আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب دلائل النبوة

الدلائل الحسية
فصل في إيراد طرق هذا الحديث من أماكن متفرقة
পৃষ্ঠা - ৪৭০৯

আসরের নামায পড়তে পারেন? তখন জবাবে তিনি বললেন, যে একথা বলেছে, সে মিথ্যা
বলেছে ৷ ইব্রাহীম ইবন ইয়াকুব আরো বলেন, আমি ইয়ালা ইবন উবায়দ আৎ তনাফিসীকে
প্রশ্ন করলাম, আমাদের কাছের কতিপয় লোকজন বলে, হযরত আলী হলেন রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর ওসী, তার খাতিরে অস্ত যাওয়ার পর সুর্যকে পুনরায় উদিত করা হয়েছে, তখন তিনি
বললেন, এর সবই মিথ্যা ৷

বিভিন্ন সুত্রে এই হাদীসের উপস্থাপন এবং
এ সম্পর্কে পুস্তক রচনা প্রসঙ্গে

আবুল কাসিম উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আহমদ আল-হাসকানী এ প্রসঙ্গে
শিরোনামে বলেন, এই হাদীসখানি
আসমা বিনৃত উমায়স, আলী ইবন আবু তালিব, আবু হুরায়রা এবং আবু সাঈদ খুদরী সুত্রে
বর্ণিত আছে ৷ এরপর তা বর্ণিত হয়েছে আহমদ ইবন সালিহ আল মিসরী, আহমদ ইবন
ওয়ালীদ আল আনত ড়াকী এবং হাসান ইবন দাউদ আসমা বিনৃত উমায়স সুত্রে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বা ৷র ভুমির আসৃ সাহ্বাতে যুহরের নামায পড়লেন, এরপর হযরত আলীকে
কোন প্রয়োজনে পাঠালেন, এরপর আলী যখন ফিরে আসলেন-আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইতিমধ্যে
আসরের নামায পড়ে নিয়েছিলেন-তখন তিনি তার পবিত্র মস্তক হযরত আলীর কোলে রাখলেন
এবং সুর্যাস্তের পুর্বে তা আর নড়া দেন না এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আল্লাহ আপনার
বান্দা আলী তার নবীর জন্য নিজেকে আবদ্ধ রেখেছিল, সুতরাং আপনি তার জন্য দিনের আলো
ফিরিয়ে দিন ৷ আসমা বলেন, এরপর সুয উদিত হল এমনকি তা পাহাড়ের চুড়ায় দৃশ্যমান হল,
তখন হযরত আলী উঠে গিয়ে উয়ু করলেন এবং আসরের নামায পড়লেন-তারপর আবার সুর্য
অস্ত গেল ৷ এই হাদীসের সনদে অজ্ঞাত অবস্থার রাবী রয়েছেন ৷ কেননা, এই সনদে রাবী
আগুন ও তার মা সম্পর্কে এমন বিশ্বস্ততা ও স্মরণশক্তির কথা জানা নেই, যার কারণে এর
চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের কোন বিষয়েও এদের বর্ণিত হাদীস গ্রহণন্থযাগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে ৷
সুতরাং তাদের বর্ণিত খবর বা তথ্য দ্বারা কিভাবে এরুপ গুরুতর একটি বিষয় সাব্যস্ত হতে
পারে, অথচ সিহাহ্ সিত্তার নির্ভরযোগ্য কোন সংকলকই তা রিওয়ায়াত করেননি ৷ আল্লাহ্ই
অধিকতর জ্ঞাত ৷ আর আমরা জানি না যে, আগুনের যা তার পিতামহী আসমা বিনৃত উমায়স
থেকে তা শুনেছেন কিনা ! তারপর এই মিসরীয় রাবী তা হুসায়ন ইবন হাসান আল আমাকরের
বরাতে উল্লেখ করেছেন ৷ আর সে হল কট্টর শিয়া, একাধিক হাদীসবেত্তা তাকে যয়ীফ’ আখ্যা
দিয়েছেন ৷ সে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছে ফুযায়ল ইবন মারয়ুক আসমা বিনৎ উমায়স
সুত্রে ৷ এছাড়া ফুযায়ল ইবন মারয়ুক থেকে একাধিক ব্যক্তি তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এদের
অন্যতম হলেন উবায়দৃল্লাহ্ ইবন মুসা ৷ এরপর তিনি তা রিওয়ায়াত করেছেন আবু জাফর আত্
তহােবী সুত্রে ৷ ইতিপুর্বে আমরা উবায়দৃল্লাহ্ ইবন মুসা আল আবসীর সাঈদ ইবন মাসউদ
এবং আবু উমায়্যার হাদীস সংগ্রহ থেকে আমাদের রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছি ৷ আর উবায়দৃল্পাহ্
আল আবসী শিয়া ৷ তারপর এই মিশরীয় রাবী তা রিওয়ায়াত করেছেন আবু জাফর আল
উকায়লী আহমদ ইবন দাউদ ফুযায়ল ইবন মারয়ুক সুত্রে এবং আল আপার আর
রক্কাশী থােক ৷ তাকে আর রুয়াসীও বলা হয়ে থাকে ৷ আবু আবদুর রহমান আল কুফী তিনি


أَصْحَابِهِ. قَالَ: وَلَوْ كَانَ هَذَا فَضْلًا، أُعْطِيَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيَمْنَعَ رَسُولَهُ شَرَفًا وَفَضْلًا. يَعْنِي أُعْطِيَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ ثُمَّ قَالَ: وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ الْجُوزَجَانِيُّ: قُلْتُ لِمُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيِّ: مَا تَقُولُ فِيمَنْ يَقُولُ: رَجَعَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ حَتَّى صَلَّى الْعَصْرَ؟ فَقَالَ: مَنْ قَالَ هَذَا فَقَدَ كَذَبَ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ: سَأَلْتُ يَعْلَى بْنَ عُبَيْدٍ الطَنَافِسِيَّ قُلْتُ: إِنَّ نَاسًا عِنْدَنَا يَقُولُونَ: إِنَّ عَلِيًّا وَصِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ. فَقَالَ: كَذِبٌ هَذَا كُلُّهُ. [فَصْلٌ فِي إِيرَادِ طُرُقِ هَذَا الْحَدِيثِ مِنْ أَمَاكِنَ مُتَفَرِّقَةٍ] وَقَدْ جَمَعَ فِيهِ أَبُو الْقَاسِمِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَحْمَدَ الْحَسْكَانِيُّ جُزْءًا وَسَمَّاهُ " مَسْأَلَةٌ فِي تَصْحِيحِ رَدِّ الشَّمْسِ وَتَرْغِيمِ النَّوَاصِبِ الشُّمْسِ "
পৃষ্ঠা - ৪৭১০
وَقَالَ: قَدْ رَوَى ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ. ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ أَحْمَدَ بْنِ صَالِحٍ الْمِصْرِيِّ وَأَحْمَدَ بْنِ الْوَلِيدِ الْأَنْطَاكِيِّ وَالْحَسَنِ بْنِ دَاوُدَ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ، وَهُوَ ثِقَةٌ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْفِطْرِيُّ الْمَدَنِيُّ، وَهُوَ ثِقَةٌ أَيْضًا، عَنْ عَوْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ. قَالَ: وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَنَفِيَّةِ. عَنْ أُمِّهِ أُمِّ جَعْفَرٍ بِنْتِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ جَدَّتِهَا أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظَّهْرَ بِالصَّهْبَاءِ مِنْ أَرْضِ خَيْبَرَ ثُمَّ أَرْسَلَ عَلِيًّا فِي حَاجَةٍ، فَجَاءَ وَقَدْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَصْرَ، فَوَضَعَ رَأْسَهُ فِي حِجْرِ عَلِيٍّ، فَلَمْ يُحَرِّكْهُ حَتَّى غَابَتِ الشَّمْسُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اللَّهُمَّ إِنَّ عَبْدَكَ عَلِيًّا احْتَبَسَ نَفْسَهُ عَلَى نَبِيِّهِ، فَرُدَّ عَلَيْهِ شَرْقَهَا قَالَتْ أَسْمَاءُ: فَطَلَعَتِ الشَّمْسُ حَتَّى رُفِعَتْ عَلَى الْجِبَالِ فَقَامَ عَلِيٌّ فَتَوَضَّأَ وَصَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ غَابَتِ الشَّمْسُ.» وَهَذَا الْإِسْنَادُ فِيهِ مَنْ يَجْهَلُ حَالَهُ، فَإِنَّ عَوْنًا هَذَا وَأُمَّهُ لَا يُعْرَفُ أَمْرُهُمَا بِعَدَالَةٍ وَضَبْطٍ يُقْبَلُ بِسَبَبِهِمَا خَبَرُهُمَا فِيمَا دُونَ هَذَا الْمَقَامِ، فَكَيْفَ يَثْبُتُ بِخَبَرِهِمَا هَذَا الْأَمْرُ الْعَظِيمُ الَّذِي لَمْ يَرْوِهِ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الصِّحَاحِ وَلَا السُّنَنِ وَلَا الْمَسَانِيدِ الْمَشْهُورَةِ؟! فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَا نَدْرِي أَسَمِعَتْ أُمُّ هَذَا مِنْ جَدَّتِهَا أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ أَمْ لَا.
পৃষ্ঠা - ৪৭১১


বানু আনযার মাওলা বা আযাদকৃত দাস ৷ সুফিযান ছাওরী এবং ইবন উয়ায়না তাকে
নিঙ্ঘযােগ্য বলেছেন ৷ আর ইমাম আহমদ বলেন, তার ব্যাপারে আমি ভাল ব্যতীত মন্দ কিছু
জানিনা ৷ ইবন মায়ীন বলেন, ইনি নির্জ্যযোগ্য ৷ মুবৃরা বলেন, এ ব্যক্তি সৎ তবে কট্টর শিয়া ৷
মুবৃর৷ আরো বলেন, তার রিওয়ায়াত গ্রহণে কোন অসুবিধা নেই ৷ আবু হাতিম বলেন, যে
সত্যবাদী তার হাদীস চলনসই তবে সে প্রচুর ভ্রান্তির শিকার হয়, তার হাদীস লিপিবদ্ধ করা
হয় কিন্তু তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা হয় না ৷ উছমান ইবন সাঈদ আদ্ দারিশী বলেন, তার
সম্পর্কে বলা হয় সে যয়ীফ ৷ ইমাম নাসাঈও তাকে যয়ীফ বলেছেন ৷ ইবন আদী বলেন,
আমার প্রত্যাশা, তার বজ্জি হাদীস গ্রহণে কোন অসুবিধা নেই ৷ ইবন হিবৃ বনিঃ বলেন, তার
হাদীস একান্তই অগ্নহণযােগ্য ৷ সে নিভরযােগ্য রাবীদের বরাতে ভুল রিওয়ায়াত করত এবং
আতিয়্যার বরাতে জাল হাদীস রিওয়ায়াত করত ৷ মুসলিম এবং সুনান চতৃষ্টয়ের সৎকলকগণ
তার হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এসব বর্ণনা থেকে তার সম্পর্কে কথা বলা যায় ,যে তাকে
মিথ্যা বর্ণনার অপবাদ দেওয়া যায় না ৷ তবে সে কখনও কখনও শিথিলতা করেছে, বিশেষত ঐ
সকল ক্ষেত্রে যা তার মাযহাবের সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ ৷ ফলে সে অপরিচিত জন থেকে কিৎব৷ যার
প্রতি সে সৃধারণা পোষণ করত তার থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করেছে ৷ তারপর তাদলীসের
আশ্রয় নিয়ে উক্ত রাবীকে অনুক্ত রেখে যে রাবীর শায়খেয় বরাত দিয়েছে ৷ এ কারণেই সে এই
হাদীস যেখানে মিথ্যা থেকে আত্মরক্ষা অপরিহার্য, সেখানে তাদলীসের শব্দ (:;, ) উল্লেখ
করেছে, সরাসরি হাদীস বর্ণনার জন্য প্রচলিত কোন শব্দ ব্যবহার করেনি ৷ সম্ভবত এ রাবী
দু’ জনের মাঝে এমন কেউ রয়েছে, যার পরিচয় অজ্ঞাত ৷
উপরন্তু তার এই শায়খ ইবরাহীম ইবন হাসান ইবন আলী ইবন আবু৩ তালিবও তেমন
প্রসিদ্ধ কোন হাদীসবেত্তা নন ৷ কোন নির্ভরযোগ্য হাদীসপ্রন্থের সৎকলবইি তার কোন হাদীস
রিওয়ায়াত করেননি ৷ আর এই ফুযাযল ইবন মারয়ুক এবং ইয়া ইেয়৷ ইবন মুতাওয়াক্কি ব্যতীত
অন্য কেউ তার থেকে রিওয়ায়াত করেননি ৷ এ বক্তব্য আবু হাতিম রাযী এবং আবু যুরআ
রাবীর ৷ আর তারা এই হাদীসের সনদ সম্পর্কে ইতিবাচক বা নেতিবাচক কােনরুপ মন্তব্য
করেননি ৷ আর (এই সনদের রাবী) ফাতিমা বিন্ত হুসায়ন ইবন আলী যিনি যায়নুল
আবিদীনের ভগ্নি তার হাদীসখানি মাশহ্রর সুনান চতুষ্টয়ের স ৎকলকগণ তার হাদীস বিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তার পিতার শাহাদতের পর তিনি আহল বায়তের অন্যান্য সদস্যদের সাথে
দিমাশকে পদার্পণ করেন ৷ তার নির্ভবযােগ্যতার ব্যাপারে কোন সৎ পর নেই কিন্তু এ বিষয়টি
অজ্ঞাত যে তিনি আসম৷ বিন্ত উমায়স (রা) থেকে সরাসরি হাদীসখানি শুনেছেন কিনা ৷ প্রকৃত
বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ তারপর প্রন্থকার হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন আবু হাফ্স
আল কিনানীর হাদীস সৎ প্রহ থেকে ৷ তিনি মুহাম্মদ ইবন উমর হ্যরত আসম৷ সুত্রে
রিওয়ায়াত করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত আলীর জন্য দু আ করেছিলেন, ফলে সুর্য একবার
অস্ত যাওয়ার পর পুনরায় উদিত হয়েছিল ৷ সনদটি অতি গরীব’ বা অপরিচিত ৷ আর আবদুর
রাঘৃযাক ও তার শায়খ ছ ওরীর হাদীস, হাদীস বিশারদগণের নিকট সুরক্ষিত, তার কোন
গুরুত্বপুর্ণ অংশই পবিতাজ্য নয় ৷ সুতরাং এই গুরুত্বপুর্ণ হাদীস আবদুর রায্যাক সুত্রে কিভাবে
শুধুত্থাল্ফ ইবন সালিম বর্ণনা করলেন? এছাড়া সনদে তার পুর্বে এমন সকল রাবী রয়েছেন
স্মরণশক্তি ও বিশ্বস্ততার ক্ষেত্রে যাদের অবস্থা অজ্ঞাত ৷ অতপর উম্মু আশআছও অজ্ঞাত পরিচয় ৷


ثُمَّ أَوْرَدَهُ هَذَا الْمُصَنَّفُ مِنْ طَرِيقِ حُسَيْنِ بْنِ الْحَسَنِ الْأَشْقَرِ، وَهُوَ شِيعِيٌّ جَلْدٌ، وَضَعَّفَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ، عَنِ الْفُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ الشَّهِيدِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. قَالَ: وَقَدْ رَوَاهُ عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ جَمَاعَةٌ، مِنْهُمْ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، ثُمَّ أَوْرَدَهُ مِنْ طَرِيقِ أَبِي جَعْفَرٍ الطَّحَاوِيِّ، مِنْ طَرِيقِ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَقَدْ قَدَّمَنَا رِوَايَتَنَا لَهُ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي أُمَيَّةَ الطَّرْسُوسِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى الْعَبْسِيِّ، وَهُوَ مِنَ الشِّيعَةِ. ثُمَّ أَوْرَدَهُ هَذَا الْمُصَنِّفُ مِنْ طَرِيقِ أَبِي جَعْفَرٍ الْعُقَيْلِيِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ دَاوُدَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ مَطَرٍ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ الْأَغَرِّ الرَّقَاشِيِّ - وَيُقَالُ: الرُّؤَاسِيُّ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ مَوْلَى بَنِي عَنَزَةَ - وَثَّقَهُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ عُيَيْنَةَ، وَقَالَ أَحْمَدُ: لَا أَعْلَمُ إِلَّا خَيْرًا. وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ: ثِقَةٌ. وَقَالَ مَرَّةً: صَالِحٌ وَلَكِنَّهُ شَدِيدُ التَّشَيُّعِ. وَقَالَ مَرَّةً: لَا بَأْسَ بِهِ. وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: صَدُوقٌ صَالِحُ الْحَدِيثِ، يَهِمُ كَثِيرًا، يُكْتَبُ حَدِيثُهُ وَلَا يُحْتَجُّ بِهِ. وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ: يُقَالُ: إِنَّهُ ضَعِيفٌ. وَقَالَ النَّسَائِيُّ: ضَعِيفٌ. وَقَالَ ابْنُ عَدِيٍّ أَرْجُو أَنْ لَا بَأْسَ بِهِ. وَقَالَ ابْنُ حِبَّانَ: مُنْكَرُ الْحَدِيثِ جَدًّا، كَانَ يُخْطِئُ عَلَى الثِّقَاتِ، وَيَرْوِي عَنْ عَطِيَّةَ الْمَوْضُوعَاتِ.
পৃষ্ঠা - ৪৭১২
وَقَدْ رَوَى لَهُ مُسْلِمٌ وَأَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةِ، فَمَنْ هَذِهِ تَرْجَمَتُهُ لَا يُتَّهَمُ بِتَعَمُّدِ الْكَذِبِ، وَلَكِنَّهُ قَدْ يَتَسَاهَلُ، وَلَا سِيَّمَا فِيمَا يُوَافِقُ مَذْهَبَهُ، فَيَرْوِي عَمَّنْ لَا يَعْرِفُهُ أَوْ يُحْسِنُ بِهِ الظَّنَّ، فَيُدَلِّسُ حَدِيثَهُ، وَيُسْقِطُهُ وَيَذْكُرُ شَيْخَهُ، وَلِهَذَا قَالَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الَّذِي يَجِبُ الِاحْتِرَازُ فِيهِ وَتَوَقِّي الْكَذِبِ فِيهِ: عَنْ. بِصِيغَةِ التَّدْلِيسِ، وَلَمْ يَأْتِ بِصِيغَةِ التَّحْدِيثِ، فَلَعَلَّ بَيْنَهُمَا مَنْ يَجْهَلُ أَمْرَهُ، عَلَى أَنَّ شَيْخَهُ هَذَا إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْحَسَنِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ لَيْسَ بِذَاكَ الْمَشْهُورِ فِي حَالِهِ، وَلَمْ يَرْوِ لَهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ الْمُعْتَمَدَةِ، وَلَا رَوَى عَنْهُ غَيْرُ الْفُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ هَذَا وَيَحْيَى بْنِ الْمُتَوَكِّلِ. قَالَهُ أَبُو حَاتِمٍ وَأَبُو زُرْعَةَ الرَّازِيَّانِ، وَلَمْ يَتَعَرَّضَا لِجَرْحٍ وَلَا تَعْدِيلٍ. وَأَمَّا أُمُّهُ فَاطِمَةُ بِنْتُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَهِيَ أُخْتُ زَيْنِ الْعَابِدِينَ، فَحَدِيثُهَا مَشْهُورٌ، رَوَى لَهَا أَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةِ، وَكَانَتْ فِيمَنْ قُدِمَ بِهَا مَعَ أَهْلِ الْبَيْتِ بَعْدَ مَقْتَلِ أَبِيهَا إِلَى دِمَشْقَ وَهِيَ مِنَ الثِّقَاتِ، وَلَكِنْ لَا يُدْرَى أَسَمِعَتْ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ أَسْمَاءَ أَمْ لَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ قَدْ رَوَاهُ هَذَا الْمُصَنِّفُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي حَفْصٍ الْكَتَّانِيِّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْقَاضِي هُوَ الْجِعَابِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ بْنِ جَعْفَرٍ الْعَسْكَرِيُّ مِنْ أَصْلِ كِتَابِهِ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ سُلَيْمٍ، ثَنَا خَلَفُ بْنُ سَالِمٍ ثَنَا
পৃষ্ঠা - ৪৭১৩
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، ثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ فَاطِمَةَ، يَعْنِي بِنْتَ الْحُسَيْنِ، عَنْ أَسْمَاءَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا لِعَلِيٍّ حَتَّى رُدَّتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ جِدًّا، وَحَدِيثُ عَبْدِ الرَّزَّاقِ وَشَيْخِهِ الثَّوْرِيِّ مَحْفُوظٌ عِنْدَ الْأَئِمَّةِ، لَا يَكَادُ يُتْرَكُ مِنْهُ شَيْءٌ مِنَ الْمُهِمَّاتِ، فَكَيْفَ لَمْ يَرْوِ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ مِثْلَ هَذَا الْحَدِيثِ الْعَظِيمِ إِلَّا خَلَفُ بْنُ سَالِمٍ بِمَا قَبْلَهُ مِنَ الرِّجَالِ الَّذِينَ لَا يُعْرَفُ حَالُهُمْ فِي الضَّبْطِ وَالْعَدَالَةِ كَغَيْرِهِمْ؟! ثُمَّ إِنَّ أُمَّ أَشْعَثَ مَجْهُولَةٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ سَاقَهُ هَذَا الْمُصَنِّفُ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْزُوقٍ، ثَنَا حُسَيْنٌ الْأَشْقَرُ، وَهُوَ شِيعِيٌّ وَضَعِيفٌ كَمَا تَقَدَّمَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ هَاشِمِ بْنِ الْبَرِيدِ - وَقَدْ قَالَ فِيهِ ابْنُ حِبَّانَ: كَانَ غَالِيًا فِي التَّشَيُّعِ يَرْوِي الْمَنَاكِيرَ عَنِ الْمَشَاهِيرِ - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ عَلِيٍّ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، فَذَكَرَهُ، وَهَذَا إِسْنَادٌ لَا يَثْبُتُ. ثُمَّ أَسْنَدَهُ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ عَلِيٍّ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ كَمَا قَدَّمْنَا إِيرَادَهُ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ عُقْدَةَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ يَحْيَى الصُّوفِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ النَّخَعِيِّ. وَقَدْ رَوَى عَنْهُ الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ " الْأَدَبِ "، وَحَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَقَالَ فِيهِ أَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ: كَانَ وَاهِيَ
পৃষ্ঠা - ৪৭১৪

আল্লাহ্ই অধিক জানেন ৷ এরপর এই মিসরীয় রাবী তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন
মারয়ুকের বরাতে আলী ইবন হাশিম থেকে-যার সম্পর্কে ইবন হিবৃবান বলেন, এ ব্যক্তি কট্টর
শিয়া সে প্রসিদ্ধ রাবীদের বরাত ব্যবহার করে মুনকার হাদীস সমুহ বর্ণনা করে ৷ আলী ইবন
হাশিম আবদুর রহমান ইবন আবদৃল্লাহ্রুট্রুবৃন দীনার থেকে তিনি আলী ইবন হুসায়ন ইবন
হাসান থেকে তিনি ফাতিমা ৰিনৃত আলী থেকে তিনি আসমা ৰিনৃত উমায়স থেকে এ হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ সনদটি প্রামাণ্য নয় ৷ এরপর তিনিআব’দুর রহমান ইবন শুরায়ক
আসমা বিনৃত উমায়স সুত্রেত তা রিওয়ায়াত করেছেন এবং হাদীসখানি তেমনভাবে উল্লেখ
করেছেন, যেমনভাবে আমরা ইবন উকদা আবদুল্লাহ ইবন নাখয়ী সুত্রে উপস্থাপন করেছি ৷
বুখারী তার কিতাবুল আদবে’ এর বরাতে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এছাড়া হাদীস শাত্রের
একদল ইমাম তার বরাতে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবু হাতিম রাযী তার ব্যাপারে বলেন, যে
ছিল দুর্বল হাদীসের অধিকারী ৷ ইবন হিবৃবান তার আছ-ফ্লিশ্ত’ গ্রন্থে তার উল্লেখ করে বলেন,
কখনও কখনও সে ভ্রান্তির শিকার হয়েছে ৷ আর ইবন উবাদা ২২৭ হিজরীতে তার ওফাতের
কথা উল্লেখ করেছেন ৷ ন্

ইতিপুর্বে আমরা উল্লেখ করেছি, শায়খ আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী বলেছেন, আবুল
আব্বাস ইবন উকদাবেইি এই হাদীস জাল করার ব্যাপারে অভিযুক্ত করা হয়েছে ৷ তারপর তিনি
তার ব্যাপারে হাদীস শাত্রীয় ইমামগণের অভিযোগ ও অনাস্থার কথা উল্লেখ করেছেন এবং এ
কথাও যে এই ব্যক্তি মাশায়েখদের নামে নুসখা (হাদীসের অনুলিপি) প্রস্তুত করে তাদের নামে
তা চালিয়ে দিত ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ আমি বলি, সনদে হযরত আসমার
বরাতে বর্ণিত হয়েছে যে, সুর্য পুনরায় উদিত হয়ে মসজিদের (নববীর) মধ্য বরাবর পৌছেছিল,
আর পুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, এ ঘটনা ঘটেছিল খায়বার ভুমির আস সাহ্বা অঞ্চলে ৷ সুতরাং এ
দুয়ের মাঝে পরস্পর বিরোধিতা দেখা যাচ্ছে ৷ আর এ অবস্থা অপরিহার্যভাবে হাদীসের দুর্বল ও
সমালোচনা যােগ্যও প্রমাণিত করেছে ৷ তারপর তিনি মুহাম্মদ ইবন আল কাযীর হাদীস সংগ্রহ
থেকে আসমা বিনৃত উমায়সের বরাতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, গনীমত বন্টনে
হযরত আলীর ব্যস্ত থাকার কারণে সুর্য অস্ত গেল না অস্ত যাওয়ার উপক্রম হল ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কি নামায পড়নি? তখন আলী বললেন, জী না ৷ তখন তিনি
আল্লাহর কাছে দৃআ করলেন, ফলে সুর্য উপরের দিকে উঠে আকাশের মাঝ বরাবর চলে
আসল, তখন আলী (রা) নামায পডলেন ৷ এরপর যখন সুর্য অস্ত গেল তখন তা থেকে করতে
দিয়ে লোহা কাটার মত শব্দ শোনা গেল ৷
একাধিক কারণে এটিও পুর্ববর্তী রিওয়ায়াত সমুহের পরিপন্থী ৷ উপবত্তু এর সনদটি
একান্তই অস্পষ্ট ৷ কেননা, এ সনদের রাবী সাব্বাহ অজ্ঞাত পরিচয় ৷ এছাড়া নিহত হুসায়ন ইবন
আলী কিভাবে (শহীদ অবস্থায়) একজন একজন থেকে আসমা বিনৃত উমায়সের বরাতে হাদীস
রিওয়ায়াত করলেন? হাদীসের বর্ণনা সুত্র ও পাঠ উভয়দিক থেকেই এটি বিভ্রাস্তিকর ৷ কেননা,
এতে রয়েছে শুধু গনীমত বন্টনে ব্যস্ত ছিলেন ৷ আর এটা অন্য কেউ বলেননি, এবং এ কারণে
নামায তরকের বৈধতার পক্ষেও কেউ সমর্থন দেননি ৷ যদিও যুদ্ধের কারণে কোন কোন ইমাম
নামায বিলম্বিত করাকে বৈধ বলেছেন ৷ যেমন ইমাম বুখারী তা বর্ণনা করেছেন মাকহ্রল,
আওযায়ী এবং আনাস ইবন মালিকের বরাতে ৷ বুখারী খন্দকের যুদ্ধের দিন নামায বিলন্বিত
— ১ ৭


الْحَدِيثِ. وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي كِتَابِ " الثِّقَاتِ "، وَقَالَ: رُبَّمَا أَخْطَأَ. وَأَرَّخَ ابْنُ عُقْدَةَ وَفَاتَهُ سَنَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ، وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ الشَّيْخَ أَبَا الْفَرَجِ بْنَ الْجَوْزِيِّ قَالَ: إِنَّمَا أَتَّهِمُ بِوَضْعِهِ أَبَا الْعَبَّاسِ بْنَ عُقْدَةَ. ثُمَّ أَوْرَدَ كَلَامَ الْأَئِمَّةِ فِيهِ بِالطَّعْنِ وَالْجَرْحِ وَأَنَّهُ كَانَ يُسَوِّي النُّسَخَ لِلْمَشَايِخِ فَيُرَوِّيهِمْ إِيَّاهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: فِي سِيَاقِ هَذَا الْإِسْنَادِ عَنْ أَسْمَاءَ أَنَّ الشَّمْسَ رَجَعَتْ حَتَّى بَلَغَتْ نِصْفَ الْمَسْجِدِ. وَهَذَا يُنَاقِضُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ بِالصَّهْبَاءِ مِنْ أَرْضِ خَيْبَرَ وَمِثْلُ هَذَا يُوجِبُ تَوْهِينَ الْحَدِيثِ وَضَعْفَهُ وَالْقَدْحَ فِيهِ. ثُمَّ سَرَدَهُ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ الْقَاضِي الْجِعَابِيِّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ الْوَلِيدِ، ثَنَا عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ الرَّوَاجِنِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ هَاشِمٍ، عَنْ صَبَّاحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمَقْتُولِ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ قَالَتْ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ شُغِلَ عَلِيٌّ لِمَكَانِهِ مِنْ قَسْمِ الْمَغْنَمِ حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ أَوْ كَادَتْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَمَا صَلَّيْتَ؟ قَالَ: لَا. فَدَعَا اللَّهَ فَارْتَفَعَتْ حَتَّى تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ، فَصَلَّى عَلِيٌّ فَلَمَّا غَابَتِ الشَّمْسُ سَمِعْتُ لَهَا صَرِيرًا كَصَرِيرِ الْمِنْشَارِ فِي الْحَدِيدِ» . وَهَذَا أَيْضًا سِيَاقٌ مُخَالِفٌ لِمَا تَقَدَّمَ مِنْ وُجُوهٍ كَثِيرَةٍ، مَعَ أَنَّ إِسْنَادَهُ مُظْلِمٌ جِدًّا، فَإِنَّ صَبَّاحًا هَذَا لَا يُعْرَفُ، وَكَيْفَ يَرْوِي الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْمَقْتُولُ شَهِيدًا عَنْ وَاحِدٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ؟ !
পৃষ্ঠা - ৪৭১৫
هَذَا تَخْبِيطٌ فَاحِشٌ إِسْنَادًا وَمَتْنًا، فَفِي هَذَا أَنَّ عَلِيًّا شُغِلَ بِمُجَرَّدِ قَسْمِ الْغَنِيمَةِ، وَهَذَا لَمْ يَقُلْهُ أَحَدٌ وَلَا ذَهَبَ إِلَى جَوَازِ تَرْكِ الصَّلَاةِ لِذَلِكَ ذَاهِبٌ، وَإِنْ كَانَ قَدْ جَوَّزَ بَعْضُ الْعُلَمَّاءِ تَأْخِيرَ الصَّلَاةِ عَنْ وَقْتِهَا لِعُذْرِ الْقِتَالِ، كَمَا حَكَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ مَكْحُولٍ وَالْأَوْزَاعِيِّ، وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فِي جَمَاعَةِ أَصْحَابِهِ بِتُسْتَرَ، وَاحْتَجَّ لَهُمُ الْبُخَارِيُّ بِقِصَّةِ تَأْخِيرِ الصَّلَاةِ يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَأَمْرِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَصْحَابَهُ أَنْ لَا يُصَلِّيَنَّ أَحَدٌ مِنْهُمُ الْعَصْرَ إِلَّا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ، وَذَهَبَ جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَّاءِ إِلَى أَنَّ هَذَا نُسِخَ بِصَلَاةِ الْخَوْفِ، وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ أَحَدٌ مِنَ الْعُلَمَّاءِ أَنَّهُ يَجُوزُ تَأْخِيرُ الصَّلَاةِ بِعُذْرِ قَسْمِ الْغَنِيمَةِ حَتَّى يُسْنَدَ هَذَا إِلَى صَنِيعِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ الرَّاوِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الْوُسْطَى هِيَ الْعَصْرُ، فَإِنْ كَانَ هَذَا ثَابِتًا عَلَى مَا رَوَاهُ هَؤُلَاءِ الْجَهَلَةُ، وَكَانَ عَلِيٌّ مُتَعَمِّدًا لِتَأْخِيرِ الصَّلَاةِ لِعُذْرِ قَسْمِ الْغَنِيمَةِ وَأَقَرَّهُ عَلَيْهِ الشَّارِعُ صَارَ هَذَا وَحْدَهُ دَلِيلًا عَلَى جَوَازِ ذَلِكَ، وَيَكُونُ أَقْطَعَ فِي الْحُجَّةِ مِمَّا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ؛ لِأَنَّ هَذَا بَعْدَ مَشْرُوعِيَّةِ صَلَاةِ الْخَوْفِ قَطْعًا؛ لِأَنَّهُ كَانَ بِخَيْبَرَ سَنَةَ سَبْعٍ، وَصَلَاةُ الْخَوْفِ شُرِعَتْ قَبْلَ ذَلِكَ، وَإِنْ كَانَ عَلِيٌّ نَاسِيًا حَتَّى تَرَكَ الصَّلَاةَ إِلَى الْغُرُوبِ فَهُوَ مَعْذُورٌ فَلَا يَحْتَاجُ إِلَى رَدِّ الشَّمْسِ، بَلْ وَقْتُهَا بَعْدَ الْغُرُوبِ، وَالْحَالَةُ هَذِهِ إِذَنْ كَمَا وَرَدَ بِهِ الْحَدِيثُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذَا
পৃষ্ঠা - ৪৭১৬

করা এবং নবী করীম (সা)-এর নির্দেশ-বনী কুরায়যায় না পৌছে কেউ যেন নামায পড়ে-দ্বারা
তাদের পক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন ৷ অবশ্য একদল ইমামের মত হল, এটা সালাতৃল খাওফ’ বা
যুদ্ধকালীন নামায দ্বারা রহিত করে দেয়া হয়েছে ৷ এখানে উদ্দেশ্য হল এই যে ইমামদের কেউ
এই মত পোষণ করেননি যে, গনীমত বন্টনের ওযহুব্ল নামায বিলম্বিত করা বৈধ, যার ফলে
এটাকে হযরত আলী (বা)-এর সাথে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে ৷ অথচ“ আল-কুরআনে বর্ণিত
, অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ “মধ্যবর্তী সালাত যে আসরের নামায” তিনিই রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর প্রযুখাৎ
রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ এই দলের বর্ণনা সত্বেও যদি এই পরবর্তী বর্গনাটি সাব্যস্ত হয় এবং
গনীমত বন্টনের কারণে আলী (বা) ইচ্ছাকৃতভাবে নামায বিলম্বিত করে থাকেন এবং শরীয়ত
প্রবর্তক তাকে তাতে বহাল রেখে থাকেন, তা এককভ্যবেই এর বৈধতার প্রমাণ হবে এবং
বুখারীর উল্লেখিত রিওয়ায়াতের তুলনায় অধিকতর অকাট্য প্রমাণরুপে বিবেচিত হবে ৷ কেননা,
এটা নিশ্চিতভাবে যুদ্ধকালীন সালাতেৱ বিধান আমার পরবর্তী ঘটনা ৷ কেননা, তিনি খায়বারে
ছিলেন সপ্তম হিজরীতে আর যুদ্ধকালীন সালাতেৱ বিধান তার পুর্বেই দেয়া হয়েছে ৷ আর আলী
(রা) যদি ভুলে গিয়ে সুর্ষাস্ত পর্যন্ত নামায তরক করে থাকেন, তাহলে তিনি মাবুব, সে ক্ষেত্রে
তার জন্য সুর্যকে ফিরানাের কোন প্রয়োজন নেই, বরং এ রুপ ক্ষেত্রে যে নামাষের সময়ই হল
মাগরিবের পর ৷ ব্যাপারটি ছিল তইি যা হাদীসে এসেছে ৷ আল্লাহ্ই সৰ্বাধিক জ্ঞাত ৷

এসবই উক্ত হাদীসের দৃর্বলতা প্রমাণ করে ৷ আর তাকে যদি আমরা অন্য কোন ঘটনা
ধ্রি, যা পুর্বে বিগত হয়নি তাহলে বলতে হয় একাধিকবার সুর্যের ফিরে আসার ঘটনা ঘটেছে,
অথচ হাদীস শাত্রের ইমামগণের কেউ প্রসিদ্ধ হাদীস সংকলকগণ তা রিওয়ায়াত করেননি ৷ এই
বিষয়টি বর্ণনা করেছেন এমন সকল রাবী যাদের কারো সনইে অজ্ঞাত-অগহণঃযাগ্য এবং
অভিযুক্ত রাবী মুক্ত নয় ৷ আল্লাহ্ই সর্বাধিক জ্ঞাত ৷ এরপর দুই মিশরীয় রাবী আবুল আব্বাস
ইবন উকদার আমর ইবন ছাবিত সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আবদৃল্লাহ্
ইবন হাসান ইবন হুসায়ন ইবন আবু তালিবকে হযরত আলীর জন্য সুর্যকে ফিরিয়ে আনার
হাদীস সম্পর্কে প্রশ্ন করে বললাম, এটা কী আপনার কাছে প্রামাণ্য? তখন তিনি আমাকে
বললেন, আল্লাহ তাআলা তার মহাগ্রন্থে সুর্য ফিরানাের চেয়ে বড় কোন নিদর্শনের উল্লেখ
করেননি ৷ আমি বললাম, আপনি সত্য বলেছেন? আল্লাহ আপনার জন্য আমাকে কুরবান
করুন ৷ কিন্তু আমি তা আপনার মুখে শুনতে চাই ৷ তখন তিনি তার পিতা হাসান ইবন হুসায়ন
ইর্বৃন আলী সুত্রে আসমা থেকে বর্ণনা করলেন যে, তিনি বলেছেন, এরপর হযরত আলী
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে আসরের নামায পড়ার উদ্দেশ্যে তার কাছে আসলেন ৷ কিন্তু
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইতিমধ্যেই আসরের নামায পড়ে নিয়েছিলেন ৷ আর এ সময় তার কাছে ওহী
নাযিল হল তখন তিনি ভীকে তার বুকের সাথে লাগিয়ে নিলেন, এভাবে বেশ কিছুক্ষণ থাকার
পর রাসুলুল্লাহ্ (না) সম্বিৎ ফিরে পেলেন ৷ তখন তিনি বললেন, হে আলী, তৃমি কি আসরের
নামায পড়েছ? জবাবে আলী বললেন, আমি এসে দেখলাম আপনার উপর ওহী নাযিল হচ্ছে,
তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমি আপনাকে বুকের সাথে লাগিয়ে ব্লেখেছি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)
কিবলানুখী হলেন ইতিমধ্যে অবশ্য সুর্য অস্ত গিয়েছে এবং বললেন, হে আল্লাহ ! আলী
আপনার আনুগতে মশগুল ছিল ৷ সুতরাং আপনি তার জন্য সুর্য ফিরিয়ে দিন, আসমা (রা)
বলেন, তখন সুর্য যীতার ন্যায় ঘরঘবৃ শব্দ করে পুনরায় উদিত হল এবং আসরের সময়ে যে


كُلُّهُ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى ضِعْفِ هَذَا الْحَدِيثِ، ثُمَّ إِنْ جَعَلْنَاهُ قَضِيَّةً أُخْرَى وَوَاقِعَةً غَيْرَ مَا تَقَدَّمَ، فَقَدْ تَعَدَّدَ رَدُّ الشَّمْسِ غَيْرَ مَرَّةٍ، وَمَعَ هَذَا لَمْ يَنْقُلْهُ أَحَدٌ مِنْ أَئِمَّةِ الْعُلَمَّاءِ، وَلَا رَوَاهُ أَهْلُ الْكُتُبِ الْمَشْهُورَةِ، وَتَفَرَّدَ بِهَذِهِ الْفَائِدَةِ هَؤُلَاءِ الرُّوَاةُ الَّذِينَ لَا يَخْلُو إِسْنَادٌ مِنْهَا عَنْ مَجْهُولٍ وَمَتْرُوكٍ وَمُتَّهَمٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ أَوْرَدَهُ هَذَا الْمُصَنِّفُ مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْعَبَّاسِ بْنِ عُقْدَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مَعْبَدٍ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ ثَابِتٍ قَالَ: سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَسَنِ بْنِ حَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ حَدِيثِ رَدِّ الشَّمْسِ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ هَلْ ثَبَتَ عِنْدَكُمْ؟ فَقَالَ لِي: مَا أَنْزَلَ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ أَعْظَمَ مِنْ رَدِّ الشَّمْسِ. قُلْتُ: صَدَقْتَ جَعَلَنِي اللَّهُ فِدَاكَ، وَلَكِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْكَ. فَقَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي الْحَسَنُ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ أَنَّهَا قَالَتْ: «أَقْبَلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ ذَاتَ يَوْمٍ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُصَلِّيَ الْعَصْرَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَافَقَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِ انْصَرَفَ وَنَزَلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ، فَأَسْنَدَهُ إِلَى صَدْرِهِ، فَلَمْ يَزَلْ مُسْنِدَهُ إِلَى صَدْرِهِ حَتَّى أَفَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَصَلَّيْتَ الْعَصْرَ يَا عَلِيُّ؟ قَالَ: جِئْتُ وَالْوَحْيُ يَنْزِلُ عَلَيْكَ، فَلَمْ أَزَلْ مُسْنِدَكَ إِلَى صَدْرِي حَتَّى السَّاعَةِ. فَاسْتَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقِبْلَةَ وَقَدْ غَرَبَتِ الشَّمْسُ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ إِنَّ عَلِيًّا كَانَ فِي طَاعَتِكَ فَارْدُدْهَا عَلَيْهِ ". قَالَتْ أَسْمَاءُ: فَأَقْبَلَتِ الشَّمْسُ وَلَهَا صَرِيرٌ كَصَرِيرِ الرَّحَى حَتَّى كَانَتْ فِي مَوْضِعِهَا وَقْتَ الْعَصْرِ فَقَامَ عَلِيٌّ مُتَمَكِّنًا فَصَلَّى، فَلَمَّا فَرَغَ رَجَعَتِ الشَّمْسُ وَلَهَا
পৃষ্ঠা - ৪৭১৭
صَرِيرٌ كَصَرِيرِ الرَّحَى، فَلَمَّا غَابَتِ الشَّمْسُ اخْتَلَطَ الظَّلَامُ وَبَدَتِ النُّجُومُ» وَهَذَا مُنْكَرٌ أَيْضًا إِسْنَادًا وَمَتْنًا، وَهُوَ مُنَاقِضٌ لِمَا قَبْلَهُ مِنَ السِّيَاقَاتِ، وَعَمْرُو بْنُ ثَابِتٍ هَذَا هُوَ الْمُتَّهَمُ بِوَضْعِ هَذَا الْحَدِيثِ أَوْ سَرِقَتِهِ مِنْ غَيْرِهِ، وَهُوَ عَمْرُو بْنُ ثَابِتِ بْنِ هُرْمُزَ الْبَكْرِيُّ الْكُوفِيُّ مَوْلَى بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، وَيُعْرَفُ بِعَمْرِو بْنِ أَبِي الْمِقْدَامِ الْحَدَّادِ، رَوَى عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ، وَحَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَةٌ، مِنْهُمْ؛ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ وَأَبُو دَاوُدَ وَأَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيَّانُ، تَرَكَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، وَقَالَ لَا تُحَدِّثُوا عَنْهُ؛ فَإِنَّهُ كَانَ يَسُبُّ السَّلَفَ. وَلَمَّا مَرَّتْ بِهِ جِنَازَتُهُ تَوَارَى عَنْهَا. وَكَذَلِكَ تَرَكَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ وَالنَّسَائِيُّ: لَيْسَ بِثِقَةٍ، وَلَا مَأْمُونٍ، وَلَا يَكْتُبُ حَدِيثَهُ. وَقَالَ مَرَّةً أُخْرَى هُوَ وَأَبُو زُرْعَةَ وَأَبُو حَاتِمٍ: كَانَ ضَعِيفًا. زَادَ أَبُو حَاتِمٍ: وَكَانَ رَدِيءَ الرَّأْيِ شَدِيدَ التَّشَيُّعِ، لَا يُكْتَبُ حَدِيثُهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: لَيْسَ بِالْقَوِيِّ عِنْدَهُمْ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: كَانَ مِنْ شَرَارِ النَّاسِ؛ كَانَ رَافِضِيًّا خَبِيثًا رَجُلَ سُوءٍ. قَالَ هَنَّادٌ: وَلَمَّا مَاتَ لَمْ أُصَلِّ عَلَيْهِ؛ لِأَنَّهُ قَالَ: لَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَفَرَ النَّاسُ إِلَّا خَمْسَةً. وَجَعَلَ أَبُو دَاوُدَ يَذُمُّهُ. وَقَالَ ابْنُ حِبَّانَ: يَرْوِي الْمَوْضُوعَاتِ عَنِ الْأَثْبَاتِ. وَقَالَ ابْنُ عَدِيٍّ وَالضَّعْفُ عَلَى حَدِيثِهِ بَيِّنٌ. وَأَرَّخُوا وَفَاتَهُ فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ، وَلِهَذَا قَالَ شَيْخُنَا أَبُو الْعَبَّاسِ ابْنُ تَيْمِيَةَ: وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنٍ وَأَبُوهُ أَجَلَّ قَدْرًا مِنْ أَنْ يُحَدِّثَا بِهَذَا
পৃষ্ঠা - ৪৭১৮
الْكَذِبِ. قَالَ هَذَا الْمُصَنِّفُ لَا الْمُنْصِفُ: وَأَمَّا حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ فَأَخْبَرَنَا عُقَيْلُ بْنُ الْحَسَنِ الْعَسْكَرِيُّ، ثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ صَالِحُ بْنُ الْفَتْحِ الشَّاشِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُمَيْرِ بْنِ جَوْصَاءَ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ النَّوْفَلِيُّ، عَنْ أَبِيهِ ثَنَا دَاوُدُ بْنُ فَرَاهِيجَ وَعَنْ عُمَارَةَ بْنِ بُرْدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. فَذَكَرَهُ، وَقَالَ: اخْتَصَرْتُهُ مِنْ حَدِيثٍ طَوِيلٍ. وَهَذَا إِسْنَادٌ مُظْلِمٌ، وَيَحْيَى بْنُ يَزِيدَ وَأَبُوهُ وَشَيْخُهُ دَاوُدُ بْنُ فَرَاهِيجَ كُلُّهُمْ مُضَعَّفُونَ، وَهَذَا هُوَ الَّذِي أَشَارَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ إِلَى أَنَّ ابْنَ مَرْدَوَيْهِ رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ دَاوُدَ بْنِ فَرَاهِيجَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَضَعَّفَ دَاوُدَ هَذَا شُعْبَةُ وَالنَّسَائِيُّ وَغَيْرُهُمَا. وَالَّذِي يَظْهَرُ أَنَّ هَذَا مُفْتَعَلٌ مِنْ بَعْضِ الرُّوَاةِ، أَوْ قَدْ أُدْخِلَ عَلَى أَحَدِهِمْ وَهُوَ لَا يَشْعُرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ: وَأَمَّا حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ، فَأَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْجُرْجَانِيُّ كِتَابَةً، أَنَّ أَبَا طَاهِرٍ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيٍّ الْوَاعِظَ أَخْبَرَهُمْ، أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪৭১৯


স্থানে ছিল সেই স্থানে অবস্থান নিল ৷ তখন হযরত আলী ধীরস্থির ভাবে নামায আদায় করতে
লাগলেন ৷ তিনি যখন নামায শেষ করেন, তখন পুনরায় র্যাতার ন্যায় ঘৱঘর্ শব্দ করে সুর্য তার
পুর্বাবস্থানে ফিরে গেল ৷ এরপর সুর্য যখন অদৃশ্য হল, তখন অন্ধকার ঘনীভুত হল এবং
তারকারাজি প্রকাশ পেল ৷
এই বর্ণনাটিও সনদ ও পাঠ উভয় দিক থেকে মুনকার’ বা প্রত্যাখ্যানযােগ্য ৷ আর এটা
তার পুর্বের হাদীস সমুহের বর্ণনা প্রসঙ্গের পরিপন্থী ৷ আর এ সনদের রাবী আমর ইবনছাবিতই
হল হাদীস জাল করার ব্যাপারে কিহুবা অন্য রাবীর সংগ্রহ থেকে চুরি করার অভিযোগে
অভিযুক্ত ৷ তার পুর্ণ পরিচয় হল, আমর ইবন ছাবিত ইবন হুরমুয আল বাক্রী আল কুফী সে
ছিল বাক্র ইবন ওয়ইিল গোত্রের মাওলা ৷ সে আমর ইবন মিকদাম হাদ্দাদ (কর্মকার) নামেও
পরিচিত ৷ একাধিক তাবেয়ীব বরাতে সে হাদীস বর্ণনা করেছে এবং তার বরাতেও অনেকে
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ এদের মধ্যে সাঈদ ইবন মানসুর, আবুদাউদ, আবুল ওলীদ আত্
তয়লড়াসান অন্যতম ৷ আবদুল্লাহ “ইবন মুবারক তাকে বত্তনীিয় আখ্যা দিয়ে বলেছেন তোমরা তার
থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করো না, কেননা, যে আমাদের পুর্বসুরী মনীষীগণের প্রতি কটুক্তি
করে ৷ এই ব্যক্তির জানাযা যখন তাকে অতিক্রম করছিল তখন তিনি তা থেকে পা র্বাচিয়ে
সরে যান ৷ অনুরুপ আবদুর রহমান ইবন মাহ্দীও তাকে বর্জন করেছেন ৷ আর আবু মাঈন ও
নাসাঈ তার সম্পর্কে মন্তব্য করেন, যে নির্ভরষেগ্যে কিংবা নিরাপদ নয়, আর তার হাদীস
লিখিত হয় না৷ নাসাঈ ও আবু যুরআ বলেন, যে দুর্বল ৷ আর আবুহাতিম এও বলেন, যে ছিল
নিকৃষ্ট মতের অধিকারী কট্টর শিয়া, তার হাদীস লিখিত হতো না ৷ বুখারী বলেন, মুহাদ্দিসদের
নিকট সে সবল রাবী নয় ৷ আবু দউিদ বলেন, যে ছিল অত্যন্ত মন্দলোক কট্টর শিয়া এবং
অত্যন্ত বদলােক ৷ এখানে তিনি তার প্রসঙ্গে বলেন, যে মৃত্যুবরণ করলে আমি তার জানাষায়
যোগ দেইনি ৷ কেননা সে বলত যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা)এব ইনতিকাল হলে পাচজন ব্যতীত
সকল মুসলমান কাফির হয়ে গিয়েছিলেন ৷ এ মন্তব্য করে আবু দউিদ তার নিন্দাবাদ করতে
লাগলেন ৷ ইবন হিব্বান বলেন, যে জাল হাদীস বর্ণনা করত (বিশ্বস্ত ৱাবীগণের বরাত দিয়ে) ৷
ইবন আদী বলেন, তার বর্ণিত হাদীসে দুর্বলতা প্রকট ৷ ঐতিহাসিকগণ একশ সাতাশ (১২৭)
হিজরীতে তার ওফাত উল্লেখ করেছেন ৷ এ কারণে আমাদের শায়খ আবুল আব্বাস ইবন
তারর্মিয়্যা বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন হাসান ও তার পিতা এ জাতীয় হাদীস বর্ণনার উধের্ব ৷ আর
এ গ্রন্থের গ্রন্থকার বলেন, হযরত আবু হুরায়রার হাদীসখানি বর্ণিত হয়েছে আকীল ইবন হাসান
আসকারীর উমরা ইবন বুরদ সুত্রে ৷ গ্রন্থকার বলেন, একদীর্ঘ হাদীস থেকে আমি তা
সংক্ষিপ্ত করেছি ৷ এর সনদ বেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন ৷ আর এর রাবী ইয়াহ্ইয়া ইবন ইয়াযীদ তার ,
পিতা এবং তার শায়খ দউিদ ইবন ফারাহীজ সবইি দুর্বল ৷ এদিকে ইঙ্গিত করে ইবনুল জাওযী
বলেছেন, ইবন আরদা ওয়ায়হ তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ দউিদ ইবন ফারাহীজ হযরত আবু
হুরায়রা সুত্রে ৷ আর এই দাউদাক ইমাম শুবা, নাসাঈ প্রমুখ ইমামগণ দুর্বল গণ্য করেছেন ৷
অবন্থাদৃষ্টে যা মনে হয় তা হল এটা কোন রাবীর কারসাজি ৷ অথবা কোন রাবীর অজ্ঞাতসারে
সে (সনদে) তার পুর্বে অনুপ্রবেশ করেছে ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ আল বিদায়ার
গ্রন্থকার বলেন, আবু সাঈদেৱ হাদীসখানির বর্ণনা সুত্র হল মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল আল
জুরপানী হুসায়ন ইবন আলীর সুত্রে ৷ তিনি বলেন, আমি আবু সাঈদ খুদরীকে বলতে


مُتَيَّمٍ، أَنَا الْقَاسِمُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِيهِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ: «دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا رَأْسُهُ فِي حِجْرِ عَلِيٍّ وَقَدْ غَابَتِ الشَّمْسُ، فَانْتَبَهَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ: " يَا عَلِيُّ أَصَلَّيْتَ الْعَصْرَ؟ " قَالَ: لَا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا صَلَّيْتُ، كَرِهْتُ أَنْ أَضَعَ رَأْسَكَ مِنْ حِجْرِي وَأَنْتَ وَجِعٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " " ادْعُ يَا عَلِيُّ أَنْ تُرَدَّ عَلَيْكَ الشَّمْسُ " فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ أَنْتَ وَأُؤَمِّنُ أَنَا. فَقَالَ: " يَا رَبِّ إِنَّ عَلِيًّا فِي طَاعَتِكَ وَطَاعَةِ نَبِيِّكَ فَارْدُدْ عَلَيْهِ الشَّمْسَ ". قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَوَاللَّهِ لَقَدْ سَمِعْتُ لِلشَّمْسِ صَرِيرًا كَصَرِيرِ الْبَكْرَةِ حَتَّى رَجَعَتْ بَيْضَاءَ نَقِيَّةً.» وَهَذَا إِسْنَادٌ مُظْلِمٌ أَيْضًا، وَمُبْتَكَرٌ مُنْكَرٌ، وَمُخَالِفٌ لِمَا تَقَدَّمَهُ مِنَ السِّيَاقَاتِ، وَكُلُّ هَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ مَوْضُوعٌ مَصْنُوعٌ مُفْتَعَلٌ، يَسْرِقُهُ بَعْضُ هَؤُلَاءِ الرَّافِضَةِ مِنْ بَعْضٍ، وَلَوْ كَانَ لَهُ أَصْلٌ مِنْ رِوَايَةِ أَبِي سَعِيدٍ لَتَلَقَّاهُ عَنْهُ كِبَارُ أَصْحَابِهِ، كَمَا أَخْرَجَا فِي " الصَّحِيحَيْنِ "
পৃষ্ঠা - ৪৭২০
مِنْ طَرِيقِهِ حَدِيثَ قِتَالِ الْخَوَارِجِ، وَقِصَّةَ الْمُخْدَجِ وَغَيْرَ ذَلِكَ مِنْ فَضَائِلِ عَلِيٍّ. قَالَ: وَأَمَّا حَدِيثُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيٍّ فَأَخْبَرَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْفَرْغَانِيُّ، أَنَا أَبُو الْفَضْلِ الشَّيْبَانِيُّ ثَنَا رَجَاءُ بْنُ يَحْيَى السَّامَانِيُّ، ثَنَا هَارُونُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ سَعْدَانَ بِسَامَرَّا سَنَةَ أَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْأَشْعَثِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْكُمَيْتِ، عَنْ عَمِّهِ الْمُسْتَهَلِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ زَيْدِ بْنِ سَلْهَبٍ، «عَنْ جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ شَهْرٍ قَالَتْ: خَرَجْتُ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: يَا جُوَيْرِيَةُ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوحَى إِلَيْهِ وَرَأْسُهُ فِي حِجْرِي.» فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. وَهَذَا الْإِسْنَادُ مُظْلِمٌ، وَأَكْثَرُ رِجَالِهِ لَا يُعْرَفُونَ، وَالَّذِي يَظْهَرُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، أَنَّهُ مُرَكَّبٌ مَصْنُوعٌ مِمَّا عَمِلَتْهُ أَيْدِي الرَّوَافِضِ قَبَّحَهُمُ اللَّهُ، وَلَعَنَ مَنْ كَذَبَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَجَّلَ لَهُ مَا تَوَعَّدَهُ الشَّارِعُ مِنَ الْعَذَابِ وَالنَّكَالِ حَيْثُ قَالَ، وَهُوَ الصَّادِقُ فِي الْمَقَالِ: «مَنْ كَذَبِ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ» وَكَيْفَ يَدْخُلُ فِي عَقْلِ أَحَدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ يَكُونَ هَذَا الْحَدِيثُ يَرْوِيهِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَفِيهِ مَنْقَبَةٌ عَظِيمَةٌ لَهُ وَدِلَالَةٌ مُعْجِزَةٌ بَاهِرَةٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ لَا يُرْوَى عَنْهُ إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَادِ الْمُظْلِمِ الْمُرَكَّبِ عَلَى رِجَالٍ لَا يُعْرَفُونَ؟! وَهَلْ لَهُمْ وُجُودٌ فِي الْخَارِجِ أَمْ لَا؟ الظَّاهِرُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، لَا. ثُمَّ هُوَ عَنِ امْرَأَةٍ مَجْهُولَةِ الْعَيْنِ وَالْحَالِ، فَأَيْنَ أَصْحَابُ عَلِيٍّ الثِّقَاتُ كَعُبَيْدَةَ السَّلَمَانِيِّ وشريحٍ الْقَاضِي وَعَامِرٍ الشَّعْبِيِّ وَأَضْرَابِهِمْ، ثُمَّ فِي تَرْكِ الْأَئِمَّةِ كَمَالِكٍ، وَأَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ، وَأَصْحَابِ
পৃষ্ঠা - ৪৭২১


শুনেছি, একবার আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাক্ষাতে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম তার পবিত্র
মস্তক হযরত আলীর কোলে রয়েছে ৷ ইতিমধ্যে সুর্য অস্তমিত হল ৷ তখন নবী করীম (সা)
বললেন, হে আলী ! তুমি কি আসরের নামায পড়েছ? তিনি বললেন, জী না, আমি নামায
পড়িনি ৷ আপনার ব্যথা পীড়িত অবস্থায় আমি আমার কোল থেকে আপনার মাথা নামিয়ে রাখা
পছন্দ করিনি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আলী ! দৃআ কর আল্পাহ্ যেন তোমার জন্য
সুর্যকে ফিরিয়ে দেন ৷ তখন আলী বললেন, ইয়া রাসুলাল্পড়াহ্! আপনিই বরং দৃআ করন্স আর
আমি আমীন বলি ৷ তখন তিনি এই বলে দৃআ করলেন, হে আমার প্রতিপালক ! আলী আপনার
ও আপনার নবীর আনুগত্যে মশগুল ছিল, আপনি তার জন্য সুর্যকে ফিরিয়ে দিন ৷ রাৰী আবু
সাঈদ বলেন, আল্লাহ কলম, আমি যখন সুর্য থেকে চরকির ন্যায় ঘরঘবৃ শব্দ শুনলাম এমনকি
তা শুভ্র ও নির্মল হয়ে পুনরায় উদিত হল ৷ এটাও অস্পষ্ট সনদ এবং তার পাঠও মুনকার’ বা
অ্যাহণযােগ্য এবং পুর্বে বিগত বর্ণনাধারাসমুহের পরিপন্থী ৷ এ সকল আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত
হয় যে, এ বিষয়টি সম্পুর্ণ জাল বানােয়াট ও ভিত্তিহীন যা এই শিয়া রাফিয়ীপণ একে অন্য
থেকে রিওয়ায়াত করেছে ৷ আবু সাঈদের রিওয়ায়াত থেকে যদি এর প্রকৃত কোন উৎস বা ভিত্তি
থাকত, তাহলে তার বিশিষ্ট শিষ্যগণ অবশ্যই তার বরাতে তা আহরণ করতেন ৷ যেমন ইমাম
ন্ বুখারী ও মুসলিম তাদের প্রন্থদ্বরে তার সুত্রে থাৰ্রজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং মিখদাজের কাহিনী
ও হযরত আলীর ফযীলত সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় বর্ণনা করেস্ফো ৷

হযরত আলীর (রা) হাদীসখানির সনদ হল, আবুল আব্বাস আল ফারগানী,
জুওয়ায়রিয়া বিনৃত শাহ্র সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি হযরত আলীর
সাথে বের হলাম, তখন তিনি আমাকে বললেন, ণ্,হ জুওয়ায়রিয়া! কখনও কখনও আমার
কোলে মাথা রাখা অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে ওহী নাযিল হত এরপর তিনি হাদীসখানি
উল্লেখ করেন ৷ এই সনদটিও অন্ধকারাচ্ছন্ন-এর অধিকাংশ রাবী যে অজ্ঞাত পরিচয় তা বলইি
বাহুল্য ৷ প্রকৃত বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ এটা রাফিযীদের স্বকপােল কল্পিত সম্পুর্ণ বানােয়টি
বর্ণনা ৷ আল্লাহ তাদেরকে অপছন্দ করুন, আর যারা আল্লাহ্র রাসুলের নামে মিথ্যা রটনা
করেছে তাদেরকে লানত করস্প এবং শরীয়ত প্রবর্তক যে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন
তাদের জন্য তা ত্বরান্বিত করুন, তিনি বলেছেন-আর তার চেয়ে সত্যবাদী কে আছে “যে
ইচ্ছাকৃতভাবে আমার নামেমিথ্যা রটনা করবে সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা করে নেয়” ৷
হযরত আলী এই হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন এবং তাতে তার বিরাট ফযীলত এবং
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সুস্পষ্ট মুজিযার প্রমাণ রয়েছে, অথচ তার বরাতে এই অম্পষ্ট ও অজ্ঞাত
পরিচয় রাবীদের সনদের মাধ্যমেই বর্ণিত রিওয়ায়াত হবে-এ কথা কী করে কোন আলিমের
বুদ্ধিগ্রাহ্য হতে পারে? বাস্তবে এ সকল রাবীর কোন অস্তিত্ব ছিল কি? বাহ্যিক দৃষ্টিতে এর
উত্তর, না ৷ তবে প্রকৃত বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ উপরন্তু তাও আবার বর্ণিত হয়েছে অজ্ঞাত
পরিচয় এক শ্ৰীলােকের বরাতে ৷ হযরত আলীর যেমন উবায়দা আস্ সালমানী, কাযী শুরায়হ,
আমির শাবা প্রমুখের মত নির্ভরযোগ্য শিষ্যগণ কোথায়?

উপরন্তু হাদীস শান্নের সকল ইমাম বিশেষত সিহাহ্ সিত্তা, মুসনাদ, সুনান প্রভৃতির
সংকলকগণ কর্তৃক এই হাদীসের রিওয়ায়াত না করা এবং তা তাদের প্রন্থসমুহে অন্তর্ভুক্ত না
করাই এ কথার সবচইিতে বড় প্রমাণ যে এই হাদীসের প্রকৃত কোন উৎস নেই ৷ এটা


الْمَسَانِيدِ وَالسُّنَنِ وَالصِّحَاحِ وَالْحِسَانِ رِوَايَةَ هَذَا الْحَدِيثِ وَإِيدَاعَهُ فِي كُتُبِهِمْ، أَكْبَرُ دَلِيلٍ عَلَى أَنَّهُ لَا أَصْلَ لَهُ عِنْدَهُمْ، وَهُوَ مُفْتَعَلٌ مَأْفُوكٌ بَعْدَهُمْ، وَهَذَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ النَّسَائِيُّ قَدْ جَمَعَ كِتَابًا فِي خَصَائِصِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَلَمْ يَذْكُرْهُ، وَكَذَلِكَ لَمْ يَرْوِهِ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ "، وَكُلَاهُمَا يُنْسَبُ إِلَى شَيْءٍ مِنَ التَّشَيُّعِ، وَلَا رَوَاهُ مَنْ رَوَاهُ مِنَ النَّاسِ الْمُعْتَبَرِينَ إِلَّا عَلَى سَبِيلِ الِاسْتِغْرَابِ وَالتَّعَجُّبِ، وَكَيْفَ يَقَعُ مِثْلُ هَذَا نَهَارًا جَهْرَةً، وَهُوَ مِمَّا تَتَوَفَّرُ الدَّوَاعِي عَلَى نَقْلِهِ، ثُمَّ لَا يُرْوَى إِلَّا مِنْ طُرُقٍ ضَعِيفَةٍ مُنْكَرَةٍ، وَأَكْثَرُهَا مُرَكَّبَةٌ مَوْضُوعَةٌ، وَأَجْوَدُ مَا فِيهَا مَا قَدَّمْنَاهُ مِنْ طَرِيقِ أَحْمَدَ بْنِ صَالِحٍ الْمِصْرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى الْفِطْرِيِّ، عَنْ عَوْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أُمِّهِ أُمِّ جَعْفَرٍ، عَنْ أَسْمَاءَ، عَلَى مَا فِيهَا مِنَ التَّعْلِيلِ الَّذِي أَشَرْنَا إِلَيْهِ فِيمَا سَلَفَ. وَقَدِ اغْتَرَّ بِذَلِكَ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَمَالَ إِلَى صِحَّتِهِ، وَرَجَّحَ ثُبُوتَهُ. قَالَ الطَّحَاوِيُّ فِي كِتَابِهِ " مُشْكِلِ الْحَدِيثِ ": عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ صَالِحٍ الْمِصْرِيِّ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: لَا يَنْبَغِي لِمَنْ كَانَ سَبِيلُهُ الْعِلْمَ التَّخَلُّفَ عَنْ حِفْظِ حَدِيثِ أَسْمَاءَ فِي رَدِّ الشَّمْسِ؛ لِأَنَّهُ مِنْ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ. وَهَكَذَا مَالَ إِلَيْهِ أَبُو جَعْفَرٍ الطَّحَاوِيُّ أَيْضًا، فِيمَا قِيلَ. وَنَقَلَ أَبُو الْقَاسِمِ الْحَسْكَانِيُّ هَذَا عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْبَصْرِيِّ الْمُتَكَلِّمِ الْمُعْتَزِلِيِّ أَنَّهُ قَالَ: عَوْدُ الشَّمْسِ بَعْدَ مَغِيبِهَا آكَدُ حَالًا فِيمَا يَقْتَضِي نَقْلُهُ؛ لِأَنَّهُ وَإِنْ كَانَ فَضِيلَةً لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَإِنَّهُ مِنْ أَعْلَامِ النُّبُوَّةِ، وَهُوَ مُفَارِقٌ لِغَيْرِهِ فِي فَضَائِلِهِ فِي كَثِيرٍ مِنْ أَعْلَامِ النُّبُوَّةِ.
পৃষ্ঠা - ৪৭২২
وَحَاصِلُ هَذَا الْكَلَامِ يَقْتَضِي أَنَّهُ كَانَ يَنْبَغِي أَنْ يُنْقَلَ هَذَا نَقْلًا مُتَوَاتِرًا، وَهَذَا حَقٌّ لَوْ كَانَ الْحَدِيثُ صَحِيحًا، وَلَكِنَّهُ لَمْ يُنْقَلْ كَذَلِكَ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ بِصَحِيحٍ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: وَالْأَئِمَّةُ فِي كُلِّ عَصْرٍ يُنْكِرُونَ صِحَّةَ هَذَا الْحَدِيثِ وَيَرُدُّونَهُ، وَيُبَالِغُونَ فِي التَّشْنِيعِ عَلَى رُوَاتِهِ كَمَا قَدَّمْنَا عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ؛ كَمُحَمَّدٍ وَيَعْلَى ابْنَيْ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيَّيْنِ، وَكَإِبْرَاهِيمَ بْنِ يَعْقُوبَ الْجُوزَجَانِيِّ خَطِيبِ دِمَشْقَ وَكَأَبِي بَكْرٍ مُحَمَّدِ بْنِ حَاتِمٍ الْبُخَارِيِّ الْمَعْرُوفِ بِابْنِ زَنْجَوَيْهِ، وَكَالْحَافِظِ أَبِي الْقَاسِمِ بْنِ عَسَاكِرَ، وَالشَّيْخِ أَبِي الْفَرَجِ بْنِ الْجَوْزِيِّ، وَغَيْرِهِمْ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ وَالْمُتَأَخِّرِينَ، وَمِمَّنْ صَرَّحَ بِأَنَّهُ مَوْضُوعٌ شَيْخُنَا الْحَافِظُ أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ وَالْعَلَّامَةُ أَبُو الْعَبَّاسِ بْنُ تَيْمِيَةَ. وَقَالَ الْحَاكِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ النَّيْسَابُورِيُّ: قَرَأْتُ عَلَى قَاضِي الْقُضَاةِ أَبِي الْحَسَنِ مُحَمَّدِ بْنِ صَالِحٍ الْهَاشِمِيِّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ مُوسَى، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: خَمْسَةُ أَحَادِيثَ يَرْوُونَهَا وَلَا أَصْلَ لَهَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ حَدِيثُ: «لَوْ صَدَقَ السَّائِلُ مَا أَفْلَحَ مَنْ رَدَّهُ» . وَحَدِيثُ: «لَا وَجَعَ إِلَّا وَجَعُ الْعَيْنِ،» «وَلَا غَمَّ إِلَّا غَمُّ الدَّيْنِ» . وَحَدِيثُ أَنَّ الشَّمْسَ رُدَّتْ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَحَدِيثُ: «أَنَا أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْ أَنْ يَدَعَنِي تَحْتَ الْأَرْضِ مِائَتَيْ عَامٍ» . وَحَدِيثُ: «أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ، إِنَّهُمَا كَانَا يَغْتَابَانِ» .
পৃষ্ঠা - ৪৭২৩
وَالطَّحَاوِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، إِنْ كَانَ قَدِ اشْتَبَهَ عَلَيْهِ أَمْرُهُ، فَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ إِنْكَارُهُ وَالتَّهَكُّمُ بِمَنْ رَوَاهُ. قَالَ أَبُو الْعَبَّاسِ بْنُ عُقْدَةَ: ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبَّادٍ، سَمِعْتُ بَشَّارَ بْنَ دِرَاعٍ قَالَ: لَقِيَ أَبُو حَنِيفَةَ مُحَمَّدَ بْنَ النُّعْمَانِ، فَقَالَ: عَمَّنْ رَوَيْتَ حَدِيثَ رَدِّ الشَّمْسِ؟ فَقَالَ: عَنْ غَيْرِ الَّذِي رَوَيْتَ عَنْهُ: يَا سَارِيَةُ، الْجَبَلَ. فَهَذَا أَبُو حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَهُوَ مِنَ الْأَئِمَّةِ الْمُعْتَبَرِينَ، وَهُوَ كُوفِيٌّ لَا يُتَّهَمُ عَلَى حُبِّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَتَفْضِيلِهِ بِمَا فَضَّلَهُ اللَّهُ بِهِ وَرَسُولُهُ، وَهُوَ مَعَ هَذَا يُنْكِرُ هَذَا عَلَى رَاوِيهِ، وَقَوْلُ مُحَمَّدِ بْنِ النُّعْمَانِ لَهُ لَيْسَ بِجَوَابٍ، بَلْ مُجَرَّدُ مُعَارِضَةٍ لَا تُجْدِي، أَيْ أَنَا رَوَيْتُ فِي فَضْلِ عَلِيٍّ هَذَا الْحَدِيثَ، وَهُوَ وَإِنْ كَانَ مُسْتَغْرَبًا فَهُوَ فِي الْغَرَابَةِ نَظِيرَ مَا رَوَيْتَهُ أَنْتَ فِي فَضْلِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي قَوْلِهِ: يَا سَارِيَةُ، الْجَبَلَ. وَهَذَا لَيْسَ بِصَحِيحٍ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ النُّعْمَانِ، فَإِنَّ هَذَا لَيْسَ كَهَذَا، لَا إِسْنَادًا وَلَا مَتْنًا، وَأَيْنَ مُكَاشَفَةُ إِمَامٍ قَدْ شَهِدَ الشَّارِعُ لَهُ بِأَنَّهُ مُحَدَّثٌ بِأَمْرٍ جُزْءٍ مِنْ رَدِّ الشَّمْسِ طَالِعَةً بَعْدَ مَغِيبِهَا الَّذِي هُوَ أَكْبَرُ عَلَامَاتِ السَّاعَةِ؟! وَالَّذِي وَقَعَ لِيُوشِعَ بْنِ نُونٍ لَيْسَ رَدًّا لِلشَّمْسِ عَلَيْهِ، بَلْ حُبِسَتْ سَاعَةً قَبْلَ غُرُوبِهَا؛ بِمَعْنَى أَنَّهَا تَبَاطَأَتْ فِي سَيْرِهَا حَتَّى أَمْكَنَهُمُ الْفَتْحُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَتَقَدَّمَ مَا أَوْرَدَهُ هَذَا الْمُصَنِّفُ مِنْ طُرُقِ هَذَا الْحَدِيثِ،
পৃষ্ঠা - ৪৭২৪


পরবর্তীকালে রটনাকৃত ও বানােয়াট ৷ ইমাম আবু আবদুর রহমান নাসাঈ হযরত আলীর
ফযীলত বৈশিষ্ট্য সম্বলিত স্বতন্ত্র একটি কিতাব (অধ্যায়) রচনা করেছেন, অথচ তিনি এই
হাদীসখানি উল্লেখ করেননি ৷ তদ্র্যপ হাকিমও তার মুসৃতাদরাকে এর উল্লেখ করেননি ৷ অথচ
এরা উভয়েই কিছুটা শিয়াপন্থী বলে অনেকের ধারণা ৷ নির্ভরাযাগ্য বলে বিবেচিত র্যারাই তা
রিওয়ায়াত করেছেন তারা তা করোছা বিস্ময়ের সাথে ৷ দিনের আলোতে প্রকাশ্যে তা সংঘটিত
হল, আর তা বর্ণনার কার্যকারণও পর্যাপ্ত অথচ অগ্রহণযােপ্য ও দুর্বল, কিছু সুত্রেই তা বর্ণিত হল
যার অধিকাৎশ্ইি জাল ও বানােয়াট ৷ এর মাঝে সর্বোৎকৃষ্ট সনদ হল, আহমদ ইবন সালিহ আল
মিসৃরীব দাউদ রিওয়ায়াত খানি, যা তিনি বর্ণনা করেছেন ইবন আবু ফুদায়ক প্ আসমা
বিনৃত উমায়স সুত্রে ৷ আর এতেও বেশ খুত ও দুর্বলতা বিদ্যমান যার প্ৰতি ইতিপুর্বেইি আমরা
ইঙ্গিত করে এসেছি ৷ আসলে আহমদ ইবন সালিহ এ রিওয়ায়াতে বিভ্রাস্তির শিকার হয়েছেন
এবং তিনি এর যথার্থতার অনৃকুলে মত পোষণ করে এর সাব্যস্তকরণবেইি প্রাধান্য দিয়েছেন ৷
ইমাম তাহাবী তার গ্রন্থ মুশকিলুল হাদীসে’ আলী ইবন আবদুর রহমান সুত্রে আহমদ ইবন
সালিহ আল-মিসরী থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি জ্ঞানের পথ অম্বেষী তার
জন্য সুর্যকে ফিরড়ানাে বিষয়ক আসমা (রা)-এর হাদীস মুখস্থ করা থেকে পিছিয়ে থাকা উচিত
নয় ৷ কেননা, এটা নবুওয়াতের নিদর্শন ৷ একইভাবে যেমন বলা হয় ইমাম তাহাবীও এর প্রতি
আকৃষ্ট হয়েছেন ৷ আবুল কাসিম আল হাসকানী মুতাজিলী কালাম শাস্ত্রবিদ আবু আবদুল্লাহ আল
বাসরী থেকে উল্লেখ করেছেন, তিনি বলেন, সুর্যাস্তের পর পুনরায় সুর্যের উদিত হওয়ার ঘটনা
বর্ণিত হওয়ার অধিক উপযুওশ্টু, কেননা, যদিও তা আযীরুল মু’মিনীন আলী (রা)-এর ফযীলত
কিন্তু আসলে তা নবুওয়ার্তের অন্যতম নিদর্শন, আর ফযীলতের ক্ষেত্রে তা নবুওয়াতের বহু
অন্যান্য নিদর্শনের সমকক্ষ, এ কথার সারমর্ম হলো এ হাদীসখানি বহু সংখ্যক ও নিভরিযােগ্য
রাবীদের সুত্রে মুতাওয়াতিৱ রুপে’ বর্ণিত হওয়া উচিত ছিল ৷ আর হাদীসখানি প্রকৃতই সহীহ্
হলে এ কথইি যথার্থ হত ৷ কিন্তু তা এভাবে রিওয়ায়াত করা হয়নি ৷ সুতরাং এ থেকেই বোঝা
যায় যে হাদীসখানিসহীহ্ নয় ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আমি (গ্রন্থকার) বলি, সর্বযুগে হাদীস শাত্রের ইমামগণ এ হাদীসের বিশুদ্ধতার কথা
অস্বীকার করে তা প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন এবং এর রাবীদের গ্রহণষেগ্যেতাৱ ব্যাপারে আপত্তি
করে এসেছেন, যেমন আমরা ইতিপুর্বে একাধিক হাফিয-হাদীস থেকে উদ্ধৃত করেছি ৷ এদের
মধ্যে রয়েছেন মুহাম্মদ, ইয়ালা ইবন উবায়দ, দামিশকের খতিব ইব্রাহীম ইবন ইয়াকুব, আবু
বকর মুহাম্মদ ইবন হাতিম আল বুখারী, যিনি ইবন যাওজাওয়ায়হ্ নামে খ্যাত, হাফিয আবুল
কাসিম ইবন আসাকির, শায়খ আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী প্রমুখ প্রাচীন ও পরবর্তীকালের
হাদীসবেত্তাগণ ৷ আর এ হাদীসখানিকে যারা স্পষ্টভাবে জাল ও বানােয়াট আখ্যা দিয়েছেন
এদের অন্যতম হলেন, আমাদের শায়খ হাফিয আবুল হাজ্জাজ মিয্যী, আল্লামা আবুল আব্বাস
ইবন তায়মিয়্যা ৷


عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ. وَقَدْ وَقَعَ فِي كِتَابِ أَبِي بِشْرٍ الدُّولَابِيِّ فِي " الذُّرِّيَّةِ الطَّاهِرَةِ " مِنْ حَدِيثِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ عَنْهُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ شَيْخُ الرَّافِضَةِ جَمَالُ الدِّينِ يُوسُفُ بْنُ الْحَسَنِ، الْمُلَقَّبُ بِابْنِ الْمُطَهَّرِ الْحِلِّيُّ فِي كِتَابِهِ فِي الْإِمَامَةِ الَّذِي رَدَّ عَلَيْهِ فِيهِ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ أَبُو الْعَبَّاسِ بْنُ تَيْمِيَةَ، قَالَ ابْنُ الْمُطَهَّرِ: التَّاسِعُ: رُجُوعُ الشَّمْسِ لَهُ مَرَّتَيْنِ؛ إِحْدَاهُمَا فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالثَّانِيَةُ بَعْدَهُ، أَمَّا الْأُولَى فَرَوَى جَابِرٌ وَأَبُو سَعِيدٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ عَلَيْهِ جِبْرِيلُ يَوْمًا يُنَاجِيهِ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ، فَلَمَّا تَغَشَّاهُ الْوَحْيُ تَوَسَّدَ فَخِذَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَلَمْ يَرْفَعْ رَأْسَهُ حَتَّى غَابَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى عَلِيٌّ الْعَصْرَ بِالْإِيمَاءِ، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: " سَلِ اللَّهَ أَنْ يَرُدَّ عَلَيْكَ الشَّمْسَ فَتُصَلِّيَ قَائِمًا " فَدَعَا، فَرُدَّتِ الشَّمْسُ، فَصَلَّى الْعَصْرَ قَائِمًا.» وَأَمَّا الثَّانِيَةُ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَعْبُرَ الْفُرَاتَ بِبَابِلَ اشْتَغَلَ كَثِيرٌ مِنَ الصَّحَابَةِ بِتَعْبِيرِ دَوَابِّهِمْ، وَصَلَّى لِنَفْسِهِ فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ الْعَصْرَ، وَفَاتَ كَثِيرًا مِنْهُمْ، فَتَكَلَّمُوا فِي ذَلِكَ، فَسَأَلَ اللَّهَ رَدَّ الشَّمْسِ، فَرُدَّتْ. قَالَ: وَقَدْ نَظَّمَهُ الْحِمْيَرِيُّ فَقَالَ: رُدَّتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ لَمَّا فَاتَهُ ... وَقْتُ الصَّلَاةِ وَقَدْ دَنَتْ لِلْمَغْرِبِ حَتَّى تَبَلَّجَ نُورُهَا فِي وَقْتِهَا ... لِلْعَصْرِ ثُمَّ هَوَتْ هُوِيَّ الْكَوْكَبِ
পৃষ্ঠা - ৪৭২৫
وَعَلَيْهِ قَدْ رُدَّتْ بِبَابِلَ مَرَّةً ... أُخْرَى وَمَا رُدَّتْ لِخَلْقٍ مُعْرِبِ قَالَ شَيْخُنَا أَبُو الْعَبَّاسِ، رَحِمَهُ اللَّهُ: فَضْلُ عَلِيٍّ وَوِلَايَتُهُ لِلَّهِ وَعُلُوُّ مَنْزِلَتِهِ عِنْدَ اللَّهِ مَعْلُومٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ، بِطُرُقٍ ثَابِتَةٍ أَفَادَتْنَا الْعِلْمَ الْيَقِينِيَّ، لَا يُحْتَاجُ مَعَهَا إِلَى مَا لَا يُعْلَمُ صِدْقُهُ أَوْ يُعْلَمُ أَنَّهُ كَذِبٌ، وَحَدِيثُ رَدِّ الشَّمْسِ قَدْ ذَكَرَهُ طَائِفَةٌ؛ كَأَبِي جَعْفَرٍ الطَّحَاوِيِّ وَالْقَاضِي عِيَاضٍ وَغَيْرِهِمَا، وَعَدُّوا ذَلِكَ مِنْ مُعْجِزَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَكِنَّ الْمُحَقِّقُونَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْمَعْرِفَةِ بِالْحَدِيثِ يَعْلَمُونَ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ كَذِبٌ مَوْضُوعٌ. ثُمَّ أَوْرَدَ طُرُقَهُ وَاحِدَةً وَاحِدَةً كَمَا قَدَّمْنَا، وَنَاقَشَ أَبَا الْقَاسِمِ الْحَسْكَانِيَّ فِيمَا تَقَدَّمَ، وَقَدْ أَوْرَدْنَا كُلَّ ذَلِكَ وَزِدْنَا عَلَيْهِ وَنَقَصْنَا مِنْهُ، وَاللَّهُ الْمُوَفِّقُ. وَاعْتَذَرَ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ صَالِحٍ الْمِصْرِيِّ فِي تَصْحِيحِهِ هَذَا الْحَدِيثَ بِأَنَّهُ اغْتَرَّ بِسَنَدِهِ، وَعَنِ الطَّحَاوِيِّ بِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ نَقْدٌ جَيِّدٌ لِلْأَسَانِيدِ كَجَهَابِذَةِ الْحُفَّاظِ، وَقَالَ فِي غُضُونِ كَلَامِهِ: وَالَّذِي يُقْطَعُ بِهِ أَنَّهُ كَذِبٌ مُفْتَعَلٌ. قُلْتُ: وَإِيرَادُ ابْنِ الْمُطَهَّرِ لِهَذَا الْحَدِيثِ مِنْ طَرِيقِ جَابِرٍ غَرِيبٌ، وَلَكِنْ لَمْ يُسْنِدْهُ، وَفِي سِيَاقِهِ مَا يَقْتَضِي أَنَّ عَلِيًّا هُوَ الَّذِي دَعَا بِرَدِّ الشَّمْسِ فِي الْأُولَى وَالثَّانِيَةِ، وَأَمَّا إِيرَادُهُ لِقِصَّةِ بَابِلَ فَلَيْسَ لَهَا إِسْنَادٌ، وَأَظُنُّهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ مِنْ وَضْعِ الزَّنَادِقَةِ مِنَ الشِّيعَةِ وَنَحْوِهِمْ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَصْحَابَهُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ قَدْ غَرَبَتُ عَلَيْهِمُ الشَّمْسُ وَلَمْ يَكُونُوا صَلَّوُا الْعَصْرَ، بَلْ قَامُوا إِلَى بُطْحَانَ، وَهُوَ وَادٍ هُنَاكَ، فَتَوَضَّؤُوا وَصَلَّوُا الْعَصْرَ بَعْدَ مَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ، وَكَانَ عَلِيٌّ أَيْضًا فِيهِمْ، وَلَمْ تُرَدَّ لَهُمْ، وَكَذَلِكَ كَثِيرٌ مِنَ الصَّحَابَةِ الَّذِينَ سَارُوا إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ فَاتَتْهُمُ الْعَصْرُ يَوْمَئِذٍ حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَلَمْ تُرَدَّ لَهُمْ، وَكَذَلِكَ لَمَّا نَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَصْحَابُهُ، عَنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ
পৃষ্ঠা - ৪৭২৬
حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ صَلَّوْهَا بَعْدَ ارْتِفَاعِ النَّهَارِ، وَلَمْ يُرَدَّ لَهُمُ اللَّيْلُ، فَمَا كَانَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، يُعْطِي عَلِيًّا وَأَصْحَابَهُ شَيْئًا مِنَ الْفَضَائِلِ لَمْ يُعْطِهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ، وَأَمَّا نَظْمُ الْحِمْيَرِيِّ فَلَيْسَ فِيهِ حُجَّةٌ، بَلْ هُوَ كَهَذَيَانِ ابْنِ الْمُطَهَّرِ هَذَا لَا يَعْلَمُ مَا يَقُولُ مِنَ النَّثْرِ، وَهَذَا لَا يَدْرِي صِحَّةَ مَا يَنْظِمُ، بَلْ كِلَاهُمَا كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ: إِنْ كُنْتُ أَدْرِي فَعَلَيَّ بَدَنَهْ ... مِنْ كَثْرَةِ التَّخْلِيطِ أَنِّي مَنْ أَنَهْ وَالْمَشْهُورُ عَنْ عَلِيٍّ فِي أَرْضِ بَابِلَ مَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي " سُنَنِهِ " «عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ مَرَّ بِأَرْضِ بَابِلَ وَقَدْ حَانَتْ صَلَاةُ الْعَصْرِ، فَلَمْ يُصَلِّ حَتَّى جَاوَزَهَا، وَقَالَ: نَهَانِي خَلِيلِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أُصَلِّيَ بِأَرْضِ بَابِلَ فَإِنَّهَا مَلْعُونَةٌ.» وَقَدْ قَالَ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَزْمٍ فِي كِتَابِهِ " الْمِلَلِ وَالنِّحَلِ " مُبْطِلًا لِرَدِّ الشَّمْسِ عَلَى عَلِيٍّ بَعْدَ كَلَامٍ ذَكَرَهُ رَادًّا عَلَى مَنِ ادَّعَى بَاطِلًا مِنَ الْأَمْرِ، فَقَالَ: وَلَا فَرْقَ بَيْنَ مَنِ ادَّعَى شَيْئًا مِمَّا ذَكَرْنَا لِفَاضِلٍ وَبَيْنَ دَعْوَى الرَّافِضَةِ رَدَّ الشَّمْسِ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ مَرَّتَيْنِ حَتَّى ادَّعَى بَعْضُهُمْ أَنَّ حَبِيبَ بْنَ أَوْسٍ قَالَ: فَرُدَّتْ عَلَيْنَا الشَّمْسُ وَاللَّيْلُ رَاغِمٌ ... بِشَمْسٍ لَهُمْ مِنْ جَانِبِ الْخِدْرِ تَطْلُعُ نَضَا ضَوْؤُهَا صَبْغَ الدُّجُنَّةِ وَانْطَوَى ... لِهَجَّتِهَا نُورُ السَّمَاءِ الْمُرَجَّعُ فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي عَلِيٌّ بَدَا لَنَا ... فَرُدَّتْ لَهُ أَمْ كَانَ فِي الْقَوْمِ يُوشَعُ هَكَذَا أَوْرَدَهُ ابْنُ حَزْمٍ فِي كِتَابِهِ، وَهَذَا الشِّعْرُ تَظْهَرُ عَلَيْهِ الرَّكَّةُ وَالتَّرْكِيبُ، وَأَنَّهُ مَصْنُوعٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.