আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

باب ما يتعلق بالحيوانات من دلائل النبوة

قصة العلاء بن الحضرمي
قصة العلاء بن الحضرمي
পৃষ্ঠা - ৪৮৮৪


দাওয়াত দেবেন ৷ এরপর তিনি যখন তাদের বন৫ছ, ৫হৃগুরুলন এবং গিবিপথ ৫বয়ে তাদের কাছে
৫ন৫ম আস৫লন তখন তার চক্ষুদ্বয়ের মধ্যবর্তী স্থান থেকে অা৫ল৷ বিচ্ছুবিত হতে লাগল ৷ তখন
তিনি দু অ৷ করলেন, ৫হ আল্লাহ! তারা যেন এ কথা না বলে যে, তা শারীরিক খুত ৷ তখন

আল্লাহ তাকে তার ছড়ির অগ্রতা৫প স্থানান্তরিত করে দিলেন ৷ ফলে তা৫ক প্রদী৫পর মত আলো
বিচ্ছরণ করতে ৫দখল ৷

তামীদ আদ্দারীর কারামাত বিষয়ক হাদীস

হাফিয বায়হাকী বিওয়ায়াত করেছেন আফ্ফান ইবন মুসলি৫ময় হাদীস সংগ্রহ থেকে
মু আবিয়া ইবন হারমালা সুত্রে ৷ তিনি বলেন, একবার মদীনায় সৎলগ্ন পাথু৫র ভুখ৫ণ্ড একটি
অগ্নিকুণ্ডে র সৃষ্টি হল ৷ তখন হযরত উমর তামীম দাৰীৰ্ কাছে এসে বললেন, আপনি এই
অগ্নিকুণ্ডেব্র ক ৷৫ছ চলুন ৷ তিনি বললেন, ৫হ আমিরুল মুমিনীন আমি কে ? আমি কী ? রাবী
বলেন, কিন্তু উমর তার পিছু ছাড়৫লন না ৷ অবশেষে তিনি তার সাথে উঠলেন ৷ মুআবিয়া
বলেন, আর আমি তাদের দুজন৫ক অনুসরণ্ৰুবল্ললাম ৷, তখন তারা দুজন আগুনের দিকে অগ্রসর
হ৫লন ৷ তামীম উভয় হাত দিয়ে ৫সই আওন৫ক বাধা দিতে লাগ৫লন ৷ এমনকি তা গিবিপথে
প্রবেশ করল ৷ আর আমি তার পিছে প্রবেন করলাম ৷ রাবী বলেন, তখন উমর বলতে লাগলেন,
যে দেখেছে সে তার মত নয় ৫য ৫দখেনি ৷ তিনি এ কথা তিনবার বললেন ৷

এই উষ্ম৫তর এক ওলীর কারামত

আর এ জাতীয় কারামত মু’জিযার অন্তর্ভুক্ত ৷ কেননা, কোন ওলীর যদি কোন কারামত
প্রকাশ পায়, তাহলে তা তার নবীর মু ’জিয৷ বলে গণ্য হয়ে থাকে ৷ হাসান ইবন উরওয়া বর্ণনা
করেছেন আবদুল্লাহ্ ইবন ইদরীস ষ্টু আবু সাবুরা আনৃ-নাখয়ীন্ সুত্রে যে, তিনি বলেছেন :
এক ব্যক্তি ইয়ামান থেকে আসছিলেন ৷ পথে তার গ্া৷ধা মৃত্যুমু৫খ পতিত তহল ৷ তখন তিনি উঠে
গিয়ে উয়ুকর৫লন ৷ তারপর দুরাকাআত নামায পড়ে এরুপ দু “আ করলেন ৪৫হ আল্লাহ! আমি

তোমার পথে মুজাহিদরুপে ৫তামার সভুষ্টির সন্ধা৫ন ৫বর হ৫য়ছি ৷ আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,

ভুমি মৃত৫ক জীবন দান করে থা৫ক৷ এবং কবরবাসীদের তুমি পুনরুথিত করবে ৷ আজ তুমি
আমাকে কারো অনুগ্র৫হর পাত্র করো না ৷ আজ আমি ৫তামার কাছে প্রার্থনা করছি, তুমি
আমার গা ধ৷ কে জীবিত করে দাও ৷ তখন গাধাঢি তার কান সাড়া দিয়ে উঠে দাড়াল ৷ হাফিয
বায়হার্কী বলেন, এই রিওয়ায়া তটির বর্ণনা সুত্র বিশুদ্ধ ৷ আর এ ধরনের ঘটনা শবী যত প্রবত৫কর
সম্মানার্থে সংঘটিত হয়ে থাকে ৷ বায়হাকী বলেন, তদ্রুপ মুহাস্মদ ইবন ইয়ড়াইইয়া আয় যুহলী
প্রমুখ তা মুহাম্মাদ ইবন উবায়দ সুত্রে শা’বী থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আল্লাহ্ই
অধিকতর জানেন

ভিম্ন একটি সুত্র ,
আবু বকর ইবন আৰুদ্ দুনিয়া তার (মৃত্যুর পর জীবিত যারা)

গ্রন্থে ইসহাক ইবন ইসমাঈল, আহমদ ইবনঘুজায়র প্রমুখ সুত্রে শাবী থেকে বর্ণনা
করেছেন : একবার ইয়ামান থেকে একদল লোক আল্লাহর পথে তার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে


مُسْلِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَرِيكٍ النَّخَعِيِّ، أَنَّ صَاحِبَ الْحِمَارِ رَجُلٌ مِنَ النَّخَعِ، يُقَالُ لَهُ: نُبَاتَةُ بْنُ يَزِيدَ. خَرَجَ فِي زَمَنِ عُمَرَ غَازِيًا، حَتَّى إِذَا كَانَ بِشَنِّ عَمِيرَةَ نَفَقَ حِمَارُهُ، فَذَكَرَ الْقِصَّةَ، غَيْرَأَنَّهُ قَالَ: فَبَاعَهُ بَعْدَ الْكُنَاسَةِ، فَقِيلَ لَهُ: تَبِيعُ حِمَارَكَ وَقَدْ أَحْيَاهُ اللَّهُ لَكَ؟! قَالَ: فَكَيْفَ أَصْنَعُ؟ وَقَدْ قَالَ رَجُلٌ مِنْ رَهْطِهِ ثَلَاثَةَ أَبْيَاتٍ فَحَفِظْتُ هَذَا الْبَيْتَ: وَمِنَّا الَّذِي أَحْيَا الْإِلَهُ حِمَارَهُ ... وَقَدْ مَاتَ مِنْهُ كُلُّ عُضْوٍ وَمَفْصِلِ وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي بَابِ رِضَاعِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ مَا كَانَ مِنْ حِمَارَةِ حَلِيمَةَ السَّعْدِيَّةِ، وَكَيْفَ كَانَتْ تَسْبِقُ الرَّكْبَ فِي رُجُوعِهَا لَمَّا رَكِبَ مَعَهَا عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ رَضِيعٌ، وَقَدْ كَانَتْ أَذَمَّتْ بِالرَّكْبِ فِي مَسِيرِهِمْ إِلَى مَكَّةَ وَكَذَلِكَ ظَهَرَتْ بَرَكَتُهُ عَلَيْهِمْ فِي شَارِفِهِمْ - وَهِيَ النَّاقَةُ الَّتِي كَانُوا يَحْلُبُونَهَا - وَشِيَاهِهِمْ وَسَمْنِهَا وَكَثْرَةِ أَلْبَانِهَا، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. [قِصَّةُ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ] قِصَّةٌ أُخْرَى مَعَ قِصَّةِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ: قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ خِدَاشِ بْنِ عَجْلَانَ الْمُهَلَّبَيِّ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ بَسَّامٍ قَالَا: ثَنَا صَالِحٌ الْمُرِّيُّ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: عُدْنَا شَابًّا
পৃষ্ঠা - ৪৮৮৫


জিহাদে বের হলেন ৷ পথে তাদের এক ব্যক্তির গাধা মৃতু ত্যুযুখে পতিত হল ৷ তখন সকলে তবে
তাদের সাথে বহন করতে চাইল , কিন্তু তিনি তাতে রাজী হলেন না ৷ এরপর তিনি উঠে গিয়ে
উয়ু করলেন, নামায পড়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন-“হে আল্লাহ! আমি তোমার পথে
মুজাহিদ রুপে তোমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বের হয়েছি ৷ আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি
মৃতদেরকে জীবন দান করবে এবং কবরবাসী দের পুনরুখিত করবে ৷ আমাকে কারো অনুগ্রহের
পাত্র করো না ৷ আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, তুমি আমার গাধাকে পুনর্জীবিত করে দাও ৷
তারপর তিনি গাধাটির দিকে অগ্রসর হলেন ৷ তখন গাধাটি তার কান ঝাড়া দিয়ে উঠে দাড়াল ৷
তখন তিনি তাতে জিন ও লাগাম পরালেন ৷ অতঃপর তাতে আরোহণ করে তার সঙ্গীদের সাথে
গিয়ে মিলিত হলেন ৷ তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার ব্যাপারটি কী ? জবাবে তিনি
বললেন, আমার ব্যাপার হল আল্লাহ আমার গাধাকে পুনর্জীবিত করে দিয়েছেন ৷ শা’বী বলেন,

আর আমি এই গাধাটিকে কুফাতে বিক্রি হতে দেখেছি ৷ ইবন আবুদ দুনিয়া বলেন, আমাকে
আব্বাস ইবন হিশাম তার পিতার সুত্রে মুসলিম ইবন আবদুল্লাহ ইবন শারীক আন নাখয়ী
থেকে জা ৷নিয়েছেন যে এ গাধার মালিক নাখ৷ এর অধিকা রী ৷৩ তার নাম নুবাত৷ ইবন ইয়াযীদ ৷
হযরত উমর (রা)-এর খিলাফ ৩কালে তিনি জিহাদে বের হয়েছিলেন ৷ পথিমধ্যে তিনি যখন
আমীরা নামক স্থানে পৌছলেন তখন তার গাধা মৃত্যুমুখে পতিত হল-এরপর তিনি ঘটনাটি
উল্লেখ করেছেন ৷ তার তার ভাষ্য নিম্নরুপং :

পরবর্তীতে তিনি ওটা কুফায় বিক্রি করে দেন ৷ সে সময় তাকে বলা হল, আপনি কি
আপনার গাধা বিক্রি করে দিচ্ছেন, অথচ আল্লাহ্ তাকে আপনার জন্য মৃত্যুর পর জীবিত করে
দিয়েছেন ৷ জবাবে তিনি বললেন, তাহলে আমি কী করব ? আর তার সঙ্গীদের একজন৩ তিনটি
কবিতা পঙ্তি তআবৃত্তি করল, যার একটি আমি মনে রেখেছি-


মৃত্যুর পর আল্লাহ যার গাধাকে জীবিত তকরেছেনত তিনি আমাদেরই একজন, অথচ গাধাটির
প্রতিটি অঙ্গগ্রত্যঙ্গ ও অস্থিসমুহের মৃত্যু ঘটে ছিল ৷

আর রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দুধপান অধ্যায়ে আমরা হালিমা সাদিয়ার (রা) মাদী গাধার
বিষয়ে আলোচনা করেছি ৷ দুগ্ধপােষ্য মুহাম্মাদ (সা)-কে নিয়ে ফিরার পথে তিনি যখন তাতে
আরোহণ করলেন, তখন সে কীভাবে কাফেলার অন্যান্য বাহনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে
যাচ্ছিল ৷ অথচ মক্কায় আসার পথে ইতিপুর্বে সে তার দুর্বলত৷ ও ধীরগতির কারণে কাফেলার
যাত্রীদলকে পিছিয়ে দিচ্ছিল ৷ ড্ডাপ তার বরকত প্ৰকা শ পেয়েছিল তাদের বৃদ্ধ উটনী তে এবং
তাদের মেষপালের হৃষ্টপুষ্টত৷ ও দুধের আধিকাে তার উপর অ ৷ল্লাহ্র অনুগ্রহ ও শান্তি বর্ষিত
হোক ৷

আলা ইবনুল হাযরাবামীর ঘটনার সাথে আরেকটি বটনা

আবু বকর ইবন আবুদ্দুনিয়া খালিদ ইবন খাদৃদাশ ইবন আজলান সুত্রে আনাস ইবন
মালিক থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন : একবার আমরা এক (গুরুতর অসুস্থ)
আনসারী যুবককে দেখতে গেলাম ৷ আমরা যেতে না যেতেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল ৷


مِنَ الْأَنْصَارِ، فَمَا كَانَ بِأَسْرَعَ مِنْ أَنْ مَاتَ فَأَغْمَضْنَاهُ، وَمَدَدْنَا عَلَيْهِ الثَّوْبَ، وَقَالَ بَعْضُنَا لِأُمِّهِ: احْتَسِبِيهِ. قَالَتْ: وَقَدْ مَاتَ؟! قُلْنَا: نَعَمْ. قَالَتْ: أَحَقٌّ مَا تَقُولُونَ؟ قُلْنَا: نَعَمْ. فَمَدَّتْ يَدَيْهَا إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَتْ: اللَّهُمَّ إِنِّي آمَنْتُ بِكَ، وَهَاجَرْتُ إِلَى رَسُولِكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِذَا نَزَلَتْ بِي شِدَّةٌ دَعْوْتُكَ فَفَرَّجْتَهَا، فَأَسْأَلُكَ اللَّهُمَّ أَلَّا تَحْمِلَ عَلَيَّ هَذِهِ الْمُصِيبَةَ. قَالَ: فَكَشَفَ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ، فَمَا بَرِحْنَا حَتَّى أَكَلْنَا وَأَكَلَ مَعَنَا وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْمَالِينِيِّ، عَنْ ابْنِ عَدِيٍّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَاهِرِ بْنِ أَبِي الدُّمَيْكِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَائِشَةَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ بَشِيرٍ الْمُرِّيِّ، أَحَدِ زُهَّادِ الْبَصْرَةِ وَعُبَّادِهَا مَعَ لِينٍ فِي حَدِيثِهِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَ الْقِصَّةَ، وَفِيهِ أَنَّ أُمَّ السَّائِبِ كَانَتْ عَجُوزًا عَمْيَاءَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رُوِىَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مُرْسَلٍ. يَعْنِي فِيهِ انْقِطَاعٌ بَيْنَ ابْنِ عَوْنٍ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، ثُمَّ سَاقَهُ مِنْ طَرِيقِ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «أَدْرَكْتُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ ثَلَاثًا لَوْ كَانَتْ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمَا تَقَاسَمَهَا الْأُمَمُ. قُلْنَا مَا هِيَ يَا أَبَا حَمْزَةَ؟ قَالَ: كُنَّا فِي الصُّفَّةِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ مُهَاجِرَةٌ وَمَعَهَا ابْنٌ لَهَا قَدْ بَلَغَ، فَأَضَافَ الْمَرْأَةَ إِلَىالنِّسَاءِ وَأَضَافَ
পৃষ্ঠা - ৪৮৮৬

তখন আমরা তার চোখের পাতা বন্ধ করে তার শরীরে চাদর টেনে দিলাম ৷ আমাদের একজন
তার মাকে বলল, আল্লাহ্র কাছে তুমি তার মৃত্যুর সাওয়াব প্রত্যাশা কর ৷ সে বলল, যে কি
মারা গেল ? আমরা বললাম, হী ৷ তখন সে আসমানের দিকে দৃই হাত উঠিয়ে বলল, “হে
আল্লাহ্ ! আমি আপনার প্রতি ঈমান এসেছি এবং আপনার রাসুলের কাছে হিজরত করেছি ৷ পুর্বে
যখন আমার উপর কোন বিপদ এসেছে তখন আমি আপনাকে আহ্বান করেছি আর আপনি তা
দুর করেছেন ৷ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, আপনি আমার উপর এই
(সন্তান বিয়ােগের) বিপদ চাপিয়ে দেবেন না ৷ রাবী বলেন, এরপর তার মুখঅনাবৃত করে
দেখা গেল সে জীবিত ৷ এরপর আমরা যে স্থানে গেলাম আর সেও আমাদের সাথে গেল ৷

আর বায়হাকী তা বিওয়ায়াত করেছেন, আবু সাঈদ আল-মালীনী ; হযরত আনাস
ইবন মালিক সুত্রে ৷ এরপর তিনি ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন, আর তাতে রয়েছে; উম্মুস সাইব
ছিলেন বৃদ্ধা এবং অন্ধ ৷ বায়হাকী বলেন, হাদীসটি ভিন্ন একটি সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে ৷ এরপর
তিনি তা উল্লেখ করেছেন ঈসা ইবন ইউনুস সুত্রে আবদৃল্লাহ্ ইবন আওন থেকে হযরত
আনাসের বরাতে ৷ তিনি বলেন, এই উম্মতে আমি এমন তিনটি বিষয় দেখতে পেয়েছি তা যদি
বানু ইসরাইলে ঘটত তাহলে জাতিসমুহ ঐ সব ঘটনার দোহাই দিয়ে কসম থেতাে ৷

আমরা বললাম, হে আবু হাময৷ ! সেগুলি কী ? তিনি বললেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর কাছে সুফফায়’ অবস্থান করছিলড়াম ৷ তখন তার কাছে এক মুহাজির নারী তার এক
বয়ঃপ্রাপ্ত পুত্রসন্তান নিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করল ৷ তখন তিনি শ্রীলােকটিকে মেয়েদের কাছে
পাঠিয়ে দিলেন, তার ছেলেটিকে আমাদের সাথে করে নিলেন ৷ কয়েকদিন যেতে না যেতেই
ছেলেটি মদীনায় ছড়িয়ে পড়া মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে দিন কয়েক অসুস্থ থাকল ৷ এরপর মারা
গেল ৷ তখন নবী করীম (সা) তার চোখের পাতা বন্ধ করে দিয়ে তার কাফন দাফানর ব্যবস্থা
করতে বললেন ৷ এরপর আমরা যখন তাকে গোসল দিতে চাইলাম তখন তিনি আমাকে
বললেন, হে আনাসষ্ তার মায়ের কাছে নিয়ে তাকে জানাও ৷ তখন আমি তাকে তার পুত্রের
মৃত্যুর কথা জানালড়াম ৷ আনাস বলেন, তখন সে এসে তার (মৃত সন্তানের) পায়ের কাছে
বসল তারপর সে মৃতের পা ধরে বলল, হে আল্পাহ্৷ আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্য স্বেচ্ছায়
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি এবং নির্যোহ হয়ে মুর্কিংমুহের বিরোধিতা করেছি ৷ সাগ্রহে আপনার
উদ্দেশ্যে হিজরত করেছি ৷ হে আল্লাহ! আমাকে বিপদগ্রস্ত করে প্রতিমা উপাসকদের উৎফুল্ল
করবেন না ৷ এবং আমার উপর এমন কোন বিপদ চাপিয়ে দেবেন না যা বহন করার সাধ্য
আমার সেই ৷ আনাস (রা) বলেন, আল্লাহর শপথ! ত্রীলােকটিব দৃআ শেষ হতে না, হতেই
ছেলেটির পা দুটি নড়ে উঠল এবং তা তার মুখের আবরণ (নিজেই) সরিয়ে ফেলল ৷ এরপর সে
বেচে থাকা অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওফাত প্রাপ্ত হলেন, এবং তার মাও মারা গেল ৷

আনড়াস বলেন, (এরপরের ঘটনা হল) হযরত উমর (রা) একদল সৈন্য প্রস্তুত করে আনা
ইবনুল হাযরামীকে তাদের অধিনায়ক মনোনীত করলেন ৷ আনাস বলেন, আমি তার সাথে তার
( সেই ) যুদ্ধাভিযানে ছিলাম ৷ আমরা নির্ধারিত যুদ্ধক্ষেত্রে এসে দেখলাম শত্রুরা আমাদের পুর্বেই
সেখানে পৌছে পানির উৎসের নিদর্শনসমুহ নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে ৷ আর তখন ছিল প্রচণ্ড
পরমের দিন ৷ এদিকে আমরা এবং আমাদের পশুপাল তীব্র পিপাসায় কাহিল হয়ে পড়লাম ৷
উল্লেখ্য, সেদিন ছিল জুমুআর দিন ৷ এরপর সুর্য যখন ঢলে পড়ল, তখন তিনি আমাদের নিয়ে


ابْنَهَا إِلَيْنَا، فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ أَصَابَهُ وَبَاءُ الْمَدِينَةِ فَمَرِضَ أَيَّامًا ثُمَّ قُبِضَ، فَغَمَّضَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَرَ بِجِهَازِهِ، فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نُغَسِّلَهُ قَالَ: " يَا أَنَسُ، ائْتِ أُمَّهُ فَأَعْلِمْهَا ". فَأَعْلَمْتُهَا. قَالَ: فَجَاءَتْ حَتَّى جَلَسَتْ عِنْدَ قَدَمَيْهِ فَأَخَذَتْ بِهِمَا، ثُمَّ قَالَتْ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْلَمْتُ لَكَ طَوْعًا، وَخَلَعْتُ الْأَوْثَانَ زُهْدًا، وَهَاجَرْتُ لَكَ رَغْبَةً، اللَّهُمَّ لَا تُشْمِتُ بِي عَبَدَةَ الْأَوْثَانِ، وَلَا تُحَمِّلُنِي مِنْ هَذِهِ الْمُصِيبَةِ مَا لَا طَاقَةَ لِي بِحَمْلِهَا. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا انْقَضَى كَلَامُهَا حَتَّى حَرَّكَ قَدَمَيْهِ، وَأَلْقَى الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ، وَعَاشَ حَتَّى قَبَضَ اللَّهُ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَتَّى هَلَكَتْ أُمُّهُ. قَالَ: ثُمَّ جَهَّزَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ جَيْشًا، وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ. قَالَ أَنَسٌ: وَكُنْتُ فِي غَزَاتِهِ، فَأَتَيْنَا مَغَازِيَنَا، فَوَجَدْنَا الْقَوْمَ قَدْ نَذِرُوا بِنَا فَعَفَّوا آثَارَ الْمَاءِ، وَالْحَرُّ شَدِيدٌ، فَجَهَدَنَا الْعَطَشُ وَدَوَابَّنَا، وَذَلِكَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، فَلَمَّا مَالَتِ الشَّمْسُ لِغَرْبِهَا صَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ مَدَّ يَدَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ شَيْئًا. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا حَطَّ يَدَهُ حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ رِيحًا وَأَنْشَأَ سَحَابًا وَأَفْرَغَتْ حَتَّى مَلَأَتِ الْغُدُرَ وَالشِّعَابَ، فَشَرِبْنَا وَسَقَيْنَا رِكَابَنَا وَاسْتَقَيْنَا، ثُمَّ أَتَيْنَا عَدُوَّنَا وَقَدْ جَاوَزُوا خَلِيجًا فِي الْبَحْرِ إِلَى جَزِيرَةٍ، فَوَقَفَ عَلَى الْخَلِيجِ وَقَالَ: يَا عَلِيُّ، يَا عَظِيمُ، يَا حَلِيمُ، يَا كَرِيمُ. ثُمَّ قَالَ: أَجِيزُوا بِسْمِ اللَّهِ. قَالَ: فَأَجَزْنَا، مَا يَبُلُّ الْمَاءُ حَوَافِرَ دَوَابِّنَا، فَلَمْ نَلْبَثْ إِلَّا يَسِيرًا، فَأَصَبْنَا الْعَدُوَّ غَيْلَةً، فَقَتَلْنَا وَأَسَرْنَا وَسَبَيْنَا، ثُمَّ أَتَيْنَا الْخَلِيجَ، فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ، فَأَجَزْنَا، مَا يَبُلُّ الْمَاءُ حَوَافِرَ دَوَابِّنَا. قَالَ: فَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৪৮৮৭

দুরাকাআত নামায পড়লেন ৷ তারপর আসমানের দিকে হাত প্রসারিত করলেন ৷ অথচ এ সময়
আকাশে মেঘের কোন চিহ্ন পর্যন্ত ছিল না ৷ আনাস (বা) বলেন, তার হাত নামাতে না
নামাতেই আল্লাহ বায়ু পাঠালেন এবং মেঘ সৃষ্টি করলেন ৷ এরপর সেই মেঘ বর্ষণ করে গর্ত ও
গিরিখাদসমুহ ভরে ফেলল ৷ তখন আমরা পান করলাম, আমাদের পশুপালকে পান করালাম
এবং পান করার জন্য পানি সংগ্রহ করে নিলাম ৷ এরপর আমরা শত্রুর পিছু নিলাম ৷ এদিকে
তারা সাগরের একটি বাড়ি পার হয়ে এক দ্বীপে পৌছে ৷ আমাদেরকে নিয়ে খাড়ির পাড়ে
দাড়িয়ে তিনি দুআ করলেন, হে সুউচ্চ! হে সুমহান! হে সহনশীল ! হে মহানুভব! তারপর
আমাদেরকে বললেন, আল্লাহ্র নামে অগ্রসর হও ৷ আনাস বলেন, তখন আমরা অগ্রসর হয়ে
পানি অতিক্রম করতে লাগলাম ; কিন্তু পানি আমাদের বাহনের থুরও সিক্ত করল না ৷
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা শত্রুদের নাগালে পেলাম ৷ তখন আমরা অনেককে হত্যা করলাম
এবং অনেক যোদ্ধা ও নারী শিশুদের বন্দী করলাম ৷ তারপর আমরা সেই খাড়ির পাড়ে এসে
উপস্থিত হলাম ৷ আর তিনি তার পুর্বের কথার ন্যায় বললেন ৷ এবারও আমরা তা পার হলাম,
কিন্তু পানি আমাদের বাহনসমুহের পায়ের খুর ভেজাল না ৷ আনাস (বা) বলেন, এর কিছুক্ষণ
পরই তার মৃত্যু হল ৷ তখন আমরা তার জন্যে কবর খুড়ে তাকে গোসল করালাম এবং দাফন
করলাম ৷ তার দাফন সম্পন্ন করার পর এক ব্যক্তি এসে বলল, ইনি (মৃত্যুবরণকারী) কে ?
আমরা বললাম, ইনি সর্বোত্তম মানুষ ৷ ইনি হলেন ইবনুল হাযরামী (রা) ৷ তখন সে বলল, এই
ভুখণ্ড মৃতদেহ উদগীরণ করে দেয় ৷ তোমরা যদি পার তাহলে বহন করে এক বা দুই মাইল
দুরে মৃতদেহ গ্রহণকারী ভুখণ্ডে নিয়ে যাও ৷ আমরা তখন বললাম, আমরা আমাদের এই
পুণ্যবান সঙ্গীকে হিংস্রপ্রাণীদের খােরাক হওয়ার জন্য এখানে এ অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারি না ৷
আনাস বলেন, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তার কবর খুড়তে লাগলাম ৷ এরপর আমরা যখন
তার কবরের অভ্যন্তরে পৌছলাম, তখন দেখলাম, আমাদের সঙ্গী সেখানে নেই আর কবরের
অভ্যন্তরে দৃষ্টিসীমানা পর্যন্ত আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে আছে ৷ আনাস (রা) বলেন, তখন আমরা
কবরে আবার মাটি চাপা দিয়ে সেখান থেকে প্রস্থান করলাম ৷
হাফিয বায়হাকী (র) বলেন, হযরত আবু হুরায়রা (রা) আলা ইবনুল হাযরামীর যে ঘটনা
রিওয়ায়াত করেছেন, তাতে তার বৃষ্টি প্রার্থনা এবং তাদের পানির উপর দিয়ে অতিক্রমের কথা
উল্লেখিত হয়েছে, তাতে তার মৃত্যুর ঘটনা নেই ৷ আর বুখারী আৎ তারীখ’ গ্রন্থে এই ঘটনার
আরেকটি সনদ উল্লেখ করেছেন ৷ আর ইবন আবুদ দুনিয়া তা সনদসহ উল্লেখ করেছেন আবু
কুরায়ব সাহ্ল ইবন মিনজাব সুত্রে, তিনি বলেন, এরপর আমরা আলা ইবনুল হাযরামীর
সাথে যুদ্ধাতিযানে বের হলাম ৷ এরপর তিনি তা বিশদভাবে উল্লেখ করেন ৷ আর তার
রিওয়ায়াতের দুআর ভাষ্য হল, “হে সর্বজ্ঞ ! হে পরম সহনশীল ! হে সুউচ্চ ! হে সুমহান ! আমরা
আপনারই বান্দা এবং আপনার পথেই আমরা আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি ৷
আমাদেরকে বর্যণসিক্ত করুন, তা থেকে আমরা পান করব এবং উবু করব ৷ আর আমরা যখন
তা রেখে যাব তখন অন্য কারো জন্য তাতে কোন অংশ নির্ধারণ করবেন না ৷ আর সমুদ্রের
বাড়িতে তিনি বলেছিলেন, আমাদের জন্য আপনার শত্রু পর্যন্ত পৌছার পথ করে দিন ৷ আর


نَلْبَثْ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى رُمِيَ فِي جِنَازَتِهِ. قَالَ: فَحَفَرْنَا لَهُ وَغَسَّلْنَاهُ وَدَفَنَّاهُ، فَأَتَى رَجُلٌ بَعْدَ فَرَاغِنَا مِنْ دَفْنِهِ فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ فَقُلْنَا: هَذَا خَيْرُ الْبَشَرِ، هَذَا ابْنُ الْحَضْرَمِيِّ. فَقَالَ: إِنَّ هَذِهِ الْأَرْضَ تَلْفِظُ الْمَوْتَى، فَلَوْ نَقَلْتُمُوهُ إِلَى مِيلٍ أَوْ مِيلَيْنِ، إِلَى أَرْضٍ تَقْبَلُ الْمَوْتَى. فَقُلْنَا: مَا جَزَاءُ صَاحِبِنَا أَنْ نُعَرِّضَهُ لِلسِّبَاعِ تَأْكُلُهُ؟ قَالَ: فَاجْتَمَعْنَا عَلَى نَبْشِهِ، فَلَمَّا وَصَلْنَا إِلَى اللَّحْدِ إِذَا صَاحِبُنَا لَيْسَ فِيهِ، وَإِذَا اللَّحْدُ مَدَّ الْبَصَرِ نُورٌ يَتَلَأْلَأُ. قَالَ: فَأَعَدْنَا التُّرَابَ إِلَى اللَّحْدِ ثُمَّ ارْتَحَلْنَا» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ: وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي قِصَّةِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ فِي اسْتِسْقَائِهِ وَمَشْيِهِمْ عَلَى الْمَاءِ دُونَ قِصَّةِ الْمَوْتِ بِنَحْوٍ مَنْ هَذَا. وَذَكَرَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " لِهَذِهِ الْقِصَّةِ إِسْنَادًا آخَرَ. وَقَدْ أَسْنَدَهُ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ، عَنِ الصَّلْتِ بْنِ مَطَرٍ الْعِجْلِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أُخْتِ سَهْمٍ، عَنْ سَهْمِ بْنِ مِنْجَابٍ قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ فَذَكَرَهُ. وَقَالَ فِي الدُّعَاءِ: يَا عَلِيمُ، يَا حَلِيمُ، يَا عَلِيُّ، يَا عَظِيمُ، إِنَّا عَبِيدُكَ، وَفِي سَبِيلِكَ نُقَاتِلُ عَدُوَّكَ، اسْقِنَا غَيْثًا نَشْرَبُ مِنْهُ وَنَتَوَضَّأُ، فَإِذَا تَرَكْنَاهُ فَلَا تَجْعَلْ لِأَحَدٍ فِيهِ نَصِيبًا غَيْرَنَا. وَقَالَ فِي الْبَحْرِ: اجْعَلْ لَنَا سَبِيلًا إِلَى عَدُوِّكَ. وَقَالَ فِي الْمَوْتِ: أَخْفِ جُثَّتِي وَلَا تُطْلِعْ عَلَى عَوْرَتِي أَحَدًا. فَلَمْ يُقْدَرْ عَلَيْهِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪৮৮৮
قِصَّةٌ أُخْرَى: قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، أَنَا إِسْمَاعِيلُ الصَّفَّارُ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَفَّانَ، ثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ قَالَ: انْتَهَيْنَا إِلَى دِجْلَةَ وَهِيَ مَادَّةٌ، وَالْأَعَاجِمُ خَلْفَهَا، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ: بِسْمِ اللَّهِ. ثُمَّ اقْتَحَمَ بِفَرَسِهِ، فَارْتَفَعَ عَلَى الْمَاءِ. فَقَالَ النَّاسُ: بِسْمِ اللَّهِ. ثُمَّ اقْتَحَمُوا فَارْتَفَعُوا عَلَى الْمَاءِ، فَنَظَرَ إِلَيْهِمُ الْأَعَاجِمُ، وَقَالُوا: دِيوَانُ دِيوَانُ. ثُمَّ ذَهَبُوا عَلَى وُجُوهِهِمْ. قَالَ: فَمَا فَقَدَ النَّاسُ إِلَّا قَدَحًا كَانَ مُعَلِّقًا بِعَذَبَةِ سَرْجٍ، فَلَمَّا خَرَجُوا أَصَابُوا الْغَنَائِمَ، فَاقْتَسَمُوهَا، فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَقُولُ: مَنْ يُبَادِلُ صَفْرَاءَ بِبَيْضَاءَ قِصَّةٌ أُخْرَى: قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيُّ، أَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ السِّمِّذِيِّ، ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ السَّرَّاجُ، ثَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَا: ثَنَا أَبُو النَّضْرِ: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، أَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيَّ جَاءَ إِلَى الدِّجْلَةِ وَهِيَ تَرْمِي الْخَشَبَ مِنْ مَدِّهَا، فَمَشَى عَلَى الْمَاءِ، وَالْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ وَقَالَ: هَلْ تَفْقِدُونَ مِنْ مَتَاعِكُمْ شَيْئًا فَنَدْعُوَ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ؟ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: هَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ. قُلْتُ: وَسَتَأْتِي قِصَّةُ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ -