আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم بمنزلة الحسن بن علي وسيادته
পৃষ্ঠা - ৫০৩৮

বানান ও ভ্রাণ প্রাণ সঞ্চার করেন তারকসম-এর থেকে এইটা রক্তে রঞ্জিত হবে, অর্থাৎ মাথা
থেকে দাড়ি; এবং সে দৃকৃতিকারীকে আটক করা হবেনা ৷ আবদুল্লাহ ইবন সুবায় বলেন, হে
আমীরুল মুমিনীন ! যদি কোন পাগলে এ কাজ করে তবে আল্লাহ্র শপথ, আমরা তার
গোত্রকে সমুলে উৎপাটিত করে দেব ৷ তিনি বললেন, আমি তোমাকে আল্পাহ্র দোহইি দিয়ে
বলছি, আমার হত্যাকারীকে ব্যতীত অন্য কাউকে হত্যা করবে না ৷ লোকজন বললো, হে
আমীরুল মুমিনীন! আপনি কি খলীফা মনোনীত করে যাবেন না ? তিনি বললেন, আমি
তােমাদেরকে সেভাবে ছেড়ে যাব যেভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছেড়ে গেছেন ৷ তারা বললো,
আমাদেরকে নেতৃতৃহীন ছেড়ে গেলে আল্লাহর নিকট আপনি কী জবাব দেবেন ? তিনি বললেন,
আমি বলবো, হে আল্লাহ্! আপনি আমাকে তাদের খলীফা রেখেছিলেন যদ্দিন আপনার ইচ্ছা
ছিল ৷ এখন আমাকে আপনি উঠিয়ে নিয়ে এসেছেন এবং আমি আপনাকে তাদের মাঝে রেখে
এসেছি ৷ আপনি ইচ্ছা করলে তাদেরকে কল্যাণ দান করতে পারেন; আর যদি ইচ্ছা করেন তবে
ধ্বংসও করতে পারেন ৷ বায়হাকী হাদীস এ ভাবেই মাওকুফরুপে বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এ
হাদীসের শব্দ ও অর্থ অনেকটা অপরিচিত ও অসামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ প্রসিদ্ধ মতে, হযরত আলী
ফজরের নামায পড়ে আসার পথে আব্দুর রহমান ইবন মুলজিমের হাতে বর্শাবিদ্ধ হন, এ
আঘাতের পর তিনি দৃ’দিন জীবিত ছিলেন ৷ ইবন মুলজিম বন্দী হয় ৷ আলী তার পুত্র হাসানকে
উপদেশ দান করেন এবং সৈন্যদের সাথে মিশতে নির্দেশ দেন ৷
হযরত আলীর শাহাদাতের পর আবদুর রহমান ইবন মুলজিমকে কিসাস বা শাস্তি স্বরুপ
হত্যা করা হয় ৷ তারপর হযরত হাসান অশ্বারোহণ করে সৈন্যদলের সাথে মিলিত হন এবং
মুআবিয়ার বিরুদ্ধে অগ্রসর হন, যার বর্ণনা সামনে আসছে ৷

হযরত আলীর পরে হাসানের খিদাফত লাভ এবং পরে মুআবিয়ার নিকট
খিলাফত হস্তান্তর সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম বুখারী দালাইলুন নবুওত অধ্যায়ে আবদুল্লাহ ইবন মুহম্মদ সুত্রে আবু বাক্রা
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন হাসান ইবন আলীকে নিয়ে বের
হলেন ৷ অতঃপর তাকে নিয়ে বিষয়ের উপর আরোহণ করে বললেন, আমার এই দৌহিত্র নেতা
হবে ৷ আশা করা যায়, আল্লাহ্ তার সাহায্যে মুসলমানদের বিবাদমান দুটি দলের মধ্যে
আপোস করে দিবেন ৷ সুল্হ্ (সন্ধি) অধ্যায়ে আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ সুত্রে হাসান (বসরী)
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আল্লাহ্র কসম, হাসান ইবন আলী মুআবিয়ার বিরুদ্ধে
বিপুল সংখ্যক সৈন্যসহ উপস্থিত হন ৷ দেখতে তা ছিল সারিবদ্ধ পর্বতমালার ন্যায় ৷ আমর ইবন
আস (রা) বললেন, আমি বিপুল পরিমাণ সৈন্য দেখতে পাচ্ছি; কিন্তু তাদের সঙ্গী সৈন্যদের
হত্যা না করা পর্যন্ত ওরা পালাবে না ৷ মুআৰিয়া বললেন, (আর ঐ দৃজনের মধ্যে তিনিই
ছিলেন কল্যাণকামী) হে আমর ! যদি এরা ওদেরকে হত্যা করে আর ওরা এদেরকে হত্যা করে
তা হলে মানুষের সমস্যার ব্যাপারে কে আমাকে সাহায্য করবে ৷ এদের শ্রীদের দায়িত্ব কে
নেবে? কে তাদের সন্তানদের দায়িত্ব গ্রহণ করবে ? সুতরাং মুআবিয়া কুরায়শ গোত্রের বনু
আবদে শামৃস শাখার দৃজনকে হড়াসানের নিকট প্রেরণ করেন ৷ একজনের নাম আবদুর রহমান
ইবন সামুরা, অন্যজনের নাম আবদুল্লাহ্ ইবন আমির ইবন কুরায়য ৷ মুআবিয়া এদেরকে


الْجَارِيَةُ. فَلَمَّا مَاتَ قُتِلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلْجِمٍ قَوَدًا. وَقِيلَ: حَدًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ، ثُمَّ رَكِبَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فِي الْجُنُودِ، وَسَارَ إِلَى مُعَاوِيَةَ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَنْزِلَةِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ وَسِيَادَتُهُ] ذِكْرُ إِخْبَارِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ، وَسِيَادَةِ وَلَدِهِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ فِي تَرْكِهِ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ، وَإِعْطَائِهِ ذَلِكَ الْأَمْرَ مُعَاوِيَةَ، وَتَقْلِيدِهِ إِيَّاهُ مَا كَانَ يَتَوَلَّاهُ وَيَقُومُ بِأَعْبَائِهِ قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، ثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: «أَخْرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ، فَصَعِدَ بِهِ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ: " إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ» وَقَالَ فِي كِتَابِ الصُّلْحِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ: «اسْتَقْبَلَ وَاللَّهِ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ بِكَتَائِبَ أَمْثَالِ الْجِبَالِ، فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: إِنِّي لَأَرَى كَتَائِبَ لَا تُوَلَّى حَتَّى تَقْتُلَ أَقْرَانَهَا. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ - وَكَانَ وَاللَّهِ خَيْرَ الرَّجُلَيْنِ - أَيْ عَمْرُو، إِنْ
পৃষ্ঠা - ৫০৩৯
قَتَلَ هَؤُلَاءِ هَؤُلَاءِ، وَهَؤُلَاءِ هَؤُلَاءِ، مِنْ لِي بِأُمُورِ النَّاسِ؟ مَنْ لِي بِنِسَائِهِمْ؟ مَنْ لِي بِضَيْعَتِهِمْ؟ فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَجُلَيْنِ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ; عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ، فَقَالَ: اذْهَبَا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فَاعْرِضَا عَلَيْهِ، وَقُولَا لَهُ وَاطْلُبَا إِلَيْهِ. فَأَتَيَاهُ فَدَخَلَا عَلَيْهِ فَتَكَلَّمَا وَقَالَا لَهُ، وَطَلَبَا إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُمَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ: إِنَّا بَنُو عَبْدِ الْمَطْلَبِ قَدْ أَصَبْنَا مِنْ هَذَا الْمَالِ، وَإِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ قَدْ عَاثَتْ فِي دِمَائِهَا. قَالَا: فَإِنَّهُ يَعْرِضُ عَلَيْكَ كَذَا وَكَذَا، وَيَطْلُبُ إِلَيْكَ وَيَسْأَلُكَ. قَالَ: فَمَنْ لِي بِهَذَا؟ قَالَا: نَحْنُ لَكَ بِهِ. فَمَا سَأَلَهُمَا شَيْئًا إِلَّا قَالَا: نَحْنُ لَكَ بِهِ. فَصَالَحَهُ، فَقَالَ الْحَسَنُ: وَلَقَدْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ يَقُولُ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ إِلَى جَنْبِهِ، وَهُوَ يُقْبِلُ عَلَى النَّاسِ مَرَّةً وَعَلَيْهِ أُخْرَى، وَيَقُولُ: " إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ عَظِيمَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ".» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: إِنَّمَا ثَبَتَ لَنَا سَمَاعُ الْحَسَنِ مِنْ أَبِي بَكْرَةَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا فِي فَضْلِ الْحَسَنِ وَفِي كِتَابِ الْفِتَنِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، وَهُوَ إِسْرَائِيلُ بْنُ مُوسَى. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَشْعَثَ، وَأَبُو دَاوُدَ أَيْضًا وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ
পৃষ্ঠা - ৫০৪০

বললেন, তোমরা উভয়েই তার কাছে যাও ৷ তার নিকট সন্ধির প্রস্তাব দাও, আলোচনা কর এবং
সন্ধি চুক্তিতে র্বীকে সম্মত কর ৷ তারা উভয়ে হলোঃনর নিকট গেলেন, র্তার সম্মুখে উপস্থিত
হলেন এবং আলোচনার মাধ্যমে সন্ধির প্রস্তাব দিলেন ৷ তখন হাসান (রা) তাদেরকে বললেন,
আমরা বনু আবদুল মুত্তালিবের হুলাক, এ কারণে আমরা এত পরিমাণ সম্পদ হারিয়েছি ৷ এ
উষ্মতের মধ্যে বিশৃত্খলান্ দেখা দিয়েছে ও রক্তপাত ঘটহে ৷ তারা বললেন, আপনার নিকট অমুক
অমুক প্রস্তাব আসবে ৷ আপনার কাছে অমুক অমুক দাবি-দাওয়া পেশ বন্যা হবে ৷ হাসান
বললেন, কে এ ব্যাপারে আমার জিমাদার হবে ? তারা বললেন, এ ব্যাপারে আমরাই আপনার
জিম্মাদার হবো ৷ এরপর হাসান তাদের কাছে যে প্ৰশ্নই ণ্তালেন তার সে ব্যাপারে নিত্তেরােই
দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ সুতরাং সন্ধি চুড়ান্ত হলো ৷ অতঃপর হাসান বললেন, আমি শুনেছি, আবু
বকরা বল্যেছা, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বিষয়ের উপর দেখেছি ৷ আর হাসান ইবন আলী
তার পাশে রয়েছেন ৷ তিনি একবার উপস্থিত লোকদের দিকে তকােচ্ছিলেন আর একবার
হাসানের দিকে তাকাচ্ছিলেন এবং বলহিলেন : আমার এই সন্তান সইিয়িদ-৫নতা ৷ আশা করি,
আল্লাহ একে দিয়ে মুসলমানদের বিরটি দু’টি দলের মধ্যে আপোস করিয়ে দেবেন ৷ বুখারী
বলেন, আলী ইবন আবদুল্লাহ্ আমাকে জানিয়েছেন যে, এই হাদীস দ্বারা আমরা প্রমাণ পাই
যে, হাসান আবু বকরা থেকে সরাসরি হাদীসটি শুনেছেন ৷ বুখারী এ হাদীস হযরত হাসানের
ফযীলত প্রসঙ্গে ও কিতাবুল ফিতানে আবু ইসহাক সুত্রে, আবু দাউদ ও তিরমিযী আশআছ
সুত্রে এবং পুনরায় আবু দাউদ ও নাসাঈ আলী ইবন যায়দ ইবন জাদআন সুত্রে এবং সকলেই
হাসান বসরীর মাধ্যমে আবু বক্রা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী এ হাদীসকে সহীহ্
বলেছেন ৷ হাসান ও উম্মে সালামা থেকে এটা মুরসাল ভাবেও বর্ণিত হয়েছে ৷

নবী করীম (না)-এ হাদীসে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তা হুবহু বাস্তবে পরিণত হয় ৷
কারণ, পিতার মৃত্যুর পর হযরত হাসান খিলাফতের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে ইরাকী বাহিনীতে
উপস্থিত হন ৷ মুআবিয়া মুকাবিলা করার জন্য অগ্রসর হন ৷ দু’দল পরস্পরের সম্মুখীন হয় ৷ এক
পর্যায়ে হাসান সন্ধিচুক্তি সম্পাদন করেন ৷ অতঃপর জনগণের সম্মুখে ভাষণ দান করেন ৷ চুক্তি
অনুযায়ী তিনি মুআবিযার নিকট ধিলাফত হস্তান্তর করেন ৷ হি চল্লিশ সনে এ ঘটনা সংঘটিত
হয় ৷ উভয় বাহিনীর নেতৃবর্গ মুআবিয়ার নিকট আনুগ্যত্যর বায়আত গ্রহণ করেন ৷ মুআবিয়া
মুসলমানদের একচ্ছএ আমীর হন ৷ এই বছরটিকে যিলনের বছর বলা হয় ৷ কারণ এখন থেকে
একই ব্যক্তির হাতে সমস্ত ক্ষমতা কেশ্রীভুত্ত হয় ৷ এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা বণাস্থুানে করা
হবো

আলোচ্য হাদীসে মহাসতবােদী রাসুল (সা) উভয় দলকে মুসলমান বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৷
সুতরাং তাদের মাঝে সংঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কেবল যে ব্যক্তি তাদের উত্তর দলকে

ৎবা এক দলকে কাফির বলবে সে ভ্রান্ত, ঐ নবীর বাগীকেই সে অস্বীকার করছে, যিনি

নিজের থেকে কিইে বলেন না; বরং যা কিছু বলেন ওহীর দ্বারা আদিষ্ট হয়ে বলেন ৷ এই
বছরেই রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘোষিত ধারাবাহিক খিলাফতের কাল শেষ হয়ে যায় ৷ যেমন
ইতিপুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আযাদকৃত দাস সাফীনার হাদীস বর্ণিত হয়েছে; ৷ নবী করীম
(সা) বলেছেন : আমার পরে ত্রিশ বছর পর্যন্ত খিলাফত চলবে, তারপরে আরম্ভ হবে বাদশাহী
শাসন : ৷ এক বর্ণনায় এসেছে, এরপর চলবে
— : ২


بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، كُلُّهُمْ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: صَحِيحٌ. وَلَهُ طُرُقٌ عَنِ الْحَسَنِ مُرْسَلًا، وَعَنِ الْحَسَنِ وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِهِ. وَهَكَذَا وَقَعَ الْأَمْرُ كَمَا أَخْبَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَوَاءً; فَإِنَّ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ لَمَّا صَارَ إِلَيْهِ الْأَمْرُ بَعْدَ أَبِيهِ وَرَكِبَ فِي جُيُوشِ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَسَارَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ، فَتَصَافَّا بِصِفِّينِ عَلَى مَا ذَكَرَهُ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ،، فَمَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ إِلَى الصُّلْحِ، وَخَطَبَ النَّاسَ، وَخَلَعَ نَفْسَهُ مِنَ الْأَمْرِ، وَسَلَّمَهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ، وَذَلِكَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، فَبَايَعَهُ الْأُمَرَاءُ مِنَ الْجَيْشَيْنِ، وَاسْتَقَلَّ بِأَعْبَاءِ الْأُمَّةِ، فَسُمِّيَ ذَلِكَ الْعَامُ عَامَ الْجَمَاعَةِ، لِاجْتِمَاعِ الْكَلِمَةِ فِيهِ عَلَى رَجُلٍ وَاحِدٍ، وَسَنُورِدُ ذَلِكَ مُفَصَّلًا فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَدْ شَهِدَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْفِرْقَتَيْنِ بِالْإِسْلَامِ، فَمَنْ كَفَّرَهُمْ أَوْ وَاحِدًا مِنْهُمْ لِمُجَرَّدِ مَا وَقَعَ، فَقَدْ أَخْطَأَ وَخَالَفَ النَّصَّ النَّبَوِيَّ الْمُحَمَّدِيَّ الَّذِي لَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى، إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى، وَقَدْ تُكَمَّلُ بِهَذِهِ السَّنَةِ الْمُدَّةُ الَّتِي أَشَارَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا مُدَّةُ الْخِلَافَةِ الْمُتَتَابِعَةِ بَعْدَهُ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ سَفِينَةَ مَوْلَاهُ أَنَّهُ قَالَ «: " الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا ". وَفِي رِوَايَةٍ " عَضُوضًا ". وَفِي رِوَايَةٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّهُ قَالَ رَضِينَا بِهَا مُلْكًا» وَقَدْ قَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي كِتَابِهِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ " سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৫০৪১
فُضَيْلٍ، عَنِ السَّرِيِّ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ اللَّيْلِ قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَا تَذْهَبُ الْأَيَّامُ وَاللَّيَالِي حَتَّى يَجْتَمِعَ أَمْرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَجُلٍ وَاسِعِ السُّرْمِ، ضَخْمِ الْبُلْعُمِ، يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ وَهُوَ مُعَاوِيَةُ» هَكَذَا وَقَعَ فِي هَذِهِ الرِّوَايَةِ. وَفِي رِوَايَةٍ بِهَذَا الْإِسْنَادِ «: " لَا تَذْهَبُ الْأَيَّامُ وَاللَّيَالِي حَتَّى تَجْتَمِعَ هَذِهِ الْأُمَّةُ عَلَى مُعَاوِيَةَ» وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: «وَاللَّهِ مَا حَمَلَنِي عَلَى الْخِلَافَةِ إِلَّا قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِي: " يَا مُعَاوِيَةُ، إِنْ مَلَكْتَ فَأَحْسِنْ» ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَلَهُ شَوَاهِدُ، مِنْ ذَلِكَ حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، عَنْ جَدِّهِ سَعِيدٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ أَخَذَ الْإِدَاوَةَ فَتَبِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ: «يَا مُعَاوِيَةُ، إِنْ وُلِّيتَ أَمْرًا فَاتَّقِ اللَّهَ وَاعْدِلْ " قَالَ مُعَاوِيَةُ: فَمَا زِلْتُ أَظُنُّ أَنِّي مُبْتَلًى بِعَمَلٍ، لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.»
পৃষ্ঠা - ৫০৪২

স্বেচ্ছাচারী শাসনের যুগ ৷ অপর এক বর্ণনায় আছে, মুআবিয়া বলেছেন, আমরা বাদশাহীস্বআ
সন্তুষ্ট ৷
নুআয়ম ইবন হাম্মাদ তার রচিত কিতাবুল ফিতান ওয়াল মালাহিম’ গ্রন্থে মুহাম্মদ ইবন
ফুযায়ল সুত্রে আলী (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ আলী (বা) বলেন, আমি ৱাসুলুল্লাহ্
(না)-কে বলতে শুনেছি, দিন-রাতের আবর্তনে এই জাতির শাসন ক্ষমতা এমন এক লোকের
হাতে ন্যস্ত হবে, যার পা হবে প্রশস্ত, গিরা মোটা, খেয়ে সে পরিতৃপ্ত হবে না, সে বিবস্ত্র
থাকবে ৷ একই সুত্রে অপর বর্ণনায় কথাটি এভাবে বলা হয়েছে যে, দিন-রাতেব পরিক্রমড়ায় এ
জাতি মুআবিয়ার শাসনাধীনে আসবে ৷ বায়হাকী ইসমাঈল ইবন ইব্রাহীম আম্মারের
সুত্রে বর্ণনা করেন, মুআবিয়া (বা) বলেছেন, আল্লাহর কসম, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর একটি
কথাই আমাকে খিলাফত গ্রহণে উৎসাহিত করেছে; ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বলেছিলেন, হে
মুআৰিয়া ! তুমি যদি ক্ষমতা হাতে পাও তাহলে সদর ব্যবহার করবে ৷ তারপর বায়হাকী বলেন,
এ হাদীসের সমর্থনে আরও হাদীস আছে ৷ যেমন আমর ইবন ইয়াহ্ইয়া সুত্রে সাঈদ বর্ণনা
করেন ৷ মুআবিয়া কিছু ছোট ছোট পাত্র হাতে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পশ্চাতে গমন করলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দেখে বললেন, হে মুআবিয়া ! তুমি যদি শাসন ক্ষমতা হাতে পাও
তাহলে আল্লাহ্কে ভয় করবে এবং ইনসাফ্ল প্রতিষ্ঠা করবে ৷ মুআবিয়া বললেন, এ কথা শুনার
পর থেকে আমি সর্বদা চিন্তা করেছি যে, আমি কোন এক সমস্যায় জড়িয়ে পড়বাে ৷ সুফিয়ান
ছাওরী সুত্রে রাশিদ ইবন সাদ দাবী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মুআবিয়া (বা) বলেছেন,
আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বলেছেন, তুমি যদি মানুষের গোপন বিষয়াদির সন্ধানে
তৎপর হও তবে তাদেরকে তুমি ধ্বংস করে দেবে অথবা বলেছেন, তুমি তাদেরকে বিপর্যয়ের
প্রান্তে ঠেলে দেবে ৷ আবুদ দারদা (রা) বলেন, মুআবিয়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে এমন একটি
কথা শুনেছেন, যার দ্বারা আল্পাহ্ তাকে বঅ্যাণ দান করেছেন ৷ এটি আবু দাউদের বর্ণনা ৷
বায়হাকী হুশায়ম সুত্রে আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : খিলাফত হাব মদীনায় এবং বাদশাহী হবে সিরিয়ায় ৷
ইমাম আহমদ ইসহাক ইবন ঈসা আবু দারদা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্
(সা) বলেছেন, একদা আমি ঘুমিয়ে হ্নিৰ্ড়াম ৷ স্বপ্নে তখন দেখলাম আমার মাথায় নিচ থেকে
কিতাবের পাঠুরী তুলে নেয়া হচ্ছে ৷ আমি ভাবলাম যে, এটা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ষ্৷ আমি আমার
দৃষ্টি সেদিকে নিবদ্ধ করলাম ৷ দেখলাম যে তা সিরিয়ায় নেয়া হচ্ছে ৷ এ স্বপ্নের তাৎপর্য হচ্ছে
যখন ফিত্না-ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে তখন ঈমান এই সিরিয়ায় থাকবে ৷ বায়হাকী ইয়াকুব ইবন
সুফিয়ান সুত্রে হামযা সুলামী থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং এ সুত্রকে সহীহ্ বলে
মন্তব্য করেছেন ৷ এটা ছাড়া অন্য সুত্রেও তিনি এটি বর্ণনা করেছেন ৷ উক্বা ইবন আলকামা
আবদুল্লাহ্ ইবন আমর থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন ৷ আমি স্বপ্নে
দেখলাম যে, কিতাবের পাঠুরী আমার বালিশের নিচ থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে, লক্ষ্য বন্মাআ
দেখলাম, একটি উজ্জ্বল নুর সিরিয়ার দিকে ছুটে চলছে ৷ এর তাৎপর্য হলো, ফিত্না যখন সৃষ্টি
হবে তখন ঈমান সিরিয়ায় স্থান নেবে ৷ এরপর বায়হাকী ওলীদ ইবন মুসলিম সুত্রে আবক্যুাহ্
ইবন আমর থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ তবে এখানে এ কথাটি আছে যে, অতঃপর আমার
দৃষ্টি তার অনুসরণ করলো ৷ পরে বুঝলাম যে, এ জিনিস নিয়ে যাওয়া হাব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)


وَمِنْهَا حَدِيثُ الثَّوْرِيِّ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ الدَّارِيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّكَ إِنِ اتَّبَعْتَ عَوْرَاتِ النَّاسِ أَفْسَدَتْهُمْ، أَوْ كِدْتَ أَنْ تُفْسِدَهُمْ» ثُمَّ يَقُولُ أَبُو الدَّرْدَاءِ كَلِمَةٌ سَمِعَهَا مُعَاوِيَةُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ هُشَيْمٍ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْخِلَافَةُ بِالْمَدِينَةِ، وَالْمُلْكُ بِالشَّامِ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، ثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي بُسْرٌ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ إِذْ رَأَيْتُ عَمُودَ الْكِتَابِ احْتُمِلَ مِنْ تَحْتِ رَأْسِي، فَظَنَنْتُ أَنَّهُ مَذْهُوبٌ بِهِ، فَأَتْبَعْتُهُ بَصَرِي، فَعُمِدَ بِهِ إِلَى الشَّامِ، أَلَّا وَإِنَّ الْإِيمَانَ، حِينَ تَقَعُ الْفِتَنُ، بِالشَّامِ» وَهَاهُنَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ الْبَتْلَهِيِّ بِهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ، وَرُوِيَ
পৃষ্ঠা - ৫০৪৩
مِنْ وَجْهٍ آخَرَ. ثُمَّ سَاقَهُ مِنْ طَرِيقِ عُقْبَةَ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الدِّمَشْقِيِّ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي رَأَيْتُ أَنَّ عَمُودَ الْكِتَابِ انْتُزِعَ مِنْ تَحْتِ وِسَادَتِي، فَنَظَرْتُ فَإِذَا هُوَ نُورٌ سَاطِعٌ عُمِدَ بِهِ إِلَى الشَّامِ، أَلَا إِنَّ الْإِيمَانَ، إِذَا وَقَعَتِ الْفِتَنُ، بِالشَّامِ» ثُمَّ أَوْرَدَهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ نَحْوَهُ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: " فَأَتْبَعْتُهُ بَصَرِي حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ مَذْهُوبٌ بِهِ ". قَالَ: " وَإِنِّي أَوَّلْتُ أَنَّ الْفِتَنَ إِذَا وَقَعَتْ، أَنَّ الْإِيمَانَ بِالشَّامِ» قَالَ الْوَلِيدُ: وَحَدَّثَنِي عُفَيْرُ بْنُ مَعْدَانَ، أَنَّهُ سَمِعَ سُلَيْمَ بْنَ عَامِرٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي نَصْرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْحِمْصِيُّ، ثَنَا أَبِي أَبُو ضَمْرَةَ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَيْسٍ، سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " رَأَيْتُ عَمُودًا مِنْ نُورٍ خَرَجَ مِنْ تَحْتِ رَأْسِي سَاطِعًا حَتَّى اسْتَقَرَّ بِالشَّامِ» وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫০৪৪
قَالَ رَجُلٌ يَوْمَ صِفِّينَ: اللَّهُمَّ الْعَنْ أَهْلَ الشَّامِ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: لَا تَسُبَّ أَهْلَ الشَّامِ جَمًّا غَفِيرًا، فَإِنَّ بِهَا الْأَبْدَالَ، فَإِنَّ بِهَا الْأَبْدَالَ، فَإِنَّ بِهَا الْأَبْدَالَ. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ثَنَا صَفْوَانُ، حَدَّثَنِي شُرَيْحٌ، يَعْنِي ابْنَ عُبَيْدٍ الْحَضْرَمِيَّ، قَالَ: ذُكِرَ أَهْلُ الشَّامِ عِنْدَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَهُوَ بِالْعِرَاقِ، فَقَالُوا: الْعَنْهُمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: لَا، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الْأَبْدَالُ يَكُونُونَ بِالشَّامِ، وَهُمْ أَرْبَعُونَ رَجُلًا، كُلَّمَا مَاتَ رَجُلٌ أَبْدَلَ اللَّهُ مَكَانَهُ رَجُلًا، يُسْقَى بِهِمُ الْغَيْثُ، وَيُنْتَصَرُ بِهِمْ عَلَى الْأَعْدَاءِ، وَيُصْرَفُ عَنْ أَهْلِ الشَّامِ بِهِمُ الْعَذَابُ.» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَفِيهِ انْقِطَاعٌ، فَقَدْ نَصَّ أَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ عَلَى أَنَّ شُرَيْحَ بْنَ عُبَيْدٍ هَذَا لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي أُمَامَةَ وَلَا مِنْ أَبِي مَالِكٍ الْأَشْعَرِيِّ، وَأَنَّ رِوَايَتَهُ عَنْهُمَا مُرْسَلَةٌ. فَمَا ظَنُّكَ بِرِوَايَتِهِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَهُوَ أَقْدَمُ وَفَاةً مِنْهُمَا؟!