আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب دلائل النبوة

الدلائل الحسية
قصة قصعة بيت الصديق
قصة قصعة بيت الصديق
قصة قصعة بيت الصديق
قصة قصعة بيت الصديق
قصة قصعة بيت الصديق
পৃষ্ঠা - ৪৭৮৭

অবশিষ্টাত্শ তার সকল প্রতিবেশীদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন ৷ এভাবে আল্লাহ্ তাতে প্রভুত
বরকত ও কল্যাণ দান করলেন ৷ সনদ ও পাঠ বিবেচনায় এ হাদীসখড়ানিও গরীব পর্যায়ের ৷ আর
ইতিপুর্বে আমরা নবৃওয়াতের সুচনাকালের আলোচনা প্রসঙ্গে যখন এই আয়াত নাযিল হয়
ট্রু,টু ৰুঠুর্দুৰুা৷ ণ্াট্রুট্রুট্রু :ছু টু ৷ ) আর আপনি আপনার নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করে দিন ৷
হযরত আলীর সুত্রে ৱাবীআ ইবন মাজ্যিদর হাদীস উল্লেখ করেছি ৷ সে হাদীসের বিষয়বস্তু হল,
নবী করীম (সা) বনু হাশিমের চল্লিশ জনকে দাওয়াত করলেন ৷ তারপর একমুঠ পরিমাণ যব
থেকে প্রস্তুত খাবার তাদেরকে পরিবেশন করলেন ৷ তখন তারা খেয়ে তৃপ্ত হল এবং খাবারের
পরিমাণ পুর্বের মতই রয়ে গেল ৷ তিনি তাদেরকে একটি বড় পেয়ালা থেকে পান করালেন
তখন তারা তৃপ্ত হল এবং পেয়ালার পানি যেমন ছিল তেমনি রয়ে গেল ৷ এভাবে পর পর
তিনদিন করলেন এরপর তাদেরকে আল্লাহ্র দিকে আহ্বান করলেন, যেমনটি পুর্বে বিগত
হয়েছে ৷

নবী গৃহে সংঘটিত আরেকটি ঘটনা

ইমাম আহমাদ আলী ইবন আদিম সামুরা ইবন জুনদৃব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একবার আমরা নবী করীম (না)-এর কাছে অবস্থান করছিলাম ৷ তখন তার
কাছে ছারীদপুর্ণ একটি খাঞ্চা আসল ৷ সামুরা (রা) বলেন, তখন তিনি খেলেন এবং তার সাথে
উপস্থিত সকলেই খেলেন ৷ এরপর তারা প্রায় যুহর নামায পর্যন্ত তা হাত বদল করতে
থাকলেন ৷ একদল খেয়ে উঠে যান তারপর আরেক দল এসে একের পর এক নিয়ে খেতে
থাকেন ৷ তখন এক ব্যক্তি সামুরা (রা)কে জিজ্ঞেস করল, তাতে কি (নতুন) খাবার সরবরাহ
করা হচ্ছিল ? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আসমান থেকে হচ্ছিল ৷ তারপর ইমাম আহমাদ ইয়াযীদ
ইবন হারুন সামুরা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে ছারীদপুর্ণ
একটি খাঞ্চা আসল ৷ তখন ণ্লাকেবা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তা খেতে লাগল ৷
একদল উঠে যায়, আরেক দল খেতে বসে ৷ তখন একব্যক্তি সামুরাকে বলল, তাকে কি
(নতুন) খাবার সরবরাহ করা হচ্ছিল ? তখন তিনি বললেন, তা হলে আর আশ্চর্য হওয়ার কী
আছে ? ওখান থেকেই তা সরবরাহ করা হচ্ছিল, একথা বলে তিনি আকাশের দিকে ইঙ্গিত
করলেন ৷ এছাড়া তিরমিযী ও নাসাঈও মু’তামির ইবন সুলায়মানের হাদীস সংগ্রহ থেকে
হযরত সামুরার বরাতে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷

আবু বকরের (রা) বাড়ির ঘটনা

সম্ভবত এটা হযরত সামুরার হাদীসে উল্লেখিত ঘটনড়াটিই ৷ আর আল্লাহ্ই সর্বাধিক জানেন ৷
বুখারী, মুসা ইবন ইসমাঈল আবদুর রহমান ইবন আবু বকর সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
সুফ্ফাবাসীরা ছিলেন নিঃস্ব ও দজ্জি ৷ একবার নবী করীম (সা) বললেন, যার ঘরে দু’জনের
খাবার আছে, সে যেন তৃতীয়জনকে সাথে নিয়ে খায়, আর যার কাছে চারজনের খাবার আছে
সে যেন পঞ্চম বা ষষ্ঠত্তনেকে নিয়ে খায়, অথবা তিনি যেমন বলেছেন ৷ আর এডাবেআবু বকর
তিনজনকে নিয়ে আসলেন, আর নবী করীম (সা) দশজনকে নিয়ে ণ্গ্যলন ৷ আর আবু বকর
পরিবার ছিল তিনজনের তা হল আমি, আমার পিতা (আবু বকর) এবং আমার মাতা, আবু
উছমান বলেন, আমি জানিনা তিনি একথা বলেছেন কিনা আমাদের গৃহ এবং আবু বকরের
গুহ থেকে আমার শ্রী ও আমার দাসী ৷


[قِصَّةُ قَصْعَةِ بَيْتِ الصِّدِّيقِ] وَلَعَلَّهَا هِيَ الْقَصْعَةُ الْمَذْكُورَةُ فِي حَدِيثِ سَمُرَةَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، ثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ أَصْحَابَ الصُّفَّةِ كَانُوا أُنَاسًا فُقَرَاءَ، وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ، وَسَلَّمَ قَالَ مَرَّةً: «مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ فَلْيَذْهَبْ بِثَالِثٍ، وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ أَرْبَعَةٍ فَلْيَذْهَبْ بِخَامِسٍ أَوْ سَادِسٍ أَوْ كَمَا قَالَ. وَأَنَّ أَبَا بَكْرٍ جَاءَ بِثَلَاثَةٍ، وَانْطَلَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَشَرَةٍ، وَأَبُو بَكْرٍ بِثَلَاثَةٍ. قَالَ: فَهُوَ أَنَا وَأَبِي وَأُمِّي. وَلَا أَدْرِي هَلْ قَالَ: امْرَأَتِي وَخَادِمٌ بَيْنَ بَيْتِنَا وَبَيْتِ أَبِي بَكْرٍ. وَأَنَّ أَبَا بَكْرٍ تَعَشَّى عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ لَبِثَ حَتَّى صَلَّى الْعِشَاءَ، ثُمَّ رَجَعَ فَلَبِثَ حَتَّى تَعَشَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ بَعْدَ مَا مَضَى مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللَّهُ، قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ: مَا حَبَسَكَ عَنْ أَضْيَافِكَ، أَوْ ضَيْفِكَ؟ قَالَ: أَوَ مَا عَشَّيْتِيهِمْ؟ قَالَتْ: أَبَوْا حَتَّى تَجِيءَ قَدْ عَرَضُوا عَلَيْهِمْ فَغَلَبُوهُمْ. فَذَهَبْتُ فَاخْتَبَأْتُ فَقَالَ: يَا غُنْثَرُ. فَجَدَّعَ وَسَبَّ. وَقَالَ: كُلُوا - فِي رِوَايَةٍ أُخْرَى: لَا هَنِيئًا - وَقَالَ: لَا أَطْعَمُهُ أَبَدًا. وَاللَّهِ مَا كُنَّا نَأْخُذُ مِنْ لُقْمَةٍ إِلَّا رَبَا مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا،
পৃষ্ঠা - ৪৭৮৮


এদিকে আবু বকর নবীর্জীর কাছে রাতের খাবার খেলেন ৷ তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে
ইশার নামায পড়ে ফিরে আসলেন ৷ এরপর ৱাসুলুল্লাহ্(সা)-এর রাতের খাবার খাওয়া পর্যন্ত
সেখানে অবস্থান করলেন ৷ অবণ্যেষ রাতের অনেকখানি অতিবাহিত হওয়ার পর নিজ বাড়িতে
ফিরে আসলেন ৷ তখন তার শ্রী বললেন, কিসে আপনাকে আপনার অতিথিদের অথবা অতিথি
থেকে আটকে ব্লেখেজ্জি ? তিনি বললেন, তুমি কি তাদেরকে এখনও রাতের খাবার দাওনি ?
তার শ্রী বললেন, আপনার আসার পুর্বে তারা খাবার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ৷ সকলে
তাদের সামনে খাবার পেশ করেছে কিন্তু তারা তা গ্রহণ করেনি ৷ (আব্দুর রহমান বলেন) তখন
আমি গিয়ে লুকিয়ে থাকলাম ৷ তখন তিনি বললেন, হে পাজি! এছাড়া তিনি রাগারাগি ও
বকাবকি করলেন, এরপর তিনি অতিথিদের উদ্দেশ্যে বললেন, আপনারা খেয়ে নিন ৷ (অন্য
রিওয়ায়াতে আছে আপনারা অপেক্ষা করে ভাল করেননি) আরও বললেন, আমি আর খাব না,
আল্লাহ্র কসম৷ আমরা (সেই খাবার থেকে) যখনই একলােকমা নিচ্ছিলাম তখনই তার নিচ
থেকে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছিল এমনকি তারা সকলে খেয়ে তৃপ্ত হলেন এবং
খাবার পুর্বের তুলনায় আরো বৃদ্ধি পেল ৷ তখন আবু বকর তাকিয়ে দেখলেন যে, তা পুর্বের
মতই কিৎবা তার চেয়ে অধিক ৷ তখন তিনি তার ত্রীকে বললেন, হে বানু ফিরাস গোত্রের
যেয়ে , এটা কী ? তিনি বললেন, আমার চোখের শপথ, এখন তাে তা পুর্বের চেয়ে তিন গুণ ৷
তখন আবু বকর (বা) তা থেকে খেয়ে বললেন,? আসলে তা (আমার শপথ) ছিল শয়তানের
প্ররোচনায় ৷ তারপর তিনি তা থেকে আরেক লোকমা খেয়ে তা নবী করীম (না)-এর কাছে
নিয়ে গেলেন ৷ তখন তা তার কাছে থাকল ৷ আমাদের ও এক গোত্রের মাঝে অনাক্রমণ চুক্তি
ছিল, তখন তার মেয়াদ শেষ হল ৷ তইি আমরা বারজনকে নেতা নির্ধারণ করলাম, যাদের
প্রত্যেকের সাথে কয়েকজন করে লোক ছিল প্রত্যেকের সাথে কতজন করে লোক ছিল তা
আল্লাহ্ই ভাল জানেন তবে তিনি তাদের সাথে এদেরকেও পাঠালেন ৷ আবদুর রহমান বলেন,
এরা সকলেই সেই খাবার থেকে (পেট ভরে) খেলেন এবং অন্যরাও খেলেন ৷ এরপর আমরা
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম ৷ এটা বুখারীর পাঠ, তিনি তার সহীহ্ গ্রন্থের একাধিক স্থানে এটা উল্লেখ
করেছেন ৷ এছাড়া মুসলিম ও আবু উছমান আবদুর রহমান ইবন মুল সুত্রে আবদুর রহমান
ইবন আবু বকর থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

আবদুর রহমান ইবন আবু বকর সুত্রে পুর্বের সমার্থক আরেকটি হাদীস

ইমাম আহমদ, হাযিম আব্দুর রহমান ইবন আবু বকর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, (একবার) আমরা একশ’ তিরিশ জন (লোক রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে ছিলাম ৷
তখন নবী করীম (সা) বললেন, তোমাদের কারো কাছে কি কোন খাবার আছে ? তখন দেখা
গেল, এক ব্যক্তির কাছে এক সা’ বা অনুরুপ পরিমাণ গমের আটা রয়েছে ৷ তখন তা দ্বারা
খামীর প্রস্তুত করা হল ৷ তারপর উসকো খুশকো চুলওয়ালা দীর্ঘকায় এক ঘুশরিক একপাল
মেষ হাকিয়ে নিয়ে উপস্থিত হল ৷ তখন নবী করীম (না) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এগুলি কি
বিক্রির জন্য না কি দান (অথবা তিনি বলেনহাদিয়া) সে বলল, বিক্রির জন্য ৷ তখন তিনি
তার নিকট থেকে একটি বকরী ক্রয় করলেন ৷ তারপর জবাই করে তা রান্নার ক্রা৷ প্রস্তুত করা
হল ৷ আর নবী করীষ্ম (সা) বকরীটির যকৃত ভুনা করার নির্দেশ দিলেন ৷ আব্দুর রহমান বলেন,


حَتَّى شَبِعُوا، وَصَارَتْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ قَبْلُ. فَنَظَرَ أَبُو بَكْرٍ، فَإِذَا هِيَ أَكْثَرُ، فَقَالَ لِامْرَأَتِهِ: يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ؟ ! قَالَتْ: لَا وَقُرَّةِ عَيْنِي، لَهِيَ الْآنَ أَكْثَرُ مِمَّا قَبْلُ بِثَلَاثِ مِرَارٍ. فَأَكَلَ مِنْهَا أَبُو بَكْرٍ، وَقَالَ إِنَّمَا كَانَ الشَّيْطَانُ. يَعْنِي يَمِينَهُ. ثُمَّ أَكَلَ مِنْهَا لُقْمَةً، ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ، وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَهْدٌ، فَمَضَى الْأَجَلُ فَتَفَرَّقْنَا اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا، مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أُنَاسٌ، اللَّهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ، غَيْرَ أَنَّهُ بَعَثَ مَعَهُمْ. قَالَ: فَأَكَلُوا مِنْهَا أَجْمَعُونَ. أَوْ كَمَا قَالَ وَغَيْرُهُ يَقُولُ: فَعَرَفْنَا» . مِنَ الْعِرَافَةِ. هَذَا لَفْظُهُ، وَقَدْ رَوَاهُ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ مِنْ " صَحِيحِهِ "، وَمُسْلِمٌ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَلٍّ النَّهْدِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ حَدِيثٌ آخَرُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ فِي هَذَا الْمَعْنَى قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَارِمٌ، ثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهُ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثِينَ وَمِائَةً، فَقَالَ النَّبِيُّ
পৃষ্ঠা - ৪৭৮৯
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ مَعَ أَحَدٍ مِنْكُمْ طَعَامٌ؟ فَإِذَا مَعَ رَجُلٍ صَاعٌ مِنْ طَعَامٍ أَوْ نَحْوُهُ، فَعُجِنَ، ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ مُشْعَانٌّ طَوِيلٌ بِغَنَمٍ يَسُوقُهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَبَيْعًا أَمْ عَطِيَّةً؟ " أَوْ قَالَ: " أَمْ هَدِيَّةً؟ " قَالَ: لَا بَلْ بَيْعٌ. فَاشْتَرَى مِنْهُ شَاةً فَصُنِعَتْ، وَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَوَادِ الْبَطْنِ أَنْ يُشْوَى. قَالَ: وَايْمُ اللَّهِ مَا مِنَ الثَّلَاثِينَ وَالْمِائَةِ إِلَّا قَدْ حَزَّ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُزَّةً مِنْ سَوَادِ بَطْنِهَا؛ إِنْ كَانَ شَاهِدًا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ، وَإِنْ كَانَ غَائِبًا خَبَّأَ لَهُ. قَالَ: وَجَعَلَ مِنْهَا قَصْعَتَيْنِ. قَالَ: فَأَكَلْنَا أَجْمَعُونَ وَشَبِعْنَا، وَفَضَلَ فِي الْقَصْعَتَيْنِ، فَجَعَلْنَاهُ عَلَى الْبَعِيرِ» أَوْ كَمَا قَالَ. وَقَدْ أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ. حَدِيثٌ آخَرُ فِي تَكْثِيرِ الطَّعَامِ فِي السَّفَرِ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا فَزَارَةُ بْنُ عَمْرٍو أَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا، فَأَرْمَلَ فِيهَا الْمُسْلِمُونَ وَاحْتَاجُوا إِلَى الطَّعَامِ فَاسْتَأْذَنُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَحْرِ الْإِبِلِ، فَأَذِنَ لَهُمْ، فَبَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ: فَجَاءَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِبِلُهُمْ تَحْمِلُهُمْ وَتُبَلِّغُهُمْ عَدُوَّهُمْ، يَنْحَرُونَهَا؟! بَلِ ادْعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِغُبَّرَاتِ الزَّادِ، فَادْعُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৯০

আল্লাহ্র কসম ! একশ ত্রিশ জনের প্রত্যেককেই আল্লাহ্র রাসুল সেই বকরীর তুনা যকৃত থেকে
অংশ দিয়েছিলেন ৷ যে উপস্থিত জ্জিা, তাকে তৎক্ষণাৎ দিলেন আর যে অনুপস্থিত ছিল তার জন্য
পৃথক করে তুলে রাখলেন ৷ আব্দুর রহমান বলেন, আর তিনি এই বকরীর গােশত দুটি খড়াঞ্চায়
রাখলেন ৷ তারপর আমরা সকলে পেট তবে তা পেলাম এবং উভয় খাঞ্চায় খাবার অবশিষ্ট
রইলো ৷ তখন আমরা তা আমাদের উটের হাওদায় নিয়ে রাখলাম ৷ আর বুখারী ও মুসলিম

মু-’তামির ইবন সৃলায়মানের হাদীস সংগ্রহ থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

নবী (সা) কর্তৃক সফরে খাদ্য বৃদ্ধির আরেকটি হাদীস

ইমাম আহমদ, ফাযারা ইবন উমর আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একবার রাসুলুল্পাহ্ (সা) কোন এক যুদ্ধাভিযানে বের হলেন ৷ পথে তাদের পাখেয়
নিঃশেষ হয়ে গেল এবং খাদ্যভাব দেখা দিল ৷ তখন তারা আল্লাহর রাসুলের কাছে উট
জবইিয়ের অনুমতি চাইলে তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন ৷ এ খবর যখন হযরত উমরের
কাছে পৌজ্জ, তখন তিনি এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! যে উটপাল তাদেরকে বহন করে
শত্রু পর্যন্ত পৌছাবে তাদেরকেই তারা জবাই করবে ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি দুআ করুন,
আল্লাহ্ যেন তাদের অবশিষ্ট পাখেয়ের মাঝে বরকত দান করেন ৷ তিনি বললেন, অবশ্যই তখন
তিনি অবশিষ্ট পাখেয় নিয়ে আসতে বললেন ৷ ফলে লোকেরা তাদের সাথে থাকা অবশিষ্ট
পাখেয় নিয়ে আসল ৷ তিনি তখন সেগুলি একত্র করে তাতে বরকতের জন্য আল্লাহর কাছে
দৃআ করলেন ৷ তাদেরকে তাদের পাত্রসমুহ নিয়ে আসতে বললেন ৷ তারপর সেগুলি ভরে
দিলেন এবং অনেক খাবার অবশিষ্ট রয়ে গেল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি সাক্ষ্য
দিচ্ছি, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আল্লাহ্র বান্দা ও
তার রাসুল ৷ আর এ দু’টি বিষয়ে নিঃসংশয় হয়ে যে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে সে জান্নাতে
প্রবেশ করবে ৷ এছাড়া জাফর আলৰুফারয়াবী আবু মুসআব আয্যুহরী আবুহাষিম সুহায়ল
সুত্রে (এই সনদে) তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর মুসলিম ও নাসাঈ উভয়ে আবু বকর ইবন
আবুন নয্র ; আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

হাফিয আবু ইয়ালা মাওসিলী যুহায়র সুত্রে আবু সালিহ সাঈদ কিত্বা আবু হুরায়রা
(রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, গয্ওয়ায়ে তাবুক যখন সংঘটিত হল তখন লোকদের
খাদ্যাভাব দেখা দিল ৷ তখন তারা এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! যদি আপনি অনুমতি দিতেন
তাহলে আমরা আমাদের পানিবাহী উটগুলিকে জবাই করে খাবার গোশত ও ব্যবহারের ,
তেল-চর্বি পেতাম ৷ তখন তিনি বললেন, তোমরা তা কর ৷ একথা শুনে উমর এসে বললেন,
ইয়া রাসুলাল্পাহ্! এ কাজ করলে তো আমাদের বাহন কমে যাবে ৷ তার চেয়ে বরং আপনি
তাদের অবশিষ্ট পাখেয় আনতে বলুন, তারপর তাদের জন্য সেগুলিতে বরকতের দুআ করুন ৷
তাহলে আল্লাহ্ তাতে বরকত দান করবেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নির্দেশে একটি চামড়ার
দস্তরখান বিছানাে হল এবং তিনি সকলকে তাদের অবশিষ্ট পাখেয় (খাদ্য) এনে তাতে রাখতে
বললেন ৷ রাবী বলেন, তখন কেউ এক মুঠাে খেজুর কেউ বা রুটির টুকরা আনতে লাগল,
এভাবে চামড়ার উপর সামান্য কিছু খাদ্যসামগ্রী সংগৃহীত হল ৷ তখন তিনি তাদের জন্য
বরকতের দুআ করে বললেন, এবার তোমরা এখান থেকে তোমাদের নিজ নিজ পাত্রে নিয়ে


اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فِيهَا بِالْبَرَكَةِ. قَالَ: " أَجَلْ ". فَدَعَا بِغُبَّرَاتِ الزَّادِ، فَجَاءَ النَّاسُ بِمَا بَقِيَ مَعَهُمْ، فَجَمَعَهُ، ثُمَّ دَعَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، فِيهِ بِالْبَرَكَةِ، وَدَعَاهُمْ بِأَوْعِيَتِهِمْ، فَمَلْأَهَا وَفَضَلَ فَضْلٌ كَثِيرٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ: " أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنِّي عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَمَنْ لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، بِهِمَا غَيْرَ شَاكٍّ، دَخَلَ الْجَنَّةَ» وَكَذَلِكَ رَوَاهُ جَعْفَرٌ الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ أَبِي مُصْعَبٍ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سُهَيْلٍ بِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ الْأَشْجَعِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: ثَنَا زُهَيْرٌ ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَوْ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - شَكَّ الْأَعْمَشُ - قَالَ: «لَمَّا كَانَتْ غَزْوَةُ تَبُوكَ أَصَابَ النَّاسَ مَجَاعَةٌ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ أَذِنْتَ لَنَا فَنَحَرْنَا نَوَاضِحَنَا، فَأَكَلْنَا وَادَّهَنَّا. فَقَالَ: " افْعَلُوا " فَجَاءَ عُمَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُمْ إِنْ فَعَلُوا قَلَّ الظَّهْرُ، وَلَكِنِ ادْعُهُمْ بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ، ثُمَّ ادْعُ لَهُمْ عَلَيْهَا بِالْبَرَكَةِ، لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَ فِي ذَلِكَ الْبَرَكَةَ. فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنِطْعٍ فَبُسِطَ، ثُمَّ دَعَا بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ. قَالَ: فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৯১

যাও ৷ তখন তারা তা নিয়ে গিয়ে তাদের পাত্রে ভরতে লাগল, এমনকি গোটা ফৌজের একটি
পাত্রও অপুর্ণ থাকলা না ৷ এরপর তারা পেট ভরে থেল এবং আরও খাবার বেচে থাকল ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি
আল্লাহ্র রাসুল ৷ এই বিশ্বাস নিয়ে সন্দেহমুক্ত অবস্থায় যে কোন বান্দা আল্লাহ্র সাথে মিলিত
হয়ে তার জন্য জান্নাত উন্মুক্ত থাকবে ৷ ইমাম মুসলিমও এভাবে সাহ্ল ইবন উছমান এবং আবু
ফুরায়ব আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এবং
অনুরুপ বিষয় উল্লেখ করেছেন ৷

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আরেকটি হাদীস

ইমাম আহমদ, আলী ইবন ইসহাক আবু উমরা আনসারী সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, ক্লোন এক যুদ্ধাডিযানে আমরা রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর সাথে ছিলাম, এ সময়
লোকদের খাদ্যাভাব দেখা দিল ৷ তখন লোকেরা তাদের কতক বাহন উট জবইি করার জন্য
রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনুমতি চেয়ে বলল, এদ্বারাই আল্লাহ্ আমাদের চালিয়ে দেবেন ৷

হযরত উমর যখন দেখলেন যে আল্পাহ্র রাসুল তাদেরকে অনুমতি দিতে উদ্যত হয়ােছা
তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমাদের কী অবস্থা হবে আপামীকাল আমরা যদি
ক্ষুধার্ত ও পদাতিক অবস্থায় শত্রুর মুখোমুখি হই ? ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ আপনি বরং আমাদের যার
যা পাথেয় অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলো আনতে বলুন, তারপর তা একত্র করে তাতে বরকত
প্রদানের জন্য আল্লাহ্র কাছে দৃআ করুন ৷ কেননা, আপনার দৃআ দ্বারা আল্লাহ্ আমাদের
অভাবটা চালিয়ে দেবেন ৷ অথবা (রাবীর সন্দেহ) আপনার দৃআ দ্বারা তিনি আমাদেরকে বরকত
দান করবেন ৷ তখন নবী করীম (সা) তাদের অবশিষ্ট পাথেয় নিয়ে আসতে বললেন, এবং
লোকেরা অল্প আর খাবার নিয়ে আসতে লাগল ৷ সর্বোচ্চ পরিমাণ আনয়নকারী এক সা পরিমাণ
খেজুর আনলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এসবগুলো একত্র করলেন ৷ তারপর আল্লাহ্র মর্জি
মাফিক দুআ করলেন ৷ তারপর সবলেকে তাদের নিজ নিজ পাত্র এনে তা থেকে তবে নিতে
বললেন ৷ তখন তারা ফৌজের সকল পাত্র পুর্ণ করে ফেলল এবং সমপরিমাণ অবশিষ্ট থাকল ৷
তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) এ অবস্থা দেখে হেসে ফেললেন, এমনকি তার মাড়ির দাতও প্রকাশ
পেয়ে গেল ৷ এরপর তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কােন উপাস্য নেই
এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আল্লাহ্র রাসুল ৷ যে কোন বান্দা এ দুটি কথার ঈমান নিয়ে
আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাত করবে, কিয়ামতের দিন তাকে জাহান্নাম থেকে দুরে রাখা হবে ৷ এছাড়া
নাসাঈ আবদুল্লাহ ইবন মুবারকের হাদীস সংগ্রহ থেকে তার সনদে হাদীসখানি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আরেকটি হাদীস

হাফিয আবু বকর আল-বায্যার আহমদ ইবনুল মুআল্পা ইব্রাহীম ইবন আবদুর
রহমান ইবন আবু রাবীআ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবু হানীস আলগিফারীকে (বলতে)
শ্যুনছেন যে, তিনি তিহামা অভিযানে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে ছিলেন ৷ (তিনি বলেন)
অবশেষে আমরা যখন উসফান এলাকায় পৌছিলাম তখন তার সফর সঙ্গীগণ এসে বললেন,


بِكَفِّ الذُّرَّةِ، وَالْآخِرُ بِكَفِّ التَّمْرِ، وَالْآخِرُ بِالْكِسْرَةِ، حَتَّى اجْتَمَعَ عَلَى النِّطْعِ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ يَسِيرٌ، فَدَعَا عَلَيْهِ بِالْبَرَكَةِ، ثُمَّ قَالَ: " خُذُوا فِي أَوْعِيَتِكُمْ ". فَأَخَذُوا فِي أَوْعِيَتِهِمْ، حَتَّى مَا تَرَكُوا فِي الْعَسْكَرِ وِعَاءً إِلَّا مَلَئُوهُ، وَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا وَفَضَلَتْ فَضْلَةٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، لَا يَلْقَى اللَّهَ بِهَا عَبْدٌ غَيْرَ شَاكٍّ فَيُحْجَبَ عَنِ الْجَنَّةِ» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا، عَنْ سَهْلِ بْنِ عُثْمَانَ وَأَبِي كُرَيْبٍ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَوْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ. حَدِيثٌ آخَرُ فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ - هُوَ ابْنُ الْمُبَارَكِ - أَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، أَنَا الْمُطَّلِبُ بْنُ حَنْطَبٍ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزَاةٍ، فَأَصَابَ النَّاسَ مَخْمَصَةٌ، فَاسْتَأْذَنَ النَّاسُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَحْرِ بَعْضِ ظُهُورِهِمْ وَقَالُوا: يُبَلِّغُنَا اللَّهُ بِهِ. فَلَمَّا رَأَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ هَمَّ أَنْ يَأْذَنَ لَهُمْ فِي نَحْرِ بَعْضِ ظُهُورِهِمْ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ بِنَا إِذَا نَحْنُ لَقِينَا الْعَدُوَّ غَدًا جِيَاعًا رِجَالًا؟ وَلَكِنْ إِنْ رَأَيْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৭৯২
تَدْعُوَ لَنَا بِبَقَايَا أَزْوَادِهِمْ وَتَجْمَعَهَا، ثُمَّ تَدْعُوَ اللَّهَ فِيهَا بِالْبَرَكَةِ، فَإِنَّ اللَّهَ سَيُبَلِّغُنَا بِدَعْوَتِكَ. أَوْ قَالَ: سَيُبَارِكُ لَنَا فِي دَعْوَتِكَ. فَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَقَايَا أَزْوَادِهِمْ، فَجَعَلَ النَّاسُ يَجِيئُونَ بِالْحَثْيَةِ مِنَ الطَّعَامِ وَفَوْقَ ذَلِكَ، فَكَانَ أَعْلَاهُمْ مَنْ جَاءَ بِصَاعٍ مَنْ تَمْرٍ، فَجَمَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَامَ فَدَعَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَ، ثُمَّ دَعَا الْجَيْشَ بِأَوْعِيَتِهِمْ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَحْثُوا، فَمَا بَقِيَ فِي الْجَيْشِ وِعَاءٌ إِلَّا مَلَئُوهُ، وَبَقِيَ مِثْلُهُ، فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ وَقَالَ: «أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، لَا يَلْقَى اللَّهَ عَبْدٌ مُؤْمِنٌ بِهِمَا إِلَّا حُجِبَتْ عَنْهُ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. حَدِيثٌ آخَرُ فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمُعَلَّى الْأَدَمِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ، أَظُنُّهُ مَنْ وَلَدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا خُنَيْسٍ الْغِفَارِيَّ، «أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تِهَامَةَ حَتَّى إِذَا كُنَّا بَعُسْفَانَ جَاءَهُ أَصْحَابُهُ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، جَهَدَنَا الْجُوعُ فَأْذَنْ لَنَا فِي الظَّهْرِ أَنْ نَأْكُلَهُ. قَالَ: " نَعَمْ ". فَأُخْبِرَ بِذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَجَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، مَا صَنَعْتَ؟ أَمَرْتَ النَّاسَ أَنْ يَنْحَرُوا الظَّهْرَ! فَعَلَى مَا يَرْكَبُونَ؟! قَالَ: " فَمَا تَرَى يَابْنَ الْخَطَّابِ؟ " قَالَ: أَرَى أَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৭৯৩

ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! ক্ষুধা ও অনাহাব্রে আমরা কাহিল হয়ে পড়েছি ৷ সুতরাং আপনি আমাদেরকে
বাহনের উট জবাই করে খাওয়ার অনুমতি দিন ৷ তখন তিনি তাদেরকে, ই৷ বলে অনুমতি
দিলেন ৷ উমর (রা) যখন তা অবহিত হলেন, তখন তিনি আল্লাহর রাসুলের কাছে এসে
বললেন, হে আল্লাহর নবী ! এ আপনি কী করেছেন ? ণ্লাকাদৰাক বাহন জবাইয়ের নির্দেশ
দিয়েছেন, তাহলে তারা আরোহণ করবে কিসে ? তখন নবী করীম(সা) বলেন, হে খাত্তারপুত্রা
তোমার অভিমত কী ? জবাবে তিনি বললেন, আমার মত হল, আপনি তাদেরকে তাদের
অবশিষ্ট পাথেয় নিয়ে আমার নিভ্রু র্দশ দেবেন ৷ তারপর সেগুলো একটি কাপড়ে একত্র করে
তাদের জন্য দু আ করবেন ৷ তখন তিনি তাদেরকে সেরুপ নির্দেশ দিলেন ৷ তারা তাদের
অবশিষ্ট পাখেয় একটি কাপড়ে একত্র করলেন এবং তিনি তাদের জন্য (বরকতের) দু আ
করলেন ৷ তারপর তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের পাত্রসমুহ নিয়ে এসো ৷ তখন প্রত্যেকে
নিজ নিজ পাত্র পুর্ণ করে নিল ৷ তারপর তিনি রওয়ান৷ হওয়ার ঘোষণা দিলেন ৷ তারপর তারা
যখন সে স্থান অতিক্রম করলেন তখন বৃষ্টিসিক্ত হলেন ৷ ফলে তিনি বাহন থেকে অবতরণ
করলেন এবং তার সফরসঙ্গীগণও অবতরণ করলেন ৷ তার৷ সকলে আসমানী পানি পান
করলেন ৷
এ সময় তিন ব্যক্তির আগমন বটল ৷ তাদের দু জন আল্লাহর রাসুলের সাথে বসল আর
তভীয়জন উপেক্ষা করে চলে গেল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি কি তােমাদেরকে
তিন ব্যক্তির অবস্থা অবহিত করব না ? একজন আল্লাহ থেকে লজ্জাবাে ধ করেছে তাই আল্লাহ্ও
তার থেকে লজ্জাবােধ করেছেন ৷ আর অন্য জন তওবা করে এগিয়ে এস্যেছ তাই আল্লাহ্ও
তার তওবা কবুল করেছেন ৷ তভীয়জন উপেক্ষা করেছে, তাই আল্লাহ্ও তাকে উপেক্ষা
করেছেন ৷ এরপর বায্যাৱ বলেন, আবু হানীস এই সনদে এই হাদীস ব্যতীত কোন হাদীস
ব্লিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা নেই ৷ অবশ্য, বায়হাকী হুসায়ন ইবন বুশরান
ইব্রাহীম ইবন আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু রাবী’ আ সুত্রে হাদীসখানি রিওয়ায়াত
করেছেন যে, তিনি (রাবী আ) আবু হানীস আল গিফারী থেকে শুনেছেন ৷ তারপর তিনি তা
উল্লেখ করেহ্নে৷ ৷

এ ঘটনা প্ৰস্ত্ত্বঙ্গ হযরত উমর সুত্রে আরেকটি হাদীস

হাফিয আবু ইয়ালা, ইবন হিশাম অর্থাৎ মুহাম্মদ ইবন যায়দ উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমরা কোন এক যুদ্ধাভিযানে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সাথে
ছিলাম ৷ (শত্রুর কাছাকাছি পৌছার পর) আমরা তাকে রললাম, ই য়া রাসুলাল্লাহ্৷ শত্রু তাে
প্রায় পৌছে গেল অথচ তার৷ পানাহারে তৃপ্ত আর আমাদের লোকজন ক্ষুধার্ত ৷ তখন
আনসারগণ বললেন, আমরা কি আমাদের পানিবাহী উটগুলি জবা ই করে লোকদের খাওয়াতে
পারি না ? তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যার কাছে বাড়তি খাবার আছে যে তা নিয়ে
আসুক ৷ তখন একেক জন মুদৃপরিমাণ, সা’ পরিমাণ এবং তার কমবেশি আনতে লাগল ৷
এভাবে গোটা ফৌজ থেকে বিশ সা’র অধিক পরিমাণ খাদ্য সংগৃহীত হল ৷ এরপর আল্লাহর
নবী তার পাশে বসে ররকতেবুদুআ করলেন এবং বললেন তোমরা এখান থেকে নিতে থাক,
তবে নিতে গিয়ে কেউ তাড়াহুড়া বা হৈ-হল্লা করবে না ৷ তখন একেকজন তার থলে ও বস্তায়
তা নিতে লাগল এবং তাদের অন্যান্য পাত্রেও নিল ৷ এমনকি কেউ কেউ তাদের আমার আস্তিন


تَأْمُرَهُمْ أَنْ يَأْتُوا بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ، فَتَجْمَعَهُ فِي ثَوْبٍ، ثُمَّ تَدْعُوَ لَهُمْ. فَأَمَرَهُمْ فَجَعَلُوا فَضْلَ أَزْوَادِهِمْ فِي ثَوْبٍ، ثُمَّ دَعَا لَهُمْ، ثُمَّ قَالَ: " ائْتُوا بِأَوْعِيَتِكُمْ ". فَمَلَأَ كُلُّ إِنْسَانٍ وِعَاءَهُ، ثُمَّ أَذِنَ بِالرَّحِيلِ، فَلَمَّا جَاوَزَ مُطِرُوا، فَنَزَلَ وَنَزَلُوا مَعَهُ وَشَرِبُوا مِنْ مَاءِ السَّمَاءِ، فَجَاءَ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ، فَجَلَسَ اثْنَانِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَهَبَ الْآخَرُ مُعْرِضًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَلَا أُخْبِرُكُمْ عَنِ النَّفَرِ الثَّلَاثَةِ؟ أَمَّا وَاحِدٌ فَاسْتَحْيَا مِنَ اللَّهِ فَاسْتَحْيَا اللَّهُ مِنْهُ، وَأَمَّا الْآخَرُ فَأَقْبَلَ تَائِبًا فَتَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَأَمَّا الْآَخَرُ فَأَعْرَضَ فَأَعْرَضَ اللَّهُ عَنْهُ» ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُ رَوَى أَبُو خُنَيْسٍ إِلَّا هَذَا الْحَدِيثَ بِهَذَا الْإِسْنَادِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ أَبِي الْحُسَيْنِ بْنِ بِشْرَانَ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الشَّافِعِيِّ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ الْحَسَنِ الْحَرْبِيُّ، أَنَا ابْنُ رَجَاءٍ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا خُنَيْسٍ الْغِفَارِيَّ. فَذَكَرَهُ. حَدِيثٌ آخَرُ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى:
পৃষ্ঠা - ৪৭৯৪

বেধে তাও ভরে নিতে লাগল ৷ এভাবে তাদের নেয়া শেষ হল ৷ কিন্তু খাদ্য যে পরিমাণ ছিল
তাই রয়ে গেল ৷ তারপর নবী করীম রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ
ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি তার রাসুল, আর যে ব্যক্তিই একথা সত্য বলে বিশ্বাস
করে আসবে, ভাবেই আল্লাহ্ জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন ৷ আর আবু ইয়া’লাণ্ড
ইসহাক ইবন ইসমাঈল তালেকানী ইয়াযীদ ইবন আবু যিয়াদ সুত্রে হাদীসখানি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর তার পুর্বের হাদীসটি তার যথার্থতার প্রমাণস্বরুপ এবং তা তার
পুর্বের হাদীসের মুতাবি ৷

সালামা ইবনুল আকওয়া সুত্রে এ প্রসঙ্গে আরেকটি হাদীস

হাফিয আবু ইয়া’লা, মুহাম্মদ ইবন বাশৃশার ইয়াস ইবন সালামার পিতা সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, খায়বার অভিযানে আমরা রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর সাথে ছিলাম ৷ এ
সময় তিনি একবার আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন আমাদের কাছে যে পাখেয় (অর্থাৎ খেজুর)
অবশিষ্ট রয়েছে তা একত্র করতে ৷ তখন একটি চামড়ার দস্তরখান বিছানাে হল এবং তার উপর
আমরা আমাদের পাথেয়গুলো ছড়িয়ে দিলাম ৷ রাবী বলেন, তখন আমি পায়ে ভর দিয়ে উচু
হয়ে তা দেখলাম এবং তাকে একটি বকরীর নাড়িভুড়ি পরিমাণ অনুমান করলাম ৷ অথচ
আমাদের সংখ্যা ছিল চৌদ্দশ’ ৷ রাবী বলেন, এরপর আমরা (সকলে) তা থেকে পেলাম ৷
তারপর আমি আবার উচু হয়ে তা দেখলাম ৷ এবারও আমার অনুমান হল, যে তা’ একটি
বকরীর নাড়িভৃড়ি পরিমাণ হবে ৷ এ সময় রাসুলুল্পাহ্ (না) বলেন, উযুর কোন পানি আছে কি ?
রাবী বলেন, তখন এক ব্যক্তি তার পাত্রে সামান্য পরিমাণ পানি নিয়ে আসল ৷ তিনি তা নিয়ে
একটি পেয়ালায় ঢাললেন ৷ রাবী বলেন, এরপর আমরা সকলে ইচ্ছামত পানি ঢেলে তা থেকে
উযু করলাম আর তখন আমাদের সংখ্যা ছিল চৌদ্দশ’ ৷ রাবী বলেন, তখন কিছুসংখ্যক পােক
এসে বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আর কি উযু (করার সুযোগ) নেই ৷ তখন তিনি বললেন, উবু পর্ব
শেষ ৷

আর মুসলিম, আহমদ ইবন ইউসুফ আসৃসুলামী ইয়াস ইবন সালামার পিতা সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷ তাতে তিনি বলেন, তারপর আমরা (তা থেকে) পেটভরে পেলাম এবং আমাদের
থলেসমুহ ভরে নিলাম ৷ এছাড়া পরিখ৷ খনন প্রসঙ্গে আলোচনায় ন্ ইবন ইসহাক যা উল্লেখ
করেছেন ৷ তা ইতিপুর্বে আলোচিত হয়েছে সেখানে তিনি বলেন যে, আমাকে সাঈদ ইবন মীন৷
বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বর্ণনা করেন যে, বশীর ইবন সা’দের এক কন্যা অর্থাৎ নু’মান ইবন
বশীরের বোন বলেন, একবার আমার আষ্ম৷ উমরা বিনত রাওয়াহ ৷ আমাকে ডেকে এক ঝুড়ি
থেজ্জা আমার কাপড়ে দিয়ে বললেন; মা? এই নাও তোমার আবব্৷ ও মামাৱ খাবার পৌছে
দিয়ে এসো! বশীর তনয়া বলেন, তখন আমি তা’ নিয়ে অগ্রসর হলাম এবং আমার আব্বা ও
মামাকে খোজার পথে রাসুলুল্পাহ্ (সা)-কে অতিক্রম করলাম ৷ তখন তিনি আমাকে বললেন,
এদিকে এসো তো না ৷ তোমার কাছে এগুলো কী ? তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ৷ এগুলো খেজুর, আমার আষ্ম৷ তা দিয়ে আমাকে আমার আব্বা বশীর ইবন সাদ
এবং মামা আবদৃল্লাহ্ ইবন রাওয়াহার কাছে পাঠিয়েহ্নো, তারা তা খারেন ৷ তখন তিনি
বললেন, তুমি তা এদিকে দাও ! তিনি বলেন, তখন আমি তা আল্লাহ্র রাসুলের হাতে ঢেলে
দিলাম কিত্ত্ব তাতে তার আজলা ভরল না ৷ এরপর তার নির্দেশে একটি কাপড় বিছানাে হল ৷


ثَنَا أَبُو هِشَامٍ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ، ثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، ثَنَا يَزِيدُ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عُمَرَ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزَاةٍ فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ الْعَدُوَّ قَدْ حَضَرَ وَهُمْ شِبَاعٌ وَالنَّاسُ جِيَاعٌ. فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: أَلَا نَنْحَرُ نَوَاضِحَنَا فَنُطْعِمَهَا النَّاسَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ كَانَ مَعَهُ فَضْلُ طَعَامٍ فَلْيَجِئْ بِهِ ". فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالْمُدِّ وَالصَّاعِ وَأَقَلَّ وَأَكْثَرَ، فَكَانَ جَمِيعُ مَا فِي الْجَيْشِ بِضْعًا وَعِشْرِينَ صَاعًا، فَجَلَسَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى جَنْبِهِ فَدَعَا بِالْبَرَكَةِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " خُذُوا وَلَا تَنْتَهِبُوا ". فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَأْخُذُ فِي جِرَابِهِ، وَفِي غِرَارَتِهِ، وَأَخَذُوا فِي أَوْعِيَتِهِمْ، حَتَّى إِنِ الرَّجُلَ لَيَرْبِطُ كُمَّ قَمِيصِهِ فَيَمْلَؤُهُ، فَفَرَغُوا وَالطَّعَامُ كَمَا هُوَ، ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، لَا يَأْتِي بِهِمَا عَبْدٌ مُحِقٌّ إِلَّا وَقَاهُ اللَّهُ حَرَّ النَّارِ ".» وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى أَيْضًا، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الطَّالْقَانِيِّ، عَنْ جَرِيرٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، فَذَكَرَهُ. وَمَا قَبْلَهُ شَاهِدٌ لَهُ بِالصِّحَّةِ كَمَا أَنَّهُ مُتَابِعٌ لِمَا قَبْلَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حَدِيثٌ آخَرُ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ الْقَارِئُ، ثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ خَيْبَرَ فَأَمَرَنَا
পৃষ্ঠা - ৪৭৯৫
أَنْ نَجْمَعَ مَا فِي أَزْوَادِنَا - يَعْنِي مِنَ التَّمْرِ - فَبَسَطَ نِطْعًا نَثَرْنَا عَلَيْهِ أَزْوَادَنَا. قَالَ: فَتَمَطَّيْتُ فَتَطَاوَلْتُ فَنَظَرْتُ، فَحَزَرْتُهُ كَرَبْضَةَ شَاةٍ، وَنَحْنُ أَرْبَعَ عَشَرَةَ مِائَةً. قَالَ: فَأَكَلْنَا ثُمَّ تَطَاوَلْتُ فَنَظَرْتُ، فَحَزَرْتُهُ كَرُبْضَةِ شَاةٍ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَلْ مِنْ وَضُوءٍ؟ " قَالَ: فَجَاءَ رَجُلٌ بِنُطْفَةٍ فِي إِدَاوَةٍ. قَالَ: فَقَبَضَهَا فَجَعَلَهَا فِي قَدَحٍ. قَالَ: فَتَوَضَّأْنَا كُلُّنَا، نُدَغْفِقُهَا دَغْفَقَةً، وَنَحْنُ أَرْبَعَ عَشَرَةَ مِائَةً، أَيْ نُسْبِغُ وَلَا نُبْقِي مِنَ الْمَاءِ. قَالَ: فَجَاءَ أُنَاسٌ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَا وَضُوءَ؟ فَقَالَ: " قَدْ فَرَغَ الْوَضُوءُ ".» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ يُوسُفَ السُّلَمِيِّ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسٍ، عَنْ أَبِيهِ سَلَمَةَ، وَقَالَ: فَأَكَلْنَا حَتَّى شَبِعْنَا، ثُمَّ حَشَوْنَا جُرُبَنَا. وَتَقَدَّمَ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي حَفْرِ الْخَنْدَقِ، حَيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، أَنَّهُ قَدْ حَدَّثَ أَنَّ ابْنَةً لِبَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ أُخْتَ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَتْ: «دَعَتْنِي أُمِّي عَمْرَةُ بِنْتُ رَوَاحَةَ، فَأَعْطَتْنِي حَفْنَةً مِنْ تَمْرٍ فِي ثَوْبِي ثُمَّ قَالَتْ: أَيْ بُنَيَّةُ، اذْهَبِي إِلَى أَبِيكِ وَخَالِكِ عَبْدِ اللَّهِ بِغَدَائِهِمَا. قَالَتْ: فَأَخَذْتُهَا فَانْطَلَقْتُ بِهَا، فَمَرَرْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا أَلْتَمِسُ أَبِي وَخَالِيَ، فَقَالَ: " تَعَالِي يَا بُنَيَّةُ، مَا هَذَا مَعَكِ؟ " قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا تَمْرٌ بَعَثَتْنِي بِهِ أُمِّي إِلَى أَبِي بَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ وَخَالِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ يَتَغَدَّيَانِهِ. فَقَالَ: " هَاتِيهِ " قَالَتْ: