আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم عن الأئمة الاثني عشر
পৃষ্ঠা - ৫১১৩

অতঃপর বাওয়াযীজ ও কালওয়াযীর অধিবাসীরা খালিদের সহিত সন্ধি করে ৷ কিছুদিন পর
আম্বারবাসীদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিলে তারা ও তৎপার্শ্বসহ লোকজন সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করে ৷
বাওয়াযীজ ও বানকিয়া ব্যতীত আর সকলেই সন্ধি থেকে বেরিয়ে আসে ৷ সায়ফ সুত্রে
হাবীব বলেন, এ ঘটনার পুর্বে বানু সালুবা অর্থাৎ হীরাবাসী, কালুসী এবং ফুরাতের কতিপয়
জনপদ ব্যতীত অন্য কারও সাথে কৃষ্ণকায় লোকদের কোন চুক্তি ছিল না ৷ তারা চুক্তি ভঙ্গ
করে এবং পুনরায় চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার জন্য তাদেরকে আহ্বান জানান হয় ৷ সায়ফ বর্ণনা
করেন, মুহাম্মদ ইবন কায়স শাবীকে জিজ্ঞেস করেন, কয়েকটি দুর্গ ব্যতীত সমস্ত সওয়াদ
এলাকা কিশ্ ৷ক্তি প্রয়োগে বিজিত হয়েছিল ৭ শা বী বললেন, কেউ সন্ধি করে এবং কেউ বিজিত
হয়ে ৷ সুহ্াম্মদ্ ইবন কায়স জিজ্ঞেস করেন, যুদ্ধের পুর্বেও এরা (সওয়াদবাসীরা) কি যিন্নী ছিল?
তিনি বললেন, না; বরং তাদেরকে খারাজ প্রদানের আহ্বান জানান হলে তারা তাতে রাজী হয়

ৎএ সুত্রেই যিঘী হয় ৷

নৃ আয়ম ইবন হাম্মাদ নুফায় ইবন আমির থেকে বর্ণনা করেন, সাফ্ফাহ্ চল্লিশ বছর
বেচে থাকবেন ৷ তাওরাতে তার নাম বলা হয়েছে তাইরুস্ সামা (আকাশের পাখি) ৷ আমার
মতে, এসব গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যসমুহ মাহ্দীরও হবে৷ যিনি শেষ যুগে আত্মপ্রকাশ করবেনা
সাফ্ফাহ্ এ অর্থে যে, ইনৃসাফ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি অকাতরে রক্তপাত ঘটড়াবেন ৷
হাদীসে যে কাল পতাকার উল্লেখ হয়েছে তা মাহ্দীরই পতাকা ৷ তার বায়আত সর্বপ্রথম
মক্কাতে প্রকাশ পাবে ৷ তারপরে খুরাসানের লোক তার সাহায্যকারী হবে ৷ যেমনটি হয়েছিল
আব্বাসীয় সাফ্ফাহর ক্ষেত্রে ৷ এসব ব্যাখ্যা নির্ভর করে এ ব্যাপারে উল্লেখিত হাদীসসমুহ সহীহ্
হওয়ার উপরে ৷ কারণ, এর মধ্যে এমন একটি হাদীসও নেই যার সনদ ক্রটিমুক্ত নয় ৷ এ
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

কুৰায়শী বার ইমাম সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

বার খলীফা বলতে রাফিযীন্ সম্প্রদায়ের দাবিকৃত বার, ইমাম নয় ৷ কেননা, তাদের ধারণা
মতে যারা বার ইমাম, তাদের মধ্যে কেবল হযরত আলী ও তার পুত্র হযরত হাসান ব্যতীত
অন্য কেউ শাসন ক্ষম৩া য় অধিষ্ঠিত ছিলেন না ৷ তাদের মতে, বার ইমামের সর্বশেষ ইমাম
সারদাবে সামিরায় অবস্থিত প্রতীক্ষিত মাহ্দী ৷ অথচ না তার কোন অস্তিত্ব আছে, না আছে
তার কোন নিদর্শন ৷ বরং তারা হচ্ছেন সেই বার ইমাম যাদের সম্বন্ধে হাদীসে ভবিষ্যদ্বাণী করা
হয়েছে ৷ তার চারজন হচ্ছেন হযরত আবু বকর (রা), উমর (রা), উছমান (রা) ও আলী
(বা) ৷ বার ইমাম সম্পর্কে আহ্লি সুন্নাত ওয়াল জামাআতের দুটি ব্যাখ্যা আছে ৷ উভয়
ব্যাখ্যাদাতাদের মতে হযরত উমর ইবন আবদুল অড়াযীয উক্ত বারজনের অন্তর্ভুক্ত ৷

বুখারী শরীফে শুবা সুত্রে এবং মুসলিম শরীফে সৃফ্ইয়ানইবন উয়ায়না সুত্রে জাবির
ইবন সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, বারজন
’খলীফা হবেন ৷ এরপর তিনি আরও একটি কথা বলেছেন ৷ কিন্তু তা আমি শুনতে পাইনি ৷
আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞেস করলাম, নবী করীম (সা) কী বললেন ? তিনি বললেন,
নবী করীম (সা) বলেছেন যে, তারা সবাই কুরায়শ বংশের হবেন ৷ কিতাবুল ফিতান ওয়ান মা
লাহিনে’ আবু নৃআয়ম ঈসা ইবন ইউনুস আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত


عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَمْرٍو الْمَعَافِرَيِّ، عَنْ تَدُومَ الْحِمْيَرِيِّ سَمِعَ تُبَيْعَ بْنَ عَامِرٍ يَقُولُ: يَعِيشُ السَّفَّاحُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، اسْمُهُ فِي التَّوْرَاةِ طَائِرُ السَّمَاءِ. قُلْتُ: وَقَدْ تَكُونُ صِفَةً لِلْمَهْدِيِّ الَّذِي يَظْهَرُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ; لِكَثْرَةِ مَا يَسْفَحُ - أَيْ يُرِيقُ - مِنَ الدِّمَاءِ لِإِقَامَةِ الْعَدْلِ، وَنَشْرِ الْقِسْطِ، وَتَكُونُ الرَّايَاتُ السُّودُ الْمَذْكُورَةُ فِي هَذِهِ الْأَحَادِيثِ، إِنْ صَحَّتْ، هِيَ الَّتِي تَكُونُ مَعَ الْمَهْدِيِّ، وَيَكُونُ أَوَّلُ ظُهُورِ بَيْعَتِهِ بِمَكَّةَ، ثُمَّ تَكُونُ أَنْصَارُهُ مِنْ خُرَاسَانَ كَمَا وَقَعَ قَدِيمًا لِلسَّفَّاحِ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. هَذَا كُلُّهُ تَفْرِيعٌ عَلَى صِحَّةِ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ، وَإِلَّا فَلَا يَخْلُو سَنَدٌ مِنْهَا عَنْ كَلَامٍ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْأَئِمَّةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ] ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنِ الْأَئِمَّةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ الَّذِينَ كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ وَلَيْسُوا بِالِاثْنَيْ عَشَرَ الَّذِينَ يَدَّعُونَ إِمَامَتَهُمُ الرَّافِضَةُ; فَإِنَّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يَزْعُمُونَ لَمْ يَلِ أُمُورَ النَّاسِ مِنْهُمْ إِلَّا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَابْنُهُ الْحَسَنُ، وَآخِرُهُمْ، فِي زَعْمِهِمْ، الْمَهْدِيُّ الْمُنْتَظَرُ، فِي زَعْمِهِمْ، بِسِرْدَابِ سَامَرَّاءَ وَلَيْسَ لَهُ وُجُودٌ، وَلَا عَيْنٌ، وَلَا أَثَرٌ، بَلْ هَؤُلَاءِ مِنَ الْأَئِمَّةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ الْمُخْبَرِ عَنْهُمْ فِي الْحَدِيثِ، الْأَئِمَّةُ الْأَرْبَعَةُ، أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَمِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بِلَا خِلَافٍ بَيْنِ الْأَئِمَّةِ عَلَى كِلَا الْقَوْلَيْنِ لِأَهْلِ السُّنَّةِ فِي تَفْسِيرِ الِاثْنَيْ
পৃষ্ঠা - ৫১১৪


হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আমার পরে কতিপয় খলীফা হবে ৷ তাদের
ত্খ্যা হযরত মুসা

আল
আহবার (রা) থেকেও অনুরুপ হাদীস বর্ণিত আছে ৷

আবু দাউদ আমর ইবন উছমান জাবির ইবন সামুরা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে বলতে শুনেছি, বারজন খলীফা বা আমীরেৱ শাসনকালে
ইসলামী জীবন বিধান ও কুরআনী সমাজ ব্যবস্থা অক্ষুগ্ন থাকবে ৷ ঐ বারজনের প্রত্যেকের
উপরই সমস্ত উম্মতের আস্থা থাকবে ৷ এ সাথে আরও একটি কথা তিনি বলেছেন, আমি শুনেছি
কিন্তু বুঝতৈ পারিনি ৷ সুতরাং আমার পিতার নিকট জিজ্ঞেস করলাম, নবী করীম (সা) সে
কথাটি কী বলেছেন ? তিনি জানান যে, নবী করীম (সা) বল্যেছন, তারা সবাই কুরায়শী
হবেন ৷ ইবন নুফায়ল সুত্রে জাবির ইবন সামুরা থেকে আবু দাউদ আরও বর্ণনা করেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, বারজন খলীফার খিলাফতকাল পর্যন্ত মুসলমানদের রাজনৈতিক শক্তি
অক্ষুপ্ন থাকবে এর তারা শত্রুদের উপর জয়ী থাকবে ৷ ঐ খলীফাগণ সকলেই হবেন কুরায়শ
বংশের : ১া
,ভু )হৃ ;প্রু ণ্াব্লু দ্ভব্লু ান্ ,র্দু; অতঃপর তিনি বাড়ি ফিরে এলে কুরায়শগণ তার নিকট এসে
জিজ্ঞেস করলেন যে , এরপর অবস্থা কী হবে ? তিনি বললেন, এরপর অরাজ্বকরতা ও বিশৃৎখলা
আরম্ভ হবে : ৰু ,ৰুপু ৷ ;,,§§ ণ্; বায়হাকী বলেন, প্রথম হাদীসে (ইমামদের) সংখ্যার কথা বলা
হয়েছে, দ্বিতীয় হাদীসে সংখ্যার তাৎপর্য বর্ণিত হয়েছে এবং তৃতীয় হাদীসে হারাজ অর্থাৎ
পররভীকািলের হতড়াড়াকান্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে৷ এই সংখ্যা (বার ইমাম) উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যসহ
ওলীদ ইবন ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের সময়্ পর্যন্ত পাওয়া যায় ৷ অতঃপর হাদীসের বর্ণনা
অনুযায়ী বিশৃত্খলা ও নৃশংসতা প্রকাশ পায় ৷ তারপর আব্বাসীয় বংশের উত্থান ঘটে ৷ তবে যারা
উক্ত সংখ্যাকে আরও অতিরিক্ত বলে বর্ণনা করেন তারা হয় ইমামদের বৈশিষ্ট্যারলী শিথিল ,,
করেছেন নতুবা নৃশংসতা কালের পরবর্তী সময়ের কোন কোন খলীফাকে এর অন্তর্ভুক্ত
রেখেছেন ৷

আসিম সুত্রে ইবন উমর থেকে রপ্টি, নবী করীম (সা) বলেছেন দুজন লোক
জীবিত থাকলেও শাসন কর্তৃত্ব কুরায়শদের হাতেই থাকবে : ১া
গ্লু,া;ও ৷ ,এে ৷ ;) স্ৰুশুট্ট^ বুখারী যুহরী সুত্রে মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রা) থেকে
বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কুরায়শরা যতদিন দীন প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত
থাকবে রাষ্টীয় ক্ষমতা ততদিন তাদের হাংজী থাকবে, যে কেউ তা দর সাথে শত্রুতা করবে,
আল্লাহ্ তাদের লাঞ্ছিত করবেন : ,ষ্১৷ ৷ ;, ৷
;ৰু এ ৷ ৷ স্পোা ৷ ৷ @ ধ্ধ্ , ৷ রায়হড়াকী এর ব্যাখ্যার বলেন, দীন প্রতিষ্ঠার অর্থ হল দীনের
গুরুত্বপুর্ণ বিধান ও নিদর্শনড়াদিকে প্রতিষ্ঠিত রাখা; যদিও তাদের ব্যক্তিগত কাজকর্ম ক্রটিপুর্ণ
থাকে ৷ চুে৷ অতঃপর তিনি এ
প্রসন্সের আরও হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷

— : ৭


عَشَرَ كَمَا سَنَذْكُرُهُ بَعْدَ إِيرَادِ الْحَدِيثِ. ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَ " مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَكُونُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً ". ثُمَّ قَالَ كَلِمَةً لَمْ أسْمَعْهَا فَقُلْتُ لِأَبِي: مَا قَالَ؟ قَالَ: قَالَ: " كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي كِتَابِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ": حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَكُونُ بَعْدِي مِنَ الْخُلَفَاءِ عِدَّةُ أَصْحَابِ مُوسَى» وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَحُذَيْفَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَكَعْبِ الْأَحْبَارِ مِنْ قَوْلِهِمْ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ «سَمِعْتُ: رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَا يَزَالُ هَذَا الدِّينُ قَائِمًا حَتَّى يَكُونَ عَلَيْهِمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً - أَوْ: أَمِيرًا - كُلُّهُمْ تَجْتَمِعُ عَلَيْهِمُ الْأُمَّةُ» وَسَمِعْتُ كَلَامًا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ أَفْهَمْهُ، فَقُلْتُ لِأَبِي: مَا يَقُولُ؟ قَالَ: يَقُولُ: " كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ ".
পৃষ্ঠা - ৫১১৫
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا ابْنُ نُفَيْلٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، حَدَّثَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَزَالُ هَذِهِ الْأُمَّةُ مُسْتَقِيمًا أَمْرُهَا، ظَاهِرَةً عَلَى عَدْوِهَا، حَتَّى يَمْضِيَ مِنْهُمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً، كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» قَالَ: فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى مَنْزِلِهِ أَتَتْهُ قُرَيْشٌ فَقَالُوا: ثُمَّ يَكُونُ مَاذَا؟ قَالَ: " «ثُمَّ يَكُونُ الْهَرْجُ» ". قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَفِي الرِّوَايَةِ الْأُولَى بَيَانُ الْعَدَدِ، وَفِي الثَّانِيَةِ بَيَانُ الْمُرَادِ بِالْعَدَدِ، وَفِي الثَّالِثَةِ بَيَانُ وُقُوعِ الْهَرْجِ وَهُوَ الْقَتْلُ بَعْدَهُمْ، وَقَدْ وُجِدَ هَذَا الْعَدَدُ بِالصِّفَةِ الْمَذْكُورَةِ إِلَى وَقْتِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، ثُمَّ وَقَعَ الْهَرْجُ وَالْفِتْنَةُ الْعَظِيمَةُ، كَمَا أَخْبَرَ فِي هَذِهِ الرِّوَايَةِ، ثُمَّ ظَهَرَ مُلْكُ الْعَبَّاسِيَّةِ، كَمَا أَشَارَ إِلَيْهِ فِي الْبَابِ قَبْلَهُ، وَإِنَّمَا يَزِيدُونَ عَلَى الْعَدَدِ الْمَذْكُورِ فِي الْخَبَرِ إِذَا تُرِكَتِ الصِّفَةُ الْمَذْكُورَةُ فِيهِ، أَوْ عُدَّ مَعَهُمْ مَنْ كَانَ بَعْدَ الْهَرْجِ الْمَذْكُورِ فِيهِ، وَقَدْ «قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ فِي قُرَيْشٍ مَا بَقِيَ مِنَ النَّاسِ اثْنَانِ» ". ثُمَّ سَاقَهُ مِنْ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَهُ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫১১৬

বায়হাকী ও তার সমর্থনকারী একটি দলের এই মত যে, উল্লেখিত ৰুবার জন খলীফা
ধারাবাহিকভাবে এসেছেন এবং ওলীদ ইবনইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক পর্যন্ত এসে শেষ
হয়েছে ৷ ওলীদ যে একজন ফাসিক ও অভিশপ্ত খলীফ৷ ছিল সে সম্পর্কে হাদীস ইতিপুর্বে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ কিন্তু এই মত সংশয়মুক্ত নয় ৷ কেননা, যেকোন দিক থেকে হিসাব করা হোক না
কেন ওলীদ ইবন ইয়াষীদ পর্যন্ত খলীফাদের সংখ্যা বার থেকে অধিক হয় ৷ কারণ প্রথম চার
খলীফা ১ আবু বকর (বা), ২ উমর (রা), ৩ উছমান (রা) ও : আলী (রা)এর খিলাফত
সাফীনা বর্ণিত সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত-আমার পরে ত্রিশ বছর ধিলাফত চলবে : ২১া১৷ ৷
দু ;,প্রু দ্াও ৰু ণ্া এদের পরে খলীফ৷ হল ৫ হাসান ইবন আলী ৷ হযরত আলী তার পক্ষে
ওসীয়ত করে যান ৷ ইরাকবাসীরা তার নিকট বায়আত গ্রহণ করে এবং তার সাথে
সিরিয়াবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ৷ অতঃপর হাসান ও মুআবিয়ার মধ্যে সমঝোতার চুক্তি
স্বাক্ষরিত হয় ৷ বুখারী শরীফে আবু বাকরার হাদীসে এরুপই বর্ণিত হয়েছে ৷ তারপর যথাক্রমে
৬ মুআবিয়া, ৭ তার পুত্র ইয়াষীদ, ৮ ইয়াষীদের পুত্র মুআবিয়া, ৯ মারওয়ান ইবন
হাকাম, ১০ তার পুত্র আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান, ১ ১ তার পুত্র ওলীদ ইবন আবদুল
মালিক, ১ ২ সুলায়মান ইবন আবদুল মাসিক, ১৩ উমর ইবন আবদুল আযীয, ১৪ ইয়াষীদ
ইবন আবদুল মাসিক, ১৫ হিশাম ইবন আবদুল মালিক এ পনের জনের পর ১৬ ওলীদ ইবন
ইয়াষীদ ইবন আবদুল মালিক ৷ আবদুল মালিকের পুর্বে হযরত যুবায়রের খিলাফত ধ রা হলে
খলীফার সং খ্যা হয় ষোল ৷ যে কোন দিক থেকে হিসাব ধরা হোক না কেন উমর ইবন আবদুল
আযীযের পুর্বেই বারজনের সং খ্যা পুর্ণ হয়ে যায় ৷ এ হিসাব মতে মু আবিয়াব পুত্র ইয়াষীদ উক্ত
বার জনের মধ্যে গণ্য হয় এবং উমর ইবন আবদুল আযীয বারজনের বাইরে থেকে যান ৷ অথচ
সমস্ত ইমাম ও ঐতিহ্াসিকগণ উমর ইবন আবদুল আযীযের উচ্চুন্সিত প্রশংসা করেছেন এবং
তাকে খুলাফায়ে রাশিদীনের মধে গণ্য করেছেন ৷ দলমত নির্বিশেষে সকলেই তার শাসনকালকে
ন্যায় ও ইনসাফের কাল বলে অভিহিত করেছেন ৷ এমনকি চরমপন্থী রাফিযী সম্প্রদায়ও সে
কথা স্বীকার করে নিয়েছে ৷

বায়হাকী যদি বলেন, উক্ত বারজনের মধ্যে আমি কেবল তাদেরকেই গণ্য করেছি যাদের
খিলাফতের উপর সে সময়ের সকল মুসলমান ঐক্যবদ্ধ ছিল ৷ কিত্তু তখন প্রশ্ন থাকবে যে, তা
হলে হযরত আলী ও তার পুত্র হাসান উক্ত বারজনের মধ্যে গণ্য হবেন না ৷ কারণ তাদের
খিলাফতকে গোটা উম্মত মেনে ণ্নয়নি ৷ যেমন সিরিয়ার কোন লোকই এ দু জনের মধ্যে
কারোরই যায় তাতে গ্রহণ করেননি ৷

রাবী হাবীব বার ইমামদের মধ্যে যুআবিয়া, ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়া এবং যুআবিয়া ইবন
ইয়াযীদকে গণনা করেছেন এবং মারওয়ান ও ইবন যুবায়রের আমল হিসেব থেকে বাদ
রেখেছেন ৷ কারণ, তাদের দুজনের কারো প্রতিই সমস্ত উম্মতের আনুগত্য ছিল না ৷ সুতরাং
হাবীবের মতে ণলীফাগণ হচ্ছেন-আবু বকর, উছমড়ান, ঘুআবিয়া, ইয়াষীদ ইবন মুআৰিয়া,
আবদুল মালিক, ওলীদ ইবনসুলায়মান, উমর ইবন আবদুল আযীয, ইয়াষীদ ও হিশাম ৷ এই
দশজনের পরে ওলীদ ইবন ইয়াষীদ ইবন আবদুল মালিক আল-ফাসিক ৷ বিন্দু এ গণনা গ্রহণ
করাও সম্ভব নয় ৷ কেননা,এতে উক্ত বারজনের মধ্যে হযরত আলী ও তার পুত্র হাসান অন্তর্ভুক্ত
হয় না ৷ অথচ আহলি সুন্নাতের সমস্ত ইমাম, এমনকি শীআ সম্প্রদায়ও তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত


مُطْعِمٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ فِي قُرَيْشٍ، لَا يُعَادِيهِمْ أَحَدٌ إِلَّا كَبَّهُ اللَّهُ عَلَى وَجْهِهِ مَا أَقَامُوا الدِّينَ» ". قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَيْ أَقَامُوا مَعَالِمَهُ، وَإِنْ قَصَّرُوا هُمْ فِي أَعْمَالِ أَنْفُسِهِمْ. ثُمَّ سَاقَ أَحَادِيثَ تَقْتَضِي مَا ذَكَرَهُ فِي هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَهَذَا الَّذِي سَلَكَهُ الْبَيْهَقِيُّ وَقَدْ وَافَقَهُ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَنَّ الْمُرَادَ بِالْخُلَفَاءِ الِاثْنَيْ عَشَرَ الْمَذْكُورِينَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ هُمُ الْمُتَتَابِعُونَ إِلَى زَمَنِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ الْفَاسِقِ، الَّذِي قَدَّمْنَا الْحَدِيثَ فِيهِ بِالذَّمِّ وَالْوَعِيدِ، فَإِنَّهُ مَسْلَكٌ فِيهِ نَظَرٌ; وَبَيَانُ ذَلِكَ أَنَّ الْخُلَفَاءَ إِلَى زَمَنِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ هَذَا أَكْثَرُ مِنَ اثْنَيْ عَشَرَ عَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ نَفْرِضُهُ، وَبُرْهَانُهُ أَنَّ الْخُلَفَاءَ الْأَرْبَعَةَ; أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيُّ، خِلَافَتُهُمْ مُحَقَّقَةٌ بِنَصِّ حَدِيثِ سَفِينَةَ: " «الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً» ". ثُمَّ بَعْدَهُمُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، كَمَا وَقَعَ، لِأَنَّ عَلِيًّا أَوْصَى إِلَيْهِ، وَبَايَعَهُ أَهْلُ الْعِرَاقِ، وَرَكِبَ وَرَكِبُوا مَعَهُ لِقِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ حَتَّى اصْطَلَحَ هُوَ وَمُعَاوِيَةُ وَسَلَّمَهَا إِلَيْهِ، كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ حَدِيثُ أَبِي بَكْرَةَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، ثُمَّ مُعَاوِيَةُ، ثُمَّ ابْنُهُ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، ثُمَّ ابْنُهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ، ثُمَّ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، ثُمَّ ابْنُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، ثُمَّ ابْنُهُ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، ثُمَّ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلَكِ، ثُمَّ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، ثُمَّ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلَكِ، ثُمَّ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلَكِ، فَهَؤُلَاءِ خَمْسَةَ عَشَرَ، ثُمَّ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫১১৭
عَبْدِ الْمَلِكِ، فَإِنِ اعْتَبَرْنَا وِلَايَةَ ابْنِ الزُّبَيْرِ قَبْلَ عَبْدِ الْمَلِكِ صَارُوا سِتَّةَ عَشَرَ، وَعَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ فَهُمُ اثْنَا عَشَرَ قَبْلَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَهَذَا الَّذِي سَلَكَهُ عَلَى هَذَا التَّقْدِيرِ يُدْخِلُ فِي الِاثْنَيْ عَشَرَ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ، وَيُخْرِجُ مِنْهُمْ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، الَّذِي أَطْبَقَ الْأَئِمَّةُ عَلَى شُكْرِهِ وَعَلَى مَدْحِهِ، وَعَدُّوهُ مِنَ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ، وَأَجْمَعَ النَّاسُ قَاطِبَةً عَلَى عَدْلِهِ، وَأَنَّ أَيَّامَهُ كَانَتْ مِنْ أَعْدَلِ الْأَيَّامِ، حَتَّى إِنَّ الرَّافِضَةَ يَعْتَرِفُونَ بِذَلِكَ، فَإِنْ قَالَ: أَنَا لَا أَعْتَبِرُ فِي هَذَا إِلَّا مَنِ اجْتَمَعَتِ الْأُمَّةُ عَلَيْهِ. لَزِمَهُ عَلَى هَذَا الْقَوْلِ أَنْ لَا يَعُدَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَلَا ابْنَهُ; لِأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَجْتَمِعُوا عَلَيْهِمَا ; وَذَلِكَ أَنَّ أَهْلَ الشَّامِ بِكَمَالِهِمْ لَمْ يُبَايِعُوهُمَا، وَعَدَّ حِينَئِذٍ مُعَاوِيَةَ وَابْنَهُ يَزِيدَ وَابْنَ ابْنِهِ مُعَاوِيَةَ بْنَ يَزِيدَ، وَلَمْ يَعْتَدَّ بِأَيَّامِ مَرْوَانَ وَلَا ابْنِ الزُّبَيْرِ; لِأَنَّ الْأُمَّةَ لَمْ تَجْتَمِعْ عَلَى وَاحِدٍ مِنْهُمَا، فَعَلَى هَذَا نَقُولُ فِي مَسْلَكِهِ هَذَا عَادًّا لِلْخُلَفَاءِ; أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ عُمَرُ ثُمَّ عُثْمَانُ ثُمَّ مُعَاوِيَةُ ثُمَّ يَزِيدُ ثُمَّ مُعَاوِيَةُ ثُمَّ عَبْدُ الْمَلِكِ ثُمَّ الْوَلِيدُ ثُمَّ سُلَيْمَانُ ثُمَّ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ ثُمَّ يَزِيدُ، ثُمَّ هِشَامٌ، فَهَؤُلَاءِ اثْنَا عَشَرَ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِمُ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ الْفَاسِقُ، وَلَكِنَّ هَذَا لَا يُمْكِنُ أَنْ يُسْلَكَ; لِأَنَّهُ يَلْزَمُ مِنْهُ إِخْرَاجُ عَلِيٍّ وَابْنِهِ الْحَسَنِ مِنْ هَؤُلَاءِ الِاثْنَيْ عَشَرَ، وَهُوَ خِلَافُ مَا نَصَّ عَلَيْهِ أَئِمَّةُ السُّنَّةِ بَلْ وَالشِّيعَةِ، ثُمَّ هُوَ خِلَافُ مَا دَلَّ عَلَيْهِ نَصًّا
পৃষ্ঠা - ৫১১৮

রেখেছেন ৷ তাছাড়া এ মত সাফীনা বর্ণিত সহীহ্ হাদীসেরও পব্লিপন্থী যাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : আমার পরে থেলাফত ত্রিশ বছর পর্যন্ত চলবে, তারপরে স্বৈরাচারী শাসন আরম্ভ
হবে : ৷ সাফীনা উক্ত ত্রিশ বছরের
ব্যাখ্যাও প্রদান করেছেন এবং প্রথম চার খলীফার শাসন আমলকে নির্দিষ্ট করে বলেছেন ৷
ইমাম হাসানের ছয় মাসের শাসন ঐ ত্রিশ বছরের অন্তর্ভুক্ত, এ কথা আমরা ইতিপুর্বে
বিশদভাবে উল্লেখ করেছি ৷ অতঃপর ইমাম হাসান মুআবিয়ার পক্ষে ক্ষমতা ত্যাগ করলে
রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ মুআবিয়ার হাতে চলে যায় ৷ এ হাদীস হযরত মুআবিয়াকে খলীফা বলে
আখ্যায়িতবদ্বরণের স্বীকৃতি দেয় না ৷ অবশ্য ত্রিশ বছর পরন্খিলাফত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থ এ
নয় যে তা সম্পুর্ণরুপে বন্ধ হবে তা হতেই পারবে না বরং এর অর্থ খিলাফত ধারাবাহিকভাবে
ত্রিশ বছর চলবে ৷ ত্রিশ বছর পর এর ধারাবাহিকতা বিয়িত হবে ৷ পরবর্তী সময়ে খিলাফতে
রাশেদা পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনাকে এ হাদীস অস্বীকার করে না যেমনটি জাৰির ইবন
সামুরার হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় ৷

নু আয়ম ইবন হাম্মাদ হুযায়ফ৷ ইবন ইয়ামান থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেছেন, উছমানের পরে উমাইয়৷ বং শ থেকে বারজন বাদশা হবেন ৷ তাকে জিজ্ঞেস করা
হলো-এরা কি খলীফা হবেন ? তিনি বললেন, না, বরং বাদশাহ্
৷ বায়হাকী আবুবাহার
থেকে হাতিম ইবন সুফরার হাদীস বর্ণনা করেন ৷ আবু বাহার বলেন, আবু জাল্দ আমার
প্রতিবেশী ৷ একদা শুনতে পেলাম, তিনি শপথ করে বলছেন, এই উষ্মতের মধ্যে বারজন
খলীফার আবির্ভাব না হওয়া পর্যন্ত এ উমত ধ্ব স হবে না ৷ তাদের প্রত্যেকেই হিদায়াত ও
সত্যপথের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবেন ৷ তাদের দৃ জন হবেন আহলি বায় অড়াতের (নবী
পরিবারের) লোক, একজনের আয়ু হবে চল্লিশ বছর এবং অন্য জনের ত্রিশ বছর ৷ এ বর্ণনা
শেষে বায়হাকী আবু জাল্দের উক্তির প্রতিবাদ করেন ৷ কিন্তু প্রতিবাদে যা কিছু বলেছেন তা
দ্বারা প্রতিবাদ হয় না ৷ বায়হাকীর এ প্রচেষ্টা খুবই বিস্ময়কর ৷ পক্ষান্তরে, কতিপয় আলিম আবু
জালুদের উক্তিকে সমর্থন জানিয়েছেন ৷ এ প্রসঙ্গে আমরা ইতিপুর্বে যা কিছু উল্লেখ করেছি তার
মধ্যে আবু জাল্দের কথাই সম্ভবত অগাধিকারয়েগ্যে ৷ তিনি প্রাচীন আসমানী কিতাবসমুহ পাঠ
করতেন ৷ তাওরাতে এ প্রসঙ্গে এমন একটি ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে যা আবু জালদের উক্তির সাথে
সামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ তার মর্ম হল এই ং আল্লাহ্ ইব্রাহীম (আ) কে ইসমাঈলের সুসৎবাদ দান
করেছিলেন ৷ তিনি ইসমাঈলের বং ×শ বৃদ্ধি করবেন এবং তার বৎশধরদের মধ্য থেকে বারজন
বাদশাহ্বানাবেন ৷

শায়খ আল্লামা আবুল আব্বাস ইবন তায়মিয়া বলেন, এ বারজন র্তারাই যাদের সম্পর্কে
হযরত জাবির ইবন স্ামুরার হাদীসে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে ৷ এ ব্যাপারটিও স্বীকৃত সত্য যে,
তারা উম্মতের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হবেন ৷ তাদের সকলের আগমন শেষ না হওয়া পর্যন্ত
কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না ৷ যে সব ইয়াহুদী আপন ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছিলেন তাদের
অনেকেই এ ব্যাপারে বিভ্রান্তির শিকার হয় ৷ কেননা, তারা ধারণা করেন যে রাফিযী সম্প্রদায়
যাদেরকে বার ইমাম বলে দাবি করে র্তারইি সে সব ইমাম তাই তারা তাদের অনুসরণ করে ৷


حَدِيثُ سَفِينَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا عَضُوضًا» وَقَدْ ذَكَرَ سَفِينَةُ تَفْصِيلُ هَذِهِ الثَّلَاثِينَ سَنَةً. فَجَمَعَهَا مِنْ خِلَافَةِ الْأَرْبَعَةِ، وَقَدْ بَيَّنَّا دُخُولَ خِلَافَةِ الْحَسَنِ - وَكَانَتْ نَحْوًا مِنْ سِتَّةِ أَشْهُرٍ - فِيهَا أَيْضًا، ثُمَّ صَارَ الْمُلْكُ إِلَى مُعَاوِيَةَ لَمَّا سَلَّمَ الْأَمْرَ إِلَيْهِ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ الْمَنْعُ مِنْ تَسْمِيَةِ مُعَاوِيَةَ خَلِيفَةً، وَبَيَانُ أَنَّ الْخِلَافَةَ قَدِ انْقَطَعَتْ بَعْدَ الثَّلَاثِينَ سَنَةً، لَا مُطْلَقًا، بَلِ انْقَطَعَ تَتَابُعُهَا، وَلَا يَنْفِي وُجُودَ خُلَفَاءَ رَاشِدِينَ بَعْدَ ذَلِكَ، كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ حَدِيثُ جَابِرُ بْنُ سَمُرَةَ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ: حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ قَالَ: يَكُونُ بَعْدَ عُثْمَانَ اثْنَا عَشَرَ مَلِكًا مَنْ بَنِي أُمَيَّةَ. قِيلَ لَهُ: خُلَفَاءُ؟ قَالَ: لَا، بَلْ مُلُوكٌ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَاتِمِ بْنِ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنْ أَبِي بَحْرٍ قَالَ: كَانَ أَبُو الْجَلْدِ جَارًا لِي، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ، يَحْلِفُ عَلَيْهِ: إِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ لَنْ تَهْلِكَ حَتَّى يَكُونَ فِيهَا اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً، كُلُّهُمْ يَعْمَلُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ، مِنْهُمْ رَجُلَانِ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ; أَحَدُهُمَا يَعِيشُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، وَالْآخِرُ ثَلَاثِينَ سَنَةً. ثُمَّ شَرَعَ الْبَيْهَقِيُّ فِي رَدِّ مَا قَالَهُ أَبُو الْجَلْدِ بِمَا لَا يَحْصُلُ بِهِ الرَّدُّ، وَهَذَا عَجِيبٌ مِنْهُ، وَقَدْ وَافَقَ أَبَا الْجَلْدِ طَائِفَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ، وَلَعَلَّ قَوْلَهُ أَرْجَحُ; لِمَا ذَكَرْنَا، وَقَدْ كَانَ يَنْظُرُ فِي شَيْءٍ مِنَ الْكُتُبِ الْمُتَقَدِّمَةِ.
পৃষ্ঠা - ৫১১৯
وَفِي التَّوْرَاةِ الَّتِي بِأَيْدِي أَهْلِ الْكِتَابِ مَا مَعْنَاهُ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى بَشَّرَ إِبْرَاهِيمَ بِإِسْمَاعِيلَ، وَأَنَّهُ يُنَمِّيهِ وَيُكَثِّرُهُ وَيَجْعَلُ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ اثَّنَى عَشَرَ عَظِيمًا. قَالَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ أَبُو الْعَبَّاسِ ابْنُ تَيْمِيَّةَ: وَهَؤُلَاءِ هُمُ الْمُبَشَّرُ بِهِمْ فِي حَدِيثِ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ. وَقَرَّرَ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ مُفَرَّقِينَ فِي الْأُمَّةِ، وَلَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُوجَدُوا. قَالَ: وَغَلِطَ كَثِيرٌ مِمَّنْ تَشَرَّفَ بِالْإِسْلَامِ مِنَ الْيَهُودِ فَظَنُّوا أَنَّهُمُ الَّذِينَ تَدْعُو إِلَيْهِمْ فِرْقَةُ الرَّافِضَةِ، فَاتَّبَعُوهُمْ. وَقَدْ قَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ، عَنْ أَبِي زِيَادِ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ وَهَبَ لِإِسْمَاعِيلَ مِنْ صُلْبِهِ اثْنَيْ عَشَرَ قَيِّمًا، أَفْضَلُهُمْ وَخَيْرُهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ. وَقَالَ نُعَيْمٌ: حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ قَالَ: لَيْسَ مِنَ الْخُلَفَاءِ مَنْ لَمْ يَمْلِكِ الْمَسْجِدَيْنِ; الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ وَمَسْجِدَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ.