আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم عن الفتن الواقعة فى خلافة عثمان
إخباره صلى الله عليه وسلم عن الفتن الواقعة فى خلافة عثمان
পৃষ্ঠা - ৫০০৭

শুনেছি ৷ তোমাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি জ্যাশুন্য নির্জন প্রাত্তরে মারা যাবে ৷ তখন তার নিকট
মু’মিনদের একটি দল উপস্থিত ছিলেন ৷ বিন্তু বর্তমানে তাদের কেউ-ই জীবিত নেই ৷ কেউ
গ্রামে বাড়িতে মারা গেছেন, কেউ যুদ্ধ ক্ষেত্রে শহীদ হয়েছেন ৷ বর্তমানে আমি একাই বেচে
আছি ৷ সুতরাং আমিই নির্জ্য৷ প্রান্তরে মৃত্যুবরণকারী সেই ব্যক্তি ৷ আল্লাহর কসম! রাসুলুল্পাহ্
(সা) মিথ্যা কথা বলেন নি, আর আমিও মিথ্যা বলছি না ৷ বায়হাকী এ হাদীস আলী ইবন
মাদানী সুত্রে আরও বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ এ থেকে পরিষ্কাররুপে জানা যায় যে, হযরত
আবু যায় (বা) হি ৩২ সনে হযরত উসমানের খিলাফতকালে রাবাযা প্রান্তরে ইনতিকাল
করেন ৷ কিছু লোক সেখানে উপস্থিত হয়ে আবু যরের জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থা করেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ জানাযায় ইমামতি করেন ৷ জানাযা শেষ মদীনায় ফিরে আসলে দশ
দিন পরে ইবন মাসউদও ইনতিকাল করেন ৷

আরেকটি হাদীস : আবুদ দারদা সম্পর্কে

বায়হ্াকী হাকিম সুত্রে আবুদ দারদা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি একদা
জ্যিজ্ঞস করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমি শুনতে পেলাম আপনি নাকি বলেছেন যে, আমাদের
মধ্য থেকে একদল লোক ঈমান আনার পর মুরতাদ হয়ে যাবে ৷ তিনি বললেন, ছুা, তবে তুমি
তাদের মধ্যে নও ৷ বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ্ আল-আশ আরী বলেন, আবুদ দারদ৷ হযরত
উসমানের শাহাদাতের পুর্বেই ইনতিকাল করেন ৷

ইয়া কুব ইবন সুফিয়ান সাফওয়ান সুত্রে আবুদ দারদা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন,
, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন, আমি তোমাদের পুর্বেই হাওয়ে কাওসারে উপস্থিত হবে৷ এবং
তোমাদের অপেক্ষায় থাকবাে ৷ তোমাদের কারও কারও ব্যাপারে আমি বিতণ্ডা করবো ৷ আমি
দাবি করবো যে, এ আমার উম্মত ৷ জ্যি আমাকে বলা হবে, আপনি কি জানেন আপনার পরে
এরা দীনের মধ্যে কি নতুন সংযোজন করেছিল ? আবুদ দারদা বলেন, আমি শংকিত হয়ে
পজ্ঞাম না জানি আমি যদি এই দলের অন্তর্ভুক্ত হই ৷ সুতরাং আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
এসে এ ব্যাপারে আলোচনা করলাম ৷ তিনি বললেন, তুমি তাদের মধ্যে নও ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, আবুদ দারদ৷ উসমানের হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য ফিত্না উত্তরের আগেই ইনতিকাল
করেন ৷ বায়হাকী বলেন, আবুদ দারদা এ হাদীস উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুসলিম সুত্রে “তুমি তাদের
অন্তর্ভুক্ত নও পর্যন্ত বর্ণনা করেন ৷ আমি বলি, সাঈদ ইবন আবদুল আযীয বলেছেন, হযরত
উসমানের খিলাফত শেষ হওয়ার দু বছর পুর্বে আবুদ দারদা ইনতিকাল করেন ৷ ওয়াকিদী ও
আবুউবায়দ প্রভৃতির মতে আবুদ দারদা হি ৩২ সনে ইনতিকাল করেন ৷

যরত উছমানের খিলাফতের শেষ দিকে এবং হযরত আলীর খিলাফতকালে
সংঘটিত ফিত্নাসমুহ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

বুখারী ও মুসলিমে উরওয়া সুত্রে উসামা ইবন যায়দ থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একদিন মদীনায় কোন এক টিলার উপর উঠে বলেন, আমি যা দেখতে পাচ্ছি তোমরা কি তা
দেখতে পাও? আমি তোমাদের ঘর-বাড়িসমুহে ফিত্নার উদ্ভব দেখছি যেভাবে বৃষ্টি বর্ধিত হয় ৷

ইমাম আহমদ ও মুসলিম আবু ইদরীস খাওলানী সুত্রে হুযায়ফাইবন ইয়ামান থেকে বর্ণনা
করেন ৷ হুযায়ফা বলেন, আল্লাহ্র কসম, আমার ও কিয়ামত দিবসের মাঝে যে সব ফিত্নার


[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْفِتَنِ الْوَاقِعَةِ فَى خِلَافَةِ عُثْمَانَ] ذِكْرُ إِخْبَارِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْفِتَنِ الْوَاقِعَةِ فِي آخِرِ أَيَّامِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَفِي خِلَافَةِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْرَفَ عَلَى أُطُمٍ مِنْ آطَامِ الْمَدِينَةِ، فَقَالَ: " هَلْ تَرَوْنَ مَا أَرَى؟ إِنِّي لَأَرَى مَوَاقِعَ الْفِتَنِ خِلَالَ بُيُوتِكُمْ كَمَوَاقِعِ الْقَطْرِ» " وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَمُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ: «سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ يَقُولُ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ النَّاسِ بِكُلِّ فِتْنَةٍ هِيَ كَائِنَةٌ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَ السَّاعَةِ، وَمَا ذَاكَ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَنِي مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا أَسَرَّهُ إِلَيَّ لَمْ يَكُنْ حَدَّثَ بِهِ غَيْرِي، وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ، وَهُوَ يُحَدِّثُ مَجْلِسًا أَنَا فِيهِ، سُئِلَ عَنِ الْفِتَنِ، وَهُوَ يَعُدُّ الْفِتَنَ: " فِيهِنَّ ثَلَاثٌ لَا يَذَرْنَ شَيْئًا; مِنْهُنَّ كَرِيَاحِ الصَّيْفِ، مِنْهَا صِغَارٌ وَمِنْهَا كِبَارٌ ". قَالَ حُذَيْفَةُ: فَذَهَبَ أُولَئِكَ الرَّهْطُ كُلُّهُمْ غَيْرِي» . وَهَذَا لَفْظُ أَحْمَدَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: مَاتَ حُذَيْفَةُ بَعْدَ
পৃষ্ঠা - ৫০০৮
الْفِتْنَةِ الْأَوْلَى بِقَتْلِ عُثْمَانَ، وَقَبْلَ الْفِتْنَتَيْنِ الْآخِرَتَيْنِ فِي أَيَّامِ عَلِيٍّ. قُلْتُ: قَالَ الْعِجْلِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ: كَانَتْ وَفَاةُ حُذَيْفَةَ بَعْدَ مَقْتَلِ عُثْمَانَ بِأَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَهُوَ الَّذِي قَالَ: لَوْ كَانَ قَتْلُ عُثْمَانَ هُدًى لَاحْتَلَبَتْ بِهِ الْأُمَّةُ لَبَنًا، وَلَكِنَّهُ كَانَ ضَلَالَةً، فَاحْتَلَبَتْ بِهِ الْأُمَّةُ دَمًا. وَقَالَ: لَوْ أَنَّ أَحَدًا ارْتَقَصَ لِمَا صَنَعْتُمْ بِعُثْمَانَ لَكَانَ جَدِيرًا أَنْ يَرْقُصَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ حَبِيبَةَ بِنْتِ أُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّهَا أُمِّ حَبِيبَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ سُفْيَانُ: أَرْبَعُ نِسْوَةٍ - «قَالَتْ: اسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ نَوْمِهِ وَهُوَ مُحْمَرُّ الْوَجْهِ، وَهُوَ يَقُولُ: " لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ، فُتِحَ الْيَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مَثَلُ هَذِهِ ". وَحَلَّقَ بِأُصْبُعِهِ الْإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ؟! قَالَ: نَعَمْ، إِذَا كَثُرَ الْخَبَثُ» هَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ عَمْرٍو الْأَشَعَثِيِّ وَزُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ وَابْنِ أَبِي عُمَرَ، كُلُّهُمْ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫০০৯


উদ্ভব হবে, সেসব বিষয়ে আমি অন্যান্য সকল মানুষের চেয়ে অধিক জ্ঞাত ৷ এর কারণ
হলো,রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে এসব বিষয়ে একাত্তভাবে জানিয়ে গেছেন, যা অন্য কাউকে
জানাননি ৷ এক মজলিসে আমি বসা ছিলাম, সেখানে র্তাকে ফিত্না সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে
তিনি একে একে সেগুলো বর্ণনা করতে থাকেন ৷ তার মধ্যে এমন তিনটি ফিত্না আছে যা
কাউকে বাদ দেবে না ৷ তার মধ্যে আরও কতিপয় ফিত্না যা গ্রীষ্মকালীন বায়ুর ন্যায় কিছু
আছে ক্ষুদ্র কিছু আছে বড় ৷ হুযড়ায়ফা বলেন, সেই মজলিসের সবাই দুনিয়া থেকে চলে গেছেন,
একমাত্র আমি ছাড়া (এটি আহমদের ভাষা) ৷

ৰায়হাকী বলেন, হ্যায়ফা (রা) প্রথম ফিত্না অর্থাৎ হযরত উছমান হত্যার পরে
ইনতিকাল করেন ৷ কারও মতে, হযরত আলীর সময়ে সংঘটিত ফিত্নাদ্বয়ের পরে তিনি
ইনতিকাল করেছেন ৷ আমার মতে আল-আজালীও একাধিক ঐতিহাসিকের বর্ণনানুযায়ী হযরত
উসমানের হত্যাকাণ্ডের চল্লিশ দিন পরে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ হুযায়কা (রা) বলেছিলেন :


অর্থাৎ উসমানের হত্যা যদি সঠিক হত তবে উষ্মত তার থেকে দুর দোহন করত! কিন্তু
প্রকৃত পক্ষে তার হত্যা ছিল ভ্রান্ত, তাই উষ্মত তার দ্বারা রক্ত দোহন করেছে ৷ তিনি আরও
বলেছেন, তোমরা উসমানের সাথে যে ব্যবহার করেছ তা যদি কোন লোকের অপসারণের
কারণ হয় তবে সে ব্যক্তিই অপসারণের অধিক যোগ্য ৷

ইমাম আহমদ সুফিয়ান ইবন উ য়ায়না থেকে আবু সুফিয়ানের শ্রী উম্মু হাবীবা সুত্রে নবী
সহধর্মিণী যয়নব বিনৃত জাহাশের বর্ণনা উল্লেখ করেন ৷ তিনি বলেন, একদা নবী করীম (সা)
ঘুম থেকে জাগ্রত হন, তার চেহারা রক্তিম বর্ণ ধারণ করে ৷ তিনি মুখে উচ্চারণ করেন ব্লু৷ ৷ ৰুা
ই৷ ৷ ৰু৷ ৷ আল্লাহ্ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই আসন্ন মুসীবতের কারণে আরববাসীদের অকল্যাণ
সুনিশ্চিত ৷ আজকের দিনের ইয়াজুয ও মাজুযের প্রাচীরে এতটুকু ছিদ্র হয়েছে এ বলে তিনি
বৃদ্ধাঙ্গুলী ও তজ্জীর্অগ্রভাগ মিলিয়ে গোল করে ণ্দখালেন ৷ যয়নব বিনৃত জাহাশ বলেন, আমি
জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ আমাদের মধ্যে বহু পুণ্যবান লোক থাকা সত্বেও কি আমরা
ত্স হয়ে যায়? তিনি বলেন হী, যখন অন্যায়ের প্রসার ঘটবে ৷ এ হাদীস মুসলিম, তিরমিযী ও
বুখারী আপন আপন গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী ব্যতীত অন্য সবইি সুফিয়ান ইবন
উয়ায়না সুত্রে এবং বুখারী মালিক ইবন ইসমাঈল প্রভৃতি; সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ এ হাদীসের
সনদে দু’জন তাবিঈ চারজন মহিলা সাহাবী তন্মধ্যে দৃ’জ্যা কন্যা ও দৃ’জ্যা শ্রী রয়েছেন ৷ এটি
একটি বিরল ব্যাপার ৷ এ হাদীস বর্ণনা করার পর ইমাম বুখারী, যুহরী সুত্রে হিন্দ বিনৃত হারিছ
থেকে বর্ণনা করেন যে, উম্মু সালামা বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে
বলতে লাগলেন, সুবহানাল্পাহ্! আল্লাহ্ কত ধন দৌলত নাযিল করেছেন ? আর কতই না
ফিত্না নাযিল করেছেন ৷ তিরমিযী এ হাদীস না আর ও যুহরী সুত্রে বর্ণনা করে মন্তব্য
করেছেন, যে এ হাদীসখানা হাসান সহীহ্ ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী সালত ইবন দীনার সুত্রে উকবা ও আবু রাজা থেকে বর্ণনা করেন,
তারা উভয়ে বলেন, আমরা হযরত যুবায়রকে এ আয়াতটি পড়তে শুনেছিং

ষ্ ’ fl

ট্রাণ্১এে ণ্হ্রাষ্


سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ سَوَاءً. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيِّ وَغَيْرِ وَاحِدٍ، كُلِّهِمْ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: قَالَ الْحُمَيْدِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ: حَفِظْتُ مِنَ الزُّهْرِيِّ فِي هَذَا الْإِسْنَادِ أَرْبَعَ نِسْوَةٍ. قُلْتُ: وَقَدْ أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، وَمُسْلِمٌ عَنْ عَمْرٍو النَّاقِدِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، فَلَمْ يَذْكُرَا حَبِيبَةَ فِي الْإِسْنَادِ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ شُعَيْبٌ، وَصَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، وَعَقِيلٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَتِيقٍ، وَيُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، فَلَمْ يَذْكُرُوا عَنْهُ فِي الْإِسْنَادِ حَبِيبَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَعَلَى مَا رَوَاهُ أَحْمَدُ وَمَنْ تَابَعَهُ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، يَكُونُ قَدِ اجْتَمَعَ فِي هَذَا الْإِسْنَادِ تَابِعِيَّانِ، وَهَمَا الزُّهْرِيُّ وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَأَرْبَعُ صَحَابِيَّاتٍ; رَبِيبَتَانِ وَزَوْجَتَانِ، وَهَذَا عَزِيزٌ جِدًّا. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ بَعْدَ رِوَايَتِهِ الْحَدِيثَ الْمُتَقَدِّمَ، عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فَذَكَرَهُ إِلَى آخِرِهِ، ثُمَّ قَالَ: وَعَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَتْنِي هِنْدُ بِنْتُ
পৃষ্ঠা - ৫০১০
الْحَارِثِ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ قَالَتِ: «اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " سُبْحَانَ اللَّهُ مَاذَا أُنْزِلَ مِنِ الْخَزَائِنِ؟! وَمَاذَا أُنْزِلَ مِنَ الْفِتَنِ؟!» وَقَدْ أَسْنَدَهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ مِنْ طُرُقٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا الصَّلْتُ بْنُ دِينَارٍ، ثَنَا عُقْبَةُ بْنُ صَهْبَانَ وَأَبُو رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيُّ، قَالَا: سَمِعْنَا الزُّبَيْرَ وَهُوَ يَتْلُو هَذِهِ الْآيَةَ {وَاتَّقُوا فِتْنَةً لَا تُصِيبَنَّ الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْكُمْ خَاصَّةً} [الأنفال: 25] . قَالَ: لَقَدْ تَلَوْتُ هَذِهِ الْآيَةَ زَمَانًا وَمَا أَرَانِي مِنْ أَهْلِهَا، فَأَصْبَحْنَا مِنْ أَهْلِهَا. وَهَذَا الْإِسْنَادُ ضَعِيفٌ، وَلَكِنْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا جَرِيرٌ قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ قَالَ: قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ: نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ وَنَحْنُ مُتَوَافِرُونَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {وَاتَّقُوا فِتْنَةً لَا تُصِيبَنَّ الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْكُمْ خَاصَّةً} [الأنفال: 25] فَجَعَلْنَا نَقُولُ: مَا هَذِهِ الْفِتْنَةُ وَمَا نَشْعُرُ أَنَّهَا تَقَعُ حَيْثُ وَقَعَتْ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَهْدِيٍّ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ بِهِ، وَقَدْ قُتِلَ
পৃষ্ঠা - ৫০১১
الزُّبَيْرُ بِوَادِي السِّبَاعِ مَرْجِعَهُ مِنْ قِتَالِ يَوْمِ الْجَمَلِ، عَلَى مَا سَنُورِدُهُ فِي مَوْضِعِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ السِّجِسْتَانِيُّ فِي " سُنَنِهِ ": ثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ سَلَّامُ ابْنُ سَلِيمٍ، عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ هِلَالِ بْنِ يِسَافَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ فِتْنَةً فَعَظُمَ أَمْرُهَا فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَئِنْ أَدْرَكَتْنَا هَذِهِ لَتُهْلِكَنَّا. فَقَالَ: «كَلَّا إِنَّ بِحَسْبِكُمُ الْقَتْلَ» قَالَ سَعِيدٌ: فَرَأَيْتُ إِخْوَانِي قُتِلُوا. تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ السِّجِسْتَانِيُّ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، ثَنَا يَزِيدُ، أَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ قَالَ: «قَالَ حُذَيْفَةُ: مَا أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ تُدْرِكُهُ الْفِتْنَةُ إِلَّا أَنَا أَخَافُهَا عَلَيْهِ إِلَّا مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَا تَضُرُّكَ الْفِتْنَةُ» وَهَذَا مُنْقَطِعٌ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، سَمِعْتُ أَبَا بُرْدَةَ يُحَدِّثُ عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ ضُبَيْعَةَ، سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ يَقُولُ: إِنِّي لَأَعْرِفَ رَجُلًا لَا تَضُرُّهُ الْفِتْنَةُ. فَأَتَيْنَا الْمَدِينَةَ، فَإِذَا فُسْطَاطٌ مَضْرُوبٌ، وَإِذَا مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ الْأَنْصَارِيُّ، فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: لَا أَسْتَقِرُّ بِمِصْرٍ مِنْ أَمْصَارِهِمْ حَتَّى تَنْجَلِيَ هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৫০১২
الْفِتْنَةُ عَنْ جَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، يَعْنِي السِّجِسْتَانِيَّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ شُعْبَةَ بِهِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ ضُبَيْعَةَ بْنِ حُصَيْنٍ التَّغْلِبِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ بِمَعْنَاهُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ ": هَذَا عِنْدِي أَوْلَى. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ: «مَرَرْتُ بِالرَّبَذَةِ فَإِذَا فُسْطَاطٌ، فَقُلْتُ: لِمَنْ هَذَا؟ فَقِيلَ: لِمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ. فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَقُلْتُ: رَحِمَكَ اللَّهُ، إِنَّكَ مِنْ هَذَا الْأَمْرِ بِمَكَانٍ، فَلَوْ خَرَجْتَ إِلَى النَّاسِ فَأَمَرْتَ وَنَهَيْتَ. فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " سَتَكُونُ فِتْنَةٌ وَفُرْقَةٌ وَاخْتِلَافٌ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأْتِ بِسَيْفِكَ أُحُدًا فَاضْرِبْ بِهِ عُرْضَهُ، وَكَسِّرْ نَبْلَكَ، وَاقْطَعْ وَتَرَكَ، وَاجْلِسْ فِي بَيْتِكَ حَتَّى تَأْتِيَكَ يَدٌ خَاطِئَةٌ أَوْ يُعَافِيَكَ اللَّهُ ". فَقَدْ كَانَ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفَعَلْتُ مَا أَمَرَنِي بِهِ. ثُمَّ اسْتَنْزَلَ سَيْفًا كَانَ مُعَلِّقًا بِعَمُودِ الْفُسْطَاطِ وَاخْتَرَطَهُ، فَإِذَا سَيْفٌ مِنْ خَشَبٍ، فَقَالَ: قَدْ فَعَلْتُ مَا أَمَرَنِي بِهِ، وَاتَّخَذْتُ هَذَا أُرْهِبُ بِهِ النَّاسَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
পৃষ্ঠা - ৫০১৩

ছিলা ছিড়ে ফেলবে এবং ঘরের মধ্যে বসে থাকবে যতক্ষণ না কোন অত্যাচারী হাত তোমার
উপর পতিত হয় অথবা আল্লাহ তোমাকে মুক্তিদেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা বলেছিলেন এখন
তাই বাস্তবে পরিণত হয়েছে ৷ সুতরাং আমিও তাই করেছি যা করতে তিনি আমাকে নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷ অতঃপর তিনি র্তাবুর খুটিতে ঝুলম্ভ একটি তরবারি নামালেন ৷ তরবারিটি কোষ
মুক্ত করার পর দেখা গেল সেটা কাঠের নির্মিত ৷ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
নির্দেশমত এরুপ করেছি, এ দিয়ে আমি লোককে ভয় দেখাই ৷ এটি আহমদের একক বর্ণনা ৷
ণ্ বায়হাকী হাকীম মুহাম্মদ ইবন মাসলামা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর
নিকট আরজ করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! বিপথগামী লোবেন্মা যখন মতবিরোধ সৃষ্টি করবে
তখন আমি কি ভুমিকা গ্রহণ করবো ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তলোয়ার নিয়ে কঙ্করময়
প্রাস্তরে চলে যেও, সেখানে তলোয়ার ভেঙ্গে ফেলে দিবে ৷ তারপরে বাড়ি ফিরে ঘরে বসে থাক ৷
যতক্ষণ না মৃত্যুর ফয়সালা অথবা কোন প ৷পিষ্ঠ হাত তোমার উপর পতিত হয় ৷

ইমাম আহমদ, আবদুস সামাদ আবুল আশআছ সানআনী সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
আবুল আশআছ বলেন, ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া আমাকে (আবদুল্লাহ) ইবন যুবায়াবৃর নিকট
পাঠান ৷ মদীনায় পৌছে আমি অমুক লোকের বাড়ি যাই ৷ তিনি গিয়ে বলেন, মানুষ বা করার
তা করেছে ৷ এখন আপনার অভিমত কি ? তিনি বললেন”, আমাকে আমার অন্তরঙ্গ আবুল
কাসিম (সা) উপদেশ দিয়েছেন, যদি এ জাতীয় ফিত্না তুমি প্রত্যক্ষ কর তবে তোমার
তরবারি উহুদ পাহাড়ে ভেঙ্গে ফেলবে এবং বাড়িতে বসে থাকবে ৷ যদি কেউ তোমার নিকট
বাড়ি গিয়ে উঠে ত্যব প্রতারকের বিরুদ্ধে রুখে র্দাড়াও ৷ আর যদি কোন প্রতারক তোমার উপর
আক্রমণ চালায় তবে উপুড় হয়ে বসে থাক এবং তাকে বল, আমার পাপ ও তোমার পাপ নিয়ে
বিদায় হও এবং জাহান্নামের বাসিন্দা হও জালিমদের এটাই পরিণাম ৷ তাই আমি আমার
তলোয়ার ভেঙ্গে ফেলে ঘরে অবস্থান নিয়েছি ৷ ইমাম আহমদের সঙ্কলিত মুহাম্মদ ইবন
মাসলামার মুসনাদে এ হাদীস উপরোক্তভাবেই বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে তার নামের ব্যাপারে
অম্পৃষ্টতা রয়েছে ৷ প্রকৃত পক্ষে তিনি মুহাম্মদ ইবন মাসলামা নন বরং অন্য কোন সাহাবী ৷
কারণ, মুহাম্মদ ইবন মাসলামা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হিজরী সনের মধ্যে ইনতিকাল করেন ৷ এ
ব্যাপারে ঐতিহাসিকদের মধ্যে কোন মতভেদ যেই; কেউ বলেছেন ৪২ সনে কারও মতে ৪৩
সনে আর কারও মতে : ৭ সনে তার ইনতিকাল হয় ৷ সুতরাং তিনি ইয়াযিদ ইবন মুআবিয়া ও
আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়রের কালে জীবিত ছিলেন না ৷ এ ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমত সেই ৷
অতএব, প্রমাণিত হলো যে, তিনি অন্য কোন সাহাবী যার অবস্থার সাথে মুহাম্মদ ইবন ন্
মাসলামার অবস্থার সাদৃশ্য রয়েছে ৷ ,
নুআয়ম ইবন হাম্মাদ ফিত্না ও যুদ্ধ (ণ্১)ধ্এ , ;;ৰু১) সংক্রান্ত অধ্যায়ে আবু আমর সুলামী
সুত্রে উহ্বানের কন্যা থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত আলী উহ্বানের নিকট এসে বলেন, কি
কারণে তুমি আমাদের দলে আসছ না ? তখন উহ্বান বলেন, আমার পরম বন্ধু আপনার
চাচাত ভইি রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে উপদেশ দিয়েছেন যে, অতি শীঘ্রই বিচ্ছিন্নতা গোলয়ােগ
ও মতবিরোধ সেবা দিয়ে ৷ যখন এ অবস্থা আসবে তখন তোমার তরবারি ভেঙ্গে ফেলে ঘরে
বসে থাকবে এবং একটি কাঠের তলোয়ার বানিয়ে নিবে ৷ আহমদ এ হাদীসখানা আফ্ফান,
আসওয়াদ ও মুমিল সুত্রে হামাদ ইবন সালামা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তবে মুমিলের বর্ণনায়
কথাটি অতিরিক্ত আছে যে, এবং একটি কাঠের তালায়ার বানিয়ে তুমি ঘরে বসে থাক


وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عِيسَى الْحِيرِيُّ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ نَجْدَةَ الْقُرَشِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، أَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، ثَنَا سَالِمُ بْنُ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ أَنَّهُ قَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ أَصْنَعُ إِذَا اخْتَلَفَ الْمُصَلُّونَ؟ قَالَ: " اخْرُجْ بِسَيْفِكَ إِلَى الْحَرَّةِ فَتَضْرِبُهَا بِهِ، ثُمَّ تَدْخُلُ بَيْتَكَ حَتَّى تَأْتِيَكَ مَنِيَّةٌ قَاضِيَةٌ أَوْ يَدٌ خَاطِئَةٌ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا زِيَادُ بْنُ مُسْلِمٍ أَبُو عُمَرَ، ثَنَا أَبُو الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيُّ، قَالَ: «بَعَثَنَا يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَلَمَّا قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ دَخَلْتُ عَلَى فُلَانٍ - نَسِيَ زِيَادٌ اسْمَهُ - فَقَالَ: إِنَّ النَّاسَ قَدْ صَنَعُوا مَا صَنَعُوا فَمَا تَرَى؟ قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي أَبُو الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنْ أَدْرَكْتُ شَيْئًا مِنْ هَذِهِ الْفِتَنِ فَاعْمَدْ إِلَى أُحُدٍ فَاكْسِرْ بِهِ حَدَّ سَيْفِكَ، ثُمَّ اقْعُدْ فِي بَيْتِكَ، فَإِنْ دَخَلَ عَلَيْكَ أَحَدٌ الْبَيْتَ، فَقُمْ إِلَى الْمَخْدَعِ، فَإِنْ دَخَلَ عَلَيْكَ الْمَخْدَعَ، فَاجْثُ عَلَى رُكْبَتَيْكَ
পৃষ্ঠা - ৫০১৪
وَقُلْ: بُؤْ بِإِثْمِي وَإِثْمِكَ فَتَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ، وَذَلِكَ جَزَاءُ الظَّالِمِينَ ". فَقَدْ كَسَرْتُ سَيْفِي وَقَعَدْتُ فِي بَيْتِي» هَكَذَا وَقَعَ إِيرَادُ هَذَا الْحَدِيثِ فِي مُسْنَدِ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ عِنْدَ الْإِمَامِ أَحْمَدَ، وَلَكِنْ وَقَعَ إِبْهَامُ اسْمِهِ، وَلَيْسَ هُوَ لِمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ بَلْ صَحَابِيٍّ آخَرَ، فَإِنَّ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَا خِلَافَ عِنْدِ أَهْلِ التَّارِيخِ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِيمَا بَيْنَ الْأَرْبَعِينَ إِلَى الْخَمْسِينَ، فَقِيلَ: سَنَةَ ثِنْتَيْنِ. وَقِيلَ: ثَلَاثٍ. وَقِيلَ سَبْعٍ وَأَرْبَعِينَ. وَلَمْ يُدْرِكْ أَيَّامَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِلَا خِلَافٍ، فَتَعَيَّنَ أَنَّهُ صَحَابِيٌّ آخَرُ، خَبَرُهُ كَخَبَرِ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ": حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ،، ثَنَا أَبُو عَمْرٍو الْقَسْلَمِيُّ، عَنْ بِنْتِ أُهْبَانَ الْغِفَارِيِّ، أَنَّ «عَلِيًّا أَتَى أُهْبَانَ فَقَالَ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَتَّبِعَنَا؟ فَقَالَ: أَوْصَانِي خَلِيلِي وَابْنُ عَمِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ: " سَتَكُونُ فُرْقَةٌ وَفِتْنَةٌ وَاخْتِلَافٌ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَاكْسِرْ سَيْفَكَ، وَاقْعُدْ فِي بَيْتِكَ، وَاتَّخِذْ سَيْفًا مِنْ خَشَبٍ» وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ عَفَّانَ وَأَسْوَدَ بْنِ عَامِرٍ وَمُؤَمَّلٍ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَزَادَ مُؤَمَّلٌ فِي رِوَايَتِهِ بَعْدَ قَوْلِهِ: " «وَاتَّخِذْ سَيْفًا مِنْ خَشَبٍ ". " وَاقْعُدْ فِي بَيْتِكَ حَتَّى تَأْتِيَكَ يَدٌ خَاطِئَةٌ أَوْ مَنِيَّةٌ قَاضِيَةٌ» ". وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ
পৃষ্ঠা - ৫০১৫


যতক্ষণ না তোমার উপর কোন পাপিষ্ঠের হাত বা ফয়সালাকারী মৃত্যু না আসে ৷ আহমদ ও
তিরমিষী এবং ইবন মাজা এ হাদীস থানা আবদুল্পাহ্ ইবনউবায়দ আদৃ-দায়লী সুত্রে আদীসা
বিন্ত উহ্বানৈর মাধ্যমে তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিষী এ হাদীসকে হাসান
গরীব বলে মন্তব্য করেছেন ৷ এ সুত্র ছাড়া অন্য কোন সুত্রে এটি আমার জানা নেই; তবে অন্য
সুত্রে হাদীসটি পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷
ইমাম বুখারী আবদুল আযীয সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেঃ, অতি শীঘ্রই ফিত্নার উক্তা হবে ৷ তখন দণ্ডায়মান ব্যক্তি অপেক্ষা উপবিষ্ট ব্যক্তি
উত্তম ৷ আর দণ্ডায়মান ব্যক্তি চলাচলকারী অপেক্ষা উত্তম এবং চলাচলকারী দৌড়ান ব্যক্তি
অপেক্ষা উত্তম ৷ যে সে ফিত্নার দিকে উকি দিয়ে তাকাবে যে তাতে জড়িয়ে পড়বে ৷ বেল্ট যদি
আশ্রয়ন্থল ও নিরাপদ জায়গার সন্ধান পায় তবে সেখানে তার আশ্রয় লওয়৷ উচিত ৷ ইবন শিহাব
সুত্রে আবুহুরায়রার এ হাদীসটি নওফল ইবন মুয়াবিয়া থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম মুসলিম ও ষ্
বুখারীর ন্যায় এ হাদীস আবু হুরায়রা থেকে ইব্রাহীম ইবন সা দ সুত্রে এবং নওফল ইবন
মু আবিয়ার হাদীস বুখারীর সনদ ও শব্দে বর্ণনা করেছেনা
ইমাম বুখারী মুহাম্মদ ইবন কাহীর সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা
, করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, শীঘ্রই সম্পদের অগ্রাধিকার (স্বজনগ্রীতি) ও এমন সব
কর্মকাণ্ড ঘটবে, যা তোমরা অপছন্দ করবে ৷ লোকজন জিজ্ঞেস করল , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! ঐ সময়
আমাদেরকে কী করতে নির্দেশ দেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমাদের উপর (রাৰষ্ট্ৰর) যা
প্রাপ্ত তা তোমরা প্রদান করবে আর তোমাদের যা প্রাপ্য তা পাওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট
প্রার্থনা করবে ৷ ইমাম মুসলিম এ হাদীস আ মাশ সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ রাওহ্ আবুবাকরা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
অতি শীঘ্রই ফিত্না দেখা দিবে ৷ কিছু দিনের মধ্যে যে ফিত্না আরও তীব্র হয়ে উঠবে ৷ মনে
রেখ, ঐ ফিত্নার দিকে দৌড়ে যাওয়া ব্যক্তি অপেক্ষা হেটে চলা ব্যক্তি উত্তম হবে; উপবিষ্ট
ব্যক্তি দণ্ডায়মান ব্যক্তি অপেক্ষা উত্তম হবে; মনে ব্লেখ, ঐ সময় শুয়ে থাকা ব্যক্তি বসে থাকা
ব্যক্তি অপেক্ষা বে শ্বি নিরাপদ হয়ে ৷ সাবধান, সেই ফিত্না যখন আসবে তখন যার বকরী আছে
সে যেন বকবী নিয়ে ব্যস্ত থাকে ৷ সাবধান যার ভুমি আছে সে যেন ভুমির কাজে লিপ্ত থাকে ৷
সাবধান, যার উট আছে সে যেন উট নিয়ে তৎপর থাকে ৷ এক ব্যক্তি উঠে বললো, হে
আল্লাহর নবী আমাকে আল্লাহ আপনার উপর কুরবান করুন ৷ যে লোকের বকবী ভুমি ও উট
নেই যে কী করবে ? তিনি বললেন, যে তার তরবারি নিয়ে কোন এক বৃহৎ ও শক্ত পাথরের
কাছে যাবে এবং তার উপর রেখে অন্য পাথর দ্বারা আঘাত করে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে
ফেলবে ৷ তারপার সে মুক্তির পথ খুজবে যদি সে সক্ষম হয় ৷ হে আল্লাহ্! আমি কি পৌছাতে
পেয়েছি ৷ এ সময় আর এক ব্যক্তি র্দাড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসুল ! আমাকে আল্লাহ
আপনার জন্য কুরবান করুন ৷ তখন যদি কেউ আমাকে জোরপুর্বক ধরে নিয়ে দৃ’দলের কোন
দলে দাড় করিয়ে দেয় এবং কেউ তরবারির আঘাত করে আমাকে হত্যা করে তবে আমার কী
অবস্থা হয়ে ? তিনি বললেন, সে৫ তামার পাপ ও তার নিজের পাপ নিয়ে জাহান্নামে যাবে ৷
ইমাম মুসলিমও অনুরুপ হাদীস উছমান সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ অনাগত ফিত্না সম্পর্কে এ
হচ্ছে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ভবিষ্যদ্বাণী ৷ অসংখ্য হাদীস এ বিষয়ে বর্ণিত আছে ৷


عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدٍ الدِّيلِيِّ، عَنْ عُدَيْسَةَ بِنْتِ أُهْبَانَ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ أَبِيهَا بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدٍ. كَذَا قَالَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ مِنْ غَيْرِ طَرِيقِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الْأُوَيْسِيُّ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سَتَكُونُ فِتَنٌ الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ، وَالْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي، وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي، مَنْ تَشَرَّفَ لَهَا تَسْتَشْرِفُهُ، وَمَنْ وَجَدَ مَلْجَأً أَوْ مُعَاذًا فَلْيَعُذْ بِهِ» وَعَنِ ابْنِ شِهَابٍ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُطِيعِ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ هَذَا، وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ حَدِيثَ أَبِي هُرَيْرَةَ مِنْ طَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، كَمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَكَذَلِكَ حَدِيثُ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بِإِسْنَادِ الْبُخَارِيِّ وَلَفْظُهُ، ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي سُفْيَانُ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «سَتَكُونُ أَثَرَةٌ وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا ". فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: " تُؤَدُّونَ الْحَقَّ الَّذِي عَلَيْكُمْ، وَتَسْأَلُونَ
পৃষ্ঠা - ৫০১৬
اللَّهَ الَّذِي لَكُمْ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا عُثْمَانُ الشَّحَّامُ، ثَنَا مُسْلِمُ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتَنٌ ثُمَّ تَكُونُ فِتَنٌ، أَلَا فَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي إِلَيْهَا، وَالْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ فِيهَا، أَلَا وَالْمُضْطَجَعُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَاعِدِ، أَلَا فَإِذَا نَزَلَتْ فَمَنْ كَانَ لَهُ غَنَمٌ فَلْيَلْحَقْ بِغَنَمِهِ، أَلَا وَمَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَلْحَقْ بِأَرْضِهِ، أَلَا وَمَنْ كَانَتْ لَهُ إِبِلٌ فَلْيَلْحَقْ بِإِبِلِهِ ". فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، جَعَلَنِي اللَّهُ فَدَاكَ، أَرَأَيْتَ مَنْ لَيْسَتْ لَهُ غَنَمٌ وَلَا أَرْضٌ وَلَا إِبِلٌ كَيْفَ يَصْنَعُ؟ قَالَ: " لِيَأْخُذْ سَيْفَهُ، ثُمَّ لْيَعْمِدْ بِهِ إِلَى صَخْرَةِ، ثُمَّ لْيَدُقَّ عَلَى حَدِّهِ بِحَجَرٍ، ثُمَّ لْيَنْجُ إِنِ اسْتَطَاعَ النِّجَاءَ، اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ ". فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، جَعَلَنِي اللَّهُ فَدَاكَ، أَرَأَيْتَ إِنْ أُخِذَ بِيَدِي مُكْرَهًا حَتَّى يُنْطَلَقَ بِي إِلَى أَحَدِ الصَّفَّيْنِ أَوْ إِحْدَى الْفِئَتَيْنِ - شَكَّ عُثْمَانُ - فَيَحْذِفُنِي رَجُلٌ بِسَيْفِهِ فَيَقْتُلُنِي، مَاذَا يَكُونُ مِنْ شَأْنِي؟ قَالَ: " يَبُوءُ بِإِثْمِكَ وَإِثْمِهِ وَيَكُونُ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ» " وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عُثْمَانَ الشَّحَّامِ بِنَحْوِهِ، وَهَذَا إِخْبَارٌ عَنْ إِقْبَالِ الْفِتَنِ، وَقَدْ وَرَدَتْ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ فِي مَعْنَى هَذَا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا قَيْسٌ قَالَ: لَمَّا أَقْبَلَتْ
পৃষ্ঠা - ৫০১৭

ইমাম আহমদ ইয়াহ ইয়া সুত্রে কায়স থেকে বর্ণনা করেন ৷ কায়স বলেন, হযরত
অইিশা (রা) উন্থষ্ট্ৰর যুদ্ধে গমনকালেরাত্রিবেলা যখন বনু আমিরের কুৰ্য়ার নিকট পৌহেন ৷
তখন কুকুর ঘেউ ঘেউ করে উঠে ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কোন কুয়াে ? সাথীরা জানাল
, এটা হাওআব কুয়ো ৷ তখন তিনি বললেন, আমি ফিরে যেতে চইি ৷ তার এক সাথী তখন
বললেন, বরং সম্মুখে অগ্রসর হোন, মুসলমানগণ আপনাকে পােল হয়তো আল্লাহ তাদেরকে
সমঝোতায় এনে দিতে পারেন ৷ হযরত অইিশা বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) একদা আমাদেরকে
বলেছিলেন ৷ তোমাদের মধ্যে একজনের প্রতি যখন হাওআবের কুকুর ঘেউ ঘেউ করবে, তখন
কী অবস্থা হবে ? আবু নুআয়ম যুদ্ধ-বিখহের অধ্যায়ে এ হাদীস ইয়ায়ীদ ইবন হারুন সুত্রে
কায়স থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ এ হাদীসঢি গুনদুৱ সুত্রে ও কায়স ইবন আবু
হাযিম থেকে বর্ণনা করেন, যে অইিশা (রা) যখন হাওআব-এ উপস্থিত হন তখন কুকুরের
ঘেউ ঘেউ শুনতে পান ৷ তিনি বললেন, আমি ফিরে যাওয়া ভাল মনে করি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাদেরকে বলেছিলেন, তোমাদের মধ্যে একজনের প্রতি হাওআবের কুকুর ঘেউ ঘেউ করবে ৷
হযরত যুবায়র অইিশা (রা) কে বললেন, আপনি ফিরে যাবেন ? হতে পারে আপনার দ্বারা
আল্লাহ্ এ লোকদের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করে দিবেন ৷ বৃখারী ও মুসলিমের শর্তে এ হাদীস
উত্তীর্ণ, যদিও তারা তা উদ্ধৃত করেননি ৷

হাফিয আবু বকর আল-বায্যার মুহাম্মদ ইবন উছমান ইবন আব্বাস (রা) থেকে
বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছেন, হার আফগুসাস! তোমাদের মধ্যে কেউ একজন
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উটে আরোহণ করে সফর করবে ৷ হাওআব পর্যন্ত পৌছলে সেখানকার কুকুরগুলাে
তার প্ৰতি ঘেউ যেউ করবে ৷ তার ভাবে ও বামে বিপুল সংখ্যক লোক নিহত হবে ৷ বায্যার
বলেন, (এ সনদ ব্যতীত অন্য কোন সনদে ইবন আব্বাস থেকে এ হাদীসঢি আমার জানা নেই ৷

তাবারনী, ইবরাহীম ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হযরত
আলীর বাহিনী যখন বসরার দিকে গমন করে তখন পর্থের্তারা জানতে পান যে, বসরাবাসীগণ
তালহা ও যুবায়বরর পক্ষ সমর্থন করেছে ৷ এ সং বাদে তাদের অন্তর শংকিত হয়ে পড়লে হযরত
আলী বলেন, আল্লাহর কসম, তিনি বসরাবাসীদের উপর তােমাদেরকে বিজয়ী করবেন এবং
তালহা ও যুবায়রকে হত্যা করবেন ৷ কুফা থেকে ছয় হাজার পাচশ পঞ্চাশ বা পাচ হাজার
পাচশ’ পঞ্চাশ জন সৈন্য এসে তোমাদের সাথে মিলিত হয়ে ৷ ইবন আব্বাস বলেন, হযরত
আলীর এ কথাটি আমার অন্তরে গেড়ে বসলাে ৷ আলী যখন কুফায় উপস্থিত হন, আমি তখন
ভাবলাম , বিষয়টি যাচাই করবো; যদি আলীর কথা অনুযায়ী ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তা তিনি
রাসুলুল্পাহ্ (না) থেকে শুনেই বলে থাকবেন ৷ আর যদি তা না হয় তবে বুঝব এটা যুদ্ধের
একটি কৌশল ৷ সুতরাং একজন সৈন্যের নিকট আমি জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর কসম, সে
সামান্যতম দেরী না করেই আলী যে কথা বলেছিল সে কথাই বললে৷ ৷ ইবন আব্বাস বলেন,
ৱাসুলুল্লাহ্ (না) এ ব্যাপারেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ৷
বায়হাকী আবদুল্লাহুসালিম সুত্রে উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা তার কোন সহধর্মিণী যুদ্ধ অভিযানে বের হবেন বলে উল্লেখ করেন,
তখন হযরত অইিশা (রা) হেসে উঠেন ৷ বড়াসুলুল্লাহ্ (না) তাকে বললেন, দেখ, হে সুন্দরী !
তুমিই যেন সে মহিলা না হও ৷, তারপরে হযরত আলীর দিকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আলী ৷


عَائِشَةُ - يَعْنِي فِي مَسِيرِهَا إِلَى وَقْعَةِ الْجَمَلِ - وَبَلَغَتْ مِيَاهَ بَنِي عَامِرٍ لَيْلًا نَبَحَتِ الْكِلَابُ فَقَالَتْ: أَيُّ مَاءٍ هَذَا؟ قَالُوا: مَاءُ الْحَوْأَبِ. فَقَالَتْ: مَا أَظُنُّنِي إِلَّا رَاجِعَةً. فَقَالَ بَعْضُ مَنْ كَانَ مَعَهَا: بَلْ تَقْدَمِينَ فَيَرَاكِ الْمُسْلِمُونَ فَيُصْلِحُ اللَّهُ ذَاتَ بَيْنِهِمْ. قَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَنَا ذَاتَ يَوْمٍ: «كَيْفَ بِإِحْدَاكُنَّ تَنْبَحُ عَلَيْهَا كِلَابُ الْحَوْأَبِ؟» وَرَوَاهُ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي " الْمَلَاحِمِ "، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ بِهِ. ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ غُنْدُرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، أَنَّ عَائِشَةَ لَمَّا أَتَتْ عَلَى الْحَوْأَبِ فَسَمِعَتْ نُبَاحَ الْكِلَابِ، فَقَالَتْ: مَا أَظُنُّنِي إِلَّا رَاجِعَةً; إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَنَا: «أَيَّتُكُنَّ يَنْبَحُ عَلَيْهَا كِلَابُ الْحَوْأَبِ؟» فَقَالَ لَهَا الزُّبَيْرُ: تَرْجِعِينَ؟! عَسَى اللَّهُ أَنْ يُصْلِحَ بِكِ بَيْنَ النَّاسِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ " وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ كَرَامَةَ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ عِصَامِ بْنِ قُدَامَةَ الْبَجَلِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْتَ شِعْرِي أَيَّتُكُنَّ صَاحِبَةُ الْجَمَلِ الْأَدْبَبِ، تَسِيرُ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৫০১৮
تُنْبِحَهَا كِلَابُ الْحُوْأَبِ، يُقْتَلُ عَنْ يَمِينِهَا وَعَنْ يَسَارِهَا قَتْلَى كَثِيرٌ» ثُمَّ قَالَ: لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَادِ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَائِلَةَ الْأَصْبَهَانِيُّ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَمْرٍو الْبَجَلِيُّ، ثَنَا نُوحُ بْنُ دَرَّاجٍ، عَنِ الْأَجْلَحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا بَلَغَ أَصْحَابَ عَلِيٍّ، حِينَ سَارُوا إِلَى الْبَصْرَةِ، أَنَّ أَهْلَ الْبَصْرَةِ قَدِ اجْتَمَعُوا لِطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، شَقَّ عَلَيْهِمْ، وَوَقَعَ فِي قُلُوبِهِمْ، فَقَالَ عَلِيٌّ: وَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ لَيُظْهَرَنَّ عَلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَلَيُقْتَلَنَّ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ، وَلَيَخْرُجَنَّ إِلَيْكُمْ مِنَ الْكُوفَةِ سِتَّةُ آلَافِ وَخَمْسُمِائَةٍ وَخَمْسُونَ رَجُلًا، أَوْ خَمْسَةُ آلَافٍ وَخَمْسُمِائَةٍ وَخَمْسُونَ رَجُلًا - شَكَّ الْأَجْلَحُ - قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَوَقَعَ ذَلِكَ فِي نَفْسِي، فَلَمَّا أَتَى الْكُوفَةَ خَرَجْتُ فَقُلْتُ: لَأَنْظُرَنَّ، فَإِنْ كَانَ كَمَا يَقُولُ فَهُوَ أَمْرٌ سَمِعَهُ، وَإِلَّا فَهُوَ خَدِيعَةُ الْحَرْبِ، فَلَقِيتُ رَجُلًا مِنَ الْجَيْشِ فَسَأَلَتْهُ، فَوَاللَّهِ مَا عَتَّمَ أَنْ قَالَ مَا قَالَ عَلِيٌّ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَهُوَ مِمَّا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُخْبِرُهُ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৫০১৯

তার কোন বিষয় যদি তোমার দায়িত্বে আসে তবে তার সাথে সদর ব্যবহার করবে ৷ এ অত্যন্ত
গরীব হাদীস ৷ এর চেয়েও বেশী গরীব যা বায়হাকী হাকিম সুত্রে আবু বাকরা থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি উটের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি নাই কেন এ ব্যাপারে জিজ্ঞেসিত
হই ৷ তিনি বলেন, আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, একদল ধ্বং সকামী লোক আবির্ভুত
হবে, তারা সফলকাম হবে না ৷ তাদের নেতা হবে একজন নারী ৷ তাদের নেতা হবে জান্নাতী ৷
এ হাদীস অত্যধিক মুনকার ৷
বিশুদ্ধ ভাষ্য হচ্ছে ইমাম বুখারী হাসান বসরী আবু বাকরা থেকে যা বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আল্লাহ্ একটা কথা দ্বারা বড় উপকার করেছেন যা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে
শুনেছিলাম ৷ কথাটি এই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) স বাদ পেলেন যে, পারস্যবাসীরা একজন
মহিলাকে তাদের শাসন ক্ষমতায় বসিয়েছে ৷ তিনি সে সময় বলেন, ঐ জাতির কোন কল্যাণ
নেই, যারা নারীকে তাদের নেতা বানায় ৷
ইমাম আহমদ, মুহাম্মদ ইবন জা ফর আবু ওয়ায়ল থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
হযরত আলী আমার ওহাসানকে কুফায় প্রেরণ করেন, কুফাবাসীদেরকে যুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ
করার জন্য ৷ আমার তার ভাষণে বলেন, আমি উত্তমরুপেই জানি তিনি দৃনিয়াতে ও আখিরাতে
তার (রাসুলের) সহধর্মিণী ৷ কিন্তু তোমাদের এ দৃর্যোগময় সময়ে এর (আলীর) আনুগত্য
করবে না কি তার (অইিশার) ? বুখারী এ হাদীস বুনদার সুত্রে গুনদুর থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
উপরোক্ত সকল ঘটনা উটের যুদ্ধের সময়ে সংঘটিত হয় ৷ পরবর্তীতে হযরত অইিশা (রা) তার
এ যুদ্ধে বের হওয়ার কারণে অনুশোচনা করেন, যে বর্ণনা যথাস্থানে আসবে ৷ হযরত যুবায়র
ইবন আওয়ামও অনুরুপ অনুতপ্ত হন ৷ যুদ্ধ প্রাঙ্গণে থেকেই তিনি ভাবলেন, এ স্থানে যুদ্ধ করটিা
কোন ক্রমেই সঙ্গত হচ্ছে না; সুতরাং তিনি যুদ্ধ ত্যাগ করে চলে যান ৷
আবদুর রাজ্জাক মামার সুত্রে কাতাদা থেকে মুরসাল বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উবষ্ট্রর
যুদ্ধে যুবায়র যুদ্ধ ক্ষেত্র পরিত্যাগ করেন ৷ এ সংবাদ আলীর নিকট পৌছলে তিনি বলেন, ইবন
সাফিয়্যা যদি বুঝতেন যে, তিনি ন্যায় পথে আছেন তবে কিছুতেই যুদ্ধ ক্ষেএ ছেড়ে যেতেন না ৷
এর কারণ এই যে, একবার ঘনু সাইদার কাছারী ঘরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে এ দু জনের
মুলাকাত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে যুবায়র! তুমি কি একে (আলীকে) ভালবাস ?
যুবায়র বললেন, বাধা কিসের ? তিনি বললেন, তবে সে দিন তোমার কী হবে যখন তুমি
অন্যায় ভাবে তার বিরুদ্ধে লড়াই করবে ? কাতাদা বলেন, লোকজ্যা মনে করে, এত ভবিযদ্বাণীর
কারণেই তিনি ফিরে গিয়েছিলেন ৷
হাফিয বায়হাকী এ হাদীস ভিন্ন সনদে আবু বকরব সুত্রে আবুল আসওয়াদ থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আলী ও তার বাহিনী যখন তালহ৷ ও যুবায়রের নিকটবর্তী হয় এবং
উভয় পক্ষের সৈন্যবুহে পরস্পরের মুখোমুখি হয়, তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খচ্চরে সওয়ার
আলী বলেন, যুবায়র ইবন আওয়ামকে আমার নিকট ডেকে আন ৷ আলী অগ্রসর হলে
যুবায়রকে তার নিকট আসার জন্য বলা হয় ৷ যুবায়র আলীর এত নিকটে এসে যান যে, উভয়ের
বাহনের গলদেশ পরস্পরকে স্পর্শ করে ৷ তখন আলী বললেন, হে যুবায়র ! আল্পাহ্র কসম, সে
দিনের কথা কি তোমার স্মরণ পড়ে, যে দিন অমুক স্থানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তোমার পাশ দিয়ে
অতিক্রম করছিলেন ৷ তখন তিনি বলেছিলেন, হে যুবায়র ! তুমি কি আলীকে ভালবাস ? উত্তরে


الْحَفِيدُ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ، ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ، ثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْوَرْدِ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: ذَكَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُرُوجَ بَعْضِ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، فَضَحِكَتْ عَائِشَةُ، فَقَالَ لَهَا: " انْظُرِي يَا حُمَيْرَاءُ أَنْ لَا تَكُونِي أَنْتِ ". ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى عَلِيٍّ، وَقَالَ: " يَا عَلِيُّ، إِنْ وَلِيتَ مِنْ أَمْرِهَا شَيْئًا فَارْفُقْ بِهَا ". وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا. وَأَغْرَبُ مِنْهُ مَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ أَيْضًا، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ الصَّغَانِيِّ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ الْعَبَّاسِ الشِّبَامِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْهَجَنَّعِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: قِيلَ لَهُ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ لَا تَكُونَ قَاتَلْتَ عَلَى بَصِيرَتِكَ يَوْمَ الْجَمَلِ؟ فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: يَخْرُجُ قَوْمٌ هَلْكَى لَا يُفْلِحُونَ، قَائِدُهُمُ امْرَأَةٌ، قَائِدُهُمْ فِي الْجَنَّةِ ". وَهَذَا مُنْكَرٌ جِدًّا. وَالْمَحْفُوظُ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: نَفَعَنِي اللَّهُ بِكَلِمَةٍ سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَلَغَهُ أَنَّ فَارِسَ مَلَّكُوا عَلَيْهِمُ امْرَأَةَ كِسْرَى، فَقَالَ: «لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمُ امْرَأَةً» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ،
পৃষ্ঠা - ৫০২০
سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ قَالَ: لَمَّا بَعَثَ عَلِيٌّ عَمَّارًا وَالْحَسَنَ إِلَى الْكُوفَةِ يَسْتَنْفِرُهُمْ، خَطَبَ عَمَّارٌ فَقَالَ: إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّهَا زَوْجَتُهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، لَكِنَّ اللَّهَ ابْتَلَاكُمْ لِتَتَّبِعُوهُ أَوْ إِيَّاهَا. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ غُنْدُرٍ، وَهَذَا كُلُّهُ وَقَعَ فِي أَيَّامِ الْجَمَلِ، وَقَدْ نَدِمَتْ عَائِشَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَلَى مَا كَانَ مِنْ خُرُوجِهَا، عَلَى مَا سَنُورِدُهُ فِي مَوْضِعِهِ، وَكَذَلِكَ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ أَيْضًا تَذَكَّرَ وَهُوَ وَاقِفٌ فِي الْمَعْرَكَةِ أَنَّ قِتَالَهُ فِي هَذَا الْمَوْطِنِ لَيْسَ بِصَوَابٍ، فَرَجَعَ عَنْ ذَلِكَ. قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: لَمَّا وَلَّى الزُّبَيْرُ يَوْمَ الْجَمَلِ بَلَغَ عَلِيًّا، فَقَالَ: لَوْ كَانَ ابْنُ صَفِيَّةَ يَعْلَمُ أَنَّهُ عَلَى حَقٍّ مَا وَلَّى، وَذَلِكَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَهُمَا فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، فَقَالَ: «أَتُحِبُّهُ يَا زُبَيْرُ؟ " فَقَالَ: وَمَا يَمْنَعُنِي؟ قَالَ: " فَكَيْفَ بِكَ إِذَا قَاتَلْتَهُ وَأَنْتَ ظَالِمٌ لَهُ؟» قَالَ: فَيَرَوْنَ أَنَّهُ إِنَّمَا وَلَّى لِذَلِكَ وَهَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ أَسْنَدَهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ فَقَالَ: أَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْقَاضِي، ثَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ مَطَرٍ، أَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَوَّارٍ الْهَاشِمِيُّ الْكُوفِيُّ، ثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَجْلَحِ، ثَنَا أَبِي، عَنْ يَزِيدَ الْفَقِيرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: وَسَمِعْتُ فَضْلَ بْنَ فَضَالَةَ يُحَدِّثُ أَبِي، عَنْ أَبِي حَرْبِ بْنِ أَبِي الْأَسْوَدِ الدِّيلِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، دَخَلَ حَدِيثَ أَحَدِهِمَا فِي حَدِيثِ صَاحِبِهِ، قَالَ: لَمَّا دَنَا عَلِيٌّ وَأَصْحَابُهُ مِنْ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، وَدَنَتِ الصُّفُوفُ بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ، خَرَجَ عَلِيٌّ وَهُوَ عَلَى بَغْلَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
পৃষ্ঠা - ৫০২১


তুমি বলেছিলে, সে আমার মানতে তাই, চাচাত ভাই ও দীনী তাই তাকে কেন ভালবাসব না?
তারপর তিনি বললেন, হে আলী তুমি কি ভাবে ভড়ালবাস ? আমি বলেছিলাম, ইয়া

রাসুলাল্লাহ্! আমার ফুফাত ভাই ও দীনী ভাইকে কেন তালবাসব না ? তিনি বললেন, যে
যুবায়র! আল্লাহ্র কলম, তুমি তো তার বিরুদ্ধে জালিমের ভুমিকায় থেকে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করবে ৷ যুবায়র বললেন৪ হা, আল্লাহ্র শপথ, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট থেকে শ্রবভ্রুণর পর
থেকে এ কথা আমি ভুলেই গিয়েছিলড়াম, এখন স্মরণ পড়ছে, কসম আল্লাহ্র, আমি আর
আপনার বিরুদ্ধে লড়বাে না ৷ এ কথা বলে যুবায়র বাহনে চড়ে ব্যুহের মধ্য দিয়ে ছুটে চললেন ৷
সম্মুখে আপন পুত্র আবদুল্লাহ্র সাথে তার সাক্ষাৎ হয় ৷ পুত্র জিজ্ঞেস করেন, কী হয়েছে
আপনার? যুবায়র বললেন, আলী আমাকে একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যা আমি
রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট থেকে শুনেছিলাম ৷ রাসুলুন্নাহ্ (সা) বলেছিলেন, তুমি জালিমের
ভুমিকায় থেকে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ৷ সুতরাং আমি আর তার বিরুদ্ধে লড়াই করবো না ৷
আবদুল্লাহ বললেন, আপনি কি যুদ্ধ করার জন এসেছেন ? আপনিতাে এসেছেন লোকদের
মধ্যে আপোস করে দেয়ার উদ্দেশ্যে যাতে আল্লাহ্ এ বিরোধের অবসান করে দেন ৷ যুবায়র
বললেন, আমি কসম করেছি যে তার বিরুদ্ধে লড়বাে না ৷ আবদুল্লাহ বললেন, তা হলে আপনি
একটি দাস মুক্ত করে দিন এবং এখানে অবস্থান করে লোকের মধ্যে আপােসের ব্যবস্থা করুন ৷
সুতরাং তিনি তার দাসটিকে মুক্ত করে দিয়ে সেখানে অবস্থান করেন ৷ কিং,ষ্কৃ লোকদের মধ্যে
বিরাে ধ যখন চরমে উঠে তখন তিনি ঘোড়ার চড়ে স্থান ত্যাগ করেন ৷

বায়হাকী হাফিয আবু আবদুল্লাহ্ সুত্রে আবু ওজরা আল মাযিনী থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি ওনেছি, আলী যুবায়য়কে বলছেন, হে যুবায়র! আল্লাহ্র কসম, তুমি কি রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে এ কথা বলতে শোননি যে, তুমি আমার সাথে অন্যায়তাবে যুদ্ধ করবে ? যুবায়র
বললেন, ই৷ শুনেছি ৷ তবে তা আমি ভুলে পিয়েছিলাম ৷ পুর্বের বর্ণনার ন্যায় এ বর্ণনাটিও গরীব
পর্যায়ের ৷

বায়হাকী হুযায়ল ইবন বিলাল সুত্রে আবদুর রহমান এর মাধমে “আলী (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন লোককে দেখতে চার, বার
কতিপয় অঙ্গ তার অপ্রভাগে জান্নাতের দিকে ধাবমান, তবে সে যেন যায়দ ইবন সাওহানের
প্রতি লক্ষ্য করে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এই যায়দই উটের যুদ্ধে আলীর পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন
ছযায়ল ইবন বিলাল হাদীস বর্ণনায় যঈফ ৷

বুথারী ও মুসলিমে হাম্মাম ইবন মুনাব্বিহ সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না, বড়দিন এমন দু’টি বিশাল
বাহিনী পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত না হবে যাদের দাবি হয়ে এক ও অভিন্ন ৷ ইমাম বুথারী এ হাদীসটি
আরাজ সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে এবং আবু সালামা সুত্রেও আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ উক্ত দু’টি দল হলো উটের যুদ্ধে ও সিফ্ফীনের যুদ্ধে অংশগ্নহণকারীগণ ৷ কারণ,
উভয় যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের আহ্বান একই ইসলামের দিকে ছিল ৷ বিরোধ যা জ্জি, তা ছিল
রঞ্জীয় ব্যাপারে এবং জনগণ ও প্রজা সাধারণের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৷ অবশ্য যুদ্ধ না করাই যুদ্ধ
করার চেয়ে উত্তম ছিল-অধিকাংশ সাহাবীগণের মতামতও তাই ছিল ৷ এ সম্পর্কে আলোচনা
আমরা পরে করছি ৷

— : ১


فَنَادَى: ادْعُوا لِيَ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ، فَإِنِّي عَلِيٌّ. فَدُعِيَ لَهُ الزُّبَيْرُ فَأَقْبَلَ حَتَّى اخْتَلَفَتْ أَعْنَاقُ دَوَابِّهِمَا، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا زُبَيْرُ، نَاشَدْتُكَ بِاللَّهِ «أَتَذْكُرُ يَوْمَ مَرَّ بِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَانَ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ: " يَا زُبَيْرُ، تُحِبُّ عَلِيًّا؟ " فَقُلْتَ: أَلَا أُحِبُّ ابْنَ خَالِي وَابْنَ عَمِّي وَعَلَى دِينِي؟ فَقَالَ: " يَا عَلِيٌّ، أَتَحِبُّهُ؟ " فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَا أُحِبُّ ابْنَ عَمَّتِي وَعَلَى دِينِي؟ فَقَالَ: " يَا زُبَيْرُ أَمَا وَاللَّهِ لَتُقَاتِلَنَّهُ وَأَنْتَ ظَالِمٌ لَهُ» فَقَالَ الزُّبَيْرُ: بَلَى. وَاللَّهِ لَقَدْ نَسِيتُهُ مُنْذُ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرْتُهُ الْآنَ، وَاللَّهِ لَا أُقَاتِلُكَ. فَرَجَعَ الزُّبَيْرُ عَلَى دَابَّتِهِ يَشُقُّ الصُّفُوفَ، فَعَرَضَ لَهُ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ فَقَالَ: مَالَكَ؟ فَقَالَ: ذَكَّرَنِي عَلِيٌّ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَمِعْتُهُ وَهُوَ يَقُولُ: «لَتُقَاتِلَنَّهُ وَأَنْتَ ظَالِمٌ لَهُ» . فَلَا أُقَاتِلُهُ. فَقَالَ: وَلِلْقِتَالِ جِئْتَ؟! إِنَّمَا جِئْتَ تُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ، وَيُصْلِحُ اللَّهُ هَذَا الْأَمْرَ. قَالَ: قَدْ حَلَفْتُ أَنْ لَا أُقَاتِلَهُ. قَالَ: فَأَعْتِقَ غُلَامَكَ جِرْجِسَ، وَقِفْ حَتَّى تُصْلِحَ بَيْنَ النَّاسِ. فَأَعْتَقَ غُلَامَهُ وَوَقَفَ، فَلَمَّا اخْتَلَفَ أَمْرُ النَّاسِ ذَهَبَ عَلَى فَرَسِهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَأَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنَا الْإِمَامُ أَبُو الْوَلِيدِ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ، ثَنَا قُطْنُ بْنُ نُسَيْرٍ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّقَاشِيُّ، ثَنَا جَدِّي وَهُوَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي جَرْوَةَ الْمَازِنِيِّ قَالَ: «سَمِعْتُ عَلِيًّا وَالزُّبَيْرَ وَعَلِيٌّ يَقُولُ لَهُ: نَاشَدْتُكَ اللَّهَ يَا زُبَيْرُ، أَمَا سَمِعْتَ
পৃষ্ঠা - ৫০২২
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّكَ تُقَاتِلُنِي وَأَنْتَ لِي ظَالِمٌ؟ قَالَ: بَلَى وَلَكِنِّي نَسِيتُ» . وَهَذَا غَرِيبٌ كَالسِّيَاقِ الَّذِي قَبِلَهُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْهُذَيِلِ بْنِ بِلَالٍ، وَفِيهِ ضَعْفٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَسْعُودٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ يَسْبِقُهُ بَعْضُ أَعْضَائِهِ إِلَى الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى زَيْدِ بْنِ صُوحَانَ» ". قُلْتُ: قُتِلَ زَيْدٌ هَذَا فِي وَقْعَةِ الْجَمَلِ مِنْ نَاحِيَةِ عَلِيٍّ وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَقْتَتِلَ فِئَتَانِ عَظِيمَتَانِ، دَعَوَاهُمَا وَاحِدَةٌ» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِثْلَهُ وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَهَاتَانِ الْفِئَتَانِ هُمَا أَصْحَابُ الْجَمَلِ، وَأَصْحَابُ صِفِّينَ. فَإِنَّهُمَا جَمِيعًا يَدْعُونَ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَإِنَّمَا يَتَنَازَعُونَ فِي شَيْءٍ مِنْ أُمُورِ الْمُلْكِ، وَمُرَاعَاةِ الْمَصَالِحِ الْعَائِدِ نَفْعُهَا عَلَى الْأُمَّةِ وَالرَّعَايَا، وَكَانَ تَرْكُ الْقِتَالِ أَوْلَى مِنْ فِعْلِهِ، كَمَا هُوَ مَذْهَبُ جُمْهُورِ الصَّحَابَةِ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ.
পৃষ্ঠা - ৫০২৩

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ড়ান আবুল ইয়ামন সুত্রে সাফ্ওয়ান ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, সিরীয় বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা ছিল ষাট হাজার ৷ তার মধ্যে বিশ হাজারই নিহত
হয় ৷ পক্ষান্তরে ইরাকী বাহিনীর সৈন্য সং খ্যা ছিল এক লক্ষ বিশ হাজার ৷ তার মধ্যে চল্লিশ
হাজার নিহত হয় ৷ ত,বে দু দলের মধ্যে আলী ও তার সঙ্গীগণ মু আবিয়া ও তার সাথীগণের
চাইতে ন্যায়ের অধিকতর নিকটবর্তী ছিলেন ৷ মু আবিয়ার পক্ষ ছিল বিদ্রোহী ৷ যেমন মুসলিম
শরীফে শুবা আবু সাঈদ থুদরী সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার চাইতে যিনি উত্তম
সেই আবু কাতাদা আমাকে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমারকে, বলেছিলেন, তোমাকে
বিদ্রোহী দল হত্যা করবে ৷ ইমাম মুসলিম এ ব্যাপারে ইবন আলিয়ার হাদীস উম্মে সালামা
থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আমারকে বিদ্রোহী দল হত্যা করবে ৷ অপর
এক বর্ণনায় এসেছে, আমারের হত্যাকারী জাহান্নামী ৷ ইতিপুর্বে প্রথম হিজরী সনে মসজিদে
নববী নির্মাণ সংক্রান্ত আলোচনায় এ হাদীসটি বিভিন্ন সনদে উল্লেখিত হয়েছে ৷ সেই বর্ণনায়
রাফিযী (গৌড়) শিয়া) সম্প্রদায়ের কিছু কথার সংযোজন আছে যে “ ঐ বিদ্রোহী দল কিয়ামতে
আমার শাফাআত থেকে বঞ্চিত থাকবে” কিন্তু এর কোন নির্ভরযোগ্য ভিত্তি নেই, এটা
রাফিযীদের মনগড়া কথা ৷

বায়হাকী আমার ইবন ইয়াসিরের পৌত্র আবুউবায়দা ইবন মুহাম্মদ সুত্রে আমারের জনৈকা
আযাদকৃত দাসী থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার আমার ণ্রাগাক্রাস্ত হন ৷ এ কারণে
তার শরীর অত্যধিক দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ এমন কি তিনি ণ্বহুশ হয়ে যান ৷ আমরা তার পাশে বসে
কান্নাকাটি করি ৷ ছুশ ফিরে আসলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কান্নাকাটি করছ কেন?

তোমরা কি ভয় পাচ্ছ যে, আমি এভাবে বিছানায় থেকে মারা যাব ? আমার প্রিয় রাসুল (সা)

আমাকে জানিয়েছেন, আমাকে একটি বিদ্রোহী দল হত্যা করবে এবং আমার অন্তিম আহার্য
হয়ে এক ঢোক দুধ ৷

ইমামুআহমদ ওকী আবুল বুখতারী সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, সিফ্ফীনের
যুদ্ধ কালে আমার বলেছিলেন, আমাকে একটু দুধ দাও, কারণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, এই
দুনিয়া থেকে বিদায়লপ্লেতু মি যা পান করবে তা হবে দুধ ৷ অতঃপর তিনি দুধ পান করে অগ্রসর
হলে নিহত হন ৷ আবদুর রহমান আবুল বুখতারী সুত্রে বর্ণনা করেন, আমার ইবন
ইয়াসিরের নিবল্ট এক পাত্র দুধ আনা হলে তিনি ৫হসে দিয়ে বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
বলেছিলেন, তুমি যে দিন মৃত্যুবরণ করবে সেকাি তোমার সর্বশেষ পানীয় হবে দুধ ৷

বায়হাকী আবুল জাদের পুত্র সালিম (আবদ্বষ্মস্বহ্) ইবন মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা)-ণ্ক বলতে শুনেছি যে, মানুষের মধ্যে যখন মতদ্বৈততার সৃষ্টি
হবে তখন সুমাইয়ার পুত্র (অর্থাৎ আমার) ন্যায়ের উপর থাকবে ৷ ৷ ১ ৷
ড্রু,১৷ ৷ র্ট হু , ৷ আর একথা সকলেরই জানা আছে যে, সিফ্ফীনের যুদ্ধে আমার হযরত
আলীর দলে ছিলেন এবং মুআবিয়ার সিরীয় বাহিনী তাকে হত্যা করেছিল ৷ যে দুর্বৃত্ত আমারকে
হত্যা করার দায়িতৃ গ্রহণ করে তার নাম আবুল ফাদিয়া, কারও মতে তার হত্যাকারী জনৈক
সাহাবী ৷
আবু উমর ইবন আবদুল বর প্রভৃতি সাহাবী চরিত্র রচয়িতাগণ লিখেছেন, আমারেৱ
হত্যাকারীয় নাম ছিল আবুল ফাদিয়া মুসলিম, কেউ বলেছেন কুজাআ গোত্রের বা মুযানী


وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، ثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: كَانَ أَهْلُ الشَّامِ سِتِّينَ أَلْفًا، فَقُتِلَ مِنْهُمْ عِشْرُونَ أَلْفًا، وَكَانَ أَهْلُ الْعِرَاقِ مِائَةً وَعِشْرِينَ أَلْفًا، فَقُتِلَ مِنْهُمْ أَرْبَعُونَ أَلْفًا. وَلَكِنْ كَانَ عَلِيٌّ وَأَصْحَابُهُ أَدْنَى الطَّائِفَتَيْنِ إِلَى الْحَقِّ مِنْ أَصْحَابِ مُعَاوِيَةَ، وَأَصْحَابُ مُعَاوِيَةَ كَانُوا بَاغِينَ عَلَيْهِمْ، كَمَا ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي مَسْلَمَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي - يَعْنِي أَبَا قَتَادَةَ - «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَمَّارٍ: " تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» وَرَوَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَقْتُلُ عَمَّارًا الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» وَفِي رِوَايَةٍ: «وَقَاتِلُهُ فِي النَّارِ» . وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِطُرُقِهِ عِنْدَ بِنَاءِ الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ فِي أَوَّلِ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ، وَمَا يَزِيدُهُ بَعْضُ الرَّافِضَةِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مِنْ قَوْلِهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ: «لَا أَنَالَهَا اللَّهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . فَلَيْسَ لَهُ أَصْلٌ يَعْتَمِدُ عَلَيْهِ، بَلْ هُوَ مِنَ اخْتِلَاقِ الرَّوَافِضِ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، عَنْ مَوْلَاةٍ لِعَمَّارٍ قَالَتْ: اشْتَكَى عَمَّارٌ شَكْوَى أَرِقَ مِنْهَا، فَغُشِيَ عَلَيْهِ فَأَفَاقَ وَنَحْنُ نَبْكِي حَوْلَهُ، فَقَالَ مَا تَبْكُونَ؟ أَتَخْشَوْنَ أَنْ أَمُوتَ عَلَى فِرَاشِي؟ «أَخْبَرَنِي
পৃষ্ঠা - ৫০২৪
حَبِيبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ تَقْتُلُنِي الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ، وَأَنَّ آخِرَ زَادِي مِنَ الدُّنْيَا مَذْقَةٌ مِنْ لَبَنٍ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنِي وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ قَالَ: قَالَ عَمَّارٌ يَوْمَ صِفِّينَ: ائْتُونِي بِشَرْبَةِ لَبَنٍ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «آخَرُ شَرْبَةٍ تَشْرَبُهَا مِنَ الدُّنْيَا شَرْبَةُ لَبَنٍ» . فَشَرِبَهَا ثُمَّ تَقَدَّمَ فَقُتِلَ. وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ أُتِيَ بِشَرْبَةِ لَبَنٍ فَضَحِكَ وَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِي آخَرُ شَرَابٍ أَشْرَبُهُ لَبَنٌ حِينَ أَمُوتُ» . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «إِذَا اخْتَلَفَ النَّاسُ كَانَ ابْنُ سُمَيَّةَ مَعَ الْحَقِّ» . وَمَعْلُومٌ أَنَّ عَمَّارًا كَانَ فِي جَيْشِ عَلِيٍّ يَوْمَ صِفِّينَ، وَقَتَلَهُ أَصْحَابُ مُعَاوِيَةَ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، وَكَانَ الَّذِي تَوَلَّى قَتْلَهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: أَبُو الْغَادِيَةِ. رَجُلٌ مِنْ أَفْنَادِ النَّاسِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ صَحَابِيٌّ. وَقَدْ ذَكَرَهُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ وَغَيْرُهُ فِي أَسْمَاءِ الصَّحَابَةِ، وَهُوَ أَبُو الْغَادِيَةِ مُسْلِمٌ، وَقِيلَ: يَسَارُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫০২৫

গোত্রের ইয়াসার ইবন উযায়হির আল জুহানী, কারও মতে ৩উক্ত দুজনেই হত্যা করেছে ৷
হত্যাকারী প্রথমে সিরিয়ার এবং পরে ওয়াসিতে বসবাস করে ৷ ইমাম আহমদ তার থেকে
একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন, অন্যরা করেছেন আরও একটি ৷ বর্ণনাকারীগণ তার পরিচয় দিতে
গিয়ে বলেছেন, ইনি হ্চ্ছেন আম্মার ইবন ইয়াসারের হত্যাকারী ৷ তিনি দ্বিধাহীন চিত্তে কিভাবে
আম্মারকে হত্যা করেছেনতা বর্ণনা করতেন ৷ মুআবিয়ার শাসনামলে সিফ্ফীনের যুদ্ধের
আলোচনায় আষ্মারের হত্যা প্রসঙ্গে আমরা তার জীবন কথা উল্লেখ করবো ৷ তবে হত্যাকারীকে
যারা বদরী সাহাবী বলেছেন তারা ভুল বলেছেন ৷

, ইমাম আহমদ, ইয়াযীদ ইবন হারু ন হানযালা ইবন খুওয়ায়লিদ আল আনাযী থেকে
বর্ণনা করেন ৷ হানযালা বলেন, একদা আমি মু আবিয়ার নিকট উপস্থিত ছিলাম; এমন সময়
তার কাছে দু’জন লোক এসে আম্মারের মস্তক নিয়ে বিতর্ক করছিল ৷ প্রত্যেকেই দাবি করছিল,
আমিই তাকে হত্যা করেছি ৷ আব্দুল্লাহ ইবন আমর (ইবনুল অসে) বললেন, তোমরা এমন
একজন লোককে হত্যা করে একে অপরের উপর আনন্দ প্রকাশ করছ; অথচআমি রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে বলতে শুনেছিণ্ যে, তাকে (অর্থাৎ আম্মারকে) বিদ্রোহীরা হত্যা করবে ৷ তখন
মুআবিয়া বললেন, হে আমর, তোমার এ পাগলকে বের করে দাও ! তবে আমাদের সম্পর্কে
তোমার কী ধারণা ? আবদুল্লাহ বললেন, আমার পিতা আমার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নিকট অভিযোগ করলে তিনি বলেছিলেন, তোমার পিতা যতদিন জীবিত থাকেন ততদিন তার
বাধ্য থাকবে, অবাধ্য হবে না ৷ সুতরাং আমি আপনাদের দলে আছি; কিন্তু আমি যুদ্ধ করব না ৷ ৰু
ইমাম আহমদ, আবু মুয়াবিয়া আবদুল্লাহ্ ইবন হারছ ইবন নওফল থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, সিফ্ফীনের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় আমি মুআবিয়ার সাথে
ছিলাম ৷ মুআবিয়া ও আমর ইবন অংশের মধ্যে আমার অবস্থান ছিল ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন
আমর বললেন, হে পিতা, আপনি কি পোনেননি ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) আষ্মারকে বলেছিলেন, হার,
হে সুমইিয়ার পুত্রশু তুমি তাে বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হবে ! আমর তখন মুআবিয়াকে ডেকে
বলেন, এ কি বলে তা কি শুনছেন ? মু আবিয়া বললেন, আমাদের নিকট সর্বদা তার
অবাধ্যতার স বাদ পৌছেছে ৷ তাকে কি হত্যা আমরা করেছি ৷৩ তাকে হত্যা করেছে ওরইি, যারা
তাকে সাথে নিংয় এসেছিল ৷ আবু নু য়ায়েম আবদুর রহমান ইবন আবু বিমান থেকে ইমাম
আহমদ অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এ ক্ষেত্রে মুআবিয়ার উক্তি যে, তাকে সেই হত্যা করেছে যে
তাকে আমাদের তলোয়ারের দিকে ডেকে এসেছে-এ কথাটি অবাস্তব ব্যাখ্যা ৷ কারণ, এর দ্বারা
তাহলে এ কথাই প্রমাণ হয় যে, আল্লাহর পথে যারা জিহাদে আসে তাদের সেনাপতিই তাদের
হত্যাকারী হয়; কেননা, তিনিই তাদেরকে শত্রুর তরবারীর সামনে দাড় করান ৷

আবদুর রাজ্জাক ইবন উয়ায়না মিসওয়ার ইবন মাখরামা থেকে বর্ণনা করেন ৷ একদা
উমর (রা)১ আবদুর রহমান ইবন আওফকে বলেন, আপনার কি জানা নেই ? আমরা তিলাওত
করে থাকিষ্ া৷হ্ন্,১ ;,; এ ৷ পে ৷ ,ঞান্, “এবং জিহাদ কর আল্পাহ্র পথে যেভাবে জিহাদ
করা উচিত” ৷ এ জিহাদ করতে হয়ে শেষ যুগেও যেরুপে আপনারা করেছেন প্রথম যুগে ৷
আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা), বললেন, হে আমীরুল মু মিনীন!১ সে যুগ কখন আসবে?

১ রাবীৱ আমীরুল মুমিনীন সম্বোধন থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, এখানে কখােপকথন হয়েছিল হযরত উমরের
সাথে ৷ কিভ্ এটি মুলে আমর শব্দ রয়েছে যা মুদ্রণপ্রমাদ হতে পারে ৷ সম্পাদকদ্বয়


أُزَيْهِرٍ الْجُهَنِيُّ مِنْ قُضَاعَةَ. وَقِيلَ: مُزَنِيٌّ. وَقِيلَ: هُمَا اثْنَانِ. سَكَنَ الشَّامَ، ثُمَّ صَارَ إِلَى وَاسِطٍ، رَوَى لَهُ أَحْمَدُ حَدِيثًا، وَلَهُ عِنْدُ غَيْرِهِ آخَرُ، قَالُوا: وَهُوَ قَاتِلُ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ. وَكَانَ يَذْكُرُ صِفَةَ قَتْلِهِ لِعَمَّارٍ لَا يَتَحَاشَى مِنْ ذَلِكَ، وَسَنَذْكُرُ تَرْجَمَتَهُ عِنْدَ قَتْلِهِ لِعَمَّارٍ أَيَّامَ مُعَاوِيَةَ فِي وَقْعَةِ صِفِّينَ، وَأَخْطَأَ مَنْ قَالَ: كَانَ بَدْرِيًّا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ثَنَا الْعَوَّامُ، حَدَّثَنِي ابْنُ مَسْعُودٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ خُوَيْلِدٍ الْعَنْزِيِّ قَالَ: بَيْنَا أَنَا عِنْدَ مُعَاوِيَةَ إِذْ جَاءَهُ رَجُلَانِ يَخْتَصِمَانِ فِي رَأْسِ عَمَّارٍ، يَقُولُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا: أَنَا قَتَلْتُهُ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو: لِيَطِبْ بِهِ أَحَدُكُمَا نَفْسًا لِصَاحِبِهِ، فَإِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» . فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَلَا تُغْنِيَ عَنَّا مَجْنُونَكَ يَا عَمْرُو! فَمَا بَالُكَ مَعَنَا؟ قَالَ: إِنَّ أَبِي شَكَانِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَطِعْ أَبَاكَ مَا دَامَ حَيًّا وَلَا تَعْصِهِ " فَأَنَا مَعَكُمْ وَلَسْتُ أُقَاتِلُ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ قَالَ: إِنِّي لَأَسِيرُ مَعَ مُعَاوِيَةَ مُنْصَرَفَهُ مِنْ صِفِّينَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو: يَا أَبَتِ، أَمَا سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِعَمَّارٍ: «وَيْحَكَ يَا ابْنَ سُمَيَّةَ تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» . قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫০২৬
فَقَالَ عَمْرٌو لِمُعَاوِيَةَ: أَلَا تَسْمَعُ مَا يَقُولُ هَذَا؟ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: لَا يَزَالُ يَأْتِينَا بِهِنَةٍ، أَوَ نَحْنُ قَتَلْنَاهُ؟! إِنَّمَا قَتَلَهُ الَّذِينَ جَاءُوا بِهِ. ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ. فَقَوْلُ مُعَاوِيَةَ: إِنَّمَا قَتَلَهُ مَنْ قَدَّمَهُ إِلَى سُيُوفِنَا. تَأْوِيلٌ بَعِيدٌ جِدًّا، إِذْ لَوْ كَانَ كَذَلِكَ لَكَانَ أَمِيرُ الْجَيْشِ هُوَ الْقَاتِلُ لِلَّذِينِ يُقْتَلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، حَيْثُ قَدَّمَهُمْ إِلَى سُيُوفِ الْأَعْدَاءِ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَ: عُمَرُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّا كُنَّا نَقْرَأُ: {وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ} [الحج: 78] . فِي آخِرِ الزَّمَانِ، كَمَا جَاهَدْتُمْ فِي أَوَّلِهِ. فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: وَمَتَى ذَلِكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: إِذَا كَانَ بَنُو أُمَيَّةَ الْأُمَرَاءَ، وَبَنُو الْمُغِيرَةِ الْوُزَرَاءَ ذَكَرَهُ الْبَيْهَقِيُّ هَا هُنَا، وَكَأَنَّهُ يَسْتَشْهِدُ بِهِ عَلَى مَا عَقَدَ لَهُ الْبَابَ بَعْدَهُ مِنْ ذِكْرِ الْحَكَمَيْنِ وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمَا، فَقَالَ: بَابُ مَا جَاءَ فِي إِخْبَارِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَكَمَيْنِ اللَّذَيْنِ بُعِثَا فِي زَمَنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫০২৭
الْفَضْلِ، ثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، وَحَبِيبِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سُوِيدِ بْنِ غَفَلَةَ قَالَ: إِنِّي لَأَمْشِي مَعَ عَلَيٍّ بِشَطِّ الْفُرَاتِ فَقَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ اخْتَلَفُوا فَلَمْ يَزَلِ اخْتِلَافُهُمْ بَيْنَهُمْ حَتَّى بَعَثُوا حَكَمَيْنِ فَضَلَّا وَأَضَلَّا، وَإِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ سَتَخْتَلِفُ فَلَا يَزَالُ اخْتِلَافُهُمْ بَيْنَهُمْ حَتَّى يَبْعَثُوا حَكَمَيْنِ ضَلَّا وَأَضَلَّا مَنِ اتَّبَعَهُمَا» هَكَذَا أَوْرَدَهُ وَلَمْ يُبَيِّنْ شَيْئًا مِنْ أَمْرِهِ، وَهُوَ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ جِدًّا وَآفَتُهُ مِنْ زَكَرِيَّا بْنِ يَحْيَى هَذَا، وَهُوَ الْكِنْدِيُّ الْحِمْيَرِيُّ الْأَعْمَى قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: لَيْسَ بِشَيْءٍ. وَالْحَكَمَانِ كَانَا مِنْ خِيَارِ الصَّحَابَةِ، وَهُمَا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ السَّهْمِيُّ مِنْ جِهَةِ أَهْلِ الشَّامِ، وَالثَّانِي أَبُو مُوسَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ الْأَشْعَرِيُّ، مِنْ جِهَةِ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَإِنَّمَا نُصِبَا لِيُصْلِحَا بَيْنَ النَّاسِ وَيَتَّفِقَا عَلَى أَمْرٍ فِيهِ رِفْقٌ بِالْمُسْلِمِينَ، وَحَقْنٌ لِدِمَائِهِمْ، وَكَذَلِكَ وَقَعَ، وَلَمْ يَضِلَّ بِسَبَبِهِمَا إِلَّا فِرْقَةُ الْخَوَارِجِ حَيْثُ أَنْكَرُوا عَلَى الْأَمِيرَيْنِ التَّحْكِيمَ، وَخَرَجُوا عَلَيْهِمَا وَكَفَّرُوهُمَا، حَتَّى قَاتَلَهُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَنَاظَرَهُمُ ابْنُ عَبَّاسٍ، فَرَجَعَ مِنْهُمْ شِرْذِمَةٌ إِلَى الْحَقِّ، وَاسْتَمَرَّ بَقِيَّتُهُمْ حَتَّى قُتِلَ أَكْثَرُهُمْ بِالنَّهْرَوَانِ وَغَيْرُهُ مِنَ الْمَوَاقِفِ الْمَرْذُولَةِ عَلَيْهِمْ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ.