আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب دلائل النبوة

الدلائل الحسية
فصل في المعجزات الأرضية
পৃষ্ঠা - ৪৭৪২

ওয়াকিদী বলেন, এই যুদ্ধাভিযানে মুসলমানদের সাথে প্রায় বার হাজার উট এবং অনুরুপ
, ৎথ্যা ঘোড়া ছিল ৷ আর মুসলমানদের যোদ্ধা সংখ্যা ছিল ত্রিশ হাজার ৷ রাবী বলেন, এ সময়
এত অধিক পরিমাণ বৃষ্টি বর্নিত হল যে, তা’ ভুপৃষ্ঠকে প্লাবিত করে ফেলল, এমন কি গর্ত ও
নালাসমুহের পানি একটা থেকে উপচে অন্যটড়াতে পৌছতে লাগল ৷ আর সেটা ছিল গ্রীষ্মের
প্রচন্ড দাপদহে ৷ তার প্রতি আল্লাহ্র সালাত-সালাম ৷ আর বিশুদ্ধ সহীহ হাদীসে নবী করীম
(সা)-এর এরুপ কত ঘটনা বিদ্যমান ৷ ইতিপুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, কুরায়শদের হঠকারিতা ও
ঔদ্ধত্যের কারণে তিনি যখন বদদুআ করলেন, যেন আল্লাহ্ ইউসুফ আলইিহিস সালামের
কালের দৃর্ভিক্ষের সাত বছরের ন্যায় সাত বছর দ্বারা কুরায়শদের আক্রান্ত করেন, তখন তারা
এমন দুর্ডিংক্ষর শিকার হল, যা সবকিছু নিঃশেষ করে দিল ৷ ফলে তারা হাড়, কুকুর, নিম্নমানের
ইলহীজ শাক প্রভৃতি আখাদ্য যেতে বাধ্য হল ৷ তারপর আবু সুফিয়ান তার কাছে এসে তাদের
এই দুরবন্থা দুর করার জন্য দু’আর সুপারিশ করলেন ৷ তখন তিনি দুআ করলেন ৷ ফলে তাদের
এই দৃরবস্থা উঠিয়ে নেয়া হয় ৷ বুখারী হাসান ইবন মুহাম্মাদ আনাস ইবন মালিক সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব অনাবৃষ্টি দেখা দিলে হযরত আববড়াসের
ওসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করতেন এবং বলতেন হে আল্লাহ পুর্বে আমরা আপনার কাছে আমাদের
নবীর ওসীলায় ফলে আপনি আমাদেরকে বর্ষণসিক্ত করতেন ৷ আর এখন আমরা আপনার নবীর
চাচার ওসীলায় আপনার নিকট বৃষ্টি প্রার্থনা করছি আপনি আমাদেরকে বর্ষণসিক্ত করুন ৷ ৱাবী
বলেন, এভাবে তারা বৃষ্টি লাভ করতেন ৷ এটি বুখারীর একক বর্ণনা ৷

ভৃমণ্ডলীয় মুজিযাসমুহ

এর মধ্যে কোনটি জড়বন্তুর সাথে সম্পৃক্ত আর কোনটি জীব-জন্তুর সাথে ৷ জড়বন্তুর সাথে
সম্পৃক্ত মু’জিযাগুলির অন্যতম হল, বিভিন্নভাবে একাধিক স্থানে পানি বৃদ্ধিকরণ ৷ অচিরেই
আমরা এর বর্ণনা সুএসহ উল্লেখ করব ৷ আর আমরা এর মাধ্যমে এই পরিচ্ছেদের সুচনা
করলাম; কেননা, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক পানি প্রার্থনা এবং তার প্রার্থনায় আল্পাহ্ তাআলার
সাড়াদানের বিষয় আলোচনার পরবআত উল্লেখের জন্য এটাই অধিক প্রাসঙ্গিক ৷ বুখারী
আবদুল্লাহ্ ইবন মাসলামা আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একবার আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখলাম, তখন আসরের নামাষের সময় ঘনিয়ে এসেছিল,
অথচ লোকজন উবুর পানি পাচ্ছিল না ৷ তার কাছে উবুর পানি আনা হল, তখন তিনি সেই
পাত্রে তার হাত রাখলেন, তারপর লোকদের সেই পাত্র থেকে উবু করার নির্দেশ দিলেন ৷ তখন
আমি তার আঙ্গুলসমুহের নিম্নদেশ থেকে পানি উৎসারিত হতে দেখলাম ৷ এভাবে লোকেরা
সকলেই উয়ু করল ৷ মালিকের বরাতে একাধিক সুত্রে মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ হাদীসখানি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর তিরমিযী হাদীসখানি হাসান সহীহ’ বলেছেন ৷

ভিন্ন সুত্রে হযরত আনন্দের আরেকটি বর্ণনা

ইমাম আহমাদ ইউনুস ইবন মুহাম্মাদ আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন একদিকে বের হয়েছিলেন, তার সাথে ছিল সাহাবাদের একটি দল ৷
পথচলা অবস্থায় নামাজের সময় হল; বিক্ষ্ম উযু করার মত কোন পানির সন্ধান পাওয়া গেল


[فَصْلٌ فِي الْمُعْجِزَاتِ الْأَرْضِيَّةِ] فَصْلٌ: وَأَمَّا الْمُعْجِزَاتُ الْأَرْضِيَّةُ فَمِنْهَا مَا هُوَ مُتَعَلِّقٌ بِالْجَمَادَاتِ، وَمِنْهَا مَا هُوَ مُتَعَلِّقٌ بِالْحَيَوَانَاتِ، فَمِنَ الْمُتَعَلِّقِ بِالْجَمَادَاتِ تَكْثِيرُهُ الْمَاءَ فِي غَيْرِ مَا مَوْطِنٍ عَلَى صِفَاتٍ مُتَنَوِّعَةٍ سَنُورِدُهَا بِأَسَانِيدِهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبَدَأْنَا بِذَلِكَ؛ لِأَنَّهُ أَنْسَبُ بِإِتْبَاعِ مَا أَسْلَفْنَا ذِكْرَهُ مِنِ اسْتِسْقَائِهِ وَإِجَابَةِ اللَّهِ لَهُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَانَتْ صَلَاةُ الْعَصْرِ وَالْتَمَسَ النَّاسُ الْوُضُوءَ فَلَمْ يَجِدُوهُ، فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَضُوءٍ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فِي ذَلِكَ الْإِنَاءِ، فَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَتَوَضَّؤُوا مِنْهُ، فَرَأَيْتُ الْمَاءَ يَنْبُعُ مِنْ تَحْتِ أَصَابِعِهِ، فَتَوَضَّأَ النَّاسُ حَتَّى تَوَضَّؤُوا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْ أَنَسٍ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا حَزْمٌ، سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ ذَاتَ يَوْمٍ لِبَعْضِ مَخَارِجِهِ مَعَهُ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَانْطَلَقُوا يَسِيرُونَ، فَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ، فَلَمْ يَجِدِ الْقَوْمُ مَاءً يَتَوَضَّؤُونَ بِهِ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ مَا نَجِدُ مَا
পৃষ্ঠা - ৪৭৪৩

বা ৷ তখন তারা বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমরাতো উবু করার মত কোন পানি পাচ্ছি না ৷ এ
সময় তিনি তার সাহাবাগণের চেহারায় এই অবস্থায় অসন্তোষের ছাপ দেখলেন ৷ তখন তাদের
এক ব্যক্তি গিয়ে একটি বড় পাত্রে সামান্য পানি নিয়ে আসল ৷ তখন আল্লাহর নবী সেটা নিয়ে
তা থেকে উয়ু করলেন ৷ তারপর সেই পাত্রের উপর তার হাতে তর চার আঙুল প্রসারিত করে
বললেন, এসো, তোমরা উবুকরে নাও ৷ তখন (সেই পানি দ্বারা) সকলে সুন্দরভাবে৩ তাদের উয়ু
সম্পন্ন করলেন ৷ হাসান বলেন, আনাস (রা) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তাদের সং খ্যা ছিল

কত ? তিনি বললেন, সত্তর কিৎব৷ আশি ৷ বুখারী আবদুর রহমান ইবন মুবারক সুত্রে হাবৃম
ইবন মাহরান থেকে এভাবেই হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷

ভিন্ন সনদে হযরত আনাসের আরেকটি রিওয়ায়াত

ইমাম আহমদ, ইবন আবু আদী আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি-
বলেছেন, একবার নামাষের জন্য আযান দেয়৷ হল, তখন যাদের বাড়ি মসজিদের নিকটবর্তী,
তারা উবুকরার জন্য স্ব স্ব গৃহে গমন করলেন, আর যাদের বাড়ি মসজিদ থেকে দুরে৩ তারা উয়ু
বিহীন অবস্থায় থাকলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে পাথরে নির্মিত একটি থেযাবের
বাটি আনা হল ৷ বাটিটি ছোট হওয়ায় তিনি তাতে তার হাতের তালু প্রসারিত করতে পারলেন
না ৷ তখন তার আঙ্গুলসমুহ একত্র করে তাতে রাখলেন ৷ আনাস বলেন, তখন সেই পাত্রের
পানি দিয়ে দুরবর্তী গৃহবাসীরা সকলেই উয়ু করলেন ৷ হুমায়দ বলেন, হযরত আনাসকে প্রশ্ন
করা হয়েছিল, তারা কতজন ছিলেন ? জবাবে তিনি বললেন, আশি কিংবা ততোধিক ৷ এছাড়া
বুখারী আবদুল্লাহ ইবন মুনীর আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন
: একবার নামাষের ওয়াক্ত হল, তখন যাদের বাড়ি নিকটবর্তী তারা বাড়িতে উয়ু করতে
গেলেন, আর অন্যেরা স্ব স্ব স্থানে রয়ে গেলেন ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর কাছে একটি পাথরে
নির্মিত থেযাবের বাটিতে করে পানি আনা হল ৷ তিনি তাতে তার হাতের তালু প্রসারিত করে
রাখতে চাইলেন, কিন্তু বাটিটি ছোট হওয়ায় ত৷ পারলেন না ৷ তখন তিনি তার আঙ্গুলসমুহ
গুঢিয়ে তাতে বাটিটি স্থাপন করলেন, তখন সেই বাটির পানি থেকে সকলেই উয়ু করলেনৰ্
রাবী হুমায়দ বলেন, আমি বললাম, তাদের সং খ্যা কত ছিল ? তিনি (আনাস) বললেন, তারা
ছিলেন আশিজন ৷

তার বরাতে অন্য একটি সনদ

ইমাম আহমাদ, মুহাম্মাদ ইবন জাফর আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) আয্যাওরাতে’ অবস্থান করছিলেন, তখন একটি পাত্রে
সামান্য পানি নিয়ে আসা হল, যাতে তার আঙ্গলসমৃহ্ নিমজ্জিত হয় না ৷ তখন তিনি তার
সাহাবীগণকে (সেই পানি থেকে) উবু করার নির্দেশ দিয়ে তার হাতে র তালু সেই পানিতে ধরে
রাখলেন ৷ তখন তার আঙ্গুলসমুহের মধ্য থেকে এবং অগ্রভ৷ গ থেকে পানি উৎসারিত হতে
খাকল ৷ ফলে সকলে উয়ু করে নিলেন ৷ কাত ৷দা বলেন, আমি আনাসকে জিজ্ঞেস করলাম,
আপনারা সষ্ থ্যায় কতজন ছিলেন? জবাবে তিনি বললেন, আমরা ছিলাম তিনশ’ বা তিনশ’ র
মত ৷ বুনদার ইবন আবু আদী সুত্রে বুখারী এবং আবু মুসা সুত্রে মুসলিম এভাবেই হাদীসখানি


نَتَوَضَّأُ بِهِ. وَرَأَى فِي وُجُوهِ أَصْحَابِهِ كَرَاهِيَةَ ذَلِكَ، فَانْطَلَقَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَجَاءَ بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ يَسِيرٍ، فَأَخَذَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَوَضَّأَ مِنْهُ، ثُمَّ مَدَّ أَصَابِعَهُ الْأَرْبَعَةَ عَلَى الْقَدَحِ، ثُمَّ قَالَ: " هَلُمُّوا فَتَوَضَّؤُوا " فَتَوَضَّأَ الْقَوْمُ حَتَّى بَلَغُوا فِيمَا يُرِيدُونَ. قَالَ الْحَسَنُ: سُئِلَ أَنَسٌ: كَمْ بَلَغُوا؟ قَالَ: سَبْعِينَ أَوْ نَحْوَ ذَلِكَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْمُبَارَكِ الْعَيْشِيِّ، عَنْ حَزْمِ بْنِ مِهْرَانَ الْقُطَعِيِّ بِهِ. طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْ أَنَسٍ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُمَيْدٍ وَيَزِيدَ - قَالَ: أَنَا حُمَيْدٌ الْمَعْنَى - عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «نُودِيَ بِالصَّلَاةِ، فَقَامَ كُلُّ قَرِيبِ الدَّارِ مِنَ الْمَسْجِدِ، وَبَقِيَ مَنْ كَانَ أَهْلُهُ نَائِيَ الدَّارِ، فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِخْضَبٍ مِنْ حِجَارَةٍ، فَصَغُرَ أَنْ يَبْسُطَ كَفَّهُ فِيهِ. قَالَ: فَضَمَّ أَصَابِعَهُ. قَالَ: فَتَوَضَّأَ بَقِيَّتُهُمْ. قَالَ حُمَيْدٌ: وَسُئِلَ أَنَسٌ: كَمْ كَانُوا؟ قَالَ: ثَمَانِينَ أَوْ زِيَادَةً» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُنِيرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «حَضَرَتِ الصَّلَاةُ، فَقَامَ مَنْ كَانَ قَرِيبَ الدَّارِ مِنَ الْمَسْجِدِ يَتَوَضَّأُ، وَبَقِيَ قَوْمٌ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِخْضَبٍ مِنْ حِجَارَةٍ فِيهِ مَاءٌ،
পৃষ্ঠা - ৪৭৪৪
فَوَضَعَ كَفَّهُ فَصَغُرَ الْمِخْضَبُ أَنْ يَبْسُطَ فِيهِ كَفَّهُ، فَضَمَّ أَصَابِعَهُ فَوَضَعَهَا فِي الْمِخْضَبِ، فَتَوَضَّأَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ جَمِيعًا، قُلْتُ: كَمْ كَانُوا؟ قَالَ: كَانُوا ثَمَانِينَ رَجُلًا» . طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْهُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا سَعِيدٌ إِمْلَاءً، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ بِالزَّوْرَاءِ فَأُتِيَ بِإِنَاءٍ فِيهِ مَاءٌ، لَا يَغْمُرُ أَصَابِعَهُ، فَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَتَوَضَّؤُوا، فَوَضَعَ كَفَّهُ فِي الْمَاءِ، فَجَعَلَ الْمَاءُ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ وَأَطْرَافِ أَصَابِعِهِ حَتَّى تَوَضَّأَ الْقَوْمُ. قَالَ: فَقُلْتُ لِأَنَسٍ: كَمْ كُنْتُمْ؟ قَالَ: كُنَّا ثَلَاثَمِائَةٍ.» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ بُنْدَارٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ، وَمُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنْ غُنْدَرٍ، كِلَاهُمَا عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عُرُوبَةَ - وَبَعْضُهُمْ يَقُولُ: عَنْ شُعْبَةَ. وَالصَّحِيحُ: سَعِيدٍ - عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِنَاءٍ وَهُوَ فِي الزَّوْرَاءِ، فَوَضَعَ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ، فَجَعَلَ الْمَاءُ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ الْقَوْمُ. قَالَ قَتَادَةُ: فَقُلْتُ لِأَنَسٍ: كَمْ كُنْتُمْ؟ قَالَ: ثَلَاثَمِائَةٍ أَوْ زُهَاءَ ثَلَاثِمِائَةٍ» . لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. حَدِيثُ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مَالِكُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৪৫

রিওয়ায়াত করেছেন ৷ কারো কারো মতে, শুবা থেকে ৷ তবে বিশুদ্ধ হল, সাঈদ, কাতাদা
থেকে, তিনি আনাস (রা) থেকে ৷ তিনি (জানান) বলেন, যাওরাতে অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর কাছে একটি পানির পাত্র আনা হল ৷ তখন তিনি সালে তার হাত ধরে রাখলেন ৷
তখন তার আঙ্গুলসমুহের মধ্য থেকে পানি উৎসারিত হতে লাগল, তখন ণ্লাকেরা তা থেকে
উবু করল ৷ কাতদাে বলেন, আমি আনাস (রা)-ক্লে জিজ্ঞেস করলাম, আপনাদের সংখ্যা কত
ছিল ? জবাবে তিনি বললেন, তিনশ বা তিনশৱ কাছাকাছি ৷ এই হাদীসের পাঠ বুখারীর ৷

এ প্রসঙ্গে বারা ইবন আযিবের হাদীস

বুখারী মালিক ইবন ইসমাঈল বারা ইবন আযিব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন : হুদায়াবিয়ার দিন আমরা সংখ্যায় ছিলাম চৌদ্দশ ৷ আর হুদায়বিয়া একটি কুয়া,
আমরা (তা) এমনভাবে জলশুন্য করে ফেললাম যে, তাতে একযােটা পানিও অবশিষ্ট রইলো
না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পাড়ে বসে পানি আনালেন ৷ এরপর গড়পড়ার সাথে কুলি করে
সেই পানি কুয়াতে নিক্ষেপ করলেন ৷ অল্পক্ষণ পরেই আমরা সেই কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ
করতে লাগলাম এভাবে আমরা পান করে তৃপ্ত হলাম এবং আমাদের বাহনসমুহও তৃপ্ত হল
অথবা ফিরে চলল ৷ এই বর্ণনাসুত্র ও পাঠ এককডাবে বুখারীর ৷

ৰারা ইবন আযিবেৱ অপর একটি হাদীস

ইমাম আহমদ, আফ্ফান ও হাশিম হযরত বারা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, কোন এক সফরে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে ছিলাম ৷ তখন আমরা একটি
অল্প পানির (অগভীর) কুপে এসে উপনীত হলাম ৷ তিনি বলেন, তখন তাতে ছয় ব্যক্তি নামল,
আমি ছিলাম তাদের ষষ্ঠজন ৷ এরপর আমাদের কাছে একটি বালতি নামিয়ে দেয়া হল ৷ বারা
(রা) বলেন, এদিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুয়াটির পাড়ে ৷ তখন আমরা তাতে বালতিটির অর্ধেক
অথবা দুই-তৃভীয়াংশ ডুবিয়ে পানি উঠালাম, তারপর তা টেনে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে
উঠানো হল ৷ বারা (রা) বলেন, এরপর আমি আমার পাত্রে গলা তিজানাে পরিমাণ পানি সঞ্চাহ
করতে চেষ্টা করলাম ৷ কিন্তু আমি তাও পেলাম না ৷ এরপর বালতিটি নবী করীম (না)-এর
কাছে উঠিয়ে আনলাম ৷ তিনি তাতে হাত ডুবিয়ে যা বলার বললেন, এবং বালতিতে যেটুকু
পানি ছিল তাসহ-ই তা আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হল ৷ বাবা (মা) বলেন, এরপর দেখলাম
আমাদের একজনকে তার জলমগ্ন হওয়ার আশংকায় কাপড় ঝুলিয়ে বের করে আনা হল ৷
এরপর কুয়া থেকে বিরামহীনভাবে পানি উৎসারিত হতে লাগল ৷ এটি ইমাম আহমদের একক
বর্ণনা ৷ এর সনদও বেশ ভাল ও সরল ৷ আর দৃশ্যত এটা হুদায়বিয়ার দিন ভিন্ন অন্য কোন
ঘটনা ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই অধিক জানেন ৷

এ প্রসঙ্গে জাবির (রা)-এর বরাতে আরেকটি হাদীস

ইমাম আহমদ, সিনান ইবন হাতিম জাবির (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণ তার কাছে পিপাসার অনুযােগ করলেন ৷
জাবির (রা) বলেন, তখন তিনি একটি বড় পেয়ালা আনালেন, এরপর তাতে সামান্য পানি


إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، «عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: كُنَّا يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً، وَالْحُدَيْبِيَةُ بِئْرٌ، فَنَزَحْنَاهَا حَتَّى لَمْ نَتْرُكْ فِيهَا قَطْرَةً، فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى شَفِيرِ الْبِئْرِ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَمَضْمَضَ، وَمَجَّ فِي الْبِئْرِ، فَمَكَثْنَا غَيْرَ بَعِيدٍ، ثُمَّ اسْتَقَيْنَا حَتَّى رَوِينَا وَرَوَتْ أَوْ صَدَرَتْ رِكَابُنَا.» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ إِسْنَادًا وَمَتْنًا. حَدِيثٌ آخَرُ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ وَهَاشِمٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ - هُوَ ابْنُ عُبَيْدَةَ، مَوْلَى مُحَمَّدِ بْنِ الْقَاسِمِ - «عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَأَتَيْنَا عَلَى رَكِيٍّ ذِمَّةٍ - يَعْنِي قَلِيلَةَ الْمَاءِ - قَالَ: فَنَزَلَ فِيهَا سِتَّةُ أُنَاسٍ أَنَا سَادِسُهُمْ مَاحَةً، فَأُدْلِيَتْ إِلَيْنَا دَلْوٌ. قَالَ: وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى شَفَةِ الرَّكِيِّ فَجَعَلْنَا فِيهَا نِصْفَهَا، أَوْ قُرَابَ ثُلْثَيْهَا، فَرُفِعَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الْبَرَاءُ: فَكِدْتُ بِإِنَائِي هَلْ أَجِدُ شَيْئًا أَجْعَلُهُ فِي حَلْقِي؟ فَمَا وَجَدْتُ فَرَفَعْتُ الدَّلْوَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَغَمَسَ يَدَهُ فِيهَا، فَقَالَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ، وَأُعِيدَتْ إِلَيْنَا الدَّلْوُ بِمَا فِيهَا. قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَحَدَنَا أُخْرِجَ بِثَوْبٍ خَشْيَةَ الْغَرَقِ. قَالَ: ثُمَّ سَاحَتْ؛ يَعْنِي جَرَتْ نَهْرًا.» تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ جَيِّدٌ قَوِيٌّ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهَا قِصَّةٌ أُخْرَى غَيْرَ يَوْمِ الْحُدَيْبِيَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪৭৪৬


ঢালা হল এবং রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাতে তার হাত রেখে বললেন, এবার তোমরা পান কর ৷ তখন
সকলে তা থেকে পান করলেন ৷ জাবির (রা) বলেন, এ সময় আমি তার আঙ্গুলসমুহের মধ্য
থেকে পানির ধারাসমুহ উৎসারিত হতে দেখেছি ৷ এ সুত্রে হাদীসখানি ইমাম আহমদের একক
বর্ণনা ৷ হাতিম ইবন ইসমাঈলের হাদীস সঞ্চাহ থেকে জাবির ইবন আবদুল্লাহ্র (রা)-এৱ
শ্বরাতে মুসলিয়ের যে দীর্ঘ একক বর্ণনা রয়েছে, তাতে রয়েছে (একবার) আমরা রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে পথ চলে এক প্রশস্ত উপত্যকায় উপনীত হলাম ৷ তখন তিনি তার প্রাকৃতিক
প্রয়োজন পুরণ করার জন্য উঠে গেলেন, আমি একটি পানির পাত্র হাতে তড়াকে অনুসরণ
ক্যালাম ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) আড়াল হওয়ার মত কোন গাছ-পালা দেখতে পেলেন না ৷ হঠাৎ
উপত্যকার পাড়ে দুটি গাছ দেখতে পেয়ে তিনি তার একটির দিকে অগ্রসর হলেন ৷ তারপর
তার একটি ভাল ধরে বললেন, আল্লাহ্র হুকুমে আমার অনুগত হয়ে যাও, তখন তা নাকে
লাগাম পরানো উটের ন্যায় অনুগত হয়ে নুয়ে পড়া ৷ এরপর তিনি অপর পাছটির কাছে এসে
তার একটি ভাল ধরে বললেন, আল্লাহর হুকুমে আমার অনুগত হয়ে যাও ৷ তখন ডালটিও তীর
সামনে নুয়েপড়ল ৷ এরপর উভয় ডালের মাঝে দাড়িয়ে সে দৃ’টিকে একত্র করে বললেন,
আল্লাহর হুকুমে আমাকে আবৃত করে তোমরা একত্র হয়ে যাও ৷ তখন ভাল দুটি একত্রে মিলে
গেল ৷ জাবির (রা) বলেন, রাসুলুল্পাছু (সা) আমার নৈকট্য অনুভব করে সরে যাবেন এই
আশংকায় আমি দৌড়ে সরে যেতে লাগলাম এবং বসে বসে মনে মনে ভাবতে লাগলাম ৷ হঠাৎ
আমার দৃষ্টি পতিত হন, তখন আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে (স্বাভাবিক অবস্থায়) দেখতে পেলাম
এবং গাছ ন্দৃটিকে দেখলাম তারা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় স্ব স্ব কাভে দন্ডায়মান ৷ তখন আমি নবী
ৰল্টীম (না)-কে একবার থেমে তার মাথা দ্বারা ডানে বামে ইঙ্গিত করতে দেখলাম ৷ তারপর
তিনি ফিরে আসলেন, তিনি যখন আমার কাছে পৌছলেন, তখন বললেন, হে জাবির ৷ তুমি কি
আমার অবস্থান স্থলটি দেখেছো ? তখন আমি বললাম , জী হী , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! তিনি বললেন,
তুমি গাছ দৃটির কাছে যাও, এবং তাদের উভয়টি থেকে একটি করে ভাল কেটে নিয়ে আস,
আর তুমি যখন আমার অবস্থানে র্দাড়াবে তখন তোমার ডানপাশে একটি ভাল ছেড়ে দিবে,
,(রাখবে) বামপাশে একটি ভাল ছেড়ে দিয়ে (রাখবে) ৷

জাবির বলেন, তখন আমি দাড়িয়ে একটি পাথর নিলাম অতঃপর তা ভেঙে ধারালো
কালাম এরপর আমি গাছ দু’টির কাছে আসলাম এবং তাদের উভয়টি থেকে একটি করে ভাল
কটিলাম ৷ তারপর আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অবস্থানে এসে র্দাড়ালাম এবং আমার ডান দিক
থেকে একটি এবং বাম দিক থেকে একটি ভাল ছাড়লাম এবং তার কাছে এসে বললাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ আমি তা” করেছি ৷ জাবির বলেন, আমি বললাম, এটা কেন ? তিনি বললেন, আমি
দুটি কবর অতিক্রম করলাম, যেখানে আযাব হচ্ছিল ৷ তইি আমি চইিলাম, আমার সুপারিশ
দ্বারা ভাল দু’টি তরতজাে থাকা পর্যন্ত তারা এই আমার থেকে অব্যাহতি পাক ৷ জাবির বলেন,
এরপর আমরা (দুজন) সেনাছাউনিতে ফিরে আসলাম, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে
জাবির! সকলকে উবু করতে বল ৷ তখন আমি বললাম, কারোর উয়ুর প্রয়োজন আছে কি ?
কারো উয়ুর প্রয়োজন আছে কি? জাবির বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ আমি তো
গেটো বাহিনীতে এক ফৌটা পানি পাচ্ছি না, আনসারদের মধ্যকার এক ব্যক্তি রাসুলাল্লাহ্
(না)-এর জন্য পানি ঠান্ডা করত ৷ জাবির বলেন, তখন তিনি আমাকে বললেন, অমুক


حَدِيثٌ آخَرُ عَنْ جَابِرٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا سَيَّارُ بْنُ حَاتِمٍ، ثَنَا جَعْفَرٌ، يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ، ثَنَا الْجَعْدُ أَبُو عُثْمَانَ، ثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: «اشْتَكَى أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِ الْعَطَشَ. قَالَ: فَدَعَا بِعُسٍّ، فَصُبَّ فِيهِ شَيْءٌ مِنَ الْمَاءِ، وَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ يَدَهُ، وَقَالَ " اسْقُوا ". فَاسْتَقَى النَّاسُ، قَالَ: فَكُنْتُ أَرَى الْعُيُونَ تَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَفِي أَفْرَادِ مُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي حَرْزَةَ يَعْقُوبَ بْنِ مُجَاهِدٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُبَادَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فِي حَدِيثٍ طَوِيلٍ قَالَ فِيهِ: «سِرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى نَزَلْنَا وَادِيًا أَفْيَحَ، فَذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْضِي حَاجَتَهُ فَاتَّبَعْتُهُ بِإِدَاوَةٍ مِنْ مَاءٍ، فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَرَ شَيْئًا يَسْتَتِرُ بِهِ، وَإِذَا بِشَجَرَتَيْنِ بِشَاطِئِ الْوَادِي، فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى إِحْدَاهُمَا، فَأَخَذَ بِغُصْنٍ مِنْ أَغْصَانِهَا فَقَالَ: " انْقَادِي عَلَيَّ بِإِذْنِ اللَّهِ " فَانْقَادَتْ مَعَهُ كَالْبَعِيرِ الْمَخْشُوشِ الَّذِي يُصَانِعُ قَائِدَهُ، حَتَّى أَتَى الْأُخْرَى فَأَخَذَ بِغُصْنٍ مِنْ أَغْصَانِهَا فَقَالَ: " انْقَادِي عَلَيَّ بِإِذْنِ اللَّهِ ". فَانْقَادَتْ مَعَهُ كَذَلِكَ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْمَنْصَفِ مِمَّا بَيْنَهُمَا لَأَمَ بَيْنَهُمَا - يَعْنِي جَمَعَهُمَا - فَقَالَ: " الْتَئِمَا عَلِيَّ بِإِذْنِ اللَّهِ ". فَالْتَأَمَتَا.
পৃষ্ঠা - ৪৭৪৭
قَالَ جَابِرٌ: فَخَرَجْتُ أُحْضِرُ مَخَافَةَ أَنْ يُحِسَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُرْبِي فَيَبْتَعِدَ، فَجَلَسْتُ أُحَدِّثُ نَفْسِي، فَحَانَتْ مِنِّي لَفْتَةٌ فَإِذَا أَنَا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ سَلَّمَ مُقْبِلًا، وَإِذَا بِالشَّجَرَتَيْنِ قَدِ افْتَرَقَتَا، فَقَامَتْ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا عَلَى سَاقٍ، فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَفَ وَقْفَةً، فَقَالَ بِرَأْسِهِ هَكَذَا، يَمِينًا وَشِمَالًا، ثُمَّ أَقْبَلَ فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيَّ قَالَ: " يَا جَابِرُ، هَلْ رَأَيْتَ مَقَامِي؟ " قُلْتُ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " فَانْطَلِقْ إِلَى الشَّجَرَتَيْنِ فَاقْطَعْ مِنْ كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا غُصْنًا، فَأَقْبِلْ بِهِمَا حَتَّى إِذَا قُمْتَ مَقَامِي فَأَرْسِلْ غُصْنًا عَنْ يَمِينِكَ وَغُصْنًا عَنْ يَسَارِكَ ". قَالَ جَابِرٌ: فَقُمْتُ فَأَخَذْتُ حَجَرًا فَكَسَرْتُهُ وَحَسَرْتُهُ فَانْذَلَقَ لِي، فَأَتَيْتُ الشَّجَرَتَيْنِ، فَقَطَعْتُ مِنْ كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا غُصْنًا، ثُمَّ أَقْبَلْتُ أَجُرُّهُمَا، حَتَّى قُمْتُ مَقَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْسَلْتُ غُصْنًا عَنْ يَمِينِي وَغُصْنًا عَنْ يَسَارِي، ثُمَّ لَحِقْتُ فَقُلْتُ: قَدْ فَعَلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: فَقُلْتُ: فَلِمَ ذَاكَ؟ قَالَ: " إِنِّي مَرَرْتُ بِقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ فَأَحْبَبْتُ بِشَفَاعَتِي أَنْ يُرَفَّهَ عَنْهُمَا مَا دَامَ الْغُصْنَانِ رَطِبَيْنِ ". قَالَ: فَأَتَيْنَا الْعَسْكَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا جَابِرُ نَادِ بِوَضُوءٍ " فَقُلْتُ: أَلَا وَضُوءَ؟ أَلَا وَضُوءَ؟ أَلَا وَضُوءَ؟ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا وَجَدْتُ فِي الرَّكْبِ مِنْ قَطْرَةٍ. وَكَانَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ يُبَرِّدُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ سَلَّمَ الْمَاءَ
পৃষ্ঠা - ৪৭৪৮

আনসারীর কাছে গিয়ে দেখ, তার ভোলে কোন পানি আছে কিনা ? জাবির বলেন, তখন আমি
তার কাছে গিয়ে দেখলাম তাতে সামান্য কয়েক কোটা পানি রয়েছে, যদি আমি তা ঢালতে
যাই, তাহলেই তা নিঃশেষ হয়ে যাবে ৷ তখন আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে বললাম,
ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আমি তাতে সামান্য কয়েক কোটা পানি দেখেছি, যদি আমি তা’ ঢালতে যাই,
তাহলেই তা নিঃশেষ হয়ে যাবে ৷ তিনি বললেন, তুমি যাও, তইি আমার কাছে নিয়ে এসো ৷
তখন আমি তা তার কাছে নিয়ে আসলাম এবং তিনি তা হাত দিয়ে ধরে কিছু একটা বলতে
লাগলেন আমি জানিনা তা কী ? আর এ সময় তিনি আমাকে তার হাত দ্বারা খোচা মারলেন,
তারপর আমাকে তা দিলেন ৷ তখন তিনি বললেন, হে জাবির ! একটি পাত্র আনতে বল ৷ তখন
আমি (উচ্চস্বরে) বললাম, কে আছ, একটি পাত্র নিয়ে এসো ৷ এরপর যখন তা’ আমার কাছে
আনা হল তখন আমি তা’ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে রাখলাম ৷ তখন তিনি এভাবে পাত্রের
মাঝে ইশারা করলেন, তারপর হাতের তালু প্রসারিত করে, আঙ্গুলসমুহ যগক করে তা পাত্রের
তলদেশে রাখলেন এবং বললেন, হে জাবির ! এটা ধর এবং বিসমিল্লাহ্ বলে (আমার হাতের
উপর) ঢাল ৷ তখন আমি বিসমিল্লাহ্ বলে (তার উপর) তা’ ঢাললাম ৷ এরপর দেখতে পেলাম
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আঙ্গুলসমুহের মধ্য থেকে পানি সবেগে উৎসারিত হচ্ছে ৷ তারপর পাত্রটির
পানি উৎসারিত হতে লাগল এবং পাত্রটি ঘুরতে লাগল এমনকি তা পুর্ণ হয়ে গেল ৷ তখন তিনি
বললেন, হে জাবির ! যাদের পানির প্রয়োজন আছে তাদেরকে ডেকে নাও ! জাবির বলেন,
এরপর লোকজন এসে পানি পান করে তৃপ্ত হল ৷ তখন আমি বললাম, আর কাংরা পানির
প্রয়োজন আছে কি ? তখন পাত্রটি পানিপুর্ণ অবস্থায় নবী করীম (সা) থেকে তার হাত
উঠালেন ৷ জাবির বলেন, এদিকে ৫লাকেরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে ক্ষুধার অনুযোগ করল ৷
তখন তিনি বললেন, অচিরেই আল্লাহ তােমাদেরকে খাওয়াবেন ৷ এরপর আমরা যখন সমুদ্রের
তীরে পৌছলাম তখন তা আমাদের জন্য বিশাল এক মাছ ভাসিয়ে তীরে উঠিয়ে দিল ৷ তখন
আমরা তা রান্না করে এবং আগুনে ঝলসিয়ে থেয়ে তৃপ্ত হলাম ৷ জাবির বলেন, আমি এবং
অমুক, অমুক ও অমুক এভাবে তিনি পড়াচজনের উল্লেখ করলেন, সেই মাছের চক্ষু কােটরে
অনায়াসে প্রবেশ করলাম, বাইরে থেকে কেউ আমাদেরকে দেখতে পেল না ৷ অবশেষে আমরা
তা থেকে বের হয়ে তার একটি পড়াজরের হাড় ধনুকাকৃতিতৈ রাখলাম এরপর আমাদের সাথের
সবচে’ বিশাল আরােহী ও সবচে বড় বোঝাবাহী উট ডেকে আনলাম ৷ তখন সে মাথা না
ঝুকিয়েই অনায়াসে তার নীচে প্রবেশ করল ৷
আর বুখারী মুসা ইবন ইসমাঈল জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, হুদায়বিয়ার দিন লোকজন পিপাসার্ত হল ৷ সে সময় নবী করীম (সা) তীর
সামনে রাখা একটি পাত্র থেকে উবু করছিলেন, এ সময় সকলে তার শরণাপন্ন হলেন ৷ তিনি
জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কী হয়েছে ? তারা বললেন, আপনার সামনের এই যৎসামান্য
পানিটুকু ব্যতীত আমাদের উয়ু করা এবং পান করার মত কোন পানি নেই ৷ তখন তিনি
পাত্রটিতে তার হাত রাখলেন এবং তৎক্ষণাৎ তার আঙ্গুলসমুহের মধ্য থেকে প্রস্রবণের ধারার
ন্যায় পানি উৎসারিত হতে লাগল ৷ তখন আমরা (তা থেকে) পান করলাম এবং উয়ু করলাম ৷
(সালিম বলেন) আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ সময় আপনারা সংখ্যায় কতজন ছিলেন ? তিনি
বললেন, যদি আমাদের সংখ্যা এক লক্ষও হত তাহলেও ঐ পানি আমাদের জন্য যথেষ্ট হত ৷


فِي أَشِجَابٍ لَهُ عَلَى حِمَارَةٍ مِنْ جَرِيدٍ. قَالَ: فَقَالَ لِي " انْطَلِقْ إِلَى فُلَانٍ الْأَنْصَارِيِّ، فَانْظُرْ هَلْ فِي أَشْجَابِهِ مِنْ شَيْءٍ؟ " قَالَ: فَانْطَلَقْتُ إِلَيْهِ، فَنَظَرْتُ فِيهَا، فَلَمْ أَجِدْ فِيهَا إِلَّا قَطْرَةً فِي عَزْلَاءِ شَجْبٍ مِنْهَا، لَوْ أَنِّي أُفْرِغُهُ لِشَرِبَهُ يَابِسُهُ، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي لَمْ أَجِدْ فِيهَا إِلَّا قَطْرَةً فِي عَزْلَاءِ شَجْبٍ مِنْهَا، لَوْ أَنِّي أُفْرِغُهُ لَشَرِبَهُ يَابِسُهُ. قَالَ: " اذْهَبْ فَأْتِنِي بِهِ ". فَأَتَيْتُهُ بِهِ، فَأَخَذَهُ بِيَدِهِ، فَجَعَلَ يَتَكَلَّمُ بِشَيْءٍ لَا أَدْرِي مَا هُوَ، وَيَغْمِزُهُ بِيَدَيْهِ، ثُمَّ أَعْطَانِيهِ، فَقَالَ: " يَا جَابِرُ، نَادِ بِجَفْنَةٍ ". فَقُلْتُ: يَا جَفْنَةَ الرَّكْبِ. فَأُتِيتُ بِهَا تُحْمَلُ، فَوَضَعْتُهَا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ فِي الْجَفْنَةِ هَكَذَا، فَبَسَطَهَا وَفَرَّقَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ، ثُمَّ وَضَعَهَا فِي قَعْرِ الْجَفْنَةِ، وَقَالَ: " خُذْ يَا جَابِرُ فَصُبَّ عَلَيَّ، وَقُلْ: بِسْمِ اللَّهِ ". فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ، وَقُلْتُ: بِسْمِ اللَّهِ. فَرَأَيْتُ الْمَاءَ يَفُورُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ فَارَتِ الْجَفْنَةُ وَدَارَتْ حَتَّى امْتَلَأَتْ، فَقَالَ: " يَا جَابِرُ نَادِ مَنْ كَانَ لَهُ حَاجَةٌ بِمَاءٍ ". قَالَ: فَأَتَى النَّاسُ فَاسْتَقَوْا حَتَّى رَوَوْا. قَالَ: فَقُلْتُ: هَلْ بَقِيَ أَحَدٌ لَهُ حَاجَةٌ؟ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ مِنَ الْجَفْنَةِ، وَهِيَ مَلْأَى. قَالَ: وَشَكَا النَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجُوعَ فَقَالَ: " عَسَى اللَّهُ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৭৪৯
يُطْعِمَكُمْ ". فَأَتَيْنَا سَيْفَ الْبَحْرِ، فَزَخَرَ زَخْرَةً، فَأَلْقَى دَابَّةً، فَأَوْرَيْنَا عَلَى شَقِّهَا النَّارَ، فَاطَّبَخْنَا وَاشْتَوَيْنَا، وَأَكَلْنَا حَتَّى شَبِعْنَا. قَالَ جَابِرٌ: فَدَخَلْتُ أَنَا وَفُلَانٌ وَفُلَانٌ - حَتَّى عَدَّ خَمْسَةً - فِي حِجَاجِ عَيْنِهَا مَا يَرَانَا أَحَدٌ حَتَّى خَرَجْنَا، وَأَخَذْنَا ضِلْعًا مِنْ أَضْلَاعِهِ فَقَوَّسْنَاهُ ثُمَّ دَعَوْنَا بِأَعْظَمِ رَجُلٍ فِي الرَّكْبِ، وَأَعْظَمِ جَمَلٍ فِي الرَّكْبِ، وَأَعْظَمَ كِفْلٍ فِي الرَّكْبِ، فَدَخَلَ تَحْتَهُ مَا يُطَأْطِئُ رَأْسَهُ.» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا حَصِينٌ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «عَطِشَ النَّاسُ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ رَكْوَةٌ يَتَوَضَّأُ، فَجَهَشَ النَّاسُ نَحْوَهُ، قَالَ: " مَا لَكُمْ؟ " قَالُوا: لَيْسَ عِنْدَنَا مَاءٌ نَتَوَضَّأُ وَلَا نَشْرَبُ إِلَّا مَا بَيْنَ يَدَيْكَ. فَوَضَعَ يَدَهُ فِي الرَّكْوَةِ، فَجَعَلَ الْمَاءُ يَفُورُ بَيْنَ أَصَابِعِهِ كَأَمْثَالِ الْعُيُونِ، فَشَرِبْنَا وَتَوَضَّأْنَا. قُلْتُ: كَمْ كُنْتُمْ؟ قَالَ: لَوْ كُنَّا مِائَةَ أَلْفٍ لَكَفَانَا، كُنَّا خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً.» وَهَكَذَا
পৃষ্ঠা - ৪৭৫০

আমরা ছিলাম পনের শ’ ৷ হোসায়নের হাদীস সংগ্রহ থেকে মুসলিম এভাবেই তা রিওয়ায়াত
করেছেন এবং তারা উভয়ে আ’মাশের হাদীস সংগ্রহ থেকেই তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ, ইয়াহ্ইয়া ইবন হাম্মাদ শাকীক আলআবদী সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) বলেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে সফরে বা
যু দ্ধাভিযানে বের হলাম, এ সময় আমাদের সংখ্যা ছিল দুশ’ দশের কিছু বেশি ৷ পথে নামায়ের
সময় হল, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, লোকদের কাছে কি পানি আছে ? তখন একব্যক্তি
দৌড়ে তার কাছে একটি পানির পাত্র নিয়ে আসল, যাতে সামান্য পানি ছিল ৷ রাবী বলেন,
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা একটি পেয়ালায় ঢাললেন, তারপর তা থেকে অতি উত্তমভাবে উবু
করে পেয়ালাটি রেখে ফিরে গেলেন ৷ তখন লোকেরা এই বলে পেয়ালিটির উপর হুমড়ি খেয়ে
পড়া যে, তোমরা তার অবশিষ্টাত্শ শরীরে মুছে নাও ৷ তিনি যখন তাদেরকে এরুপ বলতে
শুনলেন তখন বললেন, তোমরা একটু ক্ষাম্ভ হও ৷ রাবী বলেন, একথা বলে তিনি ঐ অবিশষ্ট
পানিতে তার হাতের তালুরাখলেন ৷ তারপর বিসমিল্লাহ্ বললেন ৷ তারপর বললেন, তোমরা
তোমাদের উবু পুর্ণ করে নাও ৷ জাবির বলেন, শপথ ঐ সভার, যিনি আমার দৃষ্টি শক্তির
ব্যাপারে আমাকে পরীক্ষা করেছেন, সেদিন আমি বাসুলুল্লাহ (সা) এর আঙ্গুলসমুহের মাঝ
থেকে পানি ঝর্ণার ন্যায় উৎসারিত হতে দেখেছি ৷ ঐ পানি দ্বারা তারা সকলে উবু করার পুর্বে
তিনি তার হাত উঠাননি ৷ এ হাদীসের সনদ বেশ ভাল, আর এটি ইমাম আহমদের একক
বর্ণনা ৷ আর বাহ্যত এটা পুর্বের ঘটনা নয়,৩ ভিন্ন একটি ঘটনা ৷

মুসলিম শরীফে সালামা ইবন আকওয়ার সুত্রে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে যখন আমরা হুদায়ৰিয়ার পদার্পণ করলাম, তখন আমাদের সংখ্যা চৌদ্দশ’
ক্কিহ্বা ততোধিক ৷ আর আমাদের সাথের পঞ্চাশটি পানিবাহী উট আমাদের পিপাসা নিবারণে
সক্ষম ছিল না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুয়ার পাড়ে বসে দুআ করে তাতে থুক দিলেন ৷
সালামা (রা) বলেন, তখন সবেগে কুয়া থেকে পানি উৎসারিত হতে লাগল এবং আমাদের
ৰাহনগুলোকে পান করালাম এবং নিজেরাও পান করলাম ৷

বুখারী শরীফে যুহরীর হাদীস সংগ্রহ থেকে মিসওয়ার ও মাৱওয়ান ইবনুল হাকাম সুত্রে
ৰ্র্ণিত হুদায়ৰিয়ার সন্ধি বিষয়ে সুদীর্ঘ হাদী সে রয়েছে, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে পাশ
কাটিয়ে হুদায়ৰিয়ার দুরতম প্রান্তে সামান্য পানির এক গর্তের পাশে অবস্থান নিলেন ৷ অল্প
সময়ের ব্যবধানেই লোকেরা সেই পানি শেষ করে ফেলল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে
ণিপাসার অনুযােগ করল ৷ তখন তিনি তার তুণী থেকে একটি তীর নিয়ে তাদেরকে তা সেই
গ্র্তের মধ্যে গেড়ে দিতে বললেন ৷ আল্লাহ্র শপথ, সেখান থেকে চলে যাওয়ার পুর্বপর্যন্ত সেই
ৰ্লাশয়টি তাদেরকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করল ৷ হুদায়ৰিয়ার সন্ধি প্রসঙ্গে সম্পুর্ণ হাদীসখানি
ইতিপুর্বে গিয়েছে বিধায় এখানে আর তা পুনরায় উল্লেখের প্রয়োজন নেই ৷ কোন এক রাবীর
সুৰ্াত্র ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, তীর নিয়ে যিনি গর্ভে নেমেছিলেন তিনি হলেন উট চালক
নাজিয়া ইবন জুনদুব ৷ তিনি বলেন, কেউ কেউ বলেছেন, এই ব্যক্তি ছিলেন হযরত বারা ইবন
ধ্াষিব (রা) ৷ তারপর ইবন ইসহাক প্রথম টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন ৷


رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَصِينٍ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، زَادَ مُسْلِمٌ: وَشُعْبَةُ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ سَالِمٍ، عَنْ جَابِرٍ، وَفِي رِوَايَةِ الْأَعْمَشِ كُنَّا أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ نُبَيْحٍ الْعَنْزِيِّ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «غَزَوْنَا - أَوْ سَافَرْنَا - مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَحْنُ يَوْمَئِذٍ بِضْعَ عَشْرَ وَمِائَتَانِ، فَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَلْ فِي الْقَوْمِ مِنْ مَاءٍ؟ . فَجَاءَهُ رَجُلٌ يَسْعَى بِإِدَاوَةٍ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ مَاءٍ، قَالَ: فَصَبَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَدَحٍ قَالَ: فَتَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ، ثُمَّ انْصَرَفَ وَتَرَكَ الْقَدَحَ، فَرَكِبَ النَّاسُ الْقَدَحَ: تَمَسَّحُوا تَمَسَّحُوا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَلَى رِسْلِكُمْ ". حِينَ سَمِعَهُمْ يَقُولُونَ ذَلِكَ. قَالَ: فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَفَّهُ فِي الْمَاءِ وَالْقَدَحِ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بِسْمِ اللَّهِ ". ثُمَّ قَالَ: " أَسْبِغُوا الْوُضُوءَ ". قَالَ جَابِرٌ: فَوَالَّذِي ابْتَلَانِي بِبَصَرِي لَقَدْ رَأَيْتُ الْعُيُونَ عُيُونَ الْمَاءِ يَوْمَئِذٍ تَخْرُجُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا رَفَعَهَا حَتَّى تَوَضَّؤُوا أَجْمَعُونَ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَظَاهِرُهُ كَأَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৫১


এ প্রসঙ্গে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত একটি হাদীস

ইমাম আহমদ, হুসায়ন আল আশকর ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একদিন প্রত্যুষে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সৈন্যশিবিরে কোন পানি পাওয়া গেল না ৷
তখন এক ব্যক্তি তার কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ বাহিনীতে কোন পানি নেই ৷ তিনি
বললেন, তেমাের কাছে কি কোন পানি আছে ? যে ব্যক্তি বলল, জী, হী ৷ তিনি বললেন, তুমি
তা নিয়ে এসো ৷ রাবী বলেন, তখন সেই ব্যক্তি তার কাছে একটি পাত্র নিয়ে আসল যাতে
সামান্য পানি ছিল ৷ রাবী বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) পাত্র মুখে তার আঙ্গুলসমুহ রেখে
সেগুলোকে ছড়িয়ে দিলেন তখন তার আঙ্গুলসমুহের মধ্য থেকে পানির ঝর্ণাধারা উৎসারিত
হতে লাগল ৷ আর তিনি বিলাল (রা)-কে নির্দেশ দিলেন, লোকদের মাঝে ঘোষণা কর, তারা
যেন বরকতপুর্ণ উবু করে নেয় ৷ এটা আহমদের একক বর্ণনা ৷ ইমাম তাবারানী, আমির
আশ্শা’বীর হাদীস সংগ্রহ থেকে ইবন আব্বাসের বরাতে হাদীসখানি অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন ৷

এ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদের একটি হাদীস

বুখারী, মুহাম্মাদ ইবনুল মুছান্নড়া আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, আমরা তো আল্লাহর নিদর্শনাদিকে বরকত’ বলে গণ্য করতাম, অথচ
তোমরা তাকে ভরের কারণ বলে গণ্য করে থাক ৷ একবার আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
ছিলাম ৷ ত,খন আমাদের পানির সংকট দেখা দিল ৷ তখন তিনি বললেন, তোমরা কোন পানির
উচ্ছিষ্ট অংশ নিয়ে এসো ৷ তখন তারা একটি পাত্র নিয়ে আসল, যাতে সামান্য একটু পানি
ছিল ৷ তখন তিনি সেই প্নড়াত্রে তার হাত প্রবেশ করিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বললেন, তোমরা
বরকতময় পবিত্রতা অর্জনুে এগিয়ে এসো ৷ আর বরকত তো আল্লাহ্র পক্ষ থেকেই হয়ে থাকে ৷
ইবন মাসউদ (বা) বলেন, আমি তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আঙ্গুলসমুহের মধ্য থেকে পানি
উৎসারিত হতে দেখেছি, আর আমরা তো খাবার যখন খাওয়া হত তখন তার থেকে তাসবীহ’
শুনতে পেতাম ৷ বুনদার থেকে তিরমিযী হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেন এবং বলেন, হাদীসখানি
হাসান সহীহ ৷ ,

এ প্রসঙ্গে ইমরান ইবন হুসায়ন এর হাদীস

বুখারী, আবুল ওলীদ ইমরান ইবন হুসায়ন (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, কোন এক
সফরে তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে ছিলেন ৷ এ সময় তারা রাতভর পথ চললেন, ভোর
বেলায় যাত্রা বিরতি করে তারা বিশ্রাম গ্রহণ করলেন, তখন তারা অনিচ্ছা সত্বেও (ক্লান্তিজনিত
কারণে) ঘুমিয়ে গেলেন ৷ এদিকে বেলা উঠে গেল ৷ এরপর সর্বপ্রথম যিনি জাগলেন, তিনি
ছিলেন হযরত আবু বকর, আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজ থেকে না জাগলে তার ঘুম ভাঙ্গানাে হতে
না ৷ এরপর উমর (রা) জাগ্রত হলেন, তখন আবু বকর (বা) তার শিয়রে বসে উচ্চ স্বরে
তাকবীর বলতে লাগলেন, ফলে নবী করীম (সা) জাগ্রত হলেন এবং (তাবু থেকে) নেমে এসে
আমাদেরকে ফজরের নামায পড়ালেন ৷ এ সময় এক ব্যক্তি আমাদের সাথে নামায না পড়ে


قِصَّةٌ أُخْرَى غَيْرُ مَا تَقَدَّمَ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: «قَدِمْنَا الْحُدَيْبِيَةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَحْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً - أَوْ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ - وَعَلَيْهَا خَمْسُونَ رَأْسًا لَا تَرْوِيهَا، فَقَعَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى جَبَا الرَّكِيَّةِ، فَإِمَّا دَعَا وَإِمَّا بَصَقَ فِيهَا. قَالَ: فَجَاشَتْ، فَسَقَيْنَا وَاسْتَقَيْنَا» . وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فِي حَدِيثِ صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ الطَّوِيلِ: «فَعَدَلَ عَنْهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى نَزَلَ بِأَقْصَى الْحُدَيْبِيَةِ عَلَى ثَمِدٍ قَلِيلِ الْمَاءِ يَتَبَرَّضُهُ النَّاسُ تَبَرُّضًا، فَلَمْ يُلَبِّثْهُ النَّاسُ حَتَّى نَزَحُوهُ، وَشُكِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَطَشُ، فَانْتَزَعَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهُ فِيهِ، فَوَاللَّهِ مَا زَالَ يَجِيشُ لَهُمْ بِالرَّيِّ حَتَّى صَدَرُوا عَنْهُ» . وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِتَمَامِهِ فِي صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ، وَرَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّ الَّذِي نَزَلَ بِالسَّهْمِ نَاجِيَةُ بْنُ جُنْدُبٍ سَائِقُ الْبُدْنِ. قَالَ: وَقِيلَ الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ ثُمَّ رَجَّحَ ابْنُ إِسْحَاقَ الْأَوَّلَ. حَدِيثٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا حُسَيْنٌ الْأَشْقَرُ، ثَنَا أَبُو كُدَيْنَةَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَصْبَحَ رَسُولُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৫২
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ وَلَيْسَ فِي الْعَسْكَرِ مَاءٌ، فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَيْسَ فِي الْعَسْكَرِ مَاءٌ. قَالَ: " هَلْ عِنْدَكَ شَيْءٌ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: " فَأْتِنِي بِهِ ". قَالَ: فَأَتَاهُ بِإِنَاءٍ فِيهِ شَيْءٌ مِنْ مَاءٍ قَلِيلٍ. قَالَ: فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَابِعَهُ فِي فَمِ الْإِنَاءِ وَفَتَحَ أَصَابِعَهُ. قَالَ: فَانْفَجَرَتْ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ عُيُونٌ، وَأَمَرَ بِلَالًا، فَقَالَ: " نَادِ فِي النَّاسِ: الْوَضُوءَ الْمُبَارَكَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِنَحْوِهِ. حَدِيثٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، ثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «كُنَّا نَعُدُّ الْآيَاتِ بَرَكَةً. وَأَنْتُمْ تُعِدُّونَهَا تَخْوِيفًا، كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَقَلَّ الْمَاءُ فَقَالَ: " اطْلُبُوا فَضْلَةً مِنْ مَاءٍ ". فَجَاءُوا بِإِنَاءٍ فِيهِ مَاءٌ قَلِيلٌ فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ، ثُمَّ قَالَ: " حَيَّ عَلَى الطَّهُورِ الْمُبَارَكِ وَالْبِرْكَةُ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ". قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ الْمَاءَ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَقَدْ كُنَّا نَسْمَعُ تَسْبِيحَ الطَّعَامِ وَهُوَ يُؤْكَلُ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ أَبِي أَحْمَدَ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. حَدِيثٌ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ،
পৃষ্ঠা - ৪৭৫৩

দুরে সরে থাকল ৷ সে যখন ফিরে আসল তখন নবী করীম তড়াকে জিজ্ঞেস করলেন, হে অমুক,
আমাদের সাথে নামায পড়া থেকে কিসে তোমাকে বিরত রাখলো ? সে বলল, আমি
জানড়াবাতগ্রস্ত’১ হয়েছি ৷ তখন তিনি তাকে মাটি দিয়ে তড়ায়াম্মুম করার নির্দেশ দিলেন ৷ এরপর
সে নামায আদায় করল ৷ আর আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সম্মুখের একটি বাহনের আরোহী
করেছিলেন ৷ এদিকে আমরা সকলে ভীষণ পিপাসার্ত হয়ে পড়লাম ৷ আমরা আমাদের পথ
চলছিলাম, হঠাৎ আমরা এক শ্ৰীলােকের দেখা পেলাম, যে দুটি মশকের মাঝে তার পদদ্বয়
ছড়িয়ে রেখেছিল, তখন আমরা তাকে বললাম, পানি কোথায় ? সে বলল, এখানে কোন পানি
নেই ৷ আমরা তখন প্রশ্ন করলাম, তোমার গৃহৰাসী ও পানির মধ্যে দুরত্ব কতটুকু ? সে বলল,
একদিন একরাভৈতর দুরত্ব ৷ আমরা তাকে বললাম, তুমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে চল ৷ সে
বলল, রাসুলুল্লাহ্’ আবার কী ? তার এরুপ কথাবার্তা আমাদের কাছে অসহ্য মনে হল ৷ আমরা
তাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখোমুখি এনে দাড় করালাম ৷ তখন সে তড়াকেও ঐরুপ কথা বলল
যা আমাদেরকে বলেছিল ৷ আর তাকে অতিরিক্ত একথাও বলল যে, সে বিধবা ৷ এরপর তিনি
তার মশক দুটি নিয়ে আসতে বললেন, এবং সেগুলোর মুখ দুটি ছুয়ে দিলেন ৷ তখন আমরা
চল্লিশজন পিপাসার্ত তা থেকে পান করে তৃপ্ত হলাম এবং আমাদের সাথের সকল মশক ও
পানির পাত্র সমুহ ভরে নিলাম ৷ তবে আমরা কোন উটকে পান করাইনি ৷ মহিলাটির ক্ষোভে
ফেটে পড়ার উপক্রম হয়েছিল ৷ তারপর তিনি বললেন, তোমাদের কাছে (খাদ্যদ্রব্য) যা কিছু
আছে নিয়ে এসো ৷ এভাবে তিনি তার জন্য রুটির অনেকগুলো টুকরা ও খেজুর সংগ্রহ করে
দিলেন ৷ ত্রীলােকটি সেগুলি নিয়ে তার স্বগােত্রের কাছে ফিরে গিয়ে বলল , আমি হয়ত সর্বশ্রেষ্ঠ
যাদুকরের সাক্ষাৎ পেয়েছি অথবা তিনি আল্লাহর নবী হবেন; যেমন তার সচরগণ দাবি করছে ৷
এরপর আল্লাহ ঐ শ্ৰীলোকের মাধ্যমে ঐ যাযাবর গোত্রকে সত্যের পথ দেখালেন ৷ ফলে
ত্রীলোকটি ইসলাম গ্রহণ করল এবং সাথে সাথে তার গোত্রের ণ্লাকেরাও ইসলাম গ্রহণ করল ৷
সিল্ম ইবন রাযীনের হাদীস সংগ্রহ থেকে মুসলিম এভাবেই বর্ণনা করেছেন ৷ আর বুখারী ও
মুসলিম উভয়ে আওফ আল আ’রাবীর হাদীস সংগ্রহ থেকে ইমরান ইবন হুসায়নের বরাতে
তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তাদের একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে এরপর তিনি তাকে বললেন,
এগুলি (রুটির টুকরা ও খেজুর) তোমরা পােয্যপরিজনের জন্য নিয়ে যাও এবং বিশ্বাস কর যে,
আমরা তোমার পানির সামান্য অংশও হ্রাস করিনি, আসলে আল্লাহ্ই আমাদেরকে পান
করিয়েছেন ৷ আর তাতে এও রয়েছে তিনি যখন মশকের মুখ খুললেন তখন বিসমিল্লাহ্’
বললেন ৷

এ বিষয়ে আবু কাতাদা (রা) এর হাদীস

ইমাম আহমদ, ইয়াযীদ ইবন হারুন আবু কাতাদা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সফরে কািড়াম ৷ এ সময় তিনি বললেন,
আগামীকাল যদি তোমরা পানি না পাও তাহলে পিপাসড়ায় কষ্ট পাবে ৷ তখন দ্রুতগাযী লোকেরা
পানির সন্ধানে বেরিয়ে পড়ল আর আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সদা লেগে থাকলাম ৷
এদিকে তার বাহন তাকে নিয়ে কাত হয়ে গেল ৷ আর তিনি তন্দ্রচ্ছেন্ন হয়ে পড়লেন ৷ তখন

১ অর্থাৎ আমার উপর গোসল ফরয হয়েছে ৷ জালালাবাদী (সম্পাদক)


ثَنَا سَلْمُ بْنُ زَرِيرٍ، سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ قَالَ: «حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ، أَنَّهُمْ كَانُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسِيرٍ، فَأَدْلَجُوا لَيْلَتَهُمْ، حَتَّى إِذَا كَانَ وَجْهُ الصُّبْحِ عَرَّسُوا، فَغَلَبَتْهُمْ أَعْيُنُهُمْ حَتَّى ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنِ اسْتَيْقَظَ مِنْ مَنَامِهِ أَبُو بَكْرٍ، وَكَانَ لَا يُوقِظُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَنَامِهِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، فَاسْتَيْقَظَ عُمَرُ، فَقَعَدَ أَبُو بَكْرٍ عِنْدَ رَأْسِهِ، فَجَعَلَ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ صَوْتَهُ حَتَّى اسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَزَلَ وَصَلَّى بِنَا الْغَدَاةَ، فَاعْتَزَلَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لَمْ يُصَلِّ مَعَنَا، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: " يَا فُلَانُ، مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَنَا؟ " قَالَ: أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ. فَأَمَرَهُ أَنْ يَتَيَمَّمَ بِالصَّعِيدِ، ثُمَّ صَلَّى، وَجَعَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَكُوبٍ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَقَدْ عَطِشْنَا عَطَشًا شَدِيدًا، فَبَيْنَمَا نَحْنُ نَسِيرُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذَا نَحْنُ بِامْرَأَةٍ سَادِلَةٍ رِجْلَيْهَا بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ، فَقُلْنَا لَهَا: أَيْنَ الْمَاءُ؟ فَقَالَتْ: إِنَّهُ لَا مَاءَ. فَقُلْنَا: كَمْ بَيْنَ أَهْلِكِ وَبَيْنَ الْمَاءِ؟ قَالَتْ: يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ. فَقُلْنَا: انْطَلِقِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: وَمَا رَسُولُ اللَّهِ؟ فَلَمْ نُمَلِّكْهَا مِنْ أَمْرِهَا حَتَّى اسْتَقْبَلْنَا بِهَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَدَّثَتْهُ بِمِثْلِ الَّذِي حَدَّثَتْنَا، غَيْرَ أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا مُؤْتِمَةٌ، فَأَمَرَ بِمَزَادَتَيْهَا، فَمَسَحَ فِي الْعَزْلَاوَيْنِ، فَشَرِبْنَا عِطَاشًا أَرْبَعِينَ رَجُلًا حَتَّى رَوِينَا، وَمَلَأْنَا كُلَّ قِرْبَةٍ مَعَنَا وَإِدَاوَةٍ، غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ نَسْقِ بَعِيرًا، وَهِيَ تَكَادُ تَنِضُّ مِنَ الْمِلْءِ ثُمَّ قَالَ: " هَاتُوا
পৃষ্ঠা - ৪৭৫৪

আমি তাকে ঠেকনা দিলাম আর তিনি আমার গায়ে হেলান দিলেন ৷ এরপর তিনি আরো
ঝুকলেন, আবার আমি তাকে ঠেকনা দিলাম আর তিনি আমার গায়ে হেলান দিলেন, এরপর
তিনি আরো কাত হয়ে পড়েন যাতে তার পড়ে যাওয়ার উপক্রম হল ৷ তখন আমি তাকে
পুনরায় ঠেকনা দিলাম তখন তিনি জেগে উঠলেন এবং বললেন, তুমি কে ? আমি বললাম,
আবু কাতাদা (রা) ৷ তিনি বললেন, তোমার (আমাদের) এই পথচলা কতক্ষণ যাবৎ ৷ আমি
বললাম, রাতভর ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্ তোমাকে হিফাযত করুন, যেভাবে তুমি তার
রাসুলের হিফাযত করেছে৷ ? তারপর বললেন, যদি আমরা (রাতের শেষ প্রহরে) খানিকটা
বিশ্রাম করে নিতাম ৷ এই বলে তিনি একটি গাছের দিকে অগ্রসর হলেন ৷ তারপর সেখানে
নেমে বললেন, দেখতাে, তুমি কাউকে দেখতে পাও কিনা ? আমি বললাম, এই যে একজন
আরোহী, এই যে দুইজন, এভাবে তাদের সংখ্যা সাতে পৌছে গেল ৷ তখন তিনি (এদেরকে
বললেন) তোমরা আমাদের নামাযের প্রহরায় থাক, যেন তা বাধা না হতে পারে ৷ এরপর
আমরা ঘুমিয়ে গেলাম, তারপর সুর্যের তাপ গায়ে লাগার পুর্বে কেউই জাগতে পারলাম না,
সুর্যেড়াদয়ের পর আমরা জাগ্রত হলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না) তার বাহনে আরোহণ করে
অগ্রসর হলেন এবং আমরাও কিছুক্ষণ চলার পর তিনি বাহন থেকে নেমে জিজ্ঞেস করলেন,
তোমাদের সাথে কি পানি আছে ? আবু কাতাদা বলেন, আমি বললাম, আমার কাছে একটি
উয়ুর পাত্র আছে তাতে সামান্য পানি রয়েছে ৷ তিনি বললেন, তুমি তা নিয়ে এসো ৷ তিনি
বলেন, তখন আমি তার কাছে, তা নিয়ে আসলাম ৷ তখন তিনি বললেন, তোমরা তা থেকে
স্পর্শ কর ৷ তোমরা তা থেকে স্পর্শ কর ! ! তখন লোকেরা তা থেকে উয়ু করার পর এক ঢোক
পরিমাণ অবশিষ্ট থাকল ৷ তিনি আমাকে বললেন, আবু কাতাদা, তা সংরক্ষণ কর, অচিরেই
তার গুরুত্ব প্রকাশ পাবে ৷ তারপর বিলাল (রা) আমান দিলেন এবং তিনি ফজরের পুর্বের
দুরাকাত আদায় করলেন তারপর ফজরের ফরয নামায পড়লেন ৷

এরপর তিনি তার বাহনে আরোহণ করলেন এবং আমরাও বাহনে আরোহণ করলাম ৷
তখন লোকেরা বলাবলি করতে লাগল, আমরা আমাদের নামাষের ব্যাপারে অবহেলা করলাম ৷
একথা শুনে তিনি বললেন, তোমরা কি বলাবলি করেছো ? যদি তোমাদের কোন পার্থিব
ব্যাপার হয় তাহলে তা তোমাদের ব্যাপার আর যদি তা তোমাদের দীনের ব্যাপার হয়ে থাকে
তবে তা আমার দিকে রুজু কর ৷ লোকেরা বলল, আমরা আমাদের নামায়ের ব্যাপারে
হেলাফেলা করলাম ৷ তিনি বললেন, ঘুমের কারণে কোন হেলাফেলা হয় না ৷ হেলাফেলা
প্রযোজ্য হয় জাগ্রত মানুষের ক্ষেত্রে ৷ যখন তোমাদের ঘুমের কারণে নামায কাযা হয়ে যায়
তখন তা পড়ে নিও, আর পরদিনই তার উপযুক্ত ন্সময় ৷ এরপর তিনি বললেন, তোমরা
লোকদের অবস্থা অনুমান কর ৷ তারা বলল, আপনি গতকাল বলেছিলেন, যদি তোমরা
আগামীকাল পানি না পাও তাহলে পিপাসার্ত হবে ৷ লোকেরা তো এখনো পানি পাচ্ছে ৷ রাবী
বলেন, সকালে যখন লোকেরা নবী করীম (না)-কে খুজে গেল না তখন একে অন্যকে বলল,
নিশ্চয়ই আল্লাহ্র রাসুল জলাশয়ে রয়েছেন ৷ এ সময় তাদের মাঝে আবু বকর ও উমর ছিলেন,
তারা দু’জন বললেন, হে লোকসকলা তোমাদেরকে ফেলে রেখে তিনি পানির উৎসে পৌছে
যাওয়ার নন ৷ লোকেরা যদি আবু বকর ও উমরের কথা মানে তাহলে তারা সুপথ পাবে, এটা
তারা তিনবার বললেন ৷


مَا عِنْدَكُمْ ". فَجَمَعَ لَهَا مِنَ الْكِسَرِ وَالتَّمْرِ حَتَّى أَتَتْ أَهْلَهَا، قَالَتْ: لَقِيتُ أَسْحَرَ النَّاسِ، أَوْ هُوَ نَبِيٌّ كَمَا زَعَمُوا. فَهَدَى اللَّهُ ذَاكَ الصِّرْمِ بِتِلْكَ الْمَرْأَةِ، فَأَسْلَمَتْ وَأَسْلَمُوا.» وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سَلْمِ بْنِ زَرِيرٍ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ عَوْفٍ الْأَعْرَابِيِّ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ - وَاسْمُهُ عِمْرَانُ بْنُ تَيْمٍ - عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا: فَقَالَ لَهَا: " «اذْهَبِي بِهَذَا مَعَكِ لِعِيَالِكِ، وَاعْلَمِي أَنَّا لَمْ نَرْزَأْكِ مِنْ مَائِكِ شَيْئًا، غَيْرَ أَنَّ اللَّهَ سَقَانَا» ". وَفِيهِ أَنَّهُ لَمَّا فَتَحَ الْعَزْلَاوَيْنِ سَمَّى اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ. حَدِيثٌ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَقَالَ: " إِنَّكُمْ إِنْ لَا تُدْرِكُوا الْمَاءَ غَدًا تَعْطَشُوا ". وَانْطَلَقَ سَرَعَانُ النَّاسِ يُرِيدُونَ الْمَاءَ، وَلَزِمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَالَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاحِلَتُهُ فَنَعَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَعَمْتُهُ فَادَّعَمَ، ثُمَّ مَالَ فَدَعَمْتُهُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৫৫
فَادَّعَمَ، ثُمَّ مَالَ حَتَّى كَادَ أَنْ يَنْجَفِلَ عَنْ رَاحِلَتِهِ فَدَعَمْتُهُ فَانْتَبَهَ فَقَالَ: " مَنِ الرَّجُلُ؟ فَقُلْتُ: أَبُو قَتَادَةَ. قَالَ: " مُنْذُ كَمْ كَانَ مَسِيرُكَ؟ " قُلْتُ: مُنْذُ اللَّيْلَةِ. قَالَ: " حَفِظَكَ اللَّهُ كَمَا حَفِظْتَ رَسُولَهُ ". ثُمَّ قَالَ: " لَوْ عَرَّسْنَا ". فَمَالَ إِلَى شَجَرَةٍ فَنَزَلَ فَقَالَ: " انْظُرْ هَلْ تَرَى أَحَدًا؟ " قُلْتُ: هَذَا رَاكِبٌ، هَذَانَ رَاكِبَانِ. حَتَّى بَلَغَ سَبْعَةً. فَقَالَ: " احْفَظُوا عَلَيْنَا صَلَاتَنَا ". فَنِمْنَا فَمَا أَيْقَظَنَا إِلَّا حَرُّ الشَّمْسِ، فَانْتَبَهْنَا فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَارَ وَسِرْنَا هُنَيْهَةً، ثُمَّ نَزَلَ فَقَالَ: " أَمَعَكُمْ مَاءٌ؟ ". قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ، مَعِي مِيضَأَةٌ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ مَاءٍ. قَالَ: " ائْتِ بِهَا " قَالَ: فَأَتَيْتُهُ بِهَا، فَقَالَ " مَسُّوا مِنْهَا، مَسُّوا مِنْهَا " فَتَوَضَّأَ الْقَوْمُ وَبَقِيَتْ جُرْعَةٌ، فَقَالَ: " ازْدَهِرْ بِهَا يَا أَبَا قَتَادَةَ فَإِنَّهُ سَيَكُونُ لَهَا نَبَّأٌ ". ثُمَّ أَذَّنَ بِلَالٌ، وَصَلَّوُا الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ، ثُمَّ صَلَّوُا الْفَجْرَ، ثُمَّ رَكِبَ وَرَكِبْنَا، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: فَرَّطْنَا فِي صَلَاتِنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا تَقُولُونَ؟ إِنْ كَانَ أَمْرَ دُنْيَاكُمْ فَشَأْنُكُمْ، وَإِنْ كَانَ أَمْرَ دِينِكُمْ فَإِلَيَّ ". قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَرَّطْنَا فِي صَلَاتِنَا. فَقَالَ: " لَا تَفْرِيطَ فِي النَّوْمِ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَصَلُّوهَا، وَمِنَ الْغَدِ وَقْتَهَا ". ثُمَّ قَالَ: " ظُنُّوا بِالْقَوْمِ ". قَالُوا: إِنَّكَ قُلْتَ بِالْأَمْسِ: " إِنْ لَا تُدْرِكُوا الْمَاءَ غَدًا تَعْطَشُوا "؛ فَالنَّاسُ بِالْمَاءِ. فَقَالَ: " أَصْبَحَ النَّاسُ، وَقَدْ فَقَدُوا نَبِيَّهُمْ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَاءِ. وَفِي
পৃষ্ঠা - ৪৭৫৬

তারপর যখন দৃপুরের উত্তাপ তীব্র হল তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃশ্যমান হলেন ৷ তারা তখন
বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমরা পিপাসার মরে গেলাম, আমাদের ঘাড়সমুহ অর্থাৎ ঘাড়ের
শিরাসমুহ ছিড়ে যাচ্ছে ৷ তখন তিনি বললেন, তোমরা মরবে না ৷ এরপর আবু কাতাদাকে ,
বললেন, হে আবু কাতদাে ! সেই উবুর পাত্রটি নিয়ে এসো ৷ আমি সেটা তার কাছে নিয়ে
আসলাম ৷ তিনি বললেন, আমার পেয়ালাটি খুলে নিয়ে এসো! তখন আমি তা খুলে তার কাছে
নিয়ে আসলাম ৷ তখন তিনি তাতে সেই (উবুর পাত্রের) পানি ঢালতে লাগলেন এবং
লোকদেরকে পান করাতে থাকলেন ৷ এ সময় লোকজন ভিড় করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
হে লোকসকল৷ তোমরা পরস্পর সদাচারের সাথে ধীরস্থিরভাবে পান কর, কেননা, তোমাদের
প্রত্যেকেই তৃপ্তি ভরে পান করতে পারবে ৷ এভাবে লোকেরা সকলে পান করল ৷ শুধু মাত্র আমি
এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাকি থা কলাম ৷ তখন তিনি পানি ঢেলে আমাকে বললেন, আবুকাতাদা !
তুমি পান করে নাও ৷ আবুকাতাদা বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি আগে পান
করুন তিনি বললেন, যে পান করায় তাকে সবশেষে পান করতে হয় ৷ তখন আমি পান করলাম
এবং তিনি আমার পর পান করলেন, আর যে পরিমাণ পানি ছিল তার সমপরিমাণ অবশিষ্ট রয়ে
গেল ৷ এ সময় সাহাবাদের সংখ্যা ছিল তিনশ’ ৷

আবদুল্লাহ বলেন, ইমরান ইবন হুসায়ন আমাকে জামে মসজিদে এই হাদীস বর্ণনা করতে
শুনে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার পরিচয় বল ৷ আমি বললাম, আমি আবদুল্লাহ ইবন রাবাহ আল
আনসারী ৷ তিনি বললেন, ঘরের খবর ঘরের ল্যেকই বেশি জানে, ভেবে-চিত্তে হাদীস
রিওয়ায়াত করবে, কেননা আমি ঐ রাত্রের সেই সাতজনের একজন ৷ আমি যখন হাদীস বর্ণনা

শেষ করলাম, তিনি বললেন, আমার ধারণা ছিল না যে, আমি ছাড়া অন্য কেউ এই হাদীস
সংরক্ষণ করেছে ৷
হাম্মাদ ইবন সালামা, হুমায়দ আত তবীল আবু কাতদাে আল-মাওসেল সুত্রে এরুপ
রিওয়ায়াত করেছেন এবং অতিরিক্ত একথা বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন সফরে রাত্রিকালে
যাত্রা বিরতি করে বিশ্রাম করতেন তখন তার ডান হাতকে বালিশ রুপে ব্যবহার করতেন, আর
প্রভাতকালে যাত্রা বিরর্তিকালে তার মাথা রাখতেন ডান হাতের তালুতে এবং কনুই পর্যন্ত হাত
খাড়া রাখতেন ৷ মুসলিম ও শায়বান ইবন ফাররুখ আ বু কাতদাে আলহারিছ ইবন রিরঈ
(রা) সুত্রে সম্পুর্ণ হড়াদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন এবং হাম্মাদ ইবন সালামার হাদীস সংগ্রহ
থেকে তার সর্বশেষ সনদেও তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

হযরত আনাস থেকে বর্ণিত এরুপ একটি হাদীস

বায়হাকী আবু ইয়ালার হাদীস সংগ্রহ থেকে আনাস ইবন মালিকের বরাতে বর্ণনা
করেন যে, একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুশরিকদের বিরুদ্ধে এক বাহিনী প্রস্তুত করলেন ৷ এদের
মাঝে আবু বকর (রা)ও ছিলেন ৷ তিনি র্তাদেরকে বললেন, তোমরা দ্রুত চলে যাও ৷ কেননা
তোমাদের ও মুশবিকদেরমড়াঝে একটি পানির উৎস রয়েছে ৷ মুশরিকরা যদি তোমাদের আগে
সেই পানির উৎসের দখল নিয়ে নেয় তাহলে তা সকলের জন্য কষ্টদায়ক হবে আর তোমরা
তোমাদের বাহনসমুহ ভীষণ পিপাসার শিকার হয়ে ৷ আনাস (রা) বলেন, আর রাসুলুল্লাহ্
(সা) আটজনকে নিয়ে পিছিয়ে রইলেন ৷ আমি ছিলাম তাদের নবম জন ৷ তিনি তার এ


الْقَوْمِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَقَالَا: أَيْهَا النَّاسُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ لِيَسْبِقَكُمْ إِلَى الْمَاءِ وَيَخْلُفَكُمْ. وَإِنْ يُطِعِ النَّاسُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ يَرْشُدُوا " قَالَهَا ثَلَاثًا. فَلَمَّا اشْتَدَّتِ الظَّهِيرَةُ رَفَعَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكْنَا عَطَشًا، تَقَطَّعَتِ الْأَعْنَاقُ. فَقَالَ: " لَا هُلْكَ عَلَيْكُمْ ". ثُمَّ قَالَ: " يَا أَبَا قَتَادَةَ، ائْتِ بِالْمِيضَأَةِ ". فَأَتَيْتُهُ بِهَا، فَقَالَ: " احْلُلْ لِي غُمْرِي " يَعْنِي قَدَحَهُ. فَحَلَلْتُهُ فَأَتَيْتُهُ بِهِ فَجَعَلَ يَصُبُّ فِيهِ، وَيَسْقِي النَّاسَ، فَازْدَحَمَ النَّاسُ عَلَيْهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَحْسِنُوا الْمَلْأَ، فَكُلُّكُمْ سَيَصْدُرُ عَنْ رَيٍّ " فَشَرِبَ الْقَوْمُ حَتَّى لَمْ يَبْقَ غَيْرِي وَغَيْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَبَّ لِي، فَقَالَ: اشْرَبْ يَا أَبَا قَتَادَةَ ". قَالَ: قُلْتُ اشْرَبْ أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " إِنَّ سَاقِيَ الْقَوْمِ آخِرُهُمْ " فَشَرِبْتُ وَشَرِبَ بَعْدِي، وَبَقِيَ فِي الْمِيضَأَةِ نَحْوٌ مِمَّا كَانَ فِيهَا، وَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَلَاثُمِائَةٍ.» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَسَمِعَنِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ، وَأَنَا أُحَدِّثُ هَذَا الْحَدِيثَ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، فَقَالَ: مَنِ الرَّجُلُ؟ قُلْتُ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَبَاحٍ الْأَنْصَارِيُّ. قَالَ: الْقَوْمُ أَعْلَمُ بِحَدِيثِهِمْ، انْظُرْ كَيْفَ تُحَدِّثُ، فَإِنِّي أَحَدُ السَّبْعَةِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ. فَلَمَّا فَرَغْتُ قَالَ: مَا كُنْتُ أَحْسَبُ أَحَدًا يَحْفَظُ هَذَا الْحَدِيثَ غَيْرِي. قَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ: وَحَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ، وَزَادَ: قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا عَرَّسَ وَعَلَيْهِ لَيْلٌ تَوَسَّدَ يَمِينَهُ، وَإِذَا عَرَّسَ
পৃষ্ঠা - ৪৭৫৭
الصُّبْحَ، وَضَعَ رَأَسَهُ عَلَى كَفِّهِ الْيُمْنَى وَأَقَامَ سَاعِدَهُ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ شَيْبَانَ بْنِ فَرُّوخٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْحَارِثِ بْنِ رِبْعِيٍّ الْأَنْصَارِيِّ بِطُولِهِ، وَأَخْرَجَهُ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِسَنَدِهِ الْأَخِيرِ أَيْضًا. حَدِيثٌ آخَرُ عَنْ أَنَسٍ يُشْبِهُ هَذَا: رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْحَافِظِ أَبِي يَعْلَى الْمَوْصِلِيِّ، ثَنَا شَيْبَانُ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، ثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَهَّزَ جَيْشًا إِلَى الْمُشْرِكِينَ، فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَقَالَ لَهُمْ: أَجِدُّوا السَّيْرَ؛ فَإِنَّ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ الْمُشْرِكِينَ مَاءً، إِنْ يَسْبِقِ الْمُشْرِكُونَ إِلَى ذَلِكَ الْمَاءِ شَقَّ عَلَى النَّاسِ، وَعَطِشْتُمْ عَطَشًا شَدِيدًا أَنْتُمْ وَدَوَابُّكُمْ ". قَالَ: وَتَخَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ثَمَانِيَةٍ أَنَا تَاسِعُهُمْ، وَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: " هَلْ لَكَمَ أَنْ نُعَرِّسَ قَلِيلًا، ثُمَّ نَلْحَقَ بِالنَّاسِ؟ " قَالُوا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَعَرَّسُوا فَمَا أَيْقَظَهُمْ إِلَّا حَرُّ الشَّمْسِ، فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتَيْقَظَ أَصْحَابُهُ، فَقَالَ لَهُمْ: " تَقَدَّمُوا وَاقْضُوا حَاجَاتِكُمْ ". فَفَعَلُوا ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُمْ: " هَلْ مَعَ أَحَدٍ مِنْكُمْ مَاءٌ؟ " قَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَعِي مِيضَأَةٌ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ مَاءٍ. قَالَ " " فَجِئْ بِهَا ". فَجَاءَ بِهَا، فَأَخَذَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَسَحَهَا بِكَفَّيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৪৭৫৮

সঙ্গীদেরকে বললেন, আমরা সামান্য নৈশ বিশ্রাম নিয়ে তারপর অন্যদের সাথে মিলিত হব,
তোমরা কী বল ? তারা বললেন, জী হী! ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ! এরপর তারা বিশ্রাম করলেন,
সুর্যতড়াপ তাদেরকে স্পর্শ করার পুর্বে তারা আর জআেত হলেন না ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
জাগ্রত হলেন এবং তার সাহাবাগণও জাগ্রত হলেন ৷ তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা অগ্রসর
হয়ে তোমাদের প্রয়ােজনাদি পুরণ করে নাও ! তখন তারা তা’ করে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে
ফিরে আসলেন ৷ তখন তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমাদের কারো সাথে কি পানি
আছে ? তখন তাদের একজন বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আমার কাছে একটি উয়ুর পাত্র
রয়েছে, তাতে সামান্য পানি আছে ৷ তিনি বললেন, তুমি তা নিয়ে এসো! তখন লোকটি তা
নিয়ে আসল এবং আল্লাহ্র নবী তা ধরলেন ৷ তারপর উভয় হাত দ্বারা তা মুছলেন, আর তাতে
বরকতের জন্য দৃআ করলেন ৷ তিনি তার সাহাবীগণকে বলতে লাগলেন, এসো, তোমরা উযু
করে নাও ৷ তখন তারা আসলেন আর আল্লাহ্র রাসুল তাদেরকে পানি ঢেলে দিতে থাকলেন ৷
এভাবে তারা সকলে উযু শেষ করলেন ৷ তখন তাদের একজন আযান ও ইকামত দিলেন এবং
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন ৷ এরপর উয়ুর পাত্রধারী সাহাবীকে তিনি
বললেন, তোমার উয়ুর পাত্র সংরক্ষণ করে রাখ ৷ অচিরেই এর গুরুত্ব প্রকাশ পাবে ৷

একথা বলে তিনি সকলের আগে বাহনে আরোহণ করলেন এবং তার সাহাবীগণকে
বললেন, লোকেরা কি করেছে বলে তোমরা মনে কর ? তখন তারা বললেন, আল্পাহ্ ও তার
রাসুলই অধিক জানেন ৷ তিনি তাদেরকে বললেন, তাদের মাঝে আবু বকর, উমর আছেন ৷
সুতরাং লোকেরা সঠিক পথের দিশা পাবে ৷ এরপর যখন মুসলমানদের বাহিনী সেখানে আগমন
করে দেখতে পেল যে, তাদের পুর্বেই মুশরিকরা সেই পানির উৎসে পৌছে গেছে তখন বিষয়টি
, তাদের জন্য কঠিন হয়ে দেখা দিল, উপরন্তু তারা এবং তাদের বোঝাবহনকারী পশুরা ভীষণ
পিপাসায় কাতর হয়ে পড়লো ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এসে জিজ্ঞেস করলেন, সেই উয়ুর
পাত্রধারী লোকটি কোথায় ? লোকেরা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এইভাে সে এখানে ৷ তিনি
বললেন, তোমার পাত্রটি আমার কাছে নিয়ে এসো ৷ তখন সে তা নিয়ে আসল আর তাতে
সামান্য একটু পানি ছিল ৷ এরপর তিনি বললেন, এলো, তোমরা সকলে পান করে নাও ! আর
তিনি নিজে তাদেরকে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন ৷ এভাবে সকলে পান করলেন এবং তাদের
আরোহণের পশু এবং ভারবাহী পশুপালকে পান করালেন এবং তাদের সাথের সকল মশক ও
পানির পাত্র পুর্ণ করে নিলেন ৷

এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সাহাবাগণ মুশরিকদের দিকে অগ্রসর হলেন ৷ এ সময়
আল্লাহ বায়ু প্রবাহ দ্বারা মুশরিকদের আক্রান্ত করলেন এবং মু’মিনদের জন্য তার সাহায্য
অবতীর্ণ করলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মু’মিনদেরকে কর্তৃত্ব দান করলেন ৷ ফলে তারা
ৰিপুলসংখ্যক মুশরিককে হত্যা করলেন, বহুসংখ্যককে বন্দী করলেন এবং বহু গনীমত লাভ
করলেন ৷ আর অভিযান শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাহাবাগণকে নিয়ে সহীহ সালামতে
(বিজয়ীরুপে) ফিরে আসলেন ৷

কিছুক্ষণ পুর্বে হযরত জাবির সুত্রে এরুপ একটি রিওয়ায়াত গত হয়েছে ৷ আর এটা
মুসলিম শরীফে বিদ্যমান ৷ আর তাবুক অভিযানের প্রসঙ্গে আমরা ঐ রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছি,
যা মুসলিম, মালিক মুআয ইবন জাবাল (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি (সেখানে)


وَدَعَا بِالْبَرَكَةِ فِيهَا، وَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: " تَعَالَوْا فَتَوَضَّؤُوا " فَجَاءُوا وَجَعَلَ يَصُبُّ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى تَوَضَّؤُوا كُلُّهُمْ، فَأَذَّنَ رَجُلٌ مِنْهُمْ وَأَقَامَ، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِمْ، وَقَالَ لِصَاحِبِ الْمِيضَأَةِ: " ازْدَهِرْ بِمِيضَأَتِكَ فَسَيَكُونُ لَهَا نَبَأٌ ". وَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ النَّاسِ، وَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: " مَا تَرَوْنَ النَّاسَ فَعَلُوا؟ " فَقَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَقَالَ لَهُمْ: " فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، وَسَيَرْشُدُ النَّاسُ ". فَقَدِمَ النَّاسُ وَقَدْ سَبَقَ الْمُشْرِكُونَ إِلَى ذَلِكَ الْمَاءِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ، وَعَطِشُوا عَطَشًا شَدِيدًا؛ رِكَابُهُمْ وَدَوَابُّهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيْنَ صَاحِبُ الْمِيضَأَةِ؟ " قَالُوا: هُوَ ذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " جِئْنِي بِمِيضَأَتِكَ ". فَجَاءَ بِهَا وَفِيهَا شَيْءٌ مِنْ مَاءٍ. فَقَالَ لَهُمْ: " تَعَالَوْا فَاشْرَبُوا ". فَجَعَلَ يَصُبُّ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى شَرِبَ النَّاسُ كُلُّهُمْ، وَسَقَوْا دَوَابَّهُمْ وَرِكَابَهُمْ وَمَلَؤُوا مَا كَانَ مَعَهُمْ مِنْ إِدَاوَةٍ وَقِرْبَةٍ وَمَزَادَةٍ، ثُمَّ نَهَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ إِلَى الْمُشْرِكِينَ، فَبَعَثَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، رِيحًا فَضَرَبَ وُجُوهَ الْمُشْرِكِينَ، وَأَنْزَلَ اللَّهُ نَصْرَهُ، وَأَمْكَنَ مِنْ أَدْبَارِهِمْ، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَأَسَرُوا أُسَارَى كَثِيرَةً، وَاسْتَاقُوا غَنَائِمَ كَثِيرَةً، وَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ وَافِرِينَ صَالِحِينَ» . وَقَدْ تَقَدَّمَ قَرِيبًا عَنْ جَابِرٍ مَا يُشْبِهُ هَذَا، وَهُوَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ ".
পৃষ্ঠা - ৪৭৫৯

তাবুক অভিযানকালে দুই সালাত একত্র করা সম্পর্কিত হাদীস উল্লেখ করে বলেন, রাসুলুল্পাহ্
(সা) বললেন, আগামীকাল আল্লাহ্ চাইলে তোমরা তাবুকের জলাশয়ে উপনীত হবে ৷ পুর্বাহ্নের
পুর্বে তোমরা সেখানে পৌছতে পারবে না ৷ তোমাদের মধ্যে যেই সেখানে পৌছবে, সে যেন
আমার না আসা পর্যন্ত সেখানকার কোন পানি স্পর্শ না করে ৷ মুআয (রা) বলেন, এরপর
আমরা সেখানে এসে পৌছলাম, অবশ্য দৃই,ব্যক্তি আমাদের পুর্বেই সেখানে পৌছে গিয়েছিল,
আর পানির উত্সটি ছিল সবুজ মাসের গুচ্ছসদৃশ, যা অতি সামান্য সামান্য রুপানি উৎসারিত
করছিল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের দু’জনকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি তার পানি স্পর্শ
করেছ ? তারা বলল, জী হী ৷ তখন তিনি তাদেরকে তিরস্কার করে বেশ কিছু কথা বললেন ৷
তারপর ণ্লাকেরা সেই পানির উৎস থেকে হাতের কোষ ভরে সামান্য সামান্য পানি নিল ৷
এমনকি তা একটি পাত্রে সংগৃহীত হল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেই (সামান্য) পানি দ্বারা তার
উভয় হাত এবং মুখমণ্ডল বৌত করলেন, তারপর তা আবার সেই পানির উৎসে ঢেলে দিলেন ৷
তখন সেই উৎস থেকে প্রচুর পানি উৎসারিত হতে লাগল ৷ তখন লোকেরা তা থেকে পান
করল ৷
তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে মুআয! আল্লাহ্ যদি তোমাকে দীর্ঘকাল বীচিয়ে
রাখেন তাহলে হয়ত তুমি দেখবে, এখানকার সবকিছু বাগ-বাগিচায় পুর্ণ ৷ আর প্রতিনিধিদল
অধ্যায়ে’ আবদুর রহমান ইবন যিয়াদ ইবন আনউম সুত্রে যিয়াদ ইবন হারিছ আসসদাঈ থেকে
তার প্রতিনিধিরুপে আগমনের ঘটনা আমরা উল্লেখ করেছি ৷ সেখানে তিনি যে দীর্ঘ হাদীস
রিওয়ায়াত করােত্রছা তাতে রয়েছে : তারপর আমরা বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাদের একটি
কুয়া রয়েছে, শীতকালে আমরা তাতে পর্যাপ্ত পানি পইি এবং সকলে একত্রে অবস্থান করি, আর
গ্রীষ্মকালে তার পানি কমে যায়; তখন আমরা আমাদের আশেপাশের পানির উৎস সমুহে
ছড়িয়ে পড়ি (আর একত্রে থাকা হয় না) ৷ আর ইতিপুর্বে আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷
আমাদের প্রতিরেশীরা আমাদের শত্রু ৷ আপনি আমাদের কুয়ার জন্য দুআ করুন; যেন তার
পানি আমাদের জন্য (সবসময়) পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে, যাতে আমরা একত্রে থাকতে পারি,
আমাদের আর বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রয়োজন না হয় ৷ তখন তিনি সাতটি কংকর আনালেন এবং তার
হাত দিয়ে সেগুলিকে মললেন এবং সেগুলির মাঝে দুআ পড়ে দিলেন ৷ তারপর বললেন, এই
কংকরগুলি নিয়ে যাও, তোমরা যখন কুয়ার পাড়ে পৌছবে তখন আল্লাহর নাম নিয়ে একটি
একটি করে সেগুলি কুয়ার নিক্ষেপ করবে ৷ আসসদাঈ বলেন, তখন তিনি আমাদেরকে যা
বললেন, আমরা তইি করলাম ৷ এরপর আর আমরা কখনও সেই কুয়ার তলদেশের দেখা
পাইনি ৷ এই হাদীসের মুল অংশ ইমাম আহমদের মুসনাদে এবং ইমাম আবু দাউদ, তিরমিষী
ও ইবন মাজার সুনড়ান সমুহে বিদ্যমান ৷ আর হাদীসখানির বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে ইমাম
বায়হাকীর দালাইলুন নবুওয়াত’ গ্রন্থে ৷ নিম্নে ইমাম বায়হাকী প্রদত্ত শিরোনামে তা উল্লেখিত
হল


وَقَدَّمْنَا فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ مَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، فَذَكَرَ حَدِيثَ جَمْعِ الصَّلَاةِ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ إِلَى أَنْ قَالَ: «وَقَالَ - يَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " إِنَّكُمْ سَتَأْتُونَ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ، عَيْنَ تَبُوكَ وَإِنَّكُمْ لَنْ تَأْتُوهَا حَتَّى يُضْحِيَ ضُحَى النَّهَارِ، فَمَنْ جَاءَهَا فَلَا يَمَسَّ مِنْ مَائِهَا شَيْئًا حَتَّى آتِيَ ". قَالَ: فَجِئْنَاهَا وَقَدْ سَبَقَ إِلَيْهَا رَجُلَانِ، وَالْعَيْنُ مِثْلُ الشِّرَاكِ تَبِضُّ بِشَيْءٍ مِنْ مَاءٍ، فَسَأَلَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " هَلْ مَسَسْتُمَا مِنْ مَائِهَا شَيْئًا؟ " قَالَا: نَعَمْ. فَسَبَّهُمَا وَقَالَ لَهُمَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ، ثُمَّ غَرَفُوا مِنَ الْعَيْنِ قَلِيلًا قَلِيلًا حَتَّى اجْتَمَعَ فِي شَيْءٍ ثُمَّ غَسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَعَادَهُ فِيهَا، فَجَرَتِ الْعَيْنُ بِمَاءٍ كَثِيرٍ، فَاسْتَقَى النَّاسُ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا مُعَاذُ يُوشِكُ إِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ أَنْ تَرَى مَا هَاهُنَا قَدْ مُلِئَ جِنَانًا» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا حَسَنٌ، ثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، ثَنَا بَكْرُ بْنُ سَوَادَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ نُعَيْمٍ، عَنْ حِبَّانَ بْنِ بُحٍّ الصُّدَائِيِّ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ قَوْمِي كَفَرُوا، فَأُخْبِرْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَهَّزَ إِلَيْهِمْ جَيْشًا، فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ: إِنَّ قَوْمِي عَلَى الْإِسْلَامِ. فَقَالَ: " أَكَذَلِكَ؟ " فَقُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَاتَّبَعْتُهُ لَيْلَتِي إِلَى الصَّبَاحِ، فَأَذَّنْتُ بِالصَّلَاةِ لَمَّا أَصْبَحْتُ، وَأَعْطَانِي إِنَاءً تَوَضَّأْتُ مِنْهُ، فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَابِعَهُ فِي الْإِنَاءِ فَانْفَجَرَ عُيُونًا، فَقَالَ: " مَنْ أَرَادَ مِنْكُمْ أَنْ يَتَوَضَّأَ
পৃষ্ঠা - ৪৭৬০
فَلْيَتَوَضَّأْ ". فَتَوَضَّأْتُ وَصَلَّيْتُ، وَأَمَّرَنِي عَلَيْهِمْ، وَأَعْطَانِي صَدَقَتَهُمْ، فَقَامَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَلَانٌ ظَلَمَنِي. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا خَيْرَ فِي الْإِمْرَةِ لِمُسْلِمٍ ". ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَسَأَلَ صَدَقَةً، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ الصَّدَقَةَ صُدَاعٌ فِي الرَّأْسِ، وَحَرِيقٌ فِي الْبَطْنِ، أَوْ دَاءٌ ". قَالَ: فَأَعْطَيْتُهُ صَحِيفَتِي، أَوْ قَالَ: صَحِيفَةَ إِمْرَتِي وَصَدَقَتِي. فَقَالَ: " مَا شَأْنُكَ؟ " فَقُلْتُ: كَيْفَ أَقْبَلُهَا وَقَدْ سَمِعْتُ مِنْكَ مَا سَمِعْتُ؟! فَقَالَ: " هُوَ مَا سَمِعْتَ» . وَذَكَرْنَا فِي بَابِ الْوُفُودِ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعَمَ، عَنْ زِيَادِ ابْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحَارِثِ الصُّدَائِيِّ فِي قِصَّةِ وِفَادَتِهِ، فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا فِيهِ: «ثُمَّ قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لَنَا بِئْرًا إِذَا كَانَ الشِّتَاءُ وَسِعَنَا مَاؤُهَا وَاجْتَمَعْنَا عَلَيْهَا، وَإِذَا كَانَ الصَّيْفُ قَلَّ مَاؤُهَا فَتَفَرَّقْنَا عَلَى مِيَاهٍ حَوْلَنَا، وَقَدْ أَسْلَمْنَا، وَكُلُّ مَنْ حَوْلَنَا عَدُوٌّ، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا فِي بِئْرِنَا فَيَسَعُنَا مَاؤُهَا فَنَجْتَمِعُ عَلَيْهِ وَلَا نَتَفَرَّقُ. فَدَعَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ فَعَرَكَهُنَّ بِيَدِهِ، وَدَعَا فِيهِنَّ ثُمَّ قَالَ: " اذْهَبُوا بِهَذِهِ الْحَصَيَاتِ، فَإِذَا أَتَيْتُمُ الْبِئْرَ فَأَلْقُوا وَاحِدَةً وَاحِدَةً وَاذْكُرُوا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ ". قَالَ الصُّدَائِيُّ: فَفَعَلْنَا مَا قَالَ لَنَا، فَمَا اسْتَطَعْنَا بَعْدَ ذَلِكَ أَنْ نَنْظُرَ
পৃষ্ঠা - ৪৭৬১

অধ্যায়
কুবায় অবস্থিত কুয়ায় তার যে বরকত প্রকাশ পেয়েছিল

আবুল হাসান মুহাম্মাদ ইবন হুসায়ন আল আলাভী, আবু হামিদ ইবনুশৃ শারকী সুত্রে
ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ থেকে বর্ণনা ক্রেন যে, একবার হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) কুবায়
তাদের কাছে আগমন করলেন এবং তাদের কাছে সেখানকার একটি কুয়ার সন্ধান জানতে
চইিলেন ৷ তখন আমি তাকে তার সন্ধান দিলাম ৷ তখন তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেন, এই
কুয়ার অবস্থাতো এমন ছিল, কোন ব্যক্তি যদি তার গাধার পিঠে (কয়েক মশক) পানি বহন
করে নিয়ে যেত তাহলেই তা শুকিয়ে যেত ৷ এরপর (একবার) রাসুলুল্লাহ্ (সা) আসলেন, এবং
একটি (বিশাল) বালতিতে সেখান থেকে পানি আমার নির্দোণ দিলেন ৷ এরপর হয় তিনি থেকে
উবু করলেন কিৎবা তাতে থুখু দিলেন ৷ তারপর তার নির্দেশে সেই পানি কুয়ায় ঢেলে দেয়া
হন ৷ রাবী বলেন, এরপর থেকে আর এই কুয়া কখনও ওকায়নি ৷ রাবী বলেন, এরপর আমি
তাকে পেশাব করে এসে উযু করতে এবং উভয়পার্শ্বমাসেহ করে নামায পড়তে দেখেছি ৷

আবু বকর আল বায্যার, আল ওলীদ ইবন আমর আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, একবার রাসুলুল্পাহ্ (সা) এসে আমাদের অতিথি হলেন, তখন আমরা
তাকে জাহিলিয়াতে অড়াননাবুর’ (স্বল্পপা-নির কুপ) নামে খ্যাত আমাদের কুয়ার পানি পান
করালাম ৷ তখন তিনি তাতে থুক দিলেন ৷ তখন থেকে সেই কুয়া আর শুকাত না ৷ তারপর
রাবী বলেন, এই সুত্র (ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে হাদীসখানি বর্ণিত হয়েছে বলে আমাদের জানা
নেই ৷

নবী করীম (না)-এর বরকতে খাদ্য বৃদ্ধি

একাধিক স্থানে নবী করীম (না)-এর বরকতে দুধ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ ইমাম আহমদ
রাওহ মুজাহিদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলাতন, আল্লাহর কলম, ক্ষুধার
তাড়নায় আমি আমার যকৃৎ (বরাবর পেট) মাটিতে চেপে ধরতাম ৷ আর কখনও বা ক্ষুধার
তাড়নায় আমি পেটে পাথর বেধে নিতাম ৷ একদিন আমি ঐ পথের সামনে বসলাম যে পথ
দিয়ে সকলে বের হয় ৷ প্রথমে আবু বকর (রা) বের হলেন ৷ তখন আমি তাকে কিতাবুল্লাহর
একটি আয়াত জিজ্ঞেস করলাম, আমার উদ্দেশ্য ছিল এ কারণে তিনি আমাকে তার সাথে
যেতে বলবেন; কিন্তু তিনি তা করলেন না ৷ এরপর উমর (রা) বের হলেন ৷ তখন আমি
র্তড়ারুকও কিতাবুল্লাহ্র একটি আয়াত জ্যিজ্ঞস করলাম ৷ এবারও আমার উদ্দেশ্য ছিল যে, হয়ত
তিনি আমাকে তার সাথে যেতে বলবেন ৷ কিন্ত না, তিনিও তা করলেন না ৷ এরপর আবুল
কাসিম (সা) বের হলেন ৷ তিনি আমার ঢেহারার আবেদন এবং মনের অবস্থা বুঝতে পেরে
বললেন, আবু হুরায়রা ! আমি তাকে রললাম, লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ্! (হে আল্লাহর রাসুল !
আমি হাযির) ৷ তখন তিনি বললেন, আমার সাথে এসো ৷ এরপর আমি ভিতরে প্রবেশের


إِلَى قَعْرِهَا.» يَعْنِي الْبِئْرَ. وَأَصَلُ هَذَا الْحَدِيثِ فِي " الْمُسْنَدِ " وَ " سُنَنِ أَبِي دَاوُدَ " وَ " التِّرْمِذِيِّ " وَ " ابْنِ مَاجَهْ " وَأَمَّا الْحَدِيثُ بِطُولِهِ فَفِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " لِلْبَيْهَقِيِّ رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: بَابُ مَا ظَهَرَ فِي الْبِئْرِ الَّتِي كَانَتْ بِقُبَاءٍ مِنْ بَرَكَتِهِ. أَخْبَرَنَا أَبُو الْحَسَنِ مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ الْعَلَوِيُّ، ثَنَا أَبُو حَامِدِ بْنُ الشَّرْقِيِّ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ «أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أَتَاهُمْ بِقُبَاءٍ فَسَأَلَهُ عَنْ بِئْرٍ هُنَاكَ. قَالَ: فَدَلَلْتُهُ عَلَيْهَا، فَقَالَ: لَقَدْ كَانَتْ هَذِهِ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَنْضَحُ عَلَى حِمَارِهِ، فَيَنْزَحُ فَنَسْتَخْرِجُهَا لَهُ، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَ بِذَنُوبٍ فَسُقِيَ، فَإِمَّا أَنْ يَكُونَ تَوَضَّأَ مِنْهُ، وَإِمَّا أَنْ يَكُونَ تَفَلَ فِيهِ، ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَأُعِيدَ فِي الْبِئْرِ. قَالَ فَمَا نُزِحَتْ بَعْدُ. قَالَ: فَرَأَيْتُهُ بَالَ، ثُمَّ جَاءَ فَتَوَضَّأَ، وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ، ثُمَّ صَلَّى.» وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السُّكَيْنِ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُثَنَّى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْزِلَنَا، فَسَقَيْنَاهُ مِنْ بِئْرٍ لَنَا فِي دَارِنَا كَانَتْ تُسَمَّى النَّزُورَ، فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَتَفَلَ