আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم عن مالك بن أنس الإمام
পৃষ্ঠা - ৫১২১



নুআয়ম ইবন হাম্মাদ কাব থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : আল্লাহ্ ইসমাঈল
(আ) এর বংশে বারজন কাইয়িম দান করেছেন ৷ তন্মধ্যে আবু বকর, উমর ও উছমান শ্রেষ্ঠ :
ণ্এ৷ ৷ ;, ৷
ড্রুএে;;, নুআয়ম ইয়াহ্ইয়া ইবন আমর আশ-শায়বানীর উক্তি বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি ,
বলেন, খলীফাদের মধ্যে এমন বেইি নেই, যিনি মসজিদদ্বয় অর্থাৎ মসজিদে হারাম ও মসজিদে
আক্সা (বায়তুল মুকাদ্দাস) এর কর্তৃত্ব লাভ করেননি ৷

আব্বাসীয় বংশের শাসনামলের কতিপয় বিষয় সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

আব্বাসীয় বংশের প্রথম খলীফা (আবুল আব্বাস) আসসাফ্ফাহ্ ৷ তার মৃত্যুর পর তার
ভাই আবু জাফর আল-মনসুর খিলাফতে অধিষ্ঠিত হন ৷ তিনি হিঃ ১ : ৫ সনে বাগদাদ নগরী
প্রতিষ্ঠা করেন ৷ নুআয়ম ইবন হাম্মাদ তার গ্রন্থে মুগীরা সুত্রে আবু জাফর থেকে বর্ণনা
করেছেন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসের নিকট হুযায়ফা (বা) বসা ছিলেন ৷ এমন সময় জনৈক
ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, হে ইবন আব্বাস ! পবিত্র কুরআনের
হা-যীম-আইন-সীন-কাফ (প্রু;;;;) নাযিল হওয়ার পটভুমি কি? ইবন আব্বাস কিছুক্ষণ
মাথা নত করে তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রইলেন ৷ ঐ ব্যক্তি কয়েকবার একই কথা জিজ্ঞেস
করল; কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না ৷ হুযায়ফা বলেন, আমি বুঝতে পারলাম, যে কেন
বারবার এ কথা ইবন আব্বাসের নিকট জিজ্ঞেস করছে ৷ সুতরাং তাকে বললাম, এর উত্তর
আমিই দিচ্ছি ৷ তারপর তিনি বলেন, এটি ইবন আব্বাসের পরিবারের এক জনের সম্পর্কে
নাযিল হয়েছে, তার নাম আব্দুহৃন্৷ ইলাহ বা আবদুল্লাহ ৷ সে পুর্বাঞ্চলের এক নদীর তীরে অবস্থান
করবে ৷ ঐ নদীর দুই তীরে সে দু’টি শহর নির্মাণ করবে ৷ এটা হবে অহং কারী ও যালিম
বাদশাদের রাজধানী ৷

আবুল কাসিম তাবারানী ,সালিহ ইবন আলী সুত্রে৩ তীর দাদা থেকে বর্ণনা করেন ৷ নবী
করীম (সা) বলেছেন, একশ’ চুয়ান্ন (১৫৪) সনের পরে অবস্থা এমন দাড়াবে যে, তখন নিজের
ঔরসজাত সম্ভানকে লালন-পালন করার চেয়ে একটি কুকুরের বাচ্চাকে লালন-পালন করা
অধিকতর কল্যাণকর হবে ৷ আমাদের শায়খ সাহাবী এ বর্ণনাকে মাওঘু বলেছেন, আবদুল্লাহ্
ইবন সড়াম্তকে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত করা হয়েছে ৷ বুখারীর উস্তাদ নুআয়ম ইবন হামমাদ তার
গ্রন্থ আল ফিতান ওয়াল মালাহিম ৷ আবু আমর বসরী কাবের উক্তি বর্ণনা করেছেন, একশ
ষাট হিজরী পুর্ণ হলে পুর্ণ ধৈর্যশীল লোকদের ধৈর্য ও জ্ঞানীদের জ্ঞান-বিবেকহ্রাস পাবে ৷

ইমাম মালিক ইবন আনাসের প্রতি ইঙ্গিতপুর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী

তিরমিযী ইবন উয়ায়নড়া সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
শীঘ্রই এমন একটি সময় আসছে, যখন মানুষ দীনের ইল্ম অম্বেষণে উটে আরোহণ করে
দুর দুরাম্ভ পথ অতিক্রম করবে ৷ তখন মদীনায় অবস্থুড়ানরত জনৈক আলিমের চেয়ে অধিক
ইলমের অধিকারী তারা অন্য কাউকে পাবে না ৷ অতঃপর ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি
হাসান এবং ঐ আলিম ব্যক্তি হচ্ছেন মালিক ইবন আনাস ৷ আবদুর রায্যাকও অনুরুপ অভিমত
ব্যাক্ত করেছেন ৷ ইমাম মালিক (র) একশ’ উনাশি (১৭৯) সনে ইন্তিকাল করেন ৷


وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ نَجْدَةَ الْحَوْطِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ السِّمْطِ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَلِيٍّ الْهَاشِمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لِأَنْ يُرَبِّيَ أَحَدُكُمْ بَعْدَ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ جَرْوَ كَلْبٍ، خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يُرَبِّيَ وَلَدًا لِصُلْبِهِ» قَالَ شَيْخُنَا الذَّهَبِيُّ: هَذَا الْحَدِيثُ مَوْضُوعٌ. وَاتُّهِمَ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ السِّمْطِ هَذَا. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ الْخُزَاعِيُّ شَيْخُ الْبُخَارِيِّ فِي كِتَابِهِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ": حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ الْبَصْرِيُّ، عَنْ أَبِي بَيَانَ الْمَعَافِرَيِّ، عَنْ تُبَيْعٍ، عَنْ كَعْبٍ قَالَ: إِذَا كَانَتْ سَنَةُ سِتِّينَ وَمِائَةٍ انْتَقَصَ فِيهَا حِلْمُ ذَوِي الْأَحْلَامِ، وَرَأْيُ ذَوِي الرَّأْيِ. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ الْإِمَامِ] حَدِيثٌ آخَرُ فِيهِ إِشَارَةٌ إِلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ الْإِمَامِ، رَحِمَهُ اللَّهُ رَوَى التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رِوَايَةً: «يُوشِكُ أَنْ يَضْرِبَ النَّاسُ أَكْبَادَ الْإِبِلِ يَطْلُبُونَ الْعِلْمَ، فَلَا يَجِدُونَ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنْ عَالِمِ الْمَدِينَةِ» ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ، وَهُوَ حَدِيثُ ابْنِ عُيَيْنَةَ، وَقَدْ رَوَى عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: هُوَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ. وَكَذَا قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ.