سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

معجزات لرسول الله صلى الله عليه وسلم مماثلة لمعجزات جماعة من الأنبياء قبله

পৃষ্ঠা - ৫১৩৫


যুগে, এর পুর্বের যুগে এবং তারও পুর্বের যুগে অধিক মাত্রায় পরিলক্ষিত হয় ৷ এ দল দু’টি হল
সে সব জল্লাদ, যাদেরকে রিজালাহ্ ও জালদারিয়াহ্ বলে আখ্যায়িত করা হয় এবং ঐসব মহিলা
যাদেরকে পোশাক পরা সত্বেও উলঙ্গের ন্যায় দেখায় ৷ অর্থাৎ এমন পোশাক পরে, যার দ্বারা
গুপ্তাঙ্গ প্রকাশ পায় ৷ বরং তাকে আরও লোভনীয়, আরো আকর্ষণীয় করে তোলে ৷ অঙ্গতংগি
করে পথ চলে এবং অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৷ এ যুগে এবং পুর্বের যুগে নারীদের এ অশুভ
আচরণ অত্যধিক বেড়ে গেছে ৷ নবুওতের সভ্যতার এটা একটি বড় প্রমাণ ৷ কেননা, নবী করীম
(সা) যা বলে গেছেন তা পুংতািবে বাস্তবে প্রকাশ পাচ্ছে ৷ এ প্রসংগে জাবিরের হাদীস পুর্বেই
উল্লেখিত হয়েছে ৷ ঐ হাদীসে আছে যে, শীঘ্রই সুক্ষ্ণ ও মিহিন কাপড় তৈরী হয়ে ৷ জাৰিরের শ্রী
পরবর্তীকালে এ হাদীসের সত্যতা বাস্তবে প্রত্যক্ষ করেন ৷

আরেকটি হাদীস : প্রাচুর্য ও তার কুফল সম্পর্কে

ইমাম আহমদ, আবদুস সামাদ দাউদ ইবন আবু হিন্দ থেকে এবং বায়হাকী
তালহা ইবন আমর বসরী থেকে বর্ণনা করেন যে, তালহা ইবন আমর রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে মদীনায় আগমন করেন ৷ নবী করীম (সা ) তখন সালাত আদায়
করছিলেন ৷ এমন সময় একজন লোক এসে আরব করল ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমাদের বাড়িঘর
আগুনে পুড়ে গেছে এবং সেসাথে আমাদের খেজুর ও খেজুর বাগান জ্বলে গেছে ৷ তার কথা
শেষ হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আল্লাহ্র প্রশংসা করে বললেন, আমাকে ও আমার সাথীকে দেখেছ
যে, শুকনো খুরমা ব্যতীত অন্য কোন খাদ্য ছিল না ৷ যখন আমরা আনসার ভাইদের মাঝে
আসলাম তখন তারা তাজা খেজুর দ্বারা আমাদেরকে পরিতৃপ্ত করে ৷ এ তাজা খেজুরই তাদের
সাধারণ খাদ্য ৷ জেনে রেখ, সেই সত্তার কসম, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই আমি
যদি তোমাদের জন্য রুটি ও খেজুরকে খাদ্যরুপে নির্দিষ্ট করে যেতে পারতাম তবে তাই
করতাম ৷ বিক্ষ্ম অচিরেই তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং এমন এক সময় আসবে, যখন
তোমাদের পরিধেয় পোশাক কা’বা ঘরের গিলাফের ন্যায় মুল্যবান হবে এবং সকাল-সন্ধ্যায়
উন্নত মানের রকমারি খাদ্য তোমাদের সামনে পরিবেশিত হবে ৷

উপস্থিত সবাই জিজ্ঞেস করলেন, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্ ! ঐ অবস্থায় আমরা উত্তম মানুষ, না
বর্তমান অবস্থায়? তিনি বললেন, বর্তমান অবস্থায় ৷ এখন তো তোমরা পরস্পর ভ্রাতৃবন্ধনে
আবদ্ধ, আর ঐ সময় তোমরা পরস্পর পরস্পরের রক্তপাত ঘটাবে ৷ সুফিয়ান ছাওরী আবু
মুসা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আমার উষ্মতগণ যখন অহংকারের সাথে
দম্ভভরে পথ চলবে এবং পারস্য ও রোমকগণ তাদের সেবা করবে, তখন আল্লাহ্ তাদের এক
দলকে অন্য দলের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেবেন ৷ বায়হাকী ইবন উমর (রা) থেকেও এরুপ
একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ৷

হাদীস : ঈসা (আ)-এর পুনরাণমন সম্পর্কে

আবু দাউদ, সুলায়মান আবু আলকামা আবু হুরায়রা (রা) সুত্র বর্ণনা করেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বরাতে যে, তিনি বলেছেন, আমার যতদুর মনে হয় আবু হুরায়রা
জানিয়েছেন ;; আল্লাহ এই উম্মতের স্বার্থে প্রতি শতাব্দীর শেষে এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ
করবেন, যে ব্যক্তি দীনের বিষয়বস্তুকে নতুনভাবে উষ্মতের সামনে তুলে ধরবে :



فَعَلُوا مِنَ الْعُدْوَانِ، وَفِي هَذَا حِكْمَةٌ عَظِيمَةٌ، وَهُوَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَى هَذِهِ الْمَبْنِيَّةِ مِنْ أَمْوَالِهِمْ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ نَبِيُّ اللَّهِ، فَيُكَذِّبَهُمْ فِيمَا افْتَرَوْهُ عَلَيْهِ مِنَ الْكَذِبِ عَلَيْهِ وَعَلَى اللَّهِ، وَيَكْسِرَ الصَّلِيبَ، وَيَقْتُلَ الْخِنْزِيرَ، وَيَضَعَ الْجِزْيَةَ - أَيْ يَتْرُكُهَا - وَلَا يَقْبَلُ مِنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ وَلَا مِنْ غَيْرِهِمْ إِلَّا الْإِسْلَامَ، يَعْنِي أَوْ يَقْتُلُهُ، وَقَدْ أَخْبَرَ بِهَذَا عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَرَّرَهُ عَلَيْهِ وَسَوَّغَهُ لَهُ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ، وَعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ أَجْمَعِينَ وَالتَّابِعِينَ لَهُمْ بِإِحْسَانٍ. [مُعْجِزَاتٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُمَاثِلَةٌ لِمُعْجِزَاتِ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلَهُ] [مِنْ أَعْظَمِ مُعْجِزَاتِ رَسُولِ اللَّهِ الْقُرْآنُ الْعَظِيمُ] بَابٌ مُعْجِزَاتٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُمَاثِلَةٌ لِمُعْجِزَاتِ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلَهُ. التَّنْبِيهُ عَلَى ذِكْرِ مُعْجِزَاتٍ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُمَاثِلَةٍ لِمُعْجِزَاتِ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلَهُ، أَوْ أَعْلَى مِنْهَا، خَارِجًا عَمَّا اخْتَصَّ بِهِ مِنَ الْمُعْجِزَاتِ الْعَظِيمَةِ الَّتِي لَمْ تَكُنْ لِأَحَدٍ قَبْلَهُ مِنْهُمْ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. فَمِنْ ذَلِكَ الْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ تَنْزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ، فَإِنَّهُ مُعْجِزَةٌ مُسْتَمِرَّةٌ عَلَى الْآبَادِ، وَلَا يَخْفَى بُرْهَانُهَا، وَلَا يَنْخَفِضُ شَأْنُهَا، وَقَدْ تَحَدَّى بِهِ الثَّقَلَيْنِ مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ عَلَى أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِهِ
পৃষ্ঠা - ৫১৩৬


আবু দাউদ বলেন, প্রত্যেক শ্রেণীর আলিমগণ প্রতি শতাব্দীর শেষে এ হাদীসকে নিজ নিজ
শ্রেণীর শ্রেষ্ঠ আলিমেৱ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে থাকেন ৷ একদল আলিম মনে করেন, এ হাদীসটির
আওতায় সেই সকল আলিমই এসে যান, যারা তাদের পুর্বুবর্তীদের থেকে ইল্ম শিক্ষা করে
পরবর্তীদেরকে শিক্ষা দানের মাধ্যমে ফরযে কিফায়া পালন করে যাচ্ছেন ৷ বিভিন্ন হাদীস দ্বারাও
এ মতের সমর্থন পাওয়া যায় ৷ দীনকে নতুন ভাবে পেশ করার অর্থ হল, পরবর্তী লোকদের
হাতে দীনের যে বিকৃতি হয়েছে ও দীনের মধ্যে অতিরঞ্জন করা হয়েছে তা থেকে দীনকে মুক্ত
করা ও বাতিলের মুকাবিলা করা ৷ আমাদের এ অষ্টম শতাব্দীতে আল্লাহর রহমতে এ কাজ চালু
আছে ৷ সহীহ রিওয়ায়াতে এসােছ, (রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন)৪

;,ন্খুঙ্ ১া

আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা হকের উপর অটল থাকবে, তাদেরকে সাহায্য পরিত্যাগ
করলে বা কেউ তাদের বিরোধিতা করলে তাদের কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না ৷ তাদের এ
অবস্থায় উপরই আল্লাহর চুড়ান্ত নির্দেশ (কিয়ামত) এসে যাবে ৷ বুখারীতে আছে, এ দলটি
সিরিয়ার অবস্থান করবে ৷ অধিকাৎশ আলিমেৱ মতে হাদীসের খিদমতে আত্মনিয়োগ কারীগণই
এ দলের অন্তর্ভুক্ত ৷ এটাও নবুওতের একটি জ্বলত প্রমাণ ৷ কেননা, বিশ্বের মধ্যে অধিক সংখ্যক
হাদীস বিশারদ সিরিয়ায়ই রয়েছেন, বিশেষ করে দামিশক শহরে ৷ সম্মুখে আলোচনায় জানা
যাবে যে, ফিত্নার যুগে সিরিয়ইি হবে মুসলমানদের ঈমান রক্ষার স্থান ৷

সহীহ মুসলিমে নাওয়াস ইবন সামআন থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : ঈসা
ইবন মরিয়াম আসমান থেকে পুর্ব দামিশকের শুভ্র মিনারায় অবতরণ করবেন ৷ কিন্তু হাদীসের
মুল শব্দে দামিশৃক শহরের স্পষ্ট উল্লেখ আছে ৷ আমি অবগত হয়েছি যে, কোন কোন পুন্তিকায়
অনুরুপ শব্দাবলীতে দামিশ্কের উল্লেখ রয়েছে ৷ অবশ্য এখনও পর্যন্ত আমি তা প্রত্যক্ষ করিনি ৷
হি সাতশ’ চল্লিশ সনের পরে দামিশকের জামি মসজিদের পুর্ব দিকের শুভ্র মীনারায়
খ্রিস্টানদের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে তাদেরই অর্থ দ্বারা তা পুননির্যাণ করা হয় ৷ এটা আমাদেরই এ
যুগের ঘটনা ৷ এরুপ হওয়াটা খুবই তাৎপর্যপুর্ণ ৷ কেননা, খ্রিষ্টানদের অর্থে নির্মিত প্রাসাদেই
ঈসা ইবন মরিয়াম অবতরণ করবেন ৷ অতঃপর থ্রিষ্টানগণ তার সম্পর্কে ও আল্লাহ সম্পর্কে
যেসব মিথ্যা কথা রচনা করেছে তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করবেন ৷ তিনি ক্রুশ উৎখাত
করবেন, শুকর হত্যা করবেন (অর্থাৎ হারাম ঘোষণা করবেন) ৷ জিবৃয়া কর প্রত্যাহার করবেন ৷
খ্রিষ্টান ও অথ্রিন্টান কারও থেকে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দীন মেনে নেবেন না ৷ এ সবেরই
ভবিষ্যদ্বাণী রাসুলুল্লাহ্ (সা) করে গেছেন ৷ তার ও তার সাহাৰীদের প্রতি অসংখ্য দরুদ ও
সালাম কিয়ামত পর্যন্ত বর্ষিত হোক ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুজিযা

অন্যান্য নবী রাসুলগণ্যক যেরুপ মুজিযা প্রদান করা হয়েজ্জি, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কেও
অনুরুপভাবে মু’জিযা দান করা হয়েছে ৷ কিন্তু র্তাকে এমন কতিপয় মুজিযা দেয়া হয়েছে, যা
অভীব মহান, তেমনটি আর কাউকেই দেয়৷ হয়নি ৷ এগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুজিয়া


أَوْ بِعَشْرِ سُوَرٍ أَوْ بِسُورَةٍ مِنْ مِثْلِهِ، فَعَجَزُوا عَنْ ذَلِكَ، كَمَا تَقَدَّمَ تَقْرِيرُ ذَلِكَ فِي أَوَّلِ كِتَابِ الْمُعْجِزَاتِ، وَقَدْ سَبَقَ الْحَدِيثُ الْمُتَّفَقُ عَلَى إِخْرَاجِهِ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَقَدْ أُوتِيَ مِنَ الْآيَاتِ مَا آمَنَ عَلَى مِثْلِهِ الْبَشَرُ، وَإِنَّمَا كَانَ الَّذِي أُوتِيتُ وَحْيًا أَوْحَاهُ اللَّهُ إِلَيَّ، فَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَكْثَرَهُمْ تَابِعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . وَالْمَعْنَى أَنَّ كُلَّ نَبِيٍّ قَدْ أُوتِيَ مِنْ خَوَارِقِ الْعَادَاتِ مَا يَقْتَضِي إِيمَانَ مَنْ رَأَى ذَلِكَ مِنْ أُولِي الْبَصَائِرِ وَالنُّهَى، لَا مِنْ أَهْلِ الْعِنَادِ وَالشَّقَاءِ، " وَإِنَّمَا كَانَ الَّذِي أُوتِيتُهُ " ; أَيْ جُلُّهُ وَأَعْظَمُهُ وَأَبْهَرُهُ، الْقُرْآنُ الَّذِي أَوْحَاهُ اللَّهُ إِلَيْهِ، فَإِنَّهُ لَا يَبِيدُ وَلَا يَذْهَبُ كَمَا ذَهَبَتْ مُعْجِزَاتُ الْأَنْبِيَاءِ وَانْقَضَتْ بِانْقِضَاءِ أَيَّامِهِمْ فَلَا تُشَاهَدُ، بَلْ يُخْبَرُ عَنْهَا بِالتَّوَاتُرِ أَوِ الْآحَادِ، بِخِلَافِ الْقُرْآنِ الْعَظِيمِ، فَإِنَّهُ مُعْجِزَةٌ مُتَوَاتِرَةٌ عَنْهُ، مُسْتَمِرَّةٌ دَائِمَةُ الْبَقَاءِ بَعْدَهُ، مَسْمُوعَةٌ لِكُلٍّ مَنْ أَلْقَى السَّمْعَ وَهُوَ شَهِيدٌ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي الْخَصَائِصِ ذِكْرُ مَا اخْتُصَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَقِيَّةِ إِخْوَانِهِ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، عَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ قَبْلِي ;
পৃষ্ঠা - ৫১৩৭

১ কুরআন মজীদ, এর মধ্যে কোন প্রকার পরিবর্ভা না তার জীবদ্দশায় হয়েছে না তার পরে
হতে পারে ৷ মহাজ্ঞানী আল্লাহ্ব পক্ষ থেকে তা অবতীর্ণ ৷ কুরআন একটা স্থায়ী মু’জিযা, তার
অকাট্য হওয়া কারও কাছে অবিদিত নয়, অথচ কোনটি এর সমতুল্য হতে পারে না ৷ জিন ও
মানব জাতিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে যে, পারলে তারা এর অনুরুপ একটি কুরআন বা দশটি
সুরা কিৎরা একটি মাত্র সুরা তৈরী করুক, জ্যি উভয় জাচ্ছি এ চ্যালেঞ্জের মুকাবিলা করতে
ব্যর্থ হয়েছে ৷ মু’জিযার আলোচনায় ইতিপুর্বে এ বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে বুখারী
ও মুসলিমে লায়ছ ইবন সাদ ৰু আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : পুর্ববর্তী প্রত্যেক নবীবেইি কোন না কোন মু’জিযা দান করা হয়েছে ৷ জ্যি মানুষ
সেভাবে তার উপর ঈমান আনেনি ৷ আর আমাকে যে মু’জিযা দেয়া হয়েছে তা হল আল্লাহ্র
পক্ষ থােক প্রেরিত ওহী ৷ আমি আশা রাখি কিয়ামতের দিনে আমার অনুসারীর সংখ্যা বেশি
হবে ৷ অর্থাৎ পুর্বের নবীগণকে যে সব মু’জিযা দেয়া হয়েছিল তাতে কেবল জ্ঞানী ও দুরদর্শী
ব্যক্তিরইি ঈমান আনত ৷ হিংসুক ও পাপিষ্ঠরা ঈমান আনত না ৷ পক্ষাম্ভরে আমাকে যে মুজিযা
অর্থাৎ কুরআন দেয়া হয়েছে তা অতি মহান ও অতি বড় ৷ কারণ এটা সর্বযুগে থাকবে, কখনও
অপসৃত হবে না ৷ অন্যান্য নবীদের মু’জিযা এরুপ নয় ৷ তাদের যুগ শেষ হয়ে গেছে, কখনও
আর তা প্রত্যক্ষ করা যাবে না ৷ বরং অন্যের মাধ্যমে বহু জনের বর্ণনা পয়ম্পরায় বা একক
বর্ণনার মাধ্যমে কেবল সে সম্পর্কে জানা যায় ৷ অথচ পক্ষান্তরে কুরআন শরীফ আল্লাহ্র পক্ষ
থেকে নাযিলকৃত মুজিযা, যা অব্যাহতভাবে চলছে যার কান আছে সে শুনতে পায় এবং যার
চোখ আছে সে দেখতে পায় ৷

অন্যান্য নবীদের থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে যেসব বিষয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করা হয়েছে
খাসাইস’ অধ্যায়ে তা বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে ৷ তার কিছু অংশ আমরা পুর্বেই উল্লেখ
করেছি ৷ এ প্রসঙ্গে বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেন, আমাকে এমন পড়াচটি জিনিস দান করা হয়েছে যা আমার পুর্বে অন্য
কাউকে দেয়া হয়নি ৷ ১ আমাকে এই সাহায্য দেয়া হয়েছে যে, এক মাসের দুরত্ব থেকে
লোকে আমার প্রভাব অনুভব করে ৷ ২ সমগ্র যমীনকে আমার জন্য নামাষের স্থান ও পাক
সাব্যস্ত করে দেয়া হয়েছে ৷ সুতরাং আমার উম্মতের যে কোন লোক যে কোন স্থানে থাকুক না
কেন, সালাতের সময় হলে সে যেন সেখানেই সালাত আদায় করে ৷ ৩ আমার জন্য গনীমতের
মাল হালাল করা হয়েছে, কিন্তু ইতিপুর্বে অন্য কারও জন্য তা হালাল করা হয়নি : আমাকে
শাফাআতের ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে ৷ ৫ অন্যান্য নবীগণআপন আপন জাতির জন্যে নবী
হতেন; কিন্তু আমাকে সমগ্র মানব জাতির জন্য নবী করে প্রেরণ করা হয়েছে :


,

এ সম্পর্কে পুর্বেই আলোচনা করা হয়েছে ৷


نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ، وَجُعِلَتْ لِيَ الْأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، فَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ فَلْيُصَلِّ، وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَلَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِي، وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةُ، وَكَانَ النَّبِيُّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ، وَبُعِثْتُ إِلَى النَّاسِ عَامَّةً» . وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ وَمَا شَاكَلَهُ فِيمَا سَلَفَ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنَّ كُلَّ مُعْجِزَةٍ لِنَبِيٍّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ فَهِيَ فِي الْحَقِيقَةِ مُعْجِزَةٌ لِخَاتَمِهِمْ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; وَذَلِكَ أَنَّ كُلًّا مِنْهُمْ بَشَّرَ بِمَبْعَثِهِ، وَأَمَرَ بِمُتَابَعَتِهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ النَّبِيِّينَ لَمَا آتَيْتُكُمْ مِنْ كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مُصَدِّقٌ لِمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنْصُرُنَّهُ قَالَ أَأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَى ذَلِكُمْ إِصْرِي قَالُوا أَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُوا وَأَنَا مَعَكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ فَمَنْ تَوَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ} [آل عمران: 81] [آلِ عِمْرَانَ: 82، 81] . وَقَدْ ذَكَرَ الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: مَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ إِلَّا أَخَذَ عَلَيْهِ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهُوَ حَيٌّ لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ وَلَيَتَّبِعَنَّهُ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ الْعَهْدَ عَلَى أُمَّتِهِ لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهُمْ أَحْيَاءٌ لَيُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَيَنْصُرُنَّهُ. . وَذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنَّ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ مُعْجِزَاتٌ لِلْأَنْبِيَاءِ ; لِأَنَّ الْوَلِيَّ إِنَّمَا نَالَ ذَلِكَ بِبَرَكَةِ مُتَابَعَتِهِ لِنَبِيِّهِ، وَثَوَابِ إِيمَانِهِ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫১৩৮

বহু মনীষী এ মত ব্যক্ত করেছেন যে, পুর্ববর্তী নবীগণের হার যে মু’জিযা ছিল তা শেষ নবী
হযরত মুহাম্মদ (সা) এর মু’জিযা বলেও গণ্য হবে ৷ কারণ তারা প্রতোকেই শেষ নবীর
শুভাগমনের সুসং বাদ দিয়েছেন এবং তিনি আসলে তারই অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷
যেমন আল্লাহ বলেন :
ন্ছু৷ ৷১প্রুা;
ৰুড্রুটুছুাট্রুব্লট্রু৷ ৷ ন্ঠু; এৰুাম্র এ ৷১
অর্থাৎ “স্মরণ কর, যখন আল্লাহ্ নবীদের অঙ্গীকার নিয়েছিলেন ৷৫ তােমাদেরকে কিতাব ও
হিকমত যা কিছু দিয়েছি তার শপথ, আর (৩ ৷মাদের কাছে যা আছে তার সমর্থকরুপে যখন
একজন রাসুল আসবে তখন নিশ্চয় তোমরা তাকে বিশ্বা স করবে এবং তাকে সাহায্য করবে ৷
তিনি বললেন, তে ৷মরা কি স্বীকার করলে এবং এ সম্পর্কে আমার অঙ্গীকার কি গ্রহণ করলে ?
তারা বললো, আমরা স্বীকার করলাম ৷ তিনি বললেন, তবে তোমরা সাক্ষী থাক এবং আমিও
তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম ৷ এরপর যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে তারাই সত্যপথ ত্যাপী
(আলে ইমরানং ৮১ ৮২) ৷
বুখড়ারী ও অন্যান্য হাদীসবেত্তা ইবন আব্বাস (রা)-এর উক্তি বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ্
দুনিয়ার প্রেরিত প্রত্যেক নবী থেকে এই শপথ ও অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, যদি মুহাম্মদের
আবির্ভাব হয় আর ঐ নবী জীবিত থাকে৩ তবে অবশ্যই তিনি তার আনুগত্য করবেন ও তাকে
সাহায্য করবেন ৷ বহু সংখ্যক আলিমের বক্তব্য এই যে, আওলিয়াদের কারামত প্রকৃতপক্ষে
নবীদেরই মু’জিযা ৷ কেননা, কোন ওলী তার সময়ের নবীর প্রতি ঈমান ও তার আনুগত্য করার
বরকতেই কারামত লাভ করে থাকে ৷
এ অধ্যায়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমার পুর্ববর্তী ঐতিহাসিকগণ যা কিছু লিখেছেন তা ছিল
ংক্ষিপ্ত ও বিক্ষিপ্ত ৷৩ তাই বন্ধুজনের অনুরোধক্রমে আমি এ বিষয়টিকে স্বতস্ত্র ও পুর্ণাঙ্গভাবে
লিপিবদ্ধ করি ৷ আমার শায়খ ইমাম আবুল হাজ্জাজ বলেছেনং এ বিষয়ে যিনি সর্বপ্রথম কথা
বলেছেন তিনি হলেন আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন ইদরীস শাফিঈ (র) ৷ হাফিয আবু বকর
বায়হাকী দালাইলুন নবুওত গ্রন্থে উমর ইবন সাওয়ার থেকে বর্ণনা করেন, ইমাম
শাফিঈ (র) বলেছেনং অন্যান্য নবীদেরকে আল্লাহ্ যে মু ’জিযা দান করেহেন৩ তার সদৃশ মু ’জিযা
মুহাম্মদ (সা) কেও দান করা হয়েছে ৷ আমি বললাম, হযরত ঈসা (আ) কে (তা মৃতকে
জীবিত করার মুজিযা দেয়৷ হয়েছে ৷ তখন ইমাম শাফিঈ (র) বললেন, মুহাম্মদ (সা)-কেণ্ড
এরুপ মু’জিযা দেয়া হয়েছে ৷ তিনি একটি শুকনা খেজুর গাছের উপর ভর দিয়ে খুতবা পাঠ
করতেন ৷ মসজিদের মিম্বর ভৈ৩ রি হলে তিনি ঐ গাছে ভর দেয়৷ ত্যাগ করেন ৷ তখন গাছ স্বশব্দে
রোদন করতে থাকে, সে রোদন সবাই শ্রবণ করে ৷ এটা হযরত ৩ঈসার মৃতকে জীবিত করার
চেয়েও বড় মু’জিযা ৷ এ অধ্যায়ে নবীগণের মু’জিযা ও অলৌকিক ঘটনাবলী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
এবং তার সবগুলিরই শেষ নবী মুহাম্মদ (না)-এর মধ্যে সমাবেশ ঘটেছে ৷ এছাড়া রাসুলুল্লাহ্


وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ كَانَ الْبَاعِثَ لِي عَلَى عَقْدِ هَذَا الْبَابِ أَنِّي وَقَفْتُ عَلَى مُوَلَّدٍ اخْتَصَرَهُ مِنْ " سِيرَةِ " الْإِمَامِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ وَغَيْرِهَا شَيْخُنَا الْإِمَامُ الْعَلَّامَةُ شَيْخُ الْإِسْلَامِ كَمَالُ الدِّينِ أَبُو الْمَعَالِي مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْأَنْصَارِيُّ السِّمَاكِيُّ - نِسْبَةً إِلَى أَبِي دُجَانَةَ سِمِاكِ بْنِ خَرَشَةَ الْأَوْسِيِّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - شَيْخُ الشَّافِعِيَّةِ فِي زَمَانِهِ بِلَا مُدَافَعَةٍ، الْمَعْرُوفِ بِابْنِ الزَّمْلَكَانِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَبَلَّ بِالرَّحْمَةِ ثَرَاهُ، وَقَدْ ذَكَرَ فِي أَوَاخِرِهِ شَيْئًا مِنْ فَضَائِلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَقَدَ فَصْلًا فِي هَذَا الْبَابِ فَأَوْرَدَ فِيهِ أَشْيَاءَ حَسَنَةً، وَنَبَّهَ عَلَى فَوَائِدَ جَمَّةٍ، وَفَرَائِدَ مُهِمَّةٍ، وَتَرَكَ أَشْيَاءَ أُخْرَى حَسَنَةً، ذَكَرَهَا غَيْرُهُ مِنَ الْأَئِمَّةِ الْمُتَقَدِّمِينَ، وَلَمْ أَرَهُ اسْتَوْعَبَ الْكَلَامَ إِلَى آخِرِهِ فَإِمَّا أَنَّهُ قَدْ سَقَطَ مِنْ خَطِّهِ، أَوْ أَنَّهُ لَمْ يُكْمِلْ تَصْنِيفَهُ، فَسَأَلَنِي بَعْضُ أَهْلِهِ مِنْ أَصْحَابِنَا مِمَّنْ تَتَأَكَّدُ إِجَابَتُهُ، وَتَكَرَّرَ ذَلِكَ مِنْهُ فِي تَكْمِيلِهِ وَتَذْيِيلِهِ وَتَرْتِيبِهِ، وَتَهْذِيبِهِ، وَالزِّيَادَةِ عَلَيْهِ وَالْإِضَافَةِ إِلَيْهِ، فَاسْتَخَرْتُ اللَّهَ حِينًا مِنَ الدَّهْرِ، ثُمَّ نَشِطْتُ لِذَلِكَ ابْتِغَاءَ الثَّوَابِ وَالْأَجْرِ، وَقَدْ كُنْتُ سَمِعْتُ مِنْ شَيْخِنَا الْإِمَامِ الْعَلَّامَةِ الْحَافِظِ الْجِهْبَذِ أَبِي الْحَجَّاجِ الْمِزِّيِّ، تَغَمَّدَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِرَحْمَتِهِ، أَنَّ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي هَذَا الْمَقَامِ الْإِمَامُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " عَنْ شَيْخِهِ الْحَاكِمِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي أَبُو أَحْمَدَ بْنُ أَبِي الْحَسَنِ، أَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ
পৃষ্ঠা - ৫১৩৯
بْنُ أَبِي حَاتِمٍ الرَّازِيُّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ: قَالَ الشَّافِعِيُّ: مَا أَعْطَى اللَّهُ نَبِيًّا مَا أَعْطَى مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقُلْتُ: أَعْطَى عِيسَى إِحْيَاءَ الْمَوْتَى. فَقَالَ: أَعْطَى مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجِذْعَ الَّذِي كَانَ يَخْطُبُ إِلَى جَنْبِهِ ; حِينَ هُيِّئَ لَهُ الْمِنْبَرُ حَنَّ الْجِذْعُ حَتَّى سُمِعَ صَوْتُهُ، فَهَذَا أَكْبَرُ مِنْ ذَاكَ. هَذَا لَفْظُهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَالْمُرَادُ مِنْ إِيرَادِ مَا نَذْكُرُهُ فِي هَذَا الْبَابِ التَّنْبِيهُ عَلَى شَرَفِ مَا أَعْطَى اللَّهُ أَنْبِيَاءَهُ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، مِنَ الْآيَاتِ الْبَيِّنَاتِ، وَالْخَوَارِقِ الْقَاطِعَاتِ، وَالْحُجَجِ الْوَاضِحَاتِ، وَأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى جَمَعَ لِعَبْدِهِ وَرَسُولِهِ سَيِّدِ الْأَنْبِيَاءِ وَخَاتَمِهِمْ مِنْ جَمِيعِ أَنْوَاعِ الْمَحَاسِنِ وَالْآيَاتِ، مَعَ مَا اخْتَصَّهُ اللَّهُ بِهِ مِمَّا لَمَّ يُؤْتِ أَحَدًا قَبْلَهُ، كَمَا ذَكَرْنَا مِنْ خَصَائِصِهِ وَشَمَائِلِهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَوَقَفْتُ عَلَى فَصْلٍ مَلِيحٍ فِي هَذَا الْمَعْنَى فِي كِتَابِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " لِلْحَافِظِ أَبِي نُعَيْمٍ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَصْبَهَانِيِّ، وَهُوَ كِتَابٌ حَافِلٌ فِي ثَلَاثِ مُجَلَّدَاتٍ، عَقَدَ فِيهِ فَصْلًا فِي هَذَا الْمَعْنَى، وَكَذَا ذَكَرَ ذَلِكَ الْفَقِيهُ أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَامِدٍ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " وَهُوَ كِتَابٌ كَبِيرٌ جَلِيلٌ حَافِلٌ، مُشْتَمِلٌ عَلَى فَوَائِدَ نَفِيسَةٍ، وَكَذَا الصَّرْصَرِيُّ الشَّاعِرُ يُورِدُ فِي بَعْضِ قَصَائِدِهِ أَشْيَاءَ مِنْ ذَلِكَ أَيْضًا، كَمَا سَيَأْتِي، وَهَا أَنَا أَذْكُرُ بِعَوْنِ اللَّهِ تَعَالَى مَجَامِعَ مَا ذُكِرَ مِنْ هَذِهِ الْأَمَاكِنِ الْمُتَفَرِّقَةِ
পৃষ্ঠা - ৫১৪০

(না)-কে ঐ সব মু’জিযা দান করা হয়েছে যা অন্য কাউকে দেয়া হয়নি ৷ নবী করীম (সা)-এর
বৈশিষ্ট্য আলোচনায় আমরা এর উল্লেখ করেছি ৷ হাফিয আবু নুআয়ম ইস্পহােনীর দালইিলুন
নবুওত’ বা তিন খণ্ডে পুর্ণ, ফকীহ্ আবু মুহাম্মদ এর দালইিলুন নবুওত’ গ্রন্থে এবং কবি সার
সারির কাসীদায় এ জাতীয় কথার উল্লেখ আছে ৷ এ যাবত এ প্রসঙ্গে যা কিছু আলোচনা
করেছি, এখন তার সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি ৷

হযরত নুহ (আ)-এর মু’জিযা
আল্লাহ্র বাণী০ ং
অর্থাৎ “তখন সে তার প্ৰতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, আমি তো অসহায়, অতএব,
তুমি প্রতিবিধান কর ৷ ফলে আমি উন্মুক্ত করে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারি বর্ষগে এবং
মৃত্তিকা হতে উৎসারিত করলাম প্রস্রবণ; তারপর সকল পানি মিলিত হল এক পরিকল্পনা
অনুসারে ৷ তখন নুহকে আগ্লুরদ্ধিহণ করালাম কাঠ ও কীলক নির্মিত এক নৌযানে, যা চলত
আমার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে; এটা পুরস্কার তার জন্য, যে প্ৰত্যাখ্যাত হয়েছিল ৷ আমি একে রেখে
দিয়েছি এক নির্দশনরুপে ৷ অতএব, উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি” ? (৫৪ সুরা কমাের :

আমরা এ কিতাবের শুরুতেই আলোচনা করে এসেছি কিভাবে নুহ (আ) তার জাতিকে
দাওয়াত দিয়েছিলেন ৷ কিভাবে মু’মিনদেরসহ বিপদ থেকে আল্লাহ্ তাকে রক্ষা করেছিলেন ৷
আর তার বিরোধী কাফিরকুল এমন কি তার পুত্রও কিভাবে পানিতে ডুবে মারা যায়, এর পুর্বে
বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে ৷ আমাদের শায়খ আবুল মাআলী যামলিকানী বলেছেন এবং
তার লেখা থেকে আমি উদ্ধৃত করেছি ৷ তার বক্তব্য এই যে, অন্যান্য নবীগণকে যেসব মুজিযা
দেয়া হয়েছে, তার অনুরুপ মু’জিযা আমাদের নবীকেও দেয়া হয়েছে ৷ এর বিস্তারিত আলোচনার
জন্য বিরাট গ্রন্থের প্রায়াড্ডা, তইি আমরা এখানে মাত্র কতিপয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয় সম্পর্কে
আলোচনা করব ৷ তার একটি হল হযরত নুহ (আ) মু’মিনদেরসহ নৌকায় অড়াভৈরাহণের দ্বারা
পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার ঘটনা ৷ এ কথা ধ্রুব সত্য যে, নৌকায় চড়ে পানির
উপর দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে নৌকাৰিহীন পানির উপর দিয়ে হেটে যাওয়া অধিক
মাহাত্ম্যপুর্ণ ৷ বলা বাহুল্য, এ উষ্মতের অনেক ওলী-আওলিয়া পানির উপর দিয়ে হেটেছেন বলে
প্রমাণ রয়েছে ৷

মিনজাব বর্ণনা করেন, সাহাবী আলা ইবন হায্রামী (রা)-এর সাথে আমরা
দারাইন’-এর যুদ্ধে গমন করি ৷ তিনি আল্লাহ্র নিকট তিনটি প্রার্থনা করেন এবং তিনটিই
কবুল হয় ৷ এক স্থানে আমরা অবতরণ করলাম ৷ কিন্তু সেখানে পানি না থাকায় তিনি
দৃরাকাআত সালাত আদায় করে প্রার্থনা করলেন০ ং “হে আল্লাহ্! আমরা তােমারই গোলাম
তোমার পখেই আছি, তোমার শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি ৷ হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে বৃষ্টির
পানি দান করা সে পানি দ্বারা আমরা উবু করব, তা পান করব এবং আমাদের ছাড়া আর
করেও তাতে অধিকার থাকবে না ৷ ” তারপর অল্পদুর অগ্রসর হলে বৃষ্টি বর্ষণ হলো; এমন কি


بِأَوْجَزِ عِبَارَةٍ، وَأَقْصَدِ إِشَارَةٍ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ، الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ. [الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ نُوحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {" فَدَعَا رَبَّهُ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانْتَصِرْ فَفَتَحْنَا أَبْوَابَ السَّمَاءِ بِمَاءٍ مُنْهَمِرٍ وَفَجَّرْنَا الْأَرْضَ عُيُونًا فَالْتَقَى الْمَاءُ عَلَى أَمْرٍ قَدْ قُدِرَ وَحَمَلْنَاهُ عَلَى ذَاتِ أَلْوَاحٍ وَدُسُرٍ تَجْرِي بِأَعْيُنِنَا جَزَاءً لِمَنْ كَانَ كُفِرَ وَلَقَدْ تَرَكْنَاهَا آيَةً فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ "} [القمر: 10] [الْقَمَرِ: 10 - 15] . وَقَدْ ذَكَرْتُ الْقِصَّةَ مَبْسُوطَةً فِي أَوَّلِ هَذَا الْكِتَابِ، وَكَيْفَ دَعَا عَلَى قَوْمِهِ فَنَجَّاهُ اللَّهُ وَمَنِ اتَّبَعَهُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، فَلَمْ يَهْلَكْ مِنْهُمْ أَحَدٌ، وَأَغْرَقَ مَنْ خَالَفَهُ مِنَ الْكَافِرِينَ، فَلَمْ يَسْلَمْ مِنْهُمْ أَحَدٌ حَتَّى وَلَا وَلَدُهُ يَامُ. قَالَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ أَبُو الْمَعَالِي مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْأَنْصَارِيُّ ابْنُ الزَّمْلَكَانِيِّ، وَمِنْ خَطِّهِ نَقَلْتُ: وَبَيَانُ أَنَّ كُلَّ مُعْجِزَةٍ لِنَبِيٍّ فَلِنَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُهَا أَوْ أَتَمُّ، يَسْتَدْعِي كَلَامًا طَوِيلًا وَتَفْصِيلًا لَا يَسَعُهُ مُجَلَّدَاتٌ عَدِيدَةٌ، وَلَكِنْ نُنَبَّهُ بِالْبَعْضِ عَلَى الْبَعْضِ، فَلْنَذْكُرْ جَلَائِلَ مُعْجِزَاتِ الْأَنْبِيَاءِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. فَمِنْهَا نَجَاةُ نُوحٍ فِي السَّفِينَةِ بِالْمُؤْمِنِينَ، وَلَا شَكَّ أَنَّ حَمْلَ الْمَاءِ لِلنَّاسِ مِنْ غَيْرِ سَفِينَةٍ أَعْظَمُ مِنَ السُّلُوكِ عَلَيْهِ فِي السَّفِينَةِ، وَقَدْ مَشَى كَثِيرٌ مِنَ الْأَوْلِيَاءِ عَلَى مَتْنِ الْمَاءِ.
পৃষ্ঠা - ৫১৪১
وَفِي قِصَّةِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ، رَوَى سَهْمُ بْنُ مِنْجَابٍ قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ دَارِينَ، فَدَعَا بِثَلَاثِ دَعَوَاتٍ فَاسْتُجِيبَتْ لَهُ، فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا فَطَلَبَ الْمَاءَ فَلَمْ يَجِدْهُ، فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّا عَبِيدُكَ، وَفِي سَبِيلِكِ، نُقَاتِلُ عَدُوَّكَ، اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا نَتَوَضَّأُ بِهِ وَنَشْرَبُ، وَلَا يَكُونُ لِأَحَدٍ فِيهِ نَصِيبٌ غَيْرَنَا. فَسِرْنَا قَلِيلًا فَإِذَا نَحْنُ بِمَاءٍ حِينَ أَقْلَعَتِ السَّمَاءُ عَنْهُ، فَتَوَضَّأْنَا مِنْهُ وَتَزَوَّدْنَا، وَمَلَأْتُ إِدَاوَتِي وَتَرَكْتُهَا مَكَانَهَا حَتَّى أَنْظُرَ هَلِ اسْتُجِيبَ لَهُ أَمْ لَا، فَسِرْنَا قَلِيلًا ثُمَّ قُلْتُ لِأَصْحَابِي: نَسِيتُ إِدَاوَتِي فَرَجَعْتُ إِلَى ذَلِكَ الْمَكَانِ فَكَأَنَّهُ لَمْ يُصِبْهُ مَاءٌ قَطُّ، ثُمَّ سِرْنَا حَتَّى أَتَيْنَا دَارِينَ وَالْبَحْرُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ، فَقَالَ: يَا عَلِيمُ، يَا حَلِيمُ، يَا عَلِيُّ، يَا عَظِيمُ، إِنَّا عَبِيدُكَ، وَفِي سَبِيلِكَ، نُقَاتِلُ عَدُوَّكَ، اللَّهُمَّ فَاجْعَلْ لَنَا إِلَيْهِمْ سَبِيلًا. فَدَخَلْنَا الْبَحْرَ فَلَمْ يَبْلُغِ الْمَاءَ لُبُودَنَا، وَمَشَيْنَا عَلَى مَتْنِ الْمَاءِ وَلَمْ يَبْتَلَّ لَنَا شَيْءٌ. وَذَكَرَ بَقِيَّةَ الْقِصَّةِ، قَالَ: فَهَذَا أَبْلَغُ مِنْ رُكُوبِ السَّفِينَةِ، فَإِنَّ حَمْلَ الْمَاءِ لِلسَّفِينَةِ مُعْتَادٌ، وَأَبْلَغُ مِنْ فَلْقِ الْبَحْرِ لِمُوسَى، فَإِنَّ هُنَاكَ انْحَسَرَ الْمَاءُ حَتَّى مَشَوْا عَلَى الْأَرْضِ، فَالْمُعْجِزُ انْحِسَارُ الْمَاءِ وَهَا هُنَا صَارَ الْمَاءُ جَسَدًا يَمْشُونَ عَلَيْهِ كَالْأَرْضِ، وَإِنَّمَا هَذَا مَنْسُوبٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَرَكَتِهِ. انْتَهَى مَا ذَكَرَهُ بِحُرُوفِهِ فِيمَا يَتَعَلَّقُ
পৃষ্ঠা - ৫১৪২

তাতে পানি জমে যায় ৷ আমরা উবু-পােসল কবি ও প্রয়োজনীয় পানি সংরক্ষণ করি ৷ এদিকে
আমার পাত্রগুলাে পানি ভর্তি করে সেখানেই রেখে দেই ৷ পাত্রগুলাে পানি ভর্তি করে সেখানেই
রেখে দেই উদ্দেশ্য হল প্রার্থনা কবুল হয়েছে কিনা তা যীচইি করা ৷ তারপর কিছুদুর যাওয়ার
পর আমরা সাথীদেরকে বললাম, আমি পাত্রগুলো ভুলে রেখে এসেছি ৷ সুতরাং ঐ স্থানে
প্রত্যাবর্তন করি ৷ কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হল এখানে কোন দিন বৃষ্টিপাত হয়নি ৷ এরপর আমরা
আরও অগ্রসর হলাম এবং আমাদেয়র্লভব্য স্থল দারইিন’ এর কাছে এসে পৌছলাম ৷ কিন্তু
আমাদের ও দারইিন’-এর মধ্যে একটি সাগর বাধা হয়ে র্দাড়াল ৷ আলা ইবন হাযরামী এ বলে
প্রার্থনা করলেন হে মহান ৷ হে কুশলী ৷ ( ;@ , ণ্াণ্ ৷ ) আমরা আপনার বান্দা ৷ আপনার
পথে আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি ৷ হে আল্লাহ্ ৷ ওদের কাছে পৌছার একটা
ব্যবস্থা করে দিন ৷ তারপর আমরা সমুদ্রের পানির উপর দিয়ে পায়ে হেটে অতিক্রম করি ৷
পায়ের তলাও পানির দ্বারা সিক্ত হয়নি ৷ এরপর মিনজাব অবশিষ্ট ঘটনা বর্ণনা করেন ৷
এ ঘটনা নুহ (আ)-এর নৌকা আংরাহণের তুলনায় অধিক আশ্চজিংৰু ৷ কেননা নৌকায়
চড়ে পানির উপর থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার ৷ হযরতন্মুসা (আ)-এর সাগরের পানি দ্বিখণ্ডিত
করে পাড়ি দেয়ার ঘটনা থেকেও এ ঘটনা অধিকতরংত্মাশ্চর্যজনক ৷ কারণ, মুসা (আ)-এর
ঘটনায় পানি বিভক্ত হয় ৷ ফলে দু’পাশে আটকে থাকা পানির মধ্যবর্তী মাটির উপর দিয়ে তারা
অতিক্রম করেন ৷ আর আলা ইবন হাযরামীর ঘটনায় পানি জমে মাটির ন্যায় হয়ে যায় এবং
তার উপর দিয়ে অতিক্রম করা হয় ৷ একজন উষ্মতের এ কারামত নিঃসন্দেহে শেষ নবী,
(সা)-এর বরতেরই ফল ৷ এ ঘটনা ইমাম বায়হাকী তার দালইিল’ গ্রন্থে ইবন আবুদ দুনিয়া
সুত্রে সাহ্ল ইবন মিনজাব থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ , বুখারী তার তারীখে কাবীরে’ ভিন্ন
সুত্রে এটা উল্লেখ করেছেন ৷ বায়হাকী আবু হুরায়রা (রা) থেকেও এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷
তাতে আছে যে, হযরত আবু হ্বায়রাও ঐ অভিযানে শরীক ছিলেন এবং ঘটনা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ
করেছেন ৷
হ্াফিয বায়হাকী, ঈসা ইবন ইউনুস ; আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, আমি এই উষ্মতের মধ্যে তিনটি জিনিস দেখেছি ৷ এই তিনটি জিনিস যদি বনী
ইসরাঈলের মধ্যে থাকত তবে তারা কিছুতেই দলে দলে বিভক্ত হত না ৷ লোকজন জিজ্ঞেস
বল্মল, হে আবু হামযা, সেগুলো কি কি ? তিনি বললেন, একদা আমরা মসজিদে নববীর
বারান্দায় (সুফ্ফায়) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম ৷ এমন সময় একজন মুহড়াজির
মহিলা তার এক বয়ঃপ্রাপ্ত পুত্রসহ সেখানে উপস্থিত হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটিকে অন্যান্য
মহিলাদের মধ্যে পাঠিয়ে দিলেন এবং পুত্রটিকে আমাদের সাথে থাকতে দেন ৷ অল্পদিনের
মধ্যেই ছেলেটি মদীনায় মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার চোখ
মুদিয়ে দেন এবং দাফনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন ৷ ছেলেটিকে গোসল করাবার উদ্যোপ
নিলে নবী (সা) বললেন, হে আনাস ! ওর মাকে গিয়ে সংবাদ দাও ৷ আমি সংবাদ পৌছালাম ৷
মা এসে ছেলের পায়ের নিকট বসল এবং উভয় পা জড়িয়ে ধরে বললাে, হে আল্লাহ্! আমি
স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছি ও মুর্তিপুজা ত্যাগ করেছি ৷ আমার উপর এমন মুসীবত চাপিয়ে
দিবেন না, যা বহন করার ক্ষমতা আমার নেই ৷ আনাস ইবন মালিক (রা) বলেন, আল্লাহ্র
কসম! মহিলার কথা শেষ না হতেই মৃত পুত্রের পদদ্বয় নড়েচড়ে উঠল এবং সে তার মুখের


بِنُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَهَذِهِ الْقِصَّةُ الَّتِي سَاقَهَا شَيْخُنَا ذَكَرَهَا الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ فِي كِتَابِهِ " الدَّلَائِلِ " مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الدُّنْيَا، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ، عَنِ الصَّلْتِ بْنِ مَطَرٍ الْعِجْلِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ ابْنِ أُخْتِ سَهْمٍ، عَنْ سَهْمِ بْنِ مِنْجَابٍ قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ فَذَكَرَهُ. وَقَدْ ذَكَرَهَا الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ الْكَبِيرِ " مِنْ وَجْهٍ آخَرَ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ كَانَ مَعَ الْعَلَاءِ وَشَاهَدَ ذَلِكَ. وَسَاقَهَا الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَوْنٍ، «عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: أَدْرَكْتُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ ثَلَاثًا لَوْ كَانَتْ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمَا تَقَاسَمَتْهَا الْأُمَمُ. قُلْنَا: مَا هُنَّ يَا أَبَا حَمْزَةَ؟ قَالَ: كُنَّا فِي الصُّفَّةِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ مُهَاجِرَةٌ، وَمَعَهَا ابْنٌ لَهَا قَدْ بَلَغَ، فَأَضَافَ الْمَرْأَةَ إِلَى النِّسَاءِ، وَأَضَافَ ابْنَهَا إِلَيْنَا، فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ أَصَابَهُ وَبَاءُ الْمَدِينَةِ فَمَرِضَ أَيَّامًا ثُمَّ قُبِضَ، فَغَمَّضَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَرَ بِجِهَازِهِ، فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نُغَسِّلَهُ قَالَ: " يَا أَنَسُ ائْتِ أُمَّهُ فَأَعْلِمْهَا ". فَأَعْلَمْتُهَا قَالَ: فَجَاءَتْ حَتَّى جَلَسَتْ عِنْدَ قَدَمَيْهِ، فَأَخَذَتْ بِهِمَا ثُمَّ قَالَتِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْلَمْتُ لَكَ طَوْعًا، وَخَلَعْتُ الْأَوْثَانَ زُهْدًا، وَهَاجَرْتُ إِلَيْكَ رَغْبَةً اللَّهُمَّ لَا
পৃষ্ঠা - ৫১৪৩
تُشْمِتْ بِي عَبَدَةَ الْأَوْثَانِ وَلَا تُحَمِّلْنِي مِنْ هَذِهِ الْمُصِيبَةِ مَالَا طَاقَةَ لِي بِحَمْلِهَا. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا انْقَضَى كَلَامُهَا حَتَّى حَرَّكَ قَدَمَيْهِ وَأَلْقَى الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ، وَعَاشَ حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَتَّى هَلَكَتْ أُمُّهُ. قَالَ أَنَسٌ: ثُمَّ جَهَّزَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ جَيْشًا وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمُ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ. قَالَ أَنَسٌ: وَكُنْتُ فِي غَزَاتِهِ، فَأَتَيْنَا مَغَازِينَا فَوَجَدْنَا الْقَوْمَ قَدْ نَذِرُوا بِنَا فَعَفَّوْا آثَارَ الْمَاءِ وَالْحَرُّ شَدِيدٌ، فَجَهَدَنَا الْعَطَشُ وَدَوَابَّنَا، وَذَلِكَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، فَلَمَّا مَالَتِ الشَّمْسُ لِغُرُوبِهَا صَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ مَدَّ يَدَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ شَيْئًا. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا حَطَّ يَدَهُ حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ رِيحًا، وَأَنْشَأَ سَحَابًا، وَأَفْرَغَتْ حَتَّى مَلَأَتِ الْغُدُرَ وَالشِّعَابَ، فَشَرِبْنَا وَسَقَيْنَا رِكَابَنَا وَاسْتَقَيْنَا. قَالَ: ثُمَّ أَتَيْنَا عَدُوَّنَا وَقَدْ جَاوَزَ خَلِيجًا فِي الْبَحْرِ إِلَى جَزِيرَةٍ، فَوَقَفَ عَلَى الْخَلِيجِ وَقَالَ: يَا عَلِيُّ يَا عَظِيمُ، يَا حَلِيمُ يَا كَرِيمُ. ثُمَّ قَالَ: أَجِيزُوا بِسْمِ اللَّهِ. قَالَ: فَأَجَزْنَا مَا يَبُلُّ الْمَاءُ حَوَافِرَ دَوَابِّنَا، فَلَمْ نَلْبَثْ إِلَّا يَسِيرًا فَأَصَبْنَا الْعَدُوَّ غِيلَةً، فَقَتَلْنَا وَأَسَرْنَا وَسَبَيْنَا، ثُمَّ أَتَيْنَا الْخَلِيجَ، فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ، فَأَجَزْنَا مَا يَبُلُّ الْمَاءُ حَوَافِرَ دَوَابِّنَا، فَلَمْ نَلْبَثْ إِلَّا يَسِيرًا. ثُمَّ ذَكَرَ مَوْتَ الْعَلَاءِ، وَدَفْنَهُمْ إِيَّاهُ فِي أَرْضٍ لَا تَقْبَلُ الْمَوْتَى، ثُمَّ إِنَّهُمْ حَفَرُوا عَنْهُ لِيَنْقُلُوهُ مِنْهَا إِلَى غَيْرِهَا فَلَمْ يَجِدُوهُ ثَمَّ، وَإِذَا اللَّحْدُ يَتَلَأْلَأُ نُورًا، فَأَعَادُوا التُّرَابَ عَلَيْهِ ثُمَّ ارْتَحَلُوا» . فَهَذَا السِّيَاقُ أَتَمُّ، وَفِيهِ قِصَّةُ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَحْيَا اللَّهُ لَهَا وَلَدَهَا
পৃষ্ঠা - ৫১৪৪

উপরের কাপড় সরিয়ে দিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মায়ের ইনতিকালের পরেও দীর্ঘদিন সে
জীবিত থাকে ৷
হযরত আনাস বলেন, এরপর হযরত উমর ইবন খাত্তাব (বা) আলা ইবন হায্রামির

নেতৃত্বে এক অভিযান প্রেরণ করেন৷ আনাস (বা) বলেন, আমিও সে অভিযানে অংশ গ্রহণ
করি ৷ যুদ্ধের স্থানে পৌছে দেখি শত্রুবাহিনী সে স্থান ত্যাগ করে চলে গেছে এবং পানির
উৎসসমুহ বন্ধ করে দিয়েছে ৷ তখন ছিল গ্রীষ্মকাল, প্রচণ্ড গরমে পিপাসায় আমরা কাতর হয়ে
পড়ি ৷ পশুগুলােরও একই অবস্থা ৷ সেদিন ছিল শুক্রবার ৷ সুর্য পশ্চিমে হেলে পেলে আলা ইবন
হড়াযরামী আমাদেরকে সাথে নিয়ে দু’রাকাআত সালাত আদায় করে আকাশ পানে হাত উত্তোলন
করেন ৷ আকাশে মেঘের চিহ্নও ছিল না ৷ হযরত আনাস বলেন, আল্লাহ্র কসম৷ হাযরামির
হাত নিচে না নামতেই শীতল বায়ু প্রবাহিত হল ৷ মেঘ পুঞ্জিভুত হল এবং সাথে সাথেই বৃষ্টি
বর্ধিত হল ৷ আমরা পানি পান করলাম, পশুদেরকে পান করালাম এবং সংরক্ষণ করে রাখলাম ৷
অতঃপর আমরা শত্রুদের দিকে অগ্রসর হলাম ৷ ইতিমধ্যে তারা এক দ্বীপে উঠার জন্য উপসাগর
পাড়ি দেয় ৷ আমাদের নেতা আলা হড়াযরামী উপসাগ্যরর তীরে দাড়িয়ে প্রার্থনা করলেন : হে
বিরাট, হে মহলে, হে ধৈর্যশীল, হে করুণাময় অতঃপর
বললেন, আল্লাহ্র নামে তোমরা সমুদ্র অতিক্রম কর ৷ আনাস (বা) বলেন, আমরা সমুদ্র পাড়ি

দিলাম; কিভু আমাদের পশুগুলোর পায়ের ক্ষুরও পানিতে ভিজলো না ৷ অল্পক্ষণ পরেই আমরা
দ্বীপের উপর শত্রুদেরকে ধরে ফেলি ৷ তাদের অনেককেহতদ্রড়া করি এবং অবশিষ্টদেরকে বন্দী
করি ৷ তারপর পুনরায় আমরা উপ-সার্গরের তীরে আমি এবং আমাদের আমীর পুর্বের ন্যায়
প্রার্থনা করেন ৷ সুতরাং আমরা উপসাগর সাওয়ার অবস্থায় পাড়ি দিই এবং আমাদের পশুগুলাের
পায়ের ক্ষুরও পানাি ত ভেজেনি ৷

এরপর হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) আলা হায্রামির ইনতিকালের বর্ণনা দেন ৷
বলেন, র্তাকে এমন এক স্থানে দাফন করা হয় যে স্থানের মাটি দাফনের জন্য অনুপযুক্ত ছিল ৷
তাই ণ্লাকজন তার শবদেহ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য কবরের মাটি খুড়ল ৷ কিভু তার লাশ
পাওয়া গেল না ৷ অথচ কবরটি নুরের জ্যোতিতে চমকাচ্ছিল ৷ সুতরাং লোকজন পুনরায় কবরটি
মাটি দ্বারা ডরাট করে দিয়ে প্রত্যাবর্তন করল ৷ এই ঘটনায় মহিলার প্রার্থনায় পুত্রের জীবন
লাভের সাথে ঈসা (আ)-এর মুর্মুজিযা এবং আলা হায্রামির সাগর পাড়ি দেয়ার সাথে মুসা
(আ)-এর মুজিযার সাদৃশ্য রয়েছে যার বিবরণ পরে দেয়া হবে ৷

আলা ইবন হায্রামির ঘটনার মত আর একটি ঘটনা

ইমাম বায়হাকীর দালইিল’ গ্রন্থে উল্লেখিত এ ঘটনাটিও ইতিপুর্বে একবার বলা হয়েছে ৷
ণ্ সুলাযমান ইবন মারওয়ান আমাশ জনৈক সাথীর বরাতে বর্ণনা করেন : আমরা একবার
দাজলায় উপনীত হই ৷ দাজলা (নদী) আরব ও আজমের মধ্যবর্তী সীমানা ৷ দাজলায় অপর
পাড়ে আজম এলাকা ৷ মুসলিম বাহিনীর মধ্য থেকে একজন বিসৃমিল্লাহ্ বলে ঘোড়ার আরোহণ
করে নদীর পানির উপর দিয়ে চলে গেল ৷ তার পশ্চাতে অন্যান্য লোকও বিসৃমিল্লাহ্ বলে
ঘোড়ার চড়ে পানির উপর দিয়ে রওয়ানা হল ৷ আজমীরা তাদের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে
বললাে পাগল ! পাগল! এরপর মুসলমানরা সম্মুখে অগ্রসর হয় ৷ নদী অতিক্রম কালে


بِدُعَائِهَا، وَسَنُنَبِّهُ عَلَى ذَلِكَ فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِمُعْجِزَاتِ الْمَسِيحِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، مَعَ مَا يُشَابِهُهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، كَمَا سَنُشِيرُ إِلَى قِصَّةِ الْعَلَاءِ هَذِهِ مَعَ مَا سَنُورِدُهُ مَعَهَا هَا هُنَا فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِمُعْجِزَاتِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي قِصَّةِ فَلْقِ الْبَحْرِ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ، وَقَدْ أَرْشَدَ إِلَى ذَلِكَ شَيْخُنَا فِي عُيُونِ كَلَامِهِ. [خَبَرُ أَوَّلِ مَنِ اقْتَحَمَ دِجْلَةَ] قِصَّةٌ أُخْرَى تُشْبِهُ قِصَّةَ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ. رَوَى الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " - وَقَدْ تَقَدَّمَ ذَلِكَ أَيْضًا - مِنْ طَرِيقِ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ قَالَ: انْتَهَيْنَا إِلَى دِجْلَةَ وَهِيَ مَادَّةٌ وَالْأَعَاجِمُ خَلْفَهَا، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ: بِسْمِ اللَّهِ، ثُمَّ اقْتَحَمَ بِفَرَسِهِ فَارْتَفَعَ عَلَى الْمَاءِ. فَقَالَ النَّاسُ: بِسْمِ اللَّهِ. ثُمَّ اقْتَحَمُوا فَارْتَفَعُوا عَلَى الْمَاءِ، فَنَظَرَ إِلَيْهِمُ الْأَعَاجِمُ وَقَالُوا: دِيوَانُ، دِيوَانُ. أَيْ مَجَانِينُ، ثُمَّ ذَهَبُوا عَلَى وُجُوهِهِمْ. قَالَ: فَمَا فَقَدَ النَّاسُ إِلَّا قَدَحًا كَانَ مُعَلَّقًا بِعَذَبَةِ سَرْجٍ، فَلَمَّا خَرَجُوا أَصَابُوا الْغَنَائِمَ وَاقْتَسَمُوا، فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَقُولُ: مَنْ يُبَادِلُ صَفْرَاءَ بِبَيْضَاءَ؟ وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " السِّيرَةِ الْعُمَرِيَّةِ " وَأَيَّامِهَا، وَفِي " التَّفْسِيرِ " أَيْضًا أَنَّ أَوَّلَ مَنِ اقْتَحَمَ دِجْلَةَ يَوْمَئِذٍ أَبُو عَبِيدٍ الثَّقَفِيُّ أَمِيرُ الْجُيُوشِ فِي أَيَّامِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَأَنَّهُ نَظَرَ إِلَى دِجْلَةَ فَتَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى: " {وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُؤَجَّلًا "} [آل عمران: 145] . ثُمَّ سَمَّى اللَّهَ تَعَالَى وَاقْتَحَمَ بِفَرَسِهِ الْمَاءَ،
পৃষ্ঠা - ৫১৪৫

মুসলমানদের একটি পেয়াল৷ ব্যতীত আর কিছুই হারান যায়নি ৷ তাও ছিল ঘোড়ার জিনের
সাথে ঝুলস্ত ৷ আজমীদের সাথে যুদ্ধের ফলে বহু গনীমতের মাল মুসলমানদের অধিকারে আসে
এবং নিজেদের মধ্যে তারা তা বন্টন করে নেন ৷ র্তারা একে অপরকে বলতে লাগলেন, কে
আছে সোনার বদলে রুপার বিনিময় করবৈ? হযরত উমরের জীবনীতে ও তাফসীরেও আমরা এ
বিষয় আলোচনা করেছি যে, ঐ দিন দাজল৷ নদী সর্বপ্রথম অতিক্রম করেছিলেন আবু উবায়দা
নুফায়ঈ ৷ তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর আমীর এবং এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল হযরত উমর
(রা)-এর শাসনামলে ৷ দাজলার দিকে তাকিয়ে তিনি নিম্নের আয়াতটি পাঠ করেন : ;াব্র ৷)

,হ্রাব্লু;হু র্চুা£,ব্ল এ ৷ ;,;, ৰু৷ ৷ ’;প্রুঠু ড্রু৷ ,৷ অর্থাৎ আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কারও মৃত্যু
হতে পারে না, যেহেতু তার ণ্ৰুময়াদ অবধারিত ৷ তিলাওয়াত শেষে আল্লাহর নামে ঘোড়ার চড়ে

পানি পার হন এবং সৈন্যরাও পার হয়ে যায় ৷ আজমীর৷ এ কার দেখে পাপল পাপল’ বলতে
থাকে ৷ তারপর তারা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ভয়ে পলায়ন করে ৷ মুসলমানগণ তাদেরকে হত্যা করে
ও প্রচুর পনীমত লাভ করে ৷

অনুরুপ আরও ঘটনা
বায়হাকী নিখেস্ফো, আবু মুসলিম খাওলানী একবার দাজলার তীরে উপনীত হন ৷ পানির

মধ্য থেকে একখন্ড শুকন৷ লাকড়ি তার দিকে উৎক্ষিপ্ত হয় ৷ তিনি তাতে আরোহণ করলে তা’

পানির উপর দিয়ে চলা আরম্ভ করে এবং তাকে তার সঙ্গীদের কাছে পৌছিয়ে দেয় ৷ তিনি
তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কোন আসবাবপত্র হারান গিয়েছে কি? তা হলে
আল্লাহর নিকট তার জন্য দু অ৷ করবো ৷ সহীহ্ সুত্রেই এ ঘটনা বর্ণিত হয়েছে ৷
, হাফিয আবুল কাসিমইবন আসাকির লিথ্যেছা, আবু আবদুল্লাহ ইবন আয়ুাব খাওলানী
যখন রোমানদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালন৷ করেন তখন পথে এক নদীর সম্মুখীন হন ৷ তিনি
সৈন্যদেরকৈ বিস্মিল্লাহ্ বলে নদী পার হংধার নির্দেশ দিলে সবাই নির্দেশ পালন করে ৷ এতে
কারও বাহনের পায়ের ইাটুর বেশি পানিতে ভিজেনি ৷ নদী ’ অতিক্রম করার পর তিনি
লোকদেরকে বলেন, কারও কিছু পড়ে পেছেকাি৷ ? পড়ে থাকলে আমি তার দায়িত্ব নেবে৷ ৷
এক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় একটি পুটলী নদীতে ফেলে দিয়েছিল ৷ সেবলল, আমার পুটলী নদীতে পড়ে
গেছে ৷ খাওলানী বললেন, আমার সাথে এস ৷ দেখা গেল তার যে পুটলী একটি ভাসমান
কাঠের সাথে আটকে রয়েছে ৷ তিনি সোকঢিকে বললেন, ওটা উঠিয়ে লও া
আবু দাউদও এ ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ তারপর মুসা হুমায়দ সুত্রে লিখেছেন-৪ আবু
মুসলিম খাওলানী দাজলার তীরে উপস্থিত হন ৷ দাজলার স্রোতে কাঠ ভেসে আসছিল ৷ তিনি
সেখানে দাড়িয়ে আল্লংড়াহ্র গুণপান করেন এবং বনী ইসরাঈলদেয় সমুদ্র পার হওয়ার ঘটনা
উল্লেখ করেন ৷ এরপর তিনি বাহন নিয়ে পানিতে সামেন ৷ সঙ্গী সাথীরাও তাকে অনুসরণ করে ৷
পানির স্তর নিচু হয়ে যায় এবং সবাই নদী পার হয়ে যান ৷ অপর পারে উঠে তিনি সকলকে
বললেন, তোমাদের কোন জিনিস পড়ে গিয়ে থাকলে তা ফিরে পাবার জন্য আল্লাহর নিকট
দুআ কর ৷ এ ঘটনা ইবন আসাকির ভিন্ন সুত্রেও হুমায়দ থেকেবর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন
আমার , চাচার্ত ভাই বলেছে, আমি আকুমুসলিমের সৈন্য বাহিনীর সাথে এক অভিযানে প্ম্ন্
করি ৷ আমরা এক অপরিচিত গভীর নদীর কাছে এলাম ৷ এলাকাবাসীদের নিকট জিজ্ঞেস
— : ৯


وَاقْتَحَمَ الْجَيْشُ وَرَاءَهُ، وَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِمُ الْأَعَاجِمُ يَفْعَلُونَ ذَلِكَ جَعَلُوا يَقُولُونَ: دِيوَانُ دِيوَانُ. أَيْ مَجَانِينُ مَجَانِينُ. ثُمَّ وَلَّوْا مُدَبِّرِينَ، فَقَتَلَهُمُ الْمُسْلِمُونَ وَغَنِمُوا مِنْهُمْ مَغَانِمَ كَثِيرَةً. [خَبَرُ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ لَمَّا جَاءَ إِلَى دِجْلَةَ] قِصَّةٌ أُخْرَى شَبِيهَةٌ بِذَلِكَ. رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ أَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيَّ جَاءَ إِلَى دِجْلَةَ وَهِيَ تَرْمِي الْخَشَبَ مِنْ مَدِّهَا، فَمَشَى عَلَى الْمَاءِ، وَالْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ وَقَالَ: هَلْ تَفْقِدُونَ مِنْ مَتَاعِكُمْ شَيْئًا فَنَدْعُوَ اللَّهَ تَعَالَى؟ ثُمَّ قَالَ: هَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ. قُلْتُ: وَقَدْ ذَكَرَ الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ أَبِي مُسْلِمٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثُوَبٍ الْخَوْلَانِيِّ هَذِهِ الْقِصَّةَ بِأَبْسَطَ مِنْ هَذَا، مِنْ طَرِيقِ بَقِيَّةَ بْنِ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا غَزَا أَرْضَ الرُّومِ فَمَرُّوا بِنَهَرٍ قَالَ: أَجِيزُوا بِسْمِ اللَّهِ. قَالَ: وَيَمُرُّ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ. قَالَ: فَيَمُرُّونَ بِالنَّهْرِ الْغَمْرِ فَرُبَّمَا لَمَّ يَبْلُغْ مِنَ الدَّوَابِّ إِلَّا إِلَى الرُّكَبِ، أَوْ
পৃষ্ঠা - ৫১৪৬

করলাম, পানি কম হয়ে কোন স্থানে? তারা জালাল, এখানে কোথাও পানি কম হবে না, তবে
ভাটির দিকে দুরাতের দুরত্বে পানি কম হবে ৷ তখন আবু মুসলিম বললেন, হে আল্লাহ্! আপনি
বনী-ইসরাঈলকে সমুদ্র পার করিয়েছিলেন, আমরাও আপনার বন্দো, আপনার পথেই রয়েছি ৷
সুতরাং আপনি আমাদেরকে আজ এ নদী পার করিয়ে দিন ৷ তারপর তিনি বললেন, বিসৃমিল্পাহ্
বলে তোমরা নদী পার হও ৷ আমার চাচাত ভাই বলেছে, আমি একটি ঘোড়ার উপর সওয়ার
ছিলাম, মনে মনে ভাবলাম-আবু মুসলিংমর ঘোড়ার পেছনে আমিই সৰ্বাগ্রে নদী অতিক্রম
করব ৷ আল্লাহ্ৱ কলম, সমস্ত সৈন্য নদী পার হয়ে গেল, কিন্তু ঘোড়ার পেটও পানিতে তিজেনি ৷
আবু মুসলিম মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বললেন, তোমাদের কোন জিনিস যদি পড়ে গিয়ে তাকে,
তবে আল্পাহ্র নিকট দৃআ কর, তিনি তা’ ফেরত দেবেন ৷“

আউলিয়া কিরামের উল্লেখিত কারামতসমুহ প্রকারাস্তরে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এরই মু’জিযা ৷
কারণ, ওলীগণ এসব কারামত লাভ করেছেন রাসুলেরই পরিপুর্ণ অনুসারী হওয়ার ফলে, র্তারই
বরকতে ৷ এর মাঝে দীনের সভ্যতার প্রমাণ নিহিত রয়েছে এবং মুসলমানদের আস্থা তাতে
বৃদ্ধি পায় ৷ এ কারামতগুলোর সাথে হযরত নুহ (আ)-এর পানির উপর অবস্থান ও হযরত মুসা
(আ)-এর সমুদ্র অতিক্রমের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে ৷ বরং উভয় নবীর মুজিযার চাইতে এগুলো
অধিক আশ্চর্যজনক; কেননা, নুহ (আ)-এর প্লাবনৃ যদিও বিরাট ছিল; কিন্তু সেখানে বাহন ছিল
নৌকা ৷ আর এখানে কোন বাহন নেই ৷ অন্যদিকে মুসা (আ)-এৱ পানি ছিল স্থির, আর এখানে
স্রোতের পানির উপর দিয়ে গমন করা হয়েছে ৷ যা কিছু মানুষের চেষ্টা সাধ্যের বহির্ভুত, তা কম
হোক বা বেশি হোক, তাতে কিছু যায় আসে না ৷ কেননা, যে লোক গভীর ও তীব্র স্রোতের
উপর দিয়ে হেটে চলে: যায় এবং তার বাহনের ক্ষুর বা পেট পানিতে ভিজে না কিংবা পানি স্থির
হয়ে যায় চইি তা নদীতে হোক বা সমুদ্রে, তাতে কোন পার্থক্য নেই ৷ তেমনি পানি দৃইডাগে
বিভক্ত হওয়াতেও কোন পার্থক্য হয় না ৷ যেমন লোহিত সাগরের পানি দৃইভাগে বিভক্ত হয়ে
ডানে ও বামে পর্বতে র ন্যায় দাড়িয়েছিল এবং যারা দিকে মাটি বেরিয়ে গিয়ে পথের সৃষ্টি
হয়েছিল ৷ আর আল্লাহর প্রেরিত বাতাস এসে নিচের কাদা পানি শুকিয়ে দিয়েছিল ৷
বনী-ইসরাঈলদের ণ্ঘাড়াগুলোর পা কাদায় আটকে না গিয়ে সে পথে পার হয়ে যায় ৷ সাথে
সাথে ফির আউন তার সৈন্য সামস্ত নিয়ে ঐ পথে অগ্নসর হয়ং

ষ্ #


“অতঃপর সমুদ্র তাদেরকে সম্পুর্ণরুপে নিমজ্জিত করল ৷ এবং ফির আউন তার সম্প্রদায়কে
পথভ্রষ্ট করেছিল এবং সৎপথ দেখায়নি (২০৪ ৭৮) ৷

অর্থাৎ ফির আউন যখনই মুসা (আ) এর লোকদের পশ্চাদ্ধাবন করার জন্য সমুদ্রের মধ্যে ,
সৃষ্ট পথে অবতরণ করল তখন দু’ পাশে দাড়িয়ে থাকা পানি তাদের উপর ভেঙ্গে পড়ল ৷ ফলে
দলের সকলেই ডুবে মরল, একজনও উদ্ধার গেল না, যেমন বনী-ইসরাঈসের একজ্বনও
ভুবেনি ৷ এ ঘটনার মধ্যে বিরাট ও বহু সংখ্যক নিদর্শন আছে যা আমি তাফসীরে উল্লেখ
করেছি ৷

আলা ইবন হাষ্রামী আবু আবদুল্লাহ ছাকাফী ও আবু মুসলিম খাওলানীর নদীর স্রোতের
উপর দিয়ে পায়ে হেটে যাওয়া এবং কোন লোক বা জিনিসপত্রের ক্ষতি না হওয়ার কাহিনী


بَعْضِ ذَلِكَ، أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ. قَالَ: فَإِذَا جَازُوا قَالَ لِلنَّاسِ: هَلْ ذَهَبَ لَكُمْ شَيْءٌ؟ مَنْ ذَهَبَ لَهُ شَيْءٌ فَأَنَا لَهُ ضَامِنٌ. قَالَ: فَأَلْقَى بَعْضُهُمْ مِخْلَاةً عَمْدًا، فَلَمَّا جَازُوا قَالَ الرَّجُلُ: مِخْلَاتِي وَقَعَتْ فِي النَّهْرِ. قَالَ لَهُ: اتْبَعْنِي. فَإِذَا الْمِخْلَاةُ قَدْ تَعَلَّقَتْ بِبَعْضِ أَعْوَادِ النَّهْرِ، فَقَالَ: خُذْهَا. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ - مِنْ طَرِيقِ ابْنِ الْأَعْرَابِيِّ عَنْهُ - عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ بَقِيَّةَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، أَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيَّ أَتَى عَلَى دِجْلَةَ وَهِيَ تَرْمِي بِالْخَشَبِ مِنْ مَدِّهَا، فَوَقَفَ عَلَيْهَا، ثُمَّ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَذَكَرَ مَسِيرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي الْبَحْرِ، ثُمَّ لَهَزَ دَابَّتَهُ فَخَاضَتِ الْمَاءَ، وَتَبِعَهُ النَّاسُ حَتَّى قَطَعُوا، ثُمَّ قَالَ: هَلْ فَقَدْتُمْ شَيْئًا مِنْ مَتَاعِكُمْ فَأَدْعُوَ اللَّهَ أَنْ يَرُدَّهُ عَلَيَّ؟ . وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ رَشِيدٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ الْعَدَوِيِّ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَمِّي؛ أَخِي أَبِي، قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ أَبِي مُسْلِمٍ فِي جَيْشٍ، فَأَتَيْنَا عَلَى نَهْرٍ عَجَاجٍ مُنْكَرٍ، فَقُلْنَا لِأَهْلِ الْقَرْيَةِ: أَيْنَ الْمَخَاضَةُ؟ فَقَالُوا: مَا كَانَتْ هَا هُنَا مَخَاضَةٌ قَطُّ وَلَكِنَّ الْمَخَاضَةَ أَسْفَلَ مِنْكُمْ عَلَى لَيْلَتَيْنِ. فَقَالَ أَبُو مُسْلِمٍ: اللَّهُمَّ أَجَزْتَ بِبَنِي إِسْرَائِيلَ الْبَحْرَ، وَإِنَّا عِبَادُكَ وَفِي سَبِيلِكَ، فَأَجِزْنَا هَذَا النَّهْرَ الْيَوْمَ. ثُمَّ قَالَ: اعْبُرُوا بِسْمِ اللَّهِ. قَالَ ابْنُ عَمِّي: فَأَنَا عَلَى فَرَسٍ فَقُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ৫১৪৭
لِأَقْذِفَنَّهُ أَوَّلَ النَّاسِ خَلْفَ فَرَسِهِ، وَكُنْتُ أَوَّلَ النَّاسِ قَذَفَ فَرَسَهُ خَلْفَ أَبِي مُسْلِمٍ، فَوَاللَّهِ مَا بَلَغَ الْمَاءُ بُطُونَ الْخَيْلِ حَتَّى عَبَرَ النَّاسُ كُلُّهُمْ، ثُمَّ وَقَفَ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، هَلْ ذَهَبَ لِأَحَدٍ مِنْكُمْ شَيْءٌ فَأَدْعُوَ اللَّهَ تَعَالَى أَنْ يَرُدَّهُ؟ . فَهَذِهِ الْكَرَامَاتُ لِهَؤُلَاءِ الْأَوْلِيَاءِ هِيَ مِنْ مُعْجِزَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا تَقَدَّمَ تَقْرِيرُهُ ; لِأَنَّهُمْ إِنَّمَا نَالُوا ذَلِكَ بِبَرَكَةِ مُتَابَعَتِهِ، وَيُمْنِ سِفَارَتِهِ إِذْ فِيهَا حُجَّةٌ فِي الدِّينِ وَحَاجَةٌ أَكِيدَةٌ لِلْمُسْلِمِينَ، وَهِيَ مُشَابِهَةٌ لِمُعْجِزَةِ نُوحٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي مَسِيرِهِ فَوْقَ الْمَاءِ بِالسَّفِينَةِ الَّتِي أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِعَمَلِهَا، وَمُعْجِزَةِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي فَلْقِ الْبَحْرِ، وَهَذِهِ فِيهَا مَا هُوَ أَعْجَبُ مِنْ ذَلِكَ، مِنْ جِهَةِ مَسِيرِهِمْ عَلَى مَتْنِ الْمَاءِ مِنْ غَيْرِ حَائِلٍ حَامِلٍ، وَمِنْ جِهَةِ أَنَّهُ مَاءٌ جَارٍ وَالسَّيْرُ عَلَيْهِ أَعْجَبُ مِنَ السَّيْرِ عَلَى الْمَاءِ الْقَارِّ الَّذِي يُجَازُ، وَإِنْ كَانَ مَاءُ الطُّوفَانِ أَطَمَّ وَأَعْظَمَ، فَهَذِهِ خَارِقٌ، وَالْخَارِقُ لَا فَرْقَ بَيْنَ قَلِيلِهِ وَكَثِيرِهِ، فَإِنَّ مَنْ سَلَكَ عَلَى وَجْهِ الْمَاءِ الْخِضَمِّ الْجَارِي الْعَجَاجِ، فَلَمْ يَبْتَلَّ مِنْهُ نِعَالُ خُيُولِهِمْ، أَوْ لَمْ يَصِلْ إِلَى بُطُونِهَا، فَلَا فَرْقَ فِي الْخَارِقِ بَيْنَ أَنْ يَكُونَ قَامَةً أَوْ أَلْفَ قَامَةٍ، أَوْ أَنْ يَكُونَ نَهْرًا أَوْ بَحْرًا، بَلْ كَوْنُهُ نَهْرًا عَجَاجًا كَالْبَرْقِ الْخَاطِفِ وَالسَّيْلِ الْجَارِفِ أَعْظَمُ وَأَغْرَبُ، وَكَذَلِكَ بِالنِّسْبَةِ إِلَى فَرْقِ الْبَحْرِ، وَهُوَ جَانِبُ بَحْرِ الْقُلْزُمِ، حَتَّى صَارَ كُلُّ فِرْقٍ كَالطَّوْدِ الْعَظِيمِ، أَيِ الْجَبَلِ الْكَبِيرِ، فَانْحَازَ الْمَاءُ يَمِينًا وَشِمَالًا حَتَّى بَدَتْ أَرْضُ الْبَحْرِ،
পৃষ্ঠা - ৫১৪৮

উল্লেখ করার উদ্দেশ্য এই যে, তারা ছিলেন আউলিয়া; একজন সাহাবী ও দুজন তাবিঈ ৷
এদের অবস্থা যখন এই, তাহলে রাসুল করীম (সা) যখন এরুপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন
তখন তার অবস্থাট৷ কি হতে পারে? যিনি সমস্ত নবীদের নেতা, সর্বশেষ নবী, মি’রাব্বজ্যা রাত্রে
যিনি ছিলেন নবীগণের ইমাম ও সম্মানার্দু ৷ কিয়ামত দিবসের একমাত্র খভীব, জান্নাতে সর্বোচ্চ
মর্যাদার অধিকারী, হাশরের ময়দানে প্রথম শাফাআতকারী, জাহান্নড়াম থেকে রক্ষা পেয়ে
সর্বাগ্রে জান্নাতে প্রবেশকারী ৷ কিতাবের শেবাংশে কিয়মতের বর্ণনায় আমরা এ সম্পর্কে বিশদ
আলোচনা করেছি ৷ রাসুল করীম (সা)এর নবুওত প্রমাণকারী মুজিযা ও মর্যাদা বৃদ্ধিকারী
মু জিযার বিবরণ আমরা পরে দেব ৷ এখানে আমরা নুহ (আ) এর মু ’জিযা সম্পর্কে আলোচনা
করছি ৷ আমার শায়খের আলোচনা এ পর্যতই শেষ ৷ অন্যরা আরও বিভিন্ন দিক নিয়ে এ বিষয়ে
আলোচনা করেছেন ৷ ণ্

হাফিয আবু নুআয়ম ইস্পাহানী দালাইলুন নবুওত গ্রন্থের (বা তিন খন্ডে সমাপ্ত) ৩৩ তম
পরিচ্ছেদে অন্যান্য নবীদের ফযীলত ও নিদর্শনের সাথে শেষ নবীর ফযীলত ও নিদর্শনের
তুলনামুলক আলোচনা করেছেন ৷ কেননা অন্যান্য নবীগণহ্রক যা কিছু দেয়৷ হয়েছে তার অনুরুপ
জিনিস শেষ নবীকে দেয়া হয়েছে ৷ প্রথম নবী হযরত নুহ (আ) তাকে প্রদত্ত নিদর্শন হল, যারা
তাকে অস্বীকার করেজ্জি, তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর শাস্তির প্রার্থনা মঞ্জুর ও তার ণ্ক্রাধ প্রশমন ৷
সুতরাং যারা তার উপর ঈমান এনে নৌকায় আরোহণ করেছিলেন তারা ব্যতীত ভু-পৃষ্ঠের
উপরের সমস্ত মানুষ ডুবে মারা যায় ৷ নিঃসন্দেহে এটা এক বিরাট নিদর্শন যে সম্পর্কে আল্লাহ
তাকে পুর্বাহ্নে অবহিত করেছিলেন ৷ অনুরুপ শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) ণ্ক তার সম্প্রদায়
যখন প্ৰত্যাখান করে এবং কঠোর নির্যাতন করে, এমন কি সিজদারত অবস্থায় উক্বা ইবন
আবি র্মু আইত তার পািঠর উপর উটের নাড়িভুড়ি নিক্ষেপ করে, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রার্থনা
করেন, হে আল্লাহ কুরায়শ নেতাদের শান্তির তার আপনার উপর ছেড়ে দিলাম ৷ ইবন মাসউদ
(বা) থেকে বুখারীতে এ হাদীস বর্ণিত ৩হয়েছে, যেমনটি পুর্বেও উল্লেখিত হয়েছে ৷ কা বা ঘরের
নিকটেই-এ ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ কুরায়র্শগণ এ কাগু১ দেখে হেসে ফেটে পড়ে এবং একে
অন্যের উপর গড়িয়ে পড়ে ৷ হযরত ফাতিমা (রা)-এ দৃশ্য দেখে দ্রুত এসে পিঠের উপর থেকে
তা সরিয়ে ফেলেন এবং কুরায়শদেরকে গালমন্দ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সালাম ফিরিয়ে দৃই-
হাত তুলে পুজা করেন ও বলেন, হে আল্লাহ! কুরায়শ সর্দারদের শাস্তির তার আপনার উপর
ছেড়ে দিলাম ৷ তারপর তিনি এক এক জনের নাম উল্লেখ করে বলেন, হে আল্লাহ আবুজাহ্ল,
উতবা, শায়বা, ওলীদ ইবন উমায়্যা ইবন খালফ, উক্বা ইবন আবী মুআইত ও উমারা ইবন
ওলীদের বিচার আপনি করুন ৷ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) বলেন, সেই আল্লাহর কলম,
যিনি মুহাম্মদ (সা) ণ্ক সত্য নবীরুপে প্রেরণ করেছেন, ঐ সব কাফিরকে আমি বদর প্রান্তরে
মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছি ৷ পরে তাদেরাক (বদর প্রান্তরে অবস্থিত পুতিগন্ধময় প্রাচীন
কুয়োতে) নিক্ষেপ করা হয় ৷

এভাবে কুরায়শ বাহিনী যখন বিপুল সং খ্যায় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে বদর প্রাম্ভরে উপনীত হয়,
তখন নবী করীম (না) হাত উঠিয়ে বলেন, হে আল্লাহ ৷ এই কুরায়শগণ দান্তিকতার সাথে
আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছে, আপনার রাসুলের বিরোধিতা করে ও তাকে মিথ্যাবাদী
ঠাওরিয়ে ৷ হে আল্লাহ! আপনি ওদেরকে আগামীকাল পাকড়াও করুন ! এ যুদ্ধে তাদের,


وَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهَا الرِّيحَ حَتَّى أَيْبَسَتْهَا، وَمَشَتِ الْخُيُولُ عَلَيْهَا بِلَا انْزِعَاجٍ، حَتَّى جَاوَزُوا، عَنْ آخِرِهِمْ وَأَقْبَلَ فِرْعَوْنُ بِجُنُودِهِ، فَغَشِيَهُمْ مِنَ الْيَمِّ مَا غَشِيَهُمْ، وَأَضَلَّ فِرْعَوْنُ قَوْمَهُ وَمَا هَدَى، وَذَلِكَ أَنَّهُمْ لَمَّا تَوَسَّطُوهُ وَهَمَّ أَوَّلُهُمْ بِالْخُرُوجِ مِنْهُ أَمَرَ اللَّهُ الْبَحْرَ، فَارْتَطَمَ عَلَيْهِمْ فَغَرِقُوا عَنْ آخِرِهِمْ، فَلَمْ يُفْلِتْ مِنْهُمْ أَحَدٌ كَمَا لَمْ يُفْقَدْ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَاحِدٌ، فَفِي ذَلِكَ آيَةٌ عَظِيمَةٌ بَلْ آيَاتٌ مُتَعَدِّدَاتٌ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ مَا ذَكَرْنَاهُ مِنْ قِصَّةِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ وَأَبِي عُبَيْدٍ الثَّقَفِيِّ، وَأَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ، مِنْ مَسِيرِهِمْ عَلَى تَيَّارِ الْمَاءِ الْجَارِي، فَلَمْ يُفْقَدْ مِنْهُمْ أَحَدٌ، وَلَمْ يَفْقِدُوا شَيْئًا مِنْ أَمْتِعَتِهِمْ، هَذَا وَهُمْ أَوْلِيَاءُ، مِنْهُمْ صَحَابِيٌّ وَتَابِعِيَّانِ، فَمَا الظَّنُّ أَنْ لَوِ احْتِيجَ إِلَى ذَلِكَ بِحَضْرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ ! سَيِّدِ الْأَنْبِيَاءِ وَخَاتَمِهِمْ، وَأَعْلَاهُمْ مَنْزِلَةً لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ، وَإِمَامِهِمْ لَيْلَتَئِذٍ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ الَّذِي هُوَ مَحَلُّ وِلَايَتِهِمْ، وَدَارُ بِدَايَتِهِمْ، وَخَطِيبِهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَعْلَاهُمْ مَنْزِلَةً فِي الْجَنَّةِ، وَأَوَّلِ شَافِعٍ فِي الْمَحْشَرِ، وَفِي الْخُرُوجِ مِنَ النَّارِ، وَفِي دُخُولِهِ الْجَنَّةَ، وَفِي رَفْعِ الدَّرَجَاتِ بِهَا، كَمَا بَسَطْنَا أَقْسَامَ الشَّفَاعَةِ وَأَنْوَاعَهَا فِي آخِرِ الْكِتَابِ فِي أَهْوَالِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. وَسَنَذْكُرُ فِي الْمُعْجِزَاتِ الْمُوسَوِيَّةِ مَا وَرَدَ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৫১৪৯

নেতৃস্থানীয় সত্তর জন নিহত হয় ও সত্তর জন বন্দী হয় ৷ যদি আল্লাহ সেদিন ইংচ্ছ করতেন
তাহলে তাদেরকে সম্পুর্ণরুপে ধ্বং স করে দিতেন ৷ কিন্তু তিনি তার অসীম ধৈর্য ও নবীর
খাতিরে তাদেরকে বাচিয়ে রাখেন, যারা পরবতীকািলে ইসলাম গ্রহণ করবে বলে আল্লাহর জানা
জ্জি ৷

একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু লাহাবের পুত্র উতবার প্রতি বদ দুআ দিয়ে বলেছিলেন, হে
আল্লাহ ৷ আপনি তার উপর সিরিয়ার একটা কুকুর ণ্ললিয়ে দিন! (তখন সে ব্যবসার উদ্দেশ্যে
সিরিয়া গিয়েছিল) ৷ বসুরা শহরের নিকট যারকা উপত্যকায় একটি সিংহের কবলে পড়ে সে
মারা যায় ৷ এরুপ ঘটনার আরও বহু দৃষ্টান্ত আছে ৷ যেমন হযরত ইউসুফ (আ),-এর সময় সাত
বছর যাবত ফসলহানি ঘটায় চরম দুর্তিক্ষ নেমে আসে ৷ লোক রক্ত, হাড় ও অন্যান্য অখাদ্য
ভক্ষণ করতে বাধ্য হয় ৷ অবশেষে তারা ইউসুফ (আ) এর অনুগ্রহ কামনা করে তিনি আল্লাহর
নিকট দু আ করলে বৃষ্টি হয় ও দুর্ভিক্ষ কেটে যায় ৷ ন্ ,

ফকীহ আবু মুহাম্মদ তার দালইিলুন নবুওয়ত গ্রন্থে নুহ (আ) কে প্রদত্ত ফযীলতের বর্ণনা
দিয়ে রাসুল করীম (সা) কে প্রদত্ত ফযীলত বর্ণনা করেছেন ৷ তার দ্বা রা রাসুল (সা)ষ্এর গ্রেষ্ঠতু
ও গৌরব প্রমাণিত হয় ৷ নুহ (আ) আপনজাতির নিকট যে বিধান নিয়ে এসেছিলেন তা যখন
তারা প্রত্যাখ্যান করল এবং নবীর প্রতি উপহাস বিরুপ ও নির্যাতন বৃদ্ধি পেল, তখন তিনি তার

স্বজাতির প্রতি বদ্ দু আ করে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলেনং , , ১৷ ৷ ষ্া; ,াট্রু ১৷ শুঠু
)@ এ,ণ্াধু৷ ৷ ছু ,ন্“হে আমার প্রদিপালক ৷ পৃথিবীতে কাফিরদের মধ্য হতে কোন

গৃহবাসীকে অব্যাহতি দিওনা” ৷ আল্লাহ তার দু আ কবুল করলেন, তার জাতিকে পানিতে
ডুবিয়ে মারলেন, এমনকি নৌকায় যেসব প্রাণীকে নেয়া হয়েছিল সেগুলো ব্যতীত আর কোন
প্রাণীই বেচে থাকেনি ৷ এটা হযরত নুহ (আ)-এৱ একটি ফযীলত ৷ কারণ তার দুআ কবুল
হয়েছে এবং নিজ জাতি ধ্বংস হওয়ায় তার হৃদয় শান্তি পেয়েছে ৷ অপর দিকে রাসুলুল্লাহ
(সা)-কেও অনুরুপ ফযীলত দান করা হয়েছে ৷ কুরায়শরা যখন তাকে অমান্য করল এবং
উপহাস ও বিরুপ করতে লাগল, আল্লাহ তখন পাহাড়ের দায়িত্বশীল ফেরেশতাকে এই বলে
প্রেরণ করেন যে, আমার প্রিয় নবী তার জাতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ণ্নয়ায় জন্য তোমাকে যে
নির্দেশ দেন, যে নির্দেশ তুমি পালন করবে ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার স্বজাতির
অত্যাচার নির্যাতনের মুকাবিলায় ধৈর্যঅবলম্বনের পথ বেছে নেন এবং তাদের জন্য হিদায়াতের
দু আ করেন ৷ নিঃসন্দেহে রাসুলের এ ভুমিকইি উত্তম ৷

ইতিপুর্বে তায়েফের ঘটনা সম্পর্কে আইশা (রা) এর হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তিনি
তায়েফ গিয়ে তায়েফ বাসীদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেন ৷ তারা দাওয়াত তাে গ্রহণ ক্যালই
না, বরং তাকে নির্যাতন করে ৷ তিনি ফিরে আসেন ও চিন্তামগ্ন হন ৷ যখন কারনুছ ছাআলিবের
নিকটে পৌছাল তখন পাহাড়ের দায়িত্বশীল ফেরেশত৷ ডেকে বললেন, হে মুহাম্মদ! আপনার
জাতি আপনার সাথে যে ব্যবহার করেছে ও যে উত্তর দিয়েছে তা আপনার রব শুনেছেন ৷ তিনি
আপনার নিকট আমাকে পাঠিয়েছেন ৷ যে নির্দেশ আপনি দেবেন, তা আমি পালন করব ৷ যদি
আপনি চান তাহলে মক্কার উত্তর ও দক্ষিণের পাহাড়দ্বয়-অর্থাৎ জাবালে আবুকুবায়স ও যর্ চাপা
দিয়ে তাদেরকে পিষে ফেলি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না, বরং আমি অপেক্ষা করব, হয়ত
তাদের বং৷ শে এমন লোক জন্ম নেবে, যারা শিবৃক করবে না ৷


الْمُعْجِزَاتِ الْمُحَمَّدِيَّةِ مَا هُوَ أَظْهَرُ وَأَبْهَرُ مِنْهَا، وَنَحْنُ الْآنُ فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِمُعْجِزَاتِ نُوحٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَلَمْ يَذْكُرْ شَيْخُنَا سِوَى مَا تَقَدَّمَ. وَأَمَّا الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَصْبَهَانِيُّ فَإِنَّهُ قَالَ فِي آخِرِ كِتَابِهِ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " وَهُوَ فِي مُجَلَّدَاتٍ ثَلَاثٍ: الْفَصْلُ الثَّالِثُ وَالثَّلَاثُونَ فِي ذِكْرِ مُوَازَاةِ الْأَنْبِيَاءِ فِي فَضَائِلِهِمْ بِفَضَائِلِ نَبِيِّنَا، وَمُقَابَلَةِ مَا أُوتُوا مِنَ الْآيَاتِ بِمَا أُوتِيَ. إِذْ أُوتِيَ مَا أُوتُوا وَشِبْهَهُ وَنَظِيرَهُ، فَكَانَ أَوَّلَ الرُّسُلِ نُوحٌ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَآيَتُهُ الَّتِي أُوتِيَ شِفَاءُ غَيْظِهِ، وَإِجَابَةُ دَعْوَتِهِ فِي تَعْجِيلِ نِقْمَةِ اللَّهِ لِمُكَذِّبِيهِ، حَتَّى هَلَكَ مَنْ عَلَى بَسِيطِ الْأَرْضِ مِنْ صَامِتٍ وَنَاطِقٍ، إِلَّا مَنْ آمَنَ بِهِ وَدَخَلَ مَعَهُ سَفِينَتَهُ، وَلَعَمْرِي إِنَّهَا آيَةٌ جَلِيلَةٌ وَافَقَتْ سَابِقَ قَدَرِ اللَّهِ، وَمَا قَدْ عَلِمَهُ فِي إِهْلَاكِهِمْ، وَكَذَلِكَ نَبِيُّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا كَذَّبَهُ قَوْمُهُ وَبَالَغُوا فِي أَذِيَّتِهِ، وَالِاسْتِهَانَةِ بِمَنْزِلَتِهِ مِنَ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، حَتَّى «أَلْقَى الشَّقِيُّ عُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ سَلَا الْجَزُورِ عَلَى ظَهْرِهِ وَهُوَ سَاجِدٌ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِالْمَلَأِ مِنْ قُرَيْشٍ» . ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، كَمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " وَغَيْرِهِ فِي وَضْعِ الْمَلَأِ مِنْ قُرَيْشٍ عَلَى ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ سَاجِدٌ عِنْدَ الْكَعْبَةِ سَلَا تِلْكَ الْجَزُورِ، وَاسْتِضْحَاكِهِمْ مِنْ ذَلِكَ، حَتَّى جَعَلَ بَعْضُهُمْ يَمِيلُ عَلَى بَعْضٍ مِنْ شِدَّةِ الضَّحِكِ، وَلَمْ يَزَلْ عَلَى ظَهْرِهِ حَتَّى جَاءَتْ فَاطِمَةُ ابْنَتُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَطَرَحَتْهُ عَنْ ظَهْرِهِ،
পৃষ্ঠা - ৫১৫০
ثُمَّ أَقْبَلَتْ عَلَيْهِمْ فَسَبَّتْهُمْ، فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صَلَاتِهِ رَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ: " «اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِالْمَلَأِ مِنْ قُرَيْشٍ» ". ثُمَّ سَمَّى فَقَالَ: " «اللَّهُمَّ عَلَيْكَ» بِأَبِي جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ، وَعُتْبَةَ، وَشَيْبَةَ، وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ، وَأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ، وَعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، وَعُمَارَةَ بْنِ الْوَلِيدِ ". قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ فَوَالَّذِي بَعَثَهُ بِالْحَقِّ لَقَدْ رَأَيْتُهُمْ صَرْعَى يَوْمَ بَدْرٍ، ثُمَّ سُحِبُوا إِلَى الْقَلِيبِ، قَلِيبِ بَدْرٍ وَكَذَلِكَ لَمَّا أَقْبَلَتْ قُرَيْشٌ يَوْمَ بَدْرٍ فِي حَدِّهَا وَحَدِيدِهَا، فَحِينَ عَايَنَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رَافِعًا يَدَيْهِ: «اللَّهُمَّ هَذِهِ قُرَيْشٌ جَاءَتْكَ بِفَخْرِهَا وَخُيَلَائِهَا، تُحَادُّكَ وَتُكَذِّبُ رَسُولَكَ، اللَّهُمَّ أَحِنْهُمُ الْغَدَاةَ» . فَقُتِلَ مِنْ سَرَاتِهِمْ سَبْعُونَ، وَأُسِرَ مِنْ أَشْرَافِهِمْ سَبْعُونَ، وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَاسْتَأْصَلَهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ، وَلَكِنْ مِنْ حِلْمِهِ وَشَرَفِ نَبِيِّهِ أَبْقَى مِنْهُمْ مَنْ سَبَقَ فِي قَدَرِهِ أَنْ سَيُؤْمِنُ بِهِ وَبِرَسُولِهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَقَدْ دَعَا عَلَى عُتْبَةَ بْنِ أَبِي لَهَبٍ أَنْ يُسَلِّطَ عَلَيْهِ كَلْبَهُ بِالشَّامِ، فَقَتَلَهُ الْأَسَدُ عِنْدَ وَادِي الزَّرْقَاءِ قِبَلَ مَدِينَةِ بُصْرَى. وَكَمْ لَهُ مِنْ مِثْلِهَا وَنَظِيرِهَا مَا سَلَفَ ذِكْرُنَا لَهُ وَمَا لَمْ نَذْكُرْهُ، وَكَذَلِكَ دَعَا عَلَى قُرَيْشٍ بِسَبْعٍ كَسَبْعِ يُوسُفَ فَقُحِطُوا حَتَّى أَكَلُوا الْعِلْهِزَ، وَهُوَ الدَّمُ بِالْوَبَرِ، وَأَكَلُوا الْعِظَامَ وَكُلَّ شَيْءٍ، ثُمَّ تَوَسَّلُوا إِلَى مَرَاحِمِهِ وَشَفَقَتِهِ وَرَأْفَتِهِ، فَدَعَا لَهُمْ، فَفَرَّجَ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫১৫১

হযরত নুহ (আ) এর নিম্নলিখিত দৃআর মুকাবিলায় হাফিয আবু নু অড়ায়ম ইসতিসৃকার
হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহর নিকট দৃ আর নুহ (আ) বলেছিলেনং


(তখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, আমি তো অসহায়, অতএব, তুমি
প্রতিবিধান কর ৷ ফলে আমি উন্মুক্ত করে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারি বর্যণে ৷ এবং যমীন
থেকে উৎসারিত করলাম প্রস্রবণ; অতঃপর সকল পানি মিলিত হল এক পরিকল্পনা অনুসারে) ৷
ইসতিসকার হাদীস হযরত আনাস প্রমুখ থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ জনৈক বেদুইন রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট এসে তাদের দারিদ্র ও বৃষ্টিহীনতার অভিযোগ জানিয়ে দৃআর আবেদন
জানায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দু’হাত উপরে ভুলে দৃআ করলেন : হে আল্পাহ্, আমাদের জন্য বৃষ্টি
’ বর্ষণ করুন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃআ শেষে মিম্বর থেকে অবতরণ করার পুর্বেই তার দাড়ি
মুবারকের উপর বৃষ্টির ফৌটা পড়া আরম্ভ হয়ে যায় ৷ উপস্থিত সাহাবীগণ সকলেই তা প্রত্যক্ষ
করেন ৷ একদা চাচা আবুতালিব রাসুলের প্রসঙ্গে কবিতার মাধ্যমে যে উক্তি করেছিলেন, আজ
তা বাস্তব হয়ে দেখা দিল ৷ আবু তালিরের কবিতা এই :


(অর্থ : যে এমন দীপ্তিময় চেহারার অধিকারী যে, তার চেহারার সৌজান্য বৃষ্টি কামনা
করা যেতে পারে ৷ ইয়াতীমদের তিনি আশ্রয় ও বিধবাদের জন্য নির্ভরস্থল ৷ হাশিম গোত্র তার
বদৌলতে শরণ মাগে, তারই বদৌলতে তারা অনুগ্রহ ও মর্যাদার অধিকারী হয়েছে) ৷

অনুরুপভাবে এমন স্থানেও তিনি বৃষ্টি কামনা করেছেন, যে স্থানে না দুর্ভিক্ষ ছিল, না খরা
ছিল ৷ বরং কেবল সাময়িকভাবে পানির সংকট হয়েছে ৷ সেখানে ঠিক যে পরিমাণ দরকার যে
পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছেকমও নয়, বেশিও নয় ৷ এ অবস্থাটি অধিক সুক্ষ্ণ মুজিযা ৷ তা ছাড়া এ
পানি রহমত ও নিয়ামতের পানি ৷ পক্ষাম্ভরে নুহ (আ)-এর প্লাবনের পানি গযব ও শাস্তির পানি
ছিল ৷ কেবলরাসুলুল্লাহ্ (না)-ই নয় বরং হযরত উমর (রা) নবী করীম (না)-এর চাচা হযরত
আব্বাস (রা)-এর ররকতে বৃষ্টি কামনা করলে বৃষ্টি বর্ধিত হয়েছে ৷ তা ছাড়া যুগে যুগে ও দেশে
দেশে মুসলমানগণ বৃষ্টির জন্য ইসতিসৃকার নামায ও দৃআ করলে বৃষ্টি রর্ষিত হওয়ার বহু ঘটনা
বিদ্যমান আছে ৷ অমুসলিমরা এরুপ করলে তা কবুল হয় না এবং বৃষ্টিও বর্ধিত হয় না ৷

আবু নু অড়ায়ম বলেন, নুহ (আ) সাড়ে নয় শ’ বছর জীবিত ছিলেন ৷ এ দীর্ঘ সময়ে যারা
তার উপর ঈমান এসেছিলেন এবং নৌকায় আরোহণ করেছিলেন তাদের সংখ্যা নারী পুরুয
মিলিয়ে একশ’ও পুর্ণ হয়নি ৷ পক্ষাম্ভরে মাত্র বিশ বছর সময়কালে আমাদের নবীর উপর পুর্ব ও
পশ্চিমের প্রচুর লোক ঈমান আসে ৷ বিশ্বের পরাক্রমশালী রজো-বাদশাহগণ তার সম্মুখে নতি
স্বীকার করেন এবং নিজেদের রাজ্য হারাবার ভয়ে শংকিত থাকেন ৷ যেমন কায়সার ও কিসরা,
নাজাশী ইসলাম গ্রহণ করেন ও ইসলামের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করেন ৷ বাকি যারা ঈমান


عَنْهُمْ وَسُقُوُا الْغَيْثَ بِبَرَكَةِ دُعَائِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ الْفَقِيهُ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَامِدٍ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " وَهُوَ كِتَابٌ حَافِلٌ: ذِكْرُ مَا أُوتِيَ نُوحٌ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنَ الْفَضَائِلِ، وَبَيَانُ مَا أُوتِيَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا يُضَاهِي فَضَائِلَهُ وَيَزِيدُ عَلَيْهَا. قَالُوا: إِنَّ قَوْمَ نُوحٍ لَمَّا بَلَغُوا مِنْ أَذِيَّتِهِ وَالِاسْتِخْفَافِ بِهِ، وَتَرْكِ الْإِيمَانِ بِمَا جَاءَهُمْ بِهِ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ دَعَا عَلَيْهِمْ فَقَالَ: {" رَبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا "} [نوح: 26] . فَاسْتَجَابَ اللَّهُ دَعَوْتَهُ، وَغَرَّقَ قَوْمَهُ، حَتَّى لَمَّ يَسْلَمْ شَيْءٌ مِنَ الْحَيَوَانَاتِ وَالدَّوَابِّ إِلَّا مَنْ رَكِبَ السَّفِينَةَ، فَكَانَ ذَلِكَ فَضِيلَةً أُوتِيَهَا، إِذْ أُجِيبَتْ دَعْوَتُهُ، وَشُفِيَ صَدْرُهُ بِإِهْلَاكِ قَوْمِهِ. قُلْنَا: وَقَدْ أُوتِيَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ حِينَ نَالَهُ مِنْ قُرَيْشٍ مَا نَالَهُ مِنَ التَّكْذِيبِ وَالِاسْتِخْفَافِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْهِ مَلِكَ الْجِبَالِ وَأَمَرَهُ بِطَاعَتِهِ فِيمَا يَأْمُرُهُ بِهِ مِنْ إِهْلَاكِ قَوْمِهِ، فَاخْتَارَ الصَّبْرَ عَلَى أَذِيَّتِهِمْ، وَالِابْتِهَالَ فِي الدُّعَاءِ لَهُمْ بِالْهِدَايَةِ. قُلْتُ: وَهَذَا حَسَنٌ، وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِذَلِكَ عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قِصَّةِ ذَهَابِهِ إِلَى الطَّائِفِ، فَدَعَاهُمْ فَآذَوْهُ، فَرَجَعَ وَهُوَ مَهْمُومٌ، فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ قَرْنِ الثَّعَالِبِ نَادَاهُ مَلَكُ الْجِبَالِ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ رَبَّكَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ، وَقَدْ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ لِأَفْعَلَ مَا تَأْمُرُنِي بِهِ، فَإِنْ شِئْتَ أَطْبَقْتُ عَلَيْهِمُ الْأَخْشَبَيْنِ. يَعْنِي جَبَلَيْ مَكَّةَ اللَّذَيْنِ يَكْتَنِفَانِهَا جَنُوبًا وَشَامًا، وَهُمَا أَبُو قُبَيْسٍ وَزُرْزُرٌ، فَقَالَ " «بَلْ أَسْتَأْنِي بِهِمْ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُخْرِجَ مِنْ أَصْلَابِهِمْ مَنْ لَا يُشْرِكُ
পৃষ্ঠা - ৫১৫২

আনেনি তারা জিঘৃয়৷ কর দিয়ে আত্মরক্ষা করে ও বশ্যত৷ স্বীকার করে, যেমন নাজরান, হাজার,
আয়লা ও দুমার অধিবাসীগণ ৷ রাসুলের ব্যক্তিত্বের প্রভাব এক মাসের দৃরতু পর্যন্ত অনুভুত হত ৷
এটা আল্লাহ্রই সাহায্য ৷ বহু এলাকা ও দেশ তিনি এ স্বল্প সময়ে জয় করতে সমর্থ হন ৷ দলে
দলে লোক আল্লাহর দীনে প্রবেশ করে ৷ যেমন আল্লাহ বলেন :
া১া
“যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দীনে
প্রবেশ করতে দেখবে (১ ১ : ১-৩) ৷
মােটকথা, রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর ইনতিকাল পর্যন্ত মদীনা, খায়বর, মক্কা ও হাদ্রামাওত
এবং ইয়ামানের অধিকাংশ এলাকা বিজিত হয় ৷ ওফাতের সময় তিনি এক লাখ বা ততোধিক
সাহাব৷ রেখে যান ৷ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি বিশ্বের রাজন্যবর্ণের নিকট আল্লাহ্র দীন
কবুল করার আমন্ত্রণ জানিয়ে পত্র দেন ৷ কেউ যে পত্রের অনুকুলে সাড়া দেয়, কেউ প্রতারণা ও
ধোকার আশ্রয় নেয়, আর ণ্কউব৷ তা’ প্রত্যাখ্যান করে লাঞ্ছিত হয় ৷ যেমন কিসরা ইবন হুরমুয
গর্ব ও অহংকার ভরে দীনের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলে তার রাজ্য ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে ৷ তারপর
রাসুলের খলীফাগণ অর্থাৎ হযরত আবু বকর, উমর, উছমান ও আলী (রা) পর্যায়ক্রমে গোটা
দেশ তথা পুর্ব ও পশ্চিম সাগরের মধ্যবর্তী সমস্ত অঞ্চল দখল করে নেন ৷ এক হাদীসে নবী
করীম (সা) বলেছেন : আমাকে স্বপ্নযােগে ভু-মন্ডল দেখান হয় ৷ পুর্ব ও পশ্চিমের সমস্ত এলাকা
আমি দেখতে পাই ৷ যে পরিমাণ স্থান আমাকে দেখান হয়েছে যে পর্যন্ত আমার উম্মতের
রাজ্যসীমা অচিরেই পৌছে যাবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরও বলেছেনঃ কায়সারের পতন হলে আর
কখনও এরুপ কায়সারের উত্থান হবে না এবং কিসরা ধ্বংস হলে আর কোন দিন এরুপ
কিসৃরার অস্তিত্ব ফিরে আসবে না ৷ যে সত্তার হাতে আমার জীবন, তার কন্যা, এমন সময়
আসবে, যখন ঐ দুই রাজ্যের সঞ্চিত ধন-রত্ন তোমরা আল্লাহর পথে বিলিয়ে দেবে :



বাস্তবে তাই অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হয়েছে ৷ কনক্টান্টিনােপল ব্যতীত কায়সারের
সমগ্র অঞ্চল, কিসৃরার সমস্ত রাজ্য, পুর্বাঞ্চলের দেশসমুহ এবং মরক্কোর শেষ সীমা পর্যন্ত
মুসলমানদের কর্তৃতু প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ এবং তা হয় হযরত উসমানের শাহাদত কাল অর্থাৎ ছত্রিশ
হিজরী সনের মধেইি ৷

নুহ (আ) মানুষকে দা ওয়াত দেন ৷ কিন্ত তারা কুফর, পাপাচার ও ভ্রষ্ট পথে দৃঢ় থাকে ৷
নবী তার দীন, রিসালাত ও আল্লাহ্র মর্যাদার জন্য তাদের প্রতি বদ-দু অ৷ করেন ৷ আল্লাহ্ তার
দুআ কবুল করেন ৷ তার ক্রোধেৱ জন্য তিনিও ক্রোধানিত হন এবং তারই কারণে শাস্তির
ব্যবস্থা করেন ৷ ফলে তার দাওয়াতের পরিণতি স্বরুপ সমগ্র বিশ্ববাসীর উপর শাস্তি নেমে আসে ৷
পক্ষান্তরে মুহাম্মদ (সা)এর দাওয়াত ও রিসালাতের ফল স্বরুপ সমগ্র বিশ্ববাসীর উপর রহমত,
বরকত ও শ্া৷ন্তি অবতীর্ণ হয় ৷ যারা ঈমান গ্রহণ করেন তারা নিরাপত্তা লাভ করেন এবং যারা
কুফর অবলম্বন করে তারা অপরাধী সাব্যস্ত হয় ৷


بِاللَّهِ شَيْئًا» ". وَقَدْ ذَكَرَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي مُقَابَلَةِ قَوْلِهِ تَعَالَى: {" فَدَعَا رَبَّهُ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانْتَصِرْ فَفَتَحْنَا أَبْوَابَ السَّمَاءِ بِمَاءٍ مُنْهَمِرٍ وَفَجَّرْنَا الْأَرْضَ عُيُونًا فَالْتَقَى الْمَاءُ عَلَى أَمْرٍ قَدْ قُدِرَ} [القمر: 10] " [الْقَمَرِ: 10 - 12] . أَحَادِيثَ الِاسْتِسْقَاءِ، عَنْ أَنَسٍ وَغَيْرِهِ، كَمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لِذَلِكَ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ قَرِيبًا أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَهُ ذَلِكَ الْأَعْرَابِيُّ أَنْ يَدْعُوَ اللَّهَ لَهُمْ ; لِمَا بِهِمْ مِنَ الْجَدْبِ وَالْجُوعِ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ: " «اللَّهُمَّ اسْقِنَا، اللَّهُمَّ اسْقِنَا» ". فَمَا نَزَلَ عَنِ الْمِنْبَرِ حَتَّى رُئِيَ الْمَطَرُ يَتَحَادَرُ عَلَى لِحْيَتِهِ الْكَرِيمَةِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، فَاسْتَحْضَرَ مَنِ اسْتَحْضَرَ مِنَ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، قَوْلَ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ فِيهِ: وَأَبْيَضَ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ... ثِمَالَ الْيَتَامَى عِصْمَةً لِلْأَرَامِلِ يَلُوذُ بِهِ الْهُلَّاكُ مِنْ آلِ هَاشِمٍ ... فُهُمْ عِنْدَهُ فِي نِعْمَةٍ وَفَوَاضِلِ وَكَذَلِكَ اسْتَسْقَى فِي غَيْرِ مَا مَوْضِعٍ لِلْجَدْبِ وَالْعَطَشِ، فَيُجَابُ كَمَا يُرِيدُ عَلَى قَدْرِ الْحَاجَةِ الْمَائِيَّةِ، لَا أَزْيَدَ وَلَا أَنْقَصَ وَهَذَا أَبْلَغُ فِي الْمُعْجِزَةِ، وَأَيْضًا فَإِنَّ هَذَا مَاءُ رَحْمَةٍ وَنِعْمَةٍ، وَمَاءُ الطُّوفَانِ مَاءُ غَضَبٍ وَنِقْمَةٍ، وَأَيْضًا فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَ يَسْتَسْقِي بِالْعَبَّاسِ عَمِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيُسْقَوْنَ، وَكَذَلِكَ مَا زَالَ الْمُسْلِمُونَ فِي غَالِبِ الْأَزْمَانِ وَالْبُلْدَانِ يَسْتَسْقُونَ فَيُجَابُونَ فَيُسْقَوْنَ، وَلَا يُخَيَّبُونَ غَالِبًا وَلَا يَشْقَوْنَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ৫১৫৩
قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: وَلَبِثَ نُوحٌ فِي قَوْمِهِ أَلْفَ سَنَةٍ إِلَّا خَمْسِينَ عَامًا، فَبَلَغَ جَمِيعُ مَنْ آمَنَ بِهِ رِجَالًا وَنِسَاءً، الَّذِينَ رَكِبُوا مَعَهُ سَفِينَتَهُ، دُونَ مِائَةِ نَفْسٍ، وَآمَنَ بِنَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مُدَّةِ عِشْرِينَ سَنَةً النَّاسُ شَرْقًا وَغَرْبًا، وَدَانَتْ لَهُ جَبَابِرَةُ الْأَرْضِ وَمُلُوكُهَا، وَخَافَتْ زَوَالَ مُلْكِهِمْ، كَكِسْرَى وَقَيْصَرَ، وَأَسْلَمَ النَّجَاشِيُّ وَالْأَقْيَالُ ; رَغْبَةً فِي دِينِ اللَّهِ، وَالْتَزَمَ مَنْ لَمْ يُؤْمِنْ بِهِ مِنْ عُظَمَاءِ الْأَرْضِ الْجِزْيَةَ وَالْإِتَاوَةَ عَنْ صَغَارٍ ; أَهْلُ نَجْرَانَ وَهَجَرُ، وَأَيْلَةُ وَأَكَيْدَرُ دُومَةَ، فَذَلُّوا لَهُ مُنْقَادِينَ ; لِمَا أَيَّدَهُ اللَّهُ بِهِ مِنَ الرُّعْبِ الَّذِي يَسِيرُ بَيْنَ يَدَيْهِ شَهْرًا، وَفَتَحَ الْفُتُوحَ، وَدَخَلَ النَّاسُ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا "} [النصر: 1] [النَّصْرِ: 1، 2] . قُلْتُ: مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ فَتَحَ اللَّهُ لَهُ الْمَدِينَةَ وَخَيْبَرَ وَمَكَّةَ وَأَكْثَرَ الْيَمَنِ وَحَضْرَمَوْتَ، وَتُوُفِّيَ عَنْ مِائَةِ أَلْفِ صَحَابِيٍّ أَوْ يَزِيدُونَ، وَقَدْ كَتَبَ فِي آخِرِ حَيَاتِهِ الْكَرِيمَةِ إِلَى سَائِرِ مُلُوكِ الْأَرْضِ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى، فَمِنْهُمْ مَنْ أَجَابَ وَمِنْهُمْ مَنْ تَوَقَّفَ، وَمِنْهُمْ مَنْ صَانَعَ وَدَارَى عَنْ نَفْسِهِ، وَمِنْهُمْ مَنْ تَكَبَّرَ فَخَابَ وَخَسِرَ، كَمَا فَعَلَ كِسْرَى بْنُ هُرْمُزَ حِينَ عَتَا وَبَغَى وَتَكَبَّرَ، فَمُزِّقَ مُلْكُهُ، وَتَفَرَّقَ جُنْدُهُ شَذَرَ مَذَرَ، ثُمَّ فَتَحَ خُلَفَاؤُهُ مِنْ بَعْدِهِ - أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرُ، ثُمَّ عُثْمَانُ التَّالِي عَلَى الْأَثَرِ - مَشَارِقَ الْأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا، مِنَ الْبَحْرِ
পৃষ্ঠা - ৫১৫৪

আল্লাহ্ বলেন “অর্থাৎ, আমি আপনাকে
বিশ্ববাসীর জন্য কেবল রহমত স্বরুপ প্রেরণ করেছি (২১ $ ১০৭) ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, ; ৷ারু দ্ব; , ৷ ৷ ৷;৷ (আমি শান্তি ও সু-পথ বৈ কিছু নই) ৷
ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি উক্ত আয়াত অর্থাৎ ¢;, ন্৷ ৷ গ্ৰা;া;,৷ ¢’,
ৰু;,ট্রু শ্রো এর ব্যাখ্যার বলেন ;; যে ব্যক্তি আল্লাহ্র প্রতি ও রাসুলের ওাতি ঈমান আসে যে
দুনিয়া ও আখিরাড়ে রহমতের অধিকারী হয়ে যায় ৷ আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও রাসুলের প্রতি

ঈমান আসে না, যে ব্যক্তি পুর্ব যুগের উম্মতের উপর পতিত হওয়া যে কোন একটি শাস্তির
যোগ্য এ দুনিয়াভ্রুআ হয়ে যায় ৷ আল্লাহ্র বাণী :

৷ ঢে৷ ৷ ,; ণ্পু ৷
“অর্থাৎ-তুমি কি ওদের প্রতি লক্ষ্য কর না যায়৷ আল্লাহর অনুগ্নহের বদলে অকৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করে এবং তারা তাদের সম্প্রদায়কে নামিয়ে আনে ধ্বংসের ক্ষেত্রে” ( ১৪ : ২৮) ৷
ইবন আব্বাস (রা) বলেন, আয়াতে উল্লেখিত ব্লু অর্থ মুহাম্মদ (না) এবং ;-,: fl ’,
৷ ,$ এ৷ ৷ ধ্ ৷ট্রু, এর অর্থ কুরায়শের কাফিরর৷ ৷ অর্থাৎ যারাই র্তাছুক অবিশ্বাস করবে,
যে কোন যুগেই হোক না কেন, তারাই এ আয়াতের আওতায় পড়বে ৷ যেমন অপর আয়াতে
আল্লাহ্ বলেছেনং : : ষ্ট্রু “অর্থাৎ-অন্যান্য দলের
যারাই একে অস্বীকার করে আগুনই তাদের প্রতিশ্রুত স্থান (১ ১ ১ ৭) ৷
আবু নুআয়ম লিখেছেন, যদি প্রশ্ন করা হয় যে, আল্লাহ্ হযরত নুহ (আ) কে তার

গুণবাচক নাম দ্বারা নাম রেখেহ্নো, যেমন তিনি বলেছেনং : ৷ ,স্£ ৷ণ্ ষ্া£ ৫ ৷ “সে তো
ছিল পরম কৃতজ্ঞ বান্দা (১ ৭ : ৩) ৷

তবে এর উত্তরে বলা যায় যে, মুহাম্মদ (সা) কে আ ল্লাহ্ তার দু’টি গুণবাচক নাম দ্বারা

নাম রেখেছেন যেমনং : ৰুট্রু ন্ক্ট্র ,দ্বু) ট্রু দ্ভুট্রুদ্বুা “মুমিনদের প্রতি তিনি দয়ার্দু ও পরম
দয়ালু ( ৯৪ ১২৮) ৷

আল্লাহ্ অন্যান্য নবীগণকে তাদের নাম ধরে আহ্বান করেছেন, যেমন হে নুহ্ (’:ং,’;;),
হে ইব্রাহীম (ন্পু ৷ৰু,র্দুরু৷ ৷ট্রু) , হে মুসা ( ৰু,’ ) , হে দউিদ (টু;ট্র ৷ ৷টু ) , হে ইয়াহ্ইয়৷ ( ৷টু
পক্ষান্তরে মুহাম্মদ (সা)শ্ণ্ক
আহ্বান করেছেন এভাবে যে, হে রাসুল (ট্রুার্টু এ ৷ ৷চুট্রুা£ ), হে নবী ( টু৷ ৷ ঢুট্রুৰুট্রুাৰু), হে
কমলিওয়ালা ৷ এগুলি নিঃসন্দেহে
সম্মানসুচক উপাধি ৷

মুশরিকগণ অন্যান্য নবীদেরকে পাগল, নির্বোধ ইত্যাদি কট্রুক্তি করলে তার উত্তর নবীগণ
নিজেদের পক্ষ থেকেই দিতেন ব্লুট্রুট্রুন্াটু
ষ্ এএে ৷ ;, ট্রু, টুৰু) দুেহ্রাট্রু “হে আমার সম্প্রদায়, আমি নির্বোধ নই, বরং আমি
সমগ্র জগতের প্ৰতিপালকের রাসুল (৭ আরাফ : ৬৭) ৷


الْغَرْبِيِّ إِلَى الْبَحْرِ الشَّرْقِيِّ، كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الْأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَسَيَبْلُغُ مُلْكُ أُمَّتِي مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا» . وَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُنْفَقَنَّ كُنُوزُهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» . وَكَذَلِكَ وَقَعَ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، فَقَدِ اسْتَوْسَقَتِ الْمَمَالِكُ الْإِسْلَامِيَّةُ عَلَى مُلْكِ قَيْصَرَ وَحَوَاصِلِهِ إِلَّا الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ وَجَمِيعِ مَمَالِكِ كِسْرَى وَبِلَادِ الْمَشْرِقِ، وَإِلَى أَقْصَى بِلَادِ الْمَغْرِبِ، إِلَى أَنْ قُتِلَ عُثْمَانُ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَبَّحَ قَاتِلِيهِ، فَكَمَا عَمَّتْ جَمِيعَ أَهْلِ الْأَرْضِ النِّقْمَةُ بِدَعْوَةِ نُوحٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا رَأَى مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنَ التَّمَادِي فِي الضَّلَالِ وَالْكُفْرِ وَالْفُجُورِ، فَدَعَا عَلَيْهِمْ ; غَضَبًا لِلَّهِ وَلِدِينِهِ وَرِسَالَتِهِ، فَاسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ، وَغَضِبَ لِغَضَبِهِ، وَانْتَقَمَ مِنْهُمْ بِسَبَبِهِ، كَذَلِكَ عَمَّتْ جَمِيعَ أَهْلِ الْأَرْضِ النِّعْمَةُ بِبَرَكَةِ رِسَالَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَعْوَتِهِ، فَآمَنَ مَنْ آمَنَ مِنَ النَّاسِ، وَقَامَتِ الْحُجَّةُ عَلَى مَنْ كَفَرَ مِنْهُمْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {" وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ "} [الأنبياء: 107] . وَكَمَا قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّمَا أَنَا رَحْمَةٌ مُهْدَاةٌ» ".
পৃষ্ঠা - ৫১৫৫

হযরত হুদ (আ)ও তার সম্প্রদায়কে ঠিক অনুরুপ উত্তর দিয়েছিলেন ৷ যিরআউন যখন

মুসা আমি তাে মনে
করি তুমি যাদুগ্নস্ত” ৷ তার উত্তরে মুসা (আ) বলেছিলেন





“তুমি অবশ্যই অবগত আছ যে, এই সমস্ত স্পষ্ট নিদর্শন আকশেমন্ডলী ও পৃথিবীর

প্ৰতিপালকই অবতীর্ণ করেছেন প্রত্যক্ষ প্রমাণ স্বরুপ ৷ হে ফির আউল! আমি তো দেখতে পাচ্ছি
তোমার ধ্বংস আসন্ন” (১৭ ইসরা০ ১০১, ১০২) ৷

পক্ষাতরে এ সব ক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ (সা) এর ণ্বলায় আল্পাহ্ নিজেই তার নবীর পক্ষ
হয়ে মুশরিকদের উত্তর দিয়েছেন ৷ যেমন বলেছেন

ান্

ট্রু;া
ধ্
“ওরা বলে, ওহে যার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, তুমি তো নিশ্চয় উমাদ ৷ তুমি
সত্যবাদী হলে আমাদের নিকট ফেরেশতাগণকে উপস্থিত করছ না কেন”? (১৫ হিজর৪

পরবর্তীআয়াতে বলেছেন :

“আমি ণ্ফারশতাদেরাক প্রেরণ করি না যথার্থ কারণ ব্যতীত; ফেরেশতারা উপস্থিত হলে
ওরা আর তখন অবকাশ পাবে না ( ১৫ হিজর : ৮) ৷

অন্যত্র আল্লাহ্ বলেন : শ্
র্মশ্শ্ণ্শ্ণ্ষ্
ণ্এ ;১া



“তারা বলে, এগুলি তো সেকালের উপকথা, যা সেন্লিখিয়ে নিয়েছে; এগুলি সকাল-সন্ধ্যড়া
তার নিকট পাঠ করা হয় ৷ বল, এটা তিনিই অবতীর্ণ করেছেন যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর
সমুদয় রহস্য অবগত আছেন, তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু” (২৫ ফুরকানং : ৫) ৷


(
ণ্
“ওর৷ কি বলতে চায়, সে একজন কবি ? আমরা তার জন্য কালের বিপর্যয়ের অপেক্ষা
করছি ৷ বল্ তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্ৰতীক্ষা করছি” (৬২ তুর :
৩০৩১)

০ ) ;, শ্


¢


وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ فِي كِتَابِ " الْمَبْعَثِ ": حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ النُّعْمَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: {" وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ "} [الأنبياء: 107] قَالَ: مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ تَمَّتْ لَهُ الرَّحْمَةُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَمَنْ لَمْ يُؤْمِنْ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ عُوفِيَ مِنْ تَعْجِيلِ مَا كَانَ يُصِيبُ الْأُمَمَ قَبْلَ ذَلِكَ مِنَ الْعَذَابِ وَالْفِتَنِ وَالْقَذْفِ وَالْخَسْفِ. وَقَالَ تَعَالَى: " {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ كُفْرًا وَأَحَلُّوا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ "} [إبراهيم: 28] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ النِّعْمَةُ مُحَمَّدٌ، وَالَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ كُفْرًا هُمْ كُفَّارُ قُرَيْشٍ. يَعْنِي: وَكَذَلِكَ كُلُّ مَنْ كَذَّبَ بِهِ مِنْ سَائِرِ النَّاسِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {" وَمَنْ يَكْفُرْ بِهِ مِنَ الْأَحْزَابِ فَالنَّارُ مَوْعِدُهُ "} [هود: 17] . قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: فَقَدْ سَمَّى اللَّهُ نُوحًا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِاسْمٍ مِنْ أَسْمَائِهِ الْحُسْنَى فَقَالَ {" إِنَّهُ كَانَ عَبْدًا شَكُورًا "} [الإسراء: 3] . قُلْنَا: وَقَدْ سَمَّى اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاسْمَيْنِ مِنْ أَسْمَائِهِ فَقَالَ: {" بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ "} [التوبة: 128] . قَالَ: وَقَدْ خَاطَبَ اللَّهُ الْأَنْبِيَاءَ بِأَسْمَائِهِمْ، يَا نُوحُ، يَا إِبْرَاهِيمُ، يَا مُوسَى، يَا دَاوُدُ، يَا يَحْيَى، يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ. وَقَالَ مُخَاطِبًا لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ " " يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ " {" يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ " - " يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ "} [المدثر: 1] وَذَلِكَ قَائِمٌ مَقَامَ الْكُنْيَةِ بِصِفَةِ الشَّرَفِ، وَلَمَّا نَسَبَ الْمُشْرِكُونَ أَنْبِيَاءَهُمْ إِلَى السَّفَهِ، وَالْجُنُونِ، كُلٌّ أَجَابَ عَنْ نَفْسِهِ ; قَالَ نُوحٌ " {يَاقَوْمِ لَيْسَ بِي ضَلَالَةٌ وَلَكِنِّي رَسُولٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الأعراف: 61] " [الْأَعْرَافِ: 61]
পৃষ্ঠা - ৫১৫৬
وَكَذَا قَالَ هُودٌ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَلَمَّا قَالَ فِرْعَوْنُ: {" وَإِنِّي لَأَظُنُّكَ يَا مُوسَى مَسْحُورًا "} [الإسراء: 101] . قَالَ مُوسَى: " {لَقَدْ عَلِمْتَ مَا أَنْزَلَ هَؤُلَاءِ إِلَّا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ بَصَائِرَ وَإِنِّي لَأَظُنُّكَ يَافِرْعَوْنُ مَثْبُورًا "} [الإسراء: 102] . إِلَى أَمْثَالِ ذَلِكَ. وَأَمَّا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى هُوَ الَّذِي يَتَوَلَّى جَوَابَهُمْ عَنْهُ بِنَفْسِهِ الْكَرِيمَةِ، كَمَا قَالَ: {" وَقَالُوا يَا أَيُّهَا الَّذِي نُزِّلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُ إِنَّكَ لَمَجْنُونٌ لَوْ مَا تَأْتِينَا بِالْمَلَائِكَةِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ "} [الحجر: 6] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: " {مَا نُنَزِّلُ الْمَلَائِكَةَ إِلَّا بِالْحَقِّ وَمَا كَانُوا إِذًا مُنْظَرِينَ "} [الحجر: 8] [الْفُرْقَانِ: 5، 6] . {" أَمْ يَقُولُونَ شَاعِرٌ نَتَرَبَّصُ بِهِ رَيْبَ الْمَنُونِ قُلْ تَرَبَّصُوا فَإِنِّي مَعَكُمْ مِنَ الْمُتَرَبِّصِينَ "} [الطور: 30] [الْحَاقَّةِ: 41 - 43] . {" وَإِنْ يَكَادُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَيُزْلِقُونَكَ بِأَبْصَارِهِمْ لَمَّا سَمِعُوا الذِّكْرَ وَيَقُولُونَ إِنَّهُ لَمَجْنُونٌ "} [القلم: 51] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {" وَمَا هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِلْعَالَمِينَ "} [القلم: 52] [الْقَلَمِ: 1 - 4] . وَقَالَ تَعَالَى: {" وَلَقَدْ نَعْلَمُ أَنَّهُمْ يَقُولُونَ إِنَّمَا يُعَلِّمُهُ بَشَرٌ لِسَانُ الَّذِي يُلْحِدُونَ إِلَيْهِ أَعْجَمِيٌّ وَهَذَا لِسَانٌ عَرَبِيٌّ مُبِينٌ "} [النحل: 103] .
পৃষ্ঠা - ৫১৫৭

“এটা কোন কবির রচনা নয়; তোমরা অল্পই বিশ্বাস কয় ৷ এটা কোন গণকের কথাও নয়;
তোমরা অল্পই অনুধাবন ব্ব ৷ এটা ৰিশ্বজাহানেরন্ প্রতিপানকের নিকট থেকে অবতীর্ণ (৬৯
হাক্কা০ ং : ১ ,৪৩) ৷


“কাফিররা যখন কুরআন শুনে তখন তারা যেন তাদের র্তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আহুড়িয়ে
ফেলে দেবে এবং ৰাল, এতো এক পাগল (৬৮ কলম : ৫১) ৷

আল্লাহ্ বলেন ং : ৰু,:া৷ব্াৰু৷ ,ও;৷ ১৷ ৷ ,; ৷ , এতো বিশ্ব জগতের জন্যে উপদেশ মাত্র”
(৬৮ কলমং ৫২) ৷

আল্লাহ্ বলেন০ ং

শ্




“নুন-শপথ কলমের এবং ওরা যা লিপিবদ্ধ করে তার, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্নহে তুমি
উষ্মাদ নও ৷ তোমার জন্য অবশ্যই রয়েছে নিরৰিস্থিন্ন পুরষ্কার ৷ তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রে
অধিষ্ঠিত” (৬৮ কলমঙ্ক ১-৪ ) ৷

আল্লাহ্ বলেন০ ং


;;; ৷



“আমি তো আমিই, তারা বলে, তাকে, শিক্ষা দেয় এক মানুষ ৷ ওরা যার প্রতি এটা
আরোপ করে তার জন্ম তো আরবী নয়; কিন্তু এ ৰুহ্বআংনর ভাষা তো স্পষ্ট আরবী ভাষা (১৫
নাহ্ল : ১০৩) ৷

হযরত হ্দ (না) এর মুসিংড়া প্রসঙ্গে
এ প্রসঙ্গে আবু নুআয়ম বলেছেন, আল্লাহ্ হযরত হুদ (আ)-এর জাতিকে উষ্ণ বায়ু দ্বারা
ধ্বংস করেন, যা ছিল আল্লাহ্র ক্রোধের ফলশ্রুতি ৷ পক্ষাস্তুরে ধ্ন্দক যুদ্ধে হযরত মুহাম্মদ
(সা) কে আল্লাহ্ পুবালী হাওয়া দিয়ে সাহায্য করেছিলেন ৷ আল্পাহ্ ইরশাদ করেনং


শ্


“হে মু’মিনগণ! তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুপ্রহের কথা স্মরণ কর, যখন শত্রু
বাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে সমাপ্ত হয়েছিল এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিণাম
ঝঞাষায়ু এবং এক বাহিনী যা তোমরা দেখনি ৷ তোমরা যা কর আন্নাহ্ তার সম্যক দ্রষ্টা”
(৩৩ আহযাব : ৯) ৷

— ৫ :


[مَا أُوتِيَ هُودٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ] الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ هُودٌ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ مَا مَعْنَاهُ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَهْلَكَ قَوْمَهُ بِالرِّيحِ الْعَقِيمِ، وَقَدْ كَانَتْ رِيحَ غَضَبٍ، وَنَصَرَ اللَّهُ تَعَالَى مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّبَا يَوْمَ الْأَحْزَابِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: " {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ جَاءَتْكُمْ جُنُودٌ فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا وَجُنُودًا لَمْ تَرَوْهَا وَكَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا "} [الأحزاب: 9] . ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ (ح) وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعُثْمَانِيُّ، أَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى السَّاجِيُّ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْأَحْزَابِ انْطَلَقَتِ الْجَنُوبُ إِلَى الشَّمَالِ فَقَالَتِ: انْطَلِقِي بِنَا نَنْصُرْ مُحَمَّدًا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَتِ الشَّمَالُ لِلْجَنُوبِ: إِنَّ الْحُرَّةَ لَا تَسْرِي بِاللَّيْلِ. فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الصَّبَا، فَذَلِكَ قَوْلُهُ: {" فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا وَجُنُودًا لَمْ تَرَوْهَا} [الأحزاب: 9] " وَيَشْهَدُ لَهُ الْحَدِيثُ الْمُتَقَدِّمُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: " «نُصِرْتُ بِالصَّبَا، وَأُهْلِكَتْ عَادٌ بِالدَّبُورِ» . " وَسَيَأْتِي التَّنْبِيهُ عَلَى ذَلِكَ فِي مُعْجِزَةِ سُلَيْمَانَ بِتَسْخِيرِ الرِّيحِ لَهُ. [الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ صَالِحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ] قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: فَقَدْ أَخْرَجَ اللَّهُ لِصَالِحٍ نَاقَةً مِنَ الصَّخْرَةِ
পৃষ্ঠা - ৫১৫৮

হযরত ইবন আব্বাস (বা) তার এক বর্ণনায় বলেন : খন্দকের যুদ্ধের সময় দক্ষিণের বায়ু
উত্তরে গিয়ে বলে, চল আমরা মুহাম্মদ (সা) কে সাহায্য করি ৷ জবাবে উত্তরের বায়ু দক্ষিণের
বায়ুকে জালাল, রাত্রিকালে উষ্ণতা দেখা যাবে না ৷ অতঃপর আল্লাহ্ তাদের প্ৰতি পুবালী হাওয়া
প্রেরণ করেন ৷ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ বলেন

ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ ! ণ্ ! )

“তারপর আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম ঝঞা বায়ু এবং এমন এক বাহিনী, যা
তোমরা দেয়নি” ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন৪ আমি পুবােলী শীতল বায়ু দ্বারা সাহায্যপ্রাপ্ত
হয়েছি ৷ আর আদ জাতিকে বিপরীতমুখী হাওয়া দ্বারা নির্মুল করা হয় ৷

হযরত সালিহ্ (আ)-এর ঘুজিযা প্রসঙ্গে

আবু নুআয়ম বলেন, যদি বলা হয় যে, আল্লাহ্ হযরত সালিহ্ (আ)-কে আশ্বর্য রকম
মুজিযা দান করেছিঙ্কলন-পাথরের মধ্য থেকে উটনী বের করেন; এবং ঐ উটনীর জন্য ও তার
সম্প্রদায়ের জন্য পানি পান করার দিন নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন ৷ তবে এর উত্তরে বলা যায় যে,
আল্লাহ্ হযরত মুহাম্মদ (না)-কে এরুপ বরং তার চাইতেও অধিক আশ্চর্যজনক মুজিযা দান
করেছেন ৷ কেননা সালিহ্ (আ)-এর উটনীর বাক্শক্তি ছিল না, সে তার সাথে কোন কথা
বলেনি এবং তার নবুওতের পক্ষে কোন সাক্ষ্য দেয়নি ৷ পক্ষান্তরে হযরত মুহাম্মদ (না)-এর
সাথে উট কথা বলেছে, নবুওতের সাক্ষী দিয়েছে এবং অভিযোগ করেছে যে, তার মালিক
তাকে আহ ড়ার্য দেয় না এবং তাকে যবেহ করতে ইচ্ছুক ৷ এ হাদীস সহীহ্ ৷ হাসান ও মুসনাদ
গ্রন্থে আছে এবং দালইিলুন নবুওয়াত অধ্যায়ে আমরা উল্লেখ করেছি ৷ ঐ সাথে হরিণ ও গুই
সাপ কর্তৃক ৱাসুলুল্লাহ্র নবুওতের সাক্ষ্যদানের হাদীস এবং পাথর, বৃক্ষ ও প্রান্তরের সালাম
দেওয়ার হাদীসও উল্লেখ করা হয়েছে, যখন তিনি নবুওয়ত প্রাপ্তও হননি ৷

হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর মুজিয়া প্রসঙ্গে

শায়খ আবুল মাআলী বলেন, হযরত ইবরাহীম (আ)-এর ক্ষেত্রে অগ্নিকুও নিৰ্বাপিত
হয়েছে ঠিকই; কিন্তু নবী মুহাম্মদ-(সা)এর ক্ষেত্রেও তার জ্জা লপ্লে পারস্যের অগ্নিকুও
নির্বাপিত হয়েছিল ৷ আর তা হয়েজ্যি নবী হবার চল্লিশ বছর পুর্বে ৷ দ্বিতীয়ত ইব্রাহীম
(আ)-এর অগ্নিকুও নিৰ্বাপিত হয় যখন তিনি অগ্নিত্বে নিক্ষিপ্ত হন ৷ পক্ষান্তরে আমাদের নবীর
কারণে পারস্যের অগ্নি নিৰ্বাপিত হয় কয়েক মাসের দুরত্বের ব্যবধানে থেকে ৷ রাসুল করীম
(সা) এর জন্ম ইতিহাসের আংলাচনায় এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ তারপর
শায়খআবুল মাআলী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কেন, এ উষ্মতের কতিপয় ব্যক্তির ক্ষেত্রেও অগ্নি
নির্বাসিত হওয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ৷ তাদের একজনের নাম আবু মুসলিম খাওলানী ৷
ঘটনা মোটামুটি এরুপঃ আসওদ;ইবন কায়েস, আলআনাসী আবু মুসলিম খাওলানীকে
ইয়াম্যেন ডেকে পাঠায় ৷ আসওদ জিজ্ঞেস করে, তুমি কি এ সাক্ষ্য দাও যে, মুহাম্মদ (সা)
আল্লাহ্র রাসুল? খাওলানী বললেন, হী ৷ পুনরায় সে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,
আমি আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুল? খাওলানী বললেন, আমি শুনতে পাচ্ছি না ৷ পুনরায় সে জিজ্ঞেস


جَعَلَهَا اللَّهُ لَهُ آيَةً وَحُجَّةً عَلَى قَوْمِهِ، وَجَعَلَ لَهَا شِرْبَ يَوْمٍ وَلَهُمْ شِرْبَ يَوْمٍ مَعْلُومٍ. قُلْنَا: وَقَدْ أَعْطَى اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ، بَلْ أَبْلَغَ ; لِأَنَّ نَاقَةَ صَالِحٍ لَمْ تُكَلِّمْهُ وَلَمْ تَشْهَدْ لَهُ بِالنُّبُوَّةِ وَالرِّسَالَةِ، وَمُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهِدَ لَهُ الْبَعِيرُ النَّادُّ بِالرِّسَالَةِ، وَشَكَى إِلَيْهِ مَا يَلْقَى مِنْ أَهْلِهِ، مِنْ أَنَّهُمْ يُجِيعُونَهُ وَيُدْئِبُونَهُ، ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ بِذَلِكَ، كَمَا قَدَّمْنَا فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ بِطُرُقِهِ وَأَلْفَاظِهِ وَعَزْوِهِ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ هَا هُنَا وَهُوَ فِي الصِّحَاحِ وَالْحِسَانِ وَالْمَسَانِيدِ، وَقَدْ ذَكَرْنَا مَعَ ذَلِكَ حَدِيثَ الْغَزَالَةِ، وَحَدِيثَ الضَّبِّ، وَشَهَادَتَهُمَا لَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالرِّسَالَةِ، كَمَا تَقَدَّمَ التَّنْبِيهُ عَلَى ذَلِكَ وَالْكَلَامُ فِيهِ، وَثَبَتَ الْحَدِيثُ فِي الصَّحِيحِ بِتَسْلِيمِ الْحَجَرِ عَلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يُبْعَثَ، وَكَذَلِكَ سَلَامُ الْأَشْجَارِ وَالْأَحْجَارِ وَالْمَدَرِ عَلَيْهِ حِينَ بُعِثَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ. [مِنْ مُعْجِزَاتِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ] الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ أَبُو الْمَعَالِي بْنُ الزَّمْلَكَانِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَبَلَّ بِالرَّحْمَةِ ثَرَاهُ: وَأَمَّا خُمُودُ النَّارِ لِإِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَقَدْ خَمَدَتْ لِنَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَارُ فَارِسَ وَلَمْ تَخْمُدْ قَبْلَ ذَلِكَ بِأَلْفِ عَامٍ، لِمَوْلِدِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ بِعْثَتِهِ أَرْبَعُونَ سَنَةً، وَخَمَدَتْ نَارُ إِبْرَاهِيمَ لِمُبَاشَرَتِهِ لَهَا، وَخَمَدَتْ نَارُ فَارِسَ لِنَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مَسَافَةُ أَشْهُرٍ. كَذَا، وَهَذَا الَّذِي أَشَارَ إِلَيْهِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫১৫৯


ন্ করলে তিনি একই উত্তর দিলেন, আমি শুনতে পাচ্ছি না ৷ অবশেষে সে এক বিরটি প্রজ্জ্বলিত
অগ্নিকুণ্ডে আবু মুসলিমকে নিক্ষেপ করল; কিন্তু আগুন তার কোনই ক্ষতি করল না ৷ আসওদ
আনাসীকে পরামর্শ দেয়া হল যে, আপনি যদি একে দেশের অভ্যন্তরে মুক্ততারে থাকতে দেন
তবে যে আপনার বিরুদ্ধে লোকদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলবে ৷ সুতরাৎ তাকে চলে যাওয়ার নির্দেশ
দেয়া হল ৷ তিনি মদীনায় এসে হাজির হলেন ৷ তখন মহানবী (সা) এর ইনতিকাল হয়ে গেছে
এবং হযরত আবুবকর (রা) খিলাফতের পদে অধিষ্ঠিত ৷ আবু মুসলিম মসজিদের একটি খুটির
নিকট সালাত আদায় করেন ৷ হযরত উমর (রা) তাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, কােখেকে
এসেছ তুমি? তিনি বললেন, ইয়ামেন থেকে ৷ হযরত উমর বললেন, আমাদের যে সাথীটিকে
অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল কিন্তু তার কোনই ক্ষতি হয়নি, তার সাথে আল্লাহ্ পরে কেমন
ব্যবহার করেছেন? লােকটি বললাে, সে তো আবদুল্লাহ্ ইবন আয়ুবে ৷ হযরত উমর বললেন,
আল্লাহ্র কসম, তৃমি-ই কি সেই লোক নও? তিনি বললেন, আল্লাহ্ সাক্ষী, আমিই সেই
ব্যক্তি ৷ তারপর উমর লোকটির কপালে চুমু খেয়ে হযরত ,আবু বকর (রা)-এর সম্মুখে নিয়ে
বসালেন এবং বললেন, সেই আল্লাহ্র প্রশংসা, যিনি আমাকে আমার মৃত্যুর পুর্বেই উম্মতে
ঘুহাম্মদীর এমন এক লোককে দেখার সৌভাগ্য দান করেছেন, যার সাথে তিনি ঐরুপ আচরণ
করেছেন, যেরুপ আচরণ করেছিলেন ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্র সাথে ৷

এই ঘটনাকে ইবন আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে ভিন্ন সুত্রে শুরাবীল ইবন মুসলিম
আল-খাওলানী থেকে নিম্নরুপে বর্ণনা করেছেন : আসওদ ইবন কায়স ইবন যুল-হিমার
আল-আনাসী নিজ দেশ ইয়ামেনে নবুওতের দাবি করে ৷ সে আবু মুসলিম খাওলানীকে নিজের
কাছে তলব করে এবং জিজ্ঞেস করে, তুমি কি স্বীকার কর যে, আমি আল্লাহ্র রাসুল? তিনি
বললেন, আমি শুনতে পাচ্ছি না ৷ আবার জিজ্ঞেস করল : তুমি কি স্বীকার কর মুহাম্মদ (সা)
আল্লাহ্র রাসুল? তিনি বললেন, ছু৷ ৷ এভাবে বারবার তাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয় ৷ এবং
তিনিও একই জবাব দেন ৷ অতঃপর তার নির্দেশে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে তাকে নিক্ষেপ করা হল,
কিন্তু আগুন তার কোনই ক্ষতি করেনি ৷ লোকজন আসওদকে পরামর্শ দিল যে, একে এখান
থেকে দুর করে দিন, অন্যথায় আপনার অনুসারীদেরকে যে আপনার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তৃলবে ৷
সাথে সাথেই তাকে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হল ৷ তিনি মদীনায় চলে এলেন ৷ কিংন্থ এ
সময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করেছেন এবং হযরত আবু বকর খলীফা নির্বাচিত হয়েছেন ৷
আবু মুসলিম মসজিদের দ্বারে বাহন রেখে ভিতরে গিয়ে সালাত আদায় করলেন ৷ হযরত উমর
তাকে দেখে নিকটে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তোমার দেশ কোথায়? তিনি বললেন,
আমি ইয়ামান দেশের অধিবাসী ৷ উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেন, মিথ্যাবাদী ডণ্ড নবী, যে
লোকটিকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করেছিল যে কোথায়, কী করে? তিনি বললেন, সে তো
আবদুল্লাহ্ ইবন আয়ুবে ৷ উমর (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম, যে ব্যক্তি কি তুমি নও ৷ তিনি
ন্ বললেন, আল্লাহ্ সাক্ষী, আমিই যে ব্যক্তিা,ন্ হযরত উমর তাকে আলিঙ্গন করলেন এবং হযরত
আবু বকর (রা)-এর সম্মুখে উপস্থিত করে বললেন : সকল প্রশংসা ঐ আল্লাহ্র, যিনি উষ্মতে
মুহাম্মদীর এমন একজন লোককে না দেখিয়ে আমার মৃত্যু দেননি, ষার সাথে তিনি এমন
আচরণ করেছেন, যেমন আচরণ করেছিলেন ইবরাহীম খলীলুল্লাহ্র সাথে ৷


خُمُودِ نَارِ فَارِسَ لَيْلَةَ مَوْلِدِهِ الْكَرِيمِ قَدْ ذَكَرْنَاهُ بِأَسَانِيدِهِ وَطُرُقِهِ فِي أَوَّلِ السِّيرَةِ عِنْدَ ذَكَرِ الْمَوْلِدِ الْمُطَهَّرِ الْمُشَرَّفِ الْمُكَرَّمِ، بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ وَمَقْنَعٌ. ثُمَّ قَالَ شَيْخُنَا: مَعَ أَنَّهُ قَدْ أُلْقِيَ بَعْضُ هَذِهِ الْأُمَّةِ فِي النَّارِ فَلَمْ تُؤَثِّرْ فِيهِ بِبَرَكَةِ نَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْهُمْ أَبُو مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ. قَالَ: تَنَبَّأَ الْأَسْوَدُ بْنُ قَيْسٍ الْعَنْسِيُّ بِالْيَمَنِ، فَأَرْسَلَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ فَقَالَ لَهُ: أَتَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: مَا أَسْمَعُ. فَأَعَادَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَا أَسْمَعُ. فَأَمَرَ بِنَارٍ عَظِيمَةٍ فَأُجِّجَتْ، وَطُرِحَ فِيهَا أَبُو مُسْلِمٍ فَلَمْ تَضُرَّهُ. فَقِيلَ لَهُ: لَئِنْ تَرَكْتَ هَذَا فِي بِلَادِكَ أَفْسَدَهَا عَلَيْكَ. فَأَمَرَهُ بِالرَّحِيلِ، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ وَقَدْ قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ، فَقَامَ إِلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ يُصَلِّي، فَبَصُرَ بِهِ عُمَرُ فَقَالَ: مِنْ أَيْنَ الرَّجُلُ؟ قَالَ: مِنَ الْيَمَنِ. قَالَ: مَا فَعَلَ عَدُوُّ اللَّهِ بِصَاحِبِنَا الَّذِي حَرَقَهُ بِالنَّارِ فَلَمْ تَضُرَّهُ؟ قَالَ: ذَاكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثُوَبٍ. قَالَ: نَشَدْتُكَ بِاللَّهِ أَنْتَ هُوَ؟ قَالَ: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: فَاعْتَنَقَهُ ثُمَّ بَكَى، ثُمَّ ذَهَبَ بِهِ حَتَّى أَجْلَسَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمَّ يُمِتْنِي حَتَّى أَرَانِي فِي أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ فُعِلَ بِهِ كَمَا فُعِلَ بِإِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ الرَّحْمَنِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَهَذَا السِّيَاقُ الَّذِي أَوْرَدَهُ شَيْخُنَا بِهَذِهِ الصِّفَةِ قَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي تَرْجَمَةِ أَبِي مُسْلِمٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثُوَبٍ فِي " تَارِيخِهِ "
পৃষ্ঠা - ৫১৬০


ইসমাঈল ইবন আয়্যাশ (ইয়ামেনী) বলেন, আমার নিকট ইয়ামেনের খাওলান গোত্রের
বহু লোক এসে থাকে ৷ তারা নিজেদের পরিচয় দেয়ার সময় সুক্ষ্ণ ইঙ্গিতে বলতাে ও
মোঃ ;,প্রুপ্রু;শ্ব,১া৷অর্থাৎ আমরা আনাসী বনাম খাওলানী-তােমাদের মিথ্যাবাদী বন্ধু

আমাদের বন্ধুকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেজ্জি, কিন্তু তার কােনই ক্ষতি করতে পারেনি ৷
হাফিয ইবন আসাকির জ্যি এক সুত্রে ইবন আবু ওয়াহ্শিয়া থেকে বর্ণনা করেন : এক
ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করার তার সম্প্রদায়ের ণ্লাকেরা তাকে কুফরীতে’ফিরে যাওয়ার জন্য
পীড়াপীড়ি করে ৷ সে অস্বীকার করলে তারা তাকে অগ্নিকুাট্রুগু নিক্ষেপ করে ৷ কিন্তু আগুন তার
কেবল একটা আঙ্গুলের অগ্নভাগ ছাড়া আর কিইে পোড়াতে পারেনি ৷ এই আঙ্গুলের আংভাগে
পুর্বে কোন সময় উঘুর পানি পৌছেনি ৷ তারপর লোকটি হযরত আবু বকরের নিকট আগমন
করে ৷ আবু বকর তার নিকট নিজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জানায় ৷ তখন ঐ ব্যক্তি
বলেন, আপনিই বরং এর অধিক যোগ্য ৷ হযরত আবুবকর বললেন, তোমাকে আগুনে নিক্ষেপ
করা হয়েছিল, কিন্তু আগুন তোমাকে পোড়াতে পারেনি ৷৩ তারপর ঐ ব্যক্তি তার জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করেন ৷ ঐ ব্যক্তিটি সিরিয়া অভিমুখে চলে যান ৷ লোকে র্তাকে ইব্রাহীম (আ) বলে
সম্বোধন করত ৷ লোকটি অন্য কেউ নয়, ইনিই আবু মুসলিম আল-খাওলানী ৷ বলা বাহুল্য এ
মর্যাদা তিনি লাভ করেছেন শরীআতে মুহাষ্মাদী অনুসরণের কারণে ৷ যেমন শাফাআতের
: হাদীসে আছে;; উযুর স্থান সমুহ দগ্ধ করা আল্পাহ্ আগুনের উপর হারাম করে দিয়েছেন :


আবু মুসলিম পশ্চিম দামিশকে দারিয়া’ নামক স্থানে বসবাস করতে শুরু করেন ৷ ফজরের
সালাতে তার আগে কেউই দামিশকের মসজিদে পৌছতে পারত না ৷ রোমদের বিরুদ্ধে বিজ্যি
অভিযানে তিনি অংশগ্রহণ করেন ৷ তার ঘটনাবহুল জীবনে বহু কারামতের তথ্য পাওয়া যায় ৷
প্রসিদ্ধ মতে তার কবর দারিয়ায় অবস্থিত এবং যে স্থানে তিনি অবস্থান করতেন সেখানেই ৷
হাফিয, ইবন কাহীর এর মতে তিনি বোমে ইনতিকাল করেছেন, কারও মতে মুআবিয়ার
আমলে ৷ কারও মতে ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার যুগে হিজরী ষাট সনের পর ৷

আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারীর ঘটনা বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ একদা তিনি তার উস্তাদ
আবু সুলায়মানের নিকট এই খবর দিতে গেলেন যে, উনুন গরম করা হয়েছে ৷ লোকজ্যা তার
হুকুর্মের অপেক্ষায় আছে ৷ তিনি এসে দেখলেন যে, উস্তাদ লোকজনের সাথে আলোচনায় লিপ্ত ৷
তিনি যে অবস্থায় খবর শুনালেন ৷ কিন্তু লোকজনের সাথে কথা বলতে থাকায় এ কথায়
কর্ণপাত করলেন না ৷ দ্বিভীয় বার খবর দিলেন ৷ বিন্দু তিনি ভ্রাক্ষেপ করলেন না ৷ তৃতীয়বার
উস্তাদসহ সেখানে উপবিষ্ট সকলকে খবর জানালেন ৷ ততক্ষণে উস্তাদ তাকে বললেন, তুমি যাও
এবং উনুনের মধ্যে গিয়ে রস ৷ আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী তখনই গিয়ে প্ৰজ্জ্বলিত উনুনের
মধ্যে বসে পড়েন ৷ কিন্তু আগুন তার উপর শীতল ও শান্তিময় হয়ে যায় ৷ এ ভাবে বহু সময়
কোট গেল ৷ এক পর্যায়ে আবুসুলায়মান আলোচনা শেষ করে বলে উঠলেন, কারা আছ, চল
আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারীর নিকট যাই ৷ কারণ আমার সন্দেহ হচ্ছে হয়ত সে আমার নির্দেশ
পালন করার জন্য উনুনের মধ্যে বসে পড়েছে ৷ সুতরাং সকলে গিয়ে তাকে সে অবস্থায়ই
দেখতে পেলেন ৷ আবুসুলায়মান তার হাত ধরে তাকে বের করে আনলেন ৷


مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ نَجْدَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ الْحِمْصِيِّ، حَدَّثَنِي شُرَحْبِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ، أَنَّ الْأَسْوَدَ بْنَ قَيْسِ بْنِ ذِي الْخِمَارِ الْعَنْسِيَّ تَنَبَّأَ بِالْيَمَنِ، فَأَرْسَلَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ فَأَتَى بِهِ، فَلَمَّا جَاءَهُ قَالَ: أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: مَا أَسْمَعُ. قَالَ: أَتَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: مَا أَسْمَعُ. قَالَ: أَتَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَرَدَّدَ ذَلِكَ عَلَيْهِ مِرَارًا، ثُمَّ أَمَرَ بِنَارٍ عَظِيمَةٍ فَأُجِّجَتْ فَأَلْقَى أَبَا مُسْلِمٍ فِيهَا فَلَمْ تَضُرَّهُ، فَقِيلَ لِلْأَسْوَدِ: انْفِهِ عَنْكَ وَإِلَّا أَفْسَدَ عَلَيْكَ مَنِ اتَّبَعَكَ. فَأَمَرَهُ، فَارْتَحَلَ أَبُو مُسْلِمٍ، فَأَتَى الْمَدِينَةَ وَقَدْ قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ، فَأَنَاخَ أَبُو مُسْلِمٍ رَاحِلَتَهُ بِبَابِ الْمَسْجِدِ، ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَقَامَ يُصَلِّي إِلَى سَارِيَةٍ، وَبَصُرَ بِهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَتَاهُ فَقَالَ: مِمَّنِ الرَّجُلُ؟ فَقَالَ: مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ. قَالَ: مَا فَعَلَ الرَّجُلُ الَّذِي حَرَقَهُ الْكَذَّابُ بِالنَّارِ؟ قَالَ: ذَاكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثُوَبٍ. قَالَ: فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ أَنْتَ هُوَ؟ قَالَ: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: فَاعْتَنَقَهُ وَبَكَى، ثُمَّ ذَهَبَ بِهِ حَتَّى أَجْلَسَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمَّ يُمِتْنِي حَتَّى أَرَانِي فِي أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ فُعِلَ بِهِ كَمَا فُعِلَ بِإِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ الرَّحْمَنِ. قَالَ
পৃষ্ঠা - ৫১৬১
إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ: فَأَنَا أَدْرَكْتُ رِجَالًا مِنَ الْأَمْدَادِ الَّذِينَ يُمَدُّونَ إِلَيْنَا مِنَ الْيَمَنِ ; مِنْ خَوْلَانَ، رُبَّمَا تَمَازَحُوا فَيَقُولُ الْخَوْلَانِيُّونَ لِلْعَنْسِيِّينَ: صَاحِبُكُمُ الْكَذَّابُ حَرَقَ صَاحِبَنَا بِالنَّارِ فَلَمْ تَضُرَّهُ. وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ دُحَيْمٍ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي وَحْشِيَّةَ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ خَوْلَانَ أَسْلَمَ، فَأَرَادَهُ قَوْمُهُ عَلَى الْكُفْرِ، فَأَلْقَوْهُ فِي نَارٍ فَلَمْ يَحْتَرِقْ مِنْهُ إِلَّا أُنْمُلَةٌ لَمْ يَكُنْ فِيمَا مَضَى يُصِيبُهَا الْوُضُوءُ، فَقَدِمَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ: اسْتَغْفِرْ لِي قَالَ: أَنْتَ أَحَقُّ. قَالَ أَبُو بَكْرٍ: إِنَّكَ أُلْقِيتَ فِي النَّارِ فَلَمْ تَحْتَرِقْ. فَاسْتَغْفَرَ لَهُ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ فَكَانُوا يُشَبِّهُونَهُ بِإِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَهَذَا الرَّجُلُ هُوَ أَبُو مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ، وَهَذِهِ الرِّوَايَةُ بِهَذِهِ الزِّيَادَةِ تُحَقِّقُ أَنَّهُ إِنَّمَا نَالَ ذَلِكَ بِبَرَكَةِ مُتَابَعَتِهِ الشَّرِيعَةَ الْمُحَمَّدِيَّةَ الْمُطَهَّرَةَ الْمُقَدَّسَةَ، كَمَا جَاءَ فِي حَدِيثِ الشَّفَاعَةِ: " «وَحَرَّمَ اللَّهُ عَلَى النَّارِ أَنْ تَأْكُلَ مَوَاضِعَ السُّجُودِ» ". وَقَدْ نَزَلَ أَبُو مُسْلِمٍ بِدَارَيَّا مِنْ غَرْبِيِّ دِمَشْقَ، وَكَانَ لَا يَسْبِقُهُ أَحَدٌ إِلَى الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ بِدِمَشْقَ وَقْتَ الصُّبْحِ، وَكَانَ يُغَازِي فِي بِلَادِ الرُّومِ، وَلَهُ أَحْوَالٌ وَكَرَامَاتٌ كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَقَبْرُهُ مَشْهُورٌ بِدَارَيَّا، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ مَقَامُهُ الَّذِي كَانَ يَكُونُ فِيهِ، فَإِنَّ الْحَافِظَ ابْنَ عَسَاكِرَ رَجَّحَ أَنَّهُ مَاتَ بِبِلَادِ الرُّومِ، فِي خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ، وَقِيلَ: فِي أَيَّامِ ابْنِهِ
পৃষ্ঠা - ৫১৬২


ইবরাহীম (আ)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল মিনৃজানীক নামক একপ্রকার নিক্ষেপন
যত্রের সাহায্যে ৷ পক্ষাতরে মুসায়লামা কায্ যাবের ঘটনায় হযরত বারা ইবন মালিকের যে
অবস্থার কথা বর্ণিত হয়েছে, তা অধিকতর বিস্ময়কর ৷ যুদ্ধের এক পর্যায়ে মুসায়লামা
কাযযাবের বাহিনী দুর্গের মধ্যে আশ্রয় নেয় এবং প্রাচীরের র্ফাক বন্ধ করে দেয় ৷ তখন বারা
ইবন মালিক লোকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা আমাকে বর্শার ফ্লকে উঠিয়ে প্রাচীরের
উপর দিয়ে জ্যিরে ফেলে দাও ৷ সত্যিই তইি করা হল ৷ তাকে ঐ ভাবে প্রাচীরের ওপারে ফেলে
দেয়া হল ৷ তিনি ভিতরে প্রবেশ করে মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করেন ও মুসায়লামাকে হত্যা
করেন ৷

এ সম্পর্কে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর আমলের আলোচনায় বিস্তারিত উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ হযরত সিদ্দীক (রা) খালিদ ইবন ওলীদ (রা)-কে মুসায়লামা ও বনু হানীফার
বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ন্যুনাধিক এক লাখ ৷ আর মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা
ছিল তেব হাজার থেকে কিছু বেশি ৷ উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে বেদৃইনদের অনেকে ভয়ে
পালাতে থাকে ৷ মুহাজ্যি ও আনসারগণ খালিদকে জানালেন-আপনি আমাদেরকে, ওদের থেকে
পৃথক করুন ও যুদ্ধ করতে দিন! মুজাহির ও আনসারদের সংখ্যা ছিল প্রায় আড়ইি হাজার ৷
সুতরাং তারা আক্রমণ চালালেন এবং ঘোষণা করতে থাকলেনং হে সুরা বাকারার ণ্লাকজ্যা
(জালুত বাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত) আজ সকল যাদু ধ্বং স হয়ে যাবে ৷ অবশেষে মুস্যয়লামার
বাহিনী ণ্শাচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করে এবং নিকটেই একটি বাগানে আশ্রয় নেয়-ঐ বাগানের
নাম রাখা হয় মৃত্যুর বাগান (প্রু৷ ৷ ান্) ৷ বাগানের দুর্গের চারিপাৰ্:শ মুসলমানগণ
অবরোধ রচনা করে রাখেন ৷ তারপর উল্লেখিত উপায়ে বারা ইবন মালিক (আনাস ইবন
মালিকের বড় ভাই) বর্শার উপর উঠে দুর্গের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং দ্রুত আক্রমণ করে
একইি দুর্গ জয় করেন ৷ তারপর তারা মুসায়লামার প্রাসাদের দিকে যান, নিকটে যে প্রাসাদের
বাইরে দেয়ালের কাছে দাড়িয়ে ছিল তখন তাকে একটা ধুসর বর্ণের উটের ন্যায় ৷ হযরত
হামষার হত্যাকারী ওয়াহ্শী ইবন হারব বর্শা হাতে নিয়ে মুসায়লামাৱ দিকে অগ্রসর হয় ৷ আবু
দৃজানা সিমাক ইবন হারশা আল আনসাৰীও যে দিকে ছুটে যান ৷ ওয়াহ্শী প্রথমে বর্শা নিক্ষেপ
করে, যা মুসায়লামার দেহ ভেদ করে চলে যায় ৷ তারপর আবু দুজান৷ গিয়ে তলোয়ার দ্বারা
ন্ তার মস্তক বিচ্ছিন্ন করে দেন ৷ এ সময় জনৈক দাসী প্রাসাঃদঃ হাদে উঠে চিৎকার দিয়ে বলে,
হায় আমাদের আমীর তাকে একজন কৃষ্ণকায় গোলাম হত্যা করেছে ৷ কথিত আছে মৃত্যুকালে
মুসায়লামার বয়স হয়েছিল একশ চল্লিশ বছর ৷

হাফিয আবু নু আয়ম বলেছেনং : যদি বলা হয় আল্লাহ্ তায়ালা ংনবীদেয় মধ্যে হযরত
ইব্রাহীম (আ)কেপ্ খলীল (বন্ধু) বলে আখ্যায়িত করেছেন ৷ এটা তার জন্য বিশেষ মর্যাদা ৷
তার উত্তরে বলা যাবে, আল্লাহ্ মুহাম্মদ (সা)-কেও খলীল ও হাবীব রুপে গ্রহণ করেহ্নে৷ ৷ আর
হাবীব (প্রিয় বন্ধু) খলীল এর চেয়ে অধিক প্রিয় অর্থ বুঝায় ৷ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন৪ আমি যদি কাউকে খলীলরুপে গ্রহণ করতাম তবে আবু বকরকেই
করতাম, জ্যি জেনে রেখ, তোমাদের সাথী (অর্থাৎ আমি) আল্লাহর খলীল :

হাদীস ইমাম মুসলিম জ্যি জ্যি সুত্রে ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ যে বর্ণনায়


يَزِيدَ، بَعْدَ السِّتِّينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ وَقَعَ لِأَحْمَدَ بْنَ أَبِي الْحِوَارِيِّ مَعَ شَيْخِهِ أَبِي سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيِّ قِصَّةٌ تُشْبِهُ هَذَا، كَمَا رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ " فِي تَرْجَمَةِ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي الْحِوَارِيِّ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ: أَنَّهُ جَاءَ إِلَى أُسْتَاذِهِ أَبِي سُلَيْمَانَ يُعْلِمُهُ أَنَّ التَّنُّورَ قَدْ سَجَرُوهُ، وَأَهْلُهُ يَنْتَظِرُونَ مَا يَأْمُرُهُمْ بِهِ، فَوَجَدَهُ يُكَلِّمُ النَّاسَ وَهُمْ حَوْلَهُ، فَأَعْلَمَهُ بِذَلِكَ، فَاشْتَغَلَ عَنْهُ بِالنَّاسِ، ثُمَّ أَعْلَمُهُ فَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَيْهِ، ثُمَّ أَعْلَمُهُ مَعَ أُولَئِكَ الَّذِينَ حَوْلَهُ، فَقَالَ لَهُ وَهُوَ مُغْضَبٌ: اذْهَبْ فَاجْلِسْ فِيهِ. ثُمَّ تَشَاغَلَ بِالْحَدِيثِ مَعَ أُولَئِكَ الَّذِينَ حَوْلَهُ، وَذَهَبَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحِوَارِيِّ إِلَى التَّنُّورِ، فَجَلَسَ فِيهِ وَهُوَ يَتَضَرَّمُ نَارًا، فَكَانَ عَلَيْهِ بَرْدًا وَسَلَامًا، وَمَا زَالَ فِيهِ حَتَّى اسْتَيْقَظَ أَبُو سُلَيْمَانَ مِنْ كَلَامِهِ، فَقَالَ لِمَنْ حَوْلَهُ: قُومُوا بِنَا إِلَى أَحْمَدَ بْنِ أَبِي الْحِوَارِيِّ، فَإِنِّي أَظُنُّهُ قَدْ ذَهَبَ إِلَى التَّنُّورِ فَجَلَسَ فِيهِ امْتِثَالًا لِمَا أَمَرْتُهُ بِهِ، فَذَهَبُوا فَوَجَدُوهُ جَالِسًا فِيهِ، فَأَخَذَ بِيَدِهِ الشَّيْخُ أَبُو سُلَيْمَانَ وَأَخْرَجَهُ مِنْهُ، رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِمَا، وَرَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَقَالَ شَيْخُنَا أَبُو الْمَعَالِي: وَأَمَّا إِلْقَاؤُهُ - يَعْنِي إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنَ الْمَنْجَنِيقِ، فَقَدْ وَقَعَ فِي حَدِيثِ الْبَرَاءِ بْنِ مَالِكٍ فِي وَقْعَةِ مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، وَأَنَّ أَصْحَابَ مُسَيْلِمَةَ انْتَهَوْا إِلَى حَائِطٍ حَفِيرٍ فَتَحَصَّنُوا بِهِ وَأَغْلَقُوا
পৃষ্ঠা - ৫১৬৩

আছে, আমি যদি কাউকে খলীলরুপে গ্রহণ করতাম তবে আবু বকরকেই খলীল বানাতাম ৷
কিন্তু সে তো আমার ভাই, আমার সাথী ৷ জোন রেখ, তোমাদের সাথীকে আল্লাহ্ই খলীল
রুপে গ্রহণ করে নিয়েছেন ৷
মুসলিম জুনদুব সুত্রেও একবভােরে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিম আবু
সাঈদ থেকে এবং বুখারী এককভাবে ইবন আব্বাস ও ইবন যুবায়র থেকে এটা বর্ণনা
করেছেন৷ ফাযইিলে সিদ্দীকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং সেখানে আমরা
ত্যা; ক আনসে, বারা , জাবির, কাব ইবন মালিক, আবুল হুসায়ন ইবন ইয়ালা, আবু হুরায়রা,
আবু ওয়াকিদ লাইহী ও অইিশা (রা)-এর বর্ণনা উদ্ধৃত করেছি ৷
আবু নুআয়ম উবায়দুল্লাহ্ ইবন যাহ্র সুত্রে কাব ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ কাব বলেন, আমি শুনেছি, ’ন্ৰী করীম (সা) বলেছেন : প্রত্যেক নবীরই তার উষ্মতের
মধ্য থেকে একজন করে খলীল ছিল ৷ আর আমার খলীল আবু বকর ৷ আর আল্লাহ তোমাদের
সঙ্গীকে তার খলীলরুপে গ্রহণ করেছেন ৷ এ হাদীসের সনদ যঈফ্ ৷
মুহাম্মদ ইবন আজলান সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : প্রত্যেক নবীরই খলীল থাকে ৷ আমার বলীল আবু বকর ইবন আবু কুহাফা ৷ আর
ণ্তামাদের সঙ্গীর খলীল স্বয়ং রহমান ৷ এ সনদ ,গব্রীব, ৷ আবদুল ওহ্হাব ইবন যাহ্হাক সুত্রে
আমর ইবন আস থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনও আল্লাহ আমাকে খলীল রুপে
গ্রহণ করেছেন, যেমন ইবরাহীম (আ) কে বন্ধুরুপে গ্রহণ করেছিলেন ৷ আমার ও ইবরাহীম
(আ) এর আসন জান্নাতের মধ্যে সামনা সামনি থাকবে ৷ আর আব্বাস আমাদের দৃই খলীলের
মাঝে অবস্থান করবেন ৷ এ হাদীসটিও গরীব, সনদ সমালোচিত ৷ ইমাম মুসলিম আবু বকর
ইবন আবু শায়বা সুত্রে হযরত জুনদুব ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তার ইনতিকালের পাচ দিন পুর্বে এ কথা বলতে শুনেছি যে,
আমি আল্লাহর নিকট এ ব্যাপারে নিজের সাফাই পেশ করব এই বলে যে, তোমাদের কাউকে
আমি খৃলীল বানাইনি ৷ কেননা আল্লাহ-ই-আমাকে তার; খলীল রুপে গ্রহণ করেছেন ৷ যেমন
ইবরাহীম (আ)-কে তিনি খলীলরুপে গ্রহণ করেছিলেন ৷ যদি একান্তই আমি আমার উম্মতের
মধ্য থেকে কাউকে খলীল বানাতাম তাহলে আবু বকরকেই বানাতাম ৷ সাবধান থেকো,
তোমাদের পুর্ববর্তী জাতিগুলো তাদের নবী ও নেককাব লোকদের কবরকে সিজদাব স্থানে
পরিণত করেছিল, সাবধান, তোমরা কবরকে সিজদাব স্থানে পরিণত করো না ৷ আমি এ কাজ
থেকে তোমাদ্যোকে নিষেধ করছি ৷
তবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কতব্লিষ্ হুসায়নকে খলীলরুপে গ্রহণ করার বর্ণনাতে আবু নুআয়ম
কোন সনদ পেশ করেননিা রাসুলুল্লাহ্ব(সা)- কে খলীল (অন্তরঙ্গ) ও হাবীব (প্রিয়তম) নামে
অভিহিত করা সম্পর্কে হিশাম ইবন আমার তার মাবআছ’ নামক কিতাবে ইয়াহ্ইয়া ইবন
হামযা সুত্রে উরওয়া ইবন রুওয়ায়েম থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ং আল্লাহ
তাআলা আমার ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন ৷ আমাকে তার সান্নিধ্যে ডেকে নিয়েছেন এবং আমার
সম্মুখে সবকিছু প্রকাশ করেছেন ৷ দুনিয়ার আমরা শেষে আগমন করেছি; কিন্তু কিয়ামতের কাি
আমরা অগ্রে থাকর ৷ আমি একটি উক্তি করছি, তার মধ্যে আমার কোন অহংকার ণ্নই৷ তা
হল, ইবরাহীম আল্লাহর খলীল, মুসা আল্লাহর মনোনীত আর আমি আল্লাহর প্রিয়তম৪
«fl ৷ ৷ কিয়ামতের দিন আমিই হব

বনী-আদমের নেতা; আমার হাতে থাকবে আল্লাহর প্রশং সা খচিত ঝাণ্ডা) ৷ তিনটি বিষয়ে আল্লাহ


الْبَابَ، فَقَالَ الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ: ضَعُونِي عَلَى تُرْسٍ، وَاحْمِلُونِي عَلَى رُءُوسِ الرِّمَاحِ، ثُمَّ أَلْقُونِي مِنْ أَعْلَاهَا دَاخِلَ الْبَابِ. فَفَعَلُوا ذَلِكَ وَأَلْقَوْهُ عَلَيْهِمْ، فَوَقَعَ وَقَامَ وَقَاتَلَ الْمُشْرِكِينَ حَتَّى قَتَلَ عَشَرَةً أَوْ أَكْثَرَ، وَفَتَحَ الْبَابَ لِلْمُسْلِمِينَ، فَكَانَ سَبَبَ هَلَاكِ الْمُشْرِكِينَ وَقَتْلِ مُسَيْلِمَةَ. قُلْتُ: وَقَدْ ذَكَرْتُ ذَلِكَ مُسْتَقْصًى فِي أَيَّامِ الصِّدِّيقِ حِينَ بَعَثَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ لِقِتَالِ مُسَيْلِمَةَ وَبَنِي حَنِيفَةَ، وَكَانُوا فِي قَرِيبٍ مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ، وَكَانَ الْمُسْلِمُونَ بِضْعَةَ عَشَرَ أَلْفًا، فَلَمَّا الْتَقَوْا جَعَلَ كَثِيرٌ مِنَ الْأَعْرَابِ يَفِرُّونَ، فَقَالَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ: أَخْلِصْنَا يَا خَالِدُ. فَمَيَّزَهُمْ عَنْهُمْ، فَكَانَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ قَرِيبًا مِنْ أَلْفَيْنِ وَخَمْسِمِائَةٍ، فَصَمَّمُوا الْحَمْلَةَ وَجَعَلُوا يَتَذَامَرُونَ وَيَقُولُونَ: يَا أَصْحَابَ سُورَةِ " الْبَقَرَةِ " بَطَلَ السِّحْرُ الْيَوْمَ. فَهَزَمُوهُمْ بِإِذْنِ اللَّهِ وَأَلْجَأُوهُمْ إِلَى حَدِيقَةٍ هُنَالِكَ - وَتُسَمَّى حَدِيقَةُ الْمَوْتِ - فَتَحَصَّنُوا بِهَا، فَحَصَرُوهُمْ فِيهَا، فَفَعَلَ الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ أَخُو أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَكَانَ الْأَكْبَرَ، مَا ذُكِرَ مِنْ رَفْعِهِ عَلَى تُرْسِهِ فَوْقَ الرِّمَاحِ حَتَّى تَمَكَّنَ مِنْ أَعْلَى سُورِهَا، ثُمَّ أَلْقَى نَفْسَهُ عَلَيْهِمْ وَنَهَضَ سَرِيعًا إِلَيْهِمْ، وَلَمْ يَزَلْ يُقَاتِلُهُمْ وَحْدَهُ وَيُقَاتِلُونَهُ حَتَّى تَمَكَّنَ مِنْ فَتْحِ بَابِ الْحَدِيقَةِ، وَدَخَلَ الْمُسْلِمُونَ يُكَبِّرُونَ وَانْتَهَوْا إِلَى قَصْرِ مُسَيْلِمَةَ وَهُوَ وَاقِفٌ خَارِجَهُ عِنْدَ ثُلْمَةِ جِدَارٍ، كَأَنَّهُ جَمَلٌ أَوْرَقَ، أَيْ مِنْ سُمْرَتِهِ، فَابْتَدَرَهُ وَحْشِيُّ بْنُ حَرْبٍ الْأَسْوَدُ قَاتِلُ حَمْزَةَ بِحَرْبَتِهِ، وَأَبُو دُجَانَةَ سِمَاكُ بْنُ خَرَشَةَ
পৃষ্ঠা - ৫১৬৪
الْأَنْصَارِيُّ - وَهُوَ الَّذِي يُنْسَبُ إِلَيْهِ شَيْخُنَا هَذَا أَبُو الْمَعَالِي بْنُ الزَّمْلَكَانِيِّ - فَسَبَقَهُ وَحْشِيٌّ فَأَرْسَلَ الْحَرْبَةَ عَلَيْهِ مِنْ بُعْدٍ فَأَنْفَذَهَا مِنْهُ، وَجَاءَ إِلَيْهِ أَبُو دُجَانَةَ فَعَلَاهُ بِسَيْفِهِ فَقَتَلَهُ، لَكِنْ صَرَخَتْ جَارِيَةٌ مِنْ فَوْقِ الْقَصْرِ تَنْدُبُ مُسَيْلِمَةَ، فَقَالَتْ: وَاأَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَاهْ، قَتَلَهُ الْعَبْدُ الْأَسْوَدُ. وَيُقَالُ: إِنَّ عُمُرَ مَسَيْلِمَةَ، لَعَنَهُ اللَّهُ، يَوْمَ قُتِلَ مِائَةٌ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. فَهُوَ مِمَّنْ طَالَ عُمُرُهُ وَسَاءَ عَمَلُهُ، قَبَّحَهُ اللَّهُ. وَهَذَا مَا ذَكَرَهُ شَيْخُنَا فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِإِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَأَمَّا الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فَإِنَّهُ قَالَ: فَإِنْ قِيلَ: فَإِنَّ إِبْرَاهِيمَ خُصَّ بِالْخُلَّةِ مَعَ النُّبُوَّةِ. قِيلَ: فَقَدِ اتَّخَذَ اللَّهُ مُحَمَّدًا خَلِيلًا وَحَبِيبًا، وَالْحَبِيبُ أَلْطَفُ مِنَ الْخَلِيلِ. ثُمَّ سَاقَ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلًا، وَلَكِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ وَالثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، وَمِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْهُذَيْلِ، كُلُّهُمْ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْجُشَمِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلًا، وَلَكِنَّهُ أَخِي وَصَاحِبِي، وَقَدِ اتَّخَذَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، صَاحِبَكُمْ، خَلِيلًا» . هَذَا لَفْظُ مُسْلِمٍ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا مُنْفَرِدًا بِهِ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، كَمَا سَأَذْكُرُهُ. وَأَصْلُ الْحَدِيثِ
পৃষ্ঠা - ৫১৬৫


ণ্তামাদের নিরাপত্তা দিয়েহ্নে৷ ৷ এক৪ দৃর্তিক্ষ-মহামারী দ্বারা তিনি তােমাদেরকে ধ্বংস করবেন
না ৷ দৃই৪ শত্রুকে নির্মুল করা তোমাদের জন্যে বৈধ করেছেন ৷ তিন৪ কোন গোমরাহীর উপর
তোমরা সবইি একমত হবেনা ৷

ফকীহ্ আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইবন হামিদ খলীল বা অত্তরঙ্গ শব্দের বিস্তারিত বিশ্লেষণ
করেছেন ৷ তিনি বলেছেনঃ খলীল তাকে বলা হয়, যে তার রবের ইবাদত করে আগ্রহ ও
ভীতিসহ ৷ আল্লাহ বলেছেন৪ :ন্ৰু০া; : ৷ এদ্ব৷ ণ্ ১া০ং৷ ) ৷ “ইব্রাহীম তো কোমল হৃদয় ও
সহনশীল (৯ তাওবাং : ১১৪) ৷

কেননা তিনি ব্হুঙ্কুলভাবে আওয়াহ শব্দটি উচ্চারণ করেন ৷ পক্ষাস্তরে হাবীব বলা হয়
তাকে, যে রবের ইবাদত করে দর্শনের মাধ্যমে ও মহব্বাতর সাথে ৷ তিনি আরো লিখেন যে,
খলীল ঐ ব্যক্তি, যে কারও দানের ও পুরস্কারের অপেক্ষায় থাকে ৷ আর হাবীব সেই ব্যক্তি, যে
কারও সাক্ষাতের অপেক্ষায় অধীর থাকে ৷ তিনি আরও বলেন, খলীল ঐ ব্যক্তিকে বলে, যার
সাথে সু -সম্পর্ক করা হয় কোন মাধ্যম দ্বারা-যেমন আল্লাহ বলেন :

এা১ন্০
“এ তাভ্রুবই ইবরাহীমকে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর পরিচালনা ব্যবস্থা দেখাই, আর যাতে
সে নিশ্চিত বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়” (৬ আন আম৪ ৭৫)া
আর হাবীব বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে, যার সাথে কোন মাধ্যম ব্যতীইে সরাসরি সু-সম্পর্ক
স্থাপন করা হয় ৷ আল্লাহ তা আলা বলেন :
মধ্যে দুই ধনুকের ব্যবধান রইল অথরা তারও কম (৫৩ নাজম০ ণ্ন্ ৯) ৷
ইব্রাহীম খলীল বলছেনং :
আমি আশা করি, তিনি কিয়ামত দিবসে আমার অপরাধসমুহ মার্জনা করে দেবেন (২৬
ও আরা০ ং ৮২) ৷
অপর দিকে হাবীব মুহাম্মদের প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেনং : র্টু ,১ ণ্ঢ়ন্ছু ৷’ এ ৷ ;-fl ,¢ ম্বী
)ছুভ্রু;া০ ০ এএট্ট “যেন আল্লাহ তোমার অতীত ও ভবিষ্যত ক্রটিসমুহ মার্জন৷ করেন (৪৮

অন্যত্র ইব্রাহীম খলীলবলেছের্ন : ,টুইটুট্রুঠু হুটু; ং ১;০ং১; ১া ষ্কৃ “এবং আমাকে লাৰুঞ্ছিত
করোনা কিয়ামত দিবসে (২৬ শু আরাং : ৮৭) ৷
আর আল্লাহ তা জানা নবীর ক্ষেত্রে বলছেনং :
৷ ন্ ! “সে দিন আল্লাহ্ নবী ও তার মুমিন সঙ্গীদেরকে অপদহ্ করবেন না (৬৬
তাহরীম৪ ৮) ৷
ইৰরাহীম খলীলকে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন০ ৰুএ৷ ৷ ৷১
,া হ্রড্রু৷ ৷ ণ্র্দু০১ ০ “আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট; এবং তিনি কত উত্তম কর্ম-বিধায়ক! (৩
আলেশ্ইম্রানঃ৪ ১৭৩) ৷


فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَفِي أَفْرَادِ الْبُخَارِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ الزُّبَيْرِ، كَمَا سُقْتُ ذَلِكَ فِي فَضَائِلِ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَدْ أَوْرَدْنَاهُ هُنَالِكَ مِنْ رِوَايَةِ أَنَسٍ، وَالْبَرَاءِ، وَجَابِرٍ، وَكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، وَأَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، وَعَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. ثُمَّ إِنَّمَا رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ: عَهْدِي بِنَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ وَفَاتِهِ بِخَمْسَةِ أَيَّامٍ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ إِلَّا لَهُ خَلِيلٌ مِنْ أُمَّتِهِ، وَإِنَّ خَلِيلِي أَبُو بَكْرٍ، وَإِنَّ اللَّهَ اتَّخَذَ صَاحِبَكُمْ خَلِيلًا» . وَهَذَا الْإِسْنَادُ ضَعِيفٌ. وَمِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِكُلِّ نَبِيٍّ خَلِيلٌ، وَخَلِيلِي» أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي قُحَافَةَ، وَخَلِيلُ صَاحِبِكُمُ الرَّحْمَنُ. وَهُوَ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَمِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ الضِّحَاكِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫১৬৬

হে নবী তোমার জন্যে ও তোমার অনুসারী মু’মিনদের
জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট (৮ আনফাসঃ ৬৪) ৷
আমি আমার প্ৰতিপালকের
দিকে চললাম, তিনি আমাকে অবশ্যই সৎপথে পরিচালিত করবেন (৩৭ সাফ্ফতে ৯৯) ৷

আর মুহাষ্মদ(সা)-এর ক্ষেত্রে আল্লাহ্ বলছেনং ,;হ্১ ১া৷ট্রু৯ এ ,, তিনি তোমাকে
পেলেন পথ সম্পর্কে অনবহিত, তারপর তিনি পথের নির্দেশ দিলেন” (৯৩ দুহা : ৭) ৷

ইব্রাহীম খলীল বলছেনং ৷ , ন্এবং আমাকে ও
আমার পুত্রণণকে প্রতিমা পুজা থেকে দুরে ব্লেখো” (১৪ ইবরাহীম৪ ৩৫) ৷
অন্য দিকে আল্লাহ্ তার হাবীবের মোঃ ব্শেস্ফো০ ং

ণ্ fl ণ্


হে নবী পরিবার আল্লাহ্ তো কেবল চান ণ্তামাদের থেকে অপবিত্রতা দুর করতে এবং
তােমাদেরকে সম্পুর্ণরুপে পবিত্র করতে” (৩৩ আহ্বান : ৩৩) ৷

ইব্রাহীম খলীল বলেছেনং : ৷ এবং আমাকে সুখময়
জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর (২৬ ও আরাং ৮৫) ৷

আর মুহাম্মদ (সা) সম্পর্কে আল্পাহ্ বলছেন ৷ “আমি তোমাকে
সকল মঙ্গলের অধিক পরিমাণ দান করেছি কিখ্ব্৷ হাওজে কওছুার দান করেছি ( ১০৮ কাওছার
১) ৷

ফর্কীহ্ আবু মুহাম্মদ এ জাতীয় বহু বিষয়ের উল্লেখ করেছেন ৷ মুসলিম শরীফে উবায়া ইবন
কা ব (বা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, কিয়ামত দিবসে আমি এমন এক স্থানে
দন্ডায়মান থাকর যে, আমার দিকে সমস্ত লোক উদষীব থাকবে, এমন কি তাদের পিতা
ইব্রাহীম খলীলও ৷ এ থেকেবুঝ৷ যায় যে, রাসুল (সা) সৃবেচ্চি মর্যাদার অধিকারী, কেননা ঐ
সময়ে সমস্ত মানুষ তার মুখাপেক্ষী হবে ৷ এ হাদীস থেকে আরও বুঝা যায় যে, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর পরে হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর স্থান ৷ কেননা, ইব্রাহীম (আ) এর চইিতে অধিক
সম্মানের ফেউযদি হতেন, তবে রাসুল (সা) তার নামই উল্লেখ করতেন ৷

আবু নু আয়ম বলেছেন, যদি প্রশ্ন করা হয় যে, ইব্রাহীম (আ) ণ্ক নমরুদের হাত থেকে
তিন প্রকার পর্দা দ্বারা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ তা হলে এর উত্তরে আমরা বলতে পারি ন্
যে, রাসৃপুল্লাহ্ (সা)শ্কে তার ৰিরোধীদের করল থেকে পাচ প্রকার পর্দা দ্বারা নিরাপত্তা দান
করেছেন ৷ আস্লাহ্ব্লেছেঃ :

া৷া৷৷ : : : × :


“আমি ণ্ডদের সৰুখে প্রাচীর ও পশ্চাতে প্রাচীর স্থাপন করেছি এবং ওদেরকে আবৃত করে
রেখেছি ফলে ওরা দেখতে পায় না” (৩৬ ইয়াসীন৪ ৯) ৷


عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ اتَّخَذَنِي خَلِيلًا كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَمَنْزِلِي وَمَنْزِلُ إِبْرَاهِيمَ فِي الْجَنَّةِ تُجَاهَيْنِ» ، وَالْعَبَّاسُ بَيْنَنَا مُؤْمِنٌ بَيْنَ خَلِيلَيْنِ. غَرِيبٌ وَفِي إِسْنَادِهِ نَظَرٌ. انْتَهَى مَا أَوْرَدَهُ أَبُو نُعَيْمٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ فِي " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَا: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، «حَدَّثَنِي جُنْدُبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ بِخَمْسٍ وَهُوَ يَقُولُ: إِنِّي أَبْرَأُ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، أَنْ يَكُونَ لِي مِنْكُمْ خَلِيلٌ ; فَإِنَّ اللَّهَ قَدِ اتَّخَذَنِي خَلِيلًا، كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ أُمَّتِي خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلًا، أَلَا وَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ يَتَّخِذُونَ قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ وَصَالِحِيهِمْ مَسَاجِدَ، أَلَا فَلَا تَتَّخِذُوا الْقُبُورَ مَسَاجِدَ، إِنِّي أَنْهَاكُمْ عَنْ ذَلِكَ» . وَأَمَّا اتِّخَاذُهُ حَبِيبًا فَلَمْ يَتَعَرَّضْ لِإِسْنَادِهِ أَبُو نُعَيْمٍ. وَقَدْ قَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ فِي كِتَابِهِ " الْمَبْعَثِ ": حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ الْحَضْرَمِيُّ وَعُثْمَانُ بْنُ عَلَاقٍ الْقُرَشِيُّ، قَالَا: حَدَّثَنَا عُرْوَةُ بْنُ رُوَيْمٍ اللَّخْمِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ أَدْرَكَ بِيَ الْأَجَلَ الْمَرْقُومَ، وَأَخَذَنِي الْمُقْرُبَةَ، وَاحْتَضَرَنِي احْتِضَارًا، فَنَحْنُ الْآخِرُونَ، وَنَحْنُ السَّابِقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَنَا قَائِلٌ قَوْلًا غَيْرَ فَخْرٍ: إِبْرَاهِيمُ خَلِيلُ اللَّهِ، وَمُوسَى صَفِّيُّ اللَّهِ، وَأَنَا حَبِيبُ اللَّهِ، وَأَنَا سَيِّدُ
পৃষ্ঠা - ৫১৬৭


এ আয়াতে তিনটি পর্দার উল্লেখ আছে ৷ অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন :

০ , শ্


¢ :


“তুমি যখন কুরআন পাঠ কর তখন তোমার ও যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাদের
মধ্যে প্রচ্ছন্ন পর্দা রেখে দিই” ( ১৭ ইসরা০ ং ৪৫) ৷

০ ’ ,

অন্যত্র বলেনং : ;,প্রু;শ্পু০০রু০ ণ্ধ্ট্রুব্ল ,াণ্ড্রা১৷ ৷ এ ৷ ধ্১ ১া১া; ৷ ন্ওাং;াও ১ ৷াশুশু & ৷

“আমি ওদের গলদেশে চিবুক পর্যন্ত £বড়ি পরিয়ে দিয়েছি, ফলে ওরা উর্ধ্বমুথী হয়ে গিয়েছে”


এই সর্ব মোট পাচটি পর্দা রাসুলের জন্যে রাখা হয়েছে ৷ লীেহ্ আবু মুহাম্মাদও এ পাচটি
পর্দার কথা উল্লেখ করেছেন ৷ উভয়ের মধ্যে কে কার থেকে গ্রহণ করেছে তা আমি বলতে
পারিনা ৷ অন্য দিকে ইবরাহীম (আ)-এর জন্যে যে তিনটি পর্দার কথা বলেছেন, সেগুলো কি
কি তা আমার জানা নেই ৷ তিনটি পর্দার কথা কিভাবে বলা হল, সে এক প্রশ্ন বটে ৷ আমরা
জানি তবে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছে, আর আল্লাহ্ তাকে তা থেকে রক্ষা করেছেন এই বা ৷
উপরোক্ত আয়াতসমুহে যে পর্দার কথা বলা হয়েছে তার সবগুলিই অদৃশ্য ও অভীদ্রিয় ৷ অর্থাৎ
বিরােধীরা সত্য পথ থেকে দুরে সরে রয়েছে ৷ সত্যত তাদের পর্যন্ত পৌছতে পারে না ৷ তাদের
অন্তরে স্থান পড়ায় না ৷ যেমন আল্লাহ্ বলেনং :


“ওরা বলে, তুমি যার প্রতি আমাদেরকে আহবান করছ সে বিষয়ে আমাদের অন্তর আবরণ
আচ্ছাদিত, কর্ণে আছে বধিরতা এবং তোমাদের ও আমাদের মধ্যে আছে অন্তরাল” (৪১
হা-মীম, আলসাজদা ফুসসিলাত : ৫ ) ৷

এ বিষয়ে আমরা তাফসীরে সবিস্তারে উল্লেখ করেছি ৷ সীরাত ও তাফসীর গ্রন্থে আমি আবু

লাহ্বের ত্রী উষ্মে জামীলের কথা উল্লেখ করেছি যে, তার ও তার স্বামীর নিন্দা, ধ্বংস ও
জাহান্নামে যাওয়ার সংবাদ সহ সুরা লাহাব নাযিল হয় তখন সে একটি বড় পাথর হাতে নিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মস্তকে আঘাত করার জন্যে অগ্রসর হয় ৷ তখন সে হযরত আবু বকরের
নিকট এসে থেমে যায় ৷ হযরত আবু বকর তখন নবী করীম (না)-এর পাশে উপবিষ্ট ছিলেন ৷
বিন্দু রাসুল করীম (সা)-ণ্ক সে দেখতে পায়নি ৷ হযরত আবু বকরকে জিজ্ঞেস করল, তোমার
সঙ্গী কোথায়? হযরত আবু বকর বললেন, তাকে কী প্রয়োজন? উম্মে জামীল বললো, সে
আমার নিন্দা করেছে ৷ হযরত আবু বকর বললেন, কি যে নিন্দা-মন্দ করেছেন? যে বললো ,
আল্লাহর কসম, আমি যদি তাকে দেখি তবে এ পাথর দ্বারা তার মাথা চুর্ণ করে দেব ৷ তারপর
সে নিম্নের বাক্যটি বলতে বলতে প্রত্যাবর্তন করল ণ্০শ্

মোঃ

“আমরা তার বদনাম রটাব এবং তার ,দীনকে ঘৃণা করব” ৷

৫ ১


وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَإِنَّ مَعِي لِوَاءَ الْحَمْدِ، تَحْتَهُ كُلُّ نَبِيٍّ وَصِدِّيقٍ وَشَهِيدٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ تُفْتَحُ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَأَجَارَنِي اللَّهُ عَلَيْكُمْ مِنْ ثَلَاثٍ ; أَنْ لَا يُهْلِكَكُمْ بِسَنَةٍ، وَأَنْ لَا يَسْتَبِيحَكُمْ عَدُوٌّ، وَأَنْ لَا تَجْتَمِعُوا عَلَى ضَلَالَةٍ» . وَأَمَّا الْفَقِيهُ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَامِدٍ فَتَكَلَّمَ عَلَى مَقَامِ الْخُلَّةِ بِكَلَامٍ طَوِيلٍ إِلَى أَنْ قَالَ: وَيُقَالُ الْخَلِيلُ الَّذِي يَعْبُدُ رَبَّهُ عَلَى الرَّغْبَةِ وَالرَّهْبَةِ، مِنْ قَوْلِهِ: {إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ} [التوبة: 114] . مِنْ كَثْرَةِ مَا يَقُولُ: أَوْهِ. وَالْحَبِيبُ الَّذِي يَعْبُدُ رَبَّهُ عَلَى الرُّؤْيَةِ وَالْمَحَبَّةِ. وَيُقَالُ: الْخَلِيلُ الَّذِي يَكُونُ مَعَهُ انْتِظَارُ الْعَطَاءِ، وَالْحَبِيبُ الَّذِي يَكُونُ مَعَهُ انْتِظَارُ اللِّقَاءِ. وَيُقَالُ: الْخَلِيلُ الَّذِي يَصِلُ بِالْوَاسِطَةِ. مِنْ قَوْلِهِ: {وَكَذَلِكَ نُرِي إِبْرَاهِيمَ مَلَكُوتَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلِيَكُونَ مِنَ الْمُوقِنِينَ} [الأنعام: 75] . وَالْحَبِيبُ الَّذِي يَصِلُ بِهِ إِلَيْهِ. مِنْ قَوْلِهِ: {فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى} [النجم: 9] . وَقَالَ الْخَلِيلُ: {وَالَّذِي أَطْمَعُ أَنْ يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ} [الشعراء: 82] . وَقَالَ اللَّهُ لِلْحَبِيبِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {لِيَغْفِرَ لَكَ اللَّهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ} [الفتح: 2] . وَقَالَ الْخَلِيلُ: {وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ} [الشعراء: 87] . وَقَالَ اللَّهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ {يَوْمَ لَا يُخْزِي اللَّهُ النَّبِيَّ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ} [التحريم: 8] . وَقَالَ الْخَلِيلُ حِينَ أُلْقِيَ فِي النَّارِ: حَسْبِيَ اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ. وَقَالَ اللَّهُ لِمُحَمَّدٍ: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ حَسْبُكَ اللَّهُ وَمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} [الأنفال: 64] . وَقَالَ الْخَلِيلُ: {إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي سَيَهْدِينِ} [الصافات: 99] . وَقَالَ اللَّهُ لِمُحَمَّدٍ: {وَوَجَدَكَ ضَالًّا فَهَدَى} [الضحى: 7] . وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫১৬৮
الْخَلِيلُ: {وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ} [الشعراء: 84] . وَقَالَ اللَّهُ لِمُحَمَّدٍ: {وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ} [الشرح: 4] . وَقَالَ الْخَلِيلُ: {وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ} [إبراهيم: 35] . وَقَالَ اللَّهُ لِلْحَبِيبِ {إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ} [الأحزاب: 33] . وَقَالَ الْخَلِيلُ: {وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ} [الشعراء: 85] . وَقَالَ اللَّهُ لِمُحَمَّدٍ: {إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ} [الكوثر: 1] . وَذَكَرَ أَشْيَاءَ أُخَرَ، وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنِّي سَأَقُومُ مَقَامًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَرْغَبُ إِلَيَّ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى أَبُوهُمْ إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ» . فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ أَفْضَلُ مِنْهُ، إِذْ هُوَ مُحْتَاجٌ إِلَيْهِ فِي ذَلِكَ الْمَقَامِ، وَدَلَّ عَلَى أَنَّ إِبْرَاهِيمَ أَفْضَلُ الْخَلْقِ بَعْدَهُ، وَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَفْضَلَ مِنْ إِبْرَاهِيمَ بَعْدَهُ لَذَكَرَهُ. ثُمَّ قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: إِنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، حُجِبَ عَنْ نَمْرُودَ بِحُجُبٍ ثَلَاثَةٍ. قِيلَ: فَقَدْ كَانَ كَذَلِكَ، وَحُجِبَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمَّنْ أَرَادُوا قَتْلَهُ بِخَمْسَةِ حُجُبٍ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي أَمْرِهِ: {وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ} [يس: 9] . فَهَذِهِ ثَلَاثٌ، ثُمَّ قَالَ: {وَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآنَ جَعَلْنَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ حِجَابًا مَسْتُورًا} [الإسراء: 45] . ثُمَّ قَالَ: {فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَ} [يس: 8] . فَهَذِهِ خَمْسَةُ حُجُبٍ. وَقَدْ ذَكَرَ مِثْلَهُ سَوَاءً الْفَقِيهُ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَامِدٍ،
পৃষ্ঠা - ৫১৬৯

একবার রাসুল করীম (সা) সালাতে সিজদায় রত ছিলেন ৷ এমন সময় আবু জাহল যে
দিকে অগ্রসর হল ৷ উদ্দেশ্য ছিল রাসুলের মস্তক মুবারক তার অপবিত্র পা দিয়ে মাড়াবে ৷ বিত্
হঠাৎ সে তার সম্মুখে এক ভয়াবহ অগ্নি গহবর দেখতে গেল এবং গহবরের পরেই ফেরেশতার
পাখা দেখতে পেল ৷ তা দেখে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সে আত্মরক্ষা মুলকভাবে হস্তদ্বয় সম্মুখে রেখে
উলটোভাবে ফিরে এলো ৷ কুরায়শগণ জিজ্ঞেস করল, নিপাত যাও, কী হয়েছে তোমার? তখন
যা সে দেখেছিল তা বর্ণনা করল ৷ নবী করীম (সা) বললেন, যে যদি আরও অগ্রসর হত

তাহলে ফেরেশতারা তাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলত ৷ যে রাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হিজরত করছিলেন
সে রাত্রে কুরায়শরা তীর বের হবার সকল পথ বন্ধ করে তার বাড়িকে অবরুদ্ধ করে রাখার
জন্যে লোক নিযুক্ত করে ৷ বলে দেয়া হল, যখনই মুহাম্মদ (সা) বেরোবার চেষ্টা করবেন
তখনই তাকে হত্যা করে ফেলবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) হযরত তআলীকে তার বিছানায় শয়ন করার
নির্দেশ দিয়ে বের হয়ে আসেন ৷ শত্রুরা তখনও বাড়ির চারিপাশে বসা রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এক মুষ্টি ধুলি হাতে নিয়ে :,;,ং: ৷ ;ৰুা৷এে বলে তাদের দিকে নিক্ষেপ করেন, যা প্রত্যেক
কাফিরের মাথায় গিয়ে পড়ে ৷ সুতরাছুরাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে আর তারা দেখতে পেলনা ৷ এরপর
আসে পারে-ছওর এর ঘটনা ৷ মাকড়শা গর্তের মুখে জাল বুনে দেয়৷ আবু বকর (বা)
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ ওদের কেউ যদি তার পায়ের দিকে তাকায় তবে
তাে আমাদেরকে দেখে ফেলবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমরা দু’জন নই ৷ তৃতীয়জন
আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন ৷ জনৈক করি এ প্রসঙ্গে বলেছেন :

০ ’ :

;াস্পো

দাউদ নির্মিত বর্ম গুহাবাসীকে রক্ষা করেনি, বরং তাদের কৃতিত্ব মাকড়শারই প্রাপ্য ৷

মদীনায় পথে যাওয়ার প্রাক্কালে সুরাকা ইবন মালিক ইবন জুনদুম রাসুলের পিছনে ধাওয়া
করে ৷ কিন্তু অশ্বের পা মাটির মধ্যে দেবে যায় ৷ সে তার নিকট থেকে নিরাপত্তার ওয়াদা নেয়
যেমনটি হিজরতের ঘটনায় আমরা বিস্তারিত বলে এসেছি ৷

ইবন হামিদ উল্লেখ করেছেন, ইব্রাহীম (আ)-কে আমরা দেখতে পাই যে, আল্লাহর
নির্দেশ পালন করার জন্যে আপন পুত্রকে যবেহ্ করার উদ্দেশ্যে যমীনের উপর শায়িত করেন ৷
কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আমরা দেখি যে, উহুদসহ অন্যান্য যুদ্ধে নিজেকেই তিনি হত্যার
মুখোমুখি পেশ করে দেন ৷ ফলে কাফিররা যা করার তাই করেছে তার মাথায় আঘাত
হেনেছে, নীচের পাটির ডান দিকের সামনের দাত ভেঙ্গে ফেলেছে, যেমনটি ইতিপুর্বে বলা
হয়েছে ৷
ইবরাহীম (আ)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, আল্লাহ্ সে আগুনকে শীতল ও
শান্তিময় করে দেন ৷ এর মুকড়াবিলায় আবু হামিদ বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কেও অনুরুপ করা
হয়েছে ৷ খড়ায়বর দিবসে র্তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয় ৷ কিন্তু বিষ তার পোট শীতল ও শাত্তিময়
হয়ে যায় ৷ অথচ বিশর ইবন বারা ঐ বিষযুক্ত খাদ্য খেয়ে ইনতিকাল করেন ৷ সেই বিষযুক্ত
বকবীর রান রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে ভক্ষণ করতে দেয়া হয় ৷ তিনি ঐ রানের গোশত একগ্রাস
গ্রহণ করেন ৷ বন্তুত রানের মধ্যে বিষ ছিল বেশি ৷ কারণ তারা জানত যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) রান
খেতে ভালবাসেন ৷ বিন্দু আল্লাহর ইচ্ছার ব্যিষর ক্রিয়া খতম হয়ে যায় ৷ তিনি শেষ জীবন পর্যন্ত


وَمَا أَدْرِي أَيُّهُمَا أَخَذَ مِنَ الْآخَرِ؟ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ غَرِيبٌ، وَالْحُجُبُ الَّتِي ذَكَرَهَا لِإِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَا أَدْرِي مَا هِيَ، كَيْفَ وَقَدْ أَلْقَاهُ فِي النَّارِ الَّتِي نَجَّاهُ اللَّهُ مِنْهَا؟ ! وَأَمَّا مَا ذَكَرَهُ مِنَ الْحُجُبِ الْمُسْتَدِلِّ عَلَيْهَا بِهَذِهِ الْآيَاتِ، فَقَدْ قِيلَ: إِنَّهَا جَمِيعَهَا مَعْنَوِيَّةٌ لَا حِسِّيَّةٌ، بِمَعْنَى أَنَّهُمْ مُصْرَفُونَ عَنِ الْحَقِّ، لَا يَصِلُ إِلَيْهِمْ، وَلَا يَخْلُصُ إِلَى قُلُوبِهِمْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَقَالُوا قُلُوبُنَا فِي أَكِنَّةٍ مِمَّا تَدْعُونَا إِلَيْهِ وَفِي آذَانِنَا وَقْرٌ وَمِنْ بَيْنِنَا وَبَيْنِكَ حِجَابٌ} [فصلت: 5] . وَقَدْ حَرَّرْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي السِّيرَةِ وَفِي " التَّفْسِيرِ " أَنَّ أُمَّ جَمِيلٍ امْرَأَةَ أَبِي لَهَبٍ لَمَّا نَزَلَتِ السُّورَةُ فِي ذَمِّهَا وَذَمِّ زَوْجِهَا، وَدُخُولِهِمَا النَّارَ، وَخَسَارِهِمَا، جَاءَتْ بِفِهْرٍ، وَهُوَ الْحَجَرُ الْكَبِيرُ الْمُسْتَطِيلُ ; لَتَرْجُمَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَانْتَهَتْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ وَهُوَ جَالِسٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ تَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَتْ لِأَبِي بَكْرٍ: أَيْنَ صَاحِبُكَ؟ فَقَالَ: وَمَا لَهُ؟ فَقَالَتْ: إِنَّهُ هَجَانِي. فَقَالَ: وَمَا هَجَاكِ فَقَالَتْ: وَاللَّهِ لَئِنْ رَأَيْتُهُ لَأَضْرِبَنَّهُ بِهَذَا الْفِهْرِ. ثُمَّ رَجَعَتْ وَهِيَ تَقُولُ: مُذَمَّمًا أَبَيْنَا وَدِينَهُ قَلَيْنَا. وَكَذَلِكَ حُجِبَ وَمُنِعَ أَبِي جَهْلٍ حِينَ هَمَّ أَنْ يَطَأَ بِرِجْلِهِ رَأْسَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ سَاجِدٌ، فَرَأَى خَنْدَقًا مِنْ نَارٍ وَهَوْلًا عَظِيمًا، وَأَجْنِحَةَ الْمَلَائِكَةِ دُونَهُ، فَرَجَعَ الْقَهْقَرَى وَهُوَ يَتَّقِي بِيَدَيْهِ، فَقَالَتْ لَهُ قُرَيْشٌ: مَا لَكَ؟ وَيَحَكَ! فَأَخْبَرَهُمْ بِمَا رَأَى، وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَوْ أَقْدَمَ لَاخْتَطَفَتْهُ الْمَلَائِكَةُ عُضْوًا عُضْوًا» ". وَكَذَلِكَ لَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ
পৃষ্ঠা - ৫১৭০

সুস্থ্যতারে বেচে থাকেন ৷ তবে মৃত্যুকালে তিনি কিছুটা বিষ যস্ত্রণ৷ উপলব্ধি করেন ৷ যা ঐ
বিষাক্ত খাদ্যেরই পরিণতি ছিল ৷ সিরিয়া বিজয়ী খালিদ ইবন ওলীদ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে,
তার কাছে বিষ অ না হয় এবং শত্রুদের সম্মুখে তিনি তা পান করেন যাতে তারা ভীত্ম;হয় ৷ এ
বিয়ে তার কোন ক্ষতি হয়নি ৷

আবু নু আয়ম বলেন, কেউ যদি প্রশ্ন তোলে যে, হযরত ইবরাহীম (আ)-এর সাথে নমরুদ
নবুওয়াতের ব্যাপারে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল এবং সে বিতর্কে তিনি নমরুদকে নিরুত্তর করে
দিয়েছিলেন ৷ এটা তার একটা বড় বৈশিষ্ট্য ৷ যেমন আল্লাহ্ বলেনও ,$ রু;স্র ৷ প্রু

“অতঃপর যে কুফরী করেছিল যে হত তবুদ্ধি হয়ে গেল (২ বাকারা০ ২৫৮) ৷

এর উত্তরে বলা যায় যে, হযরত মুহাম্মদ (না)-এর নিকট উবায়ব্র ইবন খালাফ উপ
হয় ৷ সে পুনরুথানে বিশ্বাস করতো না ৷ হাতিঃ পচেগলে যাবার পর কি করে তা জীবিত করা
যায় এ ছিল তার প্রশ্ন৪
যখন তা পচে গলে যাবে? (৩৬ ইয়াসীনং ৭৮) ৷

উত্তরে আল্লাহ অকাট্য যুক্তি দেখিয়ে
; ; ;,;া£ন্ ;;’, “বল, তার মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করবেন তিনিই, যিনি ইহা প্রথম বার সৃষ্টি
করেছিলেন এবং তিনি প্রত্যেকটি সৃষ্টি সম্পর্কে পরিজ্ঞাত” ( ৩৬ ইয়াসীনং ৭৯) ৷

এ জবাব শুনে প্রশ্নকারী নবুওতে র প্রমাণ পেয়ে নির্বাক হয়ে চলে যায় ৷ প্রকৃতপক্ষে এরুপ
উত্তর প্রমাণ পেশের জন্যে অধিকতর অকাট্য ৷ কেননা এখানে পুনরুথানকে প্রমাণ করার জন্যে
প্রথম সৃষ্টিকে প্রমাণ হিসেবে দাড় করান হয়েছে ৷ সুতরাং পুর্বে ছিলনা এমন বস্তুকে যে সত্তা
অস্তিত্ব দান করতে পারেন, তিনি অবশ্যই তাকে পুনরায় অন্তিত্বে আনতে সক্ষম ৷ আল্লাহ বলেনঃ


;ন্>াছুষ্৷ ৷
যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেনত তিনি কি তাদের অনুরুপ সৃষ্টি করতে সমর্থ
নন? হ্যা, নিশ্চয়ই তিনি মহাস্রষ্টা সর্বজ্ঞ (৩৬ ইয়াসীনং ৮১) ৷
অন্য আয়াতে “মৃতকে জীবিত করতে তিনি
সক্ষম (৪৬ আহকাফ০ : ৩৩) ৷
আল্লাহ্ ৷ ঠুটু১, “তিনি সৃষ্টিকে
অস্তিত্বে আনয়ন করেন, এরপর তিনি তা সৃষ্টি করবেন পুনর্বার ৷ এটা তার জন্যে অতি সহজ
(৩০ রুম০ ২৭) ৷
ইহকালীন জীবন ও পারলৌকিক জীবন-তথা সৃষ্টি ও পুনরুথান অধিকাত্শের মতে যুক্তি
সাপেক্ষ বিষয়, ইদ্রিয়গ্ৰাহ্য বিষয় নয় ৷ ইবরাহীম (আ) এর সাথে যে লোক বিতর্ক করেছিল,
যে ছিল কাফির ও বিদ্বেষমুলকতারে সত ৷কে অস্বীকারকারী ৷ অন্যথায় সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব একটি
স্বতাবজাত স্বীকৃত বিষয় ৷ প্রত্যেবেইি এটা স্বীকার করতে বাধ্য ৷ তবে হা, যার স্বভাবজাত ও
জন্মগত ধারণা লোপ পেয়েছে তার কথা ভিন্ন, তার নিকট এটা ঘৃক্তিতর্কের বিষয় হয়ে দাড়ায় ৷


الْهِجْرَةِ وَقَدْ أَرْصَدُوا عَلَى مَدْرَجَتِهِ وَطَرِيقِهِ وَحَوَالَيْ بَيْتِهِ رِجَالًا يَحْرُسُونَهُ ; لِئَلَّا يَخْرُجَ، وَمَتَى عَايَنُوهُ قَتَلُوهُ، فَأَمَرَ عَلِيًّا فَنَامَ عَلَى فِرَاشِهِ، ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْهِمْ وَهُمْ جُلُوسٌ، فَجَعَلَ يَرُشُّ عَلَى رَأْسِ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ تُرَابًا وَيَقُولُ: " «شَاهَتِ الْوُجُوهُ» ". ثُمَّ خَرَجَ وَلَمْ يَرَوْهُ حَتَّى صَارَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ. إِلَى غَارِ ثَوْرٍ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي السِّيرَةِ، وَكَذَلِكَ ذَكَرْنَا أَنَّ الْعَنْكَبُوتَ سَدَّ عَلَى بَابِ الْغَارِ ; لِيُعَمِّيَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مَكَانَهُ. وَفِي " الصَّحِيحِ " «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ نَظَرَ أَحَدُهُمْ إِلَى مَوْضِعِ قَدَمَيْهِ لَأَبْصَرْنَا. فَقَالَ: " يَا أَبَا بَكْرٍ، مَا ظَنُّكَ بِاثْنَيْنِ اللَّهُ ثَالِثُهُمَا؟» ". وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي ذَلِكَ: نَسْجُ دَاوُدَ مَا حَمَى صَاحِبَ الْغَا ... رِ وَكَانَ الْفَخَارُ لِلْعَنْكَبُوتِ وَكَذَلِكَ حُجِبَ وَمُنِعَ مِنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشَمٍ حِينَ اتَّبَعَهُمْ، بِسُقُوطِ قَوَائِمِ فَرَسِهِ فِي الْأَرْضِ، حَتَّى أَخَذَ مِنْهُ أَمَانًا، كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُهُ فِي الْهِجْرَةِ. وَذَكَرَ ابْنُ حَامِدٍ فِي كِتَابِهِ فِي مُقَابَلَةِ إِضْجَاعِ إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَلَدَهُ لِلذَّبْحِ مُسْتَسْلِمًا لِأَمْرِ اللَّهِ تَعَالَى، بَذْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفْسَهُ لِلْقَتْلِ يَوْمَ أُحُدٍ وَغَيْرَهُ حَتَّى نَالَ مِنْهُ الْعَدُوُّ مَا نَالُوا ; مِنْ هَشْمِ رَأَسِهِ، وَكَسْرِ ثَنِيَّتِهِ الْيُمْنَى السُّفْلَى،
পৃষ্ঠা - ৫১৭১
كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُ ذَلِكَ فِي السِّيرَةِ. ثُمَّ قَالَ: قَالُوا: كَانَ إِبْرَاهِيمُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَلْقَاهُ قَوْمُهُ فِي النَّارِ فَجَعَلَهَا اللَّهُ بَرْدًا وَسَلَامًا. قُلْنَا: وَقَدْ أُوتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُهُ، وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا نَزَلَ بِخَيْبَرَ سَمَّتْهُ الْخَيْبَرِيَّةُ، فَصُيِّرَ ذَلِكَ السُّمُّ فِي جَوْفِهِ بَرْدًا وَسَلَامًا إِلَى مُنْتَهَى أَجَلِهِ، وَالسُّمُّ يَحْرِقُ - إِذْ لَا يَسْتَقِرُّ فِي الْجَوْفِ - كَمَا تَحْرِقُ النَّارُ. قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِذَلِكَ فِي فَتْحِ خَيْبَرَ. وَيُؤَيِّدُ مَا قَالَهُ أَنَّ بِشْرَ بْنَ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ مَاتَ سَرِيعًا مِنْ تِلْكَ الشَّاةِ الْمَسْمُومَةِ، وَأَخْبَرَ ذِرَاعُهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا أُودِعَ فِيهِ مِنَ السُّمِّ، وَكَانَ قَدْ نَهَشَ مِنْهُ نَهْشَةً، وَكَانَ السُّمُّ فِيهِ أَكْثَرَ ; لِأَنَّهُمْ كَانُوا يَفْهَمُونَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، يُحِبُّ الذِّرَاعَ، فَلَمْ يَضُرَّهُ السُّمُّ الَّذِي حَصَلَ فِي بَاطِنِهِ بِإِذْنِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، حَتَّى انْقَضَى أَجَلُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ حِينَئِذٍ مِنْ أَلَمِ ذَلِكَ السُّمِّ الَّذِي كَانَ فِي تِلْكَ الْأَكْلَةِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي تَرْجَمَةِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ الْمَخْزُومِيِّ فَاتِحِ بِلَادِ الشَّامِ أَنَّهُ أُتِيَ بِسُمٍّ فَتَحَسَّاهُ بِحَضْرَةِ الْأَعْدَاءِ ; لِيُرْهِبَهُمْ بِذَلِكَ، فَلَمْ يَرَ بَأْسًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. ثُمَّ قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: فَإِنَّ إِبْرَاهِيمَ خَصَمَ نَمْرُودَ بِبُرْهَانِ نُبُوَّتِهِ فَبَهَتَهُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ} [البقرة: 258] . قِيلَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَاهُ الْمُكَذِّبُ بِالْبَعْثِ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ بِعَظْمٍ بَالٍ فَفَرَكَهُ وَقَالَ: {مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ} [يس: 78] . فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى الْبُرْهَانَ السَّاطِعَ: {قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنْشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ} [يس: 79] [يس: 79:] فَانْصَرَفَ مَبْهُوتًا بِبُرْهَانِ
পৃষ্ঠা - ৫১৭২

কোন কোন দার্শনিক স্রষ্টার অস্তিতুকে যুক্তিসাপেক্ষ মনে করেন, অপরিহার্য গণ্য করেন না ৷ যা
হোক, নমরুদের দাবি যে, সেই জীবন দান করে ও মৃত্যু দেয় ৷ কিন্তু জ্ঞান-বুদ্ধি এটা গ্রহণ
করেনা,এেবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ বিবেচনায় এটা অস্বীকার করেছে ৷ সুতরাং ইব্রাহীম
নমরুদকে তার দাবি প্রমাণের জন্যে বলেন, যদি তোমার দাবি সঠিক হয়ে থাকে তবে তুমি
পশ্চিম দিক থেকে সুর্য উদিত কর৪ ৰু;পুা৷ট্রুা৷ ৷ ণ্টুন্ত্রঠু৷ ৷ ষ্;ধ্ন্ ৰু৷ রুা৷ ৷ , ,$ ঠু;;এ ৷ গ্রা
“তখন যে কুফরী মচত ছিল সে হতবুদ্ধি হয়ে গেল ৷ আর আল্লাহ্ যালিম সম্প্রদায়কে সঠিক পথ
দেখান না ৷
এ ঘটনার মুকাবিলায় আমরা বলতে পারি, এরুপ এক বিদ্রোহী কাফির উহুদ যুদ্ধের সময়

রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সম্মুখে আসে ৷ তিনি নিজ হাতে তাকে হত্যা করেন ৷ ঘটনা ছিল এরুপ :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি বর্শা তার প্রতি নিক্ষেপ করেন ৷ বর্শা তার র্কাধে স্পর্শ করে যায় ৷ এরই
যস্ত্রণায় সে কয়েকবার ঘোড়া থেকে নীচে পড়ে যায় ৷ দলের লোকজন জিজ্ঞেস করল, রে
হতভাগা, কি হয়েছে তোর? সে বললো, আল্লাহ্র কসম, যে যন্ত্রণা আমার হচ্ছে তা যদি
যুলমাজাজে উপস্থিত লোককে ভাগ করে দেয়া হত তবে সবাই মারা যেত ৷ তোমরা জান,
মুহাম্মদ কি এ কথা বলেনি যে, আমিই তাকে হত্যা করব ৷ আল্লাহর কলম, সে যদি আমার
৷ ,
এই অভিশপ্ত কাফির (মক্কায়) একটি ঘোড়া পুষতো এবং একটি বর্শ৷ রাখতাে এবং বলত, এই
ঘোড়ার চড়ে আমি মুহাম্মদ (সা)-কে হত্যা করব ৷ এ সংবাদ ণ্ৰুশানার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছিলেন, বরং আমিই তাকে হত্যা করব ইনৃশা আল্লাহ ৷ আর উহুদ যুদ্ধে তইি সত্যে
পরিণত হয় ৷ আবু নু’আয়ম এরপর বলেন, যদি বলা হয় হযরত ইব্রাহীম (আ) আল্লাহ্র
সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ক্রুব্ধ হয়ে মুর্তি ভোঙ্গছিলেন, তবে তার উত্তরে আমরা বলতে পারি যে,
হযরত মুহাম্মদ (না) ৩৬০ টি মুর্তি ভেঙ্গেছেন যেগুলিকে কাফির সর্দারগণ শীসা ও পিতল দ্বারা
তৈরী করেছিল ৷ তিনি এক একটি মুর্তির নিকট গিয়ে স্পর্শ না করেই কেবল লাঠি দ্বারা ইঙ্গিত
করেছেন, আর অমনি তা হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে গেছে ৷ তখন রাসুল (সা) শুধু মুখে
বলতেনং : ৷ওদ্বু১; ৰু;াৰু “অর্থাৎ-সত্য এসেছে,
মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিখ্যার্তো বিলুপ্ত হ্বাৰুইে জিনিস” (১ ৭ ইসরা০ ৪ ৮১) ৷

তারপর সমস্ত ভগ্ন মুর্তি দুরে নিক্ষেপ করা হয় ৷ এ পদ্ধতি ইব্রাহীম (আ)-এর পদ্ধতি
অপেক্ষা অধিকতর বিস্ময়কর বটে ৷ এ প্রসঙ্গে সহীহ্ হাদীসসমুহ সুত্রসহ রাসুলের মক্কা বিজয়ের
অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে ৷

বহু সং খ্যক জীবনীকার লিখেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) এর জন্ম লপুেও একবার মুর্তি
ভু-লুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ ভাঙ্গার চেয়ে এটা নিঃসন্দেহে অধিকতর সুদৃঢ় মু জিযা ৷ ইতিপুর্বে উল্লেখ
করা হয়েছে যে, যে রাত্রে নবী করীম (সা) জন্ম হুাহণ করেন এ রাত্রে পারস্যের অগ্নি কুন্ডলী
নিৰ্বাপিত হয়ে যায়-যে অগ্নি কুন্ডলী যুগ যুগ ধরে প্রজ্জ্বলিত হয়ে আসছিল এবং পারস্যবাসীরা
যার উপাসনা করত ৷ এর এক বছর পুর্ব থেকে আর কোন দিন ইহা নির্বাপিত হয়নি ৷ তা ছাড়া
ঐ একই রাত্রে রোমের রাজপ্রাসাদের চৌদ্দটি কার্নিশ ধ্বসে পড়েছিল ৷ এ ঘটনার দ্বারা ইঙ্গিত
দেয়৷ হয়েছিল যে, অল্প দিনের ব্যবধানে তাদের চৌদ্দজন সম্রাটের পতন হবার সাথে সাথে


نُبُوَّتِهِ. قُلْتُ: وَهَذَا أَقْطَعُ لِلْحُجَّةِ، وَهُوَ اسْتِدْلَالُهُ عَلَى الْمَعَادِ بِالْبَدَاءَةِ، فَالَّذِي خَلَقَ الْخَلْقَ بَعْدَ أَنْ لَمْ يَكُونُوا شَيْئًا مَذْكُورًا قَادِرٌ عَلَى إِعَادَتِهِمْ، كَمَا قَالَ: {أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُمْ بَلَى وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ} [يس: 81] . أَيْ يُعِيدُهُمْ كَمَا بَدَأَهُمْ كَمَا قَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يُحْيِيَ الْمَوْتَى} [الأحقاف: 33] . وَقَالَ: {وَهُوَ الَّذِي يَبْدَأُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ وَهُوَ أَهْوَنُ عَلَيْهِ} [الروم: 27] . هَذَا وَأَمْرُ الْمَعَادِ نَظَرِيٌّ لَا فِطْرِيٌّ، ضَرُورِيٌّ فِي قَوْلِ الْأَكْثَرِينَ، فَأَمَّا الَّذِي حَاجَّ إِبْرَاهِيمَ فِي رَبِّهِ فَإِنَّهُ مُعَانِدٌ مُكَابِرٌ، فَإِنَّ وُجُودَ الصَّانِعِ مَذْكُورٌ فِي الْفِطَرِ، وَكُلُّ وَاحِدٍ مَفْطُورٌ عَلَى ذَلِكَ، إِلَّا مَنْ تَغَيَّرَتْ فِطْرَتُهُ، فَيَصِيرُ نَظَرِيًّا عِنْدَهُ، وَبَعْضُ الْمُتَكَلِّمِينَ يَجْعَلُ وُجُودَ الصَّانِعِ مِنْ بَابِ النَّظَرِ لَا الضَّرُورِيَّاتِ، وَعَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ فَدَعْوَاهُ أَنَّهُ هُوَ الَّذِي يُحْيِي الْمَوْتَى وَيُمِيتُ لَا يَقْبَلُهُ عَقْلٌ وَلَا سَمْعٌ، وَكُلُّ وَاحِدٍ يُكَذِّبُهُ بِعَقْلِهِ فِي ذَلِكَ، وَلِهَذَا أَلْزَمَهُ إِبْرَاهِيمُ بِالْإِتْيَانِ بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَغْرِبِ إِنْ كَانَ كَمَا ادَّعَى: {فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ} [البقرة: 258] . وَكَانَ يَنْبَغِي أَنْ يُذْكُرَ مَعَ هَذَا أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى سَلَّطَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى هَذَا الْمُعَانِدِ لَمَّا بَارَزَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ، فَقَتَلَهُ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ ; طَعَنَهُ بِحَرْبَةٍ فَأَصَابَ تَرْقُوَتَهُ فَتَدَأْدَأَ عَنْ فَرَسِهِ مِرَارًا، فَقَالُوا لَهُ: وَيَحَكَ مَا لَكَ؟ ! فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ بِي لَمَا لَوْ كَانَ بِأَهْلِ ذِي الْمَجَازِ لَمَاتُوا أَجْمَعِينَ، أَلَمْ يَقُلْ: " بَلْ أَنَا أَقْتُلُهُ؟ " وَاللَّهِ لَوْ بَصَقَ عَلَيَّ لَقَتَلَنِي. وَكَانَ أُبَيٌّ هَذَا،
পৃষ্ঠা - ৫১৭৩

তাদের সাম্রাজ্যেরও পতন ঘটবে ৷ অথচ প্রায় তিন হাজার বছর ধরে তাদের সম্রাজ্য চলে
আসৃজ্জি ৷

হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর দ্বারা চার প্রকার পাখির জীবিত হওয়া প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয়
আলোচনা হযরত ঈসা (আ) কর্তৃক মৃতকে জীবন দানের বর্ণনায় আসবে ৷ উষ্মতে মুহাম্মদীর
দু আর বরকতে মৃতকে জীবন দান, শুকনা গাছের ক্রন্দন, পাথর ও বৃক্ষের সালাম দান, শস্য
ক্ষেতের সাথে কথাবার্তা ইত্যাদি আলোচনা সেখানে আসবে ৷

ইব্রাহীম (আ) প্রসঙ্গে নিম্নের আয়াত :
“এভাবে ইবৱাহীমকে আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর পরিচালনা ব্যবস্থা দেখইি, আর যাতে সে

নিশ্চিত বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়” ( ৬ আন আমং ৭৫) ৷

এর মােকাবিলায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রসঙ্গে আল্লাহ্ বলেন :

, £হ্রট্রুাছু প্রুা৷ ৷

“পবিত্র ও মহিমান্বিত তিনি, যিনি তার বান্দাকে রজ্জীযােগে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল
হারাম থেকে মসজিদুল আকসায়, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার
নিদর্শন দেখাবার জন্যে; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা” ( ১ ৭ ইসরা : ১) ৷

এ গ্রন্থে মি’রাজের অধ্যায়ে এবং তাফসীর গ্রন্থে এ সংক্রান্ত সহীহ্ হাদীস উল্লেখ করেছি
যে, মক্কা ও বায়তৃল মাকদিসের মাঝে এবং সেখান হতে প্রথম আকাশ পর্যন্ত এবং তারপরে
সাত আসমান, সিদরাতৃল মুনতাহা এবং জান্নাত ও জাহান্নামে বিজ্যি নিদর্শনাবলী রাসুলকে
দেখান হয়েছিল ৷ আহমদ, তিরমিযী ইত্যাদি কিভাবে সহীহ্ বর্ণনায় এসেছে, নবী করীম (সা)
বলেছেন, “আমার সম্মুখে প্রতিটি জিনিস প্রকাশিত হয় এবং আমি তার পুঢ় তত্ত্ব আনতে সক্ষম
হই ৷

ইবন হামিদ বলেছেন, ইয়াকুব (আ)-ণ্ক আল্লাহ্ তাআলা পরীক্ষায় ফেলেছিলেন; তার
পুত্র ইউসুফ (আ)-কে হারিয়ে তিনি ধৈর্য ধারণ করেন ও আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা
করেন ৷ এর মুকাবিলায় তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রসঙ্গে বলেন, রাসুল (না)-এর পুত্র ইবৱাহীমকে
মৃত্যু দানের মাধ্যমে আল্লাহ তীর ধৈর্যের পরীক্ষা নেন এবং তিনি এতে ধৈর্য ধারণ করেন ৷ তবে
এ ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উক্তি করেছিলেন যে, চোখ অশ্রু প্রবাহিত, করছে এবং অন্তর ব্যথিত
হয়েছে, আল্লাহ্র সন্তুষ্টি যাতে নেই, এমন কোন কথা আমরা বলি না, ওহে ইব্রাহীম তোমার
জন্যে আমরা দুঃখিত ৷ আমি বলি, ইতিপুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তিন কন্যা ইনতিকাল করেন;
তারা হলেন রুকায়্যা, উম্মি কুলছুম ও যয়নাব; উহুদের যুদ্ধে চাচা হামযা শহীদ হন-এ সব
ক্ষেত্রে তিনি ধৈর্য অবলম্বন করেন ও পুণ্যের আশা করেন ৷ এরপর ইবন হামিদ হযরত ইউসুফ
(আ) এর সৌন্দর্যের মুকাবিলায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সৌন্দর্য, মাহাত্ম্য, সৌষ্ঠব ও স্বভাব-চরিত্র
দানশীলত৷ ইত্যাদির উল্লেখ করেছেন ৷ রাসুলের শামাইলের বর্ণনায় এ সং ক্রান্ত হাদীসসমুহ
উল্লেখিত হয়েছে ৷ যেমন রুবাই বিনত মাসউদ ব্লেছেনং
ৰা৷৬ “তুমি যদি তাকে দেখতে তাহলে উদীয়মান সুর্ফহ দেখতে”া


لَعَنَهُ اللَّهُ، قَدْ أَعَدَّ فَرَسًا وَحَرْبَةً لِيَقْتُلَ بِهَا عَلَيْهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " «بَلْ أَنَا أَقْتُلُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ» ". فَكَانَ كَذَلِكَ يَوْمَ أُحُدٍ. ثُمَّ قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: فَإِنَّ إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَسَرَ أَصْنَامَ قَوْمِهِ غَضَبًا لِلَّهِ. قِيلَ: «فَإِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَسَرَ ثَلَاثَمِائَةٍ وَسِتِّينَ صَنَمًا نُصِبَتْ حَوْلَ» الْكَعْبَةِ فَأَشَارَ إِلَيْهِنَّ فَتَسَاقَطْنَ. ثُمَّ رُوِيَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، «عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَحَوْلَ الْبَيْتِ ثَلَاثُمِائَةٍ وَسِتُّونَ صَنَمًا قَدْ أَلْزَقَهَا الشَّيْطَانُ بِالرَّصَاصِ وَالنُّحَاسِ، فَكَانَ كُلَّمَا دَنَا مِنْهَا بِمِخْصَرَتِهِ تَهْوِي مِنْ غَيْرِ أَنْ يَمَسَّهَا، وَيَقُولُ: " جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ، إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا» ". فَتَسَاقَطُ لِوُجُوهِهَا، ثُمَّ أَمَرَ بِهِنَّ فَأُخْرِجْنَ إِلَى الْمَسِيلِ، وَهَذَا أَظْهَرُ وَأَجْلَى مِنَ الَّذِي قَبْلَهُ، وَقَدْ ذَكَرْنَا هَذَا فِي أَوَّلِ دُخُولِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ بِأَسَانِيدِهِ وَطُرُقِهِ مِنَ الصِّحَاحِ وَغَيْرِهَا، بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ. وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ السِّيَرِ أَنَّ الْأَصْنَامَ تَسَاقَطَتْ أَيْضًا لَيْلَةَ مَوْلِدِهِ الْكَرِيمِ، وَهَذَا أَبْلَغُ وَأَقْوَى فِي الْمُعْجِزِ مِنْ مُبَاشَرَةِ كَسْرِهَا، وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ نَارَ فَارِسَ الَّتِي كَانُوا يَعْبُدُونَهَا خَمَدَتْ أَيْضًا لَيْلَتَئِذٍ، وَلَمْ تَخْمُدْ قَبْلَ ذَلِكَ بِأَلْفِ عَامٍ، وَأَنَّهُ سَقَطَ مِنْ شُرُفَاتِ قَصْرِ كِسْرَى أَرْبَعَ عَشْرَةَ شُرْفَةً، مُؤْذِنَةً بِزَوَالِ دَوْلَتِهِمُ الْكَافِرَةِ بَعْدَ هَلَاكِ أَرْبَعَةَ عَشَرَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫১৭৪
مُلُوكِهِمْ فِي أَقْصَرِ مُدَّةٍ، وَكَانَ لَهُمْ فِي الْمُلْكِ قَرِيبٌ مِنْ ثَلَاثَةِ آلَافِ سَنَةٍ. وَأَمَّا إِحْيَاءُ الطُّيُورِ الْأَرْبَعَةِ لِإِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَلَمْ يَذْكُرْهُ أَبُو نُعَيْمٍ وَلَا ابْنُ حَامِدٍ، وَسَيَأْتِي فِي إِحْيَاءِ الْمَوْتَى عَلَى يَدِ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مَا وَقَعَ مِنَ الْمُعْجِزَاتِ الْمُحَمَّدِيَّةِ مِنْ هَذَا النَّمَطِ مَا هُوَ مِثْلُ ذَلِكَ وَأَعْلَى مِنْ ذَلِكَ، كَمَا سَيَأْتِي التَّنْبِيهُ عَلَيْهِ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ ; مِنْ إِحْيَاءِ أَمْوَاتٍ بِدَعَوَاتٍ مِنْ أَمَتِّهِ، وَحَنِينِ الْجِذْعِ، وَتَسْلِيمِ الْحَجَرِ وَالشَّجَرِ وَالْمَدَرِ عَلَيْهِ، وَتَكْلِيمِ الذِّرَاعِ لَهُ، وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَكَذَلِكَ نُرِي إِبْرَاهِيمَ مَلَكُوتَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلِيَكُونَ مِنَ الْمُوقِنِينَ} [الأنعام: 75] . وَالْآيَاتُ بَعْدَهَا، فَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ} [الإسراء: 1] . وَقَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ ابْنُ حَامِدٍ فِيمَا وَقَفْتُ عَلَيْهِ بَعْدُ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي أَحَادِيثِ الْإِسْرَاءِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا، وَمِنَ " التَّفْسِيرِ " مَا شَاهَدَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ مِنَ الْآيَاتِ فِيمَا بَيْنَ مَكَّةَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَفِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا، ثُمَّ مَا عَايَنَ مِنَ الْآيَاتِ فِي السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَمَا فَوْقَ ذَلِكَ، وَسِدْرَةِ الْمُنْتَهَى، وَجَنَّةِ الْمَأْوَى، وَالنَّارِ الَّتِي هِيَ بِئْسَ الْمَصِيرُ وَالْمَثْوَى. وَقَالَ عَلَيْهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالسَّلَامِ فِي حَدِيثِ الْمَنَامِ - وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَصَحَّحَهُ، وَغَيْرُهُمَا -: " «فَتَجَلَّى لِي كُلُّ شَيْءٍ وَعَرَفْتُ» ". وَذَكَرَ ابْنُ حَامِدٍ فِي مُقَابَلَةِ ابْتِلَاءِ اللَّهِ يَعْقُوبَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِفَقْدِ وَلَدِهِ
পৃষ্ঠা - ৫১৭৫

অতঃপর ইবন হামিদ ইউসুফ (আ)-এর পরবাসী ও একাকী জীবনের পরীক্ষা সম্পর্কে
বলেন, রাসুলুলুাহ্ (সা) ষ্ মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেছেন, আপন জন্মভুমি ও
পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু বান্ধব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন ৷

হযরত মুসা (আ)-কে প্রদত্ত মুজিযা
মুসা (আ) কে প্রদত্ত বড় বড় মুজিযা ও নিদর্শন নয়টি ৷ আল্লাহ্ তাআলা বলেন : ং£fl§
া , ৷ ব্লুর্দু ; দ্রঠুঠু ৷পু ক্ট্র৷ “আমি মুসাকে নয়টি সুস্পষ্ট নিদর্শন দান করেছি” (১৭
ইসরা ১০১) ৷
তাফসীর গ্রন্থে এর ব্যাখ্যা ও আলিমদের এ সং ক্রান্ত পার্থক্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা
করেছি ৷ জমহুরের মতে নিদর্শনগুলাে এইং লাঠি জীবন্ত চলমান আজদড়াহায় পরিণত হওয়া,
হাত-যখন তিনি নিজের হাত বগলে ঢুকিয়ে বের করতেন তখন তা চাদের মত উজ্জ্বল ও
দীপ্তিময় হয়ে যেত, ফিরাউন ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে বদ দু আ তারা যখন মুসা (আ)
-কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে তখন তিনি বদ-দুআ করেন ৷ ফলে আল্লাহ তাদের উপর
শাস্তিমুলকতাবে বন্যা, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত প্রেরণ করেন, এ সবই ছিল তার নুবুওতের
সুস্পষ্ট নিদর্শন ও দৃর্ভিক্ষ ও মহামারী দ্বারাও আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দেন ৷৩ তা ছিল তিন প্রকারঃ
১ ফসলহানি, ২ বৃক্ষের ফল বিনষ্ট হওয়া বা ফল না হওয়া, ৩ আকস্মিক মৃত্যু ৷ ভিন্ন মতে
বন্যা, সমুদ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া এবং তার মধ্য দিয়ে বনী ইসরাঈলের পার হয়ে যাওয়া এবং
ফিরআউনের দলবলের নিমজ্জিত হওয়া,৩ তীহ্ প্রাম্ভরে বনী ইসরাঈলের বিভ্রান্ত হওয়া এবং
সেখানে মান্ন৷ ও সালওয়ার অবতরণ, পানির জন্যে আল্লাহ্র নিকট মুসা (আ) এর পানি
প্রার্থনা ৷ ফলে আল্লাহ একটি পাথর থেকে তাদের পানির ব্যবস্থা করে দেন ৷ পাথরটি তারা
পশুর পিঠের উপর রেখে বহন করতে ৩৷ পাথরটি ছিল চারটি মুখ ৷ মুস৷ (আ) যখন আপন লাঠি
দ্বারা পাথরটিকে আঘাত ৩করতেন তখন প্রতিটি মুখ থেকে পৃথক পৃথক৩ তিনটি করে পানির
ধারা বের হত ৷ বনী ইসরাঈলের বারটি উপগােত্রের প্রত্যেকে এক একটি ধারার পানি গ্রহণ
করত ৷ পুনরায় আঘাত করলে পানি বন্ধু হয়ে যেত ৷ এগুলো ব্যতীত আরও অনেক মুজিযা
মুসা (আ)-এর আছে, যার বিশদ বর্ণনা তাফসীরে ও এই কিতাবের কাসাসুল আম্বিয়া’ অধ্যায়ে
দেয়৷ হয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেছেন,যারা বাছুর পুজা করেছিল, তাদের সবাইকে আল্লাহ মৃত্যু
দান করেছিলেন এবং পুনরায় জীবিত করেছিলেন ৷ গাভীর ঘটনাটিও আর একটি উল্লেখযোগ্য
নিদর্শন ৷
মুসা (আ)-এর লাঠি ও তার জীবন লাভ প্রসঙ্গে আল্লামা ইবন যামালকানী বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে নিম্প্রাণ কঙ্কর তাসবীহ্ পাঠ করেছিল ৷ হযরত আবু যার (রা) থেকে
এ প্রসঙ্গে সহীহ্ হাদীস বর্ণিত আছে ৷ দালাইলুন নুবুওত অধ্যায়ে এ ব্যাপারে বিশদভাবে
আলোচনা করা হয়েছে ৷ পুনরােল্লেখ নিষ্পয়ােজন ৷ কেউ কেউ বলেছেন ঐ কঙ্করগুলাে হযরত
আবু বকর (না)-এর হাতে পরে হযরত উমরের হাতে এবংও তারপরে হযরত উছমানের হাতেও
তাসবীহ্ পাঠ করেছে, যেভাবে করেছিল হযরত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে ৷ আর রাসুল (সা)
বলেছিলেন : ইহ৷ নুবুওতের প্রতিনিধি ৰু(;প্রু ৷ ৷ ব১১া৯ ণ্১গু) ৷ হাফিয এক সনদে আবু বকর
ইবন হুবায়শের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে বংনাি করেন, আবু মুসলিম খাওলানীর একটা


يُوسُفَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَصَبْرِهِ وَاسْتِعَانَتِهِ رَبَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، مَوْتَ إِبْرَاهِيمَ ابْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَبْرَهُ عَلَيْهِ، وَقَوْلَهُ: " «تَدْمَعُ الْعَيْنُ وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ، وَلَا نَقُولُ إِلَّا مَا يُرْضِي رَبَّنَا، وَإِنَّا بِكَ يَا إِبْرَاهِيمُ لَمَحْزُونُونَ» ". قُلْتُ: وَقَدْ مَاتَتْ بَنَاتُهُ الثَّلَاثَةُ ; رُقَيَّةُ وَأُمُّ كُلْثُومٍ، وَزَيْنَبُ، وَقُتِلَ عَمُّهُ حَمْزَةُ أَسَدُ اللَّهِ وَأَسَدُ رَسُولِهِ يَوْمَ أُحُدٍ، فَصَبَرَ وَاحْتَسَبَ. وَذَكَرَ فِي مُقَابَلَةِ حُسْنِ يُوسُفَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مَا ذَكَرَ مِنْ جَمَالِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَهَابَتِهِ وَحَلَاوَتِهِ شَكْلًا وَنُطْقًا وَهَدْيًا، وَدَلًّا وَسَمْتًا، كَمَا تَقَدَّمَ فِي شَمَائِلِهِ مِنَ الْأَحَادِيثِ الدَّالَّةِ عَلَى ذَلِكَ، كَمَا قَالَتِ الرُّبَيِّعُ بِنْتُ مُعَوِّذٍ: لَوْ رَأَيْتَهُ لَرَأَيْتَ الشَّمْسَ طَالِعَةً. وَذَكَرَ فِي مُقَابَلَةِ مَا ابْتُلِيَ بِهِ يُوسُفُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنَ الْفُرْقَةِ وَالْغُرْبَةِ، هِجْرَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَمُفَارَقَتَهُ وَطَنَهُ وَأَهْلَهُ وَأَصْحَابَهُ الَّذِينَ كَانُوا بِهَا. [مِنْ آيَاتِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ] الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنَ الْآيَاتِ الْبَيِّنَاتِ. وَأَعْظَمُهُنَّ تِسْعُ آيَاتٍ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ} [الإسراء: 101] .
পৃষ্ঠা - ৫১৭৬

তাসবীহ্ ছড়া ছিল ৷ তিনি এর দ্বারা নিয়মিত তাসবীহ্ পাঠ করতেন ৷ এক রাতে খাওলানী
তাসবীহ্ হাতে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন ৷ তার অজান্তে তাসবীহ্ তার হাতের মধ্যে ঘুরতে থাকে ৷
হাতের দিকে তাকিয়ে তিনি শুনতে পেলেন-তাসবীহ্ থেকে নিম্নোক্ত দু আ পঠিত হচ্ছেং :
“আমি তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি
হে তরু-লতা উৎপাদনকারী, হে চিরঞ্জীব! ৷ তিনি শ্রীকে ডেকে বললেন, হে উম্মি মুসলিম !
শ্রীঘ্র এস, দেখ কী অবাক কান্ড! উম্মি মুসলিম এসে দেখতে পেলেন, তাসবীহ্টি হাতের মধ্যে
ঘুরছে এবং তাসবীহ্ পাঠ করছে ৷ কিন্তু মহিলা সেখানে বসতেই তাসবীহ্ পড়া বন্ধ হয়ে গেল ৷
এ ঘটনার চেয়েও অধিকতর সুস্পষ্ট বুখারীর এক রিওয়ায়াত ৷ হযরত ইবন মাসউদ বলেন,
আহার্য খ্যদ্যদ্রব্যের তাহবীহ্ পাঠ করা আমরা শ্রবণ করেছি : ণ্ক্রো ৷ ৰু ও ব্লুন্১ ৷£
,াওদ্ভুৰু ,¢, ৷ আমাদের শায়খ বলেছেন : রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে পাথরও সালাম করেছে ৷ ইমাম
মুসলিম হযরত জাবির ইবন সামুরা (রা) থেকে এ সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, আমি সেই পাথরটিকে চিনি, যে পাথরটি নুবুওত প্রাপ্তির পুর্বে মক্কায় আমাকে
সালাম করত, এখনও তার কথা আমার মনে পড়ে ও
;,১৷ ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, ঐ পাথরটি হল হাজারে আসওদ ৷ ইমাম তিরমিযী হযরত আলী (না)
থেকে বর্ণনা করেন, মক্কার কোন এক এলাকায় আমি নবী করীম (না)-এর সঙ্গে ছিলাম ৷
যখনই তিনি কোন বৃক্ষ বা পাহাড়ের সম্মুখীন হতেন তখনই তারা তী-কে সালাম জানাত, বলত
র্দুা৷ ৷ ৷ ৷ তিরমিযী এ হাদীসটিকে গরীব বলে অভিহিত করেছেন ৷
আবু নুআয়ম দালাইল গ্রন্থে হযরত আলীর বর্ণনা এভাবে দিয়েছেন : আমি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সঙ্গে বের হলাম ৷ যখনই তিনি কোন পাথর, বৃক্ষ, প্রান্তর কিংবা অন্য কোন
জিনিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করতেন তখনই তারা বলে উঠত ৷
আমাদের শায়খ বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আহবানে সাড়া দিয়ে একটি বৃক্ষ তার
নিকট চলে এসেছিল ৷ তাছাড়া ঐ দপুটি বৃক্ষের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন, যে দুটি বৃক্ষ
পরস্পর মিলিত হয়ে গিয়েছিল ৷ তখন নবী করীম (না) তাদের আড়ালে প্রাকৃতিক প্রয়োজন
সম্পন্ন করেছিলেন ৷ পরে বৃক্ষ দু’টি যথা স্থানে ফিরে যায় ৷ এ উভয় হাদীসই সহীহ্ সুত্রে বর্ণিত ৷
তবে এ ঘটনার দ্বারা বৃক্ষের জীবন লাভ করা বুঝায় না ৷ কারণ, হতে পারে বৃক্ষের কাণ্ডমুলে
চালিকা শক্তি দান করা হয়েছিল৩ তবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিম্নোক্ত উক্তি ষ্া৷ ণ্ ; ৷ান্নে ৷
র্মুা৷ ৷ “আল্লাহ্র নির্দেশক্রমে আমার অনুগত হও দ্বারা বৃক্ষের সাথে সম্বোধনপুর্বক কথা বলা
এবং নির্দেশমত বৃক্ষদ্বয়ের অনুগত হওয়ার দ্বারা বুঝা যায় যে, বৃক্ষদ্বয়ের মধ্যে চেতনা শক্তি
সঞ্চারিত হয়েছিল ৷ একবার তিনি একটি ফ্ফাদার খর্জুর বৃক্ষের এক কাধ৷ থেজুরকে নীচে নেমে
আমার নির্দেশ দিলেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তা মাটি চিরে বেরিয়ে নবী (না)-এর সম্মুখে এসে দীড়াল ৷
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসুল? উত্তরে কাধটি তিন বার
সাক্ষ্য প্রদান করে স্বস্থানে চলে যায় ৷ এ ঘটনা পুর্বের ঘটনা অপেক্ষা অধিক সামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ অবশ্য
হাদীসটি অধিক গরীব পর্যায়ের ৷


وَقَدْ شَرَحْنَاهَا فِي " التَّفْسِيرِ " وَحَكَيْنَا قَوْلَ السَّلَفِ فِيهَا، وَاخْتِلَافَهُمْ فِيهَا، وَأَنَّ الْجُمْهُورَ عَلَى أَنَّهَا هِيَ الْعَصَا فِي انْقِلَابِهَا حَيَّةً تَسْعَى، وَالْيَدُ إِذَا أَدْخَلَ يَدَهُ فِي جَيْبِ دِرْعِهِ ثُمَّ أَخْرَجَهَا تُضِيءُ كَقِطْعَةِ قَمَرٍ يَتَلَأْلَأُ إِضَاءَةً، وَدُعَاؤُهُ عَلَى قَوْمِ فِرْعَوْنَ حِينَ كَذَّبُوهُ فَأَرْسَلَ عَلَيْهِمُ الطُّوفَانَ وَالْجَرَادَ وَالْقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ آيَاتٍ مُفَصَّلَاتٍ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَكَذَلِكَ أَخَذَهُمُ اللَّهُ بِالسِّنِينَ، وَهِيَ نَقْصُ الْحُبُوبِ، وَبِالْجَدْبِ، وَهُوَ نَقْصُ الثِّمَارِ، وَبِالْمَوْتِ الذَّرِيعِ، وَهُوَ نَقْصُ الْأَنْفُسِ، وَهُوَ الطُّوفَانُ فِي قَوْلٍ، وَمِنْهَا فَلْقُ الْبَحْرِ لِإِنْجَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَإِغْرَاقِ آلِ فِرْعَوْنَ، وَمِنْهَا تَظْلِيلُ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي التِّيهِ بِالْغَمَامِ، وَإِنْزَالُ الْمَنِّ وَالسَّلْوَى عَلَيْهِمْ، وَاسْتِسْقَاؤُهُ لَهُمْ، فَجَعَلَ اللَّهُ مَاءَهُمْ يَخْرُجُ مِنْ حَجَرٍ يُحْمَلُ مَعَهُمْ عَلَى دَابَّةٍ، لَهُ أَرْبَعَةُ وُجُوهٍ، إِذَا ضَرَبَهُ مُوسَى بِعَصَاهُ يَخْرُجُ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ ثَلَاثَةُ أَعْيُنٍ، لِكُلِّ سِبْطٍ عَيْنٌ، ثُمَّ يَضْرِبُهُ فَيُقْلِعُ، وَقَتَلَ كُلَّ مَنْ عَبَدَ الْعِجْلَ مِنْهُمْ ثُمَّ أَحْيَاهُمُ اللَّهُ تَعَالَى، وَقِصَّةُ الْبَقَرَةِ، إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْآيَاتِ الْبَاهِرَاتِ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَفِي قِصَّةِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنْ كِتَابِنَا هَذَا فِي قَصَصِ الْأَنْبِيَاءِ مِنْهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ৫১৭৭
أَمَّا الْعَصَا فَقَالَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ ابْنُ الزَّمْلَكَانِيِّ: وَأَمَّا حَيَاةُ عَصَا مُوسَى، فَقَدْ سَبَّحَ الْحَصَا فِي كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَمَادٌ، وَالْحَدِيثُ فِي ذَلِكَ صَحِيحٌ، وَهَذَا الْحَدِيثُ مَشْهُورٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ، وَفِيهِ: «أَنَّهُنَّ سَبَّحْنَ فِي كَفِّ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرَ، ثُمَّ عُثْمَانَ، كَمَا سَبَّحْنَ فِي كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " هَذِهِ خِلَافَةُ النُّبُوَّةِ» . وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِسَنَدِهِ إِلَى بَكْرِ بْنِ خُنَيْسٍ، عَنْ رَجُلٍ سَمَّاهُ قَالَ: كَانَ بِيَدِ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ سُبْحَةٌ يُسَبِّحُ بِهَا. قَالَ: فَنَامَ وَالسُّبْحَةُ فِي يَدِهِ. قَالَ: فَاسْتَدَارَتِ السُّبْحَةُ فَالْتَفَّتْ عَلَى ذِرَاعِهِ، وَجَعَلَتْ تُسَبِّحُ، فَالْتَفَتَ أَبُو مُسْلِمٍ وَالسُّبْحَةُ تَدُورُ فِي ذِرَاعِهِ وَهِيَ تَقُولُ: سُبْحَانَكَ يَا مُنْبِتَ النَّبَاتِ، وَيَا دَائِمَ الثَّبَاتِ. فَقَالَ: هَلُمِّي يَا أُمَّ مُسْلِمٍ، وَانْظُرِي إِلَى أَعْجَبِ الْأَعَاجِيبِ. قَالَ: فَجَاءَتْ أُمُّ مُسْلِمٍ وَالسُّبْحَةُ تَدُورُ وَتُسَبِّحُ، فَلَمَّا جَلَسَتْ سَكَتَتْ. وَأَصَحُّ مِنْ هَذَا كُلِّهُ وَأَصْرَحُ حَدِيثُ الْبُخَارِيِّ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «كُنَّا نَسْمَعُ تَسْبِيحَ الطَّعَامِ وَهُوَ يُؤْكَلُ» .
পৃষ্ঠা - ৫১৭৮

হযরত ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত ৷ এক বেদুইন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে
জিজ্ঞেস করল, আপনি আল্লাহর রাসুল৩ তা আমি কিভাবে বুঝব?৩ তিনি বললেন, এই খেজুর
গাছের কা ৷ধিকে যদি আমি ডাকি আর সে যদি আমার কাছে চলে আসে তবে কি তুমি স্বীকার
করবে যে, আমি আল্লাহ্র রাসুল? সে বলল, হা ৷ অতঃপর রাসুল (সা) বৃক্ষোপরি খেজুর
কাধিকে ডাকলেন ৷ খেজঃ র্কাদি নীচে অবতরণ করল এবং মাটি চিরে নবী (সা) এর নিকট
এসে দাড়াল ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দোশ যথা স্থানে ফিরে গেল ৷ তখন বেদুইন
বলল, ণ্এে ৷ fl: , প্রু ৷া ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আল্লাহর রাসুল এবং সে ঈমান
গ্রহণ করল ৷ বায়হাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদও এটি বর্ণনা করেছেন ৷
তিরমিযী একে সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইমাম বুখাবীও তার তারীখে কাবীরে এটা বর্ণনা
করেছেন ৷ এ থেকে স্পষ্ট জানা গেল যে, জনৈক বেদুইন রিসালাতের প্রতি সাক্ষ্য প্রদান
করেছে ৷ ঐ বেদুইন ছিল বনু আমিরের লোক ৷ কিন্তু বায়হাকী এ হাদিসঢিই আমাশ সুত্রে
হযরত ইবন আব্বাস থেকে কিছুটা ভিন্নরুপে বর্ণনা করেছেন ৷ বলেছেন, এক লোক রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, আপনার সাথী-সঙ্গীরা এ কী কথা বলছে? তারা বলছে
যে, রাসুল (সা) বৃক্ষ ও খেজুর কাদিকে স্থানচ্যুত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কি
কোন নিদর্শন দেখতে চাও? সে বলল, জী হী ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খেজুর গাছের একটি
ডালকে লক্ষ্য করে আহবান করলেন ৷ ডালটি ছুটে এসে মাটি ফেড়ে রাসুল (না)-এর সম্মুখে
এসে দীড ভাল এবং ডালের মাথা একবার সিজদা করতে ও একবার মাথা উচু করতে থাকে ৷
অতঃপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিদ্যেশ ভাল তার আপন স্থানে চলে যায় ৷ এরপর আমির
গোত্রের লোকটি এ কথা বলতে বলতে চলে গেল যে, আমির ইবন সা“সা বলে থাকে, আমরা
তার কোন কথাই মিথ্যা বলবােনা ৷ সব সময়ই এ চর্চা সে করতে থাকে ৷

হযরত ইবন উমর থেকে হাকিমের বর্ণনা পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এক লোককে ইসলাম গ্রহণের দিকে আহ্বান জানান ৷ লোকটি বললো, আপনার দাবির পক্ষে
কি কোন সাক্ষী প্রমাণ আছে? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আছে-এই বৃক্ষ ৷ বৃক্ষটি ছিল
উপতক্যার কিনারায় ৷ তিনি তাকে আসার জন্যে আহবান করলেন ৷ সাথে সাথেই বৃক্ষটি মাটি
ফেড়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সম্মুখে উপস্থিত হয় ৷ তিনি বৃক্ষের নিকট রিসালাতের সাক্ষ্য দেয়ার
জন্যে বললেন ৷ হুকুম অনুযায়ী বৃক্ষটি তিনবার সাক্ষ্য দিল এবং আপন স্থানে ফিরে গেল ৷
বেদুইন লোকটি রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে এ কথা বলে বিদায় নিল যে, আমার গোত্রের লোকেরা
যদি আমার কথা মেনে নেয় তবে তাদেরকে সাথে নিয়ে আপনার কাছে আসর ৷ অন্যথায় আমি
একাই চলে আসর এবং আপনার সঙ্গী হয়ে থাকর ৷

এ ছাড়া খেজুর বৃক্ষের যে কান্ডের উপর ভর দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) খু৩ তব৷ দিতেন,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর বিরহে তার ক্রন্দনের ঘটনাও অতি সুপ্রসিদ্ধ ৷ তার জন্যে যখন মিম্বর
নির্মিত হয় এবং থুত্বা দানের জন্যে তিনি তাতে আরোহণ করেন তখন ঐ কান্ডটি এমনভাবে
কেদেছিল , যেমনভাবে উদ্রী বাচ্চা প্রসবের পর উচ্চস্বরে কেদে থাকে ৷ জুমআর দিনে উপস্থিত
সকল লোক সে কান্ন৷ শুনতে পেয়েছিল ৷ কান্ডটি কাদতেই থাকে ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (না) মিম্বর
থেকে নেমে এসে কাল্ডটিকে জড়িয়ে ধরলে তার ক্রন্দন থেমে যায় ৷ রাসুল (না) তাকে দুইটির
একটি গ্রহণ করার জন্যে বললেন অর্থাৎ যে চাইলে জীবন্ত বৃক্ষে পরিণত করে দেয়া হবে,


قَالَ شَيْخُنَا: وَكَذَلِكَ قَدْ سَلَّمَتْ عَلَيْهِ الْأَحْجَارُ. قُلْتُ: وَهَذَا قَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي لِأَعَرِفُ حَجَرًا كَانَ يُسَلِّمُ عَلَيَّ بِمَكَّةَ قَبْلَ أَنْ أُبْعَثَ، إِنِّي لِأَعْرِفُهُ الْآنَ» . قَالَ بَعْضُهُمْ: هُوَ الْحَجَرُ الْأَسْوَدُ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ «كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فِي بَعْضِ نَوَاحِيهَا، فَمَا اسْتَقْبَلَهُ جَبَلٌ وَلَا شَجَرٌ إِلَّا قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ» . ثُمَّ قَالَ: غَرِيبٌ. وَرَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي " الدَّلَائِلِ " مِنْ حَدِيثِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي عُمَارَةَ الْخَيْوَانِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ لَا يَمُرُّ عَلَى حَجَرٍ وَلَا شَجَرٍ إِلَّا سَلَّمَ عَلَيْهِ» . وَقَدَّمْنَا فِي أَوَّلِ الْمَبْعَثِ أَنَّهُ لَمَّا أَوْحَى إِلَيْهِ جِبْرِيلُ أَوَّلَ مَا أَوْحَى إِلَيْهِ، فَرَجْعَ لَا يَمُرُّ بِحَجَرٍ وَلَا شَجَرٍ وَلَا مَدَرٍ وَلَا شَيْءٍ إِلَّا قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: وَأَقْبَلَتِ الشَّجَرَةُ عَلَيْهِ بِدُعَائِهِ. وَذَكَرَ اجْتِمَاعَ تَيْنِكَ الشَّجَرَتَيْنِ لِقَضَاءِ حَاجَتِهِ مِنْ وَرَائِهِمَا ثُمَّ رُجُوعَهُمَا إِلَى مَنَابِتِهِمَا، وَكِلَا الْحَدِيثَيْنِ فِي " الصَّحِيحِ "
পৃষ্ঠা - ৫১৭৯

অথবা চাইলে তাকে জান্নাতে স্থাপন করা হবে এবং আল্লাহ্র ওলীগণ সেথাঃন তার ফল আহার
করবেন ৷ কাওটি জান্নাতে সংন্থাপনের প্রস্তাব গ্রহণ করল ও নীরব হয়ে থাকল ৷ হাদীটি মাশহুর;
বহু সংখ্যক সাহাবী এর বর্ণনাকারী ৷ বহু লোকের সম্মুখে এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল ৷ অবশ্য
কাণ্ডঢি ক্রন্দন করার বিষয়টির বর্ণনা মুতাওয়াতির ৷ কেননা সাহাবীদের একটি জামাত থেকে
তা বর্ণিত এবং তাদের থেকে অসংখ্য তাবিঈ তা বর্ণনা করেছেন, আর এ ভাবে অসংখ্য
লোকের মাধ্যমে নিম্নের দিকে চলে এসেছে ৷ এত লোক কোন মিথ্যা কথার উপর একমত হতে
পারেন না ৷ কিভু কাণ্ডটির দু’টি প্রস্তাবের একটি গ্রহণ করার অংশটি মুতাওয়াতির নয় ৷ এমন
কি এর সনদও সহীহ্ নয় ৷ আমাদের শায়খ সে মন্তব্যই করেছেন ৷ দালাইল অধ্যায়ে আমি এ
হাদীসটি উল্লেখ করেছি ৷ মুসনাদে আহমদে, সুনানে ইবন মাজার এর উল্লেখ আছে ৷ হযরত
আনাস থেকে পড়াচটি সুত্রে এ অংশটি বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম তিরমিযী এর একটি মাত্র সুত্রকে
সহীহ্ বলেছেন ৷ ইবন মাজা দ্বিতীয় সুত্রে, আহমদ তৃতীয় সুত্রে বাবযার চতুর্থ সুত্রে এবং আবু
নুআয়ম পঞ্চম সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ জাবির ইবন আবদুল্লাহ থেকে বুখারী শরীফে দু’টি সুত্রে
বর্ণিত হয়েছে ৷ বায্যার তৃতীয় ও চতুর্থ সুত্রে এবং আহমদ পঞ্চম ও ষষ্ঠ সুত্রে উল্লেখ করেছেন
এবং এটি মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী আছে ৷ মুসান্নাফ ইবন আবী শায়বায় সাহ্ল ইবন সাদের
বর্ণনা বুখারী ও মুসলিমের শর্তাধীনে এবং মুসনাদে আহমদ ও ইবন মাজার হযরত ইব ন
আব্বাসের বর্ণিত হাদীসের সনদ মুসলিমের শর্তাধীনে আছে ৷ বুখারী শরীফে এটা হযরত ইবন
উমর থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ আহমদ একে ভিন্ন এক সুত্রে ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
মুসনাদে আবৃদ ইবন হুমায়দে আবু সাঈদ থেকে মুসলিমের শর্তে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইয়ালা আল
মুসিলী ভিন্ন সুত্রে আবু সাঈদ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

হাফিয আবু নুআয়ম আলী ইবন আহমদ আল-খাওয়ারিযমী এর সুত্রে হযরত
আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনাটি অনেক দীর্ঘ এবং এতে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) কাওটিকে দুনিয়া ও আখিরাতেৱ যে কোন একটিকে গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন, যে
আখিরাতকে গ্রহণ করে ৷ তারপর মাটির নীচে অদৃশ্য হয়ে যায় ৷ তার আর কোন চিহ্ন থাক্যা
ন ৷ কিন্তু এ হাদীসটি সনদ ও মতন উভয় দিক থেকে গরীব ৷ আবু নুআয়ম হযরত উম্মি
সালামা থেকে উৎকৃষ্ট সনদে এ অংশটি বর্ণনা করেছেন ৷ এ ছাড়া এ সংক্রান্তে আরও বহু হাদীস
ইতিপুর্বে আমরা উল্লেখ করেছি ৷ সেগুলোর সনদ ও শব্দ সম্পর্কে পর্যাৰুলাচনা করেছি ৷ এখানে
আর পুনরোল্লেখের প্রয়োজন নেই ৷ গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে হাদীসের এ অংশের সততোও
সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে ৷ কাযী ইয়ায তার শিফা’ গ্রন্থে বলেছেন, এ হাদীসটি মাশহুর ও
র্মুতাওয়াতির, সহীহ্ হাদীসের গ্রহুকারগণ নিজ নিজ কিতাবে এটা বর্ণনা করেছেন, দশের
অধিক সাহারা থেকে এটা বর্ণিত হয়েছে যেমন, হযরত উবায়া ইবন কাব, হযরত আনাস,
বুরায়দা, সাহ্ল ইবন সাদ, ইবন আব্বাস, ইবন উমর ৷ মুত্তালিব ইবন আবী ওয়াদাআ, আবু
সাঈদ ও উম্মি সালামা (রা) ৷ আমাদের শায়খ বলেছেন, এ সব জড় ও উদ্ভিদের কথা বলা ও
ক্রন্দন করা হযরত মুসা (আ)এর লাঠি আযদাহায় রুপান্তরিত হওয়ার চাইতে কম নয়, বরং
তার মন পর্যায়ের ৷ এ প্রসঙ্গে আমরা হযরত ঈসা (আ)-এর মৃতকে জীবন দান মুজিযার
আলোচনার ক্ষেত্রে আরও কিছু আলোকপাত করব ৷ যেমন বায়হাকী হাকিম আমির ইবন
যাওয়ার সুত্রে বর্ণনা করেছেন, আমর বলেন, আমাকে (ইমাম) শাফিঈ বললেন, আল্লাহ কোন
— ৫ ২


وَلَكِنْ لَا يَلْزَمُ مِنْ ذَلِكَ حُلُولُ حَيَاةٍ فِيهِمَا، إِذْ قَدْ تَكُونَانِ سَاقَهُمَا سَائِقٌ، وَلَكِنْ فِي قَوْلِهِ: " انْقَادَا عَلَيَّ بِإِذْنِ اللَّهِ " مَا يَدُلُّ عَلَى حُصُولِ شُعُورٍ مِنْهُمَا لِمُخَاطَبَتِهِ، وَلَا سِيَّمَا مَعَ امْتِثَالِهِمَا مَا أَمَرَهُمَا بِهِ. قَالَ: «وَأَمَرَ عِذْقًا مِنْ نَخْلَةٍ أَنْ يَنْزِلَ فَنَزَلَ إِلَيْهِ يَنْقُزُ فِي الْأَرْضِ حَتَّى وَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ: " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ " فَشَهِدَ بِذَلِكَ ثَلَاثًا ثُمَّ عَادَ إِلَى مَكَانِهِ» . وَهَذَا أَلْيَقُ وَأَظْهَرُ فِي الْمُطَابَقَةِ مِنَ الَّذِي قَبْلَهُ، وَلَكِنْ هَذَا السِّيَاقُ فِيهِ غَرَابَةٌ. وَالَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ، وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ وَالْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " مِنْ رِوَايَةِ أَبِي ظَبْيَانَ حُصَيْنِ بْنِ جُنْدَبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: بِمَ أَعْرِفُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: " أَرَأَيْتَ إِنْ دَعَوْتُ هَذَا الْعِذْقَ مِنْ هَذِهِ النَّخْلَةِ أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَدَعَا الْعِذْقَ، فَجَعَلَ الْعِذْقُ يَنْزِلُ مِنَ النَّخْلَةِ حَتَّى سَقَطَ فِي الْأَرْضِ، فَجَعَلَ يَنْقُزُ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: " ارْجِعْ ". فَرَجَعَ حَتَّى عَادَ إِلَى مَكَانِهِ، فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ. وَآمَنَ بِهِ» . هَذَا لَفْظُ الْبَيْهَقِيُّ، وَهُوَ ظَاهِرٌ فِي أَنَّ الَّذِي شَهِدَ بِالرِّسَالَةِ هُوَ الْأَعْرَابِيُّ، وَكَانَ رَجُلًا مِنْ بَنِي عَامِرٍ. وَلَكِنْ فِي رِوَايَةِ الْبَيْهَقِيِّ مِنْ طَرِيقِ الْأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا هَذَا الَّذِي يَقُولُ
পৃষ্ঠা - ৫১৮০
أَصْحَابُكَ؟ قَالَ: وَحَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْذَاقٌ وَشَجَرٌ. فَقَالَ: " هَلْ لَكَ أَنْ أُرِيَكَ آيَةً؟ " قَالَ: نَعَمْ. فَدَعَا غُصْنًا مِنْهَا فَأَقْبَلَ يَخُدُّ الْأَرْضَ حَتَّى وَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ وَجَعَلَ يَسْجُدُ وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَرَجَعَ. قَالَ: فَرَجَعَ الْعَامِرِيُّ وَهُوَ يَقُولُ: يَا آلَ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، وَاللَّهِ لَا أُكَذِّبُهُ بِشَيْءٍ يَقُولُهُ أَبَدًا» . وَتَقَدَّمَ فِيمَا رَوَاهُ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " مُتَفَرِّدًا بِهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا رَجُلًا إِلَى الْإِسْلَامِ فَقَالَ: هَلْ مِنْ شَاهِدٍ عَلَى مَا تَقُولُ؟ قَالَ: " هَذِهِ الشَّجَرَةُ ". فَدَعَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ عَلَى شَاطِئِ الْوَادِي، فَأَقْبَلَتْ تَخُدُّ الْأَرْضَ خَدًّا، فَقَامَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَاسْتَشْهَدَهَا ثَلَاثًا، فَشَهِدَتْ أَنَّهُ كَمَا قَالَ، ثُمَّ إِنَّهَا رَجَعَتْ إِلَى مَنْبَتِهَا، وَرَجَعَ الْأَعْرَابِيُّ إِلَى قَوْمِهِ وَقَالَ: إِنْ يَتَّبِعُونِي أَتَيْتُكَ بِهِمْ وَإِلَّا رَجَعْتُ إِلَيْكَ وَكُنْتُ مَعَكَ» . قَالَ: وَأَمَّا حَنِينُ الْجِذْعِ الَّذِي كَانَ يَخْطُبُ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعُمِلَ لَهُ الْمِنْبَرُ، فَلَمَّا رَقِيَ عَلَيْهِ وَخَطَبَ، حَنَّ الْجِذْعُ إِلَيْهِ حَنِينَ الْعِشَارِ وَالنَّاسُ يَسْمَعُونَ صَوْتَهُ بِمَشْهَدِ الْخَلْقِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَلَمْ يَزَلْ يَئِنُّ وَيَحِنُّ حَتَّى نَزَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاعْتَنَقَهُ وَسَكَّنَهُ وَخَيَّرَهُ بَيْنَ أَنْ يَرْجِعَ غُصْنًا طَرِيًّا أَوْ يُغْرَسَ فِي الْجَنَّةِ يَأْكُلُ مِنْهُ أَوْلِيَاءُ اللَّهِ، فَاخْتَارَ الْغَرْسَ فِي الْجَنَّةِ، وَسَكَنَ عِنْدَ ذَلِكَ؛ فَهُوَ حَدِيثٌ مَشْهُورٌ مَعْرُوفٌ، قَدْ رَوَاهُ مِنَ الصَّحَابَةِ عَدَدٌ كَثِيرٌ مُتَوَاتِرٌ، وَكَانَ بِحُضُورِ الْخَلَائِقِ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ مِنْ تَوَاتُرِ حَدِيثِ الْجِذْعِ هُوَ كَمَا قَالَ، فَإِنَّهُ قَدْ رَوَى
পৃষ্ঠা - ৫১৮১

নবীকে এমন কোন মুজিযা দেননি যা হযরত মুহাম্মদ (সা) কে না দিয়েছেন ৷ আমি বললড়াম,
আল্লাহ হযরত ঈসা (আ) কে মৃত তকে জীবন দান করার ক্ষমতা দিয়েছেন ৷ তিনি বললেন,
মসজিদের মিম্বর তৈরী না হওয়া পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) খেজুর গাছের যে কাডের পাশে দাড়িয়ে
থুতবা দিতেন মিম্বর তৈরী হলে সেটি ক্রন্দন করেছিল ৷ সে ক্রন্দন সবইি শুনতে পেয়েছিলেন ৷
এটাতো হযরত ঈসার মুজিযা অপেক্ষা বড় ৷ (ইমাম) শাফিঈ পর্যন্ত এর সনদ ৷ আমি
আমাদের শায়খ হাফিয আবুল হাজ্জাজ আল মিয্যী (র)-কেও (ইমাম) শাফিঈ থেকে এরুপ
বর্ণনা করতে শুনেছি ৷ অবশ্য শাফিঈ একে মৃতাক জীবন দান অপেক্ষাও বড় বলেছেন ৷ তার
কারণ এই যে, গাছের শুষ্ক কাণ্ড জীবন লাভের উপযুক্ত নয় ৷ কিন্তু তা সত্বেও তাতে চেতনা ও
বিবেচনা শক্তি সৃষ্টি করা হয়েছিল ৷ কেননা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাংক ত্যাগ করে মিম্বরে আসন
গ্রহণ করায় সে গর্ভবভী উটনীর মত উচ্চ স্বরে কেদেছে ৷ শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিচে
নেমে এসে তাকে জড়িয়ে ধরায় ও নীরব হতে বলার সে নীরব হয় ৷

হাসান বসরী বলেন, শুকনা থেজুরের কাণ্ড যখন নবীর জন্যে কেদেছে, তখন মানুষের তার
চাইতে অধিক পরিমান র্কাদা উচিত ৷ যে মৃত দেহে রুহ্ ছিল সেই দেহে পুনরায় রুহ্ স্থাপন
করা একটি আশ্চর্য ব্যাপার সন্দেহ নেই; কিন্তু যে দেহে পুর্বে জীবন ছিল না এবং তা জীবন
লাভের যােগ্যও নয়, সেই দেহে জীবনের সঞ্চার অধিকতর আশ্চর্যের বিষয় ৷

বিশেষ দ্রষ্টব্য : রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর একটি পতাকা ছিল ৷ অভিযানকালে তা সাথে রাখা
হতো ৷ এর ফলে সম্মুখে এক মাসের দুরতৃ পর্যন্ত শত্রুদের অন্তরে ভীতি ছড়িয়ে পড়ত ৷ তার
একটি বল্লম ছিল ৷ সফরকালে তা অগ্রভাগে নিয়ে চলা হত ৷ শুন্য প্রাম্ভরে সালাত আদায়ের
সময় সম্মুখে তা গেড়ে দেয়া হত ৷ তার একটি লাঠিও ছিল ৷ ইাটার সময় তার উপর ভর করে
তিনি চলতেন ৷ এর কথইি সতীহ তার আপন ভাতিজা আবদুল মাসীহ ইবন নুফায়লাকে
বলেছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন, ওহে আবদুল মাসীহ ! যখন তিলাওতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে,
লাঠিধারী আত্মপ্রকাশ করবেন ৷ সাওয়াহ্রদ শুকিয়ে যাবে তখন এ সুবিন্তুত শামদেশ আর সতীহ
এর জন্যে শামদেশ থাকবে না ৷ এই জিনিসগুলিকে হযরত মুসা (আ) এর লাঠি সাপ হওয়ার
ঘটনার সাথে উল্লেখ করাটা খুবই যুক্তিসঙ্গত ৷ কেননা এটি তার সমতুল্য ৷ কিন্তু রাসুলুল্পাহ্
(সা)-এর বিষয়গুলি ছিল একাধিক ও ভিন্ন ভিন্ন, পক্ষান্তরে মুসা (আ) এর লাঠিটি যদিও
বারবার সাপ হয়েছে, কিন্তু তা’ছিল একটিই ৷ এ আলোচনা হযরত ঈসা (আ) কর্তৃক মৃতকে
জীবিত করা প্রসঙ্গে আলোচিত হবে ৷ যেহেতু ঈসা (আ)-এর এ ঘটনা অধিক আশ্চর্যজনক ও
সুস্পষ্ট ৷

এরপর আমাদের শায়খ মুসা (আ)-এর সাথে আল্লাহর কথোপর্কথনের প্রসঙ্গ উল্লেখ
করেছেন ৷ অতঃপর বলেছেন যে, মিরাজ রজনীতে নবী করীম (সা)-এর সাথে আল্লাহর
দীদারসহ কথাবার্তা হয়েছে ৷ নিঃসন্দেহে এটা মুসা (আ)-এর ঘটনা অপেক্ষা অধিক তাৎপর্যবহ ৷
মুসা (আ) এর মুজিযার সাথে ইস্রা রাত্রের তুলনা করা হয়েছে ৷ ঐ রাত্রে নবী করীম
(সা) কে ডেকে বলা হয়, হে মুহাম্মদ তোমাকে দু টো ফরজের দায়িত্ব দেয়া হল এবং আমার
বান্দাদের জন্য দ যিহু কমিয়ে দেয়৷ হল ৷ ঘটনার ধারাবাহিকতা থেকে এরই প্রমাণ পাওয়া
যায় ৷ আল্লাহর সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কথোপকথন হয়েছে এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই ৷
কতিপয় আলিম এ ব্যাপারে ইজমা হওয়ার কথাও বলেছেন ৷ তবে কাযী ইয়ায ভিন্ন মতের


هَذَا الْحَدِيثَ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَعَنْهُمْ أَعْدَادٌ مِنَ التَّابِعِينَ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِمْ آخَرُونَ عَنْهُمْ، لَا يُمْكِنُ تَوَاطُؤُهُمْ عَلَى الْكَذِبِ، فَهُوَ مَقْطُوعٌ بِهِ فِي الْجُمْلَةِ، وَأَمَّا تَخْيِيرُ الْجِذْعِ كَمَا ذَكَرَهُ شَيْخُنَا فَلَيْسَ بِمُتَوَاتِرٍ، بَلْ وَلَا يَصِحُّ إِسْنَادُهُ، وَقَدْ أَوْرَدْتُهُ فِي الدَّلَائِلِ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، وَذُكِرَ فِي " مُسْنَدِ أَحْمَدَ "، " وَسُنَنِ ابْنِ مَاجَهْ "، وَعَنْ أَنَسٍ مِنْ خَمْسِ طُرُقٍ إِلَيْهِ، صَحَّحَ التِّرْمِذِيُّ إِحْدَاهَا، وَرَوَى ابْنُ مَاجَهْ أُخْرَى، وَأَحْمَدُ ثَالِثَةً، وَالْبَزَّارُ رَابِعَةً، وَأَبُو نُعَيْمٍ خَامِسَةً، وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبَدِ اللَّهِ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ طَرِيقَيْنِ عَنْهُ، وَالْبَزَّارُ مِنْ ثَالِثَةٍ وَرَابِعَةٍ، وَأَحْمَدُ مِنْ خَامِسَةٍ وَسَادِسَةٍ، وَهَذِهِ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ فِي " مُصَنَّفِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ " عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ " وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي " مُسْنَدِ أَحْمَدَ " وَ " سُنَنِ ابْنِ مَاجَهْ " بِإِسْنَادٍ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، وَرَوَاهُ أَحْمَدُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ فِي " مُسْنَدِ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ " بِإِسْنَادٍ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْهُ، وَعَنْ عَائِشَةَ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ طَرِيقِ عَلِيِّ بْنِ أَحْمَدَ الْجَوَارِبِيِّ، عَنْ قَبِيصَةَ، عَنْ حِبَّانَ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ صَالِحِ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ، وَفِيهِ أَنَّهُ خَيَّرَهُ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَاخْتَارَ الْجِذْعُ الْآخِرَةَ، وَغَارَ حَتَّى ذَهَبَ، فَلَمْ يُعْرَفْ. وَهَذَا غَرِيبٌ إِسْنَادًا وَمَتْنًا.
পৃষ্ঠা - ৫১৮২
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ بِإِسْنَادٍ جَيِّدٍ، وَقَدَّمْتُ الْأَحَادِيثَ بِبَسْطِ أَسَانِيدِهَا وَتَحْرِيرِ أَلْفَاظِهَا وَعَزْوِهَا بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ عَنْ إِعَادَتِهِ هَا هُنَا، وَمَنْ تَدَبَّرَهَا حَصَلَ لَهُ الْقَطْعُ بِذَلِكَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. قَالَ الْقَاضِي عِيَاضُ بْنُ مُوسَى السَّبْتِيُّ الْمَالِكِيُّ فِي كِتَابِهِ " الشِّفَا ": وَهُوَ حَدِيثٌ مَشْهُورٌ مُنْتَشِرٌ مُتَوَاتِرٌ خَرَّجَهُ أَهْلُ الصَّحِيحِ. وَرَوَاهُ مِنَ الصَّحَابَةِ بِضْعَةَ عَشْرَ، مِنْهُمْ أُبَيٌّ، وَجَابِرٌ، وَأَنَسٌ وَبُرَيْدَةُ وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ وَابْنُ عَبَّاسٍ وَابْنُ عُمَرٍ وَالْمُطَّلِبُ بْنُ أَبِي وَدَاعَةَ وَأَبُو سَعِيدٍ وَأُمُّ سَلَمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. قَالَ شَيْخُنَا: فَهَذِهِ جَمَادَاتٌ وَنَبَاتَاتٌ، وَقَدْ حَنَّتْ وَتَكَلَّمَتْ وَفِي ذَلِكَ مَا يُقَابِلُ انْقِلَابَ الْعَصَا حَيَّةً. قُلْتُ: وَسَنُشِيرُ إِلَى هَذَا عِنْدَ ذِكْرِ مُعْجِزَاتِ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي إِحْيَائِهِ الْمَوْتَى بِإِذْنِ اللَّهِ تَعَالَى فِي ذَلِكَ، كَمَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنْ أَبِي أَحْمَدَ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَوَّادٍ قَالَ: قَالَ لِيَ الشَّافِعِيُّ: مَا أَعْطَى اللَّهُ نَبِيًّا مَا أَعْطَى مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقُلْتُ أَعْطَى عِيسَى إِحْيَاءَ الْمَوْتَى. فَقَالَ: أَعْطَى مُحَمَّدًا الْجِذْعَ الَّذِي كَانَ يَخْطُبُ إِلَى جَنْبِهِ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৩

উল্লেখ করেছেন ৷ অবশ্য আল্পাহ্কে দেখার ব্যাপারে সাহাব ও পরবর্তী আলিমগণের মধ্যে প্রচণ্ড
মতভেদ আছে ৷ ইমামগণের মধ্যে ইমামুল আইম্ম৷ আবু বকর মুহাম্মদ ইবন ইসহাক, কাষী
ইয়ায, শায়খ মুহি উদ্দীন নববী দেখার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন ৷ হযরত ৩ইবন আব্বাস (রা)
থেকে দেখার পক্ষে ও বিপক্ষে দুই ম৩ ই বর্ণিত হয়েছে-মুসলিম শরীফে এর উল্লেখ আছে ৷
হযরত আয়েশা (রা) আল্লাহ্কে দেখার কথা অস্বীকার করেছেন-বুখারী ও মুসলিম ৷ সুরা
নাজমের শুরুতে দৃ’বড়ার দর্শন লাভের যে কথা উল্লেখ হয়েছে, সে সম্পর্কে হযরত ইবন মাসউদ,
আবু হুরায়রা , আবু যায় ও আয়েশা (রা) বলেন, এখানে জিবরাঈল (আ) কে দেখার কথা বলা
হয়েছে ৷ মুসলিম শরীফে আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আপনি কি আল্লাহ্কে দেখেছেন? তিনি বললেন, আমাকে নুর দেখান হয়েছে বা
আমি নুর দেখতে পেয়েছি ৷ এ প্রসঙ্গে সীরাত গ্রন্থে মিরাজ প্রসঙ্গে এবং তাফসীর গ্রন্থে সুরা
ব,নী ইসরাঈলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ হযরত মুসা (আ)-এর মুজিযা সম্পর্কে
আমাদের শায়খ এসব আলোচনা করেছেন ৷

এতদ্ব্যতীত আরও কথা হল, মুসা (আ) আল্লাহ্র সাথে কথা বলেছেন সিনাই পর্বতে এবং
আল্লাহ্কে দেখার আবেদন জানালে আল্লাহ তা প্রত্যাখান করেন ৷ পক্ষান্তরে মুহাম্মদ (না)-এর
সাথে আল্লাহ্ কথা বলেছেন সপ্ত আকাশ ও বন্তু জগতের উভ্রুর্ধ্ব উঠিয়ে নিয়ে-যেখান থেকে
ফেরেশতাদের কলমের লেখার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন ৷ শুধু কথা বলা-ই নয়, উম্মতের বিপুল

ৎখ্যক আলিমের মতে তিনি আল্পাহ্র দীদারও লাভ করেছিলেন ৷

ইবন হামিদ এ বিষয়টিকে তার কিভাবে সুন্দরভাবে আলোচনা করেছেন যেমনহ্র মুসা
এবং আমি আমার
পক্ষ থেকে তোমার উপর ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম” (২০ তা-হা ৩৯) ৷

আর মুহাম্মদ (না)-কে লক্ষ্য করে আল্লাহ বলেছেন :

০’ণ্ষ্” ও! ৩ ৩ : : ৩ ; শ্ ’ ষ্’ষ্ :

(’ @


“বল, তোমরা যদি আল্লাহ্কে ভালবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, আল্লাহ্ তোমাদেরকে

ভালবাসবেন, এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন ৷ আল্লাহ্ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”
(আলে ইমরান৪ ৩১) ৷

হযরত মুসার হাত-যাকে ফিরআউন ও তার দলের বিরুদ্ধে প্রমাণ স্বরুপ দেয়া হয়েছিল,
সে সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা লাঠির সাপ হওয়ার ঘটনার পরে বলেন



“ তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, তা বের হয়ে আসবে শুভ্র সমুজ্জ্বল নির্দোষভাবে ৷ ভয়
দুর করার জন্য তোমার হস্তদ্বয় নিজের দিকে চেপে ধর ৷ এ দু’টি তোমার প্রতিপালক প্রদত্ত
প্রমাণ ফিরআউন ও তার পরিষদবর্গের জন্য (২৮ কাসাস : ৩২) ৷


حَتَّى هُيِّئَ لَهُ الْمِنْبَرُ، فَلَمَّا هُيِّئَ لَهُ حَنَّ الْجِذْعُ حَتَّى سَمِعَ صَوْتَهُ، فَهَذَا أَكْبَرُ مِنْ ذَلِكَ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَى الشَّافِعِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَهُوَ مِمَّا كُنْتُ أَسْمَعُ شَيْخَنَا الْحَافِظَ أَبَا الْحَجَّاجِ الْمِزِّيَّ، رَحِمَهُ اللَّهُ يَذْكُرُهُ عَنِ الشَّافِعِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ، وَإِنَّمَا قَالَ: فَهَذَا أَكْبَرُ مِنْ ذَلِكَ؛ لِأَنَّ الْجِذْعَ لَيْسَ مَحَلًّا لِلْحَيَاةِ، وَمَعَ هَذَا حَصَلَ لَهُ شُعُورٌ وَوَجْدٌ لَمَّا تَحَوَّلَ عَنْهُ إِلَى الْمِنْبَرِ، فَأَنَّ وَحَنَّ حَنِينَ الْعِشَارِ حَتَّى نَزَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاحْتَضَنَهُ وَسَكَّنَهُ حَتَّى سَكَنَ. قَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: فَهَذَا الْجِذْعُ حَنَّ إِلَيْهِ، فَإِنَّهُمْ أَحَقُّ أَنْ يَحِنُّوا إِلَيْهِ. وَأَمَّا عَوْدُ الْحَيَاةِ إِلَى جَسَدٍ كَانَتْ فِيهِ بِإِذْنِ اللَّهِ فَعَظِيمٌ، وَهَذَا أَعْجَبُ وَأَعْظَمُ مِنْهُ إِيجَادُ حَيَاةٍ وَشُعُورٍ فِي مَحَلٍّ لَيْسَ مَأْلُوفًا لِذَلِكَ، لَمْ تَكُنْ فِيهِ قَبْلُ بِالْكُلِّيَّةِ، فَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ. تَنْبِيهٌ: وَقَدْ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِوَاءٌ يُحْمَلُ مَعَهُ فِي الْحَرْبِ يَخْفِقُ فِي قُلُوبِ أَعْدَائِهِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَانَتْ لَهُ عَنَزَةٌ تُحْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَإِذَا أَرَادَ الصَّلَاةَ إِلَى غَيْرِ جِدَارٍ وَلَا حَائِلَ رُكِزَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَانَ لَهُ قَضِيبٌ يَتَوَكَّأُ عَلَيْهِ إِذَا مَشَى، وَهُوَ الَّذِي عَبَّرَ عَنْهُ سَطِيحٌ فِي قَوْلِهِ لِابْنِ أَخِيهِ عَبْدِ الْمَسِيحِ بْنِ بُقَيْلَةَ: يَا عَبْدَ الْمَسِيحِ، إِذَا كَثُرَتِ التِّلَاوَهْ، وَظَهْرَ صَاحِبُ الْهِرَاوَهْ، وَغَاضَتْ بُحَيْرَةُ سَاوَهْ، فَلَيْسَتِ الشَّامُ لِسَطِيحٍ شَامًا. وَلِهَذَا كَانَ ذِكْرُ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ عِنْدَ إِحْيَاءِ عَصَا مُوسَى وَجَعْلِهَا حَيَّةً أَلْيَقَ ; إِذْ هِيَ مُسَاوِيَةٌ لِذَلِكَ، وَهَذِهِ مُتَعَدِّدَةٌ كَثِيرَةٌ فِي مَحَالٍّ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৪

সুরা তা-হায় এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বলা হয়েছেং @ ৷ ট্রুণ্ ,াৰু,ঠু;৷ এেন্শু ৷ ৷
এে)ং’বু’৷ ৷ “এটা (তোমাকে দেয়া হল) অপর এক নিদর্শন স্বরুপ ৷ এটি এজন্যে যে, আমি
তোমাকে দেখার আমার মহা নির্দশ ৷নগুলাের কিছু” (তা-হাং : ২২২৩) ৷
পক্ষান্তরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দান করা হয়েছে-আঙ্গুলের ইশারায় চন্দ্রকে দ্বি-খণ্ডিতৰুরণ;
যায় এক খণ্ড তার সম্মুখে এবং আর এক খণ্ড হেরা পর্বতের পশ্চাতে অবস্থান করে ৷ এ প্রসঙ্গে
পুর্বে মুতাওাতির হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সাথে সাথে নিম্নের আয়াতটিও সেখানে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷

৷ : ৪ ৷ ষ্ ৷ শ্ ষ্ ন্ ষ্

, দু, ৷


“কিয়ামত আসন্ন, চন্দ্র ৰিদীর্ণ হয়েছে ৷ ওরা কোন নিদর্শন দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং
বলে, এতো চিরাচরিত যাদৃ” ( ৫৪ কামার৪ ১ ,২) ৷

নিঃসন্দেহে হযরত মুসা (আ)-এর উপরোক্ত মুজিযার তুলনায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
মুজিযা অত্যন্ত বড়, অতি উরুর্ধ্বর ও অতি সুস্পষ্ট ৷

হযরত কাব ইবন মালিক (রা)-এর তাওবার ঘটনার দীর্ঘ হাদীস র্বুখারীতে বর্ণিত
হয়েছে ৷ ঐ হাদীসের এক স্থানে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন কোন দিকে যেতেন তখন
তার চেহার ণ্জ্যাতির্ময় হয়ে উঠত-মনে হত যেন চচন্দ্রর একটি টুকরো বিশেষ ৷ ইবন হামিদ
বলেন, আহলি কিতাবগণ যদি বলে, মুসা (আ)-কে উজ্জ্বল হস্ত দান করা হয়েছে তবে
তাদেরকে আমরা বলব যে, তার চাইতেও অধিক আশ্চর্যকর জিনিস রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে দেয়া
হয়েছে-তা হল আল্লাহ্ তাকে এমন নুর দান করেছিলেন যে, যেখানেই তিনি বসতেন বা যেখান
থেকেই উঠতেন তার ডানে ও বায়ে ঐ নুরের আলো ছড়িয়ে পড়তে৷ ৷ এবং সকলে তা প্রত্যক্ষ
করতেন ৷ কিয়ামত পর্যন্ত সে নুর বিদ্যমান থাকবে ৷ তইিতো এক দিন ও এক রাতের দুরতু
থেকে তার কবরের উপর সুউচ্চ নুর দেখতে পাওয়া যায় ৷ তবে এ বক্তব্যটি অতন্তে গরীব

পর্যায়ের ৷

তৃফায়ল ইবন আমর আদ দাওসীর ইসলাম গ্রহণের ঘটনায় বলা হয়েছে যে, তিনি যখন

ইসলাম গ্রহণ করার জন্যে এসেছিলেন তখন নবী করীম (সা) এর নিকট বলেছিলেন, আমাকে
একটা নিদর্শন দিন যা দ্বারা আমি আমার সম্প্রদায়কে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করত পারি ৷ এ
কথা বলতেই তার কপালে একটা নুর প্রদীপের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে উঠল ৷ তিনি বললেন, এ
স্থানে (চেহারা) নয়, এরুপ দেখলে তাে তারা বলবে আমার চেহার বিকৃত হয়ে গেছে ৷ তখন
নুরটি স্থানান্তরিত হয়ে তার লাঠির প্রান্তে চলে যায় ৷ এভাবে তিনি তার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে
, এলে সকলেই তা প্রদীপের ন্যায় সমুজ্জ্বল দেখতে পায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বরকতে ও দুআয়
গোটা সম্প্রদায় ইসলামে দীক্ষিত হয় ৷ তিনি এই বলে দু আ করেছিলেন ৷ট্রুড় ১ ৷ ন্া ৷
ন্শং , ৷ এ “হে আল্লাহ ! দাওস গোত্রকে সু-পথ দেখাও এবং তাদেরকে এনে দিন” ৷ এ ঘটনার
পর র্চুথকে তৃফায়লকে যুন-নুর (জ্যেড়াতিধারী) বলে আখ্যায়িত করা হতো ৷


مُتَفَرِّقَةٍ، بِخِلَافِ عَصَا مُوسَى، فَإِنَّهَا وَإِنْ تَعَدَّدَ جَعْلُهَا حَيَّةً، فَهِيَ ذَاتٌ وَاحِدَةٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ نُنَبِّهُ عَلَى ذَلِكَ عِنْدَ ذِكْرِ إِحْيَاءِ الْمَوْتَى عَلَى يَدِ عِيسَى ; لِأَنَّ هَذِهِ أَعْجَبُ وَأَكْبَرُ وَأَظْهَرُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ شَيْخُنَا: وَأَمَّا أَنَّ اللَّهَ كَلَّمَ مُوسَى تَكْلِيمًا، فَقَدْ تَقَدَّمَ حُصُولُ الْكَلَامِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ، فَيَشْهَدُ لَهُ: «فَنُودِيتُ: أَنْ يَا مُحَمَّدُ، قَدْ كَمَّلْتُ فَرِيضَتِي وَخَفَّفْتُ عَنْ عِبَادِي» . وَسِيَاقُ بَقِيَّةِ الْقِصَّةِ يُرْشِدُ إِلَى ذَلِكَ، وَقَدْ حَكَى بَعْضُ الْعُلَمَاءِ الْإِجْمَاعَ عَلَى ذَلِكَ، لَكِنْ رَأَيْتُ فِي كَلَامِ الْقَاضِي عِيَاضٍ نَقْلَ خِلَافٍ فِيهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا الرُّؤْيَةُ فَفِيهَا خِلَافٌ مَشْهُورٌ بَيْنَ الْخَلَفِ وَالسَّلَفِ، وَنَصَرَهَا مِنَ الْأَئِمَّةِ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ الْمَشْهُورُ بِإِمَامِ الْأَئِمَّةِ، وَاخْتَارَ ذَلِكَ الْقَاضِي عِيَاضٌ وَالشَّيْخُ مُحْيِي الدِّينِ النَّوَوِيُّ، وَجَاءَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ تَصْدِيقُ الرُّؤْيَةِ، وَجَاءَ عَنْهُ تَقْيِيدُهَا بِالْفُؤَادِ، وَكِلَاهُمَا فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ ". وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ عَائِشَةَ إِنْكَارُ ذَلِكَ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي الْإِسْرَاءِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي ذَرٍ وَعَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، أَنَّ الْمَرْئِيَّ فِي الْمَرَّتَيْنِ الْمَذْكُورَتَيْنِ فِي أَوَّلِ سُورَةِ " النَّجْمِ " إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ أَبِي ذَرٍ قَالَ: قُلْتُ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ رَأَيْتَ رَبَّكَ؟ فَقَالَ: " نُورٌ أَنَّى أَرَاهُ؟» . وَفِي رِوَايَةٍ: " رَأَيْتُ نُورًا ". وَقَدْ تَقَدَّمَ بَسْطُ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৫
ذَلِكَ فِي الْإِسْرَاءِ فِي السِّيرَةِ وَفِي " التَّفْسِيرِ " فِي أَوَّلِ سُورَةِ " بَنِي إِسْرَائِيلَ " وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ شَيْخُنَا فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِالْمُعْجِزَاتِ الْمُوسَوِيَّةِ - عَلَيْهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالسَّلَامِ -. وَأَيْضًا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى كَلَّمَ مُوسَى وَهُوَ بِطُورِ سَيْنَاءَ، وَسَأَلَ الرُّؤْيَةَ فَمُنِعَهَا، وَكَلَّمَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ وَهُوَ بِالْمَلَأِ الْأَعْلَى حِينَ رُفِعَ لِمُسْتَوًى يَسْمَعُ فِيهِ صَرِيفَ الْأَقْلَامِ، وَحَصَلَتْ لَهُ الرُّؤْيَةُ فِي قَوْلِ طَائِفَةٍ كَبِيرَةٍ مِنْ عُلَمَاءِ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ رَأَيْتُ ابْنَ حَامِدٍ قَدْ طَرَقَ هَذَا فِي كِتَابِهِ وَأَجَادَ وَأَفَادَ. وَقَالَ ابْنُ حَامِدٍ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِمُوسَى: {وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِنِّي} [طه: 39] . وَقَالَ لِمُحَمَّدٍ: {قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [آل عمران: 31] . وَأَمَّا الْيَدُ الَّتِي جَعَلَهَا اللَّهُ بُرْهَانًا وَحُجَّةً لِمُوسَى عَلَى فِرْعَوْنَ وَقَوْمِهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى بَعْدَ ذِكْرِ صَيْرُورَةِ الْعَصَا حَيَّةً: {اسْلُكْ يَدَكَ فِي جَيْبِكَ تَخْرُجْ بَيْضَاءَ مِنْ غَيْرِ سُوءٍ وَاضْمُمْ إِلَيْكَ جَنَاحَكَ مِنَ الرَّهْبِ فَذَانِكَ بُرْهَانَانِ مِنْ رَبِّكَ إِلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ} [القصص: 32] . وَقَالَ فِي سُورَةِ " طه ": {آيَةً أُخْرَى لِنُرِيَكَ مِنْ آيَاتِنَا الْكُبْرَى} [طه: 22] [الْقَمَرِ: 1، 2] .
পৃষ্ঠা - ৫১৮৬


বুখারী প্রভৃতি গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত উসায়দ ইবন হুযায়র ও আব্বাদ ইবন বিশৃর
একদা অন্ধকার রাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমত থােক বিদায় গ্রহণ করে ৷ পথে দু’জন্বের
মধ্যে এক জনের লাঠির একপাশ উজ্জ্বল আলোকিত হয়ে যায় ৷ আরও অগ্রসর হয়ে যখন তারা
উভয়ে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তখন উভয়ের লাঠির প্রান্তাদশ আলোয় ভরে যায় ৷ আবু
যুরআ আর রাযী কিতাবুদ দালইিলে হযরত আনড়াস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন,
আব্বাদ ইবন ও উসায়দ ইবন যুবায়র একদা ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
খিদমত থেকে বিদায় নেন ৷ এ সময়ে একজনের লাঠির এক প্রান্ত প্রদীপের ন্যায় আলোকিত
হয়ে যায় ৷ তারা সে আলোয় পথ অতিক্রম করতে থাকে ৷ যখন উভয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজ নিজ
বাসন্থানের দিকে রওয়ানা হয়ে যান, তখন তাদের উভয়ের লাঠিই আলোকিত হয় ৷ আবু ঘুরআ
ইব্রাহীম ও ইয়াকুবের বরাতে হযরত আমর আল আসলামী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, একদা ঘোর আধার রাতে আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে এক সফরে বের হই ৷
হঠাৎ আমার একটি আঙ্গুল উজ্জ্বল আলোকিত হয়ে উঠে ৷ সাথীরা এসে তাদের পিঠ আমার যে
প্রজ্জ্বলিত আঙ্গুলের উপর চেপে ধরে; কিন্তু তাতে কারও কোন ক্ষতি হয়নি ৷ অথচ আমার
আঙ্গুল তখনো আলো ছড়াচ্ছিল ৷

হিশাম ইবন আমার আবৃত তায়্যাহ্ যাবীয়ী থেকে বর্ণনা করেন ৷ মুতাররাফ ইবন
আবদুল্লাহ্ প্রতি জুমু আয় কবরস্থানে উপস্থিত হতেন ৷ অনেক সময় তার লাঠির সাথে নুর দেখা
যেত ৷ এক রাতে ঘোড়ার চড়ে তিনি কবরস্থানে উপস্থিত হলে কবর ভেঙ্গে পড়ে ৷ মুতাররাফ
বলেন, আমি দেখলাম, প্রত্যেক কবরবাসী নিজ নিজ কবরের উপর বসে রয়েছে এবং বলছে
ইনি মুতাররাফ প্রতি জুমুআয় এখানে আসেন ৷ আমি বললাম, জুমুআয় জিনের উপস্থিতি কি
আপনারা টের পান? কবররাসী বললেন, ই৷ ৷ এদিনে পাখিরা কি বলে তাও আমরা টের পইি ৷

জিজ্ঞেস করলাম, পাখিরা এ দিনে কী বলে? তারা উত্তর দিলেন, পাখিরা বলতে থাকে ; ’,

ব্লুা৷ট্রু ণ্টুও ন্এ ট্রু ংণ্দ্বু ঠু “হে আল্লাহ্, নেক্কার সম্প্রদায়কে নিরাপদে রাখুন” ৷

মুসা (আ) তার জাতির বিরুদ্ধে তৃফান দ্বারা শাস্তি দেয়ার প্রার্থনা করেছিলেন ৷ এখানে
তৃফান দ্বারা অর্থ আকস্মিক মৃত্যু এবং দুর্তিক্ষ, মহামারী ইত্যাদি নিদর্শনাদি ৷ এ বদ-দুআর
উদ্দেশ্য ছিল যাতে তারা নবীর অনুসারী হয় এবং বিরোধিতা ছেড়ে দেয় ৷ কিন্তু এতে তারা
আরও অধিক বিরোধীতা ও বিদ্রোহী হয়ে উঠে ৷ আল্লাহ্ বলেন

১; ; ৰু; ব্লু ; ’,৷ ; ৷ ৷ব্লু;দ্বুা, ;১াব্লুচুহ্রা, ৷”, ’ পুণ্,ষ্ ’,বুব্রা ম্বুন্^ শ্৷ ৷ হু;৷ £> এ ন্ন্াহুণ্ঢুও ৮১১

াটুা৷ট্র,

“আমি ওদেরকে এমন কোন নিদর্শন দেখাইনি যা তার অনুরুপ নিদর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ নয় ৷

আমি ওদেরকে শাস্তি দিলাম যাতে ওরা ফিরে আসে ৷ ওরা বলেছিল, হে যাদুকর ! তোমার

প্রতিপালকের নিকট তুমি আমাদের জন্যে তইি প্রার্থনা কর, যা তিনি তোমার সাথে অঙ্গীকার
করেছেন; তা হলে আমরা অবশ্যই সৎপথ অবলম্বন করব” (৪৩ : ৪ ৮ : ৯) ৷

০ : )

াপ্রু১াৰুএ


وَلَا شَكَّ أَنَّ هَذَا أَجَلُّ وَأَعْظَمُ وَأَبْهَرُ فِي الْمُعْجِزَاتِ، وَأَشْهَرُ وَأَعْظَمُ وَأَعَمُّ وَأَظْهَرُ وَأَبْلَغُ مِنْ ذَلِكَ، وَقَدْ قَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ فِي حَدِيثِهِ الطَّوِيلِ فِي قِصَّةِ تَوْبَتِهِ: «وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سُرَّ اسْتَنَارَ وَجْهُهُ كَأَنَّهُ فِلْقَةُ قَمَرٍ» . وَذَلِكَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ ". وَقَالَ ابْنُ حَامِدٍ: قَالُوا: فَإِنَّ مُوسَى أُعْطِيَ الْيَدَ الْبَيْضَاءَ. قُلْنَا لَهُمْ: فَقَدْ أُعْطِيَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا هُوَ أَفْضَلُ مِنْ ذَلِكَ، نُورًا كَانَ يُضِيءُ عَنْ يَمِينِهِ حَيْثُمَا جَلَسَ، وَعَنْ يَسَارِهِ حَيْثُمَا جَلَسَ وَقَامَ، يَرَاهُ النَّاسُ كُلُّهُمْ وَقَدْ بَقِيَ ذَلِكَ النُّورُ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ، أَلَا تَرَى أَنَّهُ يُرَى النُّورُ السَّاطِعُ مِنْ قَبْرِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَسِيرَةِ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ؟ هَذَا لَفْظُهُ، وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ مِنْ هَذَا النُّورِ غَرِيبٌ جِدًّا، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي السِّيرَةِ عِنْدَ إِسْلَامِ الطُّفَيْلِ بْنِ عَمْرٍو الدَّوْسِيِّ، أَنَّهُ طَلَبَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آيَةً تَكُونُ لَهُ عَوْنًا عَلَى إِسْلَامِ قَوْمِهِ، فَدَعَا لَهُ وَذَهَبَ إِلَى قَوْمِهِ، فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَى قَوْمِهِ مِنْ ثَنِيَّةٍ هُنَاكَ، فَسَطَعَ نُورٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَالْمِصْبَاحِ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ ; فَإِنَّهُمْ يَظُنُّونَهُ مُثْلَةً. فَتَحَوَّلَ النُّورُ إِلَى طَرَفِ سَوْطِهِ فَجَعَلُوا يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ كَالْمِصْبَاحِ، فَهَدَاهُمُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ بِبَرَكَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِدُعَائِهِ لَهُمْ فِي قَوْلِهِ: «اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَأْتِ بِهِمْ» . وَكَانَ يُقَالُ لِلطُّفَيْلِ: ذُو النُّورِ لِذَلِكَ. وَذَكَرْنَا أَيْضًا حَدِيثَ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ وَعَبَّادِ بْنِ بِشْرٍ فِي خُرُوجِهِمَا مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ، فَأَضَاءَ لَهُمَا طَرَفُ عَصَا أَحَدِهِمَا، فَلَمَّا افْتَرَقَا أَضَاءَ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৭
لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا طَرَفُ عَصَاهُ، وَذَلِكَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " وَغَيْرِهِ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الرَّازِيُّ فِي كِتَابِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ": حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَبَّادَ بْنَ بِشْرٍ وَأُسَيْدَ بْنَ حُضَيْرٍ خَرَجَا مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ ظَلْمَاءَ حِنْدِسٍ، فَأَضَاءَتْ عَصَا أَحَدِهِمَا مِثْلَ السِّرَاجِ وَجَعَلَا يَمْشِيَانِ بِضَوْئِهَا، فَلَمَّا تَفَرَّقَا إِلَى مَنْزِلِهِمَا أَضَاءَتْ عَصَا ذَا وَعَصَا ذَا. ثُمَّ رُوِيَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، وَعَنْ يَعْقُوبَ بْنِ حُمَيْدٍ الْمَدَنِيِّ، كِلَاهُمَا عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ يَزِيدَ الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سِرْنَا فِي سَفَرٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ ظَلْمَاءَ دُحْمُسَةٍ، فَأَضَاءَتْ أَصَابِعِي حَتَّى جَمَعُوا عَلَيْهَا ظَهْرَهُمْ وَمَا هَلَكَ مِنْهُمْ، وَإِنَّ أَصَابِعِي لَتُنِيرُ. وَرَوَى هَاشِمُ بْنُ عَمَّارٍ فِي " الْمَبْعَثِ ": حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَكْرِيُّ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ الضُّبَعِيُّ قَالَ: كَانَ مُطَرِّفُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يَبْدُو، فَيَدْخُلُ كُلَّ جُمُعَةٍ، فَرُبَّمَا نُوِّرَ لَهُ فِي سَوْطِهِ، فَأَدْلَجَ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৮

তারা বললাে আমাদেরকে যাদু করার জন্যে তুমি যে কোন নিদর্শন আমাদের নিকট পেশ
করনা কেন, আমরা তোমাকে বিশ্বাস করব না ৷ অতঃপর আমি তাদেরকে প্নাবন, পঙ্গপাল
উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত দ্বারা কষ্ট দেই ৷ এগুলি স্পষ্ট নিদর্শন, কিভু তারা দাম্ভিকই রয়ে গেল ৷ আর

তারা ছিল এক অপরাধী সম্প্রদায় ৷ এবং যখন তাদের উপর শাস্তি আসত, তারা বলত হে
মুসা! তমি তোমার প্রতিপলেকের নিকট আমাদের জন্যে প্রার্থনা কর ৷ তোমার সাথে তার যে
অঙ্গীকার রয়েছে সে অনুযায়ী যদি তুমি আমাদের থেকে শাস্তি অপসারিত কর তবে আমরা তো

তোমাকে বিশ্বাস করবই এবং বনী ইসরাঈলকেও তোমার সাথে যেতে দেব ৷ যখনই তাদের
উপর থেকে শাস্তি অপসারিত করতাম এবং নির্দিষ্ট কালের জন্যে যা তাদের জন্যে নির্ধারিত
ছিল, তারা তখনই তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করত ৷ সুতরাং আমি তাদেরকে শাস্তি দিয়েছি এবং
তাদেরকে অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত করেছি, কারণ তারা আমার নিদর্শনকে প্রত্যাখান করত এবং
এ সম্বন্ধে তারা ছিল পাজ্যি ( ৭ : ৩২-৩৬) ৷

অনুরুপ কুরায়শদের বিরুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইউসুফ (আ)-এর জাতির উপর সাত বছরের
দৃর্তিক্ষের মত সাত বছর দুর্ভিক্ষ দেওয়ার জন্যে বদদুআ করেন যখন তারা রাসুলের
বিরুদ্ধাচবণে যেতে উঠেছিল ৷ সুতরাং এ বদদুআর পরে কুরায়শরা কঠিন দুর্ডিংক্ষ পতিত হয়
এবং এমন কোন অখাদ্য ছিল না যা তারা এ সময়ে ভক্ষণ করেনি ৷ এমনকি ক্ষুধার৩ তীব্র জ্বালায়
আকাশ পর্যন্ত শুধু ধোয়ায় পরিপুর্ণ বলে মনে হত ৷ হযরত ইবন মাসউদ (রা) নিম্নের
আয়াতটির এ ব্যাখ্যইি করেছেন০ অতএব
তুমি অপেক্ষা কর সেই দিনের, যেদিন ধুম্নাচ্ছন্ন হয়ে আকাশ” (৪৪ : ১০) ৷ ইমাম বৃখারী তার
সহীহ্ গ্রন্থে একাধিক স্থানে ইবন মাসউদ এর বরাতে এ হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর
কুরায়শরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর রক্ত সম্পর্ক ও আত্মীয়তার খাতিরে এর থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার
জন্যে তার শরণাপন্ন হয় ৷ তাছাড়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছিলেন রাহমাতৃল ল-লিলু আলামীন ৷ সুতরাং
তিনি তাদের জন্যে দু আ করেন ৷ ফলে দুর্তিক্ষ দুর হয় এবং আমার ভুলে নেয়া হল এবং
ধ্বংসের মুখোমুখী হয়েও তারা রক্ষা পেল ৷

এবার মুসা (আ)-এর সমুদ্র বিভাজনের বিষয়টি দেখা যাক; ফিরআউনের দল যখন মুসা
(আ)এর দলের কাছাকাছি এল, তখন আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আ)-কে তারলাঠির দ্বারা
সমুদ্রে আঘাত করার নির্দেশ দেন ৷ ফলে সমুদ্রের পানি দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেল এবং প্রতিটি
ভাগ বিশাল পর্বত সদৃশ দেখাতে লাগল (শুআরা : ৬৩) ৷ এটা নিঃসন্দেহে মুসা (আ)-এর
একটি বড় মু’জিয৷ এবং নবুওভী প্রমাণের পক্ষে সুস্পষ্ট ও অকাট্য প্রমাণ ৷ ঘটনার বিস্তারিত
বিবরণ আমরা তাফসীর গ্রন্থে এবং এ কিতাবে নবীদের কাহিনী’ অধ্যায়ে বর্ণনা করেছি ৷ অপর
দিকে কুরায়শদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর পবিত্র অৎগুলির ইশারায় চাদ
দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় ৷ তখন ছিল পুর্গিমার রাত এবং কুরায়শদের উপস্থিতিতে এ ঘটনা সংঘটিত
হয় ৷ এ ঘটনা নি০সন্দেহে একটি ঐতিহাসিক ও বিস্ময়কর ঘটনা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নবুওতের উজ্জ্বল প্রমাণ এবং তার উচ্চ মর্যাদার দলীল ৷ কোন নবীর পক্ষ থেকেই এর চাইতে
বিস্ময়কর ইদ্রিয়গ্রাহ্য কোন ঘটনা ঘটেনি ৷ কুরআন ও সুন্নাহর দলীল দ্বারা তাফসীর কিভাবে
নবুওতের সুচনা অধ্যায়ে আমরা এর প্রমাণ পেশ করেছি ৷ এ ঘটনা হযরত ইউশা ইবন নুন
কর্তৃক শনিবার রাত্রের ঘটনায় কিছুক্ষণের জন্যে সুর্যকে গতিহীন রাখার ঘটনা থেকেও
অধিকতর আশ্চর্যজনক ৷ সামনে এ বিষয়ের আলোচনায় আমরা তা বিস্তারিতভাবে বলব ৷

ওো৷া


ذَاتَ لَيْلَةٍ وَهُوَ عَلَى فَرَسِهِ حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ الْمَقَابِرِ هُوِّمَ بِهِ، قَالَ: فَرَأَيْتُ صَاحِبَ كُلِّ قَبْرٍ جَالِسًا عَلَى قَبْرِهِ، قَالُوا: هَذَا مُطَرِّفٌ يَأْتِي الْجُمُعَةَ. فَقُلْتُ لَهُمْ: وَتَعْلَمُونَ عِنْدَكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ؟ قَالُوا: نَعَمْ، وَنَعْلَمُ مَا يَقُولُ فِيهِ الطَّيْرُ. قُلْتُ: وَمَا يَقُولُ فِيهِ الطَّيْرُ؟ قَالُوا: يَقُولُ: سَلَامٌ سَلَامٌ مِنْ يَوْمٍ صَالِحٍ. وَأَمَّا دُعَاؤُهُ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - بِالطُّوفَانِ وَهُوَ الْمَوْتُ الذَّرِيعُ فِي قَوْلٍ، وَمَا بَعْدَهُ مِنَ الْآيَاتِ وَالْقَحْطِ وَالْجَدْبِ، فَإِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ إِلَى مُتَابَعَتِهِ وَيُقْلِعُونَ عَنْ مُخَالَفَتِهِ، فَمَا زَادَهُمْ إِلَّا طُغْيَانًا كَبِيرًا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَمَا نُرِيهِمْ مِنْ آيَةٍ إِلَّا هِيَ أَكْبَرُ مِنْ أُخْتِهَا وَأَخَذْنَاهُمْ بِالْعَذَابِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ وَقَالُوا يَا أَيُّهَا السَّاحِرُ ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِنْدَكَ إِنَّنَا لَمُهْتَدُونَ} [الزخرف: 48] [الْأَعْرَافِ: 132 - 136] . وَقَدْ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قُرَيْشٍ حِينَ تَمَادَوْا عَلَى مُخَالَفَتِهِ بِسَبْعٍ كَسَبْعِ يُوسُفَ، فَقَحَطُوا حَتَّى أَكَلُوا كُلَّ
পৃষ্ঠা - ৫১৮৯

পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আলা আল-হাযরামী, আবু উবায়দ আছ-ছাকাফী ও আবু
মুসলিম আল-খাওলানী এবং তাদের সঙ্গী সৈন্য বাহিনী দাজলা নদীর পানির উপর দিয়ে পায়ে
হেটে পাড়ি দিয়েছেন ৷ অথচ দাজলা নদীর বিক্ষুব্ধ স্রোতে গাছপালা, খড়কুটোর মত ভেসে
যেত ৷ এসব ঘটনাও হযরত মুসার জন্যে পানি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাওয়া থেকে কয়েক দিক দিয়ে
শ্রেষ্ঠ ৷ ইবন হামিদ বলেছেন, যদি বলা হয়, মুসা (আ) লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত করার ফলে
পানি দ্বি-খণ্ডিত হয়ে যায় ৷ সমুদ্রে আঘাত করার ফলে পানি দ্বি-খণ্ডিত হয়ে যায় ; সুতরাং এটা
মুসা (আ)-এর জন্যে একটা মুজিযা ৷ তবে এর উত্তরে বলা যাবে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ফেও
অনুরুপ মু’জিযা দেয়া হয়েছে ৷ হযরত আলী (বা) বলেছেন, আমরা যখন খায়বরে গেলাম তখন
একটা গভীর পার্বত্য খাদের নিকট গিয়ে উপনীত হলাম ৷ চৌদ্দজন মানুষের উচ্চতার
সমপরিমাণ গভীর ছিল ৷ লোকজন বললাে, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! শত্রু আমাদের পেছনে এসে গেছে
এবং খাদটি একেবারেই সামনে ৷ আমাদের অবস্থা এখান মুসা (আ) সঙ্গী-সাথীদের মত, যখন
তারা বলেছিল, আমরা শত্রুদের নাগালের মধ্যে পড়ে গেছি ঞা£ ) ৷ ৷ ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) বাহন থেকে অবতরণ করলেন এবং উট ও ঘোড়া সম্মুখপানে হাকিয়ে দিলেন, উট ও
ঘোড়ার ক্ষুর পর্যন্ত সামান্যতম র্ডিজেনি ৷ তাতে অনায়াসেই জয় মুসলমানদের হাতে এসে
গেল ৷ বিত্ম ইবন হামিদ এ হাদীসটি সুত্র উল্লেখ ছাড়াই বর্ণনা করেছেন ৷ কোন নির্ভরযোগ্য
গ্রন্থে সহীহ্, হাসান কিংবা যয়ীফ সুত্রেও এর উল্লেখ আমি পাই নি ৷

হযরত মুসা (আ)-কে তীহ্ ময়দানে মেঘমালার ছায়াদান প্রশ্নেও বলা যায়, হযরত মুহাম্মদ
(সা)-কেও এরুপ মেঘের ছায়া দান করা হয়েছিল ৷ বহীরা তাকে ছায়া দিতে প্রত্যক্ষ করেছেন ৷
পুর্বেই এ ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে ৷ চাচা আবু তালিবের সাথে সিরিয়ার বাণিজ্য উপলক্ষে
যাওয়ার সময় পথে এ ঘটনাটি ঘরুটিছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ছায়া দানের ঘটনা মুসা (আ)
ও বনী ইসরাঈলকে ছায়াদানের ঘটনা থেকে অধিকতর বিস্ময়কর ৷ কেননা রাসুলকে যখন
মেঘমালা ছায়াদান করেছিল, তখন তিনি নবুওতপ্রাপ্ত হননি, তার বয়স তখন ছিল মাত্র বার
বছর ৷ তা ছাড়া তার সফর সঙ্গীদের মধ্য থেকে প্রকাণ্ড মেঘ কেবল তাকেই ছায়াদান করেছিল ৷
অন্য কারও মাথার উপর সে ছায়া পড়েনি ৷ অন্য এক দিক থেকেও বনী ইসরাঈলের ছায়ার
ঘটনাকে পর্যালোচনা করা যায় ৷ তা হল বনী ইসরাঈল যখন প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে
এবং ছায়ার আশ্রয় গ্রহণের প্রয়োজনিয়তা প্রবলভাবে দেখা দেয় তখনই তাদেরকে মেঘের ছায়া
দান করা হয় ৷ পক্ষান্তরে দালাইলুন নুবুওওে তে’ আমরা উল্লেখ করেছি যে, দৃর্তিক্ষ কবলিত হয়ে
ক্ষুধা অবস্থায় তাড়িত হয়ে জনগণ একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট বৃষ্টির জন্য দুআ করার
আবেদন জানায় ৷ তখন তিনি দুহাত উঠিয়ে দু’অ৷ করলেন৪ ৷ ৷ স্পেৰুা৷ ৷ এে৷ স্পেপ্৷ ৷
া ৷ গোা৷ ৷ — হে আল্লাহ আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর ৩ বার ৷ হযরত আনাস বলেন,
আল্লাহর কসম ঐ সময়ে আকাশের কোথাও বিন্দু পরিমাণও মেঘের চিহ্নও ছিল না এবং
(মদীনায়) সালা পর্বত ও আমাদের মধ্যবর্তী স্থানে কোন ঘর-বাড়িও ছিল না ৷ বিক্ষ্ম হঠ৷ ৷ৎ দেখা
গেল ঐ সালা পর্বতের পশ্চাতে চালের আকারে এক খণ্ড মেঘ জমেছে ৷ যখন তা আকাশের
মধ্যখানে ভেসে এল তখন সম্প্রসারিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল এবং বৃষ্টি বর্ষিত হতে লাগল ৷ আনাস
বলেন, আল্লাহর কলম, আমরা ঐ সপ্তাহে আর সুর্যের মুখ দেখতে পাইনি ৷ অতঃপর লোকজন
পুনরায় বৃষ্টি বন্ধের জন্য দুআ করতে বললে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাত উঠিয়ে দুআ করলেন এবং


شَيْءٍ، وَكَانَ أَحَدُهُمْ يَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ مِثْلَ الدُّخَّانِ مِنَ الْجُوعِ. وَقَدْ فَسَّرَ ابْنُ مَسْعُودٍ قَوْلَهُ تَعَالَى: {فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ} [الدخان: 10] بِذَلِكَ، كَمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْهُ فِي غَيْرِمَا مَوْضِعٍ مِنْ " صَحِيحِهِ " ثُمَّ تَوَسَّلُوا إِلَيْهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، بِقَرَابَتِهِمْ مِنْهُ مَعَ أَنَّهُ بُعِثَ بِالرَّحْمَةِ وَالرَّأْفَةِ، فَدَعَا لَهُمْ فَأَقْلَعَ عَنْهُمْ وَرُفِعَ عَنْهُمْ، وَأُحْيُوا بَعْدَمَا كَانُوا أَشْرَفُوا عَلَى الْهَلَكَةِ. وَأَمَّا فَلْقُ الْبَحْرِ لِمُوسَى - عَلَيْهِ السَّلَامُ - حِينَ أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى - حِينَ تَرَاءَى الْجَمْعَانِ - أَنْ يَضْرِبَ الْبَحْرَ بِعَصَاهُ فَانْفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرْقٍ كَالطَّوْدِ الْعَظِيمِ، فَإِنَّهُ مُعْجِزَةٌ عَظِيمَةٌ بَاهِرَةٌ، وَحُجَّةٌ قَاطِعَةٌ قَاهِرَةٌ. وَقَدْ بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَفِي قَصَصِ الْأَنْبِيَاءِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا، وَفِي إِشَارَتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ إِلَى قَمَرِ السَّمَاءِ، فَانْشَقَّ فِلْقَتَيْنِ وَفْقَ مَا سَأَلَتْهُ قُرَيْشٌ وَهُمْ مَعَهُ جُلُوسٌ، فِي لَيْلَةِ الْبَدْرِ، أَعْظَمُ آيَةٍ، وَأَيْمَنُ دَلَالَةٍ، وَأَوْضَحُ حُجَّةٍ، وَأَبْهَرُ بِرِهَانٍ عَلَى نُبُوَّتِهِ وَوَجَاهَتِهِ عِنْدَ اللَّهِ تَعَالَى، وَلَمْ يُنْقَلْ مُعْجِزَةٌ عَنْ نَبِيٍّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ مِنَ الْآيَاتِ الْحِسِّيَّاتِ أَعْظَمُ مِنْ هَذَا، كَمَا قَرَّرْنَا ذَلِكَ بِأَدِلَّتِهِ مِنَ الْكِتَابِ وَالسَّنَةِ فِي " التَّفْسِيرِ " وَفِي أَوَّلِ الْبَعْثَةِ، وَهَذَا أَعْظَمُ مِنْ حَبْسِ الشَّمْسِ قَلِيلًا لِيُوشَعَ بْنِ نُونٍ حَتَّى تَمَكَّنَ مِنَ الْفَتْحِ لَيْلَةَ السَّبْتِ، كَمَا سَيَأْتِي فِي تَقْرِيرِ ذَلِكَ، مَعَ مَا يُنَاسِبُ ذِكْرَهُ عِنْدَهُ، وَقَدْ تَقَدَّمَ مِنْ مَسِيرِ
পৃষ্ঠা - ৫১৯০
الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، وَأَبِي عُبَيْدٍ الثَّقَفِيِّ، وَأَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ، وَسَائِرِ الْجُيُوشِ التى كَانَتْ مَعَهُمْ عَلَى تَيَّارِ الْمَاءِ، وَمِنْهَا دِجْلَةُ وَهِيَ جَارِيَةٌ عَجَاجَةٌ تَقْذِفُ بِالْخَشَبِ مِنْ شِدَّةِ جَرْيِهَا، وَتَقَدَّمَ تَقْرِيرُ أَنَّ هَذَا أَعْجَبُ مِنْ فَلْقِ الْبَحْرِ لِمُوسَى مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ ابْنُ حَامِدٍ: قَالُوا: فَإِنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، ضَرَبَ بِعَصَاهُ الْبَحْرَ، فَانْفَلَقَ فَكَانَ ذَلِكَ آيَةً لِمُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ. قُلْنَا: فَقَدْ أُوتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهَا. قَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «لَمَّا خَرَجْنَا إِلَى خَيْبَرَ، فَإِذَا نَحْنُ بَوَادٍ يَشْخَبُ، وَقَدَّرْنَاهُ فَإِذَا هُوَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ قَامَةً، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ الْعَدُوُّ مِنْ وَرَائِنَا وَالْوَادِي مِنْ أَمَامِنَا. كَمَا قَالَ أَصْحَابُ مُوسَى {إِنَّا لَمُدْرَكُونَ} [الشعراء: 61] . فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ إِنَّكَ جَعَلْتَ لِكُلِّ مُرْسَلٍ دَلَالَةً، فَأَرِنِي قُدْرَتَكَ ". فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَبَرَتِ الْخَيْلُ لَا تُبْدِي حَوَافِرَهَا، وَالْإِبِلُ لَا تُبْدِي أَخْفَافَهَا، فَكَانَ ذَلِكَ فَتْحًا» . وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ بِلَا إِسْنَادٍ لَا أَعْرِفُهُ فِي شَيْءٍ مِنَ الْكُتُبِ الْمُعْتَمَدَةِ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ وَلَا حَسَنٍ، بَلْ وَلَا ضَعِيفٍ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا تَظْلِيلُهُ بِالْغَمَامِ فِي التِّيهِ، فَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُ حَدِيثِ الْغَمَامَةِ الَّتِي رَآهَا بَحِيرَى تُظِلُّهُ مِنْ بَيْنِ أَصْحَابِهِ، وَهُوَ ابْنُ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، صُحْبَةَ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ، وَهُوَ قَاصِدٌ الشَّامَ فِي تِجَارَةٍ، وَهَذَا أَبْهَرُ مِنْ جِهَةِ أَنَّهُ كَانَ وَهُوَ قَبْلَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৫১৯১

বললেনং £;ট্রুদ্বু;১াট্রু ৷ওা৷ প্রুছু fl ৷ অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাদের পার্শবর্তী এলাকায় বৃষ্টি
নিয়ে যান ৷ আমাদের উপর আর দেবেন না ৷ যেই দিকের প্রতি ৩রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইশারা করলেন
মেঘ তৎক্ষণাৎ সেই দিকে নিয়ে জমা হল এবং মদীনায় আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেল ৷ ফলে
মদীনায় আশে পাশে বৃষ্টি হতে থাকে কিন্তু মদীনায় হয়নি ৷ এটাও ছিল এক প্রকার ছায়াদান
এবং তা ছিল ব্যাপক ৷ বনী ইসরাঈলের মেঘের ছায়ার প্রয়োজনের তুলনায় এর প্রয়োজন ছিল
অনেক বেশি এবং অধিক উপকারী ৷ মু’জিযার বিচারে এর গুরুতু ও মাহাত্ম্য অনেক বেশি ৷
বনী ইসরাঈলের উপর যেমন মান্ন৷ ওয়া সালওয়া নাযিল হয়েছিল তেমনি রাসুল করীম
(সা)-এর জীবনে বহু ক্ষেত্রে খাদ্য ও পানীয় প্রচুর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৷
দালাইলুন নবুওতে ’সে সবের উল্লেখ আছে ৷ যেমন সামান্য খাদ্য দ্বারা অসং খ্য লোকের
প্রয়েজ্যো মিটান ৷ উদাহরণ স্বরুপ খন্দকের যুদ্ধের সময় জাবির ইবন আবদুল্পাহ্ (রা)এর ছোট্ট
একটি বকরী এবং এক সা ১ যবের দ্বারা প্রায় এক হাজার ক্ষুধার্ত লোকের খাদ্য সংকুলান ৷ এক
মুষ্টি খাদ্য দ্বারা বিরাট এক জমাতের খাদ্য সমস্যা মিটান যা আকাশ থেকে নাযিল হয় ৷ এ
ধরনের ঘটনা রাসুলে করীম (সা)-এর জীবনে বহুবার সংঘটিত হয়েছে ৷ আবু নুআয়ম ও ইবন
হামিদ বলেছেন, মান্ন৷ এবং সালওয়া নামক খাদ্যদ্রব্য বনী ইসরাঈলকে দেওয়া হয়েহ্নিা, যার
জন্যে তাদের কোন শ্রম দিতে হয়নি ৷ পক্ষান্তরে, গনীমতের মাল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এবং
তার উম্মতের জন৷ হালাল করা হয়েছে, যা ইতিপুর্বে অন্য কারও জন্যে হালাল ছিল না ৷ জাবির
(রা)-এর ঘটনাও তারা উল্লেখ করেছেন ৷ হযরত জাবির (রা) যখন আবু উবায়দার সাহায্যার্থে
গমন করেন তখন সফরের সম্বল নিঃশেষ হওয়ায় অনাহারে তাকে থাকতে হয় ৷ এমনকি শুকনা
পাতা পর্যন্ত তিনি ভক্ষণ করতে বাধ্য হন ৷ তারপর সমুদ্র থেকে তাদের জন্যে একটি বিরাট মাছ
নিক্ষিপ্ত হয় ৷ ঐ মাছের নাম ছিল আম্বর ৷ ঐ দলের সমস্ত লোক ত্রিশ দিন পর্যন্ত ঐ মাছটি ভক্ষণ
করেন ৷ ফলে র্তাদের দেহ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে যায় এবং তাদের পেটের চামড়া মজবুত হয় ৷, এ হাদীস
সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে ৷ পরবর্তীতে হযরত ঈসা মাসীহ ইবন মাৱয়ামের আসমানী খাঞ্চার
আলোচনায় পুনরায় এর উল্লেখ করা হবে ৷

আবু মুসা আল-খাওলানীৱ ঘটনা
আবু মুসা খাওলানী একবার তার একদল শিষ্যসহ হক্কজ্জর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ রওয়ানা
হওয়ার প্রাক্কালে তিনি তাদেরকে নির্দেশ দিলেন, কেউ খাদ্য রসদ ও পথের সম্বল সাথে নিতে
পারবে না ৷ এরপর যখনই তারা কোন মনযিলে অবতরণ করতেন, তখনই দু ’রাকাআত সালাত
আদায় করতেন ৷ সালাত শেষ হলে তাদেরকে খাদ্য, পানীয় এবং তাদের বাহনের ঘাস দেওয়া
হত এবং তার প্রয়োজন অনুযায়ী দেওয়া হত ৷ যাওয়ার সময় এবং আসার সময় গোটা
সফরকালে সকাল সন্ধ্যায় তাদেরকে এভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয় ৷

মুসা (আ)-এর আর এক ঘটনা, যা নিম্নোক্ত আয়াতে ব্যক্ত করা হয়েছে :


১ সা প্রায় সোয়া তিন কেজি পরিমাণ ৷


يُوحَى إِلَيْهِ، وَكَانَتِ الْغَمَامَةُ تُظِلُّهُ وَحْدَهُ مِنْ بَيْنِ أَصْحَابِهِ، فَهَذَا أَشَدُّ فِي الِاعْتِنَاءِ، وَأَظْهَرُ مِنْ غَمَامٍ يُظِلُّ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَغَيْرَهُمْ. وَأَيْضًا فَإِنَّ الْمَقْصُودَ مِنْ تَظْلِيلِ الْغَمَامِ إِنَّمَا كَانَ لِاحْتِيَاجِهِمْ إِلَيْهِ مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي الدَّلَائِلِ حِينَ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَدْعُوَ لَهُمْ لِيُسْقَوْا لِمَا هُمْ عَلَيْهِ مِنَ الْجُوعِ وَالْجَهْدِ وَالْقَحْطِ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ اسْقِنَا، اللَّهُمَّ اسْقِنَا» ". قَالَ أَنَسٌ: وَلَا وَاللَّهِ مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابٍ وَلَا قَزَعَةٍ، وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ سَلْعٍ مِنْ بَيْتٍ وَلَا دَارٍ، فَأُنْشِأَتْ مِنْ وَرَائِهِ سَحَابَةٌ مِثْلُ التُّرْسِ، فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ. قَالَ أَنَسٌ: فَلَا وَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سَبْتًا، وَلَمَّا سَأَلُوهُ أَنْ يَسْتَصْحِيَ لَهُمْ، رَفَعَ يَدَهُ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا» . فَمَا جَعَلَ يُشِيرُ بِيَدَيْهِ إِلَى نَاحِيَةٍ إِلَّا انْجَابَ السَّحَابُ، حَتَّى صَارَتِ الْمَدِينَةُ مِثْلَ الْإِكْلِيلِ، يُمْطَرُ مَا حَوْلَهَا وَلَا تُمْطَرُ. فَهَذَا تَظْلِيلُ غَمَامٍ مُحْتَاجٌ إِلَيْهِ آكُدُ مِنَ الْحَاجَةِ إِلَى ذَلِكَ، وَهُوَ أَنْفَعُ مِنْهُ، وَالتَّصَرُّفُ فِيهِ وَهُوَ يُشِيرُ أَبْلَغُ فِي الْمُعْجِزِ وَأَظْهَرُ فِي الِاعْتِنَاءِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا إِنْزَالُ الْمَنِّ وَالسَّلْوَى عَلَيْهِمْ فَقَدْ كَثَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الطَّعَامَ وَالشَّرَابَ فِي غَيْرِمَا مَوْطِنٍ، كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ مِنْ إِطْعَامِهِ الْجَمَّ الْغَفِيرَ مِنَ الشَّيْءِ الْيَسِيرِ، كَمَا أَطْعَمَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مِنْ شُوَيْهَةِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَصَاعِهِ الشَّعِيرِ أَزْيَدَ مِنْ أَلْفِ نَفْسٍ جَائِعَةٍ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ، وَأَطْعَمَ
পৃষ্ঠা - ৫১৯২
مِنْ جَفْنَةٍ فِئَامًا مِنَ النَّاسِ، وَكَانَتْ تُمَدُّ مِنَ السَّمَاءِ، إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنْ هَذَا الْقَبِيلِ مِمَّا يَطُولُ ذِكْرُهُ. وَقَدْ ذَكَرَ أَبُو نُعَيْمٍ وَابْنُ حَامِدٍ أَيْضًا هَا هُنَا أَنَّ الْمُرَادَ بِالْمَنِّ وَالسَّلْوَى إِنَّمَا هُوَ رِزْقٌ رُزِقُوهُ مِنْ غَيْرِ كَدٍّ مِنْهُمْ وَلَا تَعَبٍ، ثُمَّ أَوْرَدَ فِي مُقَابَلَتِهِ حَدِيثَ تَحْلِيلِ الْمَغَانِمِ وَلَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلَنَا، وَحَدِيثَ جَابِرٍ فِي سَرِيَّةِ أَبِي عُبَيْدَةَ وَجُوعِهِمْ حَتَّى أَكَلُوا الْخَبَطَ، فَحَسَرَ الْبَحْرُ لَهُمْ عَنْ دَابَّةٍ تُسَمَّى الْعَنْبَرَ، فَأَكَلُوا مِنْهَا ثَلَاثِينَ مِنْ بَيْنِ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ حَتَّى سَمِنُوا وَتَكَسَّرَتْ عُكَنُ بُطُونِهِمْ. وَالْحَدِيثُ فِي " الصَّحِيحِ " كَمَا تَقَدَّمَ. وَسَيَأْتِي عِنْدَ ذِكْرِ الْمَائِدَةِ فِي مُعْجِزَاتِ الْمَسِيحِ ابْنِ مَرْيَمَ قِصَّةُ أَبِي مُوسَى الْخَوْلَانِيِّ، أَنَّهُ خَرَجَ هُوَ وَجَمَاعَةٌ كَثِيرَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى الْحَجِّ وَأَمَرَهُمْ أَنْ لَا يَحْمِلُوا زَادًا وَلَا مَزَادًا، فَكَانُوا إِذَا نَزَلُوا مَنْزِلًا صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، فَيُؤْتَوْنَ بِطَعَامٍ وَشَرَابٍ وَعَلَفٍ يَكْفِيهِمْ وَيَكْفِي دَوَابَّهُمْ غَدَاءً وَعَشَاءً، مُدَّةَ ذَهَابِهِمْ وَإِيَابِهِمْ. وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى {وَإِذِ اسْتَسْقَى مُوسَى لِقَوْمِهِ فَقُلْنَا اضْرِبْ بِعَصَاكَ الْحَجَرَ فَانْفَجَرَتْ مِنْهُ اثْنَتَا عَشْرَةَ عَيْنًا قَدْ عَلِمَ كُلُ أُنَاسٍ مَشْرَبَهُمْ} [البقرة: 60] الْآيَةَ [الْبَقَرَةِ: 60] . فَقَدْ ذَكَرْنَا بَسْطَ ذَلِكَ فِي قِصَّةِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَفِي " التَّفْسِيرِ ". وَقَدْ ذَكَرْنَا الْأَحَادِيثَ الْوَارِدَةَ فِي وَضْعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فِي ذَلِكَ الْإِنَاءِ الصَّغِيرِ الَّذِي لَمْ يَتَّسِعْ لِبَسْطِهَا فِيهِ، فَجَعَلَ الْمَاءُ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ أَمْثَالَ
পৃষ্ঠা - ৫১৯৩

“স্মরণ কর যখন মুসাত তার সম্প্রদায়ের জন্য পানি প্রার্থনা করল, আমি বললাম, তোমার
লাঠি দ্বারা পাথরে আঘাত কর ৷ ফলে তা থেকে বারট৷ ঝর্ণা প্রবাহিত হল ৷ প্রতোক গোত্র নিজ
নিজ পান স্থান চিনে নিল” (বাকারাৰু ং ৬০) ৷

এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমরা মুসা (আ)-এর ইতিহাস প্রসঙ্গে এবং তাফসীরে
উল্লেখ করেছি ৷ আর এ প্রসঙ্গে আমরা যে হাদীসেরও উল্লেখ করেছি যে, একটি ছোট পাত্রে
রাসুলে করীম (সা)ত তার পবিত্র আঙ্গুল রাখেন, যার মধ্যে পুরা হাত রাখার জায়গাও ছিল না ৷
তারপর তার আঙ্গুলের মাঝ থেকে ঝর্ণা ধারার ন্যায় পানি প্রবাহিত হতে তথ্যকে ৷ এইভাবে তার
জীবনে বহুবার দেখা গেছে যে, অস্বাভাবিক পন্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে ৷
আনকা মহিলার ক্ষেত্রে এবং হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় এরুপ হয়েছিল ৷ এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একবার মদীনাবাসীদের জন্য পানির প্রার্থনা করলে আল্লাহ্ তা আল৷ তার প্রার্থনা অনুযায়ী বৃষ্টি
দান করেন ৷ যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই বর্ষান; তার কমও নয় বেশিও নয় ৷ মু ’জিয৷ হিসাবে
মুসা (আ) এ ঝর্ণার তুলনায় এটা অনেক বড় ৷ একদল আলিমের বর্ণনা মতে এই পানির ধারা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিজের আঙ্গুল থেকে প্রবাহিত হয় তাহলে এটা পাথর থেকে ঝর্ণা ধারা
প্রবাহিত হওয়ার তলনায় অধিকতর আশ্চর্যজনক ৷ কারণ ঝর্ণার উৎসস্থুল পাথর (আব্দুল নয়) ৷
হাফিয আবু নু আয়মও প্রায় এ ধরনের কথইি বলেছেন যে, মুসা (আ) ভীহ ময়দানে তার লাঠি
দ্বারা পাথরকে আঘাত করার ১২টি ঝর্ণা প্রবাহিত হয় এবংপ্র প্রত্যেকেই নিজ নিজ প্রস্রবণ বেছে
নেয় ৷ কিন্তু মুহাম্মদ (না)-এর হাতে তার চাইতে অধিকতর আশ্চর্যজনক ঘটনা সংঘটিত
হয়েছিল, কেননা পাথর থেকে ঝর্ণা প্রবাহিত হওয়া যুক্তিগত ও বাস্তব সম্মত, পক্ষাম্ভরে রক্ত,
মাংস ও হাডিদ্রর মাঝ থেকে ঝর্ণা প্রবাহিত হওয়া আশ্চর্যজনক ও অবােধগম্য ৷ অথচ তাই

ৎঘটিত হয়েছিল রাসুলে করীম (সা)-এর জীবনে ৷ বাতনে মুহাস্সাব নামক স্থানে তার
আঙ্গুলের মাঝ থেকে সুপেয় ধারা প্রবাহিত হয় এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ, ঘোড়া ও উট সে
পানি পান করে তৃপ্তি লাভ করে ৷ মুত্তালিব ইবন আবদুল্লাহ ট্রু আবু উমরা আনসারী থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একবারের ঘটনা, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে কোন এক
যুদ্ধে গমন করি ৷ একদা লোকজন সকলেই অনাহারে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় রাত্রি যাপন করে ৷

রাসুলুল্পাহ্ (সা) একটি পেয়ালা চেয়ে এনে সম্মুখে রাখেন ৷ তারপর তাতে কিছু পানি রাখেন ৷
তারপর মুখের কিছু লালা তাতে মিশিয়ে দেন এবং কিছু দু আ পাঠ করেন ৷ তারপর তাতে নিজ
আঙ্গুল রাখেন ৷

বর্ণনড়াকারী বলেন, আল্লাহর কসম ! আমি দেখলাম যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আঙ্গুল থেকে
পানির ফোয়ারা প্রবাহিত হচ্ছে ৷ তখন তার নির্দেশক্রমে সকলেই পানি পান করলেন এবং
মশক, কলস ইত্যাদি ভর্তি করে রাখলেন ৷ মুসা (আ) এর আর দু’টি ঘটনা অর্থাৎ বাছুর পুজার
কারণে নিহত দেরকে জীবিত করা এবং গাভীর ঘটনা সম্পর্কে হযরত ঈসা (আ) এর মৃতকে
জীবন্ত করার ঘটনার সাথে আলোচনা করব ৷ এই স্থানে আবু নুআয়মের আরও অনেক কথা
আছে, সংক্ষিপ্ত করার উদ্দেশ্যে সেগুলো আমরা ছেড়ে দিলাম ৷ হিমাশ ইবন উমারা তার
মাবআছ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন ৷

৫৩


الْعُيُونِ، وَكَذَلِكَ كَثَّرَ الْمَاءَ فِي غَيْرِ مَا مَوْطِنٍ، كَمَزَادَتَيْ تِلْكَ الْمَرْأَةِ، وَيَوْمِ الْحُدَيْبِيَةِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ، وَقَدِ اسْتَسْقَى اللَّهَ لِأَصْحَابِهِ فِي الْمَدِينَةِ وَغَيْرِهَا، فَأُجِيبَ طِبْقَ السُّؤَالِ وَوَفْقَ الْحَاجَةِ لَا أَزْيَدَ وَلَا أَنْقَصَ، وَهَذَا أَبْلَغُ فِي الْمُعْجِزِ. وَنَبْعُ الْمَاءِ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ مِنْ نَفْسِ يَدِهِ - عَلَى قَوْلِ طَائِفَةٍ كَثِيرَةٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ - أَعْظَمُ مِنْ نَبْعِ الْمَاءِ مِنَ الْحَجَرِ، فَإِنَّهُ مَحَلٌّ لِذَلِكَ. قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ الْحَافِظُ: فَإِنْ قِيلَ: إِنَّ مُوسَى كَانَ يَضْرِبُ بِعَصَاهُ الْحَجَرَ فَيَنْفَجِرُ مِنْهُ اثْنَتَا عَشْرَةَ عَيْنًا فِي التِّيهِ، قَدْ عَلِمَ كُلُّ أُنَاسٌ مَشْرَبَهُمْ. قِيلَ: كَانَ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُهُ وَأَعْجَبُ، فَإِنَّ نَبْعَ الْمَاءِ مِنَ الْحَجْرِ مَشْهُورٌ فِي الْعُلُومِ وَالْمَعَارِفِ، وَأَعْجَبُ مِنْ ذَلِكَ نَبْعُ الْمَاءِ مِنْ بَيْنِ اللَّحْمِ وَالْعَظْمِ وَالدَّمِ، فَكَانَ يُفْرِّجُ بَيْنَ أَصَابِعِهِ فِي مِخْضَبٍ، فَيَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ الْمَاءُ، فَيَشْرَبُونَ وَيُسْقَوْنَ مَاءً جَارِيًا عَذْبًا، يَرْوِي الْعَدَدَ الْكَثِيرَ مِنَ النَّاسِ وَالْخَيْلِ وَالْإِبِلِ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَنْطَبٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا، فَأَصَابَ النَّاسَ مَخْمَصَةٌ فَدَعَا بِرَكْوَةٍ فَوُضِعَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ فَصَبَّهُ فِيهَا، ثُمَّ مَجَّ فِيهَا وَتَكَلَّمَ بِمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَتَكَلَّمَ، ثُمَّ أَدْخَلَ أُصْبُعَهُ فِيهَا، فَأُقْسِمُ بِاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ أَصَابِعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَتَفَجَّرُ مِنْهَا يَنَابِيعُ الْمَاءِ، ثُمَّ أَمَرَ
পৃষ্ঠা - ৫১৯৪

রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে কী দেওয়া হয়েছে এবং তার পুর্ববর্তী
নবীদেরকে-ই বাকী দেওয়া হয়েছিল ?

মুহাম্মদ ইবন শুআযব আমর ইবন হড়াসৃসান আ ৷ততায়মী থেকে বর্ণনা করেন ৷ হযরত
মুসা (আ)-কে আরশের ভাণ্ডার থেকে একটি দু আ দান করা হয়েছিল, তা এইং :

র্জএও শ্ শ্বিপুধ্)

অর্থাৎ “হে আল্লাহ! তুমি আমার অতরে শয়তানের অনুপ্রবেশ বন্ধ রাখ, শয়তান থেকে
এবং প্রত্যেক অকল্যাণ থেকে আমাকে তোমার আশ্রয়ে গ্রহণ কর ৷ কেননা সকল শক্তি, ক্ষমতা,
দৃশ্যঅদৃশ্য রাজ্যসমুহের তৃমিই মালিক ৷ সকল যুগ ও অনন্তকড়ালের উপর তুমি বিরাজমান,
কবুল কর (হে অ ল্লাহ ’ ) ভুমি কবুল কর ৷

পক্ষান্তরে মুহাম্মদ (সা) কে দেওযা হয়েছে আরশের ভাণ্ডার থেকে দুই দুইটি আয়াত ৷
তাহল সুরা বাকারার সর্বশেষ দুটি আয়াত ণ্ট্রু ট্রু ;স্পে ণ্া ং ৷ ৷ ধ্ ,ন্ ৷ ৷ট্রুৰু fl; ,,৷ ৷ ওে ৷
থেকে শেষ পর্যন্ত ৷

সুর্যের গতি থেমে যাওয়ার ঘটনা

ইউশা ইবন নুন ইবন আফরাইম ইবন ইউসুফ ইবন ইয়াকুব ইবন ইসহাক ইবন ইবরাহীম
খালীলুল্লাহ (আ) হযরত মুসা (আ) এর পরবর্তী বনী ইসরাঈলের একজন নবী ৷ তিনিই
ময়দানে র্তীহ থেকে বনী ইসরাঈলদেরকে বের করে আনেন এবং যুদ্ধ ও অবরোধের পরে
তাদেরকে নিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করেন ৷ বিজয় যখন আসন্ন তখন সময় ছিল শুক্রবার
আসরের শেষ সময় ৷ একটু পরেই সুর্য ডুবে গেলে শনিবার এসে পড়বে এবং তখন আর যুদ্ধ
চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না ৷ কারণ, শনিবারে যুদ্ধ করা তাদের ধর্মে নিষিদ্ধ ছিল ৷ তিনি
সুর্যের দিকে তাকালেন এবং বললেন এ ন্ন্ষ্াৰু ৷ ৷ , ম্ভ,প্রু£ষ্ ন্া১ ৷ অর্থাৎ, হে সুর্য ’ তুমিও
আল্লাহর আদেশক্রমে অগ্রসর হচ্ছ, আর আমিও আল্লাহর নির্দেপক্রমে শত্রুর সাথে যুদ্ধ করছি ৷
তারপর বললেন :,; ৷প্রুশু ৷ শ্লেএে ৷ হে আল্লাহ ’ আমার জগুন্য সুর্যকে থামিয়ে দিন! সুর্যকে
আটকিয়ে রাখুন! সুতরাংঅ ৷ল্লাহ্ সুর্যকে আটকিয়ে রাখেন এবং শহর পুর্ণভাবে জয় হওয়ার পর
তা অস্ত যায় ৷ মুসলিম শরীফে আবদুর রাজ্জাক সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : অতীতকালে আল্লাহর এক নবী একটি যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷
আসর নামায পড়ার পরে বা তার কাছাকাছি সময়ে তিনি শহরের নিকটবর্তী হয়ে যান ৷ তখন
তিনি সুর্যকে লক্ষ্য করে বললেন, হে সুর্য৷ আল্লাহ্র হুকুম পালন করছ ৷ আমিও আল্লাহর নির্দেশ
পালন করছি ৷ হে আল্লাহ! একে তুমি আমার জন্যে কিছুক্ষণ আটকিয়ে রাখ ৷ সুতরাং, আল্লাহ
সুর্যকে আটকিয়ে রাখেন এবং ঐ নবী শহর দখল করে নেন ৷ এই নবী হলেন ইউশা ইবন নুন ৷
ইমাম আহমদ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কোন
মানষের খাতিরে সুর্যকে আটক রাখা হয়নি ৷ কেবলমাত্র ইউশা ইবন নুন এর ব্যতিক্রম ৷ তিনি


النَّاسَ فَسَقَوْا وَشَرِبُوا وَمَلَأُوا قِرَبَهُمْ وَإِدَاوَاتِهِمْ» . وَأَمَّا قِصَّةُ إِحْيَاءِ الَّذِينَ قُتِلُوا بِسَبَبِ عِبَادَةِ الْعِجْلِ وَقِصَّةِ الْبَقَرَةِ، فَسَيَأْتِي مَا يُشَابِهُهُمَا مِنْ إِحْيَاءِ حَيَوَانَاتٍ وَأُنَاسٍ عِنْدَ ذِكْرِ إِحْيَاءِ الْمَوْتَى عَلَى يَدِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ أَبُو نُعَيْمٍ هَا هُنَا أَشْيَاءَ أُخَرَ تَرَكْنَاهَا اخْتِصَارًا وَاقْتِصَادًا. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ فِي كِتَابِهِ " الْمَبْعَثِ ": بَابٌ فِيمَا أُعْطِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا أُعْطِيَ الْأَنْبِيَاءُ قَبْلَهُ. حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ مُدْرِكٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ حَسَّانَ التَّمِيمِيُّ، أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أُعْطِيَ آيَةً مِنْ كُنُوزِ الْعَرْشِ ; رَبِّ لَا تُولِجِ الشَّيْطَانَ فِي قَلْبِي، وَأَعِذْنِي مِنْهُ وَمِنْ كُلِّ سُوءٍ، فَإِنَّ لَكَ الْأَيْدَ وَالسُّلْطَانَ وَالْمُلْكَ وَالْمَلَكُوتَ، دَهْرَ الدَّاهِرِينَ، وَأَبَدَ الْآبِدِينَ، آمِينَ آمِينَ. قَالَ: وَأُعْطِيَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آيَتَيْنِ مِنْ كُنُوزِ الْعَرْشِ آخِرَ سُورَةِ " الْبَقَرَةِ ": {آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ} [البقرة: 285] إِلَى آخِرِهَا [الْبَقَرَةِ: 285، 286] . قِصَّةُ حَبْسِ الشَّمْسِ عَلَى يُوشَعَ بْنِ نُونِ بْنِ أَفْرَايِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ الرَّحْمَنِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. وَقَدْ كَانَ نَبِيَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهُوَ الَّذِي خَرَجَ بِبَنِي إِسْرَائِيلَ مِنَ التِّيهِ، وَدَخَلَ بِهِمْ بَيْتَ الْمَقْدِسِ بَعْدَ حِصَارٍ وَمُقَاتَلَةٍ، وَكَانَ الْفَتْحُ قَدْ يُنْجَزُ بَعْدَ الْعَصْرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَكَادَتِ الشَّمْسُ تَغْرُبُ وَيَدْخُلُ عَلَيْهِمُ السَّبْتَ فَلَا يَتَمَكَّنُونَ مَعَهُ مِنَ الْقِتَالِ، فَنَظَرَ إِلَى الشَّمْسِ فَقَالَ: إِنَّكِ مَأْمُورَةٌ وَأَنَا مَأْمُورٌ. ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ احْبِسْهَا عَلَيَّ. فَحَبَسَهَا اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ حَتَّى فَتَحَ الْبَلَدَ ثُمَّ غَرَبَتْ.
পৃষ্ঠা - ৫১৯৫
وَقَدْ قَدَّمْنَا فِي قِصَّةٍ مِنْ قَصَصِ الْأَنْبِيَاءِ الْحَدِيثَ الْوَارِدَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " غَزَا نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، فَدَنَا مِنَ الْقَرْيَةِ حِينَ صَلَّى الْعَصْرَ أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ لِلشَّمْسِ: أَنْتِ مَأْمُورَةٌ وَأَنَا مَأْمُورٌ، اللَّهُمَّ احْبِسْهَا عَلَيَّ شَيْئًا ". فَحُبِسَتْ عَلَيْهِ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ» . الْحَدِيثَ بِطُولِهِ. وَهَذَا النَّبِيُّ هُوَ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ ; بِدَلِيلِ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَيْرَيْنَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّ الشَّمْسَ لَمْ تُحْبَسْ لِبَشَرٍ إِلَّا لِيُوشَعَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَيَالِيَ سَارَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ الْبُخَارِيِّ. إِذَا عُلِمَ هَذَا فَانْشِقَاقُ الْقَمَرِ فِلْقَتَيْنِ، حَتَّى صَارَتْ فِرْقَةٌ مِنْ وَرَاءِ الْجَبَلِ - أَعْنِي حِرَاءَ - وَأُخْرَى مِنْ دُونِهِ، أَعْظَمُ فِي الْمُعْجِزِ مِنْ حَبْسِ الشَّمْسِ قَلِيلًا وَقَدْ قَدَّمْنَا فِي الدَّلَائِلِ حَدِيثَ رَدِّ الشَّمْسِ بَعْدَ غُرُوبِهَا، وَذَكَرْنَا مَا قِيلَ فِيهِ مِنَ الْمَقَالَاتِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ أَبُو الْمَعَالِي بْنُ الزَّمْلَكَانِيِّ: وَأَمَّا حَبْسُ الشَّمْسِ لِيُوشَعَ فِي قِتَالِ الْجَبَّارِينَ، فَقَدِ انْشَقَّ الْقَمَرُ لِنَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَانْشِقَاقُ الْقَمَرِ فِلْقَتَيْنِ أَبْلَغُ مِنْ حَبْسِ الشَّمْسِ عَنْ مَسِيرِهَا، وَصَحَّتِ الْأَحَادِيثُ وَتَوَاتَرَتْ بِانْشِقَاقِ الْقَمَرِ، وَأَنَّهُ كَانَ فِرْقَةٌ خَلْفَ الْجَبَلِ وَفِرْقَةٌ أَمَامَهُ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " اشْهَدُوا ". وَأَنَّ
পৃষ্ঠা - ৫১৯৬

যখন বায়তুল মুকাদ্দাসে অভিযানে যান তখন সুর্যকে অস্ত যেতে দেয়৷ হয়নি ৷ এ হাদীস কেবল
ইমাম আহমদ একাই বর্ণনা করেছেন ৷৩ তবে এর সনদ বুখারীর শর্তে উত্তীর্ণ ৷ এই ঘটনার
তুলনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আঙ্গুলির ইশারায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়া এবং এক খণ্ড হেব৷ পর্বতের
উপরে এবং আর এক খণ্ড তার পার্শে পতিত হওয়ার ঘটনা অধিকতর আশ্চর্যজনক এবং

মু’জিযার ক্ষেত্রে অধিকতর প্রমাণবহ ৷৩ তা ছাড়া দালইিল অধ্যায়ে সুর্য অস্ত যাওয়ার পর পুনরায়
প্রকাশ হওয়ার ঘটনা ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে ৷ শায়খ আবুল মা আলী
বলেছেন, যালিম শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় হযরত ইউশা (আ)-এর জন্যে সুর্য আটক
করা হয়েছিল ৷ আর আমাদের নবীর জন্য চন্দ্রকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে ৷ তবে এটা সুস্পষ্ট যে,
সুর্যের থেমে যাওয়া থেকে চ্যন্দ্রৱ দ্বিখণ্ডিত হওয়া অধিকতর বিস্ময়কর ৷ চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়ার
হাদীস সহীহ্ এবং মুতাওয়াতির পর্যায়ের ৷ খণ্ডিত চভ্রুন্দ্রৱ এক অংশ হেব৷ পাহাড়ের পশ্চাতে
এবং অন্য অংশ শউক্ত পাহাড়ের সম্মুখে পতিত হয় ৷ তা দেখে কুরায়শারা বললাে, আমাদের
চোখে যাদু করা হয়েছে ৷ পরে পথচারীরা এসে জানাল যে, তারা চীদের এ অবস্থা স্ব চক্ষে
প্রত্যক্ষ করেছে ৷ অ ৷ল্লাহ্র বাণী৪

! : ! : ,শ্ব্ শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্

অর্থাৎ “কিয়ামত আসন্ন এবং চন্দ্র বিলীর্ণ হয়েছে ৷ তারা কোন নিদর্শন দেখলে বলে, এতো
চিরাচরিত যাদু’ (কামারং ১ ২) ৷

তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর জন্যে দৃ’বার সুর্যকে আটকিয়ে রাখা হয় ৷ একবারের
ঘটনা ইমাম তাহাবী বর্ণনা করেছেন এবং এর রাবীদেরকে নির্ভরযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন ৷
একজন একজন করে তাদের প্রত্যেকের নামও তিনি উল্লেখ করেছেন ৷

ঘটনাটি এই : একদা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উপর ওহী আসছিল ৷ তখন তার শির মুবারক
ছিল হযরত আলী (রা)-এর কোলে ৷ সুর্য অস্ত যাওয়ার পুর্ব পর্যন্ত তিনি আর মাথা উঠালেন না ৷
এ দিকে আলী (রা)ও আসরের সালাত আদায় করেন নি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন আল্লাহর
নিকট দৃআ করলেন, হে আল্লাহ্৷ সে তো আপনার আনুগত্য ও আপনার রাসুলের আনুগত্য
করছিল ৷ সুতরাং সুর্যকে কিছুটা পশ্চাতে এনে দিনকে দীর্যায়িত করে দিন ৷ আল্লাহ তাই
করলেন ৷ সুর্যকে প্রত্যাবতিতি করে দিলেন ৷ হযরত আলী আসরের সালাত আদায় করার পর
সুর্য পুনরায় অস্ত গেল ৷ দ্বিতীয় ঘটনা ইসরা রজনীর প্রত্যুষে ঘটেছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মি রাজের রাত্রের পরবর্তী সকালে কুরায়শদেরকে ডেকে ঘটনা শুনালেন এবং বললেন, এ
রাত্রে আমি মক্কা থেকে বায়তু ল মুকাদ্দাস পর্যন্ত সফর করে এসেছি ৷ কুরায়শরা বায়তুল
ঘুকাদ্দাসের কতিপয় জিনিস সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করল ৷ তখন আল্লাহ তাআলা রাসুলের সম্মুখে
বায়তুল মুকাদ্দাসকে উদ্ভাসিত করে দেন এবং তা দেখে দেখে তিনি৩ ৷দের প্রশ্নের উত্তর দেন ৷
এরপর কুরায়শরা তাদের এক বাণিজ্য কাফেল৷ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল, যারা সিরিয়া থেকে
রসদ নিয়ে মক্কা অভিমুখে আসছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জানালেন, সুর্যের আলো থাকতে
থাকতেই তারা মক্কা পৌছে যাবে ৷ কিন্তু পথে কাফেলার কোন কারণে দেরি হওয়ায় আসতে
বিলম্ব হয় ৷ আল্লাহ তা আলা তখন সুর্যের গত্যিরাধ করে দেন এবং আসরের সময় তারা মক্কায়
পৌছে যায় ৷ ইবন বুক যব এ ঘটনা তার যিয়াদাত’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন ৷ হযরত আলীর


قُرَيْشًا قَالُوا هَذَا سَحَرَ أَبْصَارَنَا، فَوَرَدَتِ الْمُسَافِرُونَ وَأَخْبَرُوا أَنَّهُمْ رَأَوْهُ مُفْتَرِقًا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ وَإِنْ يَرَوْا آيَةً يُعْرِضُوا وَيَقُولُوا سِحْرٌ مُسْتَمِرٌّ} [القمر: 1] [الْقَمَرِ: 1، 2] . قَالَ: وَقَدْ حُبِسَتِ الشَّمْسُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْنِ ; إِحْدَاهُمَا مَا رَوَاهُ الطَّحَاوِيُّ وَقَالَ: رُوَاتُهُ ثِقَاتٌ. وَسَمَّاهُمْ وَعَدَّلَهُمْ وَاحِدًا وَاحِدًا، وَهُوَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوحَى إِلَيْهِ وَرَأْسُهُ فِي حِجْرِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَلَمْ يَرْفَعْ رَأْسَهُ حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ، وَلَمْ يَكُنْ عَلِيٌّ صَلَّى الْعَصْرَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ إِنَّهُ كَانَ فِي طَاعَتِكَ وَطَاعَةِ نَبِيِّكَ، فَارْدُدْ عَلَيْهِ الشَّمْسَ ". فَرَدَّ اللَّهُ عَلَيْهِ الشَّمْسَ حَتَّى رُئِيَتْ، فَقَامَ عَلِيٌّ فَصَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ غَرَبَتْ» ، وَالثَّانِيَةُ صَبِيحَةَ الْإِسْرَاءِ، فَإِنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَ قُرَيْشًا عَنْ مَسْرَاهُ مِنْ مَكَّةَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَسَأَلُوهُ عَنْ أَشْيَاءَ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَجَلَّاهُ اللَّهُ لَهُ حَتَّى نَظَرَ إِلَيْهِ وَوَصَفَهُ لَهُمْ، وَسَأَلُوهُ عَنْ عِيرٍ كَانَتْ لَهُمْ فِي الطَّرِيقِ فَقَالَ: «إِنَّهَا تَصِلُ إِلَيْكُمْ مَعَ شُرُوقِ الشَّمْسِ» . فَتَأَخَّرَتْ، فَحَبَسَ اللَّهُ الشَّمْسَ عَنِ الطُّلُوعِ حَتَّى جَاءَتِ الْعِيرُ. رَوَى ذَلِكَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ فِي زِيَادَاتِهِ عَلَى " السِّيرَةِ ". أَمَّا حَدِيثُ رَدِّ الشَّمْسِ بِسَبَبِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ مِنْ طَرِيقِ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، وَهُوَ أَشْهَرُهَا، وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَلِيٍّ نَفْسِهِ، وَهُوَ مُسْتَنْكَرٌ مِنْ جَمِيعِ الْوُجُوهِ، وَقَدْ مَالَ إِلَى الْقَوْلِ بِتَقْوِيَتِهِ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ الْمِصْرِيُّ الْحَافِظُ، وَأَبُو جَعْفَرٍ الطَّحَاوِيُّ، وَالْقَاضِي عِيَاضٌ، وَكَذَا صَحَّحَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ
পৃষ্ঠা - ৫১৯৭
الرَّافِضَةِ كَابْنِ الْمُطَهَّرِ وَذَوِيِهِ، وَرَدَّهُ وَحَكَمَ بِضِعْفِهِ آخَرُونَ مِنْ كِبَارِ حُفَّاظِ الْحَدِيثِ وَنُقَّادِهِمْ، كَعَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ يَعْقُوبَ الْجُوزْجَانِيِّ، وَحَكَاهُ عَنْ شَيْخِهِ مُحَمَّدٍ وَيَعْلَى ابْنَيْ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيَّيْنِ، وَكَأَبِي بَكْرٍ مُحَمَّدِ بْنِ حَاتِمٍ الْبُخَارِيِّ الْمَعْرُوفِ بِابْنِ زَنْجَوَيْهِ أَحَدِ الْحُفَّاظِ، وَالْحَافِظِ الْكَبِيرِ أَبِي الْقَاسِمِ بْنِ عَسَاكِرَ، وَذَكَرَهُ الشَّيْخُ جَمَالُ الدِّينِ أَبُو الْفَرَجِ بْنُ الْجَوْزِيِّ فِي كِتَابِ " الْمَوْضُوعَاتِ " وَكَذَلِكَ صَرَّحَ بِوَضْعِهِ شَيْخَايَ الْحَافِظَانِ الْكَبِيرَانِ أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ، وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ. وَأَمَّا مَا ذَكَرَهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ فِي زِيَادَاتِهِ عَلَى " السِّيرَةِ " مِنْ تَأَخُّرِ طُلُوعِ الشَّمْسِ عَنْ إِبَّانِ طُلُوعِهَا، فَلَمْ يُرَ لِغَيْرِهِ مِنْ عُلَمَاءِ السِّيَرِ، عَلَى أَنَّ هَذَا لَيْسَ مِنَ الْأُمُورِ الْمُشَاهَدَةِ، وَأَكْثَرُ مَا فِي الْبَابِ أَنَّ الرَّاوِيَ رَأَى تَأْخِيرَ طُلُوعِهَا وَلَمْ يُشَاهِدْ حَبْسَهَا عَنْ وَقْتِهِ. وَأَغْرَبُ مِنْ هَذَا مَا ذَكَرَهُ ابْنُ الْمُطَهَّرِ فِي كِتَابِهِ " الْمِنْهَاجِ " أَنَّهَا رُدَّتْ لِعَلِيٍّ مَرَّتَيْنِ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ الْمُتَقَدِّمَ كَمَا ذُكِرَ، ثُمَّ قَالَ: وَأَمَّا الثَّانِيَةُ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَعْبُرَ الْفُرَاتَ بِبَابِلَ، اشْتَغَلَ كَثِيرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ بِسَبَبِ دَوَابِّهِمْ، وَصَلَّى لِنَفْسِهِ فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ الْعَصْرَ، وَفَاتَ كَثِيرًا مِنْهُمْ، فَتَكَلَّمُوا فِي ذَلِكَ، فَسَأَلَ اللَّهَ رَدَّ الشَّمْسِ فَرُدَّتْ. قَالَ: وَنَظَّمَهُ الْحِمْيَرِيُّ فَقَالَ: رُدَّتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ لَمَّا فَاتَهُ ... وَقْتُ الصَّلَاةِ وَقَدْ دَنَتْ لِلْمَغْرِبِ حَتَّى تَبَلَّجَ نُورُهَا فِي وَقْتِهَا ... لِلْعَصْرِ ثُمَّ هَوَتْ هُوِيَّ الْكَوْكَبِ وَعَلَيْهِ قَدْ رُدَّتْ بِبَابِلَ مَرَّةً ... أُخْرَى وَمَا رُدَّتْ لِخَلْقٍ مُغْرِبِ
পৃষ্ঠা - ৫১৯৮


জন্যে সুর্য আটক হওয়ার বর্ণনা করেছেন আসমা বিনতে উমায়স ইবন সাঈদ, আবু হুরায়রা ও
স্বয়ং হযরত আলী ৷ কিন্তু সকল সুত্রেই এ হাদীসটি আংহণযোগ্য (মুনকার) ৷ আর যারা একে
সমর্থন করেছেন র্তারা হলেন আহমদ ইবন সালিহ আল মিসরী, আবু হাফস আত-তাহাবী,
কাযী ইয়ায এবং ইবনমাতহারসহ রাফিষী সম্প্রদায়ের অনেক আলিম ৷ কতিপয় হাফিযে হাদীস

এবং হাদীস হাচইিকারীদে ৱ মতে এ হাদীস প্রত্যাখ্যান ও যয়ীফ; যেমন আলী ইবনুল মাদীনা,
ইবরাহীম ইবন ইয়াকুব, তার শায়খ মুহাম্মদ ও ইয়ালা ইবন উবায়দ, আবু বকর মুহাম্মদ ইবন
হাতিম আল বুখারী, হাফিয ইবন আসাকির, শায়খ জামালুদ্দীন আবুল ফারজ ইবনুল জাওয়ী
তার মাওযুআত’ গ্রন্থে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷ হাফিয আবুল হাজ্জাজ আল মিয্ঘী ও
হাফিয আবু আবদুল্লাহ আয় যাহাবী সুস্প্ষ্টিভাবে একে মনগড়া হাদীস বলে আখ্যায়িত করেছেন ৷
ইউনুস ইবন বুকায়র যিয়াদাত গ্রন্থে লিখেছেন, সুর্য উদিত হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পরে তা
উদিত হয়েছিল ৷ কিন্তু ইউনুস ব্যতীত অন্য কোন আলিম এ ধরনের রিওয়ায়াত বর্ণনা করেননি ৷
তাছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরে উদিত হওয়া এমন জিনিস নয়, যা প্রত্যক্ষ করা যায় ৷ বিন্দু এর
চেয়েও অধিক অভিনব কথা বলেছেন ইবনুল মাতহার তার মিনহজে’ গ্রন্থে ৷ তিনি লিখেছেন,
হযরত আলীর জন্যে দুইবার সুর্যকে অস্ত যাওয়ার পর ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷ তার মধ্যে একবার
যা উপরে বর্ণিত হয়েছে ৷ দ্বিতীয়বারের ঘটনা সম্পর্কে লিখেছেন, হযরত আলী যখন বাবেলে
ফুরাত নদী অতিক্রম করার সং কল্প করেন, তখন তিনি একদল লোকসহ নিজে আসরের
সালাত আদায় করেন; কিন্তু অধিকাংশ লোকই সাথে পশু থাকার কারণে সালাত আদায় করতে
পারেননি ৷ সুতরাং এ ব্যাপারে তারা হযরত আলীকে অবহিত করলেন ৷ তিনি আল্লাহর নিকট
সুর্যকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যে প্রার্থনা করেন ৷ সে মতে সুর্য পশ্চাত দিকে ফিরে আসে ৷ আবু
নুআয়ম হযরত মুসা (আ)-এ র পরে হযরত ইদরীস (আ)-এর উল্লেখ করেছেন ৷ অধিকাংশ
মুফাসৃসিরের মতে তিনি বনী ইসরাঈলের নবী ৷ কিন্তু মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন ইয়াসার এবং
কতিপয় বংশ পঞ্জিকায় বিজ্ঞ পণ্ডিতগণের মতে তিনি হযরত নুহ (আ)-এর পুর্বেকার নবী ৷
হযরত আদম (আ)-এর সাথে তার বংশ লতিক৷ মিলে যায়৷

হযরত ইদরীস (আ)-কে যা কিছু দেওয়া হয়েছিল

হযরত ইদরীস (আ) কে আল্লাহ যে সম্মান দান করেছেন সে সম্পর্কে তিনি কুরআনে
বলেছেন৪ ৷া ৷াণ্ হুাট্রু;া,, অর্থাৎ আমি তার মর্যাদাকে সমুন্নত করেছি ৷ এ ক্ষেত্রে
আমাদের কথা হল, হযরত মুহাম্মদ (সা)-কে এর চেয়ে অনেক বেশি শ্রেষ্ঠতৃ ও পুর্ণতা দান করা
হয়েছে ৷ কারণ আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার সুখ্যাতি বাড়িয়ে দিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেনং
এ)হ্র১ এ £ট্রুৰুব্র ,, আমি তোমার খ্যাতি ৩সুউচ্চ মর্যাদার উন্নীত করেছি ৷ যে কোন খতীব,
সুপার্বিশকারী কি বা সালাত আদায়কারী ঐ নামের দ্বারাই ঘোষণা করে ১৷ ৷ এ ৷ ’১াপ্ ৷াধ্ ৷
এ ৷ র্দুাপ্রুঠু, ৷ ষ্ঠুং ৰুড্রুা’ ;ছু,;ট্রু;াঠু এ ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন
ইলাহ্ নেই এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসুল ৷ আল্লাহ তার নামের
সাথে রাসুলের নাম একত্রিত করে দিয়েছেন ৷ এ ব্যবস্থা পৃথিবীর পুর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত
সর্বত্রই বিদ্যমান ৷ ফরয সালাতে র জন্য এটা (আমান) কুঞ্জি বিশেষ ৷ ইবন লাহীআ আবু
সাঈদ থেকে বর্ণিত ৷ রনুেলুল্লাহ্ (সা) এ;£ ৷ এ ৷ট্রু;ট্র,, আয়াত প্রসঙ্গে বলেছেন, জিবরাঈস্


وَذَكَرَ أَبُو نُعَيْمٍ بَعْدَ مُوسَى إِدْرِيسَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهُوَ عِنْدَ كَثِيرٍ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ مِنْ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَعِنْدَ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ وَآخَرِينَ مِنْ عُلَمَاءِ النَّسَبِ قَبْلَ نُوحٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي عَمُودِ نَسَبِهِ إِلَى آدَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَمَا تَقَدَّمَ التَّنْبِيهُ عَلَى ذَلِكَ فَقَالَ: [أُعْطِيَ إِدْرِيسُ عَلَيْهِ السَّلَامُ الرِّفْعَةَ] الْقَوْلُ فِيمَا أُعْطِيَ إِدْرِيسُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنَ الرِّفْعَةِ الَّتِي نَوَّهَ اللَّهُ بِذِكْرِهَا فَقَالَ: {وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا} [مريم: 57] قَالَ: وَالْقَوْلُ فِيهِ أَنَّ نَبِيَّنَا مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُعْطِي أَفْضَلَ وَأَكْمَلَ مِنْ ذَلِكَ ; لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى رَفَعَ ذِكْرَهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ فَقَالَ: {وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ} [الشرح: 4] . فَلَيْسَ خَطِيبٌ وَلَا شَفِيعٌ وَلَا صَاحِبُ صَلَاةٍ إِلَّا يُنَادِي بِهَا: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. فَقَرَنَ اللَّهُ اسْمَهُ بِاسْمِهِ فِي مَشَارِقِ الْأَرْضِ وَمَغَارِبِهَا، وَذَلِكَ مِفْتَاحًا لِلصَّلَاةِ الْمَفْرُوضَةِ، ثُمَّ أَوْرَدَ حَدِيثَ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، «عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَوْلِهِ: {وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ} [الشرح: 4] قَالَ: " قَالَ جِبْرِيلُ: قَالَ اللَّهُ: إِذَا ذُكِرْتُ ذُكِرْتَ» . وَرَوَاهُ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৫১৯৯


আমাকে জানিয়েছেন, আল্লাহ্ তাকে বলেছেন, আমাকে যখন স্মরণ করা হবে তখন (মুহাম্মদ)
আপনাকে স্মরণ করা হবেং ৰু;ন্টু£’;৷ : ,ং,$’; ৷ ৷ ৷ ইবন জারীর ও ইবন আবী আসিম দাররাজ
সুত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবু আহমদ মুহাম্মদ ইবন আহমদ আল গা৩ রীফী
আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আসমান ও যমীনের যেসব
বিষয়ে আল্লাহ্ আমাকে হুকুম করেছেন, তা সম্পন্ন করে যখন আমি অবসর হলাম তখন
বললাম, হে আল্লাহ্! আমার পুর্ববর্তী প্রত্যেক নবীকেই আপনি বিশেষ মর্যাদায় ভুষিত করেছেন;
ইবরাহীমকে খলীল’ বানিয়েছেন, মুসাকে আপনার সাথে সরাসরি কথা বলার সৌভাগ্য দান
করেছেন, দাউদের জন্যে পাহাড়কে অবুগত করে দিয়েছেন, , ঈসাকে মৃত লোককে জীবিত
করার শক্তি দান করেছেন, আমার জন্যে আপনি কী রেখেছেন : ংষ্পু ধ্এহু; ৷ব্র জবাবে
আল্পাহ্ তাআলা বললেন, আপনাকে আমি ঐ সবকিছুর চইিতে শ্রেষ্ঠ জিনিস দান করেছি অর্থাৎ
আমার নামের সাথে আপনার নাম সংযুক্ত করে দিয়েছি যখন আমার নাম উচ্চারণ করা হয়
তখন সেই সাথে আপনার নামও উচ্চারণ করা হয়ে থাকে৪ ৰু;)এ১ ৷৷ ৷ ,$; ৷ ৷া
আপনার উম্ম৩ কে গোটা মানব জাতির মধ্যে গ্রেষ্ঠতৃ দান করেছি ৷ তারা কুরআন পাঠ করে, যা
আমি অন্য কাউকে দেইনি; আর আমার আরশের ভাণ্ডার থেকে আপনাকে একটি কালিমা দান
করেছি, তাহল ধ্াপুড্রু ১৷ ৷ ওৰুশুট্র ৰুাট্রু ৰু প্রুঠ্ৰু৷ এই সনদের মধ্যে কিছুটা ত্রুটি থাকলেও আবুল
কাসিম ইর্বৃন আব্বাস থেকে এইরুপ কথইি মারকু৩ ভাবে বর্ণনা করেছেন ৷

আবু যুরআ দালইিলুন নবুওতে ভিন্ন সুত্রে বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ বলেছেন, হিশাম
ইবন আমার দামিশকী আবু হুরায়রা ও আনাস ইবন মালিক থেকে মিরাজ রজনীর ঘটনা
বর্ণনা করেছেন৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : ঐ রজনীতে আল্লাহ্ যখন আমাকে তার নিদর্শনাদি
দেখাচ্ছিলেন তখন এক পর্যায়ে আমি সুঘ্রাণ অনুভব করলাম ৷ আমি বললাম, ইয়৷ রব! আমার
অনুসারীদেরসহ এখানে আমার স্থান দিন! আল্লাহ্ বললেন, তোমাকে তাই দিবাে, যার ওয়াদা
আমি করেছি মাকামে মাহমুদ ৷ যেসব মু’মিন নয় ও নারী আমার সাথে কোন শরীক না করে
এবং যারা আমাকে ঋণ দেয় তাদেরকে আমি নিকটে রাখব, যে আমার উপর নির্ভর করবে তার
জন্যে আমি যথেষ্ট হবে৷ ৷ যে আমার বা ছে প্রার্থাংা করবে তাকে আমি দান করব ৷ত তার জীবিকা
হ্রাস করা হবে না ৷ যা সে কামনা করবে তা কমান হবে না ৷ তোমাকে যা দেয়ার ওয়াদ৷ করা
হয়েছে তা দেয়৷ হবে ৷ সুতরাং মুত্তাকীদের বাসস্থান কতইনা উত্তম ৷ আমি বললাম, সন্তুষ্ট
হয়েছি ৷ এরপর যখন সিদরাতৃল মুনতাহ৷ পর্যন্ত গেলাম, তখন আমি সিজদায় পড়ে পেলাম ৷
কিছুক্ষণ পর মাথা উঠিয়ে বললাম, হে রব! ইবরাহীমকে আপনি খলীল বানিয়েছেন, মুসার
সাথে সরাসরি কথা বলেছেন, দাউদকে যাবুর কিতাব দিয়েছেন এবং সুলায়মানকে বিশাল
রাজত্ব দান করেছেন : এ্ণ্ডু ৷ এ্ ৷
মর্যাদা দান করেছি ৷ আপনার উম্মতের জন্যে খুতবা (ভাষণ) দেওয়া জায়িয হবে না, যতক্ষণ না
এ সাক্ষ্য দেয় যে, আপনি আমার রাসুল ৷ আপনার উম্মতে র অস্তরকে সাক্ষাৎ কিতাব করে
বানিয়েছি ৷ আর সুরা বাকারার শেষ অংশট৷ আমার আরশের নিম্নদেশ থেকে দান করেছি ৷ রাবী
ইবন আনাস আবু হুরায়রা সুত্রে মিরাজ সম্পর্কে দীর্ঘ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন
জারীরও তার তাফসীর গ্রন্থে এ হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ আবু যুরআ এ বর্ণনার শেষে উল্লেখ


جَرِيرٍ وَابْنِ أَبِي حَاتِمٍ مِنْ طَرِيقِ دَرَّاجٍ. ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْغِطْرِيفِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ سَهْلٍ الْجَوْنِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْقَاسِمِ بْنِ بَهْرَامَ الْهِيتِيُّ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمَّا فَرَغْتُ مِمَّا أَمَرَنِي اللَّهُ تَعَالَى بِهِ مِنْ أَمْرِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ قَلْتُ: يَا رَبِّ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ قَبْلِي إِلَّا قَدْ كَرَّمْتَهُ ; جَعَلْتَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَمُوسَى كِلِيمًا، وَسَخَّرْتَ لِدَاوُدَ الْجِبَالَ، وَلِسُلَيْمَانَ الرِّيحَ وَالشَّيَاطِينِ، وَأَحْيَيْتَ لِعِيسَى الْمَوْتَى، فَمَا جَعَلْتَ لِي؟ قَالَ: أَوْ لَيْسَ قَدْ أَعْطَيْتُكَ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ، أَنْ لَا أُذْكَرَ إِلَّا ذُكِرْتَ مَعِي، وَجَعَلْتُ صُدُورَ أُمَّتِكَ أَنَاجِيلَ يَقْرَأُونَ الْقُرْآنَ ظَاهِرًا، وَلَمْ أُعْطِهَا أُمَّةً، وَأَنْزَلْتُ عَلَيْكَ كَلِمَةً مِنْ كُنُوزِ عَرْشِي: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ فِيهِ غَرَابَةٌ، وَلَكِنْ أَوْرَدَ لَهُ شَاهِدًا مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْقَاسِمِ ابْنِ بِنْتِ مَنِيعٍ الْبَغَوِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الزَّهْرَانِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا بِنَحْوِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو زُرْعَةَ الرَّازِيُّ فِي كِتَابِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " بِسِيَاقٍ آخَرَ، وَفِيهِ انْقِطَاعٌ، فَقَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُمَرَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৫২০০
شُعَيْبُ بْنُ رُزَيْقٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَطَاءً الْخُرَاسَانِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ حَدِيثِ لَيْلَةِ أُسَرِيَ بِهِ، قَالَ: «فَأَرَانِي اللَّهُ مِنْ آيَاتِهِ فَوَجَدْتُ رِيحًا طَيِّبَةً فَقُلْتُ: مَا هَذَا يَا جِبْرِيلُ؟ قَالَ: هَذِهِ الْجَنَّةُ تَقُولُ: يَا رَبِّ ائْتِنِي بِأَهْلِي. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا، لَكِ مَا وَعَدْتُكِ، كُلُّ مُؤْمِنٍ وَمُؤْمِنَةٍ لَمْ يَتَّخِذْ مِنْ دُونِي أَنْدَادًا، وَمَنْ أَقْرَضَنِي جَزَيْتُهُ، وَمَنْ تَوَكَّلَ عَلَيَّ كَفَيْتُهُ، وَمَنْ سَأَلَنِي أَعْطَيْتُهُ، وَلَا يَنْقُصُ نَفَقَتِي، وَلَا يَنْقُصُ مَا يَتَمَنَّى، لَكِ مَا وَعَدْتُكِ، فَنَعِمَ دَارُ الْمُتَّقِينَ أَنْتِ. قَالَتْ: رَضِيتُ. فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى خَرَرْتُ سَاجِدًا، فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَقُلْتُ: يَا رَبِّ، اتَّخَذْتَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَكَلَّمْتَ مُوسَى تَكْلِيمًا، وَآتَيْتَ دَاوُدَ زَبُورًا، وَآتَيْتَ سُلَيْمَانَ مُلْكًا عَظِيمًا. قَالَ: فَإِنِّي قَدْ رَفَعْتُ لَكَ ذِكْرَكَ؛ تُذْكَرُ مَعِي إِذَا ذُكِرْتُ، وَلَا تَجُوزُ لِأُمَّتِكَ خُطْبَةٌ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنَّكَ رَسُولِي، وَجَعَلْتُ قُلُوبَ أُمَّتِكَ أَنَاجِيلَ، وَآتَيْتُكَ خَوَاتِيمَ سُورَةِ الْبَقَرَةِ مِنْ تَحْتِ عَرْشِي» . ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثَ
পৃষ্ঠা - ৫২০১

করেছেন; তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) নবীগণের রুহের সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ সকল রুহ আল্লাহ
তাআলার স্তুতি পাঠ করেন : ইবরাহীম (আ) বললেন, যাবতীয় প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি
আমাকে তার খলীলরুপে গ্রহণ করেছেন, আমাকে বিশাল রাজত্ব দান করেছেন, জীবনে ও
মরণে আমাকে র্তার অনুগত বানিয়েছেন ৷ অগ্নিকুণ্ড থেকে পরিত্রাণ, দান করে তা আমার জন্যে
শীতল ও শান্তিদায়ক বানিয়ে দিয়েছেন ৷ এরপর হযরত মুসা (আ) আল্লাহর স্তুতি জ্ঞাপন করে
বললেন, সকল প্রশংসা একমাত্র সেই আল্লাহর, যিনি আমার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন ৷
রিসালাতের দায়িত্ব পালন করার জন্যে ও কথা বলার জন্যে, আমাকে মনোনীত করেছেন ৷
আমার উপরে তাওরাত অবতীর্ণ করেছেন এবং আমার হাতে ফ্লিরআউনকে ধ্বংস করেছেন ৷
তারপর হযরত দাউদ (আ) আল্লাহর প্রশংসা করলেন : সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর,
যিনি আমাকে বাদশাহ বানিয়েছেন ৷ আমার উপরে যাবুর অবতীর্ণ করেছেন ৷ আমার জন্যে
লোহা নরম করে দিয়েছেন ৷ পাহাড় ও পাখিকে আমার অধীনে করে দিয়েছেন ৷ যারা আল্লাহর
তড়াসবীহ পাঠে রত থাকে এবং যিনি আমাকে সুক্ষ্ণ জ্ঞান ও বলিষ্ঠ ভাষণ দেওয়ার যোগ্যতা দান
করেছেন ৷ এরপর হযরত সুলড়ায়মান (আ) আল্লাহর প্রশংসা করে বললেন, সকল প্রশংসা সেই
আল্লাহর, যিনি বায়ু জিন ও ইনসানকে আমার হুকুমাধীন করে দিয়েছেন ৷ দুষ্ট জিনদেরকে
আমার অধীন করেছেন, যারা আমার ইচ্ছানুযায়ী তৈরি করত দুগ, ভাস্কর্য, হাউয সদৃশ
বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ ৷ যিনি আমাকে পাখির ভাষা বুঝার শক্তি
দিয়েছেন ৷ আমার জন্যে প্রবাহিত করেছেন পিতলের ঝর্ণা ৷ আর আমাকে দান করেছেন এত
বড় বিশাল সাম্রাজ্য, যা আমার পরে আর কাউকে দেওয়া হবে না ৷

তারপর হযরত ঈসা (আ) আল্লাহর প্রশংসায় বললেন, যাবতীয় প্রশংসার অধিকারী সেই
মহান আল্লাহ, যিনি আমাকে তাওরাত ও ইনজািলর জ্ঞান দান করেছেন, তারই হুকুমে জন্মান্ধ
ও কুষ্ঠ রোগীকে নিরাময় করা এবং মৃতকে জীবিত করার শক্তি দিয়েছেন এবং আমাকে
উর্ধ্বাকাশে তুলে এসেছেন এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে আমাকে আশ্রয় দিয়েছেন ৷ ফলে
আমার উপর শয়তানের কোন প্রভাব পড়তে পারে না ৷

এরপর য়ুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (না) আল্লাহর প্রশংসা করলেন ৷ তিনি বললেন : সমস্ত
প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর, যিনি আমাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরুপ প্রেরণ করেছেন,,
সকল মানবমণ্ডলীর জন্য সুসংবাদ দানকারী ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে পাঠিয়েছেন ৷ আমার
উপরে ফুরকান নাযিল করেছেন, যাতে রয়েছে প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বর্ণনা ৷ আমার
উম্মতকে করেছেন উত্তম জাতি, মানবকুলের কল্যাণার্থে তাদের অভুদয়ঘটান হয়েছে ৷ আমার
উম্মতকে বানান হয়েছে মধ্যবর্তী জাতি ৷ আমার উম্মতকে করা হয়েছে আউয়াল ও আখেরী
উম্মত ৷ আমার বক্ষকে করা হয়েছে উন্মুক্ত প্রশস্ত ৷ আমার ভুল-ত্রুটিকে করা হয়েছে ক্ষমা এবং
আমার নামকে করা হয়েছে সমুন্নত ৷ আমাকে করা হয়েছে বিজয়ী এবং সর্বশেষ নবী ৷

ইবরাহীম (আ) বললেন, এ কারণেই মুহাম্মদ (না)-কে তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠতু দান করা
হয়েছে ৷ ’

ইবরাহীম হাকিম ও বায়হাকীর পুর্বোক্ত হাদীসের; শেষে আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ
সুত্রে হযরত উমর ইবন খড়াত্তাব থেকে মারকুভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ হযরত আদম (আ)
বলেছিলেন ৷


الْإِسْرَاءِ بِطُولِهِ، كَمَا سُقْنَاهُ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ جَرِيرٍ فِي " التَّفْسِيرِ ". وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ فِي سِيَاقِهِ: ثُمَّ لَقِيَ أَرْوَاحَ الْأَنْبِيَاءِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، فَأَثْنَوْا عَلَى رَبِّهِمْ، عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي اتَّخَذَنِي خَلِيلًا، وَأَعْطَانِي مُلْكًا عَظِيمًا، وَجَعَلَنِي أُمَّةً قَانِتًا لِلَّهِ يُؤْتَمُّ بِي، وَأَنْقَذَنِي مِنَ النَّارِ، وَجَعَلَهَا عَلَيَّ بَرْدًا وَسَلَامًا. ثُمَّ إِنَّ مُوسَى أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَلَّمَنِي تَكْلِيمًا، وَاصْطَفَانِي بِرِسَالَتِهِ وَبِكَلَامِهِ، وَقَرَّبَنِي نَجِيًّا، وَأَنْزَلَ عَلَيَّ التَّوْرَاةَ، وَجَعَلَ هَلَاكَ فِرْعَوْنَ عَلَى يَدَيَّ، وَنَجَاةَ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى يَدَيَّ. ثُمَّ إِنَّ دَاوُدَ أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَنِي مَلِكًا، وَأَنْزَلَ عَلَيَّ الزَّبُورَ، وَأَلَانَ لِيَ الْحَدِيدَ، وَسَخَّرَ لِيَ الْجِبَالَ يُسَبِّحْنَ مَعِي وَالطَّيْرَ، وَآتَانِيَ الْحِكْمَةَ وَفَصْلَ الْخِطَابِ. ثُمَّ إِنَّ سُلَيْمَانَ أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي سَخَّرَ لِيَ الرِّيَاحَ وَالْجِنَّ وَالْإِنْسَ، وَسَخَّرَ لِيَ الشَّيَاطِينَ يَعْمَلُونَ لِي مَا شِئْتُ مِنْ مَحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجَفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَاسِيَاتٍ، وَعَلَّمَنِي مَنْطِقَ الطَّيْرِ، وَأَسَالَ لِي عَيْنَ الْقِطْرِ، وَأَعْطَانِي مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي. ثُمَّ إِنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَلَّمَنِي التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ، وَجَعَلَنِي أُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ وَأُحْيِي الْمَوْتَى بِإِذْنِ اللَّهِ، وَرَفَعَنِي وَطَهَّرَنِي مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا، وَأَعَاذَنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، فَلَمْ يَكُنْ لِلشَّيْطَانِ عَلَيْنَا سَبِيلٌ. ثُمَّ إِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ فَقَالَ: «كُلُّكُمْ أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ، وَأَنَا مُثْنٍ عَلَى رَبِّي ; الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَرْسَلَنِي رَحْمَةً
পৃষ্ঠা - ৫২০২

হে আমার রব! মুহাম্মদ (সা)-এর ওসীলায় আপনার নিকট আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি
আমাকে মাফ করে দিন ৷ আল্লাহ্ বলেলেন, তুমি তাকে কী করে জানলে ? তাকে তো এখনও
সৃষ্টি করিনি ৷ আদম বললেন, আমি আরশের পায়ায় আপনার নামের সাথে মুহাম্মদের নাম
লেখা দেখেছি ৷ অর্থাৎ “লা-ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্” ৷ এ থেকে আমি বুঝতে
পেয়েছি যে, আপনার নামের সাথে যার নাম যোগ করেছেন তিনিই সমগ্ন সৃষ্টির মধ্যে আপনার
নিকট সবচেয়ে প্রিয় ৷ আল্লাহ্ বললেন, আদম! তুমি যথার্থই বলেছ, মুহাম্মদ না হলে আমি
তোমাকে বানাতাম না ৷

কতিপয় ইমাম বলেছেন, আল্লাহ তা জানা মুহাম্মদ (সা) এর যিকর বা স্মরণ সুউচ্চ
করেছেন এবং পুর্ববর্তী ও পরবর্তীদের নিকট নিজের নামের সাথে রাসুল (সা)-এর নাম মিলিয়ে
প্রকাশ করেছেন ৷ তীর সম্মান ও মর্যাদাও অনুরুপ বৃদ্ধি করেছেন ৷ কিয়ামত দিবসে র্তাকে
মাকামে মাহমুদ দান করবেন ৷ এ কারণে আগে পরের সকলেই ঈর্ষাবোধ করবেন এবং
সকলেই ঐ স্থানের জন্য লালায়িত হয়ে পড়বেন এমনকি হযরত ইবরাহীম (আ) ও ৷ মুসলিম
শয়ীফে উল্লেখিত এ বিষয়ের বর্ণনা আমরা পুর্বেও উল্লেখ করেছি এবং পরেও আলোচনা করা
হবে ৷ পুর্ব যুগে প্রাচীন জাতির নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মর্যাদা ও তার নাম প্রকাশ সম্পর্কে
সহীহ্ বুখারী শরীফে হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত ৩হয়েছে ৷ আল্লাহ্ যখন কো ন নবী
প্রেরণ করেছেন, তার থােক এ প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়েছে যে, তার জীবিত থাকা অবস্থায় যদি
মুহাম্মদ (সা) আবির্ভুত হন তাহলে অবশ্যই তার প্রতি ঈমান আনতে হবে, তার আনুগত্য
করতে হবে এবং তাকে সাহায্য করতে হবে ৷ আল্লাহ্ সেসব নবীদেরকে আরও নির্দেশ দিয়েছেন
যে, তারা তাদের উম্মতদের থেকেও অনুরুপ প্রতিশ্রুতি আদায় করবেন যে, যদি তাদের
জীবদ্দশায় মুহাম্মদ (সা) এর আবির্ভাব হয় তাহলে তারা তার উপর ঈমান আনবে ও তারই
আনুগত্য করবে :


পুর্ববর্তী সকল নবীদের নিকট হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর আগমন সম্পর্কে এভাবে সুসংবাদ
জানান হয়েছে এবং বনী ইসরাঈলের সর্বশেষ নবী হযরত ঈসা (আ)-কেও এ সংবাদ জানান
হয় ৷ পুর্ব যুগের পীর মাশায়েখ ধর্ম জাযক ও গণকদের নিকটও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এ র আগমনের
শুভ বার্তা পৌছান হয় ৷ ইতিপুর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ মিরাজ (ইসরা)
রজনীতে রাসুল (না)-কে এক আসমান থেকে আর এক আসমানের দিকে উঠান হতে থাকে;
চতুর্থ আসমানে ইদরীস (আ)-কে তিনি সালাম করেন ৷ পঞ্চম আসমান পার হয়ে ষষ্ঠ
আসমানেগ্ গিয়ে হযরত মুসা (আ) কে সালাম জানান ৷ তারপর সপ্তম আসমানেগ্ গিয়ে বায়তৃল
মা মুরের নিকটে ইবরাহীম খলীলকে সালাম করেন ৷ এরপর সে স্থান অতিক্রম করে আরও
উপরে উঠে কলমের লেখার আওয়ায শুনতে পান ৷ তারপর সিদরাতৃল মুনতাহা পর্যন্ত গমন
করেন ৷ এ সফরে তিনি জান্নাত, জাহান্নাম এবং বড় বড় নিদর্শনাদি প্রত্যক্ষ করেন ৷ সকল
নবীদের সাথে নিয়ে সালাত আদায় করেন ৷ জান্নাতের দায়িতু শীল রিদওয়ান’ এবং জাহান্নামের


لِلْعَالَمِينَ، وَكَافَّةً لِلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا، وَأَنْزَلَ عَلَيَّ الْفُرْقَانَ فِيهِ بَيَانُ كُلِّ شَيْءٍ، وَجَعَلَ أُمَّتَيْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ، وَجَعَلَ أُمَّتِي أُمَّةً وَسَطًا، وَجَعَلَ أُمَّتِي هُمُ الْأَوَّلِينَ وَهُمُ الْآخِرِينَ، وَشَرَحَ لِي صَدْرِي، وَوَضَعَ عَنِّي وِزْرِي، وَرَفَعَ لِي ذِكْرِي، وَجَعَلَنِي فَاتِحًا وَخَاتَمًا» . فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: بِهَذَا فَضَلَكُمْ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ أَوْرَدَ أَبُو نُعَيْمٍ الْحَدِيثَ الْمُتَقَدِّمَ فِيمَا رَوَاهُ الْحَاكِمُ وَالْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ مَرْفُوعًا فِي قَوْلِ آدَمَ: " «يَا رَبِّ، أَسْأَلُكَ بِحَقِّ مُحَمَّدٍ لَمَّا غَفَرْتَ لِي. فَقَالَ اللَّهُ: وَمَا أَدْرَاكَ وَلَمْ أَخْلُقْهُ بَعْدُ؟ فَقَالَ: لِأَنِّي رَأَيْتُ مَكْتُوبًا مَعَ اسْمِكَ عَلَى سَاقِ الْعَرْشِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ. فَعَرَفْتُ أَنَّكَ لَمْ تَكُنْ تُضِيفُ إِلَى اسْمِكَ إِلَّا أَحَبَّ الْخَلْقِ إِلَيْكَ، فَقَالَ اللَّهُ: صَدَقْتَ يَا آدَمُ، وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُكَ» ". وَقَالَ بَعْضُ الْأَئِمَّةِ: رَفَعَ اللَّهُ ذِكْرَهُ، وَنَوَّهَ بِاسْمِهِ فِي الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ، وَكَذَلِكَ يَرْفَعُ قَدْرَهُ وَيُقِيمُهُ مَقَامًا مَحْمُودًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ، يَغْبِطُهُ بِهِ الْأَوَّلُونَ وَالْآخَرُونَ، وَيَرْغَبُ إِلَيْهِ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ، كَمَا وَرَدَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " فِيمَا سَلَفَ، وَسَيَأْتِي أَيْضًا.
পৃষ্ঠা - ৫২০৩
فَأَمَّا التَّنْوِيهُ بِذِكْرِهِ فِي الْأُمَمِ الْخَالِيَةِ، وَالْقُرُونِ السَّالِفَةِ، فَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " وَغَيْرِهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا إِلَّا أَخَذَ عَلَيْهِ الْمِيثَاقَ لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهُوَ حَيٌّ لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ وَلَيَتَّبِعَنَّهُ وَلَيَنْصُرَنَّهُ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ عَلَى أُمَّتِهِ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ ; لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهُمْ أَحْيَاءٌ لَيُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَيَتَّبِعُنَّهُ. وَقَدْ بَشَّرَتْ بِوُجُودِهِ الْأَنْبِيَاءُ حَتَّى كَانَ آخِرَ مَنْ بَشَّرَ بِهِ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ خَاتَمُ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَكَذَلِكَ بَشَّرَتْ بِهِ الْأَحْبَارُ وَالرُّهْبَانُ وَالْكُهَّانُ، كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا، وَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْإِسْرَاءِ رُفِعَ مِنْ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ حَتَّى سَلَّمَ عَلَى إِدْرِيسَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهُوَ فِي السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ، ثُمَّ جَاوَزَهُ إِلَى الْخَامِسَةِ، ثُمَّ إِلَى السَّادِسَةِ، فَسَلَّمَ عَلَى مُوسَى بِهَا، ثُمَّ جَاوَزَهُ إِلَى السَّابِعَةِ فَسَلَّمَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ بِهَا عِنْدَ الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ، ثُمَّ جَاوَزَ ذَلِكَ الْمَقَامَ، فَرُفِعَ لِمُسْتَوًى يُسْمَعُ فِيهِ صَرِيفُ الْأَقْلَامِ، وَجَاءَ سِدْرَةَ الْمُنْتَهَى، وَرَأَى الْجَنَّةَ وَالنَّارَ وَغَيْرَ ذَلِكَ مِنَ الْآيَاتِ الْكُبْرَى، وَصَلَّى بِالْأَنْبِيَاءِ، وَشَيَّعَهُ مِنْ كُلِّ سَمَاءٍ مُقَرَّبُوهَا، وَسَلَّمَ عَلَيْهِ رِضْوَانُ خَازِنُ الْجِنَانِ، وَمَالِكٌ خَازِنُ النَّارِ، فَهَذَا هُوَ الشَّرَفُ، وَهَذِهِ هِيَ الرِّفْعَةُ، وَهَذَا هُوَ التَّكْرِيمُ وَالتَّنْوِيهُ وَالْإِشْهَارُ وَالتَّقْدِيمُ وَالْعُلُوُّ وَالْعَظَمَةُ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَعَلَى سَائِرِ أَنْبِيَاءِ اللَّهِ أَجْمَعِينَ. وَأَمَّا رَفْعُ ذِكْرِهِ فِي الْآخِرِينَ، فَإِنَّ دِينَهُ بَاقٍ نَاسِخٌ لِكُلِّ دِينٍ، وَلَا يُنْسَخُ هُوَ أَبَدَ الْآبِدِينَ، وَدَهْرَ الدَّاهِرِينَ إِلَى يَوْمِ الدِّينِ، وَلَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِهِ ظَاهِرِينَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৫২০৪

দায়িতৃশীল মালিক ফেরেশতাদ্বয় মহানবী (সা)-কে সালাম করেন ৷ এগুলােই রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সম্মান, মর্যাদা বৃদ্ধি ও তার নাম ও আলোচনা ব্যাপক বিস্তার ও সুউচ্চ করার
তাৎপর্য ৷ পরবভীকািলের লোকদের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আলোচনা বিন্তুত ও স্মরণীয়
হওয়ার অর্থ তার দীন কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকা ৷ অন্যান্য সকল দীনকে রহিত করা,
সর্বকালে ও সর্বযুগে একমাত্র এ দীন বহাল থাকা রহিত না হওয়া ৷ শেষ নবীর উম্মতের মধ্য
থেকে একটি দল হক ও ন্যায়ের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে ৷ যারা তাদেরকে হেয় করার চেষ্টা
করবে কিৎবা তাদের বিরোধীতা করবে তারা ওদের কােনই ক্ষতি করতে পারবে না ৷ এ অবস্থা
কিয়ামত পর্যন্ত চলবে ৷ প্রত্যহ পীচবার উচু স্থান থেকে ৫ঘাষিত হচ্ছে :

এভাবে যে কোন বক্তা
তার বক্তৃতড়ায় অবশ্যই মুহাম্মদ (না)-এর নাম উচর্চারণ করে থাকে ৷ করি হাস্সান কত সুন্দর
বলেছেন :


হযরত মুহাম্মদ (না)-এর উপর আল্লাহ্ব পক্ষ থেকে দেয়া নবুওতের সমুজ্জ্বল মােহর তীর
সভ্যতার সাক্ষ্য বহন করছে ৷ আল্লাহ্ তাআলা নিজের নামের সাথে নবীর নামকে মিলিয়ে
দিয়েছেন ৷ মুআয্যিন পাচ ওয়াক্ত নামাযের পুর্বে আযানে তারই সাক্ষ্য দিয়ে থাকে ৷ আল্লাহ

নিজের নাম থেকে নবীর নাম বের করেছেন ৷ তাই তো বলা হয় যে, আরশের অধিপতি মাহমুদ
যায় এই নবী হলেন মুহাম্মদ ৷ আল্লামা সারসারী (র) বলেছেন :

,; ণ্৷ ৷

তুমি লক্ষ্য করেছ কি ? আমাদের আযান ও নামায ততক্ষণ পর্যন্ত শুদ্ধ হয় না যতক্ষণ না,
উভয়ের মধ্যে নবী মুহাম্মদ (না)-এর নাম বারবার উচ্চারিত হয় ৷

হযরত দাউদ (আ)-ফে যা কিছু প্রদান করা
হয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা
আল্লাহর বাণী :
১ ট্রক্ট্রাঠু ৷ ৷
“আর আমার শক্তিশালী রান্দা দাউদকে স্মরণ কর ৷ সে ছিল আমার প্রতি প্রত্যাবর্ত্যাশীল ৷
আমি পর্বতমালাকে তার অনুপামী করে দিয়েছিলাম ৷ তারা সকাল-সল্যায় তার সাথে পবিত্রতা

ঘোষণা করত ৷ আর পক্ষীকুলকেও, যারা তার কাছে সমবেত হত ৷ সবাই ছিল তার প্রতি
প্ৰত্যাবর্ভাশীল” (সাদ : ১ ৭ ১৯) ৷


الْحَقِّ، لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ وَلَا مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، وَالنِّدَاءُ بِالْأَذَانِ فِي كُلِّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ عَلَى كُلِّ مَكَانٍ مُرْتَفِعٍ مِنَ الْأَرْضِ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. وَهَكَذَا كُلُّ خَطِيبٍ يَخْطُبُ لَا بُدَّ أَنْ يَذْكُرَهُ فِي خُطْبَتِهِ، وَمَا أَحْسَنَ قَوْلَ حَسَّانَ. أَغَرُّ عَلَيْهِ لِلنُّبُوَةِ خَاتَمٌ ... مِنَ اللَّهِ مَشْهُودٌ يَلُوحُ وَيَشْهَدُ وَضَمَّ الْإِلَهُ اسْمَ النَّبِيِّ إِلَى اسْمِهِ ... إِذَا قَالَ فِي الْخَمْسِ الْمُؤَذِّنُ أَشْهَدُ وَشَقَّ لَهُ مِنَ اسْمِهِ لِيُجِلَّهُ ... فَذُو الْعَرْشِ مَحْمُودٌ وَهَذَا مُحَمَّدُ وَقَالَ الصَّرْصَرِيُّ، وَهُوَ حَسَّانُ وَقْتِهِ: لَا يَصِحُّ الْأَذَانُ فِي الْفَرْضِ إِلَّا ... بِاسْمِهِ الْعَذْبِ فِي الْفَمِ الْمَرْضِيِّ وَقَالَ أَيْضًا: أَلَمْ تَرَ أَنَّا لَا يَصِحُّ أَذَانُنَا ... وَلَا فَرْضُنَا إِنْ لَمْ نُكَرِّرْهُ فِيهِمَا [مَا أُوتِيَ دَاوُدُ عَلَيْهِ السَّلَامُ] الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ دَاوُدُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَاذْكُرْ عَبْدَنَا دَاوُدَ ذَا الْأَيْدِ إِنَّهُ أَوَّابٌ إِنَّا سَخَّرْنَا الْجِبَالَ مَعَهُ يُسَبِّحْنَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِشْرَاقِ وَالطَّيْرَ مَحْشُورَةً كُلٌّ لَهُ أَوَّابٌ} [ص: 17] [ص: 17 - 19] .
পৃষ্ঠা - ৫২০৫
وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ آتَيْنَا دَاوُدَ مِنَّا فَضْلًا يَا جِبَالُ أَوِّبِي مَعَهُ وَالطَّيْرَ وَأَلَنَّا لَهُ الْحَدِيدَ أَنِ اعْمَلْ سَابِغَاتٍ وَقَدِّرْ فِي السَّرْدِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ} [سبأ: 10] [سَبَأٍ: 10، 11] . وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي قِصَّتِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَفِي " التَّفْسِيرِ " طِيبَ صَوْتِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى كَانَ قَدْ سَخَّرَ لَهُ الطَّيْرَ تُسَبِّحُ مَعَهُ، وَكَانَتِ الْجِبَالُ أَيْضًا تُجِيبُهُ وَتُسَبِّحُ مَعَهُ، وَكَانَ سَرِيعَ الْقِرَاءَةِ ; كَانَ يَأْمُرُ بِدَوَابِّهِ فَتُسْرَجُ فَيَقْرَأُ الزَّبُورَ بِمِقْدَارِ مَا يَفْرَغُ مِنْ شَأْنِهَا ثُمَّ يَرْكَبُ، وَكَانَ لَا يَأْكُلُ إِلَّا مِنْ كَسْبِ يَدِهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَقَدْ كَانَ نَبِيُّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَسَنَ الصَّوْتِ طَيِّبَهُ ; بِتِلَاوَةِ الْقُرْآنِ. قَالَ جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ: «قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَغْرِبِ بِالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ، فَمَا سَمِعْتُ صَوْتًا أَطْيَبَ مِنْ صَوْتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَكَانَ يَقْرَأُ تَرْتِيلًا كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، بِذَلِكَ. وَأَمَّا تَسْبِيحُ الطَّيْرِ مَعَ دَاوُدَ، فَتَسْبِيحُ الْجِبَالِ الصُّمِّ الْجَمَادِ أَعْجَبُ مِنْ ذَلِكَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي الْحَدِيثِ أَنِ الْحَصَا سَبَّحَ فِي كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ ابْنُ حَامِدٍ: وَهَذَا حَدِيثٌ مَعْرُوفٌ مَشْهُورٌ. وَكَانَتِ الْأَحْجَارُ وَالْأَشْجَارُ وَالْمَدَرُ تُسَلِّمُ عَلَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৫২০৬
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «لَقَدْ كُنَّا نَسْمَعُ تَسْبِيحَ الطَّعَامِ وَهُوَ يُؤْكَلُ» . يَعْنِي بَيْنَ يَدَيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَكَلَّمَهُ ذِرَاعُ الشَّاةِ الْمَسْمُومَةِ، وَأَعْلَمَهُ بِمَا فِيهِ مِنَ السُّمِّ، وَشَهِدَتْ بِنُبُوَّتِهِ الْحَيَوَانَاتُ الْإِنْسِيَّةُ وَالْوَحْشِيَّةُ، وَالْجَمَادَاتُ أَيْضًا، كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُ ذَلِكَ كُلِّهِ، وَلَا شَكَّ أَنَّ صُدُورَ التَّسْبِيحِ مِنَ الْحَصَا الصِّغَارِ الصُّمِّ الَّتِي لَا تَجَاوِيفَ فِيهَا أَعْجَبُ مِنْ صُدُورِ ذَلِكَ مِنَ الْجِبَالِ، لِمَا فِيهَا مِنَ التَّجَاوِيفِ وَالْكُهُوفِ، فَإِنَّهَا وَمَا شَاكَلَهَا تُرَدِّدُ صَدَى الْأَصْوَاتِ الْعَالِيَةِ غَالِبًا، كَمَا كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ إِذَا خَطَبَ - وَهُوَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ - بِالْحَرَمِ الشَّرِيفِ، تُجَاوِبُهُ الْجِبَالُ ; أَبُو قُبَيْسٍ وَزُرْزُرٌ، وَلَكِنْ مِنْ غَيْرِ تَسْبِيحٍ، فَإِنَّ ذَلِكَ مِنْ مُعْجِزَاتِ دَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَمَعَ هَذَا فَتَسْبِيحُ الْحَصَا فِي كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ أَعْجَبُ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: سُخِّرَتْ لَهُ الطَّيْرُ. فَقَدْ سُخِّرَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ الطَّيْرِ الْبَهَائِمُ الْعَظِيمَةُ ; الْإِبِلُ فَمَا دُونَهَا، وَمَا هُوَ أَعْسَرُ وَأَصْعَبُ مِنَ الطَّيْرِ ; السِّبَاعُ الْعَادِيَّةُ الضَّارِيَةُ، تَتَهَيَّبُهُ وَتَنْقَادُ إِلَى طَاعَتِهِ ; كَالْبَعِيرِ الشَّارِدِ الَّذِي سَجَدَ لَهُ، وَالذِّئْبِ الَّذِي نَطَقَ بِنُبُوَّتِهِ وَالتَّصْدِيقِ بِدَعْوَتِهِ وَرِسَالَتِهِ. وَقَدْ تَقَدَّمَتْ أَسَانِيدُ ذَلِكَ كُلِّهِ.
পৃষ্ঠা - ৫২০৭


;;৷ ড়ুপু প্রু;৷ ৷ য়ুাশ্রোহু, ,; দ্রৰুা৷হু, ব্লু;; পু,,বু,৷ পুা; ৰু£ হুা;১ @, ;’;,া; £;ষ্কৃ;ন্ ড্রু;ত্রহু,
ঠছুশ্

“আমি দাউদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম এবং আদেশ করেকািস্বম, হে পর্বতমালা ! তোমরা
দাউদের সাথে আমার পবিত্রতড়া ঘোষণা কর এবং হে পক্ষীসকল! তােমরাও ৷ আমি তার জন্যে
লৌহকে নরম করেছিলাম এবং তাকে বলেছিলাম, পুর্ণমাপের বর্ম তৈরি কর এবং ওজনে
পরিমাণ রক্ষা কর এবং স ৎকর্য সম্পাদন কর ৷ তোমরা যা কিছু কর, আমি তার সম্যক দ্রষ্টা
(সারা : ১০-১১) ৷

তড়াফসীর গ্রন্থে আমরা দাউদ (আ)-এব বিস্তারিত কাহিনী বর্ণনা করেছি ৷ দাউদ (আ)-এর
কণ্ঠস্বর ছিল অতি সুমধুর ৷ আল্লাহ্ পক্ষীকুলকে তার অনুগত করেছিলেন ৷ তার সাথে পাখিরা
তাসবীহ পাঠ করত ৷ পবর্তমালাও তীর ডাকে সাড়া দিত এবং তাসবীহ পাঠ করত ৷ তিনি বেশি
বেশি যাবুর কিতাব পাঠ করতেন ৷ এমনকি সফরকালে পথিমধ্যে বাহনকে বিচরণ করার জন্যে
ছেড়ে দিতেন এবং যাবুর কিতাব একটা পরিমাণ মত পাঠ করে পুনরায় বাহনে আরোহণ
করতেন ৷ হযরত দাউদ (আ) সর্বদা নিজের পরিশ্রম দ্বারা অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা
নির্বাহ করতেন ৷ অপর দিকে আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা)-এব কণ্ঠস্বরও ছিল সুমধুর, যে মধুর
সুরে তিনি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতেন ৷ হযরত জুবায়র ইবন মুতইম বলেন, একবার
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাগরিবের নামায়ে সুরা ওয়াতভীন ওয়ায্যায়তৃন পাঠ করেন, এইরুপ মধুর সুর
আমি আর জীবনে শুনিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরআন মজীদ তারতীলের সাথে তিলাওয়াত
করতেন, যেভাবে আল্লাহ্ নির্দেশ করেছেন ৷ দাউদ (আ)-এব সাথে পক্ষীকুল তাসবীহ করত
তবে মুক পর্বতমালার তাসবীহ পাঠ করা তার চইিতে আশ্চর্যকর ৷ এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি
যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে কঙ্করসমুহ তাসবীহ পাঠ করেছিল ৷ হাদীসে এভাবেই বর্ণিত
হয়েছে : <৷ ৷ ধ্াপ্রু, এ্< ষ্১ ৫“ ৷ ৰু৷ ৷ ;, ৷ ইবন হামিদ এ হাদীসকে মারুফ ও
মাশহুর বলে অভিহিত করেছেন ৷ এমনিভাবে পাথর, বৃক্ষ ও মাটির ঢেলা পর্যন্ত রাসুলুল্পাহ্
(না)-কে সালাম জানাত ৷ বুখারী শরীফে ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সম্মুখে রাখা খাদ্যদ্রব্যকে আমরা তাসবীহ পাঠ করতে শুনেছি ৷ অন্য এক ঘটনায়
বকবীর বিষ মিশ্রিত রান রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব সাথে কথা বলেছিল এবং তাকে জানিয়ে
দিয়েছিল যে, আমার মধ্যে বিষ মিশ্রিত আছে ৷ গৃহ পালিত পশু, বন্যত্তস্থে এবং নিম্প্রাণ পাথর
ইত্যাদিও তার নবুওতের সাক্ষ্য দান করেছে ৷ এ প্ৰশন্সে বিস্তারিত আলোচনা পুর্বে হয়েছে ৷
এখন আমরা বলতে পারি যে, ক্ষুদ্র কঙ্কর থেকে তাসবীহ উচ্চারিত হওয়া পাহাড়-পর্বতের
তাসবীহ পাঠ থেকে অধিকতর আশ্চর্যজনক ৷ কেননা কঙ্করের কোন মুখ থাকে না ৷ কিন্তু
পাথরের মুখ ও গহ্বৱ থাকে ৷ কারণ, পাহাড়-পর্বত জাতীয় জিনিসের মধ্যে সাধারণত শব্দ
প্রতিধ্বনিত হয়ে থাকে ৷ মদীনায় আমীর হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র বলেছেন, তিনি যখন
হারাম শরীফে ভাষণ দিতেন তখন পার্শ্ববর্তী আবু কুবায়স পর্বতে যে শব্দ প্রতিধ্বনিত হত ৷
তবে এতে তাসবীহ উচ্চারণ হত না ৷ কেননা, পাহাড়ের তাসবীহ পড়াটা ছিল দাউদ (আ)-এর
— ৫৪


وَأَمَّا أَكْلُ دَاوُدَ مِنْ كَسْبِ يَدِهِ، فَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ مِنْ كَسْبِهِ أَيْضًا، كَمَا كَانَ يَرْعَى غَنَمًا لِأَهْلِ مَكَّةَ عَلَى قَرَارِيطَ، وَقَالَ: «مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَقَدْ رَعَى الْغَنَمَ» . وَخَرَجَ إِلَى الشَّامِ فِي تِجَارَةٍ لِخَدِيجَةَ مُضَارَبَةً، وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَقَالُوا مَالِ هَذَا الرَّسُولِ يَأْكُلُ الطَّعَامَ وَيَمْشِي فِي الْأَسْوَاقِ لَوْلَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَيَكُونَ مَعَهُ نَذِيرًا أَوْ يُلْقَى إِلَيْهِ كَنْزٌ أَوْ تَكُونُ لَهُ جَنَّةٌ يَأْكُلُ مِنْهَا وَقَالَ الظَّالِمُونَ إِنْ تَتَّبِعُونَ إِلَّا رَجُلًا مَسْحُورًا انْظُرْ كَيْفَ ضَرَبُوا لَكَ الْأَمْثَالَ فَضَلُّوا فَلَا يَسْتَطِيعُونَ سَبِيلًا} [الفرقان: 7] إِلَى قَوْلِهِ: {وَمَا أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ مِنَ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا إِنَّهُمْ لَيَأْكُلُونَ الطَّعَامَ وَيَمْشُونَ فِي الْأَسْوَاقِ} [الفرقان: 20] [الْفَرْقَانِ: 7 - 20] . أَيْ لِلتَّكَسُّبِ وَالتِّجَارَةِ طَلَبًا لِلرِّبْحِ الْحَلَالِ. ثُمَّ لَمَّا شَرَعَ اللَّهُ لَهُ الْجِهَادَ بِالْمَدِينَةِ، كَانَ يَأْكُلُ مِمَّا أَبَاحَ لَهُ مِنَ الْمَغَانِمِ الَّتِي لَمْ تُبَحْ لِنَبِيٍّ قَبْلَهُ، وَمِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ مِنْ أَمْوَالِ الْكُفَّارِ الَّتِي أُبِيحَتْ لَهُ دُونَ غَيْرِهِ. كَمَا جَاءَ فِي " الْمُسْنَدِ " وَ " التِّرْمِذِيِّ " عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بُعِثْتُ بِالسَّيْفِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ حَتَّى يُعْبَدَ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَجُعِلَ رِزْقِي تَحْتَ ظِلِّ رُمْحِي، وَجُعِلَ الذِّلَّةُ وَالصَّغَارُ عَلَى مَنْ خَالَفَ أَمْرِي، وَمَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ» . وَأَمَّا إِلَانَةُ الْحَدِيدِ لِدَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَدْ كَانَ مِنَ الْمُعْجِزَاتِ الْبَاهِرَاتِ ; كَانَ الْحَدِيدُ يَلِينُ فِي يَدَيْهِ مِنْ غَيْرِ نَارٍ، كَمَا يَلِينُ الْعَجِينُ فِي يَدِهِ، فَكَانَ
পৃষ্ঠা - ৫২০৮
يَصْنَعُ مِنْهُ هَذِهِ الدُّرُوعَ الدَّاوُدِيَّةَ، وَهِيَ الزَّرَّدِيَّاتُ السَّابِغَاتُ، وَأَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِكَيْفِيَّةِ عَمَلِهَا: {وَقَدِّرْ فِي السَّرْدِ} [سبأ: 11] . أَيْ أَلَّا تُدِقَّ الْمِسْمَارَ فَيَقْلَقَ، وَلَا تُغْلِّظْهُ فَيَفْصِمَ، كَمَا جَاءَ فِي الْبُخَارِيِّ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَعَلَّمْنَاهُ صَنْعَةَ لَبُوسٍ لَكُمْ لِتُحْصِنَكُمْ مِنْ بَأْسِكُمْ فَهَلْ أَنْتُمْ شَاكِرُونَ} [الأنبياء: 80] . وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي مُعْجِزَاتِ النُّبُوَّةِ: نَسْجُ دَاوُدَ مَا حَمَى صَاحِبَ الْغَا ... رِ وَكَانَ الْفَخَارُ لِلْعَنْكَبُوتِ وَالْمَقْصُودُ الْمُعْجِزُ فِي إِلَانَةِ الْحَدِيدِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي السِّيرَةِ عِنْدَ ذِكْرِ حَفْرِ الْخَنْدَقِ عَامَ الْأَحْزَابِ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ - وَقِيلَ: خَمْسٍ - أَنَّهُمْ عَرَضَتْ لَهُمْ كُدْيَةٌ، وَهِيَ الصَّخْرَةُ فِي الْأَرْضِ، فَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَى كَسْرِهَا وَلَا شَيْءَ مِنْهَا، فَقَامَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ رَبَطَ حَجَرًا عَلَى بَطْنِهِ مِنْ شِدَّةِ الْجُوعِ، فَضَرَبَهَا ثَلَاثَ ضَرَبَاتٍ، لَمَعَتِ الْأُولَى حَتَّى أَضَاءَتْ لَهُ مِنْهَا قُصُورُ الشَّامِ وَبِالثَّانِيَةِ قُصُورُ فَارِسَ، وَبِالثَّالِثَةِ قُصُورُ صَنْعَاءَ، ثُمَّ انْثَالَتِ الصَّخْرَةُ كَأَنَّهَا كَثِيبٌ أَهْيَلُ مِنَ الرَّمْلِ، وَلَا شَكَّ أَنَّ لِينَ الصُّخُورِ الَّتِي لَا تَنْفَعِلُ وَلَا بِالنَّارِ أَعْجَبُ مِنْ لِينِ الْحَدِيدِ الَّذِي إِذَا حَمِيَ لَانَ، كَمَا قَالَ بَعْضُهُمْ:
পৃষ্ঠা - ৫২০৯
فَلَوْ أَنَّ مَا عَالَجْتُ لِينَ فُؤَادِهَا ... بِنَفْسِي لَلَانَ الْجَدْلُ وَالْجَنْدَلُ الصَّخْرُ فَلَوْ أَنَّ شَيْئًا أَشَدُّ قَسْوَةً مِنَ الصَّخْرِ لَذَكَرَهُ هَذَا الشَّاعِرُ الْمُبَالِغُ، وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {ثُمَّ قَسَتْ قُلُوبُكُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ فَهِيَ كَالْحِجَارَةِ أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةً} [البقرة: 74] الْآيَةَ [الْبَقَرَةِ: 74] . وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى {قُلْ كُونُوا حِجَارَةً أَوْ حَدِيدًا أَوْ خَلْقًا مِمَّا يَكْبُرُ فِي صُدُورِكُمْ} [الإسراء: 50] [الْإِسْرَاءِ: 50، 51] ، فَذَاكَ التَّرَقِّي لِمَعْنًى آخَرَ ذُكِرَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَحَاصِلُهُ أَنَّ الْحَدِيدَ أَشَدُّ امْتِنَاعًا فِي السَّاعَةِ الرَّاهِنَةِ مِنَ الْحَجَرِ مَا لَمْ يُعَالَجْ، فَإِذَا عُولِجَ انْفَعَلَ الْحَدِيدُ وَلَا يَنْفَعِلُ الْحَجَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: فَقَدْ لَيَّنَ اللَّهُ لِدَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، الْحَدِيدَ حَتَّى سَرَدَ مِنْهُ الدُّرُوعَ السَّوَابِغَ. قِيلَ: لُيِّنَتْ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحِجَارَةَ وَصُمُّ الصُّخُورِ، فَعَادَتْ لَهُ غَارًا اسْتَتَرَ بِهِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ أُحُدٍ ; مَالَ بِرَأْسِهِ إِلَى الْجَبَلِ لِيُخْفِيَ شَخْصَهُ عَنْهُمْ، فَلَيَّنَ اللَّهُ لَهُ الْجَبَلَ حَتَّى أَدْخَلَ فِيهِ رَأْسَهُ، وَهَذَا أَعْجَبُ ; لِأَنَّ الْحَدِيدَ تُلَيِّنُهُ النَّارُ، وَلَمْ نَرَ النَّارَ تُلَيِّنُ الْحَجَرَ. قَالَ: وَذَلِكَ بَعْدُ ظَاهِرٌ بَاقٍ يَرَاهُ النَّاسُ. قَالَ: وَكَذَلِكَ فِي بَعْضِ شِعَابِ مَكَّةَ حَجَرٌ مِنْ جَبَلٍ أَصَمَّ، اسْتَرْوَحَ فِي صَلَاتِهِ إِلَيْهِ، فَلَانَ الْحَجَرُ لَهُ حَتَّى أَثَّرَ فِيهِ بِذِرَاعَيْهِ وَسَاعِدَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৫২১০


মুজিয৷ ৷৩ তা সত্বেও রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত আবু বকর, উমর ও উসমান (রা) এর হাতের
মধ্যে পাথর কুচির তাসবীহ পড়া অধিক বিস্ময়কর ব্যাপার ৷

হযরত দাউদ (আ) নিজ হাতের উপার্জন দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতেন ৷ এ প্রসঙ্গে আমরা
বলতে পারি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)ও নিজের হাতের কামাই দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতেন ৷
যেমন, তিনি মক্কাবাসীদের মেষ-বকরী কয়েকটি মুদ্রার বিনিময়ে মাঠে চরাতেন ৷ তিনি
বলতেন, এমন কোন নবী গত হননি, যিনি মেষ চরাননি : ¢;)ারড্রু ১৷ ৷ ১ ;ৰু ;
ণ্;৷ ৷ বিবি খাদীজার পক্ষে মুদারাবা পদ্ধতির (মুলধন একজনের এবং শ্রম অন্য জনের)
ব্যবসা উপলক্ষে তিনি সিরিয়া পর্যন্ত গিয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্র বাণী :
া;৷ঢু;,
;া৷’ন্১

০ fi : ’



০ ’ :




ষ্ ঙুর্চুএে

“তারা বলে এ কেমন রাসুল, যে আহার করে এবং হাটেবাজারে চলাফেরা করে, তার
নিকট কোন ফেরেশ৩ ৷ কেন অবতীর্ণ করা হল না, যে তার সঙ্গে থাকত সতর্ককারীরুপে ৷
অথবা তাকে ধন ভাণ্ডার দেয়৷ হয় না কেন কিত্বা তার একটি বাগান নইি কেন, যা থেকে সে
আহার করতে পারত ? সীমালংঘনকারীরা আরও বলে, তোমরা তো এক যাদুগ্নস্ত ব্যক্তিরই
অনুসরণ করছ ৷ দেখ, তারা তোমার কী সব উপমা দেয়, তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে ৷ তাই তারা
আর সঠিক পথ পাবে না ৷ তোমার পুর্বে আমি যেসব রাসুল প্রেরণ করেছি, তারা সকলেই
তো আহার করত ও হাটেবাজারে চলাফেরা করত” (ফুরকান : ৭-২০) ৷

অর্থাৎ তিনি হাটে-বাজারে যেতেন ও ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন হালাল উপায়ে মুনাফা
অর্জনের জন্যে ৷ এরপর মদীনায় গেলে যখন জিহাদ আরম্ভ হয়, তখন থেকে তিনি কাফিরদের
থেকে প্রাপ্ত গনীমত ও ফায়’ লব্ধ দ্রব্যাদি আহার করতেন, যা ইতিপুর্বে কখনও হালাল ছিল
না ৷ কেবল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সময় থেকে তা হালাল করা হয় ৷ মুসনাদে আহমদ ও
তিরমিযী শরীফে হযরত ইবন উমর থেকে বর্ণিত হয়েছে; রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আমাকে
আল্লাহ্ তরবারী দিয়ে পাঠিয়েছেন (অর্থাৎ যুদ্ধ দিয়ে) বা কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ৷
যতক্ষণ না এক ও লা শরীক অ ৷ল্লাহ্র ইবাদত প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ আর আমার রিয্ক রাখা হয়েছে
বর্শার ছায়াতলে ৷ আর আমার এ সুন্নাতে তর যারা বিরোধিতা করবে তাদের জন্যে রয়েছে লাঞ্চুনা
ও অবমাননা ৷ যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য রেখে চলবে সে তাদের লোক বলেই গণ্য

হবেং :

ণ্ষ্ £



وَذَلِكَ مَشْهُورٌ يَقْصِدُهُ الْحُجَّاجُ وَيَرَوْنَهُ، وَعَادَتِ الصَّخْرَةُ لَيْلَةَ أُسَرِيَ بِهِ كَهَيْئَةِ الْعَجِينِ، فَرَبَطَ بِهَا دَابَّتَهُ الْبَرَّاقَ، يَلْمَسُهُ النَّاسُ، إِلَى يَوْمِنَا هَذَا بَاقٍ. وَهَذَا الَّذِي أَشَارَ إِلَيْهِ مِنْ يَوْمِ أُحُدٍ وَبَعْضِ شِعَابِ مَكَّةَ غَرِيبٌ جِدًّا، وَلَعَلَّهُ قَدْ أَسْنَدَهُ هُوَ فِيمَا سَلَفَ، وَلَيْسَ ذَلِكَ بِمَعْرُوفٍ فِي السِّيَرِ الْمَشْهُورَةِ، وَأَمَّا رَبْطُ الدَّابَّةِ فِي الْحَجَرِ فَصَحِيحٌ، وَالَّذِي رَبَطَهَا جِبْرِيلُ كَمَا هُوَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " رَحِمَهُ اللَّهُ. وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَآتَيْنَاهُ الْحِكْمَةَ وَفَصْلَ الْخِطَابِ} [ص: 20] . فَقَدْ كَانَتِ الْحِكْمَةُ الَّتِي أُوتِيَهَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالشِّرْعَةُ الَّتِي شُرِعَتْ لَهُ أَكْمَلَ مِنْ كُلِّ حِكْمَةٍ وَشِرْعَةٍ كَانَتْ لِمَنْ قَبْلَهُ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ، فَإِنَّ اللَّهَ جَمَعَ لَهُ مَحَاسِنَ مَنْ كَانَ قَبْلَهُ، وَفَضَّلَهُ، وَأَكْمَلَ لَهُ وَآتَاهُ مَا لَمْ يُؤْتِ أَحَدًا قَبْلَهُ، وَقَدْ قَالَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ: «أُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ، وَاخْتُصِرَتْ لِيَ الْحِكْمَةُ اخْتِصَارًا» . وَلَا شَكَّ أَنَّ الْعَرَبَ أَفْصَحُ الْأُمَمِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْصَحَهُمْ نُطْقًا، وَأَجْمَعَ لِكُلِّ خُلُقٍ جَمِيلٍ مُطْلَقًا.
পৃষ্ঠা - ৫২১১
[مَا أُوتِيَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنَ الْمُعْجِزَاتِ] الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَسَخَّرَنَا لَهُ الرِّيحَ تَجْرِي بِأَمْرِهِ رُخَاءً حَيْثُ أَصَابَ وَالشَّيَاطِينَ كُلَّ بَنَّاءٍ وَغَوَّاصٍ وَآخَرِينَ مُقَرَّنِينَ فِي الْأَصْفَادِ هَذَا عَطَاؤُنَا فَامْنُنْ أَوْ أَمْسِكْ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَإِنَّ لَهُ عِنْدَنَا لَزُلْفَى وَحُسْنَ مَآبٍ} [ص: 36] [الْأَنْبِيَاءِ: 81، 82] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَلِسُلَيْمَانَ الرِّيحَ غُدُوُّهَا شَهْرٌ وَرَوَاحُهَا شَهْرٌ وَأَسَلْنَا لَهُ عَيْنَ الْقِطْرِ وَمِنَ الْجِنِّ مَنْ يَعْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ بِإِذْنِ رَبِّهِ وَمَنْ يَزِغْ مِنْهُمْ عَنْ أَمْرِنَا نُذِقْهُ مِنْ عَذَابِ السَّعِيرِ يَعْمَلُونَ لَهُ مَا يَشَاءُ مِنْ مَحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَاسِيَاتٍ اعْمَلُوا آلَ دَاوُدَ شُكْرًا وَقَلِيلٌ مِنْ عِبَادِيَ الشَّكُورُ} [سبأ: 12] [سَبَأٍ: 12، 13] . وَقَدْ بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي قِصَّتِهِ، وَفِي " التَّفْسِيرِ " أَيْضًا. وَفِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَابْنُ حِبَّانَ وَالْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৫২১২
سُلَيْمَانَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا فَرَغَ مِنْ بِنَاءِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سَأَلَ اللَّهَ خِلَالًا ثَلَاثًا ; سَأَلَ اللَّهُ حُكْمًا يُوَافِقُ حُكْمَهُ، وَمُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ، وَأَنَّهُ لَا يَأْتِي هَذَا الْمَسْجِدَ أَحَدٌ إِلَّا خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ» . أَمَّا تَسْخِيرُ الرِّيحِ لِسُلَيْمَانَ فَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي شَأْنِ الْأَحْزَابِ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ جَاءَتْكُمْ جُنُودٌ فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا وَجُنُودًا لَمْ تَرَوْهَا وَكَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا} [الأحزاب: 9] . وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «نُصِرْتُ بِالصَّبَا وَأُهْلِكَتْ عَادٌ بِالدَّبُّورِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ الْأَعْمَشِ، عَنْ مَسْعُودِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ": «نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ» . وَمَعْنَى ذَلِكَ أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا قَصَدَ قِتَالَ قَوْمٍ مِنَ الْكَفَّارِ، أَلْقَى اللَّهُ الرُّعْبَ فِي قُلُوبِهِمْ مِنْهُ قَبْلَ وُصُولِهِ إِلَيْهِمْ بِشَهْرٍ، وَلَوْ كَانَ مَسِيرُهُ شَهْرًا، فَهَذَا فِي مُقَابَلَةِ: {غُدُوُّهَا شَهْرٌ وَرَوَاحُهَا شَهْرٌ} [سبأ: 12] بَلْ هَذَا أَبْلَغُ فِي التَّمْكِينِ، وَالنَّصْرِ وَالتَّأْيِيدِ وَالظَّفَرِ، وَسُخِّرَتْ
পৃষ্ঠা - ৫২১৩


দাউদ (আ)-এর হাতে লোহা নরম হয়ে যেত, যেমন নরম হয় আটা ৷ এ নরম লোহা দ্বারা
তিনি দাউদী বর্ম তৈরি করতেন, যা যুদ্ধের পোশাকরুপে ব্যবহার করতেন ৷ আল্লাহ স্বয়ং তড়াকে
এরুপ করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেনং :াটুৰুএ ৷ চুে ,ৰু০, অর্থাৎ কড়াগুলােকে সমানভাবে
আটকান এবং পরিমাণ মত করা, যাতে আক্রমণের সময় আত্মরক্ষা হয় ৷ বুখড়ারী শরীফে
এরুপই বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্ল ল্পাহ্র বাণী৪

ইট্রু০ট্রুট্রু০ হুাট্রুং০র্দু;ট্রু

“আমি তোমাদের কল্যাণার্থে তাকে বর্ম নির্মাণ শিখিয়েছিলাম, যাতে যুদ্ধ ক্ষেত্রে আক্রমণ
থেকে তা তােমাদেরকে রক্ষা করতে পারে; সুতরাং তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে না”? (আম্বিয়াং :
৮০)
জনৈক করি মু’জিযা প্রসঙ্গে কত সুন্দরই না বলেছেন :


“অর্থাৎ হযরত দাউদ (আ)-এর বর্ম গুহাবাসী (হযবত মুহাম্মদ (স)-কে রক্ষা করেনি,
বরং এর জন্য কোন গৌরব থাকলে তা কেবল মাকড়াসারই আছে” ৷ বন্তুত দাউদ (আ) এর
হাতে লোহা নরম হওয়া এটা ছিল তার একটি মু’জিযা ৷ পক্ষাম্ভরে সীরাত প্রসঙ্গে আমরা
উল্লেখ করেছি যে, চতুর্থ কিৎবা পঞ্চম হিজরীতে আহযাব যুদ্ধের সময় খন্দক খননকালে একটি
বৃহৎ শিলাখণ্ড বাধা হয়ে দাড়ায় ৷ সাহাবাগণ শত চেষ্টা করেও তার কিছুমাত্র৷ ভ ৷ৎতে পারেননি ৷
অবশেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখানে যান ৷ তখন ক্ষুধার ভীব্রতায় তার পেটে পাথর রাধা ছিল ৷
তিনি শিলাখণ্ডে তিনটি আঘাত করেন ৷ প্রথমবার আঘাত করলে তার থেকে এক আলো
বিদুরিত হতয়, যার ঔজ্জ্বল্যে সিরিয়ার পাকা ভবনাদি দৃষ্টিগােচর হয় ৷ দ্বিতীয় বারের আঘাতে
পারস্যের হর্য্যরাজি উদ্ভাসিত হয়ে যায় ৷ এরপর তৃতীয়বার আঘাত করলে শিলাখণ্ডটি বালির
ঢিলার ন্যায় শুড়ো হয়ে ঝরে পড়তে থাকে ৷ এ থেকে নিঃসন্দেহে বলা যায় ৷ শিলা পাথর যড়ার
উপর কোন কিছুই কার্যকরী হয় না, এমন কি আগুনও যাকে নরম করতে পারে না, তা
ধুলা-বালির ন্যায় ঝরে পড়া দাউদ (আ)-এর পাথর নরম হওয়ার থেকে অধিকতর বিস্ময়কর
ঘটনা ৷ কেননা লোহা আগুন দ্বারা নরম করা যায় ৷ করি বলেছেন :


“অর্থাৎ তুমি সেই প্রেমিকার অন্তর বিগলিত করার জন্যে যে চেষ্টা-সাধনা করেছ, সেরুপ
চেষ্টা চ ৷লালে বিশাল শক্ত পাথবও গলে ৫৩ ” ৷ পাথরের চাইতে অন্য কোন জিনিস যদি বেশি
শক্ত ও কঠিন থাকত তাহলে করি এখানে সেই জিনিসেরই উল্লেখ করতেন ৷

আল্লাহর বাণী০ ং

” :এ এ০ এ এ :

, : গ্পু

“এর পরও তোমাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেল, এ যেন পাথর কিৎব৷ তার চাই তও কঠিন”
(বাকারাং : ৭৪ ) ৷


لَهُ الرِّيَاحُ تَسُوقُ السَّحَابَ لِإِنْزَالِ الْمَطَرِ الَّذِي امْتَنَّ اللَّهُ بِهِ حِينَ اسْتَسْقَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ فِي غَيْرِ مَا مَوْطِنٍ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: فَإِنَّ سُلَيْمَانَ سُخِّرَتْ لَهُ الرِّيحُ فَسَارَتْ بِهِ فِي بِلَادِ اللَّهِ، وَكَانَ غُدُوُّهَا شَهْرًا وَرَوَاحُهَا شَهْرًا. قِيلَ: مَا أُعْطِيَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْظَمُ وَأَكْبَرُ ; لِأَنَّهُ سَارَ فِي لَيْلَةٍ وَاحِدَةٍ مِنْ مَكَّةَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ، وَعُرِجَ بِهِ فِي مَلَكُوتِ السَّمَاوَاتِ مَسِيرَةَ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ فِي أَقَلِّ مِنْ ثُلُثِ لَيْلَةٍ، فَدَخَلَ السَّمَاوَاتِ سَمَاءً سَمَاءً، وَرَأَى عَجَائِبَهَا، وَوَقَفَ عَلَى الْجَنَّةِ وَالنَّارِ، وَعُرِضَ عَلَيْهِ أَعْمَالُ أَمَتِّهِ، وَصَلَّى بِالْأَنْبِيَاءِ وَبِمَلَائِكَةِ السَّمَاوَاتِ، وَاخْتَرَقَ الْحُجُبَ، وَهَذَا كُلُّهُ فِي لَيْلَةٍ، فَأَيُّمَا أَكْبَرُ وَأَعْجَبُ؟ ! . وَأَمَّا تَسْخِيرُ الشَّيَاطِينِ بَيْنَ يَدَيْهِ تَعْمَلُ مَا يَشَاءُ مِنْ مَحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجَفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَاسِيَاتٍ، فَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ الْمَلَائِكَةَ الْمُقَرَّبِينَ لِنُصْرَةِ عَبْدِهِ وَرَسُولِهِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَيْرِ مَا مَوْطِنٍ ; يَوْمَ أُحُدٍ وَبَدْرٍ وَيَوْمَ الْأَحْزَابِ وَيَوْمَ حَنِينٍ، كَمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا ذَلِكَ مُفَصَّلًا فِي مَوَاضِعِهِ. وَذَلِكَ أَعْظَمُ وَأَبْهَرُ وَأَجَلُّ وَأَعْلَى مِنْ تَسْخِيرِ الشَّيَاطِينِ. وَقَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ ابْنُ حَامِدٍ فِي كِتَابِهِ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الْجِنِّ تَفَلَّتَ عَلَيَّ الْبَارِحَةَ - أَوْ كَلِمَةً
পৃষ্ঠা - ৫২১৪
نَحْوَهَا - لِيَقْطَعَ عَلَيَّ الصَّلَاةَ فَأَمْكَنَنِي اللَّهُ مِنْهُ فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْبِطَهُ إِلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ حَتَّى تُصْبِحُوا وَتَنْظُرُوا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ فَذَكَرْتُ قَوْلَ أَخِي سُلَيْمَانَ: رَبِّ اغْفِرْ لِي وَهَبْ لِي مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي» . قَالَ رَوْحٌ: فَرَدَّهُ اللَّهُ خَاسِئًا. لَفَظُ الْبُخَارِيِّ. وَلِمُسْلِمٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ نَحْوُهُ، قَالَ: «ثُمَّ أَرَدْتُ أَخْذَهُ، وَاللَّهِ لَوْلَا دَعْوَةُ أَخِينَا سُلَيْمَانَ لَأَصْبَحَ مُوَثَّقًا يَلْعَبُ بِهِ وِلْدَانُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ» . وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ بِسَنَدٍ جَيِّدٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ يُصَلِّي صَلَاةَ الصُّبْحِ وَهُوَ خَلْفَهُ، فَقَرَأَ فَالْتَبَسَتْ عَلَيْهِ الْقِرَاءَةُ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ صِلَاتِهِ قَالَ: " لَوْ رَأَيْتُمُونِي وَإِبْلِيسَ، فَأَهْوَيْتُ بِيَدِي فَمَا زِلْتُ أَخْنُقُهُ حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ لُعَابِهِ بَيْنَ إِصْبَعَيَّ هَاتَيْنِ - الْإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا - وَلَوْلَا دَعْوَةُ أَخِي سُلَيْمَانَ لَأَصْبَحَ مَرْبُوطًا بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ يَتَلَاعَبُ بِهِ صِبْيَانُ الْمَدِينَةِ» . وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصِّحَاحِ وَالْحِسَانِ وَالْمَسَانِيدِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ» ، وَفِي رِوَايَةٍ " مَرَدَةُ الْجِنِّ ". فَهَذَا مِنْ بَرَكَةِ مَا شَرَعَهُ اللَّهُ لَهُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫২১৫
صِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ وَقِيَامِهِ، وَسَيَأْتِي عِنْدَ إِبْرَاءِ الْأَكْمَهِ وَالْأَبْرَصِ مِنْ مُعْجِزَاتِ الْمَسِيحِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، دُعَاءُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِغَيْرِ مَا وَاحِدٍ مِمَّنْ بِهِ لَمَمٌ مِنَ الْجِنِّ فَشُفِيَ وَفَارَقَهُمْ ; خَوْفًا مِنْهُ، وَمَهَابَةً لَهُ، وَامْتِثَالًا لِأَمْرِهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَقَدْ بَعَثَ اللَّهُ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ، فَآمَنُوا بِهِ وَصَدَّقُوهُ، وَرَجَعُوا إِلَى قَوْمِهِمْ، فَدَعَوْهُمْ إِلَى دِينِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَذَّرُوهُمْ مُخَالَفَتَهُ ; لِأَنَّهُ كَانَ مَبْعُوثًا إِلَى الْإِنْسِ وَالْجِنِّ، فَآمَنَتْ طَوَائِفُ مِنَ الْجِنِّ كَثِيرَةٌ كَمَا ذَكَرْنَا، وَوَفَدَتْ إِلَيْهِ مِنْهُمْ وُفُودٌ كَثِيرَةٌ، وَقَرَأَ عَلَيْهِمْ سُورَةَ " الرَّحْمَنِ " وَخَبَّرَهُمْ بِمَا لِمَنْ آمَنَ مِنْهُمْ مَنِ الْجِنَانِ، وَمَا لِمَنْ كَفَرَ مِنَ النِّيرَانِ، وَشَرَعَ لَهُمْ مَا يَأْكُلُونَ وَمَا يُطْعِمُونَ دَوَابَّهُمْ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ بَيَّنَ لَهُمْ مَا هُوَ أَهَمُّ مِنْ ذَلِكَ وَأَكْبَرُ. وَقَدْ ذَكَرَ أَبُو نُعَيْمٍ هَا هُنَا حَدِيثَ الْغُولِ الَّتِي كَانَتْ تَسْرِقُ التَّمْرَ مِنْ جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيُرِيدُونَ إِحْضَارَهَا إِلَيْهِ فَتَمْتَنِعُ كُلَّ الِامْتِنَاعِ ; خَوْفًا مِنَ الْمُثُولِ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ افْتَدَتْ مِنْهُمْ بِتَعْلِيمِهِمْ قِرَاءَةَ آيَةِ الْكُرْسِيِّ الَّتِي لَا يَقْرَبُ قَارِئَهَا الشَّيْطَانُ، وَقَدْ سُقْنَا ذَلِكَ بِطُرُقِهِ وَأَلْفَاظِهِ عِنْدَ تَفْسِيرِ آيَةِ الْكُرْسِيِّ مِنْ كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَالْغُولُ هِيَ الْجِنُّ الْمُتَبَدِّي بِاللَّيْلِ فِي صُورَةٍ مُرْعِبَةٍ. وَذَكَرَ أَبُو نُعَيْمٍ هَا هُنَا حِمَايَةَ جِبْرِيلَ لَهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، غَيْرَ مَا مَرَّةٍ مِنْ أَبِي جَهْلٍ، كَمَا ذَكَرْنَا فِي السِّيرَةِ، وَذَكَرَ مُقَاتَلَةَ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ
পৃষ্ঠা - ৫২১৬


ৰুঠুার্চু ১১ ৷টুষ্টুটুহ্র ট্রুট্রুন্
“হে নবী ৷ বলে দাও যে, তোমরা হয়ে যাও পাথর অথবা লোহা অথবা এমন কিছু, যা
তোমাদের ধারণার খুবই কঠিন” (ইসরা : ৫০-৫১ ) ৷
উক্ত আয়াত দু’টিতে লোহা ও পাথরের উল্লেখ করা হয়েছে ভিন্ন উদ্দেশ্যে ৷ তাফসীরে এ
সম্পর্কে বলা হয়েছে, যার সংক্ষিপ্তসার এই ও সংঘর্ষ ও প্রতিযোগিতার সময়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থায়
লোহা পাথর অপেক্ষা অধিক কার্যকর, যতক্ষণ না তা আগুনে গরম করা হয় ৷ যখন আগুনে
দেওয়া হয় তখন লোহা আগুনের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করে; কিভু পাথর তা গ্রহণ করে না ৷

আবু নৃআয়ম বলেন, দাউদ (আ)-এর জন্যে লোহা নরম করে দেয়া হয়, যা দিয়ে তিনি
কড়ামুক্ত পুর্ণাঙ্গ বর্ম তৈরি করতেন ৷ এ বিষয়ে নবী মুহাম্মদ (সা) সম্পর্কে বলা যায় যে, তার
জন্যেও পাথর ও কঠিন শিলাকে নরম করা হয়েছে ৷ যেমন উহুদ যুদ্ধের দিন পাথর নরম হয়ে
গুহায় পরিণত হয় এবং তিনি তাতে আত্মগােপন করেন, যাতে করে মুশরিকরা দেখতে না
পায় ৷ ঐ দিন তিনি মৃশরিকদের দৃষ্টি থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে পাহাড়ের দিকে যান ৷
তখন পাহাড় নরম হয়ে যায় এবং তিনি তাতে মাথা ঢুকিয়ে দেন, এটা অধিকতর আশ্চর্যজনক ৷
কেননা, আগুন লোহাকে নরম করে থাকে ৷ কিন্তু পাথরকে কখনও নরম করতে দেখা যায় না ৷
আবু নুআয়ম বলেন, ঐ স্থানটি এখনও সেইরুপই আছে ৷ দর্শকগণ তা দেখে থাকেন ৷ আবু
নুআয়ম আরও উল্লেখ করেছেন, মক্কার কোন একটি গিরিপথে বিশাল এক পাথর ছিল া
পাথরটি ছিল পাহাড়েরই অংশ বিশেষ ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) যে দিকে যান ৷ তখন পাথরটি নরম
হয়ে যায় ৷ তিনি তার বাহুদ্বয় দিয়ে ধাক্কা দিয়ে তা নীচের দিকে সরিয়ে দেন ৷ মক্কায় এ ঘটনা
অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ৷ হাজীরা তা দেখতে গিয়ে থাকেন ৷ এ ছাড়া যে রাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিরাজে
যান, সে রাতে একটি পাথর তার জন্যে আটার খামিরের মত নরম হয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার সাথে তার বাহন ব্রাক বেধে রাখেন ৷ বর্তমান কালেও লোকে ঐ স্থানটি বকরতের জন্যে
স্পর্শ করে থাকে ৷ কিন্তু আবু নুআয়ম কর্তৃক উহুদ যুদ্ধের ও মক্কার গিরিপথের পাথরের ঘটনা
দু’টি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের সম্ভবত তিনি অতীত কোন বর্ণনার উপর নির্ভর করে তা বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কোন প্রসিদ্ধ জীবনী গ্রন্থে এ ধরনের কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না ৷ তবে
পাথরের সাথে বাহন বাধার ঘটনা সঠিক এবং বেধেছিলেন জিবরাঈল (আ) নিজে ৷ সহীহ্
মুসলিমে এ ঘটনা বর্ণিত হয়েছে ৷

এরপর থাকে দাউদ (আ )-কে প্রজ্ঞা ও চুড়ান্ত বাগািতা দানের কথা ৷ এ প্রসঙ্গে বলা যায়
যে, মুহাম্মদ (না)-কে যে হিকমত-প্রজ্ঞা ও শরীআত দান করা হয়, তা ছিল পুর্ববর্তী সকল
নবীদের প্রজ্ঞা ও শরীআতের তুলনায় অধিকতর পুর্ণাঙ্গ ও পরিপুর্ণ ৷ কেননা পুর্বের নবীগণের
সকল উত্তম গুণাবলী শেষ নর্বীকে দান করা হয়েছে ৷ তাকে অধিক মর্যাদা ও পুর্ণতা দেয়া
হয়েছে ৷ তাকে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে, যা ইতিপুর্বে আর কাউকে দেওয়া হয়নি ৷
নবী করীম (সা) বলেছেন :

৷ “অর্থাৎ সকল বিষয়ে
বাক্যাবলী অন্তর্তুক্তকারী কথা বলার শক্তি আমাকে দান করা হয়েছে এবং অল্প কথায় অধিক


يَوْمَ أُحُدٍ. وَأَمَّا مَا جَمَعَ اللَّهُ تَعَالَى لِسُلَيْمَانَ مِنَ النُّبُوَّةِ وَالْمُلْكِ كَمَا كَانَ أَبُوهُ مِنْ قَبْلِهِ، فَقَدْ خَيَّرَ اللَّهُ عَبْدَهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَنْ يَكُونَ مَلِكًا نَبِيًّا أَوْ عَبْدًا رَسُولًا فَاسْتَشَارَ جِبْرِيلَ فِي ذَلِكَ، فَأَشَارَ إِلَيْهِ وَعَلَيْهِ أَنْ يَتَوَاضَعَ، فَاخْتَارَ أَنْ يَكُونَ عَبْدًا رَسُولًا. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ مِنْ حَدِيثِ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَلَا شَكَّ أَنَّ مَنْصِبَ الرِّسَالَةِ أَعْلَى، وَقَدْ عُرِضَتْ عَلَى نَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُنُوزَ الْأَرْضِ فَأَبَاهَا، قَالَ: «وَلَوْ شِئْتُ لَأَجْرَى اللَّهُ مَعِي جِبَالَ الْأَرْضِ ذَهَبًا، وَلَكِنْ أَجُوعُ يَوْمًا وَأَشْبَعُ يَوْمًا» . وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ كُلَّهُ بِأَدِلَّتِهِ وَأَسَانِيدِهِ فِي " التَّفْسِيرِ " وَفِي السِّيرَةِ أَيْضًا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ هَا هُنَا طَرَفًا مِنْهَا ; مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ وَأَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَيْنًا أَنَا نَائِمٌ إِذْ جِيءَ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ فَجُعِلَتْ فِي يَدِي» . وَمِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقَدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ مَرْفُوعًا: «أُوتِيتُ
পৃষ্ঠা - ৫২১৭
مَفَاتِيحَ خَزَائِنِ الدُّنْيَا عَلَى فَرَسٍ أَبْلَقَ جَاءَنِي بِهِ جِبْرِيلُ، عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ مِنْ سُنْدُسٍ» . وَمِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ مَرْفُوعًا: «عَرَضَ عَلَيَّ رَبِّي لِيَجْعَلَ لِي بَطْحَاءَ مَكَّةَ ذَهَبًا فَقُلْتُ: لَا يَا رَبِّ، وَلَكِنْ أَشْبَعُ يَوْمًا وَأَجُوعُ يَوْمًا، فَإِذَا جُعْتُ تَضَرَّعْتُ إِلَيْكَ وَذَكَرْتُكَ وَإِذَا شَبِعْتُ حَمِدْتُكَ وَشَكَرْتُكَ» . قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَإِنْ قِيلَ: سُلَيْمَانُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَ يَفْهَمُ كَلَامَ الطَّيْرِ وَالنَّمْلَةِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ عُلِّمْنَا مَنْطِقَ الطَّيْرِ} [النمل: 16] الْآيَةَ [النَّمْلِ: 16] . وَقَالَ {حَتَّى إِذَا أَتَوْا عَلَى وَادِي النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يَا أَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوا مَسَاكِنَكُمْ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَانُ وَجُنُودُهُ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ فَتَبَسَّمَ ضَاحِكًا مِنْ قَوْلِهَا} [النمل: 18] الْآيَةَ [النَّمْلِ: 18، 19] . قِيلَ: قَدْ أُعْطِيَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ وَأَكْثَرَ مِنْهُ، فَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لِكَلَامِ الْبَهَائِمِ وَالسِّبَاعِ وَحَنِينِ الْجِذْعِ وَرُغَاءِ الْبَعِيرِ وَكَلَامِ الشَّجَرِ وَتَسْبِيحِ الْحَصَا وَالْحَجْرِ، وَدُعَائِهِ إِيَّاهُ وَاسْتِجَابَتِهِ لِأَمْرِهِ، وَإِقْرَارِ الذِّئْبِ بِنُبُوَّتِهِ، وَتَسْخِيرِ الطَّيْرِ لِطَاعَتِهِ، وَكَلَامِ الظَّبْيَةِ وَشَكْوَاهَا إِلَيْهِ، وَكَلَامِ الضَّبِّ وَإِقْرَارِهِ بِنُبُوَّتِهِ، وَمَا فِي مَعْنَاهُ. كُلُّ ذَلِكَ قَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ فِي الْفُصُولِ بِمَا يُغْنِي عَنْ إِعَادَتِهِ. انْتَهَى كَلَامُهُ.
পৃষ্ঠা - ৫২১৮
قُلْتُ: وَكَذَلِكَ أَخْبَرَهُ ذِرَاعُ الشَّاةِ بِمَا فِيهِ مِنَ السُّمِّ، وَكَانَ ذَلِكَ بِإِقْرَارِ مَنْ وَضَعَهُ فِيهِ مِنَ الْيَهُودِ، وَقَالَ: إِنَّ هَذِهِ السَّحَابَةَ لَتَسْتَهِلُّ بِنَصْرِكَ يَا عَمْرُو بْنَ سَالِمٍ - يَعْنِي الْخُزَاعِيَّ - حِينَ أَنْشَدَهُ تِلْكَ الْقَصِيدَةَ يَسْتَعْدِيهِ فِيهَا عَلَى بَنِي بَكْرٍ الَّذِينَ نَقَضُوا صُلْحَ الْحُدَيْبِيَةِ وَكَانَ ذَلِكَ سَبَبَ فَتْحِ مَكَّةَ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَأَعْرِفُ حَجَرًا كَانَ يُسَلِّمُ عَلِيَّ بِمَكَّةَ قَبْلَ أَنْ أُبْعَثَ، إِنِّي لَأَعْرِفُهُ الْآنَ.» فَهَذَا إِنْ كَانَ كَلَامًا مِمَّا يَلِيقُ بِحَالِهِ، فَفَهِمَ عَنْهُ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ، فَهُوَ مِنْ هَذَا الْقَبِيلِ وَأَبْلَغُ ; لِأَنَّهُ جَمَادٌ بِالنِّسْبَةِ إِلَى الطَّيْرِ وَالنَّمْلِ ; لِأَنَّهُمَا مِنَ الْحَيَوَانَاتِ ذَوَاتِ الْأَرْوَاحِ، وَإِنْ كَانَ سَلَامًا نُطْقِيًّا، وَهُوَ الْأَظْهَرُ، فَهُوَ أَعْجَبُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ أَيْضًا، كَمَا «قَالَ عَلِيٌّ: خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ شِعَابِ مَكَّةَ، فَمَا مَرَّ بِحَجَرٍ وَلَا شَجَرٍ وَلَا مَدَرٍ إِلَّا قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَهَذَا النُّطْقُ سَمِعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» . ثُمَّ قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُوَيْدٍ الْجُذُوعِيُّ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৫২১৯

অর্থ প্রকাশ করার মত প্রজ্ঞা আমাকে দেয়া হয়েছে ৷ এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সকল জাতির
মধ্যে আরব জাতিই বাগািতায় শ্রেষ্ঠ ৷ আর নবী করীম (সা) ছিলেন আরব জাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ
বাগাি ৷ তিনি ছিলেন সকল উত্তম গুণাবলীর আবার ৷

হযরত সুলায়মান ইবন দাউদ (আ)-ণ্ক প্রদত্ত বৈশিষ্ট্যাবলী
আল্লাহ্র বাণী :

; ণ্ ; ণ্ণ্ণ্ণ্ণ্
,

— ষ্ ! ৩ : ; , : :



অর্থাৎ “তখন আমি বায়ুকে তার অনুগত করে দিলাম, যা তার হুকুমে অবাধে প্রবাহিত
হত, যেখানে সে পৌছাতে চইিত ৷ আর সকল শয়তানকে তার অধীন করে দিলাম, যারা ত্যি
প্রাসাদ নির্মাপকারী ও ডুবুরী এবং অন্য আরও অনেককে অধীন করে দিলাম, যা আবদ্ধ থাকত
শৃগ্রলে ৷ এগুলো আমার অনুগ্রহ ৷ অতএব, এগুলো কাউকে দিতেও পার কিৎবা নিজের জন্যে
রাখতেও পার এর কোন হিসাব দিতে হবে না ৷ নিশ্চয় তার জন্যে রয়েছে আমার কাছে উচ্চ
মর্যাদা ও শুভ পরিণতি (সাদ৪ ৩৬ ৪০) ৷

আল্লাহ্র বাণী৪
“এবং সুলায়মানের অধীন করে দিয়েছিলাম প্রবল বায়ুকে, যা তার আদেশে প্রবাহিত হত
ঐ দেশের দিকে, যেখানে আমি কল্যাণ রেখে দিয়েছি ৷ সব বিষয়েই আমি সম্যক অবগত
রয়েছি এবং অধীন করেছি শয়তানদের কতককে, যারা তার জন্যে ডুবুরির কাজ করত এবং এ
ছাড়া অন্য আরও অনেক কাজ করত, তাদের প্রতি আমি সতকি দৃষ্টি রাখতাম (আম্বিয়া :
৮ ১ ৮ ২) ৷
আল্লাহ্র বাণী :
ট্রু,র্মু,



@ ;


“আর আমি সুলায়মানের অধীন করেছিলাম বায়ুকে, যা সকালে এক মাসের পথ এবং
বিকেলে এক মাসের পথ অতিক্রম করত ৷ আমি তার জন্যে গলিত তামার এক ঝর্ণা প্রবাহিত


عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُذَيْنَةَ الطَّائِيُّ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: «أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِخَيْبَرَ حِمَارٌ أَسْوَدُ، فَوَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ: " مَنْ أَنْتَ؟ " فَقَالَ: أَنَا عَمْرُو بْنُ فُلَانٍ، كُنَّا سَبْعَةَ إِخْوَةٍ، كُلُّنَا رَكِبَنَا الْأَنْبِيَاءُ وَأَنَا أَصْغَرُهُمْ، وَكُنْتُ لَكَ، فَمَلَكَنِي رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ، وَكُنْتُ إِذَا ذَكَرْتُكَ كَبَوْتُ بِهِ فَيُوجِعُنِي ضَرْبًا. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَأَنْتَ يَعْفُورٌ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ نَكَارَةٌ شَدِيدَةٌ، وَلَا نَحْتَاجُ إِلَى ذِكْرِهِ مَعَ مَا تَقَدَّمَ مِنَ الْأَحَادِيثِ الصَّحِيحَةِ الَّتِي فِيهَا غُنْيَةٌ عَنْهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَلَى غَيْرِ هَذِهِ الصِّيغَةِ، وَقَدْ نَصَّ عَلَى نَكَارَتِهِ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ أَبِيهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [خَصَائِصُ وَمُعْجِزَاتُ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ] الْقَوْلُ فِيمَا أُوتِيَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَيُسَمَّى الْمَسِيحُ ; فَقِيلَ: لِمَسْحِهِ الْأَرْضَ. وَقِيلَ: لِمَسْحِ قَدَمِهِ. وَقِيلَ: لِخُرُوجِهِ مِنْ بَطْنِ أُمِّهِ مَمْسُوحًا بِالدِّهَانِ. وَقِيلَ: لِمَسْحِ جِبْرِيلَ لَهُ بِالْبَرَكَةِ. وَقِيلَ: لِمَسْحِ اللَّهِ الذُّنُوبَ عَنْهُ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُ كَانَ لَا يَمْسَحُ أَحَدًا إِلَّا بَرِئَ. حَكَاهَا كُلُّهَا الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ رَحِمَهُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৫২২০

করেছিলাম ৷ কতক জিন তার সামনে কাজ করত তার পালনকর্তার আদেশে ৷ তাদের যে কেউ
আমার আদেশ অমান্য করবে, আমি তাকে জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি আস্বাদন করার ৷ তারা
সুলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউয সদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত
বিশাল বিশাল ডেগ নির্মাণ করত ৷ হে দাউদ পরিবার, কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে
যাও ৷ আমার বন্দোদের মধ্যে অল্প সংখ্যকই কৃতজ্ঞ” (সারা : ১ ২১৩) ৷

উপরোক্ত বিষয়সমুহের বিস্তারিত আলোচনা সুলায়মান (আ)-এর বর্ণনা প্রসঙ্গে এবং
তাফসীরে উল্লেখ করেছি ৷ ইমাম আহমদ, তিরমিযী, ইবন র্হিব্বান ও হাকিম নিজ নিজ
কিভাবে আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন এবং তিরমিযী এ হাদীসকে সহীহ্
বলে মন্তব্য করেছেন ৷ তাতে বলা হয়েছে : হযরত সুলায়মান (আ) বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণ
শেষে আল্লাহর নিকট তিনটি বিষয়ের প্রার্থনা করেন; ১ আল্লাহর নিকট এমন হিকমত প্রার্থনা
করেন, যা তার হুকুমতের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ হয় : ণ্াহ্র ড্রু,ষ্ ৷ , ৮১১ ৰু৷ ৷ ,া, ২
এমন বিশাল এক রাজ্যের জন্য প্রার্থনা করেন, যেরুপ রাজ্য পরে আর কারও হবে না :
০১গ্ ১ ; ১১৪ এ ;১া১’ ৷ধুা,, ৩ এই মাসজিদে যে কেউ প্রবেশ করবে, সে যেন তার
গােনাহ থেকে এমনভাবে পাক হয়ে যায় যেমন পাক থাকে নবজাত শিশুং : ১১ ন্;গ্রা৷ ৰু১ ৷ ,

হযরত সুলায়মান (আ) এর জন্যে বাযুকে অনুগত ৩করা হয়েছিল ৷ এ ব্যাপারে শেষ নবী
মুহাম্মদ (সা) এর ক্ষেত্রে যা দেয়া হয়েছিল তার মধ্যে আছে তা ৷হযাব যুদ্ধ প্রসঙ্গে অ ৷ল্লাহ্র বাণী৪

৷ গ্রাহু

“হে র্মু’মিনগণ! ওে ৷মাদের প্রতি অল্পেল্লাহ্ব নিয়ামতের কথা স্মরণ কর, যখন শত্রুবাহিনী
তে ৷মাদের নিকটবর্তী হয়েছিল, তারপর আমি তাদের বিরুদ্ধে ঝঞাবায়ু এবং এমন সৈন্য
বাহিনী প্রেরণ করেছিলাম যা তোমরা দেখতে পাওনি ৷ তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তা
দেখেন” (আহযাব : ৯) ৷
মুসলিম শরীফে শুবা ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
আমাকে পুবের হাওয়া দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে; আর আদ জাতিকে পশ্চিমা বায়ু দ্বারা ধ্বংস
করা হয়েছে : ইবন,
আব্বাস (রা) সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে অনুরুপ বর্ণনাই এসেছে ৷ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত
হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আমাকে এক মাসের দুরতৃ থেকে অনুভুত হয় এমন প্রতিটি
শক্তি দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে : অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
কোন কাফির গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্যে সংকল্প করতেন তখন তথায়
পৌছাবার একমাস পুর্বেই আল্লাহ শত্রুদের অম্ভরে ভয়-ভীতির উদ্রেক করে দিতেন; সে স্থান
যদিও এক মাসের দুরত্বে হোক না কেন ৷ এ ব্যবস্থা হযরত সুলায়মানের বায়ুর সাহায্যে সকালে
একমাস ও ৰিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করার সাথে তুলনীয় ৷ এ ব্যবস্থা বরং সাহায্য
সমর্থন, সাহস সৃষ্টি ও বিজয়ের জন্যে অধিকতর কার্যকর ৷ আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে,


وَمِنْ خَصَائِصِهِ أَنَّهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مَخْلُوقٌ بِالْكَلِمَةِ مِنْ أُنْثَى بِلَا ذَكَرٍ، كَمَا خُلِقَتْ حَوَّاءُ مِنْ ذَكَرٍ بِلَا أُنْثَى، وَكَمَا خُلِقَ آدَمُ لَا مِنْ ذَكَرٍ وَلَا مِنْ أُنْثَى، وَإِنَّمَا خَلَقَهُ اللَّهُ تَعَالَى مِنْ تُرَابٍ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: كُنْ فَيَكُونُ، وَكَذَلِكَ يَكُونُ عِيسَى بِالْكَلِمَةِ وَبِنَفْخِ جِبْرِيلَ فِي فَرْجِ مَرْيَمَ، فَخَلَقَ اللَّهُ مِنْهَا عِيسَى. وَمِنْ خَصَائِصِهِ وَأُمِّهِ أَنَّ إِبْلِيسَ، لَعَنَهُ اللَّهُ، حِينَ وُلِدَ ذَهَبَ يَطْعَنُ فَطَعَنَ فِي الْحِجَابِ كَمَا جَاءَ فِي " الصَّحِيحِ ". وَمِنْ خَصَائِصِهِ أَنَّهُ لَمْ يَمُتْ، وَهُوَ حَيٌّ الْآنَ بِجَسَدِهِ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا. وَسَيَنْزِلُ قَبْلَ يَوْمِ الْقِيَامَةِ عَلَى الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ الشَّرْقِيَّةِ بِدِمَشْقَ، فَيَمْلَأُ الْأَرْضَ قِسْطًا وَعَدْلًا، كَمَا مُلِئَتْ جَوْرًا وَظُلْمًا، وَيَحْكُمُ بِهَذِهِ الشَّرِيعَةِ الْمُحَمَّدِيَّةِ، ثُمَّ يَمُوتُ وَيُدْفَنُ بِالْحُجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ، كَمَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَقَدْ بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي قِصَّتِهِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا. وَقَالَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ ابْنُ الزَّمْلَكَانِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى: وَأَمَّا مُعْجِزَاتُ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَمِنْهَا إِحْيَاءُ الْمَوْتَى، وَلِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ كَثِيرٌ، وَإِحْيَاءُ الْجَمَادِ أَبْلَغُ مِنْ إِحْيَاءِ الْمَيِّتِ، وَقَدْ كَلَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الذِّرَاعَ الْمَسْمُومَةَ، وَهَذَا الْإِحْيَاءُ أَبْلَغُ مِنْ إِحْيَاءِ الْإِنْسَانِ الْمَيِّتِ مِنْ وُجُوهٍ ; أَحَدُهَا، أَنَّهُ إِحْيَاءُ جُزْءٍ مِنَ الْحَيَوَانِ دُونَ بُقِّيةِ بَدَنِهِ، وَهَذَا مُعْجِزٌ لَوْ كَانَ مُتَّصِلًا بِالْبَدَنِ. الثَّانِي: أَنَّهُ أَحْيَاهُ وَحْدَهُ مُنْفَصِلًا عَنْ بَقِيَّةِ أَجْزَاءِ ذَلِكَ الْحَيَوَانِ مَعَ مَوْتِ الْبَقِيَّةِ. الثَّالِثُ: أَنَّهُ أَعَادَ عَلَيْهِ الْحَيَاةَ
পৃষ্ঠা - ৫২২১
مَعَ الْإِدْرَاكِ وَالْعَقْلِ، وَلَمْ يَكُنْ هَذَا الْحَيَوَانُ يَعْقِلُ فِي حَيَاتِهِ فَصَارَ جُزْؤُهُ حَيًّا يَعْقِلُ. الرَّابِعُ: أَنَّهُ أَقْدَرَهُ اللَّهُ عَلَى النُّطْقِ وَالْكَلَامِ وَلَمْ يَكُنِ الْحَيَوَانُ الَّذِي هُوَ جُزْؤُهُ مِمَّا يَتَكَلَّمُ، وَفِي هَذَا مَا هُوَ أَبْلَغُ مِنْ حَيَاةِ الطُّيُورِ الَّتِي أَحْيَاهَا اللَّهُ لِإِبْرَاهِيمَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قُلْتُ: وَفِي حُلُولِ الْحَيَاةِ وَالْإِدْرَاكِ وَالْعَقْلِ فِي الْحَجَرِ الَّذِي كَانَ يُخَاطِبُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالسَّلَامِ عَلَيْهِ، كَمَا رُوِيَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنَ الْمُعْجِزِ مَا هُوَ أَبْلَغُ مِنْ إِحْيَاءِ الْحَيَوَانِ فِي الْجُمْلَةِ ; لِأَنَّهُ كَانَ مَحَلًّا لِلْحَيَاةِ فِي وَقْتٍ، بِخِلَافِ هَذَا حَيْثُ لَا حَيَاةَ لَهُ بِالْكُلِّيَّةِ قَبْلَ ذَلِكَ، وَكَذَلِكَ تَسْلِيمُ الْأَحْجَارِ وَالْمَدَرُ عَلَيْهِ، وَكَذَلِكَ الْأَشْجَارُ وَالْأَغْصَانُ وَشَهَادَتُهَا بِالرِّسَالَةِ، وَحَنِينُ الْجِذْعِ إِلَيْهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. قَالَ شَيْخُنَا، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى: وَقَدْ جَمَعَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا كِتَابًا فِيمَنْ عَاشَ بَعْدَ الْمَوْتِ، وَذَكَرَ مِنْهَا كَثِيرًا، وَقَدْ ثَبَتَ عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ وَهُوَ مَرِيضٌ يَعْقِلُ، فَلَمْ نَبْرَحْ حَتَّى قُبِضَ، فَبَسَطْنَا عَلَيْهِ ثَوْبَهُ وَسَجَّيْنَاهُ، وَلَهُ أَمٌّ عَجُوزٌ كَبِيرَةٌ عِنْدَ رَأْسِهِ، فَالْتَفَتَ إِلَيْهَا بَعْضُنَا، وَقَالَ: يَا هَذِهِ احْتَسِبِي مُصِيبَتَكِ عِنْدَ اللَّهِ. فَقَالَتْ: وَمَا ذَاكَ؟ أَمَاتَ ابْنِي؟ قُلْنَا: نَعَمْ. قَالَتْ: أَحَقٌّ مَا تَقُولُونَ؟ ! قُلْنَا: نَعَمْ. فَمَدَّتْ يَدَيْهَا
পৃষ্ঠা - ৫২২২

বিভিন্ন সময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা জানালে আল্লাহ্ তাআল৷ বায়ুকে সেখান
থেকে মেঘ তাড়িয়ে এনে প্রার্থিত স্থানে আল্লাহ্র নির্দেশক্রমে বৃষ্টি বর্ষণ করত ৷ আবু নুআয়ম
উল্লেখ করেছেন, যদি বলা হয়, বায়ুকে সুলায়মান (আ)-এর অধীন করে দেয়া হয়েছিল, ফলে
বায়ুর সাহায্যে তিনি বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতেন, সকালে এক মাসের পথ এবং বিকেলে
এক মাসের পথ অতিক্রম করতেন ৷ তবে আমরা বলব রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে যা প্রদান করা
হয়েছে তা আরও বিরাট ও আরও ব্যাপক ৷ কেননা তিনি এক রাত্রে মক্কা থেকে বায়তৃল
মুকাদ্দাসে যান, যা ছিল এক মাসের দুরত্ব, সেখান থেকে উর্ধ্বজগতে গমন করেন, যা ছিল
পঞ্চাশ হাজার বছরের দুরতু ৷ এ সফর সমাপ্ত করতে সময় লেগেছিল রাত্রের মাত্র
এক-তৃতীয়াংশেরও কম ৷ তিনি এক আসমান থেকে অন্য আসমানে যান ৷ সেখানকার বিস্ময়কর
ব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন ৷ জান্নাত ও জাহান্নড়াম ঘুরে ঘুরে দেখেন ৷ সকল উম্মতের আমলনামা
সেখানে তাকে দেখান হয় ৷ নবীদের সাথে ও আসমানী ফেরেশতাদের সাথে সালাত আদায়
করেন ৷ সকল প্রকার পর্দা তার থেকে তুলে নেয়া হয়, একই রাত্রে এসব ঘটনা সংঘটিত হওয়া
অধিকতর বিস্ময়কর নয় কি?

এবার আমরা জিনকে হযরত সুলায়মান (আ)-এর অধীনস্থ করা সম্পর্কে আলোচনা করব ৷
অধীনস্থ জিনরা সুলায়মান (আ)-এর নির্দেশমত বিভিন্ন রকম কাজ করত ৷ যেমন প্রাসদি
নির্মাণ, ভাস্কর্য তৈরি, হাউযের ন্যায় বড় বড় পাত্র ও বৃহদাকার সুদৃঢ় ডেপ তৈরি করা ৷ এর
মুকাবিলায় আমরা বলতে পারি যে, আল্পাহ্ তাআলা তার মুকাররাব ফেরেশতা পাঠিয়ে নবী
মুহাম্মদ (না)-কে বহু ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন, যথা বদর, উহুদ, আহযাব, হুনায়ন ইত্যাদি যুদ্ধে
এবং অন্যান্য সময়ে ৷ আর এটা জিনকে বশ করার চাইতে অধিকতর গুরুতৃ ও বিস্ময়কর সম্মান
ও মর্ষাদাপুর্ণ ৷ এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা আমরা আগেই যথান্থানে করে এসেছি ৷ ইবন
হড়ামিদও এ বিষয়ে তার কিভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিম শরীফে শুবা আবুহুরড়ায়রা
(রা) সুত্রে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, গত রাত্রে একটা দৃষ্ট জিন আমার প্রতি দৃষ্টি
নিক্ষেপ করে (অথবা অন্য শব্দে তিনি একথা বলেছেন) তার উদ্দেশ্য ছিল আমার নামাযে বিঘ্র
সৃষ্টি করা ৷ আল্লাহ্ আমাকে তার উপর আধিপত্য দেন ৷ তখন আমি চেয়েছিলাম যে, তাকে
মসজিদের কোন এক খুটির সাথে বেধে রাখি, যাতে সকালবেলা লোকজন তাকে দেখতে পায় ৷
এ সময়ে আমার ভাই সুলায়মান (আ)-এর একটি দুআর কথা স্মরণ পড়ে ৷ অর্থাৎ “হে আমার
প্ৰতিপালক ! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজত্ব দিন, যা আমার পরে আর কারও
হবে না” ৷ রাবী বলেন, এরপর আল্লাহ্ সে জিনকে অপদস্থ করে তাড়িয়ে দেন ৷ এটা হল
বুখারীর বর্ণনা ৷ মুসলিম শরীফে আবুদ দারদা থেকে প্রায় এরুপই বর্ণিত হয়েছে ৷ মুসলিমের
শব্দ এরুপ : তারপর আমি তাকে ধরার ইচ্ছে করলাম ৷ আল্লাহ্র কসম , আমাদের তাই
সুলায়মান (আ)-এর প্রার্থনা যদি না থাকত, তাহলে সকালবেলা মদীনায় বালকরা তাকে নিয়ে
খেলা করত ৷ এ হাদীসই ইমাম আহমদ উত্তম সনদে হযরত আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা ফজরের নামাযের জন্যে র্দাড়ান ৷ তিনি তখন তার পিছনে ছিলেন ৷
নামাযে তার কিরাতে বিব্ল সৃষ্টি হয় ৷ নামায শেষে তিনি বললেন, তোমরা ইবলীসের সাথে
আমার অবস্থাটা দেখতে পেতে ৷ আমি হাত দিয়ে তাকে ধরে ফেলি এবং তার গলা চেপে ধরি ৷


إِلَى اللَّهِ تَعَالَى فَقَالَتِ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنِّي أَسْلَمْتُ وَهَاجَرْتُ إِلَى رَسُولِكَ ; رَجَاءَ أَنْ تُغِيثَنِي عِنْدَ كُلِّ شِدَّةٍ وَرَخَاءٍ، فَلَا تُحَمِّلْنِي هَذِهِ الْمُصِيبَةَ الْيَوْمَ. قَالَ: فَكَشَفَ الرَّجُلُ عَنْ وَجْهِهِ وَقَعَدَ، وَمَا بَرِحْنَا حَتَّى أَكَلْنَا مَعَهُ. وَهَذِهِ الْقِصَّةُ قَدْ تَقَدَّمَ التَّنْبِيهُ عَلَيْهَا فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ، وَفِي ذِكْرِ مُعْجِزِ الطُّوفَانِ مَعَ قِصَّةِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، وَهَذَا السِّيَاقُ الَّذِي أَوْرَدَهُ شَيْخُنَا ذَكَرَ بَعْضَهُ بِالْمَعْنَى، وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا، وَالْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ بَشِيرٍ الْمُرِّيِّ - أَحَدِ زُهَّادِ الْبَصْرَةِ وَعُبَّادِهَا وَفِي حَدِيثِهِ لِينٌ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ. وَفِي رِوَايَةِ الْبَيْهَقِيِّ: أَنَّ أُمَّهُ كَانَتْ عَجُوزًا عَمْيَاءَ. ثُمَّ سَاقَهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ، عَنْ أَنَسٍ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَسِيَاقُهُ أَتَمُّ، وَفِيهِ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ بِحَضْرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهَذَا بِإِسْنَادٍ رِجَالُهُ ثِقَاتٌ، وَلَكِنْ فِيهِ انْقِطَاعٌ بَيْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ وَأَنَسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [مِنْ كَرَامَاتِ الْأَتْقِيَاءِ] قِصَّةٌ أُخْرَى. قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي سَبْرَةَ النَّخَعِيِّ قَالَ: أَقْبَلُ رَجُلٌ مِنَ الْيَمَنِ، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ نَفَقَ حِمَارُهُ، فَقَامَ فَتَوَضَّأَ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي جِئْتُ
পৃষ্ঠা - ৫২২৩
مِنَ الدَّثِينَةِ مُجَاهِدًا فِي سَبِيلِكَ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِكَ، وَأَنَا أَشْهَدُ أَنَّكَ تُحْيِي الْمَوْتَى وَتَبْعَثُ مَنْ فِي الْقُبُورِ، لَا تَجْعَلْ لِأَحَدٍ عَلَيَّ الْيَوْمَ مِنَّةً، أَطْلُبُ إِلَيْكَ الْيَوْمَ أَنْ تَبْعَثَ حِمَارِي. فَقَامَ الْحِمَارُ يَنْفُضُ أُذُنَيْهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: هَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ. وَمِثْلُ هَذَا يَكُونُ كَرَامَةً لِصَاحِبِ الشَّرِيعَةِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ، وَغَيْرُهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ. وَكَأَنَّهُ عِنْدَ إِسْمَاعِيلَ مِنَ الْوَجْهَيْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: كَذَلِكَ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ فَذَكَرَهُ. قَالَ الشَّعْبِيُّ: فَأَنَا رَأَيْتُ الْحِمَارَ بِيعَ أَوْ يُبَاعُ فِي الْكُنَاسَةِ. يَعْنِي بِالْكُوفَةِ، وَقَدْ أَوْرَدَهَا ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، وَأَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَقَدْ قَالَ بَعْضُ قَوْمِهِ فِي ذَلِكَ: وَمِنَّا الَّذِي أَحْيَا الْإِلَهُ حِمَارَهُ ... وَقَدْ مَاتَ مِنْهُ كُلُّ عُضْوٍ وَمَفْصِلِ وَأَمَّا قِصَّةُ زَيْدِ بْنِ خَارِجَةَ وَكَلَامُهُ بَعْدَ الْمَوْتِ، وَشَهَادَتُهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ بِالصِّدْقِ، فَمَشْهُورَةٌ مَرْوِيَّةٌ مِنْ وُجُوهٍ كَثِيرَةٍ صَحِيحَةٍ. قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ الْكَبِيرِ ": زَيْدُ بْنُ خَارِجَةَ الْخَزْرَجِيُّ الْأَنْصَارِيُّ شَهِدَ بَدْرًا، وَتُوُفِّيَ زَمَنَ عُثْمَانَ، وَهُوَ الَّذِي تَكَلَّمَ بَعْدَ الْمَوْتِ. وَرَوَى الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " وَالْبَيْهَقِيُّ فِي " دَلَائِلِهِ " وَصَحَّحَهُ، كَمَا تَقَدَّمَ مِنْ طَرِيقِ
পৃষ্ঠা - ৫২২৪

এক পর্যায়ে তার মুখের ঠাণ্ডা লালা আমার হাতের এই দুই আঙ্গুলে অনুভব করি অর্থাৎ বুড়াে
আঙ্গুল ও তার পাশের আঙ্গুল ৷ যদি আমার ভাই সুলায়মানের দুআ না থাকত, তাহলে
সকালবেলা মসজিদের কোন এক খুটির সাথে সে বীধা থাকত ৷ আর মদীনায় বালকরা তাকে
নিয়ে থেল-তামাশা করত ৷ সকল সহীহ্, হাসান ও মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, যখন রমযান মাসের আগমন হয়, তখন জান্নাতের সকল দ্বার খুলে দেয়া হয়,
দােযখের দরজাসমুহ বন্ধ রাখা হয় এবং শয়তানদেরকে শৃত্খলাবদ্ধ রাখা হয় ৷ এক বর্ণনায়
আছে যে, দুষ্ট জিনদেরকে আটক রাখা হয় ৷ এ হচ্ছে সেই বরকত, যা রমযানের সিয়াম ও
কিয়ামের ফলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দান করা হয়েছে ৷ সম্মুখে হযরত ঈসা (আ)-এর অন্ধ ও
কুষ্ঠ রোগীকে ভাল করে দেয়ার আলোচনায় দেখান হবে যে, রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর দুআয়
একজন মুসলিম জিন রােগমুক্ত হয় এবং রাসুলের নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে ও তার ভয়ে
জিনদের দল থেকে বের হয়ে আসে ৷ অন্য এক সময়ে আল্লাহ্ তাআলা একদল জিনকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ তারা কুরআন শ্রবণ করে ঈমান আঃন ও রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে সত্য নবী বলে বিশ্বাস করে ৷ তারপর তারা নিজ কওমের নিকট ফিরে গিয়ে
তাদেরকে দীনে মুহাস্মদী কবুল করার আহ্বান জানায় এবং তার বিরুদ্ধাচরণ করার ব্যাপারে
তাদেরকে সতর্ক করে দেয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেহেতু মানুষ ও জিন উভয় জাতির নবী ছিলেন,
তাই বিপুল সংখ্যক জিন ঈমান গ্রহণ করে এবং একটি প্রতিনিধিদল রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
নিকট প্রেরণ করে যেমন আমরা আগেই বর্ণনা করে এসেছি ৷ তিনি তাদেরকে সুরা
আর-রাহমান পাঠ করে শুনান এবং তাদের মধ্যে থেকে যারা ঈমান পোষণ করবে তাদেরকে
জান্নাতের আর যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করবে তাদেরকে জাহান্নামের সংবাদ জানিয়ে দেন ৷
তিনি জিনদের খাদ্য ও তাদের প্রাণীদের খাদ্য সম্পর্কে শরীআতের বিধানও বাতলে দেন ৷
এ থেকে বুঝা গেল যে, জিনদের জন্যে যা গুরুত্বপুর্ণ ও আবশ্যক তা তিনি তাদেরকে
সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ৷ আবু নুআয়ম লিখেছেন, একবার এক দৈত্য সাহাবাদের এক
কাফেলার খুরমা চুরি করে ৷ তারা দৈতদ্রটিকে ধরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট নিয়ে যেতে
চাইলেন ৷ বিন্দু সে কিছুতেই যেতে রাজি হচ্ছিল না ৷ তার ভয় হল যে, রাসুলের নিকট নিয়ে
গেলে তার হাত কাটা যাবে ৷ এর বিনিময়ে সে সাহাবাদেরকে শিখিয়ে দিল যে , আয়াতৃল কৃরসী
পাঠ করলে তার কাছে কোন শয়তান আসতে পারে না ৷ আমরা এর সনদ ও শব্দসহ তাফসীর
গ্রন্থে আয়াতৃল কুরসীর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছি ৷ আবু নুআয়ম এই প্রসঙ্গে বহু ক্ষেত্রে আবু
জাহলের কবল থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিবরাঈলের সাহায্য করার কথা উল্লেখ করেছেন,
যার বিবরণ আমরা সীরাতৃন নবীতে উল্লেখ করেছি ৷ তিনি এ প্রসঙ্গে উহুদ যুদ্ধে রাসুলুল্পাহ্
(সা)-এর ডানে ও বামে থেকে জিবরাঈল ও মীকাঈলের সাহায্যের কথাও বর্ণনা করেছেন ৷
যদি বলা হয় যে, হযরত সুলায়মান (আ)-কে তার পিতার ন্যায় নবুওত ও বাদশাহী
একত্রে দান করা হয়েছিল, তবে আমরা বলব, যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আল্লাহ্ তাআলা নবুওত
ও বাদশাহী কিংবা তার পােলামী ও রিসালাতের যে কোন একটিকে বেছে নেয়ার ইখতিয়ার
দিয়েছিলেন : খুপ্রু, ৷াপ্রু এ ৷ ; ৷ৰুাৰু রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ ব্যাপারে জিবরাঈলের নিকট
পরামর্শ চান ৷ জিবরাঈল বিনয় প্রকাশের দিকে ইংণিত করেন ৷ সুতরাং তিনি আল্লাহ্ পােলামী
ও রাসুল হওয়াকে পছন্দ করেন ৷ হযরত আয়েশা ও ইবন আব্বাস এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷


الْقَعْنَبِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَارِجَةَ الْأَنْصَارِيَّ، ثُمَّ مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ، تُوُفِّيَ زَمَنَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ فَسُجِّيَ فِي ثَوْبِهِ، ثُمَّ إِنَّهُمْ سَمِعُوا جَلْجَلَةً فِي صَدْرِهِ، ثُمَّ تَكَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: أَحْمَدُ أَحْمَدُ فِي الْكِتَابِ الْأَوَّلِ، صَدَقَ صَدَقَ أَبُو بَكْرٍ الضَّعِيفُ فِي نَفْسِهِ، الْقَوِيُّ فِي أَمْرِ اللَّهِ، فِي الْكِتَابِ الْأَوَّلِ، صَدَقَ صَدَقَ، عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ، فِي الْكِتَابِ الْأَوَّلِ، صَدَقَ صَدَقَ، عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَى مِنْهَاجِهِمْ، مَضَتْ أَرْبَعٌ وَبَقِيَتْ ثِنْتَانِ، أَتَتِ الْفِتَنُ وَأَكَلَ الشَّدِيدُ الضَّعِيفُ، وَقَامَتِ السَّاعَةُ، وَسَيَأْتِيكُمْ عَنْ جَيْشِكُمْ خَبَرُ بِئْرِ أَرِيسَ، وَمَا بِئْرُ أَرِيسَ. قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ: قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ: ثُمَّ هَلَكَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي خَطْمَةَ فَسُجِّيَ بِثَوْبِهِ، فَسُمِعَ جَلْجَلَةٌ فِي صَدْرِهِ، ثُمَّ تَكَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ أَخَا بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ صَدَقَ صَدَقَ. وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا وَالْبَيْهَقِيُّ أَيْضًا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ بِأَبْسَطَ مِنْ هَذَا وَأَطْوَلَ، وَصَحَّحَهُ الْبَيْهَقِيُّ. قَالَ: وَقَدْ رُوِيَ فِي التَّكَلُّمِ بَعْدَ الْمَوْتِ، عَنْ جَمَاعَةٍ بِأَسَانِيدَ صَحِيحَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: قَدْ ذَكَرْتُ فِي قِصَّةِ شَاةِ جَابِرٍ يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَأَكْلِ الْأَلْفِ مِنْهَا وَمِنْ قَلِيلِ شَعِيرٍ، مَا تَقَدَّمَ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْمَعْرُوفُ بِ " شَكَّرَ "
পৃষ্ঠা - ৫২২৫
فِي كِتَابِهِ " الْغَرَائِبِ وَالْعَجَائِبِ " بِسَنَدِهِ، كَمَا سَبَقَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ عِظَامَهَا، ثُمَّ دَعَا اللَّهَ تَعَالَى فَعَادَتْ كَمَا كَانَتْ فَتَرَكَهَا فِي مَنْزِلِهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ شَيْخُنَا: وَمِنْ مُعْجِزَاتِ عِيسَى الْإِبْرَاءُ مِنَ الْجُنُونِ، وَقَدْ أَبْرَأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. يَعْنِي مِنْ ذَلِكَ. هَذَا آخَرُ مَا وَجَدْتُهُ مِمَّا حَكَيْنَاهُ عَنْهُ. فَأَمَّا إِبْرَاءُ عِيسَى مِنَ الْجُنُونِ، فَمَا أَعْرِفُ فِيهِ نَقْلًا خَاصًّا، وَإِنَّمَا كَانَ يُبَرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ، وَالظَّاهِرُ: وَمِنْ جَمِيعِ الْعَاهَاتِ وَالْأَمْرَاضِ الْمُزْمِنَةِ. وَأَمَّا إِبْرَاءُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْجُنُونِ، فَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَالْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، «أَنَّ امْرَأَةً أَتَتْ بِابْنٍ لَهَا صَغِيرٍ بِهِ لَمَمٌ، مَا رَأَيْتُ لَمَمًا أَشَدَّ مِنْهُ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ابْنِي هَذَا كَمَا تَرَى أَصَابَهُ بَلَاءٌ، وَأَصَابَنَا مِنْهُ بَلَاءٌ، يُؤْخَذُ فِي الْيَوْمِ مَا أَدْرِي كَمْ مَرَّةً. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَاوِلِينِيهِ ". فَرَفَعَتْهُ إِلَيْهِ فَجَعَلَتْهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ وَاسِطَةِ الرَّحْلِ، ثُمَّ فَغَرَ فَاهُ وَنَفَثَ فِيهِ ثَلَاثًا، وَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ، أَنَا عَبْدُ اللَّهِ، اخْسَأْ عَدُوَّ اللَّهِ ". ثُمَّ نَاوَلَهَا إِيَّاهُ. فَذَكَرَتْ أَنَّهُ بَرَأَ مِنْ سَاعَتِهِ وَمَا رَابَهُمْ مِنْهُ شَيْءٌ بَعْدَ ذَلِكَ» .
পৃষ্ঠা - ৫২২৬

এক পর্যায়ে তার মুখের ঠাণ্ডা লালা আমার হাতের এই দুই আঙ্গুলে অনুভব করি অর্থাৎ বুড়ো
আব্দুল ও তার পাশের আব্দুল ৷ যদি আমার ভাই সুলায়মানের দুআ না থাকত, তাহলে
সকালবেলা মসজিদের কোন এক খুটির সাথে সে বাধা থাকত ৷ আর মদীনায় বালকরা তাকে
নিয়ে থেল-তামাশা করত ৷ সকল সহীহ্, হাসান ও মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, যখন রমযান মাসের আগমন হয়, তখন জান্নাতের সকল দ্বার খুলে দেয়া হয়,
দোযখের দরজাসমুহ বন্ধ রাখা হয় এবং শয়তানদেরকে শৃত্খলাবদ্ধ রাখা হয় ৷ এক বর্ণনায়
আছে যে, দুষ্ট জিনদেরকে আটক রাখা হয় ৷ এ হচ্ছে সেই বরকত, যা রমযানের সিয়াম ও
কিয়ামের ফলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে দান করা হয়েছে ৷ সম্মুখে হযরত ঈসা (আ)-এর অন্ধ ও
কুষ্ঠ ব্লোগীকে ভাল করে দেয়ার আলোচনায় দেখান হবে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দুআয়
একজন মুসলিম জিন রোগমুক্ত হয় এবং রাসুলের নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে ও তার তার
জিনদের দল থােক বের হয়ে আসে ৷ অন্য এক সময়ে আল্পাহ্ তাআলা একদল জিনকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ তারা কুরআন শ্রবণ করে ঈমান আসে ও রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে সত্য নবী বলে বিশ্বাস করে ৷ তারপর তারা নিজ কওমের নিকট ফিরে গিয়ে
তাদেরকে দীনে মুহাম্মদী কবুল করার আহ্বান আমার এবং তার বিরুদ্ধাচরণ করার ব্যাপারে
তাদেরকে সতর্ক করে দেয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেহেতু মানুষ ও জিন উভয় জাতির নবী ছিলেন,
তাই বিপুল সংখ্যক জিন ঈমান গ্রহণ করে এবং একটি প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
নিকট প্রেরণ করে যেমন আমরা আগেই বর্ণনা করে এসেছি ৷ তিনি তাদেরকে সুরা
আর-রাহমান পাঠ করে শুনান এবং তাদের মধ্যে থেকে যারা ঈমান পোষণ করবে তাদেরকে
জান্নাতের আর যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করবে তাদেরকে জাহান্নড়ামের সংবাদ জানিয়ে দেন ৷
তিনি জিনদের খাদ্য ও তাদের প্রাণীদের খাদ্য সম্পর্কে শয়ীআতের বিধানও বাতলে দেন ৷

এ থােক বুঝা গেল যে, জিনদের জন্যে যা গুরুতুপুর্ণ ও আবশ্যক তা তিনি তাদেরকে
সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ৷ আবু নুআয়ম লিখেছেন, একবার এক দৈত্য সাহাবাদের এক
কাফেলার খুরমা চুরি করে ৷ তারা দৈত্যটিকে ধরে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট নিয়ে যেতে
চাইলেন ৷ বিন্দু সে কিছুতেই যেতে রাজি হচ্ছিল না ৷ তার ভয় হল যে, রাসুলের নিকট নিয়ে
গেলে তার হাত কাটা যাবে ৷ এর বিনিময়ে সে সাহাবাদেরকে শিখিয়ে দিল যে, আয়াতৃল কুরসী
পাঠ করলে তার কাছে কোন শয়তান আসতে পারে না ৷ আমরা এর সনদ ও শব্দসহ তাফসীর
গ্রন্থে আয়াতৃল কুরসীর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছি ৷ আবু নুআয়ম এই প্রসঙ্গে বহু ক্ষেত্রে আবু
জাহন্সের কবল থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিবরাঈলের সাহায্য করার কথা উল্লেখ করেছেন,
যার বিবরণ আমরা সীরাতুন নবীতে উল্লেখ করেছি ৷ তিনি এ প্রসঙ্গে উহুদ যুদ্ধে রাসুলুল্পাহ্
(সা)এর ডানে ও বামে থেকে জিবরাঈল ও মীকাঈলের সাহায্যের কথাও বর্ণনা করেছেন ৷

যদি বলা হয় যে, হযরত সুলায়মান (আ)-কে তার পিতার ন্যায় নবুওত ও বাদশাহী
একত্রে দান করা হয়েছিল, তবে আমরা বলব, যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আল্লাহ তাআলা নবুওত
ও বাদশাহী কিংবা তার গোলামী ও রিসালাতের যে কোন একটিকে বেছে নেয়ার ইখতিয়ার
দিয়েছিলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ ব্যাপারে জিবরাঈলের নিকট
পরামর্শ চান ৷ জিবরাঈল বিনয় প্রকাশের দিকে ইংগিত করেন ৷ সুতরাং তিনি আল্লাহ গোলামী
ও রাসুল হওয়াকে পছন্দ করেন ৷ হযরত আয়েশা ও ইবন আব্বাস এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷


وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ فَرْقَدٍ السَّبَخِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ بِوَلَدِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بِهِ لَمَمًا، وَإِنَّهُ يَأْخُذُهُ عِنْدَ طَعَامِنَا فَيُفْسِدُ عَلَيْنَا طَعَامَنَا. قَالَ: فَمَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدْرَهُ، وَدَعَا لَهُ، فَثَعَّ ثَعَّةً، فَخَرَجَ مِنْهُ مِثْلُ الْجَرْوِ الْأَسْوَدِ يَسْعَى» . غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَفَرْقَدٌ فِيهِ كَلَامٌ، وَإِنْ كَانَ مِنْ زُهَّادِ الْبَصْرَةِ، لَكِنْ مَا تَقَدَّمَ لَهُ شَاهِدٌ، وَإِنْ كَانَتِ الْقِصَّةُ وَاحِدَةً. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْبَزَّارُ مِنْ طَرِيقِ فَرْقَدٍ أَيْضًا، عَنْ سَعِيدٍ، «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فَجَاءَتْهُ امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ هَذَا الْخَبِيثَ قَدْ غَلَبَنِي. فَقَالَ لَهَا: " إِنْ تَصْبِرِي عَلَى مَا أَنْتَ عَلَيْهِ تَجِيئِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَيْسَ عَلَيْكِ ذُنُوبٌ، وَلَا حِسَابٌ ". فَقَالَتْ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَأَصْبِرَنَّ حَتَّى أَلْقَى اللَّهَ. ثُمَّ قَالَتْ: إِنِّي أَخَافُ الْخَبِيثَ أَنْ يُجَرِّدَنِي. فَدَعَا لَهَا، وَكَانَتْ إِذَا خَشِيَتْ أَنْ يَأْتِيَهَا تَأْتِي أَسْتَارَ الْكَعْبَةِ فَتَعَلَّقُ بِهَا، وَتَقُولُ لَهُ: اخْسَأْ. فَيَذْهَبُ عَنْهَا» . وَهَذَا دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ فَرْقَدًا قَدْ حَفِظَ، فَإِنَّ هَذَا لَهُ شَاهَدٌ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ وَمُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ: «قَالَ لِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ: أَلَا
পৃষ্ঠা - ৫২২৭
أُرِيكَ امْرَأَةً مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ؟ قُلْتُ: بَلَى. قَالَ: هَذِهِ السَّوْدَاءُ، أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: إِنِّي أُصْرَعُ وَأَتَكَشَّفُ، فَادْعُ اللَّهَ لِي. قَالَ: " إِنْ شِئْتِ صَبَرْتِ وَلَكِ الْجَنَّةُ، وَإِنْ شِئْتِ دَعَوْتُ اللَّهَ أَنْ يُعَافِيَكِ ". قَالَتْ: لَا، بَلْ أَصْبِرُ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ لَا أَتَكَشَّفَ. قَالَ: فَدَعَا لَهَا فَكَانَتْ لَا تَنْكَشِفُ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا مَخْلَدٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ أَنَّهُ رَأَى أُمَّ زُفَرَ تِلْكَ، امْرَأَةٌ طَوِيلَةٌ سَوْدَاءُ، عَلَى سِتْرِ الْكَعْبَةِ. وَذَكَرَ الْحَافِظُ بْنُ الْأَثِيرِ فِي كِتَابِهِ " الْغَابَةِ فِي أَسْمَاءِ الصَّحَابَةِ " أَنَّ أُمَّ زُفَرَ هَذِهِ كَانَتْ مَاشِطَةً لِخَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ، وَأَنَّهَا عُمِّرَتْ حَتَّى رَآهَا عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، رَحِمَهُمَا اللَّهُ تَعَالَى. وَأَمَّا إِبْرَاءُ عِيسَى الْأَكْمَهَ، وَهُوَ الَّذِي يُولَدُ أَعْمَى، وَقِيلَ: هُوَ الَّذِي لَا يُبْصِرُ فِي النَّهَارِ وَيُبْصِرُ فِي اللَّيْلِ، وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَالْأَبْرَصُ الَّذِي بِهِ بَهَقٌ، فَقَدْ رَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ عَيْنَ قَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ إِلَى مَوْضِعِهَا بَعْدَ مَا سَالَتْ عَلَى خَدِّهِ، فَأَخَذَهَا فِي " يَدِهِ الْكَرِيمَةِ " وَأَعَادَهَا إِلَى مَقَرِّهَا فَاسْتَمَرَّتْ بِجِمَالِهَا وَبَصَرِهَا، وَكَانَتْ أَحْسَنَ عَيْنَيْهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَصَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا ذَكَرَ ذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ فِي " السِّيرَةِ " وَغَيْرُهُ، وَكَذَلِكَ بَسَطْنَاهُ ثَمَّ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَقَدْ دَخَلَ بَعْضُ وَلَدِهِ، وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৫২২৮

আর এ কথা সত্য যে, রিসালাতের মর্যাদা অধিকতর মর্যাদার ৷ এ জন্যেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকট যমীনের ধনরতৃ পেশ করা হলে৩ তিনি তা গ্রহণ করেননি ৷ তিনি বলেছেন, আমি যদি
চাইতামত তাহলে আল্লাহ আমার জন্যে পাহাড়কে স্বর্ণে পরিণত করে দিতেন ৷ কিত্তু আমার কাছে
এটাই পছন্দনীয় যে, একদিন তৃপ্তিসহকারে আহার করব আর একদিন অনাহারে থাকর ৷
তাফসীর ও সীরাত গ্রন্থে এ সবকিছু-ই আমরা সনদ ও দলীল-প্রমাণসহ উল্লেখ করেছি ৷
আবু নুআয়ম আবদুর রাজ্জাক সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, একদা আমি নিদ্রায় ছিলাম ৷ এ অবস্থায় আমার নিকট পৃথিবীর
ধনভাণ্ডারের চাবি উপস্থিত করা হয় এবং আমার হাতে রেখে দেয়৷ হয় ৷ হুসায়ন ইবন ওয়াকিদ
জাবির (রা) সুত্রে মারকুভাবে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, একদা জিবরাঈল (আ)
মখমলের লেবাস পরে সাদা-কালাে ভোরা রংয়ের একটি ঘোড়া নিয়ে হাজির হন ৷ তার উপর
ছিল বিশ্ব জাহানেরন্সমস্ত ধন-ভাণ্ডারের কুঞ্জি, যা আমাকে দেওয়া হয় ৷ কাসিম আবু
লুবাবা সুত্রে মারকু হাদীস বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (সা) বলেছেন, একবার আল্লাহ্ আমার
জন্যে প্রন্তরময় মক্কার ভু-খণ্ডকে স্বর্ণে পরিণত করে দিতে চাইলেন ৷ আমি বললাম, ইয়৷ বব!
আমি বরং এটাই চইি যে, একদিন আহার করব এবং আর একদিন অনাহারে কাটার ৷ যে দিন
অনাহারে ক্ষুর্ধাত থাকর সে দিন আপনার নিকট আবেদন পেশ করব ৷ আর যে দিন আহার
করব সে দিন আপনার প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব ৷

আবু নুআয়ম বলেন০ ং যদি বলা হয় যে, সুলায়মান (আ) পাখি ও পিপড়ার ভাষা বুঝাত

প্ ,

পারতেন ৷ আল্লাহর বাণী৪ “সুলায়মান
বলেছিলেন, হে লোকসকল৷ আমাকে পক্ষীকুলের ভাষা শিক্ষা দেয়৷ হয়েছে” (নামলং ১৬) ৷
আল্লাহর বাণী৪

ান্ , fl


fl ’ ’ :১ ’

“যখন তারা পিপড়া অধ্যুষিত উপত্যকায় পৌছল, তখন এক পিপড়া বলল, হে পিপড়ার
দল! তোমরা তোমাদের আবাসন্থলে ঢুকে পড়, তা না হলে সুলায়মান ও তার বাহিনী
অজ্ঞাতসারে তােমাবদরাক পিষে ফেলবে ৷ত তার কথা শুনে সুলায়মান পুচকি হাসলেন” (নামল০ ং
১৮-১৯) ৷
উক্ত আয়াতসমুহ দ্বারা বুঝা যায় যে, আমরা বলতে পারি যে, মুহাম্মাদৃর রাসুলুল্লাহ্
(সা ) কেও এরুপ ক্ষমতা বা তারও অধিক ক্ষমত তা দেয়া হয়েছিল ৷ যেমন আমরা পুর্বেই উল্লেখ
করেছি যে, রাসুল (সা) এর সাথে গৃহ পালিত পশু, হিংস্র প্রাণী, মেষ, মধ্যে ও বৃক্ষ কথা
বলেছেন, কংকর ও পাথর তাসবীহ পড়েছে ৷ তিনি এণ্ডালাকে আহ্বান করেছেন এবং তারা
তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে, নেকড়ে তার নবুওতের স্বীকৃতি দিয়েছে, তীর আনুপ্ত্যে পাখিরা
তাসবীহ পাঠ করেছে ৷ বনের হৰিণী অভিযোগ পেশ করেছে ৷ ওই সাপ কথা বলেছে ও
নবুওতের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং “এ জাতীয় বহু ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ৷ এ সবের বিস্তা ত
আলোচনা পুর্ববর্তী অধ্যায়গুলোতে এসেছে ৷ এ প্রসঙ্গে আরও বলা যায়, সেই যে বিষ মিশান

— ৫ ৫


عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَسَأَلَ عَنْهُ فَأَنْشَأَ يَقُولُ: أَنَا ابْنُ الَّذِي سَالَتْ عَلَى الْخَدِّ عَيْنُهُ ... فَرُدَّتْ بِكَفِّ الْمُصْطَفَى أَحْسَنَ الرَّدِّ فَعَادَتْ كَمَا كَانَتْ لِأَوَّلِ أَمْرِهَا ... فَيَا حُسْنَ مَا عَيْنٍ وَيَا حُسْنَ مَا خَدِّ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: تِلْكَ الْمَكَارِمُ لَا قَعْبَانِ مِنْ لَبَنٍ ... شِيبَا بِمَاءٍ فَعَادَا بَعْدُ أَبْوَالَا ثُمَّ أَجَازَهُ فَأَحْسَنَ جَائِزَتَهُ. وَقَدْ رَوَى الدَّارَقُطْنِيُّ أَنَّ عَيْنَيْهِ أُصِيبَتَا مَعًا حَتَّى سَالَتَا عَلَى خَدَّيْهِ، فَرَدَّهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَكَانِهِمَا. وَالْمَشْهُورُ الْأَوَّلُ، كَمَا ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ. [الْأَعْمَى الَّذِي رَدَّ اللَّهُ عَلَيْهِ بَصَرَهُ بِدُعَاءِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] قِصَّةُ الْأَعْمَى الَّذِي رَدَّ اللَّهُ عَلَيْهِ بَصَرَهُ بِدُعَاءِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ وَعُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَا: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَدِينِيُّ، سَمِعْتُ عُمَارَةَ بْنَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ يُحَدِّثُ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ، «أَنَّ رَجُلًا ضَرِيرًا أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُعَافِيَنِي. فَقَالَ إِنْ شِئْتَ أَخَّرْتُ ذَلِكَ فَهُوَ أَفْضَلُ لِآخِرَتِكَ، وَإِنْ شِئْتَ دَعَوْتُ
পৃষ্ঠা - ৫২২৯

বললেন, ওকে আমার কাছে নিয়ে এস ৷ তখন আমি তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও বাহনের
মাঝখানে রাখলাম ৷ এরপর ছেলেটি মুখ হা করিয়ে তিনি নিম্নের দু আটি পড়ে তিনবার কুক
দিলেন ৷ দোয়াটি এইচ (আল্লাহর নামে আরম্ভ
করছি, আমি আল্লাহর বান্দা, আল্লাহর দুশমন লাঞ্ছিত) ৷৩ তারপর ছেলেটিকে মহিলার কাছে
ফিরিয়ে দিলেন ৷ সাথে সাথেই হুছহুলটি ভাল হয়ে যায় এবং আর কখনও এমনটা হয়নি ৷ ইমাম
আহমদ ইয়াযীদ ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন, জনৈকা মহিলা তার এক পুত্রহুক
নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এই হুছহুলটির মধ্যে পাগলাষী
আছে ৷ যখন আমাদের খাওয়ার সময় হয় তখন তার পাগলাষী প্রকাশ পায় এবং খাদ্য নষ্ট করে
ফেলে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুছহুলটির বুকে হাত বুলিয়ে দিলেন এবং তার পাগলাষী দুর হওয়ার
জন্যে দুআ করলেন ৷ ফলে হুছহুলঢি থেকে কাল দানার মত কিছু একটা বের হয়ে গেল এবং সে
আরােগ্য লাভ করল ৷ এই বর্ণনা নুত্রটি অত্যন্ত দুর্বল ৷ ফারকাদ নামক রাবী সমালোচিত ব্যক্তি,
যদিও তিনি বসরার একজন সুফী ব্যক্তি ৷৩ তবে পুর্বের বর্ণনা দ্বারা এই বর্ণনা শক্তিশালী হয়েছে,
যদিও ঘটনা উভয়টাই অভিন্ন ৷

আল্লামা বায্যার ফারকাদ সুত্রে সা দ ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মক্কায় থাকাকালে এক আনসার মহিলা এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এই যে আমার উপর
ভৃত সওয়ার হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, তুমি এ অবস্থার উপরে ধৈর্য ধারণ কর,
কিয়ামহুত র দিন তোমার কোন পাপ থাকবে না, হিসাবও দিতে হ৩বে না ৷ মহিলাটি বলল, যে
সত্তা আপনাকে র ৷সুলরুহুপ পাঠিহুয়ছেন তার কসম, আমি মৃত্যু পর্যন্ত ধৈর্য ধারণই করে যার ৷
এরপর মহিলাটি বললেন, আমার আশংকা হয় যদি ণ্ডু৩ আমাকে একাকী পায় ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না) তার জন্য দু আ করলেন ৷ এরপর থেকে মহিলাটি যখনই অনুভব করতেন যে, ণ্ডু৩ আছর
করবে, তখনই কাবার গিলাফ ধরে দাড়িয়ে থাকতেন এবং বলহুতন, দুর হ ৷ তখন যে চলে
যেত ৷ এই বর্ণনা প্রমাণ করে যে, ফারকাদের বর্ণনা সঠিক ৷ কেননা এর সমর্থনে বুখারী ও
মুসলিমে আতা ইবন আবী রাবাহ্র রিওয়ায়াত থেকে পাওয়া যায় ৷ তিনি বলেন, হযরত ইবন
আব্বাস (রা) একদিন আমাকে বললেন, তুমি কি কোন জান্নাহুতর নারী দেখহুত চাও ৷ আমি
বললাম, জী হা ৷ তিনি বললেন, এই যে এই কাল মহিলাটি ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে
এসে জ নাম আমি হুবহুশ হয়ে পড়ে যাই এবং বিবস্ত্র হয়ে যাই, হুযুর, আমার জন্যে দু আ
করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি যদি পার ধৈর্য ধারণ কর, জান্নাত পাবে ৷ আর যদি চাও,

তামার জন্যে আরােগ্যের দু আ করব ৷ মহিলাটি বলল, না; বরং আমি ধৈর্য ধারণই করব ৷
তবে হুযুর, দুআ করুন যাতে আমি বিবস্ত্র না হই ৷ ইবন আব্বাস বলেন,রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
জন্যে দৃআ করলেন, এরপর সে আর কখনও বিবস্ত্র হয়নি ৷ এরপর ইমাম বুখারী মুহাম্মাদ
আত৷ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উম্মে যুফারকে বায়তৃল্লাহ্র প্রাচীরের কাছে অবস্থানরত
দেখেছেন, যে ছিল দীর্ঘদেহী ও কৃষ্ণকায় মহিলা ৷ হাফিয ইবনুল আহীর উসদুল গাবাহ্ ফী
আসমাইস সাহাবাহ্’ গ্রন্থে লিখেছেন, এই উম্মে যুফার ছিলেন হযরত থাদীজ৷ বিন্ত
খুওয়াইলিদের হুকশ বিন্যাসকারিণী ৷ তিনি দীর্ঘকাল বেচে ছিলেন ৷ এমন কি আত৷ ইবন আবী
রাবাহ তাকে দেখেছেন ৷

হযরত ঈসা (আ) আকমাহ’ অর্থাৎ জন্মান্ধ লোককে নিরাময় করতেন ৷ কারো মতে
আকমাহ্ বলা হয় সেই ব্যক্তিকে যে দিনে দেখেনা, কিন্তু রাত্রে দেখে; কেউ অন্য রকম


لَكَ " قَالَ: لَا، بَلِ ادْعُ اللَّهَ لِي. قَالَ: فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَتَوَضَّأَ وَأَنْ يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ وَأَنْ يَدْعُوَ بِهَذَا الدُّعَاءِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ، يَا مُحَمَّدُ، إِنِّي أَتَوَجَّهُ بِكَ إِلَى رَبِّي فِي حَاجَتِي هَذِهِ فَتُقْضَى. وَقَالَ فِي رِوَايَةِ عُثْمَانَ بْنِ عُمَرَ: اللَّهُمَّ فَشَفِّعْهُ فِيَّ. قَالَ: فَفَعَلَ الرَّجُلُ فَبَرَأَ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ أَبِي جَعْفَرٍ الْخَطْمِيِّ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ بِسَنَدِهِ، إِلَى أَبِي جَعْفَرٍ الْخَطْمِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ عَمِّهِ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ، قَالَ عُثْمَانُ: فَوَاللَّهِ مَا تَفَرَّقْنَا وَلَا طَالَ الْحَدِيثُ بِنَا حَتَّى دَخَلَ الرَّجُلُ كَأَنْ لَمْ يَكُنْ بِهِ ضُرٌّ قَطُّ. [مِنْ مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] قِصَّةٌ أُخْرَى قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلَامَانَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أُمِّهِ أَنَّ خَالَهَا
পৃষ্ঠা - ৫২৩০
حَبِيبَ بْنَ فُوَيْكٍ، حَدَّثَهَا «أَنَّ أَبَاهُ خَرَجَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَيْنَاهُ مُبْيَضَّتَانِ لَا يُبْصِرُ بِهِمَا شَيْئًا أَصْلًا، فَقَالَ لَهُ: " مَا أَصَابَكَ؟ " قَالَ: كُنْتُ أَمْرِي جَمَلًا لِي فَوَقَعَتْ رِجْلِي عَلَى بَيْضِ حَيَّةٍ، فَأُصِيبَ بَصَرِي. فَنَفَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَيْنَيْهِ فَأَبْصَرَ، فَرَأَيْتُهُ وَإِنَّهُ لَيُدْخِلُ الْخَيْطُ فِي الْإِبْرَةِ، وَإِنَّهُ لَابْنُ ثَمَانِينَ سَنَةً، وَإِنَّ عَيْنَيْهِ لَمُبْيَضَّتَانِ» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: كَذَا فِي كِتَابِهِ، وَغَيْرُهُ يَقُولُ: حَبِيبُ بْنُ مُدْرِكٍ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفَثَ فِي عَيْنَيْ عَلِيٍّ يَوْمَ خَيْبَرَ، وَهُوَ أَرْمَدُ فَبَرَأَ مِنْ سَاعَتِهِ، ثُمَّ لَمْ تَرَمَدْ بَعْدَهَا أَبَدًا، وَمَسَحَ رِجْلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَتِيكٍ، وَقَدِ انْكَسَرَتْ رِجْلُهُ لَيْلَةَ قَتَلَ أَبَا رَافِعٍ تَاجِرَ أَهْلِ الْحِجَازِ الْخَيْبَرِيَّ، فَبَرَأَ مِنْ سَاعَتِهِ أَيْضًا. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ» «أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسَحَ يَدَ مُحَمَّدِ بْنِ حَاطِبٍ، وَكَانَتْ قَدِ احْتَرَقَتْ بِالنَّارِ فَبَرَأَ مِنْ سَاعَتِهِ، وَمَسَحَ رِجْلَ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ، وَقَدْ أُصِيبَتْ يَوْمَ خَيْبَرَ، فَبَرَأَتْ مِنْ سَاعَتِهَا، وَدَعَا لِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنْ يُشْفَى مِنْ مَرَضِهِ ذَلِكَ فَشُفِيَ» . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ «أَنَّ عَمَّهُ أَبَا طَالِبٍ مَرِضَ، فَسَأَلَ مِنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৫২৩১

বলেছেন ৷ তাফসীরে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি ৷ তিনি আব্বাস অর্থাৎ কুষ্ঠ রাের্গীকেও
ভাল করে দিতেন ৷ এ ব্যাপারে বলা যায় যে, উহুদ যুদ্ধের সময় শত্রুর বর্শাঘাতে হযরত
কাতাদা ইবন নুমানের চোখ গালের উপর ঝুলে পড়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা স্ব-স্থানে
পুনরায় স্থাপন করে দেন ৷ রাসুলেৱ পবিত্র হাতের স্পর্শে চক্ষু ও তার দর্শন শক্তি পুৰ্বাপেক্ষা বৃদ্ধি
পড়ায় ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ও অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ এটা উল্লেখ করেছেন ৷ কাতাদা ইবন
নুমানের পৌত্র আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা হযরত উমর ইবন আবদুল আযীষের নিকট
গেলে তিনি তার পরিচয় জিজ্ঞেস করেন ৷ উত্তরে আসিম নিম্নের কবিতাটি পড়েন :

দ্দু,৷ ৷ ৷
আমি সেই ব্যক্তির সন্তান, যার চেহারার উপরে ঝুলে পড়েছিল তার চোখ ৷ পরে মুহাম্মদ
মুসতাফার হাতে তা সুন্দরভাবে পুনঃস্থাপিত হয় ৷ ফলে তার চোখ পুর্বে যে অবস্থায় ছিল যে
অবস্থায় পুনরায় চলে আসে, কতনা সুন্দর সে চোখ এবং কতনা সুন্দর সে পাল !
উত্তরে উমর ইবন আবদুল আযীয বলেন :
১া৷প্রুৰু৷ ৷ এ্যা
সেই মর্যাদা ও ঐতিহ্য এমন একটি দুধের পেয়ালা, যার সাথে পানি মিশ্রিত হয়ে পরে
পেশারে পরিণত হয়েছে ৷
অতঃপর উমর ইবন আবদুল আযীয তাকে বহু উপচৌকন প্রদান করেন ৷ দারা কৃতনী

বলেছেন, তার উভয় চােখই বের হয়েছিল এবং তা স্ব-স্থানে পুনঃস্থাপিত হয়েছিল ৷ তবে প্রথম
বর্ণনাই সঠিক ৷ ইবন ইসহাকও এ কথাই লিখেছেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুআয় এক অন্ধের দৃষ্টি লাভের ঘটনা

ইমাম আহমদ রাওহ ও উসমান ইবন উমর উসমান ইবন হানীফ থেকে বর্ণনা
করেন, এক অন্ধ রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আল্লাহ্র নিকট
আমার জন্যে দুআ করুন, তিনি যেন আমাকে নিরাময় করে দেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন,
তৃমি যদি চাও, তবে এ ব্যাপারে বিলম্ব কর, তাহলে আখিরাতে তোমার জন্যে এটা কল্যাণকর
হবে; আর যদি চাও তাহলে আমি দুআ করব ৷ অন্ধটি বলল, বরং আমার জন্যে আল্লাহর নিকট
দুআই করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে উয়ু কর, দু’রাকআত নামায পড়তে এবং এ দুআটি
পড়তে বললেন :

হে আল্পাহ্ ! আমি আপনার নিকট যাঞা করছি, আপনার রহমতের নবী মুহাম্মদ (সা)-এর
মাধ্যমে আপনার নিকট আবেদন করছি, আমার এ প্রয়োজনটুকু পুরণ করে দিন ৷


أَنْ يَدْعُوَ لَهُ رَبَّهُ أَنْ يُعَافِيَهُ فَدَعَا لَهُ فَشُفِيَ مِنْ مَرَضِهِ ذَلِكَ» . وَكَمْ لَهُ مِنْ مِثْلِهَا وَعَلَى مَسْلَكِهَا ; مِنْ إِبْرَاءِ آلَامٍ، وَإِزَالَةِ أَسْقَامٍ، مِمَّا يَطُولُ شَرْحُهُ وَبَسْطُهُ. وَقَدْ وَقَعَ فِي كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ إِبْرَاءُ الْأَعْمَى بَعْدَ الدُّعَاءِ عَلَيْهِ بِالْعَمَى أَيْضًا، كَمَا رَوَاهُ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ، أَنَّ امْرَأَةً خَبَّبَتْ عَلَيْهِ امْرَأَتَهُ، فَدَعَا عَلَيْهَا فَذَهَبَ بَصَرُهَا، فَأَتَتْهُ فَقَالَتْ: يَا أَبَا مُسْلِمٍ، إِنِّي كُنْتُ فَعَلْتُ وَفَعَلْتُ، وَإِنِّي لَا أَعُودُ لِمِثْلِهَا. فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَتْ صَادِقَةً فَارْدُدْ عَلَيْهَا بَصَرَهَا. فَأَبْصَرَتْ. وَرَوَاهُ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ وَاقَدٍ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَطَاءٍ قَالَ: كَانَ أَبُو مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ إِذَا دَخَلَ مَنْزِلَهُ سَلَّمَ فَإِذَا بَلَغَ وَسَطَ الدَّارِ كَبَّرَ وَكَبَّرَتِ امْرَأَتُهُ، فَإِذَا دَخَلَ الْبَيْتَ كَبَّرَ وَكَبَّرَتِ امْرَأَتُهُ. قَالَ: فَيَدْخُلُ فَيَنْزِعُ رِدَاءَهُ وَحِذَاءَهُ وَتَأْتِيهِ بِطَعَامٍ فَيَأْكُلُ، فَجَاءَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَكَبَّرَ فَلَمْ تُجِبْهُ، ثُمَّ جَاءَ إِلَى بَابِ الْبَيْتِ، فَكَبَّرَ وَسَلَّمَ فَلَمْ تُجِبْهُ، وَإِذَا الْبَيْتُ لَيْسَ فِيهِ سِرَاجٌ، وَإِذَا هِيَ جَالِسَةٌ بِيَدِهَا عُودٌ فِي الْأَرْضِ تَنْكُتُ بِهِ، فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫২৩২
لَهَا: مَا لَكِ؟ فَقَالَتِ: النَّاسُ بِخَيْرٍ وَأَنْتَ أَبُو مُسْلِمٍ، لَوْ أَتَيْتَ مُعَاوِيَةَ فَيَأْمُرُ لَنَا بِخَادِمٍ وَيُعْطِيكَ شَيْئًا تَعِيشُ بِهِ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ مَنْ أَفْسَدَ عَلَيَّ أَهْلِي فَأَعْمِ بَصَرَهُ. قَالَ: وَكَانَتْ أَتَتْهَا امْرَأَةٌ فَقَالَتْ: أَنْتِ امْرَأَةُ أَبِي مُسْلِمٍ، لَوْ كَلَّمْتِ زَوْجَكِ لِيُكَلِّمَ مُعَاوِيَةَ لِيَخْدِمَكُمْ وَيُعْطِيَكُمْ. قَالَ: فَبَيْنَمَا هَذِهِ الْمَرْأَةُ فِي مَنْزِلِهَا وَالسِّرَاجِ يُزْهِرُ، إِذْ أَنْكَرَتْ بَصَرَهَا، فَقَالَتْ: سِرَاجُكُمْ طُفِئَ؟ قَالُوا: لَا. قَالَتْ: إِنَّا لِلَّهِ، أُذْهِبَ بَصَرِي. فَأَقْبَلَتْ كَمَا هِيَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ، فَلَمْ تَزَلْ تُنَاشِدُهُ اللَّهَ وَتَطْلُبُ إِلَيْهِ، فَدَعَا اللَّهَ فَرَدَّ بَصَرَهَا، وَرَجَعَتِ امْرَأَتُهُ إِلَى حَالِهَا الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهَا. وَأَمَّا قِصَّةُ الْمَائِدَةِ الَّتِي قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِذْ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيعُ رَبُّكَ أَنْ يُنَزِّلَ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ قَالَ اتَّقُوا اللَّهَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ قَالُوا نُرِيدُ أَنْ نَأْكُلَ مِنْهَا وَتَطْمَئِنَّ قُلُوبُنَا وَنَعْلَمَ أَنْ قَدْ صَدَقْتَنَا وَنَكُونَ عَلَيْهَا مِنَ الشَّاهِدِينَ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ قَالَ اللَّهُ إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ فَمَنْ يَكْفُرْ بَعْدُ مِنْكُمْ فَإِنِّي أُعَذِّبُهُ عَذَابًا لَا أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِينَ} [المائدة: 112] [الْمَائِدَةِ: 112 - 115] . وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " بَسْطَ ذَلِكَ وَاخْتِلَافَ الْمُفَسِّرِينَ فِيهَا ; هَلْ نَزَلَتْ أَمْ لَا، عَلَى قَوْلَيْنِ،
পৃষ্ঠা - ৫২৩৩


বলেছেন ৷ তাফসীরে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি ৷ তিনি আবরাস অর্থাৎ কুষ্ঠ রোপীকেও
ভাল করে দিতেন ৷ এ ব্যাপারে বলা যায় যে, উহুদ যুদ্ধের সময় শত্রুর বর্শাঘাতে হযরত
কাতাদা ইবন নু’মানের চোখ গড়ালের উপর ঝুলে পড়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা স্ব-ন্থানে
পুনরায় স্থাপন করে দেন ৷ রাসুলের পবিত্র হাতের স্পর্শে চক্ষু ও তার দর্শন শক্তি পুর্বাপেক্ষা বৃদ্ধি
পায় ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ও অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ এটা উল্লেখ করেছেন ৷ কাতাদা ইবন
নুমানের পৌত্র আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা হযরত উমর ইবন আবদুল আযীয়ের নিকট
গেলে তিনি তার পরিচয় জিজ্ঞেস করেন ৷ উত্তরে আসিম নিম্নের কবিতাটি পড়েন :

ড্,৷ ৷ ৷ ৷এ্া
আমি সেই ব্যক্তির সন্তান, যার ঢেহারার উপরে ঝুলে পড়েছিল তার চোখ ৷ পরে মুহাম্মদ
মুসতাফার হাতে তা সুন্দরভাবে পুনঃস্থাপিত হয় ৷ ফলে তার চোখ পুর্বে যে অবস্থায় ছিল যে
অবস্থায় পুনরায় চলে আসে, কতনা সুন্দর সে চোখ এবং কতনা সুন্দর সে পাল!
উত্তরে উমর ইবন আবদুল আযীয বলেন :
১া
সেই মর্যাদা ও ঐতিহ্য এমন একটি দুধের পেয়ালা, যার সাথে পানি মিশ্রিত হয়ে পরে
পেশাবে পরিণত হয়েছে ৷
অতঃপর উমর ইবন আবদুল আযীয তাকে বহু উপচৌকন প্রদান করেন ৷ দারা কুতনী

বলেছেন, তার উভয় চােখই বের হয়েছিল এবং তা স্ব-স্থানে পুনঃস্থাপিত হয়েছিল ৷ তবে প্রথম
বর্ণনইি সঠিক ৷ ইবন ইসহাকও এ কথইি লিখেছেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দৃআয় এক অন্ধের দৃষ্টি লাতের ঘটনা

ইমাম আহমদ রাওহও উসমান ইবন উমর উসমান ইবন হানীফ থেকে বর্ণনা
করেন, এক অন্ধ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আল্লাহ্র নিকট
আমার জন্যে দুআ করুন, তিনি যেন আমাকে নিরাময় করে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
তুমি যদি চাও, তবে এ ব্যাপারে বিলম্ব কর, তাহলে আখিরাতে তোমার জন্যে এটা কল্যাণকর
হবে; আর যদি চাও তাহলে আমি দুআ করব ৷ অন্ধটি বলল, বরং আমার জন্যে আল্লাহর নিকট
দৃআই করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে উয়ু কর, দৃরাকআত নামায পড়তে এবং এ দুআটি
পড়তে বললেন :
গোা
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট যাঞা করছি, আপনার রহমতের নবী মুহাম্মদ (না)-এর
মাধ্যমে আপনার নিকট আবেদন করছি, আমার এ প্রয়োজনটুকু পুরণ করে দিন ৷


وَالْمَشْهُورُ عَنِ الْجُمْهُورِ أَنَّهَا نَزَلَتْ، وَاخْتُلِفَ فِيمَا كَانَ عَلَيْهَا مِنَ الطَّعَامِ عَلَى أَقْوَالِ، وَذَكَرَ أَهْلُ التَّارِيخِ أَنَّ مُوسَى بْنَ نُصَيْرٍ الَّذِي فَتَحَ الْبِلَادَ الْمَغْرِبِيَّةَ أَيَّامَ بَنِي أُمَيَّةَ وَجَدَ الْمَائِدَةَ، وَلَكِنْ قِيلَ: إِنَّهَا مَائِدَةُ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ مُرَصَّعَةٌ بِالْجَوَاهِرِ، وَهِيَ مِنْ ذَهَبٍ، فَأَرْسَلَ بِهَا إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَكَانَتْ عِنْدَهُ حَتَّى مَاتَ، فَتَسَلَّمَهَا أَخُوهُ سُلَيْمَانُ. وَقِيلَ: إِنَّهَا مَائِدَةُ عِيسَى. لَكِنْ يَبْعُدُ هَذَا أَنَّ النَّصَارَى لَا يَعْرِفُونَ الْمَائِدَةَ، كَمَا قَالَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْمَائِدَةَ سَوَاءٌ كَانَتْ قَدْ نَزَلَتْ أَمْ لَمْ تَنْزِلْ، فَقَدْ كَانَتْ مَوَائِدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُمَدُّ مِنَ السَّمَاءِ، وَكَانُوا يَسْمَعُونَ تَسْبِيحَ الطَّعَامِ وَهُوَ يُؤْكَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَمْ قَدْ أَشْبَعَ مِنْ طَعَامٍ يَسِيرٍ أُلُوفًا وَمِئَاتٍ وَعَشَرَاتٍ بَعْدَ عَشَرَاتٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ مَا تَعَاقَبَتِ الْأَوْقَاتُ، وَمَا دَامَتِ الْأَرْضُ وَالسَّمَاوَاتُ. هَذَا أَبُو مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ قَدْ ذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَتِهِ مِنْ " تَارِيخِهِ " أَمْرًا عَجِيبًا وَشَأْنًا غَرِيبًا، حَيْثُ رُوِيَ مِنْ طَرِيقِ إِسْحَاقَ بْنِ نَجِيحٍ الْمَلْطِيِّ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ قَالَ: أَتَى أَبَا مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيَّ نَفَرٌ مِنْ قَوْمِهِ فَقَالُوا: يَا أَبَا مُسْلِمٍ، أَمَا