আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب دلائل النبوة

الدلائل الحسية
ما يتعلق بالآيات السماوية في باب دلائل النبوة
পৃষ্ঠা - ৪৭২৭

পড়াচটি ডিত্তিহীন হাদীস

হাকিম আবু আবদুল্লাহ্ নিশাপুরী, মুহাম্মাদ ইবন সালিহ আল হাশিমীর সুত্রে আবদুল্লাহ্
ইবন আলী (ইবন) আল মাদীনী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আমার পিতাকে
বলতে শুনেছি, রাবীদের বর্ণিত পড়াচটি হাদীসের কোন ভিত্তি নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে
কোন সম্পর্ক নেই ৷
প্রথম হাদীস

০র্দুঠু

প্রার্থী যদি সত্য বলে , তাহলে তাকে রে ফিরিয়ে দেয় যে সফলকাম হবে না ৷

দ্বিতীয় হাদীস
’ প্লু,ট্রুট্টা৷ন্ছুশ্বান্ছুশ্বপ্রু;, ;এাণ্শ্নশ্বাট্টৰুপ্রুশ্ব

চোখের ব্যথা ছাড়া কোন ব্যথা নেই এবং ঋণের দুশ্চিন্তা ছাড়া কোন দৃশ্চিস্তা নেই ৷

তৃতীয় হাদীস


হযরত আলীর জন্য অস্ত যাওয়ার পর সুর্যকে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল ৷

চতুর্থ হাদীস
ঙ্গণ্া; ৷

আমাকে আল্লাহ্ দুশবছর মাটির নিচে রাখবেন-এর চাইতে আল্লাহ্র কাছে আমি
অধিকতর সম্মানিত ৷ (অর্থাৎ আমার মর্যাদার কারণে দুই শতাধিক বছর পর্যন্ত আল্লাহ্ আমাকে
মাটির নীচে ফেলে রাখতে পারেন না ৷)
পঞ্চম হাদীস


শিঙ্গা যে লাপায় এবং মাঝে লাগানো হয় তাদের উভয়ের ণ্রাযা ভেঙ্গে যায় ৷ তাদের
একজন অপরজনকে (রোজা ভঙ্গের জন্য) উদ্বুদ্ধ করে ৷

ইমাম তাহাৰী (র) যদিও তার নিজের কাছে বিষয়টি অস্পষ্ট মনে হয়েছে,৩ তবে তিনি
ইমাম আবু হানীফা (র) কর্তৃক এই হাদীসখানি প্রত্যাখ্যান করার এবং তার রাবীদের বিরুদ্ধে
তার সমালোচনার উল্লেখ করেছেন ৷ আবুল আব্বাস ইবন উকদা, জাফর ইবন মুহাম্মদ সুত্রে
সুলায়মান ইবন আব্বাদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি বাশৃশার ইবন
দাবৃরাকে বলতে শুনেছি যে , তিনি বলেছেন, একবার মুহাম্মদ ইবন নুমান ইমাম আবু হানীফার
(র)এর সাথে সাক্ষাৎ করলেন, তখন তিনি তাকে বললেন, আপনি সুর্য ফিরানাের হাদীসখানি
কার থেকে রিওয়ায়াত করেছেন? জবাবে তিনি বললেন, আপনি বার বরাতে

হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন তিনি ব্যতীত অন্য রা বী থেকে ৷ দেখা যাচ্ছে ইমাম আবু হানীফা
যিনি সর্বমান্য ইমামদের অন্যতম, এবং কুফার অধিবাসী আলী (রা)-এর প্ৰতি ভালবাসা এবং


[مَا يَتَعَلَّقُ بِالْآيَاتِ السَّمَاوِيَّةِ فِي بَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ] وَمِمَّا يَتَعَلَّقُ بِالْآيَاتِ السَّمَاوِيَّةِ فِي بَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ، اسْتِسْقَاؤُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ رَبَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِأُمَّتِهِ حِينَ تَأَخَّرَ الْمَطَرُ، فَأَجَابَهُ إِلَى سُؤَالِهِ سَرِيعًا بِحَيْثُ لَمْ يَنْزِلْ عَنْ مِنْبَرِهِ إِلَّا وَالْمَطَرُ يَتَحَادَرُ عَلَى لِحْيَتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَكَذَلِكَ اسْتِصْحَاؤُهُ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، ثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَتَمَثَّلُ بِشِعْرِ أَبِي طَالِبٍ: وَأَبْيَضُ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ... ثِمَالُ الْيَتَامَى عِصْمَةٌ لِلْأَرَامِلِ قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ أَبُو عَقِيلٍ الثَّقَفِيُّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ، ثَنَا سَالِمٌ عَنْ أَبِيهِ: رُبَّمَا ذَكَرْتُ قَوْلَ الشَّاعِرِ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَسْقِي، فَمَا يَنْزِلُ حَتَّى يَجِيشَ كُلُّ مِيزَابٍ: وَأَبْيَضُ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ... ثِمَالُ الْيَتَامَى عِصْمَةٌ لِلْأَرَامِلِ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي طَالِبٍ: تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَهَذَّ الَّذِي عَلَّقَهُ قَدْ أَسْنَدَهُ ابْنُ مَاجَهْ فِي " سُنَنِهِ " فَرَوَاهُ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ الْأَزْهَرِ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي عَقِيلٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ، عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ.
পৃষ্ঠা - ৪৭২৮

তার আল্লাহ্ ও রাসুল প্রদত্ত ফযীলতকে খাটো করে দেখার জন্য মাকে কোন ভাবেই অভিযুক্ত
করা যায় না, তিনিও এই হাদীসের রাবীর সমালোচনার মুখর হয়েছেন ৷ আর তাকে বলা
মুহাম্মাদ ইবন নুমানের কথাটি কোন জওয়ড়াব নয়, বরং এটা হল একটা কথার কথা-অর্থহীন
বিরোধীতা মাত্র ৷ এর ধ্মর্মার্থ হলো, হযরত আলীর ফযীলত বর্ণনায় এই হাদীসখড়ানি আমি
রিওয়ায়াত করেছি, তা যদি গরীব’ বা আশ্চর্যজনক হয়ে থাকে তাহলে তা হযরত উমরের
ফযীলতে আপনার বর্ণিত সদৃশ ৷
মুহাম্মাদ ইবন নুমানের এই দাবি যথার্থ নয় ৷ কেননা, ভাষ্য ও বর্ণনাসুত্র বিবেচনায় এটা ওটার
মত নয় ৷ আর শরীয়ত প্রবর্তক নবী করীম (সা) র্যার মুহাদ্দাছ’ হওয়ার সাক্ষ্য দিয়েছেন ৷ সেই
ইমামের (অর্থাৎ উমর (রা)-এর একটি কল্যাণকর বিষয়ের কাশৃফ এর সাথে অস্ত যাওয়ার
পর সুর্যেড়াদয়ের তুলনা কিভাবে হতে পারে, যা কিনা কিয়ামতের অন্যতম প্রধান নিদর্শন ৷ আর
ইউশা ইবন নুন এর জন্য যা ঘটেছিল, তা তার জন্য সুর্যকে ফিরানাে ছিল না; বরং তা ছিল
অস্ত যাওয়ার পুর্বে বেশ কিছুক্ষণ সুর্যকে স্থির রাখা, অর্থাৎ সুর্যের গতি কিছুক্ষণের জন্য শ্নথ করা
হয়েছিল ৷ ফলে তাদের জন্য সে দিবসকালেই বিজয় লাভ করা সম্ভবপর হয়েছিল ৷ আল্লাহ্ই
অধিক জানেন ৷

এই মিসরীয় রাবী হযরত আলী, আবু হুরায়রা, আবু সাঈদ ও আসমা বিন্ত উমায়স
থেকে এই হাদীসের যে সকল সনদ বর্ণনাসুত্রে উল্লেখ করেছেন ইতিপুর্বে তা আলোচিত
হয়েছে ৷ আবু বিশৃর আদৃ দুলাবীর যুর্বিয়াতৃৎ তাহিরা’ (পবিত্র বংশধরগণ) গ্রন্থের আলোচনায়
হুস্যয়ন ইবন আলীর হাদীস সংগ্রহে তা এসেছে ৷ তবে দৃশ্যত এটা তার সুত্রে হযরত আবু
সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত ৷ যেমন পুর্বে বলা হয়েছে ৷ আর আল্লাহ্ই অধিকতর জ্ঞাত ৷

রাফিযীদের শায়খ জামাল উদ্দীন ইউসুফ ইবনুল হাসান তার আল-ইমামাত’ গ্রন্থে যে
যুক্তি দিয়েছেন তা খণ্ডন করেছেন আমাদের শায়খ ইবন তায়মিয়্যা ৷ সে গ্রন্থে তিনি বলেন, ইবন
মুতাহ্হার আলী-হুল্লী বলেন, নবম বিষয় হল, দুইবার সুর্যের প্রত্যাবর্তন ৷ একবার নবী করীম
(না)-এর যামানায় দ্বিতীয় বার তার পরবর্তীকালে ৷ প্রথমবার সম্পর্কে হযরত জাবির ও আবু
সাঈদ বর্ণনা করেছেন যে , একদিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে জিবরীল
(আ) এসে একান্ত আলাপ করতে লাগলেন ৷ তারপর যখন ওহী তাকে আচ্ছন্ন করল তখন
তিনি আমিরুল মু’মিনীন আলী (রা)-এর উরুতে মাথা রাখলেন, আর সুর্যোদয়ের পুর্বে তিনি
মাথা উঠালেন না ৷ তখন আলী (রা) ইশারায় আসরের নামায পড়ে নিলেন ৷ তারপর যখন
রাসুলুল্পাহ্ (সা) পুর্ণ সন্বিত ফিরে পেলেন তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি আল্লাহর কাছে
প্রার্থনা কর যেন তিনি তোমার জন্য সুর্য্যকু ফিরিয়ে দেন, তাহলে তুমি র্দড়িয়ে (যথাযথভাবে)
নামায , পড়তে পারবে ৷ তখন তিনি দৃআ করলে সুর্যকে ফিরিয়ে দেয়া হল এরপর তিনি দাড়িয়ে
(পুনরায়) আসরের নামায পড়লেন ৷ আর দ্বিতীয়বার হল যখন তিনি বাবিল’ নগরীতে ফোরাত
নদী পার হতে চাইলেন, তখন সাহাবাদের অনেকে র্তাদেরনিজ নিজ বাহন নিয়ে ব্যস্ত রইলেন ৷
তখন তিনি (আলী) তার কতিপয় সঙ্গীকে নিয়ে আসরের নামায পড়লেন, আর অন্যেকুর
আসরের নামায কাযা হয়ে গেল ৷ তখন তারা সে ব্যাপারে তার সাথে কথা বললে তিনি


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدٌ - هُوَ ابْنُ سَلَامٍ - ثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، ثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ «يَذْكُرُ أَنَّ رَجُلًا دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَوْمَ جُمُعَةٍ مِنْ بَابٍ كَانَ وُجَاهَ الْمِنْبَرِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ يَخْطُبُ، فَاسْتَقْبَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمًا، فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الْأَمْوَالُ، وَتَقَطَّعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا يُغِيثُنَا. قَالَ: فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اسْقِنَا، اللَّهُمَّ اسْقِنَا، اللَّهُمَّ اسْقِنَا " قَالَ أَنَسٌ: وَلَا وَاللَّهِ مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابٍ وَلَا قَزَعَةٍ وَلَا شَيْئًا، وَلَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ سَلْعٍ مِنْ بَيْتٍ وَلَا دَارٍ. قَالَ: فَطَلَعَتْ مِنْ وَرَائِهِ سَحَابَةٌ مِثْلُ التُّرْسِ، فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سَبْتًا، ثُمَّ دَخَلَ رَجُلٌ مِنْ ذَلِكَ الْبَابِ فِي الْجُمُعَةِ الْمُقْبِلَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ يَخْطُبُ، فَاسْتَقْبَلَهُ قَائِمًا، وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الْأَمْوَالُ، وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُمْسِكَهَا. قَالَ: فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا، وَلَا عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الْآكَامِ وَالْجِبَالِ وَالظِّرَابِ وَالْأَوْدِيَةِ، مَنَابِتِ الشَّجَرِ " قَالَ: فَانْقَطَعَتْ وَخَرَجْنَا نَمْشِي فِي الشَّمْسِ.» قَالَ شَرِيكٌ: فَسَأَلْتُ أَنَسًا: أَهْوَ الرَّجُلَ الْأَوَّلَ؟ قَالَ: لَا أَدْرِي. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ شَرِيكٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪৭২৯

আল্পাহ্র কাছে সুর্যকে ফিরিয়ে দেয়ার প্রার্থনা করলেন, তখন সুর্যকে ফিরিয়ে দেয়া হল ৷ এই
প্রসঙ্গে করি হিময়ারী কবিতা রচনা করে বলেন ং


তার জন্য অস্তগামী সুর্যকে ফিরিয়ে দেয়া হল যখন তার নামাযের সময় বিগত হল ৷ এবং
সুর্য অস্তমিত প্রায় হয়ে গেল ৷


এমনকি যথা সময়ে অপরাহ্নকালে তার আংলা উদ্ভাসিত হল, এরপর তা তারকার ন্যায়

খসে পড়ল ৷

তার জন্য বারিল শহরেও একবার সুর্যকে ফিরানো হয়েছিল, আর ইতিপুর্বে কোন
সান্নিধ্যপ্রড়াপ্তের সৃষ্টির জন্য তাকে ফেরানাে হয়নি ৷

আমাদের শায়খ আবুল আব্বাস ইবন তায়মিয়্যা বলেন, হযরত আলীর ফযীলত এবং
আল্লাহর কাছে তার উচ্চ মর্যাদা নির্ভরযোগ্য সুত্রে সাব্যস্ত এবং সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত ৷ এর
সাথে অজ্ঞাত কিৎবা অসত তা কোন বিষয়ের সংযোজনের কোন প্রয়োজন নেই ৷ আর সুর্যকে
ফিরানো স ক্রান্ত হাদীসখানি আবু জা ফর আত্-ত ৷হাবী, কাযী ইয়ায প্রমুখগণ উল্লেখ করেছেন
এবং একে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মু জিযারুপে গণ্য করেছেন ৷ কিন্তু গবেষক ও বিজ্ঞ মুহাদ্দিসগণ
জানেন এই হাদীসখানি জ্ঞান ও বানােয়াট ৷ তারপর তিনি একটির পর একটি করে এর
সনদসমুহ উল্লেখ করেছেন ৷ যেমন আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি এবং আবুল কাসিম আল
হাসকানীর সাথে যুক্তিতর্কে অবতীর্ণ হয়েছেন ৷ আমরা সবিস্তারে তার সম্পুর্ণর্টুকু উল্লেখ করেছি
এবং প্রয়োজন মাফিক তাতে সংযোজন ও সংকোচন ঘটিয়েছি ৷ আল্লা ইে তওফীকদাতা ৷ আর
তিনি আহমদ ইবন সালিহ্ আল মিসরীর পক্ষে কৈফিয়ত দিয়ে বলেছেন যে, তিনি এই
হাদীসের সনদ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাকে সহীহ্ আখ্যা দিয়েছেন ৷ এছাড়া তিনি ইমাম তড়াহাবীর
পক্ষেও কৈফিয়ত দিয়ে বলেছেন যে, তার কাছে বিশিষ্ট হাফিযে হাদীসগ্যাণর ন্যায় সনদ বা
সুত্রের কোন ভাল উদ্ধৃতি ছিল না ৷ তিনি তীর মুল বক্তব্যে ব্যলাছন-আর যে বিষয়টি নিশ্চিত
তা হল এই হাদিসখানি মিথ্যা এবং বানােয়াট ৷ আমি বলি, ইবনুল মুতড়াহ্হার কর্তৃক জাবির
(রা)-এর সুত্রে এই হাদীসথানির উল্লেখ গরীব’ আর তিনি এর সনদ উল্লেখ করেননি ৷ আর
এর বণ্নািধারা অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয়বার হযরত আলী সুর্যকে ফিরানাের দৃআ করেছিলেন ৷
আর তার উল্লেখিত বাবিল কাহিনী এর কোন (নির্জাযােগ্য) সনদ বা বর্ণনা সুত্র নেই ৷ আমার
দৃঢ় বিশ্বাস, আর প্রকৃত বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন, এটা নাস্তিক শিয়াদের জালকৃত হাদীস ৷
কেননা, খন্দক যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (না) ও তার সাহাবাগণ যুদ্ধরত থাকা অবস্থায় সুর্য অস্ত
যায়, ফলেত তাদের আসরের নামায কাযা হয়ে যায়, তখন তারা সেখানকার বাতহান’
উপত কোয় গিয়ে সেখানে উয়ুকরে আসরের নামায (কা যারুপে) আদায় করলেন ৷ আর এ কথা
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, তা ছিল সুর্যাস্তের পর, আর এদের মাঝে হযরত আলীও ছিলেন ৷
কিন্তু তাদের জন্য সুর্যকে ফিরিয়ে দেওয়ার মত কোন ঘটনা ঘটল না ৷ তদাপ বনু কুরায়যার


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ يَوْمَ جُمُعَةٍ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَحَطَ الْمَطَرُ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَسْقِيَنَا. فَدَعَا فَمُطِرْنَا فَمَا كِدْنَا أَنْ نَصِلَ إِلَى مَنَازِلِنَا، فَمَا زِلْنَا نُمْطَرُ إِلَى الْجُمُعَةِ الْمُقْبِلَةِ. قَالَ: فَقَامَ ذَلِكَ الرَّجُلُ أَوْ غَيْرُهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَصْرِفَهُ عَنَّا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا، وَلَا عَلَيْنَا ". قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ السَّحَابَ يَتَقَطَّعُ يَمِينًا وَشِمَالًا، يُمْطَرُونَ وَلَا يُمْطَرُ أَهْلُ الْمَدِينَةِ.» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: هَلَكَتِ الْمَوَاشِي، وَتَقَطَّعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ. فَدَعَا فَمُطِرْنَا مِنَ الْجُمُعَةِ إِلَى الْجُمُعَةِ، ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ: تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ، وَتَقَطَّعَتِ السُّبُلُ، وَهَلَكَتِ الْمَوَاشِي فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يُمْسِكَهَا فَقَامَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " اللَّهُمَّ عَلَى الْآكَامِ وَالظِّرَابِ وَالْأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ " فَانْجَابَتْ عَنِ الْمَدِينَةِ انْجِيَابَ الثَّوْبِ.» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، ثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: «أَصَابَتِ النَّاسَ سَنَةٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৪৭৩০

উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন যে সকল সাহাবী তাদের অনেকেরই সেদিন আসরের নামায কযাে
হয়ে যায়; কিন্তু সেদিনও তাদের জন্য সুর্যকে ফিরানাে হয়নি ৷ একইভাবে একদিন (সফর থেকে
প্রত্যাবর্তনকালে) ঘুমের কারণে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সাহাবীগণের ফজরের নামায কাযা
হয়ে যায় ৷ তখন সুর্য খানিকটা উপরে উঠ৷ র পর তারা যে নামাযের কাযা আদায় করেন, কিন্তু
তাদের জন্য রাতকে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি ৷ আর স্বয়ং আল্লাহ্র রাসুল ও তার সাহাবীগণের
আল্লাহ্ যে ফযীলত দান করেননি, তা তিনি কীভাবে আলী ও তার সঙ্গীদের দিতে পারেন? আর
হিময়ারীর কবিতা, এতে এ হাদীসের সভ্যতার কোন প্রমাণ নেই ৷ বরং তা ইবন মুতাহ্হারের
প্রলাপের ন্যায় ৷ গদ্যের ভাষা খুজে না পেয়ে সে পদ্যের আবরণের আশ্রয় নিয়েছে ৷ আর এ
ব্যক্তিও তার গদ্যের যথার্থতা সম্পর্কে জ্ঞাত নয় ৷ বাবিল ভুখণ্ডে হযরত আলী সম্পর্কে যে ঘটনা
প্রসিদ্ধ তা ইমাম অড়াবু দাউদ তার সুনড়ানে’ হযরত আলী থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর তা
হচ্ছে৩ তিনি বাবিল শহর অতিক্রম কালে আসরের নামাযের সময় হল ৷কিন্তু তিনি নামায না
পড়েই সে স্থান অতিক্রম করে গেলেন এবং বললেন, আমার খলীল (অন্তরঙ্গ) আমাকে বাবিল
ভুখণ্ডে নামায পড়তে নিষেধ করেছেন, কেননা তা অভিশপ্ত ৷ ইমাম আবু মুহাম্মদ ইবন হাযম
তার আল মিলাল ওয়ান নিহাল গ্রন্থে হযরত আলীর জন্য সুর্যকে ফিরানাের দাবিকে প্রত্যাখ্যান
করে তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের উল্লেখিত বিষয় সমুহের
কিছু দাবি করা এবং রাফিযীদের এই দাবি করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই যে হযরত আলীর
জন্য দুইবার সুর্যকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল ৷ এমন কি রাফিযীদের কারো কারো দাবি হল,
হাবীব ইবন আওস এ প্রসঙ্গে কাব্য রচনা করে বলেনং :

ন্ ’ণ্া৷ষ্ রু ণ্ট্ট;ভ্রন্
আমাদের জন্য সুর্যকে ফিরানাে হল আর রাত অন্তপুরের পাশ দিয়ে আরেক সুর্যের উদয়
ঘটলে ৷
আর আলো অন্ধকার দুর করল, তার উদ্ভাসে আকাশের আলো নিম্প্রভ হয়ে গেল ৷
৷ ,
আল্লাহ্র শপথ ! জানি না আলীর কারণে তা হল নাকি তাদের মাঝে ইউশা ছিলেন ৷
এভাবেই ইবন হায্ম তার গ্রন্থে এই পঙ্তিগুলো উল্লেখ করেছেন ৷ আর এই কবিতায়
দৃর্বলতা, কৃত্রিমতা প্রকট এবং স্পষ্টজী বোঝা যায় তা বানােয়াট ৷
নবুওয়াতের প্রমাণাদির মধ্যে আসমানী নিদর্শনাদির সাথে সম্পৃক্ত অন্যতম নিদর্শন হল
অনাবৃষ্টিকালে একবার নবী করীম (সা) কতৃকি তার উষ্মতের জন্য বৃষ্টি প্রার্থনা এবং তৎক্ষণাৎ
আল্লাহ্ রাববুল আলামীনের তার সেই প্রার্থনায় সাড়া প্রদান ৷ এ সময় তিনি খুৎবা ও দৃআ শেষ
করে মিম্বর থেকে নামার পুর্বেই তার দাড়িতে বৃষ্টির ফোট৷ পড়তে লাগল ৷৩ তার বৃষ্টি মুক্তির

প্রার্থনা ৷ বুখারী আমর ইবন আলী আবদুল্লাহ ইবনৰুদীনারের পিতা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, আমি ইবন উমরকে আবু তা ৷লিবের এই কবিতা আবৃত্তি করতে শুনেছিন্

,

১ ৮


الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةَ فَقَامَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَ الْمَالُ، وَجَاعَ الْعِيَالُ، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا أَنْ يَسْقِيَنَا. قَالَ: فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ، وَمَا فِي السَّمَاءِ قَزَعَةٌ فَثَارَ سَحَابٌ أَمْثَالَ الْجِبَالِ ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ عَنْ مِنْبَرِهِ حَتَّى رَأَيْتُ الْمَطَرَ يَتَحَادَرُ عَلَى لِحْيَتِهِ. قَالَ: فَمُطِرْنَا يَوْمَنَا ذَلِكَ، وَمِنَ الْغَدِ وَمِنْ بَعْدِ الْغَدِ وَالَّذِي يَلِيهِ إِلَى الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى، فَقَامَ ذَلِكَ الْأَعْرَابِيُّ أَوْ رَجُلٌ غَيْرُهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَهَدَّمَ الْبِنَاءُ، وَغَرِقَ الْمَالُ، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا. فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ فَقَالَ: اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا قَالَ: فَمَا جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشِيرُ بِيَدِهِ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ السَّمَاءِ إِلَّا تَفَرَّجَتْ، حَتَّى صَارَتِ الْمَدِينَةُ فِي مِثْلِ الْجَوْبَةِ، حَتَّى سَالَ الْوَادِي، وَادِي قَنَاةَ، شَهْرًا، قَالَ: فَلَمْ يَجِيءْ أَحَدٌ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلَّا حَدَّثَ بِالْجُودِ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا فِي الْجُمُعَةِ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْوَلِيدِ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ أَيُّوبُ بْنُ سُلَيْمَانَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ قَالَ: قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ: «أَتَى
পৃষ্ঠা - ৪৭৩১
رَجُلٌ أَعْرَابِيٌّ مِنْ أَهْلِ الْبَدْوِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْجُمُعَةَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الْمَاشِيَةُ هَلَكَ الْعِيَالُ هَلَكَ النَّاسُ. فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ يَدْعُو، وَرَفَعَ النَّاسُ أَيْدِيَهُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُونَ. قَالَ فَمَا خَرَجْنَا مِنَ الْمَسْجِدِ حَتَّى مُطِرْنَا، فَمَا زِلْنَا نُمْطَرُ حَتَّى كَانَتِ الْجُمُعَةُ الْأُخْرَى، فَأَتَى الرَّجُلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ بَشِقَ الْمُسَافِرُ وَمُنِعَ الطَّرِيقُ» . قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ الْأُوَيْسِيُّ يَعْنِي عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ هُوَ ابْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ وَشَرِيكٍ، سَمِعَا أَنَسًا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبِطَيْهِ» . هَكَذَا عَلَّقَ هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ، وَلَمْ يُسْنِدْهُمَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ بِالْكُلِّيَّةِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَقَامَ النَّاسُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৩২


শ্বেতশুভ্র সেই সত্তা, যার দোহাই দিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয় ইয়াতীমদের তত্ত্বাবধায়ক এবং
বিধবাদের রক্ষক ৷

বুখারী আবু আকীল আছু ছাকাফী ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, বৃষ্টির
জন্য প্রার্থনা করা অবস্থায় আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ঢেহারাপানে তাকিয়ে কখনও বা আমি
কাবর কথা স্মরণ করেছি, এদিকে তিনি মিম্বর থেকে নামতে না নামতেই সব পরনালা উপচে
বৃষ্টি নামা শুরু হয়ে গেছে ৷ তা হল :

ষ্

ষ্৫১;১পুণ্ঘুষ্

শ্বেতশুভ্র সেই সত্তা, যার দোহাই দিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়, যিনি ইয়াতীমদের
তত্মবধায়ক এবং বিধবাদের রক্ষক ৷

আর এটা আবুতালিবের বক্তব্য ৷ এটি বুখায়ীর একক বর্ণনা ৷ তার সনদবিহীনডাবে বর্ণিত
এ হাদীসখানিকে ইবন মাজা তার সুনানে সনদসহ বিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি তা রিওয়ায়াত
করেছেন, আহমদ ইবন আজহার ; আবদৃল্লাহ্ ইবন উমর সুত্রে ৷ আর বুখারী মুহাম্মদ ইবন
সালাম সুত্রে শারীক ইবন আরদৃল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেন বৈ, তিনি আনাস ইবন
মালিককে উল্লেখ করতে শুন্যেছন যে, একবার জুমুআর দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিম্বরে দাড়িয়ে
খুৎবা দেয়ার সময় এক ব্যক্তি মিম্বর বরাবর দরজা দিয়ে মসজিদে (নববীতে) প্রবেশ করল ৷
এরপর সে দাড়িয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখোমুখি হয়ে বলতে লাগল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ৷
গবাদি পশু অনাহারে ধ্বংস হয়েছে এবং সকল পথ রুদ্ধ হয়েছে ৷ আপনি আল্লাহ্র কাছে দৃআ
করুন, তিনি আমাদেরকে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন ৷ আনাস বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার উভয়
হাত উঠিয়ে বললেন, হে আল্পাহ্৷ আমাদেরকে বর্ষণসিক্ত করুন ! হে আল্লাহ্! আমাদেরকে
পরিতৃপ্ত করুন ! আনাস বলেন, আল্লাহ্র কসম , সে সময় আকাশে কোন মেঘ, মেঘখণ্ড বা তার
কোন হিটে ফোটাও ছিল না ৷ আর আমাদের ও সালা’ পাহাড়ের মাঝে কোন বাড়িঘরের
প্রতিবন্ধকতাও ছিল না ৷ আনাস বলেন, এমন সময় চালের ন্যায় আকৃতি নিয়ে সালা পাহাড়ের
পশ্চাত থেকে মেঘের উদয় হল ৷ তারপর তা আকাশের মধ্যন্থলে এসে ছড়িয়ে পড়ল ৷ তারপর
বর্ষণ করল ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্রকসম, এরপর অনবরত ছয় দিন আমরা সুর্যের দেখা
পেলাম না ৷ এরপর পরবর্তী জুমুআর দিন ঐ একই দরজা দিয়ে এক ব্যক্তি প্রবেশ করে, এদিকে
রাসুলুল্লাহ্ (না) দাড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন, লােকটি তখন তীর মুখোমুখি দাড়িয়ে বলল, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! গবাদিপশু ধ্বংস হচ্ছে এবং সকল পথ রুদ্ধ হচ্ছে, আপনি আল্লাহ্র কাছে দৃআ
করুন তিনি যেন এই বর্ষণ থামিয়ে দেন ৷ আনাস বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃহাত উঠিয়ে
দৃআ করলেন, হে আল্পাহ্৷ এখন আর আমাদের উপর বর্ষণ করবেন না ! এখন আমাদের
আশেপাশে বর্ষণ করুন ৷ হে আল্লাহ্! এখন পাহাড়-পর্বত, টিলা ও গাছপালা জন্মাৰ্নার স্থান
সমুহে বর্ষণ করুন ! আনাস বলেন, তখন বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল এবং আমরা রৌদ্রে ইাটতে বের
হলাম ৷ রাবী শুরায়ক বলেন, এ সময় আমি আনাস (রা)-ফে প্রশ্ন করলাম ৷ প্রথম যে ব্যক্তি
বৃষ্টির আবেদন করেছিল এ কি সেই একই ব্যক্তি? তিনি বললেন, আমি তা জানিনা, ইসমাঈল
ইবন জাফরের হাদীস সংগ্রহ থেকে মুসলিম এবং বুখারীও হাদীসখানি একইভাবে রিওয়ায়াত

করেছেন ৷


فَصَاحُوا، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَحَطَ الْمَطَرُ، وَاحْمَرَّتِ الشَّجَرُ، وَهَلَكَتِ الْبَهَائِمُ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَسْقِيَنَا. فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اسْقِنَا " مَرَّتَيْنِ، وَايْمُ اللَّهِ مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ قَزَعَةً مِنْ سَحَابٍ، فَأَنْشَأَتْ سَحَابَةٌ فَأَمْطَرَتْ، وَنَزَلَ عَنِ الْمِنْبَرِ فَصَلَّى، ثُمَّ انْصَرَفَ وَلَمْ تَزَلْ تُمْطِرُ إِلَى الْجُمُعَةِ الَّتِي تَلِيهَا، فَلَمَّا قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ صَاحُوا إِلَيْهِ: تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ يَحْبِسُهَا عَنَّا. قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: " اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا " فَكَشَطَتِ الْمَدِينَةُ فَجَعَلَتْ تُمْطِرُ حَوْلَهَا وَمَا تُمْطِرُ بِالْمَدِينَةِ قَطْرَةً، فَنَظَرْتُ إِلَى الْمَدِينَةِ وَإِنَّهَا لَفِي مِثْلِ الْإِكْلِيلِ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَهُوَ ابْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ، بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُمَيْدٍ قَالَ: «سُئِلَ أَنَسٌ: هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ؟ فَقَالَ: قِيلَ لَهُ يَوْمَ جُمُعَةٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَحَطَ الْمَطَرُ، وَأَجْدَبَتِ الْأَرْضُ، وَهَلَكَ الْمَالُ. قَالَ: فَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبِطَيْهِ فَاسْتَسْقَى، وَلَقَدْ رَفَعَ يَدَيْهِ وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ سَحَابَةً، فَمَا قَضَيْنَا الصَّلَاةَ حَتَّى إِنَّ قَرِيبَ الدَّارِ الشَّابَّ لَيَهُمُّهُ الرُّجُوعُ إِلَى أَهْلِهِ. قَالَ: فَلَمَّا كَانَتِ الْجُمُعَةُ الَّتِي تَلِيهَا قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ وَاحْتَبَسَ الرُّكْبَانُ. فَتَبَسَّمَ
পৃষ্ঠা - ৪৭৩৩

আর বুখারী মুসাদ্দাদ আনাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বল্যেছন, একবার
রাসুলুল্লাহ্ (সা) জুমুআর দিন থুৎবা দেওয়া অবস্থায় এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্!
অনাবৃষ্টি দেখা দিয়েছে, আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন তিনি যেন আমাদেরকে বর্ষণসিক্ত
করেন ৷ তখন তিনি দুআ করলেন, ফলে তৎক্ষণাৎ আমরা বর্ষণসিক্ত হলাম, এমনকি নিজ নিজ
গৃহে পৌছা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাড়াল ৷ এভাবে পরবর্তী জুমুআ পর্যন্ত আমরা
বিরামহীনভাবে বর্ষণসিক্ত হতে থাকলাম ৷ আনাস বলেন, তখন প্ৰথবারের ঐ ব্যক্তি বা অন্য
কোন ব্যক্তি দাড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্পাহ্৷ আপনি দুআ করুন, এখন যেন আল্পাহ্ তাআলা
এই বর্ষণকে আমাদের থেকে ফিরিয়ে নেন ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) দুআ করলেন, হে আল্লাহ!
এখন আপনি আর আমাদের উপর বর্ষণ করবেন না, এখন আমাদের আশে পাশে বর্ষণ করুন!
আনাস বলেন, এরপর আমি মেঘমালাকে ডানে বামে বিচ্ছিন্ন হয়ে (সরে) যেতে দেখলাম,
এরপর মদীনায় আশেপাশের লোকেরা বর্ষণ সিক্ত হল; জ্যি মদীনাবাসী রক্ষা পেল ৷ এই সুত্রে
হাদীসখানি বুথারীর“ একক বর্ণনা ৷ এছাড়া বুখারী আবদুল্লাহ ইবন মাসলামা আনাস সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে বলল,
গবাদিপশু ধ্বংস হচ্ছে এবং পথসমুহ রুদ্ধ হচ্ছে-আপনি আল্লাহ্র কাছে দুআ করুন ৷ তখন
তিনি আমাদের জন্য দুআ করলেন এবং আমরা এক জুমুআ থেকে আরেক জুমুআ পর্যন্ত অর্থাৎ
পুর্ণ এক সপ্তাহ অবিরাম বর্ষণসিক্ত হলাম ৷ তারপর পুনরায় এসে বলল, বাড়িঘর ধ্বসে যাচ্ছে,
পথসমুহ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং গবাদিপশুসমুহ ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে ৷ আপনি আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা
করুন, তিনি যেন তা বন্ধ করেন ৷ তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ! (এখন আপনি) পাহাড়
পর্বত, টিলা, উপত্যকা এবং গাছপালা জন্মানােরস্থাভৈন তা বর্ষণ করুন ৷ তখন এই বর্ষণমুখর
মেঘমালা মদীনা থেকে সরে গেল ৷

এছাড়া বুখারী মুহাম্মদ ইবন মুকাতিল আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জীবদ্দশায় অনাবৃষ্টি দেখা দিল ৷ তখন একদিন
রাসুলুল্পাহ্ (সা) মিম্বরে দাড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন, এমন সময় এক বেদৃইন আরব দাড়িয়ে বলল,
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! অনাবৃষ্টিতে গবাদি পশু ধ্বংস হচ্ছে এবং আমাদের পোষ্য পরিজন
ক্ষুধাপীড়িত ৷ আপনি আল্লাহ্র কাছে দুআ করুন, তিনি যেন আমাদেরকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন ৷
আনাস (বা) বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার উভয় হাত উঠিয়ে দুআ করলেন, আর এ
সময় আকাশে মেঘের কোন ছিটে কেটিাও ছিল না ৷ শপথ ঐ সভার, যার কুদরতী হাতে
আমার প্রাণ, দুআ শেষ করে তিনি হাত নামাতে না নামাতেই পাহাড় সদৃশ মেঘমালায় আকাশ
হেরে গেল ৷ এরপর তিনি মিম্বর থেকে নামতে না নামতেই তার র্দাড়িতে বৃষ্টির কোটা পড়তে
দেখলাম ৷ আনাস বলেন, আমরা সেদিন, তার পরবর্তী দিন এভাবে পরবর্তী জুমুআ পর্যন্ত
বৃষ্টিসিক্ত হতে থাকলাম ৷ তখন সেই বেদুইন আরব অথবা অন্য একজন দাড়িয়ে বলল, ইয়া
রাসুলাল্পাহ্ ! বাড়িঘর ধ্বসে যাচ্ছে এবং মালপত্র নিমজ্জিত হচ্ছে, আপনি আমাদের জন্য
আল্লাহর কাছে দুআ করুন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার উভয় হাত উঠিয়ে বললেন, হে
আল্লাহ্ ! এখন আর আমাদের উপর বর্ষণ করবেন না ৷ আমাদের আশে পাশে বর্ষণ করুন ৷
আনাস (রা) বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আকাশের এক এক দিকের প্রতি ইঙ্গিত করতে
লাগলেন আর সে দািকর মেঘ কােট যেতে লাগল ৷ এভাবে গোটা মদীনায় আকাশ মেঘমুক্ত


رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ سُرْعَةِ مَلَالَةِ ابْنِ آدَمَ، وَقَالَ اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا، وَلَا عَلَيْنَا قَالَ: فَتَكَشَّطَتْ عَنِ الْمَدِينَةِ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ ثُلَاثِيٌّ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَاللَّفْظُ لَهُ: ثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَيُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «أَصَابَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ قَحْطٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُ يَوْمَ جُمُعَةٍ إِذْ قَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الْكُرَاعُ هَلَكَتِ الشَّاءُ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَسْقِيَنَا. فَمَدَّ يَدَيْهِ وَدَعَا. قَالَ أَنَسٌ: وَإِنَّ السَّمَاءَ لَمِثْلُ الزُّجَاجَةِ، فَهَاجَتْ رِيحٌ، ثُمَّ أَنْشَأَتْ سَحَابَةٌ، ثُمَّ اجْتَمَعَتْ، ثُمَّ أَرْسَلَتِ السَّمَاءُ عَزَالِيَهَا، فَخَرَجْنَا نَخُوضُ الْمَاءَ حَتَّى أَتَيْنَا مَنَازِلَنَا، فَلَمْ نَزَلْ نُمْطَرُ إِلَى الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى، فَقَامَ إِلَيْهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ أَوْ غَيْرُهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَحْبِسَهُ. فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: حَوَالَيْنَا، وَلَا عَلَيْنَا فَنَظَرْتُ إِلَى السَّمَاءِ وَالسَّحَابُ يَتَصَدَّعُ حَوْلَ الْمَدِينَةِ كَأَنَّهُ إِكْلِيلٌ» . فَهَذِهِ طُرُقٌ مُتَوَاتِرَةٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَإِنَّهَا تُفِيدُ الْقَطْعَ عِنْدَ أَئِمَّةِ هَذَا الشَّأْنِ.
পৃষ্ঠা - ৪৭৩৪

হয়ে তা চতুর্দিকে সরে গেল ৷ আর কানাত উপত্যকা মাসব্যাপী প্রবাহিত হল ৷ এ সময়
মদীনায় আশপাশ থােক যারইি আসল র্তারা প্রবল বৃষ্টি বর্যণের আলোচনা করল ৷ ওলীদেয়
হাদীস সগ্রেহ থেকে আওযায়ী সুত্রে মুসলিম এবং বুখারী জুমুআ’-ণ্ত হাদীসখানি রিওয়ায়াত
করেহ্নে৷ ৷ বুখারী আয়ুবে ইবন সুলায়মান ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, আমি আনাস ইবন মালিককে বলতে শুনেছি একবার জুমুআয় দিন এক বেদুইন
আরব রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! গবাদিপশুসমুহ ধ্বং স হচ্ছে,
পোষা পরিজন অনাহারে দিন কাটাচ্ছে এবং মানুষজন কষ্ট স্বীকার করছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) দু ’হাত উঠিয়ে দু আ করতে লাগলেন এবং তার সাথে সাথে অন্যরাও তাদের হাত উঠিয়ে
দু আ করতে লাগল ৷ আনাস বলেন, আমরা মসজিদ থেকে বের হতে না হতেই বৃষ্টিসিক্ত
হলাম, এভাবে পরবর্তী জুমুআ পর্যন্ত আমরা অবিরাম বর্ষণে সিক্ত হলাম ৷ তখন লোকটি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! মুসাফির অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৷
রাস্তাঘটি বন্ধ হয়ে গেছে ৷ বুখারী আবদুল্লাহ্ আল উয়ায়স ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ ও
শুরায়ক সুত্রে বর্ণনা করেন, তারা দু’জনে আনাস থােক শুনেছেন যে-নবী করীম (সা) তার
উভয় হাত এতখানি উচু করেছিলেন যে, আমি তার বগলের শুভ্রতা দেখতে পাচ্ছিলাম ৷
এভাবেই তিনি এই হাদীস দু টিকে সনদহীনভাবে রিওয়ায়াত করেছেন, আর হাদীলেয় ছয়খানা
বিখ্যাত কিতাবের সংকলকগণের কেউই তার সনদ উল্লেখ করেননি ৷
এ ছাড়া বুখারী মুহাম্মদ ইবন আবু বকর আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একবার নবী করীম (সা) কোন এক জুমুআয় দিন খুৎবা দিচ্ছিলেন, তখন
লোকেরা দাড়িয়ে চিৎকার করে তাকে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! অনাবৃষ্টিতে গাছপালা সব লালচে
হয়ে গেছে এবং গবাদি পশু ধ্বংসের উপক্রম হয়েছে, আপনি দুআ করুন, আল্লাহ্ যেন
আমাদেরকে বর্ষণসিক্ত করেন ৷ তখন তিনি দু’বার বললেন, হে আল্লাহ! আমাদেরকে বর্ষণসিক্ত
করুন! আল্লাহ্র কসম, এ সময় আমরা আকাশে কোন মেঘখণ্ড দেখলাম না ৷ কিন্তু তার দুআ
করার সাথে সাথে মেঘ সৃষ্টি হল এবং বৃষ্টিবর্ষিত হল ৷ এরপর তিনি মিম্বয় থেকে নেমে নামায
পড়লেন ৷ নামায শেষে তিনি যখন ফিরছিলেন তখনও বৃষ্টি হচ্ছিল ৷ এভাবে পরবর্তী জুমুআ
পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টি হতে থাকে ৷ এরপর (পরবর্তী জুমুআয়) নবী করীম (সা) যখন খুৎবা দিতে
দীড়ালেন, তখন লোকেরা চিৎকার করে বলল, বাড়িঘর ধ্বসে যাচ্ছে, রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ হয়ে
পড়েছে, সুতরাং আপনি দুআ করুন আল্লাহ্ যেন বৃষ্টি থামিয়ে দেন ৷ আনাস বলেন, তখন নবী
করীম (সা) মৃদু হেসে দুআ করলেন, হে আল্পাহ্! আমাদের আশেপাশে বর্ষণ করুন ৷ তখন
মদীনায় আকাশ থেকে মেঘ সরে গেল এবং আশে পাশে বৃষ্টি হতে লাগল; কিত্ত্ব মদীনায় এক
কোটা বৃষ্টিও হল না ৷ তখন আমি মদীনায় আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম যেন তার
চারপাশের আকাশে ছড়িয়ে থাকা মেঘখণ্ডসমুহ যেন মালা বা হার ৷ মুসলিম তা রিওয়ায়াত
করেছেন মুতামিয় ইবন সুলায়মানের হাদীস সংগ্রহ থেকে ৷ ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন, ইবন
আবুআদী হুমায়দ সুত্রে ৷ তিনি বলেন, হযরত আনাসকে জিজ্ঞেস করা হল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি
তীর দু’টি হাত উঠাতেন? তখন তিনি বললেন, এক জুমুআয় র্তাকে বলা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্!
বৃষ্টি বন্ধ, ভুমি শুষ্ক, গবাদিপশু ৰিনষ্ট ৷ আনাস বলেন, তখন তিনি তীর দু’হাত উঠালেন, এমন
কি আমি তীর বগলের শুভ্রতা দেখতে পেলাম ৷ এরপর তিনি বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করলেন ৷ আর


وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ بِإِسْنَادِهِ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ إِلَى أَبِي مَعْمَرٍ سَعِيدِ بْنِ خُثَيْمٍ الْهِلَالِيِّ، عَنْ مُسْلِمٍ الْمُلَائِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «جَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَقَدْ أَتَيْنَاكَ وَمَا لَنَا بَعِيرٌ يَئِطُّ وَلَا صَبِيٌّ يَصِيحُ، وَأَنْشَدَ: أَتَيْنَاكَ وَالْعَذْرَاءُ يَدْمَى لَبَانُهَا ... وَقَدْ شُغِلَتْ أُمُّ الصَّبِيِّ عَنِ الطِّفْلِ وَأَلْقَى بِكَفَّيْهِ الْفَتَى لِاسْتِكَانَةٍ ... مِنَ الْجُوعِ ضَعْفًا مَا يُمِرُّ وَلَا يُحْلِي وَلَا شَيْءَ مِمَّا يَأْكُلُ النَّاسُ عِنْدَنَا ... سِوَى الْحَنْظَلِ الْعَامِيِّ وَالْعِلْهِزِ الْفَسْلِ وَلَيْسَ لَنَا إِلَّا إِلَيْكَ فِرَارُنَا ... وَأَيْنَ فِرَارُ النَّاسِ إِلَّا إِلَى الرُّسْلِ قَالَ: فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ حَتَّى صَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ نَحْوَ السَّمَاءِ وَقَالَ " اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا، مَرِيئًا، مُرِيعًا، سَرِيعًا، غَدَقًا طِبَقًا، عَاجِلًا غَيْرَ رَائِثٍ، نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ، تَمْلَأُ بِهِ الضَّرْعَ، وَتُنْبِتُ بِهِ الزَّرْعَ، وَتُحْيِي بِهِ الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا، وَكَذَلِكَ تُخْرَجُونَ ". قَالَ فَوَاللَّهِ مَا رَدَّ يَدَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৪৭৩৫

তিনি তার দুই হাত উঠিয়ে তারপর বৃষ্টি প্রার্থনা করলেন ৷ আর যখন তিনি তার দুই হাত উঠান
তখন আমরা আকাশে একখণ্ড যেঘও দেখিনি ৷ অথচ নামায শেষ করতে না করতেই
নিকটবর্তী গৃহের যুবককে তার পরিবারের কাছে ফেরার বিষয়টি ভাবিয়ে তৃলেছিল ৷ আনাস
(রা) বলেন, এরপর পরবর্তী জুমুআয় তারা বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! বাড়িঘর ধ্বসে গিয়েছে,
পথচারীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৷ তখন আদম সন্তানের অল্পতেই মুষড়ে পড়ার দৃশ্য দেখে তিনি
মুচকি হেসে দৃঅ৷ করলেন, হে আল্লাহ্ ! আমাদের উপরে নয়, আমাদের আশেপাশে (বৃষ্টি বর্ষণ
করুন) ৷ আনাস বলেন, তখন মদীনায় আকাশ থেকে মেঘ কেটে গেল ৷ আর এটা শায়খগণের
সর্বোত্তীর্ণ তিনস্তর বিশিষ্ট সনদ; কিন্তু তারা তার সনদ উল্লেখ করেননি ৷ ’

বুখারী ও আবু দউিদ (পাঠ আবু দাউদের) মুসাদ্দাদ সুত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, একবার আল্লাহ্র রাসুলের জীবদ্দশায় মদীনাবাসী অনাবৃষ্টি কবলিত হলে ৷
একদিন তিনি জুমুআয় খুৎবা দিচ্ছিলেন ৷ তখন এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বলল, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্!
গবাদিপশু সব ধ্বং সের পথে, ছাগ মেষ ধ্বং স হয়ে যাচ্ছে, আপনি দু অ৷ করুন আল্লাহ্ যেন
আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেন ৷ তখন তিনি হাত প্রসারিত করে দু আ করলেন ৷ আনাস
বলেন, এ সময় আকাশ ছিল কাচের ন্যায় স্বচ্ছ ও মেঘমুক্তৃ ৷ কিন্তু (নবী করীমের দৃ আর সাথে
সাথে) প্রবল বাতাস প্রবাহিত হল এবং মেঘ সৃষ্টি হল ৷ এরপর ধুমঘমালা ঘনীভুত হয়ে বৃষ্টির
ঢল নামল ৷ আমরা তখন পানিতে নেমে (বর্ষণসিক্ত অবস্থায়) নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে
পৌহ্না৷ম ৷ পরবর্তী জুমুআ পর্যন্ত অবিৱাম বর্ষণ চলতে থাকল ৷ এরপর সেই ব্যক্তি কিৎবা অন্য
এক ব্যক্তি (রাবীর সন্দেহ) দাড়িয়ে তাকে লক্ষ্য করে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! (এখনতো বৃষ্টির
তােড়ে) বাড়ঘপ্রুর ধ্বসে যাচ্ছে, আপনি দৃঅ৷ করুন, আল্পাহ্ যেন বৃষ্টি থামিয়ে দেন ৷ তখন
তিনি মৃদু হাসলেন তারপর দুঅ৷ করলেন, হে আল্লাহ! আর আমাদের উপর বর্ষণ করবেন না,
আমাদের আশেপাশে করুন ৷ তখন আমি (মদীনায় আকাশের দিকে) তাকিয়ে দেখলাম
খণ্ডবিখণ্ড হয়ে তা মদীনায় চারপাশের আকাশে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যেন তা মেঘের মালা
বা হার ৷

হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত এই সনদ বা সুত্রগুলি মুতাওয়াতির’
স্তরের; কেননা, তা হাদীস বিশারদদের নিকট অকাট্যরুপে বিবেচিত ৷ বায়হাকী একাধিক সুত্রে
তার নিজ সনদে আবু মা’মার - আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একবার এক বেদৃইন এসে বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আল্লাহ্র কসম, আমরাতো এমন অবস্থায়
আপনার কাছে আসলাম যে, আমাদের আরােহণের উপযুক্ত কোন উট নেই এবং প্রভাত দৃগ্ধ
পানের উপযুক্ত কোন শিশু নেই ৷ এরপর সে আবৃত্তি করলো০ ং

আমরা আপনার কাছে এসেছি এমন অবস্থায় যে, আমাদের কুমারীরা অনাহারক্লিষ্ট এবং
সভানবতীরা ক্ষুধার ত ৷ড়নায় সন্তানের ব্যাপারে বেখবর ৷

৪ : ’

এ১াশ্ন
আর বীর যুববেল্পা ক্ষুধা ও দুর্বলতায় হাল ছেড়ে দিয়েছে

শ্
,


إِلَى نَحْرِهِ حَتَّى أَلْقَتِ السَّمَاءُ بِأَرْوَاقِهَا، وَجَاءَ أَهْلُ الْبِطَانَةِ يَضِجُّونَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الْغَرَقَ الْغَرَقَ. فَرَفَعَ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَ: " اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا، وَلَا عَلَيْنَا " فَانْجَابَ السَّحَابُ عَنِ الْمَدِينَةِ حَتَّى أَحْدَقَ بِهَا كَالْإِكْلِيلِ، فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ، ثُمَّ قَالَ: لِلَّهِ دَرُّ أَبِي طَالِبٍ لَوْ كَانَ حَيًّا قَرَّتَا عَيْنَاهُ مَنْ يُنْشِدُ قَوْلَهُ؟ فَقَامَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَأَنَّكَ أَرَدْتَ قَوْلَهُ: وَأَبْيَضُ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ... ثِمَالُ الْيَتَامَى عِصْمَةٌ لِلْأَرَامِلِ يَلُوذُ بِهِ الْهُلَّاكُ مِنْ آلِ هَاشِمٍ ... فَهُمْ عِنْدَهُ فِي نِعْمَةٍ وَفَوَاضِلِ كَذَبْتُمْ وَبَيْتِ اللَّهِ نُبْزَى مُحَمَّدًا ... وَلَمَّا نُقَاتِلْ دُونَهُ وَنُنَاضِلِ وَنُسْلِمُهُ حَتَّى نُصَرَّعَ حَوْلَهُ ... وَنَذْهَلَ عَنْ أَبْنَائِنَا وَالْحَلَائِلِ قَالَ: وَقَامَ رَجُلٌ مِنْ كِنَانَةَ فَقَالَ: لَكَ الْحَمْدُ وَالْحَمْدُ مِمَّنْ شَكَرْ ... سُقِينَا بِوَجْهِ النَّبِيِّ الْمَطَرْ دَعَا اللَّهَ خَالِقَهُ دَعْوَةً ... إِلَيْهِ وَأَشْخَصَ مِنْهُ الْبَصَرْ فَلَمْ يَكُ إِلَّا كَلَفِّ الرِّدَاءِ ... وَأَسْرَعَ حَتَّى رَأَيْنَا الدِّرَرْ
পৃষ্ঠা - ৪৭৩৬
دُفَاقَ الْعَزَالِيَ عَمَّ الْبِقَاعَ أَغَاثَ بِهِ اللَّهُ عُلْيَا مُضَرْ ... وَكَانَ كَمَا قَالَهُ عَمُّهُ أَبُو طَالِبٍ أَبْيَضٌ ذُو غُرَرْ ... بِهِ اللَّهُ يَسْقِي صَوْبَ الْغَمَامِ وَهَذَا الْعِيَانُ لِذَاكَ الْخَبَرْ ... فَمَنْ يَشْكُرِ اللَّهَ يَلْقَ الْمَزِيدَ وَمِنْ يَكْفُرِ اللَّهَ يَلْقَى الْغِيَرْ قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنْ يَكُ شَاعِرٌ يُحْسِنُ فَقَدْ أَحْسَنْتَ» وَهَذَا السِّيَاقُ فِيهِ غَرَابَةٌ، وَلَا يُشْبِهُ مَا قَدَّمْنَا مِنَ الرِّوَايَاتِ الصَّحِيحَةِ الْمُتَوَاتِرَةِ عَنْ أَنَسٍ؛ فَإِنْ كَانَ هَذَا هَكَذَا مَحْفُوظًا فَهُوَ قِصَّةٌ أُخْرَى غَيْرَ مَا تَقَدَّمَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ الْحَارِثِ الْأَصْبَهَانِيُّ، ثَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَيَّانَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُصْعَبٍ، ثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ، ثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي ذِئْبٍ الْمَدَنِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ حَاطِبٍ الْجُمَحِيِّ، عَنْ أَبِي وَجْزَةَ يَزِيدَ بْنِ عُبَيْدٍ السَّعْدِيِّ قَالَ: «لَمَّا قَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ أَتَاهُ وَفْدُ بَنِي فَزَارَةَ بِضْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فِيهِمْ خَارِجَةُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৩৭


মানুষের খাবার মত কিছুই নেই আমাদের কাছে, শুধুমাত্র নিকৃষ্ট মাকলে ফল এবং

নিম্নমানের শাক ছাড়া ৷
াপু;র্দু,৷ ৷

আপনি ছাড়া আমাদের কোন অড়াশ্রয়ন্থল নেই, আর রাসুলগণই তো মানুষের উত্তম আশ্রয় ৷
আনাস (রা) বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার চাদর হেচড়াতে হেচড়াতে এসে মিম্বরে
আরোহণ করলেন৪ অতঃপর আল্লাহর হামদ ও ছানা পাঠের পর তিনি তার উভয় হাত
আসমানের দিকে উঠিয়ে বললেন, “হে আল্লাহ্! আমাদেরকে এমন বর্ষণ দ্বারা সিক্ত ধ্ করুন যা
স্বাচ্ছন্দাময় সর্বব্যাপীউর্বরতাদানকারী ত্রিৎ এবং উপাদেয় যা দ্বারা দুধের ওলান পুর্ণ হবে
শস্যাদি উৎপন্ন হয়ে এবং মৃতবৎ ভুখণ্ড প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে ৷ আর এভাবেই তোমরা পুনরুথিত
হবে১ ৷

আনাস বলেন, আল্পাহ্র কসম৷ তিনি তার (দৃআ শেষে) বুক বরাবর হাত নামাতে না
নামাতেই আকাশ বর্ষণ শুরু করল ৷ তখন লোকেরা এসো চিৎকার করে ফরিয়াদ করতে
লাগল, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ষ্ আমাদের ডুবে মরার দশা হয়েছে ৷ তখন তিনি তার উভয় হাত
আকাশের দিকে উঠিয়ে বললেন, “হে আল্লাহ! এখন আর আমাদের উপর বর্ষণ করবেন না,
আমাদের আশেপাশে বর্ষণ করুন! তখন মেঘমালা মদীনায় আকাশ থেকে সরে তাকে মালার
ন্যায় চভুর্দিক থেকে রেষ্টন করে রাখল ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাসলেন, এমনকি তার
মাড়ির দাত দেখা গেল ৷ এরপর তিনি বললেন, আবু তালিব কি চমৎকার বলেছেন, তিনি যদি
জীবিত থাকতেন তাহলে এই অবস্থায় তার চোখ জুড়াত, কে আছে তার সেই কবিতা আবৃত্তি
করে শ্যেনাতে পারে ? তখন হযরত আলী দাড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আপনি মনে হয়
তার এই কথা বোঝাতে চাচ্ছেন :

শ্বেত-শুভ্রৰু চেহারার অধিকারী, যার দোহইি দিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়ে থাকে,
ইয়ুাতীমদের তত্ত্বাবধায়ক এবং বিধবাদের রক্ষক ৷

হাশিম পরিবারের দৃস্থরা তার আশ্রয় গ্রহণ করে, আর তারা তার কাছে দান ও অনুগ্নহের
মাঝে অবস্থান করে ৷
ন্;ট্রু;ণ্হ্র
মুহাম্মাদ অসহায় ও পরাভুত হবেন বায়তুল্লাহর কসম, তোমরা মিথ্যা বলেছো আর
আমরাতাে এখনও তার পক্ষে তীর-তরবারী ধারণ করিনি ৷
’,
তার চারপাশে আমরা ধরাশায়ী হব; কিন্তু তাকে নিরাপদ রাখব আর এ সময় আমরা
আমাদের শ্রী পুত্রদের কথা বিস্মৃত হয়ে যাব ৷

১ এ বাক্যাৎশটি আসলে কুরআন শরীফের সুরা রুম (৩০)-এর ১৯তম আয়াতের শেবাংশ ৷ ষ্জালালাবাদী
(সম্পাদক)


حِصْنٍ، وَالْحُرُّ بْنُ قَيْسٍ، وَهُوَ أَصْغَرُهُمْ، ابْنُ أَخِي عُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنٍ، فَنَزَلُوا فِي دَارِ رَمَلَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَقَدِمُوا عَلَى إِبِلٍ ضِعَافٍ عِجَافٍ وَهُمْ مُسْنِتُونَ، فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُقِرِّينَ بِالْإِسْلَامِ فَسَأَلَهُمْ، رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ بِلَادِهِمْ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَسْنَتَتْ بِلَادُنَا، وَأَجْدَبَ جَنَابُنَا، وَعَرِيَتْ عِيَالُنَا، وَهَلَكَتْ مَوَاشِينَا، فَادْعُ رَبَّكَ أَنْ يُغِيثَنَا، وَتَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، وَيَشْفَعُ رَبُّكَ إِلَيْكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " سُبْحَانَ اللَّهِ، وَيْلَكَ هَذَا، أَنَا شَفَعْتُ إِلَى رَبِّي، فَمَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ رَبُّنَا إِلَيْهِ؟! لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَهُوَ يَئِطُّ مِنْ عَظَمَتِهِ وَجَلَالِهِ كَمَا يَئِطُّ الرَّحْلُ الْجَدِيدُ " قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ، وَسَلَّمَ " إِنِ اللَّهَ يَضْحَكُ مِنْ شَفَقَتِكُمْ وَأَزْلِكُمْ وَقُرْبِ غِيَاثِكُمْ " فَقَالَ الْأَعْرَابِيُّ: وَيَضْحَكُ رَبُّنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟! قَالَ: " نَعَمْ ". فَقَالَ الْأَعْرَابِيُّ: لَنْ نَعْدَمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مِنْ رَبٍّ يَضْحَكُ خَيْرًا. فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَوْلِهِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ، وَتَكَلَّمَ بِكَلَامٍ وَرَفَعَ يَدَيْهِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنَ الدُّعَاءِ إِلَّا فِي الِاسْتِسْقَاءِ، رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى رُئِيَ بَيَاضُ إِبِطَيْهِ، وَكَانَ مِمَّا حُفِظَ مِنْ دُعَائِهِ: " اللَّهُمَّ اسْقِ بَلَدَكَ،
পৃষ্ঠা - ৪৭৩৮

আনাস (রা) বলেন, এরপর বানুবিনোনার এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বলল :
ণ্ষ্ষ্ষ্শ্
ৎসা আপনার, প্রশংসা কৃতজ্ঞের পক্ষ থেকে; আমরা নবীর দোহইি দিয়েন্বর্ষণ সিক্ত
হলাম ৷

৷ ৷ছুটুা

তিনি তার স্রষ্টা আল্লাহ্কে একবার আহ্বান করলেন, আর সে আহ্বানের কারণে চক্ষু
বিহ্মোরিত হল ৷ ,
টুর্মুএ ৷

চাদর গুটানাের বরাবর সময় অতিবাহিত হল, কিংবা তার চেয়েও কম; এরই মধ্যে আমরা
বৃষ্টির কোটা দেখতে পেলাম ৷

শ্শ্শ্শ্শ্শ্

উচু অঞ্চলের নরম মাটি (এর সাহায্যে) সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ৷ মুযার বংশের ঝর্ণাধারা ও
কুয়ােগুলোকে আল্লাহ এর দ্বারা পুর্ণ ও পরিতৃপ্ত করেছেন ৷

০ × )

চাচা আবু তালিবের কথা মত তিনি ছিলেন শুভ্র উজ্জ্বল চেহারার অধিকারী ৷
’,
তার ওসীলায় আল্লাহ্ যেঘদ্বারা সিঞ্চন করেন, এটা হল প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ আর ওটা হল
খবর ৷ (উভয়টা মিলে গেছে ৷)
সুতরাং যে আল্লাহ্র ণ্শাক্র করবে সে অতিরিক্ত নিয়ামত লাভ করবে; আর যে আল্পাহ্র
নিয়ামতের অকৃতজ্ঞতা করবে সে কালচক্রের (বিপর্যয়ের) সম্মুখীন হয়ে ৷
আনাস (রা) বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যদি কোন করি ভাল কিছু বলে থাকে
তাহলে তৃমিও ভালই বলেছে৷ ৷ এই বর্ণনাধারায় গরীব দোষ বিদ্যমান ৷ আর আনাস (রা)
থেকে বর্ণিত আমাদের মুতাওয়াতির রিওয়ায়াতসমুহের সাথে এর সাদৃশ্য নেই ৷ আর এই
রিওয়ায়াতটি যদি এভাবে সংরক্ষিত হয়ে থাকে তাহলে তা পুর্বে বর্ণিত ঘটনা নয়, অন্য একটি
ঘটনা হবে ৷ হাফিয বায়হাকী আবু বকর ইবনুল হারিছ ইয়াযীদ ইবনৰু,উবায়দ সুত্রে
আসসুলামী আবু ওয়ড়াজরা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন তাবুক
অভিযান থেকে ফিরলেন, তখন তার কাছে বানু ফাজারার একটি প্রতিনিধি দল আসল, যার
সদস্য সংখ্যা ছিল তের থেকে উনিশ ৷ এদের মাঝে খারিজা ইবনুল হুসায়ন এবং হুবৃ ইবন
কায়স ছিলেন ৷ আর ইনি ছিলেন তাদের কনিষ্ঠতম সদস্য এবং উয়ায়না ইবন হিসরের
তাতিজা ৷ তারা এসে রামলা বিনৃত হারিছ আলআনসারীর গৃহে অতিথেয়তা গ্রহণ করলেন ৷


وَبَهَائِمَكَ، وَانْشُرْ رَحْمَتَكَ، وَأَحْيِ بَلَدَكَ الْمَيِّتَ، اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا مَرِيعًا، طَبَقًا وَاسِعًا، عَاجِلًا غَيْرَ آجِلٍ، نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ، اللَّهُمَّ سُقْيَا رَحْمَةٍ لَا سُقْيَا عَذَابٍ وَلَا هَدْمٍ وَلَا غَرَقٍ وَلَا مَحْقٍ، اللَّهُمَّ اسْقِنَا الْغَيْثَ، وَانْصُرْنَا عَلَى الْأَعْدَاءِ ". فَقَامَ أَبُو لُبَابَةَ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، التَّمْرُ فِي الْمَرَابِدِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " اللَّهُمَّ اسْقِنَا " فَقَالَ أَبُو لُبَابَةَ: التَّمْرُ فِي الْمَرَابِدِ. ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ اسْقِنَا حَتَّى يَقُومَ أَبُو لُبَابَةَ عُرْيَانًا فَيَسُدَّ ثَعْلَبَ مِرْبَدِهِ بِإِزَارِهِ " قَالَ: فَلَا وَاللَّهِ مَا فِي السَّمَاءِ مِنْ قَزَعَةٍ وَلَا سَحَابٍ، وَمَا بَيْنَ الْمَسْجِدِ وَسَلْعٍ مِنْ بِنَاءٍ وَلَا دَارٍ، فَطَلَعَتْ مِنْ وَرَاءِ سَلْعٍ سَحَابَةٌ مِثْلُ التُّرُسِ فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ، وَهُمْ يَنْظُرُونَ، ثُمَّ أَمْطَرَتْ، فَوَاللَّهِ مَا رَأَوُا الشَّمْسَ سَبْتًا، وَقَامَ أَبُو لُبَابَةَ عُرْيَانًا يَسُدُّ ثَعْلَبَ مِرْبَدِهِ بِإِزَارِهِ لِئَلَّا يَخْرُجَ التَّمْرُ مِنْهُ، فَقَالَ الرَّجُلُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الْأَمْوَالُ، وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ. فَصَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمِنْبَرَ فَدَعَا وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى رُئِيَ بَيَاضُ إِبِطَيْهِ، ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا، وَلَا عَلَيْنَا، عَلَى الْآكَامِ وَالظِّرَابِ وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ " فَانْجَابَتِ السَّحَابَةُ عَنِ الْمَدِينَةِ كَانْجِيَابِ الثَّوْبِ» وَهَذَا السِّيَاقُ يُشْبِهُ سِيَاقَ مُسْلِمٍ الْمُلَائِيِّ، عَنْ أَنَسٍ وَلِبَعْضِهِ شَاهِدٌ فِي " سُنَنِ أَبِي دَاوُدَ "، وَفِي
পৃষ্ঠা - ৪৭৩৯

আর তারা দুর্বল ও শীর্ণকায় উটের আরোহী হয়ে দৃর্ভিক্ষ পীড়িত অবস্থায় আগমন করেছিল ৷ এ
সময় তারা ইসলামের আনুগত্য স্বীকার করে এসেছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে তাদের
আপন ভুমি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, তখন তারা বলল, ইয়! রাসুলাল্লাহ্ (সা)! আমাদের
ভুখন্ড ও তার অধিবাসীরা অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষ কবলিত, পােষ্য পরিজন অভাবগ্রস্ত, গবাদিপশু সব
ত্সপ্রাপ্ত ৷ আপনি আপনার প্রতিপালকের কাছে দুআ করুন, তিনি যেন আমাদেরকে বৃষ্টি বর্ষণ

করেন ৷ আমাদের জন্য আপনি আপনার রবের কাছে সুপারিশ করবেন, আর আপনার রব
আপনার কাছে সুপারিশ করবেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হার সর্বনাশ ! কী বলছ তুমি
? আমি আমার রবের কাছে সুপারিশ করতে পারি, কিন্তু তিনি আবার কার কাছে সুপারিশ
করবেন ? আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই ৷ তার কুরসী পৃথিবী ও আকাশমন্ডলীকে বেষ্টন
করে আছে ৷ আর তা (কুরসী) তার বড়তু ও গ্রেষ্ঠত্বের ভাবে ( আরোহী ভারাক্রাস্ত) নতুন
হাওদার ন্যায় শব্দ করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের অনাবৃষ্টিজ়নিত
উৎকষ্ঠা এবং বৃষ্টির নৈকটোর কারণে হাসছেন ৷ তখন সেই বের্দুইনটি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
আমাদের রবও হাসেন নাকি ? তিনি বললেন, হা ৷ তখন বেদৃইনটি বলল, তা’হলে নিশ্চয়
আমরা এমন রব থেকে কল্যাণ বঞ্চিত হব না যিনি হাসেন ৷ তার এ কথায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)
হেসে ফেললেন ৷ এরপর তিনি উঠে র্দাড়ালেন এবং মিম্বরে আরোহণ করে কিছু কথা বললেন,
এরপর দৃ’আর জন্য হাত উঠালেন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনাকালেই শুধু তিনি হাত উচুতে উঠাতেন-
এ সময় তিনি এমনভাবে দুহাত উঠালেন যে, তার বগলদ্বয়ের শুভ্রত৷ দৃশ্যমান হল, আর তার
দু’আর যে অংশ সংরক্ষিত আছে, তা’ হল : “হে আল্লাহ! আপনার (পবিত্র) শহর ও পশুপালকে
সিঞ্চিত করুন! আপনার অনুগ্রহ (বৃষ্টিরুপে) ছড়িয়ে দিন এবং আপনার নির্জীব ও শুষ্ক ভুমিকে
সজীব করুন! হে আল্লাহ ! আমাদেরকে এমন বর্ষণ দ্বারা সিক্ত করুন যা’ স্বাচ্ছন্দা আনয়নকারী,
সর্বব্যাপী, উর্বরতা দানকারী, তুরিৎ এবং উপকারী ৷ হে আল্লাহ! এই বর্ষণকে আমাদের জন্য
অনুগহের বর্ষণ করুন, দৃর্তোগের বর্ষণ নয়, একে আপনি ধ্বস, ধ্বংস ও নিমজ্জনের’বর্ষণ
করবেন না ৷ হে আল্লাহ! আমাদেরকে বষর্ণ সিক্ত করুন এবং শক্রদের উপর বিজয় র্দান করুন!

তখন আবু লুবাবা ইবন আবদুল মুনষির দাড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! খেজুর
(শুকানাের জন্য) খলায় রয়েছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আল্লাহ ! আমাদেরকে
বর্ষণসিক্ত করুন ৷ তখন আবু লুবাবা বললেন, খেজুর খলায় (তিনবার) ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, হে আল্লাহ ! আমাদেরকে এমনভাবে বর্ষণসিক্ত করুন, যেন আবু লুববাে তার কাপড়
ছেড়ে যেন তার লুঙ্গি দিয়ে খলার নালামুখ বন্ধ করে ৷ রাবী বলেন, এ সময় আকাশে কোন
মেঘখণ্ড বা যেঘমালা কিছুই ছিল না এবং মসজিদ (নববী) এবং সাল্লা’ পাহাড়ে মাংঝ কোন
রাড়িঘরের আড়াল ছিল না ৷ এমন সময় হঠাৎ সালা’ পাহাড়ের পশ্চাৎদিক থেকে ঢাল আকৃতির
এক্টি মেঘখন্ড দেখা দিল ৷ তারপর যখন তা? আকাশের মধ্যন্থলে পৌছল, তখন তা’চারদিকে
ছড়িয়ে পড়ল, এসবই ঘটল সকলের চোখের সামনে ৷ এরপর বর্ষণ শুরু হল ৷ আল্লাহর কসম !
এরপর ছয়দিন সুর্যের মুখ দেখা গেল না ৷ আর আবু লুবাবা বিবস্ত্র হয়ে লুঙ্গি দিয়ে খলার
নালা-মুখ বন্ধ করতে লাগল, যাতে করে তা’ দিয়ে খেজুর ভেসে বেরিয়ে না যায় ৷ তখন এক
ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! গবাদিপশুপাল ধ্বংস হচ্ছে এবং পথসমুহ রুদ্ধ হয়ে
পড়েছে ৷ এ কথা শুনে ন্নবীজী মিম্বরে আরোহণ করে হাত উঠিয়ে দু’আ করলেন ৷ এ সময় তিনি


حَدِيثِ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ شَاهِدٌ لِبَعْضِهِ أَيْضًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " أَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْمُؤَمَّلِ، أَنَا أَبُو أَحْمَدَ مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْحَافِظُ، أَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي حَاتِمٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَمَّادٍ الطَّهَرَانِيُّ، أَنَا سَهْلُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَعْرُوفُ بِالسِّنْدِيِّ بْنِ عَبْدَوَيْهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَبِي أُوَيْسٍ الْمَدَنِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي لُبَابَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُنْذِرِ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: «اسْتَسْقَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ جُمُعَةٍ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اسْقِنَا، اللَّهُمَّ اسْقِنَا ". فَقَامَ أَبُو لُبَابَةَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ التَّمْرَ فِي الْمَرَابِدِ، وَمَا فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابٍ نَرَاهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " اللَّهُمَّ اسْقِنَا ". فَقَامَ أَبُو لُبَابَةَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ التَّمْرَ فِي الْمَرَابِدِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ اسْقِنَا، حَتَّى يَقُومَ أَبُو لُبَابَةَ يَسُدُّ ثَعْلَبَ مِرْبَدِهِ بِإِزَارِهِ ". فَاسْتَهَلَّتِ السَّمَاءُ وَمَطَرَتْ، وَصَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ أَطَافَ الْأَنْصَارُ بِأَبِي لُبَابَةَ يَقُولُونَ لَهُ: يَا أَبَا لُبَابَةَ، إِنَّ السَّمَاءَ وَاللَّهِ لَنْ تُقْلِعَ حَتَّى تَقُومَ عُرْيَانًا فَتَسُدَّ ثَعْلَبَ
পৃষ্ঠা - ৪৭৪০

এত উচুতে হাত উঠালেন যে তার বগলের শুভ্রতা দৃশ্যমান হল ৷ তারপর তিনি দৃ’আ করলেন) :
“হে আল্লাহ্ ! এখন আর আমাদের উপর বর্ষণ করবেন না, বরং আমাদের চারপাশে বর্ষণ
করুন ৷ এখন আপনি পাহাড়, পর্বত, টিলাসমুহ, উপতকাগর্ভ ও বৃক্ষময় স্থানে বর্ষণ করুন ৷
এরপর মেঘমালা কাপড় গুটিয়ে যাওয়ার ন্যায় মদীনার আকাশ থেকে গুটিয়ে গেল ৷ এই
বর্ণনাধারাটি হযরত আনাস থেকে বর্ণিত মুসলিম আলমুলইির বর্ণনাধারার সদৃশ ৷ আবু দাউদের
সুনানে এর একাংশের শাহিদ’ (সমর্থক) রিওয়ায়াত বিদ্যমান ৷ আল্লাইে অধিক জানেন ৷

বায়হাকী তার র্বৃআদৃদালাইল’ গ্রন্থে আবু বকর মুহাম্মাদ ইবনশুহাসান আবু লুবাবা
ইবন আবদুল ঘুনযির আল আনসারী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কোন এক
জুমুআর দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করলেন ৷ তিনি বললেন : “হে আল্লাহ্ ৷
আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন, হে আল্লাহ্ আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন ! তখন আবু লুবাবা
র্দাডিংয় বললেন, ইয়া রাসুলল্লোহ্ (সা) আমাদের খেজুর খলার রয়েছে ৷ আর এ সময় আমরা
আকাশে কোন মেঘ দেখতে পেলাম না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : “হে আল্লাহ্া
আমাদেরকে বর্ষণসিক্ত করুন ৷” তখন আবু লুবাবা দাড়িয়ে বলল : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! খেজুর
খলার ৷ তখন তিনি বললেন, “হে আল্লাহ্! আমাদেরকে এমন বর্ষণ দ্বারা সিক্ত করুন যেন আবু
লুবাবা (তার কাপড় ছেড়ে) তার খলার নালা তার লুঙ্গি দ্বারা বন্ধ করে ৷ এরপর আকাশ
ধৰলবেগে বর্ষণ শুরু করল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে নামায পড়ালেন ৷ এদিকে
দোকজ্যা আবু লুবাবার কাছে এসে বলল, হে আবু লুববাে ! আকাশ এই বর্ষণ থেকে ক্ষান্ত হবে
না, যতক্ষণ না তুমি বিবস্ত্র হয়ে তোমার লুঙ্গি দ্বারা তোমার খলার নালার মুখ বন্ধ করবে,
যেমনটি আল্পাহ্র রাসুল বলেছেন ৷ রাবী বলেন, তখন আবু লুবাবা গিয়ে বিবস্ত্র হয়ে তার খলার
নালামুখ তার লুঙ্গি দিয়ে বন্ধ করতে লাগল ৷ এরপর আকাশের বর্ষণ থামল ৷ এই হাদীসের
সনদ হাসান’ আর ইমাম আহমাদ এবং সিহাহ্ সিত্তার সংকলকগণও এর উল্লেখ করেননি ৷
সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

এইরুপ বৃষ্টি প্রার্থনার ঘটনা তাবুক অতিযড়ানকালে পথে থাকা অবস্থায় ঘটেছিল ৷ যেমন
আবদ্বল্পাহ ইবন ওয়াহ্ব, আমর ইবনুল হারিছ ইবন আব্বাস সুত্রে রিওয়ায়াত করেন যে,
একবার হযরত উমরকে বলা হল, আমাদেরকে অনটনকালের অবস্থা সম্পর্কে বলুনএ৷ তখন
উমর (রা) বললেন, প্রচন্ড তাপদাহে আমরা তাবুক অভিমুখে বের হলাম ৷ তারপর পথে
একস্থানে যাত্রাবিরতি করলাম এবং সেখানে আমরা এমন পিপাসার্ত হলাম যে, আমাদের
আশংকা হতে লাগল যে, আমাদের গ্রীবান্থ ধমনী ছিড়ে যাবে ৷ এমনকি আমাদের কেউ কেউ
গিয়ে তার হাওদায় পানি খুজত, কিন্তু যে তা পেতােনা, তখন তার মনে হত তার গ্রীবা-শিরা
যেন কখন ছিড়ে যাবে ৷ এমনকি কোন ব্যক্তি তার উট জবাই করে তার নাড়িভুড়ি চিপে তা পান
মত ৷ তারপর তার অৰশিষ্টাত্শ তার যকৃতের উপর রাখত ৷ তখন হযরত আবু বকর (রা)
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আল্লাহ তো আপনাকে লেক দৃআয় অভ্যস্ত করেছেন ৷ আপনি
আমাদের জন্য দৃ’আ করুন ৷ তিনি বললেন, তুমি কি তা ভালবাস ? আবু বকর (রা) বললেন,
ব্জী ই৷ ৷ তখন তিনি আসমানেরধ্ দিকে হাত উঠালেন এবং হাত ফিরাতে না ফিরাতে আকাশ
ভারী বর্ষণে আমাদেরকে সিক্ত করল ৷ তখন লোকেরা তাদের সাথে থাকা সকল পাত্র পুর্ণ করে প্
নিল ৷ এরপর আমরা আশেপাশে বৃষ্টির অবস্থা দেখতে গেলাম ৷ তখন আমরা দেখলাম, এই
বৃষ্টি আমাদের সেনাছাউনী অতিক্রম করেনি ৷ এই হাদীসের সনদ বেশ শক্তিশালী; কিন্তু (সিহাহ
সিত্তার) ইমামদের কেউই তা রিওয়ায়াত করেননি ৷
— ১৯


مِرْبَدِكَ بِإِزَارِكَ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَقَامَ أَبُو لُبَابَةَ عُرْيَانًا يَسُدُّ ثَعْلَبَ مِرْبَدِهِ بِإِزَارِهِ، فَأَقْلَعَتِ السَّمَاءُ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ حَسَنٌ، وَلَمْ يَرْوِهِ أَحْمَدُ وَلَا أَهْلُ الْكُتُبِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ وَقَعَ مِثْلُ هَذَا الِاسْتِسْقَاءِ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ، كَمَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي عُتْبَةَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّهُ قِيلَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: حَدِّثْنَا عَنْ شَأْنِ سَاعَةِ الْعُسْرَةِ. فَقَالَ عُمَرُ: خَرَجْنَا إِلَى تَبُوكَ فِي قَيْظٍ شَدِيدٍ، فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا وَأَصَابَنَا فِيهِ عَطَشٌ، حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّ رِقَابَنَا سَتَنْقَطِعُ، حَتَّى إِنْ كَانَ أَحَدُنَا لَيَذْهَبُ فَيَلْتَمِسُ الرَّحْلَ فَلَا يَرْجِعُ حَتَّى يَظُنَّ أَنَّ رَقَبَتَهُ سَتَنْقَطِعُ، حَتَّى إِنِ الرَّجُلَ لَيَنْحَرُ بَعِيرَهُ فَيَعْتَصِرُ فَرْثَهُ فَيَشْرَبُهُ، ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ عَلَى كَبِدِهِ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقٌ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِ اللَّهَ قَدْ عَوَّدَكَ فِي الدُّعَاءِ خَيْرًا، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا. فَقَالَ " أَوَتُحِبُّ ذَلِكَ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَرَفَعَ يَدَيْهِ نَحْوَ السَّمَاءِ فَلَمْ يُرْجِعْهُمَا حَتَّى قَالَتِ السَّمَاءُ فَأَظَلَّتْ ثُمَّ سَكَبَتْ، فَمَلَؤُوا مَا مَعَهُمْ، ثُمَّ ذَهَبْنَا نَنْظُرُ فَلَمْ نَجِدْهَا جَاوَزَتِ الْعَسْكَرَ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ.
পৃষ্ঠা - ৪৭৪১
وَقَدْ قَالَ الْوَاقِدِيُّ: قَدْ كَانَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ اثْنَا عَشَرَ أَلْفَ بَعِيرٍ، وَمَثَلُهَا مِنَ الْخَيْلِ، وَكَانُوا ثَلَاثِينَ أَلْفًا مِنَ الْمُقَاتِلَةِ. قَالَ: وَنَزَلَ مِنَ الْمَطَرِ مَاءٌ أَغْدَقَ الْأَرْضَ حَتَّى صَارَتِ الْغُدْرَانُ تَسْكُبُ بَعْضُهَا فِي بَعْضٍ، وَذَلِكَ فِي حَمَارَّةِ الْقَيْظِ. أَيْ شِدَّةِ الْحَرِّ الْبَلِيغِ، فَصَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. وَكَمْ لَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ مِثْلِ هَذَا فِي غَيْرِ مَا حَدِيثٍ صَحِيحٍ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ لَمَّا دَعَا عَلَى قُرَيْشٍ حِينَ اسْتَعْصَتْ أَنْ يُسَلِّطَ اللَّهُ عَلَيْهَا سَبْعًا كَسَبْعِ يُوسُفَ، فَأَصَابَتْهُمْ سَنَةٌ حَصَّتْ كُلَّ شَيْءٍ حَتَّى أَكَلُوا الْعِظَامَ وَالْكِلَابَ وَالْعِلْهِزَ، ثُمَّ أَتَى أَبُو سُفْيَانَ يَشْفَعُ عِنْدَهُ فِي أَنْ يَدْعُوَ اللَّهَ لَهُمْ، فَدَعَا لَهُمْ فَرُفِعَ ذَلِكَ عَنْهُمْ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، ثَنَا أَبِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَ إِذَا قَحَطُوا اسْتَسْقَى بِالْعَبَّاسِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّا كُنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا فَتَسْقِينَا، وَإِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا فَاسْقِنَا» . قَالَ فَيُسْقَوْنَ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ.