আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

إخباره صلى الله عليه وسلم بما سيقع من الفتن
পৃষ্ঠা - ৪৯৯১

দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ্র নামে ৷ আল্লাহ্র রাসুল মুহাম্মদের পক্ষ থেকে মিথ্যাবাদী
মুসায়লামার প্রতি ৷ সত্যপথ অনুসবণকারীর প্রতি শাস্তি বর্ষিত হোক ৷ পর সমাচার, সমগ্র
পৃথিবীর মালিক আল্লাহ, যাকে তিনি চান তাকেই এর ক৩ র্তৃতু দান করেন ৷ আর শুভ পরিণাম
তো কেবল মুত্তার্কীদেরই জন্য ৷ সত্য সত্যই আল্লাহ্ মুহাম্মদ (সা) ও তার অনুসারীদের উত্তম
পরিণাম দান করেছেন, কেননা, র্তারাই মুত্তাকী ৷ তারাই সঠিক পথ অবলম্বনকারী ও আল্লাহ
বিশ্বাসী, অন্য কেউ নয় ৷

বহু সং থ্যক হাদীস থেকে জানা যায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ধর্মত্যাপীদের সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
করেছিলেন, যা আবু বকর সিদ্দীকের খিলাফতকালে সংঘটিত হয় ৷ হযরত আবু বকর (রা)
মুহাম্মদ (সা) এর অনুসারী সৈন্যদের সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ৷ অবশেষে তারা দলে
দলে আল্লাহর দীনে ফিরে আসে এবং ঈমানের পানি তিক্ততায় পরিবতিতি হওয়ার পর পুনরায়

সুমিষ্ট হয় ৷ আল্লাহর বাণী :

’ ,


“ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে যায়৷ ধর্ম ত্যাগ করবে, আল্লাহ্ অচিরেই তাদের
পরিবর্তে নতুন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন, যাদের আল্লাহ্ ভালবাসবেন এবং তারাও
তাকে ভালবাসার, তারা মু’মিনদের জন্য বিনীত, বিন্ম্র এবং কাফিরদের জন্য কঠোর হবে ৷ ”
মুফাস্সিরগণ বলেছেন, এ আয়াতে আবু বকর ও তার সঙ্গীগণকে বুঝানো হয়েছে ৷ বুখারী
ও মুসলিমে আমির আশৃশাবী সুত্রে আইশা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) , তার কন্যা
ফাতিমার কানে কানে যে কথা বলেছিলেন ব্লুতার মধ্যে বলেছিলেন, জিবরীল প্ৰতি বছর একবার
গোটা কুরআন আমাকে শুনান, কিন্তু এ বছর দুবার শুনিয়েছেন ৷ এর মধ্যে আমি এ ইঙ্গিআ
পাচ্ছি যে, আমার মৃত্যু সন্নিকটে ৷ এতে ফাতিমা বোদন করেন ৷ তারপর পুনরায় কানে কানে
বলেন যে, তুমি জান্নাতে সমস্ত নারীদের নেত্রী হবে এবং আমার পরিবারবর্গের মধ্যে তৃমিই
সর্বাগ্রে আমার সাথে মিলিত হয়ে ৷ বাস্তর ঘটনা রাসুলের এ ভবিষ্যদ্বাণীর অনুরুপই হয়েছিল ৷
বায়হাকী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইনতিকালের পরে ফাতিমার আয়ু কতদিন ছিল, তা
নিয়ে মতভেদ রয়েছে; কেউ দুই মাস কেউ তিন মাস, কেউ ছয় মাস, কেউ বা অটি মাসের
কথা বলেছেন ৷ বায়হাকী বলেছেন ছয় মাসের মতই; কিন্তু বিশুদ্ধতর যা যুহরী সুত্রে অইিশা
(রা) থেকে বুখারী ও মুসলিমে উদ্ধৃত হয়েছে যে, তিনি বলেনং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
ইনতিকালের পর ফাতিমা ছয় মাস জীবিত ছিলেন ৷

দালইিলুন নবুওতে’ উল্লেখিত রাসুলুব্লাহ্ (সা) এর কতিপয় ভবিষ্যদ্বাণী

বুখারী ও মুসলিম গ্রন্থদ্বয়ে ইব্রাহীম সুত্রে অইিশা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, অতীত জাতিগুলাের মধ্যে এমন কিছু লোক ছিলেন র্যারা স্বভাবগতভাবে সঠিক
মতামতের অধিকারী (ঘুহাদ্দায়া) ছিলেন ৷ আমার উম্মতের মধ্যে যদি যে ধরনের কোন লোক
থেকে থাকে তবে সে হচ্ছে উমর ইবন খাত্তাব ৷

— ৩ ৯


[دَلَائِلُ النُّبُوَّةِ] [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا سَيَقَعُ مِنَ الْفِتَنِ] وَمِنْ كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ فِي بَابِ إِخْبَارِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، عَنِ الْغُيُوبِ الْمُسْتَقْبَلَةِ فَمِنْ ذَلِكَ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّهُ قَدْ كَانَ فِي الْأُمَمِ مُحَدَّثُونَ، فَإِنْ يَكُنْ فِي أُمَّتِي فَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ» وَقَدْ قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَنَا أَبُو إِسْرَائِيلَ، كُوفِيٌّ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ الْعَيْزَارِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: مَا كُنَّا نُنْكِرُ وَنَحْنُ مُتَوَافِرُونَ - أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنَّ السِّكِّينَةَ تَنْطِقُ عَلَى لِسَانِ عُمَرَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَابَعَهُ زِرُّ بْنُ حُبَيْشٍ وَالشَّعْبِيُّ عَنْ عَلِيٍّ. قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ: كُنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَنْطِقُ عَلَى لِسَانِ مَلَكٍ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " سِيرَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ "، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَشْيَاءَ كَثِيرَةً، مِنْ مُكَاشَفَاتِهِ وَمَا كَانَ يُخْبِرُ بِهِ مِنَ الْمُغَيَّبَاتِ، كَقِصَّةِ سَارِيَةَ بْنِ زُنَيْمٍ،
পৃষ্ঠা - ৪৯৯২

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবদুল্লাহ ইবন মুসা সুত্রে আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, আলী
(রা) বলেন, আমর৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব বহু সাহাবী বর্তমান আছি, কিন্তু একটি বিষয়ে
আমাদের কারও র্কোন দ্বিমত নেই যে, শান্তির বাণী উমরেব মুখ থেকেই প্রকাশ হয় ৷ যিব ইবন
হুবায়শ ও না বী এ হাদীস আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
ইয়া কুব ইবন সুফিয়ান তারিক ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন, ইবন শিহাব বলেন
আমরা পরস্পর আলোচনা করতাম যে, হযরত উমর ইবন খাত্তাব ফেরেশতার ভাষায় কথা
বলেন ৷ হযরত উমরেব জীবনী আলোচনা প্রসঙ্গে আমরা তার বহু অলৌকিক ঘটনা ও অদৃশ্য
সংবাদ ব্লুপদানেব কথা উল্লেখ করেছি ৷ যথা সাবিয়া ইবন যানীমেব ঘটনা ইত্যাদি ৷
ইমাম বুখারী ফিরাস সুত্রে অইিশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ৰিবিগণ
একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট সমবেত ছিলেন ৷ তারা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷
আমাদের মধ্যে কে সৰ্বাগ্রে আপনার সাথে মিলিত হবে ? তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে যার
হাত বেশি লম্বা সে ৷ অইিশা বলেন, আমাদের মধ্যে বিবি সাওদার হাত ছিল সবচেয়ে লম্বা ৷
সুতরাং তিনি সবার আগে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব সাথে মিলিত হন ৷ ইমাম বুখারীব মতে সহীহ্
সুত্র অনুযায়ী রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পরে সওদাই বিবিদেৱ মধ্যে প্রথমে ইনতিকাল করেন ৷ কিন্তু
ইউনুস ইবন বুকায়র এ হাদীস শাৰী থেকে মুরসালরুপে বর্ণনা করে বলেন রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর সহধর্মিণী যয়নব (রা) যখন ইনতিকাল করেন তখন সবাই বুঝলাে যে , তার হতেই
সকলের চেয়ে বেশি লম্বা ৷ তবে সে লম্বা মানে দান খয়রাতে মুক্ত হস্ত ৷ ইমাম মুসলিম মাহমুদ
ইবন গায়লান সুত্রে উম্মুল মুমিনীন অইিশা (রা) থেকে উক্ত হাদীসটি কিছু অতিরিক্ত বর্ণনাসহ
উদ্ধৃত করেছেন; তা এই যে, যয়নব হাতের দিক থেকে আমাদের মধ্যে বেশি লম্বা ছিলো ৷
কেননা তিনি নিজের হাতে কাজ করতেন এবং দানখয়রাত করতেন ৷ ঐতিহাসিকদের এটাই
প্রসিদ্ধ মত যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সহধর্মিণীগণের মধ্যে যয়নব বিনত জাহাশই সর্ব প্রথম
ইনতিকাল করেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, যয়নব ২০ হিজরীতে ইনতিকাল করেন এবং হযরত উমর
(যা) তার জানাযা পড়ান ৷ আমার বাংলা হচ্ছে ইবন আবু খায়ছামাব বর্ণনা অনুযায়ী হযরত
সওদা (বা) ও উমর (রা) এব খিলাফতের শেষ দিকে ইনতিকাল করেন ৷
ইমাম মুসলিম উসায়দ ইবন জাবির সুত্রে উমর ইবন খাত্তাব (বা) থেকে উয়ায়স
আল-করনী (ব) সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উক্তি অনুযায়ী, উয়ায়স
কবনী তাবি ঈদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি ৷ তার শরীরে শ্বেতী রোগ ছিল, আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা
জানালে আল্লাহ তাকে আরােগ্য করেন, তবে এক দিরহাম পরিমাণ স্থানে সাদা চিহ্ন থেকে
যায় ৷ তিনি মায়ের অত্যন্ত ভক্ত ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমর উবন খাত্তাবকে বলেছিলেন,
তুমি যদি তার সাক্ষাৎ পাও তবে তাকে দিয়ে তোমার জন্য দৃআ করিয়ে নিও ৷ হযরত উমর
(রা)এর সময়ে র্তাকে ঠিক সেই গুণ ও বৈশি ন্বষ্ট্যব্ল সাথে পাওয়া যায়,; যার উল্লেখ হাদীসে
রয়েছে ৷ উয়ায়স করণী সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসের বিভিন্ন ,সুত্র শব্দসমুহ ও এতদসংক্রান্ত
বিস্তারিত আলোচনা ঘুসনাদে উমর ইবন খাত্তাবে আমরা করেছি ৷
আবু দাউদ, উছমান ইবন আবু শায়বা উম্মু ওরাকা বিনত নওফেল থেকে বর্ণনা
করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) যখন বদরের যুদ্ধে গমন করেন তখন উম্মে ওরাকা বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আমাকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দিন, আমি আহতদের সেবা করব, হয়তো আল্লাহ


وَمَا شَاكَلَهَا وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ فِرَاسٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، «أَنَّ نِسَاءَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اجْتَمَعْنَ عِنْدَهُ، فَقُلْنَ يَوْمًا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّنَا أَسْرَعُ بِكَ لُحُوقًا؟ فَقَالَ: " أَطْوَلُكُنَّ يَدًا ". وَكَانَتْ سَوْدَةُ أَطْوَلَنَا ذِرَاعًا، فَكَانَتْ أَسْرَعَنَا بِهِ لُحُوقًا.» هَكَذَا وَقَعَ فِي " الصَّحِيحِ " عِنْدَ الْبُخَارِيِّ أَنَّهَا سَوْدَةُ، وَقَدْ رَوَاهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ مُرْسَلًا، وَقَالَ: فَلَمَّا تُوُفِّيَتْ زَيْنَبُ عَلِمْنَ أَنَّهَا كَانَتْ أَطْوَلَهُنَّ يَدًا فِي الْخَيْرِ وَالصَّدَقَةِ. وَالَّذِي رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ غَيْلَانَ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَذَكَرَتِ الْحَدِيثَ، وَفِيهِ: فَكَانَتْ زَيْنَبُ أَطْوَلَنَا يَدًا; لِأَنَّهَا كَانَتْ تَعْمَلُ بِيَدِهَا وَتَصَدَّقُ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ عَنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ كَانَتْ أَوَّلَ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَاةً. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوُفِّيَتْ سَنَةَ عِشْرِينَ، وَصَلَّى عَلَيْهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ. قُلْتُ: وَأَمَّا سَوْدَةُ فَإِنَّهَا تُوُفِّيَتْ فِي آخِرِ إِمَارَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَيْضًا. قَالَهُ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ. وَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أُسَيْرِ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي قِصَّةِ أُوَيْسٍ الْقَرَنِيِّ، وَإِخْبَارِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، عَنْهُ بِأَنَّهُ خَيْرُ التَّابِعِينَ
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৩
وَأَنَّهُ كَانَ بِهِ بَرَصٌ، فَدَعَا اللَّهَ فَأَذْهَبَهُ عَنْهُ، إِلَّا مَوْضِعًا قَدْرَ الدِّرْهَمِ مِنْ جَسَدِهِ، وَأَنَّهُ بَارٌّ بِأُمِّهِ، وَأَمْرُهُ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ يَسْتَغْفِرَ لَهُ، وَقَدْ وُجِدَ هَذَا الرَّجُلُ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَلَى الصِّفَةِ وَالنَّعْتِ الَّذِي ذَكَرَهُ فِي الْحَدِيثِ سَوَاءً، وَقَدْ ذَكَرْتُ طُرُقَ هَذَا الْحَدِيثِ وَأَلْفَاظَهُ وَالْكَلَامَ عَلَيْهِ مُطَوَّلًا فِي الَّذِي جَمَعْتُهُ مِنْ " مُسْنَدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ "، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدِ وَالْمِنَّةُ. وَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُمَيْعٍ، حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَلَّادٍ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ أُمِّ وَرَقَةَ بِنْتِ نَوْفَلٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا غَزَا بَدْرًا قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ائْذَنْ لِي فِي الْغَزْوِ مَعَكَ أُمَرِّضُ مَرْضَاكُمْ، لَعَلَّ اللَّهَ يَرْزُقُنِي الشَّهَادَةَ. فَقَالَ لَهَا: " قِرِّي فِي بَيْتِكِ فَإِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُكِ الشَّهَادَةَ» فَكَانَتْ تُسَمَّى الشَّهِيدَةُ، وَكَانَتْ قَدْ قَرَأَتِ الْقُرْآنَ، فَاسْتَأْذَنَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَتَّخِذَ فِي بَيْتِهَا مُؤَذِّنًا، فَأَذِنَ لَهَا، وَكَانَتْ دَبَّرَتْ غُلَامًا لَهَا وَجَارِيَةً، فَقَامَا إِلَيْهَا بِاللَّيْلِ، فَغَمَّاهَا فِي قَطِيفَةٍ لَهَا حَتَّى مَاتَتْ وَذَهَبَا، فَأَصْبَحَ عُمَرُ، فَقَامَ فِي النَّاسِ، وَقَالَ: مَنْ عِنْدَهُ مِنْ هَذَيْنَ عِلْمٌ أَوْ مَنْ رَآهُمَا فَلْيَجِيءْ بِهِمَا - يَعْنِي فَجِيءَ بِهِمَا -
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৪


আমাকে শাহাদত নসীব করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি তোমার বাড়িতে থাক ৷
আল্লাহ তোমাকে শাহাদত দান করবেন ৷ তখন থেকে তাকে ট্টশহীদা’ বলে আখ্যায়িত করা
হতো ৷ তিনি কুরআন পাঠে সক্ষম ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট তিনি তার বাড়িতে
একজন মুআয্যিন নিয়োগের অনুমতি চেয়েছিলেন যিনি সেখানে আযান দিবেন ৷ ঐ মহিলার
একজন দাস ও একজন দাসী ছিল ৷ তিনি তার মৃত্যুর পর স্বাধীনতা পারে বলে তিনি ঘোষণা
করেছিলেন ৷ তারা উভয়ে এক রাত্রে তার নিকট উপস্থিত হলো এবং চাদর দ্বারা তাকে ,প্চেপে
ধরল ৷ এতে তার মৃত্যু হয় ৷ দাস দাসী উভয়ে পলায়ন করে ৷ সকাল বেলা হযরত উমর (রা)
(খবর পেয়ে) লোকদেরকে জানিয়ে দেন, যে এ দৃ’জনের সন্ধান পারে অথবা দেখতে পারে
আমার নিকট ধরে নিয়ে আসবে ৷ পরে উভয়কে হযরত উমরের,নিকট আনা হয় ৷ তিনি
দৃ’জ্যাকেই শুলে দেয়ার নির্দেশ দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর করা হয় ৷ এটাই ছিল মদীনায়
প্রথম গুলিতে মৃতু ভ্যুদও দেয়ার ঘটনা ৷ বায়হাকী এ হাদীস আবু নুআয়ম উম্মু ওরাকা বিনত
আবদুল্লাহ ইবন হারিছ থেকে বর্ণনা করে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) উম্মু ওরাকাকে দেখতে যেতেন
এবং শাহীদা ৷বলে আখ্যায়িত করতে তন ৷ বায়হাকীর বর্ণনা শেষে এ কথা আছে যে, (তার মৃত্যুর
সৎবাদ শুনে) হযরত উমর (রা) বললেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর কথা সত্য প্রমাণিত হয়েছে ৷
তিনি বলতেন চল আমরা শাহীদাকে দেখে আমি ৷

বুখারী আবু ইদরীস খাওলানী সুত্রে আওফ ইবন মালিক (বা) থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
, ইনতিকালের পরে ছয়টি নিদর্শন প্রকাশ হওয়ার হাদীস বর্ণনা করেন ৷ ঐ হাদীসের মধ্যে আছে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যকার অনেকেই বকরীর গায়ের পশমের ন্যায়
অগণিত সংখ্যায় মারা যাবে ৷ দশ দিন ব্যাপী সৎ ঘটিত এ ঘটনা ঘটে হি আঠার সনে যা
আমওয়াসের মহামারী রুপে খ্যাত ৷ শীর্ষস্থানীয় বিপুল সংখ্যক সাহাবী এতে আক্রান্ত হয়ে
ইনতিকাল করেন ৷ তাদের মধ্যে হযরত মু আয ইবন জাবাল, আবু উবায়দা, ইয়ায়ীদ ইবন
আবু সুফিয়ান, শুরাহ্বীল ইবন হাসানা, আবু জান্দাল, সাহ্ল ইবন আমর ও তদীয় পিতা
আমর এবং ফলে ইবন আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) ও রয়েছেন ৷

ইমাম আহমদ ওকী সুত্রে মু আয ইবন জাবাল (বা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, কিয়ামতের নিদর্শন ছয়টি; যথাং : আমার মৃত্যু, বায়তুল ঘুকাদ্দাস বিজয় ব্যাপক
মহামারী যাতে আক্রান্ত হয়ে বকরীর পশমের ন্যায় অগণিত লোক মারা যাবে, এমন
অরাজকতা যার ঢেউ মুসলমানদের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করবে ৷ একজনকে হাজার দীনার দান
করা হলেও সে অসন্তুষ্ট হবে এবং রােমক্যদর সহিত যুদ্ধ যে যুদ্ধে৩ তাদের আশিটি পতাকা
থাকবে, প্রতিটি পতাকার অধীনে থাকবে বার হাজার করে সৈন্য ৷

হাফিয বায়হাকী আবু যাকারিয়৷ সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন হিব্বান থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আমি সুলায়মান ইবন মুসাকে আলোচনা করতে শুনেছি যে, সেতুর যুদ্ধে আমুসায় লোক
মহামারীতে আক্রান্ত হয় ৷ তখন আমর ইবনে আল লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, এটা একটি
নােৎ বা ব্লোগ, তোমরা এখান থেকে সরে পড় ৷ এ সময় শুরাহ্বীল ইবন হাসানা (বা) উঠে
বলেন, হে ৫লাক সকল আমি তোমাদের সাথীর বক্তব্য শুনেছি ৷ বিক্ষ্ম আল্লাহর কসম! আমি
যখন ইসলাম গ্রহণ কবি ও নামায পড়ি আমর তখন তার পরিবারের উট অপেক্ষা অধিক
বিভ্রান্ত ছিল ৷ আমি জানাচ্ছি যে, এ মহামারী একটি পরীক্ষা বিশেষ ৷ আল্লাহ একে পরীক্ষার


فَأَمَرَ بِهِمَا فَصُلِبَا، وَكَانَا أَوَّلَ مَصْلُوبَيْنِ بِالْمَدِينَةِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نُعَيْمٍ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ جُمَيْعٍ، حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي، عَنْ أُمِّ وَرَقَةَ بِنْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزُورُهَا وَيُسَمِّيهَا الشَّهِيدَةَ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَفِي آخِرِهِ: فَقَالَ عُمَرُ: صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ «: " انْطَلَقُوا بِنَا نَزُورُ الشَّهِيدَةَ» وَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ فِي حَدِيثِهِ، عَنْهُ فِي الْآيَاتِ السِّتِّ بَعْدَ مَوْتِهِ، وَفِيهِ «: " ثُمَّ مُوتَانٌ يَأْخُذُكُمْ كَقُعَاصِ الْغَنَمِ» وَهَذَا قَدْ وَقَعَ فِي أَيَّامِ عُمَرَ، وَهُوَ طَاعُونُ عَمَوَاسَ سَنَةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ، وَمَاتَ بِسَبَبِهِ جَمَاعَاتٌ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ، مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَشُرَحْبِيلُ بْنُ حَسَنَةَ، وَأَبُو جَنْدَلٍ سَهْلُ بْنُ عُمَرَ، وَأَبُوهُ، وَالْفَضْلُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمَطْلَبِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا النَّهَّاسُ بْنُ قَهْمٍ، ثَنَا شَدَّادُ أَبُو
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৫
عَمَّارٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سِتٌّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ; مَوْتِي، وَفَتْحُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَمَوْتٌ يَأْخُذُ فِي النَّاسِ كَقُعَاصٍ الْغَنَمِ، وَفِتْنَةٌ يَدْخُلُ حَرْبُهَا بَيْتَ كُلِّ مُسْلِمٍ، وَأَنْ يُعْطَى الرَّجُلُ أَلْفَ دِينَارٍ فَيَسْخَطَهَا، وَأَنْ يَغْدُرَ الرُّومُ فَيَسِيرُونَ إِلَيْكُمْ بِثَمَانِينَ بَنْدًا، تَحْتَ كُلِّ بَنْدٍ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا» وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَيَّانَ، أَنَّهُ سَمِعَ سُلَيْمَانَ بْنَ مُوسَى يَذْكُرُ «أَنَّ الطَّاعُونَ وَقَعَ بِالنَّاسِ يَوْمَ جِسْرِ عَمُوسَةَ، فَقَامَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّمَا هَذَا الْوَجَعُ رِجْسٌ فَتَنَحُّوا عَنْهُ. فَقَامَ شُرَحْبِيلُ بْنُ حَسَنَةَ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ قَوْلَ صَاحِبِكُمْ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لَقَدْ أَسْلَمْتُ وَصَلَّيْتُ وَإِنَّ عَمْرًا لَأَضَلُّ مِنْ بَعِيرِ أَهْلِهِ، وَإِنَّمَا هُوَ بَلَاءٌ أَنْزَلَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَاصْبِرُوا. فَقَامَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ قَوْلَ صَاحِبَيْكُمْ هَذَيْنَ، وَإِنَّ هَذَا الطَّاعُونَ رَحْمَةٌ بِكُمْ، وَدَعْوَةُ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنِّي قَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّكُمْ سَتَقْدَمُونَ الشَّامَ فَتَنْزِلُونَ أَرْضًا يُقَالُ لَهَا: أَرْضُ عَمُوسَةَ. فَيَخْرُجُ بِكُمْ فِيهَا خُرْجَانٌ لَهُ ذُبَابٌ كَذُبَابِ الدُّمَّلِ، يَسْتَشْهِدُ اللَّهُ بِهِ أَنْفُسَكُمْ وَذَرَارِيَّكُمْ، وَيُزَكِّي بِهِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৬

জন্য পাঠিয়েছেন ৷ সুতরাং তোমরা ধৈর্যধারণ কর ৷ এরপর মু আয় ইবন জাবাল (রা) দাড়িয়ে
বললেন, হে জনমগুলী৷ আমি তোমাদের এ উভয় সাথীর কথা শুনলাম ৷ আমি তােমাদেরকে
জানাচ্ছি যে, এ মহামারী তোমাদের উপর আল্লাহ্র এক বিশেষ রহমত এবং তোমাদের নবী
(না)-এর দুআর ফল ৷ আমি রাসুল (না)-কে বলতে শুনেছি যে, ণ্তামরা শীঘ্রই সিরিয়ার
পৌছে যাবে এবং আমুসা নামক স্থানে উপনীত হবে ৷ তথায় তোমাদের শরীরে গুটির ন্যায়
ফৌড়া উঠবে ৷ এ রোগের মাধ্যমে আল্লাহ তােমাদেরকে ও ৷তামাদের সন্তানদেরকে শাহাদতের
মর্যাদা দিবেন এবং তোমাদের অর্থ-সষ্পদকে পবিত্র করবেন ৷ তারপর হযরত মুআয (রা)
বলেন, হে আল্লাহ! আপনি জানেন ৷ এ কথা যদি আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে শুনে থাকি তবে
মুআযকে ও মুআয পরিবারকে আপনি তা পুরাপুরি দান করুন ৷ পক্ষান্তয়ে যদি আমার শোনার
ভুল হয়ে থাকে, তবে এর থেকে আমাকে মুক্ত রাখুন ৷ হযরত মুআযের শাহাদাত আঙ্গুলে
একটি ফৌড়া উঠেছিল ৷ যে দিকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, হে আল্লাহ্৷ এতে বরকত দান
করুন ৷ কেননা আপনি যদি ক্ষুদ্র জিনিসে বরকত দেন তাব তা বৃহৎ হয়ে যায় ৷ এরপর
মুআষের পুত্র আক্রান্ত হন ৷ তিনি পুত্রের নিকট যান এবং কুরআনের এ আয়াত পাঠ করেন ং

৷ “অর্থাৎ এ সত্য তোমার রবের নিকট থেকেই
আগত, সুতরাং তুমি সন্দেহ পােষণকাবীদের অতত্যুঃ হয়াে না” (২৪ ১৪ ৭) ৷ পুত্র কুরআনের
আর এক আয়াত পড়ে উত্তর দিলেনং ;; “অর্থাৎ
আল্লাহ চাহে তাে আপনি আমাকে ধৈর্যণীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন (৩০৪ ১০২)া

বুখারী ও মুসলিম উভয় গ্রন্থে আ মাশ (র) সুত্রে হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমরা হযরত উমরের নিকট বসা ছিলাম ৷ এমন সময় তিনি বললেন, বিপর্যয় সংক্রান্ত
ৱাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাদীস তোমাদের মধ্যে কার স্মরণ আছে ? হুযায়ফা (রা) বলেন, আমার
স্মরণ আছে ৷ উমর (রা) বললেন, বল দেখি, তুমি তো খুব সাহসী লোক! হুযায়ফা বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মানুষের ব্রী-পরিবার, ধনসম্পদ, সন্তান ও প্রতিবেশীর মধ্যে ফিতনা ফাসাদ
সৃষ্টি হওয়ার কথা বলেছেন এবং নামায, দান-সাদকা, সৎ কাজে আদেশ ও অন্যায় কাজে
নিষেধ দ্বারা এসব ফিতনার প্রতিকার হওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন ৷ হযরত উমর (রা)
বললেন, আমি এই ফিতনার কথা জিজ্ঞেস করি নি, বরং সেই সব বিপর্যয়ের কথা বুঝাচ্ছি যা
সমুদ্রের তরঙ্গের ন্যায় একের পর এক উঠতে থাকবে ৷ আমি বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন ৷
আপনার মাঝে ও সেই সব ফিতনার মাঝে একটি রুদ্ধদ্বার রয়েছে ৷ উমর (রা) বললেন
সর্বনাশ! আল্লাহ কি যে দ্বার খুলে দিবেন, নাকি তা ভেঙ্গে ফেলা হবে ? আমি বললাম, বরং
ভেঙ্গে ফেলা হবে ৷ তিনি বললেন, তা হলে তো তা আর কখনও বন্ধ হয়ে না ৷ আমি বললাম,
জী ই৷ ৷ তারপর আমরা হুযায়ফাকে জিজ্ঞেস করলাম ৷ হযরত উমর কি বুঝতে পেরেছেন ৷
দরজা দ্বারা কাকে বুঝান হয়েছে ? তিনি বললেন হী ৷ আমি তো তাকে এমন একটি হাদীস
বলেছি যা অমুলক নয় ৷ হাদীসের বর্ণনাকারী শাকীক বলেন, আমরা হুযায়ফাকে এ কথা
জিজ্ঞেস করতে শংকিত হচ্ছিলাম যে, সেই দরজা বলতে কাকে বুঝানো হয়েছে ৷ তাই
মাসরুককে বললাম যে, আপনিই কথাটি জিজ্ঞেস করুন ৷ মাসরুক জিজ্ঞেস করলে হুযায়ফা
(রা) জানালেন যে, দরজাটি হচ্ছেন স্বয়ং হযরত উমর ৷ সুতরাং উমর (না)-এর শাহাদতের পর


أَمْوَالَكُمْ ". اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي قَدْ سَمِعْتُ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَارْزُقْ مُعَاذًا وَآلَ مُعَاذٍ مِنْهُ الْحَظَّ الْأَوْفَى، وَلَا تُعَافِهِ مِنْهُ. قَالَ: فَطُعِنَ فِي السَّبَّابَةِ فَجَعَلَ يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ بَارِكْ فِيهَا، فَإِنَّكَ إِذَا بَارَكْتَ فِي الصَّغِيرِ كَانَ كَبِيرًا. ثُمَّ طُعِنَ ابْنُهُ فَدَخَلَ عَلَيْهِ فَقَالَ: {الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ} [يونس: 94] . فَقَالَ {سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ} [الصافات: 102] » [الصَّافَّاتِ: 102] . وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ وَجَامِعِ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ عُمَرَ فَقَالَ: أَيُّكُمْ يَحْفَظُ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْفِتْنَةِ؟ قُلْتُ: أَنَا. قَالَ: هَاتِ إِنَّكَ لِجَرِيءٌ. فَقُلْتُ: فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ، يُكَفِّرُهَا الصَّلَاةُ وَالصَّدَقَةُ وَالْأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيُ عَنِ الْمُنْكَرِ، فَقَالَ لَيْسَ هَذَا أَعْنِي، إِنَّمَا أَعْنِي الَّتِي تَمُوجُ مَوْجَ الْبَحْرِ. فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا. قَالَ: وَيْحَكَ، أَيُفْتَحُ الْبَابُ أَمْ يُكْسَرُ؟ قُلْتُ بَلْ يُكْسَرُ. قَالَ: إِذًا لَا يُغْلَقُ أَبَدًا. قُلْتُ: أَجَلْ. فَقُلْنَا لِحُذَيْفَةَ: فَكَانَ عُمَرُ يَعْلَمُ مَنِ الْبَابُ؟ قَالَ نَعَمْ، إِنِّي حَدَّثْتُهُ حَدِيثًا لَيْسَ بِالْأَغَالِيطِ. قَالَ: فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَ حُذَيْفَةَ مَنِ الْبَابُ، فَقُلْنَا لِمَسْرُوقٍ فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: عُمَرُ. وَهَكَذَا وَقَعَ مِنْ بَعْدِ مَقْتَلِ عُمَرَ وَقَعَتِ الْفِتَنُ فِي النَّاسِ وَتَأَكَّدَ ظُهُورُهَا بِمَقْتَلِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَقَدْ قَالَ يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَزْرَةَ بْنِ قَيْسٍ
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৭
قَالَ: خَطَبَنَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَقَالَ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بَعَثَنِي إِلَى الشَّامِ، فَحِينَ أَلْقَى بَوَانِيَهُ بَثْنِيَّةً وَعَسَلًا أَرَادَ أَنْ يُؤْثِرَ بِهَا غَيْرِي وَيَبْعَثَنِي إِلَى الْهِنْدِ. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ تَحْتِهِ: اصْبِرْ أَيُّهَا الْأَمِيرُ، فَإِنَّ الْفِتَنَ قَدْ ظَهَرَتْ. فَقَالَ خَالِدٌ: أَمَّا وَابْنُ الْخَطَّابِ حَيٌّ فَلَا، وَإِنَّمَا ذَاكَ بَعْدَهُ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «أَبْصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عُمَرَ ثَوْبًا فَقَالَ: " أَجَدِيدٌ ثَوْبُكُ أَمْ غَسِيلٌ؟ " قَالَ: بَلْ غَسِيلٌ. قَالَ " الْبَسْ جَدِيدًا، وَعِشْ حَمِيدًا، وَمُتْ شَهِيدًا " وَأَظُنُّهُ قَالَ: " وَيَرْزُقُكَ اللَّهُ قُرَّةَ عَيْنٍ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ، ثُمَّ قَالَ النَّسَائِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ، أَنْكَرَهُ يَحْيَى الْقَطَّانُ عَلَى عَبْدِ الرَّزَّاقِ، وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مُرْسَلًا. قَالَ حَمْزَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكِنَانِيُّ الْحَافِظُ: لَا أَعْلَمُ أَحَدًا رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ غَيْرَ مَعْمَرٍ، وَمَا أَحْسَبُهُ بِالصَّحِيحِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ رِجَالُ إِسْنَادِهِ وَاتِّصَالِهِ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ "، وَقَدْ قَبِلَ الشَّيْخَانُ تَفَرُّدَ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي غَيْرِمَا حَدِيثٍ، ثُمَّ قَدْ رَوَى الْبَزَّارُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ طَرِيقِ جَابِرِ الْجُعْفِيِّ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৮

থেকেই জনগণের মধ্যে অরাজকতা ও বিশৃখ্খলা ছড়িয়ে পড়ে এবং হযরত উছমান (রা)-এর
হত্যকোণ্ডের মধ্য দিয়ে সে বিশৃত্খলাণ্আরও শক্তি অর্জন করে ৷

ইয়ালা ইবন উবায়দ আমাশ সুত্রে উৱওয়া ইবনকায়স থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একদা খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) ভাষণ দানকালে বলেছিলেন : আমীরুল মুমিনীন হযরত
উমর (রা) আমাকে সিরিয়ার প্রেরণ করেন ৷ যখন আমি বাওয়ানিয়া বাছনিয়া ও আসলে
উপস্থিত হই তখন তিনি আমার হলে অন্য লোককে নিযুক্তি দিয়ে আমাকে ভারতবর্ষে পাঠাতে
মনস্থ করেন ৷ এ সময় এক ব্যক্তি উঠে বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন ! অপেক্ষা করুন, ফিতনা
দেখা দিয়েছে ৷ এরপর খালিদ মন্তব্য করেন যে, ইবন খাত্তাব যতদিন বেচে আছেন ততদিন
নয় ৷ বরং তার মৃত্যুর পরে তার প্রকাশ ঘটবে ৷

ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ্ ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদািা
উমরের পরিমানে একটি কাপড়ের প্ৰতি লক্ষ্য করে বললেন, তোমার এ কাপড়টি কি নতুন না
ধৌত করা ? জবাবে উমর (রা) বললেন, ধৌত করা ৷ ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, পরিধান করবে
নতুন, জীবন-যাপন করবে নির্মল এবং যারা যাবে শহীদ হয়ে ৷ বর্ণনাকারীর ধারণা যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ কথাও বলেছিলেন যে, আল্পাহ্ তোমাকে ইহকালে ও পরকালে শান্তিময়
জীবন দান করুন ৷ নাসাঈ এবং ইবন মাজাও আবদুর রাজ্জাক সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷ তারপর নাসাঈ বলেছেন এ হাদীসটি মুনকার ৷ ইয়াহ্ইয়া আল কাত্তান একে রাবী
আবদুর রাজ্জাকের সমালোচনা করেছেন এবং যুহরী থেকে অন্য সুত্রে এটি মুরসালভাবে বর্ণিত
আছে ৷ হামযা ইবন মুহাম্মদ আল-কিনানী বলেছো, যুহরীর থেকে মামার ব্যতীত আর কেউ এ
হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে মনে করি না ৷ আমি যদি এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ এবং তাদের
পারস্পরিক সাক্ষাত (সনদ ও ইত্তিসাস) বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী পুর্ণ আছে ৷ বুখারী ও
মুসলিম বলেছেন যে , মামার যুহরীর থেকে এ হাদীস ব্যতীত আরও হাদীস এককভাবে বর্ণনা
করেছেন ৷ তা ছাড়া বায্যার এ হাদীসটি জাবির আল-জুফী (বর্ণনাকারী হিসাবে তিনি যয়ীফ)
সুত্রে তিনি আবদুর রহমান ইবন ছাবিত থেকে তিনি জাবির ইবন আবদুল্পাহ্ থেকে তিনি
রাসুলুল্পাহ্ (সা) থেকে মারকু রুপে বর্ণনা করেছেন ৷ এ হাদীসে যে ভবিষ্যতের ঘটনার প্ৰতি
ইঙ্গিত দেয়৷ হয়েছে তা বাস্তবে পরিণত হয়েছিল ৷ কারণ, উমর (রা) মসজিদে নববীতে
মিহ্রাবের মধ্যে ফজরের নামায পড়া অবস্থায় শহীদ হন ৷

ইতিপুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, আবু বকর, উমর ও উছমান (রা)র্দ্ধএর হাতে করে তাসবীহ
পাঠ করলে নবী করীম (সা) বলেছিলেন, এ হচ্ছে নবুওতী পদ্ধতিতে খিলাফত চলার প্ৰতি
ইঙ্গিত ৷

নুআয়ম ইবন হাম্মাদ আবদুল্লাহ ইবন মুবারক সুত্রে সাফীনা থেকে বর্ণনা করেন, নবী
করীম (সা) যখন মদীনায় মসজিদ নির্মাণ করেন, তখন আবু বকর (বা) একটি পাথর নিয়ে
আসেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) পাথরটি যথাস্থানে স্থাপন করেন ৷ তারপর উমর (রা) একটি পাথর
আনেন ৷ নবী কয়ীম (সা) সে পাথরটিও বসিয়ে দেন ৷ এরপর উছমান (বা) আর একটি পাথর
আসে এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এটিও কাজে লাগান ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এরা
আমার পরে খলীফা হবেন ৷


مَرْفُوعًا مِثْلَهُ سَوَاءً، وَقَدْ وَقَعَ مَا أَخْبَرَ بِهِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ; فَإِنَّهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قُتِلَ شَهِيدًا وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي الْفَجْرَ فِي مِحْرَابِهِ مِنَ الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، عَلَى صَاحِبِهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ حَدِيثُ أَبِي ذَرٍّ فِي تَسْبِيحِ الْحَصَا فِي يَدِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرَ، ثُمَّ عُثْمَانَ، وَقَوْلُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ «: " هَذِهِ خِلَافَةُ النُّبُوَّةِ» وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَنَا حَشْرَجُ بْنُ نُبَاتَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ قَالَ: «لَمَّا بَنَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسْجِدَ الْمَدِينَةِ جَاءَ أَبُو بَكْرٍ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَؤُلَاءِ يَكُونُونَ الْخُلَفَاءَ بَعْدِي» وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «ثَلَاثٌ مَنْ نَجَا مِنْهُنَّ فَقَدْ نَجَا; مَوْتِي، وَقَتْلُ خَلِيفَةٍ مُصْطَبِرٍ، وَالدَّجَّالُ» " وَفِي حَدِيثِهِ الْآخَرِ الْأَمْرُ بِاتِّبَاعِ عُثْمَانَ عِنْدَ وُقُوعِ الْفِتْنَةِ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نُمَيْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «تَوَضَّأْتُ فِي بَيْتِي، ثُمَّ خَرَجْتُ فَقُلْتُ: لَأَكُونُنَّ الْيَوْمَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجِئْتُ الْمَسْجِدَ فَسَأَلْتُ عَنْهُ فَقَالُوا: خَرَجَ وَتَوَجَّهَ هَاهُنَا. فَخَرَجْتُ فِي أَثَرِهِ حَتَّى جِئْتُ بِئْرَ أَرِيسَ،
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৯

ইতিপুর্বে আবদৃল্লাহ্ ইবন হাওয়ালার হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাতে

বলেছেন ৷ তিনটি ঘটনা থেকে যে রক্ষা পারে সে নিরাপদে থাকবে ১ আমার ওফাত, ২ ,
প্রতাপশালী খলীফার হত্যা এবং ৩ দাজ্জাল ৷ ইবন হাওয়ালার অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, ফিতনা
সৃষ্টি হওয়ার সময়ে সকল তৎপরতা উছমান (রা) কে কেন্দ্র করেই হতে যা কাবে ৷

বুখারী ও মুসলিম গ্রহুদ্বয়ে সাঈদ ইবন মুসাব্যিব সুত্রে আবু মুসা আশ আরী থেকে বর্ণিত,

ন্ তিনি বলেন, একদা আমি আমার বাড়িতে উয়ু করি ৷ তারপর বের হয়ে পড়ি ও মনন্থ করি যে,
আজকের দিনটি আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে কাটার ৷ সুতরাং আমি মসজিদে গেলাম এবং
নবী করীম (সা) কোথায় আছেন তা লোকের কাছে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তারা জানাল তিনি
বেরিয়ে গেছেন এবং এই দিকে গেহ্নে৷ ৷ আমি যে দিকে চললাম ৷ যেতে যেতে বিরে আরীসে১
গিয়ে পৌছলাম ৷ আরীসের ফটক ছিল খেজুর গাছের ডাল দিয়ে তৈরি ৷ ফটকের নিকটে আমি
দীড়ালাম ৷ জানলাম যে নবী করীম (সা) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার পর বসে আছেন ৷ আমি
সেখানে গিয়ে নবী করীম (সা)-কে সালাম জানালাম ৷ তিনি আরীসক্যুয়ার পাড়ে বসে পা দুটি
ঝুলিয়ে দিয়েছেন এবং ইগ্লুটুব নিচের অংশের কাপড় তুলে ধরেছেন ৷ তারপর আমি গোটর দিকে

গেলাম এবং মনে মনে ভাবলাম আজ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পাহারায় থাকর ৷ অল্পক্ষণ

পরেই দরজায় শব্দ হল ৷ বললাম কে ? উত্তর এলো, আবু বকর ৷ বললাম, অপেক্ষা করুন !

অতপর রাসুল (সা)-এর নিকট গিয়ে আরব করলাম, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আবু বকর এসেছেন,
তিনি অনুমতি প্রার্থী ৷ তিনি বললেন, আসতে দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ জানাও ৷
আবু মুসা (রা) বলেন, আমি তাড়াতাড়ি চলে আসলাম এবং আবু বকরকে বললাম প্রবেশ
করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আপনাকে জান্নাতের সুসৎ বাদ দিয়েছেন ৷ আবু বকর ভিতরে প্রবেশ
করে কুপের পাড়ে রাসুলের ডান পাশে বসলেন ৷ তিনিও পা ঝুলিয়ে দিলেন এবং হাটুর নিচের

অংশের কাপড় সরিয়ে নিলেন ৷ যেমনটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) করেছিলেন ৷

ন্ আবু মুসা বলেন, এরপর আমি দরজায় কাছে চলে আসি ৷ আমি আমার এক ভাইকে উবু
অবস্থায় ছেড়ে এসেকািড়াম ৷ আসার সময় সে বলেছিল; আমি তোমার পিছে পিছে আসছি ৷ মনে
মনে ভাবলাম, আল্পাহ্ যদি তার কল্যাণ চান তবে পৌছে যাবে ৷ হঠাৎ দরজায় শব্দ হলো ৷
জিজ্ঞেস করলাম কে ? উত্তর এলো উমর ৷ বললাম, অপেক্ষা করুন ! এ বলে আমি নবী কয়ীম

(না)-এর নিকট গিয়ে সালাম দিলাম ও সংবাদ জানালাম ৷ তিনি বললেন, আসতে দাও এবং

তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শুনাও ৷ আমি এসে র্তাকে প্রবেশের অনুমতি দিলাম ও বললাম,

রাসুলুল্লাহ্ (সা) আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ জানিয়েছেন ৷ অতঃপর তিনি ভিতরে প্রবেশ
করলেন এবং রাসুল (না)-এর বামে বসে কুপে পা ঝুলিয়ে দেন ও ছুার্টুর নিম্ন ভাগের কাপড়
গুটিয়ে নেয় ৷ যেমন নবী (সা) ও আবু বকর করেছিলেন ৷ আবু মুসা বলেন, আমি দরজায় ফিরে
এলাম এবং মনে মনে ভাবলাম অ ল্লাহ যদি আমার ভাইয়ের বল্মড়াণ চান তার সময় তাকে
এখানে এনে দেবেন ৷ পুনরায় গোট শব্দ হলো ৷ জিজ্ঞেস করলাম কে ? উত্তর এলো উছমান

ইবন আফ্ফানা বললাম অপেক্ষা করুন অতঃপর রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে সং বাদ দিলাম যে

উছমান এসেছেন, প্রবেশের অনুমতি চান ৷ তিনি বললেন৪ আসতে দাও এবং অনেক পরীক্ষা

উত্তরণের মাধ্যমে র্তড়াকে জান্নাতের সুসংবাদ জানাও ৷ আমি এসে বললাম ! রাসুলুল্লাহ্ (সা)

১ আরীস’ মদীনায় একটি বিখ্যাতউদ্যানের নাম ৷ ঐ উদ্যানে অবস্থিত কুপকে বলা হয় বিয়ে আরীস’ ৷


وَبَابُهَا مِنْ جَرِيدٍ، فَمَكَثْتُ عِنْدَ بَابِهَا حَتَّى عَلِمْتُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَضَى حَاجَتَهُ وَجَلَسَ، فَجِئْتُهُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَإِذَا هُوَ قَدْ جَلَسَ عَلَى قُفِّ بِئْرِ أَرِيسَ فَتَوَسَّطَهُ، ثُمَّ دَلَّى رِجْلَيْهِ فِي الْبِئْرِ وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيْهِ، فَرَجَعْتُ إِلَى الْبَابِ وَقُلْتُ: لَأَكُونَنَّ بَوَّابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ دَقَّ الْبَابُ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَبُو بَكْرٍ. قُلْتُ: عَلَى رِسْلِكَ. وَذَهَبْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا أَبُو بَكْرٍ يَسْتَأْذِنُ. فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". قَالَ: فَخَرَجْتُ مُسْرِعًا حَتَّى قُلْتُ لِأَبِي بَكْرٍ: ادْخُلْ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَشِّرُكَ بِالْجَنَّةِ. قَالَ: فَدَخَلَ حَتَّى جَلَسَ إِلَى جَنْبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْقُفِّ عَلَى يَمِينِهِ، وَدَلَّى رِجْلَيْهِ وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيْهِ كَمَا صَنَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: ثُمَّ رَجَعْتُ وَقَدْ كُنْتُ تَرَكْتُ أَخِي يَتَوَضَّأُ، وَقَدْ كَانَ قَالَ لِي: أَنَا عَلَى إِثْرِكَ. فَقُلْتُ: إِنْ يُرِدِ اللَّهُ بِفُلَانٍ خَيْرًا يَأْتِ بِهِ. قَالَ: فَسَمِعْتُ تَحْرِيكَ الْبَابِ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: عُمَرُ. قُلْتُ: عَلَى رِسْلِكَ قَالَ: وَجِئْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". قَالَ: فَجِئْتُ وَأَذِنْتُ لَهُ، وَقُلْتُ لَهُ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَشِّرُكَ بِالْجَنَّةِ. قَالَ: فَدَخَلَ حَتَّى جَلَسَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى يَسَارِهِ، وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيْهِ وَدَلَّى رِجْلَيْهِ فِي الْبِئْرِ كَمَا صَنَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبُو بَكْرٍ. قَالَ: ثُمَّ رَجَعْتُ فَقُلْتُ: إِنْ يُرِدِ اللَّهُ بِفُلَانٍ خَيْرًا يَأْتِ بِهِ - يُرِيدُ أَخَاهُ - فَإِذَا تَحْرِيكُ الْبَابِ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. قُلْتُ: عَلَى رِسْلِكَ. وَذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ فَقُلْتُ: هَذَا عُثْمَانُ يَسْتَأْذِنُ. فَقَالَ: " ائْذَنْ
পৃষ্ঠা - ৫০০০
لَهُ وَبَشَّرَهُ بِالْجَنَّةِ مَعَ بَلْوَى أَوْ بَلَاءٍ يُصِيبُهُ ". قَالَ: فَجِئْتُ فَقُلْتُ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْذَنُ لَكَ وَيُبَشِّرُكَ بِالْجَنَّةِ عَلَى بَلْوَى أَوْ بَلَاءٍ يُصِيبُكَ. فَدَخَلَ وَهُوَ يَقُولُ: اللَّهُ الْمُسْتَعَانُ. فَلَمْ يَجِدْ فِي الْقُفِّ مَجْلِسًا فَجَلَسَ وُجَاهَهُمْ مِنْ شِقِّ الْبِئْرِ، وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيْهِ وَدَلَّاهُمَا فِي الْبِئْرِ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا» قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ فَأَوَّلْتُهَا قُبُورَهُمُ اجْتَمَعَتْ وَانْفَرَدَ عُثْمَانُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ أَبِي الْمُسَاوِرِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بُجَيْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " انْطَلِقْ حَتَّى تَأْتِيَ أَبَا بَكْرٍ فَتَجِدَهُ فِي دَارِهِ جَالِسًا مُحْتَبِيًا فَقُلْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَيَقُولُ: أَبْشِرْ بِالْجَنَّةِ. ثُمَّ انْطَلِقْ حَتَّى تَأْتِيَ الثَّنِيَّةَ، فَتَلْقَى عُمَرَ رَاكِبًا عَلَى حِمَارٍ تَلُوحُ صَلْعَتُهُ، فَقُلْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَيَقُولُ: أَبْشِرْ بِالْجَنَّةِ. ثُمَّ انْصَرِفْ حَتَّى تَأْتِيَ عُثْمَانَ فَتَجِدَهُ فِي السُّوقِ يَبِيعُ وَيَبْتَاعُ، فَقُلْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَيَقُولُ: أَبْشِرْ بِالْجَنَّةِ بَعْدَ بَلَاءٍ شَدِيدٍ ". فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي ذَهَابِهِ إِلَيْهِمْ، فَوَجَدَ كُلًّا مِنْهُمْ كَمَا ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكُلًّا مِنْهُمْ يَقُولُ: أَيْنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَيَقُولُ: فِي مَكَانِ كَذَا وَكَذَا. فَيَذْهَبُ إِلَيْهِ، وَأَنَّ عُثْمَانَ لَمَّا رَجَعَ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَأَيُّ بَلَاءٍ يُصِيبُنِي؟ وَالَّذِي
পৃষ্ঠা - ৫০০১

আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন এবং জান্নাতের সুসং বাদ জানিয়েছেন ৷ তবে আপনার উপর বহু
বিপদ পরীক্ষা আপতিত হবে ৷ তিনি আল্লাহ সহায় ( , ৷ ৷ ৷ ’এ৷ ৷ এ) বলতে বলতে প্রবেশ
করলেন ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুপের যে পাড়ে বলেছেন যে পাশে জায়গা পেলেন না ৷ তইি
কুপের বিপরীত পাড়ে বসলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা), আবু বকর ও উমরের ন্যায় পা ঝুলিয়ে ও
হট্রিয় নিচের কাপড় গুটিয়ে বসলেন ৷ সাঈদ ইবন মুসাব্যিব বলেন, আমি এর দ্বারা এ ব্যাখ্যা
নিলাম যে তিন জনের কবর এক স্থানে হবে এবং উসমানেৱ কবর ভিন্ন স্থানে হবে ৷

বায়হাকী আবদুল আলা সুত্রে যায়দ ইবন আরকাম (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ যায়দ
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একবার আমাকে কোন কাজে পাঠায়, বলে দেন যে, তুমি আবুবকরের
কাছে যাও, তাকে ঘরের মধ্যে হীটুতে কাপড় জড়িয়ে বসা অবস্থায় পাবে ৷ তাকে বল,
, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আপনাকে সালাম পাঠিয়েছেন এবং জান্নাতের সুসংৰাদ দিয়েছেন ৷ তারপর
উমরের সাথে সাক্ষাৎ কর ৷ তাকে তুমি ছানিয়ায় গাধার পিঠে সওয়ার অবস্থায় পাবে ৷ ণ্দখবে
যে গাধাটির কপালের চুল উজ্জ্বল চকচক করছে ৷ তাকে আমার সালাম বলবে এবং জান্নাতের
সুসংবাদ দিবে ৷ তারপর উসমানেৱ নিকট যাবে তাকে বাজারে ক্রয়;বিক্রয়েয় কাজে লিপ্ত
পারে৷ র্তাকেও আমার সালাম দেবে এবং কঠিন পরীক্ষার পরে জান্নাত প্রাপ্তির সুসংবাদ
জানাবে ৷ এরপর রাবী তাদের নিকট যায়দের গমনের কথা উল্লেখ করে বলেন যে, রাসুলুল্পাহ্
(সা) যাকে যেখানে যে অবস্থায় পাওয়ার কথা বলেছিলেন “যায়দ তাকে সেখানে সে অবস্থায়ই
পান ৷ তারা প্রত্যেবেইি জিজ্ঞেস করেছিলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোথায় আছেন ? যায়দ
বলেছিলেন, অমুক স্থানে আছেন ৷ সাথে সাথে তিনি যে স্থানে চলে যান ৷ উছমান যখন আগমন
করেন তখন জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসুলাল্লীহ্! কী রকম পরীক্ষা আমার উপর আসবে ? সেই
সত্তার কসম যিনি আপনাকে সভ্য নবীরুপে প্রেরণ করেছেন ৷ আমি কখনও (আপনার ডাকে)
অনুপস্থিত থাকিনি ৷ কোন কিছুর আশা আকাক্ষো করি নি ৷ যেদিন আপনার হাতে হাত রেখে
বায়আত হয়েছি সেদিন থেকে আমি আমার ডান হাত দ্বারা কখনও লজ্জাস্থান স্পর্শ করিনি ৷
তইি কোন জাতীয় পরীক্ষা আমার উপর আসবে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যা আসার তাই
আসবে ৷ বায়হাকী বলেন, আবদুল আলা হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে দুর্বল (যয়ীফ) ৷ যদি তিনি এ
হাদীস কণ্ঠস্থু রেখে থাকেন তবে হতে পারে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যায়দ ইবন আরকামকে তড়াদের
নিকট পাঠিয়েছিলেন ৷ আর আবু মুসা আশ আরী (রা) দরজায় বসা ছিলেন ৷ যেমনটি পুর্বে
আলোচিত হয়েছে ৷

হযরত উসমানেৱ উপর উ ক্ত বিপদ তার অলক্ষে আকম্মিকভাবে বিদ্রোহী গ্রজাদের পক্ষ
থেকে নিপতিত হয় ৷ তারা তার বাড়ি অবরোধ করে, তার উপর অত্যাচার চালায় এবং তাকে
শহীদ করে তার লাশ পথের উপর ফেলে রাখে ৷ এভাবে কয়েক কাি অতিবাহিত হয় জানাযাও
পড়া হয় নি ৷ কেউ তার লাশের কাছে ঘেষতেও পারে নি ৷ বের্শ কিছু কিং পরে তাকে গোসল
দিয়ে জানাযার নামায আদায়ের পর জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে যাবার পথে কাওকাব নামক
উদ্যানে তাকে দাফন করা হয় ৷ আল্লাহ্ র্তাকে জান্নড়াতৃল ফিরদাউস দান করুন ! এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা হযরত উসমানেৱ খিলাফতকালের অধ্যায়ে করা হবে ৷

ইমাম আহমদ হযরত উসমানেৱ আযাদকৃত গোলাম আবু সাহল সুত্রে আইশা (রা) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ অইিশা (রা) বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন আমার এক সাহাবীর জন্য


بَعْثَكَ بِالْحَقِّ مَا تَغَيَّبْتُ وَلَا تَمَنَّيْتُ وَلَا مَسِسْتُ ذَكَرِي بِيَمِينِي مُنْذُ بَايَعَتُكَ، فَأَيُّ بَلَاءٍ يُصِيبُنِي؟ فَقَالَ: " هُوَ ذَاكَ» ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: عَبْدُ الْأَعْلَى ضَعِيفٌ، فَإِنْ كَانَ حَفِظَ هَذَا الْحَدِيثَ فَيَحْتَمِلُ أَنْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ إِلَيْهِمْ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، فَجَاءُوا وَأَبُو مُوسَى جَالِسٌ عَلَى الْبَابِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَهَذَا الْبَلَاءُ الَّذِي أَصَابَهُ هُوَ مَا اتَّفَقَ وُقُوعُهُ عَلَى يَدَيْ مَنْ أَنْكَرَ عَلَيْهِ مِنْ رِعَاعِ أَهْلِ الْأَمْصَارِ بِلَا عِلْمٍ، فَوَقَعَ مَا سَنَذْكُرُهُ فِي دَوْلَتِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنْ حَصْرِهِمْ إِيَّاهُ فِي دَارِهِ حَتَّى آلَ الْحَالُ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ إِلَى اضْطِهَادِهِ وَقَتْلِهِ وَإِلْقَائِهِ عَلَى الطَّرِيقِ أَيَّامًا لَا يُصَلَّى عَلَيْهِ وَلَا يُلْتَفَتُ إِلَيْهِ، حَتَّى غُسِّلَ بَعْدَ ذَلِكَ وَصَلِّيَ عَلَيْهِ وَدُفِنَ بِحَشِّ كَوْكَبٍ - بُسْتَانٍ فِي طَرَفِ الْبَقِيعِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، وَجَعَلَ جَنَّاتِ الْفِرْدَوْسِ مُتَقَلَّبَهُ وَمَثْوَاهُ. كَمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي سَهْلَةَ مَوْلَى عُثْمَانَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ادْعُوا لِي بَعْضَ أَصْحَابِي ". قُلْتُ: أَبُو بَكْرٍ؟ قَالَ " لَا ". قُلْتُ عُمَرُ؟ قَالَ: " لَا ". قُلْتُ ابْنُ عَمِّكَ عَلِيٌّ؟ قَالَ: " لَا ". قُلْتُ: عُثْمَانُ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". فَلَمَّا جَاءَ عُثْمَانُ قَالَ: " تَنَحَّى ". فَجَعَلَ يُسَارُّهُ وَلَوْنُ عُثْمَانَ يَتَغَيَّرُ. قَالَ أَبُو سَهْلَةَ: فَلَمَّا كَانَ يَوْمَ الدَّارِ وَحُصِرَ فِيهَا، قُلْنَا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَلَّا تُقَاتِلُ؟ قَالَ: لَا، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهِدَ إِلَيَّ عَهْدًا، وَإِنِّي صَابِرٌ نَفْسِي عَلَيْهِ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، ثُمَّ قَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ عَائِشَةَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ،
পৃষ্ঠা - ৫০০২
وَأَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي كِتَابِهِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ": حَدَّثَنَا عَتَّابُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعُثْمَانُ بَيْنَ يَدَيْهِ يُنَاجِيهِ، فَلَمْ أُدْرِكْ مِنْ مَقَالَتِهِ شَيْئًا إِلَّا قَوْلَ عُثْمَانَ: أَظُلْمًا وَعُدْوَانًا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟! فَمَا دَرَيْتُ مَا هُوَ حَتَّى قُتِلَ عُثْمَانُ، فَعَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا عَنَى قَتْلَهُ. قَالَتْ عَائِشَةُ: وَمَا أَحْبَبْتُ أَنْ يَصِلَ إِلَى عُثْمَانَ شَيْءٌ إِلَّا وَصَلَ إِلَيَّ مِثْلُهُ، غَيْرَ أَنَّ اللَّهَ عَلِمَ أَنِّي لَمْ أُحِبَّ قَتْلَهُ، وَلَوْ أَحْبَبْتُ قَتْلَهُ لَقُتِلْتُ. وَذَلِكَ لَمَّا رُمِيَ هَوْدَجُهَا مِنَ النَّبْلِ حَتَّى صَارَ مِثْلَ الْقُنْفُذِ» وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، مَوْلَى الْمُطَّلِبِ، عَنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَقْتُلُوا إِمَامَكُمْ، وَتَجْتَلِدُوا بِأَسْيَافِكُمْ، وَيَرِثُ دُنْيَاكُمْ شِرَارُكُمْ» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، أَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمِصْرِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ السُّلَمِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ سَيْفٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ جَلَسَ
পৃষ্ঠা - ৫০০৩

দুআ কর ৷ আইশা বলেন, কে আবু বকর ? বললেন, না ৷ আমি বললাম, তবে উমর ?
বললেন, না ৷ আমি বললাম, আপনার ভাইপো আলী ? বললেন, না ৷ আমি বললাম, তবে কি
উছমান ? বললেন, হী ৷ এরপর উছমান যখন পৌছলেন তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন ৷ তুমি
সরে যাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কানে কানে তবে কিছু বলতে থাকেন এবং উসমানের চেহারা
বিবর্ণ হতে থাকে ৷ আবু সাহ্ল বলেন, যে দিন তিনি গৃহবন্দী হন সেদিন আমরা বললাম, হে
আমীরুল মু’মিনীন! আপনি কি (এদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধ করবেন না? তিনি বললেন, না ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ আমি সে ব্যাপারে ধৈর্য অবলম্বন
করতে চাই ৷ আহমদ ওকী সুত্রেও এ হাদীসটি আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন
মাজাও এ হাদীসটি ওর্কী সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

নুআয়ম ইবন হাম্মাদ তার গ্রন্থ আল-ফিতান ওয়াল মালাহিমে আত্তাব ইবন বশীর সুত্রে
অইিশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ আইশা বলেন, আমি একদা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
উপস্থিত হই ৷ দেখি উছমান রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সম্মুখে উপবিষ্ট ৷ নির্জনে ন্চুপচাপে আলাপ
করছেন ৷ আমি সে আলোচনার কিছুই বুঝলাম না ৷ কেবল উসমানের একটি কথইি শুনলাম ৷
তিনি জিজ্ঞেস করছেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ যুলুম ও শত্রুতামুলক ? আমি এ কথার তাৎপর্য বুঝি
নি ৷ যখন উছমান শহীদ হলেন তখন বুঝলাম যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) (সেদিন) তার হত্যার কথইি
বলছিলেন ৷ আইশা (রা) বলেন, আমি পছন্দ করতাম না যে আমার কাছে না পৌছে কোন
বিপদ উসমানের কাছে পৌছুক ৷ আল্লাহ্ জানেন, আমি এরুপ পছন্দ করতাম না ৷ যদি আমি
তার হত্যা পছন্দ করতাম তবে অবশ্যই আমি নিজেও যুদ্ধ করতাম ৷ এ কথার ইঙ্গিত হলো
সেই ঘটনার প্রতি যখন আইশার হাওদাজে তীর নিক্ষেপ করা হয় এবং এতে হাওদাজ নষ্ট হয়ে
যায়৷

আবু দাউদ তায়ালিসী ইসমাঈল সুত্রে হুযায়ফা থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, কিয়ামত আসবে না যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের রাষ্ট্র পরিচালককে হত্যা করবে
এবং নিজেরা পরস্পর তলােয়ার দ্বারা যুদ্ধ করবে এবং তোমাদের এ কর্তৃত্ব তোমাদের মধ্যে

দুকুতিকারীদের হাতে না যাবে ৷

রায়হাকী আবুল হুসায়ন সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, শীঘ্রই তোমাদের মধ্যে বারজন খলীফা হবেন; আবু বকর সিদ্দীক
আমার পরে বেশি দিন থাকবেন না ৷ তার পরবর্তী আরবের কর্তৃত্নের অধিকারী (অর্থাৎ আরবের
গৌরব) সাফল্যময় জীবন কাটাবেন এবং শহীদরুপে ইনতিকাল করবেন ৷ এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস
করলেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ! তিনি কে ? তিনি বললেন, উমর ইবন খাত্তাব ৷ এরপর রাসুলুল্পাহ্
(সা) উসমানের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, লোকে তোমার জামা খুলে ফেলার জন্য বলবে
(অর্থাৎ পদত্যাগের দাবি করবে) যা আল্লাহ্ তোমাকে পরাবেন ৷ যিনি আমাকে সত্য সহকারে
প্রেরণ করেছেন তার কন্যা! তুমি যদি তা খুলে ফেল, তবে তোমার জান্নাতে যাওয়া অসম্ভব,
যেমন অসম্ভব সুচের ছিদ্র দিয়ে উটের প্রবেশ করা ৷

তারপর বায়হাকী মুসা ইবন উক্বা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ মুসা ইবন উক্বা বলেন, আমার
নানা আবু হাবীবা আমাকে শুনিয়েছেন যে, হযরত উছমান যখন পৃহবন্দী তখন আমি যে ঘরে
প্রবেশ করি ৷ শুনলাম আবু হুরায়রা (রা) কিছু কথা বলার জন্য খলীফার নিকট অনুমতি প্রার্থনা


يَوْمًا مَعَ شُفَيٍّ الْأَصْبَحِيِّ، فَقَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «سَيَكُونُ فِيكُمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً; أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، لَا يَلْبَثُ خَلْفِي إِلَّا قَلِيلًا، وَصَاحِبُ دَارَةِ رَحَى الْعَرَبِ يَعِيشُ حَمِيدًا وَيَمُوتُ شَهِيدًا ". فَقَالَ رَجُلٌ: وَمَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ". ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: " وَأَنْتَ يَسْأَلُكَ النَّاسُ أَنْ تَخْلَعَ قَمِيصًا كَسَاكَهُ اللَّهُ، وَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ لَئِنْ خَلَعْتَهُ لَا تَدْخُلِ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ» " ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ «: حَدَّثَنِي جَدِّي أَبُو أُمِّي أَبُو حَبِيبَةَ أَنَّهُ دَخَلَ الدَّارَ وَعُثْمَانُ مَحْصُورٌ فِيهَا، وَأَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَسْتَأْذِنُ عُثْمَانَ فِي الْكَلَامِ فَأَذِنَ لَهُ، فَقَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّكُمْ سَتَلْقَوْنَ بَعْدِي فِتْنَةً وَاخْتِلَافًا ". فَقَالَ لَهُ قَائِلٌ مِنَ النَّاسِ: فَمَنْ لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ أَوْ: مَا تَأْمُرُنَا؟ فَقَالَ: " عَلَيْكُمْ بِالْأَمِينِ وَأَصْحَابِهِ ". وَهُوَ يُشِيرُ إِلَى عُثْمَانَ بِذَلِكَ» وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ عَفَّانَ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ بِهِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ شَاهِدَانِ لَهُ بِالصِّحَّةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫০০৪
رِبْعِيٍّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ نَاجِيَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تَدُورُ رَحَى الْإِسْلَامِ لِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ، فَإِنْ يَهْلِكُوا فَسَبِيلُ مِنْ قَدْ هَلَكَ، وَإِنْ يَقُمْ لَهُمْ دِينُهُمْ يَقُمْ لَهُمْ سَبْعِينَ عَامًا ". قَالَ: قُلْتُ: أَبِمَا مَضَى أَوْ بِمَا بَقِيَ؟ قَالَ: وَبِمَا " بَقِيَ» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْأَنْبَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ بِهِ، ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ إِسْحَاقَ وَحَجَّاجٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ نَاجِيَةَ الْكَاهِلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ رَحَى الْإِسْلَامِ سَتَزُولُ بِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ، فَإِنْ تَهْلِكْ فَسَبِيلُ مَا هَلَكَ، وَإِنْ يُقَمْ لَهُمْ دِينُهُمْ يَقُمْ لَهُمْ سَبْعِينَ عَامًا ". قَالَ: قَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَبِمَا مَضَى أَوْ بِمَا بَقِيَ؟ قَالَ: " بَلْ بِمَا بَقِيَ» وَهَكَذَا رَوَاهُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَنْصُورٍ بِهِ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ، فَذَكَرَهُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ تَابَعَ إِسْرَائِيلَ الْأَعْمَشُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مَنْصُورٍ. قَالَ: وَبَلَغَنِي أَنَّ فِي هَذَا إِشَارَةً إِلَى الْفِتْنَةِ الَّتِي كَانَ فِيهَا قَتْلُ عُثْمَانَ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، ثُمَّ إِلَى الْفِتَنِ الَّتِي كَانَتْ فِي أَيَّامِ عَلِيٍّ، وَأَرَادَ بِالسَّبْعِينَ مُلْكَ بَنِي أُمَيَّةَ، فَإِنَّهُ بَقِيَ بَيْنَ مَا بَيْنَ أَنِ اسْتَقَرَّ لَهُمُ الْمَلِكُ إِلَى أَنْ ظَهَرَتِ الدُّعَاةُ
পৃষ্ঠা - ৫০০৫

করছেন ৷ খলীফা র্তাকে অনুমতি দিলেন ৷ তিনি উঠে প্রথমে আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন ৷ তারপর
বললেন, আমি শুনেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন, আমার পরে তোমরা ফিতনা ও মতবিরোধ
দেখতে পারবে ৷ তখন এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বললো ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্!ণ্ আমরা তখন কার পক্ষে
থাকর ? অথবা যে ব্যক্তি আমাদেরকে তখন কী করতে বলেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
তোমরা তখন আম্বীন্যে ও তার সাথীদের পক্ষে থাকবে ৷ এ আসীন বলতে তিনি উসমানের দিকে
ইঙ্গিত করছিলেন ৷ ইমাম আহমদও এ হাদীস আফ্ফান সুত্রে মুসা ইবন উকব৷ থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন হাওয়ালা সুত্রে এ বক্তব্যের দু’টি হাদীস পুর্বেই উল্লেখিত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ আবদুর রহমান সুত্রে আবদৃল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
নবী করীম (সা) বলেছেন, ইসলামের ঢাকা ৩৫ অথবা ৩৬ অথবা ৩৭ বছর পর্যন্ত সচল
থাকবে ৷ যখন তারা শেষ হয়ে যাবে তখন সে সব মৃতদের অনুসৃত পথে তোমরা চলতে
থাকবে ৷ আর তাদের দীন তাদের জন্য ঢিকলে সত্তর বছর টিকবে ৷ আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ
বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম ৷ এ সময়টা কি অতীতের বছরগুলিসহ গণনা হবে নাকি আগামী
সময় থেকে ? আবু দাউদ এ হাদীস মুহাম্মদ সুত্রে আবদুর রহমান ইবন মাহ্দী থেকে বর্ণনা
করেছেনা

ইমাম আহমদ ইসহাক সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, ইসলামের ঢাকা ৩৫, ৩৬ অথবা ৩৭ বছর পর স্থানচ্যুত হবে ৷ সে চাকা
স্থানচ্যুত হওয়ার পর মৃতদের পথ অনুসরণ করবে ৷ তাদের দীন যদি টিকেও তবে সত্তর বছর
টিকবে ৷ হযরত উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! অতীতের দিনসহ নাকি আগত
দিন থেকে ? তিনি বললেন, অনাগত দিন থেকে ৷ ইয়া কুব ইবন সুফিয়ান ইসরাঈল সুত্রে
মানসুর থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকী বলেন, মানসুর থেকে ইসরাঈলের ন্যায়
আমাশ ও সুফিয়ান চাওরীও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ মানসুর বলেন, আমি জেনেছি এ
কথার মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে পরবর্তীকালে ঘটিতব্য ফিতনার প্রতি ৷ তার মধ্যে ৩৫ হি সালে
উছমান (রা)-এর হত্যা এবং হযরত আলী (রা)এর শাসনকালে উদ্ভুত বিভিন্ন ফিতনা ৷ আর
সত্তর সংখ্যা দ্বারা বনু উমইিয়াদের রাজতুকালকে বৃঝান হয়েছে ৷ কেননা, খােরাসানের বিদ্রোহ
উমইিয়া শাসকদের দুর্বলতা ও অযােপ্যতা দ্বারা ধ্বংস হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত প্রায় সত্তর বছর তাদের
রাজত্ব বহাল ছিল ৷ আমি বলি এসব যুদ্ধ বিগ্রহ সিফ্ফীনে এসে চুড়ান্ত রুপ ধারণ করে ৷ এ
সময়ে আলী (রা) খারিজীদেরকে দমন করেন ৷ এ সংক্রন্তে এবং খারিব্জীদেৱ পরিচয় ও তাদের
মধ্যকার এক ত্রুটিপুর্ণ দেহধারী লোকের বৈশিষ্ট্য ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ ন্

আবু বর (রা)-এর ইনতিকাল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম আহমদ ইসহাক ইবন ঈসা আশতার সুত্রে আবু যার (রা)-এর শ্রী বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আবু যারের মৃত্যুর সময় যখন উপস্থিত হয় তখন আমি রােদন করি ৷
আবু যার জিজ্ঞেস করলেন, (শ্রী) তুমি র্কাদছে৷ কেন ?“ আমি বললাম : কেন আমি কাদবাে না,
এই জনশুন্য প্রাত্তরে আপনি একাকী মারা যাচ্ছেন দাফন করার মত কোন লোক এখানে নেই ৷
এ ছাড়া আমার নিকট এমন কোন কাপড় নেই যা দ্বারা আপনার কাফনের ব্যবস্থা করতে পারি ৷
আবু যার বলেন, তুমি কেদ না বরং সুসত্বাদ নাও ! কারণ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে
— : :


بِخُرَاسَانَ وَضَعُفَ أَمْرُ بَنِي أُمَيَّةَ وَدَخَلَ الْوَهْنُ فِيهِ، نَحْوًا مِنْ سَبْعِينَ سَنَةً. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ ذَرٍّ قَالَتْ: «لَمَّا حَضَرَتْ أَبَا ذَرٍّ الْوَفَاةُ بَكَيْتُ، فَقَالَ: مَا يُبْكِيكِ؟ فَقُلْتُ: وَمَالِي لَا أَبْكِي وَأَنْتَ تَمُوتُ بِفَلَاةٍ مِنَ الْأَرْضِ وَلَا يَدَ لِي بِدَفْنِكَ، وَلَيْسَ عِنْدِي ثَوْبٌ يَسَعُكَ فَأُكَفِّنَكَ فِيهِ. قَالَ: فَلَا تَبْكِي وَأَبْشِرِي، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَيَمُوتَنَّ رَجُلٌ مِنْكُمْ بِفَلَاةٍ مِنَ الْأَرْضِ يَشْهَدُهُ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ ". وَلَيْسَ مِنْ أُولَئِكَ النَّفَرِ أَحَدٌ إِلَّا وَقَدْ مَاتَ فِي قَرْيَةٍ أَوْ جَمَاعَةٍ، وَإِنِّي أَنَا الَّذِي أَمُوتُ بِالْفَلَاةِ، وَاللَّهِ مَا كَذَبْتُ وَلَا كُذِبْتُ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سُلَيْمٍ الطَّائِفِيِّ بِهِ مُطَوَّلًا وَالْحَدِيثُ مَشْهُورٌ فِي مَوْتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِالرَّبَذَةِ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ، فِي خِلَافَةِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَكَانَ فِي النَّفَرِ الَّذِينَ قَدِمُوا عَلَيْهِ وَهُوَ فِي السِّيَاقِ عَبْدُ اللَّهُ بْنُ مَسْعُودٍ، وَهُوَ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَأَقَامَ بِهَا عَشْرَ لَيَالٍ، وَمَاتَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ، أَنَا الْأَصَمُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الصَّنْعَانِيُّ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدٍ الدِّمَشْقِيُّ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ
পৃষ্ঠা - ৫০০৬
بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْأَشْعَرِيِّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بَلَغَنِي أَنَّكَ تَقُولُ: " لَيَرْتَدَّنَ أَقْوَامٌ بَعْدَ إِيمَانِهِمْ ". قَالَ: " أَجَلْ، وَلَسْتَ مِنْهُمْ ". قَالَ: فَتُوُفِّيَ أَبُو الدَّرْدَاءِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ عُثْمَانُ» وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا صَفْوَانُ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَوْ عَبْدُ الْغَفَّارِ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ شَيْخٍ مِنَ السَّلَفِ قَالَ: «سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ، أَنْتَظِرُ مَنْ يَرُدُّ عَلَيَّ مِنْكُمْ، فَلَا أُلْفَيَنَّ أُنَازِعُ أَحَدَكُمْ فَأَقُولُ: إِنَّهُ مِنْ أُمَّتِي. فَيُقَالُ: هَلْ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ؟ " قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ: فَتَخَوَّفْتُ أَنْ أَكُونَ مِنْهُمْ، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ. فَقَالَ: " إِنَّكَ لَسْتَ مِنْهُمْ ". قَالَ: فَتُوُفِّيَ أَبُو الدَّرْدَاءِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ عُثْمَانُ، وَقَبْلَ أَنْ تَقَعَ الْفِتَنُ» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَابَعَهُ يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي عُبَيْدِ اللَّهِ مُسْلِمِ بْنِ مِشْكَمٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ إِلَى قَوْلِهِ: " لَسْتَ مِنْهُمْ ". قُلْتُ: قَالَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: تُوُفِّيَ أَبُو الدَّرْدَاءِ لِسَنَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ خِلَافَةِ عُثْمَانَ وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَأَبُو عُبَيْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوَفِّي سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.