আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب دلائل النبوة

الدلائل الحسية
باب تسبيح الحصى في كفه عليه الصلاة والسلام
পৃষ্ঠা - ৪৮৩২

সে র্ষাড়ের ন্যায় ডেকে উঠল, এমনকি তার আওয়াজ মসজিদের সকলেই শুনতে পেল ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কাছে, আসলেন ৷ ফলে সে শান্ত হল ৷ এই
শব্দমালা শুরায়বেব্ ৷ মু’আল্লা ইবন হিলালের রিওয়ায়াতে আছে এটা ছিল দাওম’ কাঠের ৷ >

এ ছাড়া ইমাম আহমদ ও ইমাম নড়াসাঈ আমার আয্যাহাবীর হাদীস সংগ্রহ থেকে
উম্মে সালামড়ার বরাতে রিওয়ড়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিহি
ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমার মিম্বরের পায়াসমুহ জান্নাতের এক কোণে থাকবে ৷ আর
এই একই সনদে ইমাম নাসাঈ এও (এই অংশ) বর্ণনা করেছেন, আমার ঘর এবং মিম্বরের
মধ্যবর্তী অংশ জান্নাতের উদ্যানসমুহের একটি উদ্যান ৷ আর এ সকল (নির্ভরযোগ্য) বর্ণনা সুত্রে
বর্ণিত রিওয়ায়াতসমুহ হাদীস বিশারদ এবং রাবীদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত এবং দুরদৃষ্টি
সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিকট অকাট্যভাবে ঘটনাকে প্রমাণিত করে ৷ আর আল্লাহ্ই একমাত্র
সাহায্যস্থুল ৷

হাফিয আবু বকর আল-বায়হাকী বর্ণনা করেছেন, আবু আবদৃল্লাহ্ আল হাফিয
আবদুর রহমান ইবন মুহাম্মাদ ইবন ইদরীস সুত্রে, তিনি বলেন, আমার পিতা বলেন, আমর
ইবন সাওয়াদ বলেছেন, আমাকে ইমাম শাফিয়ী বলেছেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া
সাল্লামকে আল্লাহ্ যা দিয়েছেন অন্য কোন নবীকে তা দেননি ৷ তখন আমি তাকে বললাম,
হযরত ঈসড়াকে (আ) আল্লাহ্ মৃতদের জীবিত করার ঘুজিযা দান করেছিলেন ৷ তখন তিনি
বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া সাল্লামকে ঐ খেজুর গাছের কাণ্ড প্রদান করা
হয়েছিল, যার পাশে দাড়িয়ে তিনি খুৎবা দিতেন মিম্বর তৈরী হওয়ার পুর্বকাল পর্যন্ত ৷ এরপর
যখন মিম্বর প্রস্তুত হল, তখন সেই কাণ্ডটি আর্তনাদ করে উঠল-য়ার শব্দ সবাই শুনতে পেল ৷
আর এটাতাে ওটার চাইতেও বড় ৷

নবী করীম (না)-এর হাতে পাথর কণার তাসবীহ পাঠ

হাফিয আবু বক্র বায়হাকী, আবুল হাসান আলী ইবন আহমদ ইবন আবদান
সুওয়ায়দ ইবন ইয়াযীদ আসসুলামী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হযরত আবু
য়াবৃকে বলতে ওনেছি , একটি বিষয় দেখার পর আমি উছমান সম্পর্কে ভাল ছাড়া মন্দ কোন
আলোচনা করব না ৷ আমি সবসময় রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্পামকে নির্জনতায়
পাওয়ার সুযোগ খুজতড়াম ৷ একদিন আমি তাকে একাকী বসা দেখতে পেলাম ৷ আমি তখন
তাকে সুবর্ণ সুযোগ গণ্য করে তার কাছে এসে বসলাম, তারপর আবু বকর (রা) আসলেন
এবং তাকে সালাম দিয়ে তার ডান পাশে গিয়ে বসলেন ৷ তারপর উমর (রা) আসলেন এবং
তাকে সালাম দিয়ে আবু বকরের ডান পাশে বসলেন ৷ এরপর আসলেন উছমান (বা), তিনি
এসে সালাম করলেন, তারপর উমরের ডানে বসলেন ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিহি
ওয়া সাল্লামের সামনে সাতটি কঙ্কর ছিল ৷ অথবা তিনি বলেন, নয়টি কঙ্কর ছিল ৷ এরপর তিনি
সেগুলিকে তার হাতে নিলেন ৷ তখন সেগুলি তাসবীহ পাঠ করতে লাগল, এমন কি আমি
তাদের থেকে খেজুর কাণ্ডের বিলাপের মত ব্শুনতে পেলাম ৷ তারপর তিনি সেগুলিকে রেখে
দিলে সেগুলি থাে;ম গেল ৷ এরপর তিনি সেগুলিনিয়ে আবু বকরের হাতে তুলে দিলেন ৷ তখন

১ যা থেজুরের মত গুল্ম জাতীয় ছক ৷ — সম্পাদক ৷


[بَابُ تَسْبِيحِ الْحَصَى فِي كَفِّهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ أَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا الْكُدَيْمِيُّ، ثَنَا قُرَيْشُ بْنُ أَنَسٍ، ثَنَا صَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَخْضَرِ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: سُوِيدُ بْنُ يَزِيدَ السُّلَمِيُّ. قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ يَقُولُ: «لَا أَذْكُرُ عُثْمَانَ إِلَّا بِخَيْرٍ بَعْدَ شَيْءٍ رَأَيْتُهُ؛ كُنْتُ رَجُلًا أَتَتَبَّعُ خَلَوَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَأَيْتُهُ يَوْمًا جَالِسًا وَحْدَهُ، فَاغْتَنَمْتُ خَلْوَتَهُ فَجِئْتُ حَتَّى جَلَسْتُ إِلَيْهِ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، ثُمَّ جَلَسَ عَنْ يَمِينِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَسَلَّمَ وَجَلَسَ عَنْ يَمِينِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَسَلَّمَ، وَجَلَسَ عَنْ يَمِينِ عُمَرَ، وَبَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعُ حَصَيَاتٍ. أَوْ قَالَ: تِسْعُ حَصَيَاتٍ. فَأَخَذَهُنَّ فِي كَفِّهِ فَسَبَّحْنَ حَتَّى سَمِعْتُ لَهُنَّ حَنِينًا كَحَنِينِ النَّحْلِ، ثُمَّ وَضَعَهُنَّ، فَخَرِسْنَ، ثُمَّ أَخَذَهُنَّ فَوَضَعَهُنَّ فِي يَدِ أَبِي بَكْرٍ فَسَبَّحْنَ حَتَّى سَمِعْتُ لَهُنَّ حَنِينًا كَحَنِينِ النَّحْلِ، ثُمَّ وَضَعَهُنَّ فَخَرِسْنَ، ثُمَّ تَنَاوَلَهُنَّ فَوَضَعَهُنَّ فِي يَدِ عُمَرَ فَسَبَّحْنَ حَتَّى سَمِعْتُ لَهُنَّ حَنِينًا كَحَنِينِ النَّحْلِ، ثُمَّ وَضَعَهُنَّ فَخَرِسْنَ، ثُمَّ تَنَاوَلَهُنَّ فَوَضَعَهُنَّ فِي يَدِ عُثْمَانَ فَسَبَّحْنَ حَتَّى سَمِعْتُ لَهُنَّ حَنِينًا كَحَنِينِ النَّحْلِ، ثُمَّ وَضَعَهُنَّ فَخَرِسْنَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذِهِ خِلَافَةُ النُّبُوَّةِ» ". قَالَ الْبَيْهَقِيُّ:
পৃষ্ঠা - ৪৮৩৩

সেগুলি স্বশব্দে তাসবীহ পাঠ করতে লাগল, এমন ক্লি তাদের থেকে খেজুর গাছের বিলাপের
মত বিলাপ শুনতে পেলাম ৷ এরপর তিনি (আবু বকর) সেগুলিকে রেখে দিলেন ৷ ফলে সেগুলি
থেমে গেল ৷ এরপর তিনি (রাসুলুল্লাহ্) সেগুলি নিয়ে উমরের হাতে দিলেন ৷ তখন সেগুলি
স্বশব্দে তাসবীহ পাঠ করতে লাগল, এমন কি আমি সেগুলি থেকে খেজুর কাণ্ডের বিলাপের মত
বিলাপধ্বনি শুনতে পেলাম ৷ এরপর তিনি সেগুলি নিয়ে উসমানের হাতে তুলে দিলেন ৷ তখন
সেগুলি সশব্দে তাসবীহ পাঠ করতে লাগল, এমন কি আমি তাদের থেকে খেজুর কাণ্ডের
বিলাপের মত বিলাপ ধ্বনি শুনতে পেলাম ৷ এরপর তিনি সেগুলিকে রেখে দিলে সেগুলো
নিঃশব্দ হয়ে গেল ৷ তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ হল
নবুওয়ড়াতের খিলাফত (কাল) ৷ বায়হাকী বলেন, এভাবেই মুহাম্মাদ ইবন ইয়ড়াসার তা
রিওয়ায়াত করেছেন কুরায়শ ইবন আনাস সুত্রে আর তিনি সালিহ ইবন আবুল আখযর
থেকে ৷ আর সালিহ হাফিয’ ছিলেন না ৷ মাহ্ফুয’ রিওয়ায়ার্তটি হল আবু হামযা সুত্রে যুহরী
থেকে ৷ তিনি (আরও) বলেন, ওলীদ ইবন সৃওয়ড়ায়দ এই হাদীসটি হযরত আবু যার থেকে
এভাবেই উল্লেখ করেছেন ৷
বায়হাকী বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া আয্যুহলী তার নিজের সংকলিত আয্যুহরিয়্যাদ্ভ’
গ্রন্থে যেখানে তিনি ইমাম যুহরীর সকল হাদীস একত্রিত করেছেন আবুল ইয়ামান সুত্রে
শুআয়ব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ওলীদ ইবন সুয়ায়দ উল্লেখ করেছেন যে, বানু
সুলায়মের এক প্রবীণ ব্যক্তি যিনি রাবযায় হযরত আবু যার (রা)-এর সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন-তিনি
উল্লেখ করেন যে, একদিন তিনি এবং আবু যর (বা) যখন একই মজলিসে বসা ছিলেন, তখন
হযরত উসমানের প্রসঙ্গ উঠল ৷ সুলামী বলেন, আর আমার ধারণা ছিল, হয়তবা হযরত
উসমানের বিরুদ্ধে হযরত আবু যার-এর কোন কোড আছে, কেননা, তিনিই তাকে রাবযায়
নির্জসবাসে পাঠিয়েছিলেন ৷ এরপর যখন তার সামনে উসমানের কথা উল্লেখ করা হল, তখন
বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত একজন আলিম তাকে সেদিকে ইঙ্গিত করলেন এই ধারণার বশবর্তী
হয়ে যে, তার মনে উসমানের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই ক্ষোভ রয়েছে ৷ এরপর যখন তার প্রসঙ্গ উঠল,
তখন তিনি (প্রসঙ্গ উত্থাপনকারীকে) বললেন, উসমানের ব্যাপারে ভাল ছাড়া কোন মন্দ কথা
বলো না ৷ আমি সাক্ষ্য দিয়ে বলছি যে, আমি তার এমন একটি দৃশ্য দেখেছি এবং এমন একটি
ঘটনার সড়াক্ষী হয়েছি যে মৃত্যুর পুর্বে আমি তা ভুলব না ৷ এরপর তিনি বললেন, হাদীস শ্রবণ
কিৎবা তার নিকট থেকে কিছু শিখবার উদ্দেশ্যে আমি সবসময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামকে নির্জনে পাবার সুযোগের সন্ধানে থাকতাম ৷ কোন একদিন দুপুরে গিয়ে
দেখলাম, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েহ্নেষ্ক ৷ আমি
তখন খাদিমকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তখন সে আমাকে জানান যে, তিনি একটি
ঘরে আছেন ৷ আমি তখন তার কাছে এসে দেখলাম যে, তিনি একাকী বসে আছেন ৷ তার
কাছে অন্য কেউ নেই ৷ আমার যেন মনে হচ্ছিল, তার উপর ওহী নাযিল হচ্ছে ৷ আমি তখন
তাকে সালাম দিলাম ৷ সালামের উত্তর দিয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকে এখানে কে
আনল ? আমি বললাম, আমাকে আল্লাহ্ ও তার রাসুলই নিয়ে আসেন ৷ তখন তিনি আমাকে
ইঙ্গিতে বসার নির্দেশ দিলেন ৷ আমি তার পাশে বসে পড়লাম ৷ এ সময় আমি তাকে কোন কিছু

২৬


وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ قُرَيْشِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي الْأَخْضَرِ، وَصَالِحٌ لَمْ يَكُنْ حَافِظًا، وَالْمَحْفُوظُ رِوَايَةُ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، قَالَ: ذَكَرَ الْوَلِيدُ بْنُ سُوَيْدٍ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ كَبِيرَ السِّنِّ كَانَ مِمَّنْ أَدْرَكَ أَبَا ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ، ذَكَرَ لَهُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي ذَرٍّ هَكَذَا. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ فِي " الْزُّهْرِيَّاتِ " الَّتِي جَمَعَ فِيهَا أَحَادِيثَ الْزُّهْرِيِّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، ثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ قَالَ: ذَكَرَ الْوَلِيدُ بْنُ سُوَيْدٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ كَبِيرَ السِّنِّ كَانَ مِمَّنْ أَدْرَكَ أَبَا ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ، ذَكَرَ أَنَّهُ «بَيْنَمَا هُوَ قَاعِدٌ يَوْمًا فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ، وَأَبُو ذَرٍّ فِي الْمَجْلِسِ إِذْ ذُكِرَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَقُولُ السُّلَمِيُّ: فَأَنَا أَظُنُّ أَنَّ فِي نَفْسِ أَبِي ذَرٍّ عَلَى عُثْمَانَ مَعْتَبَةً؛ لِإِنْزَالِهِ إِيَّاهُ بِالرَّبَذَةِ. فَلَمَّا ذُكِرَ لَهُ عُثْمَانُ عَرَّضَ لَهُ أَهْلُ الْعِلْمِ بِذَلِكَ، وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّ فِي نَفْسِهِ عَلَيْهِ مَعْتَبَةً، فَلَمَّا ذَكَرَهُ قَالَ: لَا تَقُلْ فِي عُثْمَانَ إِلَّا خَيْرًا، فَإِنِّي أَشْهَدُ لَقَدْ رَأَيْتُ مِنْهُ مَنْظَرًا، وَشَهِدْتُ مِنْهُ مَشْهَدًا لَا أَنْسَاهُ حَتَّى أَمُوتَ؛ كُنْتُ رَجُلًا أَلْتَمِسُ خَلَوَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِأَسْمَعَ مِنْهُ أَوْ لِآخُذَ عَنْهُ، فَهَجَّرْتُ يَوْمًا مِنَ الْأَيَّامِ، فَإِذَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ فَسَأَلْتُ عَنْهُ الْخَادِمَ، فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ فِي بَيْتٍ، فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ جَالِسٌ لَيْسَ عِنْدَهُ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ، وَكَأَنِّي حِينَئِذٍ أَرَى أَنَّهُ فِي وَحْيٍ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ السَّلَامَ، ثُمَّ قَالَ: " مَا جَاءَ بِكَ " فَقُلْتُ: جَاءَ بِيَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ. فَأَمَرَنِي
পৃষ্ঠা - ৪৮৩৪

সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলাম না, আর তিনিও নিজ থেকে আমাকে কিছু বললেন না ৷ এভাবে
কিছুক্ষণ অতিবাহিত হল ৷ এরপর আবু বকর দ্রুত হেটে আসলেন এবং তাকে সালাম দিলেন ৷
তখন তিনি সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, তোমাকে কে নিয়ে আসল ? তিনি বললেন,

আমাকে আল্লাহ্ এবং তার রাসুলই নিয়ে এসেছেন ৷ এরপর তিনি র্তাকেও হাত দিয়ে ইঙ্গিত
করে বসতে বললেন ৷ তখন তিনি নবী কবীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখোমুখি
একটি টিলার উপরে গিয়ে বসলেন এবং নবীজীর বসার স্থানের মাঝ দিয়ে একটি পথ ছিল ৷
অবশেষে আবু বকর যখন ভালভাবে বসলেন, তখন তিনি তাকে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করলেন ৷
এরপর তিনি আমার ডানপাশে বসলেন ৷ এরপর উমর (রা) আসলেন এবং অনুরুপ করলেন
আর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে অনুরুপ বললেন ৷ তারপর তিনিও ঐ
টিলার উপর হযরত আবু বকরের পাশে বসলেন ৷ এরপর উছমান এসে সালাম করলেন আর
নবী কবীম (সা) তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, ণ্ত ৷মাকে কে নিয়ে আসল ? তিনি
বললেন, আমাকে আল্লাহ্ ও তার রাসুলই নিয়ে এসেছেন ৷ তখন তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করলে
উছমান টিলার দিকে গিয়ে বসলেন ৷ এরপর তিনি পুনরায় ইঙ্গিত করলে উছমান উমরের পাশে
গিয়ে বসলেন ৷ এ সময় নবী কবীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কথা বললেন, যার
প্রথমাৎশ আমি বুঝিনি, তবে এতটুকু শুনতে পেলাম, তার খুব কমই বাকী ৱাখবে ৷ এরপর
তিনি সাতটি কিৎবা নয়টি কিৎবা এর কাছাকাছি সং খ্যক কঙ্কর হাতে নিলেন ৷ তখন এগুলি তার
হাতে তাসবীহ পাঠ করতে লাগল এবং তাদের থেকে খেজুর কাণ্ডের বিলাপের মত বিলাপ ধ্বনি
শোনা যেতে লাগল ৷ এরপর আমাকে অতিক্রম করে তিনি সেগুলি আবুবকরকে দিলেন ৷ তখন
সেগুলি আবু বকরের হাতেও সশব্দে তাসবীহ পাঠ করতে লাগল, যেমন নবী কবীম (না)-এর
হাতে করেছিল ৷ এরপর তিনি সেগুলি তার নিকট থেকে নিয়ে নিলেন এবং মাটিতে রাখলেন ৷
তখন সেগুলি নির্বাক কঙ্করে পরিণত হল ৷ তারপর তিনি সেগুলি উঠিয়ে উমরের হাতে দিলেন ৷
তখন সেগুলি তার হাতে তাসবীহ পাঠ করতে লাগল যেমন আবু বকরের হাতে করেছিল ৷
তারপর সেগুলো নিয়ে মাটিতে রাখলেন ৷ তখন সেগুলো আবার নিঃশব্দ হয়ে গেল ৷ তারপর
তিনি সেগুলি উছমানকে দিলেন ৷ তখন সেগুলি তার হাতেও তাসবীহ পাঠ করতে লাগল,
যেমন আবু বকর ও উমরের হাতে করেছিল ৷ এরপর তিনি সেগুলি নিয়ে মাটিতে রাখলেন ৷
ফলে সেগুলো নিঃশব্দ হয়ে গেল ৷

হাফিয ইবন আসাকির বলেন : তা রিওয়ায়াত করেছেন সালিহ ইবন আবুল আখৃযার,
যুহরী সুত্রে ৷ তারপর তিনি বলেন, সুয়ায়দ ইবন ইয়াযীদ আসসুলামী নামক এক ব্যক্তি থেকে ৷
তবে শুআয়বের উক্তি বিশুদ্ধতর ৷ (দালাইলুনৃ নবুওয়াত গ্রন্থে আবু নুআয়াম বলেন-আর দাউদ
ইবন আবু হিনদ রিওয়ায়াত করেছেন ওলীদ ইবন আবদুর রহমান আবু যার সুত্রে ৷
এছাড়া শাহ্র ইবন হাওশাব এবং,সাঈদ ইবন মুসায়্যাব তা রিওয়ায়াত করেছেন আবু সাঈদ
থেকে, তিনি বলেন এবং তাতে আবু হুরায়রা থােক) আর ইতিপুর্বে ইবন মাসউদ (রা)-এর
বরাতে ইমাম বৃখারীর রিওয়ায়াত বিগত হয়েছে যে তিনি বলেন, খাবার যখন খাওয়া হত তখন
আমরা তা থেকে তাসবীহ পাঠের শব্দ শুনতে পেতাম ৷


أَنْ أَجْلِسَ، فَجَلَسْتُ إِلَى جَنْبِهِ، لَا أَسْأَلُهُ عَنْ شَيْءٍ وَلَا يَذْكُرُهُ لِي، فَمَكَثْتُ غَيْرَ كَثِيرٍ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ يَمْشِي مُسْرِعًا فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَرَدَّ السَّلَامَ، ثُمَّ قَالَ: " مَا جَاءَ بِكَ؟ " قَالَ: جَاءَ بِيَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ. فَأَشَارَ بِيَدِهِ أَنِ اجْلِسْ، فَجَلَسَ إِلَى رَبْوَةٍ مُقَابِلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا الطَّرِيقُ، حَتَّى إِذَا اسْتَوَى أَبُو بَكْرٍ جَالِسًا، فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِي عَنْ يَمِينِي، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَجَلَسَ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ عَلَى تِلْكَ الرَّبْوَةِ، ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَسَلَّمَ فَرَدَّ السَّلَامَ، وَقَالَ: " مَا جَاءَ بِكَ؟ " قَالَ: جَاءَ بِيَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ. فَأَشَارَ إِلَيْهِ بِيَدِهِ فَقَعَدَ إِلَى الرَّبْوَةِ، ثُمَّ أَشَارَ بِيَدِهِ فَقَعَدَ إِلَى جَنْبِ عُمَرَ، فَتَكَلَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَلِمَةٍ لَمْ أَفْقَهْ أَوَّلَهَا غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: " قَلِيلٌ مَا يَبْقَيْنَ ". ثُمَّ قَبَضَ عَلَى حَصَيَاتٍ سَبْعٍ أَوْ تِسْعٍ أَوْ قَرِيبٍ مِنْ ذَلِكَ، فَسَبَّحْنَ فِي يَدِهِ حَتَّى سُمِعَ لَهُنَّ حَنِينٌ كَحَنِينِ النَّحْلِ، فِي كَفِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ نَاوَلَهُنَّ أَبَا بَكْرٍ وَجَاوَزَنِي فَسَبَّحْنَ فِي كَفِّ أَبِي بَكْرٍ كَمَا سَبَّحْنَ فِي كَفِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَخَذَهُنَّ مِنْهُ فَوَضَعَهُنَّ فِي الْأَرْضِ فَخَرِسْنَ فَصِرْنَ حَصًا، ثُمَّ نَاوَلَهُنَّ عُمَرَ فَسَبَّحْنَ فِي كَفِّهِ كَمَا سَبَّحْنَ فِي كَفِّ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ أَخَذَهُنَّ فَوَضَعَهُنَّ فِي الْأَرْضِ فَخَرِسْنَ، ثُمَّ نَاوَلَهُنَّ عُثْمَانَ فَسَبَّحْنَ فِي كَفِّهِ نَحْوَ مَا سَبَّحْنَ فِي كَفِّ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ، ثُمَّ أَخَذَهُنَّ فَوَضَعَهُنَّ فِي الْأَرْضِ فَخَرِسْنَ» . قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: رَوَاهُ صَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَخْضَرِ، عَنِ الْزُّهْرِيِّ، فَقَالَ: عَنْ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: سُوِيدُ بْنُ يَزِيدَ السُّلَمِيُّ. وَقَوْلُ شُعَيْبٍ أَصَحُّ.
পৃষ্ঠা - ৪৮৩৫
وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ": وَقَدْ رَوَى دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ مِثْلَهُ. وَرَوَاهُ شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ. قَالَ: وَفِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: وَلَقَدْ كُنَّا نَسْمَعُ تَسْبِيحَ الطَّعَامِ وَهُوَ يُؤْكَلُ. حَدِيثٌ آخَرُ فِي ذَلِكَ: رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو أُمِّي مَالِكُ بْنُ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي أُسَيْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: " يَا أَبَا الْفَضْلِ، لَا تَرِمْ مَنْزِلَكَ غَدًا أَنْتَ وَبَنُوكَ حَتَّى آتِيَكُمْ؛ فَإِنَّ لِي فِيكُمْ حَاجَةً ". فَانْتَظَرُوهُ حَتَّى جَاءَ بَعْدَ مَا أَضْحَى، فَدَخَلَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ: " السَّلَامُ عَلَيْكُمْ ". قَالُوا: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. قَالَ: " كَيْفَ أَصْبَحْتُمْ؟ " قَالُوا: أَصْبَحْنَا بِخَيْرٍ نَحْمَدُ اللَّهَ، فَكَيْفَ أَصْبَحْتَ بِأَبِينَا وَأُمِّنَا أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " أَصْبَحْتُ بِخَيْرٍ أَحْمَدُ اللَّهَ ". فَقَالَ لَهُمْ: " تَقَارَبُوا، تَقَارَبُوا يَزْحَفُ بَعْضُكُمْ إِلَى بَعْضٍ ". حَتَّى إِذَا أَمْكَنُوهُ اشْتَمَلَ عَلَيْهِمْ بِمُلَاءَتِهِ، وَقَالَ: " يَا رَبِّ، هَذَا عَمِي وَصِنْوُ أَبِي، وَهَؤُلَاءِ أَهْلُ بَيْتِي
পৃষ্ঠা - ৪৮৩৬

এ প্রসঙ্গে জাি একটি হাদীস

হাফিয বায়হাকী, আবদুল্লাহ ইবন উছমান ইবন ইসহ ক ইবন সা দ ইবন আবী ওয়াক্কাস
এর হাদীস সঞ্চাহ থেকে রিওয়ায়াত করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, আমাকে আমার নানামালিক
ইবন হড়ামযা ইবন আবী উসায়দ তার পিতা তার পিতামহ আবু উসায়দ আস-সাঈদী সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, (একবার) রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আব্বাস ইবন
আবদুল মুত্তালিবকে বললেন, হে আবুল ফযল ! আগামীকাল আমি আপনাদের কাছে আমার
পুর্বে আপনি এবং আপনার পুত্রেরা কেউ যেন বাড়ি না ছাড়েন ৷ আপনাদের কাছে আমার একটি
বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে ৷ পরদিন তারা তার অপেক্ষায় থাকলেন ৷ অবশেষে পুর্বড়াহ্নে৩ তিনি
তাদের কাছে আসলেন ৷ তিনি তাদের গৃহে প্রবেশ কালে তাদেরকে আস্সালামু আলাইকুম’
বললেন ৷ তখন তারাও তার সালামের উত্তর দিলেন ৷ তিনি তাদের প্রশ্ন করলেন, কী অবস্থায়
আপনাদের সকাল হল ? তারা বললেন, সকল প্রশংসা আল্লাহর ৷ কল্যাণের সাথেই আমাদের
সকাল হয়েছে ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আমাদের পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোন আপনার
সকাল কী অবস্থায় হল ? তিনি বললেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, কল্যাণের সাথেই আমার
সকাল হয়েছে ৷ এরপর তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা কাছাকাছি হও, একে অন্যের সাথে
লেগে যাও ৷ অবশেষে তারা যখন তার পরিপুর্ণ আয়ত্তে আসলেন তখন তিনি তাদের সকলকে
নিজের চাদর দ্বারা আবৃত করে বললেন, হে আমার প্রতিপালক! ইনি আমার চাচা পিতৃতৃল্য,
আর এরা আমার আপনজন, আমি আমার এই চাদর দিয়ে যেমনভাবে তাদেরকে আবৃত করেছি
আপনিও সেভাবে তাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে আবৃত করুন ৷ রাবী বলেন, তখন
দরজার চৌকাঠ এবং ঘরের দেয়াল সমুহ আসীন বলল ৷ ওগুলো তিন তিনবার আসীন শব্দ
উচ্চারণ করল ৷ আবু আবদুল্লাহ্ ইবন মাজা তার সুনানে তা সংক্ষিপ্তভাবে রিওয়ায়াত করেছেন
আবু ইসহাক ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন উছমান ইবন ইসহাক ইবন সা’দ
ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে ৷ আর তার বরাতে একদল রাবী রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইয়াহ্ইয়া
ইবন মায়ীন বলেন, আমি তাকে চিনি না ৷ আবু হাতিম বলেন, এ ব্যক্তি সন্দেহ্যুক্ত হাদীস
রিওয়ায়াত করে থাকেন ৷

আরেকটি হাদীস

ইমাম আহমদ, ইয়াহ্ইয়া ইবন বুকায়ব জাবির ইবন সামুরা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি মক্কার একটি
পাথরকে চিনি যে নবুওয়াত লাভের পুর্বে আমাকে সালাম করত ৷ আর আমি এখনও সেটাকে
চিনব ৷ ইমাম মুসলিম তা রিওয়ায়াত করেছেন আবু বক্র ইবন আবু শায়বা সুত্রে আর ইমাম
আবু দাউদ তা রিওয়ায়াত করেছেন সুলায়মান ইবন মুআয সুত্রে সিমাক থেকে ৷

আরেকটি হাদীস

তিরিমিষী আব্বাদ ইবন ইয়াকুব আল-কুফী আলী ইবন আবু তালিব সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, (একবার) আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া সাল্লামের


فَاسْتُرْهُمْ مِنَ النَّارِ كَسَتْرِي إِيَّاهُمْ بِمُلَاءَتِي هَذِهِ ". قَالَ: فَأَمَّنَتْ أُسْكُفَّةُ الْبَابِ وَحَوَائِطُ الْبَيْتِ فَقَالَتْ: آمِينَ آمِينَ آمِينَ.» وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَاجَهْ فِي " سُنَنِهِ " مُخْتَصَرًا، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَاتِمٍ الْهَرَوِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ الْوَقَّاصِيِّ الْزُّهْرِيِّ، رَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ. وَقَدْ قَالَ ابْنُ مَعِينٍ: لَا أَعْرِفُهُ. وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: يَرْوِي أَحَادِيثَ مُشَبَّهَةً. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، حَدَّثَنِي سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَأَعْرِفُ حَجَرًا بِمَكَّةَ كَانَ يُسَلِّمُ عَلِيَّ قَبْلَ أَنْ أُبْعَثَ إِنِّي لَأَعْرِفُهُ الْآنَ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي بُكَيْرٍ بِهِ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ سِمَاكٍ بِهِ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ الْكُوفِيُّ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: «كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ، فَخَرَجْنَا فِي بَعْضِ نَوَاحِيهَا، فَمَا اسْتَقْبَلَهُ جَبَلٌ وَلَا شَجَرٌ إِلَّا
পৃষ্ঠা - ৪৮৩৭

সাথে মক্কায় ছিলাম এ সময় আমরা তার কোন এক দিকে বের হলাম তখন যে পাহাড় বা

গাছই তার সামনে পড়ল সেই বলল, হে আল্লাহর রাসুল ! আপনার প্ৰতি শাস্তি বর্ষিত হোক ৷

এরপর তিনি মন্তব্য করেন, এটা হাসান গরীব’ হাদীস ৷ ওলীদ ইবনআবু ছাওর থেকে
একাধিক রাবী তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তাদের বর্ণনাসুত্রে আব্বাদ ইবন আবু ইয়াযীদের নাম
রয়েছে ৷ এই রাবীদের অন্যতম হলেন ফারওয়া ইবন আবুল ফারা ৷ আর হাফিয আবু নুআয়ম
তা রিওয়ায়াত করেছেন যিয়াদ ইবন খায়ছামার হাদীস সংগ্রহ থেকে আলী (রা)-এর
বরাতে ৷ তিনি (আলী) বলেন, (একবার) আমি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
সাথে বের হলাম ৷ তিনি যে গাছ বা পাথরই অতিক্রম করছিলেন সেই তাকে সালাম করছিল ৷
আর নবুওয়াত প্রাপ্তি অধ্যায়ে আমরা উল্লেখ করেছি যে, প্রথম ওহী লাভ করার পর নবী
আলইিহিসৃ সালাম ফেরার পথে যে যে পাথর, গাছ, মাটির খণ্ড বা অন্য কিছু অতিক্রম
করছিলেন, সেই তাকে সম্বোধন করে বলছিল , হে আল্লাহ্র রাসুল ! আপনার প্ৰতি শান্তি বর্নিত
হোক ৷ বদর ও হুনায়নের যুদ্ধের আলোচনায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে সময় তিনি এক
মুঠো মাটি (শত্রুর দিকে) নিক্ষেপ করে তীর সাহাবীদের তীর পশ্চাতে আক্রমণ করার নির্দেশ
দিয়েছিলেন, যাতে এর পরে পরেই আল্লাহ্র পক্ষ থেকে তাদের সাহায্য, সমর্থন ও বিজয়
দ্রুততর হয় ৷ বদরযুদ্ধ সম্বন্ধে তো স্বয়ং আল্লাহ তা আলাই তার বর্ণনা ধারায় সুরা আনফালে
বলেছেনশু ং , এ ন্থএ৷ ৷ গ্রাগ্ এ ,,এ ৷ ,;, ষ্ এ ট্রুন্ এ “এবং তুমি যখন নিক্ষেপ করেছিলে,

তখন তুমি নিক্ষেপ কর নাই, আল্লাহ্ই নিক্ষেপ করেছিলেন” (৮ আনফালং : ১৭) ৷ আর

হনায়ন যুদ্ধের প্রসঙ্গে আমরা হাদীসসমুহে সনদ ও শব্দমালাসহ তা উল্লেখ করেছি ৷ এখানে তা
পুনরায় উল্লেখ করা নিম্প্রয়োজন ৷ সমস্ত প্রশৎ না ও অনুগ্রহ আল্লাহ্রই ৷

আরেকটি হাদীস

মক্কা বিজয় প্রসঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মসজিদে হারামে
প্রবেশ করে কা বার চারকোণে স্থাপিত প্রতিমাসমুহ দেখতে পেলেন, তখন তিনি তার হাতের
একটি ছড়ি দ্বারা তাতে ঘোচা দিতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন এ এ এ এপু ৷ ;;
এেএ’১’এ ষ্ব্লে চুা৷ এে৷ ১ )া এে ৷ “সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যা তো
বিলুপ্ত হবারই ৷ বল, সত্য এসেছে এবং অসত্য না পারে নতৃন কিছু সৃজন করতে, না পারে
পুনরাবৃত্তি করতে ৷

আর একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে, যখনই তিনি সেই প্রতিমাগুলাের কোন একটির দিকে
ইঙ্গিত করছিলেন, তখনই সেটি চিৎ হয়ে উন্টে পড়ছিল ৷ আরেক রিওয়ায়াতে রয়েছে, পড়ে
যাচ্ছিল ৷ হাফিয বায়হাকী আবু আবদুল্লাহ্ আল-হাফিয সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার কক্ষে প্রবেশ করলেন, তখন আমি (প্রাণীর ছবিযুক্ত)
নকশাদার একটি চাদরাবৃত ছিলাম ৷ তখন তিনি এটিকে ছিড়ে ফেলে বললেন, কিয়ামতের দিন
সবচাইতে কঠিন শান্তি তারইি ভোগ করবে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির সদৃশ আকৃতি তৈরী করে ৷
আওযায়ী বলেন, আইশা (বা) আরও বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে বাজপাখীর
প্রতিকৃতি বিশিষ্ট একটি ঢাল আনীত হল, তখন তিনি তার উপর হাত রাখলেন ৷ ফলে আল্লাহ্
তা জানা তা দুর করে দিলেন ৷


قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ» . ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ، وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، وَقَالُوا: عَنْ عَبَّادِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ. مِنْهُمْ فَرْوَةُ بْنُ أَبِي الْمَغْرَاءِ. وَرَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ حَدِيثِ زِيَادِ بْنِ خَيْثَمَةَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي عُمَارَةَ الْخَيْوَانِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ لَا يَمُرُّ عَلَى حَجَرٍ وَلَا شَجَرٍ إِلَّا سَلَّمَ عَلَيْهِ» . وَقَدَّمْنَا فِي الْمَبْعَثِ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمَّا رَجَعَ وَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْهِ، جَعَلَ لَا يَمُرُّ بِحَجَرٍ وَلَا شَجَرٍ وَلَا مَدَرٍ وَلَا شَيْءٍ إِلَّا قَالَ لَهُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَذَكَرْنَا فِي وَقْعَةِ بَدْرٍ وَوَقْعَةِ حُنَيْنٍ رَمْيَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِتِلْكَ الْقَبْضَةِ مِنَ التُّرَابِ، وَأَمَرَهُ أَصْحَابُهُ أَنْ يُتْبِعُوهَا بِالْحَمْلَةِ الصَّادِقَةِ، فَيَكُونُ النَّصْرُ وَالظَّفَرُ وَالتَّأْيِيدُ عَقِبَ ذَلِكَ سَرِيعًا، أَمَّا فِي وَقْعَةِ بَدْرٍ فَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي سِيَاقِهَا فِي سُورَةِ الْأَنْفَالِ: {وَمَا رَمَيْتَ إِذْ رَمَيْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ رَمَى} [الأنفال: 17] الْآيَةَ [الْأَنْفَالِ: 17] . وَأَمَّا فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ فَقَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي الْأَحَادِيثِ بِأَسَانِيدِهِ وَأَلْفَاظِهِ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ هَاهُنَا وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. حَدِيثٌ آخَرُ: وَذَكَرْنَا فِي غَزْوَةِ الْفَتْحِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا دَخَلَ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ، فَوَجَدَ الْأَصْنَامَ حَوْلَ الْكَعْبَةِ، فَجَعَلَ يَطْعَنُهَا بِشَيْءٍ فِي يَدِهِ، وَيَقُولُ: " جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا، قُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ
পৃষ্ঠা - ৪৮৩৮
وَمَا يُعِيدُ» وَفِي رِوَايَةٍ: أَنَّهُ جَعَلَ لَا يُشِيرُ إِلَى صَنَمٍ مِنْهَا إِلَّا خَرَّ لِقَفَاهُ. وَفِي رِوَايَةٍ: إِلَّا سَقَطَ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَأَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْقَاضِي، قَالَا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى اللَّخْمِيُّ، قَالَا: ثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، أَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ قَالَ: أَخْبَرَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مُسْتَتِرَةٌ بِقِرَامٍ فِيهِ صُورَةٌ فَهَتَكَهُ، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الَّذِينَ يُشَبِّهُونَ بِخَلْقِ اللَّهِ» قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: وَقَالَتْ عَائِشَةُ: أَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتُرْسٍ فِيهِ تِمْثَالُ عُقَابٍ، فَوَضَعَ عَلَيْهِ يَدَهُ، فَأَذْهَبَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ.