আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب دلائل النبوة

الدلائل الحسية
باب انقياد الشجر لرسول الله صلى الله عليه وسلم
باب انقياد الشجر لرسول الله صلى الله عليه وسلم
باب انقياد الشجر لرسول الله صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৪৮১১

দেবে? তিনি বললেন, আমি তাতে পুর্ণ সেচ দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করি, কিন্তু পেরে উঠি না ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিহিওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, আমাকে কি তুমি তোমার
খেজুর থেকে উৎকৃষ্ট একশ খেজুর বেছে দিবে? তিনি বললেন, জী হ্যা ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহুআলইিহি ওয়া সাল্লাম ভোল হাতে তুলে নিলেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তার
বাগানের সেচ পুর্ণ করলেন ৷ এমন কি আনসারী বললেন, আমার বাগান ভেসে গেল ৷ এরপর
আল্লাহর রাসুল তীর খেজুর থেকে একশ’টি খেজুর বেছে নিলেন ৷ রাবী বলেন, এরপর তিনি ও
তার সাহাবীগণ তৃপ্তির সাথে খেলেন ৷ তারপর আনসারীকে একশ খেজুর ফিরিয়ে দিলেন,
যেমনটি তিনি তার কাছ থেকে নিয়েছিলেন ৷ এই হড়াদীসঢি গরীব ৷ হাফিয ইবন আসাকির
নবৃওয়াতের প্ৰমাণাদি আলোচনা প্রসঙ্গে তা উল্লেখ করেছেন ৷ আর ইতিপুর্বে হযরত সালমান
ফারসী (বা) ইসলাম গ্রহণের আলোচনায় ঐ খেজুর গাছের বিষয়টি উল্লেখিত হয়েছে যা হযরত
সালমানের জন্য রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাতে রোপণ করেছিলেন ৷
আর পরবর্তীতে এগুলির মধ্যে একটি গাছও নষ্ট হয়নি; বরং সকল গাছেই ফল ধরেছিল আর
সেগুলোর সংখ্যা ছিল তিনশ ৷ তদ্র্যপ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক
স্বর্ণবৃদ্ধির বিষয়টিও উল্লেখিত হয়েছে, যখন তিনি স্বর্ণখণ্ডটি তার জিহ্বায় রেখে উল্টিয়েছিলেন ৷

এরপর তা থেকে সালমান (বা) তার দাসতৃমুক্তি বিষয়ক চুক্তির সকল কিস্তি পরিশোধ করে
আষাদ হয়েছিলেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ৱ (সা) জন্য গাছের ঝুকে যাওয়া

ইমাম মুসলিম যে হাদীসখানি হাতিম ইবন ইসমাঈল জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ সুত্রে
বর্ণনা করেন, তা ইতিপুর্বে বিগত হয় ৷ জাবির বলেন, একবার আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সফরে ছিলাম ৷ পথিমধ্যে এক প্রশস্ত উপত্যকায় অবতরণ
করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া সাল্লাম তার প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরণ করতে বের
হলেন ৷ তখন আমি একটি পানির পাত্র হাতে তাকে অনুসরণ করলাম ৷ কিছুদুর অগ্রসর হওয়ার
পর তিনি আড়াল হওয়ার মত কোন কিছু দেখতে পেলেন না ৷ এমন সময় উপত্যকার প্রান্তে
দু’টি গাছ দেখা গেল ৷ তখন তিনি তাদের একটির দিকে অগ্রসর হয়ে তার একটি ভাল ধরে
বললেন, আল্লাহ্র হুকুমে আমার জন্য ঝুকে যাও ৷ গাছটি তৎক্ষণাৎ নাকে লাগাম পরিহিত
উর্টের ন্যায় ঝুকে গেল ৷ আর তিনি উভয় গাছের মধ্যবর্তী স্থানে পৌছলেন ৷ উভয়টিকে একত্র
করে তিনি বললেন, আল্লাহ্র হুকুমে আমাকে আড়াল করে একত্র হয়ে যাও, তখন গাছ দু’টি
একত্র হয়ে গেল ৷ জাবির (রা) বলেন, আমি তখন দৌড়ে সরে যেতে লাগলাম এই আশঙ্কায়
যে, আমার নৈকট্য অনুভব করলে তিনি দুরে সরে যাবেন ৷ আমি তখন বসে বসে ভাবছি এমন
সময় দেখতে পেলাম রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া সাল্লাম ফিরে অ ৷সছেন, আর পাছটিও
পৃথক হয়ে স্ব-স্ব কাণ্ডের উপর সোজা হয়ে দীড়িয়েছে ৷ এ সময় আমি তাকে একবার থেমে
র্দাড়িয়ে তীর মাথা দিয়ে এভাবে ভানে-বামে ইঙ্গিত করতে দেখেছি ৷ আর পুর্ণ হাদীসখানি পানি
এবং সমুদ্র নিক্ষিপ্ত ৰিশালাকৃতির মাছের ঘটনায় উল্লেখিত হয়েছে ৷ প্রশংসা ও অনুগ্নহ আল্লাহ্র ৷


الشَّرِيفِ، حَتَّى قَضَى مِنْهُ سَلْمَانُ مَا كَانَ عَلَيْهِ مِنْ نُجُومِ الْكِتَابَةِ وَعَتَقَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. [بَابُ انْقِيَادِ الشَّجَرِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] قَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي حَرَزَةَ يَعْقُوبَ بْنِ مُجَاهِدٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُبَادَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «سِرْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى نَزَلْنَا وَادِيًا أَفْيَحَ، فَذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْضِي حَاجَتَهُ فَاتَّبَعْتُهُ بِإِدَاوَةٍ مِنْ مَاءٍ فَنَظَرَ فَلَمْ يَرَ شَيْئًا يَسْتَتِرُ بِهِ، وَإِذَا شَجَرَتَانِ بِشَاطِئِ الْوَادِي، فَانْطَلَقَ إِلَى إِحْدَاهُمَا فَأَخَذَ بِغُصْنٍ مِنْ أَغْصَانِهَا، وَقَالَ: " انْقَادِي عَلَيَّ بِإِذْنِ اللَّهِ ". فَانْقَادَتْ مَعَهُ كَالْبَعِيرِ الْمَخْشُوشِ الَّذِي يُصَانِعُ قَائِدَهُ، حَتَّى أَتَى الشَّجَرَةَ الْأُخْرَى فَأَخَذَ بِغُصْنٍ مِنْ أَغْصَانِهَا وَقَالَ: " انْقَادِي عَلَيَّ بِإِذْنِ اللَّهِ ". فَانْقَادَتْ مَعَهُ كَالْبَعِيرِ الْمَخْشُوشِ الَّذِي يُصَانِعُ قَائِدَهُ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْمُنْتَصِفِ فِيمَا بَيْنَهُمَا لَأَمَ بَيْنَهُمَا - يَعْنِي جَمَعَهُمَا - وَقَالَ: " الْتَئِمَا عَلَيَّ بِإِذْنِ اللَّهِ ". فَالْتَأَمَتَا. قَالَ جَابِرٌ فَخَرَجْتُ أُحْضِرُ مَخَافَةَ أَنْ يُحِسَّ بِقُرْبِي فَيَبْتَعِدَ فَجَلَسْتُ أُحَدِّثُ نَفْسِي فَحَانَتْ مِنِّي لَفْتَةٌ، فَإِذَا أَنَا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقْبِلًا، وَإِذَا الشَّجَرَتَانِ قَدِ افْتَرَقَتَا، وَقَامَتْ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا عَلَى سَاقٍ، فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَفَ وَقْفَةً وَقَالَ بِرَأْسِهِ هَكَذَا يَمِينًا وَشِمَالًا» . وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ فِي قِصَّةِ الْمَاءِ وَقِصَّةِ
পৃষ্ঠা - ৪৮১২

আরেকটি হাদীস

ইমাম আহমদ, আবু মুআৰিয়া আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
কোন একদিন হযরত জিবরীল রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসলেন,
আর তিনি তখন মক্কাবাসীদের কারো কারো আঘাতে রক্তাক্ত ও বিষগ্ন হয়ে বলেছিলেন ৷ আনাস
(রা) বলেন, তখন তিনি তাকে বললেন, আপনার কী হয়েছে? আল্লাহ্র রাসুল বললেন, এরা
আমার সাথে এই নির্মম আচরণ করেছে ৷ আনাস বলেন, তখন জিবরীল তাকে বললেন,
আপনি কি একটি নিদর্শন “দেখতে চান? আনসে বলেন, তখন তিনি বললেন, হী ৷ আনাস
বলেন-তখন তিনি উপত্যকার পিছনের একটি গাছের দিকে তাকালেন, তারপর তিনি বললেন,
আপনি ঐ গাছটিকে ডাকুন ৷ তখন আল্লাহর রাসুল গড়াছটিকে ডাকলেন ৷ তখন গাছটি হেটে তার
সামনে এসে র্দাড়াল ৷ তখন জিবরীল বললেন, এবার আপনি তাকে ফিরে যেতে আদেশ করুন ৷
তিনি তখন আদেশ করলেন এবং গাছটি স্ব স্থানে ফিরে গেল ৷ এ নিদর্শন দেখার পর রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এটা আমার সান্তুনার জন্য যথেষ্ট ৷ এই হাদীসের
সনদ ইমাম মুসলিমের শর্তোত্তীর্ণ, তবে মুহাম্মদ ইবন তরীফ আবু মুআবিয়া সুত্রে ইবন সাজা
ছাড়া আর কেউ তা রিওয়ায়াত করেননি ৷

আরেকটি হাদীস

হাফিয বড়ায়হাকী হাম্মাদ ইবন সালামড়ার হাদীস সংগ্নহ থেকে আলী ইবন যায়দ উমর
ইবনুল খাত্তাব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, একদিন রাসুলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া সাল্লাম
মুশরিকদের কষ্টদায়ক আচরণের কারণে বিষগ্ন অবস্থায় মক্কার হাজ্বা পাহাড়ের উপরে অবস্থান
করছিলেন ৷ এ সময় তিনি বললেন, হেআল্লাহ্! আজ আমাকে (সান্তুনামুলক) এমন একটি
নিদর্শন দেখান, মার পর আমি আর আমার অবিশ্বাসকায়ীদের পরওয়া করব না ৷ উমর (রা)
বলেন, তখন তিনি মদীনায় পাহাড়ী পথের দিক থেকে একটি গাছকে নির্দেশ দিলেন, তখন তা
মাটি হেচড়ে তার কাছে এসে পৌছল ৷ উমর বলেন, তারপর তিনি তাকে আদেশ করলে তা
আবার পুৰ্বাবন্থানে ফিরে গেল ৷ উমর (রা) বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এর পর
আমার গোত্রের যারা আমাকে অবিশ্বাস করবে আমি তট্টদের পরওয়া করব না ৷ এরপর হাফিয
রায়হাকী, হাকিম ও আবু সাঈদ ইবন আমর হাসান সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একরার স্বগােত্রেরঅবিশ্বাস ও প্রত্যাথ্যানের কারণে দুঃখিত ণ্ডু বিষগ্ন হয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কার কোন পিরিপথের দিকে বের হয়ে আ সলেন ৷ এর পর তিনি প্রার্থনা
করলেন, হে আমার প্ৰতিপালক ! আমাকে এমন কোন নিদর্শন দেখান যা দেখে আমি আশ্বস্ত হয়
এবং আমার এই দুঃখ ও বিষগ্নতা দুর হয়ে যাবে ৷ তখন আল্লাহ্ তাআলা আমাকে নির্দেশ
দিলেন, আপনি এই গাছের যে কোন শাখাকে আহ্বান করুন ৷ হাসান বলেন, তখন তিনি
একটি শাখাকে আহ্বান করলেন, এরপর তা স্ব স্থান থেকে মাটি হেচড়ে তার কাছে চলে
আসল ৷ তখন আল্লাহর রাসুল তাঃক লক্ষ্য করে বললেন, স্বস্থানে ফিরে যাও এবং তা স্ব স্থানে
ফিরে গেল ৷ তখন তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং তার মন প্রসন্ন হলো ৷ আর ইতিমধ্যে


الْحُوتِ الَّذِي دَسَرَهُ الْبَحْرُ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ - وَهُوَ طَلْحَةُ بْنُ نَافِعٍ - عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ وَهُوَ جَالِسٌ حَزِينٌ قَدْ خَضَبَ بِالدِّمَاءِ؛ ضَرَبَهُ بَعْضُ أَهْلِ مَكَّةَ. قَالَ: فَقَالَ لَهُ: مَا لَكَ؟ فَقَالَ: " فَعَلَ بِيَ هَؤُلَاءِ وَفَعَلُوا ". قَالَ: فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ: أَتُحِبُّ أَنْ أُرِيَكَ آيَةً؟ قَالَ: فَقَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: فَنَظَرَ إِلَى شَجَرَةٍ مِنْ وَرَاءِ الْوَادِي فَقَالَ: ادْعُ تِلْكَ الشَّجَرَةَ. فَدَعَاهَا. قَالَ: فَجَاءَتْ تَمَشِي حَتَّى قَامَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: مُرْهَا فَلْتَرْجِعْ. فَأَمَرَهَا فَرَجَعَتْ إِلَى مَكَانِهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " حَسْبِي» وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَلَمْ يَرَوِهِ إِلَّا ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَرِيفٍ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ. حَدِيثٌ آخَرُ: رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عَلَى الْحَجُونِ كَئِيبًا لَمَّا آَذَاهُ الْمُشْرِكُونَ، فَقَالَ: «اللَّهُمَّ أَرِنِي الْيَوْمَ آيَةً لَا أُبَالِي مَنْ كَذَّبَنِي بَعْدَهَا ". قَالَ فَأُمِرَ فَنَادَى شَجَرَةً مِنْ قَبْلِ عَقَبَةِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَأَقْبَلَتْ تَخُدُّ الْأَرْضَ حَتَّى انْتَهَتْ إِلَيْهِ. قَالَ: ثُمَّ أَمَرَهَا فَرَجَعَتْ إِلَى مَوْضِعِهَا، قَالَ: فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৪৮১৩
" مَا أُبَالِي مَنْ كَذَّبَنِي بَعْدَهَا مِنْ قَوْمِي» . ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا الْحَاكِمُ وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ عَمْرٍو، قَالَا: ثَنَا الْأَصَمُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ مُبَارَكِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَعْضِ شِعَابِ مَكَّةَ وَقَدْ دَخَلَهُ مِنَ الْغَمِّ مَا شَاءَ اللَّهُ مِنْ تَكْذِيبِ قَوْمِهِ إِيَّاهُ، فَقَالَ: " يَا رَبِّ أَرِنِي مَا أَطْمَئِنُّ إِلَيْهِ وَيُذْهِبُ عَنِّي هَذَا الْغَمَّ ". فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: ادْعُ إِلَيْكَ أَيَّ أَغْصَانِ هَذِهِ الشَّجَرَةِ شِئْتَ. قَالَ: فَدَعَا غُصْنًا فَانْتُزِعَ مِنْ مَكَانِهِ ثُمَّ خَدَّ فِي الْأَرْضِ حَتَّى جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " ارْجِعْ إِلَى مَكَانِكَ ". فَرَجَعَ الْغُصْنُ فَخَدَّ فِي الْأَرْضِ حَتَّى اسْتَوَى كَمَا كَانَ، فَحَمِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَطَابَتْ نَفْسُهُ وَرَجَعَ، وَكَانَ قَدْ قَالَ الْمُشْرِكُونَ: أَفْضَلْتَ أَبَاكَ وَأَجْدَادَكَ يَا مُحَمَّدُ؟ فَأَنْزَلَ اللَّهُ {قُلْ أَفَغَيْرَ اللَّهِ تَأْمُرُونِّي أَعْبُدُ أَيْهَا الْجَاهِلُونَ} [الزمر: 64] " الْآيَاتِ [الزُّمَرِ: 64 - 66] .» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا الْمُرْسَلُ يَشْهَدُ لَهُ مَا قَبْلَهُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ - وَهُوَ حُصَيْنُ بْنُ جُنْدَبٍ - عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَامِرٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرِنِي الْخَاتَمَ الَّذِي بَيْنَ كَتِفَيْكَ؛ فَإِنِّي مِنْ أَطَبِّ
পৃষ্ঠা - ৪৮১৪

মুশরিকরা তাকে বলেছিল, হে মুহাম্মদ! তুমি কি জ্ঞানে ও গুণে তোমার বাপ-দাদাদের ছাড়িয়ে
গেছ ৷ তখন আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াত নাযিল করলেন ং

ষ্ শ্ : ণ্ :

এ)

বল হে অজ্ঞ ব্যক্তিরা! তোমরা কি আমাকে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যের ইবাদত করতে
বলছ? (৩৯ যুমাৱং ৬৪) ৷
বায়হাকী বলেন, এই হাদীসটি মুরসাল তবে পুর্বের বিওয়ায়াতটি তার সমর্থক ৷

আরেকটি হাদীস

ইমাম আহমদ, আবু মুআবিয়া ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একবার বানু আমিরের এক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে
বলল, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ আমাকে আপনার স্কন্ধদ্বয়ের মধ্যবর্তী নবুওয়াতেৱ মােহর চিহ্ন দেখান,

কেননা চিকিৎসা শাত্রে আমি সেরা পারদর্শী ব্যক্তি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন,
আমি কি তোমাকে (আমার নবুওয়াতেৱ আরেকটি) নিদর্শন দেখায়? যে বলল, অবশ্যই ৷ ইবন
আব্বাস বলেন, তখন তিনি একটি খেজুর গাছের দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি এবার খেজুর
গাছের র্কাদিটিকে ডাক ৷ তখন সে তাকে ডাকল, আর র্কাদিঢি লাফাতে লাফাতে তার সামনে
এসে র্দাড়াল ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিইি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, ফিরে যাও,
তখন তা স্ব স্থানে ফিরে গেল ৷ এই নিদর্শন দেখে আমিরী স্বগােত্রকে বলল, হে বানু আমির,
আজকের এই ব্যক্তির চাইতে দক্ষতর কোন জাদুকর আমি ণ্কানকাি ণ্দখিনি ৷ ইমাম আহমদ
এভাবেই হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এছাড়া হাফিয বায়হাকী, মুহাষ্মদইবন আবু
উবায়দা ইবন আব্বাস সুত্রেতা সনদসহ উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি (ইবন আব্বাস) বলেন,
একবার বানু আমিরের এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিইি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে
বলল, চিকিৎসা বিদ্যায় আমি একজন পারদর্শী ব্যক্তি, আপনার কী সমস্যা? আপনি যে বিষয়ের
দিকে আহ্বান করেন আপনার মনে কি যে বিষয়ে কোন খটকা আছে? তিনি বললেন, আমি
আল্লাহ্র দিকে এবং ইসলামের দিকে আহ্বান করি ৷ সে বলল, আপনি যে কথা বলেন, তার
স্বপক্ষে কি কোন নিদর্শন আছে? তিনি বললেন, ই৷ ! যদি তুমি চাও তাহলে আমি তোমাকে
তার নিদর্শন দেখাতে পারি ৷ এ সময় তার সামনে একটি গাছ ছিল, তিনি তার একুটি শাখাকে
লক্ষ্য করে বললেন, হে গাছের শাখা ! এদিকে এসো ৷ তখন শাখাটি গাছ থেকে বিন্ডিং হয়ে
লাফাতে লাফাতে এসে তার সামনে হড়াযির হল ৷ এরপর তিনি বললেন, এবার তুমি স্ব স্থানে
ফিরে যাও, তখন তা স্ব স্থানে ফিরে গেল ৷ তখন আমিরী লোকঢি বলল, হে বানু আমির ইবন
সা’সা’আ ৷ আপনার কোন কথার কারণে আমি কখনও আপনাকে তিরস্কার করব না ৷ (তার এ
কথা থেকে বুঝা যায় যে, সে বিষগ্নটি মেনে নিয়েছিল, পুর্ণরুপে সাড়া দেয়নি ৷)

বায়হাকী, আবুল হাসান আলী ইবন আহমদ ইবন আবদান ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিইি ওয়া সাল্লামের
কাছে এসে বলল, আপনার সঙ্গীরা এ কি বলে ণ্বড়ায়? ইবন আব্বাস বলেন, এ সময় আল্লাহ্র
রাসুলের চারপাশে অনেক থেজুরের বগদি ও গাছু ছিল ৷ ইবন আব্বাস বলেন, তখন রাসুলুস্লাহ্


النَّاسِ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَلَا أُرِيكَ آيَةً؟ " قَالَ: بَلَى. قَالَ: فَنَظَرَ إِلَى نَخْلَةٍ فَقَالَ: " ادْعُ ذَلِكَ الْعِذْقَ " فَدَعَاهُ فَجَاءَ يَنْقُزُ حَتَّى قَامَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْجِعْ ". فَرَجَعَ إِلَى مَكَانِهِ، فَقَالَ الْعَامِرِيُّ: يَا آلَ بَنِي عَامِرٍ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ رَجُلًا أَسْحَرَ. يَعْنِي مِنْ هَذَا.» هَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ. وَقَدْ أَسْنَدَهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَامِرٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ عِنْدِي طِبًّا وَعِلْمًا فَمَا تَشْتَكِي؟ هَلْ يُرِيبُكَ مِنْ نَفْسِكَ شَيْءٌ؟ إِلَامَ تَدْعُو؟ قَالَ: " أَدْعُو إِلَى اللَّهِ وَالْإِسْلَامِ ". قَالَ: فَإِنَّكَ لَتَقُولُ قَوْلًا، فَهَلْ لَكَ مِنْ آيَةٍ؟ قَالَ: " نَعَمْ إِنْ شِئْتَ أَرَيْتُكَ آيَةً " وَبَيْنَ يَدَيْهِ شَجَرَةٌ، فَقَالَ لِغُصْنٍ مِنْهَا: " تَعَالَ يَا غُصْنُ ". فَانْقَطَعَ الْغُصْنُ مِنَ الشَّجَرَةِ ثُمَّ أَقْبَلَ يَنْقُزُ حَتَّى قَامَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: " ارْجِعْ إِلَى مَكَانِكَ " فَرَجَعَ فَقَالَ الْعَامِرِيُّ: يَا آلَ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، لَا أَلُومُكَ عَلَى شَيْءٍ قُلْتَهُ أَبَدًا.» وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّهُ سَلَّمَ الْأَمْرَ، وَلَمْ يُجِبْ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ. وَقَدْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا ابْنُ أَبِي قُمَاشٍ، ثَنَا ابْنُ عَائِشَةَ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৪৮১৫

সাল্লাল্লাহু আলইিইি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমি কি তোমাকে কোন নিদর্শন দেখান? যে বলল,

হা ৷ ইবন আব্বাস বলেন, তখন তিনি একটি খেজুরের র্কাদিকে কাছে ডাকলেন, আর কাদিটি
মাটি হেচড়ে অগ্রসর হতে লাগল, অবশেষে তা তার সামনে এসে ঝুকে তাকে সিজদা করতে

লাগল এবং মাথা উঠড়াতে লাগল এবংসবশেষে স্থির হ্য়ে র্দড়ােল ৷ তারপর তিনি তাকে নির্দেশ

দিলে সে স্বস্থানে ফিরে পেল ৷ ইবন আব্বাস বলেন, এই নিদর্শন দেখে আমিরী বলল, হে বানু

আমির ইবন সাসাআ, আল্লাহ্র কসম, তার কোন কথায়ই আর কখনও আমি তাকে অবিশ্বাস

করব না ৷

আমিরীর ইসলাম গ্রহণের প্রমাণ জ্যি একটি সুত্রে

হাফিয বায়হাকী, আবু নাসৱ ইবন কাতাদা ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একবার এক বেদুইন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে
বলল, কিসের দ্বারা আমি বুঝবাে যে, আপনি আল্লাহ্র রাসুল? জবাবে তিনি বললেন, বলভাে
দেখি, আমি যদি এই খেজুরের বমদিটিকে তার গাছ থেকে ডেকে আনি তাহলে কি তুমি সাক্ষ্য
দেবে যে, আমি আল্লাহ্র রাসুল? সে বলল, হা ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, তিনি তার কথা
মত, খেজুর র্কাদিটিকে ডাকলেন, তখন র্কাদিটি গাছ থেকে নেমে মাটিতে পড়ল এরপর
লাফাতে লাফাতে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পৌছে গেল ৷ তারপর
তিনি সেটিকে বললেন, এবার তুমি ফিরে যাও ৷ তখন তা স্ব স্থানে ফিরে গেল ৷ তখন সেই
বেদুইন বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহ্র রাসুল এবং সে ঈমান আনল ৷ হাফিয
বায়হাকী বলেন, ইমাম বুখারী তার আত্তারীখ’ গ্রন্থে মুহাম্মদ ইবন সাঈদের বরাতে তা
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমি বলি, সম্ভবত দোকটি প্ৰথথে তাকে যাদু ভেবেছিল, কিন্তু
পরবর্তীতে ভেবেচিন্তে সে প্রকৃত ব্যাপারটি বুঝতে পেয়েছিল ৷ তখন আল্লাহ্ তাকে হিদায়াত
করার কারণে সে ঈমান এনেছিল এবং ইসলাম গ্রহণ-করেছিল ৷ আর সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই
অধিক জানেন ৷

আবু উমর থেকে এ প্রসঙ্গে আরেকটি হাদীস

হাকিম আবু আবদুল্লাহ্ নিশাপুরী আবু বকর মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন উমর
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কোন এক সফরে আমরা রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম ৷ এ সময় এক বেদুইন আসল ৷ সে যখন তার নিকটবর্তী হল,
তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি কোথায় চলেছো হে? সে বলল, আমার পরিবার-পরিজনের
কাছে ৷ তিনি বললেন, ণ্তড়ামার কি কোন কল্যাণে আগ্রহ আছে? সে বলল, তা কী? তিনি
বললেন, তুমি সাক্ষ্য দেবে যে, এক আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য যেই ৷ তার কোন শরীক নেই
আর মুহাম্মাদ তার বান্দা ও রাসুল ৷ সে বলল, আপনি যা বললেন, তার স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য বা
প্রমাণ আছে কি? তিনি বললেন, এই পাছিটিই তার প্রমাণ ৷ এরপর তিনি গাছটিকে ডাকলেন,
আর গাছটিছিল উপত্যকার প্রান্তে ৷ তখন গাছটি মাটি হেচড়ে তার সামনে এসে র্দাড়াল ৷ তখন
তিনি গাছটির কাছে তার রিসালতের স্ব পক্ষে সাক্ষ্য চাইলেন ৷ তখন তা সাক্ষ্য দিল যেমনভাবে
তিনি বলেছিলেন ৷ এরপর গাছটি তার স্বস্থানে ফিরে গেল আর ণ্বদৃইনটি তার স্বপাে ন্থত্র ৷


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا هَذَا الَّذِي يَقُولُ أَصْحَابُكَ؟ قَالَ: وَحَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْذَاقٌ وَشَجَرٌ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَلْ لَكَ أَنْ أُرِيَكَ آيَةً؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَدَعَا عِذْقًا مِنْهَا، فَأَقْبَلَ يَخُدُّ الْأَرْضَ وَيَسْجُدُ وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ، حَتَّى وَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَرَجَعَ. قَالَ: فَخَرَجَ الْعَامِرِيُّ وَهُوَ يَقُولُ: يَا آلَ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، وَاللَّهِ لَا أُكَذِّبُهُ بِشَيْءٍ يَقُولُهُ أَبَدًا.» . طَرِيقٌ أُخْرَى فِيهَا أَنَّ الْعَامِرِيَّ أَسْلَمَ: قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو نَصْرِ بْنُ قَتَادَةَ، أَنَا أَبُو عَلِيٍّ حَامِدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّفَّاءُ، أَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ، أَنَا شَرِيكٌ عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: بِمَا أَعْرِفُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: " أَرَأَيْتَ إِنْ دَعَوْتُ هَذَا الْعِذْقَ مِنْ هَذِهِ النَّخْلَةِ أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَدَعَا الْعِذْقَ، فَجَعَلَ الْعِذْقَ يَنْزِلُ مِنَ النَّخْلَةِ حَتَّى سَقَطَ فِي الْأَرْضِ، فَجَعَلَ يَنْقُزُ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ قَالَ لَهُ " ارْجِعْ " فَرَجَعَ حَتَّى عَادَ إِلَى مَكَانِهِ، فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ. وَآمَنَ.» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ، ابْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ. قُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ৪৮১৬
وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " جَامِعِهِ " عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ - وَهُوَ الْبُخَارِيُّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ بِهِ. وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَلَعَلَّهُ قَالَ أَوَّلًا أَنَّهُ سُحِرَ. ثُمَّ تَبَصَّرَ لِنَفْسِهِ فَأَسْلَمَ وَآمَنَ لِمَا هَدَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حَدِيثٌ آخَرُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْحَاكِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ النَّيْسَابُورِيُّ: أَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْوَرَّاقُ، أَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ، أَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ أَبَانٍ الْجُعْفِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَأَقْبَلَ أَعْرَابِيٌّ فَلَمَّا دَنَا مِنْهُ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيْنَ تُرِيدُ؟ " قَالَ: إِلَى أَهْلِي. قَالَ: " هَلْ لَكَ إِلَى خَيْرٍ؟ " قَالَ: مَا هُوَ؟ قَالَ: " تَشْهَدُ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ". قَالَ: هَلْ مَنْ شَاهِدٍ عَلَى مَا تَقُولُ؟ قَالَ: " هَذِهِ الشَّجَرَةُ ". فَدَعَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ عَلَى شَاطِئِ الْوَادِي، فَأَقْبَلَتْ تَخُدُّ الْأَرْضَ خَدًّا، فَقَامَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَاسْتَشْهَدَهَا ثَلَاثًا، فَشَهِدَتْ أَنَّهُ كَمَا قَالَ، ثُمَّ إِنَّهَا رَجَعَتْ إِلَى مَنْبَتِهَا، وَرَجَعَ الْأَعْرَابِيُّ إِلَى قَوْمِهِ، فَقَالَ: إِنْ يَتَّبِعُونِي أَتَيْتُكَ بِهِمْ، وَإِلَّا رَجَعْتُ إِلَيْكَ وَكُنْتُ مَعَكَ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ وَلَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ وَرَدَ عَنْ رُكَانَةَ بْنِ عَبْدِ يَزِيدَ قِصَّةٌ شَبِيهَةٌ بِهَذَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.