আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

معجزات لرسول الله صلى الله عليه وسلم مماثلة لمعجزات جماعة من الأنبياء قبله

القول فيما أوتي نوح عليه السلام
পৃষ্ঠা - ৫১৪০

(না)-কে ঐ সব মু’জিযা দান করা হয়েছে যা অন্য কাউকে দেয়া হয়নি ৷ নবী করীম (সা)-এর
বৈশিষ্ট্য আলোচনায় আমরা এর উল্লেখ করেছি ৷ হাফিয আবু নুআয়ম ইস্পহােনীর দালইিলুন
নবুওত’ বা তিন খণ্ডে পুর্ণ, ফকীহ্ আবু মুহাম্মদ এর দালইিলুন নবুওত’ গ্রন্থে এবং কবি সার
সারির কাসীদায় এ জাতীয় কথার উল্লেখ আছে ৷ এ যাবত এ প্রসঙ্গে যা কিছু আলোচনা
করেছি, এখন তার সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি ৷

হযরত নুহ (আ)-এর মু’জিযা
আল্লাহ্র বাণী০ ং
অর্থাৎ “তখন সে তার প্ৰতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, আমি তো অসহায়, অতএব,
তুমি প্রতিবিধান কর ৷ ফলে আমি উন্মুক্ত করে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারি বর্ষগে এবং
মৃত্তিকা হতে উৎসারিত করলাম প্রস্রবণ; তারপর সকল পানি মিলিত হল এক পরিকল্পনা
অনুসারে ৷ তখন নুহকে আগ্লুরদ্ধিহণ করালাম কাঠ ও কীলক নির্মিত এক নৌযানে, যা চলত
আমার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে; এটা পুরস্কার তার জন্য, যে প্ৰত্যাখ্যাত হয়েছিল ৷ আমি একে রেখে
দিয়েছি এক নির্দশনরুপে ৷ অতএব, উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি” ? (৫৪ সুরা কমাের :

আমরা এ কিতাবের শুরুতেই আলোচনা করে এসেছি কিভাবে নুহ (আ) তার জাতিকে
দাওয়াত দিয়েছিলেন ৷ কিভাবে মু’মিনদেরসহ বিপদ থেকে আল্লাহ্ তাকে রক্ষা করেছিলেন ৷
আর তার বিরোধী কাফিরকুল এমন কি তার পুত্রও কিভাবে পানিতে ডুবে মারা যায়, এর পুর্বে
বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে ৷ আমাদের শায়খ আবুল মাআলী যামলিকানী বলেছেন এবং
তার লেখা থেকে আমি উদ্ধৃত করেছি ৷ তার বক্তব্য এই যে, অন্যান্য নবীগণকে যেসব মুজিযা
দেয়া হয়েছে, তার অনুরুপ মু’জিযা আমাদের নবীকেও দেয়া হয়েছে ৷ এর বিস্তারিত আলোচনার
জন্য বিরাট গ্রন্থের প্রায়াড্ডা, তইি আমরা এখানে মাত্র কতিপয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয় সম্পর্কে
আলোচনা করব ৷ তার একটি হল হযরত নুহ (আ) মু’মিনদেরসহ নৌকায় অড়াভৈরাহণের দ্বারা
পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার ঘটনা ৷ এ কথা ধ্রুব সত্য যে, নৌকায় চড়ে পানির
উপর দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে নৌকাৰিহীন পানির উপর দিয়ে হেটে যাওয়া অধিক
মাহাত্ম্যপুর্ণ ৷ বলা বাহুল্য, এ উষ্মতের অনেক ওলী-আওলিয়া পানির উপর দিয়ে হেটেছেন বলে
প্রমাণ রয়েছে ৷

মিনজাব বর্ণনা করেন, সাহাবী আলা ইবন হায্রামী (রা)-এর সাথে আমরা
দারাইন’-এর যুদ্ধে গমন করি ৷ তিনি আল্লাহ্র নিকট তিনটি প্রার্থনা করেন এবং তিনটিই
কবুল হয় ৷ এক স্থানে আমরা অবতরণ করলাম ৷ কিন্তু সেখানে পানি না থাকায় তিনি
দৃরাকাআত সালাত আদায় করে প্রার্থনা করলেন০ ং “হে আল্লাহ্! আমরা তােমারই গোলাম
তোমার পখেই আছি, তোমার শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি ৷ হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে বৃষ্টির
পানি দান করা সে পানি দ্বারা আমরা উবু করব, তা পান করব এবং আমাদের ছাড়া আর
করেও তাতে অধিকার থাকবে না ৷ ” তারপর অল্পদুর অগ্রসর হলে বৃষ্টি বর্ষণ হলো; এমন কি


بِأَوْجَزِ عِبَارَةٍ، وَأَقْصَدِ إِشَارَةٍ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ، الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ. [الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ نُوحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {" فَدَعَا رَبَّهُ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانْتَصِرْ فَفَتَحْنَا أَبْوَابَ السَّمَاءِ بِمَاءٍ مُنْهَمِرٍ وَفَجَّرْنَا الْأَرْضَ عُيُونًا فَالْتَقَى الْمَاءُ عَلَى أَمْرٍ قَدْ قُدِرَ وَحَمَلْنَاهُ عَلَى ذَاتِ أَلْوَاحٍ وَدُسُرٍ تَجْرِي بِأَعْيُنِنَا جَزَاءً لِمَنْ كَانَ كُفِرَ وَلَقَدْ تَرَكْنَاهَا آيَةً فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ "} [القمر: 10] [الْقَمَرِ: 10 - 15] . وَقَدْ ذَكَرْتُ الْقِصَّةَ مَبْسُوطَةً فِي أَوَّلِ هَذَا الْكِتَابِ، وَكَيْفَ دَعَا عَلَى قَوْمِهِ فَنَجَّاهُ اللَّهُ وَمَنِ اتَّبَعَهُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، فَلَمْ يَهْلَكْ مِنْهُمْ أَحَدٌ، وَأَغْرَقَ مَنْ خَالَفَهُ مِنَ الْكَافِرِينَ، فَلَمْ يَسْلَمْ مِنْهُمْ أَحَدٌ حَتَّى وَلَا وَلَدُهُ يَامُ. قَالَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ أَبُو الْمَعَالِي مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْأَنْصَارِيُّ ابْنُ الزَّمْلَكَانِيِّ، وَمِنْ خَطِّهِ نَقَلْتُ: وَبَيَانُ أَنَّ كُلَّ مُعْجِزَةٍ لِنَبِيٍّ فَلِنَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُهَا أَوْ أَتَمُّ، يَسْتَدْعِي كَلَامًا طَوِيلًا وَتَفْصِيلًا لَا يَسَعُهُ مُجَلَّدَاتٌ عَدِيدَةٌ، وَلَكِنْ نُنَبَّهُ بِالْبَعْضِ عَلَى الْبَعْضِ، فَلْنَذْكُرْ جَلَائِلَ مُعْجِزَاتِ الْأَنْبِيَاءِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. فَمِنْهَا نَجَاةُ نُوحٍ فِي السَّفِينَةِ بِالْمُؤْمِنِينَ، وَلَا شَكَّ أَنَّ حَمْلَ الْمَاءِ لِلنَّاسِ مِنْ غَيْرِ سَفِينَةٍ أَعْظَمُ مِنَ السُّلُوكِ عَلَيْهِ فِي السَّفِينَةِ، وَقَدْ مَشَى كَثِيرٌ مِنَ الْأَوْلِيَاءِ عَلَى مَتْنِ الْمَاءِ.
পৃষ্ঠা - ৫১৪১
وَفِي قِصَّةِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ، رَوَى سَهْمُ بْنُ مِنْجَابٍ قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ دَارِينَ، فَدَعَا بِثَلَاثِ دَعَوَاتٍ فَاسْتُجِيبَتْ لَهُ، فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا فَطَلَبَ الْمَاءَ فَلَمْ يَجِدْهُ، فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّا عَبِيدُكَ، وَفِي سَبِيلِكِ، نُقَاتِلُ عَدُوَّكَ، اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا نَتَوَضَّأُ بِهِ وَنَشْرَبُ، وَلَا يَكُونُ لِأَحَدٍ فِيهِ نَصِيبٌ غَيْرَنَا. فَسِرْنَا قَلِيلًا فَإِذَا نَحْنُ بِمَاءٍ حِينَ أَقْلَعَتِ السَّمَاءُ عَنْهُ، فَتَوَضَّأْنَا مِنْهُ وَتَزَوَّدْنَا، وَمَلَأْتُ إِدَاوَتِي وَتَرَكْتُهَا مَكَانَهَا حَتَّى أَنْظُرَ هَلِ اسْتُجِيبَ لَهُ أَمْ لَا، فَسِرْنَا قَلِيلًا ثُمَّ قُلْتُ لِأَصْحَابِي: نَسِيتُ إِدَاوَتِي فَرَجَعْتُ إِلَى ذَلِكَ الْمَكَانِ فَكَأَنَّهُ لَمْ يُصِبْهُ مَاءٌ قَطُّ، ثُمَّ سِرْنَا حَتَّى أَتَيْنَا دَارِينَ وَالْبَحْرُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ، فَقَالَ: يَا عَلِيمُ، يَا حَلِيمُ، يَا عَلِيُّ، يَا عَظِيمُ، إِنَّا عَبِيدُكَ، وَفِي سَبِيلِكَ، نُقَاتِلُ عَدُوَّكَ، اللَّهُمَّ فَاجْعَلْ لَنَا إِلَيْهِمْ سَبِيلًا. فَدَخَلْنَا الْبَحْرَ فَلَمْ يَبْلُغِ الْمَاءَ لُبُودَنَا، وَمَشَيْنَا عَلَى مَتْنِ الْمَاءِ وَلَمْ يَبْتَلَّ لَنَا شَيْءٌ. وَذَكَرَ بَقِيَّةَ الْقِصَّةِ، قَالَ: فَهَذَا أَبْلَغُ مِنْ رُكُوبِ السَّفِينَةِ، فَإِنَّ حَمْلَ الْمَاءِ لِلسَّفِينَةِ مُعْتَادٌ، وَأَبْلَغُ مِنْ فَلْقِ الْبَحْرِ لِمُوسَى، فَإِنَّ هُنَاكَ انْحَسَرَ الْمَاءُ حَتَّى مَشَوْا عَلَى الْأَرْضِ، فَالْمُعْجِزُ انْحِسَارُ الْمَاءِ وَهَا هُنَا صَارَ الْمَاءُ جَسَدًا يَمْشُونَ عَلَيْهِ كَالْأَرْضِ، وَإِنَّمَا هَذَا مَنْسُوبٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَرَكَتِهِ. انْتَهَى مَا ذَكَرَهُ بِحُرُوفِهِ فِيمَا يَتَعَلَّقُ
পৃষ্ঠা - ৫১৪২

তাতে পানি জমে যায় ৷ আমরা উবু-পােসল কবি ও প্রয়োজনীয় পানি সংরক্ষণ করি ৷ এদিকে
আমার পাত্রগুলাে পানি ভর্তি করে সেখানেই রেখে দেই ৷ পাত্রগুলাে পানি ভর্তি করে সেখানেই
রেখে দেই উদ্দেশ্য হল প্রার্থনা কবুল হয়েছে কিনা তা যীচইি করা ৷ তারপর কিছুদুর যাওয়ার
পর আমরা সাথীদেরকে বললাম, আমি পাত্রগুলো ভুলে রেখে এসেছি ৷ সুতরাং ঐ স্থানে
প্রত্যাবর্তন করি ৷ কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হল এখানে কোন দিন বৃষ্টিপাত হয়নি ৷ এরপর আমরা
আরও অগ্রসর হলাম এবং আমাদেয়র্লভব্য স্থল দারইিন’ এর কাছে এসে পৌছলাম ৷ কিন্তু
আমাদের ও দারইিন’-এর মধ্যে একটি সাগর বাধা হয়ে র্দাড়াল ৷ আলা ইবন হাযরামী এ বলে
প্রার্থনা করলেন হে মহান ৷ হে কুশলী ৷ ( ;@ , ণ্াণ্ ৷ ) আমরা আপনার বান্দা ৷ আপনার
পথে আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি ৷ হে আল্লাহ্ ৷ ওদের কাছে পৌছার একটা
ব্যবস্থা করে দিন ৷ তারপর আমরা সমুদ্রের পানির উপর দিয়ে পায়ে হেটে অতিক্রম করি ৷
পায়ের তলাও পানির দ্বারা সিক্ত হয়নি ৷ এরপর মিনজাব অবশিষ্ট ঘটনা বর্ণনা করেন ৷
এ ঘটনা নুহ (আ)-এর নৌকা আংরাহণের তুলনায় অধিক আশ্চজিংৰু ৷ কেননা নৌকায়
চড়ে পানির উপর থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার ৷ হযরতন্মুসা (আ)-এর সাগরের পানি দ্বিখণ্ডিত
করে পাড়ি দেয়ার ঘটনা থেকেও এ ঘটনা অধিকতরংত্মাশ্চর্যজনক ৷ কারণ, মুসা (আ)-এর
ঘটনায় পানি বিভক্ত হয় ৷ ফলে দু’পাশে আটকে থাকা পানির মধ্যবর্তী মাটির উপর দিয়ে তারা
অতিক্রম করেন ৷ আর আলা ইবন হাযরামীর ঘটনায় পানি জমে মাটির ন্যায় হয়ে যায় এবং
তার উপর দিয়ে অতিক্রম করা হয় ৷ একজন উষ্মতের এ কারামত নিঃসন্দেহে শেষ নবী,
(সা)-এর বরতেরই ফল ৷ এ ঘটনা ইমাম বায়হাকী তার দালইিল’ গ্রন্থে ইবন আবুদ দুনিয়া
সুত্রে সাহ্ল ইবন মিনজাব থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ , বুখারী তার তারীখে কাবীরে’ ভিন্ন
সুত্রে এটা উল্লেখ করেছেন ৷ বায়হাকী আবু হুরায়রা (রা) থেকেও এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷
তাতে আছে যে, হযরত আবু হ্বায়রাও ঐ অভিযানে শরীক ছিলেন এবং ঘটনা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ
করেছেন ৷
হ্াফিয বায়হাকী, ঈসা ইবন ইউনুস ; আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, আমি এই উষ্মতের মধ্যে তিনটি জিনিস দেখেছি ৷ এই তিনটি জিনিস যদি বনী
ইসরাঈলের মধ্যে থাকত তবে তারা কিছুতেই দলে দলে বিভক্ত হত না ৷ লোকজন জিজ্ঞেস
বল্মল, হে আবু হামযা, সেগুলো কি কি ? তিনি বললেন, একদা আমরা মসজিদে নববীর
বারান্দায় (সুফ্ফায়) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম ৷ এমন সময় একজন মুহড়াজির
মহিলা তার এক বয়ঃপ্রাপ্ত পুত্রসহ সেখানে উপস্থিত হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটিকে অন্যান্য
মহিলাদের মধ্যে পাঠিয়ে দিলেন এবং পুত্রটিকে আমাদের সাথে থাকতে দেন ৷ অল্পদিনের
মধ্যেই ছেলেটি মদীনায় মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার চোখ
মুদিয়ে দেন এবং দাফনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন ৷ ছেলেটিকে গোসল করাবার উদ্যোপ
নিলে নবী (সা) বললেন, হে আনাস ! ওর মাকে গিয়ে সংবাদ দাও ৷ আমি সংবাদ পৌছালাম ৷
মা এসে ছেলের পায়ের নিকট বসল এবং উভয় পা জড়িয়ে ধরে বললাে, হে আল্লাহ্! আমি
স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছি ও মুর্তিপুজা ত্যাগ করেছি ৷ আমার উপর এমন মুসীবত চাপিয়ে
দিবেন না, যা বহন করার ক্ষমতা আমার নেই ৷ আনাস ইবন মালিক (রা) বলেন, আল্লাহ্র
কসম! মহিলার কথা শেষ না হতেই মৃত পুত্রের পদদ্বয় নড়েচড়ে উঠল এবং সে তার মুখের


بِنُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَهَذِهِ الْقِصَّةُ الَّتِي سَاقَهَا شَيْخُنَا ذَكَرَهَا الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ فِي كِتَابِهِ " الدَّلَائِلِ " مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الدُّنْيَا، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ، عَنِ الصَّلْتِ بْنِ مَطَرٍ الْعِجْلِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ ابْنِ أُخْتِ سَهْمٍ، عَنْ سَهْمِ بْنِ مِنْجَابٍ قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ فَذَكَرَهُ. وَقَدْ ذَكَرَهَا الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ الْكَبِيرِ " مِنْ وَجْهٍ آخَرَ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ كَانَ مَعَ الْعَلَاءِ وَشَاهَدَ ذَلِكَ. وَسَاقَهَا الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَوْنٍ، «عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: أَدْرَكْتُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ ثَلَاثًا لَوْ كَانَتْ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمَا تَقَاسَمَتْهَا الْأُمَمُ. قُلْنَا: مَا هُنَّ يَا أَبَا حَمْزَةَ؟ قَالَ: كُنَّا فِي الصُّفَّةِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ مُهَاجِرَةٌ، وَمَعَهَا ابْنٌ لَهَا قَدْ بَلَغَ، فَأَضَافَ الْمَرْأَةَ إِلَى النِّسَاءِ، وَأَضَافَ ابْنَهَا إِلَيْنَا، فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ أَصَابَهُ وَبَاءُ الْمَدِينَةِ فَمَرِضَ أَيَّامًا ثُمَّ قُبِضَ، فَغَمَّضَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَرَ بِجِهَازِهِ، فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نُغَسِّلَهُ قَالَ: " يَا أَنَسُ ائْتِ أُمَّهُ فَأَعْلِمْهَا ". فَأَعْلَمْتُهَا قَالَ: فَجَاءَتْ حَتَّى جَلَسَتْ عِنْدَ قَدَمَيْهِ، فَأَخَذَتْ بِهِمَا ثُمَّ قَالَتِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْلَمْتُ لَكَ طَوْعًا، وَخَلَعْتُ الْأَوْثَانَ زُهْدًا، وَهَاجَرْتُ إِلَيْكَ رَغْبَةً اللَّهُمَّ لَا
পৃষ্ঠা - ৫১৪৩
تُشْمِتْ بِي عَبَدَةَ الْأَوْثَانِ وَلَا تُحَمِّلْنِي مِنْ هَذِهِ الْمُصِيبَةِ مَالَا طَاقَةَ لِي بِحَمْلِهَا. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا انْقَضَى كَلَامُهَا حَتَّى حَرَّكَ قَدَمَيْهِ وَأَلْقَى الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ، وَعَاشَ حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَتَّى هَلَكَتْ أُمُّهُ. قَالَ أَنَسٌ: ثُمَّ جَهَّزَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ جَيْشًا وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمُ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ. قَالَ أَنَسٌ: وَكُنْتُ فِي غَزَاتِهِ، فَأَتَيْنَا مَغَازِينَا فَوَجَدْنَا الْقَوْمَ قَدْ نَذِرُوا بِنَا فَعَفَّوْا آثَارَ الْمَاءِ وَالْحَرُّ شَدِيدٌ، فَجَهَدَنَا الْعَطَشُ وَدَوَابَّنَا، وَذَلِكَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، فَلَمَّا مَالَتِ الشَّمْسُ لِغُرُوبِهَا صَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ مَدَّ يَدَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ شَيْئًا. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا حَطَّ يَدَهُ حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ رِيحًا، وَأَنْشَأَ سَحَابًا، وَأَفْرَغَتْ حَتَّى مَلَأَتِ الْغُدُرَ وَالشِّعَابَ، فَشَرِبْنَا وَسَقَيْنَا رِكَابَنَا وَاسْتَقَيْنَا. قَالَ: ثُمَّ أَتَيْنَا عَدُوَّنَا وَقَدْ جَاوَزَ خَلِيجًا فِي الْبَحْرِ إِلَى جَزِيرَةٍ، فَوَقَفَ عَلَى الْخَلِيجِ وَقَالَ: يَا عَلِيُّ يَا عَظِيمُ، يَا حَلِيمُ يَا كَرِيمُ. ثُمَّ قَالَ: أَجِيزُوا بِسْمِ اللَّهِ. قَالَ: فَأَجَزْنَا مَا يَبُلُّ الْمَاءُ حَوَافِرَ دَوَابِّنَا، فَلَمْ نَلْبَثْ إِلَّا يَسِيرًا فَأَصَبْنَا الْعَدُوَّ غِيلَةً، فَقَتَلْنَا وَأَسَرْنَا وَسَبَيْنَا، ثُمَّ أَتَيْنَا الْخَلِيجَ، فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ، فَأَجَزْنَا مَا يَبُلُّ الْمَاءُ حَوَافِرَ دَوَابِّنَا، فَلَمْ نَلْبَثْ إِلَّا يَسِيرًا. ثُمَّ ذَكَرَ مَوْتَ الْعَلَاءِ، وَدَفْنَهُمْ إِيَّاهُ فِي أَرْضٍ لَا تَقْبَلُ الْمَوْتَى، ثُمَّ إِنَّهُمْ حَفَرُوا عَنْهُ لِيَنْقُلُوهُ مِنْهَا إِلَى غَيْرِهَا فَلَمْ يَجِدُوهُ ثَمَّ، وَإِذَا اللَّحْدُ يَتَلَأْلَأُ نُورًا، فَأَعَادُوا التُّرَابَ عَلَيْهِ ثُمَّ ارْتَحَلُوا» . فَهَذَا السِّيَاقُ أَتَمُّ، وَفِيهِ قِصَّةُ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَحْيَا اللَّهُ لَهَا وَلَدَهَا