আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

باب ما يتعلق بالحيوانات من دلائل النبوة

حديث الحمرة وهي طائر مشهور
পৃষ্ঠা - ৪৮৭৬


কাল রঙের শাখা এবং একটি টুকরি এ,হুৰু ৷ ক্লহ্ৰী বলেন, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম গাধাটির সাথে কথা বললেন, আর গাধাঢিও তার সাথে কথা বৃলল ৷ নবী করীম
(সা) তাকে বললেন, তোমার নাম কী? জবাব দিল, ইয়াযীদ ইবন শিহাব ৷ আমার আদি
পিতার ঔরসে আল্লাহ এমন ষটটি গাধা পয়দ করেব্লু ছন যাদের উপর নবী ছাড়া অন্যরা
আরোহণ করেননি ৷ আর আমি ছাড়া আমার আ দি পি৩ ৷ৱ ঔরসজার্তৃ কোন সন্তান জীবিত
নেই ৷ নবীগণের মাঝে আপনি ছাড়া আর ব্লুকউ নইি ৷ আমার প্র৩া৷শ্ব৷ ছিল আপম্বি আমায় ,
আব্লুরাহী হবেন ৷ আপনার পুব্লুব আমার মনিব ছিল আনক ইয়াহুদী ৷ আমি তাকে পিঠে নিয়ে
ইচ্ছাকৃত৩ ভাবে হোচ্ট ব্লুখতাম ৷ সে আমাকে ক্ষু:ধার্ত রাখত আর আমার পিব্লুঠ্ আঘাত করত ৷

তখন নবীকরীম(সা) তাকে বললেন, আমি “তোমার নাম ইয়াকুব রাখলাম ৷ ব্লুহ
ইয়াকুব ! সে বলল, লাব্বাইক ! (আমি হাবিব) তিনি বললেন, তৃমি কি মাদী সঙ্গ কামনা কয়?
সে বলল, জী না ৷ এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রয়োজনে তাতে
আরোহণ করতেন ৷ তিনি যখনত নব পিঠ ব্লুথব্লুক নামব্লুতন তখন তাকে কারো গৃহদ্বাব্লুর পাঠিয়ে
দিব্লুত ন ৷ তখন সে এসে দরজায় মাথ৷ দিয়ে ঠকঠক্ করত ৷ এরপর যখন গৃহকর্তা বেরিয়ে
আসত তখন সে তাকে ইশারায় বলত, আল্লাহর রাসুল তোমাকে ডাকছেন, তুমি সাড়া দাও ৷
তারপর যখন নবীকরীম (সা) এর ওফাতপ্হল তখন নবী করীম (সা) এর বিচ্ছেদ সহ্য করতে
না পেরে সে আবুল হায়ছাম ইবন নাব্হাব্লুনর এক কুয়াব্লুত এসে পতিত হল এবং এটাই তার
সমাধিব্লুত পরিণত হল ৷

ভারই পাখি সংক্রাস্ত হাদ্বীস

ইমাম আবু দাউদ তায়ালিসী বর্ণনা করেন আল মাসউদী রহমান ইবন অবেদৃল্পাহ্
ইবন মাসউদ সুত্রে বলেন যে, তিনি বলেছেন, কোন এক সফরে আমরা রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম ৷ তখন এক ব্যক্তি একটি ঝোপে প্রবেশ করে একটি
ভারুই পাথীর ডিম ৫বরংবরৈআনল ৷ তখন পাখিটি এসে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ও র্তা ৷র সাহাবীগব্লুণর মাথারউপর ডানা ঝাপটাতে লাগল ৷ তখন তিনি’বলব্লুলন, ব্লুক
একে বিব্রত করল ৷ তখন এক ব্যক্তি বলল, আমি তার ডিম নিয়ে এসেছি ৷ তখন আল্লাহ্র
রাসুল পাখিটির প্রতি দয়ার কারণে বললেন,ত তা ফিরিয়ে দাও! ফিরিয়ে দাও ৷ ৷

আর হ ফিয বায়হাকী৷ হ রুিম প্রমুখ সুত্রে , আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন
মাসউদ’ থেকে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন : কোন এক সফব্লুর আমরা রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামেয় সাথে ছিলাম ৷ যাওয়ার পথে আমরা একটি গাছে দু’টি ভারুই পাখির
হানা দেখতে ব্লুপব্লুয় তাদেরকে ধ্নোং ৷ রাবী বলেন, তখন যা (ভারুই) পাখিটি রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আল ইহি ওয়া সাল্লাব্লুমর কাছে এসে৩ ৷র ডানা ঝাপটাতে লাগল ৷ তখন তিনি
বললেন, এর ছানা ধরে করো এব্লুক ব্বিত করল ? রাবী বলেন, তখন আমরা বর্লল৷ ৷ম, আমরা ৷
তিনি বললেন, ওগুলোব্লুক (মায়ের কাছে) ফিরিয়ে দাও ৷ তখন আমরা ছান৷ ব্দু’টিব্লুক তাব্লুদর
পুর্বের স্থানে ফিরিয়ে দিলাম ৷ এরপর যা পাখিটি আর আসেনি ৷


مِنْ نَسْلِ جَدِّي سِتِّينَ حِمَارًا، كُلُّهُمْ لَمْ يَرْكَبْهُمْ إِلَّا نَبِيٌّ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْ نَسَلِ جَدِّي غَيْرِي، وَلَا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ غَيْرُكَ، وَقَدْ كُنْتُ أَتَوَقَعُكَ أَنْ تَرْكَبَنِي، قَدْ كُنْتُ قَبْلَكَ لِرَجُلٍ يَهُودِيٍّ، وَكُنْتُ أُعْثِرُ بِهِ عَمْدًا، وَكَانَ يُجِيعُ بَطْنِي وَيَضْرِبُ ظَهْرِي، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَدْ سَمَّيْتُكَ يَعْفُورًا، يَا يَعْفُورُ ". قَالَ: لَبَّيْكَ. قَالَ " أَتَشْتَهِي الْإِنَاثَ؟ " قَالَ: لَا. فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْكَبُهُ لِحَاجَتِهِ، فَإِذَا نَزَلَ عَنْهُ بَعَثَ بِهِ إِلَى بَابِ الرَّجُلِ، فَيَأْتِي الْبَابَ فَيَقْرَعُهُ بِرَأْسِهِ، فَإِذَا خَرَجَ إِلَيْهِ صَاحِبُ الدَّارِ أَوْمَأَ إِلَيْهِ أَنْ أَجِبْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قُبِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ إِلَى بِئْرٍ كَانَتْ لِأَبِي الْهَيْثَمِ بْنِ التِّيهَانِ، فَتَرَدَّى فِيهَا فَصَارَتْ قَبْرَهُ; جَزَعًا مِنْهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» [حَدِيثُ الْحُمَّرَةِ وَهِيَ طَائِرٌ مَشْهُورٌ] قَالَ أَبُو دَاوُدِ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَدَخَلَ رَجُلٌ غَيْضَةً، فَأَخْرَجَ بَيْضَةَ حُمَّرَةٍ، فَجَاءَتِ الْحُمَّرَةُ تَرِفُّ عَلَى رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ، فَقَالَ: " أَيُّكُمْ فَجَعَ هَذِهِ؟ " فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৪৮৭৭
رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: أَنَا أَخَذْتُ بَيْضَتَهَا. فَقَالَ رُدَّهَا رُدَّهَا; رَحْمَةً لَهَا» وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَمَرَرْنَا بِشَجَرَةٍ فِيهَا فَرْخَا حُمَّرَةٍ، فَأَخَذْنَاهُمَا. قَالَ: فَجَاءَتِ الْحُمَّرَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ تَعَرَّضُ، فَقَالَ: " مَنْ فَجَعَ هَذِهِ بِفَرْخَيْهَا؟ " قَالَ: فَقُلْنَا: نَحْنُ. قَالَ: " رُدُّوهُمَا ". فَرَدَدْنَاهُمَا إِلَى مَوْضِعِهِمَا فَلَمْ تَرْجِعْ» حَدِيثٌ آخَرَ فِي ذَلِكَ وَفِيهِ غَرَابَةٌ: قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ دَاوُدَ الْعَلَوِيُّ، قَالَا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ الْأُمَوِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ عُتْبَةَ الْكِنْدِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ، ثَنَا حِبَّانُ، ثَنَا أَبُو سَعْدٍ الْبَقَّالُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ أَبْعَدَ. قَالَ: فَذَهَبَ يَوْمًا فَقَعَدَ تَحْتَ
পৃষ্ঠা - ৪৮৭৮

এ প্রসঙ্গে আরেকটি গরীব হাদীস

হাফিয বায়হাকী, আবু আবদুল্লাহ্ আল-হাফিয এবং মুহাম্মাদ ইবনুল হুসায়ন ইবন দাউদ
আলাভী সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের য়খন প্রাকৃতিক প্রয়োজন দেখা দিত তখন তিনি দুরে চলে
যেতেন ৷ ইবন আব্বাস বলেন, একদিন তিনি (এক দুরবর্তী স্থানে) গিয়ে তার পায়ের মােজা
দুটি খুলে এক বাবলা গাছের নীচে বললেন ৷ রাবী বলেন, এরপর তিনি একটি সোজা পরলেন ৷
আর সেসময় এক পাখি এসে অন্য মােজাটি নিয়ে আকাশে চক্কর দিল ৷ এ সময় একটি বিষধর
বিচ্ছু তা থেকে বেরিয়ে পড়লাে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এটা কারামত (সম্মাননা) যার
দ্বারা আল্লাহ্ আমাকে সম্মানিত করেছেন ৷ হে আল্লাহ্৷ আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি
পদদ্বয়ের উপর বিচরণকারী প্রাণীর অনিষ্ট থেকে এবং উদরে ভর দিয়ে বিচরণকারী প্রাণীর অনিষ্ট
থেকে ,

আরেকটি হাদীস ন্

ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবনুল মুছান্না আনাস ইবন মালিক সুত্রে ৷
তিনি বলেন : একবার (রাত্রিকালে) নবী কবীম (না)-এর দুই সাহাবী তার কাছ থেকে বের
হলেন ৷ এ সময় তাদের হাতের মধ্যবর্তী অংশে তাদের সাথে দুটির বাতির ন্যায় আলো
বিছুছরিত হচ্ছিল ৷ তারা যখন একে অন্য থেকে পৃথক হলেন তখন তাদের প্রতেদ্রকের সাথে
একটি করে বাতির ন্যায় আলো থাকল আর এভাবেই তারা স্ব স্ব পরিবারের কাছে এসে
গেলেন ৷ আর আবদুর রায্যাক মুআষ্মার আনাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, (একবার) উসায়দ
ইবন হুযায়র আনসারী এবং আরেকজন আনসারী সাহাবী নবী করীম (না)-এর কাছে তাদের
একটি প্রয়োজনে রাতের বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করলেন ৷ আর সে রাতটি ছিল ভীষণ
অন্ধকার ৷ এরপর তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছ থােক ফিরে চললেন ৷ এ সময় তাদের
উভয়ের হাতে একটি করে লাঠি ছিল ৷ পথ চলার সময় তাদের একজনের লাঠি দু’জনের পথ
আলোকিত করে রাখল ৷ ফলে, তারা তার আলোয় স্বচ্ছেন্দে হেটে চললেন ৷ অবশেষে যখন
র্তাদের পথ ভিন্ন হয়ে গেল তখন অন্যজনের লাঠিটিও আলো বিঙ্গুহ্রণ করতে লাগল এবং তার
আলোতে তিনি হেটে চললেন ৷ এভাবে তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ লাঠির আলোতে স্ব-স্ব
পরিবারের কাছে গিয়ে পৌছলেন ৷ ,

আর বুখারী তালীকরুপে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেনছু আর মুআম্মার
বলেন, এরপর তিনি হাদীসখানি উল্লেখ করেছেন ৷ এছাড়া বুখারী তা তালীক করেছেন হাম্মাদ
ইবন সালামা আনাস সুত্রে এ মর্মে যে, আববাদ ইবন বিশ্ব এবং উসায়দ ইবন হুযায়র
নবী করীম (না)-এর কাছ থেকে বের হলেন, এরপর তিনি পুর্বের ন্যায় ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷
আর নসােঈ তা রিওয়ায়াত করেছেন আবু বকর ইবন নাফি বিশর ইবন উসায়দ সুত্রে এবং
বায়হাকী তা সনদসহ উল্লেখ করেছেন ইয়াযীদ ইবন হারুনের সুত্রে ৷ আর উভয়ের মুল উৎস
হাম্মাদ ইবন সালামা ৷


سَمُرَةٍ، وَنَزَعَ خُفَّيْهِ. قَالَ: وَلَبِسَ أَحَدَهُمَا، فَجَاءَ طَيْرٌ، فَأَخَذَ الْخُفَّ الْآخَرَ فَحَلَّقَ بِهِ فِي السَّمَاءِ، فَانْسَلَّتْ مِنْهُ أَسْوَدُ سَالِخٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذِهِ كَرَامَةٌ أَكْرَمَنِيَ اللَّهُ بِهَا، اللَّهُمَّ إِنِّي أُعَوِّذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَنْ يَمْشَى عَلَى رِجْلَيْهِ، وَمِنْ شَرِّ مَنْ يَمْشِي عَلَى بَطْنِهِ» حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، ثَنَا مُعَاذٌ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ «أَنَّ رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَا مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ وَمَعَهُمَا مِثْلُ الْمِصْبَاحَيْنِ يُضِيئَانِ بَيْنَ أَيْدِيهِمَا، فَلَمَّا افْتَرَقَا صَارَ مَعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا وَاحِدٌ حَتَّى أَتَى أَهْلَهُ» وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ أُسَيْدَ بْنَ حُضَيْرٍ الْأَنْصَارِيَّ وَرَجُلًا آخَرَ مِنَ الْأَنْصَارِ تَحَدَّثَا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَاجَةٍ لَهُمَا حَتَّى ذَهَبَ مِنَ اللَّيْلِ سَاعَةٌ، وَهِيَ لَيْلَةٌ شَدِيدَةُ الظُّلْمَةِ، حَتَّى خَرَجَا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْقَلِبَانِ، وَبِيَدِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عُصَيَّةٌ، فَأَضَاءَتْ عَصَا أَحَدِهِمَا لَهُمَا حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৪৮৭৯
مَشَيَا فِي ضَوْئِهَا، حَتَّى إِذَا افْتَرَقَتْ بِهِمَا الطَّرِيقُ أَضَاءَتْ لِلْآخَرِ عَصَاهُ، فَصَارَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا فِي ضَوْءِ عَصَاهُ، حَتَّى بَلَغَ أَهْلَهُ» وَقَدْ عَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ فَقَالَ: وَقَالَ مَعْمَرٌ. فَذَكَرَهُ. وَعَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنْسٍ أَنَّ عَبَّادَ بْنَ بِشْرٍ وَأُسَيْدَ بْنَ حُضَيْرٍ خَرَجَا مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ بِهْزِ بْنِ أُسَيْدٍ، وَأَسْنَدَهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، كِلَاهُمَا، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَصْبَهَانِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مِهْرَانَ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَنَا كَامِلُ بْنُ الْعَلَاءِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «كُنَّا نُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ، وَكَانَ يُصَلِّي فَإِذَا سَجَدَ وَثَبَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ عَلَى ظَهْرِهِ، فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ أَخَذَهُمَا فَوَضَعَهُمَا وَضْعًا رَفِيقًا، فَإِذَا عَادَ عَادَا، فَلَمَّا صَلَّى جَعَلَ وَاحِدًا هَا هُنَا وَوَاحِدًا هَا هُنَا، فَجِئْتُهُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَّا أَذْهَبُ بِهِمَا إِلَى أُمِّهِمَا؟
পৃষ্ঠা - ৪৮৮০

আরেকটি হাদীস

বায়হাকী, আবু আবদুল্লাহ আল হাফিয আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে ,ইশার নামায পড়ছিলাম ৷ নামাষে
তিনি যখন সিজদা করছিলেন তখন হাসান ও হুসারন (রা) লাফিয়ে তার পিঠে উঠছিলেন ৷
এরপর তিনি যখন সিজদা থেকে মাথা উঠাচ্ছিলেন তখন তাদেরকে ধরে আলতোভাবে নামিয়ে
দিচ্ছিলেন ৷ এরপর তিনি যখন আবার সিজদা করছিলেন, তখন তারাও আবার তার পিঠে চড়ে
বসছিল ৷ এরপর তিনি যখন নামায শেষ করলেন তখন তাদের একজনকে একপাশে অন্যজনকে
আরেক পাশে বসালেন ৷ আমি তখন বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি কি তাদেরকে তাদের
মায়ের কাছে নিয়ে যাবো না ? এমন সময় হঠাৎ একবার বিদ্যুৎ চমকাল ৷ তখন নবীজী
তাদেরকে বললেন, তোমরা তোমাদের মায়ের কাছে চলে যাও ৷ এরপর তারা সেই আলোতে
হেটে হেটে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করল ৷

আরেকটি হাদীস

আততারীখ গ্রন্থে বুখারী বলেন, আহমাদ ইবন হাজ্জাজ হামযাহ ইবন আমর আল
আসলামী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন যে, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে
অবস্থান করছিলাম ৷ এরপর আমরা (তার কাছ থেকে) ভীষণ অন্ধকার রাত্রে বের হলাম ৷ তখন
আমার আঙ্গুলসমুহ থেকে আলো বিচ্ছুরিত হতে লাগল এমনকি রাত্রে উটসমুহ তা দেখে এসে
একত্রিত হলো এবং সেগুলোর (অন্ধকারজনিত কারণে) কোন ক্ষতি হলো না ৷ আর আমার
আঙ্গুলগুলো চমকাজ্জি ৷

আর বায়হাকী তা রিওয়ায়াত করেছেন ইব্রাহীম ইবনুল মুনযির এর হাদীস সংগ্রহ থেকে
সুফিয়ান ইবন হামযা সুত্রে ৷ আর তাবারানী তা রিওয়ায়াত করেছেন ইব্রাহীম ইবন হামযার
হাদীস সংগ্রহ থেকে সুফিয়ান ইবন হামযা সুত্রে ৷

আরেকটি হাদীস

হাফিয বায়হাকী, আবু আবদুল্লাহ্আল-হাফিয যায়দ ইবন আবু আব্বাস সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, আবু আব্বাস (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে নামায পড়তেন ৷ তারপর তার
স্বগােত্র বানু হারিছার মহল্লায় ফিরে যেতেন ৷ কোন এক বর্ষণসিক্ত অন্ধকার রাত্রে তিনি (বানু
হারিছার আবাসস্থলের) বের হলেন, তখন বানু হারিছার বসত্যিত প্রবেশের পুর্ব পর্যন্ত তার
হাতের লাঠি থেকে আলো বিচ্ছুরিত হতে থাকল ৷

বায়হাকী বলেন, এই আবু আবৃস বদর যুদ্ধে শরীক ছিলেন ৷ আমি (গ্রহুকার) বলি, এছাড়া
আমরা তাবেয়ী ইয়াযীদ ইবনুল আসওদ থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, তিনি জাসরীন থেকে
দিমাশকের জামে মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করতেন ৷ কখনও কখনও অন্ধকার রাত্রে তার
পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি থেকে আলো বিচ্ছুরিত হতো ৷ আর আমরা হিজরতপুর্ব কালে মক্কায় তৃফায়ল

ইবন আমর আদ-দাওসীর ইসলাম গ্রহণের ঘটনার উল্লেখ করেছি যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর কাছে একটি নিদর্শন প্রার্থনা করেছিলেন, যা দ্বারা তিনি তার গোত্রকে ইসলামের


قَالَ: " لَا ". فَبَرَقَتْ بِرْقَةٌ، فَقَالَ: " الْحَقَا بِأُمِّكُمَا ". فَمَا زَالَا يَمْشِيَانِ فِي ضَوْئِهَا حَتَّى دَخَلَا» حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ ": حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ الْحَجَّاجِ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَمْزَةَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَتَفَرَّقَنَا فِي لَيْلَةٍ ظَلْمَاءَ دُحْمُسَةٍ، فَأَضَاءَتْ أَصَابِعِي حَتَّى جَمَعُوا عَلَيْهَا ظَهَرَهُمْ وَمَا هَلَكَ مِنْهُمْ، وَإِنَّ أَصَابِعِي لَتُنِيرُ» وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حَمْزَةَ بِهِ. وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَمْزَةَ الزُّبَيْرِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حَمْزَةَ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪৮৮১
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَضْرَمِيِّ، ثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، ثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، ثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ أَبِي عَبْسٍ الْأَنْصَارِيُّ مِنْ بَنِي حَارِثَةَ، أَخْبَرَنِي مَيْمُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي عَبْسٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي أَنَّ أَبَا عَبْسٍ «كَانَ يُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَوَاتِ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى بَنِي حَارِثَةَ، فَخَرَجَ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ مَطِيرَةٍ، فَنُوِّرَ لَهُ فِي عَصَاهُ حَتَّى دَخَلَ دَارَ بَنِي حَارِثَةَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَبُو عَبْسٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا» . قُلْتُ: وَرَوَيْنَا عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْأَسْوَدِ، وَهُوَ مِنَ التَّابِعِيْنِ، أَنَّهُ كَانَ يَشْهَدُ الصَّلَاةَ بِجَامِعِ دِمَشْقَ مِنْ جِسْرِيْنِ، فَرُبَّمَا أَضَاءَتْ لَهُ إِبْهَامُ قَدَمِهِ فِي اللَّيْلَةِ الْمُظْلِمَةِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا فِي قِصَّةِ إِسْلَامِ الطُّفَيْلِ بْنِ عَمْرٍو الدَّوْسِيِّ بِمَكَّةَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آيَةً يَدْعُو قَوْمَهُ بِهَا، فَلَمَّا ذَهَبَ إِلَيْهِمْ وَانْهَبَطَ مِنَ الثَّنِيَّةِ أَضَاءَ لَهُ نُورٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا يَقُولُوا: هُوَ مُثْلَةٌ. فَحَوَّلَهُ اللَّهُ إِلَى طَرَفِ سَوْطِهِ حَتَّى جَعَلُوا يَرَوْنَهُ مِثْلَ الْقِنْدِيلِ