আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره عليه الصلاة والسلام بمقتل الحسين بن علي
পৃষ্ঠা - ৫০৬৪


দেশ শাসনের এই ব্যবস্থা ন্যায়নীতি ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে ৷ এরপর সর্ব প্রথম
উমাইয়া গোত্রের জনৈক ব্যক্তি একে শ্ৰীহীন করে ফেলবে ৷ বায়হাকী আওফ-আল-আবাবী
আবু বর (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেছেন :
ষ্ঠাং )ট্রু ৷ ;, ৷ অর্থাৎ বনুউমাইয়ার এক ব্যক্তিই সর্ব
প্রথম আমার অনুসৃত নীতির পরিবর্তন সাধন করবে ৷ এ হাদীসের বর্ণনা সুত্রে আবুল অড়ালিয়া ও
আবুযর (রা)-এর মাঝের বর্ণনড়াকারীর নাম উল্লেখ নেই ৷ কিন্তু উপরে উল্লেখিত আবু উবায়দার
হাদীসের সাথে অর্থের মিল থাকায় বায়হাকী একে অগাধিকার করেছেন ৷ তিনি বলেন, হতে
পারে উক্ত ব্যক্তির দ্বারা ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ানকেই বুঝান হয়েছে ৷

আমার মতে মুঅড়াবিয়ার পুত্র ইয়াযীদের ব্যাপারে লোক তিন শ্রেণীতে বিভক্ত ৷ একদল
তাকে ভালবাসে এবং তার নেতৃতু পছন্দ করে ৷ এরা সিরিয়ার একটি দল ৷ এদেরকে বলা হয়
নড়াসিবী ৷ আর একদল ইয়াযীদের কঠোর সমালোচনা করে, তার উপরে অভিশাপ বর্ষণ করে,
জঘন্য অপবাদ তার নামে রটায়, এমনটি তাকে যিনৃদিক বা নাস্তিক বলেও অভিহিত করে ৷
প্রকৃতপক্ষে ইয়াযীদ এমনটা ছিল না ৷ অপর এক দল না তাকে ভালবাসে, না পালি ও
অভিশম্পাত দেয় ৷ কারণ, তাদের বিশ্বাস যে ইয়াযীদ যিনৃদিক ছিল না, যেমন রাফিজীরা বলে
থাকে ৷ কারণ তার শাসনামলে বহু ভয়াবহ নৃশংসতা ও জঘনতেম ঘটনার অবতারণা হয় ৷
কারবালায় হযরত হুসায়ন ইবন আলী (রা)-এর হত্যাকান্ডের ন্যায় পৈশাচিক ঘটনা সংঘটিত
হয় ৷ তবে এ হ্ত্যাকান্ড সম্পর্কে ইয়াষীদ পুর্ব থেকে অবস্থিত ছিল না-এবৎ এ বিষয়ে সম্ভবত সে
সভুষ্টও ছিল না, আবার অসন্তুষ্টিও প্রকাশ করেনি ৷ হুসাইনের হত্যা ও মদীনার ধ্বংস সাধন বা
হারবার ঘটনা ছিল তার রাজত্কালের কলংকজনক অধ্যায় ৷ পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা হবে ৷

হুসায়ন (রা) এর শাহাদাত সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

হুসায়ন (রা)-এর শাহাদাত সম্পর্কে হাদীসে ভবিষ্যদ্বাণীর উল্লেখ পাওয়া যায় ৷ ইমাম
আহমদ আবদুস সামাদ আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ একদা বৃষ্টি বর্ষণের দায়িত্বে
নিয়োজিত ফেরেশতা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমনের অনুমতি প্রার্থনা করেন ৷ তিনি
তাকে আসার অনুমতি দিলেন ৷ নবী করীম (সা) উম্মে সালামাংক বললেন : দরজার দিকে লক্ষ্য
রাখবে, যেন কেউ প্রবেশ করতে না পারে ৷ কিছুক্ষণ পর শিশু হুসায়ন ইবন আলী এসে ফীক
দিয়ে দরজা অতিক্রম করে ভিতরে প্রবেশ করেন ৷ তিনি নবী করীম (না)-এর ঘাড়ে চেপে
বসতে প্রয়াস পেলেন ৷ ফেরেশতা জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি একে খুব বেশি ভালবাসেন ?
নবী করীম (সা) বললেন, হী ৷ ফেরেশতা বললেন-আপনার উম্মতরাই একে হত্যা করবে ৷ যদি
আপনি দেখতে চান তবে সেই স্থানও আমি দেখিয়ে দিতে পারি, যেখানে তাকে হত্যা করা
হবে ৷ এরপর হাত বাড়িয়ে ফেরেশতা এক মুঠো লাল মাটি এনে দিলেন ৷ উম্মে সালামা (রা) ঐ
মাটি আপন কাপড়ের আচলে বেধে রাখেন ৷ আনাস (রা) বলেন, আমরা প্রায়ই শুনতড়াম যে,
হুসাইন কারবালায় শহীদ হবেন ৷ বায়হাকী একাধিক সুত্রে আমারা মাধ্যমে এ হাদীসটি বণ্টা
করেছেন ৷ এই আমারা সম্পর্কে বিভিন্ন জনের সমালোচনা আছে ৷ আবু হাতিম বলেছেন, তিনি
হাদীস লিখে রাখতেন, র্তার হাদীস দলীলরুপে গ্রহণযোগ্য নয় ৷ আহমদ কখনও র্তাকে দুর্বল


رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ» . وَهَذَا مُنْقَطِعٌ بَيْنَ أَبِي الْعَالِيَةِ وَأَبِي ذَرٍّ، وَقَدْ رَجَّحَهُ الْبَيْهَقِيُّ بِحَدِيثِ أَبِي عُبَيْدَةَ الْمُتَقَدِّمِ. قَالَ: وَيُشْبِهُ أَنَّ يَكُونَ هَذَا الرَّجُلُ هُوَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: النَّاسُ فِي يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ أَقْسَامٌ; فَمِنْهُمْ مَنْ يُحِبُّهُ وَيَتَوَلَّاهُ، وَهُمْ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ مِنَ النَّوَاصِبِ، وَأَمَّا الرَّوَافِضُ فَيَشْغَبُونَ عَلَيْهِ، وَيُشَنِّعُونَ وَيَفْتَرُونَ عَلَيْهِ أَشْيَاءَ كَثِيرَةً لَيْسَتْ فِيهِ، وَيَتَّهِمُهُ كَثِيرٌ مِنْهُمْ أَوْ أَكْثَرُهُمْ بِالزَّنْدَقَةِ، وَلَمْ يَكُنْ كَذَلِكَ، وَطَائِفَةٌ أُخْرَى لَا يُحِبُّونَهُ وَلَا يَسُبُّونَهُ; لِمَا يَعْلَمُونَ مِنْ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ زِنْدِيقًا كَمَا تَقَوَّلَهُ الرَّافِضَةُ، وَلِمَا وَقَعَ فِي زَمَانِهِ مِنَ الْحَوَادِثِ الْفَظِيعَةِ، وَالْأُمُورِ الْمُسْتَنْكَرَةِ الْبَشِيعَةِ الشَّنِيعَةِ، فَمِنْ أَنْكَرِهَا قَتْلُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ بِكَرْبَلَاءَ، وَلَكِنْ لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ مِنْ عِلْمٍ مِنْهُ، وَلَعَلَّهُ لَمْ يَرْضَ بِهِ وَلَمْ يَسُؤْهُ، وَكَذَلِكَ مِنَ الْأُمُورِ الْمُنْكَرَةِ جِدًّا وَقْعَةُ الْحَرَّةِ وَمَا كَانَ مِنَ الْأُمُورِ الْقَبِيحَةِ بِالْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ، عَلَى مَا سَنُورِدُهُ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ فِي التَّارِيخِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [إِخْبَارُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِمَقْتَلِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ] الْإِخْبَارُ بِمَقْتَلِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَقَدْ وَرَدَ فِي الْحَدِيثِ بِمَقْتَلِ الْحُسَيْنِ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ حَسَّانَ، ثَنَا عُمَارَةُ، يَعْنِي ابْنَ زَاذَانَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: اسْتَأْذَنَ مَلَكُ الْمَطَرِ
পৃষ্ঠা - ৫০৬৫

বলেছেন, কখনও আবার বিশ্বস্তও বলেছেন ৷ কিন্তু তিনি ব্যতীত অন্যদের মাধ্যমেও এ হাদীসটি
বর্ণিত আছে ৷ হাফিয বায়হাকী ভিন্ন সুত্রে আইশা (রা) থেকে উপরের অনুরুপই বর্ণনা
করেছেন ৷ অপর এক সুত্রে বায়হাকী উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একদা ঘৃমিয়ে ছিলেন ৷ কিছুক্ষণ পর জেগে উঠেন ৷ র্তাকে অস্থির দেখাচ্ছিল ৷ পুনরায় ঘৃমিয়ে
যান ৷ আবারও জেগে উঠেন ৷ এবারও তাকে অস্থির দেখাচ্ছিল ৷ তবে প্রথমবারের তুলনায় কম ৷
তৃতীয়বার পুনরায় ঘৃমিয়ে পড়েন ও পরে জেগে উঠেন ৷ এবার তীর হাতে লাল রংয়ের কিছু
মাটি দেখা (গল-যা তিনি উলটিয়ে পালটিয়ে দেখছেন ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ৰু এ মাটি কিসের ? তিনি উত্তর দিলেন, এটা ইরাকের সেই স্থানের মাটি, যেখানে
হুসায়ন নিহত হবে-জিবরীল এ কথা আমাকে জানিয়েছেন ৷ আমি তবে বললাম, হে জিবরীল,
যেখানে সে নিহত হবে, সে স্থানের কিছু মাটি আমাকে দেখাও-সুতরাং এই যে মাটি ৷ অতঃপর
বায়হাকী বলেন, সালিহ্ ইবন ইয়াযীদ আন-নাখঈ ও শাহ্র ইবন হাওশাবও অনুরুপ বর্ণনা উষ্মে
সালামার থেকে করেছেন ৷
হাফিয আবু বকর বায্যার তার মুসনাদ গ্রন্থে ইব্রাহীম ইবন ইউসুফ সুত্রে ইবন আব্বাস
(বা) থেকে বর্ণনা ক্লরেন ৷ একদা হুসায়ন নবী করীম (না)-এর কোলে বসে ছিলেন ৷ জিবরীল
(আ) জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি একে ’থুব স্নেহ করেন ? নবী করীম (সা) বললেন, কেন
স্নেহ করবো না , সেভাে আমার কলিজার টুকরো ৷ জিবরীল বললেন, তবে শুনে রাখুন, আপনার
উম্মতরাই তাকে হত্যা করবে ৷ তার বধ্যভুমির মাটি এনে আপনাকে আমি দেখাবে কি ? এ
কথা বলে তিনি এক মুষ্ঠি মাটি বের করে দেখান ৷ দেখা গেল সে মাটি লাল বর্ণের ৷ হাদীস
বর্ণনা শেষে বাঘৃযার এর সমালোচনা করে বলেন, অন্য কোন সুত্রে এ হাদীস আমার নিকট
পৌছেনি ৷ এ হাদীসের বর্ণনড়াকারী হুসায়ন ইবন ঈসা তার উস্তাদ হাকাম ইবন আবান থেকে
এমন কতকগুলি হাদীস বর্ণনা করেছেন, যা আমরা অন্য কারও নিকট থেকে শুনিনি ৷ ইমাম
বুখারী হুসায়ন ইবন ঈসাকে অজ্ঞাত পরিচয় বলেছেন; তার সাত জন রাবী তার নিকট থেকে
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবুযুরআ র্তাকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন (অগ্নহণযােগ্য হাদীস
বর্ণনকােরী) ৷ আবু হাতিম বলেছেন, হাদীস বর্ণনায় তিনি সরল নন ৷ হাকাম ইবন আবান থেকে
তিনি বহু মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ অবশ্য ইবন হিব্বান তাকে বিশ্বস্ত (ধ্রু) বলে
অভিহিত করেছেন ৷ ইবন অড়াদী বলেছেন, তীর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা খুবই কম ৷ সাধারণভাবে
তীর হাদীস গরীব’ পর্যায়তুক্ত, আর কিছু সংখ্যক মুনকার পর্যায়ের ৷
বায়হাকী হাকাম হারিছের কন্যা উম্মুল ফযল থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদা
আমি রাসুল (না)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! গত রাত্রে আমি একটি
খারাপ স্বপ্ন দেখেছি ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কী যে স্বপ্ন ? উম্মুল ফযল বললেন, দেখি যে,
আপনার শরীরের একটি অংশ কেটে গেছে এবং আমার কোলে রাখা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তুমি উত্তম স্বপ্ন দেখেছ ৷ অর্থাৎ এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা হলো , ফাতিমার একটি পুত্র সন্তান
হবে এবং সে তোমার কোলে লালিত পালিত হবে৷ পরবর্তীকালে হযরত ফাতিমার (রা)
গর্ভজাত সন্তান হযরত হুসায়ন (রা)-এর জন্ম হয় এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
অনুযায়ী তিনি আমার কােলেই লালিত-পালিত হন ৷ হুসায়নকে নিয়ে একদা আমি নবী করীম
(না)-এর গৃহে যাই এবং তাকে তার কোলে তুলে দেই ৷ শিশু হুসায়ন আমার পানে তাকিয়ে


أَنْ يَأْتِيَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَذِنَ لَهُ فَقَالَ لِأُمِّ سَلَمَةَ: «احْفَظِي عَلَيْنَا الْبَابَ لَا يَدْخُلْ أَحَدٌ ". فَجَاءَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، فَوَثَبَ حَتَّى دَخَلَ فَجَعَلَ يَصْعَدُ عَلَى مَنْكِبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ الْمَلَكُ: أَتُحِبُّهُ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ ". قَالَ: فَإِنَّ أُمَّتَكَ تَقْتُلُهُ، وَإِنْ شِئْتَ أَرَيْتُكَ الْمَكَانَ الَّذِي يُقْتَلُ فِيهِ. قَالَ: فَضَرَبَ بِيَدِهِ فَأَرَاهُ تُرَابًا أَحْمَرَ، فَأَخَذَتْ أُمُّ سَلَمَةَ ذَلِكَ التُّرَابَ فَصَرَّتْهُ فِي طَرَفِ ثَوْبِهَا. قَالَ: فَكُنَّا نَسْمَعُ: يُقْتَلُ بِكَرْبَلَاءَ» . وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ بِشْرِ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ عُمَارَةَ، فَذَكَرَهُ. ثُمَّ قَالَ: وَكَذَلِكَ رَوَاهُ شَيْبَانُ بْنُ فُرُّوخٍ عَنْ عُمَارَةَ. وَعُمَارَةُ بْنُ زَاذَانَ هَذَا هُوَ الصَّيْدَلَانِيُّ أَبُو سَلَمَةَ الْبَصْرِيُّ، اخْتَلَفُوا فِيهِ، وَقَدْ قَالَ فِيهِ أَبُو حَاتِمٍ: يُكْتَبُ حَدِيثُهُ وَلَا يُحْتَجُّ بِهِ، لَيْسَ بِالْمَتِينِ. وَضَعَّفَهُ أَحْمَدُ مَرَّةً وَوَثَّقَهُ أُخْرَى. وَحَدِيثُهُ هَذَا قَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِهِ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ; فَرَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، نَحْوَ هَذَا. وَقَدْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ فِي آخَرِينَ، قَالُوا: أَنَا عَبَّاسٌ الْأَصَمُّ، أَنَا عَبَّاسٌ الدُّورِيُّ، ثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، ثَنَا مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫০৬৬
عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَاصٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبِ بْنِ زَمْعَةَ، «أَخْبَرَتْنِي أُمُّ سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اضْطَجَعَ ذَاتَ يَوْمٍ، فَاسْتَيْقَظَ وَهُوَ خَاثِرٌ، ثُمَّ اضْطَجَعَ فَرَقَدَ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ خَاثِرٌ دُونَ مَا رَأَيْتُ مِنْهُ فِي الْمَرَّةِ الْأُولَى، ثُمَّ اضْطَجَعَ وَاسْتَيْقَظَ وَفِي يَدِهِ تُرْبَةٌ حَمْرَاءُ وَهُوَ يُقَلِّبُهَا، فَقُلْتُ: مَا هَذِهِ التُّرْبَةُ، يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " أَخْبَرَنِي جِبْرِيلُ أَنَّ هَذَا يُقْتَلُ بِأَرْضِ الْعِرَاقِ - لِلْحُسَيْنِ - قُلْتُ لَهُ: يَا جِبْرِيلُ، أَرِنِي تُرْبَةَ الْأَرْضِ الَّتِي يُقْتَلُ بِهَا. فَهَذِهِ تُرْبَتُهَا» . ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَابَعَهُ مُوسَى الْجُهَنِيُّ عَنْ صَالِحِ بْنِ أَرْبَدَ النَّخَعِيِّ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، وَأَبَانٍ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ ": ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ الصَّيْرَفِيُّ، ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى، ثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ الْحُسَيْنُ جَالِسًا فِي حِجْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ جِبْرِيلُ: أَتَحِبُّهُ؟ فَقَالَ: " وَكَيْفَ لَا أُحِبُّهُ وَهُوَ ثَمَرَةُ فُؤَادِي ". فَقَالَ: أَمَّا إِنَّ أَمَتَّكَ سَتَقْتُلُهُ، أَلَا أُرِيكَ مِنْ مَوْضِعِ قَبْرِهِ؟ فَقَبَضَ قَبْضَةً، فَإِذَا تُرْبَةٌ حَمْرَاءُ» . ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَادِ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى قَدْ حَدَّثَ عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانٍ بِأَحَادِيثَ لَا نَعْلَمُهَا عِنْدَ غَيْرِهِ. قُلْتُ: هُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى بْنِ مُسْلِمٍ الْحَنَفِيُّ
পৃষ্ঠা - ৫০৬৭

থাকেন ৷ হঠাৎ দেখলাম রাসুলের উভয় চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে ৷ উম্মুল ফযল বলেন, আমি
জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর নবী ! আমার পিতামাতা আপনার উপর কুরবান হোনৃ-কী হয়েছে
আপনার ? তিনি উত্তরে বললেন, এইমাত্র জিবরীল আমার নিকট এসে সংবাদ দিয়ে পেলেন
যে, আমার উম্মতরাই একে হত্যা করবে ৷ আমি বললাম, একে হত্যা করবে ? তিনি বললেন,
হী ৷ এমনকি এর নিহত হওয়ার স্থান থেকে লাল বর্ণের মাটিও জিবরীল এনে আমাকে
দেখিয়েছেন ৷
ইমাম আহমদ, আফ্ফান উম্মুল ফযল থেকে বর্ণনা করেন : আমি একদা রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নিকট এসে বললড়াম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আজ আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আপনার শরীরের
একটি অঙ্গ আমার ঘরে বা আমার কোলে রয়েছে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, ইনৃশাআল্লাহ্
ফাতিমড়ার পুত্র সন্তান হবে এবং তুমি তার লালন-পালনের দায়িত্ব লাভ করবে ৷ সে মতে,
ফাতিমার গর্ভে হুসায়নের জন্ম হয়, নাম রাখা হয় হুসায়ন ৷ দৃগ্ধ পান করাবার জন্য ফাতিমা
তাকে উম্মুল ফযলের নিকট অর্পণ করেন ৷ তিনি তাকে কুছমের সাথে দৃগ্ধ পান করাতে থাকেন ৷
উম্মুল ফযল বলেন, একদিন হুসায়নকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য
আমি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বুকে তুলে নেন ৷ জ্যি ঘটনাক্রমে হুসায়ন পেশার করেন, ফলে
রাসুলের লুঙ্গিতে পেশার লেগে যায় ৷ আমি তার র্কাধের উপর হাত দ্বারা হালকা আঘাত করি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি আমার নাতিকে ব্যথা দিলে, আল্লাহ তোমাকে সংশোধন করুক,
অথবা বলেছেন আল্লাহ তোমাকে রহম করুক ৷ আমি বললড়াম, আপনার লুঙ্গিটি ধৌত করে
দেওয়ার জন্য দিন ৷ তিনি বললেন ৷
অর্থাৎ শিশু মেয়ে হলে তার পেশার ধুতে হয়, ছেলের পেশাবে পানি ঢেলে দিলেই চলবে ৷
ইমাম আহমদ এ হাদীসকে ইয়াহ্ইয়া ইবন বুকায়র সুত্রে উম্মুল ফযল থেকে উপরের অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তার মধ্যে হুসায়নের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ নাই ৷
ইমাম আহমদ, আফ্ফান ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, আমি একবার
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে স্বপ্নযােগে দেখতে পাই ৷ দেখলাম, তিনি ক্লান্ত শ্রাম্ভ হয়ে ধুলিময়
এলোকেশে শুয়ে আছেন ৷ তার হাতে রক্তভর্তি একটি বোতল ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া
ৱাসুলুল্লাহ্ ! আমার পিতামাতা আপনার উপর কুরবান হোন ! এটা কী ? তিনি বললেন, হুসায়ন
ও তার সাথীদের রক্ত ৷ আমি আজই এটা সংগ্রহ করেছি ৷ রাবী বলেন, আমরা ঐ দিন তারিখ
হিসেব করে দেখেছি তিনি ঐ দিলেই নিহত হন ৷
কাতাদা বলেন, হুসায়ন (রা) হিজরী একষট্টি সালের আশুরার তারিখে ( ১ :ই ঘুহাররম)
শুক্রবার দিনে শাহাদত বরণ করেন ৷ ঐ সময় তার বয়স ছিল চুয়ান্ন বছর ছয় মাস পনের দিন ৷
লায়ছ, আবু বকর ইবন আয়্যাশ আল-ওয়াকিদী, খলীফা ইবন খাইয়াত, আবু মাশার প্রমুখ ৬১
হি আশুরার দিনকে তার শাহাদতের তারিখ বলে উল্লেখ করেছেন ৷ তবে এদের মধ্যে কেউ
কেউ শুক্রবারের স্থলে শনিবারের কথা বলেছেন ৷ কিন্তু প্রথম মতই বিশুদ্ধতর ৷ উপরোক্ত
ঐতিহাসিকগণ হযরত হুসায়নের শাহাদতের দিনের বহু ঘটনা উল্লেখ করেছেন যেমন, সেদিন
সুর্য গ্রহণ হয় (কিন্তু এ তথ্য নির্জ্যযােগ্য নয়), দিগত্তে পরিবর্তন সাধিত হয়, কোন পাথর
উঠালে তার নিচে রক্ত দেখা যাওয়া, তবে কেউ এটিকে কেরল বায়তুল মুকাদ্দাসের পাথরের
ব্যাপারে প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করেছেন ৷ ঘাসের ছাইতে পরিণত হওয়া, আগুন দ্বারা জাল


أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ أَخُو سُلَيْمٍ الْقَارِئُ. قَالَ فِيهِ الْبُخَارِيُّ: مَجْهُولٌ. يَعْنِي مَجْهُولَ الْحَالِ، وَإِلَّا فَقَدَ رَوَى عَنْهُ تِسْعَةُ نَفَرٍ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ: مُنْكَرُ الْحَدِيثِ. وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: لَيْسَ بِالْقَوِيِّ، رَوَى عَنِ الْحَاكِمِ بْنِ أَبَانٍ أَحَادِيثَ مُنْكَرَةً. وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " الثِّقَاتِ " وَقَالَ ابْنُ عَدِيٍّ قَلِيلُ الْحَدِيثِ، وَعَامَّةُ حَدِيثِهِ غَرَائِبُ، وَفِي بَعْضِ أَحَادِيثِهِ الْمُنْكَرَاتُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْهَيْثَمِ الْقَاضِي، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، ثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ شَدَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ، أَنَّهَا دَخَلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي رَأَيْتُ حُلْمًا مُنْكَرًا اللَّيْلَةَ. قَالَ: " وَمَا هُوَ؟ " قَالَتْ: إِنَّهُ شَدِيدٌ. قَالَ: " وَمَا هُوَ؟ " قَالَتْ: رَأَيْتُ كَأَنَّ قِطْعَةً مِنْ جَسَدِكَ قُطِعَتْ وَوُضِعَتْ فِي حِجْرِي. فَقَالَ: " رَأَيْتِ خَيْرًا، تَلِدُ فَاطِمَةُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ غُلَامًا، فَيَكُونُ فِي حِجْرِكِ ". فَوَلَدَتْ فَاطِمَةُ الْحُسَيْنَ، فَكَانَ فِي حِجْرِي كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَخَلْتُ يَوْمًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَضَعْتُهُ فِي حِجْرِي، ثُمَّ حَانَتْ مِنِّي الْتِفَاتَةٌ، فَإِذَا عَيْنَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُهَرِيقَانِ الدُّمُوعَ. قَالَتْ: قُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ৫০৬৮


দেওয়া সত্বেও গোশত জমাট রক্তে পরিবজ্যি হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ৷ তবে এসব ঘটনার কোনটি
বাস্তব হতেও পারে কিন্তু অধিকাৎশই অগ্রহণযোগ্য ৷ তবে কোন কোনটি হয়েও থাকতে পারে ৷
কারণ, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনী অড়াদমের মধ্যে দুনিয়ার ও আখিরাতে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, কিন্তু তার
মৃত্যুতে ঐ সবের কিছুই সংঘটিত হয়নি ৷ রাসুলুল্লড়াহ্ (সা)-এর পরে আবু বকর (রা) উম্মতের
শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, র্তার বেলায়ও এসব ঘটেনি ৷ উমর (রা) ফজরের নামায আদায়রত অবস্থায় শহীদ
হন, তার ক্ষেত্রেও ওসব কিছু হয়নি ৷ উছমড়ান (রা) গৃহবন্দী অবস্থায় শহীদ হন; আলী (রা)
ফজরের নামায শেষে শহীদ হন, কিন্তু তাদের বেলায় ঐ সবের কোন কিছুই দেখা যায়নি ৷

হস্ফোদ উম্মে সালাম (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, হুসায়নের শাহাদাতে জিনদেরকে
তিনি বিলাপ করতে শুনেছেন ৷ এ ঘটনা সত্য ও বাস্তব ৷ শাহ্র ইবন হাওশাব বলেন, আমরা
উম্মে সালামড়ার নিকটে বসা ছিলাম, এমন সময় হুসায়নের শাহাদতের সংবাদ পৌছে ৷ সংবাদ
শুনে তিনি বেহুশ হয়ে পড়েন ৷

শাহাদতের কারণ : ইরাকের অধিবাসীরা এই মর্মে হুসায়নের নিকট তাদের স্বহস্ত লিখিত
পত্র প্রেরণ করে যে, তিনি ইরাকে গেলে তারা তার পক্ষে থেলাফতের বায়অড়াত (শপথ) গ্রহণ
করবে ৷ এ জাতীয় চিঠি ইরাকের জনগণ ও স্বয়ং হুসায়নের পিতৃব্য পুত্র মুসলিম ইবন
অড়াকীলের পক্ষ থেকে বার বার আসতে থাকে ৷ কিন্তু ইরাকে ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়ার
প্রতিনিধি উরায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদেব নিকট যখন এসব গোপন তথ্য ফাস হয়ে যায় তখন সে
মুসলিম ইবন আকীলকে হত্যা করার জন্য তার নিকট লোক পাঠায় ৷ তারা তাকে হত্যা করে
প্রাসাদের উপর থেকে জনতার মধ্যে ফেলে দেয় ৷ এর পরেই হুসায়ন সমর্থকদের মতের
পরিবর্তন হয়ে যায় এবং কথার সুর পাল্টে যায় ৷ এখানে এসব ঘটনা চলছিল, অথচ ওদিকে
হুসায়ন ইরাকের উদ্দেশ্যে হিজাজ থেকে রওয়ানা হওয়ার চুড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন ৷
ইরাকে যা কিছু ঘটে গেল তিনি তার কিছুই উপলব্ধি করতে পারেননি ৷ সুতরাং সকল প্রস্তুতি
গ্রহণ করে তিনি নিজ পরিবারবর্গ ও অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে ইরাক অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ এ
দলে সর্বমোট প্রায় তিনশ’ লোক শামিল ছিলেন ৷ যাত্রার প্রাক্কালে সাহাবীগণের একটি জামাত
হুসায়নকে ইরাক যেতে বাধা দেন ৷ হযরত আবু সাঈদ, জাবির, ইবন আব্বাস, ও ইবন উমর
প্রমুখ বিশিষ্ট সাহাবীগণ হুসায়নকে ইরাকে না যাওয়ার পরামর্শ দেন ৷ কিন্তু তিনি কারও কথাই
শুনলেন না ৷ হযরত ইবন উমর (রা) বিরত রাখার জন্য কী প্রাণপণ চেষ্টাই না করেছেন৷ তিনি
দৃঢ়ভাবে এ কথা বলতে থাকেন যে, আপনি যা আশা করছেন তা হবার নয় ৷ কিন্তু হুসায়ন
তাতে নিবৃত্ত হলেন না ৷ ,

হাফিয রায়হাকী ও আবু দাউদ তায়ালিসি ইয়াহ্ইয়া ইবন সালিম শাবী সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, ইবন উমর (রা) মদীনায় এসে জানতে পারলেন যে, হুসায়ন ইবন আলী
ইরাক অভিমুখে যাত্রা করেছেন ৷ তখনই তিনি হুসায়নকে ফিরিয়ে আনার লক্ষে দু অথবা তিন
দিনের পথ অতিক্রম করে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি
কোথায় চলেছেন ? হুসায়ন বললেন, ইরাকের উদ্দেশ্যে ৷ তখন তার সাথে ছিল চিঠিপত্রের
দ্ভুপ ৷ ইবন উমর (রা) বললেন, ইরাকীদের কাছে যাবেন না ৷ হুসায়নের নিকট ইরাকীদের
পাঠান চিঠিপত্র দেখিয়ে তিনি বললেন, এ সবই ইরাকীদের লেখা চিঠি ও বায়আতপত্র ৷ ইবন
উমর (রা) বললেন, আল্লাহ্ তার নবীকে দুনিয়া ও আখিরাতের যে কোন একটিকে গ্রহণ করার


بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي مَا لَكَ؟ قَالَ: " أَتَانِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ أُمَّتِي سَتَقْتُلُ ابْنِي هَذَا ". فَقُلْتُ: هَذَا؟ قَالَ: " نَعَمْ، وَأَتَانِي بِتُرْبَةٍ مِنْ تُرْبَتِهِ حَمْرَاءَ» وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ عَفَّانَ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ أَيُّوبَ عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ قَالَتْ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: إِنِّي رَأَيْتُ فِي مَنَامِي أَنَّ فِي بَيْتِي أَوْ حِجْرِي عُضْوًا مِنْ أَعْضَائِكَ. قَالَ: " تَلِدُ فَاطِمَةُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ غُلَامًا فَتَكْفُلِينَهُ، فَوَلَدَتْ لَهُ فَاطِمَةُ حُسَيْنًا، فَدَفَعَتْهُ إِلَيْهَا فَأَرْضَعَتْهُ بِلَبَنِ قُثَمَ، فَأَتَيْتُ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا أَزُورُهُ، فَأَخَذَهُ فَوَضَعَهُ عَلَى صَدْرِهِ، فَبَالَ فَأَصَابَ الْبَوْلُ إِزَارَهُ، فَزَخَخْتُ بِيَدِي عَلَى كَتِفَيْهِ، فَقَالَ: " أَوْجَعْتِ ابْنِي أَصْلَحَكِ اللَّهُ ". أَوْ قَالَ: " رَحِمَكِ اللَّهُ ". فَقُلْتُ: أَعْطِنِي إِزَارَكُ أَغْسِلْهُ. فَقَالَ: " إِنَّمَا يُغْسَلُ بَوْلُ الْجَارِيَةِ، وَيُصَبُّ عَلَى بَوْلِ الْغُلَامِ» . وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي بُكَيْرٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ قَابُوسَ بْنِ مُخَارِقٍ، عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ سَوَاءً، وَلَيْسَ فِيهِ الْإِخْبَارُ بِقَتْلِهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادٌ، أَنَا عَمَّارُ بْنُ أَبِي عَمَّارٍ،
পৃষ্ঠা - ৫০৬৯
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ بِنِصْفِ النَّهَارِ وَهُوَ قَائِلٌ، أَشْعَثَ أَغْبَرَ بِيَدِهِ قَارُورَةٌ فِيهَا دَمٌ، فَقُلْتُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذَا؟ : قَالَ: " هَذَا دَمُ الْحُسَيْنِ وَأَصْحَابِهِ لَمْ أَزَلْ أَلْتَقِطُهُ مُنْذُ الْيَوْمِ ". قَالَ فَأَحْصَيْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ فَوَجَدُوهُ قُتِلَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» . قَالَ قَتَادَةُ: قُتِلَ الْحُسَيْنُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ، وَلَهُ أَرْبَعٌ وَخَمْسُونَ سَنَةً وَسِتَّةُ أَشْهُرٍ وَنِصْفُ شَهْرٍ. وَهَكَذَا قَالَ اللَّيْثُ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ الْوَاقِدِيُّ وَخَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَأَبُو مَعْشَرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، أَنَّهُ قُتِلَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ عَامَ وَاحِدٍ وَسِتِّينَ، وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ قُتِلَ يَوْمَ السَّبْتِ، وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ، وَقَدْ ذَكَرُوا فِي مَقْتَلِهِ أَشْيَاءَ كَثِيرَةً أَنَّهَا وَقَعَتْ; مِنْ كُسُوفِ الشَّمْسِ يَوْمَئِذٍ - وَهُوَ ضَعِيفٌ - وَتَغْيِيرُ آفَاقِ السَّمَاءِ، وَلَمْ يَنْقَلِبْ حَجَرٌ إِلَّا وُجِدَ تَحْتَهُ دَمٌ، وَمِنْهُمْ مَنْ خَصَّصَ ذَلِكَ بِحِجَارَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَأَنَّ الْوَرْسَ اسْتَحَالَ رَمَادًا، وَأَنَّ اللَّحْمَ صَارَ مِثْلَ الْعَلْقَمِ وَكَانَ فِيهِ النَّارُ، إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِمَّا فِي بَعْضِهَا نَكَارَةٌ، وَفِي بَعْضِهَا احْتِمَالٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَلَمْ يَقَعْ شَيْءٌ مِنْ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ، وَكَذَلِكَ الصِّدِّيقُ بَعْدَهُ مَاتَ وَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ مِنْ هَذَا، وَكَذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قُتِلَ شَهِيدًا وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي الْمِحْرَابِ صَلَاةَ الْفَجْرِ، وَحُصِرَ عُثْمَانُ فِي دَارِهِ، وَقُتِلَ بَعْدَ ذَلِكَ شَهِيدًا، وَقُتِلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ شَهِيدًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ
পৃষ্ঠা - ৫০৭০


ইখতিয়ার দেন ৷ নবী করীম (সা) দুনিয়ার পরিবর্তে আখিরাতকে বেছে নেন ৷ আপনারা সেই
নবীরই পরিবারভুক্ত লোক, আল্লাহর কসম, আপনাদের পরিবারভুক্ত কেউ-ই-এ দুনিয়ার কর্তৃত্ব
পারেন না ৷ নিকৃষ্ট বস্তু সরিয়ে দিয়ে উৎকৃষ্ট বস্তুর অধিকারী আপনাদেরকে করা হয়েছে ৷ সুতরাং
ফিরে চলুন ৷ কিন্তু হুসড়ায়ন (রা) অনুরোধ মানলেন না এবং বললেন, দেখুন, আমার নিকট এই
যে তাদের চিঠিপত্র ও বায়আতনামা রয়েছে ৷ অতঃপর ইবন উমর (রা) হুসায়নের সাথে
কােলাকুলি করে বললেনঃ ,া প্ ;প্রুপ্রু ৰুএে ৷ এ;প্রু: ৷ অর্থাৎ নিহত লাশরুপে আপনাকে
আল্লাহর সমীপে অর্পণ করছি ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর যা অনুভব করেছিলেন, তাই বাস্তবে
পরিণত হলো ৷ তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, নবী পরিবারের (:ৰু এ ৷) কেউ-ই
পুণঙ্গিরুপে ও স্থিতিশীলভারে খিলাফতে আসীন হবেন না ৷ অবশ্য ইতিপুর্বে হযরত উছমড়ান এবং
আলীও একই কথা বলেছিলেন ৷ আবু সড়ালিহ খালীল তার আল-ফিতান ওয়াল মালাহিম গ্রন্থে
উছমান ও আলী (রা)-এর বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন ৷

আমি বলি, এখানে এবল্টা প্রশ্ন হতে পারে যে, মিসরে ফাতিমীদের খিলাফত প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে এবং আলী (বা) খলীফা চতুষ্টয়ের একজন, সুতরাং ইবন উমরের উক্তি তাহলে যথার্থ
হয় কিভাবে ? এ প্রশ্নের উত্তরে আমার বক্তব্য এই যে, মিসরে ফাতিমী বংশের নামে যারা
খিলাফত চালিয়েছে তারা প্রকৃতপক্ষে ফাতিমী বংশোদ্ভুত নয়, বরং তারা ফাতিমী বলে
নিজেদের দাবি করতো ৷ অধিকাৎশ ঐতিহাসিকদের মত এটাই ৷ আর আলীতো (রা) আবু
তালিবের পুত্র, রাসুলের পরিবায়ভুক্ত (; এ ৷) ছিলেন না ৷ তাছাড়া হযরত আলীর
খিলাফত পুর্ণাঙ্গ ও স্থিতিশীল ছিল না-যেমনটি ছিল তার পুর্বসুরী খলীফাত্রয়ের খিলাফত ৷
রাংজ্যর সকল স্থানে তার ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিতও হয়নি এবং সে অবন্থায়ই খিলাফতের বিপর্যয়
নেমে আসে ৷ হযরত আলীর পুত্র হাসান যখন সেনাদলের নেতৃতৃই গ্রহণ করলেন এবং
সিরিয়াবাসীদের মুকাবিলায় বুব্রহ রচনা করেন ৷ আগে তিনি দেখলেন যে, তার খিলাফতের দাবি
ত্যাগ করার মধ্যে মুসলিম সমাজের কল্যাণ নিহিত এবং তাতে মুসলমানদের মধ্যে রক্তপাত
বন্ধ হয়ে ৷ তাই তিনি খিলাফতের দাবি থেকে সরে র্দাড়ালেন ৷

পক্ষাম্ভরে হযরত হুসড়ায়ন ইবন আলী (রা)-কে ইবন উমর (রা) যখন ইরাক যেতে ধারণ
করেন অথচ তিনি ইবন উমরের কথা জানেন না, তখন তিনি হুসড়ায়নকে কােলাকুলি করে
বিদায় জানান এবং বলেন, মৃত লাশরুপে আল্লাহর নিকট আপনাকে সোপর্দ করছি ৷ আর ইবন
উমর আপন প্রজ্ঞা দ্বারা যা উপলব্ধি করেছিলেন পরিণতিতে তাই ঘটে গেল ৷ কারণ, হুসড়ায়ন
ইরাকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন, সংবাদ পেয়ে উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদ আমর ইবন সাদ
ইবন আবু ওয়াক্কাসের সেনাপতিত্নে চার হাজার সৈন্য হুসায়নের আগমন পথের দিকে পাঠিয়ে
দেয় তার গতিরোধ করার জন্য ৷ এই আমর ইবন সাদ কিছুদিন পুর্বেচাকুরী থেকে অব্যাহতি
চেয়ে পদত্যাগ পত্র পেশ করেছিল, কিন্তু তা গৃহীত হয়নি ৷ যাহোক, উভয়পক্ষ তুফ্ (এ্া )
অঞ্চলের কারবালা নামক স্থানে পরস্পর সম্মুখীন হয় ৷ হুসড়ায়ন ও তার সাথীগণ নিকটস্থ একটি
গ্ৰামকে পশ্চাতে রেখে শত্রুবাহিনীর মুখোমুখি হন ৷ হুসায়ন তাদেরকে তিনটি প্রস্তাব দেন এবং
যে কোন একটি মেনে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান ;;

১ হয় তাকে ছেড়ে দেয়া হোক অথবা যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফিরে থেকে দেয়া
হোক ৷

— : :


قَبْلَ صَلَاةِ الْفَجْرِ، وَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ مِنْ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّهَا سَمِعَتِ الْجِنَّ تَنُوحُ عَلَى الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ. وَهَذَا صَحِيحٌ. وَقَالَ شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ: كُنَّا عِنْدَ أُمِّ سَلَمَةَ فَجَاءَهَا الْخَبَرُ بِقَتْلِ الْحُسَيْنِ، فَخَرَّتْ مَغْشِيًّا عَلَيْهَا. وَكَانَ سَبَبُ قَتْلِ الْحُسَيْنِ أَنَّهُ كَتَبَ إِلَيْهِ أَهْلُ الْعِرَاقِ يَطْلُبُونَ مِنْهُ أَنْ يَقْدَمَ عَلَيْهِمْ لِيُبَايِعُوهُ بِالْخِلَافَةِ، وَكَثُرَ تَوَاتُرُ الْكُتُبِ عَلَيْهِ مِنَ الْعَامَّةِ وَمِنَ ابْنِ عَمِّهِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ، فَلَمَّا ظَهَرَ عَلَى ذَلِكَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ نَائِبُ الْعِرَاقِ لِيَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، بَعَثَ إِلَى مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ فَضَرَبَ عُنُقَهُ، وَرَمَاهُ مِنَ الْقَصْرِ إِلَى الْعَامَّةِ، فَتَفَرَّقَ مَلَؤُهُمْ وَتَبَدَّدَتْ كَلِمَتُهُمْ، هَذَا وَقَدْ تَجَهَّزَ الْحُسَيْنُ مِنَ الْحِجَازِ إِلَى الْعِرَاقِ، وَلَمْ يَشْعُرْ بِمَا وَقَعَ، فَتَحَمَّلَ بِأَهْلِهِ وَمَنْ أَطَاعَهُ وَكَانُوا قَرِيبًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةٍ، وَقَدْ نَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ; أَبُو سَعِيدٍ، وَجَابِرٌ وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَابْنُ عُمَرَ فَلَمْ يُطِعْهُمْ. وَمَا أَحْسَنَ مَا نَهَاهُ ابْنُ عُمَرَ عَنْ ذَلِكَ، وَاسْتَدَلَّ لَهُ عَلَى أَنَّهُ لَا يَقَعُ مَا يُرِيدُهُ فَلَمْ يَقْبَلْ; فَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَالِمٍ الْأَسَدِيِّ، وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ " عَنْهُ قَالَ: «سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ يَقُولُ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ
পৃষ্ঠা - ৫০৭১


২ কিৎবা তড়াকে নিকটবর্তী কোন সীমান্তে অবস্থান গ্রহণের সুযোগ দেয়া হোক, যাতে
তিনি ইসলামের শক্রদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে পারেন ৷

৩ অথবা তাকে ইয়াযীদ ইবন মুআৰিয়ার নিকট যেতে দেয়া হোক, তিনি তার কাছে
আত্মসমর্পণ করবেন, তখন ইয়াযীদ যেরুপে ইচ্ছা সিদ্ধান্ত নেবেন ৷

কিভু তারা এ তিন প্রস্তাবের একটিও মেনে নিতে রাজী হলো না; বরং বললো, আপনাকে
অবশ্যই উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদের নিকট যেতে হবে ৷ তিনি আপনার ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত
নেবেন তা তিনিই বুঝবেন ৷ হুসায়ন উবায়দুল্লাহর নিকট কিছুতেই যাবেন না বলে জানিয়ে
দিলেন ৷ বাধ্য হয়ে তিনি তাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন ৷ তারা হুসায়নকে হত্যা করলো এবং
দেহ থেকে শির বিচ্ছিন্ন করে উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদের সম্মুখে পেশ করলো ৷ উবায়ল্লোহ্ তার
হাতের ছড়ি দ্বারা হুসায়নের বিচ্ছিন্ন শ্যিরর সম্মুখ র্দাতে আঘাত করতে থাকে ৷ ঐ মজলিসে
আনাস ইবন মালিক (রা) উপ ত ছিলেন ৷ তিনি উবায়দৃল্লাহকে বললেন :


অর্থাৎ ওহে! তোমার ছড়িটি উঠিয়ে নাও ৷ কারণ, আমি বহুবার দেখেছি রাসুলুল্লাহ্ (না)
এই দাতে চুমু থেয়েছেন ৷ অতঃপর উবায়দৃল্লাহ ইবন যিয়াদ হুসায়নের শিরসহ তার পরিবারের
লোকজন ও অন্যান্য সাথীদেরকে সিরিয়ার ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়াব নিকট পৌছিয়ে দেয়ার
জন্য নির্দেশ দিল ৷ উবায়দুল্লাহ আরও বলে দিল যে, ইয়াযীদকে যেন জানান হয় যে, শিরসহ
এদেরকে উবায়দুল্লাহ পাঠিয়েছে ৷ কারও কারও মতে সে হুসায়ন (রা) এর বিচ্ছিন্ন শির
মোবারকও ইয়াযীদ সমীপে পাঠিয়ে দিয়েছিলাে এবং যথারীতি তা ইয়াযীদের সম্মুরুখ পেশও
করা হয়েছিল ৷ যা হোক, শির যখন ইয়াযীদের সম্মুখে নীত হলো তখন সে নিম্নোক্ত কবিতাটি
আবৃত্তি করেং :

অর্থাৎ আমরা এমন একটি জনগোষ্ঠীর মধ্য হতে শিরচ্ছেদ করে এসেছি যাদের মর্যাদা ও
খ্যাতি ছিল আমাদের উপরে সুপ্রতিষ্ঠিত, তবে তারা ছিল অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী ৷ এরপর
ইয়াযীদ বন্দীদেরকে মদীনায় পাঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় ৷ যখন তারা মদীনায় পৌছেন তখন

আবদুল মুত্তালিবের বংশোদ্ভুত জনৈক মহিলা উম্মাদের ন্যায় এসে তাদের সহিত সাক্ষাৎ করেন
এবং মস্তকে হাত রেখে বিলাপের সুরে বলতে থাকেন :


০ ন্ # ) শ্ :


০ ষ্

অর্থাৎ-সেই দিন কি উত্তর দেবে, যে দিন নবী জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা কি করে এসেছ ?
অথচ তােমরাই পৃথিবীর সর্বশেষ উম্মত? আমার স্বজন ও পরিবারের মৃত্যুর পরে আমার


قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَأُخْبِرَ أَنَّ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ قَدْ تَوَجَّهَ إِلَى الْعِرَاقِ، فَلَحِقَهُ عَلَى مَسِيرَةِ لَيْلَتَيْنِ أَوْ ثَلَاثٍ مِنَ الْمَدِينَةِ. فَقَالَ: أَيْنَ تُرِيدُ؟ قَالَ: الْعِرَاقَ. وَمَعَهُ طَوَامِيرُ وَكُتُبٌ، فَقَالَ: لَا تَأْتِهِمْ. فَقَالَ: هَذِهِ كُتُبُهُمْ وَبَيْعَتُهُمْ. فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ خَيَّرَ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَاخْتَارَ الْآخِرَةَ وَلَمْ يُرِدِ الدُّنْيَا، وَإِنَّكُمْ بَضْعَةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهِ لَا يَلِيهَا أَحَدٌ مِنْكُمْ أَبَدًا، وَمَا صَرَفَهَا عَنْكُمْ إِلَّا لِلَّذِي هُوَ خَيْرٌ لَكُمْ، فَارْجِعُوا. فَأَبَى وَقَالَ: هَذِهِ كُتُبُهُمْ وَبَيْعَتُهُمْ. قَالَ: فَاعْتَنَقَهُ ابْنُ عُمَرَ وَقَالَ: أَسْتَوْدِعُكَ اللَّهَ مِنْ قَتِيلٍ. وَقَدْ وَقَعَ مَا فَهِمَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ مِنْ ذَلِكَ سَوَاءً، مِنْ أَنَّهُ لَمْ يَلِ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ الْخِلَافَةَ عَلَى سَبِيلِ الِاسْتِقْلَالِ وَيَتِمَّ لَهُ الْأَمْرُ، وَقَدْ قَالَ ذَلِكَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ لَا يَلِي أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ أَبَدًا» . رَوَاهُ عَنْهُمَا أَبُو صَالِحٍ السَّلِيلُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عِيسَى بْنِ الشَّيْخِ فِي كِتَابِهِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ". قُلْتُ: وَأَمَّا الْخُلَفَاءُ الْفَاطِمِيُّونَ الَّذِينَ كَانُوا بِالدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، فَإِنَّ أَكْثَرَ الْعُلَمَاءِ عَلَى أَنَّهُمْ أَدْعِيَاءُ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ، وَمَعَ هَذَا لَمْ يَتِمَّ لَهُ الْأَمْرُ كَمَا كَانَ لِلْخُلَفَاءِ الثَّلَاثَةِ قَبْلَهُ، وَلَا اتَّسَعَتْ يَدُهُ فِي الْبِلَادِ كُلِّهَا، ثُمَّ تَنَكَّدَتْ عَلَيْهِ الْأُمُورُ وَأَمَّا ابْنُهُ الْحَسَنُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّهُ لَمَّا جَاءَ فِي جُيُوشِهِ وَتَصَافَى هُوَ وَأَهْلُ الشَّامِ، وَرَأَى أَنَّ الْمَصْلَحَةَ فِي تَرْكِ الْخِلَافَةِ، تَرَكَهَا لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَصِيَانَةً لِدِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ، أَثَابَهُ اللَّهُ وَرِضَى عَنْهُ، وَأَمَّا الْحُسَيْنُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّ ابْنُ عُمَرَ لَمَّا أَشَارَ عَلَيْهِ بِتَرْكِ الذَّهَابِ إِلَى الْعِرَاقِ
পৃষ্ঠা - ৫০৭২
وَخَالَفَهُ، اعْتَنَقَهُ مُوَدِّعًا وَقَالَ: أَسْتَوْدِعُكَ اللَّهَ مِنْ قَتِيلٍ. وَقَدْ وَقَعَ مَا تَفَرَّسَهُ ابْنُ عُمَرَ، فَإِنَّهُ لَمَّا اسْتَقَلَّ ذَاهِبًا بَعَثَ إِلَيْهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ بِكَتِيبَةٍ فِيهَا أَرْبَعَةُ آلَافٍ، يَقْدُمُهُمْ عُمَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَاصٍّ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَا اسْتَعْفَاهُ فَلَمْ يُعْفِهِ، فَالْتَقَوْا بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ كَرْبَلَاءُ. بِالطَّفِّ، فَالْتَجَأَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ وَأَصْحَابُهُ إِلَى مَقْصَبَةٍ هُنَالِكَ، وَجَعَلُوهَا مِنْهُمْ بِظَهْرٍ، وَوَاجَهُوا أُولَئِكَ، وَطَلَبَ مِنْهُمُ الْحُسَيْنُ إِحْدَى ثَلَاثٍ، إِمَّا أَنْ يَدَعُوهُ يَرْجِعُ مِنْ حَيْثُ جَاءَ، وَإِمَّا أَنْ يَذْهَبَ إِلَى ثَغْرٍ مِنَ الثُّغُورِ فَيُقَاتِلَ فِيهِ، أَوْ يَتْرُكُوهُ حَتَّى يَذْهَبَ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ فَيَضَعَ يَدَهُ فِي يَدِهِ، فَيَحْكُمَ فِيهِ بِمَا شَاءَ، فَأَبَوْا عَلَيْهِ وَاحِدَةً مِنْهُنَّ، وَقَالُوا: لَا بُدَّ مِنْ قُدُومِكَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَيَرَى فِيكَ رَأْيَهُ، فَأَبِي أَنْ يَقَدَمَ عَلَيْهِ أَبَدًا، وَقَاتَلَهُمْ دُونَ ذَلِكَ، فَقَتَلُوهُ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَذَهَبُوا بِرَأْسِهِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، فَوَضَعُوهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِقَضِيبٍ فِي يَدِهِ عَلَى ثَنَايَاهُ وَعِنْدَهُ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ جَالِسٌ، فَقَالَ لَهُ: يَا هَذَا، ارْفَعْ قَضِيبَكَ، قَدْ طَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ يَقْبَلُ هَذِهِ الثَّنَايَا. ثُمَّ أَمَرَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ أَنْ يُسَارَ بِأَهْلِهِ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ إِلَى الشَّامِ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ بَعَثَ مَعَهُمْ بِالرَّأْسِ حَتَّى وُضِعَ بَيْنَ يَدَيْ يَزِيدَ، فَأَنْشَدَ حِينَئِذٍ قَوْلَ بَعْضِهِمْ نُفَلِّقُ هَامًا مِنْ رِجَالٍ أَعِزَّةٍ ... عَلَيْنَا وَهُمْ كَانُوا أَعَقَّ وَأَظْلَمَا ثُمَّ أَمَرَ بِتَجْهِيزِهِمْ إِلَى الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ، فَلَمَّا دَخَلُوهَا تَلَقَّتْهُمُ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ نَاشِرَةً شَعْرَهَا، وَاضِعَةً كَفَّهَا عَلَى رَأْسِهَا تَبْكِي وَهِيَ تَقُولُ