আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم عن خلفاء بني أمية
পৃষ্ঠা - ৫১০০

দরবারে উপস্থিত ছিলাম ৷ এমন সময় মারওয়ান এসে নিজের প্রয়োজনের কথা ব্যাক্ত করে
বললাে হে আমীরুল মু মিনীন! আমার প্রয়োজন পুরণ করুন! আল্লাহর কসম, আমার ব্যয়ভার
অত্যধিক ণ্বশি আমি দশ সন্তানের পিতা, দ্শজনের চাচা এবং দশজনের ভাই ৷ এ কথা বলে
মারওয়ান প্রস্থান করলো ৷ মু আ ৷বিয়ড়ার সাথে একই আসনে ইবন আব্বাস (রা) উপবিষ্ট ছিলেন ৷
মুআবিয়া বলেন, হে ইবন আব্বাস ! আল্লাহ্র কসম দিয়ে আপনাকে বলছি-আপনার কি জানা
নেই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, বনু হাকামের পুরুষের সংখ্যা যখন ত্রিশে পৌছবে তখন
তারা আল্লাহ্র সস্পদকে নিজেদের মধ্যেই ভাগ-বাটোয়ারা করে শেষে, আল্লাহর বন্দোগণকে
দাসে পরিণত করবে এবং আল্লাহ্র কিতাবকে সংশয়ময় করে ছাড়বে ? তাদের সংখ্য যখন
চারশ সাতানব্বইতে পৌছবে তখন ফল চিবানাের চইিতে দ্রুততরডাবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে ৷
ইবন আব্বাস (রা) বললেন, হী ৷ ইবন ওহ্ব বলেন, মারওয়ান তার প্রয়োজনের কথা ব্যক্ত
করে চলে যায় এবং আবদুল মালিককে মুআবিয়ার নিকট পাঠিয়ে দেয় ৷ আবদুল মালিক
মুষ্আবিয়ার নিকট উক্ত প্রসঙ্গে আলোচনা করে যখন চলে গেলেন তখন মুআবিয়া বললো,
আল্লাহ্র কসম, হে ইবন আব্বাস ৷ আপনার কি স্মরণ নেই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এ কথা
বলেছিলেন, তিনি আরও বলেছিলেন যে , অত্যাচারী প্রতাপশালী শাসক হবে চারজন ? ইবন
আব্বাস বললেন, জী হী ৷ এ হাদীসটি অগ্নহণযােগ্য ও বিরল প্রকৃতির ৷ এর বর্ণনড়াকারী ইবন
লাহিয়া একজন দুর্বল রাবী ৷
আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান দারেমী মুসলিম ইবন ইবরাহীম সাহাবী
আমর ইবন মুবৃরা সুত্রে বর্ণনা করেন, একদা হাকাম ইবন আবুল আস নবী করীম (না)-এর
দরবারে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে ৷ নবী করীম (সা) তার কথা শুনে তাকে
চিনতে পারেন ৷ তিনি বললেন, ওকে আসতে দাও ৷ ও একটি সর্প অথবা সর্পের পুত্র ৷ তার
উপর ও তার ঔরসে জন্মগ্রহণকারীদের উপর আল্লাহ্র লানত ৷ তবে মু’মিনগণ ব্যতীত, আর
তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য ৷ পার্থিব জীবনে তারা উন্নতি করবে জ্যি পরকালে অপদস্ত হবে ৷
এরা হবে প্রতারক ও ধৌকাবাজ ৷ পৃথিবীতে তাদেরকে ধন ঐশ্বর্য দেয়া হবে ৷ কিন্তু আখিরাতে
ওরা বঞ্চিত থাকবে ৷ নুআয়ম ইবন হাম্মাদ ফিতান ও মালাহিম গ্রন্থে রাশিদ ইবন সাদ
থেকে বর্ণনা করেন, মারওয়ান ইবন হাকামের জন্ম হলে দুআ করার জন্য নবী করীম
(সা) এর নিকট তাকে নেয়া হয় ৷ কিন্তু তিনি দু আ কংতে অস্বীকার করেন এবং বলেন, কটা
চাে ৷খধারী লোকের পুত্র আমার উম্মত এর হাতে এবং এর সন্তানদের হাতে ধ্বংস হয়ে ৷ এ
বর্ণনা মুরসাল ৷

উমাইয়৷ খলীফাদের সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সার্বিক ভবিষ্যদ্বাণী

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন,
মােমি স্বপ্নে দেখি বনু আব্দুস আস বা বনু হাকাম আমার মিম্বরের উপর লাফালাফি করছে
যেমনটা করে র্বাদররা ৷ আবুহুরায়রা বলেন, এরপর থেকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) মৃত্যু পর্যন্ত
আমাকে কখনও হাসতে ও স্থির হয়ে থাকতে দেখেননি ৷ ছাওরী সাঈদ ইবন মুসায়্যা;বর
উক্তি বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বপ্নযােগে বনু উমইিয়াদেরকে তাদের বিষয়ের উপর
দেখেন ৷ এ দৃশ্য তার নিকট খুবই অপছন্দ হয় ৷ আল্লাহ্ ওহী অবতীর্ণ করে জানান যে, এ হল


أُمَّتِي عَلَى يَدَيْهِ وَيَدِي ذُرِّيَّتِهِ» وَهَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ خُلَفَاءَ بَنِي أُمَيَّةَ] ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ خُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ جُمْلَةً مِنْ جُمْلَةٍ، وَالْإِشَارَةُ إِلَى مُدَّةِ دَوْلَتِهِمْ قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَبُو مُحَمَّدٍ الْأَزْرَقِيُّ، ثَنَا الزَّنْجِيُّ - يَعْنِي مُسْلِمَ بْنَ خَالِدٍ - عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «رَأَيْتُ فِي النَّوْمِ بَنِي الْحَكَمِ - أَوْ بَنِي أَبِي الْعَاصِ - يَنْزُونَ عَلَى مِنْبَرِي كَمَا تَنْزُو الْقِرَدَةُ» قَالَ فَمَا رُئِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَجْمِعًا ضَاحِكًا حَتَّى تُوُفِّيَ. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَنِي أُمَيَّةَ عَلَى مِنْبَرِهِ، فَسَاءَهُ ذَلِكَ، فَأُوحِيَ إِلَيْهِ: إِنَّمَا هِيَ دُنْيَا أُعْطُوهَا. فَقَرَّتْ عَيْنُهُ. وَهِيَ قَوْلُهُ {وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلَّا فِتْنَةً لِلنَّاسِ} [الإسراء: 60] . يَعْنِي بَلَاءً لِلنَّاسِ» . عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ
পৃষ্ঠা - ৫১০১


পার্থিব তােগ্য সামগ্রী যা তাদেরকে দেয়া হয়েছে ৷ তারপর তার চোখ শীতল হয় ৷ আয়াতটি
এই :

“আমি যে দৃর্শটি আপনাকে র্বৃদখিয়েছি তা কেবল মানুষের পরীক্ষার জ্যা” (১ ৭
বনী-ইসরাঈল : ৬০) ৷ রাবী আলী ইবন যায়দ দুর্বল এবং হাদীসটি মুরসাল ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী কাসিম ইবন ফযল ইউসুফ ইবন মাযিন থেকে বর্ণনা করেন,
হাসান ইবন আলী (রা) মুআবিয়ার হাতে বায়আত করার পর এক ব্যক্তি তার নিকট এসে
বললো, হে মু’মিনদের কালিমা লেপনকারী! ইমাম হাসান তাকে বললেন, আমাকে তিরস্কার
করোনা , আল্পাহ্ তোমাকে রহম করুক ৷ শুন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বপ্নযোগে উমাইয়া
খলীফাদেরকে একের পর এক মিম্বরের উপর ভাষণ দিতে দেখেছেন এবং রাসুলুল্লড়াহ্র নিকট তা
খুবই অপ্রিয় ঠেকে ৷ এরপর কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয় : ;’:,’: ৷ এ!ট্রু ৬ছুাদু ৷
“আমি কাওছার অর্থাৎ জান্নাতে নহর দান করেছি” ৷ আরও নাযিল হয় :

ট্রু,হু হুাট্রুর্দুাটুষ্ট্রাদুৰুা

“আমি আপনার কাছে কদরের রাত্রে কুরআন অবতীর্ণ করেছি ৷ কদরের রাত সম্পর্কে
আপনি জানেন কি ? কদরের রাত হাজার মাসের চাইতে উত্তম” ৷ বনুউমাইয়াদের শাসনকাল
হাজার মাস পর্যন্ত চলবে ৷ কাসিম ইবন ফযল বলেন, আমরা উমাইয়াদের খিলাফত কালের
হিসাব করে দেখেছি, তা পুর্ণ এক হাজার মাস পর্যন্ত চলেছে-এক দিন কমও নয়, এক দিন
বেশিও নয় ৷
তিরমিযী, ইবন জারীর তাবারী, হাকিম ও ইমাম বায়হাকী প্রত্যেবেইি এ হাদীস আপন
আপন কিভাবে কাসিম ইবন ফযল আল হায্যা সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ ইয়াহিয়া ইবন সাঈদ
আল কাত্তান ও ইবন মাহ্দী ইউসুফ ইবন সাদ সুত্রে বর্ণনা করে এটিকে আরও শক্তিশালী
করেছেন ৷ তিনি ইউসুফ ইবন মাযিন নামে পরিচিত ৷ ইবন জারীরের বর্ণনায় তার নাম এসেছে
ঈসা ইবন মাযিন ৷ তিরমিযী বলেছেন ইউসুফ একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি, এ হাদীস তিনি
ব্যতীত অন্য কারো থেকে বর্ণিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই “৷ তবে ইমাম তিরমিযী
সম্ভবত ইউসুফের অবস্থা অজ্ঞাত বুঝাতে চেয়েছেন ৷ কারণ এ ইউসুফের থেকে হাম্মাদ ইবন
সালামা, খালিদ আল হাষ্যা এবং ইউনুছ ইবন উবায়দ সহ বিপুল সংখ্যক মুহাদ্দিছ হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন মঈন র্তাকে মড়াশহুর বা বহু পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য বলে
অভিহিত করেছেন ৷
তবে আমার মতে হাসান ও মুআবিয়ার ঘটনা সম্পর্কে ইউসুফের সাক্ষ্য প্রদান বিষয়টি
সংশয়মুক্ত নয় ৷ তিনি এমন লোক থেকে মুরসাল বর্ণনা করেছেন যারউপর আস্থা রাখা যায়
না ৷ আমি এ হাদীস সম্পর্কে শায়খ হাফিয আবুল হাজ্জাজ্ব আল মিঘৃযীর নিকট জিজ্ঞেস করলে
তিনি বলেন,, এটা মুনকার হাদীস ৷ তাছাড়া কাসিম ইবন ফযলের বক্তব্য যে, তিনি হিসাব করে
দেখেছেন যে, বনু উমাইয়াদের শাসনকাল পুর্ণ এক হাজার সালে শেষ হয়েছে একদিন কমও
নয় এক দিন বেশিও নয় এ বর্ণনা অত্যন্ত গরীব এবং সন্দেহজনক ৷ কেননা এই সহস্র মাসের
— ৪৬


ضَعِيفٌ، وَالْحَدِيثُ مُرْسَلٌ أَيْضًا. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ - هُوَ الْحُدَّانِيُّ - ثَنَا يُوسُفُ بْنُ مَازِنٍ الرَّاسِبِيُّ قَالَ: «قَامَ رَجُلٌ إِلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ بَعْدَ مَا بَايَعَ مُعَاوِيَةَ، فَقَالَ يَا مُسَوِّدَ وُجُوهِ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ الْحَسَنُ: لَا تُؤَنِّبْنِي، رَحِمَكَ اللَّهُ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى بَنِي أُمَيَّةَ يَخْطُبُونَ عَلَى مِنْبَرِهِ رَجُلًا فَرَجُلًا، فَسَاءَهُ ذَلِكَ فَنَزَلَتْ: {إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ} [الكوثر: 1] . يَعْنِي نَهْرًا فِي الْجَنَّةِ. وَنَزَلَتْ: {إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ} [القدر: 1] [الْقَدْرِ: 1 - 3] .» تَمْلِكُهُ بَنُو أُمَيَّةَ. قَالَ الْقَاسِمُ: فَحَسْبُنَا ذَلِكَ فَإِذَا هُوَ أَلْفُ شَهْرٍ لَا يَزِيدُ يَوْمًا وَلَا يَنْقُصُ. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ جَرِيرٍ الطَّبَرِيُّ، وَالْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرِكِهِ "، وَالْبَيْهَقِيُّ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ "، كُلُّهُمْ مِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيِّ - وَقَدْ وَثَّقَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، وَابْنُ مَهْدِيٍّ - عَنْ يُوسُفَ بْنِ سَعْدٍ، وَيُقَالُ: يُوسُفُ بْنُ مَازِنٍ
পৃষ্ঠা - ৫১০২
الرَّاسِبِيُّ، وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ جَرِيرٍ: عِيسَى بْنُ مَازِنٍ، قَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَهُوَ رَجُلٌ مَجْهُولٌ، وَهَذَا الْحَدِيثُ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. فَقَوْلُهُ: إِنَّ يُوسُفَ هَذَا مَجْهُولٌ. مُشْكِلٌ; وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ أَرَادَ أَنَّهُ مَجْهُولُ الْحَالِ، فَإِنَّهُ قَدْ رَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ، مِنْهُمْ: حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، وَخَالِدٌ الْحَذَّاءُ، وَيُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ هُوَ مَشْهُورٌ. وَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ قَالَ: هُوَ ثِقَةٌ. فَارْتَفَعَتِ الْجَهَالَةُ عَنْهُ مُطْلَقًا. قُلْتُ: وَلَكِنْ فِي شُهُودِهِ قَضِيَّةَ الْحَسَنِ وَمُعَاوِيَةَ نَظَرٌ، وَقَدْ يَكُونُ أَرْسَلَهَا عَمَّنْ لَا يُعْتَمَدُ عَلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ سَأَلْتُ شَيْخَنَا الْحَافِظَ أَبَا الْحَجَّاجِ الْمِزِّيَّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ: هُوَ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ. وَأَمَّا قَوْلُ الْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ، رَحِمَهُ اللَّهُ: إِنَّهُ حَسَبَ دَوْلَةَ بَنِي أُمَيَّةَ، فَوَجَدَهَا أَلِفَ شَهْرٍ، لَا تَزِيدُ يَوْمًا وَلَا تَنْقُصُهُ. فَهُوَ غَرِيبٌ جِدًّا، وَفِيهِ نَظَرٌ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ لَا يُمْكِنُ إِدْخَالُ دَوْلَةِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَكَانَتْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ، لَا مِنْ حَيْثُ الصُّورَةِ، وَلَا مِنْ حَيْثُ الْمَعْنَى; وَذَلِكَ أَنَّهَا مَمْدُوحَةٌ; لِأَنَّهُ أَحَدُ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ وَالْأَئِمَّةِ الْمَهْدِيِّينَ، الَّذِينَ قَضَوْا بِالْحَقِّ، وَبِهِ كَانُوا يَعْدِلُونَ، وَهَذَا الْحَدِيثُ إِنَّمَا سِيقَ لِذَمِّ دَوْلَتِهِمْ، وَفِي دَلَالَةِ الْحَدِيثِ عَلَى الذَّمِّ نَظَرٌ، وَذَلِكَ أَنَّهُ دَلَّ عَلَى أَنَّ لَيْلَةَ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرِ الَّتِي هِيَ دَوْلَتُهُمْ، وَلَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةٌ خَيِّرَةٌ، عَظِيمَةُ الْمِقْدَارِ وَالْبَرَكَةِ، كَمَا وَصَفَهَا اللَّهُ تَعَالَى بِهِ، فَمَا يَلْزَمُ مِنْ تَفْضِيلِهَا عَلَى دَوْلَتِهِمْ ذَمُّ دَوْلَتِهِمْ، فَلْيُتَأَمَّلْ هَذَا; فَإِنَّهُ دَقِيقٌ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْحَدِيثَ
পৃষ্ঠা - ৫১০৩

মধ্যে হযরত উছমান (বা) (তিনি উমাইয়া ব শের ছিলেন) এর বার বছরের খিলাফ্তকাল
কোন ক্রমেই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না ৷ কারণ হযরত উছমান ছিলেন খুলাফায়ে রাশেদার
অন্যতম ৷ সঠিক পথের ইমাম, হকের পতা ৷কাবাহী ৷ত তাছাড়া এ হাদীসের মুল প্রতিপাদ্য বিষয়
উমাইয়া শাসনের নিন্দা করা ৷ বিক্ষ্ম হাদীস দ্বারা নিন্দা প্রমাণ করা কঠিন ৷ কেননা, হাদীসের
বক্তব্য হচ্ছে-কদরেব রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম অর্থাৎ বনু উমাইয়াদের শাসনকাল
অপেক্ষা উত্তম ৷ কদরের রাত একটি উত্তম রাত অতি সম্মানিত ও বরকতময় রাত ৷ আল্লাহ
নিজেই তার বর্ণনা করেছেন ৷ সুতরাং এ রাতকে উমাইয়াদের শাসনকালের তুলনায় অধিক
উত্তম বলায় সে শাসনকালের নিন্দা করা হয় না ৷ এ দিকটি চিন্তা করলে হাদীস সহীহ্ হওয়ার
ব্যাপারে সন্দেহ থেকে যায় ৷ কারণ এ হাদীসের উদ্দেশ্যই হলো উমাইয়া শাসনামলের নিন্দা
জ্ঞাপন করা ৷

আর যদি উমাইয়াদের শাসনকড়ালের সুচনা ধরা হয় হযরত মুণ্আবিয়ার শাসনকাল থেকে,
যখন তিনি ইমাম হাসান (রা) থেকে খিলড়াফতে র দায়িতু বুঝে নেন ৷ তাহলে এ ঘটনা সং ঘটিত
হয়েছিল হি চল্লিশ কিংব৷ একচল্লিশ সনে ৷ এই বছরকে বলা হতে তা মিলনের বছর ৷ যেহেতু সে
সময় মুসলমানগণ এক ইমামের আনুগত্যে ঐক্যবদ্ধ হন ৷ বুখারী শরীফে আবু বাকরা (রা)
থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা হাসান ইবন আলীকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, আমার এ
নাতি একজন নেত তা ৷ আশা করা যায় আল্লাহ্ এর দ্বারা মুসলমানদের বিরাট দুটি দলের মধ্যে
সমঝোতা সৃষ্টি করে দেবেন :

৷ এ

উক্ত সমঝোত ৷ এ বছরেই সম্পাদিত হয়েছিল ৷ প্রকৃতপক্ষে এ বছর থেকেই বনু
উমা ইয়াদের শাসন আরম্ভ হয় ও একশত বত্রিশ সন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ৷ তারপরে ক্ষমতা
আব্বাসীয় বংশের হাতে চলে যায় ৷ এতে উমাইয়াদের শাসনকালের মোট সময় হয় বিরানব্বই
বছর যা এক হাজার মাসের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ নয় ৷ কেননা, এক হাজার মাসে বছর গণনায়
হয়৩ তিরাশি বছর চার মাস ৷ কেউ প্রশ্ন করতে পারে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রের নয়
বছরের শাসন উমাইয়াদের শ্ ৷৷সনকালের মধ্যে হিসাবে আসবে না ৷ তাতে বিরানব্বই থেকে নয়
বছর বাদ গেলে তিরাশি বছরই উমাইয়াদের প্রকৃত শাসনকাল হয় ৷

এ প্রশ্নের উত্তর কয়েকভাবে দেয়৷ যায় ৷ প্রথমত ইবন যুবায়রের নয় বছর বাদ দিলেও তা
পুর্ণাঙ্গরুপে এক হাজার মাসের সম পরিমান হয় না-যে, একদিন বেশিও নয়, একদিন কমও
নয়, বরং বলা যায় প্রায় এক হাজার মাসের সমান ৷ দ্বিভীয়ত ইবন যুবায়রের শাসন কেবল
হিজায ও আহ্ওষে সীমাবদ্ধ ছিল, ইরাভ্রুকে অল্প কিছুদিন শাসন করেছেন, কারও মতে মিশরেও
তার শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৷ জ্যি সিরিয়া থেকে উমাইয়াদের শাসন কখনও উৎখাত হয়নি ৷
বরং ইবন যুবায়র যখন ঐ সব দেশ শাসন করেন সিরিয়ার তখন উমাইয়াদের রাজতু অব্যাহত
ছিল ৷৩ তৃভীয়ত উমাইয়াদের শাসনকাল এক হাজার মাস গণ্য করা হলে উমর ইবন আবদুল
আযীযের র্ধখলাফতও তার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় ৷ এবং হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী তার খিলাফত
আমলও নিন্দনীয় বলে গণ্য হয় ৷ বিক্ষ্ম কোন মুসলিম ঐতিহাসিক সে কথা স্বীকার করেননি ৷
বরং তারা তাকে খুলাফায়ে রাশেদার মধ্যে গণ্য করেছেন ৷ তার শাসন আমলকে খলীফা


فِي صِحَّتِهِ نَظَرٌ; لِأَنَّهُ إِنَّمَا سِيقَ لِذَمِّ أَيَّامِهِمْ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. وَأَمَّا إِذَا أَرَادَ أَنَّ ابْتِدَاءَ دَوْلَتِهِمْ مُنْذُ وَلِيَ مُعَاوِيَةُ حِينَ تَسَلَّمَهَا مِنَ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، فَقَدْ كَانَ ذَلِكَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، أَوْ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ. وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: عَامُ الْجَمَاعَةِ. لِأَنَّ النَّاسَ كُلَّهُمُ اجْتَمَعُوا عَلَى إِمَامٍ وَاحِدٍ. وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، «عَنْ أَبِي بَكْرَةٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ عَظِيمَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ» . فَكَانَ هَذَا فِي هَذَا الْعَامِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَاسْتَمَرَّ الْأَمْرُ فِي أَيْدِي بَنِي أُمَيَّةَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ إِلَى سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، حَتَّى انْتَقَلَ إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ، وَمَجْمُوعُ ذَلِكَ ثَنَتَانِ وَتِسْعُونَ سَنَةً، وَهَذَا لَا يُطَابِقُ أَلْفَ شَهْرٍ; لِأَنَّ مُعَدَّلَ أَلْفِ شَهْرٍ ثَلَاثٌ وَثَمَانُونَ سَنَةً وَأَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ، فَإِنْ قَالَ: أَنَا أُخْرِجُ مِنْهَا وِلَايَةَ ابْنِ الزُّبَيْرِ. وَكَانَتْ تِسْعَ سِنِينَ، فَحِينَئِذٍ يَبْقَى ثَلَاثٌ وَثَمَانُونَ سَنَةً. فَالْجَوَابُ أَنَّهُ وَإِنْ خَرَجَتْ وِلَايَةُ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَإِنَّهُ لَا يَكُونُ مَا بَقِيَ مُطَابِقًا لِأَلْفِ شَهْرٍ تَحْدِيدًا، بِحَيْثُ لَا يَنْقُصُ يَوْمًا وَلَا يَزِيدُهُ، كَمَا قَالَهُ، بَلْ يَكُونُ ذَلِكَ تَقْرِيبًا، هَذَا وَجْهٌ. الثَّانِي: أَنَّ وِلَايَةَ ابْنِ الزُّبَيْرِ كَانَتْ بِالْحِجَازِ وَالْأَهْوَازِ وَالْعِرَاقِ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ، وَفِي مِصْرَ فِي قَوْلٍ، وَلَمْ تَنْسَلِبْ يَدُ بَنِي أُمَيَّةَ مِنَ الشَّامِ أَصْلًا، وَلَا زَالَتْ دَوْلَتُهُمْ بِالْكُلِّيَّةِ فِي ذَلِكَ الْحِينِ. الثَّالِثُ: أَنَّ هَذَا يَقْتَضِي دُخُولَ دَوْلَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي حِسَابِ بَنِي أُمَيَّةَ، وَمُقْتَضَى مَا ذَكَرَهُ أَنْ تَكُونَ دَوْلَتُهُ مَذْمُومَةً، وَهَذَا لَا يَقُولُهُ أَحَدٌ مِنْ أَئِمَّةٍ الْإِسْلَامِ، وَإِنَّهُمْ مُصَرِّحُونَ بِأَنَّهُ أَحَدُ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ حَتَّى قَرَنُوا أَيَّامَهُ تَابِعَةً لِأَيَّامِ الْأَرْبَعَةِ، وَحَتَّى اخْتَلَفُوا فِي أَيِّهِمَا أَفْضَلُ; هُوَ أَمْ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ أَحَدِ الصَّحَابَةِ؟ وَقَدْ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ: لَا أَرَى قَوْلَ أَحَدٍ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৫১০৪
التَّابِعَيْنِ حُجَّةٌ إِلَّا قَوْلَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. فَإِذَا عُلِمَ هَذَا، فَإِنْ أَخْرَجَ أَيَّامَهُ مِنْ حِسَابِهِ انْخَرَمَ حِسَابُهُ، وَإِنْ أَدْخَلَهَا فِيهِ مَذْمُومَةً خَالَفَ الْأَئِمَّةَ، وَهَذَا مَا لَا مَحِيدَ عَنْهُ، وَكُلُّ هَذَا مِمَّا يَدُلُّ عَلَى نَكَارَةِ هَذَا الْحَدِيثِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ أَبِي الْعَبَّاسِ، سَمِعَ أَبَا الطُّفَيْلِ، سَمِعَ عَلِيًّا يَقُولُ: لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ فِي بَنِي أُمَيَّةَ مَا لَمْ يَخْتَلِفُوا بَيْنَهُمْ. حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي سَالِمٍ الْجَيْشَانِيِّ، سَمِعَ عَلِيًّا يَقُولُ: الْأَمْرُ لَهُمْ حَتَّى يَقْتُلُوا قَتِيلَهُمْ، وَيَتَنَافَسُوا بَيْنَهُمْ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ بَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ أَقْوَامًا مِنَ الْمَشْرِقِ، فَقَتَلُوهُمْ بَدَدًا وَأَحْصَوْهُمْ عَدَدًا، وَاللَّهِ لَا يَمْلِكُونَ سَنَةً إِلَّا مَلَكْنَا سَنَتَيْنِ، وَلَا يَمْلِكُونَ سَنَتَيْنِ إِلَّا مَلَكْنَا أَرْبَعًا. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ الْوَلِيدِ، عَنِ الْأَزْهَرِ بْنِ الْوَلِيدِ: سَمِعْتُ أُمَّ الدَّرْدَاءِ تَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ يَقُولُ: إِذَا قُتِلَ الْخَلِيفَةُ الشَّابُّ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ بَيْنَ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ مَظْلُومًا، لَمْ تَزَلْ طَاعَةٌ