাবীব বলা হয়
তাকে, যে রবের ইবাদত করে দর্শনের মাধ্যমে ও মহব্বাতর সাথে ৷ তিনি আরো লিখেন যে,
খলীল ঐ ব্যক্তি, যে কারও দানের ও পুরস্কারের অপেক্ষায় থাকে ৷ আর হাবীব সেই ব্যক্তি, যে
কারও সাক্ষাতের অপেক্ষায় অধীর থাকে ৷ তিনি আরও বলেন, খলীল ঐ ব্যক্তিকে বলে, যার
সাথে সু -সম্পর্ক করা হয় কোন মাধ্যম দ্বারা-যেমন আল্লাহ বলেন :

এা১ন্০
“এ তাভ্রুবই ইবরাহীমকে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর পরিচালনা ব্যবস্থা দেখাই, আর যাতে
সে নিশ্চিত বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়” (৬ আন আম৪ ৭৫)া
আর হাবীব বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে, যার সাথে কোন মাধ্যম ব্যতীইে সরাসরি সু-সম্পর্ক
স্থাপন করা হয় ৷ আল্লাহ তা আলা বলেন :
মধ্যে দুই ধনুকের ব্যবধান রইল অথরা তারও কম (৫৩ নাজম০ ণ্ন্ ৯) ৷
ইব্রাহীম খলীল বলছেনং :
আমি আশা করি, তিনি কিয়ামত দিবসে আমার অপরাধসমুহ মার্জনা করে দেবেন (২৬
ও আরা০ ং ৮২) ৷
অপর দিকে হাবীব মুহাম্মদের প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেনং : র্টু ,১ ণ্ঢ়ন্ছু ৷’ এ ৷ ;-fl ,¢ ম্বী
)ছুভ্রু;া০ ০ এএট্ট “যেন আল্লাহ তোমার অতীত ও ভবিষ্যত ক্রটিসমুহ মার্জন৷ করেন (৪৮

অন্যত্র ইব্রাহীম খলীলবলেছের্ন : ,টুইটুট্রুঠু হুটু; ং ১;০ং১; ১া ষ্কৃ “এবং আমাকে লাৰুঞ্ছিত
করোনা কিয়ামত দিবসে (২৬ শু আরাং : ৮৭) ৷
আর আল্লাহ তা জানা নবীর ক্ষেত্রে বলছেনং :
৷ ন্ ! “সে দিন আল্লাহ্ নবী ও তার মুমিন সঙ্গীদেরকে অপদহ্ করবেন না (৬৬
তাহরীম৪ ৮) ৷
ইৰরাহীম খলীলকে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন০ ৰুএ৷ ৷ ৷১
,া হ্রড্রু৷ ৷ ণ্র্দু০১ ০ “আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট; এবং তিনি কত উত্তম কর্ম-বিধায়ক! (৩
আলেশ্ইম্রানঃ৪ ১৭৩) ৷


فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَفِي أَفْرَادِ الْبُخَارِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ الزُّبَيْرِ، كَمَا سُقْتُ ذَلِكَ فِي فَضَائِلِ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَدْ أَوْرَدْنَاهُ هُنَالِكَ مِنْ رِوَايَةِ أَنَسٍ، وَالْبَرَاءِ، وَجَابِرٍ، وَكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، وَأَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، وَعَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. ثُمَّ إِنَّمَا رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ: عَهْدِي بِنَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ وَفَاتِهِ بِخَمْسَةِ أَيَّامٍ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ إِلَّا لَهُ خَلِيلٌ مِنْ أُمَّتِهِ، وَإِنَّ خَلِيلِي أَبُو بَكْرٍ، وَإِنَّ اللَّهَ اتَّخَذَ صَاحِبَكُمْ خَلِيلًا» . وَهَذَا الْإِسْنَادُ ضَعِيفٌ. وَمِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِكُلِّ نَبِيٍّ خَلِيلٌ، وَخَلِيلِي» أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي قُحَافَةَ، وَخَلِيلُ صَاحِبِكُمُ الرَّحْمَنُ. وَهُوَ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَمِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ الضِّحَاكِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫১৬৬

হে নবী তোমার জন্যে ও তোমার অনুসারী মু’মিনদের
জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট (৮ আনফাসঃ ৬৪) ৷
আমি আমার প্ৰতিপালকের
দিকে চললাম, তিনি আমাকে অবশ্যই সৎপথে পরিচালিত করবেন (৩৭ সাফ্ফতে ৯৯) ৷

আর মুহাষ্মদ(সা)-এর ক্ষেত্রে আল্লাহ্ বলছেনং ,;হ্১ ১া৷ট্রু৯ এ ,, তিনি তোমাকে
পেলেন পথ সম্পর্কে অনবহিত, তারপর তিনি পথের নির্দেশ দিলেন” (৯৩ দুহা : ৭) ৷

ইব্রাহীম খলীল বলছেনং ৷ , ন্এবং আমাকে ও
আমার পুত্রণণকে প্রতিমা পুজা থেকে দুরে ব্লেখো” (১৪ ইবরাহীম৪ ৩৫) ৷
অন্য দিকে আল্লাহ্ তার হাবীবের মোঃ ব্শেস্ফো০ ং

ণ্ fl ণ্


হে নবী পরিবার আল্লাহ্ তো কেবল চান ণ্তামাদের থেকে অপবিত্রতা দুর করতে এবং
তােমাদেরকে সম্পুর্ণরুপে পবিত্র করতে” (৩৩ আহ্বান : ৩৩) ৷

ইব্রাহীম খলীল বলেছেনং : ৷ এবং আমাকে সুখময়
জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর (২৬ ও আরাং ৮৫) ৷

আর মুহাম্মদ (সা) সম্পর্কে আল্পাহ্ বলছেন ৷ “আমি তোমাকে
সকল মঙ্গলের অধিক পরিমাণ দান করেছি কিখ্ব্৷ হাওজে কওছুার দান করেছি ( ১০৮ কাওছার
১) ৷

ফর্কীহ্ আবু মুহাম্মদ এ জাতীয় বহু বিষয়ের উল্লেখ করেছেন ৷ মুসলিম শরীফে উবায়া ইবন
কা ব (বা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, কিয়ামত দিবসে আমি এমন এক স্থানে
দন্ডায়মান থাকর যে, আমার দিকে সমস্ত লোক উদষীব থাকবে, এমন কি তাদের পিতা
ইব্রাহীম খলীলও ৷ এ থেকেবুঝ৷ যায় যে, রাসুল (সা) সৃবেচ্চি মর্যাদার অধিকারী, কেননা ঐ
সময়ে সমস্ত মানুষ তার মুখাপেক্ষী হবে ৷ এ হাদীস থেকে আরও বুঝা যায় যে, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর পরে হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর স্থান ৷ কেননা, ইব্রাহীম (আ) এর চইিতে অধিক
সম্মানের ফেউযদি হতেন, তবে রাসুল (সা) তার নামই উল্লেখ করতেন ৷

আবু নু আয়ম বলেছেন, যদি প্রশ্ন করা হয় যে, ইব্রাহীম (আ) ণ্ক নমরুদের হাত থেকে
তিন প্রকার পর্দা দ্বারা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ তা হলে এর উত্তরে আমরা বলতে পারি ন্
যে, রাসৃপুল্লাহ্ (সা)শ্কে তার ৰিরোধীদের করল থেকে পাচ প্রকার পর্দা দ্বারা নিরাপত্তা দান
করেছেন ৷ আস্লাহ্ব্লেছেঃ :

া৷া৷৷ : : : × :


“আমি ণ্ডদের সৰুখে প্রাচীর ও পশ্চাতে প্রাচীর স্থাপন করেছি এবং ওদেরকে আবৃত করে
রেখেছি ফলে ওরা দেখতে পায় না” (৩৬ ইয়াসীন৪ ৯) ৷


عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ اتَّخَذَنِي خَلِيلًا كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَمَنْزِلِي وَمَنْزِلُ إِبْرَاهِيمَ فِي الْجَنَّةِ تُجَاهَيْنِ» ، وَالْعَبَّاسُ بَيْنَنَا مُؤْمِنٌ بَيْنَ خَلِيلَيْنِ. غَرِيبٌ وَفِي إِسْنَادِهِ نَظَرٌ. انْتَهَى مَا أَوْرَدَهُ أَبُو نُعَيْمٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ فِي " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَا: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، «حَدَّثَنِي جُنْدُبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ بِخَمْسٍ وَهُوَ يَقُولُ: إِنِّي أَبْرَأُ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، أَنْ يَكُونَ لِي مِنْكُمْ خَلِيلٌ ; فَإِنَّ اللَّهَ قَدِ اتَّخَذَنِي خَلِيلًا، كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ أُمَّتِي خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلًا، أَلَا وَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ يَتَّخِذُونَ قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ وَصَالِحِيهِمْ مَسَاجِدَ، أَلَا فَلَا تَتَّخِذُوا الْقُبُورَ مَسَاجِدَ، إِنِّي أَنْهَاكُمْ عَنْ ذَلِكَ» . وَأَمَّا اتِّخَاذُهُ حَبِيبًا فَلَمْ يَتَعَرَّضْ لِإِسْنَادِهِ أَبُو نُعَيْمٍ. وَقَدْ قَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ فِي كِتَابِهِ " الْمَبْعَثِ ": حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ الْحَضْرَمِيُّ وَعُثْمَانُ بْنُ عَلَاقٍ الْقُرَشِيُّ، قَالَا: حَدَّثَنَا عُرْوَةُ بْنُ رُوَيْمٍ اللَّخْمِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ أَدْرَكَ بِيَ الْأَجَلَ الْمَرْقُومَ، وَأَخَذَنِي الْمُقْرُبَةَ، وَاحْتَضَرَنِي احْتِضَارًا، فَنَحْنُ الْآخِرُونَ، وَنَحْنُ السَّابِقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَنَا قَائِلٌ قَوْلًا غَيْرَ فَخْرٍ: إِبْرَاهِيمُ خَلِيلُ اللَّهِ، وَمُوسَى صَفِّيُّ اللَّهِ، وَأَنَا حَبِيبُ اللَّهِ، وَأَنَا سَيِّدُ
পৃষ্ঠা - ৫১৬৭


এ আয়াতে তিনটি পর্দার উল্লেখ আছে ৷ অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন :

০ , শ্


¢ :


“তুমি যখন কুরআন পাঠ কর তখন তোমার ও যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাদের
মধ্যে প্রচ্ছন্ন পর্দা রেখে দিই” ( ১৭ ইসরা০ ং ৪৫) ৷

০ ’ ,

অন্যত্র বলেনং : ;,প্রু;শ্পু০০রু০ ণ্ধ্ট্রুব্ল ,াণ্ড্রা১৷ ৷ এ ৷ ধ্১ ১া১া; ৷ ন্ওাং;াও ১ ৷াশুশু & ৷

“আমি ওদের গলদেশে চিবুক পর্যন্ত £বড়ি পরিয়ে দিয়েছি, ফলে ওরা উর্ধ্বমুথী হয়ে গিয়েছে”


এই সর্ব মোট পাচটি পর্দা রাসুলের জন্যে রাখা হয়েছে ৷ লীেহ্ আবু মুহাম্মাদও এ পাচটি
পর্দার কথা উল্লেখ করেছেন ৷ উভয়ের মধ্যে কে কার থেকে গ্রহণ করেছে তা আমি বলতে
পারিনা ৷ অন্য দিকে ইবরাহীম (আ)-এর জন্যে যে তিনটি পর্দার কথা বলেছেন, সেগুলো কি
কি তা আমার জানা নেই ৷ তিনটি পর্দার কথা কিভাবে বলা হল, সে এক প্রশ্ন বটে ৷ আমরা
জানি তবে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছে, আর আল্লাহ্ তাকে তা থেকে রক্ষা করেছেন এই বা ৷
উপরোক্ত আয়াতসমুহে যে পর্দার কথা বলা হয়েছে তার সবগুলিই অদৃশ্য ও অভীদ্রিয় ৷ অর্থাৎ
বিরােধীরা সত্য পথ থেকে দুরে সরে রয়েছে ৷ সত্যত তাদের পর্যন্ত পৌছতে পারে না ৷ তাদের
অন্তরে স্থান পড়ায় না ৷ যেমন আল্লাহ্ বলেনং :


“ওরা বলে, তুমি যার প্রতি আমাদেরকে আহবান করছ সে বিষয়ে আমাদের অন্তর আবরণ
আচ্ছাদিত, কর্ণে আছে বধিরতা এবং তোমাদের ও আমাদের মধ্যে আছে অন্তরাল” (৪১
হা-মীম, আলসাজদা ফুসসিলাত : ৫ ) ৷

এ বিষয়ে আমরা তাফসীরে সবিস্তারে উল্লেখ করেছি ৷ সীরাত ও তাফসীর গ্রন্থে আমি আবু

লাহ্বের ত্রী উষ্মে জামীলের কথা উল্লেখ করেছি যে, তার ও তার স্বামীর নিন্দা, ধ্বংস ও
জাহান্নামে যাওয়ার সংবাদ সহ সুরা লাহাব নাযিল হয় তখন সে একটি বড় পাথর হাতে নিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মস্তকে আঘাত করার জন্যে অগ্রসর হয় ৷ তখন সে হযরত আবু বকরের
নিকট এসে থেমে যায় ৷ হযরত আবু বকর তখন নবী করীম (না)-এর পাশে উপবিষ্ট ছিলেন ৷
বিন্দু রাসুল করীম (সা)-ণ্ক সে দেখতে পায়নি ৷ হযরত আবু বকরকে জিজ্ঞেস করল, তোমার
সঙ্গী কোথায়? হযরত আবু বকর বললেন, তাকে কী প্রয়োজন? উম্মে জামীল বললো, সে
আমার নিন্দা করেছে ৷ হযরত আবু বকর বললেন, কি যে নিন্দা-মন্দ করেছেন? যে বললো ,
আল্লাহর কসম, আমি যদি তাকে দেখি তবে এ পাথর দ্বারা তার মাথা চুর্ণ করে দেব ৷ তারপর
সে নিম্নের বাক্যটি বলতে বলতে প্রত্যাবর্তন করল ণ্০শ্

মোঃ

“আমরা তার বদনাম রটাব এবং তার ,দীনকে ঘৃণা করব” ৷

৫ ১


وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَإِنَّ مَعِي لِوَاءَ الْحَمْدِ، تَحْتَهُ كُلُّ نَبِيٍّ وَصِدِّيقٍ وَشَهِيدٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ تُفْتَحُ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَأَجَارَنِي اللَّهُ عَلَيْكُمْ مِنْ ثَلَاثٍ ; أَنْ لَا يُهْلِكَكُمْ بِسَنَةٍ، وَأَنْ لَا يَسْتَبِيحَكُمْ عَدُوٌّ، وَأَنْ لَا تَجْتَمِعُوا عَلَى ضَلَالَةٍ» . وَأَمَّا الْفَقِيهُ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَامِدٍ فَتَكَلَّمَ عَلَى مَقَامِ الْخُلَّةِ بِكَلَامٍ طَوِيلٍ إِلَى أَنْ قَالَ: وَيُقَالُ الْخَلِيلُ الَّذِي يَعْبُدُ رَبَّهُ عَلَى الرَّغْبَةِ وَالرَّهْبَةِ، مِنْ قَوْلِهِ: {إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ} [التوبة: 114] . مِنْ كَثْرَةِ مَا يَقُولُ: أَوْهِ. وَالْحَبِيبُ الَّذِي يَعْبُدُ رَبَّهُ عَلَى الرُّؤْيَةِ وَالْمَحَبَّةِ. وَيُقَالُ: الْخَلِيلُ الَّذِي يَكُونُ مَعَهُ انْتِظَارُ الْعَطَاءِ، وَالْحَبِيبُ الَّذِي يَكُونُ مَعَهُ انْتِظَارُ اللِّقَاءِ. وَيُقَالُ: الْخَلِيلُ الَّذِي يَصِلُ بِالْوَاسِطَةِ. مِنْ قَوْلِهِ: {وَكَذَلِكَ نُرِي إِبْرَاهِيمَ مَلَكُوتَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلِيَكُونَ مِنَ الْمُوقِنِينَ} [الأنعام: 75] . وَالْحَبِيبُ الَّذِي يَصِلُ بِهِ إِلَيْهِ. مِنْ قَوْلِهِ: {فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى} [النجم: 9] . وَقَالَ الْخَلِيلُ: {وَالَّذِي أَطْمَعُ أَنْ يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ} [الشعراء: 82] . وَقَالَ اللَّهُ لِلْحَبِيبِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {لِيَغْفِرَ لَكَ اللَّهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ} [الفتح: 2] . وَقَالَ الْخَلِيلُ: {وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ} [الشعراء: 87] . وَقَالَ اللَّهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ {يَوْمَ لَا يُخْزِي اللَّهُ النَّبِيَّ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ} [التحريم: 8] . وَقَالَ الْخَلِيلُ حِينَ أُلْقِيَ فِي النَّارِ: حَسْبِيَ اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ. وَقَالَ اللَّهُ لِمُحَمَّدٍ: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ حَسْبُكَ اللَّهُ وَمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} [الأنفال: 64] . وَقَالَ الْخَلِيلُ: {إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي سَيَهْدِينِ} [الصافات: 99] . وَقَالَ اللَّهُ لِمُحَمَّدٍ: {وَوَجَدَكَ ضَالًّا فَهَدَى} [الضحى: 7] . وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫১৬৮
الْخَلِيلُ: {وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ} [الشعراء: 84] . وَقَالَ اللَّهُ لِمُحَمَّدٍ: {وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ} [الشرح: 4] . وَقَالَ الْخَلِيلُ: {وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ} [إبراهيم: 35] . وَقَالَ اللَّهُ لِلْحَبِيبِ {إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ} [الأحزاب: 33] . وَقَالَ الْخَلِيلُ: {وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ} [الشعراء: 85] . وَقَالَ اللَّهُ لِمُحَمَّدٍ: {إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ} [الكوثر: 1] . وَذَكَرَ أَشْيَاءَ أُخَرَ، وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنِّي سَأَقُومُ مَقَامًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَرْغَبُ إِلَيَّ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى أَبُوهُمْ إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ» . فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ أَفْضَلُ مِنْهُ، إِذْ هُوَ مُحْتَاجٌ إِلَيْهِ فِي ذَلِكَ الْمَقَامِ، وَدَلَّ عَلَى أَنَّ إِبْرَاهِيمَ أَفْضَلُ الْخَلْقِ بَعْدَهُ، وَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَفْضَلَ مِنْ إِبْرَاهِيمَ بَعْدَهُ لَذَكَرَهُ. ثُمَّ قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: إِنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، حُجِبَ عَنْ نَمْرُودَ بِحُجُبٍ ثَلَاثَةٍ. قِيلَ: فَقَدْ كَانَ كَذَلِكَ، وَحُجِبَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمَّنْ أَرَادُوا قَتْلَهُ بِخَمْسَةِ حُجُبٍ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي أَمْرِهِ: {وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ} [يس: 9] . فَهَذِهِ ثَلَاثٌ، ثُمَّ قَالَ: {وَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآنَ جَعَلْنَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ حِجَابًا مَسْتُورًا} [الإسراء: 45] . ثُمَّ قَالَ: {فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَ} [يس: 8] . فَهَذِهِ خَمْسَةُ حُجُبٍ. وَقَدْ ذَكَرَ مِثْلَهُ سَوَاءً الْفَقِيهُ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَامِدٍ،
পৃষ্ঠা - ৫১৬৯

একবার রাসুল করীম (সা) সালাতে সিজদায় রত ছিলেন ৷ এমন সময় আবু জাহল যে
দিকে অগ্রসর হল ৷ উদ্দেশ্য ছিল রাসুলের মস্তক মুবারক তার অপবিত্র পা দিয়ে মাড়াবে ৷ বিত্
হঠাৎ সে তার সম্মুখে এক ভয়াবহ অগ্নি গহবর দেখতে গেল এবং গহবরের পরেই ফেরেশতার
পাখা দেখতে পেল ৷ তা দেখে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সে আত্মরক্ষা মুলকভাবে হস্তদ্বয় সম্মুখে রেখে
উলটোভাবে ফিরে এলো ৷ কুরায়শগণ জিজ্ঞেস করল, নিপাত যাও, কী হয়েছে তোমার? তখন
যা সে দেখেছিল তা বর্ণনা করল ৷ নবী করীম (সা) বললেন, যে যদি আরও অগ্রসর হত

তাহলে ফেরেশতারা তাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলত ৷ যে রাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হিজরত করছিলেন
সে রাত্রে কুরায়শরা তীর বের হবার সকল পথ বন্ধ করে তার বাড়িকে অবরুদ্ধ করে রাখার
জন্যে লোক নিযুক্ত করে ৷ বলে দেয়া হল, যখনই মুহাম্মদ (সা) বেরোবার চেষ্টা করবেন
তখনই তাকে হত্যা করে ফেলবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) হযরত তআলীকে তার বিছানায় শয়ন করার
নির্দেশ দিয়ে বের হয়ে আসেন ৷ শত্রুরা তখনও বাড়ির চারিপাশে বসা রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এক মুষ্টি ধুলি হাতে নিয়ে :,;,ং: ৷ ;ৰুা৷এে বলে তাদের দিকে নিক্ষেপ করেন, যা প্রত্যেক
কাফিরের মাথায় গিয়ে পড়ে ৷ সুতরাছুরাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে আর তারা দেখতে পেলনা ৷ এরপর
আসে পারে-ছওর এর ঘটনা ৷ মাকড়শা গর্তের মুখে জাল বুনে দেয়৷ আবু বকর (বা)
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ ওদের কেউ যদি তার পায়ের দিকে তাকায় তবে
তাে আমাদেরকে দেখে ফেলবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমরা দু’জন নই ৷ তৃতীয়জন
আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন ৷ জনৈক করি এ প্রসঙ্গে বলেছেন :

০ ’ :

;াস্পো

দাউদ নির্মিত বর্ম গুহাবাসীকে রক্ষা করেনি, বরং তাদের কৃতিত্ব মাকড়শারই প্রাপ্য ৷

মদীনায় পথে যাওয়ার প্রাক্কালে সুরাকা ইবন মালিক ইবন জুনদুম রাসুলের পিছনে ধাওয়া
করে ৷ কিন্তু অশ্বের পা মাটির মধ্যে দেবে যায় ৷ সে তার নিকট থেকে নিরাপত্তার ওয়াদা নেয়
যেমনটি হিজরতের ঘটনায় আমরা বিস্তারিত বলে এসেছি ৷

ইবন হামিদ উল্লেখ করেছেন, ইব্রাহীম (আ)-কে আমরা দেখতে পাই যে, আল্লাহর
নির্দেশ পালন করার জন্যে আপন পুত্রকে যবেহ্ করার উদ্দেশ্যে যমীনের উপর শায়িত করেন ৷
কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আমরা দেখি যে, উহুদসহ অন্যান্য যুদ্ধে নিজেকেই তিনি হত্যার
মুখোমুখি পেশ করে দেন ৷ ফলে কাফিররা যা করার তাই করেছে তার মাথায় আঘাত
হেনেছে, নীচের পাটির ডান দিকের সামনের দাত ভেঙ্গে ফেলেছে, যেমনটি ইতিপুর্বে বলা
হয়েছে ৷
ইবরাহীম (আ)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, আল্লাহ্ সে আগুনকে শীতল ও
শান্তিময় করে দেন ৷ এর মুকড়াবিলায় আবু হামিদ বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কেও অনুরুপ করা
হয়েছে ৷ খড়ায়বর দিবসে র্তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয় ৷ কিন্তু বিষ তার পোট শীতল ও শাত্তিময়
হয়ে যায় ৷ অথচ বিশর ইবন বারা ঐ বিষযুক্ত খাদ্য খেয়ে ইনতিকাল করেন ৷ সেই বিষযুক্ত
বকবীর রান রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে ভক্ষণ করতে দেয়া হয় ৷ তিনি ঐ রানের গোশত একগ্রাস
গ্রহণ করেন ৷ বন্তুত রানের মধ্যে বিষ ছিল বেশি ৷ কারণ তারা জানত যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) রান
খেতে ভালবাসেন ৷ বিন্দু আল্লাহর ইচ্ছার ব্যিষর ক্রিয়া খতম হয়ে যায় ৷ তিনি শেষ জীবন পর্যন্ত


وَمَا أَدْرِي أَيُّهُمَا أَخَذَ مِنَ الْآخَرِ؟ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ غَرِيبٌ، وَالْحُجُبُ الَّتِي ذَكَرَهَا لِإِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَا أَدْرِي مَا هِيَ، كَيْفَ وَقَدْ أَلْقَاهُ فِي النَّارِ الَّتِي نَجَّاهُ اللَّهُ مِنْهَا؟ ! وَأَمَّا مَا ذَكَرَهُ مِنَ الْحُجُبِ الْمُسْتَدِلِّ عَلَيْهَا بِهَذِهِ الْآيَاتِ، فَقَدْ قِيلَ: إِنَّهَا جَمِيعَهَا مَعْنَوِيَّةٌ لَا حِسِّيَّةٌ، بِمَعْنَى أَنَّهُمْ مُصْرَفُونَ عَنِ الْحَقِّ، لَا يَصِلُ إِلَيْهِمْ، وَلَا يَخْلُصُ إِلَى قُلُوبِهِمْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَقَالُوا قُلُوبُنَا فِي أَكِنَّةٍ مِمَّا تَدْعُونَا إِلَيْهِ وَفِي آذَانِنَا وَقْرٌ وَمِنْ بَيْنِنَا وَبَيْنِكَ حِجَابٌ} [فصلت: 5] . وَقَدْ حَرَّرْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي السِّيرَةِ وَفِي " التَّفْسِيرِ " أَنَّ أُمَّ جَمِيلٍ امْرَأَةَ أَبِي لَهَبٍ لَمَّا نَزَلَتِ السُّورَةُ فِي ذَمِّهَا وَذَمِّ زَوْجِهَا، وَدُخُولِهِمَا النَّارَ، وَخَسَارِهِمَا، جَاءَتْ بِفِهْرٍ، وَهُوَ الْحَجَرُ الْكَبِيرُ الْمُسْتَطِيلُ ; لَتَرْجُمَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَانْتَهَتْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ وَهُوَ جَالِسٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ تَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَتْ لِأَبِي بَكْرٍ: أَيْنَ صَاحِبُكَ؟ فَقَالَ: وَمَا لَهُ؟ فَقَالَتْ: إِنَّهُ هَجَانِي. فَقَالَ: وَمَا هَجَاكِ فَقَالَتْ: وَاللَّهِ لَئِنْ رَأَيْتُهُ لَأَضْرِبَنَّهُ بِهَذَا الْفِهْرِ. ثُمَّ رَجَعَتْ وَهِيَ تَقُولُ: مُذَمَّمًا أَبَيْنَا وَدِينَهُ قَلَيْنَا. وَكَذَلِكَ حُجِبَ وَمُنِعَ أَبِي جَهْلٍ حِينَ هَمَّ أَنْ يَطَأَ بِرِجْلِهِ رَأْسَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ سَاجِدٌ، فَرَأَى خَنْدَقًا مِنْ نَارٍ وَهَوْلًا عَظِيمًا، وَأَجْنِحَةَ الْمَلَائِكَةِ دُونَهُ، فَرَجَعَ الْقَهْقَرَى وَهُوَ يَتَّقِي بِيَدَيْهِ، فَقَالَتْ لَهُ قُرَيْشٌ: مَا لَكَ؟ وَيَحَكَ! فَأَخْبَرَهُمْ بِمَا رَأَى، وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَوْ أَقْدَمَ لَاخْتَطَفَتْهُ الْمَلَائِكَةُ عُضْوًا عُضْوًا» ". وَكَذَلِكَ لَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ
পৃষ্ঠা - ৫১৭০

সুস্থ্যতারে বেচে থাকেন ৷ তবে মৃত্যুকালে তিনি কিছুটা বিষ যস্ত্রণ৷ উপলব্ধি করেন ৷ যা ঐ
বিষাক্ত খাদ্যেরই পরিণতি ছিল ৷ সিরিয়া বিজয়ী খালিদ ইবন ওলীদ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে,
তার কাছে বিষ অ না হয় এবং শত্রুদের সম্মুখে তিনি তা পান করেন যাতে তারা ভীত্ম;হয় ৷ এ
বিয়ে তার কোন ক্ষতি হয়নি ৷

আবু নু আয়ম বলেন, কেউ যদি প্রশ্ন তোলে যে, হযরত ইবরাহীম (আ)-এর সাথে নমরুদ
নবুওয়াতের ব্যাপারে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল এবং সে বিতর্কে তিনি নমরুদকে নিরুত্তর করে
দিয়েছিলেন ৷ এটা তার একটা বড় বৈশিষ্ট্য ৷ যেমন আল্লাহ্ বলেনও ,$ রু;স্র ৷ প্রু

“অতঃপর যে কুফরী করেছিল যে হত তবুদ্ধি হয়ে গেল (২ বাকারা০ ২৫৮) ৷

এর উত্তরে বলা যায় যে, হযরত মুহাম্মদ (না)-এর নিকট উবায়ব্র ইবন খালাফ উপ
হয় ৷ সে পুনরুথানে বিশ্বাস করতো না ৷ হাতিঃ পচেগলে যাবার পর কি করে তা জীবিত করা
যায় এ ছিল তার প্রশ্ন৪
যখন তা পচে গলে যাবে? (৩৬ ইয়াসীনং ৭৮) ৷

উত্তরে আল্লাহ অকাট্য যুক্তি দেখিয়ে
; ; ;,;া£ন্ ;;’, “বল, তার মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করবেন তিনিই, যিনি ইহা প্রথম বার সৃষ্টি
করেছিলেন এবং তিনি প্রত্যেকটি সৃষ্টি সম্পর্কে পরিজ্ঞাত” ( ৩৬ ইয়াসীনং ৭৯) ৷

এ জবাব শুনে প্রশ্নকারী নবুওতে র প্রমাণ পেয়ে নির্বাক হয়ে চলে যায় ৷ প্রকৃতপক্ষে এরুপ
উত্তর প্রমাণ পেশের জন্যে অধিকতর অকাট্য ৷ কেননা এখানে পুনরুথানকে প্রমাণ করার জন্যে
প্রথম সৃষ্টিকে প্রমাণ হিসেবে দাড় করান হয়েছে ৷ সুতরাং পুর্বে ছিলনা এমন বস্তুকে যে সত্তা
অস্তিত্ব দান করতে পারেন, তিনি অবশ্যই তাকে পুনরায় অন্তিত্বে আনতে সক্ষম ৷ আল্লাহ বলেনঃ


;ন্>াছুষ্৷ ৷
যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেনত তিনি কি তাদের অনুরুপ সৃষ্টি করতে সমর্থ
নন? হ্যা, নিশ্চয়ই তিনি মহাস্রষ্টা সর্বজ্ঞ (৩৬ ইয়াসীনং ৮১) ৷
অন্য আয়াতে “মৃতকে জীবিত করতে তিনি
সক্ষম (৪৬ আহকাফ০ : ৩৩) ৷
আল্লাহ্ ৷ ঠুটু১, “তিনি সৃষ্টিকে
অস্তিত্বে আনয়ন করেন, এরপর তিনি তা সৃষ্টি করবেন পুনর্বার ৷ এটা তার জন্যে অতি সহজ
(৩০ রুম০ ২৭) ৷
ইহকালীন জীবন ও পারলৌকিক জীবন-তথা সৃষ্টি ও পুনরুথান অধিকাত্শের মতে যুক্তি
সাপেক্ষ বিষয়, ইদ্রিয়গ্ৰাহ্য বিষয় নয় ৷ ইবরাহীম (আ) এর সাথে যে লোক বিতর্ক করেছিল,
যে ছিল কাফির ও বিদ্বেষমুলকতারে সত ৷কে অস্বীকারকারী ৷ অন্যথায় সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব একটি
স্বতাবজাত স্বীকৃত বিষয় ৷ প্রত্যেবেইি এটা স্বীকার করতে বাধ্য ৷ তবে হা, যার স্বভাবজাত ও
জন্মগত ধারণা লোপ পেয়েছে তার কথা ভিন্ন, তার নিকট এটা ঘৃক্তিতর্কের বিষয় হয়ে দাড়ায় ৷


الْهِجْرَةِ وَقَدْ أَرْصَدُوا عَلَى مَدْرَجَتِهِ وَطَرِيقِهِ وَحَوَالَيْ بَيْتِهِ رِجَالًا يَحْرُسُونَهُ ; لِئَلَّا يَخْرُجَ، وَمَتَى عَايَنُوهُ قَتَلُوهُ، فَأَمَرَ عَلِيًّا فَنَامَ عَلَى فِرَاشِهِ، ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْهِمْ وَهُمْ جُلُوسٌ، فَجَعَلَ يَرُشُّ عَلَى رَأْسِ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ تُرَابًا وَيَقُولُ: " «شَاهَتِ الْوُجُوهُ» ". ثُمَّ خَرَجَ وَلَمْ يَرَوْهُ حَتَّى صَارَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ. إِلَى غَارِ ثَوْرٍ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي السِّيرَةِ، وَكَذَلِكَ ذَكَرْنَا أَنَّ الْعَنْكَبُوتَ سَدَّ عَلَى بَابِ الْغَارِ ; لِيُعَمِّيَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مَكَانَهُ. وَفِي " الصَّحِيحِ " «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ نَظَرَ أَحَدُهُمْ إِلَى مَوْضِعِ قَدَمَيْهِ لَأَبْصَرْنَا. فَقَالَ: " يَا أَبَا بَكْرٍ، مَا ظَنُّكَ بِاثْنَيْنِ اللَّهُ ثَالِثُهُمَا؟» ". وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي ذَلِكَ: نَسْجُ دَاوُدَ مَا حَمَى صَاحِبَ الْغَا ... رِ وَكَانَ الْفَخَارُ لِلْعَنْكَبُوتِ وَكَذَلِكَ حُجِبَ وَمُنِعَ مِنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشَمٍ حِينَ اتَّبَعَهُمْ، بِسُقُوطِ قَوَائِمِ فَرَسِهِ فِي الْأَرْضِ، حَتَّى أَخَذَ مِنْهُ أَمَانًا، كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُهُ فِي الْهِجْرَةِ. وَذَكَرَ ابْنُ حَامِدٍ فِي كِتَابِهِ فِي مُقَابَلَةِ إِضْجَاعِ إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَلَدَهُ لِلذَّبْحِ مُسْتَسْلِمًا لِأَمْرِ اللَّهِ تَعَالَى، بَذْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفْسَهُ لِلْقَتْلِ يَوْمَ أُحُدٍ وَغَيْرَهُ حَتَّى نَالَ مِنْهُ الْعَدُوُّ مَا نَالُوا ; مِنْ هَشْمِ رَأَسِهِ، وَكَسْرِ ثَنِيَّتِهِ الْيُمْنَى السُّفْلَى،
পৃষ্ঠা - ৫১৭১
كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُ ذَلِكَ فِي السِّيرَةِ. ثُمَّ قَالَ: قَالُوا: كَانَ إِبْرَاهِيمُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَلْقَاهُ قَوْمُهُ فِي النَّارِ فَجَعَلَهَا اللَّهُ بَرْدًا وَسَلَامًا. قُلْنَا: وَقَدْ أُوتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُهُ، وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا نَزَلَ بِخَيْبَرَ سَمَّتْهُ الْخَيْبَرِيَّةُ، فَصُيِّرَ ذَلِكَ السُّمُّ فِي جَوْفِهِ بَرْدًا وَسَلَامًا إِلَى مُنْتَهَى أَجَلِهِ، وَالسُّمُّ يَحْرِقُ - إِذْ لَا يَسْتَقِرُّ فِي الْجَوْفِ - كَمَا تَحْرِقُ النَّارُ. قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِذَلِكَ فِي فَتْحِ خَيْبَرَ. وَيُؤَيِّدُ مَا قَالَهُ أَنَّ بِشْرَ بْنَ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ مَاتَ سَرِيعًا مِنْ تِلْكَ الشَّاةِ الْمَسْمُومَةِ، وَأَخْبَرَ ذِرَاعُهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا أُودِعَ فِيهِ مِنَ السُّمِّ، وَكَانَ قَدْ نَهَشَ مِنْهُ نَهْشَةً، وَكَانَ السُّمُّ فِيهِ أَكْثَرَ ; لِأَنَّهُمْ كَانُوا يَفْهَمُونَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، يُحِبُّ الذِّرَاعَ، فَلَمْ يَضُرَّهُ السُّمُّ الَّذِي حَصَلَ فِي بَاطِنِهِ بِإِذْنِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، حَتَّى انْقَضَى أَجَلُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ حِينَئِذٍ مِنْ أَلَمِ ذَلِكَ السُّمِّ الَّذِي كَانَ فِي تِلْكَ الْأَكْلَةِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي تَرْجَمَةِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ الْمَخْزُومِيِّ فَاتِحِ بِلَادِ الشَّامِ أَنَّهُ أُتِيَ بِسُمٍّ فَتَحَسَّاهُ بِحَضْرَةِ الْأَعْدَاءِ ; لِيُرْهِبَهُمْ بِذَلِكَ، فَلَمْ يَرَ بَأْسًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. ثُمَّ قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: فَإِنَّ إِبْرَاهِيمَ خَصَمَ نَمْرُودَ بِبُرْهَانِ نُبُوَّتِهِ فَبَهَتَهُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ} [البقرة: 258] . قِيلَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَاهُ الْمُكَذِّبُ بِالْبَعْثِ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ بِعَظْمٍ بَالٍ فَفَرَكَهُ وَقَالَ: {مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ} [يس: 78] . فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى الْبُرْهَانَ السَّاطِعَ: {قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنْشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ} [يس: 79] [يس: 79:] فَانْصَرَفَ مَبْهُوتًا بِبُرْهَانِ
পৃষ্ঠা - ৫১৭২

কোন কোন দার্শনিক স্রষ্টার অস্তিতুকে যুক্তিসাপেক্ষ মনে করেন, অপরিহার্য গণ্য করেন না ৷ যা
হোক, নমরুদের দাবি যে, সেই জীবন দান করে ও মৃত্যু দেয় ৷ কিন্তু জ্ঞান-বুদ্ধি এটা গ্রহণ
করেনা,এেবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ বিবেচনায় এটা অস্বীকার করেছে ৷ সুতরাং ইব্রাহীম
নমরুদকে তার দাবি প্রমাণের জন্যে বলেন, যদি তোমার দাবি সঠিক হয়ে থাকে তবে তুমি
পশ্চিম দিক থেকে সুর্য উদিত কর৪ ৰু;পুা৷ট্রুা৷ ৷ ণ্টুন্ত্রঠু৷ ৷ ষ্;ধ্ন্ ৰু৷ রুা৷ ৷ , ,$ ঠু;;এ ৷ গ্রা
“তখন যে কুফরী মচত ছিল সে হতবুদ্ধি হয়ে গেল ৷ আর আল্লাহ্ যালিম সম্প্রদায়কে সঠিক পথ
দেখান না ৷
এ ঘটনার মুকাবিলায় আমরা বলতে পারি, এরুপ এক বিদ্রোহী কাফির উহুদ যুদ্ধের সময়

রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সম্মুখে আসে ৷ তিনি নিজ হাতে তাকে হত্যা করেন ৷ ঘটনা ছিল এরুপ :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি বর্শা তার প্রতি নিক্ষেপ করেন ৷ বর্শা তার র্কাধে স্পর্শ করে যায় ৷ এরই
যস্ত্রণায় সে কয়েকবার ঘোড়া থেকে নীচে পড়ে যায় ৷ দলের লোকজন জিজ্ঞেস করল, রে
হতভাগা, কি হয়েছে তোর? সে বললো, আল্লাহ্র কসম, যে যন্ত্রণা আমার হচ্ছে তা যদি
যুলমাজাজে উপস্থিত লোককে ভাগ করে দেয়া হত তবে সবাই মারা যেত ৷ তোমরা জান,
মুহাম্মদ কি এ কথা বলেনি যে, আমিই তাকে হত্যা করব ৷ আল্লাহর কলম, সে যদি আমার
৷ ,
এই অভিশপ্ত কাফির (মক্কায়) একটি ঘোড়া পুষতো এবং একটি বর্শ৷ রাখতাে এবং বলত, এই
ঘোড়ার চড়ে আমি মুহাম্মদ (সা)-কে হত্যা করব ৷ এ সংবাদ ণ্ৰুশানার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছিলেন, বরং আমিই তাকে হত্যা করব ইনৃশা আল্লাহ ৷ আর উহুদ যুদ্ধে তইি সত্যে
পরিণত হয় ৷ আবু নু’আয়ম এরপর বলেন, যদি বলা হয় হযরত ইব্রাহীম (আ) আল্লাহ্র
সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ক্রুব্ধ হয়ে মুর্তি ভোঙ্গছিলেন, তবে তার উত্তরে আমরা বলতে পারি যে,
হযরত মুহাম্মদ (না) ৩৬০ টি মুর্তি ভেঙ্গেছেন যেগুলিকে কাফির সর্দারগণ শীসা ও পিতল দ্বারা
তৈরী করেছিল ৷ তিনি এক একটি মুর্তির নিকট গিয়ে স্পর্শ না করেই কেবল লাঠি দ্বারা ইঙ্গিত
করেছেন, আর অমনি তা হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে গেছে ৷ তখন রাসুল (সা) শুধু মুখে
বলতেনং : ৷ওদ্বু১; ৰু;াৰু “অর্থাৎ-সত্য এসেছে,
মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিখ্যার্তো বিলুপ্ত হ্বাৰুইে জিনিস” (১ ৭ ইসরা০ ৪ ৮১) ৷

তারপর সমস্ত ভগ্ন মুর্তি দুরে নিক্ষেপ করা হয় ৷ এ পদ্ধতি ইব্রাহীম (আ)-এর পদ্ধতি
অপেক্ষা অধিকতর বিস্ময়কর বটে ৷ এ প্রসঙ্গে সহীহ্ হাদীসসমুহ সুত্রসহ রাসুলের মক্কা বিজয়ের
অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে ৷

বহু সং খ্যক জীবনীকার লিখেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) এর জন্ম লপুেও একবার মুর্তি
ভু-লুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ ভাঙ্গার চেয়ে এটা নিঃসন্দেহে অধিকতর সুদৃঢ় মু জিযা ৷ ইতিপুর্বে উল্লেখ
করা হয়েছে যে, যে রাত্রে নবী করীম (সা) জন্ম হুাহণ করেন এ রাত্রে পারস্যের অগ্নি কুন্ডলী
নিৰ্বাপিত হয়ে যায়-যে অগ্নি কুন্ডলী যুগ যুগ ধরে প্রজ্জ্বলিত হয়ে আসছিল এবং পারস্যবাসীরা
যার উপাসনা করত ৷ এর এক বছর পুর্ব থেকে আর কোন দিন ইহা নির্বাপিত হয়নি ৷ তা ছাড়া
ঐ একই রাত্রে রোমের রাজপ্রাসাদের চৌদ্দটি কার্নিশ ধ্বসে পড়েছিল ৷ এ ঘটনার দ্বারা ইঙ্গিত
দেয়৷ হয়েছিল যে, অল্প দিনের ব্যবধানে তাদের চৌদ্দজন সম্রাটের পতন হবার সাথে সাথে


نُبُوَّتِهِ. قُلْتُ: وَهَذَا أَقْطَعُ لِلْحُجَّةِ، وَهُوَ اسْتِدْلَالُهُ عَلَى الْمَعَادِ بِالْبَدَاءَةِ، فَالَّذِي خَلَقَ الْخَلْقَ بَعْدَ أَنْ لَمْ يَكُونُوا شَيْئًا مَذْكُورًا قَادِرٌ عَلَى إِعَادَتِهِمْ، كَمَا قَالَ: {أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُمْ بَلَى وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ} [يس: 81] . أَيْ يُعِيدُهُمْ كَمَا بَدَأَهُمْ كَمَا قَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يُحْيِيَ الْمَوْتَى} [الأحقاف: 33] . وَقَالَ: {وَهُوَ الَّذِي يَبْدَأُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ وَهُوَ أَهْوَنُ عَلَيْهِ} [الروم: 27] . هَذَا وَأَمْرُ الْمَعَادِ نَظَرِيٌّ لَا فِطْرِيٌّ، ضَرُورِيٌّ فِي قَوْلِ الْأَكْثَرِينَ، فَأَمَّا الَّذِي حَاجَّ إِبْرَاهِيمَ فِي رَبِّهِ فَإِنَّهُ مُعَانِدٌ مُكَابِرٌ، فَإِنَّ وُجُودَ الصَّانِعِ مَذْكُورٌ فِي الْفِطَرِ، وَكُلُّ وَاحِدٍ مَفْطُورٌ عَلَى ذَلِكَ، إِلَّا مَنْ تَغَيَّرَتْ فِطْرَتُهُ، فَيَصِيرُ نَظَرِيًّا عِنْدَهُ، وَبَعْضُ الْمُتَكَلِّمِينَ يَجْعَلُ وُجُودَ الصَّانِعِ مِنْ بَابِ النَّظَرِ لَا الضَّرُورِيَّاتِ، وَعَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ فَدَعْوَاهُ أَنَّهُ هُوَ الَّذِي يُحْيِي الْمَوْتَى وَيُمِيتُ لَا يَقْبَلُهُ عَقْلٌ وَلَا سَمْعٌ، وَكُلُّ وَاحِدٍ يُكَذِّبُهُ بِعَقْلِهِ فِي ذَلِكَ، وَلِهَذَا أَلْزَمَهُ إِبْرَاهِيمُ بِالْإِتْيَانِ بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَغْرِبِ إِنْ كَانَ كَمَا ادَّعَى: {فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ} [البقرة: 258] . وَكَانَ يَنْبَغِي أَنْ يُذْكُرَ مَعَ هَذَا أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى سَلَّطَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى هَذَا الْمُعَانِدِ لَمَّا بَارَزَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ، فَقَتَلَهُ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ ; طَعَنَهُ بِحَرْبَةٍ فَأَصَابَ تَرْقُوَتَهُ فَتَدَأْدَأَ عَنْ فَرَسِهِ مِرَارًا، فَقَالُوا لَهُ: وَيَحَكَ مَا لَكَ؟ ! فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ بِي لَمَا لَوْ كَانَ بِأَهْلِ ذِي الْمَجَازِ لَمَاتُوا أَجْمَعِينَ، أَلَمْ يَقُلْ: " بَلْ أَنَا أَقْتُلُهُ؟ " وَاللَّهِ لَوْ بَصَقَ عَلَيَّ لَقَتَلَنِي. وَكَانَ أُبَيٌّ هَذَا،
পৃষ্ঠা - ৫১৭৩

তাদের সাম্রাজ্যেরও পতন ঘটবে ৷ অথচ প্রায় তিন হাজার বছর ধরে তাদের সম্রাজ্য চলে
আসৃজ্জি ৷

হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর দ্বারা চার প্রকার পাখির জীবিত হওয়া প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয়
আলোচনা হযরত ঈসা (আ) কর্তৃক মৃতকে জীবন দানের বর্ণনায় আসবে ৷ উষ্মতে মুহাম্মদীর
দু আর বরকতে মৃতকে জীবন দান, শুকনা গাছের ক্রন্দন, পাথর ও বৃক্ষের সালাম দান, শস্য
ক্ষেতের সাথে কথাবার্তা ইত্যাদি আলোচনা সেখানে আসবে ৷

ইব্রাহীম (আ) প্রসঙ্গে নিম্নের আয়াত :
“এভাবে ইবৱাহীমকে আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর পরিচালনা ব্যবস্থা দেখইি, আর যাতে সে

নিশ্চিত বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়” ( ৬ আন আমং ৭৫) ৷

এর মােকাবিলায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রসঙ্গে আল্লাহ্ বলেন :

, £হ্রট্রুাছু প্রুা৷ ৷

“পবিত্র ও মহিমান্বিত তিনি, যিনি তার বান্দাকে রজ্জীযােগে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল
হারাম থেকে মসজিদুল আকসায়, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার
নিদর্শন দেখাবার জন্যে; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা” ( ১ ৭ ইসরা : ১) ৷

এ গ্রন্থে মি’রাজের অধ্যায়ে এবং তাফসীর গ্রন্থে এ সংক্রান্ত সহীহ্ হাদীস উল্লেখ করেছি
যে, মক্কা ও বায়তৃল মাকদিসের মাঝে এবং সেখান হতে প্রথম আকাশ পর্যন্ত এবং তারপরে
সাত আসমান, সিদরাতৃল মুনতাহা এবং জান্নাত ও জাহান্নামে বিজ্যি নিদর্শনাবলী রাসুলকে
দেখান হয়েছিল ৷ আহমদ, তিরমিযী ইত্যাদি কিভাবে সহীহ্ বর্ণনায় এসেছে, নবী করীম (সা)
বলেছেন, “আমার সম্মুখে প্রতিটি জিনিস প্রকাশিত হয় এবং আমি তার পুঢ় তত্ত্ব আনতে সক্ষম
হই ৷

ইবন হামিদ বলেছেন, ইয়াকুব (আ)-ণ্ক আল্লাহ্ তাআলা পরীক্ষায় ফেলেছিলেন; তার
পুত্র ইউসুফ (আ)-কে হারিয়ে তিনি ধৈর্য ধারণ করেন ও আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা
করেন ৷ এর মুকাবিলায় তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রসঙ্গে বলেন, রাসুল (না)-এর পুত্র ইবৱাহীমকে
মৃত্যু দানের মাধ্যমে আল্লাহ তীর ধৈর্যের পরীক্ষা নেন এবং তিনি এতে ধৈর্য ধারণ করেন ৷ তবে
এ ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উক্তি করেছিলেন যে, চোখ অশ্রু প্রবাহিত, করছে এবং অন্তর ব্যথিত
হয়েছে, আল্লাহ্র সন্তুষ্টি যাতে নেই, এমন কোন কথা আমরা বলি না, ওহে ইব্রাহীম তোমার
জন্যে আমরা দুঃখিত ৷ আমি বলি, ইতিপুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তিন কন্যা ইনতিকাল করেন;
তারা হলেন রুকায়্যা, উম্মি কুলছুম ও যয়নাব; উহুদের যুদ্ধে চাচা হামযা শহীদ হন-এ সব
ক্ষেত্রে তিনি ধৈর্য অবলম্বন করেন ও পুণ্যের আশা করেন ৷ এরপর ইবন হামিদ হযরত ইউসুফ
(আ) এর সৌন্দর্যের মুকাবিলায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সৌন্দর্য, মাহাত্ম্য, সৌষ্ঠব ও স্বভাব-চরিত্র
দানশীলত৷ ইত্যাদির উল্লেখ করেছেন ৷ রাসুলের শামাইলের বর্ণনায় এ সং ক্রান্ত হাদীসসমুহ
উল্লেখিত হয়েছে ৷ যেমন রুবাই বিনত মাসউদ ব্লেছেনং
ৰা৷৬ “তুমি যদি তাকে দেখতে তাহলে উদীয়মান সুর্ফহ দেখতে”া


لَعَنَهُ اللَّهُ، قَدْ أَعَدَّ فَرَسًا وَحَرْبَةً لِيَقْتُلَ بِهَا عَلَيْهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " «بَلْ أَنَا أَقْتُلُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ» ". فَكَانَ كَذَلِكَ يَوْمَ أُحُدٍ. ثُمَّ قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: فَإِنَّ إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَسَرَ أَصْنَامَ قَوْمِهِ غَضَبًا لِلَّهِ. قِيلَ: «فَإِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَسَرَ ثَلَاثَمِائَةٍ وَسِتِّينَ صَنَمًا نُصِبَتْ حَوْلَ» الْكَعْبَةِ فَأَشَارَ إِلَيْهِنَّ فَتَسَاقَطْنَ. ثُمَّ رُوِيَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، «عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَحَوْلَ الْبَيْتِ ثَلَاثُمِائَةٍ وَسِتُّونَ صَنَمًا قَدْ أَلْزَقَهَا الشَّيْطَانُ بِالرَّصَاصِ وَالنُّحَاسِ، فَكَانَ كُلَّمَا دَنَا مِنْهَا بِمِخْصَرَتِهِ تَهْوِي مِنْ غَيْرِ أَنْ يَمَسَّهَا، وَيَقُولُ: " جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ، إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا» ". فَتَسَاقَطُ لِوُجُوهِهَا، ثُمَّ أَمَرَ بِهِنَّ فَأُخْرِجْنَ إِلَى الْمَسِيلِ، وَهَذَا أَظْهَرُ وَأَجْلَى مِنَ الَّذِي قَبْلَهُ، وَقَدْ ذَكَرْنَا هَذَا فِي أَوَّلِ دُخُولِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ بِأَسَانِيدِهِ وَطُرُقِهِ مِنَ الصِّحَاحِ وَغَيْرِهَا، بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ. وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ السِّيَرِ أَنَّ الْأَصْنَامَ تَسَاقَطَتْ أَيْضًا لَيْلَةَ مَوْلِدِهِ الْكَرِيمِ، وَهَذَا أَبْلَغُ وَأَقْوَى فِي الْمُعْجِزِ مِنْ مُبَاشَرَةِ كَسْرِهَا، وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ نَارَ فَارِسَ الَّتِي كَانُوا يَعْبُدُونَهَا خَمَدَتْ أَيْضًا لَيْلَتَئِذٍ، وَلَمْ تَخْمُدْ قَبْلَ ذَلِكَ بِأَلْفِ عَامٍ، وَأَنَّهُ سَقَطَ مِنْ شُرُفَاتِ قَصْرِ كِسْرَى أَرْبَعَ عَشْرَةَ شُرْفَةً، مُؤْذِنَةً بِزَوَالِ دَوْلَتِهِمُ الْكَافِرَةِ بَعْدَ هَلَاكِ أَرْبَعَةَ عَشَرَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫১৭৪
مُلُوكِهِمْ فِي أَقْصَرِ مُدَّةٍ، وَكَانَ لَهُمْ فِي الْمُلْكِ قَرِيبٌ مِنْ ثَلَاثَةِ آلَافِ سَنَةٍ. وَأَمَّا إِحْيَاءُ الطُّيُورِ الْأَرْبَعَةِ لِإِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَلَمْ يَذْكُرْهُ أَبُو نُعَيْمٍ وَلَا ابْنُ حَامِدٍ، وَسَيَأْتِي فِي إِحْيَاءِ الْمَوْتَى عَلَى يَدِ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مَا وَقَعَ مِنَ الْمُعْجِزَاتِ الْمُحَمَّدِيَّةِ مِنْ هَذَا النَّمَطِ مَا هُوَ مِثْلُ ذَلِكَ وَأَعْلَى مِنْ ذَلِكَ، كَمَا سَيَأْتِي التَّنْبِيهُ عَلَيْهِ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ ; مِنْ إِحْيَاءِ أَمْوَاتٍ بِدَعَوَاتٍ مِنْ أَمَتِّهِ، وَحَنِينِ الْجِذْعِ، وَتَسْلِيمِ الْحَجَرِ وَالشَّجَرِ وَالْمَدَرِ عَلَيْهِ، وَتَكْلِيمِ الذِّرَاعِ لَهُ، وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَكَذَلِكَ نُرِي إِبْرَاهِيمَ مَلَكُوتَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلِيَكُونَ مِنَ الْمُوقِنِينَ} [الأنعام: 75] . وَالْآيَاتُ بَعْدَهَا، فَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ} [الإسراء: 1] . وَقَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ ابْنُ حَامِدٍ فِيمَا وَقَفْتُ عَلَيْهِ بَعْدُ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي أَحَادِيثِ الْإِسْرَاءِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا، وَمِنَ " التَّفْسِيرِ " مَا شَاهَدَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ مِنَ الْآيَاتِ فِيمَا بَيْنَ مَكَّةَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَفِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا، ثُمَّ مَا عَايَنَ مِنَ الْآيَاتِ فِي السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَمَا فَوْقَ ذَلِكَ، وَسِدْرَةِ الْمُنْتَهَى، وَجَنَّةِ الْمَأْوَى، وَالنَّارِ الَّتِي هِيَ بِئْسَ الْمَصِيرُ وَالْمَثْوَى. وَقَالَ عَلَيْهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالسَّلَامِ فِي حَدِيثِ الْمَنَامِ - وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَصَحَّحَهُ، وَغَيْرُهُمَا -: " «فَتَجَلَّى لِي كُلُّ شَيْءٍ وَعَرَفْتُ» ". وَذَكَرَ ابْنُ حَامِدٍ فِي مُقَابَلَةِ ابْتِلَاءِ اللَّهِ يَعْقُوبَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِفَقْدِ وَلَدِهِ