আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

المسائل التي سئل عنها رسول الله صلى الله عليه وسلم فأجاب فيها بما يطابق الحق

পৃষ্ঠা - ৪৯২৪

রাসুসুস্নাহ্ (না)-এর প্রতি কতিপয় প্রশ্ন

সেই সব প্রশ্ন যেগুলো সম্পর্কে রাসুসুস্নাহ্ (না)-কে জিজ্ঞাসা করা হয় এবং তিনি
সেগুলোর যথার্থ উত্তর দেন, না পুর্ববর্তী নৰীগণের কিতাবসমুহেব সহিত সঙ্গতিপুর্ণ

নবুওতের সুচনাকান্সের আলোচনায় রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর প্রতি কুরায়শদের শত্রুতার কথা
উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তারা মদীনার ইয়াহুদীদের কাছে এমন কিছু প্রশ্ন শিখে আসার জন্য একটি
প্রতিনিধি দল পাঠায় যেগুলো সম্পর্কে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে জিজ্ঞেস করবে ৷ ইয়াহ্রদীরা
প্রতিনিধি দলকে বলে দিন যে, তোমরা তাকে জিজ্ঞাসা কর; ১ রুহ কি ? ২ সেই সোকগুলো
কারা যারা অর্তীতকালে কোথাও যাচ্ছিণ কিন্তু তাদের আর কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি ? ৩
আর কে সেই পর্যটক যিনি পৃথিবীর পুর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত পরিভ্রমণ করেছেন ?
তারা ফিরে এসে এগুলো সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিজ্ঞাসা করলো ৷ তখন আল্পাহ্
তাআলা আয়াত নাযিল করলেন :

অর্থাৎ “(তামাকে তারা রুহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে ৷ বল, রুহ আমার প্রতিপাসকের আদেশ
ঘটিত’ এবং তােমাদিগকে সামান্য জ্ঞানই দেয়৷ হয়েছে” (১৭ : ৮৫) ৷

এবং সুরা কাহ্ফ অবতীর্ণ করে তার মাধ্যমে সেই যুবকদের সম্পর্কে জানিয়ে দিলেন হারা
তাদের পুর্বপুরুষের ধর্মত্যাগ করে এক আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন ৷ তারা কেবল
তারই ইৰাদত করতেন এবং আপন সম্প্রদায় থেকে পৃথক হয়ে গিয়েছিলেন ৷ তারপর তারা
একটি গুহায় আত্ম্যগাপন করেন যাকে কাহ্ফ নামে অভিহিত করা হয় ৷ সেখানে তারা নিদ্রিত
অবস্থায় থাকেন এবং তিনশ’ নয় বছর পর আল্লাহ্ তাদেরকে জাগ্রত করেন ৷ তাদের সম্পর্কে
বিস্তারিত ঘটনাদি আল্লাহ্ উক্ত সুরার বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর মু’মিন ও কাফির দু’ব্যক্তির
আলোচনা করা হয়েছে ৷ তারপরে উল্লেখ করা হয়েছে হযরত মুসা ও খিযির (আ)-এর ঘটনা
এবং প্রাসঙ্গিক উপদেশাবলী তারপর আল্লাহ্ বলেন

৷ fl ’ ণ্ ’, : শ্

অর্থাৎ “তারা তোমাকে যুলকারনায়্ন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে ৷ বল, আমি তোমাদের নিকট
তার বিষয় বর্ণনা করবো” (১৮ ৮৩) ৷ ,
তারপর আল্লাহ্ এ ঘটনা বিস্তারিত বর্ণনা করেন এবং প্রাচ্য ও প্রাতীচ্যের যে শক্তি ও সম্পদ
যুলকারনায়নের হস্তগত হয় এবং যে সব জনকল্যাণমুলক কাজ তিনি সম্পন্ন করেন ৷ সে সব
কথা আল্লাহ্ সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন ৷ কুরআনের পরিবেশিত এ তথ্যই সঠিক ও বাস্তব এবং
আহলে কিতাবদের হাতে তাদের কিতাবসমুহের যে সব অংশ অবিকৃত ছিল তার সাথে সম্পুর্ণ
ত্পতিপুর্ণ ৷ আর যা কিছু এতে রদ,-বদল করা হয়েছিল তার সবই তাতে প্রত্যাখ্যান করা হয় ৷
কেননা, আল্লাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সা)-কে সত্য দীনসহ প্রেরণ কারহ্নে৷ এবং তার উপর কিতাব


[الْمَسَائِلُ الَّتِي سُئِلَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَجَابَ فِيهَا بِمَا يُطَابِقُ الْحَقَّ] [مُطَابَقَةُ قَوْلِ النَّبِيِّ لِمَا تَشْهَدُ بِهِ الْكُتُبُ السَّابِقَةُ] بَابُ الْمَسَائِلِ الَّتِي سُئِلَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَجَابَ فِيهَا بِمَا يُطَابِقُ الْحَقَّ الْمُوَافِقَ لِمَا تَشْهَدُ بِهِ الْكُتُبُ الْمُتَقَدِّمَةُ الْمَوْرُوثَةُ عَنِ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلَهُ قَدْ ذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ الْبِعْثَةِ مَا تَعَنَّتَتْ بِهِ قُرَيْشٌ، وَبَعَثَتْ إِلَى يَهُودِ الْمَدِينَةِ يَسْأَلُونَهُمْ عَنْ أَشْيَاءَ يَسْأَلُونَ عَنْهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: سَلُوهُ عَنِ الرُّوحِ، وَعَنْ أَقْوَامٍ ذَهَبُوا فِي الدَّهْرِ فَلَا يُدْرَى مَا صَنَعُوا، وَعَنْ رَجُلٍ طَوَّافٍ فِي الْأَرْضِ بَلَغَ الْمَشَارِقَ وَالْمَغَارِبَ. فَلَمَّا رَجَعُوا سَأَلُوا عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، قَوْلَهُ تَعَالَى: {وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا} [الإسراء: 85] [سُورَةُ الْكَهْفِ] . ثُمَّ شَرَحَ خَبَرَهُ وَمَا وَصَلَ إِلَيْهِ مِنَ الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ، وَمَا عَمِلَ مِنَ الْمَصَالِحِ فِي الْعَالَمِ، وَهَذَا الْإِخْبَارُ هُوَ الْوَاقِعُ، وَإِنَّمَا يُوَافِقُهُ مِنَ الْكُتُبِ الَّتِي بِأَيْدِي أَهْلِ الْكِتَابِ مَا كَانَ مِنْهَا حَقًّا، وَأَمَّا مَا كَانَ مُحَرَّفًا مُبَدَّلًا فَذَاكَ مَرْدُودٌ، فَإِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ; لِيُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنَ الْأَخْبَارِ وَالْأَحْكَامِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى بَعْدَ ذِكْرِهِ التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ {وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ} [المائدة: 48] [سُورَةُ الْمَائِدَةِ] . وَذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ الْهِجْرَةِ قِصَّةَ إِسْلَامِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، وَأَنَّهُ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ انْجَفَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ، فَكُنْتُ فِيمَنِ انْجَفَلَ، فَلَمَّا رَأَيْتُ وَجْهَهُ عَلِمْتُ أَنَّ وَجْهَهُ لَيْسَ بِوَجْهٍ كَذَّابٍ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا سَمِعْتُهُ يَقُولُ: «أَيُّهَا النَّاسُ، أَفْشُوا السَّلَامَ وَصِلُوا الْأَرْحَامَ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصَلَّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلَامٍ» " وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " وَغَيْرِهِ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُلَيَّةَ وَغَيْرِهِ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، «قِصَّةُ سُؤَالِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ثَلَاثٍ لَا
পৃষ্ঠা - ৪৯২৫

নাযিল করেছেন এ উদ্দেশ্যে যে, মানুষ দীন সম্পর্কে যে মতবিরোধ করবে তিনি সত্যের
সাহায্যে সে সবের ফায়সালা দেবেন ৷ তাওরাত ও ইঞ্জিনের উল্লেখ করার পর আল্লাহ বলেন :


অর্থাৎ তোমার প্রতি সতসেহ কিতাব অবতীর্ণ করেছি এর পুর্বে অবতীর্ণ কিতাবের সমর্থন
ও সংরক্ষক রুপে” (৫ : ৪৮) ৷

ইতিপুর্বে হিজরতের আলোচনার শুরুতে আবদুল্পাহ্ ইবন সালামের ইসলাম গ্রহণের কথা
আমরা উল্লেখ করেছি ৷ তিনি বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মদীনায় আগমন করেন তখন
লোকজন দ্রুত তার কাছে এসে ভীড় জমাতে থাকে ৷ আমি ছিলাম তাদের মধ্যে একজন ৷ যখন
আমি তার চেহারার প্রতি তাকালাম তখন অকপটে বলে ফেললাম এ চেহারা কখনই
মিথ্যাবাদীব চেহারা নয় ৷ আমি তার মুখে প্রথম যে কথাগুলো শুনেহি তা হলো এই :
াদ্বুাশঃ ৷

এ্যা৬

“হে জনমণ্ডলী! ণ্,তামরা সালাম দেয়ার বহুল প্রচলন কর, আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক
অর্টুট রাখা লোকজনকে আহার করাও ৷ রাত্রিকালে সবলোক যখন নিদ্রিত থাকে তখন উঠে
(তড়াহাজ্জ্বদের) নামায পড়, তোমরা নিরাপদেজান্নাৰুত প্রবেশ করতে পারবে” ৷

সহীহ্ বুখারীসহ অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে ইসমাঈল ইবন আতিয়্যা সুত্রে আনাস (না) থেকে
আবদুল্লাহ ইবন সালামের প্রশ্নের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এমন তিনটি
বিষয়ে প্রশ্ন করেন যার উত্তর নবী ব্যতীত কেউ জানে না ৷ প্রশ্ন তিনটি এইংষ্ক ১ কিয়ামতের
প্রথম লক্ষণ কি ? ২ জান্নাতীরা সর্বপ্রথম কোন দ্রব্য আহার করবে ? ৩ কিসের কারণে সন্তান
পিতা বা মাতার-সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ হয় ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) উত্তরে বললেন, এই মাত্র জিবরাঈল
(আ) আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন ৷ তিনি বললেন, কিয়ামতের প্রথম লক্ষণ আগুন যা ন্
মানুষকে পুর্বদিক থােক পশ্চিম দিকে ছুাকিয়ে নিয়েযাবে ৷ জান্নাতীদের প্রথম আহার্য হবে
মাছের কলিজা, আর পুরুষের বীর্য যখন ত্রীর বীর্যের অগ্রবর্তী হয় তখন সন্তান পিতার সাথে
সাদৃশ্যপুর্ণ হয় ৷ আর স্তীর ৰীর্য যদি পুরুষের বীর্যের উপর অগ্রবর্তী হয় তবে সন্তান মার সাদৃশ্য
লাভ করে ৷

বড়ায়হাকী হাকিম সুত্রে সাঈদ আল মাকবুরী (রা) থােক আবদুল্লাহ ইবন সালামের প্রশ্ন
প্রসঙ্গ উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তিনি কিয়ামতের লক্ষণের স্থলে চাদের কলংক সম্বন্ধে
প্রশ্ন করার কথা উল্লেখ করেছেন ৷ উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, চাদের মধ্যে বাংলা দাগের
কারণ হচ্ছে প্রথমে দুটোই ছিল সুর্য, অতঃপর আল্লাহ বলেন :


অর্থাৎ “আমি রাত ও দিনাক করেছি দু টি নিদর্শন; রাতের নিদর্শনকে অপসারিত করেছি
(১৭ : ১২) ৷


يَعْلَمُهُنَّ إِلَّا نَبِيٌّ; مَا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ؟ وَمَا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الْجَنَّةِ؟ وَمَا يَنْزِعُ الْوَلَدُ إِلَى أَبِيهِ وَإِلَى أُمِّهِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَخْبَرَنِي بِهِنَّ جِبْرِيلُ آنِفًا ". ثُمَّ قَالَ: " أَمَّا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ فَنَارٌ تَحْشُرُ النَّاسَ مِنَ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ، وَأَمَّا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الْجَنَّةِ فَزِيَادَةُ كَبِدِ الْحُوتِ، وَأَمَّا الْوَلَدُ فَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَ الْمَرْأَةِ نَزَعَ الْوَلَدُ إِلَى أَبِيهِ وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الْمَرْأَةِ مَاءَ الرَّجُلِ نَزَعَ الْوَلَدُ إِلَى أُمِّهِ» وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ، فَذَكَرَ مُسَاءَلَةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: فَسَأَلَهُ عَنِ السَّوَادِ الَّذِي فِي الْقَمَرِ. بَدَلَ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ إِلَى أَنْ قَالَ: وَأَمَّا السَّوَادُ الَّذِي فِي الْقَمَرِ، فَإِنَّهُمَا كَانَا شَمْسَيْنِ فَقَالَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ: {وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ آيَتَيْنِ فَمَحَوْنَا آيَةَ اللَّيْلِ} [الإسراء: 12] . فَالسَّوَادُ الَّذِي رَأَيْتَ هُوَ الْمَحْوُ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَدِيثٌ آخَرُ فِي مَعْنَاهُ: قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو زَكَرِيَّا يَحْيَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمُزَكِّي، أَنَا أَبُو الْحَسَنِ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدُوسٍ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَا الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ أَبُو تَوْبَةَ، ثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلَامٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ سَلَامٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلَامٍ، يَقُولُ: أَخْبَرَنِي أَبُو أَسْمَاءَ الرَّحْبِيُّ أَنَّ ثَوْبَانَ حَدَّثَهُ قَالَ: «كُنْتُ قَائِمًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَهُ حَبْرٌ مِنْ أَحْبَارِ الْيَهُودِ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا
পৃষ্ঠা - ৪৯২৬

সুতরাং চাচদর পায়ে তোমরা যে কাল দাগ দেখতে পাও তা হচ্ছে সেই অপসারণ ৷ তারপর
আবদুল্লাহ ইবন সালাম ৷াট্রু;ৰুদ্বু৷ শ্আমি

সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ চনই এবং মুহাম্মদ (সা) আল্পাহ্ রাসুল ৷

উপরোক্ত কথার সমর্থনে ডিন হাদীস ন্

হাফিয বায়হাকী আবুযাকাবিয়দ্র৷ ইয়াহইয়৷ ইবন ইব্রাহীম আল-মুযাকী (র) সুত্রে ছওবান
(বা) থ্রেকে বর্ণনা কচরন৪ তিনি বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে ছিলাম ৷
এমন সময় জনৈক ইয়াহুদ্রী পণ্ডিত এসে বলচলা৪াষ্ষ্া ণ্১া৷ ৷ হে মুহাম্মদ
তোমার উপর সালাম’ ৷ এ কথা শুনে আমি তাকে এতো চজাচর ধাক্কা দিলাম যে, তার পড়ে ,
যাওয়ার উপক্রম হল ৷ চস বলচ লা, আমাকে ধাক্কা দিলে কেন ? আমি বললাম, তুমি চহ
আল্লাহর রাসুল বলতে পারবে না ৷ চস বললো, আমি তাকে সে নামেই সম্বোধন করেছি যে
নাম তার পরিবার চরচ খচছ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বর্লচলন ৪ আমার পবিবারবর্গ আমার নাম
রেখেছেন মুহাম্মদ ৷ এরপর ইয়াহুদী বললো, আমি আপনার নিকট কয়েকটি প্রশ্ন করার জা
এসেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি যদি সে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি তবে কি তোমার
কোন উপকার হবে ? যে বললো, আমি মনােচয়াগ সহকারে শুনবে৷ ৷ রাসুলুল্লাহ (না) তার
হাতের লাঠি দিয়ে মাটিতে দাগ দিয়ে বললেন, আচ্ছা, তোমার কী প্রশ্ন বল ইয়াহদীটি বললো,
এই পৃথিবীকে এবং আকাশমণ্ডলীকে যখন জ্যি রুপাতরিদ্ভ করা হবে, সেদিন মানুষ চকাথায়
থাকবে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, পুলসিরাতের নিকট অন্ধকারের মধ্যে থাকবে ৷ এরপর
দ্বিতীয় প্রশ্ন করল, প্রথমে কারা জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি পাবে ? রাসুলুল্পা হ্ (সা) বললেন,
দরিদ্র মুহাজিরগণ ৷ ইয়াহুদীটি তৃতীয় প্রশ্ন করলো, তারা যখন জান্নাচত প্রবেশ করবেন তখন
তাদেরকে কিসের দ্বারা আপ্যায়ন করা হবে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, মাছের কলিজা দ্বারা ৷
সেরললো এরপর তাদেরকে কি খাদ্য খেতে দেয়া হবে ? তিনি বললেন, তাদের জা
জান্নাতের র্ষাড় যচবহ করা হবে, তারা তা থেকে গোশত খাবে ৷ চস বললো, তাদের কী পানীয়
পরিবেশন করা হবে ? তিনি বললেন : জান্নাতের এমন এক সালসাবীল প্ৰস্রবণ থেকে ৷ সে
বললো, আপনি যথার্থ বচলহ্নে৷ ৷ তারপর চস বলল, আমি আপনাকে আরও একটা প্রশ্ন করবো
যার উত্তর এ পৃথিবীতে নবী বা একজন অথবা দু জন ব্যতীত আর কেউ দিতে পারবে না ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যদি আমি উত্তর দিতে পারি তবে তোমার কোন উপকার হবে কি ?
সে বলল, আমি মনোযোগ দিয়ে শুনচবা ৷ অতঃপর চস বলল, বলুন, সন্তান নারী-পুরুষ হওয়ায়
রহস্য কি ? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, পুরুষের বীর্য সাদা আর নারীদের বীর্য হলুদ ৷ যখন উভয়
বীর্য মিলিত হয় এবং ত্রীর বীচর্ষর উপরে পুরুষের বীচর্যয় অবস্থান প্রবল হয় তখন আল্লাহর
হুকুচম সন্তান পুরুষ হয় ৷ আর যখন ত্রীর বীর্য পুরুষের বীচর্যর উপর প্রবল হয় তখন আল্লাহর
হুকুচম সন্তান মেয়ে হয় ৷ ইয়াহুদীটি বললো, আপনি যথার্থ বলেছেন, নিঃসন্দেহে আপনি নবী ৷
এ বলে সে প্রত্যাবর্তন করলো ৷ নবী করীম (সা) বললেন, এ ব্যক্তি আমাকে যে সব প্রশ্ন
করেছে তার কােনটির উত্তর আমি জানতাম না ৷ আল্লাহ-ই আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন ৷ এ
হ্াদীসঢি ইমাম মুসলিম হাসান ইবন আলী আল-হুলওয়ানীর সুত্রে উদ্ধৃত করেছেন ৷ প্ৰশ্নকারী এ
ব্যক্তিটি র্নআবদুল্লাহ্ ইবন সালামও হতে পারেন বা অন্য কেউ ও হতে পারে ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন


مُحَمَّدُ. فَدَفَعْتُهُ دَفْعَةً كَادَ يُصْرَعُ مِنْهَا. قَالَ: لِمَ تَدْفَعُنِي؟ قَالَ: قُلْتُ: أَلَا تَقُولُ يَا رَسُولُ اللَّهِ؟! قَالَ: إِنَّمَا سَمَّيْتُهُ بِاسْمِهِ الَّذِي سَمَّاهُ بِهِ أَهْلُهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ اسْمِيَ الَّذِي سَمَّانِي بِهِ أَهْلِي مُحَمَّدٌ ". فَقَالَ الْيَهُودِيُّ: جِئْتُ أَسْأَلُكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَنْفَعُكَ شَيْءٌ إِنْ حَدَّثْتُكَ؟ " قَالَ: أَسْمَعُ بِأُذُنِي. فَنَكَتَ بِعُودٍ مَعَهُ، فَقَالَ لَهُ " سَلْ ". فَقَالَ لَهُ الْيَهُودِيُّ: أَيْنَ النَّاسُ يَوْمَ تُبَدَّلُ الْأَرْضُ غَيْرَ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فِي الظُّلْمَةِ دُونَ الْجِسْرِ ". قَالَ: فَمَنْ أَوَّلُ النَّاسِ إِجَازَةً؟ قَالَ: " فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ ". قَالَ الْيَهُودِيُّ: فَمَا تُحْفَتُهُمْ حِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ؟ قَالَ: " زِيَادَةُ كَبِدِ نُونٍ ". قَالَ: وَمَا غِذَاؤُهُمْ عَلَى إِثْرِهِ؟ قَالَ: " يُنْحَرُ لَهُمْ ثَوْرُ الْجَنَّةِ الَّذِي كَانَ يَأْكُلُ مِنْ أَطْرَافِهَا ". قَالَ: فَمَا شَرَابُهُمْ عَلَيْهِ؟ قَالَ: " مِنْ عَيْنٍ فِيهَا تُسَمَّى سَلْسَبِيلًا ". قَالَ: صَدَقْتَ. قَالَ: وَجِئْتُ أَسْأَلُكَ عَنْ شَيْءٍ لَا يَعْلَمُهُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ إِلَّا نَبِيٌّ أَوْ رَجُلٌ أَوْ رَجُلَانِ. قَالَ " يَنْفَعُكَ إِنْ حَدَّثَتْكَ؟ " قَالَ: أَسْمَعُ بِأُذُنِي. قَالَ: جِئْتُ أَسْأَلُكَ عَنِ الْوَلَدِ. قَالَ: " مَاءُ الرَّجُلِ أَبْيَضُ وَمَاءُ الْمَرْأَةِ أَصْفَرُ، فَإِذَا اجْتَمَعَا فَعَلَا مَنِيُّ الرَّجُلِ مَنِيَّ الْمَرْأَةِ أَذْكَرَا بِإِذْنِ اللَّهِ. وَإِذَا عَلَا مَنِيُّ الْمَرْأَةِ مَنِيَّ الرَّجُلِ أَنَّثَا بِإِذْنِ اللَّهِ ". فَقَالَ الْيَهُودِيُّ: صَدَقْتَ وَإِنَّكَ لِنَبِيٌّ. ثُمَّ انْصَرَفَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّهُ سَأَلَنِي هَذَا الَّذِي سَأَلَنِي عَنْهُ وَمَا أَعْلَمُ شَيْئًا مِنْهُ حَتَّى أَتَانِي اللَّهُ بِهِ» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيِّ، عَنْ أَبِي تَوْبَةَ الرَّبِيعِ بْنِ نَافِعٍ بِهِ. وَهَذَا الرَّجُلُ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ هُوَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلَامٍ، وَيَحْتَمِلُ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৯২৭

আরও একটি হাদীস

আবু দাউদ আত-তায়ালিসী (র) আবদুল হামীদ ইবন বাহরাম সুত্রে ছুবন “আব্বাস (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার কতিপয় ইয়াহুদী রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে
বলল : হে আল্লাহ্ রাসুল ! আমরা আপনাকে চারটি বিষয়ে প্রশ্ন করবো যার উত্তর নবী ব্যতীত
অন্য কেউ জানেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : তোমরা আমাকে যে কোন প্রশ্ন করতে পার ৷
তবে আল্লাহ্কে সাক্ষী রেখে আমাকে এ অঙ্গীকার দাও, যেরুপে ইয়াকুব (আ) তার সন্তানদের

থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন ৷ আমি তোমাদেরকে যে কথা বলবো, ণ্তামরা যদি তা সত্য বলে
বিশ্বাস কর তবে ইসলাম গ্রহণ করে আমার আনুগত্য করবে ৷ তারা বলল, হী, আপনাকে এ
প্রতিশ্রুতি দেয়া হলো ৷ তিনি বললেন, এবার তোমাদের যা ইচ্ছে প্রশ্ন কর ৷ তারা বলালা,
আমাদের নিম্ন বর্ণিত চারটি প্রশ্নের উত্তর দিন : ১ তাওরাত অবতীর্ণ হওয়ার পুর্বে ইসরাঈল
কোন কােনৃ খাদ্য দ্রব্য নিজের উপর হারাম করে নিয়েছিলেন ? ২ কােনৃ প্রকার বীর্য দ্বারা পুরুষ
সন্তান ও কোনৃ প্রকার বীর্য দ্বারা কন্যা সন্তান জন্ম হয় ? ৩ নিদ্র্যকালে এই নবীর অবস্থা কী
রুপ হয় ? : কোন ফেরেশতা আপনার বন্ধু ?

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি তোমাদের থেকে এই মর্মে আল্লাহ্কে সাক্ষী রেখে
অঙ্গীকার নিয়েছি যে, যদি আমি উত্তর দিতে পারি তবে তোমরা আমার আনুগত্য করবে এবং
তোমরা তা স্বীকারও করেছ ৷ তারপর নবী করীম (সা) বললেন, সেই আল্পাহ্র নামে শপথ
করে বলছি যিনি মুসা (আ)-এর প্ৰতি তাওরাত নাযিল করেছেন, তোমরা কি জানাে না,
ইসরাঈল অর্থাৎ ইয়াকুব নবী একবার কঠিন রোগে আক্রান্ত হন ৷ দীর্ঘ দিন যাবত এ ব্লোগ
স্থায়ী থাকলে তিনি মান্নত করেন যে, য়দি আল্লাহ্ তাকে নিরাময় করেন তবে তিনি তার সব
চইিতে প্রিয় খাদ্য ও প্রিয় পানীয় নিজের উপর হারাম করবেন ৷ আর তার নিকট সবচেয়ে প্রিয়
পানীয় ছিল উটের দুধ এবং সবচেয়ে প্রিয় খাদ্য ছিল উটের গো শত ৷ তারা বলল, আপনি যথার্থ
বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আল্লাহ্! তুমি এদের উপর সাক্ষী থাক ৷ এরপর
বললেন, আমি সেই আল্পাহ্র শপয় করে বলছি, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নইি এবং যিনি
মুসা (আ)-এর উপর তাওরাত অবতীর্ণ করেছেন, ঠুতামরা কি জান না, পুরুষের বীর্য হয় সাদা
আর নারীদের বীর্য হয় হলুদ ৷ এ দুরের মধ্যে যেটার প্রাধান্য হয়, সন্তান তারই সদৃশ হয় ৷ যদি
ত্রীর বীর্যের উপর পুরুষের বীর্যেরপ্রাধান্যইয়, তবে আল্পাহ্ হুকুমে সন্তান পুরুষ হয় ৷ আর যদি
শ্রীর বীর্য পুরুষের বীর্যের উপর প্রাধান্য পায়, তবে সন্তান আল্লাহ্র হুকুমে কন্যা হয় ৷ তারা
বললো, ঠিক বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আল্লাহ্! আপনি সাক্ষী থাকুন ৷

এরপর তিনি বললেন, আমি তোমার সেই আল্পাহ্র শপথ করে বলছি, যিনি ব্যতীত অন্য
কোন মা’বুদ নইি এবং যিনি মুসা (আ)-এর প্ৰতি তাওরাত নাযিল করেছেন ৷ তোমরা জোন
নাও যে, এই নবীর চক্ষু নিদ্রা যায় কিন্তু তার কালুব নিদ্রাভিভুত হয় না ৷ তারা বলালা, হী,
আপনি সত্য বলেছেন ৷ তিনি বললেন যে আল্লাহ্ষ্ আপনি সাক্ষী থাকুন ৷ তারা বললো, এখন
আপনি বলুন, ফেরেশতাদের মধ্যে আপনার বন্ধু ফে ? এবার হয় আমরা আপনার সাথে
থাকবাে, অথবা পৃথক হয়ে যাব ৷ তিনি বললেন, আমার বন্ধু জিবরাঈল (আ) ৷ আল্লাহ্ কোন
নৰীবেইি জিবরাঈলের বন্ধুতু বিহীন করে পাঠাননি ৷ তারা বললো, এটাই আপনার সাথে থাকা


يَكُونَ غَيْرَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَهْرَامٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ: «حَضَرَتْ عِصَابَةٌ مِنَ الْيَهُودِ يَوْمًا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، حَدِّثْنَا عَنْ خِلَالٍ نَسْأَلُكَ عَنْهَا لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا نَبِيٌّ. قَالَ: " سَلُونِي عَمَّا شِئْتُمْ، وَلَكِنِ اجْعَلُوا لِي ذِمَّةَ اللَّهِ وَمَا أَخَذَ يَعْقُوبُ عَلَى بَنِيهِ إِنْ أَنَا حَدَّثَتْكُمْ بِشَيْءٍ تَعْرِفُونَهُ صِدْقًا لَتُبَايِعُنِّي عَلَى الْإِسْلَامِ ". قَالُوا: لَكَ ذَلِكَ. قَالَ: " سَلُوا عَمَّا شِئْتُمْ ". قَالُوا: أَخْبِرْنَا عَنْ أَرْبَعِ خِلَالٍ نَسْأَلُكَ عَنْهَا; أَخْبِرْنَا عَنِ الطَّعَامِ الَّذِي حَرَّمَ إِسْرَائِيلُ عَلَى نَفْسِهِ مِنْ قَبْلِ أَنْ تُنَزَّلَ التَّوْرَاةُ، وَأَخْبِرْنَا عَنْ مَاءِ الرَّجُلِ كَيْفَ يَكُونُ الذَّكَرُ مِنْهُ حَتَّى يَكُونَ ذَكَرًا، وَكَيْفَ تَكُونُ الْأُنْثَى حَتَّى تَكُونَ أُنْثَى، وَأَخْبِرْنَا كَيْفَ هَذَا النَّبِيُّ فِي النَّوْمِ، وَمَنْ وَلِيُّكَ مِنَ الْمَلَائِكَةِ. قَالَ: " فَعَلَيْكُمْ عَهْدُ اللَّهِ لَئِنْ أَنَا حَدَّثْتُكُمْ لَتُبَايِعُنِّي ". فَأَعْطَوْهُ مَا شَاءَ مِنْ عَهْدِ وَمِيثَاقٍ. قَالَ: " أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ إِسْرَائِيلَ - يَعْقُوبَ - مَرِضَ مَرَضًا شَدِيدًا وَطَالَ سَقَمُهُ فِيهِ، فَنَذَرَ لِلَّهِ نَذْرًا لَئِنْ شَفَاهُ اللَّهُ مِنْ سَقَمِهِ لَيُحَرِّمَنَّ أَحَبَّ الشَّرَابِ إِلَيْهِ وَأَحَبَّ الطَّعَامِ إِلَيْهِ، وَكَانَ أَحَبُّ الشَّرَابِ إِلَيْهِ أَلْبَانَ الْإِبِلِ، وَأَحَبُّ الطَّعَامِ إِلَيْهِ لُحْمَانَ الْإِبِلِ؟ " قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ اشْهَدْ عَلَيْهِمْ ". قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৪৯২৮

বা না থাকার কারণ ৷ যদি জিবরাঈল ভিন্ন অন্য কোন ফেরেশতা আপনার বন্ধু হতো, তবে
আমরা অবশ্যই আপনার কাছে বায়আত হতাম ও আপনাকে সত্য বলে মানতাম ৷ রাসুল (সা)
বললেন, জিবরাঈলকে স্বীকার করতে তোমাদের বাধা কোথায়? তারা উত্তর দিল,
ফেরেশতাদের মধ্যে সেই আমাদের শত্রু ৷ এরপর আল্লাহ্ নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন :

পুা’দ্বু
“বল, যে কেউ জিবরাঈলের শত্রু এ জন্য যে, সে আল্লাহ্র নির্দেশে তোমার হৃদয়ে কুরআন
পৌছে দিয়েছে (২ : ৯৭) ৷
অন্যত্র আল্লাহ্ তাআলা বলেন : ,“ াহু এ্যাগু ৷টু’ণ্া ’ৰুঠুব্র “সুতরাং তারা ক্রোধের
উপর ণ্ক্রাধের পাত্র হলো (২ : ৯০) ৷

আরও একটি হাদীস

ইমাম আহমদ (র) ইয়াযীদ সুত্রে সাফওয়ান ইবন আস্সাল আলমুরাদী (র) থেকে বর্ণনা
করেন যে , একদা এক ইয়াহুদী তার জনৈক সাথীকে বলল,চল আমরা এই নবীর কাছে যইি
এবং এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি : (অর্থাৎ-
আমি মুসাকে সুস্পষ্ট নয়টি আয়াত দান করেছি) ৷ তার সার্থী তাকে বলল, এ লোকের কাছে
কোন কথা বলো না, কেননা সে যদি তোমার কথা শুনতে পায় তবে তার দম্ভ বেড়ে যাবে ৷
তারপর তারা দৃজনেই এসে নবী করীম (না)-কে প্রশ্ন করলো ৷ নবী করীম (না) বললেন :


৷ প্ট্র ৷

এ্যা

অর্থাৎ তোমরা আল্লাহ্র সাথে কাউকে শরীক করো না, চুরি করো না, ব্যাভিচার করো না,
যাকে হত্যা করা আল্লাহ্ হারাম করেছেন, তাকে অন্যায়ভাৰে হত্যা করে না, যাদু করো না,
সুদ ধেয়াে না, সতী নারীর উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করো না অথবা তিনি বলেছেন, যুদ্ধ-
ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করো না, আর বিশেষভাবে তোমরা হে ইয়াহুদী জাতি ! শনিবারের হুকুমের
ব্যাপারে সীমালংঘন করো না ৷

এ কথা শুনে তারা উডয়ে তার উভয় হাতে ও পায়ে চুম্বন করলো এবং বলল, “আমরা
সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি সত্য নবী ৷” তিনি বললেন : তাহলে আমার আনুগত্য করতে তোমাদের
বাধা কোথায় ? তারা উত্তর দিল, দাউদ (আ) আল্লাহ্র দরবারে প্রার্থনা করেছিলেন যে, তার
ত্শধরদের মধ্য হতে যেন সর্বদা একজন করে নবী হন, তা ছাড়া আমাদের ভয় হচ্ছে, যদি
আমরা ইসলমি গ্রহণ করি তবে ইয়াহ্রদীরা আমাদেরকে হত্যা করে ফেলবে ৷ এ হাদীসটিকে
তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজা, ইবন জারীর, হাকীম ও বায়হড়াকী (র) শু ব৷ সুত্রে বর্ণনা

করেছেন এবং তিরমিযী একে হাসান ও সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন ৷


" فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى، هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ مَاءَ الرَّجُلِ غَلِيظٌ أَبْيَضُ، وَأَنَّ مَاءَ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَرُ، فَأَيُّهُمَا عَلَا كَانَ لَهُ الْوَلَدُ وَالشَّبَهُ بِإِذْنِ اللَّهِ، وَإِنَّ عَلَا مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَ الْمَرْأَةِ كَانَ ذَكَرًا بِإِذْنِ اللَّهِ، وَإِنَّ عَلَا مَاءُ الْمَرْأَةِ مَاءَ الرَّجُلِ كَانَ أُنْثَى بِإِذْنِ اللَّهِ؟ " قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ اشْهَدْ عَلَيْهِمْ ". قَالَ: " وَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى، هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ هَذَا النَّبِيَّ تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلَا يَنَامُ قَلْبُهُ؟ " قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: " اللَّهُمَّ اشْهَدْ عَلَيْهِمْ ". قَالُوا: أَنْتَ الْآنَ حَدِّثْنَا عَنْ وَلِيِّكَ مِنَ الْمَلَائِكَةِ؟ فَعِنْدَهَا نُجَامِعُكَ أَوْ نُفَارِقُكَ. قَالَ: " وَلِيِّي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَلَمْ يَبْعَثِ اللَّهُ نَبِيًّا قَطُّ إِلَّا وَهُوَ وَلِيُّهُ ". قَالُوا: فَعِنْدَهَا نُفَارِقُكَ، لَوْ كَانَ وَلِيُّكَ غَيْرَهُ مِنَ الْمَلَائِكَةِ لَتَابَعْنَاكَ وَصَدَّقْنَاكَ. قَالَ: " فَمَا يَمْنَعُكُمْ أَنْ تُصَدِّقُوهُ؟ " قَالُوا: إِنَّهُ عَدُوُّنَا مِنَ الْمَلَائِكَةِ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {قُلْ مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِجِبْرِيلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلَى قَلْبِكَ بِإِذْنِ اللَّهِ} [البقرة: 97] الْآيَةَ [الْبَقَرَةِ: 97] . وَنَزَلَتْ {فَبَاءُوا بِغَضَبٍ عَلَى غَضَبٍ} [البقرة: 90] الْآيَةَ [الْبَقَرَةِ: 90] » حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَزِيدُ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنُ مُرَّةَ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلَمَةَ يُحَدِّثُ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ الْمُرَادِيِّ قَالَ: «قَالَ يَهُودِيٌّ لِصَاحِبِهِ: اذْهَبْ بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ حَتَّى نَسْأَلَهُ عَنْ هَذِهِ الْآيَةِ: {وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ} [الإسراء: 101] . فَقَالَ: لَا تَقُلْ لَهُ: نَبِيٌّ. فَإِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৪৯২৯
لَوْ سَمِعَكَ لَصَارَتْ لَهُ أَرْبَعُ أَعْيُنٍ. فَسَأَلَاهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا، وَلَا تَسْرِقُوا وَلَا تَزْنُوا، وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ، وَلَا تَسْحَرُوا، وَلَا تَأْكُلُوا الرِّبَا، وَلَا تَمْشُوا بِبَرِئٍ إِلَى ذِي سُلْطَانٍ لِيَقْتُلَهُ، وَلَا تَقْذِفُوا مُحْصَنَةً أَوْ قَالَ: لَا تَفِرُّوا مِنَ الزَّحْفِ. شُعْبَةُ الشَّاكُّ - وَأَنْتُمْ يَا مَعْشَرَ يَهُودَ عَلَيْكُمْ خَاصَّةً أَنَّ لَا تَعْدُوا فِي السَّبْتِ ". قَالَ: فَقَبَّلَا يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ وَقَالَا: نَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ. قَالَ: " فَمَا يَمْنَعُكُمَا أَنْ تَتَّبِعَانِي؟ " قَالَا: إِنَّ دَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، دَعَا أَنْ لَا يَزَالَ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ نَبِيٌّ، وَإِنَّا نَخْشَى إِنْ أَسْلَمْنَا أَنْ تَقْتُلَنَا يَهُودُ وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَابْنُ جَرِيرٍ وَالْحَاكِمُ وَالْبَيْهَقِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ شُعْبَةَ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. قُلْتُ: وَفِي رِجَالِهِ مَنْ تُكُلِّمَ فِيهِ، وَكَأَنَّهُ اشْتَبَهَ عَلَى الرَّاوِي التِّسْعُ الْآيَاتِ بِالْعَشَرِ الْكَلِمَاتِ، وَذَلِكَ أَنَّ الْوَصَايَا الَّتِي أَوْحَاهَا اللَّهُ إِلَى مُوسَى وَكَلَّمَهُ بِهَا لَيْلَةَ الطُّورِ بَعْدَمَا خَرَجُوا مِنْ دِيَارِ مِصْرَ وَشَعْبُ بَنِي إِسْرَائِيلَ حَوْلَ الطُّورِ حُضُورٌ، وَهَارُونُ وَمِنْ مَعَهُ مِنَ الْعُلَمَاءِ وُقُوفٌ عَلَى الطُّورُ أَيْضًا، وَحِينَئِذٍ كَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى آمِرًا لَهُ بِهَذِهِ الْعَشْرِ كَلِمَاتٍ، وَقَدْ فُسِّرَتْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ، وَأَمَّا التِّسْعُ الْآيَاتِ فَتِلْكَ دَلَائِلُ، وَخَوَارِقُ عَادَاتٍ أُيِّدَ بِهَا مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَظْهَرَهَا اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ بِدِيَارِ مِصْرَ، وَهِيَ الْعَصَا وَالْيَدُ وَالطُّوفَانُ وَالْجَرَادُ وَالْقَمْلُ وَالضَّفَادِعُ وَالدَّمُ وَالْجَدْبُ وَنَقْصُ الثَّمَرَاتِ» ، وَقَدْ بَسَطْنَا
পৃষ্ঠা - ৪৯৩০

আমার মতে, এ হাদীসের সনদে একজন বিতর্কিত রাৰী রয়েছেন ৷ নারী এখানে নয়টি
আয়াতকে সাথে তালগোল পাকিয়ে
ফেল্যেছনগৃ৷ ঘটনা হলো মুসা (আ) মিসর ত্যাগ করে আসার পর লায়লাতুল কদরে তুর
পাহাড়ে এলে আল্পাহ্ এ দশটি কলেমার আদেশ দেন ৷ তখন বনী ইসরাঈলের লোকজন তুর
পাহাড়ের পাদদেশে উপস্থিত ছিল এবং হারুন ও তার কতিপয় সাথী তুর পাহাড়ের উপরে
অবস্থান করছিলেন ৷ তখন আল্লাহ তাআলা মুসা (আ) এর সাথে কথা বলেন (রুা৷ ৷ এ্যাব্র ,
াট্রুার্দুধুট্র ন্ৰুন্ঠু) এবং উক্ত দশটি নির্দেশ দেন ৷ যথান্থানে আমি এ হাদীসের ব্যাখ্যা দিয়েছি ৷
আর নয়টি আয়াত (নিদর্শন) হলো সেই সব নিদর্শন ও অলৌকিক কাজ যেগুলো দ্বারা আল্লাহ্
তাআলা মুসা (আ) কে সাহায্য করেছিলেন এবং তার মিসরে অব্স্থান কালেআল্লাহ্ তা প্রকাশ
করেছিলেন ৷ সেগুলো হচ্ছে লাঠি, সমুজ্জ্বল হাত, বন্যা, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত,ণ্দৃর্ভিক্ষ ও
ফল-ফসলের ক্ষতি ৷ এ সম্পর্কে আমি তাফসীর গ্রন্থে বিশদডারে আলোচনা করেছি ৷

মুহংা৷হ্ান্া৷া১ প্রসঙ্গ
আমি আমার তাফসীর গ্রন্থে সুরা বাকারার নিম্নোক্ত আয়াত :







এে৷ এে ৷গু
অর্থাৎ “বল, যদি আল্লাহ্র নিকট পরকালের বাসস্থান অন্য লোক ব্যতীত বিশেষভাবে শুধু
তোমাদের জন্যই হয়, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর-ৰু যদি সত্যবাদী হও ৷ বিন্দু তাদের
কৃতকর্মের জন্য তারা কখনও তা কামনা করবে না এবং আল্লাহ্ জালিমদের সম্বন্ধে অবহিত”
হে৪ওেগুধো৷
এবং সুরা জুমুআর নিম্নোক্ত আয়াত :

০ :

ত্রৈ

০ :



অর্থাৎ “বল, হে ইয়াহুদীরা!’ যদি তোমরা মনে কর যে, তােমরইি আল্লাহ্র বন্ধু, অন্য

কোন মানবগােষ্ঠী নয়, তবে তােমরা মৃত্যু কামনা কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক ৷ কিন্তু

ওরা ওদের পুর্বে কৃত কর্মের কারণে কখনও মৃত্যু কামনা করবে না ৷ আল্লাহ্ জালিমদের
সম্পর্কে সম্যক অবগত” (৬২৪ ৬ ৭) ৷

১ দৃইপক্ষে পরস্পরে এ মর্মে বদদু আ করা যে, তাদের মধ্যে যে পক্ষ মিথ্যাবাদী হয়ে তাদের উপর যেন
আল্লাহ্র লা নত হয় ৷ সম্পাদকদ্বয়


الْقَوْلَ عَلَى ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [دَعْوَةُ النَّصَارَى إِلَى الْمُبَاهَلَةِ] فَصْلٌ دَعْوَةُ النَّصَارَى إِلَى الْمُبَاهَلَةِ وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْبَقَرَةِ ": {قُلْ إِنْ كَانَتْ لَكُمُ الدَّارُ الْآخِرَةُ عِنْدَ اللَّهِ خَالِصَةً مِنْ دُونِ النَّاسِ فَتَمَنَّوُا الْمَوْتَ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ وَلَنْ يَتَمَنَّوْهُ أَبَدًا بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ} [البقرة: 94] [الْجُمُعَةِ 6، 7] . وَذَكَرَنَا أَقْوَالَ الْمُفَسِّرِينَ فِي ذَلِكَ، وَأَنَّ الصَّوَابَ أَنَّهُ دَعَاهُمْ إِلَى الْمُبَاهَلَةِ; أَنْ يَدْعُوَ بِالْمَوْتِ عَلَى الْمُبْطِلِ مِنْهُمْ أَوِ الْمُسْلِمِينَ، فَنَكَلُوا عَنْ ذَلِكَ لِعِلْمِهِمْ بِظُلْمِ أَنْفُسِهِمْ، وَأَنَّ الدَّعْوَةَ تَنْقَلِبُ عَلَيْهِمْ، وَيَعُودُ وَبَالُهَا إِلَيْهِمْ، وَهَكَذَا دَعَا النَّصَارَى مِنْ أَهْلِ نَجْرَانَ حِينَ حَاجُّوهُ فِي عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ، فَأَمْرَهُ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَهُمْ إِلَى الْمُبَاهَلَةِ فِي قَوْلِهِ: {فَمَنْ حَاجَّكَ فِيهِ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ وَنِسَاءَنَا وَنِسَاءَكُمْ وَأَنْفُسَنَا وَأَنْفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ} [آل عمران: 61] . وَهَكَذَا دَعَا عَلَى
পৃষ্ঠা - ৪৯৩১

এর তাফসীর প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে মুফাসৃসিরগণের মতামত উল্লেখ
করেছি ৷ প্রকৃতপক্ষে এ সব আয়াতে ইয়াহুদী বা মুসলিম যে দলই মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত
তাদের উপর অভিশাপ বর্ষণ ও মৃত্যু কামনা করে মুবাহালা করার জন্য ইয়াহুদীদেরকে আহ্বান
জানান হয়েছে ৷ কিন্তু তারা এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি ৷ কারণ তারা জানতো যে, তারাই
নিজেদের প্রতি অত্যাচারী এবং অভিশাপ তাদের দিকেই ফিরে আসবে এবং তারাই ধ্বং স হবে ৷

অনুরুপভাবে নাজরানের খৃষ্টানরা যখন ঈসা ইবন মারয়াম (আ) সম্পর্কে নবী (না)-এর
সাথে বিতর্ক করেছিল, তখন আল্লাহ নিম্নলিখিত আয়াতে নবীকে মুবাহালা করার জন্যে
খৃন্টানদেরকৈ আহ্বান জানাতে আদেশ দেন


অর্থাৎ “তোমার নিকট সঠিক জ্ঞান আসার পর যে কেউ এ বিষয়ে তোমার সাথে তর্ক করে
তাকে বল, এসো, আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্রদেরকে ও তোমাদের পুত্রদেরকে,
আমাদের নারীদেরকে ও তোমাদের নারীদেরকে, আমাদের নিজেদেরকে ও তোমাদের
নিজদেরকে; তারপর আমরা বিনীত আবেদন করি এবং মিথ্যাবাদীদের উপর দেই আল্লাহ্র
লানত” (৩ : ৬১) ৷
একইভাবে মুশবিকদেবকেও মুবাহালা করার জন্য আল্লাহ নিম্নোক্ত আয়াতে আহ্বান জানানঃ

’ ’

াপুণ্ ”fl; ৷ এ

অর্থাৎ “বল, যায়৷ বিভ্রান্তিতে আছে, দয়াময় তাদেরকে প্রচুর ঢিল দেবেন (১৯ং ৭৫) ৷

এ প্রসঙ্গে উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যার আমি আমার তাফসীর গ্রন্থে বিশদতাবে আলোচনা
করেছি ৷ সবলে প্রশংসা একমাত্র আল্পাহ্র ৷

ইয়াহুদীদের কপটতা ও সার্বুৰাদিতা

ইয়াহুদীরারাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আল্লাহ্র রাসুল বলে স্বীকার করে এবং বিচার-ফয়সালার
জন্য তাকে ফয়সালাকারী বলে মান্য করে ৷ কিভু সবই করে অসৎ উদ্দেশ্যে :

ইয়াহ্দীরা একবার পরামর্শ করলো যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যদি তাদের ইচ্ছানুযায়ী ফয়সালা
করেন তবে তারা তার অনুসরণ করবে, আর যদি তা না করেন তবে তা পরিত্যাগ করবে ৷
আল্লাহ তা আলা কুরআনে তাদের এ অসৎ উদ্দোশ্যর নিন্দা করেন ৷

আবদুল্লাহ্ ইবন মুবারক মা মার সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট বসা হ্নিা৷ম ৷ এ সময়ে কতিপয় ইয়াহুদী তথায়
উপস্থিত হলো ৷ কিছু দিন আগে তাদের মধ্যে একটি ব্যভিচারের ঘটনা ঘটে ৷ তারা পরস্পরে
পরামর্শ করে যে, চলো আমরা এই নবীর নিকট বিচার প্রার্থনা করি, কারণ তিনি সহজ
বিধানসহ প্রেরিত হয়েছেন ৷ যদি তিনি রজম (পাথর মেরে হত্যা) ছাড়া অন্য কোন শাস্তির


الْمُشْرِكِينَ عَلَى وَجْهِ الْمُبَاهَلَةِ فِي قَوْلِهِ: {قُلْ مَنْ كَانَ فِي الضَّلَالَةِ فَلْيَمْدُدْ لَهُ الرَّحْمَنُ مَدًّا} [مريم: 75] . وَقَدْ بَسَطْنَا الْقَوْلَ فِي ذَلِكَ عِنْدَ هَذِهِ الْآيَاتِ فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. [اعْتِرَافُ الْيَهُودِ بِأَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] حَدِيثٌ آخَرُ يَتَضَمَّنُ اعْتِرَافَ الْيَهُودِ بِأَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَتَضَمَّنُ تَحَاكُمَهُمْ إِلَيْهِ وَرُجُوعَهُمْ إِلَى مَا يَحْكُمُ بِهِ وَلَكِنْ بِقَصْدٍ مِنْهُمْ مَذْمُومٍ وَذَلِكَ أَنَّهُمُ ائْتَمَرُوا بَيْنَهُمْ أَنَّهُ إِنْ حَكَمَ بِمَا يُوَافِقُ هَوَاهُمْ فَاتَّبَعُوهُ، وَإِلَّا فَاحْذَرُوا ذَلِكَ وَقَدْ ذَمَّهُمُ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ عَلَى هَذَا الْقَصْدِ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ: ثَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعِنْدَ سَعِيدٍ رَجُلٌ وَهُوَ يُوَقِّرُهُ، وَإِذَا هُوَ رَجُلٌ مِنْ مُزَيْنَةَ، كَانَ أَبُوهُ شَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَ نَفَرٌ مِنَ الْيَهُودِ، وَقَدْ زَنَا رَجُلٌ مِنْهُمْ وَامْرَأَةٌ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: اذْهَبُوا بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ فَإِنَّهُ نَبِيٌّ بُعِثَ بِالتَّخْفِيفِ، فَإِنْ أَفْتَانَا حَدًّا دُونَ الرَّجْمِ فَعَلْنَاهُ، وَاحْتَجَجْنَا عِنْدَ اللَّهِ حِينَ نَلْقَاهُ بِتَصْدِيقِ نَبِيٍّ مِنْ أَنْبِيَائِهِ - قَالَ مُرَّةُ عَنِ الزُّهْرِيِّ: وَإِنْ أَمَرَنَا بِالرَّجْمِ عَصَيْنَاهُ، فَقَدْ عَصَيْنَا اللَّهَ فِيمَا كَتَبَ عَلَيْنَا مِنَ الرَّجْمِ فِي التَّوْرَاةِ فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي أَصْحَابِهِ، فَقَالُوا:
পৃষ্ঠা - ৪৯৩২

ফয়সালা দেন তবে আমরা তা মেনে নেবো এবং হাশরের দিনে আল্লাহর দরবারে এ কথা বলে
নিকৃত চইিবাে যে, এ কাজ আমরা আপনার একজন নবীর ফয়সালানুযায়ী করেছিলাম ৷ ইমাম
যুহরীর থেকে আবদুল্লাহ্ ইবন মুবারক অতিরিক্ত এ কথাও বর্ণনা করেছেন যে, তিনি যদি রজম
করার আদেশ দেন তবে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করবো ৷ এ ক্ষেত্রে আমাদের যে পাপ হবে তা
হবে তাওরাতে বর্ণিত রজমের নির্দেশকে অমান্য করার পাপ ৷ এরুপ পরামর্শ করার পর তারা
রাসুলুল্লাহ (সা)-এর নিকট উপস্থিত হলো ৷ তখন তিনি মাসজিদে সাহাবীগণকে নিয়ে বসা
ছিলেন ৷ তারা জিজ্ঞেস করলো, হে আবুল কাসিম ! আমাদের মধ্যে এক ব্যক্তি বিবাহিত হওয়ার
পর ব্যাভিচার করেছে, তার ব্যাপারে আপনি কী ফয়সালা দেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের কথার
কোন উত্তর না দিয়ে উঠে গেলেন ৷ একদল মুসলমানও তার সাথে সাথে উঠে গেল ৷
ইয়াহুদীদের একটি মাদরাসায় তিনি উপস্থিত হলেন ৷ দেখলেন, তারা তাওরাতের চর্চা করছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে ইয়াহুদী সম্প্রদায় ! আমি তােমাদেরকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে
বলছি যিনি মুসা (আ)-এর প্রতি তাওরাত কিতাব নাযিল করেছিলেন, কোন বিবাহিত লোক
ব্যভিচার করলে তাওরাতে তার শাস্তির কী বিধান রয়েছে ? তারা উত্তরে বললো, এরুপ
ব্যভিচারী নারী ও পুরুষকে আমরা একটি গাধার পৃষ্ঠে উঠাই এবং একজনের পিঠের দিকে
আরেকজনের পিঠ দিয়ে দূজনের মুখ বিপরীত দিক করে রাখা হয় ৷ এ ধরনের শান্তিকে বলা
হয় তাজবিয়াহ্ ৷ এ সময়ে তাদের মধ্যে যিনি পণ্ডিত ছিলেন তিনি চুপ করে বসে রইলেন ৷ বয়সে
তিনি ছিলেন যুবক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে নীরব থাকতে দেখে আরও কঠিনভাবে কসম দিয়ে
জিজ্ঞেস করলেন ৷ এবার পণ্ডিত ব্যক্তিটি বললেন, যখন আপনি কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন,
তখন আপনাকে সঠিক কথা জানাচ্ছি যে, তাওরাতে বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি রজম ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তাহলে আল্লাহর বিধানকে তোমরা প্রথমে সহজ করে জানালে কেন ?
পণ্ডিত ব্যক্তিটি বললো, আমাদের জনৈক রাজার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় একবার ব্যভিচারে লিপ্ত
হয় ৷ রাজা তার উপর রজমের শাস্তি আরোপ করেননি ৷ এরপর অন্য এক প্রভাবশালী লোক
ব্যভিচার করে ৷ এ রাজা তখন এর উপর রজম মারার নির্দেশ দেয় ৷ কিন্তু এর গোত্রীয়
লোকেরা তা অস্বীকার করে বললো যে, রাজা তার চাচাত ভইিয়ের উপর রজম প্রয়োগ না
করলে আমরাও এর উপর রজম প্রয়োগ করবো না ৷ অতঃপর উভয় পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বর্তমানকার
 এই শাস্তি নির্ধারণ করে ৷ ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তাওরাতে রজমের যে বিধান
আছে আমি সেই বিধানকে কার্যবলী করার নির্দেশ দিচ্ছি ৷ অতঃপর উভয়কে রজম করা হয় ৷

ইমাম যুহরী বলেন, আমাদের কাছে তথ্য , রয়েছে যে, উপরোক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে
নিম্নোক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হয় :

০ ’ fl

শ্শ্ষ্ ; »£ ; শ্ ’,০শ্ষ্ষ্,শ্ fl; শ্ষ্ ;শ্ণ্হু শ্০শ্০শ্ ,ন্
সৌং

“আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম, তার মধ্যে ছিল পথ নির্দেশ ও আলো; আল্লাহর
অনুগত নবীগণ ইয়াহুদীদেরকে সে অনুযায়ী বিধান দিতেন” (৫ : ৪৪) ৷

সহীহ্ বুখারীতে আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) থেকে এ ব্যাপারে একটি সার্থক হাদীস বর্ণিত
আছে ৷


يَا أَبَا الْقَاسِمِ، مَا تَرَى فِي رَجُلٍ مِنَّا زَنَا بَعْدَ مَا أُحَصِنَ؟ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَيْهِمْ شَيْئًا، وَقَامَ مَعَهُ رِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، حَتَّى أَتَوْا بَيْتَ مِدْرَاسِ الْيَهُودِ، فَوَجَدُوهُمْ يَتَدَارَسُونَ التَّوْرَاةَ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا مَعْشَرَ، الْيَهُودِ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى، مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ مِنَ الْعُقُوبَةِ عَلَى مَنْ زَنَا إِذَا أُحْصِنَ؟ " قَالُوا: نُجَبِّيهِ وَالتَّجْبِيَةُ أَنْ يَحْمِلُوا اثْنَيْنِ عَلَى حِمَارٍ فَيُوَلُّوا ظَهْرَ أَحَدِهِمَا ظَهْرَ الْآخَرِ - قَالَ: وَسَكَتَ حَبْرُهُمْ، وَهُوَ فَتًى شَابٌّ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَامِتًا أَلَظَّ بِهِ النِّشْدَةَ، فَقَالَ حَبْرُهُمْ: أَمَا إِذْ نَشَدْتَهُمْ فَإِنَّا نَجِدَ فِي التَّوْرَاةِ الرَّجْمَ عَلَى مَنْ أُحْصِنَ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَمَا أَوَّلُ مَا تَرَخَّصْتُمْ أَمْرَ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ؟ " فَقَالَ: زَنَى رَجُلٌ مِنَّا ذُو قُرَابَةٍ بِمَلِكٍ مِنْ مُلُوكِنَا، فَأَخَّرَ عَنْهُ الرَّجْمَ فَزَنَا بَعْدَهُ آخَرُ فِي أُسْرَةٍ مِنَ النَّاسِ، فَأَرَادَ ذَلِكَ الْمَلِكُ أَنْ يَرْجُمَهُ، فَقَامَ قَوْمُهُ دُونَهُ فَقَالُوا: لَا وَاللَّهِ لَا نَرْجُمُهُ حَتَّى يَرْجُمَ فُلَانًا ابْنَ عَمِّهِ، فَاصْطَلَحُوا بَيْنَهُمْ عَلَى هَذِهِ الْعُقُوبَةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَإِنِّي أَحْكُمُ بِمَا فِي التَّوْرَاةِ ". فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِمَا فَرُجِمَا قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَبَلَغَنَا أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ نَزَلَتْ فِيهِمْ: {إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا لِلَّذِينَ هَادُوا} [المائدة: 44] . وَلَهُ شَاهِدٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنِ ابْنِ عُمَرَ. قُلْتُ: وَقَدْ ذَكَرْنَا مَا وَرَدَ فِي هَذَا السِّيَاقِ مِنَ الْأَحَادِيثِ عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ৪৯৩৩

আমি বলি, আমার তাফসীর গ্রন্থে এ সংক্রান্ত বর্ণিত বহু সংখ্যক হাদীস নিম্নোক্ত
আয়াতসমুহের অধীনে উল্লেখ করেছি ৷ যথা-




শ্ শ্ষ্!০ষ্০শ্



“হে রাসুল ! তোমাকে যেন তারা দুঃখ না দেয় , যারা কুফরীর দিকে দ্রুত ধাৰিত হয় যারা
মুখে বলে, ঈমান এসেছি অথচ তাদের অন্তর ঈমান আসে না এবং ইয়ড়াহ্দীদের মধ্যে যারা
অসত্য শ্রবণে তৎপর, এমন এক জ্যি দলের দিকে তারা কান পেতে রাখে, যারা তোমার কাছে
আসে না ৷ শব্দগুলো যথাযথ সুবিন্যস্ত থাকার পরেও তারা সেগুলোর অর্থ বিকৃত করে; তারা
বলে, এ প্রকার বিধান দিলে গ্রহণ করবে’ (৫ : ৪১) ৷

অর্থাৎ কোড়া মারা ও মুখে চুন-কালি দেয়া য৷ তারা শলা-পরামার্শর মাধ্যমে নিজেরা
তৈরি করে নিয়েছিল্ষ্ অর্থাৎ মুহাম্মদ যদি এ শাস্তির ফয়সালা দেন তবে তা গ্রহণ করবে ৷


৷ ) )ৰুঢুট্রু ,:,; ন্৷ ৷) “এবং তা না দিলে বর্জন করবে” (৫ : : ১) ৷ অর্থাৎ
আমাদের এ তৈরি করা শাস্তির ফয়সালা যদি তিনি না দেন তবে তা গ্রহণ করবে না ৷ আল্লাহ্
বলেনঃ

০ শ্ণ্’ শ্শ্ শ্ ষ্’শ্ষ্ : শ্০ব্ল ষ্ :ষ্ষ্াষ্ষ্ ষ্শ্ ষ্
“এবং আল্লাহ যাব পথচ্যুতি চান তার জন্য আল্লাহর নিকট ৫তামার কিছুই করার নেই ৷
তাদের হৃদয়কে আল্লাহ্ বিশুদ্ধ করতে চান না; তাদের জ্যা৷ আছে দুনিয়ার লাঞ্চুন৷ ও পরকালের

মহাশাস্তি (৫ : ১) ৷ এদের সম্পর্কে আল্লাহ্ আরও বলেনং

০ , ;


;) ৷)


“তারা মিথ্যা শ্রবণে অত্যন্ত আগ্রহশীল এবৎ অবৈধ ভক্ষণে অত্যন্ত আসক্ত; তারা যদি
তোমার নিকট আসে তবে তাদের বিচার-নিষ্পত্তি করে দিও, অথবা তাদেরকে উপেক্ষা করবে ৷
তুমি যদি তাদেরকে উপেক্ষা কর তবে তারা তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ৷ আর যদি
বিচার নিষ্পত্তি করে৷ তবে ন্যায় বিচার করবে ৷ আল্পাহ্ ন্যায়পরায়নাদরকে ভালবাসেন (৫ :

৪২) ৷
)


{يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ لَا يَحْزُنْكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ مِنَ الَّذِينَ قَالُوا آمَنَّا بِأَفْوَاهِهِمْ وَلَمْ تُؤْمِنْ قُلُوبُهُمْ وَمِنَ الَّذِينَ هَادُوا سَمَّاعُونَ لِلْكَذِبِ سَمَّاعُونَ لِقَوْمٍ آخَرِينَ لَمْ يَأْتُوكَ يُحَرِّفُونَ الْكَلِمَ مِنْ بَعْدِ مَوَاضِعِهِ يَقُولُونَ إِنْ أُوتِيتُمْ هَذَا فَخُذُوهُ} [المائدة: 41] . يَعْنِي وَإِنْ لَمْ يَحْكُمْ لَكُمْ بِذَلِكَ فَاحْذَرُوا قَبُولَهُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَمَنْ يُرِدِ اللَّهُ فِتْنَتَهُ فَلَنْ تَمْلِكَ لَهُ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا أُولَئِكَ الَّذِينَ لَمْ يُرِدِ اللَّهُ أَنْ يُطَهِّرَ قُلُوبَهُمْ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ} [المائدة: 41] إِلَى أَنْ قَالَ {وَكَيْفَ يُحَكِّمُونَكَ وَعِنْدَهُمُ التَّوْرَاةُ فِيهَا حُكْمُ اللَّهِ ثُمَّ يَتَوَلَّوْنَ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ وَمَا أُولَئِكَ بِالْمُؤْمِنِينَ} [المائدة: 43] فَذَمَّهُمُ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى سُوءِ قَصْدِهِمْ بِالنِّسْبَةِ إِلَى اعْتِقَادِهِمْ فِي كِتَابِهِمْ، وَإِنَّ فِيهِ حُكْمَ اللَّهِ بِالرَّجْمِ، وَهُمْ مَعَ ذَلِكَ يَعْلَمُونَ صِحَّتَهُ، ثُمَّ يَعْدِلُونَ عَنْهُ إِلَى مَا ابْتَدَعُوهُ مِنَ الْجَلْدِ وَالتَّحْمِيمِ وَالتَّجْبِيَةِ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَجُلًا مِنْ مُزَيْنَةَ يُحَدِّثُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُمْ فَذَكَرَهُ. وَعِنْدَهُ: «فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِابْنِ صُورِيَا: " أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ وَأُذَكِّرُكَ أَيَّامَهُ عِنْدَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ حَكَمَ فِيمَنْ زَنَا بَعْدَ إِحْصَانِهِ بِالرَّجْمِ فِي التَّوْرَاةِ؟ " فَقَالَ: اللَّهُمَّ نَعَمْ، أَمَا وَاللَّهِ يَا أَبَا الْقَاسِمِ إِنَّهُمْ يَعْرِفُونَ أَنَّكَ نَبِيٌّ مُرْسَلٌ، وَلَكِنَّهُمْ يَحْسُدُونَكَ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَ بِهِمَا، فَرُجِمَا عِنْدَ بَابِ مَسْجِدِهِ فِي
পৃষ্ঠা - ৪৯৩৪

“তারা তোমার উপর কিরুপে বিচার ভার ন্যাস্ত করবে যখন তাদের নিকট রয়েছে তাওরাত
যাতে আল্লাহ্র আদেশ আছে ? এরপরও তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং তারা মু’মিন নয় (৫ :
৪৩) ৷

এভাবে আল্লাহ তাদের বিকৃত ধারণা ও আপন কিতাব সম্পর্কে অসৎ উদ্দেশ্যের জন্য
তাদের নিন্দা করেন ৷ তাদের কিভাবে আল্লাহ্ রজমের বিধান দিয়েছিলেন ৷ তারাও এর সত্যতা
সম্পর্কে অবগত ছিল ৷ জ্যি পরবর্তীকালে তারা এ বিধান পরিবর্তন করে মুখে চুন-কালি দিয়ে
গাধার পিঠে বসাবার শাস্তি নিজেদের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক এ
হাদীস যুহরী সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনায় এ কথা আছে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইবন সুরিয়াকে বললেন, আমি তোমাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে ও বনী
ইসরাঈলের প্রতি তার অনুগ্নহের দিনগুলো স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলছি ৷ তুমি কি এ ব্যাপারে
অবগত আছ যে, বিবাহিত লোক ব্যভিচার করলে তাওরাতে আল্পাহ্ তার উপর রজম মারার
বিধান দিয়েছেন ? ইবন সুরিয়া বললাে, জী হী ৷ হে আবুল কাসিম৷ শুনুন, আল্লাহ্ৱ কসম,
এরা ভালরুপেই আসে যে আপনি আল্লাহ্র প্রেরিত নবী; কিন্তু আপনার প্রতি ওরা হিংসা রাখে ৷
অতঃপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হয়ে আসেন এবং ব্যতিচারীদ্বয়কে রজম করার আদেশ দেন ৷
সুতরাং তামীম গোত্রের মারিক ইবন বাজার এর মসজিদ প্রাঙ্গনে তাদেরকে রজম করা হয় ৷
আবু হুরায়রা (রা) বলেন, এরপর ইবন সুরিয়া আবার কুফরী মতে ফিরে যায় তখন আল্লাহ্
নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন :

এএ

“ ৫হ্ রাসুল! তোমাকে যেন দুঃখ না দেয় যারা কুফরীৱ দিকে দ্রুত ধাবিত হয় (৫ : ৪ ১) ৷

আবদৃল্লাহ্ ইবন সুরিয়া আল-আওয়ার সম্পর্কে হযরত ইবন উমায়র (রা) প্রভৃতি থেকে
বিশুদ্ধ সুত্রে হাদীস বর্ণিত আছে, যেগুলো আমি আমার তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছি ৷

হাম্মাদ ইবন সালামা (র) ছাবিত সুত্রে আনাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন : এক ইয়াহুদী
বালক নবী করীম (সা)-এর খিদমত করতো ৷ একদা সে পীড়িত হলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে
দেখতে আসেন ৷ এসে দেখেন বালকটির পিতা তার শিয়রের কাছে বসে তাওরাত পাঠ করছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন, হে ইয়াহুদী ! ঐ আল্লাহ্র কসম ! যিনি মুসা (আ)-এর উপর
তাওরাত নাযিল করেছেন, তোমরা কি তাওরাতে আমার প্রশংসা, গুণাবলী ও আবির্ভারের কথা
পাও ? সে বললো-, না ৷ তরুণটি বলে উঠলো, আল্লাহর কস্ম ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আমরা
তাওরাতে অবশ্যই আপনার প্রশংসা, গুণাবলী ও আবির্ভাবের কথা পেয়ে থাকি ৷ আমি সাক্ষ্য
দিচ্ছি, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং আপনি আল্লাহ্র রাসুল ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তীর সাথীদেরকে বললেন, এ লোকটিকে ওর শিয়রের কাছ থেকে উঠিয়ে দাও এবং তোমরা
তোমাদের ভইিয়ের দেখাশোনা কর ৷ বায়হাকী ৷

আবু বকর ইবন আবুখৃণড়ায়বা (র) আফ্ফান সুত্রে আবদৃল্পাহ্ (র) থেকে বর্ণনা করেন :
তিনি বলেছেন, আল্লাহ্ তার নবী (সা)-কে প্রেরণ করেছেন মানুষকে জান্নড়াতে প্রবেশ করাবার
জন্য ৷ একবার নবী করীম (সা) কোন এক উপাসনালয়ে উপস্থিত হন ৷ তখন এক ইয়াহুদী
তাওরাত পাঠ করছিল ৷ যখন সে রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর গুণাবলীর বর্ণনা পর্যন্ত পৌছলো তখন
থেমে গেল ৷ গীর্জার এক প্রান্তে একজন পীড়িত লোক ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন,
কী হলো, তোমরা পড়া বন্ধ করলে কেন ? পীড়িত লোকটি বললাে, তারা পড়তে পড়তে নবীর


بَنِي غَنْمِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ قَالَ: ثُمَّ كَفَرَ بَعْدَ ذَلِكَ ابْنُ صُورِيَا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ لَا يَحْزُنْكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ} [المائدة: 41] الْآيَاتِ» . وَقَدْ وَرَدَ ذِكْرُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صُورِيَا الْأَعْوَرِ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَيْرٍ وَغَيْرِهِ بِرِوَايَاتٍ صَحِيحَةٍ قَدْ بَيَّنَّاهَا فِي " التَّفْسِيرِ ". حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ: ثَنَا ثَابِتٌ عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ غُلَامًا يَهُودِيًّا كَانَ يَخْدِمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَرِضَ، فَأَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُهُ، فَوَجَدَ أَبَاهُ عِنْدَ رَأْسِهِ يَقْرَأُ التَّوْرَاةَ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا يَهُودِيُّ أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى، هَلْ تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ نَعْتِي وَصِفَتِي وَمَخْرَجِي؟ " فَقَالَ: لَا. فَقَالَ الْفَتَى: بَلَى وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا نَجِدُكَ فِي التَّوْرَاةِ; نَعْتَكَ وَصِفَتَكَ وَمَخْرَجَكَ، وَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: " أَقِيمُوا هَذَا عِنْدَ رَأْسِهِ، وَغَسِّلُوا أَخَاكُمْ» وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ بِهَذَا اللَّفْظِ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ
পৃষ্ঠা - ৪৯৩৫

গুণাবলী পর্যন্ত পৌছেহে, তইি পড়া বন্ধ করে দিয়েছে ৷ এ কথা বলে পীড়িত সােকটি হামাগুড়ি
দিয়ে এসে তাওরাত হাতে নিয়ে বললো, আপনার হাত উঠান দেখি! এরপর সে পড়লাে এবং
নবী করীম (না)-এর গুণাবলী বর্ণনার স্থানে আসলো এবং বললো, এই হচ্ছে আপনার গুণাবলী
ও আপনার উম্মতের বৈশ্যিষ্ট্যর বর্ণনা ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ্
নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল ৷ এরপর সে মারা যায় ৷ নবী করীম
(সা) আদেশ দিলেন, তোমরা তোমাদের ভইিয়ের দায়িত্ব গ্রহণ কর ৷

নবী করীম (সা) একবার ইয়াহুদীদের পাঠশালায় উপস্থিত হয়ে বললেন, হে ইয়াহুদী
সম্প্রদায় ইসলাম গ্রহণ কর ৷ ঐ আল্লাহর শপথ যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই, তোমরা
অবশ্যই অবগত আছ যে, আল্লাহ আমাকে তোমাদের প্রতি রাসুলরুপে পাঠিয়েছেন ৷ তারা
বললাে হে আবুল কাসেম ৷ আপনি আপনার প্রচারের দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, এটাই আমার উদ্দেশ্য ৷ ণ্

অনুচ্ছেদ

কুরআন ও হাদীসে বিধৃত হয়েছে যে, পুর্ববর্তী নবীগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আগমন
সম্পর্কে সুসং বাদ প্রদান করেছেন এবং সে সব নবীগণের অনুসারীগণ এ বিষয়ে অবগতও ছিল ৷
কিন্তু তাদের অধিকাংশ লােকই এ কথাটি গোপন করে রাখতে৷ ৷ আল্লাহ বলেন :





; : ; শ্ ষ্ ষ্ ; : ; ,


ৰু,দ্দৌ ৷

যার৷ অনুসরণ করে এই বার্তাবাহক উগী নবীর, যার্ উল্লেখ তারা তাদের নিকট রক্ষিত

তাওরাত ও ইনজিলে লিপিবদ্ধ পায় ৷ যে তাদেরকে সৎকাজের আদেশ দেয় ও অসৎকাজের

বাধা দেয় এবং যে তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল সাব্যস্ত করে ও অপবিত্র বস্তু হারাম সাব্যস্ত

করে এবং সে তাদের থেকে সেই বোঝা ও শৃৎখল্ নামিয়ে দেয়, যা তাৰদর উপর ছিল ৷ সুতরাং

যারা তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তাকে সম্মান করে ও সাহায্য সহযোগিতা করে এবং যে
নুর তার সাথে অবতীর্ণ হয়েছে তা অনুসরণ করে, তারইি সফলকাম” (৭৪ ১৫৭) ৷

;স্পো ৷

“বল, হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের জন্য সেই আল্লাহর রাসুল যিনি আসমান ও
যমীনের বাদশাহীর মালিক; তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই; তিনিই জীবন দান করেন
এবং মৃত্যু ঘটান ৷ সুতরাং তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি ও তার বার্তাবাহক উগী নবীর


ابْتَعَثَ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِإِدْخَالِ رَجُلٍ الْجَنَّةَ; فَدَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَنِيسَةً، فَإِذَا هُوَ بِيَهُودَ، وَإِذَا يَهُودِيٌّ يَقْرَأُ التَّوْرَاةَ، فَلَمَّا أَتَى عَلَى صِفَتِهِ أَمْسَكَ. قَالَ: وَفِي نَاحِيَتِهَا رَجُلٌ مَرِيضٌ، فَقَالَ: النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا لَكُمْ أَمْسَكْتُمْ؟ " فَقَالَ الْمَرِيضُ: إِنَّهُمْ أَتَوْا عَلَى صِفَةِ نَبِيٍّ فَأَمْسَكُوا. ثُمَّ جَاءَ الْمَرِيضُ يَحْبُو حَتَّى أَخَذَ التَّوْرَاةَ وَقَالَ: ارْفَعْ يَدَكَ. فَقَرَأَ حَتَّى أَتَى عَلَى صِفَتِهِ، فَقَالَ هَذِهِ صِفَتُكَ وَصِفَةُ أُمَّتِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. ثُمَّ مَاتَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " غَسِّلُوا أَخَاكُمْ» حَدِيثٌ آخَرُ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَفَ عَلَى مِدْرَاسِ الْيَهُودِ فَقَالَ: " يَا مَعْشَرَ يَهُودَ، أَسْلِمُوا، فَوَالَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ إِنَّكُمْ لَتَعْلَمُونَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ. فَقَالُوا: قَدْ بَلَّغْتَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ فَقَالَ: " ذَلِكَ أُرِيدُ» [اشْتِمَالُ الْكُتُبِ الْمُتَقَدِّمَةِ عَلَى بِشَارَةِ النَّبِيِّ] فَصْلُ اشْتِمَالِ الْكُتُبِ الْمُتَقَدِّمَةِ عَلَى بِشَارَةِ النَّبِيِّ فَالَّذِي يَقْطَعُ بِهِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمِنْ حَيْثُ الْمَعْنَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ بَشَّرَتْ بِهِ الْأَنْبِيَاءُ قَبْلَهُ، وَأَتْبَاعُ الْأَنْبِيَاءِ يَعْلَمُونَ ذَلِكَ، وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ يَكْتُمُونَ ذَلِكَ وَيُخْفُونَهُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {بِآيَاتِنَا يُؤْمِنُونَ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الْأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالْأَغْلَالَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ فَالَّذِينَ آمَنُوا بِهِ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُوا النُّورَ الَّذِي أُنْزِلَ مَعَهُ أُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ قُلْ يَاأَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ يُحْيِي وَيُمِيتُ فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ الَّذِي يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَكَلِمَاتِهِ وَاتَّبِعُوهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ} [الأعراف: 156] [الْأَنْعَامِ: 114] . وَقَالَ تَعَالَى: {الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَعْرِفُونَهُ كَمَا يَعْرِفُونَ أَبْنَاءَهُمْ وَإِنَّ فَرِيقًا مِنْهُمْ لَيَكْتُمُونَ الْحَقَّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ} [البقرة: 146] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَقُلْ لِلَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَالْأُمِّيِّينَ أَأَسْلَمْتُمْ فَإِنْ أَسْلَمُوا فَقَدِ اهْتَدَوْا وَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا عَلَيْكَ الْبَلَاغُ} [آل عمران: 20] . وَقَالَ تَعَالَى: {هَذَا بَلَاغٌ لِلنَّاسِ وَلِيُنْذَرُوا بِهِ} [إبراهيم: 52] . وَقَالَ تَعَالَى: {لِأُنْذِرَكُمْ بِهِ وَمَنْ بَلَغَ} [الأنعام: 19] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَنْ يَكْفُرْ بِهِ مِنَ الْأَحْزَابِ فَالنَّارُ مَوْعِدُهُ} [هود: 17] . وَقَالَ تَعَالَى: {لِيُنْذَرَ مَنْ كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ} [يس: 70]
পৃষ্ঠা - ৪৯৩৬

প্রতি, যে নিজে আল্পাহ্ ও তার সকল বাণীকে মেনে চলে এবং তোমরা তার আনুগত্য কর
যাতে তোমরা সঠিকপথ পাও” (৭ : ১৫৮) ৷
আল্লাহ্ তাআলা আরও বলেন :

; শ্

“আর যাদেরকে আমরা কিতাব দিয়েছি তারা আসে যে, এটা (কুরআন) তোমার রবের
নিকট থেকে সতসহ অবতীর্ণ হয়েছে” (৬ : ১ ১৪ ) ৷
তিনি আরও বলেন :

০ ! : শ্



“আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা তাকে সেরুপ জানে যেরুপ তারা নিজেদের
সন্তানগণকে চিহ্ন, অথচ তাদের মধ্য থেকে একদল জোন শুনে স৩ গোপন করে রাখে (২০ ং
১৪৬) ৷
আল্লাহ্ তাআলা আরও বলেন :
ব্লু১এে ৷
“আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদেরকে ও নিরক্ষরদেরকে বল, তােমরাও কি
আত্মসমর্পণ করেছ? যদি তারা আত্মসমর্পণ করে তবে নিশ্চয়ই তারা সঠিক পথ পাবে ৷ আর
যদি তারা মুখ ফিরিয়ে (নয়, তবে তোমার কর্তা শুধু প্রচার করা ৷ আল্লাহ্ বন্দোদের সম্পর্কে
সম্যক দ্রষ্টা (৩৪ ২০) ৷
তিনি আরও এক পয়সা-ম
এবং এর দ্বারা যাতে করে তাদেরকে সাবধান করা যায় (১৪ : ৫২) ৷
তিনি আরও বলেন : “যেন তােমাদেরকে এবং যার নিকট এটা
পৌছাবে তাদেরকে এর দ্বারা আমি সতর্ক করি” (৬৪ ১৯) ৷

’ ন্

তিনি আরও বলেন : “অন্যান্য দলের
যারাই একে অস্বীকার করবে, আগুনই তাদের প্ৰতিশ্রুত স্থান” (১১ ১৭) ৷

তিনি আরও বলেন : “যাতে
করে সে সতর্ক করতে পারে জীনিতদেৱকে এবং যাতে কাফিরদের বিরুদ্ধে শাস্তির কথা সত্য
প্রতিপন্ন হতে পাবে” (৩৬ : ৭০) ৷

উল্লেখিত আয়াতসমুহে আল্লাহ্ উল্লেখ করেছেন যে, হযরত মুহাম্মদ (না)-কে তিনি
নিরক্ষর মুশরিক সমাজ আহলে কিতাব ও আরব অনারব নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের জন নবী


فَذَكَرَ تَعَالَى عُمُومَ بِعْثَتِهِ إِلَى الْأُمِّيِّينَ وَأَهْلِ الْكِتَابِ وَسَائِرِ الْخَلْقِ مِنْ عَرِبِهِمْ وَعَجَمِهِمْ، فَكُلُّ مَنْ بَلَغَهُ الْقُرْآنُ فَهُوَ نَذِيرٌ لَهُ. قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَسْمَعُ بِي أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ يَهُودِيٍّ وَلَا نَصْرَانِيٍّ وَلَا يُؤْمِنُ بِي إِلَّا دَخَلَ النَّارَ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَفِي الصَّحِيحَيْنِ: «: أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلِي; نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ، وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَلَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِي، وَجُعِلَتْ لِيَ الْأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةَ، وَكَانَ النَّبِيُّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ وَبُعِثْتُ إِلَى النَّاسِ عَامَّةً» وَفِيهِمَا: " بُعِثْتُ إِلَى الْأَسْوَدِ وَالْأَحْمَرِ ". قِيلَ: إِلَى الْعَرَبِ وَالْعَجَمِ. وَقِيلَ: إِلَى الْإِنْسِ وَالْجِنِّ. وَالصَّحِيحُ أَعَمُّ مِنْ ذَلِكَ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْبِشَارَاتِ بِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَوْجُودَةٌ فِي الْكُتُبِ الْمُتَقَدِّمَةِ الْمَوْرُوثَةِ عَنِ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلَهُ، حَتَّى تَنَاهَتِ النُّبُوَّةُ إِلَى آخَرِ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَهُوَ عِيسَى بْنُ مَرْيَمَ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَقَدْ قَامَ بِهَذِهِ الْبِشَارَةِ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَقَصَّ اللَّهُ خَبَرَهُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ تَعَالَى {وَإِذْ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ يَابَنِي إِسْرَائِيلَ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِنْ بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ} [الصف: 6] . فَإِخْبَارُ مُحَمَّدٍ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، بِأَنَّ
পৃষ্ঠা - ৪৯৩৭


হিসেবে প্রেরণ করেছেন ৷ সুতরাং যার , নিকটেই এ কুরআন পৌছবে তার জ্যাই সে
সতর্ককারীরুপে প্রতিভাত হবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন : “সেই সত্তার কসম, যার
(কুদরতী) হাতে আমার জীবন, ইয়াহ্দী অথবা নাসারা যে কোন সম্প্রদায়ের যে কোন লোকের
কানে আমার সংবাদ পৌছবে, আর সে যদি আমার উপর বিশ্বাস স্থাপন না করে তবেন্শ্সে
জাহান্নামী হবে ৷ মুসলিম

সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ্ (না) বলেছেন৪ আমাকে পাচটি
বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে যা পুর্ববর্তী কোন নবীকে দান করা হয় নি ৷ ১ এক মাসের দুরত্ব
পর্যন্ত আমার ভীতি-প্ৰডাব ছড়িয়ে দিয়ে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে; ২ যুদ্ধলব্ধ গনীমতের
মাল আমার জন্য হালাল করা হয়েছে ইতিপুর্বে অন্য কারও জন্য এটা হালাল করা হয়নি; ৩
আমার জন্য সমস্ত যর্মীনকে পবিত্র ও সিজদার স্থল করা হয়েছে; : আমাকে শাফাআত করার
অনুমতি দেয়া হয়েছে; ৫ অন্যান্য নবীকে কেবল তার সম্প্রদায়ের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে ৷
আর আমাকে গোটা মানব জাতির জ্জা৷ পাঠান হয়েছে ৷ বুখারী ও মুসলিমের আর এক বর্ণনায়
আছে আমাকে পৌর কৃষ্ণ নির্বিশেষে সকল বর্ণের লোকের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে ৷ মতান্তার
আমাকে আরব ও অনারব সবার উদ্দেশ্যে পাঠান হয়েছে; অন্য মতে আমাকে মানব দানব সবার
নবী হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ বিশুদ্ধ কথা হলো, তার নবুওত সকলের ব্যাপারে প্রযোজ্য ৷ ,
অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আগমনের সুসংবাদ পুর্ববর্তী সকল নবীদের কিতাবসমুহে বিদ্যমান
আছে ৷ বনী ইসরাঈলের শেষ নবী ঈসা ইবন মারইয়াম (আ) বনী ইসৱাঈল জাতির নিকট এ
সুসংবাদ পেশ করেন ৷ আল্লাহ্ কুরআনের মধ্যে সে কথা বর্ণনা করেছেন এভাবে :
এে


“আর যখন মারয়াম পুত্র ঈসা বললো, হে বনী ঈসরাঈল ৷ আমি তোমাদের নিকট
রাসুলরুপে প্রেরিত হয়েছি, আমার সম্মুখে যে তাওরাত কিতাব রয়েছে আমি তার সমর্থক এবং
আমার পরে আহমদ নামে যে নবী আসবেন আমি তার আগমনের সুসংবাদ দানকারী” (৬১ :
৬) ৷
সুতরাং কুরআন ও সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, হযরত মুহাম্মদ (না)-এর
আবির্ভাবের সুসংবাদ পুর্ববর্তী কিতাবসমুহে বিদ্যমান রয়েছে ৷ এ ছাড়াও পক্ষে-বিপক্ষে সকলের
মতে তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞানী ৷ এর দ্বারা তার সভ্যতার প্রমাণই
সন্দেহাতীতভাবে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে ৷ কেননা তার সম্পর্কে পুর্ব থেকেই যে গুণাবলী ও
বৈশ্যিষ্ট্যর কথা জানিয়ে আনা হচ্ছে, তার সাথে যদি এর সামঞ্জস্য না থাকে তবে তার থেকে
লোক দ্রুত সরে যেতাে; কোন জ্ঞানী ব্যক্তিই তাকে সমর্থন জানাতো না ৷ মােটকথা, তিনি সৃষ্টি
জগতে সর্বাধিক জ্ঞানী ৷ এমনকি যারা তার বিরোধিতা করেছে তাদের নিকটেও ৷ বন্তুত তিনি
সর্বাধিক জ্ঞানী ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) এর সভ্যতার আর একটি প্রমাণ এই যে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর
প্রান্ত তার দাওয়াত পৌছে গেছে ৷ সমগ্র জগৎব্যাপী তার উষ্মতের রাজ্য ছড়িয়ে রয়েছে, যা


ذِكْرَهُ مَوْجُودٌ فِي الْكُتُبِ الْمُتَقَدِّمَةِ، فِيمَا جَاءَ بِهِ مِنَ الْقُرْآنِ، وَفِيمَا وَرَدَ عَنْهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ الصَّحِيحَةِ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ مِنْ أَعْقَلِ الْخَلْقِ بِاتِّفَاقِ الْمُوَافِقِ وَالْمُفَارِقِ، يَدُلُّ عَلَى صِدْقِهِ فِي ذَلِكَ قَطْعًا، وَذَلِكَ لِأَنَّهُ لَوْ لَمْ يَكُنْ وَاثِقًا بِمَا أَخْبَرَ بِهِ مِنْ ذَلِكَ، لَكَانَ ذَلِكَ مِنْ أَشَدِّ الْمُنَفِّرَاتِ عَنْهُ، وَلَا يُقْدِمُ عَلَى ذَلِكَ عَاقِلٌ، وَالْغَرَضُ أَنَّهُ مِنْ أَعْقَلِ الْخَلْقِ حَتَّى عِنْدَ مَنْ يُخَالِفُهُ، بَلْ هُوَ أَعْقَلُهُمْ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ ثُمَّ إِنَّهُ قَدِ انْتَشَرَتْ دَعْوَتُهُ فِي الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ، وَعَمَّتَ دَوْلَةُ أُمَّتِهِ فِي أَقْطَارِ الْآفَاقِ عُمُومًا لَمْ يَحْصُلْ لِأُمَّةٍ مِنَ الْأُمَمِ قَبْلَهَا، فَلَوْ لَمْ يَكُنْ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا، لَكَانَ ضَرَرُهُ أَعْظَمَ مِنْ كُلِّ أَحَدٍ، وَلَوْ كَانَ كَذَلِكَ لَحَذَّرَ عَنْهُ الْأَنْبِيَاءُ أَشَدَّ التَّحْذِيرِ، وَلَنَفَّرُوا أُمَمَهُمْ مِنْهُ أَشَدَّ التَّنْفِيرِ، فَإِنَّهُمْ جَمِيعَهُمْ قَدْ حَذَّرُوا مِنْ دُعَاةِ الضَّلَالَةِ فِي كُتُبِهِمْ، وَنَهَوْا أُمَمَهُمْ عَنِ اتِّبَاعِهِمْ، وَالِاقْتِدَاءِ بِهِمْ، وَنَصُّوا عَلَى الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ الْأَعْوَرِ الْكَذَّابِ، حَتَّى قَدْ أَنْذَرَ نُوحٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُوَ أَوَّلُ الرُّسُلِ - قَوْمَهُ وَمَعْلُومٌ أَنَّهُ لَمْ يَنُصَّ نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ عَلَى التَّحْذِيرِ مَنْ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا التَّنْفِيرِ عَنْهُ، وَلَا الْإِخْبَارِ عَنْهُ بِشَيْءٍ خِلَافَ مَدْحِهِ، وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ، وَالْبِشَارَةِ بِوُجُودِهِ، وَالْأَمْرِ بِاتِّبَاعِهِ، وَالنَّهْيِ عَنْ مُخَالَفَتِهِ، وَالْخُرُوجِ مِنْ طَاعَتِهِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ النَّبِيِّينَ لَمَا آتَيْتُكُمْ مِنْ كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مُصَدِّقٌ لِمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنْصُرُنَّهُ قَالَ أَأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَى ذَلِكُمْ إِصْرِي قَالُوا أَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُوا وَأَنَا مَعَكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ فَمَنْ تَوَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ} [آل عمران: 81] [آلِ عِمْرَانَ: 81، 82] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «مَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا إِلَّا أَخَذَ عَلَيْهِ الْمِيثَاقَ; لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهُوَ حَيٌّ لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৩৮


পুর্বের কোন উম্মতেরৰু ভাগ্যেৰু জুটেনি ৷ যদি মুহাম্মদ (সা) নবী না হ্তেন, তাহলে তার দ্বারা
সবচেয়ে বড় অকল্যাণ ঘটতো ৷ আর প্রকৃত ব্যাপার তাই হলে সমস্ত নরীগণ তার থেকে
সাবধান থাকার জন্য সতববািণী উচ্চারণ করে যেতেন এবং স্ব-স্ব উম্মতগণকে তার থেকে দুরে
থাকার জন্য উপদেশ দিয়ে যেতেন ৷ কারণ, সব নবীই ভ্রাস্ত পথে আহ্বানকারীর থেকে সতর্ক
থাকার জন্য তাদের কিভাবে সাবধান করে গিয়েছেন এবং নিজ নিজ উষ্মতকে তাদের অনুসারী
হতে নিষেধ করে গেছেন ৷ যেমন মিথ্যাবাদী কানা-দাজ্জাল থেকে সকল নবীই সাবধান
করেছেন; এমন কি নুহ্ (আ) ও তার জাতিকে তার থেকে ভয় দেখিয়েছেন, অথচ তিনি ছিলেন
পৃথিবীতে প্রথম রাসুল ৷

পক্ষান্তরে, কোন নবীই মুহাম্মদ (সা) থেকে সতর্ক করে ও তার থেকে দুরে থাকার কথা
বলে যাননি ৷ বরং সবাই তার প্রশংসা, গুণকীর্তন করেছেন ও তার আগমনের শুভবার্তা শুনিয়ে
গেছেন ৷ যখন তার আগমন ঘটবে তখন তার আনুগত্য করার জন্য এবং বিরোধিতা না করার
জন্য তাদের উম্মতগণকে সাবধান করে গেছেন ৷ এ মর্মে আল্লাহ্ বলেনঃ



ষ্ ’


“স্মরণ কর, যখন আল্লাহ্ নবীদের থেকে এ অং গীকার নিলেন যে, আমি র্দুতামাদেরকে
যেসব কিতাব ও হিকমত দান করেছি তার শপথ! তোমাদের কাছে যা আছে তার সমর্থ্যকারী
কোন রাসুল যখন তোমাদের মাঝে আসবে, তখন অবশ্যই তার উপর ঈমান আনবে ও তাকে
সাহায্য করবে ৷ বললেন, তোমরা কি স্বীকার করলে এবং এ ব্যাপারে আমার অংপীকার গ্রহণ
করলে ? তারা বললো, আমরা স্বীকার করলাম ৷ তিনি বললেন, তবে তোমরা সাক্ষী থাক এবং
আমিও তোমাদের সাক্ষী থাকলাম ৷ এরপর যে নিজের প্রতিশ্রুতি ভত্ণ করবে সে-ই ফাসিক
বলে গণ্য হবে” (৩০ ৮১-৮২) ৷
ইবন আব্বাস (রা) বলেনং আল্লাহ্ যখনই (কান নবী পাঠিয়েছেন তার থেকে এ
অংপীকার নিয়েছেন যে, তার জীবদ্দশায়ই যদি মুহাম্মদ (সা) এর আবির্ভাব ঘটে তবে তার
উপর ঈমান আনবেন ও তাকে সাহায্য করবেন ৷ সে নৰীকে আল্লাহ্ এই হুকুমও দিয়েছেন যে,
তিনি নিজের উম্মতদের থেকেও এ অং গীকার নেবেন যে, তাদের জীবিতকালেই যদি মুহাম্মদ
(সা) এর আবির্ভাব ঘটে তবে তারা তার উপর ঈমান আনবে ও তার আনুগত্য গ্রহণ করবে ৷
(বুখাবী )
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আগমনের শুভ বার্তা পুর্বের কিতাবগুলাের্তে এত অধিক পরিমাণ
এসেছে যে, তা গণনা করে শেষ করা যায় না ৷ এ বিষয়ে আমরা ইতিপুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
জন্ম প্রসঙ্গে তার কিছু আলোকপাত করেছি ৷ আমার তাফসীর গ্রন্থে সংশ্লিষ্ট “আয়াতের
আলোচনায় বহু বর্ণনার উল্লেখ করেছি ৷ এখানে আমরা কেবল সেইসব তথ্যের আত্শিক উল্লেখ
করবো, যা তাদের কিভাবে বিদ্যমান আছে এবং যেগুলো বিশুদ্ধ বলে তারা স্বীকার করে এবং
পুণোর কাজ হিসেবে তারা তা তিলাও য়াত করে ৷ এসব তথ্য তাদেরই প্রাচীন ও আধুনিক


وَلَيَنْصُرَنَّهُ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ عَلَى أُمَّتِهِ الْمِيثَاقَ لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهْمُ أَحْيَاءٌ لَيُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَيَتَّبِعُنَّهُ» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَقَدْ وُجِدَتِ الْبِشَارَاتِ بِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُتُبِ الْمُتَقَدِّمَةِ، وَهِيَ أَشْهَرُ مِنْ أَنْ تُذْكَرَ، وَأَكْثَرُ مِنْ أَنْ تَحْصُرَ، وَقَدْ قَدَّمْنَا قَبْلَ مَوْلِدِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، طَرَفًا صَالِحًا مِنْ ذَلِكَ، وَقَرَّرْنَا فِي كِتَابِ " التَّفْسِيرِ " عِنْدَ الْآيَاتِ الْمُقْتَضِيَةِ لِذَلِكَ آثَارًا كَثِيرَةً، وَنَحْنُ نُورِدُ هَا هُنَا شَيْئًا مِمَّا وُجِدَ فِي كُتُبِهِمُ الَّتِي يَعْتَرِفُونَ بِصِحَّتِهَا، وَيَتَدَيَّنُونَ بِتِلَاوَتِهَا، مِمَّا جَمَعَهُ الْعُلَمَاءُ قَدِيمًا وَحَدِيثًا مِمَّنْ آمَنَ مِنْهُمْ، وَاطَّلَعَ عَلَى ذَلِكَ مِنْ كُتُبِهِمُ الَّتِي بِأَيْدِيهِمْ; فَفِي السِّفْرِ الْأَوَّلِ مِنَ التَّوْرَاةِ الَّتِي بِأَيْدِيهِمْ فِي قِصَّةِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مَا مَضْمُونُهُ وَتَعْرِيبُهُ: أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَوْحَى إِلَى إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بَعْدَ مَا سَلَّمَهُ مِنْ نَارِ النَّمْرُودِ أَنْ قُمْ فَاسْلُكِ الْأَرْضَ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا لِوَلَدِكَ، فَلَمَّا قَصَّ ذَلِكَ عَلَى سَارَّةَ طَمِعَتْ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ لِوَلَدِهَا مِنْهُ، وَحَرَصَتْ عَلَى إِبْعَادِ هَاجَرَ وَوَلَدِهَا، حَتَّى ذَهَبَ بِهِمَا الْخَلِيلُ إِلَى بَرِّيَّةِ الْحِجَازِ وَجِبَالِ فَارَانَ، وَظَنَّ إِبْرَاهِيمُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنَّ هَذِهِ الْبِشَارَةَ تَكُونُ لِوَلَدِهِ إِسْحَاقَ، حَتَّى أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ مَا مَضْمُونُهُ: أَمَّا وَلَدُكَ إِسْحَاقُ فَإِنَّهُ يُرْزَقُ ذُرِّيَّةً عَظِيمَةً، وَأَمَّا وَلَدُكَ إِسْمَاعِيلُ فَإِنِّي بَارَكْتُهُ وَعَظَّمْتُهُ، وَكَثَّرْتُ ذُرِّيَّتَهُ، وَجَعَلْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ مَاذَ مَاذَ - يَعْنِي مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَجَعَلْتُ فِي ذُرِّيَّتِهِ اثْنَيْ عَشَرَ إِمَامًا، وَتَكُونُ لَهُ أُمَّةٌ عَظِيمَةٌ، وَكَذَلِكَ بُشِّرَتْ هَاجَرُ حِينَ وَضْعَهَا الْخَلِيلُ عِنْدَ الْبَيْتِ، فَعَطِشَتْ وَحَزِنَتْ عَلَى وَلَدِهَا، وَجَاءَ الْمَلِكُ فَأَنْبَعَ لَهَا زَمْزَمَ، وَأَمَرَهَا بِالِاحْتِفَاظِ بِهَذَا الْوَلَدِ، فَإِنَّهُ سَيُولَدُ لَهُ مِنْهُ عَظِيمٌ، لَهُ ذُرِّيَّةٌ عَدَدُ نُجُومِ السَّمَاءِ. وَمَعْلُومٌ أَنَّهُ لَمْ يُولَدْ مِنْ ذُرِّيَّةِ إِسْمَاعِيلَ، بَلْ مِنْ ذُرِّيَّةِ آدَمَ
পৃষ্ঠা - ৪৯৩৯


পণ্ডিতগণ যারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি ঈমান এসেছেন, তাদেরই সংগ্রহ ৷ এদের হাতে
তাদের কিতাবের যেসব্’ কপি আছে তা থেকেই এগুলো নেয়া হয়েছে ৷ সুতরাং তাদের কাছে
বর্তমানে যে তাওরাত আছে তার আদি পুস্তকে প্রথম যাত্রার ( ,শ্ন ৷ স্পো ৷) ইব্রাহীম (আ)
সম্পর্কে এক ঘটনায় লেখা আছে :
নমরুদের অগ্নিকুণ্ডলী থেকে মুক্তি দেয়ার পর আল্পাহ্ ইব্রাহীম (আ)-কে ওহীর মাধ্যমে
নির্দেশ দেন : তুমি পৃথিবীর পুর্ব হতে পশ্চিমে ভ্রমণ কর, এ অঞ্চলের কর্তৃত্ব তোমার পুত্রকে
দেয়া হবে ৷ ইব্রাহীম (আ) যখন এ বৃত্তান্ত তার শ্রী সারাকে জানালেন তখন সারার অন্তরে
অভিলায জন্যে যে, তার নিজের পুত্রকে কীভাবে এ কর্তৃত্বের আসনে ব্সান যায় এবং হাজিরা ও
তার পুত্রকে দুরে সরিয়ে দেয়া যায় ৷ অবশেষে ইব্রাহীম (আ) হাজিরা ও তার পুত্রকে সাথে
নিয়েহিজায ভু-খণ্ডে ও ফারাস পর্বতমালার নিকটে উপনীত হন ৷ ইব্রাহীম (আ) ধারণা করেন
যে, এ সৃসংবাদ তার পুত্র ইসহাকের পভ্রুর্দুল্টে দেয়া হয়েছে ৷ তখন আল্লাহ্ ওহীর মাধ্যমে
ইব্রাহীম (আ)-কে যা জানিয়ে দেন, তার সারমর্ম এই : তোমার পুত্র ইসহাককে এক বিরাট
বংশ দান করা হবে; আর অপর পুত্র ইসমাঈলকে বরকত ও সম্মানে ভুষিত করা হবে ৷ তার
সন্তান সংখ্যা অধিক হবে এবং তার সন্তানদের মধ্যে আমি মাযমায (ষ্া ১া)-বেছ পাঠাব
অর্থাৎ মুহাম্মদ (সা)-কে ৷ তার বংশে বারজন ইমাম পাঠান হবে; বিপুল সংখ্যক লোক তার
অনুসারী হর্বে ৷
অনুরুপ সৃসংবাদ বিবি হাজিরাকে জানান হয়, যখন ইব্রাহীম খলীল তাকে বায়তুল্পাহ্র
কাছে রেখে আসেন, যখন তিনি তৃষ্ণার্ত হন ও পুত্রের জন্যে চিম্ভামগ্নহন ৷ ফেরেশতা এসে
যমযম কুয়া উৎসারিত করেন এবং সন্তানের ভালরুপ পরিচর্যা করার পরামর্শ দেন ৷ কারণ
হিসেবে ফেরেশতা জানান যে, এর বংশ থেকেই এক মহান ব্যক্তির আবির্ভাব হবে ৷ যার
অনুসারীর সংখ্যা হবে আকাশের নক্ষত্রের সংখ্যার তৃল্যন্ণ্৷ আর সকলেরই জানা কথা যে,
ইসমাঈলের বংশে এমনকি সমস্ত মাবন জাতির মধ্যে মুহাম্মদ (সা) অপেক্ষা অধিক মর্যাদা,
অধিক সম্মান, অধিক খ্যাতি সম্পন্ন ও অধিক প্রভাব কর্তৃত্বের অধিকারী আর কেউ জন্য লাভ
করেনি ৷ তিনিই সেই মহান ব্যক্তি যার উম্মতের রাজত্ব পুর্ব হতে পশ্চিম পর্য ন্ত বিস্তার লাভ
করেছে এবং অন্যান্য সকল জাতির উপর শাসন কর্তৃত্বের অধিকারী হয়েছে ৷
প্রথম যাত্রার হযরত ইসমাঈল (আ)-এর ঘটনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে : ইসমাঈলের এক
পুত্রের প্রভাব সমস্ত জাতির উপর বর্তাবে এবং সমস্ত জাতি তার প্রভাবাধীনে আসবে এবং তার
সমস্ত ভাইদের মাঝে যে বিরাজ করবে ৷ আর এ কথাটি কেবল মুহাম্মদ (সা) ব্যতীত অন্য
কারও ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না ৷
প্ চতুর্থ মাত্রায় হযরতমুসা (আ)-এর ঘটনা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে : আল্লাহ্ মুসা
(আ)-এর নিকট ওহী প্রেরণ করে বললেন হে মুসা ! তুমি বনী ইসমাঈলকে জানিয়ে দাও ৷ আমি
তাদেরই স্বজনদের মধ্য থেকে তােমার ন্যায় আর একজন নবী পাঠাব, তার নিকট ওহী প্রেরণ
করবো ৷ তোমরা সবইি তাকে মান্য করবে ৷
পঞ্চম যাত্রার অর্থাৎ অংগীকারের যাত্রা যখন মুসা (আ) তার শেষ বয়সে বনী
ইসরাঈসকে সম্বোধন করে ভাষণ দিচ্ছিলেন ৷ এ ভাষণ তিনি দিয়েছিলেন তীহ্’ ময়দানে
অবস্থানের উনচল্লিশতম বছরে ৷ ভাষণে তিনি বনী ইসরাঈলের প্রতি আল্লাহ্র কুদরত, সাহায্য


أَعْظَمُ قَدْرًا وَلَا أَوْسَعُ جَاهًا، وَلَا أَعْلَى مَنْزِلَةً، وَلَا أَجَلُّ مَنْصِبًا مِنْ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ الَّذِي اسْتَوْلَتْ دَوْلَةُ أُمَّتِهِ عَلَى الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ، وَحَكَمُوا عَلَى سَائِرِ الْأُمَمِ. وَهَكَذَا فِي قِصَّةِ إِسْمَاعِيلَ مِنَ السِّفْرِ الْأَوَّلِ: أَنَّ وَلَدَ إِسْمَاعِيلَ تَكُونُ يَدُهُ عَلَى كُلِّ الْأُمَمِ، وَكُلُّ الْأُمَمِ تَحْتَ يَدِهِ وَبِجَمِيعِ مَسَاكِنِ إِخْوَتِهِ يَسْكُنُ، وَهَذَا لَمْ يَكُنْ لِأَحَدٍ يَصْدُقُ عَلَى الطَّائِفَةِ إِلَّا لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَيْضًا فِي السِّفْرِ الرَّابِعِ فِي قِصَّةِ مُوسَى، أَنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَى مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنْ قُلْ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ: سَأُقِيمُ لَهُمْ نَبِيًّا مِنْ أَقَارِبِهِمْ مِثْلَكَ يَا مُوسَى، وَأَجْعَلُ وَحْيِي بِفِيهِ وَإِيَّاهُ يَسْمَعُونَ. وَفِي السِّفْرِ الْخَامِسِ، وَهُوَ سَفَرُ الْمِيعَادِ، أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، خَطَبَ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي آخِرِ عُمُرِهِ، وَذَلِكَ فِي السَّنَةِ التَّاسِعَةِ وَالثَّلَاثِينَ مِنْ سِنِي التِّيهِ، وَذَكَّرَهُمْ بِأَيَّامِ اللَّهِ وَأَيَادِيهِ عَلَيْهِمْ، وَإِحْسَانِهِ إِلَيْهِمْ، وَقَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ سَيَبْعَثُ لَكُمْ نَبِيًّا مَنْ أَقَارِبِكُمْ مِثْلَ مَا أَرْسَلَنِي إِلَيْكُمْ، يَأْمُرُكُمْ بِالْمَعْرُوفِ، وَيَنْهَاكُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَيُحِلُّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتِ، وَيَحْرِمُ عَلَيْكُمُ الْخَبَائِثَ، فَمَنْ عَصَاهُ فَلَهُ الْخِزْيُ فِي الدُّنْيَا، وَالْعَذَابُ فِي الْآخِرَةِ. وَأَيْضًا فِي آخِرِ السِّفْرِ الْخَامِسِ، وَهُوَ آخِرُ التَّوْرَاةِ الَّتِي بِأَيْدِيهِمْ: جَاءَ اللَّهُ مَنْ طُورِ سَيْنَاءَ، وَأَشْرَقَ مِنْ سَاعِيرَ، وَاسْتَعْلَنَ مِنْ جِبَالِ فَارانَ، وَظَهَرَ مِنْ رَبَوَاتِ
পৃষ্ঠা - ৪৯৪০

ও অনুগ্নহের কথা উল্লেখ করে বলেন : তোমরা জেনে নাও, আল্লাহ্ যেভাবে আমাকে তোমাদের
মাঝে রাসুলরুপে পাঠিয়েছেন শীঘ্রই সেভাবে তোমাদের জন্য তােমাদেরই স্বজনদের মধ্যে
থেকে আর একজন নবী পাঠাবেন ৷ তিনি ণ্তামাৰুদরাক ভাল কাজের আদেশ দেবেন মন্দ কাজ
থেকে নিষেধ করবেন, পবিত্র বস্তু তোমাদের জন্য হালাল সাব্যস্ত করবেন এবং অপবিত্র বস্তু
হারাম সাব্যস্ত করবেন ৷ যে তাকে অমান্য করবে দুনিয়ার সে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে শাস্তি
ভোগ করবে ৷

পঞ্চম যাত্রার শেষে বর্ণিত হয়েছে, আর এটাই তাদের হাতে প্রচলিত তাওরাতের সর্বশেষ
উক্তি£ , সদাপ্রভু সীনয় হইতে আসিলেন, সেঈৱ হইতে তহােদের প্রতি উদিত হইলেন; পারণ
পর্বত হইতে আপন তেজ প্রকাশ করিলেন ৷ (বাইবেল পুরাতন নিয়ম দ্বিতীয় বিবরণ : ৩৩ : ২
পৃ ৩২৫) বইিবেল পুরাতন নিয়ম ৷ বাংলাদেশ বাইবেল সোসইিটি প্রকাশিত ৯৩ ৷ অতঃপর
তার মহিমা প্রকাশিত হলো তার দক্ষিণ দিকে নুর এবং বাম দিকে আগুন, তার দিকে
শিখাসমুহ কেদ্রীভুত হচ্ছিল ৷ অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশ ও বিধান তুরে সায়নার থেকে আসে ৷ এটা
সেই পাহাড় যাতে আল্লাহ্ মুসা (আ)-এর সহিত কথা বলেন ৷ সাঈয় বলতে বায়তৃল
মুকাদ্দাসের পার্শ্ববর্তী পাহাভৃসমুহকে বুঝায় যে স্থানে মারইয়াম পুত্র ঈসা অবস্থান করেন ৷
আর ফারান পর্বতমালা বলতে সর্বসম্মতভাবেই হিজাজের পর্বতমালা ৷ সেখান থেকে আল্লাহ্র
বিধান প্রকাশিত হওয়ার অর্থ হযরত মুহাম্মদ (সা) কর্তৃক পেশকৃত বিধান ব্যতীত অন্য কিছুই
নয় ৷ তাই দেখা যায় আল্লাহ্ তাআলড়া উপরোক্ত তিনটি স্থানের নাম বাস্তব ক্রম অনুযায়ী উল্লেখ
করেহ্নো; প্রথমে মুসা (আ)-এর আবাসস্থল, তারপরে ঈসা (আ)এর এবং তারপরে মুহাম্মদ
(না)-এর নগরীর উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আল্লাহ্ সুরা তীনে পর্যায়ক্রমে উক্ত তিনটি স্থানের
শপথ করেছেন ৷ সুতরাং শপথের নিয়মানুযায়ী প্রথমটা উত্তম, দ্বিডীয়ট৷ উৎকৃষ্ট এবং তৃর্তীয়টা
সর্বোত্কৃস্ট ৷ আল্লাহ্ দ্বারা
বায়তৃল মুকাদ্দাসকে বুঝান হয়েছে যেখানে ঈসা (আ) বসবাস করতেন; ;, ;; ;,fi:,
(শপথ সিনাই পর্বতের) এটা আল্লাহ্র সাথে মুসা (আ) এর কথা বলার স্থান; ;া৷ ৷ ৷ ঞ ,

ন্ ৰু১! (এবং শপথ এই নিরাপদ নগরীর) এটা সেই নগর যেখানে মুহাম্মদ (সা) ণ্ক
নবীরুপে পাঠান হয়েজ্জি (মক্কা) ৷ বহু সং খ্যক মুফাসৃসির উপরোক্ত আয়াতসমুহের এ ব্যাখ্যইি
দান করেছেন ৷

হযরত দাউদ (আ) এর উপর অবতীর্ণ যাবুর কিভাবে শেষ নবীর উষ্মাতের বৈশিষ্ট্য
হিসেবে জিহাদ ও ইবাদতের উল্লেখ করা হয়েছে ৷ ঐ কিভাবে মুহাম্মদ (সা) ণ্ক একটি সুরম্য
গুম্বজের পরিসমাপ্তিরুপে তুলনা করা হয়েছে ৷ বুখারী ও মুসলিমে ঠিক অনুরুপ অর্থে একটি
হাদীস বর্ণিত হয়েছে : রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আমার ও আমার পুর্ববর্তী নবীদের উদাহরণ,
যেমন কোন লোক একটি ঘর নির্মাণ করলো; কিন্তু একটি ইটের স্থান শুন্য রেখে অন্যান্য সব
কাজই পুর্ণ করলো ৷ লোকজন ঘরটি দেখতে এসে বলালা, এ শুন্য স্থানের ইটখানি বসাওনি
কেন ? এ ছাড়া কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতেও যাবুর কিতাবের তৃলনাটি পরিস্ফুট হয় ধুা ধ্

০ ণ্ ন্ ন্ “

০ ৪০) ৷

যাবুর কিতাঃব হযরত মুহাম্মদ (সা) এর বৈশ্যিষ্ট্যর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বলা
হয়েছে, শীঘ্রই তার নবুওয়াত ও দাওয়াত প্রকাশিত হবে, এক সমুদ্র থেকে অপর সমুদ্র পর্যন্ত


قُدْسِهِ، عَنْ يَمِينِهِ نُورٌ، وَعَنْ شِمَالِهِ نَارٌ، عَلَيْهِ تَجْتَمِعُ الْأُمَمُ وَعَلَيْهِ تَجْتَمِعُ الشُّعُوبُ. أَيْ جَاءَ أَمْرُ اللَّهِ وَشَرْعُهُ مِنْ طُورِ سَيْنَاءَ، وَهُوَ الْجَبَلُ الَّذِي كَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عِنْدَهُ، وَأَشْرَقَ مِنْ سَاعِيرَ، وَهِيَ جِبَالُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، الْمَحِلَّةُ الَّتِي كَانَ بِهَا عِيسَى بْنُ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَاسْتَعْلَنَ أَيْ ظَهَرَ وَعَلَا أَمْرُهُ مِنْ جِبَالِ فَارَانَ، وَهِيَ جِبَالُ الْحِجَازِ بِلَا خِلَافٍ، وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ إِلَّا عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; فَذَكَرَ تَعَالَى هَذِهِ الْأَمَاكِنَ الثَّلَاثَةَ عَلَى التَّرْتِيبِ الْوُقُوعِيَّ; ذَكَرَ مَحِلَّةَ مُوسَى، ثُمَّ عِيسَى، ثُمَّ بَلَدَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمَّا أَقْسَمَ تَعَالَى بِهَذِهِ الْأَمَاكِنِ الثَّلَاثَةِ ذَكَرَ الْفَاضِلَ أَوَّلًا، ثُمَّ الْأَفْضَلَ مِنْهُ، ثُمَّ الْأَفْضَلَ مِنْهُ، عَلَى قَاعِدَةِ الْقَسَمِ، فَقَالَ تَعَالَى: {وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ} [التين: 1] . وَالْمُرَادُ بِهَا مَحِلَّةُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ حَيْثُ كَانَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ. {وَطُورِ سِينِينَ} [التين: 2] . وَهُوَ الْجَبَلُ الَّذِي كَلَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ مُوسَى {وَهَذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ} [التين: 3] التِّينِ: 3] . وَهُوَ الْبَلَدُ الَّذِي ابْتَعَثَ اللَّهُ مِنْهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ فِي تَفْسِيرِ هَذِهِ الْآيَاتِ الْكَرِيمَاتِ. وَفِي زَبُورِ دَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، صِفَةُ هَذِهِ الْأُمَّةِ بِالْجِهَادِ وَالْعِبَادَةِ، وَفِيهِ مَثَلٌ ضَرْبَهُ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّهُ خِتَامُ الْقُبَّةِ الْمَبْنِيَّةِ، كَمَا وَرَدَ بِهِ الْحَدِيثُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ «: " مَثَلِي وَمَثَلُ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلِي كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى دَارًا فَأَكْمَلَهَا إِلَّا مَوْضِعَ لَبِنَةٍ، فَجَعَلَ النَّاسُ يُطِيفُونَ بِهَا وَيَقُولُونَ: هَلَّا وُضِعَتْ هَذِهِ اللَّبِنَةُ» وَمِصْدَاقُ ذَلِكَ أَيْضًا فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلَكِنْ رَسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ} [الأحزاب: 40]
পৃষ্ঠা - ৪৯৪১

তার বিধান কার্যকর থাকবে, দিক দিগস্তের রজাে-বাদশাগণহাদিয়া উপচৌবপ্স পাঠিয়ে তার
বশ্যতা স্বীকার করবে ৷ নিপীড়িত মানুষকে তিনি মুক্তি দেবেন, জাতিসমুহের দুর্দশা দুর করবেন,
অসহায় দুর্বল ও অসহায়দেরকে তিনি বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন ৷ সব সময় তার উপর দরুদ
পড়া হবে ৷ প্রতিদিন আল্লাহ তার উপর ৰরকত নাযিল করবেন ৷ চিরদিন তার আলোচনা
অব্যাহত থাকবে ৷ এসব বৈশিষ্ট্য নিঃসন্দেহে একমাত্র মুহাম্মদ (না)-এর উপরই প্রযোজ্য হয় ৷

শইিয়র পুস্তকে এক দীর্ঘ আলোচনা এসেছে ৷ তাতে বনী ইসরাঈলের কঠোর সমালোচনা
করা হয়েছে ৷ ঐ আংলাচনায় বর্ণিত হয়েছে যে, আমি তোমাদের জন্য ও অন্যান্য সকল জাতির
জন্য একজন উমী নবী প্রেরণ করবো; তিনি কঠোর ভাষী, কঠিন হৃদয় এবং বাজারে
চিৎকারকারী হবেন না ৷ আমি তাকে সকল প্রকার সৌন্দর্য দান করবো ৷ উত্তম চরিত্রে ভুষিত
করবো ৷ প্রশাস্তিকে বানাবাে তার ভুষণ, সৎকাজকে করবো তার প্রতীক স্বরুপ ৷ তার অন্তার
থাকবে তাকওয়া, তার জ্ঞান হবে হিকমতে পরিপুর্ণ ৷ প্রতিজ্ঞা পুরণ হবে তার স্বভাব, ন্যায়নীতি
হবে তার চরিত্র ৷ সত্য তার শরী আত সঠিক পথ অবলম্বন করা হবে তার নীতি ৷ ইসলাম হবে
তার দীন, কুরআন হবে তার কিতাব, আহমদ হবে তার নাম ৷ তার মাধ্যমে আমি পথভ্রষ্ট
জাতিকে সঠিক পথ দেখার, পতনের পর মানবজাতিকে তার দ্বারা উদ্ধার করবো ৷ ছিন্নভিন্ন হয়ে
যাওয়ার পর তার দ্বারা সকলকে একত্রিত করবো ৷ দ্বন্দু-সং ঘাতময় অস্তরকে তার দ্বারা জোড়া
লাগার ৷ তার উম্মতকে মানব জাতির কল্যাণকামী শ্রেষ্ঠ উম্মত রুপে সৃষ্টি করবো ৷ তারা উৎসর্গ
করবে তাদের রক্ত ৷ আসমানী কিতাব থাকবে তাদের অন্তরে ৷ রাত্রিকালে তারা হবে সয়্যাসী
আর দিনের বেলায় সিংহ সদৃশ ৷


এটা আল্লাহর একটি অনুগ্রহ বিশেষ, যাকে তিনি চান তাকে ইহা দান করেন ৷ আল্লাহ
মহা অনুগৃহশীল” (৫৭৪ ২১) ৷

তায়মুরিয়া (দশম) পুস্তকের পঞ্চম অধ্যায় ইশাইয়ার (যিশাইওর) উক্তির মধ্যে আছে০ ং
মানুষকে এমনভাবে পিষা হবে যেমন পিষা হয় গম ৷ আরবের যুশরিকদের উপর বিপর্যয় নেমে
আসবে ৷ তাদের অগ্রভাগের লোকেরা ধ্বংস হয়ে ৷ একই পুস্তকের ছাব্বিশতম অধ্যায়ে আছে :
তৃষ্ণার্ত যাযাবরগণ অত্যন্ত খুশী হবে ৷ আহমদ তাদেরকে উত্তম খাদ্য পরিবেশন করবেন এবং
আল্লাহর কুদরত তারা প্রত্যক্ষ করবে ৷

সহীফা-ই-ইলিয়াসে আছে : তিনি একদল সাথী সহকারে ভ্রমণে বের হবেন ৷
আরববাসীরা যখন র্তাকে হিজায ভু-খণ্ডে দেখবে তখন তারা তাদের সাথীদেরকে ডেকে বলবে,
এ ণ্লাকগুলোর প্রতি লক্ষ্য করো, কারণ এরইি তোমাদের বিশাল বিশাল দুর্গের অধিকারী
হবে ৷ তারা নবীকে জিজ্ঞেস করলো তাদের মাবুদ কে হবেন ? নবী বললেন, সকল প্রকার
সন্দেহের উপরে উঠে তারা আল্লাহ্কে মহান বলে বিশ্বাস করবে ৷

হিযর্কীল (যিহিক্কিল) পুস্তকে আছে : আমার মনোনীত বান্দার উপর আমি ওহী নাযিল
করবো ৷ তিনি মানব সমাজে আমার ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করবেন ৷ আমি তাকে নির্বাচিত ও
মনোনীত করেছি আমার নিজের জন্যে ৷ তাকে আমি মানব কুলের নিকট পাঠিয়েছি সত্য বিধান
সহকারে !


[الْأَحْزَابِ: 40] . وَفِي الزَّبُورِ صِفَةُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّهُ سَتَنْبَسِطُ نُبُوَّتُهُ وَدَعْوَتُهُ وَتَنْفُذُ كَلِمَتُهُ مِنَ الْبَحْرِ إِلَى الْبَحْرِ، وَتَأْتِيهِ الْمُلُوكُ مِنْ سَائِرِ الْأَقْطَارِ طَائِعِينَ بِالْقَرَابِينِ وَالْهَدَايَا، وَأَنَّهُ يُخَلِّصُ الْمُضْطَرَّ، وَيَكْشِفُ الضُّرَّ عَنِ الْأُمَمِ، وَيُنْقِذُ الضَّعِيفَ الَّذِي لَا نَاصِرَ لَهُ، وَيُصَلِّي عَلَيْهِ فِي كُلِّ وَقْتٍ وَيُبَارِكُ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي كُلِّ يَوْمَ، وَيَدُومُ ذِكْرُهُ إِلَى الْأَبَدِ. وَهَذَا إِنَّمَا يَنْطَبِقُ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِي صُحُفِ شَعِيَا فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ فِيهِ مُعَاتَبَةٌ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ، وَفِيهِ: فَإِنِّي أَبْعَثُ إِلَيْكُمْ وَإِلَى الْأُمَمِ نَبِيًّا أُمِّيًّا، لَيْسَ بِفَظٍّ، وَلَا غَلِيظِ الْقَلْبِ، وَلَا سِخَابٍ فِي الْأَسْوَاقِ، أُسَدِّدُهُ لِكُلِّ جَمِيلٍ، وَأَهَبَ لَهُ كُلَّ خُلُقٍ كَرِيمٍ، ثُمَّ أَجْعَلُ السَّكِينَةَ لِبَاسَهُ، وَالْبَرَّ شِعَارَهُ، وَالتَّقْوَى فِي ضَمِيرِهِ، وَالْحِكْمَةَ مَعْقُولَهُ، وَالْوَفَاءَ طَبِيعَتَهُ، وَالْعَدْلَ سِيرَتَهُ، وَالْحَقَّ شَرِيعَتَهُ، وَالْهُدَى مِلَّتَهُ، وَالْإِسْلَامَ دِينَهُ، وَالْقُرْآنَ كِتَابَهُ، أَحْمَدُ اسْمُهُ، أَهْدِي بِهِ مِنَ الضَّلَالَةِ، وَأَرْفَعُ بِهِ بَعْدَ الْخَمَالَةِ، وَأَجْمَعُ بِهِ بَعْدَ الْفُرْقَةِ، وَأُؤَلِّفُ بِهِ بَيْنَ الْقُلُوبِ الْمُخْتَلِفَةِ، وَأَجْعَلُ أُمَّتَهُ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ، قَرَابِينُهُمْ دِمَاؤُهُمْ، أَنَاجِيلُهُمْ فِي صُدُورِهِمْ، رُهْبَانًا بِاللَّيْلِ، لُيُوثًا بِالنَّهَارِ، ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ، وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ. وَفِي الْفَصْلِ الْعَاشِرِ مِنْ كَلَامِ شَعْيَا: يَدُوسُ الْأُمَمَ كَدَوْسِ الْبَيَادِرِ، وَيُنْزِلُ الْبَلَاءَ بِمُشْرِكِي الْعَرَبِ، وَيَنْهَزِمُونَ قُدَّامَهُ. وَفِي الْفَصْلِ السَّادِسِ وَالْعِشْرِينَ مِنْهُ: لِيُفْرِحَ أَرْضَ الْبَادِيَةِ الْعَطْشَى، وَيُعْطَى أَحْمَدُ مَحَاسِنَ لُبْنَانَ، وَيَرَوْنَ جَلَالَ اللَّهِ بِمُهْجَتِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪৯৪২

নবুওয়াত’ পুস্তিকায় আছে : কোন এক নবী মদীনায় পথ অতিক্রম করছিলেন ৷ বনু
কুরায়যা ও বনু নযীর তাকে মেহমানদারী করে ৷ নবী যখন তাদেরকে দেখেন তখন কেদে
উঠেন ৷ তারা র্কাদার কারণ জিজ্ঞেস করলে নবী বলেন : হাবৃরা অঞ্চল থেকে আল্লাহ একজন
নবী প্রেরণ করবেন, তিনি তোমাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করে দিবেন এবং তোমাদের সম্মানিত
ব্যক্তিগণকে বন্দী করবেন ৷ অতঃপর ইয়াহুদীরা তাকে হত্যা করতে উদ্যত হলে তিনি পলায়ন
করবেন ৷

হিযকীল (আ) উক্তি করেনং আল্লাহ বলেছেন, তোমার অবয়ব সৃষ্টি করার পুর্বেই আমি

তোমাকে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছি, তোমাকে নবী বানিয়েছি এবং সমস্ত জগতবাসীর জন্য
রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেছি ৷

ইশাইয়৷ (যিশইিও) পুন্তিকায় মক্কা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে : আল্লাহ্ মক্কাকে সৌভাগ্যের বাণী
শুনিয়ে বলেন, হে উষর ভুমি! তুমি এই সন্তানকে নিয়ে খুশি হও, যাকে তোমার বব তোমাকে
উপহার স্বরুপ দান করবেন ৷ কারণ তার বরকতে তোমার ঘরবাড়ি প্রশস্ত হয়ে যাবে, পৃথিবীর
বুকে তোমার শক্তি সুদৃঢ় হবে ৷ তোমার বাসগৃহের দ্বার উচু হবে৷ তোমার উত্তর-দক্ষিণের
দেশসমুহের রাজা-বাদশাগণ তোমার কাছে উপহার-উপচৌকন নিয়ে আসবে ৷ তোমার এ
সন্তান জাতিসমুহের নেতা হবেন, সকল শহর ও নগরের মালিক হবেন ৷ সুতরাং তোমার কোন
ভয় নেই, কোন সাি৷ নেই; কোন শত্রু বাহিনী তোমার উপর কখনও আক্রমণ চালাতে পারবে
না ৷ পিছনের সমস্ত গ্নানি ভুলে যাও ৷ নিঃসন্দেহে উল্লেখিত সমস্ত বিষয়ই কেবল হযরত মুহাম্মদ
(সা) এর হাতেই অর্জিত হয় ৷ উষর ভুমি দ্বারা এখানে মক্কা নগরীকে বুঝান হয়েছে এবং
এখানে যে সব সৌভাগ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে৩ তা সবই মক্কার অর্জিত ৩হয়েছে ৷ কতিপয়
ইয়াহুদী বলে থাকে যে, উক্ত ভুমি দ্বারা বায়তৃল মুকাদ্দাসের কথা বলা হয়েছে ৷ কিন্তু এ ব্যাখ্যা
কােনক্রমেই বাস্তবের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ নয় ৷

আরামীয় (যিরমীয়) পুস্তিকায় আছে৪ দক্ষিণে একটি নক্ষত্র উদিত হয় ৷ তার থেকে বিজলী
চমকায় ৷ ভাগ্য তার অতি বিস্ময়কর ৷ পাহাড় পর্বত তার কারণে কেপে উঠে ৷ এ উদাহরণ দ্বারা
হযরত মুহাম্মদ (সা) বেইি বুঝান হয়েছে ৷

ইনজিল কিভাবে আছে, ঈসা (আ) বললেন : আমি সুউচ্চ জান্নাতে আরােহণকরছি, আর
তোমাদের জন্যে ফারকলীত (সহায়)-কে পাঠিয়ে দিচ্ছি ৷ তিনি সত্য কথা বলবেন,
তোমাদেরকে সবকিছু শিক্ষা দেবেন ৷ বিৎ নিজের থেকে বানিয়ে কিছুই বলবেন না ৷ এখানে
ফারকলীত (?৪;৪০া৪ওে) দ্বারা মুহাম্মদ (সা) বেইি বুঝান হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে কুরআনে ঈসা
এবং
আমার পরে আহমদ নামে যে রাসুল আসবে আমি তার সুসৎবাদদাতা (সাফ্ফ৪ ৬) ৷

এ আলোচ্য অধ্যায়টি অতি ব্যাপক ৷ সকলের কথা যদি উল্লেখ করা হয় তবে অনুচ্ছেদের
কলেবর দীর্ঘ হয়ে যাবে ৷ যেটুকু আলোচনা করা হয়েছে তা দ্বারইি ঐ লোক সঠিক সিদ্ধান্ত
নিতে সক্ষম হবে, যাকে আল্লাহ্ অন্তর্বৃষ্টি দান করেছেন ও সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন ৷ এ
সব বর্ণনার অধিকাংশই ইয়াহ্রদী-নাসারাদের পাদ্রী ও ধর্মযাজ্যাগণ জানে ৷ কিত্তু জানা সত্বেও
তারা তা শ্চো৷পন রাখে ৷


وَفِي صُحُفِ إِلْيَاسَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنَّهُ خَرَجَ مَعَ جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ سَائِحًا، فَلَمَّا رَأَى الْعَرَبَ بِأَرْضِ الْحِجَازِ قَالَ لِمَنْ مَعَهُ: انْظُرُوا إِلَى هَؤُلَاءِ فَإِنَّهُمْ هُمُ الَّذِينَ يَمْلِكُونَ حُصُونَكُمُ الْعَظِيمَةَ. فَقَالُوا: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، فَمَا الَّذِي يَكُونُ مَعْبُودَهُمْ؟ فَقَالَ: يُعَظِّمُونَ رَبَّ الْعِزَّةِ فَوْقَ كُلِّ رَابِيَةٍ عَالِيَةٍ. وَمِنْ صُحُفٍ حِزْقِيلَ: إِنَّ عَبْدَيْ خِيرَتِي أُنْزِلُ عَلَيْهِ وَحْيِي، يُظْهِرُ فِي الْأُمَمِ عَدْلِي، اخْتَرْتُهُ وَاصْطَفَيْتُهُ لِنَفْسِي، وَأَرْسَلْتُهُ إِلَى الْأُمَمِ بِأَحْكَامٍ صَادِقَةٍ. وَمِنْ كِتَابِ النُّبُوَّاتِ أَنَّ نَبِيًّا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ مَرَّ بِالْمَدِينَةِ فَأَضَافَهُ بَنُو قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ، فَلَمَّا رَآهُمْ بَكَى، فَقَالُوا لَهُ: مَا الَّذِي يُبْكِيكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ؟ فَقَالَ: نَبِيٌّ يَبْعَثُهُ اللَّهُ مِنَ الْحَرَّةِ، يُخَرِّبُ دِيَارَكُمْ وَيَسْبِي حَرِيمَكُمْ. قَالَ: فَأَرَادَ الْيَهُودُ قَتْلَهُ فَهَرَبَ مِنْهُمْ. وَمِنْ كَلَامِ حِزْقِيلَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يَقُولُ اللَّهُ: مِنْ قَبْلِ أَنْ صَوَّرْتُكَ فِي الْأَحْشَاءِ قَدَّسْتُكَ وَجَعَلْتُكَ نَبِيًّا، وَأَرْسَلْتُكَ إِلَى سَائِرِ الْأُمَمِ. فِي صُحُفِ شَعْيَا أَيْضًا مَثْلٌ مَضْرُوبٌ لِمَكَّةَ شَرَّفَهَا اللَّهُ: افْرَحِي يَا عَاقِرُ بِهَذَا الْوَلَدِ الَّذِي يَهَبُهُ لَكِ رَبُّكِ، فَإِنَّ بِبَرَكَتِهِ تَتَّسِعُ لَكِ الْأَمَاكِنُ، وَتَثْبُتُ أَوْتَادُكِ فِي الْأَرْضِ وَتَعْلُو أَبْوَابُ مَسَاكِنِكَ، وَيَأْتِيكِ مُلُوكُ الْأَرْضِ عَنْ يَمِينِكِ وَشِمَالِكِ بِالْهَدَايَا وَالتَّقَادُمِ، وَوَلَدُكُ هَذَا يَرِثُ جَمِيعَ الْأُمَمِ، وَيَمْلِكُ سَائِرَ الْمُدُنِ وَالْأَقَالِيمِ، وَلَا تَخَافِي وَلَا تَحْزَنِي، فَمَا بَقِيَ يَلْحَقُكِ ضَيْمٌ مِنْ عَدْوٍ أَبَدًا، وَجَمِيعُ أَيَّامِ تَرَمُّلِكِ تَنْسِيهَا. وَهَذَا كُلُّهُ إِنَّمَا حَصَلَ عَلَى يَدَيْ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّمَا الْمُرَادُ بِهَذِهِ الْعَاقِرِ مَكَّةُ، ثُمَّ صَارَتْ كَمَا ذَكَرَ فِي هَذَا الْكَلَامِ لَا مَحَالَةَ. وَمَنْ أَرَادَ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنْ يَصْرِفَ هَذَا وَيَتَأَوَّلَهُ عَلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَهَذَا لَا يُنَاسِبُهُ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ.
পৃষ্ঠা - ৪৯৪৩
وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَفِي صُحُفِ أَرْمِيَا: كَوْكَبٌ ظَهَرَ مِنَ الْجَنُوبِ أَشِعَّتُهُ صَوَاعِقُ، سِهَامُهُ خَوَارِقُ، دُكَّتْ لَهُ الْجِبَالُ. وَهَذَا الْمُرَادُ بِهِ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِي الْإِنْجِيلِ يَقُولُ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: إِنِّي مُرْتَقٍ إِلَى جَنَّاتِ الْعُلَى، وَمُرْسِلٌ إِلَيْكُمُ الْفَارَقْلِيطَ رُوحَ الْحَقِّ يَعْلَمُكُمْ كُلَّ شَيْءٍ، وَلَمْ يَقِلْ شَيْئًا مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِهِ. وَالْمُرَادُ بِالْفَارَقْلِيطِ مُحَمَّدٌ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَهَذَا كَمَا تَقَدَّمَ عَنْ عِيسَى أَنَّهُ قَالَ: {وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِنْ بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ} [الصف: 6] . وَهَذَا بَابٌ مُتَّسِعٌ، وَلَوْ تَقَصَّيْنَا جَمِيعَ مَا ذَكَرَهُ النَّاسُ لَطَالَ هَذَا الْفَصْلُ جَدًّا، وَقَدْ أَشَرْنَا إِلَى نُبَذٍ مِنْ ذَلِكَ يَهْتَدِي بِهَا مَنْ نَوَّرِ اللَّهِ بَصِيرَتَهُ وَهَدَاهُ إِلَى صِرَاطِهِ الْمُسْتَقِيمِ، وَأَكْثَرُ هَذِهِ النُّصُوصِ يَعْلَمُهَا كَثِيرٌ مِنْ عُلَمَائِهِمْ وَأَحْبَارِهِمْ، وَهُمْ مَعَ ذَلِكَ يَتَكَاتَمُونَهَا وَيُخْفُونَهَا. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَمُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى بْنِ الْفَضْلِ، قَالَا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي دَاوُدَ الْمُنَادِي، ثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُؤَدِّبُ، ثَنَا صَالِحُ بْنُ عُمَرَ، ثَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْفَلَتَانِ بْنِ عَاصِمٍ قَالَ: «كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذْ شَخَصَ بِبَصَرِهِ إِلَى رَجُلٍ، فَدَعَاهُ فَأَقْبَلَ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ، مُجْتَمَعٌ عَلَيْهِ قَمِيصٌ وَسَرَاوِيلُ وَنَعْلَانِ، فَجَعَلَ يَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৪৯৪৪

হাফিয আবু বকর বায়হাকী পায়লান ইবন আসিম (রা) থেকে বর্ণনা করেন;
গায়লান বলেন : আমরা একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকটে বসা ছিলাম ৷ এমন সময় এক
ব্যক্তি চোখের ইঙ্গিতে আরেক ব্যক্তিকে আহ্বান করলো ৷ একদা এক ইয়াহুদী এসে উপস্থিত
হলো ৷ তার পরিধানে লম্বা জোব্বা পায়জামা ও জুতা ছিল ৷ সে এসে বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ্!
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন : তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ, আমি আল্লাহ্র রাসুল ? সে আর কোন উত্তর
না দিয়ে পুনরায় বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! নবী করীম (সা) বললেন, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,
আমি আল্লাহ্র রাসুল ? তখন সে অস্বীকার করলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি

তাওরাতৰুপড় ? সে বৃললাে, জী হা ৷ আবার জিজ্ঞেস করলেন, ইনজ্জি পড় ? সে বললো,
জী হী ৷ মুহাম্মদের রবের কসম, আমি বদি ইচ্ছা করি তবে ফুরকানও পড়তে পারি ৷ নবী করীম
(সা) বললেন, সেই সত্তার কসম, যিনি তাত্তরাত ও ইনজিল নাযিল করেছেন এবং এগুলোর
ধারক-বাহকাদর সৃষ্টি করেছেন, তুমি কি তাওরাত ইনজীলে আমার সম্পর্কে কিছু পেয়েছ ?
ইরাহুদীটি বললাে, আপনার গুণাবলী ও বৈশিষ্টের অনুরুপ উল্লেখ পেয়েছি ৷ শেষ নবীর
আবির্ভাব স্থলের সাথে আপনার আবির্ভাব স্থলের মিল আছে ৷ আমরা আশা করেছিলাম, তিনি
আমাদের মধ্য থেকেই হবেন ৷ যখন আপনি আত্মপ্রকাশ করলেন তখন দেখলাম যে সে লােকটি
আপনিই ৷ তারপর গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখলাম যে, তিনি আপনি নন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
জিজ্ঞেস করলেন, তা কীভাবে ? ইয়াহুদীটি বললেড়া, আমরা আমাদের কিভাবে পেয়েছি যে,
আপনার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোৰু বিনা হিসাবে জান্নাত যাবে; অথচ সংখ্যায়
আপনারা নিতাত্ত অল্প ৷ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) দু-বার বললেন, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ,
আল্লাহু আকবর ৷ তারপর বললেন, যেসত্তার হাতে মুহাম্মদের জীবন, তার কসম , নিঃসন্দেহে
আমিই সেই ব্যক্তি ৷ আর আমার উষ্মতের সংখ্যা সত্তর হাজারের চেয়ে সত্তর সত্তর গুণ অধিক ৷

প্রশ্নকারীর প্রশ্ন করার পুর্বেই রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জৈ দান

ইমাম আহমদ আফ্ফান সুত্রে ওয়াবিসা আলআসাদী (না) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট এ উদ্দেশ্যে গমন করি যে প্রতিটি পুণ্য ও
পাপের কাজ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করবো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকটে ঐ সময় কতিপয়
মুসলমান বসে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছিলেন ৷ আমি তাদেরকে জানালাম যে আমিও
মাসআলা জানার জন্য এসেছি ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বললেন, ওয়াবিসা আপনার নিকট
আসতে চায় ৷ আমি বললাম, থাম, আমি তার কাছে যাব; কেননা, তার কাছে বসতে আমার
বড় ভাল লাগে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, ওয়াবিসাকে আসতে নাও তারপর তিনি বললেন :
কাছে এসো ওয়াবিসা৷ দুবার কি তিনবার তিনি এ কথাটি বললেন ৷ তখন আমি তার কাছে
গেলাম এবং তার সম্মুখে গিয়ে বসলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে
ওয়াবিসা! তৃমি কী জন্য এসেছ, তা কি আমি বলে দেব, নাকি আমার কাছে তুমি জিজ্ঞেস
করবে ? আমি বললাম, জী না, বরং আপনিই বলে দিন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তখন বললেন, তুমি
এস্যেছা পুণ্য ও পাপ সম্পর্কে জানার জন্য ৷ আমি বললাম, জী হী ৷ অতঃপর তিনি হাতের


يَقُولُ: " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ " فَجَعَلَ لَا يَقُولُ شَيْئًا إِلَّا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَيَقُولُ: " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ " فَيَأْبَى، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَتَقْرَأُ التَّوْرَاةَ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: " وَالْإِنْجِيلَ؟ " قَالَ: نَعَمْ، وَالْفُرْقَانَ وَرَبِّ مُحَمَّدٍ لَوْ شِئْتَ لَقَرَأْتُهُ. قَالَ: " فَأَنْشُدُكَ بِالَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَأَشْيَاءَ حَلَّفَهُ بِهَا - تَجِدُنِي فِيهِمَا؟ " قَالَ: نَجِدُ مِثْلَ نَعْتِكَ يَخْرُجُ مِنْ مَخْرَجِكَ، كُنَّا نَرْجُو أَنْ يَكُونَ فِينَا، فَلَمَّا خَرَجْتَ رَأَيْنَا أَنَّكَ هُوَ، فَلَمَّا نَظَّرْنَا إِذَا أَنْتَ لَسْتَ بِهِ. قَالَ: " مِنْ أَيْنَ؟ " قَالَ نَجْدُ مِنْ أُمَّتِكَ سَبْعِينَ أَلْفًا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ، وَإِنَّمَا أَنْتُمْ قَلِيلٌ. قَالَ: فَهَلَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَبَّرَ، وَهَلَّلَ وَكَبَّرَ، ثُمَّ قَالَ: " وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّنِي لَأَنَا هُوَ، وَإِنَّ مِنْ أُمَّتِي لَأَكْثَرُ مِنْ سَبْعِينَ أَلْفًا وَسَبْعِينَ وَسَبْعِينَ» " [جَوَابُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَنْ سَأَلَ عَمَّا سَأَلَ قَبْلَ أَنْ يَسْأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ] حَدِيثٌ فِي جَوَابِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَنْ سَأَلَ عَمَّا سَأَلَ قَبْلَ أَنْ يَسْأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَنَا الزُّبَيْرُ بْنُ عَبْدِ السَّلَامِ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مِكْرَزٍ، وَلَمْ يَسْمَعْهُ مِنْهُ، قَالَ: حَدَّثَنِي
পৃষ্ঠা - ৪৯৪৫
جُلَسَاؤُهُ، وَقَدْ رَأَيْتُهُ عَنْ وَابِصَةَ الْأَسَدِيِّ، وَقَالَ عَفَّانُ: ثَنَا غَيْرَ مَرَّةٍ، وَلَمْ يَقِلْ: حَدَّثَنِي جُلَسَاؤُهُ. قَالَ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ لَا أَدَعَ شَيْئًا مِنَ الْبِرِّ وَالَإِثِمِ إِلَّا سَأَلْتُهُ عَنْهُ، وَحَوْلَهُ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَسْتَفْتُونَهُ، فَجَعَلْتُ أَتَخَطَّاهُمْ، فَقَالُوا: إِلَيْكَ يَا وَابِصَةُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقُلْتُ: دَعُونِي فَأَدْنُوَ مِنْهُ فَإِنَّهُ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَيَّ أَنْ أَدْنُوَ مِنْهُ. قَالَ: " دَعُوا وَابِصَةَ ادْنُ يَا وَابِصَةُ ". مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا. قَالَ: فَدَنَوْتُ مِنْهُ حَتَّى قَعَدْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: " يَا وَابِصَةُ أُخْبِرُكَ أَمْ تَسْأَلُنِي؟ " فَقُلْتُ: لَا بَلْ أَخْبِرْنِي. فَقَالَ: " جِئْتَ تَسْأَلُ عَنِ الْبِرِّ وَالْإِثْمِ ". فَقُلْتُ: نَعَمْ. فَجَمَعَ أَنَامِلَهُ، فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِهِنَّ فِي صَدْرِي وَيَقُولُ: " يَا وَابِصَةُ اسْتَفْتِ قَلْبَكَ وَاسْتَفْتِ نَفْسَكَ - ثَلَاثَ مَرَّاتٍ - الْبَرُّ مَا اطْمَأَنَّتْ إِلَيْهِ النَّفْسُ، وَالْإِثْمُ مَا حَاكَ فِي النَّفْسِ وَتَرَدَّدَ فِي الصَّدْرِ، وَإِنْ أَفْتَاكَ النَّاسُ وَأَفْتَوْكَ» "