আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم عن دولة بني العباس
إخباره صلى الله عليه وسلم عن دولة بني العباس
পৃষ্ঠা - ৫১০৫

চতৃষ্টয়ের শাসন আমলের সাথে তৃলনীয় বলে অভিহিত করেছেন ৷ এমনকি হযরত যুআবিয়া
(বা) রাসুল (না)-এর সাহাবী হওয়া সত্বেও তার শাসনকাল উত্তম না উমর ইবন আবদুল
আযীযের শাসনকাল উত্তম, তা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে৷ ইমাম আহমদ
ইবন হাম্বল (র) বলেন, তাবিঈনদের মধ্যে একমাত্র উমর ইবন আবদুল আযীয (বা) ব্যতীত
অন্য কারও উক্তি আমার নিকট দলীলরুপে বিবেচিত নয় : ;া ন্ ৷ ৰুড্রু ষ্ ) ৷ ১া
৷ এ আলোচনার পর উমর ইবন আবদুল
আযীযের শাসনকাল হিসাব থেকে বাদ দিলে হাজার মাস পুর্ণ হয় না ৷ আর যদি হ্ড়াজার মাসের
মধ্যে গণ্য করা হয়-যা নিন্দনীয় ও দুর্নীতিপুর্ণ-, তার সমস্ত ইমামগণ তার বিরোধী ৷ এ জটিলতা
থেকে বীচার কোন উপায় নেই ৷ উল্লেখিত বিশ্লেষণের প্রেক্ষাপটে হাদীসঢির অগ্নহণযোগ্যতা
সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে ৷
নুআয়ম ইবন হাম্মাদ আলী (রা)-এর উক্তি বর্ণনা করেছেন যে, রাদ্রীয় ক্ষমতা
উমাইয়াদের দখলে থাকবে যদ্দিন না তাদের নিজেদের মধ্যে কােন্দল সৃষ্টি হয় ৷ ইবন ওহ্ব
আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, দেশ পরিচালনার ক্ষমতা তাদের (উমাইয়াদের)
হাতে থাকবে, যদ্দিন না তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ও প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৷ যখন এ অবস্থা
দেখা দেবে, তখন আল্লাহ্ তাদের বিরুদ্ধে পুর্ব দিক থেকে এক সম্প্রদায়কেউথিত করবেন ৷
এরা ওদেরকে একে একে হত্যা করবে ও আটক রাখবে ৷ আল্পাহ্র কলম, তারা (উমইিয়ারা)
যদি এক বছর রাজত্ব করে তবে আমরা (আব্বাসীয়রা) করব দৃবছর ৷ আর তারা দুই বছর
করলে আমরা করব চার বছর ৷ নুআয়ম ইবন হাম্মাদ ওলীদ ইবন মুসলিম সুত্রে
আবুদ-দারদার উক্তি বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উমাইয়া গোত্রের এক যুবক খলীফা যখন
সিরিয়া ও ইরাকের মাঝে নির্মমভাবে নিহত হবে তখন থেকে আনুগত্যের গুরুতুহ্রাস পেতে
থাকবে এবং অন্যায়ভাবে হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাবে ৷ সে যুবকটির নাম ওলীদ ইবন ইয়াদীদ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর থেকে শ্রবণ করা ছাড়া সাহাবীগণ এরুপে উক্তি করতে পারেন না ৷

আব্বাসী শাসন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
(হি ১৩২ সনে খুরাসান থেকে তাদের অভ্যুত্থান)

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আব্বাস ইবন ওলীদ উকবা ইবন আবু মুঈত থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি মুআবিয়ার দরবারে উপস্থিত ছিলাম ৷ এমন সময়ে আবদুল্লাহ্ ইবন
আব্বাস তথায় আসেন ৷ মুআবিয়া তাকে উত্তম উপচৌকনাদি দান করেন এবং বলেন, হে
আবুল আব্বাস! আপনাদের কোনপৃথক সরকারের প্রয়োজন আছে কি ? তিনি বললেন, হে
আমীরুল মু’মিনীন৷ এ বিষয়ে আমাকে ক্ষমা করুন ৷ মুআবিয়া বললেন, পরে আমাকে
জানাবেন ৷ তিনি বললেন, জী হী ৷ তারপর ইবন আব্বাস (রা) তাকে সংবাদ জানান ৷ তিনি
জিজ্ঞেস করলেন, আপনাদের সাহায্যকারী করো হবে ? তিনি বললেন, খুরাসানবাসীরা ৷ আর
হাশিমী বংশের বনুউমাইয়াদের অধিকারে থাকবে বহু উপতক্যায় ৷ রায়হাকীও এ হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ ইবন আদী ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নবী করীম
(না)-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম ৷ তার কাছে তখন হযরত জিবরীল অবস্থান করছিলেন ৷ কিন্তু
আমি ধারণা করছিলাম যে ইনি দিহ্ইয়া কালবী ৷ জিবরীল রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বললেন, তার


يُسْتَخَفُّ بِهَا، وَدَمٌ مُسْفُوكٌ بِغَيْرِ حَقٍّ. يَعْنِي الْوَلِيدَ بْنَ يَزِيدَ. وَمِثْلُ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ إِنَّمَا تُقَالُ عَنْ تَوْقِيفٍ. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ دَوْلَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ] ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ دَوْلَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ، وَكَانَ ظُهُورُهُمْ مِنْ خُرَاسَانَ بِالرَّايَاتِ السُّودِ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْعَبَّاسِ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيِّ، عَنْ أَبَانِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيطٍ قَالَ: قَدِمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ عَلَى مُعَاوِيَةَ وَأَنَا حَاضِرٌ، فَأَجَازَهُ فَأَحْسَنَ جَائِزَتَهُ، ثُمَّ قَالَ: يَا أَبَا الْعَبَّاسِ، هَلْ لَكُمْ دَوْلَةٌ؟ فَقَالَ: أَعْفِنِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: لَتُخْبِرَنِّي. قَالَ: نَعَمْ. فَأَخْبَرَهُ، قَالَ: فَمَنْ أَنْصَارُكُمْ؟ قَالَ: أَهْلُ خُرَاسَانَ، وَلِبَنِي أُمَيَّةَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ بَطَحَاتٌ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. وَقَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدَةَ بْنِ حَرْبٍ، ثَنَا سُوِيدُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَا حَجَّاجُ بْنُ تَمِيمٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫১০৬

কাপড় ময়লা হয়েছে এবং তার পরে তার এক সন্তান ভাল পোশাক পরিধান করবে ৷ দৃষ্টিশক্তি
হারাবার পরে ইবন আব্বাস এ হাদীস বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন এবং মৃত্যুর পুর্বে তার
দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন ৷ বায়হাকী বলেন, এটা হাজ্জাজ ইবন হাকিমের
একক বর্ণনা এবং তিনি সফল রাবী নন ৷

বায়হাকী আব্বাসের আযাদকৃত গোলাম মায়সারা থেকে বর্ণনা করেন, আব্বাস তার
কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আমি এক রাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম ৷ তিনি
আমাকে বললেন, আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ, কিছু দেখতে পাও কিনা ? আমি বললড়াম,
জী, হী ৷ তিনি বললেন, কী দেখলে ? আমি বললাম, ছুরাইয়া (সপ্তর্ষিমন্ডল) ৷ তিনি বললেন,
এর সমপরিমাণ তোমার বংশের লোক বাদশাহ্ হবে ৷ বুখারী বলেন, উবায়দ ইবন আবু কুৰ্বা
লায়ছকে বলতে শুনেছেন যে, আব্বাস সম্পর্কে বর্ণিত তার হাদীসের সমর্থনে আর কোন বর্ণনা
পাওয়া যায় না ৷ বায়হাকী মুহাম্মদ ইবন আবদুর রহমান আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণিত, রাসুল
(সা) আব্বাসকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন এ্যা৷ ৷ ণ্ধু দ্বু, ওৰু এ ৷ ণ্ধু দ্র অর্থাৎ নবী তোমাদের
বংশের, আর রাজা বাদশাও হবে তােমড়াদেরই বংশে ৷ আবু বকর ইবন খায়ছামা ইবন
আব্বাস থেকে মাওকুফ হাদীস বর্ণনা করেন :


“আল্লাহ প্রথমে যেভাবে আমাদেরকে বিজয়ী করেছেন আশা করি শেষেও আমাদেরকেই
বিজয়ী করবেন” ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সাঈদ ইবন জুবায়র থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
আমরা ইবন আব্বাসকে বলতে শুনেছি এবং আমরা আলোচনা করছিলাম বারজন আমীর হবে
এবং বারজন; তারপরে কিয়ামত ঘটবে ৷ তখন ইবন আব্বাস বলে উঠলেন, তোমরা কত বড়
আহমক! তারপরেও তাে আমাদের মধ্য থােক আহলি বায়তের লোক খলীফা হবে অর্থাৎ
সাফ্ফাহ্, আল মানসুর এবং মাহ্দী প্রমুখ ৷ এ বর্ণনা মাওকুফ কিন্তু বায়হাকী যাহ্হাক সুত্রে
মারফুরুপে বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকীর বর্ণনায় ইবন আব্বাসের উক্তি এরুপ : আমাদের বং
থেকে সাফ্ফাহ্, মানসুর ও মাহ্দী (খলীফা হবে) ৷ সুত্রটি দুর্বল, কারণ বিশুদ্ধ মতে যাহ্হাক
ইবন আব্বাস থেকে কোন হাদীস শ্রবণ করেননি ৷ সুতরাং এটা সনদ বিচ্ছিন্ন বর্ণনা ৷ আব্দুর
রাজ্জাক ছওবান থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, তোমাদের এই হাপরের
কাছে তিন ব্যক্তি নিহত হবে ৷ তারা সবাই হবে জনৈক খলীফার পুত্র ৷ খলীফা তাদের
একজনের কাছেও পৌছতে পারবে না ৷ এরপর খুরাসান থেকে কাল পতাকা বহন করে লোক
আসতে থাকবে ৷ এরপর তারা এমন যুদ্ধ করবে যে যুদ্ধ এরা কখনও দেখেনি ৷ তারপর
আল্লাহর খলীফা মাহ্দীর আগমন হবে ৷ তোমরা যখন তার সম্পর্কে শুনতে পারে তখন তোমরা
তার কাছে যাবে ও তার আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করবে ৷ যদিও সেখানে পৌছতে বরফের উপর
দিয়েও হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয় ৷ কারণ তিনি আল্পাহ্র খলীফা মাহ্দী ৷ ইবন মজাে এটি
আহমদ ইবন ইউসুফ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকী বিভিন্ন সুত্রে আব্দুর রাজ্জাক থেকে এ
হাদীস বর্ণনা করে বলেন, কেবলমাত্র আবদুর রাজ্জাকই উক্ত সুত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বায়হাকী বলেন, আব্দুল ওহ্ব আসমা থেকে মাওকুফ ভাবে এটি বর্ণনা করেছেন, এরপরে
বায়হাকী আবু আসমা সুত্রে ছওবান থােক বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,


مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «مَرَرْتُ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِذَا مَعَهُ جِبْرِيلُ، وَأَنَا أَظُنُّهُ دِحْيَةَ الْكَلْبِيَّ، فَقَالَ جِبْرِيلُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّهُ لَوَسِخُ الثِّيَابِ، وَسَيَلْبَسُ وَلَدُهُ مِنْ بَعْدِهِ السَّوَادَ» . وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ فِي ذَهَابِ بَصَرِهِ، ثُمَّ عَوْدِهِ إِلَيْهِ قَبْلَ مَوْتِهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَفَرَّدَ بِهِ حَجَّاجُ بْنُ تَمِيمٍ، وَلَيْسَ بِالْقَوِيِّ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ بْنِ بَالَوَيْهِ فِي آخَرِينَ قَالُوا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، ثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَبِي قُرَّةَ، ثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي قُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي مَيْسَرَةَ مَوْلَى الْعَبَّاسِ قَالَ: «سَمِعْتُ الْعَبَّاسَ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَقَالَ: " انْظُرْ هَلْ تَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ شَيْءٍ؟ " قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " مَا تَرَى؟ " قُلْتُ: الثُّرَيَّا. قَالَ: " أَمَا إِنَّهُ سَيَمْلِكُ هَذِهِ الْأُمَّةَ بِعَدَدِهَا مِنْ صُلْبِكَ» . قَالَ الْبُخَارِيُّ: عُبَيْدُ بْنُ أَبِي قُرَّةَ بَغْدَادِيٌّ سَمِعَ اللَّيْثَ، لَا يُتَابَعُ عَلَى حَدِيثِهِ فِي قِصَّةِ الْعَبَّاسِ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَامِرِيِّ - وَهُوَ ضَعِيفٌ - عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِلْعَبَّاسِ: فِيكُمُ النُّبُوَّةُ وَفِيكُمُ الْمَلِكُ» .
পৃষ্ঠা - ৫১০৭
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: كَمَا فَتَحَ اللَّهُ بِأَوَّلِنَا فَأَرْجُو أَنْ يَخْتِمَهُ بِنَا. هَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، وَهُوَ مَوْقُوفٌ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ مِنْ كَلَامِهِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَيُّوبَ ثَنَا الْوَلِيدُ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ أَبِي غَنِيَّةَ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ وَنَحْنُ نَقُولُ: اثَّنَيْ عَشَرَ أَمِيرًا ثُمَّ لَا أَمِيرَ، وَاثَّنَيْ عَشَرَ أَمِيرًا، ثُمَّ هِيَ السَّاعَةُ. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: مَا أَحْمَقَكُمْ! إِنَّ مِنَّا أَهْلَ الْبَيْتِ بَعْدَ ذَلِكَ الْمَنْصُورَ، وَالسَّفَّاحَ، وَالْمَهْدِيَّ; يَدْفَعُهَا إِلَى عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ. وَهَذَا أَيْضًا مَوْقُوفٌ، وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْأَعْمَشِ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا: " مِنَّا السَّفَّاحُ، وَالْمَنْصُورُ، وَالْمَهْدَيُّ ". وَهَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ، وَالضَّحَّاكُ لَمْ يَسْمَعْ مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ شَيْئًا عَلَى الصَّحِيحِ، فَهُوَ مُنْقَطِعٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ،
পৃষ্ঠা - ৫১০৮

খুরাসানের দিক থেকে যখন কাল পতাকা আসবে তখন তোমরা তাদের সাথেগ্ গিয়ে মিলিত
হবে, যদিও বরফের উপর হড়ামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয় ৷ কারণ,৩ তাদের মাঝে আল্লাহ্র খলীফা
মাহ্দী থাকবেন : ৷ ৷ ১ ৷
৷ শুা;
হাফিয আবু বকর আল বায্যার ফযল ইবন সাহ্ল আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ থেকে
বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা বনু হাশিমের কয়েকজন যুবকের নাম উল্লেখ
করলে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ও তার অশ্রু নির্গত ৩হয় ৷ তিনি ভিন্ন পত কোর উল্লেখ
করে বলেন, যারা সে পতাকার সং বাদ পাও তারা যে দলের সাথে মিলিত হয়ে যদিও বরফের
উপর দিয়ে হড়ামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয় তবুও হোক না কেন ৷ এ হাদীসটি আবু লায়লা কেবল
হাকাম থেকেই বর্ণনা করেছেন এবং একমাত্র দাহির ইবন ইয়াহ্ইয়াই এটি বর্ণনা করেছেন ৷
দাহির একজন বিজ্ঞ রাবী এবং তার বর্ণনা গ্রহণযোগ্য ৷ হাফিয আবু ইয়া’লা আবু হিশাম
ইবন মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, পুর্ব দিক থেকে কাল পতাকা
আসবে ৷ অশ্বসমুহ রক্তের মধ্যে হাবুডুবু খাবে ৷ এ অবস্থা চলবে ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা হওয়া পর্যন্ত ৷
লোকজন ন্যায়বিচার দাবি করবে কিন্তু পাবে না ৷ তারপর এরা বিজয়ী হয়ে এবং এদের নিকট
ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করা হবে কিন্তু এরাও ন্যায্য অধিকার দেবে না ৷ এ হাদীসের সনদ হাসান ৷

ইমাম আহমদ ইয়া ইেয়া ইবন গায়লান আবু হরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, খুরাসান থেকে কাল পতাকা আসবে ৷ কোন কিছুতেই তা রোধ করা যাবে না ৷
অবশেষে সে পতাকা ইলিয়ার রাজপ্রাসাদে স্থাপিত হবে ৷ এ হাদীসটি ইমাম তিরমিষী কুতায়ৰ্া
থেকে বর্ণনা করে একে গরীব বলেছেন ৷ বায়হাকী ও হাকিম আবদুল্লাহ ইবন মসেউদ থেকে
বর্ণনা করেছেন ৷ কাব আহবার থেকেও এর প্রায় কাছাকাছি মর্মে বর্ণিত হয়েছে এবং এটাই
অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান কাব আহবার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
বনু আব্বাসের কাল পতাকা উথিত হবে এবং সিরিয়ার স্থাপিত হবে ৷ সকল দৃশমন ও জালিম
তাদের হাতে নিহত হবে ৷ ইমাম আহমদ উছমান ইবন আবু শায়বা আবু সাঈদ খুদরী
থেকে বর্ণনা করেন, যুগের এক ক্রান্তিলগ্নে চারিদিকে ফিত্না-ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়ার সময়
আসৃ-সাফ্ফাহ নামধায়ণকারী এক ব্যক্তির আবির্ভাব হবে ৷ সে ধন সম্পদ অঞ্জলি ভরে বিতরণ
করবে ৷ বায়হাকী এ হাদীসটি আমাশের সুত্রে বর্ণনা করেছেন, তার এ বর্ণনার শেষে আছে
আমার বংশ থেকে এক লোকের অভ্যুদয় ঘটবে, তার উপাধি হবে সাফ্ফাহ (রক্তপিপাসু)
অতংপর হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করা হয় ৷ এ হাদীসের সনদ সুনান গ্রন্থসমুহের শর্ত
অনুযায়ী আছে, কিতু৷ সুনান প্রন্থকারগণ এ হাদীস বর্ণনা করেননি ৷

উপরোক্ত বর্ণনাসমুহ দু টি বিষয় সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করছেং এক থুরাসান থেকে কাল
পতাকা প্রকাশ ৷ দুই, সাফ্ফাহ্র রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভ ৷ সাফ্ফাহ্র প্রকৃত নাম আবুল আব্বাস ৷
উর্ধ্বতন পুরুষগণ হলেন-পিতা আবদুল্লাহ, তার পিতা মুহাম্মদ, তার পিতা আলী, তার পিতা
আবদুল্লাহ, তার পিতা আব্বাস এবং তার পিতা আব্দুল মুত্তালিব ৷ সাফ্ফাহ হি একশ ত্রিশ
সালের দিকে ক্ষমতা লাভ করেন ৷ তারপর তার সমর্থকগণসহ তিনি বিজয়ী হন ৷ তাদের
পতাকা ছিল কাল এবং প্রতীকও ছিল কৃষ্ণ বর্ণের ৷ যেমনটি মক্কা বিজয়কালে রাসুল (সা)
শিরোস্ত্রাণে কালো পাগড়ী পরিহিত ছিলেন ৷ সাফ্ফাহ্ তার চাচা আবদৃল্পাহ্কে উমাইয়াদের


عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُقْتُلُ عِنْدَ كَنْزِكُمْ هَذِهِ ثَلَاثَةٌ، كُلُّهُمْ وَلَدُ خَلِيفَةٍ، لَا يَصِيرُ إِلَى وَاحِدٍ مِنْهُمْ، ثُمَّ تُقْبَلُ الرَّايَاتُ السُّودُ مِنْ خُرَاسَانَ، فَيَقْتُلُونَكُمْ مَقْتَلَةً لَمْ يَرَوْا مِثْلَهَا، ثُمَّ يَجِيءُ خَلِيفَةُ اللَّهِ الْمَهْدِيُّ، فَإِذَا سَمِعْتُمْ فَأْتُوهُ فَبَايِعُوهُ وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الثَّلْجِ، فَإِنَّهُ خَلِيفَةُ اللَّهِ الْمَهْدِيُّ» . أَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ يُوسُفَ السُّلَمِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى الذُّهْلِيِّ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، ثُمَّ قَالَ: تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَوَاهُ عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ مَوْقُوفًا. ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ غَالِبٍ، ثَنَا كَثِيرُ بْنُ يَحْيَى، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَقْبَلَتِ الرَّايَاتُ السُّودُ مِنْ عَقِبِ خُرَاسَانَ فَأْتُوهَا وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الثَّلْجِ، فَإِنَّ فِيهَا خَلِيفَةَ اللَّهِ الْمَهْدِيَّ» وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاهِرٍ
পৃষ্ঠা - ৫১০৯

বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রেরণ করেন ৷ হি একশ বত্রিশ সালে তিনি বনু উমইিয়াদেরকে নির্মুল
করেন ৷ উমাইয়াদের সর্বশেষ খলীফা মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে
পলায়ন করে ৷ লোকে তার উপাধি দিয়েছিল মারওয়ান আল হিমার (গাধা মারওয়ান) ৷ জাদ
ইবন দিরহামের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে তাকে মারওয়ান আল-জাদীও বলা হত বলে কথিত আছে ৷
অতঃপর তার চাচা আবদুল্লাহ্ দামিশকে প্রবেশ করেন এবং উমাইয়াদের সমস্ত স্থাবর অন্থাবর
সম্পদ করায়ত্ত করেন ৷ আরও বহু বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ যথাস্থানে আমরা তা
বিস্তারিতড়াবে বর্ণনা করব ৷ খুরাসান থেকে বহিপত কাল পতাকা সম্পর্কে প্রাচীন কালের
আলিমগণ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ৷ নঈম ইবন হাম্মাদ তার গ্রন্থে বিশদভাবে তা লিপিবদ্ধ
করেছেন ৷ কোন কোন বর্ণনা মতে জানা যায় যে, কাল পতাকার এসব লক্ষণাদির প্রকাশ ঐ
যুগে ঘটেনি; বরং এগুলি কিয়ামতের পুর্বে সর্বশেষ যুগে প্রকাশিত হয়ে ৷

আবদুর রাজ্জাক যুহরীর সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কিয়ামত
ততদিন পর্যন্ত সংঘটিত হবে না যতদিন পর্যন্ত এমন এক ব্যক্তির হাতে জগতের নেতৃতু আসবে
যে নিজেও হবে ইতর এবং তার পিতাও হবে ইতর ৷ আবু মামার বলেন, যে সােকঢি হলো
আব্বাসীয় রাজত্বের প্রতিষ্ঠাতা আবু মুসলিম খুরাসানী ৷ অর্থাৎ উমাইয়াদেব হাত থেকে
আব্বাসীয়দের হাতে ঐ বছরই ক্ষমতা হস্তাস্তরিত হয় ৷ আব্বাসীয় বংশের প্রথম খলীফা আবুল
আব্বাস আসৃ-সাফ্ফাহ্ ৷ দ্বিতীয় খলীফ৷ মদীনাতুস সালামের অর্থাৎ বাগদাদের প্রতিষ্ঠাতা আবু
জাফর আবদুল্লাহ আল মনসুর ৷ তারপর খলীফা হন তার পুত্র মাহ্দী মুহাম্মদ ইবন আবদৃল্লাহ্
এবং তারপর তার পুত্র হাদী এবংত তারপর মাহ্দীর অপর পুত্র হারুনুর রশীদ ৷ তারপর খিলাফত
তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বিন্তুতি লাভ করে ৷ যথান্থানে আমরা এর বিস্তারিত আলোচনা
করব ৷

আলোচ্য হাদীসসমুহে আস্ সাফ্ফাহ্, আল মনসুর ও আল-মাহ্দীর খিলাফতের প্রতি
ইঙ্গিত রয়েছে ৷ তবে এ কথা নিঃসন্দেহে সত্য যে, আল মনসুরের পুত্র আব্বাসীয় বংশের তৃতীয়”
-খলী ফা মাহ্দী সে মাহ্দী নয় যার কথা প্রসিদ্ধ হাদীসগুলিতে উল্লেখিত ৩হয়েছে ৷ সে মাহ্দীর
আগমন শেষ যুগে হবে ৷ তিনি এসে অন্যায় অত্যাচারে পুর্ণ পৃবিবীকে ন্যায় ও ইনসাফের দ্বারা

পুর্ণ করবেন ৷ আমরা তার সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমুহ ভিন্ন এক পুস্তকে আলোচনা করেছি

যেমনিভাবে ইমাম আবু দউিদ তার সুনান গ্রন্থে ঐ সব হাদীসের জন্য পৃথক অধ্যায় রচনা
করেছেন ৷ উল্লেখিত হাদীসের কোন কোন হাদীস থেকে এ কথা জানা গেছে যে, ঈসা (আ)
যখন আকাশ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করবেন তখন তিনি খিলাফত (ঈসা) এর কাছে অর্পণ
করবেন ৷

সাফ্ফাহ্ প্রসঙ্গেও বলা হয়েছে যে, এ ব্যক্তিও শেষ যুপে আবির্ভুত হবেন ৷ সুতরাং
আব্বাসীয় বংশের প্রথম খলীফ৷ যে সাফ্ফাহ্ ইনি সে সাফ্ফাহ্ নন ৷ বরং তিনি অন্য কোন
খলীফ৷ হবেন ৷ ঐহিহাসিকগণের মধ্যে এ বিষয়ে মত বিরোধ আছে ৷ ঐ সময়ে মুসলমানগণ
খালিদের নেতৃত্বে মাদাইনের উদ্দেশ্যে একটি সেনাদল প্রেরণ করেন ৷ এখানে কিসৃরার

ৎহাসন ও সভাসদগণ অবস্থান করতেন ৷ খালিদ তথাকার রাজা ও মন্তীদের নিকট এই মর্মে

পত্র লিখলেন যে, তোমরা আল্লাহ্র উপর ঈমান এনে দীন ইসলাম গ্রহণ কর-ণ্তামাদের রাজত্ব
তােমাদেরই থাকবে ৷ অন্যথায় জিযিয়া বা কর প্রেরণ কর ৷ যদি তা দিতে অস্বীকার কর তাহলে


الرَّازِيُّ، ثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ فِتْيَةً مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، فَاغْرَوْرَقَتْ عَيْنَاهُ، وَذَكَرَ الرَّايَاتِ، قَالَ: " فَمَنْ أَدْرَكَهَا فَلْيَأْتِهَا وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الثَّلْجِ» ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا الْحَدِيثُ لَا نَعْلَمُ رَوَاهُ عَنِ الْحَكَمِ إِلَّا ابْنُ أَبِي لَيْلَى، وَلَا نَعْلَمُ يُرْوَى إِلَّا مِنْ حَدِيثِ دَاهِرِ بْنِ يَحْيَى، وَهُوَ مِنْ أَهْلِ الرَّأْيِ، صَالِحُ الْحَدِيثِ، وَإِنَّمَا يُعْرَفُ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا أَبُو هِشَامٍ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ رِفَاعَةَ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَجِيءُ رَايَاتٌ سُودٌ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ، تَخُوضُ الْخَيْلُ الدَّمَ إِلَى ثُنَّتِهَا، يُظْهِرُونَ الْعَدْلَ، وَيَطْلُبُونَ الْعَدْلَ فَلَا يُعْطَوْنَهُ، فَيَظْهَرُونَ فَيُطْلَبُ مِنْهُمُ الْعَدْلُ فَلَا يُعْطُونَهُ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ حَسَنٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ غَيْلَانَ وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَا: ثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ. قَالَ يَحْيَى بْنُ غَيْلَانَ فِي حَدِيثِهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ قَبِيصَةَ، هُوَ ابْنُ ذُؤَيْبٍ الْخُزَاعِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫১১০
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «يَخْرُجُ مِنْ خُرَاسَانَ رَايَاتٌ سُودٌ، لَا يَرُدُّهَا شَيْءٌ حَتَّى تُنْصَبَ بِإِيلِيَاءَ» . وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ قُتَيْبَةَ بِهِ، وَقَالَ: غَرِيبٌ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ وَالْحَاكِمُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ رِشْدِينَ بْنِ سَعْدٍ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَفَرَّدَ بِهِ رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، وَقَدْ رُوِيَ قَرِيبٌ مِنْ هَذَا، عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَلَعَلَّهُ أَشْبَهُ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا مُحَدِّثٌ عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ عَبْدِ الْقُدُّوسِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ قَالَ: تَظْهَرُ رَايَاتٌ سُودٌ لِبَنِي الْعَبَّاسِ حَتَّى يَنْزِلُوا بِالشَّامِ، وَيَقْتُلُ اللَّهُ عَلَى أَيْدِيهِمْ كُلَّ جَبَّارٍ وَكُلَّ عَدُوٍّ لَهُمْ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَخْرُجُ عِنْدَ انْقِطَاعٍ مِنَ الزَّمَانِ وَظُهُورٍ مِنَ الْفِتَنِ، رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: السَّفَّاحُ. فَيَكُونُ إِعْطَاؤُهُ الْمَالَ حَثْيًا» وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ،
পৃষ্ঠা - ৫১১১

এমন এক দলের সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হও যারা মৃভ্যুব্লুক সেই পরিমাণ ভালবাসে যেই
পরিমাণ ভালবাস তোমরা বেচে থাকাকে ৷ খালিদের এই বীরতৃপুর্ণ কথা ও সাহসিকতা দেখে
তারা অবাক হয়ে গেল ৷ তাদের ন্নির্বুদ্ধিতার দরুন তারা লাঞ্ছিত হল ৷ তারা শঙ্কিত ও
আতৎকগ্নন্থ হল ৷ অতঃপর হীরার সন্ধি চুক্তির পর খালিদ তথায় এক বছরকাল অবস্থান করেন
এবংপারস্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত বিচরণ করেন ৷ যে লোক তা দেখেছে বা কানে
শুব্লুনছে কিংবা চিন্তা করেছে সে আশ্বর্ষান্বিত ও অবাক হয়ে গেছে ৷

খালিদের আমার বিজয় (এ অভিযানগুলাে য়াভুলউয়ুন নামে বিখ্যাত)

খালিদ আপন সৈন্য বাহিনী নিয়ে আম্বার অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ তথায় উপস্থিত হয়ে
জানতে পারেন যে শীরযায নামে একজন কৃষ্ণকায় বীর তাদের শাসক ৷ খালিদ আম্বার
অবরোধ করেন ৷ কিন্তু আমার ছিল চতুর্দিক থেকে পরিব্লুবষ্টিত ৷ তার চারপাশে বেদুইনদের
বসতি ছিল ৷ সে দেশের অন্যান্য লোকও তাদের সাথে যোগ দেয় ৷ তারা খালিদব্লুক পরিবার
কাছে যেতে বাধা দেয় ৷ খালিদ তাদেরকে আঘাত হানেন ৷ যখন উভয়পক্ষ মুখোমুখি হলো
খনত খালিদ তার সৈন্যদেরকে তীর দ্বারা আক্রমণ করার নির্দেশ দেন ৷ সৈন্যরা তীর নিক্ষেপ
করে শত্রুব্লুদর এক হাজার চোখ ভীরবিদ্ধ করে ৷ লোকজন চিৎকার দিয়ে বলে
উঠল আম্বারবাসীদের চোখ আর ব্লুনই ৷ এ কারণে এ যুদ্ধের নাম করা হয় যাতুল-উয়ুন বা
চোখের যুদ্ধ ৷
তঃপর শীরযায সন্ধি প্রস্তাবসহ খালিদের নিকট দুত প্রেরণ করে ৷ খালিদ সন্ধির জন্য
এমন অকতিপয় শত আরোপ করেন, যা শীরযায স্বীকার করতে সম্মত হয়নি ৷ খালিদ তখন
অসংখ্য উট ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে অগ্রসর হলেন এবং সেগুলি যাবাহ করে পারিখায় নিক্ষেপ
করলেন ৷ এতে খন্দক ভরাট হয়ে যায় এবং তার উপর দিয়ে খালিদ ও তার সাথীরা অতিক্রম
করেন ৷ তা লক্ষ্য করে শীরযায খালিদ কতৃক পুর্ব আব্লুরাপিত শর্তসমুহে সম্মত তহয়ে সন্ধি
করতে রাজী হয়ে যায় ৷ শীরযায তাকে কোন নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য খালিদের
নিকট প্রার্থনা জানালে খ৷ ৷লিদ তা মঞ্জুর করেন ৷ শীরযায আম্বার থেকে বের হয়ে যায় এবং তা
খালিদের হাতে ততৃব্লুল দেয় ৷ খালিদ আম্বারে নিরাপদে অবতরণ করেন আর তার সাথে যে সব
সাহাবী সেখানে ছিলেন তারা আরবী লেখা শিখে নিলেন ৷ উক্ত ব্লুবদুইনরা তাদের পুর্ববর্তী
আরবদের অর্থাৎ বনু ইয়াদ থেকে আরবী শিখেছিল ৷ বুখৃত নসরের ইরাক বিজয়ের পর থেব্লুবইি
এরা তথায় বসবাস করতে থাকে ৷ ইয়াদ বংশীয় জনৈক কবির রচিত কবিতার কিছু অংশ তারা
খালিদের সম্মুখে আবৃত্তি করে ৷ এতে করি আপন বংব্লু শের প্রশংসা করে বলেন :

’ণ্৷ ৷ এ;প্রু;ও৷ ৷ প্রুাদ্বু ৷ ণ্৷ , ৷ ণ্ঠুন্’৷ ন্ট্রুৰুটু৷ প্রু৷ ট্ট১ ৷ ৰু,প্রুঠুপুম্ভ
ণ্ব্রো৷এ প্লোা৷এ
অর্থাৎ আমি ইয়াদ বংশের লোক ৷ ইয়াদ বংশ এমন এক জাতি যেখানে তারা অবতরণ
করে ধন ঐশ্বর্য তাদের করায়ত্ত হয়ে যায় ৷ ইরাকের প্রশস্ত ভুখন্ড যখন তাদের অধিক৷ ৷ব্লুর আসে

তখন তথাকার সমস্ত লোক তাদেরকে অভিনন্দন আমার এবং সে সাথে কাগজ কলম তথা
শিক্ষা সভ্যতাও তাদের অধিকারে আসে ৷


عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ فِيهِ: «يَخْرُجُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يُقَالُ لَهُ: السَّفَّاحُ ".» فَذَكَرَهُ، وَهَذَا الْإِسْنَادُ عَلَى شَرْطِ أَهْلِ السُّنَنِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. فَهَذِهِ الْأَخْبَارُ فِي خُرُوجِ الرَّايَاتِ السُّودِ مِنْ خُرَاسَانَ وَفِي وِلَايَةِ السَّفَّاحِ، وَهُوَ أَبُو الْعَبَّاسِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمَطْلَبِ، وَقَدْ وَقَعَتْ وِلَايَتُهُ فِي حُدُودِ سَنَةِ ثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، ثُمَّ ظَهَرَ بِأَعْوَانِهِ وَمَعَهُمُ الرَّايَاتُ السُّودُ، وَشِعَارُهُمُ السَّوَادُ، كَمَا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ وَفَوْقَهُ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ، ثُمَّ بَعَثَ عَمَّهُ عَبْدَ اللَّهِ لِقِتَالِ بَنِي أُمَيَّةَ، فَكَسَرَهُمْ فِي سَنَةِ اثْنَتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، وَهَرَبَ مِنَ الْمَعْرَكَةِ آخِرُ خُلَفَائِهِمْ، وَهُوَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ، وَيُلَقَّبُ بِمَرْوَانَ الْحِمَارِ، وَيُقَالُ لَهُ: مَرْوَانُ الْجَعْدِيُّ. لِاشْتِغَالِهِ عَلَى الْجَعْدِ بْنِ دِرْهَمٍ، فِيمَا قِيلَ، وَدَخَلَ عَمُّهُ دِمَشْقَ وَاسْتَحْوَذَ عَلَى مَا كَانَ لِبَنِي أُمَيَّةَ مِنَ الْمُلِكِ وَالْأَمْلَاكِ وَالْأَمْوَالِ، وَجَرَتْ خُطُوبٌ كَثِيرَةٌ سَنُورِدُهَا مُفَصَّلَةً فِي مَوْضِعِهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَدْ وَرَدَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ السَّلَفِ فِي ذِكْرِ الرَّايَاتِ السُّودِ الَّتِي تَخْرُجُ مِنْ خُرَاسَانَ بِمَا يَطُولُ ذِكْرُهُ، وَقَدِ اسْتَقْصَى ذَلِكَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي كِتَابِهِ، وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ أَمْرُهَا بَعْدُ، وَأَنَّ ذَلِكَ يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، كَمَا سَنُورِدُهُ فِي مَوْضِعِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.
পৃষ্ঠা - ৫১১২
وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَكُونَ الدُّنْيَا لِلُكَعِ بْنِ لَكْعِ» قَالَ أَبُو مَعْمَرٍ: هُوَ أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ. يَعْنِي الَّذِي أَقَامَ دَوْلَةَ بَنِي الْعَبَّاسِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ تَحَوَّلَتِ الدَّوْلَةُ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ أَوَّلَ قَائِمٍ مِنْهُمْ أَبُو الْعَبَّاسِ السَّفَّاحُ، ثُمَّ أَخُوهُ أَبُو جَعْفَرٍ عَبْدُ اللَّهِ الْمَنْصُورُ بَانِي مَدِينَةِ السَّلَامِ بَغْدَادَ، ثُمَّ ابْنُهُ الْمَهْدِيُّ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ ابْنُهُ الْهَادِي، ثُمَّ ابْنُهُ الْآخَرُ هَارُونُ الرَّشِيدُ ثُمَّ انْتَشَرَتِ الْخِلَافَةُ فِي ذُرِّيَّتِهِ، عَلَى مَا سَنُفَصِّلُهُ إِذَا وَصَلْنَا إِلَى تِلْكَ الْأَيَّامَ، وَقَدْ نَطَقَتْ هَذِهِ الْأَحَادِيثُ الَّتِي أَوْرَدْنَاهَا آنِفًا بِالسَّفَّاحِ وَالْمَنْصُورِ وَالْمَهْدِيِّ، وَلَا شَكَّ أَنَّ الْمَهْدِيَّ الَّذِي هُوَ ابْنُ الْمَنْصُورِ ثَالِثُ خُلَفَاءِ بَنِي الْعَبَّاسِ، لَيْسَ هُوَ الْمَهْدِيُّ الَّذِي وَرَدَتِ الْأَحَادِيثُ الْمُسْتَفِيضَةُ بِذِكْرِهِ وَأَنَّهُ يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، يَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا وَقِسْطًا كَمَا مُلِئَتْ جَوْرًا وَظُلْمًا، وَقَدْ أَفْرَدْنَا لِلْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِيهِ جُزْءًا عَلَى حِدَةٍ، كَمَا أَفْرَدَ لَهُ أَبُو دَاوُدَ كِتَابًا فِي " سُنَنِهِ "، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي بَعْضِ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ آنِفًا أَنَّهُ يُسَلِّمُ الْخِلَافَةَ إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ إِذَا نَزَلَ إِلَى الْأَرْضِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا السَّفَّاحُ فَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، فَيَبْعُدُ أَنْ يَكُونَ هُوَ الَّذِي بُويِعَ أَوَّلَ خُلَفَاءِ بَنِي الْعَبَّاسِ، فَقَدْ يَكُونُ خَلِيفَةً آخَرَ، وَهَذَا هُوَ الظَّاهِرُ، فَإِنَّهُ قَدْ رَوَى نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ،