سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

دلائل النبوة

পৃষ্ঠা - ৪৯৯১

দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ্র নামে ৷ আল্লাহ্র রাসুল মুহাম্মদের পক্ষ থেকে মিথ্যাবাদী
মুসায়লামার প্রতি ৷ সত্যপথ অনুসবণকারীর প্রতি শাস্তি বর্ষিত হোক ৷ পর সমাচার, সমগ্র
পৃথিবীর মালিক আল্লাহ, যাকে তিনি চান তাকেই এর ক৩ র্তৃতু দান করেন ৷ আর শুভ পরিণাম
তো কেবল মুত্তার্কীদেরই জন্য ৷ সত্য সত্যই আল্লাহ্ মুহাম্মদ (সা) ও তার অনুসারীদের উত্তম
পরিণাম দান করেছেন, কেননা, র্তারাই মুত্তাকী ৷ তারাই সঠিক পথ অবলম্বনকারী ও আল্লাহ
বিশ্বাসী, অন্য কেউ নয় ৷

বহু সং থ্যক হাদীস থেকে জানা যায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ধর্মত্যাপীদের সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
করেছিলেন, যা আবু বকর সিদ্দীকের খিলাফতকালে সংঘটিত হয় ৷ হযরত আবু বকর (রা)
মুহাম্মদ (সা) এর অনুসারী সৈন্যদের সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ৷ অবশেষে তারা দলে
দলে আল্লাহর দীনে ফিরে আসে এবং ঈমানের পানি তিক্ততায় পরিবতিতি হওয়ার পর পুনরায়

সুমিষ্ট হয় ৷ আল্লাহর বাণী :

’ ,


“ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে যায়৷ ধর্ম ত্যাগ করবে, আল্লাহ্ অচিরেই তাদের
পরিবর্তে নতুন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন, যাদের আল্লাহ্ ভালবাসবেন এবং তারাও
তাকে ভালবাসার, তারা মু’মিনদের জন্য বিনীত, বিন্ম্র এবং কাফিরদের জন্য কঠোর হবে ৷ ”
মুফাস্সিরগণ বলেছেন, এ আয়াতে আবু বকর ও তার সঙ্গীগণকে বুঝানো হয়েছে ৷ বুখারী
ও মুসলিমে আমির আশৃশাবী সুত্রে আইশা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) , তার কন্যা
ফাতিমার কানে কানে যে কথা বলেছিলেন ব্লুতার মধ্যে বলেছিলেন, জিবরীল প্ৰতি বছর একবার
গোটা কুরআন আমাকে শুনান, কিন্তু এ বছর দুবার শুনিয়েছেন ৷ এর মধ্যে আমি এ ইঙ্গিআ
পাচ্ছি যে, আমার মৃত্যু সন্নিকটে ৷ এতে ফাতিমা বোদন করেন ৷ তারপর পুনরায় কানে কানে
বলেন যে, তুমি জান্নাতে সমস্ত নারীদের নেত্রী হবে এবং আমার পরিবারবর্গের মধ্যে তৃমিই
সর্বাগ্রে আমার সাথে মিলিত হয়ে ৷ বাস্তর ঘটনা রাসুলের এ ভবিষ্যদ্বাণীর অনুরুপই হয়েছিল ৷
বায়হাকী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইনতিকালের পরে ফাতিমার আয়ু কতদিন ছিল, তা
নিয়ে মতভেদ রয়েছে; কেউ দুই মাস কেউ তিন মাস, কেউ ছয় মাস, কেউ বা অটি মাসের
কথা বলেছেন ৷ বায়হাকী বলেছেন ছয় মাসের মতই; কিন্তু বিশুদ্ধতর যা যুহরী সুত্রে অইিশা
(রা) থেকে বুখারী ও মুসলিমে উদ্ধৃত হয়েছে যে, তিনি বলেনং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
ইনতিকালের পর ফাতিমা ছয় মাস জীবিত ছিলেন ৷

দালইিলুন নবুওতে’ উল্লেখিত রাসুলুব্লাহ্ (সা) এর কতিপয় ভবিষ্যদ্বাণী

বুখারী ও মুসলিম গ্রন্থদ্বয়ে ইব্রাহীম সুত্রে অইিশা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, অতীত জাতিগুলাের মধ্যে এমন কিছু লোক ছিলেন র্যারা স্বভাবগতভাবে সঠিক
মতামতের অধিকারী (ঘুহাদ্দায়া) ছিলেন ৷ আমার উম্মতের মধ্যে যদি যে ধরনের কোন লোক
থেকে থাকে তবে সে হচ্ছে উমর ইবন খাত্তাব ৷

— ৩ ৯


[دَلَائِلُ النُّبُوَّةِ] [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا سَيَقَعُ مِنَ الْفِتَنِ] وَمِنْ كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ فِي بَابِ إِخْبَارِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، عَنِ الْغُيُوبِ الْمُسْتَقْبَلَةِ فَمِنْ ذَلِكَ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّهُ قَدْ كَانَ فِي الْأُمَمِ مُحَدَّثُونَ، فَإِنْ يَكُنْ فِي أُمَّتِي فَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ» وَقَدْ قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَنَا أَبُو إِسْرَائِيلَ، كُوفِيٌّ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ الْعَيْزَارِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: مَا كُنَّا نُنْكِرُ وَنَحْنُ مُتَوَافِرُونَ - أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنَّ السِّكِّينَةَ تَنْطِقُ عَلَى لِسَانِ عُمَرَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَابَعَهُ زِرُّ بْنُ حُبَيْشٍ وَالشَّعْبِيُّ عَنْ عَلِيٍّ. قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ: كُنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَنْطِقُ عَلَى لِسَانِ مَلَكٍ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " سِيرَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ "، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَشْيَاءَ كَثِيرَةً، مِنْ مُكَاشَفَاتِهِ وَمَا كَانَ يُخْبِرُ بِهِ مِنَ الْمُغَيَّبَاتِ، كَقِصَّةِ سَارِيَةَ بْنِ زُنَيْمٍ،
পৃষ্ঠা - ৪৯৯২

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবদুল্লাহ ইবন মুসা সুত্রে আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, আলী
(রা) বলেন, আমর৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব বহু সাহাবী বর্তমান আছি, কিন্তু একটি বিষয়ে
আমাদের কারও র্কোন দ্বিমত নেই যে, শান্তির বাণী উমরেব মুখ থেকেই প্রকাশ হয় ৷ যিব ইবন
হুবায়শ ও না বী এ হাদীস আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
ইয়া কুব ইবন সুফিয়ান তারিক ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন, ইবন শিহাব বলেন
আমরা পরস্পর আলোচনা করতাম যে, হযরত উমর ইবন খাত্তাব ফেরেশতার ভাষায় কথা
বলেন ৷ হযরত উমরেব জীবনী আলোচনা প্রসঙ্গে আমরা তার বহু অলৌকিক ঘটনা ও অদৃশ্য
সংবাদ ব্লুপদানেব কথা উল্লেখ করেছি ৷ যথা সাবিয়া ইবন যানীমেব ঘটনা ইত্যাদি ৷
ইমাম বুখারী ফিরাস সুত্রে অইিশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ৰিবিগণ
একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট সমবেত ছিলেন ৷ তারা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷
আমাদের মধ্যে কে সৰ্বাগ্রে আপনার সাথে মিলিত হবে ? তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে যার
হাত বেশি লম্বা সে ৷ অইিশা বলেন, আমাদের মধ্যে বিবি সাওদার হাত ছিল সবচেয়ে লম্বা ৷
সুতরাং তিনি সবার আগে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব সাথে মিলিত হন ৷ ইমাম বুখারীব মতে সহীহ্
সুত্র অনুযায়ী রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পরে সওদাই বিবিদেৱ মধ্যে প্রথমে ইনতিকাল করেন ৷ কিন্তু
ইউনুস ইবন বুকায়র এ হাদীস শাৰী থেকে মুরসালরুপে বর্ণনা করে বলেন রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর সহধর্মিণী যয়নব (রা) যখন ইনতিকাল করেন তখন সবাই বুঝলাে যে , তার হতেই
সকলের চেয়ে বেশি লম্বা ৷ তবে সে লম্বা মানে দান খয়রাতে মুক্ত হস্ত ৷ ইমাম মুসলিম মাহমুদ
ইবন গায়লান সুত্রে উম্মুল মুমিনীন অইিশা (রা) থেকে উক্ত হাদীসটি কিছু অতিরিক্ত বর্ণনাসহ
উদ্ধৃত করেছেন; তা এই যে, যয়নব হাতের দিক থেকে আমাদের মধ্যে বেশি লম্বা ছিলো ৷
কেননা তিনি নিজের হাতে কাজ করতেন এবং দানখয়রাত করতেন ৷ ঐতিহাসিকদের এটাই
প্রসিদ্ধ মত যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সহধর্মিণীগণের মধ্যে যয়নব বিনত জাহাশই সর্ব প্রথম
ইনতিকাল করেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, যয়নব ২০ হিজরীতে ইনতিকাল করেন এবং হযরত উমর
(যা) তার জানাযা পড়ান ৷ আমার বাংলা হচ্ছে ইবন আবু খায়ছামাব বর্ণনা অনুযায়ী হযরত
সওদা (বা) ও উমর (রা) এব খিলাফতের শেষ দিকে ইনতিকাল করেন ৷
ইমাম মুসলিম উসায়দ ইবন জাবির সুত্রে উমর ইবন খাত্তাব (বা) থেকে উয়ায়স
আল-করনী (ব) সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উক্তি অনুযায়ী, উয়ায়স
কবনী তাবি ঈদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি ৷ তার শরীরে শ্বেতী রোগ ছিল, আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা
জানালে আল্লাহ তাকে আরােগ্য করেন, তবে এক দিরহাম পরিমাণ স্থানে সাদা চিহ্ন থেকে
যায় ৷ তিনি মায়ের অত্যন্ত ভক্ত ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমর উবন খাত্তাবকে বলেছিলেন,
তুমি যদি তার সাক্ষাৎ পাও তবে তাকে দিয়ে তোমার জন্য দৃআ করিয়ে নিও ৷ হযরত উমর
(রা)এর সময়ে র্তাকে ঠিক সেই গুণ ও বৈশি ন্বষ্ট্যব্ল সাথে পাওয়া যায়,; যার উল্লেখ হাদীসে
রয়েছে ৷ উয়ায়স করণী সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসের বিভিন্ন ,সুত্র শব্দসমুহ ও এতদসংক্রান্ত
বিস্তারিত আলোচনা ঘুসনাদে উমর ইবন খাত্তাবে আমরা করেছি ৷
আবু দাউদ, উছমান ইবন আবু শায়বা উম্মু ওরাকা বিনত নওফেল থেকে বর্ণনা
করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) যখন বদরের যুদ্ধে গমন করেন তখন উম্মে ওরাকা বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আমাকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দিন, আমি আহতদের সেবা করব, হয়তো আল্লাহ


وَمَا شَاكَلَهَا وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ فِرَاسٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، «أَنَّ نِسَاءَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اجْتَمَعْنَ عِنْدَهُ، فَقُلْنَ يَوْمًا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّنَا أَسْرَعُ بِكَ لُحُوقًا؟ فَقَالَ: " أَطْوَلُكُنَّ يَدًا ". وَكَانَتْ سَوْدَةُ أَطْوَلَنَا ذِرَاعًا، فَكَانَتْ أَسْرَعَنَا بِهِ لُحُوقًا.» هَكَذَا وَقَعَ فِي " الصَّحِيحِ " عِنْدَ الْبُخَارِيِّ أَنَّهَا سَوْدَةُ، وَقَدْ رَوَاهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ مُرْسَلًا، وَقَالَ: فَلَمَّا تُوُفِّيَتْ زَيْنَبُ عَلِمْنَ أَنَّهَا كَانَتْ أَطْوَلَهُنَّ يَدًا فِي الْخَيْرِ وَالصَّدَقَةِ. وَالَّذِي رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ غَيْلَانَ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَذَكَرَتِ الْحَدِيثَ، وَفِيهِ: فَكَانَتْ زَيْنَبُ أَطْوَلَنَا يَدًا; لِأَنَّهَا كَانَتْ تَعْمَلُ بِيَدِهَا وَتَصَدَّقُ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ عَنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ كَانَتْ أَوَّلَ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَاةً. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوُفِّيَتْ سَنَةَ عِشْرِينَ، وَصَلَّى عَلَيْهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ. قُلْتُ: وَأَمَّا سَوْدَةُ فَإِنَّهَا تُوُفِّيَتْ فِي آخِرِ إِمَارَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَيْضًا. قَالَهُ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ. وَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أُسَيْرِ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي قِصَّةِ أُوَيْسٍ الْقَرَنِيِّ، وَإِخْبَارِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، عَنْهُ بِأَنَّهُ خَيْرُ التَّابِعِينَ
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৩
وَأَنَّهُ كَانَ بِهِ بَرَصٌ، فَدَعَا اللَّهَ فَأَذْهَبَهُ عَنْهُ، إِلَّا مَوْضِعًا قَدْرَ الدِّرْهَمِ مِنْ جَسَدِهِ، وَأَنَّهُ بَارٌّ بِأُمِّهِ، وَأَمْرُهُ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ يَسْتَغْفِرَ لَهُ، وَقَدْ وُجِدَ هَذَا الرَّجُلُ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَلَى الصِّفَةِ وَالنَّعْتِ الَّذِي ذَكَرَهُ فِي الْحَدِيثِ سَوَاءً، وَقَدْ ذَكَرْتُ طُرُقَ هَذَا الْحَدِيثِ وَأَلْفَاظَهُ وَالْكَلَامَ عَلَيْهِ مُطَوَّلًا فِي الَّذِي جَمَعْتُهُ مِنْ " مُسْنَدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ "، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدِ وَالْمِنَّةُ. وَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُمَيْعٍ، حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَلَّادٍ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ أُمِّ وَرَقَةَ بِنْتِ نَوْفَلٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا غَزَا بَدْرًا قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ائْذَنْ لِي فِي الْغَزْوِ مَعَكَ أُمَرِّضُ مَرْضَاكُمْ، لَعَلَّ اللَّهَ يَرْزُقُنِي الشَّهَادَةَ. فَقَالَ لَهَا: " قِرِّي فِي بَيْتِكِ فَإِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُكِ الشَّهَادَةَ» فَكَانَتْ تُسَمَّى الشَّهِيدَةُ، وَكَانَتْ قَدْ قَرَأَتِ الْقُرْآنَ، فَاسْتَأْذَنَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَتَّخِذَ فِي بَيْتِهَا مُؤَذِّنًا، فَأَذِنَ لَهَا، وَكَانَتْ دَبَّرَتْ غُلَامًا لَهَا وَجَارِيَةً، فَقَامَا إِلَيْهَا بِاللَّيْلِ، فَغَمَّاهَا فِي قَطِيفَةٍ لَهَا حَتَّى مَاتَتْ وَذَهَبَا، فَأَصْبَحَ عُمَرُ، فَقَامَ فِي النَّاسِ، وَقَالَ: مَنْ عِنْدَهُ مِنْ هَذَيْنَ عِلْمٌ أَوْ مَنْ رَآهُمَا فَلْيَجِيءْ بِهِمَا - يَعْنِي فَجِيءَ بِهِمَا -
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৪


আমাকে শাহাদত নসীব করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি তোমার বাড়িতে থাক ৷
আল্লাহ তোমাকে শাহাদত দান করবেন ৷ তখন থেকে তাকে ট্টশহীদা’ বলে আখ্যায়িত করা
হতো ৷ তিনি কুরআন পাঠে সক্ষম ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট তিনি তার বাড়িতে
একজন মুআয্যিন নিয়োগের অনুমতি চেয়েছিলেন যিনি সেখানে আযান দিবেন ৷ ঐ মহিলার
একজন দাস ও একজন দাসী ছিল ৷ তিনি তার মৃত্যুর পর স্বাধীনতা পারে বলে তিনি ঘোষণা
করেছিলেন ৷ তারা উভয়ে এক রাত্রে তার নিকট উপস্থিত হলো এবং চাদর দ্বারা তাকে ,প্চেপে
ধরল ৷ এতে তার মৃত্যু হয় ৷ দাস দাসী উভয়ে পলায়ন করে ৷ সকাল বেলা হযরত উমর (রা)
(খবর পেয়ে) লোকদেরকে জানিয়ে দেন, যে এ দৃ’জনের সন্ধান পারে অথবা দেখতে পারে
আমার নিকট ধরে নিয়ে আসবে ৷ পরে উভয়কে হযরত উমরের,নিকট আনা হয় ৷ তিনি
দৃ’জ্যাকেই শুলে দেয়ার নির্দেশ দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর করা হয় ৷ এটাই ছিল মদীনায়
প্রথম গুলিতে মৃতু ভ্যুদও দেয়ার ঘটনা ৷ বায়হাকী এ হাদীস আবু নুআয়ম উম্মু ওরাকা বিনত
আবদুল্লাহ ইবন হারিছ থেকে বর্ণনা করে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) উম্মু ওরাকাকে দেখতে যেতেন
এবং শাহীদা ৷বলে আখ্যায়িত করতে তন ৷ বায়হাকীর বর্ণনা শেষে এ কথা আছে যে, (তার মৃত্যুর
সৎবাদ শুনে) হযরত উমর (রা) বললেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর কথা সত্য প্রমাণিত হয়েছে ৷
তিনি বলতেন চল আমরা শাহীদাকে দেখে আমি ৷

বুখারী আবু ইদরীস খাওলানী সুত্রে আওফ ইবন মালিক (বা) থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
, ইনতিকালের পরে ছয়টি নিদর্শন প্রকাশ হওয়ার হাদীস বর্ণনা করেন ৷ ঐ হাদীসের মধ্যে আছে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যকার অনেকেই বকরীর গায়ের পশমের ন্যায়
অগণিত সংখ্যায় মারা যাবে ৷ দশ দিন ব্যাপী সৎ ঘটিত এ ঘটনা ঘটে হি আঠার সনে যা
আমওয়াসের মহামারী রুপে খ্যাত ৷ শীর্ষস্থানীয় বিপুল সংখ্যক সাহাবী এতে আক্রান্ত হয়ে
ইনতিকাল করেন ৷ তাদের মধ্যে হযরত মু আয ইবন জাবাল, আবু উবায়দা, ইয়ায়ীদ ইবন
আবু সুফিয়ান, শুরাহ্বীল ইবন হাসানা, আবু জান্দাল, সাহ্ল ইবন আমর ও তদীয় পিতা
আমর এবং ফলে ইবন আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) ও রয়েছেন ৷

ইমাম আহমদ ওকী সুত্রে মু আয ইবন জাবাল (বা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, কিয়ামতের নিদর্শন ছয়টি; যথাং : আমার মৃত্যু, বায়তুল ঘুকাদ্দাস বিজয় ব্যাপক
মহামারী যাতে আক্রান্ত হয়ে বকরীর পশমের ন্যায় অগণিত লোক মারা যাবে, এমন
অরাজকতা যার ঢেউ মুসলমানদের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করবে ৷ একজনকে হাজার দীনার দান
করা হলেও সে অসন্তুষ্ট হবে এবং রােমক্যদর সহিত যুদ্ধ যে যুদ্ধে৩ তাদের আশিটি পতাকা
থাকবে, প্রতিটি পতাকার অধীনে থাকবে বার হাজার করে সৈন্য ৷

হাফিয বায়হাকী আবু যাকারিয়৷ সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন হিব্বান থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আমি সুলায়মান ইবন মুসাকে আলোচনা করতে শুনেছি যে, সেতুর যুদ্ধে আমুসায় লোক
মহামারীতে আক্রান্ত হয় ৷ তখন আমর ইবনে আল লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, এটা একটি
নােৎ বা ব্লোগ, তোমরা এখান থেকে সরে পড় ৷ এ সময় শুরাহ্বীল ইবন হাসানা (বা) উঠে
বলেন, হে ৫লাক সকল আমি তোমাদের সাথীর বক্তব্য শুনেছি ৷ বিক্ষ্ম আল্লাহর কসম! আমি
যখন ইসলাম গ্রহণ কবি ও নামায পড়ি আমর তখন তার পরিবারের উট অপেক্ষা অধিক
বিভ্রান্ত ছিল ৷ আমি জানাচ্ছি যে, এ মহামারী একটি পরীক্ষা বিশেষ ৷ আল্লাহ একে পরীক্ষার


فَأَمَرَ بِهِمَا فَصُلِبَا، وَكَانَا أَوَّلَ مَصْلُوبَيْنِ بِالْمَدِينَةِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نُعَيْمٍ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ جُمَيْعٍ، حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي، عَنْ أُمِّ وَرَقَةَ بِنْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزُورُهَا وَيُسَمِّيهَا الشَّهِيدَةَ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَفِي آخِرِهِ: فَقَالَ عُمَرُ: صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ «: " انْطَلَقُوا بِنَا نَزُورُ الشَّهِيدَةَ» وَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ فِي حَدِيثِهِ، عَنْهُ فِي الْآيَاتِ السِّتِّ بَعْدَ مَوْتِهِ، وَفِيهِ «: " ثُمَّ مُوتَانٌ يَأْخُذُكُمْ كَقُعَاصِ الْغَنَمِ» وَهَذَا قَدْ وَقَعَ فِي أَيَّامِ عُمَرَ، وَهُوَ طَاعُونُ عَمَوَاسَ سَنَةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ، وَمَاتَ بِسَبَبِهِ جَمَاعَاتٌ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ، مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَشُرَحْبِيلُ بْنُ حَسَنَةَ، وَأَبُو جَنْدَلٍ سَهْلُ بْنُ عُمَرَ، وَأَبُوهُ، وَالْفَضْلُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمَطْلَبِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا النَّهَّاسُ بْنُ قَهْمٍ، ثَنَا شَدَّادُ أَبُو
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৫
عَمَّارٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سِتٌّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ; مَوْتِي، وَفَتْحُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَمَوْتٌ يَأْخُذُ فِي النَّاسِ كَقُعَاصٍ الْغَنَمِ، وَفِتْنَةٌ يَدْخُلُ حَرْبُهَا بَيْتَ كُلِّ مُسْلِمٍ، وَأَنْ يُعْطَى الرَّجُلُ أَلْفَ دِينَارٍ فَيَسْخَطَهَا، وَأَنْ يَغْدُرَ الرُّومُ فَيَسِيرُونَ إِلَيْكُمْ بِثَمَانِينَ بَنْدًا، تَحْتَ كُلِّ بَنْدٍ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا» وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَيَّانَ، أَنَّهُ سَمِعَ سُلَيْمَانَ بْنَ مُوسَى يَذْكُرُ «أَنَّ الطَّاعُونَ وَقَعَ بِالنَّاسِ يَوْمَ جِسْرِ عَمُوسَةَ، فَقَامَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّمَا هَذَا الْوَجَعُ رِجْسٌ فَتَنَحُّوا عَنْهُ. فَقَامَ شُرَحْبِيلُ بْنُ حَسَنَةَ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ قَوْلَ صَاحِبِكُمْ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لَقَدْ أَسْلَمْتُ وَصَلَّيْتُ وَإِنَّ عَمْرًا لَأَضَلُّ مِنْ بَعِيرِ أَهْلِهِ، وَإِنَّمَا هُوَ بَلَاءٌ أَنْزَلَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَاصْبِرُوا. فَقَامَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ قَوْلَ صَاحِبَيْكُمْ هَذَيْنَ، وَإِنَّ هَذَا الطَّاعُونَ رَحْمَةٌ بِكُمْ، وَدَعْوَةُ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنِّي قَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّكُمْ سَتَقْدَمُونَ الشَّامَ فَتَنْزِلُونَ أَرْضًا يُقَالُ لَهَا: أَرْضُ عَمُوسَةَ. فَيَخْرُجُ بِكُمْ فِيهَا خُرْجَانٌ لَهُ ذُبَابٌ كَذُبَابِ الدُّمَّلِ، يَسْتَشْهِدُ اللَّهُ بِهِ أَنْفُسَكُمْ وَذَرَارِيَّكُمْ، وَيُزَكِّي بِهِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৬

জন্য পাঠিয়েছেন ৷ সুতরাং তোমরা ধৈর্যধারণ কর ৷ এরপর মু আয় ইবন জাবাল (রা) দাড়িয়ে
বললেন, হে জনমগুলী৷ আমি তোমাদের এ উভয় সাথীর কথা শুনলাম ৷ আমি তােমাদেরকে
জানাচ্ছি যে, এ মহামারী তোমাদের উপর আল্লাহ্র এক বিশেষ রহমত এবং তোমাদের নবী
(না)-এর দুআর ফল ৷ আমি রাসুল (না)-কে বলতে শুনেছি যে, ণ্তামরা শীঘ্রই সিরিয়ার
পৌছে যাবে এবং আমুসা নামক স্থানে উপনীত হবে ৷ তথায় তোমাদের শরীরে গুটির ন্যায়
ফৌড়া উঠবে ৷ এ রোগের মাধ্যমে আল্লাহ তােমাদেরকে ও ৷তামাদের সন্তানদেরকে শাহাদতের
মর্যাদা দিবেন এবং তোমাদের অর্থ-সষ্পদকে পবিত্র করবেন ৷ তারপর হযরত মুআয (রা)
বলেন, হে আল্লাহ! আপনি জানেন ৷ এ কথা যদি আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে শুনে থাকি তবে
মুআযকে ও মুআয পরিবারকে আপনি তা পুরাপুরি দান করুন ৷ পক্ষান্তয়ে যদি আমার শোনার
ভুল হয়ে থাকে, তবে এর থেকে আমাকে মুক্ত রাখুন ৷ হযরত মুআযের শাহাদাত আঙ্গুলে
একটি ফৌড়া উঠেছিল ৷ যে দিকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, হে আল্লাহ্৷ এতে বরকত দান
করুন ৷ কেননা আপনি যদি ক্ষুদ্র জিনিসে বরকত দেন তাব তা বৃহৎ হয়ে যায় ৷ এরপর
মুআষের পুত্র আক্রান্ত হন ৷ তিনি পুত্রের নিকট যান এবং কুরআনের এ আয়াত পাঠ করেন ং

৷ “অর্থাৎ এ সত্য তোমার রবের নিকট থেকেই
আগত, সুতরাং তুমি সন্দেহ পােষণকাবীদের অতত্যুঃ হয়াে না” (২৪ ১৪ ৭) ৷ পুত্র কুরআনের
আর এক আয়াত পড়ে উত্তর দিলেনং ;; “অর্থাৎ
আল্লাহ চাহে তাে আপনি আমাকে ধৈর্যণীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন (৩০৪ ১০২)া

বুখারী ও মুসলিম উভয় গ্রন্থে আ মাশ (র) সুত্রে হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমরা হযরত উমরের নিকট বসা ছিলাম ৷ এমন সময় তিনি বললেন, বিপর্যয় সংক্রান্ত
ৱাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাদীস তোমাদের মধ্যে কার স্মরণ আছে ? হুযায়ফা (রা) বলেন, আমার
স্মরণ আছে ৷ উমর (রা) বললেন, বল দেখি, তুমি তো খুব সাহসী লোক! হুযায়ফা বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মানুষের ব্রী-পরিবার, ধনসম্পদ, সন্তান ও প্রতিবেশীর মধ্যে ফিতনা ফাসাদ
সৃষ্টি হওয়ার কথা বলেছেন এবং নামায, দান-সাদকা, সৎ কাজে আদেশ ও অন্যায় কাজে
নিষেধ দ্বারা এসব ফিতনার প্রতিকার হওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন ৷ হযরত উমর (রা)
বললেন, আমি এই ফিতনার কথা জিজ্ঞেস করি নি, বরং সেই সব বিপর্যয়ের কথা বুঝাচ্ছি যা
সমুদ্রের তরঙ্গের ন্যায় একের পর এক উঠতে থাকবে ৷ আমি বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন ৷
আপনার মাঝে ও সেই সব ফিতনার মাঝে একটি রুদ্ধদ্বার রয়েছে ৷ উমর (রা) বললেন
সর্বনাশ! আল্লাহ কি যে দ্বার খুলে দিবেন, নাকি তা ভেঙ্গে ফেলা হবে ? আমি বললাম, বরং
ভেঙ্গে ফেলা হবে ৷ তিনি বললেন, তা হলে তো তা আর কখনও বন্ধ হয়ে না ৷ আমি বললাম,
জী ই৷ ৷ তারপর আমরা হুযায়ফাকে জিজ্ঞেস করলাম ৷ হযরত উমর কি বুঝতে পেরেছেন ৷
দরজা দ্বারা কাকে বুঝান হয়েছে ? তিনি বললেন হী ৷ আমি তো তাকে এমন একটি হাদীস
বলেছি যা অমুলক নয় ৷ হাদীসের বর্ণনাকারী শাকীক বলেন, আমরা হুযায়ফাকে এ কথা
জিজ্ঞেস করতে শংকিত হচ্ছিলাম যে, সেই দরজা বলতে কাকে বুঝানো হয়েছে ৷ তাই
মাসরুককে বললাম যে, আপনিই কথাটি জিজ্ঞেস করুন ৷ মাসরুক জিজ্ঞেস করলে হুযায়ফা
(রা) জানালেন যে, দরজাটি হচ্ছেন স্বয়ং হযরত উমর ৷ সুতরাং উমর (না)-এর শাহাদতের পর


أَمْوَالَكُمْ ". اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي قَدْ سَمِعْتُ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَارْزُقْ مُعَاذًا وَآلَ مُعَاذٍ مِنْهُ الْحَظَّ الْأَوْفَى، وَلَا تُعَافِهِ مِنْهُ. قَالَ: فَطُعِنَ فِي السَّبَّابَةِ فَجَعَلَ يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ بَارِكْ فِيهَا، فَإِنَّكَ إِذَا بَارَكْتَ فِي الصَّغِيرِ كَانَ كَبِيرًا. ثُمَّ طُعِنَ ابْنُهُ فَدَخَلَ عَلَيْهِ فَقَالَ: {الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ} [يونس: 94] . فَقَالَ {سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ} [الصافات: 102] » [الصَّافَّاتِ: 102] . وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ وَجَامِعِ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ عُمَرَ فَقَالَ: أَيُّكُمْ يَحْفَظُ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْفِتْنَةِ؟ قُلْتُ: أَنَا. قَالَ: هَاتِ إِنَّكَ لِجَرِيءٌ. فَقُلْتُ: فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ، يُكَفِّرُهَا الصَّلَاةُ وَالصَّدَقَةُ وَالْأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيُ عَنِ الْمُنْكَرِ، فَقَالَ لَيْسَ هَذَا أَعْنِي، إِنَّمَا أَعْنِي الَّتِي تَمُوجُ مَوْجَ الْبَحْرِ. فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا. قَالَ: وَيْحَكَ، أَيُفْتَحُ الْبَابُ أَمْ يُكْسَرُ؟ قُلْتُ بَلْ يُكْسَرُ. قَالَ: إِذًا لَا يُغْلَقُ أَبَدًا. قُلْتُ: أَجَلْ. فَقُلْنَا لِحُذَيْفَةَ: فَكَانَ عُمَرُ يَعْلَمُ مَنِ الْبَابُ؟ قَالَ نَعَمْ، إِنِّي حَدَّثْتُهُ حَدِيثًا لَيْسَ بِالْأَغَالِيطِ. قَالَ: فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَ حُذَيْفَةَ مَنِ الْبَابُ، فَقُلْنَا لِمَسْرُوقٍ فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: عُمَرُ. وَهَكَذَا وَقَعَ مِنْ بَعْدِ مَقْتَلِ عُمَرَ وَقَعَتِ الْفِتَنُ فِي النَّاسِ وَتَأَكَّدَ ظُهُورُهَا بِمَقْتَلِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَقَدْ قَالَ يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَزْرَةَ بْنِ قَيْسٍ
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৭
قَالَ: خَطَبَنَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَقَالَ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بَعَثَنِي إِلَى الشَّامِ، فَحِينَ أَلْقَى بَوَانِيَهُ بَثْنِيَّةً وَعَسَلًا أَرَادَ أَنْ يُؤْثِرَ بِهَا غَيْرِي وَيَبْعَثَنِي إِلَى الْهِنْدِ. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ تَحْتِهِ: اصْبِرْ أَيُّهَا الْأَمِيرُ، فَإِنَّ الْفِتَنَ قَدْ ظَهَرَتْ. فَقَالَ خَالِدٌ: أَمَّا وَابْنُ الْخَطَّابِ حَيٌّ فَلَا، وَإِنَّمَا ذَاكَ بَعْدَهُ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «أَبْصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عُمَرَ ثَوْبًا فَقَالَ: " أَجَدِيدٌ ثَوْبُكُ أَمْ غَسِيلٌ؟ " قَالَ: بَلْ غَسِيلٌ. قَالَ " الْبَسْ جَدِيدًا، وَعِشْ حَمِيدًا، وَمُتْ شَهِيدًا " وَأَظُنُّهُ قَالَ: " وَيَرْزُقُكَ اللَّهُ قُرَّةَ عَيْنٍ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ، ثُمَّ قَالَ النَّسَائِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ، أَنْكَرَهُ يَحْيَى الْقَطَّانُ عَلَى عَبْدِ الرَّزَّاقِ، وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مُرْسَلًا. قَالَ حَمْزَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكِنَانِيُّ الْحَافِظُ: لَا أَعْلَمُ أَحَدًا رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ غَيْرَ مَعْمَرٍ، وَمَا أَحْسَبُهُ بِالصَّحِيحِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ رِجَالُ إِسْنَادِهِ وَاتِّصَالِهِ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ "، وَقَدْ قَبِلَ الشَّيْخَانُ تَفَرُّدَ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي غَيْرِمَا حَدِيثٍ، ثُمَّ قَدْ رَوَى الْبَزَّارُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ طَرِيقِ جَابِرِ الْجُعْفِيِّ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৮

থেকেই জনগণের মধ্যে অরাজকতা ও বিশৃখ্খলা ছড়িয়ে পড়ে এবং হযরত উছমান (রা)-এর
হত্যকোণ্ডের মধ্য দিয়ে সে বিশৃত্খলাণ্আরও শক্তি অর্জন করে ৷

ইয়ালা ইবন উবায়দ আমাশ সুত্রে উৱওয়া ইবনকায়স থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একদা খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) ভাষণ দানকালে বলেছিলেন : আমীরুল মুমিনীন হযরত
উমর (রা) আমাকে সিরিয়ার প্রেরণ করেন ৷ যখন আমি বাওয়ানিয়া বাছনিয়া ও আসলে
উপস্থিত হই তখন তিনি আমার হলে অন্য লোককে নিযুক্তি দিয়ে আমাকে ভারতবর্ষে পাঠাতে
মনস্থ করেন ৷ এ সময় এক ব্যক্তি উঠে বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন ! অপেক্ষা করুন, ফিতনা
দেখা দিয়েছে ৷ এরপর খালিদ মন্তব্য করেন যে, ইবন খাত্তাব যতদিন বেচে আছেন ততদিন
নয় ৷ বরং তার মৃত্যুর পরে তার প্রকাশ ঘটবে ৷

ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ্ ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদািা
উমরের পরিমানে একটি কাপড়ের প্ৰতি লক্ষ্য করে বললেন, তোমার এ কাপড়টি কি নতুন না
ধৌত করা ? জবাবে উমর (রা) বললেন, ধৌত করা ৷ ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, পরিধান করবে
নতুন, জীবন-যাপন করবে নির্মল এবং যারা যাবে শহীদ হয়ে ৷ বর্ণনাকারীর ধারণা যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ কথাও বলেছিলেন যে, আল্পাহ্ তোমাকে ইহকালে ও পরকালে শান্তিময়
জীবন দান করুন ৷ নাসাঈ এবং ইবন মাজাও আবদুর রাজ্জাক সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷ তারপর নাসাঈ বলেছেন এ হাদীসটি মুনকার ৷ ইয়াহ্ইয়া আল কাত্তান একে রাবী
আবদুর রাজ্জাকের সমালোচনা করেছেন এবং যুহরী থেকে অন্য সুত্রে এটি মুরসালভাবে বর্ণিত
আছে ৷ হামযা ইবন মুহাম্মদ আল-কিনানী বলেছো, যুহরীর থেকে মামার ব্যতীত আর কেউ এ
হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে মনে করি না ৷ আমি যদি এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ এবং তাদের
পারস্পরিক সাক্ষাত (সনদ ও ইত্তিসাস) বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী পুর্ণ আছে ৷ বুখারী ও
মুসলিম বলেছেন যে , মামার যুহরীর থেকে এ হাদীস ব্যতীত আরও হাদীস এককভাবে বর্ণনা
করেছেন ৷ তা ছাড়া বায্যার এ হাদীসটি জাবির আল-জুফী (বর্ণনাকারী হিসাবে তিনি যয়ীফ)
সুত্রে তিনি আবদুর রহমান ইবন ছাবিত থেকে তিনি জাবির ইবন আবদুল্পাহ্ থেকে তিনি
রাসুলুল্পাহ্ (সা) থেকে মারকু রুপে বর্ণনা করেছেন ৷ এ হাদীসে যে ভবিষ্যতের ঘটনার প্ৰতি
ইঙ্গিত দেয়৷ হয়েছে তা বাস্তবে পরিণত হয়েছিল ৷ কারণ, উমর (রা) মসজিদে নববীতে
মিহ্রাবের মধ্যে ফজরের নামায পড়া অবস্থায় শহীদ হন ৷

ইতিপুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, আবু বকর, উমর ও উছমান (রা)র্দ্ধএর হাতে করে তাসবীহ
পাঠ করলে নবী করীম (সা) বলেছিলেন, এ হচ্ছে নবুওতী পদ্ধতিতে খিলাফত চলার প্ৰতি
ইঙ্গিত ৷

নুআয়ম ইবন হাম্মাদ আবদুল্লাহ ইবন মুবারক সুত্রে সাফীনা থেকে বর্ণনা করেন, নবী
করীম (সা) যখন মদীনায় মসজিদ নির্মাণ করেন, তখন আবু বকর (বা) একটি পাথর নিয়ে
আসেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) পাথরটি যথাস্থানে স্থাপন করেন ৷ তারপর উমর (রা) একটি পাথর
আনেন ৷ নবী কয়ীম (সা) সে পাথরটিও বসিয়ে দেন ৷ এরপর উছমান (বা) আর একটি পাথর
আসে এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এটিও কাজে লাগান ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এরা
আমার পরে খলীফা হবেন ৷


مَرْفُوعًا مِثْلَهُ سَوَاءً، وَقَدْ وَقَعَ مَا أَخْبَرَ بِهِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ; فَإِنَّهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قُتِلَ شَهِيدًا وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي الْفَجْرَ فِي مِحْرَابِهِ مِنَ الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، عَلَى صَاحِبِهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ حَدِيثُ أَبِي ذَرٍّ فِي تَسْبِيحِ الْحَصَا فِي يَدِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرَ، ثُمَّ عُثْمَانَ، وَقَوْلُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ «: " هَذِهِ خِلَافَةُ النُّبُوَّةِ» وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَنَا حَشْرَجُ بْنُ نُبَاتَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ قَالَ: «لَمَّا بَنَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسْجِدَ الْمَدِينَةِ جَاءَ أَبُو بَكْرٍ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَؤُلَاءِ يَكُونُونَ الْخُلَفَاءَ بَعْدِي» وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «ثَلَاثٌ مَنْ نَجَا مِنْهُنَّ فَقَدْ نَجَا; مَوْتِي، وَقَتْلُ خَلِيفَةٍ مُصْطَبِرٍ، وَالدَّجَّالُ» " وَفِي حَدِيثِهِ الْآخَرِ الْأَمْرُ بِاتِّبَاعِ عُثْمَانَ عِنْدَ وُقُوعِ الْفِتْنَةِ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نُمَيْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «تَوَضَّأْتُ فِي بَيْتِي، ثُمَّ خَرَجْتُ فَقُلْتُ: لَأَكُونُنَّ الْيَوْمَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجِئْتُ الْمَسْجِدَ فَسَأَلْتُ عَنْهُ فَقَالُوا: خَرَجَ وَتَوَجَّهَ هَاهُنَا. فَخَرَجْتُ فِي أَثَرِهِ حَتَّى جِئْتُ بِئْرَ أَرِيسَ،
পৃষ্ঠা - ৪৯৯৯

ইতিপুর্বে আবদৃল্লাহ্ ইবন হাওয়ালার হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাতে

বলেছেন ৷ তিনটি ঘটনা থেকে যে রক্ষা পারে সে নিরাপদে থাকবে ১ আমার ওফাত, ২ ,
প্রতাপশালী খলীফার হত্যা এবং ৩ দাজ্জাল ৷ ইবন হাওয়ালার অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, ফিতনা
সৃষ্টি হওয়ার সময়ে সকল তৎপরতা উছমান (রা) কে কেন্দ্র করেই হতে যা কাবে ৷

বুখারী ও মুসলিম গ্রহুদ্বয়ে সাঈদ ইবন মুসাব্যিব সুত্রে আবু মুসা আশ আরী থেকে বর্ণিত,

ন্ তিনি বলেন, একদা আমি আমার বাড়িতে উয়ু করি ৷ তারপর বের হয়ে পড়ি ও মনন্থ করি যে,
আজকের দিনটি আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে কাটার ৷ সুতরাং আমি মসজিদে গেলাম এবং
নবী করীম (সা) কোথায় আছেন তা লোকের কাছে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তারা জানাল তিনি
বেরিয়ে গেছেন এবং এই দিকে গেহ্নে৷ ৷ আমি যে দিকে চললাম ৷ যেতে যেতে বিরে আরীসে১
গিয়ে পৌছলাম ৷ আরীসের ফটক ছিল খেজুর গাছের ডাল দিয়ে তৈরি ৷ ফটকের নিকটে আমি
দীড়ালাম ৷ জানলাম যে নবী করীম (সা) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার পর বসে আছেন ৷ আমি
সেখানে গিয়ে নবী করীম (সা)-কে সালাম জানালাম ৷ তিনি আরীসক্যুয়ার পাড়ে বসে পা দুটি
ঝুলিয়ে দিয়েছেন এবং ইগ্লুটুব নিচের অংশের কাপড় তুলে ধরেছেন ৷ তারপর আমি গোটর দিকে

গেলাম এবং মনে মনে ভাবলাম আজ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পাহারায় থাকর ৷ অল্পক্ষণ

পরেই দরজায় শব্দ হল ৷ বললাম কে ? উত্তর এলো, আবু বকর ৷ বললাম, অপেক্ষা করুন !

অতপর রাসুল (সা)-এর নিকট গিয়ে আরব করলাম, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আবু বকর এসেছেন,
তিনি অনুমতি প্রার্থী ৷ তিনি বললেন, আসতে দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ জানাও ৷
আবু মুসা (রা) বলেন, আমি তাড়াতাড়ি চলে আসলাম এবং আবু বকরকে বললাম প্রবেশ
করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আপনাকে জান্নাতের সুসৎ বাদ দিয়েছেন ৷ আবু বকর ভিতরে প্রবেশ
করে কুপের পাড়ে রাসুলের ডান পাশে বসলেন ৷ তিনিও পা ঝুলিয়ে দিলেন এবং হাটুর নিচের

অংশের কাপড় সরিয়ে নিলেন ৷ যেমনটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) করেছিলেন ৷

ন্ আবু মুসা বলেন, এরপর আমি দরজায় কাছে চলে আসি ৷ আমি আমার এক ভাইকে উবু
অবস্থায় ছেড়ে এসেকািড়াম ৷ আসার সময় সে বলেছিল; আমি তোমার পিছে পিছে আসছি ৷ মনে
মনে ভাবলাম, আল্পাহ্ যদি তার কল্যাণ চান তবে পৌছে যাবে ৷ হঠাৎ দরজায় শব্দ হলো ৷
জিজ্ঞেস করলাম কে ? উত্তর এলো উমর ৷ বললাম, অপেক্ষা করুন ! এ বলে আমি নবী কয়ীম

(না)-এর নিকট গিয়ে সালাম দিলাম ও সংবাদ জানালাম ৷ তিনি বললেন, আসতে দাও এবং

তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শুনাও ৷ আমি এসে র্তাকে প্রবেশের অনুমতি দিলাম ও বললাম,

রাসুলুল্লাহ্ (সা) আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ জানিয়েছেন ৷ অতঃপর তিনি ভিতরে প্রবেশ
করলেন এবং রাসুল (না)-এর বামে বসে কুপে পা ঝুলিয়ে দেন ও ছুার্টুর নিম্ন ভাগের কাপড়
গুটিয়ে নেয় ৷ যেমন নবী (সা) ও আবু বকর করেছিলেন ৷ আবু মুসা বলেন, আমি দরজায় ফিরে
এলাম এবং মনে মনে ভাবলাম অ ল্লাহ যদি আমার ভাইয়ের বল্মড়াণ চান তার সময় তাকে
এখানে এনে দেবেন ৷ পুনরায় গোট শব্দ হলো ৷ জিজ্ঞেস করলাম কে ? উত্তর এলো উছমান

ইবন আফ্ফানা বললাম অপেক্ষা করুন অতঃপর রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে সং বাদ দিলাম যে

উছমান এসেছেন, প্রবেশের অনুমতি চান ৷ তিনি বললেন৪ আসতে দাও এবং অনেক পরীক্ষা

উত্তরণের মাধ্যমে র্তড়াকে জান্নাতের সুসংবাদ জানাও ৷ আমি এসে বললাম ! রাসুলুল্লাহ্ (সা)

১ আরীস’ মদীনায় একটি বিখ্যাতউদ্যানের নাম ৷ ঐ উদ্যানে অবস্থিত কুপকে বলা হয় বিয়ে আরীস’ ৷


وَبَابُهَا مِنْ جَرِيدٍ، فَمَكَثْتُ عِنْدَ بَابِهَا حَتَّى عَلِمْتُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَضَى حَاجَتَهُ وَجَلَسَ، فَجِئْتُهُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَإِذَا هُوَ قَدْ جَلَسَ عَلَى قُفِّ بِئْرِ أَرِيسَ فَتَوَسَّطَهُ، ثُمَّ دَلَّى رِجْلَيْهِ فِي الْبِئْرِ وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيْهِ، فَرَجَعْتُ إِلَى الْبَابِ وَقُلْتُ: لَأَكُونَنَّ بَوَّابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ دَقَّ الْبَابُ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَبُو بَكْرٍ. قُلْتُ: عَلَى رِسْلِكَ. وَذَهَبْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا أَبُو بَكْرٍ يَسْتَأْذِنُ. فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". قَالَ: فَخَرَجْتُ مُسْرِعًا حَتَّى قُلْتُ لِأَبِي بَكْرٍ: ادْخُلْ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَشِّرُكَ بِالْجَنَّةِ. قَالَ: فَدَخَلَ حَتَّى جَلَسَ إِلَى جَنْبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْقُفِّ عَلَى يَمِينِهِ، وَدَلَّى رِجْلَيْهِ وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيْهِ كَمَا صَنَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: ثُمَّ رَجَعْتُ وَقَدْ كُنْتُ تَرَكْتُ أَخِي يَتَوَضَّأُ، وَقَدْ كَانَ قَالَ لِي: أَنَا عَلَى إِثْرِكَ. فَقُلْتُ: إِنْ يُرِدِ اللَّهُ بِفُلَانٍ خَيْرًا يَأْتِ بِهِ. قَالَ: فَسَمِعْتُ تَحْرِيكَ الْبَابِ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: عُمَرُ. قُلْتُ: عَلَى رِسْلِكَ قَالَ: وَجِئْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". قَالَ: فَجِئْتُ وَأَذِنْتُ لَهُ، وَقُلْتُ لَهُ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَشِّرُكَ بِالْجَنَّةِ. قَالَ: فَدَخَلَ حَتَّى جَلَسَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى يَسَارِهِ، وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيْهِ وَدَلَّى رِجْلَيْهِ فِي الْبِئْرِ كَمَا صَنَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبُو بَكْرٍ. قَالَ: ثُمَّ رَجَعْتُ فَقُلْتُ: إِنْ يُرِدِ اللَّهُ بِفُلَانٍ خَيْرًا يَأْتِ بِهِ - يُرِيدُ أَخَاهُ - فَإِذَا تَحْرِيكُ الْبَابِ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. قُلْتُ: عَلَى رِسْلِكَ. وَذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ فَقُلْتُ: هَذَا عُثْمَانُ يَسْتَأْذِنُ. فَقَالَ: " ائْذَنْ
পৃষ্ঠা - ৫০০০
لَهُ وَبَشَّرَهُ بِالْجَنَّةِ مَعَ بَلْوَى أَوْ بَلَاءٍ يُصِيبُهُ ". قَالَ: فَجِئْتُ فَقُلْتُ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْذَنُ لَكَ وَيُبَشِّرُكَ بِالْجَنَّةِ عَلَى بَلْوَى أَوْ بَلَاءٍ يُصِيبُكَ. فَدَخَلَ وَهُوَ يَقُولُ: اللَّهُ الْمُسْتَعَانُ. فَلَمْ يَجِدْ فِي الْقُفِّ مَجْلِسًا فَجَلَسَ وُجَاهَهُمْ مِنْ شِقِّ الْبِئْرِ، وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيْهِ وَدَلَّاهُمَا فِي الْبِئْرِ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا» قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ فَأَوَّلْتُهَا قُبُورَهُمُ اجْتَمَعَتْ وَانْفَرَدَ عُثْمَانُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ أَبِي الْمُسَاوِرِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بُجَيْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " انْطَلِقْ حَتَّى تَأْتِيَ أَبَا بَكْرٍ فَتَجِدَهُ فِي دَارِهِ جَالِسًا مُحْتَبِيًا فَقُلْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَيَقُولُ: أَبْشِرْ بِالْجَنَّةِ. ثُمَّ انْطَلِقْ حَتَّى تَأْتِيَ الثَّنِيَّةَ، فَتَلْقَى عُمَرَ رَاكِبًا عَلَى حِمَارٍ تَلُوحُ صَلْعَتُهُ، فَقُلْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَيَقُولُ: أَبْشِرْ بِالْجَنَّةِ. ثُمَّ انْصَرِفْ حَتَّى تَأْتِيَ عُثْمَانَ فَتَجِدَهُ فِي السُّوقِ يَبِيعُ وَيَبْتَاعُ، فَقُلْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَيَقُولُ: أَبْشِرْ بِالْجَنَّةِ بَعْدَ بَلَاءٍ شَدِيدٍ ". فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي ذَهَابِهِ إِلَيْهِمْ، فَوَجَدَ كُلًّا مِنْهُمْ كَمَا ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكُلًّا مِنْهُمْ يَقُولُ: أَيْنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَيَقُولُ: فِي مَكَانِ كَذَا وَكَذَا. فَيَذْهَبُ إِلَيْهِ، وَأَنَّ عُثْمَانَ لَمَّا رَجَعَ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَأَيُّ بَلَاءٍ يُصِيبُنِي؟ وَالَّذِي
পৃষ্ঠা - ৫০০১

আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন এবং জান্নাতের সুসং বাদ জানিয়েছেন ৷ তবে আপনার উপর বহু
বিপদ পরীক্ষা আপতিত হবে ৷ তিনি আল্লাহ সহায় ( , ৷ ৷ ৷ ’এ৷ ৷ এ) বলতে বলতে প্রবেশ
করলেন ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুপের যে পাড়ে বলেছেন যে পাশে জায়গা পেলেন না ৷ তইি
কুপের বিপরীত পাড়ে বসলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা), আবু বকর ও উমরের ন্যায় পা ঝুলিয়ে ও
হট্রিয় নিচের কাপড় গুটিয়ে বসলেন ৷ সাঈদ ইবন মুসাব্যিব বলেন, আমি এর দ্বারা এ ব্যাখ্যা
নিলাম যে তিন জনের কবর এক স্থানে হবে এবং উসমানেৱ কবর ভিন্ন স্থানে হবে ৷

বায়হাকী আবদুল আলা সুত্রে যায়দ ইবন আরকাম (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ যায়দ
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একবার আমাকে কোন কাজে পাঠায়, বলে দেন যে, তুমি আবুবকরের
কাছে যাও, তাকে ঘরের মধ্যে হীটুতে কাপড় জড়িয়ে বসা অবস্থায় পাবে ৷ তাকে বল,
, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আপনাকে সালাম পাঠিয়েছেন এবং জান্নাতের সুসংৰাদ দিয়েছেন ৷ তারপর
উমরের সাথে সাক্ষাৎ কর ৷ তাকে তুমি ছানিয়ায় গাধার পিঠে সওয়ার অবস্থায় পাবে ৷ ণ্দখবে
যে গাধাটির কপালের চুল উজ্জ্বল চকচক করছে ৷ তাকে আমার সালাম বলবে এবং জান্নাতের
সুসংবাদ দিবে ৷ তারপর উসমানেৱ নিকট যাবে তাকে বাজারে ক্রয়;বিক্রয়েয় কাজে লিপ্ত
পারে৷ র্তাকেও আমার সালাম দেবে এবং কঠিন পরীক্ষার পরে জান্নাত প্রাপ্তির সুসংবাদ
জানাবে ৷ এরপর রাবী তাদের নিকট যায়দের গমনের কথা উল্লেখ করে বলেন যে, রাসুলুল্পাহ্
(সা) যাকে যেখানে যে অবস্থায় পাওয়ার কথা বলেছিলেন “যায়দ তাকে সেখানে সে অবস্থায়ই
পান ৷ তারা প্রত্যেবেইি জিজ্ঞেস করেছিলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোথায় আছেন ? যায়দ
বলেছিলেন, অমুক স্থানে আছেন ৷ সাথে সাথে তিনি যে স্থানে চলে যান ৷ উছমান যখন আগমন
করেন তখন জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসুলাল্লীহ্! কী রকম পরীক্ষা আমার উপর আসবে ? সেই
সত্তার কসম যিনি আপনাকে সভ্য নবীরুপে প্রেরণ করেছেন ৷ আমি কখনও (আপনার ডাকে)
অনুপস্থিত থাকিনি ৷ কোন কিছুর আশা আকাক্ষো করি নি ৷ যেদিন আপনার হাতে হাত রেখে
বায়আত হয়েছি সেদিন থেকে আমি আমার ডান হাত দ্বারা কখনও লজ্জাস্থান স্পর্শ করিনি ৷
তইি কোন জাতীয় পরীক্ষা আমার উপর আসবে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যা আসার তাই
আসবে ৷ বায়হাকী বলেন, আবদুল আলা হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে দুর্বল (যয়ীফ) ৷ যদি তিনি এ
হাদীস কণ্ঠস্থু রেখে থাকেন তবে হতে পারে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যায়দ ইবন আরকামকে তড়াদের
নিকট পাঠিয়েছিলেন ৷ আর আবু মুসা আশ আরী (রা) দরজায় বসা ছিলেন ৷ যেমনটি পুর্বে
আলোচিত হয়েছে ৷

হযরত উসমানেৱ উপর উ ক্ত বিপদ তার অলক্ষে আকম্মিকভাবে বিদ্রোহী গ্রজাদের পক্ষ
থেকে নিপতিত হয় ৷ তারা তার বাড়ি অবরোধ করে, তার উপর অত্যাচার চালায় এবং তাকে
শহীদ করে তার লাশ পথের উপর ফেলে রাখে ৷ এভাবে কয়েক কাি অতিবাহিত হয় জানাযাও
পড়া হয় নি ৷ কেউ তার লাশের কাছে ঘেষতেও পারে নি ৷ বের্শ কিছু কিং পরে তাকে গোসল
দিয়ে জানাযার নামায আদায়ের পর জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে যাবার পথে কাওকাব নামক
উদ্যানে তাকে দাফন করা হয় ৷ আল্লাহ্ র্তাকে জান্নড়াতৃল ফিরদাউস দান করুন ! এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা হযরত উসমানেৱ খিলাফতকালের অধ্যায়ে করা হবে ৷

ইমাম আহমদ হযরত উসমানেৱ আযাদকৃত গোলাম আবু সাহল সুত্রে আইশা (রা) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ অইিশা (রা) বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন আমার এক সাহাবীর জন্য


بَعْثَكَ بِالْحَقِّ مَا تَغَيَّبْتُ وَلَا تَمَنَّيْتُ وَلَا مَسِسْتُ ذَكَرِي بِيَمِينِي مُنْذُ بَايَعَتُكَ، فَأَيُّ بَلَاءٍ يُصِيبُنِي؟ فَقَالَ: " هُوَ ذَاكَ» ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: عَبْدُ الْأَعْلَى ضَعِيفٌ، فَإِنْ كَانَ حَفِظَ هَذَا الْحَدِيثَ فَيَحْتَمِلُ أَنْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ إِلَيْهِمْ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، فَجَاءُوا وَأَبُو مُوسَى جَالِسٌ عَلَى الْبَابِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَهَذَا الْبَلَاءُ الَّذِي أَصَابَهُ هُوَ مَا اتَّفَقَ وُقُوعُهُ عَلَى يَدَيْ مَنْ أَنْكَرَ عَلَيْهِ مِنْ رِعَاعِ أَهْلِ الْأَمْصَارِ بِلَا عِلْمٍ، فَوَقَعَ مَا سَنَذْكُرُهُ فِي دَوْلَتِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنْ حَصْرِهِمْ إِيَّاهُ فِي دَارِهِ حَتَّى آلَ الْحَالُ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ إِلَى اضْطِهَادِهِ وَقَتْلِهِ وَإِلْقَائِهِ عَلَى الطَّرِيقِ أَيَّامًا لَا يُصَلَّى عَلَيْهِ وَلَا يُلْتَفَتُ إِلَيْهِ، حَتَّى غُسِّلَ بَعْدَ ذَلِكَ وَصَلِّيَ عَلَيْهِ وَدُفِنَ بِحَشِّ كَوْكَبٍ - بُسْتَانٍ فِي طَرَفِ الْبَقِيعِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، وَجَعَلَ جَنَّاتِ الْفِرْدَوْسِ مُتَقَلَّبَهُ وَمَثْوَاهُ. كَمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي سَهْلَةَ مَوْلَى عُثْمَانَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ادْعُوا لِي بَعْضَ أَصْحَابِي ". قُلْتُ: أَبُو بَكْرٍ؟ قَالَ " لَا ". قُلْتُ عُمَرُ؟ قَالَ: " لَا ". قُلْتُ ابْنُ عَمِّكَ عَلِيٌّ؟ قَالَ: " لَا ". قُلْتُ: عُثْمَانُ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". فَلَمَّا جَاءَ عُثْمَانُ قَالَ: " تَنَحَّى ". فَجَعَلَ يُسَارُّهُ وَلَوْنُ عُثْمَانَ يَتَغَيَّرُ. قَالَ أَبُو سَهْلَةَ: فَلَمَّا كَانَ يَوْمَ الدَّارِ وَحُصِرَ فِيهَا، قُلْنَا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَلَّا تُقَاتِلُ؟ قَالَ: لَا، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهِدَ إِلَيَّ عَهْدًا، وَإِنِّي صَابِرٌ نَفْسِي عَلَيْهِ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، ثُمَّ قَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ عَائِشَةَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ،
পৃষ্ঠা - ৫০০২
وَأَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي كِتَابِهِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ": حَدَّثَنَا عَتَّابُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعُثْمَانُ بَيْنَ يَدَيْهِ يُنَاجِيهِ، فَلَمْ أُدْرِكْ مِنْ مَقَالَتِهِ شَيْئًا إِلَّا قَوْلَ عُثْمَانَ: أَظُلْمًا وَعُدْوَانًا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟! فَمَا دَرَيْتُ مَا هُوَ حَتَّى قُتِلَ عُثْمَانُ، فَعَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا عَنَى قَتْلَهُ. قَالَتْ عَائِشَةُ: وَمَا أَحْبَبْتُ أَنْ يَصِلَ إِلَى عُثْمَانَ شَيْءٌ إِلَّا وَصَلَ إِلَيَّ مِثْلُهُ، غَيْرَ أَنَّ اللَّهَ عَلِمَ أَنِّي لَمْ أُحِبَّ قَتْلَهُ، وَلَوْ أَحْبَبْتُ قَتْلَهُ لَقُتِلْتُ. وَذَلِكَ لَمَّا رُمِيَ هَوْدَجُهَا مِنَ النَّبْلِ حَتَّى صَارَ مِثْلَ الْقُنْفُذِ» وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، مَوْلَى الْمُطَّلِبِ، عَنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَقْتُلُوا إِمَامَكُمْ، وَتَجْتَلِدُوا بِأَسْيَافِكُمْ، وَيَرِثُ دُنْيَاكُمْ شِرَارُكُمْ» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، أَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمِصْرِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ السُّلَمِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ سَيْفٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ جَلَسَ
পৃষ্ঠা - ৫০০৩

দুআ কর ৷ আইশা বলেন, কে আবু বকর ? বললেন, না ৷ আমি বললাম, তবে উমর ?
বললেন, না ৷ আমি বললাম, আপনার ভাইপো আলী ? বললেন, না ৷ আমি বললাম, তবে কি
উছমান ? বললেন, হী ৷ এরপর উছমান যখন পৌছলেন তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন ৷ তুমি
সরে যাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কানে কানে তবে কিছু বলতে থাকেন এবং উসমানের চেহারা
বিবর্ণ হতে থাকে ৷ আবু সাহ্ল বলেন, যে দিন তিনি গৃহবন্দী হন সেদিন আমরা বললাম, হে
আমীরুল মু’মিনীন! আপনি কি (এদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধ করবেন না? তিনি বললেন, না ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ আমি সে ব্যাপারে ধৈর্য অবলম্বন
করতে চাই ৷ আহমদ ওকী সুত্রেও এ হাদীসটি আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন
মাজাও এ হাদীসটি ওর্কী সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

নুআয়ম ইবন হাম্মাদ তার গ্রন্থ আল-ফিতান ওয়াল মালাহিমে আত্তাব ইবন বশীর সুত্রে
অইিশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ আইশা বলেন, আমি একদা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
উপস্থিত হই ৷ দেখি উছমান রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সম্মুখে উপবিষ্ট ৷ নির্জনে ন্চুপচাপে আলাপ
করছেন ৷ আমি সে আলোচনার কিছুই বুঝলাম না ৷ কেবল উসমানের একটি কথইি শুনলাম ৷
তিনি জিজ্ঞেস করছেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ যুলুম ও শত্রুতামুলক ? আমি এ কথার তাৎপর্য বুঝি
নি ৷ যখন উছমান শহীদ হলেন তখন বুঝলাম যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) (সেদিন) তার হত্যার কথইি
বলছিলেন ৷ আইশা (রা) বলেন, আমি পছন্দ করতাম না যে আমার কাছে না পৌছে কোন
বিপদ উসমানের কাছে পৌছুক ৷ আল্লাহ্ জানেন, আমি এরুপ পছন্দ করতাম না ৷ যদি আমি
তার হত্যা পছন্দ করতাম তবে অবশ্যই আমি নিজেও যুদ্ধ করতাম ৷ এ কথার ইঙ্গিত হলো
সেই ঘটনার প্রতি যখন আইশার হাওদাজে তীর নিক্ষেপ করা হয় এবং এতে হাওদাজ নষ্ট হয়ে
যায়৷

আবু দাউদ তায়ালিসী ইসমাঈল সুত্রে হুযায়ফা থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, কিয়ামত আসবে না যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের রাষ্ট্র পরিচালককে হত্যা করবে
এবং নিজেরা পরস্পর তলােয়ার দ্বারা যুদ্ধ করবে এবং তোমাদের এ কর্তৃত্ব তোমাদের মধ্যে

দুকুতিকারীদের হাতে না যাবে ৷

রায়হাকী আবুল হুসায়ন সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, শীঘ্রই তোমাদের মধ্যে বারজন খলীফা হবেন; আবু বকর সিদ্দীক
আমার পরে বেশি দিন থাকবেন না ৷ তার পরবর্তী আরবের কর্তৃত্নের অধিকারী (অর্থাৎ আরবের
গৌরব) সাফল্যময় জীবন কাটাবেন এবং শহীদরুপে ইনতিকাল করবেন ৷ এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস
করলেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ! তিনি কে ? তিনি বললেন, উমর ইবন খাত্তাব ৷ এরপর রাসুলুল্পাহ্
(সা) উসমানের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, লোকে তোমার জামা খুলে ফেলার জন্য বলবে
(অর্থাৎ পদত্যাগের দাবি করবে) যা আল্লাহ্ তোমাকে পরাবেন ৷ যিনি আমাকে সত্য সহকারে
প্রেরণ করেছেন তার কন্যা! তুমি যদি তা খুলে ফেল, তবে তোমার জান্নাতে যাওয়া অসম্ভব,
যেমন অসম্ভব সুচের ছিদ্র দিয়ে উটের প্রবেশ করা ৷

তারপর বায়হাকী মুসা ইবন উক্বা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ মুসা ইবন উক্বা বলেন, আমার
নানা আবু হাবীবা আমাকে শুনিয়েছেন যে, হযরত উছমান যখন পৃহবন্দী তখন আমি যে ঘরে
প্রবেশ করি ৷ শুনলাম আবু হুরায়রা (রা) কিছু কথা বলার জন্য খলীফার নিকট অনুমতি প্রার্থনা


يَوْمًا مَعَ شُفَيٍّ الْأَصْبَحِيِّ، فَقَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «سَيَكُونُ فِيكُمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً; أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، لَا يَلْبَثُ خَلْفِي إِلَّا قَلِيلًا، وَصَاحِبُ دَارَةِ رَحَى الْعَرَبِ يَعِيشُ حَمِيدًا وَيَمُوتُ شَهِيدًا ". فَقَالَ رَجُلٌ: وَمَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ". ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: " وَأَنْتَ يَسْأَلُكَ النَّاسُ أَنْ تَخْلَعَ قَمِيصًا كَسَاكَهُ اللَّهُ، وَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ لَئِنْ خَلَعْتَهُ لَا تَدْخُلِ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ» " ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ «: حَدَّثَنِي جَدِّي أَبُو أُمِّي أَبُو حَبِيبَةَ أَنَّهُ دَخَلَ الدَّارَ وَعُثْمَانُ مَحْصُورٌ فِيهَا، وَأَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَسْتَأْذِنُ عُثْمَانَ فِي الْكَلَامِ فَأَذِنَ لَهُ، فَقَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّكُمْ سَتَلْقَوْنَ بَعْدِي فِتْنَةً وَاخْتِلَافًا ". فَقَالَ لَهُ قَائِلٌ مِنَ النَّاسِ: فَمَنْ لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ أَوْ: مَا تَأْمُرُنَا؟ فَقَالَ: " عَلَيْكُمْ بِالْأَمِينِ وَأَصْحَابِهِ ". وَهُوَ يُشِيرُ إِلَى عُثْمَانَ بِذَلِكَ» وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ عَفَّانَ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ بِهِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ شَاهِدَانِ لَهُ بِالصِّحَّةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫০০৪
رِبْعِيٍّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ نَاجِيَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تَدُورُ رَحَى الْإِسْلَامِ لِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ، فَإِنْ يَهْلِكُوا فَسَبِيلُ مِنْ قَدْ هَلَكَ، وَإِنْ يَقُمْ لَهُمْ دِينُهُمْ يَقُمْ لَهُمْ سَبْعِينَ عَامًا ". قَالَ: قُلْتُ: أَبِمَا مَضَى أَوْ بِمَا بَقِيَ؟ قَالَ: وَبِمَا " بَقِيَ» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْأَنْبَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ بِهِ، ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ إِسْحَاقَ وَحَجَّاجٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ نَاجِيَةَ الْكَاهِلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ رَحَى الْإِسْلَامِ سَتَزُولُ بِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ، فَإِنْ تَهْلِكْ فَسَبِيلُ مَا هَلَكَ، وَإِنْ يُقَمْ لَهُمْ دِينُهُمْ يَقُمْ لَهُمْ سَبْعِينَ عَامًا ". قَالَ: قَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَبِمَا مَضَى أَوْ بِمَا بَقِيَ؟ قَالَ: " بَلْ بِمَا بَقِيَ» وَهَكَذَا رَوَاهُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَنْصُورٍ بِهِ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ، فَذَكَرَهُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ تَابَعَ إِسْرَائِيلَ الْأَعْمَشُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مَنْصُورٍ. قَالَ: وَبَلَغَنِي أَنَّ فِي هَذَا إِشَارَةً إِلَى الْفِتْنَةِ الَّتِي كَانَ فِيهَا قَتْلُ عُثْمَانَ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، ثُمَّ إِلَى الْفِتَنِ الَّتِي كَانَتْ فِي أَيَّامِ عَلِيٍّ، وَأَرَادَ بِالسَّبْعِينَ مُلْكَ بَنِي أُمَيَّةَ، فَإِنَّهُ بَقِيَ بَيْنَ مَا بَيْنَ أَنِ اسْتَقَرَّ لَهُمُ الْمَلِكُ إِلَى أَنْ ظَهَرَتِ الدُّعَاةُ
পৃষ্ঠা - ৫০০৫

করছেন ৷ খলীফা র্তাকে অনুমতি দিলেন ৷ তিনি উঠে প্রথমে আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন ৷ তারপর
বললেন, আমি শুনেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন, আমার পরে তোমরা ফিতনা ও মতবিরোধ
দেখতে পারবে ৷ তখন এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বললো ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্!ণ্ আমরা তখন কার পক্ষে
থাকর ? অথবা যে ব্যক্তি আমাদেরকে তখন কী করতে বলেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
তোমরা তখন আম্বীন্যে ও তার সাথীদের পক্ষে থাকবে ৷ এ আসীন বলতে তিনি উসমানের দিকে
ইঙ্গিত করছিলেন ৷ ইমাম আহমদও এ হাদীস আফ্ফান সুত্রে মুসা ইবন উকব৷ থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন হাওয়ালা সুত্রে এ বক্তব্যের দু’টি হাদীস পুর্বেই উল্লেখিত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ আবদুর রহমান সুত্রে আবদৃল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
নবী করীম (সা) বলেছেন, ইসলামের ঢাকা ৩৫ অথবা ৩৬ অথবা ৩৭ বছর পর্যন্ত সচল
থাকবে ৷ যখন তারা শেষ হয়ে যাবে তখন সে সব মৃতদের অনুসৃত পথে তোমরা চলতে
থাকবে ৷ আর তাদের দীন তাদের জন্য ঢিকলে সত্তর বছর টিকবে ৷ আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ
বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম ৷ এ সময়টা কি অতীতের বছরগুলিসহ গণনা হবে নাকি আগামী
সময় থেকে ? আবু দাউদ এ হাদীস মুহাম্মদ সুত্রে আবদুর রহমান ইবন মাহ্দী থেকে বর্ণনা
করেছেনা

ইমাম আহমদ ইসহাক সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, ইসলামের ঢাকা ৩৫, ৩৬ অথবা ৩৭ বছর পর স্থানচ্যুত হবে ৷ সে চাকা
স্থানচ্যুত হওয়ার পর মৃতদের পথ অনুসরণ করবে ৷ তাদের দীন যদি টিকেও তবে সত্তর বছর
টিকবে ৷ হযরত উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! অতীতের দিনসহ নাকি আগত
দিন থেকে ? তিনি বললেন, অনাগত দিন থেকে ৷ ইয়া কুব ইবন সুফিয়ান ইসরাঈল সুত্রে
মানসুর থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকী বলেন, মানসুর থেকে ইসরাঈলের ন্যায়
আমাশ ও সুফিয়ান চাওরীও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ মানসুর বলেন, আমি জেনেছি এ
কথার মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে পরবর্তীকালে ঘটিতব্য ফিতনার প্রতি ৷ তার মধ্যে ৩৫ হি সালে
উছমান (রা)-এর হত্যা এবং হযরত আলী (রা)এর শাসনকালে উদ্ভুত বিভিন্ন ফিতনা ৷ আর
সত্তর সংখ্যা দ্বারা বনু উমইিয়াদের রাজতুকালকে বৃঝান হয়েছে ৷ কেননা, খােরাসানের বিদ্রোহ
উমইিয়া শাসকদের দুর্বলতা ও অযােপ্যতা দ্বারা ধ্বংস হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত প্রায় সত্তর বছর তাদের
রাজত্ব বহাল ছিল ৷ আমি বলি এসব যুদ্ধ বিগ্রহ সিফ্ফীনে এসে চুড়ান্ত রুপ ধারণ করে ৷ এ
সময়ে আলী (রা) খারিজীদেরকে দমন করেন ৷ এ সংক্রন্তে এবং খারিব্জীদেৱ পরিচয় ও তাদের
মধ্যকার এক ত্রুটিপুর্ণ দেহধারী লোকের বৈশিষ্ট্য ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ ন্

আবু বর (রা)-এর ইনতিকাল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম আহমদ ইসহাক ইবন ঈসা আশতার সুত্রে আবু যার (রা)-এর শ্রী বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আবু যারের মৃত্যুর সময় যখন উপস্থিত হয় তখন আমি রােদন করি ৷
আবু যার জিজ্ঞেস করলেন, (শ্রী) তুমি র্কাদছে৷ কেন ?“ আমি বললাম : কেন আমি কাদবাে না,
এই জনশুন্য প্রাত্তরে আপনি একাকী মারা যাচ্ছেন দাফন করার মত কোন লোক এখানে নেই ৷
এ ছাড়া আমার নিকট এমন কোন কাপড় নেই যা দ্বারা আপনার কাফনের ব্যবস্থা করতে পারি ৷
আবু যার বলেন, তুমি কেদ না বরং সুসত্বাদ নাও ! কারণ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে
— : :


بِخُرَاسَانَ وَضَعُفَ أَمْرُ بَنِي أُمَيَّةَ وَدَخَلَ الْوَهْنُ فِيهِ، نَحْوًا مِنْ سَبْعِينَ سَنَةً. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ ذَرٍّ قَالَتْ: «لَمَّا حَضَرَتْ أَبَا ذَرٍّ الْوَفَاةُ بَكَيْتُ، فَقَالَ: مَا يُبْكِيكِ؟ فَقُلْتُ: وَمَالِي لَا أَبْكِي وَأَنْتَ تَمُوتُ بِفَلَاةٍ مِنَ الْأَرْضِ وَلَا يَدَ لِي بِدَفْنِكَ، وَلَيْسَ عِنْدِي ثَوْبٌ يَسَعُكَ فَأُكَفِّنَكَ فِيهِ. قَالَ: فَلَا تَبْكِي وَأَبْشِرِي، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَيَمُوتَنَّ رَجُلٌ مِنْكُمْ بِفَلَاةٍ مِنَ الْأَرْضِ يَشْهَدُهُ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ ". وَلَيْسَ مِنْ أُولَئِكَ النَّفَرِ أَحَدٌ إِلَّا وَقَدْ مَاتَ فِي قَرْيَةٍ أَوْ جَمَاعَةٍ، وَإِنِّي أَنَا الَّذِي أَمُوتُ بِالْفَلَاةِ، وَاللَّهِ مَا كَذَبْتُ وَلَا كُذِبْتُ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سُلَيْمٍ الطَّائِفِيِّ بِهِ مُطَوَّلًا وَالْحَدِيثُ مَشْهُورٌ فِي مَوْتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِالرَّبَذَةِ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ، فِي خِلَافَةِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَكَانَ فِي النَّفَرِ الَّذِينَ قَدِمُوا عَلَيْهِ وَهُوَ فِي السِّيَاقِ عَبْدُ اللَّهُ بْنُ مَسْعُودٍ، وَهُوَ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَأَقَامَ بِهَا عَشْرَ لَيَالٍ، وَمَاتَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ، أَنَا الْأَصَمُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الصَّنْعَانِيُّ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدٍ الدِّمَشْقِيُّ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ
পৃষ্ঠা - ৫০০৬
بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْأَشْعَرِيِّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بَلَغَنِي أَنَّكَ تَقُولُ: " لَيَرْتَدَّنَ أَقْوَامٌ بَعْدَ إِيمَانِهِمْ ". قَالَ: " أَجَلْ، وَلَسْتَ مِنْهُمْ ". قَالَ: فَتُوُفِّيَ أَبُو الدَّرْدَاءِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ عُثْمَانُ» وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا صَفْوَانُ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَوْ عَبْدُ الْغَفَّارِ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ شَيْخٍ مِنَ السَّلَفِ قَالَ: «سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ، أَنْتَظِرُ مَنْ يَرُدُّ عَلَيَّ مِنْكُمْ، فَلَا أُلْفَيَنَّ أُنَازِعُ أَحَدَكُمْ فَأَقُولُ: إِنَّهُ مِنْ أُمَّتِي. فَيُقَالُ: هَلْ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ؟ " قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ: فَتَخَوَّفْتُ أَنْ أَكُونَ مِنْهُمْ، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ. فَقَالَ: " إِنَّكَ لَسْتَ مِنْهُمْ ". قَالَ: فَتُوُفِّيَ أَبُو الدَّرْدَاءِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ عُثْمَانُ، وَقَبْلَ أَنْ تَقَعَ الْفِتَنُ» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَابَعَهُ يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي عُبَيْدِ اللَّهِ مُسْلِمِ بْنِ مِشْكَمٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ إِلَى قَوْلِهِ: " لَسْتَ مِنْهُمْ ". قُلْتُ: قَالَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: تُوُفِّيَ أَبُو الدَّرْدَاءِ لِسَنَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ خِلَافَةِ عُثْمَانَ وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَأَبُو عُبَيْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوَفِّي سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৫০০৭

শুনেছি ৷ তোমাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি জ্যাশুন্য নির্জন প্রাত্তরে মারা যাবে ৷ তখন তার নিকট
মু’মিনদের একটি দল উপস্থিত ছিলেন ৷ বিন্তু বর্তমানে তাদের কেউ-ই জীবিত নেই ৷ কেউ
গ্রামে বাড়িতে মারা গেছেন, কেউ যুদ্ধ ক্ষেত্রে শহীদ হয়েছেন ৷ বর্তমানে আমি একাই বেচে
আছি ৷ সুতরাং আমিই নির্জ্য৷ প্রান্তরে মৃত্যুবরণকারী সেই ব্যক্তি ৷ আল্লাহর কসম! রাসুলুল্পাহ্
(সা) মিথ্যা কথা বলেন নি, আর আমিও মিথ্যা বলছি না ৷ বায়হাকী এ হাদীস আলী ইবন
মাদানী সুত্রে আরও বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ এ থেকে পরিষ্কাররুপে জানা যায় যে, হযরত
আবু যায় (বা) হি ৩২ সনে হযরত উসমানের খিলাফতকালে রাবাযা প্রান্তরে ইনতিকাল
করেন ৷ কিছু লোক সেখানে উপস্থিত হয়ে আবু যরের জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থা করেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ জানাযায় ইমামতি করেন ৷ জানাযা শেষ মদীনায় ফিরে আসলে দশ
দিন পরে ইবন মাসউদও ইনতিকাল করেন ৷

আরেকটি হাদীস : আবুদ দারদা সম্পর্কে

বায়হ্াকী হাকিম সুত্রে আবুদ দারদা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি একদা
জ্যিজ্ঞস করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমি শুনতে পেলাম আপনি নাকি বলেছেন যে, আমাদের
মধ্য থেকে একদল লোক ঈমান আনার পর মুরতাদ হয়ে যাবে ৷ তিনি বললেন, ছুা, তবে তুমি
তাদের মধ্যে নও ৷ বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ্ আল-আশ আরী বলেন, আবুদ দারদ৷ হযরত
উসমানের শাহাদাতের পুর্বেই ইনতিকাল করেন ৷

ইয়া কুব ইবন সুফিয়ান সাফওয়ান সুত্রে আবুদ দারদা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন,
, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন, আমি তোমাদের পুর্বেই হাওয়ে কাওসারে উপস্থিত হবে৷ এবং
তোমাদের অপেক্ষায় থাকবাে ৷ তোমাদের কারও কারও ব্যাপারে আমি বিতণ্ডা করবো ৷ আমি
দাবি করবো যে, এ আমার উম্মত ৷ জ্যি আমাকে বলা হবে, আপনি কি জানেন আপনার পরে
এরা দীনের মধ্যে কি নতুন সংযোজন করেছিল ? আবুদ দারদা বলেন, আমি শংকিত হয়ে
পজ্ঞাম না জানি আমি যদি এই দলের অন্তর্ভুক্ত হই ৷ সুতরাং আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
এসে এ ব্যাপারে আলোচনা করলাম ৷ তিনি বললেন, তুমি তাদের মধ্যে নও ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, আবুদ দারদ৷ উসমানের হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য ফিত্না উত্তরের আগেই ইনতিকাল
করেন ৷ বায়হাকী বলেন, আবুদ দারদা এ হাদীস উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুসলিম সুত্রে “তুমি তাদের
অন্তর্ভুক্ত নও পর্যন্ত বর্ণনা করেন ৷ আমি বলি, সাঈদ ইবন আবদুল আযীয বলেছেন, হযরত
উসমানের খিলাফত শেষ হওয়ার দু বছর পুর্বে আবুদ দারদা ইনতিকাল করেন ৷ ওয়াকিদী ও
আবুউবায়দ প্রভৃতির মতে আবুদ দারদা হি ৩২ সনে ইনতিকাল করেন ৷

যরত উছমানের খিলাফতের শেষ দিকে এবং হযরত আলীর খিলাফতকালে
সংঘটিত ফিত্নাসমুহ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

বুখারী ও মুসলিমে উরওয়া সুত্রে উসামা ইবন যায়দ থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একদিন মদীনায় কোন এক টিলার উপর উঠে বলেন, আমি যা দেখতে পাচ্ছি তোমরা কি তা
দেখতে পাও? আমি তোমাদের ঘর-বাড়িসমুহে ফিত্নার উদ্ভব দেখছি যেভাবে বৃষ্টি বর্ধিত হয় ৷

ইমাম আহমদ ও মুসলিম আবু ইদরীস খাওলানী সুত্রে হুযায়ফাইবন ইয়ামান থেকে বর্ণনা
করেন ৷ হুযায়ফা বলেন, আল্লাহ্র কসম, আমার ও কিয়ামত দিবসের মাঝে যে সব ফিত্নার


[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْفِتَنِ الْوَاقِعَةِ فَى خِلَافَةِ عُثْمَانَ] ذِكْرُ إِخْبَارِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْفِتَنِ الْوَاقِعَةِ فِي آخِرِ أَيَّامِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَفِي خِلَافَةِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْرَفَ عَلَى أُطُمٍ مِنْ آطَامِ الْمَدِينَةِ، فَقَالَ: " هَلْ تَرَوْنَ مَا أَرَى؟ إِنِّي لَأَرَى مَوَاقِعَ الْفِتَنِ خِلَالَ بُيُوتِكُمْ كَمَوَاقِعِ الْقَطْرِ» " وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَمُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ: «سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ يَقُولُ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ النَّاسِ بِكُلِّ فِتْنَةٍ هِيَ كَائِنَةٌ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَ السَّاعَةِ، وَمَا ذَاكَ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَنِي مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا أَسَرَّهُ إِلَيَّ لَمْ يَكُنْ حَدَّثَ بِهِ غَيْرِي، وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ، وَهُوَ يُحَدِّثُ مَجْلِسًا أَنَا فِيهِ، سُئِلَ عَنِ الْفِتَنِ، وَهُوَ يَعُدُّ الْفِتَنَ: " فِيهِنَّ ثَلَاثٌ لَا يَذَرْنَ شَيْئًا; مِنْهُنَّ كَرِيَاحِ الصَّيْفِ، مِنْهَا صِغَارٌ وَمِنْهَا كِبَارٌ ". قَالَ حُذَيْفَةُ: فَذَهَبَ أُولَئِكَ الرَّهْطُ كُلُّهُمْ غَيْرِي» . وَهَذَا لَفْظُ أَحْمَدَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: مَاتَ حُذَيْفَةُ بَعْدَ
পৃষ্ঠা - ৫০০৮
الْفِتْنَةِ الْأَوْلَى بِقَتْلِ عُثْمَانَ، وَقَبْلَ الْفِتْنَتَيْنِ الْآخِرَتَيْنِ فِي أَيَّامِ عَلِيٍّ. قُلْتُ: قَالَ الْعِجْلِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ: كَانَتْ وَفَاةُ حُذَيْفَةَ بَعْدَ مَقْتَلِ عُثْمَانَ بِأَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَهُوَ الَّذِي قَالَ: لَوْ كَانَ قَتْلُ عُثْمَانَ هُدًى لَاحْتَلَبَتْ بِهِ الْأُمَّةُ لَبَنًا، وَلَكِنَّهُ كَانَ ضَلَالَةً، فَاحْتَلَبَتْ بِهِ الْأُمَّةُ دَمًا. وَقَالَ: لَوْ أَنَّ أَحَدًا ارْتَقَصَ لِمَا صَنَعْتُمْ بِعُثْمَانَ لَكَانَ جَدِيرًا أَنْ يَرْقُصَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ حَبِيبَةَ بِنْتِ أُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّهَا أُمِّ حَبِيبَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ سُفْيَانُ: أَرْبَعُ نِسْوَةٍ - «قَالَتْ: اسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ نَوْمِهِ وَهُوَ مُحْمَرُّ الْوَجْهِ، وَهُوَ يَقُولُ: " لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ، فُتِحَ الْيَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مَثَلُ هَذِهِ ". وَحَلَّقَ بِأُصْبُعِهِ الْإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ؟! قَالَ: نَعَمْ، إِذَا كَثُرَ الْخَبَثُ» هَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ عَمْرٍو الْأَشَعَثِيِّ وَزُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ وَابْنِ أَبِي عُمَرَ، كُلُّهُمْ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫০০৯


উদ্ভব হবে, সেসব বিষয়ে আমি অন্যান্য সকল মানুষের চেয়ে অধিক জ্ঞাত ৷ এর কারণ
হলো,রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে এসব বিষয়ে একাত্তভাবে জানিয়ে গেছেন, যা অন্য কাউকে
জানাননি ৷ এক মজলিসে আমি বসা ছিলাম, সেখানে র্তাকে ফিত্না সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে
তিনি একে একে সেগুলো বর্ণনা করতে থাকেন ৷ তার মধ্যে এমন তিনটি ফিত্না আছে যা
কাউকে বাদ দেবে না ৷ তার মধ্যে আরও কতিপয় ফিত্না যা গ্রীষ্মকালীন বায়ুর ন্যায় কিছু
আছে ক্ষুদ্র কিছু আছে বড় ৷ হুযড়ায়ফা বলেন, সেই মজলিসের সবাই দুনিয়া থেকে চলে গেছেন,
একমাত্র আমি ছাড়া (এটি আহমদের ভাষা) ৷

ৰায়হাকী বলেন, হ্যায়ফা (রা) প্রথম ফিত্না অর্থাৎ হযরত উছমান হত্যার পরে
ইনতিকাল করেন ৷ কারও মতে, হযরত আলীর সময়ে সংঘটিত ফিত্নাদ্বয়ের পরে তিনি
ইনতিকাল করেছেন ৷ আমার মতে আল-আজালীও একাধিক ঐতিহাসিকের বর্ণনানুযায়ী হযরত
উসমানের হত্যাকাণ্ডের চল্লিশ দিন পরে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ হুযায়কা (রা) বলেছিলেন :


অর্থাৎ উসমানের হত্যা যদি সঠিক হত তবে উষ্মত তার থেকে দুর দোহন করত! কিন্তু
প্রকৃত পক্ষে তার হত্যা ছিল ভ্রান্ত, তাই উষ্মত তার দ্বারা রক্ত দোহন করেছে ৷ তিনি আরও
বলেছেন, তোমরা উসমানের সাথে যে ব্যবহার করেছ তা যদি কোন লোকের অপসারণের
কারণ হয় তবে সে ব্যক্তিই অপসারণের অধিক যোগ্য ৷

ইমাম আহমদ সুফিয়ান ইবন উ য়ায়না থেকে আবু সুফিয়ানের শ্রী উম্মু হাবীবা সুত্রে নবী
সহধর্মিণী যয়নব বিনৃত জাহাশের বর্ণনা উল্লেখ করেন ৷ তিনি বলেন, একদা নবী করীম (সা)
ঘুম থেকে জাগ্রত হন, তার চেহারা রক্তিম বর্ণ ধারণ করে ৷ তিনি মুখে উচ্চারণ করেন ব্লু৷ ৷ ৰুা
ই৷ ৷ ৰু৷ ৷ আল্লাহ্ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই আসন্ন মুসীবতের কারণে আরববাসীদের অকল্যাণ
সুনিশ্চিত ৷ আজকের দিনের ইয়াজুয ও মাজুযের প্রাচীরে এতটুকু ছিদ্র হয়েছে এ বলে তিনি
বৃদ্ধাঙ্গুলী ও তজ্জীর্অগ্রভাগ মিলিয়ে গোল করে ণ্দখালেন ৷ যয়নব বিনৃত জাহাশ বলেন, আমি
জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ আমাদের মধ্যে বহু পুণ্যবান লোক থাকা সত্বেও কি আমরা
ত্স হয়ে যায়? তিনি বলেন হী, যখন অন্যায়ের প্রসার ঘটবে ৷ এ হাদীস মুসলিম, তিরমিযী ও
বুখারী আপন আপন গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী ব্যতীত অন্য সবইি সুফিয়ান ইবন
উয়ায়না সুত্রে এবং বুখারী মালিক ইবন ইসমাঈল প্রভৃতি; সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ এ হাদীসের
সনদে দু’জন তাবিঈ চারজন মহিলা সাহাবী তন্মধ্যে দৃ’জ্যা কন্যা ও দৃ’জ্যা শ্রী রয়েছেন ৷ এটি
একটি বিরল ব্যাপার ৷ এ হাদীস বর্ণনা করার পর ইমাম বুখারী, যুহরী সুত্রে হিন্দ বিনৃত হারিছ
থেকে বর্ণনা করেন যে, উম্মু সালামা বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে
বলতে লাগলেন, সুবহানাল্পাহ্! আল্লাহ্ কত ধন দৌলত নাযিল করেছেন ? আর কতই না
ফিত্না নাযিল করেছেন ৷ তিরমিযী এ হাদীস না আর ও যুহরী সুত্রে বর্ণনা করে মন্তব্য
করেছেন, যে এ হাদীসখানা হাসান সহীহ্ ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী সালত ইবন দীনার সুত্রে উকবা ও আবু রাজা থেকে বর্ণনা করেন,
তারা উভয়ে বলেন, আমরা হযরত যুবায়রকে এ আয়াতটি পড়তে শুনেছিং

ষ্ ’ fl

ট্রাণ্১এে ণ্হ্রাষ্


سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ سَوَاءً. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيِّ وَغَيْرِ وَاحِدٍ، كُلِّهِمْ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: قَالَ الْحُمَيْدِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ: حَفِظْتُ مِنَ الزُّهْرِيِّ فِي هَذَا الْإِسْنَادِ أَرْبَعَ نِسْوَةٍ. قُلْتُ: وَقَدْ أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، وَمُسْلِمٌ عَنْ عَمْرٍو النَّاقِدِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، فَلَمْ يَذْكُرَا حَبِيبَةَ فِي الْإِسْنَادِ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ شُعَيْبٌ، وَصَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، وَعَقِيلٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَتِيقٍ، وَيُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، فَلَمْ يَذْكُرُوا عَنْهُ فِي الْإِسْنَادِ حَبِيبَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَعَلَى مَا رَوَاهُ أَحْمَدُ وَمَنْ تَابَعَهُ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، يَكُونُ قَدِ اجْتَمَعَ فِي هَذَا الْإِسْنَادِ تَابِعِيَّانِ، وَهَمَا الزُّهْرِيُّ وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَأَرْبَعُ صَحَابِيَّاتٍ; رَبِيبَتَانِ وَزَوْجَتَانِ، وَهَذَا عَزِيزٌ جِدًّا. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ بَعْدَ رِوَايَتِهِ الْحَدِيثَ الْمُتَقَدِّمَ، عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فَذَكَرَهُ إِلَى آخِرِهِ، ثُمَّ قَالَ: وَعَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَتْنِي هِنْدُ بِنْتُ
পৃষ্ঠা - ৫০১০
الْحَارِثِ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ قَالَتِ: «اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " سُبْحَانَ اللَّهُ مَاذَا أُنْزِلَ مِنِ الْخَزَائِنِ؟! وَمَاذَا أُنْزِلَ مِنَ الْفِتَنِ؟!» وَقَدْ أَسْنَدَهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ مِنْ طُرُقٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا الصَّلْتُ بْنُ دِينَارٍ، ثَنَا عُقْبَةُ بْنُ صَهْبَانَ وَأَبُو رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيُّ، قَالَا: سَمِعْنَا الزُّبَيْرَ وَهُوَ يَتْلُو هَذِهِ الْآيَةَ {وَاتَّقُوا فِتْنَةً لَا تُصِيبَنَّ الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْكُمْ خَاصَّةً} [الأنفال: 25] . قَالَ: لَقَدْ تَلَوْتُ هَذِهِ الْآيَةَ زَمَانًا وَمَا أَرَانِي مِنْ أَهْلِهَا، فَأَصْبَحْنَا مِنْ أَهْلِهَا. وَهَذَا الْإِسْنَادُ ضَعِيفٌ، وَلَكِنْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا جَرِيرٌ قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ قَالَ: قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ: نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ وَنَحْنُ مُتَوَافِرُونَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {وَاتَّقُوا فِتْنَةً لَا تُصِيبَنَّ الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْكُمْ خَاصَّةً} [الأنفال: 25] فَجَعَلْنَا نَقُولُ: مَا هَذِهِ الْفِتْنَةُ وَمَا نَشْعُرُ أَنَّهَا تَقَعُ حَيْثُ وَقَعَتْ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَهْدِيٍّ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ بِهِ، وَقَدْ قُتِلَ
পৃষ্ঠা - ৫০১১
الزُّبَيْرُ بِوَادِي السِّبَاعِ مَرْجِعَهُ مِنْ قِتَالِ يَوْمِ الْجَمَلِ، عَلَى مَا سَنُورِدُهُ فِي مَوْضِعِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ السِّجِسْتَانِيُّ فِي " سُنَنِهِ ": ثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ سَلَّامُ ابْنُ سَلِيمٍ، عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ هِلَالِ بْنِ يِسَافَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ فِتْنَةً فَعَظُمَ أَمْرُهَا فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَئِنْ أَدْرَكَتْنَا هَذِهِ لَتُهْلِكَنَّا. فَقَالَ: «كَلَّا إِنَّ بِحَسْبِكُمُ الْقَتْلَ» قَالَ سَعِيدٌ: فَرَأَيْتُ إِخْوَانِي قُتِلُوا. تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ السِّجِسْتَانِيُّ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، ثَنَا يَزِيدُ، أَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ قَالَ: «قَالَ حُذَيْفَةُ: مَا أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ تُدْرِكُهُ الْفِتْنَةُ إِلَّا أَنَا أَخَافُهَا عَلَيْهِ إِلَّا مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَا تَضُرُّكَ الْفِتْنَةُ» وَهَذَا مُنْقَطِعٌ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، سَمِعْتُ أَبَا بُرْدَةَ يُحَدِّثُ عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ ضُبَيْعَةَ، سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ يَقُولُ: إِنِّي لَأَعْرِفَ رَجُلًا لَا تَضُرُّهُ الْفِتْنَةُ. فَأَتَيْنَا الْمَدِينَةَ، فَإِذَا فُسْطَاطٌ مَضْرُوبٌ، وَإِذَا مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ الْأَنْصَارِيُّ، فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: لَا أَسْتَقِرُّ بِمِصْرٍ مِنْ أَمْصَارِهِمْ حَتَّى تَنْجَلِيَ هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৫০১২
الْفِتْنَةُ عَنْ جَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، يَعْنِي السِّجِسْتَانِيَّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ شُعْبَةَ بِهِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ ضُبَيْعَةَ بْنِ حُصَيْنٍ التَّغْلِبِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ بِمَعْنَاهُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ ": هَذَا عِنْدِي أَوْلَى. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ: «مَرَرْتُ بِالرَّبَذَةِ فَإِذَا فُسْطَاطٌ، فَقُلْتُ: لِمَنْ هَذَا؟ فَقِيلَ: لِمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ. فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَقُلْتُ: رَحِمَكَ اللَّهُ، إِنَّكَ مِنْ هَذَا الْأَمْرِ بِمَكَانٍ، فَلَوْ خَرَجْتَ إِلَى النَّاسِ فَأَمَرْتَ وَنَهَيْتَ. فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " سَتَكُونُ فِتْنَةٌ وَفُرْقَةٌ وَاخْتِلَافٌ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأْتِ بِسَيْفِكَ أُحُدًا فَاضْرِبْ بِهِ عُرْضَهُ، وَكَسِّرْ نَبْلَكَ، وَاقْطَعْ وَتَرَكَ، وَاجْلِسْ فِي بَيْتِكَ حَتَّى تَأْتِيَكَ يَدٌ خَاطِئَةٌ أَوْ يُعَافِيَكَ اللَّهُ ". فَقَدْ كَانَ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفَعَلْتُ مَا أَمَرَنِي بِهِ. ثُمَّ اسْتَنْزَلَ سَيْفًا كَانَ مُعَلِّقًا بِعَمُودِ الْفُسْطَاطِ وَاخْتَرَطَهُ، فَإِذَا سَيْفٌ مِنْ خَشَبٍ، فَقَالَ: قَدْ فَعَلْتُ مَا أَمَرَنِي بِهِ، وَاتَّخَذْتُ هَذَا أُرْهِبُ بِهِ النَّاسَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
পৃষ্ঠা - ৫০১৩

ছিলা ছিড়ে ফেলবে এবং ঘরের মধ্যে বসে থাকবে যতক্ষণ না কোন অত্যাচারী হাত তোমার
উপর পতিত হয় অথবা আল্লাহ তোমাকে মুক্তিদেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা বলেছিলেন এখন
তাই বাস্তবে পরিণত হয়েছে ৷ সুতরাং আমিও তাই করেছি যা করতে তিনি আমাকে নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷ অতঃপর তিনি র্তাবুর খুটিতে ঝুলম্ভ একটি তরবারি নামালেন ৷ তরবারিটি কোষ
মুক্ত করার পর দেখা গেল সেটা কাঠের নির্মিত ৷ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
নির্দেশমত এরুপ করেছি, এ দিয়ে আমি লোককে ভয় দেখাই ৷ এটি আহমদের একক বর্ণনা ৷
ণ্ বায়হাকী হাকীম মুহাম্মদ ইবন মাসলামা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর
নিকট আরজ করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! বিপথগামী লোবেন্মা যখন মতবিরোধ সৃষ্টি করবে
তখন আমি কি ভুমিকা গ্রহণ করবো ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তলোয়ার নিয়ে কঙ্করময়
প্রাস্তরে চলে যেও, সেখানে তলোয়ার ভেঙ্গে ফেলে দিবে ৷ তারপরে বাড়ি ফিরে ঘরে বসে থাক ৷
যতক্ষণ না মৃত্যুর ফয়সালা অথবা কোন প ৷পিষ্ঠ হাত তোমার উপর পতিত হয় ৷

ইমাম আহমদ, আবদুস সামাদ আবুল আশআছ সানআনী সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
আবুল আশআছ বলেন, ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া আমাকে (আবদুল্লাহ) ইবন যুবায়াবৃর নিকট
পাঠান ৷ মদীনায় পৌছে আমি অমুক লোকের বাড়ি যাই ৷ তিনি গিয়ে বলেন, মানুষ বা করার
তা করেছে ৷ এখন আপনার অভিমত কি ? তিনি বললেন”, আমাকে আমার অন্তরঙ্গ আবুল
কাসিম (সা) উপদেশ দিয়েছেন, যদি এ জাতীয় ফিত্না তুমি প্রত্যক্ষ কর তবে তোমার
তরবারি উহুদ পাহাড়ে ভেঙ্গে ফেলবে এবং বাড়িতে বসে থাকবে ৷ যদি কেউ তোমার নিকট
বাড়ি গিয়ে উঠে ত্যব প্রতারকের বিরুদ্ধে রুখে র্দাড়াও ৷ আর যদি কোন প্রতারক তোমার উপর
আক্রমণ চালায় তবে উপুড় হয়ে বসে থাক এবং তাকে বল, আমার পাপ ও তোমার পাপ নিয়ে
বিদায় হও এবং জাহান্নামের বাসিন্দা হও জালিমদের এটাই পরিণাম ৷ তাই আমি আমার
তলোয়ার ভেঙ্গে ফেলে ঘরে অবস্থান নিয়েছি ৷ ইমাম আহমদের সঙ্কলিত মুহাম্মদ ইবন
মাসলামার মুসনাদে এ হাদীস উপরোক্তভাবেই বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে তার নামের ব্যাপারে
অম্পৃষ্টতা রয়েছে ৷ প্রকৃত পক্ষে তিনি মুহাম্মদ ইবন মাসলামা নন বরং অন্য কোন সাহাবী ৷
কারণ, মুহাম্মদ ইবন মাসলামা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হিজরী সনের মধ্যে ইনতিকাল করেন ৷ এ
ব্যাপারে ঐতিহাসিকদের মধ্যে কোন মতভেদ যেই; কেউ বলেছেন ৪২ সনে কারও মতে ৪৩
সনে আর কারও মতে : ৭ সনে তার ইনতিকাল হয় ৷ সুতরাং তিনি ইয়াযিদ ইবন মুআবিয়া ও
আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়রের কালে জীবিত ছিলেন না ৷ এ ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমত সেই ৷
অতএব, প্রমাণিত হলো যে, তিনি অন্য কোন সাহাবী যার অবস্থার সাথে মুহাম্মদ ইবন ন্
মাসলামার অবস্থার সাদৃশ্য রয়েছে ৷ ,
নুআয়ম ইবন হাম্মাদ ফিত্না ও যুদ্ধ (ণ্১)ধ্এ , ;;ৰু১) সংক্রান্ত অধ্যায়ে আবু আমর সুলামী
সুত্রে উহ্বানের কন্যা থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত আলী উহ্বানের নিকট এসে বলেন, কি
কারণে তুমি আমাদের দলে আসছ না ? তখন উহ্বান বলেন, আমার পরম বন্ধু আপনার
চাচাত ভইি রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে উপদেশ দিয়েছেন যে, অতি শীঘ্রই বিচ্ছিন্নতা গোলয়ােগ
ও মতবিরোধ সেবা দিয়ে ৷ যখন এ অবস্থা আসবে তখন তোমার তরবারি ভেঙ্গে ফেলে ঘরে
বসে থাকবে এবং একটি কাঠের তলোয়ার বানিয়ে নিবে ৷ আহমদ এ হাদীসখানা আফ্ফান,
আসওয়াদ ও মুমিল সুত্রে হামাদ ইবন সালামা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তবে মুমিলের বর্ণনায়
কথাটি অতিরিক্ত আছে যে, এবং একটি কাঠের তালায়ার বানিয়ে তুমি ঘরে বসে থাক


وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عِيسَى الْحِيرِيُّ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ نَجْدَةَ الْقُرَشِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، أَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، ثَنَا سَالِمُ بْنُ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ أَنَّهُ قَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ أَصْنَعُ إِذَا اخْتَلَفَ الْمُصَلُّونَ؟ قَالَ: " اخْرُجْ بِسَيْفِكَ إِلَى الْحَرَّةِ فَتَضْرِبُهَا بِهِ، ثُمَّ تَدْخُلُ بَيْتَكَ حَتَّى تَأْتِيَكَ مَنِيَّةٌ قَاضِيَةٌ أَوْ يَدٌ خَاطِئَةٌ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا زِيَادُ بْنُ مُسْلِمٍ أَبُو عُمَرَ، ثَنَا أَبُو الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيُّ، قَالَ: «بَعَثَنَا يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَلَمَّا قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ دَخَلْتُ عَلَى فُلَانٍ - نَسِيَ زِيَادٌ اسْمَهُ - فَقَالَ: إِنَّ النَّاسَ قَدْ صَنَعُوا مَا صَنَعُوا فَمَا تَرَى؟ قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي أَبُو الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنْ أَدْرَكْتُ شَيْئًا مِنْ هَذِهِ الْفِتَنِ فَاعْمَدْ إِلَى أُحُدٍ فَاكْسِرْ بِهِ حَدَّ سَيْفِكَ، ثُمَّ اقْعُدْ فِي بَيْتِكَ، فَإِنْ دَخَلَ عَلَيْكَ أَحَدٌ الْبَيْتَ، فَقُمْ إِلَى الْمَخْدَعِ، فَإِنْ دَخَلَ عَلَيْكَ الْمَخْدَعَ، فَاجْثُ عَلَى رُكْبَتَيْكَ
পৃষ্ঠা - ৫০১৪
وَقُلْ: بُؤْ بِإِثْمِي وَإِثْمِكَ فَتَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ، وَذَلِكَ جَزَاءُ الظَّالِمِينَ ". فَقَدْ كَسَرْتُ سَيْفِي وَقَعَدْتُ فِي بَيْتِي» هَكَذَا وَقَعَ إِيرَادُ هَذَا الْحَدِيثِ فِي مُسْنَدِ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ عِنْدَ الْإِمَامِ أَحْمَدَ، وَلَكِنْ وَقَعَ إِبْهَامُ اسْمِهِ، وَلَيْسَ هُوَ لِمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ بَلْ صَحَابِيٍّ آخَرَ، فَإِنَّ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَا خِلَافَ عِنْدِ أَهْلِ التَّارِيخِ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِيمَا بَيْنَ الْأَرْبَعِينَ إِلَى الْخَمْسِينَ، فَقِيلَ: سَنَةَ ثِنْتَيْنِ. وَقِيلَ: ثَلَاثٍ. وَقِيلَ سَبْعٍ وَأَرْبَعِينَ. وَلَمْ يُدْرِكْ أَيَّامَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِلَا خِلَافٍ، فَتَعَيَّنَ أَنَّهُ صَحَابِيٌّ آخَرُ، خَبَرُهُ كَخَبَرِ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ": حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ،، ثَنَا أَبُو عَمْرٍو الْقَسْلَمِيُّ، عَنْ بِنْتِ أُهْبَانَ الْغِفَارِيِّ، أَنَّ «عَلِيًّا أَتَى أُهْبَانَ فَقَالَ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَتَّبِعَنَا؟ فَقَالَ: أَوْصَانِي خَلِيلِي وَابْنُ عَمِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ: " سَتَكُونُ فُرْقَةٌ وَفِتْنَةٌ وَاخْتِلَافٌ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَاكْسِرْ سَيْفَكَ، وَاقْعُدْ فِي بَيْتِكَ، وَاتَّخِذْ سَيْفًا مِنْ خَشَبٍ» وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ عَفَّانَ وَأَسْوَدَ بْنِ عَامِرٍ وَمُؤَمَّلٍ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَزَادَ مُؤَمَّلٌ فِي رِوَايَتِهِ بَعْدَ قَوْلِهِ: " «وَاتَّخِذْ سَيْفًا مِنْ خَشَبٍ ". " وَاقْعُدْ فِي بَيْتِكَ حَتَّى تَأْتِيَكَ يَدٌ خَاطِئَةٌ أَوْ مَنِيَّةٌ قَاضِيَةٌ» ". وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ
পৃষ্ঠা - ৫০১৫


যতক্ষণ না তোমার উপর কোন পাপিষ্ঠের হাত বা ফয়সালাকারী মৃত্যু না আসে ৷ আহমদ ও
তিরমিষী এবং ইবন মাজা এ হাদীস থানা আবদুল্পাহ্ ইবনউবায়দ আদৃ-দায়লী সুত্রে আদীসা
বিন্ত উহ্বানৈর মাধ্যমে তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিষী এ হাদীসকে হাসান
গরীব বলে মন্তব্য করেছেন ৷ এ সুত্র ছাড়া অন্য কোন সুত্রে এটি আমার জানা নেই; তবে অন্য
সুত্রে হাদীসটি পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷
ইমাম বুখারী আবদুল আযীয সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেঃ, অতি শীঘ্রই ফিত্নার উক্তা হবে ৷ তখন দণ্ডায়মান ব্যক্তি অপেক্ষা উপবিষ্ট ব্যক্তি
উত্তম ৷ আর দণ্ডায়মান ব্যক্তি চলাচলকারী অপেক্ষা উত্তম এবং চলাচলকারী দৌড়ান ব্যক্তি
অপেক্ষা উত্তম ৷ যে সে ফিত্নার দিকে উকি দিয়ে তাকাবে যে তাতে জড়িয়ে পড়বে ৷ বেল্ট যদি
আশ্রয়ন্থল ও নিরাপদ জায়গার সন্ধান পায় তবে সেখানে তার আশ্রয় লওয়৷ উচিত ৷ ইবন শিহাব
সুত্রে আবুহুরায়রার এ হাদীসটি নওফল ইবন মুয়াবিয়া থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম মুসলিম ও ষ্
বুখারীর ন্যায় এ হাদীস আবু হুরায়রা থেকে ইব্রাহীম ইবন সা দ সুত্রে এবং নওফল ইবন
মু আবিয়ার হাদীস বুখারীর সনদ ও শব্দে বর্ণনা করেছেনা
ইমাম বুখারী মুহাম্মদ ইবন কাহীর সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা
, করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, শীঘ্রই সম্পদের অগ্রাধিকার (স্বজনগ্রীতি) ও এমন সব
কর্মকাণ্ড ঘটবে, যা তোমরা অপছন্দ করবে ৷ লোকজন জিজ্ঞেস করল , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! ঐ সময়
আমাদেরকে কী করতে নির্দেশ দেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমাদের উপর (রাৰষ্ট্ৰর) যা
প্রাপ্ত তা তোমরা প্রদান করবে আর তোমাদের যা প্রাপ্য তা পাওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট
প্রার্থনা করবে ৷ ইমাম মুসলিম এ হাদীস আ মাশ সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ রাওহ্ আবুবাকরা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
অতি শীঘ্রই ফিত্না দেখা দিবে ৷ কিছু দিনের মধ্যে যে ফিত্না আরও তীব্র হয়ে উঠবে ৷ মনে
রেখ, ঐ ফিত্নার দিকে দৌড়ে যাওয়া ব্যক্তি অপেক্ষা হেটে চলা ব্যক্তি উত্তম হবে; উপবিষ্ট
ব্যক্তি দণ্ডায়মান ব্যক্তি অপেক্ষা উত্তম হবে; মনে ব্লেখ, ঐ সময় শুয়ে থাকা ব্যক্তি বসে থাকা
ব্যক্তি অপেক্ষা বে শ্বি নিরাপদ হয়ে ৷ সাবধান, সেই ফিত্না যখন আসবে তখন যার বকরী আছে
সে যেন বকবী নিয়ে ব্যস্ত থাকে ৷ সাবধান যার ভুমি আছে সে যেন ভুমির কাজে লিপ্ত থাকে ৷
সাবধান, যার উট আছে সে যেন উট নিয়ে তৎপর থাকে ৷ এক ব্যক্তি উঠে বললো, হে
আল্লাহর নবী আমাকে আল্লাহ আপনার উপর কুরবান করুন ৷ যে লোকের বকবী ভুমি ও উট
নেই যে কী করবে ? তিনি বললেন, যে তার তরবারি নিয়ে কোন এক বৃহৎ ও শক্ত পাথরের
কাছে যাবে এবং তার উপর রেখে অন্য পাথর দ্বারা আঘাত করে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে
ফেলবে ৷ তারপার সে মুক্তির পথ খুজবে যদি সে সক্ষম হয় ৷ হে আল্লাহ্! আমি কি পৌছাতে
পেয়েছি ৷ এ সময় আর এক ব্যক্তি র্দাড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসুল ! আমাকে আল্লাহ
আপনার জন্য কুরবান করুন ৷ তখন যদি কেউ আমাকে জোরপুর্বক ধরে নিয়ে দৃ’দলের কোন
দলে দাড় করিয়ে দেয় এবং কেউ তরবারির আঘাত করে আমাকে হত্যা করে তবে আমার কী
অবস্থা হয়ে ? তিনি বললেন, সে৫ তামার পাপ ও তার নিজের পাপ নিয়ে জাহান্নামে যাবে ৷
ইমাম মুসলিমও অনুরুপ হাদীস উছমান সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ অনাগত ফিত্না সম্পর্কে এ
হচ্ছে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ভবিষ্যদ্বাণী ৷ অসংখ্য হাদীস এ বিষয়ে বর্ণিত আছে ৷


عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدٍ الدِّيلِيِّ، عَنْ عُدَيْسَةَ بِنْتِ أُهْبَانَ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ أَبِيهَا بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدٍ. كَذَا قَالَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ مِنْ غَيْرِ طَرِيقِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الْأُوَيْسِيُّ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سَتَكُونُ فِتَنٌ الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ، وَالْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي، وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي، مَنْ تَشَرَّفَ لَهَا تَسْتَشْرِفُهُ، وَمَنْ وَجَدَ مَلْجَأً أَوْ مُعَاذًا فَلْيَعُذْ بِهِ» وَعَنِ ابْنِ شِهَابٍ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُطِيعِ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ هَذَا، وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ حَدِيثَ أَبِي هُرَيْرَةَ مِنْ طَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، كَمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَكَذَلِكَ حَدِيثُ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بِإِسْنَادِ الْبُخَارِيِّ وَلَفْظُهُ، ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي سُفْيَانُ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «سَتَكُونُ أَثَرَةٌ وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا ". فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: " تُؤَدُّونَ الْحَقَّ الَّذِي عَلَيْكُمْ، وَتَسْأَلُونَ
পৃষ্ঠা - ৫০১৬
اللَّهَ الَّذِي لَكُمْ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا عُثْمَانُ الشَّحَّامُ، ثَنَا مُسْلِمُ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتَنٌ ثُمَّ تَكُونُ فِتَنٌ، أَلَا فَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي إِلَيْهَا، وَالْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ فِيهَا، أَلَا وَالْمُضْطَجَعُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَاعِدِ، أَلَا فَإِذَا نَزَلَتْ فَمَنْ كَانَ لَهُ غَنَمٌ فَلْيَلْحَقْ بِغَنَمِهِ، أَلَا وَمَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَلْحَقْ بِأَرْضِهِ، أَلَا وَمَنْ كَانَتْ لَهُ إِبِلٌ فَلْيَلْحَقْ بِإِبِلِهِ ". فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، جَعَلَنِي اللَّهُ فَدَاكَ، أَرَأَيْتَ مَنْ لَيْسَتْ لَهُ غَنَمٌ وَلَا أَرْضٌ وَلَا إِبِلٌ كَيْفَ يَصْنَعُ؟ قَالَ: " لِيَأْخُذْ سَيْفَهُ، ثُمَّ لْيَعْمِدْ بِهِ إِلَى صَخْرَةِ، ثُمَّ لْيَدُقَّ عَلَى حَدِّهِ بِحَجَرٍ، ثُمَّ لْيَنْجُ إِنِ اسْتَطَاعَ النِّجَاءَ، اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ ". فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، جَعَلَنِي اللَّهُ فَدَاكَ، أَرَأَيْتَ إِنْ أُخِذَ بِيَدِي مُكْرَهًا حَتَّى يُنْطَلَقَ بِي إِلَى أَحَدِ الصَّفَّيْنِ أَوْ إِحْدَى الْفِئَتَيْنِ - شَكَّ عُثْمَانُ - فَيَحْذِفُنِي رَجُلٌ بِسَيْفِهِ فَيَقْتُلُنِي، مَاذَا يَكُونُ مِنْ شَأْنِي؟ قَالَ: " يَبُوءُ بِإِثْمِكَ وَإِثْمِهِ وَيَكُونُ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ» " وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عُثْمَانَ الشَّحَّامِ بِنَحْوِهِ، وَهَذَا إِخْبَارٌ عَنْ إِقْبَالِ الْفِتَنِ، وَقَدْ وَرَدَتْ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ فِي مَعْنَى هَذَا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا قَيْسٌ قَالَ: لَمَّا أَقْبَلَتْ
পৃষ্ঠা - ৫০১৭

ইমাম আহমদ ইয়াহ ইয়া সুত্রে কায়স থেকে বর্ণনা করেন ৷ কায়স বলেন, হযরত
অইিশা (রা) উন্থষ্ট্ৰর যুদ্ধে গমনকালেরাত্রিবেলা যখন বনু আমিরের কুৰ্য়ার নিকট পৌহেন ৷
তখন কুকুর ঘেউ ঘেউ করে উঠে ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কোন কুয়াে ? সাথীরা জানাল
, এটা হাওআব কুয়ো ৷ তখন তিনি বললেন, আমি ফিরে যেতে চইি ৷ তার এক সাথী তখন
বললেন, বরং সম্মুখে অগ্রসর হোন, মুসলমানগণ আপনাকে পােল হয়তো আল্লাহ তাদেরকে
সমঝোতায় এনে দিতে পারেন ৷ হযরত অইিশা বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) একদা আমাদেরকে
বলেছিলেন ৷ তোমাদের মধ্যে একজনের প্রতি যখন হাওআবের কুকুর ঘেউ ঘেউ করবে, তখন
কী অবস্থা হবে ? আবু নুআয়ম যুদ্ধ-বিখহের অধ্যায়ে এ হাদীস ইয়ায়ীদ ইবন হারুন সুত্রে
কায়স থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ এ হাদীসঢি গুনদুৱ সুত্রে ও কায়স ইবন আবু
হাযিম থেকে বর্ণনা করেন, যে অইিশা (রা) যখন হাওআব-এ উপস্থিত হন তখন কুকুরের
ঘেউ ঘেউ শুনতে পান ৷ তিনি বললেন, আমি ফিরে যাওয়া ভাল মনে করি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাদেরকে বলেছিলেন, তোমাদের মধ্যে একজনের প্রতি হাওআবের কুকুর ঘেউ ঘেউ করবে ৷
হযরত যুবায়র অইিশা (রা) কে বললেন, আপনি ফিরে যাবেন ? হতে পারে আপনার দ্বারা
আল্লাহ্ এ লোকদের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করে দিবেন ৷ বৃখারী ও মুসলিমের শর্তে এ হাদীস
উত্তীর্ণ, যদিও তারা তা উদ্ধৃত করেননি ৷

হাফিয আবু বকর আল-বায্যার মুহাম্মদ ইবন উছমান ইবন আব্বাস (রা) থেকে
বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছেন, হার আফগুসাস! তোমাদের মধ্যে কেউ একজন
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উটে আরোহণ করে সফর করবে ৷ হাওআব পর্যন্ত পৌছলে সেখানকার কুকুরগুলাে
তার প্ৰতি ঘেউ যেউ করবে ৷ তার ভাবে ও বামে বিপুল সংখ্যক লোক নিহত হবে ৷ বায্যার
বলেন, (এ সনদ ব্যতীত অন্য কোন সনদে ইবন আব্বাস থেকে এ হাদীসঢি আমার জানা নেই ৷

তাবারনী, ইবরাহীম ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হযরত
আলীর বাহিনী যখন বসরার দিকে গমন করে তখন পর্থের্তারা জানতে পান যে, বসরাবাসীগণ
তালহা ও যুবায়বরর পক্ষ সমর্থন করেছে ৷ এ সং বাদে তাদের অন্তর শংকিত হয়ে পড়লে হযরত
আলী বলেন, আল্লাহর কসম, তিনি বসরাবাসীদের উপর তােমাদেরকে বিজয়ী করবেন এবং
তালহা ও যুবায়রকে হত্যা করবেন ৷ কুফা থেকে ছয় হাজার পাচশ পঞ্চাশ বা পাচ হাজার
পাচশ’ পঞ্চাশ জন সৈন্য এসে তোমাদের সাথে মিলিত হয়ে ৷ ইবন আব্বাস বলেন, হযরত
আলীর এ কথাটি আমার অন্তরে গেড়ে বসলাে ৷ আলী যখন কুফায় উপস্থিত হন, আমি তখন
ভাবলাম , বিষয়টি যাচাই করবো; যদি আলীর কথা অনুযায়ী ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তা তিনি
রাসুলুল্পাহ্ (না) থেকে শুনেই বলে থাকবেন ৷ আর যদি তা না হয় তবে বুঝব এটা যুদ্ধের
একটি কৌশল ৷ সুতরাং একজন সৈন্যের নিকট আমি জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর কসম, সে
সামান্যতম দেরী না করেই আলী যে কথা বলেছিল সে কথাই বললে৷ ৷ ইবন আব্বাস বলেন,
ৱাসুলুল্লাহ্ (না) এ ব্যাপারেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ৷
বায়হাকী আবদুল্লাহুসালিম সুত্রে উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা তার কোন সহধর্মিণী যুদ্ধ অভিযানে বের হবেন বলে উল্লেখ করেন,
তখন হযরত অইিশা (রা) হেসে উঠেন ৷ বড়াসুলুল্লাহ্ (না) তাকে বললেন, দেখ, হে সুন্দরী !
তুমিই যেন সে মহিলা না হও ৷, তারপরে হযরত আলীর দিকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আলী ৷


عَائِشَةُ - يَعْنِي فِي مَسِيرِهَا إِلَى وَقْعَةِ الْجَمَلِ - وَبَلَغَتْ مِيَاهَ بَنِي عَامِرٍ لَيْلًا نَبَحَتِ الْكِلَابُ فَقَالَتْ: أَيُّ مَاءٍ هَذَا؟ قَالُوا: مَاءُ الْحَوْأَبِ. فَقَالَتْ: مَا أَظُنُّنِي إِلَّا رَاجِعَةً. فَقَالَ بَعْضُ مَنْ كَانَ مَعَهَا: بَلْ تَقْدَمِينَ فَيَرَاكِ الْمُسْلِمُونَ فَيُصْلِحُ اللَّهُ ذَاتَ بَيْنِهِمْ. قَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَنَا ذَاتَ يَوْمٍ: «كَيْفَ بِإِحْدَاكُنَّ تَنْبَحُ عَلَيْهَا كِلَابُ الْحَوْأَبِ؟» وَرَوَاهُ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي " الْمَلَاحِمِ "، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ بِهِ. ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ غُنْدُرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، أَنَّ عَائِشَةَ لَمَّا أَتَتْ عَلَى الْحَوْأَبِ فَسَمِعَتْ نُبَاحَ الْكِلَابِ، فَقَالَتْ: مَا أَظُنُّنِي إِلَّا رَاجِعَةً; إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَنَا: «أَيَّتُكُنَّ يَنْبَحُ عَلَيْهَا كِلَابُ الْحَوْأَبِ؟» فَقَالَ لَهَا الزُّبَيْرُ: تَرْجِعِينَ؟! عَسَى اللَّهُ أَنْ يُصْلِحَ بِكِ بَيْنَ النَّاسِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ " وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ كَرَامَةَ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ عِصَامِ بْنِ قُدَامَةَ الْبَجَلِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْتَ شِعْرِي أَيَّتُكُنَّ صَاحِبَةُ الْجَمَلِ الْأَدْبَبِ، تَسِيرُ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৫০১৮
تُنْبِحَهَا كِلَابُ الْحُوْأَبِ، يُقْتَلُ عَنْ يَمِينِهَا وَعَنْ يَسَارِهَا قَتْلَى كَثِيرٌ» ثُمَّ قَالَ: لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَادِ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَائِلَةَ الْأَصْبَهَانِيُّ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَمْرٍو الْبَجَلِيُّ، ثَنَا نُوحُ بْنُ دَرَّاجٍ، عَنِ الْأَجْلَحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا بَلَغَ أَصْحَابَ عَلِيٍّ، حِينَ سَارُوا إِلَى الْبَصْرَةِ، أَنَّ أَهْلَ الْبَصْرَةِ قَدِ اجْتَمَعُوا لِطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، شَقَّ عَلَيْهِمْ، وَوَقَعَ فِي قُلُوبِهِمْ، فَقَالَ عَلِيٌّ: وَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ لَيُظْهَرَنَّ عَلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَلَيُقْتَلَنَّ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ، وَلَيَخْرُجَنَّ إِلَيْكُمْ مِنَ الْكُوفَةِ سِتَّةُ آلَافِ وَخَمْسُمِائَةٍ وَخَمْسُونَ رَجُلًا، أَوْ خَمْسَةُ آلَافٍ وَخَمْسُمِائَةٍ وَخَمْسُونَ رَجُلًا - شَكَّ الْأَجْلَحُ - قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَوَقَعَ ذَلِكَ فِي نَفْسِي، فَلَمَّا أَتَى الْكُوفَةَ خَرَجْتُ فَقُلْتُ: لَأَنْظُرَنَّ، فَإِنْ كَانَ كَمَا يَقُولُ فَهُوَ أَمْرٌ سَمِعَهُ، وَإِلَّا فَهُوَ خَدِيعَةُ الْحَرْبِ، فَلَقِيتُ رَجُلًا مِنَ الْجَيْشِ فَسَأَلَتْهُ، فَوَاللَّهِ مَا عَتَّمَ أَنْ قَالَ مَا قَالَ عَلِيٌّ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَهُوَ مِمَّا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُخْبِرُهُ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৫০১৯

তার কোন বিষয় যদি তোমার দায়িত্বে আসে তবে তার সাথে সদর ব্যবহার করবে ৷ এ অত্যন্ত
গরীব হাদীস ৷ এর চেয়েও বেশী গরীব যা বায়হাকী হাকিম সুত্রে আবু বাকরা থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি উটের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি নাই কেন এ ব্যাপারে জিজ্ঞেসিত
হই ৷ তিনি বলেন, আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, একদল ধ্বং সকামী লোক আবির্ভুত
হবে, তারা সফলকাম হবে না ৷ তাদের নেতা হবে একজন নারী ৷ তাদের নেতা হবে জান্নাতী ৷
এ হাদীস অত্যধিক মুনকার ৷
বিশুদ্ধ ভাষ্য হচ্ছে ইমাম বুখারী হাসান বসরী আবু বাকরা থেকে যা বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আল্লাহ্ একটা কথা দ্বারা বড় উপকার করেছেন যা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে
শুনেছিলাম ৷ কথাটি এই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) স বাদ পেলেন যে, পারস্যবাসীরা একজন
মহিলাকে তাদের শাসন ক্ষমতায় বসিয়েছে ৷ তিনি সে সময় বলেন, ঐ জাতির কোন কল্যাণ
নেই, যারা নারীকে তাদের নেতা বানায় ৷
ইমাম আহমদ, মুহাম্মদ ইবন জা ফর আবু ওয়ায়ল থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
হযরত আলী আমার ওহাসানকে কুফায় প্রেরণ করেন, কুফাবাসীদেরকে যুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ
করার জন্য ৷ আমার তার ভাষণে বলেন, আমি উত্তমরুপেই জানি তিনি দৃনিয়াতে ও আখিরাতে
তার (রাসুলের) সহধর্মিণী ৷ কিন্তু তোমাদের এ দৃর্যোগময় সময়ে এর (আলীর) আনুগত্য
করবে না কি তার (অইিশার) ? বুখারী এ হাদীস বুনদার সুত্রে গুনদুর থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
উপরোক্ত সকল ঘটনা উটের যুদ্ধের সময়ে সংঘটিত হয় ৷ পরবর্তীতে হযরত অইিশা (রা) তার
এ যুদ্ধে বের হওয়ার কারণে অনুশোচনা করেন, যে বর্ণনা যথাস্থানে আসবে ৷ হযরত যুবায়র
ইবন আওয়ামও অনুরুপ অনুতপ্ত হন ৷ যুদ্ধ প্রাঙ্গণে থেকেই তিনি ভাবলেন, এ স্থানে যুদ্ধ করটিা
কোন ক্রমেই সঙ্গত হচ্ছে না; সুতরাং তিনি যুদ্ধ ত্যাগ করে চলে যান ৷
আবদুর রাজ্জাক মামার সুত্রে কাতাদা থেকে মুরসাল বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উবষ্ট্রর
যুদ্ধে যুবায়র যুদ্ধ ক্ষেত্র পরিত্যাগ করেন ৷ এ সংবাদ আলীর নিকট পৌছলে তিনি বলেন, ইবন
সাফিয়্যা যদি বুঝতেন যে, তিনি ন্যায় পথে আছেন তবে কিছুতেই যুদ্ধ ক্ষেএ ছেড়ে যেতেন না ৷
এর কারণ এই যে, একবার ঘনু সাইদার কাছারী ঘরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে এ দু জনের
মুলাকাত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে যুবায়র! তুমি কি একে (আলীকে) ভালবাস ?
যুবায়র বললেন, বাধা কিসের ? তিনি বললেন, তবে সে দিন তোমার কী হবে যখন তুমি
অন্যায় ভাবে তার বিরুদ্ধে লড়াই করবে ? কাতাদা বলেন, লোকজ্যা মনে করে, এত ভবিযদ্বাণীর
কারণেই তিনি ফিরে গিয়েছিলেন ৷
হাফিয বায়হাকী এ হাদীস ভিন্ন সনদে আবু বকরব সুত্রে আবুল আসওয়াদ থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আলী ও তার বাহিনী যখন তালহ৷ ও যুবায়রের নিকটবর্তী হয় এবং
উভয় পক্ষের সৈন্যবুহে পরস্পরের মুখোমুখি হয়, তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খচ্চরে সওয়ার
আলী বলেন, যুবায়র ইবন আওয়ামকে আমার নিকট ডেকে আন ৷ আলী অগ্রসর হলে
যুবায়রকে তার নিকট আসার জন্য বলা হয় ৷ যুবায়র আলীর এত নিকটে এসে যান যে, উভয়ের
বাহনের গলদেশ পরস্পরকে স্পর্শ করে ৷ তখন আলী বললেন, হে যুবায়র ! আল্পাহ্র কসম, সে
দিনের কথা কি তোমার স্মরণ পড়ে, যে দিন অমুক স্থানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তোমার পাশ দিয়ে
অতিক্রম করছিলেন ৷ তখন তিনি বলেছিলেন, হে যুবায়র ! তুমি কি আলীকে ভালবাস ? উত্তরে


الْحَفِيدُ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ، ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ، ثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْوَرْدِ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: ذَكَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُرُوجَ بَعْضِ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، فَضَحِكَتْ عَائِشَةُ، فَقَالَ لَهَا: " انْظُرِي يَا حُمَيْرَاءُ أَنْ لَا تَكُونِي أَنْتِ ". ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى عَلِيٍّ، وَقَالَ: " يَا عَلِيُّ، إِنْ وَلِيتَ مِنْ أَمْرِهَا شَيْئًا فَارْفُقْ بِهَا ". وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا. وَأَغْرَبُ مِنْهُ مَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ أَيْضًا، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ الصَّغَانِيِّ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ الْعَبَّاسِ الشِّبَامِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْهَجَنَّعِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: قِيلَ لَهُ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ لَا تَكُونَ قَاتَلْتَ عَلَى بَصِيرَتِكَ يَوْمَ الْجَمَلِ؟ فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: يَخْرُجُ قَوْمٌ هَلْكَى لَا يُفْلِحُونَ، قَائِدُهُمُ امْرَأَةٌ، قَائِدُهُمْ فِي الْجَنَّةِ ". وَهَذَا مُنْكَرٌ جِدًّا. وَالْمَحْفُوظُ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: نَفَعَنِي اللَّهُ بِكَلِمَةٍ سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَلَغَهُ أَنَّ فَارِسَ مَلَّكُوا عَلَيْهِمُ امْرَأَةَ كِسْرَى، فَقَالَ: «لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمُ امْرَأَةً» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ،
পৃষ্ঠা - ৫০২০
سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ قَالَ: لَمَّا بَعَثَ عَلِيٌّ عَمَّارًا وَالْحَسَنَ إِلَى الْكُوفَةِ يَسْتَنْفِرُهُمْ، خَطَبَ عَمَّارٌ فَقَالَ: إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّهَا زَوْجَتُهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، لَكِنَّ اللَّهَ ابْتَلَاكُمْ لِتَتَّبِعُوهُ أَوْ إِيَّاهَا. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ غُنْدُرٍ، وَهَذَا كُلُّهُ وَقَعَ فِي أَيَّامِ الْجَمَلِ، وَقَدْ نَدِمَتْ عَائِشَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَلَى مَا كَانَ مِنْ خُرُوجِهَا، عَلَى مَا سَنُورِدُهُ فِي مَوْضِعِهِ، وَكَذَلِكَ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ أَيْضًا تَذَكَّرَ وَهُوَ وَاقِفٌ فِي الْمَعْرَكَةِ أَنَّ قِتَالَهُ فِي هَذَا الْمَوْطِنِ لَيْسَ بِصَوَابٍ، فَرَجَعَ عَنْ ذَلِكَ. قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: لَمَّا وَلَّى الزُّبَيْرُ يَوْمَ الْجَمَلِ بَلَغَ عَلِيًّا، فَقَالَ: لَوْ كَانَ ابْنُ صَفِيَّةَ يَعْلَمُ أَنَّهُ عَلَى حَقٍّ مَا وَلَّى، وَذَلِكَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَهُمَا فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، فَقَالَ: «أَتُحِبُّهُ يَا زُبَيْرُ؟ " فَقَالَ: وَمَا يَمْنَعُنِي؟ قَالَ: " فَكَيْفَ بِكَ إِذَا قَاتَلْتَهُ وَأَنْتَ ظَالِمٌ لَهُ؟» قَالَ: فَيَرَوْنَ أَنَّهُ إِنَّمَا وَلَّى لِذَلِكَ وَهَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ أَسْنَدَهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ فَقَالَ: أَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْقَاضِي، ثَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ مَطَرٍ، أَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَوَّارٍ الْهَاشِمِيُّ الْكُوفِيُّ، ثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَجْلَحِ، ثَنَا أَبِي، عَنْ يَزِيدَ الْفَقِيرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: وَسَمِعْتُ فَضْلَ بْنَ فَضَالَةَ يُحَدِّثُ أَبِي، عَنْ أَبِي حَرْبِ بْنِ أَبِي الْأَسْوَدِ الدِّيلِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، دَخَلَ حَدِيثَ أَحَدِهِمَا فِي حَدِيثِ صَاحِبِهِ، قَالَ: لَمَّا دَنَا عَلِيٌّ وَأَصْحَابُهُ مِنْ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، وَدَنَتِ الصُّفُوفُ بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ، خَرَجَ عَلِيٌّ وَهُوَ عَلَى بَغْلَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
পৃষ্ঠা - ৫০২১


তুমি বলেছিলে, সে আমার মানতে তাই, চাচাত ভাই ও দীনী তাই তাকে কেন ভালবাসব না?
তারপর তিনি বললেন, হে আলী তুমি কি ভাবে ভড়ালবাস ? আমি বলেছিলাম, ইয়া

রাসুলাল্লাহ্! আমার ফুফাত ভাই ও দীনী ভাইকে কেন তালবাসব না ? তিনি বললেন, যে
যুবায়র! আল্লাহ্র কলম, তুমি তো তার বিরুদ্ধে জালিমের ভুমিকায় থেকে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করবে ৷ যুবায়র বললেন৪ হা, আল্লাহ্র শপথ, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট থেকে শ্রবভ্রুণর পর
থেকে এ কথা আমি ভুলেই গিয়েছিলড়াম, এখন স্মরণ পড়ছে, কসম আল্লাহ্র, আমি আর
আপনার বিরুদ্ধে লড়বাে না ৷ এ কথা বলে যুবায়র বাহনে চড়ে ব্যুহের মধ্য দিয়ে ছুটে চললেন ৷
সম্মুখে আপন পুত্র আবদুল্লাহ্র সাথে তার সাক্ষাৎ হয় ৷ পুত্র জিজ্ঞেস করেন, কী হয়েছে
আপনার? যুবায়র বললেন, আলী আমাকে একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যা আমি
রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট থেকে শুনেছিলাম ৷ রাসুলুন্নাহ্ (সা) বলেছিলেন, তুমি জালিমের
ভুমিকায় থেকে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ৷ সুতরাং আমি আর তার বিরুদ্ধে লড়াই করবো না ৷
আবদুল্লাহ বললেন, আপনি কি যুদ্ধ করার জন এসেছেন ? আপনিতাে এসেছেন লোকদের
মধ্যে আপোস করে দেয়ার উদ্দেশ্যে যাতে আল্লাহ্ এ বিরোধের অবসান করে দেন ৷ যুবায়র
বললেন, আমি কসম করেছি যে তার বিরুদ্ধে লড়বাে না ৷ আবদুল্লাহ বললেন, তা হলে আপনি
একটি দাস মুক্ত করে দিন এবং এখানে অবস্থান করে লোকের মধ্যে আপােসের ব্যবস্থা করুন ৷
সুতরাং তিনি তার দাসটিকে মুক্ত করে দিয়ে সেখানে অবস্থান করেন ৷ কিং,ষ্কৃ লোকদের মধ্যে
বিরাে ধ যখন চরমে উঠে তখন তিনি ঘোড়ার চড়ে স্থান ত্যাগ করেন ৷

বায়হাকী হাফিয আবু আবদুল্লাহ্ সুত্রে আবু ওজরা আল মাযিনী থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি ওনেছি, আলী যুবায়য়কে বলছেন, হে যুবায়র! আল্লাহ্র কসম, তুমি কি রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে এ কথা বলতে শোননি যে, তুমি আমার সাথে অন্যায়তাবে যুদ্ধ করবে ? যুবায়র
বললেন, ই৷ শুনেছি ৷ তবে তা আমি ভুলে পিয়েছিলাম ৷ পুর্বের বর্ণনার ন্যায় এ বর্ণনাটিও গরীব
পর্যায়ের ৷

বায়হাকী হুযায়ল ইবন বিলাল সুত্রে আবদুর রহমান এর মাধমে “আলী (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন লোককে দেখতে চার, বার
কতিপয় অঙ্গ তার অপ্রভাগে জান্নাতের দিকে ধাবমান, তবে সে যেন যায়দ ইবন সাওহানের
প্রতি লক্ষ্য করে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এই যায়দই উটের যুদ্ধে আলীর পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন
ছযায়ল ইবন বিলাল হাদীস বর্ণনায় যঈফ ৷

বুথারী ও মুসলিমে হাম্মাম ইবন মুনাব্বিহ সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না, বড়দিন এমন দু’টি বিশাল
বাহিনী পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত না হবে যাদের দাবি হয়ে এক ও অভিন্ন ৷ ইমাম বুথারী এ হাদীসটি
আরাজ সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে এবং আবু সালামা সুত্রেও আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ উক্ত দু’টি দল হলো উটের যুদ্ধে ও সিফ্ফীনের যুদ্ধে অংশগ্নহণকারীগণ ৷ কারণ,
উভয় যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের আহ্বান একই ইসলামের দিকে ছিল ৷ বিরোধ যা জ্জি, তা ছিল
রঞ্জীয় ব্যাপারে এবং জনগণ ও প্রজা সাধারণের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৷ অবশ্য যুদ্ধ না করাই যুদ্ধ
করার চেয়ে উত্তম ছিল-অধিকাংশ সাহাবীগণের মতামতও তাই ছিল ৷ এ সম্পর্কে আলোচনা
আমরা পরে করছি ৷

— : ১


فَنَادَى: ادْعُوا لِيَ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ، فَإِنِّي عَلِيٌّ. فَدُعِيَ لَهُ الزُّبَيْرُ فَأَقْبَلَ حَتَّى اخْتَلَفَتْ أَعْنَاقُ دَوَابِّهِمَا، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا زُبَيْرُ، نَاشَدْتُكَ بِاللَّهِ «أَتَذْكُرُ يَوْمَ مَرَّ بِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَانَ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ: " يَا زُبَيْرُ، تُحِبُّ عَلِيًّا؟ " فَقُلْتَ: أَلَا أُحِبُّ ابْنَ خَالِي وَابْنَ عَمِّي وَعَلَى دِينِي؟ فَقَالَ: " يَا عَلِيٌّ، أَتَحِبُّهُ؟ " فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَا أُحِبُّ ابْنَ عَمَّتِي وَعَلَى دِينِي؟ فَقَالَ: " يَا زُبَيْرُ أَمَا وَاللَّهِ لَتُقَاتِلَنَّهُ وَأَنْتَ ظَالِمٌ لَهُ» فَقَالَ الزُّبَيْرُ: بَلَى. وَاللَّهِ لَقَدْ نَسِيتُهُ مُنْذُ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرْتُهُ الْآنَ، وَاللَّهِ لَا أُقَاتِلُكَ. فَرَجَعَ الزُّبَيْرُ عَلَى دَابَّتِهِ يَشُقُّ الصُّفُوفَ، فَعَرَضَ لَهُ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ فَقَالَ: مَالَكَ؟ فَقَالَ: ذَكَّرَنِي عَلِيٌّ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَمِعْتُهُ وَهُوَ يَقُولُ: «لَتُقَاتِلَنَّهُ وَأَنْتَ ظَالِمٌ لَهُ» . فَلَا أُقَاتِلُهُ. فَقَالَ: وَلِلْقِتَالِ جِئْتَ؟! إِنَّمَا جِئْتَ تُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ، وَيُصْلِحُ اللَّهُ هَذَا الْأَمْرَ. قَالَ: قَدْ حَلَفْتُ أَنْ لَا أُقَاتِلَهُ. قَالَ: فَأَعْتِقَ غُلَامَكَ جِرْجِسَ، وَقِفْ حَتَّى تُصْلِحَ بَيْنَ النَّاسِ. فَأَعْتَقَ غُلَامَهُ وَوَقَفَ، فَلَمَّا اخْتَلَفَ أَمْرُ النَّاسِ ذَهَبَ عَلَى فَرَسِهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَأَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنَا الْإِمَامُ أَبُو الْوَلِيدِ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ، ثَنَا قُطْنُ بْنُ نُسَيْرٍ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّقَاشِيُّ، ثَنَا جَدِّي وَهُوَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي جَرْوَةَ الْمَازِنِيِّ قَالَ: «سَمِعْتُ عَلِيًّا وَالزُّبَيْرَ وَعَلِيٌّ يَقُولُ لَهُ: نَاشَدْتُكَ اللَّهَ يَا زُبَيْرُ، أَمَا سَمِعْتَ
পৃষ্ঠা - ৫০২২
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّكَ تُقَاتِلُنِي وَأَنْتَ لِي ظَالِمٌ؟ قَالَ: بَلَى وَلَكِنِّي نَسِيتُ» . وَهَذَا غَرِيبٌ كَالسِّيَاقِ الَّذِي قَبِلَهُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْهُذَيِلِ بْنِ بِلَالٍ، وَفِيهِ ضَعْفٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَسْعُودٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ يَسْبِقُهُ بَعْضُ أَعْضَائِهِ إِلَى الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى زَيْدِ بْنِ صُوحَانَ» ". قُلْتُ: قُتِلَ زَيْدٌ هَذَا فِي وَقْعَةِ الْجَمَلِ مِنْ نَاحِيَةِ عَلِيٍّ وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَقْتَتِلَ فِئَتَانِ عَظِيمَتَانِ، دَعَوَاهُمَا وَاحِدَةٌ» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِثْلَهُ وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَهَاتَانِ الْفِئَتَانِ هُمَا أَصْحَابُ الْجَمَلِ، وَأَصْحَابُ صِفِّينَ. فَإِنَّهُمَا جَمِيعًا يَدْعُونَ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَإِنَّمَا يَتَنَازَعُونَ فِي شَيْءٍ مِنْ أُمُورِ الْمُلْكِ، وَمُرَاعَاةِ الْمَصَالِحِ الْعَائِدِ نَفْعُهَا عَلَى الْأُمَّةِ وَالرَّعَايَا، وَكَانَ تَرْكُ الْقِتَالِ أَوْلَى مِنْ فِعْلِهِ، كَمَا هُوَ مَذْهَبُ جُمْهُورِ الصَّحَابَةِ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ.
পৃষ্ঠা - ৫০২৩

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ড়ান আবুল ইয়ামন সুত্রে সাফ্ওয়ান ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, সিরীয় বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা ছিল ষাট হাজার ৷ তার মধ্যে বিশ হাজারই নিহত
হয় ৷ পক্ষান্তরে ইরাকী বাহিনীর সৈন্য সং খ্যা ছিল এক লক্ষ বিশ হাজার ৷ তার মধ্যে চল্লিশ
হাজার নিহত হয় ৷ ত,বে দু দলের মধ্যে আলী ও তার সঙ্গীগণ মু আবিয়া ও তার সাথীগণের
চাইতে ন্যায়ের অধিকতর নিকটবর্তী ছিলেন ৷ মু আবিয়ার পক্ষ ছিল বিদ্রোহী ৷ যেমন মুসলিম
শরীফে শুবা আবু সাঈদ থুদরী সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার চাইতে যিনি উত্তম
সেই আবু কাতাদা আমাকে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমারকে, বলেছিলেন, তোমাকে
বিদ্রোহী দল হত্যা করবে ৷ ইমাম মুসলিম এ ব্যাপারে ইবন আলিয়ার হাদীস উম্মে সালামা
থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আমারকে বিদ্রোহী দল হত্যা করবে ৷ অপর
এক বর্ণনায় এসেছে, আমারের হত্যাকারী জাহান্নামী ৷ ইতিপুর্বে প্রথম হিজরী সনে মসজিদে
নববী নির্মাণ সংক্রান্ত আলোচনায় এ হাদীসটি বিভিন্ন সনদে উল্লেখিত হয়েছে ৷ সেই বর্ণনায়
রাফিযী (গৌড়) শিয়া) সম্প্রদায়ের কিছু কথার সংযোজন আছে যে “ ঐ বিদ্রোহী দল কিয়ামতে
আমার শাফাআত থেকে বঞ্চিত থাকবে” কিন্তু এর কোন নির্ভরযোগ্য ভিত্তি নেই, এটা
রাফিযীদের মনগড়া কথা ৷

বায়হাকী আমার ইবন ইয়াসিরের পৌত্র আবুউবায়দা ইবন মুহাম্মদ সুত্রে আমারের জনৈকা
আযাদকৃত দাসী থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার আমার ণ্রাগাক্রাস্ত হন ৷ এ কারণে
তার শরীর অত্যধিক দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ এমন কি তিনি ণ্বহুশ হয়ে যান ৷ আমরা তার পাশে বসে
কান্নাকাটি করি ৷ ছুশ ফিরে আসলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কান্নাকাটি করছ কেন?

তোমরা কি ভয় পাচ্ছ যে, আমি এভাবে বিছানায় থেকে মারা যাব ? আমার প্রিয় রাসুল (সা)

আমাকে জানিয়েছেন, আমাকে একটি বিদ্রোহী দল হত্যা করবে এবং আমার অন্তিম আহার্য
হয়ে এক ঢোক দুধ ৷

ইমামুআহমদ ওকী আবুল বুখতারী সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, সিফ্ফীনের
যুদ্ধ কালে আমার বলেছিলেন, আমাকে একটু দুধ দাও, কারণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, এই
দুনিয়া থেকে বিদায়লপ্লেতু মি যা পান করবে তা হবে দুধ ৷ অতঃপর তিনি দুধ পান করে অগ্রসর
হলে নিহত হন ৷ আবদুর রহমান আবুল বুখতারী সুত্রে বর্ণনা করেন, আমার ইবন
ইয়াসিরের নিবল্ট এক পাত্র দুধ আনা হলে তিনি ৫হসে দিয়ে বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
বলেছিলেন, তুমি যে দিন মৃত্যুবরণ করবে সেকাি তোমার সর্বশেষ পানীয় হবে দুধ ৷

বায়হাকী আবুল জাদের পুত্র সালিম (আবদ্বষ্মস্বহ্) ইবন মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা)-ণ্ক বলতে শুনেছি যে, মানুষের মধ্যে যখন মতদ্বৈততার সৃষ্টি
হবে তখন সুমাইয়ার পুত্র (অর্থাৎ আমার) ন্যায়ের উপর থাকবে ৷ ৷ ১ ৷
ড্রু,১৷ ৷ র্ট হু , ৷ আর একথা সকলেরই জানা আছে যে, সিফ্ফীনের যুদ্ধে আমার হযরত
আলীর দলে ছিলেন এবং মুআবিয়ার সিরীয় বাহিনী তাকে হত্যা করেছিল ৷ যে দুর্বৃত্ত আমারকে
হত্যা করার দায়িতৃ গ্রহণ করে তার নাম আবুল ফাদিয়া, কারও মতে তার হত্যাকারী জনৈক
সাহাবী ৷
আবু উমর ইবন আবদুল বর প্রভৃতি সাহাবী চরিত্র রচয়িতাগণ লিখেছেন, আমারেৱ
হত্যাকারীয় নাম ছিল আবুল ফাদিয়া মুসলিম, কেউ বলেছেন কুজাআ গোত্রের বা মুযানী


وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، ثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: كَانَ أَهْلُ الشَّامِ سِتِّينَ أَلْفًا، فَقُتِلَ مِنْهُمْ عِشْرُونَ أَلْفًا، وَكَانَ أَهْلُ الْعِرَاقِ مِائَةً وَعِشْرِينَ أَلْفًا، فَقُتِلَ مِنْهُمْ أَرْبَعُونَ أَلْفًا. وَلَكِنْ كَانَ عَلِيٌّ وَأَصْحَابُهُ أَدْنَى الطَّائِفَتَيْنِ إِلَى الْحَقِّ مِنْ أَصْحَابِ مُعَاوِيَةَ، وَأَصْحَابُ مُعَاوِيَةَ كَانُوا بَاغِينَ عَلَيْهِمْ، كَمَا ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي مَسْلَمَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي - يَعْنِي أَبَا قَتَادَةَ - «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَمَّارٍ: " تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» وَرَوَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَقْتُلُ عَمَّارًا الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» وَفِي رِوَايَةٍ: «وَقَاتِلُهُ فِي النَّارِ» . وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِطُرُقِهِ عِنْدَ بِنَاءِ الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ فِي أَوَّلِ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ، وَمَا يَزِيدُهُ بَعْضُ الرَّافِضَةِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مِنْ قَوْلِهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ: «لَا أَنَالَهَا اللَّهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . فَلَيْسَ لَهُ أَصْلٌ يَعْتَمِدُ عَلَيْهِ، بَلْ هُوَ مِنَ اخْتِلَاقِ الرَّوَافِضِ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، عَنْ مَوْلَاةٍ لِعَمَّارٍ قَالَتْ: اشْتَكَى عَمَّارٌ شَكْوَى أَرِقَ مِنْهَا، فَغُشِيَ عَلَيْهِ فَأَفَاقَ وَنَحْنُ نَبْكِي حَوْلَهُ، فَقَالَ مَا تَبْكُونَ؟ أَتَخْشَوْنَ أَنْ أَمُوتَ عَلَى فِرَاشِي؟ «أَخْبَرَنِي
পৃষ্ঠা - ৫০২৪
حَبِيبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ تَقْتُلُنِي الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ، وَأَنَّ آخِرَ زَادِي مِنَ الدُّنْيَا مَذْقَةٌ مِنْ لَبَنٍ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنِي وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ قَالَ: قَالَ عَمَّارٌ يَوْمَ صِفِّينَ: ائْتُونِي بِشَرْبَةِ لَبَنٍ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «آخَرُ شَرْبَةٍ تَشْرَبُهَا مِنَ الدُّنْيَا شَرْبَةُ لَبَنٍ» . فَشَرِبَهَا ثُمَّ تَقَدَّمَ فَقُتِلَ. وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ أُتِيَ بِشَرْبَةِ لَبَنٍ فَضَحِكَ وَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِي آخَرُ شَرَابٍ أَشْرَبُهُ لَبَنٌ حِينَ أَمُوتُ» . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «إِذَا اخْتَلَفَ النَّاسُ كَانَ ابْنُ سُمَيَّةَ مَعَ الْحَقِّ» . وَمَعْلُومٌ أَنَّ عَمَّارًا كَانَ فِي جَيْشِ عَلِيٍّ يَوْمَ صِفِّينَ، وَقَتَلَهُ أَصْحَابُ مُعَاوِيَةَ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، وَكَانَ الَّذِي تَوَلَّى قَتْلَهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: أَبُو الْغَادِيَةِ. رَجُلٌ مِنْ أَفْنَادِ النَّاسِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ صَحَابِيٌّ. وَقَدْ ذَكَرَهُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ وَغَيْرُهُ فِي أَسْمَاءِ الصَّحَابَةِ، وَهُوَ أَبُو الْغَادِيَةِ مُسْلِمٌ، وَقِيلَ: يَسَارُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫০২৫

গোত্রের ইয়াসার ইবন উযায়হির আল জুহানী, কারও মতে ৩উক্ত দুজনেই হত্যা করেছে ৷
হত্যাকারী প্রথমে সিরিয়ার এবং পরে ওয়াসিতে বসবাস করে ৷ ইমাম আহমদ তার থেকে
একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন, অন্যরা করেছেন আরও একটি ৷ বর্ণনাকারীগণ তার পরিচয় দিতে
গিয়ে বলেছেন, ইনি হ্চ্ছেন আম্মার ইবন ইয়াসারের হত্যাকারী ৷ তিনি দ্বিধাহীন চিত্তে কিভাবে
আম্মারকে হত্যা করেছেনতা বর্ণনা করতেন ৷ মুআবিয়ার শাসনামলে সিফ্ফীনের যুদ্ধের
আলোচনায় আষ্মারের হত্যা প্রসঙ্গে আমরা তার জীবন কথা উল্লেখ করবো ৷ তবে হত্যাকারীকে
যারা বদরী সাহাবী বলেছেন তারা ভুল বলেছেন ৷

, ইমাম আহমদ, ইয়াযীদ ইবন হারু ন হানযালা ইবন খুওয়ায়লিদ আল আনাযী থেকে
বর্ণনা করেন ৷ হানযালা বলেন, একদা আমি মু আবিয়ার নিকট উপস্থিত ছিলাম; এমন সময়
তার কাছে দু’জন লোক এসে আম্মারের মস্তক নিয়ে বিতর্ক করছিল ৷ প্রত্যেকেই দাবি করছিল,
আমিই তাকে হত্যা করেছি ৷ আব্দুল্লাহ ইবন আমর (ইবনুল অসে) বললেন, তোমরা এমন
একজন লোককে হত্যা করে একে অপরের উপর আনন্দ প্রকাশ করছ; অথচআমি রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে বলতে শুনেছিণ্ যে, তাকে (অর্থাৎ আম্মারকে) বিদ্রোহীরা হত্যা করবে ৷ তখন
মুআবিয়া বললেন, হে আমর, তোমার এ পাগলকে বের করে দাও ! তবে আমাদের সম্পর্কে
তোমার কী ধারণা ? আবদুল্লাহ বললেন, আমার পিতা আমার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নিকট অভিযোগ করলে তিনি বলেছিলেন, তোমার পিতা যতদিন জীবিত থাকেন ততদিন তার
বাধ্য থাকবে, অবাধ্য হবে না ৷ সুতরাং আমি আপনাদের দলে আছি; কিন্তু আমি যুদ্ধ করব না ৷ ৰু
ইমাম আহমদ, আবু মুয়াবিয়া আবদুল্লাহ্ ইবন হারছ ইবন নওফল থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, সিফ্ফীনের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় আমি মুআবিয়ার সাথে
ছিলাম ৷ মুআবিয়া ও আমর ইবন অংশের মধ্যে আমার অবস্থান ছিল ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন
আমর বললেন, হে পিতা, আপনি কি পোনেননি ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) আষ্মারকে বলেছিলেন, হার,
হে সুমইিয়ার পুত্রশু তুমি তাে বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হবে ! আমর তখন মুআবিয়াকে ডেকে
বলেন, এ কি বলে তা কি শুনছেন ? মু আবিয়া বললেন, আমাদের নিকট সর্বদা তার
অবাধ্যতার স বাদ পৌছেছে ৷ তাকে কি হত্যা আমরা করেছি ৷৩ তাকে হত্যা করেছে ওরইি, যারা
তাকে সাথে নিংয় এসেছিল ৷ আবু নু য়ায়েম আবদুর রহমান ইবন আবু বিমান থেকে ইমাম
আহমদ অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এ ক্ষেত্রে মুআবিয়ার উক্তি যে, তাকে সেই হত্যা করেছে যে
তাকে আমাদের তলোয়ারের দিকে ডেকে এসেছে-এ কথাটি অবাস্তব ব্যাখ্যা ৷ কারণ, এর দ্বারা
তাহলে এ কথাই প্রমাণ হয় যে, আল্লাহর পথে যারা জিহাদে আসে তাদের সেনাপতিই তাদের
হত্যাকারী হয়; কেননা, তিনিই তাদেরকে শত্রুর তরবারীর সামনে দাড় করান ৷

আবদুর রাজ্জাক ইবন উয়ায়না মিসওয়ার ইবন মাখরামা থেকে বর্ণনা করেন ৷ একদা
উমর (রা)১ আবদুর রহমান ইবন আওফকে বলেন, আপনার কি জানা নেই ? আমরা তিলাওত
করে থাকিষ্ া৷হ্ন্,১ ;,; এ ৷ পে ৷ ,ঞান্, “এবং জিহাদ কর আল্পাহ্র পথে যেভাবে জিহাদ
করা উচিত” ৷ এ জিহাদ করতে হয়ে শেষ যুগেও যেরুপে আপনারা করেছেন প্রথম যুগে ৷
আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা), বললেন, হে আমীরুল মু মিনীন!১ সে যুগ কখন আসবে?

১ রাবীৱ আমীরুল মুমিনীন সম্বোধন থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, এখানে কখােপকথন হয়েছিল হযরত উমরের
সাথে ৷ কিভ্ এটি মুলে আমর শব্দ রয়েছে যা মুদ্রণপ্রমাদ হতে পারে ৷ সম্পাদকদ্বয়


أُزَيْهِرٍ الْجُهَنِيُّ مِنْ قُضَاعَةَ. وَقِيلَ: مُزَنِيٌّ. وَقِيلَ: هُمَا اثْنَانِ. سَكَنَ الشَّامَ، ثُمَّ صَارَ إِلَى وَاسِطٍ، رَوَى لَهُ أَحْمَدُ حَدِيثًا، وَلَهُ عِنْدُ غَيْرِهِ آخَرُ، قَالُوا: وَهُوَ قَاتِلُ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ. وَكَانَ يَذْكُرُ صِفَةَ قَتْلِهِ لِعَمَّارٍ لَا يَتَحَاشَى مِنْ ذَلِكَ، وَسَنَذْكُرُ تَرْجَمَتَهُ عِنْدَ قَتْلِهِ لِعَمَّارٍ أَيَّامَ مُعَاوِيَةَ فِي وَقْعَةِ صِفِّينَ، وَأَخْطَأَ مَنْ قَالَ: كَانَ بَدْرِيًّا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ثَنَا الْعَوَّامُ، حَدَّثَنِي ابْنُ مَسْعُودٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ خُوَيْلِدٍ الْعَنْزِيِّ قَالَ: بَيْنَا أَنَا عِنْدَ مُعَاوِيَةَ إِذْ جَاءَهُ رَجُلَانِ يَخْتَصِمَانِ فِي رَأْسِ عَمَّارٍ، يَقُولُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا: أَنَا قَتَلْتُهُ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو: لِيَطِبْ بِهِ أَحَدُكُمَا نَفْسًا لِصَاحِبِهِ، فَإِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» . فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَلَا تُغْنِيَ عَنَّا مَجْنُونَكَ يَا عَمْرُو! فَمَا بَالُكَ مَعَنَا؟ قَالَ: إِنَّ أَبِي شَكَانِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَطِعْ أَبَاكَ مَا دَامَ حَيًّا وَلَا تَعْصِهِ " فَأَنَا مَعَكُمْ وَلَسْتُ أُقَاتِلُ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ قَالَ: إِنِّي لَأَسِيرُ مَعَ مُعَاوِيَةَ مُنْصَرَفَهُ مِنْ صِفِّينَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو: يَا أَبَتِ، أَمَا سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِعَمَّارٍ: «وَيْحَكَ يَا ابْنَ سُمَيَّةَ تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» . قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫০২৬
فَقَالَ عَمْرٌو لِمُعَاوِيَةَ: أَلَا تَسْمَعُ مَا يَقُولُ هَذَا؟ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: لَا يَزَالُ يَأْتِينَا بِهِنَةٍ، أَوَ نَحْنُ قَتَلْنَاهُ؟! إِنَّمَا قَتَلَهُ الَّذِينَ جَاءُوا بِهِ. ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ. فَقَوْلُ مُعَاوِيَةَ: إِنَّمَا قَتَلَهُ مَنْ قَدَّمَهُ إِلَى سُيُوفِنَا. تَأْوِيلٌ بَعِيدٌ جِدًّا، إِذْ لَوْ كَانَ كَذَلِكَ لَكَانَ أَمِيرُ الْجَيْشِ هُوَ الْقَاتِلُ لِلَّذِينِ يُقْتَلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، حَيْثُ قَدَّمَهُمْ إِلَى سُيُوفِ الْأَعْدَاءِ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَ: عُمَرُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّا كُنَّا نَقْرَأُ: {وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ} [الحج: 78] . فِي آخِرِ الزَّمَانِ، كَمَا جَاهَدْتُمْ فِي أَوَّلِهِ. فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: وَمَتَى ذَلِكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: إِذَا كَانَ بَنُو أُمَيَّةَ الْأُمَرَاءَ، وَبَنُو الْمُغِيرَةِ الْوُزَرَاءَ ذَكَرَهُ الْبَيْهَقِيُّ هَا هُنَا، وَكَأَنَّهُ يَسْتَشْهِدُ بِهِ عَلَى مَا عَقَدَ لَهُ الْبَابَ بَعْدَهُ مِنْ ذِكْرِ الْحَكَمَيْنِ وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمَا، فَقَالَ: بَابُ مَا جَاءَ فِي إِخْبَارِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَكَمَيْنِ اللَّذَيْنِ بُعِثَا فِي زَمَنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫০২৭
الْفَضْلِ، ثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، وَحَبِيبِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سُوِيدِ بْنِ غَفَلَةَ قَالَ: إِنِّي لَأَمْشِي مَعَ عَلَيٍّ بِشَطِّ الْفُرَاتِ فَقَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ اخْتَلَفُوا فَلَمْ يَزَلِ اخْتِلَافُهُمْ بَيْنَهُمْ حَتَّى بَعَثُوا حَكَمَيْنِ فَضَلَّا وَأَضَلَّا، وَإِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ سَتَخْتَلِفُ فَلَا يَزَالُ اخْتِلَافُهُمْ بَيْنَهُمْ حَتَّى يَبْعَثُوا حَكَمَيْنِ ضَلَّا وَأَضَلَّا مَنِ اتَّبَعَهُمَا» هَكَذَا أَوْرَدَهُ وَلَمْ يُبَيِّنْ شَيْئًا مِنْ أَمْرِهِ، وَهُوَ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ جِدًّا وَآفَتُهُ مِنْ زَكَرِيَّا بْنِ يَحْيَى هَذَا، وَهُوَ الْكِنْدِيُّ الْحِمْيَرِيُّ الْأَعْمَى قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: لَيْسَ بِشَيْءٍ. وَالْحَكَمَانِ كَانَا مِنْ خِيَارِ الصَّحَابَةِ، وَهُمَا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ السَّهْمِيُّ مِنْ جِهَةِ أَهْلِ الشَّامِ، وَالثَّانِي أَبُو مُوسَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ الْأَشْعَرِيُّ، مِنْ جِهَةِ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَإِنَّمَا نُصِبَا لِيُصْلِحَا بَيْنَ النَّاسِ وَيَتَّفِقَا عَلَى أَمْرٍ فِيهِ رِفْقٌ بِالْمُسْلِمِينَ، وَحَقْنٌ لِدِمَائِهِمْ، وَكَذَلِكَ وَقَعَ، وَلَمْ يَضِلَّ بِسَبَبِهِمَا إِلَّا فِرْقَةُ الْخَوَارِجِ حَيْثُ أَنْكَرُوا عَلَى الْأَمِيرَيْنِ التَّحْكِيمَ، وَخَرَجُوا عَلَيْهِمَا وَكَفَّرُوهُمَا، حَتَّى قَاتَلَهُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَنَاظَرَهُمُ ابْنُ عَبَّاسٍ، فَرَجَعَ مِنْهُمْ شِرْذِمَةٌ إِلَى الْحَقِّ، وَاسْتَمَرَّ بَقِيَّتُهُمْ حَتَّى قُتِلَ أَكْثَرُهُمْ بِالنَّهْرَوَانِ وَغَيْرُهُ مِنَ الْمَوَاقِفِ الْمَرْذُولَةِ عَلَيْهِمْ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ.
পৃষ্ঠা - ৫০২৮

তিনি বললেন, যখন বনু উমাইয়া বাদশাহ হবে এবং বনু মুগীর৷ হবে উযীর ৷ বায়হাকীও এ
বর্ণনাঢি উল্লেখ করেন এবং বলেন৪ এতে তিনি পরবউকািলে নিযুক্ত সালিশদ্বয়ের দিকেই
ইঙ্গিত করেছেন ৷

হযরত আলী (রা)-এর শাসনকালে নিযুক্ত সালিশদ্বয়ের
ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

বায়হাকী, আলী ইবন আহমদ, সুওয়ায়দ ইবন পাফালা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একদা আমি ও আলী (রা) একত্রে ফুরাতের তীর দিয়ে যাচ্ছিলাম ৷ তিনি আমাকে বলছিলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে চরম আকারে মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তারা
দু’জন সালিশ নিয়োগ করে ৷ কিন্তু সালিশদ্বয় নিজেরাও পথভ্রষ্ট হয় এবং অনুসারীদেরকেও
পথভ্রষ্ট করে ছাড়ে ৷ অনুরুপ এই উন্মতের মধ্যেও শীঘ্রই মতভেদ সৃষ্টি হবে এবং তা ক্রমাগত
বৃদ্ধি পাবে ৷ অবশেষে জনগণ দুজন সালিশ নিযুক্ত করবে ৷ কিন্তু তারাও পথভ্রষ্ট হবে এবং
তাদের অনুসারীদেরকেও পথভ্রষ্ট করবে ৷ সুওয়ায়দ এভাবেই বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আলীর
কোন বিষয় সম্পর্কে কিছুই বলেননি ৷ এটা সম্পুর্ণ মুনকার বর্ণনা ৷ মুনাকারের কারণ যাকারিয়া
ইবন ইয়াহ্ইয়া নামক জনৈক বর্ণনাকারী ৷ তিনি কিনদার হিময়ারী গোত্রের লোক এবং অন্ধ
ছিলেন ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন মাঈন একে নির্ভরযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ৷ যে দু’জ্যা সালিশ
নিযুক্ত হয়েছিলেন তারা উভয়েই ছিলেন প্রথম শ্রেণীর সাহাবী ৷ একজন হলেন আমর ইবনুল
আস ৷ তিনি সিরীয় বাহিনীর মনোনীত ৷ অন্যজন আবু মুসা “আবদুল্লাহ ইবন কায়স
আল-আশআরী ৷ তিনি ইরাকী পক্ষের মনোনীত ৷ তাদেরকে নিযুক্ত করা হয়েছিল মীমাংসার
জন্য এবং আলোচনার মাধ্যমে এমন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য, যাতে মানুষের
মধ্যে শান্তি পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং রক্তপাত বন্ধ হয় ৷ মীমাংসা ড্ডাপই হয়েছে ৷ আর তাদের
কারণে খারিজী সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কেউ বিভ্রান্ত হয়নি ৷ খারেজীগণ আমীরদ্বয়ের (আলী ও
মুআবিয়া) উপর সালিশীকে অস্বীকার করে, উভয়কে অমান্য করে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
করে ৷ হযরত আলী (রা)ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন, হযরত ইবন আব্বাস (বা) তাদের
বুঝাবার প্রয়াস পান ৷ ফলে তাদের কিছু অংশ সঠিক পথে ফিরে আসে এবং যারা অবশিষ্ট থাকে
তাদের অধিকাৎশই নাহরাওয়ানের যুদ্ধে এবং অন্যান্য স্থানে লান্থনাজনক ভাবে নিহত হয় ৷
এদের সম্পর্কে আলোচনা পরে আসবে ৷

খারিজী সম্প্রদায়ের আত্মপ্রকাশ ও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম বুখারী আবুল ইয়ামান আবু সাঈদ থুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, একদা আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট বসা ছিলাম ৷ তিনি গনীমতের মাল বন্টন
করছিলেন ৷ এ সময় বনুত তামীমের যুলখুওয়ায়সিরা নামক এক ব্যক্তি এসে উপস্থিত হয় ৷ সে
বলে, হে আল্লাহ্র রাসুল ! ইনসাফ করুন ৷ তিনি বললেন, তোমার জন্য দুর্তোগ, আমি ছাড়া


[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ خُرُوجِ الْخَوَارِجِ] ذِكْرُ إِخْبَارِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ خُرُوجِ الْخَوَارِجِ وَقِتَالِهِمْ وَعَلَامَاتِهِمْ بِالرَّجُلِ الْمُخَدَّجِ ذِي الثُّدَيَّةِ، فَوُجِدَ ذَلِكَ فِي خِلَافَةِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، ثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ: «بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُقْسِمُ قَسَمًا، أَتَاهُ ذُو الْخُوَيْصِرَةِ وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اعْدِلْ. فَقَالَ: " وَيْلَكَ، وَمَنْ يَعْدِلُ إِذْ لَمْ أَعْدَلْ، قَدْ خِبْتُ وَخَسِرْتُ إِنْ لَمْ أَكُنْ أَعْدِلُ ". فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ائْذَنْ لِي فِيهِ فَأَضْرِبَ عُنُقَهُ. فَقَالَ " دَعْهُ فَإِنَّ لَهُ أَصْحَابًا يَحْقِرُ أَحَدُكُمْ صَلَاتَهُ مَعَ صَلَاتِهِمْ، وَصِيَامَهُ مَعَ صِيَامِهِمْ، يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، يَنْظُرُ إِلَى نَصْلِهِ فَلَا يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ ثُمَّ يَنْظُرُ إِلَى رِصَافِهِ فَلَا يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، ثُمَّ يَنْظُرُ إِلَى نَضِيِّهِ، وَهُوَ قِدْحُهُ، فَلَا يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ ثُمَّ يَنْظُرُ إِلَى قُذَذِهِ فَلَا
পৃষ্ঠা - ৫০২৯
يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، قَدْ سَبَقَ الْفَرْثَ وَالدَّمَ، آيَتُهُمْ رَجُلٌ أَسْوَدُ، إِحْدَى عَضُدَيْهِ مِثْلُ ثَدْيِ الْمَرْأَةِ أَوْ مِثْلُ الْبَضْعَةِ تَدَرْدَرُ، وَيَخْرُجُونَ عَلَى حِينِ فُرْقَةٍ مِنَ النَّاسِ» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَأَشْهَدُ أَنِّي سَمِعْتُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَشْهَدَ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَاتَلَهُمْ وَأَنَا مَعَهُ، فَأَمَرَ بِذَلِكَ الرَّجُلِ فَالْتُمِسَ فَأُتِيَ بِهِ، حَتَّى نَظَرْتُ إِلَيْهِ عَلَى نَعْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي نَعَتَهُ. وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَالضَّحَّاكِ الْمِشْرَقِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، وَمُسْلِمٍ عَنْ هَنَّادٍ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ سَلَّامِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ بِهِ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ وَالْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ وَقَتَادَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَمْرُقُ
পৃষ্ঠা - ৫০৩০

আর কে আছে ইনসাফ করার ? যদি আমি ইনসাফ না করি তবে তো আমি ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত
হবো ৷ উমর (রা) আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাকে অনুমতি দিন, ওর গর্দড়ান উড়িয়ে
চ্ছি ৷ তিনি বললেন, তার ব্যাপারটি ছেড়ে দাও ৷ কারণ, তার কিছু অনুচর আছে, তাদের
নামায রােযা দেখলে তোমরা নিজেদের নামায রােযাকে ভুচ্ছ মনে করবে ৷ তারা কুরআন পড়ে;
কিন্তু কুরআনের হিদায়াত তাদের মনের গভীরে প্রবেশ করে না ৷ দীনের আনুগত্য থেকে তারা
এমনভাবে বেরিয়ে যায়, যেমন তীর বেরিয়ে যায় শিকার ভেদ করে ৷ তীরের ফলকের দিকে
তাকালে কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না, গােড়া ও ফলকের মধ্যবর্তী কাঠের প্রতি তাকালেও
কোন চিহ্ন দেখা যায় না, এমনকি ফলকের পাথনার প্রতি দৃষ্টি দিলেও কিছুই দেখা যায় না ৷
অথচ এ তীর (শিকারের দেহের) রক্ত ও গোবর ভেদ করে গিয়েছে ৷ এদের নিদর্শন
হলো-এদের মধ্যে একজং অতি কৃষ্ণকায় লোক হবে ৷ তার এক একটি বাহু হবে নারী লোকের
স্তনের ন্যায় বা উপরে জেগে উঠা মাংসের ন্যায়, যা সর্বদা কাপতে থাকে ৷ মানুষের মধ্যে যখন
কলহের সৃষ্টি হবে তখন এদের আবির্ভাব ঘটবে ৷ আবু সাঈদ বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এ
হাদীস আমি স্বয়ং রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর মুখে শুনেছি ৷ আমি আরও সাক্ষী দিচ্ছি যে, আলী ইবন
আবু তালিব (বা) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন ৷ ঐ যুদ্ধে আমিও তার সাথে শরীক ছিলাম ৷
তিনি এ লোকটিকে খুজে বের করার জন্য হুকুম দেন ৷ সুতরাং খুজে তাকে ধরে আনা হল ৷
আমি লক্ষ্য করে দেখলাম যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার যে সব নিদর্শন বলেছিলেন, যে সব
নিদর্শনই পুরাপুরি তার মধ্যে রয়েছে ৷ ইমাম মুসলিমও এ হাদীস যাহ্হাক সুত্রেও আবু সাঈদ
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী এ হাদীস যাহ্হাক সুত্রেও আবু সাঈদ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তা
ছাড়া ইমাম বুখারী এটি সুফিয়ান সুত্রে সাঈদ আছছাওরী থেকে এবং ইমাম মুসলিম আবদুল
রহমান ইবন ইয়ামার সুত্রে আবু সাঈদ খুদরী থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম আবু
নাজরা সুত্রে আবু সাঈদ থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, মুসলমানদের বিভেদ
চলাকালে একদল লোক মুসলমানদের জামাত থেকে বেরিয়ে যাবে ৷ মুসলমানদের দু’দলের
মধ্যে হকপন্থীগণ তাদেরকে হত্যা করবে ৷ মুসলিম এ হাদীসটি আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা
করেচছা ৷

মুসলিম আবু বকর ইবন আবু শায়বা বশীর ইবন আমর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি সাহ্ল ইবন হুনায়ফকে জিজ্ঞেস করি যে, আপনি কি ৱাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
থেকে ঐ সব খারিজীদেৱ সম্পর্কে কিছু শুনেছেন ? তিনি বলেন, আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
পুর্বদিকে, ভিন্ন বর্ণনায় ইরাকের দিকে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বলেছেন-ওদিক থেকে একদল
লোকের আবির্ভাব হবে, যারা মুখ দিয়ে কুরআন পড়বে কিন্তু কুরআনের হিদায়াত তাদের
অত্তার প্রবেশ করবে না ৷ তারা দীনের আনুগত্য থেকে এমন ভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর
শিকারে শরীর ভেদ করে বের হয়ে যায় ৷ তাদের মাথা মুডিত থাকবে ৷ মুসলিম আবু যার
থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনায় আছে-তাদের চিহ্ন মাথা মুন্ডান, তারা হবে সৃষ্টির
নিকৃষ্টতম চরিত্রের লোক ৷ মুহাম্মদ ইবন কাহীরও এ হাদীসটি কাতাদা সুত্রে আস ইবন মালিক
থেকে মারকুভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনাও আছে যে, তাদের চিহ্ন মাথা মুন্ডান, সৃষ্টির
জঘন্যতম চরিত্রের লোক তারা ৷


مَارِقَةٌ عِنْدَ فُرْقَةٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَقْتُلُهَا أَوْلَى الطَّائِفَتَيْنِ بِالْحَقِّ» وَرَوَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ الْمِشْرَقِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مَرْفُوعًا. وَرَوَى مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنِ ابْنِ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ يُسَيْرِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: سَأَلْتُ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ: هَلْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجَ؟ فَقَالَ: «سَمِعْتُهُ. وَأَشَارَ بِيَدِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ، وَفِي رِوَايَةٍ: نَحْوَ الْعِرَاقِ " يَخْرُجُ قَوْمٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ بِأَلْسِنَتِهِمْ لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، مُحَلِّقَةٌ رُءُوسِهِمْ» " وَرَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ نَحْوَهُ، وَقَالَ: " شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ ". وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْمِصِّيصِيُّ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ مَرْفُوعًا، وَقَالَ: " «سِيمَاهُمُ التَّحْلِيقُ، شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ» ".
পৃষ্ঠা - ৫০৩১
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ سُوِيدِ بْنِ غَفَلَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَخْرُجُ قَوْمٌ فِي آخِرِ الزَّمَانِ حُدَثَاءُ الْأَسْنَانِ، سُفَهَاءُ الْأَحْلَامِ، يَقُولُونَ مِنْ خَيْرِ قَوْلِ الْبَرِّيَّةِ، لَا يُجَاوِزُ إِيمَانُهُمْ حَنَاجِرَهُمْ، فَأَيْنَمَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاقْتُلُوهُمْ، فَإِنَّ فِي قَتْلِهِمْ أَجْرًا لِمَنْ قَتَلَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ فِي خَبَرِ مُودَنِ الْيَدِ، وَهُوَ ذُو الثُّدَيَّةِ. وَأَسْنَدَهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، وَفِيهِ أَنَّهُ حَلَّفَ عَلِيًّا عَلَى ذَلِكَ، فَحَلَفَ لَهُ أَنَّهُ سَمِعَ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَلِيٍّ بِالْقِصَّةِ مُطَوَّلَةً، وَفِيهِ قِصَّةُ ذِي الثُّدَيَّةِ. وَرَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيٍّ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ جَمِيلِ
পৃষ্ঠা - ৫০৩২

বুখারী ও মুসলিমে আমাশ আলী (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি শুনেছি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ও শেষ যুগে একদল লোকের আবির্ভাব হবে-তাদের দীত হবে নব
উদ্দাত , বুদ্ধি-বিবেক হবে অপরিপক্ক ৷ তাদের মুখে থাকবে নবীর বাণী, কিন্তু ঈমান তাদের
কষ্ঠনালীর নিচে পৌছবে না ৷ তাদেরকে যেখানেই পাবে সেখানেই হত্যা করবে ৷ কেননা, যে
তাদেরকে হত্যা করবে কিয়ামত পর্যন্ত যে এর জন্য ছওয়াব পাবে ৷ মুসলিম কৃতায়বা সুত্রে
আলী থেকে রাত্রির মুআয্যিনের সংবাদ সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, সে হচ্ছে স্তন বিশিষ্ট ৷ এ
হাদীসকে তিনি ইবন সীরীন সুত্রেও আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এ সুত্র মতে উবায়দা
আলীকে এ ব্যাপারে কসম করতে বললে আলী কসম করে বলেন যে, তিনি একথা রাসুলুল্লাহ্
(সা) থেকে শুনেছেন ৷ মুসলিম আবদ ইবন হুমায়দ সুত্রে আলী (বা) থেকে দীর্ঘ ঘটনা
বর্ণনা করেন ৷ এ ঘটনার মধ্যে স্তনধারীর উল্লেখও আছে ৷ উবায়দৃল্লাহ্ইবন আবু রাফি সুত্রেও
তিনি আলী থেকে এ বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ তড়ায়ালিসী হাম্মাদ ইবন যায়দ সুত্রে আলী
(রা) থেকে স্তনধারীর ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷ সুফিয়ান ছা ওরী মুহাম্মদ ইবন কায়স সুত্রে
আলী থেকে এ বর্ণনা করেছেন ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সাঈদ ইবন আবু ওয়াক্কাস
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদা বাসুলুল্লাহ্ (সা) স্তনধারীর কথা উল্লেখ করে বলেন,
যে এক ধুরন্ধর শয়তান, ঘোড়ার বাখালের ন্যায় তাকে ভয় করা হয়, সে হবে বুজায়ল
গোত্রের ৷ আশহাব বা ইবনুল আশহাব নামে তাকে আখ্যায়িত করা হবে ৷ অভ্যাচারী কওমের
সে নিদর্শন হবে ৷ সুফিয়ান বলেন, আমার আয-যাহবী বলেছেন, উক্ত গোত্রের আশহাব বা
ইবনুল আশহাব নামক এক ব্যক্তি তার নিকট এসেছিল ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সাদ
ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন , হযরত আলী সেই ধুরন্ধর অর্থাৎ কুশ্ৰী
শয়তানকে হত্যা করেন ৷ সে আলীর পক্ষের লোকদেরকে হত্যা করতে চেয়েছিল ৷

আলী ইবন আয়্যাশ সালামা থেকে বর্ণনা করেন ৷ আইশা (বা) এর জানা ছিল যে,
মারওয়ার বাহিনী এবং নাহরাওয়ানের অধিবাসীরা মুহাম্মদ (সা) কর্তৃক অভিশপ্ত হয়েছিল ৷ ইবন
আব্বাস (বা) বলেন, মারওয়ার বাহিনী ছিল উসমানের হভ্যাকারী দল ৷ ইমাম বায়হাকী এ
বর্ণনা দেয়ার পর হাকিম সুত্রে আবু সাঈদ খুদরী (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি
রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে এমন লোক আছে, যে কুরআনের
অপব্যাখ্যাকারীদের বিরুদ্ধে লড়ইি করবে, যেমন কুরআন অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে আমি
লড়াই করেছি ৷ আবু বকর (বা) আরব করলেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! যে ব্যক্তি কি আমি ? তিনি
বললেন, না ৷ উমর (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি কি সেই ব্যক্তি ? বললেন, না ৷ বরং
তালিষুক্ত জুতা পরিধানকারী অর্থাৎ আলী (বা) ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ইমরান সুত্রে লাইিক থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
নাহওরাওয়ান থেকে যারা আলীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল তারা ছিল চার হাজার
নৌহবর্যধারী ৷ মুসলামানগণ তাদের সাথে যুদ্ধ করে সকলকে হত্যা করে ৷ পক্ষান্তার তারা মাত্র
নয় জনকে হত্যা করতে সক্ষম হয় ৷ ইচ্ছা হলে আবু বুরযার নিকট যেয়ে জিজ্ঞেস কর ৷ কারণ
তিনিও ঐ যুদ্ধে শরীক ছিলেন ৷

আমার বক্তব্য এই যে, খারিজীদের সাথে যুদ্ধ হওয়ার হাদীস মুতাওয়াতির স্তরে পৌছেছে ৷
কেননা, এ ব্যাপারে এত অধিক সুত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যাতে মুহাদ্দিসদের নিকট নির্ভুল


بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْوَضِئِ السَّحْتَنِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، فِي قِصَّةِ ذِي الثُّدَيَّةِ. وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ، عَنْ عَلِيٍّ بِالْقِصَّةِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي الْعَلَاءُ بْنُ أَبِي الْعَبَّاسِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا الطُّفَيْلِ يُحَدِّثُ عَنْ بَكْرِ بْنِ قِرْوَاشٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَاصٍّ قَالَ: «ذَكَرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَا الثُّدَيَّةِ فَقَالَ: " شَيْطَانُ الرَّدْهَةِ كَرَاعِي الْخَيْلِ، يَحْتَدِرُهُ رَجُلٌ مِنْ بَجِيلَةَ يُقَالُ لَهُ: الْأَشْهَبُ. أَوِ ابْنُ الْأَشْهَبِ. عَلَامَةٌ فِي قَوْمٍ ظَلَمَةٍ» قَالَ سُفْيَانُ: فَأَخْبَرَنِي عَمَّارٌ الدُّهْنِيُّ أَنَّهُ جَاءَ بِهِ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: الْأَشْهَبُ. أَوِ ابْنُ الْأَشْهَبِ. قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫০৩৩
شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَامِدٍ الْهَمْدَانِيِّ، سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: قَتَلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ شَيْطَانَ الرَّدْهَةِ. يَعْنِي الْمُخْدَجَ. يُرِيدُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، قَتَلَهُ أَصْحَابُ عَلِيٍّ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ سَلَمَةَ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: لَقَدْ عَلِمَتْ عَائِشَةُ أَنَّ جَيْشَ الْمَرْوَةِ وَأَهْلَ النَّهْرَوَانِ مَلْعُونُونَ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ ابْنُ عَيَّاشٍ: جَيْشُ الْمَرْوَةِ قَتَلَهُ عُثْمَانُ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ، أَنَا الْأَصَمُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «إِنَّ مِنْكُمْ مَنْ يُقَاتِلُ عَلَى تَأْوِيلِ الْقُرْآنِ كَمَا قَاتَلْتُ عَلَى تَنْزِيلِهِ ". فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَنَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا ". فَقَالَ عُمَرُ: أَنَا هُوَ يَا رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا، وَلَكِنْ خَاصِفُ النَّعْلِ ". يَعْنِي عَلِيًّا» . وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُدَيْرٍ، عَنْ لَاحِقٍ قَالَ: كَانَ الَّذِينَ خَرَجُوا عَلَى عَلِيٍّ بِالنَّهْرَوَانِ أَرْبَعَةَ آلَافٍ فِي
পৃষ্ঠা - ৫০৩৪

অকাট্য বলে প্রমাণিত হয় ৷ আর আলীর যুগে যে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সে কথা
দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট ৷ অবশ্য তাদের বিদ্রোহের ধরণ কি ছিল, তার কারণ কি এবং এ
ব্যাপারে ইবন আব্বাসের সাথে তাদের বিতর্ক ও বিতর্ক শেষে ইবন আব্বাসের পক্ষে এক
দলের চলে আসা ইত্যাদি আলোচনা যথাস্থানে করা হবে, ইনৃশাআল্লাহ্ ৷

হযরত আলীর শাহাদাত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম আহমদ, আলী ইবন বাহা সুত্রে আমার ইবন ইয়াসির থেকে বর্ণনা করেন ৷
আমার বলেন, উছায়রা যুদ্ধ কালে রাসুলুল্পাহ্ (সা) আলীকে ডেকে বলেছিলেন, হে আবুভুরাব !
(তখন আলীর শরীরে ধুলাবালি লাগান ছিল-আবুতুরাব অর্থ মাটির পিতা) আমি কি তোমাকে
দু’জন নিকৃষ্টতম লোকের পরিচয় বলব ? আমরা বললাম, হী, বলুন ইয়া রাসুলাল্লাহ্! তিনি
বললেন, একজন ছামুদ জাতির লোক, যে (সালিহ নবীর) উষ্টী হত্যা করেছিল ৷ দ্বিতীয়জন সেই
ব্যক্তি, যে তোমার এখানে অর্থাৎ মাথার পাশে আঘাত করবে এবং এখানে অর্থাৎ দাড়ি রক্তে
রঞ্জিত হয়ে যাবে ৷

বায়হাকী হাকিম সুত্রে আবদুল্লাহ্ ইবন ফুযালা ইবন আবু ফুযালা আনসারী থেকে বর্ণনা
করেন ৷ ফুযালার পিতা আবু ফুযালা ংবদর যুদ্ধে শরীক ছিলেন ৷ ফুযালা বলেন, আমি আমার
পিতার সাথে আলী ইবন আবু তালিবকে তার অস্তিম শয্যায় দেখতে যইি ৷ আমার পিতা
বললেন, আপনি এই স্থানে অবস্থান করছেন কেন ? যদি আপনার মৃত্যু এসে যায় তবে
জুহায়নার বেদৃইনরা আপনাকে মদীনায় নিয়ে যাবে, যদি মৃত্যু হয়ে যায় তবে আপনার বন্ধু
বান্ধবগণ সমবেত হবে এবং জানাযা পড়বে ৷ তখন আলী বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আমি এভাবে মারা যাব যে, আমার এ স্থান অর্থাৎ দাড়ি এই জায়গার
অর্থাৎ মাথার রক্তে রঞ্জিত হবে ৷ সুতরাং আলী ও আবুফুযালা সিফ্ফীনের যুদ্ধে নিহত হন ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী শুরায়ক থেকে যায়দ ইবন ওহব সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন; খারিজীদের নেতা এসে হযরত আলীকে বললো, আল্পাহ্কে ভয় করুন, কারণ, আপনার
মরতে হবে ৷ আলী বললেন, না, সেই সত্তার কসম, যিনি বীজ থেকে অংকুর বের করেন এবং
মানুষ সৃষ্টি করেছেন (আমি স্বাভাবিক ভাবে মরবাে না) বরং আমি এক আঘাতে নিহত হবো,
যে আঘাত এখানে লাগবে এবং এখানে রঞ্জিত হয়ে যাবে ৷ এ কথা বলে তিনি আপন হাত দ্বারা
দাড়ির প্ৰতি ইঙ্গিত করেন ৷ এটা একটা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও অনিবার্য লটাট লিখন ৷ যে মিথ্যা কথা
বানিয়ে বলে সে ধ্বংস হয় ৷ বায়হাকী আবু সিনানের মাধ্যমে আলী থেকে বিশুদ্ধ সুত্রে রাসুল
কতুকি তার মৃত্যুর সংবাদ দান সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ সুতরাং তিনি আবু ইদরীস
ইয্দী সুত্রে আলী (বা) থেকে বর্ণনা করেন, আলী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার নিকট যে সব
ভবিষ্যদ্বাণী শুনিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে একটি এই যে, আমার পরে জাতি তোমার সাথে
বিশ্বাসঘাতকতা করবে ৷ অতঃপর ভিন্ন সুত্রে ছালাবা ইবন ইয়াযীদ থেকে তিনি বর্ণনা করেন,
ছালাবা বলেন, আমি শুনেছি-আলী বলেছেন, উঘী নবী আমাকে জানিয়েছেন যে, “এ জাতি
আমার পরে তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে” ৷ বুখড়ারী বলেন, এই ছালাবা একজন
সমালোচিত ব্যক্তি, তার এ হাদীসকে মুল্যায়ন করা হয় না ৷ বায়হাকী হাকিম ছালাবা
ইবন ইয়াযীদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আলী বলেছেন, যে সত্তা বীজ থেকে অংকুর


الْحَدِيدِ، فَرَكِبَهُمُ الْمُسْلِمُونَ فَقَتَلُوهُمْ، وَلَمْ يَقْتُلُوا مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا تِسْعَةَ رَهْطٍ، وَإِنْ شِئْتَ فَاذْهَبْ إِلَى أَبِي بَرْزَةَ فَإِنَّهُ قَدْ شَهِدَ ذَلِكَ. قُلْتُ: الْأَخْبَارُ بِقِتَالِ الْخَوَارِجِ مُتَوَاتِرَةٌ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; لِأَنَّ ذَلِكَ مِنْ طُرُقٍ تُفِيدُ الْقَطْعَ عِنْدَ أَئِمَّةِ هَذَا الشَّأْنِ، وَوُقُوعُ ذَلِكَ فِي زَمَانِ عَلِيٍّ مَعْلُومٌ ضَرُورَةً لِأَهْلِ الْعِلْمِ قَاطِبَةً، وَأَمَّا كَيْفِيَّةُ خُرُوجِهِمْ وَسَبَبُهُ وَمُنَاظَرَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ لَهُمْ فِي ذَلِكَ وَرُجُوعُ كَثِيرٍ مِنْهُمْ إِلَيْهِ، فَسَيَأْتِي بَيَانُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَقْتَلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ] ٍ، فَكَانَ كَمَا أَخْبَرَ سَوَاءً بِسَوَاءٍ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، ثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُثَيْمٍ الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৫০৩৫
لِعَلِيٍّ حِينَ وَلِيَ غَزْوَةَ الْعُشَيْرَةِ: " يَا أَبَا تُرَابٍ - لِمَا يَرَى عَلَيْهِ مِنَ التُّرَابِ - أَلَا أُحَدِّثُكَ بِأَشْقَى النَّاسِ رَجُلَيْنِ؟ " قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " أُحَيْمِرُ ثَمُودَ الَّذِي عَقَرَ النَّاقَةَ، وَالَّذِي يَضْرِبُكَ يَا عَلِيُّ عَلَى هَذِهِ - يَعْنِي قَرْنَهُ - حَتَّى يَبُلَّ هَذِهِ» يَعْنِي لِحْيَتَهُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُكْرَمٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ فَضَالَةَ بْنِ أَبِي فَضَالَةَ الْأَنْصَارِيِّ - وَكَانَ أَبُوهُ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ - قَالَ: «خَرَجْتُ مَعَ أَبِي عَائِدًا لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فِي مَرَضٍ أَصَابَهُ، ثَقُلَ مِنْهُ. قَالَ: فَقَالَ لَهُ أَبِي: مَا يُقِيمُكَ بِمَنْزِلِكَ هَذَا؟ فَلَوْ أَصَابَكَ أَجْلُكَ لَمْ يَلِكَ إِلَّا أَعْرَابُ جُهَيْنَةَ، تَحَمُّلْ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَإِنْ أَصَابَكَ أَجْلُكَ وَلِيَكَ أَصْحَابُكَ وَصَلَّوْا عَلَيْكَ. فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهِدَ إِلَيَّ أَنْ لَا أَمُوتَ حَتَّى أُؤَمَّرَ ثُمَّ تُخْضَبَ هَذِهِ - يَعْنِي لِحْيَتَهُ - مِنْ دَمٍ هَذِهِ» يَعْنِي هَامَتَهُ. فَقُتِلَ وَقُتِلَ أَبُو فَضَالَةَ مَعَ عَلِيٍّ يَوْمَ صِفِّينَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ قَالَ: «جَاءَ رَأْسُ الْخَوَارِجِ إِلَى عَلِيٍّ فَقَالَ لَهُ: اتَّقِ اللَّهَ فَإِنَّكَ مَيِّتٌ. فَقَالَ: لَا وَالَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَبَرَأَ النَّسَمَةَ، وَلَكِنْ مَقْتُولٌ مِنْ ضَرْبَةٍ عَلَى هَذِهِ تُخْضِبَ هَذِهِ -
পৃষ্ঠা - ৫০৩৬
وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى لِحَيَّتِهِ - عَهْدٌ مَعْهُودٌ، وَقَضَاءٌ مَقْضِيٌّ، وَقَدْ خَابَ مَنِ افْتَرَى» وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ فِي إِخْبَارِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَتْلِهِ. وَرَوَى مِنْ حَدِيثِ هُشَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْأَزْدِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «إِنَّ مِمَّا عَهِدَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ الْأُمَّةَ سَتَغْدُرُ بِكَ بِعَدِي ".» ثُمَّ سَاقَهُ مِنْ طَرِيقِ فِطْرِ بْنِ خَلِيفَةَ وَعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ سِيَاهٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ يَزِيدَ الْحِمَّانِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ: «إِنَّهُ لَعَهْدُ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيَّ: " إِنَّ الْأُمَّةَ سَتَغْدُرُ بِكَ بِعَدِي» قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَعْلَبَةُ هَذَا فِيهِ نَظَرٌ، وَلَا يُتَابَعُ عَلَى حَدِيثِهِ هَذَا. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ الصَّغَانِيِّ، عَنْ أَبِي الْجَوَابِ الْأَحْوَصِ بْنِ جَوَابٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫০৩৭
زُرَيْقٍ، عَنِ الْأَعَمْشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: «وَالَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَبَرَأَ النَّسَمَةَ لَتُخْضَبَنَّ هَذِهِ مِنْ هَذِهِ - لِلِحْيَتِهِ مِنْ رَأْسِهِ - فَمَا يَحْبِسُ أَشْقَاهَا؟ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَبُعٍ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَوْ أَنَّ رَجُلًّا فَعَلَ ذَلِكَ لَأَبَرْنَا عَشِيرَتَهُ. فَقَالَ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ أَنْ لَا تَقْتُلَ بِي غَيْرَ قَاتِلِي. قَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَلَا تَسْتَخْلِفُ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنِّي أَتْرُكُكُمْ كَمَا تَرَكَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالُوا: فَمَا تَقُولُ لِرَبِّكَ إِذَا لَقِيتَهُ وَقَدْ تَرَكْتَنَا هَمَلًا؟ قَالَ: أَقُولُ: اللَّهُمَّ اسْتَخْلَفْتَنِي فِيهِمْ مَا بَدَا لَكَ، ثُمَّ قَبَضْتَنِي وَتَرَكْتُكُ فِيهِمْ، فَإِنْ شِئْتَ أَصْلَحْتَهُمْ، وَإِنْ شِئْتَ أَفْسَدْتَهُمْ» وَهَكَذَا رَوَى الْبَيْهَقِيُّ هَذَا. وَهُوَ مَوْقُوفٌ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ مِنْ حَيْثُ اللَّفْظِ وَمِنْ حَيْثُ الْمَعْنَى، ثُمَّ الْمَشْهُورُ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ لَمَّا طَعَنَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلْجِمٍ الْخَارِجِيُّ وَهُوَ خَارِجٌ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ عِنْدَ السُّدَّةِ، فَبَقِيَ عَلِيٌّ يَوْمَيْنِ مِنْ طَعْنَتِهِ، وَحُبِسَ ابْنُ مُلْجِمٍ، وَأَوْصَى عَلِيٌّ إِلَى ابْنِهِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، وَأَمْرُهُ أَنْ يَرْكَبَ فِي الْجُنُودِ، وَقَالَ لَهُ: لَا تَحَرَّ عَلَيَّ كَمَا تَحَرُّ
পৃষ্ঠা - ৫০৩৮

বানান ও ভ্রাণ প্রাণ সঞ্চার করেন তারকসম-এর থেকে এইটা রক্তে রঞ্জিত হবে, অর্থাৎ মাথা
থেকে দাড়ি; এবং সে দৃকৃতিকারীকে আটক করা হবেনা ৷ আবদুল্লাহ ইবন সুবায় বলেন, হে
আমীরুল মুমিনীন ! যদি কোন পাগলে এ কাজ করে তবে আল্লাহ্র শপথ, আমরা তার
গোত্রকে সমুলে উৎপাটিত করে দেব ৷ তিনি বললেন, আমি তোমাকে আল্পাহ্র দোহইি দিয়ে
বলছি, আমার হত্যাকারীকে ব্যতীত অন্য কাউকে হত্যা করবে না ৷ লোকজন বললো, হে
আমীরুল মুমিনীন! আপনি কি খলীফা মনোনীত করে যাবেন না ? তিনি বললেন, আমি
তােমাদেরকে সেভাবে ছেড়ে যাব যেভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছেড়ে গেছেন ৷ তারা বললো,
আমাদেরকে নেতৃতৃহীন ছেড়ে গেলে আল্লাহর নিকট আপনি কী জবাব দেবেন ? তিনি বললেন,
আমি বলবো, হে আল্লাহ্! আপনি আমাকে তাদের খলীফা রেখেছিলেন যদ্দিন আপনার ইচ্ছা
ছিল ৷ এখন আমাকে আপনি উঠিয়ে নিয়ে এসেছেন এবং আমি আপনাকে তাদের মাঝে রেখে
এসেছি ৷ আপনি ইচ্ছা করলে তাদেরকে কল্যাণ দান করতে পারেন; আর যদি ইচ্ছা করেন তবে
ধ্বংসও করতে পারেন ৷ বায়হাকী হাদীস এ ভাবেই মাওকুফরুপে বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এ
হাদীসের শব্দ ও অর্থ অনেকটা অপরিচিত ও অসামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ প্রসিদ্ধ মতে, হযরত আলী
ফজরের নামায পড়ে আসার পথে আব্দুর রহমান ইবন মুলজিমের হাতে বর্শাবিদ্ধ হন, এ
আঘাতের পর তিনি দৃ’দিন জীবিত ছিলেন ৷ ইবন মুলজিম বন্দী হয় ৷ আলী তার পুত্র হাসানকে
উপদেশ দান করেন এবং সৈন্যদের সাথে মিশতে নির্দেশ দেন ৷
হযরত আলীর শাহাদাতের পর আবদুর রহমান ইবন মুলজিমকে কিসাস বা শাস্তি স্বরুপ
হত্যা করা হয় ৷ তারপর হযরত হাসান অশ্বারোহণ করে সৈন্যদলের সাথে মিলিত হন এবং
মুআবিয়ার বিরুদ্ধে অগ্রসর হন, যার বর্ণনা সামনে আসছে ৷

হযরত আলীর পরে হাসানের খিদাফত লাভ এবং পরে মুআবিয়ার নিকট
খিলাফত হস্তান্তর সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম বুখারী দালাইলুন নবুওত অধ্যায়ে আবদুল্লাহ ইবন মুহম্মদ সুত্রে আবু বাক্রা
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন হাসান ইবন আলীকে নিয়ে বের
হলেন ৷ অতঃপর তাকে নিয়ে বিষয়ের উপর আরোহণ করে বললেন, আমার এই দৌহিত্র নেতা
হবে ৷ আশা করা যায়, আল্লাহ্ তার সাহায্যে মুসলমানদের বিবাদমান দুটি দলের মধ্যে
আপোস করে দিবেন ৷ সুল্হ্ (সন্ধি) অধ্যায়ে আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ সুত্রে হাসান (বসরী)
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আল্লাহ্র কসম, হাসান ইবন আলী মুআবিয়ার বিরুদ্ধে
বিপুল সংখ্যক সৈন্যসহ উপস্থিত হন ৷ দেখতে তা ছিল সারিবদ্ধ পর্বতমালার ন্যায় ৷ আমর ইবন
আস (রা) বললেন, আমি বিপুল পরিমাণ সৈন্য দেখতে পাচ্ছি; কিন্তু তাদের সঙ্গী সৈন্যদের
হত্যা না করা পর্যন্ত ওরা পালাবে না ৷ মুআৰিয়া বললেন, (আর ঐ দৃজনের মধ্যে তিনিই
ছিলেন কল্যাণকামী) হে আমর ! যদি এরা ওদেরকে হত্যা করে আর ওরা এদেরকে হত্যা করে
তা হলে মানুষের সমস্যার ব্যাপারে কে আমাকে সাহায্য করবে ৷ এদের শ্রীদের দায়িত্ব কে
নেবে? কে তাদের সন্তানদের দায়িত্ব গ্রহণ করবে ? সুতরাং মুআবিয়া কুরায়শ গোত্রের বনু
আবদে শামৃস শাখার দৃজনকে হড়াসানের নিকট প্রেরণ করেন ৷ একজনের নাম আবদুর রহমান
ইবন সামুরা, অন্যজনের নাম আবদুল্লাহ্ ইবন আমির ইবন কুরায়য ৷ মুআবিয়া এদেরকে


الْجَارِيَةُ. فَلَمَّا مَاتَ قُتِلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلْجِمٍ قَوَدًا. وَقِيلَ: حَدًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ، ثُمَّ رَكِبَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فِي الْجُنُودِ، وَسَارَ إِلَى مُعَاوِيَةَ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَنْزِلَةِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ وَسِيَادَتُهُ] ذِكْرُ إِخْبَارِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ، وَسِيَادَةِ وَلَدِهِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ فِي تَرْكِهِ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ، وَإِعْطَائِهِ ذَلِكَ الْأَمْرَ مُعَاوِيَةَ، وَتَقْلِيدِهِ إِيَّاهُ مَا كَانَ يَتَوَلَّاهُ وَيَقُومُ بِأَعْبَائِهِ قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، ثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: «أَخْرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ، فَصَعِدَ بِهِ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ: " إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ» وَقَالَ فِي كِتَابِ الصُّلْحِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ: «اسْتَقْبَلَ وَاللَّهِ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ بِكَتَائِبَ أَمْثَالِ الْجِبَالِ، فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: إِنِّي لَأَرَى كَتَائِبَ لَا تُوَلَّى حَتَّى تَقْتُلَ أَقْرَانَهَا. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ - وَكَانَ وَاللَّهِ خَيْرَ الرَّجُلَيْنِ - أَيْ عَمْرُو، إِنْ
পৃষ্ঠা - ৫০৩৯
قَتَلَ هَؤُلَاءِ هَؤُلَاءِ، وَهَؤُلَاءِ هَؤُلَاءِ، مِنْ لِي بِأُمُورِ النَّاسِ؟ مَنْ لِي بِنِسَائِهِمْ؟ مَنْ لِي بِضَيْعَتِهِمْ؟ فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَجُلَيْنِ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ; عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ، فَقَالَ: اذْهَبَا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فَاعْرِضَا عَلَيْهِ، وَقُولَا لَهُ وَاطْلُبَا إِلَيْهِ. فَأَتَيَاهُ فَدَخَلَا عَلَيْهِ فَتَكَلَّمَا وَقَالَا لَهُ، وَطَلَبَا إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُمَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ: إِنَّا بَنُو عَبْدِ الْمَطْلَبِ قَدْ أَصَبْنَا مِنْ هَذَا الْمَالِ، وَإِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ قَدْ عَاثَتْ فِي دِمَائِهَا. قَالَا: فَإِنَّهُ يَعْرِضُ عَلَيْكَ كَذَا وَكَذَا، وَيَطْلُبُ إِلَيْكَ وَيَسْأَلُكَ. قَالَ: فَمَنْ لِي بِهَذَا؟ قَالَا: نَحْنُ لَكَ بِهِ. فَمَا سَأَلَهُمَا شَيْئًا إِلَّا قَالَا: نَحْنُ لَكَ بِهِ. فَصَالَحَهُ، فَقَالَ الْحَسَنُ: وَلَقَدْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ يَقُولُ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ إِلَى جَنْبِهِ، وَهُوَ يُقْبِلُ عَلَى النَّاسِ مَرَّةً وَعَلَيْهِ أُخْرَى، وَيَقُولُ: " إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ عَظِيمَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ".» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: إِنَّمَا ثَبَتَ لَنَا سَمَاعُ الْحَسَنِ مِنْ أَبِي بَكْرَةَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا فِي فَضْلِ الْحَسَنِ وَفِي كِتَابِ الْفِتَنِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، وَهُوَ إِسْرَائِيلُ بْنُ مُوسَى. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَشْعَثَ، وَأَبُو دَاوُدَ أَيْضًا وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ
পৃষ্ঠা - ৫০৪০

বললেন, তোমরা উভয়েই তার কাছে যাও ৷ তার নিকট সন্ধির প্রস্তাব দাও, আলোচনা কর এবং
সন্ধি চুক্তিতে র্বীকে সম্মত কর ৷ তারা উভয়ে হলোঃনর নিকট গেলেন, র্তার সম্মুখে উপস্থিত
হলেন এবং আলোচনার মাধ্যমে সন্ধির প্রস্তাব দিলেন ৷ তখন হাসান (রা) তাদেরকে বললেন,
আমরা বনু আবদুল মুত্তালিবের হুলাক, এ কারণে আমরা এত পরিমাণ সম্পদ হারিয়েছি ৷ এ
উষ্মতের মধ্যে বিশৃত্খলান্ দেখা দিয়েছে ও রক্তপাত ঘটহে ৷ তারা বললেন, আপনার নিকট অমুক
অমুক প্রস্তাব আসবে ৷ আপনার কাছে অমুক অমুক দাবি-দাওয়া পেশ বন্যা হবে ৷ হাসান
বললেন, কে এ ব্যাপারে আমার জিমাদার হবে ? তারা বললেন, এ ব্যাপারে আমরাই আপনার
জিম্মাদার হবো ৷ এরপর হাসান তাদের কাছে যে প্ৰশ্নই ণ্তালেন তার সে ব্যাপারে নিত্তেরােই
দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ সুতরাং সন্ধি চুড়ান্ত হলো ৷ অতঃপর হাসান বললেন, আমি শুনেছি, আবু
বকরা বল্যেছা, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বিষয়ের উপর দেখেছি ৷ আর হাসান ইবন আলী
তার পাশে রয়েছেন ৷ তিনি একবার উপস্থিত লোকদের দিকে তকােচ্ছিলেন আর একবার
হাসানের দিকে তাকাচ্ছিলেন এবং বলহিলেন : আমার এই সন্তান সইিয়িদ-৫নতা ৷ আশা করি,
আল্লাহ একে দিয়ে মুসলমানদের বিরটি দু’টি দলের মধ্যে আপোস করিয়ে দেবেন ৷ বুখারী
বলেন, আলী ইবন আবদুল্লাহ্ আমাকে জানিয়েছেন যে, এই হাদীস দ্বারা আমরা প্রমাণ পাই
যে, হাসান আবু বকরা থেকে সরাসরি হাদীসটি শুনেছেন ৷ বুখারী এ হাদীস হযরত হাসানের
ফযীলত প্রসঙ্গে ও কিতাবুল ফিতানে আবু ইসহাক সুত্রে, আবু দাউদ ও তিরমিযী আশআছ
সুত্রে এবং পুনরায় আবু দাউদ ও নাসাঈ আলী ইবন যায়দ ইবন জাদআন সুত্রে এবং সকলেই
হাসান বসরীর মাধ্যমে আবু বক্রা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী এ হাদীসকে সহীহ্
বলেছেন ৷ হাসান ও উম্মে সালামা থেকে এটা মুরসাল ভাবেও বর্ণিত হয়েছে ৷

নবী করীম (না)-এ হাদীসে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তা হুবহু বাস্তবে পরিণত হয় ৷
কারণ, পিতার মৃত্যুর পর হযরত হাসান খিলাফতের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে ইরাকী বাহিনীতে
উপস্থিত হন ৷ মুআবিয়া মুকাবিলা করার জন্য অগ্রসর হন ৷ দু’দল পরস্পরের সম্মুখীন হয় ৷ এক
পর্যায়ে হাসান সন্ধিচুক্তি সম্পাদন করেন ৷ অতঃপর জনগণের সম্মুখে ভাষণ দান করেন ৷ চুক্তি
অনুযায়ী তিনি মুআবিযার নিকট ধিলাফত হস্তান্তর করেন ৷ হি চল্লিশ সনে এ ঘটনা সংঘটিত
হয় ৷ উভয় বাহিনীর নেতৃবর্গ মুআবিয়ার নিকট আনুগ্যত্যর বায়আত গ্রহণ করেন ৷ মুআবিয়া
মুসলমানদের একচ্ছএ আমীর হন ৷ এই বছরটিকে যিলনের বছর বলা হয় ৷ কারণ এখন থেকে
একই ব্যক্তির হাতে সমস্ত ক্ষমতা কেশ্রীভুত্ত হয় ৷ এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা বণাস্থুানে করা
হবো

আলোচ্য হাদীসে মহাসতবােদী রাসুল (সা) উভয় দলকে মুসলমান বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৷
সুতরাং তাদের মাঝে সংঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কেবল যে ব্যক্তি তাদের উত্তর দলকে

ৎবা এক দলকে কাফির বলবে সে ভ্রান্ত, ঐ নবীর বাগীকেই সে অস্বীকার করছে, যিনি

নিজের থেকে কিইে বলেন না; বরং যা কিছু বলেন ওহীর দ্বারা আদিষ্ট হয়ে বলেন ৷ এই
বছরেই রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘোষিত ধারাবাহিক খিলাফতের কাল শেষ হয়ে যায় ৷ যেমন
ইতিপুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আযাদকৃত দাস সাফীনার হাদীস বর্ণিত হয়েছে; ৷ নবী করীম
(সা) বলেছেন : আমার পরে ত্রিশ বছর পর্যন্ত খিলাফত চলবে, তারপরে আরম্ভ হবে বাদশাহী
শাসন : ৷ এক বর্ণনায় এসেছে, এরপর চলবে
— : ২


بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، كُلُّهُمْ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: صَحِيحٌ. وَلَهُ طُرُقٌ عَنِ الْحَسَنِ مُرْسَلًا، وَعَنِ الْحَسَنِ وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِهِ. وَهَكَذَا وَقَعَ الْأَمْرُ كَمَا أَخْبَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَوَاءً; فَإِنَّ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ لَمَّا صَارَ إِلَيْهِ الْأَمْرُ بَعْدَ أَبِيهِ وَرَكِبَ فِي جُيُوشِ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَسَارَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ، فَتَصَافَّا بِصِفِّينِ عَلَى مَا ذَكَرَهُ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ،، فَمَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ إِلَى الصُّلْحِ، وَخَطَبَ النَّاسَ، وَخَلَعَ نَفْسَهُ مِنَ الْأَمْرِ، وَسَلَّمَهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ، وَذَلِكَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، فَبَايَعَهُ الْأُمَرَاءُ مِنَ الْجَيْشَيْنِ، وَاسْتَقَلَّ بِأَعْبَاءِ الْأُمَّةِ، فَسُمِّيَ ذَلِكَ الْعَامُ عَامَ الْجَمَاعَةِ، لِاجْتِمَاعِ الْكَلِمَةِ فِيهِ عَلَى رَجُلٍ وَاحِدٍ، وَسَنُورِدُ ذَلِكَ مُفَصَّلًا فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَدْ شَهِدَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْفِرْقَتَيْنِ بِالْإِسْلَامِ، فَمَنْ كَفَّرَهُمْ أَوْ وَاحِدًا مِنْهُمْ لِمُجَرَّدِ مَا وَقَعَ، فَقَدْ أَخْطَأَ وَخَالَفَ النَّصَّ النَّبَوِيَّ الْمُحَمَّدِيَّ الَّذِي لَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى، إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى، وَقَدْ تُكَمَّلُ بِهَذِهِ السَّنَةِ الْمُدَّةُ الَّتِي أَشَارَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا مُدَّةُ الْخِلَافَةِ الْمُتَتَابِعَةِ بَعْدَهُ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ سَفِينَةَ مَوْلَاهُ أَنَّهُ قَالَ «: " الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا ". وَفِي رِوَايَةٍ " عَضُوضًا ". وَفِي رِوَايَةٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّهُ قَالَ رَضِينَا بِهَا مُلْكًا» وَقَدْ قَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي كِتَابِهِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ " سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৫০৪১
فُضَيْلٍ، عَنِ السَّرِيِّ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ اللَّيْلِ قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَا تَذْهَبُ الْأَيَّامُ وَاللَّيَالِي حَتَّى يَجْتَمِعَ أَمْرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَجُلٍ وَاسِعِ السُّرْمِ، ضَخْمِ الْبُلْعُمِ، يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ وَهُوَ مُعَاوِيَةُ» هَكَذَا وَقَعَ فِي هَذِهِ الرِّوَايَةِ. وَفِي رِوَايَةٍ بِهَذَا الْإِسْنَادِ «: " لَا تَذْهَبُ الْأَيَّامُ وَاللَّيَالِي حَتَّى تَجْتَمِعَ هَذِهِ الْأُمَّةُ عَلَى مُعَاوِيَةَ» وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: «وَاللَّهِ مَا حَمَلَنِي عَلَى الْخِلَافَةِ إِلَّا قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِي: " يَا مُعَاوِيَةُ، إِنْ مَلَكْتَ فَأَحْسِنْ» ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَلَهُ شَوَاهِدُ، مِنْ ذَلِكَ حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، عَنْ جَدِّهِ سَعِيدٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ أَخَذَ الْإِدَاوَةَ فَتَبِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ: «يَا مُعَاوِيَةُ، إِنْ وُلِّيتَ أَمْرًا فَاتَّقِ اللَّهَ وَاعْدِلْ " قَالَ مُعَاوِيَةُ: فَمَا زِلْتُ أَظُنُّ أَنِّي مُبْتَلًى بِعَمَلٍ، لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.»
পৃষ্ঠা - ৫০৪২

স্বেচ্ছাচারী শাসনের যুগ ৷ অপর এক বর্ণনায় আছে, মুআবিয়া বলেছেন, আমরা বাদশাহীস্বআ
সন্তুষ্ট ৷
নুআয়ম ইবন হাম্মাদ তার রচিত কিতাবুল ফিতান ওয়াল মালাহিম’ গ্রন্থে মুহাম্মদ ইবন
ফুযায়ল সুত্রে আলী (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ আলী (বা) বলেন, আমি ৱাসুলুল্লাহ্
(না)-কে বলতে শুনেছি, দিন-রাতের আবর্তনে এই জাতির শাসন ক্ষমতা এমন এক লোকের
হাতে ন্যস্ত হবে, যার পা হবে প্রশস্ত, গিরা মোটা, খেয়ে সে পরিতৃপ্ত হবে না, সে বিবস্ত্র
থাকবে ৷ একই সুত্রে অপর বর্ণনায় কথাটি এভাবে বলা হয়েছে যে, দিন-রাতেব পরিক্রমড়ায় এ
জাতি মুআবিয়ার শাসনাধীনে আসবে ৷ বায়হাকী ইসমাঈল ইবন ইব্রাহীম আম্মারের
সুত্রে বর্ণনা করেন, মুআবিয়া (বা) বলেছেন, আল্লাহর কসম, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর একটি
কথাই আমাকে খিলাফত গ্রহণে উৎসাহিত করেছে; ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বলেছিলেন, হে
মুআৰিয়া ! তুমি যদি ক্ষমতা হাতে পাও তাহলে সদর ব্যবহার করবে ৷ তারপর বায়হাকী বলেন,
এ হাদীসের সমর্থনে আরও হাদীস আছে ৷ যেমন আমর ইবন ইয়াহ্ইয়া সুত্রে সাঈদ বর্ণনা
করেন ৷ মুআবিয়া কিছু ছোট ছোট পাত্র হাতে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পশ্চাতে গমন করলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দেখে বললেন, হে মুআবিয়া ! তুমি যদি শাসন ক্ষমতা হাতে পাও
তাহলে আল্লাহ্কে ভয় করবে এবং ইনসাফ্ল প্রতিষ্ঠা করবে ৷ মুআবিয়া বললেন, এ কথা শুনার
পর থেকে আমি সর্বদা চিন্তা করেছি যে, আমি কোন এক সমস্যায় জড়িয়ে পড়বাে ৷ সুফিয়ান
ছাওরী সুত্রে রাশিদ ইবন সাদ দাবী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মুআবিয়া (বা) বলেছেন,
আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বলেছেন, তুমি যদি মানুষের গোপন বিষয়াদির সন্ধানে
তৎপর হও তবে তাদেরকে তুমি ধ্বংস করে দেবে অথবা বলেছেন, তুমি তাদেরকে বিপর্যয়ের
প্রান্তে ঠেলে দেবে ৷ আবুদ দারদা (রা) বলেন, মুআবিয়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে এমন একটি
কথা শুনেছেন, যার দ্বারা আল্পাহ্ তাকে বঅ্যাণ দান করেছেন ৷ এটি আবু দাউদের বর্ণনা ৷
বায়হাকী হুশায়ম সুত্রে আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : খিলাফত হাব মদীনায় এবং বাদশাহী হবে সিরিয়ায় ৷
ইমাম আহমদ ইসহাক ইবন ঈসা আবু দারদা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্
(সা) বলেছেন, একদা আমি ঘুমিয়ে হ্নিৰ্ড়াম ৷ স্বপ্নে তখন দেখলাম আমার মাথায় নিচ থেকে
কিতাবের পাঠুরী তুলে নেয়া হচ্ছে ৷ আমি ভাবলাম যে, এটা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ষ্৷ আমি আমার
দৃষ্টি সেদিকে নিবদ্ধ করলাম ৷ দেখলাম যে তা সিরিয়ায় নেয়া হচ্ছে ৷ এ স্বপ্নের তাৎপর্য হচ্ছে
যখন ফিত্না-ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে তখন ঈমান এই সিরিয়ায় থাকবে ৷ বায়হাকী ইয়াকুব ইবন
সুফিয়ান সুত্রে হামযা সুলামী থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং এ সুত্রকে সহীহ্ বলে
মন্তব্য করেছেন ৷ এটা ছাড়া অন্য সুত্রেও তিনি এটি বর্ণনা করেছেন ৷ উক্বা ইবন আলকামা
আবদুল্লাহ্ ইবন আমর থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন ৷ আমি স্বপ্নে
দেখলাম যে, কিতাবের পাঠুরী আমার বালিশের নিচ থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে, লক্ষ্য বন্মাআ
দেখলাম, একটি উজ্জ্বল নুর সিরিয়ার দিকে ছুটে চলছে ৷ এর তাৎপর্য হলো, ফিত্না যখন সৃষ্টি
হবে তখন ঈমান সিরিয়ায় স্থান নেবে ৷ এরপর বায়হাকী ওলীদ ইবন মুসলিম সুত্রে আবক্যুাহ্
ইবন আমর থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ তবে এখানে এ কথাটি আছে যে, অতঃপর আমার
দৃষ্টি তার অনুসরণ করলো ৷ পরে বুঝলাম যে, এ জিনিস নিয়ে যাওয়া হাব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)


وَمِنْهَا حَدِيثُ الثَّوْرِيِّ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ الدَّارِيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّكَ إِنِ اتَّبَعْتَ عَوْرَاتِ النَّاسِ أَفْسَدَتْهُمْ، أَوْ كِدْتَ أَنْ تُفْسِدَهُمْ» ثُمَّ يَقُولُ أَبُو الدَّرْدَاءِ كَلِمَةٌ سَمِعَهَا مُعَاوِيَةُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ هُشَيْمٍ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْخِلَافَةُ بِالْمَدِينَةِ، وَالْمُلْكُ بِالشَّامِ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، ثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي بُسْرٌ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ إِذْ رَأَيْتُ عَمُودَ الْكِتَابِ احْتُمِلَ مِنْ تَحْتِ رَأْسِي، فَظَنَنْتُ أَنَّهُ مَذْهُوبٌ بِهِ، فَأَتْبَعْتُهُ بَصَرِي، فَعُمِدَ بِهِ إِلَى الشَّامِ، أَلَّا وَإِنَّ الْإِيمَانَ، حِينَ تَقَعُ الْفِتَنُ، بِالشَّامِ» وَهَاهُنَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ الْبَتْلَهِيِّ بِهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ، وَرُوِيَ
পৃষ্ঠা - ৫০৪৩
مِنْ وَجْهٍ آخَرَ. ثُمَّ سَاقَهُ مِنْ طَرِيقِ عُقْبَةَ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الدِّمَشْقِيِّ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي رَأَيْتُ أَنَّ عَمُودَ الْكِتَابِ انْتُزِعَ مِنْ تَحْتِ وِسَادَتِي، فَنَظَرْتُ فَإِذَا هُوَ نُورٌ سَاطِعٌ عُمِدَ بِهِ إِلَى الشَّامِ، أَلَا إِنَّ الْإِيمَانَ، إِذَا وَقَعَتِ الْفِتَنُ، بِالشَّامِ» ثُمَّ أَوْرَدَهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ نَحْوَهُ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: " فَأَتْبَعْتُهُ بَصَرِي حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ مَذْهُوبٌ بِهِ ". قَالَ: " وَإِنِّي أَوَّلْتُ أَنَّ الْفِتَنَ إِذَا وَقَعَتْ، أَنَّ الْإِيمَانَ بِالشَّامِ» قَالَ الْوَلِيدُ: وَحَدَّثَنِي عُفَيْرُ بْنُ مَعْدَانَ، أَنَّهُ سَمِعَ سُلَيْمَ بْنَ عَامِرٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي نَصْرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْحِمْصِيُّ، ثَنَا أَبِي أَبُو ضَمْرَةَ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَيْسٍ، سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " رَأَيْتُ عَمُودًا مِنْ نُورٍ خَرَجَ مِنْ تَحْتِ رَأْسِي سَاطِعًا حَتَّى اسْتَقَرَّ بِالشَّامِ» وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫০৪৪
قَالَ رَجُلٌ يَوْمَ صِفِّينَ: اللَّهُمَّ الْعَنْ أَهْلَ الشَّامِ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: لَا تَسُبَّ أَهْلَ الشَّامِ جَمًّا غَفِيرًا، فَإِنَّ بِهَا الْأَبْدَالَ، فَإِنَّ بِهَا الْأَبْدَالَ، فَإِنَّ بِهَا الْأَبْدَالَ. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ثَنَا صَفْوَانُ، حَدَّثَنِي شُرَيْحٌ، يَعْنِي ابْنَ عُبَيْدٍ الْحَضْرَمِيَّ، قَالَ: ذُكِرَ أَهْلُ الشَّامِ عِنْدَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَهُوَ بِالْعِرَاقِ، فَقَالُوا: الْعَنْهُمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: لَا، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الْأَبْدَالُ يَكُونُونَ بِالشَّامِ، وَهُمْ أَرْبَعُونَ رَجُلًا، كُلَّمَا مَاتَ رَجُلٌ أَبْدَلَ اللَّهُ مَكَانَهُ رَجُلًا، يُسْقَى بِهِمُ الْغَيْثُ، وَيُنْتَصَرُ بِهِمْ عَلَى الْأَعْدَاءِ، وَيُصْرَفُ عَنْ أَهْلِ الشَّامِ بِهِمُ الْعَذَابُ.» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَفِيهِ انْقِطَاعٌ، فَقَدْ نَصَّ أَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ عَلَى أَنَّ شُرَيْحَ بْنَ عُبَيْدٍ هَذَا لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي أُمَامَةَ وَلَا مِنْ أَبِي مَالِكٍ الْأَشْعَرِيِّ، وَأَنَّ رِوَايَتَهُ عَنْهُمَا مُرْسَلَةٌ. فَمَا ظَنُّكَ بِرِوَايَتِهِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَهُوَ أَقْدَمُ وَفَاةً مِنْهُمَا؟!
পৃষ্ঠা - ৫০৪৫

বলেন, আমি এ স্বপ্নের অর্থ এই বুঝেছি যে, যখন ফিত্নার উদ্ভব হবে তখন ঈমান সিরিয়ার
আশ্রয় নেবে ৷ ওলীদ বলেন, আমার সুত্রে আবুউমামা থেকেও আমি এ হাদীস শুনেছি ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান নড়াসর ইবন মুহাম্মদ সুত্রে উমর ইবন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আমি একবার স্বপ্নে দেখলাম, নুরের একটি স্তম্ভ আমার
শিয়রেব নিচ থেকে উঠে উচু হয়ে সিরিয়ার গিয়ে অবস্থান নিল ৷ আবদুর রাবৃযাক মামার সুত্রে
আবদুল্লাহ্ ইবন সাফওয়ান থেকে বর্ণনা করেন, সিফ্ফীবের যুদ্ধকালে এক ব্যক্তি বললো :
ণ্এেপু ৷ ধ্াণ্৷ ৷ ,এ ৷ স্পোয়৷ ৷ (হে আল্লাহ! সিরিয়াবাসীদেরকে রহমত থেকে দুরীভুত কর) ৷
হযরত আলী তাকে বললেন, সিরিয়ার সকল মানুষকে পালি দিও না, কারণ সেখানে বহু
আবদাল১ আছেন ৷ সেখানে বহু আবদাল আছেন ৷ সেখানে বহু আবদাল আছেন : ; ৷ ,:১া
এ ৷ ণ্এে৷ ৷ ৷ আবদুর রায্যাক অন্য সুত্রেও আলী থেকে এ হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ ,

ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ সুত্রে শুরায়হ্ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হযরত আলী
ইরাকে থাকাকালে লোকজন তাকে এই বলে অনুরোধ জালাল যে, হে আমীরুল মু’মিনীন !
সিরিয়াবাসীদের উপর অভিশাপ করুন ৷ আলী বললেন, না, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে
শুনেছি যে, সিরিয়ার আবদালবাসী থাকবেন ৷ আবদাল ৪০ জন লেক বন্দো, তাদের একজন
মারা গেলে আল্লাহ্ অন্য একজন দ্বারা সে স্থান পুরণ করে দেন ৷ তাদের অসীলায় আল্লাহ্র
নিকট বৃষ্টি কামনা করা হয়, তাদেরকে মাধ্যম করে শত্রুর উপর জয়ী হবার আবেদন করা হয়,
তাদের কারণেই সিরিয়াবাসীদের থেকে আমার সরিয়ে নেয়া হয় ৷ এ বর্ণনা কেবল ইমাম
আহমদই করেছেন ৷ এর সনদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা আছে অর্থাৎ সনদের মধ্য থেকে বর্ণনাকারী
বাদ পড়েছেন ৷ আবু হাতিম রাযী বলেন, শুরায়হ্ ইবন উবায়দ আবু উমামা ও আবদুল মালিক
কারও থেকে শ্রবণ করেন নইি ৷ উভয়ের থেকেই মুরসাল বর্ণনা করেছেন ৷ সুতরাং তিনি আলী
(রা) থেকে কিভাবে সরাসরি বর্ণনা করতে পারেন ৷ অথচ আলী (বা) ঐ দু’জলের আগেই
ইনতিকাল করেন ৷

সাইপ্রাসে নৌ-যােদ্ধাদের সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম মালিক ইসহাক সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা)
উষ্মে হারাম বিনৃত মিলহানের নিকট যাতায়াত করতেন ৷২ উম্মে হারাম রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
আহার দান করতেন ৷ উষ্মেহারাম উবাদা ইবন সামিতের শ্রী ছিলেন ৷ একদা রাসুলুল্লাহ্ (না)
তার নিকট গমন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তিনি খাবার পরিবেশন করেন ৷ খাওয়া শেষ হলে
তিনি রাসুলের মাথার চুল বাছতে থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘুমিয়ে পড়েন ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি
হাসতে হাসতে ঘুম থেকে জেগে উঠেন ৷ উষ্মে হারাম তাকে হাসার কারণ জিজ্ঞেস করলে
রাসুলুল্লাহ্ (না) বলেন, আমার উষ্মতের কিছু সংখ্যক লোককে আমার সম্মুখে পেশ করা হয় ৷

তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে ৷ এই সমুদ্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে ৷ তারা রাজকীয়

১ আবদালের ব্যাখ্যা সামান্য পরেই আসছে ৷

২ উষ্মে হারাম বিনৃত মিলহান রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুধ সম্পর্কীয় খালা ৷ সুতরাং মাহ্রাম হওয়ার কারণে শরীয়ত
মতে দেখা সাক্ষাতে আপত্তি ছিল না ৷


[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ غَزَاةِ الْبَحْرِ إِلَى قُبْرُصَ] َ الَّتِي كَانَتْ فِي أَيَّامِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ مَالِكٌ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَدْخُلُ عَلَى أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ فَتُطْعِمُهُ، وَكَانَتْ تَحْتَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، فَدَخَلَ عَلَيْهَا يَوْمًا فَأَطْعَمَتْهُ، ثُمَّ جَلَسَتْ تَفْلِي رَأْسَهُ، فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ. قَالَتْ: فَقُلْتُ: مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَيَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ يَرْكَبُونَ ثَبَجَ هَذَا الْبَحْرِ، مُلُوكًا عَلَى الْأَسِرَّةِ " - أَوْ " مِثْلَ الْمُلُوكِ عَلَى الْأَسِرَّةِ ". شَكَّ إِسْحَاقُ - فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَدَعَا لَهَا، ثُمَّ وَضَعَ رَأْسَهُ فَنَامَ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ. قَالَتْ: قُلْتُ: مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَيَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ ". كَمَا قَالَ فِي الْأُولَى قَالَتْ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَقَالَ: " أَنْتِ مِنَ الْأَوَّلِينَ ". قَالَ: فَرَكِبَتْ أُمُّ حَرَامٍ بِنْتُ مِلْحَانَ الْبَحْرَ فِي زَمَانِ مُعَاوِيَةَ، فَصُرِعَتْ عَنْ دَابَّتِهَا حِينَ خَرَجَتْ مِنَ الْبَحْرِ فَهَلَكَتْ» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، وَمُسْلِمٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، كِلَاهُمَا عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ وَحَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، كِلَاهُمَا عَنْ يَحْيَى بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫০৪৬


আসনে অধিষ্ঠিত থাকবে ৷ অথবা বলেছেন, রাজকীয় আসনে উপবিষ্ট রাজা-বাদশাদেব ন্যায়
তাদের অবস্থান হয়ে ৷ এটি বর্ণনাকারী ইসহাকের সন্দেহ ৷ উম্মে হারাম বলেন, আমি বললাম,
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আল্লাহর নিকট দৃআ করুন, আমাকে যেন তিনি ঐ দলের অন্তর্ভুক্ত করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার জন্য দৃআ করলেন ৷ পুনরায় তিনি মাথা এলিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন
এবং কিছুক্ষণ পর জেগে হাসতে লাগলেন ৷ উম্মে হারাম বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া
রাসুলুল্লাহ্ আপনার হাসার কারণ কি? পুর্বের ন্যায় তিনি উত্তর দিলেন যে, আমার কতিপয়
উম্মতকে আমার সম্মুখে পেশ কর হয়, যারা আল্লাহ্র পথে লড়াই করবে ৷ উষ্মে হারাম বলেন,
ইয়া রাসুলুল্লাহ্! দৃআ করুন, আল্পাহ্ যেন আমাকে সে দলের অন্তর্ভুক্ত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেন, তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভুক্ত ৷ আনাস বলেন, মুআবিয়ার আমলে উষ্মে হারাম সমুদ্র
থেকে স্থলে অবতরণ করার পর বাহনে আরোহণ করলে নিচে পড়ে গিয়ে ইনতিকাল করেন ৷
বুখারী আবদুল্পাহ্ ইবন ইউসুফ সুত্রে এবং মুসলিম ইয়াহ্ইয়া ইবন ইয়াহ্ইয়ার সুত্রে এবং উম্মে

মালিক থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিম আপন আপন গ্রন্থে লায়ছ ও হাষ্মড়াদ
সুত্রে আনাস ইবন মালিকের মাধ্যমে তার খালা উষ্মে হারাম বিনৃত মিলহান থেকে উপরোক্ত
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এ বর্ণনায় এ কথা অতিরিক্ত আছে যে, তিনি আপন স্বামী উবাদা
ইবন সামিতের সাথে প্রথম পর্যায়ের যােদ্ধারুপে মুআবিয়ার সাথে সমুদ্র অতিক্রম করেন,
অথবা বলেছেন, মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ানের সাথে প্রথম দলের মধ্যে তিনি সমুদ্র যাত্রা
করেন ৷ যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করে যখন তারা সিরিয়ার অবতরণ করে, তখন উম্মে হারামের
আরোহণের জন্য একটি বাহন আনা হয় ৷ এ বাহনে উঠতে গেলে বাহন তড়াকে ফেলে দেয় এবং
তাতে তার মৃত্যু হয় ৷ বুখারী আবু ইসহাক আল-ফাজারী সুত্রে আনাস থেকেও এ হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ মামার সুত্রে উম্মে সুলড়ায়মের বোন থেকে উপরোক্ত বর্ণনা
করেছেন ৷

রোমের যুদ্ধ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী

বুখারী বলেন, ইসহাক ইবন ইয়াযীদ দিমাশকী উমায়র ইবন আসওয়ড়াদ আনাসী
থেকে বর্ণনা করেন ৷ উমায়র বলেন, আমি একবার উবাদা ইবন সামিতের নিকট উপস্থিত হই ৷
ঐ সময় তিনি হিম্স উপকুলে নিজের র্তাবুতে অবস্থান করছিলেন ৷ তার সাথে তার (শ্রী) উষ্মে
হারাম্ও ছিলেন ৷ উমম্মের বলেন, উষ্মে হারাম আমাদের নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, আমার উষ্মাতের একটি দল প্রথম সমুদ্র পথে যুদ্ধ করবে, এবং এ যুদ্ধের ফলে
তাদের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে ৷ উষ্মে হারাম বলেন, আমি তখন বললাম, ইয়া
রাসুলাল্পাহ্ ! আমি কি তাদের মধ্যে থাকবাে ? তিনি বললেন : হী, তুমি তাদের মধ্যে থাকবে ৷
এরপর নবী কয়ীম (সা) বললেন, আমার উষ্মতের প্রথম যে দলটি কায়সারের দেশে যুদ্ধ
করবে, তাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করা হবে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি
তাদের অন্তর্ভুক্ত থাকাবা? তিনি বললেন, না ৷ সিহাহ্ সিত্তার মধ্যে কেবল বুখারীতেই এ
হাদীসটি আছে ৷ বায়হাকী দালাইলুন নবুওতে হাকিমের সুত্রে ইয়াহ্ইয়া ইবন হাম্যা থেকে
অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন৷ এ হাদীসের মধ্যে নবুওতের তিনটি প্রমাণ রয়েছে ৷ তার
একটি হলো, প্রথম নৌ-যুদ্ধ সম্পর্কে যা হি ২৭ সনে মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান পরিচালনা


سَعِيدٍ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ خَالَتِهِ أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ، فَذَكَرَ الْحَدِيثِ، إِلَى أَنْ قَالَ: «فَخَرَجَتْ مَعَ زَوْجِهَا عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ غَازِيَةً أَوَّلَ مَا رَكِبُوا مَعَ مُعَاوِيَةَ، أَوْ أَوَّلَ مَا رَكِبَ الْمُسْلِمُونَ الْبَحْرَ مَعَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَلَمَّا انْصَرَفُوا مِنْ غَزَاتِهِمْ قَافِلِينَ فَنَزَلُوا الشَّامَ، فَقُرِّبَتْ إِلَيْهَا دَابَّةٌ; لِتَرْكَبَهَا، فَصَرَعَتْهَا فَمَاتَتْ» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسَحْاقَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي طُوَالَةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ. وَأَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ مَعْمَرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُخْتِ أُمِّ سُلَيْمٍ الرُّمَيْصَاءِ، وَهِيَ أُمُّ حَرَامٍ، فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ مَا قِيلَ فِي قِتَالِ الرُّومِ. حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَزِيدَ الدِّمَشْقِيِّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، أَنَّ عُمَيْرَ بْنَ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ أَتَى عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ وَهُوَ نَازِلٌ فِي سَاحَةِ حِمْصَ، وَهُوَ فِي بِنَاءٍ لَهُ وَمَعَهُ أُمُّ حَرَامٍ. قَالَ عُمَيْرٌ: «فَحَدَّثَتْنَا أُمُّ حَرَامٍ أَنَّهَا
পৃষ্ঠা - ৫০৪৭
سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " أَوَّلُ جَيْشٍ مِنْ أُمَّتِي يَغْزُونَ الْبَحْرَ قَدْ أَوْجَبُوا ". قَالَتْ أُمُّ حَرَامٍ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا فِيهِمْ؟ قَالَ: " أَنْتِ فِيهِمْ ". قَالَتْ: ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَوَّلُ جَيْشٍ مِنْ أُمَّتِي يَغْزُونَ مَدِينَةَ قَيْصَرَ مَغْفُورٌ لَهُمْ ". قُلْتُ: أَنَا فِيهِمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " عَنِ الْحَاكِمِ، عَنْ أَبِي عَمْرِو بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ الْخَطِيبِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ الْقَاضِي بِهِ. وَهُوَ يُشْبِهُ مَعْنَى الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ، وَفِيهِ مِنْ دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ ثَلَاثٌ; إِحْدَاهَا الْإِخْبَارُ عَنِ الْغَزْوَةِ الْأُولَى فِي الْبَحْرِ، وَقَدْ كَانَتْ فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ مَعَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، حِينَ غَزَا قُبْرُصَ وَهُوَ نَائِبُ الشَّامِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَكَانَتْ مَعَهُمْ أُمُّ حَرَامٍ بِنْتُ مِلْحَانَ هَذِهِ، صُحْبَةَ زَوْجِهَا عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَحَدِ النُّقَبَاءِ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ، فَتُوُفِّيَتْ مَرْجِعَهُمْ مِنَ الْغَزْوِ; قِيلَ: بِالشَّامِ. كَمَا تَقَدَّمَ فِي الرِّوَايَةِ عِنْدَ الْبُخَارِيِّ. وَقَالَ ابْنُ زَبْرٍ: تُوُفِّيَتْ بِقُبْرُصَ سَنَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ. وَالْغَزْوَةُ الثَّانِيَةُ غَزْوَةُ قُسْطَنْطِينِيَّةَ مَعَ أَوَّلِ جَيْشٍ غَزَاهَا، وَكَانَ أَمِيرُهَا يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَذَلِكَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ، وَكَانَ مَعَهُمْ أَبُو أَيُّوبَ خَالِدُ بْنُ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ، فَمَاتَ هُنَالِكَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، وَلَمْ تَكُنْ هَذِهِ الْمَرْأَةُ مَعَهُمْ; لِأَنَّهَا كَانَتْ قَدْ تُوُفِّيَتْ قَبْلَ ذَلِكَ فِي الْغَزْوَةِ الْأُولَى. فَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ ثَلَاثُ آيَاتٍ مِنْ دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ; الْإِخْبَارُ عَنِ الْغَزْوَتَيْنِ، وَالْإِخْبَارُ عَنِ الْمَرْأَةِ بِأَنَّهَا مِنَ الْأَوَّلِينَ وَلَيْسَتْ مِنَ الْآخَرِينَ، وَكَذَلِكَ وَقَعَ كَمَا أَخْبَرَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৫০৪৮
[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ غَزْوَةِ الْهِنْدِ] الْإِخْبَارُ عَنْ غَزْوَةِ الْهِنْدِ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ جَبْرِ بْنِ عَبِيدَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ «وَعَدَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ الْهِنْدِ، فَإِنِ اسْتُشْهِدْتُ كُنْتُ مِنْ خَيْرِ الشُّهَدَاءِ، وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ» . رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ هُشَيْمٍ وَزَيْدِ بْنِ أُنَيْسَةَ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ جَبْرٍ - وَيُقَالُ: جُبَيْرٌ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: وَعَدَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ الْهِنْدِ. وَذَكَرَهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا الْبَرَاءُ عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «حَدَّثَنِي خَلِيلِي الصَّادِقُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ " يَكُونُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ بَعْثٌ إِلَى السِّنْدِ وَالْهِنْدِ " فَإِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُ فَاسْتُشْهِدْتُ فَذَاكَ، وَإِنْ أَنَا - فَذَكَرَ كَلِمَةً - رَجَعْتُ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ; قَدْ أَعْتَقَنِي مِنَ النَّارِ.» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَقَدْ غَزَا الْمُسْلِمُونَ الْهِنْدَ فِي أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ، وَكَانَتْ هُنَالِكَ أُمُورٌ سَيَأْتِي بَسْطُهَا فِي مَوْضِعِهَا، وَقَدْ غَزَا الْمَلِكُ الْكَبِيرُ الْجَلِيلُ مَحْمُودُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫০৪৯

করেন ৷ এটা ছিল সাইপ্রাসের যুদ্ধ ৷ তখন তিনি সিরিয়ার হযরত উছমান (রা)-এর প্রতিনিধি
ছিলেন ৷ এ যুদ্ধে উবাদা ইবন সামিতের শ্রী উম্মে হারাম বিন্ত মিলহান শরীক ছিলেন ৷ উবাদা
(রা) আকাবার শপথকারীদের অন্যতম নকীব ৷ ইমাম বুখারীর বর্ণনা অনুযায়ী এ যুদ্ধ থেকে
প্রত্যাবর্তন করার পর ২৭ হিজরীতে তিনি নিহত হন ৷ ইবন যায়দের মতে ঐ সনেই তিনি
সাইপ্রারুসৃ মৃত্যুবরণ করেন ৷ দ্বিতীয় যুদ্ধ হলো কনন্টান্টিনােপলের (হাদ্ব) যুদ্ধ ৷ এ
অভিযানের নেতৃত্ব দেন ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান ৷ হি ৫২ সনে এ যুদ্ধ
সংঘটিত হয় ৷ হযরত আবু অইিয়ুব খালিদ ইবন যায়দ আল আনসারী (বা) এ যুদ্ধে শরীক
ছিলেন ৷ কনষ্টান্টিনোপলে ইনতিকাল করেন ৷ উম্মে হারাম বিনৃত মিলহান এ যুদ্ধে শরীক

ছিলেন না ৷ কারণ, এর আগে প্রথম যুরুইে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ সুতরাং দেখা গেল যে,
এই হাদীসের মধ্যে নবী করীম (সা) এর তিনটি ভবিষ্যদ্বাণী পরবর্তীকালে বাস্তবায়িত হয় ৷

দুইটি যুদ্ধ এবং তৃতীয়টি উষ্মে হারামের প্রথম যুদ্ধে মারা যাওয়া ৷

হিন্দুস্তানের যুদ্ধ সম্পর্কে ডৰিৰযোণী

ইমাম আহমদ হুশায়ম সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) হিন্দুস্তান (ভারতবর্ষ) এর যুদ্ধ সম্পর্কে আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ যদি
আমি যে যুদ্ধে শহীদ হতে পারি তবে আমি হবো একজন উত্তম শহীদ, আর যদি আমি ফিরে
আসি তবে আমি হবো (জাহান্নাম থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত ৷ আবু হুরায়রা ও নাসাঈ এ হাদীস
হুশায়ম জুবায়র সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আহমদ ইয়াহ্ইয়া
ইবন ইসহাক সুত্রে আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমার পরম বন্ধু
মহাসতবােদী রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, এই উষ্মতের মধ্য হতে হিন্দুস্তান ও সিন্ধু দেশে
অভিযান পরিচালিত হবে“ ৷ যদি আমি যে পর্যন্ত বেচে থাকি,তবে শহীদ হওয়ার বাসনা রাখি ৷
আর যদি আমি প্রত্যাবতনি করি তবে আমাকে (বর্ণনাকারী আবু হ্বায়রাকে) আল্লাহ দোযখ
থেকে মুক্তি দিয়ােড্ডা এমন অবস্থায় প্রত্যাবর্ভা করবো ৷ এ হাদীস কেবল ইমাম আহমদই
বর্ণনা করেছেন ৷ বস্তুত ইি ৪৪ সনে মুআবিয়ার আমলে মুসলমানগণ হিন্দুস্তানে অভিযান
পরিচালনা করেন ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমরা পরে করবো ৷ গযনীর বিখ্যাত
সুলতান মাহ্মুদ হিন্দুস্তানে চতৃর্দিক থেকে আক্রমণ করেন ৷ এ আক্রমণে তিনি হিফ্তোনে প্রবেশ
করে শত্রু নিধন করেন, তাদের অনেককে বন্দী করেন এবং বিপুল পরিমাণ গনীমতের মাল
হস্তগত করেন ৷ তিনি সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেন এবং সেখানকার প্রধান মুর্তি বিধ্বস্থ করেন
এবং বিপুল পরিমাণ তরবারি ও মাল প্রভৃতি হস্তগত করে আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে নির্বিঘ্নে
প্রত্যাবর্তন করেন ৷

তুর্কীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম বুখারী আবুল ইয়ামান আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্
(সা) বলেছেন, কিয়ামত ততদিন পর্যন্ত হয়ে না যতদিন না তোমরা এমন একটি জাতির সাথে
লড়াই করবে, যাদের জুতা পশমের তৈরী এবং যতদিন না ভুর্কিদেৱ সাথে লড়াই করবে যাদের


سُبُكْتِكِينَ صَاحِبُ غَزْنَةَ فِي حُدُودِ أَرْبَعِمِائَةٍ بِلَادَ الْهِنْدِ، فَوَغَلَ فِيهَا وَقَتَلَ وَأَسَرَ وَسَبَى وَغَنِمَ وَدَخَلَ السُّومَنَاتَ، وَكَسَرَ الْبُدَّ الْأَعْظَمَ الَّذِي يَعْبُدُونَهُ، وَاسْتَلَبَ شُنُوفَهُ وَقَلَائِدَهُ، ثُمَّ رَجَعَ سَالِمًا مُؤَيِّدًا مَنْصُورًا، كَمَا سَيَأْتِي. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قِتَالِ التُّرْكِ] فَصْلٌ فِي الْإِخْبَارِ عَنْ قِتَالِ التُّرْكِ كَمَا وَقَعَ، سَنُبَيِّنُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ ثِقَةٌ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَنَا شُعَيْبٌ، ثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعْرُ، وَحَتَّى تُقَاتِلُوا التُّرْكَ صِغَارَ الْأَعْيُنِ، حُمْرَ الْوُجُوهِ، ذُلْفَ الْأُنُوفِ، كَأَنَّ
পৃষ্ঠা - ৫০৫০

চোখ ছেটি, চেহারা লাল, নাক বেড়াচা, মুখমণ্ডল ঢালের ন্যায় সমতল ৷ সেই লোককে তোমরা
সর্বোৎকৃষ্ট পারে যে শাসন ক্ষমতাকে অপছন্দ করবে এবং বাধ্য করে তাকে সে দায়িত্ব দেয়া
হবে ৷ মানুষ খনির ন্যায় ৷ জাহিলী যুগে যে ব্যক্তি উত্তম ইসলাম গ্রহণের পরও সে উত্তম ৷ এমন
এক সময় তোমাদের উপর আসবে, যখন তোমাদের কেউ আমাকে দেখতে পাওয়াকে তার
পরিবারবর্গ ও সম্পদের চেয়ে অধিক ভালবাসবে এ সুত্রটি বুখারীর একার ৷
বুখারী ইয়াহ্ইয়া সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ নবী করীম (সা)
বলেছেন : আরবের বাইরে খােয ও কিরমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পুর্বে কিয়ামত সংঘটিত হয়ে
না ৷ তাদের চেহারা রক্তিম বর্ণের, নাক বেড়াচা, চোখ ছেটি, মুখমন্ডল চালের ন্যায় সমতল এবং
তারা পায়ে পশমের জুতা পরিধান করে ৷ ইয়াহ্ইয়া ছাড়া আরও অনেকে এ হাদীসটির সমর্থনে
আবদুর রায্যাক থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন, আবদুর রায্ষাকের
বর্ণনায় থােয শব্দ এসেছে-এটা ভুল-প্রকৃতপক্ষে শব্দটি হচ্ছে জোয ও কিরমান এ দু’টি ৷ প্রাচ্যের
দু’টি প্রসিদ্ধ , দেশের নাম ৷ ইমাম আহমদ সুফিয়ান সুত্রে আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ নবী করীম (সা) বলেছেন, এমন একটি জাতির সাথে যুদ্ধ করার আগে কিয়ামত
ৎঘটিত হবে না, যাদের চেহারা চালের ন্যায় সমতল এবং জুতা পশমের ৷ একমাত্র নাসাঈ
জ্যি সিহা সিত্তার অন্য সংকলকগণ সুফিয়ান থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী আলী ইবন আবদুল্লাহ আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,

আমি তিন বছর রাসুলুল্পাহ (সা)-এর সংসর্গ লাভ করেছি ৷ এই বছরগুলোতে রাসুলের কোন
হাদীস যাতে আমার থেকে ছুটে না যায় সে জন্য আমি বিশেষ যত্নবান ফ্লিাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্
র্দু(সা)-কে বলতে শুনেছি, তিনি হাত দ্বারা ইশারা করে বলেছেন, এভাবে কিয়ামতের পুর্বে

তোমরা এমন এক জাতির সাথে যুদ্ধ করবে, যাদের জুতা পশমের ৷ এই যে বাবিয ৷ সুফিয়ান

বলেছেন, তারা হবে বারিযের অধিবাসী ৷মুসলিম আবু কুরায়ব সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে

বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হয়ে না যতদিন না তোমরা এমন
একটি জাতির সাথে লড়াই করবে যাদেরচুজুতা পশমের তৈরী, মুখমন্ডল ঢালের ন্যায় সমতল,
চেহারা রক্তিম বর্ণ এবং চোখ ছোট ছেটি ৷ সুফিয়ান এদের পরিচয়ে বলেছেন, তারা বারিযের
অধিবাসী; বিক্ষ্ম আমার মতে শব্দটির মধ্যে কিছুটা রদবদল হয়েছে ৷ প্রকৃতপক্ষে শব্দটি হবে
রাবির-আর বাযির শব্দের অর্থ তাদের ভাষায় বাজার ( ;প্রু) ৷ ইমাম আহমদ আফ্ফান সুত্রে
আমর ইবন ছালাব থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : কিয়ামতের অন্যতম লক্ষণ
এই যে, তোমরা এমন একটি জাতির সাথে যুদ্ধ করবে যাদের জুতা হবে চুলের, অথবা
বলেছেন, তারা চুল দ্বারা জুতা তৈরী করে ৷ কিয়ামতের আর একটি লক্ষণ এই যে, চওড়া
মুখমন্ডল বিশিষ্ট একটি জাতির সাথে ণ্তামাদের যুদ্ধ হবে-তাদের মুখমন্ডল হবে ঢালের ন্যায়
সমতল ৷ বুখারী সুলায়মান সুত্রে ইবন হাযিম থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ বলা বাহুল্য,
সাহাবীগণের যুগের শেবাংন্থশ তৃর্কিদের সাথে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ৷ তাদের বিশাল বাহিনীর
সাথে মুসলমানদের লড়াই হয় এবং তারা শৌচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করে ৷ এ ব্যাপারে
বিস্তারিত আলোচনা যথান্থানে আসবে ৷


وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ، وَتَجِدُونَ مِنْ خَيْرِ النَّاسِ أَشَدَّهُمْ كَرَاهِيَةً لِهَذَا الْأَمْرِ حَتَّى يَقَعَ فِيهِ، وَالنَّاسُ مَعَادِنُ، خِيَارُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الْإِسْلَامِ، وَلَيَأْتِيَنَّ عَلَى أَحَدِكُمْ زَمَانٌ لَأَنْ يَرَانِي أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَهُ مِثْلُ أَهْلِهِ وَمَالِهِ ".» تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا يَحْيَى، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا خُوزًا وَكِرْمَانَ مِنَ الْأَعَاجِمِ، حُمْرَ الْوُجُوهِ، فُطْسَ الْأُنُوفِ، صِغَارَ الْأَعْيُنِ، كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ، نِعَالُهُمُ الشَّعْرُ ".» تَابَعَهُ غَيْرُهُ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ. وَقَدْ ذَكَرَ عَنِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ أَنَّهُ قَالَ: أَخْطَأَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ فِي قَوْلِهِ: خُوزًا. بِالْخَاءِ، وَإِنَّمَا هُوَ بِالْجِيمِ. قُلْتُ: خُوزٌ وَكِرْمَانُ بَلَدَانِ مَعْرُوفَانِ بِالشَّرْقِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ، نِعَالُهُمُ الشَّعْرُ» وَقَدْ رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ إِلَّا النَّسَائِيَّ، مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫০৫১
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا سُفْيَانُ قَالَ: قَالَ إِسْمَاعِيلُ: أَخْبَرَنِي قَيْسٌ قَالَ: أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ سِنِينَ لَمْ أَكُنْ فِي سِنِّي أَحْرَصَ عَلَى أَنْ أَعِيَ الْحَدِيثَ مِنِّي فِيهِنَّ سَمِعْتُهُ يَقُولُ; وَقَالَ هَكَذَا بِيَدِهِ: «بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ تُقَاتِلُونَ قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعْرُ وَهُوَ هَذَا الْبَارِزُ، وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً: وَهُمْ أَهْلُ الْبَازَرِ.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ وَوَكِيعٍ، كِلَاهُمَا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعْرُ، كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ، حُمْرُ الْوُجُوهِ، صِغَارُ الْأَعْيُنِ» قُلْتُ: وَأَمَّا قَوْلُ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ: هُمْ أَهْلُ الْبَازَرِ. فَالْمَشْهُورُ فِي الرِّوَايَةِ تَقْدِيمُ الرَّاءِ عَلَى الزَّايِ، وَلَعَلَّهُ تَصْحِيفٌ اشْتَبَهَ عَلَى الْقَائِلِ، مِنَ الْبَازَرِ; وَهُوَ السُّوقُ بِلُغَتِهِمْ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانَ، ثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، سَمِعْتُ الْحَسَنَ
পৃষ্ঠা - ৫০৫২
قَالَ: ثَنَا عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ تُقَاتِلُوا قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعْرُ - أَوْ: يَنْتَعِلُونَ الشَّعْرَ - وَإِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ تُقَاتِلُوا قَوْمًا عِرَاضَ الْوُجُوهِ، كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ وَأَبِي النُّعْمَانِ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ بِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ قِتَالَ التُّرْكِ وَقَعَ فِي آخِرِ أَيَّامِ الصَّحَابَةِ، قَاتَلُوا الْقَانَ الْأَعْظَمَ، فَكَسَرُوهُ كَسْرَةً عَظِيمَةً، عَلَى مَا سَنُورِدُهُ فِي مَوْضِعِهِ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ، بِحَوَلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ وَحُسْنِ تَوْفِيقِهِ. [خَبَرُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الْأَزْرَقُ، ثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدٍ، هُوَ ابْنُ سِيرِينَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ قَالَ: «كُنْتُ فِي الْمَسْجِدِ، فَجَاءَ رَجُلٌ فِي وَجْهِهِ أَثَرُ خُشُوعٍ، فَدَخَلَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَأَوْجَزَ فِيهِمَا، فَقَالَ الْقَوْمُ: هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ. فَلَمَّا خَرَجَ اتَّبَعْتُهُ حَتَّى دَخَلَ مَنْزِلَهُ، فَدَخَلْتُ مَعَهُ فَحَدَّثْتُهُ، فَلَمَّا اسْتَأْنَسَ قُلْتُ لَهُ: إِنَّ الْقَوْمَ لَمَّا دَخَلْتَ قَبْلُ الْمَسْجِدَ قَالُوا كَذَا، وَكَذَا قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ، وَاللَّهِ مَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ مَا لَا يَعْلَمُ، وَسَأُحَدِّثُكَ
পৃষ্ঠা - ৫০৫৩
أَنِّي رَأَيْتُ رُؤْيَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَصَصْتُهَا عَلَيْهِ; رَأَيْتُ كَأَنِّي فِي رَوْضَةٍ خَضْرَاءَ - قَالَ ابْنُ عَوْنٍ: فَذَكَرَ مِنْ خُضْرَتِهَا وَسِعَتِهَا - وَسَطُهَا عَمُودُ حَدِيدٍ، أَسْفَلُهُ فِي الْأَرْضِ وَأَعْلَاهُ فِي السَّمَاءِ، فِي أَعْلَاهُ عُرْوَةٌ. فَقِيلَ لِي: اصْعَدْ عَلَيْهِ. فَقُلْتُ: لَا أَسْتَطِيعُ. فَجَاءَ مِنْصَفٌ - قَالَ ابْنُ عَوْنٍ: وَهُوَ الْوَصِيفُ - فَرَفَعَ ثِيَابِي مِنْ خَلْفِي فَقَالَ: اصْعَدْ عَلَيْهِ. فَصَعِدْتُ حَتَّى أَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ، فَقَالَ: اسْتَمْسِكْ بِالْعُرْوَةِ. فَاسْتَيْقَظْتُ وَإِنَّهَا لَفِي يَدِي. قَالَ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَصَصْتُهَا عَلَيْهِ، فَقَالَ: " أَمَّا الرَّوْضَةُ فَرَوْضَةُ الْإِسْلَامِ، وَأَمَّا الْعَمُودُ فَعَمُودُ الْإِسْلَامِ، وَأَمَّا الْعُرْوَةُ فَهِيَ الْعُرْوَةُ الْوُثْقَى، أَنْتَ عَلَى الْإِسْلَامِ حَتَّى تَمُوتَ ". قَالَ: وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَوْنٍ. ثُمَّ قَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، فَذَكَرَهُ مُطَوَّلًا، وَفِيهِ قَالَ: «حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى جَبَلٍ زَلِقٍ، فَأَخَذَ بِيَدِي فَدَحَانِي، فَإِذَا أَنَا عَلَى ذِرْوَتِهِ، فَلَمْ أَتَقَارَّ وَلَمْ أَتَمَاسَكْ، وَإِذَا عَمُودُ حَدِيدٍ فِي ذِرْوَتِهِ حَلْقَةُ ذَهَبٍ، فَأَخَذَ بِيَدِي فَدَحَانِي حَتَّى أَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ.» وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ. وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، فَذَكَرَهُ وَقَالَ: حَتَّى أَتَى بِي جَبَلًا، فَقَالَ لِيَ:
পৃষ্ঠা - ৫০৫৪
اصْعَدْ. فَجَعَلْتُ إِذَا أَرَدْتُ أَنْ أَصْعَدَ خَرَرْتُ عَلَى اسْتِي، حَتَّى فَعَلْتُ ذَلِكَ مِرَارًا. وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لَهُ حِينَ ذَكَرَ رُؤْيَاهُ: " وَأَمَّا الْجَبَلُ فَهُوَ مَنْزِلُ الشُّهَدَاءِ، وَلَنْ تَنَالَهُ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذِهِ مُعْجِزَةٌ ثَانِيَةٌ، حَيْثُ أَخْبَرَ أَنَّهُ لَا يَنَالُ الشَّهَادَةَ. وَهَكَذَا وَقَعَ; فَإِنَّهُ مَاتَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعِينَ، فِيمَا ذَكَرَهُ أَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَامٍ وَغَيْرُهُ. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ مَوْتِ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ] الْإِخْبَارُ عَنْ مَوْتِ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ بِسَرِفَ قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ ": قَالَ مُوسَى بْنِ إِسْمَاعِيلَ: ثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَصَمِّ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ الْأَصَمِّ قَالَ: «ثَقُلَتْ مَيْمُونَةُ بِمَكَّةَ وَلَيْسَ عِنْدَهَا مِنْ بَنِي أَخِيهَا أَحَدٌ، فَقَالَتْ: أَخْرَجُونِي مِنْ مَكَّةَ فَإِنِّي لَا أَمُوتُ بِهَا، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَنِي أَنِّي لَا أَمُوتُ بِمَكَّةَ. فَحَمَلُوهَا حَتَّى أَتَوْا بِهَا سَرِفَ، إِلَى الشَّجَرَةِ الَّتِي بَنَى بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَهَا فِي مَوْضِعِ الْقُبَّةِ، فَمَاتَتْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا» قُلْتُ: وَكَانَ مَوْتُهَا سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ عَلَى الصَّحِيحِ
পৃষ্ঠা - ৫০৫৫

নিকট স্বপ্নের বিবরণ পেশ করেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, পাহাড় হচ্ছে শহীদদের স্থান ৷
তুমি এ স্থান লাভ করতে পারবে না ৷ বারহাকী বলেন, এটা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দ্বিতীয়
মৃজিযা ৷ কারণ, তিনি আবদুল্লাহ ইবন সালাম সম্পর্কে শহীদ না হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ৷
আর বাস্তবে তাই হয়েছে ৷ কেননা, তিনি হি তেতাল্লিশ সালে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন ৷ আবু
উবায়দ আন কাসিম ইবন সাল্লাম প্রমুখ ঐতিহাসিকপণ এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷

মায়মুনা ৰিন্ত হাঙ্গিহ এম মৃতুঙ্গোন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম বুখা রী তীর ইতিহাস গ্রন্থে মুসা ইবন ইসমঈল সুত্রে ইয়াযীদ ইবন আসম থেকে
বর্ণনা করেন; হযরত মায়মুনা মক্কায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ তার বোনের কোন সন্তান তথায়
উপস্থিত ছিল না ৷ লোকদেরকে তিনি বললেন, আমাকে মক্কার বাইরে নিয়ে যাও ৷ কারণ,
এখানে আমার মৃত্যু হবে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, আমার মৃত্যু
মক্কায় হবে না ৷ সুতরাং লোকজন র্তাকে মক্কার বাইরে সারিফ নামক স্থানে নিয়ে আসে এবং
র্তাবুর স্থানে অবস্থিত সেই বৃক্ষের নিকট রেখে দেয় যেখানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মায়মুনার সাথে
বাসর উদ্ষাপন করেছিলেন ৷ হযরত মায়মুনা (রা) তথায় ইনতিকাল করেন ৷ সঠিক মত
অনুসারে তার মৃত্যু হয়েছিল ইি একান্ন সালে ৷

দো ইৰ্ন আর্দী ও তার সাধীঙ্গেৰ হত্যা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ইবন বুকায়য় সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন রাযীন থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আমি শুনেছি, হযরত আলী (রা) একদা ঘোষণা করেন, হে ইরাকবাসীহ্র
তোমাদের মধ্য থেকে সাত ব্যক্তি আষ্রা’ নামক স্থানে নিহত হবে ৷ তাদের (অর্থাৎ
হত্যাকারীদের) পরিণতি হবে অগ্নিকুন্ডৰাসীদের পরিণতির মত১ ৷ পরবর্তীকালে হুজ্বর ইবন
আদী ও তার সাখীপণ নিহত হন ৷ আবু নুআয়ম্ বলেন, যিয়াদ ইবন সুমাইয়া মিম্বরে বসা
অবস্থায় হযরত আলীর কুৎসা বর্ণনা করলে হুজ্বর এক মুঠো কঙ্কর নিয়ে যিয়াদের প্রতি নিক্ষেপ
করেন ৷ যিয়াদ মুআবিয়াকে পত্র দ্বারা জানান যে, হুজ্বর আমাকে মিম্বরে বসা অবস্থায় আমার
প্রতি কঙ্কর নিক্ষেপ করেছে ৷ মুআবিয়া লিখিতভাবে যিয়াদকে জানান যে, হুজ্বরকে আমার
নিকট পাঠিয়ে দাও ৷ যখন তিনি দামিশকের সন্নিকটে পৌছেন তখন মুআবিয়া তাদের সাথে
সাক্ষাৎ করার জন্য কিছু লোক পাঠিয়ে দেন ৷ আয্রা নামক স্থানে উভয় পক্ষের সাক্ষাৎ হয় এবং
মুআবিরার দল হুজ্বর ও তার সাথীদেবকে হত্যা করে ৷ বায়হাকী বলেন, হযরত আলী এ
জাতীয় ভবিষ্যদ্বাণী রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট থেকে না শুনে বলেননি ৷

ইয়াকুব আবুল আসওয়াদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ মৃআবিয়া একদা হযরত আইশা (রা)-এর
নিকট গেলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, হুজ্বর ও তার সঙ্গীদেরকে কী কারণে হত্যা করেছ ?
মুআৰিয়া বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন ! আমি প্রত্যক্ষ করেছি যে, এদের হত্যা করার মধ্যে
জনগণের মঙ্গল নিহিত আছে; পক্ষাম্ভার এদেরকে ছেড়ে দিলে ফিত্না-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে :

১ সুরা বুরুজের : নং আয়াতের প্ৰতি ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ প্রাচীনকালে এক কাফির বাদশাহ্

(ঘু-নুয়াস-ইয়েমেনের রাজা) তার কিছু প্ৰজাকে অগ্নিকুডে নিক্ষেপ করে হত্যা করেছিল ৷ তাদের অপরাধ
ছিস্ যে , অ্যা এক আন্নাহ্ব প্রতি ঈমান আনে ৷ পরিণতিতে এই রাজা তার রাজ্যসহ ধ্বংস হয় ৷


[إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ مَقْتَلِ حُجْرِ بْنِ عَدِيٍّ وَأَصْحَابِهِ] مَا رُوِيَ فِي إِخْبَارِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ مَقْتَلِ حُجْرِ بْنِ عَدِيٍّ وَأَصْحَابِهِ قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا ابْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زُرَيْرٍ الْغَافِقِيُّ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ يَقُولُ: يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، سَيُقْتَلُ مِنْكُمْ سَبْعَةُ نَفَرٍ بِعَذْرَاءَ، مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ أَصْحَابِ الْأُخْدُودِ. فَقُتِلَ حُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ وَأَصْحَابُهُ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: ذَكَرَ زِيَادُ بْنُ سُمَيَّةَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَقَبَضَ حُجْرٌ عَلَى الْحَصْبَاءِ ثُمَّ أَرْسَلَهَا، وَحَصَبَ مَنْ حَوْلَهُ زِيَادًا، فَكَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ يَقُولُ: إِنَّ حُجْرًا حَصَبَنِي وَأَنَا عَلَى الْمِنْبَرِ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ أَنْ يَحْمِلَ إِلَيْهِ حُجْرًا، فَلَمَّا قَرُبَ مِنْ دِمَشْقَ بَعَثَ مَنْ يَتَلَقَّاهُمْ، فَالْتَقَى مَعَهُمْ بِعَذْرَاءَ فَقَتَلَهُمْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: لَا يَقُولُ عَلَيٌّ مِثْلَ هَذَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ سَمِعَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৫০৫৬
لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ قَالَ: «دَخَلَ مُعَاوِيَةُ عَلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ: مَا حَمَلَكَ عَلَى قَتْلِ أَهْلِ عَذْرَاءَ حُجْرٍ وَأَصْحَابِهِ؟ فَقَالَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي رَأَيْتُ قَتْلَهُمْ صَلَاحًا لِلْأُمَّةِ، وَأَنَّ بَقَاءَهُمْ فَسَادٌ. فَقَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " سَيُقْتَلُ بِعَذْرَاءَ نَاسٌ يَغْضَبُ اللَّهُ لَهُمْ وَأَهْلُ السَّمَاءِ» وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَ: «دَخَلْتُ مَعَ مُعَاوِيَةَ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَقَالَتْ: يَا مُعَاوِيَةُ، قَتَلْتَ حُجْرًا وَأَصْحَابَهُ، وَفَعَلْتَ الَّذِي فَعَلْتَ، أَمَّا خَشِيتَ أَنْ أُخَبِّئَ لَكَ رَجُلًا فَيَقْتُلَكَ؟ قَالَ: لَا، إِنِّي فِي بَيْتِ أَمَانٍ; سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " الْإِيمَانُ قَيَّدَ الْفَتْكَ، لَا يَفْتِكُ مُؤْمِنٌ ". يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، كَيْفَ أَنَا فِيمَا سِوَى ذَلِكَ مِنْ حَاجَاتِكَ؟ قَالَتْ: صَالِحٌ. قَالَ: فَدَعِينِي وَحُجْرًا حَتَّى نَلْتَقِيَ عِنْدَ رَبِّنَا، عَزَّ وَجَلَّ» حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، ثَنَا أَبِي، ثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَشَرَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ: " آخِرُكُمْ مَوْتًا فِي النَّارِ ". فِيهِمْ سَمُرَةُ بْنُ جُنْدُبٍ. قَالَ أَبُو نَضْرَةَ: فَكَانَ سَمُرَةَ آخِرُهُمْ مَوْتًا» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: رُوَاتُهُ ثِقَاتٌ; إِلَّا أَنَّ أَبَا نَضْرَةَ
পৃষ্ঠা - ৫০৫৭

হযরত অইিশা
(রা) বলেন, আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আয্রায় কিছু লোককে হত্যা করা হবে,
তাদের হত্যাকারীদের উপর আল্লাহ ও আকাশবাসীগণ অসভুষ্ট হবেন ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান মারওয়ান ইবন হাকাম থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একবার আমি মুআবিয়ার সাথে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আইশার নিকট যাই ৷ তিনি
মুআবিয়াকে বললেন, হুজ্বর ও তার সাথীদেরকে তুমি হত্যা করে নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছ ৷
তোমার কি এ ভয় নেই যে, লুকিয়ে থেকে কোন ব্যক্তি তোমাকে হত্যা করতে পারে ?
মুআবিয়া বললেন, জী না, আমি নিরাপদ ঘরে আছি ৷ আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
ঈমান নির্তীক লোকের অলংকার ৷ এটা কখনও লাঞ্ছিত হয় না, হে উম্মুল মু’মিনীন! কোন
মু’মিন ব্যক্তিই কাপুরুষ হয় না ৷ এ সব ব্যতীত আপনার প্রয়োজনে আমাকে আপনি কেমন
পেয়েছেন ? আইশা (রা) বললেন, উত্তম ? মুআবিয়া বললেন, মহা বিচারকের জন্য আমার ও
হুজ্বরের ব্যাপারটি ছেড়ে দিন ৷

আরেকটি ভবিষ্যদ্বাণী

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার দশজন সাহাবী সম্পর্কে বলেছেন যে, তোমাদের মধ্যে যে সর্বশেষে মারা যাবে, যে আগুনে
পুড়ে মরবে ৷ সামুরা ইবন জুনদুব (বা) ঐ দশজনের একজন ৷ আবু নায্রা বলেন, সাযুরার মৃত্যু
সকলের শেষে হয় ৷ বায়হাকী বলেন, এই হাদীসের সকল বর্ণনাকারী নির্ত্যযোগ্য তবে, আবু
হুরায়রায় থেকে আবু নাযরার শ্রবণ প্রমাণিত নয় ৷ বায়হাকী ইসমাঈল ইবন হাকিম আনাস
ইবন হাকিম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি মদীনায় শাসক ছিলাম ৷ আবু
হুরায়রায় সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় ৷ তিনি যেই কোন কাজ করতেন পুর্বেই সামুরা সম্পর্কে
আমার থেকে সংবাদ জেনে নিতেন ৷ সামুরার জীবিত থাকা ও সুস্থ অবস্থায় থাকার সংবাদ দিলে
তিনি খুশি হতেন ৷ আবু হুরায়রা (রা) বলেছেন, আমরা দশজন লোক এক ঘরে অবস্থান
করছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের নিকট আগমন করেন এবং সকলের চেহারার প্রতি দৃষ্টি
নিক্ষেপ করেন ৷ দুই চৌকাংঠ হাত রেখে তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে যার মৃত্যু শেষে হবে
সে আগুনে পুড়ে মারা যাবে ৷ আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমাদের ঐ দশজনের আটজনেরই
মৃত্যু হয়েছে সামুরা ও আমি ব্যতীত আর কেউ জীবিত নেই ৷ সুতরাং মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন
করার চাইতে অন্য কিছুই আমার নিকট প্রিয় নয় ৷ অন্য সুত্র দ্বারাও এ বর্ণনার সমর্থন পাওয়া
যায় ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আওস ইবন খালিদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি
যখনই আবু মাহয়ুরার নিকট গমন করতড়াম তখনই তিনি সামুরা সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস
করতেন ৷ আর যখন সামুরার নিকট গমন করতাম তখন তিনি আবু মাহযুরা সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করতেন ৷ একদা আমি আবুমাহয়ুরাকে বললাম, আপনার নিকট এলে সামুরা সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করেন, আর সামুরার নিকট গেলে তিনি আপনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, এর কারণ কি?
তিনি বললেন, একদা আমি, সামুরা ও আবু হুরায়রা এক ঘরে বসা ছিলাম ৷ নবী করীম (সা)
সেখানে উপস্থিত হন এবং বলেন, তোমাদের মধ্যে সর্বশেষে মৃত্যুবরণকারী আগুনে পুড়ে মারা
— : ৩


الْعَبْدِيَّ لَمْ يَثْبُتْ لَهُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ سَمَاعٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ حَكِيمٍ قَالَ: «كُنْتُ أَمُرُّ بِالْمَدِينَةِ فَأَلْقَى أَبَا هُرَيْرَةَ، فَلَا يَبْدَأُ بِشَيْءٍ حَتَّى يَسْأَلَنِي عَنْ سَمُرَةَ، فَلَوْ أَخْبَرْتُهُ بِحَيَاتِهِ وَصِحَّتِهِ فَرِحَ وَقَالَ: إِنَّا كُنَّا عَشَرَةً فِي بَيْتٍ، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَامَ عَلَيْنَا، وَنَظَرَ فِي وُجُوهِنَا وَأَخَذَ بِعِضَادَتَيِ الْبَابِ وَقَالَ: " آخِرُكُمْ مَوْتًا فِي النَّارِ ". فَقَدْ مَاتَ مِنَّا ثَمَانِيَةٌ وَلَمْ يَبْقَ غَيْرِي وَغَيْرُهُ، فَلَيْسَ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَكُونَ قَدْ ذُقْتُ الْمَوْتَ» وَلَهُ شَاهِدٌ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ; وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، ثَنَا حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: «كُنْتُ إِذَا قَدِمْتُ عَلَى أَبِي مَحْذُورَةَ سَأَلَنِي عَنْ سَمُرَةَ، وَإِذَا قَدِمْتُ عَلَى سَمُرَةَ سَأَلَنِي عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ، فَقُلْتُ لِأَبِي مَحْذُورَةَ: مَالَكَ إِذَا قَدِمْتُ عَلَيْكَ تَسْأَلُنِي عَنْ سَمُرَةَ، وَإِذَا قَدِمْتُ عَلَى سَمُرَةَ سَأَلَنِي عَنْكَ؟ فَقَالَ: إِنِّي كُنْتُ أَنَا وَسَمُرَةَ وَأَبُو هُرَيْرَةَ فِي بَيْتٍ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " آخِرُكُمْ مَوْتًا فِي النَّارِ ". قَالَ: فَمَاتَ أَبُو هُرَيْرَةَ، ثُمَّ مَاتَ أَبُو مَحْذُورَةَ، ثُمَّ مَاتَ سَمُرَةَ» وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، سَمِعْتُ ابْنَ طَاوُسٍ وَغَيْرَهُ يَقُولُونَ: «قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي هُرَيْرَةَ وَلِسَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ وَلِرَجُلٍ آخَرَ: " آخِرُكُمْ مَوْتًا فِي النَّارِ ".
পৃষ্ঠা - ৫০৫৮
فَمَاتَ الرَّجُلُ قَبْلَهُمَا. وَبَقِيَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَسَمُرَةُ، فَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَغِيظَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: مَاتَ سَمُرَةَ. فَإِذَا سَمِعَهُ غَشِيَ عَلَيْهِ وَصُعِقَ، ثُمَّ مَاتَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَبْلَ سَمُرَةَ، فَقَتَلَ سَمُرَةُ بَشَرًا كَثِيرًا.» وَقَدْ ضَعَّفَ الْبَيْهَقِيُّ عَامَّةَ هَذِهِ الرِّوَايَات ِ; لِانْقِطَاعِ بَعْضِهَا وَإِرْسَالِهِ، ثُمَّ قَالَ: وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ: إِنَّ سَمُرَةَ مَاتَ فِي الْحَرِيقِ. ثُمَّ قَالَ: وَيَحْتَمِلُ أَنْ يُورَدَ النَّارَ بِذُنُوبِهِ، ثُمَّ يَنْجُو مِنْهَا بِإِيمَانِهِ، فَيَخْرُجُ مِنْهَا بِشَفَاعَةِ الشَّافِعِينَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ أَوْرَدَ مِنْ طَرِيقِ هِلَالِ بْنِ الْعَلَاءِ الرَّقِّيِّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُعَاوِيَةَ حَدَّثَهُمْ عَنْ رَجُلٍ قَدْ سَمَّاهُ، أَنَّ سَمُرَةَ اسْتَجْمَرَ فَغَفَلَ عَنْ نَفْسِهِ وَغَفَلَ أَهْلُهُ عَنْهُ حَتَّى أَخَذْتُهُ النَّارُ. قُلْتُ: وَذَكَرَ غَيْرُهُ أَنَّ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدُبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَصَابَهُ كُزَازٌ شَدِيدٌ، فَكَانَ يُوقَدُ لَهُ عَلَى قَدْرٍ مَمْلُوءَةٍ مَاءًا حَارًّا، فَيَجْلِسُ فَوْقَهَا; لِيَتَدَفَّأَ بِبُخَارِهَا، فَسَقَطَ يَوْمًا فِيهَا فَمَاتَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَكَانَ مَوْتُهُ سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ بَعْدَ أَبِي هُرَيْرَةَ بِسَنَةٍ، وَقَدْ كَانَ يَنُوبُ عَنْ زِيَادِ بْنِ سُمَيَّةَ فِي الْبَصْرَةِ إِذَا سَارَ إِلَى الْكُوفَةِ، وَفِي الْكُوفَةِ إِذَا سَارَ إِلَى الْبَصْرَةِ، فَكَانَ يُقِيمُ فِي كُلٍّ مِنْهُمَا سِتَّةَ أَشْهُرٍ مِنَ السَّنَةِ، وَكَانَ شَدِيدًا عَلَى الْخَوَارِجِ، يُكْثِرُ الْقَتْلَ فِيهِمْ، وَيَقُولُ: هُمْ شَرُّ قَتْلَى تَحْتَ أَدِيمِ السَّمَاءِ. وَقَدْ كَانَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ وَمُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ وَغَيْرُهُمَا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫০৫৯

যাবে ৷ আওস ইবন খালিদ বলেন, এদের মধ্যে প্রথমে আবু হুরায়রা, পরে আবু মাহবুরা এবং
সর্বশ্যেষ সামুরা ইনতিকাল করেন ৷

আবদুর রায্যাক মামার সুত্রে তাউস প্রমুখের নিকট থেকে বর্ণনা করেন ৷ তারা বলেছেন,
নবী করীম (সা) আবু হুরায়রা, সামুরা ইবন জুনদুব ও অপর এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বলেন,
তোমাদের মধ্যকার সর্বশেষে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিটি আগুনে পুড়ে মারা যাবে ৷ এদের মধ্যে
তৃতীয় ব্যক্তি প্রথমে মারা যায় এবং আবু হুরায়রা ও সামুরা জীবিত থাকেন ৷ অতঃপর কোন
লোক যদি আবু হুরায়রার উপর ক্ষিপ্ত হতো, তাকে বলভাে যে, সামুরা মারা গেছে ৷ এ কথা
শুনে আবু হুরায়রা চিৎকার দিতেন ও বেহুশ হয়ে যেতেন ৷

অতঃপর সামুরার মৃত্যুর পুর্বেই আবু হুরায়রার মৃত্যু হয় ৷ সামুরা বহু প্রচুর লোককে হত্যা
করেছেন ৷ বায়হাকী এ হাদীসের সমুদয় বর্ণনা সুত্রকে দুর্বল ( ব্র ; ) বলে মন্তব্য করেছেন ৷
কারণ, কোন সুত্রের মাঝের থেকে বা কোন সুত্রের শেষের থেকে বর্ণনাকারীর নাম বাদ পড়ে
গেছে (এ ৷ , ৷ ও & ৷া ও ৷ ) ৷ এ মন্তব্য করার পর বায়হাকী বলেন, কোন কোন আলিম
বলেছেন, সামুরা অগ্নিকুন্ডে পুড়ে মারা গেছেন ৷ এও হতে পারে যে, তাকে তার পাপের কারণে
দােযখে নিক্ষেপ করা হবে এবং পরে শাফাআতের দ্বারা ঈমান থাকার কারণে মুক্তি দেয়া হবে ৷
বায়হাকী হিলাল সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন মুআৰিয়া থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা সামুরা অগ্নি
প্রজ্জ্বলিত করে ৷ পরে তিনি আগুন থেকে বে-খিয়াল হয়ে পড়েন, পরিবারের ণ্লাকক্তনও যে
দিকে লক্ষ্য রাখে নি ৷ এক পর্যায়ে আগুন তার গায়ে ধরে যায় ৷ অপর একজন বর্ণনা করেছেন
যে, সাযুরার শরীরে আঘাত জনিত দারুণ ব্যথা অনুভব হয় ৷ একটি ডেগে পানি ভর্তি করে
গরম করা হয় এবং তাকে ভেগের উপরে বসার ব্যবস্থা করা হয়, যাতে পানির গরম লেগে
ব্যথার উপশম হয় ৷ একদিন তিনি সেই ফুটত্ত পানির মধ্যে পড়ে মারা যান ৷ আবু হুরায়রা (রা)
মৃত্যুর এক বছর পর উনষাট হিজরীতে সামুরার ইনতিকাল হয় ৷ যিয়াদ ইবন সুমাইয়া যখন
বসরা থেকে কুফায় যেতেন তখন সামুরা তার প্রতিনিধি হিসেবে বসরায় অবস্থান করতেন;
আবার যিয়াদ যখন কুফা থেকে বসরায় আসতেন, তখন সামুরা কুফায়তার প্রতিনিধিত্ব
করতেন ৷ সুতরাং বসরা ও কুফায় প্রতেত্রকটিতে তিনি ছয় মাস করে থাকতেন ৷ খারিজী
সম্প্রদায়ের প্রতি তিনি ছিলেন অত্যন্ত কঠোর ৷ তাদের অগণিত লোককে তিনি হত্যা করেছেন ৷
তিনি বলতেন, এ সব খারিজীরা হচ্ছে আকাশের নীচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক ৷ হাসান বসয়ী,
মুহাম্মদ ইবন সীরীন এবং বসরায় অন্যান্য আলিমগর্ণ সামুরার ভুয়সী প্রশংসা করেছেন ৷

রাফি ইবন খাদীজের ঘটনা

বায়হাকীইয়াহিয়া ইবন আবদুল হামীদ সুত্রে ইয়াহিয়ার দাদী থেকে বর্ণনা করেন যে,
রাফি ইবন খাদীজ তীর নিক্ষেপ করেছিলেন তীর ভুণী থেকে ৷ রাবী (বা) বলেন, এটা উহুদ না
হুনায়নের ঘটনা এ সম্পর্কে আমার জানা নেই ৷ যা হোক, রাফি“ রাসুল (না)-এর নিকট এসে
বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমাকে ভীরটি বের করে দিন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে রাফি !
তুমি চাইলে তীরের উভয় অংশ আমি বের করে দিতে পারি ৷ আর ইচ্ছা করলে এক অংশ
রেখে অপর অংশ বের করে আনতে পারি ৷ তবে তুমি যে আল্লাহ্র পথের একজন শহীদ এ
সাক্ষ্য আমি কিয়ামতে দেব ৷ তখন রাফি বললো, ইয়ড়া রাসুলাল্পাহ্! আমার দেহ থেকে কেবল


عُلَمَاءِ الْبَصْرَةِ يُثْنُونَ عَلَيْهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. [خَبَرُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجِ] رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُسْلِمِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَرْزُوقٍ الْوَاشِحِيِّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ جَدَّتِهِ أَنَّ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ رُمِيَ - قَالَ عَمْرٌو: «لَا أَدْرِي أَيُّهُمَا قَالَ; يَوْمَ أُحُدٍ أَوْ يَوْمَ حُنَيْنٍ - بِسَهْمٍ فِي ثَنْدُوَتِهِ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، انْزِعْ لِيَ السَّهْمَ. فَقَالَ لَهُ: " يَا رَافِعُ، إِنْ شِئْتَ نَزَعْتُ السَّهْمَ وَالْقُطْبَةَ جَمِيعًا، وَإِنْ شِئْتَ نَزَعْتُ السَّهْمَ وَتَرَكْتُ الْقُطْبَةَ، وَشَهِدْتُ لَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَنَّكَ شَهِيدٌ ". فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، انْزِعِ السَّهْمَ وَاتْرُكِ الْقُطْبَةَ، وَاشْهَدْ لِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَنِّي شَهِيدٌ. قَالَ: فَعَاشَ حَتَّى إِذَا كَانَ خِلَافَةُ مُعَاوِيَةَ انْتَقَضَ الْجُرْحُ فَمَاتَ بَعْدَ الْعَصْرِ» هَكَذَا وَقَعَ فِي هَذِهِ الرِّوَايَةِ أَنَّهُ مَاتَ فِي إِمَارَةِ مُعَاوِيَةَ، وَالَّذِي ذَكَرَهُ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّهُ مَاتَ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ - وَقِيلَ أَرْبَعٍ - وَسَبْعِينَ. وَمُعَاوِيَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَتْ وَفَاتُهُ فِي سَنَةِ سِتِّينَ بِلَا خِلَافٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ
পৃষ্ঠা - ৫০৬০

ভীরের এক অক্তাই বের করুন, অপর অংশ থাকতে দিন এবং কিয়ামতের দিন আপনি সাক্ষ্য
দেবেন যে, আমি একজন শহীদ ৷ ইয়াহিয়া বলেন, মুআবিয়ড়ার শাসনকালে একদা রাফির
শরীরের যখমকীচা হয়ে যায়, রক্ত প্রবাহিত হয় এবং আসরের পর তিনি ইনতিকাল করেনা
তবে ওয়াকিদী প্রমুখের বর্ণনা থেকে জানা য়ঢুয় যে, তিনি তিহাত্তর অথবা চুহাত্তর হিজরীতে
ইনতিকাল করেন ৷ অথচ হযরত মুআবিয়া সকলের মতে ইনতিকাল করেন ষাট হিজরীতে ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তিরোধানের পর বনু হাশিম থেকে
প্রকাশমান ফিত্না সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

ইমাম বুখারী মুহাম্মদ ইবন কাহীর ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ নবী
করীম (সা) বলেছেন, অতি শীঘ্রই এমন সব অবস্থা ও নিদর্শনাদি প্রকাশ পাবে, যেগুলোকে
তোমরা অপছন্দ করবে ৷ সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! সে সময়ে আমাদের কী
করতে বলেন ? তিনি বললেন, ণ্তড়াম রা তোমাদের কর্তব্য পালন করবে এবং তোমাদের
অধিকারের ব্যাপারে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবে ৷ বৃখারী মুহাম্মদ ইবন আবদুর রহীম
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কুরায়শের এ গােত্রটি
মানুষকে ধ্বংস করবে! সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমরা ঐ সময় কী
করবো ? তিনি বললেন, জনগণ যদি তাদেরকে ক্ষমতা থেকে বহিষ্কার করে দেয় (তবে কল্যাণ
হবে ৷) (ণ্শঃ৷ ,; ৷ এাএ ৷ , ৷ গ্লু) ৷ মুসলিম শরীফে আবুউসামা থেকে এ হাদীস
, বর্ণিত হয়েছে ৷
বুখারী মাহমুদ সাঈদ আল উমাবী থেকে বর্ণনা করেন ৷ সাঈদ বলেন, আমি একবার
মারওয়ান ও আবু হুরায়রার সাথে ছিলাম ৷ তখন আবু হুরায়রা বললেন, আমি মহড়াসতবােদীর
(রাসুল সা) নিকটে শুনেছি তিনি বলেছেন, কতিপয় কুরায়শ যুবকের হাতে আমার উম্মতের
ৎস নেমে আসবে ৷ মারওয়ান জিজ্ঞেস করলেন-যুবক ? আবু হুরায়রা বললেন, আপনি যদি
জানতে চান তবে আমি নাম ধরে বলতে পারবো যে, তারা অমুক গোত্রের অমুক অমুক ৷
আহমদ রাওহ আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি শুনেছি,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, আমার উম্মতের ধ্বংস তরুণদের হাতে হবে ৷ মারওয়ান বলেন,
কর্তৃত্ব পাওয়ায় আগে তারা আমাদের (মুসলিম জামা আতের) সাথেই আছে ৷ আল্লাহর লা নত
হোক ঐ তরুণ যুবকদের উপর ৷ আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমি যদি তাদের নাম গোত্র উল্লেখ
করতে চাই৩ তবে সে ভাবেই বলতে পারবো ৷ বর্ণনড়াকারী আসর বলেন, মারওয়ানের প্নত্রগণ
ক্ষমতা গ্রহণের পর আমি আমার পিতা (ইয়াহ্ইয়া) ও দাদা (সাঈদ) সহকারে বনুমারওয়ানের
নিকট যাই ৷ দেখলাম যে তারা রালকদেরকে শপথ বক্যে পাঠ করাচ্ছে (বায়আত নিচ্ছে) ৷ যার
পক্ষে বায়আত বা শপথ গ্রহণ করছে তিনি রাজকীয় পেশোক (এ,;) পব্লিহিত ৷ (দাদা)
সাঈদ আমাদেরকে বললেন, হতে পারে এ লোকগুলি তারাই, যাদের সম্পর্কে আবু হুরায়রা
ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছিলেন-, এসব রাজা-বাদশারা একে অন্যের সদৃশ ৷ ইমাম আহমদ
আবদুর রহমান আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা) বলেছেন :

;


[إِخْبَارُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِمَا وَقَعَ مِنَ الْفِتَنِ بَعْدَ مُعَاوِيَةَ] ذِكْرُ إِخْبَارِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِمَا وَقَعَ مِنَ الْفِتَنِ بَعْدَ مُعَاوِيَةَ مِنْ أُغَيْلِمَةِ بَنِي هَاشِمٍ وَغَيْرِ ذَلِكَ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي سُفْيَانُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «سَتَكُونُ أَثَرَةٌ وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: " تُؤَدُّونَ الْحَقَّ الَّذِي عَلَيْكُمْ، وَتَسْأَلُونَ اللَّهَ الَّذِي لَكُمْ» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، ثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي الْتَّيَّاحِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يُهْلِكُ النَّاسَ هَذَا الْحَيُّ مِنْ قُرَيْشٍ ". قَالُوا: فَمَا تَأْمُرُنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَوْ أَنَّ النَّاسَ اعْتَزَلُوهُمْ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: قَالَ مَحْمُودٌ: ثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي الْتَّيَّاحِ قَالَ: «سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ، وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَكِّيُّ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى
পৃষ্ঠা - ৫০৬১
بْنِ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: كُنْتُ مَعَ مَرْوَانَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ فَسَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ الصَّادِقَ الْمَصْدُوقَ يَقُولُ: " هَلَاكُ أُمَّتِي عَلَى يَدَيْ غِلْمَةٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَقَالَ مَرْوَانُ: غِلْمَةٌ؟! قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنْ شِئْتَ أَنْ أُسَمِّيَهِمْ بَنِي فُلَانٍ وَبَنِي فُلَانٍ» . تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، أَخْبَرَنِي جَدِّي سَعِيدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " هَلَكَةُ أُمَّتِي عَلَى يَدَيْ غِلْمَةٍ ". قَالَ مَرْوَانُ وَهُوَ مَعَنَا فِي الْحَلْقَةِ قَبْلَ أَنْ يَلِيَ شَيْئًا: فَلَعْنَةُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ غِلْمَةً. قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْ أَشَاءُ أَنْ أَقُولَ بَنِي فُلَانٍ وَبَنِي فُلَانٍ لَفَعَلْتُ. قَالَ: فَكُنْتُ أَخْرُجُ مَعَ أَبِي وَجَدِّي إِلَى بَنِي مَرْوَانَ بَعْدَ مَا مَلَكُوا، فَإِذَا هُمْ يُبَايِعُونَ الصِّبْيَانَ، وَمِنْهُمْ مَنْ يُبَايَعُ لَهُ وَهُوَ فِي خِرْقَةٍ. قَالَ لَنَا: هَلْ عَسَى أَصْحَابُكُمْ هَؤُلَاءِ أَنْ يَكُونُوا الَّذِي سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَذْكُرُ؟ إِنَّ هَذِهِ الْمُلُوكَ يُشْبِهُ بَعْضُهَا بَعْضًا» وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سِمَاكٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ظَالِمٍ قَالَ: «سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ حِبِّي أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৫০৬২

অর্থাৎ কুরায়শ গোত্রের কতিপয় নির্বোধ তরুণের হাতে আমার উন্মতের বিপর্যয় নেমে
আসবে ৷ এ হাদীসঢি আরও বিভিন্ন সুত্রে আহমদ আবু হুরায়রা (রা) থেকে একইভাবে বর্ণনা
করেছেন ৷ মারওয়ান ইবন হাকামের বর্ণনায় একটি শব্দ বেশি আছে ৷ তিনি শব্দগুলি
নিম্বোক্তরুপে বর্ণনা করেছেন ৷ ৷ এ১ত্রৈ অর্থাৎ
কুরায়শদের কতিপয় নির্বো ধ তরুণ শাসকের হাতে আমার উম্মতের উপর ধ্বংস নেমে আসবে ৷

ইমাম আহমদ আবু আবদুর রহমান আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আমি শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ষাট বছর পরে যারা ক্ষমতায় আসবে
তারা নামাযকে সময় মত আদায় করবে না, প্রবৃত্তির অনুসরণ করবে এবং শীঘ্রই (মৃত্যুর পরে)
তারা জ হান্নামেব গভীরে প্রবেশ করবে : ৷১ গ্পু^পুহু৷ ৷শ্লো৷ ৷ ৷ৰু,;ক্রো ৷ , গ্রা;৷ ৷ ৷ প্রু;া ৷

;’;;;) (১৯ মারইয়াম৪ ৫৯) ৷ এদের উত্তরাধিকারী হয়ে যারা পরবর্তীতে আসবে, তারা
কুরআন পাঠ করবে কিন্তু তা তাদের কষ্ঠনালীর নিচে যাবে না ৷ কুরআন পাঠকারীরা তিন
শ্রেণীতে বিভক্ত হবে মু’মিন, মুনাফিক ও ফাজির (পাপাচারী) ৷ বর্ণনাকারী বশীর বলেন, আমি
ওলীদকে জিজ্ঞেস করলাম, তিন দলের পরিচয় কি ? তিনি বললেন, মুনড়াফিকরা কুরআন
(কার্যত) অমান্য করবে, ফাজির ব্যক্তিরা কুরআন দ্বারা উপার্জন করবে এবং ঘু’মিনগণ কুরআনে
বিশ্বাস করবে : এন্া৷ ৷াপ্রুদ্বুৰু
৷ , ৷ এ হাদীস কেবল ইমাম আহমদ একাই বর্ণনা
করেছেন, তবে এর বর্ণনা সুত্র সুনান কিতাবের শর্তানুযায়ী উত্তম ও শক্তিশালী ৷

বায়হাকী হাকিম শাবী সুত্রে বর্ণনা করেন, হযরত আলী সিফ্ফীনের যুদ্ধ থেকে
প্রত্যাগমন করে ঘোষণা করেন, হে লোক সকল! মুআবিয়ার শাসনকে তোমরা অপছন্দ করো
না, কেননা, তাকে হারাবার পরে তোমরা এমন সব শাসকবর্গ দেখতে পাবে, যাদের নিপীড়নে
চোখ থেকে অশ্রু ঝরতে থাকবে,যেরুপে অশ্রু ঝরে হানযাল১ কাটলে তার রসে ৷ আহমদ
আসিম সুত্রে উমায়র ইবন হানী থেকে বর্ণনা করেন, হযরত আবু হুরায়রা (রা) মদীনায়
বাজারের উপর দিয়ে গমনকালে এ দুআ করতেন :

হে আল্লাহ! হিজরী ষাট সাল পর্যন্ত আমাকে জীবিত রেখোনা, সাবধান ৷ ঘুআবিয়ার

শাসনকে তোমরা অব্যাহত রাখ ৷ ইয়া আল্লাহ্ষ্ বালকদের শাসনকাল পর্যন্ত আমাকে জীবিত
রেখাে না ৷

বায়হাকী হযরত আলী ও আবু হুরায়রার কথা বর্ণনা করেছেন যে, তারা উভয়েই বলতেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আমরা এভাবে বলতে শুনেছি ৷ ইয়াকুব ইবন আবু সুফিয়ান আবু
উবায়দা ইবন জাবৃরাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :


১ একটি বিস্বাদ ফল ৷


يَقُولُ: " إِنَّ فَسَادَ أُمَّتِي عَلَى يَدَيْ غِلْمَةٍ سُفَهَاءَ مِنْ قُرَيْشٍ» . ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ، عَنْ سُفْيَانَ، وَهُوَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ سِمَاكِ، عَنْ مَالِكِ بْنِ ظَالِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةِ، فَذَكَرَهُ. ثُمَّ رَوَى عَنْ غُنْدُرٍ وَرَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ ظَالِمٍ قَالَ: «سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ - زَادَ رَوْحٌ: يُحَدِّثُ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ - قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّادِقَ الْمَصْدُوقَ يَقُولُ: " هَلَاكُ أُمَّتِي عَلَى رُءُوسِ غِلْمَةٍ أُمَرَاءَ سُفَهَاءَ مِنْ قُرَيْشٍ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ أَبِي عَمْرٍو الْخَوْلَانِيُّ، أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ قَيْسٍ التُّجِيبِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " يَكُونُ خَلْفٌ مِنْ بَعْدِ السِّتِّينَ سَنَةً أَضَاعُوا الصَّلَاةَ، وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ، فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا، ثُمَّ يَكُونُ خَلْفٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يَعْدُو تَرَاقِيَهُمْ، وَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ ثَلَاثَةٌ; مُؤْمِنٌ، وَمُنَافِقٌ، وَفَاجِرٌ. وَقَالَ بَشِيرٌ: فَقُلْتُ لِلْوَلِيدِ: مَا هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةُ؟ قَالَ: الْمُنَافِقُ كَافِرٌ بِهِ، وَالْفَاجِرُ يَتَأَكَّلُ بِهِ، وَالْمُؤْمِنُ يُؤْمِنُ بِهِ.» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ جَيِّدٌ قَوِيٌّ عَلَى شَرْطِ السُّنَنِ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَفَّانَ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: لَمَّا رَجَعَ عَلِيٌّ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫০৬৩
صِفِّينَ قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَكْرَهُوا إِمَارَةَ مُعَاوِيَةَ; فَإِنَّهُ لَوْ فَقَدْتُمُوهُ لَقَدْ رَأَيْتُمُ الرُّءُوسَ تَنْزُو مِنْ كَوَاهِلِهَا كَالْحَنْظَلِ. ثُمَّ رَوَى عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ مَزِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ هَانِئٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَمْشِي فِي سُوقِ الْمَدِينَةِ وَهُوَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ لَا تُدْرِكُنِي سَنَةُ السِّتِّينَ وَيْحَكُمْ تَمَسَّكُوا بِصُدْغَيْ مُعَاوِيَةَ، اللَّهُمَّ لَا تُدْرِكُنِي إِمَارَةُ الصِّبْيَانِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَعَلِيٌّ وَأَبُو هُرَيْرَةَ إِنَّمَا يَقُولَانِ هَذَا الشَّيْءَ سَمِعْنَاهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: أَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الْحِزَامِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ ابْنِ غُنَيْمٍ الْبَعْلَبَكِّيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ الْغَارِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ مُعْتَدِلًا قَائِمًا بِالْقِسْطِ حَتَّى يَثْلَمَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ» وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ عَوْفٍ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ أَبِي خَلْدَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّ أَوَّلَ مَنْ يُبَدِّلُ سُنَّتِي
পৃষ্ঠা - ৫০৬৪


দেশ শাসনের এই ব্যবস্থা ন্যায়নীতি ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে ৷ এরপর সর্ব প্রথম
উমাইয়া গোত্রের জনৈক ব্যক্তি একে শ্ৰীহীন করে ফেলবে ৷ বায়হাকী আওফ-আল-আবাবী
আবু বর (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেছেন :
ষ্ঠাং )ট্রু ৷ ;, ৷ অর্থাৎ বনুউমাইয়ার এক ব্যক্তিই সর্ব
প্রথম আমার অনুসৃত নীতির পরিবর্তন সাধন করবে ৷ এ হাদীসের বর্ণনা সুত্রে আবুল অড়ালিয়া ও
আবুযর (রা)-এর মাঝের বর্ণনড়াকারীর নাম উল্লেখ নেই ৷ কিন্তু উপরে উল্লেখিত আবু উবায়দার
হাদীসের সাথে অর্থের মিল থাকায় বায়হাকী একে অগাধিকার করেছেন ৷ তিনি বলেন, হতে
পারে উক্ত ব্যক্তির দ্বারা ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ানকেই বুঝান হয়েছে ৷

আমার মতে মুঅড়াবিয়ার পুত্র ইয়াযীদের ব্যাপারে লোক তিন শ্রেণীতে বিভক্ত ৷ একদল
তাকে ভালবাসে এবং তার নেতৃতু পছন্দ করে ৷ এরা সিরিয়ার একটি দল ৷ এদেরকে বলা হয়
নড়াসিবী ৷ আর একদল ইয়াযীদের কঠোর সমালোচনা করে, তার উপরে অভিশাপ বর্ষণ করে,
জঘন্য অপবাদ তার নামে রটায়, এমনটি তাকে যিনৃদিক বা নাস্তিক বলেও অভিহিত করে ৷
প্রকৃতপক্ষে ইয়াযীদ এমনটা ছিল না ৷ অপর এক দল না তাকে ভালবাসে, না পালি ও
অভিশম্পাত দেয় ৷ কারণ, তাদের বিশ্বাস যে ইয়াযীদ যিনৃদিক ছিল না, যেমন রাফিজীরা বলে
থাকে ৷ কারণ তার শাসনামলে বহু ভয়াবহ নৃশংসতা ও জঘনতেম ঘটনার অবতারণা হয় ৷
কারবালায় হযরত হুসায়ন ইবন আলী (রা)-এর হত্যাকান্ডের ন্যায় পৈশাচিক ঘটনা সংঘটিত
হয় ৷ তবে এ হ্ত্যাকান্ড সম্পর্কে ইয়াষীদ পুর্ব থেকে অবস্থিত ছিল না-এবৎ এ বিষয়ে সম্ভবত সে
সভুষ্টও ছিল না, আবার অসন্তুষ্টিও প্রকাশ করেনি ৷ হুসাইনের হত্যা ও মদীনার ধ্বংস সাধন বা
হারবার ঘটনা ছিল তার রাজত্কালের কলংকজনক অধ্যায় ৷ পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা হবে ৷

হুসায়ন (রা) এর শাহাদাত সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

হুসায়ন (রা)-এর শাহাদাত সম্পর্কে হাদীসে ভবিষ্যদ্বাণীর উল্লেখ পাওয়া যায় ৷ ইমাম
আহমদ আবদুস সামাদ আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ একদা বৃষ্টি বর্ষণের দায়িত্বে
নিয়োজিত ফেরেশতা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমনের অনুমতি প্রার্থনা করেন ৷ তিনি
তাকে আসার অনুমতি দিলেন ৷ নবী করীম (সা) উম্মে সালামাংক বললেন : দরজার দিকে লক্ষ্য
রাখবে, যেন কেউ প্রবেশ করতে না পারে ৷ কিছুক্ষণ পর শিশু হুসায়ন ইবন আলী এসে ফীক
দিয়ে দরজা অতিক্রম করে ভিতরে প্রবেশ করেন ৷ তিনি নবী করীম (না)-এর ঘাড়ে চেপে
বসতে প্রয়াস পেলেন ৷ ফেরেশতা জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি একে খুব বেশি ভালবাসেন ?
নবী করীম (সা) বললেন, হী ৷ ফেরেশতা বললেন-আপনার উম্মতরাই একে হত্যা করবে ৷ যদি
আপনি দেখতে চান তবে সেই স্থানও আমি দেখিয়ে দিতে পারি, যেখানে তাকে হত্যা করা
হবে ৷ এরপর হাত বাড়িয়ে ফেরেশতা এক মুঠো লাল মাটি এনে দিলেন ৷ উম্মে সালামা (রা) ঐ
মাটি আপন কাপড়ের আচলে বেধে রাখেন ৷ আনাস (রা) বলেন, আমরা প্রায়ই শুনতড়াম যে,
হুসাইন কারবালায় শহীদ হবেন ৷ বায়হাকী একাধিক সুত্রে আমারা মাধ্যমে এ হাদীসটি বণ্টা
করেছেন ৷ এই আমারা সম্পর্কে বিভিন্ন জনের সমালোচনা আছে ৷ আবু হাতিম বলেছেন, তিনি
হাদীস লিখে রাখতেন, র্তার হাদীস দলীলরুপে গ্রহণযোগ্য নয় ৷ আহমদ কখনও র্তাকে দুর্বল


رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ» . وَهَذَا مُنْقَطِعٌ بَيْنَ أَبِي الْعَالِيَةِ وَأَبِي ذَرٍّ، وَقَدْ رَجَّحَهُ الْبَيْهَقِيُّ بِحَدِيثِ أَبِي عُبَيْدَةَ الْمُتَقَدِّمِ. قَالَ: وَيُشْبِهُ أَنَّ يَكُونَ هَذَا الرَّجُلُ هُوَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: النَّاسُ فِي يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ أَقْسَامٌ; فَمِنْهُمْ مَنْ يُحِبُّهُ وَيَتَوَلَّاهُ، وَهُمْ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ مِنَ النَّوَاصِبِ، وَأَمَّا الرَّوَافِضُ فَيَشْغَبُونَ عَلَيْهِ، وَيُشَنِّعُونَ وَيَفْتَرُونَ عَلَيْهِ أَشْيَاءَ كَثِيرَةً لَيْسَتْ فِيهِ، وَيَتَّهِمُهُ كَثِيرٌ مِنْهُمْ أَوْ أَكْثَرُهُمْ بِالزَّنْدَقَةِ، وَلَمْ يَكُنْ كَذَلِكَ، وَطَائِفَةٌ أُخْرَى لَا يُحِبُّونَهُ وَلَا يَسُبُّونَهُ; لِمَا يَعْلَمُونَ مِنْ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ زِنْدِيقًا كَمَا تَقَوَّلَهُ الرَّافِضَةُ، وَلِمَا وَقَعَ فِي زَمَانِهِ مِنَ الْحَوَادِثِ الْفَظِيعَةِ، وَالْأُمُورِ الْمُسْتَنْكَرَةِ الْبَشِيعَةِ الشَّنِيعَةِ، فَمِنْ أَنْكَرِهَا قَتْلُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ بِكَرْبَلَاءَ، وَلَكِنْ لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ مِنْ عِلْمٍ مِنْهُ، وَلَعَلَّهُ لَمْ يَرْضَ بِهِ وَلَمْ يَسُؤْهُ، وَكَذَلِكَ مِنَ الْأُمُورِ الْمُنْكَرَةِ جِدًّا وَقْعَةُ الْحَرَّةِ وَمَا كَانَ مِنَ الْأُمُورِ الْقَبِيحَةِ بِالْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ، عَلَى مَا سَنُورِدُهُ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ فِي التَّارِيخِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [إِخْبَارُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِمَقْتَلِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ] الْإِخْبَارُ بِمَقْتَلِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَقَدْ وَرَدَ فِي الْحَدِيثِ بِمَقْتَلِ الْحُسَيْنِ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ حَسَّانَ، ثَنَا عُمَارَةُ، يَعْنِي ابْنَ زَاذَانَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: اسْتَأْذَنَ مَلَكُ الْمَطَرِ
পৃষ্ঠা - ৫০৬৫

বলেছেন, কখনও আবার বিশ্বস্তও বলেছেন ৷ কিন্তু তিনি ব্যতীত অন্যদের মাধ্যমেও এ হাদীসটি
বর্ণিত আছে ৷ হাফিয বায়হাকী ভিন্ন সুত্রে আইশা (রা) থেকে উপরের অনুরুপই বর্ণনা
করেছেন ৷ অপর এক সুত্রে বায়হাকী উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একদা ঘৃমিয়ে ছিলেন ৷ কিছুক্ষণ পর জেগে উঠেন ৷ র্তাকে অস্থির দেখাচ্ছিল ৷ পুনরায় ঘৃমিয়ে
যান ৷ আবারও জেগে উঠেন ৷ এবারও তাকে অস্থির দেখাচ্ছিল ৷ তবে প্রথমবারের তুলনায় কম ৷
তৃতীয়বার পুনরায় ঘৃমিয়ে পড়েন ও পরে জেগে উঠেন ৷ এবার তীর হাতে লাল রংয়ের কিছু
মাটি দেখা (গল-যা তিনি উলটিয়ে পালটিয়ে দেখছেন ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ৰু এ মাটি কিসের ? তিনি উত্তর দিলেন, এটা ইরাকের সেই স্থানের মাটি, যেখানে
হুসায়ন নিহত হবে-জিবরীল এ কথা আমাকে জানিয়েছেন ৷ আমি তবে বললাম, হে জিবরীল,
যেখানে সে নিহত হবে, সে স্থানের কিছু মাটি আমাকে দেখাও-সুতরাং এই যে মাটি ৷ অতঃপর
বায়হাকী বলেন, সালিহ্ ইবন ইয়াযীদ আন-নাখঈ ও শাহ্র ইবন হাওশাবও অনুরুপ বর্ণনা উষ্মে
সালামার থেকে করেছেন ৷
হাফিয আবু বকর বায্যার তার মুসনাদ গ্রন্থে ইব্রাহীম ইবন ইউসুফ সুত্রে ইবন আব্বাস
(বা) থেকে বর্ণনা ক্লরেন ৷ একদা হুসায়ন নবী করীম (না)-এর কোলে বসে ছিলেন ৷ জিবরীল
(আ) জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি একে ’থুব স্নেহ করেন ? নবী করীম (সা) বললেন, কেন
স্নেহ করবো না , সেভাে আমার কলিজার টুকরো ৷ জিবরীল বললেন, তবে শুনে রাখুন, আপনার
উম্মতরাই তাকে হত্যা করবে ৷ তার বধ্যভুমির মাটি এনে আপনাকে আমি দেখাবে কি ? এ
কথা বলে তিনি এক মুষ্ঠি মাটি বের করে দেখান ৷ দেখা গেল সে মাটি লাল বর্ণের ৷ হাদীস
বর্ণনা শেষে বাঘৃযার এর সমালোচনা করে বলেন, অন্য কোন সুত্রে এ হাদীস আমার নিকট
পৌছেনি ৷ এ হাদীসের বর্ণনড়াকারী হুসায়ন ইবন ঈসা তার উস্তাদ হাকাম ইবন আবান থেকে
এমন কতকগুলি হাদীস বর্ণনা করেছেন, যা আমরা অন্য কারও নিকট থেকে শুনিনি ৷ ইমাম
বুখারী হুসায়ন ইবন ঈসাকে অজ্ঞাত পরিচয় বলেছেন; তার সাত জন রাবী তার নিকট থেকে
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবুযুরআ র্তাকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন (অগ্নহণযােগ্য হাদীস
বর্ণনকােরী) ৷ আবু হাতিম বলেছেন, হাদীস বর্ণনায় তিনি সরল নন ৷ হাকাম ইবন আবান থেকে
তিনি বহু মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ অবশ্য ইবন হিব্বান তাকে বিশ্বস্ত (ধ্রু) বলে
অভিহিত করেছেন ৷ ইবন অড়াদী বলেছেন, তীর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা খুবই কম ৷ সাধারণভাবে
তীর হাদীস গরীব’ পর্যায়তুক্ত, আর কিছু সংখ্যক মুনকার পর্যায়ের ৷
বায়হাকী হাকাম হারিছের কন্যা উম্মুল ফযল থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদা
আমি রাসুল (না)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! গত রাত্রে আমি একটি
খারাপ স্বপ্ন দেখেছি ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কী যে স্বপ্ন ? উম্মুল ফযল বললেন, দেখি যে,
আপনার শরীরের একটি অংশ কেটে গেছে এবং আমার কোলে রাখা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তুমি উত্তম স্বপ্ন দেখেছ ৷ অর্থাৎ এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা হলো , ফাতিমার একটি পুত্র সন্তান
হবে এবং সে তোমার কোলে লালিত পালিত হবে৷ পরবর্তীকালে হযরত ফাতিমার (রা)
গর্ভজাত সন্তান হযরত হুসায়ন (রা)-এর জন্ম হয় এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
অনুযায়ী তিনি আমার কােলেই লালিত-পালিত হন ৷ হুসায়নকে নিয়ে একদা আমি নবী করীম
(না)-এর গৃহে যাই এবং তাকে তার কোলে তুলে দেই ৷ শিশু হুসায়ন আমার পানে তাকিয়ে


أَنْ يَأْتِيَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَذِنَ لَهُ فَقَالَ لِأُمِّ سَلَمَةَ: «احْفَظِي عَلَيْنَا الْبَابَ لَا يَدْخُلْ أَحَدٌ ". فَجَاءَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، فَوَثَبَ حَتَّى دَخَلَ فَجَعَلَ يَصْعَدُ عَلَى مَنْكِبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ الْمَلَكُ: أَتُحِبُّهُ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ ". قَالَ: فَإِنَّ أُمَّتَكَ تَقْتُلُهُ، وَإِنْ شِئْتَ أَرَيْتُكَ الْمَكَانَ الَّذِي يُقْتَلُ فِيهِ. قَالَ: فَضَرَبَ بِيَدِهِ فَأَرَاهُ تُرَابًا أَحْمَرَ، فَأَخَذَتْ أُمُّ سَلَمَةَ ذَلِكَ التُّرَابَ فَصَرَّتْهُ فِي طَرَفِ ثَوْبِهَا. قَالَ: فَكُنَّا نَسْمَعُ: يُقْتَلُ بِكَرْبَلَاءَ» . وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ بِشْرِ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ عُمَارَةَ، فَذَكَرَهُ. ثُمَّ قَالَ: وَكَذَلِكَ رَوَاهُ شَيْبَانُ بْنُ فُرُّوخٍ عَنْ عُمَارَةَ. وَعُمَارَةُ بْنُ زَاذَانَ هَذَا هُوَ الصَّيْدَلَانِيُّ أَبُو سَلَمَةَ الْبَصْرِيُّ، اخْتَلَفُوا فِيهِ، وَقَدْ قَالَ فِيهِ أَبُو حَاتِمٍ: يُكْتَبُ حَدِيثُهُ وَلَا يُحْتَجُّ بِهِ، لَيْسَ بِالْمَتِينِ. وَضَعَّفَهُ أَحْمَدُ مَرَّةً وَوَثَّقَهُ أُخْرَى. وَحَدِيثُهُ هَذَا قَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِهِ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ; فَرَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، نَحْوَ هَذَا. وَقَدْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ فِي آخَرِينَ، قَالُوا: أَنَا عَبَّاسٌ الْأَصَمُّ، أَنَا عَبَّاسٌ الدُّورِيُّ، ثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، ثَنَا مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫০৬৬
عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَاصٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبِ بْنِ زَمْعَةَ، «أَخْبَرَتْنِي أُمُّ سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اضْطَجَعَ ذَاتَ يَوْمٍ، فَاسْتَيْقَظَ وَهُوَ خَاثِرٌ، ثُمَّ اضْطَجَعَ فَرَقَدَ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ خَاثِرٌ دُونَ مَا رَأَيْتُ مِنْهُ فِي الْمَرَّةِ الْأُولَى، ثُمَّ اضْطَجَعَ وَاسْتَيْقَظَ وَفِي يَدِهِ تُرْبَةٌ حَمْرَاءُ وَهُوَ يُقَلِّبُهَا، فَقُلْتُ: مَا هَذِهِ التُّرْبَةُ، يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " أَخْبَرَنِي جِبْرِيلُ أَنَّ هَذَا يُقْتَلُ بِأَرْضِ الْعِرَاقِ - لِلْحُسَيْنِ - قُلْتُ لَهُ: يَا جِبْرِيلُ، أَرِنِي تُرْبَةَ الْأَرْضِ الَّتِي يُقْتَلُ بِهَا. فَهَذِهِ تُرْبَتُهَا» . ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَابَعَهُ مُوسَى الْجُهَنِيُّ عَنْ صَالِحِ بْنِ أَرْبَدَ النَّخَعِيِّ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، وَأَبَانٍ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ ": ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ الصَّيْرَفِيُّ، ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى، ثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ الْحُسَيْنُ جَالِسًا فِي حِجْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ جِبْرِيلُ: أَتَحِبُّهُ؟ فَقَالَ: " وَكَيْفَ لَا أُحِبُّهُ وَهُوَ ثَمَرَةُ فُؤَادِي ". فَقَالَ: أَمَّا إِنَّ أَمَتَّكَ سَتَقْتُلُهُ، أَلَا أُرِيكَ مِنْ مَوْضِعِ قَبْرِهِ؟ فَقَبَضَ قَبْضَةً، فَإِذَا تُرْبَةٌ حَمْرَاءُ» . ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَادِ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى قَدْ حَدَّثَ عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانٍ بِأَحَادِيثَ لَا نَعْلَمُهَا عِنْدَ غَيْرِهِ. قُلْتُ: هُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى بْنِ مُسْلِمٍ الْحَنَفِيُّ
পৃষ্ঠা - ৫০৬৭

থাকেন ৷ হঠাৎ দেখলাম রাসুলের উভয় চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে ৷ উম্মুল ফযল বলেন, আমি
জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর নবী ! আমার পিতামাতা আপনার উপর কুরবান হোনৃ-কী হয়েছে
আপনার ? তিনি উত্তরে বললেন, এইমাত্র জিবরীল আমার নিকট এসে সংবাদ দিয়ে পেলেন
যে, আমার উম্মতরাই একে হত্যা করবে ৷ আমি বললাম, একে হত্যা করবে ? তিনি বললেন,
হী ৷ এমনকি এর নিহত হওয়ার স্থান থেকে লাল বর্ণের মাটিও জিবরীল এনে আমাকে
দেখিয়েছেন ৷
ইমাম আহমদ, আফ্ফান উম্মুল ফযল থেকে বর্ণনা করেন : আমি একদা রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নিকট এসে বললড়াম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আজ আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আপনার শরীরের
একটি অঙ্গ আমার ঘরে বা আমার কোলে রয়েছে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, ইনৃশাআল্লাহ্
ফাতিমড়ার পুত্র সন্তান হবে এবং তুমি তার লালন-পালনের দায়িত্ব লাভ করবে ৷ সে মতে,
ফাতিমার গর্ভে হুসায়নের জন্ম হয়, নাম রাখা হয় হুসায়ন ৷ দৃগ্ধ পান করাবার জন্য ফাতিমা
তাকে উম্মুল ফযলের নিকট অর্পণ করেন ৷ তিনি তাকে কুছমের সাথে দৃগ্ধ পান করাতে থাকেন ৷
উম্মুল ফযল বলেন, একদিন হুসায়নকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য
আমি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বুকে তুলে নেন ৷ জ্যি ঘটনাক্রমে হুসায়ন পেশার করেন, ফলে
রাসুলের লুঙ্গিতে পেশার লেগে যায় ৷ আমি তার র্কাধের উপর হাত দ্বারা হালকা আঘাত করি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি আমার নাতিকে ব্যথা দিলে, আল্লাহ তোমাকে সংশোধন করুক,
অথবা বলেছেন আল্লাহ তোমাকে রহম করুক ৷ আমি বললড়াম, আপনার লুঙ্গিটি ধৌত করে
দেওয়ার জন্য দিন ৷ তিনি বললেন ৷
অর্থাৎ শিশু মেয়ে হলে তার পেশার ধুতে হয়, ছেলের পেশাবে পানি ঢেলে দিলেই চলবে ৷
ইমাম আহমদ এ হাদীসকে ইয়াহ্ইয়া ইবন বুকায়র সুত্রে উম্মুল ফযল থেকে উপরের অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তার মধ্যে হুসায়নের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ নাই ৷
ইমাম আহমদ, আফ্ফান ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, আমি একবার
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে স্বপ্নযােগে দেখতে পাই ৷ দেখলাম, তিনি ক্লান্ত শ্রাম্ভ হয়ে ধুলিময়
এলোকেশে শুয়ে আছেন ৷ তার হাতে রক্তভর্তি একটি বোতল ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া
ৱাসুলুল্লাহ্ ! আমার পিতামাতা আপনার উপর কুরবান হোন ! এটা কী ? তিনি বললেন, হুসায়ন
ও তার সাথীদের রক্ত ৷ আমি আজই এটা সংগ্রহ করেছি ৷ রাবী বলেন, আমরা ঐ দিন তারিখ
হিসেব করে দেখেছি তিনি ঐ দিলেই নিহত হন ৷
কাতাদা বলেন, হুসায়ন (রা) হিজরী একষট্টি সালের আশুরার তারিখে ( ১ :ই ঘুহাররম)
শুক্রবার দিনে শাহাদত বরণ করেন ৷ ঐ সময় তার বয়স ছিল চুয়ান্ন বছর ছয় মাস পনের দিন ৷
লায়ছ, আবু বকর ইবন আয়্যাশ আল-ওয়াকিদী, খলীফা ইবন খাইয়াত, আবু মাশার প্রমুখ ৬১
হি আশুরার দিনকে তার শাহাদতের তারিখ বলে উল্লেখ করেছেন ৷ তবে এদের মধ্যে কেউ
কেউ শুক্রবারের স্থলে শনিবারের কথা বলেছেন ৷ কিন্তু প্রথম মতই বিশুদ্ধতর ৷ উপরোক্ত
ঐতিহাসিকগণ হযরত হুসায়নের শাহাদতের দিনের বহু ঘটনা উল্লেখ করেছেন যেমন, সেদিন
সুর্য গ্রহণ হয় (কিন্তু এ তথ্য নির্জ্যযােগ্য নয়), দিগত্তে পরিবর্তন সাধিত হয়, কোন পাথর
উঠালে তার নিচে রক্ত দেখা যাওয়া, তবে কেউ এটিকে কেরল বায়তুল মুকাদ্দাসের পাথরের
ব্যাপারে প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করেছেন ৷ ঘাসের ছাইতে পরিণত হওয়া, আগুন দ্বারা জাল


أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ أَخُو سُلَيْمٍ الْقَارِئُ. قَالَ فِيهِ الْبُخَارِيُّ: مَجْهُولٌ. يَعْنِي مَجْهُولَ الْحَالِ، وَإِلَّا فَقَدَ رَوَى عَنْهُ تِسْعَةُ نَفَرٍ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ: مُنْكَرُ الْحَدِيثِ. وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: لَيْسَ بِالْقَوِيِّ، رَوَى عَنِ الْحَاكِمِ بْنِ أَبَانٍ أَحَادِيثَ مُنْكَرَةً. وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " الثِّقَاتِ " وَقَالَ ابْنُ عَدِيٍّ قَلِيلُ الْحَدِيثِ، وَعَامَّةُ حَدِيثِهِ غَرَائِبُ، وَفِي بَعْضِ أَحَادِيثِهِ الْمُنْكَرَاتُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْهَيْثَمِ الْقَاضِي، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، ثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ شَدَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ، أَنَّهَا دَخَلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي رَأَيْتُ حُلْمًا مُنْكَرًا اللَّيْلَةَ. قَالَ: " وَمَا هُوَ؟ " قَالَتْ: إِنَّهُ شَدِيدٌ. قَالَ: " وَمَا هُوَ؟ " قَالَتْ: رَأَيْتُ كَأَنَّ قِطْعَةً مِنْ جَسَدِكَ قُطِعَتْ وَوُضِعَتْ فِي حِجْرِي. فَقَالَ: " رَأَيْتِ خَيْرًا، تَلِدُ فَاطِمَةُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ غُلَامًا، فَيَكُونُ فِي حِجْرِكِ ". فَوَلَدَتْ فَاطِمَةُ الْحُسَيْنَ، فَكَانَ فِي حِجْرِي كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَخَلْتُ يَوْمًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَضَعْتُهُ فِي حِجْرِي، ثُمَّ حَانَتْ مِنِّي الْتِفَاتَةٌ، فَإِذَا عَيْنَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُهَرِيقَانِ الدُّمُوعَ. قَالَتْ: قُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ৫০৬৮


দেওয়া সত্বেও গোশত জমাট রক্তে পরিবজ্যি হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ৷ তবে এসব ঘটনার কোনটি
বাস্তব হতেও পারে কিন্তু অধিকাৎশই অগ্রহণযোগ্য ৷ তবে কোন কোনটি হয়েও থাকতে পারে ৷
কারণ, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনী অড়াদমের মধ্যে দুনিয়ার ও আখিরাতে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, কিন্তু তার
মৃত্যুতে ঐ সবের কিছুই সংঘটিত হয়নি ৷ রাসুলুল্লড়াহ্ (সা)-এর পরে আবু বকর (রা) উম্মতের
শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, র্তার বেলায়ও এসব ঘটেনি ৷ উমর (রা) ফজরের নামায আদায়রত অবস্থায় শহীদ
হন, তার ক্ষেত্রেও ওসব কিছু হয়নি ৷ উছমড়ান (রা) গৃহবন্দী অবস্থায় শহীদ হন; আলী (রা)
ফজরের নামায শেষে শহীদ হন, কিন্তু তাদের বেলায় ঐ সবের কোন কিছুই দেখা যায়নি ৷

হস্ফোদ উম্মে সালাম (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, হুসায়নের শাহাদাতে জিনদেরকে
তিনি বিলাপ করতে শুনেছেন ৷ এ ঘটনা সত্য ও বাস্তব ৷ শাহ্র ইবন হাওশাব বলেন, আমরা
উম্মে সালামড়ার নিকটে বসা ছিলাম, এমন সময় হুসায়নের শাহাদতের সংবাদ পৌছে ৷ সংবাদ
শুনে তিনি বেহুশ হয়ে পড়েন ৷

শাহাদতের কারণ : ইরাকের অধিবাসীরা এই মর্মে হুসায়নের নিকট তাদের স্বহস্ত লিখিত
পত্র প্রেরণ করে যে, তিনি ইরাকে গেলে তারা তার পক্ষে থেলাফতের বায়অড়াত (শপথ) গ্রহণ
করবে ৷ এ জাতীয় চিঠি ইরাকের জনগণ ও স্বয়ং হুসায়নের পিতৃব্য পুত্র মুসলিম ইবন
অড়াকীলের পক্ষ থেকে বার বার আসতে থাকে ৷ কিন্তু ইরাকে ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়ার
প্রতিনিধি উরায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদেব নিকট যখন এসব গোপন তথ্য ফাস হয়ে যায় তখন সে
মুসলিম ইবন আকীলকে হত্যা করার জন্য তার নিকট লোক পাঠায় ৷ তারা তাকে হত্যা করে
প্রাসাদের উপর থেকে জনতার মধ্যে ফেলে দেয় ৷ এর পরেই হুসায়ন সমর্থকদের মতের
পরিবর্তন হয়ে যায় এবং কথার সুর পাল্টে যায় ৷ এখানে এসব ঘটনা চলছিল, অথচ ওদিকে
হুসায়ন ইরাকের উদ্দেশ্যে হিজাজ থেকে রওয়ানা হওয়ার চুড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন ৷
ইরাকে যা কিছু ঘটে গেল তিনি তার কিছুই উপলব্ধি করতে পারেননি ৷ সুতরাং সকল প্রস্তুতি
গ্রহণ করে তিনি নিজ পরিবারবর্গ ও অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে ইরাক অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ এ
দলে সর্বমোট প্রায় তিনশ’ লোক শামিল ছিলেন ৷ যাত্রার প্রাক্কালে সাহাবীগণের একটি জামাত
হুসায়নকে ইরাক যেতে বাধা দেন ৷ হযরত আবু সাঈদ, জাবির, ইবন আব্বাস, ও ইবন উমর
প্রমুখ বিশিষ্ট সাহাবীগণ হুসায়নকে ইরাকে না যাওয়ার পরামর্শ দেন ৷ কিন্তু তিনি কারও কথাই
শুনলেন না ৷ হযরত ইবন উমর (রা) বিরত রাখার জন্য কী প্রাণপণ চেষ্টাই না করেছেন৷ তিনি
দৃঢ়ভাবে এ কথা বলতে থাকেন যে, আপনি যা আশা করছেন তা হবার নয় ৷ কিন্তু হুসায়ন
তাতে নিবৃত্ত হলেন না ৷ ,

হাফিয রায়হাকী ও আবু দাউদ তায়ালিসি ইয়াহ্ইয়া ইবন সালিম শাবী সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, ইবন উমর (রা) মদীনায় এসে জানতে পারলেন যে, হুসায়ন ইবন আলী
ইরাক অভিমুখে যাত্রা করেছেন ৷ তখনই তিনি হুসায়নকে ফিরিয়ে আনার লক্ষে দু অথবা তিন
দিনের পথ অতিক্রম করে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি
কোথায় চলেছেন ? হুসায়ন বললেন, ইরাকের উদ্দেশ্যে ৷ তখন তার সাথে ছিল চিঠিপত্রের
দ্ভুপ ৷ ইবন উমর (রা) বললেন, ইরাকীদের কাছে যাবেন না ৷ হুসায়নের নিকট ইরাকীদের
পাঠান চিঠিপত্র দেখিয়ে তিনি বললেন, এ সবই ইরাকীদের লেখা চিঠি ও বায়আতপত্র ৷ ইবন
উমর (রা) বললেন, আল্লাহ্ তার নবীকে দুনিয়া ও আখিরাতের যে কোন একটিকে গ্রহণ করার


بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي مَا لَكَ؟ قَالَ: " أَتَانِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ أُمَّتِي سَتَقْتُلُ ابْنِي هَذَا ". فَقُلْتُ: هَذَا؟ قَالَ: " نَعَمْ، وَأَتَانِي بِتُرْبَةٍ مِنْ تُرْبَتِهِ حَمْرَاءَ» وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ عَفَّانَ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ أَيُّوبَ عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ قَالَتْ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: إِنِّي رَأَيْتُ فِي مَنَامِي أَنَّ فِي بَيْتِي أَوْ حِجْرِي عُضْوًا مِنْ أَعْضَائِكَ. قَالَ: " تَلِدُ فَاطِمَةُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ غُلَامًا فَتَكْفُلِينَهُ، فَوَلَدَتْ لَهُ فَاطِمَةُ حُسَيْنًا، فَدَفَعَتْهُ إِلَيْهَا فَأَرْضَعَتْهُ بِلَبَنِ قُثَمَ، فَأَتَيْتُ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا أَزُورُهُ، فَأَخَذَهُ فَوَضَعَهُ عَلَى صَدْرِهِ، فَبَالَ فَأَصَابَ الْبَوْلُ إِزَارَهُ، فَزَخَخْتُ بِيَدِي عَلَى كَتِفَيْهِ، فَقَالَ: " أَوْجَعْتِ ابْنِي أَصْلَحَكِ اللَّهُ ". أَوْ قَالَ: " رَحِمَكِ اللَّهُ ". فَقُلْتُ: أَعْطِنِي إِزَارَكُ أَغْسِلْهُ. فَقَالَ: " إِنَّمَا يُغْسَلُ بَوْلُ الْجَارِيَةِ، وَيُصَبُّ عَلَى بَوْلِ الْغُلَامِ» . وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي بُكَيْرٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ قَابُوسَ بْنِ مُخَارِقٍ، عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ سَوَاءً، وَلَيْسَ فِيهِ الْإِخْبَارُ بِقَتْلِهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادٌ، أَنَا عَمَّارُ بْنُ أَبِي عَمَّارٍ،
পৃষ্ঠা - ৫০৬৯
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ بِنِصْفِ النَّهَارِ وَهُوَ قَائِلٌ، أَشْعَثَ أَغْبَرَ بِيَدِهِ قَارُورَةٌ فِيهَا دَمٌ، فَقُلْتُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذَا؟ : قَالَ: " هَذَا دَمُ الْحُسَيْنِ وَأَصْحَابِهِ لَمْ أَزَلْ أَلْتَقِطُهُ مُنْذُ الْيَوْمِ ". قَالَ فَأَحْصَيْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ فَوَجَدُوهُ قُتِلَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» . قَالَ قَتَادَةُ: قُتِلَ الْحُسَيْنُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ، وَلَهُ أَرْبَعٌ وَخَمْسُونَ سَنَةً وَسِتَّةُ أَشْهُرٍ وَنِصْفُ شَهْرٍ. وَهَكَذَا قَالَ اللَّيْثُ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ الْوَاقِدِيُّ وَخَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَأَبُو مَعْشَرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، أَنَّهُ قُتِلَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ عَامَ وَاحِدٍ وَسِتِّينَ، وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ قُتِلَ يَوْمَ السَّبْتِ، وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ، وَقَدْ ذَكَرُوا فِي مَقْتَلِهِ أَشْيَاءَ كَثِيرَةً أَنَّهَا وَقَعَتْ; مِنْ كُسُوفِ الشَّمْسِ يَوْمَئِذٍ - وَهُوَ ضَعِيفٌ - وَتَغْيِيرُ آفَاقِ السَّمَاءِ، وَلَمْ يَنْقَلِبْ حَجَرٌ إِلَّا وُجِدَ تَحْتَهُ دَمٌ، وَمِنْهُمْ مَنْ خَصَّصَ ذَلِكَ بِحِجَارَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَأَنَّ الْوَرْسَ اسْتَحَالَ رَمَادًا، وَأَنَّ اللَّحْمَ صَارَ مِثْلَ الْعَلْقَمِ وَكَانَ فِيهِ النَّارُ، إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِمَّا فِي بَعْضِهَا نَكَارَةٌ، وَفِي بَعْضِهَا احْتِمَالٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَلَمْ يَقَعْ شَيْءٌ مِنْ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ، وَكَذَلِكَ الصِّدِّيقُ بَعْدَهُ مَاتَ وَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ مِنْ هَذَا، وَكَذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قُتِلَ شَهِيدًا وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي الْمِحْرَابِ صَلَاةَ الْفَجْرِ، وَحُصِرَ عُثْمَانُ فِي دَارِهِ، وَقُتِلَ بَعْدَ ذَلِكَ شَهِيدًا، وَقُتِلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ شَهِيدًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ
পৃষ্ঠা - ৫০৭০


ইখতিয়ার দেন ৷ নবী করীম (সা) দুনিয়ার পরিবর্তে আখিরাতকে বেছে নেন ৷ আপনারা সেই
নবীরই পরিবারভুক্ত লোক, আল্লাহর কসম, আপনাদের পরিবারভুক্ত কেউ-ই-এ দুনিয়ার কর্তৃত্ব
পারেন না ৷ নিকৃষ্ট বস্তু সরিয়ে দিয়ে উৎকৃষ্ট বস্তুর অধিকারী আপনাদেরকে করা হয়েছে ৷ সুতরাং
ফিরে চলুন ৷ কিন্তু হুসড়ায়ন (রা) অনুরোধ মানলেন না এবং বললেন, দেখুন, আমার নিকট এই
যে তাদের চিঠিপত্র ও বায়আতনামা রয়েছে ৷ অতঃপর ইবন উমর (রা) হুসায়নের সাথে
কােলাকুলি করে বললেনঃ ,া প্ ;প্রুপ্রু ৰুএে ৷ এ;প্রু: ৷ অর্থাৎ নিহত লাশরুপে আপনাকে
আল্লাহর সমীপে অর্পণ করছি ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর যা অনুভব করেছিলেন, তাই বাস্তবে
পরিণত হলো ৷ তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, নবী পরিবারের (:ৰু এ ৷) কেউ-ই
পুণঙ্গিরুপে ও স্থিতিশীলভারে খিলাফতে আসীন হবেন না ৷ অবশ্য ইতিপুর্বে হযরত উছমড়ান এবং
আলীও একই কথা বলেছিলেন ৷ আবু সড়ালিহ খালীল তার আল-ফিতান ওয়াল মালাহিম গ্রন্থে
উছমান ও আলী (রা)-এর বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন ৷

আমি বলি, এখানে এবল্টা প্রশ্ন হতে পারে যে, মিসরে ফাতিমীদের খিলাফত প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে এবং আলী (বা) খলীফা চতুষ্টয়ের একজন, সুতরাং ইবন উমরের উক্তি তাহলে যথার্থ
হয় কিভাবে ? এ প্রশ্নের উত্তরে আমার বক্তব্য এই যে, মিসরে ফাতিমী বংশের নামে যারা
খিলাফত চালিয়েছে তারা প্রকৃতপক্ষে ফাতিমী বংশোদ্ভুত নয়, বরং তারা ফাতিমী বলে
নিজেদের দাবি করতো ৷ অধিকাৎশ ঐতিহাসিকদের মত এটাই ৷ আর আলীতো (রা) আবু
তালিবের পুত্র, রাসুলের পরিবায়ভুক্ত (; এ ৷) ছিলেন না ৷ তাছাড়া হযরত আলীর
খিলাফত পুর্ণাঙ্গ ও স্থিতিশীল ছিল না-যেমনটি ছিল তার পুর্বসুরী খলীফাত্রয়ের খিলাফত ৷
রাংজ্যর সকল স্থানে তার ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিতও হয়নি এবং সে অবন্থায়ই খিলাফতের বিপর্যয়
নেমে আসে ৷ হযরত আলীর পুত্র হাসান যখন সেনাদলের নেতৃতৃই গ্রহণ করলেন এবং
সিরিয়াবাসীদের মুকাবিলায় বুব্রহ রচনা করেন ৷ আগে তিনি দেখলেন যে, তার খিলাফতের দাবি
ত্যাগ করার মধ্যে মুসলিম সমাজের কল্যাণ নিহিত এবং তাতে মুসলমানদের মধ্যে রক্তপাত
বন্ধ হয়ে ৷ তাই তিনি খিলাফতের দাবি থেকে সরে র্দাড়ালেন ৷

পক্ষাম্ভরে হযরত হুসড়ায়ন ইবন আলী (রা)-কে ইবন উমর (রা) যখন ইরাক যেতে ধারণ
করেন অথচ তিনি ইবন উমরের কথা জানেন না, তখন তিনি হুসড়ায়নকে কােলাকুলি করে
বিদায় জানান এবং বলেন, মৃত লাশরুপে আল্লাহর নিকট আপনাকে সোপর্দ করছি ৷ আর ইবন
উমর আপন প্রজ্ঞা দ্বারা যা উপলব্ধি করেছিলেন পরিণতিতে তাই ঘটে গেল ৷ কারণ, হুসড়ায়ন
ইরাকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন, সংবাদ পেয়ে উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদ আমর ইবন সাদ
ইবন আবু ওয়াক্কাসের সেনাপতিত্নে চার হাজার সৈন্য হুসায়নের আগমন পথের দিকে পাঠিয়ে
দেয় তার গতিরোধ করার জন্য ৷ এই আমর ইবন সাদ কিছুদিন পুর্বেচাকুরী থেকে অব্যাহতি
চেয়ে পদত্যাগ পত্র পেশ করেছিল, কিন্তু তা গৃহীত হয়নি ৷ যাহোক, উভয়পক্ষ তুফ্ (এ্া )
অঞ্চলের কারবালা নামক স্থানে পরস্পর সম্মুখীন হয় ৷ হুসড়ায়ন ও তার সাথীগণ নিকটস্থ একটি
গ্ৰামকে পশ্চাতে রেখে শত্রুবাহিনীর মুখোমুখি হন ৷ হুসায়ন তাদেরকে তিনটি প্রস্তাব দেন এবং
যে কোন একটি মেনে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান ;;

১ হয় তাকে ছেড়ে দেয়া হোক অথবা যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফিরে থেকে দেয়া
হোক ৷

— : :


قَبْلَ صَلَاةِ الْفَجْرِ، وَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ مِنْ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّهَا سَمِعَتِ الْجِنَّ تَنُوحُ عَلَى الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ. وَهَذَا صَحِيحٌ. وَقَالَ شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ: كُنَّا عِنْدَ أُمِّ سَلَمَةَ فَجَاءَهَا الْخَبَرُ بِقَتْلِ الْحُسَيْنِ، فَخَرَّتْ مَغْشِيًّا عَلَيْهَا. وَكَانَ سَبَبُ قَتْلِ الْحُسَيْنِ أَنَّهُ كَتَبَ إِلَيْهِ أَهْلُ الْعِرَاقِ يَطْلُبُونَ مِنْهُ أَنْ يَقْدَمَ عَلَيْهِمْ لِيُبَايِعُوهُ بِالْخِلَافَةِ، وَكَثُرَ تَوَاتُرُ الْكُتُبِ عَلَيْهِ مِنَ الْعَامَّةِ وَمِنَ ابْنِ عَمِّهِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ، فَلَمَّا ظَهَرَ عَلَى ذَلِكَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ نَائِبُ الْعِرَاقِ لِيَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، بَعَثَ إِلَى مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ فَضَرَبَ عُنُقَهُ، وَرَمَاهُ مِنَ الْقَصْرِ إِلَى الْعَامَّةِ، فَتَفَرَّقَ مَلَؤُهُمْ وَتَبَدَّدَتْ كَلِمَتُهُمْ، هَذَا وَقَدْ تَجَهَّزَ الْحُسَيْنُ مِنَ الْحِجَازِ إِلَى الْعِرَاقِ، وَلَمْ يَشْعُرْ بِمَا وَقَعَ، فَتَحَمَّلَ بِأَهْلِهِ وَمَنْ أَطَاعَهُ وَكَانُوا قَرِيبًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةٍ، وَقَدْ نَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ; أَبُو سَعِيدٍ، وَجَابِرٌ وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَابْنُ عُمَرَ فَلَمْ يُطِعْهُمْ. وَمَا أَحْسَنَ مَا نَهَاهُ ابْنُ عُمَرَ عَنْ ذَلِكَ، وَاسْتَدَلَّ لَهُ عَلَى أَنَّهُ لَا يَقَعُ مَا يُرِيدُهُ فَلَمْ يَقْبَلْ; فَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَالِمٍ الْأَسَدِيِّ، وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ " عَنْهُ قَالَ: «سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ يَقُولُ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ
পৃষ্ঠা - ৫০৭১


২ কিৎবা তড়াকে নিকটবর্তী কোন সীমান্তে অবস্থান গ্রহণের সুযোগ দেয়া হোক, যাতে
তিনি ইসলামের শক্রদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে পারেন ৷

৩ অথবা তাকে ইয়াযীদ ইবন মুআৰিয়ার নিকট যেতে দেয়া হোক, তিনি তার কাছে
আত্মসমর্পণ করবেন, তখন ইয়াযীদ যেরুপে ইচ্ছা সিদ্ধান্ত নেবেন ৷

কিভু তারা এ তিন প্রস্তাবের একটিও মেনে নিতে রাজী হলো না; বরং বললো, আপনাকে
অবশ্যই উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদের নিকট যেতে হবে ৷ তিনি আপনার ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত
নেবেন তা তিনিই বুঝবেন ৷ হুসায়ন উবায়দুল্লাহর নিকট কিছুতেই যাবেন না বলে জানিয়ে
দিলেন ৷ বাধ্য হয়ে তিনি তাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন ৷ তারা হুসায়নকে হত্যা করলো এবং
দেহ থেকে শির বিচ্ছিন্ন করে উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদের সম্মুখে পেশ করলো ৷ উবায়ল্লোহ্ তার
হাতের ছড়ি দ্বারা হুসায়নের বিচ্ছিন্ন শ্যিরর সম্মুখ র্দাতে আঘাত করতে থাকে ৷ ঐ মজলিসে
আনাস ইবন মালিক (রা) উপ ত ছিলেন ৷ তিনি উবায়দৃল্লাহকে বললেন :


অর্থাৎ ওহে! তোমার ছড়িটি উঠিয়ে নাও ৷ কারণ, আমি বহুবার দেখেছি রাসুলুল্লাহ্ (না)
এই দাতে চুমু থেয়েছেন ৷ অতঃপর উবায়দৃল্লাহ ইবন যিয়াদ হুসায়নের শিরসহ তার পরিবারের
লোকজন ও অন্যান্য সাথীদেরকে সিরিয়ার ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়াব নিকট পৌছিয়ে দেয়ার
জন্য নির্দেশ দিল ৷ উবায়দুল্লাহ আরও বলে দিল যে, ইয়াযীদকে যেন জানান হয় যে, শিরসহ
এদেরকে উবায়দুল্লাহ পাঠিয়েছে ৷ কারও কারও মতে সে হুসায়ন (রা) এর বিচ্ছিন্ন শির
মোবারকও ইয়াযীদ সমীপে পাঠিয়ে দিয়েছিলাে এবং যথারীতি তা ইয়াযীদের সম্মুরুখ পেশও
করা হয়েছিল ৷ যা হোক, শির যখন ইয়াযীদের সম্মুখে নীত হলো তখন সে নিম্নোক্ত কবিতাটি
আবৃত্তি করেং :

অর্থাৎ আমরা এমন একটি জনগোষ্ঠীর মধ্য হতে শিরচ্ছেদ করে এসেছি যাদের মর্যাদা ও
খ্যাতি ছিল আমাদের উপরে সুপ্রতিষ্ঠিত, তবে তারা ছিল অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী ৷ এরপর
ইয়াযীদ বন্দীদেরকে মদীনায় পাঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় ৷ যখন তারা মদীনায় পৌছেন তখন

আবদুল মুত্তালিবের বংশোদ্ভুত জনৈক মহিলা উম্মাদের ন্যায় এসে তাদের সহিত সাক্ষাৎ করেন
এবং মস্তকে হাত রেখে বিলাপের সুরে বলতে থাকেন :


০ ন্ # ) শ্ :


০ ষ্

অর্থাৎ-সেই দিন কি উত্তর দেবে, যে দিন নবী জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা কি করে এসেছ ?
অথচ তােমরাই পৃথিবীর সর্বশেষ উম্মত? আমার স্বজন ও পরিবারের মৃত্যুর পরে আমার


قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَأُخْبِرَ أَنَّ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ قَدْ تَوَجَّهَ إِلَى الْعِرَاقِ، فَلَحِقَهُ عَلَى مَسِيرَةِ لَيْلَتَيْنِ أَوْ ثَلَاثٍ مِنَ الْمَدِينَةِ. فَقَالَ: أَيْنَ تُرِيدُ؟ قَالَ: الْعِرَاقَ. وَمَعَهُ طَوَامِيرُ وَكُتُبٌ، فَقَالَ: لَا تَأْتِهِمْ. فَقَالَ: هَذِهِ كُتُبُهُمْ وَبَيْعَتُهُمْ. فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ خَيَّرَ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَاخْتَارَ الْآخِرَةَ وَلَمْ يُرِدِ الدُّنْيَا، وَإِنَّكُمْ بَضْعَةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهِ لَا يَلِيهَا أَحَدٌ مِنْكُمْ أَبَدًا، وَمَا صَرَفَهَا عَنْكُمْ إِلَّا لِلَّذِي هُوَ خَيْرٌ لَكُمْ، فَارْجِعُوا. فَأَبَى وَقَالَ: هَذِهِ كُتُبُهُمْ وَبَيْعَتُهُمْ. قَالَ: فَاعْتَنَقَهُ ابْنُ عُمَرَ وَقَالَ: أَسْتَوْدِعُكَ اللَّهَ مِنْ قَتِيلٍ. وَقَدْ وَقَعَ مَا فَهِمَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ مِنْ ذَلِكَ سَوَاءً، مِنْ أَنَّهُ لَمْ يَلِ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ الْخِلَافَةَ عَلَى سَبِيلِ الِاسْتِقْلَالِ وَيَتِمَّ لَهُ الْأَمْرُ، وَقَدْ قَالَ ذَلِكَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ لَا يَلِي أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ أَبَدًا» . رَوَاهُ عَنْهُمَا أَبُو صَالِحٍ السَّلِيلُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عِيسَى بْنِ الشَّيْخِ فِي كِتَابِهِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ". قُلْتُ: وَأَمَّا الْخُلَفَاءُ الْفَاطِمِيُّونَ الَّذِينَ كَانُوا بِالدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، فَإِنَّ أَكْثَرَ الْعُلَمَاءِ عَلَى أَنَّهُمْ أَدْعِيَاءُ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ، وَمَعَ هَذَا لَمْ يَتِمَّ لَهُ الْأَمْرُ كَمَا كَانَ لِلْخُلَفَاءِ الثَّلَاثَةِ قَبْلَهُ، وَلَا اتَّسَعَتْ يَدُهُ فِي الْبِلَادِ كُلِّهَا، ثُمَّ تَنَكَّدَتْ عَلَيْهِ الْأُمُورُ وَأَمَّا ابْنُهُ الْحَسَنُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّهُ لَمَّا جَاءَ فِي جُيُوشِهِ وَتَصَافَى هُوَ وَأَهْلُ الشَّامِ، وَرَأَى أَنَّ الْمَصْلَحَةَ فِي تَرْكِ الْخِلَافَةِ، تَرَكَهَا لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَصِيَانَةً لِدِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ، أَثَابَهُ اللَّهُ وَرِضَى عَنْهُ، وَأَمَّا الْحُسَيْنُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّ ابْنُ عُمَرَ لَمَّا أَشَارَ عَلَيْهِ بِتَرْكِ الذَّهَابِ إِلَى الْعِرَاقِ
পৃষ্ঠা - ৫০৭২
وَخَالَفَهُ، اعْتَنَقَهُ مُوَدِّعًا وَقَالَ: أَسْتَوْدِعُكَ اللَّهَ مِنْ قَتِيلٍ. وَقَدْ وَقَعَ مَا تَفَرَّسَهُ ابْنُ عُمَرَ، فَإِنَّهُ لَمَّا اسْتَقَلَّ ذَاهِبًا بَعَثَ إِلَيْهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ بِكَتِيبَةٍ فِيهَا أَرْبَعَةُ آلَافٍ، يَقْدُمُهُمْ عُمَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَاصٍّ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَا اسْتَعْفَاهُ فَلَمْ يُعْفِهِ، فَالْتَقَوْا بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ كَرْبَلَاءُ. بِالطَّفِّ، فَالْتَجَأَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ وَأَصْحَابُهُ إِلَى مَقْصَبَةٍ هُنَالِكَ، وَجَعَلُوهَا مِنْهُمْ بِظَهْرٍ، وَوَاجَهُوا أُولَئِكَ، وَطَلَبَ مِنْهُمُ الْحُسَيْنُ إِحْدَى ثَلَاثٍ، إِمَّا أَنْ يَدَعُوهُ يَرْجِعُ مِنْ حَيْثُ جَاءَ، وَإِمَّا أَنْ يَذْهَبَ إِلَى ثَغْرٍ مِنَ الثُّغُورِ فَيُقَاتِلَ فِيهِ، أَوْ يَتْرُكُوهُ حَتَّى يَذْهَبَ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ فَيَضَعَ يَدَهُ فِي يَدِهِ، فَيَحْكُمَ فِيهِ بِمَا شَاءَ، فَأَبَوْا عَلَيْهِ وَاحِدَةً مِنْهُنَّ، وَقَالُوا: لَا بُدَّ مِنْ قُدُومِكَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَيَرَى فِيكَ رَأْيَهُ، فَأَبِي أَنْ يَقَدَمَ عَلَيْهِ أَبَدًا، وَقَاتَلَهُمْ دُونَ ذَلِكَ، فَقَتَلُوهُ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَذَهَبُوا بِرَأْسِهِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، فَوَضَعُوهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِقَضِيبٍ فِي يَدِهِ عَلَى ثَنَايَاهُ وَعِنْدَهُ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ جَالِسٌ، فَقَالَ لَهُ: يَا هَذَا، ارْفَعْ قَضِيبَكَ، قَدْ طَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ يَقْبَلُ هَذِهِ الثَّنَايَا. ثُمَّ أَمَرَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ أَنْ يُسَارَ بِأَهْلِهِ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ إِلَى الشَّامِ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ بَعَثَ مَعَهُمْ بِالرَّأْسِ حَتَّى وُضِعَ بَيْنَ يَدَيْ يَزِيدَ، فَأَنْشَدَ حِينَئِذٍ قَوْلَ بَعْضِهِمْ نُفَلِّقُ هَامًا مِنْ رِجَالٍ أَعِزَّةٍ ... عَلَيْنَا وَهُمْ كَانُوا أَعَقَّ وَأَظْلَمَا ثُمَّ أَمَرَ بِتَجْهِيزِهِمْ إِلَى الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ، فَلَمَّا دَخَلُوهَا تَلَقَّتْهُمُ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ نَاشِرَةً شَعْرَهَا، وَاضِعَةً كَفَّهَا عَلَى رَأْسِهَا تَبْكِي وَهِيَ تَقُولُ
পৃষ্ঠা - ৫০৭৩


লোকদের সাথে এই কি তোমাদের আচরণ ? তাদের কাউকে করেছ বন্দী আর কাউকে করেছ
হত্যা, রক্ত আচ্ছাদনে তাদের দেহ হয়েছে আবৃত ৷ এই কি আমার প্রতিদান ? আমি তো
ণ্তামাদেরকে সৎ উপদেশ দান করেছিলাম, আর তোমরা আমার স্বজনদের উপর অত্যাচার
চালিয়ে তার বিরোধিতা করেছ ৷

এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা আমরা যথান্থানে করবো ইনৃশাআল্লাহ্ ৷ হযরত হুসায়ন
(রা) এর করুণ মৃত্যু উপলক্ষে অসংখ্য গােকপাথা রচিত হয়েছে ৷ এখানে হাকিম আবু
আবদুল্লাহ নিশাপুরীর গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করা হলো

ৰুখ্ট্রুএই ৰুএাএ

প্ শ্

অর্থাৎ-হে মুহাম্মদ তনয়া পুত্র! এরা তোমার মস্তককে রক্তের চাদর পরিয়ে বহন করে
এসেছে ৷ হে মুহাম্মদ তনয়া পুত্র ! তোমার হত্যার মাধ্যমে এরা যেন প্রকাশভােবে উদ্দেশ্য
প্রণোদিত হয়ে স্বয়ং রাসুলকেই হত্যা করেছে ৷ তৃষ্ণা কাতর অবস্থায় এরা তোমাকে বধ করেছে,
এ ব্যাপারে তারা কুরআন ও হাদীসের কিছুমাত্র পরোয়া করেনি ৷ তোমাকে হত্যা করে এরা
আল্লাহ আকবর (আল্লাহ্ মহান) বলে জয়ধ্বনি দিচ্ছে ৷ অথচ তোমাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে
এরা তাকবীর ও তাওহীদকেই হত্যা করে দিয়েছে ৷

ইয়াযীদের আমলে সংঘটিত হার্রার ঘটনা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আইয়ুব ইবন বশীর থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একদা সফরে বের হন ৷ হাবৃরার এক উদ্যানের নিকট এসে তিনি থামলেন এবং ইন্নালিল্লাহ্
পড়লেন ৷ সাথীদেরকে এ বিষয়টি ব্বিত করে তোলে ৷ তারা ধারণা করে নেন যে, এটা হয়তো
সফরের ব্যাপারে প্রযোজ্য ৷ হযরত উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ এটা তাহলে
কী ? তিনি বললেন, সাহাবীদের পরে এই হাবৃরায় আমার শ্রেষ্ঠ উম্মতদেরকে হত্যা করা হবে :
গোাগ্রা১৷ এ বর্ণনাটি মুরসাল (অর্থাৎ সনদে সাহাবীর
নাম উল্লেখ নেই) ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, এ আয়াতটির মর্ম ষাট বছর পর বুঝা গেল, তারপর তিনি এ আয়াত টি পাঠ করলেন,

শ্শ্শ্শ্শ্ : ; ,

এ অর্থাৎ “আর যদি শহরের
চারদিক থেকে শত্রু এসে প্রবেশ করতো এবং তখন এদেরকে বিদ্রোহের জন্য প্ররাে ৷চিত করতো
তাহলে তারা অবশ্যই তাতে সাড়া দিতো” (৩৩ং , ১৪) ৷

ইবন আব্বাস বলেন, এ সাড়া দেয়ার অর্থ হলো মদীনাবাসীদের উপরে সিরিয়াবাসীদের
প্রবেশ লাভের জন্য বনু হারিছার সম্মতি ৷ এ হাদীসের বর্ণনাসুত্র সহীহ্ এবৎবহু সংখ্যক
মুহাদ্দিসের মতে সাহাবীর তাফসীর মারকু হাদীসের পর্যায়ভুক্ত ৷


مَاذَا تَقُولُونَ إِنْ قَالَ النَّبِيُّ لَكُمْ ... مَاذَا فَعَلْتُمْ وَأَنْتُمْ آخِرُ الْأُمَمِ بِعِتْرَتِي وَبِأَهْلِي بَعْدَ مُفْتَقَدِي ... مِنْهُمْ أُسَارَى وَقَتْلَى ضُرِّجُوا بِدَمِ مَا كَانَ هَذَا جَزَائِي إِذْ نَصَحْتُ لَكُمْ ... أَنْ تَخْلُفُونِي بِشَرٍّ فِي ذَوِي رَحِمِي وَسَنُورِدُ هَذَا مُفَصَّلًا فِي مَوْضِعِهِ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ، وَقَدْ رَثَاهُ النَّاسُ بِمَرَاثٍ كَثِيرَةٍ، وَمِنْ أَحْسَنِ ذَلِكَ مَا أَوْرَدَهُ الْحَاكِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ النَّيْسَابُورِيُّ، وَكَانَ فِيهِ تَشَيُّعٌ: جَاءُوا بِرَأْسِكَ يَا ابْنَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ ... مُتَزَمِّلًا بِدِمَائِهِ تَزْمِيلَا فَكَأَنَّمَا بِكَ يَا ابْنَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ ... قَتَلُوا جِهَارًا عَامِدِينَ رَسُولَا قَتَلُوكَ عَطْشَانًا وَلَمْ يَتَرَقَّبُوا ... فِي قَتْلِكَ التَّنْزِيلَ وَالتَّأْوِيلَا وَيُكَبِّرُونَ بِأَنْ قُتِلْتَ وَإِنَّمَا ... قَتَلُوا بِكَ التَّكْبِيرَ وَالتَّهْلِيلَا [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ وَقْعَةِ الْحَرَّةِ] ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ وَقْعَةِ الْحَرَّةِ الَّتِي كَانَتْ فِي زَمَنِ يَزِيدَ أَيْضًا قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنِي ابْنُ فُلَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ بَشِيرٍ الْمُعَاوِيِّ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ فِي سَفَرٍ مِنْ أَسْفَارِهِ، فَلَمَّا مَرَّ بِحَرَّةِ زُهْرَةَ وَقَفَ فَاسْتَرْجَعَ، فَسَاءَ ذَلِكَ مَنْ مَعَهُ، وَظَنُّوا أَنَّ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِ سَفَرِهِمْ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ৫০৭৪

নুআয়ম ইবন হাম্মাদ কিতাবুল ফিতান ওয়াল মালাহিম’ গ্রন্থে আবু বর (বা) থেকে
বংনাি করেছেন ৷ তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে ডেকে বলেন, হে আবু ঘর, যে
সময় লোক অকাতরে নিহত হবে, এমনকি তাদের রক্তের স্রোতে গাছপাথর ডুবে যাবে, তখন
তুমি কী করবে ? আবু বর (বা) বলেন, আল্লাহ ও তার রাসুল ভাল জানেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তুমি তখনও তামার গৃহের অভ্যন্তরে অবস্থান নেবে ৷ আমি বললাম, তারা যদি আমার
উপর চড়৷ ও হয় ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, চড়াও হলে সে তোমার নিজের গোত্রের লোকই
হবে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, তখন কি আমি অস্ত্র হাতে নেব ? তিনি বললেন, তাহলে তো
তুমিও৩ তাদের কাজে শরীক হয়ে যাবে ৷ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমি
তখন কী করতে পারি ? জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এমন আশংকা যদি হয় যে,
তোমাকে তল্যেয়ার দ্বারা আঘাত করবে, তখন তোমার চেহারা চাদর দিয়ে ঢেকে নিবে,
হত্যাকারী যাতে তার নিজের ও তোমার পাপের বোঝা বহন করে ৷ ইমাম আহমদ তার
মুসনাদ’ গ্রন্থে অড়াবুইমরান আ ৷ল-জাওনী সুত্রে এ হাদীসকে আরও বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন ৷

আমি বলি, হাবরার ঘটনার কারণ এই যে, মদীনা থেকে প্রতিনিধি দল দামিশৃকে গিয়ে
ইয়াঘীদ ইবন মুআবিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে ৷ ইয়াঘীদ তাদেরকে যথোপযুক্ত সম্মান, আপ্যায়ন
করে এবং উত্তম উপচৌকন দান করে ৷ দলের আমীর আবদুল্লাহ ইবন হানযালা ইবন আবু
আমেরকে প্রায় এক লক্ষ দিরহাম দিয়ে পুরকৃত করে ৷৩ তারা ফিরে এসে মদীনাবাসীদেরকে
ইয়াযীদের পাপাচার সম্পর্কে ধারণা দেন এবং বলেন যে, সে মদ পান করে এবং মাতাল
অবস্থায় বহু সময় তার নামাযের ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়ে যায় ৷ত তা শুনে মদীনাবাসীর৷ মসজিদে
নববীতে সমবেত ৩হয়ে ইয়াযীদের খিলড়াফতের প্রতি অ৩নাস্থ৷ প্রক৷ শ্া৷ করলেন ৷ ইয়াযীদের নিকট

সংবাদ পৌছ৷ মাত্র বিদ্রোহ দমনের জন্য মুসলিম ইবন উক্বড়ার নেতৃত্বে (প্রাচীন ইতিহাসে
তার নাম মুসাবরাফ ইবন উক্বা) এক বাহিনী প্রেরণ করে ৷ মুসলিম মদীনায় পৌছে তিন দিন
পর্যন্ত নৃশ০ ৎসভাবে হত্যায়জ্ঞ চালায় ৷ অস০ ৎখ্য লোক এতে নিহত হয় ৷ মদীনায় কোন একটি
লোকও আঘাত থেকে রেহাই পাননি ৷ প্রাচীন ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন এ অভিযানে এক
হাজার তরুণ নিহত হয় ৷ ইমাম মালিক (র) বলেছেন, হাবরার ঘটনায় সাত শ’ হাফিযে
কুরআন নিহত হন ৷ আবদুল্লাহ ইবন ওহাব বলেন, ইমাম মালিক সম্ভবত এ কথাও বলেছেন
যে, নিহতদের মধ্যে রাসুল (সা) এর তিনজন সাহাবীও ছিলেন ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সাঈদ
ইবন কাহীর সুত্রে লেখেন যে, হাবরার ঐ দিন নিহতদের তালিকায় আবদুল্লাহ ইবন ইয়াঘীদ
আল-মাযিনী, মাকিল ইবন সুলায়মান আল-আশজাঈ ও মুআয ইবন হারিছ আল-কারী,
আবদুল্লাহ ইবন হানযাল৷ ইবন আবু আযিরও ছিলেন ৷

ইয়াকুব ইয়াহ্ইয়ার সুত্রে লায়ছ থেকে বর্ণনা করেন যে, হাবরার ঘটনা হি তেষট্টি সালের
যিল-হাজ মাসের সাতাশ তারিখে বুধবারে স০ ঘটিত হয় ৷

মদীনায় ধ্বংস অভিযান <:শষে মুসাবরফ ইবন উক্বা আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রকে হত্যা
করার উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে যাত্রা করে ৷ কারণ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ইয়াযীদের হাতে
বায়আত না করেই শাসন অস্বীকার করে বিদ্রোহ করেছিলেন ৷ ইত্যবসরে ইয়াঘীদ ইবন
মুআবিয়া মৃত্যুবরণ করে ৷ তার মৃত্যুতে সমগ্র হিজাষে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রের শাসন সু-দৃঢ়
হয় ৷ ইরাক ও মিসর তার অধীনে চলে আসে ৷


مَا الَّذِي رَأَيْتَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَا إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ مِنْ سَفَرِكُمْ هَذَا ". قَالُوا: فَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " يُقْتَلُ بِهَذِهِ الْحَرَّةِ خِيَارُ أُمَّتِي بَعْدَ أَصْحَابِي» . هَذَا مُرْسَلٌ. وَقَدْ قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: قَالَ وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ: قَالَتْ جُوَيْرِيَةُ: حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: جَاءَ تَأْوِيلُ هَذِهِ الْآيَةِ عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ سَنَةً: {وَلَوْ دُخِلَتْ عَلَيْهِمْ مِنْ أَقْطَارِهَا ثُمَّ سُئِلُوا الْفِتْنَةَ لَآتَوْهَا} [الأحزاب: 14] . قَالَ: لَأَعْطَوْهَا. يَعْنِي إِدْخَالَ بَنِي حَارِثَةَ أَهْلَ الشَّامِ عَلَى أَهْلِ الْمَدِينَةِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، وَتَفْسِيرُ الصَّحَابِيِّ فِي حُكْمِ الْمَرْفُوعِ عِنْدَ كَثِيرٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ فِي كِتَابِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ": حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ، ثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ، أَرَأَيْتَ إِنِ النَّاسُ قُتِلُوا حَتَّى تَغْرَقَ حِجَارَةُ الزَّيْتِ مِنَ الدِّمَاءِ، كَيْفَ أَنْتِ صَانِعٌ؟ " قَالَ: قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: " تَدْخُلُ بَيْتَكَ ". قَالَ: قُلْتُ: فَإِنْ أَتَى عَلَيَّ؟ قَالَ: " تَأْتِي مَنْ أَنْتَ مِنْهُ ". قَالَ: قُلْتُ: وَأَحْمِلُ السِّلَاحَ؟ قَالَ: " إِذًا تُشْرَكَ مَعَهُمْ ". قَالَ: قُلْتُ: فَكَيْفَ أَصْنَعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " إِنْ خِفْتَ أَنْ يَبْهَرَكَ شُعَاعُ السَّيْفِ فَأَلْقِ طَائِفَةً مِنْ رِدَائِكَ عَلَى وَجْهِكَ يَبُوءُ بِإِثْمِكَ وَإِثْمِهِ» وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي
পৃষ্ঠা - ৫০৭৫
" مُسْنَدِهِ " عَنْ مَرْحُومٍ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ فَذَكَرَهُ مُطَوَّلًا. قُلْتُ: وَكَانَ سَبَبُ وَقْعَةِ الْحَرَّةِ أَنَّ وَفْدًا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ قَدِمُوا عَلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بِدِمَشْقَ، فَأَكْرَمَهُمْ وَأَحْسَنَ جَائِزَتَهُمْ، وَأَطْلَقَ لِأَمِيرِهِمْ، وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي عَامِرٍ، قَرِيبًا مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ، فَلَمَّا رَجَعُوا ذَكَرُوا لِأَهْلِيهِمْ عَنْ يَزِيدَ مَا كَانَ يَقَعُ مِنْهُ مِنَ الْقَبَائِحِ فِي شُرْبِهِ الْخَمْرَ، وَمَا يَتْبَعُ ذَلِكَ مِنَ الْفَوَاحِشِ الَّتِي مِنْ أَكْبَرِهَا تَرْكُ الصَّلَاةِ عَنْ وَقْتِهَا بِسَبَبِ السُّكْرِ، فَاجْتَمَعُوا عَلَى خَلْعِهِ، فَخَلَعُوهُ عِنْدَ الْمِنْبَرِ النَّبَوِيِّ، فَلَمَّا بَلَغَهُ ذَلِكَ بَعَثَ إِلَيْهِمْ سَرِيَّةً يَقْدُمُهَا رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ. وَإِنَّمَا يُسَمِّيهِ السَّلَفُ مُسْرِفَ بْنَ عُقْبَةَ، فَلَمَّا وَرَدَ الْمَدِينَةَ اسْتَبَاحَهَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَقَتَلَ فِي غُبُونِ هَذِهِ الْأَيَّامَ بَشَرًا كَثِيرًا حَتَّى كَادَ لَا يَفْلِتُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِهَا، وَزَعَمَ بَعْضُ عُلَمَاءِ السَّلَفِ أَنَّهُ افْتَضَّ فِي غُبُونِ ذَلِكَ أَلْفَ بِكْرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ عَنِ الْإِمَامِ مَالِكٍ: قُتِلَ يَوْمَ الْحَرَّةِ سَبْعُمِائَةِ رَجُلٍ مِنْ حَمَلَةِ الْقُرْآنِ. حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ: وَكَانَ فِيهِمْ ثَلَاثَةٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَذَلِكَ فِي خِلَافَةِ يَزِيدَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ الْأَنْصَارِيَّ يَقُولُ: قُتِلَ يَوْمَ الْحَرَّةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمَازِنِيُّ، وَمَعْقِلُ بْنُ سِنَانٍ الْأَشْجَعِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৫০৭৬

ইয়াষীদের পরে তার পুত্র মু আবিয়৷ পিতার খিলাফতে অধিষ্ঠিত হন ৷ তিনি ছিলেন সৎ ও
ন্যায়পরায়ণ লোক ৷ কিভু বেশি দিন তিনি জীবিত ছিলেন না ৷ মাত্র চল্লিশ দিন, কারও মতে
বিশ দিন খিলাফত পরিচালনা করার পর তিনি ইনতিকাল করেন ৷ মারওয়ান ইবন হাকাম এ
সময় সিরিয়ার ক্ষমতায় আসীন হন ৷ নয় মাস রাজতৃ করার পর তিনি মারা যান ৷ মারওয়ানের
মৃত্যুর পর তার পুত্র আবদুল্লাহ খিলাফতের মসনদে অধিষ্ঠিত তহয় ৷ কিন্তু আমর ইবন সাঈদ
ইবন আশদাক তার প্ৰতিদ্বজ্বি হয়ে উঠে ৷ মু আবিয়া, ইয়াযীদ ও মারওয়ানের শাসনকালে এই
আমর মদীনায় খলীফ৷ ৷র প্রতিনিধিরুপে দ যি৩ পালন করেন ৷ মারওয়ানের মৃত্যুকালে আমর
ধারণা করেছিলেন যে, নিশ্চয়ই তিনি আমাকে তার স্থলাভিষিক্ত করবেন এবং আব্দুল মালিলকে
আমার পরে খলীফারুপে ঘোষণা দেবেন ৷ বিক্ষ্ম তার সকল আশা চুর্ণ হয়ে গেল ৷ ফলে আমর
ইবন সাঈদ ক্ষুদ্ধ হৃদয়ে আপন দাবিতে রাজ্যাভ্যন্তরে বিশৃৎখলা সৃষ্টি করতে থাকে ৷ হি
উনসত্তর অথবা সত্তর সালে খলীফ৷ তাকে হত্যা করেন ৷ অতঃপর আব্দুল মালিক সুষ্ঠুভাবে দেশ
শাসন করতে থাকেন ৷ হি তিহাত্তর সালে৩ তিনি আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রকে দমন করতে সক্ষম
হন ৷ খলীফার নির্দেশক্রমে হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ মক্কায় আবদুল্লাহ্কে দীর্ঘদিন অবরোধ রাখার
পর হত্যা করে ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র হারাম শরীফে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন ৷ সুতরাং হত্যা
করার সুযোগ না থাকায় হাজ্জাজ কাবা গৃহের উপর মিনজানীক ক্রেন স্থাপন করে সু-কৌশলে
আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়রকে হত্যা করে ৷ আব্দুল মালিক তার মৃত্যুর পরে খিলাফত পদে নিজের
চার পুত্র যথা : ওলীদ, সুলায়মান, ইয়াযীদ ও হিশামের নাম ঘোষণা করেন ৷

ইমাম আহমদ আসওদ ও ইয়াহিয়া আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ্
(সা) বলেছেন, তোমরা সত্তর দশকের শেষের বছরগুলো থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর, এবং
বালকদের শাসনকর্তৃৎ থেকে পানাহ্ চাও ৷ তিনি আরও বলেছেন : এ জগত ততদিন ধ্বংস
হয়ে না যতদিন না পাপিষ্ঠ পুত্র ও পাপিষ্ঠ ও দুর্নীতিবাজ হবে এবং উভয়েই ক্ষমতার সিংহাসনে
আরোহণ করবে ও
, এ্এে


তিরমিষী আবু হুরায়রা (যা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন : আমার
উন্মতের বয়স ষাট থেকে সত্তরের মধ্যে হবে (স্বাভাবিকভাবে) ৷ হাদীসটি হাসান গরীব ৷

ইমাম আহমদ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি শুনেছি,
রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন, আমার এই মিম্বরের উপর বসে বনু উমায়্যার স্বৈরাচার অহং কারী
শাসকরা উচ্চস্বরে রাজকীয় ঘোষণা পাঠ করবে ৷ আবদুস সামাদ বড়াড়িয়ে বলেছেন যে, সে
চিৎকারে তার নাক দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়ে ৷

এরপর আবদুস সামাদ বলেন, আমার নিকট এমন এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছে যে আমর

ইবন সাঈদ ইবন আসকে দেখেছে যে, সে মসজিদে নববীর মিম্বরের উপর উপবিষ্ট থাকাকালে
তার নাক থেকে রক্ত প্রবা তহয় ৷ আমি বলি, জনৈক বর্ণনাকা রী আলী ইবন ইয়াযীদ ইবন
জাদ আন হাদীস বর্ণনায় অপরিচিত, অনির্ভরযােগ্য ৷ তিনি শিয়া প্রভাবিত ছিলেন ৷ এবং এই


وَمُعَاذُ بْنُ الْحَارِثِ الْقَارِئُ، وَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي عَامِرٍ. قَالَ يَعْقُوبُ: وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ قَالَ: وَكَانَتْ وَقْعَةُ الْحَرَّةِ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ. ثُمَّ انْبَعَثَ مُسْرِفُ بْنُ عُقْبَةَ إِلَى مَكَّةَ قَاصِدًا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ لِيَقْتُلَهُ بِهَا; لِأَنَّهُ فَرَّ مِنْ بَيْعَةِ يَزِيدَ، فَمَاتَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ فِي غُبُونِ ذَلِكَ، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ فِي الْخِلَافَةِ بِالْحِجَازِ، ثُمَّ أَخَذَ الْعِرَاقَ وَمِصْرَ، وَبُويِعَ بَعْدَ يَزِيدَ لِابْنِهِ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ، وَكَانَ رَجُلًا صَالِحًا، فَلَمْ تَطُلْ مُدَّتُهُ; مَكَثَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، وَقِيلَ: عِشْرِينَ يَوْمًا. ثُمَّ مَاتَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فَوَثَبَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ عَلَى الشَّامِ فَأَخْذَهَا، فَبَقِيَ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ ثُمَّ مَاتَ، وَقَامَ بَعْدَهُ ابْنُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، فَنَازَعَهُ فِيهَا عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْأَشْدَقِ، وَكَانَ نَائِبًا عَلَى الْمَدِينَةِ مِنْ زَمَنِ مُعَاوِيَةَ وَأَيَّامِ يَزِيدَ، وَمَرْوَانَ، فَلَمَّا هَلَكَ مَرْوَانُ زَعَمَ أَنَّهُ أَوْصَى لَهُ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِ ابْنِهِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَضَاقَ بِهِ ذَرْعًا، وَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى أَخَذَهُ بَعْدَ مَا اسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ بِدِمَشْقَ، فَقَتَلَهُ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَسِتِّينَ، وَيُقَالُ: فِي سَنَةِ سَبْعِينَ. وَاسْتَمَرَّتْ أَيَّامُ عَبْدِ الْمَلِكِ حَتَّى ظَفِرَ بِابْنِ الزُّبَيْرِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، قَتَلَهُ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ الثَّقَفِيُّ عَنْ أَمْرِهِ بِمَكَّةَ، بَعْدَ مُحَاصَرَةٍ طَوِيلَةٍ اقْتَضَتْ أَنْ نَصَبَ الْمَنْجَنِيقَ عَلَى الْكَعْبَةِ; مِنْ أَجْلِ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ لَجَأَ إِلَى الْحَرَمِ، فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى قَتَلَهُ، ثُمَّ عَهِدَ فِي الْأَمْرِ إِلَى بَنِيهِ الْأَرْبَعَةِ مِنْ بَعْدِهِ; الْوَلِيدِ، ثُمَّ سُلَيْمَانَ، ثُمَّ يَزِيدَ، ثُمَّ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ وَيَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، ثَنَا كَامِلٌ
পৃষ্ঠা - ৫০৭৭

আমর ইবন সাঈদকে বলা হয় আশদাক, তিনি মুসলিম সমাজের নেতৃস্থানীয় ও সল্লাড় ব্যাক্তি
ছিলেন (পার্থিব দিক থেকে, দীনদারীর দিক থেকে নয়) ৷ বহু সং খ্যক সাহারা থেকে তিনি
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ যেমন মুসলিম শরীফে৩ তাহারাত অধ্যায়ে তিনি উছমান (রা) থেকে
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ যু আবিয়া ও ইয়াষীদের শাসনকালে তিনি মদীনার শাসনকর্তা ছিলেন ৷
এরপর তার তৎপরতা ডিন্নপথে ধাবিত হয় ৷ এক পর্যায়ে তিনি আবদুল মালিক ইবন
মারওয়ানের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হন ৷ আবদুল মালিক কৌশলে তাকে হি উনসত্তর অথবা সত্তর
সালে হত্যা করেন ৷

আমর ইবন সাঈদ আলআশদা কের মহানুভবতা সম্পর্কে বহু ঘটনা প্রসিদ্ধ রয়েছে ৷ যেমন,
যখন তার পিতার মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয় তখন তার তিন পুত্র আমর , উমায়্যা ও মুসাকে
ডেকে বললেন, আমার উপর যে ঋণ আছে তা পরিশোধ করার দায়িত্ব কে নেবে ? আমর
অগ্রসর হয়ে বললেন-আব্বাজান! এ দায়িত্ব আমি মোঃ; অতঃপর বললেন, আপনার ঋণের
পরিমান কত ? পিতা বললেন, ত্রিশ সহস্র স্বর্ণ মুদ্রা (দীনার) ৷ আমর বললেন, আমি তা পােধ
করতে রাজী আছি ৷ তারপর বললেন, তোমার বোনদের বিবাহ্ সমপর্যায়ের পাত্রদের সাথে
দেবে, যবের রুটি দ্বারা আপ্যায়ন করে হলেও ৷ আমর বললেন, রাজী আছি ৷ পিতা পুনরায়
বললেন, আমার বন্ধু-বান্ধবগণ আমার মৃত্যুতে যদিও আমার দর্শন থেকে বঞ্চিত হবে, কিন্তু
তাই বলে আমার সৌহার্দপুর্ণ আচরণ থেকে যেন তারা বঞ্চিত না হয় ৷ আমর বললেন-অবশ্যই
তাই করবো ৷ পিতা বললেন, তুমি আজ যে এইরুপ উত্তর দোব, আমি তা সেই দিন তোমার
মুখমণ্ডলের দ্যুতি থেকে উপলব্ধি করেছিলাম, যে দিন তুমি দোলনায় ছিলে ৷

বায়হাকী আবদুল্লাহ ইবন সালেহ মুহাম্মদ ইবন ইয়াযীদ সুত্রে বর্ণনা করেন-একদা কায়স

ইবন হারাশা ও কাব একত্রে সফর করছিলেন ৷ সিফ্ফীনে পৌছলে কাব আহ্বার খমকে

র্দাড়ালেন এবং বললেন, এই তো সে স্থান, যার কথা তাওরাতে এসেছে যে, এখানে একদিন
মুসলমানদের রক্ত বন্যা প্রবাহিত হবে৷ কায়স ইবন হারাশা সম্পর্কে বায়হাকী বলেছেন যে,
তিনি সত্য ও হক কথা বলার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট অঙ্গীকারাৰ্দ্ধ হন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, হে কায়স ইবন হারাশা! শীঘ্রই ভুমি সমাজের ণ্লাকদের নিকট
নিগৃহীত হবে ৷ আমার মৃত্যুর পরে এমন সব লোকদের র্ফাদে তুমি আবদ্ধ হবে যে, তাদের
সম্মুখে হক কথা বলতে সক্ষম হবে না ৷ কায়স বললেন, আল্লাহর শপথ, আমি যে ব্যাপারে
আপনার নিকট বায়আত ৫নব তা পুরণ করবেইি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বললেন, তাই যদি পায়
তার কোন লোক তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ৷ কায়স উবায়দুল্পাহ্ ইবন যিয়াদ ইবন
আবু সুফিয়ানের শাসনকাল পর্যন্ত জীবিত থাকেন ৷ কোন এক ন্ কারবৃণ উবায়দুল্লাহ্ তার উপর
ক্ষি প্ত হয় ৷ কায়সকে দরবারে ডেকে এনে সে বললো, তৃমিই কি সেই ব্যক্তি, যে এই ধারণা
পোষণ কর যে, ন্ক্লেউ তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ? কায়স বললেন, হী ৷ উবায়দৃল্লাহ্
বললো, জ্যোঅই তুমি দেখে নেবে যে, তোমার এ দাবি মিথ্যা ৷ এ কথা বলে উবায়দুল্পাহ্
জল্লাদকে ডেকেৰুপাঠাল ৷ তখন কায়স অন্য দিকে মুখ ফিরালেন এবং সাথে সাথে যারা
গেলেন ৷


أَبُو الْعَلَاءِ، سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ - وَهُوَ مَوْلَى ضُبَاعَةَ - الْمُؤَذِّنَ، وَاسْمُهُ مِينَاءُ قَالَ: «سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ رَأْسِ السَّبْعِينَ، وَإِمَارَةِ الصِّبْيَانِ ". وَقَالَ: " لَا تَذْهَبُ الدُّنْيَا حَتَّى تَصِيرَ لِلُكَعِ ابْنِ لُكَعٍ ". وَقَالَ الْأَسْوَدُ: يَعْنِي اللَّئِيمَ ابْنَ اللَّئِيمِ» . وَقَدْ رَوَى التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ كَامِلٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عُمُرُ أُمَّتِي مِنْ سِتِّينَ إِلَى سَبْعِينَ سَنَةً» . ثُمَّ قَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ عَفَّانَ وَعَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَيَرْتَقِيَنَّ - وَقَالَ عَبْدُ الصَّمَدِ فِي رِوَايَتِهِ: لَيَرْعُفَنَّ - جَبَّارٌ مِنْ جَبَابِرَةِ بَنِي أُمَيَّةَ عَلَى مِنْبَرِي هَذَا» . زَادَ عَبْدُ الصَّمَدِ: " يَسِيلُ رُعَافُهُ ". قَالَ: فَحَدَّثَنِي مَنْ رَأَى عَمْرَو بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ رَعُفَ عَلَى مِنْبَرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى سَالَ رُعَافُهُ. قُلْتُ: عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ فِي رِوَايَتِهِ غَرَابَةٌ وَنَكَارَةٌ، وَفِيهِ تَشَيُّعٌ، وَعَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ هَذَا يُقَالُ لَهُ: الْأَشْدَقُ. كَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ
পৃষ্ঠা - ৫০৭৮
وَأَشْرَافِهِمْ رَأَى النَّبِيَّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَوَى عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ عُثْمَانَ فِي فَضْلِ الطَّهُورِ، وَكَانَ نَائِبًا عَلَى الْمَدِينَةِ لِمُعَاوِيَةَ وَلِابْنِهِ يَزِيدَ بَعْدَهُ، ثُمَّ اسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ حَتَّى كَانَ يُصَاوِلُ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ، ثُمَّ خَدَعَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ حَتَّى ظَفِرَ بِهِ، فَقَتَلَهُ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَسِتِّينَ، أَوْ سَنَةِ سَبْعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنَ الْمَكَارِمِ أَشْيَاءُ كَثِيرَةٌ، مِنْ أَحْسَنِهَا أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَتْ أَبَاهُ الْوَفَاةُ قَالَ لِبَنِيهِ، وَكَانُوا ثَلَاثَةً; عَمْرٌو هَذَا، وَأُمَيَّةُ، وَمُوسَى، فَقَالَ لَهُمْ: مَنْ يَتَحَمَّلُ مَا عَلَيَّ؟ فَبَدَرَ ابْنُهُ عَمْرٌو هَذَا وَقَالَ: أَنَا يَا أَبَهْ، وَمَا عَلَيْكَ؟ قَالَ: ثَلَاثُونَ أَلْفَ دِينَارٍ. قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَأَخَوَاتُكَ لَا تُزَوِّجْهُنَّ إِلَّا بِالْأَكْفَاءِ وَلَوْ أَكَلْنَ خُبْزَ الشَّعِيرِ. قَالَ: نَعَمْ قَالَ: وَأَصْحَابِي مِنْ بَعْدِي، إِنْ فَقَدُوا وَجْهِي فَلَا يَفْقِدُوا مَعْرُوفِي. قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَمَا لَئِنْ قُلْتَ ذَلِكَ فَلَقَدْ كُنْتُ أَعْرِفُهُ مِنْ حَمَالِيقِ وَجْهِكَ وَأَنْتَ فِي مَهْدِكَ. وَقَدْ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ كَاتِبِ اللَّيْثِ، عَنْ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يُحَدِّثُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫০৭৯


আরও একটি মুজিযা

বায়হাকী দারাওয়ার্দী আব্বাস ইবন আবদুল যুত্তালিব থেকে বর্ণনা করেন ৷ আব্বাস
একদিন কোন প্রয়োজনে আপন পুত্র আবদৃল্লাহ্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷
আবদুল্লাহ্সেখানে যান ৷ তিনি দেখতে পেলেন যে, রাসুলের নিকট একজন লোক বসে আছে ৷
এ কারণে কোন কথাবার্তা না বলেই তিনি ফিরে এলেন ৷ পরে আব্বাস রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ ঘটনাটি জানালেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, আবদুল্লাহ কি যে
লোকটিকে দেখেছে ? আ বৃবৃাস বললেন, হী দেখেছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, জানের্নকি, সে
লোকটি কে ? তিনি তে৷ জিবরীল ৷ আবদুল্লাহ মৃত্যুর পুর্বে অন্ধ হয়ে যাবে এবং প্রচুর জ্ঞানের
অধিকারী হয়ে ৷ স৩াই হি অটিষট্টি সালে আবদুল্লাহ অন্ধ হওয়ার পর মারা যান ৷

বায়হাকী মুতড়ামার যায়দ ইবন আরকাম থেকে বর্ণনা করেন, যায়দ একবার রোগে
আক্রান্ত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দেখতে যান ৷ দেখার পর বললেন, রোগ হওয়ার কারণে
দুঃখের তেমন কিছু নেই ৷ কিন্তু আমার ইনতিকালের পরেও তুমি জীবিত থাকবে এবং অন্ধ
হয়ে যাবে তখন তোমার কী অবস্থা হবে ? যায়দ বললেন, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় ধৈর্য
ধারণ করবো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তবে তুমি বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে ৷
পরবপতে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর ইনতিকালের পরে তিনি অন্ধ হয়ে যান ৷ কিছুদিন পর অন্ধতু
দুর করে আল্লাহ দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দেন, তারপরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷

বুখারীশ ৷রীফে আবু হুরায়রা থেকে এবং মুসলিম শরীফে আবু হুরায়রা ও জ বিব (রা)
থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কিয়ামতের পুর্বে ত্রিশজন মিথুকে প্রতারকের আবির্ভাব
হবে, তারা প্রত্যেকেই নিজেকে নবী বলে দাবি করবে

;, ৷

বায়হাকী আল সালিমী আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(যা) বলেছেন, ত্রিশজন মিথুত্রক (নবীর) এর আবির্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হয়ে
না ৷ তাদের মধ্যে মুসায়লামা, আনাসী ও মুখতার অন্যতম; আরব গোত্র সমুহের মধ্যে সবচেয়ে
জঘন্যতম গোত্র হলো বনু উমাইয়া, বনু হানীফা ও ছাকীফ গোত্র ৷ ইবন আদী বলেন,
বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবন হাসানের-অনেকগুলি একক বর্ণনা আছে ৷ নির্ভরযোগ্য রাবীগণ তার
থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন৷ তার হাদীস বর্ণনায় আমি কোন দোষ দেখিনা ৷ বায়হাকী
বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন হাসান একাই কেবল মুখতারকে মিথুক নবী হিসেবে বর্ণনা করেনি;
বরং অন্য রাবীদের সহীহ বর্ণনায়ও এর সমর্থন পাওয়া যায় ৷

বায়হাকী অড়াসওদ আসমা বিন্ত আবু বকর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
একবার হাজ্জাজ ইবন ইউসুফকে বলেন,রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, ছাকীফ
গোত্রে মিথ্যাবাদী ও ধ্বৎসকামী লোকের আর্বিভাব হবে ৷ মিথ্যাবাদীকে তো আমরা দেখলাম,
আর ধ্বংসকারী ব্যক্তি তুমি ব্যতীত অন্য কেউ নও ৷ মুসলিম শরীফেও এ হাদীস আসমা থেকে
বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷


أَبِي زِيَادٍ الثَّقَفِيِّ قَالَ: اصْطَحَبَ قَيْسُ بْنُ خَرَشَةَ وَكَعْبٌ حَتَّى إِذَا بَلَغَا صِفِّينَ وَقَفَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ. فَذَكَرَ كَلَامَهُ فِيمَا يَقَعُ هُنَاكَ مِنْ سَفْكِ دِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ، وَأَنَّهُ يَجِدُ ذَلِكَ فِي التَّوْرَاةِ، وَذَكَرَ عَنْ قَيْسِ بْنِ خَرَشَةَ أَنَّهُ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَنْ يَقُولَ بِالْحَقِّ. وَقَالَ: " يَا قَيْسُ، عَسَى أَنْ يَمُدَّ بِكَ الدَّهْرُ حَتَّى يَلِيَكَ بَعْدِي مَنْ لَا تَسْتَطِيعُ أَنْ تَقُولَ بِالْحَقِّ مَعَهُمْ ". فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أُبَايِعُكَ عَلَى شَيْءٍ إِلَّا وَفَّيْتُ لَكَ بِهِ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذًا لَا يَضُرُّكَ بَشَرٌ ". فَبَلَغَ قَيْسٌ إِلَى أَيَّامِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَنِقَمَ عَلَيْهِ عُبَيْدُ اللَّهِ فِي شَيْءٍ، فَأَحْضَرَهُ فَقَالَ: أَنْتَ الَّذِي تَزْعُمُ أَنَّهُ لَا يَضُرُّكَ بَشَرٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: لَتَعْلَمَنَّ الْيَوْمَ أَنَّكَ قَدْ كَذَبْتَ، ائْتُونِي بِصَاحِبِ الْعَذَابِ. قَالَ: فَمَالَ قَيْسٌ عِنْدَ ذَلِكَ فَمَاتَ. [مِنْ مُعْجِزَةِ رَسُولِ اللَّهِ] مُعْجِزَةٌ أُخْرَى رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ، أَنَّ بَعْضَ بَنِي عَبْدِ اللَّهِ سَايَرَهُ فِي بَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ. قَالَ: «حَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمَطْلَبِ أَنَّهُ بَعَثَ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَاجَةٍ، فَوَجَدَ عِنْدَهُ رَجُلًا، فَرَجَعَ وَلَمْ يُكَلِّمْهُ; مِنْ أَجْلِ مَكَانِ الرَّجُلِ، فَلَقِيَ الْعَبَّاسُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ، فَقَالَ: " وَرَآهُ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: " أَتَدْرِي مَنْ ذَلِكَ الرَّجُلُ؟ ذَاكَ جِبْرِيلُ، وَلَنْ يَمُوتَ حَتَّى يَذْهَبَ بَصَرُهُ وَيُؤْتَى عِلْمًا» . وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৫০৮০
مَاتَ ابْنُ عَبَّاسٍ سَنَةَ ثَمَانٍ وَسِتِّينَ بَعْدَ مَا عَمِيَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَتْنَا نُبَاتَةُ بِنْتُ بُرَيْرٍ، عَنْ حَمَادَةَ، عَنْ أُنَيْسَةَ بِنْتِ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، عَنْ أَبِيهَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَى زَيْدٍ يَعُودُهُ فِي مَرَضٍ كَانَ بِهِ، قَالَ: «لَيْسَ عَلَيْكَ مِنْ مَرَضِكَ بَأْسٌ، وَلَكِنْ كَيْفَ بِكَ إِذَا عُمِّرْتَ بَعْدِي فَعَمِيتَ؟ " قَالَ: إِذًا أَحْتَسِبَ وَأَصْبِرَ. قَالَ: " إِذًا تَدْخُلَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ» قَالَ فَعَمِيَ بَعْدَ مَا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ رَدَّ اللَّهُ عَلَيْهِ بَصَرَهُ، ثُمَّ مَاتَ. [إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَجَّاجِ فَتَى ثَقِيفٍ] فَصَلٌ إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَجَّاجِ فَتَى ثَقِيفٍ وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعِنْدَ مُسْلِمٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ ثَلَاثِينَ كَذَّابًا دَجَّالًا، كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْمَالِينِيِّ، عَنِ ابْنِ عَدِيٍّ، عَنْ أَبِي يَعْلَى الْمُوصِلِيِّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الْأَسَدِيُّ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৫০৮১

বায়হাকী হাকিম ও আবু সাঈদ আবুল মাহ্য়ারমা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রকে হত্যা করার পর (আবদুল্লাহ্র মা)
আসমা বিনৃত আবু বকরের নিকট গিয়ে বলে, ওহে আমাজান ৷ আমীরুল মু’মিনীন আমাকে
আপনার নিকট আমার জন্য হুকুম করেছেন, কোন কিছুর প্রয়োজন আছে কি ? আসমা
বললেন, আমি তোমার আমা নই, বরং আমি ছানিয়া শীর্ষে শুলে ঝুলম্ভ লাশের (আবদুল্লাহ)
আম্মা, আমার কোন কিছুর প্রয়োজন নেই ৷ কেবল রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে শোনা একটি হাদীস
তোমাকে জানাবার প্রতীক্ষায় আছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন; ছাকীফ গোত্র থেকে একজন
মিথ্যাবাদী ও একজন ধ্বংসযজ্ঞ সাধনকারী ব্যক্তি অচিরেই আত্মপ্রকাশ করবে ৷ মিথ্যাবাদীকে
তো আমরা দেখতে পেয়েছি ৷ আর ধ্বংসযজ্ঞ সাধনাকারী তুমি ব্যতীত অন্য কেউ নও ৷
হাজ্জাজ বললাে, হী, আমি ধ্বংসকারী, তবে মুনাফিকদের ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী শুরায়ক ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি
শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ছাকীফ গোত্রে মহড়ামিথুকে ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী লোক
আত্মপ্রকাশ করবে ৷ কিছুকাল পরে মুখতার ইবন আবু উবায়দ (ছাকীফী) যে ইরাকের শাসকর্তা
হয়, সে নিজেকে নবী বলে দাবি করতো এবং বলতো জিবরীল তার নিকট ওহী পৌছিয়ে
থাকেন ৷ আর তিনি ছিলেন মুখতারের ভগ্নিপতি ৷ ইবন উমরকে জানান হয় যে, মুখতার ধারণা
করে যে, তাৰুনিকট ওহী আসে ৷ ইবন উমর বললেন, যে সত্য কথাই বলেছে ৷ কারণ আল্লাহ্
বলেছেন, ন্ন্ণ্ড্রণ্া;াং,’৷ “fl ৷ ১র্টুট্রুৰু ,৬াট্রুণ্ড্র৷ ৷ ১ ৷, “শয়তানরা তাদের বন্ধুদের নিকট ওহী
নিয়ে আসে’ন্ ৷ ’ ’

আবু দাউদ তায়ালিসী কুর্বা ইবন খালিদ রিফাআ ইবন শাদ্দাদ থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, মহা মিথুক মুখতারের সাথে আমার কিছুটা সম্পর্ক ছিল ৷ একদা আমি
তার নিকট গেলাম ৷ সে বললাে, তুমি এসেছ, অথচ অল্পক্ষণ পুর্বেই জিবরীল এই আসন থেকে
উঠে গেলেন ৷ তা শুনে তাকে মারার জন্য আমি তালায়ারের হাতলের দিকে হাত বাড়াই ৷ হঠাৎ
আমর ইবন হুমুক আল খৃযাঈর বর্ণিত একটি হাদীস আমার স্মরণ হলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, কোন লোক যখন অন্য কোন লোককে জীবনের নিরাপত্তা দেয় এবং পরে হত্যা করে,
তার জন্য কিয়ামতের দিন বিশ্বাসঘাতকতার ঝান্ডা স্থাপন করা হবে ৷ সুতরাং আমি বিরত
থাকলাম ৷ আসবাত ইবন নজর প্রভৃতি লেখকগণ ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে রিফাআ ইবন শাদ্দাদ থেকে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবু বকর হুমায়দী শাবী সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
অতঃপর আমি বসরাবাসীদের পক্ষ অবলম্বন করি এবং কুফাবাসীদের উপর তাদেরকে বিজয়ী
করি ৷ এ সময় আহ্নাফ কোন কথাবার্তা না বলে নীরবতা অবলম্বন করে ৷ যখন সে দেখলো
যে, আমি বসরাবাসীদেরকে বিজয়ী করেছি তখন সে তার একজন দাসকে পাঠিয়ে দিল ৷
কিছুক্ষণ পর দাসটি একখানা পত্র এনে আমাকে বললাে, পভুন৷ আমি পত্রটি পড়লাম ৷ তাতে
লেখা আছে : গো১ ব্ ৷ ,ব্লু;ধ্ৰু ধ্পু এচু১ণ্ন্৷ ৷ ;প্রুণ্ এ চিঠি মুখতারের পক্ষ থেকে প্রেরিত
হলো ৷ আল্লাহ্র কসম, সে একজন নবী ৷ আহ্নাফ বললাে, আমাদের অঞ্চলে আমিও এইরুপ ৷
আর হাজ্জাজের কথা পুর্বেই বলা হয়েছে যে, সে ছাকাফী গোত্রে জন্মগ্রহণকারী এক দুর্ধর্ষ


إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَخْرُجَ ثَلَاثُونَ كَذَّابًا، مِنْهُمْ; مُسَيْلِمَةُ، وَالْعَنْسِيُّ، وَالْمُخْتَارُ، وَشَرُّ قَبَائِلِ الْعَرَبِ بَنُو أُمَيَّةَ وَبَنُو حَنِيفَةَ وَثَقِيفٌ» . قَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ لَهُ إِفْرَادَاتٌ، وَقَدْ حَدَّثَ عَنْهُ الثِّقَاتُ، وَلَمْ أَرَ بِحَدِيثِهِ بَأْسًا. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: لِحَدِيثِهِ فِي الْمُخْتَارِ شَوَاهِدُ صَحِيحَةٌ. ثُمَّ أَوْرَدَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، حَدَّثَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ شَيْبَانَ، عَنْ أَبِي نَوْفَلِ بْنِ أَبِي عَقْرَبٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا قَالَتْ لِلْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ: «أَمَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَنَا أَنَّ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابًا وَمُبِيرًا، فَأَمَّا الْكَذَّابُ فَقَدْ رَأَيْنَاهُ، وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَلَا إِخَالُكُ إِلَّا إِيَّاهُ» . قَالَ: وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْأَسْوَدِ بْنِ شَيْبَانَ. وَلَهُ طُرُقٌ عَنْ أَسْمَاءَ وَأَلْفَاظٌ سَيَأْتِي إِيرَادُهَا فِي مَوْضِعِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ وَأَبُو سَعِيدٍ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ عَبَّاسٍ الدُّورِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ الْحُمَيْدِيِّ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الْمُحَيَّاةِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «لَمَّا قَتَلَ الْحَجَّاجُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ دَخَلَ الْحَجَّاجُ عَلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৫০৮২
بَكْرٍ فَقَالَ: يَا أُمَّهْ، إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَوْصَانِي بِكِ، فَهَلْ لَكِ مِنْ حَاجَةٍ؟ فَقَالَتْ: لَسْتُ لَكَ بِأُمٍّ، وَلَكِنِّي أُمُّ الْمَصْلُوبِ عَلَى رَأْسِ الثَّنِيَّةِ، وَمَا لِي مِنْ حَاجَةٍ، وَلَكِنِ انْتَظَرَ حَتَّى أُحَدِّثَكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " يَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ فَأَمَّا الْكَذَّابُ فَقَدْ رَأَيْنَاهُ، وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَأَنْتَ. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: مُبِيرُ الْمُنَافِقِينَ» . وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي عَلْوَانَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِصْمَةَ، «عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابًا وَمُبِيرًا» . وَقَدْ تَوَاتَرَ خَبَرُ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ الْكَذَّابِ الَّذِي كَانَ نَائِبًا عَلَى الْعِرَاقِ وَكَانَ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، وَأَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يَأْتِيهِ بِالْوَحْيِ، وَقَدْ قِيلَ لِابْنِ عُمَرَ، وَكَانَ زَوْجَ أُخْتِ الْمُخْتَارِ صَفَّيْةَ: إِنَّ الْمُخْتَارَ يَزْعُمُ أَنَّ الْوَحْيَ يَأْتِيهِ. فَقَالَ: صَدَقَ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ} [الأنعام: 121] وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ شَدَّادٍ قَالَ: «كُنْتُ أَبْطَنَ شَيْءٍ بِالْمُخْتَارِ الْكَذَّابِ. قَالَ: فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ ذَاتَ يَوْمٍ فَقَالَ: دَخَلْتَ وَقَدْ قَامَ جِبْرِيلُ قَبْلُ مِنْ هَذَا الْكُرْسِيِّ. قَالَ: فَأَهْوَيْتُ إِلَى قَائِمِ السَّيْفِ - يَعْنِي لِأَضْرِبَهُ - حَتَّى ذَكَرْتُ حَدِيثًا حَدِّثْنِيهِ عَمْرُو بْنُ الْحَمِقِ الْخُزَاعِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِذَا أَمَّنَ الرَّجُلُ الرَّجُلَ عَلَى دَمِهِ ثُمَّ قَتَلَهُ، رُفِعَ
পৃষ্ঠা - ৫০৮৩


যুবক ৷ তার বিস্তারিত পরিচয় যথাস্থানে আসবে ৷ সে খলীফা আবদুল মালিক ইবন মার ওয়ান ও
তার পুত্র খলীফা ইবন আবদুল মালিকের পক্ষ থেকে হীরকেৱ শাসনকর্তা ছিল ৷ বদান্যতা ও
বাকপটুতাসহ অন্যান্য কতিপয় গুণ থাকা সত্বেও সে কাি এক অত্যাচারী স্বৈরশাসক ৷

বায়হাকী হাকিম আবু উয্বার থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এসে
হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা)-কে সংবাদ দিল যে, ইরাকবাসীরা তাদের আমীরের বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ করেছে ৷ উমর (রা) ক্রুদ্ধ অবস্থায় বেরিয়ে এলেন এবং নামাষে আমাদের ইমামতি
করলেন ৷ নামাযের মধ্যে তিনি তুং৷ করে বসলেন ৷ মুক্তাদীগণ সুবহানাল্লাহ্! সুবহনােল্লাহ্ বলে
ভুলের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৷ নামায়ের সালাম ফিরিয়ে তিনি মুকতাদীগণের দিকে ঘুরে
বলেন এবং জিজ্ঞেস করেন, এখানে সিরিয়ার কে আছে ? একজন দীড়াল, পরে আর একজনও
উঠল, তারপর তৃতীয় বা চতুর্থবারে আমি দীড়ালাম ৷ তিনি বললেন, হে সিরিয়ার জনগণ!
তোমরা ইরাকীদের বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হও ! কারণ, শয়তান তাদের মাঝে ডিম
পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে ৷ হে আল্লাহ! তারা আমার উপর চড়াও হয়েছে ৷ আপনি তাদের উপর
ছাকাফী গোত্রের কোন যুবককে চাপিয়ে দিন, যে তাদেরকে জাহিলী যুগের ন্যায় শাসন করবে
এবং তাদের কোন উত্তম কাজকে সে গ্রহণ করবে না এবং তাদের কোন অপরাধীকে সে ক্ষমা
করবে না ৷ আবদুল্লাহ ইবন লাহিয়া সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করে বলেন, হাজ্জাজ ঐ দিনই জন্মর্চক্রহণ
করে ৷ দারেমী আবুল ইয়ামান সুত্রে উমর (রা) থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

আবুল ইয়ামান বলেন, উমর (রা) জানতেন যে, হাজ্জাজ অবশ্যই আত্মপ্রকাশ করবে ৷
কিন্তু ক্রুব্ধ হওয়ার কারণে তিনি ইরাকীদের প্রতিশোধ্ দ্রুত কামনা করেন ৷ আমার বক্তব্য
হলো, এ বিষয়টি যদি হযরত উমর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর থেকে শ্র বণ করে বর্ণনা করে থাকেন,
তবে আশ্চর্যের কিছুই নেই ৷ যেহেতু এরুপ হাদীস ইতিপুর্বে অন্য থেকেও উদ্ধৃত হয়েছে ৷ আর
যদি এটা হযরত উমরের কথা হয়ে থাকে, তবুও অবাক হবার কিছু নেই ৷কারণ ওলীদের

কারামত নবীদেরই যুজিযা স্বরুপ : ণ্;এ ওঙু ষ্;ৰু ন্ঞ্জু ৷ নুা,হ্র

আবদুর রায্যাক জাফর হাসান সুত্রে আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ হযরত আলী
একদা কুফাবাসীদের সম্পর্কে দুআ করেন, হে আল্লাহ! আমি ওদের আমানত রক্ষা করেছি;
কিন্তু ওরা আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ৷ আমি তাদেরকে উপদেশ দিয়েছি; কিন্তু তারা
আমার সাথে প্রতারণা করেছে ৷ সুতরাং আপনি ছাকীফ গোত্রের একজন অত্যাচারী ও অহংকারী
যুবককে তাদের শাসন করার জন্য চাপিয়ে দিন, যে তাদের সকল সুখসষ্পদকে ছিনিয়ে নেবে
এবং তাদের সড্রান্ত লোকদেরকে লাঞ্ছিত করবে, জাহিলী যুগের বর্বর শাসনে তাদেরকে জব্দ
করবে ৷ শ্

মালিক ইবন দীনার বলেন, হাসানের ইনতিকালের সময় পর্যন্ত হাজ্জাজের জন্ম হয়নি ৷ এ
বর্ণনাটির সনদ বিচ্ছিন্ন ৷

মুতামার মালিক ইবন আওস সুত্রে আলী ইবন আবু তালিব থেকে উক্ত বর্ণনাকে
নিম্নলিখিতভাবে বর্ণনা করেছেন; অহংকারী এক যুবক দু’টি১ শহরের আমীর হবে৷ সে
অত্যাচারের ভুষণ পরিধান করে তথাকার সুখ সম্পদকে উজাড় করে দেবে, শহরের সম্ভাম্ভ

১ দুটি শহর দ্বারা ইরাকের কুফ৷ ও বসরাকে বুঝান হয়েছে ৷
— : ৫


لَهُ لِوَاءُ الْغَدْرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ". فَكَفَفْتُ عَنْهُ» وَقَدْ رَوَاهُ أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ وَزَائِدَةُ وَالثَّوْرِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ السُّدِّيِّ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ شَدَّادٍ الْفِتْيَانِيِّ فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: فَأَخَّرْتُ أَهْلَ الْبَصْرَةِ فَغَلَبْتُهُمْ بِأَهْلِ الْكُوفَةِ، وَالْأَحْنَفُ سَاكِتٌ لَا يَتَكَلَّمُ، فَلَمَّا رَآنِي غَلَبْتُهُمْ أَرْسَلَ غُلَامًا لَهُ فَجَاءَ بِكِتَابٍ فَقَالَ: هَاكَ اقْرَأْ فَقَرَأْتُهُ فَإِذَا فِيهِ مَنِ الْمُخْتَارِ إِلَيْهِ، يَذْكُرُ أَنَّهُ نَبِيٌّ. قَالَ: يَقُولُ الْأَحْنَفُ: أَنَّى فِينَا مِثْلُ هَذَا؟! . وَأَمَّا الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ فَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ أَنَّهُ الْغُلَامُ الْمُبِيرُ الثَّقَفِيُّ، وَسَنَذْكُرُ تَرْجَمَتَهُ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَى أَيَّامِهِ، فَإِنَّهُ كَانَ نَائِبًا عَلَى الْعِرَاقِ لِعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، ثُمَّ لِابْنِهِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ،، وَكَانَ مِنْ جَبَابِرَةِ الْمُلُوكِ، عَلَى مَا كَانَ فِيهِ مِنَ الْكَرَمِ وَالْفَصَاحَةِ، عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ. وَقَدْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: ثَنَا الْحَاكِمُ عَنْ أَبِي نَصْرٍ الْفَقِيهِ، ثَنَا عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدٍ الدَّارِمِيِّ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ الْمِصْرِيُّ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ صَالِحٍ حَدَّثَهُ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫০৮৪
شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ أَبِي عَذَبَةَ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ أَهْلَ الْعِرَاقِ قَدْ حَصَبُوا أَمِيرَهُمْ، فَخَرَجَ غَضْبَانَ، فَصَلَّى لَنَا الصَّلَاةَ فَسَهَا فِيهَا حَتَّى جَعَلَ النَّاسُ يَقُولُونَ: سُبْحَانَ اللَّهِ، سُبْحَانَ اللَّهِ. فَلَمَّا سَلَّمَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ: مَنْ هَاهُنَا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ؟ فَقَامَ رَجُلٌ، ثُمَّ قَامَ آخَرُ، ثُمَّ قُمْتُ أَنَا ثَالِثًا أَوْ رَابِعًا، فَقَالَ: يَا أَهْلَ الشَّامِ اسْتَعِدُّوا لِأَهْلِ الْعِرَاقِ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ بَاضَ فِيهِمْ وَفَرَّخَ، اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ قَدْ لَبِسُوا عَلَيَّ فَأَلْبِسْ عَلَيْهِمْ، وَعَجِّلْ عَلَيْهِمْ بِالْغُلَامِ الثَّقَفِيِّ يَحْكُمُ فِيهِمْ بِحُكْمِ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ، لَا يَقْبَلُ مِنْ مُحْسِنِهِمْ، وَلَا يَتَجَاوَزُ عَنْ مُسِيئِهِمْ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: وَحَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ بِمَثَلِهِ. قَالَ: وَمَا وُلِدَ الْحَجَّاجُ يَوْمَئِذٍ. وَرَوَاهُ الدَّارِمِيُّ أَيْضًا عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي عَذَبَةَ الْحِمْصِيِّ، عَنْ عُمَرَ فَذَكَرَ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو الْيَمَانِ: عَلِمَ عُمَرُ أَنَّ الْحَجَّاجَ خَارِجٌ لَا مَحَالَةَ، فَلَمَّا أَغْضَبُوهُ اسْتَعْجَلَ لَهُمُ الْعُقُوبَةَ. قُلْتُ: فَإِنْ كَانَ هَذَا نَقَلَهُ عُمَرُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ تَقَدَّمَ لَهُ شَاهِدٌ عَنْ غَيْرِهِ، وَإِنْ كَانَ عَنْ تَحْدِيثٍ فَكَرَامَةُ الْوَلِيِّ مُعْجِزَةٌ لِنَبِيِّهِ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا جَعْفَرٌ، يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ لِأَهْلِ الْكُوفَةِ: اللَّهُمَّ كَمَا ائْتَمَنْتُهُمْ فَخَانُونِي، وَنَصَحْتُ لَهُمْ فَغَشُّونِي، فَسَلِّطْ عَلَيْهِمْ فَتَى ثَقِيفٍ الذَّيَّالَ الْمَيَّالَ، يَأْكُلُ خَضِرَتَهَا، وَيَلْبَسُ
পৃষ্ঠা - ৫০৮৫
فَرْوَتَهَا، وَيَحْكُمُ فِيهِمْ بِحُكْمِ الْجَاهِلِيَّةِ. قَالَ: يَقُولُ الْحَسَنُ: وَمَا خُلِقَ الْحَجَّاجُ يَوْمَئِذٍ. وَهَذَا مُنْقَطِعٌ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ أَيْضًا، مِنْ حَدِيثِ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ قَالَ: الشَّابُّ الذَّيَّالُ أَمِيرُ الْمِصْرَيْنِ، يَلْبَسُ فَرْوَتَهَا، وَيَأْكُلُ خَضِرَتَهَا، وَيَقْتُلُ أَشْرَافَ أَهْلِهَا، يَشْتَدُّ مِنْهُ الْفَرَقُ وَيَكْثُرُ مِنْهُ الْأَرَقُ، وَيُسَلِّطُهُ اللَّهُ عَلَى شِيعَتِهِ. وَلَهُ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، أَنَا الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ، حَدَّثَنِي حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ لِرَجُلٍ: لَا مِتَّ حَتَّى تُدْرِكَ فَتَى ثَقِيفٍ. فَقِيلَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَمَا فَتَى ثَقِيفٍ؟ فَقَالَ: لَيُقَالَنَّ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: اكْفِنَا زَاوِيَةً مِنْ زَوَايَا جَهَنَّمَ. رَجُلٌ يَمْلِكُ عِشْرِينَ سَنَةً أَوْ بِضْعًا وَعِشْرِينَ سَنَةً، لَا يَدْعُ لِلَّهِ مَعْصِيَةً إِلَّا ارْتَكَبَهَا، حَتَّى لَوْ لَمْ يَبْقَ إِلَّا مَعْصِيَةٌ وَاحِدَةٌ وَكَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا بَابٌ مُغْلِقٌ لَكَسَرَهُ حَتَّى يَرْتَكِبَهَا، يَقْتُلُ بِمَنْ أَطَاعَهُ مَنْ عَصَاهُ. وَهَذَا مُعْضَلٌ، وَفِي صِحَّتِهِ عَنْ عَلِيٍّ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৫০৮৬


লোকদেরকে হত্যা করবে ৷ তার অত্যাচারের কারণে অশান্তি, দুঃখ-কষ্ট বেড়ে যাবে এবং দুর্ভিক্ষ
মহামারী বৃদ্ধি পাবে ৷ আল্লাহ এই জাতিকে দমন করার জন্যে৩ তাকে তাদের উপর চাপিয়ে
দেবেন ৷

বায়হাকী ইয়াঘীদ ইবন হারুন হাবীব ইবন ছাবিত থেকে বর্ণনা করেন ৷ হযরত
আলী (রা) একদা তাকে বলেন, ওহে হাবীব! ছাকীফ গোত্রের এক যুবকের সাক্ষাৎ না পেয়ে
তুমি মৃত্যুবরণ করবে না ৷ জিজ্ঞেস করা হলো, হে আমীরুল মু’মিনীন, ছাকীফ গোত্রের সে
যুবকটি কে? হযরত আলী বললেন, কিয়ামতের দিন তাকে বলা হবে, জাহান্নামের একটি কােনৃ
বিশ বা৩ তদুর্ধ বয়সের এক যুবককে দিয়ে পুর্ণ করা হবে ৷ এমন কোন পাপ নেই, যা সে করবে
না ৷ এমনকি একটি পাপও যদি থাকে যা সে করেনি, কোন প্রতিবন্ধক থাকার কারণে, তবে যে
ঐ প্রতিবন্ধক দুর করে দিয়ে সেই পাপটি অবশ্যই করবে ৷ তাকে যারা অমান্য করবে, তারা ঐ
সব লোকদের দ্বারা নির্যাতিত হবে, যায়৷ তার আনুগত্য মেনে নেবে ৷ এ হাদীসটি মুদাল
(,ন্ ) যে সনদে দু’জন রাবীর নাম নেই ৷ আলী (রা) থেকে এর বর্ণিত হওয়া সন্দেহমুক্ত
নয় ৷

বায়হাকী হাকাম সুত্রে হিশাম ইবন ইয়াহ্ইয়৷ থেকে বর্ণনা করেন, উমর ইবন আবদুল
আযীয বলেছেন, প্রতিটি জাতি যদি তাদের মধ্যে জনগ্রেহণকারী সকল পাপিষ্ঠকে উপস্থিত করে,
আর তাদের মুকাবিলায় আমরা কেবল হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ কে উপস্থিত করি, তবে আমাদের
পাল্লাই হবে ভারী ৷

আবু বকর ইবন আয়্যাশ আবুন-নাজুদ সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর নিষিদ্ধ
কর্মসমুহের মধ্যে এমন একটি কর্মও অবশিষ্ট নেই, যা হাজ্জাজ করেনি ৷

আবদুর রায্যাক লিখেছেন ইবন তাউস বলেন, হাজ্জাজের মৃত্যু সংবাদ শুনে আমার
পিতা তাউস কুরআনের এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন :

স্পে
তঃপর যালিম সম্প্রদায়ের মুলােচ্ছেদ করা হলো এবং প্রশংসা কেবল আ ৷ল্লাহ্রই, যিনি
বিশ্ব জাহানের রব (৬ আন আমং : ৪৫) ৷ হি পচানব্বই সালে হাজ্জা জের মৃত্যু হয় ৷

উমাইয়৷ বংশের মুকুট উমর ইবন আবদুল আযীষের
শাসন সম্পর্কে মহানবীর ইঙ্গিত

আবু ইদরীস আল খাওলানী বর্ণিত হাদীস ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ হুযায়ফা (রা)
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিজ্ঞেস করলাম, বর্তমানের এই উত্তম যুগের পরে কি
নিকৃষ্ট যুগের আগমন হবে ? তিনি বললেন, ই৷ ৷ পুনরায় আমি জিজ্ঞেস করলাম; সেই নিকৃষ্ট
যুগের পরে কি আবার উত্তম যুগ আসবে ? তিনি বললেন, ইা; তবে তা ঘোয়াটে হবে ৷ আমি
জিজ্ঞেস করলাম, ঘোয়াটে ব্যাপারটি কী ? তিনি বললেন, এক দল হবে যারা আমার আচরিত
সুন্নতের পরিবর্তে অন্য পদ্ধতি ৩গ্রহণ করবে এবং আমার প্রদর্শিত পথের পরিবতে ভিন্ন পথ
অনুসরণ করার ৷ তাদের মধ্যে কেউ ভাল হবে আর কেউ মন্দ হবে ৷ বায়হাকী প্রমুখ হাদীসের
মধ্যে দ্বিতীয় উত্তম যুগ দ্বারা উমর ইবন আবদুল আযীষের শাসনকালকে বুঝিয়েছেন ৷


وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي حَاتِمٍ الرَّازِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ التِّنِّيسِيِّ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ يَحْيَى الْغَسَّانِيُّ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: لَوْ جَاءَتْ كُلُّ أُمَّةٍ بِخَبِيثِهَا، وَجِئْنَاهُمْ بِالْحَجَّاجِ لَغَلَبْنَاهُمْ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ: مَا بَقِيَتْ لِلَّهِ حُرْمَةٌ إِلَّا وَقَدِ ارْتَكَبَهَا الْحَجَّاجُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ أَنَّ أَبَاهُ لَمَّا تَحَقَّقَ مَوْتُ الْحَجَّاجِ تَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى: {فَقُطِعَ دَابِرُ الْقَوْمِ الَّذِينَ ظَلَمُوا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الأنعام: 45] قُلْتُ: وَقَدْ تُوُفِّيَ الْحَجَّاجُ سَنَةَ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ. [الْإِشَارَةُ النَّبَوِيَّةُ إِلَى دَوْلَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ] ذِكْرُ الْإِشَارَةِ النَّبَوِيَّةِ إِلَى دَوْلَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ تَاجِ بَنِي أُمَيَّةَ قَدْ تَقَدَّمَ حَدِيثُ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: «سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قُلْتُ وَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫০৮৭

বায়হাকী হাকিম ওলীদ ইবন মারছাদ সুত্রে বর্ণনা করেন, আওযাঈকে জিজ্ঞেস করা
হয় হুযায়ফ্৷ (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে উত্তম যুগের পর যে নিকৃষ্ট বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করেছিলেন (এবং নবী সা উত্তরে বলেছিলেন হা) ঐ নিকৃষ্ট বিষয়টি কী ? উত্তরে আওযাঈ
বলেন,৩ তা হলো নবী (সা) এর ইনতিকালের পর বিদ্দা বা ধর্ম ত্যাগের ঘটনা ৷ আওযাঈকে
আরও জিজ্ঞেস করা হয়-হুযায়ফা জানতে চাইলেন, ঐ নিকুষ্ট যুগের পর কি উত্তম যুগ আসবে?
নবী করীম (সা) বলেছিলেন, হী; তবে তখন ধোয়াটে অবস্থা থাকবে-এ উক্তির ব্যাখ্যা কি ?
জবাবে আওযাঈ বললেন : উত্তম দ্বারা বুঝান হয়েছে জামাআত বা মুসলমানদের দল ৷ তবে
তাদের শাসকবর্গের মধ্যে কারও চরিত্র তলে হবে এবং কারও চরিত্র মন্দ হবে ৷ আওযাঈ বলেন,
এ শাসকগণ যতদিন নামায পড়বে ততদিন তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
অনুমতি দেননি৪

ণ্পুণ্

আবু দাউদ তায়ালিসী হুযায়ফা (রা) থেকে বণ্টা৷ করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ন্
তোমরা নবুওতি শাসন ধারার মধ্যে থাকবে যতদিন আল্লাহ এ ধারাকে অক্ষুগ্ন রাখবেন ৷
তারপরে যখন তিনি ইচ্ছা করবেন এ ধারাকে ভুলে নেবেন ৷ এরপরে পুনরায় নবুওতি ধারায়
খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে ৷ এ সময় উমর ইবন আবদুল আযীয (র) আগমন করে ৷ তখন তার
সাথে ছিলেন ইয়াযীদ ইবন নুমান, আমি হাদীসটি উল্লেখ করে তাকে লিখিতভাবে জানালাম
যে, আমি আশা করি, উত্তম যুগের অবসানের পর আপনি আমীরুল মু’মিনীন পদে অধিষ্ঠিত
হবেন ৷ ইয়াযীদ পত্রটি নিয়ে উমর ইবন আবদুল আযীযের নিকট গেলেন ৷ তিনি পত্রটি পেয়ে
আনন্দিত হলেন ৷

নাঈম ইবন হাম্মাদ কাতাদা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল
আযীয বলেছেন , আমি একদা স্বপ্নে দেখলাম যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট উমর, উছমান ও
আলী (রা) বসে আছেন ৷ নবী করীম (সা) আমাকে বললেনাঃ তুমি কাছে এসো ৷ আমি অগ্রসর
হয়ে তার সম্মুখে গিয়ে দাড়ালাম্ ৷ নবী করীম (সা) চোখ তুলে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
অচিরেই তুমি মুসলমানদের নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত হবে এবং তাদের মধ্যে ইনসাফ কায়েম করবে ৷
সম্মুখে এ হাদীস আসছে যে, নবী করীম (সা) বলেছেন, এই উষ্মতের কল্যাণে আল্লাহ প্রতি
শতাব্দীর শেষে এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন, যে উম্মতের জন্য দীনকে পুনৰুজ্জীবিত
করবে : ধ্দু৷ ৷ ;, ৷ বহু
সংখ্যক ইমামের মতে ৩উমর ইবন আবদুল আযীযই সেই ব্যক্তি ৷ কারণ, তিনি একশত এক হি
সনে৩ তিনি ইনতিকাল করেন ৷ ১

বায়হাকী হাকিম ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমরা জানি

উমর ইবন খাত্তাব বলেছেন, আমার বংশ থেকে এমন এক ব্যক্তি শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত
হবে, যে বিশ্বকে ইনাসাফ দ্বারা পুর্ণ করে দেবে ৷ তার চেহারায় দাগ থাকবে ৷ নড়াফি
১ মুল কিভাবে ছু১ও ও-স্থলে ওপ্রুও ছাপা রয়েছে, যা কোনও ভাবে ঠিক নয় ৷ কারণ উমর ইবন আবদুল

আযীয ১০১ রজব মাসে ইনতিকাল করেন ৷ ৯৯ হিজরীর সফর মাসে তিনি ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন ৷
দ্র ইসলামী বিশ্বকোষ খ ৬, পৃ£ ১ ৭ ৷ ষ্সম্পাদকদ্বয় ৷


خَيْرٍ؟ قَالَ: " نَعَمْ وَفِيهِ دَخَنٌ ". قُلْتُ: وَمَا دَخَنُهُ؟ قَالَ: " قَوْمٌ يَسْتَنُّونَ بِغَيْرِ سُنَّتِي وَيَهْدُونَ بِغَيْرِ هَدْيِي، تَعْرِفُ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُ» الْحَدِيثَ، فَحَمَلَ الْبَيْهَقِيُّ، وَغَيْرُهُ هَذَا الْخَبَرَ الثَّانِي عَلَى أَيَّامِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَرَوَى عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سُئِلَ الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ تَفْسِيرِ حَدِيثِ حُذَيْفَةَ حِينَ سَأَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الشَّرِّ الَّذِي يَكُونُ بَعْدَ ذَلِكَ الْخَيْرِ، فَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: هِيَ الرِّدَّةُ الَّتِي كَانَتْ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: وَفِي مَسْأَلَةِ حُذَيْفَةَ: فَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ خَيْرٍ؟ قَالَ: " نَعَمْ، وَفِيهِ دَخَنٌ ". قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: فَالْخَيْرُ الْجَمَاعَةُ، وَفِي وُلَاتِهِمْ مَنْ تَعْرِفُ سِيرَتَهُ، وَفِيهِمْ مَنْ تُنْكِرُ سِيرَتَهُ. قَالَ: فَلَمْ يَأْذَنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قِتَالِهِمْ مَا صَلَّوُا الصَّلَاةَ. وَرَوَى أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ دَاوُدَ الْوَاسِطِيِّ، وَكَانَ ثِقَةً، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
পৃষ্ঠা - ৫০৮৮
" إِنَّكُمْ فِي النُّبُوَّةِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ، ثُمَّ تَكُونُ خِلَافَةٌ عَلَى مِنْهَاجِ النُّبُوَّةِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ، ثُمَّ تَكُونُ جَبْرِيَّةٌ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَرْفَعَهَا، ثُمَّ تَكُونُ خِلَافَةٌ عَلَى مِنْهَاجِ النُّبُوَّةِ» قَالَ: فَقَدِمَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَمَعَهُ يَزِيدُ بْنُ النُّعْمَانِ، فَكَتَبْتُ إِلَيْهِ أُذَكِّرُهُ الْحَدِيثَ وَكَتَبْتُ إِلَيْهِ أَقُولُ: إِنِّي أَرْجُو أَنْ تَكُونَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بَعْدَ الْجَبْرِيَّةِ. قَالَ: فَأَخَذَ يَزِيدُ الْكِتَابَ فَأَدْخَلَهُ عَلَى عُمَرَ فَسُرَّ بِهِ وَأَعْجَبَهُ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ: حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ: عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّوْمِ، وَعِنْدَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ، فَقَالَ لِيَ " ادْنُهْ ". فَدَنَوْتُ حَتَّى قُمْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَرَفَعَ بَصَرَهُ إِلَيَّ وَقَالَ: " أَمَا إِنَّكَ سَتَلِي أَمْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَسَتَعْدِلُ عَلَيْهِمْ ". وَسَيَأْتِي فِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ; أَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةٍ سَنَةٍ مِنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِينَهَا وَقَدْ قَالَ كَثِيرٌ مِنَ الْأَئِمَّةِ: إِنَّهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ ; فَإِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ إِحْدَى وَمِائَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৫০৮৯

বলেন,আমার মতে, তিনি উমর ইবন আবদুল আযীয ব্যতীত কেউ নন ৷ বিভিন্ন সুত্রে এ
হাদীসটি ইবন উমর থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন উমর বলতেন, উমর ইবন থাত্তাবের বংশের
যে ল্যেকটি ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে ইনসাফ দ্বারা বিশ্বকে পুর্ণ করবে যার মুখমন্ডলে একটি চিহ্ন
থাকবে; হায় যদি আমি তাকে জানতাম ! সাঈদ ইবনমুসাব্যিব থেকেও এরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷
উমর ইবন আবদুল আযীষের জন্মের এবং খিলাফত লাভের বহু পুর্ব থেকেই সর্বত্রই এ কথা
বহুল প্রচারিত ছিল যে, উমাইয়া বং শের এমন এক ব্যক্তি শাসন কর্ততু লাভ করবে, যে হবে
মারওয়ান বংশের এবং মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ৷ তার মা ছিলেন উমর ইবন খাত্তাবের পুত্র আসিম
এর কন্যা আরওয়া (ঞ) ৷) ৷ তার পিতা আযীয ইবন মারওয়ান তার ভাই আবদুল মালিক
ইবন মারওয়ানের প্রতিনিধি হিসেবে মিসর শাসন করতেন ৷ আবদুল্লাহ্ ইবন উমরকে তিনি
অত্যন্ত সম্মান করতেন ৷ তার নিকট উপচৌকনাদি প্রেরণ করতেন এবং তিনি তা গ্রহণও
করতেন ৷ একবার এক সহস্র স্বর্ণমুদ্রা পাঠালে তিনি তা গ্রহণ করেন ৷

কথিত আছে, উমর ইবন আবদুল আযীয একদা আপন পিতার আন্তাবলে প্রবেশ করেন ৷
তিনি তখন বালক মাত্র ৷ একটি ঘোড়া তাকে আঘাত করে কপালে জখম করে দেয় ৷ পিতা
তার জখমের স্থান থেকে রক্ত মুছতে মুছতে বলতে লাগলেন, হায় ৷ তুমি যদি মারওয়ান বংশের
আশাজ (যখমপ্রাপ্ত) হয়ে থাক, তাহলে তুমি অত্যন্ত ভাগ্যবান ৷ লোকমুখে চর্চা হত যে,
মারওয়ান বংশের দু’জন লোকই বেশি ন্যায়পরায়ণ ৷ একজনের মাথায় আঘাতের ক্ষত ও
অন্যজন দৈহিক ত্রুটিযুক্ত ৷ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত জন উমর ইবন আবদুল আযীয আর যিনি
দৈহিক ত্রুটিযুক্ত তিনি হলেন ইয়াযীদ ইবন ওলীদ ইবন আবদুল মালিক ৷ এ সম্পর্কে করি


“খিলাফতের বোঝা বহন করার ব্যাপারে ইয়াযীদ ইবন ওলীদের স্কন্ধকে আমি অত্যন্ত
মজবুত দেখেছি ৷

সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের পরে ইে বছর ছয় মাস কাল উমর ইবন আবদুল আযীয
খিলাফভের মসনদে আসীন ছিলেন ৷ ইনসাফ ও ন্যায়নীতির দ্বারা তিনি রাজেব্র শান্তি প্রতিষ্ঠা
করেন ৷ সম্পদের এত প্রাচুর্য হয় যে, লোককে তার যাকাত গ্রহণকারী খুজৈ পেতে বেগ পেতে
হতো ৷ আদী ইবন হাতিমের বর্ণিত পুর্বোল্লোখিত হাদীসকে বায়হাকী উমর ইবন আবদুল
আযীষের সময়কালের সাথে সম্পৃক্ত করেন ৷ তবে এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ রয়েছে ৷

বায়হাকী ইসমাঈল উসায়দ সুত্রে বর্ণনা করেন, একবার উমর ইবন আবদুল আযীয
মক্কার কোন এক প্রাস্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মৃত সাপ দেখতে পান ৷ গর্ত খুড়ার
জন্য সাথীদের নিকট তিনি একটি কােদাল চান ৷ সাথীরা বললো, এর জন্য আমরা যথেষ্ট,
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন ৷ তিনি বললেন না, এরপর নিজে কােদাল দ্বারা গর্ত করেন,
সাপটিকে একটি ন্যকড়ায় জড়িয়ে দাফন করেন ৷ এমন সময় অদৃশ্য থেকে কে যেন শব্দ করে
বললো , হে সারাক! তোমার উপর আল্লাহ্ৱ বহমত বর্ধিত হোক ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয
তাকে বললেন, তোমার পরিচয় কি ? আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন! উত্তর এলো, আমি
একটি জিন এবং এর নাম সারাক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট যারা বায়আত হয়েছিলেন
তাদের মধ্যে আমি এবং এ ব্যতীত আর কেউ জীবিত সেই ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি রাসুলুল্পাহ্


وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ، أَنَا أَبُو حَامِدٍ أَحْمَدُ بْنُ عَلِيٍّ الْمُقْرِئُ، ثَنَا أَبُو عِيسَى، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ لَاحِقٍ، عَنْ جُوَيْرِيَّةَ بْنِ أَسْمَاءَ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: بَلَغَنَا أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: إِنَّ مِنْ وَلَدِي رَجُلًا بِوَجْهِهِ شَيْنٌ، يَلِي فَيَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا. قَالَ نَافِعٌ مِنْ قِبَلِهِ: وَلَا أَحْسَبُهُ إِلَّا عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَقَدْ رَوَاهُ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ. وَلِهَذَا طَرُقٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: لَيْتَ شِعْرِي مَنْ هَذَا الَّذِي مِنْ وَلَدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي وَجْهِهِ عَلَامَةٌ، يَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا؟ وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ نَحْوًا مِنْ هَذَا، وَقَدْ كَانَ هَذَا الْأَمْرُ مَشْهُورًا قَبْلَ وِلَايَتِهِ وَمِيلَادِهِ بِالْكُلِّيَّةِ; أَنَّهُ يَلِي رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ يُقَالُ لَهُ: أَشُجُّ بَنِي مَرْوَانَ. وَكَانَتْ أُمُّهُ أَرْوَى بِنْتَ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَكَانَ أَبُوهُ عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ مَرْوَانَ نَائِبًا لِأَخِيهِ عَبْدِ الْمَلِكِ عَلَى مِصْرَ، وَكَانَ يُكْرِمُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، وَيَبْعَثُ إِلَيْهِ بِالتُّحَفِ وَالْهَدَايَا وَالْجَوَائِزِ فَيَقْبَلُهَا، وَبَعَثَ إِلَيْهِ مَرَّةً بِأَلْفِ دِينَارٍ فَأَخَذَهَا. وَقَدْ دَخَلَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَوْمًا إِلَى اصْطَبْلِ أَبِيهِ وَهُوَ صَغِيرٌ،