আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

باب ما يتعلق بالحيوانات من دلائل النبوة

من معجزات النبى
من معجزات النبى
من معجزات النبى
من معجزات النبى
من معجزات النبى
من معجزات النبى
من معجزات النبى
পৃষ্ঠা - ৪৮৩৯

বিভিন্ন প্রাণীর সাথে সম্পর্কিত নবুণ্ডয়াতের প্রমাণসমুহ
পলায়নকারী ছুটে যাওয়া উটের ঘটনা

ইমাম আহমদ বলেন, হুসায়ন আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একটি আনসার পরিবারের পানিবাহী একটি (নয়) উট ছিল ৷ কোন কারণে সে অবাধ্য
হয়ে পিঠে কোন কিছু বহন করা থেকে বিরত থাকল ৷ তখন আনসড়ারদের একটি দল রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল, আমাদের একটি উটের পিঠে আমরা
পানি বহন করতাম; কিন্তু যে আমাদের অবাধ্য হয়ে কোন কিছু বহন করছে না ৷ এদিকে ক্ষেত
খামার এবং খেজুর বাগান পানির অভাবে খ৷ র্খা করছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তার সাহারাগণকে বললেন, চল সবাই ৷ তখন সকলে উঠে সেদিকে রওয়ানা
হলেন ৷ এ সময় তিনি বাগানে প্রবেশ করলেন আর উটটি তখন বাগানের এক কোণে ছিল ৷
নবী কবীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার দিকে অগ্রসর হলেন ৷ তখন আনসারগণ
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! যে এখন ক্ষ্যাপা কুকুরের মত হয়ে আছে ৷ আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে,
সে আপনাকে আক্রমণ করে বসবে ৷ তিনি বললেন, যে আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ৷
এরপর (সেই অবাধ্য) উটটি যখন আল্লাহ্র রাসুলের দিকে তাকাল তখন সে নিজেই তার দিকে
এগিয়ে আসল এবং তার সামনে সেজদায় লুঢিয়ে পড়ল ৷ এ সময় তিনি তার মাথার অগ্রভাগ
ধরলেন আর সে একান্ত বাধ্য হয়ে থাকল ৷ আর তিনি তাকে কাজে ফিরিয়ে আনলেন ৷

এ অবস্থা দেখে তার সাহাবগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এই অবুঝ পশু আপনাকে
সিজদা করে, তাহলে তো আপনাকে সিজদা করার আমরা অধিকতর হকদার ৷ তখন তিনি
বললেন, কোন মানুষের জন্য অন্য কোন মানুষকে সিজদা করা সঙ্গত নয় ৷ যদি তা সঙ্গত হত,
তাহলে আমি শ্ৰীকে আদেশ করতড়ামন্ তার স্বড়ামীকে সিজদা করতে, যেহেতু তারউপর তার
বিরাট হক রয়েছে ৷ শপথ ঐ সত্তার, যার কুদরতী হাতে আমার প্রাণ, যদি স্বামীর পায়ের পাতা
থেকে মাথার তালু পর্যন্ত ক্ষতঘা পুর্ণ হয়ে ফেটে রক্ত পুজ ইত্যাদি গড়িয়ে পড়তে থাকে,
এরপর শ্রী তা জিহ্বা দ্বারা চেটে দেয় তাহলেও সে তার হক আদায় করতে পারবে না ৷ এই
সনদটি বেশ ভাল ৷ এছাড়া ইমাম নাসাঈ তার অংশ বিশেষ রিওয়ায়াত করেছেন, খালফ ইবন
খলীফার হাদীস সংগ্রহ থেকে ৷

এ প্রসঙ্গে হযরত জাৰিরের রিওয়ায়াত

ইমাম আহমদ বলেন, মুসআব ইবন সালাম জাবির ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, কোন এক সফর থেকে আমরা রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের সাথে মদীনায় ফিরছিলাম ৷ অবশেষে আমরা যখন বানুনাজ্বজারের একটি খেজুর
বাগানের দিকে অগ্রসর হলাম, তখন সেখানে একটি নর উট দেখা গেল ৷ যে কেউ বাগানে
প্রবেশ করছিল উটটি তার দিকে যেয়ে আসছিল ৷ জাবির (বা) বলেন, তারা রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তা জানাল ৷ তখন তিনি এসে বাগানে প্রবেশ করলেন,
তারপর উটটিকে ডাকলেন ৷ উটটি তখন ঠোট নিম্নমুখী করে এসে তার সামনে এসে পড়ল ৷
রাবী বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা একটি লাপাম


[بَابُ مَا يَتَعَلَّقُ بِالْحَيَوَانَاتِ مِنْ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ] [مِنْ مُعْجِزَاتِ النَّبِىِّ] ِ قِصَّةُ الْبَعِيرِ النَّادِّ وَسُجُودِهِ لَهُ وَشَكْوَاهُ إِلَيْهِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ، ثَنَا خَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ، عَنْ حَفْصٍ، هُوَ ابْنُ عُمَرَ، عَنْ عَمِّهِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ أَهْلُ بَيْتٍ مِنَ الْأَنْصَارِ لَهُمْ جَمَلٌ يَسْنُونَ عَلَيْهِ، وَأَنَّهُ اسْتَصْعَبَ عَلَيْهِمْ فَمَنَعَهُمْ ظَهْرَهُ، وَأَنَّ الْأَنْصَارَ جَاءُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: إِنَّهُ كَانَ لَنَا جَمَلٌ نَسْنِي عَلَيْهِ، وَأَنَّهُ اسْتَصْعَبَ عَلَيْنَا، وَمَنَعَنَا ظَهْرَهُ، وَقَدْ عَطِشَ الزَّرْعُ وَالنَّخْلُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: " قُومُوا " فَقَامُوا، فَدَخَلَ الْحَائِطَ وَالْجَمَلُ فِي نَاحِيَتِهِ، فَمَشَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ قَدْ صَارَ مِثْلَ الْكَلْبِ الْكَلْبِ، وَإِنَّا نَخَافُ
পৃষ্ঠা - ৪৮৪০

নিয়ে এসো ! এরপর তিনি তাকে লাপাম পরিয়ে তার মালিকের হাতে দিয়ে লোকদের দিকে
ফিরে বললেন, আসমান ও যমীনের মাঝে এমন কেউ নেই যে স্বীকার করে না যে, আমি
আল্লাহ্র রাসুল, শুধুমাত্র অবাধ জিন ও ইনসান ব্যতীত ৷ এটা ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷
আর ভিন্ন সুত্রে ভিন্ন বর্ণনা ধারায় হযরত জাবিরের বরাতেও রিওয়ায়াত আসছে ইনশাআল্লাহ্ ৷
আর তার উপরই আমাদের ভরসা ৷

ইবন আব্বাসের রিওয়ায়াত

হাফিয আবুল কাসিম তাবারানী, বিশর ইবন মুসা ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার কিছু সংখ্যক লোক রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমাদের একটি উট পালিয়ে এক বাগানে আশ্রয়
নিয়েছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কাছে এসে তাকে লক্ষ্য করে
বললেন, এদিকে এসো ! তখন সে মাথা নিচু করে এসে র্দাড়াল আর আল্লাহ্র রাসুল তাকে
লাগাম পরিয়ে মালিকের হাতে তুলে দিলেন ৷ তখন আবু বকর (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্!
সে যেন বুঝতে পেয়েছে আপনি আল্লাহর নবী ৷ তখন তিনি বললেন, একমাত্র কাফির জিন ও
ইনসান ব্যতীত মদীনায় দুই পাথুরে ভুখন্ডের মাঝে এমন কেউ নেই, যে স্বীকার করে না যে
, আমি আল্লাহর নবী ৷ এ হাদীসখানা এ সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) থেকে অত্যন্ত গরীব’ ৷ জাবির
সুত্রে ইমাম আহমদের এ মর্মে রিওয়ায়াতটি বিশুদ্ধতব ৷ তবে যদি রাবী আজলাহ তা
রিওয়ায়াত করে থাকে আয্যায়্যাল জাবির ইবন আব্বাস সুত্রে তা’হলে আল্লাহর পানাহ্ ৷ (মানে
এ সুত্রটি অনির্ভবযােগ্য) আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন আব্বাস থেকে ভিন্ন একটি সুত্র

হাফিয আবুল কাসিম তাবারানী আব্বাস ইবন ফযল আল-আসফাভী ইবন আব্বাস
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, জনৈক আনসারীর দুটি নর উট ছিল ৷ হঠাৎ তাদের
যৌনাকাত্তক্ষা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি সেগুলোকে এক খেজুর বাগানে আটকে রেখে তিনি রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসলেন এই উদ্দেশ্যে যে তিনি তার জন্য দুআ
করবেন ৷ এ সময় নবী করীম (সা) আনসারদের একটি দল নিয়ে বলেছিলেন ৷ তখন তিনি
এসে বললেন, হে আল্লাহ্র নবী ! আমার একটি প্রয়োজনে আমি আপনার দ্বারন্থ হয়েছি ৷ আমার
দুটি নব উট তীব্র যৌনাকাক্ষোয় আক্রান্ত হয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করছে ৷ তাই তাদেরকে
একটি খেজুর বাগানে আটকে রেখেছি ৷ আমি চাই আপনি আমার জন্য দু’আ, করুন যেন
আল্লাহ্ সে দৃটিকে আমার বশীভুত করে দেন ৷ তখন তিনি তার সাহাবীগণকে বললেন,
তােমরাও চল আমার সাথে ৷ তারপর তিনি গিয়ে বাগানের দরজায় র্দাড়ালেন ৷ তারপর সেই
আনসারীকে বললেন, দরজা থােল ! কিভু আসনারী নবী করীম রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামের ব্যাপারে আশঙ্কাবােধ করলেন ৷ (তাই তিনি ইতস্তত করছিলেন ৷) তখন তিনি
আবার তাকে বললেন, দরজা থােল ৷ তখন তিনি দরজা খুললেন ৷ তখন দেখা গেল একটি উট
দরজায় কাছেই রয়েছে ৷ সে যখন আল্লাহর রাসুলকে দেখতে পেল তখন তাকে সিজদা করল ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, একটা কিছু নিয়ে এসো, আমি তার


عَلَيْكَ صَوْلَتَهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ عَلَيَّ مِنْهُ بَأْسٌ فَلَمَّا نَظَّرَ الْجَمَلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْبَلُ نَحْوَهُ حَتَّى خَرَّ سَاجِدًا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَاصِيَتِهِ أَذَلَّ مَا كَانَتْ قَطُّ، حَتَّى أَدْخَلَهُ فِي الْعَمَلِ، فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذِهِ بَهِيمَةٌ لَا تَعْقِلُ تَسْجُدُ لَكَ! فَنَحْنُ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ. فَقَالَ لَا يَصْلُحُ لِبَشَرٍ أَنْ يَسْجُدَ لِبِشَرٍ، وَلَوْ صَلَحَ لِبَشَرٍ أَنْ يَسْجُدَ لِبَشَرٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا; مِنْ عِظَمِ حَقِّهِ عَلَيْهَا، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ كَانَ مِنْ قَدَمِهِ إِلَى مَفْرِقِ رَأْسِهِ قَرْحَةٌ تَنْبَجِسُ بِالْقَيْحِ وَالصَّدِيدِ، ثُمَّ اسْتَقْبَلَتْهُ فَلَحِسَتْهُ مَا أَدَّتْ حَقَّهُ» وَهَذَا إِسْنَادٌ، جَيِّدٌ وَقَدْ رَوَى النَّسَائِيُّ بَعْضَهُ مِنْ حَدِيثِ خَلَفِ بْنِ خَلِيفَةَ بِهِ رِوَايَةُ جَابِرُ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ سَلَامٍ، ثَنَا الْأَجْلَحُ عَنِ الذَّيَّالِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ سَفَرٍ، حَتَّى إِذَا دَفَعْنَا إِلَى حَائِطٍ مِنْ حِيطَانِ بَنِي النَّجَّارِ، إِذَا فِيهِ جَمَلٌ لَا يَدْخُلُ الْحَائِطَ أَحَدٌ إِلَّا شَدَّ عَلَيْهِ. قَالَ: فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ حَتَّى أَتَى الْحَائِطَ، فَدَعَا الْبَعِيرَ، فَجَاءَ وَاضِعًا مِشْفَرَهُ إِلَى الْأَرْضِ، حَتَّى بَرَكَ بَيْنَ يَدَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَاتُوا خِطَامًا، فَخَطَمَهُ وَدَفَعَهُ
পৃষ্ঠা - ৪৮৪১
إِلَى صَاحِبِهِ. قَالَ: ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى النَّاسِ فَقَالَ: إِنَّهُ لَيْسَ شَيْءٌ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ إِلَّا يَعْلَمُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، إِلَّا عَاصِيَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ» تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَسَيَأْتِي عَنْ جَابِرٍ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ بِسِيَاقٍ آخَرَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِهِ الثِّقَةُ. رِوَايَةُ ابْنُ عَبَّاسٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا بِشْرُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ مِهْرَانَ أَبُو خَالِدٍ الْخَبَّازُ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الْأَجْلَحِ عَنِ الذَّيَّالِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَاءَ قَوْمٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لَنَا بَعِيرًا قَدْ نَدَّ فِي حَائِطٍ. فَجَاءَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " تَعَالَ " فَجَاءَ مُطَأْطِئًا رَأْسَهُ حَتَّى خَطَمَهُ وَأَعْطَاهُ أَصْحَابَهُ، فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَأَنَّهُ عَلِمَ أَنَّكَ نَبِيٌّ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا أَحَدٌ إِلَّا يَعْلَمُ أَنِّي نَبِيُّ اللَّهِ، إِلَّا كَفَرَةُ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ» وَهَذَا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ غَرِيبٌ جِدًّا وَالْأَشْبَهُ رِوَايَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ عَنْ جَابِرٍ، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْأَجْلَحُ قَدْ رَوَاهُ عَنِ الذَّيَّالِ عَنْ جَابِرٍ وَعَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. طَرِيقٌ أُخْرَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْفَضْلِ الْأَسْفَاطِيُّ، ثَنَا أَبُو عَوْنٍ الزِّيَادِيُّ، ثَنَا أَبُو عَزَّةَ الدَّبَّاغُ، عَنْ أَبِي يَزِيدٍ الْمَدِينِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ كَانَ لَهُ فَحْلَانِ فَاغْتَلَمَا، فَأَدْخَلَهُمَا حَائِطًا، فَسَدَّ عَلَيْهِمَا الْبَابَ، ثُمَّ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ لَهُ، وَالنَّبِيُّ قَاعِدٌ وَمَعَهُ نَفَرٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَقَالَ: يَا
পৃষ্ঠা - ৪৮৪২


কল্লা বেধে তাকে তোমার আয়ত্তে এনে দিই ৷ তখন লোকটি একটি লাগান নিয়ে আসল এবং
তিনি তার কল্লা বেধে তাকে লোকঢির আয়ত্তাধীন করে দিলেন ৷ এরপর তিনি বাগানের দুরতম
প্রান্তে অন্য উটটির কাছে গেলেন ৷ সে যখন তাকে দেখতে পেলো, তখন তাকে সিজদা করল ৷
এরপর তিনি লোকটিকে বললেন, আমার কাছে বাধার মত কিছু একটা নিয়ে এসো, আমি তার
করা বেধে দিই ৷ তারপর তিনি উটটির কল্লা বেধে তার আয়ত্তে এনে দিলেন এবং তাকে
বললেন, যাও এখন আর তারা তােমার অবাধ্য হবে না ৷

আল্লাহর রাসুলের সাহাবাগণ যখন এই অবস্থা প্রত্যক্ষ করলেন তখন তারা বলে উঠলেন,
এই উট দুটি আপনাকে সিজদা করল, আমরা কি আপনাকে সিজদা করব না? তিনি বললেন,
আমি কোন মানুষকে অন্য কোন মানুষকে সিজদা করতে বলবো না ৷ একান্তই যদি আমি তা
করতাম তাহলে ত্রীকে নির্দেশ দিতড়াম স্বামীকে সিজদা করতে ৷ এই হাদীসের সনদ ও পাঠ
উভয়টিই গরীব’ ৷ (আবুল ফকীহ্ আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ্ ইবন হামিদ তার দালাইলুন নবুওয়্যা
গ্রন্থে বিভিন্ন সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াতও করেছেন) ৷

আবু হুরায়রা (রা) এর রিওয়ায়াত

ফকীহ্ আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ্ ইবন হামিদ, আহমাদ ইবন হামদান আবু হুরায়রা
(রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-
সাল্লামের সাথে একদিকে যাচ্ছিলাম ৷ তখন আমরা একটি বাগানে উকি দিয়ে দেখলাম সেখানে
একটি পানিবাহী উট রয়েছে ৷ উটটি যখন অগ্রসর হয়ে মাথা উঠিয়ে আল্লাহর রাসুলকে দেখতে
পেল, তখন সে তার র্কাধের ভিতরের অংশ মাটিতে লাগিয়ে দিল ৷ তখন সাহাবাগণ বললেন,
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! এই সকল পশুর তুলনায় আপনাকে সিজদা করার আমরাই অধিকতর
হকদার ৷ তখন তিনি বললেন, সুবহান্নাল্লাহ্ ! গায়রুল্লাহ্কে সিজদা ৷গায়রুল্লাহ্কে সিজদা করা
কারো পক্ষেই সমীচীন নয় ৷ আমি যদি কাউকে আল্লাহর পরিবর্তে অন্য কাউকে সিজদা করতে
নির্দেশ দিতড়াম তাহলে ত্রীকে নির্দেশ দিতড়াম তার স্বামীকে সিজদা করতে ৷

এ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন জা ফরের রিওয়ায়াত

ইমাম আহমদ, ইয়াযীদ আবদুল্লাহ ইবন জাফর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আল ইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে তার পিছনে আরোহণ
করালেন ৷ তারপর তিনি আমাকে চুপিসারে এমন কথা বললেন, যা আমি কাউকে বলব না ৷
আর প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরণের জ্বন্য রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবচেয়ে
অধিক পছন্দ করতে তন কোন উচু ভুখণ্ড কিং বা খেজুর গাছের ঝোপের আড়াল হতে ৷ একদিন
তিনি এই উদ্দেশ্যে আনসারদের এক খেজুর বাগানে প্রবেশ করলেন ৷ তখন একটি নর উট
এসে শব্দ করে ডাকল এবং তার চোখের পানি গড়িয়ে পড়ল ৷ এরপর সে যখন আল্লাহর
রাসুলকে দেখতে পেল তখন বেদনায় আর্তনাদ করল এবং তার চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত
হল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার পিঠে ও মাথায় হাত বুলিয়ে
দিলেন, ফলে সে শান্ত হল ৷ এরপর তিনি বললেন, এই উটের মালিক কে? তখন এক আনসার
যুবক এসে বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! এটা আমার উট ৷ তুমি এই (সকল) অবুঝ প্রাণীর ব্যাপারে


نَبِيَّ اللَّهِ، إِنِّي جِئْتُ فِي حَاجَةٍ، فَإِنَّ فَحْلَيْنِ لِي اغْتَلَمَا، وَإِنِّي أَدْخَلْتُهُمَا حَائِطًا، وَسَدَّدْتُ عَلَيْهِمَا الْبَابَ، فَأُحِبُّ أَنْ تَدْعُوَ لِي أَنْ يُسَخِّرَهُمَا اللَّهُ لِي. فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: " قُومُوا مَعَنَا " فَذَهَبَ حَتَّى أَتَى الْبَابَ، فَقَالَ: " افْتَحْ ". فَأَشْفَقَ الرَّجُلُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " افْتَحْ ". فَفَتَحَ الْبَابَ، فَإِذَا أَحَدُّ الْفَحْلَيْنِ قَرِيبٌ مِنَ الْبَابِ، فَلَمَّا رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَجَدَ لَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ائْتِنِي بِشَيْءٍ أَشُدُّ رَأْسَهُ وَأُمَكِّنُكَ مِنْهُ ". فَجَاءَ بِخِطَامٍ، فَشَدَّ رَأَسَهُ وَأَمْكَنَهُ مِنْهُ، ثُمَّ مَشَى إِلَى أَقْصَى الْحَائِطِ إِلَى الْفَحْلِ الْآخَرِ، فَلَمَّا رَآهُ وَقْعَ لَهُ سَاجِدًا، فَقَالَ لِلرَّجُلِ: " ائْتِنِي بِشَيْءٍ أَشُدُّ رَأْسَهُ ". فَشَدَّ رَأْسَهُ وَأَمْكَنَهُ مِنْهُ، فَقَالَ: " اذْهَبْ فَإِنَّهُمَا لَا يَعْصِيَانَكَ ". فَلَمَّا رَأَى أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ قَالُوا: " يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَانَ فَحْلَانِ لَا يَعْقِلَانِ سَجَدَا لَكَ! أَفَلَا نَسْجُدُ لَكَ؟ " قَالَ: " لَا آمُرُ أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ، وَلَوْ أَمَرْتُ أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا» وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ وَمَتْنٌ غَرِيبٌ. وَرَوَاهُ الْفَقِيهُ أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَامِدٍ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَمْدَانَ السِّجْزِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ بُجَيْرٍ الْبُجَيْرِيِّ، عَنْ بِشْرِ بْنِ آدَمَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَوْنٍ أَبِي عَوْنٍ الزِّيَادِيِّ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ مَكِّيِّ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ فَائِدٍ أَبِي الْوَرْقَاءِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ.
পৃষ্ঠা - ৪৮৪৩

আল্লাহ্কে ভয় কর না যার মালিক আল্লাহ তোমাকে বানিয়েছেন? সে আমার কাছে অভিযোগ
করেছে যে, তুমি তাকে অনাহারে রাখ এবং বিরামহীনভ৷ ৷রে কাজে লাগাও ৷ এছাড়া ইমাম
মুসলিম তা রিওয়ায়াত ৩করেছেন মাহদী ইবন মায়মুন সুত্রে ৷

এ প্রসঙ্গে উম্মুল মুমিনীন আইশার রিওয়ায়াত

ইমাম আহমদ, আবদুস সামাদ ও আফফান থেকে হযরত আইশা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
(একবার) রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনসার ও মুহাজিরদের একটি দলের
মাঝে ছিলেন ৷ এমন সময় একটি উট এসে র্তাকে সিজদা করল ৷ তখন র্তারা (সাহাবাগশ)
বললেন, ইয়৷ রড়াসুলাল্লাহ্! পশুর৷ এবং গাছপালা আপনাকে সিজদা করে ৷ তাহলে আমরাই তো
আপনাকে সিজদা করার অধিকতর হকদার ৷ তখন তিনি বললেন, তোমরা নিজেদের
প্রতিপালকের ইবাদত করবে এবং তোমাদের ভাইকে সম্মান করবে ৷ যদি আমি কাউকে কারো
জন্য সিজদা করতে ৩বলতাম তাহলে অবশ্যই শ্রীকে নির্দেশ দিতাম স্বামীকে সিজদা করার ৷ সে
যদি তাকে নির্দেশ দেয় হলুদ পাহাড় থেকে কাল পাহাড়ে এবং কাল পাহাড় থেকে সাদা পাহাড়ে
কোন কিছু বহন করতে , তাহলে তার উচিত হবে তা ও করা ৷ এই সনদটি সুনানের
শর্তমাফিক ৷ আর ইবন মাজা রিওয়ায়াত করেছেন আবু বকর ইবন আবু শায়বা হাষ্মাদ
সুত্রে তার ভাষা হল যদি আমি কাউকে কারো জন্য সিজদা করার নির্দেশ দিতাম তাহলে
শ্রীকে নির্দেশ দিতাম স্বামীকে সিজদা করতে ৷ শেষ পর্যন্ত ৷

ইয়৷ লা ইবন মুর্রা আছছাকাফীর রিওয়ায়াত অথবা ডিন ঘটনা

ইমাম আহমদ, আবু সালাম আল খুযায়ী ইয়া’ল৷ ইবন সায়্যাব৷ সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, কোন এক সফরে আমিনবী করীম রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া
সাল্লামের সাথে ছিলাম ৷ এ সময় তার প্রাকৃতিক প্রয়োজন দেখা দিল ৷ তখন তিনি দুটি খেজুর
চারাকে নির্দেশ দিলে তারা একত্র হয়ে৩ তাকে আড়াল করে নিল ৷ তারপর (প্রয়োজন শেষে)
তিনি নির্দেশ দিলেন, তারা স্ব স্ব স্থানে ফিরে (সোজা হয়ে) গেল ৷ আর তখন একটি উট এসে
তার গলা মাটির সাথে লাপাল ৷ এরপর সে সশব্দে জাবর তুলে মাটি ভিজিয়ে ফেলল ৷
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন তোমরা কি জান, উটটি কি বলছে?
সে বলছে, তার মালিক তাকে জবাই করতে চায় ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ লা৷ইহি ওয়া
সাল্লাম তার (মালিকের) কাছে এই বলে (লোক) পাঠালেন, তুমি কি উটটি আমাকে দান
করতে পার? তখন সে বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমার উটপালের মাঝে সেই আমার সবচেয়ে
প্রিয় ৷ তখন তিনি তাকে বললেন, তাহলে তৃমি তার সাথে সদাচারণ করবে ৷ সে বলল, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! অবশ্যই তার চেয়ে অধিক সদাচার আমি আমার অন্য কোন উটের সাথে করব না ৷

রাবী বলেন, এরপর তিনি এক কবরের কাছে আসলেন, যে কবরে আযাব হচ্ছিল ৷ তখন
তিনি বললেন, তাকে কোন গুরুতর গুনাহের কারণে আমার দেয়৷ হচ্ছে না ৷ এরপর তিনি
নির্দেশ দিলে সেই কবরের উপর একটি তাজা ভাল পুতে দেয়৷ হল ৷৩ তখন তিনি বললেন, এই
ডালটি তরতাজা থাকা পর্যন্ত আশা করি তার আমার লঘু করা হবে ৷


رِوَايَةُ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي ذَلِكَ: قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَامِدٍ الْفَقِيهُ: أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَمْدَانَ، أَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بُجَيْرٍ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «انْطَلَقْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى قُبَاءٍ، فَأَشْرَفْنَا إِلَى حَائِطٍ، فَإِذَا نَحْنُ بِنَاضِحٍ، فَلَمَّا أَقْبَلَ النَّاضِحُ رَفَعَ رَأْسَهُ، فَبَصُرَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَضَعَ جِرَانَهُ عَلَى الْأَرْضِ، فَقَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَنَحْنُ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ مِنْ هَذِهِ الْبَهِيمَةِ ". فَقَالَ: " سُبْحَانَ اللَّهِ! أَدُوَنَ اللَّهِ؟! مَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ دُونَ اللَّهِ، وَلَوْ أَمَرْتُ أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِشَيْءٍ مِنْ دُونِ اللَّهِ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا» رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، ثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ، عَنْ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، (ح) وَثَنَا بَهْزٌ وَعَفَّانُ، قَالَا: ثَنَا مَهْدِيٌ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ مَوْلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ: «أَرْدَفَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ خَلْفَهُ، فَأَسَرَّ إِلَيَّ حَدِيثًا لَا أُخْبِرُ بِهِ أَحَدًا أَبَدًا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَبُّ مَا اسْتَتَرَ بِهِ فِي حَاجَتِهِ هَدَفٌ أَوْ حَائِشُ نَخْلٍ، فَدَخَلَ يَوْمًا حَائِطًا مِنْ حِيطَانِ الْأَنْصَارِ، فَإِذَا جَمَلٌ قَدْ أَتَاهُ فَجَرْجَرَ
পৃষ্ঠা - ৪৮৪৪
وَذَرَفَتْ عَيْنَاهُ - وَقَالَ بَهْزٌ وَعَفَّانُ: فَلَمَّا رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَنَّ وَذَرَفَتْ عَيْنَاهُ - فَمَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرَاتَهُ وَذِفْرَاهُ، فَسَكَنَ، فَقَالَ: " مَنْ صَاحِبُ الْجَمَلِ؟ " فَجَاءَ فَتًى مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ: هُوَ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: " أَمَا تَتَّقِي اللَّهَ فِي هَذِهِ الْبَهِيمَةِ الَّتِي مَلَّكَكَهَا اللَّهُ؟ إِنَّهُ شَكَا إِلَيَّ أَنَّكَ تُجِيعُهُ وَتُدْئِبُهُ» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مَهْدِيِّ بْنِ مَيْمُونٍ بِهِ. رِوَايَةُ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، وَعَفَّانُ، قَالَا: ثَنَا حَمَّادٌ، هُوَ ابْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، هُوَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ فِي نَفَرٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، فَجَاءَ بَعِيرٌ فَسَجَدَ لَهُ، فَقَالَ أَصْحَابُهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَسْجُدُ لَكَ الْبَهَائِمُ وَالشَّجَرُ! فَنَحْنُ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ. فَقَالَ: " اعْبُدُوا رَبَّكُمْ وَأَكْرِمُوا أَخَاكُمْ، وَلَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا، وَلَوْ أَمَرَهَا أَنْ تَنْقُلَ مِنْ جَبَلٍ أَصْفَرَ إِلَى جَبَلٍ أَسْوَدَ، وَمِنْ جَبَلٍ أَسْوَدَ إِلَى جَبَلٍ أَبْيَضَ كَانَ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تَفْعَلَهُ» وَهَذَا الْإِسْنَادُ عَلَى شَرْطِ السُّنَنِ، وَإِنَّمَا رَوَى ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ حَمَّادٍ بِهِ: «لَوْ أَمَرْتُ أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا ".» إِلَى آخِرِهِ رِوَايَةُ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ الثَّقَفِيِّ فِي ذَلِكَ، أَوْ هِيَ قِصَّةٌ أُخْرَى: قَالَ الْإِمَامُ
পৃষ্ঠা - ৪৮৪৫

তার থেকে ভিন্ন একটি সুত্র

ইমাম আহমদ বলেন, আবদুর রাঘৃযাক ইয়ালা ইবন মুররা আছছাকাফী সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তিনটি
বিষয় (মুজিয৷ ) দেখেছি ৷ একবার আমরা তীর সাথে পথ চলছিলাম ৷ তখন আমরা একটি
পানিবাহী উটকে অতিক্রম করলাম ৷ উটটি যখন তাকে দেখল, তখন অভিযোগমুলক শব্দ করল
এবং তার গলা মাটিতে লাগলে ৷ তখন তিনি থেমে জিজ্ঞেস করলেন, এই উটের মালিক
কোথায়? এরপর সে আসলে তিনি তাকে বললেন, আমার কাছে এটি বিক্রি করে দাও ৷ তখন
সে বলল, আমি বরং আপনাকে তা দান করব ৷ তিনি বললেন, না, তুমি আমার কাছে তাকে
বিক্রি করে দাও ৷ সে বলল, না; বরং আমরা তা আপনাকে দান করব ৷ যে ব্যক্তি এমন এক
পরিবারের লোক ছিল, যাদের জীবিকার আর কোন উৎস ছিল না ৷ তিনি বললেন, মি যখন
একথা উল্লেখ করছ, তাহলে গােন, সে অধিক কাজ এবং অল্প থােরাকের অভিযোগ করেছে ৷
তাই তার প্রতি সদাচারণ করবে ৷ ইয়া’লা বলেন, এরপর আমরা অগসর হয়ে একন্থানে যাত্রা
বিরতি করলাম ৷ এ সময় নবী কবীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমিয়ে পেলেন ৷ তখন
মাটি কুড়ে একটি গাছ এসে র্তাকে আবৃত করে নিল ৷ তারপর স্বস্থানে ফিরে গেল ৷ তিনি ঘুম
থেকে জাগলে আমি বিষয়টি উল্লেখ করলাম ৷ তখন তিনি বললেন, এই গাছ আল্লাহর রাসুলকে
সালাম করার জন্য তার রবের অনুমতি প্রার্থনা করেছে এবং তিনি তাকে অনুমতি দিয়েছেন ৷
ইয়ালা বলেন, এরপর আমরা অগ্রসর হয়ে একটি পানির উৎস অতিক্রম করলাম ৷ তখন এক
ত্রীল্যেক তার এক জিনগ্রস্ত ছেলেকে সাথে নিয়ে তার কাছে আসল ৷ তখন নবী কবীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নাকের ছিদ্র ধরে বললেন, মি বের হয়ে যাও ৷ আমি আল্লাহ্র
রাসুল মুহাম্মাদ ৷ রাবী বলেন, এরপর আমরা অগ্রসর হলাম ৷ আর আমরা যখন আমাদের সফর
থেকে ফিরছিলাম তখনও সেই পানির উৎস অতিক্রম করলাম ৷ সে সময় এক ত্রীলোক জবাই
উপযোগী কয়েকটি বক্রী এবং দুধ নিয়ে তার কাছে আসল ৷ তখন তিনি তাকে নির্দো৷ দিলেন
বকরীগুলাে ফিরিয়ে নিতে, আর তীর সাহাবাগণকে বললেন, দুধ থেকে পান করতে ৷ এরপর শ্
তিনি তাকে সেই শিশু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷ তখন সে বলল, শপথ সেই মহান সত্তার,
যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আপনার সাথে সাক্ষাতের পর আর তার মধ্যে আমরা
সন্দেহজনক কিছু দেখিনি ৷

তার বরাতেডিন্ন একটি সুত্র

ইমাম আহমদ বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন নুমায়র ইয়৷ লা ইবন মুবৃরা সুত্রে বর্ণনা করেন

যে, তিনি বলেছেন, র ৷সুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আমি এমন একটি বিষয়

দেখেছি, যা আমার পুর্বে কেউ দেখেনি এবং আমার পরেও কেউ দেখবে না ৷ একবার আমি
তার সাথে সফরে বের হলাম পথে আমরা এক উপবিষ্টা ত্রীলােকের সাক্ষাৎ পেলাম যার সাথে
তার একটি শিশু ছেলে ছিল ৷ সে বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমাদের এই শিশুটি আপদ্যাস্ত’
এবং তার কারণে আমরাও আপদগ্রস্ত ৷ দিনের মাঝে যে যে কতবার আক্রান্ত হয়৩ তা আমি
জানি না ৷ তিনি বললেন, তাতে আমার কাছে দাও ৷ তখন সে মহিলা তাকে নবী কবীম-এর

২ ৭


أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو سَلَمَةَ الْخُزَاعِيُّ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي جَبِيرَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ سِيَابَةَ قَالَ: «كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسِيرٍ لَهُ، فَأَرَادَ أَنْ يَقْضِيَ حَاجَتَهُ، فَأَمَرَ وَدِيَّتَيْنِ، فَانْضَمَّتْ إِحْدَاهُمَا إِلَى الْأُخْرَى، ثُمَّ أَمَرَهُمَا فَرَجَعَتَا إِلَى مَنَابِتِهِمَا، وَجَاءَ بِعِيرٌ فَضَرَبَ بِجِرَانِهِ إِلَى الْأَرْضِ، ثُمَّ جَرْجَرَ حَتَّى ابْتَلَّ مَا حَوْلَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَتَدْرُونَ مَا يَقُولُ الْبَعِيرُ؟ إِنَّهُ يَزْعُمُ أَنَّ صَاحِبَهُ يُرِيدُ نَحْرَهُ ". فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " أَوَاهِبُهُ أَنْتَ لِي؟ " فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا لِيَ مَالٌ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْهُ. فَقَالَ: " اسْتَوْصِ بِهِ مَعْرُوفًا ". فَقَالَ لَا جَرَمَ، لَا أُكْرِمُ مَالًا لِي كَرَامَتَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: وَأَتَى عَلَى قَبْرٍ يُعَذَّبُ صَاحِبُهُ، فَقَالَ: " إِنَّهُ يُعَذَّبُ فِي غَيْرِ كَبِيرٍ ". فَأَمَرَ بِجَرِيدَةٍ فَوُضِعَتْ عَلَى قَبْرِهِ، وَقَالَ: " عَسَى أَنْ يُخَفِّفَ عَنْهُ مَا دَامَتْ رَطْبَةً» طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ الثَّقَفِيِّ قَالَ: «ثَلَاثَةُ أَشْيَاءَ رَأَيْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; بَيْنَا نَحْنُ نَسِيرُ مَعَهُ إِذْ مَرَرْنَا بِبَعِيرٍ يُسْنَى عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَآهُ الْبَعِيرُ جَرْجَرَ وَوَضَعَ جِرَانَهُ، فَوَقَفَ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৪৮৪৬


কাছে উঠিয়ে দিল ৷ তখন তিনি তাকে তার ও হাওদার মধ্যবর্তী অং শের মাঝে বসালেন ৷
এরপর তিনি তার মুখ ফাক করে তাতে এই দু অ৷ পড়ে কুক দিলেন এ ৷া ৷ ৷ এ ৷ ণ্
ণ্া৷ ৷ ,শু ৷ ৷ (আল্লাহর নামে, আমি আল্লাহর বন্দেপী করি ৷ আল্লাহর শত্রু অপদন্থ হয় ৷)
এরপর তিনি শিশুটিকে তার মায়ের কাছে ধরিয়ে দিলেন এবং বললেন ফেরার সময় এইন্থানে
আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করে আমাদেরকে তার অবস্থা জানাবে ৷ রাবী বলেন, তখন আমরা চলে
গেলাম ৷ তারপর ফেরার পথে আমরা সেই স্থানে শ্রী লোকটিকে পেলাম, এ সময় তার সাথে
তিনটি বকরী ছিল ৷ তখন নবী করীম (সা) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার ছোলটির কী
অবস্থা? তখন সে বলল, শপথ ঐ পবিত্র সত্তার যিনি আপনাকে সতাসহ পাঠিয়েছেন, এখনও ,
পর্যন্ত আমরা তার মধ্যে অস্বাভাবিক কোন অবস্থাদেখিনি ৷ আপনি এই বকরীগুলি নিয়ে যান ৷
তখন তিনি কাউকে বললেন, নেমে সেগুলি থেকে একটি বকরী নাও আর বাকীগুলি ফেরত
দিয়ে দাও ৷
ইয়৷ লা বলেন, একদিন আমি মরুভুমিতে বের হলাম (রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের সাথে) আমরা যখন উন্মুক্ত প্রাতরে এসে গেলাম, তখন তিনি আমাকে বললেন,
দেখতে , এমন কিছু দেখতে পাও কিনা যা আমাকে আবৃত করবে ৷ আমি বললাম, আপনাকে
আড়াল করার মত কিছুই তো দেখছি না, শুধুমত্রে৷ একটি গাছ ব্যতীত ৷ আর আমার ধারণা তা
আপনাকে আড়াল করতে সক্ষম হবে না ৷ তিনি বললেন, তার পাশে কি আছে ? আমি বললাম,
তারই মত বা তার কাছাকাছি আকৃতির আরেকটি গাছ ৷ তিনি বললেন, তাহলে তুমি তা ৷দের
কাছে যাও এবং বল, আল্লাহর রাসুল আল্লাহর হুকুমে তােমাদেরকে একত্রিত হতে নির্দেশ
দিচ্ছেন ৷
রাবী (ইয়ালা) বলেন, তখন গাছ দুটি একত্রিত হল এবং তিনি তার প্রাকৃতিক প্রয়োজন
পুরণে (তাদের আড়ালে) চলে গ্রেলেন ৷ এরপর তিনি ফিরে এসে বললেন, এবার তাদের কাছে
গিয়ে বল, আল্লাহর রাসুল তােমাদেরকে স্ব স্ব স্থানে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন ৷ এরপর
তারা স্ব স্ব স্থানে ফিরে গেল ৷
ইয়া লা বলেন, আরেক দিন আমি তার সাথে বসা ছিলাম ৷ এমন সময় একটি উৎকৃষ্ট
জাতের নর উট এসে তার সামনে মাথা নুইয়ে ফ্লি ৷ এরপর তার চক্ষুদ্বয় অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠল ৷
তখন নবী করীম (সা) আমাকে বললেন, দেখতে৷ এই উটের মালিক কে, নিশ্চয় তার কোন
ব্যাপার আছে ৷ ইয়৷ লা বলেন, আমি তখন তার মালিকের সন্ধানে বেরিয়ে পড়লাম ৷ এরপর
জানতে পারলাম, তা জনৈক আনসারীর ৷ তখন আমি তাকে তার কাছে ডেকে আনলাম ৷ তিনি
তাকে বললেন, তোমার এই উটটির কি হয়েছে? তখন সে বলল, তার আবার কী হয়েছে?
আল্লাহর কসম, আমি জানি না, তার কি হয়েছে ৷ আমরা তার থেকে কাজ নি৩াম, তার পিঠে
পানি বহন কর ৷ম, বিন্দু এখন যে সেচ কাজের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে, তাই আমরা গত
রাত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাকে জবাই করে আমরা তার গোশত ভাগ করে দেব ৷ তিনি বললেন,
এটা করে৷ না ৷ আমাকে এটা দান করে দাও কিংবা আমার কাছে বিক্রি করে দাও ৷ তখন সে
বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! তা আপনার ৷ তখন তিনি তার গায়ে সাদ্কার চিহ্ন লাগিয়ে তাকে
পাঠিয়ে দিলেন ৷


صَاحِبُ هَذَا الْبَعِيرِ؟ " فَجَاءَ فَقَالَ: " بِعْنِيهِ ". فَقَالَ: لَا، بَلْ أَهَبُهُ لَكَ. فَقَالَ: " لَا، بَلْ بِعْنِيهِ ". قَالَ: لَا، بَلْ نَهَبُهُ لَكَ، وَهُوَ لِأَهْلِ بَيْتٍ مَا لَهُمْ مَعِيشَةٌ غَيْرُهُ. قَالَ: " أَمَا إِذْ ذَكَرَتْ هَذَا مِنْ أَمْرِهِ فَإِنَّهُ شَكَى كَثْرَةَ الْعَمَلِ وَقِلَّةَ الْعَلَفِ، فَأَحْسِنُوا إِلَيْهِ ". قَالَ: ثُمَّ سِرْنَا فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا، فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَتْ شَجَرَةٌ تَشُقُّ الْأَرْضَ حَتَّى غَشِيَتْهُ، ثُمَّ رَجَعَتْ إِلَى مَكَانِهَا، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ ذُكِرَتْ لَهُ، فَقَالَ: " هِيَ شَجَرَةٌ اسْتَأْذَنَتْ رَبَّهَا عَزَّ وَجَلَّ فِي أَنْ تُسَلِّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَذِنَ لَهَا ". قَالَ: ثُمَّ سِرْنَا فَمَرَرْنَا بِمَاءٍ، فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ بِابْنٍ لَهَا بِهِ جِنَّةٌ، فَأَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَنْخَرِهِ، فَقَالَ: " اخْرُجْ، إِنِّي مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ". قَالَ: ثُمَّ سِرْنَا، فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ سَفَرِنَا مَرَرْنَا بِذَلِكَ الْمَاءِ، فَأَتَتْهُ الْمَرْأَةُ بِجَزَرٍ وَلَبَنٍ، فَأَمَرَهَا أَنْ تَرُدَّ الْجَزَرَ، وَأَمْرَ أَصْحَابَهُ فَشَرِبُوا مِنَ اللَّبَنِ، فَسَأَلَهَا عَنِ الصَّبِيِّ فَقَالَتْ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا رَأَيْنَا مِنْهُ رَيْبًا بَعْدَكَ» طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْهُ: قَالَ الْإمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ قَالَ: «لَقَدْ رَأَيْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثًا مَا رَآهَا أَحَدٌ قَبَلِي، وَلَا يَرَاهَا أَحَدٌ بَعْدِي; لَقَدْ خَرَجْتُ مَعَهُ فِي سَفَرٍ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ مَرَرْنَا بِامْرَأَةٍ جَالِسَةٍ مَعَهَا صَبِيٌّ لَهَا، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا أَصَابَهُ بَلَاءٌ وَأَصَابَنَا مِنْهُ بَلَاءٌ، يُؤْخَذُ فِي الْيَوْمِ مَا أَدْرِي كَمْ مَرَّةً. قَالَ: " نَاوِلِينِيهِ ". فَرَفَعَتْهُ إِلَيْهِ فَجَعَلَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ وَاسِطَةِ الرَّحْلِ، ثُمَّ فَغَرَ فَاهُ فَنَفَثَ فِيهِ ثَلَاثًا، وَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ، أَنَا عَبْدُ اللَّهِ، اخْسَأْ عَدُوَّ اللَّهِ ". ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৪৮৪৭
نَاوَلَهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ " الْقَيْنَا فِي الرَّجْعَةِ فِي هَذَا الْمَكَانِ فَأَخْبِرِينَا مَا فَعَلَ ". قَالَ: فَذَهَبْنَا وَرَجَعْنَا، فَوَجَدْنَاهَا فِي ذَلِكَ الْمَكَانِ مَعَهَا شِيَاهٌ ثَلَاثٌ، فَقَالَ: " مَا فَعَلَ صَبِيُّكِ؟ " فَقَالَتْ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا حَسِسْنَا مِنْهُ شَيْئًا حَتَّى السَّاعَةِ، فَاجْتَزِرْ هَذِهِ الْغَنَمَ. قَالَ: " انْزِلْ فَخُذْ مِنْهَا وَاحِدَةً وَرُدَّ الْبَقِيَّةَ ". قَالَ: وَخَرَجْنَا ذَاتَ يَوْمٍ إِلَى الْجَبَّانَةِ حَتَّى إِذَا بَرَزْنَا قَالَ: " وَيْحَكَ، انْظُرْ هَلْ تَرَى مِنْ شَيْءٍ يُوَارِينِي؟ " قُلْتُ: مَا أَرَى شَيْئًا يُوَارِيكَ إِلَّا شَجَرَةً مَا أَرَاهَا تُوَارِيكَ. قَالَ: " فَمَا بِقُرْبِهَا؟ " قُلْتُ: شَجَرَةٌ مِثْلُهَا أَوْ قَرِيبٌ مِنْهَا. قَالَ: " فَاذْهَبْ إِلَيْهِمَا فَقُلْ لَهُمَا: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُكُمَا أَنْ تَجْتَمِعَا بِإِذْنِ اللَّهِ ". قَالَ: فَاجْتَمَعَتَا فَبَرَزَ لِحَاجَتِهِ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ: " اذْهَبْ إِلَيْهِمَا فَقُلْ لَهُمَا: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُكُمَا أَنْ تَرْجِعَ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْكُمَا إِلَى مَكَانِهَا ". فَرَجَعَتْ. قَالَ: وَكُنْتُ مَعَهُ جَالِسًا ذَاتَ يَوْمٍ إِذْ جَاءَ جَمَلٌ يَخُبُّ، حَتَّى ضَرْبَ بِجِرَانِهِ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ ذَرَفَتْ عَيْنَاهُ، فَقَالَ: " وَيْحَكَ انْظُرْ لِمَنْ هَذَا الْجَمَلُ، إِنَّ لَهُ لَشَأْنًا ". قَالَ فَخَرَجْتُ أَلْتَمِسُ صَاحِبَهُ، فَوَجَدْتُهُ لِرَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَدَعَوْتُهُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: " مَا شَأْنُ جَمَلِكَ هَذَا؟ " فَقَالَ: وَمَا شَأْنُهُ؟ قَالَ: لَا أَدْرِي وَاللَّهِ مَا شَأْنُهُ، عَمِلْنَا عَلَيْهِ، وَنَضَحْنَا عَلَيْهِ، حَتَّى عَجَزَ عَنِ السِّقَايَةِ، فَائْتَمَرْنَا الْبَارِحَةَ أَنْ نَنْحَرَهُ وَنُقَسِّمَ لَحْمَهُ. قَالَ: " فَلَا تَفْعَلْ، هَبْهُ لِي أَوْ بِعْنِيهِ ". فَقَالَ: بَلْ هُوَ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَوَسَمَهُ بِسِمَةِ الصَّدَقَةِ، ثُمَّ بَعَثَ بِهِ»
পৃষ্ঠা - ৪৮৪৮

তার থেকে ভিন্ন একটি সুত্র

ইমাম আহমদ বলেন, ওকী ইয়ালা ইবন মুবৃর৷ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একবার নবী করীম রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে একজন
ত্রীলোক তার এক পুত্রকে নিয়ে উপস্থিত হল যে কিছুটা মস্তিষ্কবিকৃতির শিকার ছিল ৷ তখন
তিনি এই বলে ছেলেটিকে কুক দিলেন, “হে আল্পাহ্র দৃশমন ! তুই দুর হ’, আমি আল্লাহ্র
রাসুল ৷” রাবী বলেন, তখন ছেলেটি আরোপ্য লাভ করল ৷ ইয়ালা বলেন, তখন সেই ত্রীলোক
তাকে দুটি নর মেষ কিছু পনির এবং কিছু ঘি হাদিয়া দিল ৷ (রাবী বলেন) তখন রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, পনিৱ, ঘি এবং একটি মেষ নাও, আর অপর মেষটি
তাকে ফিরিয়ে দাও ৷ এরপর তিনি পুর্বের ন্যায় গাছটির ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ এছাড়া ইমাম
আহমদ আসওদ ইয়ালা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি মনে করি না
যে, কেউ রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের থেকে আমার চেয়ে অধিক আশ্চর্যজনক
বিষয় দেখেছে ৷ এরপর তিনি শিশুটির বিষয় খেজুর গাহু দুটির বিষয় এবং উটটির বিষয় উল্লেখ
করলেন ৷ তবে সেখানে তিনি (নবী করীম) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমার
উটের কি হয়েছে, সে তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে? যে বলছে যে, তুমি তাকে পানি
বহনের কাজে ব্যবহার করেছ, এখন যখন সে বৃদ্ধ হয়ে পড়েছে তুমি তাকে জবাই করতে মনস্থু
করেছ ৷ সে বলল, কসম ঐ সভার, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আপনি সত্য
বলেছেন ৷ আমি তা করতে মনস্থ করেছি ৷ কসম ঐ সত্তার, যিনি আপনাকে সতাসহ প্রেরণ
করেছেন, আমি আর তা করব না ৷

তার বরাতে অন্য একটি সুত্র

বায়হাকী রিওয়ায়াত করেছেন হাকিম ও অন্যাভৈন্যর বরাতে ইয়া লা ইবন মুবৃরা থেকে যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আমি এমন তিনটি বিষয়
দেখেছি, যা আমার পুর্বে কেউ দেথেনি ৷ একবার আমি মক্কার পথে তার সাথে ছিলাম ৷ পথে
তিনি এক ত্রীলোককে অতিক্রম করলেন, যার সাথে ছিল তার এক ছেলে, আর ছেলেটি ছিল
ভীষণ মস্তিষ্ক বিকৃতির শিকার ৷ এমন বদ্ধ উন্মাদ আমি কখনো দেখিনি ৷ এ সময় ত্রীলােকটি
বলল ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার এই ছেলের অবস্থা তো আপনি দেখছেন? তখন তিনি বললেন,

তুমি চাইলে আমি তার জন্য দৃ আ করতে পারি ৷ এরপর তিনি তার জন্য দু আ করে অগ্রসর
হলেন ৷ এরপর তিনি ছুটে পালানাে একটি উটের দেখা পেলেন (পরিশ্রম ও ক্লান্তির কারণে)
যার মুখের নিম্নাত্শ যেয়ে ফেনা ঝরছিল ৷ এ সময় তিনি বললেন, এই উটের মালির্ককে আমার
কাছে হাযির কর ৷ তখন তাকে হাযির করা হল ৷ লোকটিকে তিনি বললেন, এই উট বলছে-
তাদের কাছে আমার জন্ম, এরপর তারা আমাকে কাজে লাগিয়েছে আর এখন আমিও ৷দেরই
কাছে বৃদ্ধ হয়েছি, অথচ তারা আমাকে এখন জবাই করার মনস্থু করেছে ৷ ইয়া লা বলেন,
এরপর তিনি অগ্রসর হয়েও ভিন্ন ভিন্ন দুটি গাছ দেখে আমাকে বললেন, তুমি যাও ! ষ্া৷ছ দুটিকে
আমার জন্য একত্রিত হতে নির্দেশ দাও! ইয়ালা বলেন, এরপর গাছ দুটি একত্রিত হল, এবং
তিনি সেগুলোর আড়ালে প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরণ করলেন ৷ তারপর তিনি অগ্রসর হলেন ৷ যখন


طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ الثَّقَفِيِّ، عَنْ أَبِيهِ - وَلَمْ يَقُلْ وَكِيعٌ مَرَّةً: عَنْ أَبِيهِ - «أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَعَهَا صَبِيٌّ لَهَا بِهِ لَمَمٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اخْرُجْ عَدُوَّ اللَّهِ، أَنَا رَسُولُ اللَّهِ ". قَالَ: فَبَرَأَ. قَالَ: فَأَهْدَتْ إِلَيْهِ كَبْشَيْنِ وَشَيْئًا مِنْ أَقِطٍ وَشَيْئًا مِنْ سَمْنٍ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " خُذِ الْأَقِطَ وَالسَّمْنَ وَأَحَدَ الْكَبْشَيْنِ وَرُدَّ عَلَيْهَا الْآخَرَ» ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ الشَّجَرَتَيْنِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَسْوَدُ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ يَعْلَى قَالَ: «مَا أَظُنُّ أَنَّ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ رَأَى مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا دُونَ مَا رَأَيْتُ. فَذَكَرَ أَمْرَ الصَّبِيِّ وَالنَّخْلَتَيْنِ وَأَمْرَ الْبَعِيرِ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: " مَا لِبَعِيرِكَ يَشُكُّوكَ؟ زَعَمَ أَنَّكَ أَفْنَيْتَ شَبَابَهُ، حَتَّى إِذَا كَبِرَ تُرِيدُ أَنْ تَنْحَرَهُ ". قَالَ صَدَقْتَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ قَدْ أَرَدْتُ ذَلِكَ، وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَفْعَلُ» طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْهُ: رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْأَصَمِّ، ثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، ثَنَا حَمْدَانُ بْنُ الْأَصْبَهَانِيِّ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عُمَرَ
পৃষ্ঠা - ৪৮৪৯

ফিরতি পথ ধ্রলেন তখন সেই শিশুটির দেখা পেলেন, সে তখন সুস্থ হয়ে অন্যান্য বালকদের
সাথে খেলাধুলা করছিল ৷ আর তার মা কয়েকটি মেষ প্রস্তুত করে রেখেছিল এবং দুটি র্তাকে
হাদিয়া দিয়ে বলল, তার আর কোন রকম মস্তিষ্ক বিবৃতি দেখা দেয়নি ৷ তখন নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, কাফির বা ফাসিক জিন ইনসান ব্যতীত এমন কেউ
নেই যে জানে না যে আমি আল্লাহ্র রাসুল ৷
সুতরাং দেখা যাচ্ছে এগুলি একাধিক উৎকৃষ্ট বর্ণনা সুত্র যা এই শাস্ত্র বিশারদগণের নিকট
এ বিষয়ের প্রবল ধারণা বা নিশ্চয়তা প্রদান করে যে, মোটের উপর ইয়ালা ইবন মুর্রাই এই
ঘটনার বর্ণনাকারী ৷ আর সিহাহ্ সিত্তা ৎকলকগণের পরিবর্তে ইমাম আহমদ এককভাবে তা
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ একমাত্র ইবন মাজা ছাড়া তাদের আর একজনও এর কোন অংশ বর্ণনা
করেননি ৷ তিনি ইয়াকুব ইবন হুমায়দ ইবন কাসিব ইয়ালা ইবন মুররা সুত্রে রিওয়ায়াত
করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরণ করতে
যেতেন তখন দুরে চলে যেতেন ৷ হাফিয আবু নুআয়ম তার দালাইলুনৃ নবুওয়া’ গ্রন্থে উট
ৎক্রান্ত হাদীসটি এবং তার বিভিন্ন বর্ণনা সুত্র সযত্নে উল্লেখ করেছেন ৷ এরপর তিনি আবদুল্লাহ্
ইবন কুরত আল-ইয়ামানীর হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ছয়টি পাখেয়র খলে আনা হন ৷ তখন সেগুলির প্রতিটি তাকে
দিয়ে নবীজী শুরু করবেন এই আশায় একযোগে তার দিকে অগ্রসর হতে লাগল ৷ আর
হাদীসটি বিদায় হাজ্জর আলোচনায় উল্লেখিত হয়েছে ৷
আমি বলি, ইতিপুর্বে আমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহ্র বরাতে গাছ দুটির ঘটনার ন্যায়
ঘটনা উল্লেখ করেছি এবং এইমাত্র একাধিক সাহাবার বরাতে উটের হাদীসের মত হাদীস
উল্লেখ করেছি ৷ কিন্তু তা এমন বর্ণনা ধারায় যা এটার মত নয়৷ আল্লাহ্ই অধিক জানেন ৷
শীঘ্রই অন্যান্য সুত্রে ঐ শিশু সম্পর্কিত হাদীস আসছে, যে (মস্তিষ্ক বিকৃতির কারণে) ধরাশায়ী
হতো এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেব দৃআর কারণে তৎক্ষণাৎ আরােগ্য
লাভ করেছিল ৷ এছাড়া হাফিয বায়হাকী রিওয়ায়াত করেছেন, আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম
প্রমুখ সুত্রে হযরত জাবির থেকে তিনি বলেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামের সাথে এক সফরে বের হলাম ৷ আর আল্লাহ্র রাসুলের যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজন
দেখা দিল, তখন তিনি এত দুরে চলে যেতেন যে কেউ তাকে দেখতে পেতাে না ৷ ইত্যবসরে
আমরা এমন এক মরু প্রান্তরে যাত্রা বিরতি করলাম যেখানে টিলা বা গাছপালা কিছুই নেই ৷
তখন তিনি আমাকে বললেন, হে জ্যবির, পানির পাত্রটি নিয়ে আমার সাথে চল ৷ তখন আমি
পাত্রটিতে পানি ভরে নিলাম ৷
তারপর আমরা অগ্রসর হতে লাগলাম ৷ ইাটতে হীটতে আমরা প্রায় লোক চক্ষুর আড়ালে
চলে গেলাম ৷ এমন সময় কয়েক হাতের ব্যবধানে অবস্থিত দুটি (চারা) গাছ দেখা গেল ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন, হে জাবির৷ এই পাছটির কাছে
গিয়ে তাকে বল, আল্লাহ্র রাসুল তোমাকে বলছেন, তুমি তোমার নদীর সাথে যুক্ত হয়ে
যাও-যাতে করে আমি তোমাদের পিছনে আড়াল হয়ে বসতে পারি ৷ তখন আমি তা করে
ফিরে আসলাম ৷ পরে দেখলাম পাছটি তার নদীর সাথে সংযুক্ত হয়ে গেল ৷ এরপর তিনি
সেগুলোর পেছনে আড়াল হয়ে বলে তার প্রয়োজন পুরণ করলেন ৷ তারপর আমরা ফিরে এসে


بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: «رَأَيْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةَ أَشْيَاءَ مَا رَآهَا أَحَدٌ قَبْلِي; كُنْتُ مَعَهُ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ، فَمَرَّ بِامْرَأَةٍ مَعَهَا ابْنٌ لَهَا بِهِ لَمَمٌ، مَا رَأَيْتُ لَمَمًا أَشَدَّ مِنْهُ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ابْنِي هَذَا كَمَا تَرَى. فَقَالَ: " إِنْ شِئْتِ دَعَوْتُ لَهُ ". فَدَعَا لَهُ، ثُمَّ مَضَى فَمَرَّ عَلَى بَعِيرٍ مَادٍّ جِرَانَهُ، يَرْغُو، فَقَالَ: " عَلَيَّ بِصَاحِبِ هَذَا الْبَعِيرِ ". فَجِيءَ بِهِ، فَقَالَ: " هَذَا يَقُولُ: نُتِجْتُ عِنْدَهُمْ فَاسْتَعْمَلُونِي، حَتَّى إِذَا كَبِرْتُ عِنْدَهُمْ أَرَادُوا أَنْ يَنْحَرُونِي ". قَالَ: ثُمَّ مَضَى فَرَأَى شَجَرَتَيْنِ مُتَفَرِّقَتَيْنِ، فَقَالَ لِي: " اذْهَبْ فَمُرْهُمَا فَلْيَجْتَمِعَا لِي ". قَالَ: فَاجْتَمَعَتَا فَقَضَى حَاجَتَهُ. قَالَ: ثُمَّ مَضَى، فَلَمَّا انْصَرَفَ مَرَّ عَلَى الصَّبِيِّ وَهُوَ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ وَقَدْ ذَهَبَ مَا بِهِ، وَهَيَّأَتْ أُمُّهُ أَكْبُشًا، فَأَهْدَتْ لَهُ كَبْشَيْنِ، وَقَالَتْ: مَا عَادَ إِلَيْهِ شَيْءٌ مِنَ اللَّمَمِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا مِنْ شَيْءٍ إِلَّا وَيَعْلَمُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، إِلَّا كَفَرَةُ - أَوْ: فَسَقَةُ - الْجِنِّ وَالْإِنْسِ» فَهَذِهِ طُرُقٌ جَيِّدَةٌ مُتَعَدِّدَةٌ تُفِيدُ غَلَبَةَ الظَّنِّ أَوِ الْقَطْعِ عِنْدَ الْمُتَبَحِّرِ أَنَّ يَعْلَى بْنَ مُرَّةَ حَدَّثَ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ فِي الْجُمْلَةِ، وَقَدْ تَفَرَّدَ بِهَذَا كُلِّهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ دُونَ أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ، وَلَمْ يَرْوِ أَحَدٌ مِنْهُمْ شَيْئًا مِنْهُ سِوَى ابْنُ مَاجَهْ، فَإِنَّهُ رَوَى عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سُلَيْمٍ، عَنِ ابْنِ خَيْثَمٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا ذَهَبَ إِلَى الْغَائِطِ أَبْعَدَ» .
পৃষ্ঠা - ৪৮৫০
وَقَدِ اعْتَنَى الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ بِحَدِيثِ الْبَعِيرِ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " وَطُرُقِهِ مِنْ وُجُوهٍ كَثِيرَةٍ، ثُمَّ أَوْرَدَ حَدِيثَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُرْطٍ الثُّمَالِيِّ قَالَ: جِيءَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسِتِّ زَوْدٍ فَجَعَلْنَ يَزْدَلِفْنَ إِلَيْهِ بِأَيَّتِهِنَّ يَبْدَأُ. وَقَدْ قَدَّمْتُ الْحَدِيثَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ. قُلْتُ: قَدْ أَسْلَفْنَا عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ نَحْوَ قِصَّةِ الشَّجَرَتَيْنِ، وَذَكَرْنَا آنِفًا عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ الصَّحَابَةِ نَحْوًا مِنْ حَدِيثِ الْجَمَلِ، لَكِنْ بِسِيَاقٍ يُشْبِهُ أَنْ يَكُونَ غَيْرَ هَذَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَيَأْتِي حَدِيثُ الصَّبِيِّ الَّذِي كَانَ يُصْرَعُ وَدُعَاؤُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَهُ وَبُرْؤُهُ فِي الْحَالِ، مِنْ طُرُقٍ أُخْرَى. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ الْبَرَازَ تَبَاعَدَ حَتَّى لَا يَرَاهُ أَحَدٌ، فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا بِفَلَاةٍ مِنَ الْأَرْضِ لَيْسَ فِيهَا عَلَمٌ وَلَا شَجَرٌ، فَقَالَ لِي: " يَا جَابِرُ خُذِ الْإِدَاوَةَ وَانْطَلِقْ بِنَا ". فَمَلَأْتُ الْإِدَاوَةَ مَاءً، وَانْطَلَقْنَا فَمَشَيْنَا حَتَّى لَا نَكَادُ نُرَى، فَإِذَا شَجَرَتَانِ بَيْنَهُمَا أَذْرُعٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا جَابِرُ، انْطَلِقْ فَقُلْ لِهَذِهِ الشَّجَرَةِ: يَقُولُ لَكِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْحَقِي بِصَاحِبَتِكِ حَتَّى أَجْلِسَ خَلْفَكُمَا ". فَفَعَلْتُ، فَرَجَعَتْ فَلَحِقَتْ بِصَاحِبَتِهَا، فَجَلَسَ خَلْفَهُمَا حَتَّى قَضَى حَاجَتَهُ، ثُمَّ رَجَعْنَا فَرَكِبْنَا رَوَاحِلَنَا، فَسِرْنَا كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِنَا الطَّيْرَ تُظِلُّنَا، وَإِذَا نَحْنُ بِامْرَأَةٍ قَدْ
পৃষ্ঠা - ৪৮৫১

আমাদের বাহনে আরোহণ করলাম, আর এমনভাবে পথ চলতে লাগলাম যেন পাখিরা
আমাদের মাথার উপর ছায়া বিস্তার করে ব্লেখেছিল ৷ হঠাৎ সে সময় আমরা একজন ত্রীলােকের
সাক্ষাৎ পেলাম ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে এসে বলল, ইয়া
রড়াসুলাল্লাহ্৷ আমার এই ছেলেটিকে প্রতিদিন তিনবার শয়তানে ধরে ৷ সে তাকে ছাড়ে না ৷
আল্লাহর রাসুল থেমে ছোলটিকে নিলেন এবং তাকে তীর ও হাওদার অগ্রভাগের মাঝে
বসালেন ৷ এরপর তিনি এই বলে তাকে কুকলেন “হে আল্লাহর দৃশমন৷ অপদস্থু হ ৷ আমি
আল্লাহর রাসুল ৷ এভাবে তিনি তিনবার বললেন এবং ছেলেটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে
দিলেন ৷ পরবর্তীতে আমরা যখন ফিরে আসার পথে ঐ পানির উৎসের কাছে পৌছলাম তখনও
ত্রীলােকটির সাক্ষাৎ পেলাম ৷ তখন তার ছেলেটিকে কোলে নিয়ে যে দুটি নর মেষ টেনে টেনে
নিয়ে আসছিল ৷ এ সময় সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার এই হাদিয়৷ গ্রহণ করুন ৷ শপথ ঐ
সত্তার , যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, এরপর আর তার ঐ অবস্থার পুনরাবৃত্তি হয়নি ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা একটি মেষ গ্রহণ কর আর
অন্যটি ফিরিয়ে দাও ৷

রাবী ইয়ালা বলেন, তারপর আল্লাহর রাসুলকে মাঝে নিয়ে আমরা চলতে থাকলাম ৷
তখন একটি ছুটে যাওয়া উট দেখা গেল ৷ এ সময় আল্লাহর রাসুলের সামনে এসে সে সিজদায়
লুঢিয়ে পড়ল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে লোক সকল!
দেখতাে , এই উটেৱ মালিক কে? তখন কয়েকজন তরুণ আনসার বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এটা
আমাদের ৷ তিনি বললেন, তার কী হয়েছে? তারা বলল, বিশ বছর যাবৎ আমরা তার দ্বারা
পানি বহন করাচ্ছি, এরপর যে এখন বৃদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং তার গায়ে চর্বিও জমেছে ৷ তাই
এখন আমরা এটাকে জবাই করে তার গোশত আমাদের গোলামদের মাঝে বন্টন করে দেয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ আল্লাহর রাসুল তখন বললেন, তাকে কি তোমরা আমার কাছে বিক্রি করবে?
তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ তা আপনার ৷ তিনি বললেন, তাহলে তার স্বাভাবিক মৃত্যু আসা
পর্যন্ত তার সাথে তোমরা সদাচারণ করবে ৷ তারা আরও বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এই সকল
অবুঝ পশুদের চেয়ে আপনাকে সিজদা করার আমরা অধিক হকদার ৷ তখন তিনি বললেন,
কোন মানুষের জন্য অন্য মানুষকে সিজদা করা সমীচীন নয় ৷ যদি তা একান্তই সমীচীন হত
তাহলে শ্রীদের জন্য স্বামীদেরকে সিজদা করা সমীচীন হতো ৷ এই রিওয়ায়াতের সনদটি বেশ
ভাল এবং তার রাবীগণ নির্ভরযোগ্য ৷ এছাড়া আবু দাউদ এবং ইবন মাজা রিওয়ায়াত করেছেন
ইসমাঈল ইবন আব্দুল মালিক আবুয যুবায়র জাবির সুত্রে এ মর্মে যে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরণ করতে যেতেন তখন দুরে চলে যেতেন ৷

এরপর বায়হাকী বলেন, আবু আবদুল্লাহ আলহাফিয ইবন মাসউদ সুত্রে বর্ণিত আছে
যে একবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কাভিমুখে সফর করছিলেন ৷ এ
সময় তিনি একবার প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরণ করতে গেলেন আর এ সময় তিনি“ এত দুরে
চলে যেতেন যে, কেউ তাকে দেখতে পেতে৷ না ৷ রাবী বলেন, কিন্তু তিনি তখন এমন কিছু
খুজে পাচ্ছিলেন না, যায় আড়াল হওয়া যায় ৷ এমন সময় তিনি দুটি (চারা) গাছ দেখতে
পেলেন ৷ এরপর তিনি গাছ দুটির ঘটনা এবং উটটির ঘটনা হযরত জাবিরের হড়াদীসের ঘটনার


عَرَضَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ ابْنِي هَذَا يَأْخُذُهُ الشَّيْطَانُ كُلَّ يَوْمٍ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ لَا يَدَعُهُ. فَوَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَنَاوَلَهُ، فَجَعَلَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ مُقَدِّمَةِ الرَّحْلِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اخْسَأْ عَدُوَّ اللَّهِ، أَنَا رَسُولُ اللَّهِ ". وَأَعَادَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ نَاوَلَهَا إِيَّاهُ، فَلَمَّا رَجَعْنَا فَكُّنَا بِذَلِكَ الْمَاءِ، عَرَضَتْ لَنَا تِلْكَ الْمَرْأَةُ وَمَعَهَا كَبْشَانِ تَقُودُهُمَا وَالصَّبِيُّ تَحْمِلُهُ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اقْبَلْ مِنِّي هَدِيَّتِي، فَوَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ إِنْ عَادَ إِلَيْهِ بَعْدُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " خُذُوا أَحَدَهُمَا وَرُدُّوا الْآخَرَ ". قَالَ: ثُمَّ سِرْنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَنَا، فَجَاءَ جَمَلٌ نَادٌّ، فَلَمَّا كَانَ بَيْنَ السِّمَاطَيْنِ خَرَّ سَاجِدًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، مَنْ صَاحِبُ هَذَا الْجَمَلِ؟ " فَقَالَ فِتْيَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: هُوَ لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " فَمَا شَأْنُهُ؟ " قَالُوا: سَنَوْنَا عَلَيْهِ مُنْذُ عِشْرِينَ سَنَةً، فَلَمَّا كَبِرَتْ سِنُّهُ وَكَانَتْ عَلَيْهِ شُحَيْمَةٌ أَرَدْنَا نَحْرَهُ لِنُقَسِّمَهُ بَيْنَ غِلْمَتِنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَبِيعُونِيهِ؟ " قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هُوَ لَكَ. قَالَ: " فَأَحْسِنُوا إِلَيْهِ حَتَّى يَأْتِيَهُ أَجْلُهُ ". فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، نَحْنُ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ مِنَ الْبَهَائِمِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا يَنْبَغِي لِبَشَرٍ أَنْ يَسْجُدَ لِبَشَرٍ، وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ كَانَ النِّسَاءُ لِأَزْوَاجِهِنَّ» وَهَذَا إِسْنَادٌ جِيدٌ رِجَالُهُ ثِقَاتٌ. وَقَدْ رَوَى أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الصَّفْرَاءِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ «جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا ذَهَبَ الْمَذْهَبَ أَبْعَدَ» . ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَحَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَنَا
পৃষ্ঠা - ৪৮৫২

মত করে উল্লেখ করলেন ৷ আর বায়হাকী বলেন, জাবিরের হাদীসটি বিশুদ্ধ৩ র ৷ তিনি বলে,
আর এই বিওয়ায়া৩ টি আবুবৃ ষুবায়রের বরাতে মা মাআ ইবন সালিহ এর একক বর্ণনা ৷

আমি (গ্রছকার) বলি, এটাও মাহফুয’ হতে পারে এবং এটা জাবির ও ইয়া লা ইবন
যুবরার হাদীসের পরিপন্থী নয় ৷ বরং এটি ঐ বর্ণনাগুলাের শাহিদ বা সমর্থক বর্ণনা ৷ আর
বায়হাকী মুআবিয়৷ ইবন ইয়ড়াহ্ইয়৷ আসসয়ৱফী এর হাদীস সংগ্রহ থেকে উসাম৷ ইবন
যায়দের বরাতে একটি দীর্ঘ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন যার বর্ণনা ধারা ইয়ালা ইবন মুবরা
এবং জাবির ইবন আবদুল্লাহ্র হাদীসের বর্ণনা ধারার মত ৷ আর তাতেও ঐ শিশুটির ঘটনা
রয়েছে, যে বদ-আছরের কারণে ধরাশায়ী হত এবং তাতে তার মায়ের একটি ভুনা বকরী নিয়ে
আমার কথা রয়েছে ৷ তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন,
আমাকে বকরীর সামনের রান দাও ৷ তখন সে তাকে তা দিল ৷ এরপর তিনি বললেন, আমাকে
বকরীর সামনের রান দাও ৷ তখন সে তাকে তা দিল ৷ এরপর তিনি আবার বললেন, আমাকে
বকরীর সামনের রান দাও ৷ তখন আমি বললাম, একটি বকরীর সামনের রান কয়ট৷ থাকে?
তিনি বললেন, শপথ ঐ সভার, র্যার কুদরতি হাতে আমার প্র৷ ণ, তুমি যদি চুপ থাকতে তাহলে
, আমি য৩ তক্ষণ চাইতাম সে আমাকে (বকরীর সামনের রান) দিতে থাকত ৷ এরপর তিনি খেজুর
পাছদ্বয় ও সেগুলোর একত্রিত হওয়ার ঘটনা এবং সেগুলোর পেছনে পাথরসমুছেৱ স্থানান্তরিত
হয়ে ন্তুপীকৃত হওয়ার ঘটনার উল্লেখ করেছেন ৷ অবশ্য তার বর্ণনায় উটের ঘটনাঢির উল্লেখ
নেই ৷ এ কারণেই তিনি তা সনদ ও পাঠ সহ উল্লেখ করেননি ৷

আর হাফিয ইবন আসাকির পায়লান ইবন সালামার জীবন চরিত আলোচনা প্রসঙ্গে তার
সনদে ইয়ালা ইবন মানসুর গায়লান ইবন সালামার সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন
একবার আমরা রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে বের হয়ে আশ্চর্যজনক
বিষয় দেখতে পেলাম ৷ এরপর তিনি গাছ দুটি এবং প্রাকৃতিক প্রয়োজনে সাড়া দেওয়াকালে তা
দ্বারা নবীজীর আড়াল হওয়ার ঘটনা এবং বদআছরের কারণে ধরশায়ী হত যে শিশুটি তার
ঘটনা এবং (তাকে ফুক দিয়ে) নবীজীর সে দৃআর কথা যাতে তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহর
নামে শুরু করছি, আমি আল্লাহর রাসুল, হে আল্লাহর দৃশমনতু ই বেরিয়ে যা ৷” তারপর তার
আরােগ্য লাভের কথা বর্ণনা করেন ৷ তারপর তিনি ছুটে যাওয়া উট দুটির ঘটনা উল্লেখ করেছেন
এবং এও উল্লেখ করেছেন যে,এগুলাে তাকে সিজদা করল ৷ একটি উট সংক্রান্ত যে ঘটনা
বিগত হয়েছে, এটা অনেকটা তার মত ৷ তবে সম্ভবত এটা অন্য কোন ঘটনা ৷ আর আল্লাহ্ই
অধিকতর জানেন ৷ ,

আর ইতিপুর্বে আমরা হযরত ৩জাবিরের হাদীস এবং৩ তার ঐ উটের কাহিনী উল্লেখ করেছি,
যা অক্ষম হয়ে পডেছিল ৷ এর এটা ঘটেছিল৩ তাবুক থেকে ফেরার পথে যখন তিনি ক ফেলার
পশ্চাৎভা ৷গে পিছিয়ে পড়েছিলেন ৷ তখন নবী করীম সাল্লাল্ল ৷হু ৷আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সাথে
মিলিত হলেন এবং তার জন্য দু আ করে বাহন উটটিকে আঘাত করলেন ৷ তারপর তার উট
এত দ্রুত চলতে লাগল যে সে সকলকে ছাড়িয়ে যেতে লাগল ৷ এবং আমরা তার থেকে নবীজী
কর্তৃক তা ক্রয় করার বিষয়টি উল্লেখ করেছি ৷৩ তার মুল্যের ব্যাপারে রাবীদের থেকে বহু মত
বর্ণিত হয়েছে, বা মুল ঘটনার যথার্থতায় কোন প্রভাব ফেলে না ৷ যেমন আমরা বর্ণনা করে
এসেছি ৷ তদ্র্যপ হযরত আনাসের বর্ণিত ঐ হাদীসও বিগত হয়েছে, যাতে রয়েছে যে, একবার


الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ زِيَادٍ، ثَنَا أَبُو حُمَةَ، ثَنَا أَبُو قُرَّةَ، عَنْ زَمْعَةَ، عَنْ زِيَادٍ، هُوَ ابْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ يُونُسَ بْنَ خَبَّابٍ الْكُوفِيَّ يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا عُبَيْدَةَ يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، «عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ كَانَ فِي سَفَرٍ إِلَى مَكَّةَ، فَذَهَبَ إِلَى الْغَائِطِ، وَكَانَ يُبْعِدُ حَتَّى لَا يَرَاهُ أَحَدٌ. قَالَ: فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا يَتَوَارَى بِهِ، فَبَصُرَ بِشَجَرَتَيْنِ. فَذَكَرَ قِصَّةَ الشَّجَرَتَيْنِ، وَقِصَّةَ الْجَمَلِ» بِنَحْوٍ مَنْ حَدِيثِ جَابِرٍ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَحَدِيثُ جَابِرٍ أَصَحُّ. قَالَ: وَهَذِهِ الرِّوَايَةُ يَنْفَرِدُ بِهَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ زِيَادٍ، أَظُنُّهُ ابْنَ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ. قُلْتُ: وَقَدْ تَكُونُ هَذِهِ أَيْضًا مَحْفُوظَةً، وَلَا يُنَافِي حَدِيثَ جَابِرٍ وَيَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، بَلْ يَشْهَدُ لَهُمَا وَيَكُونُ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ تَدْرُسَ الْمَكِّيِّ، عَنْ جَابِرٍ، وَعَنْ يُونُسَ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِيهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَحْيَى الصَّدَفِيِّ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ حَدِيثًا طَوِيلًا نَحْوَ سِيَاقِ حَدِيثِ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَفِيهِ «قِصَّةُ الصَّبِيِّ الَّذِي كَانَ يُصْرَعُ وَمَجِيءُ أُمِّهِ بِشَاةٍ مَشْوِيَّةٍ، فَقَالَ: " نَاوِلْنِي الذِّرَاعَ ". فَنَاوَلْتُهُ، ثُمَّ قَالَ: " نَاوِلْنِي الذِّرَاعَ ". فَنَاوَلْتُهُ، ثُمَّ قَالَ: " نَاوِلْنِي الذِّرَاعَ ". فَقُلْتُ: كَمْ لِلشَّاةِ مِنْ ذِرَاعٍ؟ فَقَالَ: " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ سَكَتَّ لَنَاوَلْتَنِي مَا دَعَوْتُ» ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ النَّخَلَاتِ وَاجْتِمَاعِهِمْ وَانْتِقَالِ الْحِجَارَةِ مَعَهُمْ، حَتَّى صَارَتِ الْحِجَارَةُ رَجْمًا خَلْفَ النَّخَلَاتِ، وَلَيْسَ فِي
পৃষ্ঠা - ৪৮৫৩
سِيَاقِهِ قِصَّةُ الْبَعِيرِ، فَلِهَذَا لَمْ نُورِدْهُ بِلَفْظِهِ وَإِسْنَادِهِ، وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ غَيْلَانَ بْنِ سَلَمَةِ الثَّقَفِيِّ، بِسَنَدِهِ إِلَى مُعَلَّى بْنِ مَنْصُورٍ الرَّازِيِّ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ غَيْلَانَ بْنِ سَلَمَةَ قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَأَيْنَا عَجَبًا، فَذَكَرَ قِصَّةَ الْأَشَاءَتَيْنِ وَاسْتِتَارِهِ بِهِمَا عِنْدَ الْخَلَاءِ، وَقِصَّةَ الصَّبِيِّ الَّذِي كَانَ يُصْرَعُ، وَقَوْلَهُ: " «بِسْمِ اللَّهِ، أَنَا رَسُولُ اللَّهِ، اخْرُجْ عَدُوَّ اللَّهِ» ، فَعُوفِيَ. ثُمَّ ذَكَّرَ قِصَّةَ الْبَعِيرَيْنِ النَّادَّيْنِ، وَأَنَّهُمَا سَجَدَا لَهُ، بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ فِي الْبَعِيرِ الْوَاحِدِ، فَلَعَلَّ هَذِهِ قِصَّةٌ أُخْرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِيمَا سَلَفَ حَدِيثَ جَابِرٍ وَقِصَّةَ جَمَلِهِ الَّذِي كَانَ قَدْ أَعْيَا، وَذَلِكَ مَرْجِعَهُمْ مِنْ تَبُوكَ وَتَأَخُّرَهُ فِي أُخْرَيَاتِ الْقَوْمِ، فَلَحِقَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَا لَهُ وَضَرَبَهُ، فَسَارَ سَيْرًا لَمْ يَسِرْ مِثْلَهُ حَتَّى جَعَلَ يَتَقَدَّمُ أَمَامَ النَّاسِ، وَذَكَرْنَا شِرَاءَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنْهُ، وَفِي ثَمَنِهِ اخْتِلَافٌ كَثِيرٌ وَقَعَ مِنَ الرُّوَاةِ لَا يَضُرُّ أَصْلَ الْقِصَّةِ كَمَا بَيَّنَاهُ. وَتَقَدَّمَ حَدِيثُ أَنَسٍ فِي رُكُوبِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، عَلَى فَرَسِ أَبِي طَلْحَةَ حِينَ سَمِعَ صَوْتًا بِالْمَدِينَةِ فَرَكِبِ ذَلِكَ الْفَرَسَ، وَكَانَ يُبْطِئُ، وَرَكِبَ الْفُرْسَانُ نَحْوَ ذَلِكَ الصَّوْتِ، فَوَجَدُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ
পৃষ্ঠা - ৪৮৫৪


মদীনায় লোকেরা শ্যেরগােল শুনতে পেল, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
হযরত আবু তালহার ঘোড়ার আরোহণ করে বের হলেন আর এই ঘোড়াটি ছিল ধীর গতির ৷
এ সময় বীর অশ্বারোহীরাও আরোহণ করে সেই শব্দের উৎস সন্ধানে গেলেন ৷ তখন তারা
দেখলেন যে, বিষয়টির রহস্য উন্মোচন করে তার কোন ভিত্তি না পেয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিরে আসছেন ৷ আর এ সময় তিনি (দ্রুততার কারণে) কোন জ্যি৷ বা
গদি ছাড়ই তরবারি ঝুলিয়ে তাতে আরোহণ করেছিলেন ৷ তিনি একথা বলতে বলতে
ফিরছিলেন, তোমরা ঘাবড়িও না ৷ ভয় পাওয়ার মত কিছুই তো আমরা দেখলাম না ৷ আর
ঘোড়াটিকে তো আমরা বেশ দ্রুতগামী পেলাম ৷ ঐ রাতের পুর্বে ঘোড়াঢি সর্বদাই ধীবগামী

ছিল, কিন্তু তার পরে অতি দ্রুতগামী ও অপ্রতিদ্বন্দী হয়ে উঠে ৷ আর এসবই ঘটেছিল আল্লাহ্র
রাসুলের বরকতে ৷

উটের ঘটনা বিষয়ে আরেকটি গরীব’ হাদীস

শায়খ আবু মুহাম্মাদ আবদৃল্লাহ্ ইবন হামিদ তার বিশাল ও বহুমাত্রিক গ্রন্থ দালাইলুন
নবুওয়া-তে আবু ইয়া’লা আলফারিসী গুনায়ম ইবন আওস (আবরাবী) সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন : আমরা রাসুলুল্পাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে উপবিষ্ট
ছিলাম ৷ হঠাৎ একটা উট দৌড়ে এসে ভীত সস্ত্রস্ত অবস্থায় তার সামনে এসে থামল, তখন
রাসুলুল্লাহ (না) তাকে বললেন, হে উট! তুমি শান্ত হওধ্ ৷ যদি তুমি সতবােদী হয়ে থাক,
তাহলে সতোর সুফল তুমি পাবে, আর যদি মিথ্যাবাদী হয়ে থাক তাহলে তার কৃফলও তুমি
ভোগ করবে ৷ আর আল্লাহ্ আমাদের নিকট আশ্রয়গ্রহণকারীকে নিরাপত্তা দিয়েছেন, এবং
আমাদের শরণাথীবি কোন ভয় নেই ৷ আমরা ইললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ও এই উটট৷ কী বলছে?
তিনি বললেন, এই উটের মালিকেরা তাকে জবাই করতে মনস্থু করেছে ৷ তাই সে তাদের
থেকে পালিয়ে তোমাদের নবীর কাছে ফরিয়াদ করেছে ৷ আমরা এ অবস্থায় ছিলাম, এমন সময়
তার মালিকেরা দৌড়ে আসল ৷ এরপর উটটি যখন তাদেরকে দেখল তখন সে আল্লাহ্র
রাসুলের মাথার কাছে ঘেষে র্দাড়াল ৷ তারা বলল, এটা আমাদের উট, তিনদিন যাবৎ
আমাদের থেকে পালিয়ে আছে, এখন আপনার সামনে ছাড়া আর আমরা তার দেখা পাইনি ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সেতে৷ (তোমাদের বিরুদ্ধে) গুরুতর
অভিযোগ করছে? তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! যে কী বলছে? তিনি বললেন, যে বলছে, যে
তোমাদের উটপালে বড় হয়েছে ৷ গ্রীষ্মকালে তোমরা তার পিঠে বোঝা চাপিয়ে তৃণ ঘাষের
চারণভুমিতে নিয়ে যেতে আর শীতকালে তার পিঠে আরোহণ করে উষ্ণ ভুখন্ডে গমন করতে ৷
তারা তখন বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! সেটা হতো ৷ তিনি বললেন, তাহলে মনিবদের পক্ষ
থেকে নিষ্ঠাবান দাসের প্রাপ্য বিনিময় কি? তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! তাহলে আমরা তাকে
বিক্রি করব না এবং জবাইও করব না ৷ তিনি বললেন, সেতাে ফরিয়াদ করেছে, কিন্তু তোমরা
তার ফরিয়াদ শুননি ৷ আর তার প্ৰতি দয়া প্রদর্শনের আমি তোমাদের চাইতে অধিকতর
হকদার ৷ বেনেনা আল্লাহ তা আলা মুনাফিকদের অন্তর থেকে দয়ামায়া উঠিয়ে নিয়েছেন এবং তা
মুমিনদের অন্তরে স্থাপন করেছেন ৷ তখন একশ দিরহামের বিনিময়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু
অল্যেইহি ওয়া সাল্লাম সেটি খরিদ করে নিলেন ৷ তারপর উটটিকে লক্ষ্য করে বললেন, হে উট !


رَجَعَ بَعْدَ مَا كَشَفَ ذَلِكَ الْأَمْرَ فَلَمْ يَجِدْ لَهُ حَقِيقَةً، وَكَانَ قَدْ رَكِبَهُ عُرْيًا; لَا شَيْءَ عَلَى الْفَرَسِ وَهُوَ مُتَقَلِّدٌ سَيْفًا، فَرَجَعَ وَهُوَ يَقُولُ: " لَنْ تُرَاعُوا، لَنْ تُرَاعُوا، مَا وَجَدْنَا مِنْ شَيْءٍ، وَإِنْ وَجَدْنَاهُ لَبَحْرًا ". أَيْ لَسَابِقًا، وَكَانَ ذَلِكَ الْفَرَسٌ يُبْطِئُ قَبْلَ تِلْكَ اللَّيْلَةِ، فَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ لَا يُجَارَى وَلَا يُكْشَفُ لَهُ غُبَارٌ، وَذَلِكَ كُلُّهُ بِبِرْكَتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ حَدِيثٌ آخَرُ غَرِيبٌ فِي قِصَّةِ الْبَعِيرِ: قَالَ الشَّيْخُ أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَامِدٍ الْفَقِيهُ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ "، وَهُوَ مُجَلَّدٌ كَبِيرٌ، حَافِلٌ، كَثِيرُ الْفَوَائِدِ: أَخْبَرَنِي أَبُو عَلِيٍّ الْفَارِسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ شَهْلَانَ الْقَوَّاسُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خَالِدٍ الرَّاسِبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَلِيٍّ الْبَصَرِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَامَةُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ زِيَادِ بْنِ فَائِدِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ الدَّارِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ حَدَّثَنَا تَمِيمُ بْنُ أَوْسٍ، يَعْنِي الدَّارِيَّ، قَالَ: «كُنَّا جُلُوسًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذْ أَقْبَلَ بَعِيرٌ يَعْدُو حَتَّى وَقَفَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَزِعًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا الْبَعِيرُ، اسْكُنْ، فَإِنْ تَكُ صَادِقًا فَلَكَ صِدْقُكَ، وَإِنْ تَكُ كَاذِبًا فَعَلَيْكَ كَذِبُكَ، مَعَ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَدْ أَمَّنَ عَائِذَنَا، وَلَا يَخَافُ لَائِذُنَا ". قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا يَقُولُ هَذَا الْبَعِيرُ؟ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৪৮৫৫
" هَذَا بَعِيرٌ هَمَّ أَهْلُهُ بِنَحْرِهِ، فَهَرَبَ مِنْهُمْ فَاسْتَغَاثَ بِنَبِيِّكُمْ ". فَبَيْنَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ أَقْبَلُ أَصْحَابُهُ يَتَعَادَوْنَ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِمُ الْبَعِيرُ عَادَ إِلَى هَامَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا بَعِيرُنَا هَرَبَ مِنَّا مُنْذُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، فَلَمْ نَلْقَهُ إِلَّا بَيْنَ يَدَيْكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَشْكُو مُرَّ الشِّكَايَةِ ". فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا يَقُولُ؟ قَالَ: " يَقُولُ: إِنَّهُ رُبِّيَ فِي إِبِلِكُمْ حُوَارًا، وَكُنْتُمْ تَحْمِلُونَ عَلَيْهِ فِي الصَّيْفِ إِلَى مَوْضِعِ الْكَلَأِ، فَإِذَا كَانَ الشِّتَاءُ رَحَلْتُمْ إِلَى مَوْضِعِ الدَّفَأِ ". فَقَالُوا: قَدْ كَانَ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: " مَا جَزَاءُ الْعَبْدِ الصَّالِحِ مِنْ مَوَالِيهِ؟ " قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنَّا لَا نَبِيعُهُ وَلَا نَنْحَرُهُ. قَالَ: " فَقَدِ اسْتَغَاثَ فَلَمْ تُغِيثُوهُ، وَأَنَا أَوْلَى بِالرَّحْمَةِ مِنْكُمْ ; لَأَنَّ اللَّهَ نَزَعَ الرَّحْمَةَ مِنْ قُلُوبِ الْمُنَافِقِينَ، وَأَسْكَنَهَا فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ ". فَاشْتَرَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِائَةِ دِرْهَمٍ، ثُمَّ قَالَ: " أَيُّهَا الْبَعِيرُ، انْطَلِقْ فَأَنْتَ حُرٌّ لِوَجْهِ اللَّهِ ". فَرَغَا عَلَى هَامَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " آمِينَ ". ثُمَّ رَغَا الثَّانِيَةَ، فَقَالَ: " آمِينَ "، ثُمَّ رَغَا الثَّالِثَةَ، فَقَالَ: " آمِينَ "، ثُمَّ رَغَا الرَّابِعَةَ، فَبَكَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا يَقُولُ هَذَا الْبَعِيرُ؟ قَالَ: " يَقُولُ: جَزَاكَ اللَّهُ أَيُّهَا النَّبِيُّ عَنِ الْإِسْلَامِ وَالْقُرْآنِ خَيْرًا. قُلْتُ: آمِينَ. قَالَ سَكَّنَ اللَّهُ رُعْبَ أُمَّتِكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَمَا سَكَّنْتَ رُعْبِي. قُلْتُ: آمِينَ. قَالَ: حَقَنَ اللَّهُ دِمَاءَ أُمَّتِكَ مِنْ أَعْدَائِهَا كَمَا حَقَنْتَ دَمِي. قُلْتُ: آمِينَ. قَالَ لَا جَعَلَ اللَّهُ بِأَسَهَا بَيْنَهَا. فَبَكَيْتُ وَقُلْتُ: هَذِهِ خِصَالٌ ثَلَاثٌ سَأَلْتُ رَبِّي فَأَعْطَانِيهَا وَمَنَعَنِي