আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

ما أخبر به صلى الله عليه وسلم من الكائنات المستقبلة في حياته وبعده

পৃষ্ঠা - ৪৯৪৬

আৎগুলগুলো একত্রিত করে আমার বুকে ৰুটোকা দিয়ে বললেন, হে ওয়াবিসা৷ তোমার তম্ভেরকে
জিজ্ঞেস করো , তোমার মনকে জিজ্ঞেস করো (তিনবার বললেন) ৷



পুণ্যকাজ সেটাই, যা করলে মন প্রশান্তি লাভ করে; আর পাপকর্ম তইি, যা করলে মনে
বাধে ও অন্তরে দ্বিধার সৃষ্টি হয়, চাই লোক তোমাকে যে ফাত্ওয়া দিক না কেন” ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী যা তার জীবদ্দশায় ঘটেছে
এবং তার ইস্তিকালের পরে সংঘটিত হয়ে

এ অধ্যায়ের আলোচনা এতো ব্যাপক যে এ বিষয়ের সমস্ত বর্ণনা এখানে আনা সম্ভব নয়,
কেবল কিঞ্চিৎ পরিমাণ আলোচনা করেই শেষ করা হয়ে এবং তা হবে কুরআন ও হাদীস থেকে
সংগৃহীত ৷ কুরআন থােক যেমন : মক্কায় প্রাথমিক পর্যায়ে অবতীর্ণ সুরা মুয্যামৃমিলে আল্লাহ

বলেন ং

“আল্লাহ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে, কেউ কেউ আল্লাহ্র
অনুগ্রহ সন্ধানে দেশ ভ্রমণ করবে এবং কেউ কেউ আল্পাহ্র পথে জিহাদে লিপ্ত হবে” (৭৩ং
২০)

এখানে জিহাদের কথা বলা হয়েছে, অথচ জিহাদের নির্দেশ হিজরতের পর মদীনায় দেয়া
হয়েছে ৷ মক্কায় অবতীর্ণ সুরা ইফতারাবায় আল্লাহ বলেন ং

৷ ; ৷ ; ণ্

(
“এরা কি বলে, আমরা এক সংঘবদ্ধ অপরাজেয় দল? এ দল তো শীঘ্রই পরাজিত হয়ে
এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে” (কামার : ৪৪, ৪৫) ৷
এ ঘটনা বদর যুদ্ধে সংঘটিত হয় ৷ অথচ তিনি তা তিলাওত করছেন যখন তিনি ছোট

একটি ছাপরা থেকে বের হন ৷ এক মুঠাে কংকর নিক্ষেপ করলেন, অমনি জয় হাতে এসে
গেলো ৷ আল্লাহ বলেন :


ৎস হোক আবু লাহাবের দুই হাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও ৷ তার ধন-সম্পদ ও
তার উপার্জ্য তার কোন কাজে আসেনি ৷ অচিরে সে দগ্ধ হবে লেলিহান আগুনে এবং তার শ্ৰীও
— যে ইন্ধন বহন করে ৷ তার গলদেশে পাকান রজ্জ্ব (১ ১ ১ : ১-৫) ৷


[مَا أَخْبَرَ بِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْكَائِنَاتِ الْمُسْتَقْبِلَةِ فِي حَيَّاتِهِ وَبَعْدِهِ] [إِخْبَارٌ بِالْغُيُوبِ الْمُسْتَقْبَلَةِ] بَابُ مَا أَخْبَرَ بِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْكَائِنَاتِ الْمُسْتَقْبَلَةِ فِي حَيَّاتِهِ وَبَعْدَهُ، فَوَقَعَتْ طِبْقَ مَا أَخْبَرَ بِهِ سَوَاءً بِسَوَاءٍ وَهَذَا بَابٌ عَظِيمٌ لَا يُمْكِنُ اسْتِقْصَاءُ جَمِيعِ مَا فِيهِ لِكَثْرَتِهَا، وَلَكِنْ نَحْنُ نُشِيرُ إِلَى طَرَفٍ مِنْهُ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ، وَذَلِكَ مُنْتَزَعٌ مِنَ الْقُرْآنِ وَمِنَ الْأَحَادِيثِ. أَمَّا الْقُرْآنُ فَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْمُزَّمِّلِ " وَهِيَ مَنْ أَوَائِلِ مَا نَزَلْ بِمَكَّةَ: {عَلِمَ أَنْ سَيَكُونُ مِنْكُمْ مَرْضَى وَآخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِي الْأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَآخَرُونَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ} [المزمل: 20] . وَمَعْلُومٌ أَنَّ الْجِهَادَ لَمْ يُشْرَعْ إِلَّا بِالْمَدِينَةِ بَعْدَ الْهِجْرَةِ. وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " اقْتَرَبَتْ "، وَهِيَ مَكِّيَّةٌ {أَمَ يَقُولُونَ نَحْنُ جَمِيعٌ مُنْتَصِرٌ سَيُهْزَمُ الْجَمْعُ وَيُوَلُّونَ الدُّبُرَ} [القمر: 44] [الْقَمَرِ: 45، 44] . وَوَقَعَ هَذَا يَوْمَ بَدْرٍ، وَقَدْ تَلَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْعَرِيشِ، وَرَمَاهُمْ بِقَبْضَةٍ مِنَ الْحَصْبَاءِ، فَكَانَ النَّصْرُ وَالظَّفَرُ، وَهَذَا مِصْدَاقُ ذَاكَ. وَقَالَ تَعَالَى: {تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِنْ مَسَدٍ قُلْ هُوَ} [المسد: 1] [سُورَةُ الْمَسَدِ] . فَأَخْبَرَ أَنَّ عَمَّهُ عَبْدَ الْعُزَّى بْنَ عَبْدِ الْمَطْلَبِ الْمُلَقَّبَ بِأَبِي لَهَبٍ سَيَدْخُلُ النَّارَ هُوَ وَامْرَأَتُهُ، فَقَدَّرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، أَنَّهُمَا مَاتَا عَلَى شِرْكِهِمَا لَمْ يُسْلِمَا، حَتَّى وَلَا ظَاهِرًا، وَهَذَا مِنْ دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ الْبَاهِرَةِ. وَقَالَ تَعَالَى: {قُلْ لَئِنِ اجْتَمَعَتِ الْإِنْسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِ هَذَا الْقُرْآنِ لَا يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا} [الإسراء: 88] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْبَقَرَةِ: {وَإِنْ كُنْتُمْ فِي رَيْبٍ مِمَّا نَزَّلْنَا عَلَى عَبْدِنَا فَأْتُوا بِسُورَةٍ مِنْ مِثْلِهِ وَادْعُوا شُهَدَاءَكُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا وَلَنْ تَفْعَلُوا} [البقرة: 23] الْآيَةَ [الْبَقَرَةِ: 23، 24] . فَأَخْبَرَ أَنَّ جَمِيعَ الْخَلِيقَةِ لَوِ اجْتَمَعُوا وَتَعَاضَدُوا وَتَنَاصَرُوا وَتَعَاوَنُوا عَلَى أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِ هَذَا الْقُرْآنِ فِي فَصَاحَتِهِ، وَبَلَاغَتِهِ، وَحَلَاوَتِهِ، وَإِحْكَامِ أَحْكَامِهِ، وَبَيَانِ حَلَالِهِ وَحَرَامِهِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ وُجُوهِ إِعْجَازِهِ، لَمَا اسْتَطَاعُوا ذَلِكَ، وَلَمَا قَدَرُوا عَلَيْهِ، وَلَا عَلَى عَشْرِ سُوَرٍ مِنْهُ، بَلْ وَلَا سُورَةٍ، وَأَخْبَرَ أَنَّهُمْ لَنْ يَفْعَلُوا ذَلِكَ أَبَدًا، وَ " لَنْ " لِنَفْيِ التَّأْبِيدِ فِي الْمُسْتَقْبَلِ، وَمِثْلُ هَذَا التَّحَدِّي، وَهَذَا الْقَطْعِ، وَهَذَا الْإِخْبَارِ الْجَازِمِ، لَا يَصْدُرُ إِلَّا عَنْ وَاثِقٍ بِمَا يُخْبِرُ بِهِ، عَالِمٍ بِمَا يَقُولُهُ، قَاطِعٍ بِأَنَّ أَحَدًا لَا يُمْكِنُهُ أَنْ يُعَارِضَهُ، وَلَا يَأْتِيَ بِمِثْلِ مَا جَاءَ بِهِ عَنْ رَبِّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَى لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُمْ مِنْ بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا} [النور: 55] الْآيَةَ [النُّورِ: 55] . وَهَكَذَا وَقَعَ سَوَاءً بِسَوَاءٍ; مَكَّنَ اللَّهُ هَذَا الدِّينَ وَأَظْهَرَهُ وَأَعْلَاهُ وَنَشَرَهُ فِي سَائِرِ الْآفَاقِ، وَأَنْفَذَهُ
পৃষ্ঠা - ৪৯৪৭

দীনকে , যা তিনি তাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে
অবশ্য নিরাপত্তা দান করবেন” (২৪ : ৫৫) ৷

আয়াতের আলোচ্য বাণীগুলাে হুবহু বাস্তবায়িত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ এ দীনকে জয়ী করেছেন ও
সুদৃঢ় করেছেন এবং সমগ্র বিশ্বে এর বিন্তুতি দান করেছেন, এ দীনের বিধানকে কার্যকরী
করেছেন ৷ বেশ কিছু প্রাচীন তাফসীরকারক এ আয়াতের ব্যাখ্যার আবু বকর সিদ্দীক (না)-এর
খিলাফতকে আয়াতে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন বলে উল্লেখ করেছেন ৷ কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার
হচ্ছে আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর খিলাফত নিঃসন্দেহে এর অন্তর্ভুক্ত কিন্তু এটা কেবল তার
জন্যই খাস নয় বরং আরও অনেকে এর অন্তর্ভুক্ত ৷

সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে আছে : রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, কায়সার (রোম সাম্রাজ্য) ধ্বংস
হয়ে গেলে আর কখনও কায়সারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে না এবং কিসরা (পারস্য সাম্রাজ্য) পতন
হবার পর আর কখনও তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না ৷ সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার জীবন,
আমরা অবশ্যই উভয় সাম্রাজ্যের ধ্ন-রত্ন আল্লাহ্র পথে বিলিয়ে দেব ৷ এ ভবিষ্যদ্বাণী কার্যকরী
হয়েছিল খলীফাত্রয় অর্থাৎ হযরত আবু বকর (বা), হযরত উমর (না) ও হযরত উসমান
(না)-এর খিলাফত কালব্যাপী ৷ আল্লাহ্র বাণী :

: ণ্ষ্শ্ণ্ ণ্ষ্ ষ্ণ্ ণ্শ্ শ্ ষ্ষ্ ণ্ণ্ষ্ ংণ্ ষ্’০ ণ্শ্ষ্ষ্শ্শ্শ্০শ্ষ্ন্শ্ষ্


“তিনিই তার রাসুলকে সঠিক পথ ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন অপর সমস্ত দীনের
উপর এ দীনকে জয়ী করার জন্য ঘুশরিকরা এতে যতই অসহ্য হউক না কেন” (৯ : ৩৩) ৷

আয়াতের বক্তব্য অনুযায়ী এ দীন বিজয়ী হয়েছে ও ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে ৷ প্রাচ্য
ও প্রাতীচ্যের যাবতীয় দীনের উপর এর প্রাধান্য স্বীকৃত হয়েছে ৷ সাহাবাদের আমলে ও পরবর্তী
যুগে এ দীন সুউচ্চ শিখরে আরোহণ করে ৷ সকল দেশ ও রাজ্য এবং তার বিভিন্ন শ্রেণীর
অধিবাসী মুসলমানদের অধীনতা স্বীকার করে; তারা হয় ঈমান এনে, এ দীনে প্রবেশ করে
অথবা কর দিয়ে বশ্যতা স্বীকার করে নিজের ধর্মে বহাল থাকে, কিৎবা যুদ্ধ করে ভীত-শং ত
হয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের কর্তৃতু মেনে নেয় ৷ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, আল্লাহ পৃথিবীর পুর্ব ও পশ্চিমকে আমার জন্য একত্রিত করে দিয়েছেন এবং যে
পরিমাণ স্থান একত্রিত করেছেন যে সব স্থান পর্যন্ত অতি শীঘ্রই আমার উষ্মতের রাজ্যসীমা
পৌছে যাবে ৷ আল্লাহ্র বাণী :

টুা
“যে সব আরব মরুবাসী যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে ঘরে রয়ে গিয়েছিল ৷ তাদেরকে বল,
শীঘ্রই তোমরা আহুত হবে এক প্রবল পরাক্রাস্ত জাতির সাথে যুদ্ধ করতে; তোমরা তাদের
সাথে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা আত্মসমর্পণ করে” (৪৮ : ১৬) ৷
এ পরাক্রম জাতি হাওয়াযিন গোত্র হোক ,বা মুসায়লামার বাহিনী হোক অথবা রোমান
সৈন্য হোক আয়াতে যে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে বাস্তবে তা প্রতিফলিত হয়েছে ৷


وَأَمْضَاهُ، وَقَدْ فَسَّرَ كَثِيرٌ مِنَ السَّلَفِ هَذِهِ الْآيَةَ بِخِلَافَةِ الصِّدِّيقِ، وَلَا شَكَّ فِي دُخُولِهِ فِيهَا، وَلَكِنْ لَا تَخْتَصُّ بِهِ، بَلْ تَعُمُّهُ كَمَا تَعُمُّ غَيْرَهُ، كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ ": «إِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» وَقَدْ كَانَ ذَلِكَ فِي زَمَنِ الْخُلَفَاءِ الثَّلَاثَةِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَأَرْضَاهُمْ. وَقَالَ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ} [التوبة: 33] . وَهَكَذَا وَقَعَ، وَعَمَّ هَذَا الدِّينُ، وَغَلَبَ وَعَلَا عَلَى سَائِرِ الْأَدْيَانِ، فِي مَشَارِقِ الْأَرْضِ وَمَغَارِبِهَا، وَعَلَتْ كَلِمَتُهُ فِي زَمَنِ الصَّحَابَةِ وَمَنْ بَعَدَهُمْ، وَذَلَّتْ لَهُمْ سَائِرُ الْبِلَادِ، وَدَانَ لَهُمْ جَمِيعُ أَهْلِهَا عَلَى اخْتِلَافِ أَصْنَافِهِمْ، وَصَارَ النَّاسُ إِمَّا مُؤْمِنًا دَاخِلًا فِي الدِّينِ، وَإِمَّا مُهَادِنًا بَاذِلًا الطَّاعَةَ وَالْمَالَ، وَإِمَّا مُحَارِبًا خَائِفًا وَجِلًا مِنْ سَطْوَةِ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ «: " إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الْأَرْضَ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَسَيَبْلُغُ مُلْكَ أُمَّتِي مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا» وَقَالَ تَعَالَى: {قُلْ لِلْمُخَلَّفِينَ مِنَ الْأَعْرَابِ سَتُدْعَوْنَ إِلَى قَوْمٍ أُولِي بَأْسٍ شَدِيدٍ تُقَاتِلُونَهُمْ أَوْ يُسْلِمُونَ} [الفتح: 16] الْآيَةَ [الْفَتْحِ: 16] . وَسَوَاءٌ كَانَ هَؤُلَاءِ هُمْ هَوَازِنَ، أَوْ أَصْحَابَ مُسَيْلِمَةَ، أَوِ الرُّومَ، فَقَدْ وَقَعَ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৪৯৪৮

ণ্দ্বুৰু;

০ দু


াট্রুট্রুাও ; ৷ ’াষ্া’ন্া

“আল্পাহ্ তােমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিপুল পরিমাণ গনীমতের ধন-সম্পদ দান
করার, যার অধিকারী তোমরা হবে ৷ তুরিতভাবে তো এ বিজয় ৷তামাংদরাক দিলেনই ৷ আর
লোকদের হস্ত তোমাদের বিরুদ্ধে উত্তোলন হওয়া থােক বিরত রাখলেন; যেন এটা মু’মিনদের
জন্য একটি নিদর্শনে পরিণত হয় ৷ আর আল্লাহ ণ্তামান্বদরাক সরল পথে পরিচালিত করেন” ৷

“এ ছাড়া আরও অনেক গনীমত দেয়ার তিনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, যা অর্জন করতে এখনও
তোমরা সক্ষম হওনি ৷ সেগুলো আল্লাহ্ পরিবেষ্টন করে রেখেছেন ৷ আল্লাহ্ তো সব কিছুর উপর
শক্তিমান” (৪৮ং ২০, ২১) ৷

এখানে যে আরও গনীমতের কথাৰুবলা হয়েছে, তার দ্বারা হয় খায়বর না হয় মক্কা
বিজয়কে বুঝানো হয়েছে ৷ যেটইি হোক, তা বিজিত হয়েছে ও মুসলমানদের অধিকারে এসেছে
এবং প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়েছে ৷ আল্লাহ্র বাণী৪

রুা’৷ ৷
“নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তার রাসুলেৱ স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছেন, আল্লাহ্র ইচ্ছায় তোমরা
মসজিদুল-হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে কেউ কেউ মস্তক মুন্ডিত করবে, কেউ কেউ কেশ
কর্তন করবে ৷ তোমাদের কোন ভয় থাকবে না ৷ আর তিনি জানতেন যা তোমরা জানতে না ৷

এ ছাড়াও তিনি তোমাদের দিয়েছেন এক সদ্য বিজয়ী” (৪৮ : ২৭) ৷

এ স্থলে যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা হয়েছে, তা আসলে একটি প্রতিশ্রুতি ৷ ৬ষ্ঠ হিজরীতে
হুদায়বিয়ার সন্ধিকালে এ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় আর ৭ম হিজরীতে কাযা উমরার বছরে তা
বাস্তবায়িত হয় ৷ ইতিপুর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে হযরত উমর
(রা) বলেন, আমি একবার রাসুলুল্পাহ্ (সা) ণ্ক জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি কি
আমাদেরকে জানাননি যে, শীঘ্রই আমরা বায়তৃল্লায় পৌছবাে এবং তাওয়ড়াফ করবো ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হী ৷ কিন্তু আমি কি তোমাকে বলেছিলাম যে, এ বছরই পৌছে যাবে?

উমর (রা) বললেন, জী না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, অবশ্যই তুমি তথায় পৌছবে এবং
তাওয়াফ করবে ৷ আল্লাহ্র বাণী :



ণ্ৰুএ ১ন্ব্রও


وَقَالَ تَعَالَى: {وَعَدَكُمُ اللَّهُ مَغَانِمَ كَثِيرَةً تَأْخُذُونَهَا فَعَجَّلَ لَكُمْ هَذِهِ وَكَفَّ أَيْدِيَ النَّاسِ عَنْكُمْ وَلِتَكُونَ آيَةً لِلْمُؤْمِنِينَ وَيَهْدِيَكُمْ صِرَاطًا مُسْتَقِيمًا وَأُخْرَى لَمْ تَقْدِرُوا عَلَيْهَا قَدْ أَحَاطَ اللَّهُ بِهَا وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِ شَيْءٍ قَدِيرًا} [الفتح: 20] [الْفَتْحِ: 20، 21] . وَسَوَاءٌ كَانَتْ هَذِهِ الْأُخْرَى خَيْبَرَ أَوْ مَكَّةَ فَقَدْ فُتِحَتْ وَأُخِذَتْ كَمَا وَقَعَ بِهِ الْوَعْدُ سَوَاءً بِسَوَاءٍ. وَقَالَ تَعَالَى: {لَقَدْ صَدَقَ اللَّهُ رَسُولَهُ الرُّؤْيَا بِالْحَقِّ لَتَدْخُلُنَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ آمِنِينَ مُحَلِّقِينَ رُءُوسَكُمْ وَمُقَصِّرِينَ لَا تَخَافُونَ فَعَلِمَ مَا لَمْ تَعْلَمُوا فَجَعَلَ مِنْ دُونِ ذَلِكَ فَتْحًا قَرِيبًا} [الفتح: 27] . فَكَانَ هَذَا الْوَعْدُ فِي سَنَةِ الْحُدَيْبِيَةِ عَامَ سِتٍّ، وَوَقَعَ إِنْجَازُهُ فِي سَنَةِ سَبْعٍ، عَامَ عُمْرَةِ الْقَضَاءِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَذَكَرْنَا هُنَاكَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ، وَفِيهِ أَنَّ عُمَرَ قَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَمْ تَكُنْ تُخْبِرُنَا أَنَّا سَنَأْتِي الْبَيْتَ وَنَطُوفُ بِهِ؟ قَالَ: " بَلَى، أَفَأَخْبَرْتُكَ أَنَّكَ تَأْتِيهِ عَامَكَ هَذَا؟ " قَالَ: لَا. قَالَ: " فَإِنَّكَ آتِيهِ وَمُطَوِّفٌ بِهِ» وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ يَعِدُكُمُ اللَّهُ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ وَتَوَدُّونَ أَنَّ غَيْرَ ذَاتِ الشَّوْكَةِ تَكُونُ لَكُمْ} [الأنفال: 7] . وَهَذَا الْوَعْدُ كَانَ فِي وَقْعَةِ بَدْرٍ لَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمَدِينَةِ لِيَأْخُذَ عِيرَ قُرَيْشٍ، فَبَلَغَ قُرَيْشًا خُرُوجَهُ إِلَى عِيرِهِمْ، فَنَفَرُوا فِي قَرِيبٍ مِنْ أَلْفِ مُقَاتِلٍ، فَلَمَّا تَحَقَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ قُدُومَهُمْ وَعْدَهُ اللَّهُ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ أَنْ سَيُظْفِرُهُ بِهَا، إِمَّا الْعِيرُ وَإِمَّا النَّفِيرُ، فَوَدَّ كَثِيرٌ مِنَ الصَّحَابَةِ مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ أَنْ يَكُونَ الْوَعْدُ لِلْعِيرِ; لِمَا فِيهِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪৯৪৯

“স্মরণ কর, আল্লাহ তােমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, দৃ’দলের একদল তােমাচদ্যা আয়ত্তে
আসবে, আর তোমরা কামনা করছিলে যে, নিরস্ত্র দলটি ণ্তামাদেরআয়ত্তে আসুক” (৮ং ৭) ৷

এ প্রতিশ্রুতি ছিল বদর যুদ্ধ প্রসঙ্গে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরায়শদের বাণিজ্য কাফেলা অটিক
করার উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে রওয়ান৷ হয়ে যান ৷ কুরায়শদের নিকট এ সংবাদ পৌছে যায় ৷
তখন তারা প্রায় এক হাজার সৈন্যসহ মদীনার দিকে অগ্রসর হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও
সাহাবাগণ যখন এ সংবাদ নিশ্চিতরুপে পেয়ে যায়, তখন আল্লাহ্ নবী (সা) কে প্রতিশ্রুতি দেন
যে, এ দৃ’দলের একদল তোমাদের আয়ত্তে এনে দেয়৷ হয়ে হয় সশস্ত্র যুদ্ধ বাহিনী নতুবা
বাণিজ্য কাফেলা ৷ রাসুল (সা) এর অধিকাৎশ সাহাবী কামনা করেন যে, প্রতিশ্রুতিট৷ বাণিজ্য
কাষেলার পক্ষে হলে ভাল হয়; কারণ, এতে ধ্ন-সম্পদ বেশি এবং জনশক্তি স্বল্প ছিল ৷ সশস্ত্র
বাহিনীর সম্মুখীন হতে তারা অনিচ্ছুক ছিলেন, কারণ এ বাহিনীর জ্যাশক্তি এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি
অধিক ছিল ৷ বিন্দু আল্লাহ সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের ,আয়ত্তে এনে দিয়ে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত
করেন ৷ তাদের যুদ্ধকে এতো তীব্র করে দেন যে, কাফিরাদর পক্ষে তা রোধ করা সম্ভব হয়নি ৷
সুতরাং তাদের নেতৃস্থানীয় সত্তরজন নিহত হয় এবৎ অপর সত্তরজন বন্দী হয় ৷ প্রচুর মুক্তি পণের
বিনিময়ে এসব বন্দীদের মুক্তি দেয়৷ হয় ৷ এভাবে দুনিয় ৷ ও আখিরাত উভয় কল্যাণ
মুসলমানদেরকে দান করা হয় ৷ সে কারণেই আল্লাহ বলেছেন :

“আর আল্পাহ্ চাচ্ছিলেন যে, তিনি সত্যকে তার বাণী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করবেন এবং
কাফিরদেরকে নির্মুল করবেন (৮ ং ৭) ৷
বদর যুদ্ধ প্রসঙ্গে এ বিষয়ে পুর্বেই আলোচনা করা হয়েছে ৷ আল্লাহ্র বাণী ং

“হে নবী ণ্তামাদের করায়ত্ত যুদ্ধবন্দীদেরকে বল, আল্লাহ্ যদি ণ্তামাদের হৃদয়ে ভাল কিছু
দেখেন তবে তোমাদের ণ্কেট থেকে যা নেয়া হয়েছে তা থেকে উত্তম কিছু তিনি ণ্তামাদেরাক
দান করবেন ও ণ্তামাষ্কদরকে ক্ষমা করে দেবেন ৷ আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু” (৮ : ৭০) ৷
বাস্তবে এরুপই হয়েছিল ৷ কারণ, তাক্কদ্যা মধ্য থেকে যে-ই ইসলাম গ্রহণ করেছে আল্পাহ্
তাকে ইহকাল ও পরকালের উত্তম প্রতিদান প্রদান করেছেন ৷ উদাহরণ স্বরুপ সহীহ বুখারীর
হাদীস উল্লেখ করা যায় যে, আব্বাস রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট এসে বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আমি আমার নিজের ও আকীলের মুক্তিপণ আদায় করেছি, সুতরাং আমাকে দান
করুন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, লও৷ অতঃপর আব্বাস তার কাপড়ে এতো পরিমাণ নিলেন
যে, তা উঠাতে পারছিলেন না ৷ তিনি কয়েকবার কিছু কিছু করে কাপড় থেকে নামিয়ে পরে
কাধে তুলে নিয়ে চলে যান ৷ এ ঘটনা এ আয়াতেরই বাস্তব প্রমাণ ৷ আল্লাহ্র বাণী :




“যদি তোমরা দারিদোর আশৎকা কর, তবে জেনে রাখ, আল্পাহ্ ইচ্ছা করলে তার নিজ
করুণায় তােমাদেরকে অভাবমুক্ত করতে পারেন (৯ : ২৮) ৷


الْأَمْوَالِ وَقِلَّةِ الرِّجَالِ، وَكَرِهُوا لِقَاءَ النَّفِيرِ; لِمَا فِيهِ مِنَ الْعَدَدِ وَالْعُدَدِ فَخَارَ اللَّهُ لَهُمْ وَأَنْجَزَ لَهُمْ وَعْدَهُ فِي النَّفِيرِ، فَأَوْقَعَ بِهِمْ بَأْسَهُ الَّذِي لَا يُرَدُّ، فَقُتِلَ مِنْ سَرَاتِهِمْ سَبْعُونَ، وَأُسِرَ سَبْعُونَ، وَفَادَوْا أَنْفُسَهُمْ بِأَمْوَالٍ جَزِيلَةٍ، فَجَمَعَ لَهُمْ بَيْنَ خَيْرَيِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَيُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُحِقَّ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَيَقْطَعَ دَابِرَ الْكَافِرِينَ} [الأنفال: 7] . وَقَدْ تَقَدَّمَ بَيَانُ هَذَا فِي غَزْوَةِ بَدْرٍ. وَقَالَ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِمَنْ فِي أَيْدِيكُمْ مِنَ الْأَسْرَى إِنْ يَعْلَمِ اللَّهُ فِي قُلُوبِكُمْ خَيْرًا يُؤْتِكُمْ خَيْرًا مِمَّا أُخِذَ مِنْكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [الأنفال: 70] . وَهَكَذَا وَقَعَ; فَإِنَّ اللَّهَ عَوَّضَ مَنْ أَسْلَمَ مِنْهُمْ بِخَيْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. وَمِنْ ذَلِكَ مَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ، «أَنَّ الْعَبَّاسَ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعْطِنِي، فَإِنِّي فَادَيْتُ نَفْسِي، وَفَادَيْتُ عَقِيلًا فَقَالَ لَهُ: " خُذْ ". فَأَخَذَ فِي ثَوْبٍ مِقْدَارًا لَمْ يُمْكِنْهُ أَنْ يُقِلَّهُ، ثُمَّ وَضَعَ مِنْهُ مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ حَتَّى أَمْكَنَهُ أَنْ يَحْتَمِلَهُ عَلَى كَاهِلِهِ، وَانْطَلَقَ بِهِ،» كَمَا ذَكَرْنَاهُ فِي مَوْضِعِهِ مَبْسُوطًا، وَهَذَا مِنْ تَصْدِيقِ هَذِهِ الْأَيَّةِ الْكَرِيمَةِ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِنْ خِفْتُمْ عَيْلَةً فَسَوْفَ يُغْنِيكُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ إِنْ شَاءَ} [التوبة: 28] الْآيَةَ [التَّوْبَةِ: 28] . وَهَكَذَا وَقَعَ; عَوَّضَهُمُ اللَّهُ عَمَّا كَانَ يَفِدُ إِلَيْهِمْ مَعَ حُجَّاجِ الْمُشْرِكِينَ، بِمَا شَرَعَهُ لَهُمْ; مِنْ قِتَالِ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَضَرْبِ الْجِزْيَةِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৫০


বাস্তবেও এরুপই ঘর্টেজ্জি ৷ মক্কার মুশরিক নেতৃবৃন্দ পরামর্শ করলো মুহাম্মদকে কি বন্দী
করে রাখবে না কি হত্যা করবে, না কি দেশ থেকে বের করে দেবে ৷ সিদ্ধান্ত হলো যে তাকে
হত্যা করা হবে ৷ এ সময় আল্লাহ রাসুল (না)-কে হিজরত করার নির্দেশ দেন ৷ সুতরাং তিনি
হযরত আবু বকর (রা)-কে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ৷ পথে ছাওর পর্বতের গুহায় তারা
তিনদিন লুকিয়ে থাকেন ৷ পরে সেখান থেকে বের হয়ে মদীনায় চলে আসেন ৷ এ ঘটনার প্রতিই
নিম্নের আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছেং

শ্ শ্ ব্লু



; #



“যদি তোমরা তাকে সাহায্য না কর, তবে স্মরণ কর, আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন
যখন কাফিররা তাকে বের করে দিয়েছিল এবং সে ছিল দু জ্যনর একজন, যখন তারা উভয়ে
গুহায় মধ্যে ছিল; সে তখন তার সংগীকে বলেছিল, চিস্তিত হয়াে না, আল্লাহ আমাদের সাথে
আছেন ৷ তারপর আল্লাহ্ তার উপর আপন প্রশান্তি নাযিল করেন এবং তাকে সাহায্য করেন
এমন সৈন্যবাহিনী দ্বারা, যাদেরকে তোমরা দেখনি ৷ আর তিনি কাকিংদের কথা হেয় করেন,
আল্লাহর কথাই সর্বোপরি এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়” (৯ : ৪০) ৷
নিম্নের আয়াতেও উপরোক্ত ঘটনার প্রতি ইংগিত করা হয়েছে :
পু>ওওব্র১১
“আর যখন কাফিররা তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তোমাকে বন্দী করার জন্য, হত্যা
করার অথবা নির্বাসিত করার জন্যে এবং তারা ষড়যন্ত্র করে আর আল্লাহ্ও কৌশল করেন ৷ আর
আল্লাহ্ই কৌশলীস্তুব্ব মধ্যে শ্রেষ্ঠ (৮ : ৩০) ৷
এ কারণেই আল্লাহ বলেছেন মোঃ ৰু৷ ৷ ছোণ্হ্র ট্রু;,ঙ্া;া ৰু৷ ৷১া “আর তাহলে তোমার
পর ওরাও সেথায় অল্পকালই টিকে থাকতোৰু ( ১ ৭ : ৭৬) ৷
উপরোক্ত আয়াতসমুহে যে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে তা বাস্তবে পরিণত হয় ৷ কারণ, যেসব
নেতৃবৃন্দ ঐ পরামর্শে অংশ্যাহণ করে, তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হিজরতের পর অল্পদিনই
মক্কায় থাকতে পেয়েছিল ৷ মদীনায় ৱাসুলের উপস্থিতির পর মুহাজির ও আনসারগণ সংগঠিত
হবার পরই বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এ যুদ্ধে ঐ সব নেতৃবৃন্দ নিহত ও ধ্বংস হয় ৷ তাদের এ
পরিণতির কথা আল্লাহ পুকেহ তার রাসুলকে অবহিত করেন ৷ তাই হযরত সাদ ইবন মুআয
(বা) একবার উমইিয়া ইবন খালুফকে বলেছিলেন : আমি মুহাম্মদ (না)-কে বলতে শ্যুনছি যে,
তিনিই তোমাকে হত্যা করবেন ৷ উমাইয়া জিজ্ঞেস করলো : তুমি নিজে শুনেছ ? তিনি
বললেন, হা ৷ উমইিয়া বললো, “তাহলে আল্লাহর কসম, সে তো মিথো কথা বলে না ৷


عَلَيْهِمْ، وَسَلْبِ أَمْوَالِ مَنْ قُتِلَ مِنْهُمْ عَلَى كُفْرِهِ، كَمَا وَقَعَ بِكُفَّارِ أَهْلِ الشَّامِ مِنَ الرُّومِ وَمَجُوسِ الْفُرْسِ بِالْعِرَاقِ وَغَيْرِهَا مِنَ الْبُلْدَانِ الَّتِي انْتَشَرَ الْإِسْلَامُ عَلَى أَرْجَائِهَا، وَحَكَمَ عَلَى مَدَائِنِهَا وَفَيْفَائِهَا. قَالَ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ} [التوبة: 33] وَقَالَ تَعَالَى: {سَيَحْلِفُونَ بِاللَّهِ لَكُمْ إِذَا انْقَلَبْتُمْ إِلَيْهِمْ لِتُعْرِضُوا عَنْهُمْ فَأَعْرِضُوا عَنْهُمْ إِنَّهُمْ رِجْسٌ} [التوبة: 95] الْآيَةَ [التَّوْبَةِ: 95] . وَهَكَذَا وَقَعَ; لَمَّا رَجَعَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ كَانَ قَدْ تَخَلَّفَ عَنْهُ طَائِفَةٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ، فَجَعَلُوا يَحْلِفُونَ بِاللَّهِ لَقَدْ كَانُوا مَعْذُورِينَ فِي تَخَلُّفِهِمْ، وَهُمْ فِي ذَلِكَ كَاذِبُونَ، فَأَمَرَ اللَّهُ رَسُولَهُ أَنْ يُجْرِيَ أَحْوَالَهُمْ عَلَى ظَاهِرِهَا، وَلَا يَفْضَحَهُمْ عِنْدَ النَّاسِ، وَقَدْ أَطْلَعَهُ اللَّهُ عَلَى أَعْيَانِ جَمَاعَةٍ مِنْهُمْ أَرْبَعَةَ عَشَرَ رَجُلًا، كَمَا قَدَّمْنَاهُ لَكَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، فَكَانَ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ مِمَّنْ يَعْرِفُهُمْ بِتَعْرِيفِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِنْ كَادُوا لَيَسْتَفِزُّونَكَ مِنَ الْأَرْضِ لِيُخْرِجُوكَ مِنْهَا وَإِذًا لَا يَلْبَثُونَ خِلَافَكَ إِلَّا قَلِيلًا} [الإسراء: 76]] الْإِسْرَاءِ: 76] . وَهَكَذَا وَقَعَ; لَمَّا اشْتَوَرُوا عَلَيْهِ لِيُثْبِتُوهُ أَوْ يَقْتُلُوهُ أَوْ يُخْرِجُوهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، ثُمَّ وَقَعَ الرَّأْيُ عَلَى الْقَتْلِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ أَمَرَ اللَّهُ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخُرُوجِ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، فَخَرَجَ هُوَ وَصَدِيقُهُ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَكَمِنَا فِي غَارِ ثَوْرٍ ثَلَاثًا، ثُمَّ ارْتَحَلَا بَعْدَهَا، كَمَا قَدَّمْنَا، وَهَذَا هُوَ الْمُرَادُ بِقَوْلِهِ: {شَيْءٍ قَدِيرٌ إِلَّا تَنْصُرُوهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللَّهُ إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِينَ كَفَرُوا ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَيْهِ وَأَيَّدَهُ بِجُنُودٍ لَمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِينَ كَفَرُوا السُّفْلَى وَكَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ} [التوبة: 39] . وَهُوَ الْمُرَادُ مِنْ قَوْلِهِ: {وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ} [الأنفال: 30] . وَلِهَذَا قَالَ: (وَإِذًا لَا يَلْبَثُونَ خِلَافَكَ إِلَّا قَلِيلًا) . وَقَدْ وَقَعَ كَمَا أَخْبَرَ; فَإِنَّ الْمَلَأَ الَّذِينَ اشْتَوَرُوا عَلَى ذَلِكَ لَمْ يَلْبَثُوا بِمَكَّةَ بَعْدَ هِجْرَتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا رَيْثَمَا اسْتَقَرَّ رِكَابُهُ الشَّرِيفُ بِالْمَدِينَةِ وَتَابَعَهُ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، ثُمَّ كَانَتْ وَقْعَةُ بَدْرٍ فَقُتِلَتْ تِلْكَ النُّفُوسُ، وَكُسِرَتْ تِلْكَ الرُّءُوسُ، وَقَدْ كَانَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْلَمُ ذَلِكَ قَبْلَ كَوْنِهِ; مِنْ إِخْبَارِ اللَّهِ لَهُ بِذَلِكَ، وَلِهَذَا قَالَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ لِأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ: أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ أَنَّهُ قَاتِلُكَ. فَقَالَ: أَنْتَ سَمِعْتَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَإِنَّهُ وَاللَّهِ لَا يَكْذِبُ. وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ فِي بَابِهِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ جَعَلَ يُشِيرُ لِأَصْحَابِهِ قَبْلَ الْوَقْعَةِ إِلَى مَصَارِعِ الْقَتْلَى، فَمَا تَعَدَّى أَحَدٌ مِنْهُمْ مَوْضِعَهُ الَّذِي أَشَارَ إِلَيْهِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. وَقَالَ تَعَالَى: {الم - غُلِبَتِ الرُّومُ - فِي أَدْنَى الْأَرْضِ وَهُمْ مِنْ بَعْدِ غَلَبِهِمْ سَيَغْلِبُونَ - فِي بِضْعِ سِنِينَ لِلَّهِ الْأَمْرُ مِنْ قَبْلُ وَمِنْ بَعْدُ وَيَوْمَئِذٍ يَفْرَحُ الْمُؤْمِنُونَ - بِنَصْرِ اللَّهِ يَنْصُرُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ - وَعْدَ اللَّهِ لَا يُخْلِفُ اللَّهُ وَعْدَهُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ} [الروم: 1 - 6]
পৃষ্ঠা - ৪৯৫১

শীঘ্রই এ হাদীস যথান্থানে উল্লেখ করা হবে ৷ পুচর্কা বলা হয়েছে যে, যুদ্ধের পুর্বক্ষণে রাসুলুল্লাহ্
(সা) সাহাবাগণকে দেখিয়ে দেন কুরায়শদের কোনৃ নেতা কোন স্থানে নিহত হবে ৷ যুদ্ধ শেষে
দেখা গেল রাসুলুল্লাহ্ (সা) যার নিহত স্থান যেখানে নির্দিষ্ট করে দেখিয়েছিলেন, তার থেকে
এক বিন্দুও ব্যতিক্রম হয়নি ৷ আল্লাহ্র বাণী০ ং



ং ’ ষ্ fl : শ্ ষ্ #



“আলিফ নাম মীম ৷ রোমকরা নিটকবর্তী ভু খন্ডে পরাজিত হয়েছে ৷ নিজেদের এ
পরাজয়ের পর কয়েক বছরের মধ্যেই তারা বিজয়ী হয়ে ৷ আসল ইখতিয়ার আল্পাহ্রই, পুর্বেও ,
পরেও ৷ আর সে দিন আল্পাহ্র দেয়া বিজয়ে মুসলমানরা আনন্দিত হবে ৷ তিনি সাহায্য দান
করেন যাকে চান ৷ তিনি ংমহাপরাক্রমশালী ও দয়াবান ৷ এটা আল্লাহ্র ওয়াদা ৷ আল্লাহ্ নিজের
ওয়াদার খিলাফ করেন না, জ্যি অনেক লোকই তা জানে না (৩০ : ১ ৬) ৷
ন্ উপরোক্ত আয়াতে যে ওয়াদার কথা বলা হয়েছে তা পরিপুর্ণরুপে বাস্তবায়িত হয়েছে ৷ ঘটনা
এই যে, একবার পারস্য সম্রাটের কাছে রোমান শক্তি পরাজিত হয় ৷ এতে আরবের মুশরিকরা
আনন্দ প্রকাশ করে (কারণ, পারস্যবাসীরা ছিল অগ্নিপুজারী মুশরিক) ৷ এবং যুসলমানগণ বিষন্ন
হয়ে পড়েন ৷ কেননা, নাসারারা অগ্নিপুজকদের তুলনায় ইসলামের বেশী কাছাকাছি ৷ আল্লাহ
তার রাসুলকে জানান যে, সাত বছরের মধ্যে রোম পারস্যকে পরাজিত করবে ৷ এদিকে হযরত
আবু বকর (বা) এই ভবিষ্যদ্বাণীর উপর বিশ্বাস রেখে মক্কার কুরায়শদের সাথে রাজি ধরেছিলেন
যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবায়িত হবেই ৷ সুতরাং কুরআনের ভবিষ্যৎ বার্তা
বাস্তবে পরিণত হলো ৷ পরাজিত রোম পারস্য সাম্রাজ্যকে ণ্শাচনীয়ভাংব পরাজিত করলো ৷
যুদ্ধের ঘটনা অতি বিন্তুত৷ তাফসীর গ্রন্থে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে ৷ আল্লাহ্র বাণী :

ণ্পু , ৷
“আমি তাদের জন্যে আমার নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করবো বিশ্বজগতে এবং তাদের নিজেদের
মধ্যে; ফলে তাদের নিকট সুস্পষ্ট হয়ে ওঠবে যে, এটাই সত্য ৷ এ কি যথেষ্ট নয় যে, তোমার
প্রতিপালক সর্ববিষয়ে অবহিত” (৪ ১ ৫৩) ৷
আয়াতে ঘোষিত নিদর্শন বাস্তবরুপ লাভ করেছিল ৷ আল্লাহ তার নিদর্শনাবলী ও প্রমাণাদি
মানুষের অম্ভরে ও মানব সমাজে এমনভাবে প্রকাশ করেন যে, নবীর দুশমন ও শরীআতের
বিরুদ্ধাচারী আহলি কিতাব পৌত্তলিক ও অগ্নিপুজকদের স্বরুপ উন্মোচিত হয়ে পড়ে ৷ জ্ঞানী ও

ৰিবেকসম্পন্ন লোকেরা বুঝতে পারলো যে, মুহাম্মদ (সা) সত্যই আল্লাহর রাসুল ৷ তিনি
আল্লাহ্র পক্ষ থেকে যে ওহী প্রাপ্ত হন তাও সত্য ৷ তার শত্রুদের হৃদয়ে ভয়ভীতির সঞ্চার হয় ৷


[الرُّومِ: 1 - 6] . وَهَذَا الْوَعْدُ وَقَعَ كَمَا أَخْبَرَ بِهِ; وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا غَلَبَتْ فَارِسُ الرُّومَ فَرِحَ الْمُشْرِكُونَ، وَاغْتَمَّ بِذَلِكَ الْمُؤْمِنُونَ; لِأَنَّ النَّصَارَى أَقْرَبُ إِلَى الْإِسْلَامِ مِنَ الْمَجُوسِ، فَأَخْبَرَ اللَّهُ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّ الرُّومَ سَتَغْلِبُ الْفُرْسَ بَعْدَ هَذِهِ الْمُدَّةِ بِبِضْعِ سِنِينَ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِ مُرَاهِنَةِ الصِّدِّيقِ رُءُوسَ الْمُشْرِكِينَ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ سَيَقَعُ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ، مَا هُوَ مَشْهُورٌ كَمَا قَرَّرْنَا فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ "، فَوَقَعَ الْأَمْرُ كَمَا أَخْبَرَ بِهِ الْقُرْآنُ; غَلَبَتِ الرُّومُ فَارِسَ بَعْدَ غَلَبَهِمْ غَلَبًا عَظِيمًا جِدًّا، وَقِصَّتُهُمْ فِي ذَلِكَ مِمَّا يَطُولُ بَسْطُهَا، وَقَدْ شَرَحْنَاهَا فِي " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَالَ تَعَالَى: {سَنُرِيهِمْ آيَاتِنَا فِي الْآفَاقِ وَفِي أَنْفُسِهِمْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ الْحَقُّ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ} [فصلت: 53] . وَكَذَلِكَ وَقَعَ; أَظْهَرَ اللَّهُ مِنْ آيَاتِهِ وَدَلَائِلِهِ فِي أَنْفُسِ الْبَشَرِ وَفِي الْآفَاقِ; بِمَا أَوْقَعَهُ مِنَ النَّاسِ بِأَعْدَاءِ النُّبُوَّةِ وَمُخَالِفِي الشَّرْعِ; مِمَّنْ كَذَّبَ بِهِ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابَيْنِ وَالْمَجُوسِ وَالْمُشْرِكِينَ مَا دَلَّ ذَوِي الْبَصَائِرِ وَالنُّهَى عَلَى أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَقًّا، وَأَنَّ مَا جَاءَ بِهِ مِنَ الْوَحْيِ عَنِ اللَّهِ صِدْقٌ، وَقَدْ أَوْقَعَ اللَّهُ لَهُ فِي صُدُورِ أَعْدَائِهِ وَقُلُوبِهِمْ رُعْبًا وَمَهَابَةً وَخَوْفًا، كَمَا ثَبَتَ عَنْهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَنَّهُ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৪৯৫২

বুখারী ও মুসলিমের হাদীসে আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : এক মাসের দুরত্ব রত্বরত্রতর সীমা পর্যন্ত
ভীতিকর প্রভাব দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে ৷ এটা আল্লাহ এক বিশেষ সাহায্য ৷ এক
মাসের পথ দুরে অবস্থান করেও শত্রুরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে ভয় করতো ৷ কথিত আছে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সাা) কোন গোত্রের উপর হামলা করার ইচ্ছে করলে সাথে সাথে তারা ভয়ে শংকিত
হয়ে পড়তাে; অথচ তিনি তথায় পৌছতেন একমাস পরে ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবে পরিণত
হওয়া সম্পর্কে হাদীসের সাক্ষ্য

এ সংক্রান্ত কুরায়শদের সেই অংর্গীকার পত্রটির কথা উল্লেখ করা যায় যার বিস্তারিত
বিবরণ আমরা ইতিপুর্বে দিয়ে এসেছি ৷ সংরক্ষিত ঘটনা এই যে, কুরায়শদের সকল গোত্র
মিলিত হয়ে লিখিতভাবে অংগীকারাবদ্ধ হয় যে, বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিক যতদিন পর্যন্ত
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তাদের হাতে সাের্পদ না করবে ততদিন পর্যন্ত তারা তাদেরকে আশ্রর্যপ্রশ্রয়
দেবে না, তাদের সাথে কাউকে বিবাহ দিবে না, তাদের কাউকেও বিবাহকৱৰে না এবং সর্ব
প্রকার লেন-দেন, কেনা-বেচা বন্ধ রাখবে ৷ এর প্রতিক্রিয়ায় বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব জীবন
থাকতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ণ্ক তাদের হাতে সোর্পদ না করার এবং তাকে সর্ব প্রকার সাহায্য
করার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে উভয় গোত্রের মুসলমান, কাফির সবাই আবু তালিব গিরি গুহায় প্রবেশ
করলেন ৷ এ প্রেক্ষাপটে আবুতালিব তার কাসীদা-ই-লামিয়া রচনা করেন, যায় কিছু অংশ এইঃ

ণ্ষ্ণ্াশ্ ষ্শ্ষ্ষ্ণ্ষ্ষ্ষ্ণ্ষ্ষ্ ! ষ্ষ্ষ্ শ্ষ্ ! ষ্ণ্ ষ্ fl! :!ষ্
এণ্ক্রো

এব্লুাট্রুঠু টুৰুা


শ্ ,

,

১ তোমরা অবাস্তব দাবি করছো, আল্লাহ্র কসম ! মুহাম্মদের সাহায্যার্থে যুদ্ধ সগ্রোম
ব্যতীত আমরা তাকে তোমাদের নিকট সমর্পণ করবো না ৷

২ আমাদের ত্রী, আমাদের সম্ভানদেরকে পশ্চাতে ফেলে তার পক্ষে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত
তাকে তোমাদের হাতে ছেড়ে দিবাে না ৷

৩ ধিক্কার তোমাদের নির্বোধ লোক ব্যতীত কোন জাতি তাদের নেতার সাহায্য থেকে
হাতগুটিয়ে রাখতে পারে না ৷

ৰু : সে তো এক শুভ্র মুখমওল বিশিষ্ট পুণ্যময় মানুষ, তার ওসীলায় মেঘ থেকে বৃষ্টি
কামনা করা হয় ৷ সে অসহায় ইয়াতীমদের সহায় এবং বিধবা নারীদের আশ্রয়স্থুল ৷

৫ সে এমন এক মর্ষাদাপুর্ণ ও বরকতময় ব্যক্তি যার দ্বারা হাশিম পরিবার ৰিপযর্যের সময়
যুক্তি কামনা করে থাকে ৷


" «نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ» وَهَذَا مِنَ التَّأْيِيدِ وَالنَّصْرِ الَّذِي آتَاهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ; وَكَانَ عَدُوُّهُ يَخَافُهُ وَبَيْنَهُ وَبَيْنَهُ مَسِيرَةَ شَهْرٍ وَقِيلَ: كَانَ إِذَا عَزَمَ عَلَى غَزْوِ قَوْمٍ أُرْعِبُوا قَبْلَ مَجِيئِهِ إِلَيْهِمْ وَوُرُودِهِ عَلَيْهِمْ بِشَهْرٍ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ [ذِكْرُ الْأَخْبَارِ الْمُسْتَقْبَلَةِ] فَصْلٌ ذِكْرُ الْأَخْبَارِ الْمُسْتَقْبَلَةِ وَأَمَّا الْأَحَادِيثُ الدَّالَّةُ عَلَى إِخْبَارِهِ بِمَا وَقَعَ كَمَا أَخْبَرَ; فَمِنْ ذَلِكَ مَا أَسْلَفْنَاهُ فِي قِصَّةِ الصَّحِيفَةِ الَّتِي تَعَاقَدَتْ فِيهَا بُطُونُ قُرَيْشٍ، وَتَمَالَئُوا عَلَى بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمَطْلَبِ أَنْ لَا يُؤْوُوهُمْ، وَلَا يُنَاكِحُوهُمْ، وَلَا يُبَايِعُوهُمْ، حَتَّى يُسَلِّمُوا إِلَيْهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَخَلَتْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ; بِمُسْلِمِهِمْ وَكَافِرِهِمْ شِعْبَ أَبِي طَالِبٍ أَنِفِينَ لِذَلِكَ، مُمْتَنِعِينَ مِنْهُ أَبَدًا مَا بَقُوا، دَائِمًا مَا تَنَاسَلُوا وَتَعَاقَبُوا، وَفِي ذَلِكَ عَمِلَ أَبُو طَالِبٍ قَصِيدَتَهُ اللَّامِيَّةَ الَّتِي يَقُولُ فِيهَا: كَذَبْتُمْ وَبَيْتِ اللَّهِ نُبْزَي مُحَمَّدًا ... وَلَمَّا نُقَاتِلْ دُونَهُ وَنُنَاضِلِ وَنُسْلِمُهُ حَتَّى نُصَرَّعَ حَوْلَهُ ... وَنَذْهَلَ عَنْ أَبْنَائِنَا وَالْحَلَائِلِ وَمَا تَرْكُ قَوْمٍ لَا أَبَا لَكَ سَيِّدًا ... يَحُوطُ الذِّمَارَ غَيْرَ ذَرْبٍ مُوَاكِلِ وَأَبْيَضَ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ... ثِمَالَ الْيَتَامَى عِصْمَةً لِلْأَرَامَلِ يَلُوذُ بِهِ الْهُلَّاكُ مِنْ آلِ هَاشِمِ ... فَهُمْ عِنْدَهُ فِي نِعْمَةٍ وَفَوَاضِلِ وَكَانَتْ قُرَيْشٌ قَدْ عَلَّقَتْ صَحِيفَةَ التَّعَاقُدِ فِي سَقْفِ الْكَعْبَةِ، فَسَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهَا الْأَرَضَةَ فَأَكَلَتْ مَا فِيهَا مِنْ أَسْمَاءِ اللَّهِ، لِئَلَّا يَجْتَمِعَ بِمَا فِيهَا مِنَ الظُّلْمِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৫৩


কুরায়শরা তাদের এ দৃঢ় অংগীকাৱ পত্র কাবা ঘরের ভিতরে ছাদের সাথে ঝুলিয়ে রাখে ৷
আল্লাহ্র হুকুমে উইপোকা এসে পত্রের মধ্য থেকে আল্লাহ্ লেখা স্থানগুলি থেয়ে ফেলে ৷ যাতে
এ পবিত্র নাম জুলম ও পাপের সাথে মিলিত না থাকে ৷ কেউ কেউ বলেছেন : আল্লাহ্ লেখা
স্থানগুলি বাদ রেখে পুরা পত্রটি খেয়ে শেষ করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) এ সংবাদটি চাচা আবু
তালিবকে অবহিত করেন ৷ আবু তালিব কুরারশদের নিকট এসে বললেন, আমার ভাইপাে

তোমাদের অংগীকাৱ পত্র সম্পর্কে এক সংবাদ শুনিয়েছে ৷ আল্লাহ্ উইপোকা দ্বারা এটা বিনষ্ট
করে দিয়েছেন ৷ আস্নাহ্র নামগুলি ব্যতীত আর সব লেখা পোকা খেয়ে ফোলছে অথবা বলেছেন
কেবল আল্লাহ্র নামগুলি সেখান থেকে থেরে ফোলছে ৷ সুতরাং তোমরা পত্রটি দেখ, যদি তার
কথার সাথে মিল না হয় তবে তাকে তোমাদের হাতে সোপর্দ করে দেব ৷ কুরায়শরা পত্রটি
নামিয়ে খুলে দেখলাে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেরুপবলােছন পত্রটি ঠিক সেরুপই হয়ে আছে ৷ তখন
তারা অংগীকাৱ বাতিঃ৷ ঘোষণা করে ৷ বনু হাশিম ও বনুমুত্তালিব পুনরায় মক্কায় প্রবেশ করেন
এবং পুর্বের অবস্থার উপর পুণর্বহাল হন যা পুর্বেইি বর্ণিত হয়েছে ৷

খাব্বাব ইবন আরাত (রা) ও আরও কতিপয় দরিদ্র নির্ষাতিত মুসলমান একবার নবী
করীম (না)-এর নিকট সাহায্যের আবেদন নিয়ে আসেন ৷ তারা যে লাঞ্চুনা ও নির্যাতন ভোগ
করছেন এ জন্য রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তাদের পক্ষে দুঅ৷ করার আবেদন জানান ৷ রাসুলুল্পাহ্

(সা) তখন কাবার ছায়ায় চাদর বিছিয়ে শুয়ে ছিলেন ৷ তিনি উঠে বসলেন ৷ তার চেহারা রক্তিম
হয়ে উঠে ৷ তখন তিনি বললেন, তোমাদের পুর্ব যুগের একজনকে দ্বি-খণ্ডিত করে ফেলা
হয়েছিল ৷ কিভ্ তা সত্বেও সে দীন থেকে ফিরে যায়নি ৷ আল্লাহ্র কলম! আল্লাহ্ এ দীনকে
অবশ্যই বিজয়ী করবেন ৷ কিভু তোমরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছ ৷

বুখারী শরীফে মুহাম্মদ ইবন আলা সুত্রে আবু মুসা আশ আরী (রা) থেকে বর্ণিত
হয়েছে : রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন, আমি একদা স্বপ্ন দেখি যে, মক্কা হতে এমন একটি দেশে
আমি হিজংাত করছি যে দেশে প্রচুর খেজুর গাছ রয়েছে ৷ আমার ধারণা হলো, যে দেশটি হয়
ইয়ামান না হয় হজর ৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল যে দেশ এই মদীনা বা ইয়াছরিব ৷ এ স্বপ্নে
আরও দেখতে পাই যে, আমি তলোয়ার বাকি কািাম আর ,অমনি তার অগ্রভাগ ভেঙ্গে গেল ৷
এ স্বপ্নের ফল হচ্ছে সেই বিপর্যয় যা উহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের উপর নেমে এসেছিল ৷ আমি
পুনরায় তলোয়ারটি বাকি দিলাম ৷ এবার তা পুর্বের চেয়ে আরও সুন্দররুপে দেখা দিল ৷ এর
ফলাফল হচ্ছে মুসলমানদের এ চুড়ান্ত বিজয় এবং মু’মিনদেৱ মজবুত ঐক্য ৷ আমি ঐ স্বপ্নে
পাভীও দেখতে পাই ৷ আর আল্লাহ্র ব্যবন্থইি উত্তম ৷ এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা হচ্ছে, উহুদ প্রান্তরে
মু মিনদের পরিণতি ৷ আর আল্লাহ্ প্রদত্ত কল্যাণ ও সততার পুরষ্কার যা আমাদেরকে দেয়া
হয়েছে, তা দেয়া হয়েছে বারে যুদ্ধের পরে ৷

এ প্রসঙ্গে সা দ ইবন মুআয (রা) ও উমইিয়া ইবন খালফ এর ঘটনাটি বিশেষভাবে
উল্লেখযোগ্য যখন সা দ (রা) মক্কায় গিয়েছিলেন ৷ ইমাম বুখারী তার সহীহ্ গ্রন্থে আহমদ ইবন
ইসহাক সুত্রে আবল্লোহ্ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন : একদা সাদ ইবন মুআয
উমরা পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় গমন করেন ৷ সেখানে উমইিয়া ইবন খালফ তথা আবু
সাফওয়ানের বাড়িতে অবস্থান করেন ৷ উমইিয়া বাণিজ্যের জন্য সিরিয়া যাওয়ার পথে মদীনায়
সাদের বাড়ি অবস্থান করতো ৷ যা হোক উমইিয়া সাদকে বললো, তুমি দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা


وَالْفُجُورِ، وَقِيلَ: إِنَّهَا أَكَلَتْ مَا فِيهَا إِلَّا أَسْمَاءَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَأَخْبَرَ بِذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمَّهُ أَبَا طَالِبٍ، فَجَاءَ أَبُو طَالِبٍ إِلَى قُرَيْشٍ فَقَالَ: إِنَّ ابْنَ أَخِي قَدْ أَخْبَرَنِي بِخَبَرٍ عَنْ صَحِيفَتِكُمْ، فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ سَلَّطَ عَلَيْهَا الْأَرَضَةَ فَأَكَلَتْهَا إِلَّا مَا فِيهَا مِنْ أَسْمَاءِ اللَّهِ - أَوْ كَمَا قَالَ - فَأَحْضَرُوهَا، فَإِنْ كَانَ كَمَا قَالَ، وَإِلَّا أَسْلَمْتُهُ إِلَيْكُمْ، فَأَنْزَلُوهَا فَفَتَحُوهَا، فَإِذَا الْأَمْرُ كَمَا أَخْبَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعِنْدَ ذَلِكَ نَقَضُوا حُكْمَهَا، وَدَخَلَتْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمَطْلَبِ مَكَّةَ، وَرَجَعُوا إِلَى مَا كَانُوا عَلَيْهِ قَبْلَ ذَلِكَ، كَمَا أَسْلَفْنَا ذِكْرَهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَمِنْ ذَلِكَ حَدِيثُ خَبَّابِ بْنِ الْأَرَتِّ. حِينَ جَاءَ هُوَ وَأَمْثَالُهُ مِنَ الْمُسْتَضْعَفِينَ يَسْتَنْصِرُونَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُتَوَسِّدٌ رِدَاءَهُ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ فَيَدْعُو لَهُمْ، لِمَا هُمْ فِيهِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْإِهَانَةِ، فَجَلَسَ مُحْمَرًّا وَجْهُهُ، وَقَالَ: " «إِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانَ أَحَدُهُمْ يُشَقُّ بِاثْنَتَيْنِ مَا يَصْرِفُهُ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِ، وَاللَّهِ لَيُتِمَنَّ اللَّهُ هَذَا الْأَمْرَ وَلَكِنَّكُمْ تَسْتَعْجِلُونَ» " وَمِنْ ذَلِكَ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ أُسَامَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، أَرَاهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ أَنِّي أُهَاجِرُ مِنْ مَكَّةَ إِلَى أَرْضٍ فِيهَا نَخْلٌ، فَذَهَبَ وَهْلِي إِلَى أَنَّهَا الْيَمَامَةُ أَوْ هَجَرُ فَإِذَا هِيَ الْمَدِينَةُ يَثْرِبُ، وَرَأَيْتُ فِي رُؤْيَايَ هَذِهِ أَنِّي هَزَزْتُ سَيْفًا فَانْقَطَعَ صَدْرُهُ، فَإِذَا هُوَ مَا أُصِيبَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
পৃষ্ঠা - ৪৯৫৪
يَوْمَ أُحُدٍ، ثُمَّ هَزَزْتُهُ أُخْرَى فَعَادَ أَحْسَنَ مَا كَانَ، فَإِذَا هُوَ مَا جَاءَ بِهِ مِنَ الْفَتْحِ وَاجْتِمَاعِ الْمُؤْمِنِينَ، وَرَأَيْتُ فِيهَا بَقَرًا، وَاللَّهُ خَيْرٌ، فَإِذَا هُمُ الْمُؤْمِنُونَ يَوْمَ أُحُدٍ، وَإِذَا الْخَيْرُ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْخَيْرِ وَثَوَابِ الصِّدْقِ الَّذِي أَتَانَا بَعْدَ يَوْمِ بَدْرٍ» وَمِنْ ذَلِكَ قِصَّةُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ مَعَ أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ حِينَ قَدِمَ عَلَيْهِ مَكَّةَ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ انْطَلَقَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ مُعْتَمِرًا، فَنَزَلَ عَلَى أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ أَبِي صَفْوَانَ، وَكَانَ أُمَيَّةُ إِذَا انْطَلَقَ إِلَى الشَّامِ فَمَرَّ بِالْمَدِينَةِ نَزَلَ عَلَى سَعْدٍ، فَقَالَ أُمَيَّةُ لِسَعْدٍ: انْتَظِرْ حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ النَّهَارُ وَغَفَلَ النَّاسُ انْطَلَقْتُ فَطُفْتُ. فَبَيْنَا سَعْدٌ يَطُوفُ إِذَا أَبُو جَهْلٍ، فَقَالَ: مَنْ هَذَا الَّذِي يَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ؟ فَقَالَ سَعْدٌ: أَنَا سَعْدٌ. فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ تَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ آمِنًا، وَقَدْ آوَيْتُمْ مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ؟! فَقَالَ: نَعَمْ فَتَلَاحَيَا بَيْنَهُمَا، فَقَالَ أُمَيَّةُ لِسَعْدٍ: لَا تَرْفَعْ صَوْتَكَ عَلَى أَبِي الْحَكَمِ، فَإِنَّهُ سَيِّدُ أَهْلِ الْوَادِي. ثُمَّ قَالَ سَعْدٌ: وَاللَّهِ لَئِنْ مَنَعْتَنِي أَنْ أَطُوفَ بِالْبَيْتِ لَأَقْطَعَنَّ مَتْجَرَكَ بِالشَّامِ. قَالَ: فَجَعَلَ أُمَيَّةُ يَقُولُ لِسَعْدٍ: لَا تَرْفَعْ صَوْتَكَ. وَجَعَلَ يُمْسِكُهُ، فَغَضِبَ سَعْدٌ فَقَالَ: دَعْنَا عَنْكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزْعُمُ أَنَّهُ قَاتِلُكَ. قَالَ: إِيَّايَ؟! قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَاللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৫৫


কর ৷ ঐ সময় মানুষ বাড়িতে থাকবে, তখন তুমি গিয়ে তাওয়াফ করে এসো! সাদ যখন
তাওয়াফে রত তখন আবুজাহ্ল দেখে বললো কাবায় তাওয়াফ করে কে ? সাদ উত্তর দিলেন,
আমি সাদ ৷ আবু জাহ্ল বললো, তুমি দেখি নিরাপদে তাওয়াফ করছে! ৷ অথচ তোমরাই অে
মুহাম্মদ ও তার সাথীদেরকে আশ্রয় দিয়েছ ? সাদ বললেন, হী দিয়েছি ৷ উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত
বাক্য বিনিময় হলো ৷ উমইিয়া সাদকে বললো, মক্কার নেতা আবুল হাকামের সাথে উচ্চকণ্ঠে
কথা বলো না ৷ উত্তরে সাদ জানালেন, আল্লাহর কলম, আমাকে যদি তাওয়াফ করতে বাধা
দাও, তবে আমি তোমার সিরিয়ার বাণিজ্যের পথ বন্ধ করে দেব ৷ উমইিয়া তবুও বার বার
সাদকে থামাতে লাগলো ও বলতে থাকলো উচ্চকষ্ঠে কথা বলো না ৷

অবশেষে সাদ ক্রোধাম্বিত হয়ে বলে উঠলেন, ছেড়ে দাও তো! আমি মুহাম্মদ (সা)-কে
বলতে শুনেছি তিনি তোমাকে হত্যা করবেন ৷ উমইিয়া বললো, আমাকেই ? সাদ বললেন,
হা ৷ উমইিয়া বললো, আল্লাহ্র কসম ! মুহাম্মদ তো কখনও মিথ্যা কথা বলেন না ৷ বাড়ি ফিরে
সে তার ত্রীকে বললো, ওহে শুনেছ কি, আমার ইয়াছরাবী ভইিটি কি বলেছে ? শ্রী বললো কি
বলেছে ? উমইিয়া বললো, সে মুহাম্মদকে বলতে শুনেছে যে, মুহাম্মদ আমাকে হত্যা করবেন ৷
শ্রী বললো, আল্লাহ্র কসমা মুহাম্মদ মিথ্যা কথা বলেন না ৷ অতঃপর বদর যুদ্ধের প্রাক্কালে
কুরায়শরা যখন যুদ্ধে গমন করে এবং ঘোষণাকারী সকলকে বেরিয়ে আসার জন্য ঘোষণা দেয়
তখন উমইিয়ার শ্রী তাংক বললো, তোমার কি সে কথা স্মরণ আছে, যে কথা তোমার
ইয়াছধাবী ভইিটি বলেছিল ? উমইিয়া তখন যুদ্ধে যেতে চাচ্ছিল না ৷ কিন্তু আবু জাহ্ল তাকে
বললো, তুমি মক্কার একজন প্রভাবশালী নেতা, আমাদের সাথে অন্তত এক দৃদিনের পথ চলো ৷
এরপর সে রওয়ানা করলো এবং আল্লাহর হুকুমে তাকে হত্যা করা হলো ৷ এ হাদীসটি কেবল
বুখারীতে আছে ৷ এ সম্পর্কে আমরা ইতিপুর্বে বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি ৷

উবাই ইবন খাল্ফ বিশেষ যত্নসহকারে একটি ঘোড়া পুষভাে ৷ একবার ঐ ঘোড়া নিয়ে

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট দিয়ে যাওয়ারকালে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে ডেকে বলে এ ঘোড়ার
চড়েই আমি তোমাকে হত্যা করবো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, বরং আমিই তোমাকে হত্যা
করবো ইনশা আল্লাহ্ ৷ বন্তুত উহুদের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে হত্যা করেন ৷ ঘটনার
বিস্তারিত বিবরণ পুর্বেইি দেয়া হয়েছে ৷

সহীহ্ বুখারীর হাদীসে ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বদর যুদ্ধের সময় যুদ্ধের আগের
দিন রাসুলুল্লাহ্ (না) দেখিয়ে দেন যে, ইনৃশাআল্লাহ্ আগামীকাল অমুক এই স্থানে নিহত হবে
এবং এইটা অমুকের নিহত হওয়ার ক্ষেত্র ইত্যাদি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, মুহাম্মদ (সা) কে যিনি
রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেছেন সেই সত্তার কসম! রাসুলুল্লাহ্ (না) যায় মৃত্যুর স্থান যেখানে
চিহ্নিত করেছিলেন যে তার বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম হয়নি ৷

কিরমান নামী এক ব্যক্তি উহুদের যুদ্ধে কারও মতো খায়ববের যুদ্ধে এবং এটাই সঠিক ,
কারও মতে হুনায়নের যুদ্ধে বিপুল বিক্রমে র্মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাকেই সামনে পায়
তাকেই তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে ৷ লোকজন তার সম্পর্কে বলাবলি করতে থাকে যে, আজ
সে যেমন যুদ্ধ করেছে এমনটি আর কেউ করেনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, সে জাহান্নামী’ ৷
অতঃপর এক ব্যক্তি তার সাথে থেকে তাকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে ৷ ইত্যবসরে কিরমান
আহত হলো ৷ যখমের যস্ত্রণায় সে তলোয়ার খাড়া করে তলোয়ায়ের মাথার উপর বুক রেখে


مَا يَكْذِبُ مُحَمَّدٌ إِذَا حَدَّثَ. فَرَجَعَ إِلَى امْرَأَتِهِ فَقَالَ: أَمَا تَعْلَمِينَ مَا قَالَ لِي أَخِي الْيَثْرِبِيُّ قَالَتْ: وَمَا قَالَ؟ قَالَ: زَعَمَ أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدًا يَزْعُمُ أَنَّهُ قَاتِلِي. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ مَا يَكْذِبُ مُحَمَّدٌ. قَالَ فَلَمَّا خَرَجُوا إِلَى بَدْرٍ وَجَاءَ الصَّرِيخُ، قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ: مَا ذَكَرْتَ مَا قَالَ لَكَ أَخُوكَ الْيَثْرِبِيُّ؟ قَالَ: فَأَرَادَ أَنْ لَا يَخْرُجَ، فَقَالَ لَهُ أَبُو جَهْلٍ: إِنَّكَ مِنْ أَشْرَافِ الْوَادِي، فَسِرْ يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ، فَسَارَ مَعَهُمْ فَقَتَلَهُ اللَّهُ. وَهَذَا الْحَدِيثُ مِنْ أَفْرَادِ الْبُخَارِيِّ، وَقَدْ تَقَدَّمَ بِأَبْسَطِ مِنْ هَذَا السِّيَاقِ. وَمِنْ ذَلِكَ قِصَّةُ أُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ الَّذِي كَانَ يَعْلِفُ حِصَانًا لَهُ، فَإِذَا مَرَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنِّي سَأَقْتُلُكَ عَلَيْهِ، فَيَقُولُ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَلْ أَنَا أَقْتُلُكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ» فَقَتْلَهُ يَوْمَ أُحُدٍ كَمَا قَدَّمْنَا بَسْطَهُ. وَمِنْ ذَلِكَ إِخْبَارُهُ عَنْ مَصَارِعِ الْقَتْلَى يَوْمَ بَدْرٍ، كَمَا تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ فِي الصَّحِيحِ أَنَّهُ جَعَلَ يُشِيرُ قَبْلَ الْوَقْعَةِ إِلَى مَحَلِّهَا وَيَقُولُ: " هَذَا مَصْرَعُ فُلَانٍ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَهَذَا مَصْرَعُ فُلَانٍ ". قَالَ: فَوَالَّذِي بَعَثَهُ بِالْحَقِّ مَا رَامَ أَحَدٌ مِنْهُمْ عَنْ مَكَانِهِ الَّذِي أَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُهُ لِذَلِكَ الرَّجُلِ الَّذِي كَانَ لَا يَتْرُكُ لِلْمُشْرِكِينَ شَاذَّةً وَلَا فَاذَّةً إِلَّا اتَّبَعَهَا فَفَرَاهَا بِسَيْفِهِ، وَذَلِكَ يَوْمَ أُحُدٍ، وَقِيلَ: خَيْبَرَ. وَهُوَ الصَّحِيحُ. وَقِيلَ:
পৃষ্ঠা - ৪৯৫৬
فِي يَوْمِ حُنَيْنٍ فَقَالَ النَّاسُ: مَا أَغْنَى أَحَدٌ الْيَوْمَ مَا أَغْنَى فُلَانٌ. يُقَالُ: إِنَّهُ قُزْمَانِ. فَقَالَ: " إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ " فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: أَنَا صَاحِبُهُ. فَاتَّبَعَهُ فَجُرِحَ فَاسْتَعْجَلَ الْمَوْتَ، فَوَضَعَ ذُبَابَ سَيْفِهِ فِي صَدْرِهِ، ثُمَّ تَحَامَلَ عَلَيْهِ حَتَّى أَنْفَذَهُ، فَرَجَعَ ذَلِكَ الرَّجُلُ، فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالَ " وَمَا ذَاكَ " فَقَالَ: إِنَّ الرَّجُلَ الَّذِي ذَكَرْتَ آنِفًا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ كَيْتَ وَكَيْتَ وَذَكَرَ الْحَدِيثَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَمِنْ ذَلِكَ إِخْبَارُهُ عَنْ فَتْحِ مَدَائِنِ كِسْرَى وَقُصُورِ الشَّامِ وَغَيْرِهَا مِنَ الْبِلَادِ يَوْمَ حَفْرِ الْخَنْدَقِ، لَمَّا ضَرَبَ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ تِلْكَ الصَّخْرَةَ فَبَرِقَتْ مِنْ ضَرْبِهِ، ثُمَّ أُخْرَى، ثُمَّ أُخْرَى كَمَا قَدَّمْنَا. وَمِنْ ذَلِكَ إِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ الذِّرَاعِ أَنَّهُ مَسْمُومٌ، فَكَانَ كَمَا أَخْبَرَ بِهِ، اعْتَرَفَ الْيَهُودُ بِذَلِكَ، وَمَاتَ مِنْ أَكْلِهِ مَعَهُ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ. وَمِنْ ذَلِكَ مَا ذَكَرَهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ، «أَنَّهُ بَلَّغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَاتَ يَوْمٍ: " اللَّهُمَّ أَنْجِ أَصْحَابَ السَّفِينَةِ ". ثُمَّ مَكَثَ سَاعَةً، ثُمَّ قَالَ: " قَدِ اسْتَمَرَّتْ» . وَالْحَدِيثُ بِتَمَامِهِ فِي " دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ " لِلْبَيْهَقِيِّ، وَكَانَتْ تِلْكَ السَّفِينَةُ قَدْ أَشْرَفَتْ عَلَى الْغَرَقِ، وَفِيهَا الْأَشْعَرِيُّونَ الَّذِينَ قَدِمُوا عَلَيْهِ وَهُوَ بِخَيْبَرَ. وَمِنْ ذَلِكَ إِخْبَارُهُ عَنْ قَبْرِ أَبِي رِغَالٍ حِينَ مَرِّ عَلَيْهِ وَهُوَ ذَاهِبٌ إِلَى الطَّائِفِ،
পৃষ্ঠা - ৪৯৫৭

উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ে ৷ এতে তলোয়াৱ তার বুক ভেদ করে যায় ৷ সাথের ঐ অনুগমনকারী
বচুক্তিটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট হাজির হয়ে বলে উঠলোং : ধ্র্দু৷ ৷ ১৷ ৷ এ ৷ ’; ৷ ; ৷
গ্লুা৷ ৷ টু), ঠুা ৷ , “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নাই এবং আপনি আল্লাহর
রাসুল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কারণ জ্যিজ্ঞস করলে সে বললো, আপনি কিছুক্ষণ আগে যে
লোকটি সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন তার অবস্থা এই এ বলে সে পুর্ণ ঘটনা উল্লেখ করলো ৷ এ
সম্পর্কে আমরা পুর্বেই আলোচনা করে এসেছি ৷

খন্দকের যুদ্ধে পরিখ৷ খননকালে কয়েকটি বড় পাথর খনন কাজে বাধা হয়ে দাড়ায় ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বহন্তে ঐ পাথর একের পর এক আঘাতে ভেঙ্গে দেন ৷ পাথরের আঘাত করার
সময় তা থােক বিত্তলীে চমকে উঠে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাথীদেরকে জানান যে, এ সব বিজন্সীর
মধ্যে বোন ও পারস্যের শহর ও প্রাসাদসমুহ দেখা যাচ্ছে এবং শীঘ্রই এ সব দেশ আমার উষ্মত
জয় করবে ৷ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে একবার ইয়াহুদীরা বিষ মিশ্রিত গোশত খেতে দেয় ৷ তিনি বলে দেন
যে, এ খাদ্যে বিষ মিশান হয়েছে ৷ পরে প্রমাণিত হল যে, রাসুলের কথাই সতা ৷ ইয়াহ্রদী
স্বীকার করলো ৷ বিশর ইবন বারা ইবন মারুর ঐ খাদ্যের বিষ ক্রিয়ার ফলে ইনতিকাল
করেন ৷

বায়হাকীর দালাইলুন নবুওতে মামার সুত্রে আবদুর রাজ্জাক থেকে বর্ণিত আছে : একদা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুআ করলেন হে আল্পাহ্ ! নৌকার যাত্রীদের রক্ষা করুন ৷ এরপর কিছুক্ষণ
চুপ করে থাকলেন ৷ পরে বললেন নৌকা চালু হয়ে গেছে ৷ এই নৌকাটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম
হয়েছিল ৷ এতে আশআর পােত্রীয় বিশজন লোক আরোহণ করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
আসছিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বরে অবস্থান করছিলেন ৷

আবু রিগাল নামক এক ব্যক্তির কবরের পাশ দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) একবার গমন করেন ৷
তিনি তায়েফ অভিমুখে যাচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন এই কবরবাসীর নিকটে স্বর্ণের
একটি পাত আছে ৷ কবর খনন করে দেখা গেল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা বলেছেন, তা যথার্থ ৷
আবু দাউদ আবু ইসহাক সুত্রে ইবন আমর (বা) থেকে এ হাদীসঢি বর্ণনা করেছেন ৷

একবার কোন এক যুদ্ধের গনীমতের মাল রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরব নেতা কুরায়শ সর্দার ও
অন্যান্য প্রভাবশালী লোকের মধ্যে বণ্টন করে দেন তাদেরকে ইসলামের প্ৰতি আকৃষ্ট করার ,
উদ্দেশ্যে ৷ আনসারদের উপর ওদেরকে এ প্রাধান্য দেয়ায় তাদের অম্ভরে কিছুটা ক্ষোভের সৃষ্টি
হয় ৷ আনসারদের মন থেকে সে ক্ষোভ দুর করার জ্যা৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক ভাষণ দান করেন ৷
উক্ত ভাষণে তিনি বলেন তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকজন উট-বকরী সাথে নিয়ে
বাড়ি যাবে আর তোমরা আল্লাহর রাসুলকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরবে ? তারপর বলেন, আমার
পরে তোমরা অন্যদেরকে প্রাধান্য দেয়৷ হচ্ছে দেখতে পাবে ৷ কিছু দিন ধৈর্য ধরবে ৷ অতঃপর
হাওজে কাওছারের নিকট আমার সাথে তােমাদের৷ সাক্ষাৎ হবে ৷ তিনি আরও বলেন, অন্যান্য
লোক ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে, কিন্তু আনসারগণের স খ্যাহ্রাস পাবে ৷ এর আগে তিনি সাফা পর্বতের
উপর ভাষণ দানকালে বলেন, তোমাদের জীবনই আসল জীবন ৷ আর ণ্তামাদের মৃত্যুই আসল
মৃত্যু ৷ উপরোক্ত বক্তব্যসমুহে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা কিছু আগামীতে হবে বলে উক্তি করেছেন,
পরবত্তীকািলে তা হুবহু সংঘটিত হয়েছে ৷


وَأَنَّ مَعَهُ غُصْنًا مِنْ ذَهَبٍ، فَحَفَرُوهُ فَوَجَدُوهُ كَمَا أَخْبَرَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ بُجَيْرِ بْنِ أَبِي بُجَيْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو بِهِ. وَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لِلْأَنْصَارِ لَمَّا خَطَبَهُمْ تِلْكَ الْخُطْبَةَ مُسَلِّيًا لَهُمْ عَمَّا كَانَ وَقَعَ فِي نُفُوسِ بَعْضِهِمْ; مِنَ الْإِيثَارِ عَلَيْهِمْ فِي الْقِسْمَةِ لَمَّا تَأَلَّفَ قُلُوبَ مَنْ تَأَلَّفَ مِنْ سَادَاتِ الْعَرَبِ، وَرُءُوسِ قُرَيْشٍ وَغَيْرِهِمْ، فَقَالَ: «أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالشَّاةِ وَالْبَعِيرِ، وَتَذْهَبُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ تَحُوزُونَهُ إِلَى رِحَالِكُمْ؟» وَقَالَ: «إِنَّكُمْ سَتَجِدُونَ بَعْدِي أَثَرَةً فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلَقَّوْنِي عَلَى الْحَوْضِ» وَقَالَ: «إِنَّ النَّاسَ يَكْثُرُونَ وَتَقِلُّ الْأَنْصَارُ» وَقَالَ لَهُمْ فِي الْخُطْبَةِ قَبْلَ هَذِهِ عَلَى الصَّفَا: «بَلِ الْمَحْيَا مَحْيَاكُمْ وَالْمَمَاتُ مَمَاتُكُمْ» وَقَدْ وَقَعَ جَمِيعُ ذَلِكَ كَمَا أَخْبَرَ بِهِ سَوَاءً بِسَوَاءٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: وَأَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ،
পৃষ্ঠা - ৪৯৫৮
وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ حَرْمَلَةَ، عَنْ أَبِي وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا قَبِيصَةُ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ رَفْعَهُ: «إِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ» وَقَالَ: «لَتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ جَرِيرٍ، وَزَادَ الْبُخَارِيُّ وَأَبِي عَوَانَةَ ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ بِهِ، وَقَدْ وَقَعَ مِصْدَاقُ ذَلِكَ بَعْدَهُ فِي أَيَّامِ الْخُلَفَاءِ الثَّلَاثَةِ أَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَعُثْمَانَ، اسْتَوْثَقَتْ هَذِهِ الْمَمَالِكُ فَتْحًا عَلَى أَيْدِي الْمُسْلِمِينَ، وَأَنْفَقَتْ أَمْوَالَ كُنُوزِ قَيْصَرَ مَلِكِ الرُّومِ، وَكِسْرَى مَلِكِ الْفُرْسِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ بِشَارَةٌ عَظِيمَةٌ لِلْمُسْلِمِينَ، وَهُوَ أَنَّ مُلْكَ فَارِسَ قَدِ انْقَطَعَ فَلَا عَوْدَةَ لَهُ، وَمُلْكَ الرُّومِ لِلشَّامِ قَدْ زَالَ عَنْهَا، فَلَا يَمْلِكُونَهُ بَعْدَ ذَلِكَ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَفِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى صِحَّةِ خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَعُثْمَانَ وَالشَّهَادَةِ لَهُمْ بِالْعَدْلِ، حَيْثُ أُنْفِقَتِ الْأَمْوَالُ الْمَغْنُومَةُ فِي زَمَانِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، عَلَى الْوَجْهِ الْمَرْضِيِّ الْمَمْدُوحِ.
পৃষ্ঠা - ৪৯৫৯


ইমাম বুখারী ইয়াহ্ইয়া ইবন বুকায়র সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন;
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কিসরার পতন হলে আর কোন কিসরা আসবে না এবং কায়সাবের
পতন হলে আর কোন কায়সারের আগমন হবে না ৷ যে সত্তার ইখতিয়ারে মুহাম্মদের জীবন
তার কসম, তােমরইি উভয় সাম্রাজ্যের বন-রত্ন আল্লাহ্র পথে ব্যয় করবে ৷ এ হাদীস ইমাম
মুসলিম ইউনুস সুত্রে আবু হুরায়রা থেকে এবং ইমাম বুখারী কুবায়সা সুত্রে জাবির ইবন সামুরা
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে জারীর সুত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন
আওয়ানা আবদুল মালিক ইবন উমায়র সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত আবু বকর,
হযরত উমর ও হযরত উসমান (রা)-এর শাসনামলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এ ভবিষ্যদ্বাণী
বাস্তবে পরিণত হয় ৷ মুসলমানদের হাতে এসব দেশ চুড়াতভাবে বিজিত হয় এবং বোন সম্রাট
কায়সার ও পারস্য সম্রাট কিসরার ধন-সম্পদ আল্লাহ্র পথে ব্যয় করা হয় ৷ ঘটনার বিস্তারিত
বিবরণ পরে আসছে ৷ এ হাদীসেরন্ মধ্যে মুসলমানদের জন্য বিরটি সুসংবাদ দেয়৷ হয়েছে যে,
পারস্য সাম্রাজ্য শীঘ্রই শেষ হবে এবং আর কখনও পুন প্রতিষ্ঠিত হবে না৷ ড্ডাপ সিরিয়া থেকে
রোমান শাসনের অবসান হয়েছে এবং তারা আর কখনও এর উপর কষ্কৃত্বি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম
হয়ে না এ হাদীসেব মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে যে, আবুবকর , উমর ও উসমানের খিলাফত সঠিক
ছিল এবং তারা ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন ৷ কেননা, তারা এসব দেশ থেকে প্রাপ্ত গনীমতের
মাল আল্লাহ্র সন্তুষ্টির পথে ব্যয় করেন ৷

বুখারী শরীফে মুহাম্মদ ইবন হাকাম সুত্রে আদী ইবন হাতিম (রা) থেকে বর্ণিত ৷ আদী
বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট বসে ছিলাম ৷ এমন সময় এক ব্যক্তি এসে
তার কাছে দারিদ্র্যতার অভিযোগ করলো ৷ এরপর আর এক ব্যক্তি এসে তার পথের সম্বল
নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার অনুযােপ জানাল ৷ নবী করীম (সা) বললেন, হে আদী! তুমি কি হীরা
রাজ্য দেখেছ ? আমি বললাম দেখি নইি তবে সে রাজ্যের কাহিনী শুনেছি ৷ নবী করীম (সা)
বললেন, তুমি যদি দীর্ঘ দিন বেচে খাক তবে অবশ্যই দেখবে যে, হীরা রাজ্য থেকে একজন
মহিলা উটে নওয়াব হয়ে এসে কা বা ঘর তাওয়াফ করবে, পথের মধ্যে এক আল্লাহ্ ব্যতীত
অন্য কারও ভয় তার থাকবে না ৷ (আমি এ সময় মনে মনে ভাবলাম, তার গোত্রের দস্যুগুলো
তখন কোথায় থাকবে সারা শহর-নগর জ্বালিয়ে ভঙ্গ করে থাকে ?) ৷ তুমি যদি দীর্ঘ জীবন
লাভ কর, তাহলে কিসরার ধন-রত্ন তোমাদের অধিকারে আসবে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম,
কিসরা ইবন হুরমুয ? তিনি বললেন, হা, কিসরা ইবন হুরমুয ৷ যদি তুমি দীর্ঘায়ু হও, তবে
দেখতে পারে যে, লোক মুঠো ভরে সোনা বা রুপা নিয়ে দান করার জন্য লোক খুজে ফিরছে ৷
কিন্তু দান গ্রহণ করার মত কাউকে পাবে না ৷ তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ হাশরের দিন
আল্লাহ্র সম্মুখে উপস্থিত হয়ে এবং আল্লাহ্র ও তার মধ্যে কোন দােভাষী থাকবে না ৷ আল্লাহ্
তাকে জিজ্ঞেস করবেন আমি কি তোমাদের নিকট রাসুল পাঠাইনি এবং তিনিকি তোমাদের
নিকট আমার বাণী পৌছাননি ৷ সে বলবে, হী ৷ পুনরায় আল্লাহ্ বলবেন, আমি কি তোমাকে
সম্পদ ও সন্তান দিয়ে তোমার উপর অনুগ্রহ করিনি? সে বলবে-জী, ছু৷ ৷ তারপর সে ডান দিকে
তাকাবে, দেখবে জ্বাহান্নাম ৷ আবার বাম দিকে তাকাবে, দেখবে সেদিকেও জাহান্নাম ৷ আদী
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা জাহান্নামকে ভয় কর, যদিও
একটা খুরমার টুকরো দ্বারাই হোক না কেন, যদি তাও না পাও, তবে একটা উত্তম কথা দ্বারা


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَكَمِ، ثَنَا النَّضْرُ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، ثَنَا سَعْدٌ الطَّائِيُّ، أَنَا مَحَلُّ بْنُ خَلِيفَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ: بَيْنَا أَنَا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ أَتَاهُ رَجُلٌ فَشَكَى إِلَيْهِ الْفَاقَةَ، ثُمَّ أَتَاهُ آخَرُ فَشَكَى إِلَيْهِ قَطْعَ السَّبِيلِ، فَقَالَ: " يَا عَدِيُّ هَلْ رَأَيْتَ الْحِيرَةَ؟ ". قُلْتُ لَمْ أَرَهَا، وَقَدْ أُنْبِئْتُ عَنْهَا. قَالَ: " فَإِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ لَتَرَيَنَّ الظَّعِينَةَ تَرْتَحِلُ مِنَ الْحِيرَةِ حَتَّى تَطُوفَ بِالْكَعْبَةِ مَا تَخَافُ أَحَدًا إِلَّا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ - قُلْتُ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَ نَفْسِي: فَأَيْنَ دُعَّارُ طَيِّئٍ الَّذِينَ قَدْ سَعَّرُوا الْبِلَادَ؟ - وَلَئِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ لَتُفْتَحَنَّ كُنُوزُ كِسْرَى ". قُلْتُ: كِسْرَى بْنِ هُرْمُزَ؟ قَالَ: " كِسْرَى بْنِ هُرْمُزَ، وَلَئِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ لَتَرَيَنَّ الرَّجُلَ يُخْرِجُ مَلْءَ كَفِّهِ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ يَطْلُبُ مَنْ يَقْبَلُهُ مِنْهُ، فَلَا يَجِدُ أَحَدًا يَقْبَلُهُ مِنْهُ، وَلَيَلْقَيَنَّ اللَّهَ أَحَدُكُمْ يَوْمَ يَلْقَاهُ وَلَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ تُرْجُمَانٌ يُتَرْجِمُ لَهُ فَلَيَقُولَنَّ لَهُ: أَلَمْ أَبْعَثْ إِلَيْكَ رَسُولًا فَيُبَلِّغَكَ؟ فَيَقُولُ: بَلَى. فَيَقُولُ: أَلَمْ أُعْطِكَ مَالًا وَوَلَدًا وَأُفْضِلْ عَلَيْكَ؟ فَيَقُولُ: بَلَى. فَيَنْظُرُ عَنْ يَمِينِهِ فَلَا يَرَى إِلَّا جَهَنَّمَ، وَيَنْظُرُ عَنْ يَسَارِهِ فَلَا يَرَى إِلَّا جَهَنَّمَ ". قَالَ عَدِيٌّ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ، فَإِنْ لَمْ تَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ» قَالَ عَدِيٌّ: فَرَأَيْتُ الظَّعِينَةَ تَرْتَحِلُ مِنَ الْحِيرَةِ حَتَّى تَطُوفَ بِالْكَعْبَةِ فَلَا تَخَافُ إِلَّا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، وَكُنْتُ فِيمَنِ افْتَتَحَ كُنُوزَ كِسْرَى بْنِ هُرْمُزٍ، وَلَئِنْ طَالَتْ بِكُمْ حَيَاةٌ لَتَرَوُنِ مَا قَالَ النَّبِيُّ أَبُو الْقَاسِمِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৬০
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يُخْرِجُ مِلْءَ كَفِّهِ ثُمَّ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ، هُوَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ أَبِي عَاصِمٍ النَّبِيلِ، عَنْ سَعْدَانَ بْنِ بِشْرٍ، عَنْ أَبِي مُجَاهِدٍ سَعْدٍ الطَّائِيِّ، عَنْ مُحِلٍّ، عَنْهُ بِهِ. وَقَدْ تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَيْنَ الْوَجْهَيْنِ، وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ مُحِلٍّ عَنْهُ: «اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ زُهَيْرٍ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْقِلٍ، عَنْ عَدِيٍّ مَرْفُوعًا: «اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ» وَكَذَلِكَ أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَدِيٍّ وَفِيهَا مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَدِيٍّ بِهِ. وَهَذِهِ كُلُّهَا شَوَاهِدُ لِأَصْلِ هَذَا الْحَدِيثِ الَّذِي أَوْرَدْنَاهُ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ الْإِخْبَارُ بِفَتْحِ مَدَائِنِ كِسْرَى وَقُصُورِهِ وَقُصُورِ الشَّامِ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْبِلَادِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ قَيْسٍ،
পৃষ্ঠা - ৪৯৬১

হলেও ৷ আদী বলেন, আমি বাস্তবিকই এরুপ মহিলাকে দেখেছি, যে হীরা থেকে উটে সওয়ার
হয়ে এসে কড়াবা তওয়াফ করেছে এবং দীর্ঘ পথে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারও ভয় তার ছিল না ৷
আর আমি তাদেরই একজন, যারা কিসরা ইবন হুরমুযের সাম্রাজ্য জয় করেছে ৷ হে লোক
সকল ! তোমরা যদি অধিক দিন বেচে থাক তবে অবশ্যই আবুল কাসিম মুহাম্মদ (না)-এর
মুঠাে ভর্তি স্বর্ণ-রৌপ্য সম্পর্কীয় ঘটনাও প্রত্যক্ষ করতে পারবে ৷ বুখারী আবু মুজাহিদ সুত্রেও
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ নাসাঈ শুবা সুত্রে বর্ণনা করেন : তোমরা জাহান্নাম থেকে ৰ্বাচ, যদি
এক টুকরা খুরমা দান করেও হয় ৷ এ হাদীস বুখারী শুবা সুত্রে এবং মুসলিম যুহায়ৱ সুত্রে
আদী থেকে বর্ণনা করেন : এক টুকরা খুরমা দান করার ক্ষমতা থাকলে তা করেও জাহান্নাম
থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর ৷ বুখারী ও মুসলিমে খায়ছামা সুত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ এ
সমস্ত বর্ণনইি আমাদের উল্লেখিত মুল হাদীসের সভ্যতার সাক্ষ্য বহন করে ৷ ইতিপুর্বে খন্দকের
যুদ্ধ প্রসঙ্গে কিসরার শহর ও প্রাসাদ এবং সিরিয়ার ভবনাদি জয় করা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর ভবিষ্যদ্বাণীর উল্লেখ করা হয়েছে ৷
ইমাম আহমদ (র) মুহাম্মদ ইবন উবায়দ সুত্রে খাব্বাব (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমরা একবার রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসলাম ৷ তখন তিনি কাবার ছায়ায় চাদর
বিছিয়ে শুয়ে ছিলেন ৷ আমরা আরয করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাদের জন্য দুআ করুন এবং
আল্লাহ্র নিকট সাহায্য প্রার্থনা করুন ৷ এ কথা শুনে তার চেহারা লাল বর্ণ হয়ে যায় বা
পরিবর্তন হয়ে যায় ৷ অতঃপর তিনি বললেন, তোমাদের পুর্বে এমনও লোক অতিবাহিত হয়েছে,
যাদেরকে গর্তের মধ্যে রেখে মাথার উপর দিয়ে করতে দ্বারা দ্বিখন্ডিত করা হয়েছে, বিন্দু দীন
থেকে তারা সরে যায়নি ৷ এমন লোকও অতিবাহিত হয়েছে যাদের শরীরে লোহার চিরুনী দ্বারা
মাংস, হাড় ও রগ পৃথক করে দেয়া হয়েছে, কিন্তু এ শাস্তি তাদেরকে দীন থেকে বিচ্যুত করতে
পারেনি ৷ আল্লাহ্ বর্তমান অবস্থা দুর করে তার অনুগ্রহ দান করবেন ৷ এমনকি একজন আরোহী
সানআ থেকে হাদ্রড়ামাউত পর্য ত ভ্রমণ করবে, পথে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও ভয় তার
অম্ভার থাকবে না এবং বকরীর উপরও নেকড়ের ভীতি থাকবে না ৷ কিংন্থ তোমরা অধীর হয়ে
পড়েছ ৷ ইমাম বুখারী ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম বুখারী তার সহীহ্ গ্রন্থে আলামাতৃল নুবুওয়াত অধ্যায়ে সাঈদ ইবন শুরাহ্ৰীল সুত্রে
উতবা (রা) থেকে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা বের হয়ে উহুদ যুদ্ধের শহীদদের
কবরে জানাযার নড়ামড়াযের ন্যায় নামায পড়েন ৷ তারপর তিনি এসে মিম্বারে দাড়িয়ে ভাষণে
বলেন, আমি তোমাদের আগেই চলে যাব ৷ আমি তোমাদের জন্য সাক্ষী থাকবাে ৷ আমি
এখনই এখানে দাড়িয়ে আমার হাওজে কওছার দেখতে পাচ্ছি ৷ আমাকে পৃথিবীর সমুদয়
সম্পদের কুঞ্জি দেয়া হয়েছে ৷ আল্লাহ্র কসম, আমার পরে তোমরা শিরকে লিপ্ত হবে এ ভয়
আমার নেই; কিন্তু দুনিয়ার সম্পদের মোহে আকৃষ্ট হয়ে তোমরা পরস্পর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত
হয়ে পড়বে এ আশংকা আমার আছে ৷ এ সনদ ছাড়াও ইমাম বুখারী হায়াত ইবন শুরায়হ্সুত্রে
এবং ইমাম মুসলিম ইয়াহ্য়া ইবন আইয়ুব সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
এ হাদীসের মধ্যে আমাদের আলোচ্য বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ কয়েকটি কথাই পাওয়া
যায় যথা : ১ রাসুল (সা) উপস্থিত জনতাকে বলেছেন যে আমি তােমাদের আগেই যাব,
অর্থাৎ তাদের সকলের মৃত্যুর পুর্বেই তিনি ইনতিকাল করবেন ৷ বাস্তবেও তাই হয়েছিল ৷ কারণ,
— ৩ ৭


عَنْ خَبَّابٍ قَالَ: أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ مُتَوَسِّدًا بُرْدَةً لَهُ فَقُلْنَا: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ لَنَا وَاسْتَنْصِرْهُ. قَالَ: فَاحْمَرَّ لَوْنُهُ أَوْ تَغَيَّرَ، فَقَالَ: " لَقَدْ كَانَ مَنْ قَبْلَكُمْ يُحْفَرُ لَهُ الْحُفْرَةُ وَيُجَاءُ بِالْمِنْشَارِ فَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ فَيَشُقُّ، مَا يَصْرِفُهُ عَنْ دِينِهِ، وَيُمَشَّطُ بِأَمْشَاطِ الْحَدِيدِ مَا دُونُ عَظْمٍ أَوْ لَحْمٍ أَوْ عَصَبٍ، مَا يَصْرِفُهُ عَنْ دِينِهِ، وَلَيُتِمَّنَّ اللَّهُ هَذَا الْأَمْرَ حَتَّى يَسِيرَ الرَّاكِبُ مَا بَيْنَ صَنْعَاءَ إِلَى حَضْرَمَوْتَ مَا يَخْشَى إِلَّا اللَّهَ وَالذِّئْبَ عَلَى غَنَمِهِ، وَلَكِنَّكُمْ تَعْجَلُونَ» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ مُسَدَّدٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ شُرَحْبِيلَ، ثَنَا لَيْثٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا فَصَلَّى عَلَى أَهْلِ أُحُدٍ صَلَاتَهُ عَلَى الْمَيِّتِ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ: «أَنَا فَرَطُكُمْ، وَأَنَا شَهِيدٌ عَلَيْكُمْ إِنِّي وَاللَّهِ لَأَنْظُرُ إِلَى حَوْضِيَ الْآنَ، وَإِنِّي قَدْ أُعْطِيتُ مَفَاتِيحَ خَزَائِنِ الْأَرْضِ، وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا أَخَافُ بَعْدِي أَنْ تُشْرِكُوا، وَلَكِنِّي أَخَافُ أَنْ تَنَافَسُوا فِيهَا» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، وَمُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، كِلَاهُمَا عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ كَرِوَايَةِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৬২
اللَّيْثِ عَنْهُ. فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ مِمَّا نَحْنُ بِصَدَدِهِ أَشْيَاءُ، مِنْهَا: أَنَّهُ أَخْبَرَ الْحَاضِرِينَ أَنَّهُ فَرَطُهُمْ، أَيِ الْمُتَقَدِّمُ عَلَيْهِمْ فِي الْمَوْتِ، وَهَكَذَا وَقَعَ، فَإِنَّ هَذَا كَانَ فِي مَرَضِ مَوْتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، ثُمَّ أَخْبَرَ أَنَّهُ شَهِيدٌ عَلَيْهِمْ وَإِنْ تَقَدَّمَ وَفَاتُهُ عَلَيْهِمْ، وَأَخْبَرَ أَنَّهُ أُعْطِيَ مَفَاتِيحَ خَزَائِنِ الْأَرْضِ أَيْ فُتِحَتْ لَهُ الْبِلَادُ، كَمَا جَاءَ فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ الْمُتَقَدِّمِ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْتُمْ تَفْتَحُونَهَا كَفْرًا كَفْرًا. أَيْ بَلَدًا بَلَدًا وَأَخْبَرَ أَنَّ أَصْحَابَهُ لَا يُشْرِكُونَ بَعْدَهُ. وَهَكَذَا وَقَعَ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَلَكِنْ خَافَ عَلَيْهِمْ أَنْ يُنَافِسُوا فِي الدُّنْيَا، وَقَدْ وَقَعَ هَذَا فِي زَمَانِ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، ثُمَّ مَنْ بَعْدَهُمَا، وَهَلُمَّ جَرًّا إِلَى زَمَانِنَا هَذَا. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَا أَزْهَرُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَا ابْنُ عَوْنٍ أَنْبَأَنِي مُوسَى بْنُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ افْتَقَدَ ثَابِتَ بْنَ قَيْسٍ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعْلَمُ لَكَ عِلْمَهُ فَأَتَاهُ فَوَجَدَهُ جَالِسًا فِي بَيْتِهِ مُنَكِّسًا رَأْسَهُ، فَقَالَ مَا شَأْنُكَ؟ فَقَالَ: شَرٌّ. كَانَ يَرْفَعُ صَوْتَهُ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ. فَأَتَى الرَّجُلُ فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ قَالَ كَذَا وَكَذَا. قَالَ مُوسَى: فَرَجَعَ الْمَرَّةَ الْآخِرَةَ بِبِشَارَةٍ عَظِيمَةٍ، فَقَالَ: " اذْهَبْ إِلَيْهِ فَقُلْ لَهُ: إِنَّكَ لَسْتَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، وَلَكِنْ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ» ". تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ، وَقَدْ قُتِلَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ شَهِيدًا يَوْمَ الْيَمَامَةِ، كَمَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ. وَهَكَذَا ثَبَتَ
পৃষ্ঠা - ৪৯৬৩

এ ঘটনা ঘটেছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ইনতিকালের পুর্বে অসুস্থ থাকা অবস্থায় ৷ ২ তিনি
বলেছিলেন, আমি তোমাদের উপর সাক্ষী হবো, বাস্তবে তিনি তাদের সকলের আগেই
ইনতিকাল করেন ৷ ৩ রাসুল (সা) বলেছেন, আমাকে পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের কুঞ্জি দেয়া
হয়েছে, অর্থাৎ তাকে দেশ জয়ের গৌরব দান করা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্র ইনতিকালের পর আবু
হুরায়রা (বা) বলেছিলেন : রাসুল (সা) চলে গেছেন আর তোমরা দেশের পর দেশ জয় করে
চলেছ ৷ : রাসুলুল্লাহ্ (সা) জানিয়েছিলেন যে, তার সাথীরা তার পরে শিরক করবে না; বাস্তবে
হয়েছে ও তাই ৷ কিন্তু দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ার আশংকা তিনি করেছিলেন ৷ আর হযরত
আলী ও মুআবিয়ার (বা) আমলে তা বাস্তবে পরিণত হয়, এবং এর ধারা ক্রমশ চলতে চলতে
বর্তমানে ধ্বংসের সীমা পর্যন্ত এসে পৌছেছে ৷

ইমাম বুখারী আলী ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে হযরত অনোস (রা) থেকে বর্ণনা করেন : নবী
করীম (সা) একদা ছাবিত ইবন কায়সকে না পেয়ে খুজছিলেন ৷ এক ব্যক্তি বললাে, ইয়া
রাসুলড়াল্লাহ্ সে কোথায় আছে আমি আপনাকে জানার? তারপর সে ছাবিতের নিকট গেল ৷
দেখলো যে, তিনি ঘরের মধ্যে মাথা নীচু করে বসে আছেন ৷ সে জিজ্ঞেস করলো, ছাবিত!
তোমার কী হয়েছে? তিনি বললেন, খুবই খারাপ, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে উচুস্বরে
কথা বলেছি, আমার সমস্ত আমল ধ্বংস হয়ে গেছে ৷ আমি জাহান্নামী ৷ লোকটি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নিকট এসে জানাল যে, ছাবিত এই এই কথা বলেছেন ৷ অতঃপর লোকটি এক
বিরাট সুসংবাদ নিয়ে ফিরে এলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বলে দেন যে, তুমি ছাবিতকে যেয়ে
বলো, সে জাহান্নামী নয় বরং জান্নাতী ৷ এ হাদীসটি কেবল বুখারীতে আছে ৷ পরবর্তীকালে
ছাবিত ইবন কায়স ইবন শাম্মাছ ইয়ামামার যুদ্ধে শহীদ হন ৷ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পরে
আসবে ৷ ণ্ ন্
সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবদুল্লাহ ইবন সালাম সম্পর্কে
সুসংবাদ ’ দিয়েছিলেন যে, তিনি মুসলিম অবস্থায় ইনতিকাল করবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ
করবেন ৷ সত্যই তিনি অতি উত্তম অবস্থায় মারা যান ৷ রাসুলের ভবিষ্যদ্বাণী করার কারণেই শু
লোক তার জীবদ্দশায়ই তাকে জান্নাতী বলে আখ্যায়িত করতো ৷ আর বাস্তবে ও তাই হলো

সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে, দশজ্যা সাহাৰী সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জান্নাতের
সুসংবাদ দেন ৷ এ ছাড়া যেসব সাহাবী হুদায়বিয়ার সন্ধিকালে বৃক্ষের নীহ্চ রাসুলের হাতে
বায়আত গ্রহণ করেন তাদের সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন যে, ক্লাসের কেউই জাহান্নামে যাবেন
না ৷ তাদের সংখ্যা ছিল চৌদ্দ শত মতাস্তরে পনের শত ৷ এদের কারও সম্পর্কে কোন প্রমাণ
নেই যে, কেউ জীবনে অসৎ পথে চলেছেন বা ঈমান ও পুণ্য ব্যতীত অন্য অবস্থায় মারা

গেছেন ৷ এ সবই হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর নুবুওতী প্রমাণ ও রিসালাতের দলীল ৷

অতীত ও ভবিষ্যতের পায়েবী সংবাদ দান

বায়হার্কী ইসরাঈল সুত্রে জাবির থেকে বর্ণনা করেন ৷ এক ব্যক্তি এসে বললাে, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! অমুক লোক মারা গেছে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, সে মরেনি ৷ লোকটি দ্বিতীয়বার
এসে জানাল, অমুক মারা গেছে ৷ তিনি বললেন, যে মরেনি ৷ লোকটি তৃতীয়বার এসে বলালা,

ণ্ অমুক তীরের ফলা দ্বারা আত্মহত্যা করেছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার জানাযা পড়লেন না ৷


فِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ الْبِشَارَةُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ أَنَّهُ يَمُوتُ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَيَكُونُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَقَدْ مَاتَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَلَى أَكْمَلِ أَحْوَالِهِ وَأَجْمَلِهَا، وَكَانَ النَّاسُ يَشْهَدُونَ لَهُ بِالْجَنَّةِ فِي حَيَاتِهِ; لِإِخْبَارِ الصَّادِقِ عَنْهُ بِأَنَّهُ يَمُوتُ عَلَى الْإِسْلَامِ. وَكَذَلِكَ وَقَعَ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ الْإِخْبَارُ عَنِ الْعَشَرَةِ بِأَنَّهُمْ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، بَلْ ثَبَتَ أَيْضًا الْإِخْبَارُ عَنْهُ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، بِأَنَّهُ لَا يَدْخُلُ النَّارَ أَحَدٌ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ، وَكَانُوا أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ. وَقِيلَ وَخَمْسَمِائَةٍ. وَلَمْ يُنْقَلْ أَنَّ أَحَدًا مِنْ هَؤُلَاءِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَاشَ إِلَّا حَمِيدًا، وَلَا مَاتَ إِلَّا عَلَى السَّدَادِ وَالِاسْتِقَامَةِ وَالتَّوْفِيقِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَهَذَا مِنْ أَعْلَامِ النُّبُوَّاتِ، وَدَلَالَاتِ الرِّسَالَةِ [الْإِخْبَارُ بِغُيُوبٍ مَاضِيَةٍ وَمُسْتَقْبِلَةٍ] فَصْلٌ فِي الْإِخْبَارِ بِغُيُوبِ مَاضِيَةٍ وَمُسْتَقْبَلَةٍ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: «جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ فُلَانًا مَاتَ. فَقَالَ: " لَمْ يَمُتْ ". فَعَادَ الثَّانِيَةَ
পৃষ্ঠা - ৪৯৬৪
فَقَالَ: إِنَّ فُلَانًا مَاتَ. فَقَالَ: " لَمْ يَمُتْ ". فَعَادَ الثَّالِثَةَ فَقَالَ: إِنَّ فُلَانًا نَحَرَ نَفْسَهُ بِمِشْقَصٍ عِنْدَهُ. فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ» . ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَابَعَهُ زُهَيْرٌ عَنْ سِمَاكٍ. وَمِنْ ذَلِكَ الْوَجْهِ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مُخْتَصَرًا فِي الصَّلَاةِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا هُرَيْمُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ بَيَانِ بْنِ بِشْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي شَهْمٍ قَالَ: «مَرَّتْ بِي جَارِيَةٌ بِالْمَدِينَةِ فَأَخَذْتُ بِكَشْحِهَا. قَالَ: وَأَصْبَحَ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَايِعُ النَّاسَ. قَالَ: فَأَتَيْتُهُ فَلَمْ يُبَايِعْنِي، فَقَالَ: " صَاحِبُ الْجُبَيْذَةِ؟ " قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ لَا أَعُودُ. قَالَ فَبَايَعَنِي» . وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُخَرِّمِيِّ عَنْ أَسْوَدِ بْنِ عَامِرٍ بِهِ. ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ سُرَيْجٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ بَيَانِ بْنِ بِشْرٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي شَهْمٍ فَذَكَرَهُ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: «كُنَّا نَتَّقِي الْكَلَامَ وَالِانْبِسَاطَ إِلَى نِسَائِنَا فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; خَشْيَةَ أَنْ يَنْزِلَ فِينَا شَيْءٌ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَكَلَّمْنَا
পৃষ্ঠা - ৪৯৬৫
وَانْبَسَطْنَا» . وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّهُ قَالَ: «وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ أَحَدُنَا يَكُفُّ عَنِ الشَّيْءِ مَعَ امْرَأَتِهِ، وَهُوَ وَإِيَّاهَا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ; تَخَوُّفًا أَنْ يَنْزِلَ فِيهِ شَيْءٌ مِنَ الْقُرْآنِ» . وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، ثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، ثَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جِنَازَةٍ، فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى الْقَبْرِ يُوصِي الْحَافِرَ: " أَوْسِعْ مِنْ قِبَلِ رِجْلَيْهِ، أَوْسِعْ مِنْ قِبَلِ رَأْسِهِ ". فَلَمَّا رَجَعَ اسْتَقْبَلَهُ دَاعِي امْرَأَةٍ فَجَاءَ، وَجِيءَ بِالطَّعَامِ، فَوَضَعَ يَدَهُ فِيهِ وَوَضَعَ الْقَوْمُ أَيْدِيهِمْ فَأَكَلُوا، فَنَظَرَ آبَاؤُنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلُوكُ لُقْمَةً فِي فِيهِ، ثُمَّ قَالَ: " أَجِدُ لَحْمَ شَاةٍ أُخِذَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ أَهْلِهَا ". قَالَ: فَأَرْسَلَتِ الْمَرْأَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَرْسَلْتُ إِلَى الْبَقِيعِ يُشْتَرَى لِي شَاةٌ فَلَمْ تُوجَدْ، فَأَرْسَلْتُ إِلَى جَارٍ لِي قَدِ اشْتَرَى شَاةً أَنْ أَرْسِلْ بِهَا إِلَيَّ بِثَمَنِهَا، فَلَمْ يُوجَدْ فَأَرْسَلْتُ إِلَى امْرَأَتِهِ، فَأَرْسَلَتْ إِلَيَّ بِهَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَطْعِمِيهِ الْأُسَارَى»
পৃষ্ঠা - ৪৯৬৬

বায়হাকী বলেন, হাদীসটির সম্পব্লুর্ক যুহায়র সুত্রেও হাদীসের উল্লেখ করেছেন ৷ মুসলিম এবইি
সুত্রে হাদীসটি সৎক্ষি প্তভাব্লুব সালাত অধ্যাব্লুয় বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ আসওদ সুত্রে কায়স ইবন আবু শাহম থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
মদীনায় আমার পাশ দিয়ে জনৈকা দাসী অতিক্রম করার সময় আমি তার পার্শ্বদেশ ধরে বসিা
তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) মানুষকে বায়আত করছিলেন ৷ আমি রাসুলের নিকট বায়আত
করতে গেলাম, কিন্তু আমাকে বায়আত করলেন না ৷ তিনি বললেন, তুমি তো উত্যক্তকারী ৷
আমি বললাম, আল্লাহ্র কসম, আর কখনও এরুপ করবো না ৷ এরপর তিনি আমাকে
বায় আত করলেন ৷ এ হাদীসটি নাসাঈ আসওদ ইবন আমির সুত্রে এবং আহমদ আবু হাশিম
সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম বুখারী আবু নুআয়ম সুত্রে ইবন উমর (না) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আমলে মত্রীদের সাথে কথাবাত৷ বলতে ও গল্প-গুজব করতে আমরা
অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন কবতাম এ ভয়ে যে, না জানিআমাদের ব্যাপারে কুরআনের কোন
আয়াত নাযিল হয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইনতিকালের পরে আমরা থােলামেলা কথাবার্তা
বলতে শুরু করি ৷

ইবন ওহব আমর ইবন হারছ সুত্রে সাহ্ল ই বন মাস থেকে বর্ণনা করেন৷ সাহ্ল বলেন,
আমাদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যে তার ত্রীৱ সাথে একই কাপড়ের নীচে শয়ন করা
অবস্থায় কোন ব্লুকান আচরণ থেকে বিরত থেকেব্লুছ-এ ভয়ে যে, হয়তো এ বক্তাপাব্লুর কুরআনে
কোন বিধান নাযিল হয়ে যেতে পারে ৷

আবু দাউদ মুহাম্মদ ইবন আল৷ সুত্রে জনৈক আনসারীর বর্ণনা উল্লেখ করেন ৷ আনসারী
বলেছেন, আমরা একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে এক জানাযায় গমন করি ৷ দেখলাম,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কবরের পাড়ে দাড়িয়ে কবর থননকারীকে বলে দিচ্ছেন, পায়ের দিকে ও মাথার
দিকে আরও প্রশস্ত কক৷ জানায়া থেকে ফিরে আসার পর জনৈকা মহিলার পক্ষ থেকে এক
ব্যক্তি এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা)ষ্কে দাওয়াত করে ৷ তিনি সেখানে উপস্থিত হলে খাবার সরবরাহ
করা হয় ৷ তিনি থেব্লুত আরম্ভ করেন, অনা লোকও তার সাথে খাবাব্লুর শরীক হয় ৷ আমাদের
মুরুববীগণ লক্ষ্য করলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি গ্রাম নিয়ে শুধু চিবুচ্ছেন ৷ তারপর
বললেন,,আমি আচ করতে পারছি যে, এ বকরীটি মালিকের বিনা অনুমতিব্লুত আনা হয়েছে ৷
মহিলাটি সং বাদ পাঠিয়ে জানলে, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমি বকরী খরীদ করার জন্যে বাকীতে
ব্লুলাক পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু পাওয়া যায় নি ৷ আমার প্রতিবেশী একটি বকরী খরিদ করেছিল,
আমি তার নিকট লোক পাঠিয়েছিলাম যাতে মুল্য রেখে যে বকরীটি আমাকে দিয়ে দেয়, বিক্ষ্ম
তাও পাওয়া যায়নি ৷ এর পর আমি তার ত্রীর নিকট খবর পাঠ৷ ৷ব্লুল সে বকরীটি আমাকে পাঠিয়ে
দেয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এ খাবার বন্দীদের মধ্যে বিতরণ করে দাও !

রাসুসুল্লাহ্ (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী যা তার ইনতিকালের
পরে সংঘটিত হয় যা হবে

বুখারী ও মুসলিম গ্রস্থদ্বব্লুয় আমাশ সুত্রে হুযায়ফ৷ ইবন ইয়ামান (না) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের সম্মুখে ভাষণ দান করেন ৷ ঐ ভাষব্লুণ কিয়ামব্লুতর পুর্ব


[تَرْتِيبُ الْإِخْبَارِ بِالْغُيُوبِ الْمُسْتَقْبِلَةِ بَعْدَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] فَصْلٌ فِي تَرْتِيبِ الْإِخْبَارِ بِالْغُيُوبِ الْمُسْتَقْبِلَةِ بَعْدَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَبَتَ فِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ وَمُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ قَالَ: «قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِينَا مَقَامًا مَا تَرَكَ فِيهِ شَيْئًا إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلَّا ذَكَرَهُ، عَلِمَهُ مَنْ عَلِمَهُ وَجَهِلَهُ مَنْ جَهِلَهُ، وَقَدْ كُنْتُ أَرَى الشَّيْءَ قَدْ كُنْتُ نَسِيتُهُ فَأَعْرِفُهُ كَمَا يَعْرِفُ الرَّجُلُ الرَّجُلَ إِذَا غَابَ عَنْهُ فَرَآهُ فَعَرَفَهُ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنِي ابْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي بُسْرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ أَنَّهُ سَمِعَ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ يَقُولُ: «كَانَ النَّاسُ يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْخَيْرِ وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ; مَخَافَةَ أَنْ يُدْرِكَنِيَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا كُنَّا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَشَرٍّ، فَجَاءَنَا اللَّهُ بِهَذَا الْخَيْرِ، فَهَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قُلْتُ: وَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ خَيْرٍ؟ قَالَ: " نَعَمْ. وَفِيهِ دَخَنٌ ". قُلْتُ وَمَا دَخَنُهُ؟ فَقَالَ: " قَوْمٌ يَهْدُونَ بِغَيْرِ هَدْيِي، تَعْرِفُ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُ ". قُلْتُ: فَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ؟ قَالَ: " نَعَمْ، دُعَاةٌ عَلَى أَبْوَابِ جَهَنَّمَ، مَنْ أَجَابَهُمْ إِلَيْهَا قَذَفُوهُ فِيهَا ". قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، صِفْهُمْ لَنَا قَالَ: " هُمْ مِنْ جِلْدَتِنَا، وَيَتَكَلَّمُونَ بِأَلْسِنَتِنَا ". قُلْتُ: فَمَا تَأْمُرُنِي إِنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ؟ قَالَ: " تَلْزَمُ
পৃষ্ঠা - ৪৯৬৭

পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সে সব কিছুর বর্ণনা দেন ৷ যে তা স্মরণ রেখেছে তার স্মরংইি আছে আর
যে ভুলে গেছে সে ভুলেই গেছে ৷ ণ্স কথার কোন একটি ভুলে যাবার পর যখন বাস্তবে ঘটতে
দেখি, তখন তা আমার এমন ভাবে স্মরণ পড়ে যায়, যেমন কোন লোক কাউকে দেখার পরে
অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় দেখলে তাকে চিনতে পারে ৷

ইমাম বুখারী হুযায়ফা ইবন ইয়ামান থেকে আরও বর্ণনা করেছেন যে, অন্যান্য লোকও
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ভাল কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতো ৷ আর আমি জিজ্ঞেস করতাম
মন্দ কাজ সম্পর্কে ৷ এ তার যাতে তা’ আমাকে পেয়ে না বলে ৷ আমি আরজ করলাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ! আমরা মুর্থতা ও পাপাচারে লিপ্ত ছিলাম, আল্লাহ্ আমাদেরকে এ কল্যাণময় জীবন
দান করেছেন ৷ এই কল্যাণের পরে কোন অমঙ্গল আছে কি? তিনি বললেন, ছু৷ ৷ আমি জিজ্ঞেস
করলাম, সেই অমঙ্গলের পরে কি কল্যাণ আছে? তিনি বললেন, ই৷ আছে ৷ আর তাতে থাকবে
ফ্যাসাদ ৷ জিজ্ঞেস করলাম, ফ্যাসাদ কী? বললেন, একদল লোক হবে, যারা মানুষকে পথ
দেখাবে; বিন্দু নিজেরা সে পথে চলবে না, তাদের পক্ষ থেকে ভাল কথা পাওয়া যাবে, কিন্তু
তারা নিজেরা তা করবে না ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, সেই কল্যাণের পরে কি কোন অকল্যাণ
আছে? তিনি বললেন, হী ৷ একদল আহ্বানকারী হবে, যারা জাহান্নামের দরজায় দাড়িয়ে
মানুষকে আহ্বান করবে ৷ যে লোক তাদের আহ্বানে সাড়া দেবে, সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে ৷
আমি বললড়াম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! তাদের কিছু পরিচয় বলে দিন ৷ বললেন, তারা আমাংদরই
দলের, আমাদেরই ভাষায় কথা বলবে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ঐ পরিস্থিতি যদি আমার
সম্মুখে আসে তখন আমার কী করণীয় হবে? বললেন, মুসলমানদের দল ওটাকেই আকড়ে
থাকবে ৷ জিজ্ঞেস করলাম, তখন যদি মুসলমানদের কোন সংগঠিত দল ও নেতা না থাকে?
তিনি বললেন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সকল বাতিল দল থেকে সরে থাকবে ৷ তাতে যদি গাছের শিকড়
কামড়িয়ে থাকতে হয় এবং যে অবস্থায় মৃত্যু এসে যায়, তবুও ভাল ৷ এ হাদীসটি বুখারী ও
মুসলিম মুহাম্মদ ইবন মুছান্না সুত্রে জাবির (রা) থেকেও বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম বুখারী মুহাম্মদ ইবন মুছান্ন৷ সুত্রে হযরত হুযায়ফার উক্তি বর্ণনা করেছেন ৷ হুযায়ফা
বলেন, আমার সাথীগণ কল্যাণেয় কথা শিখেছে আর আমি শিখেছি অকল্যাণের কথা ৷ এ
বর্ণনাটি কেবল বুখারীতেই আছে ৷

ইমাম মুসলিম ও বা সুত্রে হুযায়ফা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, কিয়ড়ামত পর্যন্ত যা
কিছু ঘটবে, তা আমাকে রাসুল (সা) বলেছেন ৷ অবশ্য এ প্রশ্ন আমি তাকে করিনি যে, কোন
জিনিসে মদীনাবাসীকে মদীনা থেকে বহিষ্কার করে দেবে ৷

সহীহ মুসলিম গ্রন্থে আলী সুত্রে আমর ইবন আখতার থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, যা
ঘটেছে এবং কিয়ড়ামত পর্যন্ত যা ঘটবে সবকিছু রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে জানিয়েছেন ৷
আমাদের মধ্যে যে বেশি স্মৃতিসম্পন্ন, সে বেশি স্মরণ রাখতে পেয়েছে ৷ অপর বর্ণনায় এসেছে,
জান্নাতরাসীগণ জান্নাতে ও জাহান্নামবাসীরা জাহান্নামে প্রবেশ করা পর্যন্ত যা ঘটবে ৷

খাব্বাব ইবন আরতের হাদীস পুর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন,
আল্লাহ্র কসম, তিনি তার অনুগ্রহে তােমাদেরকে এ জিনিস দান করবেনই, বিন্দু তোমরা
তড়িঘড়ি করছে৷ ৷ এ সম্পর্কে আদী ইবন হাতিমের হাদীসও উল্লেখ করা হয়েছে ৷


جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ وَإِمَامَهُمْ ". قُلْتُ: فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلَا إِمَامٌ. قَالَ: " فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الْفِرَقَ كُلَّهَا وَلَوْ أَنَّ تَعَضَّ بِأَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى يُدْرِكَكَ الْمَوْتُ وَأَنْتَ عَلَى ذَلِكَ» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: تَعَلَّمَ أَصْحَابِي الْخَيْرَ وَتَعَلَّمْتُ الشَّرَّ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: «لَقَدْ حَدَّثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا يَكُونُ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، غَيْرَ أَنِّي لَمْ أَسْأَلْهُ: مَا يُخْرِجُ أَهْلَ الْمَدِينَةِ مِنْهَا؟» . وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ عِلْبَاءَ بْنِ أَحْمَرَ، عَنْ أَبِي يَزِيدَ عَمْرِو بْنِ أَخْطَبَ قَالَ: «أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا كَانَ وَبِمَا هُوَ كَائِنٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، فَأَعْلَمُنَا أَحَفَظُنَا» . وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ حَتَّى دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ، وَأَهْلُ النَّارِ النَّارَ وَقَدْ تَقَدَّمَ حَدِيثُ خَبَّابِ بْنِ الْأَرَتِّ: " وَاللَّهِ لَيُتِمَّنَّ اللَّهُ هَذَا الْأَمْرَ، وَلَكِنَّكُمْ تَسْتَعْجِلُونَ ".
পৃষ্ঠা - ৪৯৬৮
وَكَذَا حَدِيثُ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ فِي ذَلِكَ، وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ} [التوبة: 33] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ} [النور: 55] الْآيَةَ [النُّورِ: 55] . وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ الدُّنْيَا حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ، وَإِنَّ اللَّهَ مُسْتَخْلِفُكُمْ فِيهَا فَنَاظِرٌ كَيْفَ تَعْمَلُونَ، فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ; فَإِنَّ أَوَّلَ فِتْنَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانَتْ فِي النِّسَاءِ ".» وَفِي حَدِيثٍ آخَرَ: «مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً هِيَ أَضَرُّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ» وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الْمِسْوَرِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، فَذَكَرَ قِصَّةَ بَعْثِ أَبِي عُبَيْدَةَ إِلَى الْبَحْرَيْنِ، وَفِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «: " أَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ، فَوَاللَّهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ، وَلَكِنِّي أَخْشَى أَنْ تَنْبَسِطَ عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا، فَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ» فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ،
পৃষ্ঠা - ৪৯৬৯


আল্লাহর বাণী : ৰ্া’£ গ্লু,ট্রু ৷ ৷ এেহু ’০,া১ এ “যাতে করে রাসুল এ সত্য দীনকে অন্যান্য
সকল বাতিল দীনের উপর জয়ী করতে পারে” (তাওবাং : ৩৩) ৷

আল্লাহর বাণী৪
“তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার ও সৎকর্মশীল তাদেরকে আল্লাহ ও আদা দিয়েছেন যে, তিনি
তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীর প্রতিনিধিত্ব দান করবেন” (২৪ং : ৫৫) ৷

মুসলিম শরীফে আবু সাঈদ থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : দুনিয়া মােহনীয়
আকষস্বীয় স্থান ৷ আল্লাহ তোমাদেরকে সেখানে কর্তৃতু দান করছেন, তিনি দেখছেন তোমরা
কেমন আচরণ কর ৷ সুতরাং দুনিয়াকে ভয় কর ও নারীদের থেকে সতর্ক হও ৷ কারণ, বনী
ইসরাঈলদের প্রথম ফিত্না ছিল নারী ৷ অন্য এক হাদীসে আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
আমার পরে পুরুষের উপর নারীদের চাইতে অধিক ক্ষতিকর ফিত্না আর কিছু নেই ৷

বুখারী ও মুসলিমে যুহ্রীর সুত্রে আমর ইবন আওফ থেকে বর্ণিত ৷ উক্ত হাদীসে আছে,
আবু উবায়দাকে বাহ্রায়ন প্রেরণকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর,
তোমাদের কাৎখিত জিনিসের আশা পোষণ কর ৷ আল্পাহ্র কসম , তোমাদের উপর দারিদ্যের
ভয় আর আমি করি না ৷ বরং ভয় এ ব্যাপারে করি যে, পার্থিব ধন সম্পদ এতো অধিক
পরিমাণ তোমাদের হাত আসবে, যেভাবে এসেছিল তোমাদের অড়াগেকার লোকদের কাছে;
আর তোমরা তা অর্জনের জন্য এমনভাবে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে, যেমন হয়েছিল তারা,
শেষে এ জিনিসই ণ্তামাদের ধ্বংস করে দিবে, যেমন করেছিল ওদেরকে ৷

বুখারী ও মুসলিমে সুফিয়ান ছাওরী সুত্রে জাবির (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের পশমী চাদর আছে কি? আমি বললাম
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! পশমী চাদর আমরা কোথায় পাব? তিনি বললেন, অবিলন্বেই তোমাদের
পশমী চাদরের ব্যবস্থা হবে ৷ জাবির বলেন, পরে আমি আমার ন্তীকে বলেছিলাম-আমার ঘর
থেকে তোমার পশমী সরিয়ে নাও ৷ শ্রী বলেছিল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি বলেন নি যে, অবিলন্বেই
পশমী চাদরের ব্যবস্থা তোমাদের হয়ে যাবে ৷ অতঃপর পশমী চাদরটি সরিয়ে দেয়া হল ৷

বুখারী ও মুসলিমে এবং মুসনাদ, সুনান প্রভৃতি হাদীস গ্রন্থ সমুহে হিশাম ইবন উরওয়া
সুত্রে সুফিয়ান ইবন যুহায়র থেকে বজ্জি আছে : রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ইয়ামন বিজিত
হবে এবং একদল লোক তাদের পরিবারবর্গ ও অনুসারীদের নিয়ে আসবে ৷ মদীনা তাদের জন্যে
উত্তম স্থান, যদি তারা জানতে ৷ ৷ হিশাম ইবন উরওয়া থেকে এ হাদীসটি বহু লোক থেকে
বজ্জি আছে ৷ হাফিয ইবন আসাকির একে মালিক, সুফিয়ান ইবন উয়ায়না, ইবন জুরায়জ,
আবু মুআবিয়া, মালিক ইবন সাদ ইবন হাসান, আবু দামরা আনাস ইবন ইয়ায, আব্দুল
আমীর ইবন আবু হাযিম, সালড়ামা ইবন দীনার ও জারীর ইবন আব্দুল হামীদ সুত্রে বর্ণনা
করেছেন ৷ আহমদ ইউনুস সুত্রে হিশাম ইবন উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ আবদুর রাজ্জাক
ও মালিক সুত্রে হিশাম থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ সুলায়মান ইবন দাউদ সুত্রে সুফিয়ান (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি এক
ঘটনা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বলেছেন : শীঘ্রই সিরিয়া বিজিত হবে ৷
এই মদীনা শহর থেকে সেখানে লোক গমন করবে ৷ সেখানকার ঘরবাড়ি ও বিলাসী জীবনযাত্রা


عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «: " هَلْ لَكَمَ مِنْ أَنْمَاطٍ؟ " قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَأَنَّى يَكُونُ لَنَا أَنْمَاطٌ؟ فَقَالَ: " أَمَّا إِنَّهَا سَتَكُونُ لَكُمْ أَنْمَاطٌ ". قَالَ: فَأَنَا أَقُولُ لِامْرَأَتِي نَحِّي عَنِّي أَنْمَاطَكِ. فَتَقُولُ: أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ: " أَنَّهَا سَتَكُونُ لَكُمْ أَنْمَاطٌ "؟ فَأَتْرُكُهَا» وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَ " الْمَسَانِيدِ " وَ " السُّنَنِ " وَغَيْرِهَا مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تُفْتَحُ الْيَمَنُ، فَيَأْتِي قَوْمٌ يَبِسُّونَ، فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ، وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ، وَتُفْتَحُ الشَّامُ فَيَأْتِي قَوْمٌ يَبِسُّونَ، فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ، وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ، وَتُفْتَحُ الْعِرَاقُ فَيَأْتِي قَوْمٌ يَبِسُّونَ، فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ، وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ ".» كَذَلِكَ رَوَاهُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ جَمَاعَةٌ كَثِيرُونَ، وَقَدْ أَسْنَدَهُ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَابْنِ جُرَيْجٍ، وَأَبِي مُعَاوِيَةَ، وَمَالِكِ بْنِ سُعَيْرِ بْنِ الْخِمْسِ، وَأَبِي ضَمْرَةَ أَنَسِ بْنِ عِيَاضٍ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، وَسَلَمَةَ بْنِ دِينَارٍ، وَجَرِيرِ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ وَعَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৭০
جُرَيْجٍ، عَنْ هِشَامٍ. وَمِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامٍ بِهِ بِنَحْوِهِ. ثُمَّ رَوَى أَحْمَدُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الْهَاشِمِيِّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ خُصَيْفَةَ أَنَّ بُسْرَ بْنِ سَعِيدٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ فِي مَجْلِسِ اللَّيْثِيِّينَ يَذْكُرُونَ أَنَّ سُفْيَانَ أَخْبَرَهُمْ، فَذَكَرَ قِصَّةً، وَفِيهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: «وَيُوشِكُ الشَّامُ أَنَّ يَفْتَتِحَ فَيَأْتِيَهُ رِجَالٌ مِنْ هَذَا الْبَلَدِ - يَعْنِي الْمَدِينَةَ - فَيُعْجِبُهُمْ رِيفُهُ وَرَخَاؤُهُ، وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ، ثُمَّ يُفْتَحُ الْعِرَاقُ فَيَأْتِي قَوْمٌ يَبِسُّونَ فَيَتَحَمَّلُونَ بِأَهْلِيهِمْ وَمَنْ أَطَاعَهُمْ، وَالْمَدِينَةُ خَيْرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ» وَأَخْرَجَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ. وَرَوَاهُ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ، وَكَذَا حَدِيثُ ابْنِ حَوَالَةَ. وَيَشْهَدُ لِذَلِكَ: مَنَعَتِ الشَّامُ مُدْيَهَا وَدِينَارَهَا، وَمَنَعَتِ الْعِرَاقُ دِرْهَمَهَا وَقَفِيزَهَا، وَمَنَعَتِ مِصْرُ إِرْدَبَّهَا وَدِينَارَهَا، وَعُدْتُمْ مِنْ حَيْثُ بَدَأْتُمْ " وَهُوَ فِي
পৃষ্ঠা - ৪৯৭১

দেখে এরা মোহিত হয়ে যাবে ৷ কিন্তু মদীনাই তাদের জন্যে কল্যাণকর স্থান, যদি তারা তা
উপলব্ধি করতে পারতে৷ ৷ এরপর ইরাক বিজিত হবে ৷ একদল লোক সেখান থেকে তাদের
পরিবারবর্গ ও অনুসারীদের নিয়ে আসবে ৷ মদীনা তাদের জন্যে কল্যাণকর জায়গা, যদি তারা
তা বুঝতাে৷ এ হাদীসকে ইবন খুযায়মা ইসমাঈলের সুত্রে ইবন আসাকির আবু ঘর থেকে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন হাওয়ালা ও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন এবং তার এ বর্ণনা উপরের
বক্তব্যের যথার্থতা প্রমাণ করে ৷ এতে বলা হয়েছে : রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, সিরিয়ার মুদ ও
দীনার, ইরাকের দিরহাম ও কাফীয এবং মিসরের উরদুব ও দীনার১ নিষিদ্ধ ঘোষিত হবে ৷ আর
যেখান থেকে তোমাদের বিকাশ ঘটেছে সেখানেই তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে ৷ সহীহ্ সুত্রে এ
হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷

বুখারী ও মুসলিমে সিরিয়া ও ইয়ামনের মীকাতের২ উল্পেন্৷ আছে, র্মুসলিম শরীফে
ইরাকের মীকাতের কথা বলা হয়েছে ৷ অন্য হাদীসে এ কথারই সমর্থন করে; নবী করীম (সা)
বলেছেন, কিসরারংপতনের পর আর কোন কিসৃরা আসবে না ৷ এবং কায়সার খতমহবার পর
আর কোন কায়সার আসবে না ৷ যে সত্তার হাতে আমার জীবন তার কসম, তোমরা ঐ উভয়
দেশের সঞ্চিত ধন-রত্ম আল্লাহ্র পথে বিলিয়ে দিবে ৷

’ সহীহ বুখারীতে আবুইদরীস আল খাওর্লানী সুত্রে আওফ ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুক যুদ্ধের সময় বলেছিলেন৪ কিয়ামতের পুর্বে সং ঘটিতব্য
ছয়টি বিষয় গুণে রেখ-আমার মৃত্যু, বায়তৃল মুকাদ্দাস বিজয়, মহামারী, ধন-ঐশ্বর্যের প্রাচুর্য,
ফিত্ন৷ এবং মুসলমান ও রোমানদের মধ্যে যুদ্ধ ৷ হাদীসের পুর্ণ বর্ণনা সামনে আসছে; ৷

মুসলিম শরীফে আব্দুর রহমান সুত্রে আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, শীঘ্রই তোমরা এমন এবন্টা দেশ জয় করবে, যে দেশে কিরাত৩এর প্রচলন আছে ৷
তখন তোমরা সেখানকার অধিবাসীদের সাথে উত্তম আচরণ করবে ৷ কারণ, তাদের রয়েছে হক
এবং আত্মীয়তার বন্ধন ৷ যখন তুমি একটি কোন ইট পরিমাণ স্থান নিয়ে দুজন লোককে
পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত দেখবে তখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে ৷ সুতরাং আবুযার একটি ইট
পরিমাণ স্থান নিয়ে রাবী আ ও আব্দুর রহমান ইবন শুরাহ্বীলকে বাদানুবাদে লিপ্ত দেখে সেখান
থেকে চলে আসেন ৷ সে দেশটি হলো মিসর, যা বিশ হিজরী সনে আমর ইবন আস (রা) জয়
করেন ৷

ইবন ওহব মালিক সুত্রে ইবন কা ব ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, তোমরা যখন মিসর জয় করবে তখন কিবতীদেব সাথে উত্তম আচরণ করবে ৷
কারণ, তাদের রয়েছে হক এবং আত্মীয়তার বন্ধন ৷ বায়হাকী এ হাদীস ইসহাক সুত্রে কাব
ইবন “মালিক থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ আহমদ ইবন হাম্বল সুফিয়ান ইবন উয়ায়না থেকে কালি
করেছেন যে, তাকে হক ও আত্মীয়ত৷ বলতে কী বুঝায় এ সম্পর্কে র্তাকে জিজ্ঞেস করা হলে ’
উত্তরে তিনি বলেন, কেউ বলেছেন ইসমাঈল (আ)-এর মা হাজিরা কিবৃতী ছিলেন, আর কেউ
কেউ বলেছেন ইব্রাহীম (আ)-এব মা ছিলেন কিবতী ৷ আমার মতে, উভয়েই কিবৃতী ছিলেন

১ মুদ, কাফিয ও উরদুব সংগ্রি শ্লিষ্ট দেশের নির্দিষ্ট পরিমাপের নাম ৷
২ যে স্থান থেকে কোন দেশের লোক হরুজ্জ্বর ইহরাম বাধে সেই স্থানকে ঐ দেশের মীকাত বলা হয় ৷
৩ কীরাত মিসরের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ


" الصَّحِيحِ " وَكَذَا حَدِيثُ الْمَوَاقِيتِ لِأَهْلِ الشَّامِ وَالْيَمَنِ، وَهُوَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، وَعِنْدَ مُسْلِمٍ مِيقَاتُ أَهْلِ الْعِرَاقِ وَيَشْهَدُ لِذَلِكَ أَيْضًا حَدِيثُ: «إِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ» وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ: " اعْدُدْ سِتًّا بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ " فَذَكَرُ مَوْتَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، ثُمَّ فَتْحَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، ثُمَّ مُوتَانًا - وَهُوَ الْوَبَاءُ - ثُمَّ كَثْرَةَ الْمَالِ، ثُمَّ فِتْنَةً، ثُمَّ هُدْنَةً بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَالرُّومِ» . وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ فِيمَا بَعْدُ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شُمَاسَةَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «: " إِنَّكُمْ سَتَفْتَحُونَ أَرْضًا يُذْكَرُ فِيهَا الْقِيرَاطُ فَاسْتَوْصُوا بِأَهْلِهَا خَيْرًا ; فَإِنَّ لَهُمْ ذِمَّةً وَرَحِمًا، فَإِذَا رَأَيْتُ رَجُلَيْنِ يَخْتَصِمَانِ فِي مَوْضِعِ لَبِنَةٍ فَاخْرُجْ مِنْهَا» قَالَ: فَمَرَّ بِرَبِيعَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنَيْ شُرَحْبِيلَ بْنِ حَسَنَةَ يَخْتَصِمَانِ فِي مَوْضِعِ لَبِنَةٍ، فَخَرَجَ مِنْهَا. يَعْنِي دِيَارَ مِصْرَ عَلَى يَدَيْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فِي سَنَةِ عِشْرِينَ، كَمَا سَيَأْتِي. وَقَدْ رَوَى ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكٍ وَاللَّيْثِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ ابْنٍ لِكَعْبِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৭২
بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا افْتَتَحْتُمْ مِصْرَ فَاسْتَوْصُوا بِالْقِبْطِ خَيْرًا; فَإِنَّ لَهُمْ ذِمَّةً وَرَحِمًا» رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْحَقَ بْنِ رَاشِدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ. وَحَكَى أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ قَوْلِهِ " ذِمَّةً وَرَحِمًا ". فَقَالَ: مِنَ النَّاسِ مَنْ قَالَ: إِنَّ أُمَّ إِسْمَاعِيلَ هَاجَرَ كَانَتْ قِبْطِيَّةً. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ قَالَ: أُمُّ إِبْرَاهِيمَ. قُلْتُ: الصَّحِيحُ الَّذِي لَا شَكَّ فِيهِ أَنَّهُمَا قِبْطِيَّتَانِ، كَمَا قَدَّمْنَا ذِكْرَ ذَلِكَ وَمَعْنَى قَوْلِهِ: " ذِمَّةً ". يَعْنِي بِذَلِكَ هَدِيَّةَ الْمُقَوْقِسِ إِلَيْهِ وَقَبُولَهُ ذَلِكَ مِنْهُ، وَذَلِكَ نَوْعٌ ذِمَامٍ وَمُهَادَنَةٍ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. وَتَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ مَحَلِّ بْنِ خَلِيفَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ فِي فَتْحِ كُنُوزِ كِسْرَى وَانْتِشَارِ الْأَمْنِ وَفَيَضَانِ الْمَالِ حَتَّى لَا يَتَقَبَّلَهُ أَحَدٌ، وَفِي الْحَدِيثِ أَنَّ عَدِيًّا شَهِدَ الْفَتْحَ، وَرَأَى الظَّعِينَةَ تَرْتَحِلُ مِنَ الْحِيرَةِ إِلَى مَكَّةَ لَا تَخَافُ إِلَّا اللَّهَ، قَالَ: وَلَئِنْ طَالَتْ بِكُمْ حَيَاةٌ لَتَرَوُنَّ مَا قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ كَثْرَةِ الْمَالِ حَتَّى لَا يَقْبَلَهُ أَحَدٌ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ كَانَ ذَلِكَ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. قُلْتُ: وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مُتَأَخِّرًا إِلَى زَمَنِ الْمَهْدِيِّ، كَمَا جَاءَ فِي صِفَتِهِ، أَوْ إِلَى زَمَنِ نُزُولِ عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بَعْدَ قَتْلِهِ الدَّجَّالَ، فَإِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৪৯৭৩

এবং এটাই সঠিক ৷ বিস্তারিত আলোচনা ইতিপুর্বে করা হয়েছে ৷ আর হক এর অর্থ নবী
(না)-এর নিকট মুকাওকিসের উপচৌকন প্রেরণ ও তা গ্রহণ করা ৷ এটা এক প্রকার চুক্তি ও
অধিকার ৷

আদী ইবন হাতিম থেকে বুখারীর বর্ণনা পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, কিসরার ধনভাত্তার
হস্তগত হবে, নিরাপত্তা বিরাজ করবে, সম্পদ এতো অধিক হবে যে, দান গ্রহণের লোক খুজে
পাওয়া যাবে না ৷ এ হাদীসে এসেছে যে, আদী ইবন হাতিম পারস্য বিজয়ে শরীক ছিলেন এবং
হীরা থেকে জনৈকা মহিলাকে উটে আরোহণ করে একাকী নির্বিঘ্নে মক্কায় আসতে দেখেছেন ৷
আল্লাহ ব্যতীত তার আর কারও ভয় ছিল না ৷ আদী লোকদেরকে বলেছেন, তোমরা যদি
দীর্ঘব্জীবী হও তবে আবুল কাসিম (না)-এর ভবিষ্যদ্বাণী ও দেখতে পারে যে, রন সম্পদ এতো
প্রচুর হয়েছে যে দান গ্রহণ করার লোক পাওয়া যাচ্ছে না ৷ বায়হাকী বলেছেন, উমর ইবন
আব্দুল আযীয়ের সময় এরুপ অবস্থইি হয়েছিল ৷ আমার মতে, এ ভবিষ্যদ্বাণী (ইমাম) মাহ্দীর
সময়কালেও বাস্তবায়িত হতে পারে ৷ তার বৈশিষ্ট্য থেকে এ কথা জানা যায় ৷ অথবা ঈসা ইবন
মবিয়াম (আ) এর সময় দাজ্জালকে হত্যা করার পর এ অবস্থা হবে ৷ কেননা, সহীহ্ হাদীসে
বর্ণিত ৩হয়েছে যে, তিনি শুকর হত্যা করবেন, ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন, সম্পদের এতো অধিক্য
হবে যে দান গ্রহণ করার মত কেউ থাকবে না ৷

সহীহ্ মুসন্সিমে ইবন আবু যি ব সুত্রে জাবির ইবন সামুরা (বা) থেকে বর্ণিত ৩৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন৪ এ দীন সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে বারজন খলীফার শাসনকাল পর্যন্ত তারা
সবাই হবে কুরায়শ গোত্রের ৷ এরপর কিয়ামতের পুর্বে মিথ্যা দাবীদারদের আবির্ভাব ঘটবে ৷
মুসলমানদের একটি দল শ্বেত প্রাসাদের অর্থাৎ কিসরার প্রাসাদের ধনভাণ্ডার হস্তগত করবে ৷
আমি তোমাদের আবগই হাওযে কাওছারে উপস্থিত হবো ৷ আব্দুর রাজ্জাক সুত্রে আবু হ্বায়রা
(রা) থেকে বর্ণিত হাদীস পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, কায়সারের
পতনের পর আর কোন কায়সার হবে না এবং কিসরার পতনের পর আর কোন কিসৃরা আসবে
না ৷ যার হাতে আমার জীবন তার কসম, তোমরা অবশ্যই ঐ উভয় দেশের ধন-রত্ম আল্লাহর
পথে ব্যয় করবে (বুখারী ও মুসলিম) ৷ বায়হাকী বলেছেন, কায়সারের পতনের দ্বারা সিরিয়া
থেকে রোমের আধিপত্য খতম হওয়ার কথা বুঝান হয়েছে ৷ মুল রোমের পতনের কথা নয় ৷
কারণ, রাসুল (সা) এর প্রেরিত পত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছিলেন, রোম সম্রটি তার রাজ্য বহাল রাখল ৷ পক্ষান্তরে পারস্য সাম্রাজ্য সম্পুর্ণরুপে বিধ্বস্ত
হয় ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, আল্লাহ্ কিসরার রাজাকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেবেন ৷

আবু দাউদ মুহাম্মদ ইবন উবায়দ সুত্রে হাসান থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত উমর (রা)
এর নিকট কিসরার মুকুট, তলোয়ার, ধর্ম ও কাকনসহ তার মস্তক নীত হয়, তখন তিনি এ
সমুদয় পোশাক সুরাকা ইবন মালিককে পরিয়ে দেন এবং বলেন, ঐ আল্লাহর প্রশংসা কর, যিনি
পারস্য সম্রাটের রাজকীয় পোশাক একজন আরব বেদুইনকে পরিয়েছেন ৷ ইমাম শাফেয়ী (র)
বলেছেন, হযরত উমর (রা) সুরাকাকে এগুলো পরিয়েছেন যে, একবার নবী করীম (সা)
সুৱাকার হাতের দিকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, আমি যেন তোমার উভয় হাতে কিসরার কাকন
দেখতে পাচ্ছি!


قَدْ وَرَدَ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّهُ يَقْتُلُ الْخِنْزِيرَ، وَيَكْسِرُ الصَّلِيبَ، وَيَفِيضُ الْمَالُ حَتَّى لَا يَقْبَلَهُ أَحَدٌ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مُهَاجِرِ بْنِ مِسْمَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَزَالُ هَذَا الدِّينُ قَائِمًا مَا كَانَ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ، ثُمَّ يُخْرِجُ كَذَّابُونَ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ، وَلَيَفْتَحَنَّ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ كَنْزَ الْقَصْرِ الْأَبْيَضِ قَصْرَ كِسْرَى، وَأَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ» الْحَدِيثُ بِمَعْنَاهُ. وَتَقَدَّمَ حَدِيثُ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَر ٍ، عَنْ هَمَّامٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا: «إِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ» أَخْرَجَاهُ وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: الْمُرَادُ زَوَالُ مُلْكِ قَيْصَرَ عَنِ الشَّامِ، وَلَا يَبْقَى كَبَقَاءِ مُلْكِهِ عَلَى الرُّومِ; لِقَوْلِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا عَظَّمَ كِتَابُهُ: " ثُبِّتَ مُلْكُهُ ". وَأَمَّا مُلْكُ فَارِسَ فَبَادٍ بِالْكُلِّيَّةِ لِقَوْلِهِ لَهُ: " مَزَّقَ اللَّهُ مُلْكَهُ ". وَقَدْ رَوَى أَبُو دَاوُدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ - وَرَوَيْنَا فِي طَرِيقٍ أُخْرَى، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - لَمَّا جِيءَ بِفَرْوَةِ كِسْرَى وَسَيْفِهِ وَمِنْطَقَتِهِ وَتَاجِهِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৭৪

সুফিয়ড়ান ইবন উয়ায়না ইসমাঈল সুত্রে আদী ইবন হাতিম (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) একদা বলেন, হীরা রাজাকে কুকুরের দাত সদৃশ করে আমাকে দেখান হয়েছে ৷
শীঘ্রই তোমরা এ রাজ্য জয় করবে ৷ এক লোক দাড়িয়ে বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! ঐ রাজ্যের
রাজার কন্যা নুফায়লাকে আমাকে দান করুন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হী তাকে তোমার
জন্যে মঞ্জুর করা হলো ৷ (পরবর্তী সময়ে হীরা জয় হলে) সকলেই নুফায়লাকে ঐ লোকটির
অধিকারে দিয়ে দেন ৷ পরে নুফায়লার পিতা এসে লোকটিকে জিজ্ঞেস করলো, একে তৃমি
বিক্রি করবে? সে বললো, হী ৷ পিতা বললো, মুল্য কত? যা চাও তইি দেব ৷ লোকটি বললো,
এক হাজার দিরহাম ৷ পিতা বললো, এক হাজার টাকার নিলাম ৷ লোকে বললো, তুমি যদি
ত্রিশ হাজার দিরহামও চাইতে, তবে সে তাই দিয়েই গ্রহণ করত ৷ লোকটি বলল, এক
হাজারের উপরেও কি কােন সংখ্যা আছে নাকি?

ইমাম আহমদ আবদুর রহমান সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন হাওয়ালা আল-ইয্দী থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে পদাতিক সৈন্যরুপে মদীনায় অদুরে প্রেরণ
কারন ৷ উদ্দেশ্য ছিল, যাতে আমরা গনীমত সংগ্রহ করতে পারি ৷ কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়ে ফিরে
আসি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের চেহারায় ক্লাস্তির ছাপ দেখতে পান ৷ তিনি আমাদের মাঝে
দাড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহ্ ! এদের ভরণ-পােষণের দায়িত্ব আমার উপর ছেড়ে দিও না,
আমার সামর্থ নেই, ওদের নিজেদের উপর এ দায়িতু দিও না, কারণ ওরা অক্ষম, অন্য
লোকদেরও উপর নয়, কারণ তারা নিজেদেরকেই প্রাধান্য দেবে ৷ তারপর বললেন, শীঘ্রই
সিরিয়া, রোম ও পারস্য তোমাদের অধিকারে আসবে, অথবা বলেছিলেন, রোম ও পারস্য
তোমাদের অধিকারে আসবে এবং তোমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ উট, গরু ও বকাধীর মালিক হবে,
এমনকি কেউ একশত দীনারের মালিক হয়েও একে কম মনে করবে ৷ তারপর তিনি আমার
মাথার উপর হাত রেখে বললেন, হে ইবন হাওয়ালা; যখন দেখবে, খিলাফত পবিত্র ভুমিতে
(ফিলিসৃতীনে) স্থানান্তরিত হয়েছে তখন বিশৃৎখলা, ভুমিকম্প, বিভীষিকা ও বড় বড় ঘটনা
সংঘটিত হয়ে ৷ তখন কিয়ামত তোমার মাথার কাছে আমার এ হাতের নৈকটোর চাইতেও
অধিকতর নিকটবর্তী হবে ৷ আবু দউিদ এ হাদীস মুআবিয়া ইবন সালিহ সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ হায়াত ইবন শুরায়হ্ সুত্রে ইবন হাওয়ালা থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্
(সা) বলেছেন, অচিরেই তোমাদের সৈন্য সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে ৷ একদল থাকবে
সিরিয়াষ্, একদল ইয়ামনে এবং অপর দল থাকবে ইরাকে ৷ ইবন হাওয়ালা জ্যিজ্ঞস করলেন,
ণ্ইয়া রাসুলুল্লাহ্! ঐ সময় যদি আমি বেচে থাকি তবে কোন দলে থাকা আপনি ভাল মনে
করেন? তিনি বললেন, সিরিয়ার থাকবে; কারণ এটা আল্লাহর তরফ থেকে কল্যাণ প্রাপ্ত দেশ,
এ দেশেই আল্লাহর এক কল্যাণকামী বন্দো আবির্ভুত হবে ৷ যদি তাতে ন্ সক্ষম না হও, তবে
তোমাদের দক্ষিণ দিকে থাকবে এবং বিদ্রোহ থেকে গোপন থাকার চেষ্টা করবে ৷ আল্লাহ
সিরিয়া ও তার অধিবাসীদেরকে নিজ দায়িত্বে নেয়ার কথা আমাকে জানিয়েছেন ৷ আবু দাউদ
হায়াত ইবন শুরায়হ্ সুত্রে এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ ইসাম ইবন খালিদ সুত্রে ও
আবদুল্লাহ ইবন হাওয়ালা থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বায়হাকী আবুল হুসায়ন আল কাত্তান সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন হাওয়ালা থেকে বর্ণনা করেন;
তিনি বলেন, আমরা একবার ৱাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট বস্ত্রভোব ও অনটনের অনুযােগ করি ৷


وَسِوَارَيْهِ، أَلْبَسَ ذَلِكَ كُلَّهُ لِسُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ وَقَالَ: قُلِ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَلْبَسَ ثِيَابَ كِسْرَى لِرَجُلٍ أَعْرَابِيٍّ مِنَ الْبَادِيَةِ. قَالَ الشَّافِعِيُّ: إِنَّمَا أَلْبَسَهُ ذَلِكَ; لِأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِسُرَاقَةَ وَنَظَرَ إِلَى ذِرَاعَيْهِ: " كَأَنِّي بِكَ قَدْ لَبِسْتَ سِوَارَيْ كِسْرَى ". وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مُثِّلَتْ لِيَ الْحِيرَةُ كَأَنْيَابِ الْكِلَابِ، وَإِنَّكُمْ سَتَفْتَحُونَهَا ". فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَبْ لِيَ ابْنَةَ بُقَيْلَةَ. قَالَ " هِيَ لَكَ ". فَأَعْطَوْهُ إِيَّاهَا. فَجَاءَ أَبُوهَا فَقَالَ: أَتَبِيعَهَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَبِكَمْ؟ احْكُمْ مَا شِئْتَ. قَالَ أَلْفُ دِرْهَمٍ. قَالَ: قَدْ أَخَذْتُهَا. فَقَالُوا لَهُ: لَوْ قُلْتَ ثَلَاثِينَ أَلْفًا لَأَخَذَهَا. فَقَالَ: وَهَلْ عَدَدٌ أَكْثَرُ مِنْ أَلْفٍ؟» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ثَنَا مُعَاوِيَةُ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، أَنَّ ابْنَ زُغْبٍ الْإِيَادِيَّ حَدَّثَهُ قَالَ: «نَزَلَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ الْأَزْدِيِّ فَقَالَ لِي: بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَوْلَ الْمَدِينَةِ عَلَى أَقْدَامِنَا لِنَغْنَمَ، فَرَجَعَنَا وَلَمْ نَغْنَمْ شَيْئًا، وَعَرَفَ الْجَهْدَ فِي وُجُوهِنَا، فَقَامَ فِينَا فَقَالَ: " اللَّهُمَّ لَا تَكِلْهُمْ إِلَيَّ فَأَضْعُفَ، وَلَا تَكِلْهُمْ إِلَى أَنْفُسِهِمْ فَيَعْجِزُوا عَنْهَا، وَلَا تَكِلْهُمْ إِلَى النَّاسِ فَيَسْتَأْثِرُوا عَلَيْهِمْ ". ثُمَّ قَالَ: " لَتُفْتَحَنَّ لَكُمُ الشَّامُ وَالرُّومُ وَفَارِسُ - أَوِ: الرُّومُ وَفَارِسُ - وَحَتَّى يَكُونَ لِأَحَدِكُمْ مِنَ الْإِبِلِ كَذَا وَكَذَا، وَمِنَ الْبَقَرِ كَذَا وَكَذَا، وَمِنَ الْغَنَمِ كَذَا
পৃষ্ঠা - ৪৯৭৫
وَكَذَا، وَحَتَّى يُعْطَى أَحَدُكُمْ مِائَةَ دِينَارٍ فَيَسْخَطَهَا ". ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِي أَوْ عَلَى هَامَتِي فَقَالَ: " يَا ابْنَ حَوَالَةَ، إِذَا رَأَيْتَ الْخِلَافَةَ قَدْ نَزَلَتِ الْأَرْضَ الْمُقَدَّسَةَ فَقَدْ دَنَتِ الزَّلَازِلُ وَالْبَلَابِلُ وَالْأُمُورُ الْعِظَامُ وَالسَّاعَةُ يَوْمَئِذٍ أَقْرَبُ إِلَى النَّاسِ مِنْ يَدِي هَذِهِ مِنْ رَأْسِكَ» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ. وَقَالَ أَحْمَدُ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ وَيَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، قَالَا: ثَنَا بَقِيَّةُ حَدَّثَنِي بُجَيْرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ أَبِي قُتَيْلَةَ، عَنِ ابْنِ حَوَالَةَ، أَنَّهُ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سَيَصِيرُ الْأَمْرُ إِلَى أَنْ تَكُونَ جُنُودٌ مُجَنَّدَةٌ; جُنْدٌ بِالشَّامِ، وَجُنْدٌ بِالْيَمَنِ، وَجُنْدٌ بِالْعِرَاقِ ". فَقَالَ ابْنُ حَوَالَةَ: خِرْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَدْرَكْتُ ذَلِكَ. فَقَالَ " عَلَيْكَ بِالشَّامِ; فَإِنَّهُ خِيرَةُ اللَّهِ مَنْ أَرْضِهِ يَجْتَبِي إِلَيْهِ خِيرَتَهُ مِنْ عِبَادِهِ، فَإِنْ أَبَيْتُمْ فَعَلَيْكُمْ بِيَمَنِكُمْ وَاسْقُوا مِنْ غُدُرِهِ; فَإِنَّ اللَّهَ تَكَفَّلَ لِي بِالشَّامِ وَأَهْلِهِ» وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ عِصَامِ بْنِ خَالِدٍ وَعَلِيِّ بْنِ عَيَّاشٍ، كِلَاهُمَا عَنْ حَرِيزِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৭৬

তিনি বললেন, সৃসংবাদ গ্রহণ কর ৷ আল্লাহর কলম, দাবিদ্রের চাইতে সম্পদের প্রাচুর্যের
আশংকাই তোমাদের সম্পর্কে অধিক করি ৷ আল্লাহ্র কলম, এ অগযাত্রা তোমাদের অব্যাহত
থাকবে, সিরিয়া তোমাদের পদানত হবে ৷ অথবা তিনি বলেছেন, পারস্য, রোম ও হিম্য়ারদের
অঞ্চল তোমাদের অধিকারে আসবে ৷ তোমাদের সৈন্য বাহিনী তিন ভাগে বিভক্ত হবে; একদল
সিরিয়ার, একদল ইরাকে ও অপর দল ইয়ামনে থাকবে ৷ একজনকে একশত করে প্রদান করা
হলেও তাতে সে মনক্ষুপ্ন থাকবে ৷ ইবন হাওয়ালা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! সিরিয়া
দখল করার ক্ষমতা কার আছে? রোমান পরাশক্তি সেখানে ঘুগযুগ ধরে শাসন করছে ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আল্লাহ্র কলম, আল্পাহ্ই একে তোমাদের পদানত করে দেবেন এবং
সেখানকার শাসন ক্ষমতা তােমাদেরকে দান করবেন ৷ তাদের শিরত্রাণ ভু-লুষ্ঠিত হয়ে তাদের
বর্মের সাথে একাকার হয়ে যাবে ৷ তাদের জোব্বাসমুহ বাহনের পিঠে পড়ে থাকবে ৷ তোমাদের
একজন খন্ডিত মস্তক কৃষ্ণকায় ব্যক্তি ওদেরকে যা করার নির্দেশ দেবে তারা তাই করবে ৷ আবু
আলকামা বলেন, আমি আব্দুর রহমান ইবন মাহ্দীকে বলতে শুনেছি, রাসুলের সাহাবীগণ এ
হাদীসের বাস্তবতা জুয্ ইবন সুহায়ল অসে সুলামীর মধ্যে প্রত্যক্ষ করেছেন ৷ জুয্ ঐ সময়
অনারব বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ৷ সইিব্ধবীগণ যখন মসজিদে ফিরে এলেন তখন দেখতে
পেলেন যে, জুয্ এর চারপাশে লোকজন দাড়িয়ে আছে ৷ তার ও ওদের মধ্যে রাসুলুল্পাহ্
(সা) এর বাণীর বাস্তবায়ন দেখে তারা বিস্মিত হলেন ৷

আহমদ হাজ্জাজ সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন হাওয়ালা থেকে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, যে ব্যক্তি তিন মুসীবত থেকে মুক্তি পারে সেই প্রকৃত প্রাপ্ত ৷ সাহাবীগণ জিজ্ঞেস
করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! সে তিন মুসীবত কি? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ১ আমার মৃত্যু; ২
ন্যায়সঙ্গত ধৈর্যশীল খলিফার হত্যা ও ৩ দাজ্জাল ৷

ইমাম আহমদ ইসমাঈল ইবন ইব্রাহীম সুত্রে “আবদুল্লাহ ইবন হাওয়ালা থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আমি একদা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত হই ৷ সে সময় তিনি
একটি বৃক্ষের ছায়াতলে বসা ছিলেন ৷ তার পাশে একজন লিপিকার ছিলেন, রাসুলুল্মহ্
(না)-এর কথা তিনি লিখছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে ইবন হাওয়ালা ! আমি কি
তোমাকে লিখিয়ে দেব না? আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ! কী লিখিয়ে দেবেন?
তিনি আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে লেখকের প্রতি মনোযোগ দেন ৷ তারপর আবার বললেন, হে
ইবন হাওয়ালা ! আমি কি তোমাকে লিখিয়ে দেব না? আমি বললাম, জানি না আল্লাহ ও তার
রাসুল আমার জন্যে কি মনোনীত করেছেন ৷ এরপর তিনি আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন ও
লেখকের প্রতি মনোনিবেশ করেন ৷ কিছুক্ষণ পর আবার বললেন, হে ইবন হাওয়ালা! আমি কি
তোমাকে একটা বিষয় লিখিয়ে দেব না? আমি বললাম, জানি না আল্পাহ্ ও তার রাসুল আমার
জন্যে কী ভাল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন ৷ তারপর তিনি তীর লেখকের প্রতি মানাব্ধযাগ দেন ও
আমার থেকে অন্যমনষ্ক হন ৷ এ সময় আমি লক্ষ্য করে দেখি, লেখার কাজে উমর নিযুক্ত
রয়েছেন ৷ ভাবলাম, উমর নিশ্চয় ভাল কথা ছাড়া অন্য কিছুই লিখবেন না ৷ পুনরায় রাসুল (সা)
বললেন, হে ইবন হাওয়ালা ! আমি কি তোমাকে লিখিয়ে দেব? বললাম, জী হী ৷ অতঃপর তিনি
বললেন, হে ইবন হাওয়ালা ৷ সেই দুর্যোগময় মুহুর্তে ভুমি কী করবে, যখন দেশের প্রত্যন্ত
অঞ্চল থেকে লোক দুর্গের ন্যায় ব্যুহ রচনা করে আসতে থাকবে ৷ আমি বললব্ধম, জানিনা


بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ شُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَرَوَاهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ الدِّمَشْقِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ مَكْحُولٍ وَرَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ بِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْفَضْلِ الْقَطَّانُ، أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو عَلْقَمَةَ نَصْرُ بْنُ عَلْقَمَةَ، يَرُدُّ الْحَدِيثَ إِلَى جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ قَالَ: «قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَوَالَةَ: كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ الْعُرْيَ وَالْفَقْرَ وَقِلَّةَ الشَّيْءِ، فَقَالَ: " أَبْشِرُوا، فَوَاللَّهِ لَأَنَا بِكَثْرَةِ الشَّيْءِ أَخْوَفُنِي عَلَيْكُمْ مِنْ قِلَّتِهِ، وَاللَّهِ لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ فِيكُمْ حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ أَرْضَ الشَّامِ - أَوْ قَالَ: أَرْضَ فَارِسَ - وَأَرْضَ الرُّومِ وَأَرْضَ حِمْيَرَ، وَحَتَّى تَكُونُوا أَجْنَادًا ثَلَاثَةً; جُنْدًا بِالشَّامِ، وَجُنْدًا بِالْعِرَاقِ، وَجُنْدًا بِالْيَمَنِ، وَحَتَّى يُعْطَى الرِّجْلُ الْمِائَةَ فَيَسْخَطَهَا ". قَالَ ابْنُ حَوَالَةَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَنْ يَسْتَطِيعُ الشَّامَ وَبِهِ الرُّومُ ذَوَاتُ الْقُرُونِ؟! قَالَ: " وَاللَّهِ لَيَفْتَحَنَّهَا اللَّهُ عَلَيْكُمْ، وَلَيَسْتَخْلِفَنَّكُمْ فِيهَا، حَتَّى تَظَلَّ الْعِصَابَةُ الْبَيْضُ مِنْهُمْ قُمُصُهُمْ، الْمُلْحِمَةُ أَقْفَاؤُهُمْ قِيَامًا عَلَى الرُّوَيْجِلِ الْأَسْوَدِ مِنْكُمُ الْمَحْلُوقِ، مَا أَمَرَهُمْ مِنْ شَيْءٍ فَعَلُوهُ» وَذَكَرَ الْحَدِيثَ، قَالَ أَبُو عَلْقَمَةَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جُبَيْرٍ
পৃষ্ঠা - ৪৯৭৭
يَقُولُ: فَعَرَفَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعْتَ هَذَا الْحَدِيثِ فِي جَزْءِ بْنِ سُهَيْلٍ السُّلَمِيِّ، وَكَانَ عَلَى الْأَعَاجِمِ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، فَكَانُوا إِذَا رَجَعُوا إِلَى الْمَسْجِدِ نَظَرُوا إِلَيْهِ وَإِلَيْهِمْ قِيَامًا حَوْلَهُ، فَيَتَعَجَّبُونَ لِنَعْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ وَفِيهِمْ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ لَقِيطٍ التُّجِيبِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ الْأَزْدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ نَجَا مِنْ ثَلَاثٍ فَقَدْ نَجَا ". قَالُوا: مَاذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " مَوْتِي، وَمِنْ قَتْلِ خَلِيفَةٍ مُصْطَبِرٍ بِالْحَقِّ يُعْطِيهِ، وَالدَّجَّالِ» وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوَالَةَ قَالَ: أَتَيْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ فِي ظِلِّ دَوْمَةٍ، وَعِنْدَهُ كَاتِبٌ لَهُ يُمْلِي عَلَيْهِ، فَقَالَ: «أَلَّا نَكْتُبُكَ يَا ابْنَ حَوَالَةَ؟ " قُلْتُ: لَا أَدْرِي مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ. فَأَعْرَضُ عَنِّي وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ مَرَّةً فِي الْأُولَى: " نَكْتُبُكَ يَا ابْنَ حَوَالَةَ؟ " قُلْتُ: فِيمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟
পৃষ্ঠা - ৪৯৭৮

আল্লাহ্ ও তার রাসুল আমার জন্যে কী মনোনীত করেছেন ৷ তিনি পুনরায় বললেন, এ দৃর্যোগের
সাথে সাথে খরভ্রুগাংসর দৌড়ের ন্যায় দ্রুত গতিতে আর একটি দুর্যোগ আসবে, সে সময় তুমি
কী করবে? ব্ললাম, জানিনা আল্লাহ্ ও তার রাসুল আমার জন্য কি মনোনীত করেছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এ ণ্লাকটিকে তোমরা খুজে দেখ ৷ ইবন হাওয়ালা বলেন, এ সময়
আমার পশ্চাতে একজন লোক দাড়িয়ে হ্নিব্ ৷ আমি সরে যেয়ে খোজ করলাম এবং শেষে এ
লোকটির কাধে ধরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সম্মুখে উপস্থিত করে জিজ্ঞেস করলাম, এই কি যে
লোক? রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন, ছু৷ ৷ ইবন হাওয়ালা বলেন, যে লোকটি ছিলেন উছমান ইবন
আফ্ফান (রা ) ৷
মুসলিম গ্রন্থে ইয়াহ্য়া ইবন আদম সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, ইরাকের দিরহাম ও কাফীয নিষিদ্ধ ঘোষিত হবে; সিরিয়ার মুদ ও দীনার
নিষিদ্ধ ঘোষিত হবে; মিসরের উরদুর ও দীনার নিষিদ্ধ ঘোষিত হবে ৷ যেখান থেকে তোমাদের
বিকাশ ঘটেছে সেখানে আবার প্রত্যাবর্তন করবে; যেথা থেকে তোমাদের বিকাশ ঘটেছে
সেথায় আবার প্রত্যাবর্তন করবে ৷ আবু হুরায়রার রক্ত-মাংস এ কথায়সত্যতার সাক্ষী ৷ ইয়াহ্য়া
ইবন আদম প্রভৃতি মনীষীগণ বলেছেন, এ হাদীস রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নুবুওয়াতের সভ্যতার
প্রমাণ করে ৷ কারণ উমর (রা) ইরাকে দিরহাম ও কাফীয এবং সিরিয়া ও মিসরে খারাজের যে
প্রবর্তন করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বহু পুর্বেই সে সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ৷
ইরাকে দিরহাম ও কাফীয, সিরিয়ার মুদ ও দীনার এবং মিসরে উরদুব ও দীনার নিষিদ্ধ
হবে-এ কথার তাৎপর্য সম্পর্কে মনীষীদের মধ্যে মতভেদ আছে ৷ কেউ বলেছেন, ঐ দেশের
অধিবাসী মুসলমান হয়ে যাবে, ফলে খারাজ থেকে র্তীরড়া অব্যাহতি পাবে ৷ বায়হার্কী এ মতকে
অগাধিকার দিয়েছেন ৷ কেউ বলেছেন, এর অর্থ, তারা আনুগত্য পরিহার করবে এবং তাদের
উপর ধার্যকৃত খারাজ প্রদান বন্ধ করে দিয়ে ৷ এ কারণেই হাদীসের শেষে বলা হয়েছে, তোমরা
যেখান থেকে বিকাশ লাভ করেছিলে সেখানে ফিরে আসবে ৷ অর্থাৎ পুর্বে যে অবস্থায় ছিলে সে
অবস্থায় প্রত্যাবর্জা করবে ৷ মুসলিম শরীফে বর্ণিত অপর এক হাদীসে আছে, “ইসলামের যাত্রা
আরম্ভ হয়েছে এমন অবস্থা থেকে, কেউ তাকে চিনত না এবং পুনরায় অচিরেই তা অপরিচিত
হয়ে সংকীর্ণ অবস্থায় ফিরে আসবে ৷ আর এ অপরিচিতদের জন্যেই সুসংবাদ ৷ ইসমাঈল সুত্রে
ইমাম আহমদের একটি বর্ণনা এ মতকে সমর্থন করে ৷ আবুনাদরা বলেন, আমরা জাবির ইবন
আবদুল্লাহর নিকট উপস্থিত ছিলাম ৷ তিনি বললেন, শীঘ্রই ইরাকবাসীদের কাছে কাফীয ও
দিরহাম আসবে না ৷ আমরা জিজ্ঞেস করলাম, এটা কিভাবে হবে? তিনি বললেন, আজমের
দিক থেকে (পুর্বে), তারা এগুলো বন্ধ করে দেবে ৷ তারপরে বললেন, সম্ভবত সিরিয়াৰাসীদের
নিকট দীনার ও মুদ আসবে না ৷ জিজ্ঞেস করলাম, এটা তাহলে কােখেকে হবে? বললেন,
রোমের দিক থেকে তারা এগুলো প্রদান করা বন্ধ করে দেবে ৷ তারপর কিছু সময় তিনি নীরব
থেকে বললেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, আমার উষ্মতের শেষভাগে একজন খলীফা আসবেন,
তিনি এই, পরিমাণ ধন-সম্পদ দান করবেন, যা কোন গণনাকারী গুনে শেষ করতে পারবে না ৷
এ কথা শ্রবণ করে জারীরা আবুনাদ্রা ও আবুল আলাকে জিজ্ঞেস করেন, এই ব্যক্তিটিকে কি
আপনারা উমর ইবন আব্দুল আযীয বলে মনে করেন? তারা উভয়ে বললেন, না ৷ মুসলিম এ
হাদীসটি ইসমাঈল সুত্রে জাবির থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছো ৷ তবে বিস্মিত হতে হয় যে,


فَأَعْرَضَ عَنِّي - وَأَكَبَّ عَلَى كَاتِبِهِ يُمْلِي عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " أَلَّا نَكْتُبُكَ يَا ابْنَ حَوَالَةَ؟ " قُلْتُ: لَا أَدْرِي مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ. فَأَعْرَضَ عَنِّي وَأَكَبَّ عَلَى كَاتِبِهِ يُمْلِي عَلَيْهِ. قَالَ: فَنَظَرْتُ فَإِذَا فِي الْكِتَابِ عُمَرُ، فَقُلْتُ: إِنَّ عُمَرَ لَا يَكْتُبُ إِلَّا فِي خَيْرٍ. ثُمَّ قَالَ: " أَنَكْتُبُكَ يَا ابْنَ حَوَالَةَ؟ " قُلْتُ: نَعَمْ. فَقَالَ: " يَا ابْنَ حَوَالَةَ، كَيْفَ تَفْعَلُ فِي فِتْنَةٍ تَخْرُجُ فِي أَطْرَافِ الْأَرْضِ كَأَنَّهَا صَيَاصِي بَقَرٍ؟ " قُلْتُ: لَا أَدْرِي مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ. قَالَ: " فَكَيْفَ تَفْعَلُ فِي أُخْرَى تَخْرُجُ بَعْدَهَا كَأَنَّ الْأُولَى مِنْهَا انْتِفَاجَةُ أَرْنَبٍ؟ " قُلْتُ: لَا أَدْرِي مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ. قَالَ: " اتَّبِعُوا هَذَا ". قَالَ: وَرَجُلٌ مُقَفٍّ حِينَئِذٍ. قَالَ: فَانْطَلَقْتُ فَسَعَيْتُ وَأَخَذْتُ بِمَنْكِبِهِ، فَأَقْبَلْتُ بِوَجْهِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: هَذَا؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ فَإِذَا هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ آدَمَ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنْ سَهْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنَعَتِ الْعِرَاقُ دِرْهَمَهَا وَقَفِيزَهَا، وَمَنَعَتِ الشَّامُ مُدْيَهَا وَدِينَارَهَا، وَمَنَعَتْ مِصْرُ إِرْدَبَّهَا وَدِينَارَهَا، وَعُدْتُمْ مِنْ حَيْثُ بَدَأْتُمْ، وَعُدْتُمْ مِنْ حَيْثُ بَدَأْتُمْ، وَعُدْتُمْ مِنْ حَيْثُ بَدَأْتُمْ» شَهِدَ عَلَى ذَلِكَ لَحْمُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَدَمُهُ. قَالَ يَحْيَى بْنُ آدَمَ وَغَيْرُهُ مِنْ أَهْلِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৭৯
الْعِلْمِ: هَذَا مِنْ دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ; حَيْثُ أَخْبَرَ عَمَّا ضَرَبَهُ عُمَرُ عَلَى أَرْضِ الْعِرَاقِ مِنَ الدَّرَاهِمِ وَالْقُفْزَانِ، وَعَمَّا ضَرَبَ مِنَ الْخَرَاجِ بِالشَّامِ وَمِصْرَ، قَبْلَ وُجُودِ ذَلِكَ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. وَقَدِ اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي مَعْنَى قَوْلِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: " مَنَعَتِ الْعِرَاقُ ". إِلَى آخِرِهِ، فَقِيلَ: مَعْنَاهُ أَنَّهُمْ يُسْلِمُونَ فَيَسْقُطُ عَنْهُمُ الْخَرَاجُ. وَرَجَّحَهُ الْبَيْهَقِيُّ. وَقِيلَ: مَعْنَاهُ أَنَّهُمْ يَرْجِعُونَ عَنِ الطَّاعَةِ وَلَا يُؤَدُّونَ الْخَرَاجَ الْمَضْرُوبَ عَلَيْهِمْ، وَلِهَذَا قَالَ: " وَعُدْتُمْ مِنْ حَيْثُ بَدَأْتُمْ ". أَيْ رَجَعْتُمْ إِلَى مَا كُنْتُمْ عَلَيْهِ قَبْلَ ذَلِكَ، كَمَا ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " «: " إِنَّ الْإِسْلَامَ بَدَأَ غَرِيبًا وَسَيَعُودُ غَرِيبًا، فَطُوبَى لِلْغُرَبَاءِ» وَيُؤَيِّدُ هَذَا الْقَوْلَ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ قَالَ: «كُنَّا عِنْدَ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ: يُوشِكُ أَهْلُ الْعِرَاقِ أَنْ لَا يَجِيءَ إِلَيْهِمْ قَفِيزٌ وَلَا دِرْهَمٌ. قُلْنَا: مَنْ أَيْنَ ذَاكَ؟ قَالَ: مِنْ قِبَلِ الْعَجَمِ، يَمْنَعُونَ ذَلِكَ. ثُمَّ قَالَ: يُوشِكُ أَهْلُ الشَّامِ أَنْ لَا يَجِيءَ إِلَيْهِمْ دِينَارٌ وَلَا مُدْيٌ. قُلْنَا: مِنْ أَيْنَ ذَاكَ؟ قَالَ: مِنْ قِبَلِ الرُّومِ، يَمْنَعُونَ ذَاكَ. قَالَ: ثُمَّ سَكَتَ هُنَيْهَةً. ثُمَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَكُونُ فِي آخِرِ أُمَّتِي خَلِيفَةٌ يَحْثِي الْمَالَ حَثْيًا، لَا يَعُدُّهُ عَدًّا» ". قَالَ الْجُرَيْرِيُّ: فَقُلْتُ لِأَبِي نَضْرَةَ وَأَبِي الْعَلَاءِ: أَتَرَيَانِهِ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ؟ فَقَالَا: لَا. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُلَيَّةَ
পৃষ্ঠা - ৪৯৮০

হাফিয আবু বকর বায়হাকী ইতিপুর্বে উল্লেখিত দু’টি মতের মধ্যে যে মতকে অগ্রাধিকার
দিয়েছেন তারই প্রমাণ হিসেবে এ হাদীস গ্রহণ করেছেন ৷ তার মন্তব্য ত্রুটিপুর্ণ প্রকাশ্য অর্থের
পরিপন্থী ৷

বুখারী ও মুসলিমে একাধিক সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
মদীনাবাসীদের মীকাত যুল-হুলড়ায়ফা, সিরিয়াবাসীদের আল-জুহ্ফা, ইয়ামনবাসীদের জন্যে
ইয়ালামলাম ৷ মুসলিম শরীফে জাবির থেকে বর্ণিত : ইরাকীদের মীকাত যাতু-ইবৃক্ ৷ এ
হাদীস রাসুলেরষ্নুবুওয়াতের প্রমাণ ৷ কারণ, এতে সিরিয়া, ইয়ামন, ও ইরাকের অধিবাসীদের
হজের প্রণালী সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন-যা বাস্তবে পরিণত হয়েছে ৷:

সহীহ বুখারী ও মুসলিমে সুফিয়ান ইবন উয়ায়না সুত্রে আবু সাঈদ (বা) থেকে বর্ণিত ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ও মানুষের সামনে এমন একটি সময় আসবে যখন তাদের একটি দল
যুদ্ধে লিপ্ত হবে; আর তাদের নিকট জিজ্ঞেস করা হবে তোমাদের মধ্যে রাসুলের কোন সাহাবী
আছে কি? উত্তরে বলা হবে, হী আছেন ৷ অতঃপর আল্লাহ্ তাদেরকে বিজয় দান করবেন ৷
এরপর মানুষ আর একটি সময় অতিক্রম করবে, তখন তাদের একটি দল লড়াই করবে ৷
তাদের জিজ্ঞেস করা হবে তোমাদের মধ্যে এমন কোন লোক আছে কি, যিনি রাসুলের
সাহাবীদের সংস্পর্শ লাভ করেছেন? বলা হবে, হী আছেন ৷ অতঃপর তারা বিজয়ী হবে ৷ এরপর
মানুষ আর এক যুগে পদার্পন করবে এবং তাদের একটি দল যুদ্ধ করবে ৷ তাদেরকে জিজ্ঞেস
করা হবে, তোমাদের মাঝে এমন কোন লোক আছে কি, যে সাহাবীদের সঙ্গলাভকারীদের
সংস্পর্শ পেয়েছে? বলা হবে, হী আছেন ৷ অতঃপর আল্লাহ্ তাদেরকে বিজয় দান করবেন ৷

বুখারী ও মুসলিম ছাওর ইবন যায়দের সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম; এমন সময় সুরা জুমুআ নাযিল

’ :

হয় ৷ এর মধ্যে একটি আয়াত (৩ নং আয়াত) এই ন্ব্লু ৰু ৷টুৰু;এপু ৷হু ণ্ব্লু ট্রু ট্রু ঠু;;াঠু
আরবে রাসুলের আগমন অন্যান্য সে সব লোকদের জন্যেও যারা এখনও তাদের (আরব
মুসলমানদের) সহিত এসে মিলিত হয়নি) ৷ এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! সে সব
লোক কারা? রাসুলুল্লাহ্ (সা) সালমান ফারসীর মস্তকের উপর হাত রেখে বললেন : ঈমান যদি
ছুরইিয়া নক্ষত্রের দুরত্বেও থাকে তবুও তারা যে ঈমান সংগ্রহ করবে ৷ রাসুলের এ ভবিষ্যদ্বাণী
পরবর্তীতে বাস্তব রুপ লাভ করে ৷

হাফিয বায়হাকী মুহাম্মদ সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন বিশ্র (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, আল্লাহ্র শপথ, যার হাতে আমার জীবন, পারস্য ও রোম অবশ্যই তোমাদের
অধীনে আসবে এবং ধন-দৌলত প্রচুর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ৷ কিন্তু তাতে আল্পাহ্র নাম নেয়া
হবে না ণ্

আহমদ, বায়হাকী, ইবন আদী প্রভৃতি আওস ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন
বুরায়দা থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, শীঘ্রই
বিভিন্ন দেশে অভিযান প্রেরিত হবে ৷ ঐ সময় তুমি খুরাসানে প্রেরিত বাহিনীতে থাকবে ৷ বিজয়
লাভের পর মার্ব শহরে বসবাস করবে ৷ কারণ, ঐ শহর যুল-কারনাইন নির্মাণ করেছিলেন
এবং তাতে বরকতের জন্যে দুআ করেছিলেন ৷ তিনি আরও বলেছেন যে, এ শহরের


وَعَبْدِ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيِّ، كِلَاهُمَا عَنْ سَعِيدِ بْنِ إِيَاسٍ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ الْمُنْذِرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ قِطْعَةَ الْعَبْدِيِّ، عَنْ جَابِرٍ كَمَا تَقَدَّمَ. وَالْعَجَبُ أَنَّ الْحَافِظَ أَبَا بَكْرٍ الْبَيْهَقِيَّ احْتَجَّ بِهِ عَلَى مَا رَجَّحَهُ مِنْ أَحَدِ الْقَوْلَيْنِ الْمُتَقَدِّمَيْنِ. وَفِيمَا سَلَكَهُ نَظَرٌ، وَالظَّاهِرُ خِلَافُهُ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَّتَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ، وَلِأَهْلِ الشَّامِ الْجُحْفَةَ، وَلِأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ. وَفِي " صَحِيحِ " مُسْلِمٍ عَنْ جَابِرٍ: وَلِأَهْلِ الْعِرَاقِ ذَاتَ عِرْقٍ. فَهَذَا مِنْ دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ، حَيْثُ أَخْبَرَ عَمَّا وَقَعَ مِنْ حَجِّ أَهْلِ الشَّامِ وَالْيَمَنِ وَالْعِرَاقِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَيَأْتِينَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَغْزُو فِيهِ فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ، فَيُقَالُ لَهُمْ: هَلْ فِيكُمْ مَنْ صَحِبَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَيُقَالُ: نَعَمْ. فَيُفْتَحُ لَهُمْ، ثُمَّ يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَغْزُو فِيهِ فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ، فَيُقَالُ لَهُمْ: هَلْ فِيكُمْ مَنْ صَحِبَ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَيُقَالُ: نَعَمْ. فَيُفْتَحُ لَهُمْ، ثُمَّ يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَغْزُو فِيهِ فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ، فَيُقَالُ: هَلْ فِيكُمْ مَنْ صَحِبَ مَنْ صَاحَبَهُمْ؟ فَيُقَالُ: نَعَمْ. فَيُفْتَحُ لَهُمْ» "
পৃষ্ঠা - ৪৯৮১
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ " الْجُمُعَةِ " {وَآخَرِينَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوا بِهِمْ} [الجمعة: 3] . فَقَالَ رَجُلٌ: مَنْ هَؤُلَاءِ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَوَضْعُ يَدِهِ عَلَى سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ وَقَالَ: " لَوْ كَانَ الْإِيمَانُ عِنْدَ الثُّرَيَّا لَنَالَهُ رِجَالٌ مِنْ هَؤُلَاءِ» " وَهَكَذَا وَقَعَ كَمَا أَخْبَرَ بِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عِرْقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بِشْرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُفْتَحَنَّ عَلَيْكُمْ فَارِسُ وَالرُّومُ حَتَّى يَكْثُرَ الطَّعَامُ فَلَا يُذْكَرُ عَلَيْهِ اسْمُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» " وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَالْبَيْهَقِيُّ وَابْنُ عَدِيٍّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، مِنْ حَدِيثِ أَوْسِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَخِيهِ سَهْلٍ، عَنْ أَبِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ بُرَيْدَةَ بْنِ الْحُصَيْبِ مَرْفُوعًا: " «سَتُبْعَثُ بُعُوثٌ فَكُنْ فِي بَعْثِ خُرَاسَانَ، ثُمَّ اسْكُنْ مَدِينَةَ مَرْوٍ; فَإِنَّهُ بَنَاهَا ذُو الْقَرْنَيْنِ، وَدَعَا لَهَا بِالْبَرَكَةِ، وَقَالَ: لَا يُصِيبُ أَهْلَهَا سُوءٌ» " وَهَذَا الْحَدِيثُ يُعَدُّ مِنْ غَرَائِبِ " الْمُسْنَدِ "، وَمِنْهُمْ مَنْ يَجْعَلُهُ مَوْضُوعًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ مِنْ جَمِيعِ طُرُقِهِ فِي قِتَالِ التُّرْكِ، وَقَدْ وَقَعَ ذَلِكَ كَمَا أَخْبَرَ بِهِ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، وَسَيَقَعُ أَيْضًا.
পৃষ্ঠা - ৪৯৮২

অধিবাসীদের কোন প্রকার অমঙ্গল হবে না ৷ এ হাদীসর্জির্ক গরীৰ পর্যায়ের বলে গণ্য করা হয় ৷
কেউ কেউ একে মাউযুও বলেছেন ৷

আবু হুরায়রা (রা) থেকে বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত তৃর্কীস্তানের যুদ্ধ সম্পর্কিত হাদীস ইতিপুর্বে
উল্লেখ করা হয়েছে ৷ রাসুল (সা) এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী সে যুদ্ধ হুবহু সংঘটিত হয়েছে এবং
অন্যগুলো অচিরেই অনুষ্ঠিত হবে ৷

সহীহ বুখারীতে শুবা সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
বনী ইসরাঈলদের মধ্যে একের পর এক নবী আসতেন ৷ এক নবী চলে যেতেই আর এক নবীর
আবির্ভাব ঘটতো ৷ কিন্তু আমার পরে কোন নবী নেই ৷ অবশ্য খলীফা হবেন এবং তীরা সংখ্যায়
অধিক হবেন ৷ সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমরা কিভাবে তাদেরকে প্রাধান্য
দেব? তিনি বললেন, একের পর অন্য জনের বায়আত পুর্ণ করবে এবং তাদের প্রাপ্য অধিকার
তাদেরকে দিয়ে যাবে ৷ কারণ, আল্লাহ্ তাদের নিকট তাদের অধীনন্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করবেন ৷

মুসলিম শরীফে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
প্রত্যেক নবীরই কিছু একান্ত অনুগত শিষ্য থাকেন, যারা নবীর প্রদর্শিত পথ্ ও রীতি-পদ্ধতির
উপর অবিচল থাকেন ৷ তাদের পরে এমন লোক আসে, যারা মুখে যা বলে, তা করে না এবং
যে কাজ করতে নিষেধ করে সে কাজ নিজেরইি করে ৷

হাফিয বায়হাকী আবদুল্লাহ ইবন হারিছ সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, নবীদের পরে এমন কিছু খলীফা হয়, যারা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী
কাজ করেন এবং আল্লাহর বন্দোদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেন ৷ এসব খলীফড়ার পরে
রাজা-বাদণাংদর আবির্ভাব ঘটে, যারা যুল্মের নীতি অবলম্বন করে, মানুষ হত্যা করে এবং
সম্পদের পাহাড় তৈরী করে ৷ এরা হাতের দ্বারা ও মুখের দ্বারা দীনের পরিবর্তন সাধন করে,
এর পরে ঈমানের আর কোন অস্তিত্ব থাকে না ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী জারীর সুত্রে আবু উবায়দা ইবনুল মুআয ইবন জাবাল (রা) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ নবী করীম (সা) বলেছেন, আল্লাহ এ দীনকে নবী প্রেরণ ও রহমতের মাধ্যমে
সুচনা করেছেন ৷ এরপরে খিলাফত ও রহমতের যুগ ৷ তারপরে আসবে স্বৈরাচারী
রাজা-বাদশাদের আমল ৷ শেষে আসবে অহংকারী ও অত্যাচারীদের শাসন এবং উষ্মতের
প্ বিপর্যয়ের যুগ ৷ তারা ব্যভিচার, মদ ও রেশমী পোশাক বৈধ জ্ঞান করবে এবং এ কাজে তারা
সর্বদা সাহায্য ও জীবনােপকরণ পেতে থাকবে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ লাভের পুর্ব পর্যন্ত ৷
উপরোল্লিখিত সকল অবস্থা পর্যায়ক্রমে বাস্তবে পরিণত হয়েছে ৷

আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ আপন আপন গ্রন্থে ৱাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
আযাদকৃত গোলাম সাফীনা থেকে হাদীস বর্ণনা করেস্ফো এবং তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান
বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আমার পরে ত্রিশ বছর খিলাফত চলবে, তারপরে আসবে
রাজতন্থের যুগ ৷ কোন বর্ণনায় এসেছে যে, তারপরে আল্লাহ তার রাজ্য যাকে খুশি তাকে দান
করবেন ৷ এ অবস্থা হুবহু বাস্তবে পরিণত হয়েছে ৷ কারণ, আবু বকর (রা)-এর খিলাফতকাল
ছিল ২ বছর ৩ মাস ২০ দিন; উমর (রা)-এর খিলাফতকাল ১০ বছর ৬ মাস : দিন; উছমান


وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ فُرَاتٍ الْقَزَّازِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ تَسُوسُهُمُ الْأَنْبِيَاءُ، كُلَّمَا هَلَكَ نَبِيٌّ خَلَفَهُ نَبِيٌّ، وَإِنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي، وَإِنَّهُ سَيَكُونُ خُلَفَاءُ فَيُكْثُرُونَ ". قَالُوا فَمَا تَأْمُرُنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ " فُوا بِبَيْعَةَ الْأَوَّلِ فَالْأَوَّلِ، وَأَعْطُوهُمْ حَقَّهُمْ، فَإِنَّ اللَّهَ سَائِلُهُمْ عَمَّا اسْتَرْعَاهُمْ» وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا كَانَ نَبِيٌّ إِلَّا كَانَ لَهُ حَوَارِيُّونَ يَهْدُونَ بِهَدْيهِ، وَيَسْتَنُّونَ بِسُنَّتِهِ، ثُمَّ يَكُونُ مِنْ بَعْدِهِمْ خُلُوفٌ يَقُولُونَ مَالَا يَفْعَلُونَ، وَيَعْمَلُونَ مَا يُنْكِرُونَ» " وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ حَاطِبٍ الْجُمَحِيِّ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «يَكُونُ بَعْدَ الْأَنْبِيَاءِ خُلَفَاءُ يَعْمَلُونَ بِكِتَابِ اللَّهِ، وَيَعْدِلُونَ فِي عِبَادِ اللَّهِ، ثُمَّ يَكُونُ مِنْ بَعْدِ الْخُلَفَاءِ مُلُوكٌ يَأْخُذُونَ بِالثَّأْرِ، وَيَقْتُلُونَ الرِّجَالَ، وَيَصْطَفُونَ الْأَمْوَالَ، فَمُغَيِّرٌ بِيَدِهِ وَمُغَيِّرٌ بِلِسَانِهِ، وَمُغَيِّرٌ بِقَلْبِهِ وَلَيْسَ وَرَاءَ ذَلِكَ مِنَ الْإِيمَانِ شَيْءٌ»
পৃষ্ঠা - ৪৯৮৩

(রা)-এর খিলাফতকাল ১১ বছর ১১ মাস ১৮ দিন এবং আলী (রা)-এর খিলাফতকাল : বছর
১০ মাস (মোট ২৯ বছর ৭ মাস ১২ দিন) ৷ এরপর ইমাম হাসান (রা)-এর খিলাফত প্রায় ৬
মাস চলে ৷ এ ছয় মাস সহ ত্রিশ বছর পুর্ণ হয় ৷ হি চল্লিশ সনে তিনি মুআবিয়া (রা)-এর
পক্ষে খিলাফত থেকে অব্যাহতি চান ৷ এ সক্রোন্তে বিস্তারিত আলোচনা পরে আসছে ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবদুর রহমান ইবন আবু বকরা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ত্রিশ বছর যাবত নুবুওয়াতী পন্থায় খিলাফত চলবে ৷ তারপর আল্লাহ্
যাকে ইচ্ছা তাকে রাজত্ব দান করবেন ৷ মুআবিয়া (রা) বলেন, আমরা রাজত্ব পেয়েই সন্তুষ্ট
(ণ্া৷া৷ ৮০,) ৷ এ হাদীস রাফিজী সম্প্রদায়ের মতবাদকে স্পষ্টভাবে প্রতিবাদ করে৷
কারণ, তারা প্রথম তিন খলীফাকে অস্বীকার করে ৷ একইভাবে এটা বনু উমাইয়াদের নাসিবী
সম্প্রদায় ও সিরিয়ার তাদের অনুসারীদের মতাদর্শকেও খণ্ডন করে ৷ কারণ, তারা আলী
(না)-এর খিলাফত অস্বীকার করে ৷ শ্ন্ন্

প্রশ্ন হতে পারে যে, উপরে সাফীনার বর্ণিত হাদীস থেকে জানা গেল, ৱাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
পরে খিলাফত ত্রিশ বছর চলবে ৷ পক্ষাতরে জাবির ইবন সামুরার বর্ণিত হাদীস (পুর্বে উল্লেখিত
মুসলিম) থেকে জানা যায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, এ দীন বহাল থাকবে যতদিন
কুরায়শদের মধ্য থেকে বার জন খলীফা মানুষের মধ্যে শাসন করবেন ৷ এ দুই হাদীসের মধ্যে
সামঞ্জস্য কিভাবে হতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তরে কেউ বলেছেন, এর অর্থ-এই দীন অটুট থাকবে
একের পর এক বারজন খলীফা পর্যন্ত ৷ এদের পর বনু উমাইয়া যুগে বিপর্যয় নেমে আসবে ৷
কিন্তু অন্যান্যরা বলেছেন, এ হাদীসে কুরায়শ গোত্র থেকে বারজন ন্যায়পরায়ণ খলীফা হওয়ার
সুসংবাদ রয়েছে; যদিও তারা অবিচ্ছিন্নভাবে একের পর এক আসেনি ৷ অবশ্য নবীর যুগের পরে ’
ত্রিশ বছর পর্যন্ত অব্যাহতভাবে খিলাফত চলেছে ৷ এর পরও কতিপয় ন্যায়পরায়ণ খলীফার
আগমন ঘটেছে ৷ এদের মধ্যে উমর ইবন আবদুল আযীয অন্যতম ৷ তিনি ছিলেন উমাইয়া
খলীফা, মারওয়ড়ান ইবন হাকামের পৌত্র ৷ বহু সংখ্যক ইমাম তার খিলাফত ও ন্যায়পরায়ণতা
স্বীকার করে তাকে খুলাফা-ই রাশিদীনের অন্তর্ভুক্ত করেছেন ৷ এমনকি আহমদ ইবন হাম্বল
বলেছেন, তড়াবিঈনদের মধ্যে একমাত্র উমর ইবন আবদুল আযীয ব্যতীত অন্য কারও কথা
দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয় :



কেউ কেউ আব্বাসী বংশের মাহদীকেও ঐ বারজনের মধ্যে গণ্য করেছেন ৷ শেষ যুগে যে
মাহ্দীর আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করা আছে তিনিও এদের অন্তর্ভুক্ত ৷ কারণ, হাদীসে উল্লেখ আছে
যে, তিনি রাসুলের বংশ থেকেই হবেন এবং তার নাম হবে মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ৷ রাফিজী
সম্প্রদায় সারদার নামে যার প্রতীক্ষায় আছে যে এর মধ্যে গণ্য নয়, কারণ, এটা একটা অলীক
ধারণা ছাড়া কিছুই নয় ৷ মুর্থ রাফিজীরইি কেবল তার প্রতীক্ষা করে থাকে ৷

বুখারী ও মুসলিম গ্রন্থে যুহরী সুত্রে আয়শা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) একদা বললেন, আমি ইচ্ছে করেছি তোমার পিতা ও ভাইকে ডেকে আনব ও একটা
লিপি লিখে দেব, যাতে কেউ কিছু বলতে না পারে এবং অন্য কেউ আশা না রাখে ৷ পরে তিনি
জানালেন, আল্লাহ্ ও মু’মিনগণ আবু বকর ভিন্ন অন্য কাউকে মেনে নেবেন না ৷ বাস্তবেও


وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ بَدَأَ هَذَا الْأَمْرَ نُبُوَّةً وَرَحْمَةً، وَكَائِنًا خِلَافَةً وَرَحْمَةً، وَكَائِنًا مُلْكًا عَضُوضًا، وَكَائِنًا عِزَّةً وَجَبْرِيَّةً وَفَسَادًا فِي الْأُمَّةِ، يَسْتَحِلُّونَ الْفُرُوجَ وَالْخُمُورَ وَالْحَرِيرَ، وَيُنْصَرُونَ عَلَى ذَلِكَ، وَيُرْزَقُونَ أَبَدًا حَتَّى يَلْقَوُا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ» " وَهَذَا كُلُّهُ وَاقِعٌ. وَفِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَحَسَّنَهُ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا» " وَفِي رِوَايَةٍ: «ثُمَّ يُؤْتِي اللَّهُ مُلْكَهُ مَنْ يَشَاءُ» " وَهَكَذَا وَقَعَ سَوَاءً; فَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَتْ خِلَافَتُهُ سَنَتَيْنِ وَأَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ إِلَّا عَشْرَ لَيَالٍ، وَكَانَتْ خِلَافَةُ عُمَرَ عَشْرَ سِنِينَ وَسِتَّةَ أَشْهُرٍ وَأَرْبَعَةَ أَيَّامٍ، وَخِلَافَةُ عُثْمَانَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً إِلَّا اثْنَتَيْ عَشَرَ يَوْمًا، وَكَانَتْ خِلَافَةُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ خَمْسَ سِنِينَ إِلَّا شَهْرَيْنِ. قُلْتُ: وَتَكْمِيلُ الثَّلَاثِينَ بِخِلَافَةِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ نَحْوًا مِنْ سِتَّةِ أَشْهُرٍ، حَتَّى نَزَلَ عَنْهَا لِمُعَاوِيَةَ عَامَ أَرْبَعِينَ مِنَ الْهِجْرَةِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ وَتَفْصِيلُهُ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، ثَنَا مُؤَمَّلٌ، ثَنَا حَمَّادُ
পৃষ্ঠা - ৪৯৮৪
بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «خِلَافَةُ نُبُوَّةٍ ثَلَاثُونَ عَامًا ثُمَّ يُؤْتِي اللَّهُ الْمُلْكَ مَنْ يَشَاءُ» " فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: رَضِينَا بِالْمُلْكِ. وَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ رَدٌّ صَرِيحٌ عَلَى الرَّوَافِضِ الْمُنْكِرِينَ لِخِلَافَةِ الثَّلَاثَةِ، وَعَلَى النَّوَاصِبِ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ وَمَنْ تَبِعَهُمْ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ فِي إِنْكَارِ خِلَافَةِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَإِنْ قِيلَ: فَمَا وَجْهُ الْجَمْعِ بَيْنَ حَدِيثِ سَفِينَةَ هَذَا وَبَيْنَ حَدِيثِ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ الْمُتَقَدِّمِ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ ": «لَا يَزَالُ هَذَا الدِّينُ قَائِمًا مَا كَانَ فِي النَّاسِ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ؟» فَالْجَوَابُ: إِنَّ مِنَ النَّاسِ مَنْ قَالَ: إِنَّ الدِّينَ لَمْ يَزَلْ قَائِمًا حَتَّى وَلِيَ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً، ثُمَّ وَقَعَ تَخْبِيطٌ بَعْدَهُمْ فِي زَمَانِ بَنِي أُمَيَّةَ، وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ هَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ بِشَارَةٌ بِوُجُودِ اثْنَيْ عَشَرَ خَلِيفَةً عَادِلًا مِنْ قُرَيْشٍ، وَإِنْ لَمْ يُوجَدُوا عَلَى الْوَلَاءِ، وَإِنَّمَا اتَّفَقَ وُقُوعُ الْخِلَافَةِ الْمُتَتَابِعَةِ بَعْدَ النُّبُوَّةِ فِي ثَلَاثِينَ سَنَةً، ثُمَّ كَانَتْ بَعْدَ ذَلِكَ خُلَفَاءُ رَاشِدُونَ، فَمِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ الْأُمَوِيُّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَدْ نَصَّ عَلَى خِلَافَتِهِ وَعَدْلِهِ وَكَوْنِهِ مِنَ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ، حَتَّى قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: لَيْسَ قَوْلُ أَحَدٍ مِنَ التَّابِعَيْنِ حُجَّةً إِلَّا قَوْلُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَمِنْهُمْ مَنْ ذَكَرَ مِنْ هَؤُلَاءِ الْمُهْتَدِيَ بِأَمْرِ اللَّهِ الْعَبَّاسِيَّ، وَالْمَهْدِيَّ الْمُبَشَّرَ بِوُجُودِهِ فِي آخِرِ الزَّمَانِ مِنْهُمْ أَيْضًا، بِالنَّصِّ
পৃষ্ঠা - ৪৯৮৫

এরুপই সংঘটিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ আবু বকঃাকে মনোনীত করেছেন এবং মু’মিনগণ সকলে দলে
দলে তার নিকট বায়আত হয়েছেন ৷ ইতিপুর্বে এ বিষয়ে আলোচনা এসেছে ৷

সহীহ বুখারীর বর্ণনায় এসেছে, জনৈকা মহিলা এসে বললাে, ইয়া রাসুলাল্পাহ্৷ আমি যদি
আমি এবং আপনাকে না পাই তখন কী করবো? এ কথার দ্বারা মইিলাটি রাসুলুল্লাহর
ইনতিকালের দিকে ইঙ্গিত করেছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যদি আমাকে না পাও তবে আবু
বকরের নিকট এসো ৷

সহীহ বুখারী ও মুসলিমে ইবন উমর (রা) ও আবু হুরড়ায়য়৷ (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেন : একদা আমি ঘুমািয় ছিলাম ৷ স্বপ্নে দেখি, আমি একটি কুয়াের পাড়ে অবস্থিত ৷
কুয়ো থেকে ইচ্ছামত পানি তৃললাম যে পরিমাণ আল্লাহ মঞ্জুর করলেন ৷ অতঃপর (আবু বকর)
ইবন আবু কুহাফা বালতি হাতে নিলেন এবং এক বা দৃ’বালতি পানি তৃললেন ৷ তার পানি
তোলার মধ্যে দৃর্বলত৷ রয়েছে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন ৷ এরপর (উমর) ইবন খাত্তাব বালতি
ধারণ করলেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে বালতিটি একটি বৃহৎ বালতিতে পরিণত হল ৷ তিনি যে পরিমাণ
পানি তৃললেন, তেমন আর কোন বীর বাহাদুরকে করতে দেখলাম না ৷ লোকজন তাদের
পশুদেরকে পরিতৃপ্তভাবে পানি পান করিয়ে আস্তাবলে নিয়ে গেল ৷ ইমাম শাফিঈ (ব) বলেন,
নৰীগণের স্বপ্ন ওহী; আবু বকরের পানি তোলার মধ্যে দুর্বলতার অর্থ তার খিলাফত কালের
স্বল্পত৷ ও শীঘ্রই ইনতিকাল হওয়া এবং ধর্মত্যাগীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার কারাণ ঐ সব
বিজয় থেকে বঞ্চিত থাকা যা উমর (বা) তার দীর্ঘ শাসনকালে করতে সক্ষম হয়েছিলেন ৷
আমি বলি, এ হাদীসের মধ্যে হযরত আবু বকর ও হযরত উমর (রা) জনগণের পক্ষ থেকে
শাসক নির্বাচিত হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে এবং বাস্তব ক্ষেরুএ তাই হয়েছে ৷ এরই সমর্থন অপর
এক হাদীসে ইবন হিব্বান প্রমুয হুযায়ফা ইবন ইয়ামান (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ নবী করীম
(না) বলেছেন৪ আমার পরে যে দু জন (শাসক) আসবে তোমরা তাদের অনুসরণ করবে অর্থাৎ
আবু বকর ও উমর (রা) ৷ তিরমিযী এ হাদীসকে হাসান বল্যেছন এবং৩ ভিন্ন সুত্রে ইবন
মাসউদ থেকেও বর্ণনা করেছেন ৷ ইতিপুর্বে যুহরী সুত্রে আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত হাদীস
উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে কাকরের তাসৰীহ পাঠের কথা বলা হয়েছে প্রথমে নবী (না) এর
হাতে, অতঃপর আবু বকর ,তারপরে উমর ও শেষে উছমান (রা) এর হাতে ৷ তারপরে রাসুল
(সা) বলেন, এ পর্যন্ত নুবুওয়াতী পদ্ধতিতে খিলাফত চলবে ৷

আবু মুসা আশ আরী থেকে সহীহ সুত্রে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন এক বাগিচায়
প্রবেশ করেন এবং একটি কুপের পাড়ে পা লটকিয়ে বসেন ৷ ,

রা বী বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আজ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্যে দরজায়
পাহারায় থাকর ৷ সুতরাং আমি দরজায় পিছনে বসলাম ৷ এক ব্যক্তি এসে ডাকলাে, বললো
দরজা খােল ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কে? তিনি বললেন, আবু বকর ৷ আমি রাসুল
(না)-এর নিকট সংবাদ পৌছলাম ৷ তিনি বললেন, তার জন্যে দরজা খুলে দাও ও জান্নাতের
সুসৎৰাদ জানাও ৷ কিছুক্ষণ পর হযরত উমর (রা) আসেন এবং অনুরুপ ঘটনা ঘটে ৷ কিছু সময়
পর হযরত উছমান (রা) আসেন ৷ তবে এবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তাকে আসতে দাও
এবং বিপদ মসীবত সহ জান্নাত লাভের সুসৎৰাদ দাও ৷ উছমান (বা) প্রবেশ করলেন এবং
বললেন, আল্লাহর সাহায্য চইি ৷


عَلَى كَوْنِهِ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ، وَاسْمُهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَلَيْسَ بِالْمُنْتَظَرِ فِي سِرْدَابِ سَامَرَّاءَ ; فَإِنَّ ذَاكَ لَيْسَ بِمَوْجُودٍ بِالْكُلِّيَّةِ، وَإِنَّمَا يَنْتَظِرُهُ الْجَهَلَةُ مِنَ الرَّوَافِضِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَدْعُوَ أَبَاكِ وَأَخَاكِ وَأَكْتُبَ كِتَابًا; لِئَلَّا يَقُولَ قَائِلٌ أَوْ يَتَمَنَّى مُتَمَنٍّ» " ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:: " «يَأْبَى اللَّهُ وَالْمُؤْمِنُونَ إِلَّا أَبَا بَكْرٍ» " وَهَكَذَا وَقَعَ، فَإِنَّ اللَّهَ وَلَّاهُ، وَبَايَعَهُ الْمُؤْمِنُونَ قَاطِبَةً، كَمَا تَقَدَّمَ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " «أَنَّ امْرَأَةً قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ إِنْ جِئْتُ فَلَمْ أَجِدْكَ؟ - كَأَنَّهَا تُعَرِّضُ بِالْمَوْتِ - فَقَالَ: " إِنْ لَمْ تَجِدِينِي فَأْتِي أَبَا بَكْرٍ» ". وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُنِي عَلَى قَلِيبٍ، فَنَزَعْتُ مِنْهَا مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ أَخَذَهَا ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ فَنَزَعَ مِنْهَا ذَنُوبًا أَوْ ذَنُوبِينَ، وَفِي نَزْعِهِ ضَعْفٌ وَاللَّهُ يَغْفِرُ لَهُ، ثُمَّ أَخَذَهَا ابْنُ الْخَطَّابِ فَاسْتَحَالَتْ غَرْبًا، فَلَمْ أَرَ عَبْقَرِيًّا مِنَ النَّاسِ يَفْرِي فَرِيَّهُ، حَتَّى ضَرْبَ النَّاسُ بِعَطَنٍ» " قَالَ الشَّافِعِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ: رُؤْيَا الْأَنْبِيَاءِ وَحْيٌ، وَقَوْلُهُ: " وَفِي نَزْعِهِ ضَعْفٌ ". قِصَرُ مُدَّتِهِ، وَعَجَلَةُ مَوْتِهِ، وَاشْتِغَالُهُ بِحَرْبِ أَهْلِ الرِّدَّةِ عَنِ الْفَتْحِ الَّذِي نَالَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي طُولِ مُدَّتِهِ. قُلْتُ: وَهَذَا فِيهِ الْبِشَارَةُ
পৃষ্ঠা - ৪৯৮৬
بِوِلَايَتِهِمَا عَلَى النَّاسِ، فَوَقَعَ كَمَا أَخْبَرَ سَوَاءً، وَلِهَذَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ الَّذِي رَوَاهُ أَحَمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَابْنُ حِبَّانَ، مِنْ حَدِيثِ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «اقْتَدُوا بِاللَّذَيْنِ مِنْ بَعْدِي; أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ» ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ. وَأَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَتَقَدَّمَ مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ حَدِيثُ تَسْبِيحِ الْحَصَا فِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَدِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرَ، ثُمَّ عُثْمَانَ. وَقَوْلُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: " هَذِهِ خِلَافَةُ النُّبُوَّةِ. وَفِي الصَّحِيحِ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَائِطًا فَدَلَّى رِجْلَيْهِ فِي الْقُفِّ، فَقُلْتُ: لَأَكُونَنَّ الْيَوْمَ بَوَّابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسْتُ خَلْفَ الْبَابِ، فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ: افْتَحْ. فَقُلْتُ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَبُو بَكْرٍ. فَأَخْبَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " افْتَحْ لَهُ وَبَشَّرَهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَقَالَ كَذَلِكَ، ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ عَلَى بَلْوَى تُصِيبُهُ ". فَدَخَلَ وَهُوَ يَقُولُ: اللَّهُ الْمُسْتَعَانُ» وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «صَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُحُدًا وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ،
পৃষ্ঠা - ৪৯৮৭

বুখারী শরীফে সাঈদ সুত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ্
(সা) আবু বকর, উমর ও উছমান (রা)-কে সাথে নিয়ে উহুদ পর্বতে আরোহণ করেন ৷ পর্বত
তাদেরকে সহ র্কাপতে আরম্ভ করে ৷ রাসুল (সা) পা দ্বারা পর্বত গাত্রে আঘাত করেন এবং
বলেন, স্থির হও কেননা তোমার উপরে একজন নবী, একজন সিদ্দীক ও দু’জন শহীদ দাড়িয়ে

আবদুর রায্যাক মা মার সুত্রে সাহ্ল ইবন সা দ থেকে বর্ণনা করেন, হেরা পর্বতের উপর
নবী (সা) আবু বকর, উমর ও উছমান (রা) দণ্ডায়মান থাকা অবস্থায় পর্বতে কম্পন সৃষ্টি হয় ৷
তখন নবী করীম (সা) পর্বতকে বলেন, স্থির হও, তোমার উপর একজন নবী, একজন সিদ্দীক
ও দুইজন শহীদ ব্যতীত আর কেউ নেই ৷ মামার বলেন, কাতাদা থেকেও অনুরুপ হাদীস আমি
শুনেছি ৷

ইমাম মুসলিম কুতায়বা সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
হেরা পর্বতের উপর ছিলেন; সাথে ছিলেন আবু বকর, উমর, উছমান, আলী, তালহা ও যুবায়র
(রা) ৷ এমন সময় পর্বতের পাথর কেপে উঠলো ৷ নবী করীম (সা) বললেন, থাম, তোমার
উপরে একজন নবী, একজন সিদ্দীক অথবাশহীদ দাড়িয়ে আছেন ৷ এ হাদীস নবী করীম
(সা) এর নবুওতের এক উজ্জ্ব৷ প্রমাণ ৷ কেননা শহীদরুপে উল্লেখিত সকলেই শাহাদাত প্রাপ্ত
হন ৷ অবশ্য রাসুলুল্লাহ্ (সা) নবুওত ও রিসালাতের উচ্চ মর্যাদা এবং আবুবকর (রা) সিদ্দীবেরে
উচ্চ সম্মানে ভুষিত হন ৷

সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে, নবী করীম (সা) দশজন সাহাবীর ব্যাপারে সাক্ষ্য
দিয়েছেন যে তারা জান্নাতী ৷ এমনকি হুদায়বিয়ড়ার সন্ধিকালে বায়আতে যারা রাসুলের হাতে
বায়আত হয়েছিলেন ( ;, ৷ ৰু;;শু৷ ৷ ৰ ) তাদের সকলেই জান্নাত লাভ করবেন বলে রাসুলুল্লাহ্
(না) সাক্ষ্য দান করেছেন ৷ তারা সংখ্যায় ছিলেন ১৪০০, মতান্তরে ১৩০০ বা ১৫০০ ৷ তাদের
সকলেই আমৃত্যু ইসলামের উপর অটল ও অবিচল ছিলেন ৷
সহীহ্ বুখারীর এক হাদীসে উক্কাশা সম্পর্কে সুসংবাদ আছে যে, তিনি জান্নাভী ৷ সত্যি
সত্যি ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি শাহাদত বরণ করেন ৷

বুখারী ও মুসলিম গ্রন্থদ্বয়ে ইউনুস সুত্রে আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি একদিন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনলেন যে, আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোক বিনা
হিসাবে জান্নড়াতে যাবে, তাদের চেহারা পুর্ণিমার চাদের ন্যায় উজ্জ্বল থাকবে ৷ এ সময় উক্কাশা
ইবন মিহ্সান আল-আসাদী চাদর টানতে টানতে উঠে দাড়ালেন এবং আরব করলেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্৷ আপনি আল্লাহর নিকট দুআ করুন যেন আল্লাহ্ আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত রাখেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুআ করলেন, হে আল্লাহ্৷ উক্কাশাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন ৷ এরপর জনৈক
আনসারী দাড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আল্লাহ্র নিকট আমার জন্যেও দুআ করুন যেন
তিনি আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এ ব্যাপারে উক্কাশা তোমার
চাইতে অগ্রবর্তী হয়ে গেছে ৷ এ হাদীসটি এতো অধিক সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, এর সততো
সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই ৷ এ গ্রন্থে জ্বান্নাতের বর্ণনায় পুনরায় এ হাদীস উল্লেখ করা হবে ৷
ধর্মত্যাগীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সং ক্রান্ত অধ্যায়েও তা উল্লেখ হবে ৷ সেখানে এ কথাও আছে যে,
তালহা আল আসাদী উক্কাশা ইবন মিহ্সানকে শহীদ করে ৷ পরে তালহা আল-আসাদী


فَرَجَفَ بِهِمُ الْجَبَلُ، فَضَرَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرِجْلِهِ وَقَالَ: " اثْبُتْ أُحُدُ، فَإِنَّمَا عَلَيْكَ نَبِيٌّ وَصِدِّيقٌ وَشَهِيدَانِ» " وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنْ حِرَاءَ ارْتَجَّ وَعَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اثْبُتْ، مَا عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ وَصِدِّيقُ وَشَهِيدَانِ» وَقَالَ مَعْمَرٌ: قَدْ سَمِعْتُ قَتَادَةَ يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنِ الدَّارَوَرْدِيِّ عَنْ، سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عَلَى حِرَاءَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٌّ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ، فَتَحَرَّكَتِ الصَّخْرَةُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اهْدَأْ، فَمَا عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ» ". وَهَذَا مِنْ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ; فَإِنَّ هَؤُلَاءِ كُلَّهُمْ أَصَابُوا الشَّهَادَةَ، وَاخْتُصَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَعْلَى مَرَاتِبِ الرِّسَالَةِ وَالنُّبُوَّةِ، وَاخْتُصَّ أَبُو بَكْرٍ بِأَعْلَى مَقَامَاتِ الصِّدِّيقِيَّةِ وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ الشَّهَادَةُ لِلْعَشَرَةِ بِالْجَنَّةِ بَلْ لِجَمِيعِ مَنْ شَهِدَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ. وَكَانُوا أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ، وَقِيلَ: وَثَلَاثَمِائَةٍ. وَقِيلَ: خَمْسَمِائَةٍ. فَكُلُّهُمُ اسْتَمَرَّ عَلَى السَّدَادِ وَالِاسْتِقَامَةِ حَتَّى مَاتَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " الْبِشَارَةُ
পৃষ্ঠা - ৪৯৮৮
لِعُكَّاشَةَ بِأَنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، فَقُتِلَ شَهِيدًا يَوْمَ الْيَمَامَةِ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ أَمْتَى سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ، تُضِيءُ وُجُوهُهُمْ إِضَاءَةَ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ". فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ الْأَسَدِيُّ يَجُرُّ نَمِرَةً عَلَيْهِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ مِنْهُمْ ". ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَقَالَ: " سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رُوِيَ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ تُفِيدُ الْقَطْعَ، وَسَنُورِدُهُ فِي بَابِ صِفَةِ الْجَنَّةِ، وَسَنَذْكُرُ فِي قِتَالِ أَهْلِ الرِّدَّةِ أَنَّ طُلَيْحَةَ الْأَسَدِيَّ قَتَلَ عُكَّاشَةَ بْنَ مِحْصَنٍ شَهِيدًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ثُمَّ رَجَعَ طُلَيْحَةُ الْأَسَدِيُّ عَمَّا كَانَ يَدَّعِيهِ مِنَ النُّبُوَّةِ وَتَابَ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَقَدِمَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَاعْتَمَرَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُ كَأَنَّهُ وُضِعَ فِي يَدَيَّ سِوَارَانِ فَفَظِعْتُهُمَا فَأُوحِيَ إِلَيَّ فِي الْمَنَامِ أَنِ انْفُخْهُمَا، فَنَفَخْتُهُمَا فَطَارَا، فَأَوَّلْتُهُمَا كَذَّابَيْنِ يَخْرُجَانِ; صَاحِبُ صَنْعَاءَ، وَصَاحِبُ الْيَمَامَةِ» " وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي الْوُفُودِ «أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ
পৃষ্ঠা - ৪৯৮৯

নবুওতের দাবি প্রত্যাহার করে তওবা করে আবু বকর সিদ্দীক (না)-এর নিকট আগমন করে,
উমরা পালন করে এবং নিষ্ঠার সহিত ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলে ৷

সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, একদা
আমি ঘৃমিয়ে ছিলাম ৷ স্বপ্নে দেখি যেন আমার হাতে দুটি স্বর্ণের কৎকন রাখা হয়েছে ৷ আমি যে
দুটিকে ভারি অনুভব করলাম ৷ স্বপ্লেই আমাকে ও দুটিকে কুক দিতে বলা হলো ৷ সে মতে আমি
কুক দিলাম ৷ তাতে দুটো কত্কনই উড়ে চলে গেল ৷ আমি এর ব্যাখ্যা করলাম যে, দুজন ডন্ড
নবীর আবির্ভাব হবে ৷ তার একজন সানআর অধিবাসী এবং অন্যজন ইয়ামামার অধিবাসী ৷
ইতিপুর্বে প্রতিনিধি দলের আলোচনা প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মুসায়লামা তার গোত্রের
লোকদের সাথে এসে বলেছিল, মুহাম্মদ যদি তার মৃত্যুর পর কর্তৃছু আমার হাতে ন্যস্ত করেন
তবে আমি তার আনুগত্য করবো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নিকট গিয়ে বললেন, আল্লাহ্র কসম,
তুমি যদি আমার নিকট খেজুর গাছের এই শুকনা ডালটিও দাবী কর তবে তাও আমি তোমাকে
দেব না ৷ আর যদি আমার আনুগত্যে অসম্মত হয়ে ফিরে যাও তবে আল্লাহ্ তোমাকে ধ্বংস
করবেন ৷ স্বপ্নে আমি যে ব্যক্তিকে দেখেছি, আমার ধারণা তৃমিই সেই ব্যক্তি ৷ বাস্তবে তাই
হয়েছিল ৷ আল্লাহ্ তাকে ইয়ামামার যুদ্ধে ধ্বংস করেন, লাঞ্ছিত করেন ও তার সমস্ত শক্তি চুর্ণ
করেন, যেমনটি আসওদ আনাসী সানআয় নিহত হয় ৷ পরবর্তীতে এ আলোচনা আসছে
ইনশাআল্লাহ্ ৷

বায়হাকী মুবারা ক ইবন ফুযলা সুত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে মুসায়লামার সাক্ষাৎ হলে মুসায়লামা বললো, আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে আমি

আল্লাহ্র রাসুল? উত্তরে নবী করীম (সা) বললেন, আমি আল্লাহ্ ও তার রাসুলগণের উপরে

ঈমান এসেছি ৷ তারপর তিনি বললেন, এ লোকটি তার সম্প্রদায়ের ধ্বংস বিলম্বিত করলো
মাত্র ৷ অপর এক বর্ণনায় এসেছে যে, এ ঘটনার কিছুদিন পর মুসায়লামা নবী করীম (সা)-এর
নিকট নিম্ন লিখিত চিঠি প্রেরণ করে :

,
দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ্র নামে, আল্পাহ্র রাসুল মুসায়লামার পক্ষ থেকে, আল্পাহ্র
রাসুল মুহাম্মদের প্রতি ৷ আপনার উপর শান্তি বর্নিত হোক ৷ পর সমাচার আমি এই নবুওতী
কাজে আপনার সাথে অংশীদার ৷ সুতরাং শহরাঞ্চল আপনার আর গ্রাম এলাকা আমার ৷ কিত্তু
কুরায়শরা সীমালংঘনকারী সম্প্রদায় ৷
এ চিঠির উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিম্নরুপ পত্র প্রেরণ করেন :

’ :



وَالسَّلَامُ، قَالَ لِمُسَيْلِمَةَ حِينَ قَدِمَ مَعَ قَوْمِهِ وَجَعَلَ يَقُولُ: إِنْ جَعَلَ لِي مُحَمَّدٌ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ اتَّبَعْتُهُ، فَوَقَفَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ لَهُ: " وَاللَّهِ لَوْ سَأَلْتَنِي هَذَا الْعَسِيبَ مَا أَعْطَيْتُكَهُ، وَلَئِنْ أَدْبَرْتَ لَيَعْقِرَنَّكَ اللَّهُ، وَإِنِّي لَأَرَاكَ الَّذِي أُرِيتُ فِيهِ مَا أُرِيتُ» . وَهَكَذَا وَقَعَ; عَقَرَهُ اللَّهُ وَأَهَانَهُ وَكَسَرَهُ وَغَلَبَهُ يَوْمَ الْيَمَامَةِ، كَمَا قَتَلَ الْأَسْوَدَ الْعَنْسِيَّ بِصَنْعَاءَ، عَلَى مَا سَنُورِدُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُبَارَكِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «لَقِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسَيْلِمَةَ، فَقَالَ لَهُ مُسَيْلِمَةُ: أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " آمَنْتُ بِاللَّهِ وَبِرُسُلِهِ ". ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ أُخِّرَ لِهَلَكَةِ قَوْمِهِ» " وَقَدْ ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ «أَنَّ مُسَيْلِمَةَ كَتَبَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ; مِنْ مُسَيْلِمَةِ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ، سَلَامٌ عَلَيْكَ; أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي قَدْ أُشْرِكْتُ فِي الْأَمْرِ مَعَكَ; فَلَكَ الْمَدَرُ وَلِيَ الْوَبَرُ، وَلَكِنَّ قُرَيْشًا قَوْمٌ يَعْتَدُونَ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى; أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ الْأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ، وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ»
পৃষ্ঠা - ৪৯৯০
وَقَدْ جَعَلَ اللَّهُ الْعَاقِبَةَ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ; لِأَنَّهُمْ هُمُ الْمُتَّقُونَ، وَهُمُ الْعَادِلُونَ الْمُؤْمِنُونَ، لَا مَنْ عَدَاهُمْ. وَقَدْ وَرَدَتِ الْأَحَادِيثُ الْمَرْوِيَّةُ مِنْ طَرْقٍ عَنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْإِخْبَارِ عَنِ الرِّدَّةِ الَّتِي وَقَعَتْ فِي زَمَنِ الصِّدِّيقِ، فَقَاتَلَهُمُ الصِّدِّيقُ بِالْجُنُودِ الْمُحَمَّدِيَّةُ حَتَّى رَجَعُوا إِلَى دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا، وَعَذُبَ مَاءُ الْإِيمَانِ كَمَا كَانَ، بَعْدَ مَا صَارَ أُجَاجًا، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ} [المائدة: 54] الْآيَةَ. [الْمَائِدَةِ: 54] . قَالَ الْمُفَسِّرُونَ هُمْ أَبُو بَكْرٍ وَأَصْحَابُهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ فِي قِصَّةِ مُسَارَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنَتَهُ فَاطِمَةَ وَإِخْبَارِهِ إِيَّاهَا «بِأَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ بِالْقُرْآنِ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّةً، " وَأَنَّهُ عَارَضَنِي الْعَامَ مَرَّتَيْنِ، وَمَا أَرَى ذَلِكَ إِلَّا لِاقْتِرَابِ أَجَلِي فَبَكَتْ، ثُمَّ سَارَّهَا فَأَخْبَرَهَا بِأَنَّهَا سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَأَنَّهَا أَوَّلُ أَهْلِهِ لُحُوقًا بِهِ، فَكَانَ كَمَا أَخْبَرَ» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَاخْتَلَفُوا فِي مُكْثِ فَاطِمَةَ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقِيلَ: شَهْرَانِ. وَقِيلَ: ثَلَاثَةٌ. وَقِيلَ: سِتَّةٌ. وَقِيلَ: ثَمَانِيَةٌ. قَالَ: وَأَصَحُّ الرِّوَايَاتِ رِوَايَةُ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: مَكَثَتْ فَاطِمَةُ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ. أَخْرَجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ.